আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وثلاثين ومائة

পৃষ্ঠা - ৭৮৫৮


ইতিমধ্যে ইবন আতিয়্যার নিকট মারওয়ানের চিঠি এসে পৌছে এই মর্মে যে, সে এই বছর
আমীরুল হজ্জ হয়ে যেন হজ্জ পরিচালনা করে এবং দ্রুত পবিত্র মক্কা যাত্রা করে ৷ বারজন সওয়ারী
সাথে নিয়ে ইবন আতিয়্যা পবিত্র মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ৷ সেনাদল রেখে যায় সানাআয় ৷ তার
সাথে একটি থলিতে ছিল ৪০ হাজার স্বর্ণমুদ্রা ৷ পথে এক জায়গায় সে যাত্রাবিরতি করে ৷ ওই
অঞ্চলের দুইজন সেনাপতি তার সম্মুখে হড়াযির হয় ৷ তারা ইবন জুমানা নামে পরিচিত ৷ তারা
বলল, ওহে কাফেলা যাত্রী, তোমরা তো চোর ৷ সে বলল, না আমি ইবন আতিয়্যা ৷ এ হলো
কেদ্রীয় খলীফার চিঠি ৷ আমাকে হজ্জ পরিচালনার নির্দেশ দিয়ে তিনি এই চিঠি পাঠিয়েছেন ৷
আমরা হরুজ্জর মওসুম পাবার জন্যে দ্রুত যাচ্ছি পবিত্র মক্কার উদ্দেশ্যে ৷ ওরা এ কথা বিশ্বাস করল
না ৷ তারা বলল, এসব মিথ্যা কথা ৷ তারা হামলা চালায় কাফেলার উপর ৷ ইবন আতিয়্যা ও তার
সাথীদেরকে তারা হত্যা করে ৷ মাত্র একজন লোক প্রাণে বেচেছিল ৷ কাফেলার মালপত্রও তারা
লুট করে নেয় ৷

আবু মাশার বলেন, এই বছর হজ্জ পরিচালনা করেছেন মুহাম্মদ ইবন মালিক ইবন
মারওয়ড়ান ৷ তিনি পবিত্র মক্কা মদীনা ও তায়েফের প্রশাসক ছিলেন ৷ এ সময়ে ইরাকের প্রশাসক
ছিল ইবন হুবায়রা , খুরাসানের প্রশাসক নাসর ইবন সাইয়ার ৷ তবে থুরাসানের বহু শহর ও প্রায়
তখন আবু মুসলিমের দখলে চলে এসেছিল ৷ নাসর ইবন সাইয়ার দশ হাজার সৈন্য চেয়ে ইবন
হুবায়রার নিকট চিঠি লিখেছিল ৷ পরে দেখা গেল যে, এক লক্ষ সৈন্য দ্বারড়াও সে কুলিয়ে উঠতে
পারছে না ৷ সে মারওয়ানের নিকট ও সৈন্য সাহায্য ঢেয়েছিল ৷ মারওয়ড়ান তার চাহিদা মুতাবিক
সৈন্য পাঠানোর জন্যে ইবন হুবায়রাকে লিখিত নির্দেশ দিয়েছিল ৷

১৩০ হিজরী সনে যাদের মৃত্যু হয়

এই হিজরী সনে যাদের মৃত্যু হয় তাদের মধ্যে শুআয়ব ইবন হাবহাব, আবদুল আযীয ইবন
সুহায়ব, আবদুল আষীয ইবন রাফী, কাব ইবন আ ণ বশম ৷ এবং মুহাখ্যাঃ ইবন মুনকদির বিশিষ্ট
ব্যক্তিবর্গ ৷ মহান আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷



১৩১ ইিজরী সন

এই হিজরী সনের মুহাবৃরম মাসে কাহ্তাবা ইবন শাবীব তার ছেলে হাসানকে কুমীছ অঞ্চলে
পাঠিয়েছিল নাসরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে ৷ পেছনে তার সাহায্যার্থে অতিরিক্ত ভৈসন্যও প্রেরণ
করেছিল ৷ ওদের কেউ কেউ নাসরের কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিল ৷ নাসর ওই স্থান ত্যাগ করে
“রায়” গিয়ে পৌছে ৷ সেখানে দুইদিন থাকার পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷ তারপর সেখান হতে
হামাদানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ হড়াযাদানের নিকটবর্তী পৌছার পর তার মৃত্যু হয় ৷ এই হিজরী
সনের অর্থাৎ ১৩ ১ হিজরী সনের ১ ২ই রবীউল আউয়াল ৮৫ বছর বয়সে নাসর মৃত্যুমুখে পতিত
হয়া

নাসরের মৃত্যুর পর আবু মুসলিম খুরাসানী ও তার অনুসারীরা থুরাসানের শহরনগরগুলোর
উপর সুদৃঢ় কর্তৃতু প্রতিষ্ঠা করে ৷ তাদের শক্তি-সামর্থ্য বৃদ্ধি পায় ৷ কাহ্তাবা জুরজান ছেড়ে যায় ৷
তার সম্মুখে যাত্রা করে যিয়াদ ইবন যুরারাহ কুশাইরী ৷ আবুমুসলিমের অনুসরণ করে সে সজ্জিত

ও অ্নুতপ্ত হয় ৷ তাই তার সৈন্যদেরকে ছেড়ে মাত্র কয়েকজনের একটি দল নিয়ে সে ইবন


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ] فِي الْمُحَرَّمِ مِنْهَا وَجَّهَ قَحْطَبَةُ بْنُ شَبِيبٍ وَلَدَهُ الْحَسَنَ إِلَى قُومِسَ لِقِتَالِ نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ، وَأَرْدَفَهُ بِالْأَمْدَادِ، فَخَامَرَ بَعْضُهُمْ إِلَى نَصْرٍ، وَارْتَحَلَ نَصْرٌ فَنَزَلَ الرَّيَّ، فَأَقَامَ بِهَا يَوْمَيْنِ، ثُمَّ مَرِضَ، فَسَارَ مِنْهَا إِلَى هَمَذَانَ، فَلَمَّا كَانَ بِسَاوَةَ قَرِيبًا مِنْ هَمَذَانَ تُوُفِّيَ لِمُضِيِّ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، عَنْ خَمْسٍ وَثَمَانِينَ سَنَةً، فَلَمَّا مَاتَ نَصْرٌ تَمَكَّنَ أَبُو مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيُّ وَأَصْحَابُهُ مِنْ بِلَادِ خُرَاسَانَ وَقَوِيَتْ شَوْكَتُهُمْ جِدًّا، فَسَارَ قَحْطَبَةُ مِنْ جُرْجَانَ، وَقَدِمَ أَمَامَهُ زِيَادُ بْنُ زُرَارَةَ الْقُشَيْرِيُّ وَكَانَ قَدْ نَدِمَ عَلَى اتِّبَاعِ أَبِي مُسْلِمٍ فَتَرَكَ الْجَيْشَ، وَأَخَذَ جَمَاعَةً مَعَهُ، وَسَلَكَ طَرِيقَ أَصْبَهَانَ لِيَأْتِيَ ابْنَ ضُبَارَةَ فَبَعَثَ قَحْطَبَةُ وَرَاءَهُ جَيْشًا، فَقَتَلُوا عَامَّةَ أَصْحَابِهِ، وَأَقْبَلَ قَحْطَبَةُ وَرَاءَهُ، فَقَدِمَ قُومِسَ، وَقَدِ افْتَتَحَهَا ابْنُهُ الْحَسَنُ فَأَقَامَ بِهَا، وَبَعَثَ ابْنَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ إِلَى الرَّيِّ، ثُمَّ سَاقَ وَرَاءَهُ، فَوَجَدَهُ قَدِ افْتَتَحَهَا، فَأَقَامَ بِهَا وَكَتَبَ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ بِذَلِكَ، وَارْتَحَلَ أَبُو مُسْلِمٍ مِنْ مَرْوَ فَنَزَلَ نَيْسَابُورَ وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ جِدًّا، وَبَعَثَ قَحْطَبَةُ - بَعْدَ دُخُولِهِ الرَّيَّ بِثَلَاثٍ - ابْنَهُ الْحَسَنَ بَيْنَ يَدَيْهِ إِلَى هَمَذَانَ، فَلَمَّا اقْتَرَبَ مِنْهَا خَرَجَ مِنْهَا مَالِكُ بْنُ أَدْهَمَ وَجَمَاعَةٌ مِنْ أَجْنَادِ الشَّامِ وَخُرَاسَانَ فَنَزَلُوا نَهَاوَنْدَ فَافْتَتَحَ الْحَسَنُ هَمَذَانَ، ثُمَّ سَارَ وَرَاءَهُمْ إِلَى نَهَاوَنْدَ، وَبَعَثَ إِلَيْهِ أَبُوهُ بِالْأَمْدَادِ وَرَاءَهُ، فَجَاءَ فَحَاصَرَهُمْ بِهَا حَتَّى افْتَتَحَهَا.
পৃষ্ঠা - ৭৮৫৯


০০ চা

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৭৯

₹াব্বারা-এর সাথে মিলিত হবার জন্যে ইম্পাহানের পথে যাত্রা করে ৷ তাকে পাকড়াও করার জন্যে
কাহতাবা একদল সৈন্য প্রেরণ করে ৷ তারা যিয়াদের প্রায় সকল সাথীকে হত্যা করে ৷ কাহতাবা
নিজে কুমীছ এসে পৌছে ৷ তার ছেলে হাসান ইতিপুর্বে কুমীছ জয় করে নিয়েছিল ৷ কাহতাবা
সেখানে অবস্থান করছিল, সে তার ছেলেকে সম্মুখে “রায়” অঞ্চলের দিকে পাঠায় ৷ পরে সে
নিজেও পেছনে পেছনে যাত্রা করে ৷ সে গিয়ে দেখে যে, তার ছেলে “রায়” জয় করে নিয়েছে ৷
কাহতাবা সেখানে অবস্থান করতে থাকে ৷ এসব বিষয় সে আবুমুসলিমকে অবগত করে ৷

আবু মুসলিম মার্ভ ত্যাগ করে নিশাপুর গমন করে ৷ দিনে দিয়ে তার ক্ষমতা ও কর্তৃতু বৃদ্ধি
পাচ্ছিল ৷ এদিকে ক ৷হত৷ ৷ব৷ “রায়” অঞ্চলে যাবার পর তার ছেলে হাসানকে হামাদান প্রেরণ করে ৷
হাসান যখন হামাদানের কাছাকাছি গিয়ে পৌছে খনত খুরাসানী ও সিরীয় নাগরিক সমন্বয়ে গঠিত
এক বিশাল বাহিনী নিয়ে মালিক ইবন আদহাম হামাদান থেকে বেরিয়ে নিহাওয়ান্দ’ নামক স্থানে
অবতরণ করে ৷ হাসান গিয়ে হামাদান জয় করে নেয় ৷ এরপর সে উম ৷ইয়া সৈন্যদের উদ্দেশ্যে
নিহাওয়ান্দ গমন করে ৷ এদিকে তার পিতাত ৷র সাহায্যার্থে অতিরিক্ত সৈন্য পাঠায় ৷ হাসান
ওদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে ৷ শেষ পর্যন্ত যে নিহাওয়ান্দ জয় করে ৷

এই হিজরী সনে আমির ইবন দাব্বারা ইনতিক৷ ৷ল করেছেন ৷ তার মৃত্যুর প্রেক্ষ৷ পাট এই যে,
ইবন হুবায়রাত তার নিকট চিঠি লিখে জা ৷নিয়েছিল যে, সে যেন কাহতাবা এর মুক৷ ৷বিলার জন্যে যায়
এবং সে সৈন্য পাঠিয়ে তাকে সাহায্য করে ৷ নির্দেশ মুতা ৷বিক ইবন দাব্বারা রওনা করে ৷ সে বিশ
হাজার সৈন্যসহ কাহ৩াবা এর মুখোমুখি হল ৷ উভয় পক্ষ যখন মুখোমুখি অবস্থানে এবং যুদ্ধের
জন্যে পুর্ণ প্রস্তুত তখন কাহতাবা ও তার সাথিপণ পবিত্র কুরআন মজীদ উচিয়ে ধ রে চীত্কার দিয়ে
বলেছিল , হে সিরিয়াবাসী, আমরা ণ্তামাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি পবিত্র কুরআনে বিধৃত বিষয়
মেনে নেওয়ার জন্যে ৷ ওরা এই কাজের জন্যে কাহতাবা ও তার সাথীদেরকে পালমন্দ করে ৷ এই

আক্রমণ চালায় ৷ বেশীক্ষণ ৷যুদ্ধ চলেনি ৷ ইবন দাব্বারা এর সৈন্যগণ পরাজয়বরণ করল ৷
কাহতাবা এর সৈন্যরা ওদের পশ্চাদ্ধাবন করল এবং ওদের বহু লোককে হত্যা করল ৷ তারা ইবন

দাব্ব ৷রাকেও হত্যা করে ৷ কা ৷রণ সে যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পা ৷লিয়ে যায়নি ৷ কাহতাব বাহিনী বিপক্ষ
সৈন্যদের হাত হতে এত বেশী ধন-সম্পদ ও মালামাল হস্তগত করে যা বর্ণনাতীত ৷

এই হিজরী সনে সেনাপতি কাহতাবা নিহওয়ান্দের চারিদিকে কঠোর অবরোধ তৈরি করে ৷
অবরুদ্ধ সিরীয় নাপবিকর৷ অসহ্য হয়ে প্রস্তাব করে যেন তাদেরকে তার জন্যে ভেতর থেকে দরজা
খুলে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় ৷ তাদেরকে সুযোগ দেওয়া হল ৷ তারা কাহতাবা-এর জন্যে
দুর্গের দরজা খুলে দিল ৷ তারা তার থেকে তাদের জন্যে নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি নিয়ে নেয় ৷ অবরুদ্ধ
খুরাসানবাসিগণ সিরীয়দেরকে জিজ্ঞেস করল যে, তোমরা কি কাজ করেছ ? তারা বলল, যে
আমরা আমাদের জন্যে এবং তোমাদের জন্যে নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি তগ্রহণ করেছি ৷ত তারা ও নিরাপত্তা
লাভ করেছে এই ধারণায় থুরাসানিপণ ভেতর হত তবের হয়ে আসে ৷ কাহতাবা তার সেনাপতি-
দেরকে নির্দেশ দেয় যে, যার অধীনে যত থুরাসানী বন্দী আছে তাদের সব৷ ৷ইকে যেন হত্যা করে ৷
খণ্ডিত মস্তক তার নিকট পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ সেনাপতিপণ তাই করল ৷ ফলে ইতিপুর্বে আবু
মুসলিমের হাত থেকে যত খুরাসানী নাগরিক পালিয়ে এসেছিল তাদের কেউই এখন জীবিত


وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ مَاتَ عَامِرُ بْنُ ضُبَارَةَ وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ ابْنَ هُبَيْرَةَ كَانَ قَدْ كَتَبَ إِلَيْهِ أَنْ يَسِيرَ إِلَى قَحْطَبَةَ وَأَمَدَّهُ بِالْعَسَاكِرِ، فَسَارَ ابْنُ ضُبَارَةَ حَتَّى الْتَقَى مَعَ قَحْطَبَةَ، وَابْنُ ضُبَارَةَ فِي مِائَةٍ وَخَمْسِينَ أَلْفًا، وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: عَسْكَرُ الْعَسَاكِرِ، وَقَحْطَبَةُ فِي عِشْرِينَ أَلْفًا، فَلَمَّا تَوَاجَهَ الْفَرِيقَانِ رَفَعَ قَحْطَبَةُ وَأَصْحَابُهُ الْمَصَاحِفَ، وَنَادَى الْمُنَادِي: يَا أَهْلَ الشَّامِ، إِنَّا نَدْعُوكُمْ إِلَى مَا فِي هَذَا الْمُصْحَفِ. فَشَتَمُوا الْمُنَادِيَ، وَشَتَمُوا قَحْطَبَةَ، فَأَمَرَ قَحْطَبَةُ أَصْحَابَهُ أَنْ يَحْمِلُوا عَلَيْهِمْ، فَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمْ كَثِيرُ قِتَالٍ حَتَّى انْهَزَمَ أَصْحَابُ ابْنِ ضُبَارَةَ وَاتَّبَعَهُمْ أَصْحَابُ قَحْطَبَةَ، فَقَتَلُوا مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَقَتَلُوا ابْنَ ضُبَارَةَ فِي الْعَسْكَرِ وَأَخَذُوا مِنْ عَسْكَرِهِمْ مَا لَا يُحَدُّ وَلَا يُوَصَفُ. وَفِيهَا حَاصَرَ قَحْطَبَةُ نَهَاوَنْدَ حِصَارًا شَدِيدًا، حَتَّى سَأَلَهُ أَهْلُ الشَّامِ الَّذِينَ بِهَا أَنْ يَشْغَلَ أَهْلَهَا حَتَّى يَفْتَحُوا لَهُ الْبَابَ، فَفَتَحُوا لَهُ الْبَابَ، وَأَخَذُوا لَهُمْ مِنْهُ أَمَانًا، فَقَالَ لَهُمْ مَنْ بِهَا مِنْ أَهْلِ خُرَاسَانَ: مَا فَعَلْتُمْ؟ فَقَالُوا: أَخَذْنَا لَنَا وَلَكُمْ أَمَانًا. فَخَرَجُوا ظَانِّينَ أَنَّهُمْ فِي أَمَانٍ، فَقَالَ قَحْطَبَةُ لِلْأُمَرَاءِ الَّذِينَ مَعَهُ: كُلُّ مَنْ حَصَلَ عِنْدَهُ أَسِيرٌ مِنَ الْخُرَاسَانِيِّينَ فَلْيَضْرِبْ عُنُقَهُ وَلْيَأْتِنَا بِرَأْسِهِ. فَفَعَلُوا ذَلِكَ، وَلَمْ يَبْقَ مِمَّنْ كَانَ هَرِبَ مِنْ أَبِي مُسْلِمٍ مِنْهُمْ أَحَدٌ، وَأَطْلَقَ الشَّامِيِّينَ وَأَوْفَى لَهُمْ عَهْدَهُمْ، وَأَخَذَ عَلَيْهِمُ الْمِيثَاقَ أَنْ لَا يُمَالِئُوا عَلَيْهِ عَدُوًّا، ثُمَّ بَعَثَ قَحْطَبَةُ - عَنْ أَمْرِ أَبِي مُسْلِمٍ - أَبَا عَوْنٍ إِلَى شَهْرَزُورَ فِي ثَلَاثِينَ أَلْفًا، فَحَاصَرَهَا حَتَّى افْتَتَحَهَا، وَقَتَلَ نَائِبَهَا عُثْمَانَ بْنَ سُفْيَانَ. وَقِيلَ: لَمْ يَقْتُلْ بَلْ تَحَوَّلَ إِلَى الْمَوْصِلِ وَالْجَزِيرَةِ وَبَعَثَ
পৃষ্ঠা - ৭৮৬০
إِلَى قَحْطَبَةَ بِذَلِكَ. وَلَمَّا بَلَغَ مَرْوَانَ خَبَرُ قَحْطَبَةَ، وَأَبِي مُسْلِمٍ وَمَا وَقَعَ مِنْ أَمْرِهِمَا تَحَوَّلَ مِنْ حَرَّانَ، فَنَزَلَ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: الزَّابُّ الْأَكْبَرُ. وَفِيهَا قَصَدَ قَحْطَبَةُ فِي جَيْشٍ كَثِيفٍ نَائِبَ الْعِرَاقِ يَزِيدَ بْنَ عُمَرَ بْنِ هُبَيْرَةَ، فَلَمَّا اقْتَرَبَ مِنْهُ تَقَهْقَرَ ابْنُ هُبَيْرَةَ إِلَى وَرَائِهِ، وَمَا زَالَ يَتَقَهْقَرُ إِلَى أَنْ جَاوَزَ الْفُرَاتَ، وَجَاءَ قَحْطَبَةُ فَجَازَهُ وَرَاءَهُ، وَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمَا مَا سَنَذْكُرُهُ فِي السَّنَةِ الْآتِيَةِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.