আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثمان وتسعين

ثم دخلت سنة ثمان وتسعين

পৃষ্ঠা - ৭৫১৯

ভাতিজাকেও আরেকটি ফৌজের সেনাপতি করে যুদ্ধে পাঠালেন ৷ তখন সেও বর্বরন্থদর১ একলক্ষ
যুদ্ধবন্দী লাভ করল ৷ এরপর খলীফ৷ ওয়ালীদের কাছে তার পত্র পৌছল এবং তিনি তাতে
একথা উল্লেখ করে পাঠালেন যে, গনীমতের এক-পঞ্চমাংশ হলো চল্লিশ হাজার যুদ্ধবন্দী ৷
তখন লোকেরা বলল, লোকট৷ নিবেধি নাকি ? কোথা হতে যে গনীমতের এক-পঞ্চমাংর্শ
চল্লিশ হাজার বন্দী পায় ? এ কথা মুসার কানে পৌছলে তিনি তার লবৃধ গনীমতের
এক পঞ্চমাংশ চল্লিশ হাজার বন্দী পাঠিয়ে দিলেন, আর ইসলামের ইতিহাসে মুসা ইবন
নুসায়রের ন্যায় এত বিপুল সং খাক যুদ্ধবন্দী কোন সেনাপতি লাভ করেছেন বলে শোনা যায়নি ৷

তিনি যখন আন্দালুস জয় করেন, তখন তার যুদ্ধাভিযানসমুহে বহু আশ্চর্যজনক ঘটনা
সংঘটিত ৩হয় ৷ এসময় তিনি বলেন, যদি লোকেরা আমার সঙ্গ দিত, তাহলে তাদেরকে সঙ্গে
নিয়ে আমি রোম নগর জয় করতাম ৷ তা হলো তৎকা ৷লীন ফরাসী সাম্রাজ্যের বৃহত্তম নগর ৷
তারপর আমি বলছি মহান আল্লাহ আমাকে তা জয় করার সৌভাগ্য দান করবেন ইনশাআল্লাহ্ ৷
আর তিনি খলীফ৷ ওয়ালীদের সাক্ষাতে আগমন করেন ৷ আমাদের পুর্বোল্লিখিত যুদ্ধবন্দী ও
উপচৌকন ছাড়া আরও ত্রিশ হাজার যুদ্ধবন্দী সাথে নিয়ে আসেন ৷ আর এটা হ্নিং৷ মৱক্কোতে
তার পরিচালিত শেষ বিজয়াভিযানে অর্জিত গনীমতের এক পঞ্চমাংশ ৷ এসময় তিনি এত
বিপুল পরিমাণ ধনসম্পদ, উপহারউপচৌকন, মণিমুক্তা ও হিরা’-জহরত সাথে নিয়ে আসেন, যা
বর্ণনাতীত ৷ এরপর তিনি দামেশকে অবস্থান করতে থাকেন ৷ এমনকি ওরালীদ ইবন আবদুল
মালিকের মৃত্যু হয়ে যায় এবং তার ভাই সুলায়মান খিলাফভের দায়ি ৎ গ্রহণ করেন ৷
সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক পুর্ব থেকেই তার প্রতি রুষ্ট ছিলেন ৷ ফলে তিনি মুসাকে বন্দী
করেন এবং তার কাছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ দাবী করেন ৷ এভাবে তিনি সুলায়মানের হাতে
বন্দী থাকেন ৷ এরপর সুলায়মান এ বছর যখন হজ্জ পরিচালনার উদ্দেশ্যে যান, তখন ইবন
নুসায়রকেও বন্দী অবস্থায় সাথে নিয়ে নেন, তিনি পবিত্র মদীনায় মৃত্যুবরণ করেন ৷ ডোআঃ
ওয়াদিল কুরায় ৷ এসময় তার বয়স ছিল প্রায় আশি ৷ অবশ্য এও বলা হয় যে, ইবন নুসায়র
নিরানব্বই হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন ৷ মহান আল্লাহ্ সর্বাধিক জানেন ৷ মহান আল্লাহ তাকে
অনুগ্রহ ও ক্ষমা করল এবং তাকে উপযুক্ত ফযীলত ও মরতবাহ্ দান করুন ৷ আসীন ৷

৯৮ হিজন্নীর সুচনা

এ বছর আমীরুল মু ’মিনীন সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক কনসট্যান্টিনােপল আক্রমণের
জন্য সেখানে অবস্থানরত মুসলিম বাহিনীর পশ্চাত্তে তার ভাই মাসলামা ইবন আবদুল
মালিকের নেতৃত্বে আরেকটি মুসলিম বাহিনী রওয়ানা করেন ৷ তখন সুলায়মান বিশাল এক
ফৌজ নিয়ে কনস্ট্যান্টিনােপল অভিমুখে অগ্রসর হন ৷ সেখানে (পৌছার পর) সেখানে
অবস্থানরত সৈন্যরা তার চারপাশে জড়ো হয় ৷ মাসলামা ইবন আবদুল মালিক তার ফৌজের
প্রত্যেক সিপাহীকে নিজ নিজ অশ্বপৃষ্ঠে দুই মুদ২ পরিমাণ খাদশস্য (গম) বহন করার নির্দেশ
দিয়েছিলেন ৷ তিনি যখন ণত্তব্যে পৌছে গেলেন, তখন সকলে তাদের বহনকৃত খাদ্যশস্য একঃা

করল ৷ এভাবে খাদ্যশস্যের তুপ পবর্ত প্রমাণ হয়ে উঠল ৷ তখন মাসলামাহ্ তার ফৌজকে
নির্দেশ দিয়ে বললেন, তোমরা এই খাদ্যশস্য সঞ্চিত রায় এবং এদেশে যা পাওয়া যায় তা
খাও, চাষাবা দের জমিতে ফসল ফ লাও আর নিজেদের জন্য কাঠের বাড়ীঘর নির্মাণ করে নাও ৷

১ উত্তর আফ্রিকার বসবাসকারী তৎকালীন মানবগােষ্ঠী বিশেষ ৷
২ খাদ্যশস্য পরিমাচপর পরিমাণ বিশেষ ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَمَانٍ وَتِسْعِينَ] فَفِي هَذِهِ السَّنَةِ جَهَّزَ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ أَخَاهُ مَسْلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ لِغَزْوِ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ وَرَاءَ الْجَيْشِ الَّذِينَ هُمْ بِهَا، فَسَارَ إِلَيْهَا وَمَعَهُ جَيْشٌ عَظِيمٌ، ثُمَّ الْتَفَّ عَلَيْهِ ذَلِكَ الْجَيْشُ الَّذِينَ هُمْ هُنَاكَ، وَقَدْ أَمَرَ كُلَّ رَجُلٍ مِنَ الْجَيْشِ أَنْ يَحْمِلَ مَعَهُ عَلَى ظَهْرِ فَرَسِهِ مُدَّيْنِ مِنْ طَعَامٍ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَيْهَا جَمَعُوا ذَلِكَ، فَإِذَا هُوَ أَمْثَالُ الْجِبَالِ فَقَالَ لَهُمْ مَسْلَمَةُ: اتْرُكُوا هَذَا الطَّعَامَ وَكُلُوا مِمَّا تَجِدُونَهُ فِي بِلَادِهِمْ، وَازْرَعُوا فِي أَمَاكِنِ الزَّرْعِ وَاسْتَغِلُّوهُ، وَابْنُوا لَكُمْ بُيُوتًا مِنْ خَشَبٍ، فَإِنَّا لَا نَرْجِعُ عَنْ هَذِهِ الْبَلَدِ حَتَّى نَفْتَحَهَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَقَدْ دَاخَلَ مَسْلَمَةَ رَجُلٌ مِنَ النَّصَارَى يُقَالُ لَهُ: إِلْيُونَ. وَوَاطَأَهُ فِي الْبَاطِنِ لِيَأْخُذَ لَهُ بِلَادَ الرُّومِ، فَظَهَرَ مِنْهُ نُصْحٌ فِي بَادِئِ الْأَمْرِ، ثُمَّ إِنَّهُ تُوُفِّيَ مَلِكُ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ فَدَخَلَ إِلْيُونَ فِي رِسَالَةٍ مِنْ مَسْلَمَةَ، وَقَدْ خَافَتْهُ الرُّومُ خَوْفًا شَدِيدًا، فَلَمَّا دَخَلَ إِلَيْهِمْ إِلْيُونُ قَالُوا لَهُ: رُدَّهُ عَنَّا وَنَحْنُ نُمَلِّكُكَ عَلَيْنَا. فَخَرَجَ فَأَعْمَلَ الْحِيلَةَ فِي الْغَدْرِ وَالْمَكْرِ، وَلَمْ يَزَلْ قَبَّحَهُ اللَّهُ حَتَّى أَحْرَقَ ذَلِكَ الطَّعَامَ الَّذِي لِلْمُسْلِمِينَ، وَذَلِكَ لِأَنَّهُ قَالَ لِمَسْلَمَةَ: إِنَّهُمْ مَا دَامُوا يَرَوْنَ هَذَا الطَّعَامَ عِنْدَكَ يَظُنُّونَ أَنَّكَ تُطَاوِلُهُمْ فِي الْقِتَالِ، فَلَوْ أَحْرَقْتَهُ لَتَحَقَّقُوا مِنْكَ الْعَزْمَ، وَسَلَّمُوا لَكَ الْبَلَدَ سَرِيعًا، فَأَمَرَ مَسْلَمَةُ
পৃষ্ঠা - ৭৫২০


ইনশাআল্লাহ্ এই দেশ জয় না করে আমরা এখান থেকে ফিরে যাব না ৷ মাসলামা ইলয়ুন
নামক এক খৃন্টানের সাথে যোগাযোগ করলেন, এবং ণ্রামক ভুখণ্ড জয়ের ব্যাপারে তাকে
সহযোগিতা করার জন্য তার সাথে চুক্তিবদ্ধ হলেন ৷ প্রথম প্রথম তার পক্ষ হতে আন্তরিকতা
প্রকাশ পেল ৷ এরপর রোম সম্রাটের মৃত্যু হলো ৷ এরপর ইলয়ুন মাসলামার পত্র নিয়ে ণ্রা মক
রাজধানীতে প্রবেশ করল ৷ উল্লেখ্য যে, এসময় রোমকগণ মাসলামার ভয়ে ভীত-সস্ত্রস্ত ছিল
ইলয়ুন যখন তাদের কাছে পৌছা, তখন তারা তাকে প্রস্তাব দিল, আপনি তাকে আমাদের
থেকে ফিরিয়ে দিন ৷ আমরা আপনাকে আমাদের সম্রাটরুপে বরণ করে নেব ৷ তখন সে সেখান
হতে বের হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে নৌকা ও ষড়যব্রের কৌশল অবলম্বন করতে লাগল এবং
মুসলমানদের সেইন্রিশাল খাদ্যতুপ জ্বালিয়ে দিতে সমর্থ হলো ৷ মহান আল্লাহ্ তাকে অপদস্থু
করন্স ৷ আর তা সে এভাবে সম্পন্ন করেছিল ৷ সেনাপতি মাসলামাকে সে বলল, শক্ররা যতদিন
এই খাদ্যতুপ দেখবে ততদিন তারা বুঝবে যে, আপনি তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ মীআদী লড়াই
করবেন ৷ আপনি যদি তা পুড়িয়ে নিঃশেষ করে ফেলেন, তাহ্লেতারা তাদের বিরুদ্ধে আপনার
চুড়ান্ত আক্রমণের দৃঢ়সংকল্পের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে এবং অতিদ্রুত এই নগর আপনার হাতে
তুলে দিবে ৷ তখন মাসলামা নির্দেশ দিলেন এবং সেই পর্বতপ্রমাণ খাদ্যতুপ পুড়িয়ে ফেলা
হলো ৷ এদিকে ইলয়ুন মুসলিম ফৌজের বেশ কিছু সাজসরঞ্জাম নিয়ে রাতের অন্ধকারে
জাহাজযােগে পলায়ন করল ৷ এরপর কনট্যান্টিংনাপলে পৌছে পরদিন সকালেই সে
মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল এবং ঘোরতর শত্রুতার প্রকাশ করল ৷ এরপর সে দুর্গে
আশ্রয় গ্রহণ করল এবং ণ্রামকগণ তার নেতৃত্বে সমবেত হলো ৷ এদিকে মুসলমানগণ নিদারুণ
খাদ্যসংকটে পতিত হলেন, এমনকি তারা মাটি ছাড়া আর সবকিছু যেতে বাধ্য হলেন ৷ এভাবে
নিদারুণ-অনাহারে অর্ধাহারে মুসলমানদের সময় অতিবাহিত হচ্ছিল ৷ অবশেষে তাদের কাছে
সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের ওফাত এবং উমর ইবন আবদুল আষীযের খলীফা হওয়ার
সংবাদ পৌছল ৷ তারা তাদের পুর্ব সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে শামে ফিরে চললেন ৷ আর এ
সময়কালে তারা নিদারুণ কষ্ট সহ্য করেছিলেন ৷ কিন্তু, মাসলামাহ ইবন আবদুল মালিক
কনট্যান্টিংনাপাল সুউচ্চ সুপ্রশস্ত আঙিনা সম্পন্ন ও অত্যন্ত দৃঢ় ও মযবুত একটি মসজিদ নির্মাণ
না করে ফিরলেন না ৷ ওয়াকিদী বলেন, সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক যখন খিলাফতের
দায়িতৃ গ্রহণ করলেন তখন তিনি প্রথমে বায়তুল মাকদিসে কিছুকাল অবস্থান করে অতঃপর
কনট্যান্টিংনাপল অভিমুখে সেনাবাহিনী প্রেরণ করতে চাইলেন ৷ তখন মুসা ইবন নুসায়র তাকে
পরামর্শ দিলেন প্রথমে কনট্যান্টিনােপল পৌছার পথে যে সকল শহর, দুর্গ ও জনপদ রয়েছে
সেগুলি জয় করতে এবং সবশেষে কনট্যান্টিনােপল আক্রমণ করতে ৷ এভাবে করলে তিনি
সেখানে পৌছার পুর্বেই সেখানকার কেল্লাসমুহ ধ্বংপ্রাপ্ত হবে এবং শত্রুর প্রতিরোধশক্তি দুর্বল
হয়ে যাবে ৷ ইবন নুসায়র সুলায়মানকে বললেন, আপনি যদি তা করতে পারেন,“ তাহলে
আপনার ও তার মাঝে কোন বাধা থাকবে না এবং কনট্যান্টিনােপলবাসীরা নিরুপায় হয়ে
আপনার কাছে আত্মসমর্পণ করবে ৷ এরপর সুলায়মান তার ভাই মাসলামার পরামর্শ চাইলেন ৷
তিনি তখন সুলায়মানকে পথিমধ্যেই শহর জ্যাপদের পরিবর্তে সরাসরি আক্রমণ করে
কনট্যান্টিনােপল জয় করার পরামর্শ দিলেন ৷ কেননা, কনট্যান্টিংনাপল যখন আপনি জয়
করবেন, তখন অন্যান্য নগর ও দুর্গসমুহ আপনা আপনিই আপনার অধীনে এসে যাবে ৷ এ কথা
শুনে সুলায়মান বললেন, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত ৷ এরপর তিনি শাম ও জাযীরা-আরব উপদ্বীপ
হতে সৈন্য সমবেত করতে শুরু করলেন, এবং এভাবে তিনি একলক্ষ বিশ হাজার স্থল- সেনা
এবং একলক্ষ বিশ হাজার নৌসেনা প্রস্তুত করলেন ৷


بِالطَّعَامِ فَأُحْرِقَ، ثُمَّ انْشَمَرَ إِلْيُونُ فِي السُّفُنِ وَأَخَذَ مَا أَمْكَنَهُ مِنْ أَمْتِعَةِ الْجَيْشِ فِي اللَّيْلِ، وَأَصْبَحَ وَهُوَ بِالْبَلَدِ مُحَارِبًا لِلْمُسْلِمِينَ، وَأَظْهَرَ الْعَدَاوَةَ الْأَكِيدَةَ، وَتَحَصَّنَ بِالْبَلَدِ، وَاجْتَمَعَتْ عَلَيْهِ الرُّومُ، وَضَاقَ الْحَالُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ، حَتَّى أَكَلُوا كُلَّ شَيْءٍ إِلَّا التُّرَابَ، فَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ دَأْبَهُمْ حَتَّى جَاءَتْهُمْ وَفَاةُ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَتَوْلِيَةُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَلَى مَا سَيَأْتِي، فَكَرُّوا رَاجِعِينَ إِلَى الشَّامِ وَقَدْ جُهِدُوا جَهْدًا شَدِيدًا، لَكِنْ لَمْ يَرْجِعْ مَسْلَمَةُ حَتَّى بَنَى مَسْجِدًا بِالْقُسْطَنْطِينِيَّةِ شَدِيدَ الْبِنَاءِ مُحْكَمًا، رَحْبَ الْفِنَاءِ، شَاهِقًا فِي السَّمَاءِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: لَمَّا وَلِيَ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ أَرَادَ الْإِقَامَةَ بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ، ثُمَّ أَرْسَلَ الْعَسَاكِرَ إِلَى الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ فَأَشَارَ عَلَيْهِ مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ بِأَنْ يَفْتَحَ مَا دُونَهَا مِنَ الْمُدُنِ وَالرَّسَاتِيقِ وَالْحُصُونِ، حَتَّى يَبْلُغَ الْمَدِينَةَ فَلَا يَأْتِيَهَا إِلَّا وَقَدْ هُدِمَتْ حُصُونُهَا وَوَهَنَتْ قُوَّتُهَا، فَإِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ لَمْ يَبْقَ بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا مَانِعٌ، فَيُعْطُوا بِأَيْدِيهِمْ وَيُسَلِّمُوا لَكَ الْبَلَدَ، ثُمَّ اسْتَشَارَ أَخَاهُ مَسْلَمَةَ فَأَشَارَ عَلَيْهِ بِأَنْ يَدَعَ مَا دُونَهَا مِنَ الْبِلَادِ وَيَفْتَحَهَا عَنْوَةً، فَمَتَى مَا فُتِحَتْ فَإِنَّ بَاقِيَ مَا دُونَهَا مِنَ الْبِلَادِ وَالْحُصُونِ بِيَدِكَ. فَقَالَ سُلَيْمَانُ: هَذَا هُوَ الرَّأْيُ. ثُمَّ أَخَذَ فِي تَجْهِيزِ الْجُيُوشِ مِنَ الشَّامِ وَالْجَزِيرَةِ فَجَهَّزَ فِي الْبَرِّ مِائَةً وَعِشْرِينَ أَلْفًا، وَفِي الْبَحْرِ مِائَةً وَعِشْرِينَ أَلْفًا مِنَ الْمُقَاتِلَةِ وَأَخْرَجَ لَهُمُ الْأَعْطِيَةَ وَأَنْفَقَ فِيهِمُ الْأَمْوَالَ الْكَثِيرَةَ وَأَعْلَمَهُمْ بِغَزْو الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ وَالْإِقَامَةِ عَلَيْهَا إِلَى أَنْ يَفْتَحُوهَا، ثُمَّ سَارَ سُلَيْمَانُ مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَدَخَلَ دِمَشْقَ وَقَدِ اجْتَمَعَتْ لَهُ الْعَسَاكِرُ فَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ أَخَاهُ مَسْلَمَةَ، ثُمَّ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৭৫২১
سِيرُوا عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ، وَعَلَيْكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالصَّبْرِ وَالتَّنَاصُحِ وَالتَّنَاصُفِ. ثُمَّ سَارَ سُلَيْمَانُ حَتَّى نَزَلَ مَرْجَ دَابِقٍ فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ النَّاسُ أَيْضًا مِنَ الْمُطَّوِّعَةِ الْمُحْتَسِبِينَ أُجُورَهُمْ عَلَى اللَّهِ، فَاجْتَمَعَ لَهُ جُنْدٌ عَظِيمٌ لَمْ يُرَ مِثْلُهُ، ثُمَّ أَمَرَ مَسْلَمَةَ أَنْ يَرْحَلَ بِالْجُيُوشِ وَأَخَذَ مَعَهُ إِلْيُونَ الرُّومِيَّ الْمَرْعَشِيَّ، ثُمَّ سَارُوا حَتَّى نَزَلُوا عَلَى الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ فَحَاصَرَهَا إِلَى أَنْ بَرَّحَ بِهِمْ، وَعَرَضَ أَهْلُهَا الْجِزْيَةَ عَلَى مَسْلَمَةَ، فَأَبَى إِلَّا أَنْ يَفْتَحَهَا عَنْوَةً، قَالُوا: فَابْعَثْ إِلَيْنَا إِلْيُونَ نُشَاوِرْهُ. فَأَرْسَلَهُ إِلَيْهِمْ، فَقَالُوا لَهُ: رُدَّ هَذِهِ الْعَسَاكِرَ عَنَّا وَنَحْنُ نُعْطِيكَ وَنُمَلِّكُكَ عَلَيْنَا. فَرَجَعَ إِلَى مَسْلَمَةَ، فَقَالَ لَهُ: قَدْ أَجَابُوا إِلَى فَتْحِهَا غَيْرَ أَنَّهُمْ لَا يَفْتَحُونَهَا مَا لَمْ تَنَحَّ عَنْهُمْ. فَقَالَ مَسْلَمَةُ: إِنِّي أَخْشَى غَدْرَكَ، فَحَلَفَ لَهُ أَنْ يَدْفَعَ إِلَيْهِ مَفَاتِيحَهَا وَمَا فِيهَا، فَلَمَّا تَنَحَّى عَنْهُمْ أَخَذُوا فِي تَرْمِيمِ مَا تَهَدَّمَ مِنْ أَسْوَارِهَا وَاسْتَعَدُّوا لِلْحِصَارِ. وَغَدَرَ إِلْيُونُ بِالْمُسْلِمِينَ، قَبَّحَهُ اللَّهُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ أَخَذَ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الْعَهْدَ لِوَلَدِهِ أَيُّوبَ أَنْ يَكُونَ الْخَلِيفَةَ مِنْ بَعْدِهِ، وَذَلِكَ بَعْدَ مَوْتِ أَخِيهِ مَرْوَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، فَعَدَلَ عَنْ وِلَايَةِ أَخِيهِ يَزِيدَ إِلَى وِلَايَةِ وَلَدِهِ أَيُّوبَ، وَتَرَبَّصَ بِأَخِيهِ الدَّوَائِرَ فَمَاتَ أَيُّوبُ فِي حَيَاةِ أَبِيهِ، فَبَايَعَ سُلَيْمَانُ لِابْنِ عَمِّهِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَنْ يَكُونَ الْخَلِيفَةَ مِنْ بَعْدِهِ، وَلَنِعْمَ مَا فَعَلَ. وَفِيهَا فُتِحَتْ مَدِينَةُ الصَّقَالِبَةِ. قَالَ
পৃষ্ঠা - ৭৫২২


তাদের জন্য তিনি বিশেষ ভাতা নির্ধারণ করলেন এবং বিপুল সম্পদ ব্যয় করলেন ৷ তিনি
তাদের কনট্যান্টিংনাপল আক্রমণ এবং তা জয় করা পর্যন্ত সেখানে অবস্থানের কথা অবহিত
করলেন ৷ এরপর সুলায়মান যখন বায়তৃল মাকদিস হতে দামেশকে প্রবেশ করলেন, তখন
কনট্যান্টিনােপল অতিমুখী মুসলিম ফৌজ যুদ্ধ প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সেখানে সমবেত ছিল ৷
সুলায়মান তার ভাই মাসলামাকে ফৌজের সালার নিযুক্ত করে ফৌজের উদ্দেশ্যে বললেন,
মহান আল্লাহর বরকতের প্রতড়াড়াশা নিয়ে তোমরা রওনা হয়ে যাও, আর তোমরা মহান
আল্লাহ্কে ভয় করবে, ধৈর্য অবলম্বন করবে এবং পরস্পর হিতাকাক্ষেম্ব ও ইনসাফ করবে ৷
এরপর সুলায়মান গিয়ে মারাজ্ব-দাবাক’ মৃনামকস্থানে অবস্থান নিলেন ৷ তখন তার কাছে বহু
স্বেচ্ছাযােদ্ধা এসে জড়ো হলো ৷ শুধু আল্লাহ্র কাছেই তাদের বিনিময়ের প্রতশো ছিল ৷ এভাবে
তার কাছে এমন বিশাল এক ফৌজ সমবেত হলো, ইতোপুর্বে যার মত আর দেখা যায়নিা
তারপর তিনি মাসলামাকে ফৌজ নিয়ে অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দিলে তিনি ইলয়ুন রুমী
আল-মারআশীকে তার সাথে নিলেন ৷ এরপর তারা অগ্রসর হয়ে কনট্যান্টিনােপলের উপকণ্ঠে
শিবির স্থাপন করলেন, প্রথমে মাসলামা কনট্যান্টিনােপল অবরোধ করলেন এবং তার কঠোর
অবরোধের মুখে তার অধিবাসীরা তাকে জিঘৃয়া প্রদানের প্রস্তাব দিল ৷ কিন্তু, তিনি শক্তি প্রয়োগ
করে তা জয় করার মনােতাবে অনড় রইলেন ৷ তখন তারা বলল, তাহলে আমাদের কাছে
ইলয়ুনকে পাঠান আমরা তার সাথে পরামর্শ করি ৷ তখন মাসলামা তাকে তাদের কাছে
পাঠালেন ৷ তারা তাকে বলল, আপনি এই ফৌজকে কৌশলে আমাদের থেকে সরিয়ে দিন ৷
তাহলে আমরা আপনাকে পুরস্কৃত করব এবং আমাদের সম্রাটের আসনে বরণ করে নিব ৷ সে
তখন মাসলামার কাছে ফিরে বলল, তারা আপনার জন্য নগরদুশ্চেরি দ্বার উন্মুক্ত করতে সম্মত
হয়েছে, তবে আপনি তাদের থেকে নিরাপদ দুরত্বে সরে না গেলে তারা তা করবে না ৷ তার
একথা শুনে মাসলামা বললেন, আমার আশঙ্কা হচ্ছে তুমি আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা
করবে ৷ তখন সে শপথ করে বলল, সে নিজেই তার হাতে শহরের সকল চাবিকাঠি ও
ধনসম্পদ তুলে দিবে ৷ এরপর মাসলামা যখন তার ফৌজ নিয়ে দুরে সরে গেলেন, তখন তারা
মুসলমানদের আক্রমণে ভেঙ্গে যাওয়া নগর প্রাচীর মেরামত করে পুনরায় অবরােধের জন্য
প্রস্তুতি সম্পন্ন করল ৷ আর ইলয়ুন মুসলমানদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করল ৷ আল্লাহ তাকে
লাঞ্ছিত করুন ৷

ইবন জারীর বলেন, এ বছরেই সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক তার ছেলে আয়ুব্রবের
অনুকুলে এই মর্মে অঙ্গীকার গ্রহণ করেন যে, তার মৃত্যুর পর সেই হলো পরবর্তী খলীফা ৷ আর
এটা ছিল তার ভাই মারওয়ান ইবন আবদুল মালিকের মৃত্যু পরবর্তী ঘটনা ৷ এ সময় তিনি
তার ভাই ইয়াযীদের পরিবর্তে তার ছেলে আয়ুবকে খলীফা নির্ধারণের ব্যাপারে তৎপর হন
এবং ভাই ইয়াযীদের বিপদাপদের প্রতীক্ষায় থাকেন, কিন্তু তার ছেলে আয়ুব্লবই তার পিতার
জীবদ্দশায় মৃত্যুবরণ করে ৷ তখন সুলায়মান তার চাচাভাে ভাই উমর ইবন আবদুল আযীয়কে
তার মৃত্যুর পর পরবর্তী খলীফা মনোনীত করে যান ৷ আর কী উত্তম নির্বাচনই না তিনি
করেছিলেন ৷ এছাড়া এ বছরেই সাকালিবা’ শহর জয় হয় ৷ ওয়াকিদী বলেন, এদিকে এ বছর
মাসলড়ামা যখন অপেক্ষাকৃত স্বল্পসংখ্যক ফৌজ নিয়ে অবস্থান করছিলেন তখন বুরজান সম্প্রদায়
অতর্কিতে তার ফৌজের উপর আক্রমণ করে ৷ এ সময় খলীফা সুলায়মান তার সাহাযার্থে
ফৌজ পাঠান এবং মাসলামাহ্ বীরবিক্রমে বুরজানদের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেন এমনকি
আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে পর্বুদস্ত করেন ৷ আ এ বছরেই ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব তৎকালীন
চীনা ভুখণ্ড কাহাসতান১ আক্রমণ করেন এবং তার চতৃর্পাশ্বে অবরোধ আরোপ করে প্রচণ্ড
লড়ইিয়ে অবতীর্ণ হন এবং শেষ পর্যন্ত তা জয় করেন ৷

১ (;খারাসানের প্রচীন নমে ণোণোণোপুেগ্রন্ব্রা৷৪ন্-০ওোড়া

الْوَاقِدِيُّ: وَقَدْ أَغَارَتِ الْبُرْجَانُ عَلَى جَيْشِ مَسْلَمَةَ وَهُوَ فِي قِلَّةٍ مِنَ النَّاسِ، فِي هَذِهِ السَّنَةِ. فَبَعَثَ إِلَيْهِ سُلَيْمَانُ جَيْشًا فَقَاتَلَ الْبُرْجَانَ حَتَّى هَزَمَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ غَزَا يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ دِهِسْتَانَ مِنْ أَرْضِ الصِّينِ فَحَاصَرَهَا وَقَاتَلَ عِنْدَهَا قِتَالًا شَدِيدًا، وَلَمْ يَزَلْ حَتَّى تَسَلَّمَهَا، وَقَتَلَ مِنَ التُّرْكِ الَّذِينَ بِهَا أَرْبَعَةَ آلَافٍ صَبْرًا، وَأَخَذَ مِنْهَا مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَثَاثِ وَالْأَمْتِعَةِ مَا لَا يُحَدُّ وَلَا يُوصَفُ كَثْرَةً وَقِيمَةً وَحُسْنًا، ثُمَّ سَارَ مِنْهَا إِلَى جُرْجَانَ فَاسْتَجَاشَ صَاحِبُهَا بِالدَّيْلَمِ، فَقَدِمُوا لِنَجْدَتِهِ فَقَاتَلَهُمْ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ وَقَاتَلُوهُ، فَحَمَلَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَبْرَةَ الْجُعَفِيُّ وَكَانَ فَارِسًا شُجَاعًا بَاهِرًا عَلَى مَلِكِ الدَّيْلَمِ فَقَتَلَهُ وَهَزَمَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَلَقَدْ بَارَزَ ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ هَذَا يَوْمًا بَعْضَ فُرْسَانِ التُّرْكِ، فَضَرَبَهُ التُّرْكِيُّ بِالسَّيْفِ عَلَى الْبَيْضَةِ فَنَشِبَ فِيهَا، وَضَرَبَهُ ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ فَقَتَلَهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ إِلَى الْمُسْلِمِينَ وَسَيْفُهُ يَقْطُرُ دَمًا وَسَيْفُ التُّرْكِيِّ نَاشِبٌ فِي خَوْذَتِهِ، فَنَظَرَ إِلَيْهِ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ، فَقَالَ: مَا رَأَيْتُ مَنْظَرًا أَحْسَنَ مِنْ هَذَا، مَنْ هَذَا الرَّجُلُ؟ قَالُوا: ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ. فَقَالَ: نِعْمَ الرَّجُلُ لَوْلَا انْهِمَاكُهُ فِي الشَّرَابِ. ثُمَّ صَمَّمَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ عَلَى مُحَاصَرَةِ جُرْجَانَ وَمَا زَالَ يُضَيِّقُ عَلَى صَاحِبِهَا حَتَّى صَالَحَهُ عَلَى سَبْعِمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ وَأَرْبَعِمِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ، وَمِائَتَيْ أَلْفِ ثَوْبٍ، وَأَرْبَعِمِائَةِ حِمَارٍ مُوَقَّرَةٍ زَعْفَرَانًا، وَأَرْبَعِمِائَةِ رَجُلٍ، عَلَى رَأْسِ كُلِّ رَجُلٍ تُرْسٌ،
পৃষ্ঠা - ৭৫২৩
عَلَى التُّرْسِ طَيْلَسَانُ، وَجَامٌ مِنْ فِضَّةٍ، وَسَرَقَةٌ مِنْ حَرِيرٍ. وَهَذِهِ الْمَدِينَةُ كَانَ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ قَدِ افْتَتَحَهَا صُلْحًا عَلَى أَنْ يُؤَدُّوا الْخَرَاجَ فِي كُلِّ سَنَةٍ، فَكَانُوا يَحْمِلُونَ فِي كُلِّ سَنَةٍ مِائَةَ أَلْفٍ، وَفِي سَنَةٍ مِائَتَيْ أَلْفٍ، وَفِي بَعْضِ السِّنِينَ ثَلَاثَمِائَةِ أَلْفٍ، وَيَمْنَعُونَ ذَلِكَ فِي بَعْضِ السِّنِينَ، ثُمَّ امْتَنَعُوا جُمْلَةً وَكَفَرُوا، فَغَزَاهُمْ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ وَرَدَّهَا صُلْحًا عَلَى مَا كَانَتْ عَلَيْهِ فِي زَمَنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ. قَالُوا: وَأَصَابَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ مِنْ جُرْجَانَ أَمْوَالًا كَثِيرَةً جِدًّا، فَكَانَ مِنْ جُمْلَتِهَا تَاجٌ فِيهِ جَوَاهِرُ نَفِيسَةٌ، فَقَالَ: أَتَرَوْنَ أَحَدًا يَزْهَدُ فِي هَذَا؟ قَالُوا: لَا. فَدَعَا بِمُحَمَّدِ بْنِ وَاسْعٍ وَكَانَ فِي الْجَيْشِ مُغَازِيًا فَعَرَضَ عَلَيْهِ أَخْذَ التَّاجِ، فَقَالَ: لَا حَاجَةَ لِي فِيهِ. فَقَالَ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ لَتَأْخُذَنَّهُ. فَأَخَذَهُ وَخَرَجَ بِهِ مِنْ عِنْدِهِ، فَأَمَرَ يَزِيدُ رَجُلًا أَنْ يَتْبَعَهُ فَيَنْظُرَ مَاذَا يَصْنَعُ بِالتَّاجِ؟ فَمَرَّ بِسَائِلٍ، فَطَلَبَ مِنْهُ شَيْئًا، فَأَعْطَاهُ التَّاجَ بِكَمَالِهِ وَانْصَرَفَ. فَبَعَثَ يَزِيدُ إِلَى ذَلِكَ السَّائِلِ فَأَخَذَ مِنْهُ التَّاجَ وَعَوَّضَهُ عَنْهُ مَالًا كَثِيرًا. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدَائِنِيُّ: قَالَ أَبُو بَكْرٍ الْهُذَلِيُّ: كَانَ شَهْرُ بْنُ حَوْشَبٍ عَلَى خَزَائِنِ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ فَرَفَعُوا إِلَيْهِ أَنَّهُ أَخَذَ خَرِيطَةً فِيهَا مِائَةُ دِينَارٍ، فَسَأَلَهُ عَنْهَا فَقَالَ: نَعَمْ. وَأَحْضَرَهَا، فَقَالَ لَهُ يَزِيدُ: هِيَ لَكَ. ثُمَّ اسْتَدْعَى
পৃষ্ঠা - ৭৫২৪


এ সময় তিনি সেখানে বিদ্যমান চার হাজার তুর্কী যােদ্ধাকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেন এবং
সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ধন-সম্পদ দ্রব্যসামগ্রী ও আসবাবপত্র লাভ করেন যার আধিক্য,
মুল্য ও সৌন্দর্য বংনািভীত ৷ এরপর তিনি সেখান থেকে জুরজান অভিমুখে অগ্রসর হন ৷ তখন
জুরজানের শাসক দায়লামীদের সাহায্য প্রাহুনাি করলে তারা তাদের সাহায্যে অগ্রসর হয় ৷
ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত হন এবং তারাও তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে

লিপ্ত হয় ৷ এ সময় মুহাম্মাদ ইবন আবদুর রহমান ইবন আবু সাবরা আলজুফী যিনি বীর
অশ্বারোহী ও অপ্রতিহর্ত যোদ্ধা ছিলেন তিনি দায়লাম-রাঃজঃ৷ উপর আক্রমণ করে তাকে হত্যা
করেন এবংমহান আল্লাহ্ তাদেরকে পরাজিত ও পর্বুদস্ত করেন ৷ উল্লিখিত এই ইবন আবু
সাবরা একদিন এক তুর্কী বীরঅশ্বারোহীর সাথে দ্বন্দুযুদ্ধে লিপ্ত হন ৷ প্রথমে তুর্কী বীর তাকে
আঘাত করে তার শিরস্ত্রাণে তরবারি বসিয়ে দেয় আর ইবন সাবৃরা তার তরবারির আঘাতে
তাকে হত্যা করেন ৷ এরপর তিনি যখন মুসলমানদের কাছে ফিরলেন তখন তার তরবারি দিয়ে
রক্ত টপকাচ্ছিল আর ভুর্কীযােদ্ধার তরবারি তার শিরস্ত্রড়াণে পেথে ছিল ৷ তখন ইয়াযীদ ইবন
যুহাল্লাব তার দিকে তাকিয়ে বললেন, এর চেয়ে অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য আর আমি ণ্দখিনি, কে এই
ব্যক্তি ? লোকেরা বলল, এ হলো ইবন আবু সাবৃরা ৷ তখন ইয়াযীদ বললেন, যে কত উত্তম
লোক হতো যদি তার পানাসক্তি না থাকত ৷ এরপর ইয়াযীদ জুরজান অবরোধে বদ্ধপরিকর হন
এবং তার শাসককে অবরোধের মাধ্যমে কোণঠাস৷ করে ফেলেন, অবশেষে সে সাত লক্ষ
দিরহাম, চার লক্ষ দীনার, দুই লক্ষ কাপড়, চারশ গাধা বোঝাই জাফরান, চারশ’ ব্যক্তি যাদের
প্রত্যেকের মাথার উপর একটি করে ঢাল আর ঢালের উপর একটি পরিধেয় জুবুবা, একটি
রুপার পানপাত্র এবং একটি ণ্রশমী বস্ত্র জ্জি এসবের বিনিময়ে ইয়াযীদের সাথে সন্ধি করে ৷
এই শহরে সাঈদ ইবনুল আস ছিলেন ৷ সন্ধির ভিত্তিতে তিনি তা জয় করেন এই শর্তে যে, এই
শহরবাসীরা কোন বছর এক লক্ষ দিরহাম (ভুমি)কর আদায় করবে এবং কোন বছর দুই লক্ষ
দিরহাম আবার কোন বছর তিন লক্ষ দিরহাম এবং কোন বছর বিরত থাকবে ৷ তারপর তারা
কর আদায় সম্পুর্ণরুপে বন্ধ করে দিল এবং মুরতাদ হয়ে গেল ৷ তখন ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব
তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে সাঈদ ইবনুল আসের যামানার সন্ধির শর্তসমুহ মেনে নিতে
তাদেরকে বাধ্য করলেন ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, এ ছাড়াও ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব অন্যান্য সুত্র
হতে বিপুল ধনরত্ন লাভ করেন ৷ এগুলির মাঝে মুল্যবান রত্নাদি খচিত’ একটি রাজমুকুট ছিল ৷
তখন তার দিকে নির্দেশ করে তিনি বললেন, তােমরা কি এমন কারও কথা জান, যে এই
রাজমুকুটের ব্যাপারেও নিম্পৃহ ? তারা বলল, না, আমরা জানি না ৷ তখন তিনি বললেন,
আল্লাহ্র কসম, আমি এক ব্যক্তিকে জানি যার ও যার মত ণ্লাকদের সামনে যদি এই
রাজমুকুট পেশ করা হয়, তাহলে তারা এর ব্যাপারে নিম্পৃহ ও নিরাসক্ত থাকবে ৷ এরপর তিনি
মুহাম্মাদইবন ওয়াসি যিনি ফৌজের একজন যোদ্ধা ছিলেন তাকে ডাকালেন এবং তাকে রাজ-
মুকুটটি গ্রহণ করতে বললেন, তখন তিনি বললেন, তাতে আমার কোন প্রয়োজন নেই ৷ তখন
ইয়াযীদ বললেন, আমি শপথ করে বললাম, অবশ্যই তোমাকে তা নিতে হবে ৷ এ কথা বলার
পর তিনি তা নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন ৷ তখন ইয়াযীদ এক ব্যক্তিকে নির্দেশ দিলেন,
তার অনুসরণ করে দেখতে যে, তিনি রাজমুকুটটি কী করেন ৷ এরপর মুহাম্মাদ ইবন ওয়াসি
এক প্রার্থীকে অতিক্রমক্বালে সে তার কাছে কিছু ন্চাইল ৷ তখন তিনি তাকে সেই রাজমুকুট
দিয়ে চলে গেলেন ৷ ইয়াযীদ তখন ঐ প্রার্থীকে ডেকে পাঠিয়ে তার থেকে ঐ রাজমুকুট নিয়ে
নিলেন এবং তার পরিবর্তে তাকে অনেক ধনসষ্পদ দান করলেন ৷


الَّذِي وَشَى بِهِ فَشَتَمَهُ. فَقَالَ فِي ذَلِكَ الْقُطَامِيُّ الْكَلْبِيُّ، وَيُقَالُ: إِنَّهَا لِسِنَانِ بْنِ مُكَمَّلٍ النُّمَيْرِيِّ: لَقَدْ بَاعَ شَهْرٌ دِينَهُ بِخَرِيطَةٍ فَمَنْ ... يَأْمَنُ الْقُرَّاءَ بَعْدَكَ يَا شَهْرُ أَخَذْتَ بِهِ شَيْئًا طَفِيفًا وَبِعْتَهُ ... مِنِ ابْنِ جَوَنْبُوذَ انَّ هَذَا هُوَ الْغَدْرُ وَقَالَ مُرَّةُ النَّخَعِيُّ: يَا ابْنَ الْمُهَلَّبِ مَا أَرَدْتَ إِلَى ... امْرِئٍ لَوْلَاكَ كَانَ كَصَالِحِ الْقُرَّاءِ قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَيُقَالُ: إِنَّ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ كَانَ فِي غَزْوَةِ جُرْجَانَ فِي مِائَةِ أَلْفٍ وَعِشْرِينَ أَلْفًا، مِنْهُمْ سِتُّونَ أَلْفًا مِنْ جَيْشِ الشَّامِ أَثَابَهُمُ اللَّهُ، وَقَدْ تَمَهَّدَتْ تِلْكَ الْبِلَادُ بِفَتْحِ جُرْجَانَ وَسَلَكَتِ الطُّرُقُ، وَكَانَتْ قَبْلَ ذَلِكَ مُخَوِّفَةً جِدًّا، ثُمَّ عَزَمَ يَزِيدُ عَلَى الْمَسِيرِ إِلَى طَبَرِسْتَانَ وَقَدِمَ بَيْنَ يَدَيْهِ سَرِيَّةٌ هِيَ أَرْبَعَةُ آلَافٍ مِنْ سُرَاةِ النَّاسِ، فَلَمَّا الْتَقَوُا اقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، وَقُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فِي الْمَعْرَكَةِ أَرْبَعَةُ آلَافٍ فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. ثُمَّ عَزَمَ يَزِيدُ عَلَى فَتْحِ الْبِلَادِ لَا مَحَالَةَ، وَمَا زَالَ حَتَّى صَالَحَهُ صَاحِبُهَا وَهُوَ الْإِصْبَهْبَذُ بِمَالٍ كَثِيرٍ; سَبْعُمِائَةِ أَلْفٍ فِي كُلِّ عَامٍ، وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْمَتَاعِ وَالرَّقِيقِ.
পৃষ্ঠা - ৭৫২৫
وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ كَانَ إِمَامًا حُجَّةً، وَكَانَ مُؤَدِّبَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَلَهُ رِوَايَاتٌ كَثِيرَةٌ عَنْ جَمَاعَاتٍ مِنَ الصَّحَابَةِ. أَبُو الْحَفْصِ النَّخَعِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ وَقَدْ ذَكَرْنَا تَرَاجِمَهُمْ فِي " التَّكْمِيلِ ". وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ.