আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاثين ومائة

পৃষ্ঠা - ৭৮৫১

৭৪ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

১৩০ হিজরী সন

এই হিজরী সনে জুমাদা ল উলা মাসের দশ৩াবিখে আবু মুসলিম থুরাসানী মার্ভ অঞ্চলে
প্রবেশ করেনা তিনি সেখানকা র রাজধানীতে আক্রমণ চালিয়ে নাসর ইবন সাইয়ারেরা হা ত হতে
তা দখল করে (ননা এক্ষেত্রে আালী ইবনুল কিরমানী তাকে সহযোপি৩া করেছিলেনা পরাজিত
নাসর ইবন সাইয়ার তার কতক সহযোাগী সৈন্য নিয়ে রাজধানী ছেড়ে পালিায়ে যায় ৷ খনত তার র
সাথে না এ তিনহাজার সৈন্য জ্জিা৩ তার শ্রী মারষুবানাও৩ার সাথে ছিলা পথিমধ্যে তার শ্ৰীকে
ছেড়ে সে সারখস নগরীতে চলে যায় ৷ এভাবে সে আত্মরক্ষা করো এদিকে আবু মুসলিম
খুরাসানীর শৌর্য বীর্য বৃদ্ধি পেতে থাকে ৷ তার চারিপাশোসমবেত হয় বহু সৈন্য সামওা

শায়বান ইবন সালামা হারীরী-এর হত্যাকাণ্ড

নাসর ইবন সাইয়ার পালিয়ে যাবার পর তার সহযোগী শায়বান সেখানে একাকী থেকে যায় ৷

সে আবু মুসলিমের বিরুদ্ধে নাসর ইবন সাইয়ারকে সাহায্য করেছিল ৷ এই পর্যায়ে আবু মুসলিম
খুরাসানী বনু লায়ছ গোত্রের ক্রী৩ দাস বুসাম ইবন ইবৃরা হীমকে প্রেরণ করে শায়বানের নিকটা সে
তার সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া বুসাম অগ্রসর হয় শায়বানের উদ্দেশো ৷ উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ
হয় ৷ পরাজয়বরণ করে শায়বান ৷ বুসাম তাকে হত্যা করে ৷ বুসামের সৈন্যরা বিরোধী পক্ষের

সৈন্যদেরকে হত্যা ও বন্দী করছিল ৷ এরপর আবু মুসলিম থুরাসানী কিরমানীর দুই ছেলে আলী
এবং উছমানকে হত্যা করো

এরপর আবু মুসলিম বালাখ অঞ্চলে প্রেরণ করে আবু দাউদকো যিয়াদ ইবন আবদুর রহমান
কুশায়রীকে পরাজিত করে সে বালাখ দখল করে ৷ সেখান হতে ছিনিয়ে (নয় প্রচুর ধন-সম্পদ ৷
এরপর একই দিনে আবুমুসলিমের সেনাপতি আবু দাউদ হত্যা করে কিরমানীর ছোল উছমানকে
আর আবু মুসলিম নিজে হত্যা করে কিরমানীর ছেলে আলীকে ৷

এই হিজরী সনে আবু মুসলিম নাসরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে কাহ্৩ ন্াবা ইবন শাবীবকে
নিশাপুর প্রেরণ করে ৷ কাহ৩াবা এর সাথে বড় বড় আরো অনেক সেনাপতি ছিলা থালিদ ইবন
বারমাকীও ছিল তাদের মধ্যো তারব তুস অঞ্চলে নাসরের ছেলে৩ তামীামর মুখোমুাথ হয়া তার
পিতা তাকে পাঠিয়েছিল যুদ্ধ করার জন্যো যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় ৷ নাসরের প্রায় ১ ৭ হাজার সৈন্য
কাহতাবা এর হাতে প্রাণ হারায় ৷ আবু নাসর অতিরিক্ত দশ হাজার অশ্বারোহী সৈন্য পাঠিয়েছিল
কাহ্তাবাকে সাহায্য করার জন্যে ৷ অতিরিক্ত এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল আলী ইবন মাকাল ৷ যুদ্ধ
হয় ভীষণা নাসরের বহু সৈন্যকে তারা হত্যা করো নাসরের ছেলে৩ তামীমও ওই যুদ্ধে নিহত
হয়া তারা বহু ধন-সম্পদ হস্তণত করে ৷

এদিকে মারওয়ানের পক্ষে ইরাকের গভর্নর ইয়াষীদ ইবন উমর ইবন হুবায়রা নাসরের
সহখোগিার জন্যে একদল সৈন্য প্রেরণ করে ৷ যুল্হাজ্জা মাসের ওর৩তে তারা কাহতাবার
সৈন্যের মুখোমুখি হয় ৷ সেদিন ছিল জুমুআবা র ৷ উভয় দলে যুদ্ধ হয়, প্রচণ্ড যুদ্ধা উমাইয়া বাহিনী
পরাজিত হয়া সিরীয় এবং অন্যান্য সৈন্য মিলে প্রায় দশ হাজার সৈন্য নিহত হয় ৷ নিহতদের মধ্যে
জুরজানের গভর্নর নুবাতাহ্ ইবন হানযালাও ছিলা সেনাপতি কাহতাবা নুবাতাহ্ এর খণ্ডিত মস্তক
প্ররণ করে আবু মুসলিমের নিকটা

০০াা

[سَنَةُ ثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِي يَوْمِ الْخَمِيسِ لِتِسْعٍ خَلَوْنَ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى مِنْهَا دَخَلَ أَبُو مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيُّ مَدِينَةَ مَرْوَ وَنَزَلَ دَارَ الْإِمَارَةِ بِهَا، وَانْتَزَعَهَا مِنْ يَدِ نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ، وَذَلِكَ بِمُسَاعَدَةِ عَلِيِّ بْنِ الْكَرْمَانِيِّ وَهَرَبَ نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ فِي شِرْذِمَةٍ قَلِيلَةٍ مِنَ النَّاسِ نَحْوٌ مَنْ ثَلَاثَةِ آلَافٍ، وَمَعَهُ امْرَأَتُهُ الْمَرْزُبَانَةُ ثُمَّ عَجَّلَ الْهَرَبَ حَتَّى لَحِقَ بِسَرْخَسَ وَتَرَكَ امْرَأَتَهُ وَرَاءَهُ، وَنَجَا بِنَفْسِهِ، وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُ أَبِي مُسْلِمٍ بِخُرَاسَانَ جَدًّا، وَالْتَفَّتْ عَلَيْهِ الطَّوَائِفُ مِنَ النَّاسِ، وَجَمَاعَةٌ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ. [مَقْتَلُ شَيْبَانَ بْنِ سَلَمَةَ الْحَرُورِيِّ] وَلَمَّا هَرَبَ نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ بَقِيَ شَيْبَانُ الْحَرُورِيُّ وَكَانَ مُمَالِئًا لَهُ عَلَى أَبِي مُسْلِمٍ فَبَعَثَ إِلَيْهِ أَبُو مُسْلِمٍ رُسُلًا، فَحَبَسَهُمْ شَيْبَانُ فَأَرْسَلَ أَبُو مُسْلِمٍ إِلَى بَسَّامِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ مَوْلَى بَنِي لَيْثٍ يَأْمُرُهُ أَنْ يَرْكَبَ إِلَى شَيْبَانَ فَيُقَاتِلُهُ، فَسَارَ إِلَيْهِ، فَاقْتَتَلَا، فَهَزَمَهُ بِسَّامٌ وَقَتَلَهُ، وَاتَّبَعَ أَصْحَابَهُ يَقْتُلُهُمْ وَيَأْسِرُهُمْ. ثُمَّ قَتَلَ أَبُو مُسْلِمٍ عَلِيًّا، وَعُثْمَانَ ابْنَيِ الْكَرْمَانِيِّ، وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ أَبَا مُسْلِمٍ كَانَ وَجَّهَ مُوسَى بْنَ كَعْبٍ إِلَى أَبِيوَرْدَ فَافْتَتَحَهَا وَكَتَبَ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ يُعْلِمُهُ بِذَلِكَ، وَوَجَّهَ أَبُو مُسْلِمٍ أَبَا دَاوُدَ إِلَى بَلْخَ، فَأَخَذَهَا مِنْ زِيَادِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقُشَيْرِيِّ فَجَمَعَ زِيَادٌ خَلْقًا مِنَ
পৃষ্ঠা - ৭৮৫২
الْجُنُودِ مِنْ أَهْلِ تِلْكَ النَّاحِيَةِ لِقِتَالِ الْمُسَوِّدَةِ، فَنَهَضَ إِلَيْهِمْ أَبُو دَاوُدَ فَقَتَلَهُمْ حَتَّى كَسَرَهُمْ وَاسْتَبَاحَ مُعَسْكَرَهُمْ وَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا، وَاصْطَفَى مِنْهُمْ أَمْوَالًا جَزِيلَةً، وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ هُنَالِكَ، ثُمَّ وَقَعَتْ كَائِنَةٌ اقْتَضَتْ أَنِ اتَّفَقَ رَأْيُ أَبِي مُسْلِمٍ مَعَ أَبِي دَاوُدَ عَلَى قَتْلِ عُثْمَانَ بْنِ الْكَرْمَانِيِّ فِي يَوْمِ كَذَا وَكَذَا، وَفِي ذَلِكَ الْيَوْمِ بِعَيْنِهِ يَقْتُلُ أَبُو مُسْلِمٍ عَلِيَّ بْنَ جُدَيْعٍ الْكَرْمَانِيَّ فَوَقَعَ ذَلِكَ كَذَلِكَ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تَوَجَّهَ قَحْطَبَةُ بْنُ شَبِيبٍ إِلَى نَيْسَابُورَ لِقِتَالِ نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ، وَمَعَ قَحْطَبَةَ جَمَاعَةٌ مِنْ كُبَرَاءِ الْأُمَرَاءِ، مِنْهُمْ خَالِدُ بْنُ بَرْمَكَ وَخَلْقٌ مِنْهُمْ، فَالْتَقَوْا مَعَ تَمِيمِ بْنِ نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ، وَقَدْ وَجَّهَهُ أَبُوهُ لِقِتَالِهِمْ بِطُوسَ فَقَتَلَ قَحْطَبَةُ مِنْ أَصْحَابِ نَصْرٍ نَحْوًا مِنْ سَبْعَةَ عَشَرَ أَلْفًا فِي الْمَعْرَكَةِ، وَقَدْ كَانَ أَبُو مُسْلِمٍ بَعَثَ إِلَى قَحْطَبَةَ مَدَدًا فِي عَشَرَةِ آلَافِ فَارِسٍ عَلَيْهِمْ عَلِيُّ بْنُ مَعْقِلٍ وَلَمَّا الْتَقَوْا قَتَلُوا مِنْ أَصْحَابِ نَصْرٍ خَلْقًا، وَقَتَلُوا تَمِيمَ بْنَ نَصْرٍ وَغَنِمُوا أَمْوَالًا جَزِيلَةً جِدًّا، ثُمَّ إِنَّ يَزِيدَ بْنَ عُمَرَ بْنِ هُبَيْرَةَ نَائِبَ مَرْوَانَ عَلَى الْعِرَاقِ بَعَثَ سَرِيَّةً مَدَدًا لِنَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ عَلَى أَبِي مُسْلِمٍ، فَأَرْسَلَ أَبُو مُسْلِمٍ مِنْ جِهَتِهِ قَحْطَبَةَ بْنَ شَبِيبٍ، فَالْتَقَى مَعَهُمْ فِي مُسْتَهَلِّ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ بِجُرْجَانَ وَذَلِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فَقَامَ قَحْطَبَةُ فِي النَّاسِ خَطِيبًا، فَحَثَّهُمْ عَلَى الْجِهَادِ وَالْقِتَالِ وَذَمَّرَهُمْ وَأَمَرَهُمْ بِالْمُصَابَرَةِ، وَوَعَدَهُمْ عَنِ الْإِمَامِ أَنَّهُمْ يُنْصَرُونَ فِي هَذَا الْيَوْمِ، فَقَاتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَانْهَزَمَ جُنْدُ بَنِي أُمَيَّةَ وَقُتِلَ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ وَغَيْرِهِمْ عَشَرَةُ آلَافٍ، مِنْهُمْ أَمِيرُ الْمَدَدِ نُبَاتَةُ بْنُ حَنْظَلَةَ عَامِلُ جُرْجَانَ وَرَسَاتِيقِهَا لِابْنِ هُبَيْرَةَ فَبَعَثَ قَحْطَبَةُ بِرَأْسِهِ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ.
পৃষ্ঠা - ৭৮৫৩


আবু হাময৷ খারিজীর পবিত্র মদীনায় প্রবেশ এবং সেখানে তার কর্তৃতুপ্ৰতিষ্ঠ৷

ইবন জারীর বলেন, এই হিজরী সনে কাদীছ নামক স্থানে আবু হাময৷ খারিজী ও পবিত্র
মদীনারাসিগণের মধ্যে এক তীব্র যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ এই যুদ্ধে সে পবিত্র মদীনা অবন্থানকাবী বহু
কুরায়শী লোককে হত্যা করে ৷ এরপর সে পবিত্র মদীনায় প্রবেশ করে ৷ তার আগমন সংবাদ
পেয়ে পবিত্র মদীনায় নিযুক্ত উমাইয়৷ শাসক আবদুল ওয়াহিদ ইবন সুলায়মান পালিয়ে যায় ৷ খারিজী
নেতা আবুহামযা তখন পবিত্র মদীনার বহু লোককে হত্যা করে ৷ এ ঘটনা ঘটেছিল এই হিজরী
সন অর্থাৎ ১৩০ হিজবী সনের সফর মাসের বিশ তারিখে ৷

আবুহামযা খারিজী পবিত্র মদীনা শরীফে প্রবেশ করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মিম্বরে আরোহণ
করে এবং ভাষণ দেয় ৷ সে পবিত্র মদীনাবাসিপণকে তিরস্কার ও ভীতি প্ৰদশ্নি করে ৷ সে বলে হে
মদীনাবাসিপণ ! হিশাম ইবন আবদুল মালিকের শাসনামলে আমি ওে ৷মাদের নিকট এসেছিলাম ৷
তোমাদের বাগানগুলোভৈত তখন মড়ক লেগেছিল ৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফলগুলাে বিনষ্ট হয়েছিল ৷
তখন তোমরা খলীফার নিকট নিবেদন করেছিলে ফলের যাকাত ক্ষমা করে দিতে , খলীফা তাই
করেছিল ৷ ফলে তোমাদের ধনীপণ আরো ধনী হয়েছিল ৷ গরীব আরো পরীব হয়েছিল ৷ তোমরা
খুশী হয়ে খলীফার জন্যে দুআ করে বলেছিলে “আল্লাহ আপনাকে ভাল প্রতিদান দিন ৷” কিন্তু
আল্লাহ তাকে ভাল প্ৰতিদান দেননি ৷ এরকম আরো বহু কথা আবুহামযা তার ভাষণে রলেছিল ৷

এইবারে যে তিন মাস পবিত্র মদীনায় অবস্থান করেছিল ৷ সফর মাসের বাকী দিনগুলাে,
রবিউল আউয়াল ,রবীউস সানী এবং জুমাদ ল উলা মাসের প্রথম কয়েক দিন ছিল সে পবিত্র
মদীনা ৷য় ৷ ওয়া ৷কিদী ও অন্যান্যরা৩ ৷ই বলেছেন ৷

মাদাইনী উল্লেখ করেছেন যে, একদিন আবুহামযা খারিজী রাসুলুল্লাহ (সা ) এর মিম্বরে উঠে
বসে ৷ তারপর বলে, হে মদীনাবাসিপণ ! তোমাদের জানা আছে যে, আমরা কোন অজ্ঞতার
কারণে কিৎব৷ অহংকারের কারণে নিজেদের দেশ ছেড়ে আসিনি ৷ কিৎর৷ জাহান্নামের ইন্ধন হবে
এমন কোন ধন-দৌলত ও রাজতু অর্জনের উদ্দেশ্যেও আমরা আসিনি ৷ আমাদের বাসস্থান থেকে
আমরা এজন্যে বেরিয়ে এসেছি যে, আমরা সতোর আলোকে নিভু নিভু দেখেছি ৷ আমরা এও
দেখেছি যে, সত্যের ঘোষণা দানকারী দুর্বল হয়ে পড়েছে ৷ ইনসাফ ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাকারীর
মৃত্যু হয়েছে ৷ এসব দেখার পর পৃথিবী বিন্তুত থাকা সত্বেও সেটি আমাদের জন্যে সংকুচিত হয়ে
উঠেছে ৷ এ পর্যায়ে আমরা শুনতে পেলাম যে, আনক আহ্বানকারী দয়াময় আল্লাহর আনুপত্যের
প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে ৷ আল্লাহর বিধানের দিকে ডাকছে ৷ তখন আমরা মহান ৩া৷ল্লাহ্র প্রতি
আহ্বানকাবীর আহ্বানে সাড়া দিয়েছি ৷ ( পুেণ্ ,;; ৰু,াপ্ এে ৷ ; ৷ ; ১ন্ ১৷ ;ঠুপ্রু
ষ্ণ্ টুৰু৷ ৷ আল্লাহর প্রেরিত আহ্বানকারীর ডাকে যে সাড়া দিয়ে না সে পৃথিবীতে কাউকে অক্ষম
করতে পারবে না ৷ সুরা আহকাফ ? ৩২) ৷ আমরা বিভিন্ন গোত্র থেকে এসে একত্র হয়েছি ৷
আমরা প্রাত্যকে একই উটের সওয়ারী ৷ একই পথের পথিক ৷ নিজের পখ-খরচ নিজের
যিম্মাদারীতে ৩৷ সকলে একই চাদরে দেহ আবৃত্তকারী ৷ আমরা সং খ্যায় কম ৷ পৃথিবীতে দুর্বল
ছিলাম ৷ মহান তা ৷ল্লাহ্ আমাদেরকে শক্তি দিয়েছেন ৷ আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন ৷ আমাদেরকে
সাহায্য করেছেন ৷ আল্লাহর কসম ! তার অনুগ্নহে আমরা সকলে তাই ভাই হয়ে গিয়েছি ৷


[ذِكْرُ دُخُولِ أَبِي حَمْزَةَ الْخَارِجِيِّ الْمَدِينَةَ النَّبَوِيَّةَ وَاسْتِيلَائِهِ عَلَيْهَا مُدَّةَ ثَلَاثَةِ أَشْهُرٍ حَتَّى ارْتَحَلَ مِنْهَا] قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ كَانَتْ وَقْعَةٌ بِقُدَيْدٍ مِنْ أَرْضِ الْحِجَازِ بَيْنَ أَبِي حَمْزَةَ الْخَارِجِيِّ - الَّذِي كَانَ حَكَمَ فِي أَيَّامِ الْمَوْسِمِ - وَبَيْنَ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَقَتَلَ الْخَارِجِيُّ خَلْقًا كَثِيرًا مِنْ قُرَيْشٍ وَغَيْرِهِمْ، ثُمَّ دَخَلَ الْخَارِجِيُّ الْمَدِينَةَ وَهَرَبَ نَائِبُهَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ سُلَيْمَانَ فَقَتَلَ الْخَارِجِيُّ مِنْ أَهْلِهَا خَلْقًا، وَذَلِكَ لِتِسْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مَنْ صَفَرٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَقَدْ خَطَبَ الْخَارِجِيُّ أَهْلَ الْمَدِينَةِ 72 عَلَى الْمِنْبَرِ النَّبَوِيِّ فَوَبَّخَهُمْ وَأَنَّبَهُمْ، وَكَانَ فِيمَا وَبَّخَهُمْ بِهِ أَنْ قَالَ: يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ، إِنِّي مَرَرْتُ بِكُمْ أَيَّامَ الْأَحْوَلِ - يَعْنِي هِشَامَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ - وَقَدْ أَصَابَتْكُمْ عَاهَةٌ فِي ثِمَارِكُمْ، فَكَتَبْتُمْ إِلَيْهِ تَسْأَلُونَهُ أَنْ يَضَعَ الْخَرْصَ عَنْ ثِمَارِكُمْ، فَوَضَعَهُ عَنْكُمْ، فَزَادَ غَنِيَّكُمْ غِنًى، وَزَادَ فَقِيرَكُمْ فَقْرًا، فَكَتَبْتُمْ إِلَيْهِ: جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا. فَلَا جَزَاهُ اللَّهُ خَيْرًا. فِي كَلَامٍ طَوِيلٍ غَيْرِ هَذَا، وَقَدْ أَقَامَ أَبُو حَمْزَةَ ثَلَاثَةَ أَشْهُرٍ ; بَقِيَّةَ صَفَرٍ وَشَهْرَيْ رَبِيعٍ وَبَعْضَ جُمَادَى الْأُولَى فِيمَا قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَقَدْ رَوَى الْمَدَائِنِيُّ أَنَّ أَبَا حَمْزَةَ رَقِيَ يَوْمًا مِنْبَرَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: تَعْلَمُونَ يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ أَنَّا لَمْ نَخْرُجْ مِنْ دِيَارِنَا وَأَمْوَالِنَا أَشَرًا وَلَا بَطَرًا وَلَا عَبَثًا، وَلَا لِدَوْلَةِ مُلْكٍ نُرِيدُ أَنْ نَخُوضَ فِيهِ، وَلَا لِثَأْرٍ قَدِيمٍ نِيلَ مِنَّا،
পৃষ্ঠা - ৭৮৫৪


এরপর আপনাদের কতক লোকের সাথে আমাদের দেখা হল কাদীদ অঞ্চলে ৷ আমরা
তাদেরকে আল্লাহর আনুগত্য এবং কুরআনী বিধানের দাওয়াত দিলাম ৷ তারা আমাদেরকে
শয়তানের আনুগত্য ও মারওয়ান বংশীয়দের বিধান গ্রহণের আহ্বান জানাল ৷ আল্লাহর কসম ৷
হিদায়াত ও পােমরাহীর মধ্যে, সত্য ভ্রান্তির মধ্যে কতইন৷ ব্যবধান দুরত্ব ৷

এরপর তারা আমাদের দিকে দ্রুত এগিয়ে এল ৷ বস্তুত শয়তান তাদের উপর প্রভাব সৃষ্টি
করেছে, তাদের রক্তে তা র পা পুভিজিয়েছে ৷ শয়তান তাদের ব্যাপারে নিজের লক্ষ্য অর্জন করেছে ৷
ফলে, তারা তার পদা ৎক অনুসরণ করেছে ৷

অন্যদিকে আল্লাহর সাহায্যকারী লোকজন দলে দলে অগ্রসর হয় ৷ তাদের হাতে তীক্ষ্ণধার
চকচকে তরবারি ৷ আমাদের র্ষাতাও ঘুরল ৷ ওদের র্ষাতাও যুরল ৷ যুদ্ধ শুরু হল ৷ প্রচণ্ড যুদ্ধ ৷
তাতে বাতিলপন্থিণণ দিশেহারা হয়ে পড়ল ৷ ওহে মদীনাবাসিণণ ! আপনারা যদি মারওয়ান
বাহিনীকে সাহায্য করেন মহান আল্লাহ্৩ তার বিশেষ আমার দ্বারা কিৎব৷ আমাদের মাধ্যমে
আপনাদেরকে ধ্বংস করে দিবেন এবং তিনি ঈমানদারদের অন্তরে শাস্তি দা ন করবেন ৷ ওহে
মদীনাবাসিণণ ! আপনাদের পুর্ব প্রজন্ম অতিশয় ভাল মানুষ ছিলেন ৷ আপনাদের পরবর্তী প্রজন্ম
অতিশয় মন্দ প্রজন্ম ৷ হে মদীনায় অধিবাসীবৃন্দ ! আমরা জনসাধারণের জন্যে আর জনসাধারণ
আমাদের জন্যে ৷ কিন্তু মুর্তিপুজারী মুশরিক ও কিতাব ধারী কাফির প ণ ব্যতীত ৷ য়ালিম প্রশাসকও
ব্যতিক্রম ৷

হে মদীনাবাসিণণ ! মহা ন আল্লাহ কা ৷উকে৩ তার ৷সামর্থোর অতিরি ওন্ বো ৷ঝা চা ৷পিয়ে দেন অথবা
তিনি যা দেননি তা নিতে চান এমন ধারণা যে পোষণ করে সে আল্লাহর দুশমন ৷ আমরা তার
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷ হে মদীনাবাসিগণ মহা ণ আল্লাহ দুর্বল-সরল সকলের উপর যে আ ৷ট প্রকারের
দাবী ধার্য করেছেন সেগুলো আপনারা আমাকে জানিয়ে দিন ৷ এরপর নবম অংশ দাবীকারী
একজনের আবির্ভাব ঘটেছে ৷ সে ওই আট প্রকারের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং সে ওই অৎশের প্রাপকও
নয় ৷ মহান আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ ও অহমিকা বশে সে এরুপ দাবী করছে ৷

ওহে মদীনারাসিণণ! আমি শুনেছি যে, আমার সাথীদেরকে আপনারা এই বলে তাচ্ছিল্য
করেন যে, ওরা অল্প বয়স্ক যুবক, রুক্ষ মেযাজের বেদুঈন ৷ ৷ধক আ পনাদেরকে, বলুন তো
রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাহাবীণণ কি অল্প বয়স্ক যুবক ব্যতীত অন্য কিছু ছিলেন ? বস্তুত তারা যুবক
ছিলেন, যুবক হওয়া সত্বেও মন্দ দৃশ্য থেকে দৃষ্টি অবনত করে অসতা পথ থেকে যাত্রারোধ করে ,
তারা বয়স্ক মানুষের মত চলতেন ৷ তারা নিজেরদেরকে মহান আল্লাহ্র নিকট বিক্রি করে
দিয়েছিলেন ৷ তারা শহীদ হয়েছেন এমন প্রাণের বিনিময়ে যা মৃ৩ ট্রুঞ্জয়ী ৷৩ তারা ছিলেন কড়া ধে কাধ
মিলানে৷ সাবিবদ্ধ ৷ তারা রাতে ইবাদত করতেন ৷ দিনে রােয৷ রাখতেন ৷ পবিত্র কুরআন
তিলাওয়াতে তারা ঝুকে পড়তে ন ৷ পবিত্র কুরআনে বর্ণিত ভয় বিষয়ক আয়াত তিলাওয়াতের সময়
তারা জাহান্নামের ভয়ে অস্থির হয়ে পড়তেন ৷ আর জ৷ ন্নাত লাভের প্রত্যাশা বিষয়ক আয়াত
তিলাওয়াতের সময় আশায় উদ্বেলিত হয়ে উঠতেন ৷ খাপ খোলা তলোয়ার যখন তাদের নজরে
পড়ত, তাক করা বর্শা যখন তারা দেখতেন, পুর্ণ প্রস্তুত তীর এবংমৃত্যু বাশীত্তে কম্পমান সেনাদল
যখন তাদের দৃষ্টিগােচর হত তখন পবিত্র কুরআনে বর্ণিত শাস্তির ভরের মুকাবিলায় শত্রু সৈন্যের
ভয়কে তারা নিতাত তুচ্ছ মনে করতেন ৷ শত্রু ভয়কে প্রাধান্য দিয়ে মহান আল্লাহর ভয়কে হালকা


وَلَكِنَّا لَمَّا رَأَيْنَا مَصَابِيحَ الْحَقِّ قَدْ عُطِّلَتْ، وَضَعُفَ الْقَائِلُ بِالْحَقِّ، وَقُتِلَ الْقَائِمُ بِالْقِسْطِ، ضَاقَتْ عَلَيْنَا الْأَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ، وَسَمِعْنَا دَاعِيًا يَدْعُو إِلَى طَاعَةِ الرَّحْمَنِ وَحُكْمِ الْقُرْآنِ، فَأَجَبْنَا دَاعِيَ اللَّهِ، {وَمَنْ لَا يُجِبْ دَاعِيَ اللَّهِ فَلَيْسَ بِمُعْجِزٍ فِي الْأَرْضِ} [الأحقاف: 32] . أَقْبَلْنَا مِنْ قَبَائِلَ شَتَّى، النَّفَرُ مِنَّا عَلَى بَعِيرٍ وَاحِدٍ عَلَيْهِ زَادُهُمْ وَأَنْفُسُهُمْ، يَتَعَاوَرُونَ لِحَافًا وَاحِدًا. قَلِيلُونَ مُسْتَضْعَفُونَ فِي الْأَرْضِ، فَآوَانَا اللَّهُ وَأَيَّدَنَا بِنْصِرِهِ، فَأَصْبَحْنَا وَاللَّهِ بِنِعْمَةِ اللَّهِ إِخْوَانًا، ثُمَّ لَقِينَا رِجَالَكُمْ بِقُدَيْدٍ، فَدَعَوْنَاهُمْ إِلَى طَاعَةِ الرَّحْمَنِ وَحُكْمِ الْقُرْآنِ، وَدَعَوْنَا إِلَى طَاعَةِ الشَّيْطَانِ وَحُكْمِ آلِ مَرْوَانَ فَشَتَّانَ لَعَمْرُ اللَّهِ مَا بَيْنَ الْغَيِّ وَالرُّشْدِ. ثُمَّ أَقْبَلُوا نَحْوَنَا يَهْرَعُونَ يَزِفُّونَ قَدْ ضَرَبَ الشَّيْطَانُ فِيهِمْ بِجِرَانِهِ، وَغَلَتْ بِدِمَائِهِمْ مَرَاجِلُهُ، وَصَدَّقَ عَلَيْهِمْ ظَنَّهُ، وَأَقْبَلَ أَنْصَارُ اللَّهِ عَصَائِبَ وَكَتَائِبَ، بِكُلِّ مُهَنَّدٍ ذِي رَوْنَقٍ، فَدَارَتْ رَحَانَا وَاسْتَدَارَتْ رَحَاهُمْ، بِضَرْبٍ يَرْتَابُ مِنْهُ الْمُبْطِلُونَ، وَأَنْتُمْ يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ، إِنْ تَنْصُرُوا مَرْوَانَ يُسْحِتَكُمُ اللَّهُ بِعَذَابٍ مِنْ عِنْدِهِ أَوْ بِأَيْدِينَا، وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ، يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ، أَوَّلُكُمْ خَيْرُ أَوَّلٍ، وَآخِرُكُمْ شَرُّ آخَرٍ. يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ، النَّاسُ مِنَّا وَنَحْنُ مِنْهُمْ، إِلَّا مُشْرِكًا عَابِدَ وَثَنٍ، أَوْ كَافِرَ أَهْلِ الْكِتَابِ، أَوْ إِمَامًا جَائِرًا. يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ، مَنْ زَعَمَ أَنَّ اللَّهَ كَلَّفَ نَفَسًا فَوْقَ طَاقَتِهَا، أَوْ سَأَلَهَا مَا لَمْ يُؤْتِهَا، فَهُوَ لِلَّهِ عَدُوٌّ، وَلَنَا حَرْبٌ. يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ، أَخْبِرُونِي عَنْ ثَمَانِيَةِ أَسْهُمٍ فَرَضَهَا اللَّهُ فِي كِتَابِهِ عَلَى الْقَوِيِّ وَالضَّعِيفِ، فَجَاءَ تَاسِعٌ لَيْسَ لَهُ مِنْهَا وَلَا سَهْمٌ وَاحِدٌ، فَأَخَذَهَا لِنَفْسِهِ، مُكَابِرًا مُحَارِبًا لِرَبِّهِ. يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ، بَلَغَنِي أَنَّكُمْ تَنْتَقِصُونَ أَصْحَابِي ; قُلْتُمْ: شَبَابٌ أَحْدَاثٌ، وَأَعْرَابٌ جُفَاةٌ. وَيْحَكُمْ! يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ، وَهَلْ كَانَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا شَبَابًا أَحْدَاثًا؟ ! شَبَابٌ وَاللَّهِ مُكْتَهِلُونَ فِي شَبَابِهِمْ،
পৃষ্ঠা - ৭৮৫৫
غَضَّةٌ عَنِ الشَّرِّ أَعْيُنُهُمْ، ثَقِيلَةٌ عَنِ الْبَاطِلِ أَقْدَامُهُمْ، قَدْ بَاعُوا لِلَّهِ أَنْفُسًا تَمُوتُ بِأَنْفُسٍ لَا تَمُوتُ، قَدْ خَالَطُوا كَلَالَهُمْ بِكَلَالِهِمْ، وَقِيَامَ لَيْلِهِمْ بِصِيَامِ نَهَارِهِمْ، مُنْحَنِيَةٌ أَصْلَابُهُمْ عَلَى أَجْزَاءِ الْقُرْآنِ، كُلَّمَا مَرُّوا بِآيَةِ خَوْفٍ شَهَقُوا ; خَوْفًا مِنَ النَّارِ، وَإِذَا مَرُّوا بِآيَةِ شَوْقٍ شَهَقُوا ; شَوْقًا إِلَى الْجَنَّةِ، فَلَمَّا نَظَرُوا إِلَى السُّيُوفِ قَدِ انْتُضِيَتْ، وَإِلَى الرِّمَاحِ قَدْ شُرِعَتْ، وَإِلَى السِّهَامِ قَدْ فُوِّقَتْ، وَأُرْعِدَتِ الْكَتِيبَةُ بِصَوَاعِقَ الْمَوْتِ، اسْتَخَفُّوا وَعِيدَ الْكَتِيبَةِ لِوَعِيدِ اللَّهِ، وَلَمْ يَسْتَخِفُّوا وَعِيدَ اللَّهِ لِوَعِيدِ الْكَتِيبَةِ، فَطُوبَى لَهُمْ وَحُسْنُ مَآبٍ، فَكَمْ مِنْ عَيْنٍ فِي مِنْقَارِ طَائِرٍ طَالَمَا فَاضَتْ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ مِنْ خَوْفِ اللَّهِ تَعَالَى، وَكَمْ مِنْ يَدٍ زَالَتْ عَنْ مَفْصِلِهَا طَالَمَا اعْتَمَدَ بِهَا صَاحِبُهَا فِي طَاعَةِ اللَّهِ. أَقُولُ قَوْلِي هَذَا، وَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ مِنْ تَقْصِيرِنَا، وَمَا تَوْفِيقِي إِلَّا بِاللَّهِ، عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْهِ أُنِيبُ. ثُمَّ رَوَى الْمَدَائِنِيُّ عَنِ الْعَبَّاسِ، عَنْ هَارُونَ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: كَانَ أَبُو حَمْزَةَ الْخَارِجِيُّ قَدْ أَحْسَنَ السِّيرَةَ فِي أَهْلِ الْمَدِينَةِ حَتَّى اسْتَمَالَ النَّاسَ حِينَ سَمِعُوهُ عَلَى مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَقُولُ: بَرِحَ الْخَفَاءُ أَيْنَ مَا بِكَ يَذْهَبُ؟ ! مَنْ زَنَى فَهُوَ كَافِرٌ، وَمَنْ سَرَقَ فَهُوَ كَافِرٌ. فَأَبْغَضَهُ النَّاسُ، وَرَجَعُوا عَنْ مَحَبَّتِهِ. وَأَقَامَ بِالْمَدِينَةِ حَتَّى بَعَثَ مَرْوَانُ الْحِمَارُ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ عَطِيَّةَ أَحَدَ بَنِي سَعْدٍ فِي خُيُولِ أَهْلِ الشَّامِ أَرْبَعَةِ آلَافٍ، قَدِ انْتَخَبَهَا مِنْ جَيْشِهِ، وَأَعْطَى كُلَّ رَجُلٍ مِنْهُمْ مِائَةَ
পৃষ্ঠা - ৭৮৫৬


মনে করতেন তা নয় ৷ কাজেই সুসংরাদ ও উত্তম পরিণতি তাদের জন্যে ৷৩ তারা এমন ছিলেন
যে, বহু চক্ষু মধ্য রাতে মহান আল্লাহর ভয়ে অশ্রু বিসর্জ্য৷ দিত ৷ রাতের দীর্ঘক্ষণ মহান আল্লাহর
ভয়ে কেদে কেদে কাটাত ৷ মহান আল্লাহর পথে জিহাদে মহান আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে
প্রতিরোধ সৃষ্টিতে বহু হাত তার জোড়া ও সংযোগস্থল হষ্ঠে খসে পড়েছে এবং বহু হাতওয়ালা
মহান আল্লাহর ইবাদভ্রু৩ ওই হাত মাটিতে ঠেকিয়েছে ৷ আমি এসব বলছি এবং আমার
অযোগ্যতার জন্যে মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি ৷ মহান আল্লাহর দেওয়া ক্ষমতা ছাড়া
আমার কোন ক্ষমতা নেই ৷

এরপর মাদাইনী বর্ণনা করেছেন আব্বাস সুত্রে হারুনের মাধ্যমে তার দাদা হতে ৷ তিনি
বলেছেন, আবু হাময৷ খাবিজী পবিত্র মদীনাবাসীদেব নিকট একজন সৎ চবিত্রবান ও ভাল
মানৃষরুপে গ্রহণযোগ্যতা পায় ৷ তারা তার প্রতি ৰু আকৃষ্ট হয় ৷ এক পর্যায়ে তারা শুনতে পায় যে, সে
রলছিল গোপনীয়তা ফীস হয়ে গিয়েছে, আমরা আপনার দরবার ছেড়ে কোথায় যাচ্ছি ? এরপর
সে বলল, প্ যে ব্যক্তি যেন৷ করবে সে কাফির হয়ে যাবে ৷ যে চুরি করবে সেকাফির হয়ে যাবে ৷ এ
বক্তব্য শোনার পর তারা তাকে ঘৃণা করতে শুরু করে এবং তার ভালবাসা ছেড়ে আসতে থাকে ৷
আবুহাময৷ পবিত্র মদীনায় বসবাস করছিল ৷ একদিন কেদ্রীয় খলীফা মারওয়ান আল-হিমার তার
বিরুদ্ধে আবদুল মালিককে প্রেরণ করে চারহাজা ৷র সিরীয় সৈন্য সহকারে ৷ এরা ছিল বহু সৈন্য
হতে নির্ব৷ ৷চন করা দক্ষ ও অভিজ্ঞ সেনাদল ৷ প্ররু৩ ত্যক সৈন্যকে সে ১০০ স্বর্ণমুদ্রা, একটি আ রাবী
ঘোড়া, মালবাহী একটি খচ্চর দিয়ে নির্দেশ করেছিল যে, তারা আবু হামযার বিরুদ্ধে প্রাণপণ
লড়াই করবে এরং তাকে শেষ না করে ফিরে আসবে না ৷ প্রয়োজনে তার খোজে৩ ৷র৷ ইয়ামান
পর্যন্ত যাবে ৷ তারা যেন রাজধানী সানাআর গভর্নরের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করে ৷ তখন গভর্নর ছিল
আবদুল্লাহ ইবন ইয়াহ্ইয়া ৷ খলীফার নির্দেশে সেনাপতি ৩আবদুল মালিক ইবন মুহাম্মদ ইবন
আতিয়্যা যাত্রা করে ৷ সে ওয়াদী আল-কুরা এসে পৌছে ৷ সেখানে সে আবুহামযার মুখোমুখি
হয় ৷ আবুহাময৷ যাচ্ছিল লিবিয়ার উদ্দেশ্যে মারওয়ানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে ৷ ওখানে রাত
পর্যন্ত তারা যুদ্ধ চা ৷লিয়েছিল ৷

তারপর আবু হাময৷ খ ৷বিজী বলল, ধিক তোমার জন্যে হেইবন আতিয়্যা ! আল্লাহ তাআলা
তো রাতকে তৈরি করেছেন আরাম শান্তি ও বিশ্রামের জন্যে ৷ কাজেই, এখন আর যুদ্ধ নয়
আগামী কাল পর্যন্ত এটি মুলত তবী রাখ ৷ কিন্তু ইবন আ ৷তিয়্যা যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাবপ্রত্যাথ্যান করে ৷
ফলে অবিরাম যুদ্ধ চলছিল ৷ শেষ পর্যন্ত ইবন আ ৷তিয়্যার বাহিনী খারিজীদেরকে পরাজিত করে ৷
পরাজিত খাবিজীরা পবিত্র মদীনা শ্ ৷রীফে প্রবেশ করে ৷ পবিত্র মদীনার অধিবাসিগণ ৷ওদের প্ৰতি
মারমুখো হয়ে পড়ে এবং বহু খাবিজীকে তারা হত্যা করে ৷ ইবন আতিয়া৷ বিজয়ী যেশে পবিত্র
মদীনায় প্রবেশ করে ৷ ইতিমধ্যে খ৷ বিজীরা পবিত্র মদীনা ছেড়ে চলে যায় ৷

কথিত আছে যে, ইবন আতিয়্যা প্রায় একমাস পবিত্র মদীনায় অবস্থান করেছিল ৷ পরে তার
পক্ষে একজনকে নায়েব বানিয়ে সে অন্যত্র চলে যায় ৷ এরপর সে পবিত্র মক্কায় প্রতিনিধি
মনোনীত করে হৃদয় ৷ সে ইয়ামানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ সানাআর শাসনকর্তা আবদুল্লাহ্ ইবন
ইয়াহ্ইয়া তার গতিরোধ করে ৷ উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ ইবন আতিয়া৷ আবদুল্লাহ্কে
পরাজিত ও হত্যা করে ৷ তার মাথা পাঠিয়ে দেয় মারওয়ানের নিকট ৷


دِينَارٍ، وَفَرَسًا عَرَبِيَّةً وَبَغْلًا لِثِقَلِهِ، وَأَمَرَهُ أَنْ يُقَاتِلَهُ، وَلَوْ لَمْ يَلْحَقْهُ إِلَّا بِالْيَمَنِ فَلْيَتْبَعْهُ إِلَيْهَا، وَلِيُقَاتِلْ نَائِبَ صَنْعَاءَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَحْيَى فَسَارَ ابْنُ عَطِيَّةَ حَتَّى بَلَغَ وَادِيَ الْقُرَى فَتَلْقَّاهُ أَبُو حَمْزَةَ الْخَارِجِيُّ قَاصِدًا مَرْوَانَ فَاقْتَتَلُوا هُنَالِكَ إِلَى اللَّيْلِ، فَقَالُوا: وَيْحَكَ يَا ابْنَ عَطِيَّةَ! إِنَّ اللَّهَ قَدْ جَعَلَ اللَّيْلَ سَكَنًا. فَأَبَى أَنْ يُقْلِعَ عَنِ الْقِتَالِ، وَمَا زَالَ يُقَاتِلُهُمْ حَتَّى غَلَبَهُمْ وَكَسَرَهُمْ وَرَجَعَ فَلُّهُمْ إِلَى الْمَدِينَةِ فَنَهَضَ إِلَيْهِمْ أَهْلُ الْمَدِينَةِ فَقَتَلُوا مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَدَخَلَ ابْنُ عَطِيَّةَ الْمَدِينَةَ وَقَدِ انْهَزَمَ جَيْشُ أَبِي حَمْزَةَ عَنْهَا، فَيُقَالُ: إِنَّهُ أَقَامَ بِهَا شَهْرًا، ثُمَّ سَارَ إِلَى مَكَّةَ وَقَدِ اسْتَخْلَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ، ثُمَّ اسْتَخْلَفَ عَلَى مَكَّةَ، وَسَارَ إِلَى الْيَمَنِ فَخَرَجَ إِلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَحْيَى مِنْ صَنْعَاءَ، فَاقْتَتَلَا فَقَتَلَ ابْنُ عَطِيَّةَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَحْيَى وَبَعَثَ بِرَأْسِهِ إِلَى مَرْوَانَ وَجَاءَ كِتَابُ مَرْوَانَ إِلَيْهِ يَأْمُرُهُ بِعَجَلَةِ السَّيْرِ إِلَى مَكَّةَ لِيَحُجَّ بِالنَّاسِ عَامَهُ هَذَا، فَخَرَجَ مِنْ صَنْعَاءَ فِي اثْنَيْ عَشَرَ رَاكِبًا، وَتَرَكَ جَيْشَهُ بِصَنْعَاءَ، وَمَعَهُ خُرْجٌ فِيهِ أَرْبَعُونَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَلَمَّا كَانَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ نَزَلَ مَنْزِلًا هُنَالِكَ، إِذْ أَقْبَلَ إِلَيْهِ أَمِيرَانِ، يُقَالُ لَهُمَا: ابْنَا جُمَانَةَ. مِنْ سَادَاتِ تِلْكَ النَّاحِيَةِ، وَمَعَهُمَا طَائِفَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِمَا فَأَحْدَقُوا بِابْنِ عَطِيَّةِ وَأَصْحَابِهِ. فَقَالُوا: وَيْحَكُمْ! أَنْتُمْ لُصُوصٌ. فَقَالَ: وَيْحَكُمْ! هَذَا كِتَابُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ إِلَيَّ بِإِمْرَةِ الْحَجِّ فِي هَذَا الْعَامِ، فَنَحْنُ نُعَجِّلُ السَّيْرَ لِنَلْحَقَ الْمَوْسِمَ، وَأَنَا ابْنُ عَطِيَّةَ. فَقَالُوا: هَذَا بَاطِلٌ. ثُمَّ حَمَلُوا عَلَيْهِمْ، فَقَتَلُوا ابْنُ عَطِيَّةَ وَأَصْحَابَهُ، وَلَمْ يُفْلِتْ مِنْهُمْ إِلَّا رَجُلٌ وَاحِدٌ، وَأَخَذُوا مَا مَعَهُمْ مِنَ الْمَالِ.
পৃষ্ঠা - ৭৮৫৭
قَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ وَقَدْ جُعِلَتْ إِلَيْهِ إِمْرَةُ الْمَدِينَةِ وَمَكَّةَ وَالطَّائِفِ، وَنَائِبُ الْعِرَاقِ يَزِيدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ هُبَيْرَةَ وَإِمْرَةُ خُرَاسَانَ إِلَى نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ، غَيْرَ أَنَّ أَبَا مُسْلِمٍ قَدِ انْتَزَعَ مِنْهُ أَمَاكِنَ كَثِيرَةً مِنْ خُرَاسَانَ وَكُوَرًا وَرَسَاتِيقَ وَقَدْ أَرْسَلَ نَصْرٌ إِلَى ابْنِ هُبَيْرَةَ يَسْتَمِدُّهُ وَيَسْتَنْجِدُهُ وَيَطْلُبُ أَنْ يَمُدَّهُ مِنْ عِنْدِهِ بِعَشَرَةِ آلَافٍ قَبْلَ أَنْ لَا يَكْفِيَهُ مِائَةُ أَلْفٍ، وَكَتَبَ إِلَى مَرْوَانَ يَسْتَمِدُّهُ، فَكَتَبَ مَرْوَانُ إِلَى ابْنِ هُبَيْرَةَ يَمُدُّهُ بِمَا أَرَادَ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ شُعَيْبُ بْنُ الْحبْحَابِ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ رَفِيعٍ، وَكَعْبُ بْنُ عَلْقَمَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ.