আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثمان وعشرين ومائة

পৃষ্ঠা - ৭৮৩২

ঐতিহাসিক ওয়াকিদী ও আবু মাশার বলেছেন যে, এই হিজরী সনে হকৃজ্জ নেতৃত্হ্ দিয়েছেন
ইিজাজ, পবিত্র মক্কা, তায়েফ ও পবিত্র মদীনায় শাসনকর্তা আবদুল আযীয ইবন উমর ইবন আবদুল
আযীয ৷ ইরাকে শাসনকর্তা ছিলেন নাসর ইবন সাঈদ হড়ারাশী ৷ দাহ্হাক হারুরী তার বিরুদ্ধে
বিদ্রোহ করেছিল ৷ এক পর্যায়ে আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন আবদুল আযীয ইরাকের শাসনকর্তা
নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷ খুরাসানের শাসনকর্তা ছিলেন নাসর ইবন সাইয়ার ৷ কিরমানী এবং হারিছ ইবন
সুরায়জ তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল ৷

১২৭ হিজরী সনে যীদের ওফাত হয়

১ ২৭ হিজরী সনে যে সকল খ্যাতিমান ব্যক্তি ইনতিকাল করেন তাদের মধ্যে আছেন বকর
ইবন আশাজ্জ, সা দ ইবন ইব্রাহীম, আবদুল্লাহ ইবন দীনার, আবদুল মালিক ইবন মালিক জাযারী,
উমর ইবন হানী, মালিক ইবন দীনার, ওয়াহ্ব ইবন করেননি এবং আবু ইসহাক মুবায়ঈ প্রমুখ ৷

১২৮ হিজরী সন

এই হিজরী সনে হারিছ ইবন সুরায়জ নিহত হয় ৷ এই হত্যাকাণ্ডের পটভুমি হল খঃলীফা
ইয়াযীদইবন ওয়ালীদ হারিছের জন্যে নিরাপত্তার আদেশ প্রদান করেছিলেন ৷ এই আদেশেব
প্রেক্ষিতে সে তুর্কী নগরী হতে বেরিয়ে মুসলমানদের সাথে এসে যোগ দেয় ৷ মুশবিকদের সাথে
সম্পর্ক ও বন্ধুতু ছিনৃ করে ইসলাম ও মুসলমানদের সাহায্যে নিয়োজিত হয় ৷

খুরাসানের শাসনকর্তা নাসর ইবন সাইয়ারের সাথে তার বহুবার হৃদ্যতা, বন্ধুতৃ এবং
মনােমালিন্য ঘটে ৷ এর মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে বারবার সম্পর্কের উন্নতি ও চরম অবনতি ঘটে ৷
মারওয়ান ইবন মুহাম্মদ খলীফা নিযুক্ত হবার পর হারিছ ইবন সুরায়জ শংকিত হয়ে পড়ে ৷
ইতিমধ্যে ইবন হুবায়রাকে ইরাকের শাসনকর্তা নিয়োগ করা হয় ৷ চারিদিকে মারওয়ানের পক্ষে
বায়আত গ্রহণ করা হতে থাকে ৷ কিন্তু মারওয়ানকে থলীফা মেনে নিতে অস্বীকার জানিয়ে বসে
হারিছ ইবন সুরায়জ, সে মারওয়ানের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা চালানো ও তার দুর্নাম করতে থাকে ৷
তৎকালীন পুলিশ প্রধান ঘুসলিমা ইবন আহ্ওয়ায় এবং নেতৃস্থানীয় কতক আমীর-উমারা তার নিকট
এসে কথাবার্তায় সত্যত হবার নির্দেশ দেয় ৷ অন্যকে দৈহিক ও মৌখিকভাবে আক্রমণ না করার
জন্যে তারা তাকে অনুরোধ জানায় ৷ তারা তাকে এ কথাও বলে যে , সে যেন মুসলমানদের ঐক্যে
ফাটল না ধরায় , তাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি না করে ৷ সে তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেনি ৷ অনুরোধ
রক্ষা করেনি ৷ যে মুল জনগােষ্ঠির সংসর্গ ত্যাগ করে এক প্রান্তে চলে যায় ৷ সে নিজ গতিতে
জনসাধারণকে কিতাব ও সুন্নাহ্-এর আমলের প্রতি দাওয়াত দিতে যাবে ৷ থুরাসানেব গভর্নর নাসৃর
ইবন সাইয়ারকে যে তার সাথে যোগ দেওয়ার এবং সহযোগিতা করার অনুরোধ করে ৷ যে তাতে
রাযী হয়নি ৷ এদিকে হারিছ ক্রমান্বয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলতে থাকে ৷ সে জাহ্ম ইবন
সাফওয়ানকে জনসাধারণের নিকট একটি কিতাব পাঠ করে শুনাতে বলে সে কিতাবে হারিছের
জীবন-চরিত ছিল ৷ জাহ্ম ইবন সাফওয়ান হল বনুরাসিব গোত্রের ক্রীতদাস ৷ তার উপনাম আবু
মিহরায় ৷ জাহ্মিয়া উপদল তারই অনুসারী দল ৷

হারিছ দাবী করতে থাকে যে, সে “কাল পতাকার” অধিকারী ৷ নাসর তাকে বলে পাঠায় যে,
তুমি যদি সত্যিই তাই হও তাহলে তোমরা তো দামেষ্কের নিরাপত্তা প্রাচীর ভেসে চুরমার করবে


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَمَانٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا كَانَ مَقْتَلُ الْحَارِثِ بْنِ سُرَيْجٍ، وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ النَّاقِصَ كَانَ قَدْ كَتَبَ إِلَيْهِ كِتَابَ أَمَانٍ حَتَّى خَرَجَ مِنْ بِلَادِ التُّرْكِ وَصَارَ إِلَى بِلَادِ الْمُسْلِمِينَ، وَرَجَعَ عَنْ مُوَالَاةِ الْمُشْرِكِينَ إِلَى نُصْرَةِ الْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ. وَأَنَّهُ وَقَعَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ نَائِبِ خُرَاسَانَ وَحْشَةٌ وَمُنَافَسَاتٌ كَثِيرَةٌ يَطُولُ شَرْحُهَا، فَلَمَّا صَارَتِ الْخِلَافَةُ إِلَى مَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ اسْتَوْحَشَ الْحَارِثُ بْنُ سُرَيْجٍ مِنْ ذَلِكَ، وَتَوَلَّى ابْنُ هُبَيْرَةَ نِيَابَةَ الْعِرَاقِ وَجَاءَتِ الْبَيْعَةُ لِمَرْوَانَ، فَامْتَنَعَ الْحَارِثُ مِنْ قَبُولِهَا وَتَكَلَّمَ فِي مَرْوَانَ وَجَاءَهُ سَلْمُ بْنُ أَحْوَزَ أَمِيرُ الشُّرْطَةِ، وَجَمَاعَةٌ مِنْ رُءُوسِ الْأَجْنَادِ وَالْأُمَرَاءِ، وَطَلَبُوا مِنْهُ أَنْ يَكُفَّ لِسَانَهُ وَيَدَهُ، وَأَنْ لَا يُفَرِّقَ جَمَاعَةَ الْمُسْلِمِينَ، فَأَبَى وَبَرَزَ نَاحِيَةً عَنِ النَّاسِ، وَدَعَا نَصْرَ بْنَ سَيَّارٍ إِلَى مَا هُوَ عَلَيْهِ مِنَ الدَّعْوَةِ إِلَى الْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ، فَامْتَنَعَ نَصْرٌ مِنْ مُوَافَقَتِهِ، وَاسْتَمَرَّ هُوَ عَلَى خُرُوجِهِ عَلَى الْإِسْلَامِ، وَأَمَرَ الْجَهْمَ بْنَ صَفْوَانَ مَوْلَى بَنِي رَاسِبٍ، وَيُكَنَّى بِأَبِي مُحْرِزٍ - وَهُوَ الَّذِي تُنْسَبُ إِلَيْهِ الْفِرْقَةُ الْجَهْمِيَّةُ - أَنْ يَقْرَأَ كِتَابًا فِيهِ سِيرَةِ الْحَارِثِ عَلَى النَّاسِ، وَكَانَ الْحَارِثُ يَقُولُ: أَنَا صَاحِبُ الرَّايَاتِ السُّودِ. فَبَعَثَ إِلَيْهِ نَصْرٌ يَقُولُ: إِنْ كُنْتَ ذَاكَ فَلَعَمْرِي إِنَّكُمُ الَّذِينَ تُخَرِّبُونَ سُورَ دِمَشْقَ وَتُزِيلُونَ بَنِي أُمَيَّةَ فَخْذْ مِنِّي خَمْسَمِائَةِ رَأْسٍ وَمِائَتَيْ بَعِيرٍ وَمَا شِئْتَ مِنَ الْأَمْوَالِ، وَإِنْ كُنْتَ غَيْرَهُ فَقَدْ أَهْلَكْتَ عَشِيرَتَكَ. فَبَعَثَ إِلَيْهِ الْحَارِثُ يَقُولُ: لَعَمْرِي إِنَّ هَذَا لَكَائِنٌ. فَقَالَ لَهُ
পৃষ্ঠা - ৭৮৩৩

১০ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

এবং উমাইযাদের নেতৃতৃ কতৃতৃ বিনষ্ট করবে ৷ কাজেই, তুমি আমার পক্ষ হতে পাচশ ক্রীতদাস
ৎএকশত উট নিয়ে চলে যাও ৷ আর তুমি যদি প্রকৃত ই তা না হও তাহলে এই কাজ দ্বারা
ট্রুমি তোমা র গোাএ ও অনুসারীদের ধ্বংস ডেকে আসবে ৷
উত্তরে হাবিছ বলেছিল, আমা জীবনের কসম, আমার দ্বারা দামেষ্কের প্রাচীর বিনষ্ট হবে এবং
উমাইয়াদের কর্তৃতু বিলীন হয়ে ৷ নাসর বলল, তাহলেত তুমি প্রথমে কিরমানী এর বিরুদ্ধে তোমার
অভিযান শুরু কর ৷ তারপর “রায়” অঞ্চলে যাবে ৷ ওখানে গিয়ে পৌছতে পারলে আামি তোমার
সহযোগিতা করব ৷ তোমার অনুগত হব ৷
এরপর আন্দোলনের নেতৃতু নিয়ে নাসর আর হাবিছের দ্বন্দু দেখা দেয় ৷ মুকাতিল ইবন
হাইয়ান এবং জাহ্ম ইবন সাফওয়ানকে তারা মীমাংসাকারী ও বিচারক মেনে নেয় ৷ তারা দুইজনে
রায় দিল যে, নাসর নেতৃতৃ হতে অপসারিত হবে এবং কাজ-কর্ম চলবে পরামর্শ সভার
তত্ত্বাবধানে ৷ নাসর এই বায় প্রত্যাখ্যান করে এবং হাবিছ জ হম ইবন সাফওয়ানের মতাদর্শ
অনুসরণ করতে থাকে ৷ সে পথে প্ৰান্তরে পঠিত হারিছের জীবন-চবিত ৩বিকৃত করে দেয় ৷ তার
সমর্থনে বহু লোক এগিয়ে আসে ৷ নাসরের নির্দেশে বহু লোকের একটি বাহিনী হাবিছের বিরুদ্ধে
যুদ্ধের ডাক দেয় ৷ তারা হাবিছের উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসে ৷ হাবিছের সমর্থকগণ ওদের গতিরোধ
করে ৷ জাহ্ম ইবন সাফওয়ানসহ বহু লোক ওই যুদ্ধে নিহত হয় ৷ এক লোক জাহ্মের মুখে বর্শার
আঘাত করে ৷ তাতে তার মৃত্যু ঘটে ৷ কেউ বলেছেন যে, জাহ্মকে বন্দী করা হয়েছিল ৷ এরপর
সালম ইবন আহ্ওয়ায়ের নির্দোশ তাকে হত্যা করা হয়েছিল ৷ মৃত্যুর পুর্বে জাহ্ম আঅপক্ষ সমর্থন
করে বলেছিল যে, তোমার পিতা আমাকে নিরাপত্তা দিয়েছিল ৷ জবাবে সালম বলেছিল যে, আমার
পিতা তোমার মত লোককে নিরাপত্তা দিতে পারেন না ৷ আর যদি তিনি তোমাকে নিরাপত্তা দিয়েও
থাকেন আামি তোমাকে তা দিচ্ছি না ৷ এই জগতে সকল নক্ষত্র নেমে এলেও এবং ঈসা (আ)
আবির্ভুত হলেও তুমি আজ মুক্তি পাবে না ৷ আল্লাহর কসম তমি যদি আমার পেটের মধ্যেও
থাকতে আমি পেট চিরে তোমাকে বের করে হত্যা করত তাম ৷ সালম ইবন আহ্ওয়ায়ের নিদ্যেশ
ইবন কায়সারকেও হত্যা করা হয় ৷
এরপর হাবিছ ইবন সুরায়জ এবং কিরমানী দুইজনে নাসরের বিরুদ্ধে জো টবদ্ধ হয় ৷ তার
বিরোধিতা করার জন্যে তারা ঐকমতে ত পৌছে ৷৩ তারা কিতাব ও সুন্নাহ্র অনুসরণ, জনগণকে
এদিকে আহ্বান কর, সত ম্পোন্থী ইমামদের অনুসরণ এবং নিষিদ্ধ ও মন্দ কর্মওলো বর্জনে একমত
হয় ৷
এই ঐকমত্য রেশীদিন স্থায়ী হয়নি ৷ অবিলম্বে তারা দুইজনে দ্বন্দু সৎঘাতে লিপ্ত হয় ৷ উভয়ের
মধ্যে যুদ্ধ রেধে যায় ৷ যুদ্ধে কিরমানী জয়ী হয় ৷ হারিছের অনুসারিগণ হয় পরাজিত ৷ হাবিছ তখন
একটি থচ্চরের পিঠে ছিল ৷ সেখান হতে ভ্রু ৩অশ্বারোহী বাহিনীর নিকট সরে যেয়ে যে বাহনের পিঠে
তিনি চড়লেন সেটি ঠায় দাড়িয়ে থাকল ৷ একটুও অগ্রসর হল না ৷ অবস্থা রেগতিক দেখে তার
অষুসাবিগণ পালিয়ে গেল ৷ মাত্র একশত অনুসারী তার সাথে অবশিষ্ট ছিল ৷ কিরমানীর অনুসারীরা
তাকে ধরে ফেলল এবং একটি যায়তু ন বৃক্ষের নীচে তাকে হত্যা করল ৷ কেউ বলেছেন আবীর
বৃক্ষের নীচে ৷

হারিছের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছিল এই হিজরী সনের ২৪ শে রজব রবিবার ৷ হারিছের


نَصْرٌ: فَابْدَأْ بِالْكَرْمَانِيِّ أَوَّلًا، ثُمَّ سِرْ إِلَى الرَّيِّ وَأَنَا فِي طَاعَتِكَ إِذَا وَصَّلْتَهَا. ثُمَّ تَنَاظَرَ نَصْرٌ وَالْحَارِثُ وَرَضِيَا أَنْ يَحْكُمَ بَيْنَهُمَا مُقَاتِلُ بْنُ حَيَّانَ، وَالْجَهْمُ بْنُ صَفْوَانَ فَحَكَمَا أَنْ يُعْزَلَ نَصْرٌ وَيَكُونَ الْأَمْرُ شُورَى، فَامْتَنَعَ نَصْرٌ مِنْ قَبُولِ ذَلِكَ، وَلَزِمَ الْجَهْمُ بْنُ صَفْوَانَ وَغَيْرُهُ قِرَاءَةَ سِيرَةِ الْحَارِثِ عَلَى النَّاسِ فِي الْمَجَامِعِ وَالطُّرُقِ، فَاسْتَجَابَ لَهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ، وَجَمْعٌ غَفِيرٌ، فَعِنْدَ ذَلِكَ انْتَدَبَ لِقِتَالِهِ جَمَاعَاتٍ مِنَ الْجُيُوشِ عَنْ أَمْرِ نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ، فَقَصَدُوهُ فَحَاجَفَ دُونَهُ أَصْحَابُهُ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ طَائِفَةً كَثِيرَةً مِنْهُمُ الْجَهْمُ بْنُ صَفْوَانَ، طَعَنَهُ رَجُلٌ فِي فِيهِ فَقَتَلَهُ، وَيُقَالُ: بَلْ أُسِرَ الْجَهْمُ فَأُوقِفُ بَيْنَ يَدَيْ سَلْمِ بْنِ أَحْوَزَ فَأَمَرَ بِقَتْلِهِ، فَقَالَ: إِنَّ لِي أَمَانًا مِنِ ابْنِكَ. فَقَالَ: مَا كَانَ لَهُ أَنْ يُؤَمِّنَكَ، وَلَوْ فَعَلَ مَا أَمَّنْتُكَ، وَلَوْ مَلَأْتَ هَذِهِ الْمُلَاءَةَ كَوَاكِبَ، وَأَنْزَلْتَ إِلَيَّ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ مَا نَجَوْتَ، وَاللَّهِ لَوْ كُنْتَ فِي بَطْنِي لَشَقَقْتُ بَطْنِي حَتَّى أَقْتُلَكَ. وَأَمَرَ عَبْدَ رَبِّهِ بْنَ سِيسَنَ فَقَتَلَهُ، ثُمَّ اتَّفَقَ الْحَارِثُ بْنُ سُرَيْجٍ، وَالْكَرْمَانِيُّ عَلَى نَصْرٍ وَمُخَالَفَتِهِ، وَالدَّعْوَةِ إِلَى الْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ، وَاتِّبَاعِ أَئِمَّةِ الْهُدَى، وَتَحْرِيمِ الْمُنْكِرَاتِ، إِلَى غَيْرِ ذَلِكَ مِمَّا جَاءَتْ بِهِ الشَّرِيعَةُ، ثُمَّ اخْتَلَفَا فِيمَا بَيْنَهُمَا، وَاقْتَتَلَا قِتَالًا شَدِيدًا، فَغَلَبَ الْكَرْمَانِيُّ وَانْهَزَمَ أَصْحَابُ الْحَارِثِ وَكَانَ رَاكِبًا عَلَى بَغْلٍ، فَتَحَوَّلَ عَنْهُ إِلَى فَرَسٍ، فَحَرَنَتْ أَنْ تَمْشِيَ، وَهَرَبَ عَنْهُ أَصْحَابُهُ، وَلَمْ يَبْقَ مَعَهُ مِنْهُمْ سِوَى مِائَةٌ، فَأَدْرَكَهُ أَصْحَابُ الْكَرْمَانِيِّ فَقَتَلُوهُ تَحْتَ شَجَرَةِ زَيْتُونٍ، وَقِيلَ: تَحْتَ شَجَرَةِ غُبَيْرَاءَ. وَذَلِكَ يَوْمَ الْأَحَدِ لَسِتٍّ بَقِيْنَ مِنْ رَجَبٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَقُتِلَ مَعَهُ مِائَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ،
পৃষ্ঠা - ৭৮৩৪
وَاحْتَاطَ الْكَرْمَانِيُّ عَلَى حَوَاصِلِهِ وَأَمْوَالِهِ، وَأَخَذَ أَمْوَالَ مَنْ خَرَجَ مَعَهُ أَيْضًا، وَأَمَرَ بِصَلْبِ الْحَارِثِ بِلَا رَأْسٍ عَلَى بَابِ مَدِينَةِ مَرْوَ، وَلَمَّا بَلَغَ نَصْرَ بْنَ سَيَّارٍ مَقْتَلُ الْحَارِثِ قَالَ فِي ذَلِكَ: يَا مُدْخِلَ الذُّلِّ عَلَى قَوْمِهِ ... بُعْدًا وَسُحْقًا لَكَ مِنْ هَالِكِ شُؤْمُكَ أَرْدَى مُضَرًا كُلَّهَا ... وَغَضَّ مِنْ قَوْمِكَ بِالْحَارِكِ مَا كَانَتِ الْأَزْدُ وَأَشْيَاعُهَا ... تَطْمَعُ فِي عَمْرٍو وَلَا مَالِكِ وَلَا بَنِي سَعْدٍ إِذَا أَلْجَمُوا ... كُلَّ طِمِرٍّ لَوْنُهُ حَالِكُ وَقَدْ أَجَابَهُ عَبَّادُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ سُرَيْجٍ فِيمَا قَالَ: أَلَّا يَا نَصْرُ قَدْ بَرِحَ الْخَفَاءُ ... وَقَدْ طَالَ التَّمَنِّيَ وَالرَّجَاءُ وَأَصْبَحَتِ الْمَزُونُ بِأَرْضِ مَرْوٍ ... تُقَضِّي فِي الْحُكُومَةِ مَا تَشَاءُ يَجُوزُ قَضَاؤُهَا فِي كُلِّ حُكْمٍ ... عَلَى مُضَرٍ وَإِنْ جَارَ الْقَضَاءُ وَحِمْيَرُ فِي مَجَالِسِهَا قُعُودٌ ... تَرَقْرَقُ فِي رِقَابِهِمُ الدِّمَاءُ فَإِنَّ مُضَرٌ بِذَا رَضِيَتْ وَذَلَّتْ ... فَطَالَ لَهَا الْمَذَلَّةُ وَالشَّقَاءُ وَإِنْ هِيَ أَعَتَبَتْ فِيهَا وَإِلَّا ... فَحَلَّ عَلَى عَسَاكِرِهَا الْعَفَاءُ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ بَعَثَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَبَا
পৃষ্ঠা - ৭৮৩৫

ন্থে তার একশত জন সঙ্গীও নিহত হয় ৷ হারিছের সকল ধন-সম্পদ কিরমানী দখল করে নেয় ৷
ভরে নিহত সঙ্গীদের ধন-সম্পদও কিরমানী নিজ আয়ত্তে নিয়ে আসে ৷ হারিছের মাথাবিহীন দেহ
মর্ভ নগরীর সদর দরজায় ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ নাসর ইবন সাইয়ার য়খন হারিছের
নিহত হবার সংবাদ অবগত হয় তখন সে নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেন :
৷ মুন্ৰুা; ৷“;
“ওহে ব্যক্তি যে আপন সম্প্রদায়ের উপর লাঞ্চুনা টেনে এনেছে ৷ তোমার প্রতি লানত,
তোমার প্রতি অভিশাপ, তোমার জন্যে ধ্বংস

) )

এ এে ; ছুণ্;ঠুটু; ; র্টু ,;;;’এ ভ্রুৰুদ্বু ৷প্রুহু;;; এে১টু’৷ ৰু;;ৰু;

“ তোম র দুর্ভ ৷গ্য পুরো মুদ৷ র সম্প্রদ৷ য়কে ধ্বংস ও বরবাদ করে দিয়েছে ৷ তোমার সম্প্রদায়ের
ঘাড় কােট দিয়েছে ৷”

ৰুাটুত্ন৷ ;ট্রুাদ্বুা;
“আযদ গোত্র এবং তার সর্তীর্থর৷ আমরের প্রতিও আগ্রহী নয়, মালিকের প্রতিও নয় ৷”


“এবং ত ৷র৷ বনুসা দ গোত্রের প্রতিও আগ্রহী নয় ৷ ত ৷রা পুরনো কাপড়ে কালো রং লাগায় ৷”

নিহত হারিছের ছেলে আব্বাদ নাসর ইবন স৷ ৷ইয়ারের উপরোক্ত কবিতার জবাবে নিম্নের
প ৎক্তিমা ৷ল৷ উচ্চারণ করে ং

ৰুা৷
“ওহে নড়াসর গোপন খবর এখন ফ ৷স হয়ে গিয়েছে ৷ আশা আকাওক্ষ ৷ও উচ্চ ৷ভিলাষ এখন
দীর্ঘ হতে ৩দীর্ঘতর হয়েছে ৷”



ক্রোণ্ষ্
“মার্ভ রাজ্যে এখন তোমার জন্যে ঘুষলধারে বৃষ্টি নেমেছে ৷ ওই রাজ্যে তুমি যা ইচ্ছাত
করে যাচ্ছ” ৷

) ণ্ )

শুন্ত্রৈ

“এখন ওই রাজ্যে সকল ফায়স৷ লা মুদ৷ র গোত্রের বিরুদ্ধে যাচ্ছে ৷ যদিও ফায়সাল৷ দেওয়ার
বৈধত৷ রয়েছে ৷”

fi ং এ এ # ¢


“হিমইয়ার গো এ এখন আপন আসনে নিথর অসাড় বসে রয়েছে ৷৩ তাদের ঘাড় রক্তে রঞ্জিত
হচ্ছে ৷ ”


مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيَّ إِلَى خُرَاسَانَ، وَكَتَبَ مَعَهُ كِتَابًا إِلَى شِيعَتِهِمْ بِهَا: إِنَّ هَذَا أَبُو مُسْلِمٍ فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا، وَقَدْ وَلَيْتُهُ عَلَى مَا غَلَبَ عَلَيْهِ مِنْ أَرْضِ خُرَاسَانَ. فَلَمَّا قَدِمَ أَبُو مُسْلِمٍ خُرَاسَانَ، وَقَرَأَ عَلَى أَصْحَابِهِ هَذَا الْكِتَابَ، لَمْ يَلْتَفِتُوا إِلَيْهِ، وَلَمْ يَعْمَلُوا بِهِ، وَأَعْرَضُوا عَنْهُ، وَنَبَذُوهُ وَرَاءَ ظُهُورِهِمْ، فَرَجَعَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ أَيَّامَ الْمَوْسِمِ، فَاشْتَكَاهُمْ إِلَيْهِ، وَأَخْبَرَهُ بِمَا قَابَلُوهُ بِهِ مِنَ الْمُخَالَفَةِ، فَقَالَ لَهُ: يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ إِنَّكَ رَجُلٌ مِنَّا أَهْلَ الْبَيْتِ ارْجِعْ إِلَيْهِمْ وَعَلَيْكَ بِهَذَا الْحَيِّ مِنَ الْيَمَنِ فَالْزَمْهُمْ وَانْزِلْ بَيْنَ أَظْهُرِهِمْ، فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُتِمُّ هَذَا الْأَمْرَ إِلَّا بِهِمْ. ثُمَّ حَذَّرَهُ مِنْ بَقِيَّةِ الْأَحْيَاءِ، وَقَالَ لَهُ: إِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ لَا تَدَعَ بِتِلْكَ الْبِلَادِ لِسَانًا عَرَبِيًّا فَافْعَلْ، وَمَنْ بَلَغَ مِنْ أَبْنَائِهِمْ خَمْسَةَ أَشْبَارٍ وَاتَّهَمْتَهُ فَاقْتُلْهُ، وَعَلَيْكَ بِهَذَا الشَّيْخِ فَلَا تَعْصِهِ. يَعْنِي سُلَيْمَانَ بْنَ كَثِيرٍ، وَسَيَأْتِي مَا كَانَ مِنْ أَمْرِ أَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيِّ فِيمَا بَعْدُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ قُتِلَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ الْخَارِجِيُّ فِي قَوْلِ أَبِي مِخْنَفٍ وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ الضَّحَّاكَ حَاصَرَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بِوَاسِطَ وَوَافَقَهُ عَلَى مُحَاصَرَتِهِ مَنْصُورُ بْنُ جُمْهُورٍ، فَكَتَبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَيْهِ أَنَّهُ لَا فَائِدَةَ لَكَ فِي مُحَاصَرَتِي، وَلَكِنْ عَلَيْكَ بِمَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ فَسِرْ إِلَيْهِ، فَإِنْ قَتَلْتَهُ اتَّبَعْتُكَ. فَاصْطَلَحَا عَلَى مُخَالَفَةِ مَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ، وَتَرَحَّلَ الضَّحَّاكُ عَنْهُ، وَسَارَ قَاصِدًا إِلَى قِتَالِ مَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَلَمَّا اجْتَازَ الضَّحَّاكُ بِالْمَوْصِلِ كَاتَبَهُ أَهْلُهَا، فَمَالَ إِلَيْهِمْ فَدَخَلَهَا، وَقَتَلَ
পৃষ্ঠা - ৭৮৩৬

ন্ ষ্ ;

ঞ্জো ৷এ <াপ্রুশু৷ ৷ ৷চু৷ হ্া£াৰু ;এ১এ শুছুষ্ঠু ৷;এ ড্রুঞা ষ্চুরু

“মুদ ব গোত্র যদি এই পরিস্থিতিতে নীরব শা ৷ম্ভ, সভুষ্ট ও অনুগত থাকে তাহলে তা ব্দে-;;ৰু এই
কষ্ট, লাঞ্চুন৷ অপম৷ ৷ন ও দুর্ভে৷ ৷গ দীর্ঘ ও প্রল্ম্বিত হতে থ করে

শ্শ্শ্শ্শ্

“আর ওই গোত্র যদি বিদ্রোহ করে, এই অবন্থ কে গ্লানিকর মনে করে তাহলে তাদের জন্যে

মুক্তি আসবে ৷ নতুবা তাদের সেনাবাহিনীর উপর অস্ত্রহীন৩ ৷ ও নিরত্রিকরণের থড়গ নেমে
আসবে’ ৷’

এই হিজরী সনে ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস খুরাসানে
প্রেরণ করেছিলেন আবু মুসলিম খুরাসানীকে ৷ তার মা ৷খে একটি চিঠি প ঠিয়েছিলেন থুরাসানের
শীআপন্থী লোকদের নিকট ৷ তাতে লিখা ছিল এই যে, আবু মুসলিম তোমরা তার কথা মানবে,
তার প্ৰতি ৩অনুগত থাকবে ৷ থুরাসানের যতটুকু স্থানে সে কর্তৃতু প্রতিষ্ঠা করেছে ওইটুকু স্থানের
জন্যে আমি তাকে শাসনকর্তা নিযুক্ত করলাম ৷

আবু মুসলিম থুরাসানী খুরাসান আগমন করে এবং শীআদের নিকট ওই চিঠি পাঠ করে ৷

তারা তার প্ৰতি ফিরেও তাকায়নি ৷ ওই চিঠির কো ন ওরুতৃ ই দেয়নি ৷ সকলে তার থেকে মুখ
ফিরিয়ে নেয় এবং তাকে বর্জন করে ৷

হহুজ্জর মওসুমে আবু মুসলিম ফিরে আসে ইমাম ইব্রাহীম ইবন মুহাম্মদের নিকট ৷
জনগণের প্রত্যাখ্যান ও তাকে অবজ্ঞা করার কথা সে তাকে অবহিত করে ৷ ইব্রাহীম ইবন
মুহাম্মদ তাকে বললেন, হে আবদুর রহমান ! তুমি তো আমাদের বংশ তালিকাভুক্ত একজন
মানুষ ৷ তুমি ওদের নিকট ফিরে যাও ৷ ইয়ামানের ওই সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চাইবে তুমি ৷
ওদেরকে সম্মান করবে এ ৎ ওদের নিকট অবস্থান করবে ৷ কারণ ওদেরকে বাদ দিয়ে এই লক্ষে
পুর্ণতা ও সফলতা পাওয়া যাবে না ৷ এরপর তিনি তাকে অন্যান্য সম্প্রদায় সম্পর্কে সতর্ক করে
দিলেন এবং বললেন ওই সকল শহর নগরে তোমরা যদি আরবী ভাষাকে বিতাড়িত ও প্রত্যাহার
করে নিতে পা ৷র তবে তা ৷ই কর ৷ ওদের ছেলে সন্তানদের মধ্যে যাদের দৈর্ঘ্য পাচ বিঘত পরিমাণ
হয়েছে তাদের ক উকে যদি তুমি সন্দেহ করে থাক তবে তাকে মেরে ফেলবে ৷ আর ওই যে
শায়খ অর্থাৎ সুলায়মান ইবন কাহীর তুমি তা ৷র থেকে কিসাস নিয়ে না ৷ আবু মুসলিম থুরাসানী
সম্পর্কে আরো আলোচনা পরে আসবে ইনশাআ অল্লা৷হ্ ৷

এই হিজরী সনে দাহ্হাক ইবন কায়স খারিজী নিহত হয় ৷ এটি আবু মা খনাফের অভিমত ৷
দাহ্হাকের হত্যাকাণ্ডের পটভুমি এই ছিল যে, সে ওয়াসিত ৩অঞ্চলে আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন
আবদুল আযীযকে অবরোধ করে রেখেছিল ৷ এই অবরোধে মানসুর ইবন জামহর৩ তার সহযোগী
ছিল ৷ অবরুদ্ধ আবদুল্লাহ দাহ্হ৷ ককে লিখলেন যে, আমাকে অবরোধ করে রেখে তো কোন লাভ
নেই ৷ বরং তুমি ক্ষমতাসীন খলীফা ৷মারওয়ান ইবন মুহাম্মদের বিরখ্যাঃ অঙিয৷ ন পরিা>৷লন৷ করো ৷
ণ্ণ্তুমি তাকে হত্যা করতে পারলে আমি স্বেচ্ছায় তোমার অনুসরণ করব ৷

তারা দু’ জলে একমত হয় মারওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচ৷ ৷লন৷ করার জন্যে ৷ দাহ্হাক




نَائِبَهَا، وَاسْتَحْوَذَ عَلَيْهَا، وَبَلَغَ ذَلِكَ مَرْوَانَ وَهُوَ مُحَاصِرٌ حِمْصَ، مَشْغُولٌ بِأَهْلِهَا وَعَدَمِ مُبَايَعَتِهِمْ إِيَّاهُ، فَكَتَبَ إِلَى ابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَرْوَانَ - وَهُوَ نَائِبُهُ عَلَى الْجَزِيرَةِ - يَأْمُرُهُ أَنْ يُقَاتِلَ الضَّحَّاكَ بِالْمَوْصِلِ فَسَارَ الضَّحَّاكُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَرْوَانَ وَكَانَ الضَّحَّاكُ قَدِ الْتَفَّ عَلَيْهِ مِائَةُ أَلْفٍ وَعِشْرُونَ أَلْفًا، فَحَاصَرُوا نَصِيبِينَ، وَسَارَ مَرْوَانُ فِي طَلَبِهِ، فَالْتَقَيَا هُنَالِكَ، فَاقْتَتَلَا قِتَالًا شَدِيدًا جِدًّا، فَاقْتَحَمَ الضَّحَّاكُ عَنْ فَرَسِهِ، وَتَرَجَّلَ مَعَهُ جَمَاعَةٌ مِنْ كُبَرَاءِ الْأُمَرَاءِ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَقُتِلَ الضَّحَّاكُ فِي الْمَعْرَكَةِ، وَحَجَزَ اللَّيْلُ بَيْنَ الْفَرِيقَيْنِ، وَفَقَدَ أَصْحَابُ الضَّحَّاكِ الضَّحَّاكَ وَشَكُّوا فِي أَمْرِهِ، حَتَّى أَخْبَرَهُمْ مَنْ شَاهَدَهُ قَدْ قُتِلَ، فَبَكَوْا عَلَيْهِ وَنَاحُوا، وَجَاءَ الْخَبَرُ إِلَى مَرْوَانَ فَبَعَثَ إِلَى الْمَعْرَكَةِ بِالْمَشَاعِلِ وَمَنْ يَعْرِفُ مَكَانَهُ بَيْنَ الْقَتْلَى، فَلَمَّا وَجَدُوهُ جَاءُوا بِهِ إِلَى مَرْوَانَ وَهُوَ مَقْتُولٌ، وَفِي رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ نَحْوٌ مَنْ عِشْرِينَ ضَرْبَةً، فَأَمَرَ بِرَأْسِهِ، فَطِيفَ بِهِ فِي مَدَائِنِ الْجَزِيرَةِ. وَاسْتَخْلَفَ الضَّحَّاكُ مِنْ بَعْدِهِ عَلَى جَيْشِهِ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ: الْخَيْبَرِيُّ. فَالْتَفَّ عَلَيْهِ بَقِيَّةُ جَيْشِ الضَّحَّاكِ وَالْتَفَّ مَعَ الْخَيْبَرِيِّ سُلَيْمَانُ بْنُ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَأَهْلُ بَيْتِهِ وَمَوَالِيهِ، وَالْجَيْشُ الَّذِي كَانُوا قَدْ بَايَعُوهُ فِي السَّنَةِ الْمَاضِيَةِ عَلَى الْخِلَافَةِ، وَخَلَعُوا مَرْوَانَ بْنَ مُحَمَّدٍ عَنِ الْخِلَافَةِ لِأَجْلِهِ، فَلَمَّا أَصْبَحُوا اقْتَتَلُوا مَعَ مَرْوَانَ فَحَمَلَ الْخَيْبَرِيُّ فِي أَرْبَعِمِائَةٍ مِنْ شُجْعَانِ أَصْحَابِهِ عَلَى مَرْوَانَ وَهُوَ فِي الْقَلْبِ، فَكَّرَ مُنْهَزِمًا، وَاتَّبَعُوهُ حَتَّى أَخْرَجُوهُ مِنَ الْجَيْشِ، وَدَخَلُوا عَسْكَرَهُ، وَجَلَسَ
পৃষ্ঠা - ৭৮৩৭

অগ্রসর হয়ে সেই লক্ষে ৷ সে মুসেল এসে পৌছলে সেখানকার লোকজনের সাথে তার লিখিত
চু; ওন্ হয় ৷ সে তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং সেই দুই নগরে প্রবেশ করে ৷ সেখানকার
শানকতাকে খুন করে এবং সেখানে নিজের কর্তৃতৃ প্রতিষ্ঠা করে ৷ খলীফা মারওয়ানের নিকট এই
ন্ৎবাদ পৌছে ৷ তিনি তখন হিমস নগরী অবরোধে নিয়োজিত ছিলেন ৷ সেখানকার অধিবাসিগণ
তার বশতা ম্বীকা ৷রে অনীহ৷ প্রকাশ করার প্রেক্ষিতে তিনি ত ৷দেরকে আয়ত্তে আমার কাজে ব্যস্ত
ছলেন ৷ তিনিত তার ছেলে আবদুল্লাহ্কে যুদ্ধের প্রস্তুতি ৩নেওয়া র কথা লিখে জানালেন্রুদ্ব ৷ এদিকে প্রায়
এক লক্ষ্য বিশ হাজার সৈন্য৷ দ ৷হ্হাকের সমর্থনে সমবেত ৩হয় ৷ তারা নাসীবাইন অঞ্চল অবরোধ
করে ৷ মারওয়ান অগ্রসর হন তাকে প্রতিরোধ করার জন্যে ৷ সেখানে উভয় পক্ষে প্রচণ্ড যুদ্ধ
সংঘটিত হয় ৷ যুদ্ধে দাহ্হাক নিহত হয় ৷ ইতিমধ্যে রাত নেমে আসে ৷ আপাতত উভয় পক্ষ একে
অন্যের দৃষ্টির বাহিরে পড়ে যায় ৷ দাহ্হাকের সৈন্যরা তাকে খুজে পায় না৷ তাকে নিয়ে তাদের
মনে সংশয় সৃষ্টি ইয় ৷ এক পর্যায়ে তার হতব্রাকাণ্ডের প্রতব্রক্ষদর্শী এক লোক তার মৃত্যুর সংবাদ
তাদেরকে অবহিত করে ৷ত তানিহত হবার সংব বাদে তা ৷র৷ চীৎক৷ ৷র করে কাদে ৷

দাহ্হাকের মৃত্যুর সংবাদ মারওয়ানের নিকট পৌছে ৷ তিনি দাহ্হাকের লাশ সনাক্ত করার
জন্যে রাতের অন্ধকারে মশাল ও তাকে চেনে এমন কতক লোক পাঠালেন ৷ তারা মারওয়ানকে
নিশ্চিত জানায় যে, দাহ্হাক নিহত হয়েছে ৷ তার মাথায় ও মুখে প্রায় বিশটি আঘাত রয়েছে ৷
খলীফা মারওয়ানের নির্দেশে দ্বীপে দ্বীপে ও শহরে নগরে তার কর্তিত মাথা প্রদর্শন করা হয় ৷

দাহ্হাক তার অস্তিম সময়ে খায়বারী নামের এক লোককে তার স্থলাভিষিক্ত করে যায় ৷
দাহ্হাকের অবশিষ্ট সৈন্যণণ তার পাশে সমবেত হয় ৷ ইতিপুর্বে যা র জন্যে বায়আত গ্রহণ করা
হয়েছিল সেই সুলায়মান ইবন হিশ ৷ম ইবন আ বদুল মা ৷তলিক তার ৷পরিবা ৷র পরিজন ও দাস-দাসীসহ
খায়ব৷ ৷রীর সাথে এসে যোগ দেয় ৷ প্রায় চারশত সাহসী যোদ্ধা নিয়ে মারওয়ানের উপর আক্রমণ
চালায় সে ভোর বেলায় ৷ মারওয়ান তখন একটি তা তে অবস্থান ৷করছিলেন ৷ খ৷ য়বারীর আক্রমণ
সামলাতে না পেরে তিনি পালিয়ে যান ৷ বিরোধী পক্ষরা তাকে ধাওয়৷ করে ৷রত সৈন্যদের থেকে
বিচ্ছিন্ন করে দেয় ৷ এরা সরকারী সৈন্যের ওে৩ ৩রে ঢুকে পড়ে ৷ খায়বারীত ৷র ৷নিজের আসনেগ্ গিয়ে
বসে ৷
সরকা ৷রী বাহিনীর জ্ঞান ও বাম বা হু স্থির ও অবিচল ছিল ৷ ডান বাহুর নেতত্বে ছিল মারওয়ানের
ছেলে আবদুল্লাহ ৷ আর রাম বাহুর নেতৃত্বে ইসহাক ইবন মুসলিম উকা য়লী ৷
আবদুল্লাহ যখন দেখলেন যে, শত্রু সৈন্যরা খায়বারীর সাথে পালাচ্ছে ৷ আর নিজেদের দুইটা
বাহু অক্ষত অবস্থায় রয়েছে তখন তিনি খায়বারীর মৃত লাশ দেখতে আগ্রহী হলেন ৷৩ তার সৈন্যরা
তাবুর খুটি হাতে সেদিকে অগ্রসর হয় এবং খায়বারীকে হত্যা করে ৷ তার নিহত হবার সংবাদ
মারওয়ানের নিকট পৌছে ৷ তখন মারওয়ান যুদ্ধ ক্ষেত্র হতে প্রায় ৫৬ মাইল দুরে চলে
গিয়েছিল ৷ তার সাথে তার একদল সৈন্যও ছিল ৷ দাহ্হাকের সৈনিকগণ পরাজিত হয়ে পালিয়ে
যায় ৷ আর মারওয়ান আনন্দে শহরে ফিরে আসে ৷

দাহ্হাকের অনুসারীর৷ শায়বানকে তাদের নেতা মনোনীত করেছিল ৷ তাকে দমনের জন্যে
মারওয়ান নিজে অভিযানে বের হন ৷ কারাদীস নামে একটি ন্থানেগ্ গিয়ে পৌছে যায় ওয়ান ওদেরকে
পরাজিত করেন ৷


الْخَيْبَرِيُّ عَلَى فَرْشِهِ، هَذَا وَمَيْمَنَةُ مَرْوَانَ ثَابِتَةٌ، وَعَلَيْهَا ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ وَمَيْسَرَتُهُ أَيْضًا ثَابِتَةٌ، وَعَلَيْهَا إِسْحَاقُ بْنُ مُسْلِمٍ الْعُقَيْلِيُّ. وَلَمَّا رَأَى عَبِيدَ الْعَسْكَرِ قِلَّةَ مَنْ مَعَ الْخَيْبَرِيِّ وَأَنَّ الْمَيْمَنَةَ وَالْمَيْسَرَةَ مِنْ جَيْشِهِمْ بَاقِيَتَانِ طَمِعُوا فِيهِ، فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ بِعُمُدِ الْخِيَامِ، فَقَتَلُوهُ بِهَا، وَبَلَغَ مَقْتَلُهُ مَرْوَانَ وَقَدْ سَارَ عَنِ الْجَيْشِ نَحْوًا مِنْ خَمْسَةِ أَمْيَالٍ أَوْ سِتَّةٍ، فَرَجَعَ مَسْرُورًا، وَانْهَزَمَ أَصْحَابُ الْخَيْبَرِيِّ وَقَدْ وَلَّوْا عَلَيْهِمْ شَيَّبَانَ فَقَاتَلَهُمْ مَرْوَانُ بَعْدَ ذَلِكَ بِالْكَرَادِيسِ، فَهَزَمَهُمْ. وَفِيهَا بَعَثَ مَرْوَانُ الْحِمَارُ عَلَى إِمْرَةِ الْعِرَاقِ يَزِيدَ بْنَ عُمَرَ بْنِ هُبَيْرَةَ لِيُقَاتِلَ مَنْ بِهَا مِنَ الْخَوَارِجِ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ حَجَّ بِالنَّاسِ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهُوَ نَائِبُ الْمَدِينَةِ وَمَكَّةَ وَالطَّائِفِ، وَأَمِيرُ الْعِرَاقِ يَزِيدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ هُبَيْرَةَ، وَأَمِيرُ خُرَاسَانَ نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ. [وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ] ِ: بَكْرُ بْنُ سَوَادَةَ، وَجَابِرٌ الْجَعْفِيُّ، وَالْجَهْمُ بْنُ صَفْوَانَ مَقْتُولًا كَمَا تَقَدَّمَ وَالْحَارِثُ بْنُ سُرَيْجٍ أَحَدُ كُبَرَاءِ الْأُمَرَاءِ، وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৭৮৩৮
تَقَدَّمَ شَيْءٌ مِنْ تَرْجَمَتِهِ وَعَاصِمُ بْنُ بَهْدَلَةَ، وَأَبُو حَصِينٍ عُثْمَانُ بْنُ عَاصِمٍ، وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، وَأَبُو الْتَّيَّاحِ يَزِيدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَأَبُو جَمْرَةَ الضُّبَعِيُّ، وَأَبُو الزُّبَيْرِ الْمَكَّيُّ، وَأَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، وَأَبُو قَبِيلٍ الْمَعَافِرِيُّ. وَقَدْ ذَكَرْنَا تَرَاجِمَهُمْ فِي كِتَابِنَا " التَّكْمِيلِ ".