আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة مائة من الهجرة النبوية

পৃষ্ঠা - ৭৫৫২


খারিজা ইবন যায়দ১

ফিক্হশাস্ত্রবিদ ইবনুয যাহ্হাক আল-আনসারী আল-মাদানী ৷ তিনি পবিত্র মদীনায়

ফাতওয়া প্রদান করতেন ৷ তিনি পবিত্র মদীনায় বিশিষ্ট ফকীহণাণর অন্যতম ৷ ফারাইয ও

সম্পত্তি বণ্টন বিষয়ে তিনি বিজ্ঞ ছিলেন ৷ তিনি ঐ সপ্ত ফকীহগণের একজন যাদের রায়ই
ফাতওয়ার কেন্দ্রবিন্দু ৷

হিজরী শততম বর্ষ

ইমাম আহমাদ বলেন, আলী ইবন হড়াফ্স সুত্রে নাঈম ইবন দাজাজা হতে ৷ তিনি বলেন,
একবার হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ হযরত আলীর (বা) সাক্ষাতে প্রবেশ করলেন ৷ হযরত
আলী তাকে বললেন, আপনিই কি এ কথার কথক যে, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া
সাল্লাম ইরশাদ করেন :
৷ হো; ব্লেংৰুশু ৰুা
ভৃপৃষ্ঠে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণকারী কোন প্রাণী থাকা অবস্থায় একশ’ বছর অতিবাহিত হবে
না ৷’ তিনি তো বলেছেন :

ণ্
;,ঙু,
আজ যারা জীবিত তাদের মাঝের কোন শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণকারী মানুষ (জীবিত) থাকা

অবস্থায় ণ্লাকদের একশ’ বছর অতিবাহিত হবে না ৷ আর এই উম্মতের বিত্ত ও বিলাসের সুচনা
হবে একশ বছর পরে ৷’

হাদীসখানি ইমাম আহমাদের একক বর্ণনা ৷ তার ছেলে আবদুল্লাহ্র একটি রিওয়ায়াতে
আছে যে, হযরত আলী তাকে বলেন, হে ফাররুখ ! তুমিই কি এ কথার কথক যে, আজ যারা
জীবিত একশ’ বছর আসতে না আসত্নেইি ভুপৃষ্ঠে তাদের কেউ অবশিষ্ট থাকবে না ৷ আর এই
উম্মভের বিত্ত ও বিলাসের সুচনা হবে একশ বছরের পর ? রড়াসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া
সাল্লাম তো একথা বলেছেন :

তৃ ষ্ঠে কোন সক্রিয় চক্ষুর অস্তিতু থাকা অবস্থায় মানুষের একশ’ বছর অতিবাহিত হবে

না ৷ ণ্ডু এর মর্ম উপলব্ধি করতে পারোনি ৷ তিনি তো তাদেরকে বুঝিয়েছেন যারা আজ

জীবিত ৷ হাদীসখানি ইমাম আহমাদের একক বর্ণনা ৷ বুখারী ও মুসলিম শরীফে আবদুল্লাহ

ইবন উমবের উদ্ধৃতিতে এভাবেই হাদীসখানি এসেছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি
ওয়া সাল্লামের ঐ কথায় সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷ আসলে তিনি তা দ্বারা তার শতাব্দীর
জনগোষ্ঠীর বিলুপ্তির কথা বুঝিয়েছেন ৷ ৰু

১ তারীখুল ইসলাম ৩৩৬২, তারীখুল বুখারী ৩২০৪ , তাযকিরাতুল হুফফায ১৮৫, তাহষীব ইবন
আসাকির ৫২৭, তাহষীৰুল আসমা ওয়াল লুগাত ১ম অংর্শ ১ম খণ্ড ১৭২, তাহষীবুত তাহষীব ,৩৭৪ ,
আলজরহ ওয়াত্তাদীল ২য় অংশ ১ম ভলিউম ৩৭ষ্কৃ , আল-হিলইয়া ২১৮৯, খুলাসাতু তাহষীবুত তাহষীব
৯৯, শাজারাতুয যাহাব ১১ ১৮, তাৰাকাতইবন সাদ ৫২৬২, তাবাকাতৃর্ল হুফ্ফাজ (সুয়ুভী), ৩৫,
তাবাকাত খলীফা ২১৮৫, তাবাকাতুল ফুকাহা (শিরাষী) ৬০, আলইবার ১১ ১৯, আল-মাআরিফ ২৬০,
আল-মারিফা ওয়াত্তারীখ ১৩৭৬, ৫৬৭, আন-নজুম আয্-যাহিরা ১২৪ ২, ওয়াফিয়াতৃল আইয়ান


[سَنَةُ مِائَةٍ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَفْصٍ، أَنْبَأَ وَرْقَاءُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ دَجَاجَةَ قَالَ: دَخَلَ أَبُو مَسْعُودٍ عَلَى عَلِيٍّ فَقَالَ: أَنْتَ الْقَائِلُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَأْتِي عَلَى النَّاسِ مِائَةُ عَامٍ وَعَلَى الْأَرْضِ نَفْسٌ مَنْفُوسَةٌ» ؟ إِنَّمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَأْتِي عَلَى النَّاسِ مِائَةُ عَامٍ وَعَلَى الْأَرْضِ نَفْسٌ مَنْفُوسَةٌ مِمَّنْ هُوَ حَيٌّ» وَإِنَّ رَخَاءَ هَذِهِ الْأُمَّةِ بَعْدَ الْمِائَةِ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَفِي رِوَايَةٍ لِابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عَلِيًّا قَالَ لَهُ: يَا فَرُّوخُ، أَنْتَ الْقَائِلُ: لَا يَأْتِي عَلَى النَّاسِ مِائَةُ سَنَةٍ وَعَلَى الْأَرْضِ عَيْنٌ تَطْرِفُ؟ أَخْطَأَتِ اسْتُكَ الْحُفْرَةَ، إِنَّمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَأْتِي عَلَى النَّاسِ مِائَةُ سَنَةٍ وَعَلَى الْأَرْضِ عَيْنٌ تَطْرِفُ مِمَّنْ هُوَ الْيَوْمَ حَيٌّ» وَإِنَّمَا رَخَاءُ هَذِهِ الْأُمَّةِ وَفَرَجُهَا بَعْدَ الْمِائَةِ. تَفَرَّدَ بِهِ. وَهَكَذَا جَاءَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنِ ابْنِ عُمَرَ: فَوَهَلَ النَّاسُ فِي مَقَالَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِلْكَ، وَإِنَّمَا أَرَادَ انْخِرَامَ قَرْنِهِ. وَفِيهَا خَرَجَتْ خَارِجَةٌ مِنَ الْحَرُورِيَّةِ بِالْعِرَاقِ، فَبَعَثَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৫৩

এ বছরেই ইরাকের হারুরিয়্যা অঞ্চল হতে খারিজীদের একটি দল বিদ্রোহ করে ৷ তখন
আমীরুল মু’মিনীন উমর ইবন আবদুল আযীয কুফার নায়েব আবদুল হামীদের কাছে এক
লিখিত ফরমানে তাকে নির্দেশ দেন তাদেরকে সত্যের দিকে আহ্বান করার, তাদের সাথে
কােমলতা অবলম্বন করার এবং দেশে কোন বিপর্যয় বিশৃগ্রলা সৃষ্টি না করলে তাদের বিরুদ্ধে
লড়াই না করার ৷ বিৎ পরবর্তীতে তারা যখন বিপর্যয়-বিশৃগ্রলা সৃষ্টি করে, তখন আবদুল
হামীদ তাদের বিরুদ্ধে ফৌজ প্রেরণ করেন ৷ কিন্তু হারুরীরা তাদেরকে পরাজিত ও পর্বুদস্ত
করে ৷ খলীফা উমর ইবন আবদুল আযীয আবদুল হামীদকে তার ফৌজের ব্যাপারে তৎসনা
করে পাঠালেন এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য জাযীরা হতে তার চাচাতে৷ ভাই মাসলামা
ইবন আবদুল মালিককে ডেকে পাঠান ৷ মহান আল্পাহ্ তাকে বিজয় দান করলেন ৷ উমর ইবন
আবদুল আযীয খাওয়ারিজ প্রধান বুসতামের নিকট দুত পাঠিয়ে প্রশ্ন করলেন, কিসে তোমাকে
আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী করেছে ? যদি তুমি আল্লাহর ওয়ান্তে তা করে থাক, তাহলে তোমার
চ্যে আমি যে বিষয়ের অধিক উপযুক্ত ৷ তুমি যে বিষয়ে আমার চেয়ে অধিক উপযুক্ত নও ৷
আস, আমি তেড়ামার সামনে যুক্তি উপস্থাপন করি এবং তুমি আমার সামনে যুক্তি উপস্থাপন
কর ৷ এরপর যদি তুমি সত্যের সন্ধান পাও, তাহলে তার অনুসরণ করবে ৷ আর তুমি যদি কোন
সত্য উপস্থাপন করতে পার, তাহলে আমরা তা গ্রহণের ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করব ৷ এ
প্রস্তাবের পর সে খলীফার কাছে তার একদল অনুসারীকে পাঠাল ৷ তিনি তাদের মধ্য থেকে
দু’জনকে বেছে নিয়ে প্রশ্ন করলেন, তোমাদের বিরোধিতার কারণ কি ? তারা বলল, আপনার
পরবর্তী খলীফারুপে ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিককে নিয়োগ করা ৷ তখন তিনি বললেন,
আমি কখনও তাকে নিয়োগ করিনি ৷ তাকে তাে অন্য এক ব্যক্তি নিয়োগ করেছেন ৷ তারা
দুইজন বলল, তাহলে কিভাবে আপনি আপনার পরবর্তীতে উম্মতের দায়িতুপ্রাপ্ত রুপে মেনে
নিলেন ৷ তখন তিনি বললেন, তোমরা আমাকে তিন দিন অবকাশ দাও ৷ বর্ণিত অ৩াছে, এ সময়
উমর ইবন আবদুল আযীয বানু উময়্যাকে কতৃতুমুক্ত এবং শাহী ধনসম্পদ হতে বঞ্চিত করতে
পারেন এই আশঙ্কায় তারা তার খাদ্যে বিষ প্রয়োগ করে তাকে হত্যা করে ৷ আর আল্পাহ্ অধিক
জানেন ৷
এ বছরেই উমর ইবন ওয়ালীদ ইবন হিশাম আলমুআয়র্তী এবং হিমসবাসী আমর ইবন
কায়স আল-কিনৃদী সাইফা আক্রমণ করেন ৷ এছাড়া এ বছরেই খলীফা উমর ইবন আবদুল
আযীয (র) উমর ইবন হুরায়রাকে আল-জাযীরার প্রশাসক নিয়োগ করেন এবং ইবন হুরায়রা
সেদিকে অভিযান করেন ৷ এ বছরেই ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব উমর ইবন আবদুল আযীযের কাছে
ইরাক হতে উপচৌকন বহন করে আসে ৷ এ সময় বসরার গভর্নর আদী ইবন আরতাআ তাকে
মুসা ইবন ওরাজীহ এর সাথে পাঠান ৷ উল্লেখ্য যে, উমর ইবন ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব ও তার
পরিবারের সদস্যদের অপসন্দ করতেন এবং বলতেন, এরা স্বেচ্ছাচারী আর এদের মত
লোকদের আমি পসন্দ করি না ৷ এরপর সে (ইয়াযীদ) উমর ইবন আবদুল আযীযের সাক্ষাতে
প্রবেশ করে, তিনি তার কাছে বায়তৃল মালের প্রাপ্য ঐ সকল অর্থ সম্পদ সমর্পণ করতে
বললেন, যার সম্পর্কে যে সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের কাছে এই মর্মে পত্র প্রেরণ ’
করেছিল যে, তা তার কাছে গচ্ছিত রয়েছে ৷ সে বলে তা দ্বারা শত্রুদেরকে ভয় দেখানোর জন্য
আমি তা লিখেছিলাম ৷ আর সুলায়মান ও আমার মাঝে কোন অঙ্গীকার ছিল না ৷ আর আপনি
নিজেও তাে তার কাছে আমার অবস্থান সম্পর্কে জানেন ৷ উমর তাকে বললেন, এসব কোন
কিইে আমি তোমার থেকে শুনতে চাই না ৷ আর মুসলমানদের অর্থ সম্পদ অর্পণ না করা পর্যন্ত
আমি তোমাকে ছাড়ছি না ৷ এরপর তিনি তাকে কয়েদ করার নির্দেশ দেন এবং উমর ইবন


إِلَى عَبْدِ الْحَمِيدِ نَائِبِ الْكُوفَةِ يَأْمُرُهُ بِأَنْ يَدْعُوَهُمْ إِلَى الْحَقِّ، وَيَتَلَطَّفَ بِهِمْ، وَلَا يُقَاتِلَهُمْ حَتَّى يُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ، فَلَمَّا فَعَلُوا ذَلِكَ بَعَثَ إِلَيْهِمْ جَيْشًا فَكَسَرَهُمُ الْحَرُورِيَّةُ، فَبَعَثَ عُمَرُ إِلَيْهِ يَلُومُهُ عَلَى جَيْشِهِ، وَأَرْسَلَ عُمَرُ ابْنَ عَمِّهِ مَسْلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ مِنَ الْجَزِيرَةِ إِلَى حَرْبِهِمْ، فَأَظْفَرَهُ اللَّهُ بِهِمْ، وَقَدْ أَرْسَلَ عُمَرُ إِلَى كَبِيرِ الْخَوَارِجِ وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: بِسْطَامُ يَقُولُ لَهُ: مَا أَخْرَجَكَ عَلَيَّ؟ فَإِنْ كُنْتَ خَرَجْتَ غَضَبًا لِلَّهِ فَأَنَا أَحَقُّ بِذَلِكَ مِنْكَ، وَلَسْتَ أَوْلَى بِذَلِكَ مِنِّي، وَهَلُمَّ أُنَاظِرْكَ; فَإِنْ رَأَيْتَ حَقًّا اتَّبَعْتَهُ، وَإِنْ أَبْدَيْتَ حَقًّا نَظَرْنَا فِيهِ. فَبَعَثَ طَائِفَةً مِنْ أَصْحَابِهِ إِلَيْهِ فَاخْتَارَ مِنْهُمْ عُمَرُ رَجُلَيْنِ فَسَأَلَهُمَا: مَاذَا تَنْقِمُونَ؟ فَقَالَا: جَعْلَكَ يَزِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ مِنْ بَعْدِكَ. فَقَالَ: إِنِّي لَمْ أَجْعَلْهُ أَبَدًا، وَإِنَّمَا جَعَلَهُ غَيْرِي. قَالَا: فَكَيْفَ تَرْضَى بِهِ أَمِينًا لِلْأُمَّةِ مِنْ بَعْدِكَ؟ فَقَالَ: أَنْظِرْنِي ثَلَاثَةً. فَيُقَالُ: إِنَّ بَنِي أُمَيَّةَ دَسَّتْ إِلَيْهِ سُمًّا فَقَتَلُوهُ; خَشْيَةَ أَنْ يَخْرُجَ الْأَمْرُ مِنْ أَيْدِيهِمْ، وَيَمْنَعَهُمُ الْأَمْوَالَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ غَزَا عُمَرُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ هِشَامٍ الْمُعَيْطِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ قَيْسٍ الْكِنْدِيُّ مِنْ أَهْلِ حِمْصَ الصَّائِفَةِ. وَفِيهَا وَلَّى عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عُمَرَ بْنَ هُبَيْرَةَ الْجَزِيرَةَ، فَسَارَ إِلَيْهَا. وَفِيهَا حُمِلَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ مِنَ الْعِرَاقِ; أَرْسَلَهُ عَدِيُّ بْنُ أَرْطَاةَ نَائِبُ الْبَصْرَةِ وَقَدْ كَانَ أَظْهَرَ الِامْتِنَاعَ مَعَ مُوسَى بْنِ وَجِيهٍ، وَكَانَ عُمَرُ يُبْغِضُ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ وَأَهْلَ بَيْتِهِ، وَيَقُولُ: هَؤُلَاءِ جَبَابِرَةٌ وَلَا
পৃষ্ঠা - ৭৫৫৪


আবদুল আযীয তার পরিবর্তে জাররাহ্ ইবন আবদুল্লা হ্ আলহাকামীকে খােরাসানের গভর্নর
নিয়োণ করে পাঠ্য ৷ন ৷ এ সময় ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লা বের ছেলে মুখাল্লাদ ইবন ইয়াযীদ এসে
বলে, হে আমীরুল মু’মিনীন! নিঃসন্দেহে আল্লাহ ত৷ আলা আপনাকে শাসন কতৃতৃ দান করে
এই উষ্মতের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন ৷ কাজেই আমরা য়েন কোন মতেই আপনার কারণে
দুর্ভাগ্যের শিকার না হই ৷ কোন অপরাধে আপনি তাকে কয়েদ করে রাখবেন ? তার যামিনদার
রুপে আপনি কি আমার সাথে সন্ধি করবেন ? উমর বলেন, তার থেকে যা কিছু তলব করা
হয়েছে তার সবটুকু আদায় করা ব্যতীত আমি তোমার সাথে কোন সন্ধি করব না ৷ এবং
মুসলমানদের যে অর্থ-সষ্পদ তার কাছে রয়েছে তার সবটুকু ছাড়া তার থেকে কোন কিছু গ্রহণ
করব না ৷ তখন সে বলে, হে দুআমীরুল মু’মিনীন৷ আপনার দাবীর সপক্ষে কোন প্রমাণ থাকলে
আপনি তা পেশ করুন, অন্যথায় তার শপথ গ্রহণ করুন কিৎবা তার যামিনদাররুপে আমার
সাথে সন্ধি করুন ৷ তিনি বললেন, আমি তো তার কাছে যা কিছু রয়েছে তার সবটুকু ব্যতীত
গ্রহণ করব না ৷ এরপর মুখাললাদ ইবন ইয়াযীদ উমরের কাছ থেকে বের হয়ে আসে এবং
কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যুমুখে পতিত হয় ৷ তার সম্পর্কে উমর ইবন আবদুল আযীয বলতেন, সে
তার পিতার চেয়ে উত্তম ৷ এরপর এদিকে খলীফা নির্দেশ দিলেন ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবকে
একটি পশমী জুববা পরিয়ে একটি উটে আরোহণ করিয়ে পাপাচারী ও অপরাধীদের নিৰ্বাসনস্থল
দাহলিক দ্বীপে নির্বাসিত করতে ৷ তখন লোকেরা তার এই নির্বাসন দণ্ড স্থগিত করার জন্য
সুপারিশ করে ৷ তিনি তাকে পুনরায় জেলে ফিরিয়ে দিলেন ৷ ইয়াযীদের এই বন্দীদশা বহাল
থাকা অবস্থাতেই উমর মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷ এ সময় সে জেল থেকে পলায়ন করে ৷ সে
জানত, এটাই তার মৃত্যুশয্যা এবং৩ তা জানাৰার জন্যই তার কাছে পত্র লিখেছিল ৷ যেমন একটু
পরেই আসছে ৷ আর আমার ধারণা, তার জানা ছিল যে, উমর ইবন আবদুল আযীযকে বিষপান
করান হয়েছে ৷
এ বছরেই রমাযান সালে এক বছর পাচ মাস পর উমর ইবন আবদুল আযীয জাররাহ্
ইবন আবদুল্লাহ আল-হাকামীকে খােরাসানের গভর্নর পদ হতে অপসারণ করেন ৷ তাকে
অপসারণ করার কারণ সে নওমু সলিমদের থেকে জিঘৃয়াহ্ কর উসুল করত এবৎ বলত, তোমরা
তো জিয্য়াহ্ কর হতে আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যেই ইসলাম গ্রহণ করেছ ৷ এর ফলে তারা ইসলাম
গ্রহণ হতে বিরত থাকে এবং তাদের ধর্মে বহাল থেকে জিয্য়াহ আদায় করতে থাকে ৷ তখন
উমর ইবন আবদুল আযীয তাকে লিখে পাঠালেন, আল্লাহ্ তাআলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি
ওয়া সাল্লামকে তার দিকে আহ্বানকারীরুপে প্রেরণ করেছেন, কর উসুলকারীরুপে নয় ৷ এ সময়
তিনি তাকে অপসারণ করে তার পরিবতে আবদুর রহমান ইবন নুআয়ম আল কুশায়রীকে যুদ্ধ
পরিচালনার দায়িত্ব এবং আবদুর রহমান ইবন আবদুল্পাহ্কে কর উসুলের দায়িত্ব ন্যস্ত করেন ৷
এছাড়া এ বছর উমর ইবন আবদুল আযীয তার সকল গভর্নর ও শাসকদের ন্যায় ও কল্যাণের
নির্দেশ প্রদান করে এবং অন্যায় ও অনিষ্ট হতে নিষেধ করে পত্র প্রেরণ করেন ৷ এতে তিনি
তাদের সামনে ন্যায় ও সতট্রুকে স্প্ষ্টিভাবে তুলে ধরেন ৷ তার ও তাদের মাঝের সম্পর্কের গুরুতু
ব্যাখ্যা করেন এবং তাদেরকে মহান আল্লাহর শান্তি ও প্রতিকারের ভয় দেখান ৷ আবদুর রহমান
ইবন নুআয়ম আল-কুশায়রীকে তিনি যে সকল পত্র প্রেরণ করেন তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটির
ভাষ্য হলো ৷ পর কথা হলো, তুমি আল্লাহর (পরিপুর্ণ অনুগত) বান্দা হয়ে যাও, তার বান্দাদের
ব্যাপারে তার জন্য একনিষ্ঠ হিতাকাভফী হয়ে যাও ৷ আল্পাহ্র ব্যাপারে কোন ভর্ধসনাকারীর
ভর্ন্তসনার পরওয়৷ করে৷ না ৷ কেননা, সকৃ,ল্লু,,ন্মুহ্রহুম্নৰুরগ্লু০িচুল্গুয়ু মহান আল্পাহ্ তোমার ঘনিষ্ঠতর এবং

أُحِبُّ مِثْلَهُمْ. فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى عُمَرَ طَالَبَهُ بِمَا قِبَلَهُ مِنَ الْأَمْوَالِ الَّتِي كَانَ قَدْ كَتَبَ إِلَى سُلَيْمَانَ أَنَّهَا حَاصِلَةٌ عِنْدَهُ، فَقَالَ إِنَّمَا كَتَبْتُ ذَلِكَ لِأُرْهِبَ الْأَعْدَاءَ بِذَلِكَ، وَلَمْ يَكُنْ بَيْنِي وَبَيْنَ سُلَيْمَانَ شَيْءٌ، وَقَدْ عَرَفْتَ مَكَانَتِي عِنْدَهُ. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: لَا أَسْمَعُ مِنْكَ هَذَا، وَلَسْتُ أُطْلِقُكَ حَتَّى تُؤَدِّيَ أَمْوَالَ الْمُسْلِمِينَ. وَأَمَرَ بِسَجْنِهِ. وَكَانَ عُمَرُ قَدْ بَعَثَ عَلَى إِمْرَةِ خُرَاسَانَ الْجَرَّاحَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْحَكَمِيَّ عِوَضَهُ وَقَدِمَ وَلَدُ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ مَخْلَدُ بْنُ يَزِيدَ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ مَنَّ عَلَى هَذِهِ الْأُمَّةِ بِوِلَايَتِكَ عَلَيْهَا فَلَا نَكُونَنَّ أَشْقَى النَّاسِ بِكَ، فَعَلَامَ تَحْبِسُ هَذَا الشَّيْخَ وَأَنَا أَقُومُ بِمَا تُصَالِحُنِي عَنْهُ؟ فَقَالَ عُمَرُ: لَا أُصَالِحُكَ عَنْهُ إِلَّا أَنْ تَقُومَ بِجَمِيعِ مَا يُطْلَبُ مِنْهُ. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنْ كَانَتْ لَكَ بَيِّنَةٌ عَلَيْهِ بِمَا تَقُولُ وَإِلَّا فَاقْبَلْ يَمِينَهُ أَوْ فَصَالِحْنِي عَنْهُ. فَقَالَ: لَا آخُذُ مِنْهُ إِلَّا جَمِيعَ مَا عِنْدَهُ، فَخَرَجَ مَخْلَدُ بْنُ يَزِيدَ مِنْ عِنْدِ عُمَرَ، فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ مَاتَ مَخْلَدٌ، فَكَانَ عُمَرُ يَقُولُ: هُوَ خَيْرٌ مِنْ أَبِيهِ. ثُمَّ إِنَّ عُمَرَ أَمَرَ بِأَنْ يَلْبَسَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ جُبَّةً مِنْ صُوفٍ، وَيَرْكَبَ عَلَى بَعِيرٍ وَيَذْهَبُوا إِلَى جَزِيرَةِ دَهْلَكَ الَّتِي كَانَ يُنْفَى إِلَيْهَا الْفُسَّاقُ، فَشَفَعُوا فِيهِ، فَرَدَّهُ إِلَى السِّجْنِ، فَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى مَرِضَ عُمَرُ مَرَضَهُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ، فَهَرَبَ
পৃষ্ঠা - ৭৫৫৫
مِنَ السِّجْنِ وَهُوَ مَرِيضٌ، وَعَلِمَ أَنَّهُ يَمُوتُ فِي مَرَضِهِ ذَلِكَ، وَبِذَلِكَ كَتَبَ إِلَيْهِ، كَمَا سَيَأْتِي، وَأَظُنُّهُ كَانَ عَالِمًا أَنَّ عُمَرَ قَدْ سُقِيَ سُمًّا. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ، فِي رَمَضَانَ مِنْهَا عَزَلَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْجَرَّاحَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْحَكَمِيَّ عَنْ إِمْرَةِ خُرَاسَانَ بَعْدَ سَنَةٍ وَخَمْسَةِ أَشْهُرٍ; وَإِنَّمَا عَزَلَهُ لِأَنَّهُ كَانَ يَأْخُذُ الْجِزْيَةَ مِمَّنْ أَسْلَمَ مِنَ الْكُفَّارِ وَيَقُولُ: أَنْتُمْ إِنَّمَا تُسْلِمُونَ فِرَارًا مِنْهَا. فَامْتَنَعُوا مِنَ الْإِسْلَامِ وَثَبَتُوا عَلَى دِينِهِمْ وَأَدَّوُا الْجِزْيَةَ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ: إِنَّ اللَّهَ إِنَّمَا بَعَثَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَاعِيًا وَلَمْ يَبْعَثْهُ جَابِيًا. وَعَزَلَهُ وَوَلَّى بَدَلَهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ نُعَيْمٍ الْقُشَيْرِيَّ عَلَى الْحَرْبِ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَلَى الْخَرَاجِ. وَفِيهَا كَتَبَ عُمَرُ إِلَى عُمَّالِهِ يَأْمُرُهُمْ بِالْخَيْرِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الشَّرِّ وَيُبَيِّنُ لَهُمُ الْحَقَّ، وَيُوَضِّحُهُ لَهُمْ، وَيَعِظُهُمْ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ وَيُخَوِّفُهُمْ بَأْسَ اللَّهِ وَانْتِقَامَهُ فَكَانَ فِيمَا كَتَبَ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نُعَيْمٍ الْقُشَيْرِيِّ: أَمَّا بَعْدُ، فَكُنْ عَبْدًا لِلَّهِ نَاصِحًا لِلَّهِ فِي عِبَادِهِ، وَلَا تَأْخُذْكَ فِي اللَّهِ لَوْمَةُ لَائِمٍ، فَإِنَّ اللَّهَ أَوْلَى بِكَ مِنَ النَّاسِ وَحَقَّهُ عَلَيْكَ أَعْظَمُ، وَلَا تُوَلِّيَنَّ شَيْئًا مِنْ أُمُورِ الْمُسْلِمِينَ إِلَّا الْمَعْرُوفَ بِالنَّصِيحَةِ لَهُمْ، وَالتَّوْفِيرِ عَلَيْهِمْ، وَأَدَاءِ الْأَمَانَةِ فِيمَا اسْتُرْعِيَ، وَإِيَّاكَ أَنْ يَكُونَ مَيْلُكَ مَيْلًا إِلَى غَيْرِ الْحَقِّ; فَإِنَّ اللَّهَ لَا تَخْفَى عَلَيْهِ خَافِيَةٌ وَلَا تَذْهَبَنَّ عَنِ اللَّهِ مَذْهَبًا; فَإِنَّهُ لَا مَلْجَأَ مِنَ اللَّهِ إِلَّا إِلَيْهِ. وَكَتَبَ مِثْلَ ذَلِكَ مَوَاعِظَ كَثِيرَةً إِلَى الْعُمَّالِ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৫৬

তোমার কাছে তার প্রাপ্য অধিকতর ৷ আর ৫ত ৷মাকে মুসলমানদের হিত সাধন এবং তাদের
প্রাপ্য হক পুর্ণ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তাদের কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়েছে ৷ তোমাকে যে
আমানত অর্পণ করা হয়েছে৩ তা প্রত্যর্পণ করবে ৷ অসতা ও অন্যায়ের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া হতে
সাবধান থাকবে ৷ কেননা, মহান আল্লাহর কাছে কোন কিছু গোপন থাকে না ৷ মহান আল্লাহ
হতে বিমুখ হয়ে কোন পথ অবলম্বন করে৷ না ৷ কেননা, মহান আল্লাহর দিকে যাওয়া ছাড়া
মহান আল্লাহ হতে বীচার কোন আশ্রয়ন্থল নেই ৷ এছাড়া তিনিও তার পভর্নরদের কাছে এ
জাতীয় বহু উপদেশনাম৷ লিখেন ৷ ইমাম বুখারী তার সহীহ্ গ্রন্থে বলেন, উমর ইবন আবদুল
আযীয আদী ইবন আদীকে লিখে পাঠালেন, ঈমানের কতক বিধি-বিধান, সীমারেখা এবং পথ
ও পন্থা রয়েছে ৷ যে ব্যক্তি এসব পুর্ণ করল, যে তার ঈমানকে পুর্ণ করল ৷ আর যে তা পুর্ণ
করল না, সে ঈমানও পুর্ণ করল না ৷ মহান আল্লাহ যদি আমাকে হায়াত দেন, তাহলে আমি
তােমাদেরকে তা স্পষ্ট করে বর্ণনা করে দিব আর যদি আমি মারা যাই, তাহলে জেনে রাখো
আমি তোমাদের সাহচর্যের জন্য লালারিত নই ৷

বানু আব্বাসের খিলাফতের প্রচারণার সুচনা

এ বছরেই বানু আব্বাসের অনুকুলে খিলাফতের প্রচারণা সুচিত হয় ৷ আশৃশারা ভুখণ্ডে
অবস্থানরত মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস তার পক্ষ হতে মায়সারাহ্
নামক এক ব্যক্তিকে ইরাকে প্রেরণ করেন এবং আরেকটি দলে মুহাম্মাদ ইবন খুনায়ছ ও আবু
ইকরিমা আসসাররাজ যিনি আবু মুহাম্মাদ আস-সাদিক নামেও পরিচিত, ইবরড়াহীম ইবন
সালামার মামা হায়্যান আল্আত্তারকে থােরাসানে প্রেরণ করেন ৷ থােরাসানের তৎকালীন শাসক
ছিলেন আল-জাররাহ্ ইবন আবদুল্লাহ আল-হাশেমী যদিও তিনি রমযড়ানে অপসারিত হন ৷ তিনি
তার প্রেরিত এই ব্যক্তিদেরকে তার ও তার পরিবারবর্গের দিকে আহ্বানের নির্দেশ দেন ৷ তখন
তারা যাদের সাথে সম্ভব সাক্ষাৎ করেন ৷ তারপর তাদের আহ্বানে সাড়া দানকারীদের পত্রসমুহ
নিয়ে ইরাকে অবস্থানরত মায়সারার কাছে গমন করে ৷ মায়সারা তখন সে সকল পত্র মুহাম্মাদ
ইবন আলীর কাছে প্রেরণ করেন এবং ইবন আলী তাকে শুভ লক্ষণ বিবেচনা করে পুলকিত
হন ৷ তাকে এ বিষয়টি আনন্দিত করে যে, মহা ন অ ৷ল্লাহ্ তার এই প্রাথমিক উদ্যেড়াগেকে পুর্ণতা
দান করেন এবং প্রাথমিক সিদ্ধ ন্তকে দৃঢ়তা দান করেন ৷ যার কারণ বানু উমায়্যার শাসন
কতৃত্বে দুর্বলতা ও অযােগ্যতার চিহ্নসমুহ প্রকট হয়ে দেখা দেয় ৷ বিশেষতঃ হযরত উমর ইবন
আবদুল আযীযের মৃত্যুর পর ৷ যেমন সামনে তার বিবরণ আসছে ৷

এদিকে এই কার্যক্রমের জন্য আবু মুহাম্মাদ সাদিক , মুহাম্মাদ ইবন আলীর জন্য দ্বাদশ দুত
নিয়োগ করেন্য ৷ তারা হলেন, সুলায়মান ইবন কাহীর আল থুযাঈ, লাহিয ইবন কুরায়য
আত্তামীমী, কাহতাবা ইবন শাবীব আতৃতাঈ, মুসা ইবন কা’ব আত্তামীমী, বানু অড়ামর ইবন
শায়বান ইবন যুহাল-এরর্ব সদস্য আবু দাউদ খালিদ ইবন ইবরাহীম, কাসিম ইবন মুশাজি
আত্তামীমী আবু মুআয়ত পরিবারের মাওলা আবুন নাজম ইমরান ইবন ইসমাঈল মালিক
ইবন হায়ছাম আল থুযাঈ, তালহ৷ ইবন যুরায়ক পাল খুযাঈ, বানু খুযাআরমাওলা আবু
হামযাহ্ আমর ইবন আয়ান বানু হানীফার মাওলা আবু আলী অড়াল-হারাবী শিবল ইবন
তাহমান, এবং বানু খুযাআর আরেকজন মাওলা ঈস৷ ইবন আয়ান ৷ এছাড়া তিনি এ কাজের
সহযোগী রুপে আরও সত্তর জন লোক নির্বাচন করেন ৷ এরপর মুহাম্মাদ ইবন আলী তাদের
উদ্দেশ্যে একখানি বিশদপত্র লিখে পাঠান যা ছিল তাদের অনুসরণ ও পথচলার আদর্শ দৃষ্টান্ত
এবং পন্থা ও পথনির্দেশ ৷


وَقَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ ": وَكَتَبَ عُمَرُ إِلَى عَدِيِّ بْنِ عَدِيٍّ: إِنَّ لِلْإِيمَانِ فَرَائِضَ وَشَرَائِعَ وَحُدُودًا وَسُنَنًا، مَنِ اسْتَكْمَلَهَا اسْتَكْمَلَ الْإِيمَانَ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَكْمِلْهَا لَمْ يَسْتَكْمِلِ الْإِيمَانَ، فَإِنْ أَعِشْ فَسَأُبَيِّنُهَا لَكُمْ حَتَّى تَعْمَلُوا بِهَا، وَإِنْ أَمُتْ فَمَا أَنَا عَلَى صُحْبَتِكُمْ بِحَرِيصٍ. [بُدُوُّ دَعْوَةِ بَنِي الْعَبَّاسِ] وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ كَانَ بُدُوُّ دَعْوَةِ بَنِي الْعَبَّاسِ وَذَلِكَ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ وَكَانَ مُقِيمًا بِأَرْضِ الشُّرَاةِ بَعَثَ مِنْ جِهَتِهِ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ: مَيْسَرَةُ. إِلَى الْعِرَاقِ وَأَرْسَلَ طَائِفَةً أُخْرَى وَهُمْ; مُحَمَّدُ بْنُ خُنَيْسٍ وَأَبُو عِكْرِمَةَ السَّرَّاجُ وَهُوَ أَبُو مُحَمَّدٍ الصَّادِقُ وَحَيَّانُ الْعَطَّارُ خَالُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَلَمَةَ إِلَى خُرَاسَانَ وَعَلَيْهَا يَوْمئِذٍ الْجَرَّاحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَكَمِيُّ قَبْلَ أَنْ يُعْزَلَ فِي رَمَضَانَ وَأَمَرَهُمْ بِالدُّعَاءِ إِلَيْهِ، وَإِلَى أَهْلِ بَيْتِهِ فَلَقُوا مَنْ لَقُوا ثُمَّ انْصَرَفُوا بِكُتُبِ مَنِ اسْتَجَابَ مِنْهُمْ إِلَى مَيْسَرَةَ، الَّذِي بِالْعِرَاقِ فَبَعَثَ بِهَا إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ فَفَرِحَ بِهَا وَاسْتَبْشَرَ وَسَرَّهُ وَكَانَ مَبَادِئَ أَمْرٍ قَدْ كَتَبَ اللَّهُ إِتْمَامَهُ وَأَوَّلَ رَأْيٍ قَدْ أَحْكَمَ اللَّهُ إِبْرَامَهُ،
পৃষ্ঠা - ৭৫৫৭

এ বছর হজ্জ পরিচালনা করেন পবিত্র মদীনায় প্রশাসক আবু বকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন
আমর ইবন হাযম ৷ আর অন্যান্য অঞ্চলের প্রশাসকদের কথা এর পুর্ববর্তী বছরের আলোচনায়
বর্ণিত হয়েছে ৷ তবে এ বছর যারা প্রশাসক পদ থেকে অপসারিত হয়েছিল বা যারা নতুন দ ৷যিতৃ
গ্রহণ করেছিল তাদের কথা ভিন্ন ৷ মহান আল্লাহ সর্বাধিক জানেন ৷ উমর ইবন আ বদৃল আযীয
খিলাফতের দায়িতৃ গ্রহণের পর মুসলমানদের স্বার্থে ব্যস্ত থাকায় হজ্জ করতে পারেননি ৷ তবে,
তিনি পবিত্র মদীনায় ডাকদুত পাঠিয়ে তাকে নির্দেশ দিতেন, আমার পক্ষ হতে রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়৷ স ৷ল্লামাকে সালাম পৌছে দিও ৷ অচিরেই তা বংনি৷ সুত্রসহ উল্লিখিত
হবে ইনশাআ ৷ল্লাহ্ ৷ এ বছরে যে সকল প্রখ্যাত ব্যক্তি ইনতিকাল করেন তাদের অন্যতম হলেন০ :

সালিম ইবন আবুল জাদ আল্াআশজাঈ১

তিনি বানু আশ ৷জা এর কুফাবাসী মাওলা, যিয়াদ আবদুল্লাহ, উবাযদুল্লাহ্ ইমরান ও
মুসলিমের ভাই ৷ ইনি একজন বিশিষ্ট তাবেয়ী ৷ ইনি হযরত ছা,ওবান জাবির, আবদুল্লাহ ইবন
উমর আবদুল্লাহ ইবন আমর, নুমান ইবন বাশীর ও অন্যান্যদের থেকে হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ আর তার থেকে রিওয়ায়াত করেছেন কাত তাদাহ আ মাশ প্রমুখগণ ৷ আর তিনি বিশিষ্ট
গুণী অভিজাত ও আন্থাভ ৩াজন ব্যক্তি ৷

আবু উমাম৷ সাহল ইবন হানীফ২

তিনি বানু আওস গোত্রের সদস্য পবিত্র মদীনাবাসী এবং আনসারী ৷ ইনি নবী করীম
সাল্লাল্লাহু আ ৷লায়হি ওয়া সাল্লামার মদীনা তাব্যিবাতে অবস্থানকালে জনআেহণ করেন এবং তার
দর্শন লাভ করেন ৷ তিনি হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন৩ তার পিতা সাহ্ল ইবন হানীফ হতে এবং
হযরত উমর, উছমান, যায়দ ইবন ছ বি৩ , মুআবিয়া ও ইবন আব্বাস (রা) হতে ৷ আর তার
থেকে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ইমাম যুহরী, আবু হাষিম এবং আরও একদল রাবী ৷ তার
সম্পর্কে ইমাম যুহরী বলেন, তিনি নেত তৃন্থানীয়৷ আানসর আলিমগণের অন্যতম এবং বদরযুদ্ধে
অংশ গ্রহণকারী সাহাবীর সন্তান ৷ ইয়ুসুফ ইবন মাজিশুন বংনি৷ করেন উত্বাহ ইবন মুসলিম
হতে ৷ তিনি বলেন, হযরত উছমান ইবন আফফ৷ ন (রা ) যখন সর্বশেষ বার জুমুআর নামায়ের
উদ্দেশ্যে বের হলেন তখন লোকেরা (বিদ্রোহীরা) তাকে রেষ্টন করে নামায পড়তে দিল না ৷
নামায পড়ালেন আবু উমাম৷ সাহ্ল ইবন হানীফ , ঐতিহাসিকগণ বলেন, তিনি একশ’
হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন ৷ মহান আল্লাহ সর্বাধিক জানেন ৷

১ আত্তারীখ আসৃসর্গীর ১২১১, ২১২, আত্তারীখ আলকাবীর ৪১০৭, তারীখুল ইসলাম ৩৩৬৯,
তাহযীবুত তাহযীব ৩৪৩২৩ তাহযীবুল কামাল ৪৬০, আল ল-জারহ্ ওয়াত তাদীল ৪১৮১, খুলাসাতৃ
তাহযীবুল কামাল ১৩১ শাজারাতৃয যাহাব ১১১৮, তাবাকাতু ইবন সাদ ৬২৯১, তাবাকাতু খালীফা
১৫৬, আল ইবার ১৮৯৯ ৷

২ আল-ইসাবা ৪৯, আলই-সতীআব ৮২, উসদুল গাবাহ্ ৩৪ ৭০, তারীখুল ইসলাম ৪৭১, তাহযীবুত
তাহযীব ১২৬৩, তাহযীবু ইবন আসাকির ৩৭, খুলাসা তাহযীবুল কামাল ৩৮, তাবাকাতু ইবন সাদ
৬৮২,৩ তাবাকাতু খালীফ৷ ৬৫৪ ২১৭৬ আল ইবার ১১১৮, মিরআভুয-যামান ১২০৭, আলমা’রিফা
ওয়াত তারীখ ১৩৭৫, মাশাহীরু উলামা আল-আমসার ১৩৯ ৷


وَذَلِكَ أَنَّ دَوْلَةَ بَنِي أُمَيَّةَ قَدْ بَانَ عَلَيْهَا مَخَايِلُ الْوَهْنِ وَالضَّعْفِ، وَلَا سِيَّمَا بَعْدَ مَوْتِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. وَقَدِ اخْتَارَ أَبُو مُحَمَّدٍ الصَّادِقُ لِمُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ اثْنَيْ عَشَرَ نَقِيبًا وَهُمْ; سُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ الْخُزَاعِيُّ وَلَاهِزُ بْنُ قُرَيْظٍ التَّمِيمِيُّ وَقَحْطَبَةُ بْنُ شَبِيبٍ الطَّائِيُّ وَمُوسَى بْنُ كَعْبٍ التَّمِيمِيُّ وَخَالِدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَبُو دَاوُدَ مِنْ بَنِي عَمْرِو بْنِ شَيْبَانَ بْنِ ذَهَبٍ وَالْقَاسِمُ بْنُ مُجَاشِعٍ التَّمِيمِيُّ وَعِمْرَانُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَبُو النَّجْمِ مَوْلًى لِآلِ أَبِي مُعَيْطٍ وَمَالِكُ بْنُ الْهَيْثَمِ الْخُزَاعِيُّ وَطَلْحَةُ بْنُ زُرَيْقٍ الْخُزَاعِيُّ وَعَمْرُو بْنُ أَعْيَنَ أَبُو حَمْزَةَ مَوْلًى لِخُزَاعَةَ وَشِبْلُ بْنُ طَهْمَانَ أَبُو عَلِيٍّ الْهَرَوِيُّ مَوْلًى لِبَنِي حَنِيفَةَ وَعِيسَى ابْنُ أَعْيَنَ مَوْلَى خُزَاعَةَ أَيْضًا. وَاخْتَارَ مِنْهُمْ سَبْعِينَ رَجُلًا أَيْضًا. وَكَتَبَ إِلَيْهِمْ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ كِتَابًا يَكُونُ مِثَالًا وَسِيرَةً يَقْتَدُونَ بِهَا وَيَسِيرُونَ بِهَا. وَقَدْ حَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَبُو بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ نَائِبُ الْمَدِينَةِ. وَالنُّوَّابُ عَلَى الْأَمْصَارِ هُمُ الْمَذْكُورُونَ فِي الَّتِي قَبْلَهَا سِوَى مَنْ ذَكَرْنَا مِمَّنْ عُزِلَ وَتَوَلَّى غَيْرُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلَمْ يَحُجَّ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي أَيَّامِ خِلَافَتِهِ لِشُغْلِهِ بِالْأُمُورِ، وَلَكِنَّهُ كَانَ يُبْرِدُ الْبَرِيدَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَيَقُولُ لَهُ: سَلِّمْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِّي. وَسَيَأْتِي بِإِسْنَادِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৫৮
سَالِمُ بْنُ أَبِي الْجَعْدِ الْأَشْجَعِيُّ مَوْلَاهُمُ الْكُوفِيُّ أَخُو زِيَادٍ وَعَبْدُ اللَّهِ وَعُبَيْدُ اللَّهِ وَعِمْرَانُ وَمُسْلِمٌ، وَهُوَ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ رَوَى عَنْ ثَوْبَانَ وَجَابِرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَالنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَغَيْرِهِمْ، وَعَنْهُ قَتَادَةُ وَالْأَعْمَشُ وَآخَرُونَ وَكَانَ ثِقَةً نَبِيلًا جَلِيلًا، تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى الْمَشْهُورِ. أَبُو أُمَامَةَ بْنُ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ الْأَنْصَارِيُّ الْأَوْسِيُّ الْمَدَنِيُّ وُلِدَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَآهُ وَحَدَّثَ عَنْ أَبِيهِ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَمُعَاوِيَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ. وَعَنْهُ الزُّهْرِيُّ وَأَبُو حَازِمٍ وَجَمَاعَةٌ. قَالَ الزُّهْرِيُّ: كَانَ مِنْ عِلْيَةِ الْأَنْصَارِ وَعُلَمَائِهِمْ وَمِنْ أَبْنَاءِ الَّذِينَ شَهِدُوا بَدْرًا. وَقَالَ يُوسُفُ بْنُ الْمَاجِشُونِ عَنْ عُتْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ قَالَ: آخِرُ خَرْجَةٍ خَرَجَهَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِلَى الْجُمُعَةِ، حَصَبَهُ النَّاسُ وَحَالُوا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الصَّلَاةِ فَصَلَّى بِالنَّاسِ يَوْمَئِذٍ أَبُو أُمَامَةَ بْنُ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ. قَالُوا: تُوُفِّيَ سَنَةَ مِائَةٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৫৯


আবুয্ যাহিবিয়্যাহ্ হুদায়র ইবন কুরায়ব আল হিন্মাসী১

তিনি একজন বিশিষ্ট তাবিঈ ৷ তিনি আবু উমামা সুদা ইবন আজলান ও আবদুল্লাহ্ ইবন
বুসর হতে হাদীস শুনেছেন ৷ বলা হয়, তিনি সাহা ৷বী হযরত আবুদ দা ৷রদা’র সাক্ষাৎ পেয়েছেন ৷
তবে বিশুদ্ধ মত হলো হযরত আবুদ দারদা’ ও হুযায়ফাহ্ সুত্রেত তার বিওয়ায়াত মুরসাল ৷ তার
শহরের একদল রাবী তার থেকে হাদীস বিওয়ায়াত ৩করেছেন ৷ আর ইবন মুঈন ও অন্যান্য
হাদীস সমালোচকগণ তাকে নির্ত্যাযােগ্য আখ্যা দিয়েছেন ৷ শিহাব ইবন খিরাশ সুত্রে আবুয
যাহিবিয়্যাহ্ হতে কুতায়বাহ যে বিওয়ায়াত করেছেন-ত তাই তার সুত্রে বর্ণিত সবচেয়ে গরীব
(অদ্ভুত) বিওয়ায়াত ৷ তিনি বলেন, একবার আমি বায়তৃল মাক্দিসের সাখরাতে তন্দ্রচ্ছেন্ন
হলাম ইত্যবসরে মসজ্যিদরত ত্ত্বতাবধায়কগণ এসে আমাকে ভিতরে রেখে দরয৷ বন্ধ করে দিল ৷
এরপর ফোরশতাদের,তাসবীহ্ শুনে আমি জেগে উঠলাম এবং আতঙ্কে লাফ দিলাম ৷

আমি তখন দেখতে পেলাম ফেরেশতারা সাবিরদ্ধভাবে দণ্ডায়মান, এরপর আমি তাদের
সারিতে ঢুকে গেলাম ৷ আবু উবায়দাহ্ ও অন্যরা বলেন, ইনি একশ’ হিজরীতে ইনৃতিকাল
করেন ৷

আবুত্-ভুফায়ল আমির ইবন ওয়াছিলাহ২

ইবন আবদুল্পা হ ইবন আমব আল-লায়হী আল-কিনানী ৷ ইনি সাহাবী এবং সর্বসম্মতিত্রুমে
নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামাকে দেখা মৃত্যুবরণকারী সর্বশেষ ব্যক্তি ৷ তিনি বলেন,
আমি নবী কবীম সা ল্লাল্লা হ্ আলায়হি ওয়া সাল্লামাকে তার বাকামাথা বিশিষ্ট লাঠি দিয়ে রুকনে
কা বা স্পর্শ করতে দেখেছি ৷ এছাড়া তিনি নবী পাকের দৈহিক বিবরণ উল্লেখ করেছেন এবং
হযরত আবু, বাকর, উমর, আলী, মুআয ও ইবন মাসউদ হতে হাদীস বিওয়ায়াত করেছেন ৷
আর তার থেকে হাদীস বিওয়ায়াত করেছেন যুহরী, কাতাদা, আমব ইবন দীনার, আবুঘৃযুবায়র
এবং তাব্রিঈদেরু একটি দল ৷

তিনি ছিলেন হযরত আলীর সমর্থক ও সহযোগী ৷ তার সাহচর্যে তিনি তার সকল যুদ্ধে
, অংশ্যাহণ করেন ৷ কিন্তু মুখতার ইবন আবু উবায়দের সাহচর্য অবলম্বনের কারণে কেউ কেউ
তার সমালোচনা করেছে ৷ বলা হয়ত তিনি তার ঝাণ্ডাবাহক ছিলেন ৷ বর্ণিত আছে, হযরত আলীর
শাহাদতের পর তিনি একবার হযরত মুআবিয়ার সাক্ষাতে প্রবেশ করলেন ৷ তখন মুআবিয়া
তাকে প্রশ্ন করলেন, আলীকে হারানাের পর-তৃমি কেমন দুঃখ পেয়েছে৷ ? তিনি বলেন, নিঃস্ব

১ আততারীথুস সগীর ৩০১, তারীখুল ইসলাম ৫১৯৪ , তারীখুল বুখারী ৯৮৩ তারীখুল ফাসাবী ২৪ ৪৮,
৩২০৩ , তাহযীবুত তাহযীব ২২১৮, তাহযীব ইবন আসাকির ৪৯৩,-৯৫, তাহযীবৃল কামাল ২৪১,
আল-জারহ ওয়াত তাদীল ৩২৯৫, হিলইয়াতৃল আওলিয়া ৬১ :০, খুলাসাতৃ তাহযীবুল কামাল ৯৭,
তাবাকাতৃল খলীফা ৩১১ ৷

২ আলইসাবা ৪১ ১৩, আল ইসতীআব ১৩৪৪, উসদুল গাবা ৩১ড্রু৫,,৬২৭৯, তারীখুল বুখারী ৬৪ ৪৬,
তারীখে বাগদাদ ১১৯৮, তাহযীবু ইবন আসাকির ৭২০৩, তাহষীবুল কামাল ৬৪ ৭, ১৬২৩, আলজারহ
ওয়াত তাদীল ৬৩২৮, জামহারাতৃ আনসাৰুল আরব ১৮৩, আলজামউ বায়না বিজালীস সইইিায়ান
১৩ ৭৮ , খাযানাভুল আদাব ৪৪ ১, ২৯১ , খুলাসাতৃ তাহ্যীবুল কামাল ১৫ ৭ , শাজারাতৃয্ যাহাব ১১ ১৮ ,
তাবাকাতৃ ইবন সাদ ৫৪৫৭, ৬৬৪ , তাবাকাতৃ খালীফাহ্ ১৭৬, ৮৪১, ২৫১৯, আল-ইবায় ১১১৮,
১৩৬, আল-ইকদুছ ছামীন ৫৮ ৭ , মিরআতৃল জিনান ১ ১২০ ৭ , আলমুসতাদরাক ৩৬১৮ ৷


أَبُو الزَّاهِرِيَّةِ حُدَيْرُ بْنُ كُرَيْبٍ الْحِمْصِيُّ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ سَمِعَ أَبَا أُمَامَةَ صَدَى بْنَ عَجْلَانَ وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ بُسْرٍ وَيُقَالُ أَنَّهُ أَدْرَكَ أَبَا الدَّرْدَاءِ. وَالصَّحِيحُ أَنَّ رِوَايَتَهُ عَنْهُ وَعَنْ حُذَيْفَةَ مُرْسَلَةٌ، وَقَدْ حَدَّثَ عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنْ أَهْلِ بَلَدِهِ وَقَدْ وَثَّقَهُ ابْنُ مَعِينٍ وَغَيْرُهُ. وَمِنْ أَغْرَبِ مَا رُوِيَ عَنْهُ قَوْلُ قُتَيْبَةَ: ثَنَا شِهَابُ بْنُ خِرَاشٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ قَالَ: أَغْفَيْتُ فِي صَخْرَةِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَجَاءَتِ السَّدَنَةُ، فَأَغْلَقُوا عَلَيَّ الْبَابَ، فَمَا انْتَبَهْتُ إِلَّا بِتَسْبِيحِ الْمَلَائِكَةِ فَوَثَبْتُ مَذْعُورًا، فَإِذَا الْمَلَائِكَةُ صُفُوفٌ; فَدَخَلْتُ مَعَهُمْ فِي الصَّفِّ. قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ، وَغَيْرُهُ: مَاتَ سَنَةَ مِائَةٍ. أَبُو الطُّفَيْلِ عَامِرُ بْنُ وَاثِلَةَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو اللَّيْثِيُّ الْكِنَانِيُّ صَحَابِيٌّ وَهُوَ آخِرُ مَنْ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَفَاةً بِالْإِجْمَاعِ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ رَآهُ يَسْتَلِمُ الرُّكْنَ بِمِحْجَنِهِ وَذَكَرَ صِفَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَوَى عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعَلِيٍّ وَمُعَاذٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَحَدَّثَ عَنْهُ الزُّهْرِيُّ وَقَتَادَةُ وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ وَأَبُو الزُّبَيْرِ وَجَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعِينَ. وَكَانَ مِنْ أَنْصَارِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৬০
عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ شَهِدَ مَعَهُ حُرُوبَهُ كُلَّهَا لَكِنْ نَقِمَ بَعْضُهُمْ عَلَيْهِ كَوْنَهُ كَانَ مَعَ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ وَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ حَامِلَ رَايَتِهِ. وَقَدْ رُوِيَ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى مُعَاوِيَةَ فَقَالَ لَهُ: مَا أَبْقَى لَكَ الدَّهْرُ مِنْ ثَكْلِكَ عَلِيًّا؟ فَقَالَ: ثُكْلَ الْعَجُوزِ الْمِقْلَاتِ وَالشَّيْخِ الرَّقُوبِ. قَالَ: كَيْفَ حُبُّكَ لَهُ؟ قَالَ: حُبُّ أُمِّ مُوسَى لِمُوسَى وَإِلَى اللَّهِ أَشْكُو التَّقْصِيرَ. قِيلَ: إِنَّهُ أَدْرَكَ مِنْ حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانَ سِنِينَ وَمَاتَ سَنَةَ مِائَةٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ سَبْعٍ وَمِائَةٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ عَشْرٍ وَمِائَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ: وَهُوَ آخِرُ مَنْ مَاتَ مِنَ الصَّحَابَةِ مُطْلَقًا وَمَاتَ سَنَةَ مِائَةٍ. أَبُو عُثْمَانَ النَّهْدَيُّ وَاسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَلٍّ الْبَصْرِيُّ، أَدْرَكَ الْجَاهِلِيَّةَ وَحَجَّ فِي زَمَنِ الْجَاهِلِيَّةِ مَرَّتَيْنِ، وَأَسْلَمَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَرَهُ، وَأَدَّى فِي زَمَانِهِ الزَّكَاةَ ثَلَاثَ سِنِينَ إِلَى عُمَّالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; وَمِثْلُ هَذَا يُسَمِّيهِ أَئِمَّةُ الْحَدِيثِ مُخَضْرَمًا. وَهَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَسَمِعَ مِنْهُ وَمِنْ عَلِيٍّ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَخَلْقٍ مِنَ الصَّحَابَةِ وَصَحِبَ سَلْمَانَ الْفَارِسِيَّ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً حَتَّى دَفَنَهُ. وَرَوَى عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ، مِنْهُمْ أَيُّوبُ وَحُمَيْدٌ الطَّوِيلُ وَسُلَيْمَانُ بْنُ طَرْخَانَ التَّيْمِيُّ. وَقَالَ عَاصِمٌ الْأَحْوَلُ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ: أَدْرَكْتُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ يَغُوثَ; صَنَمًا مِنْ رَصَاصٍ يُحْمَلُ عَلَى جَمَلٍ أَجْرَدَ،
পৃষ্ঠা - ৭৫৬১


বুদ্ধা ও অক্ষম বুদ্ধের শোক ৷ তিনি বলেন, তার প্রতি তোমার ভালবাসা কেমন ? উত্তরে আবু
তুফায়ল বলেন, যেমন ভালবাসা ছিল হযরত মুসা (আ) এর মায়ের তার প্রতি ৩৷ আর আমি
মহান আল্লাহ্র কাছেই অবহেলার অনুযােগ করছি ৷ বলা হয়, তিনি নবী কয়ীম সাল্লাল্লাহু
আলায়হি ওয়া সাল্লামকে অটি বছর পেয়েছেন এবং একশ’ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন ৷ কারও
মতে একশ’ সাত হিজরীতে ৷ সঠিক বিষয় মহান আল্লাহ জানেন ৷ তার ব্যাপারে মন্তব্য করে
ঐতিহাসিক মাসলামাহ্ ইবন হাজ্জা জ বলেন, সর্বমতে৩ তিনি সর্বশ্যেষ মৃত্যুমুখে পতিত সাহাবী ৷
আর তিনি ইনতিকাল করেন একশ’ হিজরীতে ৷

আবু উছমান আন নাহদী১

তার নাম আবদুর রহমান ইবন মুল আলবাসরী ৷ তিনি জাইিলিয়্যাতের যুগ পেয়েছিলেন
এবং জাহিলিয়্যাতে দু’বার হজ্জ করেন ৷ আর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের
সময়ে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তবে তার দর্শন লাভ করেননি ৷ নবী পাকের হারাতে তার
নিয়োজিত যাকাত উসুলকারীদের কাছে তিনি তিন বছর যাকাত আদায় করেন ৷ হাদীস
শাস্ত্রবিদগণের পরিভাষায় এ ধরনের অর্থাৎ জাহিলিয়্যা ও ইসলামী যুগ উভয়ের সাক্ষী ব্যক্তিকে
মুখযারিম বলা হয় ৷ হযরত উমর ইবন খাত্তাব (না)-এর খিলাফতকালে তিনি পবিত্র মদীনায়
ইিজরত করেন ৷ তারপর তার থেকে এবং হযরত আলী ইবন মাসউদ ও আরও অনেক সাহারা
থেকে হাদীস শ্রবণ করেন ৷ এছাড়া তিনি দীর্ঘ বার বছর হযরত সালমান ফারিসীর (রা)
সাহচর্যে অবস্থান করেন ৷ এমনকি, তাকে দাফনও করেন ৷ তার থেকে একাধিক তাবিঈ ও
অন্যগণ হাদীস বিওয়ায়াত করেন ৷ তন্মধ্যে অন্যতম হলেন, আয়ুব্রব, হুমায়দ আত্তাবীল,
সুলায়মান ইবন তিররিখান আত ত ড়ায়মী ৷
আসিম আল আহ্ওয়াল বলেন, আমি তাকে (আবু উছমানকে) বলতে শুনেছি, আমি
জাহিলিয়্যাতে র প্রতিমা ইয়ানুসের সাক্ষাৎ পেয়েছি ৷ এটা ছিল সীসা নির্মিত প্রতিমা বিশেষ
মাঝে একটি হাওদাবিহীন নব উটের পিঠে বহন করা হত ৷ উটটি যখন তাকে নিয়ে কোন
উপত্যকায় পৌছে বসে যেত ৷ তখন তারা বলত , তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য এই
উপত্যকা মনোনীত করেছেন এবং এরপর তারা সেখানে অবস্থান করত ৷ আসিম বলেন,
একবার তাকে প্রশ্ন করা হলো, আপনি কি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে
পেয়েছেন ? তখন আমি তাকে বলতে শুনলাম, হীা, আমি তার সময়ে ইসলাম গ্রহণ করেছি
এবং তার (উসুলকারীদের) কাছে তিনবার যাকাত আদায় করেছি ৷ কিন্তু তার সাক্ষাৎ লাভ
করিনি ৷ আর পরবর্তীকালে আমি ইয়ারমুক, কাদিসিয়্যা, জালুলাহ্ ও নাহাওয়ানদের যুদ্ধে শরীক
হয়েছি ৷ আবু উছমান দিনে রোযা রাখতেন এবং রাত্রিকালে নামায পড়তেন ৷ আর এ দুটি
আমল তিনি নিরবচ্ছিন্নভাবে করতেন কখনও তরক করতেন না ৷ এত অধিক নামায পড়তেন
যে মাঝে মাঝে তিনি চেতনা হারাতেন ৷ তিনি সর্বমোট আটবার হজ্জ ও উমরাহ্ করেন ৷
সুলায়মান আততায়মী বলেন, আমার তো মনে হয় না তার কোন পাপ করার সুযোগ ছিল ৷
কেননা, তার দিন কাটত ব্লোযা রেখে আর রাত কাটত নামায পড়ে ৷ কেউ কেউ বলেন, আমি

১ আল-ইসাবা ৬৩৭৯, আল ইসভীআব ১৪৬১, উসদৃল গাবা ৩৩২৪, তারীখুল ইসলাম ৪৮২, তারীখে
বাগদাদ ১ :২০২, তাযকিরাতুল হুফ্ফায ১৬১ , তাহযীবুৎ তাহষীব ৬২৭ ৭ তাহযীবুল কামাল ৬৩২,
আলজারহু ওয়াতুর্তাদীল ২য় অংশ ২য় ভলিউম ৩৮৩, খুলাসাতু তাহযীবুত্তাহযীব ২৩৫, শাজারাতুয যাহাব
১১ ১৮, তাবাকাতু ইবন সাদ ৭৯৭ , তাবাকাতুল হুন্নাত, (সৃয়ুতী রচিত) ২৫, ২৬, তাবাকাতু খালীফা ৰু

১৬৭, আল ইবার ১১ ১৯, আলমাআরিফ ৪২৬, ১ম অংশ ২য় খণ্ড ৭৯ ৷


فَإِذَا بَلَغَ وَادِيَا بَرَكَ فِيهِ فَيَقُولُونَ: قَدْ رِضَى رَبُّكُمْ لَكُمْ هَذَا الْوَادِيَ فَيَنْزِلُونَ فِيهِ. قَالَ: وَسَمِعْتُهُ وَقَدْ قِيلَ لَهُ: أَدْرَكْتَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: نَعَمْ أَسْلَمْتُ عَلَى عَهْدِهِ وَأَدَّيْتُ إِلَيْهِ الزَّكَاةَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ وَلَمْ أَلْقَهُ وَشَهِدْتُ الْيَرْمُوكَ وَالْقَادِسِيَّةَ وَجَلُولَاءَ وَنَهَاوَنْدَ وَتُسْتَرَ وَأَذْرَبِيجَانَ وَرُسْتُمْ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ الْبَشِيرَ إِلَى عُمَرَ فِي فَتْحِ نَهَاوَنْدَ. قَالُوا: وَكَانَ أَبُو عُثْمَانَ صَوَّامًا قَوَّامًا; يَسْرُدُ الصَّوْمَ وَيَقُومُ اللَّيْلَ لَا يَتْرُكُهُ وَكَانَ يُصَلِّي حَتَّى يُغْشَى عَلَيْهِ. وَحَجَّ سِتِّينَ مَرَّةً مَا بَيْنَ حِجَّةٍ وَعُمْرَةٍ. قَالَ سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ: إِنِّي لَأَحْسَبُهُ لَا يُصِيبُ ذَنْبًا; لِأَنَّهُ كَانَ لَيْلَهُ قَائِمًا وَنَهَارَهُ صَائِمًا. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: سَمِعْتُ أَبَا عُثْمَانَ النَّهْدِيَّ يَقُولُ: أَتَتْ عَلَيَّ ثَلَاثُونَ وَمِائَةُ سَنَةٍ وَمَا مِنِّي شَيْءٌ إِلَّا وَقَدْ أَنْكَرْتُهُ خَلَا أَمَلِي فَإِنِّي أَجِدُهُ كَمَا هُوَ. وَقَالَ ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ قَالَ: إِنِّي لَأَعْلَمُ حِينَ يَذْكُرُنِي اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ: فَنَقُولُ لَهُ: مِنْ أَيْنَ تَعْلَمُ ذَلِكَ؟ فَيَقُولُ: قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ} [البقرة: 152] فَإِذَا ذَكَرْتُ اللَّهَ ذَكَرَنِي. قَالَ: وَكُنَّا إِذَا دَعَوْنَا اللَّهَ قَالَ: وَاللَّهِ لَقَدِ اسْتَجَابَ اللَّهُ لَنَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى:
পৃষ্ঠা - ৭৫৬২
{وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ} [غافر: 60] قَالُوا: وَعَاشَ مِائَةً وَثَلَاثِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: وَأَرْبَعِينَ سَنَةً. قَالَهُ هُشَيْمٌ وَغَيْرُهُ. قَالَ الْمَدَائِنِيُّ وَغَيْرُهُ: تُوُفِّيَ سَنَةَ مِائَةٍ. وَقَالَ الْفَلَّاسُ: تُوُفِّيَ سَنَةَ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ. وَالصَّحِيحُ سَنَةَ مِائَةٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَكَانَ يَفْضُلُ عَلَى وَالِدِهِ فِي الْعِبَادَةِ وَالِانْقِطَاعِ عَنِ النَّاسِ، وَلَهُ كَلِمَاتٌ حِسَانٌ مَعَ أَبِيهِ وَوَعْظِهِ إِيَّاهُ.