ثم دخلت سنة إحدى ومائة
পৃষ্ঠা - ৭৫৬৩
আবু উছমান আন-নাহদীকে বলতে শুনেছি, আমার বয়স একশ’ তিরিশ বছর হয়েছে ৷ এ
সময়ের মাঝে আমি সবকিছুকে পরিবর্তিত হতে দেখেছি শুধু আমার আশা-আকাক্ষেত্ত্ব
ব্যতিক্রম ৷ আমি তাকে অপরিবর্তিত পেয়েছি ৷ ছাবিত আল বুনানী বলেন, আবু উছমান সুত্রে,
তিনি বলেন, আমি ঐ সময়ের কথা জানি, যখন আমার রব আমাকে স্মরণ করেন ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, কিভাবে আপনি তা জানেন ? তখন তিনি বলেন, আল্লাহ্ তাআলা তো বলেছেন :
০
ণ্ধু,ৰুা৷ ,প্রুটুছুট্টাষ্ তােমরা আমাকে স্মরণ কর, তাহলে আমিও তােমাদেরকে স্মরণ
করব ৷’ ২ : র্চ৫২ ,
কাজেই, আমি যখন আল্লাহ্কে স্মরণ করি, তখন তিনিও আমাকে স্মরণ করেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, আমরা যখন মহান আল্লাহর কাছে দুআ করতাম, তখন তিনি বলতেন,
আল্লাহ্র কসম ! মহান আল্লাহ আমাদের দুআন্কবুল করেছেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা বলেন হ্;
০ ষ্ ) : ’ )
:< এ্যা! প্রু১প্রু;৷ ৷ ণ্ষুপ্রু, ছুারট্রু আর তোমাদের রব ইরশাদ করেন, তোমরা
আমাকে ডাকআমি ণ্তামাদের ডাকে সাড়া দিব ৷
এ বছরেই আবদুল মানিক্ট্রক ইবন উমরচ্ইবন আবদুল আষীয মত্যুমুথে পতিত হন ৷
ইবাদত-বন্দেগী এবং লোক সহ্সর্গ বর্জনে তিনি তার পিতাকেও ছাড়িয়ে যান ৷ তার সাথে তার
পিতার অনেক উত্তম আলোচনর্টংএবং উপদেশমালা সংরক্ষিত আছে ৷
১৭া১জ্যিরীরসুচনা
এ বছরেই ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব জেলর্খানা হতে পলায়ন করে যখন তার কাছে উমর
ইবন আবদুল আযীযের মৃত্যুশয্যা গ্রহণের সংবাদ পৌছে ৷ গোপনেন্সেন্তার অনুচরদের কোন
এক স্থানে অশ্বদলসহ তার সাক্ষাতের র্জনর্বুশুশুঅপ্নেক্ষা করতে বলে, কারও মতে উট দলসহ ৷
তারপর সে সুযোগ বুঝে জেলখানা থেকে পলায়ন করে আর :এন্ সময় তার সাথে একটি দল
এবং তার শ্রী আতিকা বিনৃত ফুরাত আল আমিরিয়ব্রস্ব ছিক্দ্বুাসৈরুিছুছুখেনন্তার অনুচরদের কাছে
পৌছে গেল, তখন তার নির্ধারিত বাহনে আরোহণ করুরৰুহুরন্দ্বস্তুযানর্বৃছব্লুহ্৷ (র্দুাল ৷ এ সময় সে উমর
ইবন আবদুল আযীয়ের নামে একটি পত্র লিখল-অড়াল্পীহ্হারুর্বীস্খাআেপনার মৃত্যুশয্দ্রার খবর
নিশ্চিতভাবে জানার পরই আমি জেলখানা থেকে বের হ্দ্য় ছি ৷ আমিট্টযদি আপনার জীবিত
থাকার আশা করতাম, তাহলে জেলখানা থেকে বের হতাম ৰুনান্া কিস্তু আমি (আপনার পরবর্তী
খলীফা) ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিককে ভয় করি ৷ তিনি আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন ৷
ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিক বলতেন, আমি যদি খলীফাহই, তড়াহলেইয়াযীদ ইবন
মুহাল্লাবের কোন না কোন অঙ্গথ্প্নতাঙ্গ কেটে দিব ৷ আর এর কারণ হট্রুলাে,; ইবন মুহাল্লাব যখন
ইরাকের গভর্নর নিযুক্ত হয়েছিল তখন সে ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের শ্বশুরকুল আকীল
পরিবারকে শাস্তি দিয়েছিল ৷ এরা হলো হাজ্জাজ ইবন ইউসুফের পরিবার ৷ ইয়াযীদ ইবন
আবদুল মালিক মুহাম্মাদ ইবন ইউসুফের কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন, তার নিহত ফাসিক ছেলে
ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদ এ শ্ৰীরই গর্ভজাত সন্তান যেমনটি সামনে আসছে ৷ হযরত উমর ইবন
আবদুল আযীযের কাছে যখন এ সংবাদ পৌছল যে, ইবন মুহাল্লাব জেলখানা হতে পালিয়েছে,
তখন তিনি এই বলে দুআ করলেন, হে আল্লাহ্ ! সে যদি এই উম্মতের কোন অনিষ্ট চায়,
তাহলে আপনি তাদেরকে তার অনিষ্ট থেকে রক্ষা করুন এবং তার চক্রাম্ভকে তারই বিরুদ্ধে
কার্যকর করুন ৷ এরপর উমর ইবন আবদুল আযীয়ের অবস্থার ক্রাবনতি হতে থাকে এবং
অবশেষে তিনি হামা ও হালবের মধ্যবর্তী দায়র সামআনের খানাসারা নামক স্থানে শুক্রবার দিন
ইনৃতিকাল করেন ৷ কারো কারো মতে বুধবার ৷ এটা ছিল এ বছরের অর্থাৎ একশ’ এক
হিজরীর রজব মাসের পচিশ তারিখ ৷ আর এ সময় তার বয়স ছিল উনচল্লিশ বছর কয়েক
মাস ৷ কারো কারো মতে চল্লিশ বছর কয়েক মাস ৷ মহান আল্লাহ অধিক জানেন ৷
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَمِائَةٍ]
[الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا]
فِيهَا كَانَ هَرَبُ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ مِنَ السِّجْنِ حِينَ بَلَغَهُ مَرَضُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَوَاعَدَ غِلْمَانِهِ يَلْقَوْنَهُ بِالْخَيْلِ فِي بَعْضِ الْأَمَاكِنِ وَقِيلَ: بِإِبِلٍ لَهُ. ثُمَّ نَزَلَ مِنْ مَحْبَسِهِ وَمَعَهُ جَمَاعَةٌ وَامْرَأَتُهُ عَاتِكَةُ بِنْتُ الْفُرَاتِ الْعَامِرِيَّةُ فَلَمَّا جَاءَهُ غِلْمَانُهُ رَكِبَ رَوَاحِلَهُ وَسَارَ، وَكَتَبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِنِّي وَاللَّهِ مَا خَرَجْتُ مِنْ سِجْنِكَ إِلَّا حِينَ بَلَغَنِي مَرَضُكَ وَلَوْ رَجَوْتُ حَيَاتَكَ مَا خَرَجْتُ وَلَكِنِّي خَشِيتُ مِنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ; فَإِنَّهُ يَتَوَعَّدُنِي بِالْقَتْلِ. وَكَانَ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ يَقُولُ: لَئِنْ وُلِّيتُ لَأَقْطَعَنَّ مِنْ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ طَائِفَةً. وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا وُلِّيَ الْعِرَاقَ عَاقَبَ أَصْهَارَهُ آلَ أَبِي عَقِيلٍ، وَهُمْ بَيْتُ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ الثَّقَفِيِّ وَكَانَ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ مُزَوَّجًا بِبِنْتِ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ أَخِي الْحَجَّاجِ، وَلَهُ مِنْهَا ابْنُهُ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ الْفَاسِقُ الْمَقْتُولُ، كَمَا سَيَأْتِي. وَلَمَّا بَلَغَ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ هَرَبَ مِنَ السِّجْنِ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ يُرِيدُ بِهَذِهِ الْأُمَّةِ سُوءًا فَاكْفِهِمْ شَرَّهُ، وَارْدُدْ كَيْدَهُ فِي نَحْرِهِ.
ثُمَّ لَمْ يَزَلِ الْمَرَضُ يَتَزَايَدُ بِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ حَتَّى مَاتَ وَهُوَ بِخُنَاصِرَةَ مِنْ دَيْرِ سَمْعَانَ بَيْنَ حَمَاةَ وَحَلَبَ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ. وَقِيلَ: فِي يَوْمِ الْأَرْبِعَاءِ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ رَجَبٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ إِحْدَى وَمِائَةٍ عَنْ تِسْعٍ وَثَلَاثِينَ
পৃষ্ঠা - ৭৫৬৪
একাধিক ঐতিহাসিক যেমন উল্লেখ করেছেন, যে মতে তার খিলাফতকাল ছিল দুই বছর
পাচ যান, চার দিন ৷ আর তিনি ছিলেন ন্যায়পরায়ণ শাসক ও বিচারক এবং আল্লাহ্ভীরু ও
ধ্র্মপ্রাণ ব্যক্তি ৷ মহান আল্লাহর ব্যাপারে (তার বিধি-বিধড়ান কার্যকরকরণে) কোন ভন্থসনাকারীর
ভহ্সনার পরওয়া তিনি করতেন না ৷ আল্লাহ তাআলা তাকে রহম করুন ৷
ণশীফ উমর ইবন আবদুল আযীযেৱ র্জীবনী১
তিনি উমর ইবন আবদুল আযীয ইবন মারওয়ান ইবনুল হাকাম ইবন আবুল আস ইবন
উমায়্যাহ্ ইবন আবদ শাম্স ইবন আবদ মানাফ, আবু হাফস আল কুরাশী আল উমাবী ৷ যিনি
আমীরুল মুযিনীর উপাধিতে ভুষিত ছিলেন ৷ তার মা উম্মু আসিম লায়লা, যিনি আসিম ইবন
উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর কন্যা ৷ তাকে বানুন্মারওয়ানের আশাজ্জ২ বলা হত ৷ একথা
প্রচলিত ছিল, আশাজ্জ এবং মার্কিন হলো বানু মারওয়ানের সবচেয়ে ন্যায়পরায়ণ ৷ আর ইনিই
হলেন সেই আশাজ্জ ৷ আর নাকিসের আলোচনা অচিরেই আসছে ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয
বিশিষ্ট তাবিঈ ৷ তিনি হাদীস রিওরন্মোত করেছেন আনাস ইবন মালিক ছায়িব ইবন ইয়াযীদ
এবং ইউসুফ ইবন আবদুল্লাহ ইবন সালাম হতে ৷ আর এই ইউসুফ অল্প বয়স্ক সাহাবী ৷ এছাড়া
তিনি বহু বিশিষ্ট তাবিঈ হতেও হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷
তদ্রপ তার থেকেও তাবিঈগণেৱ একদল এবং অন্যগণ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম
আহমদ ইবন হাবল (র) বলেন, একমাত্র উমর ইবন আবদুল আযীয (র) ব্যতীত অন্য কোন
তাবিঈর কথাকে আমি প্রমাণরুপে গণ্য করি না ৷ তার চাচাতো ভাই খলীফা সুলায়মান ইবন
আবদুল মালিকের পর তারই নির্দেশ মুতাবেক তার খিলাফভের অনুকুলে বায়আত গ্রহণ করা
হয় যেমনটি ইতােপুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷ বলা হয়, তিনি জন্মগ্রহণ করেন একষট্টি হিজরীতে ৷
আর এটাই সেই বছর যে বছর হযরত হুসইিন ইবন আলী মিসরে নিহত হন৷ একাধিক
ঐতিহাসিক এই মত ব্যক্ত করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ বলেন, তিনি অ্যাংহণ করেন তেষট্টি
হিজরীতে, কারো মতে উনষাট হিজরীতে, সর্বাধিক জানেন মহান আল্লাহ ৷ তার একদল ভাই
জ্যি, তবে তার সহােদর ভাই হলেন আবু বাকর, জামিন ও মুহাম্মদ ৷ আবু বাকর ইবন আবু
খায়হামুষ্কৃ বলেন, ইয়াহ্য়া ইবন মুঈন, ইয়াহ্ইয়া ইবন বুকায়র, লায়ছ হতে ৷ তিনি বলেন,
আমার কাছে পৌহােছ যে, ইমরান ইবন আবদুর রহমান ইবন শুরাহবীল ইবন হাসান বর্ণনা
করতেন যে, এক ব্যক্তি উমর ইবন আবদুল আযীয যে রাত্রে জন্মগ্রহণ করেন, যে রাত্রে অথবা
যে রাত্রে খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যে রাত্রে স্বপ্ন (দখল যে, আসমান ও যমীনের
মধ্যবর্তী স্থানে জনৈক ঘোষক ঘোষণা করছে, তোমাদের কাছে কোমলস্বডাব ধর্মপরায়ণ ব্যক্তির
আবির্ভাব ঘটেছে এবং মুসল্লীপণের মাঝে লেক আমল প্রকাশের সময় এসেছে ৷ আমি প্রশ্ন
করলাম, তিনি কে ? সেই ঘোষক অবতরণ করে এবং মাটিতে , ণ্ & এই তিনটি হরফ
লিখে ৷
১ ইবনুল আহীর ৫৬৬, ৮৫, আল আগামী ৯২৫৪ , আত্তারীখুল কাবীর ৬১ ৭৪ , তারীথুল ইসলাম
৪১৬৪ , তারীথুল খুলাফা ২২৮, তারীখু খালীফা ৩২১-৩২২, তারীথুল ফাসাবী ১৫৬৮,
তাহষীবুত্তাহযীব ৩২,৮৮; তাযকিরাতুল হুফ্ফাম ১১১৮, তাহষীবুত্তাহষীব ৭৪ ৭৫, তাহযীবুল
কামাল ১০১৭, আল জারহু ওয়াত্তাদীল ৬১২২, হিলইয়াতুল আওলিয়া ৫২৫৩ খুলাসাতু তাহষীবুত্
তাহযীব ২৮৪ ৷ আজারী সংকলিত উমর ইবন আবদুল আযীযেৱ জীবন চরিত এবং ইবনুলজাওযী
সংকলিত তার জীবন চরিত দ্রষ্টব্য ৷
২ মাথায়, মুখমণ্ডলে বা কপালে ক্ষত (চিহ্ন) রয়েছে যায় ৷
০০ ৷৷া
— ৩ ৯
سَنَةً وَأَشْهُرٍ. وَقِيلَ: إِنَّهُ جَاوَزَ الْأَرْبَعِينَ بِأَشْهُرٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ فِيمَا ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ سَنَتَيْنِ وَخَمْسَةَ أَشْهُرٍ وَأَرْبَعَةَ أَيَّامٍ، وَكَانَ حَكَمًا مُقْسِطًا وَإِمَامًا عَادِلًا وَرِعًا دَيِّنًا، لَا تَأْخُذُهُ فِي اللَّهِ لَوْمَةُ لَائِمٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى.
[تَرْجَمَةُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ]
وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْأُمَوِيِّ الْإِمَامِ الْمَشْهُورِ رَحِمَهُ اللَّهُ وَأَكْرَمَ مَثْوَاهُ
هُوَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ أَبُو حَفْصٍ الْقُرَشِيُّ الْأُمَوِيُّ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ وَأُمُّهُ أُمُّ عَاصِمٍ لَيْلَى بِنْتُ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَيُقَالُ لَهُ: أَشَجُّ بَنِي مَرْوَانَ. وَكَانَ يُقَالُ: الْأَشَجُّ وَالنَّاقِصُ أَعْدَلَا بَنِي مَرْوَانَ. فَهَذَا هُوَ الْأَشَجُّ، وَسَيَأْتِي ذِكْرُ النَّاقِصِ.
كَانَ عُمَرُ تَابِعِيًّا جَلِيلًا، رَوَى عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَالسَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، وَيُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، وَيُوسُفُ صَحَابِيٌّ صَغِيرٌ. وَرَوَى عَنْ خَلْقٍ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৭৫৬৫
التَّابِعِينَ. وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ: لَا أَرَى قَوْلَ أَحَدٍ مِنَ التَّابِعِينَ حُجَّةً إِلَّا قَوْلَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ.
بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ بَعْدَ ابْنِ عَمِّهِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ عَهْدٍ مِنْهُ لَهُ بِذَلِكَ، كَمَا تَقَدَّمَ. وَيُقَالُ: كَانَ مَوْلِدُهُ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَسِتِّينَ وَهِيَ السَّنَةُ الَّتِي قُتِلَ فِيهَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا بِمِصْرَ. قَالَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: وُلِدَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ تِسْعٍ وَخَمْسِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَكَانَ لَهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْإِخْوَةِ، وَلَكِنِ الَّذِينَ هُمْ مِنْ أَبَوَيْهِ; أَبُو بَكْرٍ وَعَاصِمٌ وَمُحَمَّدٌ وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ اللَّيْثِ قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ عِمْرَانَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شُرَحْبِيلَ بْنِ حَسَنَةَ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَجُلًا رَأَى فِي الْمَنَامِ لَيْلَةَ وُلِدَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَوْ لَيْلَةَ وَلِيَ الْخِلَافَةَ شَكَّ أَبُو بَكْرٍ أَنَّ مُنَادِيًا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ يُنَادِي: أَتَاكُمُ اللِّينُ وَالدِّينُ، وَإِظْهَارُ الْعَمَلِ الصَّالِحِ فِي الْمُصَلِّينَ. فَقُلْتُ: وَمَنْ هُوَ؟ فَنَزَلَ فَكَتَبَ فِي الْأَرْضِ: عُمَرُ. وَقَالَ آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ: ثَنَا ضَمْرَةُ، ثَنَا أَبُو عَلِيٍّ ثَرْوَانُ مَوْلَى
পৃষ্ঠা - ৭৫৬৬
আদম ইবন ইয়াস আমাদেরকে উমর ইবন আবদুল আযীষের মাওলা আবু আলী ছারওয়ান
হতে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, (একবার) উমর ইবন আবদুল আযীয তার পিতার
আস্তাৰশে প্রবেশ করলেন ৷ একটি ঘোড়ার আঘাতে তার মাথায় ক্ষত সৃষ্টি হল ৷ তার পিতা
তার রক্ত মুছে দিয়ে বলতে লাগলেন, যদি তুমি ংবনী উমায়্যার আশাজ্জ’ হয়ে থাক তাহলে তুমি
সৌতাগ্যৰান ৷ হাফিয ইবন আসাকির তা রিওয়ায়াত করেন, হারুন ইবন মারফু সুত্রে যামরার
উদ্ধৃতিতে ৷ নাঈম ইবন হাম্মাদ বর্ণনা করেনযিমাম ইবন ইসমাঈল সুত্রে আবুকুবায়ল হতে
যে, (একবার) শৈশবে উমর ইবন আবদুল আযীয র্কাদতে লাগলেন ৷ তার মায়ের কাছে এ
সংবাদ পৌছল ৷ তিনি লোক পাঠিয়ে তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কাদছ কেন ? তিনি
বললেন, আমার মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ৷ তার এ উত্তর শুনে তার আমাও কেদে ফেললেন ৷
শৈশৰেই তিনি কুরআন হিফ্য সম্পন্ন করেন ৷ য়াহ্হাক ইবন উছমান আল-খিযামী বলেন,
ণিঙ্গাদীক্ষার জন্য তার পিতা তাকে সালিহ্ ইবন কায়সানের হাতে সোপর্দ করেন ৷ তারপর
তার পিতা আবদুল আযীয য়খন হজ্জ করেন, তখন পবিত্র মদীনায় তার সাথে সাক্ষাৎ হয় ৷ এ
সময় তিনি তাকে ছেলের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, সালিহ্ বলেন, আমি (এ পর্যন্ত)
এমন কাউকে দেখিনি যার অন্তরে মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠতৃ এই বালকের অত্তরের চেয়ে অধিক
বদ্ধমুল ৷ ইয়াকুব ইবন সুফয়ান বলেন, একদিন উমর ইবন আবদুলআষীয জামাআতের নামায
থেকে পিছিয়ে পড়লেন ৷ তখন তার শিক্ষক সালিহ্ ইবন কায়সান তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,
তৃমি কিসে ব্যস্ত ছিলে ? তখন তিনি বলেন, আমার কেশবিন্যাসকারিণী আমার কেশ পরিচর্যা
করছিল ৷ তিনি তাকে বললেন, তোমার কাছে এর গুরুতৃ কি নামায়ের চেয়ে বেশী হয়ে গেল ৷
এরপর তিনি তার পিতাকে বিষয়টি অবহিত করে পত্র লিখলেন উল্লেখ্য এ সময় তিনি
মিসরের শাসনকর্তা ছিলেন ৷ তার পিতা একজন দুত প্রেরণ করলেন, যে এসে তার সাথে কোন
কথা না বলে তার মাথার চুল র্চেছে দিল ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয হাদীস শ্রবণ করতে
উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবদুল্লাহ্র দরসে প্রায়শ্ইি যেতেন ৷ এসময় উবায়দুল্লাহ্র কাছে একথা পৌছল
যে, তিনি হযরত আলীর সমালোচনা করেন ৷ এরপর যখন উমর আসলেন, তখন উবায়দুল্পাহ্
তাকে এড়িয়ে নামাযে দাড়িয়ে গেলেন ৷ উমর বসে তার অপেক্ষা করতে লাগলেন ৷ সালাম ’
ফিরিয়ে তিনি রাগতভাবে উমরের দিকে মনোনিবেশ করে বলেন, তোমার কাছে কক্কবৃ এ তথ্য
পৌছেছে যে, সন্তুষ্ট হওয়ার পর আল্পাহ্ তাআলা বদর যােদ্ধাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, উমর তার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে বলেন, আমি প্রথমত মহান আল্লাহ্র
দরবারে তারপর আপনার কাছে ওযরখাহী করছি ৷ আল্লাহ্র কসম, আমি এর পুনরাবৃত্তি ঘটাব
না ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হতে তাকে কখনও হযরত আলী সম্পর্কে ভাল ছাড়া মন্দ কোন
আলোচনা করতে শোনা যায়নি ৷ আবু বাকর ইবন আবু খায়ছামা বর্ণনা করেন, তার পিতার
সুত্রে দাউদ ইবন আবু হিনদ হতে তিনি বলেন, একবার উমর ইবন আবদুল আযীয এই
দরযা দিয়ে এসময় তিনি মসজিদে নববীর একটি দরযার দিকে ইঙ্গিত করলেন আমাদের
কাছে প্রবেশ করলেন ৷ উপস্থিত লোকদের এক ব্যক্তি বলল, ফাসিক (আবদুল আযীয)
আমাদের কাছে তার এই ছেলেকে পাঠিয়েছে ফারইিয ও সুনান শিখতে, তার দাবী হলো
তার এই ছেলে খলীফা হয়ে উমর ইবনুল খাত্তাবের পন্থা অনুসরণ করার পুর্বে ইনৃতিকাল করবে
না ৷ ছুাউদ বলেন, আল্লাহর কসম, তার মৃত্যুর পুর্বে আমরা তার মাঝে এর বাস্তবায়ন প্রত্যক্ষ
করে ৷
ষুবায়র ইবন বাক্কার বলেন, আমাকে আতাবী বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, উমর ইবন
আবল্দো আযীষের মাঝে সর্বপ্রথম যে সুবােধ ও ভাল দিক প্রকাশ পেয়েছিল তা হলো ইল্ম্ ও
عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ: دَخَلَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى إِصْطَبْلِ أَبِيهِ وَهُوَ غُلَامٌ، فَضَرَبَهُ فَرَسٌ فَشَجَّهُ، فَجَعَلَ أَبُوهُ يَمْسَحُ عَنْهُ الدَّمَ، وَيَقُولُ: إِنْ كُنْتَ أَشَجَّ بَنِي أُمَيَّةَ إِنَّكَ إِذًا لَسَعِيدٌ. رَوَاهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ هَارُونَ بْنِ مَعْرُوفٍ عَنْ ضَمْرَةَ. وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ ثَنَا ضِمَامُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَنْ أَبِي قُبَيْلٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ بَكَى، وَهُوَ غُلَامٌ صَغِيرٌ، فَبَلَغَ ذَلِكَ أُمَّهُ فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ فَقَالَتْ: مَا يُبْكِيكَ؟ قَالَ: ذَكَرْتُ الْمَوْتَ. فَبَكَتْ أُمُّهُ. وَكَانَ قَدْ جَمَعَ الْقُرْآنَ وَهُوَ غُلَامٌ صَغِيرٌ، وَقَالَ الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ الْحِزَامِيُّ: كَانَ أَبُوهُ قَدْ جَعَلَهُ عِنْدَ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ يُؤَدِّبُهُ، فَلَمَّا حَجَّ أَبُوهُ اجْتَازَ بِهِ فِي الْمَدِينَةِ فَسَأَلَهُ عَنْهُ، فَقَالَ: مَا خَبَرْتُ أَحَدًا اللَّهُ أَعْظَمُ فِي صَدْرِهِ مِنْ هَذَا الْغُلَامِ.
وَرَوَى يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ تَأَخَّرَ عَنِ الصَّلَاةِ مَعَ الْجَمَاعَةِ يَوْمًا، فَقَالَ صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ مَا شَغَلَكَ؟ فَقَالَ: كَانَتْ مُرَجِّلَتِي تُسَكِّنُ شَعْرِي. فَقَالَ لَهُ: أَقَدَّمْتَ ذَلِكَ عَلَى الصَّلَاةِ؟ وَكَتَبَ إِلَى أَبِيهِ، وَهُوَ عَلَى مِصْرَ يُعْلِمُهُ بِذَلِكَ، فَبَعَثَ أَبُوهُ رَسُولًا فَلَمْ يُكَلِّمْهُ حَتَّى حَلَقَ رَأْسَهُ. وَكَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَخْتَلِفُ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ يَسْمَعُ مِنْهُ، فَبَلَغَ عُبَيْدَ اللَّهِ أَنَّ عُمَرَ يَنْتَقِصُ
পৃষ্ঠা - ৭৫৬৭
عَلِيًّا، فَلَمَّا أَتَاهُ عُمَرُ أَعْرَضَ عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْهُ، وَقَامَ يُصَلِّي فَجَلَسَ عُمَرُ يَنْتَظِرُهُ، فَلَمَّا سَلَّمَ أَقْبَلَ عَلَى عُمَرَ مُغْضَبًا، وَقَالَ لَهُ: مَتَى بَلَغَكَ أَنَّ اللَّهَ سَخِطَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ بَعْدَ أَنْ رَضِيَ عَنْهُمْ؟ قَالَ: فَفَهِمَهَا عُمَرُ، وَقَالَ: مَعْذِرَةً إِلَى اللَّهِ ثُمَّ إِلَيْكَ، وَاللَّهِ لَا أَعُودُ. قَالَ: فَمَا سُمِعَ بَعْدَ ذَلِكَ يَذْكُرُ عَلِيًّا إِلَّا بِخَيْرٍ.
وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: ثَنَا أَبِي ثَنَا الْمُفَضَّلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ قَالَ: دَخَلَ عَلَيْنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ مِنْ هَذَا الْبَابِ يَعْنِي بَابًا مِنْ أَبْوَابِ مَسْجِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: بَعَثَ إِلَيْنَا الْفَاسِقُ بِابْنِهِ هَذَا يَتَعَلَّمُ الْفَرَائِضَ وَالسُّنَنَ، وَيَزْعُمُ أَنَّهُ لَنْ يَمُوتَ حَتَّى يَكُونَ خَلِيفَةً وَيَسِيرُ بِسِيرَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ. قَالَ دَاوُدُ: فَوَاللَّهِ مَا مَاتَ حَتَّى رَأَيْنَا ذَلِكَ فِيهِ.
وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ حَدَّثَنِي الْعُتْبِيُّ قَالَ: إِنَّ أَوَّلَ مَا اسْتُبْيِنَ مِنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ حِرْصُهُ عَلَى الْعِلْمِ وَرَغْبَتُهُ فِي الْأَدَبِ - أَنَّ أَبَاهُ وَلِيَ مِصْرَ وَهُوَ حَدِيثُ السِّنِّ، يُشَكُّ فِي بُلُوغِهِ، فَأَرَادَ إِخْرَاجَهُ مَعَهُ، فَقَالَ: يَا أَبَهْ، أَوْ غَيْرُ ذَلِكَ لَعَلَّهُ يَكُونُ أَنْفَعَ لِي وَلَكَ؟ تُرَحِّلُنِي إِلَى الْمَدِينَةِ فَأَقْعُدُ إِلَى فُقَهَاءِ أَهْلِهَا وَأَتَأَدَّبُ بِآدَابِهِمْ. فَوَجَّهَهُ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَقَعَدَ مَعَ مَشَايِخِ قُرَيْشٍ، وَتَجَنَّبَ شَبَابَهُمْ، وَمَا زَالَ ذَلِكَ دَأْبَهُ حَتَّى اشْتَهَرَ ذِكْرُهُ، فَلَمَّا مَاتَ أَبُوهُ أَخَذَهُ عَمُّهُ
পৃষ্ঠা - ৭৫৬৮
আদবের প্রতি তার আগ্রহ ও আসক্তি ৷ তার বয়ংসন্ধিক্ষণে তার পিতা যখন মিসরের শাসক
, নিযুক্ত হন, তিনি তাকে নাম হতে নিজের সাহচর্যে মিসরে নিয়ে যেতে চইিলেন ৷ তিনি
বললেন, আব্বাজান, এছাড়া অন্য কিছু কি আপনি অনুমোদন করবেন ? যা আমার ও আপনা
উভয়ের জন্য অধিক উপকারী হবে ? তার পিতা বললেন, তা কি ? তিনি বললেন, আপনি
আমাকে পবিত্র মদীনায় প্রেরণ করুন ৷ সেখানে গিয়ে আমি ফর্কীহ্যদরদরসে শরীক হব এবং
তাদের থেকে ইলম ও আদর শিক্ষা করব ৷ তার এ প্রস্তাব শুনে পিতা তাকে পবিত্র মদীনায়
পাঠিয়ে দিলেন এবং তার সেবা-যত্নের জন্য সেবক অনুচরদের একটি দলও সাথে পাঠালেন ৷
এসময় তিনি প্রজ্ঞাবান ও গ্রবীণ কুরায়শদের সাহচর্যে থাকতেন এবং তাদের নবীন ও তরুণদের
এড়িয়ে চলতেন ৷ এভাবে তিনি পবিত্র মদীনায় অবস্থান করতে থাকলেন ৷ এমনকি, তার
সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল ৷ এরপর যখন তার পিতা মৃত্যুবরণ করেন, তখন তার চাচা আযীরুল
মু’মিনীন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান তার নিজ ছেলেদের সাথে একাত্ম করে নিলেন এবং
তাদের অনেকের চেয়ে অনেক বিষয়ে তাকে অগ্ৰাধিকার দিলেন এবং তার কাছে নিজ কন্যা-
ফাতিমার বিবাহ দিলেন যার ব্যাপারেই করি বলোছন০ ং
তার বাপ খলীফা দাদা খলীফা, খলীফা তার ভাইগণ এবং পতিও’ ৷
বর্ণনাকারী বলেন, তিনি ছাড়া আর কোন নারী আজ পর্যন্ত এই ওণে গুণান্বিত হতে
পেয়েছেন বলে আমাৰুব্ব জানা নেই ৷
আতাবী বলেন, নিরবচ্ছিন্ন আরামপ্রিয়তা, এবং গর্বিত ভঙ্গিতে হাট৷ ব্যতীত উমর ইবন
আবদুল আযীয়ের হিংসুকদের সমালোচনার কিছুই নেই ৷ (আর তাও খিলাফত পুর্বকালে) ৷
আহনাফণ্ইবন কায়স বলেন, পরিপুর্ণ গুণবান ঐ ব্যক্তি যার ন্থালনসমুহ গণনা করা যায় ৷
কেননা, স্থালনের সংখ্যা কম হলেই তা গণনা করা যায় ৷ আমাদের জানা মতে উমর ইবন
আবদুল আযীযও তার ভাইগণ তাদের বাগ হতে যে অর্থ-সম্পদ, দ্রব্যসামগ্রী, বাহন ইত্যাদির
উত্তরাধিকার লাভ করেছিলেন, তা অন্য কেউ লাভ করেনি ৷ যেমন পুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷ একদিন
তিনি ঝুকে ঝুকে হেটে তার চাচা আবদুল মালিকের সাক্ষাতে গেলেন ৷ তিনি বললেন, হে
উমর, তোমার কী হয়েছে তুমি এমন অস্বাভাবিক ভাবে ইাট ছো৷ তিনি বললেন, আমি আহত ৷
তিনি বললেন, তোমার শরীরের ণ্কানঅংব্শ আঘাত ৷ তিনি বললেন, আমার উরু সন্ধিন্থলে ৷
তখন আবদুল মালিক রুহ ইবন যানবা’কে বললেন, আল্লাহর কসম ৷ তোমার বংশের কোন
ব্যক্তি যদি এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হতো তাহলে এরুপ জবাব দিতে পারত না ৷ বর্ণনাকারীরা
বলেন, তার চাচা আবদুল মালিক যখন মারা যান, তখন তিনি সত্তর দিন তার পরিধেয়
কাপড়ের নীচে মুসুহ’১ পরিধান করেন ৷ আবদুল মালিকের পর ওয়ালীদ যখন খলীফা হন,
তখন তিনিও তার সাথে তার পিতার ন্যায় সৌহার্দমুলক আচরণ করতে লাগলেন ৷ এ সময়
তিনি তাকে ছিয়াশি হিজরী হতে ৩তিরানব্বই হিজরী পর্যন্ত পবিত্র মক্কা, মদীনা ও তাইফের
প্রশাসক নিয়োগ করেন ৷ এছাড়া তিনি খলীফা ৷র নইিব রুপে উননব্বই ও নব্বই হিজরীতে হজ্জ
পরিচালনা করেন ৷ পরবর্তীতে এ্যাকানব্বই হিজরীতে খলীফা ওয়ালীদ এবং বিরানব্বই বা
তিরানব্বই হিজরীতে উমর ইবন আবদুল আযীয হজ্জ পরিচালনা করেন ৷
১ পশমী কাপড় বিশেষ যা সাধারণত খৃস্টান যাজকগণ পরিধান করতেন ৷
أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ فَخَلَطَهُ بِوَلَدِهِ، وَقَدَّمَهُ عَلَى كَثِيرٍ مِنْهُمْ، وَزَوَّجَهُ بِابْنَتِهِ فَاطِمَةَ، وَهِيَ الَّتِي يَقُولُ فِيهَا الشَّاعِرُ:
بِنْتُ الْخَلِيفَةِ وَالْخَلِيفَةُ جَدُّهَا ... أُخْتُ الْخَلَائِفِ وَالْخَلِيفَةُ زَوْجُهَا
قَالَ: وَلَا نَعْرِفُ امْرَأَةً بِهَذِهِ الصِّفَةِ إِلَى يَوْمِنَا هَذَا سِوَاهَا.
قَالَ الْعُتْبِيُّ: وَلَمْ يَكُنْ حَاسِدُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَنْقِمُ عَلَيْهِ شَيْئًا سِوَى مُتَابَعَتِهِ فِي النِّعْمَةِ، وَالِاخْتِيَالِ فِي الْمِشْيَةِ. وَقَدْ قَالَ الْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ: الْكَامِلُ مَنْ عُدَّتْ هَفَوَاتُهُ، وَلَا تُعَدُّ إِلَّا مِنْ قِلَّةٍ.
وَدَخَلَ يَوْمًا عَلَى عَمِّهِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَهُوَ يَتَجَانَفُ فِي مِشْيَتِهِ فَقَالَ لَهُ: يَا عُمَرُ، مَا لَكَ تَمْشِي غَيْرَ مِشْيَتِكَ؟ قَالَ: إِنَّ فِيَّ جُرْحًا. فَقَالَ: وَأَيْنَ هُوَ مِنْ جَسَدِكَ؟ قَالَ: بَيْنَ الرَّانِفَةِ وَالصَّفَنِ يَعْنِي بَيْنَ طَرَفِ الْأَلْيَةِ وَجِلْدَةِ الْخِصْيَةِ فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ لِرَوْحِ بْنِ زِنْبَاعٍ: بِاللَّهِ لَوْ رَجُلٌ مِنْ قَوْمِكَ سُئِلَ عَنْ هَذَا مَا أَجَابَ هَذَا الْجَوَابَ.
قَالُوا: وَلَمَّا مَاتَ عَمُّهُ عَبْدُ الْمَلِكِ حَزِنَ عَلَيْهِ، وَلَبِسَ الْمُسُوحَ تَحْتَ ثِيَابِهِ سَبْعِينَ يَوْمًا. وَلَمَّا وَلِيَ الْوَلِيدُ عَامَلَهُ بِمَا كَانَ أَبُوهُ يُعَامِلُهُ بِهِ، وَوَلَّاهُ الْمَدِينَةَ وَمَكَّةَ وَالطَّائِفَ مِنْ سَنَةِ سِتٍّ وَثَمَانِينَ إِلَى سَنَةِ ثَلَاثٍ وَتِسْعِينَ، وَأَقَامَ لِلنَّاسِ الْحَجَّ سَنَةَ تِسْعٍ وَثَمَانِينَ وَسَنَةَ تِسْعِينَ، وَحَجَّ بِالنَّاسِ الْوَلِيدُ سَنَةَ إِحْدَى وَتِسْعِينَ، ثُمَّ حَجَّ بِالنَّاسِ عُمَرُ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثٍ وَتِسْعِينَ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৬৯
وَبَنَى فِي مُدَّةِ وِلَايَتِهِ هَذِهِ مَسْجِدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَسَّعَهُ عَنْ أَمْرِ الْوَلِيدِ لَهُ بِذَلِكَ، فَدَخَلَ فِيهِ قَبْرُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ كَانَ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ مُعَاشَرَةً، وَأَعْدَلِهِمْ سِيرَةً; كَانَ إِذَا وَقَعَ لَهُ أَمْرٌ مُشْكِلٌ جَمَعَ فُقَهَاءَ الْمَدِينَةِ عَلَيْهِ، وَقَدْ عَيَّنَ عَشَرَةً مِنْهُمْ، وَكَانَ لَا يَقْطَعُ أَمْرًا بِدُونِهِمْ أَوْ مَنْ حَضَرَ مِنْهُمْ، وَهُمْ: عُرْوَةُ وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي خَثْمَةَ وَسُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ وَالْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَسَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ وَخَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ.
وَكَانَ لَا يَخْرُجُ عَنْ قَوْلِ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ وَقَدْ كَانَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ لَا يَأْتِي أَحَدًا مِنَ الْخُلَفَاءِ وَكَانَ يَأْتِي إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهُوَ بِالْمَدِينَةِ. قَالَ ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ الْجَبَّارِ الْأَيْلِيِّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي عَبْلَةَ: قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ وَبِهَا ابْنُ الْمُسَيِّبِ، وَغَيْرُهُ وَقَدْ نَدَبَهُمْ عُمَرُ يَوْمَئِذٍ رَأْيًا.
وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي قَادِمٌ الْبَرْبَرِيُّ، أَنَّهُ ذَاكَرَ رَبِيعَةَ بْنَ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ شَيْئًا مِنْ قَضَايَا عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِذْ كَانَ بِالْمَدِينَةِ، فَقَالَ لَهُ رَبِيعَةُ: كَأَنَّكَ تَقُولُ: أَخْطَأَ. وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا أَخْطَأَ قَطُّ. وَثَبَتَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ
পৃষ্ঠা - ৭৫৭০
পবিত্র মদীনায় প্রশাসক থাকাকালীন সময়ে তিনি খলীফা ওয়ালীদের নির্দেশে মসজিদে
নববীর পুনর্নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করেন ৷ তখনই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের
রওযাহ মুবারক মসজিদের ভিতরে চলে আসে ৷ এছাড়া এসময় তিনি অত্যন্ত সদাচারী এবং
ন্যায়পরায়ণ ছিলেন ৷ তিনি কোন কঠিন বিষয়ের সম্মুখীন হলে তার সঠিক সমাধান বের করার
জন্য পবিত্র মদীনার শীর্ষস্থানীয় ফকীহগণকে একত্র করতেন ৷ এদের দশজনকে তিনি নিধরিণ
করে নিয়েছিলেন ৷৩ র্তাদের সকলের কিৎবা উপস্থিতদের মতামত না গ্রহণ করে তিনি কোন
বিষয়ের চুড়ান্ত ফয়সালা করতেন না ৷৩ তারা হলেন, উরওয়া, উবায়দুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন
উ৩ ৰাহ্, আবু বাকর ইবন আবদুর রহমান ইবনুল হারিছ ইবন হিশাম, আবু বাকর ইবন
সুলায়মান ইবন খায়ছামা, সুলায়মান ইবন ইয়াসার, কাসিম ইবন মুহাম্মদ ইবন হায্ম, সালিম
ইবন আবদুল্লাহ, আবদুল্লাহ ইবন আমির ইবন রাবীআ এবং খারিজাহ্ ইবন যায়দ ইবন
ছাবিত ৷ তিনি সাঈদ ইবন মুসায়িব্রুবের কথার বাইরে যেতে ন না ৷ আর সাঈদ ইবন মুসায়িব্রব
কোন খলীফা বা আমীরের দরবারে যেতেন না ৷ জ্যি তিনি পবিত্র মদীনায় অবস্থানরত উমর
ইবন আবদুল আযীযের কাছে যেতে ন ৷ ইব্রাহীম ইবন আবলাহ্ বলেন, একবার আমি পবিত্র
মদীনায় আগমন করলাম, সেখানে সাঈদ ইবনুল মুসায়িব্রব ও অন্যগণ ছিলেন ৷ এসময় একদিন
উমর ইবন আবদুল আযীয তাদের সকলকে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে আহ্বান করলেন
(এবং তারা সকলে উপস্থিত হলেন) ৷
ইবন ওয়াহ্ব বলেন, লায়ছ সুত্রে কাদিম আল বারবারী হতে যে, একবার তিনি রাবীআ
ইবন আবু আবদুর রহমানের সাথে উমর ইবন আবদুল আযীযের পবিত্র মদীনায় অবন্থানকালীন
কোন বিষয় ফায়সালা সম্পর্কে আলোচনা করলেন ৷ তখন রাবীআ তাকে বললেন, তুমি যেন
বলতে চাও, তিনি ভুল করেছেন ৷ শপথ ঐ সভার যার করায়ত্তে আমার প্রাণ তিনি কখনও ভুল
করেননি ৷ একাধিক সুত্রে হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) হতে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি
এমন কোন ইমামের পিছনে নামায পড়িনি যার নামায এই যুবকের নামাযের চেয়ে রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামার নামায়ের সাথে অধিক সাদৃশ্যপুর্ণ ৷ একথা তিনি বলেছিলেন
উমর ইবন আবদুল আযীযকে উদ্দেশ্য করে যখন তিনি পবিত্র মদীনায় প্রশাসক ছিলেন ৷
ব্যাথ্যাকারগণ বলেন, তিনি রুকু-সিজদা পরিপুর্ণভ৷ ৩বে আদায় করতেন ৷ কিয়াম ও বৈঠককে
লঘু বা সং ক্ষিপ্ত করতে ন ৷ অন্য একটি বিশুদ্ধ রিওয়ায়াতে আছে যে, তিনি রুকু সিজদায় দশ
দশ বার তাসবীহ পাঠ করতে ন ৷ ইবন ওয়াহ্ব বলেন, লায়ছ সুত্রে আবুনৃ নাযর আলমাদানী
হতে তিনি বলেন, একবার আমি সুলায়মান ইবন ইয়াসারকে উমর ইবন আবদুল আযীযের
কাছ থেকে বের হতে দেখে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি উমরের কাছ থেকে বের হলেন ?
তিনি বললেন হী৷ ৷ আমি বললাম, তাকে কি আপনারা জ্ঞান দান করেন ? তিনি বললেন, হীা,
তখন আমি বললাম, আল্লাহর কসম ! তিনি আপনাদের মাঝে সবচেয়ে জ্ঞানী ৷ মুজাহিদ বলেন,
আমরা উমর ইবন আবদুল আযীযের কাছে আসলড়াম তাকে কিছু শিখানাের উদ্দেশ্যে; কিন্তু
পরবত্মীত আমরইি তার থেকে শিখতে লাগলাম ৷ মায়মুন ইবন মাহরান বলেন, তৎকালীন
আলিমগণ (জ্ঞানবিচারে) উমর ইবন আবদুল আযীযের কাছে শিয্যতু ল্য ছিলেন ৷ অন্য এক
বর্ণনায় মায়মুন বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয ছিলেন আলিমদের শিক্ষক ৷ লায়ছ বলেন,
ইবন উমর ও ইবন আব্বাসের সাহচর্য পাওয়া এক ব্যক্তি উমর ইবন আবদুল আযীযের জ্ঞানের
স্তর বর্ণনা করেছেন যাকে তিনি জাযীরার প্রশাসক বানাতে চেয়েছিলেন ৷ তিনি বলেন, যখনই
আমরা কোন বিষয়ের জ্ঞান অম্বেষণ করত ৷ম, তখনই আমরা উমর ইবন আবদুল আযীযকে সে
قَالَ: مَا صَلَّيْتُ وَرَاءَ إِمَامٍ أَشْبَهَ صَلَاةَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ هَذَا الْفَتَى يَعْنِي عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ حِينَ كَانَ عَلَى الْمَدِينَةِ.
قَالُوا: وَكَانَ يُتِمُّ الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ وَيُخَفِّفُ الْقِيَامَ وَالْقُعُودَ، وَفِي رِوَايَةٍ صَحِيحَةٍ: أَنَّهُ كَانَ يُسَبِّحُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ عَشْرًا عَشْرًا. وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ عَنْ أَبِي النَّضْرِ الْمَدِينِيِّ، قَالَ: لَقِيتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ خَارِجًا مِنْ عِنْدِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، فَقُلْتُ لَهُ: مِنْ عِنْدِ عُمَرَ خَرَجْتَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قُلْتُ: تُعَلِّمُونَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَقُلْتُ: هُوَ وَاللَّهِ أَعْلَمُكُمْ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ: أَتَيْنَاهُ نُعَلِّمُهُ فَمَا بَرِحْنَا حَتَّى تَعَلَّمْنَا مِنْهُ. وَقَالَ مَيْمُونُ بْنُ مِهْرَانَ كَانَتِ الْعُلَمَاءُ عِنْدَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ تَلَامِذَةً. وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ مَيْمُونٌ: كَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ مُعَلِّمَ الْعُلَمَاءِ. وَقَالَ اللَّيْثُ: حَدَّثَنِي رَجُلٌ كَانَ قَدْ صَحِبَ ابْنَ عُمَرَ وَابْنَ عَبَّاسٍ، وَكَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَسْتَعْمِلُهُ عَلَى الْجَزِيرَةِ قَالَ: مَا الْتَمَسْنَا عِلْمَ شَيْءٍ إِلَّا وَجَدْنَا عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَعْلَمَ النَّاسِ بِأَصْلِهِ وَفَرْعِهِ، وَمَا كَانَ الْعُلَمَاءُ عِنْدَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَّا تَلَامِذَةً.
وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ: رَأَيْتُ أَبِي تَوَاقَفَ هُوَ وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৭৫৭১
بَعْدَ صَلَاةِ الْعِشَاءِ حَتَّى أَصْبَحْنَا، فَلَمَّا افْتَرَقَا قُلْتُ: يَا أَبَهْ، مَنْ هَذَا الرَّجُلُ؟ قَالَ: هَذَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهُوَ مِنْ صَالِحِي هَذَا الْبَيْتِ، يَعْنِي بَنِي أُمَيَّةَ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ كَثِيرٍ قُلْتُ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ: مَا كَانَ بَدْءُ إِنَابَتِكَ؟ قَالَ: أَرَدْتُ ضَرْبَ غُلَامٍ لِي فَقَالَ لِي: اذْكُرْ لَيْلَةً صَبِيحَتُهَا يَوْمُ الْقِيَامَةِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ مَالِكٌ: لَمَّا عُزِلَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ الْمَدِينَةِ يَعْنِي فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَتِسْعِينَ وَخَرَجَ مِنْهَا الْتَفَتَ إِلَيْهَا وَبَكَى، وَقَالَ لِمَوْلَاهُ: يَا مُزَاحِمُ، نَخْشَى أَنْ نَكُونَ مِمَّنْ نَفَتِ الْمَدِينَةُ. يَعْنِي أَنَّ الْمَدِينَةَ تَنْفِي خَبَثَهَا كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ، وَتَنْصَعُ طِيبَهَا.
قُلْتُ: خَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ فَنَزَلَ بِمَكَانٍ قَرِيبٍ مِنْهَا يُقَالُ لَهُ: السُّوَيْدَاءُ حِينًا، ثُمَّ قَدِمَ دِمَشْقَ عَلَى بَنِي عَمِّهِ.
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي حَكِيمٍ قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَقُولُ: خَرَجْتُ مِنَ الْمَدِينَةِ وَمَا مِنْ رَجُلٍ أَعْلَمَ مِنِّي، فَلَمَّا قَدِمْتُ الشَّامَ نَسِيتُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: سَهِرْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَحَدَّثْتُهُ فَقَالَ: كُلُّ مَا
পৃষ্ঠা - ৭৫৭২
জ্ঞানের উৎস ও শাখা-প্রশাখড়া সম্বন্ধে সর্বাধিক অবহিত পেতাম ৷ আলিম্গণ ছিল তার
শিষ্যতুল্য ৷ আবদুল্লাহ ইবন তাউস বলেন, (একবার) আমি আমার পিতা ও উমর ইবন আবদুল
আযীযকে ইশার নামাযের পর হতে ফজর পর্যন্ত দাড়িয়ে আলোচনা করতে দেখলাম ৷ তারপর
তারা যখন বিচ্ছিন্ন হলেন, তখন আমি বললাম ৷ আব্বাজান! কে এই ব্যক্তি ? তিনি বললেন,
ইনি উমর ইবন আবদুল আযীয ৷ ইনি এই উমায়্যা বংশের সজ্জন ৷ আবদুল্লাহ্ ইবন কাহীর
বলেন, একবার আমি উমর ইবন আবদুল আযীযকে বললাম, আপনার আল্লাহ্ভিযুখিতার সুচনা
কিভাবে হলো? তিনি বলেন, একবার আমি আমার এক গোলামকে প্রহার করতে উদ্যত
হলাম ৷ সে বলল, ঐ রাতের কথা স্মরণ করুন যার (পরবর্তী) সকাল হলো কিয়ামত দিবস ৷
ইমাম মালিক বলেন, তিরানব্বই হিজরীতে উমর ইবন আবদুল আযীয যখন পবিত্র
মদীনায় প্রশাসক পদ হতে অপসারিত হন, তখন সেখান হতে বের হওয়ার সময় তিনি সেদিকে
ফিরে তাকালেন এবং র্কাদতে র্কাদতে বললেন, তার মাওলা মুযাহিমকে বললেন, হে মুযাহিম,
আমার আশঙ্কা হয় ঐ সকল লোকদের অন্তর্ভুক্ত হলাম কিনা যাদেরকে (আবর্জনারুপে) পবিত্র
মদীনা নির্বাসিত করেছে ৷ অর্থাৎ পবিত্র মদীনা তার আবর্জনা বের করে দিবে যেমনভাবে হড়াপর
(গণিত) লোহার আবর্জনা বের করে দেয় এবং তার নির্ভেজাল অংশকে আরও খাটি করে ৷ ” ১
আল-বিদায়ার গ্রন্থকার বলেন, তিনি পবিত্র মদীনা হতে বের হলে তার নিকটবর্তী সুওয়ায়দা
নামক স্থানে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন ৷ তারপর দামেস্কে তার চাচাত ভাইদের কাছে আগমন
করেন ৷ ন্মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন, ইসমাঈল ইবন আবু হার্কীম হতে তিনি বলেন,
আমি উমর ইবন আবদুল আযীযকে বলতে শুনেছি, আমি যখন পবিত্র মদীনাহ্ ত্যাগ করলাম
তখন (সেখানে) আমার চেয়ে অধিক ইল্ম সম্পন্ন কেউ ছিল না ৷ এরপর আমি যখন শামে
আগমন করলাম, তখন (অনেক কিছু) বিস্মৃত হলাম ৷ ইমাম আহমদ বর্ণনা করেন আফ্ফান
সুত্রে যুহরী হতে ৷ তিনি বলেন, কোন এক রাত্রে আমি উমর ইবন আবদুল আযীযের সাথে
সারা রাত জেগে তাকে হাদীস বর্ণনা করলাম ৷ আমার বর্ণনা শেষে তিনি বললেন, আপনি
আমাকে যা কিছু বর্ণনা করলেন, তার সবই আমি ইতােপুর্বে শ্রবণ করেছি ৷ তবে কিছু আমার
স্মরণ আছে আর কিছু বিস্মৃত হয়েছি ৷ ইবন ওয়াহ্ব বলেন, লায়ছ সুত্রে যুহরী হতে তিনি
বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয (আমাকে) বলেন, কোন এক দ্বিপ্রহরে খলীফাহ্ ওয়ালীদ
আমাকে ডেকে পাঠালেন ৷ আমি তার কাছে প্রবেশ করে দেখলাম, তিনি বিষগ্ন ও দুশ্চিতআেস্ত ৷
তিনি আমাকে ইঙ্গিতে বসতে বললেন এবং আমি বসলাম ৷ এরপর তিনি আমাকে প্রশ্ন
করলেন, ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে তোমার সিদ্ধান্ত কী, যে খলীফাদের সমালোচনা করে তাকে কি
হত্যা করা হবে ? তখন আমি চুপ থাকলাম ৷ এরপর তিনি পুনরায় প্রশ্ন করলেন, তখনও আমি
চুপ থাকলাম ৷ এরপর তিনি পুনরায় প্রশ্ন করলেন ৷ তখন আমি বললাম, হে আমীরুল
ঘু’মিনীন! সে কি (কাউকে) হত্যা করেছে ? তিনি বললেন, না, তবে পালমন্দ করেছে ৷ তখন
আমি বললাম, তাহলে তাকে দৃষ্টাত্তমুলক কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক ৷ আমার এ জবাব শুনে
তিনি অসন্তুষ্ট হয়ে অন্দরমহলে চলে গেলেন ৷ এ সময় ইবনুর রায়্যান আসৃসায়্যাফ আমাকে
বললেন, আপনি এখন চলে যান ৷ উমর বলেন, আমি তখন সেখান হতে বের হয়ে আসলাম ৷
(আর আমার মনের অবস্থা তখন এমন যে,) ফেরার পথে কোন বায়ু প্রবাহিত হলেই মনে
হচ্ছিল যে, হয়ত কোন দুত আমাকে অনুসরণ করছে, যে আমাকে তার কাছে ফিরিয়ে নিয়ে
যাবে ৷ উছুমান বিন যাব্র বলেন, একবার খলীফা সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক উমর ইবন
১ এটি একটি হাদীস ণোণোণোপুেঢান্ম্রা৷৪া-০চ্০াড়া
حَدَّثْتَ فَقَدْ سَمِعْتُهُ، وَلَكِنْ حَفِظْتَ وَنَسِيتُ.
وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ، عَنِ اللَّيْثِ عَنْ عَقِيلٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بَعَثَ إِلَيَّ الْوَلِيدُ ذَاتَ سَاعَةٍ مِنَ الظَّهِيرَةِ، فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَإِذَا هُوَ عَابِسٌ، فَأَشَارَ إِلَيَّ أَنِ اجْلِسْ فَجَلَسَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: مَا تَقُولُ فِيمَنْ يَسُبُّ الْخُلَفَاءَ أَيُقْتَلُ؟ فَسَكَتُّ ثُمَّ عَادَ فَسَكَتُّ ثُمَّ عَادَ، فَقُلْتُ: أَقَتَلَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: لَا وَلَكِنْ سَبَّ. فَقُلْتُ: يُنَكَّلُ بِهِ. فَغَضِبَ وَانْصَرَفَ إِلَى أَهْلِهِ، وَقَالَ لِي ابْنُ الرَّيَّانِ السَّيَّافُ: اذْهَبْ. قَالَ: فَخَرَجْتُ مِنْ عِنْدِهِ وَمَا تَهُبُّ رِيحٌ إِلَّا وَأَنَا أَظُنُّ أَنَّهُ رَسُولٌ يَرُدُّنِي إِلَيْهِ.
وَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ زُفَرَ: أَقْبَلَ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَهُوَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ وَمَعَهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَلَى مُعَسْكَرِ سُلَيْمَانَ وَفِيهِ تِلْكَ الْخُيُولُ وَالْجِمَالُ وَالْبِغَالُ وَالْأَثْقَالُ وَالرِّجَالُ، فَقَالَ سُلَيْمَانُ: مَا تَقُولُ يَا عُمَرُ فِي هَذَا؟ فَقَالَ: أَرَى دُنْيَا يَأْكُلُ بَعْضُهَا بَعْضًا وَأَنْتَ الْمَسْئُولُ عَنْ ذَلِكَ كُلِّهِ. فَلَمَّا اقْتَرَبُوا مِنَ الْمُعَسْكَرِ إِذَا غُرَابٌ قَدْ أَخَذَ لُقْمَةً فِي فِيهِ مِنْ فُسْطَاطِ سُلَيْمَانَ وَهُوَ طَائِرٌ بِهَا وَنَعَبَ نَعْبَةً، فَقَالَ لَهُ سُلَيْمَانُ: مَا تَقُولُ فِي هَذَا يَا عُمَرُ؟ فَقَالَ: لَا أَدْرِي. فَقَالَ: مَا ظَنُّكَ أَنَّهُ يَقُولُ؟ قَالَ: كَأَنَّهُ يَقُولُ: مَنْ أَيْنَ جَاءَتْ؟ وَأَيْنَ يُذْهَبُ بِهَا؟ فَقَالَ لَهُ
পৃষ্ঠা - ৭৫৭৩
سُلَيْمَانُ: مَا أَعْجَبَكَ!! فَقَالَ عُمَرُ: أَعْجَبُ مِنِّي مَنْ عَرَفَ اللَّهَ فَعَصَاهُ، وَمَنْ عَرَفَ الشَّيْطَانَ فَأَطَاعَهُ.
وَتَقَدَّمَ أَنَّهُ لَمَّا وَقَفَ سُلَيْمَانُ وَعُمَرُ بِعَرَفَةَ وَجَعَلَ سُلَيْمَانُ يَعْجَبُ مِنْ كَثْرَةِ النَّاسِ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: هَؤُلَاءِ رَعِيَّتُكَ الْيَوْمَ وَأَنْتَ مَسْئُولٌ عَنْهُمْ غَدًا. وَفِي رِوَايَةٍ: وَهُمْ خُصَمَاؤُكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. فَبَكَى سُلَيْمَانُ وَقَالَ: بِاللَّهِ أَسْتَعِينُ. وَتَقَدَّمَ أَنَّهُمْ لَمَّا أَصَابَهُمْ فِي بَعْضِ الْأَسْفَارِ رَعْدٌ شَدِيدٌ وَبَرْقٌ وَظُلْمَةٌ شَدِيدَةٌ فَجَعَلَ عُمَرُ يَضْحَكُ مِنْ ذَلِكَ، فَقَالَ لَهُ سُلَيْمَانُ: أَتَضْحَكُ وَنَحْنُ فِيمَا تَرَى؟ فَقَالَ: نَعَمْ، هَذِهِ آثَارُ رَحْمَتِهِ وَنَحْنُ فِي هَذِهِ الْحَالِ، فَكَيْفَ بِآثَارِ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ؟
وَذَكَرَ الْإِمَامُ مَالِكٌ أَنَّ سُلَيْمَانَ وَعُمَرَ تَقَاوَلَا مَرَّةً، فَقَالَ لَهُ سُلَيْمَانُ فِي جُمْلَةِ الْكَلَامِ: كَذَبْتَ. فَقَالَ: تَقُولُ لِي: كَذَبْتَ؟ وَاللَّهِ مَا كَذَبْتُ مُنْذُ عَرَفْتُ أَنَّ الْكَذِبَ يَضُرُّ أَهْلَهُ. ثُمَّ هَجَرَهُ عُمَرُ وَعَزَمَ عَلَى الرَّحِيلِ إِلَى مِصْرَ، فَلَمْ يُمَكِّنْهُ سُلَيْمَانُ ثُمَّ بَعَثَ إِلَيْهِ فَصَالَحَهُ، وَقَالَ لَهُ: مَا عَرَضَ لِي أَمْرٌ يَهُمُّنِي إِلَّا خَطَرْتَ عَلَى بَالِي.
وَقَدْ ذَكَرْنَا أَنَّهُ لَمَّا حَضَرَتْ سُلَيْمَانَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ الْوَفَاةُ، أَوْصَى بِالْأَمْرِ مِنْ بَعْدِهِ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، فَانْتَظَمَ الْأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৭৪
আবদুল আযীযকে সাথে নিয়ে তার সেনা ছাউনিতে আগমন করলেন ৷ সেখা নে ছিল বিপুল
, ৎখ্যক সৈন্যদল, তাদের বাহন ঘোড়া, উট ও খচ্চরের পাল এবং অস্ত্রশস্ত্র ও রসদ ইত্যাদি ৷
তখন (গর্ব প্রকাশার্থে) সুলায়মান তাকে প্রশ্ন করলেন, হে উমর! আমাদের এই সমরশক্তি ও
সৈন্যদলের ব্যাপারে তোমার বক্তব্য কী ? তিনি বললেন, আমি তো এমন দুনিয়া (পার্থিব
উপায়-উপকরণ) দেখছি ৷ যার একাৎশ একাৎশকে গ্রাস করছে ৷ আর এসব কিছু সম্পর্কে
আপনিই জিজ্ঞাসিত হবেন ৷ এরপর তারা যখন সেনা ছাউনির আরও নিকটবর্তী হলেন, তখন
হঠাৎ একটি কাক সুলায়মানের র্তাবু হতে মুখে এক গ্রাস খাবার নিয়ে উড়াল দিল এবং একবার
কা-কা রবে ডেকে উঠল ৷ তখন সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক উমর ইবন আবদুল আযীযকে
বলেন, হে উমর এটা কী ? তিনি বললেন, আমি জানি না ৷ এরপর তিনি (উমর) বলেন,
আপনার কী ধারণা হয়ত বা যে বলছে, এসব কোথা হতে এস্যেছ এবং সে এসব কোথায় নিয়ে
যাবে ? সুলায়মান তাকে বলেন, কী আশ্চর্যজনক কথা তে ৷মার! তখন উমর বলেন, আপনি ঐ
ব্যক্তি হতে আশ্চর্যবােধ করুন, যে মহান আল্লাহ্কে জানার পর তার নাফরমানী করে, যে
শয়তানকে চেনার পর তার আনুগত্য করে এবং যে দুনিয়ার (ক্ষণন্থায়িতৃ) অবস্থা জানার পর
তার প্ৰতি আসক্তি বোধ করে ৷
ইতোপুর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, একবার সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক এবং উমর ইবন
, আবদুঃা আযীয আরাফায় অবস্থানকালে মানুষের আধিক্য দেখতে পেলেন ৷ উমর তাকে বললেন,
আজ এরা আপনার শাসিত প্রজা আর আগড়ামীকাল আপনি তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন ৷
অন্য একটি বর্ণনার ভাষ্য হলো ৷ কিয়ামতের দিন এরা আপনার প্রতিপক্ষবিবাদী একথা শুনে
সুলায়মান কেদে বলেন, আমরা আল্লাহ্রই সাহায্য প্রার্থনা করছি ৷ এছাড়া এও বর্ণিত হয়েছে
যে, যখন তারা সেই বৃষ্টি ও বজে র করলে পতিত হলেন, তখন সুলায়মান ভীত-শঙ্কিত হয়ে
পড়লেন ৷ উমর হেসে ফেলেন ৷ সুলায়মান তাকে বলেন, এ অবস্থায় তুমি হাসছ ? তখন তিনি
বলেন, ই৷ ৷ এ হলো মহান আল্লাহর অস্কুগহের চিহ্ন ও নিদর্শন, এতেই আমাদের এ অবন্থা
তাহলে ভেবে দেখুন, তার ক্রোধ ;ও শাস্তির নিদর্শন দেখলে সে সময় আমাদের কী অবস্থা হতে
পারে ৷ ইমাম মালিক উল্লেখকরেন, একবার সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক এবং উমর ইবন
আবদুল আযীয বাদানুবাদে লিপ্ত হলেন ৷ কথার এক পর্যায়ে সুলায়মান তাকে বলে বললেন,
তুমি মিথ্যা বলেছ ৷ উমর (রা) বলেন, আপনি আমাকে বলছেন, আমি মিথ্যা বলেছি ?
আল্লাহর কসম! মিথ্যাবাদীর ক্ষপিত করে এই উপলব্ধি হওয়ার পর হতে আমি কখনও মিথ্যা
বলিনি ৷ এরপর উমর সুলায়মানের সাহচর্য ত্যাগ করে মিসরে চলে যাওয়ার সংকল্প করলেন ৷
কিন্তু সুলায়মান তাকে সেই সুযোগ দিলেন না ৷ এরপর তিনি তার কাছে লোক পাঠিয়ে তার
সাথে সন্ধি করে নিলেন এবং তাকে বলেন, যখনই আমি কোন গুরুত্বপুর্ণ ৰিষয়েরস্তুম্মুখীন
হয়েছি, তখনই (সে ব্যাপারে পরামর্শের জন্য) আমার মনে তোমার কথা উদিত হয়েছে ৷ আর
ইতোপুর্বে আমরা উল্লেখ করেছি যে যখন তার অন্তিম মুহুর্ত উপস্থিত হলো ৷ তিনি উমর ইবন
আবদুল আযীযকে তার পরবর্তী খলীফারুপে মনোনীত করলেন ৷ পরবর্তীতে তার উপর ভিত্তি
করেই খিলাফতের সুষ্ঠুরুপ প্রকাশ পেল ৷ আর প্ৰশং সা সমহান আল্লাহ্র প্রাপ্য ৷
পরি ছেদ
আবু দাউদ তায়ালিসী বর্ণনা করেন, আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু সালামা
আলমাজিশুন সুত্রে দীনার হতে ৷ তিনি বলেন, ইবন উমর বলেন, হার আশ্চর্য! লোকেরা বলে,
দুনিয়া ততদিন শেষ হবে না, যতদিন উঞ্জোবুধুশুব্লব্ল;ল্গুরআষ্কৃাৰু ব্যক্তি মুসলমানদের শাসন কর্তৃতু
[مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ]
فَصْلٌ (مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ)
قَالَ: أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونِ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، قَالَ: قَالَ ابْنُ عُمَرَ: يَا عَجَبًا! يَزْعُمُ النَّاسُ أَنَّ الدُّنْيَا لَا تَنْقَضِي حَتَّى يَلِيَ رَجُلٌ مِنْ آلِ عُمَرَ يَعْمَلُ بِمِثْلِ عَمَلِ عُمَرَ. قَالَ: فَكَانُوا يَرَوْنَهُ بِلَالَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: وَكَانَ بِوَجْهِهِ أَثَرٌ، فَلَمْ يَكُنْ هُوَ، وَإِذَا هُوَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَأُمُّهُ ابْنَةُ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَ الْحَاكِمُ، أَنَا أَبُو حَامِدٍ أَحْمَدُ بْنُ عَلِيٍّ الْمَقْرِيُّ، ثَنَا أَبُو عِيسَى التِّرْمِذِيُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ لَاحِقٍ، عَنْ جُوَيْرِيَّةَ بْنِ أَسْمَاءَ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ: بَلَغَنَا أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ: إِنَّ مِنْ وَلَدِي رَجُلًا بِوَجْهِهِ شَيْنٌ يَلِي، فَيَمْلَأُ الْأَرْضَ عَدْلًا.
قَالَ نَافِعٌ مِنْ قَبْلِهِ: وَلَا أَحْسَبُهُ إِلَّا عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ.
وَرَوَاهُ مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ: كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ: لَيْتَ شِعْرِي، مَنْ هَذَا الَّذِي مِنْ وَلَدِ عُمَرَ فِي وَجْهِهِ عَلَامَةٌ يَمْلَأُ الْأَرْضَ عَدْلًا؟ وَقَالَ: وُهَيْبُ بْنُ الْوَرْدِ: بَيْنَمَا أَنَا نَائِمٌ، رَأَيْتُ كَأَنَّ رَجُلًا دَخَلَ مِنْ بَابِ بَنِي
পৃষ্ঠা - ৭৫৭৫
লাভ করবে ৷ যিনি উমরের ন্যায় শাসনকার্য পরিচালনা করবেন ৷ রাবী বলেন, তারা মনে
করতেন, এই ব্যক্তি বিলাল ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন উমর ৷ রাবী বলেন, তার চেহারায় ক্ষতচিহ্ন
ছিল ৷ কিন্তু তিনি সেই ব্যক্তি নন ৷ সেই ব্যক্তি উমর ইবন আবদুল আযীয ৷ তার আশা
আবদুল্লাহ্ ইবন উমর ইবনুল খাত্তাবের ছেলে আসিমের কন্যা ৷ বায়হাকী বর্ণনা করেন, হাকিম
সুত্রে নাফি হতে ৷ তিনি বলেন, আমাদের কাছে পৌছেছে যে, ইবনুল খাত্তাব বলেন,
মুখম্ণ্ডলে ক্ষতচিহ্ন বিশিষ্ট আমার এক অধস্তন সন্তান শাসন-কর্তৃত্ব লাভ করবে, এরপর সে
পৃথিবীকে ন্যায়পরায়ণতা ও সুবিচার দ্বারা পুর্ণ করে দেবে ৷ এরপর নাফি তার নিজের পক্ষ
হতে বলেন, আমার ধারণা, সে উমর ইবন আবদুল আযীয ছাড়া আর কেউ নয় ৷ মুবারক ইবন
ফুযালা তা রিওয়ায়াত করেছেন ,উবায়দুল্লাহ্র সুত্রে নাফি হতে ৷ তিনি বলেন, উমর বলতেন,
হায় যদি আমি জানতে পারতাম উমরের অধস্তন বংশধর কে এই ব্যক্তি যার মুখমণ্ডলে চিহ্ন
থাকবে, যিনি পৃথিবীকে ন্যায় ও ইনসাফ দ্বারা পরিপুর্ণ করে দিবেন? ওয়াহায়ব ইবন ওয়ারদ
বলেন, একবার আমি ঘুমম্ভ অবস্থায় দেখলাম, এক ব্যক্তি যেন বাবে বানু শায়বাহ দিয়ে প্রবেশ
করে বলতে লাগল, হে লোক সকল! তোমাদের উপর কিতাবুল্লাহ্র শাসন প্রতিষ্ঠা করা হলো ৷
আমি তখন প্রশ্ন করলাম, কে তা করলেন ৷ তখন লোকটি তার নখেব দিকে ইঙ্গিত করলেন ৷
আমি তখন সেখানে , ণ্ব্লু (উমর) লেখা দেখতে পেলাম ৷ ওয়াহায়ব বলেন, এরপরই উমর
ইবন আবদুল আযীষের অনুকুলে বায়আত গৃহীত হয় ৷ বাকীয়্যা বর্ণনা করেন, ঈসা ইবন আবু
রায়ীন সুত্রে উমর ইবন আবদুল আযীয হতে যে, (স্বপ্নযােগে)৩ তিনি (একবার) রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামাকে সবুজ উদ্যানে দেখতে পেলেন, তখন নবী করীম (না)
তাকে বলেন, র্টঅচিরেই তুমি আমার উম্মতের শাসন-কর্তৃত্ব লাভ করবে ৷ তখন তুমি রক্তপাত
হতে নিজেকে বিরত রেখো , রক্তপাত হতে নিজেকে বিরত ব্লেখো ৷ মানুষের মাঝে তোমার নাম
উমর ইবন আবদুল আযীয ৷ তবে মহান আল্লাহ্র দরবারে তোমার নাম জাবির ৷” আবু বাকর
ইবনুল মুকরি বলেন, আবু আরুৰাহ্ হুসাইন ইবন মুহাম্মদ সুত্রে রিয়াহ ইবন উবায়দাহ্ সুত্রে
তিনি বলেন, একবার উমর ইবন আবদুল আযীয নামাষে বের হলেন, এক বৃদ্ধ তার হাতে ভর
দিয়ে চলতে লাগল ৷ আমি মনে মনে ভাবলাম, এই বৃদ্ধ ণ্লাকটির সৌজন্যবােধ নেই ৷ এরপর
নামায ণ্শষে তিনি যখন পুনরায় ভিতরে (দারুল খিলাফতে) প্রবেশ করলেন, আমি তার পিছে
পিছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহ্ আমীরুল মু’মিনীনের কল্যাণ করুন ৷ এই বৃদ্ধ
কে যে আপনার হাতে ভর দিয়ে আসল ? তিনি বলেন, হে রিয়াহ৷ তুমি কি তাকে লক্ষ্য
করেছ? আমি বললাম, ইম ! তিনি বলেন, রিয়াহ্ তোমাকে তো একজন ভাল লোকই গণ্য
করি ! তিনি হলেন আমার ভাই’ খাযির তিনি আমার কাছে এসে আমাকে জানালেন যে,
অচিরেই আমি এই উম্মতের শাসন-কর্তৃত্ব লাভ করা এবং তাদের মাঝে ন্যায় ও ইনসাফ
অবলম্বন করব ৷
ইয়া কুব ইবন সুফয়ান বর্ণনা করেন, আবু উমায়র সুত্রে আবু আনবাস হতে তিনি
বলেন, একবার আমি খালিদ ইবন ইয়াষীদ ইবন মুআৰিয়ার সাথে বসা ছিলাম, সেখানে
নকশা করা চাদর পরিচিত এক যুবক আসল এবং খালিদের হাত ধরে বলল, আমাদেরকে
পর্যবেক্ষণকারী কোন ঢ়ক্ষু আছে কি ? আবুআনবাস বলেন, আমি বললাম, মহান আল্লাহর পক্ষ
থেকে তোমাদের দুইজনকে পর্যাবক্ষণকারী দৃষ্টিশক্তি এবং শ্রবণকারী শ্রবণশক্তি নিয়োজিত
আছে ৷ আবু আনবাস বলেন, একথা শুনে সেই তরুণের চক্ষুদ্বয় অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠল এবং সে
খালিদের হাত ছেড়ে দিয়ে চলে গেল ৷ আমি প্রশ্ন করলাম, কে এ ? খালিদ বলল, এ হলো
شَيْبَةَ، وَهُوَ يَقُولُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، وُلِّيَ عَلَيْكُمْ كِتَابُ اللَّهِ. فَقُلْتُ: مَنْ؟ فَأَشَارَ إِلَى ظَهْرِهِ، فَإِذَا مَكْتُوبٌ عَلَيْهِ: عُ مَ رُ. قَالَ: فَجَاءَتْ بَيْعَةُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَقَالَ بَقِيَّةُ، عَنْ عِيسَى بْنِ أَبِي رَزِينٍ، حَدَّثَنِي الْخُزَاعِيُّ، «عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَوْضَةٍ خَضْرَاءَ، فَقَالَ لَهُ: " إِنَّكَ سَتَلِي أَمْرَ أُمَّتِي فَزَعْ عَنِ الدَّمِ، فَإِنَّ اسْمَكَ فِي النَّاسِ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَاسْمُكَ عِنْدَ اللَّهِ جَابِرٌ» ".
وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ الْمُقْرِيِّ: ثَنَا أَبُو عَرُوبَةَ الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مَوْدُودٍ الْحَرَّانِيُّ، ثَنَا أَيُّوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْوَزَّانُ، ثَنَا ضَمْرَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، ثَنَا السَّرِيُّ بْنُ يَحْيَى، عَنْ رَبَاحِ بْنِ عُبَيْدَةَ، قَالَ: خَرَجَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى الصَّلَاةِ، وَشَيْخٌ مُتَوَكِّئٌ عَلَى يَدِهِ، فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: إِنَّ هَذَا الشَّيْخَ جَافٌّ، فَلَمَّا صَلَّى وَدَخَلَ لَحِقْتُهُ، فَقُلْتُ: أَصْلَحَ اللَّهُ الْأَمِيرَ، مَنِ الشَّيْخُ الَّذِي كَانَ مُتَّكِئًا عَلَى يَدِكَ؟ فَقَالَ: يَا رَبَاحُ رَأَيْتَهُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: مَا أَحْسَبُكَ يَا رَبَاحُ إِلَّا رَجُلًا صَالِحًا، ذَاكَ أَخِي الْخَضِرُ، أَتَانِي فَأَعْلَمَنِي أَنِّي سَأَلِي أَمْرَ هَذِهِ الْأُمَّةِ، وَأَنِّي سَأَعْدِلُ فِيهَا.
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا أَبُو عُمَيْرٍ، ثَنَا ضَمْرَةُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي حَمْلَةَ، عَنْ أَبِي الْأَعْيَسِ، قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا مَعَ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ،
পৃষ্ঠা - ৭৫৭৬
খলীফার ভাতিজা উমর ইবন আবাক্বা আযীয ৷ মহান আল্লাহ্ যদি তোমাকে দীর্ঘজীবী করেন,
তাহলে অবশইি তুমি তাকে সুপথপ্রাপ্ত শাসকরুপে দেখতে পাবে ৷ আলাবিদায়ার গ্রন্থকার
বলেন, খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার কাছে পুর্ববর্তীদের ইতিহাস ও বক্তব্যসমুহের
একটা ভাল সংগ্রহ ছিল ৷ এছাড়া তিনি জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসা শাশ্রের চর্চা করতেন ৷
ইতোপুর্বে সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের জীবনী আলোচনার সময় আমরা উল্লেখ করেছি
যে, যখন তার অন্তিম মুহুর্ত উপস্থিত হলো, তখন তিনি তার ছেলেদের একজনকে পরবর্তী
খলীফারুপে নির্ধারণ করতে চইিলেন ৷ বিন্দু তার লেক ওয়াযীব রজা ইবন হায়ওয়া তাকে তা
থেকে বিরত রাখেন ৷ তার প্রচেষ্টায়ই মুলত তিনি (সুলায়মান) পরবর্তী খলীফারুপে উমর ইবন
আবদুল আযীযকে নিয়োগ করেন ৷ আর রজা ইবন হায়ওয়া তাকে সমর্থন করেন ৷ তখন
সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক তার ফরমান লিখালেন এবং তাকে সীলমােহর দ্বারা আবদ্ধ
করলেন ৷ ,সুলায়মান এবং রজা ইবন হায়ওয়া ব্যতীত উমর ইবন আবদুল আযীয কিৎবা বানু
মারওয়ানের কেউই এ বিষয়টি আচ করতে পারল না ৷ তারপর তিনি সিপাহী প্রধানকে নির্দেশ
দিলেন সকল আমীর-উমারা এবং বানুমারওয়ানের এবং অন্যদের নেতৃস্থানীয় সকলকে উপস্থিত
করতে ৷ তারা উপস্থিত হয়ে সীলমােহরকৃত ফরমানে যা বিদ্যমান তা মেনে সুলায়মান ইবন
আবদুল মালিকের কাছে বায়আত করেন ৷ তারপর প্রস্থান করেন ৷ এরপর খলীফা মৃত্যুমুখে
পতিত হলে রজা ইবন হায়ওয়া তাদেরকে পুনরায় ডেকে পাঠালেন ৷ তারা খলীফার মৃত্যু
সম্পর্কে জানার পুর্বে এই ফরমান মেনে নিয়ে দ্বিতীয়বার বায়আত করল ৷ এরপর তিনি তাদের
সামনে তা খুলে তাদেরকে পাঠ করে গােনালেন ৷ দেখা গেল তাতে উমর ইবন আবদুল
আষীযের অনুকুলে বায়আতের নির্দেশ বিদ্যমান ৷ তখন সকলে তাকে এনে মিম্বরে বসালেন ৷
তারপর তার হাতে বায়আত হলো ৷ এভাবে তার অনুকুলে বায়আত অনুষ্ঠিত হলো ৷
এই ধরনের কাজের বৈধতার ব্যাপারে ইমামগণ মতবিরোধ করেছেন যে কোন ব্যক্তি
কোন লিখিত ওয়াসিয়াত করল এবং সাক্ষীদেরকে তা না শুনিয়ে তাদেরকে সে ব্যাপারে সাক্ষী
বানান, তারপর তারা এর অনুকুলে সাক্ষী দিন এবং সে সাক্ষীর ভিত্তিতে সেই ওয়াসিয়াত
কার্যকর করা হলো একদল উলামা একে বৈধ রায় দিয়েছেন ৷ কাযী আবুল ফারাজ আল
মুআফী ইবন যাকারিয়্যা আল-জারীরী বলেন, হিজাযবাসী অধিকাংশ আলিম এই ধরনের
ওয়াসিয়াতকে অনুমোদন করেছেন, সে অনুযায়ী ফায়সালা করাকে বৈধ বলে রায় দিয়েছেন ৷
আর এ রায়মত, বর্ণিত হয়েছে সালিম ইবন আবদুল্লাহ থেকে ৷ আর এটাই ইমাম মালিক,
মুহাম্মদ ইবন মাসলামা আল-মাখয়ুমী মাকহুল, নুমায়র ইবন আওস, যুরআহ্ ইবন ইবরড়াহীম,
আওযায়ী সাঈদ ইবন আবদুল আযীয এবং তাদের সাথে একমত পােষণকারী শামীয়
ফকীহগণের মায্হাব বা মত ৷ খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন আবু মালিক তার পিতা এবং তার
ফৌজী কাযীদের থেকে অনুরুপ সিদ্ধান্ত বর্ণনা করেছেন ৷ এছাড়া এটা লায়ছ ইবন সাল এবং
তার সাথে ঐকমত্য পােষণকারী মিসর ও মরক্কোবাসী ফকীহ্গণের মত এবং বসরারকাযী ও
ফকীহগণেরও মত ৷ আর কাতাদ৷ সাওওয়ার ইবন আবদুল্লাহ উবায়দুল্লাহ্ ইবন হাসান, মুআয
ইবন মুআয আল আম্বরী এবং তাদের অনুসারী আলিমগণ থেকেও এই মতই উদ্ধৃত হয়েছে ৷
উপরন্তু বহু সংখ্যক আহলে হাদীস আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন ৷ তাদের মধ্যে আবু উবায়দ
এবং ইসহাক ইবন রাহ্ওয়ায়হি অন্যতম ৷
আল-বিদায়ার গ্রন্থকার বলেন, ইমাম বুখড়ারী তার সহীহ্ গ্রন্থে বিষয়টির প্রতি সযতু
হয়েছেন ৷ মুআফী বলেন, ইরাকের একদল ককীহ অবশ্য এর বৈধতা মানতে সম্মত নন ৷
فَجَاءَ شَابٌّ عَلَيْهِ مُقَطَّعَاتٌ، فَأَخَذَ بِيَدِ خَالِدٍ، فَقَالَ: هَلْ عَلَيْنَا مِنْ عَيْنٍ؟ فَقَالَ أَبُو الْأَعْيَسِ: فَقُلْتُ: عَلَيْكُمَا مِنَ اللَّهِ عَيْنٌ بَصِيرَةٌ وَأُذُنٌ سَمِيعَةٌ، قَالَ: فَتَرَقْرَقَتْ عَيْنَا الْفَتَى. فَأَرْسَلَ يَدَهُ مِنْ يَدِ خَالِدٍ وَوَلَّى، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ ابْنُ أَخِي أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، وَلَئِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ لَتَرَيَنَّهُ إِمَامَ هُدًى. قُلْتُ: قَدْ كَانَ عِنْدَ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ شَيْءٌ جَيِّدٌ مِنْ أَخْبَارِ الْأَوَائِلِ وَأَقْوَالِهِمْ.
وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي تَرْجَمَةِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ أَنَّهُ لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ عَزَمَ أَنْ يَكْتُبَ الْعَهْدَ بِاسْمِ أَحَدِ أَوْلَادِهِ، فَمَا زَالَ بِهِ وَزِيرُهُ الصَّادِقُ رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ حَتَّى صَرَفَهُ عَنْ ذَلِكَ، وَأَشَارَ عَلَيْهِ أَنْ يَجْعَلَ الْأَمْرَ مِنْ بَعْدِهِ لِأَصْلَحِ النَّاسِ لَهُمْ، فَأَلْهَمَ اللَّهُ الْخَلِيفَةَ رُشْدَهُ، فَعَيَّنَ لَهَا ابْنَ عَمِّهِ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَجَوَّدَ رَأْيَهُ رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ وَصَوَّبَهُ، فَكَتَبَ سُلَيْمَانُ الْعَهْدَ فِي صَحِيفَةٍ، وَخَتَمَهَا، وَلَمْ يَشْعُرْ بِذَلِكَ عُمَرُ، وَلَا أَحَدٌ مِنْ بَنِي مَرْوَانَ سِوَى سُلَيْمَانَ وَرَجَاءٍ، ثُمَّ أَمَرَ صَاحِبَ الشُّرَطَةِ بِإِحْضَارِ الْأُمَرَاءِ، وَرُءُوسِ النَّاسِ مِنْ بَنِي مَرْوَانَ وَغَيْرِهِمْ، فَبَايَعُوا سُلَيْمَانَ عَلَى مَا فِي الصَّحِيفَةِ الْمَخْتُومَةِ، ثُمَّ انْصَرَفُوا، ثُمَّ لَمَّا مَاتَ الْخَلِيفَةُ اسْتَدْعَاهُمْ رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ فَبَايَعُوا ثَانِيَةً، قَبْلَ أَنْ يَعْلَمُوا مَوْتَ الْخَلِيفَةِ، ثُمَّ فَتَحَهَا فَقَرَأَهَا عَلَيْهِمْ، فَإِذَا فِيهَا الْبَيْعَةُ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، فَأَخَذُوهُ فَأَجْلَسُوهُ عَلَى الْمِنْبَرِ وَبَايَعُوهُ، فَانْعَقَدَتْ لَهُ الْبَيْعَةُ.
وَقَدِ اخْتَلَفَ الْعُلَمَاءُ فِي مِثْلِ هَذَا الصَّنِيعِ فِي الرَّجُلِ يُوصِي الْوَصِيَّةَ فِي كِتَابٍ وَيُشْهِدُ عَلَى مَا فِيهِ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُقْرَأَ عَلَى الشُّهُودِ، ثُمَّ يَشْهَدُونَ عَلَى مَا فِيهِ فَيَنْفُذُ،
পৃষ্ঠা - ৭৫৭৭
তন্মধ্যে রয়েছেন ইররাহীম, হাম্মাদ এবং হাসান ৷ আর সেট ই ইমাম শাফেঈ ও অ ৷বু ছাওরের
মাযহাব ৷ মৃ আফী বলেন, এটা আমাদের শায়থ আবু জা ফরের বক্তব্য ৷ তবে ইমাম শাফেঈর
কোন কোন ইরাকী শিষ্য প্রথম মত ৩গ্রহণ করেছেন ৷ পরিশেষে আল জারীরী বলেন, আমরাও
প্রথম মতটিকেই গ্রহণ করছি ৷ ইতোপুর্বে বর্ণিত হয়েছে উমর ইবন আবদুল আযীয যখন
সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের দাফন শেষে ফিরলেন, তখন তার আরােহণের জন্য খলীফার
বিশেষ বাহনসমুহ আনা হলো ৷ কিন্তু তিনি তাতে আরোহণ না করে আবৃত্তি করলেন ও
যদি আল্পাহ্ভীতি, বিবেকবুদ্ধি আর মৃত্যু ভয় না থাকত, তাহলে বিনোদন আসক্তিতে
আমি সকল নিষেধকা রীর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতাম ৷’
অতীতে সে যেটুকু বিনোদন লাভ করার করে নিয়েছে এরপর আর তুমি তার মাঝে কোন
বিনােদনাসক্তি দেখবে না ৷
তারপর তিনি বলেন, মহান আল্লাহ যা চান (তাই হয়) ৷ তিনি ব্যতীত (কারও) কোন
শক্তি নেই ৷ আমার খচ্চর নিয়ে আস ৷ এরপর তিনি খলীফার সেই সকল বিশেষ বাহন নিলামে
বিক্রয়ের নির্দেশ দিলেন ৷ আর এগুলি ছিল অত্যন্ত উৎকৃষ্ট জাতের মুল্যবান অশ্ব ৷ এগুলি বিক্রির
পর তিনি তার মুল্য বায়তুল মালে জমা দিলেন ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, তার অনুকুন্সে বাইআত
গ্রহণের এবং তার খিলাফতে র দায়িতু সুন্থির ও সুনিশ্চিত হওয়ার পর তিনি যখন থলীফা
সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের দাফন থেকে ফিরলেন, তখন তাকে বেশ বিষপ্ন ও
দুশ্চিন্তাগ্রস্ত দেখাচ্ছিল ৷ তার এ অবস্থা দেখে তার মাওলা (আযাদকৃর্ভ দাস) তাকে বলে,
আপনার কী হয়েছে ? আপনাকে এমন বিষপ্ন ও দৃশ্চিন্তগ্রেস্ত দেখাচ্ছে কেন ? এখন তো এমন
থাকার সময় নয় ৷ তিনি তাকে ভভুসনা করে বলেন, কী বলছ তুমি ! কীভাবে আমি দৃজ্যিগ্রেস্ত
হব না, অথচ এই বিশাল ব্যাপ্ত ইসলামী সাম্রাজের পুর্ব পশ্চিমে এই উম্মতের এমন সদস্য
নেই, যে আমার কাছেত তার প্রাপ্য অধিকার আদায় করার জন্য দায়ী করছে না ৷ সে বিষয়ে যে
আমার কাছে লিখুক কিৎব৷ না লিখুক আবেদন করুক কিৎব৷ না করুক ৷ ঐতিহাসিকগণ আরো
বলেন এরপর তিনি তার শ্রী ফাতিমাহ্ বিনত আবদুল মালিককে ইচ্ছাধিকাব প্রদান করেন,
ইচ্ছা হলে এই শর্তে তিনি তার সাহচর্যে অবস্থান করতে পারেন যে, তার সান্নিধ্য সময়
কাটানোর তার আর অবকাশ নেই ; অন্যথায় তিনি তার পিতৃগৃহে নিয়ে অবস্থান করতে
পারেন ৷ স্বামীর একথা শুনে ফাতিমাহ্ কেদে ফেলেন এবং তার কান্নায় তার বাদীরাও কেদে
উঠল ৷ ফলে তখন তার গৃহে কান্নার রোল পড়ে পেল ৷ অবশ্য তিনি পরিশেষে সর্বাবস্থায় স্বামীর
সাহচর্যকেই গ্রহণ করলেন ৷ আল্লাহ্ তাকে রহম করুন ৷ একবার এক ব্যক্তি তাকে বলল,
আমীরুল মু’মিনীন আমাদের জন্য একটু অবসর গ্রহণ করুন ৷ তিনি আবৃত্তি করলেন :
মহাব্যস্ততার আবির্ভাব হয়েছে আর তুমি নিরাপদ পথ থেকে সরে এসেছ :
অবসর অতীত হয়েছে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত আর আমাদের কোন অবসর নেই ৷
فَسَوَّغَ ذَلِكَ جَمَاعَاتٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ ; قَالَ الْقَاضِي أَبُو الْفَرَجِ الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّا الْجُرَيْرِيُّ: أَجَازَ ذَلِكَ وَأَمْضَاهُ وَأَنْفَذَ الْحُكْمَ بِهِ جُمْهُورُ أَهْلِ الْحِجَازِ.
وَرُوِيَ ذَلِكَ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَهُوَ مَذْهَبُ مَالِكٍ، وَمُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ الْمَخْزُومِيِّ، وَمَكْحُولٍ، وَنُمَيْرِ بْنِ أَوْسٍ، وَزُرْعَةَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، وَالْأَوْزَاعِيِّ، وَسَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَمَنْ وَافَقَهُمْ مِنْ فُقَهَاءِ الشَّامِ.
وَحَكَى نَحْوَ ذَلِكَ خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ وَقُضَاةِ جُنْدِهِ، وَهُوَ قَوْلُ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ فِي مَنْ وَافَقَهُ مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ مِصْرَ وَالْمَغْرِبِ، وَهُوَ قَوْلُ فُقَهَاءِ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَقُضَاتِهِمْ.
وَرُوِيَ عَنْ قَتَادَةَ، وَعَنْ سَوَّارِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْحُسَيْنِ، وَمُعَاذِ بْنِ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيِّ فِي مَنْ سَلَكَ سَبِيلَهُمْ. وَأَخَذَ بِهَذَا عَدَدٌ كَثِيرٌ مِنْ أَصْحَابِ الْحَدِيثِ، مِنْهُمْ: أَبُو عُبَيْدٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ.
قُلْتُ: وَقَدِ اعْتَنَى بِهِ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ ".
قَالَ الْمُعَافَى: وَأَبَى ذَلِكَ جَمَاعَةٌ مِنْ فُقَهَاءِ الْعِرَاقِ، مِنْهُمْ: إِبْرَاهِيمُ، وَحَمَّادٌ، وَالْحَسَنُ، وَهُوَ مَذْهَبُ الشَّافِعِيِّ، وَأَبِي ثَوْرٍ. قَالَ: وَهُوَ قَوْلُ شَيْخِنَا أَبِي جَعْفَرٍ، وَكَانَ بَعْضُ أَصْحَابِ الشَّافِعِيِّ بِالْعِرَاقِ يَذْهَبُ إِلَى الْقَوْلِ الْأَوَّلِ. قَالَ الْجَرِيرِيُّ: وَإِلَى الْقَوْلِ الْأَوَّلِ نَذْهَبُ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৭৮
যুবায়র ইবন বাক্কার বলেন, মুহাম্মদ ইবন সালাম সুত্রে সালাম ইবন সুলায়ম থেকে ৷
তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করে মিম্বরে আরোহণ করার
পর সর্বপ্রথম যে খুতব৷ প্রদান করলেন, তাতে তিনি প্রথমে মহান আল্লাহ্র হাম্দ ও ছানা
বর্ণনার পর বললেন, হে মানবমণ্ডলী ! যে আমাদের সাহচর্য অবলম্বন করবে, সে যেন পাচটি
বিষয় অবলম্বন করে, অন্যথায় সে যেন আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ ১ যে আমাদের
কাছে ঐ (অক্ষয়) ব্যক্তির প্রয়োজন তুলে ধরার যে নিজে তা তুলে ধরতে পারে না ৷ ২ সে
তার সাধ্যমত আমাদেকে কল্যাণ কাজে সহযোগিতা করবে ৷ ৩ সে আমাদেরকে ঐ সকল
বল্মাণের সন্ধান দিয়ে যে ওলির সন্ধান আমাদের কাছে নেই ৷ ৪ যে আমাদের কাছে পরচর্চা
(গীবত) করবে না ৷ ৫ সে তার সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন বিষয়ে প্রবৃত্ত হবে না ৷
তার একথার মর্ম উপলব্ধি করে চাটুকার কবি ও বক্তারা সরে পড়ল ৷ আর ফ্কীহ ও
যাহিদগণ তার সাহচর্য অবলম্বন করল এবং তারা বলল, এই ব্যক্তি তার কথার বিপরীত কাজ
করার পুর্বে আমরা তাকে ত্যাগ করতে পারি না ৷
সুফয়ান ইবন উয়ায়নাহ্ বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয যখন খলীফা হলেন, তখন
তিনি মুহাম্মদ ইবন কাব, রজা ইবন হায়ওয়া এবং সালিম ইবন আবদুল্লাহ্র কাছে লোক
পাঠিয়ে বললেন, তোমরা তো দেখছ আমাকে কী দ্বারা পরীক্ষায় ফেলা হয়েছে এবং আমার
উপর কী গুরু দায়িত্ব আপতিত হয়েছে ৷ তোমাদের কাছে এর কী সমাধান রয়েছে ? তখন
মুহাম্মদ ইবন কাব বললেন, আপনি বৃদ্ধকে পিতা, যুবককে ভইি এবং শিশুকে ছেলে মনে
করুন ৷ তারপর পিতার সাথে সদাচারপুণ্যাচার করুন, ভাইয়ের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন
এবং ছেলের সাথে স্নেহসুলভ আচরণ করুন ৷ আর রজা ইবন হায়ওয়া বলেন, মানুষের জন্য
তাই অনুমোদন করবেন যা আপনি নিজের জন্য অনুমোদন করেন ৷ যে আচরণ আপনার কাছে
অপ্রিয় তাদের প্রতি সে আচরণ করবেন না ৷ আর একথা বিশ্বাস করুন যে, আপনি হলেন
মরণশীল প্রথম খলীফ৷ ৷ আর সালিম বলেন, সকল বিষয় ও কর্তৃত্কে এক ও অভিন্ন করুন
ত্তাতে পার্থিব কামনা-বাসনা ও চাহিদা ও আকাক্ষো থেকে সৎষম অবলম্বন করুন এবং
সৎযমের শেষ সীমা নির্ধারণ করুন মৃত্যুকে ৷
এ সকল উপদেশ শুনে উমর বলেন, মহান আল্লাহর সাহায্য ও অনুগ্রহ ব্যতীত কারও
(এসবের) কোন শক্তি-সামর্থ নেই ৷
অন্য এক বর্ণনাকারী বলেন, একদিন উমর ইবন আবদুল আযীয (র) লোকদের সম্বোধন
করে বললেন, এসময় অশ্রুতে তিনি বাক্রুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন ৷ হে মানবমণ্ডলী ৷ তােমরা
তোমাদের আখিরাতকে ঠিক করে নাও, তাহলে মহান আল্লাহ্ তোমাদের দুনিয়াকে ঠিক করে
দিবেন ৷ ণ্তামরা নিজেদের গোপন বিষয়গুলি সংশোধন করে নাও, মহান আল্লাহ তোমাদের
প্রকাশ্য বিষয়কে সংশোধন করে দিবেন ৷ আল্লাহর কসম ! তার এক বান্দ৷ তো এমন রয়েছে যায়
ও আদমের (আ) মাঝে জীবিত কোন পিতৃপুরুষের অস্তিত্ব নেই, তিনি তো তার জন্য মৃত্যুর
শিকড়ের বিস্তার ঘটিয়েছেন ৷ অপর এক থুতবায় তিনি বলেন, কত মষবুত আবাসস্থল সামান্য
সময়ের ব্যবধানে বিরানে পরিণত হয়, কত ঈর্ষণীয় আবাস গ্রহণকারী সামান্য সময়ের ব্যবধানে
প্রবাসীতে পরিণত হয় ৷ মহান-আল্লাহ্ তােমাদেরকে রহম করুন ৷ কাজেই, তোমরা তোমাদের
কাছের সর্বোত্তম বাহনে দুনিয়া থেকে সর্বোত্তম ভাবে প্রন্থান কর ৷ দুনিয়াতে মানব সন্তানকে
হঠাৎ আল্লাহ্ তাআল৷ তাকদীর বা নির্ধারণ দ্বারা আহবান করে বলেন এবং তাকে মৃভ্যুবাণ দ্বারা
বিদ্ধ করেন, পরিণামে তিনি তার দুনিয়া হরণ করেন এবং তার আবাস-নিবাসকে অন্যের কাছে
হস্তান্তরিত করেন ৷ দুনিয়া যে পরিমাণ কষ্ট দেয়দুংখ দেয়, যে পরিমাণ আনন্দ দেয় না ৷ সে
وَتَقَدَّمَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ لَمَّا رَجَعَ مِنْ جِنَازَةِ سُلَيْمَانَ أُتِيَ بِمَرَاكِبِ الْخِلَافَةِ لِيَرْكَبَهَا، فَامْتَنَعَ مِنْ ذَلِكَ، وَأَنْشَأَ يَقُولُ:
فَلَوْلَا التُّقَى ثُمَّ النُّهَى خَشْيَةَ الرَّدَى ... لَعَاصَيْتُ فِي حُبِّ الصِّبَا كُلَّ زَاجِرِ
قَضَى مَا قَضَى فِيمَا مَضَى ثُمَّ لَا تَرَى ... لَهُ صَبْوَةً أُخْرَى اللَّيَالِي الْغَوَابِرِ
ثُمَّ قَالَ: مَا شَاءَ اللَّهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ، قَدِّمُوا إِلَيَّ بَغْلَتِي. ثُمَّ أَمَرَ بِبَيْعِ تِلْكَ الْمَرَاكِبِ الْخَلِيفِيَّةِ فِي مَنْ يُرِيدُ، وَكَانَتْ مِنَ الْخُيُولِ الْجِيَادِ الْمُثَمَّنَةِ، فَبَاعَهَا وَجَعَلَ أَثْمَانَهَا فِي بَيْتِ الْمَالِ.
قَالُوا: فَلَمَّا رَجَعَ مِنَ الْجِنَازَةِ، وَقَدْ بَايَعَهُ النَّاسُ، وَاسْتَقَرَّتِ الْخِلَافَةُ بِاسْمِهِ، انْقَلَبَ وَهُوَ مُغْتَمٌّ مَهْمُومٌ، فَقَالَ لَهُ مَوْلَاهُ: مَا لَكَ هَكَذَا مُغْتَمًّا مَهْمُومًا، وَلَيْسَ هَذَا بِوَقْتِ هَذَا؟ فَقَالَ: وَيْحَكَ! وَمَا لِي لَا أَغْتَمُّ، وَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ إِلَّا وَهُوَ يُطَالِبُنِي بِحَقِّهِ ; أَنْ أُؤَدِّيَهُ إِلَيْهِ، كَتَبَ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ أَوْ لَمْ يَكْتُبْ، طَلَبَهُ مِنِّي أَوْ لَمْ يَطْلُبْ. قَالُوا: ثُمَّ إِنَّهُ خَيَّرَ امْرَأَتَهُ فَاطِمَةَ بَيْنَ أَنْ تُقِيمَ مَعَهُ عَلَى أَنَّهُ لَا فَرَاغَ لَهُ إِلَيْهَا، وَبَيْنَ أَنْ تَلْحَقَ بِأَهْلِهَا، فَبَكَتْ وَبَكَى جَوَارِيهَا لِبُكَائِهَا، فَسُمِعَتْ ضَجَّةٌ فِي دَارِهِ، ثُمَّ اخْتَارَتْ مُقَامَهَا مَعَهُ عَلَى كُلِّ حَالٍ، رَحِمَهَا اللَّهُ. وَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: تَفَرَّغْ لَنَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَأَنْشَأَ يَقُولُ
قَدْ جَاءَ شُغْلٌ شَاغِلٌ ... وَعَدَلْتُ عَنْ طُرُقِ السَّلَامَهْ
ذَهَبَ الْفَرَاغُ فَلَا فَرَا ... غَ لَنَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَهْ
পৃষ্ঠা - ৭৫৭৯
وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلَامٍ، عَنْ سَلَّامِ بْنِ سُلَيْمٍ، قَالَ: لَمَّا وَلِيَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ صَعِدَ الْمِنْبَرَ، وَكَانَ أَوَّلَ خُطْبَةٍ خَطَبَهَا حَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، مَنْ صَحِبَنَا فَلْيَصْحَبْنَا بِخَمْسٍ، وَإِلَّا فَلْيُفَارِقْنَا ; يَرْفَعُ إِلَيْنَا حَاجَةَ مَنْ لَا يَسْتَطِيعُ رَفْعَهَا، وَيُعِينُنَا عَلَى الْخَيْرِ بِجُهْدِهِ، وَيَدُلُّنَا مِنَ الْخَيْرِ عَلَى مَا لَا نَهْتَدِي إِلَيْهِ، وَلَا يَغْتَابَنَّ عِنْدَنَا الرَّعِيَّةَ، وَلَا يَعْرِضَنَّ فِيمَا لَا يَعْنِيهِ. فَانْقَشَعَ عَنْهُ الشُّعَرَاءُ وَالْخُطَبَاءُ، وَثَبَتَ مَعَهُ الْفُقَهَاءُ وَالزُّهَّادُ، وَقَالُوا: مَا يَسَعُنَا أَنْ نُفَارِقَ هَذَا الرَّجُلَ حَتَّى يُخَالِفَ فِعْلُهُ قَوْلَهُ.
وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ: لَمَّا وَلِيَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بَعَثَ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ وَرَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ وَسَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، فَقَالَ لَهُمْ: قَدْ تَرَوْنَ مَا ابْتُلِيتُ بِهِ وَمَا قَدْ نَزَلَ بِي، فَمَا عِنْدَكُمْ؟ فَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ: اجْعَلِ الشَّيْخَ أَبًا، وَالشَّابَّ أَخًا، وَالصَّغِيرَ وَلَدًا، فَبِرَّ أَبَاكَ، وَصِلْ أَخَاكَ، وَتَعَطَّفْ عَلَى وَلَدِكَ. وَقَالَ رَجَاءٌ: ارْضَ لِلنَّاسِ مَا تَرْضَى لِنَفْسِكَ، وَمَا كَرِهْتَ أَنْ يُؤْتَى إِلَيْكَ فَلَا تَأْتِهِ إِلَيْهِمْ، وَاعْلَمْ أَنَّكَ أَوَّلُ خَلِيفَةٍ تَمُوتُ. وَقَالَ سَالِمٌ اجْعَلِ الْأَمْرَ يَوْمًا وَاحِدًا صُمْ فِيهِ عَنْ شَهَوَاتِ الدُّنْيَا، وَاجْعَلْ آخِرَ فِطْرِكَ فِيهِ الْمَوْتَ، فَكَأَنْ قَدْ. فَقَالَ عُمَرُ: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৮০
সামান্য আনন্দ দেয় এবং অনেক দুঃখ দেয় ৷ ইসমাঈল ইবন আয়্যাশ বলেন, আমর ইবন
যুহাজির থেকে ৷ তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয যখন খলীফা নির্বাচিত হলেন, তখন
লোকদের উদ্দেশ্যে দাড়িয়ে হামদ ও ছানার পর বললেন, হে মানবমণ্ডলী ! পবিত্র কুরআনের পর
কোন কিতাব নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়ইি ওয়া সাল্লামা-এর পর কোন নবী নেই ৷
আর আমি বিচারক নই-বাস্তবায়নকারী এবং আমি উদ্ভাবক নই অনুসারী ৷ অত্যাচারী শাসক
থেকে পলায়নকারী ব্যক্তি অত্যাচারী নয় বরং অত্যাচারী শাসকই হলো নাফরমান ৷ শুনে রাখ,
মহান স্রষ্টার অবাধ্যতায় কোন সৃষ্টির আনুগত্য বৈধ নয় ৷ অন্য এক রিওয়ায়াতে আছে, তিনি
তাতে বলেছিলেন, আমি তো তোমাদের কারও চেয়ে উত্তম নই, বরং আমি তোমাদের মাঝে
সবচেয়ে ভারাক্রাত ৷ তোমরা শুনে রাখ, মহান আল্লাহর নাফরমানীতে কোন মাখলুকের
আনুগত্য বৈধ নয় ৷ শুনে রাখ, আমি তোমাদেরকে শুনিয়ে দিলাম ৷
আহমাদ ইবন মারওয়ান বলেন, আহমাদ ইবন ইয়াহ্ইয়া আল-হুলওয়ানী সুত্রে ;
সাঈদ ইবনুল আসের ছেলে থেকে ৷ তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয (র)-এর সর্বশেষ
প্রদত্ত খুতবায় হামদ ও ছানার পর তিনি বললেন, আসল কথা হলো, তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি
করা হয়নি এবং এমনি এমনি ছেড়ে দেওয়া হয়নি ৷ তোমাদের জন্য এক প্রতিশ্রুতি স্থান ও কাল
বিদ্যমান ৷ তোমাদের মাঝে বিচার ও ফায়সালা করার জন্য মহান আল্লাহ্ তাতে হাষির হবেন ৷
কা৷জ্জী, যে আল্পাহ্র রহমত থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং এমন জান্নাত থেকে বঞ্চিত
হয়েছে যারৰুব্যপ্তি আসমান-যমীন বরাবর, সে নিঃসন্দেহে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ তোমরা কি
জান না, ঐ ব্যক্তি ছাড়া বেস্ট ভবিষ্যতে নিরাপদ নয়, যে শেষ দিনের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন
করেছে, তাকে ভয় করেছে এবং স্থায়ীর বিনিময়ে অন্থায়ীকে, অসীমের বিনিময়ে সসীমকে,
অধিকের বিনিময়ে অল্পাক, নিরাপত্তার বিনিময়ে ভয়কে বিক্রি করেছেবিসর্জ্য দিয়েছে ৷ তোমরা
কি লক্ষ্য কর না, তোমরা মৃতদের থেকে রেখে দেওয়া অর্থ-সম্পদ ভোগ কয়ছ, আর তা তো
অচিরেই তোমাদের মৃত্যুর পর অবশিষ্টদের হয়ে যাবে ৷ এমনভাবে চলতে থাকবে পরিশেষে
তোমরা চুড়ান্ত উত্তরাধিকারীর সমীপে উপনীত হবে ৷ তারপর দেখ প্রতিদিন সকাল-সন্ধায়
তোমরা তোমাদেরই একেকজ্যাকে মহান আল্লাহর পথে এমনভাবে বিদায় করে দিচ্ছ যে, সে
আর ফিরছে না ৷ সে তার আয়ুষ্কাল পুর্ণ করেছে ৷ ফলে, তোমরা তাকে ভু পৃষ্ঠের এক ফটিলে
বিছানা ও শয্যাহীন অবস্থায় রেখে অদৃশ্য করে দিচ্ছ ৷ সে তার প্রিয়জনদেৱ থেকে বিচ্ছিন্ন
হয়েছে এবং মাটিতে শায়িত অবস্থায় হিসাবের মুখোমুখি হয়েছে ৷ আর সে তার আমলে
দায়বদ্ধ, যা কিছু রেখে গেছে তাতে তার কোন প্রয়োজন নেই ৷ বিন্দু যা সে সামনে পাঠিয়েছে
(অর্থাৎ লেক আমল) তাতে তার প্রয়োজন রয়েছে ৷ কাংজ্জী তোমরা চুড়ান্ত বিচার ও
ফায়্সালার পুর্বে মহান আল্লাহ্কে ভয় কর এবং তোমাদের মৃত্যু আমার পুর্বে তার ব্যাপারে
সাবধান হয়ে যাও ৷ শুনে রাখ, আমি একথা বলছি এরপর তিনি তার চাদরের প্রাত তার
মুখমগুলে রাখলেন এবং নিজে র্কাদলেন, শ্রোতাদ্যোকে কাদালেন ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে,
আল্লাহ্র শপথ ! আমি ণ্তামাদেরকে একথা বলছি, অথচ তোমাদের কারও পাপ আমার চেয়ে
বেশী বলে আমার জানা নেই ৷ কিন্তু তা (খিলাফত)সেগুলাে মহান আল্লাহ্র পক্ষ থেকে ন্যায়
সঙ্গত বিধান ৷ তিনি তাতে তার আনুপত্যের নির্দেশ দিয়েছেন এবং অৰাধ্যতা থেকে নিষেধ
করেছেন ৷ আর আমি মহান আল্লাহ্র কাছে স্ফীমা প্রার্থনা করছি ৷ একথা বলে তিনি তার আস্তিন
তার মুখমণ্ডলে রাখলেন এবং অঝোরে র্কাদতে লাগলেন, এমনকি তার দাড়ি তিজে গেল ৷
এরপর মৃত্যুর পুবে তিনি আর কোন মজ্বলিসে আং সননি ৷ মহান আল্লাহ্ তাকে রহম করুন ৷
وَقَالَ غَيْرُهُ: خَطَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَوْمًا النَّاسَ فَقَالَ، وَقَدْ خَنَقَتْهُ الْعَبْرَةُ: أَيُّهَا النَّاسُ، أَصْلِحُوا آخِرَتَكُمْ تَصْلُحْ لَكُمْ دُنْيَاكُمْ، وَأَصْلِحُوا سَرَائِرَكُمْ تَصْلُحْ لَكُمْ عَلَانِيَتُكُمْ، وَاللَّهِ إِنَّ عَبْدًا لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ آدَمَ أَبٌ إِلَّا قَدْ مَاتَ، إِنَّهُ لَمُعْرَقٌ لَهُ فِي الْمَوْتِ. وَقَالَ فِي بَعْضِ خُطَبِهِ: كَمْ مِنْ عَامِرٍ مُؤَنَّقٍ عَمَّا قَلِيلٍ يَخْرُبُ، وَكَمْ مِنْ مُقِيمٍ مُغْتَبِطٍ عَمَّا قَلِيلٍ يَظْعَنُ، فَأَحْسِنُوا - رَحِمَكُمُ اللَّهُ - مِنَ الدُّنْيَا الرِّحْلَةَ بِأَحْسَنِ مَا بِحَضْرَتِكُمْ مِنَ النَّقْلَةِ، بَيْنَمَا ابْنُ آدَمَ فِي الدُّنْيَا يُنَافِسُ فِيهَا قَرِيرَ الْعَيْنِ قَانِعًا، إِذْ دَعَاهُ اللَّهُ بِقَدَرِهِ وَرَمَاهُ بِيَوْمِ حَتْفِهِ، فَسَلَبَهُ آثَارَهُ وَدُنْيَاهُ، وَصَيَّرَ لِقَوْمٍ آخَرِينَ مَصَانِعَهُ وَمَغْنَاهُ، إِنَّ الدُّنْيَا لَا تَسُرُّ بِقَدْرِ مَا تَضُرُّ، تَسُرُّ قَلِيلًا، وَتُحْزِنُ طَوِيلًا.
وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُهَاجِرٍ، قَالَ: لَمَّا اسْتُخْلِفَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَامَ فِي النَّاسِ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّهُ لَا كِتَابَ بَعْدَ الْقُرْآنِ، وَلَا نَبِيَّ بَعْدَ مُحَمَّدٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَإِنِّي لَسْتُ بِقَاضٍ وَلَكِنِّي مُنْفِذٌ، وَإِنِّي لَسْتُ بِمُبْتَدِعٍ وَلَكِنِّي مُتَّبِعٌ، إِنَّ الرَّجُلَ الْهَارِبَ مِنَ الْإِمَامِ الظَّالِمِ لَيْسَ بِظَالِمٍ، أَلَا إِنَّ الْإِمَامَ الظَّالِمَ هُوَ الْعَاصِي، أَلَا لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ الْخَالِقِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৮১
আবু বকর ইবন আবুদ্ দুনৃয়া উমর ইবন আবদুল আযীয থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
একবার স্বপ্নে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামাকে দেখতে পেলেন ৷ তিনি তাকে
বললেন, “উমর কাছে আস, আমি তার খুব কাছে অড়াসলাম এমনকি তার শরীরের সাথে লেগে
যাওয়ার আশঙ্কা করলাম ৷ তিনি আমাকে বললেন, তুমি যখন মুসলমানদের শাসন-কর্তৃত্ব লাভ
করবে, তখন এ দৃইজনের ন্যায় আমল করবে ৷ তখন আমি দেখলাম তাকে বিয়ে ইে গৌঢ়
দাড়িয়ে আছেন ৷ আমি তখন প্রশ্ন করলাম, তারা কে ? তিনি বলেন, এ আবু বাকর (বা), এ
উমর (বা) আর আমরা বর্ণনা করেছি যে, তিনি সালিম ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন উমরকে
বলেছিলেন, আমাকে উমর ইবনুল খাত্তাবের শাসক চরিত লিখে দিন, যাতে আমি সে অনুযায়ী
আমল করতে পারি ৷ তখন সালিম তাকে বলেন, আপনি তা করতে পারবেন না ৷ তিনি
বললেন, কেন ? সালিম বলেন, আপনি যদি সে অনুযায়ী আমল করতে পারতেন, তাহলে
উমরের চেয়ে উত্তম হতেন ৷ কেননা, তিনি কল্যাণ কাজে অনেক সহযোগী পেতেন ৷ কিন্তু
আপনি এমন কাউকে পাবেন না, যে আপনাকে কল্যাণ কাজে সাহায্য করবে ৷ বর্ণিত আছে যে,
তার আৎটির থােদিত নকশা ছিল এক আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তার কোন শরীক
নেই ৷ অন্য এক বংনািয় আছে তা ছিল আমি আল্লাহ্কে বিশ্বাস করি ৷ আরেক বর্ণনায় আছে,
তা ছিল ওয়াফাদারী কঠিন ৷ একদিন তিনি নেতৃস্থানীয় লোকদের সমবেত করে তাদেরকে
সম্বোবুধ্ন করে বললেন, ফাদাক ছিল ম হান আল্লাহ্র রাসুলের হাতে ৷ তিনি তাকে সেভাবে
রাখতেন যেভাবে মহান আল্লাহ্ তাকে দেখিয়েছিলেন ৷ তারপর আবু বাকর ও উমরও সে
অবন্থায়ই তা বহাল রাখলেন ৷ আসমায়ী বলেন, আমি জানি না তিনি উছমানের ব্যাপারে কী
বলেছেন ৷ তিনি বললেন, তারপর সারওয়ান তাকে ব্যক্তি-মালিকানায় বণ্টন করল এবং আমি
তার একাত্শ লাভ করলাম ৷ আর ওয়ালীদ ও সুলায়মান আমাকে তাদের অংশদ্বয় প্রদান
করলেন ৷ বায়তুল সালে ফিরিয়ে দেওয়ার মত এর চেয়ে মুল্যবান কোন সহায়-সম্পত্তি আমার
সেই ৷ এখন আমি তাকে বায়তুল সালে ঐ অবস্থায় ফিরিয়ে দিচ্ছি, যে অবস্থায় মহান আল্পাহ্র
রাসুলের জীবদ্দশায় ছিল ৷ রাবী বলেন, লোকেরা তখন অন্যায় ভাবে গৃহীত ও আত্মসাতকৃত
সকল ভুসম্পত্তির আশা ছেড়ে দিল ৷ এরপর তিনি বানু উসায়্যার একদলঅনেক সদস্যের
সহায়-সম্পত্তি বায়তুল সালে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করলেন এবং এগুলোকে
অন্যায়ভাবে গৃহীত অর্থ সম্পদ’ নাম দিলেন ৷ তখন এসকল অর্থ-সম্পদের অধিকারীরা তার
,প্রিয়পাত্রদের মাধ্যমে তার কাছে সুপারিশ করল এবং এ ব্যাপারে তারা তার ফুফু ফাতিমা
বিনৃত সারওয়ানকে সাধ্যম বানাল ৷ কিন্তু কোন কিছুতেই কোন ফল হল না ৷ (তিনি তার
ঘোষণা ও সিদ্ধান্তে অবিচল থাকলেন) এবং তিনি তাদেরকে বললেন, তিনি যেন আমাকে
আসার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে দেন, অন্যথায় আমি পবিত্র মক্কায় চলে যাব ৷ তার ফুফু তার
(ম ধ্যন্থতাকারী) অবস্থান থেকে সরে দাড়ালেন ৷ এ সময় উমর বললেন, আল্পাহ্র কসম ৷ আমি
যদি তােমাদের মাঝে পঞ্চাশ বছরও শাসনকার্য পরিচালনা করি, তাহলেও আমি তোমাদের
মাঝে আমার কাজ্জিত ন্যায়শাসন প্রতিষ্ঠা করতে থাকর ৷ আর এই বিষয়টি আমি চাই-ই ৷
ইমাম আহমাদ বলেন, আবদুর বায্যাক সুত্রে ওয়াহ্ব ইবন মুনাবৃবিহ থেকে, তিনি
বলেন, এই উম্মতের যদি কোন মাহদী (সৃপথপ্রাপ্ত সুশাসক) থেকে থাকেন তাহলে তিনি হলেন
উমর ইবন আবদুল আযীয ৷ তার সম্পর্কে কাতাদা, সাঈদ ইবনুল মুসাব্যিব এবং আরো
একাধিক নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি এরুপ মন্তব্য করেছেন ৷ তাউস বলেন, নিঃসন্দেহে তিনি সৃপথপ্রাপ্ত
খলীফা ৷ তবে তিনি ন্যায় ও ইনসাফ পরিপুর্ণ করতে পারেননি ৷
عَزَّ وَجَلَّ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ قَالَ فِيهَا: وَإِنِّي لَسْتُ بِخَيْرٍ مِنْ أَحَدٍ مِنْكُمْ وَلَكِنِّي أَثْقَلُكُمْ حِمْلًا، أَلَا لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ، أَلَا هَلْ أَسْمَعْتُ؟
وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ مَرْوَانَ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى الْحَلْوَانِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ صَفْوَانَ، حَدَّثَنِي ابْنٌ لِسَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، قَالَ: كَانَ آخِرُ خُطْبَةً خَطَبَهَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى، عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّكُمْ لَمْ تُخْلَقُوا عَبَثًا، وَلَنْ تُتْرَكُوا سُدًى، وَإِنَّ لَكُمْ مَعَادًا يَنْزِلُ اللَّهُ فِيهِ لِلْحُكْمِ فِيكُمْ وَالْفَصْلِ بَيْنَكُمْ، فَخَابَ وَخَسِرَ مَنْ خَرَجَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ، وَحُرِمَ جَنَّةً عَرْضُهَا السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ، أَلَمْ تَعْلَمُوا أَنَّهُ لَا يَأْمَنُ غَدًا إِلَّا مَنْ حَذِرَ الْيَوْمَ الْآخِرَ وَخَافَهُ، وَبَاعَ نَافِدًا بِبَاقٍ، وَقَلِيلًا بِكَثِيرٍ، وَخَوْفًا بِأَمَانٍ؟ أَلَا تَرَوْنَ أَنَّكُمْ فِي أَسْلَابِ الْهَالِكِينَ، وَسَيَكُونُ مِنْ بَعْدِكُمْ لِلْبَاقِينَ، كَذَلِكَ حَتَّى نُرَدَّ إِلَى خَيْرِ الْوَارِثِينَ؟ ثُمَّ إِنَّكُمْ فِي كُلِّ يَوْمٍ تُشَيِّعُونَ غَادِيًا وَرَائِحًا إِلَى اللَّهِ، قَدْ قَضَى نَحْبَهُ حَتَّى تُغَيِّبُوهُ فِي صَدْعٍ مِنَ الْأَرْضِ، فِي بَطْنِ صَدْعٍ غَيْرِ مُوَسَّدٍ وَلَا مُمَهَّدٍ، قَدْ فَارَقَ الْأَحْبَابَ، وَبَاشَرَ التُّرَابَ، وَوَاجَهَ الْحِسَابَ، فَهُوَ مُرْتَهَنٌ بِعَمَلِهِ، غَنِيٌّ عَمَّا تَرَكَ، فَقِيرٌ إِلَى مَا قَدَّمَ، فَاتَّقُوا اللَّهَ قَبْلَ انْقِضَاءِ مُرَاقَبَتِهِ وَنُزُولِ الْمَوْتِ بِكُمْ، أَمَا إِنِّي أَقُولُ هَذَا. ثُمَّ وَضَعَ طَرْفَ رِدَائِهِ عَلَى وَجْهِهِ فَبَكَى وَأَبْكَى مَنْ حَوْلَهُ. وَفِي رِوَايَةٍ: وَايْمِ اللَّهِ، إِنِّي لَأَقُولَ قَوْلِي هَذَا، وَمَا أَعْلَمُ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْكُمْ مِنَ الذُّنُوبِ أَكْثَرَ مِمَّا أَعْلَمُ مِنْ نَفْسِي، وَلَكِنَّهَا سُنَنٌ مِنَ اللَّهِ عَادِلَةٌ ; أَمَرَ
পৃষ্ঠা - ৭৫৮২
সম্পদের ব্যাপারে উদার, নিযুক্ত প্রশাসক ও গভর্নরদের প্রতি কঠোর, নিঃস্ব দরিদ্রদের প্ৰতি
দয়ার্দ্র ৷ ইমাম মালিক বর্ণনা করেন, আবদুর রহমান ইবন হারমালাহ্ সুত্রে সাঈদ ইবনুল
মুসাব্যিব থেকে যে, তিনি বলেন, খলীফ৷ হলেন আবু বকর (বা) এবং দুই উমর ৷ তখন তাকে
প্রশ্ন করা হলো আবুবকর ও উমর তাদের দুই জনকে তাে আমরা চিনলাম, বিক্ষ্ম আরেকজন
উমর তিনি কে ? তিনি বললেন, যদি তুমি বেচে থাক, তাহলে অচিরেই তার সাক্ষাৎ পারে,
এ বলে তিনি উমর ইবন আবদুল আযীযকে উদ্দেশ্য করলেন ৷ অন্য এক বর্ণনায় তার থেকে
একথা বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন, যে হলো বানু মারওয়ানের আশাজ্জ’ (মুখমওলে
ক্ষতচিহ্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি) ৷ সুফ্য়ান ছাওরীর সহচর উববাদ আসৃ-সাম্মাক বলেন, আমি ছাওরীকে
বলতে শুনেছি, খলীফা হলেন পাচজন, আবু বকর, উমর, উছমান, আলী এবং উমর ইবন
আবদুল আযীয ৷ আবু বকর ইবন আয়্যাশ, শাফিঈ এবং একাধিক ইমাম থেকেও এরুপ মন্তব্য
উদ্ধৃত হয়েছে ৷ এছাড়া এ ব্যাপারে সকল শীর্ষস্থানীয় আলিম একমত যে, উমর ইবন আবদুল
আযীয হলেন সুপথপ্রাপ্ত খলীফা, হিদায়াতপ্রাপ্ত ইমাম এবং ন্যায়পরায়ণ শাসকদের অন্যতম
একজন ৷ আর একাধিক ইমাম তাকে ঐ দ্বার্দর্শইমাষ্মেৱ অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যাদের ব্যাপারে
সহীহ্ হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে,
ণ্ধ্ৰুা£
০ ’
এই উস্মতের শাসন-কর্তৃত্বের বিষয়টি সঠিক থাকবে তাদের মাঝে বারজন খলীফার
আবির্ভাব হওয়া পর্যন্ত যাদের প্রত্যেকে হবে কুরায়শী ৷ ’
তিনি তার সংক্ষিপ্ত খিলাফতকালে সুশাসন প্রতিষ্ঠার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন ৷ অন্যায়ভাবে
গৃহীত অর্থ-সম্পদ ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং প্রত্যেক প্রাপকের কাছে তার প্রাপ্য পৌছে দিয়েছেন ৷
প্রতিদিন তার ঘোষক ঘোষণা করত, ঋণগ্রস্তরা কোথায় ? বিবাহে ইচ্ছুকগণ কোথায়? নিঃস্ব
দরিদ্ররা কোথায় ? ইয়াতীহীরা কোথায় ? এরা সকলে আসুক, এদের অভাব ও প্রয়োজন পুরণ
করে দেওয়া হবে ৷ এ ব্যাপারে আলিমগণ মত বিরােধে লিপ্ত হয়েছো, কে উত্তম উমর ইবন
আবদুল আযীয, নাকি মুআবিয়া ইবন আবুসুফ্য়ান ? এরপর কেউ কেউ (খিলাফতকালীন)
জীবন চরিত, ন্যায়পরায়ণতা, পার্থিব নির্মোহতা এবং ইবাদতপরায়ণ৩ ৷র কারণে উমর ইবন
আবদুল আযীযকে শ্রেষ্ঠ বলেছেন ৷ আর অন্যরা ইসলামের অগ্নবজ্যি৷ ও নবী সাহচর্যের কারণে ,
হযরত মুআবিয়াকে শ্রেষ্ঠ আখ্যা দিয়েছেন ৷ এমনকি তাদের কেউ বলেছেন, মুআবিয়ার (রা)
রাসুলুল্পাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সালামের সাহচর্যের একটি দিনও উমর ইবন আবদুল
আযীয, তার গোটা জীবনকাল ও স্বজন পরিজন থেকে উত্তম ৷ ইবন আসাকির তার তারীখে
(ইতিহাসগ্রহু) উল্লেখ করেছেন, উমর ইবন আবদুল আযীয তার ত্রী ফাতিম৷ বিনৃত আবদুল
মালিকের একটি বাদীর গুণমুগ্ধ ছিলেন ৷ একবার তিনি তার কাছে বাদীটি চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু
ফাতিম৷ তাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ৷ তারপর তিনি যখন খলীফ৷ হলেন, তখন তার ত্রী
বাদীটিকে সুন্দর পােশাকে সুগন্ধি মাখিয়ে তাকে দান করো তার কাছে পাঠিয়ে দিলেন ৷ এরপর
তিনি যখন তাকে ৰ্বাদীৰু সাথে নির্জনে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিলেন, তখন উমর বাদীটিকে
এড়িয়ে গেলেন ৷ তখন ৰীদী তার মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করল ৷ কিন্তু তিনি তাকে উপেক্ষা
فِيهَا بِطَاعَتِهِ، وَنَهَى فِيهَا عَنْ مَعْصِيَتِهِ. وَاسْتَغْفَرَ اللَّهَ، وَوَضَعَ كُمَّهُ عَلَى وَجْهِهِ فَبَكَى حَتَّى بَلَّ لِحْيَتَهُ، فَمَا عَادَ لِمَجْلِسِهِ حَتَّى مَاتَ رَحِمَهُ اللَّهُ.
وَرَوَى أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّوْمِ، وَهُوَ يَقُولُ: " ادْنُ يَا عُمَرُ ". قَالَ: فَدَنَوْتُ حَتَّى خَشِيتُ أَنْ أُصِيبَهُ، فَقَالَ: " إِذَا وُلِّيتَ فَاعْمَلْ نَحْوًا مِنْ عَمَلِ هَذَيْنِ ". وَإِذَا كَهْلَانِ قَدِ اكْتَنَفَاهُ، فَقُلْتُ: وَمَنْ هَذَانِ؟ قَالَ: " هَذَا أَبُو بَكْرٍ، وَهَذَا عُمَرُ ". وَرُوِّينَا أَنَّهُ قَالَ لِسَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ اكْتُبْ لِي سِيرَةَ عُمَرَ حَتَّى أَعْمَلَ بِهَا، فَقَالَ لَهُ سَالِمٌ: إِنَّكَ لَا تَسْتَطِيعُ ذَلِكَ. قَالَ: وَلِمَ؟ قَالَ: إِنَّكَ إِنْ عَمِلْتَ بِهَا كُنْتَ أَفْضَلَ مِنْ عُمَرَ ; لِأَنَّهُ كَانَ يَجِدُ عَلَى الْخَيْرِ أَعْوَانًا، وَأَنْتَ لَا تَجِدُ مَنْ يُعِينُكَ عَلَى الْخَيْرِ.
وَقَدْ رُوِيَ أَنَّهُ كَانَ نَقْشُ خَاتَمِهِ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ. وَفِي رِوَايَةٍ: آمَنْتُ بِاللَّهِ. وَفِي رِوَايَةٍ: الْوَفَاءُ عَزِيزٌ. وَقَدْ جَمَعَ يَوْمًا رُءُوسَ النَّاسِ فَخَطَبَهُمْ، فَقَالَ: إِنَّ فَدَكَ كَانَتْ بِيَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَضَعُهَا حَيْثُ أَرَاهُ اللَّهُ، ثُمَّ وَلِيَهَا أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ كَذَلِكَ. قَالَ الْأَصْمَعِيُّ: وَمَا أَدْرِي مَا قَالَ فِي عُثْمَانَ. قَالَ: ثُمَّ إِنَّ مَرْوَانَ أَقْطَعَهَا فَحَصَلَ لِي مِنْهَا نَصِيبٌ، وَوَهَبَنِي الْوَلِيدُ وَسُلَيْمَانُ نَصِيبَهُمَا، وَلَمْ يَكُنْ مِنْ مَالِي شَيْءٌ أَرَدَّ عَلَيَّ مِنْهَا، وَقَدْ رَدَدْتُهَا فِي بَيْتِ الْمَالِ عَلَى مَا كَانَتْ عَلَيْهِ فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَيَئِسَ النَّاسُ عِنْدَ
পৃষ্ঠা - ৭৫৮৩
করলেন ৷ তখন বাদী (অবাক হয়ে) প্রশ্ন করল, হে জনাব! আমার প্রতি আপনার যে আগ্রহ
প্রকাশ পেত, তা কোথায় ? তিনি বলেন, আল্পাহ্র কসম ৷ তোমার প্ৰতি আমার আগ্রহ
অপরিবর্তিত আছে, কিন্তু এখন আমার নারীতে কোন আসক্তি নেই ৷ এমন এক গুরুতর বিষয়
আমার কাছে এসেছে, যা আমাকে তোমার থেকে এবং অন্যদের থেকে নিরাসক্ত করে
ফেলেছে ৷ তারপর তিনি তাকে তার বংশপরিচয় জিজ্ঞাসা করলেন এবং জানতে চাইলেন কোথা
থেকে তাকে আনা হয়েছে ৷ শ্ সে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! মরক্কো দেশে আমার পিতা
একটি শাস্তিযােগ্য অপরাধে লিপ্ত হন ৷ তখন মুসা ইবন নুসায়র তার সহায়-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
করেন ৷ এরপর আমাকে এক অপরাধে ধরে আনা হয় এবং মুসা আমাকে খলীফা ওয়ালীদের
কাছে পাঠিয়ে দিলেন ৷ তিনি আমাকে তার ভগী ও আপনার শ্রী ফাতিমাকে দান করলেন এবং
অবশেষে ফাতিমা আমাকে আপনার জন্য উপহার স্বরুপ পাঠালেন ৷ বাদর এই বৃত্তান্ত শুনে উমর
ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রার্জিউন পড়েন এবং বলেন, আল্লাহ্র শপথ আমরা তো
তোমার কারণে অপদস্থত৷ ও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছেছিলাম ৷ তারপর তিনি বাদীকে সসম্মানে
তার স্বদেশ ও স্বজনদের কাছে ফেরত পাঠাবার নির্দেশ দেন ৷
তার শ্রী ফাতিমা বিনৃত আবদুল মালিক বলেন, একদিন আমি উমরের সাক্ষাতে গিয়ে
দেখলাম তিনি তার জায়নামায়ে পালে হাত দিয়ে বসে আছেন ৷ আর তার গণ্ডদ্বয় যেয়ে অশ্রু
প্রবাহিত হচ্ছে ৷ আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, আপনার কী হয়েছে ? তিনি বলেন, ফাতিমা!
আল্লাহ্ তোমার বোধোদয় করুন! এই উম্মতের কী গুরুদায়িতৃ আমি গ্রহণ করেছি, তা একবার
ভেবে দেখ ৷ তইি আমাকে ভাবতে হয় ক্ষুধার্ত দরিদ্রের কথা, মুমুর্বু রোগীর কথা, বস্ত্রহীন কাষ্ট
নিপত্যিতর কথা, পিতৃহীন বিপর্যস্তের কথা, নিঃসঙ্গ বিধবার কথা, নির্যাতিত-নিপীড়িতের কথা,
-আশ্রয়হীন ও বন্দীর কথা ৷ অতি বুদ্ধের কথা ৷ বহুপোয্য তারাক্রাম্ভ অভাবীর কথা এবং এদের
ন্যায় সকল অসহায় ও বিপন্নদেৱ কথা, যারা আমার সাম্রাজ্যের দিকদিগন্তে এবং দুরতম প্রান্তে
ছড়িয়ে রয়েছে ৷ আর আমি একথাও জানি যে, আমার মহান ও পরাক্রমশালী প্রতিপালক কাল
কিয়ামতের দিন আমাকে তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন ৷ আর তাদের পক্ষে আমার
প্রতিপক্ষে হবেন স্বয়ং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সালাম ৷ আমার আশঙ্কা যে, তার সাথে
বিবহুকারুল আমার কোন যুক্তি প্রমাণই গৃহীত হবে না ৷ তাই নিজের প্রতি করুণাবশত আমি
কাদ ৷
মায়মুন ইবন মাহ্রান বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয আমাকে একটি অঞ্চলের
প্রশাসক নিযুক্ত করে বললেন, তোমার কাছে যদি আমার কোন অন্যায় ফরমান সম্বলিত পত্র
পৌছে, তবে তুমি তা মাটিতে ছুড়ে মারবে ৷ তিনি একবার তার জনৈক গভর্নরকে লিখলেন,
মানুষের উপর তোমার কর্ততু ও ক্ষমতা যদি তোমাকে কোন অন্যায়-অত্যাচারে প্ররােচিত
করে, তাহলে তোমার উপর আল্লাহ্র ক্ষমতা ও নিরঙ্কুশ কর্তৃতুকে স্মরণ কর এবং তাদের প্রতি
তোমার কর্তৃত্বের নিঃণেষতা ও তোমার প্রতি তাদের অভিযােগেরইাব্লিত্বের কথা স্মরণ কর ৷
আবদুর রহমান ইবন মাহদী বর্ণনা করেন, জারীর ইবন হাযিম সুত্রে ঈসা ইবন আসিম থেকে ৷
তিনি বলেন, (একবার) উমর ইরুিন আবদুল আযীয আদী ইবন আদীকে লিখে পাঠাল্টো
নিঃসন্দেহে ইসলামের কতক পথ ও পন্থা এবং বিধি বিধান রয়েছে ৷ যে ব্যক্তি সেগুলো পুর্ণরুপে
পালন করে, সে ঈমানকে পুর্ণ করে ৷ আর যে তা পুর্ণরুপে মানল না, সে ঈমানকে পরিপুর্ণ
করল না ৷ আমি যদি বেচে থাকি, তাহলে আমি তোমাদের সামনে তা স্পষ্ট করে বর্ণনা করব,
ذَلِكَ مِنَ الْمَظَالِمِ، ثُمَّ أَخَذَ أَمْوَالَ جَمَاعَةٍ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ فَرَدَّهَا إِلَى بَيْتِ الْمَالِ، وَسَمَّاهَا أَمْوَالُ الْمَظَالِمِ، فَاسْتَشْفَعُوا إِلَيْهِ بِالنَّاسِ، وَتَوَسَّلُوا إِلَيْهِ بِعَمَّتِهِ فَاطِمَةَ بِنْتِ مَرْوَانَ فَلَمْ يَنْجَعْ فِيهِ وَلَمْ يَرُدُّهُ عَنِ الْحَقِّ شَيْءٌ، وَقَالَ لَهُمْ: وَاللَّهِ لَتَدَعُنِّي، وَإِلَّا ذَهَبْتُ إِلَى مَكَّةَ فَنَزَلْتُ عَنْ هَذَا الْأَمْرِ لِأَحَقِّ النَّاسِ بِهِ. وَقَالَ: وَاللَّهِ لَوْ أَقَمْتُ فِيكُمْ خَمْسِينَ عَامًا مَا أَقَمْتُ فِيكُمْ مَا أُرِيدُ مِنَ الْعَدْلِ، وَإِنِّي لَأُرِيدُ الْأَمْرَ فَمَا أُنْفِذُهُ إِلَّا مَعَ طَمَعٍ مِنَ الدُّنْيَا حَتَّى تَسْكُنَ قُلُوبُهُمْ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ أَنَّهُ قَالَ: إِنْ كَانَ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ مَهْدِيٌّ فَهُوَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَنَحْوَ هَذَا قَالَ قَتَادَةُ، وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَقَالَ طَاوُسٌ: هُوَ مَهْدِيٌّ وَلَيْسَ بِهِ، إِنَّهُ لَمْ يَسْتَكْمِلِ الْعَدْلَ كُلَّهُ، إِذَا كَانَ الْمَهْدِيُّ تِيبَ عَلَى الْمُسِيءِ مِنْ إِسَاءَتِهِ، وَزِيدَ الْمُحْسِنُ فِي إِحْسَانِهِ، سَمْحٌ بِالْمَالِ، شَدِيدٌ عَلَى الْعُمَّالِ، رَحِيمٌ بِالْمَسَاكِينِ، وَقَالَ مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَرْمَلَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ أَنَّهُ قَالَ: الْخُلَفَاءُ أَبُو بَكْرٍ وَالْعُمَرَانِ. فَقِيلَ لَهُ: أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ قَدْ عَرَفْنَاهُمَا، فَمَنْ عُمَرُ الْآخَرُ؟ قَالَ: يُوشِكُ إِنْ عِشْتَ أَنْ تَعْرِفَهُ. يُرِيدُ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَفِي رِوَايَةٍ أُخْرَى عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: هُوَ أَشَجُّ بَنِي مَرْوَانَ. وَقَالَ عَبَّادٌ السَّمَّاكُ وَكَانَ يُجَالِسُ
পৃষ্ঠা - ৭৫৮৪
যাতে তোমরা সে অনুযায়ী আমল করতে পার ৷ আর যদি আমি মরে যাই তাহলে জোন রাখ,
আমি তোমাদের সাহর্বৃচর্যের জন্য লালায়িত নই ৷ ইমাম বুখারী এই রিওয়ায়াতকে তার
সহীহ্গ্নন্থে তালীক বা সনদবিহীন পরিচ্ছেদ শ্যিরানামরন্থপে আস্থার সাথে উল্লেখ করেছেন ৷
ঐতিহাসিক আসসুলী উল্লেখ করেছেন যে, (একবার) উমর ইবন আবদুল আযীয তার এক
গর্ভনরের কাছে লিখলেন, তুমি আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ কেননা, তা ছাড়া অন্য কিছু (আমল)
গৃহীত হয় না এবং মুত্তাকী ছাড়া অন্যরা দয়াপ্রাপ্ত হয় না এবং তাকওয়ার ভিত্তি ছাড়া কাউকে
বিনিময় দেওয়া হয় না ৷ তাকওয়ার কথা বলে উপদেশ দানকারীর সংখ্যা অনেক ৷ কিন্তু সে
অনুযায়ী আমলকারীর সংখ্যা অল্প ৷ তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি বিশ্বাস করবে যে, তার
কথাও তার আমলের’ মধ্যে গণ্য, তখন সংশ্লিষ্ট ও উপকারী বিষয় ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে তার কথা
হ্রাস পাবে ৷ আর যে ব্যক্তি মৃত্যুঃক অধিক স্মরণ করবে, সে দুনয়াতে সামান্যকেই যথেষ্ট মনে
করবে ৷ তিনি বলেন, আর যে তার কথাকে আমলের’ অন্তর্ভুক্ত গণ্য করবে না, তার পাপসমুহ
বৃদ্ধি পাবে ৷ যে ব্যক্তি না জেনে আল্লাহর ইবাদত করবে, তা তাকে যতটুকু সংশোধন করবে
তার চেয়ে অধিক নষ্ট করবে ৷
একদিন এক ব্যক্তি তার সাথে কথা বলে তাকে ক্রুদ্ধ করল ৷ তিনি তাকে শাস্তি দিতে
উদ্যত হলেন ৷ বিচ্ছু পরে নিজেকে সংযত করে লোকটিকে বলেন, তুমি তো আমাকে শাসকের
ক্ষমতা দ্বারা বিভ্রান্ত করতে চোয়ছ, যাতে আমি তোমার সাথে দুর্ব্যহার করি, যার বদলা তুমি
আমার থেকে নেবে কাল কিয়ামতের দিন ৷ যাও ! মহান আল্লাহ্ তোমাকে অব্যাহতি দিন,
তোমার সাথে বিবাদ করার আমার কোন প্রয়োজন নেই ৷ তিনি বলতেন, আল্পাহ্র কাছে
প্রিয়তম বিষয়সমুহ হলো চেষ্টায় মধ্যপন্থা অবলম্বন করা, প্রতিশোধের সামর্থ সাত্ত্বও ক্ষমা করা
এবং শাসনকার্যে কােমলতা অবলম্বন করা ৷ যে কোন ব্যক্তি (মুসলমান) অপর ব্যক্তির প্রতি
দুনয়াতে দয়ার্দ্র ও কোমল আচরণ করে আল্লাহ্পাক কিয়ামতের দিন তার প্রতি কোমল ও দয়ার্দ্র
আচরণ করবেন ৷
একবার তার শিশু ছেলে সমবয়সী বালকের সাথে খেলতে বের হলো ৷ খেলার সময়
আরেকটি বালক তার মাথায় আঘাত করে ক্ষত সৃষ্টি করল ৷ সকলে সেই আঘাতকারী
বালককে উমর ইবন আবদুল আযীযের কাছে নিয়ে আসে ৷ তিনি কােলাহল শুনে তাদের কাছে
বেরিয়ে আসেন ৷ এক ক্ষুদ্রাকৃতির ত্রীলোক বলতে লাগল, সে আমার ছেলে ! সে পিতৃহীন ৷ উমর
তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, তুমি শান্ত হও উদ্বিগ্ন হয়াে না ৷ তারপর উমর তাকে জিজ্ঞাসা
করলেন, তাকে কি রেশন প্রদান করা হয় ? সে বলল, না ৷ তিনি নির্দেশ দিলেন, তাকে অনাথ
শিশুদের তালিকাভুক্ত করে নাও ৷ এ সময় তার শ্রী ফাতিমা বিনৃত আবদুল মালিক তাকে
বলেন, আপনি তার সাথে এরুপ সদাচার করছেন, অথচ যে আপনার ছেলের মাথা কাটিয়ে
দিয়েছে! আল্লাহ্পাক যেন তার উপযুক্ত (শাস্তির) ব্যবস্থা করেন ৷ আবারও যে আপনার ছেলের
মাথা ফাটাবে ৷ তখনি তিনি ত্রীকে ভৎসনা করে বলেন, যে পিতৃহীন, আর তোমরা তাকে
আতঙ্কগ্রস্ত করে তৃলেছে৷ ৷
মালিক ইবন দীনার বলেন, লোকেরা (আমার সম্পর্কে) বলে বেড়ায় মালিক যাহিদ
নির্মোহ! আমার কাছে কোনৃ নির্মোহ্তা আছে ? প্রকৃত নির্মোহ হলেন, উমর ইবন আবদুল
আযীয (রহ) ৷ দুনৃইয়ার তামাম ভোগ-উপভােগের উপকরণ তার পায়ে লুটিয়ে পড়েছে ৷ কিন্তু,
তিনি তা সম্পুর্ণরুপে বর্জন করেছেন ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, তার পরিধেয় ছিল একটি মাত্র
سُفْيَانَ الثَّوْرِيَّ: سَمِعْتُ الثَّوْرِيَّ يَقُولُ: الْخُلَفَاءُ خَمْسَةٌ ; أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَعُثْمَانُ، وَعَلِيٌّ، وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ، وَالشَّافِعِيِّ، وَغَيْرِ وَاحِدٍ. وَأَجْمَعَ الْعُلَمَاءُ قَاطِبَةً عَلَى أَنَّهُ مِنْ أَئِمَّةِ الْعَدْلِ، وَأَحَدِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ وَالْأَئِمَّةِ الْمَهْدِيِّينَ. وَذَكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ فِي الْأَئِمَّةِ الِاثْنَيْ عَشَرَ، الَّذِينَ جَاءَ فِيهِمُ الْحَدِيثُ الصَّحِيحُ: " «لَا يَزَالُ أَمْرُ هَذِهِ الْأُمَّةِ مُسْتَقِيمًا حَتَّى يَكُونَ فِيهِمُ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ» ".
وَقَدِ اجْتَهَدَ رَحِمَهُ اللَّهُ فِي مُدَّةِ وِلَايَتِهِ مَعَ قِصَرِهَا حَتَّى رَدَّ الْمَظَالِمَ، وَصَرَفَ إِلَى كُلِّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ، وَكَانَ مُنَادِيهِ فِي كُلِّ يَوْمٍ يُنَادِي: أَيْنَ الْغَارِمُونَ؟ أَيْنَ النَّاكِحُونَ؟ أَيْنَ الْمَسَاكِينُ؟ أَيْنَ الْيَتَامَى؟ حَتَّى أَغْنَى كُلًّا مِنْ هَؤُلَاءِ. وَقَدِ اخْتَلَفَ الْعُلَمَاءُ أَيُّهُمَا أَفْضَلُ هُوَ أَوْ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ؟ فَفَضَّلَ بَعْضُهُمْ عُمَرَ لِسِيرَتِهِ وَمَعْدَلَتِهِ وَزُهْدِهِ وَعِبَادَتِهِ، وَفَضَّلَ آخَرُونَ مُعَاوِيَةَ لِسَابِقَتِهِ وَصُحْبَتِهِ، حَتَّى قَالَ بَعْضُهُمْ: لَيَوْمٌ شَهِدَهُ مُعَاوِيَةُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرٌ مِنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَأَيَّامِهِ، وَأَهْلِ بَيْتِهِ.
وَذَكَرَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي " تَارِيخِهِ " أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَانَ يُعْجِبُهُ جَارِيَةٌ مِنْ جَوَارِي زَوْجَتِهِ فَاطِمَةَ بِنْتِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَكَانَ يَسْأَلُهَا إِيَّاهَا ; إِمَّا بَيْعًا أَوْ هِبَةً، فَكَانَتْ تَأْبَى عَلَيْهِ ذَلِكَ، فَلَمَّا وَلِيَ الْخِلَافَةَ أَلْبَسَتْهَا وَطَيَّبَتْهَا وَأَهْدَتْهَا إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৮৫
وَوَهَبَتْهَا لَهُ، فَلَمَّا أَخْلَتْهَا بِهِ أَعْرَضَ عَنْهَا، فَتَعَرَّضَتْ لَهُ فَصَدَفَ عَنْهَا، فَقَالَتْ لَهُ: يَا سَيِّدِي، فَأَيْنَ مَا كَانَ يَظْهَرُ لِي مِنْ مَحَبَّتِكَ إِيَّايَ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ إِنَّ مَحَبَّتَكِ لَبَاقِيَةٌ كَمَا هِيَ، وَلَكِنْ لَا حَاجَةَ لِي فِي النِّسَاءِ، فَقَدْ جَاءَنِي أَمْرٌ شَغَلَنِي عَنْكِ، وَعَنْ غَيْرِكِ. ثُمَّ سَأَلَهَا عَنْ أَصْلِهَا، وَمِنْ أَيْنَ جَلَبُوهَا، فَقَالَتْ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ أَبِي أَصَابَ جِنَايَةً بِبِلَادِ الْمَغْرِبِ، فَصَادَرَهُ مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ فَأُخِذْتُ فِي الْجِنَايَةِ، وَبَعَثَ بِي إِلَى الْوَلِيدِ فَوَهَبَنِي الْوَلِيدُ لِأُخْتِهِ فَاطِمَةَ زَوْجَتِكَ، فَأَهْدَتْنِي إِلَيْكَ. فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، كِدْنَا وَاللَّهِ نَفْتَضِحُ وَنَهْلَكُ، ثُمَّ أَمَرَ بِرَدِّهَا مُكَرَّمَةً إِلَى بِلَادِهَا وَأَهْلِهَا.
وَقَالَتْ زَوْجَتُهُ فَاطِمَةُ: دَخَلْتُ يَوْمًا عَلَيْهِ وَهُوَ جَالِسٌ فِي مُصَلَّاهُ وَاضِعًا خَدَّهُ عَلَى يَدِهِ، وَدُمُوعُهُ تَسِيلُ عَلَى خَدَّيْهِ، فَقُلْتُ: مَا لَكَ؟ فَقَالَ: وَيْحَكِ يَا فَاطِمَةُ، إِنِّي قَدْ وُلِّيتُ مِنْ أَمْرِ هَذِهِ الْأُمَّةِ مَا وُلِّيتُ، فَتَفَكَّرْتُ فِي الْفَقِيرِ الْجَائِعِ، وَالْمَرِيضِ الضَّائِعِ، وَالْعَارِي الْمَجْهُودِ، وَالْيَتِيمِ الْمَكْسُورِ، وَالْأَرْمَلَةِ الْوَحِيدَةِ، وَالْمَظْلُومِ الْمَقْهُورِ، وَالْغَرِيبِ، وَالْأَسِيرِ، وَالشَّيْخِ الْكَبِيرِ، وَذِي الْعِيَالِ الْكَثِيرِ وَالْمَالِ الْقَلِيلِ، وَأَشْبَاهِهِمْ فِي أَقْطَارِ الْأَرْضِ وَأَطْرَافِ الْبِلَادِ، فَعَلِمْتُ أَنَّ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ سَيَسْأَلُنِي عَنْهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَأَنَّ خَصْمِي دُونَهُمْ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَخَشِيتُ أَنْ لَا يَثْبُتَ لِي حُجَّةٌ عِنْدَ خُصُومَتِهِ، فَرَحِمْتُ نَفْسِي فَبَكَيْتُ. وَقَالَ مَيْمُونُ بْنُ مِهْرَانَ وَلَّانِي عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عِمَالَةً، ثُمَّ قَالَ لِي: إِذَا جَاءَكَ كِتَابٌ مِنِّي
পৃষ্ঠা - ৭৫৮৬
عَلَى غَيْرِ الْحَقِّ فَاضْرِبْ بِهِ الْأَرْضَ. وَكَتَبَ إِلَى بَعْضِ عُمَّالِهِ: إِذَا دَعَتْكَ قُدْرَتُكَ عَلَى النَّاسِ إِلَى ظُلْمِهِمْ، فَاذْكُرْ قُدْرَةَ اللَّهِ عَلَيْكَ، وَنَفَادَ مَا تَأْتِي إِلَيْهِمْ، وَبَقَاءَ مَا يَأْتُونَ إِلَيْكَ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ عَاصِمٍ، قَالَ: كَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى عَدِيِّ بْنِ عَدِيٍّ: إِنَّ لِلْإِسْلَامِ سُنَنًا وَشَرَائِعَ وَفَرَائِضَ، فَمَنِ اسْتَكْمَلَهَا اسْتَكْمَلَ الْإِيمَانَ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَكْمِلْهَا لَمْ يَسْتَكْمِلِ الْإِيمَانَ، فَإِنْ أَعِشْ أُبَيِّنْهَا لَكُمْ لِتَعْمَلُوا بِهَا، وَإِنْ أَمُتْ فَوَاللَّهِ مَا أَنَا عَلَى صُحْبَتِكُمْ بِحَرِيصٍ. وَذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ " تَعْلِيقًا مَجْزُومًا بِهِ.
وَذَكَرَ الصُّولِيُّ أَنَّ عُمَرَ كَتَبَ إِلَى بَعْضِ عُمَّالِهِ: عَلَيْكَ بِتَقْوَى اللَّهِ، فَإِنَّهَا هِيَ الَّتِي لَا يُقْبَلُ غَيْرُهَا، وَلَا يُرْحَمُ إِلَّا أَهْلُهَا، وَلَا يُثَابُ إِلَّا عَلَيْهَا، وَإِنَّ الْوَاعِظِينَ بِهَا كَثِيرٌ، وَالْعَامِلِينَ بِهَا قَلِيلٌ. وَقَالَ أَيْضًا: مَنْ عَلِمَ أَنَّ كَلَامَهُ مِنْ عَمَلِهِ أَقَلَّ مِنْهُ إِلَّا فِيمَا يَنْفَعُهُ، وَمَنْ أَكْثَرَ ذِكْرَ الْمَوْتِ اجْتَزَأَ مِنَ الدُّنْيَا بِالْيَسِيرِ. وَقَالَ أَيْضًا: مَنْ لَمْ يَعُدَّ كَلَامَهُ مِنْ عَمَلِهِ كَثُرَتْ خَطَايَاهُ، وَمَنْ عَبَدَ اللَّهَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ مَا يُفْسِدُهُ أَكْثَرَ مِمَّا يُصْلِحُهُ. وَكَلَّمَهُ رَجُلٌ يَوْمًا حَتَّى أَغْضَبَهُ فَهَمَّ بِهِ عُمَرُ ثُمَّ أَمْسَكَ نَفْسَهُ، ثُمَّ قَالَ لِلرَّجُلِ: أَرَدْتَ أَنْ يَسْتَفِزَّنِي الشَّيْطَانُ بِعِزَّةِ السُّلْطَانِ فَأَنَالَ مِنْكَ مَا تَنَالُهُ مِنِّي غَدًا! قُمْ عَافَاكَ اللَّهُ، لَا حَاجَةَ لَنَا فِي مُقَاوَلَتِكَ. وَكَانَ يَقُولُ: إِنَّ أَحَبَّ الْأُمُورِ إِلَى اللَّهِ الْقَصْدُ فِي الْجِدِّ، وَالْعَفْوُ فِي الْمَقْدِرَةِ، وَالرِّفْقُ فِي الْوِلَايَةِ،
পৃষ্ঠা - ৭৫৮৭
আর তার পেয়ালার সংখ্যা হবে আকাশের তারকার সংখ্যা বরাবর ৷ তার থেকে একবার যে
পান করবে সে আর কখনও পিপাসার্ত হবে না ৷ সর্বপ্রথম তাতে পান করতে আসবে দরিদ্র
মুহাজিরগণ ৷ যাদের মাথার চুল অবিন্যস্ত ও ধুলামলিন, কাপড়চোপড় ময়লাযুক্ত, যারা বিলাসী
নারীদের বিবাহ করে না, আর তাদের জন্য বদ্ধ দরযা খোলা হয় না ৷ উমর ইবন আবদুল
আযীয বলেন, কিত্তু আমি তো বিলাসী নারীকে বিবাহ করেছি, যে হলো খলীফা-তনয়া
ফাতিমা বিনৃত আবদুল মালিক ৷ কাজেই, আমি অবশ্যই মাথায় পানি দিব না যাতে মাথার চুল
অবিন্যস্ত ও ধুলামলিন হয় এবং ভালভাবে ময়লাযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমার কাপড় ছাড়ব না ৷
বর্ণনাকারীগণ বলেন, তার ব্যক্তিগত একটি প্রদীপ ছিল যার আলোয় তিনি নিজের প্রয়োজনীয়
বিষয়সমুহ লিখতেন এবং একটি প্রদীপ ছিল বায়তৃল মালের যার আলোতে তিনি
মুসলমানগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি লিখতেন ৷ এর আলোতে তিনি নিজের ব্যক্তিগত
প্রয়োজনে একটি বর্ণও লিখতেন না ৷ প্রতিদিন সকালে তিনি পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত
করতেন তবে পরিমাণ দীর্ঘ করতেন না ৷ তার (বিশেষ) সিপাহী সংখ্যা ছিল তিনশ’ জন এবং
প্রহরীর সংখ্যা তিনশ’ জন ৷ তার স্বজনদের এক ব্যক্তি তাকে কিছু আপেল হাদিয়া দিল ৷ তিনি
সেই আপেলের ঘ্রাণ শুকে তা বহনকারীর মাধ্যমে ফেরত পাঠালেন এবং তাকে বলে দিলেন,
তুমি তাকে বলবে, তুমি তার হাদিয়া যথাস্থানে পৌছে দিয়েছে৷ ৷ জনৈক ব্যক্তি তাকে বলল, হে
আমীরুল মু’মিনীন ৷ আল্লাহর রাসুলও তো হাদিয়া গ্রহণ করতেন ৷ তা ছাড়া এ ব্যক্তি তো
আপনার স্বজনগণের অন্তর্ভুক্ত ৷ একথা শুনে তিনি বলেন, হাদিয়া আল্লাহর রাসুলের জন্য
হাদিয়াই ছিল ৷ কিন্তু আমাদের জন্য৩ তা উৎকোচে পরিণত হয়েছে ৷ বর্ণনাকারিগণ বলেন, তিনি
তার৷ ষ্ ৷তাবদের মোটা অৎরু কর ভাতা প্রদান করতেন ৷ তাদের একেকজনকে তিনি মাসে একশ’
থেকে দু শ্া’ দীনার পর্যন্ত মাসোহারা দিতে তন ৷ আর এর সপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলতেন, তারা
যদি ব্যয় নির্বাহের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ পায়, তাহলে স্বাচ্ছন্দো মুসলমানগণের কাজের জন্য
অবসর হতে পারবে ৷ তারা তাকে বলল, গতারদের জন্য আপনি যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করে
থাকেন, তার সমপরিমাণ যদি নািজ্যা পােষ্যদের জন্যও ব্যয় করতেন, তাহলে তাে বেশ হতো ৷
তিনি বলেন, আমি যেমন তাদেরকে প্রাপ্য কোন অধিকার থেকে বঞ্চিত করব না, অন্যের প্রাপ্য
হকও তাদেরকে প্রদান করব না ৷ ফলে, তার পােষ্য পরিজন খুব কাষ্ট দিন কাটাত ৩৷ তিনি এ
কথা বলে তার কৈফিয়ত দিতেন যে, পুর্ব যুগের বহু সলফেসালেহীর্ল এই অবস্থায় কালাতিপাত
করেছেন ৷ কোন একদিন হযরত আলীর এক অধস্তনকে তিনি বলেন, মহান আল্লাহর কাছে
আমি এ বিষয়ে লজ্জাবােধ করি যে, আপনি আমার দরযায় দাড়াবেন আর আপনাকে অনুমতি
দেওয়া হবে না ৷ তাদের অন্য এক ব্যক্তিকে তিনি বলেন, , মহান আল্লাহ আপনাদেরকে দীনের যে
সম্মান দান করেছেন, তারপর আপনাদেরকে দুনইয়৷ দ্বারা কলুষিত করতে আমি অনাগ্রহ এবং
আল্লাহ হতে লজ্জাবােধ করি ৷ তিনি এ কথাও বলেন, আমরা বানু উমায়্যা এবং আমাদের
চাচাতো ভাইয়ের দল বানু হাশিমের অবস্থা ছিল পালাক্রমিক ৷ একবার অবস্থা আমাদের
অনুকুল হতো একবার প্রতিকুল ৷ একবার আমরা তাদের আশ্রয় গ্রহণ করতাম ৷ আরেকবার
তারা আমাদের আশ্রয় গ্রহণ করত ৷ অবশেষে রিসালাতরুপী সুর্যের উদয় হলো তখন তা সকল
চালুকে অচল করে দিল, সকল বিরোধীকে বাক্হীন করে দিল এবং সকল সবাক্ (প্রতিদ্বন্দীকে)
নির্বাকাকরে দিল ৷
আহমাদ ইবন মাওয়ান বর্ণনা করেন, খাত্তাবের ভইিয়ের ছেলে আবু বাকর সুত্রে মুহাম্মাদ
ইবন উয়ায়নার মেয়পালক মুসা ইবন আয়মান হতে তিনি বলেন, হযরত উমর ইবন আবদুল
হু
وَمَا رَفَقَ عَبْدٌ بِعَبْدٍ فِي الدُّنْيَا إِلَّا رَفَقَ اللَّهُ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
وَخَرَجَ ابْنٌ لَهُ وَهُوَ صَغِيرٌ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ فَشَجَّهُ صَبِيٌّ مِنْهُمْ، فَاحْتَمَلُوا الصَّبِيَّ الَّذِي شَجَّ ابْنَهُ وَجَاءُوا بِهِ إِلَى عُمَرَ، فَسَمِعَ الْجَلَبَةَ فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ، فَإِذَا مُرَيْئَةٌ تَقُولُ: إِنَّهُ ابْنِي، وَإِنَّهُ يَتِيمٌ. فَقَالَ لَهَا عُمَرُ: أَلَهُ عَطَاءٌ فِي الدِّيوَانِ؟ قَالَتْ: لَا، قَالَ: فَاكْتُبُوهُ فِي الذُّرِّيَّةِ. فَقَالَتْ زَوْجَتُهُ فَاطِمَةُ: فَعَلَ اللَّهُ بِهِ وَفَعَلَ إِنْ لَمْ يَشُجَّ ابْنَكَ ثَانِيَةً. فَقَالَ: وَيْحَكِ، إِنَّكُمْ أَفْزَعْتُمُوهُ.
وَقَالَ مَالِكُ بْنُ دِينَارٍ يَقُولُونَ: مَالِكٌ زَاهِدٌ. أَيُّ زُهْدٍ عِنْدِي! إِنَّمَا الزَّاهِدُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَتَتْهُ الدُّنْيَا فَاغِرَةً فَاهَا فَتَرَكَهَا. قَالُوا: وَلَمْ يَكُنْ لَهُ سِوَى قَمِيصٍ وَاحِدٍ فَكَانَ إِذَا غَسَلُوهُ جَلَسَ فِي الْمَنْزِلِ حَتَّى يَيْبَسَ. وَقَدْ وَقَفَ مَرَّةً عَلَى رَاهِبٍ، فَقَالَ لَهُ: وَيْحَكَ عِظْنِي. فَقَالَ لَهُ: عَلَيْكَ بِقَوْلِ الشَّاعِرِ
تَجَرَّدْ مِنَ الدُّنْيَا فَإِنَّكَ إِنَّمَا ... خَرَجْتَ إِلَى الدُّنْيَا وَأَنْتَ مُجَرَّدُ
قَالُوا: فَكَانَ يُعْجِبُهُ وَيُكَرِّرُهُ وَعَمِلَ بِهِ حَقَّ الْعَمَلِ.
قَالُوا: وَدَخَلَ عَلَى امْرَأَتِهِ يَوْمًا فَسَأَلَهَا أَنْ تُقْرِضَهُ دِرْهَمًا أَوْ فُلُوسًا يَشْتَرِي
পৃষ্ঠা - ৭৫৮৮
আযীযের খিলাফতকালে যেষ, সিংহ ও অন্যান্য হিংস্রপ্রাণী একই চারণতুমিতে অবস্থান করত ৷
এরপর একদিন একটি নেকড়ে একটি মেয়ের পিছু নিল ৷ তখন আমি ইন্ন৷ লিল্লাহ পড়ে
ভাব লাম, আমার তো মনে হয় মহান আল্লাহ্র সেই লেক বান্দাহ্ ইন্তিকাল করেহ্নে৷ ৷ তিনি
বলেন, আমরা দিন গণনা করে হিসাব করে দেখলাম, তিনি সেই রাত্রেই ইন্তিকাল করেছেন ৷
তিনি ছাড়া অন্য এক রাবীও হাম্মাদ হতে তা বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি (হাম্মাদ) বলেন, তিনি
কিরমান অঞ্চাল্ মেষ চরাতেন, এরপর তিনি অনুরুপ রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছেন ৷ এছাড়া অন্য
সুত্রেও এই বর্ণনার এক শাহিদ’ বা সমর্থক রিওয়ায়াত বিদ্যমান ৷
তার উল্লেখযোগ্য দুআ হলো, হে আল্লাহ! কতক লোক এমন অতীত হয়েছেন যারা
আপনার আদেশ-নিষেধের বিষয়ে আপনার আনুগত্য করেছেন ৷ হে আল্লাহ্! আপনার
আনুগত্যের পুর্বেই আপনি তাদেরকে তাওফীক দিয়েছেন ৷ কাজেই, আপনি আমাকেও তাওফীক
দান করুন ৷ আরেকটি দুআ হলো হে আল্লাহ্! উমর তো এর উপযুক্ত নয় যে, আপনার রহমত
তার নাগাল পারে, তবে আপনার রহমতের পক্ষে উমরের নাগাল পাওয়া সম্ভব ৷ এক ব্যক্তি
তাকে বলল, আল্লাহ্ আপনাকে ততদিন জীবিত রাখুন, যতদিন জীবন আপনার জন্য কল্যাণকর
হয় ৷ তিনি বলেন, এটা এমন বিষয় যার সিদ্ধান্ত স্থির হয়ে গেছে ৷ তুমি বরং এভাবে বল,
আল্লাহ্ আপনাকে লেক হায়াত দান করুন এবং ণ্নক্কারগণের সাথে মৃত্যু দান করুন ৷ জনৈক
ব্যক্তি তাকে প্রশ্ন করল হে আমীরুল মু ’মিনীন! কী অবস্থায় আপনার সকাল হলো ? তিনি
বলেন, ধীর, পুর্ণ উদর ও পাপ কলুষিত এবং মহান আল্লাহর কাছে ভিখারী অবস্থায় আমার
সকাল হলো ৷ একবার এক ব্যক্তি তার সাথে সাক্ষাৎ করে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন,
আপনার পুর্বেকার খলীফাদের জন্য খিলাফত ছিল অলঙ্কার আর আপনি হলেন খিলাফাতর
অলঙ্কার অহঙ্কার ৷ আপনার দৃষ্টান্ত কবির ভাষ্যের ন্যায়-
fl , ’
; ৷
সচরাচর মােতি মুখমণ্ডলের সৌন্দর্যকে গােভামণ্ডিত করে, কিত্তু আপনার মুখমণ্ডলের
সৌন্দর্য যেন মোতির শোভা বৃদ্ধি করেছে ৷’
বর্ণনাকারী বলেন, এ পঙ্ক্তি শুনে উমর সেই ব্যক্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন ৷ রজ৷ ইবন
হায়ওয়াহ্ বলেন, কোন এক রাত্রে আমি উমর ইবন আবদুল আযীযের কাছে আলোচনারত
ছিলাম ৷ আমাদের ৫৩ তলের বাতি নিস্তেজ হয়ে গেল ৷ আমি বললাম, হে আমীরুল মু মিনীন!
বাতিটি ঠিক করার জন্য আমি কি আপনার খাদিমকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিব ? তিনি বললেন,
না, তাকে ঘুমাতে দাও ৷ আমি তার উপর এক সাথে দুটি কাজ চাপিয়ে দিতে চইি না ৷ আমি
বললাম, তাহলে আমি গিয়ে তা ঠিক করে দিই ৷ তিনি বলেন, না ! অতিথিকে কাজে লাগানো
শিষ্টতার পরিচায়ক , নয় ৷ তারপর নিজে উঠে গিয়ে তা ঠিক করলেন এবং তাতে নতুন তেল
ঢেলে কৰুতারপর আসলেন ৷ এরপর তিনি বলেন, আমি যখন উঠে গেলাম, তখনও আমি উমর
ইবন আবদুল আযীয, আবার যখন ফিরে এসে বললাম, তখনও উমর ইবন আবদুল আযীয ৷
এছাড়া তিনি বল্যতন, তোমরা মহান আল্লাহর প্রদত্ত অনুগ্রহ ও নিআমতের কথা অধিক স্মরণ
কর ৷ কেননা, তার স্মরণই তার কৃতজ্ঞতার প্রকাশ ৷ তিনি বলতেন, আত্মম্ভরিতার আশঙ্কা
আমাকে তা অধিক স্মরণ করা থেকে বিরত রাখে ৷ একবার তার কাছে সংব বাদ আসল যে, তার
জনৈক বন্ধু ইন্তিকাল করেছেন ৷ তিনি তার স্বজনদের কাছে আসলেন তার ব্যাপারে তাদেরকে
لَهُ بِهَا عِنَبًا، فَلَمْ يَجِدْ عِنْدَهَا شَيْئًا، فَقَالَتْ لَهُ: أَنْتَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ وَلَيْسَ فِي خِزَانَتِكَ مَا تَشْتَرِي بِهِ عِنَبًا؟ ! فَقَالَ: هَذَا أَيْسَرُ مِنْ مُعَالَجَةِ الْأَغْلَالِ وَالْأَنْكَالِ غَدًا فِي نَارِ جَهَنَّمَ.
قَالُوا: وَكَانَ سِرَاجُ بَيْتِهِ عَلَى ثَلَاثِ قَصَبَاتٍ فِي رَأْسِهِنَّ طِينٌ. قَالُوا: وَبَعَثَ يَوْمًا غُلَامَهُ لِيَشْوِيَ لَهُ لَحْمَةً فَجَاءَهُ بِهَا سَرِيعًا مَشْوِيَّةً، فَقَالَ: أَيْنَ شَوَيْتَهَا؟ قَالَ: فِي الْمَطْبَخِ. فَقَالَ: فِي مَطْبَخِ الْمُسْلِمِينَ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ: كُلْهَا فَإِنِّي لَمْ أُرْزَقْهَا، هِيَ رِزْقُكَ. وَسَخَّنُوا لَهُ مَاءً فِي الْمَطْبَخِ الْعَامِّ فَرَدَّ بَدَلَ ذَلِكَ بِدِرْهَمٍ حَطَبًا. وَقَالَتْ زَوْجَتُهُ: مَا جَامَعَ وَلَا احْتَلَمَ وَهُوَ خَلِيفَةٌ.
قَالُوا: وَبَلَغَ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ أَبِي سَلَّامٍ الْأَسْوَدِ أَنَّهُ يُحَدِّثُ عَنْ ثَوْبَانَ فِي الْحَوْضِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ فَأَحْضَرَهُ عَلَى الْبَرِيدِ، وَقَالَ لَهُ كَالْمُتَوَجِّعِ: مَا أَرَدْنَا الْمَشَقَّةَ عَلَيْكَ يَا أَبَا سَلَّامٍ، وَلَكِنْ أَرَدْتُ أَنْ تُشَافِهَنِي بِالْحَدِيثِ مُشَافَهَةً. فَقَالَ: سَمِعْتُ ثَوْبَانَ، يَقُولُ قَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «حَوْضِي مَا بَيْنَ عَدَنَ إِلَى عَمَّانَ الْبَلْقَاءِ مَاؤُهُ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ، وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ، أَكَاوِيبُهُ عَدَدُ نُجُومِ السَّمَاءِ، مَنْ شَرِبَ مِنْهُ شَرْبَةً لَمْ يَظْمَأْ بَعْدَهَا أَبَدًا، وَأَوَّلُ النَّاسِ وُرُودًا عَلَيْهِ فُقَرَاءُ الْمُهَاجِرِينَ، الشُّعْثُ رُءُوسًا، الدُّنْسُ ثِيَابًا، الَّذِينَ لَا يَنْكِحُونَ الْمُتَنَعِّمَاتِ، وَلَا تُفْتَحُ لَهُمُ السُّدَدُ» .
পৃষ্ঠা - ৭৫৮৯
সান্তুনা দেওয়ার জন্য ৷ এ সময় তারা মৃতের গোকে তার সামনে বিলাপ কান্ন৷ শুরু করল ৷
তিনি তাদেরকে বলেন, তোমরা এই মাতম করা হতে নিবৃত্ত হও ! তোমাদের এই মৃত ব্যক্তি
তোমাদের রিয্ক্ দিতেন না ৷ আর যিনি তোমাদেরকে রিয্ক্ দেন তিনি তো চিরঞ্জীব ৷ আর
ণ্তামাদের এই মৃত ব্যক্তি তোমাদের কবরের কোন গর্ত পুর্ণ করেননি, তিনি তো তার নিজের
কবরের গর্ত পুর্ণ করেছেন ৷ শুনে রাখ, তোমাদের প্রতেকের জন্য একটি করে কবরগর্ত
রয়েছে ৷ আল্পাহ্র কলম, তাকে তা পুরণ করভৈআ হয়ে ৷ আল্লাহ্ তাআলা যখন দুনিয়া সৃষ্টি
করেছেন, তখনই তার ধ্বংসের এবং তার অধিবাসীদের মৃত্যুর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন ৷
যে গৃহ কোন হাসি-আনন্দে পুর্ণ হয়, সে গৃহই আবার অশ্রুতে পুর্ণ হয় ৷ লোকেরা সমরেত হতে
না হতেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ এভাবে চলতে থাকবে অবশেষে আল্লাহ্ তাআলাই পৃথিবী ও
পৃথিবীবাসীর চুড়ান্ত উত্তরাধিকারী হবেন ৷ কাজেই তোমাদের মধ্যে যদি কেউ কাদতে চায়,
তাহলে নিজের জন্য কাদুক ৷ কেননা, আজ তোমাদের মৃত ব্যক্তির যে পরিণতি হয়েছে একদিন
না একদিন সকল মানুষের এই একই পরিণতি হবো
মায়মুন ইবন মাহরান বলেন, একবার আমি উমর ইবন আবদুল আযীযের সাথে কবরন্থানে
যেয়ে উপস্থিত হলাম ৷ তিনি আমাকে বলেন, হে আবু আয়ুদ্রব! এগুলি আমার পিতৃপুরুষদের
সমাধি ৷ আজ তাদের অবস্থা এমন যেন তারা কোন দিন দুনিয়াবাসীর সাথে বসবাস ও
তােগবিলাস করেননি ৷ তুমি কি তাদেরকে দেখছ না তারা ভুপর্ভে অদৃশ্য হয়ে গেছে ৷ আর
তাদের পুর্বে বহু দৃষ্টান্তমুলক শাস্তিসমুহ বিগত হয়েছে এবং তাদের জীর্ণত৷ আরও দৃঢ় হয়েছে
এরপর তিনি কাদতে কাদতে বেহুশ হয়ে গেলেন ৷ তারপর ছুশ ফিরে পেয়ে বলেন, চল, আমরা
চলে যাই ৷ আল্লাহর কলম! ঐ ব্যক্তির চেয়ে অধিক সুখ ও সৌভাগ্যের অধিকারী কারও কথা
আমি জানি না, যে ব্যক্তি আল্লাহ্র আমার থেকে নিরাপদ হয়ে তার ছাওয়াবের অপেক্ষমাণরুপে
এই কবরের বাসিন্দা হয়েছে ৷
আরেক বর্ণনা কারী বলেন, একবার উমর ইবন আবদুল আযীয (র) এক ব্যক্তির জানাযায়
হাযির হলেন ৷ তার দাফন শেষে তিনি তার সঙ্গীদের বলেন, তোমরা একটু অপেক্ষা কর, আমি
আমার প্রিয়ত্তনেদের কবর যিয়ারত করে আমি ৷ তিনি তাদের কবরে এসে কেদে কেদে দু অ৷
করতে লাগলেন ৷ তখন যেন মাটি থেকে শোনা গেল, হে উমর ! আমাকে কি তুমি জিজ্ঞাসা
করবে না তোমার প্রিয়জনদের সাথে আমি কী আচরণ করেছি ? উমর বলেন, আমি বললাম,
তুমি তাদের সাথে কী আচরণ করেছ ? সে বলল, আমি ন্কাফনকে ছিন্নভিন্ন করেছি, মৃতদেহকে
গ্রাস করেছি, চোখের অক্ষি গোলকদ্বয়কে নিশ্চিহ্ন করেছি এবং মণিদ্বয়কে গ্রাস করেছি ৷ হাতের
কজিদ্বয়কে তার নিম্নার্ধ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছি এবং নিন্নার্ধদ্বয়কে উর্দ্ধার্ধদ্বয় থেকে, উর্দ্ধার্ধদ্বয়
থেকে স্কন্ধদ্বয় থেকে, স্কন্ধদ্বয়কে মেরুদণ্ড থেকে, পায়ের পাতাদ্বয়কে গে’াছাদ্বয় থেকে,
গোছাদ্বয়কে উরুদ্বয় থেকে, উরুদ্বয়কে উরুমুল থেকে এবং উরুমুলকে মেরুদণ্ডের (নিমাংশ)
থেকে বিচ্ছিন্ন করেছি ৷ এরপর তিনি প্ৰস্থান করতে উদ্যত ৩হ,লেন সে বলল, হে উমর আমি কি
তোমাকে এমন কাফনের সন্ধান দিব না যা কখনও জীর্ণ হয় না ? তিনি বললেন, তা কি ? ণ্স
বলল, তা হল তাক্ওয়া ও লেক আমল ৷
একবার তিনি তার জনৈক সহচরকে বলেন, আজকের রাত্রি আমি চিন্তাভাবনা করে
বিনিদ্র অবস্থায় কাটিয়েছি ৷ সে বলল, কিসের ব্যাপারে জ্যিাভাবনা করে কাটিয়েছেন হে
আমীরুল মু’মিনীন ! তিনি বলেন, কবর ও কবরবাসীর ব্যাপারে ৷ যদি তুমি দাফনের তিন দিন
فَقَالَ عُمَرُ: لَكِنِّي نَكَحْتُ الْمُتَنَعِّمَاتِ، فَاطِمَةَ بِنْتَ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَفُتِحَتْ لِيَ السُّدَدُ فَلَا جَرَمَ لَا أَغْسِلُ رَأْسِي حَتَّى يَشْعَثَ، وَلَا أُلْقِى ثَوْبِي حَتَّى يَتَّسِخَ.
قَالُوا: وَكَانَ لَهُ سِرَاجٌ يَكْتُبُ عَلَيْهِ حَوَائِجَهُ، وَسِرَاجٌ لِبَيْتِ الْمَالِ يَكْتُبُ عَلَيْهِ مَصَالِحَ الْمُسْلِمِينَ، لَا يَكْتُبُ عَلَى ضَوْئِهِ لِنَفْسِهِ حَرْفًا. وَكَانَ يَقْرَأُ فِي الْمُصْحَفِ كُلَّ يَوْمٍ أَوَّلَ النَّهَارِ، وَلَا يُطِيلُ الْقِرَاءَةَ، وَكَانَ لَهُ ثَلَاثُمِائَةِ شُرَطِيٍّ، وَثَلَاثُمِائَةِ حَرَسِيٍّ، وَأَهْدَى لَهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ تُفَّاحًا فَاشْتَمَّهُ ثُمَّ رَدَّهُ مَعَ الرَّسُولِ، وَقَالَ لَهُ: قُلْ لَهُ: قَدْ بَلَغَتْ مَحَلَّهَا. فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْبَلُ الْهَدِيَّةَ، وَهَذَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِكَ. فَقَالَ: إِنَّ الْهَدِيَّةَ كَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَدِيَّةً، فَأَمَّا نَحْنُ فَهِيَ لَنَا رِشْوَةٌ.
قَالُوا: وَكَانَ يُوَسِّعُ عَلَى عُمَّالِهِ فِي النَّفَقَةِ ; يُعْطِي الرَّجُلَ مِنْهُمْ فِي الشَّهْرِ مِائَةَ دِينَارٍ، وَمِائَتَيْ دِينَارٍ، وَكَانَ يَتَأَوَّلُ أَنَّهُمْ إِذَا كَانُوا فِي كِفَايَةٍ تَفَرَّغُوا لِأَشْغَالِ الْمُسْلِمِينَ، فَقَالُوا لَهُ: لَوْ أَنْفَقْتَ عَلَى عِيَالِكَ كَمَا تُنْفِقُ عَلَى عُمَّالِكَ؟ فَقَالَ: لَا أَمْنَعُهُمْ حَقًّا لَهُمْ، وَلَا أُعْطِيهِمْ حَقَّ غَيْرِهِمْ. وَكَانَ أَهْلُهُ قَدْ بَقُوا فِي جَهْدٍ عَظِيمٍ فَاعْتَذَرَ بِأَنَّ مَعَهُمْ سَلَفًا كَثِيرًا مِنْ قَبْلِ ذَلِكَ، وَقَالَ يَوْمًا لِرَجُلٍ مِنْ وَلَدِ عَلِيٍّ: إِنِّي لَأَسْتَحِي مِنَ اللَّهِ أَنْ تَقِفَ بِبَابِي وَلَا يُؤْذَنُ لَكَ. وَقَالَ لِآخَرَ مِنْهُمْ: إِنِّي لَأَسْتَحِي مِنَ اللَّهِ وَأَرْغَبُ بِكَ أَنْ أُدَنِّسَكَ بِالدُّنْيَا لِمَا أَكْرَمَكُمُ اللَّهُ بِهِ. وَقَالَ أَيْضًا: كُنَّا نَحْنُ وَبَنُو عَمِّنَا بَنُو هَاشِمٍ، مَرَّةً لَنَا وَمَرَّةً عَلَيْنَا، نَلْجَأُ إِلَيْهِمْ وَيَلْجَئُونَ إِلَيْنَا، حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৭৫৯০
পর কবরে মৃতের পরিণতি দেখতে, তাহলে তার সাহচর্যে দীর্ঘ অন্তরঙ্গতা লাভ করার পরও
তার নিকটবর্তীব্লু হওে ৩তৃমি নি৪সঙ্গত৷ ভীতি বোধ করতে ৷ সেখানে তুমি এমন এক গৃহ দেখতে
পেতে যেখানে বিষাক্ত পােকামাকড় বিচরণ করছে এবং কীট-প্রত্যঙ্গ আসা-যাওয়া করছে ৷
সেখানে পুজ প্রবাহিত হচ্ছে, দুর্পন্ধ ছড়াচ্ছে এবং পরিচ্ছন্ন, সুগন্ধিময় ও সুন্দর কাফন নােৎরা ও
জীর্ণ হয়ে আছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি একটি দীর্ঘশ্বাস টেনে নিয়ে বেছুশ হয়ে পড়ে
পেলেন ৷ মুকাতিল ইবন হায়্যান বলেন, (একবার) আমি উমর ইবন আবদুল আযীযের পিছে
নামায পড়লাম ৷ তিনি এই আয়াত পড়লেন ১টুটুছুট্রুহু ন্ট্রুৰুক্ট্র৷ ণ্ণ্ড্রটুব্লুঘ্রটু তারপর তাদেরকে
থামাও, কারণ তাদেরকে প্রশ্ন করা হবে (৩৭৪ ২৪) ৷
এরপর তিনি বারবার তা পড়তে লাগলেন ৷ বিক্ষ্ম,৩ তিনি তা অতিক্রম করে অগ্রসর হতে
পারলেন না ৷ তার ত্রী ফাতিমা বিনত আবদুল মালিক বলেন, তার চেয়ে অধিক
সালাতসাওমের পাবন্দ এবং মহান আল্লাহর ভয়ে ভীত কাউকে আমি দেখিনি ৷ ইনার নামাযের
পর তিনি বলে র্কাদতেন এবং র্চক্ষুদ্বয় অশ্রুপ্লাবিত হতো ৷ এরপর তিনি একটু সংযত সতর্ক
হতেন এবং আবার র্কাদতে থাকতেন ৷ এমনকি তার চক্ষুদ্বয় অশ্রুপ্লাবিত্ত হতো ৷ ফাতিমাহ্
বলেন, যখন তিনি আমার পাশে বিছানায় শায়িত অবস্থায় থাকতেন, তখন তিনি আখিরাতের
কোন বিষয় স্মরণ করতেন এবং চডুই যেমন পানিতে গা-ঝাড়া দিয়ে উঠে, তেমনিভাবে
(আখিরাতের ভয়ে) গা ঝাড়া দিয়ে (কেপে) উঠতেন এবং উঠে বসে র্কাদতে থাকতেন ৷ তার
এরুপ অন্থিরতা দেখে দয়াবশত আমি তার শরীরে লেপ জড়িয়ে দিতাম ৷ আর তখন আমি
বলতাম, হার! যদি আমাদের মা নুে এবং খিলাফতের মাঝে দুই পুর্বাচ্লের দুরত্ব হতো!
আল্লাহর কসম, খিলাফতের সংস্পর্শে আসার পর থেকে আমরা কোন আনন্দের দেখা পাইনি ৷
আলী ইবন যায়দ বলেন, হাসান বসরী এবং উমর ইবন আবদুল আযীয এর ন্যায় দুই
ব্যক্তিকে আমি দেখিনি, তাদেরকে দেখলে মনে হতে তা জাহান্নামকে যেন শুধু তাদের দুইজনের
জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে ৷ কোন কোন বর্ণনাকারী বলেন, কান্নার আধিক্যের কারণে আমি তার
চক্ষু দিয়ে অশ্রুর পরিবর্তে রক্ত প্রবাহিত হতে ৩দেখেছি ৷ বর্ণনাকারিগণ বলেন,৩ তিনি যখন শয্যা
গ্রহণ করতেন, তখন এই আয়াত পড়তেন :
ণ্াষ্টু৷ হ্দ্বু : ট্রুটু১ংটুর্চা’াটু ; ;ঝুৰুপুএ ৷ টুগুছু ’;;এ ৷ ইএপু ৷ ন্ধুষ্টুটু ৰু;, ৷
তােমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্ যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেন’ (সুরা
আরাফ৪ ৫৪) ৷
ড্রু;র্দুাড়া
তবে কি জনপদবাসীরা ভয় করে না যে আমার শাস্তি তাদের উপর আসবে রাত্রে যখন
তারা ঘুমম্ভ থাকবে (৭ : ৯৭) এবং এ জাতীয় আয়াতসমুহ ৷ প্রত্যেক রাত্রে তার ফকীহ
সহ চরগণ তার কাছে সমবেত হতেন এবং৩ তারা মৃত্যু ও আখিরাত ছাড়া অন্য কিছুর আলোচনা
করতেন না ৷ এরপর তারা সকলে এমনভাবে কাদতেন যেন তাদের মাঝে কোন জানাযা
রয়েছে ৷
আবু বাকর আসসুলী বলেন, হযরত উমর ইবন আবদুল আযীয কবির এই পঙ্ক্তিগুলে৷
আবৃত্তি করতেনং
طَلَعَتْ شَمْسُ الرِّسَالَةِ فَأَكْسَدَتْ كُلَّ نَافِقٍ، وَأَخْرَسَتْ كُلَّ مُنَافِقٍ، وَأَسْكَتَتْ كُلَّ نَاطِقٍ.
وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ مَرْوَانَ: ثَنَا أَبُو بَكْرٍ أَخُو خَطَّابٍ، ثَنَا خَالِدُ بْنُ خِدَاشٍ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَعْيَنَ الرَّاعِي وَكَانَ يَرْعَى الْغَنَمَ لِمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عُيَيْنَةَ قَالَ: كَانَتِ الْغَنَمُ وَالْأُسْدُ وَالْوَحْشُ تَرْعَى فِي خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي مَوْضِعٍ وَاحِدٍ، فَعَرَضَ لِشَاةٍ مِنْهَا ذِئْبٌ، فَقُلْتُ: إِنَّا لِلَّهِ، مَا أَرَى الرَّجُلَ الصَّالِحَ إِلَّا قَدْ هَلَكَ. قَالَ: فَحَسَبْنَاهُ فَوَجَدْنَاهُ قَدْ هَلَكَ فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ. وَرَوَاهُ غَيْرُهُ عَنْ حَمَّادٍ، فَقَالَ: كَانَ يَرْعَى الشَّاةَ بِكَرْمَانَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَلَهُ شَاهِدٌ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ.
وَمِنْ دُعَائِهِ: اللَّهُمَّ إِنْ رِجَالًا أَطَاعُوكَ فِيمَا أَمَرْتَهُمْ، وَانْتَهَوْا عَمَّا نَهَيْتَهُمْ، اللَّهُمَّ وَإِنَّ تَوْفِيقَكَ إِيَّاهُمْ كَانَ قَبْلَ طَاعَتِهِمْ إِيَّاكَ، فَوَفِّقْنِي. وَمِنْهُ: اللَّهُمَّ، إِنَّ عُمَرَ لَيْسَ بِأَهْلٍ أَنْ تَنَالَهُ رَحْمَتُكَ، وَلَكِنَّ رَحْمَتَكَ أَهْلٌ أَنْ تَنَالَ عُمَرَ.
وَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: أَبْقَاكَ اللَّهُ مَا كَانَ الْبَقَاءُ خَيْرًا لَكَ. فَقَالَ: هَذَا شَيْءٌ قَدْ فُرِغَ مِنْهُ، وَلَكِنْ قُلْ: أَحْيَاكَ اللَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً، وَتَوَفَّاكَ مَعَ الْأَبْرَارِ. وَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: كَيْفَ أَصْبَحْتَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: أَصْبَحْتُ بَطِيئًا بَطِينًا، مُتَلَوِّثًا بِالْخَطَايَا، أَتَمَنَّى عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৯১
وَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ كَانَتِ الْخِلَافَةُ لَهُمْ زَيْنٌ، وَأَنْتَ زَيْنُ الْخِلَافَةِ، وَإِنَّمَا مَثَلُكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، كَمَا قَالَ الشَّاعِرُ:
وَإِذَا الدُّرُّ زَانَ حُسْنَ وُجُوهٍ ... كَانَ لِلدُّرِّ حُسْنُ وَجْهِكَ زَيْنَا
قَالَ: فَأَعْرَضَ عَنْهُ عُمَرُ. وَقَالَ رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ سَمَرْتُ عِنْدَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَعَشِيَ السِّرَاجُ فَقُلْتُ: أَلَا أُنَبِّهُ هَذَا الْغُلَامَ يُصْلِحُهُ؟ فَقَالَ: لَا، دَعْهُ يَنَامُ. فَقُلْتُ: أَفَلَا أَقُومُ أُصْلِحُهُ؟ فَقَالَ: لَا، لَيْسَ مِنْ مُرُوءَةِ الرَّجُلِ اسْتِخْدَامُ ضَيْفِهِ. ثُمَّ قَامَ بِنَفْسِهِ فَأَصْلَحَهُ وَصَبَّ فِيهِ زَيْتًا، ثُمَّ جَاءَ وَقَالَ: قُمْتُ وَأَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَجِئْتُ وَأَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَقَالَ: أَكْثِرُوا ذِكْرَ النِّعَمِ فَإِنَّ ذِكْرَهَا شُكْرُهَا. وَقَالَ: إِنَّهُ لَيَمْنَعُنِي مِنْ كَثْرَةِ الْكَلَامِ مَخَافَةَ الْمُبَاهَاةِ. وَبَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِهِ تُوُفِّيَ، فَجَاءَ إِلَى أَهْلِهِ لِيُعَزِّيَهُمْ فِيهِ، فَصَرَخُوا فِي وَجْهِهِ بِالْبُكَاءِ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَهْ، إِنَّ صَاحِبَكُمْ لَمْ يَكُنْ يَرْزُقُكُمْ، وَإِنَّ الَّذِي يَرْزُقُكُمْ حَيٌّ لَا يَمُوتُ، وَإِنَّ صَاحِبَكُمْ هَذَا، لَمْ يَسُدَّ شَيْئًا مِنْ حُفَرِكُمْ، وَإِنَّمَا سَدَّ حُفْرَةَ نَفْسِهِ، وَإِنَّ لِكُلِّ امْرِئٍ مِنْكُمْ حُفْرَةً لَا بُدَّ وَاللَّهِ أَنْ يَسُدَّهَا، إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمَّا خَلَقَ الدُّنْيَا حَكَمَ عَلَيْهَا بِالْخَرَابِ وَعَلَى أَهْلِهَا بِالْفَنَاءِ، وَمَا امْتَلَأَتْ دَارٌ حَبْرَةً إِلَّا امْتَلَأَتْ عَبْرَةً، وَلَا اجْتَمَعُوا إِلَّا تَفَرَّقُوا، حَتَّى يَكُونَ اللَّهُ هُوَ الَّذِي يَرِثُ الْأَرْضَ وَمَنْ عَلَيْهَا، فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ بَاكِيًا فَلْيَبْكِ عَلَى نَفْسِهِ، فَإِنَّ الَّذِي صَارَ إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৯২
শ্শ্শ্শ্শ্শ্
বিচ্ছেদের প্রতাতে নিজের সঞ্চিত কোন কিছুকেই সে পাথেয়রুপে গ্রহণ করতে পারেনি,
শুধু কয়েক টুকরা ছিন্ন কাপড়ের ভাজে সামান্য সুগন্ধি ব্যতীত
ৰ্ট
এবং কয়েকটি প্রজ্বলিত সৃগন্ধি কাঠির ধুম্র-সুগন্ধি ৷ আর কোন পথচারীর জন্য পাথেয়রুপে
এটা সত্যিই সামান্য ৷
যে শহরে তার মৃত্যু লেখা আছে, যদি স্বেচ্ছায় সে তার উদ্দেশ্যে পথ না চলে, তাহলে
তাকে সেদিকে হ কিযে নেওয়া হবে ৷
কোন এক জানাযার সাথে পথ চলতে গিয়ে তিনি কিছুসং খ্যক লোককে দেখলেন তারা
এক ছায়ায় আশ্রয় নিয়ে ধুলা ও রোদ থেকে নিজেদেরকে আড়াল করল ৷ তখন তিনি কেদে
আবৃত্তি করলেন-
াট্রুট্রুগ্ৰুদ্বুা৷এ গ্লুাব্লু ট্রু র্মুন্
যে ব্যক্তি রৌদ্রক্লিষ্ট কিত্বা ধুলামলিন হওয়ার সময় খুতযুক্ত ও অব্লিন্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা
বোধ করে ৷
এবং তার মুখমণ্ডলের উদ্ভাস অপরিবর্তিত থাকার জন্য সে ছায়া পসন্দ করে কিত্তু অচিরেই
একদিন সে অনিচ্ছা সাত্ত্বও কবরের বাসিন্দা হবে,
শ্রো চেত্ন
ধুলিধুসর ভীতিপ্রদ অন্ধকার গহ্বরে সে থাকবে সেই গহ্বরের তলদেশে সে মাটির নীচে
দীর্ঘকাল অবস্থান করবে ৷
হে আমার নফস (চিত্ত) (অনন্তকালের সফরের জন্য) মৃত্যুর পুর্বে পর্যাপ্ত পাথেয় সামগ্রী
প্রস্তুত করে নাও, তোমাকে অনর্থক সৃষ্টি করা হয়নি ৷
এই কবিতা পঙ্ক্তিগুলো আল-আজারী ষ্,এ ৷ ৷ ’ র্চুন্৷ গ্রন্থে ঈষৎ বৃদ্ধিসহ উল্লেখ
করেছেন ৷ তিনি বর্ণনা করেন, আবুবাকর সুত্রে আবদুস সামাদ ইবন আবদুল আ’লা ইবন আবু
উমরার এক ছেলে থেকে তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয (র) দুর্বিনীত রোম সম্রাটকে
ইসলামের দিকে আহ্বান করার জন্য তাকে দুত হিস্যেব পাঠাতে চাইলেন ৷ আবদুল আলা
তাকে বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমার সাথে যাওয়ার জন্য আমার একজন ছেলেকে
অনুমতি দিন ৷ উল্লেখ্য যে, আবদুল আ’ লার দশ ছেলে জ্জি ৷ তিনি তাকে বলেন, ভুমিই বল
তোমার কোনৃ ছেলে তোমার সাথে যাবে ৷ আবদুল আ লা বলেন, আবদুল্লাহ ৷ উমর তাকে
বলেন, তোমার ছেলে আবদুল্লাহ্কে আমি অপসন্দনীয় ও ঘৃণা ভঙ্গিডে হীটতে দেখেছি ৷ আর
صَاحِبُكُمْ، كُلُّكُمْ يَصِيرُ إِلَيْهِ غَدًا.
وَقَالَ مَيْمُونُ بْنُ مِهْرَانَ خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ إِلَى الْقُبُورِ، فَقَالَ لِي: يَا أَبَا أَيُّوبَ، هَذِهِ قُبُورُ آبَائِي بَنِي أُمَيَّةَ، كَأَنَّهُمْ لَمْ يُشَارِكُوا أَهْلَ الدُّنْيَا فِي لَذَّتِهِمْ وَعَيْشِهِمْ، أَمَا تَرَاهُمْ صَرْعَى قَدْ خَلَتْ فِيهِمُ الْمَثُلَاتُ، وَاسْتَحْكَمَ فِيهِمُ الْبَلَاءُ؟ ثُمَّ بَكَى حَتَّى غُشِيَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَفَاقَ، فَقَالَ: انْطَلِقُوا بِنَا فَوَاللَّهِ لَا أَعْلَمُ أَحَدًا أَنْعَمَ مِمَّنْ صَارَ إِلَى هَذِهِ الْقُبُورِ، وَقَدْ أَمِنَ مِنْ عَذَابِ اللَّهِ.
وَقَالَ غَيْرُهُ: خَرَجَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي جِنَازَةٍ، فَلَمَّا دُفِنَتْ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: قِفُوا حَتَّى آتِيَ قُبُورَ الْأَحِبَّةِ. فَأَتَاهُمْ فَجَعَلَ يَبْكِي وَيَدْعُو، إِذْ هَتَفَ بِهِ التُّرَابُ، فَقَالَ: يَا عُمَرُ أَلَا تَسْأَلُنِي مَا فَعَلْتُ فِي الْأَحِبَّةِ؟ قَالَ: قُلْتُ: وَمَا فَعَلْتَ بِهِمْ؟ قَالَ: مَزَّقْتُ الْأَكْفَانَ، وَأَكَلْتُ اللُّحُومَ، وَشَدَخْتُ الْمُقْلَتَيْنِ، وَأَكَلْتُ الْحَدَقَتَيْنِ، وَنَزَعْتُ الْكَفَّيْنِ مِنَ السَّاعِدَيْنِ، وَالسَّاعِدَيْنِ مِنَ الْعَضُدَيْنِ، وَالْعَضُدَيْنِ مِنَ الْمَنْكِبَيْنِ، وَالْمَنْكِبَيْنِ مِنَ الصُّلْبِ، وَالْقَدَمَيْنِ مِنَ السَّاقَيْنِ، وَالسَّاقَيْنِ مِنَ الْفَخْذَيْنِ، وَالْفَخْذَيْنِ مِنَ الْوِرْكِ، وَالْوِرْكَ مِنَ الصُّلْبِ وَعُمَرُ يَبْكِي. فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَذْهَبَ قَالَ لَهُ: يَا عُمَرُ، أَلَا أَدُلُّكَ عَلَى أَكْفَانٍ لَا تَبْلَى؟ قَالَ: وَمَا هِيَ؟ قَالَ: تَقْوَى اللَّهِ، وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ.
وَقَالَ مَرَّةً لِرَجُلٍ مِنْ جُلَسَائِهِ: لَقَدْ أَرِقْتُ اللَّيْلَةَ مُفَكِّرًا. قَالَ: وَفِيمَ يَا أَمِيرَ
পৃষ্ঠা - ৭৫৯৩
আমার কাছে এ তথ্য পৌছেছে যে, সে কবিতা রচনা করে ৷ তখন আবদুল আ লা তাকে বলেন,
তার হাটার ভঙ্গিমা তার জন্মগত ত্রুটি ৷ আর কবিতা সে রচনা করে তা দ্বারা নিজের শোকে
মাতম প্রকাশের জন্য ৷ তখন উমর তাকে বলেন, আবদুল্লাহ্কে আমার কাছে আসতে বল ৷ আর
তুমি নিজের সাথে অন্য কাউকে নিয়ে যাও ৷ আবদুল আ লা সন্ধ্যাকালে তার ছেলে আবদুল্লাহ্কে
তার কাছে নিয়ে উপস্থিত হলেন ৷ তিনি তাকে আবৃত্তি করতে বলেন ৷ সে তাকে পুর্বোক্ত
কয়েকটি পঙ্ক্তিসহ নিম্নলিখিত পঙক্তিগুলি আবৃত্তি করে শোনাল,
০ ! ষ্ শ্
হে আমার নফস৷ (অনম্ভকালের সফরের জন্য) মৃত্যুর পুর্বেই পর্যাপ্ত পাথেয় সামগ্রী প্রস্তুত
করে নাও, আর তোমাকে অনর্থক সৃষ্টি করা হয়নি ৷
ধু এ
যে বেচে থাকবে অহেতুক তার জন্য কষ্ট করােনা এবং দারিদ্র্য অবলম্বন করে৷ না ৷ আর
যে বেচে থাকবে এবং যে যার উত্তরাধিকারী হবে উভয়ের চুড়ান্ত উত্তরাধিকারী মৃত্যু ৷
ৰু,ৰু;ন্টু
দ্বুাপুএশ্১
কালের ধীর আবর্তনের দুর্যোগ দুর্বিপাককে ভয় কর এবং সজাগ থাক, আর ঐ ব্যক্তির মত
হয়ো না যে এমন তরবারির সন্ধান করেছে যা তার কাল হয়েছে ৷ সে তার কর্মের পুর্ণ প্রতিফল ,
লাভ করেছে ৷
@ ’
বিলড়াসিত৷ সৃষ্টিকারী বিশ্বাসঘাতক কালের আঘাতকে বিশ্বাস করো না ৷ তার কাছে
ভাল-মন্দ সকলে বরাবর ৷
যে ব্যক্তি রৌদ্ররুিষ্ট কিংবা ধুলামলিন হওয়ার সময় খুতষুক্ত ও অবিন্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা
বোধ করে ৷
এবং তার মুখমণ্ডলের উদ্ভাসচমক অপরিবজ্যি থাকার জন্য সে ছায়া পসন্দ করে ৷ কিভু
অচিরেই সে একদিন অনিচ্ছায় কবরের বাসিন্দা হবে ৷
নির্জ্য৷ ভীতিপ্ৰদ এবং ধুলিধুসর অন্ধকার গৃহে সে বাস করবে, যার তলদেশের মাটির নীচে
সে দীর্ঘকাল অবস্থান করবে ৷
ইবন আবুদ দুনইয়৷ এই পঙ্ক্তিগুলি উল্লেখ করেছেন আর উমর তার উদ্ধৃতিতে তা আবৃত্তি
করেছেন ৷ আর আল্লাহ তা জানা সৰ্বাধিক জানেন ৷ আর উমর ইবন আবদুল আযীয প্রায়শই
এই পঙ্ক্তিগুলি আবৃত্তি করতেন এবং কাদতেন ৷ »
الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: فِي الْقَبْرِ وَسَاكِنِهِ، إِنَّكَ لَوْ رَأَيْتَ الْمَيِّتَ بَعْدَ ثَالِثَةٍ فِي قَبْرِهِ لَاسْتَوْحَشْتَ مِنْ قُرْبِهِ بَعْدَ طُولِ الْأُنْسِ مِنْكَ بِنَاحِيَتِهِ، وَلَرَأَيْتَ بَيْتًا تَجُولُ فِيهِ الْهَوَامُّ، وَيَجْرِي فِيهِ الصَّدِيدُ، وَتَخْتَرِقُهُ الدِّيدَانُ، مَعَ تَغَيُّرِ الرِّيحِ، وَبِلَى الْأَكْفَانِ بَعْدَ حُسْنِ الْهَيْئَةِ، وَطِيبِ الرِّيحِ، وَنَقَاءِ الثَّوْبِ. قَالَ: ثُمَّ شَهِقَ شَهْقَةً خَرَّ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ.
وَقَالَ مُقَاتِلُ بْنُ حَيَّانَ: صَلَّيْتُ وَرَاءَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَرَأَ {وَقِفُوهُمْ إِنَّهُمْ مَسْئُولُونَ} [الصافات: 24] فَجَعَلَ يُكَرِّرُهَا وَمَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يُجَاوِزَهَا. وَقَالَتِ امْرَأَتُهُ فَاطِمَةُ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَكْثَرَ صَلَاةً وَصِيَامًا مِنْهُ، وَلَا أَحَدًا أَشَدَّ فَرَقًا مِنْ رَبِّهِ مِنْهُ، كَانَ يُصَلِّي الْعِشَاءَ ثُمَّ يَجْلِسُ يَبْكِي حَتَّى تَغْلِبَهُ عَيْنُهُ، ثُمَّ يَنْتَبِهُ فَلَا يَزَالُ يَبْكِي حَتَّى تَغْلِبَهُ عَيْنُهُ. قَالَتْ: وَلَقَدْ كَانَ يَكُونُ مَعِي فِي الْفِرَاشِ فَيَذْكُرُ الشَّيْءَ مِنْ أَمْرِ الْآخِرَةِ ; فَيَنْتَفِضُ كَمَا يَنْتَفِضُ الْعُصْفُورُ فِي الْمَاءِ، وَيَجْلِسُ يَبْكِي، فَأَطْرَحُ عَلَيْهِ اللِّحَافَ رَحْمَةً لَهُ، وَأَنَا أَقُولُ: يَا لَيْتَ كَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْخِلَافَةِ بُعْدَ الْمَشْرِقَيْنِ، فَوَاللَّهِ مَا رَأَيْنَا سُرُورًا مُنْذُ دَخَلْنَا فِيهَا.
وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ: مَا رَأَيْتُ رَجُلَيْنِ كَأَنَّ النَّارَ لَمْ تُخْلَقْ إِلَّا لَهُمَا مِثْلَ الْحَسَنِ، وَعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: رَأَيْتُهُ يَبْكِي حَتَّى بَكَى دَمًا. قَالُوا: وَكَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ قَرَأَ {إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ} [الأعراف: 54] الْآيَةَ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৯৪
ফযল ইবন আব্বাস আলহালাবী বলেন উমর ইবন আবদুল আযীয (র) প্রায়শই এই
পঙ্ক্তিটি আবৃত্তি করতেন
) :
মোঃ ঘু
ঐ ব্যক্তির বেচে থাকার মাঝে কোন কল্যাণ নেই, আখিরাত্তে যার জন্য মহান আল্লাহ্র
পক্ষ থেকে কোন অংশ নির্ধারিত হয়নি ৷
কেউ কেউ এর সাথে আরেকটি চমৎকার পঙ্ক্তি সংযেজেন করেছেন :
ণ্
দৃনৃয়া যদি (তার মােহ দ্বারা) কতক মানুষকে মুগ্ধ করে থাকে তাহলে জেনে রাখ তা অতি
সামান্য ভোগ্য সামগ্রী যার বিলুপ্তি অত্যাসন্ন ৷
ইবনুল জাওযী তার নিম্নোক্ত পঙ্ক্তিসমুহ আবৃত্তি করেছেন-
)
আমি মরণশীল আর মরণশীল নয় এমন কে আছে ? আমি নিশ্চিত জানি যে, অচিরেই
আমি মৃত্যুবরণ করব ৷
মৃত্যু যে বাদশাহীকে বিলুপ্ত করে দেয় তাভাে কোন বাদশাহী নয়, প্রকৃত বাদশাহী তার যার
কোন মৃত্যু নেই ৷
ণ্পুান্ ণ্,প্পুপ্রু ৷ ১ ণ্ন্ ৷ ;াদুাঢ় র্টু;ছু ৷ ৷ৰুহ্র ৰুর্চুও
তুমি তাে ধ্বংসশীল৷ রা জ্যতু আনন্দিত এবং অলীক কল্পনায় উৎফুলু যেমন ঘুমন্ত ব্যক্তি স্বপ্নে
আনন্দ উপভোগ করে প্রভাবিতঘ্ব্র হয় ৷
এ’১ষ্-৫-ট্ট
হে প্রবঞ্চিত ! তোমার দিন কাটে ভুল ও অসতর্কতায় আর রাত কাটে নিদ্রায় অথচ তোমার
মৃত্যু অপরিহার্য ৷
আর তোমার ঢেষ্টা-সাধনা এমন বিষয়ে যার পরিণাম অচিরেই ষ্তােমার কাছে অপ্রিয় হবে
আর এভাবে দুনয়াতে বাস করে চতুষ্পদ প্রাণী ৷
মুহাম্মাদ ইবন কাহীর বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয নিজেকে তিরস্কার করে বলেন :
তুমি কি আজ ঘৃমন্ত না জাগ্রত আর যে হতবুদ্ধি ও উদভ্রাস্ত সে কিভাবে ঘুম পাড়াবে ?
) : )
তুমি যদি প্রভাতকালে জাগ্রত হত্ত ত, তাহলে অশ্রুর অঝোর ধারা তোমার চক্ষুকোটরদ্বয়কে
জ্বালিয়ে দিত ৷
وَيَقْرَأُ: {أَفَأَمِنَ أَهْلُ الْقُرَى أَنْ يَأْتِيَهُمْ بَأْسُنَا بَيَاتًا وَهُمْ نَائِمُونَ} [الأعراف: 97] وَنَحْوَ هَذِهِ الْآيَاتِ، وَكَانَ يَجْتَمِعُ كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَيْهِ أَصْحَابُهُ مِنَ الْفُقَهَاءِ فَلَا يَذْكُرُونَ إِلَّا الْمَوْتَ وَالْآخِرَةَ، ثُمَّ يَبْكُونَ حَتَّى كَأَنَّ بَيْنَهُمْ جِنَازَةً.
وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الصُّولِيُّ عَنِ الْمُبَرِّدِ كَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَتَمَثَّلُ بِقَوْلِ الشَّاعِرِ:
فَمَا تَزَوَّدَ مِمَّا كَانَ يَجْمَعُهُ ... سِوَى حَنُوطٍ غَدَاةَ الْبَيْنِ فِي خِرَقِ
وَغَيْرَ نَفْحَةِ أَعْوَادٍ تُشَبُّ لَهُ ... وَقَلَّ ذَلِكَ مِنْ زَادٍ لِمُنْطَلِقِ
بِأَيِّمَا بَلَدٍ كَانَتْ مَنِيَّتُهُ ... إِنْ لَا يَسِرْ طَائِعًا فِي قَصْدِهَا يُسَقِ
وَنَظَرَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهُوَ فِي جِنَازَةٍ، إِلَى قَوْمٍ قَدْ تَلَثَّمُوا مِنَ الْغُبَارِ وَالشَّمْسِ، وَانْحَازُوا إِلَى الظِّلِّ، فَبَكَى وَأَنْشَدَ:
مَنْ كَانَ حِينَ تُصِيبُ الشَّمْسُ جَبْهَتَهُ ... أَوِ الْغُبَارُ يَخَافُ الشَّيْنَ وَالشَّعَثَا
وَيَأْلَفُ الظِّلَّ كَيْ تَبْقَى بَشَاشَتُهُ ... فَسَوْفَ يَسْكُنُ يَوْمًا رَاغِمًا جَدَثًا
فِي قَعْرِ مُظْلِمَةٍ غَبْرَاءَ مُوحِشَةٍ ... يُطِيلُ فِي قَعْرِهَا تَحْتَ الثَّرَى لُبْثَا
تَجَهَّزِي بِجَهَازٍ تَبْلُغِينَ بِهِ ... يَا نَفْسُ قَبْلَ الرَّدَى لَمْ تُخْلَقِي عَبَثَا
وَقَالَ الْمُفَضَّلُ بْنُ غَسَّانَ الْغَلَّابِيُّ: كَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ لَا يَجِفُّ فُوهُ
পৃষ্ঠা - ৭৫৯৫
ৰ্ ষ্মোঃন্
ভুমি দীর্ঘ নিদ্রায় অচেতন হয়ে আছ অথচ বিরাট সব ভয়ানক বিষয়সমুহ তোমার
নিকটবর্তী হয়েছে ৷
চ্ার্ন্তা
তুমি তো এমন সকল বিষয়ে কষ্ট স্বীকার করছ অচিরেই তুমি যার পরিণাম অপসন্দ
করবে ৷ আর দুনয়াতে এভাবে বেচে থাকে চতুষ্পদ প্রাণী ৷
ট্রুপ্নড্রু£; টু,াশুহ্ব;পু দ্বুাম্ভট্রুব্লুা ৷ হৃষ্ ;;;ন্ ১া ; এয়এেপ্রু ৷ৰুপ্রুঠু ণ্া, ৷ ধ্হৃ ;ই৷ ১াট্রুণ্
আ না তুমি ঘুমন্তদের মাঝে কোন একদিন নিরাপদ, আর না জাপ্রতদের মাঝে
আত্মপ্রত্যয়ী ৷
ইবন আবুদ দৃনয়া তার সুত্রে ফাতিমা বিনত আবদুল মালিকের উদ্ধৃতিতে বর্ণনা করেছেন,
তিনি (ফাতিমা) বলেন, কোন এক রাত্রে ঘুম থেকে জেগে উমর ইবন আবদুল আযীয বলতে
লাগলেন, আজ রাত্রে আমি এক আশ্চর্যজনক স্বপ্ন দেখলাম ৷ আমি বললাম, আমাকে তা
অবহিত করুন ৷ তিনি বলেন, সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা কর ৷ এরপর তিনি ফজরের নামায পড়িয়ে
ঘরে প্রবেশ করলেন ৷ আমি তাকে (স্বপ্নের কথা) জিজ্ঞাসা করলাম ৷ তিনি বলতে লাগলেন,
আমি দেখলাম, আমাকে এক প্রশস্ত সবুজ ভুখণ্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেন তা সবুজ গালিচা ৷
সেখানে আমি একটি প্রাসাদ দেখতে পেলাম যেন তা রৌপ্য নির্মিত ৷ এরপর সেখান থেকে এক
ব্যক্তি বের হয়ে ঘোষণা করল, কোথায় মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্ কোথায় রাসুলুল্লাহ্ ? এমন
সময় রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আগমন করে ঐ প্রাসাদে প্রবেশ করলেন ৷
এরপর আরেকজন বের হয়ে ঘোষণা করলেন, আবু বকর সিদ্দীক কোথায় ? তিনি এসে প্রবেশ
করলেন ৷ তারপর আরেকজন বের হয়ে ঘোষণা করলেন, উমর ইবনুল খাত্তাব কোথায় ? তিনি
এসে প্রবেশ করলেন, অতঃপর আরেক ব্যক্তি বের হয়ে ঘোষণা করলেন, উছমান ইবন
আফ্ফান কোথায় ? তিনি এসে প্রবেশ করলেন ৷ তারপর আরেকজন বের হয়ে ঘোষণা
করলেন, আলী ইবন আবুতালিব কোথায় ? তিনি এসে প্রবেশ করলেন ৷ তারপর আরেকজন
বের হয়ে ঘোষণা করলেন উমর ইবন আবদুল আযীয কোথায় ? আমি উঠে গিয়ে ভিতরে
প্রবেশ করে আমার পিতৃপুরুয উমর ইবনুল খাত্তারের পাশে বসলাম, আর তিনি রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের বাম পাভৈশ আর আবু বকর তারডান পাশে ছিলেন ৷ তার
(আবু বকর) ও রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের মাঝে এক ব্যক্তি ছিলেন ৷ আমি
আমার পিতৃপুরুষকে প্রশ্ন করলাম, ইনি কে ? তিনি বললেন, ইনি হযরত ঈসা ইবন
মারইয়াম ৷ এরপর আমি এক অদৃশ্য ঘোষককে ঘোষণা করতে শুনলাম, হে উমর ইবন
আবদুল আযীয তুমি তোমার বর্তমান অবস্থাকে দৃঢ়ডাবে অবলম্বন কর এবং তার উপর সুন্থির
থাক ৷ এরপর আমাকে যেন বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো ৷ ফলে আমি বের হয়ে
আসলাম ৷ আমি পিছন ফিরে তাকালাম, দেখতে পেলাম হযরত উছমড়ান (রা) একথা বলতে
বলতে প্রাসাদ থেকে বের হয়ে আসছেদী, প্রশং সা আল্লাহ্র যিনি আমার বব, যিনি আমাকে
সাহায্য করেছেন ৷ এরপর দেখলাম তার পিছে আলী ৷ তিনি বলছেন, প্রশং সা আল্লাহ্র যিনি
আমার বব, যিনি আমাকে ক্ষমা করেছেন ৷
مِنْ هَذَا الْبَيْتِ:
وَلَا خَيْرَ فِي عَيْشِ امْرِئٍ لَمْ يَكُنْ لَهُ ... مِنَ اللَّهِ فِي دَارِ الْقَرَارِ نَصِيبُ
وَزَادَ غَيْرُهُ مَعَهُ بَيْتًا حَسَنًا، وَهُوَ قَوْلُهُ:
فَإِنْ تُعْجِبُ الدُّنْيَا أُنَاسًا فَإِنَّهَا ... مَتَاعٌ قَلِيلٌ وَالزَّوَالُ قَرِيبُ
وَمِنْ شَعْرِهِ الَّذِي أَنْشَدَهُ ابْنُ الْجَوْزِيِّ:
أَنَا مَيْتٌ وَعَزَّ مَنْ لَا يَمُوتُ ... قَدْ تَيَقَّنْتُ أَنَّنِي سَأَمُوتُ
لَيْسَ مُلْكٌ يُزِيلُهُ الْمَوْتُ مُلْكًا ... إِنَّمَا الْمُلْكُ مُلْكُ مَنْ لَا يَمُوتُ
وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ: كَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَقُولُ:
تُسَرُّ بِمَا يَبْلَى وَتَفْرَحُ بِالْمُنَى ... كَمَا اغْتَرَّ بِاللَّذَّاتِ فِي النَّوْمِ حَالِمُ
نَهَارُكَ يَا مَغْرُورُ سَهْوٌ وَغَفْلَةٌ ... وَلَيْلُكَ نَوْمٌ وَالرَّدَى لَكَ لَازِمُ
وَسَعْيكُ فِيمَا سَوْفَ تَكْرَهُ غِبَّهُ ... كَذَلِكَ فِي الدُّنْيَا تَعِيشُ الْبَهَائِمُ
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ: قَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَلُومُ نَفْسَهُ وَيُعَاتِبُهَا:
أَيَقِظَانُ أَنْتَ الْيَوْمَ أَمْ أَنْتَ نَائِمُ ... وَكَيْفَ يُطِيقُ النَّوْمَ حَيْرَانُ هَائِمُ
فَلَوْ كَنْتَ يَقْظَانَ الْغَدَاةَ لَحَرَّقَتْ ... مَدَامِعَ عَيْنَيْكَ الدُّمُوعُ السَّوَاجِمُ
نَهَارُكَ يَا مَغْرُورُ سَهْوٌ وَغَفْلَةٌ ... وَلَيْلُكَ نَوْمٌ وَالرَّدَى لَكَ لَازِمُ
بَلَ اصْبَحْتَ فِي النَّوْمِ الطَّوِيلِ وَقَدْ دَنَتْ ... إِلَيْكَ أُمُورٌ مُفْظِعَاتٌ عَظَائِمُ
وَشُغْلُكَ فِيمَا سَوْفَ تَكْرَهُ غِبَّهُ ... كَذَلِكَ فِي الدُّنْيَا تَعِيشُ الْبَهَائِمُ
পৃষ্ঠা - ৭৫৯৬
وَرَوَى ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا بِسَنَدِهِ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ عَبْدِ الْمَلِكِ، قَالَتْ: انْتَبَهَ عُمَرُ ذَاتَ لَيْلَةٍ، وَهُوَ يَقُولُ: لَقَدْ رَأَيْتُ رُؤْيَا مُعْجِبَةً. فَقُلْتُ: أَخْبِرْنِي بِهَا. فَقَالَ: حَتَّى نُصْبِحَ. فَلَمَّا صَلَّى الصُّبْحَ بِالْمُسْلِمِينَ دَخَلَ فَسَأَلْتُهُ عَنْهَا، فَقَالَ: رَأَيْتُ كَأَنِّي دُفِعْتُ إِلَى أَرْضٍ خَضْرَاءَ وَاسِعَةٍ كَأَنَّهَا بِسَاطٌ أَخْضَرُ، وَإِذَا فِيهَا قَصْرٌ كَأَنَّهُ الْفِضَّةُ، فَخَرَجَ مِنْهُ خَارِجٌ فَنَادَى: أَيْنَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ؟ أَيْنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ إِذْ أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى دَخَلَ ذَلِكَ الْقَصْرَ، ثُمَّ خَرَجَ آخَرُ فَنَادَى: أَيْنَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ؟ فَأَقْبَلَ فَدَخَلَ، ثُمَّ خَرَجَ آخَرُ فَنَادَى: أَيْنَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ؟ فَأَقْبَلَ فَدَخَلَ، ثُمَّ خَرَجَ آخَرُ فَنَادَى: أَيْنَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ؟ فَأَقْبَلَ فَدَخَلَ، ثُمَّ خَرَجَ آخَرُ فَنَادَى: أَيْنَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ؟ فَأَقْبَلَ فَدَخَلَ، ثُمَّ خَرَجَ آخَرُ فَنَادَى: أَيْنَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ؟ فَقُمْتُ - فَدَخَلْتُ فَجَلَسْتُ إِلَى جَانِبِ أَبِي عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَهُوَ عَنْ يَسَارِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبُو بَكْرٍ عَنْ يَمِينِهِ، وَبَيْنَهُ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ، فَقُلْتُ لِأَبِي: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا عِيسَى بْنُ مَرْيَمَ. ثُمَّ سَمِعْتُ هَاتِفًا يَهْتِفُ، بَيْنِي وَبَيْنَهُ نُورٌ لَا أَرَاهُ، وَهُوَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৭৫৯৭
পরিচ্ছেদ
নবুওয়াতের প্রমাণসমুহের বর্ণনায় আমরা ঐ হাদীস উল্লেখ করেছি যা ইমাম আবুদাউদ
তার সুনান গ্রন্থে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ
করেছেন, আল্লাহ্ তাআলা প্রত্যেক শতাব্দীর শেষে এই উম্মঢ তর মাঝে তাদের দীনের
একেকজন সংস্কারক পাঠাবেন’ ৷ এ হাদীসের প্রতি লক্ষ্য রেখে একদল আলিম বলেন, ইমাম
আহমাদ ইবন হাম্বল এদের গণ্যতম যেমন ইবনুল জাওযী ও অন্যান্যগণ উল্লেখ করেছেন যে,
উমর ইবন আবদুল আযীযেৱ আবির্ভার হয়েছিল প্রথম শতাব্দীর শেষে ৷ আর একক নেতৃতু,
ব্যাপক ও সর্বজনীন শাসন-কর্তৃত্ব এবং ন্যায় ও সত্যের বাস্তবায়নে তার চেষ্টা ও তৎপরতার
কারণে তিনি এ সংস্কারক হওয়ার সবচেয়ে অধিক উপযুক্ত ৷ তার শাসক চরিত ছিল হযরত
উমর ইবনুল খাত্তা বের শাসক চরিতের সদৃশ ৷ আর বহু ক্ষেত্রেই তিনি তার সাদৃশ্য অবলম্বন
করেছেন ৷ শায়াখ আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী উমরইবনুল খাত্তাব ও উমর ইবন আবদুল
আযীযেৱ জীবন চরিতকে একত্রে সৎ কলন করেছেন ৷ আর আমরা উমর ইবনুল খাত্তাব
(রা) এর জীবন চরিতকে স্বতন্ত্র একটি গ্রন্থাৎৰুশ এবং তার মুসনাদ’ কে বিশাল একটি গ্রহুাৎশে
উল্লেখ করেছি ৷ আর উমর ইবন আবদুল আযীযেৱ জীবন চরািতর উল্লেখযোগ্য অংশ আমরা
এখানে উল্লেখ করলাম যা তার জীবন চরিতে অনুল্লিখিত বিষয়েরও প্রমাণ ৷ ফিক্হশাস্ত্র শিক্ষা,
ইলমের প্রচার এবং কুরআন অধ্যয়নের জন্য যারা বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে দিমাশকের পাশে
মসজিদে ই’ তিকাফে মগ্ন হতে তন উমর ইবন আবদুল আযীয (র) তাদেরকে ৰায়তুল সাল হতে
বাৎসরিক একশ দীনার ভাতা প্রদান করতেন ৷ আর তিনি তার গভর্নরদের যথাযথভাবে সুন্নাত
অবলম্বনের নির্দেশ দিতেন এবং বলতেন, সুন্নাত যদি তাদের সংশোধন না করে, তাহলে
আল্লাহ্ও যেন তাদের সৎশোধন না করেন ৷ তিনি সকল অঞ্চলে এই ফরমান পাঠান যে, কোন
ইয়াহুদী, খৃপ্টান কিৎব৷ অন্য কোন যিঘী তাদের বাহনে যীন বা গদি ব্যবহার করবে না এবং
জুব্বা, আলখিল্লা বা পাজামা (অর্থাৎ মর্যাদাপ্রকাশক কোন পরিধেয়) পরিধান করবে না ৷
তাদের কেউ সংযুক্ত অগ্নভাগ বিশিষ্ট চামড়ার বেস্ট ছাড়৷ পথে বের হয়ে না ৷ তাদের মধ্যে
যাদের গৃহে কোন অস্ত্র পাওয়া যাবে তাদের থেকে তা নিয়ে নেওয়া হবে ৷ তিনি আরও লিখেন,
আহলে কুরআন ব্যতীত অন্য কাউকে যেন কোন কাত্তেরে দায়িত্ব প্রদান করা না হয় ৷ কেননা,
তাদের কাছে যদি কোন কল্যাণ না থাকে, তাহলে অন্যদের কাছে কল্যাণ না থাকার সম্ভাবনা
আরও অধিক ৷ এছাড়া তিনি তার গভারদের লিখতেন, তোমরা নামাযের সময় ব্যস্ততা পরিহার
করবে, কেননা, যে তাতে অবহেলা করে সে ইসলামের অন্যান্য বিধানের ক্ষেত্রে আরও অধিক
অবহেলাকারী হবে ৷ কখনও কখনও তিনি তার কোন গভর্নরকে উপদেশনামা লিখে পাঠাতেন
আর সে তার দায়িত্বে অব্যাহতি প্রদান করে সরে দাড়াত ৷ কখনও বা তাদের কেউ তার
উপদেশের তীব্রে প্রভাবের কারণে গড়র্নরের দায়িত্ব থেকে নিজেকে অপসারিত করে দেশা ভার
সফরে বেরিয়ে পড়ত ৷ আর এর কারণ হলো উপদেশ যখন উপদেশদাতার অন্তর থেকে বের
হয়, তখন তা উপদেশ গ্রহণকারীর অস্তরে প্রবেশ করে ৷ অনেক ইমাম সুস্প্ষ্টিভা ৷বে উল্লেখ
করেছেন যে, উমর ইবন আবদুল আযীযেৱ নিয়ােগকৃত সকল গভর্নর ও প্রশাসক নির্ভরযোগ্য
ছিলেন ৷ হযরত হাসান বসরী তার কাছে সুন্দর সব উপদেশ লিখে পাঠিয়েছিলেন ৷ আমরা যদি
তার সব উল্লেখ করতে যইি তাহলে এই পরিচ্ছেদ দীর্যায়িত হবে ৷ তবে এমন বিষয় উল্লেখ
يَا عُمَرُ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ تَمَسَّكْ بِمَا أَنْتَ عَلَيْهِ، وَاثْبُتْ عَلَى مَا أَنْتَ عَلَيْهِ. قَالَ: ثُمَّ كَأَنَّهُ أُذِنَ لِي فِي الْخُرُوجِ فَخَرَجْتُ، فَالْتَفَتُّ فَإِذَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَهُوَ خَارِجٌ مِنَ الْقَصْرِ، وَهُوَ يَقُولُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي نَصَرَنِي رَبِّي، وَإِذَا عَلِيٌّ فِي إِثْرِهِ، وَهُوَ يَقُولُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي غَفَرَ لِي رَبِّي.
[إِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةٍ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا أَمْرَ دِينِهَا]
فَصْلٌ (إِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا أَمْرَ دِينِهَا)
وَهُوَ ذِكْرُنَا فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " الْحَدِيثَ الَّذِي رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ فِي سُنَنِهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «إِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا أَمْرَ دِينِهَا» . فَقَالَ جَمَاعَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمْ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ الْجَوْزِيِّ وَغَيْرُهُ: إِنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَانَ عَلَى رَأْسِ الْمِائَةِ الْأُولَى. وَقَالَ آخَرُونَ: هُوَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ جَدَّدَ اللَّهُ بِهِ أَمْرَ الدِّينِ عَلَى رَأْسِ الْمِائَةِ الْأُولَى، وَإِنْ كَانَ هُوَ أَوْلَى مَنْ دَخَلَ فِي ذَلِكَ وَأَحَقَّ ; لِإِمَامَتِهِ، وَعُمُومِ وِلَايَتِهِ، وَاجْتِهَادِهِ وَقِيَامِهِ فِي تَنْفِيذِ الْحَقِّ، فَقَدْ كَانَتْ سِيرَتُهُ شَبِيهَةً بِسِيرَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَكَانَ كَثِيرًا مَا يَتَشَبَّهُ بِهِ. وَقَدْ جَمَعَ الشَّيْخُ أَبُو الْفَرَجِ ابْنُ الْجَوْزِيِّ سِيرَةَ الْعُمَرَيْنِ ; عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَقَدْ أَفْرَدْنَا سِيرَةَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي مُجَلَّدٍ عَلَى حِدَةٍ، وَمُسْنَدَهُ فِي مُجَلَّدٍ ضَخْمٍ، وَأَمَّا سِيرَةُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৯৮
فَقَدْ ذَكَرْنَا مِنْهَا طَرَفًا صَالِحًا هُنَا، يُسْتَدَلُّ بِهِ عَلَى مَا لَمْ نَذْكُرْهُ.
وَقَدْ كَانَ عُمَرُ رَحِمَهُ اللَّهُ يُعْطِي مَنِ انْقَطَعَ إِلَى الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ، مِنْ بَلَدِهِ وَغَيْرِهَا، لِلْفِقْهِ وَنَشْرِ الْعِلْمِ وَتِلَاوَةِ الْقُرْآنِ، فِي كُلِّ عَامٍ مِنْ بَيْتِ الْمَالِ مِائَةَ دِينَارٍ، وَكَانَ يَكْتُبُ إِلَى عُمَّالِهِ أَنْ يَأْخُذُوا النَّاسَ بِالسُّنَّةِ، وَيَقُولَ: إِنْ لَمْ تُصْلِحْهُمُ السُّنَّةُ فَلَا أَصْلَحَهُمُ اللَّهُ. وَكَتَبَ إِلَى سَائِرِ الْبِلَادِ أَنْ لَا يَرْكَبَ ذِمِّيٌّ مِنَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى وَغَيْرِهِمْ عَلَى سَرْجٍ، وَلَا يَلْبَسُ قَبَاءً وَلَا طَيْلَسَانًا وَلَا السَّرَاوِيلَ وَلَا يَمْشِيَنَّ أَحَدٌ مِنْهُمْ إِلَّا بِزُنَّارٍ مِنْ جِلْدٍ، وَهُوَ مَقْرُونُ النَّاصِيَةِ، وَمَنْ وُجِدَ مِنْهُمْ فِي مَنْزِلِهِ سِلَاحٌ أُخِذَ مِنْهُ، وَكَتَبَ أَيْضًا أَنْ لَا يُسْتَعْمَلَ عَلَى الْأَعْمَالِ إِلَّا أَهْلُ الْقُرْآنِ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُمْ خَيْرٌ فَغَيْرُهُمْ أَوْلَى أَنْ لَا يَكُونَ عِنْدَهُ خَيْرٌ. وَكَانَ يَكْتُبُ إِلَى عُمَّالِهِ: اجْتَنِبُوا الْأَشْغَالَ عِنْدَ حُضُورِ الصَّلَوَاتِ، فَإِنَّ مَنْ أَضَاعَهَا فَهُوَ لِمَا سِوَاهَا مِنْ شَرَائِعِ الْإِسْلَامِ أَشَدُّ تَضْيِيعًا. وَقَدْ كَانَ يَكْتُبُ الْمَوْعِظَةَ إِلَى الْعَامِلِ مِنْ عُمَّالِهِ فَيَنْخَلِعُ بِهَا قَلْبُهُ، وَرُبَّمَا عَزَلَ بَعْضُهُمْ نَفْسَهُ عَنِ الْعِمَالَةِ مِنْ شِدَّةِ مَا تَقَعُ مَوْعِظَتُهُ مِنْهُ، وَذَلِكَ أَنَّ الْمَوْعِظَةَ إِذَا خَرَجَتْ مِنْ قَلْبِ الْوَاعِظِ دَخَلَتْ قَلْبَ الْمَوْعُوظِ. وَقَدْ صَرَّحَ كَثِيرٌ مِنَ الْأَئِمَّةِ بِأَنَّ كُلَّ مَنِ اسْتَعْمَلَهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ ثِقَةٌ، وَقَدْ كَتَبَ إِلَيْهِ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ بِمَوَاعِظَ حِسَانٍ وَلَوْ تَقَصَّيْنَا ذَلِكَ لَطَالَ هَذَا الْفَصْلُ، وَلَكِنْ قَدْ ذَكَرْنَا مَا فِيهِ إِشَارَةً إِلَى ذَلِكَ. وَكَتَبَ إِلَى بَعْضِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৯৯
করেছি যাতে সেদিকে ইঙ্গিত রয়েছে ৷ একবার তিনি তার জনৈক গভর্নরকে লিখলেনঃ, ঐ
রাত্রিকে স্মরণ কর যা কিয়ামতের জন্ম দিয়ে এবং তার সকালে কিয়ামত শুরু হবে ৷ কী ভীষণ
বিডীষিকাময় হবে সে রাত ৷ কি ভীষণ বিডীষিকাময় হবে সে সকাল ৷ আর নিঃসন্দেহে তা
কাফিরদের জন্য অতি কঠিন দিন হবে ৷ অন্য এক গভর্নরকে তিনি লিখেন, আমি তোমাকে
অনন্তকালের জন্য জাহান্নামের জাহান্নামীদের দীর্ঘ বিজ্যি অবস্থার কথা স্মরণ করাচ্ছি ৷ সাবধান
থােকা আল্লাহ্বিমুখতা যেন পৃথিবীতে তোমার অস্তিম অবস্থা না হয় এবং তোমার ব্যাপারে
(আমাদের) নিরাশার কারণ না হয় ৷ বর্গনাকারিগণ বলেন, তখন এই গভর্নর তার দায়িত্ব থেকে
অব্যাহতি গ্রহণ করে উমর ইবন আবদুল আযীযের কাছে আগমন করলেন ৷ উমর তাকে প্রশ্ন
করলেন, তোমার কী হয়েছে ? তিনি বললেন, আমীরুল মু’মিনীন! আপনার পত্র পেয়ে আমি
নিজেই গভর্নরের দায়িত্ব থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছি ৷ আল্লাহ্র কসম ৷ আর কোন
দিন আমি কোন শাসনভার গ্রহণ করব না ৷
পবিচ্ছেদ
হযরত উমর ইবন আবদুল আযীয খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্যায়ভাবে গৃহীত বা
আত্মসাতকৃত সকল অর্থসম্পদ যথার্থ প্রাপককে ফিরিয়ে দেন ৷ যেমন আমরা ইতোপুর্বে উল্লেখ
করেছি, এমনকি তিনি তার হাতের একটি আত্টিও ফিরিয়ে দেন ৷ তিনি তার ব্যাপারে বলেন,
ওয়ালীদ অসঙ্গতভাবে তা আমাকে দিয়েছেন ৷ এছাড়া তিনি সুখ-স্বাচ্ছন্দ ও ভোগ বিলাসের
সকল উপকরণ খাদ্য, পরিধেয় ও ণ্,ভাগ উপকরণ বর্জন করেন ৷ এমনকি তিনি তার অনিন্দদ্র
সুন্দরী শ্রী ফাতিমা বিনৃত আবদুল মালিকের একান্ত সান্নিধ্যও বর্জন করেন ৷ বলা হয়, তিনি
তার ত্রীর সকল অলঙ্কার বায়ভুল মড়ালে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ৷ আল্লাহ অধিক জানেন ৷
খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের পুর্বে তার বাৎসরিক উপার্জন ছিল চল্লিশ হাজার দীনার৷ বিফু এ
আয়ের প্রায় সকল উৎস বায়ভুল মালে ফিরিয়ে দেন ৷ এমনকি তার বাৎসরিক আয় চারশ
দীনারে নেমে আসে ৷ আর খলীফারুপে তার ভাতা ছিল তিনশ’ দিরহাম ৷ তার বেশ
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সন্তান ছিল ৷ এদের মাঝে আবদুল মালিক ছিলেন সবচেয়ে গুণসম্পন্ন ৷
বিন্দু, তিনি পিতার জীবদ্দশায় তার খিলাফতকালে মারা যান ৷ তার গুণ সম্পর্কে বলা হয় যে,
তিনি তার পিতার চেয়ে উত্তম ছিলেন ৷ তার মৃত্যুতে উমর ইবন আবদুল আযীযের মাঝে কোন
শোক বা দুঃখ প্রকাশ গেল না ৷ এ সময় তিনি বলেন, আল্লাহ্ যে বিষয়কে অনুমোদন করেছেন
আমি তা অপসন্দ করি না ৷ খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের পুর্বে তার কাছে উচ্চমুল্যের অতি
কোমল পরিধেয় জামা আনা হলে তিনি সে সম্পর্কে বলতেন, কাপড়টি বেশ সুন্দর যদি তা
অমসৃণ না হতো ৷ খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি মোটা কাপড়ের তালিযুক্ত জামা
পরিধান করতেন, যথেষ্ট ময়লাযুক্ত না হলে তিনি তা ধোয়াতেন না ৷ আর তার এ পরিধেয় বস্ত্র
সম্পর্কে বলতেন, তা বেশ ভালই যদি তা মসৃণ না হতে৷ ৷ এ সময় তিনি মোটা (খসৃখসে)
পশমী জুব্বা পরিধান করতেন ৷ আর বাতি ছিল অগ্রভাগে মাটির প্রলেপযুক্ত তিনটি নলের
উপর ৷ তার খিলাফাতকালে তিনি নিজের জন্য গৃহ বা অন্য কিছু নির্মাণ করেননি ৷ নিত্তেরে কাজ
নিজে করতেন ৷ তিনি বলেন, যখনই আমি দুনয়ার কোন কিছু ত্যাগ করেছি, তখনই আল্লাহ্
তাআলা আমাকে তার বিনিময়ে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করেছেন ৷ এ সময় তিনি অতি
সাধারণ খাবার গ্রহণ করতেন এবং সুখ-স্বাচ্ছন্দোর প্রতি কোন ভ্রাক্ষেপ করতেন না ৷ নিজেকে
তার অনুগড়ামী করতেন না এবং তার আকাম্ভক্ষাও করতেন না ৷ এমনকি আবু সুলায়মান
عُمَّالِهِ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي أُذَكِّرُكَ لَيْلَةً تَمَخَّضُ بِالسَّاعَةِ فَصَبَاحُهَا الْقِيَامَةُ، فَيَا لَهَا مِنْ لَيْلَةٍ وَيَا لَهُ مِنْ صَبَاحٍ، وَكَانَ يَوْمًا عَلَى الْكَافِرِينَ عَسِيرًا. وَكَتَبَ إِلَى آخَرَ: أُذَكِّرُكَ طُولَ سَهَرِ أَهْلِ النَّارِ فِي النَّارِ مَعَ خُلُودِ الْأَبَدِ، وَإِيَّاكَ أَنْ يُنْصَرَفَ بِكَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ فَيَكُونَ آخِرَ الْعَهْدِ بِكَ، وَانْقِطَاعَ الرَّجَاءِ مِنْكَ. قَالُوا: فَخَلَعَ هَذَا الْعَامِلُ نَفْسَهُ مِنَ الْعِمَالَةِ، وَقَدِمَ عَلَى عُمَرَ، فَقَالَ لَهُ: مَا لَكَ؟ فَقَالَ: خَلَعْتَ قَلْبِي بِكِتَابِكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَاللَّهِ لَا أَعُودُ إِلَى وِلَايَةٍ أَبَدًا.
[رَدُّ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لِلْمَظَالِمِ]
فَصْلٌ (رَدُّ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لِلْمَظَالِمِ)
وَقَدْ رَدَّ جَمِيعَ الْمَظَالِمِ كَمَا قَدَّمْنَا، حَتَّى إِنَّهُ رَدَّ فَصَّ خَاتَمٍ كَانَ فِي يَدِهِ ; قَالَ: أَعْطَانِيهِ الْوَلِيدُ مِنْ غَيْرِ حَقِّهِ. وَخَرَجَ مِنْ جَمِيعِ مَا كَانَ فِيهِ مِنَ النَّعِيمِ فِي الْمَلْبَسِ وَالْمَأْكَلِ وَالْمَتَاعِ، حَتَّى إِنَّهُ تَرَكَ التَّمَتُّعَ بِزَوْجَتِهِ الْحَسْنَاءِ، فَاطِمَةَ بِنْتِ عَبْدِ الْمَلِكِ، يُقَالُ: كَانَتْ مِنْ أَحْسَنِ النِّسَاءِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ رَدَّ جَهَازَهَا وَمَا كَانَ مِنْ أَمْوَالِهَا إِلَى بَيْتِ الْمَالِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ كَانَ دَخْلُهُ فِي كُلِّ سَنَةٍ قَبْلَ أَنْ يَلِيَ الْخِلَافَةَ أَرْبَعِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَتَرَكَ ذَلِكَ كُلَّهُ حَتَّى لَمْ يَبْقَ لَهُ دَخْلٌ سِوَى أَرْبَعِمِائَةِ دِينَارٍ فِي كُلِّ سَنَةٍ، وَكَانَ حَاصِلُهُ فِي خِلَافَتِهِ ثَلَاثَمِائَةِ دِرْهَمٍ، وَكَانَ لَهُ مِنَ الْأَوْلَادِ جَمَاعَةٌ، وَكَانَ ابْنُهُ عَبْدُ الْمَلِكِ أَجَلَّهُمْ، فَمَاتَ فِي حَيَاتِهِ فِي زَمَنِ خِلَافَتِهِ، حَتَّى يُقَالَ: إِنَّهُ كَانَ خَيْرًا مِنْ أَبِيهِ. فَلَمَّا مَاتَ لَمْ يَظْهَرْ عَلَيْهِ حُزْنٌ،
পৃষ্ঠা - ৭৬০০
আদ্দারানী বলেন, হযরত উমর ইবন আবদুল আযীয হযরত ওয়াইস কারনীর চেয়ে দুনিয়া
বিরাপী ছিলেন ৷ কেননা, তিনি যাবতীয় ণ্ভাগ-বিলাসের উপকরণসহ দুনিয়ার মালিক
হয়েছিলেন ৷ এরপরও তাতে নির্মোহ ও নিরাসক্ত ছিলেন ৷ আর ওয়াইস যদি উমরের ন্যায়
দুনিয়ার সবকিছুর মালিক হতেন, তাহলে তার অবস্থা কি হতো তা আমরা জানি না ৷ আর যিনি
পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তিনি ঐ ব্যক্তির মত নন, যিনি পরীক্ষায় অংশ নেননি ৷ এছাড়া
মালিক ইবন দীনারের উক্তি উল্লিখিত হয়েছে, প্রকৃত যাহিদ, দুনিয়াবিমুখ ব্যক্তি উমর ইবন
আবদুল আযীয ৷ আবদুল্লাহ ইবন দীনার বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীযকে বায়তুল সাল
থেকে কোন ভাতা প্রদান করা হতো না ৷ তার জীবন চরিত বংনািকারিগণ উল্লেখ করেছেন
(একবার) তিনি একজন বাদীকে তাকে পাখ৷ দিয়ে বাতাস করার নির্দেশ দিলেন যাতে তিনি
ঘুমাতে পারেন, তখন তাকে বাতাস করার সময় বাদী নিজেই ঘুমিয়ে গেল ৷ বাদীয় এ অবস্থা
দেখে তার হাত থেকে পাখা নিয়ে তিনিই তাকে বাতাস করতে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন,
তুমিও অনেক গরম সহ্য করেছে৷ ৷ একবার এক ব্যক্তি তাকে দুঅ৷ করে বলল, ইসলামের পক্ষ
থেকে মহান আল্লাহ্ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন ৷ তিনি বললেন, বরং বল, আমার
পক্ষ থেকে আল্লাহ ইসলামকে উত্তম বিনিময় দান করুন ৷ কেননা, আ ৷মি ইসলামের উপকার
করিনি, ইসলাম বরং আমার উপকার করেছে বলা হয়, তিনি তার সাধারণ পরিধেয় কাপড়ের
নীচে অমসৃণ পশমী জামা পরতেন এবং রাতে যখন নামায়ে দাড়াতেন, তখন নিজের গলায়
বেড়ি পরিয়ে দিতেন ৷ তারপর সকালবেলায় একস্থানে তা আবৃত করে রাখতেন ৷ ফলে, কেউ এ
বিষয়ে কিছু জানত না ৷ আবৃত অবস্থায় তা দেখে সকলে ভারত এটা তার কোন প্রিয় সম্পদ বা
রত্ন ৷ এরপর তিনি যখন ইনৃতিকাল করলেন, তখন তারা তা অনাবৃত করে দেখল তাতে একটি
অমসৃণ পশমী জুল্বা এবং একটি বেড়ি ৷
অধিক কান্নাৱ ফলে তার চোখ থেকে রক্তাশ্রু প্রবাহিত হতো ৷ বলা হয় একবার তিনি এক
ছাদের উপর আরোহণ করে এত বেশী র্কাদলেন যে, তার অশ্রু ছাদের পরনালা দিয়ে গড়িয়ে
পড়ে ৷ মন নরম হওয়ার ত্তন্যে এবং অশ্রু অধিক হওয়ার ত্তন্যে তিনি নিয়মিত ভাল থেভেন ৷
তিনি যখন মৃত্যুকে স্মরণ করতেন, তখন তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রকস্পিত হতো ৷ একবার এক ব্যক্তি
তার কাছে তিলাওয়াত করে ট্রু,ট্রু ১)ব্লুঠু ৷ট্রুদ্বপু হু৯ ৷াদ্বুঠু ৷গ্লুার্টুব্ল৷ ৷ ৷ ৷ ৷ এ এবং যখন শৃগ্রলিত
অবস্থায় তাদেরকে তার কোন সংকীর্ণ স্থানে নিক্ষেপ করা হবে’ (সুরা যুৰকানং ১৩) ৷
তখন তিনি ভীষণ কাদলেন ৷ তারপর উঠে গিয়ে স্বগৃহে প্রবেশ করলেন এবং লোকজন
সকলে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ৷ তিনি প্রায়ই বলতেন, হে আল্লাহ্ রক্ষা করুন, রক্ষা করুন ৷ তিনি
বলতেন, হে আল্লাহ্ তাকে সংশোধন করুন, যার সংশোধনে উম্মতে মুহাস্মদীর সংশোধন
রয়েছে ৷ আর তাকে বরবাদ করুন যার বরবাদিতে উম্মতে যুহাম্মাদীর সংশোধন রয়েছে ৷ তিনি
বলেন, সর্বোত্তম ইবাদত হলো ফরম বিধানসমুহ আদায় করা এবং হারাম বিষয়সমুহ পরিহার
করা ৷ তিনি আরও বলেন, যদি মুসলমান সৎ কাজের নির্দেশ প্রদান না করে এবং অসৎ কাজে
বাধা প্রদান না করে, যাতে যে নিজের বিষয়ের মীমাৎসা করতে পারে, তাহলে কল্যাণ কর্মে
একে অন্যের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে ৷ সৎ কাজের নির্দেশ প্রদান এবং অসৎকাজে বাধা
প্রদান থাকবে না, এবং আল্লাহ্র ওয়ান্তে উপদেশ প্রদানকারী এবং হিতাকাজ্জীদের সৎখদ্রাহ্রাস
পাবে ৷ তিনি বলেন, দুনিয়া মহান আল্লাহর প্রিয় পাত্রগণের শত্রু এবং মহান আল্লাহর শত্রুদের
وَقَالَ: أَمْرٌ رَضِيَهُ اللَّهُ فَلَا أَكْرَهُهُ. وَكَانَ قَبْلَ الْخِلَافَةِ يُؤْتَى بِالْقَمِيصِ الرَّفِيعِ اللَّيِّنِ جِدًّا، فَيَقُولُ: مَا أَحْسَنَهُ لَوْلَا خُشُونَةٌ فِيهِ. فَلَمَّا وَلِيَ الْخِلَافَةَ كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ يَلْبَسُ الْقَمِيصَ الْغَلِيظَ الْمَرْقُوعَ وَلَا يَغْسِلُهُ حَتَّى يَتَّسِخَ جِدًّا، وَيَقُولُ: مَا أَحْسَنَهُ لَوْلَا لِينُهُ. وَكَانَ يَلْبَسُ الْفَرْوَةَ الْغَلِيظَةَ، وَكَانَ سِرَاجُهُ عَلَى ثَلَاثِ قَصَبَاتٍ فِي رَأْسِهِنَّ طِينٌ، وَلَمْ يَبْنِ شَيْئًا فِي أَيَّامِ خِلَافَتِهِ. وَكَانَ يَخْدِمُ نَفْسَهُ بِنَفْسِهِ، وَقَالَ: مَا تَرَكْتُ شَيْئًا مِنَ الدُّنْيَا إِلَّا عَوَّضَنِي اللَّهُ مَا هُوَ خَيْرٌ مِنْهُ. وَكَانَ يَأْكُلُ الْغَلِيظَ مِنَ الطَّعَامِ أَيْضًا، وَلَا يُبَالِي بِشَيْءٍ مِنَ النَّعِيمِ، وَلَا يُتْبِعُهُ نَفْسَهُ وَلَا يَوَدُّهُ، حَتَّى قَالَ أَبُو سُلَيْمَانَ الدَّارَانِيُّ: كَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَزْهَدَ مِنْ أُوَيْسٍ الْقَرْنِيِّ ; لِأَنَّ عُمَرَ مَلَكَ الدُّنْيَا بِحَذَافِيرِهَا وَزَهِدَ فِيهَا، وَلَا نَدْرِي حَالَ أُوَيْسٍ لَوْ مَلَكَ مَا مَلَكَهُ عُمَرُ كَيْفَ يَكُونُ؟ لَيْسَ مَنْ جَرَّبَ كَمَنْ لَمْ يُجَرِّبْ. وَتَقَدَّمَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ النَّاسُ يَقُولُونَ: مَالِكٌ زَاهِدٌ. إِنَّمَا الزَّاهِدُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ ; أَتَتْهُ الدُّنْيَا فَاغِرَةً فَاهَا فَرَدَّهَا. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ: لَمْ يَكُنْ عُمَرُ يَرْتَزِقُ مِنْ بَيْتِ الْمَالِ شَيْئًا. وَذَكَرُوا أَنَّهُ أَمَرَ جَارِيَةً تُرَوِّحُهُ حَتَّى يَنَامَ فَرَوَّحَتْهُ، فَنَامَتْ هِيَ، فَأَخَذَ الْمِرْوَحَةَ مِنْ يَدِهَا وَجَعَلَ يُرَوِّحُهَا، وَيَقُولُ: أَصَابَكِ مِنَ الْحَرِّ مَا أَصَابَنِي. وَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: جَزَاكَ اللَّهُ عَنِ الْإِسْلَامِ خَيْرًا. فَقَالَ: بَلْ جَزَى اللَّهُ الْإِسْلَامَ عَنِّي خَيْرًا. وَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ يَلْبَسُ تَحْتَ ثِيَابِهِ مِسْحًا غَلِيظًا مِنْ شَعْرٍ، وَيَضَعُ فِي رَقَبَتِهِ غُلًّا إِذَا قَامَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ، ثُمَّ إِذَا أَصْبَحَ وَضَعَهُ فِي مَكَانٍ وَخَتَمَ عَلَيْهِ فَلَا يَشْعُرُ بِهِ أَحَدٌ وَكَانُوا يَظُنُّونَهُ مَالًا أَوْ جَوْهَرًا مِنْ حِرْصِهِ عَلَيْهِ، فَلَمَّا مَاتَ فَتَحُوا ذَلِكَ الْمَكَانَ فَإِذَا فِيهِ غُلٌّ وَمَسْحٌ.
পৃষ্ঠা - ৭৬০১
وَكَانَ يَبْكِي حَتَّى بَكَى الدَّمَ مِنَ الدُّمُوعِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ بَكَى فَوْقَ سَطْحٍ حَتَّى سَالَ دَمْعُهُ مِنَ الْمِيزَابِ. وَكَانَ يَأْكُلُ مِنَ الْعَدَسِ لِيَرِقَّ قَلْبُهُ وَتَغْزُرُ دَمْعَتُهُ، وَكَانَ إِذَا ذَكَرَ الْمَوْتَ اضْطَرَبَتْ أَوْصَالُهُ، وَقَرَأَ رَجُلٌ عِنْدَهُ {وَإِذَا أُلْقُوا مِنْهَا مَكَانًا ضَيِّقًا مُقَرَّنِينَ} [الفرقان: 13] الْآيَةَ. فَبَكَى بُكَاءً شَدِيدًا ثُمَّ قَامَ فَدَخَلَ مَنْزِلَهُ وَتَفَرَّقَ النَّاسُ عَنْهُ، وَكَانَ يُكْثِرُ أَنْ يَقُولَ: اللَّهُمَّ سَلِّمْ سَلِّمْ. وَكَانَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ أَصْلِحْ مَنْ كَانَ فِي صَلَاحِهِ صَلَاحٌ لِأُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَهْلِكْ مَنْ كَانَ فِي هَلَاكِهِ صَلَاحُ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ: أَفْضَلُ الْعِبَادَةِ أَدَاءُ الْفَرَائِضِ وَاجْتِنَابُ الْمَحَارِمِ. وَقَالَ: لَوْ أَنَّ الْمَرْءَ لَا يَأْمُرُ بِالْمَعْرُوفِ وَلَا يَنْهَى عَنِ الْمُنْكَرِ حَتَّى يَحْكُمَ أَمْرَ نَفْسِهِ لَذَهَبَ الْأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيُ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَلَقَلَّ الْوَاعِظُونَ وَالسَّاعُونَ لِلَّهِ بِالنَّصِيحَةِ. وَقَالَ: الدُّنْيَا عَدُوَّةُ أَوْلِيَاءِ اللَّهِ وَأَعْدَاءِ اللَّهِ، أَمَّا الْأَوْلِيَاءُ فَغَمَّتْهُمْ، وَأَمَّا الْأَعْدَاءُ فَغَرَّتْهُمْ. وَقَالَ: قَدْ أَفْلَحَ مَنْ عُصِمَ مِنَ الْمِرَاءِ وَالْغَضَبِ وَالطَّمَعِ. وَقَالَ لِرَجُلٍ: مَنْ سَيِّدُ قَوْمِكَ؟ قَالَ: أَنَا. قَالَ: لَوْ كُنْتَ كَذَلِكَ لَمْ تَقُلْهُ. وَقَالَ: أَزْهَدُ النَّاسِ فِي الدُّنْيَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَقَالَ: لَقَدْ بُورِكَ لِعَبْدٍ فِي حَاجَةٍ أَكْثَرَ فِيهَا مِنَ الدُّعَاءِ، أُعْطِيَ أَوْ مُنِعَ. وَقَالَ: قَيِّدُوا الْعِلْمَ بِالْكِتَابِ. وَقَالَ لِرَجُلٍ: عَلِّمْ وَلَدَكَ الْفِقْهَ الْأَكْبَرَ: الْقَنَاعَةَ وَكَفَّ الْأَذَى. وَتَكَلَّمَ رَجُلٌ عِنْدَهُ فَأَحْسَنَ، فَقَالَ: هَذَا هُوَ السِّحْرُ الْحَلَّالُ. وَقِصَّتُهُ مَعَ
পৃষ্ঠা - ৭৬০২
ৰন্ধুমিত্র ৷ এরপর সে মহান আল্লাহর মিত্রগণের দুঃখ ও দুশ্চিন্তায় নিপতিত করে ৷ আর
শত্রুদের বিচ্ছিন্ন, প্রভাবিত করে মহান আল্লাহ হতে দুরে সরিয়ে দেয় ৷ তিনি বলেন, ঐ ব্যক্তি
সফ্ফাকাম যে অন্যায় কলহ-বিবাদ, ণ্ক্রাধ ও লোড হতে আত্মরক্ষা করতে পারে ৷ একবার তিনি
এক ব্যক্তিকে প্রশ্ন করলেন, তোমার সম্প্রদায়ের নেতা, শ্রেষ্ঠ কে ? সে বলে, আমি ৷ তিনি
বলেন, তুমি যদি তেমন হতে তাহলে তা বলতে না ৷ তিনি বলেন, সবচেয়ে দুনিয়াৰিমুখ ব্যক্তি
আলী ইবন আবু তালিব (বা) ৷ তিনি বলেন, কোন বান্দার ঐ প্রয়োজনে অবশ্যই কল্যাণ নিহিত
রয়েছে, যার ব্যাপারে সে মহান আল্লাহ্র কাছে বারবার (অধিক) প্রার্থনা করেছে, সে প্রয়োজন
যে লাভ করুক বা না করুক ৷ তিনি বলেন, তোমার জ্ঞানকে লেখার বৃত্তে আবদ্ধ করে রাখ ৷
তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, তোমার ছেলেকে সবচেয়ে বড় ধর্যজ্ঞানধর্মতত্ত্ব শিক্ষা দাও ৷ তা
হলো অল্পে ভুষ্টি এবং অন্যকে কষ্ট দান থেকে বিরত থাক ৷ একবার তার কাছে এক ব্যক্তি
বাক্কুশলতার পরিচয় দিয়ে চমৎকারভাবে কথা বলল, তখন তিনি বলেন, এটাই হলো বৈধ
জাদু ৷ আর আবু হাযিমের সাথে তার কথোপকথনের বর্ণনা বেশ দীর্ঘ ৷ খলীফা হওয়ার পর
তিনি যখন শ্-দেখলেন, যে, কৃচ্ছুতার কারণে তার চেহারা বিবর্ণ এবং অবস্থা পরিবর্তিত, তিনি
তাকে প্রশ্ন করলেন, ইতোপুর্বে আপনার পরিধেয় কি পরিচ্ছন্ন ছিল না ? আপনার চেহারা কি
দীপ্তিময় জ্জি না ? আপনার খাবার কি সুস্বাদু ছিলে না ? আপনার বাহন কি আরামপ্রদ ছিল না?
উমর জবাব দেন, আপনি কি আমাকে আবু হুরায়রা (বা) হতে বর্ণনা করেননি যে, রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামা ইরশাদ করেছেন ১৷ ৷ৰু,£ ই ছু; ণ্ধু ৷ , , ৰু ,ন্ , ৷
&,;; ,,, £ ১৷ ৷ ৷দ্বুদ্বুশুপু “তে ৷মাদেৱ পশ্চাতে রয়েছে এক দুর্গম গিরিপথ, শীর্ণকায়
ছিপছিপে গড়লের (প্রশিক্ষিত) বাহনই তা অতিক্রম করতে পারবে ৷” এরপর তিনি কেদে
ফেলেন এবং বেছুশ হয়ে পড়েন ৷ পরে তিনি চেতনা ফিরে পেয়ে বলেন, তিনি তার এই
অচেতন অবস্থায় দেখলেন যে কিয়ামত সংঘটিত হয়েছে এবং চার খলীফার প্রত্যেককে ডাকা
হলো, তারপর তাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো ৷৩ তারপর তিনি এই
চারজন এবং তার নিজের মধ্যবর্তী সময়ের খলীফাদের কথা উল্লেখ করলেন, বিৎ তাদের
ব্যাপারে কী রায় হল তা তিনি বলতে পারলেন না ৷ তারপর তাকে ডাকা হলো এবং জান্নড়াতে
নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়৷ হলো ৷ এরপর তিনি একাকী হলো, এক প্রশ্নকারী তাকে তার
ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে ৷ তিনি তাকে সে ব্যাপারে অবহিত করেন ৷ তারপর তিনি প্রশ্নকারীকে
বলেন, তুমি কে ? সে বলে, আমি হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ ৷ আমার প্রতিপালক আমাকে প্রত্যেক
হত্যার শান্তিস্বরুপ একবার করে হত্যা করেছেন ৷ তারপর আমি তার প্রভীক্ষা করছি যার
প্ৰতীক্ষা করে থাকে একতুবাদীরা ৷ এছাড়াও উমর ইবন আবদুল আযীষের বহু গুণাগুণ ও
সুকীর্তি বিদ্যমান ৷ আমরা যা উল্লেখ করলাম আশা করি তাই যথেষ্ট ৷ আর সমস্ত প্রশংসা ও
অনুগ্নহ্ মহান আল্পাহ্র ৷ তিনি আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং অতিউত্তম কর্ম বিধায়ক ৷ তিনি
ব্যতীত আমাদের কোন শক্তি নেই, সামর্থ নেই ৷
তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত আলোচনা
তার মৃত্যুর কারণ ছিলে যক্ষা বা ক্ষয় রোগ ৷ অবশ্য এও বর্ণিত আছে, তারই এক মাওলা
(আযাদকৃত দাস) তার খাদ্যে বা পানীয়ে ণোবিহুপ্রয়োগৃ করে (তাকে হত্যা করে ৷) এ জন্য তাকে
أَبِي حَازِمٍ مُطَوَّلَةٌ حِينَ رَآهُ خَلِيفَةً وَقَدْ شَحَبَ وَجْهُهُ مِنَ التَّقَشُّفِ، وَتَغَيَّرَ حَالُهُ، فَقَالَ لَهُ: أَلَمْ يَكُنْ ثَوْبُكَ نَقِيًّا؟ وَوَجْهُكَ وَضِيًّا؟ وَطَعَامُكَ شَهِيًّا؟ وَمَرْكَبُكَ وَطِيًّا؟ فَقَالَ لَهُ: أَلَمْ تُخْبِرْنِي عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ مِنْ وَرَائِكُمْ عَقَبَةً كَئُودًا لَا يَجُوزُهَا إِلَّا كُلُّ ضَامِرٍ مَهْزُولٍ» ؟ ثُمَّ بَكَى حَتَّى غُشِيَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَفَاقَ فَذَكَرَ أَنَّهُ رَأَى فِي غَشْيَتِهِ تِلْكَ أَنَّ الْقِيَامَةَ قَدْ قَامَتْ، وَقَدِ اسْتُدْعِيَ بِكُلٍّ مِنَ الْخُلَفَاءِ الْأَرْبَعَةِ، فَأُمِرَ بِهِمْ إِلَى الْجَنَّةِ، ثُمَّ ذُكِرَ مَنْ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ فَلَمْ يَدْرِ مَا صُنِعَ بِهِمْ، ثُمَّ دُعِيَ هُوَ فَأُمِرَ بِهِ إِلَى الْجَنَّةِ، فَلَمَّا انْفَصَلَ لَقِيَهُ سَائِلٌ فَسَأَلَهُ عَمَّا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ فَأَخْبَرَهُ، ثُمَّ قَالَ لِلسَّائِلِ: فَمَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ، قَتَلَنِي رَبِّي بِكُلِّ قَتْلَةٍ قَتْلَةً، ثُمَّ هَا أَنَا أَنْتَظِرُ مَا يَنْتَظِرُهُ الْمُوَحِّدُونَ. وَفَضَائِلُهُ وَمَآثِرُهُ كَثِيرَةٌ جِدًّا، وَفِيمَا ذَكَرْنَا كِفَايَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ وَهُوَ حَسْبُنَا وَنِعْمَ الْوَكِيلُ.
[سَبَبُ وَفَاةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَحِمَهُ اللَّهُ]
ذِكْرُ سَبَبِ وَفَاتِهِ رَحِمَهُ اللَّهُ
كَانَ سَبَبُهَا السُّلَّ، وَقِيلَ: سَبَبُهَا أَنَّ مَوْلًى لَهُ سَمَّهُ فِي طَعَامٍ أَوْ شَرَابٍ، وَأُعْطِيَ عَلَى ذَلِكَ أَلْفَ دِينَارٍ. فَحَصَلَ لَهُ بِسَبَبِ ذَلِكَ مَرَضٌ، فَأُخْبِرَ أَنَّهُ مَسْمُومٌ، فَقَالَ: لَقَدْ عَلِمْتُ يَوْمَ سُقِيتُ السُّمَّ. ثُمَّ اسْتَدْعَى مَوْلَاهُ الَّذِي سَقَاهُ، فَقَالَ لَهُ:
পৃষ্ঠা - ৭৬০৩
সুপারিশ করল ৷ তখন সে আমাকে তার কারণে মুক্ত করে দিল ৷ এরপর সেই পাদ্রী আমাকে
নিজ গৃহে নিয়ে গেল ৷ সেখানে গিয়ে দেখলাম তার এক অনিন্দাসুন্দরী যুবতী কন্যা রয়েছে ৷
তখন সে তাকে আমার সামনে এই শর্তে নিবেদন করল যে, সে তার সকল অর্থ-সম্পদে
আমাকে শরীক করবে এবং আমি তার সাথে তার ধর্ম গ্রহণ করব ৷ কিন্তু আমি অস্বীকার
করলাম ৷ এরপর তার কন্যা একান্তে আমার সাথে সাক্ষাৎ করে নিজেকে নিবেদন করল ৷ কিন্তু
আমি বিরত থাকলাম ৷ তখন সে বলল, কিসে তোমাকে বিরত রাখছে ? আমি বললাম,
আমার দীন আমাকে বাধা দিচ্ছে ৷ একজন রমণী কিৎবা অন্য কিছুর মােহের কারণে আমি
আমার দীন ত্যাগ করতে পানি না ৷ তখন সে আমাকে বলল, তুমি কি তোমার দেশে ফিরে
যেতে চাও ? আমি বললাম, ইভ্রা ৷ সে বলল, এই তারকা দেখে দেখে রাত্রিকালে পথ চলবে
আর দিনের বেলা আত্মগােপন করে থাকবে ৷ এভাবে (চলতে থাকলে) তুমি তোমার স্বদেশে
পৌছে যাবে ৷ উমায়র বলেন, এভাবে আমি চলতে শুরু করলাম ৷ তিনি বলেন, চতুর্থ দিবসে
আমি যখন আত্মগােপন করে ছিলাম হঠাৎ তখন একদল অশ্বারোহীর আবির্ভাব হলো ৷ তখন
আমি আশঙ্কা করলাম হয়তবা এরা আমার সন্ধানে বের হয়েছে ৷ বিক্ষ্ম অকস্মাৎ আমি দেখলাম
এরা আমার নিহত সঙ্গী আর তাদের সাথে অন্যরাও রয়েছেন ৷ এরা সকলেই ধুসর বর্ণের বাহনে
সওয়ার হয়ে আহ্নে৷ ৷ আমাকে দেখে তারা বললেন, উমায়র ? আমি বললাম, ইভ্রা উমাইর ৷
এরপর আমি তাদেরকে বললাম, তোমরা কি নিহত হওনি ? তারা বলল অবশ্যই ! বিভু আল্লাহ্
তাআলা শহীদদের পুনর্জীবিত করেছেন এবং তাদেরকে উমর ইবন আবদুল আযীষের জানাযায
শরীক হওয়ার অনুমতি দিয়েছেন ৷ উমায়র বলেন, এরপর তাদের একজন আমাকে বলল, হে
উমায়র ! আমাকে তোমার হাত দাও ৷ তখন সে আমাকে তার বাহনে তার পিছে বসিয়ে নিল ৷
এ অবস্থায় আমরা খানিকটা পথ চললাম ৷ তারপর সেই বাহন আমাকে নিয়ে একটি লাফ দিল ৷
তখন আমি অক্ষত অবস্থায় আল-জাযীরায় অবস্থিত আমার বাড়ীর নিকটে গিয়ে পতিত হলাম ৷
রজা ইবন হায়ওয়াহ্ বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয তার মৃত্যুর পর আমাকে তার
গোসল ও কাফনের দায়িত্ব পালনের ওসিয়ত করেছিলেন ৷ এ সময় আমি যখন তার কাফনের
বন্ধন খুলে তার মুখমণ্ডলের দিকে তাকালাম ৷ দেখলাম তা কাগজের ন্যায় শ্যুভ্রাজ্জ্বল ৷ তিনি
আমাকে অবহিত করেছিলেন ইভােপুর্বে তিনি যে সকল খলীফাকে দাফন করেছিলেন তিনি
তাদের মুখমণ্ডলের বন্ধন খুলে দেখেছিলেন, তাদের মুখমগুল ছিলমলিন ৷ ইউসুফ ইবন
মাহিকের জীবনীতে ইবন আসাকির বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা যখন উমর ইবন
আবদুল আযীষের কবরের মাটি সমান করছি এমন সময় উপর থেকে আমাদের কাছে একটি
পত্র পতিত হয় ৷ তাতে এ কথা ছিল পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে এটা উমর ইবন
আবদুল আযীষের জন্য জাহান্নাম থেকে নিরাপত্তার সনদ ৷ তিনি তা রিওয়ায়াত করেছেন
ইব্রাহীম ইবন বাশৃশার সুত্রে উবাদা ইবন আমর থেকে ইউসুফ ইবন মাহিকের
উদ্ধৃতিতে ৷ এই বর্ণনাতে তীব্র অভিনবতু (যথেষ্ট অগ্রহণযোগ্যতা) রয়েছে ৷ আর আল্লাহ্
সর্বাধিক জানেন ৷ এছাড়া তার অনুকুলে বহু শুভ স্বপ্ন দৃষ্ট হয়েছে ৷ তার জন্য সাধারণ বিশেষ
সকলেই আফসােস করেছেন ৷ বিশেষত আলিমগণ, যাহিদগণ এবং আবিদগণ ৷ এছাড়া কবিরাও
তার মৃত্যুতে ণ্শাক গাথা রচনা করেছেন ৷ এ সকল ণ্শাক কাব্যের অন্যতম একটি নিম্নে দেওয়া
(গল-যা আবৃত্তি করেছেন আবু আমর আশৃ-শায়বানী আর রচনা করেছেন কুছানয়্যার আয্যা-শ্
’ ,
وَيْحَكَ، مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ؟ فَقَالَ: أَلْفُ دِينَارٍ أُعْطِيتُهَا. فَقَالَ: هَاتِهَا. فَأَحْضَرَهَا فَوَضَعَهَا فِي بَيْتِ الْمَالِ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: اذْهَبْ حَيْثُ لَا يَرَاكَ أَحَدٌ فَتَهْلَكَ.
ثُمَّ قِيلَ لِعُمَرَ: تَدَارَكْ نَفْسَكَ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَوْ أَنَّ شِفَائِي أَنْ أَمْسَحَ شَحْمَةَ أُذُنِي، أَوْ أُوتَى بِطِيبٍ فَأَشُمَّهُ مَا فَعَلْتُ. فَقِيلَ لَهُ: هَؤُلَاءِ بَنُوكَ وَكَانُوا اثْنَيْ عَشَرَ أَلَا تُوصِي لَهُمْ بِشَيْءٍ ; فَإِنَّهُمْ فُقَرَاءُ؟ فَقَالَ {إِنَّ وَلِيِّيَ اللَّهُ الَّذِي نَزَّلَ الْكِتَابَ وَهُوَ يَتَوَلَّى الصَّالِحِينَ} [الأعراف: 196] وَاللَّهِ لَا أُعْطِيهِمْ حَقَّ أَحَدٍ، وَهُمْ بَيْنَ رَجُلَيْنِ ; إِمَّا صَالِحٌ فَاللَّهُ يَتَوَلَّى الصَّالِحِينَ، وَإِمَّا غَيْرُ صَالِحٍ فَمَا كُنْتُ لِأُعِينَهُ عَلَى فِسْقِهِ وَفِي رِوَايَةٍ: فَلَا أُبَالِي فِي أَيِّ وَادٍ هَلَكَ. وَفِي رِوَايَةٍ: أَفَأَدَعُ لَهُ مَا يَسْتَعِينُ بِهِ عَلَى مَعْصِيَةِ اللَّهِ، فَأَكُونَ شَرِيكَهُ فِيمَا يَعْمَلُ بَعْدَ الْمَوْتِ؟ مَا كُنْتُ لِأَفْعَلَ. ثُمَّ اسْتَدْعَى بِأَوْلَادِهِ فَوَدَّعَهُمْ وَعَزَّاهُمْ بِهَذَا، وَأَوْصَاهُمْ بِهَذَا الْكَلَامِ، ثُمَّ قَالَ: انْصَرِفُوا عَصَمَكُمُ اللَّهُ، وَأَحْسَنَ الْخِلَافَةَ عَلَيْكُمْ. قَالَ: فَلَقَدْ رَأَيْنَا بَعْضَ أَوْلَادِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَحْمِلُ عَلَى ثَمَانِينَ فَرَسًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَكَانَ بَعْضُ أَوْلَادِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ مَعَ كَثْرَةِ مَا تَرَكَ لَهُمْ مِنَ الْأَمْوَالِ يَتَعَاطَى وَيَسْأَلُ مِنْ أَوْلَادِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ لِأَنَّ عُمَرَ وَكَلَ وَلَدَهُ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَسُلَيْمَانُ وَغَيْرُهُ إِنَّمَا يَكِلُونَ أَوْلَادَهُمْ إِلَى مَا يَدَعُونَ لَهُمْ مِنَ الْأَمْوَالِ الْفَانِيَةِ، فَيَضِيعُونَ وَتَذْهَبُ أَمْوَالُهُمْ فِي شَهَوَاتِ أَوْلَادِهِمْ.
পৃষ্ঠা - ৭৬০৪
,এশ্৷ ৷
র্তারা এমন তিনজন আমার চোখ যাদের সদৃশ কাউকে দেখেনি ৷ যাদের অস্থিসমুহকে
কবর মসজিদে ধারণ করে রেখেছে ৷ ন্
আর আপনি তাদের অনুসরণে চেষ্টায় কোন ত্রুটি করেননি
যদি আমি সক্ষম হতাম, তাহলে বহু কল্যাণের বাহক উমর থেকে দায়রে সামআন নামক
স্থানে মৃত্যুকে প্রতিহত করতাম ৷ কিত্তু তাকদীৱ অপ্রতিহত, তার আগমন কখনও সন্ধ্যায়
কখনও প্রডাতকান্সে ৷
ঐতিহাসিকপণ বলেন, হিমস ভুখণ্ডের দায়রে সামআন অঞ্চলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৷
এদিন ছিল বৃহস্পতিবার মতাম্ভরে শুক্রবার ৷ আর এটা ছিল একশ’ এক কিত্বা দুই হিজরীর
রজব মাসের হয় কিংবা ছাবিবশ মতাম্ভা:র একুশ তারিখ ৷ এ সময় তার জানাযার নামায পড়ান
তার চাচাতো ভাই মাসলামা ইবন আবদুল মালিক, মতান্তরে ইয়াষীদ ইবন আবদুল মালিক ৷
আবার কারো মতে তার ছেলে আবদুল আযীয ৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল উনচল্লিশ বছর
কয়েক মাস ৷ কারো মতে চল্লিশ বছর কয়েক মাস ৷ আবার বলা হয় এক চল্লিশ বছর ৷ কারো
মতে আরো অধিক ৷ এছাড়া বলা হয়, তিনি তেষট্টি বছর জীবিত ছিলেন, কিংবা ছত্রিশ বছর,
কিৎবা সাইত্রিশ বছর, কিত্বা আটত্রিশ বছর কিত্বা ত্রিশ ও চল্লিশের মধ্যবর্তী সময়ে ৷ মা’মার
থেকে আবদুর রায্যাক সুত্রে আহমাদ বলেন, তিনি পয়তাল্লিশ বছরের মাথায় ইন্তিকাল
করেন ৷ ইবন আসাকিং মন্তব্য করে বলেন, এটা বিভ্রান্তিকর ৷ প্রথম মতঢিই বিশুদ্ধ অর্থাৎ
উনচল্পিশ বছর কয়েক মাস ৷ আর তার খিলাফতক ল ছিল দুই বছর পাচ মাস চার দিন ৷
আবার বলা হয় দুই বছর পাচ মাস চৌদ্দ দিন কিংবা আড়াই বছর ৷
উমর ইবন আবদুল আযীয বাদামী পাত্র বর্ণের অধিকারী ৷ সুন্দর ও ভীক্ষ্ণ চেহারা ছিপছিপে
গড়ন ও সুদৃশ দাড়ির অধিকারী ৷ তার চক্ষুদ্বয় ছিল ণ্কাটরাগত, কপালে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন ৷
তার চুলে ঈষৎ পাক ধরেজ্যি এবং৩ তিনি খেষাব ব্যবহার করেছিলেন ৷ আল্পাহ্ তা জানা অধিক
জানেন ৷
পরাি:চ্ছদ
উমর ইবন আবদুল আযীয যখন খলীফ৷ মনোনীত হলেন, তখন সিপাহী প্রধান (পার্ড অফ
অনার প্রদানের উদ্দেশ্যে) তার কাছে আসল বর্শা নিয়ে তার সামনে সামনে চলার জন্য ৷ আর
এটা ইতােপুর্বের খলীফাদের অভিষেক অনুষ্ঠানের অংশ ছিল ৷ এসময় উমর তাকে বলেন,
তোমার সাথে আমার কি কাজ ? তুমি সরে যাও ৷ আর্মি মুসলমানদের সাধারণ এক ব্যক্তি ৷
এরপর তিনি অগ্রসর হলেন এবং লোকেরা সকলে তার সাথে অগ্রসর হয়ে মসজিদে প্রবেশ
করল ৷ এসময় তিনি মিম্বরে আং রাহণ করলেন আর লোকজ্যা তাকে কেন্দ্র করে সমবেত হলো ৷
— ৪৩
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، قَالَ: قِيلَ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَوْ أَتَيْتَ الْمَدِينَةَ فَإِنْ قَضَى اللَّهُ مَوْتًا دُفِنْتَ فِي الْقَبْرِ الرَّابِعِ مَعَ رَسُولِ صَلَّى الْهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبِي بَكْرٍ، وَعُمَرَ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَأَنْ يُعَذِّبَنَا اللَّهُ بِكُلِّ عَذَابٍ، إِلَّا النَّارَ فَإِنَّهُ لَا صَبْرَ لِي عَلَيْهَا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ يَعْلَمَ اللَّهُ مِنْ قَلْبِي أَنِّي لِذَلِكَ الْمَوْضِعِ أَهْلٌ.
قَالُوا: وَكَانَ مَرَضُهُ بِدَيْرِ سَمْعَانَ مِنْ قُرَى حِمْصَ وَكَانَتْ مُدَّةُ مَرَضِهِ عِشْرِينَ يَوْمًا.
وَلَمَّا احْتُضِرَ قَالَ: أَجْلِسُونِي. فَأَجْلَسُوهُ، فَقَالَ: إِلَهِي، أَنَا الَّذِي أَمَرْتَنِي فَقَصَّرْتُ، وَنَهَيْتَنِي فَعَصَيْتُ ثَلَاثًا وَلَكِنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَحَدَّ النَّظَرَ، فَقَالُوا: إِنَّكَ لَتَنْظُرُ نَظَرًا شَدِيدًا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: إِنِّي لَأَرَى حَضَرَةً مَا هُمْ بِإِنْسٍ وَلَا جَانٍّ. ثُمَّ قُبِضَ مِنْ سَاعَتِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ قَالَ لِأَهْلِهِ: اخْرُجُوا عَنِّي. فَخَرَجُوا وَجَلَسَ عَلَى الْبَابِ مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَأُخْتُهُ فَاطِمَةُ، فَسَمِعُوهُ يَقُولُ: مَرْحَبًا بِهَذِهِ الْوُجُوهِ الَّتِي لَيْسَتْ بِوُجُوهِ إِنْسٍ وَلَا جَانٍّ، ثُمَّ قَرَأَ {تِلْكَ الدَّارُ الْآخِرَةُ نَجْعَلُهَا لِلَّذِينَ لَا يُرِيدُونَ عُلُوًّا فِي الْأَرْضِ وَلَا فَسَادًا وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ} [القصص: 83] ثُمَّ هَدَأَ الصَّوْتُ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ فَوَجَدُوهُ قَدْ غُمِّضَ، وَسُوِّيَ إِلَى الْقِبْلَةِ، وَقُبِضَ.
وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنِ الدَّرَاوَرْدِيِّ،
পৃষ্ঠা - ৭৬০৫
এ ব্যাপারে তোমার বক্তব্য কী ? আব্বাস বলেন, হীড়া! আমীয়প্সমু’মিনীনঃ ওয়ালীদ আমাকে তা
জায়র্গীৱ স্বরুপ দান করেছিলেন এবং এ ব্যাপারে আমার অনুকুলে ফরমান লিখে দিয়েছিলেন ৷
উমর বলেন, হে যিমী৷ তোমার বক্তব্য কী এখন ? সে বলল, ইয়া আমীরাল মু’মিনীন! আমি
আপনার কাছে কিতাবুল্পাহ্র বিধান চাই ৷ উমর বলেন, হ্যা, কিতাবুল্লাহর নির্দেশ ওয়ালীদের
নির্দেশের চেয়ে অনুসরণের অধিক উপযুক্ত যোগ্য ৷ যাও ! আব্বাস তুমি তাকে তার ভু-সম্পত্তি
ফিরিয়ে দাও ৷ আব্বাস তা ফিরিয়ে দিলেন ৷ এরপর লোকেরা একের পর এক তাদের
আত্মসাতকৃত হকসমুহের অভিযোগ উত্থাপন করতে লাগল ৷ তার কাছে যে যে হকের দাবী ,
উথাপিত হলো তিনি তার সব প্রকৃত প্রাপককে ফিরিয়ে দিলেন ৷ দাবীকৃত সেই হকপ্রাপ্য তার
নিজের দখলে হোক কিৎবা অন্যের দখলে ৷ এমনকি বানু মারওয়ান ও অন্যদের দখলে
অন্যায়ভাবে যে সকল অর্থ-সম্পত্তি ছিল, তিনি তা তাদের থেকে উদ্ধার করলেন ৷ বানু
মারওয়ান তাদের দখলের এসকল অর্থ-সম্পদ রক্ষার্থে সকল নেতৃস্থানীয় ও সম্রাভ ব্যক্তিদের
সাহায্যপ্রহণ করে ৷ কির্ভু তা তাদের কোন উপকারে আসেনি ৷ অবশেষে, তারা তাদের ফুফু
এবং উমর ইবন আবদুল আষীষের ফুফু ফাতিমা বিনৃতে মারওয়ালের কাছে এসে তাদের সাথে
উমর ইবন আবদুল আযীযের কৃত আচরণের অভিযোগ করে যে, তিনি তাদের সব অর্থ-সম্পদ
বাযেয়াপ্ত করেছেন এবং তার দরবারে তাদেরকে অপমানিত হতে দেখেও তার কোন প্রতিকার
করেননি ৷ বানু উমায়্যার এই সম্মানিতা নারী পুর্ববর্তী খলীফাদের কাছে বিশেষ সমীহের পাত্রী
ছিলেন ৷ তার কোন প্রয়োজন তাদের কাছে অপুর্ণ থাকত না ৷ তারা সকলে তাকে বিশেষ সমান
ও শ্রদ্ধা করতেন ৷ উমর ইবন আবদুল আযীযও তার খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের পুর্ব হতে তার
সাথে অনুরুপ আচরণ করতেন ৷ ভাতিজাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে তিনি তার বাহনে আরোহণ
করে উমর ইবন আবদুল আযীযের কাছে গেলেন ৷ তিনি উমারর সাক্ষাতে প্রবেশ করলেন ৷
উমর তাকে যথাযথ খাতির সম্মান করলেন ৷ বেক্ষানা, তিনি তার আপন ফুফু ৷ আরামদায়ক
বসার জন্য তাকে বালিশ এগিয়ে দিলেন ৷ এরপর তিনি তার সাথে কথা বলতে শুরু করলেন ৷
তিনি তাকে তার অভ্যাসের বিপরীত রাগাম্বিত অবস্থায় দেখলেন ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয
তাকে বলেন, ফুফুজান! আপনার কী হয়েছে ? তিনি বলেন, আমার তাতিজারা তোমার
খিলাফ্তকালে অপমান-অপদস্থতার শিকার ৷ তুমি তাদের অর্থ-সষ্পদ নিয়ে অন্যদেরন্হাতে
ভুলে দিয়েছ ৷ তোমার উপস্থিতিতে তাদের সমালোচনা করা হয়েছে ৷ কিন্তু তুমি তার কোন
প্রতিকার করােনি ৷ উমর হেসে ফেলেন এবং বুঝতে পারলেন তিনি তার প্রতি অপ্রসন্ন তার
জ্ঞান;বুদ্ধিতে বার্ধক্যের প্রভাব পড়েছে ৷ এরপর তিনি তার সাথে পুনরায় কথাবার্তা বলতে
লাগলেন ৷ কিন্তু তার ফুফুর রাগ দুর হয়নি ৷ তিনি যখন এ অবস্থা দেখলেন তখন তার সাথে
কোমলতা পরিহার করে বললেন, ফুফু আমা! আপনার জানা উচিত যে, মৃত্যুকালে নবী
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামা তার উম্মতকে এক পরিপুর্ণ পানির উৎসের সন্ধান দিয়ে
গেছেন ৷ তারপর এক ব্যক্তি সেই উৎসের তত্ত্বাবধান করলেন, ন্কিত্তু তিনি তার থেকে কিছুহ্রাস
করলেন না, এমনকি ইনতিকাল করে গেলেন ৷ এরপর সেই পানির উৎসের তত্ত্বাবধান করলো
আরেক ব্যক্তি তিনিও তার থেকে কিছুহ্রাস করলেন না ৷ এমনকি ইনতিকাল করলেন, এরপর
সেই পানির উৎসের দায়িত্ব লাভ করলেন তৃতীয় এক ব্যক্তি ৷ ইনি তার সাথে একটি সংযোগ
খাল খনন করলেন ৷ তারপর থেকে এ উৎসের তত্ত্বাবধায়কেরা একের পর এক খাল খনন
عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ لَمَّا وُضِعَ عِنْدَ قَبْرِهِ هَبَّتْ رِيحٌ شَدِيدَةٌ، فَسَقَطَتْ صَحِيفَةٌ بِأَحْسَنِ كِتَابٍ فَقَرَءُوهَا فَإِذَا فِيهَا: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، بَرَاءَةٌ مِنَ اللَّهِ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ مِنَ النَّارِ. فَأَدْخَلُوهَا بَيْنَ أَكْفَانِهِ، وَدَفَنُوهَا مَعَهُ. وَرُوِيَ نَحْوُ هَذَا مِنْ وَجْهٍ آخَرَ.
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بِسَنَدِهِ، عَنْ عُمَيْرِ بْنِ الْحُبَابِ السُّلَمِيِّ، قَالَ: أُسِرْتُ أَنَا وَثَمَانِيَةٌ فِي زَمَنِ بَنِي أُمَيَّةَ، فَأَمَرَ مَلِكُ الرُّومِ بِضَرْبِ رِقَابِنَا، فَقُتِلَ أَصْحَابِي، وَشَفَعَ فِيَّ بِطْرِيقٌ مِنْ بَطَارِقَةِ الْمَلِكِ، فَأَطْلَقَنِي لَهُ، فَأَخَذَنِي إِلَى مَنْزِلِهِ، وَإِذَا لَهُ ابْنَةٌ مِثْلُ الشَّمْسِ، فَعَرَضَهَا عَلَيَّ، وَعَلَى أَنْ يُقَاسِمَنِي نِعْمَتَهُ، وَأَدْخُلَ مَعَهُ فِي دِينِهِ، فَأَبَيْتُ، وَخَلَتْ بِي ابْنَتُهُ فَعَرَضَتْ نَفْسَهَا عَلَيَّ فَامْتَنَعْتُ، فَقَالَتْ: مَا يَمْنَعُكَ مِنْ ذَلِكَ؟ فَقُلْتُ: يَمْنَعُنِي دِينِي، فَلَا أَتْرُكُ دِينِي لِامْرَأَةٍ وَلَا لِشَيْءٍ. فَقَالَتْ: تُرِيدُ الذَّهَابَ إِلَى بِلَادِكَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. فَقَالَتْ: سِرْ عَلَى هَذَا النَّجْمِ بِاللَّيْلِ، وَاكْمُنْ بِالنَّهَارِ ; فَإِنَّهُ يُلْقِيكَ إِلَى بِلَادِكَ. قَالَ: فَسِرْتُ كَذَلِكَ. قَالَ: فَبَيْنَا أَنَا فِي الْيَوْمِ الرَّابِعِ مُكْمِنٌ، وَإِذَا بِخَيْلٍ مُقْبِلَةٍ فَخَشِيتُ أَنْ تَكُونَ فِي طَلَبِي ; فَإِذَا أَنَا بِأَصْحَابِي الَّذِينَ قُتِلُوا، وَمَعَهُمْ آخَرُونَ عَلَى دَوَابَّ شُهْبٍ، فَقَالُوا: عُمَيْرٌ؟ فَقُلْتُ: عُمَيْرٌ، فَقُلْتُ: أَوَلَيْسَ قَدْ قُتِلْتُمْ؟ قَالُوا: بَلَى، وَلَكِنَّ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، نَشَرَ الشُّهَدَاءَ، وَأَذِنَ لَهُمْ أَنْ يَشْهَدُوا جِنَازَةَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ: ثُمَّ قَالَ لِي بَعْضُهُمْ: نَاوِلْنِي يَدَكَ يَا عُمَيْرُ، فَأَرْدَفَنِي، فَسِرْنَا يَسِيرًا، ثُمَّ قَذَفَ بِي قَذْفَةً وَقَعْتُ قُرْبَ مَنْزِلِي بِالْجَزِيرَةِ، مِنْ غَيْرِ
পৃষ্ঠা - ৭৬০৬
ও মুল্যবান রত্নাদি রেখে গেছেন ৷ ফাতিমা দুত পাঠিয়ে তাকে জানালেন, সম্মানিত ভ্রাতা! উমর
তো কোন কিছুই রেখে যাননি, তবে শুধু এই রুমালে যা আছে তা এবং তিনি দুতের সাথে এই
রুমালটিও ইয়াযীদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন ৷ ইয়াযীদ সেই রুমালের বন্ধন খুললেন, তাতে
একটি মোটা কাপড়ের তালিযুক্ত জামা, একটি অমসৃণ চাদর এবং একটি জীর্ণ মোটা কাপড়ের
জুব্ব৷ পেলেন ৷ এসব দেখে ইয়াযীদ তার দুতকে বললেন, তুমি গিয়ে ফাতিমাকে বলো, আমি
তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিনি, এটা আমার উদ্দেশ্যও নয়, আমি তাকে ঐ কক্ষ দুটির মধ্যে
কী আছে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি ৷ ফাতিমা তাকে বলে পাঠালেন, শপথ ঐ সত্তার যিনি
আমাকে বিধবা করেছেন, তিনি খিলাফতের দায়িত্গ্রহণের পর থেকে আমি ঐ কক্ষ দুটিতে
প্রবেশ করিনি ৷ কেননা, আমি জানতাম তিনি তা অপসন্দ করতেন ৷ এগুলি কক্ষ দুটির চাবি,
আপনি এসে তাতে যা আছে তা নিয়ে বায়ভুল মালে স্থানান্তরিত করুন ৷ ইয়াযীদ, উমর ইবনুল
ওয়ালীদকে সাথে নিয়ে উমর ইবন আবদুল আযীযের গৃহে, প্রবেশ করলেন ৷ এরপর তাদের
উপস্থিতিতে একটি কক্ষ খোলা হল, দেখা গেল তাতে একটি চামড়ার ঘোড়া এবং ঘোড়ার
কাছে চারটি ৰিছানাে পাকা ইট এবং একটি পিতলের জগ রয়েছে ৷ উমর ইবনুল ওয়ালীদর্ম
বলল, আল্লাহ্ আমাকে ক্ষমা করুন ৷ তারপর দ্বিতীয় কক্ষটি খোলা হলো ৷ সেখানে পাওয়া
গেল, কঙ্কর ৰিছানাে জায়নামায এবং কক্ষের ছাদের সাথে সংযুক্ত একটি শিকল যার প্রাস্তভাগে
মানুষের মাথা ঘাড় পর্যন্ত প্রবেশ করে এরুপ আকৃতির একটি বেড়ির মত উপকরণ, তিনি যখন
ইৰাদতে নিন্তেজ হয়ে পড়াতন কিৎবা নিজের কোন পাপের কথা স্মরণ করতেন, তখন সেই
ণ্বড়ি তিনি নিজের গলায় পরাতেন, কখনও বা তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে ঘুম দুর করার জন্য তা
গলায় প্রবেশ করাতেন ৷ এছাড়া তারা সেখানে একটি তালাবদ্ধ সিন্দুক পেলেন, তখন তা খুলে
তাতে একটি পাত্র কৌট৷ পাওয়া গেল ৷ আর সেটা খুলে পাওয়া গেল একটি অমসৃণ পশমী
জুবৃবা এবং অনুরুপ একটি খাটো পায়জামা ৷ এসব দেখে ইয়াযীদ ও তার সাথীরা কান্না স বরণ
করতে পারলেন না ৷ ইয়াযীদ বললেন, আমার ভাই আল্লাহ আপনাকে রহম করুন ৷ আপনার
বাইরের অবস্থা যেমন পরিচ্ছন্ন ও নির্মল ছিল, তেমনি আপনার ভিতরের অবস্থাও নির্মল,
নিষ্কলুষ ৷ তখন (অভিযোগ উথাপনকারী) উমর ইবন ওয়ালীদ লজ্জিত ও অনুশোচনাদগ্ধ হয়ে
একথা বলতে বলতে বের হয়ে আসল, আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন ৷ আমি তাে শুধু তাই
বলেছি যা আমাকে বলা হয়েছে ৷
-ৱজা ইবন হায়ওয়াহ্ বলেন, যখন তার অন্তিম মুহুর্ত উপস্থিত হয়, তখন তিনি বলতে
লাগলেন, হে আল্লাহ! আপনার ফায়সালার প্রতি আমাকে সন্তুষ্ট করুন এবং আপনার তাকদীর
ও নির্ধাণে আমার জন্য বরকত প্রদান করুন যাতে আপনি যা ত্বরান্বিত করেছেন তার জন্য আমি
বিলম্বকরণ পসন্দ না করি এবং আপনি যা বিলম্বিত করেছেন তার জন্য তৃরান্বিতকয়ণ পসন্দ না
করি ৷ একথা বলতে বলতে তিনি ইনতিকাল করলেন ৷ তিনি বলাতন, আল্লাহ্র ফায়সা লাকৃত
নিধর্টরিত ক্ষেত্রসমুহ ব্যতীত আমার বিষয়াদিতে আমার কতৃতৃ খেয়ালখুশীতে পরিণত হয়েছে ৷
শুআয়ব ইবন সফওয়ান বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয খিলাফতের দায়িতুগ্রহণ
করলেন ৷ হযরত সালিম ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন উমর লিখলেন উমর! পর কথা হলো, তোমার
পুর্বেও অনেকে খিলাফতের এবং প্রজা শাসনের কর্তৃত্ব লাভ করেছে, এরপর তারা সকলেই
ইনতিকাল করেছে, যেমন তুমি প্রত্যক্ষ করেছ ৷ আর তারা তাদের সেবক, অনুচর, বংশধর ও
প্রজ৷ সমাবেশের মাঝে থাকার পর নিঃসঙ্গ ও একাকী অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেছে ৷
أَنْ يَكُونَ لَحِقَنِي شَرٌّ.
وَقَالَ رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ كَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَدْ أَوْصَى إِلَيَّ أَنْ أُغَسِّلَهُ وَأُكَفِّنَهُ، وَأَدْفِنَهُ فَإِذَا حَلَلْتُ عُقْدَةَ الْكَفَنِ، أَنْ أَنْظُرَ فِي وَجْهِهِ، قَالَ: فَلَمَّا فَعَلْتُ ذَلِكَ إِذَا وَجْهُهُ كَالْقَرَاطِيسِ بَيَاضًا، وَكَانَ قَدْ أَخْبَرَنِي أَنَّهُ دَفَنَ ثَلَاثَةً مِنَ الْخُلَفَاءِ فَيَحُلُّ عَنْ وُجُوهِهِمْ فَإِذَا هِيَ مُسْوَدَّةٌ.
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ يُوسُفَ بْنِ مَاهِكٍ قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ نُسَوِّي التُّرَابَ عَلَى قَبْرِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِذْ سَقَطَ عَلَيْنَا مِنَ السَّمَاءِ كِتَابٌ فِيهِ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، أَمَانٌ مِنَ اللَّهِ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ مِنَ النَّارِ. سَاقَهُ مِنْ طَرِيقِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ بَشَّارٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَزِيدَ الْبَصْرِيِّ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهِكٍ فَذَكَرَهُ، وَفِيهِ غَرَابَةٌ شَدِيدَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رُئِيَتْ لَهُ مَنَامَاتٌ صَالِحَةٌ، وَتَأَسَّفَ عَلَيْهِ الْخَاصَّةُ وَالْعَامَّةُ، لَا سِيَّمَا الْعُلَمَاءُ وَالزُّهَّادُ وَالْعُبَّادُ. وَرَثَاهُ الشُّعَرَاءُ ; فَمِنْ ذَلِكَ مَا أَنْشَدَهُ أَبُو عَمْرٍو الشَّيْبَانِيُّ لِكُثَيِّرِ عَزَّةَ يَرْثِي عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ
عَمَّتْ صَنَائِعُهُ فَعَمَّ هَلَاكُهُ ... فَالنَّاسُ فِيهِ كُلُّهُمْ مَأْجُورُ
وَالنَّاسُ مَأْتَمُهُمْ عَلَيْهِ وَاحِدٌ ... فِي كُلِّ دَارٍ رَنَّةٌ وَزَفِيرُ
يُثْنِي عَلَيْكَ لِسَانُ مَنْ لَمْ تُولِهِ ... خَيْرًا لِأَنَّكَ بِالثَّنَاءِ جَدِيرُ
رَدَّتْ صَنَائِعُهُ عَلَيْهِ حَيَاتَهُ ... فَكَأَنَّهُ مِنْ نَشْرِهَا مَنْشُورُ
পৃষ্ঠা - ৭৬০৭
বলেন, আবুআয়ুবাে তুমি এখন আমার থেকে দুরে সরে যাও ৷ মানুষকে উপদেশ প্রদানে ক্ষতির
দিক রয়েছে যা থেকে উপদেশদাতাও নিষ্কৃতি ৩পায় না ৷ আর মুমিনের জন্য কথার চেয়ে কাজ
বেশী যরুরী ৷ ইবন আবুদ্ দুনইয়া তার থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি বলেন, আমরা
এমন কতক লোককে প্রশাসক নিয়োগ করতে চাইলাম যাদেরকে পুণ্যবান ও সজ্জন গণ্য
করতাম ৷ তারপর যখন আমরা তাদেরকে নিয়োগ করলাম, দেখলাম তারা পাপাচারী ৷
পাপাচারে লিপ্ত হতে লাগল ৷ আল্লাহ পাক তাদেরকে ধ্বংস করুন ৷ তারা কি কবরের পাশ দিয়ে
হেটে যায় না! আবদুর রায্যাক বর্ণনা করে বলেন, আমি মামারকে উল্লেখ করতে শুনেছি,
তিনি বলেন, আদী ইবন আরতাআ সম্পর্কে আপত্তিকর কিছু তথ্য জানার পর উমর ইবন
আবদুল আযীয (র) তাকে লিখলেন, পর কথা হলো, তোমার ব্যাপার আমাকে ধোকাগ্রস্ত
করেছে ৷ আলিমগণের সাথে তোমার উঠাবস৷ এবং মাথার পিছনে তোমার কাল পাগড়ী ঝুলিয়ে
দেওয়া ৷ তুমি যেমন তোমার বাহ্যিক অবন্থাকে সুন্দর করে প্রকাশ করেছ, তেমনি আমরাও
তোমার প্ৰতি সুধারণা পোষণ করেছি ৷ অবশ্য এখন আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তোমার
অনেক কৃতকর্মের খবর অবহিত করেছেন ৷
ইমাম তাবারানী, দারা কুতনী এবং একাধিক আলিম উমর ইবন আবদুল আযীয পর্যন্ত
প্রলম্বিত তাদের বর্ণনা সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যে, (একবার) তিনি তার জনৈক গভর্নরকে
লিখলেনর্ত পর কথা হলো, আমি তোমাকে বিশেষভাবে উপদেশ দিচ্ছি আ ৷ল্লাহ্ভীতি তঅবলম্বনের,
তার রাসুলের সুন্নাত অনৃসরংণর এবং তার নির্দেশ পালনে মধ্যপন্থা অবলম্বনের ৷ এছাড়া সুন্নাত
বিরোধী বিদআতপন্থীরা তার পর যা কিছুর উদ্ভব ঘঢিয়েছে তা বর্জনের ৷ তারপর তুমি জেনে
রাখ, এমন কোন বিদ্আত নেই যে, তার পুর্বেত তার অসারতা সাব্যস্তকারী প্রমাণ বিদ্যমান
নেই ৷ সুতরাৎ তুমি সুন্নাতকে আকডে ধর ৷ কেননা, সুন্নাত যিনি প্রবর্তন করেছেনত তিনি জানেন
তার বিরোধিতায় কি বক্রতা, বিচ্যুতি, নির্বুদ্ধিতা, ত্রুটি ও বাড় বাড়ি রয়েছে ৷ আর সুন্নাতের
অনুসারী পুর্ববর্তীরা বিষয়াদির রহস্য উদঘাটনে অধিক সক্ষম ছিলেন ৷ কঠিন আমলে অধিক
পারঙ্গম ছিলেন ৷ আর তাদের কাজ ছিল অধিক সঠিক ৷ আর তোমরা নিজেদের উপর
(বিদআতের) যে বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছ, তাতে যদি কোন ভাল দিক থাকত, তাহলে তারা তা
গ্রহণের অধিক উপযুক্ত হতেন এবৎ৩ তার দিকে দ্রুত তর গতিতে ধাবিত হতেন ৷ কেননা,
প্রত্যেক কল্যাণে তারাই সবগ্রিবর্তী ৷ আর তুমি যদি একথা বল তাদের পরও তো কোন কোন
কল্যাণের উদ্ভব হয়েছে, তাহলে জেনে নাও, তার উদ্ভব ঘটিয়েছে এমন ব্যক্তি যে মু’মিনদের
পথের পরিবর্তে ভিন্ন পথ অবলম্বন করেছে এবৎ তাদের পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তাদের
প্রতি তার অন্তর বিমুখ হয়েছে ৷ তার ব্যাপারে তারা যথেষ্ট বলেছেন এবং পর্যাপ্ত বর্ণনা
করেছেন ৷ যে তাদের থেকে পিছিয়ে থাকবে, যে অবহেলাকারী আর যে তাদেরকে ছাড়িয়ে
যেতে চাইবে, সে অশিষ্টত৷ প্রদর্শনকারী ৷ কতক লোক তাদের দীনকে সংক্ষিপ্ত করেছে ৷ ফলে
তারা অচল হয়ে পড়েছে ৷ আবার কতক লোক লালসাগ্রস্ত হয়েছে ৷ ফলে তারা অতিরঞ্জন ও
বাড়াবাড়ি করেছে ৷
আবদুল আযীষের ছেলেকে আল্লাহ রহম করুন ৷ কি চমৎকার তার এই বক্তব্য যা নিঃসৃত
হয়েছে এমন এক অন্তর থেকে যা সুন্নাতের অনুপমন এবং সাহাবায়ে কিরামের অবস্থার প্রতি
ভালবাসার পুর্ণ ছিল ৷ ফকীহ বা অন্যদের মধ্যে এমন ব্যক্তি কে আছে যে এমনভাবে বলতে
পারে ৷ কাজেই আল্লাহ্ তাকে অনুগ্রহ করুন এবং ক্ষমা করুন ৷
وَقَالَ جَرِيرٌ يَرْثِي عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى
يَنْعَى النُّعَاةُ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَنَا ... يَا خَيْرَ مَنْ حَجَّ بَيْتَ اللَّهِ وَاعْتَمَرَا
حَمَلْتَ أَمْرًا عَظِيمًا فَاضْطَلَعْتَ بِهِ ... وَقُمْتَ فِيهِ بِأَمْرِ اللَّهِ يَا عُمْرَا
الشَّمْسُ كَاسِفَةٌ لَيْسَتْ بِطَالِعَةٍ ... تَبْكِي عَلَيْكَ نُجُومُ اللَّيْلِ وَالْقَمَرَا
وَقَالَ مُحَارِبُ بْنُ دِثَارٍ رَحِمَهُ اللَّهُ يَرْثِي عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى:
لَوْ أَعْظَمَ الْمَوْتُ خَلْقًا أَنْ يُوَاقِعَهُ ... لِعَدْلِهِ لَمْ يُصِبْكَ الْمَوْتُ يَا عُمَرُ
كَمْ مِنْ شَرِيعَةِ عَدْلٍ قَدْ نَعَشْتَ لَهُمْ ... كَادَتْ تَمُوتُ وَأُخْرَى مِنْكَ تُنْتَظَرُ
يَا لَهَفَ نَفْسِي وَلَهَفَ الْوَاجِدِينَ مَعِي ... عَلَى الْعُدُولِ الَّتِي تَغْتَالُهَا الْحَفْرُ
ثَلَاثَةٌ مَا رَأَتْ عَيْنِي لَهُمْ شَبَهًا ... تَضُمُّ أَعْظُمَهُمْ فِي الْمَسْجِدِ الْحُفَرُ
وَأَنْتَ تَتْبَعُهُمْ لَمْ تَأْلُ مُجْتَهِدًا ... سُقْيًا لَهَا سُنَنٌ بِالْحَقِّ تَفْتَقِرُ
لَوْ كُنْتُ أَمْلِكُ وَالْأَقْدَارُ غَالِبَةٌ ... تَأْتِي رَوَاحًا وَتِبْيَانًا وَتَبْتَكِرُ
صَرَفْتُ عَنْ عُمَرَ الْخَيْرَاتِ مَصْرَعَهُ ... بِدَيْرِ سَمْعَانَ لَكِنْ يَغْلِبُ الْقَدْرُ
قَالُوا: وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِدَيْرِ سَمْعَانَ مِنْ أَرْضِ حِمْصَ يَوْمَ الْخَمِيسِ، وَقِيلَ:
পৃষ্ঠা - ৭৬০৮
দেখলাম, ইতোপুর্বে আমি আপনাকে এমনভাবে র্কাদতে দেখিনি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, উমর
কেদে ফেলেন, তারপর বলেন, বৎস! তখন আমি আল্লাহ্র সামনে র্দাড়াবনারৰ্ কথা স্মরণ
করেছিলাম ৷ ইবন আবুদু দুনৃইয়া বলেন, তারপর তিনি বেহুশ হয়ে গেলেন এবং বেশ খানিকটা
বেলা হওয়া পর্যন্ত ভুশ ফিরে পেলেন না ৷ তিনি বলেন, এরপর হতে মৃত্যু পর্যন্ত তাকে আমি
হাসতে দেখিনি ৷ একদিন তিনি এই আয়াত জ্যিড়াওয়াত করলেন-
তৃমি যে কোন অবস্থায় থাক এবং তুমি সে সম্পর্কে কুরআন থেকে যা আবৃত্তি কর এবং
তোমরা যে কোন কাজ কর আমি তোমাদের পরিদর্শক’ (১০ : ৬১) ৷ এবং ভীষণভাবে
র্কাদতে লাগলেন, এমনকি, বাড়ীর অন্যান্য সকলে সে কান্নার আওয়ায শুনতে পেল ৷ তার শ্রী
ফাতিমা বিনত আবদুল মালিক আসলেন এবং স্বামীর কান্না দেখে বসে র্কাদতে লাগলেন-
এরপর তাদের দৃইজনের কান্না দেখে বাড়ীর অন্যরাও র্কাদতে লাগল ৷ এ সময় তার ছেলে
আবদুল মালিক সকলের এ অবস্থায় সেখানে আসলেন এবং তার পিতার উদ্দেশ্যে বললেন,
আব্বাজান! আপনি র্কাদছেন কেন ? তিনি বললেন, বৎস৷ ভাল কারণেই আমি র্কাদছি ৷
তোমার পিতা কামনা করেছে যদি সে দুনিয়াকে না চিনত এবংদৃনিয়া তাকে না চিনত, তাহলে
কত ভাল হতো ৷ আল্লাহ্র কসম, হে বাংলা আমার আশঙ্কা হয়েছে যে, মৃত্যুর পর আমি না
জাহান্নামবাসী হয়ে যাই !
এছাড়া ইবন আবুদু দুনৃইয়া বর্ণনা করেন, আবদুল আলা ইবন আবু আবদুল্লাহ্ আল আম্বরী
হতে তিনি বলেন, (একবার) আমি জুমুআর দিন উমর ইবন আবদুল আযীযকে তৈলাক্ত কাপড়
পরিহিত অবস্থায় বের হতে দেখলাম ৷ এ সময় তার পিছনে এক হাবশী ছুাটছিল্ ৷ তারপর তিনি
যখন লোক সমাবেশে পৌছে গেলেন, তখন হাবশী ফিরে আসল ৷ আর উমর ইবন আবদুল
আযীয যখন দুই ব্যক্তির কাছে পৌছতেন, তখন বলতেন, এভাবে মহান আল্লাহ ণ্তড়ামাংদর
দৃইজনকে রহম করুন ৷ অবশেষে তিনি মিম্বরে আংরাহণ করে খুত্রা শুরু করলেন ৷ খুত্বায়
তিনি এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন-
শ্ ’ ষ্
১ ৷ এরপর তিনি বলেন, আর
সুর্যের কী অবস্থা হবে ? এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেন ং
’
-জাহান্নামের আগুন যখন উসৃকে
ন্ দেওয়া হবে, এবং জান্নড়াত যখন নিকটবর্তীকরা হবে (৮১ং ১২ ১৩) ৷
এরপর তিনি র্কাদতে লাগলেন এবং মসজিদে উপস্থিত সকলেই কাদতে লাগল এবং
সকলের সমস্বরে কান্নার শব্দ মসজিদে প্রতিধ্বনিত ও প্রকম্পিত হতে লাগল ৷ এমনকি আমার
মনে হলো তার সাথে সাথে মসজিদের দেওয়ালসমুহও যেন র্কাদছে ৷ একবার জনৈক বেদুঈন
আরব তার সাথে সাক্ষাত্করে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! প্রয়োজন আমাকে আপনার দ্বারস্থ
করেছে ৷ এখন আমি আমার চেষ্টায় চুড়ান্ত সীমার উপনীত হয়েছি ৷ আর আল্লাহ্ আপনাকে
আমার সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন ৷ তখন উমর কেদে ফেলেন এবং তাকে বলেন, তোমার পােষ্য
الْجُمُعَةِ لِخَمْسٍ مَضَيْنَ. وَقِيلَ: بَقِينَ مِنْ رَجَبٍ. وَقِيلَ: لِعَشْرٍ بَقِينَ مِنْ رَجَبٍ سَنَةَ إِحْدَى - وَقِيلَ: ثِنْتَيْنِ - وَمِائَةٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ: تُوُفِّيَ فِي جُمَادَى سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَمِائَةٍ. وَصَلَّى عَلَيْهِ ابْنُ عَمِّهِ مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَقِيلَ: صَلَّى عَلَيْهِ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَقِيلَ: ابْنُهُ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَكَانَ عُمْرُهُ يَوْمَ مَاتَ تِسْعًا وَثَلَاثِينَ سَنَةً وَأَشْهُرًا، وَقِيلَ: إِنَّهُ جَاوَزَ الْأَرْبَعِينَ بِأَشْهُرٍ. وَقِيلَ: بِسَنَةٍ. وَقِيلَ: بِأَكْثَرَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ عَاشَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: سِتًّا وَثَلَاثِينَ. وَقِيلَ: سَبْعًا وَثَلَاثِينَ. وَقِيلَ: ثَمَانٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: مَا بَيْنَ الثَّلَاثِينَ إِلَى الْأَرْبَعِينَ وَلَمْ يَبْلُغْهَا.
وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ: مَاتَ عُمَرُ عَلَى رَأْسِ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ سَنَةً. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَهَذَا وَهْمٌ، وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ، يَعْنِي تِسْعًا وَثَلَاثِينَ سَنَةً وَأَشْهُرًا. وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ سَنَتَيْنِ وَخَمْسَةَ أَشْهُرٍ وَأَرْبَعَةَ أَيَّامٍ. وَقِيلَ: وَأَرْبَعَةَ عَشَرَ يَوْمًا. وَقِيلَ: سَنَتَانِ وَنِصْفٌ.
وَكَانَ - رَحِمَهُ اللَّهُ - أَسْمَرَ دَقِيقَ الْوَجْهِ حَسَنَهُ، نَحِيفَ الْجِسْمِ حَسَنَ اللِّحْيَةِ، غَائِرَ الْعَيْنَيْنِ، بِجَبْهَتِهِ أَثَرُ شَجَّةٍ، وَكَانَ قَدْ شَابَ وَخَضَّبَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৬০৯
পত্র প্রেরণ করেন তার কথা হলো, এমন কতক লোক রয়েছে যারা এই শরাবপানে আসক্ত
অবস্থায় বার্ধকে উপনীত হয়েছে ৷ এই শরাবের নেশায় তারা এমনসব বিষয়ে লিপ্ত হয় যা তারা ন্
করে থাকে তাদের আকলবুদ্ধি ণ্লা প পাওয়ার সময় এবং বিবেক ও বিবেচনা বোধ নিক্রিয়
হওয়ার সময় ৷ ফলে, তারা এ সময় রক্তপাত ঘটায়, ব্যতিচারে লিপ্ত হয় এবং অবৈধ উপার্জান
প্রবৃত্ত হয় ৷ অথচ আল্পাহ্ তাআলা তার পরিবর্তে অনেক হালাল পানীয়ের অবকাশ রেখেছেন ৷
কাজেই, তোমাদের কেউ যদি নাবীয বা তাড়ি বানায় সে যেন চামড়ার মশকেই বানায় ৷ আর
আল্লাহর হালালকৃত পানীয় পান করে হারাম পানীয় পরিহার করে চলে ৷ আমাদের এই
সতর্কীকরণের পর যদি আমরা কাউকে হারাম পানীয় পান করতে দেখি, তাহলে আমরা তাকে
কঠিন শাস্তি প্রদান করব ৷ আর মহান আল্লাহর হারামকৃত বিষয়কে যে লঘু গণ্য করবে, সে
জোন রাখুক যে, আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোরতর ৷
ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের খিলাফত
তার ভইি খলীফা সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের এক ফরমান দ্বারা তার অনুকুলে এই
মর্মে বায়আত গৃহীত হয়েছিল যে, উমর ইবন আবদুল আযীষের পর তিনিই শাসন কর্তৃত্বের
অধিকার হবেন ৷ তারপর যখন এ বছর অর্থাৎ একশ’ এক হিজরীর রজব মাংস উমর ইবন
আবদুল আযীয ইন্তিকাল করলেন, তখনসকলে ব্যাপকভাবে তার কাছে বায়আত করল ৷ এ
সময় তার বয়স উনত্রিশ বছর ৷ দায়িত্ব গ্রহণের পর এ বছরের রমযান মাংস তিনি পবিত্র
মদীনায় প্রশাসক পদ থেকে আবু বাকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযমকে অপসারণ
করেন এবং নতুন প্রশাসকরুপে আবদুল রহমান ইবন যাহ্হাক ইবন কায়সকে নিয়োগ করেন ৷
ফলে তার মাঝে এবং আবু বাকর ইবন হাযমের মাঝে পারস্পরিক প্রতিদ্বস্থিতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি
হয় ৷ এমনকি এই পর্যন্ত পড়ায় যে, আবু বাকর ইবন হাযম তার বিরুদ্ধে সংব্শাধনমুলক একটি
শাসন ব্যবস্থাও প্রতিষ্ঠা করে ৷
এ ছাড়া এ বছর বুসতাম খারিজীর অনুসারী খারিজীদের মাঝে এবং কুফার সেনাবাহিনীর
মাঝে লড়াই সংঘটিত হয় ৷ খারিজীদের সংখ্যা ছিল কম, আর কুফার সেনাবাহিনীর সংখ্যা ছিল
প্রায় দশ সহস্র অশ্বারোহী ৷ তা সত্বেও খারিজীরা তাদেরকে পর্বুদস্ত করার উপক্রম হয় ৷ তখন
তারা পারস্পরিক ভহ্সনার মাধ্যমে একে অন্যকে লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করে খারিজীদের বিধ্বস্ত করে
এবং তাদের সকলকে হত্যা করে ৷ তাদের সকল বিদ্রোহী গােষ্ঠীকে তারা নির্মুল করে ৷ এ
বছরেই ইয়াযীদ ইবন মুহাল্পাব বিদ্রোহ করে এবং ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের বায়আত
প্রত্যাহার করে বসরায় নিজের কর্তৃতু প্রতিষ্ঠা করে ৷ এ জন্য তাকে দীর্ঘ অবরোধ ও লড়াইয়ের
সম্মুখীন হতে হয় ৷ তারপর সে যখন তার কর্তৃত্ব লাভ করে, তখন সে তার অধিবাসীদের মাঝে
ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা করে এবং অর্থসম্পদ অকাতরে ব্যয় করে ৷ এ সময় সে বসরার গভর্নর
আদী ইবন আরআসাকে বন্দী করে ৷ কেননা, সে বসরায় অবস্থানকারী মুহাল্লাব পরিবারের
সদস্যদের বন্দী করে যখন ইয়াযীদ ইবন মুহাল্পাব উমর ইবন আবদুল আযীষের বব্দীখানা থেকে
পলায়ন করে যেমন আমরা ইতোপুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব যখন গভর্নরের
প্রাসাদের দখল লাভ করল, তখন আদী ইবন আরতাআকে হাযির করা হলো ৷ এ সময় সে
হাসতে হাসতে প্রবেশ করল ৷ তখন ইবন মুহাল্লাব তাকে বলল, তোমার হাসি দেখে আমি
আশ্চর্য বোধ করছি ৷ কেননা, প্রথমত তুমি নারীদের ন্যায় যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করেছ,
[خِلَافَةُ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ]
بُويِعَ لَهُ بِعَهْدٍ مِنْ أَخِيهِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ أَنْ يَكُونَ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَلَمَّا تُوُفِّيَ عُمَرُ فِي رَجَبٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ إِحْدَى وَمِائَةٍ بَايَعَهُ النَّاسُ الْبَيْعَةَ الْعَامَّةَ، وَعُمْرُهُ إِذْ ذَاكَ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً، فَعَزَلَ فِي رَمَضَانَ مِنْهَا عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ أَبَا بَكْرِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، وَوَلَّى عَلَيْهَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ، فَجَرَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ، مُنَافَسَاتٌ وَضَغَائِنُ، حَتَّى آلَ الْأَمْرُ إِلَى أَنِ اسْتَدْرَكَ عَلَيْهِ حُكُومَةً فَحَدَّهُ حَدَّيْنِ فِيهَا.
وَفِيهَا كَانَتْ وَقْعَةٌ بَيْنَ الْخَوَارِجِ، وَهُمْ أَصْحَابُ بِسِطَامٍ الْخَارِجِيِّ، وَبَيْنَ جُنْدِ الْكُوفَةِ وَكَانَتِ الْخَوَارِجُ جَمَاعَةً قَلِيلَةً، وَكَانَ جَيْشُ الْكُوفَةِ نَحْوًا مِنْ عَشْرَةِ آلَافِ فَارِسٍ وَكَادَتِ الْخَوَارِجُ أَنْ تَكْسِرَهُمْ، فَتَذَامَرُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ، فَطَحَنُوا الْخَوَارِجَ طَحْنًا عَظِيمًا، وَقَتَلُوهُمْ عَنْ آخِرِهِمْ، فَلَمْ يُبْقُوا مِنْهُمْ ثَائِرًا.
وَفِيهَا خَرَجَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ فَخَلَعَ يَزِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ وَاسْتَحْوَذَ عَلَى الْبَصْرَةِ وَذَلِكَ بَعْدَ مُحَاصَرَةٍ طَوِيلَةٍ وَقِتَالٍ طَوِيلٍ، فَلَمَّا ظَهَرَ عَلَيْهَا بَسَطَ الْعَدْلَ فِي أَهْلِهَا، وَبَذَلَ الْأَمْوَالَ، وَحَبَسَ عَامِلَهَا عَدِيَّ بْنَ أَرْطَاةَ لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ حَبَسَ آلَ الْمُهَلَّبِ الَّذِينَ كَانُوا بِالْبَصْرَةِ، حِينَ هَرَبَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৭৬১০
আর এখন তোমাকে ক্রী৩ দাসের ন্যায় ণ্টনে-£হচাড় আমার সামনে হাযির করা হয়েছে ৷ তখন
আদী বলল, আমি এ জন্য হাসছি যে, আমার জীবনের নিরাপত্তাণ্ আমার জীবনের নিরাপত্তার
সাথে অভিন্ন সুত্রে পাথা হয়ে গেছে, আর আমার পিছনে এক পশ্চাদ্ধাবনকারী রয়েছে, যে
আমাকে ছেড়ে দিয়ে না ৷ ইবন মুহাল্লাব বলল, যে কে ? সে বলল, তারা হলো শামে
অবস্থানরত বানু উমায়্যার সেনাবাহিনী ৷ আর তারা তােমাকেও ছেড়ে দিয়ে না ৷ কাজেই,
সমুদ্রের ঢেউ তোমার উপর আছড়ে পড়ার পুর্বেই আত্মরক্ষা কর ৷ কেননা, তখন তুমি
অব্যাহতি চাইলেও তোমাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না ৷ তখন ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব তার
কথার উত্তর দিল ৷ তারপর তাকে এবং তার স্বজন-পরিজনকে বন্দী করল ৷ এদিকে বসরায়
ইয়াযীদ ইবন মুহাল্পাবের কর্তৃত্ব সুসংহত হলো এবং যে বিভিন্ন দিকে তার প্রতিনিধি ও
নায়িবদের প্রেরণ করল ৷ এ সময় সে আহ্ওয়াযে প্রশাসক নিয়োগ করল এবং একদল যােদ্ধাসহ
তার ভইি মুদরিক ইবন মুহাল্লাবকে থােরাসানের প্রশাসক নিয়োগ করে পাঠাল ৷ এদিকে খলীফা
ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের কাছে তার এ সকল তৎপরতার সংবাদ পৌছল ৷ তিনি তার
বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বসরা অভিমুখে তার ভাতিজা আব্বাস ইবন ওয়ালীদ ইবন আবদুল
মালিককে চার হাজার যােদ্ধাসহ প্রেরণ করলেন শ্৷ আববাসের নেতৃত্বাধীন এই বাহিনী ছিল
শামের নিয়মিত বাহিনীতে অবস্থানরত তার চাচা মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিকের অনুবর্তী
অগ্রবর্তী বাহিনী স্বরুপ ৷ এদিকে ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের কাছে যখন তার বিরুদ্ধে প্রেরিত
খলীফা ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের বাহিনীর অগ্রসর হওয়ার সংবাদ পৌছল, সে বসরা
ত্যাগ করল এবং তার ভাই মারওয়ান ইবন মুহাল্লাবকে তার স্থুলব্র্তী করল ৷ বসরা থেকে বের
হয়ে সে ওয়াসিত-এ অবস্থান গ্রহণ করল ৷ সেখানে সে তার অনুসারী আমীরদের কাছে পরবর্তী
করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ চাইল ৷ তখন তারা রায় প্রদানে মতবিরোধে লিপ্ত হলো ৷ তাদের কেউ
কেউ তাকে আহওয়ালে গিয়ে সেখানকার পাহাড়ের চুড়ায় আত্মরক্ষা করতে পরামর্শ দিল ৷ তখন
সে বলল, তোমরা তো দেখছি আমাকে পাহাড় চুড়ায় অবস্থানগ্রহণকারী পাখী বানাতে চাচ্ছ ৷
আর ইরাকীগণ তাকে পরামর্শ দিল আল জাষীরায় গিয়ে সেখানকার সবচেয়ে দুর্ভেদ্য দুর্গে
অবস্থান গ্রহণ করতে এবং জাযীরাবাসীকে সমবেত করে তাদের সাহায্যে শামবাসীর বিরুদ্ধে
লড়াই করতে ৷ এ বছর যখন অতিবাহিত হয়, তখন ইয়াযীদ ইবন মুহাল্পাব শুয়াসিতে
অবস্থানরত আর শামের ফৌজ তার বিরুদ্ধে অগ্রসর হয় ৷
এ বছর হজ্জ পরিচালনা করেন পবিত্র মদীনায় আমীর আবদুর রহমান ইবন যাহ্হাক ইবন
কায়স ৷ এ সময় পবিত্র মক্কার আমীর আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন খালিদ ইবন
উসায়দ, কুফার আমীর আবদুল হামীদ ইবন আবদুর রহমান ইবন যায়দ ইবনুল খাত্তাব আর
তার কাযী আমির শাবী, এছাড়া বসরার আমীর ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব খলীফা ইয়াযীদ ইবন
আবদুল মালিকের বায়আত প্রত্যাহার করে নিজেই তার শাসন কর্তৃত্ব গ্রহণ করে ৷ এ বছরই
উমর ইবন আবদুল আযীয বিবঈ ইবন হিরাশ এবং আবু সালিহ আসৃসাম্মান ইনৃতিকাল করেন ৷
আবু সালিহ আসৃসাম্মান নিতরিযোগ্য ও সত্যনিষ্ঠ আবিদ ৷ আমাদের সংকলিত আত্তাক্মীল’
গ্রন্থে আমরা তার জীবনী উল্লেখ করেছি ৷ মহান আল্লাহ অধিক জানেন ৷
مَحْبَسِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَمَا ذَكَرْنَا، وَكَانَ لَمَّا ظَهَرَ عَلَى قَصْرِ الْإِمَارَةِ أَتَى بِعَدِيِّ بْنِ أَرْطَاةَ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ وَهُوَ يَضْحَكُ، فَقَالَ لَهُ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ إِنِّي لَأَتَعَجَّبُ مِنْ ضَحِكِكَ لِأَنَّكَ هَرَبْتَ مِنَ الْقِتَالِ كَمَا تَهْرُبُ النِّسَاءُ، وَإِنَّكَ جِئْتَنِي وَأَنْتَ تُتَلُّ كَمَا يُتَلُّ الْعَبْدُ. فَقَالَ عَدِيٌّ: إِنِّي لَأَضْحَكُ لِأَنَّ بَقَائِي بَقَاءٌ لَكَ، وَإِنَّ مِنْ وَرَائِي طَالِبًا لَا يَتْرُكُنِي. قَالَ: وَمَنْ هُوَ؟ قَالَ: جُنُودُ بَنِي أُمَيَّةَ بِالشَّامِ لَا يَتْرُكُونَكَ، فَتَدَارَكْ نَفْسَكَ قَبْلَ أَنْ يَرْمِيَ إِلَيْكَ الْبَحْرُ بِأَمْوَاجِهِ فَتَطْلُبَ الْإِقَالَةَ فَلَا تُقَالُ. فَرَدَّ عَلَيْهِ يَزِيدُ جَوَابَ مَا قَالَ، ثُمَّ سَجَنَهُ كَمَا سَجَنَ أَهْلَهُ.
وَاسْتَقَرَّ أَمْرُ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ بِالْبَصْرَةِ، وَبَعَثَ نُوَّابَهُ فِي النَّوَاحِي وَالْجِهَاتِ، وَاسْتَنَابَ فِي الْأَهْوَازِ، وَأَرْسَلَ أَخَاهُ مُدْرِكَ بْنَ الْمُهَلَّبِ عَلَى نِيَابَةِ خُرَاسَانَ وَمَعَهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْمُقَاتِلَةِ، فَلَمَّا بَلَغَ خَبَرُهُ الْخَلِيفَةَ يَزِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ جَهَّزَ ابْنَ أَخِيهِ الْعَبَّاسَ بْنَ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ، مُقَدَّمَةً بَيْنَ يَدَيْ عَمِّهِ مَسْلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَهُوَ فِي جُنُودِ الشَّامِ قَاصِدِينَ الْبَصْرَةَ لِقِتَالِهِ، وَلَمَّا بَلَغَ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ مَخْرَجُ الْجُيُوشِ قَاصِدَةً إِلَيْهِ، خَرَجَ مِنَ الْبَصْرَةِ وَاسْتَنَابَ عَلَيْهَا أَخَاهُ مَرْوَانَ بْنَ الْمُهَلَّبِ، وَجَاءَ حَتَّى نَزَلَ وَاسِطًا، وَاسْتَشَارَ مَنْ مَعَهُ مِنَ الْأُمَرَاءِ فِي مَاذَا يَعْتَمِدُهُ؟ فَاخْتَلَفُوا عَلَيْهِ فِي الرَّأْيِ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ بَعْضُهُمْ بِأَنَّ يَسِيرَ إِلَى الْأَهْوَازِ لِيَتَحَصَّنَ فِي رُءُوسِ الْجِبَالِ فَقَالَ: إِنَّمَا تُرِيدُونَ أَنْ تَجْعَلُونِي طَائِرًا فِي رَأْسِ جَبَلٍ. وَأَشَارَ عَلَيْهِ رِجَالُ أَهْلِ الْعِرَاقِ أَنْ يَسِيرَ إِلَى الْجَزِيرَةِ فَيَنْزِلَهَا، وَيَتَحَصَّنَ بِأَجْوَدِ
পৃষ্ঠা - ৭৬১১
১০২ হিজরীর সুচনা
এ বছরেই মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিক ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের মুখোমুখি
হয়েছিলেন ৷ তার প্রেক্ষাপট হলো ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব তার ছেলে মুআবিয়াকে ওয়াসিত এ
নিজের স্থলবর্তী করে সেখান থেকে ফৌজ নিয়ে অগ্রসর হয় ৷ এ সময় তার অপ্রবর্তী বাহিনীতে
তার ভাই আবদুল মালিক ইবন মুহাল্লাব ছিল ৷ অবশেষে ইবন মুহাল্লাব যখন আকার নামক
, স্থানে পৌছল, তখন মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিক এক অপ্রতিরোধ্য ও বিশাল বাহিনী নিয়ে
সেখানে উপনীত হলেন ৷ এ সময় দুই বাহিনীর অপ্রবর্তী সেনারা প্রথমে মুখোমুখি হলো তারা
প্রচণ্ড লড়াইয়ে লিপ্ত হলো ৷ এ সময় বসরার সৈনিকরা শামের সৈনিকদের পরাজিত করল ৷
তারপর শামবাসীরা পারস্পরিক ভর্ধসনার মাধ্যমে একে অন্যকে যুদ্ধে আক্রমণে উদ্বুদ্ধ করল ৷
তখন তারা একযোগে আক্রমণ করে বসরাবাসীদের পরাজিত করল এবং তাদের একদল বীর
ও সাহসী যোদ্ধ৷ হত্যা করল, তন্মধ্যে অন্যতম হল মানভুফ ৷ সে ছিল বানু বাকর ইবন
ওয়াইলের মাওলা প্রসিদ্ধ বীর ৷ এ প্রসঙ্গে করিকারাযদাক বলেন-
মানতুফের গােকে বকর ইবন ওয়ইিল র্কাদছে আর মুসমিরুএর দুই ছেলের শোকে
কান্নাকারীকে নিষেধ করছে ৷ ন্
জাহমিয়্যাদের শুরু, ছাওরীদের মাওলা জা’দ ইবন দিরহাম হামদানী যাকে থালিদ ইবন
আবদুল্লাহ আল কাসরী ঈদ্যা আযহার দিনযবাহ কারছিল যে এর জবাবে আবৃত্তি করল
আপন সম্প্রদায়কে সাহায্য করার ক্ষেত্রে আমরা মানতৃফের ণ্শাকে বগদছি ৷ হায় !
বকর ইবন ওয়ইিল শত্রু গোত্রের আঙিনায় আক্রমণ করতে চইিল ৷
এে ১াষ্
সুতরাং তার৷ দু’জন যেন ক্ষণিকের জংও আল্লাহ থেকে স্বন্তি লাভ না করে এবং তাদের
দুইজনের ণ্শাকে কান্নাকারীর চক্ষুদ্বয় যেন অশ্রুশুন্য না হয় ৷
আমরা যদি তাদের দুইজনের শোকে কাদ তাহলে কি প্রতারণার শিকার হব, অথচ
প্রতারণার কারণেই তারা দুইজন মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছে ৷’
-মাসলামাহ্ এবং তার ভাতিজা আব্বাস ইবন ওয়ালীদ যখন ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাৰেব্র
ফৌজের নিকটবর্তী হলেন তখন সে তার অনুগামী যােদ্ধাদের উদ্দেশ্যে থুত্ব৷ প্রদান করে এবং
তাদেরকে শামবাসীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উন্ দ্বুদ্ধ করে ৷ আর ইয়াযীদের সাথে ছিল একলক্ষ বিশ
হাজার যোদ্ধা ৷ যারা তার পুর্ণ আনুগত্য এবং কুরআন-সুন্নাহর বিধান কার্যকরকরণে তার হাতে
বায়আত করেছিল ৷ এছাড়া বায়আতকালে তারা এ বিষয়েও অঙ্গীকার করেছিল যে, কোন
حِصْنٍ فِيهَا، وَيُبَعِّضَ عَلَيْهِ رِجَالَ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَيَجْتَمِعُ عَلَيْهِ أَهْلُ الْجَزِيرَةِ فَيُقَاتِلُ بِهِمْ أَهْلَ الشَّامِ.
وَانْسَلَخَتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَهُوَ نَازِلٌ بِوَاسِطٍ، وَجَيْشُ الشَّامِ قَاصِدُهُ.
وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ. وَعَلَى مَكَّةَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدِ بْنِ أُسَيْدٍ، وَعَلَى الْكُوفَةِ عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، وَعَلَى قَضَائِهَا عَامِرٌ الشَّعْبِيُّ، وَعَلَى الْبَصْرَةِ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ قَدِ اسْتَحْوَذَ عَلَيْهَا وَخَلَعَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ يَزِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ مَعَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ رِبْعِيُّ بْنُ حِرَاشٍ، وَمُسْلِمُ بْنُ يَسَارٍ.
وَأَبُو صَالِحٍ السَّمَّانُ
وَكَانَ عَابِدًا صَادِقًا ثَبْتًا، وَقَدْ تَرْجَمْنَاهُ فِي كِتَابِنَا " التَّكْمِيلِ ". وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৬১২
ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَمِائَةٍ
فَفِيهَا كَانَ اجْتِمَاعُ مَسْلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ مَعَ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ، وَذَلِكَ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ رَكِبَ مِنْ وَاسِطٍ وَاسْتَخْلَفَ عَلَيْهَا ابْنَهُ مُعَاوِيَةَ، وَسَارَ هُوَ فِي جَيْشٍ، وَبَيْنَ يَدَيْهِ أَخُوهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الْمُهَلَّبِ حَتَّى بَلَغَ مَكَانًا يُقَالُ لَهُ: الْعَقْرُ. وَانْتَهَى إِلَيْهِ مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ فِي جُنُودٍ لَا قِبَلَ لِيَزِيدَ بِهَا، وَقَدِ الْتَقَتِ الْمُقَدَّمَتَانِ أَوَّلًا، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَهَزَمَ أَهْلُ الْبَصْرَةِ أَهْلَ الشَّامِ ثُمَّ تَذَامَرَ أَهْلُ الشَّامِ فَحَمَلُوا عَلَى أَهْلِ الْبَصْرَةِ فَكَشَفُوهُمْ، فَهَزَمُوهُمْ، وَقَتَلُوا مِنْهُمْ جَمَاعَةً مِنَ الشُّجْعَانِ، مِنْهُمُ الْمَنْتُوفُ، وَكَانَ شُجَاعًا مَشْهُورًا، وَكَانَ مِنْ مَوَالِي بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ: فَقَالَ فِي ذَلِكَ الْفَرَزْدَقُ:
تُبَكِّي عَلَى الْمَنْتُوفِ بَكْرُ بْنُ وَائِلٍ ... وَتَنْهَى عَنِ ابْنَيْ مَسْمَعٍ مَنْ بَكَاهُمَا
فَأَجَابَهُ الْجَعْدُ بْنُ دِرْهَمٍ مَوْلَى الثَّوْرِيِّينَ مِنْ هَمْدَانَ، وَهَذَا الرَّجُلُ هُوَ أَوَّلُ الْجَهْمِيَّةِ، وَهُوَ الَّذِي ذَبَحَهُ خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيُّ يَوْمَ عِيدِ الْأَضْحَى، فَقَالَ الْجَعْدُ:
পৃষ্ঠা - ৭৬১৩
বিদেশী শক্তি তাদের দেশ পদদলিত করবে না এবং তাদের উপর ফাসিক হাজ্জাজের
শাসন-বিধানের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না এবং এ সকল শর্তে যারা তাদের কাছে বায়আত প্রস্তাব
করবে তারা তা গ্রহণ করবে, আর যারা তাদের বিরোধিতা করবে তারা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই
করবে ৷ আর এ সময় হযরত হাসান বসরী (রহ) লোকজনকে সংযত থাকার এবং
গোলাযা-বিশৃগ্রলা পরিহার করতে উদ্বুদ্ধ করতেন এবং এ বিষয়ে তাদেরকে কঠােরভাবে
নিষেধ করতেন ৷ এর কারণ হলো ইব ন আশআছ-এর সময়ে দীর্ঘ ও ব্যাপক লড়াই সংঘটিত
হয়েছিল এবং সে কারণে আেসৎখ্য মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল ৷ তাই এ সময় হযরত হাসান
বসরী (রা) লোকদের উদ্যোশ্য থুতুবা প্রদানপ্করতে লাগলেন এবং তাদেরকে উপদেশমুলক
কথা বলে তা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিতে লাগলেন ৷ বসরার তৎকালীন প্রশাসক আবদুব্দে
মালিক ইবন মুহাল্লাবের কাছে যখন এ সংবাদ পৌছল, তখন সে লোকদের সমাবেশে খুত্বা
দিয়ে তাদেরকে দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে জিহাদের উদ্দোশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অগসর
হওয়ার নির্দেশ দিল ৷ তারপর সে হাসান বসরীর নাম উল্লেখ না করে বলল, আমার কাছে এ
ত্বাদ পৌছেছে যে, লৌকিকতার এই বিভ্রান্ত শায়খ লোকজনকে নিরুৎসাহিত করছে ৷
সাবধান ! আল্লাহ্র কসম, সে যেন অবশ্যই ক্ষাত হয় অন্যথায় আমি তার বিরুদ্ধে কঠোর
ব্যবস্থা গ্রহণ করব ৷ এভাবে সে হাসান বসরীকে হুমকি দিল ৷ এদিকে হযরত হাসান যখন তার
বক্তব্য জানতে পারলেন, তিনি বললেন, আল্লাহর কসম ! আল্লাহ্ যদি তার দুর্ব্যবহার দ্বারা
অপদস্থতার দ্বারা আমাকে সম্মানিত করেন, তাহলে আমি তা অপসন্দ করব না ৷ পরবত্তীল্কিত
অবশ্য আল্লাহ্ তাকে তার থেকে নিরাপদ ব্লেখেছিলেন, এমনকি তাদের কর্তৃত্ব বিলুপ্ত হয়েছিল
তার তা ঘট্রেছিল এভাবে ৷ উভয় বাহিনী যখন মুখোমুখি হল তখন তারা সামান্য দ্বন্দুযুদ্ধে লিপ্ত
হলো ৷ এরপর লড়াই তীব্র আকার ধারণ করতে না করতেই ইরাকীবাহিনী দ্রুত পলায়ন করতে
লাগল ৷ কারণ, তাদের কাছে এ সংবাদ পৌছেছিল যে, তারা যে পুলসেতৃ পার হয়ে এখানে
এসেছে তা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ এ খবর শ্যেনড়ামাত্র তারা পরাজয় মেনে নিয়ে পলায়ন
করতে লাগল ৷ এ অবস্থা দেখে ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব বলল, লোকদের কী হলো ? পলায়ন
করার মত তো কিছু ঘটেনি ৷ তাকে বলা হলো, তাদের কাছে এ সংবাদ পৌছেছে যে, যে সেতু
পার হয়ে তারা এখানে পৌছেছে তা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ একথা শুনে সে বলল, আল্লাহ
তাদেরকে লাঞ্ছিত করুন ! তারপর সে পলায়নােদ্যতদের ফিরানাের চেষ্টা করল ৷ কিন্তু তার
পক্ষে সম্ভব হলো না ৷ তখন সে তার সহযােদ্ধাদের একটি দল নিয়ে অবিচলভাবে লড়াই
অব্যাহত রাখল ৷ কিন্তু এদেরও কেউ কেউ তার অজ্ঞাতসারে সটকে পড়তে লাগল ৷ অবশেষে,
তার সাথে মুষ্টিমেয় কয়েকজন সহযােদ্ধা থাকল ৷ এ সত্বেও সে তার সম্মুখে অগ্রসর হতে থাকল
এবং শ ক্র বাহিনীর যে অশ্বারােহী যােদ্ধাদের সম্মুখীন হতে লাগল তাদেরকেই পরাজিত করতে
লাগল ৷, তার আক্রমণের তীব্রতার মুখে শামীয় যােদ্ধারা তার ডানে-বামে সরে যেতে লাগল ৷
ইত্যবসরে তার ভাই হাবীব ইবন মুহাল্লাব নিহত হলো, ফলে তার (ক্রাধ ও জিঘাত্সা আরও
বৃদ্ধি পেল ৷ এ সময় সে তার একটি ধুসর বর্ণের ঘোড়ার সওয়ার ছিল ৷ পরিশেষে সে, আর
কোনও উপায় না দেখে পরাজয় অবধারিত বুঝতে পেরে মাসলামা ইবন মালিককে হত্যার
উদ্দেশ্যে একরোখাভাবে তার দিকে অগ্রসর হলো ৷ সে যখন মাসলামার মুখোমুখি পৌছল,
তখন শামী অশ্বারোহীরা তার উপর আক্রমণ করে তাকে হত্যা করে ৷ এ সময় তারা তার সাথে
نُبَكِّي عَلَى الْمَنْتُوفِ فِي نَصْرِ قَوْمِهِ ... وَلَسْنَا نُبَكِّي الشَّائِدَيْنِ أَبَاهُمَا
أَرَادَ فِنَاءَ الْحَيِّ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ ... فَعِزُّ تَمِيمٍ لَوْ أُصِيبَ فِنَاهُمَا
فَلَا لَقِيَا رَوْحًا مِنَ اللَّهِ سَاعَةً ... وَلَا رَقَأَتْ عَيْنَا شَجِيٍّ بَكَاهُمَا
أَفِي الْغِشِّ نَبْكِي إِنْ بَكَيْنَا عَلَيْهِمَا ... وَقَدْ لَقِيَا بِالْغِشِّ فِينَا رَدَاهُمَا
وَلَمَّا اقْتَرَبَ مَسْلَمَةُ، وَابْنُ أَخِيهِ الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ مِنْ جَيْشِ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ خَطَبَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ النَّاسَ، وَحَرَّضَهُمْ عَلَى الْقِتَالِ يَعْنِي عَلَى قِتَالِ أَهْلِ الشَّامِ وَكَانَ مَعَ يَزِيدَ نَحْوٌ مِنْ مِائَةِ أَلْفٍ وَعِشْرِينَ أَلْفًا قَدْ بَايَعُوهُ عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، وَعَلَى كِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَلَى أَنْ لَا تَطَأَ الْجُنُودُ بِلَادَهُمْ، وَعَلَى أَنْ لَا تُعَادَ عَلَيْهِمْ سِيرَةُ الْفَاسِقِ الْحَجَّاجِ، وَمَنْ بَايَعْنَا عَلَى ذَلِكَ قَبِلْنَا مِنْهُ، وَمَنْ خَالَفَنَا قَاتَلْنَاهُ.
وَكَانَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ فِي هَذِهِ الْأَيَّامِ يُحَرِّضُ النَّاسَ عَلَى الْكَفِّ وَتَرْكِ الدُّخُولِ فِي الْفِتْنَةِ، وَيَنْهَاهُمْ أَشَدَّ النَّهْيِ، وَذَلِكَ لِمَا وَقَعَ مِنَ الشَّرِّ الطَّوِيلِ الْعَرِيضِ فِي أَيَّامِ ابْنِ الْأَشْعَثِ، وَمَا قُتِلَ بِسَبَبِ ذَلِكَ مِنَ النُّفُوسِ الْعَدِيدَةِ، وَجَعَلَ الْحَسَنُ يَخْطُبُ النَّاسَ، وَيَعِظُهُمْ فِي ذَلِكَ، وَيُحَرِّضُهُمْ عَلَى الْكَفِّ، فَبَلَغَ
পৃষ্ঠা - ৭৬১৪
তার ভাই মুহাম্মাদ ইবন মুহাল্লাব এবং সামায়যা “নামক এক ব্যক্তিকে হত্যা করে ৷ ইয়াযীদ
ইবন মুহাল্লাবকে যে ব্যক্তি হত্যা করে, তার নাম আল-কাহ্ল ইবন আয়্যাশ, সেও ইবন
মুহাল্পাবের পাশে নিহত হয় ৷ হত্যার পর তারা ইয়াষীদেৱ মাথা মাসলামাহ্ ইবন আবদুল
মালিকের কাছে নিয়ে আসে ৷ তিনি তা খালিদ ইবন ওয়ালীদ ইবন উকবা ইবন আবু মুআয়তের
সাথে তার ভাই আমীরুল মুমিনীন সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের কাছে পাঠিয়ে দেন ৷
আর মাসলামাহ্ ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের ফৌজের অবশিষ্টাত্ভ্রুশর উপর কর্তৃতু লাভ করেন ৷ এ
সময় তিনি তাদের মধ্য থেকে তিনশ’ জনকে বন্দী করে কুফায় প্রেরণ করেন এবং তাদের
ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চেয়ে তার ভইিয়ের কাছে দুত প্রেরণ করেন ৷ তাদের হত্যার নির্দেশ নিয়ে তার
পত্র আসে ৷ এরপর মাসলামাহ্ তার বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হন এবং হীরায় অবস্থান গ্রহণ করেন ৷
এদিকে ওয়াসিত-এ অবস্থানরত ইয়াযীদ ইবন মুহাল্পাবের ছেলে মুআবিয়ার কাছে যখন
তার পিতার পরাজয়ের সংবাদ পৌছে, তখন সে তার কাছে বিদ্যমান তিরিশজন বন্দীকে হত্যা
করে ৷ এদের অন্যতম হলেন উমর ইবন আবদুল আযীষের নইিব নিয়োগকৃত প্রশাসক আদী
ইবন আরতআে, তার ছেলে, মুসমিএর দুই ছেলে মালিক ও আবদুল মালিক এবং ড্রোন্ত
লোকদের একটি দল ৷ তারপর যে বিভিন্ন প্রকার ধনসম্পদের ডাণ্ডারসমুহ নিয়ে বসরায়
আগমন করে এবং তার সাথে তার চাচা মুফায্যাল ইবন মুহাল্লাবও সেখানে আগমন করে ৷
এভাবে বসরায় মুহাল্লাব পরিবারের সকল সদস্য সমবেত হয় ৷ এ সময় তারা যুদ্ধ জাহাজ প্রস্তুত
করে এবং পুর্ণতম সমরসজ্জা গ্রহণ করে যুদ্ধের জন্য সৰ্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করে ৷ পরে তারা
তাদের স্বজন-পরিজন ও যুদ্ধ-সরঞ্জাম ন্সবসহ কিরমানের পার্বত্য অঞ্চলে গমন করে এবং
সেখানে অবস্থান গ্রহণ করে ৷ এ সময় ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের একদল সহযােদ্ধাও তাদের
সাথে যোগ দেয় ৷ তারা সকলে মিলে যুফাঘৃযাল ইবন মুহাল্লাবকে তাদের আমীর সেনাপতি
মনোনীত করে ৷ এদিকে মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিক মুহাল্লাব পরিবারের পশ্চাদ্ধাবনের
জন্যহিলাল ইবন মাজুর মুহারিবীর নেতৃত্বে একদল ফৌজ প্রেরণ করলেন ৷ বলা হয় তারা
মুদরিক ইবন যাবৃ আলকালবী নামক অপর এক ব্যক্তিকে তাদের আমীর সেনাপতি মনোনীত
করেছিল ৷ এরপর হিলাল ইবন মাজুর তাদেরকে অনুসরণ করে কিরমানের পার্বত্য অঞ্চলে
পৌছে তাদের মুখোমুখি হলেন ৷ সেখানে উভয় বাহিনী তীব্র লড়াইয়ে লিপ্ত হলো ৷ এ সময়
মুফায্যালের সহযােদ্ধাদেৱ একদল নিহত হলো এবং তাদের নেতৃস্থানীয় একদল বন্দী হলো
এবং বাকীরা পরাজিত হলো ৷ তারপর হিলাল বাহিনী মুফায্যালকে অনুসরণ করে তাকে হত্যা
করল এবং তার মাথা মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিকের কাছে পাঠানো হলো ৷ এ ছাড়া এ
সময় ইয়াযীদ ইবন মুহাল্পাবের সহযােদ্ধাদের একটি দলও আগমন করল ৷ শামের আমীর
থেকে তাদের জন্য নিরাপত্তা-পত্র গ্রহণ করা হলো ৷ তন্মধ্যে উল্লেখষেগ্যে হলেন মালিক ইবন
ইব্রাহীম ইবন আশতার আননাখঈ ৷ এরপর তারা যুদ্ধবন্দী নারী, শিশু, অস্ত্রশস্ত্র এবং
ধন-সস্পদ মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিকের কাছে পাঠালেন ৷ এদের সাথে ছিল মুফাঘৃযাল
এবং আবদুল মালিক ইবন মুহাল্লাবের মাথা ৷ মাসলামাহ্ এই মাথা দুটির সাথে নয়জন সুন্দর
বালককে তার ভাই খলীফা ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের কাছে পাঠালেন ৷ ইয়াযীদ এদের
শিরচ্ছেদের নির্দেশ দিলেন ৷ এরপর তাদের মাথাসমুহ দামেশকে জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হলো ৷
কিছুদিন পর সেগুলি হলবে প্রেরণ করা হলো এবং সেখানেও জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হলো ৷ এ
ذَلِكَ نَائِبَ الْبَصْرَةِ مَرْوَانَ بْنَ الْمُهَلَّبِ، فَقَامَ فِي النَّاسِ خَطِيبًا فَأَمَرَهُمْ بِالْجِدِّ وَالْجِهَادِ وَالنَّفِيرِ إِلَى الْقِتَالِ، ثُمَّ قَالَ: وَلَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ هَذَا الشَّيْخَ الضَّالَّ الْمُرَائِيَ وَلَمْ يُسَمِّهِ يُثَبِّطُ النَّاسَ عَنَّا، أَمَا وَاللَّهِ لَيَكُفَنَّ عَنْ ذَلِكَ، أَوْ لَأَفْعَلَنَّ وَلَأَفْعَلَنَّ، وَتَوَعَّدَ الْحَسَنَ، فَلَمَّا بَلَغَ الْحَسَنَ قَوْلُهُ، قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ مَا أَكْرَهُ أَنْ يُكْرِمَنِي اللَّهُ بِهَوَانِهِ. فَسَلَّمَهُ اللَّهُ مِنْهُ حَتَّى زَالَتْ دَوْلَتُهُمْ، وَذَلِكَ أَنَّ الْجُيُوشَ لَمَّا تَوَاجَهَتْ تَبَارَزَ النَّاسُ قَلِيلًا، وَلَمْ تَنْشَبِ الْحَرْبُ شَدِيدًا، فَلَمْ يَثْبُتْ أَهْلُ الْعِرَاقِ حَتَّى فَرُّوا سَرِيعًا، وَبَلَغَهُمْ أَنَّ الْجِسْرَ الَّذِي جَاءُوا عَلَيْهِ قَدْ حُرِقَ فَانْهَزَمُوا، فَقَالَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ مَا بَالُ النَّاسِ؟ وَلَمْ يَكُنْ مِنَ الْأَمْرِ مَا يُفَرُّ مِنْ مِثْلِهِ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّهُ بَلَغَهُمْ أَنَّ الْجِسْرَ قَدْ حُرِقَ. فَقَالَ: قَبَّحَهُمُ اللَّهُ.
ثُمَّ رَامَ أَنْ يَرُدَّ الْمُنْهَزِمِينَ فَلَمْ يُمْكِنْهُ ذَلِكَ، فَثَبَتَ فِي عِصَابَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، وَجَعَلَ بَعْضُهُمْ يَتَسَلَّلُونَ مِنْهُ حَتَّى بَقِيَ فِي شِرْذِمَةٍ مِنْهُمْ قَلِيلَةٍ، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ يَسِيرُ قُدُمًا لَا يَمُرُّ بِخَيْلٍ إِلَّا هَزَمَهُمْ، وَأَهْلُ الشَّامِ يَنْحَازُونَ عَنْهُ يَمِينًا وَشِمَالًا، وَقَدْ قُتِلَ قَبْلَهُ أَخُوهُ حَبِيبُ بْنُ الْمُهَلَّبِ فَازْدَادَ حَنَقًا وَغَضَبًا، وَهُوَ عَلَى فَرَسٍ لَهُ أَشْهَبَ، ثُمَّ قَصَدَ نَحْوَ مَسْلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ لَا يُرِيدُ غَيْرَهُ، فَلَمَّا وَاجَهَهُ حَمَلَتْ عَلَيْهِ خُيُولُ الشَّامِ فَقَتَلُوهُ، وَقَتَلُوا مَعَهُ أَخَاهُ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ، وَقَتَلُوا
পৃষ্ঠা - ৭৬১৫
السَّمَيْدَعَ، وَكَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ، وَكَانَ الَّذِي قَتَلَ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: الْقَحْلُ بْنُ عَيَّاشٍ. فَقُتِلَ إِلَى جَانِبِ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ، وَجَاءُوا بِرَأْسِ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ إِلَى مَسْلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَأَرْسَلَهُ مَعَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ إِلَى أَخِيهِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَاسْتَحْوَذَ مَسْلَمَةُ عَلَى مَا فِي مُعَسْكَرِ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ، وَأَسَرَ مِنْهُمْ نَحْوًا مِنْ ثَلَاثِمِائَةٍ، فَبَعَثَ بِهِمْ إِلَى الْكُوفَةِ، وَبَعَثَ إِلَى أَخِيهِ فِيهِمْ، فَجَاءَ كِتَابُ يَزِيدَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ بِقَتْلِهِمْ، وَسَارَ مَسْلَمَةُ فَنَزَلَ الْحِيرَةَ.
وَلَمَّا انْتَهَتْ هَزِيمَةُ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ إِلَى ابْنِهِ مُعَاوِيَةَ، وَهُوَ بِوَاسِطٍ، عَمَدَ إِلَى نَحْوٍ مِنْ ثَلَاثِينَ أَسِيرًا فِي يَدِهِ فَقَتَلَهُمْ ; مِنْهُمْ عَدِيُّ بْنُ أَرْطَاةَ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَابْنُهُ، وَمَالِكٌ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ ابْنَا مَسْمَعٍ، وَجَمَاعَةٌ مِنَ الْأَشْرَافِ، ثُمَّ أَقْبَلَ حَتَّى أَتَى الْبَصْرَةَ وَمَعَهُ الْخَزَائِنُ مِنَ الْأَمْوَالِ، وَجَاءَ عَمُّهُ الْمُفَضَّلُ بْنُ الْمُهَلَّبِ، فَاجْتَمَعَ آلُ الْمُهَلَّبِ بِالْبَصْرَةِ، فَأَعَدُّوا السُّفُنَ، وَتَجَهَّزُوا أَتَمَّ الْجِهَازِ، وَاسْتَعَدُّوا لِلْهَرَبِ، فَسَارُوا بِعِيَالِهِمْ وَأَثْقَالِهِمْ، فَلَمْ يَزَالُوا سَائِرِينَ، حَتَّى أَتَوْا جِبَالَ كَرْمَانَ فَنَزَلُوهَا، وَاجْتَمَعَ عَلَيْهِمْ جَمَاعَةٌ مِمَّنْ فَلَّ مِمَّنْ كَانَ مَعَ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ،
পৃষ্ঠা - ৭৬১৬
সময় মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিক শপথ করলেন, অবশ্যই তিনি মুহাল্লাব পরিবারের
নারী-শ্শিশ্যুৰুপক্স বিক্রি করবেন ৷ জনৈক আমীর তার কসম পুর্ণ করার জন্য তাদেরকে একলক্ষ
দিরহাম মুল্যে পরিদ করলেন ৷ তারপর সসমানে তাদেরকে আযাদ করে দিলেন ৷ পরবর্তীতে
মাসলামাহ্ সেই আমীর থেকে কোন মুল্য গ্রহণ করলেন না ৷ ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের মৃত্যুতে
কবিরা একাধিক শোকপাথা রচনা করেছে, যা ইবন জারীর উল্লেখ করেছেন ৷
ইরাক ও খােরসােনের গ্রশালকরুপে-মাসলামাহ্
মাসলমােহ্ ইবন আবর্দুল মালিক মুহাল্লাব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধ থেকে অবসর
গ্রহণ করেন সে রআং তার ভাই খলীফা ইয়াষীদ ইবন আবদুল মালিক লিখিত ফরমান প্রেরণ
করে তাকে কুফা, বন্যা ও থােরাসান অঞ্চলের প্রশাসক নিয়োগ করলেন ৷ মাসলামাহ্ কুফা ও ,
বসরায় তার ন্থলবর্তী শুপগ্রশাসক নিয়োগ করলেন এবং তার জামাতা সাঈদ ইবন আবদুল
আযীয ইবন হা;রিহ হৰনুস হ্কোম ইবন আবুল আসকে থােরাসানে প্রেরণ করলেন যার উপাধি
ছিল খুষায়নাহ্’ ৷ তিনি সেখানে গমন করলেন এবং সেখানকার অধিবাসীদের অবিচলতা ও
বীরত্বে উদ্বুদ্ধ করলেন ৷ এছাড়া তিনি এ সময় মুহাল্লার পরিবারের নায়েবদের শাস্তি প্রদান
করলেন এবং তাদের থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সষ্পদ আদায় করলেন ৷ এ সময় তাদের কেউ
কেউ শাস্তির কঠোরতার কারণে মৃত্যুমুখে পতিত হয় ৷ ন্ ন্
তাঃ গরী১ ও মুসলমানদের মাঝে সংঘটিত একটি যুদ্ধ তাতারী সম্রাট খাকান কুররুসাল
নামক এক ব্যক্তির নেতৃত্বে মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সুগদ্ অঞ্চলে এক ফৌজ
প্রেরণ করে ৷ এ সময় সে অগ্রসর হয়ে মুসলিম অধ্যুষিত কামরুল বাহিলী অবরোধ করে ৷
প্ তখন সমরকন্দের প্রশাসক উছমান ইবন আবদুল্লাহ ইবন মুতাররিফ চল্লিশ হাজার দিরহামের
বিনিময়ে তাদের সাথে সন্ধি করেন এবং সন্ধির সভ্যতার প্রমাণস্বরুপ সতেরজন নেতৃস্থানীয়
ব্যক্তিকে বন্ধকস্বরুপ তাদের হাতে তুলে দেন ৷ এরপর উছমান তাতারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য
মুসলমানদের আহ্বান জানান ৷ তখন তার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে চার সহস্র যোদ্ধা নিয়ে
মুসায়ান্ত্রার ইবন বিশর আৱরিয়াহী নামক এক ব্যক্তি তাতারীদের অভিমুখে অগ্রসর হন৷ কিছুদুর
পথ অতিক্রম করার পর তিনি তাদের উদ্দেশ্যে থুত্বা দেন এবং তাদেরকে লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ
করেন এবং তাদেরকে জানান তিনি শত্রু অভিমুখে যাচ্ছেন শাহার্দত লাভের উদ্দেশ্যে ৷ তার এ
কথা ৷শানার পর এক হাজারের অধিক যোদ্ধা ফিরে যায় ৷ এরপর প্রত্যেক মনযিলে তিনি
তাদের উদ্দেশ্যে থুত্বা দিতে থাকেন এবং তার সহযােদ্ধাদের অনেকে ফিরে যেতে থাকে ৷
এমন কি শেষ পর্যন্ত তার সাথে মাত্র সাতশ যোদ্ধা অবশিষ্ট থাকে ৷ তখন তিনি এদেরকে নিয়ে
অগ্রসর হন এবং “কাসরে বাহিনী অবরোধকারী তাতারীদের বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য
সুবিধামাফিক অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ এদিকে সেখানে অবরুদ্ধ মুসলমানগণ এই সিদ্ধন্তে গ্রহণ
করেন যে, তারা শত্রুদের সামনে তাদের ন্তী-সন্তানদের হত্যা করবেন, তারপর সেখান থেকে
নেমে তাদের সর্বশেষজন শহীদ হওয়া পর্যন্ত লড়াই করে যাবেন ৷ মুসায়িব তাদেরকে সে দিনের
জন্য অবির্চল থাকতে বলেন, তারা তইি করে ৷ আর এদিকে মুসায়িব্রব প্রতীক্ষায় থাকেন ৷
অবশেষে যখন রাতের শেষ প্রহর ঘনিয়ে আসে, তখন তিনি ও তার সহযোদ্ধারা তাকবীরধ্বনি
১ এখানে আরবীতে তুর্কী শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে কিন্তু অনুবাদ তাতারী করা হলো ৷
وَقَدْ أَمَّرُوا عَلَيْهِمُ الْمُفَضَّلَ بْنَ الْمُهَلَّبِ، فَأَرْسَلَ مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ جَيْشًا، عَلَيْهِمْ هِلَالُ بْنُ أَحْوَزَ الْمَازِنِيُّ فِي طَلَبِ آلِ الْمُهَلَّبِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُمْ أَمَّرُوا عَلَيْهِمْ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ: مُدْرِكُ بْنُ ضَبٍّ الْكَلْبِيُّ. فَلَحِقَهُمْ بِجِبَالِ كَرْمَانَ فَاقْتَتَلُوا هُنَالِكَ قِتَالًا شَدِيدًا، فَقُتِلَ جَمَاعَةٌ مِنْ أَصْحَابِ الْمُفَضَّلِ، وَأُسِرَ جَمَاعَةٌ مِنْ أَشْرَافِهِمْ، وَانْهَزَمَ بَقِيَّتُهُمْ، ثُمَّ لَحِقُوا الْمُفَضَّلَ فَقَتَلُوهُ، وَحُمِلَ رَأْسُهُ إِلَى مَسْلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَأَقْبَلَ جَمَاعَةٌ مِنْ أَصْحَابِ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ فَأَخَذُوا لَهُمْ أَمَانًا مِنْ أَمِيرِ الشَّامِ ; مِنْهُمْ مَالِكُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْأَشْتَرِ النَّخَعِيُّ، ثُمَّ أَرْسَلُوا بِالْأَثْقَالِ وَالْأَمْوَالِ وَالنِّسَاءِ وَالذُّرِّيَّةِ فَوَرَدَتْ عَلَى مَسْلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَمَعَهُمْ رَأْسُ الْمُفَضَّلِ، وَرَأْسُ عَبْدِ الْمَلِكِ ابْنَيِ الْمُهَلَّبِ، فَبَعَثَ مَسْلَمَةُ بِالرُّءُوسِ، وَتِسْعَةٍ مِنَ الصِّبْيَانِ الْأَحْدَاثِ الْحِسَانِ إِلَى أَخِيهِ يَزِيدَ، فَأَمَرَ بِضَرْبِ أَعْنَاقِ أُولَئِكَ، وَنُصِبَتْ رُءُوسُهُمْ بِدِمَشْقَ ثُمَّ أَرْسَلَهَا إِلَى حَلَبَ فَنُصِبَتْ بِهَا، وَحَلَفَ مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ لَيَبِيعَنَّ ذَرَارِيَّ آلِ الْمُهَلَّبِ، فَاشْتَرَاهُمْ بَعْضُ الْأُمَرَاءِ إِبْرَارًا لِقَسَمِهِ بِمِائَةِ أَلْفٍ، فَأَعْتَقَهُمْ وَخَلَّى سَبِيلَهُمْ، وَلَمْ يَأْخُذْ مَسْلَمَةُ مِنْ ذَلِكَ الْأَمِيرِ شَيْئًا.
وَقَدْ رَثَا الشُّعَرَاءُ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ بِقَصَائِدَ ذَكَرَهَا ابْنُ جَرِيرٍ.
[وِلَايَةُ مَسْلَمَةَ عَلَى بِلَادِ الْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ]
وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا فَرَغَ مِنْ حَرْبِ آلِ الْمُهَلَّبِ كَتَبَ إِلَيْهِ أَخُوهُ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بِوِلَايَةِ الْكُوفَةِ وَالْبَصْرَةِ وَخُرَاسَانَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، فَاسْتَنَابَ عَلَى الْكُوفَةِ وَعَلَى الْبَصْرَةِ، وَبَعَثَ عَلَى خُرَاسَانَ خَتَنَهُ زَوْجَ ابْنَتِهِ سَعِيدَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعاصِ، الْمُلَقَّبِ بِخُذَيْنَةَ، فَسَارَ إِلَيْهَا فَحَرَّضَ أَهْلَهَا عَلَى الصَّبْرِ وَالشَّجَاعَةِ، وَعَاقَبَ عُمَّالًا مِمَّنْ كَانَ يَنُوبُ لِيَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ، وَأَخَذَ مِنْهُمْ أَمْوَالًا جَزِيلَةً، وَمَاتَ بَعْضُهُمْ تَحْتَ الْعُقُوبَةِ.
[ذِكْرُ وَقْعَةٍ جَرَتْ بَيْنَ التُّرْكِ وَالْمُسْلِمِينَ]
وَذَلِكَ أَنَّ خَاقَانَ الْمَلِكَ الْأَعْظَمَ مَلِكَ التُّرْكِ، بَعَثَ جَيْشًا إِلَى الصُّغْدِ لِقِتَالِ الْمُسْلِمِينَ، عَلَيْهِمْ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: كُورْصُولُ. فَأَقْبَلَ حَتَّى نَزَلَ عَلَى قَصْرِ الْبَاهِلِيِّ فَحَصَرَهُ وَفِيهِ خَلْقٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَصَالَحَهُمْ نَائِبُ سَمَرْقَنْدَ وَهُوَ عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُطَرِّفٍ عَلَى أَرْبَعِينَ أَلْفًا، وَدَفَعَ إِلَيْهِمْ سَبْعَةَ عَشَرَ دِهْقَانًا رَهَائِنَ عِنْدَهُمْ، ثُمَّ نَدَبَ عُثْمَانُ النَّاسَ فَانْتَدَبَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ الْمُسَيَّبُ بْنُ بِشْرٍ الرِّيَاحِيُّ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ، فَسَارُوا نَحْوَ التُّرْكِ، فَلَمَّا كَانَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ خَطَبَ النَّاسَ، فَحَثَّهُمْ عَلَى الْقِتَالِ، وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّهُ ذَاهِبٌ إِلَى الْأَعْدَاءِ لِطَلَبِ الشَّهَادَةِ، فَرَجَعَ عَنْهُ أَكْثَرُ مِنْ أَلْفٍ، ثُمَّ لَمْ يَزَلْ فِي كُلِّ مَنْزِلٍ يَخْطُبُهُمْ، وَيَرْجِعُ عَنْهُ بَعْضُهُمْ، حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৭৬১৭
بَقِيَ فِي سَبْعِمِائَةِ مُقَاتِلٍ، فَسَارَ بِهِمْ حَتَّى غَالَقَ جَيْشَ الْأَتْرَاكِ، وَهُمْ مُحَاصِرُو ذَلِكَ الْقَصْرِ، وَقَدْ عَزَمَ الْمُسْلِمُونَ الَّذِينَ هُمْ فِيهِ عَلَى قَتْلِ نِسَائِهِمْ وَذَبْحِ أَوْلَادِهِمْ أَمَامَهُمْ، ثُمَّ يَنْزِلُونَ فَيُقَاتِلُونَ حَتَّى يُقْتَلُوا عَنْ آخِرِهِمْ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ الْمُسَيَّبُ يُثَبِّتُهُمْ يَوْمَهُمْ ذَلِكَ، فَثَبَتُوا وَمَكَثَ الْمُسَيَّبُ حَتَّى إِذَا كَانَ - وَقْتُ السَّحَرِ كَبَّرَ وَكَبَّرَ أَصْحَابُهُ، وَقَدْ جَعَلُوا شِعَارَهُمْ يَا مُحَمَّدُ، ثُمَّ حَمَلُوا عَلَى التُّرْكِ حَمْلَةً صَادِقَةً، فَقَتَلُوا مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَعَقَرُوا دَوَابَّ كَثِيرَةً، وَنَهَضَ إِلَيْهِمُ التُّرْكُ، فَقَاتَلُوهُمْ قِتَالًا شَدِيدًا، حَتَّى فَرَّ أَكْثَرُ الْمُسْلِمِينَ، وَضُرِبَتْ دَابَّةُ الْمُسَيَّبِ فِي عَجُزِهَا فَتَرَجَّلَ عَنْهَا، وَتَرَجَّلَ مَعَهُ الشُّجْعَانُ، فَقَاتَلُوا، وَهُمْ كَذَلِكَ قِتَالًا عَظِيمًا، وَالْتَفَّتِ الْجَمَاعَةُ بِالْمُسَيَّبِ، وَصَبَرُوا حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ، وَفَرَّ الْمُشْرِكُونَ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ هَارِبِينَ لَا يَلْوُونَ عَلَى شَيْءٍ، وَقَدْ كَانَ الْأَتْرَاكُ فِي غَايَةِ الْكَثْرَةِ، فَنَادَى مُنَادِي الْمُسَيَّبِ: أَنْ لَا تَتْبَعُوا أَحَدًا مِنْهُمْ، وَعَلَيْكُمْ بِالْقَصْرِ وَأَهْلِهِ. فَاحْتَمَلُوهُمْ وَحَازُوا مَا فِي مُعَسْكَرِ أُولَئِكَ الْأَتْرَاكِ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَشْيَاءِ النَّفِيسَةِ، وَانْصَرَفُوا رَاجِعِينَ سَالِمِينَ بِمَنْ مَعَهُمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ الَّذِينَ كَانُوا مَحْصُورِينَ، وَجَاءَتِ التُّرْكُ مِنَ الْغَدِ إِلَى الْقَصْرِ فَلَمْ يَجِدُوا بِهِ دَاعِيًا وَلَا مُجِيبًا، فَقَالُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ: هَؤُلَاءِ الَّذِينَ لَقُونَا بِالْأَمْسِ لَمْ يَكُونُوا إِنْسًا، إِنَّمَا كَانُوا جِنًّا. ثُمَّ غَزَا سَعِيدٌ الْمُلَقَّبُ خُذَيْنَةُ أَمِيرُ خُرَاسَانَ بِلَادَ الصُّغْدِ وَذَلِكَ لِأَنَّهُمْ أَعَانُوا الْكُفَّارَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ فِي هَذِهِ
পৃষ্ঠা - ৭৬১৮
দেন ৷ এ সময় তারা তাদের সাংকেতিক শ্লোগান নির্ধারণ করেন ইয়া মুহাম্মাদ এরপর তারা
একযোগে তাতারীদের উপর তীব্র আক্রমণ করেন ৷ এ আক্রমণে তারা তাদের বহু যােদ্ধাকে
হত্যা করেন এবং বহুসংখ্যক বাহন পশু আহত করেন ৷ আর অতর্কিত আক্রমণের ধাক্কা
সামলে এবার তাতারীরাও তাদেরকে আক্রমণ করে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড লড়াই করে ৷ এ
অবস্থায় অধিকাৎশ মুসলমান যোদ্ধা পলায়ন করেন এবং মুসলিম সেনাপতি মুসায়িব্রবের অশ্ব
তার পশ্চাদদেশে আঘাতপ্রাপ্ত হয় ৷ তিনি এবং তার সঙ্গী বীরেরা পদাতিক যােদ্ধায় পরিণত হন
এবং এ অবস্থায়ও তারা শত্রুর বিরুদ্ধে অপ্রতিরােধ আক্রমণ চালিয়ে বলে আর এই মুষ্টিমেয়
যােদ্ধার দল মুসড়ায়িবেকে ঘিরে অবিচলভাবে শত্রুদের আক্রমণ প্রতিহত করতে থাকেন এবং
অবশেষে আল্লাহ্ তাদেরকে বিজয় দান করেন ৷ এ সময় মুশরিকরা দিগিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে
তাদের সামনে থেকে পলায়ন করে অথচ তাদের সংখ্যা ছিল বিপুল ৷ এ সময় মুসায়িক্তবের
যােষৰু ঘোষণা করে, তোমরা কোন শত্রুর পশ্চাদ্ধাবন করো না, তোমরা কাসরে বাহিনী এবং
তার অধিবাসীদের উদ্ধার কর ৷ তখন তারা তাদেরকে সফরের বাহন সরবরাহ করে এবং ঐ
সকল তাতারীদের সেনা ছাউনি, সকল অর্থ-সম্পদ ও মুল্যবান বস্তু অধিকার করে ৷ এরপর
তারা কাসরে বাহিলীতে’ অবরুদ্ধ মুসলমানদের সঙ্গে নিয়ে নিরাপদে ফিরে আসে ৷ পরদিন
যখন তাতারীরা ফিরে এসে সেখানে কোন জনমানবের চিহ্ন দেখল না, তখন তারা মনে মনে
ডাবল, গতকাল আমরা যাদের মুখোমুখি হয়েছিলাম তারা মানুষ ছিল না, তারা ছিল জিন ৷
ন্ আর এ বছর যে সকল প্রখ্যাত ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ইনৃতিকাল করেন, তাদের অন্যতম হলেন :
যাহ্হাক ইবন মুযাহিম আল হিলালী১
ন্ তিনি আবুল কাসিম মতাতরে আবু মুহাম্মাদ আল খােরাসানী ৷ ইনি বলখ, সমরকন্দ ও
নিশাপুরে অবস্থান করতেন ৷ তিনি বিশিষ্ট তাবেঈ ৷ হযরত আনাস, ইবন উমর, আবু হুরড়ায়রা
এবং তাবিঈগণের এক দল থেকে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ অবশ্য কারও কারও মতে
সাহাবীণণের কারও থেকে তিনি সরাসরি কোন হাদীস শুনেননি, এমনকি কনিষ্ঠতম সাহাবী
ইবন আব্বাস থেকেও না ৷ যদিও তার সম্পর্কে একথা বর্ণিত আছে যে, তিনি সাত বছর তার
সাহচর্যে ছিলেন ৷ যাহ্হাক ইবন মুযাহিম তাফসীর শাস্তের ইমাম ছিলেন ৷ ছাওরী বলেন,
তোমরা চার ব্যক্তি থেকে তাফসীর শিক্ষা কর ৷ মুজাহিদ, ইকরিমা, সাঈদ ইবন জুবায়র এবং
যাহ্হাক ইবন মুযাহিম ৷ ইমাম আহমাদ (র) বলেন, তিনি নির্ভরযেগ্যে, তবে ইমাম শু’বাহ্
ইবন আব্বাস থেকে তার হাদীস শোনার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন ৷ তিনি বলেন, আসলে
যাহ্হাক সাঈদ সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইবন সাঈদ আল কাত্তান
বলেন, তিনি দুর্বল ছিলেন ৷ তবে ইবন হিবৃবান তাকে নির্ত্যযােগ্য গণ্য করেছেন ৷ তিনি তার
সম্পর্কে বলেন, তিনি কোন সাহাবী থেকে সরাসরি কোন রিওয়ায়াত শ্রবণ করেননি ৷ আর যে
ব্যক্তি দাবী করে যে, তিনি ইবন আব্বাসের সাক্ষাৎ লাভ করেছেন যে বিভ্রান্তি ও ভুলের
১ তারীখুল ইসলাম ৪১২৫,তারীখুল বুখারী ৪৩৩২, তাহযীবুৎ তাহযীব ৪৪৫ও, তাহযীবুল কামাল পৃ৪
১৬৮, আলজ্যরহ ওয়াৎ তাদীল ১ম অংশ ২য় ভলিউম ৪২৮, খুলাসাতু তাহষীবুত তাহযীব ১৭৭,
শাজারাতুয্ ষাহাব ১১২৪ , তাবকাভু ইবন সা’দ ৬৩০০, ৭ও৬৯ তারকাতু খালীফা ২৯৫০,তবােকাতুল
মুফাসৃসিরীন, মিরআতৃল জিনান ১২১৩, আলমুপীনী ফী আয্যুআফা ১৩১২, আনৃনুজুম আয্যাহিরা
الْغَزْوَةِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا، فَسَارَ إِلَيْهِمْ فَقَاتَلَهُمْ قِتَالًا شَدِيدًا حَتَّى نَصَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ، وَوَلَّوْا مُدْبِرِينَ، وَأَخَذَ مِنْهُمْ أَمْوَالًا جَزِيلَةً، وَقَبَضَ مَا وَجَدَ لَهُمْ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْحَوَاصِلِ.
وَفِيهَا عَزَلَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ أَخَاهُ مَسْلَمَةَ عَنْ إِمْرَةِ الْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ، وَذَلِكَ لِأَنَّهُ كَانَ يَصْرِفُ أَمْوَالَ الْغَنِيمَةِ فِيمَا يُرِيدُ، وَلَمْ يَصْرِفْ إِلَى أَخِيهِ يَزِيدَ شَيْئًا فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ، وَطَمِعَ فِي أَخِيهِ فَعَزَلَهُ عَنْهَا، وَوَلَّى عَلَيْهَا بَدَلَهُ عُمَرَ بْنَ هُبَيْرَةَ عَلَى الْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ.
وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا أَمِيرُ الْمَدِينَةِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ.
[مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ]
وَفِيهَا تُوُفِّيَ:
عَدِيُّ بْنُ أَرْطَاةَ
الْفَزَارِيُّ، نَائِبُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَلَى الْبَصْرَةِ وَهُوَ الَّذِي قَبَضَ عَلَى يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ وَبَعَثَ بِهِ مُقَيَّدًا إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِ أَمَرَ بِسَجْنِهِ، فَلَمَّا مَرِضَ عُمَرُ هَرَبَ مِنَ السِّجْنِ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ عُمَرُ ظَهَرَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ وَنَصَبَ رَايَاتٍ سُودًا، وَطَلَبَ الْبَصْرَةَ وَمَلَكَهَا، وَجَرَتْ لَهُ فُصُولٌ قَدْ ذَكَرَهَا ابْنُ جَرِيرٍ ثُمَّ إِنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ لَمَّا بَلَغَهُ قَتْلُ أَبِيهِ أَخْرَجَ عَدِيَّ بْنَ أَرْطَاةَ هَذَا مِنَ الْحَبْسِ وَقَتَلَهُ، وَقَتَلَ مَعَهُ جَمَاعَةً نَحْوَ ثَلَاثِينَ إِنْسَانًا.
يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ
كَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ الْمَشْهُورِينَ، وَلَهُ فُتُوحَاتٌ كَثِيرَةٌ،
পৃষ্ঠা - ৭৬১৯
وَكَانَ جَوَادًا مُمَدَّحًا، لَهُ أَخْبَارٌ فِي الْكَرَمِ وَالشَّجَاعَةِ، وَآخِرُ أَمْرِهِ أَنَّهُ قُتِلَ، وَقُتِلَ مِنْ إِخْوَتِهِ وَأَوْلَادِهِ جَمَاعَةٌ، وَأُخِذَتْ أَمْوَالُهُ وَنِسَاؤُهُ وَأَوْلَادُهُ، وَزَالَ مَا كَانَ فِيهِ، وَقَدْ كَانُوا نَحْوَ ثَمَانِينَ نَفْسًا آلَ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ، وَقَدْ جَمَعُوا شَيْئًا كَثِيرًا مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْجَوَاهِرِ، فَمَا أَفَادَهُمْ ذَلِكَ شَيْئًا بَلْ سُلِبُوا ذَلِكَ جَمِيعَهُ.
قَالَ: وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ وَالسَّادَةِ
الضَّحَّاكُ بْنُ مُزَاحِمٍ الْهِلَالِيُّ
أَبُو الْقَاسِمِ وَيُقَالُ: أَبُو مُحَمَّدٍ الْخُرَاسَانِيُّ، كَانَ يَكُونُ بِبَلْخٍ وَسَمَرْقَنْدَ وَنَيْسَابُورَ، وَهُوَ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، رَوَى عَنْ أَنَسٍ، وَابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ عُمَرَ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَجَمَاعَةٍ مِنَ التَّابِعِينَ، وَقِيلَ: إِنَّهُ لَمْ يَصِحَّ لَهُ سَمَاعٌ مِنَ الصَّحَابَةِ حَتَّى وَلَا مِنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَإِنْ كَانَ قَدْ رُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ جَاوَرَهُ سَبْعَ سِنِينَ.
وَكَانَ الضَّحَّاكُ إِمَامًا فِي التَّفْسِيرِ، قَالَ الثَّوْرِيُّ: خُذُوا التَّفْسِيرَ عَنْ أَرْبَعَةٍ ; مُجَاهِدٍ، وَعِكْرِمَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَالضَّحَّاكِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: هُوَ ثِقَةٌ مَأْمُونٌ. وَقَالَ ابْنُ مَعِينٍ، وَأَبُو زُرْعَةَ: وَهُوَ ثِقَةٌ. وَأَنْكَرَ شُعْبَةُ
পৃষ্ঠা - ৭৬২০
سَمَاعَهُ مِنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَقَالَ: إِنَّمَا أَخَذَ عَنْ سَعِيدٍ عَنْهُ. وَقَالَ ابْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ: كَانَ ضَعِيفًا.
وَذَكَرَهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي " الثِّقَاتِ "، وَقَالَ: لَمْ يُشَافِهْ أَحَدًا مِنَ الصَّحَابَةِ، وَمَنْ قَالَ: إِنَّهُ لَقِيَ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَدْ وَهِمَ.
وَحَمَلَتْ بِهِ أُمُّهُ سَنَتَيْنِ، وَوَضَعَتْهُ وَلَهُ أَسْنَانٌ، وَكَانَ يُعَلِّمُ الصِّبْيَانَ حِسْبَةً، وَقِيلَ: إِنَّهُ كَانَ فِي مَكْتَبِهِ ثَلَاثَةُ آلَافِ صَبِيٍّ، وَكَانَ يَرْكَبُ حِمَارًا، وَيَدُورُ مِنَ الْعَلْيَاءِ عَلَيْهِمْ. وَقِيلَ: إِنَّهُ مَاتَ سَنَةَ خَمْسٍ - وَقِيلَ: سَنَةَ سِتٍّ - وَمِائَةٍ. وَقَدْ بَلَغَ الثَّمَانِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
أَبُو الْمُتَوَكِّلِ عَلِيُّ بْنُ دَاوُدَ النَّاجِيُّ
تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، ثِقَةٌ، رَفِيعُ الْقَدْرِ.