ثم دخلت سنة تسع عشرة ومائة
পৃষ্ঠা - ৭৭০১
,
আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস-এর মৃত্যুর পুর্বে এ বছরের কয়েক বছর আগে বহু
মানুষ তার ছেলে মুহাম্মদ-এর হাতে খিলাফতের বায়আত গ্রহণ নিয়েছিল ৷ কিন্তু বিষয়টা
৫গাপন থাকে ৷ কিন্তু তার মৃত্যুর পর ছেলে আবদুল্লাহ আবুল আব্বাস আস-সাফফাহ শাসন
ক্ষমতা হাতে নেন ৷ তখন তার বয়স ছিল বত্রিশ বছর ৷ এ বিষয়ে পরে আলোচনা হবে
ইনশাআল্লাহ্ ৷
এ বছর আরো যারা ইনতিকাল করেন, তন্মধ্যে আমর ইবন ও আরব, উবাদা ইবন নুসইি,
আবু সাখরা জামি ইবন শাদ্দাদ ও আবুআয়্যাশ আল-মু আফিরী ৷
১১৯ ইিজরী সন
এ বছর ওয়ালীদ ইবনুল কা কা ণ্রামে যুদ্ধ শুরু করেন এবং আসাদ ইবন আবদুল্লাহ
আল- কাসরী তুর্কী মহারাজা খাকানকে হত্যা করেন ৷ তার কারণ এই ছিল যে, খুরাসানের
গভর্নর আসাদ ইবন আবদৃল্লাহ্ তার ভাই খালিদ ইবন আবদুল্লাহ্র নায়েব হয়ে ইরাকের
দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ৷ তারপর তিনি বাহিনীসহ খুত্তাল নগরীতে প্রবেশ করে শহরটি দখল
করে নেন এবং তার বাহিনী শহরময় ছড়িয়ে পড়ে হত্যা, বন্দীকরণ এবং গনীমত সৎগ্রহ শুরু
করে দেয় ৷ এদিকে তুর্কী রাজা খাকান গোয়েন্দা মারফত সংবাদ পান যে, আসাদ বাহিনী খুত্তাল
শহরে ছড়িয়ে পড়েছে ৷ সুযোগকে গনীমত মনে করে তৎক্ষণাৎ প্রস্তুতি নিয়ে সৈন্যসহ
আসাদ-এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ খাকান ও তার সঙ্গীরা বিপুল অস্ত্র, শুক্না গোশত ও লবণ
ইত্যাদি নিয়ে মহা-আক্রোশে রওয়ানাইন ৷ খাকান আসাদ পর্যন্ত এসে পৌছে ৷ বিষয়টি অবহিত
হয়ে আসাদও প্রস্তুতি গ্রহণ করেন ৷ এদিকে কিছু লোক গুজব ছড়িয়ে দেয় , খাকান আসাদ ইবন
আবদৃল্লাহ্র উপর হামলা করে তাকে ও তার সঙ্গীদেরকে হ্ত্যা করে ফেলেছে ৷ এই গুজবের
উদ্দেশ্য ছিল আসাদ ইবন আবদৃল্লাহ্র সঙ্গীদেরকে দুর্বল করা, যাতে তারা আসাদ-এর নেতৃত্বে
সমবেত না হয় ৷ কিন্তু মহান আল্লাহ তাদের ষড়যস্ত্রকে বুমেরাং করে দেন এবং তাদের
কৌশলকে তাদের-ই ধ্বৎসে পরিণত করেন ৷ তা এই ভাবে যে, মুসলমানরা যখন উক্ত
সৎবাদটা শুনতে পেল, তাদের ইসলামের মর্যাদাবােধ জেগে ওঠে এবং শত্রুর উপর তাদের
আক্রোশ আরো বেড়ে যায় ৷ তারা প্ৰতিশোধ গ্রহণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয় ৷ ফলে৩ তারা আসাদ ইবন
আবদুল্লাহ যেখানে অবস্থান করছিলেন, সেখানকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় ৷ গিয়ে দেখতে পড়ায়,
আসাদ জীবিত এবং তার সৈন্যরা তার চারিদিকে সমবেত দণ্ডায়মান ৷ আসাদ ইবন আবদুল্লাহ
থাকলে-এর দিকে রওয়ানা হন ৷ তিনি জাবালুল মিল্হ নামক পর্বতের নিকট গিয়ে পৌছেন এবং
পানি ভেঙ্গে বলখ নদী পার হওয়ার মনস্থ করলেন ৷৩ তাদের নিকট বিপুল পরিমাণ গনীমতের
সম্পদ ছিল ৷ আসাদ সেগুলো পিছনে ফেলে যেতে চাইলেন না ৷ ফলে তিনি প্রতেকে
অশ্বারােহীকে সামনে করে একটি এবং যাতে করে একটি ছাগল বহন করে নিয়ে যেতে নির্দেশ
দেন এবং হুমকি প্রদান করেন, কেউ তা না কঃালে তার হাত কেটে ফেলা হবে ৷ তিনি নিজেও
সঙ্গে একটি ছাগল তুলে নেন ৷ তারা নদীতে নেমে পড়ে ৷ তারা নদী থেকে পুরোপুরি তীরে ন্
এসে উঠতে না উঠতেই খাকান পিছন দিক থেকে তাদের উপর হামলা করে বসে ৷ তারা নদী
পার হয়ে এখনো যারা কুলে উঠতে পারেনি, , তাদেরকে এবং দুর্বল লোকদেরকে হত্যা করে
ফেলে ৷ তাবশিষ্টরা যখন কুলে এসে দাড়ায়, তাদের উপরও খাকান বাহিনী আক্রমণ করেবসে ৷
মুসলমানরা৩ আেবজ্জি, শত্রু বাহিনী নদী অতিক্রম করে তাদের নাণাল পাবে না ৷ এবার তৃর্কীরা
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعَ عَشْرَةَ وَمِائَةٍ]
فَفِيهَا غَزَا الْوَلِيدُ بْنُ الْقَعْقَاعِ الْعَبْسِيُّ أَرْضَ الرُّومِ.
وَفِيهَا قَتَلَ أَسَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيُّ مَلِكَ التُّرْكِ الْأَعْظَمَ خَاقَانَ، وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّ أَسَدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ أَمِيرَ خُرَاسَانَ عَمِلَ نِيَابَةً عَنْ أَخِيهِ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَلَى الْعِرَاقِ ثُمَّ سَارَ بِجُيُوشِهِ إِلَى مَدِينَةِ خُتَّلَ فَافْتَتَحَهَا، وَتَفَرَّقَتْ فِي أَرْضِهَا جُنُودُهُ يَقْتُلُونَ وَيَأْسِرُونَ وَيَغْنَمُونَ، فَجَاءَتِ الْعُيُونُ إِلَى مَلِكِ التُّرْكِ خَاقَانَ أَنَّ جَيْشَ أَسَدٍ قَدْ تَفَرَّقَ فِي بِلَادِ خُتَّلَ فَاغْتَنَمَ خَاقَانُ هَذِهِ الْفُرْصَةَ، فَرَكِبَ مِنْ فَوْرِهِ فِي جُنُودِهِ قَاصِدًا إِلَى أَسَدٍ وَتَزَوَّدَ خَاقَانُ وَأَصْحَابُهُ سِلَاحًا كَثِيرًا، وَقَدِيدًا وَمِلْحًا، وَسَارُوا فِي خَلْقٍ عَظِيمٍ، وَجَاءَتِ الْعَيْنُ الصَّافِيَةُ إِلَى أَسَدٍ فَأَعْلَمُوهُ بِقَصْدِ خَاقَانَ لَهُ فِي جَيْشٍ عَظِيمٍ كَثِيفٍ، فَتَجَهَّزَ لِذَلِكَ، وَأَخَذَ أُهْبَتَهُ، فَأَرْسَلَ مِنْ فَوْرِهِ إِلَى أَطْرَافِ جَيْشِهِ فَلَمَّهَا عَلَيْهِ، وَأَشَاعَ بَعْضُ النَّاسِ أَنَّ خَاقَانَ قَدْ هَجَمَ عَلَى أَسَدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فَقَتَلَهُ وَأَصْحَابَهُ ; لِيَحْصُلَ بِذَلِكَ خِذْلَانٌ لِأَصْحَابِهِ فَلَا يَجْتَمِعُوا إِلَيْهِ، فَرَدَّ اللَّهُ كَيْدَهُمْ فِي نُحُورِهِمْ، وَجَعَلَ تَدْمِيرَهُمْ فِي تَدْبِيرِهِمْ، وَذَلِكَ أَنَّ الْمُسْلِمِينَ لَمَّا سَمِعُوا بِذَلِكَ أَخَذَتْهُمْ حَمِيَّةُ الْإِسْلَامِ، وَازْدَادُوا حَنَقًا عَلَى عَدُوِّهِمْ، وَعَزَمُوا عَلَى الْأَخْذِ بِالثَّأْرِ فَقَصَدُوا الْمَوْضِعَ الَّذِي فِيهِ أَسَدٌ فَإِذَا هُوَ حَيٌّ قَدِ اجْتَمَعَتْ عَلَيْهِ الْعَسَاكِرُ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، وَسَارَ أَسَدٌ نَحْوَ خَاقَانَ حَتَّى أَتَى جَبَلَ الْمِلْحِ وَأَرَادَ أَنْ يَخُوضَ
পৃষ্ঠা - ৭৭০২
পরস্পর পরামর্শ করে একযোগে পুনরায় আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ৷ তারা ছিল পঞ্চাশ
হাজার ৷ তারপর তারা নদী পার হয়ে ৷ তারা বিকট শব্দে নাকাড়৷ বাজাল ণ্৷ মুসলমানরা মনে
করল, তারা ছাউনিতেই অবস্থান করছে ৷ তারপর তারা একযোগে নদীতে নেমে পড়ল ৷ তাদের
ঘোড়াগুলাে বিকট শব্দে হেষাধ্বনি তুলল এবং মুসলমানদের এক পার্শ্ব দিয়ে নদী পার হয়ে
তীরে এসে পৌছে গেল ৷ মুসলমানরা তাদের সেনা ছাউনিক্তআ বসে রইল ৷ তারা পুর্ব থেকেই
ছাউনির চতুর্কিংক পরিখা খনন করে রেখেছিল, যা অতিক্রম করে তাদের নিকট আসাকারাে
পক্ষে সম্ভব ছিল না ৷ এখন উভয় বাহিনী উভয়ের আগুন দেখতে পাচ্ছে ৷ প্ৰত্যুষে খাকান
মুসলমানদের একদল সৈন্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে তাদের কতিপয়কে হত্যা করে ফেলে এবং
কতিপয়কে বন্দী করে এবং কতগুলো মালাবাঝাই উট ধরে নিয়ে যায় ৷ তারপর ঈদুল ফিতরের
দিন উভয় বাহিনী মুখোমুখি অবস্থান গ্রহণ করে ৷ ফলে আসাদ বাহিনী শং কিত হয়ে পড়ে যে,
তারা বোধ হয় ঈদের নামায আদায় করতে পারবে না ৷ বন্তুত তারা ত্রাসের মধ্যেই ঈদের
নামায আদায় করে ৷
আসাদ তার সঙ্গীদের নিয়ে বলখের মারাজ্ব নামক স্থানে পৌছে যায় ৷ এতদিনে শীত চলে
গেছে ৷ ঈদুল আযহার কিং আসাদ ইবন আবদুল্লাহ জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন ৷ তিনি মারভে
চলে যাওয়া, খকােনএর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া ও বলখে অবস্থানে আশ্রয় নেওয়া এই তিনি
তিনটি পন্থার কোন একটি পন্থা অবলম্বনের বাপাভৈর তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেন ৷ কেউ দুর্গবদ্ধ
হয়ে থাকার পরামর্শ দিল ৷ কেউ খাকান-এর মুকাবিলায় অবতীর্ণ হওয়ার এবং মহান আল্লাহর“
উপর ভরসা করার কথা বলল ৷ দ্বিতীয় অভিমতটি আমাদের মন৪পুর্ত হয় ৷ তিনি সৈন্যসহ
খাকান-এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ রওয়ানার পুর্বে লোকদের নিয়ে দীর্ঘ করে দু’রাকআত নামায
আদায় করেন ৷ তারপর দীর্ঘ সময় ধরে দুআ করেন ৷ তারপর এই বলে রওয়ানা হন যে,
ইনশাআল্পাহ্ তোমরা জয়ী হয়ে ৷ তিনি মুসলমানদের নিয়ে রওয়ানা হন ৷ তার সম্মুখ বাহিনী
খা কানএর সম্মুখ বাহিনীর মুখোমুখি হয় ৷ মুসলমানরা তাদের বেশ কিছু লোককে হত্যা করে
এবং তাদের আমীর ও তার সঙ্গে আরো সাতজন আমীরকে বন্দী করে ৷ তারপর আসাদ
গনীমত নিয়ে ফিরে আসেন ৷ গনীমতের পরিমাণ ছিল একলাখ পঞ্চাশ হাজার ছাগল ৷ তারপর
তিনি সঙ্গীদের সঙ্গে মিলিত হন ৷ খাকান-এর সঙ্গে ৫ লাকসংখ্যা এখন চার হাজার কিনা তার
চেয়ে কিছু কম বা বেশী ৷ তার সঙ্গে হারিছ ইবন শুরায়হ নামক এক আরব ছিল ৷ এই ণ্লাকটি
খড়াকান-এর হৃদয়ে ঢুকে গিয়েছিল ৷ সে-ই তাকে মুসলিম নারীদের সন্ধান দিত ৷ কিন্তু লোকজন
এগিয়ে এলে তুকীরাি যে যেদিকে সম্ভব পালিয়ে গেল ৷ খাকান পরাজিত হলো ৷ সহযোগী হ বিছ
ইবন শুরায়হ্ তার সঙ্গে ৷ আসাদ ইবন আবদুল্লাহ্ তাদের খাওয়া করলেন ৷ দ্বি-প্রহরের সময়
খাকান চারশত সঙ্গী নিয়ে কেটে পড়ল ৷ তাদের গা য়ে রেশমী পোশাক ৷ তাদের সঙ্গে
অনেকগুলো পানপাত্র ৷ মুসলমানরা খাকানকে পেয়ে গেল ৷ খাকান পানপাত্রগুলোতে সজােরে
তিনবার আঘাত করার নির্দেশ প্রদান করেন প্রত্যাবর্তনের আঘাত ৩৷ কিভু তারা ফিরে যাে৩
পারল না ৷ মুসলমানরা এগিয়ে এসে তাদের ছাউনি থেকে মুল্যবান মালপত্র, সােনা-চীদির
পেয়ালা, তুর্কী নারী-শিশু ও মুসলিম নারী প্রমুখ বন্দী ইত্যাদি অণণিড় মহামুল্যবান সম্পদ ’
দখল করে নেয় ৷ এদিকে খাকান যখন মৃত্যু অবধারিত বুঝতে পারে, তখন খঞ্জর দ্বারা আঘাত
করে স্বীয় ত্রীকে হত্যা করে ফেলেন ৷ মুসলমানরা যখন খাকান-এর সেনা ছাউনিতে গিয়ে
نَهْرَ بَلْخَ، وَكَانَ مَعَهُمْ أَغْنَامٌ كَثِيرَةٌ، فَكَرِهَ أَسَدٌ أَنْ يَتْرُكَهَا وَرَاءَ ظَهْرِهِ، فَأَمَرَ كُلَّ فَارِسٍ أَنْ يَحْمِلَ بَيْنَ يَدَيْهِ شَاةً عَلَى عُنُقِهِ، وَتَوعَّدَ مَنْ لَمْ يَفْعَلْ ذَلِكَ بِقَطْعِ الْيَدِ، وَحَمَلَ هُوَ مَعَهُ شَاةً، وَخَاضُوا النَّهْرَ، فَمَا خَلَصُوا مِنْهُ جِيدًا حَتَّى دَهَمَهُمْ خَاقَانُ مِنْ وَرَائِهِمْ فِي خَيْلٍ دُهْمٍ، فَقَتَلُوا مَنْ وَجَدُوهُ لَمْ يَقْطَعِ النَّهْرَ وَبَعْضَ الضَّعْفَةِ، فَلَمَّا وَقَفُوا عَلَى حَافَّةِ النَّهْرِ أَحْجَمُوا، وَظَنَّ الْمُسْلِمُونَ أَنَّهُمْ لَا يَقْطَعُونَ إِلَيْهِمُ النَّهْرَ، فَتَشَاوَرَ الْأَتْرَاكُ فِيمَا بَيْنَهُمْ، ثُمَّ اتَّفَقُوا عَلَى أَنْ يَحْمِلُوا حَمْلَةً وَاحِدَةً - وَكَانُوا خَمْسِينَ أَلْفًا - فَيَقْتَحِمُوا النَّهْرَ، فَضَرَبُوا بِكُوسَاتِهِمْ ضَرْبًا شَدِيدًا، حَتَّى ظَنَّ الْمُسْلِمُونَ أَنَّهُمْ مَعَهُمْ فِي عَسْكَرِهِمْ، ثُمَّ رَمَوْا بِأَنْفُسِهِمْ فِي النَّهْرِ رَمْيَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، فَجَعَلَتْ خُيُولُهُمْ تَنْخِرُ أَشَدَّ النَّخِيرِ، وَخَرَجُوا مِنْهُ إِلَى نَاحِيَةِ الْمُسْلِمِينَ، فَثَبَتَ الْمُسْلِمُونَ فِي مُعَسْكَرِهِمْ، وَكَانُوا قَدْ خَنْدَقُوا حَوْلَهُمْ خَنْدَقًا لَا يَخْلُصُونَ إِلَيْهِمْ مِنْهُ، فَبَاتَ الْجَيْشَانِ تَتَرَاءَى نَارَاهُمَا، فَلَمَّا أَصْبَحَا مَالَ خَاقَانُ عَلَى بَعْضِ الْجَيْشِ الَّذِي لِلْمُسْلِمِينَ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا، وَأَسَرَ أُمَمًا، وَأَخَذَ أَمْوَالًا كَثِيرَةً وَإِبِلًا مُوْقَرَةً، ثُمَّ إِنَّ الْجَيْشَيْنِ تَوَاجَهُوا فِي يَوْمِ عِيدِ الْفِطْرِ، حَتَّى خَافَ جَيْشُ أَسَدٍ أَنْ يُصَلُّوا صَلَاةَ الْعِيدِ، فَمَا صَلَّوْهَا إِلَّا عَلَى وَجَلٍ، ثُمَّ سَارَ أَسَدٌ بِمَنْ مَعَهُ حَتَّى نَزَلَ مَرْجَ بَلْخَ، حَتَّى انْقَضَى الشِّتَاءُ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمَ عِيدِ الْأَضْحَى خَطَبَ أَسَدٌ النَّاسَ، وَاسْتَشَارَهُمْ فِي لِقَاءِ خَاقَانَ، فَمِنْهُمْ مَنْ قَالَ: نَتَحَصَّنُ بِبَلْخَ وَنَبْعَثُ إِلَى خَالِدٍ وَالْخَلِيفَةِ. وَمِنْ قَائِلٍ يُشِيرُ بِالذَّهَابِ إِلَى مَرْوَ، وَأَشَارَ آخَرُونَ بِمُلْتَقَاهُ وَالتَّوَكُّلِ عَلَى اللَّهِ، فَوَافَقَ ذَلِكَ رَأْيُ أَسَدِ الْأُسْدِ، فَقَصَدَ بِجَيْشِهِ نَحْوَ
পৃষ্ঠা - ৭৭০৩
خَاقَانَ، وَصَلَّى بِالنَّاسِ رَكْعَتَيْنِ أَطَالَ فِيهِمَا، ثُمَّ دَعَا بِدُعَاءٍ طَوِيلٍ، ثُمَّ انْصَرَفَ وَهُوَ يَقُولُ: نُصِرْتُمْ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. ثَلَاثًا. ثُمَّ سَارَ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَالْتَقَتْ مُقَدِّمَتُهُ بِمُقَدَّمَةِ خَاقَانَ، فَقَتَلَ الْمُسْلِمُونَ مِنْهُمْ خَلْقًا، وَأَسَرُوا أَمِيرَهُمْ وَسَبْعَةَ أُمَرَاءَ مَعَهُ، ثُمَّ سَاقَ أَسَدٌ فَانْتَهَى إِلَى أَغْنَامِهِمْ فَاسْتَاقَهَا، فَإِذَا هِيَ مِائَةُ أَلْفٍ وَخَمْسُونَ أَلْفَ شَاةٍ، ثُمَّ الْتَقَى مَعَهُمْ، وَكَانَ خَاقَانُ فِي هَذَا الْيَوْمِ إِنَّمَا مَعَهُ أَرْبَعَةُ آلَافٍ أَوْ نَحْوُهَا، وَمَعَهُ رَجُلٌ مِنَ الْعَرَبِ قَدْ خَامَرَ إِلَيْهِ، يُقَالُ لَهُ: الْحَارِثُ بْنُ سُرَيْجٍ فَهُوَ يَدُلُّهُ عَلَى عَوْرَاتِ الْمُسْلِمِينَ، فَلَمَّا اقْتَتَلَ النَّاسُ هَرَبَتِ الْأَتْرَاكُ فِي كُلِّ جَانِبٍ، وَانْهَزَمَ خَاقَانُ، وَمَعَهُ الْحَارِثُ بْنُ سُرَيْجٍ الْمَذْكُورُ يَحْمِيهِ وَيُثَبِّتُهُ، فَتَبِعَهُمْ أَسَدٌ فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ الظَّهِيرَةِ انْخَذَلَ خَاقَانُ فِي أَرْبَعِمِائَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، عَلَيْهِمُ الْخَزُّ، وَمَعَهُمُ الْكُوسَاتُ، فَلَمَّا أَدْرَكَهُ الْمُسْلِمُونَ أَمَرَ بِالْكُوسَاتِ فَضُرِبَتْ ضَرْبَ الِانْصِرَافِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَلَمْ يَسْتَطِيعُوا الِانْصِرَافَ، فَتَقَدَّمَ الْمُسْلِمُونَ، فَاحْتَاطُوا عَلَى مُعَسْكَرِهِمْ، فَاحْتَازُوهُ بِمَا فِيهِ مِنَ الْأَمْتِعَةِ الْعَظِيمَةِ، وَالْأَوَانِي مِنَ النَّقْدِ، وَالنِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ مِنَ الْأَتْرَاكِ وَمَنْ مَعَهُمْ مِنَ الْأُسَارَى مِنَ الْمُسْلِمَاتِ وَغَيْرِهِمْ، مِمَّا لَا يُحَدُّ وَلَا يُوصَفُ، لِكَثْرَتِهِ وَعِظَمِ قِيمَتِهِ وَحُسْنِهِ، غَيْرَ أَنَّ خَاقَانَ كَانَ قَدْ ضَرَبَ امْرَأَتَهُ بِخِنْجَرٍ فَقَتَلَهَا، فَوَصَلَ الْمُسْلِمُونَ إِلَى الْعَسْكَرِ، وَهِيَ فِي آخِرِ رَمَقٍ تَتَحَرَّكُ، وَوَجَدُوا قُدُورَهُمْ تَغْلِي بِأَطْعِمَاتِهِمْ، وَهَرَبَ خَاقَانُ بِمَنْ مَعَهُ حَتَّى دَخَلَ بَعْضَ الْمُدُنِ، فَتَحَصَّنَ بِهَا، فَاتُّفِقَ أَنَّهُ لَعِبَ بِالنَّرْدِ مَعَ بَعْضِ أُمَرَائِهِ،
পৃষ্ঠা - ৭৭০৪
পৌছে, তখন খাকান-এর শ্রী মৃতপ্রায় ৷ তারা চুলায় তাদের পাতিলগুলেড়াতে খাবার স্পোবগ
করছে দেখতে পায় ৷ খাকান সঙ্গীদের নিয়ে পালিয়ে কোন এক শহরে প্রবেশ করে নিরাপদ
আশ্রয়ে অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ পরবর্তীতে আমীর আসাদ ইবন আবদুল্লাহ্ যখন তার উপর জয়ী
হন, তখন তিনি কতিপয় আমীরের সঙ্গে শতরঞ্জ থেলছিলেন ৷ খাকান আমীর আসাদ ইবন
আবদুল্লাহ্কে হাত কেটে ফেলার হুমকি প্রদান করেন ৷ ফলে আসাদ তার উপর আরো ক্রুদ্ধ হয়ে
উঠেন ৷ পরে তাকে হত্যা করে ফেলেন ৷ তুর্কীরা ছিন্নভিন্ন হয়ে ছুটাছুটি করে পরস্পর পরস্পরের
উপর হুমড়ি খেয়ে পড়তে লাগল এবং পরস্পর পবস্পবকে লুণ্ঠন করতে লাগল ৷
এদিকে আসাদ ইবন আবদুল্লাহ তার ভাই খালিদকে খাকান-এর উপর তার বিজয়ের
ৎবাদ দিয়ে দুত প্রেরণ করেন এবং তার নিকট খাকান-এর তবলাটা পাঠিয়ে দেন ৷ এত বড়
তবলা যে, তার শব্দ বরুজ্রর শব্দের ন্যায় ৷ তাছাড়া আরো কিছু সম্পদও প্রেরণ করেন ৷ খালিদ
তবলাটা আমীরুল মুমিনীন হিশাম-এর নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ হিশাম তাতে বেজায় আনন্দিত
হন এবং দুতদেরকে বিপুল পরিমাণ সম্পদ উপহার দেন ৷
এই ঘটনায় আসাদ ইবন আবদুল্লাহ্র প্রশংসা করে কোন এক করি বলেছেন,
ট্রুা; ণ্এ
র্সে;ৰুন্
,
শ্ব্লে১)ঠু &
তৃমি যদি পৃথিবীময় ভ্রমণ করে পৃথিবীর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ পরিমাপ কর, তবু আমীর
আসাদ-এরন্যায় উত্তম শাসক খুজে পেতে না ৷ তিনি আমাদের নিকট সংবাদ পৌছিয়েছেন যে,
তিনি তার বিক্ষিপ্ত সৈন্যদেরকে সমবেত করে নিয়েছেন ৷ এখন খাকানও তার থেকে রক্ষা পারে
না ৷ তিনি আপন সৈন্য বাহিনীর আগেই প্রাণ ত্যাগ করবেন ৷ হে ইবন শুরায়হ! তুমিও সেই
তিক্ত ফল পেয়ে গেছ যা দ্ধারা রুগ্ন ব্যক্তি সুস্থুতা লাভ করে ৷ ’
এ বছর খালিদ ইবন আবদুল্লাহ্ আল-কাসরী মুগীরা ইবন সাঈদ ও তার মিথ্যা মতবাদের
অনুসারীদের অনেককে হত্যা করেছিলেন ৷ এই সোকটি জাদুকর, পাপিষ্ঠ ও অ্যাভ্যশীত্যাহ্
জ্যি
ইবন জারীর যথাক্রমে ইবন হুমায়দ ও জারীর সুত্রে আমাশ হতে বর্ণনা করেন যে,
আমাশ বলেন, আমি মুগীরা ইবন সাঈদকে বলতে শুনেছি, সে যদি আদ, ছামুদ ও অন্যান্য
জাতিকে জীবিত করতে চাইত, সে তাদেরকে জীবিত করতে পারত ৷ আ’মাশ বলেন এই
মুপীরাহ্ কবরম্ভানে গিয়ে এমন কিছু বাক্য উচ্চারণ করত যে, তার ফলে কবরস্তানের উপর
টিডিদ্রর ন্যায় পাখি দেখা যেত ৷ ইবন জারীর তার ব্যাপারে এমন কথা উল্লেখ করেন, তাতে
তার জাদু ও পাপাচারের প্রমাণ পাওয়া যায় ৷ তার সম্পর্কে শুনে খালিদ ইবন আবদুল্লাহ তাকে
উপস্থিত করার নির্দেশ প্রদান করেন ৷ সাত কিৎবা নয় জন লোকসহ তাকে তার সম্মুখে উপস্থিত
করা হলো ৷ খালিদ-এর নির্দোশ তার সিংহাসনটাকে মসজিদের নিকট নিয়ে যাওয়া হলো ৷
فَغَلَبَهُ الْأَمِيرُ، فَتَوَعَّدَهُ خَاقَانُ بِقَطْعِ الْيَدِ، فَحَنِقَ عَلَيْهِ ذَلِكَ الْأَمِيرُ، ثُمَّ عَمِلَ عَلَى قَتْلِهِ فَقَتَلَهُ، وَتَفَرَّقَتِ الْأَتْرَاكُ فِرَقًا يَعْدُو بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ، وَيَنْهَبُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، وَبَعَثَ أَسَدٌ إِلَى أَخِيهِ خَالِدٍ يُعْلِمُهُ بِمَا وَقَعَ مِنَ النَّصْرِ وَالظَّفَرِ بِخَاقَانَ، وَبَعَثَ إِلَيْهِ بِطَوْقِ خَاقَانَ، وَشَيْءٍ كَثِيرٍ مِنْ حَوَاصِلِهِ وَأَمْتِعَتِهِ، فَوَفَّدَهَا خَالِدٌ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ هِشَامٍ فَفَرِحَ بِذَلِكَ فَرَحًا شَدِيدًا جِدًّا، وَأَطْلَقَ لِلرُّسُلِ أَمْوَالًا جَزِيلَةً كَثِيرَةً مِنْ بَيْتِ الْمَالِ، وَقَدْ قَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ فِي أَسَدٍ يَمْدَحُهُ عَلَى ذَلِكَ:
لَوْ سِرْتَ فِي الْأَرْضِ تَقِيسُ الْأَرْضَا ... تَقِيسُ مِنْهَا طُولَهَا وَالْعَرْضَا
لَمْ تَلْقَ خَيْرًا مَرَّةً وَنَقْضَا ... مِنَ الْأَمِيرِ أَسَدٍ وَأَمْضَى
أَفْضَى إِلَيْنَا الْخَيْرَ حِينَ أَفْضَى ... وَجَمَعَ الشَّمْلَ وَكَانَ رَفْضَا
مَا فَاتَهُ خَاقَانُ إِلَّا رَكْضَا ... قَدْ فَضَّ مِنْ جُمُوعِهِ مَا فَضَّا
يَا بْنَ سُرَيْجٍ قَدْ لَقِيتَ حَمْضَا ... حَمْضًا بِهِ يُشْفَى صُدَاعُ الْمَرْضَى
وَفِيهَا قَتَلَ خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيُّ الْمُغِيرَةَ بْنَ سَعِيدٍ وَجَمَاعَةً مِنْ أَصْحَابِهِ الَّذِينَ تَابَعُوهُ عَلَى بَاطِلِهِ، وَكَانَ هَذَا الرَّجُلُ سَاحِرًا فَاجِرًا شِيعِيًّا خَبِيثًا.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: ثَنَا ابْنُ حُمَيْدٍ، ثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ قَالَ: سَمِعْتُ
পৃষ্ঠা - ৭৭০৫
الْمُغِيرَةَ بْنَ سَعِيدٍ يَقُولُ: لَوْ أَرَادَ عَلِيٌّ أَنْ يُحْيِيَ عَادًا وَثَمُودَ وَقُرُونًا بَيْنَ ذَلِكَ كَثِيرًا لَأَحْيَاهُمْ.
قَالَ الْأَعْمَشُ وَكَانَ الْمُغِيرَةُ يَخْرُجُ إِلَى الْمَقْبَرَةِ فَيَتَكَلَّمُ، فَيُرَى مِثْلُ الْجَرَادِ عَلَى الْقُبُورِ. أَوْ نَحْوَ هَذَا مِنَ الْكَلَامِ.
وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ لَهُ غَيْرَ ذَلِكَ مِنَ الْأَحْوَالِ الَّتِي تَدُلُّ عَلَى سِحْرِهِ وَفُجُورِهِ. وَلَمَّا بَلَغَ خَالِدًا أَمْرُهُ أَمَرَ بِإِحْضَارِهِ، فَجِيءَ بِهِ فِي سِتَّةِ نَفَرٍ أَوْ سَبْعَةِ نَفَرٍ، فَأَمَرَ خَالِدٌ فَأُبْرِزَ سَرِيرُهُ إِلَى الْمَسْجِدِ، وَأَمَرَ بِإِحْضَارِ أَطْنَانِ الْقَصَبِ، وَالنِّفْطِ فَصَبَّ فَوْقَهَا، وَأَمَرَ الْمُغِيرَةَ أَنْ يَحْتَضِنَ طُنًّا مِنْهَا، فَامْتَنَعَ فَضُرِبَ حَتَّى احْتَضَنَ مِنْهَا طُنًّا وَاحِدًا، وَصَبَّ فَوْقَ رَأْسِهِ النِّفْطَ، ثُمَّ أَضْرَمَ بِالنَّارِ، وَكَذَلِكَ فَعَلَ بِبَقِيَّةِ أَصْحَابِهِ، قَبَّحَهُمُ اللَّهُ.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ خَرَجَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: بُهْلُولُ بْنُ بِشْرٍ. وَيُلَقَّبُ بِكُثَارَةَ، وَاتَّبَعَهُ جَمَاعَاتٌ مِنَ الْخَوَارِجِ دُونَ الْمِائَةِ، وَقَصَدُوا قَتْلَ خَالِدٍ الْقَسْرِيِّ فَبَعَثَ إِلَيْهِمُ الْبُعُوثَ، فَكَسَرُوا الْجُيُوشَ، وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُهُمْ جِدًّا ; لِشَجَاعَتِهِمْ وَجَلَدِهِمْ، وَقِلَّةِ نُصْحِ مَنْ يُقَاتِلُهُمْ مِنَ الْجُيُوشِ، فَرَدُّوا الْعَسَاكِرَ مِنَ الْأُلُوفِ الْمُؤَلَّفَةِ، الْمُوقَرَةِ
পৃষ্ঠা - ৭৭০৬
তিনি বীশ দ্বারা কয়েকটি তীবু প্রস্তুত করতে এবং পেট্রোল উপস্থিত করতে বললেন ৷ র্তাৰু
খাটানাে হলো ৷ তার উপর পােট্রাল ঢেলে দেওয়া হলো ৷ মুগীরাকে একটি তাবুত্তে ঢুকে যেতে
বলেন ৷ সে অস্বীকৃতি জ নান ৷ খালিদ ইবন আবদুল্লাহ তাকে প্রহার করলেন ৷ এবার সে একটি
তাবুত্বে ঢুকে পড়ল ৷ তার মাথার উপর পােট্র ল ঢেলে দেওয়া হলো ৷ তারপর তাতে আগুন
ধরিয়ে দেওয়া হলো ৷ তার সঙ্গীদের সঙ্গেও একই আচরণ করা হলো ৷
এ বছর বাহলুল ইবন বিশ্ব নামক এক ব্যক্তি আত্মপ্রকাশ করে ৷ তারউপাধি ছিল
কাসারা ৷ একশ’রও কমসংখ্যক একটি বিদ্রোহী দল তার অনুগত হয়ে যায় ৷ তারা খালিদ
আল-কা ৷সয়ীকে হত্যা করার পরিকল্পনা জাটে ৷ খালিদ আল কাসরী তাদের বিরুদ্ধে অভিযান
প্রেরণ করেন ৷ কিন্তু বিদ্রোহীদের বীরশ্হু , শক্তি-সামর্থ ও খালিদ বাহিনীর দিক-নির্দেশনার
অভাবের কারণে তাদের অভিযান ব্যর্থ হয় ৷ ফলে পুনরায় অস্ত্র ও চিহ্নিত ঘোড়া সজ্জিত কয়েক
হাজার সৈন্যের বাহিনী প্রেরণ করা হয় ৷ কিন্তু তারাও পরাজিত হয় ৷ অথচ বিদ্রোহীরা ছিল
একশ’ রও কম ৷ তারপর তারা খলীফা হিশ ৷৷মকে হ৩ ত্যা করার উদ্দেশ্যে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা
করে ৷ আল-জাযীরা নামক স্থানে একটি বাহিনী তা ৷দের প্রতিরোধ করে ৷ সেখানে উভয় পক্ষের
মাঝে ঘোরতর লড়াই হয় ৷ এবার তারা বিদ্রোহী বাহুলুলের অধিকাত্শ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক
লোককে হত্যা করে ফেলে ৷ জাদীলার আবুল মাওত নামক এক ব্যক্তি বাহলুলকে আঘাত
করে ৷ বাহলুল মাটিতে পড়ে যায় এবং অবশিষ্ট সঙ্গীরা তাকে হত্যা করে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে ৷
তারা ছিল সর্বসাকুল্যে সত্তরজন ৷৩ তাদের কোন সঙ্গী তাদের জন্য শোকপাথা আবৃত্তি করে :
এগ্ত্রপু১পুা
আমি আবু বিশ্ব ও তার সাহচর্যের পর অন্য এক পােষ্ঠীকে আমার সহায়ক স্থির করে
নিয়েছি ৷
আমার সঙ্গীরা এমনভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে, যেন তারা আমার সঙ্গী ছিলই না এবং
ইতােপুর্বে ত ৷রা আমার সুহৃদ ছিল না ৷
হে আমার চক্ষু ! তুমি বেশী করে অশ্রু প্রবাহিত কর এবং যারা পুর্ব বন্ধু ও প্রতিবেশী ছিল,
তাদের জন্য ক্রন্দন কর ৷
আমার বন্ধুরা দুনিয়ার্কেসম্পুর্ণরুপে পরিত্যাগ করেছে এবং চিরস্থায়ী জান্নাতে গিয়ে আশ্রয়
গ্রহণ করেছে ৷ ’
তারপর তাদের অপর একটি দল সংগঠিত হয়ে হিশাম ইবন আবদুল মালিক-এর
কয়েকজন গভর্নরের বিরুদ্ধে সংঘাতে লিপ্ত হয় ৷ তাতে উভয় পক্ষের বহু লোক নিহত হয় ৷ এক
পর্যায়ে খালিদ আল-কাসরী তাদের বিরুদ্ধে সামরিক সাহায্য প্রদান করেন ৷ এভাবে
বিদ্রোহীদেরকে সমুলে ধ্বংস করে দেওয়া হয় é
بِالْأَسْلِحَةِ وَلَمْ يَبْلُغُوا الْمِائَةَ، ثُمَّ إِنَّهُمْ رَامُوا قُدُومَ الشَّامِ لِقَتْلِ الْخَلِيفَةِ هِشَامٍ فَقَصَدُوا نَحْوَهَا، فَاعْتَرَضَهُمْ جَيْشٌ بِأَرْضِ الْجَزِيرَةِ فَاقْتَتَلُوا مَعَهُمْ قِتَالًا عَظِيمًا، فَقَتَلُوا عَامَّةَ أَصْحَابِ بُهْلُولٍ الْخَارِجِيِّ ثُمَّ إِنَّ رَجُلًا مِنْ جَدِيلَةَ يُكَنَّى أَبَا الْمَوْتِ ضَرَبَ بُهْلُولًا ضَرْبَةً فَصَرَعَهُ، وَتَفَرَّقَ بَقِيَّةُ أَصْحَابِهِ، وَكَانُوا جَمِيعُهُمْ سَبْعِينَ رَجُلًا، وَقَدْ رَثَاهُمْ بَعْضُ أَصْحَابِهِمْ فَقَالَ:
بُدِّلْتُ بَعْدَ أَبِي بِشْرٍ وَصُحْبَتِهِ ... قَوْمًا عَلَيَّ مَعَ الْأَحْزَابِ أَعْوَانَا
بَانُوا كَأَنْ لَمْ يَكُونُوا مِنْ صَحَابَتِنَا ... وَلَمْ يَكُونُوا لَنَا بِالْأَمْسِ خُلَّانَا
يَا عَيْنُ أَذْرِي دُمُوعًا مِنْكِ تَهْتَانَا ... وَابْكِي لَنَا صُحْبَةً بَانُوا وَإِخْوَانَا
خَلَّوْا لَنَا ظَاهِرَ الدُّنْيَا وَبَاطِنَهَا ... وَأَصْبَحُوا فِي جِنَانِ الْخُلْدِ جِيرَانَا
ثُمَّ تَجَمَّعَ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ أُخْرَى عَلَى بَعْضِ أُمَرَائِهِمْ، فَقَاتَلُوا وَقُتِلُوا وَقَتَلُوا، وَجُهِّزَتْ إِلَيْهِمُ الْعَسَاكِرُ مِنْ عِنْدِ خَالِدٍ الْقَسْرِيِّ وَلَمْ يَزَلْ حَتَّى أَبَادَ خَضْرَاءَهُمْ، وَلَمْ يَبْقَ لَهُمْ بَاقِيَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
وَفِيهَا غَزَا أَسَدٌ الْقَسْرِيُّ بِلَادَ التُّرْكِ فَعَرَضَ عَلَيْهِ مَلِكُهُمْ بَدْرُ طَرْخَانُ أَلْفَ أَلْفٍ، فَلَمْ يَقْبَلْ مِنْهُ شَيْئًا، وَأَخَذَهُ قَهْرًا، فَقَتَلَهُ صَبْرًا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَأَخَذَ مَدِينَتَهُ وَقَلْعَتَهُ وَحَوَاصِلَهُ وَنِسَاءَهُ وَأَمْوَالَهُ.
وَفِيهَا خَرَجَ الصُّحَارِيُّ بْنُ شَبِيبٍ الْخَارِجِيُّ وَاتَّبَعَهُ طَائِفَةٌ قَلِيلَةٌ نَحْوٌ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৭৭০৭
ثَلَاثِينَ رَجُلًا، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ خَالِدٌ الْقَسْرِيُّ جُنْدًا، فَقَتَلُوهُ وَجَمِيعَ أَصْحَابِهِ، فَلَمْ يَتْرُكُوا مِنْهُمْ رَجُلًا وَاحِدًا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَبُو شَاكِرٍ مَسْلَمَةُ بْنُ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَحَجَّ مَعَهُ ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ لِيُعَلِّمَهُ مَنَاسِكَ الْحَجِّ، وَكَانَ أَمِيرَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَالطَّائِفِ مُحَمَّدُ بْنُ هِشَامِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، وَأَمِيرَ الْعِرَاقِ وَالْمَشْرِقِ بِكَمَالِهِ خَالِدٌ الْقَسْرِيُّ وَنَائِبُهُ عَلَى خُرَاسَانَ بِكَمَالِهَا أَخُوهُ أَسَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيُّ وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقِيلَ: فِي سَنَةِ عِشْرِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَنَائِبُ إِرْمِينِيَّةَ وَأَذْرَبِيجَانَ مَرْوَانُ الْمُلَقَّبُ بِالْحِمَارِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.