ثم دخلت سنة ست وتسعين
পৃষ্ঠা - ৭৪৪৫
বর্ণনা উপরে উপস্থাপন করা হয়েছে ৷ আলী ইবনুল মাদাইনী ও একদল ইতিহাসবিদের মতে এ
বছরেই সাঈদ ইবন জুবায়র-এর শাহাদত সংঘটিত হয় ৷ আর প্রসিদ্ধ হলো যে, ৯৪ হিজরীতে
সাঈদের শাহাদত সংঘটিত হয় ৷ এ তথ্য ইবন জড়ারীর ও অন্যরাও পেশ করেছেন ৷ মহান
আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷ শ্
৯৬ হিজরীর প্রারম্ভ
এ বছরেই কুতায়বা ইবন মুসলিম (র) চীন ভুখণ্ডের কাশগর জয় করেন এবং চীনের
সম্রাটের কাছে দুত প্রেরণ করেন ৷ এ দুতগণের মাধ্যমে সম্রাটকে ভীতি প্রদর্শন করেন এবং
আল্লাহ্র শপথ করে তিনি অঙ্গীকার করেন যে, তার শহর দখল করা ব্যতীত তিনি ঘরে ফেরত
যাবেন না ৷ তিনি সম্রাটের বিভিন্ন রজ্যে এবং তাদের গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে খতম করে দিবেন ৷
কিৎবা তাদের থেকে কর আদায় করবেন কিৎবা তারা ইসলামে প্রবেশ করবে ৷ তারপর
দুতগণ সম্রাটের দরবারে প্রবেশ করেন ৷ সম্রাট একটি বিরাট শহরে অবস্থান করেন ৷ কথিত
আছে যে, এ শহরের ৯০টি দরযা রয়েছে এবং তা চতুর্দিকে দেওয়াল-ঘেরা ৷ এ শহরটিকে
ন্ন্ বলা হতো খান বালিক ৷ এটা বড় বড় শহরের অন্যতম ৷ মাঠঘাট, আয়তন ও সহায়-সম্পদ
হিসেবে এ শহরটি ছিল একটি অত্যন্ত বড় শহর ৷ এমনকি বলা হয়ে থাকে যে, ভারত সুপ্রশস্ত
হওয়া সত্বেও চীন দেশের কাছে এটাকে একটি তিলকের ন্যায় দেখায় ৷ চীনের অধিবাসীরা
তাদের ধন-সম্পাদর প্রাচুর্যের কারণে কারোর দেশে ভ্রমণের প্রয়োজন মনে করে না ৷ অথচ
অন্যরা তাদের দেশে ভ্রমণের প্রয়োজন মনে করে ৷ তাদের রয়েছে অজস্র সম্পদ ও বিস্তীর্ণ
এলাকা ৷ আশেপাশের সমস্ত দেশগুলো চীনের কাছে তার সৈন্য সামন্তের ক্ষমতা প্রচুর থাকার
কারণে কর আদায় করে থাকে ৷ বস্তুত যখন দুতগণ চীনের সম্রাটের কাছে প্রবেশ করেন, তখন
তারা এটাকে একটি বিরাট সুরক্ষিত দেশ হিসেবে পান, যার রয়েছে অসংখ্য নদীনালা,
বাজারঘটি ও সৌন্দর্যের বাহার ৷ তারা তার কাছে এমন একটি সুরক্ষিত ও বিরাট দুর্গে প্রবেশ
করেন যা একটি বড় শহরের সমতুল্য ৷ চীনের সম্রটি তাদেরকে বললেন, তোমরা কে ? আর
তারা ছিলেন কুতায়বার পক্ষ থেকে হুবায়রার নেতৃত্বে তিনশত জন রাজদুত ৷ সম্রাট তার
দোভ্যষীকে বলেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর যে, তোমরা কে বা করো এবং তোমরা কি চাও ?
তখন তারা প্রতি উত্তরে বললেন, আমরা আমাদের সেনাপতি কুতায়বা ইবন মুসলিমের প্রেরিত
দুত ৷ তিনি আপনাকে ইসলামের পাবে আহ্বান করেছেন ৷ যদি আপনি তার ডাকে সাড়া না
দেন ও ইসলাম গ্রহণ না করেন, তাহলে আপনাকে নির্ধারিত হারে কর দিতে হবে ৷ আর যদি
কর না দেন, তাহলে আপনার সাথে আমাদের যুদ্ধ বাধবে ৷ এ কথা শুনে সম্রাট ক্রোধান্বিত
হলেন এবং তাদেরকে একটি ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদেশ করলেন ৷ যখন ভোর হলো তখন
তিনি তাদেরকে ডাকলেন এবং তাদেরকে দোভাষীর মাধ্যমে বললেন, দেখি তোমরা কেমন
করে তোমাদের মাবুদের ইবাদত কর ৷ মুসলমানগণ তাদের নিয়মানুযায়ী ফজবের সালাত
আদায় করলেন ৷ যখন তারা রুকু-সিজদা করেন সম্রাট তাদেরকে নিয়ে উপহাস করলেন এবং
বললেন, ণ্তামাদের ঘরে তোমরা কি ধরনের পোশাক পরিধান করে থাক ? তখন তারা তাদের
পেশাগত পোশাক পরিধান করলেন ৷ সম্রাট তাদেরকে সেখান থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে চলে
যেতে নির্দেশ দিলেন ৷ এর পরদিন তিনি তাদের কাছে লোক প্রেরণ করে বললেন, তোমরা
তোমাদের আমীরের কাছে কি পােশাকে প্রবেশ কর তখন তারা ছাপানো কাপড় পরিধান
করলেন, মাথায় পাগড়ী বীধলেন, রেশমী চাদর পরিধান করলেন এবং সম্রাটের কাছে প্রবেশ
করলেন ৷ সম্রটি তাদেরকে বললেন, তোমরা ফেরত যাও তখন তারা ফেরত গেলেন ৷ সম্রটি
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتٍّ وَتِسْعِينَ]
[الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا]
وَفِيهَا فَتَحَ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى، كَاشْغَرَ مِنْ أَرْضِ الصِّينِ، وَبَعَثَ إِلَى مَلِكِ الصِّينِ رُسُلًا يَتَهَدَّدُهُ وَيَتَوَعَّدُهُ، وَيُقْسِمُ بِاللَّهِ لَا يَرْجِعُ حَتَّى يَطَأَ بِلَادَهُ، وَيَخْتِمَ مُلُوكَهُمْ وَأَشْرَافَهُمْ، وَيَأْخُذَ الْجِزْيَةَ مِنْهُمْ، أَوْ يَدْخُلُوا فِي الْإِسْلَامِ، فَدَخَلَ الرُّسُلُ عَلَى الْمَلِكِ الْأَعْظَمِ فِيهَا وَهُوَ فِي مَدِينَةٍ عَظِيمَةٍ يُقَالُ: إِنَّ عَلَيْهَا تِسْعِينَ بَابًا فِي سُورِهَا الْمُحِيطِ بِهَا يُقَالُ لَهَا: خَانُ بَالِقَ. مِنْ أَعْظَمِ الْمُدُنِ، وَأَكْثَرِهَا رَيْعًا، وَمُعَامَلَاتٍ وَأَمْوَالًا، حَتَّى قِيلَ: إِنَّ بِلَادَ الْهِنْدِ مَعَ اتِّسَاعِهَا كَالشَّامَةِ فِي مُلْكِ الصِّينِ. وَالصِّينُ لَا يَحْتَاجُونَ إِلَى أَنْ يُسَافِرُوا فِي مُلْكِ غَيْرِهِمْ; لِكَثْرَةِ أَمْوَالِهِمْ وَمَتَاعِهِمْ، وَغَيْرُهُمْ مُحْتَاجٌ إِلَيْهِمْ; لِمَا عِنْدَهُمْ مِنَ الْمَتَاعِ وَالدُّنْيَا الْمُتَّسِعَةِ، وَسَائِرُ مُلُوكِ تِلْكَ الْبِلَادِ تُؤَدِّي إِلَى مَلِكِ الصِّينَ الْخَرَاجَ; لِقَهْرِهِ وَكَثْرَةِ جُنْدِهِ وَعُدَدِهِ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الرُّسُلَ لَمَّا دَخَلُوا عَلَى مَلِكِ الصِّينِ وَجَدُوا مَمْلَكَةً عَظِيمَةً، وَجُنْدًا كَثِيرًا، وَمَدِينَةً حَصِينَةً ذَاتَ أَنْهَارٍ وَأَسْوَاقٍ، وَحُسْنٍ وَبَهَاءٍ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ فِي قَلْعَةٍ عَظِيمَةٍ حَصِينَةٍ، بِقَدْرِ مَدِينَةٍ كَبِيرَةٍ، فَقَالَ لَهُمْ مَلِكُ الصِّينِ: مَا أَنْتُمْ؟ وَكَانُوا ثَلَاثَمِائَةِ رَسُولٍ عَلَيْهِمْ هُبَيْرَةُ فَقَالَ الْمَلِكُ لِتُرْجُمَانِهِ: قُلْ لَهُمْ: مَا أَنْتُمْ وَمَا تُرِيدُونَ؟ فَقَالُوا: نَحْنُ رُسُلُ قُتَيْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ، وَهُوَ يَدْعُوكَ إِلَى الْإِسْلَامِ، فَإِنْ لَمْ
পৃষ্ঠা - ৭৪৪৬
তার স থীদেবকে বললেন, “এদেরকে তোমরা কেমন দেখলে ?” তার বলল, এর তে
আগের লোকদের চেহরার মতই মনে হয় বরং এর তারাই ৷৩ তৃতীয় দিনে আবার তিনি তাদের
নিকট লোক প্রেরণ করলেন এবং তাদেরকে বললেন, তোমরা কি পােশাকে ও কেমন করে
তোমরা তোমাদের দুশমনের মুকাবিলা কর ৷ তখন তার তাদের অস্ত্রশস্ত্র পরিধান করলেন,
মাথায় লোহার টুপি পরিধান করলেন, টুপির নীচে টুপি সৎরক্ষণকরী পরিধান করলেন, কোমরে
তলেয়ার রাধলেন ৷৩ তীরদ নী পিঠে বীধলেন এবং তীরদানীর মধ্যেও তীর সংগ্রহ করে রখলেন ৷
তার তাদের ঘোড়ার পিঠে আরােহ্যণ করলেন এবং পাহাড়ের ন্যায় সুশৃৎখলভ ৩বে সামনের
দিকে অগ্রসর হলেন যখন মুসলমান সৈন্যগণ সম্রাটের নিকটবর্তী হলেন, তখন তার তাদের
তীর ভুমিতে প্রেথিত করলেন ৷ তারপর তার তার দিকে দৌড়িয়ে অগ্রসর হলেন ৷ তখন
তাদেরকে বল হলো, ফিরে যাও ৷ তার ফিরে গেলেন এবং তাদের ঘোড়ার তার আরোহণ
করলেন ৷ তাদের তীর তার টেনে বের করে নিলেন এবংত তাদের ঘোড়া তার পরিচালনা
করতে লাগলেন ৷ ঘোড়া যেন তাদেরকে উড়িয়ে নিয়ে যচ্ছিল ৷ চীনাবাসীদের অন্তরে
ভয় ভীতির সঞ্চার হওয়ার কারণে তাদের ফিরে যেতে বলা হয়েক্রি৷ ৷ তার চলে যাওয়ার পর
সম্রাট তার স থীদেরকে বললেন, তোমরা তাদেরকে কেমন দেখলে ? তখন তার প্রতি উত্তরে
বলল, “তাদের মত এরুপ সুসজ্জিত বাহিনী আমরা আর কোন ক লে দেখিনি ৷” যখন বিকাল
রেল হলো, তখন সম্রাট মুসলিম সৈন্যদের কাছে লোক প্রেরণ করে বললেন, তোমরা আমার
কাছে তোমাদের নেত ও উত্তম লোকঢিকে প্রেরণ কর ৷ তার তখন সম্রাটের কাছে
হুবায়রাহকে প্রেরণ করলেন ৷ হবায়রহ যখন সম্রাটের কাছে প্রবেশ করলেন ৷ সম্রাট তাকে
বললেন, তোমরা আমার দেশের বিশালত ও প্রকাওত দেখলে ৷ আর তোমাদেরকে আমার
থেকে রক্ষা কররও যে কেউ নেইত ও দেখলে ৷ অধিকন্তু তোমরা আমার হাতের তলুতে
ডিমের ন্যায় অবস্থান করছ ৷ আমি তোমাকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাস করব ৷ যদি আমার কাছে
সত্যি বল তাহলে ভাল কথা, অন্যথায় আমি তোমাকে হত্যা করব ৷ হুবায়রাহ বললেন, প্রশ্ন
করুন সম্রাট বললেন, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে তোমরা যা কিছু করলে, বলত, তোমরা
এরুপ কেন করলে ? হুবায়রাহ বললেন, আমাদের প্রথম দিনের পোশাক হচ্ছে আমাদের
পরিবারপরিজন ও চিকিৎসকের কাছে পরিধানযোগ্য পোশাক আর দ্বিতীয় দিন আমরা যে
পোশাক পরিধান করেছি ত আমরা যখন আমাদের আমীরের কাছে গমন করি, তখন ত
পরিধান করে থাকি ৷ আর তৃতীয় দিন আমরা যে পোশাক পরেছি ত হলে যখন আমরা শত্রুর
মুকবিল করি ৷ সম্রাট বললেন, আহ্ কি সুন্দর করে তোমরা তোমাদেরকে সজ্জিত করেছ ৷
এখন তোমরা তোমাদের সথী কুতয়বার কাছে চলে যাও এবং তাকে বলে সেও যেন আমার
দেশ থেকে চলে যায় ৷ কেননা, আমি তার লোভের কথ বুঝেছি এবং তার সথীদের সংখ্যার
স্বল্পতাও আমি অনুধাবন করেছি ৷ অন্যথায় আমি তোমাদের প্রতি এমন সংখ্যক সৈন্য প্রেরণ
করব, যারা তোমাদেরকে নির্মুল করে দেবে ৷ হুবায়রাহ তখন তাকে বললেন : আপনি কি
কুতয়বাহকে এ কথা বলছেন ? তার সৈন্য সংখ্যা কেমন করে স্বল্প হবেযার প্রথমাৎশ আপনার
দেশে আর পেষৎশযয়তুন উৎপাদনের দেশে ৷ আর তিনি কেমন করে লোভী হবেন, যিনি
দুনিয়ার সহায়-সম্পদের মালিক হওয় সত্বেও সেগুলো ভোগ ন করে আপনার দােশ যুদ্ধ করতে
এসেছেন আর আপনি যে আমাদেরকে হত্যা করার ভয় দেখাচ্ছেন তার ব্যাপারে আমাদের
বক্তব্য হলো এই, আমরা জানি আমাদের একদিন মৃত্যু আছে ৷ ত আসবেই ৷ এ মৃত্যুর মধ্যে
আমাদের কাছে সম্মানিত মৃত্যু হলো নিহত হওয়ার শাহদতবরণ করা ৷ এ মৃত্যুকে আমরা
ণোণোণো
تَفْعَلْ فَالْجِزْيَةُ، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَالْحَرْبُ. فَغَضِبَ الْمَلِكُ، وَأَمَرَ بِهِمْ إِلَى دَارٍ، فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ دَعَاهُمْ فَقَالَ لَهُمْ: كَيْفَ تَكُونُونَ فِي عِبَادَةِ إِلَهِكُمْ؟ فَصَلَّوُا الصَّلَاةَ عَلَى عَادَتِهِمْ، فَلَمَّا رَكَعُوا وَسَجَدُوا ضَحِكَ مِنْهُمْ، فَقَالَ: كَيْفَ تَكُونُونَ فِي بُيُوتِكُمْ؟ فَلَبِسُوا ثِيَابَ مِهَنِهِمْ، فَأَمَرَهُمْ بِالِانْصِرَافِ. فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ أَرْسَلَ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ: كَيْفَ تَدْخُلُونَ عَلَى مُلُوكِكُمْ؟ فَلَبِسُوا الْوَشْيَ وَالْعَمَائِمَ وَالْمَطَارِفَ، وَدَخَلُوا عَلَى الْمَلِكِ فَقَالَ لَهُمْ: ارْجِعُوا. فَرَجَعُوا فَقَالَ الْمَلِكُ لِأَصْحَابِهِ: كَيْفَ رَأَيْتُمْ هَؤُلَاءِ؟ فَقَالُوا: هَذِهِ أَشْبَهُ بِهَيْئَةِ الرِّجَالِ مِنْ تِلْكَ الْمَرَّةِ الْأُولَى، وَهُمْ أُولَئِكَ.
فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الثَّالِثُ، أَرْسَلَ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ لَهُمْ: كَيْفَ تَلْقَوْنَ عَدُوَّكُمْ؟ فَشَدُّوا عَلَيْهِمْ سِلَاحَهُمْ وَلَبِسُوا الْمَغَافِرَ وَالْبَيْضَ، وَتَقَلَّدُوا السُّيُوفَ، وَتَنْكَبُّوا الْقِسِيَّ، وَأَخَذُوا الرِّمَاحَ، وَرَكِبُوا خُيُولَهُمْ وَمَضَوْا، فَنَظَرَ إِلَيْهِمْ مَلِكُ الصِّينِ فَرَأَى أَمْثَالَ الْجِبَالِ مُقْبِلَةً، فَلَمَّا قَرُبُوا مِنْهُ رَكَزُوا رِمَاحَهُمْ، ثُمَّ أَقْبَلُوا نَحْوَهُ مُشَمِّرِينَ، فَقِيلَ لَهُمْ: ارْجِعُوا وَذَلِكَ لِمَا دَخَلَ قُلُوبَ أَهْلِ الصِّينِ مِنَ الْخَوْفِ مِنْهُمْ فَانْصَرَفُوا فَرَكِبُوا خُيُولَهُمْ، وَاخْتَلَجُوا رِمَاحَهُمْ، ثُمَّ سَاقُوا خُيُولَهُمْ، كَأَنَّهُمْ يَتَطَارَدُونَ بِهَا، فَقَالَ الْمَلِكُ لِأَصْحَابِهِ: كَيْفَ تَرَوْنَهُمْ؟ فَقَالُوا: مَا رَأَيْنَا مِثْلَ هَؤُلَاءِ قَطُّ.
فَلَمَّا أَمْسَوْا بَعَثَ إِلَيْهِمُ الْمَلِكُ; أَنِ ابْعَثُوا إِلَيَّ زَعِيمَكُمْ وَأَفْضَلَكُمْ. فَبَعَثُوا إِلَيْهِ هُبَيْرَةَ، فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ حِينَ دَخَلَ عَلَيْهِ: قَدْ رَأَيْتُمْ عِظَمَ مُلْكِي، وَلَيْسَ أَحَدٌ يَمْنَعُكُمْ مِنِّي وَأَنْتُمْ بِمَنْزِلَةِ الْبَيْضَةِ فِي كَفِّي، وَأَنَا سَائِلُكُ عَنْ أَمْرٍ فَإِنْ لَمْ تَصْدُقْنِي قَتَلْتُكَ. فَقَالَ: سَلْ. فَقَالَ الْمَلِكُ: لِمَ صَنَعْتُمْ مَا صَنَعْتُمْ مِنْ زِيٍّ أَوَّلَ يَوْمٍ وَالثَّانِيَ وَالثَّالِثَ؟ فَقَالَ: أَمَّا زِيُّنَا أَوَّلَ يَوْمٍ فَهُوَ لِبَاسُنَا فِي أَهْلِنَا وَنِسَائِنَا، وَطِيبُنَا عِنْدَهُمْ،
পৃষ্ঠা - ৭৪৪৭
وَأَمَّا مَا فَعَلْنَا ثَانِيَ يَوْمٍ فَهُوَ زِيُّنَا إِذَا دَخَلْنَا عَلَى مُلُوكِنَا، وَأَمَّا زِيُّنَا ثَالِثَ يَوْمٍ فَهُوَ إِذَا لَقِينَا عَدُوَّنَا، فَقَالَ الْمَلِكُ: مَا أَحْسَنَ مَا دَبَّرْتُمْ دَهْرَكُمْ! انْصَرِفُوا إِلَى صَاحِبِكُمْ يَعْنِي قُتَيْبَةَ وَقُولُوا لَهُ: يَنْصَرِفُ رَاجِعًا عَنْ بِلَادِي; فَإِنِّي قَدْ عَرَفْتُ حِرْصَهُ وَقِلَّةَ أَصْحَابِهِ، وَإِلَّا بَعَثْتُ إِلَيْكُمْ مَنْ يُهْلِكُكُمْ عَنْ آخِرِكُمْ. فَقَالَ لَهُ هُبَيْرَةُ: تَقُولُ لِقُتَيْبَةَ هَذَا؟ فَكَيْفَ يَكُونُ قَلِيلَ الْأَصْحَابِ مَنْ أَوَّلُ خَيْلِهِ فِي بِلَادِكَ وَآخِرُهَا فِي مَنَابِتِ الزَّيْتُونِ؟! وَكَيْفَ يَكُونُ حَرِيصًا مَنْ خَلَّفَ الدُّنْيَا قَادِرًا عَلَيْهَا، وَغَزَاكَ فِي بِلَادِكَ؟! وَأَمَّا تَخْوِيفُكَ إِيَّانَا بِالْقَتْلِ فَإِنَّا نَعْلَمُ أَنَّ لَنَا أَجَلًا إِذَا حَضَرَ، فَأَكْرَمُهَا عِنْدَنَا الْقَتْلُ فَلَسْنَا نَكْرَهُهُ وَلَا نَخَافُهُ. فَقَالَ الْمَلِكُ: فَمَا الَّذِي يُرْضِي صَاحِبَكُمْ؟ فَقَالَ: قَدْ حَلَفَ أَنَّهُ لَا يَنْصَرِفُ حَتَّى يَطَأَ أَرْضَكَ، وَيَخْتِمَ مُلُوكَكَ، وَيَجْبِيَ الْجِزْيَةَ مِنْ بِلَادِكَ. فَقَالَ الْمَلِكُ: أَنَا أَبِرُّ يَمِينَهُ وَأُخْرِجُهُ مِنْهَا; أُرْسِلُ إِلَيْهِ بِتُرَابٍ مِنْ أَرْضِي، وَأَرْبَعِ غِلْمَانٍ مِنْ أَبْنَاءِ الْمُلُوكِ، وَأُرْسِلُ إِلَيْهِ ذَهَبًا كَثِيرًا، وَحَرِيرًا وَثِيَابًا صِينِيَّةً لَا تُقَوَّمُ، وَلَا يَدْرِي أَحَدٌ قَدْرَهَا، ثُمَّ جَرَتْ لَهُمْ مَعَهُ مُقَاوَلَاتٌ كَثِيرَةٌ، ثُمَّ شَرَعَ يَتَهَدَّدُهُمْ فَتَهَدَّدُوهُ، وَيَتَوَعَّدَهُمْ فَتَوَعَّدُوهُ، ثُمَّ اتَّفَقَ الْحَالُ عَلَى أَنْ بَعَثَ صِحَافًا مَنْ ذَهَبٍ مُتَّسِعَةً، فِيهَا تُرَابٌ مِنْ أَرْضِهِ لِيَطَأَهُ قُتَيْبَةُ، وَبَعَثَ بِجَمَاعَةٍ مِنْ أَوْلَادِهِ وَأَوْلَادِ الْمُلُوكِ لِيَخْتِمَ رِقَابَهُمْ، وَبَعَثَ بِمَالٍ جَزِيلٍ لِيَبِرَّ بِيَمِينِ قُتَيْبَةَ، وَقِيلَ: إِنَّهُ بَعَثَ أَرْبَعَمِائَةٍ مِنْ أَوْلَادِهِ وَأَوْلَادِ الْمُلُوكِ.
فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى قُتَيْبَةَ مَا أَرْسَلَهُ مَلِكُ الصِّينِ قَبِلَ ذَلِكَ مِنْهُ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ كَانَ قَدِ انْتَهَى إِلَيْهِ خَبَرُ مَوْتِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَانْكَسَرَتْ هِمَّتُهُ لِذَلِكَ، وَقَدْ عَزَمَ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ الْبَاهِلِيُّ عَلَى عَدَمِ مُبَايَعَةِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَأَرَادَ الدَّعْوَةَ إِلَى نَفْسِهِ; لِمَا تَحْتَ يَدِهِ مِنَ الْعَسَاكِرِ، وَلِمَا فَتَحَ مِنَ الْبِلَادِ وَالْأَقَالِيمِ، فَلَمْ
পৃষ্ঠা - ৭৪৪৮
খারাপও জানি না, ভয়ও করি না ৷ তখন সম্রাট বললেন, তোমাদের সেনাপতি কি পেলে খুশী
হবেন ? তিনি বললেন, আমাদের সেনাপতি শপথ করেছেন যে, আপনার দেশে পদচারণা করা
ও আপনার রাজতুকে ধ্বংস করা এবং আপনাদের দেশ থেকে কর সংগ্রহ ব্যতীত তিনি স্বদেশে
প্রত্যাবর্তন করবেন না ৷ সম্রাট বললেন, আমি তার শপথকে রক্ষা করব এবং তাকে আমার
দেশ থেকে বের হয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবাে ৷ আমি তার কাছে আমার দেশের কিছু মাটি
প্রেরণ করব ৷ শাহযাদাদের মধ্য থেকে চারজন পােলামকে প্রেরণ করব ৷ তার কাছে প্রচুর স্বর্ণ,
রেশমী কাপড়, অমুল্য চীনা কাপড় যেগুলোর মুল্য সহজে অনুমান করা যায় না, তার কাছে
প্রেরণ করব ৷ তারপর তাদের কুতায়বার সাথে সম্রাটের অনেক কথাবার্তা হলো এবং স্থির হলো
যে, সম্রাট স্বর্ণের কিছু বড় বড় পাত্র প্রেরণ করবেন, যেগুলোর মধ্যে থাকবে তার দেশের কিছু
মাটি যাতে কুতায়বা ত৷ পা দিয়ে মাড়াতে পারবে ৷ তার বংশধরের একদল, ছেলেমেয়ে এবং
অন্যান্য রাজপরিবারের কিছু ছেলে-যেয়েও প্রেরণ করা হবে যাদের ইচ্ছে করলে কুতায়বা খতম
বা হত্যা করতে পারেন আর প্রচুর সম্পদ প্রেরণ করবেন যাতে কুতায়বা তার শপথ রক্ষা করতে
পারেন ৷ কথিত আছে যে, সম্রাট তার ছেলে-মেয়েদের এবং অন্যান্য শাহযাদাদের চারশতের
একটি দল প্রেরণ করেছিলেন ৷ চীনের সম্রাট কুতায়বার কাছে যা কিছু প্রেরণ করলেন তিনি তা
গ্রহণ করলেন ৷ তার কারণ হলো, আমীরুল মু’মিনীন আল ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিকের
মৃত্যুর খবর তার কাছে পৌছেছিল, তাতে তিনি সাহস হারিয়ে ফেলেন ৷ অন্যদিকে কুতায়বা
ইবন মুসলিম আল বাহিলীও নব মনোনীত সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের বায়আত বর্জন
করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং তার নিয়ন্ত্রণে প্রচুর সৈন্য সামন্ত থাকায় খিলাফতের
দাবীদার হিসেবে তিনি নিজেকে ভাবতে লাপলেন ৷ কিন্তু বিভিন্ন শহর, দেশ ও প্রদেশ বিজয়
হওয়ার কারণে তা তার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠেনি ৷ অধিরক্ষ্ম এ বছরের শেষের দিকে তিনি নিহত
হন ৷ তার উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক ৷ কথিত আছে যে, তার হাতে কোন ইসলামী
ঝাণ্ডা ভেঙ্গে যায়নি ৷ তিনি ছিলেন আল্লাহর পথে জিহাদকারীদের অন্যতম ৷ তার আয়ত্তে যে
বিরাট সৈন্যদল একত্রিত হয়েছিল কারো ক্ষেত্রে এরুপ সম্ভব হয়নি ৷
এ বছরেই মাসলামা ইবন আবদুল মালিক আস-সাইফার (গ্রীষ্মকালীন) যুদ্ধ করেন ৷ এ
বছরেই আল-আব্বাস ইবন আলওয়ালীদ রোম ভুখণ্ডে যুদ্ধ করেন ৷ তিনি রোমের শহরগুলোর
মধ্য হতে তুলাস ও মারযাবানীন নামক শহরগুলো জয় করেন ৷
এ বছরেই আমীরুল মু’মিনীন আল-ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান
(র) এর হাতে দামেশকের জামি মসজিদের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয় ৷ (মহান আল্লাহ্ র্তাকে
উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন ৷) এ মসজিদের জায়গায় পুর্বে একটি গির্জা ছিল্ ৷ গ্রীক্
কাললদানীরা দামেশৃক শহর আবাদ করার সময় এটা নির্মাণ করেছিলেন ৷ আর তারাই প্রথম
দামেশৃক শহরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন ও পরিপুভৈাবে নির্মাণ করেছিলেন ৷ আর
তারাই ছিলেন প্রথম যারা দামেশৃক শহরকে মনের মত করে নির্মাণ করেছিলেন ও
সাজািয়ছিলেন ৷ তারা সাতটি নির্দিষ্ট নক্ষত্রের ইবাদতউপাসনা করতো ৷ আর তারা মনে করত
যে, দুনিয়ার আকাশে রয়েছে চন্দ্র, দ্বিতীয় আকাশে রয়েছে উতারিদ, তৃতীয় আকাশে রয়েছে
যুহরাহ্ ৷ চতুর্থ আকাশে রয়েছে সুর্য, পঞ্চম আকাশে রয়েছে আল মিররীখ, ষষ্ঠ আকাশে
রয়েছে আল মুশতারী, সপ্তম আকাশে রয়েছে যুহল ৷ তারা দামেশৃক শহরের প্রতিটি দরযায়
প্রতিটি নক্ষত্রের এক একটি মুর্তি স্থতাপন করেছিল ৷ তাদের দেবতার সংখ্যাও ছিল সাতটি ৷ আর
দামেশকের দৱযাও তৈরী করা হয়েছিল সাতটি ৷ তাই প্রতিটি দরযায় এক একটি দেবতার মুর্তি
স্থাপন করা হয়েছিল ৷ বৎসরের মধ্যে প্রতিটি দরযা ও মুর্তির কাছে তারা একবার ঈদ উপযাপন
يُمْكِنْهُ ذَلِكَ، ثُمَّ قُتِلَ فِي آخِرِ هَذِهِ السَّنَةِ، رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى، فَإِنَّهُ يُقَالُ: إِنَّهُ مَا كُسِرَتْ لَهُ رَايَةٌ. وَكَانَ مِنَ الْمُجَاهِدِينَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَاجْتَمَعَ لَهُ مِنَ الْعَسَاكِرِ مَا لَمْ يَجْتَمِعْ لِغَيْرِهِ.
وَفِيهَا غَزَا مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الصَّائِفَةَ، وَغَزَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ الرُّومَ، فَفَتَحَ طُولَسَ وَالْمَرْزُبَانَيْنِ مِنْ بِلَادِ الرُّومِ.
وَفِيهَا تَكَامَلَ بِنَاءُ الْجَامِعِ الْأُمَوِيِّ بِدِمَشْقَ عَلَى يَدِ بَانِيهِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، جَزَاهُ اللَّهُ عَنِ الْمُسْلِمِينَ خَيْرَ الْجَزَاءِ، وَكَانَ أَصْلُ مَوْضِعِ هَذَا الْجَامِعِ قَدِيمًا مَعْبَدًا بَنَتْهُ الْيُونَانُ الْكُلْدَانِيُّونَ الَّذِينَ كَانُوا يَعْمُرُونَ دِمَشْقَ، وَهُمُ الَّذِينَ وَضَعُوهَا وَعَمَرُوهَا أَوَّلًا; فَهُمْ أَوَّلُ مَنْ بَنَاهَا، وَقَدْ كَانُوا يَعْبُدُونَ الْكَوَاكِبَ السَّبْعَةَ الْمُتَحَيِّرَةَ; وَهِيَ الْقَمَرُ فِي السَّمَاءِ الدُّنْيَا، وَعُطَارِدُ فِي السَّمَاءِ الثَّانِيَةِ، وَالزُّهْرَةُ فِي السَّمَاءِ الثَّالِثَةِ، وَالشَّمْسُ فِي الرَّابِعَةِ، وَالْمِرِّيخُ فِي الْخَامِسَةِ، وَالْمُشْتَرِي فِي السَّادِسَةِ، وَزُحَلُ فِي السَّابِعَةِ. وَكَانُوا قَدْ صَوَّرُوا عَلَى كُلِّ بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ دِمَشْقَ هَيْكَلًا لِكَوْكَبٍ مِنْ هَذِهِ الْكَوَاكِبِ السَّبْعَةِ، وَكَانَتْ أَبْوَابُ دِمَشْقَ سَبْعَةً، وَضَعُوهَا قَصْدًا لِذَلِكَ، فَنَصَبُوا هَيَاكِلَ سَبْعَةً لِكُلِّ كَوْكَبٍ هَيْكَلٌ، وَكَانَ لَهُمْ عِنْدَ كُلِّ بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ دِمَشْقَ عِيدٌ فِي السَّنَةِ، وَهَؤُلَاءِ هُمُ الَّذِينَ وَضَعُوا الْأَرْصَادَ، وَتَكَلَّمُوا عَلَى حَرَكَاتِ الْكَوَاكِبِ وَاتِّصَالَاتِهَا وَمُقَارَنَتِهَا، وَبَنَوْا دِمَشْقَ، وَاخْتَارُوا لَهَا هَذِهِ الْبُقْعَةَ إِلَى جَانِبِ الْمَاءِ الْوَارِدِ مِنْ بَيْنِ هَذَيْنِ
পৃষ্ঠা - ৭৪৪৯
الْجَبَلَيْنِ، وَصَرَّفُوهُ أَنْهَارًا تَجْرِي إِلَى الْأَمَاكِنِ الْمُرْتَفِعَةِ وَالْمُنْخَفِضَةِ، وَسَلَكُوا الْمَاءَ فِي أَفْنَاءِ أَبْنِيَةِ الدُّورِ بِدِمَشْقَ، فَكَانَتْ دِمَشْقُ فِي أَيَّامِهِمْ مِنْ أَحْسَنِ الْمُدُنِ، بَلْ هِيَ أَحْسَنُهَا لِمَا فِيهَا مِنَ التَّصَارِيفِ الْعَجِيبَةِ.
وَبَنَوْا هَذَا الْمَعْبَدَ وَهُوَ الْجَامِعُ الْيَوْمَ إِلَى جِهَةِ الْقُطْبِ، وَكَانُوا يُصَلُّونَ إِلَى الْقُطْبِ الشَّمَالِيِّ، وَكَانَتْ مَحَارِيبُهُ تُجَاهَ الشَّمَالِ، وَكَانَ بَابُ مَعْبَدِهِمْ يُفْتَحُ إِلَى جِهَةِ الْقِبْلَةِ، خَلْفَ الْمِحْرَابِ الْيَوْمَ، كَمَا شَاهَدْنَا ذَلِكَ عِيَانًا، وَرَأَيْنَا مَحَارِيبَهُمْ إِلَى جِهَةِ الْقُطْبِ، وَرَأَيْنَا الْبَابَ، وَهُوَ بَابٌ حَسَنٌ، مَبْنِيٌّ بِحِجَارَةٍ مَنْقُوشَةٍ، وَعَلَيْهِ كِتَابٌ بِخَطِّهِمْ، وَعَنْ يَمِينِهِ وَيَسَارِهِ بَابَانِ صَغِيرَانِ بِالنِّسْبَةِ إِلَيْهِ، وَكَانَ غَرْبِيَّ الْمَعْبَدِ قَصْرٌ مُنِيفٌ جِدًّا، تَحْمِلُهُ هَذِهِ الْأَعْمِدَةُ الَّتِي بِبَابِ الْبَرِيدِ، وَشَرْقِيَّ الْمَعْبَدِ قَصْرُ جَيْرُونَ الْمَلِكِ الَّذِي كَانَ مَلِكَهُمْ وَكَانَ هُنَاكَ دَارَانِ عَظِيمَتَانِ مُعَدَّتَانِ لِمَنْ يَتَمَلَّكُ دِمَشْقَ قَدِيمًا مِنْهُمْ.
وَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ مَعَ الْمَعْبَدِ ثَلَاثُ دُورٍ عَظِيمَةٍ لِلْمُلُوكِ، وَيُحِيطُ بِهَذِهِ الدُّورِ وَالْمَعْبَدِ سُورٌ وَاحِدٌ عَالٍ مُنِيفٌ، بِحِجَارَةٍ كِبَارٍ مَنْحُوتَةٍ; وَهُنَّ دَارُ الْمُطْبِقِ، وَدَارُ الْخَيْلِ، وَدَارٌ كَانَتْ تَكُونُ مَكَانَ الْخَضْرَاءِ الَّتِي بَنَاهَا مُعَاوِيَةُ.
قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِيمَا حَكَاهُ عَنْ كُتُبِ بَعْضِ الْأَوَائِلِ: إِنَّهُمْ مَكَثُوا يَأْخُذُونَ الطَّالِعَ لِبِنَاءِ دِمَشْقَ، وَهَذِهِ الْأَمَاكِنَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَقَدْ حَفَرُوا أَسَاسَ الْجُدْرَانِ حَتَّى وَافَاهُمُ الْوَقْتُ الَّذِي طَلَعَ فِيهِ الْكَوْكَبَانِ اللَّذَانِ أَرَادُوا أَنَّ الْمَسْجِدَ
পৃষ্ঠা - ৭৪৫০
করত ৷ তারা এদেরকে তাদের পাহারাদাৱ মনে করত এবং তারা নক্ষত্রগুলোর চলাচল, সংযোগ
ও বিচ্ছিন্নতা সম্বন্ধে নানারুপ মনগড়া মন্তব্য করত ৷ তারা দামেশৃক শহরকে অতি সুন্দর ভিত্তির
উপর নির্মাণ করেছিল ৷ আর স্ট্র পাহাড়ের মধ্যবর্তী ঝরণার পাশে বিস্তীর্ণ মাঠ নির্মাণ করেছিল ৷
যেখানে বিভিন্ন ধরনের খাল ও নাল৷ তৈরী করেছিল ৷ যেগুলো উচুষ্নীচু বিস্তীর্ণ এলাকা দিয়ে
প্রবাহিত হতো ৷ দামেশকের প্রতিটি বাড়ীর আঙ্গিনায় পানি প্রবাহিত হওয়ার ব্যবস্থা তারা গ্রহণ
করেছিল ৷ তাদের সময়ে দামেশৃক একটি অন্যতম সুন্দর বরং সুন্দরতম শহর হিসেবে স্বীকৃতি
লাভ করেছিল ৷ কেননা, তাতে ছিল মনােমুগ্ধকর ও বিস্ময়কর ব্যবস্থাদি ৷ তারা পুর্বেকার গির্জা
ও এখনকার জামি মসজিদটি দামেস্ক শহরের উত্তর প্রান্তে নির্মাণ করেছিল ৷ আর তারা উত্তর ণ্
বা ধ্রুবতারার দিকে মুখ করে সালাত আদায় করত ৷ তাদের মসজিদের মিহরাবও ধ্রুবতারার
দিকেই অবস্থিত ছিল এবং তাদের গির্জার দরযা কিবলার দিকেই খুলত ৷ আজকাল মিহরাবের
পিছনেই দরযা নির্মিত হয়েছে ৷ যেমন আমরা দৃশ্যত দেখতে পাই ৷ তাদের গির্জা বা মসজিদের
দরযা খুব সুন্দরভাবে নকশাদার পাথর দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল ৷ তার উপরে তাদের ভাষায়
অনেক কিছু লিপিবদ্ধ ছিল ৷ গির্জার বাম দিকে ছিল বড় দরয়াঢির ত্যুানায় ছোট দুটি দরযা ৷
আর এর নাম দিক বা গির্জার পশ্চিম দিকে ছিল বিরাট একটি প্রাসাদ যার স্তম্ভগুলো বাবুল
বারীদ বা ডাক হরকরার দরযার সাথে সংযোজিত ছিল ৷ গির্জার পুর্ব দিকেও একটি রাষ্টীয়
প্রাসাদ ছিল যেখানে তাদের সম্রাট থাকতেন ৷ সেখানে আবার দুটি বড় হল ছিল ৷ এগুলোর
মধ্যে তারাই বসবাস করতেন যারা পুর্বে দামেস্ক শাসন করতেন ৷ কথিত আছে যে, এ গির্জার
সাথে শাসকদের জন্যও তিনটি বড় বড় প্রাসাদ ছিল ৷ এ তিনটি প্রাসাদ ও গির্জাকে একটি সুউচ্চ
প্রচীর ঘেরাও করে রেখেছিল ৷ প্রাচীরটি বড় বড় সবুজ পাথরের তৈরী ৷ সেখানেই ছিল
সেবকদের এবং ঘোড়ার ঘর ৷ আর সেখানেই ছিল সবুজ বর্ণের একটি বিরাট প্রাসাদ যা হযরত
আমীর মুআবিয়া (বা) নির্মাণ করেছিলেন ৷
পুর্বেক৷ র লোকদের পুস্তকাদি হতে গৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ইবন আসড়াকির বলেন৪ গ্রীকরা
দামেশৃক শহর ও এ সব প্র৷ ৷সাদ নির্মাণের জন্য আঠার বছর যাবত পারদর্শী স্থপতি এবং রাশি
চক্রের খোজ করছিল ৷ দেওয়ড়ালের ভিত্তি খনন করে তারা অপেক্ষা করতে লাগল ৷ এরপর
তাদের ধারণার এমন এক সময় এসে গেল যখন দুটো নক্ষত্র উদয় হয়েছিল ৷ তখন তারা মনে
করতে লাগল যে, এখন যদি গির্জাটি নির্মাণ করা হয়, তাহলে এটা আর কোন দিনও ধ্বংস
হয়ে না এবং এটা উপাসনা থেকেও খালী হবে না ৷ আর এ সময় যে ঘরটি তৈরী করা হবে, তা
কোন দিনও বাদশাহ্ ও শাসকের ঘর হিসেবে গণ্য না হয়ে থাকতে পারে না ৷ আল্লামা ইবন
কাহীর (র) বলেন, গির্জা কোন সময় উপাসনা থেকে খালী হয় না ৷ কাব আল-আহবার (র)
বলেন, গির্জার উপাসনা হতে কিয়ামত পর্যন্ত খালী হয় না ৷ তবে সেখানের তৈরী
রাজ-প্রাসাদটির নাম হলো খাযরা’ ৷ হযরত মুআবিয়৷ (রা) এটাকে পুনঃনির্মাণ করেন ৷ তা
চারশত একয়ট্টি হিজরীতে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ এ সম্বন্ধে পরে বিস্তারিত আলোচনা হবে ৷
তারপর প্রাসাদটি গরীব, মিসকীন ও অসহায় লোকদের বাসস্থান হিসেবে আজ পর্যন্ত বিবেচিত
হয়ে আসছে ৷ আসলে গ্রীকরা দামেশৃক শহরকে যেভাবে আবাদ করেছিলেন সেভাবে তা চার
হাজার বছর পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল ৷ এ সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে যিনি চারটি গির্জার ভিত্তি প্রস্তর
স্থাপন করেছিলেন তিনি হলেন হযরত হ্রদ (আ) ৷ আর তিনি ছিলেন ইব্রাহীম (আ)-এর
: বহুদিন পুর্বের যুগের ৷ ইব্রাহীম (আ) যখন দামেশৃক আগমন করেন, তখন তিনি দামেশকের
উত্তরাংশে শবারযাহ্’ নামক স্থানে অবতরণ করেন ৷ তিনি সেখানে তার দুশমনদের একটি দলের
لَا يَخْرُبُ أَبَدًا وَلَا تَخْلُو مِنْهُ الْعِبَادَةُ، وَأَنَّ هَذِهِ الدَّارَ إِذَا بُنِيَتْ لَا تَخْلُو مِنْ أَنْ تَكُونَ دَارَ الْمَلِكِ وَالسَّلْطَنَةِ. قُلْتُ: أَمَّا الْمَعْبَدُ فَلَمْ يَخْلُ مِنَ الْعِبَادَةِ. قَالَ كَعْبُ الْأَحْبَارِ: لَا يَخْلُو مِنْهَا حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ.
وَأَمَّا دَارُ الْمَلِكِ الَّتِي هِيَ الْخَضْرَاءُ فَقَدْ جَدَّدَ بِنَاءَهَا مُعَاوِيَةُ، ثُمَّ أُحْرِقَتْ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَسِتِّينَ وَأَرْبَعِمِائَةٍ كَمَا سَنَذْكُرُهُ فَبَادَتْ وَصَارَتْ مَسَاكِنَ ضُعَفَاءِ النَّاسِ وَأَرَاذِلِهِمْ فِي الْغَالِبِ إِلَى زَمَانِنَا هَذَا، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْيُونَانَ اسْتَمَرُّوا عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ الَّتِي ذَكَّرْنَاهَا بِدِمَشْقَ مُدَدًا طَوِيلَةً، تَزِيدُ عَلَى أَرْبَعَةِ آلَافِ سَنَةٍ، حَتَّى إِنَّهُ يُقَالُ: إِنَّ أَوَّلَ مَنْ بَنَى جُدْرَانَ هَذَا الْمَعْبَدِ الْأَرْبَعَةَ هُودٌ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَقَدْ كَانَ هُودٌ قَبْلَ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ بِمُدَّةٍ طَوِيلَةٍ.
وَقَدْ وَرَدَ إِبْرَاهِيمُ الْخَلِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، دِمَشْقَ وَنَزَلَ شَمَالِيَّهَا عِنْدَ بَرْزَةَ، وَقَاتَلَ هُنَاكَ قَوْمًا مِنْ أَعْدَائِهِ فَظَفِرَ بِهِمْ، وَنَصَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ، وَكَانَ مَقَامُهُ لِمُقَاتَلَتِهِمْ عِنْدَ بَرْزَةَ. فَهَذَا الْمَكَانُ الْمَنْسُوبُ إِلَيْهِ بِهَا مَنْصُوصٌ عَلَيْهِ فِي الْكُتُبِ الْمُتَقَدِّمَةِ يَأْثِرُونَهُ كَابِرًا عَنْ كَابِرٍ، وَإِلَى زَمَانِنَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَكَانَتْ دِمَشْقُ إِذْ ذَاكَ عَامِرَةً آهِلَةً بِمَنْ فِيهَا مِنَ الْيُونَانِ، وَكَانُوا خَلْقًا لَا يُحْصِيهِمْ إِلَّا اللَّهُ; وَهُمْ خُصَمَاءُ الْخَلِيلِ، وَقَدْ نَاظَرَهُمْ الْخَلِيلُ فِي عِبَادَتِهِمُ الْأَصْنَامَ وَالْكَوَاكِبَ وَغَيْرَهَا فِي غَيْرِ مَوْضِعٍ، كَمَا قَرَّرْنَا ذَلِكَ فِي التَّفْسِيرِ، وَفِي قِصَّةِ
পৃষ্ঠা - ৭৪৫১
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ও তাদের উপর জয়লাভ করেন ৷ আল্লাহ্ তা জানা তাকে তাদের উপর
বিজয় দান করেন ৷ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় তিনি বারযা নামক স্থানে অবস্থান করেন ৷
আর ঐ জায়গাটি তার নামে প্ৰসিদ্ধি লাভকরেছে এবং পুর্বেকার কিতাবগুলোতেও তার উল্লেখ
রয়েছে ৷ যুগে যুগে ইতিহাসবিদপ৷ আজ পর্যন্ত এ জায়গাটির প্রশ ×স৷ করে আসছে ৷ মহান
আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷
দামেশৃক শহরটি ঐ সময় গ্রীকদের দ্বারা উত্তমরুপে আবাদ হয়েছিল ৷ আর তাদের সংখ্যা
এত অধিক ছিল যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ তাদের সঠিক সং ×খ্যা জানত না ৷ তারা ছিল
হযরত ইব্রাহীম (আ) এর শত্রু ৷ ইব্রাহীম (আ) তাদের সাথে মুতিপুজ৷ , নক্ষত্রপুজা ও
অন্যান্য অসামাজিক কার্যকলাপের ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় বিতর্কে উপনীত হয়েছিলেন ৷
আল্লামা ইবন কাহীর (র) বলেন, এ সম্পর্কে আমার লিখিত তাফসীয়ে ও অত্র পুস্তকের
ইব্রাহীম (আ) এর কাহিনীতে বিস্তারিত বর্ণনা রেখেছি ৷
বন্তুত গ্রীকরা দামেশ্ক শহর আবাদ করছিল ৷ তার মধ্যে প্রাসাদ তৈরী করছিল“ ৷ তার
উপশহর হিসেবে হুরান এলাকা, বিকা, বা’লাবাক ও অন্যান্য শহর গড়ে তোলে ৷ এগুলোতেও
বিভিন্ন ধরনের বিস্ময়কর স্থাপত্য গড়ে তোলে ৷ হযরত ঈসা (আ)-এর তিরোধানের প্রায়
তিনশত বছর পর সিরিয়াবাসীরা সম্রটি কুসতৃনভীন ইবন কুসৃতৃনভীনের হাতে খৃন্টান ধর্মে
দীক্ষিত হয় ৷ সম্রাট রোমের প্রসিদ্ধ শহর কুন্তুনৃতীনিয়ার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ও
শহরটিকে গড়ে তোলেন ৷ তিনিই রােমবাসীদের জন্যে বিধি-বিধান প্রণয়ন করেন ৷ প্রথমতঃ
তিনি, তার সম্প্রদায় ও পৃথিবীর অধিকাংশ বাসিন্দাই ছিলেন গ্রীক ৷ খৃষ্টীয় পাদরীরা তাদের
জন্যে এমন একটি ধর্ম আবিষ্কার করেন যেটা খৃক্টানদের মুল ধর্মের সাথে মুর্তিপুজার কিছু
সংমিশ্রণ ছিল ৷ তারা পুর্বদিকে সালাত আদায় করত ৷ সিয়াম পালনে বাড়াবাড়ি করত ৷ শুকরকে
হালাল ঘোষণা করেছিল, তাদের চিন্তা-ধারণা অনুযায়ী তাদের সম্ভানদেরকে বড় আমানত
শিক্ষা দিয়েছিল, কিংন্থ তা ছিল প্রকৃতপক্ষে বড় খিয়ানত ও বহু ধরনের নিকৃষ্ট অপরাধ ৷ আর
এগুলো ছিল নগণ্য ৷ আল্লামা ইবন কাছিৱ (র) বলেন, এ ব্যাপারে আমি পুর্বে বক্তব্য রেখেছি ও
বিবরণ দিয়েছি ৷ এ সম্রাট যার প্ৰতি খৃক্টানদের সরকারী দল সম্পৃক্ত ছিল, তাদের জন্যে
দামেশৃক ও অন্যান্য জায়গায় বড় বড় গির্জা তৈরি করেছিল ৷ এমনকি কথিত আছে যে, সে বার
হাজার গির্জা তৈরী করেছিল ৷ আর এগুলোর জন্যে বহু গৃহ ওয়াক্ফ করে দিয়েছিল ৷ এগুলোর
মধ্য হতে একটি বায়তৃল লাহমের গির্জা এবং অপরটি কুদসে অবস্থিত কুমাম৷ গির্জা ৷ সেটাকে
তৈরী করেছিল উম্মে হায়লানাতাহ আল গান্দাকানিয়া ও অন্যরা ৷
বস্তুত দামেশৃকে অবস্থিত গ্রীকদের কাছে মহা সম্মানিত গির্জাকে খৃন্টানরা ইউহান্না গির্জার
রুপান্তরিত করেছিল ৷ তারা দামেস্কে এটা ব্যতীত অন্যান্য নতুন অনেক গির্জা তৈরী করেছিল ৷
প্রায় তিনশত বছর যাবত খৃক্টানরা দামেশৃক ও অন্যান্য জায়গায় তাদের ধর্মের উপর স্থায়ী
ছিল ৷ এরপর আল্লাহ তা“ আলা হযরত মুহাম্মদ (সা) কে প্রেরণ করেন ৷ এ পুস্তকের সীরাত
পরিচ্ছেদে এ সম্পর্কে কিছু বর্ণনা পেশ করা হয়েছে ৷ বাসুলুল্লাহ্ (সা) তার যুগে রোমের
সম্রাটের কাছে পত্র লিখেছিলেন, যার নাম ছিল হিরাক্লিয়ড়াস ৷ তিনি তাকে মহান আল্লাহ্র পথে
আহ্বান করেছিলেন ৷ তখন সে আবু সুফিয়ানের শরণাপন্ন হয়েছিল এবং তার সাথে
কথোপকথন হয়েছিল যা পুর্বে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ তারপর রাসুলুল্পাহ্ (সা) তিনজন সেনাপতি
যথা যায়দ ইবন হারিছা হ, জা ফর ইবন আবু তালিব ও ইবন রাওয়াহাকে সিরিয়ার সীমান্তে
অবস্থিত বালকায় প্রেরণ করেন ৷ রোমের সম্রাটও তাদের উদ্দেশ্যে বিরাট সৈন্যদল প্রেরণ
إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنْ كِتَابِنَا هَذَا " الْبِدَايَةِ وَالنِّهَايَةِ "، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْيُونَانَ لَمْ يَزَالُوا يَعْمُرُونَ دِمَشْقَ وَيَبْنُونَ فِيهَا وَفِي مُعَامَلَاتِهَا مِنْ أَرْضِ حَوْرَانَ وَالْبِقَاعِ وَبَعْلَبَكَّ وَغَيْرِهَا الْبِنَايَاتِ الْهَائِلَةَ الْغَرِيبَةَ الْعَجِيبَةَ، حَتَّى إِذَا كَانَ بَعْدَ الْمَسِيحِ بِمُدَّةٍ نَحْوٍ مَنْ ثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ تَنَصَّرَ أَهْلُ الشَّامِ عَلَى يَدِ الْمَلِكِ قُسْطَنْطِينَ بْنِ قُسْطَنْطِينَ، الَّذِي بَنَى الْمَدِينَةَ الْمَشْهُورَةَ فِي بِلَادِ الرُّومِ الَّتِي تُنْسَبُ إِلَيْهِ، وَهِيَ الْقُسْطَنْطِينِيَّةُ، وَهُوَ الَّذِي وَضَعَ لَهُمُ الْقَوَانِينَ، وَقَدْ كَانَ أَوَّلًا هُوَ وَقَوْمُهُ وَغَالِبُ أَهْلِ الْأَرْضِ يُونَانًا، وَوَضَعَتْ لَهُ بَطَارِكَةُ النَّصَارَى دِينًا مُخْتَرَعًا مُرَكَّبًا مِنْ أَصْلِ دِينِ النَّصْرَانِيَّةِ مَمْزُوجًا بِشَيْءٍ مِنْ عِبَادَةِ الْأَوْثَانِ، وَصَلَّوْا بِهِ إِلَى الشَّرْقِ، وَزَادُوا فِي الصِّيَامِ، وَأَحَلُّوا الْخِنْزِيرَ، وَعَلَّمُوا أَوْلَادَهُمُ الْأَمَانَةَ الْكَبِيرَةَ فِيمَا يَزْعُمُونَ، وَإِنَّمَا هِيَ فِي الْحَقِيقَةِ خِيَانَةٌ كَبِيرَةٌ، وَجِنَايَةٌ كَثِيرَةٌ حَقِيرَةٌ، وَهِيَ مَعَ ذَلِكَ فِي الْحَجْمِ صَغِيرَةٌ حَقِيرَةٌ نَقِيرَةٌ، وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى ذَلِكَ فِيمَا سَلَفَ وَبَيَّنَّاهُ. فَبَنَى لَهُمْ هَذَا الْمَلِكُ، الَّذِي يَنْتَسِبُ إِلَيْهِ الطَّائِفَةُ الْمَلَكِيَّةُ مِنَ النَّصَارَى كَنَائِسَ كَثِيرَةً فِي دِمَشْقَ وَفِي غَيْرِهَا، حَتَّى يُقَالَ: إِنَّهُ بُنِيَ فِي زَمَانِهِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ أَلْفَ كَنِيسَةً، وَأُوقِفَ عَلَيْهَا أَوْقَافًا دَارَّةً، مِنْ ذَلِكَ كَنِيسَةُ
পৃষ্ঠা - ৭৪৫২
بَيْتِ لَحْمٍ وَقُمَامَةَ بِالْقُدْسِ، بَنَتْهَا أُمُّ هَيْلَانَةَ الْفَنْدَقَانِيَّةُ، وَغَيْرُ ذَلِكَ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُمْ يَعْنِي النَّصَارَى حَوَّلُوا بِنَاءَ هَذَا الْمَعْبَدِ الَّذِي هُوَ بِدِمَشْقَ مُعَظَّمًا عِنْدَ الْيُونَانِ، فَجَعَلُوهُ كَنِيسَةً، وَبَنَوْا لَهُ الْمَذَابِحَ فِي شَرْقِيِّهِ، وَسَمَّوْهُ كَنِيسَةَ مَرْيُحَنَّا. وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: كَنِيسَةُ يُوحَنَّا. وَبَنَوْا بِدِمَشْقَ كَنَائِسَ كَثِيرَةً غَيْرَهَا مُسْتَأْنَفَةً.
وَاسْتَمَرَّ النَّصَارَى عَلَى دِينِهِمْ هَذَا بِدِمَشْقَ وَغَيْرِهَا نَحْوًا مِنْ ثَلَاثِمِائَةِ سَنَةٍ، حَتَّى بَعَثَ اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانَ مِنْ شَأْنِهِ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ مَا ذَكَرْنَا بَعْضَهُ فِي كِتَابِ السِّيرَةِ، مِنْ هَذَا الْكِتَابِ. وَقَدْ بَعَثَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ إِلَى مَلِكِ الرُّومِ فِي زَمَانِهِ وَهُوَ قَيْصَرُ ذَلِكَ الْوَقْتِ وَاسْمُهُ هِرَقْلُ يَدْعُوهُ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَكَانَ مِنْ مُرَاجَعَتِهِ وَمُخَاطَبَتِهِ إِلَى أَبِي سُفْيَانَ صَخْرِ بْنِ حَرْبٍ مَا تَقَدَّمَ.
ثُمَّ بَعَثَ عَلَيْهِ السَّلَامُ أُمَرَاءَهُ الثَّلَاثَةَ; زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ مَوْلَاهُ، وَجَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ، إِلَى الْبَلْقَاءِ مِنْ تُخُومِ الشَّامِ فَبَعَثَ الرُّومُ إِلَيْهِمْ جَيْشًا كَثِيرًا، فَقَتَلُوا هَؤُلَاءِ الْأُمَرَاءَ وَجَمَاعَةً مِمَّنْ مَعَهُمْ مِنَ الْجَيْشِ فَعَزَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قِتَالِ الرُّومِ وَدُخُولِ الشَّامِ عَامَ تَبُوكَ، ثُمَّ رَجَعَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَامَ ذَلِكَ لِشِدَّةِ الْحَرِّ وَضَعْفِ الْحَالِ وَضِيقِهِ عَلَى النَّاسِ.
পৃষ্ঠা - ৭৪৫৩
করেন ৷ এ সেনাপতিরা তাদের সাথে আগত সৈন্যদল সহ নিহত হন ৷ তারপর রাসুল (সা)
রােমীয়দের সাথে যুদ্ধ করতে এবং তাবুকের বছর সিরিয়ার প্রবেশ করতে ইচ্ছে করেছিলেন ৷
কিন্তু তীব্র গরম ও লোকজনের দুরবন্থার দরুন ফেরত আসেন ৷ তারপর রাসুলুল্পাহ (সা) যখন
ইনৃতিকাল করেন, হযরত আবু বকর সিদ্দীক (বা) সিরিয়ার সৈন্যদল প্রেরণ করেন ৷ তাতে
দামেশৃক শহর ও আশপাশের এলাকা আক্রান্ত হয় ৷ আল্লামা ইবন কাহীর (র) বলেন :
দামেশৃক বিজয়’ বর্ণনার সময় আমি এ ব্যাপারে বিস্তারিত বংনাি রেখেছি ৷
ইসলামের কর্তৃতু যখন তথায় প্রতিষ্ঠিত হয়, সেখানে মহান আল্লাহ্ তার রহমত নাযিল
করেন ৷ তথায় তার অনুগহের হাওয়া প্রবাহিত করেন ৷ যুদ্ধের সেনাপতি আবু উবায়দাহ, কেউ
কেউ বলেন, খালিদ ইবন ওয়ালীদ তখন দামেশৃকবাসীদের জন্যে একটি নিরাপত্তা পত্র লিপিবদ্ধ
করে দেন ৷ খৃষ্টানদের ক্ষমতা ১৪টি গির্জার প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ আর তারা মুসলমানদের থেকে
মারিহানা গির্জার অর্ধেক নিয়ে নেন এ যুক্তিতে যে, খালিদ শহরটি পুর্ব দিকের দরযা দিয়ে
তন্থলায়ারের মাধ্যমে জয় করেন ৷ খৃক্টানরা আবুউবায়দাহ্ (বা) হতে নিরাপত্তা পত্র গ্রহণ করে ৷
কারণ, আবু উবায়দাহ বাবুল )জড়াবীয়ায় ছিলেন ৷ যা সন্ধির মাধ্যমে বিজয় হয় ৷ প্রথমত : তারা
মতবিরোধ করে এবং পরে এ কথার উপরে ঐক্যবদ্ধ হয় যে, শহরের অর্ধেক সন্ধির মাধ্যমে
বিজয় হয়েছিল এবং বাকী অর্ধেক তলােয়ারের মাধ্যমে ৷ তাই মুসলমানগণ এ গির্জার পুর্বাংশ
নিয়ে নেন ৷ আবু উবায়দাহ এটাকে মসজিদে পরিণত করেন ৷ মুসলমড়ানগণ সেখানে সালাত
আদায় করেন ৷ এ মসজিদে যিনি প্রথম সালাত আদায় করেন, তিনি হযরত আবু উবায়দাহ্
ইবনুল জাররাহ (বা) ৷ তারপর পুর্বাংশের এলাকায় সাহাবায়ে কিরাম সালাত আদায় করেন ৷
তাই এ এলাকার নাম ছিল মিহরাবুস্ সাহাবাহ’ ৷ কিন্তু তার দেওয়ান মিহরাবে ঘুহান্নির দিকে
খোলা ছিল না ৷ তারা ঐ নির্দিষ্ট এলাকায় সালাত আদায় করত ৷ প্রকাশ থাকে যে, খলীফাহ্
আল ওয়ালীদ সামনের দেওয়ালে বিভিন্ন মাযহাবের মিহরাব খুলেছিলেন ৷ আল্লামা ইবন কাহীর
(র) বলেন, এ , মিহরাবগুলো পরে সৃষ্টি হয়েছে ৷ এগুলো আল-ওয়ালীদের সৃষ্টি নয় ৷ তিনি মাত্র
একটি মিহরাব তৈরী করেছিলেন ৷ যদি তিনি আদৌ কোন মিহরাব সৃষ্টি করে থাকেন, তবে
সম্ভবত তিনি এরুপ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি ৷ খলীফাহ্ শুধু একটি মি হরাবে সালাত
আদায় করেছেন ৷ আর বাকী মিহরাবগুলো কিছুদিনের মধ্যে তৈরী হয়ে যায় ৷ প্রত্যেক ইমামের
জন্য ছিল একটি মিহ্রাবযথা : শাফিঈ, হানাফী, মালিকী ও হাম্বলী ৷ এ মিহ্রাবগুলো আল-
ওয়ালীদের পরেই তৈরী করা হয়েছে, ৷
আমাদের পুর্বেকার বহু উলামায়ে কিরাম এ ধৃরনের মিহরাবগুলােক খারাপ মনে করতেন ৷
তারা এগুলোকে সৃষ্ট বিদআত বলে আখ্যায়িত করেছেন ৷ মুসলমান এবং খৃষ্টানরা এক দরজয
দিয়ে উপাসনালয়ে প্রবেশ করতেন ৷ আর এটা হলো কিবলার দিকে অবস্থিত উচু দরযাটি ৷
তখনকার বড় মিহরাবের জায়গাটি আজকালকার মিহরাবে অবস্থিত ৷ তারপর খৃন্টানরা পশ্চিম
দিকে তাদের গির্জা পানে আগমন করত ৷ আর মুসলমানগণ তাদের মসজিদের দিকে আগমন
করতেন ৷ মুসলিম সাহাবীগাপুণর সম্মানে ও তার খৃটানরা তাদের কিতাবের কিরাআত উচ্চস্বরে
পড়তে পারতেন না এবং তাদের পুজার ঘপ্টাও বাজাতে পারতেন না ৷ আমীর মুআবিয়া (বা)
সিরিয়ার তার খিলাফত আমলে সাহাবায়ে কিরামের নির্মিত মসজিদের সামনে একটি প্রাসাদ
তৈরী করেন ৷ সেখানে তিনি একটি সবুজ গম্বুজ তৈরী করেন ৷ আর এই সবুজ গম্বুক্কজ্যা সৌন্দর্য
ও পরিপুংতাির দরুন প্রাসাদটি বিখ্যাত ছিল ৷ আমীর মুআবিয়া (রা) সেখানে ৪০ বছর বসবাস
করেন যেমন পুর্বে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ তারপর গির্জাটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে ৷ মুসলমান
ثُمَّ لَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ الصِّدِّيقُ الْجُيُوشَ إِلَى الشَّامِ وَإِلَى الْعِرَاقِ كَمَا تَقَدَّمَ تَفْصِيلُ ذَلِكَ فِي كِتَابِنَا هَذَا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ الشَّامَ بِكَمَالِهَا، وَمِنْ ذَلِكَ مَدِينَةُ دِمَشْقَ بِأَعْمَالِهَا، وَقَدْ بَسَطْنَا الْقَوْلَ فِي ذَلِكَ عِنْدَ ذِكْرِ فَتْحِهَا. فَلَمَّا اسْتَقَرَّتِ الْيَدُ الْإِسْلَامِيَّةُ عَلَيْهَا، وَأَنْزَلَ اللَّهُ رَحْمَتَهُ فِيهَا، وَسَاقَ بِرَّهُ إِلَيْهَا، وَكَتَبَ أَمِيرُ الْحَرْبِ إِذْ ذَاكَ، وَهُوَ أَبُو عُبَيْدَةَ وَقِيلَ: خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ لِأَهْلِ دِمَشْقَ كِتَابَ أَمَانٍ، وَأَقَرُّوا أَيْدِيَ النَّصَارَى عَلَى أَرْبَعَ عَشْرَةَ كَنِيسَةً، وَأَخَذُوا مِنْهُمْ نِصْفَ هَذِهِ الْكَنِيسَةِ الَّتِي كَانُوا يُسَمُّونَهَا كَنِيسَةَ مَرْيُحَنَّا، بِحُكْمِ أَنَّ الْبَلَدَ فَتَحَهُ خَالِدٌ مِنَ الْبَابِ الشَّرْقِيِّ بِالسَّيْفِ، وَأَخَذَتِ النَّصَارَى الْأَمَانَ مِنْ أَبِي عُبَيْدَةَ وَكَانَ عَلَى بَابِ الْجَابِيَةِ الصُّلْحُ، فَاخْتَلَفُوا، ثُمَّ اتَّفَقُوا عَلَى أَنْ جَعَلُوا نِصْفَ الْبَلَدِ صُلْحًا، وَنِصْفَهُ عَنْوَةً، فَأَخَذُوا نِصْفَ هَذِهِ الْكَنِيسَةِ الشَّرْقِيَّ، فَجَعَلَهُ أَبُو عُبَيْدَةَ مَسْجِدًا وَكَانَ قَدْ صَارَتْ إِلَيْهِ إِمْرَةُ الشَّامِ; لِعَزْلِ عُمَرَ خَالِدًا وَتَوْلِيَةِ أَبِي عُبَيْدَةَ وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ صَلَّى فِي هَذَا الْمَسْجِدِ أَبُو عُبَيْدَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، ثُمَّ الصَّحَابَةُ بَعْدَهُ فِي الْبُقْعَةِ الشَّرْقِيَّةِ مِنْهُ; الَّتِي يُقَالُ لَهَا: مِحْرَابُ الصَّحَابَةِ. وَلَكِنْ لَمْ يَكُنِ الْجِدَارُ مَفْتُوحًا بِمِحْرَابٍ مَحْنِيٍّ، وَإِنَّمَا كَانُوا يُصَلُّونَ عِنْدَ هَذِهِ الْبُقْعَةِ الْمُبَارَكَةِ، وَالظَّاهِرُ أَنَّ الْوَلِيدَ هُوَ الَّذِي فَتَقَ الْمَحَارِيبَ فِي الْجِدَارِ الْقِبْلِيِّ. وَقَدْ كَرِهَ كَثِيرٌ مِنَ السَّلَفِ الصَّلَاةَ فِي مِثْلِ هَذِهِ الْمَحَارِيبِ،
পৃষ্ঠা - ৭৪৫৪
وَجَعَلُوهُ مِنَ الْبِدَعِ الْمُحْدَثَةِ، وَكَانَ الْمُسْلِمُونَ وَالنَّصَارَى يَدْخُلُونَ هَذَا الْمَعْبَدَ مِنْ بَابٍ وَاحِدٍ، وَهُوَ بَابُ الْمَعْبَدِ الْأَصْلِيُّ الَّذِي كَانَ مِنْ جِهَةِ الْقِبْلَةِ، مَكَانَ الْمِحْرَابِ الْكَبِيرِ الَّذِي فِي الْمَقْصُورَةِ الْيَوْمَ، فَيَنْصَرِفُ النَّصَارَى إِلَى جِهَةِ الْغَرْبِ إِلَى كَنِيسَتِهِمْ، وَيَأْخُذُ الْمُسْلِمُونَ يَمْنَةً إِلَى مَسْجِدِهِمْ، وَلَا يَسْتَطِيعُ النَّصَارَى أَنْ يَجْهَرُوا بِقِرَاءَةِ كِتَابِهِمْ، وَلَا يَضْرِبُوا بِنَاقُوسِهِمْ; إِجْلَالًا لِلصَّحَابَةِ وَمَهَابَةً وَخَوْفًا.
وَقَدْ بَنَى مُعَاوِيَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي أَيَّامِ وِلَايَتِهِ عَلَى الشَّامِ دَارَ الْإِمَارَةِ قِبْلِيَّ الْمَسْجِدِ الَّذِي كَانَ لِلصَّحَابَةِ، وَبَنَى فِيهَا قُبَّةً خَضْرَاءً، فَعُرِفَتِ الدَّارُ بِكَمَالِهَا بِهَا، فَسَكَنَهَا مُعَاوِيَةُ أَرْبَعِينَ سَنَةً كَمَا قَدَّمْنَا.
ثُمَّ لَمْ يَزَلِ الْأَمْرُ عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ أَمْرِ هَذِهِ الْكَنِيسَةِ شَطْرَيْنِ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ وَالنَّصَارَى، مِنْ سَنَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ إِلَى سَنَةِ سِتٍّ وَثَمَانِينَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ مِنْهَا، وَقَدْ صَارَتِ الْخِلَافَةُ إِلَى الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ فِي شَوَّالٍ مِنْهَا، فَعَزَمَ الْوَلِيدُ عَلَى أَخْذِ بَقِيَّةِ هَذِهِ الْكَنِيسَةِ وَإِضَافَتِهَا إِلَى مَا بِأَيْدِي الْمُسْلِمِينَ مِنْهَا، وَجَعْلِ الْجَمِيعِ مَسْجِدًا وَاحِدًا; وَذَلِكَ لِأَنَّ بَعْضَ الْمُسْلِمِينَ كَانَ يَتَأَذَّى بِسَمَاعِ قِرَاءَةِ النَّصَارَى لِلْإِنْجِيلِ، وَرَفْعِ أَصْوَاتِهِمْ فِي صَلَوَاتِهِمْ، فَأَحَبَّ أَنْ يُبْعِدَهُمْ عَنِ الْمُسْلِمِينَ، وَأَنْ يُضِيفَ ذَلِكَ الْمَكَانَ إِلَى هَذَا، فَيُكَبِّرَ بِهِ الْمَسْجِدَ الْجَامِعَ، فَطَلَبَ النَّصَارَى، وَسَأَلَ مِنْهُمْ أَنْ يَخْرُجُوا لَهُ عَنْ هَذَا الْمَكَانِ، وَيُعَوِّضَهُمْ إِقْطَاعَاتٍ كَثِيرَةً، وَعَرَضَهَا عَلَيْهِمْ، وَأَنْ يُقِرَّ لَهُمْ أَرْبَعَ كَنَائِسَ لَمْ تَدْخُلْ فِي الْعَهْدِ; وَهِيَ كَنِيسَةُ مَرْيَمَ،
পৃষ্ঠা - ৭৪৫৫
এবং খৃন্টানদের মধ্যে ১৪ হিজরী থেকে ৮৬ ইিজরীর ষুল-কা’দা মাস পর্যন্ত গির্জাটি সমান
দুইভাগে বিভক্ত ছিল ৷ এ বছর শাওয়াল মাসে আল-ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক খলীফাষ্
মনোনীত হন ৷ তখন তিনি খৃক্টানদের দখলে অবস্থিত গির্জার অর্ধেক প্অংশটি অধিগ্রহণ করে
মুসলমানদের অংশের সাথে সম্পৃক্ত করার ইচ্ছে পোষণ করেন এবং সম্পুর্ণ গির্জাটাই একটি
মসজিদে পরিণত করেন ৷ কেননা, কোন কোন মুসলমান খৃক্টানদের ইনজীল পড়া শুনে এবং
তাদের সালাতে প্রতিধ্বনিত উচ্চস্বর শুনে বষ্টিবোধ করতেন ৷ তাই খলীফা খৃন্টানদেরকে
মুসলমানদের থেকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে করলেন ৷ আর তাদের জায়গাটিকে মুসলমানদের
জায়গার সাথে সম্পৃক্ত করা পসন্দ করলেন ৷ তাতে সবটাই মুসলমানদের জন্য একটি ইবাদতের
জায়গা হিসেবে পরিণত হলো এবং মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মসজিদটি সম্প্রসারিত
হলো ৷ তখন খৃষ্টানদেরকে খলীফা বললেন, তারা যেন এখান থেকে বের হয়ে যায় এবং এটার
পরিবর্তে তাদের অন্য এ বহু জায়গা দেওয়া হবে ৷ তাদেরকে আরও চারটি গির্জার কর্তৃত্
দেওয়া হবে, যা পুর্বেকার অঙ্গীকারনামায় শামিল ছিল না ৷ এগুলো হলো মারইয়ামের গির্জা,
পুর্ব দরযার ভিতরে মাসলাবাহ গির্জা, তিলুল জুবন গির্জা, হুমায়দ ইবন দাররা গির্জা বা
সাকাল দরজার কাছে অবস্থিত ৷ বিন্দু তারা তা গ্রহণ করতে কঠােরতাবে অস্বীকার করল ৷
তখন খলীফাহ্ তাদেরকে বললেন, সাহাবাগণের যামানায় তোমাদের সাথে যে অঙ্গীকার করা
হয়েছিল সে অঙ্গীকার পত্রটি উপস্থাপন কর ৷ তারা অঙ্গীকার পত্রটি উপস্থাপন করল এবং তা
আল-ওয়ালীদের সম্মুখে পাঠ করা হলো ৷ দেখা গ্রেল তােমা গির্জাটি যা নদীর ধারে তােমা
দরমার বাইরে ছিল তাও পুর্বেকার অঙ্গীকারনামায় শামিল ছিল না ৷ আর এটা মারীহানা গির্জা
হতে অনেক বড় বলে পরিচিত ৷ আল-ওয়ালীদ তখন বললেন, আমি এটাকে ধ্বংস করে দেব ৷
এটাকে মসজিদে পরিণত করব ৷ কিন্তু তারা বলল, আমীরশুল মু’মিনীন যেন যেসব গির্জার কথা
উপরে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো আমাদেরকে ছেড়ে দেন, তাতে আমরা খুশী থাকর এবং
সন্তুষ্ট চিত্তে গির্জার বাকী অংশ ছেড়ে দেব ৷ খলীফা তাদেরকে উপরোক্ত গির্জাগুলোর কর্তৃতু দান
করেন এবং তাদের থেকে এ গির্জার বাকী অংশ গ্রহণ করেন ৷ উপরোক্ত তথ্যটি একটি বর্ণনায়
পাওয়াযায়৷
আবার এরুপও কথিত আছে যে, আল-ওয়ালীদ যখন এ বিষয়টির উপর গুরুত্ব আরোপ
করেন এবং খৃপ্টানদের কাছে যা প্রস্তাব করার তা প্রস্তাব করলেন, খৃপ্টানরা তা গ্রহণ করতে
অস্বীকার করল ৷ তখন খলীফার কাছে কোন এক ব্যক্তি প্রবেশ করলেন এবং তাকে পরামর্শ
দিলেন যেন পুর্ব দিকের দরযা ও আল-জাবিয়া দরযা দিয়ে পরিমাপ শুরু করা হয় ৷ তাহলে
তারা দেখতে পারে যে, গির্জাটি তলােয়ারের মাধ্যমে বিজিত অংশের মধ্যে পতিত হয় ৷
তারপর তারা পুর্ব দিকের দরযা এবং জাবিয়া দরযা দিয়ে পরিমাপ শুরু করে ৷ তখন তারা
আর-রায়হড়ান বাজারের প্রায় পাশেই গির্জার অর্ধেক দেখতে পেল ৷ আর গির্জাটি পুরোপুরি
তলোয়ারের মাধ্যমে বিজিত অংশে পতিত হলো ৷ তখন খলীফা গির্জাটি নিয়ে নিলেন ৷ আল
ওয়ালীদের আযাদকৃত গোলাম মুগীরা হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, একদিন আমি আল
ওয়ালীদের দরবারে প্রবেশ করলাম ৷ তাকে খুব চিন্তিত দেখতে পেলাম ৷ তখন আমি তাকে
বললাম, হে আমীরম্স মুমিনীন! আপনি চিস্তিত কেন ? তিনি বললেন, মুসলমানগণ সংখ্যায়
বৃদ্ধি পেয়েছে তাই মসজিদ তাদেরকে নিয়ে সংকীর্ণরাপ ধারণ করেছে ৷ কাজেই খৃন্টানদেরকে
উপস্থিত করলাম এবং গির্জার বাকী অংশ মসজিদের সাথে শামিল করার জন্যে তাদেরকে অর্থ
প্রদানের প্রস্তাব করলাম যাতে মুসলমানদের জন্যে মসজিদটি সম্প্রসারিত হয় ৷ বিক্ষ্ম, তরো
وَكَنِيسَةُ الْمُصَلِّبَةِ دَاخِلَ الْبَابِ الشَّرْقِيِّ، وَكَنِيسَةُ تَلِّ الْجُبْنِ، وَكَنِيسَةُ حُمَيْدِ بْنِ دُرَّةَ الَّتِي بِدَرْبِ الصَّقِيلِ، فَأَبَوْا ذَلِكَ أَشَدَّ الْإِبَاءِ، فَقَالَ: ائْتُونِي بِعَهْدِكُمْ. فَأَتَوْا بِعَهْدِهِمُ الَّذِي بِأَيْدِيهِمْ مِنْ زَمَنِ الصَّحَابَةِ، فَقُرِئَ بِحَضْرَةِ الْوَلِيدِ، فَإِذَا كَنِيسَةُ تُومَا الَّتِي كَانَتْ خَارِجَ بَابِ تُومَا عِنْدَ النَّهْرِ لَمْ تَدْخُلْ فِي الْعَهْدِ، وَكَانَتْ فِيمَا يُقَالُ أَكْبَرَ مِنْ كَنِيسَةِ مَرْيُحَنَّا، فَقَالَ الْوَلِيدُ: أَنَا أَهْدِمُهَا وَأَجْعَلُهَا مَسْجِدًا. فَقَالُوا: بَلْ يَتْرُكُهَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ وَمَا ذَكَرَ مِنَ الْكَنَائِسِ، وَنَحْنُ نَرْضَى بِأَخْذِ بَقِيَّةِ هَذِهِ الْكَنِيسَةِ فَأَقَرَّهُمْ عَلَى تِلْكَ الْكَنَائِسِ، وَأَخَذَ مِنْهُمْ بَقِيَّةَ هَذِهِ الْكَنِيسَةِ. هَذَا قَوْلٌ.
وَيُقَالُ: إِنَّ الْوَلِيدَ لَمَّا أَهَمَّهُ ذَلِكَ وَعَرَضَ مَا عَرَضَ عَلَى النَّصَارَى فَأَبَوْا مِنْ قَبُولِهِ، دَخَلَ عَلَيْهِ بَعْضُ النَّاسِ، فَأَرْشَدَهُ إِلَى أَنْ يَقِيسَ مِنْ بَابِ الشَّرْقِيِّ وَمِنْ بَابِ الْجَابِيَةِ، فَوَجَدَ مُنْتَصَفَ ذَلِكَ عِنْدَ سُوقِ الرَّيْحَانِ تَقْرِيبًا; فَإِذَا الْكَنِيسَةُ الْمُنَازَعُ فِيهَا قَدْ دَخَلَتْ فِي الْعَنْوَةِ، فَأَخَذَهَا.
وَحُكِيَ عَنِ الْمُغِيرَةِ مَوْلَى الْوَلِيدِ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى الْوَلِيدِ فَوَجَدْتُهُ مَهْمُومًا، فَقُلْتُ: مَا لَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَهْمُومًا؟ فَقَالَ: إِنَّهُ قَدْ كَثُرَ الْمُسْلِمُونَ، وَقَدْ ضَاقَ
পৃষ্ঠা - ৭৪৫৬
অস্বীকার করে ৷ মুগীর৷ বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমার কাছে একটি পদ্ধতি আছে, যা
দ্বারা আপনার চিন্তা দুরীভুত হবে ৷ খলীফাহ্ বললেন : সেটা কী ? মুগীর৷ বললেন, যখন
সাহাবায়ে কিরাম দামেশক দখল করেন, তখন খালিদ ইবনআল-ওয়ালীদ পুর্ব দরযা দিয়ে
তলোয়ার হাতে নিয়ে প্রবেশ করেন ৷ শহরবাসীরা যখন এ কথা শুনল ভীত-সস্ত্রস্ত হয়ে হযরত
আবু উবায়দাহ্ (না)-এর কাছে গমন করল এবং তার কাছে নিরাপত্তার প্রার্থনা করল ৷ তিনি
তাদেরকে নিরাপত্তা দিলেন ৷ তারা তার জন্যে জাযয়ার দরযা খুলে দিল ৷ হযরত আবু উবায়দাহ্
(বা) ঐ দরযা দিয়ে সন্ধির মাধ্যমে শহরে প্রবেশ করেন ৷ এখন আমরা তাদেরকে প্রদর্শন করব,
যে জায়গায় তলোয়ার পৌছবে সেটা আমরা নিয়ে নিব ৷ আর যা সন্ধির মাধ্যমে হয়েছে তা
আমরা তাদের হাতে ছেড়ে দেব ৷ আমি আশা করি যে, গির্জার সবটুকুই তলোয়ারের মাধ্যমে
দখলকৃত জায়গার মধ্যে প্রবেশ করবে ৷ আল-ওয়ালীদ তখন বললেন, আমাকে তুমি চিস্তামুক্ত
করেছ, এখন তুমি নিজেই এটারও একটা ব্যবস্থা কর ৷ মুগীরাহ তখন এটার একটা সুব্যবহুা
করার দায়িত্ব নিলেন ৷ তিনি তখন পুর্ব দরযা থেকে শুরু করে জাবিয়৷ দরযা পর্যন্ত রায়হান
বাজারের দিকে পরিমাপ করলেন ৷ তখন দেখা গেল তলোয়ারের মাধ্যমে বিজিত জায়গাটি প্রায়
৪ গজ বড় পুল অতিক্রম করে গিয়েছে ৷ আর গির্জাটি মসজিদের এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়েছে ৷
আল-ওয়ালীদ খৃক্টানদের কাছে এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করলেন এবং এ ব্যাপারে তাদেরকে
অবহিত করলেন ৷ তিনি বললেন, গির্জার সমস্তটইি তলোয়ারের মাধ্যমে বিজিত জায়গার মধ্যে
প্রবেশ করেছে, তাই এটা আমাদের জায়গা, তোমাদের নয় ৷ খৃস্টানর৷ বলতে লাগল আপনি
প্রথমত আমাদেরকে প্রচুর সম্পদ এবং বিভিন্ন ভু-খণ্ড (গির্জা) প্রদান করার প্রস্তাব করেছিলেন
আর আমরাও তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলাম ৷ এখন এটা আমীরুল মু’মিনীনের দয়া ৷
যদি আমাদের সাথে তিনি সন্ধি করেন এবং এ চারটি গির্জা আমাদের দখলে দিয়ে রাখেন
আমরা তার জন্য গির্জার বাকী অং শট্রুকু সত্তুষ্ট চিত্তে ছেড়ে দিব ৷ আল ওয়ালীদও এ চারটি
গির্জা তাদের দখলে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে তাদের সাথে সন্ধি করেন ৷
কেউ কেউ বলেনং : আল ওয়ালীদ তাদেরকে মসজিদে রুপান্তরিত গির্জার পরিবর্তে বাবুল
ফারাদীসের নিকটে ও হাম্মামুল কাসিমের পাশে একটি গির্জা প্রদান করেন, যাকে তারা
মারীহানা নামে অভিহিত করেন ৷ তারা ঐ গির্জার শাহিদটি (বড় মুর্তি) গ্রহণ করল এবং
মসজিদে রুপান্তরিত গির্জাটির পরিবর্তে তারা যে গির্জাটি নিল তার মধ্যে শাহিদটি রেখে দিল ৷
তারপর আল-ওয়ালীদ স্থাপনা ধ্বংস করার যন্ত্রপাতি হাযির করার হুকুম দিলেন ৷ আমীর ও
সরদারগণ তার কাছে একত্রিত হলো, যাতে ধ্বংসকার্যে অংশগ্রহণ করতে পারে ৷ খৃক্টানদের
পাদরীরাও তার কাছে আগমন করল এবং তারা বলতে লাগল, হে আমীরুল মু মিনীন! আমরা
আমাদের কিভাবে লিপিবদ্ধ পেয়েছি, যে ব্যক্তি এ গির্জার ধ্বংস করবে সে পাগল হয়ে যাবে ৷
আল-ওয়ালীদ তখন বললেন, আমি মহান আল্লাহর রাস্তায় পাগল হওয়াটাকে পসন্দ করি ৷
আল্লাহর শপথ, আমার পুর্বে আর কেউ এটার কিছু ভাঙ্গতে পারবে না ৷ তারপর তিনি পুর্ব
দিকের মিনারায় উঠলেন যার মধ্যে ছিল বিভিন্ন স্তম্ভ ৷ আর এ স্তম্ভগুলো ঘড়ি হিসেবে পরিচিত
ছিল ৷ সেখানে ছিল একটা ইবাদ৩ থানা ৷ সেখানে থাকতেন তাদের একজন পাদরী ৷
আল ওয়ালীদ তাকে সেখান থেকে অবতরণের হুকুম দিলেন কিন্তু পাদরী তা অগ্রাহ্য করলেন ৷
তখন আল ওয়ালীদ পাদরীর গর্দান ধরে ধাক্কাতে ধাক্কাতে তাকে নীচে নিয়ে আসলেন ৷
তারপর আল-ওয়ালীদ গির্জার সবচেয়ে উৰুষ্টু৷ জায়গায় আরোহণ করলেন যা সবচেয়ে বড়
بِهِمُ الْمَسْجِدُ، فَأَحْضَرْتُ النَّصَارَى وَبَذَلْتُ لَهُمُ الْأَمْوَالَ فِي بَقِيَّةِ هَذِهِ الْكَنِيسَةِ; لِأُضِيفَهَا إِلَى الْمَسْجِدِ فَيَتَّسِعَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ فَأَبَوْا. فَقَالَ الْمُغِيرَةُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، عِنْدِي مَا يُزِيلُ هَمَّكَ. قَالَ: وَمَا هُوَ؟ قُلْتُ: إِنَّ الصَّحَابَةَ لَمَّا أَخَذُوا دِمَشْقَ دَخَلَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ مِنْ بَابِ الشَّرْقِيِّ بِالسَّيْفِ، فَلَمَّا سَمِعَ أَهْلُ الْبَلَدِ بِذَلِكَ فَزِعُوا إِلَى أَبِي عُبَيْدَةَ يَطْلُبُونَ مِنْهُ الْأَمَانَ فَأَمَّنَهُمْ، وَفَتَحُوا لَهُ بَابَ الْجَابِيَةِ، فَدَخَلَ مِنْهُ أَبُو عُبَيْدَةَ بِالصُّلْحِ، فَنَحْنُ نُمَاسِحُهُمْ إِلَى أَيِّ مَوْضِعٍ بَلَغَ السَّيْفُ أَخَذْنَاهُ، وَمَا بِالصُّلْحِ تَرَكْنَاهُ بِأَيْدِيهِمْ، وَأَرْجُو أَنْ تُدْخَلَ الْكَنِيسَةُ كُلُّهَا فِي الْعَنْوَةِ، فَتَدْخُلَ فِي الْمَسْجِدِ. فَقَالَ الْوَلِيدُ: فَرَّجْتَ عَنِّي، فَتَوَلَّ أَنْتَ ذَلِكَ بِنَفْسِكَ. فَتَوَلَّاهُ الْمُغِيرَةُ وَمَسَحَ مِنَ الْبَابِ الشَّرْقِيِّ إِلَى نَحْوِ بَابِ الْجَابِيَةِ إِلَى سُوقِ الرَّيْحَانِ; فَوَجَدَ السَّيْفَ لَمْ يَزَلْ عَمَّالًا حَتَّى جَاوَزَ الْقَنْطَرَةَ الْكَبِيرَةَ بِأَرْبَعَةِ أَذْرُعٍ وَكَسْرٍ، فَدَخَلَتِ الْكَنِيسَةُ فِي الْمَسْجِدِ. فَأَرْسَلَ الْوَلِيدُ إِلَى النَّصَارَى فَأَخْبَرَهُمْ، وَقَالَ: إِنَّ هَذِهِ الْكَنِيسَةَ كُلَّهَا دَخَلَتْ فِي الْعَنْوَةِ فَهِيَ لَنَا دُونَكُمْ. فَقَالُوا: إِنَّكَ أَوَّلًا دَفَعْتَ إِلَيْنَا الْأَمْوَالَ وَأَقْطَعْتَنَا الْإِقْطَاعَاتِ فَأَبَيْنَا، فَمِنْ إِحْسَانِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ أَنْ يُصَالِحَنَا فَيُبْقِيَ لَنَا هَذِهِ الْكَنَائِسَ الْأَرْبَعَةَ بِأَيْدِينَا، وَنَحْنُ نَتْرُكُ لَهُ بَقِيَّةَ هَذِهِ الْكَنِيسَةِ. فَصَالَحَهُمْ عَلَى إِبْقَاءِ هَذِهِ الْأَرْبَعِ كَنَائِسَ بِأَيْدِيهِمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقِيلَ: إِنَّهُ عَوَّضَهُمْ مِنْهَا كَنِيسَةً عِنْدَ حَمَّامِ الْقَاسِمِ عِنْدَ بَابِ الْفَرَادِيسِ، فَسَمَّوْهَا مَرْيُحَنَّا بِاسْمِ تِلْكَ الْكَنِيسَةِ الَّتِي أُخِذَتْ مِنْهُمْ، وَأَخَذُوا شَاهِدَهَا فَوَضَعُوهُ فَوْقَ الَّتِي أَخَذُوهَا بَدَلَهَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৪৫৭
ثُمَّ أَمَرَ الْوَلِيدُ بِإِحْضَارِ آلَاتِ الْهَدْمِ، وَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ الْأُمَرَاءُ وَالْكُبَرَاءُ مِنْ رُؤَسَاءِ النَّاسِ، وَجَاءَ إِلَيْهِ أَسَاقِفَةُ النَّصَارَى وَقَسَاوِسَتُهُمْ، فَقَالُوا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّا نَجِدُ فِي كُتُبِنَا أَنَّ مَنْ يَهْدِمُ هَذِهِ الْكَنِيسَةَ يُجَنُّ. فَقَالَ: أَنَا أُحِبُّ أَنْ أُجَنَّ فِي اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَوَاللَّهِ لَا يَهْدِمُ فِيهَا أَحَدٌ شَيْئًا قَبْلِي، ثُمَّ صَعِدَ الْمَنَارَةَ الشَّرْقِيَّةَ ذَاتِ الْأَضَالِعِ الْمَعْرُوفَةِ بِالسَّاعَاتِ وَكَانَتْ صَوْمَعَةً هَائِلَةً فِيهَا رَاهِبٌ مُعَظَّمٌ عِنْدَهُمْ، فَأَمَرَهُ الْوَلِيدُ بِالنُّزُولِ مِنْهَا، فَأَكْبَرَ الرَّاهِبُ ذَلِكَ، فَأَخَذَ الْوَلِيدُ بِقَفَاهُ، فَلَمْ يَزَلْ يَدْفَعُهُ حَتَّى أَحْدَرَهُ مِنْهَا، ثُمَّ صَعِدَ الْوَلِيدُ عَلَى أَعْلَى مَكَانٍ فِي الْكَنِيسَةِ; فَوْقَ الْمَذْبَحِ الْأَكْبَرِ مِنْهَا الَّذِي يُسَمُّونَهُ الشَّاهِدَ; وَهُوَ تِمْثَالٌ فِي أَعْلَى الْكَنِيسَةِ، فَقَالَ لَهُ الرُّهْبَانُ: احْذَرِ الشَّاهِدَ. فَقَالَ: أَنَا أَوَّلُ مَا أَضَعُ فَأْسِي فِي رَأْسِ الشَّاهِدِ. ثُمَّ كَبَّرَ وَضَرَبَهُ فَهَدَمَهُ، وَكَانَ عَلَى الْوَلِيدِ قَبَاءٌ لَوْنُهُ أَصْفَرُ سَفَرْجَلِيٌّ، قَدْ غَرَزَ أَذْيَالَهُ فِي الْمِنْطَقَةِ، ثُمَّ أَخَذَ فَأْسًا فِي يَدِهِ فَضَرَبَ بِهَا فِي أَعْلَى حَجَرٍ فَأَلْقَاهُ، فَتَبَادَرَ الْأُمَرَاءُ إِلَى الْهَدْمِ، وَكَبَّرَ الْمُسْلِمُونَ ثَلَاثَ تَكْبِيرَاتٍ، وَصَرَخَتِ النَّصَارَى بِالْعَوِيلِ عَلَى دَرَجِ جَيْرُونَ، وَكَانُوا قَدِ اجْتَمَعُوا هُنَالِكَ، فَأَمَرَ الْوَلِيدُ أَمِيرَ الشُّرَطَةِ وَهُوَ أَبُو نَاتِلٍ رِيَاحٌ الْغَسَّانِيُّ أَنْ يَضْرِبَهُمْ حَتَّى يَذْهَبُوا مِنْ
পৃষ্ঠা - ৭৪৫৮
বেদীরও উপরে ৷ এটাকে তারা বলত শাহিদ ৷ প্রকৃতপক্ষে শাহিদ ছিল গির্জার সবচেয়ে উপরে
একটি বড় মুর্তি ৷ পাদরীরা আল-ওয়ালীদকে বলল, শাহিদ থেকে যেন সতর্কতা অবলম্বন করে
এবং শাহিদ থেকে যেন দুরে থাকে ৷ আল-ওয়ালীদ বললেন, “আমি প্রথমেই শাহিদের মাথায়
কুড়াল ঠেকাব ৷ এ কথা বলে তিনি আল্লাহ আকবর ধ্বনি দিলেন এবং এটাকে সজােরে আঘাত
করলেন ও এটাকে ধ্বংস করে দিলেন ৷ আল ওয়ালীদের পায়ে ছিল একটি হালকা হলুদ রংয়ের
জামা ৷ তিনি আমার ঝুলকে কােমরে পেচিয়ে ছিলেন ৷ তারপর তিনি তার হাতে একটি কুড়াল
নিলেন এবং এটা দিয়ে পাথরের উপবিতাগে সজােরে আঘাত করলেন ও তা নীচে ফেলে
দিলেন ৷ আমীরগণ তা ধ্বং স করার জন্যে এগিয়ে আসলেন ৷ মুসলমানেরা৩ তিন বার
তাকবীরধ্বনি দিলেন ৷ জীরুন নামক রাস্তায় খৃক্টানরা র্দাড়িয়ে সজােরে বিলাপ করতে লাগল ৷
তারা সেখানে সমবেত হয়েছিল ৷ আল ওয়ালীদ পুলিশ সুপার আবু নাইল রায়য়াহ
আল-গা-নৃসানীকে হুকুম দিলেন যেনত তাদেরকে লাঠিপেটা করে সেখান থেকে ছত্রভঙ্গ করা হয় ৷
তিনি তা করলেন ৷ খৃষ্টানদের এ উপসনালয়ের উন্নতিকল্পে বেদী, নতুন স্থাপত্য শিল্প, স্তরেস্তরে
বানানো দর্শকদের গ্যালারী ইত্যাদির ন্যায় নির্মিত সাজসরঞ্জামকে আল ওয়ালীদ এবং তার
সাথী আমীরগণ ধ্বংস করে দেন ৷ তাতে ঐ জায়গাটি সমতল ভুমিতে পরিণত হয় ৷ তারপর
আল ওয়ালীদ চমৎকার ও বিস্ময়কর রুপরেথার ভিত্তিতে অভিনব চিন্তাধারার মাধ্যমে মসজিদের
নিদ্ভুাং৷ কার্য শুরু করলেন ৷ পুর্বে এধরনের কারুকার্যময় নির্মাণকার্ষ আর প্রসিদ্ধি লাভ করে
ন ৷
এ মসজিদ নিমঢাির কার্যে আল ওয়ালীদ বহু কারিগর, প্রকৌশলী ও কর্মচারীদেরকে
নিযুক্ত করেছিলেন ৷ আর এ কাজের সঠিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন খলীফার ভইি যুবরাজ সুলায়মান
ইবন আবদুল মালিক ৷ কথিত আছে যে, আল-ওয়ালীদ রোমের সম্রাটের কাছে মার্বেল ও
অন্যান্য পাথরের বিজ্ঞ কারিগর চেয়ে পত্র লিখেন, যাতে তিনি তার ইচ্ছে অনুযায়ী মসজিদটি
তৈরী করার ক্ষেত্রে সক্রিয় সাহায্য করেন ৷ আর তাকে সতর্ক করে দেন যদি তিনি তা না করেন
তাহলে তাদের দেশে সৈন্য প্রেরণ করে মুসলমানেরা যুদ্ধ করবেন এবং তার দেশের প্রতিটি
গির্জাকে ধ্বংস করে দিবেন ৷ আর কুদসের গির্জাটিকেও ধ্বংস করবেন ৷ যার নাম ছিল
কুমামাহ ৷ তিনি আৱরুহা গির্জার অনুরুপ রোমের সমস্ত চিহ্ন মুছে দিবেন ৷ কাজেই রোমের
সম্রাট তার কাছে প্রায় দুইশত কারিগর প্রেরণ করলেন এবং তার কাছে পত্র লিখে বললেন,
আপনি যা করেছেন তা যদি আপনার পিতা বুঝে থাকেন এবং না করে থাকেন, তাহলে এটা
হবে আপনার জন্যে লজ্জাকর ব্যাপার ৷ আর যদি তিনি না বুঝে থাকেন এবং আপনি যদি বুঝে
থাকেন, তাহলে এটাও হবেত তার জন্য লজ্জাকর ব্যাপার ৷ যখন আল ওয়ালীদের কাছে এ পত্রটি
পৌছে তখন তিনি এটার জবাব দেওয়ার মনন্থ করেন ৷ আর লোকজনও এটার জন্যে তার কাছে
সমবেত হন ৷ তাদের মধ্যে একজন ছিলেন কবি ফারাযদাক ৷ তিনি বললেন, হে আমীরুল
মু মিনীন আমি তার জওয়াব মহান আল্লাহ্র কিত৷ ৷ব থেকে প্রদান করত পারি ৷ আল ওয়ালীদ
বললেন, ঐটা কী ? হতভাগাৰু ফারাযদাক বললেন, সুরায়ে আম্বিয়ার ৭৯ নং আয়াতে আল্লাহ
তাআলা ইরশাদ করেন ৎ ৷ট্রুটু;টুই অর্থাং এবং
সুলায়মানকে এ বিষয়ের মীমাৎসা বুঝিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাদের প্রত্যেককে আমি দিয়েছিলাম
প্রজ্ঞ৷ ও জ্ঞান ৷ হযরত সুলায়ম৷ ন (আ) ছিলেন হযরত দাউদ (আ) এর ছেলে ৷ আল্লাহ তা জানা
তাকে যা বুঝিয়েছিলেন তার পিতাকে তা বুঝাননি ৷ আল ওয়া ৷লীদ এ যুক্তি পছন্দ করলেন এবং
রোমের সম্রাটের কাছে এটা দিয়ে উত্তর প্রদান করলেন ৷ এ সম্পর্কে ফারাযদাক বলেন ং
“খৃস্টান ও মুসলিম ইবাদতওযারদের মধ্যে আমি পার্থক্য লক্ষ্য করছি ৷ খৃক্টানরাত তাদের গির্জার
هُنَالِكَ، فَفَعَلَ ذَلِكَ، فَهَدَمَ الْوَلِيدُ وَالْأُمَرَاءُ جَمِيعَ مَا جَدَّدَهُ النَّصَارَى فِي تَرْبِيعِ هَذَا الْمَكَانِ; مِنَ الْمَذَابِحِ وَالْأَبْنِيَةِ وَالْحَنَايَا، حَتَّى بَقِيَ صَرْحَةً مُرَبَّعَةً، ثُمَّ شَرَعَ فِي بِنَائِهِ بِفِكْرَةٍ جَيِّدَةٍ عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ الْحَسَنَةِ الْأَنِيقَةِ، الَّتِي لَمْ يَشْتَهِرْ مِثْلُهَا قَبْلَهَا، عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ وَنُشِيرُ إِلَيْهِ.
وَقَدِ اسْتَعْمَلَ الْوَلِيدُ فِي بِنَاءِ هَذَا الْمَسْجِدِ خَلْقًا كَثِيرًا مِنَ الصُّنَّاعِ وَالْمُهَنْدِسِينَ وَالْفَعَلَةِ، وَكَانَ الْمُسْتَحِثُّ عَلَى عِمَارَتِهِ أَخُوهُ وَوَلِيُّ عَهْدِهِ مِنْ بَعْدِهِ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَيُقَالُ: إِنَّ الْوَلِيدَ بَعَثَ إِلَى مَلِكِ الرُّومِ يَطْلُبُ مِنْهُ صُنَّاعًا فِي الرُّخَامِ وَغَيْرِ ذَلِكَ; لِيَسْتَعِينَ بِهِمْ عَلَى عِمَارَةِ هَذَا الْمَسْجِدِ عَلَى مَا يُرِيدُ، وَأَرْسَلَ يَتَوَعَّدُهُ; لَئِنْ لَمْ يَفْعَلْ لَيَغْزُوَنَّ بِلَادَهُ بِالْجُيُوشِ، وَلَيُخَرِّبَنَ كُلَّ كَنِيسَةٍ فِي بِلَادِهِ، حَتَّى كَنِيسَةَ الْقُدْسِ، وَكَنِيسَةَ الرُّهَا، وَسَائِرَ آثَارِ الرُّومِ، فَبَعَثَ مَلِكُ الرُّومِ إِلَيْهِ صُنَّاعًا كَثِيرَةً جِدًّا; مِائَتَيْ صَانِعٍ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ يَقُولُ: إِنْ كَانَ أَبُوكَ فَهِمَ هَذَا الَّذِي تَصْنَعُهُ وَتَرَكَهُ، فَإِنَّهُ لَوَصْمَةٌ عَلَيْكَ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فَهِمَهُ وَفَهِمْتَهُ أَنْتَ، فَإِنَّهُ لَوَصْمَةٌ عَلَيْهِ.
فَلَمَّا وَصَلَ ذَلِكَ الْكِتَابُ إِلَى الْوَلِيدِ أَرَادَ أَنْ يُجِيبَ عَنْ ذَلِكَ، وَاجْتَمَعَ
পৃষ্ঠা - ৭৪৫৯
النَّاسُ عِنْدَهُ لِذَلِكَ، وَكَانَ فِيهِمُ الْفَرَزْدَقُ الشَّاعِرُ، فَقَالَ: أَنَا أُجِيبُهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى. قَالَ الْوَلِيدُ: وَمَا هُوَ وَيْحَكَ؟ فَقَالَ: قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَفَهَّمْنَاهَا سُلَيْمَانَ وَكُلًّا آتَيْنَا حُكْمًا وَعِلْمًا} [الأنبياء: 79] ، وَسُلَيْمَانُ هُوَ ابْنُ دَاوُدَ، فَفَهَّمَهُ اللَّهُ مَا لَمْ يَفْهَمْهُ أَبُوهُ. فَأَعْجَبَ ذَلِكَ الْوَلِيدَ، فَأَرْسَلَ بِهِ جَوَابًا إِلَى مَلِكِ الرُّومِ. وَقَدْ قَالَ الْفَرَزْدَقُ فِي ذَلِكَ:
فَرَّقْتَ بَيْنَ النَّصَارَى فِي كَنَائِسِهِمْ ... وَالْعَابِدِينَ مَعَ الْأَسْحَارِ وَالْعَتَمِ
وَهُمْ جَمِيعًا إِذَا صَلَّوْا وَأَوْجُهُهُمْ ... شَتَّى إِذَا سَجَدُوا لِلَّهِ وَالصَّنَمِ
وَكَيْفَ يَجْتَمِعُ النَّاقُوسُ يَضْرِبُهُ ... أَهْلُ الصَّلِيبِ مَعَ الْقُرَّاءِ لَمْ تَنَمِ
فُهِّمْتَ تَحْوِيلَهَا عَنْهُمْ كَمَا فَهِمَا ... إِذْ يَحْكُمَانِ لَهُمْ فِي الْحَرْثِ وَالْغَنَمِ
دَاوُدُ وَالْمَلِكُ الْمَهْدِيُّ إِذْ جَزَّا ... أَوْلَادَهَا وَاجْتِزَازُ الصُّوفِ بِالْجَلَمِ
فَهَّمَكَ اللَّهُ تَحْوِيلًا لِبَيْعَتِهِمْ ... عَنْ مَسْجِدٍ فِيهِ يُتْلَى طَيِّبُ الْكَلِمِ
مَا مِنْ أَبٍ حَمَلَتْهُ الْأَرْضُ نَعْلَمُهُ ... خَيْرٌ بَنِينَ وَلَا خَيْرٌ مِنَ الْحَكَمِ
পৃষ্ঠা - ৭৪৬০
মধ্যে অবস্থান করছে আর মুসলিম ইবাদতগুযাররা নিশির ণ্শষভাগে এবৎ যখন উচু আকাশে
পালকের মত নরম হাল্কা মেঘ বিরাজ করে, তখন তারা ইবাদতে মগ্ন থাকে ৷ তারা সকলেই
যখন সালাত আদায় করে তাদের চেহারা থাকে ভিন্ন জ্যি দিকে ৷ তাদের কেউ আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট
করার জন্যে সিজদায় রত থাকে ৷ আবার কেউ কেউ মুর্তির সামনে অবনত মস্তকে রত থাকে ৷
পুজার ঘণ্টা যা শুলবিদ্ধে বিশ্বাসিগণ রাজার তা বিনিদ্রিত কারীদের কিরাআতের সাথে কী
একত্রিত হতে পারে ? আমি বুঝে নিয়েছি তাদের থেকে তার হস্তান্তর যেমন করে বুঝে
নিয়েছেন হযরত দাউদ (আ) ও হযরত সুলায়মান (আ) ৷ যখন তারা বিচার করছিলেন
শস্যক্ষেত্র এবৎ ণ্ময সম্পর্কে অভিযােগকারীদের জন্য, যখন বিনাশ করেছিল ও ঝগড়া হয়েছিল
এবং কাচি দ্বারা পশম কর্তন করা হয়েছিল ৷ মহান আল্লাহ্ আপনাকে তাদের মসজিদ সম্পর্কে
বায়আত গ্রহণ ও হস্তান্তর সম্পর্কে জ্ঞান দান করুন ৷ কেননা, মসজিদে পবিত্র কালাম বা
কুরআন৩ তিলাওয়াত করা হয় ৷ আমরা এমন কোন পিতাকে আমাদের খলীফার চেয়ে উত্তম
সন্তান এবং উত্তম হুকুমদাতা হিসেবে জানি না, যাকে পৃথিবী বহন করছে ৷’
আল-হাফিয আবদুর রহমান ইবন ইব্রাহীম দাহীমুদ দামেশৃকী বলেন, “আল-ওয়ালীদ
মসজিদের ভিতরের দেওয়াল নির্মাণ করেন এবং দেওয়ালের উচ্চতা বৃদ্ধি করেন ৷” আল হাসান
ইবন ইয়াহ্ইয়৷ আল খাশানী বলেন, “হযরত হ্রদ (আ) দামেশকের মসজিদের সামনের
দেওয়াল তৈরী করেছিলেন ৷
অন্যরা বলেন, যখন আল ওয়ালীদ ঘরের সামনের অংশের ছাদের মধ্যখানের গম্বুজ তৈরী
করতে ইচ্ছা করলেন, আর এটা ছিল কুব্বাতৃন নাসরি অর্থাৎ শকুনের গম্বুজ ৷ এটাও তার অন্য
নাম ৷ আর মনে হয় তারা এ গম্বুজটিকে অবয়বের দিক দিয়ে শকুনের সাথে তুলনা করেছিলেন ৷
কেননা, ঘরের সামনে ঝুলানাে পর্দা ঘরের ডানে ও বামে শকুনের পাখার মত মনে হয় ৷
গম্বুজের স্তম্ভগুলো নির্মাণের জন্য মাটি খনন করা হলো এবং খননকারী মাটির নীচে পানি
পর্যন্ত পৌছল ৷ তারা মিঠ৷ ও পরিষ্কার পানি পান করল ৷ তারপর তারা এ পানিতে আঙ্গুর
গাছের লতাপাতা নিক্ষেপ করল এবং পাথর দ্বারা তার উপর নির্মাণকাজ শুরু করল ৷ যখন
ন্তম্ভগুলো উপরের দিকে উঠানাে হলো ও বৃদ্ধি করা হলো, এগুলোর উপর গম্বুজ তৈরী করা
’ হলো ৷ কিন্তু স্তম্ভ ও গম্বুজ নীচে ধসে পড়ে গেল ৷ তখন আল ওয়ালীদ একজন প্রকৌশলীকে
বললেন, আমি চাই তুমি যেন আমার জন্যে এ গম্বুজটি তৈরী কর ৷ প্রকৌশলী বললেন, আমি
আপনার জন্যে গম্বুজটি তৈরী করতে পারি, তবে শর্ত হলো আপনি আল্লাহর নামে শপথ করে
বলবেন যে, আমি ব্যতীত অন্য কেউ এটা নির্মাণ করবেন না ৷ তিনি শপথ করে এ কথা
বললেন ৷ প্রকৌশলী তখন আবার স্তম্ভগুলো তৈরী করলেন ৷ তারপর এগুলোকে চাটাই দ্বারা
ঢেকে দিলেন ৷ এক বছরের জন্যও তিনি অন্যত্র চলে গেলেন ৷ আল ওয়া ৷লীদও জানতে পারলেন
না তিনি কোথায় নিয়েছেন ৷ এক বছর পর তিনি উপস্থিত হলেন ৷ তখন আল-ওয়ালীদ তাকে
কাছে ডাকলেন ৷ তার সাথে ছিল বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি ৷৩ তারপর প্রকৌশলী চাটাই
উপরে উঠিয়ে দেখেন স্তম্ভগুলো নীচের দিকে চলে গেছে এবং জায়গাটি সমতল ভুমিতে পরিণত
হয়ে রয়েছে ৷ প্রকৌশলী আল ওয়ালীদকে বললেন, এ জন্যই আমি এক বছর পর এসেছি ৷
তারপর তিনি এগুলোকে আবার নির্মাণ করেন ৷
قَالَ الْحَافِظُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ دُحَيْمٌ الدِّمَشْقِيُّ: بَنَى الْوَلِيدُ مَا كَانَ دَاخِلَ حِيطَانِ الْمَسْجِدِ، وَزَادَ فِي سَمْكِ الْحِيطَانِ.
وَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ يَحْيَى الْخُشَنِيُّ: إِنَّ هُودًا، عَلَيْهِ السَّلَامُ، هُوَ الَّذِي بَنَى الْحَائِطَ الْقِبْلِيَّ مِنْ مَسْجِدِ دِمَشْقَ.
وَقَالَ غَيْرُهُ: لَمَّا أَرَادَ الْوَلِيدُ بِنَاءَ الْقُبَّةِ الَّتِي وَسَطَ الرِّوَاقَاتِ وَهِيَ قُبَّةُ النَّسْرِ، وَهُوَ اسْمٌ حَادِثٌ لَهَا، وَكَأَنَّهُمْ شَبَّهُوهَا بِالنَّسْرِ فِي شَكْلِهِ; لِأَنَّ الرِّوَاقَاتِ عَنْ يَمِينِهَا وَشِمَالِهَا كَالْأَجْنِحَةِ لَهَا حَفَرُوا لِأَرْكَانِهَا، حَتَّى وَصَلُوا إِلَى الْمَاءِ وَشَرِبُوا مِنْهُ مَاءً عَذْبًا زُلَالًا، ثُمَّ إِنَّهُمْ وَضَعُوا فِيهِ جِرَارَ الْكَرْمِ، وَبَنَوْا فَوْقَهَا بِالْحِجَارَةِ فَلَمَّا ارْتَفَعَتِ الْأَرْكَانُ بَنَوْا عَلَيْهَا الْقُبَّةَ فَسَقَطَتْ، فَقَالَ الْوَلِيدُ لِبَعْضِ الْمُهَنْدِسِينَ: أُرِيدُ أَنْ تَبْنِيَ لِي أَنْتَ هَذِهِ الْقُبَّةَ. فَقَالَ: عَلَى أَنْ تُعْطِيَنِي عَهْدَ اللَّهِ وَمِيثَاقَهُ أَنْ لَا يَبْنِيَهَا أَحَدٌ غَيْرِي. فَفَعَلَ، فَبَنَى الْأَرْكَانَ ثُمَّ غَلَّفَهَا بِالْبَوَارِي، وَغَابَ عَنْهَا سَنَةً كَامِلَةً لَا يَدْرِي الْوَلِيدُ أَيْنَ ذَهَبَ، فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ السَّنَةِ حَضَرَ، فَهَمَّ بِهِ الْوَلِيدُ، فَأَخَذَهُ وَمَعَهُ رُءُوسُ النَّاسِ، فَكَشَفَ الْبَوَارِيَ عَنِ الْأَرْكَانِ; فَإِذَا هِيَ قَدْ هَبَطَتْ بَعْدَ ارْتِفَاعِهَا حَتَّى سَاوَتِ الْأَرْضَ، فَقَالَ لَهُ: مِنْ هَذَا أُتِيتَ. ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৭৪৬১
কােন কোন ইতিহাসবিদ বলেন, আল ওয়ালীদ খাটিার্ণদ্বার৷ গম্বুজের চুড়৷ নির্মাণ করতে
চেয়েছিলেন ৷ যাতে এর দ্বারা এ নির্মাণ কাজের মর্যাদা বৃদ্ধি পায় ৷ রাজমিত্রী বলল, আপনি তা
করতে পারবেন না ৷ এ কথার জন্যে আল ওয়ালীদ তাকে পঞ্চাশটি বেত্রাঘাত করলেন এবং
তাকে বললেন, তোমার দুর্ভাগ্যা আমি এটা করতে পারব না ? তুমি কি মনে করছ আমি এ
কাজে অক্ষম ? যমীনের কর ও বিপুল পরিমাণ ধন-সম্পদ আমার কাছে জমা হচ্ছে না ? সে
বলল, হ্যা, আমি ব্যাপারটি আপনার কাছে খুলে বলব ৷ আল ওয়ালীদ বললেন, তাহলে এটা
সম্পর্কে আমাকে তুমি বিস্তারিত বলো ৷ রাজমিত্রী বলল, আপনি প্রথমত একটিার্ণের ইট
তৈরী করুন ৷ তারপর পরিমাপ করুন আপনার এ গম্বুজ তৈরী করতে কতার্ণের প্রয়োজন
হবে ৷ আল-ওয়ালীদার্ণ হাযির করার জন্যে আদেশ দিলেন ৷ দেখা গেল এক ইট তৈরী করতে
হাজার হাজার মুদ্রারার্ণ ব্যয় হয়ে গেল ৷ রাজমিত্রী বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! এ একটি
ইটের ন্যায় হজাের হজাের ইটের প্রয়োজন ৷ যদি আপনার কাছে যথেষ্ট পরিমাণার্ণ থাকে
তাহলে আমরা কাজ শুরু করে দিতে পারি ৷ রাজমিব্রীর কথা যখন সঠিক পাওয়া গেল , তখন
আল-ওয়ালীদ তাকে পঞ্চাশ দীনার পুরস্কার দিলেন ৷ আর বললেন, তুমি যা বলছ আমি এ
ব্যাপারে অপারগ নই তবে এতে অপব্যয় হবে এবৎ অপ্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সম্পদ বিনষ্ট হবে ৷
আমরা যা ইচ্ছে করেছি তা না করে এ সম্পদ মহান আল্লাহর রাস্তায় খরচ করলে এবং দুর্বল
মু’মিন মুসলমানদের প্রতিরক্ষায় খরচ করলে এটা হবে উত্তম ৷ তারপর রাজমিত্রীর অভিমত
অনুযায়ী আল ওয়ালীদ কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলেন ৷ আল ওয়ালীদ যখন জামি মসজিদের ছাদ
করতে লাগলেন, তখন ছাদটিকে চীদওয়ারী (ঢালু ছাদের নীচে বাইরের দেওয়ালের
ত্রিকোণাকার অংশ) করেন ৷ দেওয়ালের ভিতরের দিকটাকোর্ণ দিয়ে সিড়ির আকারে
কারুকার্যময়করেন ৷ তার পরিবারের একজন তাকে বলল, আপনার পরে আপনি লোকজনকে
তাদের প্রতিবছর মসজিদের ছাদের ইট পরিবর্তনের লক্ষে৷ প্রচুর ইটের ব্যাপারে ব্যাপক খরচ
করার জন্যে বাধ্য করবেন ৷ ফলে মসজিদ নির্মাণকালে মাটির দর বেড়ে যাবে এবং কারিগরের
সৎখ্যাহ্রাস পেয়ে যাবে ৷ তখন আল ওয়ালীদ আদেশ দিলেন যে, তার দেশের যেখানে সীসা
পাওয়া যায় তা যেন এক জায়গায় জমা করা হয় এবং ইটের পরিবর্তে ৩যেন সীসা ব্যবহার করা
হয় ৷ আর তাতে ছাদও হালকা হবে ৷ সিরিয়া ও অন্যান্য প্রদেশ হতে সীসা একত্রিত করা শুরু
হলো ৷ সারাদেশে সীসা হ্রাস পেয়ে গেল ৷ তবে এক মহিলার কাছে প্রচুর সীসা পাওয়া গেল ৷
রাজ-কর্মচারীরা তার সাথে সীসা খরিদের ব্যাপারে দর-কযাকষি করল ৷ মহিলা বলল, আমি
রৌপোর বিনিময় ব্যতীত সীসা বিক্রি করব না ৷ রাজ-কর্মচারীপণ আল-ওয়ালীদকে পত্র লিখে
জানালেন ৷ তিনি বললেন, রৌপোর বিনিময়ে হলেও তার থেকে সীসা ক্রয় কর ৷ যখন তারা
তার কাছে এরুপ খরচ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন ৷ মইিলাটি বলল, আমার কাছ থেকে
তোমরা যা কিনে নিতে চাচ্ছ তা আমি মহান আল্লাহর জন্যে সাদাকা করে দিলাম, যা এ
মসজিদের ছাদে লাগানো হবে ৷ তারা তখন ছাদে ব্যবহৃত পাতের উপর লিল্লাহ্ শব্দটি লিখে
দিলেন ৷ কথিত আছে যে, এ মহিলাটি ছিলেন একজন ইয়াহ্রদী মহিলা ৷ তার থেকে যে
পাতগুলো নেওয়া হয়েফ্লি তার মধ্যে লিখা হলো, এটা ইয়াহুদী মহিলার দেওয়া ৷
মুহাম্মদ ইবন আয়িয বলেন, আমার উস্তাদদেরকে বলতে ৩শ্যুনছি তারা বলেন, দামেশৃক
মসজিদের নির্মাণকার্য আমানত আদায়ের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় ৷ জাতীয় কোন ব্যক্তি কিৎবা
কারিগরের কাছে কোন পয়সা এমনকি লোহার পেরেকের মাথা অতিরিক্ত মনে হতোত তা নিয়ে
এসে সরকারী তহবিলে রাখা হতো ও তা মসজিদের জন্যে খরচ করা হতো ৷ দামেশকের
بَنَاهَا فَانْعَقَدَتْ.
وَقَالَ بَعْضُهُمْ: أَرَادَ الْوَلِيدُ أَنْ يَجْعَلَ بَيْضَةَ الْقُبَّةِ مِنْ ذَهَبٍ خَالِصٍ; لِيُعَظِّمَ بِذَلِكَ شَأْنَ الْمَسْجِدِ، فَقَالَ لَهُ الْمِعْمَارُ: إِنَّكَ لَا تَقْدِرُ عَلَى ذَلِكَ؟ فَضَرَبَهُ خَمْسِينَ سَوْطًا وَقَالَ لَهُ: وَيْلَكَ أَنَا لَا أَقْدِرُ عَلَى ذَلِكَ، وَتَزْعُمُ أَنِّي أَعْجَزُ عَنْهُ، وَخَرَاجُ الْأَرْضِ وَأَمْوَالُهَا تُجْبَى إِلَيَّ؟ قَالَ: نَعَمْ، أَنَا أُبَيِّنُ لَكَ ذَلِكَ. قَالَ: فَبَيِّنْ ذَلِكَ. قَالَ: اضْرِبْ لَبِنَةً وَاحِدَةً مِنَ الذَّهَبِ وَقِسْ عَلَيْهَا مَا تُرِيدُ هَذِهِ الْقُبَّةُ مِنْ ذَلِكَ. فَأَمَرَ الْوَلِيدُ، فَأُحْضِرَ مِنَ الذَّهَبِ مَا سُبِكَ بِهِ لَبِنَةٌ; فَإِذَا هِيَ قَدْ دَخَلَهَا أُلُوفٌ مِنَ الذَّهَبِ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّا نُرِيدُ مِنْ هَذِهِ كَذَا وَكَذَا أَلْفِ لَبِنَةً، فَإِنْ كَانَ عِنْدَكَ مَا يَكْفِي مِنْ ذَلِكَ عَمِلْنَاهُ. فَلَمَّا تَحَقَّقَ الْوَلِيدُ صِحَّةَ قَوْلِهِ أَطْلَقَ لَهُ خَمْسِينَ دِينَارًا، ثُمَّ عَقَدَهَا عَلَى مَا أَشَارَ بِهِ الْمِعْمَارُ.
وَلَمَّا سَقَفَ الْوَلِيدُ الْجَامِعَ جَعَلُوا سَقْفَهُ جَمَلُونَاتٍ، وَبَاطِنَهَا مُسَطَّحًا مُقَرْنَصًا بِالذَّهَبِ، فَقَالَ لَهُ بَعْضُ أَهْلِهِ: أَتْعَبْتَ النَّاسَ بَعْدَكَ فِي تَطْيِينِ أَسْطِحَةِ هَذَا الْمَسْجِدِ فِي كُلِّ عَامٍ. فَأَمَرَ الْوَلِيدُ أَنْ يُجْمَعَ مَا فِي بِلَادِهِ مِنَ الرَّصَاصِ; لِيَجْعَلَهُ
পৃষ্ঠা - ৭৪৬২
عِوَضَ الطِّينِ، وَيَكُونَ أَخَفَّ عَلَى السُّقُوفِ، فَجَمَعَ مِنْ كُلِّ نَاحِيَةٍ مِنَ الشَّامِ وَغَيْرِهِ مِنَ الْأَقَالِيمِ، فَعَازُوا، فَإِذَا عِنْدَ امْرَأَةٍ مِنْهُ قَنَاطِيرُ مُقَنْطَرَةٌ، فَسَاوَمُوهَا فِيهِ، فَأَبَتْ أَنْ تَبِيعَهُ إِلَّا بِوَزْنِهِ فِضَّةً، فَكَتَبُوا إِلَى الْوَلِيدِ فَقَالَ: اشْتَرُوهُ مِنْهَا، وَلَوْ بِوَزْنِهِ فِضَّةً. فَلَمَّا بَذَلُوا لَهَا ذَلِكَ قَالَتْ: أَمَا إِذَا فَعَلْتُمْ ذَلِكَ فَهُوَ صَدَقَةٌ لِلَّهِ يَكُونُ فِي سَقْفِ هَذَا الْمَسْجِدِ. فَكَتَبُوا عَلَى أَلْوَاحِهَا بِطَابَعٍ: " لِلَّهِ ". وَيُقَالُ: إِنَّهَا كَانَتْ إِسْرَائِيلِيَّةً، وَإِنَّهُ كُتِبَ عَلَى الْأَلْوَاحِ الَّتِي أُخِذَتْ مِنْهَا: هَذَا مَا أَعْطَتْهُ الْإِسْرَائِيلِيَّةُ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ: سَمِعْتُ الْمَشَايِخَ يَقُولُونَ: مَا تَمَّ بِنَاءُ مَسْجِدِ دِمَشْقَ إِلَّا بِأَدَاءِ الْأَمَانَةِ، لَقَدْ كَانَ يَفْضُلُ عِنْدَ الرَّجُلِ مِنَ الْقَوَمَةِ يَعْنُونَ الْفَعَلَةَ الْفَأْسَ وَرَأْسَ الْمِسْمَارِ، فَيَجِيءُ حَتَّى يَضَعَهُ فِي الْخِزَانَةِ.
وَقَالَ بَعْضُ مَشَايِخِ الدَّمَاشِقَةِ: لَيْسَ فِي الْجَامِعِ مِنَ الرُّخَامِ شَيْءٌ إِلَّا الرُّخَامَتَانِ اللَّتَانِ فِي الْمَقَامِ مِنْ عَرْشِ بِلْقِيسَ، وَالْبَاقِي كُلُّهُ مَرْمَرٌ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: اشْتَرَى الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الْعَمُودَيْنِ الْأَخْضَرَيْنِ اللَّذَيْنِ تَحْتَ النَّسْرِ،
পৃষ্ঠা - ৭৪৬৩
স্ফো উস্তাদ বলেন, জামি মসজিদ তৈরীর কালে বিলকীস বাণীর ছাদ হতে সংগৃহীত দুটো
শ্বেত পাথর লাগাংনা হয়েছিল ৷ আর বাকী সবগুলো ছিল মর্মর পাথর ৷ কেউ কেউ বলেন,
আল-ওয়ালীদ হারব ইবন খালিদ ইবন ইয়াযিদ ইবন মুআবিয়া হতে এক হাজার পাচ শত
দীনারে যে দুটো সবুজ স্তম্ভ থরিদ করেন তা মসজিদের শকুন মার্কণ্র নীচে লাগানো হয়েছে ৷
আল-ওয়ালীদ ইবন মুসলিম হতে আল্লামা দাহীম বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, মারওয়ান
ইবন জিনাহ তার পিতা হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, দামেশকের মসজ্যিদ বার
হাজার শ্বেত পাথর লাগানো হয়েছিল ৷ দাহীম হতে আবু কুসাই বংনাি করেন ৷ তিনি
আল-ওয়ালীদ ইবন মুসলিম হতে আর তিনি আমর ইবন মুহাজির আল-আনসারী হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন যে, ইতিহাসবিদগণ বলেছেন, তারা ধারণা করেছেন মসজিদের সামনের
দেওয়ালে কারুকার্যের জন্যে আল-ওয়ালীদ যা করেছেন তার পরিমাণ হলো সত্তর হাজার
দীনার ৷
আবু কুসাই বলেন, দামেশকের মসজিদে চারশত সিন্দুক স্বর্ণ ব্যয় করা হয়েছে ৷ তার
প্রতিটি সিন্দুকে ছিল চৌদ্দ হাজার দীনার ৷ অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে যে, প্রতি সিন্দুকে ছিল
আটাশ হাজার দীনার ৷ আল্লামা ইবন কাহীর (র) বলেন, প্রথম বর্ণনা মুতাবিক মসজিদ নির্মাণে
যেটি ব্যয় দাড়ায় ছাপ্পান্ন লক্ষ দীনার ৷ আর দ্বিতীয় বর্ণনা মুতাবিক মসজিদ নির্মাণে মোট ব্যয়
দাড়ায় এক কোটি বার লক্ষ দীনার ৷ কেউ কেউ বলেন, মসজিদ নির্মাণের মোট ব্যয় এর চেয়ে
অনেক অনেক বেশী ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷
আবু কুসাই বলেন, একদিন আল-ওয়ালীদের দেহরক্ষী আল-ওয়ালীঙ্কদ্যা কাছে প্রবেশ করল
ও বলল, হে আমীরুল মুমিনীন৷ জনগণ বলাবলি করছে যে, আমীরম্স মু’মিনীন বায়তৃল
সালের রাশি রাশি সম্পদ অন্যায়ভাবে খরচ করছে ৷ তখন জনগণের মধ্যে ঘোষণা দেওয়া হলো
নষ্টুৰুাপু ’ও ষ্ন্ান্পু’৷ অর্থাৎ এখনি সালাত কায়েম হবে ৷ নির্ধারিত নিয়ম মুতাবিক জনগণ জড়
হলেন ৷ আল-ওয়ালীদ মিম্বরে আরোহণ করলেন এবং বললেন, আমার কাছে তোমাদের থেকে
সংবাদ পৌছেছে যে, তোমরা বলছ আল-ওয়ালীদ বায়তৃল মালের রাশি রাশি সম্পদ অন্যায়তাবে
খরচ করছে ৷ তারপর আল-ওয়ালীদ বললেন, হে আমর ইবন মুহাজ্যি ! তুমি উঠ এবং বায়তৃল
মালের সম্পদ জনগণের সম্মুখে হাযির কর ৷ সমুদয় সম্পদ থচ্চরের পিঠে বহন করে জামি
মসজিদে আনা হলো ৷ তারপর কুব্বাতুন নাসরি-এর নীচে দস্তরখান বিছানাে হলো ৷ তার মধ্যে
রক্তের ন্যায় টকটকে লাল“ স্বর্ণ ও খাটি রৌপ্য ঢালা হলো ৷ একটি টিলায় পরিণত হলো ৷ এই
তুপের এক পাশে কোন ব্যক্তি দাড়িয়ে অপর পাশের কোন ব্যক্তিকে দেখতে গেল না ৷ এতো
প্রচুর সম্পদ ৷ তারপর যাশ্রিক দীড়িপাল্লা আনা হলো ৷ সম্পদ ওযন করা হলো ৷ আন্দায করা
হলো জনগণের জন্যে আগামী তিন বছরের খাদ্য সম্ভার ও ভরণ-পােষণ সামগ্রী মওজুদ
রয়েছে ৷ অন্য এক বর্ণনায় জনগণের আগামী ষোল বছরের ডঃণ-পোষণের সামঘী রয়েছে, যদি
জনগণের প্রতি কোন প্রকার অঘটন না ঘটে ৷ আল-ওয়ালীদ তখন জনগণকে সম্বোধন করে
বললেন ৷ আল্লাহ্র শপথ, এ মসজিদ তৈরী করতে আমি বায়তৃল সাল হতে ৩একটি দিরহামও
খরচ করি নাই ৷ মসজিদ নির্মাণের যাবতীয় ব্যয়ভার আমার নিজস্ব সম্পদ থেকে বহন করা
হয়েছে ৷ তারপর লোকজন খুশী হলেন ৷ তারা তাকবীরধ্বনি দিলেন ৷ এ জন্য তারা মহান
আল্লাহর প্রশংসা করলেন ৷ খলীফার জন্যে তারা দুআ করলেন এবং কৃতজ্ঞ ও দু আগুযার
হিসেবে তারা প্রত্যাবর্তন করেন ৷ তারপর আল ওয়ালীদ তাদেরকে বললেন, হে দামেশকের
বাসিন্দাগণ! আল্লাহ্র শপথ! এ মসজিদ তৈরীতে আমি বায়তৃল সাল হতে একটি দিরহামও
مِنْ حَرْبِ بْنِ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ بِأَلْفٍ وَخَمْسِمِائَةِ دِينَارٍ.
وَقَالَ دُحَيْمٌ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، ثَنَا مَرْوَانُ بْنُ جَنَاحٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَانَ فِي مَسْجِدِ دِمَشْقَ اثْنَا عَشَرَ أَلْفَ مَرْخَمٍ.
وَقَالَ أَبُو قُصَيٍّ، عَنْ دُحَيْمٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُهَاجِرٍ الْأَنْصَارِيِّ: إِنَّهُمْ حَسَبُوا مَا أَنْفَقَهُ الْوَلِيدُ عَلَى الْكَرْمَةِ الَّتِي فِي قِبْلَةِ الْمَسْجِدِ; فَإِذَا هُوَ سَبْعُونَ أَلْفَ دِينَارٍ.
وَقَالَ أَبُو قُصَيٍّ، أُنْفِقَ فِي مَسْجِدِ دِمَشْقَ أَرْبَعُمِائَةِ صُنْدُوقٍ، فِي كُلِّ صُنْدُوقٍ أَرْبَعَةَ عَشَرَ أَلْفَ دِينَارٍ. وَفِي رِوَايَةٍ: فِي كُلِّ صُنْدُوقٍ ثَمَانِيَةً وَعِشْرُونَ أَلْفَ دِينَارٍ. قُلْتُ: فَعَلَى الْأَوَّلِ يَكُونُ ذَلِكَ خَمْسَةَ آلَافِ أَلْفِ دِينَارٍ، وَسِتَّمِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ، وَعَلَى الثَّانِي يَكُونُ الْمَصْرُوفُ فِي عِمَارَةِ الْجَامِعِ الْأُمَوِيِّ أَحَدَ عَشَرَ أَلْفَ أَلْفِ دِينَارٍ، وَمِائَتَيْ أَلْفِ دِينَارٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ أَبُو قُصَيٍّ: وَأَتَى الْحَرَسِيُّ إِلَى الْوَلِيدِ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ
পৃষ্ঠা - ৭৪৬৪
الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ النَّاسَ يَقُولُونَ: أَنْفَقَ الْوَلِيدُ أَمْوَالَ بَيْتِ الْمَالِ فِي غَيْرِ حَقِّهَا. فَنُودِيَ فِي النَّاسِ: الصَّلَاةَ جَامِعَةً. فَاجْتَمَعَ النَّاسُ، فَصَعِدَ الْوَلِيدُ الْمِنْبَرَ، وَقَالَ: إِنَّهُ بَلَغَنِي عَنْكُمْ أَنَّكُمْ قُلْتُمْ: أَنْفَقَ الْوَلِيدُ بُيُوتَ الْأَمْوَالِ فِي غَيْرِ حَقِّهَا. ثُمَّ قَالَ: يَا عَمْرُو بْنَ مُهَاجِرٍ، قُمْ فَأَحْضِرْ أَمْوَالَ بَيْتِ الْمَالِ. فَحُمِلَتْ عَلَى الْبِغَالِ إِلَى الْجَامِعِ، وَبُسِطَتْ لَهَا الْأَنْطَاعُ تَحْتَ الْقُبَّةِ، ثُمَّ أُفْرِغَ عَلَيْهَا الْمَالُ ذَهَبًا صَبِيبًا، وَفِضَّةً خَالِصَةً حَتَّى صَارَتْ كُوَمًا، حَتَّى كَانَ الرَّجُلُ لَا يَرَى الرَّجُلَ مِنَ الْجَانِبِ الْآخَرِ، وَهَذَا شَيْءٌ كَثِيرٌ، ثُمَّ جِيءَ بِالْقَبَّانِينَ فَوُزِنَتِ الْأَمْوَالُ; فَإِذَا هِيَ تَكْفِي النَّاسَ ثَلَاثَ سِنِينَ مُسْتَقْبَلَةً وَفِي رِوَايَةٍ: سِتَّ عَشْرَةَ سَنَةً مُسْتَقْبَلَةً لَوْ لَمْ يُدْخِلْ لِلنَّاسِ شَيْءٌ بِالْكُلِّيَّةِ فَفَرِحَ النَّاسُ وَكَبَّرُو ا، وَحَمِدُوا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى ذَلِكَ، ثُمَّ قَالَ الْوَلِيدُ: يَا أَهْلَ دِمَشْقَ، إِنَّكُمْ تَفْخَرُونَ عَلَى النَّاسِ بِأَرْبَعٍ; بِهَوَائِكُمْ، وَمَائِكُمْ، وَفَاكِهَتِكُمْ، وَحَمَّامَاتِكُمْ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَزِيدَكُمْ خَامِسَةً، وَهِيَ هَذَا الْجَامِعُ، فَاحْمَدُوا اللَّهَ تَعَالَى. وَانْصَرَفُوا شَاكِرِينَ دَاعِينَ.
পৃষ্ঠা - ৭৪৬৫
বার করি নাই ৷ সব খরচ আমার ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে করেছি ৷ তোমাদের ল্যাং সম্পদ
আমি হ্রাস করিনি ৷ তারপর আল-ওয়ালীদ বললেন, হে দামেশকের বাসিন্দাপণ! তোমরা
তোমাদের চারটি বস্তু নিয়ে অন্য দেশের জনগণের উপর নিজেদের যান,-মর্যাদা প্রকাশ ও গর্ব
করে থাক ৷ তা হলো, ণ্ণ্তামাদের অঞ্চলের হাওয়া, পানি, ফল-ফলাদি ও কবুতর ৷ আর এ
চারটির সাথে একটি পঞ্চম যোগ করতে আমি চইি ৷ আর তা হলো জামি মসজিদ ৷ কেউ
কেউ বলেন, দামেশকের মসজিদের কিবলার দিকে তিনটি পাটি সোনালী রং-এর কাষ্ঠফলক
ছিল ৷ প্রত্যেকটি ফলকের মধ্যে কুরআনের আয়াত ও অন্যান্য লিখা বিদ্যমান ছিল ৷ সেগুৰ্লা
জ্জি নিম্নরুপং
ৰুান্,
ব্লুট্রু ৷
এ্যা
অর্থাৎ পরম দাতা ও দয়ালু আল্লাহর নামে : আল্লাহ্ তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই ৷
তিনি চিরজীবী, চিরস্থায়ী ৷ তাকে তন্দ্র৷ অথবা নিদ্র৷ স্পর্শ করে না ৷ এক আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য
কোন ইলাহ ণ্নই, তার কোন অংশীদার নেই ৷ তাকে ব্যতীত অন্য কারোর আমরা ইবা দত করি
না ৷ আমাদের প্রতিপালক এক আল্লাহ্ ৷ আমাদের দ্বীনইসলাম, ৷ আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা) ৷
এ মসজিদ নির্মাণ এবং যে গির্জার এ মসজিদটি ছিল এটাকে ৮ হিজরীর যুল-কাদাহ মাসে
ধ্বংস করার জন্যে যিনি আদেশ দিয়েছেন তিনি হলেন আল্লাহর বন্দো, মু’মিনগণের আমীর
আল-ওয়ালীদ ৷
এসব কাঠের ফলকের ৪নং ফলকে লিখা ছিল :
’ ৷
, ৷,
া
অর্থাৎ প্রশংসা জগতসমুহের প্রতিপালক আল্লাহ্ৱই প্রাপ্য, যিনি দয়াময়, পরম দয়ালু,
কর্মফ্ল দিবসের মালিক ৷ আমরা শুধু তােমারই ইবাদত করি ৷ শুধু তােমারই সাহায্য প্রার্থনা
করি, আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, তাদের পথ, যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ দান করেছ ৷ যারা
ক্রোধে নিপতিত নয়, পথভ্রষ্টও নয় ৷ তারপর সুরায়ে আন-নাযিআত, তারপর সুরায়ে আবাসা ও
সুরায়ে ইযাশৃ-শামসু কুব্বিরাত লিখা ছিল ৷
ইতিহাসবিদগণ বলেন, খলীফা মামুন যখন দামেশকে আগমন করেন, তখন এসব লিখা
মুছে ফেলা হয় ৷ ইতিহাসবিদগ ণ আরো উল্লেখ করেন, মসজিদের মোঝটা ছিল সম্পুর্ণরুপে
রৌপ্য দ্বারা মুড়ানাে আর দেওয়ালে এক পুরুষ পর্যন্ত ছিল শ্বেত পাথর ৷ শ্বেত পাথরের উপরে
ছিল সোনালী বড় বড় আঙ্গুর লতাপাতা, এ লতা পাতায় উপরে ছিল সোনালী, সবুজ, লাল,
নীল ও সাদা রংয়ের মণি পাথর ৷ এগুলোর মাধ্যমে তারা দেশের বড় বড় শহরগুলাের চিত্রাহ্কন
€০া৷া
-৩১ পুে
وَقَالَ بَعْضُهُمْ: كَانَ فِي قِبْلَةِ جَامِعِ دِمَشْقَ ثَلَاثُ صَفَائِحَ مُذَهَّبَةٍ بِلَازُورْدَ، فِي كُلٍّ مِنْهَا: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ {اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ} [البقرة: 255] لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَلَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ، رَبُّنَا اللَّهُ وَحْدَهُ، وَدِينُنَا الْإِسْلَامُ، وَنَبِيُّنَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. أَمَرَ بِبُنْيَانِ هَذَا الْمَسْجِدِ، وَهَدْمِ الْكَنِيسَةَ الَّتِي كَانَتْ فِيهِ، عَبْدُ اللَّهِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ الْوَلِيدُ، فِي ذِي الْقَعْدَةِ سَنَةَ سِتٍّ وَثَمَانِينَ. وَفِي صَفِيحَةٍ أُخْرَى رَابِعَةٍ مِنْ تِلْكَ الصَّفَائِحِ: {الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ} [الفاتحة: 2]
[التَّكْوِيرِ: 1] .
قَالُوا: ثُمَّ مُحِيَتْ بَعْدَ مَجِيءِ الْمَأْمُونِ إِلَى دِمَشْقَ. وَذَكَرُوا أَنَّ أَرْضَهُ كَانَتْ مُفَضَّضَةً كُلَّهَا، وَأَنَّ الرُّخَامَ كَانَ فِي جُدْرَانِهِ إِلَى قَامَاتٍ، وَفَوْقَ الرُّخَامِ كَرْمَةٌ عَظِيمَةٌ مِنْ ذَهَبٍ، وَفَوْقَ الْكَرْمَةِ الْفُصُوصُ الْمُذَهَّبَةُ وَالْخُضْرُ وَالْحُمْرُ وَالزُّرْقُ وَالْبِيضُ، قَدْ صَوَّرُوا بِهَا سَائِرَ الْبُلْدَانِ الْمَشْهُورَةِ: الْكَعْبَةَ فَوْقَ الْمِحْرَابِ، وَسَائِرَ الْأَقَالِيمِ يَمْنَةً وَيَسْرَةً، وَصَوَّرُوا مَا فِي الْبُلْدَانِ مِنَ الْأَشْجَارِ الْحَسَنَةِ الْمُثْمِرَةِ وَالْمُزْهِرَةِ، وَغَيْرِ ذَلِكَ، وَسَقْفُهُ مُقَرْنَصٌ بِالذَّهَبِ، وَالسَّلَاسِلُ الْمُعَلَّقَةُ فِيهِ جَمِيعُهَا مِنْ ذَهَبٍ وَفِضَّةٍ، وَأَنْوَارُ الشُّمُوعِ فِي أَمَاكِنِهِ مُفَرَّقَةٌ.
পৃষ্ঠা - ৭৪৬৬
করেছে ৷ মিহরাবের উপরে ছিল কাবার চিত্র ৷ আর ডানে-বামে ছিল সকল প্রদেশের চিত্র ৷
দেশের যেসব অঞ্চল সুন্দর সুন্দর ফলে-ফুলে সৌরভিত ছিল এগুলোর নকশাও দেখতে পাওয়া
যায় ৷ মসজিদের ছাদ ছিল সিড়ির ধাপের ন্যায় স্বর্ণ দ্বারা কারুকার্য খচিত ৷ ছাদের সাথে যে
শিকলগুলো ঝুলানাে ছিল সেগুলো ছিল স্বর্ণ ও রৌপোর তৈরী ৷ বাতির আলো ছিল বিভিন্ন
জায়গায় বিভিন্ন রকম ৷ বর্গনাকারী বলেন, সাহাবীগণের মিহরাবে ছিল পাথরের এবং ম্ফটিকের
পাত্র ৷ কেউ কেউ বলেন, এগুলো ছিল মুল্যবান রত্ন পাথর ৷ আর এগুলো ছিল মুক্তা ৷ এগুলোকে
আল-কালীলাহ বলা হতো ৷ যখন বাতি নিভানাে হতো তখন এগুলো যেখানে ছিল সর্বত্র আপন
আলোকে ঝলমল করে উঠত ৷ যখন আমীন ইবন রশীদ্ খলীফার যামানা শুরু হয় আর তিনি
ক্ষটিক, কেউ কেউ বলেন, মুক্তা বেশী পসন্দ করতেন বিধায় দামেশকের পুলিশ সুপার
সুলায়মানের কাছে তার নিকট এগুলো প্রেরণ করার জন্যে লোক পাঠান ৷ পুলিশ সুপার মানুষের
ভয়ে এগুলোকে চুপে চুপে খলীফার কাছে প্রেরণ করেন ৷ এরপর যখন আল-মামুন খলীফা হন,
তখন আমীনের উপর দোষ চাপানাের জন্যে তিনি এগুলোকে দামেশকে ফেরত পাঠান ৷ ইবনুল
আসাকির বলেন, এরপর এগুলো নষ্ট হয়ে যায় ৷ এগুলোর পরিবর্তে র্কাচের পাত্র স্থান পায় ৷
বর্ণনাকারী বলেন, আমি এসব পাত্র দেখেছি ৷ এরপর এগুলো ভেঙ্গে যায় ৷ পরে এগুলোর
পরিবর্তে আর কিছু তৈরী করা হয়নি ৷
ইতিহাসবিদগণ বলেন, মসজিদ প্রাঙ্গণের ভিতরের দরযাগুলােতে কোন রকম তালার
ব্যবস্থা ছিল না; বরং এ দরযাগুলোর উপরে পর্দা লটকিয়ে রাখা হতো ৷ অনুরুপভাবে সবগুলো
দেওয়ালে বড় বড় লতার সীমা পর্যন্ত পর্দা ব্যবহার করা হতো ৷ আর এগুলোর উপরেই আৎটিব
সোনালী পাথরের ন্যায় শোভা পেত ৷ স্তন্তের মাথাগুলাে র্খাটি স্বর্ণদ্বারা কারুকার্য খচিত ছিল ৷
এগুলোর চতুর্দিক দিয়ে সিড়ির ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল ৷ আল-ওয়ালীদ উত্তর দিকের মিনারটি
নির্মাণ করেছিলেন যার নাম ছিল মাযিনাতৃল আরুস ৷ তবে পুর্বদিকের এবং পশ্চিম দিকের
মিনারা দুটো বহু পুর্ব থেকেই শোভা পেতে ছিল ৷ এ উপাসনালয়ের প্রতিটি কোণায় ছিল খুব
উচু ইবাদতখানা ৷ গ্রীকরা এগুলোকে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে তৈরী করেছিল ৷ তারপর উত্তর
দিকের দুটো ধসে পড়ে যায় এবং সামনের দিকের দুটো আজ পর্যন্ত বিরাজ করছে ৷ সাতশত
চল্লিশ হিজরীর পর পুর্ব দিকের মিনারের কিছু অংশ পুড়ে যায় ৷ তারপর এটাকে ভেঙ্গে
খৃক্টানদেয়সস্পদ হতে তা পুনঃ নির্মাণ করা হয় ৷ কেননা, তারাই এটাকে পুড়িয়ে দিয়েজ্যি বলে
অভিযোগ উথাপিত হয়েছিল ৷ তারপর মিনারটি সুন্দর অবস্থায় বিরাজ করছে ৷ এটার বং সাদা ৷
দাজ্জাল বের হবার পর শেষ যামানায় এটার সিড়ি দিয়েই মারইয়াম তনয় হযরত ঈসা (আ) এ
পৃথিবীতে অবতরণ করবেন ৷ এ সম্পর্কে আন-নাওয়াস ইবন সাময়ান হতে মুসলিম শরীফে
একটি বিশুদ্ধ হাদীস বর্ণিত রয়েছে ৷
আল্লামা ইবন কাসীর (র) বলেন, তারপর এ মিনারটির উপরিভাগ পুড়িয়ে দেওয়া হয় টু
এবং পুনঃ নির্মাণ করা হয় ৷ আর এটার উপরিভাগ ছিল কাঠের তৈরী ৷ ৭৭০ হিজরীর শেষ
ভাগে মিনারটির সম্পুর্ণ অংশ পাথর দ্বারা তৈরী করা হয় ৷ এখনও এটার সম্পুংটি৷ পাথর দ্বারাই
তৈরী
বন্তুতঃ যখন উমায়্যাদের দ্বারা নির্মিত জামি মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হয়, তখন এ
মসজিদ হতে অধিক সুন্দর এ পৃথিবীতে কোন নির্মাণ কাজী জ্যি না৷ তার থেকে অধিক
মানামুগ্ধকর এবং সুদৃশ্য অন্য কোন নির্মাণ কাজই পৃথিবীতে ছিল না ৷ যখন কোন পরিদর্শক তা
পরিদর্শন করতেন, তখন তিনি মসজিদের দিকে, আশপাশের এলাকা ও সারা ভুখণ্ড যেটুকু
قَالَ: وَكَانَ فِي مِحْرَابِ الصَّحَابَةِ بَرْنِيَّةٌ; حَجَرٌ مِنْ بَلُّورٍ وَيُقَالُ: بَلْ كَانَتْ حَجَرًا مِنْ جَوْهَرٍ، وَهِيَ الدُّرَّةُ، وَكَانَتْ تُسَمَّى الْقَلِيلَةَ، وَكَانَتْ إِذَا طَفِئَتِ الْقَنَادِيلُ تُضِيءُ لِمَنْ هُنَاكَ بِنُورِهَا، فَلَمَّا كَانَ زَمَنُ الْأَمِينِ بْنِ الرَّشِيدِ وَكَانَ يُحِبُّ الْبَلُّورَ، وَقِيلَ: الْجَوْهَرَ بَعَثَ إِلَى سُلَيْمَانَ وَإِلَى شُرَطَةِ دِمَشْقَ أَنْ يَبْعَثَ بِهَا إِلَيْهِ، فَسَرَقَهَا، وَسَيَّرَهَا إِلَى الْأَمِينِ، فَلَمَّا وَلِيَ الْمَأْمُونُ رَدَّهَا إِلَى دِمَشْقَ; لِيُشَنِّعَ بِذَلِكَ عَلَى الْأَمِينِ.
قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: ثُمَّ ذَهَبَتْ بَعْدَ ذَلِكَ، فَجُعِلَ مَكَانَهَا بَرْنِيَّةٌ مِنْ زُجَاجٍ. قَالَ: وَقَدْ رَأَيْتُ تِلْكَ الْبَرْنِيَّةَ ثُمَّ انْكَسَرَتْ بَعْدَ ذَلِكَ، فَلَمْ يُجْعَلْ مَكَانَهَا شَيْءٌ. قَالُوا: وَكَانَتِ الْأَبْوَابُ الشَّارِعَةُ مِنْ دَاخِلِ الصَّحْنِ لَيْسَ عَلَيْهَا أَغْلَاقٌ، وَإِنَّمَا كَانَ عَلَيْهَا السُّتُورُ مُرْخَاةً، وَكَذَلِكَ السُّتُورُ عَلَى سَائِرِ جُدْرَانِهِ إِلَى حَدِّ الْكَرْمَةِ الَّتِي فَوْقَهَا الْفُصُوصُ الْمُذَهَّبَةُ، وَرُءُوسُ الْأَعْمِدَةِ مَطْلِيَّةٌ بِالذَّهَبِ الْخَالِصِ الْكَثِيرِ، وَعَمِلُوا لَهُ شُرُفَاتٍ تُحِيطُ بِهِ، وَبَنَى الْوَلِيدُ الْمَنَارَةَ الشَّمَالِيَّةَ الَّتِي يُقَالُ لَهَا: مِئْذَنَةُ الْعَرُوسِ. فَأَمَّا الشَّرْقِيَّةُ وَالْغَرْبِيَّةُ فَكَانَتَا فِيهِ قَبْلَ ذَلِكَ بِدُهُورٍ مُتَطَاوِلَةٍ، وَقَدْ كَانَ فِي كُلِّ زَاوِيَةٍ مِنْ هَذَا الْمَعْبَدِ صَوْمَعَةٌ شَاهِقَةٌ جِدًّا، بَنَتْهَا الْيُونَانُ لِلرَّصْدِ، ثُمَّ بَعْدَ ذَلِكَ سَقَطَتِ الشَّمَالِيَّتَانِ وَبَقِيَتِ الْقِبْلِيَّتَانِ إِلَى الْآنَ، وَقَدْ أُحْرِقَ بَعْضُ الشَّرْقِيَّةِ بَعْدَ
পৃষ্ঠা - ৭৪৬৭
الْأَرْبَعِينَ وَسَبْعِمِائَةٍ، فَنُقِضَتْ وَجُدِّدَ بِنَاؤُهَا مِنْ أَمْوَالِ النَّصَارَى، حَيْثُ اتُّهِمُوا بِحَرِيقِهَا، فَقَامَتْ عَلَى أَحْسَنِ الْأَشْكَالِ بَيْضَاءَ بِذَاتِهَا وَهِيَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، الْمَنَارَةُ الشَّرْقِيَّةُ الَّتِي يَنْزِلُ عَلَيْهَا عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ بَعْدَ خُرُوجِ الدَّجَّالِ، كَمَا ثَبَتَ ذَلِكَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ "، عَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ.
قُلْتُ: ثُمَّ أُحْرِقَ أَعْلَى هَذِهِ الْمَنَارَةِ وَجُدِّدَتْ، وَكَانَ أَعْلَاهَا مِنْ خَشَبٍ، فَبُنِيَتْ بِحِجَارَةٍ كُلُّهَا فِي آخِرِ السَّبْعِينَ وَسَبْعِمِائَةٍ، فَصَارَتْ كُلُّهَا مَبْنِيَّةً بِالْحِجَارَةِ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْجَامِعَ الْأُمَوِيَّ لَمَّا كَمُلَ بِنَاؤُهُ لَمْ يَكُنْ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ بِنَاءٌ أَحْسَنَ مِنْهُ، وَلَا أَبْهَى وَلَا أَجَلَّ مِنْهُ، بِحَيْثُ إِنَّهُ إِذَا نَظَرَ النَّاظِرُ إِلَيْهِ، أَوْ إِلَى أَيِّ جِهَةٍ مِنْهُ أَوْ إِلَى أَيِّ بُقْعَةٍ أَوْ مَكَانٍ مِنْهُ، تَحَيَّرَ فِيمَا يَنْظُرُ إِلَيْهِ; لِحُسْنِهِ جَمِيعِهِ، وَلَا يَمَلُّ نَاظِرُهُ، بَلْ كُلَّمَا أَدْمَنَ النَّظَرَ، بَانَتْ لَهُ أُعْجُوبَةٌ لَيْسَتْ كَالْأُخْرَى.
وَكَانَتْ فِيهِ طِلَّسْمَاتٌ مِنْ أَيَّامِ الْيُونَانَ، فَلَا يَدْخُلُ هَذِهِ الْبُقْعَةَ شَيْءٌ مِنَ الْحَشَرَاتِ بِالْكُلِّيَّةِ; لَا مِنَ الْحَيَّاتِ، وَلَا مِنَ الْعَقَارِبِ، وَلَا الْخَنَافِسِ، وَلَا الْعَنَاكِيبِ، وَيُقَالُ: وَلَا الْعَصَافِيرُ أَيْضًا تُعَشِّشُ فِيهِ، وَلَا الْحَمَامُ، وَلَا شَيْءٌ مِمَّا يَتَأَذَّى بِهِ النَّاسُ.
পৃষ্ঠা - ৭৪৬৮
জুড়ে মসজিদটি অবস্থিত, দেখে অবাক হয়ে যেতেন ৷ কেননা, এটা এতই সুদৃশ্য, চমৎকার ও
বিস্ময়কর ছিল যা কল্পনারও বাইরে ৷ পবিদর্শক কখনও ক্লান্ত হয়ে পড়তেন না; বরং যখনই
তিনি গভীরভাবে নযর করতেন, তখনই এটার মধ্যে এমন এমন সৌন্দর্য দেখতে পেতেন যা
অন্য কোন নির্মাণের মধ্যে পাওয়া যায় না ৷ গ্রীকদের যামানা হতেই মসজিদ এলাকায় এমন
এমন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে গেছে যা জাদৃকরদের ভেঙ্কিবাযীকেও হার মানায় ৷ এ এলাকায়
কোন পোকা মাকড় ঢুকতে সাহস করতনা এমনকি কোন সাপ, বিচ্ছু, মাকড়সা, টিকটিকি
ইত্যাদি কোন কিছুই প্রবেশ করত না ৷ এমনকি চডুই পাখী কিংবা বাবুই পাখীও সেখানে বাসা
বারবার জন্যে যেত না কিংবা অন্য কোন পশুপক্ষীও যেগুলো মানুষকে কষ্ট দেয়, সেখানে বাস
করার জন্য গমন করত না ৷ অধিকাংশ বিস্ময়কর ঘটনা কিত্বা সব বিস্ময়কর ঘটনার মুলে ছিল
এ উপাসনালয়ের ছাদকে কেন্দ্র করে ৷ এটাও সপ্ত আশ্চর্যের অস্তভুক্তি ৷ ফাতিমীয়দের যুগে ৪৬১
হিজরীতে শা বান মাসের ১৫ তারিখ আসরের পর ছাদসহ এ মসজিদটিকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়
যা পরে বিস্তারিত বর্ণনা করা হবে ৷ দামেষ্কে গ্রীক কর্তৃক নির্মিত বিস্ময়কর ও বিষয়াদির মধ্যে
এখনও কিছু কিছু বাকী রয়েছে ৷ মহান আল্লাহ অধিক পবিজ্ঞাত ৷
এ সব বিস্ময়কর বস্তুর মধ্যে যেমন এমন একটি স্তম্ভ যা উম্মে হাকীম পুলের কাছে গমের
বাজারে অবস্থিত ৷ তার মাথায় ফুটবলের মত কিছু জিনিস রাখা হয়েছে ৷ এ জায়গাটি আজকাল
আলা বীয়ীন বলে পরিচিত ৷ দামেশকরাসীরা উল্লেখ করেন যে, জন্তু-জানােয়ারের প্রস্রাব বন্ধ
হায় গেলে তার চিকিৎসার জন্য গ্রীকরা এ স্তুষ্ঢি তৈরী করেছিলেন ৷ যখন তারা কোন
জানোয়ারকে এ স্তষ্ঢির চতুর্দিকে তিনবার প্রদক্ষিণ করাতেন, তখন ঐ জানোয়্যারর অম্ভস্তল
খুলে যেত এবং এটা প্ৰস্রাব করত ৷ আর এ ঘটনা গ্রীকদের আমল থেকে আজ পর্যন্ত চলে
আসছে ৷
আল্পামা ইবন তায়মিয়৷ (র) এ স্তম্ভ সম্বন্ধে লিখতে গিয়ে বলেন, এ স্তম্ভের নীচে একজন
আধিপত্য বিস্তারকান্নী যালিম ও কাফিরকে দাফন করা হয়েছে ৷ তাকে সেখানে আমার দেওয়া
হচ্ছে ৷ যখন তারা জানােয়ারটিকে স্তন্তটির চতুর্দিক দিয়ে ঘুরায়, তখন জানােয়ারটি আযাবের
শব্দ শুনতে পায় এবং ডীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পায়খানা ও প্রস্রাব করতে থাকে ৷ তিনি আরো বলেন, এ
জন্যেই ইয়াহুদ, খৃক্টান এবং কাফিরদের কবরের পাশে জন্তু-জানোয়ারকে নিয়ে যাওয়া হয়,
যখন এরা তাদের আযাবেৱ শব্দ শুনতে পায়, তখন তাদের প্ৰস্রাব নির্গত হতে থাকো
প্রকৃতপক্ষে এ স্তন্তের মধ্যে, কোন প্রকার গুপ্ত রহস্য নেই ৷ যে ব্যক্তি মনে করে যে, এ স্তম্ভটি
মানুষের উপকার ও অপকার করতে পারে সে নির্লজ্জ বিভ্রাস্তির মধ্যে পড়ে রয়েছে ৷ আবার
কেউ কেউ বলেন, এটার নীচে রয়েছে গুপ্তধন ৷ আর তার মালিক নিকটে দাফন অবস্থায়
রয়েছে ৷ তার মালিক মৃত্যুর পর আবার দুনিয়ার প্রত্যাবর্ত্যন বিশ্বাসী ৷ সুরায়ে মু’মিনুনের ৩ ৭নং
আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা বলেন : ,
শ্ : ১০
অর্থাৎ একমাত্র পার্থিব জীবনই আমাদের জীবন ৷ আমরা মরি-বাচি এখানেই এবং আমরা
পুনরুথিত হব না ৷’ মহা পবিত্র আল্লাহ তাআলা অধিক পরিজ্ঞাত ৷
বনু উমায়্যা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত জামি মসজিদের নির্মাণ কার্য সমাপ্ত করার জন্য
আল-ওয়ালীদের মৃত্যুর পর তার ভইি সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক নিজের খিলাফত আমলে
অহ্বহ চেষ্টা করছিল ৷ মসজিদের মিহরাবঢি পুনরায় তার জন্যে, নির্মাণ করা হয়েছিল ৷ উমর
ইবন আবদ্বা আযীয যখন খলীফ৷ মনোনীত হন, তখন তিনি মসজিদটিকে স্বর্ণশুন্য করতে
মনস্থু করেছিলেন ৷ তিনি স্বার্ণর শিকল, শ্বেত পাথর এবং মর্যর পাথরও খুলে ফেলতে ,
وَأَكْثَرُ هَذِهِ الطِلَّسْمَاتِ أَوْ كُلُّهَا كَانَتْ مُودَعَةً فِي سَقْفِ الْجَامِعِ، مِمَّا يَلِي السُّبْعَ، فَأُحْرِقَتْ لَمَّا وَقَعَ فِيهِ الْحَرِيقُ، وَكَانَ ذَلِكَ لَيْلَةَ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ بَعْدَ الْعَصْرِ، سَنَةَ إِحْدَى وَسِتِّينَ وَأَرْبَعِمِائَةٍ، فِي دَوْلَةِ الْفَاطِمِيِّينَ، كَمَا سَيَأْتِي ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ.
وَقَدْ كَانَتْ بِدِمَشْقَ طِلَّسْمَاتٌ وَضَعَتْهَا الْيُونَانُ، بَعْضُهَا بَاقٍ إِلَى يَوْمِنَا هَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
فَمِنْ ذَلِكَ، الْعَمُودُ الَّذِي فِي رَأْسِهِ مِثْلُ الْكُرَةِ بِسُوقِ الشَّعِيرِ عِنْدَ قَنْطَرَةِ أُمِّ حَكِيمٍ، وَهَذَا الْمَكَانُ يُعْرَفُ الْيَوْمَ بِالْعَلَبِيِّينَ، ذَكَرَ مَشَايِخُ دِمَشْقَ أَنَّهُ مِنْ وَضْعِ الْيُونَانِ لِعُسْرِ بَوْلِ الْحَيَوَانِ، فَإِذَا دَارُوا بِالْحَيَوَانِ حَوْلَ هَذَا الْعَمُودِ ثَلَاثَ دَوْرَاتٍ انْطَلَقَ بَوْلُهُ، وَذَلِكَ مُجَرَّبٌ عِنْدَ الْيُونَانِ.
وَمَا زَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ يَعْمَلُ فِي تَكْمِلَةِ الْجَامِعِ الْأُمَوِيِّ بَعْدَ مَوْتِ أَخِيهِ مُدَّةَ وِلَايَتِهِ، وَجُدِّدَتْ لَهُ فِيهِ الْمَقْصُورَةُ، فَلَمَّا وَلِيَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَزَمَ
পৃষ্ঠা - ৭৪৬৯
عَلَى أَنْ يُجَرِّدَ مَا فِيهِ مِنَ الذَّهَبِ، وَيَقْلَعُ السَّلَاسِلَ وَالرُّخَامَ وَالْفُسَيْفِسَاءَ، وَيَرُدَّ ذَلِكَ كُلَّهُ إِلَى بَيْتِ الْمَالِ، وَيُطَيِّنَهُ مَكَانَ ذَلِكَ كُلِّهِ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى أَهْلِ الْبَلَدِ، وَاجْتَمَعَ أَشْرَافُهُمْ إِلَيْهِ، وَقَالَ خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيُّ: أَنَا أُكَلِّمُهُ لَكُمْ. فَلَمَّا اجْتَمَعُوا قَالَ خَالِدٌ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، بَلَغَنَا أَنَّكَ تُرِيدُ أَنْ تَصْنَعَ كَذَا وَكَذَا. قَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ خَالِدٌ: لَيْسَ ذَلِكَ لَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ عُمَرُ: وَلِمَ يَا ابْنَ الْكَافِرَةِ؟ وَكَانَتْ أُمُّهُ نَصْرَانِيَّةً رُومِيَّةً أُمَّ وَلَدٍ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنْ كَانَتْ كَافِرَةً، فَقَدْ وَلَدَتْ رَجُلًا مُؤْمِنًا. فَقَالَ: صَدَقْتَ. وَاسْتَحْيَا عُمَرُ ثُمَّ قَالَ لَهُ: فَلِمَ قُلْتَ ذَلِكَ؟ قَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ; لِأَنَّ غَالِبَ مَا فِيهِ مِنَ الرُّخَامِ إِنَّمَا حَمَلَهُ الْمُسْلِمُونَ مِنْ أَمْوَالِهِمْ مِنْ سَائِرِ الْأَقَالِيمِ، وَلَيْسَ هُوَ لِبَيْتِ الْمَالِ. فَأَطْرَقَ عُمَرُ رَحِمَهُ اللَّهُ.
قَالُوا: وَاتَّفَقَ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ قُدُومُ جَمَاعَةٍ مِنْ بِلَادِ الرُّومِ رُسُلًا مِنْ عِنْدِ مَلِكِهِمْ، فَلَمَّا دَخَلُوا مِنْ بَابِ الْبَرِيدِ، وَانْتَهَوْا إِلَى الْبَابِ الْكَبِيرِ الَّذِي تَحْتَ النَّسْرِ، وَرَأَوْا مَا بَهَرَ عُقُولَهُمْ مِنْ حُسْنِ ذَلِكَ الْجَامِعِ الْبَاهِرِ، وَالزَّخْرَفَةِ الَّتِي لَمْ يُسْمَعْ بِمِثْلِهَا صَعِقَ كَبِيرُهُمْ، وَخَرَّ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ، فَحَمَلُوهُ إِلَى مَنْزِلِهِمْ، فَبَقِيَ أَيَّامًا مُدْنِفًا، فَلَمَّا تَمَاثَلَ سَأَلُوهُ عَمَّا عَرَضَ لَهُ، فَقَالَ: مَا كُنْتُ أَظُنُّ أَنْ يَبْنِيَ الْمُسْلِمُونَ مِثْلَ هَذَا الْبِنَاءِ، وَكُنْتُ أَعْتَقِدُ أَنَّ مُدَّتَهُمْ تَكُونُ أَقْصَرَ مِنْ هَذَا. فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ عُمَرَ بْنَ
পৃষ্ঠা - ৭৪৭০
চেয়েছিলেন ৷ আর এসব কিছু বায়তৃল মালে বা সরকারী ণ্কাষাগারে প্রেরণ করতে চেয়েছিলেন
এবং সর্বত্র ইটের ব্যবহারকে নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন ৷ এটা শহরবাসীদের কাছে খারাপ
লাগল ৷ তাই শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ খলীফার কাছে আগমন করেন ৷ খালিদ ইবন
আবদুল্লাহ আলন্-কাসরী বলেন,;আমি আপনাদের পক্ষ হতে খলীফার সাথে কথা বলব ৷ তখন
সে খলীফাকে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আপনার পরিকল্পনার ব্যাপারে আমাদের কাছে
এরুপ এরুপ খবর পৌছেছে ৷ খলীফা বললেন, হ্যা ৷ খালিদ বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! এটা
আপনার জন্যে উচিত হবে না ৷ উমর (রা) বললেন, কেন ? ণ্হ কাফির মহিলার সন্তান ! তার
মাতা ছিল ণ্রামীয় খৃন্টান দাসী ৷ খালিদ বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমার মাতা যদিও
নিজে কাফির, কিন্তু আমার মত একজন মুমিন ব্যক্তিকে জন্ম দিয়েছেন ৷ উমর (র) বললেন,
তুমি সত্য বলেছ ৷ একথা বলে উমর লজ্জিত হলেন ৷ তারপর তাকে বললেন, ভুমি এরুপ কেন
বললে, সে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! মসজিদের মধ্যে অধিকাংশই শ্বেত পাথর ৷ আর
এগুলোকে মুসলমানগণ আদর বিভিন্ন দেশ থেকে বহন করে এসেছেন ৷ এগুলো বিক্ষ্ম বায়তৃল-
মানের সম্পদ নয় ৷ উমর (র) চুপ হয়ে গেলেন ৷
ইতিহাসবিদগণ বলেন, ঐ সময় রোম শহর থেকে তাদের সম্রাটের পক্ষ হতে দুত হিসেবে
একটি দলের আগমনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল ৷ যখন তারা ডাকহরকরাদের দরযা দিয়ে
প্রবেশ করে শকুনের নীচে অবস্থিত বড় দরযাটি পর্যন্ত পৌছল, তখন তারা মহা সৌন্দর্যময়
জামি মসজিদের সৌন্দর্য দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ৷ এমন সৌন্দর্যের কথা পুর্বে আর কোন
দিনও শুনা যায়নি ৷ তাদের বড় নেতা বজ্বাহত হয়ে বেছুশ অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেল ৷ তারা
তখন তাকে তাদের অবস্থানের জায়গায় উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং এরুপ আশংকাজনক অবস্থায় সে
কিছুদিন অবস্থান করতে বাধ্য হয় ৷ যখন সে চেতনা ফিরে পেল, তখন তার অবস্থা সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করা হলো, তখন সে বলল, আমি কোন দিনও ধারণা করি নাই যে, মুসলমানেরা এ
ধরনের নযীরবিহীন নির্মাণ কাজ করতে পারবে ৷ আমি ধারণ করতাম যে, এ কাজ সম্পুর্ণ
করতে যতদিন লাগবে তাদের আয়ুষ্কাল এর থেকেও সংকীর্ণ হবে ৷ নেতার এরুপ দুরব ন্থার কথা
যখন উমর ইবন আবদুল আযীয (র)-এর কাছে পৌছে, তখন তিনি বলেন, ক্রোধ ও হিংসা
কাফিরদেরকে ধ্বংস করে দিক ৷ তাকে তার অবস্থায় ছেড়ে দাও ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয
(র)-এর যুগে খৃক্টানরা তাদের থেকে আল-ওয়ালীদ যে গির্জা নিয়ে দিয়েছেন সে সম্পর্কে
আংলাচনার উদ্দেশ্যে একটি বৈঠক করার জন্যে খলীফার কাছে আরবী পেশ করল ৷ উমর (র)
ন্যায়পরায়ণ শাসক ছিলেন বিধায় আলওয়ালীদ জামি মসজিদের জন্যে ন্খৃক্টানদের থেকে যে
পরিমাণ ভুমি দখল করে নিয়েছিলেন তা ফেরত দেওয়ার জন্যে তিনি মন্স্থ করেন ৷ তারপর
উমর (র) বিষয়টি মিটমাট করে নেন ৷ এরপর তিনি লক্ষ্য করেন যে, গির্জাগুলাে শহরের
বাইরে রয়েছে ৷ এগুলো সাহাবীগণের লিখিত সন্ধিনামার অন্তর্ভুক্ত ছিল না ৷ যেমন কাসীয়ুন
নামী বড় একটি গ্রামের পাশে অবস্থিত দায়রে মারান নামক গির্জা, পাদ্রী গির্জা, তােমা গির্জা,
যা তােমা দরযার বাইরে, কুরাউল হাওয়াজিয-এ অবস্থিত গির্জাগুলো ৷ উমর ইবন আবদুল
আযীয (র) তাদেরকে এ গির্জাগুলো ধ্বংস করে দেওয়া কিৎবা তাদের থেকে নিয়ে নেওয়া গির্জা
ফেরত দানএর মধ্যে ইখতিয়ার দেওয়া অন্যকথয়ে এ গির্জাগুলো অক্ষুগ্ন রাখতে হলে
মুসলমানদেরকে যা দেওয়া হয়েছিল তার দাবী খৃক্টানদের ছেড়ে দিতে হবে ৷ তিন দিন
আংলাচনার পর এ গির্জাগুলো অক্ষুগ্ন রাখার ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো ৷ উমর ইবন
আবদুল আযীয (র) তাদেরকে গির্জাগুলো সম্পর্কে একটি নিরাপত্তানামা লিখে দিলেন ৷
খৃক্টানরাও মসজিদকে ছেড়ে দেওয়া গির্জাৎশ সম্বন্ধে সভুষ্টি পুনরায়ব্যক্ত করল ৷ খলীফা এ
সম্পর্কেও তাদেরকে একটি নিরাপত্তানামা লিখে দিলেন ৷
عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ: أَوَإِنَّ هَذَا لَغَيْظُ الْكُفَّارِ؟ دَعُوهُ.
وَسَأَلَتِ النَّصَارَى فِي أَيَّامِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَنْ يَعْقِدَ لَهُمْ مَجْلِسًا فِي شَأْنِ مَا كَانَ أَخَذَهُ الْوَلِيدُ مِنْهُمْ وَكَانَ عُمَرُ عَادِلًا، فَأَرَادَ أَنْ يَرُدَّ عَلَيْهِمْ مَا كَانَ أَخَذَهُ الْوَلِيدُ مِنْهُمْ فَأَدْخَلَهُ فِي الْجَامِعِ، ثُمَّ حَقَّقَ عُمَرُ الْقَضِيَّةَ، ثُمَّ نَظَرَ فَإِذَا الْكَنَائِسُ الَّتِي هِيَ خَارِجُ الْبَلَدِ لَمْ تَدْخُلْ فِي الصُّلْحِ الَّذِي كَتَبَهُ لَهُمُ الصَّحَابَةُ; مِثْلَ كَنِيسَةِ دَيْرِ مُرَّانَ، وَكَنِيسَةِ الرَّاهِبِ، وَكَنِيسَةِ تُومَا، خَارِجَ بَابِ تُومَا، وَسَائِرِ الْكَنَائِسِ الَّتِي بِقُرَى الْحَوَاجِزِ، فَخَيَّرَهُمْ بَيْنَ رَدِّ مَا سَأَلُوهُ، وَتَخْرِيبِ هَذِهِ الْكَنَائِسِ كُلِّهَا، أَوْ تَبْقَى تِلْكَ الْكَنَائِسُ وَيَطِيبُوا نَفْسًا لِلْمُسْلِمِينَ بِهَذِهِ الْبُقْعَةِ، فَاتَّفَقَتْ آرَاؤُهُمْ بَعْدَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ عَلَى إِبْقَاءِ تِلْكَ الْكَنَائِسِ، وَيَكْتُبُ لَهُمْ كِتَابَ أَمَانٍ بِهَا، وَيَطِيبُوا نَفْسًا بِهَذِهِ الْبُقْعَةِ، فَكَتَبَ لَهُمْ كِتَابَ أَمَانٍ بِهَا.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْجَامِعَ الْأُمَوِيَّ كَانَ حِينَ تَكَامَلَ بِنَاؤُهُ لَيْسَ لَهُ فِي الدُّنْيَا نَظِيرٌ فِي حُسْنِهِ وَبَهْجَتِهِ.
قَالَ الْفَرَزْدَقُ: أَهْلُ دِمَشْقَ فِي بَلَدِهِمْ قَصْرٌ مِنْ قُصُورِ الْجَنَّةِ، يَعْنِي بِهِ الْجَامِعَ الْأُمَوِيَّ.
وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنِ ابْنِ ثَوْبَانَ: مَا
পৃষ্ঠা - ৭৪৭১
বস্তুত বনু উমায়্যা কর্তৃক নির্মিত জামি মসজিদের নির্মাণ কার্য যখন পরিপুর্ণ হয়, তখন
পৃথিবীতে সৌন্দর্য ও প্রকৃষ্টতার দিক দিয়ে দ্বিতীয় আর কোনটি তার সমতুল্য ছিল না ৷ করি
আল ফারাযদাক বলেন, দামেশকবাসীরা তাদের দেশে জান্নাতের প্রাসাদসমুহ হতে একটি
প্রাসাদে অবস্থান করছেন ৷ আর তা হলো সেখানকার আমি: মসজিদ ৷ আহমাদ ইবন আবুল
হাওয়ারী আল-ওয়ালীদ ইবন মুসলিমের মাধ্যমে ইবন ছাওবান (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, পৃথিবীর কোন ব্যক্তিরই জান্নাতের প্রতি দামেশৃক থেকে অধিক উৎসাহী হওয়া উচিত
নয় ৷ কেননা, দামেশকবাসীরা তাদের জানি মসজিদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে ৷
ইতিহাসবিদগণ বলেন, আমীরুল মু ’মিনীন আল-মাহ্দী যখন কুদসের যিয়ারতের উদ্দেশ্যে
দামেশক পৌছেন এবং দামেশকের জামি মসজিদের দিকে দৃষ্টিপাত করেন, তখন তিনি তার
লিখক আবুউবায়দুত্মাহ্ আল-আশআরীকে বলেন, বনুউমায়্যাৱা আমাদের থেকে তিনটি বিষয়ে
অ্যাংামী রয়েছে ৷ একটি হলো দামেশকের মসজিদ, ভুপৃষ্ঠে এর কোন নবীর আছে বলে আমার
জানা নেই ৷ দ্বিতীয় হলো তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতি ৷ আর তৃতীয় হলো উমর ইবন
আবদুল আষীয ৷ আল্লাহ্র শপথ, তার মত ন্যাপরায়ণ শাসক আমাদের মধ্যে আর কখনও হবে ন্
না ৷ তারপর যখন তিনি বায়তুল মুকাদ্দাসে আগমন করেন এবং সাখরার দিকে নযর করেন যা
আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান তৈরী করেছিলেন ৷ তার লিখককে তিনি বলেন, এটা হলো
চতুর্থ ৷ আল-মামুন খলীফা যখন দামেশকে আগমন করেন তার সাথে ছিলেন তার ভাই
আল-মু’তাসিম এবং তার কাষী ইয়াহ্ইয়া ইবন আকসাম, যখন তিনি দামেশকের জামি
মসজিদের দিকে তাকান, তখন তিনি বলেন, এটার মধ্যে সবচেয়ে বেশী আশ্চর্যজনক কী ?
তার ভইি বললেন, এগুলোর মধ্যে যে সব স্বর্ণ লাগানো হয়েছে ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন আকসাম
বলেন, “শ্বেত পাথরগুলাে সবচেয়ে বেশী আশ্চর্যজনক ৷” খলীফা আল মামুন বলেন, “আমি
এটার ণ্বনযীর নির্মাণ কাজের সৌন্দর্যতাকে সবচেয়ে বেশী আশ্চর্যজনক মনে করি ৷ তারপর
আল-মামুন, কাসিম আততামারকে বলেন, “তুমি আমাকে এমন একটি সুন্দর নামের কথা
বল যা দিয়ে আমি আমার আদরের মেয়ের নাম রাখতে পারি ৷ আত-তামার বলেন “তার নাম
রাখুন দামেস্কের মসজিদ ৷ কেননা, এটি সবচেয়ে সুন্দর বস্তু ৷
আবদুর রহমান ইবন আবদুল হাকামের মাধ্যমে আশ-শাফিঈ (র) বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, “পৃথিবীর বিস্ময়কর বন্তু পাচটিং প্রথমটি হলো ণ্তামাদের এ মিনারা অর্থাৎ
ইঙ্কান্দারিয়ায় অবস্থিত যুল-কারনায়নের নির্মিত মিনারা ৷ দ্বিতীয়টি হলো রাকীমের বাসিন্দাগণ ৷
তারা রোমের বারজন সদস্য ৷ তৃভীয়টি হলো রাবি আব্দুাসের নিকটে অবস্থিত আয়না ৷ যা
শহরের দরযায় অবস্থিত ৷ কোন ব্যক্তি এটার নীচে বসে ৩০০ মাইল দুরে অবস্থিত তার
সাথীকে দেখতে পায় ৷ কেউ কেউ বলেন, কুসভুনতীনিয়ায় যদি কেউ থাকে তাকে সে দেখতে
পাবে ৷ আর চতৃর্থটি হলো : দামেশকের মসজিদ ৷ এটিার ব্যয়ের পরিমাণ কেউ নির্ধারণ করতে
পারে না ৷ পঞ্চমটি হলোং : মসজিদে ব্যবহৃত শ্বেত পাথর ও মর্মর পাথর ৷ কেননা, এগুলোর
মর্যাদা কেউ নিরুপণ করতে পারে না ৷ কেউ কেউ বলেন, এ শ্বেত পাথরগুলাে মিশ্রিত বস্তু ৷ এর
প্রমাণ হলো, এ ধরনের শ্বেতপাথর আগুনে গলে যায় ৷
ইবন আসাকির বলেন, “ইব্রাহীম ইবন আবু লাযছ লিখক ৪৩২ হিজরীতে দামেশৃক
আগমন করে তার একটি পত্রে উল্লেখ করেন ও বলেন৪ তারপর আমাদেরকে স্থানান্তরের হুকুম
দেওয়া হলো ৷ তখন আমি আমার কর্মস্থুল থেকে এমন শহরের দিকে স্থানান্তর ও বদলী হলাম
যার সৌন্দর্য শেষ প্রান্তে পৌছেছে, যার বইির ও ভিতরের সৌন্দর্য একাকার হয়ে আছে, যার
يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ أَحَدٌ أَشَدَّ شَوْقًا إِلَى الْجَنَّةِ مِنْ أَهْلِ دِمَشْقَ; لِمَا يَرَوْنَ مِنْ حُسْنِ مَسْجِدِهَا.
قَالُوا: وَلَمَّا دَخَلَ الْمَهْدِيُّ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ الْعَبَّاسِيُّ دِمَشْقَ يُرِيدُ زِيَارَةَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، نَظَرَ إِلَى جَامِعِ دِمَشْقَ فَقَالَ لِكَاتِبِهِ أَبِي عُبَيْدِ اللَّهِ الْأَشْعَرِيِّ: سَبَقَنَا بَنُو أُمَيَّةَ بِثَلَاثٍ; بِهَذَا الْمَسْجِدِ، لَا أَعْلَمُ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ مِثْلَهُ، وَبِنُبْلِ الْمَوَالِي، وَبِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، لَا يَكُونُ وَاللَّهِ فِينَا مِثْلُهُ أَبَدًا. ثُمَّ لَمَّا أَتَى بَيْتَ الْمَقْدِسِ فَنَظَرَ إِلَى الصَّخْرَةِ وَكَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ هُوَ الَّذِي بَنَاهَا قَالَ لِكَاتِبِهِ: وَهَذِهِ رَابِعَةٌ.
وَلَمَّا دَخَلَ الْمَأْمُونُ دِمَشْقَ فَنَظَرَ إِلَى جَامِعِهَا، وَكَانَ مَعَهُ أَخُوهُ الْمُعْتَصِمُ، وَقَاضِيهِ يَحْيَى بْنُ أَكْثَمَ، قَالَ: مَا أَعْجَبُ مَا فِيهِ؟ فَقَالَ أَخُوهُ: هَذِهِ الْأَذْهَابُ الَّتِي فِيهِ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ أَكْثَمَ: هَذَا الرُّخَامُ، وَهَذِهِ الْعُقَدُ. فَقَالَ الْمَأْمُونُ: إِنَّمَا أَعْجَبُ مِنْ حُسْنِ بُنْيَانِهِ عَلَى غَيْرِ مِثَالٍ مُتَقَدِّمٍ. ثُمَّ قَالَ الْمَأْمُونُ لِقَاسِمٍ
পৃষ্ঠা - ৭৪৭২
التَّمَّارِ: أَخْبِرْنِي بِاسْمٍ حَسَنٍ أُسَمِّي بِهِ جَارِيَتِي هَذِهِ. فَقَالَ: سَمِّهَا مَسْجِدَ دِمَشْقَ; فَإِنَّهُ أَحْسَنُ شَيْءٍ.
وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، عَنِ الشَّافِعِيِّ قَالَ: عَجَائِبُ الدُّنْيَا خَمْسَةٌ; أَحَدُهَا مَنَارَتُكُمْ هَذِهِ يَعْنِي مَنَارَةَ ذِي الْقَرْنَيْنِ الَّتِي بِإِسْكَنْدَرِيَّةَ وَالثَّانِيَةُ أَصْحَابُ الرَّقِيمِ; وَهْمُ بِالرُّومِ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا، أَوْ ثَلَاثَةَ عَشَرَ رَجُلًا، وَالثَّالِثَةُ مِرْآةٌ بِبَابِ الْأَنْدَلُسِ عَلَى بَابِ مَدِينَتِهَا، يَجْلِسُ الرَّجُلُ تَحْتَهَا، فَيَنْظُرُ فِيهَا صَاحِبَهُ مِنْ مَسَافَةِ مِائَةِ فَرْسَخٍ، وَالرَّابِعُ مَسْجِدُ دِمَشْقَ وَمَا يُوصَفُ مِنَ الْإِنْفَاقِ عَلَيْهِ، وَالْخَامِسُ الرُّخَامُ وَالْفُسَيْفِسَاءُ; فَإِنَّهُ لَا يُدْرَى لَهُمَا مَوْضِعٌ، وَيُقَالُ: إِنَّ الرُّخَامَ مَعْجُونٌ، وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ أَنَّهُ يَذُوبُ عَلَى النَّارِ.
قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَذَكَرَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي اللَّيْثِ الْكَاتِبُ وَكَانَ قَدِمَ دِمَشْقَ سَنَةَ اثْنَتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَأَرْبَعِمِائَةٍ فِي رِسَالَةٍ لَهُ قَالَ: ثُمَّ أُمِرْنَا بِالِانْتِقَالِ إِلَى الْبَلَدِ، فَانْتَقَلْتُ مِنْهُ إِلَى بَلَدٍ تَمَّتْ مَحَاسِنُهُ، وَوَافَقَ ظَاهِرَهُ بَاطِنُهُ، أَزِقَّتُهُ
পৃষ্ঠা - ৭৪৭৩
খাদ্য-খাদক সুগন্ধে সৌরভিত, রাজপথগুলো প্রশস্ত, আমি যেখানেই যাই সুগন্ধির গন্ধ পাই ৷
আর যেখানেই আগমন করি বিস্ময়কর দৃশ্য দেখতে পাই ৷ আর যখন তার জামি মসজিদে
পৌছি, তখন এমন এমন দৃশ্য চোখে পড়ে যা কোন বর্ণনাকারী বর্ণনা করতে পারে না এবং
দর্শনকারী তা উত্তমরুপে চিনতে ও উপলব্ধি করতে পারে না ৷ মুলত এটা হলো যুগের
কােষাগার, বিরল, দুম্প্রাপ্য, বিস্ময়কর ও আশ্চর্যময় বস্তু ৷ আল্লাহ তাআলা এটার মাধ্যমে
শিক্ষণীয় স্মরণিকা সুদৃঢ় করেছেন ৷ তার মাধ্যমে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন যা সব
সময়েবিরাজ করবে এবং কালের চক্রে মুছে যাবে না ৷ ইবন আসাকির বলেন : দামেশকের
জামি মসজিদ সম্বন্ধে কোন কোন মুহাদ্দিস নিম্নবর্ণিত দীর্ঘ কবিতাগুচ্ছ রচনা করেন এবং তিনি
বলেন :
“দামেশকের জামি মসজিদের সৌন্দর্য খ্যাতি ও প্রসিদ্ধি লাভ করেছে ৷ আর মসজিদে টু
সবুজ রংয়ের সুউচ্চ স্তন্তুগুলো তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে ৷ যদি কোন দর্শক তার সৌন্দর্যের দিকে
ঘোতাতুর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে, তাহলে সে তার পরিপুর্ণ সৌন্দর্যের আলোকচ্ছটা প্রাণভরে
উপভোগ করতে পারবে ৷৩ আর তুমি পবিত্র ও বরকতময় ৷ তার অম্বেষণকারী ও প্রেমিক ববকত
ও সৌভাগ্য অর্জন করতে হবে সমর্থ ৷ দামেশকের জামি মসজিদ সৌন্দর্যের আধার ৷ আর তার
জন্যেই আ৷শপাৱশর শহরগুলো সৌন্দর্যলাভে অন্যান্য শহরগুলো থেকে অগ্রবর্তিতা অর্জা
করেছে ৷ তার ভিত্তিপ্রস্তর সুদৃঢ় স্তম্ভের উপর প্রবর্তন করা হয়েছে ৷ প্রবর্ত্যকর আন্তরিক প্রচেষ্টাকে
মহান আল্লাহ যেন ব্যর্থ না করেন ৷ মসজিদে অবস্থিত সত্যিকার চিহ্নগুলাে মসজিদের ফযীলত,
সৌন্দর্য ও ণ্শ্রষ্ঠত্নের কথা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় ৷ আর , এ চিহ্নগুলো দর্শককে
বিমােহিত করে দেয় ৷ মসজিদটি পুড়ে যাওয়ার পুর্বে ছিল বিস্ময়কর ও মনােমুগ্ধকর ৷ কিন্তু অগ্নি
তার মসৃণ সমতল ভুমিকে বিকৃত করে দেয় ৷ আর এ অগ্নির দরুনই তার মহামায়া সৌন্দর্য
বিনষ্ট হয়ে যায় ৷ কিণ্ডু, এ সৌন্দর্যের প্রত্যাবর্তনও আর আশা করা যায় না ৷ আত্টির মণি
পাথরের সমতুল্য কারুকার্য খচিত পাথরগুলো নিয়ে যদি তুমি গবেষণা ও পর্যালোচনা কর,
তাহলে এগুলোর মধ্যেই নির্মাতার নিপুণ পারদর্শিতা সম্পর্কে তোমার দৃঢ় বিশ্বাস ও আস্থা
জন্বিাবে ! এখানের বৃক্ষগুলাে সর্বদাই ফল-ফলাদিতে থাকে পরিপুর্ণ, বাতাস এগুলোকে নিয়ে
খেলা করতে ভয় পায় না; বরং নির্বিঘ্নে নড়াচড়া করে থাকে ৷ বৃক্ষগুলো যেন নীল পাথরের
তৈরী ও সোনালী ভুমিতে ৷ এগুলোকে সযত্নে ণ্রাপণ করা হয়েছে ৷ এগুলোর উপকারিতা
গ্রহীতাকে বিমােহিত করে ফেলে ৷ বৃক্ষগুলোর মধ্যে বিরাজ করছে বিভিন্ন ধরনের ফল-ফলাদির
বাহার, যা তার নির্ধারিত সময় বা মওসুমে থাকার পর সংগ্রহ করা হয় ৷ ফল সংপ্রহ্কারী তার
ফলগুলাে নষ্ট হওয়ার কোন আশংকাবােধ করে না ৷ কেননা, এগুলোকে আমরা খুব যত্ন
সহকারে সংগ্রহ করে থাকি ৷ যাতে আমাদের হাতে আমরা কোন প্রকার ব্যথা বেদনা অনুভব না
করি ৷ প্রকাশ থাকে যে, এগুলো শুধুমাত্র বিক্রেতার জন্যেই সংগৃহীত হয় না ৷ এগুলোর নীচে
নরম পাথরের সারি সারি টুকরো বিরাজ করছে ৷ সংপ্রহকারীর হাত যেন আল্পাহ্ তা আলা
যখমী না করেন ৷ ধ্বনি সােপকারী স্বীয় কথাবার্তার সময় উত্তমরুপে চতুরতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে
ধ্বনি লােপ করছে ৷ এমনভাবে যে ধ্বনি ণ্লাপকারীৱ কাজের মধ্যেই তার দক্ষতার পরিচয়
প্রকাশ পেয়েছে ৷ মসজিদের সুউচ্চ ইমারত ও ছাদের নির্মাণ কাজের প্রতি যদি তুমি
চিন্তা ভাবনা কর তাহলে এগুলোর কারিগরের দক্ষতা ও নিপুণতা তোমার কাছে প্রকাশ হয়ে
পড়বে ৷ যদি তুমিত তার গম্বুজের সৌন্দর্য বর্ণনা করতে ইচ্ছে কর, তাহলে ণম্বুজেব্ল ৰিজ্যি অংশের
সােন্দয দর্শনে তোমার জ্ঞান-বুদ্ধি স্তন্তিত হয়ে পড়বে ৷ তার জানালাগুলো দিয়ে বাতাস ত্বোব্রে
أَرِجَةٌ، وَشَوَارِعُهُ فَرِجَةٌ، فَحَيْثُ مَا شِئْتَ شَمَمْتَ طِيبًا، وَأَيْنَ سَعَيْتَ رَأَيْتَ مَنْظَرًا عَجِيبًا، وَأَفْضَيْتُ إِلَى جَامِعِهِ، فَشَاهَدْتُ مِنْهُ مَا لَيْسَ فِي اسْتِطَاعَةِ الْوَاصِفِ أَنْ يَصِفَهُ، وَلَا الرَّائِي أَنْ يُعَرِّفَهُ، وَجُمْلَتُهُ أَنَّهُ بِكْرُ الدَّهْرِ، وَنَادِرَةُ الْوَقْتِ، وَأُعْجُوبَةُ الزَّمَانِ، وَغَرِيبَةُ الْأَوْقَاتِ، وَلَقَدْ أَثْبَتَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، بِهِ ذِكْرًا يُدْرَسُ، وَخَلَّفَ بِهِ أَمْرًا لَا يَخْفَى وَلَا يَدْرُسُ.
قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَأَنْشَدَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْأَدَبِ لِبَعْضِ الْمُحَدِّثِينَ فِي جَامِعِ دِمَشْقَ، عَمَّرَهُ اللَّهُ بِذِكْرِهِ:
دِمَشْقُ قَدْ شَاعَ حُسْنُ جَامِعِهَا ... وَمَا حَوَتْهُ رُبَى مَرَابِعِهَا
بَدِيعَةُ الْحَسَنِ فِي الْكَمَالِ لِمَا ... يُدْرِكُهُ الطَّرْفُ مِنْ بَدَائِعِهَا
طَيِّبَةٌ أَرْضُهَا مُبَارَكَةٌ ... بِالْيُمْنِ وَالسَّعْدِ أَخْذُ طَالِعِهَا
جَامِعُهَا جَامِعُ الْمَحَاسِنِ قَدْ ... فَاقَتْ بِهِ الْمُدْنَ فِي جَوَامِعِهَا
بَنِيَّةٌ بِالْإِتْقَانِ قَدْ وُضِعَتْ ... لَا ضَيَّعَ اللَّهُ سَعْيَ وَاضِعِهَا
تُذْكَرُ فِي فَضْلِهِ وَرِفْعَتِهِ ... أَخْبَارُ صِدْقٍ رَاقَتْ لِسَامِعِهَا
قَدْ كَانَ قَبْلَ الْحَرِيقِ مَدْهَشَةً ... فَغَيَّرَتْهُ نَارٌ بِلَافِعِهَا
পৃষ্ঠা - ৭৪৭৪
فَأَذْهَبَتْ بِالْحَرِيقِ بَهْجَتَهُ ... فَلَيْسَ يُرْجَى إِيَابُ رَاجِعِهَا
إِذَا تَفَكَّرْتَ فِي الْفُصُوصِ وَمَا ... فِيهَا تَيَقَّنْتَ حِذْقَ رَاصِعِهَا
أَشْجَارُهَا لَا تَزَالُ مُثْمِرَةً ... لَا تَذْهَبُ الرِّيحُ مِنْ مَدَافِعِهَا
كَأَنَّهَا مِنْ زُمُرُّدٍ غُرِسَتْ ... فِي أَرْضِ تِبْرٍ تَغْشَى بِفَاقِعِهَا
فِيهَا ثِمَارٌ تَخَالُهَا يَنَعَتْ ... وَلَيْسَ يُخْشَى فَسَادُ يَانِعِهَا
تُقْطَفُ بِاللَّحْظِ لَا بِجَارِحَةِ الْ ... أَيْدِي وَلَا تُجْتَنَى لِبَائِعِهَا
وَتَحْتَهَا مِنْ رُخَامِهِ قِطَعٌ ... لَا قَطَّعَ اللَّهُ كَفَّ قَاطِعِهَا
أَحْكَمَ تَرْخِيمَهَا الْمُرَخِّمُ قَدْ ... بَانَ عَلَيْهَا إِحْكَامُ صَانِعِهَا
وَإِنْ تَفَكَّرْتَ فِي قَنَاطِرِهِ ... وَسَقْفِهِ بَانَ حِذْقُ رَافِعِهَا
وَإِنْ تَبَيَّنْتَ حُسْنَ قُبَّتِهِ ... تَحَيَّرَ اللُّبُّ فِي أَضَالِعِهَا
تَخْتَرِقُ الرِّيحُ فِي مَخَارِمِهَا ... عَصْفًا فَتَقْوَى عَلَى زَعَازِعِهَا
وَأَرْضُهُ بِالرُّخَامِ قَدْ فُرِشَتْ ... يَنْفَسِحُ الطَّرْفُ فِي مَوَاضِعِهَا
مَجَالِسُ الْعِلْمِ فِيهِ مُتْقَنَةٌ ... يَنْشَرِحُ الصَّدْرُ فِي مَجَامِعِهَا
পৃষ্ঠা - ৭৪৭৫
প্রবাহিত হতে পারে ৷ আর ঝড়ের সময় বাতাস খুব প্রকট আকার ধারণ করে ৷ তার যেঝেটা
শ্বেতপাথৱ দ্বারা বিছানাে রয়েছে ৷ এগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করলে দৃষ্টিশক্তি আরো প্রশস্ত হয়ে
যায় ৷ মসজিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সমাবেশওলাে খুবই পসন্দনীয় ক্রিয়াকলাপ ৷ এসব
মজলিসে বসলে অন্তর প্রশস্ত হয় ৷ প্রতিটি দরযার কাছেই রয়েছে গোসলখানা ও পবিত্র হওয়ার
জায়গা ৷ মানুষ তার প্রতিরোধকারী থেকে হিফাযত অর্জন করেছে ৷ উপকার অর্জন করার
জায়গাগুলো থেকে লোকজন উপকার অর্জন করছে ৷ আর উপকারী জায়পাণ্ডালা উপকার থেকে
বিরত থাকছে না ৷ সব সময় সর্বত্র পানি প্রবাহের ব্যবস্থা বিরাজ ছিল যখন প্রাকৃতিক উৎস
পানির ঘাট থেকে পানি সংগ্রহ ছিল মুশকিল ৷ তার বাজারগুলাে ছিল সবসময় লোকে
সোকারণ্য এবং রাস্তাগুলো ছিল লোকে ভরপুর ৷ তারা সব সময় ফল-ফলাদি ভক্ষণে ছিল মগ্ন ৷
আর দামেশকের মালপত্র নিয়ে ছিল না তারা ব্যস্ত ৷ যদি তার ভয়াবহ জায়গাগুলো না থাকত,
তাহলে দামেশক ছিল যেন তাদের জন্যে এ পৃথিবীতে নগদ জান্নাত ৷ দৃশমনের অপসন্দ সত্বেও
দামেশক ছিল নিরাপদ জায়গা ৷ আল্লাহ তাআলা দামেশৃককে তার যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে
রেখেছেন মুক্ত ৷
পরিছেদ
দামেশকের জামি মসজিদ সম্বন্ধে যেসব হাদীস
সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ থেকে বর্ণিত তার একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
আল্লামা কাতাদা (র) হতে বর্ণিত ৷ তিনি সুরায়ে ভীনের ১নং আয়াতে উল্লিখিত গ্লু,ট্রু ঠু এ ’,
তাফসীরে বলেন : এর মধ্যে শুৰুএ ৷ এ এর অর্থ
দাব্বময়কের মসজিদ আর ব্লু,প্রু; ড্রু এ এর অর্থ বায়তৃল মুকাদ্দাসের মসজিদ আর , ;াপ্রু
০:^;ৰু এর অর্থ যেখানে মহান আল্পাহ্ মুসা (আ)-এর সাথে কথা বলেছেন ৷ তৃতীয় আয়াত
;ণ্র্দু ;ণ্ৰুাং৷ এ ৷ ৷;াণ্এ অর্থাৎ শপথ এ নিরাপদ নগরীর ৷ আর এটা পবিত্র মক্কা শরীফ ৷
উপরোক্ত হাদীস ইবন আসাকিরও বর্ণনা করেন ৷ সাফওয়ান ইবন সালিহ্ আতিয়াহ্ ইবন
কায়সুল কিলাবী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, কাবুল আহবার বলেছেন, দামেশকে এমন
একটি মসজিদ তৈরী করা হবে যা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরও চল্লিশ বছর বাকী থাকবে ৷
আল-ওয়ালীদ ইবন মুসলিম আবু আবদুর রহমান আল-কাসিম হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, আল্লাহ্ তাআলা কাসিয়ুন পাহাড়ের কাছে ওহী প্রেরণ করেছেন, “তুমি তোমার ছায়া ও
স্তম্ভকে বায়তৃল মুকাদ্দাসের পাহাড়কে দান কর ৷” বর্ণনাকারী বলেন, “সে তাই করেছে ৷
তারপর আল্লাহ্ তাআলা পুনরায় ঐ পাহাড়ের প্রতি ওহী প্রেরণ করেন, “তুমি যখন আমার
আদেশ পালন করেছ আমি তোমার এলাকায় আমার জন্যে এমন একটি ঘর তৈরী করার যার
মধ্যে পৃথিবী “ধ্বংস হওয়ার পরও চল্লিশ বছর যাবত আমার ইবাদত করা হবে ৷ রাত ও দিন
অতিবাহিত হয়ে যাবে আর আমি তোমার ছায়া ও তোমার স্তম্ভ তোমার কাছে ফেরত দেব ৷ ”
বর্ণনাকারী বলেন, ঐ পাহাড়টি মহান আল্লাহ্র কাছে একজন দুর্বল ও বিনয়ী ব্যক্তির ন্যায়
বিবেস্তি হয়েছিল ৷
আল্লামা দাহীম বলেন, মসজিদের চারটি দেওয়ালই হযরত হ্রদ (আ) তৈরী করেছিলেন,
আর দেওয়ালের উপরের অংশে যে মর্মর পাথর লাগানো হয়েছে তা করিয়েছিলেন আল-ওয়ালীদ
ইবন আবদুল মালিক অর্থাৎ আল-ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক দেওয়ালগুলোকে শ্বেতপাথর ও
وَكُلُّ بَابٍ عَلَيْهِ مَطْهَرَةٌ ... قَدْ أَمِنَ النَّاسُ دَفْعَ مَانِعِهَا
يَرْتَفِقُ الْخَلْقُ مِنْ مَرَافِقِهَا ... وَلَا يَصُدُّونَ عَنْ مَنَافِعِهَا
وَلَا تَزَالُ الْمِيَاهُ جَارِيَةً ... فِيهَا لِمَا شُقَّ مِنْ مَشَارِعِهَا
وَسُوقُهَا لَا تَزَالُ آهِلَةً ... لِيَزْدَحِمَ النَّاسُ فِي شَوَارِعِهَا
لِمَا يَشَاءُونَ مِنْ فَوَاكِهِهَا ... وَمَا يُرِيدُونَ مِنْ بَضَائِعِهَا
كَأَنَّهَا جَنَّةٌ مُعَجَّلَةٌ ... فِي الْأَرْضِ لَوْلَا سُرَى فَجَائِعِهَا
دَامَتْ بِرَغْمِ الْعِدَى مُسَلَّمَةً ... وَحَاطَهَا اللَّهُ مِنْ قَوَارِعِهَا
[فَصْلٌ فِيمَا رُوِيَ فِي جَامِعِ دِمَشْقَ مِنَ الْآثَارِ]
وَمَا وَرَدَ فِي فَضْلِهِ مِنَ الْأَخْبَارِ، عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ السَّادَةِ الْأَخْيَارِ
رُوِيَ عَنْ قَتَادَةَ أَنَّهُ قَالَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَالتِّينِ} [التين: 1] قَالَ: هُوَ مَسْجِدُ دِمَشْقَ. {وَالزَّيْتُونِ} [التين: 1] قَالَ: هُوَ مَسْجِدُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ. {وَطُورِ سِنِينَ} [التين: 2] حَيْثُ كَلَّمَ اللَّهُ مُوسَى {وَهَذَا الْبَلَدِ الْأَمِينِ} [التين: 3] وَهُوَ مَكَّةُ.
وَنَقَلَ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاتِكَةِ، عَنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، أَنَّهُمْ قَالُوا فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَالتِّينِ} [التين: 1] هُوَ مَسْجِدُ دِمَشْقَ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ.
পৃষ্ঠা - ৭৪৭৬
কারুকার্যের সীমানা থেকে উপরের দিকে সমুন্নত করেছিলেন ৷ অন্যান্যরা বলেন, হুদ (আ)
শুধুমাত্র সামনের দেওয়ালটি তৈরী করেছিলেন ৷
উছমান ইবন আবুল আতিকাহ বিশেষজ্ঞগণের নিকট হতে বর্ণনা করেছেন ৷ তারা মহান
আল্পাহ্র বাণী সুরায়ে৩ ভীনের প্রথম আয়াতে উল্লিখিত :প্রু:াৰু এর তাফসীৱ সম্বন্ধে বলেন,
“তা হলো দামেশকের মসজিদ ৷”
আবু বকর আহমাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আল-ফারাজ ওরফে ইবনুল বারামী
আদ-দামেশকী বলেন, আমাদেরকে আবদুর রহমান ইবনইয়াহ্ইয়া ইবন ইসমাঈল ইবন
উবায়দুল্পাহ্ ইবন আবুল মুহাজির বলেন, “বাবুস সাআতের বইিরে একটি বড় পাথর ছিল,
এটার উপর কুরবানীর আনোয়ার রাখা হতো ৷ কুরবানীর মধ্যে যেটা গ্রহণীয় হতো অগ্নি এসে
এটাকে খেয়ে নিত ৷ আর যেটা গ্রহণীয় হত না সেটা তার নিজ অবস্থায় বাকী থাকত ৷ ,
আল্পাম৷ ইবন কাহীর (র)ৰুবলেন, এ পাথরটি বাবুস সাআতের ভিতরে স্থানান্তর করা
স্কয়ছে ৷ আর এটা আজ পর্যন্ত মণ্ডজুদ রয়েছে ৷ জনগণের কেউ কেউ মনে করেন এ পাথরটির
উপরই হযরত আদম (না)-এর দুই সন্তান তাদের দৃইজনের কৃরবানী ণ্ রখেছিলেন ৷ একজনের
কুরবানী গ্রহণীয় হয়েছিল, আর অপরজনুের কুরবানী গ্রহণ করা হয়নি ৷ মহান আল্লাহ অধিক
পরিজ্ঞাত ৷ ধ্
হিশাম ইবন আমার ব,লেন “আলশ্হাসান ইবন ইয়াহ্ইয়া আল হাসানী আমাদেরকে
হাদীস বর্ণনা করেন যে, “রাসুলুল্পাহ্ (সা) কে যখন মি রাজের রজনীতে ভ্রমণ করানো
হয়েছিল, তখন তিনি দামেশকের মসজিদের জায়গায় সালাত আদায় করেছিলেন ৷ ইবন
আসাকির বলেন, এ হাদীস মুনকাতা ও মুনকার অর্থাৎ বর্ণনাকারীদের মধ্য হতে কোন একজন
বর্ণনাকারী বিলুপ্ত ৷ এ হাদীস উল্লিখিত বর্ণনাকারী অথবা অন্য কোন বর্ণনাকারী হতে সৃদৃঢ়ডাৰে
প্রম৷ ৷ণিত নয়
আবু বাকর আল-বারামী বলেন, আমাদেরকে আবু ইসহাক ইব্রাহীম ইবনআবদৃল
মালিক ইবনুল মৃগীরা আল মুক্য়ী হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “এক রাত আল-ওয়ালীদ
ইবন আবদুল মালিক মসজিদের একটি স্তস্তের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং বললেন, “আজকের
রাতেএ মসজিদে আমি স ৷লাত আদায় করতে চাই ৷ তাই তোমরা কাউকে এ রাতে এখানে
সালাত আদায় করতে দেবে না ৷” তখন কেউ কেউ খলীফাকে বললেন, “হে আমীৱম্স
মু’মিনীন! এ মসজিদে প্রতি রাতে খিযির (আ) সালাত আদায় করে থাকেন ৷” অন্য এক
বর্ণনায় আছে আল-ওয়ালীদ তার সঙ্গীদেরকে বললেন, তোমরা কাউকে এ রাত মসজিদে প্রবেশ
করতে দেবে না ৷ তারপর আল-ওয়ালীদ বাবুস সাআতের কাছে আগমন করলেন এবং দরযা
খুলনার ইচ্ছে প্রকাশ করেন ৷ তার জন্য দরযা খুলে দেওয়া হলো ৷ তখন তিনি এক ব্যক্তিকে
দেখলেন, মিহরাবের নিকটে বাবুল খাজরা ও বাবুস-সাআতের মধ্যবর্তী,জায়গায় তিনি সালাত
আদায় করছেন ৷ তবে তিনি বাবুস মধ্যে থেকে বাংলা খাজরার দিকে অধিক নিকটবর্তী ছিলেন ৷
আল-ওয়ালীদ তখন পাহারাদারকে বললেন, “আমি তােমাদেরকে কি হুকুম দেই নইি যে,
তোমরা কাউকে আজকের রাতের জন্য এ মসজিদে সালাত আদায় করতে অনুমতি দেবে না ?
তখন তাদের কেউ কেউ খলীফা আল-ওয়ালীদকে বলল, “হে আমীরুল মু’মিনীন! ইনিই
হযরত খিযির (আ) ৷ প্রতি রাতে তিনি মসজিদে সালাত আদায় করে থাকেন ৷”
وَقَالَ صَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الْخَالِقِ بْنِ زَيْدِ بْنِ وَاقَدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ قَيْسٍ الْكِلَابِيِّ، قَالَ: قَالَ كَعْبُ الْأَحْبَارِ: لَيُبْنَيَنَّ فِي دِمَشْقَ مَسْجِدٌ يَبْقَى بَعْدَ خَرَابِ الدُّنْيَا أَرْبَعِينَ عَامًا.
وَقَالَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاتِكَةِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: أَوْحَى اللَّهُ تَعَالَى إِلَى جَبَلِ قَاسِيُونَ أَنْ هَبْ ظِلَّكَ وَبَرَكَتَكَ إِلَى جَبَلِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ. قَالَ: فَفَعَلَ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ: أَمَا إِذْ فَعَلْتَ فَإِنِّي سَأَبْنِي لِي فِي حِضْنِكَ بَيْتًا أُعْبَدُ فِيهِ بَعْدَ خَرَابِ الدُّنْيَا أَرْبَعِينَ عَامًا، وَلَا تَذْهَبُ الْأَيَّامُ وَاللَّيَالِي حَتَّى أَرُدَّ عَلَيْكَ ظِلَّكَ وَبَرَكَتَكَ. قَالَ: فَهُوَ عِنْدَ اللَّهِ بِمَنْزِلَةِ الرَّجُلِ الضَّعِيفِ الْمُتَضَرِّعِ.
وَقَالَ دُحَيْمٌ: حِيطَانُ الْمَسْجِدِ الْأَرْبَعَةُ مِنْ بِنَاءِ هُودٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَمَا كَانَ مِنَ الْفُسَيْفِسَاءِ إِلَى فَوْقَ فَهُوَ مِنْ بِنَاءِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ يَعْنِي أَنَّهُ رَفَعَ الْجِدَارَ فَعَلَّاهُ مِنْ حَدِّ الرُّخَامِ وَالْكَرْمَةِ إِلَى فَوْقَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: إِنَّمَا بَنَى هُودٌ الْجِدَارَ الْقِبْلِيَّ فَقَطْ.
وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَرَجِ، الْمَعْرُوفُ بِابْنِ الْبِرَامِيِّ،
পৃষ্ঠা - ৭৪৭৭
الدِّمَشْقِيُّ: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْوَانَ، سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُلَّاسٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَحْيَى بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْمُهَاجِرِ قَالَ: كَانَ خَارِجَ بَابِ السَّاعَاتِ صَخْرَةٌ يُوضَعُ عَلَيْهَا الْقُرْبَانُ، فَمَا تُقُبِّلَ مِنْهُ جَاءَتْ نَارٌ فَأَكَلَتْهُ، وَمَا لَمْ يُتَقَبَّلْ مِنْهُ بَقِيَ عَلَى حَالِهِ.
قُلْتُ: وَهَذِهِ الصَّخْرَةُ نُقِلَتْ إِلَى دَاخِلِ بَابِ السَّاعَاتِ، وَهِيَ مَوْجُودَةٌ إِلَى الْآنَ، وَبَعْضُ الْعَامَّةِ يَزْعُمُ أَنَّهَا الصَّخْرَةُ الَّتِي وَضَعَ عَلَيْهَا ابْنَا آدَمَ قُرْبَانَهُمَا، فَتُقُبِّلَ مِنْ أَحَدِهِمَا وَلَمْ يُتَقَبَّلْ مِنَ الْآخَرِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ: ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ يَحْيَى الْخُشَنِيُّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ أُسَرِيَ بِهِ صَلَّى فِي مَوْضِعِ مَسْجِدِ دِمَشْقَ» . قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَهَذَا مُنْقَطِعٌ. قُلْتُ: وَمُنْكَرٌ جِدًّا، وَلَا يَثْبُتُ أَيْضًا لَا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَلَا مِنْ غَيْرِهِ.
وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الْبِرَامِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ الْمُغِيرَةِ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ تَقَدَّمَ إِلَى الْقُوَّامِ لَيْلَةً مِنَ اللَّيَالِي فَقَالَ: إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُصَلِّيَ اللَّيْلَةَ فِي الْمَسْجِدِ، فَلَا تَتْرُكُوا فِيهِ أَحَدًا حَتَّى أُصَلِّيَ اللَّيْلَةَ. ثُمَّ إِنَّهُ أَتَى بَابَ السَّاعَاتِ، فَاسْتَفْتَحَ الْبَابَ فَفُتِحَ لَهُ، فَإِذَا رَجُلٌ
পৃষ্ঠা - ৭৪৭৮
উপরোক্ত ঘটনার সনদ ও শুদ্ধতা সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে ৷ কেননা, এ ধরনের ঘটনার
দ্বারা হযরত খিষির (আ)-এর অস্তিতু কিত্বা সেখানে তার সালাত আদায় করার সত্যতা
প্রমাণিত হয় না ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷
পরবর্তী যুগে এ কথাটি অভ্যস্ত প্রসিদ্ধি লাভ করেছে যে, বাবুল মি’যানাতৃল গারবিয়াহর
কাছে কিবলার দিকে যে কােণটি অবস্থিত তাকে বলা হয় যাবিয়াতৃল খিযির ৷ তার কারণ,
আমার জানা নেই ৷ তবে এখানে সাহাবীগণের সালাত আদায় করার ব্যাপারটি নিঃসন্দেহে
প্রমাণিত হয়েছে ৷ মসজিদের এ জায়গা এবং অন্যান্য জায়গার শ্রেষ্ঠতু প্রমাণ করার জন্যে এ
তথ্যটি যথেষ ৷ট যে, সাহাবীগণ এ জায়গায় সালাত আদায় করেছেন ৷ প্রথম যে সাহাবী
মসজিদে ইমাম হিসেবে সালাত আদায় করেছেন তিনি হলেন হযরত আবু উবায়দাহ ইবনুল
জাৰ্বাহ্ ৷ তিনি ছিলেন সিরিয়ার প্রেরিত আমীরগণেরও আমীর ৷ আর সাহাবাগণের মধ্যে যে
দশজনকে জান্না তের শুভ সংবাদ দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম ৷ তিনি এ
উষ্মতের ,আমীন বা আমানতদার ছিলেন ৷ আর এ মসজিদে মুআয ইবন জাবাল ও অন্যান্য
সাহাবী সালাত আদায় করেছিলেন ৷ তবে তারা তাতে ঐ সময় সালাত আদায় করেছিলেন যখন
আল ওয়ালীদ মসজিদের মধ্যে বর্তমান পরিবর্তন আনেননি ৷ আর এ পরিবর্তন আনার পর
হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) ব্যতীত অন্য কোন সাহাবী তথায় সালাত আদায় করেছেন
বলে কোন প্রমাণ নেই ৷ হযরত আনাস (বা) ৯২ হিজরীতে দামেষ্কে আগমন করেছিলেন এবং
ঐ সময় আল-ওয়ালীদ সেখানে মসজিদ তৈরী করছিলেন ৷ আর আনাস (বা) সেখানে সালাত
আদায় করেন ৷ হযরত আনাস (রা) আল-ওয়ালীদকে সেখানে দেখেন এবং সালাতকে তার শ্
শেষ ওয়াক্তে আদায় করার জন্যে আল-ওয়ালীদের প্রতি অসভুষ্টি প্রকাশ করেন ৷ এ ব্যাপারে
হযরত আনাস (রা)-এর জীবনীতে বিস্তারিত বর্ণনা পেশ করেছি, ৯৩ হিজরীতে তার মৃত্যুর
কথা উল্লেখ করেছি ৷ আর এ মসজিদে মারইয়াম তনয় হযরত ঈস৷ (আ) সালাত আদায়
করবেন, যখন তিনি শেষ যামানায় আগমন করবেন, যখন দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং তার
কারণে দুঃখ-দৃর্দশা সর্বসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আকারে দেখা দিবে ৷ আর জনগণ তার থেকে
পরিত্রাণ পাওয়ার জন্যে দামেশকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে ৷ মাসীহুল হুদা অর্থাৎ সৎপথ প্রদর্শিত
মাসীহ (আ) অবতরণ করবেন ৷ তিনি গুমরাহ মাসীহকে হত্যা করবেন ৷ আর তিনি ফজরের
সালাতের সময় দামেশকের পুর্ব মিনারা দিয়ে অবতরণ করবেন ৷ তিনি যখন আগমন করবেন
তখন দেখা যাবে সালাতের জন্যে ইকামাত দেওয়া হয়েছে ৷ তখন জনগণের ইমাম তাকে
বলবেন, সামনে এগিয়ে আসুন, হে রুহ্বাহ্! তখন তিনি বলবেন, আপনার জন্যে ইকামাত
দেওয়া হয়েছে ৷ তখন ঈসা (আ) এ উম্মতের এক ব্যক্তির পিছনে সালাত আদায় করবেন ৷ যার
নাম হল হযরত ইমাম মাহ্দী (আ) ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷
হযরত ঈসা (আ) জনগণকে নিয়ে সগ্রোম শুরু করবেন ৷ তিনি আকাবায়ে আফীক নামক
স্থানে দাজ্জালকে পাকড়াও করবেন ৷ কেউ কেউ বলেন, বারে লুদ নামক স্থানে ঈসা (আ)
দাজ্জালকে নিজ হাতে হত্যা করবেন ৷ আল্লাম৷ ইবন কাহীর (র) বলেন, সুরায়ে নিসা ১৫৯নং
আয়াতের তাফসীর বর্ণনাকালে আমি এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ আয়াতটি হলো
নিম্নরুপ ং
ছু৮ষ্ত্র৫
قَائِمٌ بَيْنَ بَابِ السَّاعَاتِ، وَبَابِ الْخَضْرَاءِ الَّذِي يَلِي الْمَقْصُورَةَ يُصَلِّي، وَهُوَ أَقْرَبُ إِلَى بَابِ الْخَضْرَاءِ مِنْهُ إِلَى بَابِ السَّاعَاتِ، فَقَالَ لِلْقُوَّامِ: أَلَمْ آمُرْكُمْ أَنْ لَا تَتْرُكُوا أَحَدًا اللَّيْلَةَ يُصَلِّي فِي الْمَسْجِدِ؟ فَقَالَ لَهُ بَعْضُهُمْ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَذَا الْخَضِرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، يُصَلِّي كُلَّ لَيْلَةٍ فِي الْمَسْجِدِ. فِي إِسْنَادِ هَذِهِ الْحِكَايَةِ وَصِحَّتِهَا نَظَرٌ، وَلَا يَثْبُتُ بِمِثْلِهَا وُجُودُ الْخَضِرِ بِالْكُلِّيَّةِ، وَلَا صَلَاتُهُ فِي هَذَا الْمَكَانِ الْمَذْكُورِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدِ اشْتُهِرَ فِي الْأَعْصَارِ الْمُتَأَخِّرَةِ أَنَّ الزَّاوِيَةَ الْقِبْلِيَّةَ عِنْدَ بَابِ الْمِئْذَنَةِ الْغَرْبِيَّةِ تُسَمَّى زَاوِيَةَ الْخَضِرِ، وَمَا أَدْرِي مَا سَبَبُ ذَلِكَ، وَالَّذِي ثَبَتَ بِالتَّوَاتُرِ صَلَاةُ الصَّحَابَةِ فِيهِ، وَأَوَّلُ مَنْ صَلَّى فِيهِ إِمَامًا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ، وَهُوَ أَمِيرُ الْأُمَرَاءِ بِالشَّامِ، وَأَحَدُ الْعَشَرَةِ الْمَشْهُودِ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ، وَأَمِينُ هَذِهِ الْأُمَّةِ، وَصَلَّى فِيهِ خَلْقٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، لَكِنْ قَبْلَ أَنْ يُغَيِّرَهُ الْوَلِيدُ إِلَى هَذِهِ الصِّفَةِ، فَأَمَّا بَعْدَ أَنْ غُيِّرَ إِلَى هَذَا الشَّكْلِ فَلَمْ يَرَهُ أَحَدٌ مِنَ الصَّحَابَةِ كَذَلِكَ إِلَّا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، فَإِنَّهُ وَرَدَ دِمَشْقَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَتِسْعِينَ، وَهُوَ يَبْنِي فِي هَذَا الْجَامِعِ، فَصَلَّى فِيهِ أَنَسٌ وَرَاءَ الْوَلِيدِ، وَأَنْكَرَ أَنَسٌ عَلَى الْوَلِيدِ تَأْخِيرَ الصَّلَاةِ إِلَى آخِرِ وَقْتِهَا، كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ فِي تَرْجَمَةِ أَنَسٍ عِنْدَ ذِكْرِ وَفَاتِهِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَتِسْعِينَ.
وَسَيُصَلِّي فِيهِ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ إِذَا نَزَلَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، إِذَا خَرَجَ الدَّجَّالُ
পৃষ্ঠা - ৭৪৭৯
অর্থাৎ কিতাবীদের মধ্যে প্রত্যেকে তার মৃত্যুর পুর্বে তাকে হযরত ঈসা (আ) বিশ্বাস
করবেই এবং কিয়ামতের দিন তিনি তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হতে
বিশুদ্ধরুপে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, “ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে
আমার প্রাণ, তোমাদের মধ্যে মারইয়াম তনয় একজন ন্যায়পরায়ণ আদেশদাত৷ ও ন্যায়
বিচারক ইমাম হিসেবে অবতরণ করবেন ৷ তারপর তিনি ক্রুশ ধ্বংস করবেন, শুকর হত্যা
করবেন, কর ব্যবস্থা প্রত্যাহার করবেন এবং ইসলাম ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণ করবেন না ৷
বন্তুতঃ দামেশকের পুর্ব মিনারাহ দিয়ে হযরত ঈসা (আ) অবতরণ করবেন ৷ আর শহরটি
থাকবে দাজ্জালের প্রভাব থেকে সুরক্ষিতা ৷ কাডেইি, তিনি মিনারাহ দিয়ে অবতরণ করবেন যে
মিনারাটি আমাদের যমা৷নায় খৃক্টানদের সম্পদ দিয়ে তৈরী হয়েছে ৷ তারপর হযরত ঈসা
(আ)-এর অবতরণ হবে ৷ তিনি তাদের জন্যে হবেন মৃত্যু, ধ্বংস ও হত্যার শামিল ৷ তিনি
দুইজন ফে রেশতার কাধে ভর দিয়ে অবতরণ করবেন ৷ তার পায়ে থাকবে দুইটি চাদর ৷ একটি
বর্ণনায় আছে দৃট্রু চাদরই লাল মাটির দ্বারা রঞ্জিত হবে ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, হালকা
হলদে রংয়ে রঞ্জিত হবে ৷ তার মাথা থেকে পানির ফৌটা টপটপ করে পড়তে থাকবে ৷ মনে
হবে যেন তিনি এ মাত্র গোসলখানা হতে বের হয়ে আ সছেন ৷ আর ঐ সময় হবেফজরের
ওয়াক্ত ৷ তিনি মিনারায় অবতরণ করবেন, সালাতের জন্য ইকামাত দেওয়া হবে ৷ আর এ
ঘটনাটি ঘটবে দামেস্কের জামি মসজিদে ৷ মুসলিম শরীফে আননাওয়াস ইবন সামআন
আল- কিলাৰী হতে একটি বিশুদ্ধ বর্ণনা এসেছে তা হলো নিম্নরুপ : নিঃসন্দেহে হযরত ঈসা
(আ) পুর্ব দামেশকে সাদা রংয়ের মিনারায় অবতরণ করবেন ৷ এ বর্ণনাটি মনে হয় যেন অর্থের
দিক দিয়ে বর্ণনাকারীর উপলব্ধি মুতাবিক বর্ণনাকারী কর্তৃক বর্ণনা হয়েছে ৷ কেননা, হযরত ঈসা
(আ) দামেশকের পুর্ব দিকের মিনারায় অবতরণ করবেন ৷ এ হাদীস বহুল প্রচলিত ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, এ সম্পর্কে আমি অবহিত হয়েছি ৷ কিন্তু, উপরোক্ত বর্ণনা মুতাবিক হাদীস সম্পর্কে
আমার জানা হয়নি ৷ এ হাদীসের কিছু শব্দ আর কিছু সংকলন সম্বন্ধে জানার জন্যে মহান
আল্লাহ্র কাছে তাওফীকের প্রার্থনা করা হয়েছে ৷ এর আলোবকা উপরোক্ত বর্ণনা পেশ করা
হলো ৷ তবে শহরের মধ্যে পুর্বপ্রান্তে এটা ব্যতীত আর অন্য কোন মিনারা নেই ৷ আর এটা
নিজেই সাদা রংয়ের ৷ সিরিয়ার প্রদেশগুলোতে এর থেকে উত্তম ও সৌন্দর্যময় এবং সুউচ্চ
মিনারা আর দ্বিতীয়টি নেই ৷ মহানু আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷
আল্লামা ইবন কাহীর (র) বলেন৪ বনু উমায়ায় নির্মিত জামি মসজিদের মিনারায় হযরত
ঈসা (আ)-এর অবতরণের ব্যাপারটি অপরিচিত নয় ৷ কেননা, দাজ্জালের ভয়াবহ দুর্যোগটি এত
শ্ বিন্তুতি লাভ করবে যে, জনগণ দাজ্জালের ভয়ে শহরের অভ্যন্তরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে ৷ দাজ্জাল
তাদেরকে সেখানে অবরোধ করবে ৷ শহরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা ব্যতীত কেউই থাকতে
পারবে না ৷ তাও আবার দাজ্জালের অনুচর হিসেবে কিংবা দাজ্জাল কর্তৃক বন্দীকৃত অবস্থায় তাহৃ
সাথে সঙ্গী হয়ে থাকতে হবে ৷ আর দামেস্ক শহরটি মুসলমানগণের জন্য দাজ্জাল থেকে নিরাপঢ
জায়গা হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করবে ৷ এরুপ পরিস্থিতিতে শহরের বাইরে কে এমন থাকবে যে,
সালাত আদায় করবে ? মুসলমানগণ সকলেই শহরের অভ্যন্তরে অবস্থান করবেন ৷ এমন সময়
ঈসা (আ) অবতরণ করবেন ৷ সালাতের জন্য ইকামাত দেওয়া হবে এবং তিনি মুসলমানগণের
সাথে সালাত আদায় করবেন ৷ তারপর তিনি মুসলমানগণকে সাহায্যকারী হিসেবে গ্রহণ
করবেন এবং দাজ্জালকে হত্যা করার জন্য দাজ্জালকে বোজ করবেন ৷ জনসাধারণের মধ্যে কেউ
কেউ বলেন, দামেষ্কের পুর্ব মিনারায় দ্বারা দামেশকের পুর্ব দয়যার বাইরে মসজিদে বালাশুর
وَعَمَّتِ الْبَلْوَى بِهِ، وَانْحَصَرَ النَّاسُ مِنْهُ بِدِمَشْقَ، فَيَنْزِلُ مَسِيحُ الْهُدَى فَيَقْتُلُ مَسِيحَ الضَّلَالَةِ، وَيَكُونُ نُزُولُهُ عَلَى الْمَنَارَةِ الشَّرْقِيَّةِ بِدِمَشْقَ وَقْتَ صَلَاةِ الْفَجْرِ، فَيَأْتِي وَقَدْ أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ، فَيَقُولُ لَهُ إِمَامُ النَّاسِ: تَقَدَّمْ يَا رُوحَ اللَّهِ. فَيَقُولُ: إِنَّمَا أُقِيمَتْ لَكَ. فَيُصَلِّي عِيسَى تِلْكَ الصَّلَاةَ خَلْفَ رَجُلٍ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ. يُقَالُ إِنَّهُ الْمَهْدِيُّ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
ثُمَّ يَخْرُجُ عِيسَى بِالنَّاسِ، فَيُدْرِكُ الدَّجَّالَ عِنْدَ عَقَبَةِ أَفِيقَ، وَقِيلَ: بِبَابِ لُدٍّ. فَيَقْتُلُهُ بِيَدِهِ هُنَالِكَ. وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ مَبْسُوطًا عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَإِنْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ إِلَّا لَيُؤْمِنَنَّ بِهِ قَبْلَ مَوْتِهِ} [النساء: 159] (النِّسَاءِ: 159) ، وَفِي الصَّحِيحِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَيَنْزِلَنَّ فِيكُمُ ابْنُ مَرْيَمَ حَكَمًا مُقْسِطًا، وَإِمَامًا عَادِلًا، فَيَكْسِرُ الصَّلِيبَ، وَيَقْتُلُ الْخِنْزِيرَ، وَيَضَعُ الْجِزْيَةَ، وَلَا يَقْبَلُ إِلَّا الْإِسْلَامَ» .
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ يَنْزِلُ وَالْبَلَدُ مُحَصَّنٌ مِنَ الدَّجَّالِ، وَيَكُونُ نُزُولُهُ عَلَى الْمَنَارَةِ الشَّرْقِيَّةِ بِدِمَشْقَ وَهِيَ هَذِهِ الْمَنَارَةُ الْمَبْنِيَّةُ فِي زَمَانِنَا مِنْ أَمْوَالِ النَّصَارَى; حَيْثُ أَحْرَقُوهَا فَجُدِّدَتْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ ثُمَّ يَكُونُ نُزُولُ عِيسَى حَتْفًا لَهُمْ، وَهَلَاكًا وَدَمَارًا عَلَيْهِمْ، يَنْزِلُ بَيْنَ مَلَكَيْنِ وَاضِعًا يَدَيْهِ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৭৪৮০
مَنَاكِبِهِمَا، وَعَلَيْهِ مَهْرُودَتَانِ وَفِي رِوَايَةٍ: مُمَصَّرَتَانِ يَقْطُرُ رَأْسُهُ مَاءً، كَأَنَّمَا خَرَجَ مِنْ دِيمَاسٍ، وَذَلِكَ وَقْتَ الْفَجْرِ، فَيَنْزِلُ مِنَ الْمَنَارَةِ وَقَدْ أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ وَهَذَا إِنَّمَا يَكُونُ فِي الْمَسْجِدِ الْأَعْظَمِ بِدِمَشْقَ، وَهُوَ هَذَا الْجَامِعُ.
وَمَا وَقَعَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ رِوَايَةِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ الْكِلَابِيُّ: «فَيَنْزِلُ عَلَى الْمَنَارَةِ الْبَيْضَاءِ شَرْقِيَّ دِمَشْقَ» كَأَنَّهُ وَاللَّهُ أَعْلَمُ مَرْوِيٌّ بِالْمَعْنَى بِحَسَبِ مَا فَهِمَهُ الرَّاوِي، وَإِنَّمَا هُوَ يَنْزِلُ عَلَى الْمَنَارَةِ الشَّرْقِيَّةِ بِدِمَشْقَ، وَقَدْ أُخْبِرْتُ - وَلَمْ أَقِفْ عَلَيْهِ إِلَّا الْآنَ - أَنَّهُ كَذَلِكَ فِي بَعْضِ أَلْفَاظِ هَذَا الْحَدِيثِ فِي بَعْضِ الْمُصَنَّفَاتِ، وَاللَّهُ الْمَسْئُولُ الْمَأْمُولُ أَنْ يُوَفِّقَنِي، فَيُوقِفَنِي عَلَى هَذِهِ اللَّفْظَةِ.
وَلَيْسَ فِي الْبَلَدِ مَنَارَةٌ تُعْرَفُ بِالشَّرْقِيَّةِ سِوَى هَذِهِ، وَهِيَ بَيْضَاءُ بِنَفْسِهَا، وَلَا يُعْرَفُ فِي بِلَادِ الشَّامِ مَنَارَةٌ أَحْسَنُ مِنْهَا، وَلَا أَبْهَى وَلَا أَعْلَى مِنْهَا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
পৃষ্ঠা - ৭৪৮১
মিনারাকে বুঝানো হয়েছে ৷ আবার কেউ কেউ বলেন : পুর্ব দরযার মধ্যে যে মিনারাটি আছে
সেই মিনারাটিকে বুঝানো হয়েছে ৷ উপরোক্ত হাদীসে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর উদ্দেশ্য সম্বন্ধে
আল্লাহ্ তাআলাই অধিক পরিজ্ঞাত ৷ তিনি প্রত্যেকটি বিষয় সম্বন্ধে অবগত ৷ তিনি প্রত্যেকটি
বিষয়ের আরেষ্টনকারী ৷ তিনি প্রত্যেকটি বিষয়ের উপরে সামর্থবান ৷ তিনি প্রত্যেক বিষয়ের
উপরে প্রতাপাষিত ৷ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে অণু-পরিমাণ কিছুই তার অগােচর নয় ৷
ইয়াহইয়া ইবন যাকারিয়্যা (আ)-এর মাথা সংক্রান্ত আলোচনা
ইবন আসাকির বর্ণনা করেন, যায়দ ইবন ওয়াকিদের উদ্ধৃতিতে তিনি বলেন, দামেশকের
জামে মসজিদ নির্মাণের ব্যাপারে খলীফা ওয়ালীদ আমাকে নির্মাণকর্মীদের
পরিদর্শকতত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করলেন ৷ এ সময় আমরা সেখানে এক গুহারসুড়ন্সের সন্ধান
পেলাম ৷ এবং ওয়ালীদকে তা অবহিত করলাম ৷ এরপর যখন রাত্রি হলো তখন তিনি আমাদের
সাথে উপস্থিত হলেন ৷ এ সময় তার সামনে মােমবাতি জ্বলছিল ৷ তিনি যখন আমাদের
আবিষ ৷কৃত সুড়ঙ্গপখে নীচে নামলেন তখন সেখানে ক্ষুদ্রাকৃতির চমৎকার একটি গির্জা দেখতে
পেলেন যার দৈর্ঘ্য তিন গজ এবং প্রস্থ তিন গজ ৷ এরপর সেখানে একটি সিন্দুক পাওয়া গেল ৷
সিন্দুকটি যখন খোলা হলো, তখন তাতে একটি সুগন্ধি পাত্র জাতীয় কৌটার মত পাওয়া গেল ৷
যার ভিতর হযরত ইয়াহ্ইয়া ইবন যাকারিয়্যা আলায়হিস সালামের মাখাশির মুবারক রক্ষিত
ছিল ৷ তার উপর লেখা ছিল এটা হযরত ইয়াহইয়া ইবন যাকারিয়্যা আলায়হিস সালামের
মাথা ৷ এরপর ওয়ালীদের নির্দেশে তা স্বস্থানে ফিরিয়ে দেওয়া হলো ৷ আর তিনি নির্দেশ দিয়ে
বললেন, এই স্থানের স্তন্তুটিকে অন্য সকল স্তম্ভ থেকে পৃথক করে নির্মাণ কর ৷ তখন সে অনুযায়ী
সে স্থানের উপর মাথা’ সংরক্ষণের স্তম্ভ নির্মাণ করা হলো ৷ যায়দ ইবন ওয়াকীদের উদ্ধৃতিতে
একটি বর্ণনায় আছে যে, ঐ স্থানটি জ্জি গম্বুজের স্তস্তসমুহের একটির নীচে অর্থাৎ গম্বুজ নির্মাণের
পুর্বে ৷ তিনি আরও বলেন, (মাথাটি যখন আবিষ্কৃত হয়, তখনও পর্যন্ত) মাথাটির চুল ও চামড়া
অক্ষত ছিল ৷ ওয়ালীদ ইবন মুসলিম বর্ণনা করেন যায়দ ইবন ওয়াকিদের সুত্রে ৷ তিনি বলেন,
মজলিসে বাজীলার নিকটস্থ সম্মুখবর্তী পুর্বপ্রান্তীয় লীতু৷ থেকে বের করার পর আমি হযরত
ইয়াহইয়া ইবন যাকারিয়্যা আলায়হিস সালামের মাথা প্রত্যক্ষ করেছি ৷ পরবভীতিত তাকে
(বর্তমানে বিদ্যমান) কাসা স্তম্বের নীচে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে ইমাম আওয়াঈ এবং
ওয়ালীদ ইবন মুসলিম বলেন, এই স্তম্ভটি হলো রড প্রশস্ত মাথাওয়ালা চতুর্থ স্তম্ভ ৷
এ ছাড়া আবু রাকর ইবনুল বারামী বর্ণনা করেন, আহমাদ ইবন আনাস ইবন মালিক সুত্রে
সুফয়ান ছাওরী হতে ৷ তিনি বলেন, দামেশকের জামি মসজিদের এক রাকআত নামায তিরিশ
হাজার রাকআত নামাযের বরাবর ৷ অবশ্য এটা অতি অদ্ভুত’ বদুনাি ৷ আর ইবন আসাকির
বর্ণনা করেন, আবু মুসহির সুত্রে মুনযির ইবন নাফি হতে তার পিতার উদ্ধৃতিতে আর
আরেকটি রিওয়ায়াত অনুযায়ী নামােল্লিখিত এক ব্যজ্যি উদ্ধৃতািত যে (একবার) ওয়াছিলা
ইবন আসকা দামেশকের জামে মসজিদের জায়রুওয়ান দ্বারের সংলগ্ন দ্বার দিয়ে বের হলেন ৷
এমন সময় তিনি কাব আল আহ্বারের সাক্ষাৎ পেলেন ৷ তিনি তাকে প্রশ্ন করলেন, আপনি
কোথায় চলেছেন ? কাব বললেন, আমি তো বায়তৃল মাকদিসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হ্য়েছি ৷
একথা শুনে কাব তাকে বললেন, আপনি আমার সাথে আসুন, আমি আপনাকে এই মসজিদে
এমন একটি স্থান দেখিয়ে দিব, যে ব্যক্তি যে স্থানে নামায পড়ল সে যেন বায়তু ল মাকদািস
[الْكَلَامُ عَلَى مَا يَتَعَلَّقُ بِرَأْسِ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا عَلَيْهِمَا السَّلَامُ]
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَاقَدٍ قَالَ: وَكَّلَنِي الْوَلِيدُ عَلَى الْعُمَّالِ فِي بِنَاءِ جَامِعِ دِمَشْقَ فَوَجَدْنَا فِيهِ مَغَارَةً، فَعَرَّفْنَا الْوَلِيدَ ذَلِكَ، فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ وَافَانَا وَبَيْنَ يَدَيْهِ الشَّمْعُ، فَنَزَلَ فَإِذَا هِيَ كَنِيسَةٌ لَطِيفَةٌ ثَلَاثَةُ أَذْرُعٍ فِي ثَلَاثَةِ أَذْرُعٍ، وَإِذَا فِيهَا صُنْدُوقٌ، فَفَتَحَ الصُّنْدُوقَ فَإِذَا فِيهِ سَفَطٌ، وَفِي السَّفَطِ رَأْسُ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، مَكْتُوبٌ عَلَيْهِ: هَذَا رَأْسُ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا. فَأَمَرَ بِهِ الْوَلِيدُ فَرُدَّ إِلَى الْمَكَانِ. وَقَالَ: اجْعَلُوا الْعَمُودَ الَّذِي فَوْقَهُ مُغَيَّرًا مِنْ بَيْنِ الْأَعْمِدَةِ. فَجُعِلَ عَلَيْهِ عَمُودٌ مُسَفَّطَ الرَّأْسِ.
وَفِي رِوَايَةٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَاقَدٍ: أَنَّ ذَلِكَ الْمَوْضِعَ كَانَ تَحْتَ رُكْنٍ مِنْ أَرْكَانِ الْقُبَّةِ يَعْنِي قَبْلَ أَنْ تُبْنَى قَالَ: وَكَانَ عَلَى الرَّأْسِ شَعْرٌ وَبَشَرٌ.
وَقَالَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَاقَدٍ، قَالَ: حَضَرْتُ رَأْسَ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا، وَقَدْ أُخْرِجَ مِنَ اللِّيطَةِ الْقِبْلِيَّةِ الشَّرْقِيَّةِ الَّتِي عِنْدَ مَجْلِسِ بُجَيْلَةَ، فَوُضِعَ تَحْتَ عَمُودِ السِّبْطِ السَّكَاسِكِ.
পৃষ্ঠা - ৭৪৮২
قَالَ الْأَوْزَاعِيُّ، وَالْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ: هُوَ الْعَمُودُ الرَّابِعُ الْمُسَفَّطُ.
وَرَوَى أَبُو بَكْرِ بْنُ الْبِرَامِيِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ حَبِيبٍ الْمُؤَذِّنِ، عَنْ أَبِي زِيَادٍ، وَأَبِي أُمَيَّةَ الشَّعْبَانِيَّيْنِ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ أَنَّهُ قَالَ: صَلَاةٌ فِي مَسْجِدِ دِمَشْقَ بِثَلَاثِينَ أَلْفَ صَلَاةٍ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا.
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ أَبِي مُسْهِرٍ، عَنِ الْمُنْذِرِ بْنِ نَافِعٍ مَوْلَى أَمِّ عَمْرٍو بِنْتِ مَرْوَانَ عَنْ أَبِيهِ وَفِي رِوَايَةٍ: عَنْ رَجُلٍ قَدْ سَمَّاهُ أَنَّ وَاثِلَةَ بْنَ الْأَسْقَعِ خَرَجَ مِنْ بَابِ الْمَسْجِدِ الَّذِي يَلِي بَابَ جَيْرُونَ فَلَقِيَهُ كَعْبُ الْأَحْبَارِ، فَقَالَ: أَيْنَ تُرِيدُ؟ قَالَ وَاثِلَةُ: أُرِيدُ بَيْتَ الْمَقْدِسِ. فَقَالَ: تَعَالَ حَتَّى أُرِيَكَ مَوْضِعًا فِي هَذَا الْمَسْجِدِ، مَنْ صَلَّى فِيهِ فَكَأَنَّمَا صَلَّى فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ. فَذَهَبَ بِهِ فَأَرَاهُ مَا بَيْنَ الْبَابِ الْأَصْفَرِ الَّذِي يَخْرُجُ مِنْهُ الْوَالِي إِلَى الْحَنِيَّةِ يَعْنِي الْقَنْطَرَةَ الْغَرْبِيَّةَ فَقَالَ: مَنْ صَلَّى فِيمَا بَيْنَ هَذَيْنِ فَكَأَنَّمَا صَلَّى فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ. فَقَالَ وَاثِلَةُ: إِنَّهُ لَمَجْلِسِي وَمَجْلِسُ قَوْمِي. قَالَ كَعْبٌ: هُوَ ذَاكَ. وَهَذَا أَيْضًا غَرِيبٌ جِدًّا وَمُنْكَرٌ، وَلَا يُعْتَمَدُ عَلَى مِثْلِهِ.
وَعَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ قَالَ: لَمَّا أَمَرَ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بِبِنَاءِ مَسْجِدِ دِمَشْقَ
পৃষ্ঠা - ৭৪৮৩
নামায পড়ল ৷ এরপর তিনি তাকে খলীফার বের হওয়ার আলবাবুল আসফার’ হতে হানিয়্যা
পর্যন্ত অর্থাৎ পশ্চিম প্রান্তের পুল পর্যন্ত স্থান দেখালেন ৷ তারপর তিনি বললেন, যে ব্যক্তি এ
দৃইয়ের মধ্যবর্তী স্থানে নামায পড়ল সে যেন বায়তুল মাকদিসে নামায পড়ল ৷ তখন ওয়াসিলা
বললেন, এতো আমার ও আমার গোষ্ঠীর বসার স্থান ! কাব বললেন, তাহলেও তা এমন
মর্যাদাপুর্ণ ৷ তবে এটিও অতি অদ্ভুত’ ও “অগ্রহণযােগ্য’ রিওয়ায়াত ৷ এর উপর নির্ভর করা যায়
না ৷ ওয়ালীদ ইবন মুসলিম হতে বর্ণিত আছে ৷ তিনি বলেন, খলীফা ওয়ালীদ ইবন আবদুল
মালিক যখন দামেস্কের জামে মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দিলেন ৷ তখন লোকেরা মসজিদের
সম্মুখভাগের দেওয়ালে পাথরের একটি ফলক আবিষ্কার করল যাতে থােদইি করে লিখিত
একটি পত্র ছিল ৷ প্রথমে তারা সেটি খলীফা ওয়ালীদের কাছে পাঠাল এরপর তিনি সেটিকে
রােমকদের কাছে পাঠালেন কিন্তু তারা তার মর্মোদ্ধারে ব্যর্থ হল ৷ তখন তিনি পত্রটিকে
দামেস্কে অবস্থানকারী অবশিষ্ট আসবানীয়দের কাছে পাঠালেন ৷ কিন্তু তারাও তার মর্মোদ্ধারে
সমর্থ হলো না ৷ এ সময় তাকে ওয়াহ্ব ইবন মুনাব্বিহ-এর সন্ধান দেওয়া হল তখন তিনি
তাকে ডেকে পাঠালেন ৷ ওয়াহ্ব যখন তার কাছে আসলেন তখন তিনি তাকে ফলকটির
উৎসমুল সম্পর্কে অবহিত করলেন ৷ তারপর লোকেরা তাকে ঐ দেওয়ালে পেল ৷ কথিত আছে,
এই দেওয়ালের নির্মাতা হযরত হ্দ আলায়হিস সালাম ওয়াহ্ব যখন ফলকটির দিকে
তাকালেন, তখন তিনি মাথা বাকািয় পড়তে লাগলেন পরম করুণাময় আল্লাহর নামে আরও
করছি! হে মানব সন্তান, তুমি যদি তোমার অবশিষ্ট আয়ুর স্বল্পত্বা প্রত্যক্ষ করতে তাহলে
নিজের দীর্ঘ আশা-আকাক্ষোর ব্যাপারে নিরাসক্ত হতে ৷ তুমি অনুতাপের শিকার হবে ৷ যদি
তোমার পদস্থালন ঘটে এবং স্বজন-সহচর তোমাকে সাহায্য না করে, প্রিয়জ়ন তোমাকে ছেড়ে
যায় এবং নদী ও নিকটজন তোমাকে ত্যাগ করে যায় ৷ তারপর তোমার অবস্থা এমন হয়ে যায়
যে, তোমাকে আহ্বান করা হয়, কিংচু, তুমি সাড়া দাও না ৷ আর না তুমি আপনজনদের মাঝে
প্রত্যাবর্তনকারী, না তোমার পুণ্যকর্মে অতিরিক্ত পুণ্যযােগকারী ৷ সুতরাং নিজের জন্য আমল
কর কিয়ামত দিবসের পুর্বে, অনুতাপ অনুশোচনার পুর্বে, তোমার মৃত্যুকাল আসার পুর্বে,
পুৰুছুম্বতামার রুহ কবয হওয়ার পুর্বে ৷ আর তখন তোমার সঞ্চিত কোন অর্থসম্পদ, সন্তান-সততি
ৎবা ভইি কোন উপকার করবে না ৷ তারপর তোমার গন্তব্য মাটির আড়ালে মৃতদের
টুতিবেশীত্বে ৷ কাজেই মৃত্যুর পুর্বে তুমি জীবনকে সুবর্ণ সুযোগ গণ্য কর ৷ তদ্র্যপ দুর্বলতার পুর্বে
সবলতাকে এবং অসুস্থতার পুর্বে সুস্থুতাকে এবং ণ্ক্রাধ সৎবরণের কারণে ধৃত হওয়ার পুর্বে,
তোমার ও তোমার আমলের মাঝে অতভুরায় সৃষ্টি হওয়ার পুর্বে আর এটা দাউদের (আ)
যামানায় লিখিত ৷
ইবন আসাকির বলেন, আবু মুহাম্মাদ নান সুলামীর সুত্রে ইবনুল বারামী হতে ৩তিনি
বলেন, আমি আবু মারওয়ান আবদুর রহমান ইবন উমর আল-মাযিনীকে বলতে শুনেছি,
খলীফা ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিকের খিলাফতকালে দামেস্কের জামে মসজিদ নির্মাণকালে
লোকজন একটি স্থান খুড়ল, তখন তারা যে স্থানে একটি বন্ধ দরযার সন্ধান পেল ৷ এ সময়
তারা দরজাটি না খুলে ওয়ালীদকে জানাল ৷ এরপর তিনি সেখানে উপস্থিত হলেন এবংতার
সামনে দরযাটি খোলা হল ৷ এ সময় দেখা গেল সেই দরযার অভ্যন্তরে একটি গুহা আর সেই
গুহাতে পাথরের তৈরী এক মানব মুর্তি পাথর নির্মিত এক অশ্বে৷ আরোহণ করে বসে আছে ৷
মুর্তিটির এক হাতে ছিল একটি চাবুক আর অপর হাতটি ছিল মুষ্টিবদ্ধ ৷ এরপর খলীফার
নির্দেশে মুর্তির মুষ্টিবদ্ধ হাত ভেঙ্গে ফেলা হল তখন তাতে দুটি শস্যদানা পাওয়া গেল,
দানাদুটির একটি হল গমের আর অন্যটি যবের ৷ আর তিনি যখন এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন
وَجَدُوا فِي حَائِطِ الْمَسْجِدِ الْقِبْلِيِّ لَوْحًا مِنْ حَجَرٍ فِيهِ كِتَابٌ نَقْشٌ، فَأَتَوْا بِهِ الْوَلِيدَ، فَبَعَثَ إِلَى الرُّومِ، فَلَمْ يَسْتَخْرِجُوهُ، ثُمَّ بَعَثَ إِلَى الْعِبْرَانِيِّينَ، فَلَمْ يَسْتَخْرِجُوهُ، ثُمَّ بَعَثَ إِلَى مَنْ كَانَ بِدِمَشْقَ مِنْ بَقِيَّةِ الْأَشْبَانِ، فَلَمْ يَسْتَخْرِجُوهُ. فَدُلَّ عَلَى وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِ أَخْبَرَهُ بِمَوْضِعِ ذَلِكَ اللَّوْحِ، فَوَجَدُوهُ فِي ذَلِكَ الْحَائِطِ وَيُقَالُ: إِنْ ذَلِكَ الْحَائِطَ بَنَاهُ هُودٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهِ وَهْبٌ حَرَّكَ رَأْسَهُ وَقَرَأَهُ فَإِذَا هُوَ:
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، ابْنَ آدَمَ، لَوْ رَأَيْتَ يَسِيرَ مَا بَقِيَ مِنْ أَجَلِكَ، لَزَهَدْتَ فِي طُولِ مَا تَرْجُو مِنْ أَمَلِكَ، وَإِنَّمَا تَلْقَى نَدَمَكَ. لَوْ قَدْ زَلَّتْ بِكَ قَدَمُكَ، وَأَسْلَمَكَ أَهْلُكَ وَحَشَمُكَ، وَانْصَرَفَ عَنْكَ الْحَبِيبُ، وَوَدَّعَكَ الْقَرِيبُ، ثُمَّ صِرْتَ تُدْعَى فَلَا تُجِيبُ، فَلَا أَنْتَ إِلَى أَهْلِكَ عَائِدٌ، وَلَا فِي عَمَلِكَ زَائِدٌ، فَاعْمَلْ لِنَفْسِكَ قَبْلَ يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَقَبْلَ الْحَسْرَةِ وَالنَّدَامَةِ، قَبْلَ أَنْ يَحِلَّ بِكَ أَجَلُكَ، وَتُنْزَعَ مِنْكَ رُوحُكَ، فَلَا يَنْفَعُكَ مَالٌ جَمَعْتَهُ، وَلَا وَلَدٌ وَلَدْتَهُ، وَلَا أَخٌ تَرَكْتَهُ، ثُمَّ تَصِيرُ إِلَى بَرْزَخِ الثَّرَى، وَمُجَاوَرَةِ الْمَوْتَى، فَاغْتَنِمِ الْحَيَاةَ قَبْلَ الْمَوْتِ، وَالْقُوَّةَ قَبْلَ الضَّعْفِ، وَالصِّحَّةَ قَبْلَ السَّقَمِ، قَبْلَ أَنْ تُؤْخَذَ بِالْكَظْمِ، وَيُحَالَ بَيْنَكَ وَبَيْنَ
পৃষ্ঠা - ৭৪৮৪
الْعَمَلِ. وَكُتِبَ فِي زَمَنِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ.
وَقَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: قَرَأْتُ عَلَى أَبِي مُحَمَّدٍ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ التَّمِيمِيِّ، أَنْبَأَنَا تَمَّامٌ الرَّازِيُّ، أَنْبَأَنَا ابْنُ الْبِرَامِيِّ، سَمِعْتُ أَبَا مَرْوَانَ عَبْدَ الرَّحِيمِ بْنَ عُمَرَ الْمَازِنِيَّ، يَقُولُ: لَمَّا كَانَ فِي أَيَّامِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَبِنَائِهِ الْمَسْجِدَ احْتَفَرُوا فِيهِ مَوْضِعًا، فَوَجَدُوا بَابًا مِنْ حِجَارَةٍ مُغْلَقًا، فَلَمْ يَفْتَحُوهُ، وَأَعْلَمُوا بِهِ الْوَلِيدَ، فَخَرَجَ مِنْ دَارِهِ حَتَّى وَقَفَ عَلَيْهِ، وَفُتِحَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَإِذَا دَاخِلُهُ مَغَارَةٌ فِيهَا تَمْثَالُ إِنْسَانٍ مِنْ حِجَارَةٍ عَلَى فَرَسٍ مِنْ حِجَارَةٍ فِي يَدِ التَّمْثَالِ الْوَاحِدَةِ الدُّرَّةُ الَّتِي كَانَتْ فِي الْمِحْرَابِ، وَيَدُهُ الْأُخْرَى مَقْبُوضَةٌ، فَأَمَرَ بِهَا فَكُسِرَتْ، فَإِذَا فِيهَا حَبَّتَانِ; حَبَّةُ قَمْحٍ وَحَبَّةُ شَعِيرٍ، فَسَأَلَ عَنْ ذَلِكَ فَقِيلَ لَهُ: لَوْ تَرَكْتَ الْكَفَّ لَمْ تَكْسِرْهَا لَمْ يُسَوِّسْ فِي هَذَا الْبَلَدِ قَمْحٌ وَلَا شَعِيرٌ.
وَقَالَ الْحَافِظُ أَحْمَدُ الْوَرَّاقُ، وَكَانَ قَدْ عُمِّرَ مِائَةَ سَنَةٍ: سَمِعْتُ بَعْضَ الشُّيُوخِ يَقُولُ: لَمَّا دَخَلَ الْمُسْلِمُونَ دِمَشْقَ وَجَدُوا عَلَى الْعَمُودِ الَّذِي عَلَى الْمِقْسِلَّاطِ عَلَى السَّفُّودِ الْحَدِيدِ الَّذِي فِي أَعْلَاهُ صَنَمًا مَادًّا يَدَهُ بِكَفٍّ مُطْبَقَةٍ، فَكَسَرُوهُ، فَإِذَا فِي يَدِهِ حَبَّةُ قَمْحٍ، فَسَأَلُوا عَنْ ذَلِكَ، فَقِيلَ لَهُمْ: هَذِهِ الْحَبَّةُ الْقَمْحِ جَعَلَهَا حُكَمَاءُ الْيُونَانِ فِي كَفِّ هَذَا الصَّنَمِ طِلَّسْمًا، حَتَّى لَا يُسَوِّسَ الْقَمْحُ،
পৃষ্ঠা - ৭৪৮৫
তখন তাকে বলা হলো আপনি যদি এই মুর্তির মুষ্টিবদ্ধ হাত না ভাঙ্গতেন তাহলে এই শহরে
কোন গম বা যবে পোকা লাগত না ৷ হাফিয আবু হামদান আল-ওয়াররাক বলেন, উল্লেখ্য যে,
তিনি শত বৎসর আয়ুলাভ করেছিলেন কোন কোন বৃদ্ধকে আমি বলতে শুনেছি, মুসলমানগণ
যখন বিজয়ীর বেশে দামেশকে প্রবেশ করেন তারা এর বর্তমান জামি মসজিদের একটি স্তন্তের১
স্থানে একটি মুষ্টিবদ্ধ হাত প্রসাবিতকারী মুর্তি দেখতে পান ৷ এরপর মুষ্টিবদ্ধ হাত ভেঙ্গে তারা
দেখতে পান তাতে রয়েছে গমের একটি দানা ৷ তখন তারা এ সম্পর্কে প্রশ্ন করেন ৷ জবাবে
তাদেরকে বলা হলো, এটি একটি গমের দানা ৷ চিকিৎসাবিদগণ একে প্রতিষেধ্ক ওষুধ করে
ৎরক্ষণ করেছেন যাতে বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও এ শহরের মওজুদ করা গম
পােকাক্রাত না হয় ৷
ইবন আসাকির বলেন, আমি নিজে এতে মিকলাসাত গির্জার পুলসমুহের উপর নৌহশিক
দেখেছি ৷ যা নির্মিত ছিল দামেশকের বড় বাজারস্থ পুলসমুহের উপর, বর্তমান সাবান ও সুগন্ধি
বিক্রেতাদের বসার স্থানে ৷ আর মুসলমড়ানগণের দামেশক বিজয়ের দিন মুসলিম ফৌজ
সেখানেই সমবেত হয় ৷ আবু উবায়দাহ্ (সেখানে প্রবেশ করেন) বার আলজাবিয়া২ দিয়ে,
খালিদ ইবন ওয়ালীদ বাবুশৃ শারকী দিয়ে, ইয়াযীদ ইবন আসু সুফ্য়ান বাবুল জাবিয়া আসৃ
সগীর দিয়ে ৷
আবদুল আষীয আত্তামীমী বলেন, আবু নসর আবদুল ওয়াহ্হাব ইবন আব্দুল্লাহ্
আল-মুররী হতে তিনি বলেন, আমি দামেশকের একদল প্রবীণ অধিঘাসীকে বলতে শুনেছি,
দামেশকের জামি মসজািদঃ৷ ছাদে একাধিক প্রতিষেধক ওষুধ সংরক্ষিত আছে যা চিকিৎসকগণ
ছাদের সামনের দেওয়াল সংলগ্ন অংশে স্থাপন করেছেন ৷ সেখানে সানুনিয়্যাতের২ প্রতিষেধকৃ
বিদ্যমান, ফলে যে সকল ময়লা ও আবত্তনাি হতে তাদের উৎপত্তি তার মাধ্যমে তারা সেখানে
প্রবেশ করে না এবং বাসা বানায় না, এবং সেখানে কোন কাকও প্রবেশ করে না ৷ এ ছাড়া
সেখানে ইদুর, সাপ ও কিছু নাশক প্রতিষেধক বিদ্যমান ৷ ফলে মানুষ সেখানে ইদুর ছাড়া এ
জাতীয় কোন প্রাণী দেখে নইি ৷ আর সন্দেহ করা হয় যে, ইদুর নাশক প্রতিষেধক নিঃশেষ হয়ে
গেছে ৷ এমনকি সেখানে মাকড়সা নাশক প্রতিয়েধকও বিদ্যমান ৷ ফলে সেখানে মাকড়সা জাল
বুনে না ৷ অন্য বর্ণনায় রয়েছে ফলে তাতে ধুলাবালি ও ময়লা জমতে পারে না ৷
হাফিয ইবন আসাকির বলেন, আমি আমার দাদা ইয়াহ্ইয়৷ ইবন আলীকে উল্লেখ করতে
শুনেছি যে, তিনি অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পুর্বে সকল প্রকার কীটনাশকের সন্ধান
পেয়েছিলেন, যা তার ছাদে ঝুলানাে ছিল ৷ এছাড়া তিনি একথাও উল্লেখ করেছেন যে, অগ্নিকাণ্ড
সংঘটিত হওয়ার পুর্বে জামি দামেশকে কোন কীটপতঙ্গের অস্তিত্ব ছিল না ৷ এরপর যখন
চারশ একষট্টি হিজরীর শা’বান মাসের পনের তারিখ অপরাহ্রকালে জামি দামেশকে সংঘটিত
অগ্নিকাণ্ডে এই সকল কীটনাশক পুড়ে যায়-আর এ সময় দামেশকে বহুপ্রকার কীটনাশকের
প্রচলন ছিল আর অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়ার পর শুধুমাত্র আলাভীদের বাজারের দিকের স্তম্ভটি
অক্ষত ছিল যার মাথায় ছিল বিশাল বলাকৃতির অবয়ব ৷ এই স্তন্তটি পশুপালের পেশাবের কারণে
দুর্বল হয়ে পড়ে ৷ ংলোক্যো৷ যখন তার চারপাশে কোন পশুকে তিনবার ঘোরাত তখন তার পেট
খারাপ হতো ৷ আর আমাদের শারখ ইবন তায়মিয়াহ বলেন, এটা হলো এক মুশরিকের পৃথক
কবর ৷ সেখানে সে সমাহিত এবং আযাবপ্রাপ্ত ৷ কোন পশু যখন তার আর্ত চিৎকার শুনে, তখন
সে ত্রস্থ আতঙ্কিত হয়, ফলে তার উদরস্থ সবকিছু নড়ে উঠে এবং তার পেট খারাপ হয় ৷ তিনি
১ স্তন্তটি মিকলাসাত নামক গির্জার স্থানে নির্মিত হওয়ায় মিকলাসাত স্তম্ভ’ নামে পরিচিত ৷
২ প্রত্যেকটি তৎকালীন দামেশক শহরের জ্যি জ্যি প্রবেশদ্বারের নাম ৷
وَلَوْ أَقَامَ سِنِينَ كَثِيرَةً.
قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَقَدْ رَأَيْتُ أَنَا هَذَا السَّفُّودَ عَلَى قَنَاطِرِ كَنِيسَةِ الْمِقْسِلَّاطِ، فَلَمَّا هُدِمَتِ الْقَنَاطِرُ ذَهَبَ. قُلْتُ: كَنِيسَةُ الْمِقْسِلَّاطِ كَانَتْ مَبْنِيَّةً فَوْقَ الْقَنَاطِرِ الَّتِي فِي السُّوقِ الْكَبِيرِ، عِنْدَ الصَّابُونِيِّينَ وَالْعَطَّارِينَ الْيَوْمَ، وَعِنْدَهَا اجْتَمَعَتْ جُيُوشُ الْإِسْلَامِ يَوْمَ فَتْحِ دِمَشْقَ، دَخَلَ أَبُو عُبَيْدَةَ مِنْ بَابِ الْجَابِيَةِ، وَخَالِدٌ مِنَ الْبَابِ الشَّرْقِيِّ، وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ مِنْ بَابِ الْجَابِيَةِ الصَّغِيرِ، كَمَا قَدَّمْنَا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
وَقَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ التَّمِيمِيُّ، عَنْ أَبِي نَصْرٍ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ: سَمِعْتُ جَمَاعَةً مِنْ شُيُوخِ أَهْلِ دِمَشْقَ يَقُولُونَ: إِنَّ فِي سَقْفِ مَسْجِدِ الْجَامِعِ طَلَاسِمَ عَمِلَهَا الْحُكَمَاءُ فِي السَّقْفِ، مِمَّا يَلِي الْحَائِطَ الْقِبْلِيَّ، فِيهَا طَلَاسِمُ لِلصَّنُونِيَّاتِ، لَا تَدْخُلُهُ وَلَا تُعَشِّشُ فِيهِ مِنْ جِهَةِ الْأَوْسَاخِ الَّتِي تَكُونُ مِنْهَا، وَلَا يَدْخُلُهُ غُرَابٌ، وَطِلَّسْمٌ لِلْفَأْرِ وَالْحَيَّاتِ وَالْعَقَارِبِ مَا أَبْصَرَ النَّاسُ مِنْ هَذَا شَيْئًا إِلَّا الْفَأْرَ، وَيُشَكُّ أَنْ يَكُونَ قَدْ عُدِمَ طِلَّسْمُهَا وَطِلَّسْمٌ لِلْعَنْكَبُوتِ
পৃষ্ঠা - ৭৪৮৬
حَتَّى لَا يَنْسِجَ فِي زَوَايَاهُ، فَيَرْكَبُهُ الْغُبَارُ وَالْوَسَخُ.
قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَسَمِعْتُ جَدِّي أَبَا الْفَضْلِ يَحْيَى بْنَ عَلِيٍّ الْقَاضِيَ، يَذْكُرُ أَنَّهُ أَدْرَكَ فِي الْجَامِعِ قَبْلَ حَرِيقِهِ طِلَّسْمَاتٍ لِسَائِرِ الْحَشَرَاتِ، مُعَلَّقَةً فِي السَّقْفِ فَوْقَ الْبَطَائِنِ مِمَّا يَلِي السُّبْعَ، وَأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُوجَدُ فِي الْجَامِعِ شَيْءٌ مِنَ الْحَشَرَاتِ قَبْلَ الْحَرِيقِ، فَلَمَّا احْتَرَقَتِ الطِّلَّسْمَاتُ وُجِدَتْ، وَكَانَ حَرِيقُ الْجَامِعِ لَيْلَةَ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ بَعْدَ الْعَصْرِ سَنَةَ إِحْدَى وَسِتِّينَ وَأَرْبَعِمِائَةٍ.
وَقَدْ كَانَتْ بِدِمَشْقَ طِلَّسْمَاتٌ كَثِيرَةٌ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْهَا سِوَى الْعَمُودِ الَّذِي بِسُوقِ الْعَلَبِيِّينَ الْيَوْمَ الَّذِي فِي أَعْلَاهُ مِثْلُ الْكُرَةِ الْعَظِيمَةِ، وَهُوَ لِعُسْرِ بَوْلِ الدَّوَابِّ إِذَا دَارُوا بِالدَّابَّةِ حَوْلَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ انْطَلَقَ.
وَقَدْ كَانَ شَيْخُنَا الْعَلَّامَةُ أَبُو الْعَبَّاسِ ابْنُ تَيْمِيَّةَ رَحِمَهُ اللَّهُ يَقُولُ: إِنَّمَا هَذَا قَبْرُ مُشْرِكٍ مُتَمَرِّدٍ مَدْفُونٌ هُنَالِكَ يُعَذَّبُ، فَإِذَا سَمِعَتِ الدَّابَّةُ صِيَاحَهُ فَزِعَتْ فَانْطَلَقَ طَبْعُهَا. قَالَ: وَلِهَذَا يَذْهَبُونَ بِالدَّوَابِّ إِلَى مَقَابِرِ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى إِذَا مَغَلَتْ فَيَنْطَلِقُ طِبَاعُهَا وَتَرُوثُ، وَمَا ذَاكَ إِلَّا أَنَّهَا تَسْمَعُ أَصْوَاتَهُمْ وَهُمْ يُعَذَّبُونَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৪৮৭
বলেন, এ কারণেই পশুপাল যখন সবজি ইত্যাদি খেয়ে পেট ব্যথায় আক্রান্ত হয়, তখন
লোকেরা তাকে ইয়াহুদী ও নাসারাদের সমাধিন্থলে নিয়ে যায় ৷ তখন সেখানে তাদের উদরস্থু
সবকিছু আন্দোলিত হয় এবং পেট খারাপ হয় ৷ আর আযাবপ্রাপ্তদের আর্তচিৎকার শুনতে
পাওয়াই হলো এর কারণ ৷ মহান আল্লাহ অধিক জানেন ৷
মসজিদের দরযায় স্থাপিত সড়িসমুহের আলোচনা
কাযী আবদুল্লাহ্ ইবন আহমাদ ইবন যাবর বলেন, জামে দামেশকে সম্মুখস্থ দরযাকে
ঘড়ির দরযা বলা হয় ৷ কেননা বলশকার সেখানে ঘড়ি নির্মাণ করে ৷ সেখানে সে দিনের প্রতিটি
ঘন্টা কাজ করত ৷ তাতে তামার তৈরী একাধিক চডুই একটিত তাম্র সাপ ও একটি কাক ছিল ৷
যখন এক ঘন্টা পুর্ণ হতো সাপটি বেরিয়ে এবং চড়ই পাখীগুলে৷ কিচিরমিচির করে উঠত এবং
কাক ডেকে উঠত এবং পাত্রে একটি ক ঙ্কর পতিত হত ৷ তখন ণ্লাকগণ বুঝতে পারত যে
দিনের এক ঘন্টা প্রহর অতিবাহিত হয়েছে ৷ এরুপই হতো অন্যান্য ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার
ক্ষেত্রে ৷ আল বিদায়ার গ্রন্থকার বলেন, এটা দুটি বিষয়ের যে কোন একটির সম্ভাবনা ধারণ
করে ৷ হয় ঘড়িগুলি জামে দামেশকের সম্মুখস্থু দরযায় ছিল যা বাবুয্ যিয়াদাহ নামে পরিচিত ৷
তবে বলা হয় যে, এটি জামে দামেশকের নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর নতুনভাবে নির্মিত ৷ তবে
তা কায়ী ইবন বাবরের সময়কালে সেখানে ঘড়িগু লি বিদ্যমান থাকার সম্ভাবনাকে নাকচ করে
দেয় না ৷ নয়ত বা জামি দামেশকের পুর্বপ্রান্তের সম্মুখ দরযায় বাবুয্ যিয়াদাহ-এর অনুকরণে
আরেকটি দরযা ছিল ৷ আর সেখানেই ঘড়িগুলি ছিল ৷ এসব কিছুর পর বর্তমানে তাকে কানজ
ৰিক্রেতাদের দঃযােয় স্থানান্তরিত ক্যা৷ হয়েছে ৷ এটা হলো জামে দামেশকের পুর্ব দরযা ৷ মহান
আল্লাহ সর্বাধিক জানেন ৷
আল-বিদায়ার গ্রস্থকার বলেন, বাবুল ওয়াররাকীন কানজ বিক্রেতাদের দরযা এটিও
জামি দামেশকের সম্মুখবর্তী দরযা ৷ এই দরযা দিয়ে প্ৰবেশকারীদের দিকে সম্পৃক্ত করে এই
দরযায় নামকরণ করা হয়েছে অথবা তার জামি দামেশকে ও তার দরযা সংলগ্ন হওয়ার
কারণে ৷ সঠিক বিষয় মহান আল্লাহ ভাল জানেন ৷
গ্রন্থকার আরও বলেন, আর জামি দামেশকের চতৃরেৱ আঙ্গিনার মধ্যবর্তীন্থানে প্ৰবহমান
পানির প্রস্রবণ বিশিষ্ট যে গম্বুজ সাধারণ লোকদের কাছে আবু নুওয়াসের গম্বুজ নামে পরিচিত
তার নির্মাণকাল তিনশ’ উনসত্তর হিজরী ৷’ ঐতিহাসিক ইবন আসাকির জনৈক দামেশকবাসীর
হাতের লেখা হতে তা লিপিবদ্ধ করেছেন ৷ আর জামি চতৃরের পশ্চিমদািকর উচু গম্বুজটি যাকে
আইশার গম্বুজ’ বলা হয় তার সম্পর্কে আমি আমাদের শায়খ আয্-যাহাবীকে বলতে শুনেছি
যে, তা এন্ত্রন্শ্াণ্ ষাট হিজরীর সময়সীমার মধ্যে নির্মিত হয়েছে (খলীফা) মাহ্দী ইবন মানসুর
আল আব্বাসীর যামানায় ৷ লোকেরা একে নির্ধারণ করেছিল জামি দামেশকের সঞ্চয়ভাণ্ডার ও
ওয়াক্ফকৃত গ্রন্থসমুহের গ্রন্থগার রুপে ৷ আর মসজিদে আলীর দ্বার সম্মুখস্থু পুর্বদিকের গম্বুজ
সম্পর্কে বলা হয় যে, তা নির্মিত হয়েছে একশ চার হিজরীর সময়সীমার শাসক আল উবায়দীর
শাসনকালে ৷ আর দারাজে-জায়রুনের নিম্নস্থ ফোয়ারাটি নির্মাণ করেন শরীফ ফাখৃরুদ্দাওলা
আবু আলী হামযা ইবনুল হাসান ইবনুল আব্বাস আল-হাসানী ৷ অনুমিত হয় যে, তিনি জামি
দামেশকের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ৷ এই ফোয়ারাতে তিনি হাজ্জাজের প্রাসাদ হতে ৩ৰিশা এক
পাথরখণ্ড আনিয়ে তা হতে কৃত্রিমভাবে পানি উৎসারিত করেন ৷ আর এটা ছিল ঢাকা সতের
হিজরীর রবীউল আওয়াল মাসের সাত তারিখ শুক্রবার রাতে ৷ এ ফোয়ারার চারপাশে কৃত্রিম
পুল নির্মাণ করা হয় এবং তার উপরে গম্বুজ নির্মাণ করা হয় ৷ পরবত্তীকিালে একপাল উট
[ذِكْرُ السَّاعَاتِ الَّتِي عَلَى بَابِ جَامِعِ دِمَشْقَ]
ذِكْرُ السَّاعَاتِ الَّتِي عَلَى بَابِهِ
قَالَ الْقَاضِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ زَبْرٍ: إِنَّمَا سُمِّيَ بَابُ الْجَامِعِ الْقِبْلِيُّ بَابَ السَّاعَاتِ; لِأَنَّهُ عُمِلَ هُنَاكَ بِرْكَارُ السَّاعَاتِ; يُعْلَمُ بِهَا كُلُّ سَاعَةٍ تَمْضِي مِنَ النَّهَارِ، عَلَيْهَا عَصَافِيرُ مِنْ نُحَاسٍ، وَحَيَّةٌ مِنْ نُحَاسٍ، وَغُرَابٌ، فَإِذَا تَمَّتِ السَّاعَةُ خَرَجَتِ الْحَيَّةُ فَصَفَّرَتِ الْعَصَافِيرُ، وَصَاحَ الْغُرَابُ، وَسَقَطَتْ حَصَاةٌ فِي الطَّسْتِ فَيَعْلَمُ النَّاسُ أَنَّهُ قَدْ ذَهَبَ مِنَ النَّهَارِ سَاعَةٌ، وَكَذَلِكَ فِي سَائِرِهَا.
قُلْتُ: هَذَا يَحْتَمِلُ أَحَدَ شَيْئَيْنِ; إِمَّا أَنَّ السَّاعَاتِ كَانَتْ فِي الْبَابِ الْقِبْلِيِّ مِنَ الْجَامِعِ، وَهُوَ الَّذِي يُسَمَّى بَابُ الزِّيَادَةِ، وَلَكِنْ قَدْ قِيلَ: إِنَّهُ مُحْدَثٌ بَعْدَ بِنَاءِ الْجَامِعِ، وَلَا يَنْفِي ذَلِكَ أَنَّ السَّاعَاتِ كَانَتْ عِنْدَهُ فِي زَمَنِ الْقَاضِي ابْنِ زَبْرٍ. وَإِمَّا أَنَّهُ قَدْ كَانَ فِي الْجَانِبِ الشَّرْقِيِّ مِنَ الْجَامِعِ، فِي حَائِطِهِ الْقِبْلِيِّ بَابٌ آخَرُ فِي مُحَاذَاةِ بَابِ الزِّيَادَةِ، وَعِنْدَهُ السَّاعَاتُ، ثُمَّ نُقِلَتْ بَعْدَ هَذَا كُلِّهِ إِلَى بَابِ الْوَرَّاقِينَ الْيَوْمَ; وَهُوَ بَابُ الْجَامِعِ مِنَ الشَّرْقِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قُلْتُ: فَأَمَّا الْقُبَّةُ الَّتِي فِي وَسَطِ صَحْنِ الْجَامِعِ الَّتِي فِيهَا الْمَاءُ الْجَارِي، وَتَقُولُ
পৃষ্ঠা - ৭৪৮৮
الْعَامَّةُ لَهَا: قُبَّةُ أَبِي نُوَاسٍ. فَكَانَ بِنَاؤُهَا فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَسِتِّينَ وَثَلَاثِمِائَةٍ، أَرَّخَ ذَلِكَ ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْ خَطِّ بَعْضِ الدَّمَاشِقَةِ، وَأَمَّا الْقُبَّةُ الْغَرْبِيَّةُ الْعَالِيَةُ الَّتِي فِي صَحْنِ الْجَامِعِ، الَّتِي يُقَالُ لَهَا: قُبَّةُ عَائِشَةَ. فَسَمِعْتُ شَيْخَنَا الذَّهَبِيَّ يَقُولُ: إِنَّهَا إِنَّمَا بُنِيَتْ فِي حُدُودِ سَنَةِ سِتِّينَ وَمِائَةٍ، فِي أَيَّامِ الْمَهْدِيِّ بْنِ الْمَنْصُورِ الْعَبَّاسِيِّ، وَجَعَلُوهَا لِحَوَاصِلِ الْجَامِعَ وَكُتُبِ أَوْقَافِهِ. وَأَمَّا الْقُبَّةُ الشَّرْقِيَّةُ الَّتِي عَلَى بَابِ مَشْهَدِ عَلِيٍّ فَيُقَالُ: إِنَّهَا بُنِيَتْ فِي زَمَنِ الْحَاكِمِ الْعُبَيْدِيِّ فِي حُدُودِ سَنَةِ أَرْبَعِمِائَةٍ.
وَأَمَّا الْفَوَّارَةُ الَّتِي تَحْتَ دُرْجِ جَيْرُونَ فَعَمِلَهَا الشَّرِيفُ فَخْرُ الدَّوْلَةِ أَبُو يَعْلَى حَمْزَةُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ الْعَبَّاسِ الْحُسَيْنِيُّ، وَكَأَنَّهُ كَانَ نَاظِرَ الْجَامِعِ، وَجَرَّ إِلَيْهَا قِطْعَةً مِنْ حَجَرٍ كَبِيرٍ مِنْ قَصْرِ حَجَّاجٍ، وَأَجْرَى فِيهَا الْمَاءَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ لِسَبْعِ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ سَبْعَ عَشَرَةَ وَأَرْبَعِمِائَةٍ، وَعُمِلَتْ حَوْلَهَا قَنَاطِرُ، وَعُقِدَ عَلَيْهَا قُبَّةٌ، ثُمَّ سَقَطَتِ الْقُبَّةُ بِسَبَبِ جِمَالٍ تَحَاكَّتْ عِنْدَهَا وَازْدَحَمَتْ، وَذَلِكَ فِي صَفَرٍ سَنَةَ سَبْعٍ وَخَمْسِينَ وَأَرْبَعِمِائَةٍ، فَأُعِيدَتْ، ثُمَّ سَقَطَتْ أَعْمِدَتُهَا وَمَا عَلَيْهَا مِنْ حَرِيقِ اللَّبَّادِينَ وَدَارِ الْحِجَارَةِ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ اثْنَتَيْنِ وَسِتِّينَ وَخَمْسِمِائَةٍ. ذَكَرَ ذَلِكَ كُلَّهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ.
قُلْتُ: وَأَمَّا الْقَصْعَةُ الَّتِي كَانَتْ فِي الْفَوَّارَةِ، فَمَا زَالَتْ وَسَطَهَا، وَقَدْ أَدْرَكْتُهَا
পৃষ্ঠা - ৭৪৮৯
ভিড়াভিড়ি করে সেই গম্বুজের কাছে গা ঘষাঘষি করার তা ভেঙ্গে পড়ে ৷ এটা ঘটে চারশ
সাতান্ন হিজরীর সফর মাসে ৷ পরবর্তীতে তা পুনর্নির্মাণ করা হয়, বিক্ষ্ম পরবত্তীকািলে পাচশ’
ৰাবট্টি:হিঃরীির শাওয়াল সালে এক অগ্নিকাণ্ডে তার স্তম্ভসমুহ ছাদসহ বসে পড়ে ৷ হাফিয ইবন
আসাকির এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন ৷
আল-বিদায়ার গ্রহ্বার বলেন, আর ফোয়ারারইট্টপাত্রটি তার মধ্যন্থলেই ছিল ৷ আমি তাকে
অক্ষত দেখেছি ৷ পরবত্মীত তা অপসারণ করে ফেলা হয় ৷ এ ছাড়া জীরুণেৱ হাওযে অনুরুপ
একটি পাত্র ছিল ৷ সাতশ একচল্লিশ হিজরীতে খৃস্টানদেরণ্ অগ্নিকাণ্ডের কারণে হাওযটি ধসে
যাওয়ার পুর্ব পর্যন্ত (তার তলদেশের) এই পাত্রটি স্বন্থানে ছিল ৷ এরপর শাজুরান
(ফোয়ারাহাউয) নির্মাণ করা হয়ে যা জীরুন ফোয়ারার পুর্বদিকে অবস্থিত ৷ এটি নির্মিত হয়
পাচশ’ হিজরীর পর আমার ধারণা মতে পড়াচশ’ চৌদ্দ হিজরীতে ং৷ সুমহান আল্লাহ্ অধিক
জানেন ৷ ন্
জামি উমাবীতে কিরআেতে সাবআর সুচনা
আবু বাকর ইবন আবু দাউদ বর্ণনা করেন, আবু আব্বাস মুসা ইবন আমির আলু মুররী
সুত্রে হাসৃসান ইবন আতিয়্যাহ্ হতে তিনি বলেন, অধ্যয়ন বা পাঠ গ্রহণ ইসলামে নব
উদ্ভাবিত একটি বিষয় ৷ এর উত্তর ঘটান হিশাম ইবন ইর্সমাঈল;আলন্মাখবুর্মী ৷ একবার তিনি
খলীফাহ্ আবদুল মালিকের দরবারে আগমন করেন ৷ কিন্তু, আবদুল মালিক তাকে তার সাক্ষাৎ
হতে বিরত রাখেন ৷ একদিন সকালে ফজ্যরর নামাযের পর তিনি দামেশকের জামি মসজিদে
বসা ছিলেন, এমন সময় তিনি কাউকে কুরআন তিলাওয়াত করতে শুনে প্রশ্ন করেন, এটা কী ?
তখন তাকে জানানো হলো যে আবদুল মালিক খড়ায্রাতে তিলাওয়াত করছেন, তখন হিশাম
ইবন ইসমাঈল তিলাওয়াত করেন ৷ আর আবদুল মালিক হিশামের কিরাআত অনুসরণ করে
তিলাওয়াত করতে থাকেন, এ সময় তার এক আযাদকৃত গােলামও তার কিরআেতের
অনুকরণে তিলাওয়াত করে ৷ তখন তার আশেপাশে মসজিদে যারা উপস্থিত ছিল তারা সকলেই
এই কিরাআততিলাওয়াত পসন্দ করে এবং তার কিরাআতের অনুকরণে তিলাওয়াত শুরু
করে ৷ দামেশকের খতীব হিশাম ইবন আমার বর্ণনা করেন আয়ুবে ইবন হাসসান সুত্রে খালিদ
ইবন দাহকান হতে তিনি বলেন, দামেশকের মসজিদে সর্বপ্রথম যিনি নতুন ধারার কিরাআতের
প্রচলন করেন, তিনি হলেন, হিশাম ইবন ইসমাঈল ইবন মুপীরা অড়াল্-মাখৃবুমী ৷ আর
ফিলিস্তীনে নতুন ধারার কিরাআত উদ্ভাবন করেন ওয়ালীদ ইবন আবদুর রহমান আল-জারাশী ৷
আল#বিদায়ার গ্রস্থকার বলেন, এই হিশাম ইবন ইসমাঈল ছিল পবিত্র মদীনায় লাইন বা
প্রশাসক ৷ ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিকের জন্য বায়আত করা হতে বিরত থাকার কারণে এই
ব্যক্তিই সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাবকে তার পিতার মৃত্যুর পুর্বে বেত্রাঘাত করেছিল ৷ পরবউকািলে
খলীফা ওয়ালীদ তাকে পবিত্র মদীনায় শাসক পদ হতে অপসারণ করে উমর ইবন আবদুল
আযীযকে সেখানকার গভার নিয়োগ করেন ৷ যেমনটি আমরা উল্লেখ করে এসেছি ৷
উল্লেখ্য যে, এই নব উদ্ভাবিত কিরাআতের সুচনাকালে দামেশকে শীর্ষস্থানীয় তাবিঈগণের
একাধিক জামাআত উপস্থিত ছিল ৷ এদের মধ্যে অন্যতম হলেন হিশাম ইবন ইসমাঈল ও তার
আযাদকৃত দাস রাফি , ইসমাঈল ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবুল মুহাজির-ষিনি খলীফা আবদুল
মালিক ইবন মারওয়ানের ছেলেদের শিক্ষাগুরু ছিলেন এবং খলীফা হিশাম ইবন আবদুল
মালিক ও তার উভয় আবদুর রহমান ও মারওয়ানের নাইবরুপে আফ্রিকার শাসনকর্তা নিযুক্ত
كَذَلِكَ، ثُمَّ رُفِعَتْ بَعْدَ ذَلِكَ.
وَكَانَ بِطَهَّارَةِ جَيْرُونَ قَصْعَةٌ أُخْرَى مِثْلُهَا، فَلَمْ تَزَلْ بِهَا، ثُمَّ لَمَّا انْهَدَمَتِ اللَّبَّادِينَ بِسَبَبِ حَرِيقِ النَّصَارَى فِي سَنَةِ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ وَسَبْعِمِائَةٍ، اسْتُؤْنِفَ بِنَاءُ الطَّهَارَةِ عَلَى وَجْهٍ آخَرَ أَحْسَنَ مِمَّا كَانَتْ، وَذَهَبَتْ تِلْكَ الْقَصْعَةُ فَلَمْ يَبْقَ لَهَا أَثَرٌ، ثُمَّ عُمِلَ الشَّاذِرْوَانُ الَّذِي هُوَ شَرْقِيُّ فَوَّارَةِ جَيْرُونَ بَعْدَ الْخَمْسِمِائَةِ، أَظُنُّهُ سَنَةَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ وَخَمْسِمِائَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
[ذِكْرُ ابْتِدَاءِ أَمْرِ السُّبْعِ بِالْجَامِعِ الْأُمَوِيِّ]
قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي دَاوُدَ: ثَنَا أَبُو عَامِرٍ مُوسَى بْنُ عَامِرٍ الْمُرِّيُّ، ثَنَا الْوَلِيدُ هُوَ ابْنُ مُسْلِمٍ قَالَ: قَالَ أَبُو عَمْرٍو الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ قَالَ: الدِّرَاسَةُ مُحْدَثَةٌ، أَحْدَثَهَا هِشَامُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْمَخْزُومِيُّ فِي قَدْمَتِهِ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ، فَحَجَبَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ، فَجَلَسَ بَعْدَ الصُّبْحِ فِي مَسْجِدِ دِمَشْقَ فَسَمِعَ قِرَاءَةً، فَقَالَ: مَا هَذَا؟ فَأُخْبِرَ أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ يَقْرَأُ فِي الْخَضْرَاءِ، فَقَرَأَ هِشَامُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، فَجَعَلَ عَبْدُ الْمَلِكِ يَقْرَأُ بِقِرَاءَةِ هِشَامٍ، فَقَرَأَ بِقِرَاءَتِهِ مَوْلًى لَهُ، فَاسْتَحْسَنَ ذَلِكَ مَنْ يَلِيهِ مِنْ أَهْلِ الْمَسْجِدِ، فَقَرَءُوا بِقِرَاءَتِهِ.
وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ خَطِيبُ دِمَشْقَ: ثَنَا أَيُّوبُ بْنُ حَسَّانَ، ثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ،
পৃষ্ঠা - ৭৪৯০
ثَنَا خَالِدُ بْنُ دِهْقَانَ، قَالَ: أَوَّلُ مَنْ أَحْدَثَ الْقِرَاءَةَ فِي مَسْجِدِ دِمَشْقَ هِشَامُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ الْمَخْزُومِيُّ، وَأَوَّلُ مَنْ أَحْدَثَ الْقِرَاءَةَ بِفِلَسْطِينَ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُرَشِيُّ.
قُلْتُ: هِشَامُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ هَذَا كَانَ نَائِبًا عَلَى الْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ، وَهُوَ الَّذِي ضَرَبَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ لَمَّا امْتَنَعَ مِنَ الْبَيْعَةِ لِلْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ أَبُوهُ، ثُمَّ عَزَلَهُ عَنْهَا الْوَلِيدُ، وَوَلَّى عَلَيْهَا عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَمَا ذَكَرْنَا.
وَقَدْ حَضَرَ هَذَا السُّبْعَ جَمَاعَاتٌ مِنْ سَادَاتِ السَّلَفِ مِنَ التَّابِعِينَ بِدِمَشْقَ; مِنْهُمْ هِشَامُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْمَخْزُومِيُّ، وَمَوْلَاهُ رَافِعٌ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْمُهَاجِرِ وَكَانَ مُكْتِبًا لِأَوْلَادِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، وَقَدْ وَلِيَ إِمْرَةَ إِفْرِيقِيَّةَ لِهِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَابْنَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَمَرْوَانُ.
وَحَضَرَهُ مِنَ الْقُضَاةِ أَبُو إِدْرِيسَ عَائِذُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخَوْلَانِيُّ، وَنُمَيْرُ بْنُ أَوْسٍ الْأَشْعَرِيُّ، وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي الْهَمْدَانِيِّ، وَسَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُحَارِبِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ لَبِيدٍ الْأَسَدِيُّ.
وَمِنَ الْفُقَهَاءِ وَالْمُحَدِّثِينَ وَالْحُفَّاظِ الْمُقْرِئِينَ، أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَاسِمُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَوْلَى آلِ مُعَاوِيَةَ، وَمَكْحُولٌ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى الْأَشْدَقُ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَلَاءِ بْنِ زَبْرٍ، وَأَبُو إِدْرِيسَ الْأَصْغَرُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عِرَاكٍ،
পৃষ্ঠা - ৭৪৯১
وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَامِرٍ الْيَحْصُبِيُّ أَخُو عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ وَيَحْيَى بْنُ الْحَارِثِ الذِّمَارِيُّ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ النُّعْمَانِ الْمُزَنِيُّ، وَأَنَسُ بْنُ أُنَيْسٍ الْعُذْرِيُّ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ بَزِيعٍ الْقَارِئُ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْخُشَنِيُّ، وَنَمْرَانُ أَوْ هَزَّانُ بْنُ حَكِيمٍ الْقُرَشِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ أَبِي ظَبْيَانَ الْأَزْدِيُّ، وَيَزِيدُ بْنُ عُبَيْدَةَ بْنِ أَبِي الْمُهَاجِرِ، وَعَيَّاشُ بْنُ دِينَارٍ وَغَيْرُهُمْ، هَكَذَا أَوْرَدَهُمُ ابْنُ عَسَاكِرَ. قَالَ: وَقَدْ رُوِيَ عَنْ بَعْضِهِمْ أَنَّهُ كَرِهَ اجْتِمَاعَهُمْ وَأَنْكَرَهُ، وَلَا وَجْهَ لِإِنْكَارِهِ.
ثُمَّ سَاقَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي دَاوُدَ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، ثَنَا الْوَلِيدُ هُوَ ابْنُ مُسْلِمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْعَلَاءِ قَالَ: سَمِعْتُ الضَّحَّاكَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَرْزَبٍ يُنْكِرُ الدِّرَاسَةَ، وَيَقُولُ: مَا رَأَيْتُ وَلَا سَمِعْتُ، وَقَدْ أَدْرَكْتُ أَصْحَابَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَكَانَ الضَّحَّاكُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَمِيرًا عَلَى دِمَشْقَ، فِي خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ
পৃষ্ঠা - ৭৪৯২
হয়েছিলেন আর বিচারকমণ্ডলীর মাঝে এতে উপস্থিত ছিলেন আবু ইদরীস আলখাওলানী,
নুসায়র ইবন আওস আল-আশৃআরী ইয়াষীদ ইবন আবুল হামদানী, সালিম ইবন আবদুল্লাহ
আলমুহারিবী, মুহাম্মাদ ইবন আবদ্বয়াহ্ ইবন লাবীদ আল-আসাদী ৷ আর ফিকাহবিদ মুহাদ্দিছ
ও শীর্ষস্থানীয় কুারী ও হাফিয়ে কুরআনের মধ্যে ছিলেন হযরত মুআবিয়ার আযাদকৃত দাস আবু
আবদুর রহমান আলকাসিম ইবন আবদুর রহমান, মাকহুল, সুলায়মান ইবন মুসা আল
আশদাক, আবদুল্লাহ্ ইবন আলা ইবন বাবর, আবু ইদরীস আল-আসগার আবদুর রহমান ইবন
ইরাক, আব্দুর রহমান ইবন আমির আল-ইয়াহ্সাবী যিনি আবদুল্লাহ্ ইবন আমিরের তাই,
ইয়াহ্য়া ইবনুলহারিছ আদৃদামারী, আবদুল মালিক ইবন নুমান আল-মুর্রী, আনাস ইবন
আনাস আল উমরী, সুলায়মান ইবন বাযীগ আলকারী, সুলায়মান ইবন দাউদ আল খুশানী,
ইরান অথবা হিরান ইবন হার্কীম আলকুরাশী, মুহাম্মাদ ইবন খালিদ ইবন আবু যুবয়ান আল-
আয্দী, ইয়াষীদ ইবন উবায়দাহ্ ইবন আবুল মুহাজির, আব্বাস ইবন দীনার ও অন্যগণ ৷
এভাবেই ইবন আসাকির তাদের উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি বলেন, কারো কারো হতে বর্ণিত
আছে যে, তিনি এদের সমাবেশ অপসন্দ করেছেন, এবং এর সমালোচনা করেছেন, বিন্তু
প্রকৃতপক্ষে এদের সমালোচনার ণ্কান উপযুক্ত কারণ নেই ৷ তারপর তিনি আবু বাকর ইবন
আবু দাউদ সুত্রে আবদুল্লাহ্ ইবনুল আলা হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি যাহ্হাক ইবন
আবদুর রহমান ইবন আরুবকে কুরআনের এই নব অধ্যয়ন-এর সমালোচনা করে বলতে
শুনেছি, আমি তো নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের সাহাবাগণের সান্নিধ্য
পেয়েছি ৷ বিক্ষ্ম,শ্ পবিত্র কুরআনের এই নব পাঠপদ্ধতি দেখিনি বা শুনিনি ৷ ইবন আসাকির
বলেন, যাহ্হা ক ইবন আবদুর রহমান ছিয়াশি হিজরীর শেষদিকে উমর ইবন আবদুল আযীয
(র)-এর খিলাফতকালে দামেশকের আমীর (প্রশাসক) ছিলেন ৷
ন্ পরিচ্ছেদ
দামেশকের (এই বিখ্যাত) জামি মসজিদের নির্মাণকালের সুচনা হয়েজ্জি ছিয়াশি হিজরীর
শেষ ভাগে ৷ এ বছরেরই যুল-কাদাহ্ সালে তার স্থানে যে গির্জাটি ছিল তা ভেঙ্গে ফেলা হয় ৷
গির্জা ভাঙ্গার কাজ শেষ হওয়ার পর মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ৷ আরম্প্র মসজিদের
নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় দশ বছরে ৷ অর্থাৎ ছিয়ানব্বই হিজরীতে ৷ আর এ বছরেই তার নির্মাতা
খলীফা ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক ওফাত লাভ করেন ৷ আর তার কিছু নির্মাণ কাজ
অসমাপ্ত ছিল যা তার ভাই সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক পুর্ণ করেন ৷ আর ইয়াকুব ইবন
সৃফয়ানেরএই বক্তব্য- আমি হিশাম ইবন আম্মারকে দামেশকের মসজিদের এবং এই গির্জার
বৃত্তান্ত জিজ্ঞাসা করলাম ৷ তিনি বলেন, খলীফাহ্ ওয়ালীদ খৃণ্টানদের বলেন, ভেবে দেখ তোমরা
কী সিদ্ধান্ত নিয়ে ৷ হয় আমরা বলপুর্বক তৃমা’-এর গির্জা দখল করব অথবা সমঝোতার
ভিত্তিতে দাখিলার গির্জা নিয়ে নিব ৷ তবে আমি যে ক্ষেত্রে তৃমা-এর গির্জা ভেঙ্গে ফেলব ৷
হিশাম বলেন, তুমা-এর গির্জাটি দাখিলারঢির চেয়ে বড় ছিল ৷ তিনি, বলেন, তারা দাখিলার
গির্জাটি ভাঙ্গতে দিতে সম্মত হল এবং ওয়ালীদ তাকে মসজিদের অন্তর্ভুক্ত করে নিলেন ৷ হিশাম
বলেন, ঐ গির্জার দ্ররযার স্থানে বর্তমান মসজিদের কিবৃলা, অর্থাৎ মিহ্রাব-যেখানে নামায
পড়া হয় ৷ তিনি বলেন, ছিয়াশি হিজরীতে ওয়ালীদের খিলাফতকালের সুচনালপ্লেই এই গির্জা
ভেঙ্গে ফেলা হয় ৷ এরপর সাতবছর যাবত তার নির্মাণ চলতে থাকে এমনকি তার নির্মাণ সম্পন্ন
হওয়ার পুর্বেই ওয়ালীদ ইনৃতিকাল করেন ৷ তারপর খলীফাহ্ হিশাম তা পুর্ণ করেন এতে
[فَصْلٌ فِي ابْتِدَاءِ عِمَارَةِ جَامِعِ دِمَشْقَ]
كَانَ ابْتِدَاءُ عِمَارَةِ جَامِعِ دِمَشْقَ فِي أَوَاخِرَ سَنَةِ سِتٍّ وَثَمَانِينَ; هُدِمَتِ الْكَنِيسَةُ الَّتِي كَانَتْ مَوْضِعَهُ فِي ذِي الْقَعْدَةِ مِنْهَا، فَلَمَّا فَرَغُوا مِنَ الْهَدْمِ، شَرَعُوا فِي الْبِنَاءِ، وَتَكَامَلَ فِي عَشْرِ سِنِينَ، فَكَانَ الْفَرَاغُ مِنْهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، أَعْنِي سَنَةَ سِتٍّ وَتِسْعِينَ.
وَفِيهَا تُوُفِّيَ بَانِيهِ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَقَدْ بَقِيَتْ فِيهِ بَقَايَا، فَكَمَّلَهَا أَخُوهُ سُلَيْمَانُ، كَمَا ذَكَرْنَا.
فَأَمَّا قَوْلُ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ: سَأَلْتُ هِشَامَ بْنَ عَمَّارٍ عَنْ قِصَّةِ مَسْجِدِ دِمَشْقَ وَهَذِهِ الْكَنِيسَةِ قَالَ: كَانَ الْوَلِيدُ قَالَ لِلنَّصَارَى مِنْ أَهْلِ دِمَشْقَ: مَا شِئْتُمْ، إِنَّا أَخَذْنَا كَنِيسَةَ تُومَا عَنْوَةً وَكَنِيسَةَ الدَّاخِلَةِ صُلْحًا، فَأَنَا أَهْدِمُ كَنِيسَةَ تُومَا؟ قَالَ هِشَامٌ: وَتِلْكَ أَكْبَرُ مِنْ هَذِهِ الدَّاخِلَةِ، قَالَ: فَرَضُوا أَنْ أَهْدِمَ كَنِيسَةَ الدَّاخِلَةِ، وَأُدْخِلَهَا فِي الْمَسْجِدِ. قَالَ: وَكَانَ بَابُهَا قِبْلَةَ الْمَسْجِدِ الْيَوْمَ، وَهُوَ الْمِحْرَابُ الَّذِي يُصَلَّى فِيهِ قَالَ: وَهَدْمُ الْكَنِيسَةِ فِي أَوَّلِ خِلَافَةِ الْوَلِيدِ سَنَةَ سِتٍّ وَثَمَانِينَ، وَمَكَثُوا فِي بِنَائِهِ سَبْعَ سِنِينَ، حَتَّى مَاتَ الْوَلِيدُ، وَلَمْ يُتِمَّ بِنَاءَهُ، فَأَتَمَّهُ هِشَامٌ مِنْ بَعْدِهِ. فَفِيهِ فَوَائِدُ، وَفِيهِ غَلَطٌ، وَهُوَ قَوْلُهُ: إِنَّهُمْ مَكَثُوا فِي بِنَائِهِ سَبْعَ سِنِينَ. وَالصَّوَابُ: عَشْرَ سِنِينَ، فَإِنَّهُ لَا خِلَافَ أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ تُوُفِّيَ فِي
পৃষ্ঠা - ৭৪৯৩
(ইয়া কুব ইবন সুফয়ানের বক্তব্যে) একাধিক সঠিক ও উপকারী তথ্য রয়েছে, তবে তাতে
ভৃলও রয়েছে ৷ আর সেই ভৃণ হল তার এই বক্তব্য যে, তারা এই মসজিদ নির্মাণে সাত বছর
ব্যয় করেছে ৷ আসলে সঠিক হলো দশ বছর ৷ কেননা, এ বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই যে,
খলীফাহ্ ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক এ বছরে অর্থাৎ ছিয়ানব্বই হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন ৷
ঐতিহাসিক ইবন জারীর এ বিষয়ে জীবনীগ্রস্থ প্রণেতাদের ঐকমত্যের কথা উল্লেখ করেছেন ৷
আর এই মসজিদের অবশিষ্ট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন খলীফা ওয়ালীদের ভাই সুলায়মান,
হিশাম নয় ৷ আল্লাহ্ই অধিক জানেন, তিনি সুমহান ৷
আল-বিদায়ার গ্রন্থকার বলেন, ইবন আসাকিরের স্বলিখিত হ্স্তলিপি হতে উদ্ধৃত করা
হয়েছে, যা ইতােপুর্বে বিগত হয়েছে এরপর এই মসজিদে একাধিক নতুন স্থাপনা নির্মিত
হয়েছে ৷ তন্মধ্যে এর চতৃরের পম্বুজত্রয় যাদ্দো আলোচনা বিগত হয়েছে ৷ বলা হয় পুর্বদিকের
গম্বুজটি নির্মিত হয়েছে ঘুসতানসির আলউবায়দির আমলে চারশ পঞ্চাশ হিজরীতে ৷ এতে
তার নাম এবং ঐ দ্বাদশ ব্যক্তির নাম লিখিত ছিল যাদেরকে রাফিযীরা তাদের ইমাম বলে দাবী
করে থাকে ৷ আর তার চতুরে স্থাপিত স্তন্তদ্বয় নির্মিত হয়েছিল জুমুআহ্র রাতসমুহে
আালাকসজ্জার জন্য ৷ শহরের কাষী আবুমুহাষ্মাদের নির্দেশে চারশ একচল্পিশ হিজরীর রমাযান
মাংস এই আংয় নির্মাণ করা হয় ৷
আমি দামেশ্র্কেয় নির্মাতা ওয়ালীদ ইবন আব্দুল মালিকের
জীবন চরিত এবং এ বছরে তার ওফ্াতের আলোচনা
তিনি হলেন, ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান ইবনুল হ্াকাম ইবন আবুল
আস ইবন উমায়্যাহ্ ইবন আবদ শামস ইবন আবদ মানাফ ৷ তার উপনাম আবুল আব্বাস
আলউমাবী ৷ পিতার মৃত্যুর পর ছিয়াশি হিজরীয় শাওয়াল সালে তার ওয়াসিয়াত মুতাবিক তার
অনুকুাল খিলাফতের বায়আত গ্রহণ করা হয় ৷ তিনি তার পিতার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং ঘোষিত
যুবরাজ ৷ তার মাতা ওয়ালাদাহ্ বিনৎ আল আব্বাস ইবন হাযন ইবনুল হারিছ ইবন যুহায়র
আলআৰ্সী ৷ খশীফ৷ ওয়ালীদ্দের জন্ম পঞ্চাশ হিজরীতে ৷ তার পিতামাতা তাকে বিলাসিতায়
প্রতিপালন করেছিল ৷ তাই যে বিশেষ কোন শিক্ষা-দীক্ষা ছাড়াই বেড়ে উঠেছিল ৷ আর সে
বিশুদ্ধভা৷ব আরবী বলতে পারত না ৷ সে ছিল দীর্শ্বকায়, তবে গাত্রবর্ণছিল বাদামী ৷ তার
শরীরে বসস্তের অস্পষ্ট চিহ্ন হিল ৷ তার নাক ছিল চ্যাপ্টা ৷ হীটার সময় দাম্ভিকতার সাথে
ইাটত ৷ সে দেখতে সুশ্রী ছিন্ন, আবার বলা হয় কুশ্রী ৷ খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণকালে তার
দাড়ির সম্মুখডাপ পাক ধারছিল ৷ সে হযরত সাহল ইবন সাদের দেখা পেয়েছিল এবং হযরত
আনাস ইবন মালিক হতে হাদীস শ্রবণ কারত্যি ৷ সে যখন তার কাছে এসেছিল-, তখন তাকে
কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিল, যেমন হযরত আনাষের জীবনীতে বিগত হয়েছে ৷
এছাড়া যে সাঈদ ইবনুল মুসামািব হতে হাদীস শ্রবণ করেছে এবং যুহ্রী ও অন্যদের নিকট হাত
হাদীস বর্ণনা করেছে ৷
বর্ণিত আছে, তার পিতা আবদুল মালিক তার জীবদ্দশায় ওয়ালীদকে সিংহাসানর
উত্তরাধিকারী ঘোষণা করতে গিয়েও বিরত হলেন ৷ কেননা, সে বিশুদ্ধ আরবী বলতে পারত
না ৷ এরপর ওয়ালীদ তার কাছে একদল আরবী ভাষা ও ব্যাকরণবিদের সমাবেশ ঘটান এবং
তারা এক বছর কাল তার কাছে অবস্থান করে তাকে শিক্ষা দিল ৷ বলা হয় ছয় মাস ৷ কিত্তু সে
পুর্বের চেয়ে অজ্ঞ অবস্থায় শিক্ষা সমাপন করল ৷ তখন আবদুস মালিক বললেন, যে যথেষ্ট চেষ্টা,
ণো ণো ণো
হু
هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ سِتٍّ وَتِسْعِينَ وَقَدْ حَكَى أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ عَلَى ذَلِكَ إِجْمَاعَ أَهْلِ السِّيَرِ. وَقَوْلُهُ: لَمْ يَتِمَّ بِنَاؤُهُ فِي زَمَنِ الْوَلِيدِ. بَلْ قَدْ تَمَّ، وَلَكِنْ بَقِيَتْ بَقِيَّاتٌ مِنَ الزَّخْرَفَةِ، فَأَكْمَلَهَا أَخُوهُ سُلَيْمَانُ لَا هِشَامٌ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ.
[تَرْجَمَةُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَذِكْرُ وَفَاتِهِ]
وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بَانِي جَامِعِ دِمَشْقَ، وَذِكْرُ وَفَاتِهِ فِي هَذَا الْعَامِ
هُوَ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ، أَبُو الْعَبَّاسِ الْأُمَوِيُّ، بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ بَعْدَ أَبِيهِ بِعَهْدٍ مِنْهُ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ سِتٍّ وَثَمَانِينَ، وَكَانَ أَكْبَرَ وَلَدِهِ وَالْوَلِيَّ مِنْ بَعْدِهِ، وَأُمُّهُ وَلَّادَةُ بِنْتُ الْعَبَّاسِ بْنِ جُزِيِّ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ زُهَيْرٍ الْعَبْسِيِّ. وَكَانَ مَوْلِدُهُ سَنَةَ خَمْسِينَ، وَكَانَ أَبَوَاهُ يُتْرِفَانِهِ، فَشَبَّ بِلَا أَدَبٍ، وَكَانَ لَا يُحْسِنُ الْعَرَبِيَّةَ، وَكَانَ طَوِيلًا أَسْمَرَ، بِهِ أَثَرُ جُدَرِيٍّ، أَفْطَسَ الْأَنْفِ سَائِلَهُ، وَكَانَ إِذَا مَشَى يَتَوَكَّفُ فِي الْمِشْيَةِ أَيْ يَتَبَخْتَرُ وَكَانَ جَمِيلًا، وَقِيلَ: بَلْ كَانَ دَمِيمًا، قَدْ شَابَ فِي مُقَدَّمِ لِحْيَتِهِ، وَقَدْ رَأَى سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ وَسَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ; لَمَّا قَدِمَ
পৃষ্ঠা - ৭৪৯৪
ৰ্ৰোরও খুজে পেলাম না ৷ তখন আমি নিজের লােভের প্রায়শ্চিত্তস্বরুপ৷ শান্তির জন্য এই শপথ
করলাম (যতদিন জীবিত থাকর) আমি সব সময় রুচি ও মাটি ছাড়া আর কিছু পরে না ৷
একথা শোনার পর খলীফা তাকে বললেন, তোমার কি পোষ্য পরিজন আছে ? সে বলল জী
হ্যা তখন খলীফা তার জন্য বায়ভুল সাল হতে ভাতা নির্ধারণ করে দিলেন ৷
ইবন জারীৱ বলেন, আমরা জানতে পেয়েছি যে, (লোকটির) ঐ সকল বাহন পথ চলে
বায়তুং৷ সালে এসে পৌছেছিল ৷ তখন বায়তৃল মাসের প্রহরী তা গ্রহণ করে তা সেখানে
সংরক্ষণ করেছিল ৷ বর্ণিত আছে, ওয়ালীদ তাকে বলেছিলেন তোমার আহরিত সেই সম্পদ
আমাদের কাছে পৌছেছে ৷ যাও গিয়ে তোমার উটগুলো নিয়ে যাও ৷ এছাড়া একথাও বর্ণিত
আছে যে, তিনি তাকে সেই সম্পদের একাংশ দিয়েছিলেন যা তার ও তার পােষ্যপরিজানর
খোরাকের জন্য পর্যাপ্ত ছিল ৷ নুমায়র ইবন আবদুল্লাহ্ আশৃশানানী তার পিতা হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, একবার ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক বলেন, মহান আল্পাহ্ যদি পবিত্র
কুরআনে লুত সম্প্রদায়ের উল্লেখ না করতেন, তাহলে আমার এ ধারণা হতো না যে, কোন
পুরুষ অন্য পুরুষের সাথে এই কাজ করতে পারে ৷
আল-বিদায়ার গ্রন্থকার বলেন, খলীফ্৷ ওয়ালীদ একথা দ্বারা এই কুৎসিত ও জঘন্য স্বভাব
এবং নিন্দনীয় অশ্লীল কর্ম হতে নিজের নিঃসষ্পর্কতার কথা ঘোষণা করেছেন ৷ আর এই
কুকর্মের কারণে আল্পাহ্ তা জানা লুত সম্প্রদায়কে বিভিন্ন প্রকার শান্তি প্রদান করেছেন এবং
এমনসব দৃষ্টাত্তমুলক আযাবে পা কড়াও করেছেন তার নযীর পুর্ববর্তী কোন সম্প্রদায়ের ইতিহাসে
নেই ৷ আর এটা হলো পুৎমৈথুন যার শিকার হয়েছে বহুসংখ্যক রাজা-বাদশাহ, আমীব-উমাবা ,
ব্যবসায়ী, সাধারণ লোক, লিখক, ফিকাহবিদ, কাষী ও অন্যরা ৷ তবে আল্পাহ্ পাক যাদেরকে
রক্ষা করেছেন তাদের কথা ভিন্ন ৷ পুৎমৈথুনের ক্ষতি ও অপকার গণনা করে শেষ করা যায় না ৷
এ কারণেই এই কুকর্মে লিপ্তদের জন্য বিভিন্ন প্রকার শান্তি নির্ধারণ করা হয়েছে ৷ পুৎমৈথুনের
শিকার হওয়ার চেয়ে নিহত হওয়া গ্রেয় ৷ কেননা, তা তাকে এমন বিকৃতরুচির শিকার করে
যার কোন সংশোধন প্রত্যাশা করা যায় না ৷ তবে যদি মহান আল্লাহ কারও সংশোধন চান
তাহলে তা ব্যতিক্রম ৷ কাণ্ডেইি, প্রত্যেকের কর্তব্য হলো আপন সন্তানদের শৈশবে ও কৈশরে
াপুৎমৈথুনের অভিশাপ হতে রক্ষা করা এবং মহান আল্লাহর রাসুলের যবানে অভিপপ্ত এই সকল
শয়তানের সাহচর্ষ হতে বাচিয়ে রাখা ৷ আল্লাহ তা জানা সকলকে হিফাযাত করুন ৷ আমীনা
এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে যে, পুৎমৈথুনের শিকার ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত
কিনা? তবে এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত বা রায় হলো পুৎ মৈথুনের শিকার ব্যক্তি যদি বিশুদ্ধরুপে
খাটি তাওবা করে এবং আল্লাহ্ভিমুখিতা ও সংশোধনপ্ৰাপ্ত হয়, তার পাপসমুহকে পুণ্য দ্বারা
পরিবর্ত্য৷ করে নেয়, বিভিন্ন প্রকার বন্দেগী ও আনুগত্য দ্বারা নিজেকে তা হতে পবিত্র করে নেয়
এবং পরবর্তীতে স্বীয় দৃষ্টি অবনত রাখে, লজ্জান্থালের হিফাযত করে এবং স্বীয় প্রতিপালকেৱ
সাথে নিজের আচরণকে একান্ত ও একনিষ্ঠ করে নেয়, তাহলে ইনশাআল্লাহ্ সে ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে
এবং জান্নাতবাসী হবে ৷ কেননা, আল্লাহ্ তার দিকে প্রত্যাবর্ত্যব্ক্তকারীদের পাপ ক্ষমা করে
থাকেন
চু,পুৰুপুঞ্জো ছু; ;াদ্বুণ্,ভ্রুংষ্ ;;; ;,fl ;,;,
আর যারা নিবত্ত না হয়, তার যালিম, (৪৯ং ১১)
عَلَيْهِ سَأَلَهُ مَاذَا سَمِعَ فِي أَشْرَاطِ السَّاعَةَ؟ كَمَا تَقَدَّمَ فِي تَرْجَمَةِ أَنَسٍ، وَسَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ، وَحَكَى عَنِ الزُّهْرِيِّ وَغَيْرِهِ.
وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ أَرَادَ أَنْ يَعْهَدَ إِلَيْهِ ثُمَّ تَوَقَّفَ; لِأَنَّهُ لَا يُحْسِنُ الْعَرَبِيَّةَ، فَجَمَعَ الْوَلِيدُ جَمَاعَةً مِنْ أَهْلِ النَّحْوِ عِنْدَهُ فَأَقَامُوا سَنَةً، وَقِيلَ: سِتَّةَ أَشْهُرٍ. فَخَرَجَ يَوْمَ خَرَجَ أَجْهَلَ مِمَّا كَانَ، فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: قَدْ أُجْهِدَ وَأُعْذِرَ.
وَقِيلَ: إِنَّ أَبَاهُ عَبْدَ الْمَلِكِ أَوْصَاهُ عِنْدَ مَوْتِهِ، فَقَالَ لَهُ: لَا أَلْفَيَنَّكَ إِذَا مِتُّ، تَجْلِسُ تَعْصِرُ عَيْنَيْكَ، وَتَحِنُّ حَنِينَ الْأَمَةِ، وَلَكِنْ شَمِّرْ وَائْتَزِرْ وَدَلِّنِي فِي حُفْرَتِي وَخَلِّنِي وَشَأْنِي، وَادْعُ النَّاسَ إِلَى الْبَيْعَةِ; فَمَنْ قَالَ بِرَأْسِهِ هَكَذَا فَقُلْ بِسَيْفِكَ هَكَذَا.
وَقَالَ اللَّيْثُ: وَفِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَسَبْعَيْنِ غَزَا الْوَلِيدُ بِلَادَ الرُّومِ، وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ أَيْضًا. وَقَالَ غَيْرُهُ: غَزَا فِي الَّتِي قَبْلَهَا، وَفِي الَّتِي بَعْدَهَا بِلَادَ مَلَطْيَةَ وَغَيْرَهَا. وَكَانَ نَقْشُ خَاتَمِهِ: أُؤْمِنُ بِاللَّهِ مُخْلِصًا. وَقِيلَ: كَانَ نَقْشُهُ: يَا وَلِيدُ إِنَّكَ مَيِّتٌ. وَيُقَالُ: إِنَّ آخِرَ مَا تَكَلَّمَ بِهِ: سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ.
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي عَبْلَةَ: قَالَ لِي الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ يَوْمًا: فِي كَمْ تَخْتِمُ الْقُرْآنَ؟ قُلْتُ: فِي كَذَا وَكَذَا. فَقَالَ: أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَلَى شُغْلِهِ يَخْتِمُهُ فِي
পৃষ্ঠা - ৭৪৯৫
’ন্,ৰু ,;১’,”,টু’১ছু ট্রা৷ ৷
কিন্তু সীমালঙ্ঘন করার পর কেউ তাওবা করলে ও নিজেকে সংশোধন করলে আল্লাহ তার
প্রতি ক্ষমাপরায়ণ হবেন ৷ আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু (৫ং ৩৯) ৷
কিন্তু যে পুৎমৈথুনের শিকার শৈশবের চেয়ে বয়ঃপ্রাপ্ত অবস্থায় আরও বেপরওয়া হয়ে উঠে,
তার তাওবা দুঃসাধ্য, অসম্ভব ৷ কোন বিশুদ্ধ তাওবা কিংবা তার অতীত পাপকর্ম মােচনকারী
কোন লেক আমলের সে উপযুক্ত হবে এ সম্ভাবনাও সদুরপরাহত ৷ উপরন্তু তার বেঈমান অবস্থায়
মৃত্যুর আশঙ্কা বিদ্যমান ৷ যেমন বহুজনের ভাগ্যে ঘটেছে ৷ যারা তাদের এই সকল ,
পাপপঙ্কিলতাসহ মৃত্যুবরণ করেছে ৷ দুনিয়া ত্যাগের পুর্বে তা হতে পবিত্রত৷ অর্জন করতে
পারেনি ৷ আর কারও কারও নিকৃষ্টতম মৃত্যু ঘটেছে এমনকি এই পাপাসক্তি তাকে অমাদ্ভনীিয়
মহাপাপ শিরকে নিপতিত করেছে ৷ আর পুৎমৈথুনে অভ্যস্ত এবৎ অন্যান্য যৌন বিকারগ্রস্তদের
বহু ঘটনা রয়েছে যার উল্লেখ এ পরিচ্ছেদের কলেবর বৃদ্ধি করবে ৷ আমাদের উদ্দেশ্য একথা
বর্ণনা করা যে, পাপাসক্তি, অবা ধ্যতা, প্রবৃত্তিপরায়ণত৷ বিশেষত যৌন প্রবৃত্তি মানুষকে মৃত্যুকালে
শয়তড়ানের সহযােগীরুপে অপদন্থতার শিকার করে ৷ ফলে ঈমানের দুর্বলত্বার সাথে সে যখন
এই অপদস্থতার শিকার হয়, তখন তা তাকে মন্দ পরিণতি বা ঈমানশুন্য মৃত্যুর শিকারে
পরিণত করে ৷ আল্লাহ
তো মানুষের জন্য মহাপ্রতারক (২৫০ : ২৯) ৷ ’
এমনকি পুৎমৈথুনে লিপ্ত হয়নি এমন অনেকেও ঈমানশুন্য মৃত্যুর করলে পতিত হয়েছে,
যায়৷ এর চেয়ে লঘুপারুপ জড়িত ছিল ৷ আর ঈমানহীন মৃত্যু হতে মহান আল্লাহ আমাভ্রুদ্যা আশ্রয়
দান করুন যে পতিত হবে না আল্লাহর সাথে যার ভিতরের ও বাইরের সম্পর্ক ঠিক আছে,
বিশুদ্ধ আছে এবৎ যে তার কথায় ও কাজে সর্ত্যপন্থী ৷ কেননা, এটা অশ্রুতপুর্ব যেমন আবদুল
হক আল-ইশবীলী (সেভিলীয়) উল্লেখ করেছেন ৷ আসলে ঈমানহীন মৃত্যু তার ভাগ্যে ঘটে, যার
অভ্যন্তরের আকীদা ও সকল বাহ্যিক আমল নষ্ট হয়ে গেছে এবৎ নির্দিধায় সে কবীরা গুনাহে
ণ্ লিপ্ত এবং অপরাধ সং ×ঘটনে দুঃসাহসী ৷ আর কখনও তার এ অবস্থা প্ৰচল হয়ে দেখা দেয় এবং
তাওবার পুর্বে তার মৃত্যু এসে উপস্থিত হয় ৷
সারকথা এই যে, পুৎমৈথুন হলো মহা অনাচাৱ ও জঘন্যতম পাপাচার ৷ পুর্ববর্তী আরবাদ্যা
মাঝে এর কোন পরিচয়, প্রচলন ছিল না ৷ যেমন, একাধিক নির্ভরযোগ্য আরব ঐতিহাসিক তা
উল্লেখ করেছেন ৷ এ কারণেই ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক বলেছেন, যদি না আল্লাহ তা আলা
আমাদেরকে লুত আলায়হিস সালামের সম্প্রদায়ের কাহিনী বর্ণনা করতেন, তাহলে আমি ধারণা
করতে পারতাম না যে, কোন পুরুষ অন্য পুরুষে উপগত হতে পারে ৷ হযরত ইবন আব্বাস
(রা) বর্ণিত হাদীসে আছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
হু; হুাদ্বু£৬ন্থ, ৷ , ৰুা৬ান্দ্বু ৷ ৷,৬,ণ্ ৬টু’৷ ণ্ট্রু,’ও ড্রু’৬’৬ র্টুপু£ট্রঠু হুটু’৬’:ংাপুর্মু , ;,ন্,
“তোমরা যাদেরকে লুত সম্প্রদায়ের কমে লিপ্ত দেখবে তাদের কর্তা’ ও কৃত’ উভয়কে
হত্যা করবে ৷” সুনান সৎকলকগণ হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন এবং ইবন হিবৃবান ও
অন্যরা তাকে বিশুদ্ধ আখ্যা দিয়েছেন ৷ পুৎমৈথুনকারীকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়ইি ওয়া
সাল্লাম তিনবার অভিশাপ করেছেন ৷ আর এই পাপ ছাড়া অন্য কোন পাপকাজে তিনি তিনবার
অভিশাপ করেননি ৷ উপরন্তু, এ ক্ষেত্রে তিনি কর্তা’ ও কৃত’ উভয়কে হত্যা করার নির্দেশ ,
كُلِّ ثَلَاثٍ. وَقِيلَ: فِي كُلِّ سَبْعٍ. قَالَ: وَكَانَ يَقْرَأُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ سَبْعَ عَشْرَةَ خَتْمَةً. قَالَ إِبْرَاهِيمُ، رَحِمَهُ اللَّهُ: الْوَلِيدُ! وَأَيْنَ مِثْلُهُ؟ بَنَى مَسْجِدَ دِمَشْقَ وَكَانَ يُعْطِينِي قِصَاعَ الْفِضَّةِ، فَأُقَسِّمُهَا عَلَى قُرَّاءِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ.
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ بِإِسْنَادٍ رِجَالُهُ كُلُّهُمْ ثِقَاتٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: خَرَجَ الْوَلِيدُ يَوْمًا مِنَ الْبَابِ الْأَصْغَرِ، فَرَأَى رَجُلًا عِنْدَ الْمِئْذَنَةِ الشَّرْقِيَّةِ يَأْكُلُ شَيْئًا، فَأَتَاهُ فَوَقَفَ عَلَيْهِ فَإِذَا هُوَ يَأْكُلُ خُبْزًا وَتُرَابًا، فَقَالَ لَهُ: مَا حَمَلَكَ عَلَى هَذَا؟ قَالَ: الْقُنُوعُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَذَهَبَ إِلَى مَجْلِسِهِ، ثُمَّ اسْتَدْعَى بِهِ، فَقَالَ: إِنْ لَكَ لَشَأْنًا، فَأَخْبِرْنِي بِهِ وَإِلَّا ضَرَبْتُ الَّذِي فِيهِ عَيْنَاكَ. فَقَالَ: نَعَمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، كُنْتُ رَجُلًا جَمَّالًا، فَبَيْنَمَا أَنَا أَسِيرُ مِنْ مَرْجِ الصُّفَّرِ قَاصِدًا إِلَى الْكُسْوَةِ إِذْ زَرَتَنِي الْبَوْلُ، فَعَدَلْتُ إِلَى خَرِبَةٍ لِأَبُولَ، فَإِذَا سَرَبٌ فَحَفَرْتُهُ فَإِذَا مَالٌ صَبِيبٌ، فَمَلَأْتُ مِنْهُ غَرَائِرِي، ثُمَّ انْطَلَقْتُ أَقُودُ بِرَوَاحِلِي، وَإِذَا بِمِخْلَاةٍ مَعِي فِيهَا طَعَامٌ فَأَلْقَيْتُهُ مِنْهَا، وَقُلْتُ: إِنِّي سَآتِي الْكُسْوَةَ، وَرَجَعْتُ إِلَى الْخَرِبَةِ، لِأَمْلَأَ تِلْكَ الْمِخْلَاةَ مِنْ ذَلِكَ الْمَالِ، فَلَمْ أَهْتَدِ إِلَى الْمَكَانِ بَعْدَ الْجَهْدِ فِي الطَّلَبِ، فَلَمَّا أَيِسْتُ رَجَعْتُ إِلَى الرَّوَاحِلِ فَلَمْ أَجِدْهَا وَلَمْ أَجِدِ الطَّعَامَ، فَآلَيْتُ عَلَى نَفْسِي أَنِّي لَا آكُلُ إِلَّا خُبْزًا وَتُرَابًا. قَالَ: فَهَلْ لَكَ عِيَالٌ؟ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৭৪৯৬
দিয়েছেন ৷ কারণ, তাদের স্বভাব ও রুচি-বিকৃতি এবং অভ্যন্তরীণ পৈশাচিকতার কারণে
মানবসমাজে তাদের থাকার কোন অধিকার নেই ৷ আর যে এ জাতীয় বিকৃত যৌনাচারের স্তরে
পৌছে গেছে তার বেচে থাকার মাঝে র্কারও ণ্কান কল্যাণ নেই ৷ বরং আল্লাহ পাক যখন
সকলকে তাদের থেকে নিষ্কৃতি ও স্বস্তি দিবেন, তখন সকলের জীবিকা ও ধার্মিকতার বিষয়টি
সংশোধিত হবে ৷ এছাড়া লা নত বা অভিশাপ হলো বিতাড়ন ও বিদুরণ ৷ আর যে মহান আল্লাহ
হতে, তার রাসুল (সা) হতে, তার নাযিলকৃত কিতাব হতে এবং তার সৎ বান্দাদের নিকট হতে
বিদুরিত ও বিতাড়িত, তার মাঝে ও তার নৈকটো ও সাহচর্যে কোন কল্যাণ নেই ৷ আর
আল্লাহ্পাক যাকে সন্ধানী দৃষ্টি ও দুরদশিতাি এবং আলোকিত বিবেক ও বিচক্ষণতা দান
করেছেন, সে মানুষের অবয়ব ও মুখাকৃতি হতে তাদের কর্মের ধারণা লাভ করে ৷ কেননা,
মানুষের মুখাবয়ৰে, চোখে এবং কথায় তাদের কর্মের প্রকার ও প্রকৃতি সুস্পষ্টরুপে প্রকা ৷শিত
হয়ে থাকে ৷ আল্লাহ্ তা আলা এই অপকর্মের উল্লেখ করে, তাকে পর্যবেক্ষণ শক্তিসম্পন্নদের জন্য
নিদর্শন স্বরুপ করেছেন ৷ তিনি বলেন
ণ্
“তারপর সুর্যোদয়েয় সময়ে মহানাদ তাদেরকে আঘাত করল এবং আমি (সেই) জনপদকে
উন্টিয়ে উপর-নীচ করে দিলাম এবং তাদের উপর প্রস্তর-কঙ্কর বর্ষণ করলাম ৷ অবশ্যই এতে
পর্যবেক্ষণ শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য নিদর্শনাদি রয়েছে” (১৫ং : ৭৩ ৭৫) ৷
আল্লাহ্ তা আল৷ আরও ইরশাদ করেন০ :
০০০০০০
এ
যাদের অম্ভরে ব্যাধি আছে তারা কি মনে করে যে, আল্লাহ্ত তাদের বিদ্বেষভ৷ ৷ব প্রকাশ করে
দিবেন না ? আমি ইচ্ছা করলে ণ্তামাকে তাদের পরিচয় দিতাম ৷ ফলে তুমি তাদের লক্ষণ
দেখে তাদেরকে চিনতে পারবে, তবে তুমি অবশ্যই কথার ভঙ্গিতে তাদেরকে চিনতে পারবে ৷
আল্পাহ্ তোমাদের কর্ম সম্পর্কে অবগত ৷ আমি অবশ্যই তােমাদেরকে পরীক্ষা করব যতক্ষণ না
আমি জেনে নিব তোমাদের মধ্যে জিহাদকারী ও ধৈর্যশীলদেরক্তক এবং আমি তোমাদের
ব্যাপারে পরীক্ষা করি” (৪ ৭ ২৯৩১) ৷
এ ছাড়া এ সম্পকিতি আয়াত ও হাদীসসমুহ ৷ আর পুৎমৈথুনকারীর স্বভাব ও রুচি-বিকৃতি
ঘটেছে, ফলে সে পুরুষে উপগত হয়েছে আর আল্পাহ্ তার অম্ভরকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন
এবং তার বিষয়কে বিপরীতমুখী কার দিয়েছেন ৷ পরিণামে তার সংশোধন ও সুমতি সদুর
পরাহত ৷ তবে যে তাওব৷ করে ঈমান এসেছে এবং নৎকর্ম করেছে, তারপর সুপথপ্রাপ্ত হয়েছে
তার কথা স্বতন্ত্র ৷ আর প্রকৃত তাওবাকারীর বৈশিষ্ট্য আল্লাহ্ পাক সুরা তাওবার শেষাৎশে উল্লেখ
করে বল্যেছন টু,র্টু; ;ট্রু৷ ৷ ছু,টু’;ার্দু;া৷ অর্থাৎ তাওবাকারী হলো ইবাদতকারিগণ ৷ কাজেই
তাওবাকারী বা পাপকর্মের জন্য অনুতপ্ত ব্যক্তিকে ইবাদত-বন্দেগী এবং আখিরাতের উদ্দেশ্যে-
আমলের জন্য তৎপর হতে হবে ৷ অন্যথায় নফস বা মানবচিত্ত হলো অস্থির ও নিতানতৃন
نَعَمْ. فَفَرَضَ لَهُ فِي بَيْتِ الْمَالِ.
قَالَ ابْنُ جَابِرٍ: وَبَلَغَنَا أَنَّ تِلْكَ الرَّوَاحِلَ سَارَتْ حَتَّى أَتَتْ بَيْتَ الْمَالِ، فَتَسَلَّمَهَا خَازِنُهُ فَوَضَعَهَا فِي بَيْتِ الْمَالِ.
وَقَالَ نُمَيْرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ السَّمْعَانِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ: لَوْلَا أَنَّ اللَّهَ ذَكَرَ قَوْمَ لُوطٍ فِي الْقُرْآنِ مَا ظَنَنْتُ أَنَّ أَحَدًا يَفْعَلُ هَذَا.
قَالُوا: وَكَانَ الْوَلِيدُ لَحَّانًا. كَمَا جَاءَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّ الْوَلِيدَ خَطَبَ يَوْمًا، فَقَرَأَ فِي خُطْبَتِهِ: {يَا لَيْتَهَا كَانَتِ الْقَاضِيَةَ} [الحاقة: 27] فَضَمَّ التَّاءَ مِنْ لَيْتَهَا فَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَا لَيْتَهَا كَانَتْ عَلَيْكَ وَأَرَاحَنَا اللَّهُ مِنْكَ. وَكَانَ يَقُولُ: يَا أَهْلُ الْمَدِينَةِ.
وَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ يَوْمًا لِرَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ: إِنَّكَ لَرَجُلٌ لَوْلَا أَنَّكَ تَلْحَنُ. فَقَالَ: وَهَذَا ابْنُكَ الْوَلِيدُ يَلْحَنُ. فَقَالَ: لَكِنَّ ابْنِي سُلَيْمَانَ لَا يَلْحَنُ. فَقَالَ الرَّجُلُ: وَأَخِي أَبُو فُلَانٍ لَا يَلْحَنُ.
পৃষ্ঠা - ৭৪৯৭
অভিপ্রায় প্রবণ তুমি যদি তাকে ন্যায় ও সত্যে ব্যস্ত না রাখ, তাহলে সে তোমাকে অসত্য ও
অন্যায়ে লিপ্ত করবে ৷ কাজেই, তাওবাকারীকে অবশ্যই তার যে সকল সময় নাফরমানীতে
অতিবাহিত হয়েছে তা পরিবর্তন করে আনুগত্যে ব্যয় করতে হবে ৷ এবং তাতে যে অবহেলা ও
শিথিলতা হয়েছে তার ক্ষতিপুরণ করতে হবে ৷ এবং পুর্বেকার অন্যায় ও পাপের পথের
পদক্ষেপসমুহকে ন্যায় ও কল্যাণের পথের পদক্ষেগে পরিণত করতে হবে ৷ উপরভু, নিজের
প্রতিটি মুহুর্ত, প্রতিটি পদক্ষেপ প্রতিটি উচ্চারণ এবং প্রতিটি ভাবনা ও কল্পনড়াকে পাপ ও
অন্যায় হতে রক্ষা করতে হবে ৷ একবার এক ব্যক্তি জুনায়দ (রহ)-কে বলল, আমাকে
উপদেশ প্রদান করুন ৷ তিনি বললেন, এমনভাবে তাওবাহ্ করবে যেন পুনরায় গোনাহের কোন
ইচ্ছা বাকী না থাকে, এমন আল্লাহ্ভীতি অবলম্বন করবে যা অহংবােধ বা সম্মানবোধ দুর করে
দেয়, মহান আল্লাহর প্রতি এমন আশা পোষণ করবে যা তোমাকে কল্যাণের বিভিন্ন পথে চলতে
সদা তটস্থ করে রাখে এবং অতরের চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রে “মহান আল্লাহ তোমাকে পর্যবেক্ষণ
করছেন এই বিশ্বাস বজায় রাখবে ৷ কাজেই এগুলি হলো তাওবাকারীর বৈশিষ্ট্য ৷ তারপর
আল্লাহ্ তা আলা ইরশাদ করেন ং
অর্থাৎ আল্লাহর প্রশংসাকারী সিয়াম
পালনকারীরুকু ও সিজদীকারী ৷ কাতেইি, দেখা যাচ্ছে আল্লাহ তাআলার ভাষ্য মতে এগুলো
তাওবাকারীর বৈশিষ্ট্য ৷ যেমন আল্লাহ তাটআলা যখন বললেন, ,টুৰু ওর্চু৷ অর্থাৎ তাওবাকারী
তখন যেন কেউ প্রশ্ন করল, কারা তারা ? তখন বলা হলো, তার৷ হলো ইবাদতকারী, সিয়াম
পালনকারী আঘাতের শেষ পর্যন্ত ৷ অন্যথায় তাওৰা করার পর তাওবাকারী যদি মহান আল্লাহর
নৈকাট্যর মাধ্যম গ্রহণ ও অবলম্বন না করে, তাহলে সে দুরত্বে ও পশ্চড়াতে অবস্থান করবে,
ভৈনকাট্য ও সম্মুখে নয় ৷ যেমন কেউ কেউ আনুগত্য ছেড়ে নিষিদ্ধ নাফরমানীতে লিপ্ত হয়ে মহান
আল্লাহর ব্যাপারে প্রভাবিত হয়ে থাকে ৷ কেননা, আনুগত্য ছেড়ে নাফরমানীতে লিপ্ত হওয়া
কুপ্ৰবৃত্তির বশবর্তী হয়ে হারামে লিপ্ত হওয়ার চোয় গুরুতর ৷ প্রকৃত তওবাকারী সেই ব্যক্তি যে
নিষিদ্ধ বিষয়াদি এড়িয়ে চলে এবং নির্দেশিত বিষয়াদি পালন করে, সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে
ধৈর্যধারণ করে ৷ আর সুউচ্চ ও সুমহান আল্লাহ তাআলাই হলেন একমাত্র সাহায্যকারী ও
তাওফীক দাতা ৷ আর তিনি অম্ভর্যামী ৷ , ,
ঐতিহাসিকগণ বলেন, খলীফা ওয়ালীদ বিশুদ্ধ আরবী বলতে পারতেন না ৷ যেমন,
একাধিক সুত্রে বণিতি আছে যে, ওয়ালীদ তার খুতবাতে এই আয়াত ;ঠুওাহু ৷ট্রু; ৷ঠু
২ঠু,৯ঠো ! হার আমার মৃত্যুই যদি আমার শেষ হতো ৷ পড়তে গিয়ে ব্যাকর,ণগত ক্তৃ৷ করল
তা হরফক্কক খবরের পরিবর্তে পেশ দিয়ে পড়ল তখন উমর ইবন আবদুল আযীয বললেন,
হার! এই মৃত্যু যদি তোমার ভাগ্যে ঘটত এবং আল্লাহ আমাদেরকে তোমার থেকে স্বন্তি
দিতেন! সে পবিত্র মদীনাবাসীকে সম্বোধন করে বলত, ইয়া আহলুল মদীনা ৷ ১ খলীফা আবদুল
মালিক একদিন কুরায়শের এক ব্যক্তিকে বললং তুমি তাে বেশ চৌকস ব্যক্তি,৩ তবে তুমি
অশুদ্ধ আরবী না বললে বেশ হতো ৷ তখন সে বলল, আপনার ছেলে ওয়ালীদ সেও তো অশুদ্ধ
আরবী বলে ৷ তখন আবদুল মালিক বলল, কিন্তু আমার ছেলে সুলায়মান বিশুদ্ধ আরবী বলে ৷
তখন লোকটি বলল, আমার ভইি অমুক সেও বিশুদ্ধ আরবী বলে ৷ ইবন জারীর বলেন, উমর
সুত্রে আলী ইবন মুহাম্মাদ আল-মাদইিনী হতে তিনি বলেন, শামবাসীদের কাছে ওয়ালীদ ইবন
আবদুল মালিক ছিলেন সর্বোত্তম খলীফা ৷ তিনি দা মেশকে বহু মসজিদ নির্মাণ করেছেন, বহু
১ সঠিক হলো ইয়৷ আহ্লাল-মাদীনাহ বলা ৷
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنِي عُمَرُ، ثَنَا عَلِيٌّ يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ الْمَدَائِنِيَّ قَالَ: كَانَ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ عِنْدَ أَهْلِ الشَّامِ أَفْضَلَ خَلَائِفِهِمْ، بَنَى الْمَسَاجِدَ بِدِمَشْقَ، وَوَضَعَ الْمَنَارَ، وَأَعْطَى النَّاسَ وَأَعْطَى الْمَجْذُومِينَ، وَقَالَ لَهُمْ: لَا تَسْأَلُوا النَّاسَ، وَأَعْطَى كُلَّ مُقْعَدٍ خَادِمًا، وَكُلَّ ضَرِيرٍ قَائِدًا، وَفَتَحَ فِي وِلَايَتِهِ فُتُوحَاتٍ كَثِيرَةً عِظَامًا، فَفَتَحَ الْهِنْدَ وَالسِّنْدَ وَالْأَنْدَلُسَ، وَغَيْرَ ذَلِكَ. قَالَ: وَكَانَ مَعَ هَذَا يَمُرُّ بِالْبَقَّالِ فَيَأْخُذُ حُزْمَةَ الْبَقْلِ بِيَدِهِ، وَيَقُولُ: بِكَمْ تَبِيعُ هَذِهِ؟ فَيَقُولُ: بِفَلْسٍ. فَيَقُولُ: زِدْ فِيهَا فَإِنَّكَ تَرْبَحُ.
وَذَكَرُوا أَنَّهُ كَانَ يَبَرُّ حَمَلَةَ الْقُرْآنِ وَيُكْرِمُهُمْ، وَيَقْضِي عَنْهُمْ دُيُونَهُمْ.
قَالُوا: وَكَانَتْ هِمَّةُ الْوَلِيدِ فِي الْبِنَاءِ وَكَانَ النَّاسُ كَذَلِكَ; يَلْقَى الرَّجُلُ الرَّجُلَ، فَيَقُولُ: مَاذَا بَنَيْتَ؟ مَاذَا عَمَرْتَ؟ وَكَانَتْ هِمَّةُ أَخِيهِ سُلَيْمَانَ فِي النِّسَاءِ، فَكَانَ النَّاسُ كَذَلِكَ; يَلْقَى الرَّجُلُ الرَّجُلَ، فَيَقُولُ: كَمْ تَزَوَّجْتَ؟ مَاذَا عِنْدَكَ مِنَ السَّرَارِيِّ؟ وَكَانَتْ هِمَّةُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ، وَالصَّلَاةِ وَالْعِبَادَةِ، فَكَانَ النَّاسُ كَذَلِكَ; يَلْقَى الرَّجُلُ الرَّجُلَ فَيَقُولُ: كَمْ وِرْدُكَ؟ كَمْ تَقْرَأُ كُلَّ يَوْمٍ؟ مَاذَا صَلَّيْتَ الْبَارِحَةَ؟ .
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: كَانَ الْوَلِيدُ جَبَّارًا ذَا سَطْوَةٍ شَدِيدَةٍ لَا يَتَوَقَّفُ إِذَا غَضِبَ،
পৃষ্ঠা - ৭৪৯৮
মিনার স্থাপন করেছেন, সাধারণ লোক এবং কুষ্ঠরোগীদের উদার হ৫স্ত দান করেছেন,
জ্যাসাধারণকে বলেছেন, তোমরা লোকদের কাছে প্রার্থনা করো না ৷ এ ছাড়া তিনি প্রত্যেক
প্ৰতিবন্ধীকে একজন সেবক এবং প্রত্যেক অন্ধকে একজন পথপ্রদর্শক দান করেছেন ৷ তার
খিলাফতকালে তিনি বহু বিশাল বিজয়ের অধিকারী হয়েছেন ৷ ৫রাম আক্রমণের প্রতিটি
অভিযানকালে তিনি তার ছেলেদের পাঠাতেন ৷ তার আমলে তিনি ভারত, সিন্ধু, স্পেন এবং
পারস্য দেশের বহু অঞ্চলে বিজয় অর্জন করেন ৷ এমনকি তার প্রেরিত সেনাবাহিনী চীন ও
অন্যান্য ৫দশেও প্রবেশ করে ৷ আলী আল-মড়াদইিনী বলেন, এসব সত্বেও তিনি সবজি বিক্রেতার
কাছে যেতেন এবং সবৃজিং৷ আটি হাতে ধরে বলতেন, এটা তুমি কত দিয়ে বিক্রি করবে ৷ তখন
সে বলত, এক পয়সায় ৷ এরপর তিনি বলতেন, তার মুল্য বাড়িয়ে বলো, তাহলে তুমি লাভবান
হবে ৷ ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন, হাফি৫য কুরআনগণের সমাদর ও সম্মান করতেন এবং
তাদের পক্ষে,তাদের ঋণসমুহ পরিশোধ করতেন ৷ ঐতিহাসিকগণ আরও বলেন, খলী ফা
ওয়ালীদের চিন্তা-ভাবনা আবর্তিত হতো ভবন ইত্যাদি নির্মাণ নিয়ে ৷ আর তার প্রজারাও ছিল
তেমন ৷ একজনের সাথে অন্যজনের সাক্ষাৎ হলে সে তাকে জিজ্ঞাসা করত, তুমি কী নির্মাণ
করেছে৷ ? তুমি কী গড়েছো? আর তার ভাই সুলায়মানের চিম্ভা-ভাবনা ছিল রমণীকেদ্রিক ৷
ফলে তার আমলে প্রজাদের অবন্থাও ছিল তদ্র্যপ ৷ কারও সাথে কারও সাক্ষাৎ হলে সে তাকে
জিজ্ঞাসা করত, তুমি কতজন রমণী বিবাহ করেছে৷ ? তোমার কাছে কতজন দাসী-বীদী রয়েছে
? আর হযরত উমর ইবন আবদুল আযীযের চিম্ভা-ভাবনা ছিল কুরআন তিলাওয়াত এবং
সালাত ও ইবাদত-বন্দেপী নিয়ে ৷ আর ৫স সময় প্রজাদের অবস্থাও তেমন ছিল ৷ একজনের
সাথে অন্যজনের সাক্ষাৎ হলে সে তাকে জিজ্ঞাসা করত, তোমার দৈনিক ওযীফা কী পরিমাণ ?
প্রতিদিন তুমি কতটুকু তিলাওয়াত কর ? গতরা৫ত তুমি কত রাকআত নামায পড়েছো ?
বলা হয় যে প্রজারা রাজার অনুসারী, অনুবর্তী হয়ে থাকে ৷ রাজা যদি মদ্যপ হয়, তাহলে
মদের প্রসার ঘটে, সে যদি পুং মৈথুনকারী হয়, তাহলে প্রজারাও তার অনুসারী হয় ৷ সে যদি
কৃপণ ও ৫লাভী হয়ে থাকে, তাহলে প্রজারাও অরুপ, সে যদি লোভী, অত্যাচারী ও নিপীড়ক হয়
তাহলে প্রজারা অরুপ, আর সে যদি ধার্মিক, আল্লাহ্ভীরু, সদাচারী ও অনুগ্রহ্শীল হয়, তাহলে
তার প্রজারাও অরুপ হয় ৷ আর এটা বহু যুগের এক যুগে এবং বহুজনের একজনের ক্ষেত্রে হয়ে
থাকে ৷ আর আল্লাহই সর্বাধিক অবগত ৷
ওয়াকিদী বলেন, খলীফা ওয়ালীদ ছিলেন পরা ক্রমের অধিকারী প্রতাপনালী শাসক ৷ ক্রুদ্ধ
হলে অপ্ৰতিহত, নাছোড় স্বভাবের একরেথো এবং অধিক আহার ও রমণকার্যে অভ্যস্ত এবং
তালাক প্রদানে সিদ্ধহস্ত ৷ বলা হয় অগণিত দাসী-র্বীদী ব্যতীত তিনি (৬৩) ৫তষট্টিজন নারীকে
বিবাহ করেন ৷ অবশ্য আল-বিদায়ার গ্রন্থকার বলেন, যে হলো ফাসিক শাসক ওয়ালীদ ইবন
যায়িদ, জামি দামেশকের নির্মাতা ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক নয় ৷ আর আল্লাহ সর্বাধিক
জানেন ৷
গ্রন্থকার আরও বলেন, খলীফা ওয়ালীদ জামি দামেশক নির্মাণ করেন আমাদের
পুর্বোল্লিখিত ধরণে’ , তৎকালীন পৃথিবীতে তার কোন তুলনা ছিল না ৷ এছাড়া তিনি বায়তুল
মাকদিসের সাখরা নির্মাণ করে তার উপর গম্বুজ গড়ে তোলেন এবং মসজিদে নববীকে
পুনর্নির্মাণ করে এত সম্প্রসারিত করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামও তার
সাথীদ্বয়ের কবর সম্বলিত হুজরাখানি মসজিদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় ৷ এছাড়াও তার আরও বহু
সুকীর্তি রয়েছে ৷ আর তার ওফাত সংঘটিত হয় এ বছরের জুমাদাল উখরা মাসের পনের ৰু
لَجُوجًا، كَثِيرَ الْأَكْلِ وَالْجِمَاعِ، مِطْلَاقًا، يُقَالُ: إِنَّهُ تَزَوَّجَ ثَلَاثًا وَسِتِّينَ امْرَأَةً غَيْرَ الْإِمَاءِ.
قُلْتُ: وَقَدْ يُرَادُ بِهَذَا الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ الْفَاسِقُ لَا الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بَانِي الْجَامِعِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قُلْتُ: بَنَى الْوَلِيدُ الْجَامِعَ عَلَى الْوَجْهِ الَّذِي ذَكَرْنَا، فَلَمْ يَكُنْ لَهُ فِي الدُّنْيَا نَظِيرٌ، وَبَنَى صَخْرَةَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ عَقَدَ عَلَيْهَا الْقُبَّةَ، وَبَنَى مَسْجِدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَوَسَّعَهُ، حَتَّى دَخَلَتِ الْحُجْرَةُ الَّتِي فِيهَا الْقَبْرُ فِيهِ، وَلَهُ آثَارٌ حِسَانٌ كَثِيرَةٌ جِدًّا، ثُمَّ كَانَتْ وَفَاتُهُ فِي يَوْمِ السَّبْتِ لِلنِّصْفِ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَهَذَا قَوْلُ جَمِيعِ أَهْلِ السِّيَرِ. وَقَالَ عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْفَلَّاسُ وَجَمَاعَةٌ: كَانَتْ وَفَاتُهُ يَوْمَ السَّبْتِ لِلنِّصْفِ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ سِتٍّ - وَقِيلَ: ثَلَاثٍ، وَقِيلَ: تِسْعٍ، وَقِيلَ: أَرْبَعٍ - وَأَرْبَعِينَ سَنَةً.
وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِدَيْرِ مُرَّانَ، فَحُمِلَ عَلَى أَعْنَاقِ الرِّجَالِ حَتَّى دُفِنَ بِمَقَابِرِ بَابِ الصَّغِيرِ، وَقِيلَ: بِمَقَابِرِ بَابِ الْفَرَادِيسِ. حَكَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ.
وَكَانَ الَّذِي صَلَّى عَلَيْهِ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ; لِأَنَّ أَخَاهُ سُلَيْمَانَ كَانَ بِالْقُدْسِ الشَّرِيفِ، وَقِيلَ: صَلَّى عَلَيْهِ ابْنُهُ عَبْدُ الْعَزِيزِ، وَقِيلَ: بَلْ صَلَّى عَلَيْهِ أَخُوهُ سُلَيْمَانُ. وَالصَّحِيحُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৪৯৯
তারিখ শনিবার ৷ ইবন জারীর বলেন, সকল জীবন-চরিত সংকলক এ ব্যাপারে একমত ৷ তবে
উমর ইবন আলী আল-ফালুলাস এবং একদল ঐতিহাসিক বলেন, তার ওফাত সংঘটিত হয় এ
বছরের রবীউল আওয়াল মাসের পনের তারিখ শনিবার ছিচল্লিশ কিৎবা তেতাল্লিশ কিৎবা
উঃপঞ্চাশ কিৎবা চুয়াল্লিশ বছর বয়সে ৷ তার ওফাত হয় দায়রে মারান নামক স্থানে ৷ এরপর
লোকদের র্কাধে তার শবদেহ বহন করা হয় এবং তাকে বাবুস সাগীর নামক সমাধিতে সমাধিস্থ
করা হয় ৷ কারও কারও মতে তাকে সমাহিত করা হয় বাবুল ফারাদীস নামক সমাধিক্ষেত্রে ৷
ইবন আসাকির তা বর্ণনা করেছেন ৷ আর তার জানাযার নামায পড়ান উমর ইবন আবদুল
আযীয কেননা, তার ভইি সুলায়মান তখন আলকুদ্সৃ শরীফে অবস্থান করছিল ৷ কারও মতে
তার জানাযার নামায পড়ান তার ছেলে আবদুল আযীয কারও মতে তার জানাযার নামায
পড়ান তার ভাই সুলায়মান ৷ তবে সঠিক হল উমর ইবন আবদুল আযীয ৷ আর আল্লাহ্ সৰ্বাধিক
জানেন ৷ আর তিনিই তাকে কবরে নানান এবং নামানাের সময় তিনি বলেন, তাকে কোন
শয্য৷ ও বালিশ ছাড়াই আমরা কবরে নামাচ্ছি ৷ আর তুমি তোমার প্রিয় অর্জন’ পশ্চাতে রেখে
এসেছ, প্রিয়জ্যা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছ, মাটিতে বসবাস শুরু করেছ এবং হিসাবের
মুখোমুখি হয়েছ ৷ আর এখন তুমি তোমার পুর্বে প্রেরিত লেক আমলের মুখাপেক্ষী এবং
পরিত্যক্ত ধনসম্প দের অমুখাপেক্ষী ৷ একাধিক সুত্রে হযরত উমর ইবন আবদুল আযীয হতে
বর্ণিত যে, তিনি যখন ওয়ালীদকে তার কবরে শুইয়ে দিলেন, তখন সে তার কাফনের মাঝে
নড়ে উঠল এবং তার পা দুটি (ভাজ করে) গলা বরাবর গুটিয়ে আনল ৷ প্রসিদ্ধ বর্ণনা অনুযায়ী
তার খিলাফতকাল ছিল নয় বছর আট মাস ৷ আর আল্লাহ্ সর্বাধিক জানেন ৷
আল-মাদাইনী বলেন, খলীফা ওয়ালীদের উনিশজন ছেলে সন্তান ছিল ৷ তারা আবদুল
আযীয, মুহাম্মদ, আব্বাস, ইব্রাহীম, তামৃমাম, খালিদ, আবদুর রহমান, মুবাশৃশির, মাসরুর
আবু উবায়দাহ্, সাদকা, মানসুর, মারওয়ান, আনবাসা, উমর, রুহ, বিশর, ইয়াযীদ,
ইয়াহ্ইয়া ৷ এদের মধ্যে আবদুল আযীয ও মুহাম্মদের মা হ্লেন তার পিতৃব্য আবদুল আযীয
ইবন মারওয়ানের কন্যা উম্মুল বা নীন, আর আবু উবায়দার মা হলেন ফাষারিয়া ৷ এছাড়া তার
অন্য সকল ছেলেরা হলেন বিজ্যি দাসীর গর্ভজাত ৷ আল-মাদাইনী বলেন, তার মৃত্যুতে করি
জারীর শোক গাখায় আবৃত্তি করেছিলং
হে আমার চক্ষু, অশ্রুবর্ষণে উদার হও, প্রিয়জনের স্মরণ যাকে উত্বেলিত করেছে, আজকের
পর আর তোমার অশ্রু সঞ্চিত রাখা নিম্প্রয়ােজন ৷
০ × :
খলীফার বদান্য স্বভাবকে আবৃত করেছে এমন ধুসর-সমাধি যার পার্শ্বদেশে বক্রতা রয়েছে ৷
মহা ৰিপর্যয়গ্রস্ত তার ছেলেদের অবস্থা হয়েছে ঐষ্তারকাপুঞ্জেব্র ন্যায় যাদের মধ্য হতে চন্দ্র
-খসে পড়েছে ৷-
তারা সকলেই ছিল ৰিন্তু আবদুল আযীয, রুহ কিহ্বা উমর কেউই তার মৃত্যু বোধ করতে
পারল না ৷
وَهُوَ الَّذِي أَنْزَلَهُ إِلَى قَبْرِهِ، وَقَالَ حِينَ أَنْزَلَهُ: لَتَنْزِلَنَّهُ غَيْرَ مُوَسَّدٍ وَلَا مُمَهَّدٍ، قَدْ خَلَّفْتَ الْأَسْبَابَ، وَفَارَقْتَ الْأَحْبَابَ، وَسَكَنْتَ التُّرَابَ، وَوَاجَهْتَ الْحِسَابَ، فَقِيرًا إِلَى مَا تُقْدِمُ عَلَيْهِ، غَنِيًّا عَمَّا تُخَلِّفُ.
وَجَاءَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَنَّهُ أَخْبَرَ أَنَّهُ لَمَّا وَضَعَ الْوَلِيدَ فِي لَحْدِهِ ارْتَكَضَ فِي أَكْفَانِهِ، وَجُمِعَتْ رِجْلَاهُ إِلَى عُنُقِهِ.
وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ تِسْعَ سِنِينَ وَثَمَانِيَةَ أَشْهُرٍ عَلَى الْمَشْهُورِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ الْمَدَائِنِيُّ: وَكَانَ لَهُ مِنَ الْوَلَدِ تِسْعَةَ عَشَرَ وَلَدًا ذَكَرًا; وَهُمْ عَبْدُ الْعَزِيزِ، وَمُحَمَّدٌ، وَالْعَبَّاسُ، وَإِبْرَاهِيمُ، وَتَمَّامٌ، وَخَالِدٌ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَمُبَشِّرٌ، وَمَسْرُورٌ، وَأَبُو عُبَيْدَةَ، وَصَدَقَةُ، وَمَنْصُورٌ، وَمَرْوَانُ، وَعَنْبَسَةُ، وَعُمَرُ، وَرَوْحٌ، وَبِشْرٌ، وَيَزِيدُ، وَيَحْيَى، فَأُمُّ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَمُحَمَّدٍ; أُمُّ الْبَنِينَ بِنْتُ عَمِّهِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مَرْوَانَ، وَأُمُّ أَبِي عُبَيْدَةَ فَزَارِيَّةٌ، وَسَائِرُهُمْ مِنْ أُمَّهَاتِ أَوْلَادٍ شَتَّى.
قَالَ الْمَدَائِنِيُّ: وَقَدْ رَثَاهُ جَرِيرٌ فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৭৫০০
يَا عَيْنُ جُودِي بِدَمْعٍ هَاجَهُ الذِّكَرُ ... فَمَا لِدَمْعِكِ بَعْدَ الْيَوْمِ مُدَّخَرُ
إِنَّ الْخَلِيفَةَ قَدْ وَارَتْ شَمَائِلَهُ ... غَبْرَاءُ مُلْحَدَةٌ فِي جَوْلِهَا زَوَرُ
أَضْحَى بَنُوهُ وَقَدْ جَلَّتْ مُصِيبَتُهُمْ ... مِثْلَ النُّجُومِ هَوَى مِنْ بَيْنِهَا الْقَمَرُ
كَانُوا جَمِيعًا فَلَمْ يَدْفَعْ مَنِيَّتَهُ ... عَبْدُ الْعَزِيزِ وَلَا رَوْحٌ وَلَا عُمْرَ
[وَمِمَّنْ هَلَكَ أَيَّامَ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ]
زِيَادُ بْنُ جَارِيَةَ التَّمِيمِيُّ الدِّمَشْقِيُّ
كَانَتْ دَارُهُ غَرْبِيَّ قَصْرِ الثَّقَفِيِّينَ. رَوَى عَنْ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ الْفِهْرِيِّ فِي النَّهْيِ عَنِ الْمَسْأَلَةِ لِمَنْ لَهُ مَا يُغَدِّيهِ وَيُعَشِّيهِ، وَفِي النَّفْلِ. وَمِنْهُمْ مَنْ زَعَمَ أَنَّ لَهُ صُحْبَةً، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ تَابِعِيٌّ. رَوَى عَنْهُ عَطِيَّةُ بْنُ قَيْسٍ، وَمَكْحُولٌ، وَيُونُسُ بْنُ مَيْسَرَةَ بْنِ حَلْبَسٍ، وَمَعَ هَذَا قَالَ فِيهِ أَبُو حَاتِمٍ: شَيْخٌ مَجْهُولٌ. وَوَثَّقَهُ النَّسَائِيُّ وَابْنُ حِبَّانَ.
رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّهُ دَخَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلَى مَسْجِدِ دِمَشْقَ وَقَدْ أُخِّرَتِ الصَّلَاةُ فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا بَعَثَ اللَّهُ نَبِيًّا بَعْدَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَكُمْ بِهَذِهِ الصَّلَاةِ هَذَا الْوَقْتَ. قَالَ: فَأُخِذَ فَأُدْخِلَ الْخَضْرَاءَ فَقُطِعَ رَأْسُهُ، وَذَلِكَ فِي زَمَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ.
পৃষ্ঠা - ৭৫০১
খলীফা ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিকের খিলাফত কালে আরও যারা মৃত্যুবরণ করেছেন
তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন যিয়াদ ইবন হারিছ আত্তামীমী আদ-দিমাশকী ৷ তার বাড়ী ছিল
হাকাকীদেৱ প্রাসাদের পুর্ব পার্শে ৷ তিনি হাবীব ইবন মাসলামা আল ফিহ্রী হতে হাদীস
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তার বিওয়ায়াতকৃত হাদীসের বিষয়বস্তু হলো, যে ব্যক্তির কাছে
সকাল-সন্ধ্য৷ দুই বেলার পর্যাপ্ত আহার রয়েছে তার অন্যের কাছে কিছু চাওয়া নিষেধ এবং
যুদ্ধলবৃধ সম্পদ বা গনীমত বিষয়েও তার রিওয়ায়াত বিদ্যমান ৷ কেউ কেউ দাবী করেছেন যে,
তিনি সাহাবী কিন্তু সঠিক কথা হলো তিনি একজন তাবেঈ ৷ তার থেকে আতিয়াহ্ ইবন
কায়স, মাকহুল এবং ইউনুস ইবন মায়সারাহ্ ইবন হালবাস হাদীস রিওয়ায়াত করােছা ৷ এ
সত্বেও তার ব্যাপারে আবুহাতিম বলেছেন, তিনি অজ্ঞাতপরিচয় শায়খ ৷ তবে ইমাম নসােঈ ও
ইবন হিবৃবান তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন ৷ ইবন আসাকির বর্ণনা করেছেন যে,
জুমুআহ্র কাি দামেশৃকের পাশে মসজ্যিদ প্রবেশ করে তিনি দেখলেন নামায বিলন্বিত হয়েছে ৷
তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কসম ! মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের পর আল্পাহ্
কোন নবী পাঠাননি-যিনি তােমাদেরাক এই জুমুআর নামায এই সময়ে পড়ার নির্দেশ
দিয়েছেন ৷ ইবন আসাকির বলেন, তখন খাযরায় প্রবেশ করিয়ে তার শিরছেদ করা হলো ৷
আর তা হলো ওয়ালীদ ইবন আবদুল ম্ালিফ্তে শাসনামলে ৷
আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন উছমান
তার উপনাম আবু মুহাম্মদ ৷ তিনি ছিলেন পবিত্র মদীনায় কাষী এবং সম্রান্ত, সদাচারী,
বদান্য ও প্রশৎ সাভাজ্জা ৷ আর আল্লাহ অধিক জানেন ৷
সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের খিলাফত
তার ভ্রাতা ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিকের মৃত্যুর দিনই তার অনুকুলে খিলাফতের
বায়আত গৃহীত হয় ৷ আর এটা ছিল ছিয়ানব্বই হিজরীর জুমাদালু উখৃরা মাসের পনের তারিখ
শনিবার ৷ ভইিয়ের মৃত্যুকালে সুলায়মান রামালায় অবস্থানরত ছিল ৷ পিতার ওসিয়ত মুতাবিক
ভইিয়ের মৃত্যুর পর সেই সিৎহাসনের নির্ধারিত উত্তরাধিকারী ছিল ৷
অবশ্য ওয়ালীদ তার মৃত্যুর পুর্বকালে তার ভাই সুলায়মানকে সিৎহাসনের ভাবী
উত্তরাধিকারীয় পদ হতে সরিয়ে পদটি তার ছেলে আবদুল আষীষের জন্য নির্ধারিত করতে
চেয়েছিল ৷ আর তার গভর্নর হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ তাকে এ ব্যাপারে প্রন্থরাচনা ও নির্দেশনা
দিয়েছিল ৷ তদ্র্যপ সেনাপতি কুতায়বা ইবন মুসলিম এবং বিশিষ্ট লোকদের একটি দলও তাকে
একই পরামর্শ দিয়েছিল ৷ কবি জারীর ও অন্যরা এ প্রসঙ্গে কবিতাও রচনা করেছে ৷ কিন্তু
বিষয়টি সুসংহত হওয়ার পুকেহ ওয়ালীদ মৃত্যুবরণ করেন৷ তখন সুলায়মানের অনুকুলে
বায়আত গৃহীত হয় ৷ ফলে কুতায়বা ইবন মুসলিম শঙ্কিত হন এবং সুলায়মানের অনুকুলে
বায়আত না করার সিদ্ধান্ত নেন ৷ তখন সুলায়মান তাকে অপসারণ করে ইয়াযীদ ইবন
মুহাল্লাবকে প্রথমে ইরাক তারপর খােরাসানের গভর্নর প্রশাসক নিযুক্ত করেন ৷ এরপর দশ বছর
পর সে তাকে তার পদে পুনর্বহাল করে এবং হাজ্জাজ ইবন ইউসুফের স্বজন পরিজনকে
শাস্তিদানের জন্য তাকে নির্দেশ প্রদান করেন ৷ আর ইতিপুর্বে হাজ্জাজই ইয়াযীদকে খােরাসানের
পভার পদ হতে অপসারণ করেছিল ৷ এবছরের রমযান মাসের তেইশ তারিখে সুলায়মান পবিত্র
মদীনায় গভর্নরের পদ হতে উছুমান ইবন হায়্যানকে অপসারণ করে ৷ এবং আবু বাকৱ ইবন,
মুহাম্মদ ইবন আমর ইবন হায্মকে তার গভর্ণর নিয়োগ করেন যিনি একজ্যা আলিম ছিলেন ৷
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ
أَبُو مُحَمَّدٍ، كَانَ قَاضِيَ الْمَدِينَةِ وَكَانَ شَرِيفًا، كَثِيرَ الْمَعْرُوفِ، جَوَادًا، مُمَدَّحًا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
[خِلَافَةُ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ]
بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ بَعْدَ مَوْتِ أَخِيهِ الْوَلِيدِ يَوْمَ مَاتَ، وَكَانَ يَوْمَ السَّبْتِ لِلنِّصْفِ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ سَنَةَ سِتٍّ وَتِسْعِينَ، وَكَانَ سُلَيْمَانُ بِالرَّمْلَةِ، وَكَانَ وَلِيُّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ أَخِيهِ عَنْ وَصِيَّةِ أَبِيهِمَا عَبْدِ الْمَلِكِ.
وَقَدْ كَانَ الْوَلِيدُ قَدْ عَزَمَ قَبْلَ مَوْتِهِ عَلَى خَلْعِ أَخِيهِ سُلَيْمَانَ، وَأَنْ يَجْعَلَ وِلَايَةَ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِهِ لِوَلَدِهِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَقَدْ كَانَ الْحَجَّاجُ طَاوَعَهُ عَلَى ذَلِكَ، وَكَذَلِكَ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، وَجَمَاعَةٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ وَقَدْ أَنْشَدَ فِي ذَلِكَ جَرِيرٌ وَغَيْرُهُ مِنَ الشُّعَرَاءِ قَصَائِدَ فَلَمْ يَنْتَظِمْ ذَلِكَ لَهُ حَتَّى مَاتَ، وَانْعَقَدَتِ الْبَيْعَةُ إِلَى سُلَيْمَانَ، فَخَافَهُ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ وَعَزَمَ عَلَى أَنْ لَا يُبَايِعَهُ، فَعَزَلَهُ سُلَيْمَانُ، وَوَلَّى عَلَى إِمْرَةِ الْعِرَاقِ ثُمَّ خُرَاسَانَ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ; فَأَعَادَهُ إِلَى إِمْرَتِهَا بَعْدَ عَشْرِ سِنِينَ، وَأَمَرَهُ بِمُعَاقَبَةِ آلِ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ، وَكَانَ الْحَجَّاجُ هُوَ الَّذِي عَزَلَ يَزِيدَ عَنْ خُرَاسَانَ.
পৃষ্ঠা - ৭৫০২
وَلِسَبْعٍ بَقِينَ مِنْ رَمَضَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ عَزَلَ سُلَيْمَانُ عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ عُثْمَانَ بْنَ حَيَّانَ، وَوَلَّى عَلَيْهَا أَبَا بَكْرِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، وَكَانَ أَحَدَ الْعُلَمَاءِ.
وَقَدْ كَانَ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ حِينَ بَلَغَهُ وِلَايَةُ سُلَيْمَانَ الْخِلَافَةَ كَتَبَ إِلَيْهِ كِتَابًا يُعَزِّيهِ فِي أَخِيهِ، وَيُهَنِّئُهُ بِوِلَايَتِهِ، وَيَذْكُرُ فِيهِ بَلَاءَهُ وَعَنَاءَهُ وَقِتَالَهُ وَهَيْبَتَهُ فِي صُدُورِ الْأَعْدَاءِ، وَمَا فَتَحَ اللَّهُ مِنَ الْبِلَادِ وَالْمُدُنِ وَالْأَقَالِيمِ الْكِبَارِ عَلَى يَدَيْهِ، وَأَنَّهُ لَهُ عَلَى مِثْلِ مَا كَانَ لِلْوَلِيدِ مِنْ قَبْلِهِ مِنَ الطَّاعَةِ وَالنَّصِيحَةِ، إِنْ لَمْ يَعْزِلْهُ عَنْ خُرَاسَانَ وَنَالَ فِي هَذَا الْكِتَابِ مِنْ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ، ثُمَّ كَتَبَ كِتَابًا ثَانِيًا يَذْكُرُ فِيهِ مَا فَعَلَ مِنَ الْقِتَالِ وَالْفُتُوحَاتِ وَهَيْبَتَهُ فِي صُدُورِ الْمُلُوكِ وَالْأَعَاجِمِ، وَيَذُمُّ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ أَيْضًا، وَيُقْسِمُ فِيهِ لَئِنْ عَزَلَهُ وَوَلَّى يَزِيدَ لَيَخْلَعَنَّ سُلَيْمَانَ عَنِ الْخِلَافَةِ، وَكَتَبَ كِتَابًا ثَالِثًا فِيهِ خَلْعُ سُلَيْمَانَ بِالْكُلِّيَّةِ، وَبَعَثَ بِهَا مَعَ الْبَرِيدِ، وَقَالَ لَهُ: ادْفَعْ إِلَيْهِ الْكِتَابَ الْأَوَّلَ فَإِنْ قَرَأَهُ وَدَفَعَهُ إِلَى يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ فَادْفَعْ إِلَيْهِ الثَّانِيَ، فَإِنْ قَرَأَهُ وَدَفَعَهُ إِلَى يَزِيدَ، فَادْفَعْ إِلَيْهِ الثَّالِثَ، فَلَمَّا قَرَأَ سُلَيْمَانُ الْكِتَابَ الْأَوَّلَ وَاتَّفَقَ حُضُورُ يَزِيدَ عِنْدَ سُلَيْمَانَ دَفَعَهُ إِلَى يَزِيدَ، فَقَرَأَهُ، فَنَاوَلَهُ الْبَرِيدُ الْكِتَابَ الثَّانِيَ، فَقَرَأَهُ وَدَفَعَهُ إِلَى يَزِيدَ، فَنَاوَلَهُ الْبَرِيدُ الْكِتَابَ الثَّالِثَ فَقَرَأَهُ فَإِذَا فِيهِ التَّصْرِيحُ بِعَزْلِهِ وَخَلْعِهِ، فَتَغَيَّرَ وَجْهُهُ ثُمَّ خَتَمَهُ وَأَمْسَكَهُ بِيَدِهِ وَلَمْ يَدْفَعْهُ إِلَى يَزِيدَ، وَأَمَرَ بِإِنْزَالِ الْبَرِيدِ فِي دَارِ الضِّيَافَةِ، فَلَمَّا كَانَ مِنَ اللَّيْلِ بَعَثَ إِلَى الْبَرِيدِ فَأَحْضَرَهُ، وَدَفَعَ إِلَيْهِ ذَهَبًا وَكِتَابًا فِيهِ وِلَايَةُ قُتَيْبَةَ عَلَى خُرَاسَانَ، وَأَرْسَلَ مَعَ ذَلِكَ الْبَرِيدِ بَرِيدًا آخَرَ مِنْ جِهَتِهِ لِيُقَرِّرَهُ عَلَيْهَا، فَلَمَّا وَصَلَا بِلَادَ خُرَاسَانَ بَلَغَهُمَا أَنَّ قُتَيْبَةَ قَدْ خَلَعَ الْخَلِيفَةَ،
পৃষ্ঠা - ৭৫০৩
এদিকে কুতায়বা ইবন মুসলিমের কাছে যখন সুলায়মানের খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণের সংবাদ
পৌহ্নিৰ ৷ তখন তিনি তার বরাবর একটি পত্র লিখলেন ৷ এতে তিনি প্রথমে সুলড়ায়মানকে তার
ভ্রাতৃ বিয়ােগে সান্তুনা দিলেন এবং খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণে অভিনন্দন জানালেন ৷ তারপর
তাতে নিজের ত্যাগ তিতিক্ষা সমরকুশলতা, এবং শত্রুদের হৃদয়ে তার ভীতির কথা এবং
আল্লাহ তা আলা তার নেতৃত্বে সে সকল নগর, জনপদ ও দেশে শত্রুদের বিরুদ্ধে বিজয় দান
করেছেন তার কথা উল্লেখ করলেন ৷ এরপর তিনি উল্লেখ করলেন, যদি তিনি থােরাসানের
গভর্নর পদ হতে অপসারিত না হন, তাহলে তার জন্যওত তিনি তার ভইি ওয়ালীকৃদৃয় অনুরুপ
আনুগত্য ও হিতাকাক্ষো পোষণ করবেন ৷ এ পত্রে তিনি ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের সমালোচনা
করলেন ৷ এরপর তিনি দ্বিতীয় একটি পত্র লিখলেন ৷ এতে তিনি তার সমরকুশলতা ও
বিজয়সমুহের কথা এবং শত্রু শাসক ও পারসিকদের অন্তরে তার ভীতির কথা উল্লেখ করলেন ৷
এবং এতেও ইয়াযীদ ইবন যুহাল্লাবের সমালোচনা করলেন ৷ আর তাতে শপথ করে বললেন,
সুলায়মান যদি তাকে অপসারিত করে ইয়াযীদকে নিয়োগ করে তাহলে তিনি সুলায়মানকে
খলীফার পদ থেকে অপসারিত করবেন ৷ এরপর তিনি তৃতীয় একপত্র লিখলেন যাতে তিনি
সম্পুর্ণরুপে সুলায়মানের আনুগত্য প্রত্যাহার করে নিলেন এবং ডাকদুতের মাধ্যমে পত্রগুলাে
প্রেরণ করলেন ৷ আর তিনি দুতকে বলে দিলেন, প্রথমে তুমি প্রথম পত্রঢি তাকে অর্পণ করবে ৷
যদি যে তা পাঠ করে ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবকে অর্পণ করে তাহলে তুমি তাকে দ্বিতীয় পত্রটি
অর্পণ করবে ৷ তারপর যদি যে তা পাঠ করে ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের কাছে অর্পণ করে তবে
তাকে তৃতীয় পত্রটি অর্পণ করবে ৷ পরবর্তীতে সুলায়মান যখন প্রথম পত্রটি পাঠ করল
ঘটনাত্রুমে ইয়াযীদ তখন সুলায়মানের কাছে উপন্থিতজ্জি তখন যে তা ইয়াযীদের কাছে অর্পণ
করল ফলে সেও তা পড়ল ৷ এরপর ভাকদুত তাকে দ্বিতীয় পত্রটি অর্পণ করল, এবং যে তা
পাঠ করে ইয়াযীদের কাছে অর্পণ করল ৷ এরপর ভাকদুত তাকে তৃতীয়পএটি অর্পণ করল ৷
সুলায়মান তখন দেখল সে পত্রে তাকে অপসারণের হুমকি রয়েছে এবং তার কাছে বায়আত
প্রত্যাহার করা হয়েছে, ফলে ক্রোধে তার চেহারা বিবর্ণ হল ৷ তারপর যে তা নিজ হাতে ধরে
রাখল ইয়াযীদের কাছে অর্পণ করল না ৷ তারপর সে ডাকদুতকে শাহী মেহমানখানায়
আপ্যায়নের নির্দেশ প্রদান করল ৷ রা ত্রিকালে ডাকদুতকে ডেকে পাঠিয়ে ভাংকস্বর্ণমুদ্রা
উপচৌকন দিল এবং থােরাসানের গভার পদে কুতায়বার পুনর্বহালের ফরমান সম্বলিত পত্র
অর্পণ করল ৷ আর ঐ ডাকদুতের সাথে তাকে তার পদে বহাল রাখার জন্য আরেকজন ভাকদুত
প্রেরণ করল ৷ তারপর উভয় দুত যখন খে,রােসানে পৌছল তখন তারা জানতে পারল যে,
কুতায়বা খলিফার আনুগত্য প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ৷ তখন সুলায়মানের ভাকদুত তার পত্র
কুতায়বার ডাকদুতের কাছে অর্পণ করল ৷ এরপর সুলায়মানের ভাকদুত ফিরে আসার পুরুৰুইি
তাদের কাছে কুতায়বার নিহত হওয়ার সৎবাদ পৌছল ৷
কুতায়বা ইবন মুসলিমের হত্যকােও
এই হত্যাকাণ্ডের প্টিভুমি হলো সুলায়মান ইবন আবদুল মালিককে খিলাফতের পদ হতে
অপসারণ এবং তার আনুগত্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কুতায়বা ইবন মুসলিম তার অধীনস্থ
ফৌজ ও সৈনিকদের সমবেত করলেন ৷ এরপর তিনি তাদের সামনে তার উ চ্চ মনােবল, বিজয়
ও তাদের ব্যাপারে ন্যায়ইনসাফের কথা এবং তাদেরকে বিপুল অর্থসম্পদ প্রদানের কথা উল্লেখ
করে সকলকে তার আনুগত্যের আহ্বান জানালেন ৷ তার কথা ও বক্তব্য শেষ হলো ৷ বিক্ষ্ম,
কেউ তার আহ্বানে সাড়া দিল না ৷ তখন তিনি তাদেরকে গোত্র গোত্র ও দল দল করে ভর্ভুসনা
فَدَفَعَ بَرِيدُ سُلَيْمَانَ الْكِتَابَ الَّذِي مَعَهُ إِلَى بَرِيدِ قُتَيْبَةَ، ثُمَّ بَلَغَهُمَا مَقْتَلُ قُتَيْبَةَ قَبْلَ أَنْ يَرْجِعَ بَرِيدُ سُلَيْمَانَ.
[ذِكْرُ سَبَبِ مَقْتَلِ قُتَيْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ]
وَذَلِكَ أَنَّهُ جَمَعَ الْجُنْدَ وَالْجُيُوشَ، وَعَزَمَ عَلَى خَلْعِ سُلَيْمَانَ وَتَركِ طَاعَتِهِ، وَذَكَرَ لَهُمْ هِمَّتَهُ وَفُتُوحَهُ وَعَدْلَهُ فِيهِمْ، وَدَفْعَهُ الْأَمْوَالَ الْجَزِيلَةَ إِلَيْهِمْ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ مَقَالَتِهِ، لَمْ يُجِبْهُ أَحَدٌ مِنْهُمْ إِلَى مَقَالَتِهِ، فَشَرَعَ فِي تَأْنِيبِهِمْ وَذَمِّهِمْ، قَبِيلَةً قَبِيلَةً، وَطَائِفَةً طَائِفَةً، فَغَضِبُوا عِنْدَ ذَلِكَ وَنَفَرُوا عَنْهُ وَتَفَرَّقُوا، وَعَمِلُوا عَلَى مُخَالَفَتِهِ وَسَعَوْا فِي قَتْلِهِ، وَكَانَ الْقَائِمُ بِأَعْبَاءِ ذَلِكَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: وَكِيعُ بْنُ أَبِي سُودٍ، فَجَمَعَ جُمُوعًا كَثِيرَةً ثُمَّ نَاهَضَهُ فَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى قَتَلَهُ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَقَتَلَ مَعَهُ أَحَدَ عَشَرَ رَجُلًا مِنْ إِخْوَتِهِ وَأَبْنَاءِ إِخْوَتِهِ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ سِوَى ضِرَارِ بْنِ مُسْلِمٍ وَكَانَتْ أُمُّهُ الْغَرَّاءَ بِنْتَ ضِرَارِ بْنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ مَعْبَدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ زُرَارَةَ، فَحَمَتْهُ أَخْوَالُهُ وَعَمْرُو بْنُ مُسْلِمٍ، وَكَانَ عَامِلَ الْجَوْزَجَانِ. وَقُتِلَ قُتَيْبَةُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ وَعَبْدُ اللَّهِ وَعُبَيْدُ اللَّهِ وَصَالِحٌ وَبَشَّارٌ، وَهَؤُلَاءِ أَبْنَاءُ مُسْلِمٍ، وَأَرْبَعَةٌ مِنْ أَبْنَائِهِمْ فَقَتَلَهُمْ كُلَّهُمْ وَكِيعُ بْنُ سُودٍ.
وَقَدْ كَانَ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حُصَيْنِ بْنِ رَبِيعَةَ أَبُو حَفْصٍ الْبَاهِلِيُّ، مِنْ سَادَاتِ الْأُمَرَاءِ وَخِيَارِهِمْ، وَكَانَ مِنَ الْقَادَةِ النُّجَبَاءِ الْكُبَرَاءِ، وَالشُّجْعَانِ وَذَوِي
পৃষ্ঠা - ৭৫০৪
ও নিন্দা করতে লাগলেন ৷ তখন সকলে ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে ত্যাগ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে চলে গেল
এবং এরপর তার বিরোধিতায় তৎপর হলো এবং তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করতে লাগল ৷ ওয়াকী
ইবন আবুসুদ নামক এক ব্যক্তি তাকে হত্যার যাবভীয়৷ দ ৷য়িতু পালন করল ৷ প্রথমে সে তার
পক্ষে বহু সংখ্যক লোক সমবেত করল ৷ এরপর তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে তাকে হত্যা
করল ৷ এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলো এ বছরের যুল্হাজ্জাহ্ মাসে ৷ এসময় কুতায়বা ইবন
মুসলিমের সাথে তার এগার ছেলে ও ভাতিজা নিহত হয় ৷ তাদের মাঝে একমাত্র যিরার ইবন
মুসলিম জীবিত ছিল ৷ তার যা ছিল গাবৃরা বিনৃত যিরার ইবনুল কা ক’া ইবন মা বদ ইবন সা দ
ইবন যুরারাহ্, তার মাতুলেরা তাকে রক্ষা করে ৷ এছাড়া আমর ইবন মুসলিম সে সময়
জাওঘৃজানের প্রশাসক ছিল ৷ আর কুতায়বার সাথে আবদুর রহমান; আবদৃল্পাহ্, উবায়দুল্পাহ্,
সালিহ্, ইয়াসার নিহত হয় এরা মুসলিমের ছেলে (অর্থাৎ কুতায়বার ভ্রাতা) এবং এদের ছেলে
চারজন নিহত হয়, যাদের প্ৰত্যেককে হত্যা করে ওয়াকী ইবন সুদ ৷
কুতায়বা ইবন মুসলিম ইবন আমর ইবন হাসীন ইবন রাবীআ আবু হাফস আল বাহিলী
সর্বোত্তম ও নেতৃস্থানীয় আমীরদের অন্যতম ৷ উপরন্তু, তিনি ছিলেন গুণী ও খ্যাতিমান বিশিষ্ট
সেনানায়ক, দুঃসাহসী, সমরকুশলী বিজেত৷ এবং দুরদর্শিতাৱ অধিকারী ৷ তার হাতে অগণিত
মানুষ হিদায়াত লাভ করেছিল এবং তারা সকলে ইসলাম গ্রহণ করে মহান আল্পাহ্র আনুগত্য
মেনে নািয়ছিল ৷ এছাড়া তিনি বহু বড় বড় নগর জনপদ ও দেশ ও ভু খণ্ড জয় করেছিলেন ৷ যা
ইভােপুর্বে বিশদ ও সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে ৷ আর মহান আল্লাহ্ নিশ্চয় তার চেষ্ট্য-সাধনা
বংত্যাগ ও জিহাদকে নিম্ফল করবেন না ৷
কিন্তু, তিনি একটি মাত্র পদয়লনের শিকার হলেন, আর তাতেই তার অকাল মৃত্যু হলো ৷
এমন একটি কাজ করলেন যাতে তিনি অপদস্থু হলেন, ইমামের আনুগত্য প্রত্যাহার করে
নিলেন, ফলে মৃত্যু তার দিকে দ্রুত ধাবিত হলো ৷ মুসলমানদের জামাআত হতে বিচ্ছিন্ন হলেন
ফলে জাহিলিয়াতের মৃত্যুর শিকার হলেন ৷ কিন্তু তার আমলনামায় এত পরিমাণ লেক আমল
রয়েছে যা দ্বারা নিশ্চয়’ আল্লাহ্ তার পাপসমুহ মােচন করবেন এবং পুণ্যসমুহ দ্বিগুণ করবেন ৷
আল্লাহ্ তাকে ছাড় দিবেন এবং ক্ষমা করবেন এবং শত্রুর মুকাবিলায় তিনি যা কিছু সহ্য
করেছেন তার থেকে তা কবুল করবেন ৷ তিনি নিহত হন থােরাসানের দুরতম , প্রান্ত
ফারগানাৰুত ৷ এ বছরের যুল্-হাজ্জাহ্ মাসে ৷ তখন তার বয়স ছিল আটচল্লিশ বছর ৷ তার পিতা
ছিলেন আবু সালিহৃ মুসলিম যিনি হযরত মুসআব ইবন যুৰায়রের সাথে নিহত হয়েছিলেন ৷
তিনি দশ বছর থােরাসানের গভর্নর ছিলেন ৷ এ সময়ে তিনি নিজে যেমন প্রভুত কল্যাণ অর্জন
করেছেন, তেমনি প্রজাদের মাঝেও প্রণ্ডু ৩ কল্যাণ বিস্তার করেছেন ৷ করি আবদুর রহমান ইবন
জুমানা আল বাহিনী তার মৃত্যুতে শ্যেকপাথা রচনা করে বলেন :
১দ্বুহ্র
আবুহাফস কুতায়বা যেন কোন দিন কোন ফৌজ নিয়ে ফৌজ অভিমুখে অগ্রসর হননি এবং
কখনও কোনও মিম্বরে আরোহণ করেননি ৷
ষ্ণ্১
যােদ্ধারা তাকে কেন্দ্র করে র্দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় যেন যুদ্ধ ঝাণ্ডাসমুহ আন্দোলিত হয়নি
বংণ্লাকের৷ যেন তার অনুগত কেপিজৌজ্রশুর্চগুদুব্লোন্নিষ্ঠে
الْحُرُوبِ وَالْفُتُوحَاتِ السَّعِيدَةِ، وَالْآرَاءِ الْحَمِيدَةِ، وَقَدْ هَدَى اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ خَلْقًا لَا يُحْصِيهِمْ إِلَّا اللَّهُ، فَأَسْلَمُوا وَدَانُوا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَفَتَحَ مِنَ الْبِلَادِ وَالْأَقَالِيمِ الْكِبَارِ وَالْمُدُنِ الْعِظَامِ شَيْئًا كَثِيرًا، كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ مُفَصَّلًا مُبَيَّنًا، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ لَا يُضِيعُ سَعْيَهُ، وَلَا يُخَيِّبُ تَعَبَهُ وَجِهَادَهُ.
وَلَكِنْ زَلَّ زَلَّةً كَانَ فِيهَا حَتْفُهُ، وَفَعَلَ فَعْلَةً رَغِمَ فِيهَا أَنْفُهُ، وَخَلَعَ الطَّاعَةَ فَبَادَرَتْ إِلَيْهِ الْمَنِيَّةُ، وَفَارَقَ الْجَمَاعَةَ، فَمَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً، لَكِنْ سَبَقَ لَهُ مِنَ الْأَعْمَالِ الصَّالِحَةِ مَا قَدْ يُكَفِّرُ اللَّهُ بِهَا عَنْهُ مِنْ سَيِّئَاتِهِ، وَيَمْحُو بِهَا عَنْهُ مِنْ خَطِيَّاتِهِ، وَاللَّهُ يُسَامِحُهُ وَيَعْفُو عَنْهُ، وَيَتَقَبَّلُ مِنْهُ مَا كَانَ يُكَابِدُهُ مِنْ مُنَاجَزَةِ الْأَعْدَاءِ.
وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِفَرْغَانَةَ مِنْ أَقْصَى بِلَادِ خُرَاسَانَ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ ثَمَانٍ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً، وَكَانَ أَبُوهُ أَبُو صَالِحٍ مِمَّنْ قُتِلَ مَعَ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَكَانَتْ وِلَايَتُهُ عَلَى خُرَاسَانَ عَشْرَ سِنِينَ، وَاسْتَفَادَ وَأَفَادَ فِيهَا خَيْرًا كَثِيرًا، وَقَدْ رَثَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُمَانَةَ الْبَاهِلِيُّ فَقَالَ:
كَأَنَّ أَبَا حَفْصٍ قُتَيْبَةَ لَمْ يَسِرْ ... بِجَيْشٍ إِلَى جَيْشٍ وَلَمْ يَعْلُ مِنْبَرَا
وَلَمْ تَخْفِقِ الرَّايَاتُ وَالْقَوْمُ حَوْلَهُ ... وُقُوفٌ وَلَمْ يَشْهَدْ لَهُ النَّاسُ عَسْكَرَا
دَعَتْهُ الْمَنَايَا فَاسْتَجَابَ لِرَبِّهِ ... وَرَاحَ إِلَى الْجَنَّاتِ عَفًّا مُطَهَّرَا
فَمَا رُزِئَ الْإِسْلَامُ بَعْدَ مُحَمَّدٍ ... بِمَثَلِ أَبِي حَفْصٍ فَبَكِّيهِ عَبْهَرَا
পৃষ্ঠা - ৭৫০৫
াৰুন্াৰুহু
মৃত্যুরা তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকল ৷ তখন তিনি স্বীয় রবৈর আহ্বানে সাড়া দিলেন এবং
পবিত্র ও সচ্চরিত্র অবস্থায় জান্নাতেব দিকে ধাবিত হলেন ৷
’ ¢
আবু হাফসের মৃত্যুতে ইসলামের যে ক্ষতি হয়েছে মুহাম্মদ (সা )-এর মৃত্যুর পর আর
ইসলামের এতবড় ক্ষতি হয়নি ৷ কাজেই আবহার তুমি তার শোকে কাদ ৷
কবিতার শেষ পঙ্ক্তিত্বে কবির অসংযত আবাে:গর প্রকাশ ঘটেছে ৷ আবহার তার ছেলের
নাম ৷ ওয়াকী ইবন সুদের হাতে কুতায়বার নিহত হওয়ার এই ঘটনায় করি তিরিম্মাহ বলেন :
ঞাপুষ্
এক সম্প্রদায় তারা কুতায়ৰ্াকে জোরপুর্বক হত্যা করল আর অশ্বদল ^তখন অবাধ্য ও
ধুলিধুসরিত ৷
এ১ব্রশ্ব
খোরাসাৰ্পুনর চীন সংলগ্ন উর্বর ভুখণ্ডে যেখানে মুযার গোত্র স্পষ্টরুপে আবিষ্কার করল ৷;ক
সবচে শ্রেষ্ঠ ও সম্মানীং :
, ; শ্ শ্
, যখন আতঙ্কে গোটা রাবীআহ্ গোত্র মৈত্রী চুক্তিবদ্ধ হলো আর মু যার ও সাথে
অবস্থানকারীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ৷
ইরাকের আয্দ গোত্র ও মাযহিজ গোত্র মৃত্যুর জন্য অগ্রসর হলো, যারা একই
পিতপুরুষের বংশধর ৷
ণ্ ন্ধ্র !
১এি
এরা বানুর্কাহতান প্রত্যেক অস্ত্রসজ্জিতের মাথার আঘাত করে ৷
১ আবহার দ্বারা উদ্দেশ্য নার্গিস বা ইয়াসমীন কুল ৷
وَلَقَدْ بَالَغَ هَذَا الشَّاعِرُ فِي بَيْتِهِ الْأَخِيرِ، وَعَبْهَرُ أُمُّ وَلَدٍ لَهُ. وَقَالَ الطِّرْمَاحُ فِي هَذِهِ الْوَقْعَةِ الَّتِي قُتِلَ فِيهَا قُتَيْبَةُ عَلَى يَدِ وَكِيعِ بْنِ أَبِي سُودٍ:
لَوْلَا فَوَارِسُ مَذْحِجِ ابْنَةِ مَذْحِجِ ... وَالْأَزْدُ زُعْزِعَ وَاسْتُبِيحَ الْعَسْكَرُ
وَتَقَطَّعَتْ بِهِمُ الْبِلَادُ وَلَمْ يَؤُبْ ... مِنْهُمْ إِلَى أَهْلِ الْعِرَاقِ مُخَبِّرُ
وَاسْتَضْلَعَتْ عُقَدُ الْجَمَاعَةِ وَازْدَرَى ... أَمْرُ الْخَلِيفَةِ وَاسْتُحِلَّ الْمُنْكَرُ
قَوْمٌ هُمُو قَتَلُوا قُتَيْبَةَ عَنْوَةً ... وَالْخَيْلُ جَانِحَةٌ عَلَيْهَا الْعِثْيَرُ
بِالْمَرْجِ مَرْجِ الصِّينِ حَيْثُ تَبَيَّنَتْ ... مُضَرُ الْعِرَاقِ مَنِ الْأَعَزُّ الْأَكْبَرُ
إِذْ حَالَفَتْ جَزَعًا رَبِيعَةُ كُلُّهَا ... وَتَفَرَّقَتْ مُضَرٌ وَمَنْ يَتَمَضَّرُ
وَتَقَدَّمَتْ أَزْدُ الْعِرَاقِ وَمَذْحِجٌ ... لِلْمَوْتِ يَجْمَعُهَا أَبُوهَا الْأَكْبَرُ
قَحْطَانُ تَضْرِبُ رَأْسَ كُلَّ مُدَجَّجٍ ... تَحْمِي بَصَائِرَهُنَّ إِذْ لَا تُبْصِرُ
وَالْأَزْدُ تَعْلَمُ أَنَّ تَحْتَ لِوَائِهَا ... مُلْكًا قُرَاسِيَةً وَمَوْتٌ أَحْمَرُ
فَبِعِزِّنَا نُصِرَ النَّبِيُّ مُحَمَّدٌ ... وَبِنَا تَثَبَّتَ فِي دِمَشْقَ الْمِنْبَرُ
وَقَدْ بَسَطَ ابْنُ جَرِيرٍ هَذِهِ الْقِصَّةَ بَسَطًا كَثِيرًا وَذَكَرَ أَشْعَارًا كَثِيرَةً جِدًّا.
পৃষ্ঠা - ৭৫০৬
শো১া
আয্দ গোত্র আসে তার ঝাণ্ডা তলে রয়েছে বিরটি সাম্রাজ্য এবং লাল মৃত্যু ৷
আমাদের শক্তি ও প্রতাপেই নবী মুহাম্মদ (সা) বিজয় লাভ ক্বেছেন এবং আমাদের
শক্তিতেই দামেশকেৱ সিংহাসন সুস্থির রয়েছে ৷
ইবন জারীর এই কবিতাকে অতি বিশদ্ভাবে উল্লেখ করেক্কছা এবং আরও বহু কবিতা
পঙ্ক্তি উল্লেখ করেছেন ৷ ইবন খাল্লিকান বলেন, করি জারীর কুতায়বা ইবন মুসলিমেৱ
শোকগথাে রচনা করেছেন ৷ মহান আল্লাহ্ কুতায়বাকে রহম বব্রুন, তার সাথে উদার ও মহৎ
আচরণ করুন, তাকে সম্মানিত আশ্রয় দান করুন এবং ক্ষমা করুন ৷
আর্মীর ইবন ঘুসলিমকে হত্যা করে তোমরা অনুতপ্ত হয়েছ আর যখন তোমরা মহান
, অন্মোহুর সম্মুখীন হবে, আর আরও অনুতপ্ত হরে ৷
“ ষ্
:তার নেতৃত্বের যুদ্ধাভিষানে €তামরা পনীমত লাভ করতে কিন্তু আজ তোমরা যে শত্রুর
সাক্ষাৎ পারে তাদের গনীম্তে পরিণত হয়ে ৷
তবে তিনি তো জান্নাতের হ্রদের সান্নিধ্যে পৌছে গেছেন ৷ আর তোমরা অচিরেই
জাহান্নামের্ মহাৰিপদে আবদ্ধ হবে ৷
ইবন খাল্লিকান বলেন, তার ছেলে ও বংশধরদের অনেকে বিভিন্ন নগরের প্রশাসকের
দায়িত্ব লাভ করেন ৷ এদের মধ্যে “উমর ইবন সাঈদ ইবন কুতায়বা ইবন মুসলিম অন্যতম ৷
ইনি ছিলেন বদান্য ও প্রশং সাভাজন ৷ তার মৃত্যু হলে করি আবু আমর আশজা ইবন আমর
আসসুলামী আলু মুররী যিনি বসরার অধিবাসী ছিলেন, তিনি একটি শোকগথো রচনা করেন ৷
তিনি আবৃত্তি কারন :
ইবন সাঈদ মৃত্যুবরণ করেছেন এমন অবস্থায় যে, সকল স্থানে তার প্ৰশংসাকারী
বিদ্যমান ৷
ট্র৩ স্
সমাধি প্রস্তর তাকে অদৃশ্য করার পুর্বে আমি জানতে পারিনি মানুষের প্রতি তার দান ও
অনুগ্রহ কী পরিমাণ ৷
তিনি আজ’ তুগর্ভের এক সংকীর্ণ সমাধিতে শায়িত অথচ তার জীবদ্দশায় বিশাল
জলভাগও ছিল সংকীর্ণ ৷
وَقَالَ الْقَاضِي ابْنُ خَلِّكَانَ: وَقَالَ جَرِيرٌ فِي قُتَيْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ رَحِمَهُ اللَّهُ وَسَامَحَهُ:
نَدِمْتُمْ عَلَى قَتْلِ الْأَغَرِّ ابْنِ مُسْلِمٍ ... وَأَنْتُمْ إِذَا لَاقَيْتُمُ اللَّهَ أَنْدَمُ
لَقَدْ كُنْتُمُ مِنْ غَزْوِهِ فِي غَنِيمَةٍ ... وَأَنْتُمْ لِمَنْ لَاقَيْتُمُ الْيَوْمَ مَغْنَمُ
عَلَى أَنَّهُ أَفْضَى إِلَى حُورِ جَنَّةٍ ... وَتُطْبِقُ بِالْبَلْوَى عَلَيْكُمْ جَهَنَّمُ
قَالَ: وَقَدْ وَلِيَ مِنْ أَوْلَادِهِ وَذُرِّيَّتِهِ جَمَاعَةٌ الْإِمْرَةَ فِي الْبُلْدَانِ، فَمِنْهُمْ عَمْرُو بْنُ سَعِيدِ بْنِ سَلْمِ بْنِ قُتَيْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ، وَكَانَ جَوَادًا مُمَدَّحًا، رَثَاهُ حِينَ مَاتَ أَبُو عَمْرٍو أَشْجَعُ بْنُ عَمْرٍو السُّلَمِيُّ الرِّقِّيُّ نَزِيلُ الْبَصْرَةِ بِقَوْلِهِ:
مَضَى ابْنُ سَعِيدٍ حِينَ لَمْ يَبْقَ مَشْرِقٌ ... وَلَا مَغْرِبٌ إِلَّا لَهُ فِيهِ مَادِحُ
وَمَا كُنْتُ أَدْرِي مَا فَوَاضِلُ كَفِّهِ ... عَلَى النَّاسِ حَتَّى غَيَّبَتْهُ الصَّفَائِحُ
وَأَصْبَحَ فِي لَحْدٍ مِنَ الْأَرْضِ ضَيِّقٍ ... وَكَانَتْ بِهِ حَيًّا تَضِيقُ الصَّحَاصِحُ
سَأُبْكِيكَ مَا فَاضَتْ دُمُوعِي فَإِنْ تَغِضْ ... فَحَسْبُكَ مِنِّي مَا تُجِنُّ الْجَوَانِحُ
পৃষ্ঠা - ৭৫০৭
র্যতোদিন আমার চোখে অশ্রু প্রবাহিত হয়ে ততদিন আমি তোমার শোকে কেদে যাব ৷
আর যদি তা শুকিয়ে যায়, তাহলে আমার ত ন্তোর যে শোক ও বেদনা সুপ্ত আছে, তাই তোমার
জ্যাদ্র যথেষ্ট ৷
’রু প্রুট্টণ্ এে
তোমার মৃত্যুর পর আমি আমার কোন ণ্শাকেই কাতর হব না এবং কোন আনন্দেই
উফ্তে হব না ৷
অবস্থা এমন যেন তুমি ছাড়া অন্য কেউ কোন দিন মৃত্যুবরণ করেনি এবং তুমি ছাড়া অন্য
কারও ণ্শাকে মাতমকারিণীরা বিলাপ করেনি ৷ ণ্
আজ যদি তোমার ব্যাপারে শোকপাথা ও তার উল্লেখ সুন্দর হয়ে থাকে, তাহলে আশ্চর্যের
কিছু নেই ৷ কেননা, ইতোপুর্বে তোমার ব্যাপারে ন্তুতিগাথাও সুন্দর হয়েছিল ৷
ইবন খাল্লিকান বলেন, নিঃসন্দেহে এই শ্লোকপথোঢি বেশ সুন্দর ৷ আর এতে বীরতু ও
শৌর্য বীর্যের প্রকাশ রয়েছে ৷ আর তা হামাসা’ অধ্যায়ে বিদ্যমান ৷ এরপর তিনি বাহিলা গোত্র
সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন, এরা আরবের অতি ইতর গোত্র ৷ তিনি বলেন, কোন মজলিসে
আমাকে রিওয়ায়াত করা হয়েছে যে (একবার) আশৃআছ ইবন কায়স বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্
আমাদের (সকল সম্রান্ত ও ইতর) রক্ত কি সমমর্যাদা সম্পন্ন ৷ তিনি বললেন : ণ্াওশুপু ! ;;’;
এ্যা হুা£ ;,, ১া এ হীা! তুমি যদি বানুবাহিলার কোন ব্যক্তিকেও হত্যা কর, তাহলেও
আমি তোমাকে হত্যা করব ৷ র্জ্যনক আরবকে বলা হলো, বাহিলা গোত্রের সদস্য হয়ে কি তুমি
জান্নাতে প্রবেশ করতে আগ্রহী ? জবাবে সে বলল, হী৷ ! আমি তাতে সম্মত আছি, তবে শর্ত
হলো জান্নাতবাসীরা যেন বিষয়টি জানতে না পারে ৷ জনৈক আরব এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা
করল, তুমি কোন গোত্রের লোক ৷ সে বলল, বানুবাহিলার ৷ তখন সে তার জন্য সমবেদনা ও
শোক প্রকাশ করতে লাগল ৷ এরপর লোকটি বলল, আমি তোমাকে আরেকটি বাড়তি তথ্য
দিব ৷ তা হলো আমি তাদের বংশজাত নই, তাদের সাহচর্যে অবস্থানকারী আযাদকৃত দাস ৷
একথা শুনে আরব লোকটি তার হাবত-পায়ে চুমু খেতে লাগল ৷ সে বলল, এটা আপনি কেন
করছেন ? সে বলল, কেননা (আমার নিশ্চিত বিশ্বাস) আখিরাতে বিনিময়রুপে জান্নাত প্রদানের
জ্যাদ্র আল্লাহ্ তোমাকে দুনিয়াতে এই বিপদ দ্বারা পরীক্ষায় ফেলেছেনঃ ৷
তারপর ইবন জারীর বলেন, এ বছরের মিসরের আমীর ও শাসক কুবরা ইবন শারীক
আল আবসী ওফাতপ্রাপ্ত হন ৷ আল বিদায়ার প্রস্থুকার বলেন, ইনি হলেন কুবরা ইবন শারীক
যিনি খলীফা ওয়ালীদের পক্ষ হতে মিসরের আমীর ও প্রশাসক ছিলেন ৷ ইনিই আল ফায়ুম-এর
জামি মসজিদ নির্মাণ করেন ৷ আর এ বছর লোকদের হজ্জ পরিচালনা করেন আবু বাকর
মুহাম্মদ ইবন আমর ইবন হায্ম ৷ যিনি পবিত্র মদীনায় প্রশাসক ছিলেন ৷ আর এ সময় পবিত্র
মক্কার প্রশাসক ছিলেন আবদুল আযীয ইবন আবদুল্লাহ ইবন খালিদ ইবন উসায়দ ৷ আর
ইরাকের যুদ্ধ ও সালাতের দায়িত্বে ছিল ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব, আর খারাজ-কর আদায়ের
দায়িত্বে সালিহ ইবন আবদুর রহমান ৷ এছাড়া ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের নাইবরুপে বসরার
দায়িত্বে ছিল সুফ্য়ান ইবন আবদুল্লাহ আলু কিনৃদী আর কাযী ছিল আবদুর রহমান ইবন
উযায়নাহ ৷ কুফার কাযী ছিল আবু বকর ইবন আবু মুসা এবং খােরাসানের সমরকর্তা ছিল
ওয়াকী ইবন সুদ ৷ আর সুমহান আল্পাহ্ই সৰ্বাধিক জানেন ৷
فَمَا أَنَا مِنْ رُزْءٍ وَإِنْ جَلَّ جَازِعٌ ... وَلَا بِسُرُورٍ بَعْدَ مَوْتِكَ فَارِحُ
كَأَنْ لَمْ يَمُتْ حَيٌّ سِوَاكَ وَلَمْ تَقُمْ ... عَلَى أَحَدٍ إِلَّا عَلَيْكَ النَّوَائِحُ
لَئِنْ حَسُنَتْ فِيكَ الْمَرَاثِي وَذِكْرُهَا ... لَقَدْ حَسُنَتْ مِنْ قَبْلُ فِيكَ الْمَدَائِحُ
قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ وَهِيَ مِنْ أَحْسَنِ الْمَرَاثِي، وَهِيَ فِي الْحَمَاسَةِ. ثُمَّ تَكَلَّمَ عَلَى بَاهِلَةَ، وَأَنَّهَا قَبِيلَةٌ مَرْذُولَةٌ عِنْدَ الْعَرَبِ، قَالَ: وَقَدْ رَأَيْتُ فِي بَعْضِ الْمَجَامِيعِ «أَنَّ الْأَشْعَثَ بْنَ قَيْسٍ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتَتَكَافَأُ دِمَاؤُنَا؟ قَالَ: نَعَمْ، وَلَوْ قَتَلْتَ رَجُلًا مِنْ بَاهِلَةَ لَقَتَلْتُكَ بِهِ» وَقِيلَ لِبَعْضِ الْعَرَبِ: أَيَسُرُّكَ أَنْ تَدْخُلَ الْجَنَّةَ وَأَنْتَ بَاهِلِيٌّ؟ قَالَ: بِشَرْطِ أَنْ لَا يَعْلَمَ أَهْلُ الْجَنَّةِ بِذَلِكَ. وَسَأَلَ بَعْضُ الْأَعْرَابِ رَجُلًا: مِمَّنْ أَنْتَ؟ فَقَالَ: مِنْ بَاهِلَةَ. فَجَعَلَ يَرْثِي لَهُ. فَقَالَ: وَأَزِيدُكَ أَنِّي لَسْتُ مِنَ الصَّمِيمِ وَإِنَّمَا أَنَا مِنْ مَوَالِيهِمْ. فَجَعَلَ يُقَبِّلُ يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ، فَقَالَ: وَلِمَ تَفْعَلُ هَذَا؟ فَقَالَ: لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى مَا ابْتَلَاكَ بِهَذِهِ الرَّزِيَّةِ فِي الدُّنْيَا إِلَّا لِيُعَوِّضَكَ الْجَنَّةَ فِي الْآخِرَةِ.
ثُمَّ قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تُوُفِّيَ قُرَّةُ بْنُ شَرِيكٍ الْقَيْسِيُّ أَمِيرُ مِصْرَ مِنْ جِهَةِ الْوَلِيدِ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، وَكَانَ هُوَ الْأَمِيرَ عَلَى الْمَدِينَةِ وَعَلَى مَكَّةَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدِ
পৃষ্ঠা - ৭৫০৮
بْنِ أُسَيْدٍ، وَعَلَى حَرْبِ الْعِرَاقِ وَصَلَاتِهَا يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ، وَعَلَى خَرَاجِهَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَعَلَى نِيَابَةِ الْبَصْرَةِ لِيَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ سُفْيَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْكِنْدِيُّ، وَعَلَى قَضَائِهَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أُذَيْنَةَ، وَعَلَى قَضَاءِ الْكُوفَةِ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى، وَعَلَى حَرْبِ خُرَاسَانَ وَكِيعُ بْنُ أَبِي سُودٍ.