ثم دخلت سنة تسع وعشرين ومائة
পৃষ্ঠা - ৭৮৩৯
৬৪ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া
এই হিজরী সনে অর্থাৎ ১২৮ হিজরী সনে মারওয়ান আল-হিমার ইয়াষীদ ইবন উমর ইবন
হুবায়রাকে ইরাকে পাঠিয়েছিলেন প্রশাসকরুপে এবং সেখানে অবন্থানকারী খাবিজিদেরকে হত্যা
করার জন্যে ৷
এই হিজরী সনে হজ্জ পালনে নে৩ তুতু দেন পবিত্র মক্কা, মদীনা ও তায়েরুফব প্রশাসক আবদুল
আষীয ইবন উমর ইবন আবদুল আষীয ৷ এই হিজরী সনে ইরাকের প্রশাসক পদে ছিল ইয়াষীদ
ইবন উমর ইবন হুবায়রা ৷ খুরাসানের প্রশাসক পদে ছিল নাসর ইবন সাইয়ার ৷
এই হিজরী সনে য়ারা ইনতিকাল করেছেন তাদের মধ্যে আছেন বাকর ইবন সাওয়াদাহ্ ৷
জাবির আল ,জুফী জা হম ইবন সাফওয়ান, প্রভা বশালী কর্মকর্তা হ ৷বিছ ইবন ছুরাইজ, আসিম ইবন
আবদা লাহ্, আবু ল্দো ইন উছমান ইবন আ সিম, ইয়া যীদ ইবন আবু হাবীব, আবুতা তাইয়াহ্ ইয়াষীদ
ইবন হামীদ, আবুহামযা না নাবা ঈ, আবু যুব য়র মর্কী, আবুইমরান জুনী, আবুকুবায়ল মাপা ফিরী ৷
আত তাকমীল গ্রন্থে আমরা তাদের জীবনী উল্লেখ করেছি ৷
১২৯ হিজরী সন
খাবিজী সংগঠক খায়বারী নিহত হবার পর এই হিজরী সনে শায়বান ইবন আবদুল আযীয
ইবন হালীম ইয়াশ কারীর নেতৃত্বে খাবিজীরা ঐক্যবদ্ধ হয় ৷ সুলায়মান ইবন হিশাম তাদেরকে
মুসেলে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ ও বসবাসের পরামর্শ দেন ৷ তারা সেখানে পমন করে এবং বসবাস
করতে যাকে ৷ খলীফা মারওয়ান তাদেরকে ধাওয়া করে এবং সেখানে তাদের উপর আক্রমণের
প্রস্তুতি নেয় ৷৩ তারা নগরীর চারিদিকে সশস্ত্র পাহারা বসায় এবং মারওয়ানের সৈন্যদের সম্মুখে
পবিখা খনন করে ৷ মারওয়ান নিজেও তার সৈন্যদের আত্মরক্ষায় পবিখা খনন করে ৷ দীর্ঘ এক
বছর ওই অবরোধ অব্যাহত রাখে ৷ এই সময়ে সকাল-সন্ধ্যা আক্রমণ প্রতি আক্রমণ চলছিল ৷
এক পর্যায়ে সুলায়মান ইবন হিশামের এক ভাতিজাকে আটক করতে সক্ষম হয় মাবওয়ান ৷
আটককৃত ব্যক্তির নাম ছিল উমাইয়া ইবন মুআবিয়া ইবন হিশাম ৷ মারওয়ানের এক সৈন্য তাকে
আটক করে ৷ মারওয়ানের নির্দোশ তার হাত দু’টো কেটে ফেলা হয় এবং তাকে হত্যা করা হয় ৷
তার চাচা সুলায়মান ও তারাসৈন্যণণ এই হত্যাকণ্ড দেখছিল ৷
মারওয়ান তার অধীনস্থ ইবাকী শাসনক৩া ইয়াষীদ ইবন উমর ইবন হুবায়রাকে সেখানে
অবস্থিত খাবিজীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা রানির্দেশাদেয় ৷ ফলে সরকারী বাহিনী ও খাবিজীদের মধ্যে
দফায় দফায় যুদ্ধ ও সংঘর্ষ বাধে ৷ এসব যুদ্ধে ইবন হুবায়রা জয়ী হয় ৷ সে খাবিজীদের সকল
আস্তানা ধ্বংস করে দেয় ৷ তাদের বাগ-বাগিচা, ক্ষেত খামার বিনষ্ট করে দেয় ৷ এই পর্যায়ে
ইরাকে খাবিজীদের কোন অস্তিতৃই রইল না ৷ সে খাবিজীদের দখল হতে কুফা নগরী মুক্ত করে ৷
সেখানে শাসনকর্তা ছিল মুছান্না ইবন ইমরান আইযি ৷ এই ঘটনা ঘটে এই বছরের রমাদান
মাসে ৷ থাবিজী দমন অভিযান শেষ হবার পর খলীফা মারওয়ান শাসনকর্তা ইবন হুবায়রাকে নির্দেশ
দেয়, আম্মার ইবন সাব্বারাকে যেন তার সাহায্যার্থে প্রেরণ করা হয় ৷ ইবন হুবায়রা সাহসী যোদ্ধা
ইবন সাব্বারাকে পাঠাল মারওয়ানের সাহায্যার্থে ৷ তার সাথে ছিল সাত হতে আট হাজার সৈন্য ;
খাবিজিগণ ইবন সাব্বারাকে বাধা দেবার জন্যে চার হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী প্রেরণ করল
তারা ইবন সাব্বারা এর গতিরোধ করে ৷ সেখানে যুদ্ধ হয় ৷ ইবন সাব্বারা তার প্রতিপক্ষকে
পরাজিত করে ৷ তাদের সেনাপ্রধান জুন ইবন কিলাব শায়বানী খাবিজিকে সে হত্যা করে ৷
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ]
[الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا]
فِيهَا اجْتَمَعَتِ الْخَوَارِجُ بَعْدَ الْخَيْبَرِيِّ عَلَى شَيْبَانَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الْحُلَيْسِ الْيَشْكُرِيِّ الْخَارِجِيِّ فَأَشَارَ عَلَيْهِمْ سُلَيْمَانُ بْنُ هِشَامٍ أَنْ يَتَحَصَّنُوا بِالْمَوْصِلِ وَيَجْعَلُوهَا مَنْزِلًا لَهُمْ، فَتَحَوَّلُوا إِلَيْهَا، وَتَبِعَهُمْ مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، فَعَسْكَرُوا بِظَاهِرِهَا، وَخَنْدَقُوا عَلَيْهِمْ مِمَّا يَلِي جَيْشَ مَرْوَانَ وَقَدْ خَنْدَقَ مَرْوَانُ عَلَى جَيْشِهِ أَيْضًا مِنْ نَاحِيَتِهِمْ، وَأَقَامَ سَنَةً يُحَاصِرُهُمْ وَيَقْتَتِلُونَ فِي كُلِّ يَوْمٍ بُكْرَةً وَعَشِيَّةً، وَظَفَرَ مَرْوَانُ بِابْنِ أَخٍ لِسُلَيْمَانَ بْنِ هِشَامٍ وَهُوَ أُمَيَّةُ بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ هِشَامٍ، أَسَرهُ بَعْضُ جَيْشِهِ، فَأَمَرَ بِهِ فَقُطِعَتْ يَدَاهُ، ثُمَّ ضُرِبَتْ عُنُقُهُ، وَعَمُّهُ سُلَيْمَانُ وَالْجَيْشُ يَنْظُرُونَ إِلَيْهِ. وَكَتَبَ مَرْوَانُ إِلَى نَائِبِهِ بِالْعِرَاقِ يَزِيدَ بْنِ عُمَرَ بْنِ هُبَيْرَةَ يَأْمُرُهُ بِقِتَالِ الْخَوَارِجِ الَّذِينَ فِي بِلَادِهِ، فَجَرَتْ لَهُ مَعَهُمْ وَقَعَاتٌ عَدِيدَةٌ، فَظَفِرَ بِهِمُ ابْنُ هُبَيْرَةَ وَأَبَادَ خَضْرَاءَهُمْ، وَلَمْ يُبْقِ لَهُمْ بَقِيَّةً بِالْعِرَاقِ وَاسْتَنْقَذَ الْكُوفَةَ مَنْ أَيْدِيهِمْ، وَكَانَ عَلَيْهَا الْمُثَنَّى بْنُ عِمْرَانَ الْعَائِذِيُّ - عَائِذَةُ قُرَيْشٍ - فِي رَمَضَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَتَبَ مَرْوَانُ إِلَى ابْنِ هُبَيْرَةَ لَمَّا فَرَغَ مِنَ الْخَوَارِجِ أَنْ يُمِدَّهُ بِعَامِرِ بْنِ ضُبَارَةَ - وَكَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ - فَبَعَثَهُ فِي سِتَّةِ آلَافٍ أَوْ ثَمَانِيَةِ آلَافٍ، فَأَرْسَلَتِ الْخَوَارِجُ إِلَيْهِ سَرِيَّةً فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ، فَاعْتَرَضُوهُ فِي الطَّرِيقِ، فَهَزَمَهُمُ ابْنُ ضُبَارَةَ وَقَتَلَ أَمِيرَهُمُ الْجَوْنَ بْنَ كِلَابٍ الشَّيْبَانِيَّ الْخَارِجِيَّ وَأَقْبَلَ نَحْوَ الْمَوْصِلِ،
পৃষ্ঠা - ৭৮৪০
এরপর ইবন সাব্বারা মুসেলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ ছত্রভঙ্গ এবং অবশিষ্ট খারিজী
লোকগুলােও মুসেলের দিকে রওয়ানা করে ৷ কিন্তু সুলায়মান ইবন হিশাম তাদেরকে মুসেল ছেড়ে
চলে যাবার পরামর্শ দেয় ৷ কারণ, সেখানে থাকা তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না ৷ তাদের সম্মুখে ছিল
মারওয়ান নিজে ৷ আর পেছনে ছিল ইবন সাব্বারা ৷ ইতিমধ্যে তা ৷দের রসদপত্র সরবরা হ বন্ধ হয়ে
যায় ৷ বাহিরের লোকদের নিকট হতে ৷ ৩ারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ৷ খাওয়ার মত কিছু তাদের নিকট
ছিল৷ না
তারপর তারা হালওয়ানের পথে আহওয়ায়ের উদ্দেশ্যে মুসেল৩ ত্যাগ করে ৷ থেমে থাকেনি
মারওয়ান ৷ সং বাদ পেয়ে সে ওদেরকে তাড়া করার জন্যে৩ তিন হাজার সৈন্যসহ ইবন সাব্বারাকে
তাদের পেছনে পাঠায় ৷ ইবন সাব্বারা ওদের পেছনে তাড়া করে ৷ যাকে যেখানে পেয়েছে হত্যা
করে ৷ সে ওদের পেছনে লেশ্চে ই ছিল ৷ আক্রমণে আএন্ মনে যে তাদেরকে পুরোপুরি ছত্রভঙ্গ
করে দেয় ৷ তারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ ওদের সেনাপতি শায়বান ইবন আবদুল আযীয
ইয়াশকারী পরবর্তী বছর আহওয়ায়ে নিহত হয় ৷ খালিদ ইবন মাসউদ ইবন জাফর ইবন খালিদ
আযদী তাকে হত্যা করে ৷
সুলায়মান ইবন হিশাম তার পরিবার-পরিজন ও সঙ্গী-সাথীদেরকে নিয়ে নৌকায় আরোহণ
করে এবং সিন্ধুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ মারওয়ান ফিরে আসে মুসেল হতে এবং আপন বাসস্থান
হাররানে অবস্থান করতে থাকে ৷ খারিজীদেরকে বিতাড়িত করতে পেয়ে তিনি আনন্দিত ও তৃপ্ত
হয়েছিলেন বটে ৷ কিন্তু ভ ৷গ্য তাকে অধিকতর শক্তিশালী ও জনপ্রিয় এক প্রতিপক্ষের মুখোমুখি
করে দেয় ৷ সে খারিজিদের চেয়ে ভয়ংকর ও শক্তিশালী ৷ সে হল আব্বাসী ৷খলাফতে র প্রতি
আহ্বানকারী৷ আ বু মুসলিম থুরাসা ৷নী ৷
আবু মুসলিম খুরাসানীর আত্মপ্রকাশ
এই হিজরী সনে অর্থাৎ ১২৯ হিজরী সনে আব্বাসী ইমাম ইব্রাহীম ইবন মুহাম্মদ চিঠির
মাধ্যমে আবু মুসলিম থুরাসানীকে থুরাসান হতে নিজের নিকট আসার আহ্বান জানালেন ৷
কয়েকজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি নিয়ে আবু মুসলিম খুরাসানী ইমাম ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদের সাথে
সাক্ষাত করার জন্যে রওন৷ করলেন ৷ যে পথেই তারা যাচ্ছিলেন সেখানকার লোকজন তাদেরকে
তাদের গন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছিল, জবাবে আবু মুসলিম খুরাসানী হব্জ্জ যাবার কথা প্রকাশ
করছিলেন ৷ কেউ কেউ তাদের সাথী হবার আগ্রহ দেখিয়েছিল ৷ আবু মুসলিম তাদেরকে সাথে
নিয়েছিলেন ৷ কিছুদুর অতিক্রম করার পর ইমামের পক্ষ হতে দ্বিতীয় চিঠি এসে পৌছল আবু
মুসলিমের নিকট ৷ তাতে লেখা ছিল “আমি সাহায্যের পতাকা পাঠালাম আপনার নিকট ৷ সেটি
নিয়ে থুরাসান ফিরে যাবেন এবং আব্বাসী খিলাফতের পক্ষে প্রকাশ্যে দাওয়াত প্রদান করবেন ৷
আবু মুসলিম খুরাসানী পত্র পেয়ে ক ৷হতাবা ইবন ৷৷বীবকে সাথে থাকা হাদিয়া তুহ্ফ৷ ও মালপত্র
সহকার ইমাম ইবরাহীমের নিকট পাঠিয়ে হব্জ্জর মওসুমে ইমামের সাথে সাক্ষাতে র নির্দেশ
দিলেন ৷ খুরাসানী নিজে চিঠি ৷নয়ে থুরাসানের দিকে ফেরত যাত্রা করলেন ৷
রমাদান মাসের প্রথম দিলে তিনি খুরাসানে প্রবেশ করলেন ৷ চিঠিটি সুলায়মান ইবন কাহীরের
সম্মুখে তুলে ধরলেন ৷ তাতে লেখা ছিল, প্রকাশ্যে দাওয়াত দিন, অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই ৷ শু
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (’ ১ :ম খও)-৯
وَرَجَعَ فَلُّ الْخَوَارِجِ إِلَيْهِمْ، فَأَشَارَ سُلَيْمَانُ بْنُ هِشَامٍ عَلَيْهِمْ أَنْ يَرْتَحِلُوا عَنِ الْمَوْصِلِ، فَإِنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُمْكِنُهُمُ الْإِقَامَةُ بِهَا وَمَرْوَانُ مِنْ أَمَامِهِمْ وَابْنُ ضُبَارَةَ مِنْ وَرَائِهِمْ، قَدْ قَطَعَ عَنْهُمُ الْمِيرَةَ حَتَّى لَمْ يَجِدُوا شَيْئًا يَأْكُلُونَهُ، فَارْتَحَلُوا عَنْهَا، وَسَارُوا عَلَى حُلْوَانَ إِلَى الْأَهْوَازِ فَأَرْسَلَ مَرْوَانُ ابْنَ ضُبَارَةَ فِي آثَارِهِمْ فِي ثَلَاثَةِ آلَافٍ، فَاتَّبَعَهُمْ يَقْتُلُ مَنْ تَخَلَّفَ مِنْهُمْ، وَيَلْحَقُهُمْ فِي مُوَاطِنَ فَيُقَاتِلُهُمْ، وَمَا زَالَ وَرَاءَهُمْ حَتَّى فَرَّقَ شَمْلَهُمْ شَذَرَ مَذَرَ، وَهَلَكَ أَمِيرُهُمْ شَيْبَانُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْيَشْكُرِيُّ بِالْأَهْوَازِ فِي السَّنَةِ الْقَابِلَةِ، قَتَلَهُ خَالِدُ بْنُ مَسْعُودِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ خُلَيْدٍ الْأَزْدِيُّ. وَرَكِبَ سُلَيْمَانُ بْنُ هِشَامٍ فِي مَوَالِيهِ وَأَهْلِ بَيْتِهِ السُّفُنَ، وَسَارُوا إِلَى السِّنْدِ، وَرَجَعَ مَرْوَانُ مِنَ الْمَوْصِلِ فَأَقَامَ بِمَنْزِلِهِ بَحَرَّانَ وَقَدْ وَجَدَ سُرُورًا بِزَوَالِ الْخَوَارِجِ وَلَكِنْ لَمْ يَتِمَّ سُرُورُهُ، بَلْ أَعْقَبَهُ الْقَدَرُ مَنْ هُوَ أَقْوَى شَوْكَةً، وَأَعْظَمُ أَتْبَاعًا، وَأَشَدُّ بَأْسًا مِنَ الْخَوَارِجِ، وَهُوَ ظُهُورُ أَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيُّ الدَّاعِيَةُ إِلَى دَوْلَةِ بَنِي الْعَبَّاسِ.
[أَوَّلُ ظُهُورِ أَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيُّ بِخُرَاسَانَ]
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وَرَدَ كِتَابٌ مِنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْإِمَامِ الْعَبَّاسِيِّ بِطَلَبِ أَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيِّ مِنْ خُرَاسَانَ، فَسَارَ إِلَيْهِ فِي سَبْعِينَ مِنَ النُّقَبَاءِ، لَا يَمُرُّونَ بِبَلَدٍ إِلَّا سَأَلُوهُمْ: إِلَى أَيْنَ تَذْهَبُونَ؟ فَيَقُولُ أَبُو مُسْلِمٍ: نُرِيدُ الْحَجَّ. وَإِذَا تَوَسَّمَ أَبُو مُسْلِمٍ مِنْ بَعْضِهِمْ مَيْلًا إِلَيْهِ دَعَاهُ إِلَى مَا هُمْ فِيهِ، فَيُجِيبُهُ إِلَى ذَلِكَ، فَلَمَّا كَانَ أَبُو مُسْلِمٍ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ جَاءَ كِتَابٌ ثَانٍ مِنْ إِبْرَاهِيمَ الْإِمَامِ إِنِّي قَدْ بَعَثْتُ
পৃষ্ঠা - ৭৮৪১
স্থানীয় ভক্তৃবৃন্দ আবু মুসলিম খুরাসানীকে আব্বাসী শাসনের আহবায়ক মনোনীত করে ৷ আবু
মুসলিম তার অধীনস্থ আহবানকারীদেরকে খুরাসানের বিভিন্ন শহরে-উপশহরে প্রেরণ করেন ৷
তখন খুরাসানের শাসনকর্তা ছিল নাসর ইবন সাইয়ার ৷ শাসনকর্তা নাসর এই সময়ে কিরমানী
এবং শায়বান ইবন সালামা হারুরীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল ৷ খারিজির৷ শায়বান ইবন সালমা
হারুরীকে খলীফ৷ বানাবে এমন সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল ৷
এই পরিস্থিতিতে আবু মুসলিম খুরাসানীর কর্মতৎপরতা শুরু হয় ৷ চারিদিক হতে লোকজন
তার নিকট সমবেত হতে থাকে ৷ কথিত আছে যে, একদিনে ৬০ গ্রামের জনসাধারণ তার সাথে
সাক্ষাত করে এবং সমর্থন জ্ঞাপন করে ৷ তিনি সেখানে : ২ দিন অবস্থান করেন ৷ তার হাতে বহু
জনপদ বিজিত হয় ৷
এই হিজরী সনের রমাদান মাসের পাচদিন অবশিষ্ট থাকতে এক বৃহস্পতিবার রাতে ইম৷ ৷মের
প্রেরিত একটি পতাকা ১৪ গজ লম্বা একটি তীরের মাথায় বোধ আবু মুসলিম সেটির নাম দিলেন
আল-যিল্ল বা ছায়া ৷ ইমামের প্রেরিত অন্য একটি পতাকা ১৩ গজ লম্বা একটি তীরের মাথায়
বেধে তিনি সেটির নাম দিলেন আ ল-সাহাব বা যেঘমাল৷ ৷ দুইটা পতাক ই ছিল কাল বর্ণের ৷
পতাকা বাধার সময় আবু মুসলিম থুরাস৷ ৷নী এই আয়াত তিলাওয়াত করছিলেন
ষ্-১;ভ্রুণ্ও
“যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হল তাদেরকে যার বা আক্রান্ত হয়েছে ৷ কারণ, তাদের প্রতি অত্যাচার
করা হয়েছে ৷ আল্লাহ নিশ্চয়ই৩৷ ৩াদেরকে সাহায্য করতে সম্যক সক্ষম ৷’ (সুরা হাজ্জ : ৩৯) ৷
আবু মুসলিম, সুলায়মান ইবন কাহীর এবং যারা এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছে এই দলে
অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তারা সকলে কালো পােশ৷ ক পরিধান করল এবং কালো পােশাক তাদের দলীয়
প্রতীকরুপে বিবেচিত হল ৷ ওই রাতে ৩ারা ব্যাপক ও বিরাট আয়োজনে আগুন প্রজ্বলিত করল ৷
এর মাধ্যমে এ এলাকার লোকজনকে তারা নিজেদের প্রতি আহ্বান জানাল ৷ আগুন জ্বালানাে
তাদের জনগণকে ডাকার একটি স্বীকৃত ও সর্বজ্ঞাত মাধ্যম ৷
পতাকা দুইটার নামকরণের ক্ষেত্রে একটির যেঘমাল৷ নাম দেওয়া হয়েছিল এজন্যে যে, মেঘ
যেমন বিশ্ব জোড়া ওদের দাওয়াত এবং আহ্বানও তেমন বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হবে ৷ অন্য পতাকাটি
ছায়া নামে আখ্যায়িত এজন্যে যে, পৃথিবী যেমন কখনো ছায়া শুন্য হয় না, আব্বাসী গোত্রের
শাসনও কখনো নিশ্চিহ্ন হবে না ৷ বরং যুগে যুগে কোন না কোন অঞ্চলে কেউ না কেউ আব্বাসী
শাসনের অধিকারী হবেই ৷ আব্বাসী শাসনের প্রতি আবু মুসলিম খুরাসানীর ডাকে বহু লোক সাড়া
দেয় ৷ তারা দলে দলে তার নিকট সমবেত হয়, এতে তার সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ব্যাপকভাবে ৷
ঈদুল ফিতর দিবসে আবু মুসলিম খুরাসানী ঈদের নামায পড়ানোর জন্যে বলেন, সুলায়মান
ইবন কাহীরকে ৷ তিনি সুলায়মানের জন্যে একটি মিম্বর তৈরি করে দেন ৷ নামায়ে সুন্নাতের
অনুসরণ এবং উমাইয়াদের বিরোধিতা করার পরামর্শ দেন ৷ তারপর “নামায অনুষ্ঠিত হবে” বলে
জামাআতের ঘোষণা দেওয়া হল ৷ আযানও দেওয়া হল না ইকামতও নয় ৷ খুতরার পুর্বে নামায
আদায় করা হল ৷ তারপর থুতব৷ ৷ প্রথম রাকআতে কিরাআতের পুর্বে ছয়বার তাকবীর দেওয়া
হল ৷ চারবার নয় ৷ দ্বিতীয় রাকআতে তিনবারের পরিবর্তে পাচবার তাকবীর বলা হল ৷ এই
إِلَيْكَ بِرَايَةِ النَّصْرِ فَارْجِعْ إِلَى خُرَاسَانَ وَأَظْهَرَ الدَّعْوَةَ. فَامْتَثَلَ أَبُو مُسْلِمٍ ذَلِكَ وَأَمَرَ قَحْطَبَةَ بْنَ شَبِيبٍ أَنْ يَسِيرَ بِمَا مَعَهُ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالتُّحَفِ إِلَى إِبْرَاهِيمَ الْإِمَامِ فَيُوَافِيهِ بِهَا فِي الْمَوْسِمِ، وَرَجَعَ أَبُو مُسْلِمٍ بِالْكِتَابِ، فَدَخَلَ خُرَاسَانَ فِي أَوَّلِ يَوْمٍ مِنْ رَمَضَانَ، فَدَفَعَ الْكِتَابَ إِلَى سُلَيْمَانَ بْنِ كَثِيرٍ وَفِيهِ أَنْ أَظْهِرْ دَعْوَتَكَ وَلَا تَتَرَبَّصْ، فَقَدَّمُوا عَلَيْهِمْ أَبَا مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيَّ دَاعِيًا إِلَى بَنِي الْعَبَّاسِ فَبَثَّ أَبُو مُسْلِمٍ دُعَاتَهُ فِي بِلَادِ خُرَاسَانَ وَنَوَاحِيهَا، وَأَمِيرُ خُرَاسَانَ نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ مَشْغُولٌ بِقِتَالِ الْكَرْمَانِيِّ، وَشَيْبَانَ بْنِ سَلَمَةَ الْحَرُورِيِّ وَقَدْ بَلَغَ مِنْ أَمْرِهِ أَنَّهُ كَانَ يُسَلِّمُ عَلَيْهِ أَصْحَابُهُ بِالْخِلَافَةِ فِي طَوَائِفَ كَثِيرَةٍ مِنَ الْخَوَارِجِ فَظَهَرَ أَمْرُ أَبِي مُسْلِمٍ وَقَصَدَهُ النَّاسُ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، فَكَانَ مِمَّنْ قَصَدَهُ فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ أَهْلُ سِتِّينَ قَرْيَةٍ، فَأَقَامَ هُنَاكَ اثْنَيْنِ وَأَرْبَعِينَ يَوْمًا، فَفَتُحَتْ عَلَيْهِ أَقَالِيمُ كَثِيرَةٌ. وَلَمَّا كَانَ لَيْلَةُ الْخَمِيسِ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ رَمَضَانَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، عَقَدَ أَبُو مُسْلِمٍ اللِّوَاءَ الَّذِي بَعَثَ بِهِ إِلَيْهِ الْإِمَامُ، وَكَانَ يُدْعَى الظِّلَّ، عَلَى رُمْحٍ طُولُهُ أَرْبَعَةَ عَشَرَ ذِرَاعًا، وَعَقَدَ الرَّايَةَ الَّتِي بَعَثَ بِهَا الْإِمَامُ أَيْضًا، وَتُدْعَى السَّحَابَ، عَلَى رُمْحٍ طُولُهُ ثَلَاثَةَ عَشَرَ ذِرَاعًا، وَهُمَا سَوْدَاوَانِ، وَهُوَ يَتْلُو قَوْلَهُ تَعَالَى: {أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ} [الحج: 39] . وَلَبِسَ أَبُو مُسْلِمٍ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ وَمَنْ أَجَابَهُمْ إِلَى هَذِهِ الدَّعْوَةِ السَّوَادَ وَصَارَتْ شِعَارَهُمْ، وَأَوْقَدُوا فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ نَارًا عَظِيمَةً يَدْعُونَ بِهَا أَهْلَ تِلْكَ النَّوَاحِي، وَكَانَتْ عَلَامَةَ مَا بَيْنَهُمْ فَتَجَمَّعُوا. وَمَعْنَى تَسْمِيَةِ إِحْدَى الرَّايَتَيْنِ بِالسَّحَابِ أَنَّ السَّحَابَ كَمَا يُطَبِّقُ جَمِيعَ الْأَرْضِ، كَذَلِكَ بَنُو الْعَبَّاسِ تُطَبِّقُ دَعْوَتُهُمُ الْأَرْضَ، وَمَعْنَى تَسْمِيَةِ الْأُخْرَى بِالظِّلِّ أَنَّ الْأَرْضَ لَا تَخْلُو مِنَ الظِّلِّ أَبَدًا، وَكَذَلِكَ بَنُو الْعَبَّاسِ لَا تَخْلُو الْأَرْضُ مِنْ قَائِمٍ مِنْهُمْ، وَأَقْبَلَ النَّاسُ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، وَكَثُرَ جَيْشُهُ جِدًّا.
পৃষ্ঠা - ৭৮৪২
সবগুলো উমাইয়াদের নিয়মের বিপরীত ৷ খুতবার সুচনা করা হল আল্লাহর যিবদ্বুর ও তাকবীরের
মাধ্যমে ৷ শেষ করা হল কিরাআতের মাধ্যমে ৷ লোকজন নামায শেষ করে মাঠ ত্যাগ করল ৷
আবু মুসলিম খুরাসানী মুসল্লীদের জন্যে ভোজের আয়োজন করেছিল ৷ সবার জন্যে খাবার
পরিবেশন বলা হল ৷
আবু মুসলিম খুরাসানী একটি পত্র লিখেছিল ৷ খুরাসানের তৎকালীন শাসনকর্তা নাসর ইবন
সাইয়ারের নিকট ৷ শুরুতে প্রেরক হিসেবে নিজের নাম লেখার পর সে লিখল, নাছর ইবন
সাইয়ারের প্রতি ৷ বিসমিল্লাহির রা ৷হমানির রাহীম, পর সমাচার, মহান আল্লাহ তার পবিত্র গ্রন্থে
একদল লোককে লজ্জা দিয়ে বলেছেন
§ #
৷ এ
ব্লাএ
১ন্ণ্ও
“এরা দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর শপথ করে বলত যে, এদের নিকট কোন সতর্ককারী এ্যাল এরা
অন্য সকল সম্প্রদায় অপেক্ষা সৎপথের অধিকতর অনুসারী হবে ৷ কিন্তু এদের নিকট যখন
সতর্ককারী এল তখন তা কেবল এদের বিমুখতাই বৃদ্ধি করল, পৃথিবীতে ঔদ্ধত্য প্রকাশ এবং
কুট-ষড়যম্ভেব কারণে ৷ কুটষড়যন্ত্র তার উভৈদ্যাক্তাদেররুইে পরিবেষ্টন করে ৷ তবে কি এরা
প্রতীক্ষা করছে পুর্ববর্তীদের প্রতি প্রযুক্ত বিধানের ? বিক্ষ্ম, আপনি আল্লাহ্র বিধানের কখনো কোন
পরিবর্তন পাবেন না এবং আল্লাহর বিধানের কোন ব্যতিক্রমও দেখবেন না ৷ (সুরা ফাতির :
৪ ২ ৪৩) ৷ ’ পত্রে নাসরের নামের পুর্বে খুরাসানী তার নিজের নাম লেখাকে শাসনকর্তা নাসর
মানহানি মনে করল এবং বিষয়টি তাকে ভীষণভাবে ভাবিয়ে তৃলল ৷ সে বলল, এই চিঠির উপযুক্ত
জব্াব দেওয়া দরকার ৷
ইবন জারীর বলেছেন যে, তারপর আবুমুসলিমের বিরুদ্ধে করার জন্যে শাসনকর্তা নাসর
ইবন সাইয়ার অশ্বারােহী যােদ্ধাদের এক বিশাল বাহিনী প্রেরণ করে ৷ এটি হল আবু মুসলিম
খুরাসানীর আত্মপ্রকাশের আঠার মাস পরের ঘটনা ৷ সরকারী বাহিনীর মুকাবিলার জন্যে মালিক
ইবনহায়ছাম খুযাঈর নেতৃত্বে আবু মুসলিম একটি প্রতিরোধ বাহিনী প্রেরণ করলেন ৷ উভয় পক্ষ
মুখোমুখি হল ৷ মালিক ইবন হায়ছাম সরকারী বাহিনীকে আহ্বান জানালেন রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর
বংশ ধর আব্বাসীদের পক্ষ সমর্থাং করার জন্যে ৷ ওরা তা প্রত্যাখ্যান করে ৷ ফলে উভয় শিবিরে
যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু হয় ৷ দিনের শুরু হতে আসরের সময় পর্যন্ত তারা প্রস্তুতি নিয়ে সারিবদ্ধ হয় ৷
ইতিমধ্যে মালিক ইবন হায়ছামের নিকট অতিরিক্ত সাহায্য বাহিনী এসে পৌছে ৷ ফলে মালিক
যুদ্ধে জয়লাভ করেন ৷ পরাজিত হয় নাসর বাহিনী ৷ উমাইয়া ও আব্বাসীদের মধ্যে এটি সর্বপ্রথম
যুদ্ধ ৷
এই ইিজরী সনে খাযিম ইবন থুযায়মা “মারভ আর রাওয” জয় করেন এবং নাসর কর্তৃক
নিযুক্ত শাসনকর্তা বাশার ইবন জাফর আল সাদীকে হত্যা করে ৷ বিজয়ের সংবাদ সে আবু
وَلَمَّا كَانَ يَوْمُ عِيدِ الْفِطْرِ أَمَرَ أَبُو مُسْلِمٍ سُلَيْمَانَ بْنَ كَثِيرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، وَنَصَبَ لَهُ مِنْبَرًا، وَأَنْ يُخَالِفَ فِي ذَلِكَ بَنِي أُمَيَّةَ وَيَعْمَلَ بِالسُّنَّةِ، فَنُودِيَ لِلصَّلَاةِ: الصَّلَاةَ جَامِعَةً. وَلَمْ يُؤَذِّنْ وَلَمْ يُقِمْ، خِلَافًا لَهُمْ، وَبَدَأَ بِالصَّلَاةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ، وَكَبَّرَ سَبْعًا فِي الْأُولَى قَبْلَ الْقِرَاءَةِ، لَا أَرْبَعًا، وَخَمْسًا فِي الثَّانِيَةِ لَا ثَلَاثًا، خِلَافًا لَهُمْ. وَابْتَدَأَ الْخُطْبَةَ بِالذِّكْرِ وَالتَّكْبِيرِ، وَخَتَمَهَا بِالْقِرَاءَةِ، وَانْصَرَفَ النَّاسُ مِنْ صَلَاةِ الْعِيدِ، وَقَدْ أَعَدَّ لَهُمْ أَبُو مُسْلِمٍ طَعَامًا، فَوَضَعَهُ بَيْنَ أَيْدِي النَّاسِ، وَكَتَبَ إِلَى نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ كِتَابًا بَدَأَ فِيهِ بِنَفْسِهِ، ثُمَّ قَالَ: إِلَى نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ، بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَتْ أَسْمَاؤُهُ عَيَّرَ أَقْوَامًا فِي كِتَابِهِ فَقَالَ: {وَأَقْسَمُوا بِاللَّهِ جَهْدَ أَيْمَانِهِمْ لَئِنْ جَاءَهُمْ نَذِيرٌ لَيَكُونُنَّ أَهْدَى مِنْ إِحْدَى الْأُمَمِ فَلَمَّا جَاءَهُمْ نَذِيرٌ مَا زَادَهُمْ إِلَّا نُفُورًا اسْتِكْبَارًا فِي الْأَرْضِ وَمَكْرَ السَّيِّئِ وَلَا يَحِيقُ الْمَكْرُ السَّيِّئُ إِلَّا بِأَهْلِهِ فَهَلْ يَنْظُرُونَ إِلَّا سُنَّةَ الْأَوَّلِينَ فَلَنْ تَجِدَ لِسُنَّةِ اللَّهِ تَبْدِيلًا وَلَنْ تَجِدَ لِسُنَّةِ اللَّهِ تَحْوِيلًا} [فاطر: 42]
[فَاطِرٍ: 42، 43] فَعَظُمَ عَلَى نَصْرٍ أَنْ قَدَّمَ اسْمَهُ عَلَى اسْمِهِ، وَأَطَالَ الْفِكْرَةَ، وَقَالَ: هَذَا كِتَابٌ لَهُ جَوَابٌ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: ثُمَّ بَعَثَ نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ خَيْلًا عَظِيمَةً لِمُحَارَبَةِ أَبِي مُسْلِمٍ وَذَلِكَ بَعْدَ ظُهُورِهِ بِثَمَانِيَةَ عَشَرَ شَهْرًا، فَأَرْسَلَ أَبُو مُسْلِمٍ إِلَيْهِمْ مَالِكَ بْنَ الْهَيْثَمِ
পৃষ্ঠা - ৭৮৪৩
৬৮ আল-বিদায়৷ ওয়াননিহায়া
মুসলিমের নিকট পৌছায় ৷ আবু মুসলিম তখন এক টগবগে কর্মতৎপর যুবক ৷ ইমাম ইব্রাহীম
তাকে তীর সাহস, দৃঢ়তা, মেধা ও বুদ্ধিমত্তার প্রেক্ষিতে আব্বাসীদের পক্ষে আহ্বানকারী নিযুক্ত
করেন ৷ সে মুলত কুফার কালো আদমী ছিল ৷ ইদরীস ইবন মাকাল আজালীর ক্রীতদাস ছিল
সে ৷ জনৈক আব্বাসী সমর্থক তাকে চারশত দিরহামে ক্রয় করে ৷ এরপর মুহাম্মদ ইবন আলী
তাকে হন্তগত করে ৷ এরপর সে আব্বাস বংশীয়দের তত্ত্বাবধানে আসে ৷ ইমাম ইব্রাহীম তাকে
আবু নাজম ইসমাঈল ইবন ইমরানের কন্যার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেয় ৷ ইমাম
ইব্রাহীম নিজে ওর পক্ষে দেনমোহর পরিশোধ করেন ৷ তিনি খুরাসান ও ইরাকে আব্বাসী
দাওয়াত দানকারীদের লিখিত নির্দেশ দেন তারা যেন আবুমুসলিমের নেতৃত্বের প্রতি অনুগত হয়ে
তার নির্দেশ মুতাবিক কাজ করে ৷ অবশ্য আবু মুসলিম অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিল বলে এর পুর্ববর্তী বছরে
তারা তাকে মেনে নিতে অস্বীকার করেছিল এই হিজরী সনে ইমাম ইব্রাহীম নিজের অত্যন্ত
মজবুতভাবে ওদেরকে নির্দেশ দেন ৷ আবু মুসলিমকে নেতারুপে মেনে নেওয়ার জন্যে ৷ তিনি
এও জ নিয়ে দেন যে, তাতে তাদের এবং আবু মুসলিমের কল্যাণ হবে ৷ ধ্া৷ ৷ ;, ’<,
৷ fl
াপ্রু ,াও , (:— “আল্লাহ্ব বিধান সুনিধারিত” (সুরা আহযাব ৩৮) ৷
থুরাসানে আবু মুসলিম খুরাসানীর দাওয়াতের বিষয়টি পরিচিত ও প্রকাশিত হবার পর বহু
আরব লোক তার সমর্থ্যন যুদ্ধ করার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হয় ৷ কিরমানী এবং শায়বান তারা দৃইজনে ও
খুরাসানীর বিষয়টিকে মন্দ মনে করেনি ৷ কারণ, দৃইজনেই সরকারী শাসনকর্তা নাসরের বিরুদ্ধে
যুদ্ধরত ছিল ৷ উপরন্তু, আবু মুসলিম তাে মারওয়ান আল-হিমারকে খলীফার পদ হতে অপসারণের
চেষ্টা চালাচ্ছিলেন ৷
শাসনকর্তা নাসর শায়বানকে প্রস্তাব দিয়েছিল আবু মুসলিমের বিরুদ্ধে তার সাথে থাকার
জন্যে অথবা অন্তত আবুমুসলিমের সাথে যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ বিরতি মেনে নিতে ৷ আবু
মুসলিম ন্ পরাজিত ও নিহত হলে তারা দৃইজনে না হয় পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হবে ৷ শায়বান রাযী
হয়েছিল নাসরের এই প্রস্তাবে ৷ তাদের সমঝোতা ও আপোষ রফার সংবাদ পৌছে যায় আবু
মুসলিমের নিকট ৷ বিষয়টি তিনি জা ৷নিয়ে দেন কিরমানীকে ৷ কিরমানী ওই আপোষ প্রস্তাবে রাযী
হবার জন্যে শায়বানকে পালমন্দ করে এবং ওই আপোষ কার্যকর করা হতে তাকে ফিরিয়ে
রাখেন ৷
আবু মুসলিম খুরাসানী নাসর ইবন নাঈমকে প্রেরণ করেন হিরাত অঞ্চলে ৷ সেখানকার
শাসনকর্তা ঈসা ইবন আকীলকে পরাজিত করে নাসর ইবন নাঈম হিরাত দখল করেন ৷ এই
বিজয় সংবাদ জানানো হয় আবুমুসলিমের নিকট ৷ পরাজিত শাসক ঈসা ইবন আকীল পালিয়ে
আসে নাসরের নিকট ৷ এদিকে কিরমানীর অসম্মতি সত্বেও শায়বান এক বছরের জন্যে নাসরের
সাথে যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দেয় ৷ ফলে কিরমানী আবু মুসলিমকে এই মর্মে সংবাদ দিন যে,
নাসরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমি আপনার সাথে থাকর ৷ সৌজন্য সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে আবু মুসলিম
কিরমানীর নিকট গেলেন ৷ তারা দুইজনে নাসরের বিরোধিতা ও তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ব্যাপারে
একমত হলেন ৷
আবু মুসলিম একটি সুবিন্তুত ও বিশাল প্রান্তবে তার আস্তানা ও শিবির স্থাপন করলেন ৷
الْخُزَاعِيَّ فَالْتَقَوْا هُنَالِكَ فَدَعَاهُمْ مَالِكٌ إِلَى الرِّضَا عَنْ آلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَبَوْا ذَلِكَ، فَتَصَافُّوا مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ إِلَى الْعَصْرِ، ثُمَّ جَاءَهُ مَدَدٌ فَقَوِيَ مَالِكٌ عَلَيْهِمْ، وَاسْتَظْهَرَ وَظَفِرَ بِهِمْ، وَكَانَ هَذَا أَوَّلَ مَوْقِفٍ اقْتَتَلَ فِيهِ دُعَاةُ بَنِي الْعَبَّاسِ وَجُنْدُ بَنِي أُمَيَّةَ.
وَفِي ذِي الْقِعْدَةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ غَلَبَ خَازِمُ بْنُ خُزَيْمَةَ عَلَى مُرْوِ الرُّوذِ وَقَتَلَ عَامِلِهَا مِنْ جِهَةِ نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ، وَهُوَ بِشْرُ بْنُ جَعْفَرٍ السَّعْدِيُّ وَكَتَبَ بِالْفَتْحِ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ.
وَكَانَ أَبُو مُسْلِمٍ إِذْ ذَاكَ شَابًّا حَدَثًا قَدِ اخْتَارَهُ إِبْرَاهِيمُ الْإِمَامُ لِدَعْوَتِهِمْ، وَذَلِكَ لِشَهَامَتِهِ وَصَرَامَتِهِ وَقُوَّةِ فَهْمِهِ وَجَوْدَةِ عَقْلِهِ، وَأَصْلُهُ مِنْ سَوَادِ الْكُوفَةِ، وَكَانَ مَوْلًى لِإِدْرِيسَ بْنِ مَعْقِلٍ الْعِجْلِيِّ فَاشْتَرَاهُ بَعْضُ دُعَاةِ بَنِي الْعَبَّاسِ بِأَرْبَعِمِائَةِ دِرْهَمٍ، ثُمَّ أَخَذَهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ ثُمَّ آلَ وَلَاؤُهُ لِآلِ الْعَبَّاسِ وَقَدْ زَوَّجَهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْإِمَامُ بِابْنَةِ أَبِي النَّجْمِ عِمْرَانَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ وَأَصْدَقَهَا عَنْهُ، وَكَتَبَ إِلَى نُقَبَائِهِمْ بِخُرَاسَانَ وَالْعِرَاقِ أَنْ يَسْمَعُوا لَهُ وَيُطِيعُوا، فَامْتَثَلُوا أَمْرَهُ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ، وَقَدْ كَانُوا فِي السَّنَةِ الْمَاضِيَةِ رَدُّوا عَلَيْهِ أَمْرَهُ فِيهِ لِصِغَرِهِ فِي أَعْيُنِهِمْ، فَلَمَّا كَانَتْ هَذِهِ السَّنَةُ أَكَّدَ كِتَابَهُ إِلَيْهِمْ فِي سَبَبِهِ، فَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ عَنْهُ مَعْدِلٌ، وَكَانَ
পৃষ্ঠা - ৭৮৪৪
فِي ذَلِكَ الْخِيَرَةُ، وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ قَدَرًا مَقْدُورًا.
وَلَمَّا اسْتَفْحَلَ أَمْرُ أَبِي مُسْلِمٍ بِخُرَاسَانَ تَعَاقَدَتْ طَوَائِفُ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ الَّذِينَ بِهَا عَلَى حَرْبِهِ وَمُقَاتِلَتِهِ، وَلَمْ يَكْرَهْ أَمْرَهُ الْكَرْمَانِيُّ، وَشَيْبَانُ لِأَنَّهُمَا خَرَجَا عَلَى نَصْرٍ وَهَذَا مُخَالِفٌ لَهُ، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ يَدْعُو إِلَى خَلْعِ مَرْوَانَ الْحِمَارِ وَقَدْ طَلَبَ نَصْرٌ مِنْ شَيْبَانَ أَنْ يَكُونَ مَعَهُ عَلَى حَرْبِ أَبِي مُسْلِمٍ أَوْ يَكُفَّ عَنْهُ حَتَّى يَتَفَرَّغَ لِحَرْبِهِ، فَإِذَا قَتَلَهُ وَتَفَرَّغَ مِنْهُ عَادَا إِلَى عَدَاوَتِهِمَا، فَبَلَغَ ذَلِكَ أَبَا مُسْلِمٍ فَبَعَثَ إِلَى ابْنِ الْكَرْمَانِيِّ يُعْلِمُهُ بِذَلِكَ، فَثَنَى ابْنُ الْكَرْمَانِيِّ شَيْبَانَ عَلَى ذَلِكَ الرَّأْيِ، وَبَعَثَ أَبُو مُسْلِمٍ إِلَى هَرَاةَ النَّضْرَ بْنَ نُعَيْمٍ فَافْتَتَحَهَا وَطَرَدَ عَنْهَا عَامِلَهَا عِيسَى بْنَ عَقِيلٍ اللَّيْثِيَّ وَاسْتَحْوَذَ عَلَى الْبَلَدِ، وَكَتَبَ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ بِذَلِكَ، وَجَاءَ عَامِلُهَا إِلَى نَصْرٍ هَارِبًا. ثُمَّ إِنَّ شَيْبَانَ وَادَعَ نَصْرَ بْنَ سَيَّارٍ سَنَةً عَلَى تَرْكِ الْحَرْبِ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ، وَذَلِكَ عَنْ كُرْهٍ مِنَ ابْنِ الْكَرْمَانِيِّ فَبَعَثَ ابْنُ الْكَرْمَانِيِّ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ: إِنِّي مَعَكَ عَلَى قِتَالِ نَصْرٍ. وَرَكِبَ أَبُو مُسْلِمٍ إِلَى خِدْمَةِ ابْنِ الْكَرْمَانِيِّ فَنَزَلَ عِنْدَهُ وَاجْتَمَعَا، فَاتَّفَقَا عَلَى حَرْبِهِ وَمُخَالَفَتِهِ، وَتَحَوَّلَ أَبُو مُسْلِمٍ إِلَى مَوْضِعٍ فَسِيحٍ، وَكَثُرَ جُنْدُهُ، وَعَظُمَ جَيْشُهُ، وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الشُّرَطِ وَالْحَرَسِ وَالرَّسَائِلِ وَالدِّيوَانِ وَغَيْرِ ذَلِكَ مِمَّا يَحْتَاجُ الْمَلِكُ إِلَيْهِ، وَجَعَلَ الْقَاسِمَ بْنَ مُجَاشِعٍ التَّمِيمِيَّ - وَكَانَ أَحَدَ النُّقَبَاءِ - عَلَى الْقَضَاءِ، وَكَانَ يُصَلِّي بِأَبِي مُسْلِمٍ الصَّلَوَاتِ، وَيَقُصُّ بَعْدَ الْعَصْرِ، فَيَذْكُرُ مَحَاسِنَ بَنِي هَاشِمٍ وَيَذُمُّ بَنِي أُمَيَّةَ. ثُمَّ تَحَوَّلَ أَبُو مُسْلِمٍ فَنَزَلَ
পৃষ্ঠা - ৭৮৪৫
আল-বিদায়া ওয়া নায়ানিহ ৬৯
ইতিমধ্যে তার সৈন্য সং থ্যা বহু বৃদ্ধি পেল ৷ তিনি একটি প্রতিষ্ঠিত সরকারের ন্যায় প্রতিরক্ষা,
পুলিশ, পররাষ্ট্র ও স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে দায়ি ছুশীল নিয়োগ করলেন ৷ নেতৃস্থানীয়
ব্যক্তিত্ব কাসিম ইবন মুজাশিাকে বিচারক পদে নিযুক্ত করলেন ৷ কাসিম আবু মুসলিমসহ
অন্যান্যদেরকে নিয়ে জামাআত কায়েম ও ইমামতি ৩করতেন ৷ মাঝে মাঝে তিনি ওযায-নসীহত
করতেন ৷ তাতে আব্বাসীদের প্ৰশ ৎসা ও সুনাম এবং উমা ইয়াদের সমালোচনাও দৃর্নাম করতেন ৷
এরপর আবু মুসলিম বালীন নামে এক সালে এসে শিবির স্থাপন করলেন ৷ জায়গাটি কিছুটা
নিম্নাঞ্চল ছিল বটে ৷ নাসর ইবন স ইযাব তাদের পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেয় কিনা এই সন্দেহ
ছিল ৷ তারা এখানে আসেন এই ইিজরী সনের যুল্হাজ্জামাসের ছয়ত তারিখে ৷ কাযী কাসিম ইবন
যুজাশি যথাসময়ে দশই যুলুহাজ্জা ঈদুল আযহা র নামায পড়ালেন ৷ নাসর ইবন সাইয়ার বিশাল
সেনা বহর নিয়ে আবু মুসলিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে অগ্রসর হল ৷ সে সংশ্লিষ্ট শহরগুলোতে
তার প্রতিনধিকে দায়িত্ব দিয়ে নিজে যুদ্ধে এসেছিল ৷ উভয় পক্ষে যুদ্ধ হল ৷ পরবর্তী ইিজরী সনে
তা আলোচিত হবে ৷
ইবনুল কিরমানীর হত্যাকাণ্ড
নাসর ইবন সাইয়ার এবং ইবনুল কিরমানীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল ৷ ইবনুল কিরমানী হল
জাদী ইবন আলী কিরমানী ৷ যুদ্ধে উভয় পক্ষে বহু লোক হতাহত হয় ৷ আবু মুসলিম খুরাসানী
উভয় দলের নিকট লিখিত প্রস্তাব পাঠান তারা নিজের দলে শামিল হবার জন্যে ৷ তিনি নাসরকে
লিখেছেন ইবনৃল কিবমানীকে ও লিখেছেন ৷ তিনি এও লিখেছেন যে ইমাম ইব্রাহীম আমাকে
লিখেছেন তোমাদের কল্যাণ সাধনের জন্যে ৷ আমি তোমাদের ব্যাপারে তার নির্দেশ লঙ্ঘন করতে
পারব না ৷ তিনি অন্যান্য রাজেওে চিঠি লিখেছেন আব্বাসীদের সমর্থনে এগিয়ে আমার জন্যে ৷
ফলে বহু লোক তার ডাকে সাড়া দেয় এবং তার নিকট সমবেত হয় ৷
এবার আবু মুসলিম এগিয়ে গেলেন ৷ নাসরের নিরাপত্তা পরিখা এবং ইবনুল কিরমানীর
নিরাপত্তা পরিখার মাঝখানে অবস্থান নিলেন ৷ ফলে উভয় পক্ষ তার উপস্থিতিতে ভয় পেয়ে গেল ৷
নাসর ইবন সাইয়ার ঘটনার বিবরণ দিয়ে মারওয়ানের নিকট লিখল যে, আবু মুসলিম রণাঙ্গনে
উপস্থিত হয়েছে প্রচুর অনুসারী ও ভক্ত সহকারে ৷ সে ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদের প্রতি বায়আত
করার জন্যে জনসাধারণকে আহ্বান জানাচ্ছে ৷ চিঠিতে সে এও লিখেছে যে ঘ্র
শ্
“আমি ছ ইষেব মধ্যে জ্বলম্ভ কয়লা র ঝলকানি দেখতে পাচ্ছি ৷ এটি নিশ্চিত যে, এক সময়
একটি অগ্নি শিাথায় পরিণত ৩হয়ে জ্বলে উঠবে ৷
ণ্১াদ্বুট্রুা ৷ার্চু১টুাটু ড্রু হ্ন্টু’ন্৷ ৷ ৰুহুাঠু ষ্ব্লু১; ,;াৰুাৰু ংাব্লু ট্রুাদ্বুা দু,(প্
“কারণ কাঠের সংম্পর্শ পেলে আগুন জ্বলে উঠবেই ৷ আর যুদ্ধের প্রাথমিক কাজ তো
আলাপ-আলোচনাই বটে ৷”
মোঃ
بِقَرْيَةٍ يُقَالُ لَهَا: آلِينُ. وَكَانَ فِي مَكَانٍ مُنْخَفِضٍ، فَخَشِيَ أَنْ يَقْطَعَ عَنْهُ نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ الْمَاءَ، وَذَلِكَ فِي سَادِسِ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَصَلَّى بِهِمْ يَوْمَ النَّحْرِ الْقَاضِي الْقَاسِمُ بْنُ مُجَاشِعٍ، وَصَارَ نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ فِي جَحَافِلَ قَاصِدًا قِتَالَ أَبِي مُسْلِمٍ وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْبِلَادِ نُوَّابًا، فَكَانَ مِنَ الْأَمْرِ مَا سَنَذْكُرُهُ فِي السَّنَةِ الْآتِيَةِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
[مَقْتَلُ الْكَرْمَانِيِّ]
وَنَشِبَتِ الْحَرْبُ بَيْنَ نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ وَبَيْنَ الْكَرْمَانِيِّ وَهُوَ جَدِيعُ بْنُ عَلِيٍّ الْكَرْمَانِيُّ فَقُتِلَ بَيْنَهُمَا مِنَ الْفَرِيقَيْنِ خَلْقٌ كَثِيرٌ، وَجَعَلَ أَبُو مُسْلِمٍ يُكَاتِبُ كُلًّا مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ، وَيَسْتَمِيلُهُمْ إِلَيْهِ، يَكْتُبُ إِلَى نَصْرٍ وَإِلَى الْكَرْمَانِيِّ: إِنَّ الْإِمَامَ قَدْ أَوْصَانِي بِكُمْ خَيْرًا، وَلَسْتُ أَعْدُو رَأْيَهُ فِيكُمْ. وَكَتَبَ إِلَى الْكُوَرِ يَدْعُو إِلَى بَنِي الْعَبَّاسِ فَاسْتَجَابَ لَهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ وَجَمٌ غَفِيرٌ، وَأَقْبَلَ أَبُو مُسْلِمٍ فَنَزَلَ بَيْنَ خَنْدَقِ نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ وَخَنْدَقِ جُدَيْعٍ الْكَرْمَانِيِّ، فَهَابَهُ الْفَرِيقَانِ جَمِيعًا. وَكَتَبَ نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ إِلَى الْخَلِيفَةِ مَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ الْمُلَقَّبِ بِالْحِمَارِ يُعْلِمُهُ بِأَمْرِ أَبِي مُسْلِمٍ وَكَثْرَةِ مَنْ مَعَهُ، وَأَنَّهُ يَدْعُو إِلَى إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ وَكَتَبَ فِي كِتَابِهِ:
পৃষ্ঠা - ৭৮৪৬
“বিম্ময়ের সাথে আ মি বলছি যে, হয়ে আমি যদি জানতে প র ওাম উমা ইয়পণ এখন কি সজাগ
আছে না তারা ঘুমিয়ে আছে ?”
জবাবে ম ৷রওয়ান লিখে যে, উপস্থিত ব্যক্তি যা দেখতে পায় অনুপস্থিত ব্যক্তি তা দেখতে পায়
না ৷ নাসর বলে , আপনার সহযোগী আমি নাসর বলছি যে, এখন আমার কো ন সাহা ৷যাকারী নেই ৷
কেউ কেউ নাসরের কবিতা নিম্নরুপ বলে বর্ণনা করেছেন :
ণ্াট্রুপু৯ ভ্রুৰু৷ প্রু,া
“আমি তো ছাইয়ের ন্তুর্পের মধ্যে আগুনের ঝলক দেখছি ৷ অবিলম্বে সেটি লেলিহান শিখা
হয়ে জ্বলে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে ৷”
ণ্১াহ্রাৰুা,!প্রুশ্া৷ এা, ট্রু,দ্বু১ন্ষ্াা৷ন্ এোশু£১
“কারণ, কাঠে সংস্প স্পর্শে আগুন জ্বলে উঠে ৷ আর যুদ্ধের প্রাথমিক স্তর তাে কথা বার্তা ও
আলাপ-আলোচনা ৷”
#
ণ্চুএিওঠা ষ্শ্রিা
“জাতির ৰিবেকবা ন ও সচেতন লোকেরা যদি এই আ গুন নিভিয়ে না দেয়, তাহলে মানব দেহ
মানব-মস্তক হবে তার জ্বালানী ও ইন্ধন ৷”
ৰ্টশ্শ্ ষ্শ্)ন্ধ্রশ্ষ্শ্রুণ্ শ্ণ্শ্ প্শ্ শ্ :শ্ র্চশ্স্ শ্ শ্০; ×
“আমি বিস্মিত হয়ে বলছি যে, হয়ে আমি যদি জানতে পারতাম উমাইয়াপণ এখনও ঘুমিয়ে
আছে না কি তারা জাগ্রত হয়েছে ৷”
“ওরা যদি এই সংকটময় মুহুতে ৩ও ঘুমিয়ে থাকে তবে তাদেরকে বলুন যে, তোমরা সকলে
ঘুম ভেঙ্গে উঠ,৷ দাড ৷ও, প্রস্তুত হও, প্রস্তুত হবার সময় এসে পড়েছে” ৷
ইবন খাল্লিকান বলেছেন, এটি তো সেই কবিতা ৷র ন্যায় ঘুহা ম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হুসান ৷নই
এবং ইব্রাহীম ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন হুসাইন সাফ্ফাব ভাই মানসুরের বিরুদ্ধে বিদ্রো ৷হ করার পর
জনৈক কুফ৷ ৷বাসী আ ৷লী বংশীয় ব্যক্তি বা আবৃত্তি করেছিল ৷ সে বলেছিল :
াছু প্রু,া
“আমি ৫৩ তা দেখছি ভুমিতে আগুন প্রজ্বলিত ৩হচ্ছে ৷ সেটি চা ৷রিদিকে শিখা ছড়িয়ে জ্বলছে ৷”
গ্লুভ্রু ; ন্৫ন্ণ্ণ্ ;,ন্গু১ ;;;াশ্, ভ্রুাঞন্ এে ৷ন্’; ১১১১ ১১ ন্
“আব্বাসীগণ ওই আগুন সম্পর্কে উদাসীন হয়ে শুয়ে রয়েছে তারা তৃপ্ত পরিতৃপ্ত ও প্রশান্ত
মনে ঘুমিয়ে আছে ৷”
أَرَى بَيْنَ الرَّمَادِ وَمِيضَ جَمْرٍ ... فَأَحْرِ بِأَنْ يَكُونَ لَهُ ضِرَامُ
فَإِنَّ النَّارَ بِالْعُودَيْنِ تُذْكَى ... وَإِنَّ الْحَرْبَ مَبْدَؤُهَا الْكَلَامُ
فَقُلْتُ مِنَ التَّعَجُّبِ لَيْتَ شِعْرِي ... أَأَيْقَاظٌ أُمَيَّةُ أَمْ نِيَامُ
فَكَتَبَ إِلَيْهِ مَرْوَانُ: الشَّاهِدُ يَرَى مَا لَا يَرَى الْغَائِبُ. فَقَالَ نَصْرٌ: إِنَّ صَاحِبَكُمْ قَدْ أَعْلَمَكُمْ أَنْ لَا نُصْرَةَ عِنْدَهُ.
وَبَعْضُهُمْ يَرْوِيهَا بِلَفْظٍ آخَرَ:
أَرَى خَلَلَ الرَّمَادِ وَمِيضَ نَارٍ ... فَيُوشِكُ أَنْ يَكُونَ لَهَا ضِرَامُ
فَإِنَّ النَّارَ بِالزِّنْدَيْنِ تُورَى ... وَإِنَّ الْحَرْبَ أَوَّلُهَا كَلَامُ
لِئَنْ لَمْ يُطْفِهَا عُقَلَاءُ قَوْمٍ ... يَكُونُ وُقُودُهَا جُثُثٌ وَهَامُ
أَقُولُ مِنَ التَّعَجُّبِ لَيْتَ شِعْرِي ... أَأَيْقَاظٌ أُمَيَّةُ أَمْ نِيَامُ
فَإِنْ كَانُوا لِحِينِهِمُ نِيَامًا ... فَقُلْ قُومُوا فَقَدْ حَانَ الْقِيامُ
قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ: وَهَذَا كَمَا قَالَ بَعْضُ عَلَوِيَّةِ الْكُوفَةِ حِينَ خَرَجَ مُحَمَّدٌ، وَإِبْرَاهِيمُ ابْنَا عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَسَنِ عَلَى الْمَنْصُورِ أَخِي السَّفَّاحِ:
أَرَى نَارًا تَشُبُّ عَلَى بِقَاعٍ ... لَهَا فِي كُلِّ نَاحِيَةٍ شُعَاعُ
পৃষ্ঠা - ৭৮৪৭
আল-বিদায়া ওয়াননিহায়া ৭১
এো
“ আব্বাসী নেতৃবর্গ এখন ঘুমিয়ে আছে যেমন ঘুমিয়েছিল ইতিপুর্বে উমাইয়াপণ ৷ এরপর
তারা জেগে উঠে প্রতিরোধ করতে ৩চেয়েছে কিন্তু তখন ওই প্রতিবাে ধ কোন কাজে আসেনি ৷”
নাসর ইবন সা ইয়া র এই সংকটে ইরাকের প্রশাসক ইয়াযীদ ইবন উমর ইবন হুবয়রা র নিকট
সাহায্য চেয়ে পত্র লিখেছিল ৷ নাসর লিখেছিল যে ং
“ইয়াযীদকে জানিয়ে দাও, বস্তুত সত্য কথা হল সর্বোত্তম কথা ৷ আর আমি বিশ্লেষণ করে
দেখেছি যে, মিথ্যাচারে কোন কল্যাণ নেই ৷
“া ৩াকে জানিয়ো দা ও যে, খুরাসানে আামি একটি ডিম দেখেছি ৷ ওই ডিম ফুটে যদিা বাচ্চা বের
হয় তবে বিস্ময়কর ও প্রলয়ৎকরী কাণ্ড ঘটিয়ে দিবে” ৷
“সেটি এখন দুই বছর বয়সের বাচ্চা, কিন্তু অনেক বড় হয়ে গিয়েছে ৷ এখনো উড়তে শুরু
করেনি ৷ সেটির গায়ে এখন ছোট (ছ ট পা লক গজিয়েছে ৷
“ ওগুলো যদি উড়তে শুরু করে এবং ওগুলােকে বাধা দেওয়ার কোন ব্যন্থা গ্রহণ না করা হয়
তাহলে সেগুলো যুদ্ধের দাউদাউ লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে দিবে ৷ ”
এই প্রেক্ষাপটে নাসরের পাঠানো চিঠিটি ইবন হুবায়রা খলীফা মারওয়ানের নিকট পাঠিয়ে
দেয় ৷ এই চিঠি যখন মারওয়ানের নিকট পৌছে তখন মারওয়ানের লোকেরা অন্য একটি চিঠিসহ
একজন পত্র বাহককে আটক করে ৷৩ তার নিকট ইমাম ইবরাহীমের পক্ষ হতে আবু মুসলিম
খুরাসানীকে লেখাএকটি পত্র ছিল ৷ ওই পত্রে ইমাম ইবরাহীম আবুমুসলিমের গৃহীত পদক্ষেপের
জন্যে তাকে মন্দ বলেছেন এবং নাসর ইবন সাইয়ার ও ইবনুল কিরমানী দুইজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
চালানোর নির্দেশ দেন ৷ উপরন্তু এই নির্দেপও দেন যে, ভাল আরবী জানা কোন লোককে যেন
সেখানে জীবিত ছেড়ে দেওয়া না হয় ৷
এই পত্র হস্তান্তর হবার পর হাবৃরানে অবস্থানকারী খলীফা মারওয়ান দামেস্কের শাসনকর্তা
ওয়ালীদ ইবন মুআবিয়া ইবন আবদুল মালিককে লিখিত নির্দেশ দেয়, সে যেন হামীমা গমন করে ৷
ইমাম ইবরাহীম তখন হামীমাতে অবস্থান করছিলেন ৷ মারওয়ান নির্দেশ দিল যে , ওয়ালীদ যেন
হামীমা গিয়ে ইবরাহীমকে গ্রেফতার করে এবং তাকে মারওয়ানের নিকট পাঠিয়ে দেয় ৷ ওয়ালীদ
তার অধীনস্থ বালকানের প্রশাসককে প্রেরণ করে গম্ভব্যন্থলে ৷ সে হামীমা নগরীর মসজিদে যায় ৷
ইবরাহীমকে সে ওখানে উপবিষ্ট দেখতে পড়ায় ৷ যে তাকে গ্রেফতার করে এবং দামেস্কে পাঠিয়ে
দেয় ৷ দামেস্কের প্রশাসক ওয়ালীদ ইবন মুআবিয়া তাকে তৎক্ষণাৎ খলীফা মারওয়ানের নিকট
وَقَدْ رَقَدَتْ بَنُو الْعَبَّاسِ عَنْهَا ... وَبَاتَتْ وَهِيَ آمِنَةٌ رِتَاعُ
كَمَا رَقَدَتْ أُمَيَّةُ ثُمَّ هَبَّتْ ... تُدَافِعُ حِينِ لَا يُغْنِي الدِّفَاعُ
وَكَتَبَ نَصْرٌ إِلَى نَائِبِ الْعِرَاقِ يَزِيدَ بْنِ عُمَرَ بْنِ هُبَيْرَةَ يَسْتَمِدُّهُ، كَتَبَ إِلَيْهِ:
أَبْلِغٍ يَزِيدَ وَخَيْرُ الْقَوْلِ أَصْدَقُهُ ... وَقَدْ تَبَيِّنْتُ أَنْ لَا خَيْرَ فِي الْكَذِبِ
بِأَنْ خُرَاسَانُ أَرْضٌ قَدْ رَأَيْتُ بِهَا ... بَيْضًا لَوِ افْرَخَ قَدْ حُدِّثْتَ بِالْعَجَبِ
فِرَاخُ عَامَيْنِ إِلَّا أَنَّهَا كَبُرَتْ ... لَمَّا يَطِرْنَ وَقَدْ سُرْبِلْنَ بِالزَّغَبِ
فَإِنْ يَطِرْنَ وَلَمْ يُحْتَلْ لَهُنَّ بِهَا ... يُلْهِبْنَ نِيَرَانَ حَرْبٍ أَيَّمَا لَهَبِ
فَبَعَثَ ابْنُ هُبَيْرَةَ بِكِتَابِ نَصْرٍ إِلَى مَرْوَانَ وَاتَّفَقَ فِي وُصُولِهِ إِلَيْهِ أَنْ وَجَدُوا رَسُولًا مِنْ جِهَةِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ وَمَعَهُ كِتَابٌ مِنْهُ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ وَهُوَ يَشْتُمُهُ وَيَسُبُّهُ وَيَأْمُرُهُ أَنْ يُنَاهِضَ نَصْرَ بْنَ سَيَّارٍ وَالْكَرْمَانِيَّ، وَلَا يَتْرُكُ هُنَاكَ مَنْ يُحْسِنُ الْكَلَامَ بِالْعَرَبِيَّةِ. فَعِنْدَ ذَلِكَ بَعَثَ مَرْوَانُ وَهُوَ مُقِيمٌ بِحَرَّانَ إِلَى نَائِبِهِ بِدِمَشْقَ وَهُوَ الْوَلِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، يَأْمُرُهُ أَنْ يُرْسَلَ كِتَابًا إِلَى نَائِبِهِ بِالْبَلْقَاءِ وَيَأْمُرُهُ فِيهِ أَنْ يَذْهَبَ إِلَى الْحُمَيْمَةِ الْبَلْدَةِ الَّتِي فِيهَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُلَقَّبُ بِالْإِمَامِ، فَيُقَيِّدُهُ وَيُرْسِلُهُ إِلَيْهِ، فَبَعَثَ نَائِبُ دِمَشْقَ إِلَى نَائِبِ الْبَلْقَاءِ، فَذَهَبَ إِلَى مَسْجِدِ الْبَلْدَةِ، فَوَجَدَ إِبْرَاهِيمَ بْنَ مُحَمَّدٍ جَالِسًا فِيهِ، فَقَيَّدَهُ وَأَرْسَلَ بِهِ إِلَى دِمَشْقَ، فَبَعَثَهُ نَائِبُ دِمَشْقَ مِنْ فَوْرِهِ إِلَى مَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَأَمَرَ بِهِ فَسُجِنَ، وَكَانَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৭৮৪৮
পাঠিয়ে দেয় ৷ মারওয়ানের নির্দেশ তাকে বন্দী করে রাখা হয় এবং এক পর্যায়ে বন্দী অবস্থায়
ইমাম ইবরাহীমকে হত্যা করা হয় ৷
নাসর এবং ইবনুল কিরমানীর মধ্যে যুদ্ধ চলছিল ৷ আবুমুসলিম থুরাসানী উভয় দলের মাঝে
অবস্থান নিলেন ৷ ইবনুল কিরমানী আবুমুসলিমকে লিখে জন নি যে, আমি আপনার পক্ষে আ ৷ছি ৷
বস্তুতঃ ইবনৃল কিরমানী আবু মুসলিমের পক্ষ অবলম্বন করল ৷ সংবাদ পেয়ে নাসর লিখল ইবনুল
কিরমানীকে যে, ধিক , তোমার জন্যে প্ৰতারিত হয়াে না ৷ আবু মুসলিমের উদ্দেশ্য তো তোমাকে
এবং তোমার সাথীদেরকে হত্যা করা ৷ তুমি অবিলম্বে আমার নিকট চলে আস, আমি আর তুমি
পরস্পর আপােষ মীমাংসা করে নিই ৷
ইবনুল কিরমানী তার শিবিরে প্রবেশ করল ৷ তারপর একশত আরােহীসহ উন্মুক্ত প্রাম্ভরে
বেরিয়ে এল ৷ সে নাসরকে লিখল যে, আমি আমরা দুইজনে আপােষ মীমাংসা করি এবং
সমঝোতা চুক্তি সম্পাদন করি ৷ ইবনুল কিরমানীর সরলতার সুযোগ কাজে লাগান নাসর ইবন
সাইয়ার ৷ যে বিশ্বাসঘাতকতা করল ৷ বিশাল সৈন্যের এক বাহিনী নিয়ে সে বাপিরে পড়ল ইবনুল
কিরমানীর মুষ্টিমেয় অশ্বারােহীর উপর ৷৩ তারা ইবনুল কিবমানী ও তার অনুসারী বহুলোককে হত্যা
করল ৷ ইবনুল কিরমানী যুদ্ধ ক্ষেত্রে নিহত হয় ৷ নাসরের এক সৈন্য ইবনুল কিরমা বীর কােমরে
আঘাত করে ৷ সে অশ্ব থেকে মাটিতে পড়ে যায় ৷ নাসর তাকে শুলবিদ্ধ করার নির্দেশ দেয় ৷
তাকে এবং তার সাথী অনেক লোককে শুলিতে চড় ৷নাে হয় ৷
ইবনুল কিরমানীর ছেলে৩ তার পিতার কতক অনুসারী নিয়ে আবু মুসলিম থুরাসানীর সাথে
মিলিত হয় ৷ ফলে তারা সকলে মিলে নাসর ইবন সা ইায়ারের বিরুদ্ধে এক জোট হয় ৷
ইবন জারীর বলেছেন, এই হিজরী সনে আবদুল্লাহ ইবন মুআবিয়৷ ইবন আবদুল্লাহ ইবন
জাফর পারস্য ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলাে দখল করে নেয়, একই সাথে যে হালওয়ান, কৃমিস,
ইস্পাহান ও রায় প্রদেশগুলােও জয় করে ৷ অবশ্য এগুলো জয় করতে তার অনেক যুদ্ধ করতে
হয়েছে ৷ এরপর আমির ইবন দাব্বারা ইস্তাখার নগরীতে আবদুল্লাহ্র মুখোমুখি হয় ৷ ইবন দাব্বারা
যুদ্ধে তাকে পরাজিত করে এবং তার চল্লিশ হাজার সৈন্য বন্দী করে ৷ তাদের মধ্যে আবদুল্লাহ
ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-ও ছিলেন ৷ ইবন মুআবিয়ার পক্ষ অবলম্বন করাতে
ইবন দাব্বারা আবদুল্লাহ ইবন আলীকে কটু কথা বলেন ৷ তিনি বলেন যে, কেন আপনি ইবন
মুআবিয়ার সাথে এলেন অথচ আপনি জা নেন যে, এই ইবন মুআবিয়৷ ৷কেদ্রীয় খলীফা মার ওয়ানের
বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে ? জবাবে আবদুল্লাহ ইবন আলী বললেন যে, আমি৩ ৷র নিকট
সন্ধিবদ্ধ ৷ ওই দা য়ের বাধ্য-বাধকতায় আমাকে তার সাথে আসতে ৩হযেছে ৷ ইতিমধ্যে হারব ইবন
কুতন দাড়িয়ে বলল, ইবন আলীকে আমাদের হাতে দিয়ে দিন, তিনি আমাদের ভাপ্লে সম্পর্কিত
আত্মীয় ৷ ফলে ইবন আলীকে তাদের হাতে সমর্পণ করা হল ৷ ইবন দাব্বারা বলল, আমি কোন
কৃরায়শী লোকের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে পারব ন৷ ৷
এরপর ইবন দাব্বারা ইবন আলীর নিকট ইবন মুআবিয়৷ সম্পর্ক জানতে চাইল ৷ ইবন আলী
জানালেন যে, ইবন ঘুআবিয়৷ একজন মন্দ লোক এবং সে নিজে এবং তার অনৃসারীরা
সমকামিতার দােষে দুষ্ট ৷ শত্রু পক্ষের বন্দী একশত যুবককে উপস্থিত করা হল ৷ ওদের পরনে
ছিল রঙিন ও চাক্যচিক্যময় পোশাক ৷ ওদেরকে সমকামিতায় ব্যবহার করা হত ৷ ইবন দাব্বারা
أَمْرِهِ مَا سَيَأْتِي فِي السَّنَةِ الْآتِيَةِ.
وَأَمَّا أَبُو مُسْلِمٍ فَإِنَّهُ لَمَّا تَوَسَّطَ بَيْنَ جَيْشِ نَصْرٍ، وَالْكَرْمَانِيِّ كَاتَبَ الْكَرْمَانِيَّ: إِنِّي مَعَكَ. فَمَالَ إِلَيْهِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ نَصْرٌ: وَيْحَكَ! لَا تَغْتَرَّ، فَإِنَّهُ إِنَّمَا يُرِيدُ قَتْلَكَ وَقَتْلَ أَصْحَابِكَ مَعَكَ، فَهَلُمَّ حَتَّى نَكْتُبَ كِتَابًا بَيْنَنَا بِالْمُوَادَعَةِ. فَدَخَلَ الْكَرْمَانِيُّ دَارَهُ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الرَّحْبَةِ فِي مِائَةِ فَارِسٍ وَبَعَثَ إِلَى نَصْرٍ أَنْ هَلُمَّ حَتَّى نَتَكَاتَبَ، فَأَبْصَرَ نَصْرٌ غِرَّةً مِنَ الْكَرْمَانِيِّ فَنَهَضَ إِلَيْهِ فِي خَلْقٍ كَثِيرٍ، فَحَمَلُوا عَلَيْهِمْ فَقَتَلُوا مِنْهُمْ جَمَاعَةً، وَقُتِلَ الْكَرْمَانِيُّ فِي الْمَعْرَكَةِ، طَعَنَهُ رَجُلٌ فِي خَاصِرَتِهِ، فَخْرَّ عَنْ دَابَّتِهِ، ثُمَّ أَمَرَ نَصْرٌ بِصَلْبِهِ، فَصُلِبَ وَصُلِبَ مَعَهُ سَمَكَةٌ، وَانْضَافَ وَلَدُهُ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيِّ وَمَعَهُ طَوَائِفُ مِنَ النَّاسِ مِنْ أَصْحَابِ أَبِيهِ، فَصَارُوا كَتِفًا وَاحِدَةً عَلَى نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تَغَلَّبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ عَلَى فَارِسَ وَكُوَرِهَا، وَعَلَى حُلْوَانَ وَقُومِسَ وَأَصْبَهَانَ وَالرَّيِّ بَعْدَ حُرُوبٍ يَطُولُ ذِكْرُهَا وَبَسْطُهَا، ثُمَّ الْتَقَى عَامِرُ بْنُ ضُبَارَةَ مَعَهُ بِإْصْطَخْرَ فَهَزَمَهُ ابْنُ ضُبَارَةَ وَأَسَرَ مِنْ أَصْحَابِهِ أَرْبَعِينَ أَلْفًا فَكَانَ مِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ فَنَسَبَهُ ابْنُ ضُبَارَةَ، وَقَالَ لَهُ: مَا جَاءَ بِكَ مَعَ ابْنِ مُعَاوِيَةَ وَقَدْ عَلِمْتَ خِلَافَهُ لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ مَرْوَانَ؟ فَقَالَ: كَانَ عَلَيَّ دَيْنٌ فَأَتَيْتُهُ. فَقَامَ إِلَيْهِ حَرْبُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৭৮৪৯
এবার আবদুল্লাহ ইবন আলীকে সরকারী লোকের সাথে ইবন হুবায়রার নিকট প্রেরণ করল যাতে
ইবন মুআবিয়৷ সম্পর্কিত এই সকল সংবাদ তার নিজস্ব মুখে ইবন হুবায়রাকে অবগত করেন ৷
অবশ্য এই আবদুল্লাহ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা ) এর হাতে মহান আল্লাহ
উমাইয়া৷ শা সনের পত তন নির্ধারিত করে দিয়েছিলেন ৷ ওদের কেউ তা জানত না ৷
ইবন জারীর বলেন, এই বছর হ৫জ্জ্বর মওসুমে আবু হামযা খারিজী মাথাচাড়া দিয়ে উঠে ৷ ৫স
মাওয়ানের আনুগত্য প্রত্যাখ্যান এবং তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ৷ পবিত্র মক্কা, মদীনা ও
তায়েফের শাসনকর্তা আবদুল ওয়াহিদ ইবন সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক তার সাথে ধৈর্যসুলভ
ব্যবহার করেন এবং পবিত্র মক্কা প্রত্যাবর্তন দিবস পর্যন্ত শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করার বিষয়ে
আপােষ মীমাংসা করেন ৷ আরাফাত ময়দানে তারা আম জনতা হতে আলাদা হয়ে ওয়াকুফ বা
অবস্থান গ্রহণ করে ৷ এরপর তারা আলাদাভাবে আরাফাত ত্যাগ করে পবিত্র মক্কাপ্রতব্রারর্তনের
প্রথম দিনে আবদুল ওয়াহিদ পবিত্র মক্কা এসে আবার দ্রুত পবিত্র মক্কা ৫ছ৫ড় চ৫চ্ন যায় ৷ ফলে
খারিজীরা কোন যুদ্ধ বিপ্রহ৷ ছাং; ডাই পবিত্র মক্কা প্রবেশ করে ৷ এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে জনৈক কবি
নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেন০ ং
শ্৷ ষ্ষ্ব্লুষ্ষ্ ষ্ষ্ ষ্)শ্ষ্০শ্ৰুব্লুশ্শ্ ষ্ ষ্ ষ্শ্
“হাজীগণ দলে দলে যিয়৷ ৷রত ৩করেছে ৷ কিন্তু মহা ন অ ৷ল্লাহ্র দীনের দিক নির্দোন্তোর উন্টোটাই
করেছে ৷ আর আবদুল ওয়াহিদ ৫স৫ ৫তা পালিয়ে গিয়েছে” ৷
“সে তো হারাম শরীফ , হিল্ল এলাকা এবং তার প্রশাসনিক ক্ষমতা সব ছেড়ে দিয়ে পলায়ন
করেছে ৷ যেমন পলায়নপর উট উচু নীচু ভুমিতে হাতড়িয়ে পড়ে হোচট খায় ৷”
শ্
এএা;,া৷ প্রু;প্রু ণ্ত্তম্া১১
“বন্তুত আন্দোলনে সংগ্রামে এবং যুদ্ধে যদি তার পিতার ঘাম ঝরে পড়ত তাহলে তার
সমর্থক ৫যাদ্ধাদের ঘামে যুদ্ধস্থুল৩ ভিজে ৫৩ ত ৷”
আবদুল ওয়াহিদ পবিত্র মদীনা ফিরে গিয়ে খাবিজীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান পরিচালনার
প্রস্তুতি আরম্ভ করে ৷ এজন্যে সে প্রচুর সম্পদ ব্যয় করে এবং সৈন্যদের ৫বতনতাতা বৃদ্ধি করে
দেয় ৷ সে দ্রুত ওই ৫সনাদল পাঠিয়ে ৫দয় ৷ এ সময়ে ইরাকের শাসনকর্তা ছিল ইয়াযীদ ইবন
হুবায়র৷ ৷ থুরাসানের শাসনকর্তা নাসর ইবন সাইয়ার ৷ অবশ্য নাসরের বিরুদ্ধে আবু মুসলিম
থুরাসানী প্রচুর সৈন্য সমাবেশ করে ৫রখেছিল ৷
১২৯ হিজরী’ সনে নেতৃস্থানীয় যাদের মৃত্যু হয়
এই হিজরী সনে নেতৃস্থানীয় য়৷ দের মৃত্যু হয় তাদের অন্যতম হলেন আবুনাসর স৷ ৷,লিম আ ৷লী
ইবন যায়দ ইবন জ ৷দআন ও ইয়াহ্ইয়৷ ইবন আবু কাহীর ৷ আৎ তাকমীল গ্রন্থে আমরা তাদের
জীবনী উল্লেখ করেছি ৷
ন্ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ (১ :ম থমোঃমোঃ-ফৌ ব্লুহুঞ্জো০জ্যো
قَطَنِ بْنِ وَهْبٍ الْكِنَانِيُّ فَاسْتَوْهَبَهُ مِنْهُ، وَقَالَ: هُوَ ابْنُ أُخْتِنَا. فَوَهَبَهُ لَهُ، وَقَالَ: مَا كُنْتُ لِأَقْدِمَ عَلَى رَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ. ثُمَّ اسْتَعْلَمَ ابْنُ ضُبَارَةَ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ أَخْبَارِ ابْنِ مُعَاوِيَةَ فَذَمَّهُ، وَرَمَاهُ هُوَ وَأَصْحَابَهُ بِاللِّوَاطِ، وَجِيءَ مِنَ الْأُسَارَى بِمِائَةِ غُلَامٍ عَلَيْهِمُ الثِّيَابُ الْمُصَبَّغَةُ، فَحَمَلَ ابْنُ ضُبَارَةَ، عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَلِيٍّ عَلَى الْبَرِيدِ إِلَى ابْنِ هُبَيْرَةَ لِيُخْبِرِهُ بِذَلِكَ، فَبَعَثَهُ ابْنُ هُبَيْرَةَ إِلَى مَرْوَانَ فِي أَجْنَادِ أَهْلِ الشَّامِ، فَأَخْبَرَهُ بِمَا أَخْبَرَهُ ابْنُ ضُبَارَةَ عَنِ ابْنِ مُعَاوِيَةَ. وَقَدْ كَتَبَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنَّ زَوَالَ مُلْكِ مَرْوَانَ يَكُونُ عَلَى يَدِ هَذَا الرَّجُلِ، وَلَا يَشْعُرُ وَاحِدٌ مِنْهُمْ بِذَلِكَ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وَافَى الْمَوْسِمَ أَبُو حَمْزَةَ الْخَارِجِيُّ فَأَظْهَرَ التَّحَكُّمَ وَالْمُخَالَفَةَ لِمَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ وَالتَّبَرُّؤَ مِنْهُ، فَرَاسَلَهُمْ عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ أَمِيرُ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَالطَّائِفِ، وَإِلَيْهِ أَمْرُ الْحَجِيجِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، ثُمَّ صَالَحَهُمْ عَلَى الْأَمَانِ إِلَى يَوْمِ النَّفْرِ، فَوَقَفُوا عَلَى حَجْرَةٍ مِنَ النَّاسِ بِعَرَفَاتٍ ثُمَّ تَحَيَّزُوا عَنْهُمْ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّفْرِ الْأَوَّلِ تَعَجَّلَ عَبْدُ الْوَاحِدِ وَتَرَكَ مَكَّةَ فَدَخَلَهَا الْخَارِجِيُّ بِغَيْرِ قِتَالٍ، فَقَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ فِي ذَلِكَ:
زَارَ الْحَجِيجَ عِصَابَةٌ قَدْ خَالَفُوا ... دِينَ الْإِلَهِ فَفَرَّ عَبْدُ الْوَاحِدِ
تَرَكَ الْحَلَائِلَ وَالِإْمَارَةَ هَارِبًا ... وَمَضَى يُخَبِّطُ كَالْبَعِيرِ الشَّارِدِ
لَوْ كَانَ وَالِدُهُ تَنَصَّلَ عِرْقَهُ ... لَصَفَتْ مَشَارِبُهُ بِعِرْقِ الْوَالِدِ
পৃষ্ঠা - ৭৮৫০
وَلَمَّا رَجَعَ عَبْدُ الْوَاحِدِ إِلَى الْمَدِينَةِ شَرَعَ فِي تَجْهِيزِ السَّرَايَا إِلَى الْخَارِجِيِّ وَبَذَلَ النَّفَقَاتِ، وَزَادَ فِي أَعْطِيَةِ الْأَجْنَادِ، وَسَيَّرَهُمْ إِلَيْهِ سَرِيعًا.
وَكَانَ إِمْرَةُ الْعِرَاقِ إِلَى يَزِيدَ بْنِ عُمَرَ بْنِ هُبَيْرَةَ وَإِمْرَةُ خُرَاسَانَ إِلَى نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ، وَكَانَ قَدِ اسْتَحْوَذَ عَلَى بَعْضِ بِلَادِهِ أَبُو مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيُّ.
وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ: سَالِمٌ أَبُو النَّضْرِ، وَعَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ فِي قَوْلٍ وَيَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ. وَقَدْ ذَكَرْنَا تَرَاجِمَهُمْ فِي كِتَابِ " التَّكْمِيلِ ". وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.