আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة تسع وتسعين

পৃষ্ঠা - ৭৫২৬


আলী ইবন মুহাম্মাদ আল-মাদাইনী বলেন, আবু বাকর আল হুযালী বলেন, শাহ্র ইবন
হাওশাব ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের কােষাগাৱ রক্ষক ছিল ৷ লোকেরা অভিযোগ করল যে , ইবন
হাওশাব একশ’ দীনারের একটি থলে আত্মসাৎ করেছে ৷ তখন ইয়াযীদ তাকে সে সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করলেন ৷ সে তখন তার সত্যতা স্বীকার করল এবং থলেটি প্হাযির করল ৷ ইয়াযীদ
তাকে বললেন, ওটা তোমার নিজের কাছে রাখ ৷ তারপর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
উত্থাপনকারীকে ডেকে গালমন্দ করলেন ৷ করি কাতামী আলকালবী এ প্রসঙ্গে বলেন, মতাম্ভরে
কবিতা পঙক্তিগুলিসিনান ইবন মুকাম্মিল আন-নুমায়রীর :


সামান্য এক থলের বিনিময়ে শাহ্র তার দীন বিকিয়ে দিয়েছে ৷ হে শাহ্র! তোমার এই
কাণ্ডের পর কারীদের আর কে বিশ্বাস করবে!


তার বিনিময়ে তুমি সামান্য বন্তু গ্রহণ করেছো, আর তা বিক্রি করেছে৷ জুনবুযান ছেলের
কাছে, আর এটাই হলো ৰিশ্বাস ঘাতকতা ৷ করি মুররা ইবন নড়াখঈ বলেন :
; ৷ৰুট্রুও৷ ৷ গ্লুা৷ ষ্টু,াদ্বু এ১াটু র্শ্বন্এ ৷ , এ্দ্বু পু:ন্ট্রুপ্রুর্দু ৷ট্রুষ্ এ্গ্লু৷ ৷ গ্লু,ৰু ৷ ৷ ,

ইবন জারীর বলেন, বর্ণিত আছে জুরজান অভিমুখে যুদ্ধাভিযানকালে ইয়াযীদ ইবন
মুহাল্লাবের সাথে এক লক্ষ বিশ হাজার যোদ্ধা ছিল, যার ষাট হাজার ছিল শামের ফৌজ ৷ মহান
আল্লাহ্ তাদেরকে উপযুক্ত বিনিময় প্রদান করুন ৷ জুরজান বিজয়ের পর এ সকল অঞ্চলসমুহে
নিরাপত্তা ও স্বাভাবিকত৷ ফিরে আসে এবং পথসমুহে চলাচল শুরু হয় ৷ অথচ ইভােপুর্বে এই
সকল পথ ছিল ভীতিপ্রদ ৷ এরপর ইয়াযীদ থােযিস্তান আক্রমণে বদ্ধপরিকর হন এবং এর
ভুমিকা স্বরুপ তিনি তার পুর্বে নেতৃস্থানীয় চার হাজার যােদ্ধার একটি ঝটিকা বাহিনী প্রেরণ
করেন ৷ তারপর তারা যখন শত্রুবাহিনীর মুখোমুখি হলো, তখন প্রচণ্ড লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন ৷
যুদ্ধের ময়দানে মুসলমানদের চার হাজার যোদ্ধা শহীদ হন ৷ ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলইিহি
রাজিউন ৷ এ ঘটনার পর ইয়াযীদ এ দেশ জয়ের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর হন এবং এই উদ্দেশ্যে
তা অবরোধ করেন ৷ অবশেষে তার শাসক আসবাহ্বায বিপুল সম্পদের বিনিময়ে প্রতিবছর
সাত লক্ষ দিরহাম এবং অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী ও দাসের বিনিময়ে তার সাথে সন্ধি করতে বাধ্য
হয় ৷ আর এ বছর ওফাতপ্রাপ্ত বিশিষ্টগণের অন্যতম হলেন

আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন উতবা
ইনি ছিলেন ইসলামের যথার্থতার জীবন্ত প্রমাণ মহান ইমাম ৷ ইনি উমর ইবন আবদুল
আযীযের গৃহশিক্ষক ও দীক্ষাগুরু ছিলেন ৷ বহু সংখ্যক সাহাবা হতে তার বহু রিওয়ায়া ত
বিদ্যমান ৷ এছাড়া আরও যারা উল্লেখযোগ্য তাদের মধ্যে রয়েছেন আবুহাফ্স আনৃনাখৃঈ এবং
আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যা ৷ আমাদের রচিত আত্তাকৃমীল গ্রন্থে আমরা তাদের
জীবনী উল্লেখ করেছি ৷ আর সুমহান আল্লাহ্ই অধিক জানেন ৷ শ্

৯৯ হিজরীর সুনো ’
এ বছর সফর মাসের দশ তারিখ মতাস্তরে বিশ তারিখ শুক্রবার আমীরুল মু’মিনীন
সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের ওফাত সংঘটিত হয় ৷ এ সময় তার বয়স ছিল পয়তাল্লিশ


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعٍ وَتِسْعِينَ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا كَانَتْ وَفَاةُ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِعَشْرٍ مَضَيْنَ وَقِيلَ: بَقِينَ مِنْ صَفَرٍ مِنْهَا، عَنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: عَنْ ثَلَاثٍ وَأَرْبَعِينَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ لَمْ يُجَاوِزِ الْأَرْبَعِينَ. وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ سَنَتَيْنِ وَثَمَانِيَةَ أَشْهُرٍ، وَزَعَمَ أَبُو أَحْمَدَ الْحَاكِمُ أَنَّهُ تُوُفِّيَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ بَقِيَتْ مِنْ رَمَضَانَ مِنْهَا، وَأَنَّهُ اسْتَكْمَلَ فِي خِلَافَتِهِ ثَلَاثَ سِنِينَ وَثَلَاثَةَ أَشْهُرٍ وَخَمْسَةَ أَيَّامٍ، وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ تِسْعٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً. وَالصَّحِيحُ قَوْلُ الْجُمْهُورِ، وَهُوَ الْقَوْلُ الْأَوَّلُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهُوَ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ الْقُرَشِيُّ الْأُمَوِيُّ أَبُو أَيُّوبَ. كَانَ مَوْلِدُهُ بِالْمَدِينَةِ فِي بَنِي جَزِيلَةَ، وَنَشَأَ بِالشَّامِ عِنْدَ أَبِيهِ، وَرَوَى الْحَدِيثَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جِدِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ فِي قِصَّةِ الْإِفْكِ، رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ ابْنِهِ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ سُلَيْمَانَ عَنْهُ. وَرَوَى عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُنَيْدَةَ أَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৭৫২৭


বছর, কারও মতে তেতাল্লিশ, কারও মতে তার বয়স তখন চল্লিশ অতিক্রম করেনি ৷ আর তার
খিলাফতকাল ছিল ইে বছর আট মাস ৷ আবু আহমাদ আল-হাকিম দাবী করেন, তিনি এ বছর
রমাযান মাসের সতের তারিখ শুক্রবার ওফাত লাভ করেন এবং তার খিলাফতের মেয়াদ ছিল
তিন বছর৩ তিন মাস পাচদিন ৷ আর তার নিজের বয়স উনচল্লিশ বছর ৷ তবে অধিকাংশের
বক্তব্যই সঠিক আর তা হলো প্রথমে উল্লিখিত বক্তব্যটি ৷ আর আল্লাহ্ অধিক জানেন ৷ তার পুর্ণ
পরিচয় হলো তিনি সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান ইবনুল হাকাম ইবন আবুল
আস ইবন উমায়্যাহ্ ইবন আবদৃ শামস আল-কুরাশী আল-উমাবী, তার উপনাম আবু আয়ুবে ৷
পবিত্র মদীনায় বানুজুযায়লা গোত্রে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷ আর শামে তার পিতার তত্ত্বাবধানে
লালিত পালিত হন ৷ ইফকের ঘটনা সম্পর্কীয় হাদীস তিনি তার পিতা ও পিতামহের সুত্রে
হযরত আইশাহ্ (রা) এর উদৃধৃতিতে বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন আসাকির তা রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ তার ছেলে আবদুল ওয়াহিদ ইবন সুলায়মান সুত্রে তার থেকে আর তিনি নিজে
আবদুর রহমান ইবন হুনায়দ৷ হতে রিওয়ায়াত করেছেন যে, (একবার) তিনি আবদুল্লাহ ইবন
উমরের সাথে গাব৷ পর্যন্ত গেলেন ৷ আবদুর রহমান বলেন, বিক্ষু আমি চুপ করে রইলাম ৷ ইবন
উমর আমাকে বললেন, তোমার কী হলো ? নির্বাক কেন সে বলল, আমি মনে মনে
আকাহ্মে৷ করছিলাম ৷ তখন ইবন উমর বললেন, হে আবু আবদুর রহমান! তুমি কিসের
আকাক্ষো কর ? সে বলল, এই উহুদ পাহাড় যদি আমার জন্য এমন স্বর্ণে পরিণত হতো, যার
পরিমাণ আমি জানব এবং তার যাকাত প্রদান করব, তাহলে আমি তা অপসন্দ করতাম না,
অথবা সে বলল, তাহলে আমি আশঙ্কা করতাম না যে, তা আমার ক্ষতি ৩করবে ৷ মুহাম্মাদ ইবন
, ইয়াহ্য়া আবৃষুহলী আবু সালিহ্ সুত্রে ইমাম যুহ্রীরু হতে তইবন উমরের উদৃধৃটিতে হাদীসখানি
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইবন আসাকির বলেন, তার বাসভবন ছিল বর্তমান জীরুন’ উযুখানার
গেটি৷ চতৃর জুড়ে ৷ এছাড়া বাবুস্ সাগীর সংলগ্ন করে তিনি বিশাল একটি বাড়ী নির্মাণ করেন
দারাবৃ মুহরিয্’ নামে প্রশস্ত পলি পথের হলে এবং তাকে খলীফার বাসভবন নির্ধারণ করেন ৷
তাতে তিনি সেখানে বিদ্যমান সবুজ গম্বুজের’ অনুকরণে একটি হলুদ গম্বুজ নির্মাণ করেন ৷
ইবন আসাকির বলেন, খলীফা সুলায়মান ছিলেন বিশুদ্ধভাষী, ন্যায়পরায়ণ এবং অভিযানপ্রিয় ৷
তিনি কনট্যান্টিনােপল অবরোধের জন্য মুসলিম ফৌজ রওনা করিয়েছিলেন, যার ফলে
অবরোধের ভীব্রতার কারণে কনক্টান্টিনােপলবাসী বাধ্য হয়েছিল সেখানে জামে মসজিদ
নির্মাণের সুযোগ দিয়ে মুসলমানদের সাথে সন্ধি করতে ৷
আবু বাকর আস সুলী বর্ণনা করেন যে, একবার খলীফা আবদুল মালিক তার ছেলে
ওয়ালীদ, সুলায়মান, মাসলামাহ্ সকলকে ডেকে তার সামনে উপস্থিত করলেন ৷ তিনি
তাদেরকে কুরআন৩ তিলাওয়াত করতে বললেন ৷ তখন তারা সকলেই সুন্দরভাবে৩ তিলাওয়াত
করল ৷ এরপর তাদেরকে কবিতা আবৃত্তি করতে বললেন, এবারও তারা সুন্দরভাবে আবৃত্তি করে
শোনাল বিক্ষু তারা করি আ ’শার কোন পঙ্ক্তি আবৃত্তি বা বর্ণনা করল না ৷ তইি তিনি তাদেরকে
ভর্ধসনা করে বললেন, এবার তোমাদের প্রত্যেকে আমাকে আরব কবিদের রচিত কোমলতম
পঙ্ক্তি আবৃত্তি করে গােনাও, তবে অশ্লীল কোন পঙ্ক্তি নয় ৷ হে ওয়ালীদ প্রথমে তুমি বল!

তখন ওয়ালীদ বললেনআবৃত্তি বচ্ছালেন১ ং
শু প্ ¢ শ্ ণ্
কোন বাহন কিৎবা অশ্বারোহণ আমাকে মুগ্ধ করে না যেমন মুগ্ধ করে কাকন ও নুপুরের
মধ্যবর্তী (রমণী) বাহন ৷ ’


صَحِبَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ إِلَى الْغَابَةِ، قَالَ: فَسَكَتُّ، فَقَالَ لِي ابْنُ عُمَرَ: مَا لَكَ؟ فَقُلْتُ: كُنْتُ أَتَمَنَّى، فَهَلْ تَتَمَنَّى يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ؟ فَقَالَ: لَوْ أَنَّ لِي أُحُدًا هَذَا ذَهَبًا أَعْلَمُ عَدَدَهُ وَأُخْرِجُ زَكَاتَهُ مَا كَرِهْتُ ذَلِكَ، أَوْ قَالَ: مَا خَشِيتُ أَنْ يَضُرَّنِي. رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الذُّهْلِيُّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدِ بْنِ مُسَافِرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْهُ. قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَكَانَتْ دَارُهُ بِدِمَشْقَ مَوْضِعَ مِيضَأَةِ جَيْرُونَ الْآنَ فِي تِلْكَ السَّاحَةِ جَمِيعِهَا، وَبَنَى دَارًا كَبِيرَةً مِمَّا يَلِي بَابَ الصَّغِيرِ مَوْضِعَ الدَّرْبِ الْمَعْرُوفِ بِدَرْبِ مُحْرِزٍ وَجَعَلَهَا دَارَ الْإِمَارَةِ وَعَمِلَ فِيهَا قُبَّةً صَفْرَاءَ تَشْبِيهًا بِالْقُبَّةِ الْخَضْرَاءِ. قَالَ: وَكَانَ فَصِيحًا مُؤْثِرًا لِلْعَدْلِ مُحِبًّا لِلْغَزْوِ، وَقَدْ أَنْفَذَ الْجَيْشَ لِحِصَارِ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ حَتَّى صَالَحُوهُمْ عَلَى بِنَاءِ الْجَامِعِ بِهَا. وَقَدْ رَوَى أَبُو بَكْرٍ الصُّولِيُّ، أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ جَمَعَ بَنِيهِ الْوَلِيدَ وَسُلَيْمَانَ وَمَسْلَمَةَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَاسْتَقْرَأَهُمُ الْقُرْآنَ فَأَجَادُوا الْقِرَاءَةَ، ثُمَّ اسْتَنْشَدَهُمُ الشِّعْرَ فَأَجَادُوا، غَيْرَ أَنَّهُمْ لَمْ يُكْمِلُوا أَوْ يُحْكِمُوا شِعْرَ الْأَعْشَى، فَلَامَهُمْ عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ قَالَ: لِيُنْشِدْنِي كُلُّ رَجُلٍ مِنْكُمْ أَرَقَّ بَيْتٍ قَالَتْهُ الْعَرَبُ وَلَا يُفْحِشُ، هَاتِ يَا وَلِيدُ: فَقَالَ الْوَلِيدُ: مَا مَرْكَبٌ وَرُكُوبُ الْخَيْلِ يُعْجِبُنِي ... كَمَرْكَبٍ بَيْنَ دُمْلُوجٍ وَخَلْخَالِ فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: وَهَلْ يَكُونُ مِنَ الشِّعْرِ أَرَفْثُ مِنْ هَذَا؟ هَاتِ
পৃষ্ঠা - ৭৫২৮
يَا سُلَيْمَانَ، فَقَالَ: حَبَّذَا رَجْعُهَا يَدَيْهَا إِلَيْهَا ... فِي يَدِى دِرْعُهَا تَحُلُّ الْإِزَارَا فَقَالَ: لَمْ تُصِبْ، هَاتِ يَا مَسْلَمَةُ، فَأَنْشَدَهُ قَوْلَ امْرِئِ الْقَيْسِ: وَمَا ذَرَفَتْ عَيْنَاكِ إِلَّا لِتَضْرِبِي ... بِسَهْمَيْكِ فِي أَعْشَارِ قَلْبٍ مُقَتَّلِ فَقَالَ: كَذَبَ امْرُؤُ الْقَيْسِ وَلَمْ يُصِبْ، إِذَا ذَرَفَتْ عَيْنَاهَا بِالْوَجْدِ فَمَا بَقِيَ إِلَّا اللِّقَاءُ، وَإِنَّمَا يَنْبَغِي لِلْعَاشِقِ أَنْ يَقْتَضِيَ مِنْهَا الْجَفَاءَ وَيَكْسُوَهَا الْمَوَدَّةَ. ثُمَّ قَالَ: أَنَا مُؤَجِّلُكُمْ فِي هَذَا الْبَيْتِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، فَمَنْ أَتَانِي بِهِ فَلَهُ حُكْمُهُ أَيْ مَهْمَا طَلَبَ أَعْطَيْتُهُ فَنَهَضُوا مِنْ عِنْدِهِ، فَبَيْنَمَا سُلَيْمَانُ فِي مَوْكِبٍ إِذَا هُوَ بِأَعْرَابِيٍّ يَسُوقُ إِبِلَهُ وَهُوَ يَقُولُ: لَوْ حَزَّ بِالسَّيْفِ رَأْسِي فِي مَوَدَّتِهَا ... لَمَالَ يَهْوِي سَرِيعًا نَحْوَهَا رَأْسِي فَأَمَرَ سُلَيْمَانُ بِالْأَعْرَابِيِّ فَاعْتُقِلَ، ثُمَّ جَاءَ إِلَى أَبِيهِ فَقَالَ: قَدْ جِئْتُكَ بِمَا سَأَلْتَ. فَقَالَ: هَاتِ. فَأَنْشَدَهُ الْبَيْتَ، فَقَالَ: أَحْسَنْتَ، وَأَنَّى لَكَ هَذَا؟ فَأَخْبَرَهُ خَبَرَ الْأَعْرَابِيِّ، فَقَالَ: سَلْ حَاجَتَكَ وَلَا تَنْسَ صَاحِبَكَ. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّكَ قَدْ عَهِدْتَ بِالْأَمْرِ مِنْ بَعْدِكَ لِلْوَلِيدِ، وَإِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَكُونَ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِهِ. فَأَجَابَهُ إِلَى ذَلِكَ، وَبَعَثَهُ عَلَى الْحَجِّ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَثَمَانِينَ، وَأَطْلَقَ لَهُ مِائَةَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، فَأَعْطَاهَا سُلَيْمَانُ لِذَلِكَ الْأَعْرَابِيِّ الَّذِي قَالَ ذَلِكَ الْبَيْتَ مِنَ الشِّعْرِ، فَلَمَّا مَاتَ أَبُوهُ سَنَةَ سِتٍّ وَثَمَانِينَ، وَصَارَتِ الْخِلَافَةُ إِلَى أَخِيهِ الْوَلِيدِ، كَانَ بَيْنَ
পৃষ্ঠা - ৭৫২৯


এ পঙ্ক্তি শুনে আবদুল মালিক বললেন কবিতা কি এর চোর কোমল হয় ? সুলায়মান
তুমি বল এবার ৷ তিনি বললেন ং
কি মনােহর তার হাত দুটিকে তার দিকে ফিরিয়ে নেয়া, তার ক মিস’ আমার করায়ত্ত
আর হাত তার ছায়া-বন্ধন খুলতে ব্যস্ত ৷’

এ পঙ্ক্তি শুনে তিনি বললেন, তুমি পারলে না ৷ মাসলামাহ্ এবার তুমি বল ৷ তখন
মাসলামাহ্ তার পিতাকে ইমল্দো ক য়সের এই পঙ্ক্তি আবৃত্তি করে গােনালেন ং

মোঃ

তােমার আখিযুগল তো এ কারণেই অশ্রুসিক্ত হয়েছে যাতে তুমি তোমার শরদ্বয় আমার
রক্তাক্ত হৃৎপািণ্ডর গভীরে বিদ্ধ করতে পার ৷’

এই পঙ্ক্তি শুনে আবদুল মালিক বললেন, ইমরুল কায়স মিথ্যাচার করেছে ৷ সে সঠিক
বলেনি ৷ তার চক্ষুদ্বয় যদি প্রেম-যাতনায় অশ্রুসিক্ত হয়ে থাকে তাহলে তো সাক্ষাৎ ছাড়া আর
কিছু অবশিষ্ট থাকল না ৷ প্রেমিকের কর্তব্য হলো প্রেমাম্পৃদের উপেক্ষাভিমান মেনে নিয়ে তাকে
ভালবাসা নিবেদন করা ৷ এরপর তিনি বললেন, আমি তােমাদেরকে এই কাজ্জিত কবিতা
পঙ্ক্তি আবিষ্কারেরত জন্য তিন দিন সময় দিলাম ৷ তোমাদের মধ্যে যে তা আমার কাছে পেশ
করবে বিনিময়েরপুরস্কড়ারের ব্যাপারে তার সিদ্ধান্তই গৃহীত হবে ৷ অর্থাৎ যে যা চাবে তাই
পারে৷ এরপর তারা সেখান থেকে প্রস্থান করলেন ৷ ইতোমধ্যে সুলায়মান একদিন তার
অনুচর-সহচর পরিবেষ্টিত হয়ে যাচ্ছিলেন এমন সময় উট হীকিয়ে নেওয়া এক বেদৃইন আরবকে
তিনি আবৃত্তি করতে শুনলেন :


যদি তারা তাকে ভালাবাসার অপরাধে’ আমার মাথা তরবারির আঘাতে বিচ্ছিন্ন করে
দেয়, তাহলে আমার যে বিচ্ছিন্ন মাথাও তারই দিকে দ্রুত ধাবিত হবে ৷ ’

এই কবিতা পঙ্ক্তি শুনে সুলায়মান নির্দেশ দিলেন ৷ ফলে বেদুঈনকে বন্দী করা হলো ৷
তারপর তিনি তার পিতার কাছে এসে বললেন, আমি আপনার কাজ্জিত কবিতার পঙ্ক্তি নিয়ে
এসেছি ৷ তিনি বললেন, শোনাও আমাকে ৷ তখন সুলায়মান৩ তাকে পঙ্ক্তিটি আবৃত্তি করে
ণ্শানাল ৷ তিনি শ্যুন বললেন, বেশ ভাল! এটা তুমি কোথায় পেলে ৷ তখন তিনি তার পিতাকে
বেদুঈনের বৃত্তান্ত খুলে বলল ৷ আবদুল মালিক বললেন, তোমার প্রয়োজন বর্ণনা কর, তবে
তোমার বেদুঈনকে ভুলে যেও না ৷ তখন সুলায়মান বলল, আমীরুল মু’মিনীন! আপনার পর
আপনি খলীফারুপে ওয়ালীদকে মনোনীত করেছেন, আমি চইি তারপর আপনি আমাকে
খিলাফতের উত্তরসুরীরুপে নির্ধারণ করবেন ৷ তখন আবদুল মালিক তার যে আবেদন মনযুর
করলেন এবং একাশি হিজরীতে তাকে হজ্জ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করলেন এবং
বখশিশ স্বরুপ এক লক্ষ দিরহাম প্রদান করলেন ৷ সুলায়মান তখন তা ঐ কবিতা পঙ্ক্তির
আ ত্তিকারী বেদুইন আরবকে দিয়ে দিলেন ৷ পরবর্তীকালে যখন ছিয়াশি হিজরীতে তার পিতা
ইনজ্জি করলেন এবং তার ভাই ওয়ালীদ খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন তখন তিনি তার
সার্বক্ষণিক সহযোগী ও উপদেষ্টা নিয়োজিত হলেন ৷ তিনিই ওয়ালীদকে জামি দামেশক
নির্মাণের ব্যাপারে উৎসাহিত করেছিলেন ৷ আর তার ভাই ওয়ালীদ যখন ছিয়ানব্বই হিজরীর
জুমাদাল্ উখৃরা মাসের পনের তারিখ শনিবার মৃত্যুবরণ করেন, তিনি রামলায়১ অবস্থান
করছিলেন ৷ তিনি যখন সেখান থেকে আগমন করলেন, তখন আমীর-উমারা ও নেতৃস্থানীয়
১ আলকুদসের উত্তর-পুর্ব প্রান্তে অবস্থিত ফিলিস্তীনেয় একটি শহর ৷

০০ ৷৷া


يَدَيْهِ كَالْوَزِيرِ وَالْمُشِيرِ، وَكَانَ هُوَ الْمُسْتَحِثَّ عَلَى عِمَارَةِ جَامِعِ دِمَشْقَ فَلَمَّا تُوُفِّيَ أَخُوهُ الْوَلِيدُ يَوْمَ السَّبْتِ لِلنِّصْفِ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ سَنَةَ سِتٍّ وَتِسْعِينَ، وَكَانَ سُلَيْمَانُ بِالرَّمْلَةِ، فَلَمَّا أَقْبَلَ تَلَقَّاهُ الْأُمَرَاءُ وَوُجُوهُ النَّاسِ، وَقِيلَ: إِنَّهُمْ سَارُوا إِلَيْهِ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَبَايَعُوهُ هُنَاكَ. وَعَزَمَ عَلَى الْإِقَامَةِ بِالْقُدْسِ، وَأَتَتْهُ الْوُفُودُ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَلَمْ يَرَوْا وِفَادَةً، فَكَانَ يَجْلِسُ فِي قُبَّةٍ فِي صَحْنِ الْمَسْجِدِ مِمَّا يَلِي الصَّخْرَةَ مِنْ جِهَةِ الشَّمَالِ، وَتَجْلِسُ أَكَابِرُ النَّاسِ عَلَى الْكَرَاسِيِّ وَتُقَسَّمُ فِيهِمُ الْأَمْوَالُ، ثُمَّ عَزَمَ عَلَى الْمَجِيءِ إِلَى دِمَشْقَ فَدَخَلَهَا وَكَمَّلَ عِمَارَةَ الْجَامِعِ. وَفِي أَيَّامِهِ جُدِّدَتِ الْمَقْصُورَةُ، وَاتَّخَذَ ابْنَ عَمِّهِ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ مُسْتَشَارًا وَوَزِيرًا، وَقَالَ لَهُ: إِنَّا قَدْ وُلِّينَا مَا تَرَى، وَلَيْسَ لَنَا عِلْمٌ بِتَدْبِيرِهِ، فَمَا رَأَيْتَ مِنْ مَصْلَحَةِ الْعَامَّةِ فَمُرْ بِهِ فَلْيُكْتَبْ. وَكَانَ مِنْ ذَلِكَ عَزْلُ نُوَّابِ الْحَجَّاجِ، وَإِخْرَاجُ أَهْلِ السُّجُونِ مِنْهَا، وَإِطْلَاقُ الْأُسَرَاءِ وَبَذْلُ الْأَعْطِيَةِ بِالْعِرَاقِ وَرَدُّ الصَّلَاةِ إِلَى مِيقَاتِهَا الْأَوَّلِ، بَعْدَ مَا كَانَ مَنْ كَانَ قَبْلَهُ يُؤَخِّرُونَهَا إِلَى آخَرِ وَقْتِهَا، مَعَ أُمُورٍ حَسَنَةٍ كَانَ يَسْمَعُهَا مِنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، رَحِمَهُمَا اللَّهُ. وَأَمَرَ بِغَزْوِ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ فَبَعَثَ إِلَيْهَا مِنْ أَهْلِ الشَّامِ وَالْجَزِيرَةِ وَالْمَوْصِلِ فِي الْبَرِّ نَحْوًا مِنْ مِائَةِ أَلْفٍ وَعِشْرِينَ أَلْفَ مُقَاتِلٍ، وَبَعَثَ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ وَإِفْرِيقِيَّةَ أَلْفَ مَرْكَبٍ فِي الْبَحْرِ، عَلَيْهِمْ عُمَرُ بْنُ هُبَيْرَةَ، وَعَلَى جَمَاعَةِ النَّاسِ كُلِّهِمْ أَخُوهُ مَسْلَمَةُ وَمَعَهُ ابْنُهُ دَاوُدُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فِي جَمَاعَةٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ،
পৃষ্ঠা - ৭৫৩০
وَذَلِكَ كُلُّهُ عَنْ مَشُورَةِ مُوسَى بْنِ نُصَيْرٍ، حِينَ قَدِمَ عَلَيْهِ مِنْ بِلَادِ الْمَغْرِبِ. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ قَدِمَ فِي أَيَّامِ أَخِيهِ الْوَلِيدِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْكُوفِيُّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَوْنٍ الْأَسَدِيِّ، قَالَ: أَوَّلُ كَلَامٍ تَكَلَّمَ بِهِ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ حِينَ وَلِيَ الْخِلَافَةَ أَنْ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي مَا شَاءَ صَنَعَ، وَمَا شَاءَ رَفَعَ، وَمَا شَاءَ وَضَعَ، وَمَنْ شَاءَ أَعْطَى، وَمَنْ شَاءَ مَنَعَ، إِنَّ الدُّنْيَا دَارُ غُرُورٍ، وَمَنْزِلُ بَاطِلٍ، وَزِينَةُ تَقَلُّبٍ، تُضْحِكُ بَاكِيًا، وَتُبْكِي ضَاحِكًا، وَتُخِيفُ آمِنًا، وَتُؤَمِّنُ خَائِفًا، تُفْقِرُ مُثْرِيهَا، وَتُثْرِي فَقِيرَهَا، مَيَّالَةٌ لَاعِبَةٌ بِأَهْلِهَا، يَا عِبَادَ اللَّهِ، اتَّخِذُوا كِتَابَ اللَّهِ إِمَامًا وَارْضَوْا بِهِ حَكَمًا وَاجْعَلُوهُ لَكُمْ قَائِدًا فَإِنَّهُ نَاسِخٌ لِمَا قَبْلَهُ وَلَنْ يَنْسَخْهُ كِتَابٌ بَعْدَهُ اعْلَمُوا عِبَادَ اللَّهِ أَنَّ هَذَا الْقُرْآنَ يَجْلُو كَيْدَ الشَّيْطَانِ وَضَغَائِنَهُ كَمَا يَجْلُو ضَوْءُ الصُّبْحِ إِذَا تَنَفَّسَ إِدْبَارَ اللَّيْلِ إِذَا عَسْعَسَ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ: سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ: فَضْلُ الْقُرْآنِ عَلَى سَائِرِ الْكَلَامِ كَفَضْلِ اللَّهِ عَلَى خَلْقِهِ. وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ حَازِمٍ قَالَ: كَانَ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ يَخْطُبُنَا كُلَّ جُمُعَةٍ لَا يَدَعُ أَنْ يَقُولَ فِي خُطْبَتِهِ: وَإِنَّمَا أَهْلُ الدُّنْيَا
পৃষ্ঠা - ৭৫৩১


লোকেরা তার সাথে সাক্ষাৎ করলেন ৷ বর্ণিত আছে তারা সকলে বায়তৃল মাকদিসে তার কাছে
গিয়ে বায়আত গ্রহণ করেছিল এবং তিনি আল্কুদসে অবস্থানের সৎকল্প করেছিলেন ৷ এ সময়
বিভিন্ন প্রতিনিধি দল বায়ভুল মাকদিসে তার কাছে আসে ৷ বিভু, সেখানে তারা কোন আড়ম্বর
বা আনুষ্ঠানিকতা দেখতে গেল না ৷ মসজিদ চত্বরে একটি গম্বুজের নীচে যা উত্তর দিক থেকে
আসৃসাখরা’ সংলগ্ন ছিল, তিনি সেখানে উপবেশন করতেন ৷ আর নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ এসে
নির্ধারিত কুরসীতে উপবেশন করতেন এবং তাদের মাঝে ধনসম্পদ বণ্টন করা হতো ৷ তারপর
তিনি দামেশকে আগমনের সিদ্ধ ন্ত নিলেন ৷ তারপর দামেশকে প্রবেশ করলেন এবং জামি
দামেশকের অবশিষ্ট নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেন ৷

তার খিলাফতকালেই মাকসুরাহ্’ নতুনভাবে নির্মিত হয় ৷ তিনি তার চাচাতো ভাই উমর
ইবন আবদুল আযীযকে সহযোগী ও উপদেষ্টারুপে গ্রহণ করেন এবং তাকে বলেন, আপনি তো
দেখছেন এমন এক গুরুদায়িতু আমাকে দেওয়া হয়েছে যা আঞ্জাম দেওয়ার পর্যাপ্ত জ্ঞান আমার
নেই ৷ কাজেই, আপনি প্রজাদের যে স্বার্থরক্ষা অপরিহার্য মনে করবেনত তার নির্দেশ দিবেন এবং
তা ফরমানরুপে লিখিত হয়ে যাবে ৷ আর এরই ফলে হাজ্জাজের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত
প্রশাসকদের অপসারণ করেন এবং কয়েদীদের কয়েদখানা হতে বের করেন এবং বন্দীদের যুক্ত
করে দেন, ইরাকে দান ও বখশিশ প্রদান করেন এবং নামাযকে তার প্রথম ওয়াক্তে ফিরিয়ে
আনেন ৷ অথচ ইতোপুর্বে তারা ওয়াক্তের শেষ পর্যন্ত তা বিলন্বিত করত ৷ এ ছাড়া উমর ইবন
আবদুল আযীযের পরামর্শ মুতাবিক তিনি আরও অনেক উত্তম কার্যক্রমের প্রচলন ঘটান ৷ এ
সময় তিনি কনট্যান্টিনােপল আক্রমণের নির্দেশ প্রদান করেন ৷ সেখানে তিনি শাম, আরব
উপদ্বীপ জাযিরা ও মাওসিল অধিবাসীদের মধ্য হতে স্থুলপথে প্রায় একলক্ষ বিশ হাজার যোদ্ধা
প্রেরণ করেন এবং মিসর ও আফ্রিকাবাসী সৈনিক দিয়ে এক সহস্র যুদ্ধ জাহাজ প্রেরণ করেন
উমর ইবন হুবায়রা র নেতৃত্বে ৷ আর উভয় বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন তার ভাই মাসলামাহ্
ইবন আবদুল মালিক ৷ সাথে ছিল তার ছেলে দাউদ ইবন সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক ও
তার পরিবারভুক্ত একদল যোদ্ধা ৷ আর এসবই ছিল মুসা ইবন নুসায়রের পরামর্শে যখন তিনি
মরক্কো হতে তার কাছে আগমন করেছিলেন ৷ তবে বিশুদ্ধ মত হলো মুসা তার ভাই ওয়ালীদের
খিলাফতকা ৷লে আগমন করেছিলেন ৷ সব বিষয় আল্পা ইে সর্বাধিক জানেন ৷

ইবন আবুদ্ দুনৃইয়া বলেন, আমাকে মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল ইবন ইব্রাহীম আল-কুফী
বর্ণনা করেন, জাবির ইবন আ ওন আলআসাদী হতে তিনি বলেন, খিলাফতের দায়িতুগ্রহণ
করার পর সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক সর্বপ্রথম যে কথা বলেন, তা হলো সকল প্রশৎস৷
আল্লাহ্র, তিনি যা ইচ্ছা করেন, যা ইচ্ছা উন্নত করেন, যা ইচ্ছা অবনত করেন, যাকে ইচ্ছা
প্রদান করেন, যাকে ইচ্ছা বঞ্চিত করেন ৷ এই দুনৃইয়া (পার্থিব জগত) প্রতারণার নিবাস,
মিথ্যার আবাস, পরিবর্তনের সৌন্দর্য ৷ এখানে তুমি র্কাদতে র্কাদতে হাসবে আর হাসতে হাসতে
র্কাদবে, নির্ত্যাকে ভীত করবে এবং ভীতকে নির্ভয় করবে ৷ এর বিত্তশালী বিত্তশুন্য হয়ে যায়
আর নিঃস্ব বিজ্ঞান হয়ে যায় ৷ সে বহুচারিণী দুনিয়াবাসীরা তার ক্রীড়নক ৷ হে আল্লাহ্র বান্দারা !
তোমরা আল্লাহ্র কিতাবকে অগ্নদুতপথপ্রদর্শকরুপে গ্রহণ কর এবং ফায়সালাকারীরুপে তাকে
মেনে নাও এবং তাকে তোমাদের অগ্ননায়ক করে নাও ৷ কেননা, তা পুর্ববর্তী সকল আসমানী
কিতাবকে রহিতকারী, তারপর আর কোন আসমানী কিতাব তাকে রহিত করবে না ৷ হে
আল্পাহ্র বান্দারা৷ তোমরা জেনে রাখ, নিশ্চয় এই কুরআন শয়তানের চক্রাম্ভ ও ইিৎসা-দ্বেষ
দুরীভুত তকরে যেমনভাবে প্রভাত-কিরণ রাতের শেষপ্রহরের অন্ধকার বিদুরিত করে ৷ ইয়াহ্য়ই৷
ইবন মুঈন বলেন, হাজ্জাজ ইবন মুহাম্মাদ সুত্রে মুহাস্মাদ ইবন-কায়স হতে তিনি বলেন,


عَلَى رَحِيلٍ، لَمْ تَمْضِ بِهِمْ نِيَّةٌ، وَلَمْ تَطْمَئِنَّ لَهُمْ دَارٌ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ وَعْدِ اللَّهِ وَهُمْ عَلَى ذَلِكَ كَذَلِكَ لَا يَدُومُ نَعِيمُهَا، وَلَا تُؤْمَنُ فَجَائِعُهَا، وَلَا يُتَّقَى مِنْ شَرِّ أَهْلِهَا ثُمَّ يَتْلُو: {أَفَرَأَيْتَ إِنْ مَتَّعْنَاهُمْ سِنِينَ ثُمَّ جَاءَهُمْ مَا كَانُوا يُوعَدُونَ مَا أَغْنَى عَنْهُمْ مَا كَانُوا يُمَتَّعُونَ} [الشعراء: 205] [الشُّعَرَاءِ: 205 207] . وَرَوَى الْأَصْمَعِيُّ أَنَّ نَقْشَ خَاتَمِهِ: آمَنْتُ بِاللَّهِ مُخْلِصًا. وَقَالَ أَبُو مُسْهِرٍ، عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ سَلَمَةَ بْنِ الْعَيَّارِ الْفَزَارِيِّ قَالَ: قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ: يَرْحَمُ اللَّهُ سُلَيْمَانَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ، افْتَتَحَ خِلَافَتَهُ بِخَيْرٍ، وَخَتَمَهَا بِخَيْرٍ; افْتَتَحَهَا بِإِحْيَائِهِ الصَّلَاةَ لِمَوَاقِيتِهَا، وَخَتَمَهَا بِاسْتِخْلَافِهِ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَدْ أَجْمَعَ عُلَمَاءُ السِّيَرِ وَالتَّوَارِيخِ أَنَّهُ حَجَّ بِالنَّاسِ فِي سَنَةِ سَبْعٍ وَتِسْعِينَ وَهُوَ خَلِيفَةٌ. قَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ قَالَ الشَّعْبِيُّ: حَجَّ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৭৫৩২

আমি সুলায়মান ইবন আবদুল মালিককে তার খুতবায় বলতে শুনেছি, সকল কালামের উপর
কালামুল্লাহর শ্রেষ্ঠতু তেমন, যেমন সকল মাখলুকের; উপর খালিকের গ্রেষ্ঠতু ৷ হাম্মাদ ইবন
যায়দ বর্ণনা করেন, ইয়াযীদ ইবন হাযিম হতে৩ তিনি বলেন সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক
আমাদেরকে প্রত্যেক জুমুআর দিন তার খুতবায় এ কথা বলতেন, দুনইয়াবাসীরা তে৷ এক
মহাযাত্রায় পুর্বক্ষণে রয়েছে ৷ অথচ এখনও তাদের সংকল্প স্থির হয়নি ৷ এমনকি তাদের এ
অবন্থায়ই মহান আল্লাহ্র নির্দেশ ও প্রতিশ্রুতি উপস্থিত হয়ে যাবে ৷ তদ্রাপ তার সুখ-শান্তি
ক্ষণস্থুায়ী, সর্বদা বিপদাপদের আশঙ্কা এবং দুনিয়াবাসীদের অনিষ্টাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা
বিদ্যমান ৷ তারপর তিনি এই আয়াত তিলাওয়াত করতেনং ,



, : ; ) : ; শ্


তুমি বল তে ৷, যদি আমি তাদেরকে দীর্ঘকাল ভোগ-বিলাস করতে দিই এবং পরে
তাদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল র্তা তাদের নিকট এসে পড়ে, তখন তাদের
ভোগ-বিলাসের উপকরণ তাদের কোন কাজে আসবে কি ? ’ (২৬ : ২০৫-২০ ৭ )
আসমাঈ বর্ণনা করেন, খলীফা সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের আঙ্টিতে একথা
, থােদি তর্দু ছিল, ণ্আমি একনিষ্ঠ ও আন্তরিকভাবে আল্লাহ্কে বিশ্বাস করি’ আবু মুসহির বর্ণনা
করেন আবু মুসলিম সান্সা ম ইবন আল্-আয়্যায় আল-ফাবারী হতে ৷ তিনি বলেন, মুহাম্মাদ
ইবন সীরীন সুলায়মান বিন আবদুল মালিকের জন্য মহান আল্লাহ্ররহর্যত প্রার্থনা করতেন
এবং বলতেন, তিনি তার খিলাফতের সুচনা করেছেন একটি কল্যাণ দ্বারা এবং তার সমাপ্তি
ঘটিয়েছেন একটি কল্যাণ দ্বারা ৷ তিনি তার সুচনা করেছেন সালাতসমুহকে যথাসময়ে আদায়
করা দ্বারা এবং তার সমাপ্তি ঘটিয়েছেন উমর ইবন আবদুল আযীযকে খলীফা নির্ধারণ করে ৷
বিশেষজ্ঞ আলিম ও ইতিহাসবেত্তাগণ এ বিষয়ে একমত যে, তিনি খলীফা থাকা অবস্থায়
সাতানব্বই হিজরীতে হজ্জ পরিচালনা করেন ৷ হায়ছাম ইবন সাদী বলেন, শাবী বলেন,
সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক হজ্জ করলেন, হজ্জ মৌসুমে অগণিত মানুষের সমাবেশ দেখে
তিনি উমর ইবন আবদুল আযীযকে বললেন, আপনি কি এই জনসমুদ্র দেখছেন না, আল্লাহ
ছাড়া যাদের সঠিক সংখ্যা গণনা করা এবং রিযিক প্রদান করা কারও পক্ষে সম্ভব নয় ৷ তিনি
বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আজ এরা আপনার প্রজা; বিন্দু কাল এরা আল্লাহর কাছে
আপনার বিচারপ্রাথী ৷ একথা শুনে সুলায়মান কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন ৷৩ তারপর বললেন, আমি
আল্লাহ্রই সাহায্য চাই ৷ ইবন আবুদৃ দুনৃইয়৷ বর্ণনা করেন, ইসহাক ইবন ইসমাঈল সুত্রে আতা
ইবনুসৃ সাইব হতে, তিনি বলেন, কোন এক সফরে উমর ইবন আবদুল আযীয সুলায়মান ইবন
আবদুল মালিকের সাথে এক সফরে ছিলেন, হঠাৎ তারা তীব্র ঝড় বৃষ্টির সাথে ঘোর অন্ধকার,
বজ্রধ্বনি ও বিদ্যুৎ চমকের মাঝে পড়লেন, এমনকি তারা ভীত শঙ্কিত হয়ে পড়লেন ৷ এমন
সময় উমর ইবন আবদুল আযীয হাসতে লাগলেন, তাকে হাসতে দেখে সুলায়মান বললেন, হে
উমর! আপনি হাসছেন কেন ? আপনি কি দেখছেন না আমরা কী অবস্থায় রয়েছি ? তখন উমর
ইবন আবদুল আযীয তাকে বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! এগুলো তার দয়া ও অনুগ্নহের
কতিপয় নিদর্শন চিহ্ন যাতে আপনি যেমন দেখছেন কত তীব্রতা ও কঠােরতা বিদ্যমান ৷ এখন
আপনি ভেবে দেখুন তাহলে তার ক্রোধও অসন্ডুষ্টির নিদর্শন কেমন হতে পারে ? তার অন্যতম
একটি মুল্যবান কথা হল, নীরবতা হল আকলবুদ্ধির ঘুম আর সরব হওয়া তার জাগ্রত অবস্থা ৷


رَأَى النَّاسَ بِالْمَوْسِمِ، قَالَ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ: أَلَا تَرَى هَذَا الْخَلْقَ الَّذِي لَا يُحْصِي عَدَدَهُمْ إِلَّا اللَّهُ، وَلَا يَسَعُ رِزْقَهُمْ غِيْرُهُ. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَؤُلَاءِ رَعِيَّتُكَ الْيَوْمَ وَهُمْ غَدًا خُصَمَاؤُكَ. فَبَكَى سُلَيْمَانُ بُكَاءً شَدِيدًا ثُمَّ قَالَ: بِاللَّهِ أَسْتَعِينُ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، ثَنَا جَرِيرٌ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ قَالَ: كَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي سَفَرٍ مَعَ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَأَصَابَتْهُمُ السَّمَاءُ بِرَعْدٍ وَبَرْقٍ وَظُلْمَةٍ وَرِيحٍ شَدِيدَةٍ، حَتَّى فَزِعُوا لِذَلِكَ، وَجَعَلَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَضْحَكُ فَقَالَ لَهُ سُلَيْمَانُ: مَا أَضْحَكَكَ يَا عُمَرُ؟ أَمَا تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ؟ فَقَالَ لَهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَذِهِ آثَارُ رَحْمَتِهِ فِيهِ شَدَائِدُ مَا تَرَى، فَكَيْفَ بِآثَارِ سَخَطِهِ وَغَضَبِهِ؟! وَمِنْ كَلَامِهِ الْحَسَنِ، رَحِمَهُ اللَّهُ، قَوْلُهُ: الصَّمْتُ مَنَامُ الْعَقْلِ وَالنُّطْقُ يَقَظَتُهُ وَلَا يَتِمُّ هَذَا إِلَّا بِهَذَا. وَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ فَكَلَّمَهُ، فَأَعْجَبَهُ مَنْطِقُهُ، ثُمَّ فَتَّشَهُ فَلَمْ يَحْمَدْ عَقْلَهُ، فَقَالَ: فَضْلُ مَنْطِقِ الرَّجُلِ عَلَى عَقْلِهِ خُدْعَةٌ، وَفَضْلُ عَقْلِهِ عَلَى مَنْطِقِهِ هُجْنَةٌ، وَخَيْرُ ذَلِكَ مَا أَشْبَهَ بَعْضُهُ بَعْضًا. وَقَالَ: الْعَاقِلُ أَحْرَصُ عَلَى إِقَامَةِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৩৩
لِسَانِهِ مِنْهُ عَلَى طَلَبِ مَعَاشِهِ. وَقَالَ أَيْضًا: إِنَّ مَنْ تَكَلَّمَ فَأَحْسَنَ قَادِرٌ عَلَى أَنْ يَسْكُتَ فَيُحْسِنَ، وَلَيْسَ كُلُّ مَنْ سَكَتَ فَأَحْسَنَ قَادِرًا عَلَى أَنْ يَتَكَلَّمَ فَيُحْسِنَ. وَمِنْ شِعْرِهِ يَتَسَلَّى عَنْ صَدِيقٍ لَهُ مَاتَ: وَهَوَّنَ وَجْدِي فِي شَرَاحِيلَ أَنَّنِي ... مَتَى شِئْتُ لَاقَيْتُ امْرَءًا مَاتَ صَاحِبُهْ وَمِنْ شِعْرِهِ أَيْضًا: وَمِنْ شِيمَتِي أَنْ لَا أُفَارِقَ صَاحِبِي ... وَإِنْ مَلَّنِي إِلَّا سَأَلْتُ لَهُ رُشْدَا وَإِنْ دَامَ لِي بِالْوُدِّ دُمْتُ وَلَمْ أَكُنْ ... كَآخَرِ لَا يَرْعَى ذِمَامًا وَلَا عَهْدَا وَسَمِعَ سُلَيْمَانُ لَيْلَةً صَوْتَ غِنَاءٍ فِي مُعَسْكَرِهِ، فَلَمْ يَزَلْ يَفْحَصُ حَتَّى أَتَى بِهِمْ، فَقَالَ سُلَيْمَانُ: إِنَّ الْفَرَسَ لَيَصْهَلُ فَتَسْتَوْدِقُ لَهُ الرَّمَكَةُ، وَإِنَّ الْجَمَلَ لَيَخْطِرُ فَتَضْبَعُ لَهُ النَّاقَةُ، وَإِنَّ التَّيْسَ لَيَنِبُ، فَكَشَرَتْ لَهُ الْعَنْزُ، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَتَغَنَّى فَتَشْتَاقُ لَهُ الْمَرْأَةُ، ثُمَّ أَمَرَ بِهِمْ لِيَخْصُوَهُمْ. فَيُقَالُ: إِنَّ عُمَرَ بْنَ
পৃষ্ঠা - ৭৫৩৪


এটা ছাড়া ঐটা পুর্ণতা লাভ করতে পারে না ৷ একবার এক ব্যক্তি তার সাক্ষাতে প্রবেশ করে,

তারপর সে তার সাথে কথা বলে ৷ তার কথা তাকে মুগ্ধ করে ৷ এরপর তিনি তার আকলবুদ্ধি
যাচাই করেন ৷ কিত্তু, প্রশংসনীয় কিছু পেলেন না ৷ বললেন, মানুষের আকলবুদ্ধির তুলনায়
বাকপারঙ্গমতা ঘোক৷ আর বাক্পারঙ্গমতার তুলনায় অধিক বুদ্ধিমান হওয়া ত্রুটি ও কদর্ষতা ৷
আর সর্বোত্তম অবস্থা হল উভয়টি একরকম হওয়া ৷ তিনি আরও বলেন, যে বুদ্ধিমান সে তার
জীবিকা অম্বেষণের চেয়ে সত্য কথনের ব্যাপারে অধিক আগ্রহী ৷ তিনি এও বলেন, যে ব্যক্তি
সুন্দরভাবে কথা বলতে পারে সে সুন্দরভাবে চুপও থাকতে পারে ৷ তার বাবা সুন্দরভাবে চুপ
থাকতে পারে তাদের প্রত্যেকে কিত্তু সুন্দরভাবে কথা বলতে পারে না ৷ একবার তার এক বন্ধুর
মৃত্যুতে স ৷ন্তুন৷ লাভের জন্য তিনি এই কবিতার পঙ্ক্তি আবৃত্তি করেন০ ং


শারাহীলের ব্যাপারে এই বিষয়টি আমার মনবেদনা লাঘব করেছে যে, আমি যখন ইচ্ছা
এমন ব্যক্তির সাক্ষাৎ পাই যার বন্ধুর মৃ-তু ত্যু ঘটেছে ৷
তার রচিত আরও দুটি কবিতার পঙ্ক্তি ং

াৰুাট্রু;ন্ঠু এ ;পুৰু ১া৷ ৰু ন্পু ন্ ;,া, পুন্া;ভ্রু এ,এে৷ ১া৷ “ স্কৃন্ব্ল ; ,ধ্
সঙ্গীকে ত্যাগ না করা আমার স্বভাব নয় যদিও সে আমার প্রতি বিরক্ত হয় আর আমি
সর্বদা তার কল্যাণ কামনা করি ৷


সে যদি আমার সাথে সদ্ভাব বজায় রাখে তাহলে আমিও তার প্রতি সদ্ভাব বজায় রাখি,
আমি ঐ ব্যক্তির মত নই, যে কোন প্রতিশ্রুতি ও , অঙ্গীকার রক্ষা করে না ৷’
কোন এক রাত্রে খলীফা সুলায়মানত তার সেনা শিবিরে গানের সুর শুনলেন ৷ তদন্ত শেষে
গায়কদেরকে তার সামনে উপস্থিত করা হলো ৷ সুলায়মান বললেন, নর ঘোড়ার হেষাধ্বনিঃত
ঘোটকীর যৌনাকাক্ষে৷ জাগ্রত ৩হয়, উটের আহ্বানে উটনীর যৌনাকাজ্জ৷ তীব্র হয়, পাঠার ডাকে
ছাগীর যৌনাকাত্তক্ষা বৃদ্ধি পায়, আর পুরুষের গান শুনে নারীর মিলন-আগহ সৃষ্টি হয়৷ এরপর
তিনি তাদেরকে খােজা বানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন ৷ বর্ণিত আছে, উমর ইবন আবদুল
আযীয বললেন, হে আমীরুল মু মিনীন তা তো অ ৷ল্লাহ্র সৃষ্টি বিকৃতিকরণ, আপনি তাদেরকে
নির্বাসন দিন ৷ তখন তিনি তাদেরকে নির্বাসিত করলেন ৷ অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে৩ তিনি তাদের
একজনকে থােজা করেন, তারপর গানের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, তাকে বলা হয় তা
হলো পবিত্র মদীনায় ৷ তিনি পবিত্র মদীনায় তার গভর্নর আবু বাকর ইবন মুহাম্মদ ইবন
হাযমকে এই নির্দেশ লিখে ফরমান পাঠালেন যে, তিনি যেন তার ওখানে বিদ্যমান সকল
হিজড়া গায়কদের খোজা বানিয়ে দেন ৷ ,
ইমাম শাফিঈ (রা) বলেন, একবার এক রেদুঈন সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের
সাক্ষাতে প্রবেশ করে তাকে ফালুযাজ১ খাওয়ার পরামর্শ দিল এবং বলল, তা মস্তিষ্কের শক্তি
বৃদ্ধি করে ৷ তিনি বললেন, একথা যদি সঠিক হতো, তাহলে আমীরুল মু’মিনীনের মাথা হওয়া
উচিত ছিল খচ্চরের মাথার ন্যায় ৷ ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন, সুলায়মান ইবন আবদুল
মালিক অতিমাত্রায় ভোজন বিলাসী ছিলেন ৷ এ বিষয়ে তার সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু ঘটনা বর্ণিত
আছে ৷ বাহ্যত যা অরাস্তব বলেই মনে হয় ৷ যেমন বর্ণিত আছে যে একদিন সকালে

১ ময়দা, পানি ও মধু মিশ্যিয় তৈরী হালুয়া বিশেষ ৷ মুল শব্দটি ফারসী ৷


عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّهَا مُثْلَةٌ. فَتَرَكَهُمْ. وَفِي رِوَايَةٍ: أَنَّهُ خَصَى أَحَدَهُمْ ثُمَّ سَأَلَ عَنْ أَصْلِ الْغِنَاءِ فَقِيلَ: إِنَّهُ بِالْمَدِينَةِ. فَكَتَبَ إِلَى عَامِلِهِ بِهَا وَهُوَ أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ يَأْمُرُهُ أَنْ يَخْصِيَ مَنْ عِنْدَهُ مِنَ الْمُغَنِّينَ الْمُخَنَّثِينَ. وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: دَخَلَ أَعْرَابِيٌّ عَلَى سُلَيْمَانَ، فَدَعَاهُ إِلَى أَكْلِ الْفَالُوذَجِ، وَقَالَ لَهُ: إِنَّ أَكْلَهَا يَزِيدُ فِي الدِّمَاغِ. فَقَالَ الْأَعْرَابِيُّ: لَوْ كَانَ هَذَا صَحِيحًا لَكَانَ يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ رَأْسُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ مِثْلَ رَأْسِ الْبَغْلِ. وَذَكَرُوا أَنَّ سُلَيْمَانَ كَانَ نَهِمًا فِي الْأَكْلِ، وَقَدْ نَقَلُوا عَنْهُ أَشْيَاءَ فِي ذَلِكَ غَرِيبَةً; فَمِنْ ذَلِكَ أَنَّهُ اصْطَبَحَ فِي بَعْضِ الْأَيَّامِ بِأَرْبَعِينَ دَجَاجَةً مَشْوِيَّةً، وَأَرْبَعٍ وَثَمَانِينَ كُلْوَةً بِشَحْمِهَا، وَثَمَانِينَ جَرْدَقَةً، ثُمَّ أَكَلَ مَعَ النَّاسِ عَلَى الْعَادَةِ فِي السِّمَاطِ الْعَامِّ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৩৫
وَدَخَلَ ذَاتَ يَوْمٍ بُسْتَانًا لَهُ قَدْ أَمَرَ قَيِّمَهُ أَنْ يَحْبِسَ ثِمَارَهُ، وَقُطِفَتْ لَهُ وَمَعَهُ أَصْحَابُهُ، فَأَكَلَ الْقَوْمُ، وَاسْتَمَرَّ هُوَ يَأْكُلُ أَكْلًا ذَرِيعًا مِنْ تِلْكَ الْفَوَاكِهِ، ثُمَّ اسْتَدْعَى بِشَاةٍ مَشْوِيَّةٍ فَأَكَلَهَا، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى الْفَاكِهَةِ، ثُمَّ أُتِيَ بِدَجَاجَتَيْنِ فَأَكَلَهُمَا، ثُمَّ عَادَ إِلَى الْفَاكِهَةِ، ثُمَّ أُتِيَ بِقَعْبٍ يَقْعُدُ فِيهِ الرَّجُلُ مَمْلُوءًا بِسَوِيقٍ وَسَمْنٍ وَسُكَّرٍ، فَأَكَلَهُ، ثُمَّ عَادَ إِلَى دَارِ الْخِلَافَةِ، وَأُتِيَ بِالسِّمَاطِ، فَمَا فَقَدَ مِنْ أَكْلِهِ شَيْئًا. وَقَدْ رُوِيَ أَنَّهُ عَرَضَتْ لَهُ حُمَّى أَدَّتْهُ إِلَى الْمَوْتِ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ سَبَبَ مَرَضِهِ كَانَ مِنْ أَكْلِ أَرْبَعِمِائَةِ بَيْضَةٍ، وَسَلَّتَيْنِ مِنْ تِينٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ الْفَضْلُ بْنُ الْمُهَلَّبِ وَغَيْرُهُ، أَنَّهُ لَبِسَ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ حُلَّةً صَفْرَاءَ، ثُمَّ نَزَعَهَا وَلَبِسَ بَدَلَهَا حُلَّةً خَضْرَاءَ، وَاعْتَمَّ بِعِمَامَةٍ خَضْرَاءَ، وَجَلَسَ عَلَى فِرَاشٍ أَخْضَرَ، وَقَدْ بُسِطَ مَا حَوْلَهُ بِالْخُضْرَةِ، ثُمَّ نَظَرَ فِي الْمِرْآةِ فَأَعْجَبَهُ حُسْنُهُ، وَشَمَّرَ عَنْ ذِرَاعَيْهِ وَقَالَ: أَنَا الْخَلِيفَةُ الشَّابُّ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৩৬


সুলায়মান চল্লিশটি ভুনা মুরপী, চুরাশিটি চর্বিষুক্ত বৃক্ক (কিডনী) এবং আশিটি রুটি খেলেন,
এরপর পুনরায় সকলের সাথে সাধারণ দস্তরখানে অভ্যাসমাফিক স্বাভাবিক খাবার খেলেন ৷
আরেকদিন তিনি তার সহচরদের নিয়ে এক ফলবাগানে প্রবেশ করলেন ৷ বাগান রক্ষক পুর্ব
নির্দেশ মাফিক তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ফল পেড়ে রেখেছিলেন ৷ সকলে তৃপ্তিভরে খেল ৷
এমনকি বিরক্ত হয়ে গেল ৷ কিন্তু, সুলায়মান দ্রুতগতিতে সেই ফল খেতে থাকলেন ৷ এরপর
তিনি আস্ত একটি ভুনা বকরী আনিয়ে খেলেন ৷ তারপর পুনরায় ফল খেতে মনােযোগী হলেন,
এরপর তিনি দুটি তুনা মুরগী খেলেন ৷ এরপর পুনরায় ফল খেলেন ৷ তারপর বিশ ল এক
পানপাত্র ভর্তি ছাতু-ঘিও চিনি মিশ্রিত খাবার খেলেন এবং খলীফার গণভবনে ফিরে আসলেন ৷
এরপর তার নিয়মিত দংষ্করখানের খাবার পরিবেশন করা হলো এবারও তার খাওয়ার কোন
দুর্বলতা লক্ষ্য করা গেল না ৷ বর্ণিত তআছে যে, এই অতি ভোজবের পর জরাক্রান্ত হয়েও তিনি
মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷ অবশ্য তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এও বলা হয়ে থাকে যে, তার
মৃত্যুশয্যা গ্রহণের কারণ চারশ’ ডিম এবং দুই ঝুড়ি ডু মুর৩ ভক্ষণ ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক জানেন ৷
ফযল ইবন আবুল মুহাল্লাব উল্লেখ করেছেন যে, কোন এক জুমুআর দিন খলীফ৷ ৷সুলায়মান
ইবন আবদুল মালিক একজােড়া হলুদ পোশাক পরলেন ৷ তারপর তা খুলে তার পরিবর্তে
একজােড়া সবুজ পোশাক পরলেন এবং একটি সবুজ পাগড়ী মাথায় ৰ্বাধলেন ৷ সবুজ গালিচার
মধ্যস্থুলে বিছানাে সবুজ বিছানায় উপবেশন করলেন ৷ আয়নায় তাকালেন, নিজের দেহ-সৌন্দর্যে
মুগ্ধ হলেন এবং উভয় বাহু অনাবৃত করে বললেন, আমিই হলাম যুবক খলীফা ৷ আর এক
বর্ণনায় আছে, তিনি আয়নায় বারবার তাকাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, মুহাম্মাদ সালুাল্লাহ্
আলায়হি ওয়া সাল্লামা ছিলেন নবী, আবু বকর ছিলেন সিদ্দীক, উমর ছিলেন ফারুক ৷ উছমান
ছিলেন লজ্জাশীল, আলী ছিলেন বীর, মুআবিয়া ছিলেন বিচক্ষণ, ইয়াযীদছিলেন ধৈর্যশীল,
আবদুল মালিক ছিলেন দক্ষ প্রশাসক, ওয়ালীদ ছিলেন স্বেচ্ছাচারী, আর আমি হলাম যুবক
বাদশাহ ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, এ ঘটনার পর একমাস মতাতরে এক সপ্তাহ অতিবাহিত
হওয়ার পুর্বেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, জ্বরাক্রাত হওয়ার পর উবু করার
জন্য তিনি জভৈনক৷ বীদীকে ডেকে পাঠান ৷ র্বাদী এসে তাকে উবুর পানি ঢেলে দিয়ে আবৃত্তি
করে শোনাল :

আপনি অতি উত্তম উপকরণ’ যদি আপনি স্থায়ী হতেন ৷ তবে মানুষের কোন স্থায়িত্
নেই ৷’

, আপনি ত্রুটি হতে এবং মানুষের অপসজনীয় বিষয়সমুহ হতে মুক্ত তবে আপনি শেষ হয়ে
যাবেন ৷’

বর্ণনাকারিগণ বলেন, তিনি তাকে ধমক দিয়ে অন্যদের উদ্দেশ্যে বললেন, যে আমাকে
আমার নিজের মৃত্যুর ব্যাপারে সাভ্ন৷ দিচ্ছে ৷ তারপর তিনি তার মাতুল ওয়ালীদ ইবন
আব্বাস কা কা আল আনসীকে পানি ঢেলে দিতে বললেন এবং নিজে আবৃত্তি করলেন০ ং

০ শ্


হে ওয়ালীদ! ৫৩ ৷মার উবুর পাত্র কাছে আন, তোমার এই পার্থিব জীবন তো ন্যুনতম
ভোগ উপকরণ ৷


وَقِيلَ: إِنَّهُ كَانَ يَنْظُرُ فِي الْمِرْآةِ مِنْ فَرْقِهِ إِلَى قَدَمِهِ وَيَقُولُ: أَنَا الْمَلِكُ الشَّابُّ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ كَانَ يَنْظُرُ فِيهَا وَيَقُولُ: كَانَ مُحَمَّدٌ نَبِيًّا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ صِدِّيقًا، وَكَانَ عُمَرُ فَارُوقًا، وَكَانَ عُثْمَانُ حَيِيًّا، وَكَانَ عَلِيٌّ شُجَاعًا، وَكَانَ مُعَاوِيَةُ حَلِيمًا، وَكَانَ يَزِيدُ صَبُورًا، وَكَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ سَائِسًا، وَكَانَ الْوَلِيدُ جَبَّارًا، وَأَنَا الْمَلِكُ الشَّابُّ. قَالُوا: فَمَا دَارَ عَلَيْهِ شَهْرٌ وَفِي رِوَايَةٍ: جُمُعَةٌ حَتَّى مَاتَ. قَالُوا: وَلَمَّا حُمَّ شَرَعَ يَتَوَضَّأُ، فَدَعَا بِجَارِيَةٍ، فَصَبَّتْ عَلَيْهِ مَاءَ الْوُضُوءِ، ثُمَّ أَنْشَدَتْهُ: أَنْتَ نِعْمَ الْمَتَاعُ لَوْ كُنْتَ تَبْقَى ... غَيْرَ أَنْ لَا بَقَاءَ لِلْإِنْسَانِ لَيْسَ فِيمَا عَلِمْتُهُ فِيكَ عَيْبٌ ... كَانَ فِي النَّاسِ غَيْرَ أَنَّكَ فَانِ قَالُوا: فَصَاحَ بِهَا وَقَالَ: عَزَّتْنِي فِي نَفْسِي. وَصَرَفَهَا ثُمَّ أَمَرَ خَالَهُ الْوَلِيدَ
পৃষ্ঠা - ৭৫৩৭
بْنَ الْقَعْقَاعِ الْعَنْسِيَّ أَنْ يَصُبَّ عَلَيْهِ وَقَالَ: قَرِّبْ وُضُوءَكَ يَا وَلِيدُ فَإِنَّمَا ... هَذِي الْحَيَاةُ تَعِلَّةٌ وَمَتَاعُ فَقَالَ الْوَلِيدُ: فَاعْمَلْ لِنَفْسِكَ فِي حَيَاتِكَ صَالِحًا ... فَالدَّهْرُ فِيهِ فُرْقَةٌ وَجِمَاعُ وَيُرْوَى أَنَّ الْجَارِيَةَ لَمَّا جَاءَتْهُ بِالطَّسْتِ، جَعَلَتْ تَضْطَرِبُ مِنَ الْحُمَّى فَقَالَ: أَيْنَ فُلَانَةُ؟ فَقَالَتْ: مَحْمُومَةٌ. قَالَ: فَفُلَانَةُ؟ قَالَتْ: مَحْمُومَةٌ. وَكَانَ بِمَرْجِ دَابِقٍ مِنْ أَرْضِ قِنَّسْرِينَ فَأَمَرَ خَالَهُ فَوَضَّأَهُ، ثُمَّ خَرَجَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ، فَأَخَذَتْهُ بُحَّةٌ فِي الْخُطْبَةِ، ثُمَّ نَزَلَ وَقَدْ أَصَابَتْهُ الْحُمَّى، فَاسْتَمَرَّ فِيهَا حَتَّى مَاتَ فِي الْجُمُعَةِ الْمُقْبِلَةِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَصَابَهُ ذَاتُ الْجَنْبِ، فَمَاتَ بِهَا، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَكَانَ قَدْ أَقْسَمَ أَنَّهُ لَا يَبْرَحُ دَابِقًا حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْهِ الْخَبَرُ بِفَتْحِ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ أَوْ يَمُوتَ قَبْلَ ذَلِكَ، فَمَاتَ قَبْلَ ذَلِكَ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَأَكْرَمَ مَثْوَاهُ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৩৮

,াছুট্রুাও

নিজের স্বার্থ বিবেচনা করে এ জীবনে লেক আমল করে যাও, আর কালের গর্ভে মিলন ও
বিরহসুপ্ত রয়েছে ৷ প্

বর্ণিত আছে, এ সময় বাদী যখন তার কাছে তশতরী নিয়ে আসে, জ্বরের প্ৰকােপে কাপরু
লাগল ৷ তিনি বললেন, অমুক বাদী কোথায় ৷ যে বাদী বলল, যে জ্বরক্রোন্ত ৷ তিনি বললেন,
তাহলে অমুক কোথায় ? সে বলল, সেও জ্বরাক্রান্ত, এ সময় সুলায়মান কানসারীন ভুখণ্ডের
মারাজদাবাক অবকাশ যাপন কােন্দ্র অবস্থান করছিলেন ৷ তিনি তার মাতুলকে নির্দেশ দিলে
তিনি তাকে উযু করিয়ে দিলেন ৷ এরপর তিনি লোকদেরকে নামায পড়ানাের উদ্দেশ্যে বের
হলেন ৷ খুতবা প্রদানকালে তাকে স্বরভগ্নতা পেয়ে বসল ৷ তিনি নামার পুর্বেই জ্বরাক্রান্ত হলেন
এবং পরবর্তী জুমুআর দিনে মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷ বলা হয়, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে
মৃত্যুবরণ করেন ৷ আল্লাহ তা আলা তাকে রহম বব্রুন ৷

তিনি শপথ করেছিলেন যে, তিনি মারাজ দাবাক ত্যাগ করবেন না যতক্ষণ না তার কাছে
কনট্যান্টিনােপল বিজয়ের সংবাদ আসে অথবা তার মৃত্যু আসে ৷ বিক্ষ্ম তিনি তার পুর্বেই
মুত্যুমুখে পতিত হন ৷ মহান আল্লাহ তাকে রহম করুন এবং তাকে সম্মান দান করুন ৷
বর্ণনাকারীরা বলেন,৩ তিনি তার মৃত্যুশয্যায় আক্ষেপ করে আবৃত্তি করতে লাগলেন :


আমার ছেলেরা সব ছোট, যার ছেলেরা বড় সেই সফলকাম ৷’ উমর ইবন আবদুল আষীয
ন্ তাকে বলতেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! প্রকৃত সফলকাম মুমিনগণ ৷ তারপর তিনি আবৃত্তি
করতেনং

আমার ছেলেরা গ্রীষ্মকালীন শাবক, ভাপ্যবান যে যার ছেলেরা বসস্তকালীন১

বলা হয় , যে, এই কবিতার পঙ্ক্তিদ্বয়ই ছিল তার জীবনের শেষ কথা ৷ তবে বিশুদ্ধ বর্ণনা
মতে তার সর্বশেষ কথা ছিল, হে আল্পাহ্৷ আমি আপনার কাছে সম্মানজনক আশ্রয়ন্থল চাই ৷
একথা উচ্চারণ করার পর তিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ৷ ইবন জারীর রিওয়ায়াত করেছেন
রজা ইবন হায়ওয়া হতে তিনি বানু উমায়্যায় শ্রেষ্ঠ আস্থাভাজন উপদেষ্টা ছিলেন ৷ তিনি বলেন,
মৃভ্যুশয্যায় সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক তার এক অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে খলীফা নির্ধারাণর
ব্যাপারে আমার পরামর্শ চাইল ৷ আমি তাকে বললাম, খলীফার জন্য কবরে নিরাপদ থাকার
উপায় হলো সৎ ব্যক্তিকে মুসলমানদের কর্তৃত্ব অর্পণ করে যাওয়া ৷ তারপর তিনি তার ছেলে
দাউদকে পরবর্তী খলীফারুপে মনোনয়নের জন্য আমার পরামর্শ চইিলেন ৷ তখন আমি তাকে
, বললাম, সে এখন কনষ্ট্যান্টিনােপলে, আপনার থেকে বহুদুরে, আপনি তার সম্পর্কে জানেন না
যে, সে জীবিত নাকি মৃত ? তিনি বললেন, আপনি কাকে ভালো মনে করেন ৷ আমি বললাম,
আমীরুল মু ’মিনীন আপনিই ভেবে দেখুন ৷ তিনি বললেন, উমর ইবন আবদুল আষীযকে আপনি
কেমন মনে করেন ? আমি বললাম, আল্লাহ্র কলম, আমি তাকে ভাল’ জানি ৷ তিনি গুণী
মুসলমান ৷ কল্যাণ ও কল্যাণাশ্রেয়ীদের ভালবাসেন ৷ বিক্ষ্ম, আমার আশঙ্কা আপনার তাইয়েরা
তাতে সন্তুষ্ট হবে না ৷ তা মেনে নেবে না ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্র কলম, তা এমনই হবে ৷ এ
সময় কয়েক ব্যক্তি পরামর্শ দিলেন উমর ইবন আবদুল আযীযের পরবর্তী খলীফব্ধিপে ইয়াযীদ
ইবন আবদুল মালিককে নির্ধারণ করতে, যাতে বানু মারওয়ান তা মেনে নেয় ৷ তখন এই
১ অর্থাৎ তারা এখনও প্রাপ্তবয়স্ক ও কর্মক্ষম হয়ে উঠেনি ৷


قَالُوا: وَجَعَلَ يَلْهَجُ فِي مَرَضِهِ وَيَقُولُ: إِنْ بَنِيَّ صِبْيَةٌ صِغَارُ ... أَفْلَحَ مَنْ كَانَ لَهُ كِبَارُ فَيَقُولُ لَهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. ثُمَّ يَقُولُ: إِنَّ بَنِيَّ صِبْيَةٌ صَيْفِيُّونَ أَفْلَحَ مَنْ كَانَ لَهُ شِتْوِيُّونَ وَيُرْوَى أَنَّ هَذَا آخِرُ مَا تَكَلَّمَ بِهِ، وَالصَّحِيحُ أَنَّ آخِرَ مَا تَكَلَّمَ بِهِ أَنْ قَالَ: أَسْأَلُكَ مُنْقَلَبًا كَرِيمًا. ثُمَّ قَضَى. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، عَنْ رَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ وَكَانَ وَزِيرَ صِدْقٍ لِبَنِي أُمَيَّةَ قَالَ: اسْتَشَارَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَهُوَ مَرِيضٌ أَنْ يُوَلِّيَ ابْنًا لَهُ صَغِيرًا لَمْ يَبْلُغِ الْحُلُمَ، فَقُلْتُ: إِنَّ مِمَّا يَحْفَظُ الْخَلِيفَةَ فِي قَبْرِهِ أَنْ يُوَلِّيَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ مِنْ بَعْدِهِ الرَّجُلَ الصَّالِحَ، ثُمَّ شَاوَرَنِي فِي وِلَايَةِ ابْنِهِ دَاوُدَ، فَقُلْتُ لَهُ: إِنَّهُ غَائِبٌ عَنْكَ بِالْقُسْطَنْطِينِيَّةِ، وَلَا تَدْرِي أَحَيٌّ هُوَ أَمْ مَيِّتٌ؟ فَقَالَ: فَمَنْ تَرَى؟ فَقُلْتُ: رَأْيَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: كَيْفَ تَرَى فِي عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ؟ فَقُلْتُ: أَعْلَمُهُ وَاللَّهِ خَيِّرًا فَاضِلًا مُسْلِمًا. فَقَالَ: هُوَ وَاللَّهِ عَلَى ذَلِكَ، وَلَكِنْ أَتَخَوَّفُ إِخْوَتِي لَا يَرْضُونَ بِذَلِكَ. فَأَشَارَ رَجَاءٌ أَنْ يَجْعَلَ يَزِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৩৯

ফরমান লেখা হলো বিসমিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম ৷ এ হলো আল্লাহ্রবান্দ৷ সুলায়মান ইবন
আবদুল মালিকের পক্ষ হতে উমর ইবন আবদুল আযীযের অনুকুলে লিখিত ফরমানপত্র, আমি
তাকে আমার পরবর্তী খলীফারুপে এবং ইয়াষীদ ইবন আবদুল মালিককে তার পরবর্তী
খলীফারুপে নির্ধারণ করলাম ৷ কাজেই, তোমরা সকলে তার আনুগত্য কর এবং তাকে মান্য
কর ৷ তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং পরস্পর মতভেদ করে৷ না ৷ মতভেদ করলে তোমাদের
শত্রুরা তােমাদেরকে পরাজিত করার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠবে ৷ এরপর তিনি এই ফরমান
সােহারাঙ্কিত করে, সিপাহী প্রধান কাব ইবন হামিদ আল আবসীর কাছে দুত পাঠিয়ে তাকে
নির্দেশ দিলেন, আমার গোষ্ঠীর স্বজন পবিজনদের সমবেত করেত তাদেরকে নির্দেশ দাও, তারা
এই সীলমােহরকৃত ফরমান মেনে নিয়ে বায়আত করুক ৷ আর তাদের কেউ অস্বীকৃতি ৩জ৷ নালে
তাকে হত্যা কর ৷ এরপর খলীফার নির্দেশমাফিক তারা সমবেত হলো ৷ তাদের একদল
খলীফার কাছে প্রবেশ করে তাকে সালাম করল ৷ তখন তিনি বললেন, এই পত্র হলো
তোমাদের প্রতি আমার ফরমাননির্দেশনামা ৷ কাজেই, যাকে আমি তাতে খলীফা মনোনীত
করেছি তোমরা তার কথা গােন, তার আনুগত্য কর এবং তার অনুকুলে বায়আত কর ৷ তারা
এক একজন করে বায়আত করল ৷ রজ৷ ইবন হায়ওয়া বলেন, এরপর সকলে বিচ্ছিন্ন হয়ে
প্রস্থান করল ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয আমার কাছে এসে বলল, আল্লাহ্র দােহাই এবং
আপনার সাথে আমার শ্রদ্ধাও ভালবাসার দােহাই, আপনি আমাকে এই ফরমানের বিষয়বস্তু
অবহিত করুন ৷ যদি তা আমার অনুকুলে লিখিত হয়ে থাকে, তাহলে আমি এখনই তা , হতে
ইসতিফা দিতে পারব, এমন কোন পরিস্থিতি উদ্ভুত হওয়ার পুর্বে যা আমি সামাল দিতে পারব
না যেমনটি এখন পারব ৷ তখন আমি তাকে বললাম, আল্লাহর কসম! আপনাকে আমি তার
একটিন্র্বুছুছুহ্ব্লু অবহিত করব নী ৷ তিনি বলেন, এরপর হিশাম ইবন আবদুল মালিক তার সাথে
সাক্ষাৎ করে বললেন, হে রজ৷ ! আপনার সাথে আমার বেশ পুরাতন শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সম্প র্ক
বিদ্যমান ৷ আপনি আমাকে এই বিষয়টি অবহিত করুন যদি তা আমার অনুকুলে হয়, তাহলে
পুর্বেই আমি তা জানতে পারলাম, আর যদি তা অন্যের অনুকুলে হয়ে থাকে, তবে আমার
মতো এ ব্যাপারে আর কেউ নির্বিকার হবে না ৷ ,
আমি বললাম,আল্লাহ্র কসম আযীরুল মু’মিনীন আমার কাছে যা গোপন করেছেন তার
একটি বর্ণও আমি আপনাকে অব তকরব না ৷ রজ৷ ইবন হায়ওয়া বলেন, এরপর আমি
সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের কাছে ফিরে গিয়ে দেখলাম, তার অন্তিম মুহুর্ত অভ্যাসন্ন ৷
তাকে যখন মৃত্যু-যস্ত্রণা পেয়ে বসছিল, আমি তাকে কেবলামুখী করে দিচ্ছিলাম ৷ আর তিনি
যখন চেতনা ফিরে পাচ্ছিলেন, তখন বলছিলেন, হে রজা! এখনও তার সময় হয়নি, এর যখন
তৃতীয় বার তার মৃত্যু-যন্ত্রণ৷ শুরু হলো, তখন তিনি বললেন, হে রজ৷ এখন হতে ৩আমি সাক্ষ্য
দিচ্ছি যে, আল্পাহ্ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (না) তার
বান্দ৷ ও রাসুল ৷ রজ৷ বলেন, তখন আমি তাকে কিবলামুখী করে দিলাম এবং৩ তিনি শেষ
নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ৷ আল্লাহ্ তাকে অনুগ্রহ করুন ৷ রজ৷ বলেন, তখন আমি তাকে একটি
সবুজ চাদরে আবৃত করে সে ঘরের দরযা বন্ধ করে দিলাম এবং কাব ইবন হামিদের কাছে
দুত প্রেরণ করলাম ৷ তিনি লোকদেরকে দাবাক-এর মসজিদে সমবেত করলেন ৷ আমি সেখানে
উপস্থিত হয়ে সমবেত সকলের উদ্দেশ্যে বললাম, এই ফরমানে যার অনুকুলে খিলাফতের
দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে, তোমরা তার আনুগত্যের অঙ্গীকার কর ৷ তারা বলল, আমরা
অঙ্গীকার করলাম ৷ আমি তাদেরকে বললাম, তোমরা আরেকবার বায়আত (অঙ্গীকার) কর ৷
তখন তারা তাও করল ৷ তারপর আমি তাদেরকে বললাম৷ এবার তোমরা তোমাদের নতুন


لِيُرْضِيَ بِذَلِكَ بَنِي مَرْوَانَ، فَكَتَبَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، هَذَا كِتَابٌ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ سُلَيْمَانَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، إِنِّي قَدْ وَلَّيْتُكَ الْخِلَافَةَ مِنْ بَعْدِي، وَمِنْ بَعْدِهِ يَزِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا، وَاتَّقُوا اللَّهَ وَلَا تَخْتَلِفُوا فَيُطْمَعَ فِيكُمْ. وَخَتَمَ الْكِتَابَ وَأَرْسَلَ إِلَى كَعْبِ بْنِ حَامِدٍ الْعَبْسِيِّ صَاحِبِ الشُّرَطَةِ، فَقَالَ لَهُ: اجْمَعْ أَهْلَ بَيْتِي، فَمُرْهُمْ فَلْيُبَايِعُوا عَلَى مَا فِي هَذَا الْكِتَابِ مَخْتُومًا، فَمَنْ أَبَى مِنْهُمْ فَاضْرِبْ عُنُقَهُ، فَاجْتَمَعُوا وَدَخَلَ رِجَالٌ مِنْهُمْ فَسَلَّمُوا عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَقَالَ لَهُمْ: هَذَا الْكِتَابُ عَهْدِي إِلَيْكُمْ فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا وَبَايِعُوا مَنْ وَلَّيْتُ فِيهِ. فَبَايَعُوا رَجُلًا رَجُلًا. قَالَ رَجَاءٌ: فَلَمَّا تَفَرَّقُوا جَاءَنِي عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَالَ: أَنْشُدُكَ اللَّهَ وَحُرْمَتِي وَمَوَدَّتِي إِلَّا أَعْلَمْتَنِي إِنْ كَانَ كَتَبَ لِي ذَلِكَ حَتَّى أَسْتَعْفِيَهُ الْآنَ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَ حَالٌ لَا أَقْدِرُ فِيهَا عَلَى مَا أَقْدِرُ عَلَيْهِ السَّاعَةَ! فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَا أُخْبِرُكَ حَرْفًا وَاحِدًا. قَالَ: وَلَقِيَنِي هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ فَقَالَ: يَا رَجَاءُ، إِنَّ لِي بِكَ حُرْمَةً وَمَوَدَّةً قَدِيمَةً، فَأَخْبِرْنِي هَذَا الْأَمْرَ، فَإِنْ كَانَ إِلَيَّ عَلِمْتُ، وَإِنْ كَانَ إِلَى غَيْرِي تَكَلَّمْتُ،
পৃষ্ঠা - ৭৫৪০
فَمَا مِثْلِي قُصِّرَ بِهِ. فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَا أُخْبِرُكَ حَرْفًا وَاحِدًا مِمَّا أَسَرَّ إِلَيَّ. قَالَ رَجَاءٌ: وَدَخَلْتُ عَلَى سُلَيْمَانَ، فَإِذَا هُوَ يَمُوتُ، فَجَعَلْتُ إِذَا أَخَذَتْهُ السَّكْرَةُ مِنْ سَكَرَاتِ الْمَوْتِ أَحُرِّفُهُ إِلَى الْقِبْلَةِ، فَإِذَا أَفَاقَ يَقُولُ: لَمْ يَأْنِ لِذَلِكَ بَعْدُ يَا رَجَاءُ. فَفَعَلْتُ ذَلِكَ مَرَّتَيْنِ، فَلَمَّا كَانَتِ الثَّالِثَةُ قَالَ: مِنَ الْآنَ يَا رَجَاءُ إِنْ كُنْتَ تُرِيدُ شَيْئًا، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، قَالَ: فَحَرَّفْتُهُ إِلَى الْقِبْلَةِ وَمَاتَ، فَغَطَّيْتُهُ بِقَطِيفَةٍ خَضْرَاءَ، وَأَغْلَقْتُ الْبَابَ عَلَيْهِ، وَأَرْسَلْتُ إِلَى كَعْبِ بْنِ حَامِدٍ، فَجَمَعَ النَّاسَ فِي مَسْجِدِ دَابِقٍ فَقُلْتُ: بَايِعُوا لِمَنْ فِي هَذَا الْكِتَابِ. فَقَالُوا: قَدْ بَايَعْنَا. فَقُلْتُ: بَايِعُوا ثَانِيَةً. فَفَعَلُوا، ثُمَّ قُلْتُ: قُومُوا إِلَى صَاحِبِكُمْ فَقَدْ مَاتَ. وَقَرَأْتُ الْكِتَابَ عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا انْتَهَيْتُ إِلَى ذِكْرِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، تَغَيَّرَتْ وُجُوهُ بَنِي مَرْوَانَ، فَلَمَّا قَرَأْتُ: وَإِنَّ يَزِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ مِنْ بَعْدِهِ، تَرَاجَعُوا بَعْضَ الشَّيْءِ، وَنَادَى هِشَامٌ: لَا نُبَايِعُهُ أَبَدًا. فَقُلْتُ: أَضْرِبُ وَاللَّهِ عُنُقَكَ، قُمْ فَبَايِعْ. وَنَهَضَ النَّاسُ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهُوَ فِي مُؤَخَّرِ الْمَسْجِدِ، فَلَمَّا تَحَقَّقَ ذَلِكَ قَالَ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. وَلَمْ تَحْمِلْهُ رِجْلَاهُ حَتَّى أَخَذُوا بِضَبْعَيْهِ، فَأَصْعَدُوهُ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَسَكَتَ حِينًا، فَقَالَ رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ: أَلَا تَقُومُونَ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ فَتُبَايِعُوهُ! فَنَهَضَ الْقَوْمُ فَبَايَعُوهُ، ثُمَّ قَامَ إِلَيْهِ هِشَامٌ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ لِيُبَايِعَ وَهُوَ يَقُولُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. فَقَالَ عُمَرُ: نَعَمْ! إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، الَّذِي صِرْتُ أَنَا وَأَنْتَ نَتَنَازَعُ هَذَا الْأَمْرَ. ثُمَّ قَامَ فَخَطَبَ النَّاسَ خُطْبَةً
পৃষ্ঠা - ৭৫৪১

খলীফার হাতে বায়আত গ্রহণ করার প্রস্তুতি নাও ৷ কেননা, সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক
মৃত্যুবরণ করেছেন ৷ এরপর আমি তাদেরকে সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের ফরমান পাঠ
করে গােনালাম ৷ আমি যখন উমর ইবন আবদুল আযীষের নাম উল্লেখ করলাম, তখন বানু
মারওয়ানের চেহারাসমুহ বিবর্ণ হয়ে গেল ৷ এরপর আমি যখন পড়লাম তার পরবর্তী খলীফা
হিশাম ইবন আবদুল মালিক, তখন তারা কিছুটা প্রকৃতিস্থ হলো ৷ এ সময় হিশাম ঘোষণা দিল,
আমরা কখনও তার হাতে বায়আত করব না ৷ আমি তখন বললাম, আল্লাহ্র কসম! তাহলে
আমি তোমাকে হত্যা করতে বাধ্য হব ৷ যাও বায়আত করে নাও ৷ এদিকে লোকজন উঠে উমর
ইবন আবদুল আযীষের কাছে গেল আর তিনি ছিলেন মসজিদের পিছনের অংশে ৷ তিনি যখন
বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হলেন, তখন বিপদগ্রস্তের দুআ ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি
রাল্টিন পড়লেন ৷ আর তিনি পায়ে ভর দিয়ে হেটে যাবার মত অবস্থায় ছিলেন না ৷ ফলে,
সকলে মিলে তাকে ধরে মিম্বরে উঠিয়ে বসিয়ে দিল ৷ এ সময় তিনি কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন ৷
তখন রজ৷ ইবন হায়ওয়া বললেন, তোমরা কি উঠে গিয়ে আমীরুল মুমিনীনের হাতে
বায়আত করবে না ? তখন সকলে উঠে গিয়ে তার হাতে বায়আত করল ৷ তারপর হিশাম
আসলেন এবং বায়আত করার জন্য মিম্বরে উঠে বলতে লাগলেন , ইন্ন৷ লিল্লাহি রাজিউন ৷
তখন উমর ইবন আবদুল আযীযও বললেন, হী৷ ইন্ন৷ লিল্লাহ্:ন্ রাজিউন যেহেতু আমার এবং
তোমার মাঝে এ বিষয়ে প্রতিদ্বন্দিত৷ সৃষ্টি হলো ৷ এরপর তিনি র্দাড়িয়ে মর্মস্পর্শী খুতবা প্রদান
করলেন এবং অবশিষ্ট লোকজন তার হাতে রায় আত গ্রহণ করল ৷ তার থুতবার একাং শ হলো,
হে লোক সকল আমি কোন বিদআতের উদ্ভাবক নই, আমি সুন্নাতে তর অনুসারী ৷ আর
তোমাদের আশেপাম্পোর চতুর্কিংকর শহর ও জনপদের অধিবাসীরা যদি তোমাদের ন্যায়
আনুগত্য প্রকাশ করে, তাহলে আমি তোমাদের শাসক, আর যদি তারা অস্বীকার করে, তাহলে
আমি তোমাদের শাসক নই ৷ এরপর তিনি মিম্বর হতে নামলেন, আর লোকেরা সুলায়মান ইবন
আবদুল মালিকের দাফন-কাফনের ব্যবস্থায় মশপুল হলো ৷ ইমাম আওযাঈ বলেন, খলীফা
সুলয়িমান ইবন আবদুল মালিকের গোসল ও কাফন পরানাে শেষ হতে না হতেই মাগরিবের
নামাযে র সময় হলো ৷ তখন উমর ইবন আবদুল আযীয মাগরিবের নামায পড়ালেন ৷ তারপর
তিনি সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের ধ্জানাযার নামায পড়ালেন এবং মাগরিবের পর তাকে
দাফন করা হলো ৷ এরপর উমর ইবন আবদুল আযীয যখন প্রস্থান করলেন, তখন খলীফার
বিশেষ বাহন৷ ৷দি তার কাছে আনা হলো, কিত্তু৩ তিনি তাতে আরোহণে অস্বীকৃতি ৩জানিয়ে নিজের
বাহনে আরোহণ করলেন ৷ এরপর সকলের সাথে দামেশকে গিয়ে উপস্থিত হলেন ৷ লোকেরা
তাকে খলীফা ৷র নির্ধারিত বাসভবনে নিয়ে যেতে ৩চাইল ৷ কিত্তু, তিনি বললেন, আবু আয়ুদ্রবের
(সুলায়মানের) বাসভবন খালি হওয়া পর্যন্ত আমি আমার নিজ গৃহেই অবস্থান করব ৷ তখন
সকলে তার এ সিদ্ধ ন্ত পসন্দ করল ৷ এরপর তিনি খলীফার পত্র-লিখককে ডেকে পাঠালেন
এবং তাকে দিয়ে ঐ ফরমানের শ্রুতিলিপি লেখাতে লাণলেন ৷ সে অনুযায়ী অন্যান্য অঞ্চলের
অধিবাসীরা তার অনুকুলে বায়আত করবে ৷ রজা ইবন হায়ওয়া বলেন, তার চেয়ে বিশুদ্ধভাষী
কাউকে আ ৷মি দেখিনি ৷
মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন, সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক নিরানব্বই হিজরীর সফর
মাসের দশ তারিখ শুক্রবার কানসারীন ভুখণ্ডের দাবাকে ইনতিকাল করেন, যা ছিল খলীফা
ওয়ালীদের ইনতিকালের দু বছর নয় মাস কুড়ি দিনের মাথায় ৷ তার ইনতিকালের ব্যাপারে
এটাই অধিকাৎ শ ঐতিহাসিকের মত ৷ তবে কারো কারো মতে সফরের বিশ তারিখে ৷ তারা


بَلِيغَةً وَبَايَعُوهُ، فَكَانَ مِمَّا قَالَ فِي خُطْبَتِهِ: أَيُّهَا النَّاسُ لَسْتُ بِمُبْتَدِعٍ وَلَكِنِّي مُتَّبِعٌ، وَإِنَّ مَنْ حَوْلَكُمْ مِنَ الْأَمْصَارِ وَالْمُدُنِ إِنْ هُمْ أَطَاعُوا كَمَا أَطَعْتُمْ فَأَنَا وَالِيكُمْ، وَإِنْ هُمْ أَبَوْا فَلَسْتُ لَكُمْ بِوَالٍ. ثُمَّ نَزَلَ فَشَرَعُوا فِي جِهَازِ سُلَيْمَانَ. قَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: فَلَمْ يَفْرَغُوا مِنْهُ حَتَّى دَخَلَ وَقْتُ الْمَغْرِبِ، فَصَلَّى عُمَرُ بِالنَّاسِ صَلَاةَ الْمَغْرِبِ ثُمَّ صَلَّى عَلَى سُلَيْمَانَ وَدُفِنَ بَعْدَ الْمَغْرِبِ، فَلَمَّا انْصَرَفَ عُمَرُ أُتِيَ بِمَرَاكِبِ الْخِلَافَةِ فَلَمْ يَرْكَبْهَا، وَرَكِبَ دَابَّتَهُ، ثُمَّ سَارَ مَعَ النَّاسِ حَتَّى أَتَوْا دِمَشْقَ فَمَالُوا بِهِ نَحْوَ دَارِ الْخِلَافَةِ فَقَالَ: لَا أَنْزِلُ إِلَّا فِي مَنْزِلِي حَتَّى تَفْرُغَ دَارُ أَبِي أَيُّوبَ، فَاسْتُحْسِنَ ذَلِكَ مِنْهُ، ثُمَّ اسْتَدْعَى بِالْكَاتِبِ، فَجَعَلَ يُمْلِي عَلَيْهِ نُسْخَةَ الْكِتَابِ الَّذِي يُبَايِعُ عَلَيْهِ الْأَمْصَارَ قَالَ رَجَاءٌ: فَمَا رَأَيْتُ أَفْصَحَ مِنْهُ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ وَفَاةُ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بِدَابِقٍ مِنْ أَرْضِ قِنَّسْرِينَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِعَشْرِ لَيَالٍ خَلَتْ مِنْ صَفَرٍ سَنَةَ تِسْعٍ وَتِسْعِينَ، عَلَى رَأْسِ سَنَتَيْنِ وَتِسْعَةِ أَشْهُرٍ وَعِشْرِينَ يَوْمًا مِنْ مُتَوَفَّى الْوَلِيدِ. وَكَذَا قَالَ الْجُمْهُورُ
পৃষ্ঠা - ৭৫৪২
فِي تَارِيخِ وَفَاتِهِ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: لِعَشَرٍ بَقِينَ مِنْ صَفَرٍ. وَقَالُوا: كَانَتْ وِلَايَتُهُ سَنَتَيْنِ وَثَمَانِيَةَ أَشْهُرٍ، زَادَ بَعْضُهُمْ إِلَّا خَمْسَةَ أَيَّامٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَوْلُ الْحَاكِمِ أَبِي أَحْمَدَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ بَقِيَتْ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ تِسْعٍ وَتِسْعِينَ، وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ ثَلَاثَ سِنِينَ وَثَلَاثَةَ أَشْهُرٍ وَخَمْسَةَ أَيَّامٍ، وَتُوُفِّيَ وَهُوَ ابْنُ تِسْعٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً. فَقَدْ حَكَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ، وَهُوَ غَرِيبٌ جِدًّا وَقَدْ خَالَفَهُ الْجُمْهُورُ فِي كُلِّ مَا قَالَهُ، وَعِنْدَهُمْ أَنَّهُ جَاوَزَ الْأَرْبَعِينَ فَقِيلَ: بِثَلَاثٍ. وَقِيلَ: بِخَمْسٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالُوا: وَكَانَ طَوِيلًا جَمِيلًا أَبْيَضَ نَحِيفًا، حَسَنَ الْوَجْهِ، مَقْرُونَ الْحَاجِبَيْنِ، وَكَانَ فَصِيحًا بَلِيغًا يُحْسِنُ الْعَرَبِيَّةَ، وَيَرْجِعُ إِلَى دِينٍ وَخَيْرٍ وَمَحَبَّةٍ لِلْحَقِّ وَأَهْلِهِ، وَاتِّبَاعِ الْقُرْآنِ وَالسُّنَّةِ، وَإِظْهَارِ الشَّرَائِعِ الْإِسْلَامِيَّةِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَدْ كَانَ رَحِمَهُ اللَّهُ آلَى عَلَى نَفْسِهِ حِينَ خَرَجَ مِنْ دِمَشْقَ إِلَى مَرْجِ دَابِقٍ وَدَابِقٌ قَرِيبَةٌ مِنْ بِلَادِ حَلَبٍ وَقَدْ جُهِّزَتِ الْجُيُوشُ إِلَى مَدِينَةِ الرُّومِ الْعُظْمَى الْمُسَمَّاةُ بِالْقُسْطَنْطِينِيَّةِ أَنْ لَا يَرْجِعَ إِلَى دِمَشْقَ حَتَّى تُفْتَحَ أَوْ يَمُوتَ. فَمَاتَ هُنَالِكَ كَمَا ذَكَرْنَا فَحَصَلَ لَهُ بِهَذِهِ النِّيَّةِ أَجْرُ الرِّبَاطِ
পৃষ্ঠা - ৭৫৪৩


বলেন, তার খিলাফতকাল ছিল দুই বছর আট মাস ৷ আর কেউ কেউ বলেন, দু’বছর আট
মাসের পাচ দিন কম ৷ আর সঠিক বিষয় মহান আল্লাহ জানেন ৷ আল হাকিম আবু মুহাম্মাদ
বলেন, সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক নিরানব্বই হিজরীর রমযান মাসের সতের৩ তারিখ
শুক্রবার ইনৃতিকাল করেন ৷ ইবন আসাকির তা বর্ণনা করেছেন ৷ কিন্তু তা অত্যন্ত অদ্ভুত ৷
অধিকাংশ ঐতিহাসিক তার সম্পুর্ণ বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন ৷ আর তাদের মতে মৃত্যুকালে
সুলায়মান ইবন অ বদৃল মালিক চল্লিশ বছর অতিক্রম করেছিলেন ৷ কারো কারো মতে এ সময়
তার বয়স ছিল তেতাল্লিশ, কারও মতে পয়তাল্লিশ ৷ মহান আল্লাহ্ সর্বাধিক জ্ঞাত ৷

ঐতিহাসিকগণ বলেন, সুলায়মান ইবন আব্দুল মালিক ছিলেন দীর্ঘকায়, সুদর্শন, ফর্স৷ ও
ছিপছিপে গ ডনের ৷ তার মুখমণ্ডল ছিল সুশ্ৰী, ভ্রাদ্বয় সংযুক্ত ৷ তিনি ছিলেন বিশুদ্ধ ও অলঙ্কারপুর্ণ
ভাষার অধিকারী ৷ অত্যন্ত সুন্দর ও সারলীল আরৰীতে কথা বলতেন ৷ ধর্যপরায়ণত৷ ,
কল্যাণমুখিতা, সভ্য ও সত্যাশ্রয়ীদের এবং পবিত্র কুরআন-সুন্নাহ্র অনুসারীদের প্রতি ভালবাসা
ও আন্তরিকত৷ এবং ইসলামী বিধি-বিধানের পৃষ্ঠপোষকতা ছিল তার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ৷
রোম সাম্রাজ্যের তৎকালীন রাজধানী কনট্যান্টিংনাপলের উদ্দেশ্যে মুসলিম ফৌজের প্রস্তুতি
সম্পন্ন করে দিয়ে তিনি যখন দামেস্ক হতে মারাজে দানকের উদ্দেশ্যে বের হন তখন তিনি শপথ
করেন যে তিনি দামেশকে ফিরবেন না যতদিন না কনট্যান্টিংনাপল জয় সম্পন্ন হয় কিংবা তিনি
মৃত্যুঘুখে পতিত হন ৷ এরপর তিনি যেমন আমরা উল্লেখ করলাম, সেখানেই মৃত্যুম্খে পতিত
হন ৷ এভাবে এই লেক নিয়ব্রতের দ্বারা মহান আল্লাহ্র পখে তিনি সার্বক্ষণিক প্রহরার নেকী
হাসিল করলেন ৷ কাজেই, তিনি ইনশাআল্লাহ্ তাদের অন্তর্ভুক্ত হবেন যাদের ণ্নক আমলের
ছাওয়াব কিয়ামতের দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ৷ মহান আল্লাহ তাকে রহম করুন ৷

হাফিয ইবন আসাকির শারাহীল ইবন উবায়দা ইবন কায়স আল-তৰুায়লীর জীবনী
আলোচনা প্রসঙ্গে যা উল্লেখ করেছেন তার বিষয়বস্তু নিম্নরুপ

মুসলিম ফৌজের প্রধান সেনাপতি মাসলামাহ্ ইবন আবদুল মালিক যখন তার অবরোধ
দ্বারা কনট্যান্টিৰনাপলবাসীকে কােংাঠাসা করে যেপ্সলেন এবং তাদের চলাচলের পথে ফৌজী
প্রহরা বসালেন এবৎ তখাকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্য ও অঞ্চলসমুহ দখল করে নিলেন ৷ তখন রোম
সম্রটি ইলয়ুন বুরজান অধিপতির কাছে মাসলামার বিরুদ্ধে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে লিখে
পাঠান নিজেদের ধর্মের প্রতি আহ্বান এই মুসলমানদের একমাত্র ভাবনা ৷ সর্বপ্রথম
তাদেরকে যারা তাদের সবচেয়ে নিকটবর্তী ৷ তারপর পর্যায়ক্রমে নৈকাট্যর ক্রমানুসারে ৷ তারা
যখন আমার থেকে তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করে অবসর হবে, তখন তোমার কাছে পৌছে
যাবে ৷ কাংজহ, সে সময়ের জন্য তুমি যে করণীয় স্থির করেছে৷ তা এখনই করে ফেল ৷ এই
বার্তা পেয়ে বুরজানের হতভাগা শাসক কৌশল ও ঘোকার আশ্রয় নিল ৷ সে মাসলামার কাছে
প্রস্তাব দিয়ে লিখে পাঠান, রোম সম্রাট ইলয়ুন আপনার বিরুদ্ধে আমার সাহায্য প্রার্থনা করে
আমার কাছে পত্র প্রেরণ করেছে ৷ কিন্তু আমি আপনার সাথে রয়েছি, আপনি আমাকে আমার ,
করণীয় সম্পর্কে আদেশ করুন ৷ তখন মাসলাম৷ তার কাছে লিখে পাঠালেন, আমি তোমার
কাছে কোন যোদ্ধ৷ বা যুদ্ধসরঞ্জাম চাই না, তবে তুমি রসদ সরবরাহ করে আমাদেরকে সাহায্য
কর ৷ কেননা, আমাদের রসদে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৷ তখন যে এর উত্তরে লিখল, অমুক
অমুক স্থানে আমি আপনাদের জন্য বিশাল রসদসন্তার পাঠালাম, আপনি তা ক্রয় ও গ্রহভৈণর
জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক লোক পাঠিয়ে দিন ৷ তখন মাসলামাহ্র ফৌজের যারা সেখানে গিয়ে
তাদের প্রয়োজনীয় রসদ সংগ্রহ করতে চাইল, তাদের সকলকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি


فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَهُوَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، مِمَّنْ يُجْرَى لَهُ ثَوَابُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَدْ ذَكَرَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ شَرَاحِيلَ بْنِ عُبَيْدَةَ بْنِ قَيْسٍ الْعُقَيْلِيِّ مَا مَضْمُونُهُ، أَنَّ مَسْلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ لَمَّا ضَيَّقَ بِمُحَاصَرَتِهِ عَلَى أَهْلِ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ وَتَتَبَّعَ الْمَسَالِكَ، وَاسْتَحْوَذَ عَلَى أَكْثَرِ مَا هُنَالِكَ مِنَ الْمَمَالِكِ، كَتَبَ إِلْيُونُ مَلِكُ الرُّومِ إِلَى مَلِكِ الْبُرْجَانِ يَسْتَنْصِرُهُ عَلَى مَسْلَمَةَ، وَيَقُولُ: إِنَّ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ لَيْسَ لَهُمْ هِمَّةٌ إِلَّا فِي الدَّعْوَةِ إِلَى دِينِهِمْ، الْأَقْرَبُ مِنْهُمْ فَالْأَقْرَبُ، وَإِنَّهُمْ مَتَى فَرَغُوا مِنِّي خَلَصُوا إِلَيْكَ، فَمَهْمَا كُنْتَ صَانِعًا حِينَئِذٍ فَاصْنَعْهُ الْآنَ. فَعِنْدَ ذَلِكَ شَرَعَ لَعَنَهُ اللَّهُ فِي الْمَكْرِ وَالْخَدِيعَةِ، فَكَتَبَ إِلَى مَسْلَمَةَ يَقُولُ لَهُ: إِنَّ إِلْيُونَ كَتَبَ إِلَيَّ يَسْتَنْصِرُنِي عَلَيْكَ، وَأَنَا مَعَكَ فَمُرْنِي بِمَا شِئْتَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ مَسْلَمَةُ: إِنِّي لَا أُرِيدُ مِنْكَ رِجَالًا وَلَا عُدَدًا وَلَكِنْ أَرْسِلْ إِلَيَّ بِالْمِيرَةِ، فَقَدْ قَلَّ مَا عِنْدَنَا مِنَ الْأَزْوَادِ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ: إِنِّي قَدْ أَرْسَلْتُ إِلَيْكَ بِسُوقٍ عَظِيمَةٍ إِلَى مَكَانِ كَذَا وَكَذَا،
পৃষ্ঠা - ৭৫৪৪
فَأَرْسِلْ مَنْ يَتَسَلَّمُهَا وَيَشْتَرِي مِنْهَا. فَأَذِنَ مَسْلَمَةُ لِمَنْ شَاءَ مِنَ الْجَيْشِ أَنْ يَذْهَبَ إِلَى هُنَاكَ فَيَشْتَرِي لَهُ مَا يَحْتَاجُ إِلَيْهِ، فَذَهَبَ خَلْقٌ كَثِيرٌ فَوَجَدُوا هُنَالِكَ سُوقًا هَائِلَةً، فِيهَا مِنْ أَنْوَاعِ الْبَضَائِعِ وَالْأَمْتِعَةِ وَالْأَطْعِمَةِ، فَأَقْبَلُوا يَشْتَرُونَ، وَاشْتَغَلُوا بِذَلِكَ، وَلَا يَشْعُرُونَ بِمَا أَرْصَدَ لَهُمُ الْخَبِيثُ مِنَ الْكَمَائِنِ بَيْنَ تِلْكَ الْجِبَالِ الَّتِي هُنَالِكَ، فَخَرَجُوا عَلَيْهِمْ بَغْتَةً، فَقَتَلُوا خَلْقًا كَثِيرًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَأَسَرُوا آخَرِينَ، وَمَا رَجَعَ إِلَى مَسْلَمَةَ إِلَّا الْقَلِيلُ مِنْهُمْ فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. فَكَتَبَ مَسْلَمَةُ بِذَلِكَ إِلَى أَخِيهِ سُلَيْمَانَ يُخْبِرُهُ بِمَا وَقَعَ مِنْ ذَلِكَ، فَأَرْسَلَ جَيْشًا كَثِيفًا صُحْبَةَ شَرَاحِيلَ بْنِ عُبَيْدَةَ هَذَا، وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَعْبُرُوا خَلِيجَ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ أَوَّلًا فَيُقَاتِلُوا مَلِكَ الْبُرْجَانِ، ثُمَّ يَعُودُوا إِلَى مَسْلَمَةَ فَذَهَبُوا إِلَى بِلَادِ الْبُرْجَانِ وَقَطَعُوا إِلَيْهِمْ تِلْكَ الْخُلْجَانِ فَاقْتَتَلُوا مَعَهُمْ قِتَالًا شَدِيدًا، فَهَزَمَهُمُ الْمُسْلِمُونَ بِإِذْنِ اللَّهِ، وَقَتَلُوا مِنْهُمْ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً، وَسَبَوْا وَأَسَرُوا خَلْقًا كَثِيرًا، وَخَلَّصُوا أَسْرَى الْمُسْلِمِينَ، ثُمَّ تَحَيَّزُوا إِلَى مَسْلَمَةَ، فَكَانُوا عِنْدَهُ حَتَّى اسْتَقْدَمَ الْجَمِيعَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيز; خَوْفًا عَلَيْهِمْ مِنْ غَائِلَةِ الرُّومِ وَبِلَادِهِمْ، وَمِنْ ضِيقِ الْعَيْشِ، وَقَدْ كَانَ لَهُمْ قَبْلَ ذَلِكَ هُنَالِكَ مُدَّةٌ طَوِيلَةٌ. أَثَابَهُمُ اللَّهُ تَعَالَى.
পৃষ্ঠা - ৭৫৪৫


দিলেন ৷ বহুসংখ্যক যোদ্ধা সেখানে গমন করল ৷ সেখানে গিয়ে তারা বিশ ল রসদ সম্ভারের
সমাহার দেখতে পেল যার মাঝে বিভিন্ন প্রকার পণ্য, দ্রব্য ও খাদ্য সামগ্রী ছিল ৷ তারা তা ক্রয়
করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল ৷ কিন্তু, সেই নরপিশাচ যে তাদের জন্য সেখানকার পাহাড়ের আড়ালে
অতর্কিতে আক্রমণের উদ্দেশ্যে সেনাদল লুকিয়ে ব্লেখেছিল তারা তা অনুভব করতে পারল না ৷
এমন সময় হঠাৎ তারা একযোগে বেরিয়ে মুসলিম যোদ্ধাদের আক্রমণ করল ৷ এবং তাদের বহু,

ৎখ্যককে হত্যা করল আর অ শেককে বন্দী করল ৷৩ তাদের স্বল্পসৎখ্যবইি মাসলামার কাছে ফিরে ,
যেতে সক্ষম হয়েছিল ৷ ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়৷ ইন্ন৷ ইলায়হি রাজিউন ৷ এ ঘটনার পর মাসলামাহ্
তার ভাই খলীফ৷ সুলায়মান ইবন আবদুল মালিককে তা অবহিত করে পত্র লিখলেন ৷ তিনি
বিপুলসৎখ্যক যোদ্ধার বিশাল এক বাহিনী পাঠালেন ৷ যার সঙ্গে ছিলেন উল্লিখিত এই শারাহীল
ইবন উবায়দা ৷ আর তিনি তাদেরকে নির্দেশ দিলেন প্রথমে কনট্যান্টিনোপল-উপসাগর পার
হয়ে বুরজান রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার, তারপর মাসলামার কাছে ফিরে আসার ৷ তারা ঐ
সকল উপসাগর ও প্রণালী পাড়ি দিয়ে প্রথমে বুরজান ভুখণ্ডে গমন করলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে
প্রচণ্ড যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন ৷ আল্লাহর হুকুমে মুসলমানগণ তাদেরকে পরাজিত করলেন এবং

তাদের বিপুলসৎখ্যক যোদ্ধাকে হত্যা করলেন, বহুসৎখ্যককে বন্দী করলেন এবং মুসলিম
বন্দীদের উদ্ধার করলেন ৷ এরপর তারা এসে মাসলামার সাথে মিলিত হলেন ৷ এরপর তারা
তার তত্ত্বাবধানে অবস্থান করলেন ৷ অবশেষে রোমকদের ধুর্ততা, বিশ্বাসঘাতকতা এবং
নিজেদের রসদ স্বল্পতার কারণে ৷পরবর্তী খলীফ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয তাদের সকলকে
ফিরিয়ে আনলেন ৷ আর ফিরে আসার পুর্বেত তারা সেখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেছিলেন ৷
আল্লাহ্ তা আলা তাদেরকে উপযুক্ত ছাওয়াব ও বিনিময়৷ দা ন করুন ৷

উমর ইবন আবদুল আযীয-এর খিলাফত

ইতোপুর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, এ বছরের অর্থাৎ নিরানব্বই হিজরীর সফর মাসের দশ কিৎবা
বিশ তারিখ শুক্রবার সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের মৃত্যুর দিনে তারই ফরমানে নিজের
অজ্ঞ৷ তসারে উমর ইবন আবদুল আযীয খিলাফতে র জন্য মনোনীত হন এবং তার খিলাফতের
অনুকুলে বায়আত গ্রহণ করা হয় ৷ যেমন, আমরা ইতোপুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ খিলাফতে তর দায়িত্ব
গ্রহণের পর তার প্রথম পদক্ষেপ থেকে তার সাথে আল্লাহ্ভীতি, ধর্মপরায়ণতার,
বিলাসবিমুখতা, সচ্চরিত্র ও চারিত্রিক পবিত্রতার লক্ষণসমুহ পরিস্ফুট হয়ে উঠে, যেমনত তিনি
খলীফা ৷র জন্য নির্ধারিত সুসজ্জিত বাহনে আরোহণ করতে অস্বীকৃতি তজানান এবং নিজের পুর্বের
বাহনে আরোহণ করেই এ পর্বের ইতি টানেন ৷ অরুপ খলীফার রাজকীয় বাসভবনের পরিবর্তে
তিনি নিজের বাসগৃহকেই বেছে নেন ৷ বর্ণিত আছে, খিলাফরুত তর দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি
লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিয়ে বলেন, হে লোক সকল, আমার মন অতি তউচ্চ ৷কাতফী, যখনই
যে কোন মান-মর্যাদা বা শান-শওকত লাভ করে, তখনই সে তার চেয়ে উত্কৃষ্টতরের প্রতি
আগ্রহী হয়ে উঠে ৷ত তাই যখনই আমাকে খিলাফতের৷ দ ৷য়িতৃ প্রদান করা হয়েছে, তখন থােইে
আমার মন তার চেয়ে উত্তম ও উৎকৃষ্টতরের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে আর তা হলো জান্ন৷ ত ৷
কাজেই, তোমরা আমাকে আমার এ আকাক্ষে৷ পুরণে সাহায্য কর ৷ আল্লাহ তোমাদেরকে রহম
করুন ৷ ইনশাআ ৷ল্লাহ্ তার ওফাতের আলোচনায় অচিরেই তার জীবনী আসছে ৷ এ বছর উমর
ইবন আবদুল আযীয যে সকল তুরিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তার অন্যতম হলো তিনি রােমক
ভুখণ্ডে অবস্থানরত কনট্যান্টিনােপল অবরোধকারী মাসলাম৷ ইবন আবদুল মালিক ও তার
অধীনস্থ মুসলিম ফৌজকে ফিরিয়ে অ ৷নেন ৷ কেননা, এ সময় তারা প্রতিকুল ও কঠিন অবস্থার
সম্মুখীন হয়ে কােণঠাসা হয়ে পড়েন ৷ তাদের রসদ সং ৎকট দেখা দেয় ৷ কেননা, তাদের সৎথ্যা

০০ ৷৷া



[خِلَافَةُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّهُ بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِعَشْرٍ مَضَيْنَ وَقِيلَ: بَقِينَ مِنْ صَفَرٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ تِسْعٍ وَتِسْعِينَ يَوْمَ مَاتَ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ عَهْدٍ مِنْهُ إِلَيْهِ مِنْ غَيْرِ عِلْمٍ مِنْ عُمَرَ كَمَا قَدَّمْنَا وَقَدْ ظَهَرَتْ عَلَيْهِ مَخَايِلُ الْوَرَعِ وَالدِّينِ وَالتَّقَشُّفِ وَالصِّيَانَةِ وَالنَّزَاهَةِ مِنْ أَوَّلِ حَرَكَةٍ بَدَتْ مِنْهُ; حَيْثُ أَعْرَضَ عَنْ رُكُوبِ مَرَاكِبِ الْخِلَافَةِ، وَهِيَ الْخُيُولُ الْحِسَانُ الْجِيَادُ الْمُعَدَّةُ لَهَا وَالِاجْتِزَاءُ بِمَرْكُوبِهِ الَّذِي كَانَ يَرْكَبُهُ، وَسُكْنَى مَنْزِلِهِ رَغْبَةً عَنْ مَنْزِلِ الْخِلَافَةِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ خَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ لِي نَفْسًا تَوَّاقَةً لَا تُعْطَى شَيْئًا إِلَّا تَاقَتْ إِلَى مَا هُوَ أَعْلَى مِنْهُ، وَإِنِّي لَمَّا أُعْطِيتُ الْخِلَافَةَ تَاقَتْ نَفْسِي إِلَى مَا هُوَ أَعْلَى مِنْهَا وَهِيَ الْجَنَّةُ; فَأَعِينُونِي عَلَيْهَا يَرْحَمْكُمُ اللَّهُ. وَسَتَأْتِي تَرْجَمَتُهُ عِنْدَ وَفَاتِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَكَانَ مِمَّا بَادَرَ إِلَيْهِ عُمَرُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَنْ بَعَثَ إِلَى مَسْلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَهُمْ بِأَرْضِ الرُّومِ مُحَاصِرُو الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ وَقَدِ اشْتَدَّ عَلَيْهِمُ الْحَالُ وَضَاقَ عَلَيْهِمُ الْمَجَالُ; لِأَنَّهُمْ عَسْكَرٌ كَثِيرٌ فَكَتَبَ إِلَيْهِمْ يَأْمُرُهُمْ بِالرُّجُوعِ إِلَى الشَّامِ إِلَى مَنَازِلِهِمْ، وَبَعَثَ إِلَيْهِمْ بِطَعَامٍ كَثِيرٍ وَخُيُولٍ كَثِيرَةٍ عِتَاقٍ يُقَالُ: خَمْسُمِائَةِ فَرَسٍ. فَفَرِحَ النَّاسُ بِذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৪৬


ছিল বিপুল ৷ত তাই তিনি তাদের শামে ফিরে আসার লিখিত নির্দেশ প্রদান করেন ৷ এ সময়
তিনিত তাদের জন্য বিপুল পরিমাণ রসদ সামগ্রী এবং বহুসংখ্যক উৎকৃষ্টতা তাষী ঘোড়া পাঠান ৷
যোদ্ধার৷ খলীফ৷ ৷র এ আচরণে অত্যন্ত প্রীত হন ৷ শ্

এ বছরেই ইসলামের শত্রু ভুবস্টুরিা১ আযারবাইজান আক্রমণ করে বহুসংখ্যক মুসলমানকে
হত্যা করে ৷ তখন উমর ইবন আবদুল আযীয হাতিম ইবন নু’মান আলবাহিলীর নেতৃত্বে তাদের
বিরুদ্ধে ফৌজ প্রেরণ করেন ৷ তিনি ঐ তুর্কীদেরকে নিধন করেন এবং তাদের অতি
অল্পসংখ্যকই পলায়ন করে বীচতে সক্ষম হয় ৷ এ সময় তিনি তাদের বন্দীদের খানাসিরায়
অবস্থানরত খলীফার কাছে পাঠান ৷ অধিক ব্যস্ত থাকা ৷র ক৷ ৷রণে মুআয্যিনগণ ত৷ ৷দের আযানের
পর পুনরায় তা ৷কে নামাযের ওয়াকতে নৈকট্য এবং ৎকীর্ণতার কথা স্মরণ করিয়ে দিত, যাতে
তিনি পুর্ববর্তী খলীফাদের ন্যায় নামায বিলন্বিত না করেন ৷ আর তারা এটা তার নির্দেশেই

করত ৷ মহান অ ৷ল্লাহ্ অধিক জানেন ৷ এ প্রসঙ্গে ইবন আসাকির জা ৷রীর ইবন উছমান আররাহবী
আল-হিমসীর জীবনীতে উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি (জারীর) বলেন, আমি উমর ইবন আবদুল
আয়ীষের মুআযযিনদের নামাযের সময় এই বলে সালাম করতে শুনেছি ৷ আসৃসালামু আলায়কা
ইয়৷ আমীরাল মু’মিনীন ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ৷ সালাতে আসুন ৷ কল্যাণে আসুন,
সালাতের সময় ঘনিয়ে এসেছে ৷

এ বছরই উমর ইবন আবদুল আযীয ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবকে ইরাকের গভর্নর পদ হতে
অপসারণ করেন এবং আদী ইবন অ রতাঅ৷ আল-ফাযারীকে বসরার গভর্নর নিয়োগ করে
প্রেরণ করেন ৷ এ সময় তিনি হাসান বসরী (র) কে বসরার কাযীর পদ গ্রহণের অনুরোধ
করেন ৷ কিন্তু তিনি তা হতে অব্যাহতি চাইলে উমর তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন ৷ পরবতত
হাসান বসরীর স্থলে প্রখ্যাত তীক্ষ্ণধী ব্যক্তি ইয়াস ইবন মুআবিয়াকে নিয়োগ করেন ৷ এছাড়া
তিনি কুফ৷ ও তার সৎ লগ্ন ভুখণ্ডের জন্য আবদুল হামীদ ইবন আবদুর রহমান ইবন যায়দ ইবন
খাত্তাবকে গভর্নর নিয়োগ করে প্রেরণ করেন এবং আবুয্ যিনাদকে তার বা তিব বা ব্যক্তিগত
সচিবের পদ প্রদান করেন ৷ আর আমির আশশা ’বীকে তার কাযী নিয়োগ করেন ৷ ওয়াকিদী
বলেন, হযরত উমর ইবন আবদুল আয়ীষের খিলাফতকাল পর্যন্ত আমির কুফার কাযী পদে
বহাল ছিলেন ৷ আর তিনি জাবৃরাহ ইবন আবদুল্লাহ্ আল-হাকামীকে থােরাসানের গভর্নর
নিয়োগ করেন ৷ এ সময় পবিত্র মক্কার প্রশাসক ছিলেন আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন
খালিদ ইবন উসায়দ, আর পবিত্র মদীনার দায়িত্বে ছিলেন, আবু বাকর ইবন মুহাম্মাদ ইবন
আমর ইবন হাযম ৷ তিনি এ বছর হজ্জ পরিচালনা করেন ৷ মিসরের গভর্নর পদ হতে আবদুল
মালিক ইবন আবু ওদাআকে অপসারণ করে আয়ুবে ইবন শুরাহ্বীলকে তার স্থলঅভিষিক্ত
করেন ৷ আর ফাতাওয়ায় দায়িত্ব প্রদান করেন জা ফর ইবন রাবীআ ইয়াযীদ ইবন আবু হাবীব,
এবং উবায়দুল্লাহ্ ইবন জা ফরকে ৷ত তাই এরা তিনজনই সকলকে ফাতওয়৷ প্রদান করতেন ৷
আফ্রিকা ও মরক্কো অঞ্চলের জন্য তিনি ইসমাঈল ইবন আবদুল্লাহ আল মাখবুমীকে পর্ভনর
নিয়োগ করেন ৷ ইনি ছিলেন উত্তম স্বভাবের মানুষ ৷ মরক্কো তার শাসনাধীন থা কাকালে
বহুসংখ্যক বর্বর ইসলাম গ্রহণ করে ৷ আর সবকিছুর সঠিক জ্ঞান মহান আল্লাহ্র কাছে ৷ এ বছর
প্রখ্যাত ব্যক্তিগণের মধ্যে যারা ইনতিকাল করেন, তাদের অন্যতম হলেন :
১ তুর্কী দ্বারা এখানে তাতারী বা মঙ্গোলিয়ান উদ্দেশ্য ৷



وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ أَغَارَتِ التُّرْكُ عَلَى أَذْرَبِيجَانَ فَقَتَلُوا خَلْقًا كَثِيرًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَوَجَّهَ إِلَيْهِمْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ حَاتِمَ بْنَ النُّعْمَانِ الْبَاهِلِيَّ، فَقَتَلَ أُولَئِكَ الْأَتْرَاكَ، وَلَمْ يُفْلِتْ مِنْهُمْ إِلَّا الْيَسِيرُ، وَبَعَثَ مِنْهُمْ أُسَارَى إِلَى عُمَرَ وَهُوَ بِخُنَاصِرَةَ. وَقَدْ كَانَ الْمُؤَذِّنُونَ يُذَكِّرُونَهُ بَعْدَ أَذَانِهِمْ بِاقْتِرَابِ الْوَقْتِ وَضِيقِهِ لِئَلَّا يُؤَخِّرَهَا كَمَا كَانَ يُؤَخِّرُهَا مَنْ كَانَ قَبْلَهُ لِكَثْرَةِ الْأَشْغَالِ، وَكَانَ ذَلِكَ عَنْ أَمْرِهِ لَهُمْ بِذَلِكَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ حَرِيزِ بْنِ عُثْمَانَ الرَّحْبِيِّ الْحِمْصِيِّ قَالَ: رَأَيْتُ مُؤَذِّنِي عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ يُسَلِّمُونَ عَلَيْهِ فِي الصَّلَاةِ: السَّلَامُ عَلَيْكَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ، الصَّلَاةُ قَدْ قَارَبَتْ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ عَزَلَ عُمَرُ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ عَنْ إِمْرَةِ الْعِرَاقِ، وَبَعَثَ عَدِيَّ بْنَ أَرْطَاةَ الْفَزَارِيَّ عَلَى إِمْرَةِ الْبَصْرَةِ، فَاسْتَقْضَى عَلَيْهَا الْحَسَنَ الْبَصْرِيَّ، فَاسْتَعْفَاهُ فَأَعْفَاهُ، وَاسْتَقْضَى مَكَانَهُ إِيَاسَ بْنَ مُعَاوِيَةَ الذَّكِيَّ الْمَشْهُورَ، وَبَعَثَ عَلَى إِمْرَةِ الْكُوفَةِ وَأَرْضِهَا عَبْدَ الْحَمِيدِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، وَضَمَّ إِلَيْهِ أَبَا الزِّنَادِ كَاتِبًا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَاسْتَقْضَى عَلَيْهَا عَامِرًا الشَّعْبِيَّ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: فَلَمْ يَزَلْ قَاضِيًا عَلَيْهَا مُدَّةَ خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَجَعَلَ عَلَى إِمْرَةِ خُرَاسَانَ الْجَرَّاحَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْحَكَمِيَّ، وَكَانَ نَائِبَ مَكَّةَ
পৃষ্ঠা - ৭৫৪৭

হাসান ইবন মুহাম্মাদ আল হানাফিয়্যাহ্১
বিশিষ্ট তাবিঈ ৷ বলা হয় তিনিই সর্বপ্রথম ইরজ্বা২ বিষয়ে কথা বলেন ৷ আবু উবায়দের এই
বক্তব্য বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি পচানব্বই হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন ৷ খলীফা উল্লেখ
করেছেন, তিনি উমর ইবন আবদুল আযীয়ের খিলাফতকালে ইনৃতিকাল করেন ৷ আর আমাদের
শায়খ যাহাবী আলআলাম গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি এ বছর ইনৃতিকাল করেন ৷ মহান
আল্লাহ্ অধিক জানেন ৷

ওৰুাব্দুল্লাহ্ ইবন মৃহায়রীয ইবন জুনাদা ইবন উবায়দং

ইনি আবদুল্লাহ্ ইবন মুহায়রীয ইবন জুনাদা ইবন উবায়দ আল-কুরাশী আল-জুমাহী
আলমাকী ৷ বায়তুল মাকদিসে দীর্ঘ মীআদে ই তিকাফকারী বিশিষ্ট তাবিঈ ৷ ইনি মুয়ায্যিন
আবু মাহবুরার সৎ পিতা হতে এবং উবাদাহ্ ইবনুস সামিত, আবু সাঈদ ও মুআবিয়া প্রমুখ
থেকে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর তার থেকে রিওয়ায়াত করেছেন খালিদ ইবন মাদান,
মাকহ্রল হাসসান ইবন আতিয়্যাহ্, যুহ্রী-ৰু ও অন্যরা ৷ একাধিক ইমাম তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা
দিয়েছেন এবং একদল তার প্রশংসা করেছেন ৷ এমনকি রাজা ইবন হায়ওয়া তো তার সম্পর্কে
বলেছেন, পবিত্র মদীনাবাসী যদি তাদের আবিদ ইবন উমরকে নিয়ে আমাদের সাথে বড়াই
করে, তাহলে আমরাও আমাদের আবিদ আবদুল্লাহ্ ইবন ঘুহায়রীযকে নিয়ে তাদের সাথে পর্ব
করতে পারি ৷ তার এক ছেলে বলেন, তিনি প্রতি সপ্তাহে একবার কুরআন খতম করতেন ৷ তার
জন্য বিছান ৷ বিছানাে হতো ৷ কিন্তু তিনি তাতে ঘুমাতেন না ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, তিনি
ছিলেন বাক্সংযমী এবং গােলযােগ, বিশৃগ্রলা পরিহারকারী ৷ তিনি সর্বদা সৎ কাজের আদেশ
দিতেন ও মন্দ কাজে নিষেধ করতেন এবং কখনও নিজের কোন সদগুণের উল্লেখ করতেন না ৷
কোন এক আমীরের পরনে ব্লেশমের পোশাক দেখে তিনি তার সমালোচনা করলেন ৷ সেই
ব্যক্তি আর্মীরুল মু’মিনীন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের দিকে ইঙ্গিত করে বলল, আমি
তাে এদের ভরের কারণে তা পরিধান করি ৷ তখন ইবন মুহায়রীয তাকে বললেন, কোন
মাখলুকের প্রতি তোমার ভয়কে আল্লাহর প্রতি ৩ভয়ের সমকক্ষ করে৷ না ৷ ইমাম আওযাঈ (র)
বলেন, যদি কেউ কাউকে অনুসরণকরতে চায়, তাহলে তার মত ব্যক্তির অনুসরণ করুক ৷
কেননা-, এমন উষ্মতকে আল্পাহ্ গোমরাহ করতে পারেন না যাদের মাঝে তার মত ব্যক্তি
বিদ্যমান ৷ কেউ কেউ বলেন, তিনি থলীফা ওয়ালীদেয় খিলাফতকালে ইনৃতিকাল করেন ৷ ধ্

১ পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷
২ মতবাদ বিশেষ ৷ যার অনুসারীরা কোন মুসলমানের ব্যাপারে চুড়াহুৰু কোন সিদ্ধান্ত প্রদান করে না বরং
তাদের ফায়সালাকে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত বিলম্বিত করে ৷ তাদের ভাষ্য হলো, ঈমান থাকা অবস্থায় কোন
নাফরমানী কোন ক্ষতি করে না এবং কাফির অবস্থায় কোন আনুগত্য কোন উপকার করে না ৷ অনুবাদক
৩ আন-ইসাবা ৬৬৩৩, আল-ইসতীআর্ব ১৬৫২ উসদুলপাবা, ৩২৫২, তারীখুল ইসলাম ন্৪২১ , তারীখুল
বৃখারী ৫১৯৩ তাযকিরাতুল হুফ্ফায ১৬৪ , তাহযীবৃল আলমা ওয়লেলুপাত প্রথম ভাগ প্রথম অংশ ২৮৭,
তাহষীবুত তাহষীব ৬৩২, তাহযীবৃল কামাল পৃ৪ ৩৪০, আলজারহ ওয়াত্তাদীল দ্বিতীয় ভাগ দ্বিতীয়
ভলিউম ১৬৮, আল হিলইয়াহ্৫১৩৮, খুলাসাতু তাহষীবুত তাহষীব ২১৪, শাজারাতুয যাহাব ১১১৬,
তাবাকাতে ইবন সাদ ৭৪৪ ৭ তালকাতু খলফিয়্যা ২৭৫৩, তাবাকাতুল হুফ্ফায আল্লাম৷ সুয়ুতী ২৭,
আলইবার ১১ ১ ৭ আল ইকদুছ ছামীন ৫২৪৬, আলমা রিফা ওয়া ত তারিখ ২৩৩৫-৩৬৪-ক


عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدِ بْنِ أُسَيْدٍ، وَعَلَى إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، وَهُوَ الَّذِي حَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَعَزَلَ عَنْ إِمْرَةِ مِصْرَ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ رِفَاعَةَ وَوَلَّى عَلَيْهَا أَيُّوبَ بْنَ شُرَحْبِيلَ وَجَعَلَ الْفُتْيَا إِلَى جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، وَيَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، فَهَؤُلَاءِ الَّذِينَ كَانُوا يُفْتُونَ النَّاسَ، وَاسْتَعْمَلَ عَلَى إِفْرِيقِيَّةَ وَبِلَادِ الْمَغْرِبِ إِسْمَاعِيلَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْمَخْزُومِيَّ، وَكَانَ حَسَنَ السِّيرَةِ وَأَسْلَمَ فِي وِلَايَتِهِ عَلَى بِلَادِ الْمَغْرِبِ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنَ الْبَرْبَرِ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. [وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ يُقَالُ: إِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ تَكَلَّمَ فِي الْإِرْجَاءِ، وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ أَبَا عُبَيْدٍ قَالَ: تُوُفِّيَ فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ. وَذَكَرَ خَلِيفَةُ أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَذَكَرَ شَيْخُنَا الذَّهَبِيُّ فِي الْأَعْلَامِ أَنَّهُ تُوُفِّيَ هَذَا الْعَامَ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ: سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ كَمَا تَقَدَّمَ.
পৃষ্ঠা - ৭৫৪৮


থলীফা ইবন খায়্যাত বলেন, তিনি হযরত উমর ইবন আবদুল আযীযের খিলাফতকালে
ইনৃতিকাল করেন ৷ ইমাম যাহাবী আল আলাম গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি এ বছরই
ইনৃতিকাল করেন ৷ মহান আল্লাহ অধিক জানেন ৷

একবার ইবন মুতড়ায়রীয কাপড় খরিদ করার জন্য এক কাপড় বিক্রেতার দোকানে প্রবেশ
করলেন ৷ দোকানদার বেশী দাম চইিল ৷ পার্শ্ববর্তী ণ্দাকানদার তাকে বলল, দৃর্ডাগ্য তোমার!
ইনি হলেন ইবন মুহায়রীয, তুমি দাম কমাও ৷ একথা শুনে ইবন মুহায়রীয তার পােলামের
হাত ধরে বলল, চল যাই, আমরা আমাদের অর্থের বিনিময়ে কাপড় খরিদ করতে এসেছি,
ধার্মিকতার বিনিময়ে নয় ৷ তিনি উঠে সে দোকানদারকে ছেড়ে চলে গেলেন ৷

মাহমুদ ইবন লাবীদ ইবন উক্বা১

তিনি আবু নাঈম আল আনসারী আল আশহড়ালী ৷ তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি
ওয়া সাল্লামার জীবদ্দশায় জন্মগ্রহণ করেন এবং তার উ তািত একাধিক হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন, কিন্তু সেগুলো সব হাদীসে মুরসালের অন্তর্ভুক্ত ৷হুম্ষ্মে বুখারী বলেন, তিনি যাহাবী ৷
ইবন আবদুল বারর বলেন, তিনি মাহমুদ ইবন রাবীআ হতে উত্তম ৷ বলা হয়, তিনি ছিয়ানব্বই
হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন ৷ মতন্তেরে, সাতানব্বই হিজরীতে ৷ ইমাম যাহাবীউল্লেখ করেছেন
যে, তিনি এ বছরই ইনৃতিকাল করেন ৷ আর নিশ্চিত বিষয় মহান আল্লাহ অধিক অবগত ৷

নাফি ইবন জুৰায়র ইবন সুতুইম২

ইবন আদী ইবন নাওফিল আল-কুরাশী আন-নাওফিলী আল-মাদানী ৷ তিনি হাদীস
রিওয়ায়াত করেছেন তার পিতা হতে এবং হযরত উছমান, আলী, আব্বাস, আবু হুরায়রা
আইশা ও অন্যদের থেকে ৷ ন্ ণ্
তার থেকে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন একদল তড়াবেঈ এবং অন্যগণ ৷ তিনি নির্ভরযোগ্য
এবং আবিদ, তিনি পায়ে হেটে হরুজ্জ্ব যেতেন ৷ তার বাহনকে তীর সাথে সাথে টেনে নেওয়া
হতো ৷ একাধিক ঐতিহাসিক বলেন, তিনিনিরানব্বই হিজরীতে পবিত্র মদীনায় ইনৃতিকাল
করেন ৷
কুরায়ব ইবন মুসলিম৩
ইবন আব্বাসের মাওলা বা আযাদকৃত দাস ৷ একদল সাহারা এবং অন্যদের থেকে তিনি

হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তার সংগ্রহে এক বোঝা পরিমাণ বইপত্রছিল ৷ তিনি ছিলেন উত্তম
ও ধার্মিক খ্যাতিমান নির্ভরযোগ্য এক ব্যক্তি ৷

১ আল-ইসড়াবড়া ৬৪২, আল-ইয়াতীআৱ ৮৩০, উসদুল পারা ন্৫১১ ৭, তারীখুল ইসলাম ৪৫২,
আত্তারীখুল কাবীর ৭৪২০, তাহযীবুৎ তাহযীব ৪২৬, তাহষীবুল আসমা ওয়াল নুপাত ১২৮৪ ,
তাহযীবুত তাহযীব ১০৬৫, তাহষীবুল কামাল ১৩১০, আলজারহ ওয়াত তাদীল ৮২৮৯,ৰুআল জামউ
বায়না রিজালুস সহীহায়ন ২৫০৫, খুলাসাতৃ তাহযীবুল কামাল ৩১৭, শাজারাতুল যাহাব ১১১২,
তাবাকাতৃ ইবন সাদ ৫৭ ৭ , তাবাকাতৃ খালীফা ২০৩৯, আল ইবার ১১ ১৫ , মিরআতুল জিনান ১২০০,
তাজরীদু আসমাউস সাহারা ৬৮৭ ৷ ’

২ তারীখুল ইসলাম ৪৬২; তারীখুল বুখারী ৮৮২, তাহবীবুল আসমা ওয়াললুপাত প্রথম অংশ, প্রথম খণ্ড
১২১, তাহযীবুত তাহযীব ১ : :৪, তাহযীবুল কামাল ৪০৫, আলজারহ ওয়াত্তাদীল প্রথম অংশ চতুর্থ
ভলিউম ৪৫১; খুলাসাতু তাহযীব ৩৯৯, শাজারাতৃয যাহাব ১১ ১৬; তাবাকাতৃ ইবন সাদ
৫২০৫, তাবাকাতুখালীফা ২০৫, আলইবার ১১ ১ ৭, আল মাআরিফ ২৮ ৫, আলমারিফাতু
ওয়াত্তারীখ ১৩৬৪ , ৫৬৫ ৷ , ’

৩ তারীখুল ইসলাম ৪৪৮, তারীখুল বুখারী ৭২৩১ , তাহযীবুত্তাহযীব ৮৪৩৩, তাহষীবুল কামাল

’ ১ ১৪৬-১ ১৬১ , আল জারহ ওয়াৎ তাদীল২য় অংশ, ৩য় ভলিউম ১৬৮; খুলসােতু তাহযীবুত তাহযীব
৩২২, শাজারাতুয্ যাহাব ১১ ১৪; তাবাকাতৃ ইবন সড়াদ ৫২৯৩, তাবাকাতৃ খালীফা ২৫৩৮
আলমারিফাতু ওয়াত্তারীখ ১৩৬৩ ৷


عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَيْرِيزِ بْنِ جُنَادَةَ بْنِ وَهْبٍ الْقُرَشِيُّ الْجُمَحِيُّ الْمَكِّيُّ، نَزِيلُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، رَوَى عَنْ زَوْجِ أُمِّهِ أَبِي مَحْذُورَةَ الْمُؤَذِّنِ، وَعُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ وَأَبِي سَعِيدٍ وَمُعَاوِيَةَ وَغَيْرِهِمْ. وَعَنْهُ خَالِدُ بْنُ مَعْدَانَ وَمَكْحُولٌ وَحَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ وَالزُّهْرِيُّ وَآخَرُونَ. وَقَدْ وَثَّقَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ وَأَثْنَى عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأَئِمَّةِ حَتَّى قَالَ رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ: إِنْ يَفْخَرَ عَلَيْنَا أَهْلُ الْمَدِينَةِ بِعَابِدِهِمْ ابْنِ عُمَرَ، فَإِنَّا نَفْخَرُ عَلَيْهِمْ بِعَابِدِنَا عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَيْرِيزٍ. وَقَالَ بَعْضُ وَلَدِهِ: كَانَ يَخْتِمُ الْقُرْآنَ كُلَّ جُمُعَةٍ، وَكَانَ يُفْرَشُ لَهُ الْفِرَاشُ فَلَا يَنَامُ عَلَيْهِ. قَالُوا: وَكَانَ صَمُوتًا مُعْتَزِلًا لِلْفِتَنِ. وَكَانَ لَا يَتْرُكُ الْأَمْرَ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيَ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَلَا يَذْكُرُ شَيْئًا مِنْ خِصَالِهِ الْمَحْمُودَةِ. وَرَأَى عَلَى بَعْضِ الْأُمَرَاءِ حُلَّةً مِنْ حَرِيرٍ، فَأَنْكَرَ عَلَيْهِ فَقَالَ: إِنَّمَا أَلْبَسُهَا مِنْ أَجْلِ هَؤُلَاءِ وَأَشَارَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ فَقَالَ لَهُ ابْنُ مُحَيْرِيزٍ: لَا تَعْدِلْ بِخَوْفِكَ مِنَ اللَّهِ خَوْفَ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ. وَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: مَنْ كَانَ مُقْتَدِيًا فَلْيَقْتَدِ بِمِثْلِهِ، فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُضِلُّ أُمَّةً فِيهَا مِثْلُهُ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: تُوُفِّيَ أَيَّامَ الْوَلِيدِ. وَقَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ: تُوُفِّيَ أَيَّامَ
পৃষ্ঠা - ৭৫৪৯
عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَذَكَرَ الذَّهَبِيُّ فِي " الْأَعْلَامِ " أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي هَذَا الْعَامِ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ. مَحْمُودُ بْنُ لَبِيدِ بْنِ عُقْبَةَ أَبُو نُعَيْمٍ الْأَنْصَارِيُّ الْأَشْهَلِيُّ الْمَدَنِيُّ، وُلِدَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَوَى عَنْهُ أَحَادِيثَ، لَكِنْ حُكْمُهَا الْإِرْسَالُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: لَهُ صُحْبَةٌ. وَقَالَ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: هُوَ أَسَنُّ مِنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ قِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ سِتٍّ وَقِيلَ: سَبْعٍ وَتِسْعِينَ. وَذَكَرَ الذَّهَبِيُّ فِي " الْأَعْلَامِ " أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي هَذَا الْعَامِ، أَعْنِي سَنَةَ تِسْعٍ وَتِسْعِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِالْيَقِينِ. نَافِعُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ ابْنُ عَدِيِّ بْنِ نَوْفَلٍ، الْقُرَشِيُّ النَّوْفَلِيُّ الْمَدَنِيُّ،
পৃষ্ঠা - ৭৫৫০


মুহাম্মাদ ইবন জুবায়র ইবন মুতইম১
কুরায়শের সড্রাম্ভ আলিমগণের অন্যতম ৷ তবে বহু রিওয়ায়াত বিদ্যমান ৷ তার চার বছর
বয়সে নবী সাল্লাল্লাহ্ আ ৷লায়হি ওয়া সাল্লামা একবার কুলি করে তার মুখে বরকণ্ডে তর উদ্দেশ্যে
পানি ছিটিয়ে দিয়েছিলেন ৷ এ ঘটনা৩ তিনি স্মরণ করতে ৩পারতেন ৷ তিরানব্বই বছর বয়সে তিনি
পবিত্র মদীনায় ইনৃতিকাল করেন ৷

মুসলিম ইবন ইয়াসার২

আবু অ ৷বদুল্লাহ্ আ ৷লবাসরী দৃনিয়াত্যার্গী ফকীহ ৷ তার যামানায় তার চেয়ে গুণী কোন ব্যক্তি
ছিলেন না ৷ তিনি ছিলেন একা ৷ধারে আবিদ, আ ৷ল্লাহ্ভীরু অতি বিনীত, পার্থিব মােহমুক্ত এবং
অত্যধিক নামায়ী ৷ বর্ণিত আছে, একবার তার বাড়ীতে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয় ৷ নামাযে থাকা
অবস্থায় তিনি তা অনুভব না করেই নির্বাপিত করলেন ৷ জীবনী গ্রন্থসমুহে তার বহু গুণের উল্লেখ
রয়েছে ৷ আল-বিদায়ার গ্রন্থকার বলেন, একবার মসজিদের একাৎশ ভেঙ্গে পড়ল ৷ মসজিদ
ৎলগ্ন বাজারের লোকেরা ভীত শঙ্কিত হয়ে পড়ল ৷ কিন্তু মুসলিম ইবন ইয়াসার সে সময়
মসজিদের অভ্যন্তরে নামাযে মশগুল, ফিরে তাক কাংনারও প্রয়োজন বোধ করলেন না ৷ তার ছেলে
বলেন, আমি তাকে সিজদারত অবস্থায় বলতে শুনেছি, করে আমি আপনাকে সন্তুষ্ট করে
আপনার সাক্ষাৎ পাব ৷ এরপর তিনি দু আয় যেতেন, তারপর বলতেন, করে আমি আপনাকে
সন্তুষ্ট করে আপনার সাক্ষাৎ পাব ৷ তিনি যখন নামায়ের বাইরে থাকতেন, তখনও মনে হতে তা
যেন৩ তিনি নামাষে আছেন ৷ ইণ্ডে তাপুর্বে তার জীবনী উল্লিখিত হয়েছে ৷

হানাশ ইবন আমৱ আস্সান আনী৩

আফ্রিকা ও মরক্কো অঞ্চলের গ ৷ভর্নর ছিলেন, বিজয়ী মুজাহিদ রুপে আফ্রিকাতেই তিনি
ইনৃতিকাল করেন ৷ একদল সাহারা হতে তার বহুসংখ্যক রিওয়ায়াত বিদ্যমান ৷



১ তারীখুল ইসলাম ৪৫০, তারীখুল বুখারী ১৫২, তাহযীবুৎ তাহযীব ৯৯১, তাহযীবুল কামাল ১১৮১ পৃ৪,
, আলজারহ ওয়াৎ তা দীল তৃতীয় ভলিউম ২য় অ শ ২১৮, খুল৷ সাভু তাহযীবুত তাহষীব ৩৩০ , তাবাকাত

ইবন সা দ ৫২০৫, তাবাকাভু খালীফ৷ ২০৬৪, আলমা রিফাভু ওয়াত্তারীখ ১৩৬৩ ৷

২ তারীখুল ইসলাম ৪৫৪ , ২০৩, তারীখুল বুখারী ৭২৭৫, তাহযীবুল আসমা ওয়াললুপাত ২য় খণ্ডের প্রথম
অংশ ৯৩, তাহযীবুত তাহষীব ১ : :১৪ : , তাহযীবুল কামাল ১৩২৯, আল জুরহ ওয়াত্তাদীল প্রথম অংশ,
চতুর্থ ভলিউম ১৮, আল হিলইয়াহ্ ২২৯০, ,খুলাসাভু তাহ্ষীবুৎ তাহযীব ৩৭৬০, আযযুহদু (ইমাম
আহমাদ) ২৪৮, শাজারাতুষ্ যাহাব ১১ ১৯, তাবাকাত ইবন সাদ ৭১৮৬, তাবাকাতৃ খলীফা ১৬৭২,
তাবাকাতুল ফুকাহা (শীরাযী) ৮৮, আলইবার ১১২০, আর ইকদুছ ছামীন ৭১৯২, আল মাআরিফ
২৩৪, আলম৷ রিফ৷ ওয়াত্তারীখ ২৮৫ ৷

৩ তারীখুল ইসলাম ৩২৪৬, ৩৬১, তারীখুল বুখারী ৩৯৯, তাহযীবুত তাহযীব ৩৫৭, তাহষীবু ইবন
আসাকির ৫১৪ , তাহযীবুল কামাল ৩৪৩, আল জুরহ ওয়াততাদীল ২য় অংশ ১ম ভলিউম ২৯১,
শাজারাতুয্যাহাব ১১ ১৯, তাবাকাত ইবন সাদ ৫৫৩৬, তাবাকাত ফুকাহাউল ইয়ামান ৫৭, আল-ইবার
১১ ১৯, আল-মারিফা ওয়াত্তারীখ ২৫৩০ ৷


رَوَى عَنْ أَبِيهِ، وَعُثْمَانَ، وَعَلِيٍّ، وَالْعَبَّاسِ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَعَائِشَةَ وَغَيْرِهِمْ، وَرَوَى عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ، وَكَانَ ثِقَةً عَابِدًا يَحُجُّ مَاشِيًا، وَمَرْكُوبُهُ يُقَادُ مَعَهُ، قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ: تُوُفِّيَ سَنَةَ تِسْعٍ وَتِسْعِينَ بِالْمَدِينَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. كُرَيْبُ بْنُ مُسْلِمٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، رَوَى عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ وَغَيْرِهِمْ، وَكَانَ عِنْدَهُ حِمْلُ كُتُبٍ، وَكَانَ مِنَ الثِّقَاتِ الْمَشْهُورِينَ بِالْخَيْرِ وَالدِّيَانَةِ. مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ كَانَ مِنْ عُلَمَاءِ قُرَيْشٍ وَأَشْرَافِهَا، وَلَهُ رِوَايَاتٌ كَثِيرةٌ، تُوَفِّيَ فِي الْمَدِينَةِ وَدُفِنَ فِي الْبَقِيعِ. مَحْمُودُ بْنُ الرَّبِيعِ الْأَنْصَارِيُّ، أَبُو مُحَمَّدٍ لَهُ رِوَايَاتٌ كَثِيرَةٌ، وَكَانَ يَعْقِلُ مَجَّةً مَجَّهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَجْهِهِ، وَعُمْرُهُ أَرْبَعُ سِنِينَ، تُوُفِّيَ وَعُمْرُهُ ثَلَاثٌ وَتِسْعُونَ سَنَةً بِالْمَدِينَةِ. مُسْلِمُ بْنُ يَسَارٍ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْبَصْرِيُّ، الْفَقِيهُ الزَّاهِدُ، لَهُ رِوَايَاتٌ،
পৃষ্ঠা - ৭৫৫১
كَانَ لَا يُفَضَّلُ عَلَيْهِ أَحَدٌ فِي زَمَانِهِ، وَكَانَ عَابِدًا وَرِعًا زَاهِدًا كَثِيرَ الْخُشُوعِ وَقِيلَ: إِنَّهُ وَقَعَ فِي دَارِهِ حَرِيقٌ فَأَطْفَئُوهُ، وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ لَمْ يَشْعُرْ بِهِ، وَلَهُ مَنَاقِبُ كَثِيرَةٌ، رَحِمَهُ اللَّهُ. قُلْتُ: وَانْهَدَمَتْ مَرَّةً نَاحِيَةٌ مِنَ الْمَسْجِدِ فَفَزِعَ أَهْلُ السُّوقِ لِهَدَّتِهَا، وَإِنَّهُ لَفِي الْمَسْجِدِ فِي صَلَاتِهِ فَمَا الْتَفَتَ. وَقَالَ ابْنُهُ: رَأَيْتُهُ سَاجِدًا، وَهُوَ يَقُولُ: مَتَى أَلْقَاكَ وَأَنْتَ عَنِّي رَاضٍ؟ ثُمَّ يَذْهَبُ فِي الدُّعَاءِ ثُمَّ يَقُولُ: مَتَى أَلْقَاكَ وَأَنْتَ عَنِّي رَاضٍ؟ وَكَانَ إِذَا كَانَ فِي غَيْرِ صَلَاةٍ كَأَنَّهُ فِي الصَّلَاةِ، وَقَدْ تَقَدَّمَتْ تَرْجَمَتُهُ. حَنَشُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو الصَّنْعَانِيُّ كَانَ وَالِيَ إِفْرِيقِيَّةَ وَبِلَادِ الْمَغْرِبِ وَبِإِفْرِيقِيَّةَ تُوَفِّيَ غَازِيًا، وَلَهُ رِوَايَاتٌ كَثِيرَةٌ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ. خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنُ الضَّحَّاكِ، الْأَنْصَارِيُّ الْمَدَنِيُّ الْفَقِيهُ، كَانَ يُفْتِي بِالْمَدِينَةِ، وَكَانَ مِنْ فُقَهَائِهَا الْمَعْدُودِينَ، كَانَ عَالِمًا بِالْفَرَائِضِ وَتَقْسِيمِ الْمَوَارِيثِ، وَهُوَ أَحَدُ الْفُقَهَاءِ السَّبْعَةِ الَّذِينَ مَدَارُ الْفَتْوَى عَلَى قَوْلِهِمْ.