ثم دخلت سنة إحدى وعشرين ومائة
পৃষ্ঠা - ৭৭১৪
এত্রাসের পর থােরাসান প্রত্যেক অত্যাচারী শাসকের যুলুম হতে নিরাপত্তা লাভ করেছে ৷
ইউসুফ ইবন আমর যখন রাষ্ট্রক্ষমতা লাভ করলেন, তখন তিনি নাস্র ইবন সায়দ্রারকে
তার মায়ের নিযুক্ত করে নিলেন ৷ ’
এ বছর আলে আব্বাস-এর গোত্র তাদের প্রতি প্রেরিত মুহাম্মদ ইবন আলীর পত্রখানা
প্রকাশ করে ৷ খাদাশ উপাধিতে খ্যাত উক্ত ধর্মদ্রোহীর আনুগতের কারণে মুহম্মদ ইবন আলী
তিরস্কার করে তাদের প্রতি পত্রখানা লিখেছিলেন ৷ লোকটি ছিল খুবরামী ৷ সে তাদের জন্য
নিষিদ্ধ কর্মসযুহকে সিদ্ধ করে দিয়েছিল এবং যাদেরকে বিবাহ করা বৈধ নয় ও যাদেরকে বিবাহ
করা আজীবনের জন্য অবৈধ, তাদের সঙ্গে তাদের যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে দেয় ৷ ফলে খালিদ
আল-কাসরী তাকে হত্যা করে ফেলেন ৷ যেমনটি উপরে বর্ণিত হয়েছে ৷ মুহাম্মদ ইবন আলী
তাকে সমর্থন ও তার মিথ্যা মতবাদের অনুসরণের কারণে আলে আব্বাস গোত্রকে নিন্দা
জানিয়ে পত্র লিখেন ৷৩ তারা যখন পত্রের জবাব দানে বিলম্ব করে, মুহাম্মদ ইবন আলী তাদের
নিকট একজন দুত প্রেরণ করেন ৷ এদিকে তারাও তার নিকট দুত পাঠায় ৷ তাদের দুত এসে
পৌছুলে মুহাম্মদ ইবন আলীত ৷কে খুররামীর কা বণে তাদেরকে তিরস্কার বিষয়টি অবহিত
করে ৷ তারপর দুতের সঙ্গে সীলমোহরকৃত একখানা পত্র প্রদান করেন ৷ পত্রখানা খুলে তারা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ৷ ছাড়া আর কিছু গেল না ৷ তাতেই তারা বুঝে ফেলল, তিনি
আমাদেরকে খুররামীর কারণেই তিরস্কার করেছেন ৷ত তারপর তিনি তাদের নিকট আরো একজন
দুত প্রেরণ করেন ৷ কিন্তু তাদের বহু লোক তাকে অবিশ্বাস করল এবং তাকে নাজেহাল করল ৷
তারপর মুহাম্মদ ইবন আমীরের পক্ষ হতে ৩তাদের নিকট লোহা ও সীমার পাতকরা একখানা
লাঠি এসে পৌছে ৷ তাতে তারা বুঝে ফেলে যে, এটা ইঙ্গিত হলো, তারা অপরাধী এবং তারা
সীস৷ ও লোহার রং এর ন্যায় পরস্পর বিচ্ছিন্ন ৷
ইবন জারীর বলেন, আবু ম৷ শার-এর অভিমত অনুসারে এ বছর মুহাম্মদ ইবন হিশাম
আল-মাখবুমী লোকদেরকে হজ্জ করান ৷ কেউ কেউ বলেন, যিনি এ বছর লোকদেরকে হজ্জ
করিয়েছিলেন তিনি হলেন সুলায়মান ইবন হিশাম ইবন আবদুল মালিক ৷ কারো কারো মতে
সুলায়মান ইবন হিশাম-এর পুত্র ইয়াযীদ ইবন হিশাম ৷ মহান আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷
১২১ হিজরী সন
এ বছর মাসলাম৷ ইবন হিশাম রোম আক্রমণ করে মাতামীর দুর্গ জয় করে নেন ৷
মারওয়ান ইবন মুহাম্মদ স্বর্ণসমৃদ্ধ নগরী জয় করে তার দুর্গসমুহকে দখল করে নেন এবং
জমিজম৷ ধ্বং স করেন ৷ ফলে নগর অধিপতি তাকে প্রতিবছর এক হাজার পশু জিযিয়৷ প্রদানের
ঘোষণা দেন এবং তার জন্য তার নিকট বন্ধক রাখেন ৷
এ বছর সফর মাসে যায়দ ইবন আলী ইবনুল হুসায়ন ইবন আলী ইবন আবৃত তালিব শহীদ
হন ৷ ইনি সেই যায়দ যার নামে একদল মানুষ নিজেদেরকে যায়দিয়্যা বলে অভিহিত করে
থাকে ৷ এ হলো ওয়াকিদীর অভিমত ৷ হিশাম ইবন কালবীর অভিমত হলো, যায়দ ইবন আলী
এক শত বাইশ হিজরীতে শহীদ হন ৷ মহান আল্লাহ ভাল জানেন ৷
মুহাম্মদ ইবন জারীর ওয়াকিদীর অনুসরণেত তার এ বছরই শহীদ হওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা
করেছেন ৷ তা হলো যায়দ ইবন আলী ইউসুফ ইবন উমর-এর নিকট গমন করেন ৷ ইউসুফ
পৃষ্ঠা - ৭৭১৫
ইবন উমর তাকে জিজ্ঞা ৷স৷ করেন, খালিদ আল-কাসরী কি আপনার নিকট কোন সম্পদ গচ্ছিত
রেখেছে ? যায়দ ইবন আলী বললেন, না ! তিনি কিভ৷ ৷বে আমার নিকট সম্পদ গচ্ছিত রাখবেন,
অথচ তিনি প্রতি ৩জুযুআতে মিম্বারে বসে আমার পিতৃ-পুরুষকে গালাগাল করেন ৷ ইউসুফ ইবন
উমর তাকে শপথ করান যে, খালিদ তার নিকট কোন সম্পদ গচ্ছিত রাখেননি ৷ এবার ইউসুফ
ইবন উমর খালিদ আল-কাসরীকে কারাগার থেকে বের করে তার সম্মুখে উপস্থিত করার
নির্দেশ দেন ৷ খালিদকে একটি আরা পরিহিত অবস্থায় উপস্থিত করা হলো ৷ ইউসুফ ইবন উমর
জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি এর নিকট কোন সম্পদ গচ্ছিত রেখেছ ? রেখে থাকলে বল,
আমরা তার থেকে সেগুলো উদ্ধার করে নেব ৷ খালিদ বললেন, না ৷ তা কি করে সম্ভব অথচ
আমি প্রতি জুমুআয় তার পিতাকে পালাগাল করে থাকি ৷ ফলে ইউসুফ ইবন উমর তাকে ছেড়ে
দেন এবং আমীরুল মু’মিনীনকে বিষয়টা অবহিত করেন ৷ আমীরুল মু’মিনীনও তাকে ক্ষমা
করে দেন ৷ অন্য অভিমত হলো, বরং ইউসুফ ইবন উমর লোকদেরকে উপস্থিত করে তাদের
থেকে শপথ নেন ৷
তারপর একদল শীআহ্ যায়দ ইবন আলীর নিকট আগমন করে ৷৩ তারা ছিল প্রায় চল্লিশ
হাজার ৷ কিন্তু তার এক হিতাকাদ্ভক্ষী যার নাম মুহাম্মদ ইবন উমর ইবন আলী ইবন আবু
তালিব তাকে বের হতে বারণ করল এবং বলল, আপনার দাদা আপনার চেয়ে ভ ৷ল মানুষ
ছিলেন ৷ অথচ আশি হাজার ইরাকী এসে তার হাতে বায়আত গ্রহণ করে পরে তার সঙ্গে
বিশ্বাসঘাতকত৷ করেছিল ৷৩ তাই আমি আপনাকে ইরাকীদের ব্যাপারে সতক করছি ৷ কিন্তু যায়দ
ইবন আলী তার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুফায় গোপনে গোপনে লোকদের থেকে মহান
আল্লাহর কিতাব ও তার রাসুলের সুন্নাতের যায় তাতে নিতে শুরু করেন ৷ এমনকি তলে তলে
তার অভিযান সফল হতে লাগল ৷ তিনি এ বাড়ি-ওবাড়ি ঘোরাফেরা করতে শুরু করলেন ৷
একশত বাইশ হিজরীর আগমন পর্যন্ত এই ধারা চলতে থাকে ৷ এ বছরে এসে যায়দ ইবন
আলীর হত্যার ঘটনা ঘটে ৷ এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত আলোচনা করব ৷
এ বছর খুরাসানের গভর্নর নাসর ইবন সায়্যার তুরস্কে একাধিক যুদ্ধ করেন এবং কোন
এক যুদ্ধে নিজের অজান্তে তুর্কী রাজা কুরসুলকে বন্দী করে ফেলেন ৷ পরে যখন তিনি যাচাই
করে বিষয়টা নিশ্চিত হন, কুরসুল তার নিকট আবেদন জানান যে, আপনি আমাকে ছেড়ে দিন,
বিনিময়ে আমি আপনাকে এক হাজার তুর্কী বুখতী উট এবং গান বোঝাই এক হাজার পশু
প্রদান করব ৷ তদুপরি আমি অত্যন্ত বৃদ্ধ ৷ নাসৃর ইবন সায়্যার উপস্থিত গভর্নরদের সঙ্গে বিষয়টা
নিয়ে পরামর্শ করেন ৷ কেউ তাকে মুক্ত করে দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করে ৷ আবার তাকে হত্যা
করার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করে ৷ তারপর নাসুর ইবন সায়্যার তাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি
ক ’ঢি যুদ্ধে লড়াই করেছেন ৷ তিনি বলেন৪ বাহাত্তুরটি ৷ নাসৃর বললেনং আপনার মত লোককে
ছাড়া যায় না ৷ আপনি এতগুলো যুদ্ধে অংশ্ ৷গ্রহং৷ করেছেন৷ তারপর নাসৃর ইবন সায়্যার এর
নির্দোশ তার গর্দান উড়িয়ে তাকে শুলিতে চড়িয়ে রাখা হয় ৷
কুরসুল-এর বাহিনীর সৈন্যরা তার হত্যাকাণ্ডের সংবাদ শুনে সে রাতট৷ তারা বিলাপ ও
কান্নাকাটি করে অতিবাহিত করে ৷ তারা নিজেদের দাড়ি, মাথার চুল ও কান কেটে ফেলে, বহু
তাবু জ্বালিয়ে দেয় এবং বহুসৎ খ্যক পশুকে হত্যা করে ফেলে ৷ ভোর হলে নাসৃর ইবন সায়্যার
কুরসুলকে পুড়ে ফেলার নির্দেশ দেন, যাতে তার লোকেরা তার লাশ নিতে না পারে ৷ এবার
كُلِّ جُمُعَةٍ؟ ! فَأَحْلَفَهُ أَنَّهُ مَا أَوْدَعَ عِنْدَهُ شَيْئًا، فَأَمَرَ يُوسُفُ بْنُ عُمَرَ بِإِحْضَارِ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيِّ مِنَ السِّجْنِ، فَجِيءَ بِهِ فِي عَبَاءَةٍ، فَقَالَ: أَنْتَ أَوْدَعْتَ هَذَا شَيْئًا نَسْتَخْلِصُهُ مِنْهُ؟ قَالَ: لَا، وَكَيْفَ وَأَنَا أَشْتُمُ آبَاءَهُ كُلَّ جُمُعَةٍ؟ ! فَتَرَكَهُ يُوسُفُ بْنُ عُمَرَ وَأَعْلَمَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بِذَلِكَ، فَعَفَا عَنْ ذَلِكَ، وَيُقَالُ: بَلِ اسْتَحْضَرَهُمْ فَحَلَفُوا بِمَا حَلَفُوا.
ثُمَّ إِنَّ طَائِفَةً مِنَ الشِّيعَةِ الْتَفَّتْ عَلَى زَيْدِ بْنِ عَلِيٍّ وَكَانُوا نَحْوًا مِنْ أَرْبَعِينَ أَلْفًا، فَنَهَاهُ بَعْضُ النُّصَحَاءِ عَنِ الْخُرُوجِ، وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَقَالَ لَهُ: إِنَّ جَدَّكَ خَيْرٌ مِنْكَ، وَقَدِ الْتَفَّتْ عَلَى بَيْعَتِهِ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ ثَمَانُونَ أَلْفًا، ثُمَّ خَانُوهُ أَحْوَجَ مَا كَانَ إِلَيْهِمْ، وَإِنِّي أُحَذِّرُكَ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ. فَلَمْ يَقْبَلْ بَلِ اسْتَمَرَّ يُبَايِعُ النَّاسَ فِي الْبَاطِنِ بِالْكُوفَةِ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ رَسُولِهِ، حَتَّى اسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ بِهَا فِي الْبَاطِنِ، وَهُوَ يَتَحَوَّلُ مِنْ مَنْزِلٍ إِلَى مَنْزِلٍ، وَمَا زَالَ كَذَلِكَ حَتَّى دَخَلَتْ سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ، فَكَانَ فِيهَا مَقْتَلُهُ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ قَرِيبًا.
وَفِيهَا غَزَا نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ أَمِيرُ خُرَاسَانَ غَزَوَاتٍ مُتَعَدِّدَةً فِي التُّرْكِ وَأَسَرَ مَلِكَهُمْ كُورْصُولَ فِي بَعْضِ تِلْكَ الْحُرُوبِ، وَهُوَ لَا يَعْرِفُهُ، فَلَمَّا تَيَقَّنَهُ وَتَحَقَّقَهُ، سَأَلَ مِنْهُ كُورْصُولُ أَنْ يُطْلِقَهُ عَلَى أَنْ يُرْسِلَ لَهُ أَلْفَ بَعِيرٍ مِنْ إِبِلِ التُّرْكِ - وَهِيَ
পৃষ্ঠা - ৭৭১৬
الْبَخَاتِيُّ - وَأَلْفَ بِرْذَوْنٍ، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ شَيْخٌ كَبِيرٌ جِدًّا، فَشَاوَرَ نَصْرٌ مَنْ بِحَضْرَتِهِ مِنَ الْأُمَرَاءِ فِي ذَلِكَ، فَمِنْهُمْ مَنْ أَشَارَ بِإِطْلَاقِهِ. ثُمَّ سَأَلَهُ نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ: كَمْ غَزَوْتَ مِنْ غَزْوَةٍ؟ فَقَالَ: ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ غَزْوَةً. فَقَالَ لَهُ نَصْرٌ: مَا مِثْلُكَ يُطْلَقُ وَقَدْ شَهِدْتَ هَذَا كُلَّهُ. ثُمَّ أَمَرَ بِهِ، فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ وَصَلَبَهُ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ جَيْشَهُ مِنْ قَتْلِهِ بَاتُوا تِلْكَ اللَّيْلَةَ يَجْعَرُونَ وَيَبْكُونَ عَلَيْهِ، وَجَذُّوا لِحَاهُمْ وَشُعُورَهُمْ، وَقَطَّعُوا آذَانَهُمْ، وَحَرَّقُوا خِيَامًا كَثِيرَةً، وَقَتَلُوا أَنْعَامًا كَثِيرَةً، فَلَمَّا أَصْبَحَ أَمَرَ نَصْرٌ بِإِحْرَاقِهِ لِئَلَّا يَأْخُذُوا جُثَّتَهُ، فَكَانَ ذَلِكَ أَشُدَّ عَلَيْهِمْ مِنْ قَتْلِهِ، وَانْصَرَفُوا خَائِبِينَ صَاغِرِينَ خَاسِئِينَ، ثُمَّ كَرَّ نَصْرٌ عَلَى بِلَادِهِمْ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَأَسَرَ أُمَمًا لَا يُحْصَوْنَ كَثْرَةً، وَكَانَ فِيمَنْ حَضَرَ بَيْنَ يَدَيْهِ عَجُوزٌ كَبِيرَةٌ جِدًّا مِنَ الْأَعَاجِمِ أَوِ الْأَتْرَاكِ وَهِيَ مِنْ بَيْتِ مَمْلَكَةٍ، فَقَالَتْ لِنَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ: كُلُّ مَلِكٍ لَا يَكُونُ عِنْدَهُ سِتَّةُ أَشْيَاءَ فَلَيْسَ بِمَلِكٍ ; وَزِيرٌ صَادِقٌ يَفْصِلُ خُصُومَاتِ النَّاسِ، وَيُشَاوِرُهُ وَيُنَاصِحُهُ، وَطَبَّاخٌ يَصْنَعُ لَهُ مَا يَشْتَهِيهِ، وَزَوْجَةٌ حَسْنَاءُ إِذَا دَخَلَ عَلَيْهَا مُغْتَمًّا فَنَظَرَ إِلَيْهَا سُرَّتْهُ وَذَهَبَ غَمُّهُ، وَحِصْنٌ مَنِيعٌ إِذَا فَزِعَ رَعَايَاهُ لَجَئُوا إِلَيْهِ، وَسَيْفٌ إِذَا قَارَعَ بِهِ الْأَقْرَانَ لَمْ يَخْشَ خِيَانَتَهُ، وَذَخِيرَةٌ إِذَا حَمَلَهَا فَأَيْنَمَا وَقَعَ مِنَ الْأَرْضِ عَاشَ بِهَا.
وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا مُحَمَّدُ بْنُ هِشَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ نَائِبُ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَالطَّائِفِ، وَنَائِبُ الْعِرَاقِ يُوسُفُ بْنُ عُمَرَ، وَنَائِبُ خُرَاسَانَ نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ، وَعَلَى إِرْمِينِيَّةَ مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ.
পৃষ্ঠা - ৭৭১৭
তাকে পুড়ে ফেলা তাদের নিকট তার হত্যাকাণ্ড অপেক্ষা বেশী কষ্টদায়ক অনুভুত হয় ৷ তারা
ব্যর্থ ও অপদস্থ হয়ে ফিরে যায় ৷
নাসর ইবন সায়া৷র তাদের উপর পুনরায় আক্রমণ করে তাদের বহুসংখ্যক লোককে হত্যা
এবং অসং খ্য অগণিত লোককে বন্দী করেন ৷
সে সময় নাস্ব ইবন সায়্যার এর সম্মুখে যেসব অনাবব কিৎবা তুর্কী লোককে উপস্থিত
করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে একজন অতিশ ৷য় বৃদ্ধা মহিলা ছিল ৷ মহিলা রাজ-পরিবারের কন্যা ৷
সে নাসৃর ইবন সায়্যারকে বলল ও যে রাজার নিকট ছয়টি বস্তু থাকবে না, তিনি রাজা নন : ১
বিশ্বস্ত মন্ত্রক, যিনি মানুষের বিবাদ মিটিয়ে দেবেন, তাকে পরামর্শ দেবেন ও তাকে সদৃপদেশ
দেবেন, ২ থাকে, যে তার জন্য রুচিসম্মত খাদ্য প্রস্তুত করে দেবে, ৩ সুন্দরী শ্রী, চিম্ভাক্লিষ্ট
হয়ে যাব নিকট গমন করে, তার প্রতি দৃষ্টিপাত করলে যে তাকে আনন্দ দেবে এবং তার চিন্তা
দুর হয়ে যাবে, ৪ দুর্ভেদ্য দুর্গ, তার প্রজারা যখন ৩ ত-সন্ত্রস্ত হবে, তখন তারা সেখানে গিয়ে
আশ্রয় গ্রহণ করবে ৫ তরবারি, সমক৷ ৷লীন কো ন শক্তি হুমকি হয়ে দাড়ালে, যা তাকে নিরাপদ
রাখবে এবং ৬ ধনভাণ্ডার, তিনি পৃথিবীর যেখানেই অবস্থান করুন, যা তার জীবন ধারণে
যথেষ্ট হবে ৷
এ বছর পবিত্র মক্কা মদীনা ও তাইফের নায়েব মুহাম্মদ ইবন হিশাম ইবন ইসমাঈল
লোকদেরকে হজ্জ করান ৷ তখন ইরাকের নায়েব ছিলেন ইউসুফ ইবন উমর ৷ খুরাসানের নাসৃর
ইবন সায়্যার এবং আরমিনিয়ার মারওয়ান ইবন মুহাম্মদ ৷ এ বছর যারা ইনতিকাল করেন :
যায়দ ইবন আলী ইবনুল হুসায়ন ইবন আলী ইবন আবু তালিব, (বা)
প্রসিদ্ধ অভিমত হলো, তিনি এর পরের বছর ইনতিকাল করেছেন ৷ তার আলোচনা পরে
আসবে ইনশাআল্লাহ্ ৷
মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিক
ইবন মারওয়ান আল-কারাশী আল-উমাবী ৷ আবু সাঈদ ও আবুল আসবাগ দামেশৃকী ৷
ইবন আসাকির বলেন : তার বাড়ী ছিল আল-জামিউল কিবালীর দরযার সন্নিকটে দামেশকের
হাজলাভুল কুবাবে ৷ আপন ভাই ওয়ালীদ-এর আমলে মাওসাম-এর গভর্নর ছিলেন ৷ তিনি
রোমে কয়েকটি যুদ্ধ করেন এবং কুস্তুন্তীনিয়৷ (কনন্টান্টিনােপল) অবরোধ করেন ৷ তার তাই
তাকে ইরাকীদের শাসনক৩ ৷ নিযুক্ত করেছিলেন ৷ তারপর সেখান থেকে বরখাস্ত করে তাকে
আরমিনিয়ার গভর্নর নিযুক্ত করেন ৷ তিনি উমর ইবন আবদুল আযীয হতে হাদীস বর্ণনা
করেছেন ৷ তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন আবদুল মালিক ইবন আবু উছমান, উবায়দুল্লাহ্
ইবন কাযা আ, সুফিয়ান ইবন উয়ায়নার পি৩ ৷ উয়ায়না, ইবন আবু ইমব ন মুআবিয়৷ ইবন
খাদীজ ও ইয়াহ্ইয়া ইবন ইয়াহ্ইয়া আল-গাসৃসানী ৷
যুবায়র ইবন বাক্কার বলেন৪ মাসলাম৷ বনু উমায়্যার লোক ছিলেন ৷৩ তার উপাধি ছিল
আল জারাদাভুস সাফরা ৷৩ তার অনেক বর্ণনা, বহু যুদ্ধ কাহিনী এবং রোম প্রভৃতি দেশের
শত্রুবাহিনীকে কা বু করার গল্প রয়েছে ৷ তিনি রোম রাজ্যের বহু দুর্গ জয় করেছেন ৷ যখন তাকে
[مِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ]
ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ:
زَيْدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ.
وَالْمَشْهُورُ أَنَّهُ قُتِلَ فِي الَّتِي بَعْدَهَا، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ.
مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ
بْنِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ الْقُرَشِيِّ الْأُمَوِيِّ، أَبُو سَعِيدٍ وَأَبُو الْأَصْبَغِ الدِّمَشْقِيُّ قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَدَارُهُ بِدِمَشْقَ فِي مَحَلَّةِ الْقِبَابِ عِنْدَ بَابِ الْجَامِعِ الْقِبْلِيِّ، وَلِيَ الْمَوْسِمَ أَيَّامَ أَخِيهِ الْوَلِيدِ وَغَزَا الرُّومَ غَزَوَاتٍ، وَحَاصَرَ الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ، وَوَلَّاهُ أَخُوهُ يَزِيدُ إِمْرَةَ الْعِرَاقَيْنِ ثُمَّ عَزَلَهُ، وَوَلِيَ إِرْمِينِيَّةَ.
وَرَوَى الْحَدِيثَ عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَعَنْهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي عُثْمَانَ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ قَزْعَةَ، وَعُيَيْنَةَ وَالِدُ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، وَابْنُ أَبِي عِمْرَانَ، وَمُعَاوِيَةُ بْنُ خَدِيجٍ، وَيَحْيَى بْنُ يَحْيَى الْغَسَّانِيُّ.
قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: كَانَ مِنْ رِجَالِ بَنِي أُمَيَّةَ وَكَانَ يُلَقَّبُ بِالْجَرَادَةِ الصَّفْرَاءِ، وَلَهُ آثَارٌ كَثِيرَةٌ وَحُرُوبٌ وَنِكَايَةٌ فِي الرُّومِ.
قُلْتُ: وَقَدْ فَتَحَ حُصُونًا كَثِيرَةً مِنْ بِلَادِ الرُّومِ.
পৃষ্ঠা - ৭৭১৮
وَلَمَّا وَلِيَ إِرْمِينِيَّةَ غَزَا التُّرْكَ فَبَلَغَ بَابَ الْأَبْوَابِ فَهَدَمَ الْمَدِينَةَ الَّتِي عِنْدَهُ، ثُمَّ أَعَادَ بِنَاءَهَا بَعْدَ تِسْعِ سِنِينَ.
وَفِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَتِسْعِينَ غَزَا الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ فَحَاصَرَهَا، وَافْتَتَحَ مَدِينَةَ الصَّقَالِبَةِ وَكَسَرَ مَلِكَهُمُ الْبُرْجَانَ ثُمَّ عَادَ إِلَى مُحَاصَرَةِ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ.
قَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: فَأَخَذَهُ، وَهُوَ يُغَازِيهِمْ، صُدَاعٌ عَظِيمٌ فِي رَأْسِهِ، فَبَعَثَ مَلِكُ الرُّومِ إِلَيْهِ بِقَلَنْسُوَةٍ، وَقَالَ: ضَعْهَا عَلَى رَأْسِكَ يَذْهَبْ صُدَاعُكَ. فَخَشِيَ أَنْ تَكُونَ مَكِيدَةً، فَوَضَعَهَا عَلَى رَأْسِ بَهِيمَةٍ، فَلَمْ يَرَ إِلَّا خَيْرًا، ثُمَّ وَضَعَهَا عَلَى رَأْسِ بَعْضِ أَصْحَابِهِ فَلَمْ يَرَ إِلَّا خَيْرًا، فَوَضَعَهَا عَلَى رَأْسِهِ فَذَهَبَ صُدَاعُهُ، فَفَتَقَهَا فَإِذَا فِيهَا مَكْتُوبٌ سَبْعُونَ سَطْرًا هَذِهِ الْآيَةُ مُكَرَّرَةً: {إِنَّ اللَّهَ يُمْسِكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ أَنْ تَزُولَا وَلَئِنْ زَالَتَا إِنْ أَمْسَكَهُمَا مِنْ أَحَدٍ مِنْ بَعْدِهِ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا} [فاطر: 41] . رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ.
وَقَدْ لَقِيَ مَسْلَمَةُ فِي حِصَارِهِ الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ شِدَّةً عَظِيمَةً، وَجَاعَ الْمُسْلِمُونَ عِنْدَهَا جَوْعًا شَدِيدًا، فَلَمَّا وَلِيَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَرْسَلَ إِلَيْهِمُ الْبَرِيدَ يَأْمُرُهُمْ بِالرُّجُوعِ إِلَى الشَّامِ، فَحَلَفَ مَسْلَمَةُ أَنْ لَا يُقْلِعَ عَنْهُمْ حَتَّى يَبْنُوا لَهُ جَامِعًا كَبِيرًا بِالْقُسْطَنْطِينِيَّةِ فَبَنَوْا لَهُ جَامِعًا وَمَنَارَةً، فَهُوَ بِهَا إِلَى الْآنِ يُصَلِّي فِيهِ الْمُسْلِمُونَ الْجُمُعَةَ وَالْجَمَاعَةَ.
পৃষ্ঠা - ৭৭১৯
আ নহায়া ; ৫২১
আরমিনিয়ার গভর্নর নিযুক্ত করা হয়, তখন তিনি তুরস্কে আক্রমণ চালান ৷ তিনি তুরস্কের কোন
এক প্রবেশদ্বার পর্যন্ত পৌছে তৎসংলগ্নশ ৷হরটি ধ্বংস করে দেন ৷৩ তারপর নয় বছর পর শহরটি
পুন৪নির্মাণ করেন ৷ তিনি আটানব্বই হিজরীতে কুস্তুন্তীনিয়া আক্রমণ করে দেশটি অবরোধ করে
সাকালিবা শহরটি জয় করেন এবং তাদের রাজা বুরজানকে পরাজিত করেন ৷ তারপর পুনরায়
কুন্তুন্তীনিয়া অবরোধের প্রতি ফিরে আসেন ৷
আওযাঈ বলেন : কুস্তুন্তীনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করা অবস্থায় তার প্রচণ্ড মাথা ব্যথা দেখা দেয় ৷
ফলে রোম রাজা তার নিকট একটি টুপি প্রেরণ করে বলে দেন, এটি মাথায় রাখুন, ব্যথা চলে
যাবে ৷ কিন্তু তার মনে ভয় আগে যে, এটা কো ন ষড়যন্ত্র হতে পারে ৷ তাই তিনি টুপিটা একটি
পশুর মাথায় রাখলেন ৷ কিন্তু তাতে কল্যাণ ছাড়া কিছু দেখতে পেলেন না ৷ তারপর রাখলেন
তার একজন সঙ্গীর মাথায় ৷ এবারও কল্যাণ ব্যতীত দেখতে পেলেন না ৷ এবার টুপিট৷ নিজের
মাথায় রাখলেন ৷ ফলে ব্যথা চলে গেল ৷ পরে টুপ্টি৷ খুলে দেখতে পেলেন, তাতে সত্তর লাইন
লিখা রয়েছে ৷ লিখাট৷ হলো পবিত্র কুরআনের আয়াত ওে , ১৷ ৷ , ষ্র্চু’৷ ৷ এৰুঠু হ্এ৷ ৷ৰু,
১াটু;র্তৃ; ৷ (আ ল্লাহ্ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীকে সংরক্ষণ করেন, যাতে তারা স্থানচ্যুত না হয় ৷
৩৫৪ : ১ ) ৷ এই আ য়া৩ র্টুকু সত্তুরবার লিখা রয়েছে ৷ ৰু
কুন্তুন্তীনিয়া অবরোধ করতে গিয়ে মাসলামা বেশ সংকর্টে নিপতিত হয়েছিলেন ৷ তার
নিকট মুসলমানগণ প্রচণ্ড ক্ষুধায় আক্রান্ত হয়েছিল ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয ক্ষমতায় আসীন
হয়ে দুত মারফত তাদের প্রতি সিরিয়া ফিরে আসার নির্দেশ প্রেরণ করেন ৷ কিন্তু মাসলামা
অঙ্গীকার করেন যে, কুস্তুন্তীনিয়ার মানুষ কুস্তুন্তীনিয়ায় তার জন্য বৃহদকার একটি মসজিদ
নির্মাণ করে না দেওয়া পর্যন্ত তিনি তাদেরকে মুক্ত করে ফিরে আসবেন না ৷ অগত্যা তারা
তাকে একটি মসজিদ ও একটি মিনার নির্মাণ করে দেয় ৷ আজ অবধি সেই মসজিদে
মুসলমানগণ জুমুআহ্ ও পাচ ওয়াক্ত নামায আদায় করছে ৷ শেষ যামানায় দাজ্জাল
আবির্ভাবের প্রাক্কালে মুসলমানগণ সর্বশেষ এই মসজিদটি জয় করবেন ৷ এই কিতাবের
যুদ্ধৃ-কািহ ও ন্ফিতনা অধ্যায়ে আমরা এ বিষয়ে আলোকপাত করব ইনশাআল্লাহু তাআলা এবং
এতদস ক্রান্ত বর্ণিত হাদীসসমুহও উল্লেখ করব ৷
মােটকথা, মাসলামা ইবন আবদুল মালিক-এর অনেক খ্যাতিসস্পন্ন অবস্থান, কৃতজ্ঞতা
স্বীকার করার মত শ্রম এবং অবিরাম যুদ্ধের কাহিনী রয়েছে ৷ তিনি বহু দুর্গ জয় করেন এবং
অনেক প্রাসাদ ও জলাধার পুনঃজীবিত করেন ৷ যোদ্ধা হিসেবে তাকে খ৷ লিদ ইবন ওয়ালীদের
সঙ্গে তুলনা করা যায় ৷ সে যুগে অধিক যুদ্ধ একের পর ভুখণ্ড জয়, দৃঢ়প্র৩ য়, শক্তিমত্তা ও
— কর্মনৈপুণ্যে খালিদ ইবন ওয়া ৷লীদ যেমন ছিলেন, নিজ আমলে মাসলামা ইবন আবদুল মালিকও
ছিলেন অনুরুপ ৷ সর্বোপরি তিনি ছিলেন দানশীল ও বাগত্মী ৷ একদিন তিনি নাসীব
আশ-শাইরকে বলেন : আপনি আমার নিকট প্রার্থনা করুন ৷ নাসীব বললেন : না ৷ মাসলামা
বলেন : কেন ? নাসীব বলেন : তার কারণ হলো, অধিক দানশীলতায় আপনার হাত আমার
মুখের প্রার্থনা হতে আগামী ৷ পরে মাসলামা তাকে এক হাজার দীনার প্রদান করেন ৷
তিনি আরো বলেন : মানুষ যেমন দুশ্চিম্ভাগ্রস্ত হয় আম্বিয়৷ আলায়হিমুসৃ সালাম তেমন
দুশ্চিন্তায় নিপতিত হতেন না ৷ কোন নবীই কখনো দুশ্চিন্তায় নিপতিত হননি ৷
قُلْتُ: وَهِيَ آخِرُ مَا يَفْتَحُهُ الْمُسْلِمُونَ قَبْلَ خُرُوجِ الدَّجَّالِ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، كَمَا سَنُورِدُهُ فِي الْمَلَاحِمِ وَالْفِتَنِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَنَذْكُرُ الْأَحَادِيثَ الْوَارِدَةَ فِي ذَلِكَ هُنَاكَ.
وَبِالْجُمْلَةِ كَانَتْ لِمَسْلَمَةَ مَوَاقِفُ مَشْهُورَةٌ وَمَسَاعٍ مَشْكُورَةٌ، وَغَزَوَاتٌ مُتَتَالِيَةٌ وَمَنْثُورَةٌ، وَقَدِ افْتَتَحَ حُصُونًا وَقِلَاعًا، وَأَحْيَا بِعَزْمِهِ وَحَزْمِهِ قُصُورًا وَبِقَاعًا، وَكَانَ فِي زَمَانِهِ نَظِيرَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ فِي أَيَّامِهِ، فِي كَثْرَةِ مَغَازِيهِ، وَكَثْرَةِ فُتُوحِهِ، وَقُوَّةِ عَزْمِهِ، وَشِدَّةِ بَأْسِهِ، وَجَوْدَةِ تَصَرُّفِهِ فِي نَقْضِهِ وَإِبْرَامِهِ، هَذَا مَعَ الْكَرَمِ وَالْفَصَاحَةِ، وَالرِّيَاسَةِ وَالسَّمَاحَةِ، وَالْأَصَالَةِ وَالرَّجَاحَةِ، وَالدِّينِ وَالْعِفَّةِ، رَحِمَهُ اللَّهُ.
وَمِنْ كَلَامِهِ الْحَسَنِ قَوْلُهُ: مُرُوءَتَانِ ظَاهِرَتَانِ ; الرِّيَاشُ وَالْفَصَاحَةُ. وَقَالَ يَوْمًا لِنُصَيْبٍ الشَّاعِرِ: سَلْنِي. قَالَ: لَا. قَالَ: وَلِمَ؟ قَالَ: لِأَنَّ كَفَّكَ بِالْجَزِيلِ أَكْثَرُ مِنْ مَسْأَلَتِي بِاللِّسَانِ. فَأَعْطَاهُ أَلْفَ دِينَارٍ. وَقَالَ أَيْضًا: الْأَنْبِيَاءُ لَا يَتَثَاءَبُونَ كَمَا يَتَثَاءَبُ النَّاسُ، مَا تَثَاءَبَ نَبِيٌّ قَطُّ. وَقَدْ أَوْصَى بِثُلْثِ مَالِهِ لِأَهْلِ الْأَدَبِ، وَقَالَ: إِنَّهَا صِنَاعَةٌ مَجْفُوٌّ أَهْلُهَا.
وَقَالَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ وَغَيْرُهُ: تُوُفِّيَ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِسَبْعٍ مَضَيْنَ مِنَ الْمُحَرَّمِ،
পৃষ্ঠা - ৭৭২০
سَنَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ. وَقِيلَ: فِي سَنَةِ عِشْرِينَ وَمِائَةٍ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِمَوْضِعٍ يُقَالُ لَهُ: الْحَانُوتُ.
وَقَدْ رَثَاهُ بَعْضُهُمْ، وَهُوَ ابْنُ أَخِيهِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ فَقَالَ:
أَقُولُ وَمَا الْبُعْدُ إِلَّا الرَّدَى ... أَمْسَلَمُ لَا تَبْعُدَنْ مَسْلَمَهْ
فَقَدْ كُنْتَ نُورًا لَنَا فِي الْبِلَادِ ... مُضِيئًا فَقَدْ أَصْبَحَتْ مُظْلِمَهْ
وَنَكْتُمُ مَوْتَكَ نَخْشَى الْيَقِينَ ... فَأَبْدَى الْيَقِينُ عَنِ الْجُمْجُمَهْ
نُمَيْرُ بْنُ أَوْسٍ الْأَشْعَرِيُّ قَاضِي دِمَشْقَ، تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، رَوَى عَنْ حُذَيْفَةَ مُرْسَلًا وَأَبِي مُوسَى مُرْسَلًا وَأَبِي الدَّرْدَاءِ وَعَنْ مُعَاوِيَةَ مُرْسَلًا، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ، وَحَدَّثَ عَنْهُ جَمَاعَةٌ كَثِيرُونَ، مِنْهُمُ الْأَوْزَاعِيُّ، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَيَحْيَى بْنُ الْحَارِثِ الذِّمَارِيُّ.
وَلَّاهُ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الْقَضَاءَ بِدِمَشْقَ بَعْدَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْخَشْخَاشِ الْعُذْرِيِّ ثُمَّ اسْتَعْفَى هِشَامًا فَأَعْفَاهُ وَوَلَّى مَكَانَهُ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي مَالِكٍ. وَكَانَ نُمَيْرٌ هَذَا لَا يَحْكُمُ بِالْيَمِينِ مَعَ الشَّاهِدِ، وَكَانَ يَقُولُ: الْآدَابُ مِنَ الْآبَاءِ، وَالصَّلَاحُ مِنَ اللَّهِ.
পৃষ্ঠা - ৭৭২১
قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ: تُوَفِّيَ سَنَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ خَمْسَ عَشْرَةَ وَمِائَةٍ. وَهُوَ غَرِيبٌ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ.