আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثنتين وثلاثين ومائة

পৃষ্ঠা - ৭৮৬১


থাকল না ৷ সিরীয় নাগরিকদেরকে ছেড়ে দেওয়া হল ৷ তাদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পুর্ণ করা হল ৷
তাদের অঙ্গীকার নেওয়া হল যে, কােনদিন যেন আবু মুসলিমের শত্রুকে তারা সাহায্য না করে ৷
শত্রুর সাথে হাত না মিলায় ৷

এরপর সেনাপতি কাহতাবা আবুআওনকে পাঠাল শাহরযাের অঞ্চাল ৷ তার সাথে ছিল ত্রিশ
হাজার সৈন্য ৷ তাকে পাঠিয়েছিল আবু মুসলিমের নির্দেশে ৷ অড়াবু আওন অভিযান চালিয়ে
শাহরযাের অঞ্চল জয় করে নেয় ৷ সেখানকার প্রশাসক উছমান ইবন সুফয়ানকে হত্যা করে ৷
কেউ বলেছেন তাকে হত্যা করা হয়নি বরং সে মুসেল ও জাযীরার দিকে পালিয়ে গিয়েছিল ৷ আবু
আওন এই বিজয়ের সংবাদ কাহতাবাকে জনােয় ৷

সেনাপতি কাহতাবা এবং আবু মুসলিম থুরাসানীব তৎপরতা ও একের পর এক বিজয়
অর্জনের সংবাদ মড়ারওয়ানের নিকট পৌছতে থাকে ৷ এক পর্যায়ে সে হাররান ছেড়ে “আলবাব-
অড়াল আকবর” নামক স্থানে অবস্থান করতে থাকে ৷

এই হিজরী সনে বিশাল এক সেনা বহর নিয়ে সেনাপতি কাহতাবা ইরাকী প্রশাসক ইয়াযীদ
ইবন উমর ইবন হুবায়রা এর মুকাবিলার জন্যে অগ্রসর হয় ৷ কাহতাবা যখন ইরাকের কাছাকাছি
পৌছে তখন ইবন হুবায়রা পিছু হটে যায় ৷ পেছনে যেতে যেতে সে ফোরাত নদী পার হয়ে যায় ৷
তাকে ধাওয়া করে কাহতাবাও ফোরাত অতিক্রম করে ৷ তাদের সংঘর্ষ বিষয়ক ঘটনা পরবর্তী
হিজরী সনের আলোচনায় উল্লেখ করা হবে ইনশাআল্লাহ্ ৷

১৩২ হিজরী সন

এই হিজরী সনের ঘুহাররম মাসে সেনাপতি কাহতাবা ফুরাত নদী অতিক্রম করে ৷ তার সাথে
ছিল বহু সৈন্য ও অশ্ব ৷ ইবন হুবায়রা তখন ফুরাতের মুখে ফালুজার কাছাকাছি এক স্থানে র্তাবু
ফেলে অবস্থান করছিল ৷ তার সাথেও ছিল বহু লোকজন ও সৈন্য সামম্ভ ৷ কেদ্রীয় খলীফা
মারওয়ান প্রচুর সৈন্য প্রেরণ করেছিল তাকে সাহায্য করার জন্যে ৷ উপরন্তু ইবন দাব্বারা-এর
পরাজিত ও পলাতক সৈন্যগণ তার সাথে যোগ দিয়েছিল ৷ এক পর্যায়ে সেনাপতি কাহতাবা গতি
পরিবর্তন করে কুফার দিকে যাত্রা করল সেটি জয় করার জন্যে ৷

মুহাররম মাসের আ তারিখে উভয় পক্ষে যুদ্ধ শুরু হয় ৷ ভীষণ যুদ্ধ চলে ৷ উভয় পক্ষে

হতাহত হয় বহু লোক ৷ এক পর্যায়ে সিরীয়গণ পরাজিত হয়ে পলায়ন করে ৷ তাদের পেছন পেছন
চলে খুরাসানিগণ ৷ কিন্তু মানুষের ভিড়ে কাহতাবা হারিয়ে যায় ৷ ইতিমধ্যে এক ব্যক্তি এসে সংবাদ
দেয় যে, কাহতাবা নিহত হয়েছে এবং তার অবর্তমানে তার পুত্র হাসান আমীর ও নেতা হবে বলে
ওসিয়ত করে গিয়েছে ৷ হাসান ওখানে উপস্থিত ছিল না ৷ লোকজন হাসানের পক্ষে তার ভাই
হামীদ ইবন কাহতাবা-এর হাতে বায়আত করে ৷ হাসানকে উপস্থিত হবার জন্যে সংবাদবাহক
প্রেরণ করা হয় ৷ ওই রাতে বহু সেনাপতি নিহত হয় ৷ কাহতাবাকে হত্যা করেছিল মাআন ইবন
যাইদাহ এবং ইয়াহ্ইয়া ইবন হুসাইন ৷ কেউ বলেছেন, তারা নয় বরং তার সাথে থাকা জনৈক
ব্যক্তি নাসরের দুই ছোলর হত্যার প্ৰতিশোধস্বরুপ তাকে হত্যা করে ৷ মহান আল্লাহ ভাল জানেন ৷
অন্যান্য নিহতদের মধ্যে কাহতাবা-এর লাশ খুজে পাওয়া যায় ৷ সেখানেই তাকে দাফন করা হয় ৷
হাসান ইবন কাহতাবা ঘটনাস্থলে হাযির হয় ৷ সে কুফা অভিমুখে যাত্রা করে ৷ সেখানে মুহাম্মদ


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِي الْمُحَرَّمِ مِنْهَا جَازَ قَحْطَبَةُ بْنُ شَبِيبٍ الْفُرَاتَ وَمَعَهُ الْجُنُودُ وَالْفُرْسَانُ، وَابْنُ هُبَيْرَةَ مُخَيِّمٌ عَلَى فَمِ الْفُرَاتِ مِمَّا يَلِي الْفَلُّوجَةَ فِي خَلْقٍ كَثِيرٍ وَجَمٍّ غَفِيرٍ، وَقَدْ أَمَدَّهُ مَرْوَانُ بِجُنُودٍ كَثِيرَةٍ، وَانْضَافَ إِلَيْهِ كُلُّ مَنِ انْهَزَمَ مِنْ جَيْشِ ابْنِ ضُبَارَةَ ثُمَّ إِنَّ قَحْطَبَةَ عَدَلَ إِلَى الْكُوفَةِ لِيَأْخُذَهَا، فَاتَّبَعَهُ ابْنُ هُبَيْرَةَ، فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْأَرْبِعَاءِ لِثَمَانٍ مَضَيْنَ مِنَ الْمُحَرَّمِ اقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، وَكَثُرَ الْقَتْلُ فِي الْفَرِيقَيْنِ، وَوَلَّى أَهْلُ الشَّامِ مُنْهَزِمِينَ، وَاتَّبَعَهُمْ أَهْلُ خُرَاسَانَ، وَفُقِدَ قَحْطَبَةُ مِنَ النَّاسِ، فَأَخْبَرَهُمْ رَجُلٌ أَنَّهُ قُتِلَ، وَأَنَّهُ أَوْصَى أَنْ يَكُونَ أَمِيرُ النَّاسِ مِنْ بَعْدِهِ وَلَدَهُ الْحَسَنَ، وَلَمْ يَكُنِ الْحَسَنُ حَاضِرًا، فَبَايَعُوا حُمَيْدَ بْنَ قَحْطَبَةَ لِأَخِيهِ الْحَسَنِ، وَذَهَبَ الْبَرِيدُ إِلَى الْحَسَنِ لِيَحْضُرَ، وَقُتِلَ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ جَمَاعَةٌ مِنْ سَادَاتِ الْأُمَرَاءِ، وَالَّذِي قَتَلَ قَحْطَبَةَ مَعْنُ بْنُ زَائِدَةَ، وَيَحْيَى بْنُ حُصَيْنٍ. وَقِيلَ: بَلْ قَتَلَهُ رَجُلٌ مِمَّنْ كَانَ مَعَهُ آخِذًا بِثَأْرِ بَنِي نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَوُجِدَ قَحْطَبَةُ فِي الْقَتْلَى، فَدُفِنَ هُنَالِكَ، وَسَارَ الْحَسَنُ بْنُ قَحْطَبَةَ نَحْوَ الْكُوفَةِ، وَقَدْ خَرَجَ بِهَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيُّ، وَدَعَا إِلَى بَنِي الْعَبَّاسِ وَسَوَّدَ، وَكَانَ خُرُوجُهُ لَيْلَةَ عَاشُورَاءَ فِي الْمُحَرَّمِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَأَخْرَجَ عَامِلَهَا مِنْ جِهَةِ ابْنِ هُبَيْرَةَ، وَهُوَ زِيَادُ بْنُ صَالِحٍ الْحَارِثِيُّ وَتَحَوَّلَ مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ إِلَى قَصْرِ الْإِمَارَةِ، فَقَصَدَهُ حَوْثَرَةُ فِي عِشْرِينَ أَلْفًا مِنْ جِهَةِ ابْنِ هُبَيْرَةَ، فَلَمَّا اقْتَرَبَ حَوْثَرَةُ مِنَ الْكُوفَةِ
পৃষ্ঠা - ৭৮৬২


ইবন খালিদ আবদুল্লাহ কাসারী মাঠে নেমেছিল ৷ সে আব্বাসী খিলাফতের প্রতি মানুষকে আহ্বান
জানাচ্ছিল ৷ এই হিজরী সনের আওরা দিবসে অর্থাৎ মুহাররমের দর্শ তারিখে মাঠে নেমেছিল ৷ সে
ইবন হুবায়রা-এর পক্ষে নিয়োজিত প্রশাসক যিয়াদ ইবন সালিহ হাযিন্থীকে ওখান থেকে বহিষ্কার
করে ৷ মুহাম্মদ ইবন খালিদ তখন সরকারী প্রশাসনিক ভবনে এনে উঠে ৷ এক পর্যায়ে ইবন
হুবায়বা-এর পক্ষ হতে বিশ হাজার সৈন্য নিয়ে হাওছারাহ এগিয়ে যায় মুহাম্মদ ইবন খড়ালিদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ৷ কিন্তু হাওছড়ারাহ-এব সেনাদল কুফার নিকটবর্তী হবার পর দল ত্যাগ করে
মুহাম্মদ ইবন খালিদের প্রতি অগ্রসর হতে থাকে আব্বাসীদের প্রতি বায়আত করার জন্যে ৷
এমতাবস্থায় হাওছারাহ নিজে “ওয়াসিত” চলে যায় ৷

কেউ কেউ বলেছেন যে, হাসান ইবন কাহ্তাবা কুফা প্রবেশ করে ৷ তার পিতা কাহ্তাবা তার
ওসিয়তে এটা উল্লেখ করছিল যে, খলীফার উযীর হবে আবু সালমায় হাফ্সৃ ইবন সুলায়মান ৷ সে
তখন কুফাতে অবস্থান করছিল ৷ হাসান ও তার সেনাদল কুফা প্রবেশ করার পর উযীর আবু সালমা
পরামর্শ দিল যে, হাসান ইবন কাহ্তাবা যেন কতক সেনাপতি নিয়ে ইবন হুবায়রা এর মুকাবিলা
করার জন্যে ওয়াসিত গমন করে ৷ তার ভাই হামীদ যেন মাদাইন গমন করে এবং যে অন্যান্য
সেনা ইউনিটকে বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করে বিভিন্ন এলাকা জয় করার জন্যে ৷ তারা বসরাও জয়
করে নেয় ৷ ইতিপুর্বে ইবন হুবায়রা-এর পক্ষে মুসলিম ইবন কুতায়বা বসরা দখল করেছিল ৷ ইবন
হুবায়রা এর হত্যাকাণ্ডের পর আবু মালিক আবদুল্লাহ ইবন উসায়দ খুযাঈ আবু মুসলিম খুরাসানীর
পক্ষে বসরা পুনরুদ্ধার করে ৷

এই হিজরী সনের রবীউছ-ছানী মাসের তেব তারিখ জুমুআর রাতে আবু আব্বাস
সাফ্ফাহ এর পক্ষে বায়আত গ্রহণ করা হয় ৷ আবু আব্বাস সড়াফ্ফাহ আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবন
আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব ৷ আবু মাশার ও হিশাম কালবী এই
মন্তব্য করেছেন ৷ ইতিহাসবিদ ওয়াকিদী বলেছেন যে, জুমাদাল উলা মাসে সাফ্ফাহ্ এর পক্ষে
বায়আত নেওয়া হয় ৷

ইমাম ইব্রাহীম ইবন মুহাম্মদের হত্যাকাণ্ড

১২৯ হিজরী সনের আলোচনায় আমরা উল্লেখ করেছি যে, আবু মুসলিম থুরাসানীর নিকট
লিখিত ইমাম ইবরাহীমের একটি চিঠি মারওয়ানের হস্তগত হয়েছিল ৷ ওই চিঠিতে ইমাম
ইবরাহীম নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, খুরাসানে আরবী জানা কোন লোককে যেন জীবিত রাখা না হয় ৷
এই বিষয়ে অবগত হবার পর মারওয়ান ইব্রাহীম সম্পর্কে জানতে চায় ৷ তাকে জানানো হয় যে,
ইব্রাহীম এখন বালকা-তে অবস্থান করছে ৷ মারওয়ান লিখল দামেস্কের প্রশাসককে যেন
ইবরাহীমকে তার নিকট হাযির করা হয় ৷ ইবরাহীমের নাম-পরিচয় ও সংশ্লিষ্ট তথ্যসহ দড়ামেষ্কের
প্রশাসক একজন সংবাদ বাহক পাঠিয়েছিল তার খোজে ৷ সরকারী দুত গম্ভব্যন্থলে গিয়ে
ইবরাহীমের ভাই আবু আব্বাস সাফ্ফাহ্কে দেখতে পায় ৷ আবু আব্বাসকে ইবরাহীম মনে করে
সে তাকে গ্রেফতার করে ৷ পরে তাকে বলা হল যে, ইনি ইবরাহীম নন ৷ ইনি ইবরাহীমের ভাই ৷
পরে ইবরাহীমের ঠিকানা দেওয়া হল ৷ সরকার্দুর্চুদ্ব ষ্ তাকে গ্রেফতার করল ৷ তারপর তাকে এবং
তার প্রিয় জনৈকা দাসীকে নিয়ে কােন্দ্রর উদ্দেশ্যে যাত্রা করল ৷ বিদায় বেলায় তার পরিবারের
ন্নাল-বিদহ্য়া ওয়ান মিহৰুর্যয়৷ ( ১ :-ম খণ্ড)--১ ১


جَعَلَ أَصْحَابُهُ يَذْهَبُونَ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ خَالِدٍ فَيُبَايِعُونَهُ لِبَنِي الْعَبَّاسِ، فَلَمَّا رَأَى حَوْثَرَةُ ذَلِكَ ارْتَحَلَ إِلَى وَاسِطَ. وَيُقَالُ: بَلْ دَخَلَ الْحَسَنُ بْنُ قَحْطَبَةَ الْكُوفَةَ، وَكَانَ قَحْطَبَةُ قَدْ جَعَلَ فِي وَصِيَّتِهِ أَنْ تَكُونَ وِزَارَةُ الْخِلَافَةِ إِلَى أَبِي سَلَمَةَ حَفْصِ بْنِ سُلَيْمَانَ مَوْلَى السَّبِيعِ الْكُوفِيِّ الْخَلَّالِ وَهُوَ بِالْكُوفَةِ فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَيْهِ أَشَارَ أَنْ يَذْهَبَ الْحَسَنُ بْنُ قَحْطَبَةَ فِي جَمَاعَةٍ مِنَ الْأُمَرَاءِ إِلَى قِتَالِ ابْنِ هُبَيْرَةَ بِوَاسِطَ، وَأَنْ يَذْهَبَ أَخُوهُ حُمَيْدٌ إِلَى الْمَدَائِنِ وَبَعَثَ الْبُعُوثَ إِلَى كُلِّ جَانِبٍ مِنْ تِلْكَ النَّوَاحِي يَفْتَتِحُونَهَا، وَفَتَحُوا الْبَصْرَةَ، افْتَتَحَهَا سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ لِابْنِ هُبَيْرَةَ، فَلَمَّا قُتِلَ ابْنُ هُبَيْرَةَ - كَمَا سَيَأْتِي تَفْصِيلُهُ - جَاءَ أَبُو مَالِكٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُسَيْدٍ الْخُزَاعِيُّ فَأَخَذَ الْبَصْرَةَ لِأَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيِّ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ رَبِيعٍ الْآخِرِ مِنْهَا، أُخِذَتِ الْبَيْعَةُ لِأَبِي الْعَبَّاسِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ الْمُلَقَّبِ بِالسَّفَّاحِ. قَالَهُ أَبُو مَعْشَرٍ وَهِشَامُ بْنُ الْكَلْبِيِّ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: فِي جُمَادَى الْأُولَى مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ كَانَتْ خِلَافَةُ السَّفَّاحِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. [ذِكْرُ مَقْتَلِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْإِمَامِ] قَدْ ذَكَرْنَا فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ أَنَّ مَرْوَانَ اطَّلَعَ عَلَى كِتَابٍ مِنْ إِبْرَاهِيمَ
পৃষ্ঠা - ৭৮৬৩


লোকজনকে তিনি এই ওসিয়ত করে গিয়েছিলেন যে, তার পরে খলীফা হয়ে তার ভাই আবু
আব্বাস সাফ্ফাহ্ ৷ তিনি তাদেরকে কুফ৷ চলে যাবার নির্দেশ দিলেন, সেদিনই তারা কুফা
অভিমুখে যাত্রা করে ৷ এই যাত্রীদলে ছিলেন তার ছয় চাচা ৷ সর্বজনাব আবদুল্লাহ, দাউদ, ঈসা ,
সালিহ, ইসমাঈল ও আবদুস সামাদ ৷ র্তারা আলীর ছেলে ৷ দলে আরো ছিলেন তীর দুই ভাই আবু
আব্বাস সাফ্ফাহ্ এবং মুহাম্মদ আৰু মুহাম্মদ ইবন আলী ৷ তার দুই ছেলে মুহাম্মদ এবং আবদুল
ওয়াহ্হাব-ও ওই দলে ছিলেন ৷ এ ছাড়া পরিবারের অন্যরা তো ছিলেনই ৷ র্তার৷ কুফায় পৌছার পর
আবু সালমা খালাল তাদেরকে ওয়ালীদ ইবন সাদের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দেয় ৷ ওয়ালীদ
ছিল হাশিমী গোত্রের মুক্ত করা ক্রীতদাস ৷ প্রায় ৪০ দিন সে তাদের উপস্থিতির কথা সরকারী
লোকদের থেকে গোপন রাখে ৷ এরপর তাদেরকে নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যায় ৷ তারপর
অনবরত স্থান পরিবর্তন করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে আব্বাসীদের হাতে শহরগুলাে বিজিত
হয় ৷ আর আবু আব্বাস সাফ্ফাহ্কে থলীফা মনোনীত করে তার হাতে রায়আত করা হয় ৷

ইমাম ইব্রাহীম ইবন মুহাম্মদকে নিয়ে উপস্থিত করা হয় তৎকালীন খলীফা মারওয়ড়ানের
নিকট ৷ মারওয়ান তখন হাররানে অবস্থান করছিল ৷ সে ইবরাহীমকে বন্দী করে রাখে ৷ তিনি বন্দী
অবস্থায় থাকেন এই ইিজরী সন অর্থাৎ ১৩২ হিজরী সন পর্যন্ত ৷ তারপর এই সনের সফর মাসে
কারাগারে তীর মৃত্যু হয় ৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর ৷

কেউ কেউ বলেছেন যে, তার মুখমণ্ডলে পাতলা কাপড়ে চোপ রাখায় তিনি অজ্ঞান হয়ে
পড়েন এবং তাতে তার মৃত্যু হয় ৷ তখন তার বয়স ছিল ৫১ বছর ৷ বাহলুল ইবন সাফওয়ান
নামক এক ব্যক্তি তার জানাযায় ইমামতি করে ৷

কেউ বলেছেন, ইমাম ইবরাহীমকে গৃহে বন্দী করে রেখে ওই ঘরটি ভেঙ্গে দেওয়া হয় ৷ ঘর
চাপা পড়ে তিনি মারা যান ৷ আবার কেউ বলেছেন যে, তাকে বিষ যেশানাে দুধ পান করানো হয় ৷
তাতে তার মৃত্যু হয় ৷ কারো মতে ইমাম ইব্রাহীম ১৩১ হিজরী সনে হজ্যে উপস্থিত হয়েছিলেন
সেখানে তার নাম ও পরিচিতি ব্যাপক প্রসিদ্ধি লাভ করে ৷ র্তাকে ঘিরে সেখানে প্রচুর
উৎসাহ-উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয় ৷ তার এই জনপ্রিয়তার কথা মারওয়ানের কর্ণগােচর হয় ৷ তাকে
জানানো হয় যে, আবু মুসলিম থুরাসানী জনসাধারণকে এই ব্যক্তির আনুগত্য করার জন্যে আহ্বান
জানড়াচ্ছে ৷ তারা র্তাকে খলীফা নামে আখ্যায়িত করছে ৷ ফলে, ১৩২ হিজরী সনের মুহাবরম মাসে
ইমাম ইবরাহীমকে গ্রেফতার করে মারওয়ানের নিকট প্রেরণ করা হয় ৷ ওই বছর সফর মাসে সে
তাকে হত্যা করে ৷ এটি অপেক্ষাকৃত বিশুদ্ধ অভিমত ৷ কেউ বদ্বলছেন, র্তাকে রালকা হতে নয়
বরং কুফা হতে ধরে নিয়ে গিয়েছিল ৷ মহান আল্লাহ ভাল জানেন ৷

আলোচ্য ইমাম ইররাহীম একজন ভদ্র-সম্রান্ত দানশীল ও বহু মর্যাদাবান ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি
তীর পিতার মাধ্যমে তার দাদা হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আবু হাশিম আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ
ইবন হসোফিয়্যা হতেও তিনি হাদীস বংনাি করেছেন ৷ তীর থেকে হাদীস বংনাি করেছে তীর ভাই
আবু আব্বাস সাফ্ফাহ্, আবু জাফর আবদুল্লাহ আল-মানসুর , আবু সালামা আবদুর রহমান ইবন
মুসলিম থুরাসানী এবং মালিক ইবন হাশিম প্রমুখ ৷ তার মুল্যবান বক্তব্যের একটি হল পুর্ণাঙ্গ
মানবিকতা সম্পন্ন মানুষ সেই ব্যক্তি যে তার ইইদ্বনের হিফাযত করে আত্মীয়তা বজায় রাখে এবং
সমালোচনা যোগ্য কর্ম পরিহার করে ৷


الْإِمَامِ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيِّ يَأْمُرُهُ فِيهِ بِأَنْ لَا يُبْقِي أَحَدًا بِأَرْضِ خُرَاسَانَ مِمَّنْ يَتَكَلَّمُ بِالْعَرَبِيَّةِ إِلَّا أَبَادَهُ، فَلَمَّا وَقَفَ مَرْوَانُ عَلَى ذَلِكَ سَأَلَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ فَقِيلَ لَهُ: هُوَ بِالْبَلْقَاءِ. فَكَتَبَ إِلَى نَائِبِ دِمَشْقَ أَنْ يُحْضِرَهُ، وَبَعَثَ رَسُولًا فِي ذَلِكَ وَمَعَهُ صِفَتُهُ وَنَعْتُهُ، فَذَهَبَ الرَّسُولُ، فَوَجَدَ أَخَاهُ أَبَا الْعَبَّاسِ السَّفَّاحَ فَاعْتَقَدَ أَنَّهُ هُوَ، فَأَخَذَهُ فَقِيلَ لَهُ: إِنَّهُ لَيْسَ بِهِ، وَإِنَّمَا هُوَ أَخُوهُ. فَدَلَّ عَلَى إِبْرَاهِيمَ فَأَخَذَهُ وَذَهَبَ مَعَهُ بِأُمِّ وَلَدٍ لَهُ يُحِبُّهَا، وَأَوْصَى إِلَى أَهْلِهِ أَنْ يَكُونَ الْخَلِيفَةَ مِنْ بَعْدِهِ أَخُوهُ أَبُو الْعَبَّاسِ السَّفَّاحُ وَأَمَرَهُمْ بِالْمَسِيرِ إِلَى الْكُوفَةِ، فَارْتَحَلُوا مِنْ فَوْرِهِمْ إِلَيْهَا، وَكَانُوا جَمَاعَةً، مِنْهُمْ أَعْمَامُهُ السِّتَّةُ، وَهُمْ عَبْدُ اللَّهِ، وَدَاوُدُ، وَعِيسَى، وَصَالِحٌ، وَإِسْمَاعِيلُ، وَعَبْدُ الصَّمَدِ بَنُو عَلِيٍّ وَأَخَوَاهُ أَبُو الْعَبَّاسِ عَبْدُ اللَّهِ، وَيَحْيَى ابْنَا مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ وَابْنَاهُ مُحَمَّدٌ، وَعَبْدُ الْوَهَّابِ ابْنَا إِبْرَاهِيمَ الْإِمَامِ الْمَمْسُوكِ وَخَلْقٌ سِوَاهُمْ، فَلَمَّا دَخَلُوا الْكُوفَةَ أَنْزَلَهُمْ أَبُو سَلَمَةَ الْخَلَّالُ دَارَ الْوَلِيدِ بْنِ سَعْدٍ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ فِي بَنِي أَوْدٍ وَكَتَمَ أَمْرَهُمْ نَحْوًا مِنْ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً مِنَ الْقُوَّادِ وَالْأُمَرَاءِ، ثُمَّ ارْتَحَلَ بِهِمْ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى مَوْضِعٍ آخَرَ، حَتَّى فُتِحَتِ الْبِلَادُ، ثُمَّ بُويِعَ لِلسَّفَّاحِ. وَأَمَّا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْإِمَامُ فَإِنَّهُ سِيرَ بِهِ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ مَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ وَهُوَ بِحَرَّانَ فَحَبَسَهُ كَمَا قَدَّمْنَا، وَمَا زَالَ فِي السِّجْنِ إِلَى هَذِهِ
পৃষ্ঠা - ৭৮৬৪
السَّنَةِ، فَمَاتَ فِي صَفَرٍ مِنْهَا فِي السِّجْنِ، عَنْ ثَمَانٍ وَأَرْبَعِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: إِنَّهُ غُمَّ بِمُرْفَقَةٍ وُضِعَتْ عَلَى وَجْهِهِ حَتَّى مَاتَ عَنْ إِحْدَى وَخَمْسِينَ سَنَةً، وَصَلَّى عَلَيْهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: مُهَلْهَلُ بْنُ صَفْوَانَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ هُدِمَ عَلَيْهِ بَيْتٌ حَتَّى مَاتَ. وَقِيلَ: بَلْ سُقِيَ لَبَنًا مَسْمُومًا فَمَاتَ. وَقِيلَ: إِنَّ إِبْرَاهِيمَ الْإِمَامَ شَهِدَ الْمَوْسِمَ عَامَ إِحْدَى وَثَلَاثِينَ، وَاشْتَهَرَ أَمْرُهُ هُنَالِكَ ; لَأَنَّهُ وَقَفَ فِي أُبَّهَةٍ عَظِيمَةٍ، وَنَجَائِبَ كَثِيرَةٍ، وَحُرْمَةٍ وَافِرَةٍ، فَأَنْهَى أَمْرَهُ إِلَى مَرْوَانَ وَقِيلَ لَهُ: إِنَّ أَبَا مُسْلِمٍ إِنَّمَا يَدْعُو النَّاسَ إِلَى هَذَا، وَيُسَمُّونَهُ الْخَلِيفَةَ. فَبَعَثَ إِلَيْهِ فِي الْمُحَرَّمِ مِنْ سَنَةِ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ، وَقَتَلَهُ فِي صَفَرٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. وَهَذَا أَصَحُّ مِمَّا تَقَدَّمَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ إِنَّمَا أُخِذَ مِنَ الْكُوفَةِ لَا مِنْ حُمَيْمَةِ الْبَلْقَاءِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ كَانَ إِبْرَاهِيمُ هَذَا كِرِيمًا جَوَادًا مُمَدَّحًا، لَهُ فَضَائِلُ وَفَوَاضِلُ، رَوَى الْحَدِيثَ عَنْ أَبِيهِ وَجَدِّهِ وَأَبِي هَاشِمٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَنَفِيَّةِ وَعَنْهُ أَخَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ أَبُو الْعَبَّاسِ السَّفَّاحُ، وَأَبُو جَعْفَرٍ عَبْدُ اللَّهِ الْمَنْصُورُ، وَأَبُو مُسْلِمٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيُّ، وَمَالِكُ بْنُ الْهَيْثَمِ وَمِنْ كَلَامِهِ الْحَسَنِ قَوْلُهُ: الْكَامِلُ الْمُرُوءَةِ مَنْ أَحْرَزَ دِينَهُ، وَوَصَلَ رَحِمَهُ، وَاجْتَنَبَ مَا يُلَامُ عَلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৭৮৬৫


ইমাম ইব্রাহীম ইবন মুহাম্মদের নিহত হবার সংবাদ যখন কফাবাসীদের নিকট পৌছে তখন
আবু সালমা খাল্লাল খিলাফতের পদ আলী বংশীয়দের প্ৰতি ন্যস্ত করার ইচ্ছা করেছিল ৷ কিন্তু
অন্যান্য আমীর-উমারা ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ তা হতে দেয়নি , তারা অবিলম্বে আবু আব্বাস
সাফ্ফাহ্কে উপস্থিত করে এবং তীর হাতে খিলাফত নম্ভে করে ৷ র্তাকে খলীফা মনোনীত করে ৷
এ ঘটনা ঘটেছিল কুফাতে ৷ তখন তীর বয়স ২৬ বছর ৷ সর্বপ্রথম আবু সালামা আলু-খাল্লাল
তাকে খলীফারুপে মেনে নিয়ে বায়আত করে ৷ তা ছিল এই হিজরী সনের অর্থাৎ ১৩২ হিজরী
সনের রবিউছ-ছানী মাসের তেব তারিখ জুমুআরাতের ঘটনা ৷ পরের দিন জুমুআর সময় একটি
খাকী রঙের পাধার পিঠে সওয়ার হয়ে সাফ্ফাহ্ মসজিদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ সশস্ত্র
সৈনিকপণ তার সাথে ছিল ৷ তিনি প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করলেন ৷ তারপর জামে মসজিদে
গিয়ে জুমুআর নড়ামায়ে ইমামর্তী করলেন ৷ এরপর মিম্বরে আরোহণ করলেন ৷ জনগণ তীর হাতে
বায়আত করে ৷ তিনি ছিলেন মিম্বরের সর্বোচ্চ সিড়িতে ৷ তার চাচা দাউদ ইবন আলী তার
তিন-সিড়ি নীচে অবস্থান করছিলেন ৷ সাফ্ফাহ্ বক্তব্য রাখলেন ৷ সর্বপ্রথম তিনি বললেন, সব
প্রশংসা সেই মহান আল্লাহ্র যিনি নিজের জন্যে ইসলাম ধর্মকে বেছে নিয়েছেন ৷ তিনি এই ধর্মকে
সম্মান ও মার্যাদাবান করেছেন ৷ আমাদের জন্যে এই ধর্ম মনোনীত করেছেন ৷ আমাদের দ্বারা
এটিকে শক্তিশালী করেছেন ৷ আমাদেরকে এই ধর্মের অনুসারী , র ক্ষক , প্ৰতিষ্ঠাকারী ও
সাহায্যকারী বানিয়েছেন ৷ তাকওয়ার বাণী আমাদের জন্যে আবশ্যব করে দিয়েছেন ৷ আমাদের
তাকওয়া অবলম্বনের উপযুক্ত ও অগ্রাধিকারী করেছেন ৷ তার রাসুলের আত্মীয়তায় আমাদেরকে
ধন্য করেছেন ৷ ইসলাম ও মুসলমানদের সমন্বয়ে আমাদেরকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত
করেছেন ৷ তিনি মুসলমানদের উপর কিতাব নাযিল করেছেন যা তাদের নিকট পাঠ করা হয় ৷ এ
প্রসছুগে মহান আল্লাহ্ ইরশাদ করেন :

)

াৰুর্দুা
“হে নবী-পরিবার ! আল্লাহ্ তো চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দুর করতে এবং
তােমাদেরকে সম্পুর্ণরুপে পবিত্র করতে ৷ (সুরা আহযাব : ৩৩)” ৷ আল্লাহ্ তা আল৷ আরো ইরশাদ
করেন :
ষ্ট্রুদ্দুমুদু ৷ ষ্১ ম্ভট্টড্রুদ্বু ৷ ৰু৷ ৷ ৷ট্রু র্মু৷ ধ্ঠু: ণ্ওাহু৷ খৃ ট্রুাট্র
“বলুন, আমি এর বিনিময়ে তোমাদের নিকট কোন প্ৰতিদান চাই না আত্মীয়দের সৌহার্দা
ব্যতীত (সুরা শুরা : ২৩)” ৷ মহান আল্লাহ্ আরো ইরশাদ করেন হ্র



[خِلَافَةُ أَبِي الْعَبَّاسِ السَّفَّاحِ] لَمَّا بَلَغَ أَهْلَ الْكُوفَةِ مَقْتَلُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ أَرَادَ أَبُو سَلَمَةَ الْخَلَّالُ أَنْ يُحَوِّلَ الْخِلَافَةَ إِلَى آلِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَغَلَبَهُ بَقِيَّةُ النُّقَبَاءِ وَالْأُمَرَاءِ عَلَى أَمْرِهِ، وَأَحْضَرُوا أَبَا الْعَبَّاسِ السَّفَّاحَ وَسَلَّمُوا عَلَيْهِ بِالْخِلَافَةِ، وَذَلِكَ بِالْكُوفَةِ وَكَانَ عُمْرُهُ إِذْ ذَاكَ سِتًّا وَعِشْرِينَ سَنَةً، وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ سَلَّمَ عَلَيْهِ بِالْخِلَافَةِ أَبُو سَلَمَةَ الْخَلَّالُ، وَذَلِكَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَبِيعٍ الْآخِرِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، فَلَمَّا كَانَ وَقْتُ صَلَاةِ الْجُمُعَةِ خَرَجَ أَبُو الْعَبَّاسِ السَّفَّاحُ عَلَى بِرْذَوْنٍ أَبْلَقَ، وَالْجُنُودُ مُلَبَّسَةٌ مَعَهُ، حَتَّى دَخَلَ دَارَ الْإِمَارَةِ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ، فَصَلَّى بِالنَّاسِ، ثُمَّ صَعِدَ الْمِنْبَرَ، وَبَايَعَهُ النَّاسُ يَوْمَئِذٍ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ فِي أَعْلَاهُ، وَعَمُّهُ دَاوُدُ بْنُ عَلِيٍّ وَاقِفٌ دُونَهُ بِثَلَاثِ دَرَجٍ، وَتَكَلَّمَ السَّفَّاحُ وَكَانَ أَوَّلَ مَا نَطَقَ بِهِ أَنْ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي اصْطَفَى الْإِسْلَامَ لِنَفْسِهِ فَكَرَّمَهُ وَشَرَّفَهُ وَعَظَّمَهُ، وَاخْتَارَهُ لَنَا، وَأَيَّدَهُ بِنَا، وَجَعَلَنَا أَهْلَهُ وَكَهْفَهُ وَالْقُوَّامَ بِهِ وَالذَّابِّينَ عَنْهُ وَالنَّاصِرِينَ لَهُ، وَأَلْزَمَنَا كَلِمَةَ التَّقْوَى، وَجَعَلَنَا أَحَقَّ بِهَا وَأَهْلَهَا، خَصَّنَا بِرَحِمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَرَابَتِهِ، وَاشْتَقَّنَا مَنْ نَبْعَتِهِ، وَوَضَعَنَا مِنَ الْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ بِالْمَوْضِعِ الرَّفِيعِ، وَأَنْزَلَ بِذَلِكَ عَلَى أَهْلِ الْإِسْلَامِ كِتَابًا يُتْلَى عَلَيْهِمْ، فَقَالَ تَعَالَى: {إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا} [الأحزاب: 33] . وَقَالَ: {قُلْ لَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَى} [الشورى: 23] .
পৃষ্ঠা - ৭৮৬৬


“আপনার নিকটাত্মীয়বর্গকে সতর্ক করে দিন (সুরা শুআর৷ € ২১ : )” ৷ মহান আল্লাহ ইরশাদ
করেন :

ট্রুন্

“আল্লাহ এই জনপদবাসীদের নিকট হতে র্তা ৷র রাসুলকে যা কিছু দ ৷ন করেদে ন তা আল্লাহর,
র্তার রাসুলের, রাসুলের স্বজনদের, ইয়াতীমদের এবং অভাবপ্রস্তদের এবং পথচারীদের (সুরা
হাশর : ৭)” ৷

রন্তুত এসকল আয়াতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ আমরা যারা নবী পাকের আত্মীয় তাদের মর্যাদা
ও সম্মান বর্ণনা করে দিয়েছেন এবং আমাদের প্রাপ্যও ভালবাসা অন্যদের জন্যে আবশ্যক করে
দিয়েছেন ৷ আমাদের মর্যাদার নিরিখে যুদ্ধ-লব্ধ মালামালে আমা৷দর অংশ নির্ধারিত করে
দিয়েছেন ৷ আল্লাহ মহা অনুপ্রহশীল ৷

পথভ্রষ্ট লোকেরা মনে করেছে যে, খিলাফত , ৫নতৃতু ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অন্যরা আমাদের
চেয়ে অধিক দাবীদার ৷ তাদের মুখমণ্ডল বিবর্ণ হোক ৷ হে লোক সকল ৰু আমাদের দ্বারা মহান
আল্লাহ মানব জাতিকে গােমরাহীর পর হিদায়াতের পথে এনেছেন ৷ ওদের অজ্ঞতার পর তিনি
তাদেরকে সাহায্য করেছেন ৷ ধ্বংসের মুখোমুখি হবার পর তাদেরকে উদ্ধার করেছেন ৷ আমাদের
মাধ্যমে তিনি সত্য প্রকাশ করেছেন ৷ অসত্য বিদুরিত করেছে ন ৷ আমাদের মা ধ্যাম তিনি মানুষের
ত্রুটিগুলাে স শোধন করে দিয়েছেন ৷ হীন৩ তা থেকে উচুতে ভুলেছেন ৷ কমতিকে পুংতিা
দিয়েছেন ৷ বিচ্ছিন্ন৩ ৷কে ঐকে৷ রুপ ম্ভবিত করেছেন ৷ ফলে পরস্পর ৷ত্রু থাকার পর মানুষ
পরস্পর সহানুভুতিশীল, সহমমী, অনুগ্রহশীল ও দয়ার্দ্র হয়ে উঠেছে ৷ দুনিয়ার জীবনে ৷ আর
পরকালীন জীবনের জন্যে মুখোমুখি পালংকে উপবিষ্ট হবার যােপ্যতাসম্পন্ন তা ই-ভাই হয়ে

গিয়েছে ৷ প্রিয়নবী মুহাম্মদ মুস্তফ৷ (সা) এর ওসীলায় আল্লাহ তা জানা আমাদের জন্যে নিআমতের
এই দরজা খুলে দিয়েছেন ৷ ,

মহান আল্লাহ তার প্রিয় রাসুলকে তুলে নেবার পর তার সাহাবীপণ এই দায়িতৃ পালন
করেছেন ৷ র্তাদের কর্ম ছিল পরস্পর পরামর্শ ভিত্তিক ৷ উম্মতের উঔরাধি কারিতুকে তারা
ন্যায়পরায়ণতার সাথে প্রতিষ্ঠা করেছেন ৷ প্রত্যেক বিষয়কে তারা য়থান্থ চান স্থাপন করেছেন ৷
প্রাপককে প্রাপ্য প্রদান করেছেন ৷ দুর্বল ও অশুদ্ধ বিষয়গুলো পরিহার করেছেন ৷ এরপর হারব ও
মারওয়ানের বংশধরেরা মাথা ৷ড়া ৷দিয়ে উঠল ৷ এই পদ তার৷ ছিনিয়ে নিল ৷ নিজেদের মধ্যে
হস্তান্তর করতে লাপল ৷ এ বিষয়ে তারা যুলুম ও অন্যায় পথে চলেছে ৷ জনসাধারণের উপর
নির্যা ৩ন চালিয়েছে ৷ মহান আল্লাহ৩ ৩াদেরকে কিছু দিন অবকাশ দিয়েছিলেন ৷প্রুপ্রু ৷ এে

fl ’ :

(ণ্;ষ্ ৷া; ৷ ষ্যখন ওরা আমাকে ক্রোধা ৷তন্বি ৩করল আমি তাদেরকে শাস্তি দিল ম) ৷ তারপর
মহান আল্লাহ ওদের হাত থেকে ওই কর্ততু ছিনিয়ে নিয়ে আমাদের হাতে অর্পণ করলেন ৷
আমাদের প্রাপ্য আমাদেরকে ফিরিয়ে দিলেন ৷ আমাদের দ্বারা উম্মতের ক্ষতি পুররুং র ব্যবস্থা
করলেন ৷ তিনি নিজে আমাদের অভিভাবকতৃ গ্রহণ করলেন ৷ আমাদেরকে সাহায্য করতে প্রস্তুত


وَقَالَ: {وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ} [الشعراء: 214] . وَقَالَ: {مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى} [الحشر: 7] . فَأَعْلَمَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَضْلَنَا، وَأَوْجَبَ عَلَيْهِمْ حَقَّنَا وَمَوَدَّتَنَا، وَأَجْزَلَ مِنَ الْفَيْءِ وَالْغَنِيمَةِ نَصِيبَنَا ; تَكْرِمَةً لَنَا، وَفَضْلَةً عَلَيْنَا، وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ، وَزَعَمَتِ السَّبَئِيَّةُ الضُّلَّالُ أَنَّ غَيْرَنَا أَحَقُّ بِالرِّيَاسَةِ وَالسِّيَاسَةِ وَالْخِلَافَةِ مِنَّا، فَشَاهَتْ وُجُوهُهُمْ، بِمَ وَلِمَ أَيُّهَا النَّاسُ؟ ! وَبِنَا هَدَى اللَّهُ النَّاسَ بَعْدَ ضَلَالَتِهِمْ، وَبَصَّرَهُمْ بَعْدَ جَهَالَتِهِمْ، وَأَنْقَذَهُمْ بَعْدَ هَلَكَتِهِمْ، وَأَظْهَرَ بِنَا الْحَقَّ، وَأَدْحَضَ بِنَا الْبَاطِلَ، وَأَصْلَحَ بِنَا مِنْهُمْ مَا كَانَ فَاسِدًا، وَرَفَعَ بِنَا الْخَسِيسَةَ، وَأَتَمَّ النَّقِيصَةَ، وَجَمَعَ الْفِرْقَةَ، حَتَّى عَادَ النَّاسُ بَعْدَ الْعَدَاوَةِ أَهْلَ تَعَاطُفٍ وَبِرٍّ وَمُوَاسَاةٍ فِي دُنْيَاهُمْ، وَإِخْوَانًا عَلَى سُرُرٍ مُتَقَابِلِينَ فِي أُخْرَاهُمْ، فَتَحَ اللَّهُ ذَلِكَ مِنَّةً وَمِنْحَةً لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا قَبَضَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ قَامَ بِذَلِكَ الْأَمْرِ مِنْ بَعْدِهِ أَصْحَابُهُ، وَأَمْرُهُمْ شُورَى بَيْنِهِمْ، فَحَوَوْا مَوَارِيثَ الْأُمَمِ، فَعَدَلُوا فِيهَا، وَوَضَعُوهَا مَوَاضِعَهَا، وَأَعْطَوْهَا أَهْلَهَا، وَخَرَجُوا خِمَاصًا مِنْهَا، ثُمَّ وَثَبَ بَنُو حَرْبٍ وَمَرْوَانٍ فَابْتَزُّوهَا وَتَدَاوَلُوهَا، فَجَارُوا فِيهَا، وَاسْتَأْثَرُوا بِهَا، وَظَلَمُوا أَهْلَهَا، فَأَمْلَى اللَّهُ لَهُمْ حِينًا حَتَّى آسَفُوهُ، فَلَمَّا آسَفُوهُ انْتَقَمَ مِنْهُمْ بِأَيْدِينَا، وَرَدَّ عَلَيْنَا حَقَّنَا، وَتَدَارَكَ بِنَا أُمَّتَنَا، وَوَلِيَ نَصْرَنَا وَالْقِيَامَ بِأَمْرِنَا ; لِيَمُنَّ بِنَا عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الْأَرْضِ، وَخَتَمَ بِنَا كَمَا افْتَتَحَ بِنَا، وَإِنِّي لَأَرْجُوَ أَنْ لَا يَأْتِيَكُمُ الْجَوْرُ مِنْ حَيْثُ جَاءَكُمُ الْخَيْرُ، وَلَا الْفَسَادُ مِنْ حَيْثُ جَاءَكُمُ الصَّلَاحُ، وَمَا تَوْفِيقُنَا أَهْلَ الْبَيْتِ إِلَّا بِاللَّهِ، يَا أَهْلَ الْكُوفَةِ، أَنْتُمْ مَحَلُّ مَحَبَّتِنَا وَمَنْزِلُ مَوَدَّتِنَا، وَأَنْتُمْ أَسْعَدُ النَّاسِ بِنَا وَأَكْرَمُهُمْ عَلَيْنَا،
পৃষ্ঠা - ৭৮৬৭


থাকলেন ৷ যাতে আমাদের মাধ্যমে বিশ্বের দুর্বল মানুষদের প্ৰতি অনুগ্রহ করতে পারেন ৷
আমাদেরকে দিয়ে তিনি শুরু করেছিলেন আমাদেরকে দিয়েই তা সমাপ্ত করলেন ৷ আমি আশা
করছি যে, যে প্রান্ত থেকে কল্যাণ এসেছে যে প্রান্ত থেকে যুলুম আসবে না ৷ যেদিক থেকে
শুদ্ধতা এসেছে সেদিক থেকে বিপর্যয় আসবে না ৷ আমরা যারা আহ্লে বায়ত তথা নবী-পরিবাব
মহান আল্লাহর দেওয়া শক্তি-সামর্থ্য ব্যতীত আমাদের কোন শক্তি-সামর্থ্য নেই ৷

ওহে কুফাবাসিগণ ! আপনারা আমাদের প্রিয় পাত্র, আপনারা আমাদের ভালবাসার মানুষ ৷
আমাদেরকে দিয়ে আপনারা অধিকতর ভাগ্যবান হয়েছেন এবং আমাদের নিকট সম্মান লাভ
করেছেন ৷ আপনাদের রাব্রীয় ভা৩ তা আমি ১০০ দিরহাম করে বৃদ্ধি করে দিলাম ৷ কাজেই,
আপনারা প্রস্তুত থাকুন ৷ আমি কিন্তু দুর্দান্ত ধ্বং ×সশালী ৷ বক্তৃতার সময় সাফ্ফাহ্ রোগাক্রাম্ভ
ছিলেন ৷ বক্তৃতা দিতে গিয়ে তার অসুস্থতা আরো বেড়ে গেল ৷ তিনি মিম্বরের উপর বসে
পড়লেন ৷

এবার তার চাচা দ উদ উঠে দাড়ালেন ৷ তিনি বললেন, যাবতীয় পশ ৷ৎস৷ মহান আল্লাহ্
তা জানার ৷ তিনি আমাদের শত্রুদেরকে ধ্বংস করেছেন সেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশে এই প্ৰশ ×স৷ ৷
তিনি আমাদের উত্তরাধিকারিতৃ আমাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ৷ হে লোক সকল ৷ এখন দুঃখ
রজনীর অন্ধকার কেটে গেছে ৷ এখন আসমান ও যমীন আলোকময় হয়ে উঠেছে ৷ এখন
খিলাফতের সুর্য তার মুল উদয়ন্থল হতে উদিত হয়েছে ৷ সুর্য যথান্থানে প্রত্যাবর্তন করেছে ৷
প্রত্যাবর্তন করেছে তোমাদের নবীর পরিবারের নিকট ৷ স্নেহময়, দয়াশীল ও অনুগ্রহকামী নবীর

ৎশধরদের নিকট ৷

ওহে ণ্লাক সকল ! আমরা ধন-সম্পদ অর্জনের উদ্দেশ্যে খিলাফতে র পেছনে ছুটিনি ৷ আমরা
নদী ও জলাশয় খনন, দালান ও প্রাসাদ নির্মাণ ৷এব× স্বর্ণ ও রৌপ্য সঞ্চয়ের জন্যে এই আন্দোলন
পরিচালনা করিনি ৷ আমাদের আত্মসম্মান আমাদেরকে এই আন্দোলনে ঠেলে দিয়েছে ; আমাদের
অধিকার ছিনিয়ে আনা, চাচাত গোষ্ঠির প্রতি বিদ্বেষ, ৫৩ মে ৷ দের প্ৰতি উম ৷ হয় ৷ দের অ ন পাচারণ ও
লাঞ্চুনা, দা ন সাদাক৷ ও রাষ্টীয় সম্পদে তাদের স্বজনপ্রীতি আমাদেরকে এই আন্দোলনের উদ্বুদ্ধ
করেছে ৷ এখন তোমাদের জন্যে আমাদের উপর আল্লাহ্ ও৩ তার রাসুলের যিমাদারী এবং হযরত
আব্বাসের যিম্মাদ৷ রী রয়েছে ৷ আমরা তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কিত৷ ৷ব অনুযায়ী ফায়সালা করব ৷
আমরা নিজে ন্থ৷ অ ৷ল্লাহ্র কিতাব অনুযায়ী কার্য পরিচ৷ ৷ালন করব এবং রাসুলুল্ল ৷হ (সা ) এর জীবনাদর্শ

মুতাবিক অ৷ শরাফ-আতরাফ সকলে মিলে নিজেদের জীবন পরিচালনা করব ৷ ধ্বংস বনু
উম ৷ইয়াদের জন্যে ধ্ব×স বনু মারওয়ানের জন্যে ৷ ওরা নগদকে বাকীর উপর প্রাধান্য দিয়েছে ৷
অস্থায়ী জীবনকে চিরস্থায়ী জীবনের উপর প্রাধান্য দিয়েছে ৷ তারা পা ৷পাচারি৩ ৷য় জড়িয়ে পড়েছিল
এবং জনসাধারণের উপর যুলুম করেছিল ৷ তারা হ রাম ও নিষিদ্ধ কর্ম সংঘটিত করেছিল ৷
জনসাধারণের প্রতি অন্যায় আচরণ করেছিল ৷

মহান আল্লাহর দেওয়া অবকাশ সম্পর্কো৷ফিল হয়ে, মহান আল্লাহর পাকড়াও সম্পর্কে অন্ধ
হয়ে এবং মহান আল্লাহর কৌশল সম্পর্কে নির্ভয় থেকে তারা গোমরাহী ও বিভ্রাত্তির ময়দানে
ঘোড়া দৌড়িয়েছি ৷ রাজে৷ ও দেশে গৌরব ও অহ×কারের আচরণ করেছে ৷ ফলে আল্লাহর আবার

তাদের উপর নেমে এসেছে যখন তারা ছিল ঘুমম্ভ ৷ শেষ পর্যন্ত তারা হয়ে গেল কাহিনীর




وَقَدْ زِدْتُكُمْ فِي أَعْطِيَاتِكُمْ مِائَةَ دِرْهَمٍ، فَاسْتَعِدُّوا، فَأَنَا السَّفَّاحُ الْهَائِجُ، وَالثَّائِرُ الْمُبِيرُ. وَكَانَ بِهِ وَعْكٌ، فَاشْتَدَّ عَلَيْهِ حَتَّى جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَنَهَضَ عَمُّهُ دَاوُدُ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ شُكْرًا شُكْرًا شُكْرًا الَّذِي أَهْلَكَ عَدُوَّنَا، وَأَصَارَ إِلَيْنَا مِيرَاثَنَا مِنْ نَبِيِّنَا، أَيُّهَا النَّاسُ، الْآنَ انْقَشَعَتْ حَنَادِسُ الظُّلُمَاتِ، وَانْكَشَفَ غِطَاؤُهَا، وَأَشْرَقَتْ أَرْضُهَا وَسَمَاؤُهَا، وَطَلَعَتِ الشَّمْسُ مِنْ مَطْلَعِهَا، وَبَزَغَ الْقَمَرُ مِنْ مِبْزَغِهِ، وَرَجَعَ الْحَقُّ إِلَى نِصَابِهِ فِي أَهْلِ بَيْتِ نَبِيِّكُمْ ; أَهِلِ الرَّأْفَةِ وَالرَّحْمَةِ بِكُمْ وَالْعَطْفِ عَلَيْكُمْ، أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّا وَاللَّهِ مَا خَرَجْنَا فِي طَلَبِ هَذَا الْأَمْرِ لِنُكْثِرَ لُجَيْنًا وَلَا عِقْيَانًا، وَلَا لِنَحْفِرَ نَهْرًا، وَلَا لِنَبْنِيَ قَصْرًا، وَإِنَّمَا أَخْرَجَنَا الْأَنَفَةُ مِنَ ابْتِزَازِهِمْ حَقَّنَا، وَالْغَضَبُ لِبَنِي عَمِّنَا، وَلِسُوءِ سِيرَةِ بَنِي أُمَيَّةَ فِيكُمْ، وَاسْتِذْلَالُهُمْ لَكُمْ، وَاسْتِئْثَارُهُمْ بِفَيْئِكُمْ وَصَدَقَاتِكُمْ، فَلَكُمْ عَلَيْنَا ذِمَّةُ اللَّهِ وَذِمَّةُ رَسُولِهِ وَذِمَّةُ الْعَبَّاسِ أَنْ نَحْكُمَ فِيكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ، وَنَعْمَلَ بِكِتَابِ اللَّهِ، وَنَسِيرَ فِي الْعَامَّةِ مِنْكُمْ وَالْخَاصَّةِ بِسِيرَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، تَبًّا تَبًّا لِبَنِي أُمَيَّةَ وَبَنِي مَرْوَانَ آثَرُوا الْعَاجِلَةَ عَلَى الْآجِلَةِ، وَالدَّارَ الْفَانِيَةِ عَلَى الدَّارِ الْبَاقِيَةِ، فَرَكِبُوا الْآثَامَ وَظَلَمُوا الْأَنَامَ، وَارْتَكَبُوا الْمَحَارِمَ، وَغَشَوُا الْجَرَائِمَ، وَجَارُوا فِي سِيرَتِهِمْ فِي الْعِبَادِ، وَسُنَّتِهِمُ فِي الْبِلَادِ، الَّتِي بِهَا اسْتَلَذُّوا تَسَرْبُلَ الْأَوْزَارِ، وَتَجَلْبُبَ الْآصَارِ، وَمَرِحُوا فِي أَعِنَّةِ
পৃষ্ঠা - ৭৮৬৮

বিষয়বস্তু ৷ তারা হয়ে গেল ছিন্ন ভিন্ন ৷ ধ্বংস হয়ে গেল যালিম সম্প্রদায় ৷ মহান আল্লাহ
মারওয়ানকে লাঞ্ছিত করলেন ৷ অথচ চরম প্ৰত রক ইবলীস তাকে প্রভাবিত করেছিল মহান
আল্লাহ সম্পকে ৷

আল্লাহর দুশমন মারওয়ান তার ঘোড়া ছুঢিয়েছিল ৷ কিন্তু অতিরিক্ত লাগামে পেচিয়ে ওই
ঘোড়৷ ধরাশায়ী হয়েছে ৷ ওই আল্লাহদ্রো হী কি মনে করেছিল যে, তাকে কেউ কা বু করতে পারবে
না ? সে তার অনুসা ৷রীদেরকে ডেকেছিল ৷৩ তার সৈনিকদেরকে একত্রিত করেছিল ৷ যুদ্ধে বাপিয়ে
পড়েছিল ৷ কিন্তু যে তার সামনে পেছনে, ডানে-বামে এবং উপরে ও নীচে শুধু মহান আল্লাহর
কৌশল, শক্তি, পাকড়াও ও আমার দেখতে পেল ৷ যা তা ৷র বাতিল কর্ম৩ ৎপরতা ব্যর্থ করে দেয় ৷
তার গোমরাহীকে নিশ্চিহ্ন করে দেয় ৷৩ তার উপর মন্দ পরিণাম ডেকে আনে ৷ তার পাপচা ৷রিতা
তাকে পরিরেষ্টিত করে ফেলে এবং মহান আল্লাহ আমাদেরকে আমাদের হক ও অধিকার ফিরিয়ে
দেন এবং আমাদেরকে আশ্রয় দেন ৷

হে লোক সকল ! আমাদের নবনিযুক্ত এই আমীরুল মু’মিনীন থলীফা ৷ আল্লাহ তাকে সুদৃঢ়
সাহায্য করেছেন ৷ তিনি জুমুআর নামায়ের পর মিম্বরে বলেছেন বক্তব্য দেওয়ার জন্যে এ কারণে
যে, জুমুআ বিষয়ক বক্তব্যের সাথে যেন অন্য বক্তব্য মিলে মিশে না যায় ৷ কথা শেষ হবার
আগেই তিনি বক্তব্য বন্ধ করে দিলেন তায় প্রচণ্ড জ্বরের কা ৷বণে ৷ কাজেই, সকলে আমীরুল
মু ’মিনীনের আরোগ্য লাভের জন্যে দুআ করুন ৷ মহান আল্লাহ তার দুশমন শয়তানের খলীফা
পৃথিবীতে ৩অশান্তি সৃষ্টিক৷ ৷রী মারওয়৷ নেয় পরিবর্তে আপনাদেরকে এমন কি খলীফ৷ প্রদান করেছেন
যিনি মহান আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলকারী, ভাল মানুষদের পদাৎক অনুসারী যার৷ পৃথিবীতে বিপর্যয়
সৃষ্টি হবার পর হিদায়াতের আলো দ্বারা সেখানে কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করে ৷

বপ্টাকারী বলেন এ কথা শুনে উপস্থিত জনগণ চীৎকার ও আহজােরির সাথে দুআ করতে
লাগল ৷ এরপর দাউদ (র) বললেন, জেনে রাখুন, হে কুফাবাসিপণ ! রাসুলুল্লাহ (না)-এর
তিরোধানের পর হযরত আলী এবং এই খলীফ৷ সাফ্ফাহ ব্যতীত অন্য কোন উপযুক্ত লোক এই
মিম্বরে বসেনি ৷ আরো জেনে রাখুন, এই খিলাফতের হকদার আমরাই ৷ আমাদের বাহিরের কেউ
নয় ৷ আমরাই বংশানুক্রমে খিলাফতের দায়িত্ব পালন করে যাব এবং শেষ পর্যন্ত হযরত ঈসা
(আ)-এর নিকট এটি হস্তান্তর করব ৷

মহান আল্লাহ আমাদেরকে যে পরীক্ষা করেছেন এবং যে নিআমত দিয়েছে ন সেজন্যে তার
প্রতি প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা নিবেদন করছি ৷ এরপর দাউদ এবং আবু আব্বাস সাফ্ফাহ দু ’জনেই
মিম্বর হতে নেমে সরকারী প্রাসাদে চলে গেলেন ৷ এরপর আসরের সময় পর্যন্ত জনগণ আবু
আব্বাসের হাতে বায়আত করল ৷ আসরের পর হতে পুনরায় রাত পর্যন্ত বায়আত করল ৷

এরপর আবু আব্বাস কুফা ৷ব উপকণ্ঠে বেরিয়ে এলেন ৷৩ তার সাথে সৈন্য সমাবেশ ঘটালেন ৷
কুফাতে স্বীয় চাচা দাউদকে শাসনকর্তা নিযুক্ত করলেন ৷ চাচা আবদুল্লাহ ইবন আলীকে প্রেরণ
করলেন আবু আওন ইবন আবু ইয়াযীদের নিকট ৷ ভাতিজ৷ ঈসা ইবন মুসাংক প্রেরণ করলেন
হাসান ইবন কাহ্তাবার নিকট ৷ হাসান তখন ওয়াসিত অঞ্চলে ইবন হুবায়রাকে অবরুদ্ধ করে
রাখার নিয়োজিত ছিল ৷ তিনি ইয়াহ্ইয়া ইবন জাফর ইবন তাম্মাম ইবন আব্বাসকে প্রেরণ
করলেন মাদাইন অঞ্চলে হাদীম ইবন কাহ্তাব৷ এর নিকাট্ট , আবুইয়াকযান উছমান ইবন উরওয়া


الْمَعَاصِي، وَرَكَضُوا فِي مَيَادِينَ الْغَيِّ ; جَهْلًا بِاسْتِدْرَاجِ اللَّهِ، وَأَمْنًا لِمَكْرِ اللَّهِ، فَأَتَاهُمْ بِأْسُ اللَّهِ بَيَاتًا وَهُمْ نَائِمُونَ، فَأَصْبَحُوا أَحَادِيثَ، وَمُزِّقُوا كُلَّ مُمَزَّقٍ، فَبُعْدًا لِلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ، وَأَدَالَنَا اللَّهُ مِنْ مَرْوَانَ وَقَدْ غَرَّهُ بِاللَّهِ الْغَرُورُ، وَأَرْسَلَ لِعَدُوِّ اللَّهِ فِي عِنَانِهِ حَتَّى عَثَرَ فِي فَضْلِ خِطَامِهِ، أَظَنَّ عَدُوُّ اللَّهِ أَنْ لَنْ نَقْدِرَ عَلَيْهِ؟ ! فَنَادَى حِزْبَهُ، وَجَمَعَ مَكَايِدَهُ، وَرَمَى بِكَتَائِبِهِ، فَوَجَدَ أَمَامَهُ وَوَرَاءَهُ وَعَنْ يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ مِنْ مَكْرِ اللَّهِ وَبَأْسِهِ وَنِقْمَتِهِ مَا أَمَاتَ بَاطِلَهُ، وَمَحَقَ ضَلَالَهُ، وَجَعَلَ دَائِرَةَ السَّوْءِ بِهِ، وَأَحْيَا شَرَفَنَا وَعِزَّنَا، وَرَدَّ إِلَيْنَا حَقَّنَا وَإِرْثَنَا، أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ - نَصَرَهُ اللَّهُ نَصْرًا عَزِيزًا - إِنَّمَا عَادَ إِلَى الْمِنْبَرِ بَعْدَ الصَّلَاةِ، لِأَنَّهُ كَرِهَ أَنْ يَخْلِطَ بِكَلَامِ الْجُمُعَةِ غَيْرَهُ، وَإِنَّمَا قَطَعَهُ عَنِ اسْتِتْمَامِ الْكَلَامِ بَعْدَ أَنِ اسْحَنْفَرَ فِيهِ، شِدَّةُ الْوَعْكِ، فَادْعُوا اللَّهَ لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ بِالْعَافِيَةِ، فَقَدْ أَبْدَلَكُمُ اللَّهُ بِمَرْوَانَ عَدُوِّ الرَّحْمَنِ، وَخَلِيفَةِ الشَّيْطَانِ، الْمُتَّبِعِ لِلسَّفَلَةِ الَّذِينَ أَفْسَدُوا فِي الْأَرْضِ بَعْدَ صَلَاحِهَا، الشَّابَّ الْمُتَكَهِّلَ، الْمُقْتَدِي بِسَلَفِهِ الْأَبْرَارِ الْأَخْيَارِ، الَّذِينَ أَصْلَحُوا الْأَرْضَ بَعْدَ فَسَادِهَا بِمَعَالِمِ الْهُدَى، وَمَنَاهِجِ الْتُّقَى. قَالَ: فَعَجَّ النَّاسُ لَهُ بِالدُّعَاءِ، ثُمَّ قَالَ: وَاعْلَمُوا يَا أَهْلَ الْكُوفَةِ أَنَّهُ لَمْ يَصْعَدْ مِنْبَرَكُمْ هَذَا خَلِيفَةٌ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَأَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ هَذَا - وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَى السَّفَّاحِ - وَاعْلَمُوا أَنَّ هَذَا الْأَمْرَ فِينَا لَيْسَ بِخَارِجٍ مِنَّا حَتَّى نُسْلِمَهُ إِلَى عِيسَى بْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ عَلَى مَا أَبْلَانَا وَأَوْلَانَا. ثُمَّ نَزَلَ أَبُو الْعَبَّاسِ، وَدَاوُدُ حَتَّى دَخَلَا الْقَصْرَ. ثُمَّ دَخَلَ النَّاسُ
পৃষ্ঠা - ৭৮৬৯
يُبَايِعُونَ إِلَى الْعَصْرِ، ثُمَّ مِنْ بَعْدِ الْعَصْرِ إِلَى اللَّيْلِ. ثُمَّ إِنَّ أَبَا الْعَبَّاسِ خَرَجَ فَعَسْكَرَ بِظَاهِرِ الْكُوفَةِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَيْهَا عَمَّهُ دَاوُدَ بْنَ عَلِيٍّ، وَبَعَثَ عَمَّهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَلِيٍّ إِلَى أَبِي عَوْنِ بْنِ يَزِيدَ، وَبَعَثَ ابْنَ أَخِيهِ عِيسَى بْنَ مُوسَى إِلَى الْحَسَنِ بْنِ قَحْطَبَةَ، وَهُوَ يَوْمَئِذٍ بِوَاسِطَ مُحَاصِرٌ ابْنَ هُبَيْرَةَ، وَبَعَثَ يَحْيَى بْنَ جَعْفَرِ بْنِ تَمَّامِ بْنِ الْعَبَّاسِ إِلَى حُمَيْدِ بْنِ قَحْطَبَةَ بِالْمَدَائِنِ، وَبَعَثَ أَبَا الْيَقْظَانِ عُثْمَانَ بْنَ عُرْوَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ إِلَى بَسَّامِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ بَسَّامٍ بِالْأَهْوَازِ وَبَعَثَ سَلَمَةَ بْنَ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ إِلَى مَالِكِ بْنِ الطَّوَّافِ. وَأَقَامَ هُوَ بِالْعَسْكَرِ أَشْهُرًا، ثُمَّ ارْتَحَلَ فَنَزَلَ الْمَدِينَةَ الْهَاشِمِيَّةَ فِي قَصْرِ الْإِمَارَةِ، وَقَدْ تَنَكَّرَ لِأَبِي سَلَمَةَ الْخَلَّالِ وَذَلِكَ لِمَا كَانَ بَلَغَهُ عَنْهُ مِنَ الْعُدُولِ بِالْخِلَافَةِ عَنْ بَنِي الْعَبَّاسِ إِلَى آلِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৮৭০

ইবন মুহাম্মদ ইবন আমার ইবন ইয়াসিরকে পাঠালেন বুসাম ইবন ইবরাহীম ইবন বুসামের নিকট
আহওয়ায অঞ্চলে ৷ সালামা ইবন আমর ইবন উছমানকে পাঠালেন মালিক ইবন তাওয়াফের
নিকট ৷ তিনি নিজে সৈন্য রেষ্টিত হয়ে কয়েক মাস সেখানে অবস্থান করলেন ৷ তারপর সেখান
থেকে হাশেমী নগরীর রাজকীয় প্রাসাদে গমন করলেন ৷ ইতিমধ্যে আবু সালাম৷ খাল্লালের প্ৰতি
তিনি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়লেন ৷ কারণ, আবুসালাম৷ খাল্লাল খিলাফতের পদ আব্বাসীয়দেব পরিবর্তে

ফাতেমীদের হাতে সমর্পণের চেষ্টা করেছিল এই তথ্য সাফ্ফাহ্ জানতে পেরেছিলেন ৷ মহান
৷ল্লাহ্ ভাল জানেন ৷

মারওয়ান ইবন মুহাম্মদ ইবন মারওয়ানের হত্যাকাণ্ড

মারওয়ান শেষ উম৷ ইয়৷ খলীফ৷ ৷ এরপর খিলাফত আব্বাসীয়দের হাতে চলে যায় ৷ মহান
আল্লাহ বলেন : : ৷ গ্রা০ গ্লুছুভ্রু০ মুে; ; <দ্বু৷ !এ আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা আপন কর্তৃতু দান করেন

(সুরা বাক্য রা০ ং ২৪ ৭) ৷ মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন৪ এা’০৷ ৷ এ্যা ন্;র্দুপু ৷ এ০ ষ্বলুন, হে
সার্বভৌম শক্তির ম৷ ৷লিক অ ৷ল্লাহ্ (সুরা আ ল ইমর৷ ৷ন০ ২৬) ৷”

আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি যে, আবু মুসলিম এবং তা ৷র অনুসারীদের কর্মকাণ্ড এবং
থুবাসানের চলমান পরিস্থিতি অবগত হবার পর মারওয়ান তা ৷র বাসস্থান হাররাম ছেড়ে মুসেলের
নিকটবর্তী এক নদী তীরে গিয়ে অবস্থান গ্রহণ করেন দ্বীপ৷ ৷ঞ্চলের ওই এলাকা “আল-যাব নামে
পরিচিত ছিল ৷ এরপর কুফ৷ তে আবু আব্বাস সাফ্ফাহ্র হাতে খলীফারুপে বায়আত করা হয়েছে
এবং সৈন্য বেষ্টিত হয়ে তিনি সেখানে অবস্থান করছেন এটা শুনে সে দারুণভারে মর্মাহত হয় ৷
আব্বাসীদের মুকাবিলায় সে সৈন্য সমাবেশ ঘটায় ৷ কিন্তু সাফ্ফাহ্-এর অনুগত সেনাপতি আবু
আওন এক বিশাল সৈন্য বাহিনী নিয়ে মারওয়ানকে প্রতিরোধ করার জন্যে এগিয়ে আসে ৷
আলযারে শিবির স্থাপন করে সেনাপতি আবুআওন ৷ সাফ্ফাহের পক্ষ হতে অতিরিক্ত সৈন্য সাহায্য
আসে তা ৷র নিকট ৷ এরপর খলীফ৷ সাফ্ফ৷ হ্ ত ৷র ৷পরিবারের যে সকল সদস্য যুদ্ধ বিদ্যায় পা ৷রদর্শী
তাদেরকে যুদ্ধে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান ৷ অ ৷বদুল্লাহ্ ইবন আ ৷লী তা ৷র ডাকে সাড় ৷দেন ৷৩ তিনি
বলেন মহান আল্লাহর বরকতের উপর নির্ভর করে তুমি যা ত্রা৷ কর ৷ তিনি বহু সৈনিকের এক
বিশা ৷ল বাহিনী নিয়ে যাত্রা করলেন ৷ আবু আগুনের নিকট এসে পৌছলেন তিনি ৷ আবু আওন
সেনা ৷পতির পদ হতে ৩সরে গিয়ে আবদুল্লাহ ইবন আলীকে ওই পদে বসালেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন
আলীও ৷র পুলিশ বা ৷হিনীর প্রধানরুপে নিযুক্ত করলেন হিয়াশ ইবন হাবীর তাঈ এবং নাসীর ইবন
মুহত৷ ৷ফিযকে ৷ এদিকে আবুআব্বাস সাফ্ফাহ্ ত্রিশ সদস্যের সংবাদবাহী দলের প্রধান হিসেবে
মুসা ইবন কাবকে পাঠালেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন আলীর নিকট যাতে তিনি দ্রুত মারওয়ানের উপর
আক্রমণ চালান এবং জটিল কোন পরিস্থিতি সৃষ্টির সুযোগ না দিয়ে মারওয়ানকে হত্যা করেন ৷
মারওয়ান হত্যার মাধ্যমে যেন যুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত হয়ে যায় ৷

নিজের সেনাবাহিনী নিয়ে আবদুল্লাহ ইবন আলী মারওয়ানের উপর আক্রমণ করার জন্যে
অগ্রসর হলেন ৷ মারওয়ান তার সেনাদল নিয়ে, প্রস্তুত হল ৷ দিনের প্রথমভাগে উভয় পক্ষ সারিবদ্ধ
হয় ৷ কথিত আছে যে, ওইদিন মারওয়ানের সাথে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার সৈন্য ছিল ৷ কেউ
বলেছেন এক লক্ষ বিশ হাজার সৈন্য ছিল ৷ আবদুল্লাহ ইবন আলীদের সৈন্য ছিল মাত্র বিশ হাজার ৷


[ذِكْرُ مَقْتَلِ مَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ] آخِرِ خُلَفَاءِ بَنِي أُمَيَّةَ وَتَحَوُّلِ الْخِلَافَةِ إِلَى بَنِي الْعَبَّاسِ وَذَلِكَ مِنْ قَوْلِهِ تَعَالَى: {قُلِ اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ} [آل عمران: 26] . قَدْ ذَكَرْنَا أَنَّ مَرْوَانَ لَمَّا بَلَغَهُ مَا جَرَى بِأَرْضِ خُرَاسَانَ مِنْ أَمْرِ أَبِي مُسْلِمٍ وَأَتْبَاعِهِ، تَحَوَّلَ مِنْ حَرَّانَ، فَنَزَلَ عَلَى نَهْرٍ قَرِيبٍ مِنَ الْمَوْصِلِ يُقَالُ لَهُ: الزَّابُ. مِنْ أَرْضِ الْجَزِيرَةِ، ثُمَّ لَمَّا بَلَغَهُ أَنَّ السَّفَّاحَ قَدْ بُويِعَ لَهُ بِالْكُوفَةِ وَالْتَفَّ عَلَيْهِ الْجُنُودُ، وَاجْتَمَعَ لَهُ أَمْرُهُ، اشْتَدَّ عَلَيْهِ ذَلِكَ جِدًّا، وَجَمَعَ جُنُودَهُ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ أَبُو عَوْنِ بْنُ يَزِيدَ فِي جَيْشٍ كَثِيفٍ، فَنَازَلَهُ عَلَى الزَّابِ، وَجَاءَتْهُ الْأَمْدَادُ مِنْ جِهَةِ السَّفَّاحِ ثُمَّ نَدَبَ السَّفَّاحُ النَّاسَ مَنْ يَلِي الْقِتَالَ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ، فَانْتَدَبَ عَمَّهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَلِيٍّ فَقَالَ: سِرْ عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ. فَسَارَ فِي جُنُودٍ كَثِيرَةٍ، فَقَدِمَ عَلَى أَبِي عَوْنٍ فَتَحَوَّلَ لَهُ أَبُو عَوْنٍ عَنْ سُرَادِقِهِ وَخَلَّاهُ لَهُ وَمَا فِيهِ، وَجَعَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ عَلَى شُرْطَتِهِ حِيَاشَ بْنَ حَبِيبٍ الطَّائِيَّ وَعَلَى حَرَسِهِ نُصَيْرَ بْنَ الْمُحْتَفِزِ وَوَجَّهَ أَبُو الْعَبَّاسِ، مُوسَى بْنَ كَعْبٍ فِي ثَلَاثِينَ رَجُلًا عَلَى الْبَرِيدِ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ يَحُثُّهُ عَلَى مُنَاجَزَةِ مَرْوَانَ وَالْمُبَادَرَةِ إِلَى قِتَالِهِ وَنِزَالِهِ، فَتَقَدَّمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৭৮৭১


আয়াত পাঠ করছিলেন : ;;,;;;’ এ ৷ ৷ট্রুৰুন্;;াটু ণ্£ান্£ও ,; ৷ ণ্দ্বুম্ ৷ট্রুএ,ট্র ১া,

টু,,,া;: ণ্:;১ ৷ , যখন তোমাদের জন্যে সাপ রকে দ্বিধাবিভক্ত করেছিলাম এবং তােমাদেরকে

উদ্ধার করেছিলাম ও ফিরআওনী সম্প্রদায়কে নিমজ্জিত করেছিলাম আর তোমরা তা প্রত্যক্ষ
করেছিলে (সুরা বা কারা ং ৫০) ৷

আবদুল্লাহ্ ইবন আলী সাত দিন ওই যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান করছিলেন ৷ ওইদিন মারওয়ানের
পলায়ন সম্পর্কে সাঈদ ইবন আ সের বংশধরদের একদল নিম্নের কবিতা অ বৃত্তি করেছিল ব্ল

ক্রু,;ত্রা
“আজ মারওয়ানকে পলায়নপরত৷ পেয়ে বস্যেছ ৷ আমি তাকে বলেছি প্রচণ্ড যালিম ও
যুলুমবায আজ মাযলুম ও নির্যাতিত হয়ে পড়েছে ৷ এখন তার একমাত্র চিন্তা পালিয়ে গিয়ে প্রাণ
রক্ষা করা ৷ ”

) শ্


“তুমি ক্ষমতা ছেড়ে কোথায় পলায়ন করবে ? তোমার কতৃতু যখন শেষ হয়েছে এখন
ভোমার না আছে ধর্ম আর না আছে ইষ্যত” ৷

) শ্ শ্

“ফিরআওনের শাস্তির ন্যায় শাস্তি তা ৷কে শ্৷ ৷য়নে-স্বপনে তাড়া করে ফিরছে ৷ তার পেছনে শুধু
কুকুরের তাড়া ও ধাওয়৷ ৷

মারওয়ানের সেনাবাহিনীর ফেলে যাওয়া ধন-সম্পদ ও পশুপাল সবগুলো দখলে নিয়ে নিল
সেনাপতি আবদুল্লাহ্ ৷ তবে আবদুল্লাহ্ ইবন মারওয়ানের একটি ক্রীতদাসী ছাড়া সেখানে কোন
মহিলা পাওয়া যায়নি ৷ সেনাপতি আবদুল্লাহ্ ইবন আলী এই বিজয়েয়র সংবাদ লিখে জানায় খলীফা
আবু আব্বাস সাফ্ফাহ্কে ৷ শত্রুপক্ষ হতে প্রাপ্ত ধন-সম্পদের বিবরণ ও তাকে অবগত করে ৷
বিজয় সংবাদ শুনে খলীফা আল-সাফ্ফাহ মহান আল্ল ল্লাহ্র প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরুপ দুই বাকআ ৷ত নামায
আদায় করেন ৷ যুদ্ধে অস্পো শগ্নহণকারী প্রত্যেক সৈন্যকে ৫০০ দিরহাম করে পুরস্কা র প্রদান করেন
এবংত ৷দের নিয়মিততা ৷ত৷ ৮০ দিরহ৷ ৷মে উন্নীত করে দেন ৷ তিনি তখন মহান অ ৷ল্লাহ্র এই বাণী
তিলাওয়াত করছিলেন :

)৷ # # শ্ ) শ্ )ষ্ # ণ্ ) #! স্ # # ণ্)) ) ৷) # শ্শ্ ষ্ স্শ্শ্
! শ্ ) ষ্ ) ষ্ : # ৷ স্ ) শ্ শ্শ্

শ্নেহু;ণ্৷ মোঃ

) শ্ শ্ শ্ ব্লু শ্ ৷ )

১া৷
ান্

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম খণ্ডর্পো)মোঃ ১২

عَلِيٍّ بِمَنْ مَعَهُ حَتَّى وَاجَهَ جَيْشَ مَرْوَانَ وَنَهَضَ مَرْوَانُ فِي جُنُودِهِ وَأَصْحَابِهِ، وَتَصَافَّ الْفَرِيقَانِ فِي أَوَّلِ النَّهَارِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ مَعَ مَرْوَانَ يَوْمَئِذٍ مِائَةُ أَلْفٍ وَخَمْسُونَ أَلْفًا. وَقِيلَ: مِائَةٌ وَعِشْرُونَ أَلْفًا. وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ فِي عِشْرِينَ أَلْفًا. فَقَالَ مَرْوَانُ لِعَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ: إِنْ زَالَتِ الشَّمْسُ يَوْمَئِذٍ وَلَمْ يُقَاتِلُونَا، كُنَّا الَّذِينَ نَدْفَعُهَا إِلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ وَإِنْ قَاتَلُونَا قَبْلَ الزَّوَالِ فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. ثُمَّ أَرْسَلَ مَرْوَانُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ يَسْأَلُهُ الْمُوَادَعَةَ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: كَذَبَ ابْنُ زُرَيْقٍ لَا تَزُولُ الشَّمْسُ حَتَّى أُوطِئَهُ الْخَيْلَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَكَانَ ذَلِكَ يَوْمُ السَّبْتِ لِإِحْدَى عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، فَقَالَ مَرْوَانُ لِأَهْلِ الشَّامِ: قِفُوا، لَا تَبْدَءُوهُمْ بِقِتَالٍ. وَجَعَلَ يَنْظُرُ إِلَى الشَّمْسِ، فَخَالَفَهُ الْوَلِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ مَرْوَانَ - وَهُوَ خَتَنُ مَرْوَانَ عَلَى ابْنَتِهِ - فَحَمَلَ، فَغَضِبَ مَرْوَانُ وَشَتَمَهُ، فَقَاتَلَ أَهْلُ الْمَيْمَنَةِ، فَانْحَازَ أَبُو عَوْنٍ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ فَقَالَ مُوسَى بْنُ كَعْبٍ، لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ: مُرِ النَّاسَ فَلْيَنْزِلُوا. فَنُودِيَ: الْأَرْضَ. فَنَزَلَ النَّاسُ وَأَشْرَعُوا الرِّمَاحَ، وَجَثَوْا عَلَى الرَّكْبَ وَقَاتَلُوهُمْ، وَجَعَلَ أَهْلُ الشَّامِ يَتَأَخَّرُونَ كَأَنَّمَا يُدْفَعُونَ، وَجَعَلَ عَبْدُ اللَّهِ يَمْشِي قُدُمًا وَهُوَ يَقُولُ: يَا رَبِّ حَتَّى مَتَى نُقْتَلُ فِيكَ؟ وَنَادَى: يَا أَهْلَ خُرَاسَانَ، يَا لِثَارَاتِ إِبْرَاهِيمَ، يَا مُحَمَّدُ، يَا مَنْصُورُ. وَاشْتَدَّ الْقِتَالُ بَيْنَ النَّاسِ جِدًّا، فَأَرْسَلَ مَرْوَانُ إِلَى قُضَاعَةَ يَأْمُرُهُمْ بِالنُّزُولِ، فَقَالُوا: قُلْ لِبَنِي سُلَيْمٍ فَلْيَنْزِلُوا. وَأَرْسَلَ إِلَى السَّكَاسِكِ أَنِ احْمِلُوا. فَقَالُوا: قُلْ لِبَنِي عَامِرٍ فَلْيَحْمِلُوا. فَأَرْسَلَ إِلَى السَّكُونِ أَنِ احْمِلُوا. فَقَالُوا: قُلْ لِغَطَفَانَ
পৃষ্ঠা - ৭৮৭২


ইর্চ

তারপর তালুত যখন সেনাবাহিনীসহ বের হল যে তখন বলল, আল্লাহ্ একটি নদী দ্বারা
তােমাদেরকে পরীক্ষা করবেন ৷ যে কেউ সেটি থেকে পান করবে সে আমার দলতুক্ত নয় ৷ আর
যে সেটির স্বাদ গ্রহণ করবে না সে আমার দলতুক্ত ৷ এছাড়া যে নিজ হস্তে এক কোষ পানি গ্রহণ
করবে সেও আমার দলভুক্ত ৷ তারপর অল্প সংখ্যক ব্যতীত তারা তা হতে পান করল ৷ সে এবং
তার সঙ্গী ঈমানদারগণ যখন সেটি অতিক্রম করল তখন তারা বলল, জালুত ও তার সৈন্যবাহিনীর
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মত শক্তি আজ আমাদের নেই ৷ কিন্তু যাদের প্রত্যয় ছিল আল্লাহর সাথে
তাদের সাক্ষাত ঘটবে ৷ তারা বলল, “আল্লাহর হুকুমে কত ক্ষুদ্র দল কত বৃহৎ দলকে পরাভুত
করেছে ৷ ” আল্লাহ ধৈর্যশীলগণের সাথে রয়েছেন (সুরা বাকারা : ২৪৯) ৷

ণোমোঃ :০ তো

فَلْيَحْمِلُوا. فَقَالَ لِصَاحِبِ شُرْطَتِهِ: انْزِلْ. فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ لَا أَجْعَلُ نَفْسِي غَرَضًا. قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لِأَسُوَءَنَّكَ. قَالَ: وَدِدْتُ وَاللَّهِ أَنَّكَ قَدَرْتَ عَلَى ذَلِكَ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ قَالَ ذَلِكَ لِابْنِ هُبَيْرَةَ. قَالُوا: ثُمَّ انْهَزَمَ أَهْلُ الشَّامِ وَاتَّبَعَهُمْ أَهْلُ خُرَاسَانَ فِي أَدْبَارِهِمْ يَقْتُلُونَ وَيَأْسِرُونَ، وَكَانَ مَنْ غَرِقَ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ أَكْثَرَ مِمَّنْ قُتِلَ، وَكَانَ فِي جُمْلَةِ مَنْ غَرِقَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ الْمَخْلُوعُ، وَقَدْ أَمَرَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ بِعَقْدِ الْجِسْرِ، وَاسْتِخْرَاجِ مَنْ هَلَكَ مِنَ الْغَرْقَى، وَجَعَلَ يَتْلُو قَوْلَهُ تَعَالَى: {وَإِذْ فَرَقْنَا بِكُمُ الْبَحْرَ فَأَنْجَيْنَاكُمْ وَأَغْرَقْنَا آلَ فِرْعَوْنَ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ} [البقرة: 50] . وَأَقَامَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ فِي مَوْضِعِ الْمَعْرَكَةِ سَبْعَةَ أَيَّامٍ، وَقَدْ قَالَ رَجُلٌ مِنْ وَلَدِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ فِي مَرْوَانَ وَفِرَارِهِ يَوْمَئِذٍ: لَجَّ الْفِرَارُ بِمَرْوَانٍ فَقُلْتُ لَهُ ... عَادَ الظَّلُومُ ظَلِيمًا هَمُّهُ الْهَرَبُ أَيْنَ الْفِرَارُ وَتَرْكُ الْمُلْكِ إِذْ ذَهَبَتْ ... عَنْكَ الْهُوَيْنَى فَلَا دِينٌ وَلَا حَسَبُ فَرَاشَةُ الْحِلْمِ فِرْعَوْنُ الْعِقَابِ وَإِنْ ... تَطْلُبْ نَدَاهُ فَكَلْبٌ دُونَهُ كَلِبُ وَاحْتَازَ عَبْدُ اللَّهِ مَا كَانَ فِي مُعَسْكَرِ مَرْوَانَ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَمْتِعَةِ وَالْحَوَاصِلِ، وَلَمْ يَجِدْ فِيهِ امْرَأَةً سِوَى جَارِيَةٍ كَانَتْ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَرْوَانَ وَكَتَبَ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ أَبِي الْعَبَّاسِ السَّفَّاحِ يُخْبِرُهُ بِمَا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ مِنَ النَّصْرِ، وَمَا حَصَلَ لَهُمْ مِنَ الْأَمْوَالِ ; فَصَلَّى السَّفَّاحُ رَكْعَتَيْنِ شُكْرًا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَأَطْلَقَ لِكُلِّ مَنْ حَضَرَ الْوَقْعَةَ خَمْسَمِائَةٍ خَمْسَمِائَةٍ، وَرَفَعَ فِي أَرْزَاقِهِمْ إِلَى ثَمَانِينَ، وَجَعَلَ يَتْلُو قَوْلَهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا فَصَلَ طَالُوتُ بِالْجُنُودِ} [البقرة: 249] الْآيَةَ [الْبَقَرَةِ: 249] .
পৃষ্ঠা - ৭৮৭৩

মারওয়ান হত্যার বিবরণ

জ জাব এর যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মারওয়ান পালাতে থাকে ৷ সে যাচ্ছে তো যাচ্ছে কারো দিকে
তার তাকানোর সময় নেই ৷ আব্বাসী যুদ্ধনায়ক আবদুল্লাহ ইবন আ ৷লী যুদ্ধক্ষেত্রে সা ৷তদিন অবস্থান
করলেন ৷ এরপর সৈন্য-সামম্ভ নিয়ে মারওয়ানের পিছনে ছুটলেন ৷ খলীফ৷ সাফ্ফাহ এই নির্দেশ
দিয়েছিলেন ৷ মারওয়ান হাররান ত্যাগের সময় আবু মুহাম্মদ সুফয়ানীকে কারাগার থেকে মুক্তি
দিয়েছিল এবং তার ভাগ্নে ও জামাতা আবান ইবন ইয়াযীদকে সেখানকার শাসনকর্তা নিযুক্ত
করেছিল ৷ আবান ছিল তার কন্যা উম্মু উছমানের স্বামী ৷

আব্বাসী সেনাপতি আবদুল্লাহ যখন হাররান এসে পৌছেন তখন আবান ইবন ইয়াযীদ লজ্জিত
ও অনুতপ্ত হয়ে তার নিকট উপস্থিত হয় ৷ আবদুল্লাহ ইবন আলী তাকে নিরাপত্তা প্রদান করে এবং
ওই পদে বহাল রাখে ৷ সে গৃহে ইমাম ইবরাহীমকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল সেই গৃহটি ধ্বংস
করে দেওয়া হল ৷

মারওয়ান যেতে যেতে কিন্নিসরীন পা ৷র হয়ে হিমসের দিকে যা ৷ত্র৷ করল ৷ ত ৷র ৷হিমস পৌছার
পর স্থানীয় লোকজন নজরান৷ ৷হিসেবে নিজেদের দ্রব্যসা ৷মগ্রী ও পশু সম্পদ তার নিকট হাযির করে ৷
দুই থেকে তি ন দিন যে ওখানে অবস্থা ন করে ৷ এরপর ওখান থেকে যাত্রা করে ৷ জনগণ যখন
প্রত্যক্ষ করল যে, তার সাথে লোকজন খুব কম তখন তারা তাকে ধাওয়৷ করল তাকে হত্যা
করার এবং তার মালামাল লুট করার জন্যে ৷ ওরা বলল, ধর ধর এ যে , পরাজিত ও ভীতসন্ত্রস্ত
পদচ্যুত ব্যক্তি ৷ হিমসের নিকটবর্তী এক ময়দানে তারা তার নাগাল পড়ায় ৷ ওদেরকে ঘায়েল করার
জন্যে সে দুইজন সৈনিককে এক গোপনস্থানে লুকিয়ে রাখে ৷ স্থানীয় জনগণ তার কাছাকাছি
পৌছার পর মারওয়ান তাদের সহানুভুতি কামনা করে এবং তাদেরকে ফিরে যেতে অনুরোধ
করে ৷ কিন্তু তারা যুদ্ধ ছাড়া অন্য কিছু মেনে নিতে অস্বীকার করে ৷ ফলে উভয় পক্ষে যুদ্ধ শুরু
হয় ৷ গুপ্তঘাতক দুইজন পেছন থেকে স্থানীয় জনগণের উপর আক্রমণ চালায় ৷ ফলে স্থানীয় জনগণ
পরাজিত হয়ে পলায়ন করে ৷

মারওয়ান দামেষ্কে এসে পৌছে ৷ সেখানে প্রশাসক ছিল তারই নিয়োগপ্রাপ্ত তার জামাতা
ওয়ালীদ ইবন মুআবিয়৷ ইবন৷ ম ৷রওয়ান ৷ ওয়ালীদকে সেখানে রেখে ম ৷রওয়ান মিসরের উদ্দেশ্যে
দামেস্ক ত্যাগ করে ৷ আবদুল্লাহ্ এগিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ প্ৰকৃ ত্যকটি জনপদ অতিক্রমকালে স্থানীয়
জনসাধারণ তাকে অভ্যর্থনা জানায়, ৷রত নিকট আত্মসমর্পণ করে এবং৩ তার হাতে রায়আত করে ৷
তিনি সকলকে নিরাপত্তা দিয়ে সম্মুখে অগ্রসর হচ্ছিলেন ৷ তিনি যখন কিন্নিসরীন গিয়ে পৌছেন
তখন চার হাজার সৈন্যসহতার সহোদর আবদুস সামাদ ইবন আলীত ৷ ৷র সাথে মিলিত হয় ৷ তবে
সাহায্যার্থে খলীফ৷ ৷সাফ্ফাহ আবদুস সামাদকে প্রেরণ করেন ৷ আবদুল্লাহ আরো অগ্রসর হয়ে হিঘৃস
পৌছেন ৷ সেখান থেকে রালারাক্কা এবং সেখান থেকে আল মাঘৃযাহর পথে দামেস্ক এসে
পৌছেন ৷ সেখানে দৃ’দিন কিৎব৷ তিনদিন অবস্থান করেন ৷ ণ্ ন ৷ এরপর তার সহে৷ দর ভ্রাতা স৷ ৷লিহ


[صِفَةُ مَقْتَلِ مَرْوَانَ الْحِمَارِ] لَمَّا انْهَزَمَ مَرْوَانُ مِنَ الْمَعْرَكَةِ سَارَ لَا يَلْوِي عَلَى أَحَدٍ، فَأَقَامَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ فِي مَكَانِ الْمَعْرَكَةِ سَبْعَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ سَارَ فِي طَلَبِهِ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجُنُودِ، وَذَلِكَ عَنْ أَمْرِ السَّفَّاحِ لَهُ بِذَلِكَ، فَلَمَّا مَرَّ مَرْوَانُ بَحَرَّانَ اجْتَازَ بِهَا، وَأَخْرَجَ أَبَا مُحَمَّدٍ السُّفْيَانِيَّ مِنْ سِجْنِهِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَيْهَا أَبَانَ بْنَ يَزِيدَ وَهُوَ ابْنُ أَخِيهِ وَزَوْجُ ابْنَتِهِ أُمِّ عُثْمَانَ، فَلَمَّا قَدِمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ حَرَّانَ خَرَجَ إِلَيْهِ أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ مُسَوِّدًا، فَأَمَّنَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ وَأَقَرَّهُ عَلَى عَمَلِهِ، وَهَدَمَ الدَّارَ الَّتِي سُجِنَ فِيهَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْإِمَامُ وَاجْتَازَ مَرْوَانُ بِقِنَّسْرِينَ قَاصِدًا إِلَى حِمْصَ، فَلَمَّا جَاءَهَا خَرَجَ إِلَيْهِ أَهْلُهَا بِالْأَسْوَاقِ، فَأَقَامَ بِهَا يَوْمَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةً، ثُمَّ شَخَصَ مِنْهَا، فَلَمَّا رَأَوْا قِلَّةَ مَنْ مَعَهُ اتَّبَعُوهُ ; طَمَعًا فِيهِ، وَقَالُوا: مَرْعُوبُ مُنْهَزِمٌ. فَأَدْرَكُوهُ بِوَادٍ عِنْدَ حِمْصَ، فَأَكْمَنَ لَهُمْ أَمِيرَيْنِ، فَلَمَّا تَلَاحَقُوا بِمَرْوَانَ عَطَفَ عَلَيْهِمْ، فَنَاشَدَهُمْ أَنْ يَرْجِعُوا، فَأَبَوْا إِلَّا مُقَاتَلَتَهُ، فَثَارَ الْقِتَالُ بَيْنَهُمْ، وَثَارَ الْكَمِينَانِ مِنْ وَرَائِهِمْ، فَانْهَزَمَ الْحِمْصِيُّونَ، وَجَاءَ مَرْوَانُ إِلَى دِمَشْقَ وَعَلَى نِيَابَتِهَا مِنْ جِهَتِهِ زَوْجُ ابْنَتِهِ أُمِّ الْوَلِيدِ، وَهُوَ الْوَلِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ مَرْوَانَ، فَتَرَكَهُ بِهَا، وَاجْتَازَ عَنْهَا قَاصِدًا إِلَى الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ، وَجَعَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ لَا يَمُرُّ بِبَلَدٍ إِلَّا خَرَجُوا وَقَدْ سَوَّدُوا، فَيُبَايِعُونَهُ وَيُعْطِيهِمُ الْأَمَانَ، وَلَمَّا وَصَلَ إِلَى قِنَّسْرِينَ وَصَلَ إِلَيْهِ أَخُوهُ عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَلِيٍّ
পৃষ্ঠা - ৭৮৭৪

ইবন আলী আট হাজার সৈন্য নিয়ে তার সাথে যোগ দেন ৷ খলীফা সাফ্ফাহের নির্দোশ তারন্
আগমন করে ৷ সালিহ অবস্থান গ্রহণ করে আমরা এর মারাজ অঞ্চা;ন ৷ আবু আওন অবস্থান নেয়
কায়সান ফটকে ৷ বুসাম অবস্থান নেয় বড়াব-আল সাগীর মল্টকে ৷ হড়ামীদ ইবন কড়াহতাবা বাব-আল-
তাওম৷ ফটকে ৷ আবদুস সামাদ, ইয়াহ্ইয়া ইবন সাফওয়ান এবং আব্বাস ইবন ইয়াযীদ অবস্থান
নেয় যার আল-ফারাদীস য়ল্টকে ৷ সেনাপতি আবদুল্লাহ তীর সহযােগীদেরকে নিয়ে কয়েকদিন
যাবত হিমস অবরোধ করে রাখেন ৷ অবশেষে এই হিজরী সন অর্থাৎ ১৩২ হিজরী সনের এগারই
রমাযান বুধবার র্তারা হিমৃস জয় করেন ৷ ওখানকার বহু লোককে তারা হত্যা করেন ৷ তিনদিন
যাবত খুন-খারাবি বৈধ করে দেওয়া হয়েছিল ৷ হিম্স দুর্গের সকল প্রাচীর ভেঙ্গে দেওয়া হয় ৷

কথিত আছে যে, আবদুল্লাহ যখন দামেস্ক অবরোধ করেন তখন সেখানকার অধিবাসিপণ
নিজেরা পরস্পর মতভেদে জড়িয়ে পড়ে ৷ কেউ আব্বাসীদেরকে সমহুনি করতে থাকে আবার
কেউ উমাইয়াদেরকে সমর্থন দিতে থাকে ৷ এক পর্যায়ে নিজেরা মারামারি ও খুনাথুনিতে লিপ্ত
হয় ৷ ওরাই ওদের প্রশাসককে হত্যা করে এবং আব্বাসীদের হাতে শহর হস্তান্তর করে ৷ দুর্গের
পুর্ব প্রাচীরে সর্বপ্রথম আরোহণ করে আবদুল্লাহ তাঈ নামের এক লোক ৷ বড়াব-আল-সাগীর বা ক্ষুদ্র
ফটক দিয়ে প্রবেশ করে বৃসাম ইবন ইবরাহীম ৷ এরপর তিন ঘণ্টার জন্যে দামেস্ক নগরীতে
খুন-খারাবী ও লুটতরাজ বৈধ করে দেওয়া হয় ৷ এমনও বলা হয়ে থাকে যে, ওই সময়ে দামেস্কে
প্রায় ৫০ হাজার লোককে হত্যাকরা হয় ৷

ঐতিহাসিক ইবন আসাকির জাফর ইবন আবী তালিবের বংশধর উবায়দ ইবন হাসান আল-
আরাজের জীবনীরুত উল্লেখ করেছেন যে, দামেষ্কের অবরোধকাংল তিনি আবদুল্লাহ ইবন আলীর
সাথে ৫০ :০ সৈন্যের সেনাপতি ছিলেন ৷ র্তারা পাচ মাস যাবত দামেস্ক অবরোধ করে
রেখেছিলেন ৷ কেউ বলেছেন ১০০ দিন অবরোধ করে রেখেছিলেন ৷ কারো মতে পনের দিন ৷
কারো মতে একমড়াস ৷ মারওয়ানের পক্ষে নিয়োজিত প্রশাসক ওই নগরীর নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ
করেছিল খুবই মজবুত করে ৷ কিন্তু ইয়ামানী জাতিসত্তা ও মুদারী জাতিসত্তার প্রশ্নে নিজেরা
বিরোধে জড়িয়ে পড়ার কারণে আব্বাসীদের বিজয়ের পথ সহজ হয়ে পড়ে ৷ মুলত এই দ্বরুন্দুর
ফলশ্রুতিতে আব্বাসীরা সেটি জয় করে নিতে সক্ষম হয় ৷

দামেস্ক অধিরাসিগণ নিজেদের মধ্যে এত কঠিন গোষ্ঠী-দ্বরুন্দু লিপ্ত হয়েছিল যে, তারা
মসজিদে মসজিদে দুইগােত্রের জন্যে দুইটা করে মিহরাব তৈরি করেছিল ৷ জামে মসজিদে তৈরি
করা হয়েছিল দুইটা মিম্বর ৷ জুমুআর দিনে একই সাথে দুই মিম্বরে দুইজন ইমাম দীড়িয়ে খুতবা
দিত ৷ এত আশ্চর্যজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তাদের মধ্যে ৷ ফিতনা, গৌড়ামী গোষ্ঠিবাদ
তাদেরকে এত নীচে নামিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ৷ আমরা এই অনতিঃপ্রত পরিস্থিতি থেকে মহান
আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করছি ৷ ইবন আসাকির পুর্বোল্লিখিত জীবনীগ্রন্থে এগুলো
বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছেন ৷

ইবন আসাকির মুহাম্মদ ইবন সুলায়মান ইবন আবদুল্লাহ নওফিলের জীবনীগ্রন্থে লিখেছেন যে,
তিনি বলেছেন “আবদুল্লাহ ইবন আলী প্রথম যখন দামেস্কে প্রবেশ করেন তখন আমি তার সাথে
ছিলাম ৷ তিনি তররারি হাতে সেখানে প্রবেশ করেন এবং তিন ঘণ্টার জন্যে খুন-খারাবী ও
গণহত্যা বৈধ করে দেন ৷ সেখানকার জামে মসজিদ ৭০ দিন যাবত তীর উট-ঘোড়া ও অন্যান্য


فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ، وَقَدْ بَعَثَهُمُ السَّفَّاحُ مَدَدًا لَهُ، ثُمَّ سَارَ عَبْدُ اللَّهِ حَتَّى أَتَى حِمْصَ، ثُمَّ سَارَ مِنْهَا إِلَى بِعْلَبَكَّ، وَجَاءَ دِمَشْقَ مِنْ نَاحِيَةِ الْمِزَّةِ فَنَزَلَ بِهَا يَوْمَيْنِ، ثُمَّ جَاءَهُ أَخُوهُ صَالِحُ بْنُ عَلِيٍّ فِي ثَمَانِيَةِ آلَافٍ مَدَدًا مِنَ السَّفَّاحِ فَنَزَلَ صَالِحٌ بِمَرْجِ عَذْرَاءَ، وَلَمَّا جَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ دِمَشْقَ نَزَلَ عَلَى الْبَابِ الشَّرْقِيِّ، وَنَزَلَ صَالِحُ بْنُ عَلِيٍّ عَلَى بَابِ الْجَابِيَةِ، وَنَزَلَ أَبُو عَوْنٍ عَلَى بَابِ كَيْسَانَ، وَبِسَامٌ عَلَى بَابِ الصَّغِيرِ وَحُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ عَلَى بَابِ تُومَا، وَعَبْدُ الصَّمَدِ، وَيَحْيَى بْنُ صَفْوَانَ، وَالْعَبَّاسُ بْنُ يَزِيدَ عَلَى بَابِ الْفَرَادِيسِ فَحَاصَرُوهَا أَيَّامًا، ثُمَّ افْتَتَحَهَا يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِعَشْرٍ خَلَوْنَ مِنْ رَمَضَانَ هَذِهِ السَّنَةِ، فَقَتَلَ مِنْ أَهْلِهَا خَلْقًا كَثِيرًا، وَأَبَاحَهَا ثَلَاثَ سَاعَاتٍ، وَهَدَمَ سُورَهَا، وَيُقَالُ: إِنْ أَهْلَهَا لَمَّا حَاصَرَهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ اخْتَلَفُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ، مَا بَيْنَ عَبَّاسِيٍّ وَأُمَوِيٍّ، حَتَّى اقْتَتَلُوا، فَقَتَلَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، وَقَتَلُوا نَائِبَهُمْ، ثُمَّ سَلَّمُوا الْبَلَدَ، وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ صَعِدَ السُّورَ مِنْ نَاحِيَةِ الْبَابِ الشَّرْقِيِّ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ اللَّهِ الطَّائِيُّ. وَمِنْ نَاحِيَةِ الْبَابِ الصَّغِيرِ بَسَّامُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثُمَّ أُبِيحَتْ دِمَشْقَ ثَلَاثَ سَاعَاتٍ حَتَّى قِيلَ: إِنَّهُ قُتِلَ بِهَا فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ نَحْوًا مِنْ خَمْسِينَ أَلْفًا. وَذَكَرَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَسَنِ الْأَعْرَجِ مِنْ وَلَدِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَكَانَ أَمِيرًا عَلَى خَمْسَةِ آلَافٍ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ فِي حِصَارِ دِمَشْقَ، أَنَّهُمْ أَقَامُوا مُحَاصِرِيهَا خَمْسَةَ أَشْهُرٍ، وَقِيلَ: مِائَةُ يَوْمٍ. وَقِيلَ: شَهْرًا وَنِصْفًا. وَأَنَّ الْبَلَدَ كَانَ قَدْ حَصَّنَهُ نَائِبُ مَرْوَانَ تَحْصِينًا
পৃষ্ঠা - ৭৮৭৫
عَظِيمًا، وَلَكِنِ اخْتَلَفَ أَهْلُهَا فِيمَا بَيْنَهُمْ بِسَبَبِ الْيَمَانِيَةِ وَالْمُضَرَيَّةِ، وَكَانَ ذَلِكَ سَبَبَ الْفَتْحِ، حَتَّى إِنَّهُمْ جَعَلُوا فِي كُلِّ مَسْجِدٍ مِحْرَابَيْنِ لِلْقِبْلَتَيْنِ، حَتَّى فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ مِنْبَرَيْنِ وَإِمَامَيْنِ يَخْطُبَانِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ عَلَى الْمِنْبَرَيْنِ، وَهَذَا مِنْ عَجِيبِ مَا وَقَعَ، وَغَرِيبِ مَا اتَّفَقَ، وَفَظِيعِ مَا أُحْدِثَ بِسَبَبِ الْفِتْنَةِ وَالْهَوَى وَالْعَصَبِيَّةِ، نَسْأَلُ اللَّهَ السَّلَامَةَ وَالْعَافِيَةَ. وَقَدْ بَسَطَ ذَلِكَ الْحَافِظُ فِي التَّرْجَمَةِ الْمَذْكُورَةِ. وَذَكَرَ فِي تَرْجَمَةِ مُحَمَّدِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ النَّوْفَلِيِّ قَالَ: كُنْتُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ أَوَّلَ مَا دَخَلَ دِمَشْقَ، دَخَلَهَا بِالسَّيْفِ ثَلَاثَ سَاعَاتٍ مِنَ النَّهَارِ، وَجَعَلَ مَسْجِدَ جَامِعِهَا سَبْعِينَ يَوْمًا إِصْطَبْلًا لِدَوَابِّهِ وَجِمَالِهِ، ثُمَّ نَبَشَ قُبُورَ بَنِي أُمَيَّةَ فَلْمْ يَجِدْ فِي قَبْرِ مُعَاوِيَةَ إِلَّا خَيْطًا أَسْوَدَ مِثْلَ الْهَبَاءِ، وَنَبَشَ قَبْرَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ فَوَجَدَ جُمْجُمَةً، وَكَانَ يُوجَدُ فِي الْقَبْرِ الْعُضْوُ بَعْدَ الْعُضْوِ، غَيْرَ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَإِنَّهُ وَجَدَهُ صَحِيحًا لَمْ يَبْلَ مِنْهُ غَيْرُ أَرْنَبَةِ أَنْفِهِ، فَضَرَبَهُ بِالسِّيَاطِ وَهُوَ مَيِّتٌ، وَصَلَبَهُ أَيَّامًا، ثُمَّ أَحْرَقَهُ بِالنَّارِ، وَدَقَّ رَمَادَهُ، ثُمَّ ذَرَاهُ فِي الرِّيحِ، وَذَلِكَ أَنَّ هِشَامًا كَانَ قَدْ ضَرَبَ أَخَاهُ مُحَمَّدَ بْنَ عَلِيٍّ - حِينَ كَانَ قَدِ اتَّهَمَهُ بِقَتْلِ وَلَدٍ لَهُ صَغِيرٍ - سَبْعَمِائَةِ سَوْطٍ، ثُمَّ نَفَاهُ إِلَى الْحُمَيْمَةِ بِالْبَلْقَاءِ. قَالَ: ثُمَّ تَتَبَّعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ بَنِي أُمَيَّةَ مِنْ أَوْلَادِ الْخُلَفَاءِ وَغَيْرِهِمْ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ اثْنَيْنِ وَتِسْعِينَ نَفْسًا عِنْدَ نَهْرٍ بِالرَّمْلَةِ وَبَسَطَ عَلَيْهِمُ الْأَنْطَاعَ، وَمَدَّ عَلَيْهِمْ سِمَاطًا،
পৃষ্ঠা - ৭৮৭৬


চতুষ্পদ জস্তুর আস্তাবল হিসেবে ব্যবহৃত হয় ৷ এরপর তিনি উমাইয়াদের কবরগুলাে খনন করেন ৷
মুআবিয়ার কবরে একটি কালো সুতা ব্যতীত কিছুই পাননি ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের
কবর খনন করা হয় ৷ সেখানে একটি মাথার খোল পাওয়া যায় ৷ কোন কোন কবরে এক বা
একাধিক অঙ্গ-প্ৰত্যঙ্গ পাওয়া যায় ৷ তবে হিশাম ইবন আবদুল মালিকের লাশ পাওয়া যায় সম্পুর্ণ
অক্ষত ৷ নাকের অগ্রতাগ ছাড়া তার শরীরের অন্য কোন স্থানে কোন দাগ কিংবা জীংতাির চিহ্নও
পড়েনি ৷ সেনাপতি আবদুল্লাহ্ মৃত হিশামের লাশ পেয়ে ওই মৃত লাশকে চাবুক দিয়ে পিটিয়েছে ৷
কয়েকদিন সেটিকে শুলিতে চড়িয়ে রাখে ৷ তারপর আগুনে পুড়িয়ে ছাইওলাে বাতাসে উড়িয়ে
দেয় ৷ এটি এজন্যে করেছিল যে, তার ভাই মুহাম্মদ ইবন আলীকে হিশাম প্ৰহার করেছিল ৷ হিশাম
ইবন আবদুল মালিক মুহাম্মদের একটি নাবালক ছেলেকে খুন করেছিল ৷ মুহাম্মদ এই অভিযোগ
করার কারণে হিশাম তাকে ৭০০ চাবুকাঘাত লাগিয়েছিল ৷ উপরন্তু, র্তাকে রাজধানী থেকে বের
করে বালক৷ এর হামীমা পাঠিয়ে দিয়েছিল ৷

রর্থাংাকারী বলেন, এরপর আবদুল্লাহ উমাইয়া বংশের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সম্ভান-সম্ভতিদের
তথা পরবর্তী প্রজন্মের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করে ৷ সে তাদেরকে খুজে খুজে বের করে এবং হত্যা
করতে থাকে ৷ একদিনে সে রামাল্লা নদীর তীরে তাদের ৯২ হাজার লোককে হত্যা করে ৷ তাদের
মৃত অ র্ধমৃত দেহের উপর যে ন্যাকড়া বিছিয়ে দেয় ৷ তার উপর পশমী দন্তরখান রেখে যে
অনায়াসে খাওয়া দাওয়া করে ৷ নীচে আহত, ক্ষতবিক্ষত দেহগুলো কাতরাচ্ছিল , গড়াগড়ি
খাচ্ছিল ৷ বস্তুত এটি ছিল আবদুল্লাহ-এর সীমালংঘন ও নির্যাতন ৷ অবশ্য পরবভীচিত যে এর ফল
ভোগ করেছে ৷ এই অপতৎপরতার মাধ্যমে সে যা অর্জন করতে চেয়েছিল তা পায়নি এবং তার
এই ক্ষমতা স্থায়ী থাকেনি ৷ তার জীবনী আলোচনার সময় সেটি উল্লেখ করা হবে ৷ ,

সে হিশাম ইবন আবদুল মালিকের শ্রীকে কতক থুরাসানী লোকের সাথে খালি পায়ে, খোলা
মুখে, ৰিবস্ত্র অবস্থায় পায়ে হীটিয়ে এক মাঠে প্রেরণ করে ৷ হিশামের শ্রী হল আবদাহ বিনৃত
আবদুল্লাহ্ ইবন ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া ৷ তারা সেখানে তাকে হত্যা করে ৷ এরপর ওদের
ইাড়-মাৎস যেটুকু অবশিষ্ট পেয়েছে সব আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে ৷ আবদুল্লাহ সেখানে ১৫ দিন
অবস্থান করেছিলেন ৷

তিনি ইমাম আওযাঈকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ র্তাকে তার সম্মুখে দীড় করিয়েছিলেন ৷
র্তাকে বলেছিলেন, হে আবু আমর’ আমরা যা করলাম সে সব সম্পর্কে আপনার অভিমত কি ন্
আওযাঈ বলেন, আমি তখন বলেছিলাম, আমি যে বিষয়ে জানি না , তবে ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ
আমাকে একটি হাদীস শুনিয়েছিলেন যে, মুহাম্মদ ইবন ইবরাহীম উমর ইবন খাত্তাব (রা) থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : ;,াট্রু ট্রু৷ ৷ ৷ টু £^ং হুং ৷ £দ্বু ৷ শ্আমল বা
কর্ম বিবেচ্য হবে নিয়ব্রুত ও উদ্দেন্থশার আলোকে ৷ এরপর হাদীর্সের অবশিষ্ট অংর্শও শুনালেন ৷
ইমাম আওযাঈ বলেন, আমি তখন এই অপেক্ষায় ছিলাম যে, কখন আমার কাটা মাথা আমার
সম্মুখে লুটিয়ে পড়ছে ৷ এরপর আমাকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং আমাকে ১০০
দীনার বা স্বর্ণমুদ্র৷ প্রদান করা হয় ৷

এরপর আবদুল্লাহ্ যাত্রা করেন মারওয়ানের খোজে ৷ যেতে যেতে “আল-কাসওয়া” নদীর
তীরে গিয়ে পৌছেন ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন জাফর হাশেমীকে দামেস্কের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷


فَأَكَلَ وَهُمْ يَخْتَلِجُونَ تَحْتَهُ، وَأَرْسَلَ امْرَأَةَ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَهِيَ عَبْدَةُ بِنْتُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ صَاحِبَةُ الْخَالِ، مَعَ نَفَرٍ مِنَ الْخُرَاسَانِيَّةِ إِلَى الْبَرِّيَّةِ مَاشِيَةً حَافِيَةً حَاسِرَةً، فَمَا زَالُوا يَزْنُونَ بِهَا، ثُمَّ قَتَلُوهَا. وَقَدِ اسْتَدْعَى بِالْأَوْزَاعِيِّ فَأُوقِفُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ لَهُ: يَا أَبَا عَمْرٍو مَا تَقُولُ فِي هَذَا الَّذِي صَنَعْنَا؟ قَالَ لَهُ: لَا أَدْرِي، غَيْرَ أَنَّهُ قَدْ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ» فَذَكَرَ الْحَدِيثَ. قَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: وَانْتَظَرْتُ رَأْسِي يَسْقُطُ بَيْنَ رِجْلَيَّ، ثُمَّ أُخْرِجْتُ، وَبَعَثَ إِلَيَّ بِمِائَةِ دِينَارٍ. وَأَقَامَ بِهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا ثُمَّ سَارَ وَرَاءَ مَرْوَانَ فَنَزَلَ عَلَى نَهْرِ الْكُسْوَةِ، وَوَجَّهَ يَحْيَى بْنَ جَعْفَرٍ الْهَاشِمِيَّ نَائِبًا عَلَى دِمَشْقَ، ثُمَّ ارْتَحَلَ إِلَى الْأُرْدُنِّ فَأَتَوْهُ وَقَدْ سَوَّدُوا، ثُمَّ سَارَ إِلَى بَيْسَانَ، ثُمَّ سَارَ فَنَزَلَ مَرْجَ الرُّومِ ثُمَّ أَتَى نَهْرَ أَبِي فُطْرُسَ، فَوَجَدَ مَرْوَانَ قَدْ هَرَبَ فَدَخَلَ الدِّيَارَ الْمِصْرِيَّةَ، وَجَاءَهُ كِتَابُ
পৃষ্ঠা - ৭৮৭৭
السَّفَّاحِ أَنْ وَجِّهْ صَالِحَ بْنَ عَلِيٍّ فِي طَلَبِ مَرْوَانَ وَيُقِيمُ هُوَ بِالشَّامِ نَائِبًا عَلَيْهَا، فَسَارَ صَالِحٌ فِي طَلَبِ مَرْوَانَ فِي ذِي الْقِعْدَةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَمَعَهُ أَبُو عَوْنٍ، وَعَامِرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ فَنَزَلَ عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ، وَجَمَعَ مَا هُنَاكَ مِنَ السُّفُنِ، وَبَلَغَهُ أَنَّ مَرْوَانَ قَدْ نَزَلَ الْفَرْمَا، فَجَعَلَ يَسِيرُ عَلَى السَّاحِلِ وَالسُّفُنُ تُقَادُ مَعَهُ فِي الْبَحْرِ حَتَّى أَتَى الْعَرِيشَ ثُمَّ سَارَ حَتَّى نَزَلَ عَلَى النِّيلِ ثُمَّ سَارَ إِلَى الصَّعِيدِ، فَعَبَرَ مَرْوَانُ النِّيلَ، وَقَطَعَ الْجِسْرَ وَحَرَّقَ مَا حَوْلَهُ مِنَ الْعَلَفِ وَالطَّعَامِ، وَمَضَى صَالِحٌ فِي طَلَبِهِ، فَالْتَقَى بِخَيْلٍ لِمَرْوَانَ فَهَزَمَهُمْ، ثُمَّ جَعَلَ كُلَّمَا الْتَقَوْا مَعَ خَيْلٍ لِمَرْوَانَ يَهْزِمُونَهُمْ، حَتَّى سَأَلُوا بَعْضَ مَنْ أَسَرُوا عَنْ مَرْوَانَ فَدَلُّوهُمْ عَلَيْهِ، وَإِذَا بِهِ فِي كَنِيسَةِ بُوصِيرَ، فَوَافَوْهُ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ، فَانْهَزَمَ مَنْ مَعَهُ مِنَ الْجُنْدِ، وَخَرَجَ إِلَيْهِمْ مَرْوَانُ فِي نَفَرٍ يَسِيرٍ، فَأَحَاطُوا بِهِ حَتَّى قَتَلُوهُ ; طَعَنَهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ يُقَالُ لَهُ: مِغْوَدٌ. وَلَا يَعْرِفُهُ، حَتَّى قَالَ رَجُلٌ: صُرِعَ أَمِيَرُ الْمُؤْمِنِينَ. فَابْتَدَرَ إِلَيْهِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ كَانَ يَبِيعُ الرُّمَّانَ، فَاحْتَزَّ رَأْسَهُ، فَبَعَثَ بِهِ عَامِرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَمِيُرُ هَذِهِ السَّرِيَّةِ إِلَى أَبِي عَوْنٍ فَبَعَثَ بِهِ أَبُو عَوْنٍ إِلَى صَالِحِ بْنِ عَلِيٍّ فَبَعَثَ بِهِ صَالِحٌ مَعَ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: خُزَيْمَةُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ هَانِئٍ. كَانَ عَلَى شُرْطَتِهِ، إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ السَّفَّاحِ. وَكَانَ مَقْتَلُ مَرْوَانَ يَوْمَ الْأَحَدِ لِثَلَاثٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَقِيلَ: يَوْمَ الْخَمِيسِ لِسِتٍّ بَقِينَ مِنْهَا سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ، فَكَانَتْ خِلَافَتُهُ خَمْسَ
পৃষ্ঠা - ৭৮৭৮


এরপর তিনি এগিয়ে গিয়ে মারজ-আল-রুম নামক স্থানে যাত্রা বিরতি করেন ৷ এরপর আসেন আবু
কাতরাশ্ নদীর তীরে ৷ সেখানে এসে দেখেন যে, মারওয়ান ওখান থেকে পালিয়ে মিসর চলে
গিয়েছে ৷ এ সময়ে থলীফ৷ সাফ্ফাহের একটি চিঠি তার হস্তগত হয় ৷ খলীফ৷ নির্দেশ দেন যে,

সালিহ ইবন আলীকে মারওয়ানের খোজে প্রেরণ করে তিনি নিজে যেন সিবিয় য শাসনকার্য
পরিচ৷ ৷লন৷ করেন ৷

সালিহ যাত্রা করেন মারওয়ানের খোজে ৷ এই বছরের য়ুলকাদা মাসে ৷ ভীর সাথে ছিল আবু
আমর এবং আমির ইবন ইসমাঈল ৷ তিনি নদীর তীরে এসে পৌছলেন ৷ সেখানকার নৌকাগুলো
একত্র করলেন ৷ তিনি সংবাদ পেলেন যে পদচ্যুত খলীফা মারওয়ান পালিয়ে “আল-ফারমা
নামক স্থানে চলে গিয়েছে ৷ কেউ কেউ ওই স্থানটির নাম “আলশ্ফায়ুম” বলেন ৷ সালিহ নদীর
তীর ধরে এগিয়ে যেতে থাকেন ৷ নৌকাগুলাে তীর সাথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷ তিনি “আরীশ”
এসে পৌছেন ৷ এরপর যাত্রা করে নীলনদ এবং তারপর “আল-সাঈদ” অঞ্চলে আসেন ৷
মারওয়ান ইতিমধ্যে নীল নদী পা র হয়ে ওপারে চলে যায় এবং সেতুটি ভেঙ্গে দেয় ৷ সং ×শ্রিষ্ট
এলাকার থাদ্যশুদ্রব্য ও ঘাস পাতা সব জ্বালিয়ে দেয় ৷ সালিহ তার খোজে অগ্রসর হচ্ছিলেন ৷
পথিমধ্যে মারওয়ানপক্ষীয় এক অশ্ব বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ হয় ৷ সংঘর্ষে মারওয়ানের অশ্ববাহিনী
পরাজিত হয় ৷ এরপর মারওয়ানের এক ধিক অশ্ববাহিনীর সাথে সং ×ঘর্য হয় ৷ প্রত্যেক ক্ষেত্রে
মারওয়ান বাহিনী পরাজয়বরণ করে ৷ নিহত ও বন্দী হয় ৷ বন্দীদেরকে মারওয়৷ নের অবস্থা ন সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করা হয় ৷ তাদের কেউ কেউ তার অবস্থান সম্পর্কে জানিয়ে দেয় ৷ তখন সে “আবু
সায়র” গির্জা ৷য় অবস্থান করছিল ৷ শেষ রাতে সা ৷লিহ বাহিনী ওখানে গিয়ে পৌছে ৷ তাদের উপস্থিতি
প্ টের পেয়ে মারওয়ানের সাথে থাকা সকল সৈনিক পালিয়ে যায় ৷ কয়েকজন সাথীসহ মারওয়ান
গির্জা থেকে বেরিয়ে আসে ৷ তারা তাকে চারিদিকে থেকে ঘিরে ফেলে এবং হত্যা করে ৷
মাওয়াদ নামের বসর৷ অধিবাসী এক লোক তাকে ছুরিকাঘাত করে ৷ তখনও সে অপরিচিত ছিল ৷
হঠাৎ এক লোক বলে ওঠে যে, ইনি আমীরুল মু’মিনীন-খলীফা , মরে পড়ে আছেন ৷ কুফার এক
তালিম রিক্রেত৷ দ্রুত এগিয়ে যায় এবং এক সময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী খলীফ৷ মারওয়ানের মাথা
কেটে নিয়ে আসে ৷ এই সেনা বাহিনীর প্রধান আ ৷মির ইবন ইসমাঈল খণ্ডিত মস্তক পাঠায় আবু
আওনের নিকট ৷ আবু আওন পাঠালেন সা ৷লিহ ইবন আ ৷লীর নিকট ৷
পুলিশ বাহিনীর সদস্য থুযায়ম৷ ইবন ইয়৷ যীদ ইবন হানীকে দিয়ে সালিহ ওই খণ্ডিত মস্তক
আমীরুল মু’মিনীন খলীফ৷ আল সাফ্ফার নিকট প্রেরণ করে ৷

মারওয়৷ ন নিহত হন যুলহাজ্জ জ্জামাসের ২৭ তা ৷রিখ রবিবার ৷ কেউ বলেছেন ১৩২ হিজরীর ৭ই
ষুলহ৷ জ্জ বৃহস্পতিবার তিনি নিহত হন ৷৩ @ংfi ৷খিলাফণ্ডে তর মেয়াদ ছিল পাচ বছর দশমাস দশ দিন ৷
এটি প্রসিদ্ধ অভিমত ৷ তার বয়স সম্পর্কে মতঙে দ রয়েছে ৷ কেউ বলেছেন ৪০ বছর ৷ কেউ
বলেছেন ৫৬ বছর আবার কেউ বলেছেন ৫৮ বছর ৷ কারো মতে ৬০ , কারো মতে ৬২, ৬৩
কিংবা ৬৯ বছর ৷ কেউ বলেছেন ৮০ বছর ৷ মহান আল্লাহ ভাল জানেন ৷

মারওয়ান আল-হিমার সম্পর্কে কিছু কথা
তিনি হলেন, মারওয়ান ইবন মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান ইবন হাকাম ইবন আবু আস ইবন


سِنِينَ وَعَشَرَةَ أَشْهُرٍ وَعَشَرَةَ أَيَّامٍ، عَلَى الْمَشْهُورِ، وَاخْتَلَفُوا فِي سِنِّهِ يَوْمَ قُتِلَ ; فَقِيلَ: أَرْبَعُونَ سَنَةً. وَقِيلَ: سِتٌّ - وَقِيلَ: ثَمَانٌ - وَخَمْسُونَ سَنَةً. وَقِيلَ: سِتُّونَ. وَقِيلَ: اثْنَتَانِ - وَقِيلَ: ثَلَاثٌ. وَقِيلَ: تِسْعٌ - وَسِتُّونَ سَنَةً. وَقِيلَ: ثَمَانُونَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ إِنَّ صَالِحَ بْنَ عَلِيٍّ سَارَ إِلَى الشَّامِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى مِصْرَ أَبَا عَوْنِ بْنَ يَزِيدَ. [شَيْءٌ مِنْ تَرْجَمَةِ مَرْوَانَ الْحِمَارِ] وَهَذَا شَيْءٌ مِنْ تَرْجَمَةِ مَرْوَانَ الْحِمَارِ هُوَ مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ، الْقُرَشِيُّ الْأُمَوِيُّ أَبُو عَبْدِ الْمَلِكِ، أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ آخِرُ خُلَفَاءِ بَنِي أُمَيَّةَ، وَأُمُّهُ أَمَةٌ كُرْدِيَّةٌ يُقَالُ لَهَا: لُبَابَةَ. وَكَانَتْ لِإِبْرَاهِيمَ بْنِ الْأَشْتَرِ النَّخَعِيِّ أَخَذَهَا مُحَمَّدُ بْنُ مَرْوَانَ يَوْمَ قَتَلَهُ، فَاسْتَوْلَدَهَا مَرْوَانَ هَذَا، وَيُقَالُ: إِنَّهَا كَانَتْ أَوَّلًا لِمُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ. وَقَدْ كَانَتْ دَارُ مَرْوَانَ هَذَا فِي سُوقِ الْأَكَّافِينَ. قَالَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ. بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ بَعْدَ قَتْلِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ، وَبَعْدَ مَوْتِ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ ثُمَّ قَدِمَ دِمَشْقَ كَمَا ذَكَرْنَا، وَخَلَعَ إِبْرَاهِيمَ بْنَ الْوَلِيدِ، وَاسْتَتَبَّ لَهُ الْأَمْرُ فِي النِّصْفِ مِنْ صَفَرٍ سَنَةَ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ.
পৃষ্ঠা - ৭৮৭৯


তম ৷ইয়৷ কুরায়শী, উমাভী ৷৩ তার উপনাম অ ৷বু আবদুল মালিক তিনি শেষ উমাইয়৷ খলীফ৷ ৷ তার
মা জনৈক৷ কুর্দী ক্রীতদাসী ৷ নাম তার লুব্ ৷বাহ্ ৷ দা ৷সীটি ছিল ইব্রাহীম ইবন আশাতার নাখঈ-এর ৷
ইব্রাহীম ইবন আশতার যেদিন নিহত হন সেদিন দাসীটি মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান তার দখলে নিয়ে
যায় এবং ওই ঘরে মারওয়ানের জন্ম হয় ৷

কেউ কেউ বলেছেন যে, দাসীটি ছিল প্রথমে ঘুসআব ইবন যুবায়রের ৷ মারওয়ানের বাসস্থান
ছিল আকাফীন বাজ৷ ৷রে ৷ এটি বলেছেন ইবন আসা ৷কির ৷ ওয়া ৷লীদ ইবন ইয়া যীদের হত্যাকাণ্ড এবং
ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদের মত তবে পর মারওয়ান খলীফারুপে৷ দ ৷য়িতু গ্রহণ করেন ৷ এরপর তিনি
দামেষ্কে আগমন করেন এবং ইব্রাহীম ইবন ওয়ালীদকে পদচ্যুত ৩করেন ৷ ১২৭ হিজরী সনের
সফর মাসের ১৫ তারিখ থেকে তিনি নিরৎকুশ ক্ষমতার অধিকারী হয়ে খলীফ৷ পদে অধিষ্ঠিত
থাকেন ৷

আবু মাশাব বলেছেন যে, ১২৯ হিজরীর রবীউল আউয়াল মাসে তিনি খলীফ৷ নিয়োজিত
হন ৷ জাদ ইবন দিরহামের মতাদর্শে প্রভাবিত হবার কারণে তাকে মারওয়ান আল জাদীও বলা
হয় ৷ তার উপাধি আল-হিমার ৷ তিনি উমাইয়৷ বংশের শেষ খলীফা ৷ তার খিলাফতকাল পাচ বছর
দশ মাস দশ দিন ৷ কেউ বলেছেন পাচ বছর এক মাস ৷ আব্বাসী খলীফ৷ আল সাফ্ফাহের পক্ষে
বায়আত গ্রহণের পর তিনি নয় মাস জীবিত ছিলেন ৷ তার দেহের রং ছিল সাদা-লাল মিশ্রিত ৷ ৷ইে
চোখ নীলাভ ৷ র্দাড়ি লম্বা লম্বা মাথ৷ বড় ৷ তিনি খিযাব বা কলপ ব্যবহার করতেন না ৷ খলীফা
হিশামের শাসনামলে তাকে আযাবব্ায়যান, আর্মেনিয়া ও জাযীরারশ ৷৷সনকত৷ নিযুক্ত করা
হয়েছিল ৷ এটি হল ১১৪ হিজরী সনের ঘটনা ৷ সেই থেকে দীর্ঘ কয়েক বছরে তিনি বহুদেশ ও
দুর্গ জয় করেন ৷ তিনি কখনো জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ্’ বা আল্লাহর পথে যুদ্ধ হতে বিমুখ হননি ৷
যুদ্ধ উপলক্ষে তিনি কাফির, তুর্কী, খাযরী ও লানসহ বহু জাতির বিরুদ্ধে অন্ত্রধারণ করেছেন ৷ তিনি
ওদেরকে পরাজিত ও ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছেন ৷ তিনি একজন সাহসী, অগ্রগামী বিচক্ষণ ও
নেতৃস্থানীয় যোদ্ধ৷ ৷ মহান আল্লাহর বিধান অনুযায়ী৩৷ ৷র পদচ্যুতি অনিব্ার্য এবং সে কারণে তার
সৈন্যরা ৷তকে অপমানিত করেছে নতুবা আপন বীরতৃ ও কৃতিৎ গুণে তিনি খলীফ৷ থেকেই
যেতেন ৷ কিন্তু মহান আল্লাহ যাকে ল ৷ঞ্ছিত করেন তাকে তো ল ৷ঞ্ছিত হতেই হবে ৷ মহান আল্লাহ
যাকে অপমানিত করেন কেউ৩ ৷কে সম্মানিত করতে পারবে না ৷

যুবায়র ইবন বিকার ত৷ ৷র চা ৷চ৷ যুসআব ইবন অ বাদুল্লাহ্ হতে ৩বর্ণন৷ করেছেন যে, উম ৷ইয়াদের
এই বিশ্বাস ছিল যে, কোন ক্রীতদাসীর ছেলে যদি তাদের খলীফ৷ ৷হয় তবে তার হাতে তাদের
শাসন ক্ষমতার পতন ঘটবে ৷৩ তারপর দাসীর ছেলে মারওয়৷ ন খলীফ৷ ৷হব৷ র পর ১৩২ হিজরী সনে
তাদের শাসন ক্ষমতার পতন ঘটে ৷

হাফিয ইবন আসাকির বলেছেন, আব্দুর রহমান ইবন আবু হুসা ৷ইন ছাওবান হতে বর্ণিত ৷
তিনি বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনং : ৷হুট্রুমোঃ ৷ ১ ছু১১া দ্বু ৷ ’;াট্রু’ও ৰুা
শ্উমাইয়া
গোত্রের লোকেরা একজন হতে অন্যজন খিলাফত ছিনিয়ে নিরে ৷ যেমন, বাচ্চারা খেলার বল

ছিনিয়ে নেয় ৷ তারপর যখন খিলাফত তাদের হাতে হতে বাইরে চলে যাবে তখন জনজীবৰে


وَقَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، سَنَةَ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ، وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: مَرْوَانُ الْجَعْدِيُّ، نِسْبَةً إِلَى رَأْيِ الْجَعْدِ بْنِ دِرْهَمٍ، وَيُلَقَّبُ بِالْحِمَارِ، وَهُوَ آخِرُ مَنْ مَلَكَ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ كَانَتْ خِلَافَتُهُ مُنْذُ سَلَّمَ إِلَيْهِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْوَلِيدِ إِلَى أَنْ بُويِعَ لِلسَّفَّاحِ خَمْسَ سِنِينَ وَشَهْرًا، وَبَقِيَ مَرْوَانُ بَعْدَ بَيْعَةِ السَّفَّاحِ تِسْعَةَ أَشْهُرٍ. وَكَانَ أَبْيَضَ مُشْرَبًا، أَزْرَقَ الْعَيْنَيْنِ، كَبِيرَ اللِّحْيَةِ، ضَخْمَ الْهَامَةِ، رَبْعَةً، وَلَمْ يَكُنْ يُخَضِّبُ. وَلَّاهُ هِشَامٌ نِيَابَةَ أَذْرَبِيجَانَ وَإِرْمِينِيَّةَ وَالْجَزِيرَةَ فِي سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ وَمِائَةٍ، فَفَتَحَ بِلَادًا كَثِيرَةً وَحُصُونًا مُتَعَدِّدَةً فِي سِنِينَ كَثِيرَةٍ، وَكَانَ لَا يُفَارِقُ الْغَزْوَ، قَاتَلَ طَوَائِفَ مِنَ النَّاسِ وَالتَّرْكِ وَالْخَزَرِ وَاللَّانِ وَغَيْرِهِمْ، فَكَسَرَهُمْ وَقَهَرَهُمْ، وَقَدْ كَانَ شُجَاعًا، بَطَلًا مِقْدَامًا، حَازِمَ الرَّأْيِ، وَلَكِنْ مَنْ يَخْذُلِ اللَّهَ يُخْذَلْ. قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ عَنْ عَمِّهِ مُصْعَبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ: كَانَ بَنُو أُمَيَّةَ يَرَوْنَ أَنَّهُ تَذْهَبُ مِنْهُمُ الْخِلَافَةُ إِذَا وَلِيَهَا مَنْ أُمُّهُ أَمَةٌ، فَلَمَّا وَلِيَهَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ كَانَتْ أُمُّهُ أَمَةً، فَأُخِذَتِ الْخِلَافَةُ مِنْ يَدِهِ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ لِأَبِي الْعَبَّاسِ السَّفَّاحِ.
পৃষ্ঠা - ৭৮৮০


কোন কল্যাণ থাকবে না ৷ ইবন আসাকির এভাবেই উদ্ধৃত করেছেন ৷ তবে এটি ভীষণ মুনকার বা
ড্ডাহণযোগ্য হাদীস ৷
একদিন বাদশা হারুনুর রশীদ জিজ্ঞেস করেছিলেন আবু বকর ইবন আইয়াশকে উত্তম খলীফা
কারা ন্ আমরা না উম ৷ইয়াগণ ? তিনি উত্তরে বলেছিলেন যে ওরা ছিল জন কলা৷ণে অ্যাণী আর
ন্া৷পনার৷ ন ৷লাত প্রতিষ্ঠায় অগ্রগামী ৷ তারপর হারুনুর রশীদ র্তাকে ছয় হাজার দিরহাম পুরস্কার
প্রদান করেন ৷ ঐতিহাসিকগণ মন্তব্য করেছেন যে, খলীফ৷ মার ওয়ান একজন মানব৩ ,াবাদী
হংক কারী ব্যক্তি ওন্৷ খেলাধুলা ও আনন্দ-উৎসব তিনি ভ ৷লবাস৫তন ৷ কিন্তু যুদ্ধের প্রয়োজনে তিনি
এগুলো হতে বিরত থাকতেন ৷
ঐতিহাসিক ইবন আসাকির বলেন যে, আবু হুসাইন আলী ইবন মুকাল্লিদের পাণ্ডুলিপিতে আমি
পাঠ করেছি যে, মার ওয়ান ইবন মুহাম্মদ মিসর পালিয়ে যাবার সময় রামাল্লাতে রেখে যাওয়া তার
এক ক্রী৩ দাসীর উদ্দেশ্যে নিম্নের কবিতা লিখেছিলেন০ ং

৷ :

গ্লোট্ট্রু ঢেৰুছুাট্রু;;স্রা“ ;ন্,র্সে৫গ্লোা৫,এা৷ষ্পু৷ হৃ;প্রু;;ছুর্দুা৷ড্রু ৷ট্রু

“আমার অভিজ্ঞতা ৷আমাকে ধৈর্যধারণে উদ্ধৃদ্ধ করছে প্রতিনিয়ত ৷ কিন্তু আমি তা প্রত্যাখ্যান
করছি ৷ তোমার প্রতি আমার অম্ভরে যে আকর্ষণ তা আমাকে ৫তামার দিকে টা ৷নছে ৷”


“ রাত্রি যাপন করা এখন তোমার জন্যেও কষ্টকর ৷ এখন তো আমাদের মাঝে অন্তরায় ও পর্দা
সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে ৷৩ তমি এখন আমার থেকে দশ ৷দিনের দুরত্বে অবস্থান করছ ৷”

ণ্৫া৷এ ৫ৰুপুণ্ষ্াহ্রট্রুাএ

“আল্লাহর কসম ! অন্তরের জন্যে আরো বিষাদময় হল সেই পরিস্থিতি যখন এর দ্বিগুণ দুরতু
বৃদ্ধি পেয়ে তুমি এক মাসের দুরত্বে অবস্থান করবে ৷”

৪ শ্ :

০ : শ্ : শ্০শ্ ; ৷ শ্ ! শ্ ;
গ্লু, ন্া;ছুাট্রু

“আল্লাহর কসম ! আরো কঠিন দুঃখময় হল সেই পরিস্থিতি ৩৫য, আমি আশংকা করছি জীবনে
আর ৫কানদিন আমরা মিলিত হতে পারব না ৷”

¢ ৷ন্ × : )

স্পো ৷

“আমি অবিলম্বে ৫তামা ৷র বিরহে৷ ক ন্না৷ শুরু করব ৷ সেই ক্রন্দনে আমার চোখের পানি অবশিষ্ট

থাকবে না, সব শুকিয়ে যাবে ৷ আমি তখন ধৈর্যধাবণে ৷র কথা চিন্তা ও করব না ৷ ধৈর্যধ৷ ৷ার৫ং র ৫চষ্টাও
করব না ৷”

কেউ কেউ বলেছেন যে, পালিয়ে যাবার সময় মারওয়ানের সাথে সাক্ষাত হয় এক ইয়াহুদী
প ণ্ড৫তর ৷ ইয়াহুদী পণ্ডিত তার নিকট এলে৩ তিনি তাকে সালাম দেন এবং বললেন ওহে পণ্ডিত ৷
যুরু ৷র বিবর্ত তন সম্পর্কে আপনার কি কো ন ৷অভিজ্ঞত৷ আছেঃ পণ্ডিত বলল হ্যা, আছে ৷ আমি এমন
< ২ লোক দেখেছি যে বিভিন্ন রংয়ে রঞ্জিত হয়েছে ৷ মার ওয়ান বলল, আচ্ছ চ্ছাদুনিয়াং ৷ক এমন পর্যায়ে


وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: أَخْبَرَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الْحَسَنِ، أَنَا سَهْلُ بْنُ بِشْرٍ، أَنَا الْخَلِيلُ بْنُ هِبَةِ اللَّهِ بْنِ الْخَلِيلِ، أَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الْكِلَابِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْجَهْمِ أَحْمَدُ بْنُ الْحُسَيْنِ، أَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ صُبْحٍ، ثَنَا عَبَّاسُ بْنُ نَجِيحٍ أَبُو الْحَارِثِ، حَدَّثَنِي الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنِي رَاشِدُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَزَالُ الْخِلَافَةُ فِي بَنِي أُمَيَّةَ يَتَلَقَّفُونَهَا تَلَقُّفَ الْغِلْمَانِ الْأُكْرَةَ، فَإِذَا خَرَجَتْ مِنْهُمْ فَلَا خَيْرَ فِي عَيْشٍ» . هَكَذَا أَوْرَدَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ وَسَكَتَ عَلَيْهِ، وَهُوَ مُنْكَرٌ جِدًّا. وَقَدْ سَأَلَ الرَّشِيدُ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَيَّاشٍ: مَنْ خَيْرُ الْخُلَفَاءِ ; نَحْنُ أَمْ بَنُو أُمَيَّةَ؟ فَقَالَ: هُمْ كَانُوا أَنْفَعَ لِلنَّاسِ، وَأَنْتُمْ أَقْوَمُ بِالصَّلَاةِ. فَأَعْطَاهُ سِتَّةَ آلَافٍ. قَالُوا: وَقَدْ كَانَ مَرْوَانُ كَثِيرَ الْمُرُوءَةِ، كَثِيرَ الْعُجْبِ، يُعْجِبُهُ اللَّهْوَ وَالطَّرَبَ، وَلَكِنَّهُ كَانَ يَشْتَغِلُ عَنْ ذَلِكَ بِالْحَرْبِ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: قَرَأْتُ بِخَطِّ أَبِي الْحُسَيْنِ عَلِيِّ بْنِ مُقَلَّدِ بْنِ نَصْرِ بْنِ مُنْقِذٍ الْأَمِيرِ فِي مَجْمُوعٍ لَهُ: كَتَبَ مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ إِلَى جَارِيَةٍ لَهُ تَرَكَهَا بِالرَّمْلَةِ عِنْدَ انْزِعَاجِهِ إِلَى مِصْرَ مُنْهَزِمًا:
পৃষ্ঠা - ৭৮৮১
وَمَا زَالَ يَدْعُونِي إِلَى الصَّبْرِ مَا أَرَى ... فَآبَى وَيُدْنِينِي الَّذِي لَكَ فِي صَدْرِي وَكَانَ عَزِيزًا أَنْ تَبِيتِي وَبَيْنَنَا ... حِجَابٌ فَقَدْ أَمْسَيْتِ مِنِّي عَلَى عَشْرِ وَأَنْكَاهُمَا وَاللَّهِ لِلْقَلْبِ فَاعْلَمِي ... إِذَا زِدْتُ مِثْلَيْهَا فَصِرْتُ عَلَى شَهْرِ وَأَعْظَمُ مِنْ هَذَيْنِ وَاللَّهِ أَنَّنِي ... أَخَافُ بِأَنْ لَا نَلْتَقِي آخِرَ الدَّهْرِ سَأَبْكِيكِ لَا مُسْتَبْقِيًا فَيْضَ عَبْرَةٍ ... وَلَا طَالِبًا بِالصَّبْرِ عَاقِبَةَ الصَّبْرِ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: اجْتَازَ مَرْوَانُ وَهُوَ هَارِبٌ بِرَاهِبٍ، فَاطَّلَعَ عَلَيْهِ الرَّاهِبُ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ: يَا رَاهِبُ، هَلْ عِنْدَكَ عِلْمٌ بِالزَّمَانِ؟ قَالَ: نَعَمْ، عِنْدِي مِنْ تَلَوُّنِهِ أَلْوَانٌ. قَالَ: هَلْ تَبْلُغُ الدُّنْيَا مِنَ الْإِنْسَانِ أَنْ تَجْعَلَهُ مَمْلُوكًا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: كَيْفَ؟ قَالَ: تُحِبُّهَا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَأَنْتَ مَمْلُوكٌ لَهَا. قَالَ: فَمَا السَّبِيلُ فِي الْعِتْقِ؟ قَالَ: بُغْضُهَا وَالتَّخَلِّي عَنْهَا. قَالَ: هَذَا مَا لَا يَكُونُ. قَالَ الرَّاهِبُ: أَمَّا تَخَلِّيهَا مِنْكَ فَسَيَكُونُ، فَبَادِرْ بِالْهَرَبِ مِنْهَا قَبْلَ أَنْ تُبَادِرَكَ. قَالَ: هَلْ تَعْرِفُنِي؟ قَالَ: نَعَمْ، أَنْتَ مِلْكُ الْعَرَبِ مَرْوَانُ تُقْتَلُ فِي بِلَادِ السُّودَانِ وَتُدْفَنُ بِلَا أَكْفَانِ، وَلَوْلَا أَنَّ الْمَوْتَ فِي طَلَبِكَ، لَدَلَلْتُكَ عَلَى مَوْضِعِ هَرَبِكَ. قَالَ بَعْضُ أَهْلِ ذَلِكَ الزَّمَانِ: كَانَ يُقَالُ: يَقْتُلُ ع بْنُ ع بْنِ ع بْنِ ع م بْنَ م بْنِ م. يَعْنُونَ يَقْتُلُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ مَرْوَانَ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: جَلَسَ مَرْوَانُ يَوْمًا وَقَدْ أُحِيطَ بِهِ، وَعَلَى رَأْسِهِ خَادِمٌ لَهُ
পৃষ্ঠা - ৭৮৮২

পৌছাতে পারে যে, এক সময়ে যে মুনীর ছিল তাকে দাসে পরিণত করে দিবে ? পণ্ডিত বলল, হীা
পাবে ৷ মারওয়ান বললেন, তা কেমন করে পারে ? পণ্ডিত বলল, দুনিয়ার প্রতি ভালবাসা, আকর্ষণ,
কাম বস্তু পাওয়ার লোড, স্বার্থ হাসিলের জন্যে বিবেক ও নীতিবােধ বিসর্জন এবং ন্যায়সংগত
সুযোগ বজনের মাধ্যমে ৷ কারণ, আপনি যদি দুনিয়াকে ভালবাসেন, তবে জেনে রাখুন যে, যে ন্
ব্যক্তি দুনিয়াকে তালবাসে সে তার গোলামে পরিণত হয় ৷ মারওয়ান বললেন, সেটি থেকে মুক্তির
উপায় কি ? পণ্ডিত বলল, দুনিয়ার প্রতি ঘৃণা পোষণ ও তার থেকে দুরে থাকা ৷ মারওয়ান বললেন,
তা তো হবার নয় ৷ পণ্ডিত বলল, হবে, হবে, অচিরেই হবে ৷ ওই দুনিয়া ছিনিয়ে নেওয়ার আগে
নিজেই তা থেকে সরে র্দাড়ান ৷

মারওয়ান বলল, আপনি কি চেনেন আমি কে ? সে বলল, হী৷ চিনি, আপনি আরব সম্রাট
মারওয়ান ৷ নিহত হবেন সুদানে গিয়ে ৷ আপনাকে দাফন করা হবে কাফন ছাড়া ৷ মৃত্যু যদি এখনই
আপনাকে তাড়৷ না করত তাহলে আ ৷মি আপনাকে পা ৷লিয়ে রাচা চার স্থান দেখিয়ে দিতাম ৷

কেউ কেউ বলেছেন যে, ওই যুগে একটি উক্তি প্রচলিত ছিল যে, আইন ( ৰু) ইবন আইন ( ৰু)
ইবন আইন ( ৰু ) ইবন আ ৷ইন মীম ( ণ্) ইবন মীম ( ণ্) ইবন মীম ( ণ্) কে হত তা৷ করবে ৷ অর্থাৎ
আবদুল্লাহ ইবন আ ৷লী ইবন আব্বাস মারওয়ান ইবন মুহ৷ মদ ইবন৷ ম৷ রওয়৷ নাক হত্যা করবে ৷

কেউ কেউ বলেছেন যে, একদিন লোকজন পরিবেষ্টিত হয়ে মারওয়ান এক জায়গায় বসা
ছিল ৷ তার মাথার নিকট দণ্ডায়মান ছিল এক সেবক ৷ জনৈক শ্রোতাকে উদ্দেশ্য করে মারওয়ান
বলল, এখন আমাদের কী করুণ অবস্থা তা কি দেখতে পাচ্ছ ? আমার আক্ষেপ হয় সে সকল
সাহায্যের জন্যে যেগুলােতে আমার কোন সুনাম হল না ৷ সে সকল কৃপা, দান ও অনুগ্রহের জন্যে
যেগুলোর জন্যে আমার প্রতি তকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হল না ৷ এমন সব রাজ্যের জন্যে যারা আমার
সাহায্যে এগিয়ে এল না ৷ তখন তার সেবক বলল, আমীরুল মু’মিনীন! যে ব্যক্তি অল্প বস্তুকে
বেশী হবার অবকাশ দেয়, ছোটকে বড় হবার সুযোগ দেয় এবং গুপ্তকে প্রকাশিত হবার সুযোগ
দেয়, আজকের কা জ পরবর্তী দিনের জন্যে রেখে দেয়ত তার উপর এর চেয়েও বেশী দুঃখ অবতীর্ণ
হয় ৷ মারওয়ান বলল, খিলাফত৷ হ বানােব চেয়ে এই মন্তব্যটি আমার বজন্যে অধিক দুঃখজনক ৷

কেউ কেউ বলেছেন যে, ১৩২ হিজরীর যুলহাজ্জা মাসের ১৪ তারিখ সোমবার মারওয়ান
নিহত হয়েছে ৷ত তার বয়স তখন ৬০ বছর অতিক্রম করে ৮ : তে পৌছেছিল ৷ কেউ বলেছেন
যে, মারওয়ান ৪০ বছর বেচেছিল ৷ প্রথম অভিমতটি সঠিক ৷ সে ছিল উমাইয়৷ রং শের শেষ

খলীফ৷ ৷ত তার মাধ্যমে উম৷ ইয়৷ শাসনের অবসা ন ৷ঘটে ৷

উমাবী খিলাফতের সমাপ্তি এবং আব্বাসীয় খিলাফতের সুচনা
সংক্রান্ত হাদীস
আলা ইবন আবদুর রহমানতার ৷পিতা ৷র সুত্রে হযরত আবু হুর৷ য়র৷ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেছেন ং ৷, ;ণ্ ৷ ১ার্মু,ং , , ৷ ,ণ্এো,’;ছু ’-¢£, ৷শু ৷
ণ্ ৰুা,৷ ইা৷ ৷ ট্রুা:, ১’,ছু ণ্া৷ ৷ টুর্চু, , ১াএ৷ ণ্া৷ ৷ ৰু;,ট্রু ৷ “বনুআলের কর্ত্যহ্৷ ৷ধিকারী ব্যক্তির সং খ্যা
যখন চল্লিশে পৌছবে খনত তারা আল্লাহর দীনকে বিশ্বাসঘ৷ ৷তকতার মাধ্যম এবং তার বান্দাদেরকে

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম খণ্ড)-১৩


قَائِمٌ، فَقَالَ مَرْوَانُ يَوْمًا لِبَعْضِ مَنْ يُخَاطِبُهُ: أَلَا تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ؟ لَهْفِي عَلَى أَيْدٍ مَا ذُكِرَتْ، وَنِعَمٍ مَا شُكِرَتْ، وَدَوْلَةٍ مَا نُصِرَتْ. فَقَالَ لَهُ الْخَادِمُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، مَنْ تَرَكَ الْقَلِيلَ حَتَّى يَكْثُرَ، وَالصَّغِيرَ حَتَّى يَكْبُرَ، وَالْخَفِيَّ حَتَّى يَظْهَرَ، وَأَخَّرَ فِعْلَ الْيَوْمِ لِغَدٍ، حَلَّ بِهِ أَكْثَرُ مِنْ هَذَا. فَقَالَ مَرْوَانُ: هَذَا الْقَوْلُ أَشُدُّ عَلَيَّ مِنْ فَقْدِ الْخِلَافَةِ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ مَرْوَانَ قُتِلَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ خَلَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ، وَقَدْ جَاوَزَ السِّتِّينَ، وَبَلَغَ الثَّمَانِينَ. وَقِيلَ: إِنَّمَا عَاشَ أَرْبَعِينَ سَنَةً. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ، وَهُوَ آخِرُ خُلَفَاءِ بَنِي أُمَيَّةَ بِهِ انْقَضَتْ دَوْلَتُهُمْ. [ذِكْرُ مَا وَرَدَ فِي انْقِضَاءِ دَوْلَةِ بَنِي أُمَيَّةَ وَابْتِدَاءِ دَوْلَةِ بَنِي الْعَبَّاسِ مِنَ الْأَخْبَارِ النَّبَوِيَّةِ وَغَيْرِهَا] قَالَ الْعَلَاءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا بَلَغَ بَنُو أَبِي الْعَاصِ أَرْبَعِينَ رَجُلًا اتَّخَذُوا دِينَ اللَّهِ دَغَلًا، وَعِبَادَ اللَّهِ خَوَلًا، وَمَالَ اللَّهِ دُوَلًا» . وَرَوَاهُ الْأَعْمَشُ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ مَرْفُوعًا بِنَحْوِهِ.
পৃষ্ঠা - ৭৮৮৩


দাস ও পরিচারকরুপে গ্রহণ করবে আর মহান আল্লাহ্ প্রদত্ত ধন সম্পদকে কুক্ষিগত করবে” ৷ ১
আ’মাশ এরই মত করে আতিয়্যা সুত্রে আবু সাঈদ থেকে মারকুরুপে এ হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ আর ইবন লাহীআ, আবু কুবায়ল সুত্রে ইবন ওয়াহ্ব থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
(একবার) তিনি হযরত মুআবিয়ার কাছে উপস্থিত ছিলেন ৷ তখন মারওয়ান ইবনুল্ হাকাম তার
সাক্ষাতে প্রবেশ করে তার একটি প্রয়োজনের ব্যাপারে আলোচনা করে বলে আমার প্রয়োজন পুরণ
করেন ৷ কেননা, আমি হলাম দশ ছেলের পিতা, দশ তা ৷ইয়ের ভাই এবং দশ ভ ৷তিজা ৷র চাচা ৷
এরপর মারওয়ান যখন চলে যায়, তখন হযরত মুআবিয়া তার সাথে একই আসনে উপবিষ্ট ইবন
আব্বাসকে বলেন, তুমি কি জান না যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেছেন : ;’;; ৮£ ৷ এ ৷


ণ্া১৷ ৷ ৷
হুছুট্র
বনু হাক৷ মের কর্তৃতাধিকারী ব্যক্তির সং খ্যা যখন তিরিশে পৌছবে তখন তা ৷র৷ আল্লাহ প্রদত্ত
ধন-সম্পদকে কুক্ষিগত করবে, আল্লাহর বান্দাদেরকে চাকর-নওকর বানাবে এবং আল্লাহর
কিতাবকে ঘোক৷ ও প্রতারণার মাধ্যমরুগে গ্রহণ করবে ৷ আর তাদের সংখ্যা যখন চারশ
সাতানব্বইয়ে ২ পৌছবে তখন “অকল্পনীয় দ্রুত” সময়ে তাদের ধ্বংস সম্পন্ন হবে ৷ ’ ইবন আব্বাস
তখন বলেন, হীা, অবশ্যই ৷ এরপর মারওয়ান যখন চলে যায় তখন মুআবিয়৷ বলেন, হে ইবন
আব্বাস ৷ আমি তোমাকে আল্লাহ্র দোহাই দিয়ে প্রশ্ন করি, তুমি কি জান না যে একে উল্লেখ করে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সম্বন্ধে বলেছেন ং <,১৷ ৷ ’ওঠু১ এে ৷ ,’১৷ অর্থাৎ৷ চ ৷র স্বেচ্ছাচ৷ ৷রী শাসকের
জনক ৷ তখন ইবন আব্বাস বলেন, হী৷ অবশ্যই ৷ তাছাড়া আবু দা ৷উদ তয়ালিসী, কাসিম ইবন
ফযল সুত্রে ইউসুফ ইবন মাযিন আ ররা ৷সিবী থােক বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি
হযরত হুসায়ন ৩ ইবন আলীর কাছে নিয়ে তাকে সম্বোধন করে বলে, হে মু’মিনগণের মুখমণ্ডল
কালিমা লিপ্তকারী ! তখন হুসায়ন বলেন, আল্লাহ তোমাকে রহম করুন ৷ আমাকে তিরস্কা ৷র করো
না ৷ কেননা, স্বয়ং৩৷ অ ৷ল্লাহ্র রাসুল স্বপ্নে বনুউমায়্যার একেক ব্যক্তিকে তার মিম্বরে আরোহণ করে
থুৎব৷ দিতে দেখে মর্মাহত হন ৷ তখন নাযিল হয় ড্রু১প্রু£এ৷ ৷১১১ ৷ ৷ আমি অবশ্যই
তোমাকে কাওছার দান করেছি ৷ কাওছার হল জ ৷ন্নাতে তর একটি নহর ৷ আরও নাযিল হয় ১ ৷

র্চ (; ণ্

fl ৷ “আমি ইহা নাযিল করেছি
যহিমাম্বিত রজনীতে আর মহিমাম্বিত রজনী সম্বন্ধে৩ তুমি কি জান ? মহিমাম্বিত রজনী সহস্র মাস
অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ৷ (সুরা কদর ১-৩) ৷ সহস্রমাস অর্থাৎ বানু উমায়্যার শাসনকাল ৷ বর্ণনাকারী
বলেন তখন আমরা হিসাব করে দেখি ব্যাপারটি তিনি যেমন বলেছেন ৫৩ তমনই তার কম ও নয়

বেশী ও নয় ৷ :



১ ইমাম বায়হাকী হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন আদ-দালাইল গ্রন্থে-(৬ খ ও ৫০ ৭ পৃ ) ৷
২ বায়হাকীর দালাইল গ্রন্থে এই সংখ্যা চারশ নিরানব্বই রয়েছে (৬ খ : ৫০৮ পৃ ) ৷
৩ সম্ভবত এস্থলে ড্রেণ প্রমাদ রয়েছে, কেননা এস্থুলে হযরত হাসান হওয়া উচিত ৷
৪ বায়হাকী হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন আদ-দালাইলে (৬ খ : ৫১০ পৃ ) আর তিরমিযী তা রিওয়ায়াত
বাকী অংশ ৯৯ পৃষ্ঠার


وَرَوَى ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي قَبِيلٍ عَنِ ابْنِ مُوهِبٍ أَنَّهُ كَانَ عِنْدَ مُعَاوِيَةَ فَدَخَلَ عَلَيْهِ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، فَكَلَّمَهُ فِي حَاجَةٍ، فَقَالَ: اقْضِ حَاجَتِي فَإِنِّي لَأَبُو عَشَرَةٍ، وَعَمُّ عَشَرَةٍ وَأَخُو عَشَرَةٍ. فَلَمَّا أَدْبَرَ مَرْوَانُ قَالَ مُعَاوِيَةُ، لِابْنِ عَبَّاسٍ وَهُوَ مَعَهُ عَلَى السَّرِيرِ: أَمَا تَعْلَمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا بَلَغَ بَنُو الْحَكَمِ ثَلَاثِينَ رَجُلًا اتَّخَذُوا مَالَ اللَّهِ بَيْنَهُمْ دُوَلًا، وَعِبَادَ اللَّهِ خَوَلًا، وَكِتَابَ اللَّهِ دَغَلًا، فَإِذَا بَلَغُوا سَبْعَةً وَتِسْعِينَ وَأَرْبَعَمِائَةٍ، كَانَ هَلَاكُهُمْ أَسْرَعَ مِنْ لَوْكِ تَمْرَةٍ؟ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: وَذَكَرَ مَرْوَانُ حَاجَةً لَهُ فَرَدَّ مَرْوَانُ عَبْدَ الْمَلِكِ إِلَى مُعَاوِيَةَ فَكَلَّمَهُ فِيهَا، فَلَمَّا أَدْبَرَ عَبْدُ الْمَلِكِ قَالَ مُعَاوِيَةُ: أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ، أَمَا تَعْلَمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ هَذَا فَقَالَ: " أَبُو الْجَبَابِرَةِ الْأَرْبَعَةِ "؟ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: اللَّهُمَّ نَعَمْ.» وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِىُّ: حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ الْفَضْلِ، ثَنَا يُوسُفُ بْنُ مَازِنٍ الرَّاسِبِيُّ قَالَ: «قَامَ رَجُلٌ إِلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ بَعْدَمَا بَايَعَ مُعَاوِيَةَ فَقَالَ: يَا مُسَوِّدَ وُجُوهِ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ الْحَسَنُ: لَا تُؤَنِّبْنِي رَحِمَكَ اللَّهُ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى بَنِي أُمَيَّةَ يَخْطُبُونَ عَلَى مِنْبَرِهِ رَجُلًا رَجُلًا، فَسَاءَهُ ذَلِكَ، فَنَزَلَتْ: {إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ} [الكوثر: 1] . وَهُوَ نَهْرٌ فِي الْجَنَّةِ، وَنَزَلَتْ: {إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ} [القدر: 1]
পৃষ্ঠা - ৭৮৮৪
[الْقَدْرِ: 1 - 3] يَمْلِكُهُ بَنُو أُمَيَّةَ. قَالَ: فَحَسَبْنَا ذَلِكَ، فَإِذَا هُوَ كَمَا قَالَ، لَا يَزِيدُ يَوْمًا وَلَا يَنْقُصُ.» وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ غَيْلَانَ، عَنْ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، ثُمَّ قَالَ: غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ الْقَاسِمِ بْنِ الْفَضْلِ وَهُوَ ثِقَةٌ، وَثَّقَهُ يَحْيَى الْقَطَّانُ وَابْنُ مَهْدِيٍّ. قَالَ: وَشَيْخُهُ يُوسُفُ بْنُ سَعْدٍ وَيُقَالُ: يُوسُفُ بْنُ مَازِنٍ. رَجُلٌ مَجْهُولٌ، وَلَا يُعْرَفُ هَذَا بِهَذَا اللَّفْظِ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَأَخْرَجَهُ الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرِكِهِ " مِنْ حَدِيثِ الْقَاسِمِ بْنِ الْفَضْلِ الْحَدَّانِيِّ، وَقَدْ تَكَلَّمْتُ عَلَى نَكَارَةِ هَذَا الْحَدِيثِ فِي " التَّفْسِيرِ " بِكَلَامٍ مَبْسُوطٍ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَإِنَّمَا يَتَّجِهُ أَنْ يَكُونَ دَوْلَةُ بَنِي أُمَيَّةَ أَلْفَ شَهْرٍ، إِذَا أُسْقِطَ مِنْهَا أَيَّامُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَذَلِكَ أَنَّ مُعَاوِيَةَ بُويِعَ لَهُ مُسْتَقِلًّا بِالْمُلْكِ فِي سَنَةِ أَرْبَعِينَ، وَهِيَ عَامُ الْجَمَاعَةِ حِينَ سَلَّمَ إِلَيْهِ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْأَمْرَ بَعْدَ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ قَتْلِ عَلِيٍّ ثُمَّ زَالَتِ الْخِلَافَةُ عَنْ بَنِي أُمَيَّةَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، أَعْنِي سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ، وَذَلِكَ ثِنْتَانِ وَتِسْعُونَ سَنَةً، وَإِذَا أُسْقِطَ مِنْهَا تِسْعُ سِنِينَ بَقِيَ ثَلَاثٌ وَثَمَانُونَ سَنَةً، وَهِيَ مُقَارِبَةٌ لِمَا وَرَدَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ، وَلَكِنْ لَيْسَ هَذَا مَرْفُوعًا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ فَسَّرَ هَذِهِ الْآيَةَ بِهَذَا، وَإِنَّمَا هَذَا مِنْ بَعْضِ الرُّوَاةِ، وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ مُطَوَّلًا فِي " التَّفْسِيرِ "، وَتَقَدَّمُ فِي الدَّلَائِلِ أَيْضًا تَقْرِيرُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৮৮৫


ইমাম তিরমিযী, মাহমুদ ইবন গায়লান সুত্রে আবু দ উদ তায়ালিসী থেকে হাদীসখানি
রিওয়ায়াত করার পর মন্তব্য করেছেন হাদীসখানি গরীব শ্রেণীভুক্ত ৷ কাসিম ইবন ফযলের হাদীস
সংগ্রহ ব্যতীত আমরা এর কে ন উৎসের কথা জানি না ৷ আর তিনি কাসিম নির্ভরযোগ্য রাবী ৷
ইয়াহ্ইয়া আল-কাত্তান এবং ইবন মাহদী তাকে নিঙ্ঘযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন ৷ ইমাম তিরমিযী
বলেন,৩ তার (কাসিমের) শায়খ হলেন ইউসুফ ইবন সা’ দ, মত ৷ম্ভরে ইউসুফ ইবন মাযিন যিনি
অজ্ঞা ত পরিচয় ৷ আর এই সুত্রে ব্যতীত এই শব্দমা লায় এ হাদীসের কো ন পরিচয় পাওয়া যায় না ৷
হাকিম তার মুসতাদরাকে কাসিম ইবন ফযল আল-হাদদা ৷নীর হাদীস সংগ্রহ থেকে তা উল্লেখ
করেছেন ৷ আল-বিদায়ার গ্রন্থকার বলেন,ত তাফসীর গ্রন্থে আমি এই হাদীসেরা’মুনকর ও
ড্ডাহণযােগ্য হওয়ার ব্যাপারে বিশদ আলোচনা করেছি ৷ আ র বনুউমায়্যার৷ শ্া ৷াসনকাল হাজার মাস
বলা তখনই সঠিক হবে যখন তা থেকে ইবনুঘৃ যুবায়রের শাসনকাল বাদ দেওয়া হবে ৷ আর তার
ব্যাখ্যা হল চল্লিশ হিজরীতে হযরত মুআবিয়ার একচ্ছএ শাসন কতৃত্বের অনুকুলে বায়আত গৃহীত
হয় ৷ আর তা হল ঐক্যের বছর যে বছর হযরত হাসান ইবন আলী তার পিতা নিহত হওয়ার
ছয়মাস পর হযরত ঘুআবিয়ার (অনুকুলে) আনুপত মেনে নেন ৷ এরপর এই একশ বত্রিশ
হিজরীতে বনু উমায়ব্রার শাসন কর্তত্বের অবসান হয় ৷ এ হিসাবে তাদের মোট শ্াসনকাল ৯২
বছর ৷ তারপর যদি তা থেকে ইবনুয যুবায়রের নয় বছরের খিলাফতকাল বাদ দেওয়া হয় তাহলে
বাকী থাকে তিরাশিাবছর ৷ আর তা এই হাদীসের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ নয় ৷ এছাড়া এই হাদীসখানি
নবী (সা) পর্যন্ত এই মমে মারফু’ নয় যে তিনি এই আয়াতকে এই সং খ্যা দ্বারা ব্যাখ্যা করেছেন ৷
এটা আসলে কো ন রাবীর বক্তব্য ৷ আলাল-বিদা ৷য়ার গ্রন্থকা র বলেন, এ প্রসঙ্গে আমরা আমাদের
তাফসীর গ্রন্থে বিশদ আলোচনা করেছি ৷ এছাড়া আদ্-দালাইল অধ্যায়ে এর ব্যাখ্যা গত হয়েছে ৷
মাহন আল্লাহ অধিক জানেন ৷

আলী ইবনুল মাদীলী বর্ণনা করেন ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ সুত্রে সাঈদ ইবনুল মুসায়িবে
থেকে যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেছেন : রু;;£;ব্লু এেপ্রুপুট্রু;; ঠুট্রু’া;ং;;’; ব্লুট্রু ৷ ;; ’;র্দু;’াট্রু
াপ্নে আমি বনুউমায়্যাকে আমার মিম্বরে
আরোহণ করতে দেখে মর্মাহত হই ৷ তখন এ১ব্লু৷ হদু এ ১ ১ ৷;৷ প্রু; ৷ ; ৷ এই সুরা নাযিল
হয় ৷ আ র এ হাদীসখানি যয়ীফ ও মুরসা ল ৷

আবু বকর ইবন আবু খায়ছামা ইয়াহ্ইয়া ইবন মাঈন সুত্রে সাঈদ ইবনুল ঘুসারািব থেকে
আমি যে দৃশ্য তোমাকে দেখিয়েছি তা
কেবলমানুয়ের পরীক্ষার জন্য; এই আঘাতের ব্যাখ্যায় বর্ণনা করেন ৷ তিনি ববুউমায়দ্রার কতক
ব্যক্তিকে মিম্বরে উপবিষ্ট দেখে মর্মাহত হন ৷ তখন তাকে বলা হয়, এ হল পার্থিব জীবনের শোভা
সৌন্দর্য, যা তাদেরকে দেওয়া হবে এবং কিছুকাল পরেই তা বিলুপ্ত হয়ে যাবে ৷ একথা শুনে তার



করেছেন তাফসীর অধ্যায়ে সুরা কদরের তাফসীরে হাদীস নং (৩৩৫০) ৫খ : ৪ : ৪ ৪ : ৫ পৃ ৷ এছাড়া
হাকিম তা রিওয়ায়াত করেছেন তার মুসতাদরাকে এবং ইবন জারীর তাবারীও তা ব্রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর
এদের প্রত্যেকে আবার কাসিম ইবন ফযলের হাদীস সংগ্রহ থেকে, আর হাদীস রয়েছে জনৈক ব্যক্তি হাসানের
কাছে নিল, হসায়নের কাছে নয় ৷ আর এটা ছিল মুআবিয়ার সাথে তার সন্ধির পর ৷ সুতরাং হাদীসে হুসায়নের
নাম উল্লেখ করা এটা হাদীস নকলকারীর বিভ্রম ৷


وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «رَأَيْتُ بَنِي أُمَيَّةَ يَصْعَدُونَ مِنْبَرِي، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيَّ، فَأُنْزِلَتْ: " إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ ".» فِيهِ ضَعْفٌ وَإِرْسَالٌ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ فِي قَوْلِهِ: {وَمَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي أَرَيْنَاكَ إِلَّا فِتْنَةً لِلنَّاسِ} [الإسراء: 60] قَالَ: رَأَى نَاسًا مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ عَلَى الْمَنَابِرِ، فَسَاءَهُ ذَلِكَ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّمَا هِيَ دُنْيَا يُعْطَوْنَهَا. فَسُرِّيَ عَنْهُ. وَقَالَ أَبُو جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ عَنِ الرَّبِيعِ قَالَ: «لَمَّا أُسْرِيَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى فُلَانًا، وَهُوَ بَعْضُ بَنِي أُمَيَّةَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَخْطُبُ النَّاسَ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِنْ أَدْرِي لَعَلَّهُ فِتْنَةٌ لَكُمْ وَمَتَاعٌ إِلَى حِينٍ} [الأنبياء: 111] يَقُولُ: هَذَا الْمُلْكُ فِتْنَةٌ لَكُمْ وَمَتَاعٌ إِلَى حِينٍ» . وَقَالَ مَالِكُ بْنُ دِينَارٍ سَمِعْتُ أَبَا الْجَوْزَاءِ يَقُولُ: وَاللَّهِ لَيُغَيِّرَنَّ اللَّهُ مُلْكَ
পৃষ্ঠা - ৭৮৮৬


মনােপীড়া দুর হয় ৷ আবুজাফর রাবী’ সুত্রে বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে যখন নৈশকাল বায়তুল্লাহ্
থেকে বায়তুল মাকদিসে ভ্রমণ করানো হয়, তখন তিনি বনু উম্যায়্যার এক ব্যক্তিকে মিম্বরে
উপবিষ্ট হয়ে খুৎবা দিতে দেখেন (যা ছিল পরবর্তীকিালে তাদের শাসন কর্তৃত্বে লাভের
নিদর্শনস্বরুপ) ৷ তখন বিষয়টি মেনে নেওয়া তার জন্য কষ্টকর হয় ৷ ফলে আল্লাহ তা আনা এই
আয়া ৷ত নাযিল করেন : ,, ১ ৷ ৷ , আমি জানি না, হয়ত
এটা তোমাদের জন্য এক পরীক্ষা এবং জীবনােপভােগ কিছুকালের জন্য (সুরা আন্বিয়া০ ং ১১১)
মালিক ইবন দীনা ৷র বলেন, আমি আবুল জাওযড়াকে বলতে শুনেছি, আল্লাহর কসম অবশ্যই মহান
আল্লাহ বনু উমায়্যার শাসন কর্ততুকে প্রবল ও শক্তিশালী করবেন ৷ যেমন৩ তাদের পুর্ববভীৰিদর
শাসন কর্তৃতৃকে প্রবল ও শক্তিশালী করেছেন ৷ তারপর তিনি তাদের শাসন কর্তৃতৃকে হীনবল
করবেন ৷ যেমন তাদের পুর্ববর্শীদর শাসন কতৃতৃকে হীনবল করেছেন ৷৩ তারপর তিনি তা ৷ল্লাহ্
তা জানার এই বাণী তিলাওয়াত করেন ,১র্চু৷ ৷ ;,;; গ্র৷ , ৷ ১১ ণ্াট্রুর্বু ৷ শ্াদ্বু;, আর আমি
মানুষের মাঝে পর্যায়ক্রমে এই দিনগুলির আবর্তন ঘট ৷ই ৷ (সুরা আ স ইমরানঙ্ক ১৪ :) ইবন আবুদ
দুনিয়া বলেন, ইবরাহীম ইবন স৷ ৷ঈদ সুত্রে হযরত উছমান ইবন আফ্ফানের মাওল৷ উমর ইবন
সায়ফ থেকে তিনি বলেন, বনু উমায়্যার আলোচনা প্রসঙ্গে আমি সাঈদ ইবন মুসাব্যিবকে আবু
বকর ইবন সুলায়মান ইবন আবু খায়ছামার উদ্দেশ্যে বলতে শুনেছি তাদের নিজেদের মাঝেই
তাদের ধ্বংস সং ঘটিত হবে ৷ লোকেরা বলল, কীভাবে ? তিনি বললেন, তাদের খলীফ বা
ৎসপ্রাপ্ত হবে এবং দুষ্টলোকেরা রয়ে যাবে ৷ তখন৩ারা খিলাফতের শাসন কতৃতু দখলের জন্য
প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে ৷ তারপর প্রজা-সাধারণ তা ৷দের উপর প্রবল হবে এবং তাদেরকে ধ্বংস
করবে ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান বর্থাং৷ করেন, আহমাদ ইবন মুহাম্মাদ আ ৷লআয়রকী সুত্রে আবু
হুরায়র৷ (বা) থেকে বর্থাং৷ করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশ ৷৷দ করেছেন, ষ্ ১১ ক্রু,ট্রু ৷ ১ ’ণ্ ,ং১া,

৩ ৷ ! fl শ্ # : ’ শ্

’ও১,১৷ ৷ ৷ ষ্১ ৷ :১১১ , ৷ ণ্হ্র ন্৷ ৷ ১ ৷ স্বপ্নযোগে
আমি আবুল হাকাম অথবা আবুল আসের অধন্তনদের আম ব মিম্বরের উপর চড়তে দেখেছি
যেমনভাবে বীদর চড়াও হয় ৷” রাবী বলেন, এরপর আর ওফাত পর্যন্ত নবী করীম (সা)-কে
তেমনিভাবে মুখভার হাসতে দেখা যায়নি ৷ আবু মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান
আদ-দারিমী বর্থাং৷ করেন মুসলিম ইবন ইব্রাহীম সুত্রে সাহাবী আমর ইবন মুররা (বা) থেকে
তিনি বলেন, একবার হাকাম ইবন আবুল আস এসে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে প্রবেশের অনুমতি
প্রার্থ্যা৷ করে ৷ তখন নবীজী তার কষ্ঠস্বর চিনতে পেরে বলেন, “তা কে ভিতরে আসতে দাও, তার
উপর এবৎ৩ার ঔরসজা ৷ত অধস্তনদের উপর অ ৷ল্লাহ্র অভিশাপ ৷ তবে যারা প্রকৃত মু ’মিন তা ৷রা
এর আওতাভুক্ত নয়, আর তাদের সং ×খ্যা খুবই সামান্য ৷ দুনিয়াতে তারা সম্মানিত হবে ৷ আর
আখিরাতে অপদস্থু হবে ৷ এরা হল ধুর্ত ও প্রতারক ৷৩ তাদেরকে যা দেওয়ার দুনিয়া তে ই দেওয়া
হবে ৷ আখিরাতে তাদের কোন প্রাপ্য নেই ৷

খতীব বাগদাদী আবু বকর বলেন, আবুআবদুল্লাহ্ মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল ওয়াহিদ ইবন মুহাম্মাদ

সুত্রে হযরত ছাওব থেকে বর্থাং৷ করেন, তিনি বলেন, (একবার) রাসুলুল্লাহ্ (সা) (তার শ্রী) আবু
, সুফিয়ানের কন্যা উম্মু হাবীবার উরুতে মাথা রেখে ঘুমিয়ে ছিলেন ৷ এসময় তিনি একবার কেদে


بَنِي أُمَيَّةَ كَمَا غَيَّرَ مُلْكَ مَنْ كَانَ قَبْلَهُمْ، ثُمَّ قَرَأَ قَوْلَهُ تَعَالَى: {وَتِلْكَ الْأَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِ} [آل عمران: 140] فِيهِ ضَعْفٌ وَإِرْسَالٌ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ حَمْزَةَ أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ سَيْفٍ، مَوْلًى لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ وَهُوَ يَقُولُ لِأَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَلِأَبِي بَكْرِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ - وَذَكَرُوا بَنِي أُمَيَّةَ - فَقَالَ: لَا يَكُونُ هَلَاكُهُمْ إِلَّا بَيْنَهُمْ. قَالُوا: كَيْفَ؟ قَالَ: يَهْلَكُ خُلَفَاؤُهُمْ، وَيَبْقَى شِرَارُهُمْ، فَيَتَنَافَسُونَهَا، ثُمَّ يَكْثُرُ النَّاسُ عَلَيْهِمْ فَيُهْلِكُونَهُمْ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: أَنْبَأَ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْرَقِيُّ، ثَنَا الزِّنْجِيُّ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «رَأَيْتُ فِي النَّوْمِ بَنِي الْحَكَمِ - أَوْ بَنِي أَبِي الْعَاصِ - يَنْزُونَ عَلَى مِنْبَرِي كَمَا تَنْزُو الْقِرَدَةُ. قَالَ: فَمَا رُئِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسْتَجْمِعًا ضَاحِكًا حَتَّى تُوُفِّيَ.» قَالَ أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ: حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ أَخُو حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحَكَمِ الْبُنَانِيِّ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৭৮৮৭
أَبِي الْحَسَنِ، هُوَ الْحِمْصِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ، قَالَ: «جَاءَ الْحَكَمُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ يَسْتَأْذِنُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَعَرَفَ كَلَامَهُ، فَقَالَ: ائْذَنُوا لَهُ، حَيَّةٌ أَوْ وَلَدُ حَيَّةٍ، عَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَعَلَى مَنْ يَخْرُجُ مَنْ صُلْبِهِ إِلَّا الْمُؤْمِنِينَ، وَقَلِيلٌ مَا هُمْ، يُشَرَّفُونَ فِي الدُّنْيَا وَيَوْضُعُونَ فِي الْآخِرَةِ، ذَوُو مَكْرٍ وَخَدِيعَةٍ، يُعَظَّمُونَ فِي الدُّنْيَا، وَمَا لَهُمْ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ» . وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ: أَنْبَأَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ مُحَمَّدٍ، أَنْبَأَ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُظَفَّرِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَ أَبُو الْقَاسِمِ عَامِرُ بْنُ خُرَيْمِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ الدِّمَشْقِيُّ، أَنْبَأَ أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ هِشَامِ بْنِ مَلَاسٍ، ثَنَا أَبُو النَّضِرِ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَزِيدَ مَوْلَى أَمِّ الْحِكَمِ بِنْتِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أُخْتِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ رَبِيعَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الْأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيُّ، عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَائِمًا وَاضِعًا رَأْسَهُ عَلَى فَخِذِ أُمِّ حَبِيبَةَ بِنْتِ أَبِي سُفْيَانَ فَنَحَبَ ثُمَّ تَبَسَّمَ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، رَأَيْنَاكَ نَحَبْتَ ثُمَّ تَبَسَّمْتَ. فَقَالَ: رَأَيْتُ بَنِي مَرْوَانَ يَتَعَاوُرُونَ عَلَى مِنْبَرِي، فَسَاءَنِي ذَلِكَ، ثُمَّ رَأَيْتُ بَنِي الْعَبَّاسِ يَتَعَاوُرُونَ عَلَى مِنْبَرِي، فَسَرَّنِي ذَلِكَ» . وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ الْعَبَّاسِ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৭৮৮৮


উঠলেন এরপর আবার হাসলেন ৷ (ঘুম থেকে জাগার পর) তাকে সবাই প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর
রাসুল ! আমরা আপনাকে র্কাদতে দেখলাম ৷ এরপর আবার হাসতে দেখলাম ? তিনি বললেন,
প্রথমে আমি বনুউমায়্যাকে দেখলাম তারা একের পর এক আমার মিম্বরে আরোহণ করছে, তখন
তা আমাকে ব্যথিত করল, এরপর আমি বনু আব্বাসকে দেখলাম তারা একের পর এক আমার

মিম্বরে আরোহণ করছে ৷ তখন বিষয়টি আমাকে আনন্দিত করল” ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান বর্ণনা
করেন মুহাম্মদ ইবন খালিদ ইবন আব্বাস সুত্রে উকবা ইবন আবু মুআয়ত থেকে তিনি বলেন,
(একবার) ইবন আব্বাস হযরত তমুআবিয়ার সাক্ষাতে আগমন করলেন, তখন আমি সেখানে
উপস্থিত ছিলাম ৷ এসময় মুআবিয়া তাকে সর্বোত্তম উপচৌকন প্রদান করে বললেন, হে আবুল
আব্বাস ! আপনারা কি শাসন কত র্তৃতু লাভ করবেন ৷ তিনি বললেন, হে আমীরুল মু ’মিনীন এর
উতরদান থেকে আমাকে অব্যাহতি দিন ৷ বিৎ মুআবিয়া বললেন, অবশ্যই আপনি আমাকেত
বলবেন ৷ ইবন আব্বাস বললেন, হ্যা! আমার অধন্তনর৷ শাসন কত র্তৃতু লাভ করবে ৷ মুআবিয়া
বললেন, আপনাদের সহযোগী কারা হবে ? তিনি বললেন, খুরাস৷ নাবাসী ৷ বনু উমায়্যাকে বনু
হাশিমের একাধিক আঘাত (যুদ্ধ ও প্ৰতিশোধ) সহ্য করতে হবে ৷

এছাড়া মিনহাল ইবন আমর বর্ণনা করেন সাঈদ ইবন জুবায়র থেকে ৷ তিনি বলেন, আমি
ইবন আব্বাসকে বলতে শুনেছি, আমাদের আহলে বায়ত থেকে (খলীফারুপে) তিন ব্যক্তির
আবির্ভাব হবে ৷ সাফ ফাহ, মানসুর ও মাহদী ৷ ইমাম বায়হাকী একাধিক সুত্রেত তা বিওয়ায়াত
করেছেন এছাড়া যাহ্হাক সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে আ মাশ মারফু রুপে তা বিওয়ায়াত
করেছেন ৷ আর ইবন আবু খায়ছাম৷ বর্ণনা করেন ইবন মাঈন সুত্রে ইবন আব্বাস (বা) থেকে ৷
তিনি বলেন, মহান আল্লাহ যেমনভাবে আমাদেরকে দিয়ে মুসলমানদের কর্তৃত্বেও তত্ত্বাবধানের
সুচনা করেছেন, আশা করি আমাদের মাধ্যমেই তিনি তা শেষ করবেন ৷ এই হাদীসের সনদ
বিশুদ্ধ ৷ আ র৫ তমনই সংঘটিত হয়েছে এবং আল্লাহ্ চান ৫ত ৷ মাহদীর অনুকুলেও সং ঘটিত হবে ৷
হাফিয বায়হাকী বিওয়ায়াত করেছেন, হাকিম সুত্রে আবু সাঈদ থেকে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) ইরশ্া৷দকরেছেন-
াৰুৰুপুহৃ ;,; কা ল পবিক্রমায় ফিতন৷ ফ্যাসাদকালে
আমার পরিবারতুক্ত এক ব্যক্তির আবির্ভাব হবে, তাকে সাফ্ফাহ্ বলা হবে সে অকাতরে অর্থ ব্যয়
করবে ন্ আবদুর রাঘৃযাক বর্ণনা করেন, ছাওরী সুত্রে ছাওবানর্মী থেকে তিনি বলেন, রাসুলুল্ল৷ হ্ (সা)

ইরশাদ করেন :
,ব্রটুও ণ্; “;; ৰু ট্রুন্ছু,;;
তামাদের এই পাথুরে ভুখণ্ডের নিকটে তিনজন স ঘর্ষে লিপ্ত হবে, যারা প্রস্তুত চ্যকেই খলীফার
সন্তান ৷ কিভু কেউ তা লাভ করবে না ৷ এরপর খুরাসান থেকে ঝাণ্ডা উত্তোলন করা হবে ৷ তারা
কোন যাদেরকে এমন নৃশংস৩ সভাবে হত্যা করবে যা ইতিপুর্বে দেখা যায়নি ৷ত তারপর তিনি কিছু উল্লেখ

করেন যখন এরুপ হবে তখন ণ্তম্মেরা বরফে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তার কাছে আসবে


مُسْلِمٍ، حَدَّثَنِي أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ هِشَامٍ الْمَعِيطِيِّ، عَنْ أَبَانَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مَعِيطٍ قَالَ: قَدِمَ ابْنُ عَبَّاسٍ عَلَى مُعَاوِيَةَ وَأَنَا حَاضِرٌ، فَأَجَازَهُ فَأَحْسَنَ جَائِزَتَهُ، ثُمَّ قَالَ: يَا أَبَا الْعَبَّاسِ، هَلْ تَكُونُ لَكُمْ دَوْلَةٌ؟ فَقَالَ: أَعَفِنِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: لَتُخْبِرَنِّي. قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَمَنْ أَنْصَارُكُمْ؟ قَالَ: أَهْلُ خُرَاسَانَ وَلِبَنِي أُمَيَّةَ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ نَطَحَاتٍ. وَقَالَ الْمِنْهَالُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ: يَكُونُ مِنَّا ثَلَاثَةٌ أَهْلَ الْبَيْتِ: السَّفَّاحُ، وَالْمَنْصُورُ، وَالْمَهْدِيُّ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ. وَرَوَاهُ الْأَعْمَشُ، عَنِ الضَّحَّاكِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا. وَرَوَى ابْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ عَنِ ابْنِ مَعِينٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَمَا افْتَتَحَ اللَّهُ بِأَوَّلِنَا فَأَرْجُو أَنْ يَخْتِمَهُ بِنَا. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ إِلَيْهِ، وَكَذَا وَقَعَ وَيَقَعُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ عَنِ الْحَاكِمِ عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَخْرُجُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي عِنْدَ انْقِطَاعٍ مِنَ الزَّمَانِ وَظُهُورٍ مِنَ الْفِتَنِ، يُقَالُ لَهُ: السَّفَّاحُ. يُعْطِي الْمَالَ حَثْيًا» . وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: حَدَّثَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৭৮৮৯


কেননা, তিনিই আল্লাহর হিদায়াতপ্রাপ্ত খলীফা ৷ ১ অবশ্য কোন কোন রাবী এ হাদীসটিকে ছাওবান
থেকে মাওকুফ’ রুপে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর সেটাই অধিক গ্রহণযোগ্য ৷ মহান আল্লাহ
অধিক জা নেন ৷
ইমাম আহমদ বর্ণনা করেন ইয়াহ্ইয়া ইবন গায়লান ও কু৩ তায়বা ইবন সাঈদ সুত্রে আবু
হুরায়রা থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উদ্ধৃতিতে যে তিনি বলেন, ;,া ৷ , ;,£া,ঠু ছু,স্ ৰু,শু
এোর্চু ;;£ :ব্লুন্ প্ঘ্নেটুদু,া৷ণ্,টু ন্া,ঠু, খুরাসান ভুখণ্ড থেকে কাল ঝাণ্ডার উদ্ভব হবে
কোন শক্তিই৩া ৩ার অগ্রযাত্রা প্রতিহত করতে পারবে না এমনকি তা ইলিয়া তুখণ্ডে প্রোথিত করা

হবে ৷ ২ ইমাম বায়হাকী হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন, আদৃদালাইল গ্রন্থে রাশিদ ইবন সা দ
মিসরীর হাদীস সংগ্রহ থেকে ৷ আর তিনি দুর্বল রাবী ৷৩ তারপর তিনি বলেন, কা ব আল আহবার

থেকে এর কাছাকাছি একটি রিওয়ায়াত বর্ণিত হয়েছে ৷ আর সেট ই অধিকতর গ্রহণযোগ্য ৷
এরপর কা ব থেকে তা রিওয়ায়াত ৩করেছেন ৷ তিনি বলেন, “বনুআব্বাসের কাল ঝাণ্ডার আাবির্ভাব
হবে অবশেষে তারাশ্ামে অবস্থান গ্রহণ করবে ৷ এরপর আল্লাহ তাদের হাতে প্রত্যেকােচ্ছাচারী
(শাসক) এবং তাদের প্রত্যেক শত্রুকে ধ্বংস করবেন ৷” এছাড়া ইবরাহীম ইবনুল হাসান বর্ণনা
করেছেন ইবন আবু উওয়া ইস সুত্রে আবু হুরায়রা থেকে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) (তার চাচা)
আব্বাসকে বলেছিলেন০ ৰুহ্রা৷ ৷ ন্ব্লু ব্র, হ্র,ট্রুকুা৷ ন্ধুঠু আপনাদের মাঝেই নুবৃওয়াত,
আপনাদের মাঝে রাজতু ৷ আবদুল্লাহ ইবন আহমদ বর্ণনা করেন ইবন মাঈন সুত্রে আব্বাসের
মাওলা আবুমায়সারা থেকে তিনি বলেন, আমি হযরত আব্বাসকে বলতে শুনেছি কো ন এক রাতে

আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে ছিলাম ৷ তিনি আমাকে বললেন : ৩ < ;,; :;: ,া ;;া

ন্ভ্রুট্রুপুা
দেখতে পান কি ? আমি
বললাম ইা ৷ তিনি বললেন, আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন ? আমি বললাম, ছুরায়্যা৩ ৷ তিনি

বললেন, শুনুন আপনার বা শধর থেকে এই৩া ণ্ডারকাপুঞ্জ সং খ্যক ব্যক্তি এই উম্মতের শাসন ৷ কর্তৃত্ব
লাভ করবে ৷ ইমাম বুখারী বলেন, এই সনদের রাবী উবায়দ ইবন আবু জুররার সমর্থক কোন



১ ইবন মাজা তার সুনানে ২১৩৬ ৭ হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন, তাতে ঝাণ্ডার স্থলে কাল ঝাণ্ডা র উল্লেখ
করেছে ৷ আর এই হাদীসের সনদে প্ৰতিবন্ধী (অন্ধ) আবু কিলাবা আাবৃরাক্কাশীর উল্লেখ রয়েছে ৷ তার নাম
আবদুল মালিক ইবন মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ্ ৷ তিনি তার স্মৃতিনির্ভর হাদীস রিওয়ায়াত করতেন ৷ ফলে তার
হাদীসে বহু ক্তৃা অনুমান রয়েছে ৷ তার সম্পর্কে দারা কুতনী বলেন, তিনি সত্যবাদী ৷ আৎ তাহযীব ৬৪ ১৯ ৷

২ ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে (২ খ : ৩৬৫ পৃ) হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এছাড়া ইমাম তিরমিযী
ফিতান অধ্যায়ে (৪ খ : ৫৩১ পৃ ) তা উল্লেখ করেছেন ৷ আর তাতে রাশিদ ইবন সা’দের পরিবর্তে রাশদায়ন
ইবন সা’দ আল-মাহরী আল-মিসরীর উল্লেখ রয়েছে ৷ তার ব্যাপারে হাদীস সমালোচকগণ বলেন, যে
সম্পুর্ণরুপে অগ্রহণযোগ্য এটা ইবন মাঈনের মন্তব্য ৷ আর আবু যুরআ বলেন, যে দুর্বল ৷ নাসাঈ বলেন, সে
পরিত্যাক্ত রাবী ৷ আর ইবন হিব্বান বলেন, যে তার বর্ণিত সঠিক হাদীসের সাথেনামে মুনকার হাদীস বর্ণনা
করে থাকে ৷

৩ সপ্তপুঞ্জ তারাগুচ্ছ ৷


أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَقْتَتِلُ عِنْدَ كَنْزِكُمْ هَذِهِ ثَلَاثَةٌ، كُلُّهُمْ وَلَدُ خَلِيفَةٍ، لَا تَصِيرُ إِلَى وَاحِدٍ مِنْهُمْ، ثُمَّ تُقْبِلُ الرَّايَاتُ السُّودُ مِنْ خُرَاسَانَ، فَيَقْتُلُونَكُمْ مَقْتَلَةً لَمْ يُرَ مِثْلُهَا - ثُمَّ ذَكَرَ شَيْئًا - فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَأْتُوهُ وَلَوْ حَبْوًا عَلَى الثَّلْجِ، فَإِنَّهُ خَلِيفَةُ اللَّهِ الْمَهْدِيُّ» . وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ ثَوْبَانَ فَوَقَفَهُ، وَهُوَ أَشْبَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ غَيْلَانَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَا: ثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ قَبِيصَةَ هُوَ ابْنُ ذُؤَيْبٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «يَخْرُجُ مِنْ خُرَاسَانَ رَايَاتٌ سُودٌ، لَا يَرُدُّهَا شَيْءٌ حَتَّى تُنْصَبَ بِإِيلِيَاءَ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي الدَّلَائِلِ مِنْ حَدِيثِ رِشْدِينَ بْنِ سَعْدٍ الْمِصْرِيِّ وَهُوَ ضَعِيفٌ. ثُمَّ قَالَ: وَقَدْ رُوِيَ قَرِيبٌ مِنْ هَذَا عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، وَهُوَ أَشْبَهُ. ثُمَّ قَالَ مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا مُحَدِّثٌ، عَنْ أَبِي الْمُغِيرَةِ عَبْدِ الْقُدُّوسِ عَنِ ابْنِ عَيَّاشٍ عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ قَالَ: تَظْهَرُ رَايَاتٌ سُودٌ لِبَنِي الْعَبَّاسِ حَتَّى يَنْزِلُوا الشَّامَ، وَيَقْتُلُ اللَّهُ عَلَى أَيْدِيهِمْ كُلَّ جَبَّارٍ
পৃষ্ঠা - ৭৮৯০
وَعَدُوٍّ لَهُمْ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ دِيزِيلَ عَنِ ابْنِ أَبِي أُوَيْسٍ عَنِ ابْنِ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَامِرِيِّ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِلْعَبَّاسِ: «فِيكُمُ النُّبُوَّةُ وَفِيكُمُ الْمَمْلَكَةُ» . وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ: عَنِ ابْنِ مَعِينٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ أَبِي قُرَّةَ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ أَبِي قَبِيلٍ، عَنْ أَبِي مَيْسَرَةَ مَوْلَى الْعَبَّاسِ، قَالَ: سَمِعْتُ الْعَبَّاسَ يَقُولُ «كُنْتُ: عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَقَالَ: انْظُرْ هَلْ تَرَى فِي السَّمَاءِ مِنْ شَيْءٍ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: مَا تَرَى؟ قُلْتُ: الثُّرَيَّا. قَالَ: أَمَّا إِنَّهُ سَيَمْلِكُ هَذِهِ الْأُمَّةَ بِعَدَدِهَا مِنْ صُلْبِكَ» . قَالَ الْبُخَارِيُّ: عُبَيْدُ بْنُ أَبِي قُرَّةَ لَا يُتَابَعُ عَلَى حَدِيثِهِ. وَرَوَى ابْنُ عَدِيٍّ مِنْ طَرِيقِ سُوَيْدِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ مَهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «مَرَرْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَهُ جِبْرِيلُ وَأَنَا أَظُنُّهُ دِحْيَةَ الْكَلْبِيَّ فَقَالَ جِبْرِيلُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّهُ لَوَسِخُ الثِّيَابِ، وَسَيَلْبِسُ وَلَدُهُ مِنْ بَعْدِهِ السَّوَادَ.» وَهَذَا مُنْكَرٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَلَا شَكَّ أَنَّ شِعَارَ بَنِي الْعَبَّاسِ كَانَ السَّوَادَ، وَأَخَذُوا ذَلِكَ مِنْ دُخُولِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ وَعَلَى رَأْسِهِ
পৃষ্ঠা - ৭৮৯১


রিওয়ায়াত নেই ৷ ইবন আদী বর্ণনা করেন সুওয়ায়দ ইবন সাঈদের সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে ৷
তিনি বলেন, (একবার) আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে অতিক্রম করলাম ৷ তার সাথে হযরত জিবরীল
ছিলেন, আর আমি তাকে দিহ্ইয়৷ আলকৃালবী ধারণা করেছিলাম ৷ জিবরীল রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
আমার উদ্দেশ্যে বললেন, সে তো অ-পরিচ্ছন্ন পরিধেয়কারী ৷ কিন্তু তারপরে তার অধস্তন সন্তানরা

কাল রংয়ের রাজকীয় পোশাক পরিধান করবে ৷ ১ অবশ্য এই সুত্রে হাদীসটি মুনকার’ শ্রেণীভুক্ত ৷
এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে বনু আব্বাসের প্রতীক ছিল কাল রঙ ৷ মক্কা বিজয়ের দিন
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) কাল পাগড়ি মাথায় প্রবেশ করেছিলেন ৷ এ থেকেই তারা এ বিষয়টি গ্রহণ
করেছিল ৷ এরপর তাকে তারা ঈদে, জুমুআয় এবং মাহ্ফিলসমুহে নিজেদের প্রভীকরুপে নির্ধারণ
করেছিল ৷ তুদুপ তাদের সৈন্যদের উপরে কিছু না কিছু কাল চিহ্ন থাকতে ই হবে ৷ এই একটি হল
শরবুশ’ যা ছিল উমরাদের পরিধেয় ৷

তদ্র্যপ আবদুল্লাহ ইবন আলী কাল পোশাক পরে দামেশকে প্রবেশ করেছিলেন তখন
নারী-শিশুরা তার পোশাক দেখে মুগ্ধ হতে লাগল ৷ তিনি দামেশকে প্রবেশ করেছিলেন যাবে
কায়সান দ্বার দিয়ে ৷ আর এই কাল পোশাক পরিধান করেই তিনি জুমুআর খুৎবা দিলেন এবং
নামায পড়ালেন ৷ জনৈক খুরাসানী থেকে ইবন আসাকির বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আবদুল্লাহ
ইবন আলী যেদিন জুমুআর নামায পড়ালেন, সেদিন এক ব্যক্তি আমার পাশে নামায পড়ল ৷ সে
তখন বলল, “আল্লাহ মহানশ্ হে আল্লাহ আপনি পবিত্র, প্রশংসা আপনার, আপনার নাম কল্যাণময়
এবং মর্যাদা সুউচ্চ, আপনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই ৷ আবদুল্লাহ ইবন আলীর প্রতি লক্ষ্য কর,
কি কদাকা ৷র তার চেহারা ! আ র কি বীভৎস তা ৷র কা ল জুবৃবা ! আর আজও পর্যন্ত এটাই তাদের
প্রতীক যেমন জুমুআ ও ঈদের দিন খতীবদের তা পরিধ৷ ৷ন করতে দেখা যা

আবুল আব্বাস সাফ্ফাহ এর খিলাফত লাভ এবং তার খলীফা চরিত
ইতিপুর্বে এ আলোচনা বিগত হয়েছে যে সর্বপ্রথম তার অনুকুলে খিলাফতের বায়আ ৷ত গৃহীত
হয় কুফ৷ ৷নগরীতে রবিউছুছা নী মাসের বা ব তারিখ শুক্রবা র ৷ মতাম্ভরে এ বছর অর্থাৎ একশ বত্রিশ
হিজরীর রবীউল আওয়৷ ল মাসে ৷ এরপর তিনি মারওয়ানের বিরুদ্ধে সৈন্যরা হিনী প্রেরণ করেন যারা
তাকে স্বদেশ থেকে বিতাড়িত ও নির্বাসিত করে ৷ এমনকি শেষ পর্যন্ত তার পশ্চাদ্ধাবন করে
তাকে মিসরের সয়ীদ অঞ্চলের বুসীর’ নামক স্থানে হত্যা করে ৷ আর এ ঘটনা স ঘটিত হয় ঐ
বছরের যুলুহাজ্জা মাসের শেষ দশকে যেমনটি পুবে বিগত হয়েছে ৷ এ সময় সাফ্ফাহ খিলাফতের
পুর্ণ কর্তৃতু লাভ করেন এবং ইরাক খুরাসান, হিজায়, শাস ও মিসর ভুখণ্ডে তার শাসন কর্তৃতু
প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ তবে আন্দালুস তার শাসন কর্তৃত্বের অধীন হয়নি এবং তার কর্তৃতৃ সেখানে
পৌছেনি ৷ আর এর কারণ সেখানে অভিবাসী বনু উমায়া৷দের কতক ব্যক্তি চুড়াম্ভতাবে সেখানকার
বিদ্রোহ করে ৷ এদের অন্যতম হল কনিসারীনবাসী ৷ তার৷ সাফ্ফাহ-এব চাচা আবদুল্লাহ ইবন
আলীর হাতে তার অনুকুলে বায়আত করে এবং৩ তিনি তা ৷দের শাসকরুপে তাদের আমীর৷ ম ৷জয ৷আ
ইবন কাওছার ইবন যুফার ইবন হারিছ আল-কিলাবীকে বহাল রাখেন ৷ আর সে ছিল মারওয়ানের
সহচর ও অন্যতম আমীর ৷ এ সময় সে সাফফাহ-এর বায়আত প্রত্যাহার করে সাদা পোশাক
১ দালাইলুল বায়হাকী (৬ খ : ৫ ১৮পৃ ) ৷




عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ، فَتَيَمَّنُوا بِذَلِكَ، وَجَعَلُوهُ شِعَارَهُمْ فِي الْجُمَعِ وَالْخُطَبِ وَالْأَعْيَادِ وَالْمَحَافِلِ، وَكَذَلِكَ كَانَ جُنْدُهُمْ لَا بُدَّ أَنْ يَكُونَ عَلَى أَحَدِهِمْ شَيْءٌ مِنَ السَّوَادِ، وَمِنْ ذَلِكَ مَا يَلْبَسُهُ الْمُلُوكُ لِلْأُمَرَاءِ حِينَ يَخْلَعُ عَلَيْهِمْ بِالْإِمْرَةِ، لَا بُدَّ وَأَنْ يَلْبَسَ شَيْئًا مِنَ السَّوَادِ وَهُوَ الشَّرْبُوشُ، وَكَذَلِكَ دَخَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ يَوْمَ دَخَلَ دِمَشْقَ وَهُوَ لَابِسٌ السَّوَادَ، فَجَعَلَ النِّسَاءَ وَالصِّبْيَانَ يَعْجَبُونَ مِنْ لِبَاسِهِ، وَكَانَ دُخُولُهُ مِنْ بَابِ كَيْسَانَ، وَقَدْ خَطَبَ بِالنَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَصَلَّى بِهِمْ وَعَلَيْهِ السَّوَادُ. وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْ بَعْضِ الْخُرَاسَانِيِّينَ قَالَ: لَمَّا خَطَبَ بِالنَّاسِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ بِدِمَشْقَ وَتَقَدَّمَ بِالنَّاسِ فَصَلَّى ; صَلَّى رَجُلٌ إِلَى جَانِبِي، فَقَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ، سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ، وَتَعَالَى جَدُّكَ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ. ثُمَّ قَالَ، وَنَظَرَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ: مَا أَقْبَحَ وَجْهَكَ وَأَشْنَعَ سَوَادَكَ! وَمَا زَالَ السَّوَادُ شِعَارَهُمْ إِلَى يَوْمِكَ هَذَا، كَمَا يَلْبَسُهُ الْخُطَبَاءُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ. [ذِكْرُ اسْتِقْلَالِ أَبِي الْعَبَّاسِ الْمُلَقَّبِ بِالسَّفَّاحِ وَمَا اعْتَمَدَهُ فِي أَيَّامِهِ مِنَ السِّيرَةِ الْحَسَنَةِ وَالْعَدَالَةِ التَّامَّةِ] ذِكْرُ اسْتِقْلَالِ أَبِي الْعَبَّاسِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ الْمُلَقَّبِ بِالسَّفَّاحِ، وَمَا اعْتَمَدَهُ فِي أَيَّامِهِ مِنَ السِّيرَةِ الْحَسَنَةِ وَالْعَدَالَةِ التَّامَّةِ. قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّهُ بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ أَوَّلَ مَا بُويِعَ بِهَا بِالْكُوفَةِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ الثَّانِيَ عَشَرَ
পৃষ্ঠা - ৭৮৯২


ধারণ করে এবং জনসাধারণকে তার অনুসরণে উদ্বুদ্ধ করে ৷ সাফ্ফাহ এ সময় হিরায় অবস্থানরত
আর আবদুল্লাহ ইবন আলী বলকা ভুখণ্ডে হাবীব ইবন মুর্রা আল-মুয্যী এবং সাফ্ফাহ-এর
বায়আত প্রতাহরের ব্যাপারে তার সাথে একমত পােষণকারী বলকা, তুছানয়৷ ও হাওরানবাসীর
বিরুদ্ধে লড়াইরত ৷ এরপর তার কাছে কানসারীনবাসীর বিদ্রোহের সংবাদ পৌছলে তিনি হাবীব
ইবন মুরর৷ র সাথে সন্ধি করেন এবংক ৷৷নস ৷রীন অভিমুখে রওনা হন ৷ তারপর তিনি যখন দা মেস্ক
অতিক্রম করেন যেখানে তার স্বজন পরিজন ও দ্রব্যসামগ্রী ছিল ৷ খনত তিনি চার হাজ ৷র ৷সৈন্যসহ
আবু গানিম আবদুল হামিদ ইবন রিবৃয়ী আল-কিনানীকে সেখানে তার ন্থলবতী নিয়োগ করেন ৷
এদিকে তিনি যখন দামেস্ক অতিক্রম করে হিম্সে পৌছেন, তখন উছমান ইবন আবদুল আ’ লা
ইবন সুরাকা নামক এক ব্যত্তি র নেতৃত্ব ছু দামেস্কবাসী সাফ্ফাহ এর বায়আত প্রত্যাহার করে সাদা
পোশাক পরিধান করে এবং আমীর আবু গানিম এবং তার একদল সহচরকে হত্যা করে ৷ এছাড়া
তারা আবদুল্লাহ ইবন আলীর যাবতীয় অর্থ-সম্পদ ছিনিয়ে নেয়, তবে তার পরিজনদের কোন ক্ষতি
করেনি ৷ এদিকে আবদুল্লাহ্র জন্য বিষয়টি গুরুতর হয়ে দেখা দেয় ৷ তখন কানসারীনবাসীরা
হিম্সবাসীদের সাথে পত্র যোগাযোগের মাধ্যমে আবু মুহাম্মাদ সুফিয়ানীর নেতৃত্বে একজােট হয় ৷
তিনি হলেন আবু মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়৷ ইবন আবু সুফিয়ান-
তারপর তারা তার হাতে খিলাফতের বায়আত গ্রহণ করে এবং তার সাথে এসময় চল্লিশ হাজার

যোদ্ধা তার সমর্থনে যুদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণ করে ৷ তখন আবদুল্লাহ ইবন আলী৩ ৷র ৷বাহিনী নিয়ে তাদের
অভিমুখে অগ্রসর হন এবং উভয় বাহিনী মারাজুল আখরাম’ নামক স্থানে মুখোমুখি হয় ৷ এসময়
আবদুল্লাহ্র বাহিনী সুফিয়ানীর অপ্ৰবর্তী বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচণ্ড লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় ৷ সুফিয়ানীর এ
অগ্নবর্তী বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল আবুল ওয়ারদ ৷ এ সময় তারা আবদুস সামাদকে হত্যা করে এবং
উভয় পক্ষের হাজার হাজার যোদ্ধা নিহত হয় ৷ তখন আবদুল্লাহ ইবন আলী হুমায়দ ইবন
কাহ্তাবাকে সাথে নিয়ে সামনে অগ্রসর হন এবং উভয় পক্ষের মাঝে তুমুল লড়াই হয় ৷ এ
লড়াইয়ের প্রচণ্ডতায় আবদুল্লাহর সহযােদ্ধারা পলায়ন শুরু করলেও তিনি ও হুমায়দ অবিচলভাবে
যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং আবদুল ওয়ারদের যোদ্ধাদের পরাজিত করেন ৷ কিন্তু, আবুল ওয়ারদ
তার স্বজন ও স্বগােত্রীয় পাচশ অশ্বারোহী নিয়ে যুদ্ধ অব্যাহত রাখেন এবং সকলে নিহত হন ৷
এদিকে আবু মুহাম্মদ সুফিয়ানী এবং তার সাথীরা পলায়ন করে তাদান্মুরে গিয়ে পৌছে ৷ এরপর
আবদুল্লাহ যখন কানসারীনবাসীকে নিরাপত্তা ও নির্ভর প্রদান করেন তখন তারা কাল পোশাক
পরিধান করে তার হাতে বায়আত করে এবং তার আনুগত্যে প্রতব্রুাবর্তনঃ করে ৷ তারপর আবদুল্লাহ
দামেষ্কে প্রতা৷বর্তন করেন, আর ইতিপুর্বেই তিনি দামেস্কবাসীর কৃতকর্ম সম্পর্কে অবহিত
হয়েছিলেন ৷ তিনি তখন দামেস্কের নিকটবর্তী হন তখন তারা সেখান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ছড়িয়ে
পড়ে এবং আবদুল্লাহ তাদের পক্ষ থেকে কোন প্রতিরোধের সম্মুখীন হননি ৷ ফলে তিনি তাদেরকে
নিরাপত্তা ও নির্ভর প্রদান করেন এবং তারাও তার আনুগত্যে প্রবেশ করে ৷ আর আবু মুহাম্মাদ
সুফিয়ান সে তার ধ্বংস সাত্মক ও ৰিচ্ছিন্ন৩ ৷বাদী কর্যকা ৷ণ্ড অব্যাহত রাখে ৷ এমনকি সে হিজায
ভুমিতে গিয়ে উপনীত হয় ৷ এরপর খলীফ৷ মানসুরের শাসনকালে তার নায়িব তার বিরুদ্ধে
লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় এবং তাকে হত্যা করে তার মাথা খলীফার দরবারে প্রেরণ করে ৷ এছাড়া
যে তার দুই ছেলেকেও বন্দী করে খলীফার কাছে পাঠায় ৷ অবশ্য মানসুর তার শাসনকালেই


مِنْ رَبِيعٍ الْآخِرِ - وَقِيلَ: الْأَوَّلُ - مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ، ثُمَّ جَرَّدَ الْجُيُوشَ نَحْوَ مَرْوَانَ الْحِمَارِ فَطَرَدُوهُ مِنْ مَمَالِكِهِ وَأَجْلَوْهُ عَنْهَا، وَمَا زَالُوا وَرَاءَهُ حَتَّى قَتَلُوهُ بِبُوصِيرَ مِنْ بِلَادِ الصَّعِيدِ بِالدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ، فِي الْعَشْرِ الْأَخِيرَةِ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، عَلَى مَا تَقَدَّمَ بَيَانُهُ وَتَفْصِيلُهُ وَبَسْطُهُ، وَحِينَئِذٍ اسْتَقَلَّ بِالْخِلَافَةِ السَّفَّاحُ، وَاسْتَقَرَّتْ يَدُهُ عَلَى بِلَادِ الْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ وَالْحِجَازِ وَالشَّامِ وَالدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ، لَكِنْ لَمْ يَحْكُمْ عَلَى بِلَادِ الْأَنْدَلُسِ وَلَا عَلَى بِلَادِ الْمَغْرِبِ ; وَذَلِكَ لِأَنَّ بَعْضَ مَنْ دَخَلَ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ إِلَيْهَا اسْتَحْوَذَ عَلَيْهَا، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. وَقَدْ خَرَجَ عَلَى السَّفَّاحِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ طَوَائِفُ، فَمِنْهُمْ أَهْلُ قِنَّسْرِينَ بَعْدَمَا بَايَعُوهُ عَلَى يَدَيْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ وَأَقَرَّ عَلَيْهِمْ أَمِيرُهُمْ، وَهُوَ أَبُو الْوَرْدِ مَجْزَأَةُ بْنُ الْكَوْثَرِ بْنِ زُفَرَ بْنِ الْحَارِثِ الْكِلَابِيُّ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ مَرْوَانَ وَأُمَرَائِهِ، فَخَلَعَ السَّفَّاحَ وَلَبِسَ الْبَيَاضَ، وَحَمَلَ أَهْلَ الْبَلَدِ عَلَى ذَلِكَ فَوَافَقُوهُ، وَكَانَ السَّفَّاحُ يَوْمَئِذٍ بِالْحِيرَةِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ مَشْغُولٌ بِالْبَلْقَاءِ يُقَاتِلُ بِهَا حَبِيبَ بْنَ مُرَّةَ الْمُرِّيَّ وَمَنْ وَافَقَهُ مِنْ أَهْلِ الْبَلْقَاءِ وَالْبَثَنِيَّةِ وَحَوْرَانَ عَلَى خَلْعِ السَّفَّاحِ وَبَيَّضَ، فَلَمَّا بَلَغَهُ عَنْ أَهْلِ قِنَّسْرِينَ مَا فَعَلُوا صَالَحَ حَبِيبَ بْنَ مُرَّةَ وَرَكِبَ نَحْوَ قِنَّسْرِينَ، فَلَمَّا اجْتَازَ بِدِمَشْقَ - وَكَانَ بِهَا أَهْلُهُ وَثِقَلُهُ - اسْتَخْلَفَ عَلَيْهَا أَبَا غَانِمٍ عَبْدَ الْحَمِيدِ بْنَ رِبْعِيٍّ الطَّائِيَّ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ، فَلَمَّا جَاوَزَ الْبَلَدَ، وَانْتَهَى إِلَى حِمْصَ نَهَضَ أَهْلُ دِمَشْقَ مَعَ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى بْنِ سُرَاقَةَ. فَخَلَعُوا
পৃষ্ঠা - ৭৮৯৩


ছেলে দৃইটিকে মুক্ত করে দেন ৷ বর্ণিত আছে, সুফিয়ানীর এই ঘটনা সংঘটিত হয় এক বত্রিশ
হিজরীর যুলহাজ্জা মাসের শেষ দিন মঙ্গলবার ৷ আল্লাহ্ অধিক জানেন ৷

এছাড়া জাষীরাবাসীর নিকট এ সংবাদ পৌছে যে কানসারীনরাসী সাফ্ফাহ্-এর বায়আত
প্রত্যাহার করেছে, তখন তারাও তাদের সাথে একজােট হয়ে রায়আত প্রত্যাহার করে সাদা
পোশাক পরিধান করে এবং তারা সাফ্ফাহ্-এর নিযুক্ত হাররানের আমীর মুসা ইবন কা’বের
বিরুদ্ধে অগ্রসর হয় ৷ তখন মুসা ইবন কা’ ব৩ তার অধীনস্থ তিন সহস্র সৈন্য নিয়ে শহরে
আত্মরক্ষামুলক অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ আর বিদ্রে৷ হীরা তাকে দৃইমাসের মত অবরোধ করে রাখে ৷
এরপর সাফ্ফাহ্ ত ৷র ৷ভাই আবু জা ফর মানসুরকে ঐ সকল সৈন্যসহ পাঠান৷ য ৷রা ওয়া ৷সিতে ইবন
হুবায়রাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল ৷ এসময় মানসুর তখন কারকা সিায়৷ অঞ্চলের হাররাংনর দিকে
রওনা হন তখন তারা পুর্ব থেকে সাদা পোশাক পরিধান করে তাকে রাধ৷ প্রদানের উদ্দেশ্যে
নগর-দ্বার রুদ্ধ করে দেয় ৷ তারপর তিনি বাক্ক র ইবন মুসলিমের শাসনাধীন রক্ক৷ শহর
অতিক্রমকালে তাদের থেকেও তদ্র্যপ আচরণের সম্মুখীন হন ৷ তারপর তিনি হাযির’
অতিক্রমকালে তার সাথে বিদ্যমান জাযীরাবাসীদের নিয়ে তা অবরোধ করেন ৷ এসময় এ শহরের
প্রশাসক ছিলেন ইসহাক ইবন মুসলিম ৷ তখন ইসহাক সেখান থেকে রুহায় উদ্দেশ্যে বের হয়ে
আসেন, আর মুসা ইবন কাব তার সতীর্থ হাররানী সৈনিকদের নিয়ে বের হয়ে আসেন ৷ এসময়
মানসুর তাদেরকে অভ্যর্থনা জানান এবং তারা তার ফৌজে দা ৷খিল হয়ে যায় ৷ আর বাক্কার ইবন
মুসলিম রুহায়৩ তার ভাই ইসহাক ইবন মুসলিমের কাছে আগমন করেন ৷ তখন তিনি তাকে
রাবীআর এক বিদ্রোহী দল অভিমুখে প্রেরণ করেন যাদের প্ৰ ধান ছিল বুরায়ক৷ নামক জনৈক
হারুরী ৷ এরপর তারা উভয়ে একজে ট হয় ৷ তখন আবু জ ফর তাদের অভিমুখে অগ্রসর হন
এবংত ৷দের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন ৷ এ লড়াইয়ে বুরায়ক৷ নিহত হয় এবং বাক্কার
রুহায় তার ভাইয়ের কাছে পলায়ন করে ৷ তখন সে তাকে সেখানে তার ন্থলবর্তী নিয়োগ করে
এবং অধিকাৎশ ফৌজ নিয়ে সামীসাত গিয়ে অবস্থান গ্রহণ করে এবং তার ফৌজের অগ্রভাগে
পরিখ৷ খনন করে ৷ এদিকে আবুজাফর সসৈন্যে অগ্রসর হয়ে রাহায় বাক্কারকে অবরোধ করেন
এবং তার সাথে তার একাধিক খণ্ডযুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ এসময় সাফ্ফাহ্ তার চাচা আবদুল্লাহ ইবন
আলীকে সামীসাত অভিমুখে রওনা হওয়ার নির্দেশ দেন ৷ আর ইসহাক ইবন মুসলিমের নেতৃত্বে
ষাট হাজার জাযীরাবাসী সমবেত হয় ৷ তখন আবদুল্লাহ্ তাদের অভিমুখে অগ্রসর হন এবং আবু
জা ফর এসে তার সাথে মিলিত হন ৷ তখন ইসহাক তাদের সাথে পত্রালাপ করেন এবং তাদের
কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করেন ৷ তখন আমীরুল মু’মিনীনের অনুমতিক্রাম তারা তার যে আহ্বানে
সাড়া দেন ৷ এসময় সাফ্ফাহ ত ৷র ৷ভাই আবু জা ৷ফর মানসুরকে আল জাযীরা, আযারবায়যান ও
আরমেনিয়ার শাসন কর্তৃত্ব অর্পণ করেন ৷ ভাইয়ের মৃত্যুর পর খিলাফত লাভের পুর্ব পর্যন্ত তিনি এ
দায়িত্বে বহাল ছিলেন ৷ বর্ণিত আছে, মারওয়ান নিহত হয়েছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই
ইসহ৷ ৷ক ইবন মুসলিম উকায়লী নিরাপত্তা প্রার্থনা করে ৷ আর তা সাত মাস অবরুদ্ধ থাকার পর ৷
আর সে ছিল আবু জ ফর ম ৷নসুরের সহচর ৷৩ তাই তিনি তাকে নিরাপত্তা ৷৷প্রদ ন করেন ৷

এ বছরই আবু জা ফর মানসুর তার ভাই সাফ্ফা হের নিদেশে আবু মুসলিম খুরাসানীর নিকট
যান আবু সালামার হত্যার ব্যাপারে তার মত অবগত হতে ৷ উল্লেখ্য যে তিনি তখন খুরাসানের

আল বিদায়৷ ওয়ান নিহায়৷ ( ১০ম খণ্ড) -১৪


السَّفَّاحَ وَبَيَّضُوا، وَقَاتَلُوا أَبَا غَانِمٍ فَهَزَمُوهُ، وَقَتَلُوا جَمَاعَةً مِنْ أَصْحَابِهِ، وَانْتَهَبُوا ثِقَلَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ وَحَوَاصِلِهِ، وَلَمْ يَتَعَرَّضُوا لِأَهْلِهِ، وَتَفَاقَمَ الْأَمْرُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ، وَذَلِكَ أَنَّ أَهْلَ قِنَّسْرِينَ تَرَاسَلُوا مَعَ أَهْلِ حِمْصَ وَتَدْمُرَ، وَاجْتَمَعُوا عَلَى أَبِي مُحَمَّدٍ السُّفْيَانِيِّ، وَهُوَ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ فَبَايَعُوهُ عَلَيْهِمْ بِالْخِلَافَةِ، وَقَامَ مَعَهُ نَحْوٌ مِنْ أَرْبَعِينَ أَلْفًا، فَقَصَدَهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ فَالْتَقَوْا بِمَرْجِ الْأَخْرَمِ، فَقَدَّمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ أَخَاهُ عَبْدَ الصَّمَدِ بْنَ عَلِيٍّ فِي عَشَرَةِ آلَافٍ مِنَ الْفُرْسَانِ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَاقْتَتَلُوا مَعَ مُقَدِّمَةِ السُّفْيَانِيِّ، وَعَلَيْهَا أَبُو الْوَرْدِ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، وَهَزَمُوا عَبْدَ الصَّمَدِ، وَقُتِلَ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ أُلُوفٌ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ وَمَعَهُ حُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ بِمَنْ مَعَهُ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، وَجَعَلَ أَصْحَابُ عَبْدِ اللَّهِ يَفِرُّونَ وَهُوَ ثَابِتٌ هُوَ وَحُمَيْدٌ، وَمَا زَالَ حَتَّى هُزِمَ أَصْحَابُ أَبِي الْوَرْدِ، وَثَبَتَ أَبُو الْوَرْدِ فِي خَمْسِمِائَةٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ وَقَوْمِهِ، فَقُتِلُوا جَمِيعًا، وَهَرَبَ أَبُو مُحَمَّدٍ السُّفْيَانِيُّ وَمَنْ مَعَهُ حَتَّى لَحِقُوا بِتَدْمُرَ وَآمَنَ عَبْدُ اللَّهِ أَهْلَ قِنَّسْرِينَ وَسَوَّدُوا وَبَايَعُوا وَرَجَعُوا إِلَى الطَّاعَةِ، ثُمَّ كَرَّ رَاجِعًا إِلَى أَهْلِ دِمَشْقَ، وَقَدْ بَلَغَهُ مَا صَنَعُوا، فَلَمَّا دَنَا مِنْهَا تَفَرَّقُوا عَنْهَا وَهَرَبُوا مِنْهَا، وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُ قِتَالٌ، فَأَمَّنَهُمْ وَدَخَلُوا فِي الطَّاعَةِ وَسَوَّدُوا ; مُوَافَقَةً لِلْخَلِيفَةِ، وَكَانَ ذَلِكَ شِعَارُ السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، وَأَمَّا أَبُو مُحَمَّدٍ السُّفْيَانِيُّ، فَإِنَّهُ مَا زَالَ مُتَغَيِّبًا مُشَتَّتًا مِنْ بَلَدٍ إِلَى بَلَدٍ حَتَّى لَحِقَ بِأَرْضِ الْحِجَازِ فَقَاتَلَهُ نَائِبُ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ فِي أَيَّامِهِ، فَقَتَلَهُ وَبَعَثَ بِرَأْسِهِ وَبِابْنَيْنِ لَهُ أَخَذَهُمَا أَسِيرَيْنِ فَأَطْلَقَهُمَا أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ، وَخَلَّى
পৃষ্ঠা - ৭৮৯৪
১ :৬ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

প্রশাসক ৷ কেননা, এই আবু সালামা আব্বাসীয়দের থেকে খিলাফত প্ৰতব্রাহারে তহ্পর ছিল ৷ তাই
মানসুর তাকে (আবু মুসনিমকে) জিজ্ঞাসা করবেন তা আবু মুসলিম কর্তৃক আবু সালামাকে
সহযোগিতা করার কারণে কি না ? তখন সকলে চুপ হয়ে যায়, আর সাফফাহ বলেন এটা যদি

তার রায় উদ্ভুত হয়ে থাকেত তাহলে আমরা মহাপরীক্ষার ১ সম্মুথীন ৷ত তবে যদি আল্লাহ আমাদের
থেকে তা প্রতিহত করেন তাহলে তা ভিন্ন কথা ৷ আবু জা ফর বলেন, আমরা তাই সাফফাহ
আমাকে বললেন, তােমা র কী মত ? তখন আমি বললাম, আপন র মতই চুড়া ত ৷ তিনি বললেন,
তোমাদের মধ্যে তােমা র সাথেই আবু মুসলিমের সম্পর্ক সবচেয়ে বেশী ৷ সুতরাংণ্ডু তার কাছে
গিয়ে আমার হয়ে তা র অবস্থা অবগত হও ৷ যদি তা তারাপরামর্শে হয়ে যাকে তাহলে আমরা তার
বিরুদ্ধে কৌশল গ্রহণ করব ৷ আর যদি তা তার মত ও পরামর্শে না হয়ে থাকে তাহলে আমাদের
মন তুষ্ট হবে ৷ আবু জা ফর বলেন, আমি উদ্বিগ্ন অবস্থায়ত তার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম ৷ তিনি
বলেন, আমি যখন রায় শহরে পৌছলাম ৷ তখন আমি সেখানকার শাসকের নামে আবু
মুসলিমের পত্র পেলাম যাতে তিনি আমাকে তার কাছে দ্রুত পৌছার বজনা উৎসাহিত করেছেন ৷
আমার উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পেল ৷ এরপর আমি যখন নিশাপুরে পৌছলাম তখনও তিনি তার পত্রে
আমাকে তার কাছে দ্রুত পৌছার জন্য উৎসাহিত করলেন ৷ তিনি নিশাপুরের প্রশাসককে লিখলেন,
তাকে এক ঘন্টার জন্য স্থির থাকতে দিও না ৷ কেননা, তোমার এলাকায় খারেজীদের আনাগােনা
রয়েছে ৷ তখন আমি শঙ্কামুক্ত হলাম ৷ এদিকে আমি যখন মারত শহর থেকে ছয় মাইল দুরে
তখন তিনি লোকজন নিয়ে আমাকে অভ্যর্থনা জানাতে বের হলেন ৷ এরপর যখন আমার
মুখোমুখি হলেন তখন (বাহন থেকে নেমে) পায়ে হেটে এসে আমার হাতে চুমু খেলেন ৷ আমি
তাকে অনুরোধ করলে তিনি তার বাহনে আরোহণ করলেন ৷ মারভ শহরে পৌছে আমি তার
(গৃহে) অতিথি হলাম ৷ তিনদিন পর্যন্ত তিনি আমাকে আমার আগমনের কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
করলেন না ৷ চতুর্থ দিন তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন, আপনার আগমনের হেতু কি ? আমি তাকে
সম্পর্কে অরাহ্ত করলাম ৷ তিনি বললেন, আবুসালামা তা করেছে কি ? আপনার হয়ে আামিই
তার ব্যবস্থা করছি ৷ এরপর তিনিা মাবৃর র ইবন আনাস আযযাববীকে ডেকে বললেন, কুফায় যাও ও,
এরপর আবু সালামাকে যেখানে পাবে সেখানেই তাকে হত্যা করবে ৷ আর এ ব্যাপারে নেতার
সিদ্ধাম্ভই চুড়ান্ত গণ্য কর ৷ তখন মাররার কুফায় আগমন করলেন ৷ উল্লেখ্য যে আবু সালামা
সাফফাহ-এর কাছে নৈশ আলাপচাবিতা তায় শরীক ছিল ৷ এরপর সে যখন সেখান থেকে বের হল
তখন মাবৃরার তাকে হত্যা করল এবং একথা ছড়িয়ে পড়ল যে খারেজীরাতাকে হত্যা করেছে ৷
এরপর শহরের সকল ফণ্টক বন্ধ করে দেওয়া হল এবং আমীরুল মুমিনীনের ভাই ইয়াহ্ইয়া ইবন
মুহাম্মাদ ইবন আলী তার জানাযা পড়ালেন এবং তাকে হাশিনিয়্যাতে দাফন করা হল ৷ তাকে
মুহাম্মাদ পরিবারের ওযীর বলা হত ৷ আবু মুসলিমকে বলা হত মুহাম্মাদ পরিবারের আমীর ৷ কবি
বলেন : ২





১ তাবারীসু(৯ খ : ১৪০ পৃ) এবং ইবনুল আহীর (৫ খ : ৪৩৭ পৃ) এ জ্যি শব্দ রয়েছে ৷
২ এই করি হল সুলায়মান ইবন মুহাজির আাল-বাজালী ৷ মুরুজুঘৃযাহার গ্রন্থে এর পুর্ববর্তী পঙ্ক্তি উল্লিখিত হয়েছে :
৷ ;ন্ ,১ ঞা,ন্ব্লুান্ টুঠু,পু৷ ৷ ;,াব্র এে, ষ্টু; ১ট্র ম্ভন্ ৷এ ৷;,

কখনও বা বেদানারাবিষয় আনন্দ দান করে, আর কখনও বা তোমার অপসন্দনীয় বিষয়ে আনন্দ প্ৰকাশই উপযুক্ত ৷


سَبِيلَهُمَا. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ وَقْعَةَ أَبِي مُحَمَّدٍ السُّفْيَانِيِّ كَانَتْ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ آخِرَ يَوْمٍ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِمَّنْ خَلَعَ السَّفَّاحَ أَيْضًا أَهْلُ الْجَزِيرَةِ ; حِينَ بَلَغَهُمْ أَنَّ أَهْلَ قِنَّسْرِينَ خَلَعُوا، وَافَقُوهُمْ وَبَيَّضُوا، وَرَكِبُوا إِلَى نَائِبِ حَرَّانَ مِنْ جِهَةِ السَّفَّاحِ - وَهُوَ مُوسَى بْنُ كَعْبٍ - وَكَانَ فِي ثَلَاثَةِ آلَافٍ قَدِ اعْتَصَمَ بِالْبَلَدِ، فَحَاصَرُوهُ قَرِيبًا مِنْ شَهْرَيْنِ، ثُمَّ بَعَثَ السَّفَّاحُ أَخَاهُ أَبَا جَعْفَرٍ الْمَنْصُورَ فِيمَنْ كَانَ بِوَاسِطَ مُحَاصِرِي ابْنِ هُبَيْرَةَ فَمَرَّ فِي مِسِيرِهِ إِلَى حَرَّانَ بِقَرْقِيسِيَا وَقَدْ بَيَّضُوا، فَغَلَّقُوا أَبْوَابَهَا دُونَهُ، ثُمَّ مَرَّ بِالرَّقَّةِ وَعَلَيْهَا بِكَّارُ بْنُ مُسْلِمٍ وَهُمْ كَذَلِكَ، ثُمَّ جَاءَ حَرَّانَ وَعَلَيْهَا إِسْحَاقُ بْنُ مُسْلِمٍ فِيمَنْ مَعَهُ مِنْ أَهْلِ الْجَزِيرَةِ يُحَاصِرُونَهَا، فَرَحَلَ إِسْحَاقُ عَنْهَا إِلَى الرُّهَا، وَخَرَجَ مُوسَى بْنُ كَعْبٍ فِيمَنْ مَعَهُ مِنْ جُنْدِ حَرَّانَ، فَتَلَقَّوْا أَبَا جَعْفَرٍ وَدَخَلُوا فِي جَيْشِهِ، وَقَدِمَ بَكَّارُ بْنُ مُسْلِمٍ عَلَى أَخِيهِ إِسْحَاقَ بْنِ مُسْلِمٍ بِالرُّهَا فَوَجَّهَهُ إِلَى جَمَاعَةِ رَبِيعَةَ بَدَارَا وَمَارِدِينَ، وَرَئِيسُهُمْ حَرُورِيٌّ يُقَالُ لَهُ: بَرِيكَةُ. فَصَارُوا حِزْبًا وَاحِدًا، فَقَصَدَ إِلَيْهِمْ أَبُو جَعْفَرٍ فَقَاتَلَهُمْ قِتَالًا شَدِيدًا، فَقَتَلَ بَرِيكَةَ فِي الْمَعْرَكَةِ، وَهَرَبَ بَكَّارٌ إِلَى أَخِيهِ بِالرُّهَا فَاسْتَخْلَفَهُ بِهَا، وَمَضَى فِي عُظْمِ الْعَسْكَرِ إِلَى سُمَيْسَاطَ، فَخَنْدَقَ عَلَى عَسْكَرِهِ، وَأَقْبَلَ أَبُو جَعْفَرٍ فَحَاصَرَ بَكَّارًا بِالرُّهَا وَجَرَتْ لَهُ مَعَهُ وَقَعَاتٌ، وَكَتَبَ السَّفَّاحُ إِلَى عَمِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ أَنْ يَسِيرَ إِلَى سُمَيْسَاطَ، وَقَدِ اجْتَمَعَ عَلَى إِسْحَاقَ بْنِ مُسْلِمٍ سِتُّونَ أَلْفًا مِنْ أَهْلِ
পৃষ্ঠা - ৭৮৯৫


শ্ণ্ ’ষ্ শ্প্ fi
এ:হুট্রুম্ন
“ওযীর হল মুহাম্মাদ পরিবারের ওযীর, সে নিহত হয়েছে, আর সে তোমার শত্রু সে ওযীর
হয়েছে ৷ ”

বলা হয় আবু জাফর আবু মুসলিমের কাছে গমন করেন আবু সালামা নিহত হওয়ার পর ৷
তার সাথে এ সময় ডাক বিভাগের বাহনের আরোহী তিরিশজন সহচর ছিল ৷ তন্মধ্যে অন্যতম হল
হাজ্জাজ ইবন আরতাআ, ইসহাক ইবন ফাযল আল-হাশিমী এবং নেতৃস্থানীয়দের একটি দল ৷ আর
আবুজাফর যখন খুরাসান থেকে ফিরেন তখন তিনি ভাইকে বলেন, আপনি যদিআবুঘুসলিমকে
হত্যা না করেন তাহলে তার জীবিত থাকা অবস্থায় আমি খলীফ৷ হতে পারব না ৷ তিনি একথা
বলেন আবু মুসলিমেরং প্ৰতি ফৌজেয় আনুগত্য দেখে ৷ তখন সাফ্ফাহ তাকে বলেন, তুমি তা
গোপন রাখ, তখন তিনি চুপ করেন ৷ এরপর সাফ্ফাহ তার ভাই আবু জাফরকে ওয়াসিতে
অবস্থানরত ইবন হুবায়রার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাঠান ৷ পথিমধ্যে তিনি যখন হাসান ইবন
কাহতাবাকে অতিক্রম করেন তখন তাকে সাথে নিয়ে নেন ৷ এর যখন ইবন হুবায়রাকে অবরোধ
করা হয় ৷ চতুর্দিক থেকে ঘিরে নেয়া হয় ৷ তখন তিনি আবুজাফয় মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন
হাসানকে পত্র লিখেন তার কাছে খিলাফতের বায়আত করার জন্য ৷ তখন সে তার উত্তরদানে
বিলম্ব করে এবং আবু জাফরের সাথে সন্ধি করতে মনস্থ করে ৷ তখন আবু জাফর এ ব্যাপারে

তার ভইি সাফ্ফাহ-এর অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি তাকে সন্ধির অনুমতি প্রদান করেন ৷ ১
এসময় আবু জাফর তাকে একটি সন্ধিপত্রলিখে দেন ৷ এরপর ইবন হুবায়রা এ ব্যাপারে চল্লিশ
দিন যাবৎ আলিম-ওলামাগণের সাথে পরামর্শ করতে থাকেন ৷ এরপর ইয়াযীদ ইবন উমর ইবন
হুবায়রা এক হাজার তিনশ সহচর নিয়ে বের হন ৷ তারপর তিনি যখন আবু জাফরের র্তাবুর
নিকটবর্তী হন তখন অশ্বারোহী অবস্থায় তাতে প্ররেশে উদ্যত হন ৷ তখন দ্বাররক্ষী সালাম তাকে
বলেন, আবু খালিদ ! আপনি ঘোড়া থেকে নামুন ৷ তখন তিনি নামেন ৷ এসময় তাবুর চারপাশে
দশ হাজার খুরাসানী যোদ্ধা ছিল ৷ তারপর তাকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় ৷ তখন
তিনি প্রশ্ন করেন আমি এবং আমার সাথের সকলে ? তখন বলা হয়, না শুধু আপনি একাকী ?
এরপর তিনি ভিতরে প্রবেশ করেন তখন তাকে বসার গদি দেওয়া হয় এবং তিনি তাতে বসেন ৷
এসময় আবু জাফর বেশ কিছুক্ষণ তার সাথে আলোচনা করেন ৷ তারপর তিনি তার কাছ থেকে
বের হয়ে আসেন ৷ তখন আবু জাফর তার দিকে তাকিয়ে থাকেন ৷ এরপর তিনি (ইয়াযীদ)
একদিন পর পর পন্বচশ অশ্বারােহী এবং তিনশ পদাতিক বাহিনী নিয়ে তার কাছে আসতে থাকেন ৷
তখন আবু জাফরের লোকজন আবু জাফরের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করলে আবু জাফর
তার দ্বাররক্ষীকে বলেন, তাকে বলে দিও সে যেন শুধু তার একান্ত সহচরদের সাথে নিয়ে আসে ৷
এরপর থেকে তিনি ত্রিশজন সাথে নিয়ে আসতেন ৷ তখন দ্বাররক্ষী তাকে বলে, আপনি মনে হয়
লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে আসেন ? তিনি বলেন, তোমরা যদি আমাকে পায়ে হেটে আসার কথা বল,
তাহলে আমি পায়ে হেটেই তোমাদের কাছে আসর ৷ এরপর থেকে তিনি তিনজনকে সাথে নিয়ে
আসতেন ৷ একদিন আবু জাফরকে সম্বোধনকড়ালে ইবন হুবায়রা তার কথার মাঝে তাকে ৷ঠু



৩ সন্ধিপত্রের ভাষ্য আলইমামা ওয়ড়াস সিয়াসাহগ্রন্থে (২ খ : ১৫২ পৃ ) ফ্লিমােন ;


الْجَزِيرَةِ، فَسَارَ إِلَيْهِمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ، وَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ فَكَاتَبَهُمْ إِسْحَاقُ وَطَلَبَ مِنْهُمُ الْأَمَانَ، فَأَجَابُوهُ إِلَى ذَلِكَ عَلَى إِذَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ السَّفَّاحِ، وَوَلَّى السَّفَّاحُ أَخَاهُ أَبَا جَعْفَرٍ الْجَزِيرَةَ وَأَذْرَبِيجَانَ وَإِرْمِينِيَّةَ، فَلَمْ يَزَلْ عَلَيْهَا حَتَّى وَلِيَ الْخِلَافَةَ بَعْدَ أَخِيهِ. وَيُقَالُ: إِنَّ إِسْحَاقَ بْنَ مُسْلِمٍ الْعَقِيلِيَّ إِنَّمَا طَلَبَ الْأَمَانَ لَمَّا تَحَقَّقَ أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ مُحَمَّدٍ قُتِلَ، وَذَلِكَ بَعْدَ مُضِيِّ سَبْعَةِ أَشْهُرٍ وَهُوَ مُحَاصَرٌ، وَقَدْ كَانَ صَاحِبًا لِأَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ فَآمَنَهُ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ ذَهَبَ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ عَنْ أَمْرِ أَخِيهِ السَّفَّاحِ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيِّ وَهُوَ أَمِيرُهَا، لِيَسْتَطْلِعَ رَأْيَهُ فِي قَتْلِ أَبِي سَلَمَةَ حَفْصِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْوَزِيرِ، وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ السَّفَّاحَ سَمَرَ لَيْلَةً مَعَ أَهْلِ بَيْتِهِ، فَتَذَاكَرُوا مَا كَانَ مِنْ أَمْرِ أَبِي سَلَمَةَ حِينَ كَانَ أَرَادَ أَنْ يَصْرِفَ الْخِلَافَةَ عَنْ بَنِي الْعَبَّاسِ، فَسَأَلَ سَائِلٌ: هَلْ كَانَ ذَلِكَ عَنْ مُمَالَأَةِ أَبِي مُسْلِمٍ لَهُ فِي ذَلِكَ أَمْ لَا؟ فَسَكَتَ الْقَوْمُ، فَقَالَ السَّفَّاحُ: لَئِنْ كَانَ هَذَا عَنْ رَأْيِهِ إِنَّا لَبِعَرْضِ بَلَاءٍ، إِلَّا أَنْ يَدْفَعَهُ اللَّهُ عَنَّا. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَقَالَ لِي أَخِي: مَا تَرَى؟ فَقُلْتُ: الرَّأْيُ رَأْيُكَ. فَقَالَ: لَيْسَ أَحَدٌ أَخَصُّ بِأَبِي مُسْلِمٍ مِنْكَ، فَاذْهَبْ إِلَيْهِ فَاعْلَمْ عِلْمَهُ، فَإِنْ كَانَ عَنْ رَأْيِهِ احْتَلْنَا لَهُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ عَنْ رَأْيِهِ طَابَتْ أَنْفُسُنَا. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَخَرَجْتُ إِلَيْهِ قَاصِدًا عَلَى وَجَلٍ، فَلَمَّا وَصَلْتُ إِلَى الرَّيِّ إِذَا كِتَابُ أَبِي مُسْلِمٍ إِلَى نَائِبِهَا يَسْتَحِثُّنِي إِلَيْهِ فِي السَّيْرِ، فَازْدَدْتُ وَجَلًا، فَلَمَّا انْتَهَيْتُ إِلَى نَيْسَابُورَ إِذَا كِتَابُهُ يَسْتَحِثُّنِي أَيْضًا، وَقَالَ لِنَائِبِهَا: لَا تَدْعْهُ يُقِيمُ سَاعَةً وَاحِدَةً ; فَإِنَّ أَرْضَكَ بِهَا خَوَارِجُ. فَانْشَرَحْتُ لِذَلِكَ، فَلَمَّا صِرْتُ مِنْ مَرْوَ عَلَى فَرْسَخَيْنِ، أَتَى يَتَلَقَّانِي وَمَعَهُ النَّاسُ، فَلَمَّا وَاجَهَنِي تَرَجَّلَ
পৃষ্ঠা - ৭৮৯৬


হ্া অথবা ং,fl ৷ ৷ট্রুৰুঠু ৷ ১ বলেন ৷ তারপর তিনি এ কথা বলে ওযরখাহী করেন যে, এটা
বাক্বিচ্যুতি ৷ আবু জাফর তার এই ওযর গ্রহণ করেন ৷ আর এসময় সাফ্ফাহ আবু মুসলিমকে
পত্র লিখেন, ইবন হুবায়রার সাথে সন্ধি করার বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে ৷ আবু মুসলিম তাকে তা
করতে নিষেধ করেন ৷ উল্লেখ্য যে, সাফ্ফাহ আবু মুসলিমকে বাদ দিয়ে কোন গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করতেন না ৷ ফলে অড়াবুজাফরের মাধ্যমে যখন সন্ধি সংঘটিত হল তখন তা সাফ্ফাহকে
মুগ্ধ বা চমৎকৃত করল না ৷ তিনি আবু জাফরকে নির্দেশ দিলেন তাকে হত্যা করতে ৷ তখন আবু
জাফর বারংবার তাকে সিদ্ধান্ত পুর্ণ বিবেচনায় অনুরোধ জানান ৷ কিন্তু, তা কোন কাজে আসল
না ৷ অবশেষে সাফ্ফাহ-এর চুড়ান্ত পত্র আসে, তুমি তাকে অবশ্যই হত্যা কর ৷ শ্লা হাওলা
------ অড়াযীম ৷ সুউচ্চ ও সুমহান আল্লাহ ব্যতীত কারও কোন শক্তি সামর্থ্য নেই ৷ কিভাবে
জীবনের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে তা ভঙ্গ করা হচ্ছে ৷ এটা তো স্বেচ্ছাচারীদের কাণ্ড ৷ আর
সে যে বিষয়ে তাকে শপথ করাল ৷ এরপর আবু জাফর খুরাসানী যোদ্ধাদের একটি দল এই
উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন ৷ তারা যখন ইবন হুবায়রার কাছে প্রবেশ করে তখন তার কাছে ছিল তার
ছেলে দাউদ এবং তার কোলে ংএকটি শিশু ৷ এছাড়া তার চারপাশে তার দ্বাররক্ষী ও মাওলারা ৷
তখন তার ছেলে পিতাকে রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয় এবং তার মাওলাদের অনেকেও নিহত
হয় ৷ এসময় আক্রমণকারীর৷ তার কাছে পৌছে যায় তখন তিনি শিণ্ডাটকে কোল থেকে নামিয়ে
সিজদায় লুটিয়ে পড়েন ৷ আর সিজদারত অবস্থায় তিনি নিহত হন ৷ এসময় মানুষের মাঝে চরম

ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয় ৷ আবুজাফর লোকদেরকে নিরাপত্তার ঘোষণা দেন ৷ তবে ২ আবদ্যুস্ব

মালিক ইবন বিশর, খালিদ ইবন সালাম৷ আল মাখবুমী এবং উমর ৩ ইবন যাবৃকে এই নিরাপত্তার
আওতাবহির্ভুত আখ্যা দেন ৷ তখন লোকজন আশ্বস্ত হয় ৷ এরপর উল্লিখিত তিনজনের কাউকে
হত্যা করা হয় ৷ আবার কাউকে নিরাপত্তা প্রদান করা হয় ৷

এবছরই আবু মুসলিম থুরাসানী মুহাম্মাদ ইবন আশআছকে ফারিসে প্রেরণ করেন এবং তাকে
নির্দেশ প্রদান করেন, আবুসালামার নিয়োজিত প্রশাসকদের হত্যা করতে ৷ সে তাই করে ৷ এছাড়া
এবছর সাফ্ফাহ তার ভাই ইয়াহ্ইয়া ইবন মুহাম্মাদকে মাওসিল ও তার অধীনস্থ এলাকার প্রশাসক
নিযুক্ত করেন এবং তার চাচা দাউদকে মক্কা, মদীনা, ইয়ামান ও ইয়ামামার প্রশাসক নিযুক্ত
করেন ৷ এসময় তিনি তাকে কুফার প্রশাসক পদ থেকে অপসারণ করে তার স্থলে ঈসা ইবন
মুসাকে নিয়োগ করেন ৷ আর কুফার কাযীর দায়িতৃ অর্পণ করেন ইবন আবু লায়লাকে ৷ আর
এসময়ে বসরার প্রশাসক ছিলেন, সুফিয়ান ইবন মুআবিয়া আল মুহাল্লাবী, তার কাযী ছিলেন
হাজ্জাজ ইবন আরতাআ, সিন্ধুর প্রশাসক ছিলেন মানসুর ইবন জামহুর , ফারিসের প্রশাসক মুহাম্মাদ
ইবনুল আশআছ ৷ এছাড়া আরমেনিয়া, আযারবায়জান ও আল-জাযীরার প্রশাসক ছিলেন আবু
জাফর আল-মানসুর, নাম ও তার অধীনস্থ এলাকার প্রশাসক ছিলেন সাফ্ফাহ-এর চাচা আবদুল্লাহ



১ তৃচ্ছতাবােধক সম্বোধন ৷

২ তাবারী ইবনুল আহীর এবং আলষ্আখবারুৎ তিওয়াল এর ভাষ্য হল হাকাম ইবন আবদুল মালিক ইবন বিশর,
আর আল-ইমামা ওয়াসসিয়াসাহ এর ভাষ্য হল, অচল-হাকাম ইবন আবদুঃা৷হ ইবন বিশর ৷

৩ আল-আখবারুত তিওয়াল মুহাম্মাদ ইবন যায় আর আল-ইমামা ওয়াসসিয়াসাহ এর ভাষ্য হল; আমর ইবন যার
সেখানে খালিদের উল্লেখ ণ্ট্রন্-ই ;


وَجَاءَ فَقَبَّلَ يَدِي، فَأَمَرْتُهُ فَرَكِبَ، فَلَمَّا دَخَلْتُ مَرْوَ نَزَلْتُ فِي دَارٍ، فَمَكَثَ ثَلَاثًا لَا يَسْأَلُنِي عَنْ شَيْءٍ، فَلَمَّا كَانَ فِي الْيَوْمِ الرَّابِعِ سَأَلَنِي: مَا أَقْدَمَكَ؟ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ: أَفْعَلَهَا أَبُو سَلَمَةَ؟ ! أَنَا أَكْفِيكُمُوهُ. فَدَعَا مَرَّارَ بْنَ أَنَسٍ الضَّبِّيَّ فَقَالَ: اذْهَبْ إِلَى الْكُوفَةِ فَحَيْثُ لَقِيتَ أَبَا سَلَمَةَ فَاقْتُلْهُ، وَانْتَهِ فِي ذَلِكَ إِلَى رَأْيِ الْإِمَامِ. فَقَدِمَ مَرَّارٌ الْكُوفَةَ الْهَاشِمِيَّةَ، وَكَانَ أَبُو سَلَمَةَ يَسْمُرُ عِنْدَ السَّفَّاحِ، فَلَمَّا خَرَجَ قَتَلَهُ مَرَّارٌ وَشَاعَ أَنَّ الْخَوَارِجَ قَتَلُوهُ، وَغُلِّقَتِ الْبَلَدُ، ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهِ يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ أَخُو أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، وَدُفِنَ بِالْهَاشِمِيَّةِ، وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: وَزِيرُ آلِ مُحَمَّدٍ. وَيُقَالُ لِأَبِي مُسْلِمٍ: أَمِيرُ آلِ مُحَمَّدٍ. وَقَدْ قَالَ الشَّاعِرُ: إِنَّ الْوَزِيرَ وَزِيرَ آلِ مُحَمَّدِ ... أَوْدَى فَمَنْ يَشْنَاكَ كَانْ وَزِيرَا وَيُقَالُ: إِنَّهُ إِنَّمَا سَارَ أَبُو جَعْفَرٍ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ بَعْدَ مَقْتَلِ أَبِي سَلَمَةَ وَإِنَّ أَبَا جَعْفَرٍ كَانَ مَعَهُ ثَلَاثُونَ رَجُلًا، مِنْهُمُ الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ الْفَضْلِ الْهَاشِمِيُّ فِي جَمَاعَةٍ مِنَ السَّادَاتِ. وَلَمَّا رَجَعَ أَبُو جَعْفَرٍ مِنْ خُرَاسَانَ قَالَ لِأَخِيهِ السَّفَّاحِ: لَسْتَ بِخَلِيفَةٍ مَا دَامَ أَبُو مُسْلِمٍ حَيًّا حَتَّى تَقْتُلَهُ. لَمَّا رَأَى مِنْ طَاعَةِ الْجَيْشِ وَالْأُمَرَاءِ لَهُ، فَقَالَ لَهُ السَّفَّاحُ: اكْتُمْهَا. فَسَكَتَ. وَلَمَّا رَجَعَ أَبُو جَعْفَرٍ مِنْ خُرَاسَانَ بَعَثَهُ أَخُوهُ إِلَى حِصَارِ ابْنِ هُبَيْرَةَ بِوَاسِطَ، فَلَمَّا اجْتَازَ بِالْحَسَنِ بْنِ قَحْطَبَةَ أَخَذَهَ مَعَهُ، فَلَمَّا أُحِيطَ بِابْنِ هُبَيْرَةَ كَتَبَ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ لِيُبَايِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ، فَأَبْطَأَ عَلَيْهِ جَوَابَهُ، فَمَالَ إِلَى مُصَالَحَةِ أَبِي جَعْفَرٍ فَاسْتَأْذَنَ أَبُو جَعْفَرٍ أَخَاهُ السَّفَّاحَ فِي ذَلِكَ، فَأَذِنَ لَهُ فِي
পৃষ্ঠা - ৭৮৯৭
الْمُصَالَحَةِ، فَكَتَبَ لَهُ أَبُو جَعْفَرٍ كِتَابًا بِالصُّلْحِ، فَمَكَثَ ابْنُ هُبَيْرَةَ يُشَاوِرُ فِيهِ الْعُلَمَاءَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا. ثُمَّ خَرَجَ يَزِيدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ هُبَيْرَةَ إِلَى أَبِي جَعْفَرٍ فِي أَلْفٍ وَثَلَاثِمِائَةٍ مِنَ الْبُخَارِيَّةِ، فَلَمَّا دَنَا مِنْ سُرَادِقِ أَبِي جَعْفَرٍ هَمَّ أَنْ يَدْخُلَ بِفَرَسِهِ، فَقَالَ الْحَاجِبُ سَلَّامٌ: انْزِلْ أَبَا خَالِدٍ. فَنَزَلَ، وَكَانَ حَوْلَ السُّرَادِقِ عَشَرَةُ آلَافٍ مِنْ أَهْلِ خُرَاسَانَ، ثُمَّ أَذِنَ لَهُ فِي الدُّخُولِ فَقَالَ: أَنَا وَمَنْ مَعِي؟ قَالَ: لَا، بَلْ أَنْتَ وَحْدَكَ. فَدَخَلَ وَوُضِعَتْ لَهُ وِسَادَةٌ، فَجَلَسَ عَلَيْهَا، فَحَادَثَهُ أَبُو جَعْفَرٍ سَاعَةً، ثُمَّ خَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ، فَأَتْبَعَهُ أَبُو جَعْفَرٍ بَصَرَهُ، ثُمَّ جَعَلَ يَأْتِيهِ يَوْمًا بَعْدَ يَوْمٍ فِي خَمْسِمِائَةِ فَارِسٍ وَثَلَاثِمِائَةِ رَاجِلٍ، فَشَكَوْا ذَلِكَ إِلَى أَبِي جَعْفَرٍ فَقَالَ أَبُو جَعْفَرٍ لِلْحَاجِبِ: مُرْهُ فَلْيَأْتِ فِي حَاشِيَتِهِ. فَكَانَ يَأْتِي فِي ثَلَاثِينَ نَفْسًا، فَقَالَ الْحَاجِبُ: كَأَنَّكَ تَأْتِي مُتَأَهِّبًا؟ فَقَالَ: لَوْ أَمَرْتُمُونَا بِالْمَشْيِ لَمَشَيْنَا إِلَيْكُمْ. ثُمَّ كَانَ يَأْتِيهِ فِي ثَلَاثَةِ أَنْفُسٍ. وَقَدْ خَاطَبَ ابْنُ هُبَيْرَةَ يَوْمًا لِأَبِي جَعْفَرٍ فَقَالَ لَهُ فِي غُبُونِ كَلَامِهِ: يَا هَنَاهُ. أَوْ قَالَ: يَا أَيُّهَا الْمَرْءُ. ثُمَّ اعْتَذَرَ إِلَيْهِ بِأَنَّهُ قَدْ سَبَقَ لِسَانُهُ إِلَى ذَلِكَ، فَأَعْذَرَهُ. وَقَدْ كَانَ السَّفَّاحُ كَتَبَ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ يَسْتَشِيرُهُ فِي مُصَالَحَةِ ابْنِ هُبَيْرَةَ فَنَهَاهُ عَنْ ذَلِكَ، وَكَانَ السَّفَّاحُ لَا يَقْطَعُ رَأْيًا دُونَ مُرَاجَعَةِ أَبِي مُسْلِمٍ، فَلَمَّا وَقَعَ الصُّلْحُ عَلَى يَدَيْ أَبِي جَعْفَرٍ لَمْ يُعْجِبِ السَّفَّاحُ ذَلِكَ، وَكَتَبَ إِلَى أَبِي جَعْفَرٍ يَأْمُرُهُ بِقَتْلِهِ، فَرَاجَعَهُ أَبُو جَعْفَرٍ مِرَارًا لَا يُفِيدُ شَيْئًا، حَتَّى جَاءَ كِتَابُ السَّفَّاحِ إِلَيْهِ أَنِ اقْتُلْهُ لَا مَحَالَةَ، وَأَقْسَمَ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ. فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ أَبُو جَعْفَرٍ طَائِفَةً فَدَخَلُوا عَلَيْهِ وَعِنْدَهُ ابْنُهُ دَاوُدُ وَفِي حِجْرِهِ صَبِيٌّ لَهُ صَغِيرٌ، وَحَوْلُهُ مَوَالِيهِ وَحَاجِبُهُ، فَدَافَعَ عَنْهُ ابْنُهُ حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৭৮৯৮


ইবন আলী, মিসরের প্রশাসক আবুআওন আবদুল মালিক ইবন ইয়াষীদ, খুরাসান ও তার অধীনস্থ
এলাকার প্রশাসক ছিলেন আবু মুসলিম খুরাসানী ৷ আর এ বছর খারড়াজ বা কর তত্ত্বায়ধায়ক ছিলেন
খালিদ ইবন বারমাক ৷ আর হজ্জ পরিচালনা করেন দাউদ ইবন আলী ৷

এ বছর যে সকল বিশিষ্ট ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন

বনু উমায়্যার শেষ খলীফা মারওয়ান ইবন মুহাম্মাদ ইবন মারওয়ান ইবনৃল আবু আবদুল
মালিক আল-উমড়াবী ৷ যেমনটি পুর্বে বিশদভাবে উল্লিখিত হয়েছে ৷ তিনি এ বছরের যুল-হাজ্জাহ্
মাসের শেষ দশকে মৃত্যুবরণ করেন ৷ এছাড়া তার ওযীর বনু আমির ইবন লুওয়া এর মাওলা
আবদুল হামিদ ইবন ইয়াহ্ইয়া ইবন সাদও এবছর মৃত্যুবরণ করেন ৷ যিনি ছিলেন তৎকালীন প্রবাদ
প্রতিম সুসাহিত্যিক ৷ শাহী ফরমান ও পত্রাদি রচনায় তার ভাষড়ামান ও কুশলতার কারণে বলা হয়
প্রকৃত মানসম্মত শাহী ফরমান রচনা সুচিত হয়েছে কাতিব আব্দুল হামিদের মাধ্যমে ৷ আর তার
সমাপ্তি ঘটেছে ৷ ইবনুল আমীদের দ্বারা ৷ রচনা সংকলন ও তার সকল শাখায় তিনি ছিলেন
অগ্রপথিক ও অনুসৃত আদর্শ ৷ তার রয়েছে সহস্র পৃষ্ঠার পত্র সংকলন ৷ তার আদি নিবাস
কায়সারিয়ব্রুড়া, এরপর তিনি শামে বসতি গ্রহণ করেন ৷ তিনি এই পত্র রচনা বিদ্যা শিক্ষা করেন
ইিশাম ইবন আবদুল মালিকের মাওলা সালিম থেকে ৷ এছাড়া খলীফা মাহদীর ওযীর ইয়াকুব ইবন
দাউদ তার কাছে পত্র রচনার অনুশীলন করতেন এবং তার থেকেই তিনি এ বিদ্যার চুড়ান্ত শিক্ষা
সম্পন্ন করেন ৷ তার ছেলে ইসমাঈল ইবন আবদুল হড়ামিদও পত্র রচনায় দক্ষতা অর্জন করেন ৷
প্রথমে আবদুল হামিদ শিশুদের শিক্ষা প্রদান করতেন ৷ এরপর অবস্থার পরিবর্তনে কালক্রমে তিনি
মারওয়ানের ওযীর পদে উন্নীত হন ৷ আর সাফ্ফাহ্ তাকে হত্যা করে তার লাশ বিকৃত করেন ৷
অবশ্য তার মত ব্যক্তির ক্ষমা পাওয়া উচিত ছিল ৷ তার নির্বাচিত কথামালার অন্যতম হল, জ্ঞান
হল বৃক্ষ যার ফল হল কথামালা, চিন্তা-ভাবনা হল সমুদ্র যার ঘুক্তা হল প্রজ্ঞা ৷ জনৈক ব্যক্তিকে
নিম্নমানের হন্তাক্ষরে লিখতে দেখে তিনি বললেন, (তামার কলমের নিব দীর্ঘ ও পুরু করে নিও
এবং হস্তাক্ষর বীকা করে ডান থেকে লিখ ৷ লোকটি বলে, আ তা করলাম তখন আমার হস্তাক্ষর
সুন্দর হয়ে গেল ৷ একবার জনৈক ব্যক্তি তাকে একজন মহানুভব ব্যক্তির অনুগ্রহ প্রার্থনা করে
একটি পত্র লিখার অনুরোধ করে ৷ তিনি লিখেন, আপনার কাছে আমার হস্তলিখিত পত্রবাহকের
অধিকার আমার কাছে তার প্রাপ্য অধিকারের ন্যায় ৷ যেহেতু সে আপনাকে তার আশার বাস্তবায়ন
ক্ষেত্র গণ্য করেছে এবং আমাকে তার প্রয়োজন পুরণের উপযুক্ত গণ্য করেছে ৷ আমি তার পত্র
লিখনের প্রয়োজন পুর্ণ করেছি ৷ কাজেই, আপনি তার আশা বাস্তবায়ন করুন ৷ তিনি প্রায়শই এই
কবিতা পঙ্ক্তি আবৃত্তি করতেন

>াপু এ এ ণ্শ্এ ’ণ্>াষ্ট্রাড়ু ঞা ৰুৰুট্রৰু১ ১ভ্রুৰু ’ ন্া;হ্র৷ ছু;টুহ্নি ৷চুা
“কাতিবগণ যখন বের হন তখন তাদের দোয়াতগুলি হয় তাদের ধনুক আর কলমগুলি হল
তীর ৷”

আব্বাসীয় বংশের প্রথম ওযীর হলেন আবু সালামা হাফস ইবন সুলায়মান ৷ তার নিযুক্তির
চারমাস পর রজব মাসে সাফ্ফড়াহ্-এর নির্দোশ আবু মুসলিম তাকে হত্যা করেন ৷ আর তিনি বেশ
সুদর্শন গুণী ও রসপ্রিয় ব্যক্তি ৷ তার উপস্থিত বুদ্ধি ও রসবােধের কারণে সাফ্ফাহ্ তার সাহচর্যে


قُتِلَ، وَقُتِلَ خَلْقٌ مِنْ مَوَالِيهِ، وَخَلَصُوا إِلَيْهِ، فَأَلْقَى الصَّبِيَّ مِنْ حِجْرِهِ، وَخَرَّ سَاجِدًا، فَقُتِلَ وَهُوَ سَاجِدٌ، وَاضْطَرَبَ النَّاسُ، فَنَادَى أَبُو جَعْفَرٍ فِي النَّاسِ بِالْأَمَانِ إِلَّا الْحَكَمَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ بِشْرٍ، وَخَالِدَ بْنَ سَلَمَةَ الْمَخْزُومِيَّ، وَعُمَرَ بْنَ ذَرٍّ فَسَكَنَ النَّاسُ، ثُمَّ اسْتُؤْمِنَ لِبَعْضِ هَؤُلَاءِ وَقُتِلَ بَعْضُهُمْ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ بَعَثَ أَبُو مُسْلِمٍ مُحَمَّدَ بْنَ الْأَشْعَثِ إِلَى فَارِسَ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ عُمَّالَ أَبِي سَلَمَةَ فَيَضْرِبَ أَعْنَاقَهُمْ، فَفَعَلَ ذَلِكَ. وَفِيهَا وَلَّى السَّفَّاحُ أَخَاهُ يَحْيَى بْنَ مُحَمَّدٍ الْمَوْصِلَ وَأَعْمَالَهَا، وَوَلَّى عَمَّهُ دَاوُدَ بْنَ عَلِيٍّ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةَ وَالْيَمَنَ وَالْيَمَامَةَ، وَعَزَلَهُ عَنِ الْكُوفَةِ، وَوَلَّى مَكَانَهُ عَلَيْهَا عِيسَى بْنَ مُوسَى، فَوَلَّى قَضَاءَهَا ابْنَ أَبِي لَيْلَى وَكَانَ عَلَى نِيَابَةِ الْبَصْرَةِ سُفْيَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْمُهَلَّبِيُّ، وَعَلَى قَضَائِهَا الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ، وَعَلَى السِّنْدِ مَنْصُورُ بْنُ جُمْهُورٍ، وَعَلَى فَارِسَ مُحَمَّدُ بْنُ الْأَشْعَثِ، وَعَلَى إِرْمِينِيَّةَ وَأَذْرَبِيجَانَ وَالْجَزِيرَةِ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ، وَعَلَى الشَّامِ وَأَعْمَالِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ عَمُّ السَّفَّاحِ، وَعَلَى مِصْرَ أَبُو عَوْنٍ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ يَزِيدَ، وَعَلَى خُرَاسَانَ وَأَعْمَالِهَا أَبُو مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيُّ، وَعَلَى دِيوَانِ الْخَرَاجِ خَالِدُ بْنُ بَرْمَكَ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ دَاوُدُ بْنُ عَلِيٍّ. [ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ أَبُو عَبْدِ الْمَلِكِ الْأُمَوِيُّ، آخِرُ خُلَفَاءِ
পৃষ্ঠা - ৭৮৯৯
بَنِي أُمَيَّةَ، قُتِلَ فِي الْعُشْرِ الْأَخِيرِ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، كَمَا قَدَّمْنَا ذِكْرَهُ. وَوَزِيرُهُ عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعْدٍ مَوْلَى بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ الْكَاتِبُ الْبَلِيغُ الَّذِي يُضْرَبُ بِهِ الْمَثَلُ، فَيُقَالُ: فُتِحَتِ الرَّسَائِلُ بِعَبْدِ الْحَمِيدِ، وَخُتِمَتْ بِابْنِ الْعَمِيدِ. وَكَانَ إِمَامًا فِي الْكِتَابَةِ وَجَمِيعِ فُنُونِهَا، وَهُوَ الْقُدْوَةُ فِيهَا، وَلَهُ رَسَائِلُ فِي أَلْفِ وَرَقَةٍ، وَأَصْلُهُ مِنَ الْأَنْبَارِ، ثُمَّ سَكَنَ الشَّامَ، وَتَعَلَّمَ هَذَا الشَّأْنَ مَنْ سَالِمٍ مَوْلَى هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَكَانَ يَعْقُوبُ بْنُ دَاوُدَ وَزِيرُ الْمَهْدِيِّ يَكْتُبُ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَعَلَيْهِ تَخَرَّجَ، وَكَانَ ابْنُهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ مَاهِرًا فِي الْكِتَابَةِ أَيْضًا، وَقَدْ كَانَ أَوَّلًا يُعَلِّمُ الصِّبْيَانَ، ثُمَّ تَقَلَّبَتْ بِهِ الْأَحْوَالُ حَتَّى وَزَرَ لِمَرْوَانَ الْجَعْدِيِّ آخِرِ خُلَفَاءِ بَنِي أُمَيَّةَ، وَأُخِذَ بَعْدَهُ فَقَتَلَهُ السَّفَّاحُ وَمَثَّلَ بِهِ، وَكَانَ اللَّائِقُ بِمِثْلِهِ الْعَفْوَ عَنْهُ. وَمِنْ مُسْتَجَادِ كَلَامِهِ: الْعِلْمُ شَجَرَةٌ، ثَمَرَتُهَا الْأَلْفَاظُ، وَالْفِكْرُ بَحْرٌ لُؤْلُؤُهُ الْحِكْمَةُ. وَمِنْ كَلَامِهِ، وَرَأَى رَجُلًا يَكْتُبُ خَطًّا رَدِيئًا: أَطِلْ جَلْفَةَ قَلَمِكَ وَأَسْمِنْهَا، وَحَرِّفْ قَطَّتَكَ وَأَيْمِنْهَا. قَالَ الرَّجُلُ: فَفَعَلْتُ ذَلِكَ، فَجَادَ خَطِّي.
পৃষ্ঠা - ৭৯০০
وَسَأَلَهُ رَجُلٌ أَنْ يَكْتُبَ لَهُ كِتَابًا إِلَى بَعْضِ الْأَكَابِرِ يُوصِيهِ بِهِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ: حَقُّ مُوَصِّلِ كِتَابِي إِلَيْكَ كَحَقِّهِ عَلَيَّ ; إِذْ رَآكَ مَوْضِعًا لِأَمَلِهِ، وَرَآنِي أَهْلًا لِحَاجَتِهِ، وَقَدْ قَضَيْتُ حَاجَتَهُ، فَصَدِّقْ أَمَلَهُ. وَكَانَ كَثِيرًا مَا يُنْشِدُ هَذَا الْبَيْتَ: إِذَا جَرَحَ الْكُتَّابُ كَانَ دُوِيُّهُمْ ... قِسِيًّا وَأَقْلَامُ الدُّوِيِّ لَهَا نَبْلًا وَأَبُو سَلَمَةَ حَفْصُ بْنُ سُلَيْمَانَ أَوَّلُ مَنْ وَزَرَ لِآلِ الْعَبَّاسِ، قَتَلَهُ أَبُو مُسْلِمٍ عَنْ أَمْرِ السَّفَّاحِ بَعْدَ وِلَايَتِهِ بِأَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ، وَكَانَتْ بَيْعَةُ السَّفَّاحِ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ وَهِيَ لَيْلَةُ الثَّالِثَ عَشَرَ مِنْ رَبِيعٍ الْآخَرِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، فَكَانَ مَقْتَلُهُ فِي رَجَبٍ مِنْهَا. وَكَانَ دَاهِيَةً فَاضِلًا حَسَنَ الْمُفَاكَهَةِ، وَكَانَ السَّفَّاحُ يَأْنَسُ إِلَيْهِ وَيُحِبُّ مُسَامَرَتَهُ لِطِيبِ مُحَاضَرَتِهِ، وَلَكِنْ تَوَهَّمَ مَيْلَهُ لِآلِ عَلِيٍّ فَدَسَّ عَلَيْهِ أَبُو مُسْلِمٍ مَنْ قَتَلَهُ غِيلَةً، كَمَا تَقَدَّمَ، فَأَنْشَدَ السَّفَّاحُ عِنْدَ ذَلِكَ: إِلَى النَّارِ فَلْيَذْهَبْ وَمَنْ كَانَ مِثْلُهُ ... عَلَى أَيِّ شَيْءٍ فَاتَنَا مِنْهُ نَأْسَفُ ، كَانَ يُقَالُ لَهُ: وَزِيرُ آلِ مُحَمَّدٍ. وَيُعْرَفُ بِالْخَلَّالِ ; لِسُكْنَاهُ فِي دَرْبِ
পৃষ্ঠা - ৭৯০১
الْخَلَّالِينَ بِالْكُوفَةِ وَجُلُوسِهِ إِلَيْهِمْ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ سُمِّيَ بِالْوَزِيرِ. وَقَدْ حَكَى ابْنُ خَلِّكَانَ عَنِ ابْنِ قُتَيْبَةَ أَنَّ اشْتِقَاقَ الْوَزِيرِ مِنَ الْوِزْرِ، وَهُوَ الْحِمْلُ، فَكَأَنَّ السُّلْطَانَ حَمَّلَهُ أَثْقَالًا لِاسْتِنَادِهِ إِلَى رَأْيِهِ، وَقَالَ الزَّجَّاجُ: هُوَ مُشْتَقٌّ مِنَ الْوَزَرِ وَهُوَ الْجَبَلُ، فَكَأَنَّ السُّلْطَانَ لَجَأَ إِلَى رَأْيِهِ كَمَا يَلْجَأُ الْخَائِفُ إِلَى جَبَلٍ يَعْتَصِمُ بِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.