قصة موسى الكليم عليه الصلاة والسلام
ذكر نبوة يوشع وقيامه بأعباء بني إسرائيل بعد موسى وهارون عليهم السلام
পৃষ্ঠা - ৭৪১
ইবন কাব (বা) থেকে নাম ধরে তার বর্ণনা এসেছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন যে, তিনি
হলেন ইউশা ইবন নুন (আ) ৷ কিতাবীদের মধ্যে তার নবুওত সম্পর্কে ঐকমত্য রয়েছে ৷ তাদের
একটি দল যারা সামিরাহ বলে বিখ্যাত, তারা মুসা (আ) এর পর ইউশা ইবন নুন (আ) ব্যতীত
কারো নবুওত স্বীকার করে না ৷ তাওরাতে ইউশা (আ) এর নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে ৷
তাই তারা ইউশা (আ) ব্যতীত অন্যের নবুওতকে অস্বীকার করে ৷ অথচ অন্যদের নবুওত
প্রতিপালকের তরফ থেকে সত্য ও যথার্থ ৷ তাদের উপর কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ্ তাআলার
লা’নত বর্নিত হতে থাকবে ৷
ইবন জারীর প্রমুখ তাফসীরকার, মুহাম্মদ ইবন ইসহাক থেকে বর্ণনা করেন; মুসা (আ ) এর
শেষ জীবনে মুসা (আ) হতে ইউশা (আ)-এর দিকে নবুওত স্থানান্তরিত হয় ৷ মুসা (আ) ইউশা
(আ)-এর সাথে সাক্ষাত করে প্রশ্ন করতেন যে, কি কি নতুন আদেশ নিষে ধ অবতীর্ণ হয়েছে ৷
একদিন ইউশা (আ) বল্লেন, “হে কালীমুল্লাহ্! আমি আপনাকে কোন দিনও প্রশ্ন করিনি যে,
আপনার কাছে আল্লাহ তড়াআলা কী ওহী প্রেরণ করেছেন, আপনিই বরং প্রয়োজনে আমাকে
নিজের পক্ষ থেকে ওহী সম্পর্কে রক্তে করতেন ৷ তখন মুসা (আ) বেচে থাকাকে অপছন্দ
করলেন এবং মৃত্যুকেই শ্রেয় বিবেচনা করলেন ৷ উপরোক্ত বর্ণনায় সন্দেহের অবকাশ রয়েছে ৷
কেননা মুসা (আ)-এর কাছে মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত সর্বদাই আল্লাহর আদেশ, ওহী, শরয়ী নির্দেশ ও
কথাবার্তা অবতীর্ণ হত এবং তিনি আল্লাহ্ তাআলার নিকট আজীবন সম্মানিত, যোগ্য,
মর্যাদাবান ও দক্ষতাসম্পন্ন নবী রুপেই ছিলেন ৷ বুখারী শরীফে মুসা (আ) কর্তৃক মৃত্যুর
ফেরেশতার চােখবিনষ্ট করা সম্পর্কিত হাদীসটি ইতিপুর্বে উদ্ধৃত হয়েছে ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (ব)-এব উপরোক্ত বর্ণনাটি যদি তিনি আহলি কিতাবদের কিতাব
থেকে বর্ণনা করে থাকেন তাহলে জেনে রাখা দরকার যে, তাদের তাওরাত নামী কিভাবে
উল্লেখ রয়েছে যে, মুসা (আ)-এর জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত বনী ইসরাঈলের প্রয়োজন
মুতাবিক আল্লাহ তাআলা মুসা (আ)-এর প্রতি আদেশ-নিষেধ সংক্রান্ত ওহী অবতীর্ণ করেছেন ৷
র্তাবু আকৃতির গম্বুজে স্থাপিত সাক্ষ্যদানে তাবুত সম্বন্ধে তাদের কিভাবে উল্লেখিত তথ্যাদি
পর্যালোচনা করলে তা সহণ্ডেইি প্রতীয়মান হয় ৷ বনী ইসরাঈলের তৃতীয় যাত্রা পুস্তকে উল্লেখ
রয়েছে যে, বনী ইসরাঈলকে ১২টি গোত্রে বিভক্ত করার জন্যে আল্লাহ্ তাআলা মুসা (আ) ও
হারুন (আ)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ আবার প্রতিটি গোত্রের একজন আমীর নির্ধারণ করার
জন্যে হুকুম দিয়েছিলেন ৷ আমীরকে বলা হতো নকীব ৷ ভীহ ময়দান থেকে বের হবার পর দৃর্ধর্ষ
জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি হিসেবে তাদেরকে এরুপ বিভক্ত করার হুকুম দেয়া হয়েছিল ৷
আর এ নির্দেশটি ছিল চল্লিশ বছর অতিক্রাত্ত হবার শেষের দিকে ৷ এ জন্যই কেউ কেউ
বলেছেন, মুসা (আ) মৃত্যুর ফেরেশতার চোখ বিনষ্ট করে দিয়েছিলেন ৷ কারণ, তিনি তাকে
তার ঐ সময়ের অবয়বে চেনেননি ৷ অধিকত্তু আল্লাহ্ তাআলা মুসা (আ)-কে এমন একটি
কাজের নির্দেশ দিয়েছিলেন তার যমানায় যেটা সংঘটিত হবার তিনি আশা পোষণ করছিলেন
কিন্তু তার আমলে এটা সংঘটিত হওয়া তকদীরের ফয়সালা ছিল না ৷ বরং এটা তার খাদেম
ইউশা ইবন নুনের ভাগ্যেই নির্ধারিত ছিল ৷
[ذِكْرُ نُبُوَّةِ يُوشَعَ وَقِيَامِهِ بِأَعْبَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ بَعْدَ مُوسَى وَهَارُونَ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ]
هُوَ يُوشَعُ بْنُ نُونِ بْنِ أَفْرَايِيمَ بْنِ يُوسُفَ بْنِ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ، وَأَهْلُ الْكِتَابِ يَقُولُونَ: يُوشَعُ بْنُ عَمِّ هُودٍ. وَقَدْ ذَكَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى فِي الْقُرْآنِ غَيْرَ مُصَرَّحٍ بِاسْمِهِ فِي قِصَّةِ الْخَضِرِ، كَمَا تَقَدَّمَ فِي قَوْلِهِ: {وَإِذْ قَالَ مُوسَى لِفَتَاهُ} [الكهف: 60] . {فَلَمَّا جَاوَزَا قَالَ لِفَتَاهُ} [الكهف: 62] . وَقَدَّمْنَا مَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ "، مِنْ رِوَايَةِ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِنْ أَنَّهُ يُوشَعُ بْنُ نُونٍ، وَهُوَ مُتَّفَقٌ عَلَى نُبُوَّتِهِ عِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ، فَإِنَّ طَائِفَةً مِنْهُمْ وَهُمُ السَّامِرَةُ لَا يُقِرُّونَ بِنُبُوَّةِ أَحَدٍ بَعْدَ مُوسَى إِلَّا يُوشَعَ بْنَ نُونٍ; لِأَنَّهُ مُصَرَّحٌ بِهِ فِي التَّوْرَاةِ وَيَكْفُرُونَ بِمَا وَرَاءَهُ، وَهُوَ الْحَقُّ مِنْ رَبِّهِمْ، فَعَلَيْهِمْ لِعَائِنُ اللَّهِ الْمُتَتَابِعَةُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ.
وَأَمَّا مَا حَكَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، مِنْ أَنَّ النُّبُوَّةَ حُوِّلَتْ مِنْ مُوسَى إِلَى يُوشَعَ فِي آخِرِ عُمْرِ مُوسَى، فَكَانَ مُوسَى يَلْقَى يُوشَعَ فَيَسْأَلُهُ مَا أَحْدَثَ اللَّهُ إِلَيْهِ مِنَ الْأَوَامِرِ وَالنَّوَاهِي، حَتَّى قَالَ لَهُ: يَا كَلِيمَ
পৃষ্ঠা - ৭৪২
اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ لَا أَسْأَلُكَ عَمَّا يُوحِي اللَّهُ إِلَيْكَ، حَتَّى تُخْبِرَنِي أَنْتَ ابْتِدَاءً مِنْ تِلْقَاءِ نَفْسِكَ. فَعِنْدَ ذَلِكَ كَرِهَ مُوسَى الْحَيَاةَ، وَأَحَبَّ الْمَوْتَ. فَفِي هَذَا نَظَرٌ; لِأَنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَمْ يَزَلِ الْأَمْرُ، وَالْوَحْيُ، وَالتَّشْرِيعُ، وَالْكَلَامُ مِنَ اللَّهِ إِلَيْهِ فِي جَمِيعِ أَحْوَالِهِ، حَتَّى تَوَفَّاهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، وَلَمْ يَزَلْ مُعَزَّزًا، مُكَرَّمًا، مُدَلَّلًا، وَجِيهًا عِنْدَ اللَّهِ، كَمَا قَدَّمْنَا فِي " الصَّحِيحِ "، مِنْ قِصَّةِ فَقْئِهِ عَيْنَ مَلَكِ الْمَوْتِ، ثُمَّ بَعَثَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ إِنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَيَاةَ فَلْيَضَعْ يَدَهُ عَلَى جِلْدِ ثَوْرٍ، فَلَهُ بِكُلِّ شَعْرَةٍ وَارَتْ يَدُهُ سَنَةٌ يَعِيشُهَا، قَالَ: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: الْمَوْتُ. قَالَ: فَالْآنَ يَا رَبِّ. وَسَأَلَ اللَّهَ أَنْ يُدْنِيَهُ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ رَمْيَةً بِحَجَرٍ، وَقَدْ أُجِيبَ إِلَى ذَلِكَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، فَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، إِنْ كَانَ إِنَّمَا يَقُولُهُ مِنْ كُتُبِ أَهْلِ الْكِتَابِ، فَفِي كِتَابِهِمُ الَّذِي يُسَمُّونَهُ التَّوْرَاةَ أَنَّ الْوَحْيَ لَمْ يَزَلْ يَنْزِلُ عَلَى مُوسَى فِي كُلِّ أَمْرٍ يَحْتَاجُونَ إِلَيْهِ إِلَى آخِرِ مُدَّةِ مُوسَى، كَمَا هُوَ الْمَعْلُومُ مِنْ سِيَاقِ كِتَابِهِمْ عِنْدَ تَابُوتِ الشَّهَادَةِ، فِي قُبَّةِ الزَّمَانِ. وَقَدْ ذَكَرُوا فِي السَّفَرِ الثَّالِثِ، أَنَّ اللَّهَ أَمَرَ مُوسَى وَهَارُونَ أَنْ يَعُدَّا بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى أَسْبَاطِهِمْ، وَأَنْ يَجْعَلَا عَلَى كُلِّ سِبْطٍ مِنَ الِاثْنَيْ عَشَرَ أَمِيرًا، وَهُوَ النَّقِيبُ، وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِيَتَأَهَّبُوا لِلْقِتَالِ; قِتَالِ الْجَبَّارِينَ عِنْدَ الْخُرُوجِ مِنَ التِّيهِ، وَكَانَ هَذَا عِنْدَ اقْتِرَابِ انْقِضَاءِ الْأَرْبَعِينَ سَنَةً. وَلِهَذَا قَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّمَا فَقَأَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَيْنَ مَلَكِ الْمَوْتِ; لِأَنَّهُ لَمْ يَعْرِفْهُ فِي صُورَتِهِ تِلْكَ وَلِأَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৭৪৩
যেমন রাসুলুল্লাহ্ (স) সিরিয়ার রোমকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ইচ্ছে করেছিলেন এবং
এজন্য নবম হিজরীতে তিনি তাবুকে পৌছেও ছিলেন ৷ কিন্তু ঐ বছর তিনি যুদ্ধ না করে ফিরে
আসেন ৷ অতং পর দশম হিজরীতে তিনি হজ আদায় করেন ও মদীনায় ফিরে এসে উসামা
(রা) কে আমীর নিযুক্ত করেন ৷৩ তার জীবদ্দশায় সিরিয়ার উদ্দেশে একটি সেনাদল প্রেরণের
প্রন্তুতির নির্দেশ দেন এবং নিম্ন বর্ণিত আঘাতের মর্মানুযায়ী স্বয়ং যুদ্ধে য ৷বার প্রন্তুতি নেন ৷
যাতে আল্লাহ তাআলা বলেন ং
হ্ণ্র্চর্ন্ত র্যেণ্ ৷০শুডাঃ
)
া^ ” ট্রু;;£ :০া০<৷ ৷ ৷ট্রু;ঠু৷ র্চু,ঙ্কু;এ৷ র্বু০০ দ্বুব্লুপু
যাদের প্ৰতি কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে৩ তাদের মধ্যে যারা আল্লাহে ঈমান আসে না শেষ
দিলেও নয় ৷ এবং আল্লাহ ও তার রাসুল যা হারাম করেছেন, তা হারাম গণ্য করে না এবং সত্য
দীন অনুসরণ করেনা, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে যে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে স্বহন্তে জিযিয়া
দেয় ৷ (সুরা তওবা : ২৯)
রাসুলুল্লাহ (সা) উসামা বাহিনী প্ৰন্তুত করার সাথে সাথেই ইনতিকাল করেন ৷ তখন উসামা
জুরাফ নামক স্থানে স্থাপিত র্তাবুতে অবস্থান করছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর ইনতিকালের পর
তার খলীফা আবু বকর সিদ্দিক (বা) উসামা বাহিনী প্রেরণের সিদ্ধান্ত কার্যকরী করেন ৷ অতঃপর
যখন আরব উপদ্বীপের অবস্থা স্বাভাবিক হয় ও নিজেদের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধের অবসান ঘটে
এবং সত্য তার নিজস্ব পথে অগ্রসর হয়, পুর্ব-পশ্চিমে ইরাক-সিরিয়ার এবং পারস্য সম্রাট
কিসরাৱ সাথী-সংগীও রোম সম্রাট কায়সরের বাহিনীর বিরুদ্ধে ইসলামী বাহিনী প্রেরণ করা হয়
এবং আল্লাহ তাআলা তাদেরকে বিজয় দান করেন এবং শত্রু পক্ষের জানমালের অধিকারী
করে দেন ৷ এ সম্বন্ধে ইনশাআল্লাহ যথাস্থানে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ৷ অনুরুপ আল্লাহ
তাআলা মুসা (আ) কে বনী ইসরা ঈল থেকে সৈন্য সত্থাহর নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তাদের
মধ্যে নকীব নির্ধারণ করতে হুকুম দিয়েছিলেন ৷ আল্লাহ্ তা জানা বলেন :
ণ্ৰ্এে ৷ র্দুাব্লু ”ঠোদ্বু
আল্পাহ্ তা আলা বনী ইসরাঈলের অংপীকারষ্ গ্রহণ করেছিলেন এবং তাদের মধ্য হতে
বারজন নেতা নিযুক্ত করেছিলেন ৷ (সুরা মায়েদা০ ং ১২)
এঠাও
)’ এ
كَانَ قَدْ أُمِرَ بِأَمْرٍ كَانَ يَرْتَجِي وُقُوعَهُ فِي زَمَانِهِ، وَلَمْ يَكُنْ فِي قَدَرِ اللَّهِ أَنْ يَقَعَ ذَلِكَ فِي زَمَانِهِ بَلْ فِي زَمَانِ فَتَاهَ يُوشَعَ بْنِ نُونٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَمَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ قَدْ أَرَادَ غَزْوَ الرُّومِ بِالشَّامِ، فَوَصَلَ إِلَى تَبُوكَ، ثُمَّ رَجَعَ عَامَهُ ذَلِكَ فِي سَنَةِ تِسْعٍ، ثُمَّ حَجَّ فِي سَنَةِ عَشْرٍ، ثُمَّ رَجَعَ فَجَهَّزَ جَيْشَ أُسَامَةَ إِلَى الشَّامِ، طَلِيعَةً بَيْنَ يَدَيْهِ ثُمَّ كَانَ عَلَى عَزْمِ الْخُرُوجِ إِلَيْهِمْ; امْتِثَالًا لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {قَاتِلُوا الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ} [التوبة: 29] . وَلَمَّا جَهَّزَ رَسُولُ اللَّهِ جَيْشَ أُسَامَةَ، تُوُفِّيَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَأُسَامَةُ مُخَيِّمٌ بِالْجَرْفِ فَنَفَّذَهُ صَدِيقُهُ وَخَلِيفَتُهُ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، ثُمَّ لَمَّا لَمَّ شَعَثَ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ، وَمَا كَانَ وَهَى مِنْ أَمْرِ أَهْلِهَا، وَعَادَ الْحَقُّ إِلَى نِصَابِهِ، جَهَّزَ الْجُيُوشَ يَمْنَةً وَيَسْرَةً، إِلَى الْعِرَاقِ، أَصْحَابِ كِسْرَى مَلِكِ الْفُرْسِ، وَإِلَى الشَّامِ، أَصْحَابِ قَيْصَرَ مَلِكِ الرُّومِ، فَفَتَحَ اللَّهُ لَهُمْ، وَمَكَّنَ لَهُمْ وَبِهِمْ، وَمَلَّكَهُمْ نَوَاصِيَ أَعْدَائِهِمْ، كَمَا سَنُورِدُهُ فِي مَوْضِعِهِ، إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ مُفَصَّلًا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِعَوْنِهِ وَتَوْفِيقِهِ وَحُسْنِ إِرْشَادِهِ. وَهَكَذَا مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ; كَانَ اللَّهُ قَدْ أَمَرَهُ أَنْ يُجَنِّدَ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَأَنْ يَجْعَلَ عَلَيْهِمْ نُقَبَاءَ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَبَعَثْنَا مِنْهُمُ اثْنَيْ عَشَرَ نَقِيبًا وَقَالَ اللَّهُ إِنِّي مَعَكُمْ لَئِنْ أَقَمْتُمُ الصَّلَاةَ وَآتَيْتُمُ الزَّكَاةَ وَآمَنْتُمْ بِرُسُلِي وَعَزَّرْتُمُوهُمْ وَأَقْرَضْتُمُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا لَأُكَفِّرَنَّ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَلَأُدْخِلَنَّكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ فَمَنْ كَفَرَ بَعْدَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيلِ} [المائدة: 12] .
পৃষ্ঠা - ৭৪৪
আর আল্লাহ বলেছিলেন, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি; তোমরা যদি সালাত কায়েম কর,
যাকাত দাও, আমার রাসুলগণে ঈমান আন ও তাদেরকে সম্মান কর এবং অ ৷ল্লাহকে উত্তম ঋণ
প্রদান কর, তবে তোমাদের পাপ অবশ্যই মােচন করব এবং নিশ্চয় তোমাদেরকে দাখিল করব
জান্নাতে যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; এর পরও কেউ কুফরী করলে সে সরল পথ হারাবে ৷
(সুরা মায়েদা : ১২)
অর্থাৎ আল্লাহ্ তাআলা বনী ইসরাঈলকে উদ্দেশ করে বলেন, তোমাদের প্রতি আমি যা
বাধ্যতামুলক করেছি তা যদি তোমরা যথাযথ পালন কর এবং যুদ্ধ থেকে বিরত না
থাক-যেমন পুর্বে বিরত ছিলে তাহলে এটার সওয়াবকে আমি তোমাদের উপর পতিত গযব ও
শাস্তির কাফফারা রুপে গণ্য করব ৷ এ প্রসঙ্গে হুদায়বিয়ার যুদ্ধে যে সব বেদুঈন রাসুলুল্লাহ
(স^া) থেকে পিছু হটে রয়েছিল তাদের সম্বন্ধে আল্লাহ তাআ ৷ল৷ ইরশা দ করেন :
যে সব আরব মরুবাসী পশ্চ৷ তে রয়ে গিয়েছিল তাদেরকে বল, তোমরা আহুত হয়ে এক
প্রবল পরাক্রাম্ভ জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে, তে তামরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ না
তারা আত্মসমর্পণ করে ৷ তোমরা এ নির্দেশ পালন করলে আল্লাহ৫ তামাদেরকে উত্তম পুরস্কার
দান করবেন ৷ আর তোমরা যদি পুর্বের মত পৃষ্ঠপ্রদর্শন কর,৩ তিনি তোমাদেরকে মর্মত্তুদ শ৷ ৷স্তি
দেবেন ৷ (সুরা ফাত্হ : ১৬)
অনুরুপভাবে আল্লাহ্ তাআলা বনী ইসরাঈলের ক্ষেত্রেও বলেছেন:; :
এরপরও তোমাদের কেউ কুফরী করলে সে সরল পথ হারাবে ৷’ অতংপর আল্লাহ্ তা আলা
তাদের দৃষ্কর্মের ও ওয়াদাভঙ্গের জন্য নিবন্ধ ব করেন ৷ যেমন তাদের পর খৃন্টানদের ধস্বীয়ি
ব্যাপারে মতবিরোধের জন্য আল্লাহ্ তা জানা তাদেরকে তিরস্কার করেন ৷ এ সম্পর্কে তাফসীরের
কিভাবে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে ৷
বন্তুত আল্লাহ্ তাআল৷ মুসা (আ)-কে বনী ইসরাঈলেব ঐসব যােদ্ধার নাম লিপিবদ্ধ করার
জন্যে নির্দেশ দেন যারা অস্ত্রধারণ করতে পারে, যুদ্ধ করতে পারে এবং বিশ বছর কিৎব৷ তার
অধিক বয়সে পৌছেছে আর তাদের প্রতিটি দলের জন্যে একজন নকীব তথা নে৩ তা নির্ধারণেরও
তিনি হুকুম দেন ৷
প্রথম গোত্রটি ছিল রুবীল-এর গোত্র ৷ রুবীল ছিলেন ইয়াকুব (আ)-এর প্রথম সন্তান ৷ এ
গোত্রে যোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৪৬ হাজার ৫শ’ ৷ তাদের নেতা ছিলেন আল ইয়াসুর ইবন শাদ
ইয়াসুরা ৷
দ্বিতীয় গোত্রটি ছিল শামউন-এর গোত্র ৷ তাদের সংখ্যা ছিল ৫৯ হাজার ৩শ’ ৷ তাদের
নেতা ছিলেন শালে৷ মীঈল ইবন হুরইয়৷ শুদাই ৷
يَقُولُ لَهُمْ: لَئِنْ قُمْتُمْ بِمَا أَوْجَبْتُ عَلَيْكُمْ، وَلَمْ تَنْكِلُوا عَنِ الْقِتَالِ، كَمَا نَكَلْتُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ، لَأَجْعَلَنَّ ثَوَابَ هَذِهِ مُكَفِّرَةً لِمَا وَقَعَ عَلَيْكُمْ مِنْ عِقَابِ تِلْكَ، كَمَا قَالَ تَعَالَى لِمَنْ تَخَلَّفَ مِنَ الْأَعْرَابِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عُمْرَةِ الْحُدَيْبِيَةِ {قُلْ لِلْمُخَلَّفِينَ مِنَ الْأَعْرَابِ سَتُدْعَوْنَ إِلَى قَوْمٍ أُولِي بَأْسٍ شَدِيدٍ تُقَاتِلُونَهُمْ أَوْ يُسْلِمُونَ فَإِنْ تُطِيعُوا يُؤْتِكُمُ اللَّهُ أَجْرًا حَسَنًا وَإِنْ تَتَوَلَّوْا كَمَا تَوَلَّيْتُمْ مِنْ قَبْلُ يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا} [الفتح: 16] . وَهَكَذَا قَالَ تَعَالَى لِبَنِي إِسْرَائِيلَ: {فَمَنْ كَفَرَ بَعْدَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيلِ} [المائدة: 12] ثُمَّ ذَمَّهُمُ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى سُوءِ صَنِيعِهِمْ، وَنَقْضِهِمْ مَوَاثِيقَهُمْ، كَمَا ذَمَّ مَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ النَّصَارَى عَلَى اخْتِلَافِهِمْ فِي دِينِهِمْ وَأَدْيَانِهِمْ. وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " مُسْتَقْصًى، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَمَرَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَنْ يَكْتُبَ أَسْمَاءَ الْمُقَاتِلَةِ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، مِمَّنْ يَحْمِلُ السِّلَاحَ وَيُقَاتِلُ، مِمَّنْ بَلَغَ عِشْرِينَ سَنَةً فَصَاعِدًا، وَأَنْ يَجْعَلَ عَلَى كُلِّ سِبْطٍ نَقِيبًا مِنْهُمْ; السِّبْطُ الْأَوَّلُ سِبْطُ رُوبِيلَ; لِأَنَّهُ بِكْرُ يَعْقُوبَ، كَانَ عِدَّةُ الْمُقَاتِلَةِ مِنْهُمْ سِتَّةً وَأَرْبَعِينَ أَلْفًا وَخَمْسَمِائَةٍ، وَنَقِيبُهُمْ مِنْهُمْ، وَهُوَ أَلِيصُورُ بْنُ شَدَيْئُورَا، السِّبْطُ الثَّانِي سِبْطُ شَمْعُونَ، وَكَانُوا تِسْعَةً وَخَمْسِينَ أَلْفًا وَثَلَاثَمِائَةٍ، وَنَقِيبُهُمْ شَلُومِيئِيلُ بْنُ هُورِيشَدَّاي، السِّبْطُ الثَّالِثُ سِبْطُ يَهُوذَا،
পৃষ্ঠা - ৭৪৫
তৃভীয়টি ছিল ইয়াহুদা-এর গোত্র ৷ তাদের সংখ্যা ছিল ৭৪ হাজার ৬শ ৷ তাদের নেতা
ছিলেন নাহশুন ইবন ওমায়না দাব ৷
চতুর্থ ছিল ঈশাখার-এর গোত্র ৷ তাদের সংখ্যা ছিল ৫৪ হাজার ৪শ’ ৷ তাদের নেতা ছিলেন
নড়াশাঈল ইবন সাওপার ৷
পঞ্চম গোত্রটি ছিল ইউসুফ (আ)-এর ৷ তাদের সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ৫শ’ ৷ তাদের নেতা
ছিলেন ইউশা ইবন সুন (আ) ৷
ষষ্ঠ ছিল মীশা-এর গোত্র ৷ তাদের সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ২শ’ ৷ তাদের নেতা ছিলেন
জামলীঈল ইবন ফাদাহ সুর ৷
সপ্তম গোত্রটি ছিল বিন ইয়ামীন-এর গোত্র ৷ তাদের সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার ৪শ’ ৷ তাদের
নেতা ছিলেন আবীদান ইবন জাদউন ৷
অষ্টম গোত্রটি ছিল হাদ-এর গোত্র ৷ তাদের সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ৬শ ৫০ জন ৷ তাদের
নেতা ছিলেন আল ইয়াসাফ ইবন ৱাউঈল
নবমটি ছিল আশীরএর ৷ তাদের সংখ্যা ছিল ৪১ হাজার ৫শ’ ৷ তাদের নেতা ছিলেন
ফাজ-ঈল ইবন আকরান ৷
দশম গোত্রঢি ছিল দান-এর ৷ তাদের সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ৭শ’ ৷ নেতা ছিলেন আথী
আমার ইবন আম শুদাই ৷
একাদশতম গোত্রটি ছিল নাফতালী-এর গোত্র ৷ তাদের সংখ্যা ছিল ৫৩ হাজার ৪শ ৷
তাদের নেতা ছিলেন আখীরা ইবন আইন ৷
দ্বাদশতম গোত্রটি ছিল যাবুলুন-এর গোত্র ৷ তাদের সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার ৪শ’ ৷ তাদের
নেতা ছিলেন আলবাব ইবন হইিলুন ৷ উপরোক্ত বর্ণনাটি ইহুদীদের কিভাবে উল্লেখিত রয়েছে ৷
আল্লাহ্ তাআলাই অধিক পরিজ্ঞাত ৷
বনু লাওয়ী উপরোক্ত বনী ইসরাঈলের আঃভুক্ত নয় ৷ তাই আল্লাহ তাআলা তাদেরকে বনী
ইসরাঈলের সাথে যোদ্ধা হিসাবে গণ্য করতে নিষেধ করেছেন ৷ কেননা; তারা ছিল র্তাবু-
পম্বুজের বহন, খাটানাে ও গুটড়ানাের দায়িত্বে নিয়োজিত ৷ তারা ছিল মুসা (আ) ও হারদ্বন
(আ)-এর গোত্র ৷ তাদের সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ৷ এ সংখ্যার মধ্যে ১ মাস বা তদুর্ধ বয়সের
শিশুদেরকেও ধরা হয়েছে ৷ তারা আবার নিজেরা বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত ছিল ৷ প্রতিটি ছোট ছোট
গোত্র, র্তাবু গম্বুজের বিভিন্ন কাজের দায়িত্বে নিযুক্ত ছিল ৷ একদল এটাকে পাহারা দিত, অন্য
একদল এটার যাবতীয় মেরামতের কাজে নিয়োজিত থাকত ৷ যখন বনী ইসরাঈলরা অন্যত্র
গমন করত , তখন একটি দল র্তাবু পরিবহন ও খাটড়ানাের কাজে নিয়োজিত থাকত ৷ তারা
সকলেই র্তাবু গম্বুজের আশেপাশে, সামনে, পেছনে, ভানে ও নামে হেফাজতে নিয়োজিত
থাকত ৷
বসু লাওয়ী ব্যতীত বনী ইসরাঈলের যােদ্ধাদের মোট সংখ্যা যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে
তা হচ্ছে ৫ লাখ ৭১ হাজার ৬শ ৫৬; কিত্তু তারা বলে ২০ বছর বয়স্ক ও তদুর্ধের অস্ত্র
ধারণকারী বনী ইসরাঈলের যােদ্ধাদের সংখ্যা হচ্ছে (তা অবশ্য বনু লাওয়ীকে বাদ দিয়ে) ৬
وَكَانُوا أَرْبَعَةً وَسَبْعِينَ أَلْفًا وَسِتَّمِائَةٍ، وَنَقِيبُهُمْ نَحْشُوَنُ بْنُ عَمِّينَادَابَ، السِّبْطُ الرَّابِعُ سِبْطُ إِيسَّاخَرَ، وَكَانُوا أَرْبَعَةً وَخَمْسِينَ أَلْفًا وَأَرْبَعَمِائَةٍ، وَنَقِيبُهُمْ نَشَائِيلُ بْنُ صُوغَرَ، السِّبْطُ الْخَامِسُ سِبْطُ يُوسُفَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَكَانُوا أَرْبَعِينَ أَلْفًا وَخَمْسَمِائَةٍ، وَنَقِيبُهُمْ يُوشَعُ بْنُ نُونٍ، السِّبْطُ السَّادِسُ سِبْطُ مِيشَا، وَكَانُوا أَحَدًا وَثَلَاثِينَ أَلْفًا وَمِائَتَيْنِ، وَنَقِيبَهُمْ جَمْلِيئِيلُ بْنُ فَدَهْصُورَ. السِّبْطُ السَّابِعُ سِبْطُ بِنْيَامِينَ، وَكَانُوا خَمْسَةً وَثَلَاثِينَ أَلْفًا وَأَرْبَعَمِائَةٍ، وَنَقِيبُهُمْ أَبِيدَنُ بْنُ جِدْعُونَ، السِّبْطُ الثَّامِنُ سِبْطُ جَادَ، وَكَانُوا خَمْسَةً وَأَرْبَعِينَ أَلْفًا وَسِتَّمِائَةٍ وَخَمْسِينَ رَجُلًا، وَنَقِيبُهُمْ الْيَاسَافُ بْنُ رَعُوئِيلَ، السِّبْطُ التَّاسِعُ سِبْطُ أَشِيرَ، وَكَانُوا أَحَدًا وَأَرْبَعِينَ أَلْفًا وَخَمْسَمِائَةٍ، وَنَقِيبُهُمْ فَجْعِيئِيلُ بْنُ عُكْرَنَ، السِّبْطُ الْعَاشِرُ سِبْطُ دَانَ، وَكَانُوا اثْنَيْنِ وَسِتِّينَ أَلْفًا وَسَبْعَمِائَةٍ، وَنَقِيبُهُمْ أَخِيعَزَرُ بْنُ عَمِّيشَدَّايْ، السِّبْطُ الْحَادِي عَشَرَ سِبْطُ نِفْتَالِي، وَكَانُوا ثَلَاثَةً وَخَمْسِينَ أَلْفًا وَأَرْبَعَمِائَةٍ، وَنَقِيبُهُمْ أَخِيرَعُ بْنُ عِينَ، السِّبْطُ الثَّانِي عَشَرَ سَبْطُ زَبُولُونَ، وَكَانُوا سَبْعَةً وَخَمْسِينَ أَلْفًا وَأَرْبَعَمِائَةٍ، وَنَقِيبُهُمْ أَلْبَابُ بْنُ حِيلُونَ. هَذَا نَصُّ كِتَابِهِمُ الَّذِي بِأَيْدِيهِمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلَيْسَ مِنْهُمْ بَنُو لَاوِي، فَأَمَرَ اللَّهُ مُوسَى أَنْ لَا يَعُدَّهُمْ مَعَهُمْ; لِأَنَّهُمْ مُوَكَّلُونَ بِحَمْلِ قُبَّةِ الشَّهَادَةِ، وَخَزْنِهَا وَنَصْبِهَا إِذَا ارْتَحَلُوا وَهُمْ سَبِطُ مُوسَى وَهَارُونَ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَكَانُوا اثْنَيْنِ وَعِشْرِينَ أَلْفًا مِنِ ابْنِ شَهْرٍ فَمَا فَوْقُ، ذَلِكَ وَهُمْ فِي أَنْفُسِهِمْ قَبَائِلُ، إِلَى كُلِّ قَبِيلَةٍ طَائِفَةٌ مِنْ قُبَّةِ الزَّمَانِ يَحْرُسُونَهَا، وَيَحْفَظُونَهَا، وَيَقُومُونَ بِمَصَالِحِهَا، وَنَصْبِهَا، وَحَمْلِهَا، وَهُمْ كُلُّهُمْ
পৃষ্ঠা - ৭৪৬
লাখ ৩ হাজার ৫শ’ ৫৫ জন ৷ এরুপ বর্ণনায় সন্দেহের অবকাশ রয়েছে ৷ কেননা, তাদের
কিতাবে উল্লেখিত উপরোক্ত সৈন্যদের মোট সংখ্যার সাথে তাদের উল্লেখিত সৈন্য সংখ্যার মিল
নেই ৷ আল্লাহ্ তাআলাই অধিক পরিজ্ঞাত ৷
চলার সময় র্তাবু ৷ম্বুজের হেফাজতে নিযুক্ত বনু লাওয়ীরা বনী ইসবাঈলের মধ্যভাগে
অবস্থান করতেন ৷ আর ডান পাশের শীর্ষে থাকতেন বনু রুবীল ও বাম পার্শের শীর্ষে থাকতেন
বনুৰান ৷ বনু নাফতালী হতে ন পশ্চাৎবর্তী দলে অন্তর্ভুক্ত ৷ আল্লাহ তাআ ৷লার নির্দোশ মুসা (আ)
বনু হারুন (আ) কে ইমাম নির্ধারণ ৷করলেন ৷ তাদের পুর্বে তাদের পিত ৷রাও এরুপ ইমাম
ছিলেন ৷ তারা ছিলেন নাদাব; হুবকারাহ, আবীহু, আল আযির ও ইয়াসমার ৷
বন্তুত বনী ইসরাঈলের যারা মুসা (আ)-কে বলেছিল, তু ও ণ্তামার প্রতিপালক শত্রুর
সাথে গিয়ে যুদ্ধ কর, আমরা এখানেই বসে রইলাম ৷ অর্থাৎ যারা দুর্দাম্ভ লোকজন অধ্যুষিত
শহর বায়তুল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছিল তাদের একজনও তখন
জীবিত ছিল না ৷
এটা সাওবী (র)-এর অভিমত ৷ তিনি ইবন আব্বাস (রা) থেকে এরুপ বর্ণনা করেন ৷
অনুরুপভাবে কাতাদা (র) , ইকরিম৷ (র) ও সুদ্দী (র) , ইবন আব্বাস (রা) , ইবন মাসউদ (রা)
প্রমুখ সাহাবায়ে কিরাম থেকে বর্ণনা করেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা ) সহ পুর্ব ও পরের
উলামায়ে কিরাম বলছেন, হারুন (আ) ও মুসা (আ) উভয়েই ইণ্ডে তাপুর্বে তীহের প্রান্তরে
ইননিক ল করেছিলেন৩ ৷ তবে ইবন ইসহাক (ব) মনে করেন যে, যিনি বায়তুল মুকাদ্দাস জয়
করেছেন, তিনি হচ্ছেন মুসা (আ) আর ইউশা (আ) ছিলেন তার অগ্রগামী দলের প্রধান ৷ তিনি
আবার এ প্রসঙ্গে বালআম ইবন বাউর এর ঘটনাও বর্ণনা করেন ৷
আল্লাহ্ তা জানা ইরশ ৷৷দ করেন ং
,ধ্ (»
ট্রুশ্রোব্র৷ ৷ এোরু ,)ন্ ৷ ,
ৰু,াহ্রশু১
fl
৷ ন্ঠুদ্বপু ৷
(পুমোঃ ৷^শুাহ্র ণ্ছুর্বুর্দুকু১াঠু ৮;া£াপ্রু ৷ , “ (;,“,;fi ৷ ৰুক্রো ৷
তাদেরকে ঐ ব্যক্তির বৃত্তান্ত পড়ে শুনাও যাকে আ ৷মি দিয়েছিলাম নিদর্শন, অতঃপর সে ওটা
বর্জন করে ও শয়তান তার পেছনে লাগে, আর সে বিপথগামীদের অন্তর্ভুক্ত হয় ৷ আমি
ইচ্ছে করলে এটার দ্বারা তাকে উচ্চমর্যাদা দান করতাম কিত্তু সে দুনিয়ার প্রতি ঝুকে পড়ে
ওতার প্রবৃত্তির অনুসরণ করে ৷ তার অবস্থা কুকুরের মত যার ওপর তুমি বোঝা চাপালে সে
হীপাতে থাকে এ ৎ ন্ ছুমি বোঝা না চ ৷পালেও হাপায় ৷ যে সম্প্রদায় আমার নিদর্শনকে প্রত্যাখ্যান
করে তাদের অবস্থা ও এরুপ;ত তুমি বৃত্তান্ত বিবৃত কর যাতে তারা চিন্তা করে ৷ যে সম্প্রদায় আমার
নিদর্শনকে প্রত্যাখ্যান করে ও নিজেদের প্রতি জুলুম করে তাদের অবস্থা কত মন্দ! (সুরা
১৭৭)
حَوْلَهَا يَنْزِلُونَ وَيَرْتَحِلُونَ أَمَامَهَا وَيَمِينَهَا وَشِمَالَهَا وَوَرَاءَهَا.
وَجُمْلَةُ مَا ذُكِرَ مِنَ الْمُقَاتِلَةِ، غَيْرَ بَنِي لَاوِي، خَمْسُمِائَةِ أَلْفٍ وَأَحَدٌ وَسَبْعُونَ أَلْفًا وَسِتُّمِائَةٍ وَسِتَّةٌ وَخَمْسُونَ، لَكِنْ قَالُوا: فَكَانَ عَدَدُ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِمَّنْ عُمْرُهُ عِشْرُونَ سَنَةً فَمَا فَوْقَ ذَلِكَ مِمَّنْ حَمَلَ السِّلَاحَ، سِتَّمِائَةِ أَلْفٍ وَثَلَاثَةَ آلَافٍ وَخَمْسَمِائَةٍ وَخَمْسِينَ رَجُلًا، سِوَى بَنِي لَاوِي وَفِي هَذَا نَظَرٌ; فَإِنَّ جَمِيعَ الْجُمَلِ الْمُتَقَدِّمَةِ، إِنْ كَانَتْ كَمَا وَجَدْنَا فِي كِتَابِهِمْ لَا تُطَابِقُ الْجُمْلَةَ الَّتِي ذَكَرُوهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَكَانَ بَنُو لَاوِي الْمُوَكَّلُونَ بِحِفْظِ قُبَّةِ الزَّمَانِ، يَسِيرُونَ فِي وَسَطِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَهُمُ الْقَلْبُ، وَرَأْسُ الْمَيْمَنَةِ بَنُو رُوبِيلَ، وَرَأْسُ الْمَيْسَرَةِ بَنُو رَانَ، وَبَنُو نِفْتَالِي يَكُونُونَ سَاقَةً، وَقَرَّرَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بِأَمْرِ اللَّهِ تَعَالَى لَهُ، الْكِهَانَةَ فِي بَنِي هَارُونَ، كَمَا كَانَتْ لِأَبِيهِمْ مِنْ قَبْلِهِمْ، وَهُمْ: نَادَابُ، وَهُوَ بِكْرُهُ، وَأَبِيهُو، وَالْعَازَرُ، وَيَثْمَرُ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ أَحَدٌ مِمَّنْ كَانَ نَكَلَ عَنْ دُخُولِ مَدِينَةِ الْجَبَّارِينَ، الَّذِينَ قَالُوا: {فَاذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا إِنَّا هَاهُنَا قَاعِدُونَ} [المائدة: 24] . قَالَهُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ. وَقَالَهُ قَتَادَةُ، وَعِكْرِمَةُ، وَرَوَاهُ السُّدِّيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَابْنِ مَسْعُودٍ، وَنَاسٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، حَتَّى قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَغَيْرُهُ مِنْ عُلَمَاءِ السَّلَفِ وَالْخَلَفِ: وَمَاتَ مُوسَى، وَهَارُونُ قَبْلَهُ، كِلَاهُمَا فِي التِّيهِ جَمِيعًا. وَقَدْ زَعَمَ ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৭৪৭
إِسْحَاقَ أَنَّ الَّذِي فَتَحَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ هُوَ مُوسَى، وَإِنَّمَا كَانَ يُوشَعُ عَلَى مُقَدِّمَتِهِ، وَذَكَرَ فِي مُرُورِهِ إِلَيْهَا قِصَّةَ بِلْعَامَ بْنِ بَاعُورَاءَ، الَّذِي قَالَ تَعَالَى فِيهِ: {وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ الَّذِي آتَيْنَاهُ آيَاتِنَا فَانْسَلَخَ مِنْهَا فَأَتْبَعَهُ الشَّيْطَانُ فَكَانَ مِنَ الْغَاوِينَ - وَلَوْ شِئْنَا لَرَفَعْنَاهُ بِهَا وَلَكِنَّهُ أَخْلَدَ إِلَى الْأَرْضِ وَاتَّبَعَ هَوَاهُ فَمَثَلُهُ كَمَثَلِ الْكَلْبِ إِنْ تَحْمِلْ عَلَيْهِ يَلْهَثْ أَوْ تَتْرُكْهُ يَلْهَثْ ذَلِكَ مَثَلُ الْقَوْمِ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا فَاقْصُصِ الْقَصَصَ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ - سَاءَ مَثَلًا الْقَوْمُ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَأَنْفُسَهُمْ كَانُوا يَظْلِمُونَ} [الأعراف: 175 - 177]
[الْأَعْرَافِ: 175 - 177] . وَقَدْ ذَكَرْنَا قِصَّتَهُ فِي " التَّفْسِيرِ "، وَأَنَّهُ كَانَ فِيمَا قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَغَيْرُهُ، يَعْلَمُ الِاسْمَ الْأَعْظَمَ، وَأَنَّ قَوْمَهُ سَأَلُوهُ أَنْ يَدْعُوَ عَلَى مُوسَى وَقَوْمِهِ، فَامْتَنَعَ عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا أَلَحُّوا عَلَيْهِ، رَكِبَ حِمَارَةً لَهُ، ثُمَّ سَارَ نَحْوَ مُعَسْكَرِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَلَمَّا أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ، رَبَضَتْ بِهِ حِمَارَتُهُ، فَضَرَبَهَا، حَتَّى قَامَتْ فَسَارَتْ غَيْرَ بَعِيدٍ وَرَبَضَتْ، فَضَرَبَهَا ضَرْبًا أَشَدَّ مِنَ الْأَوَّلِ فَقَامَتْ، ثُمَّ رَبَضَتْ فَضَرَبَهَا، فَقَالَتْ لَهُ: يَا بِلْعَامُ أَيْنَ تَذْهَبُ؟ أَمَا تَرَى الْمَلَائِكَةَ أَمَامِي، تَرُدُّنِي عَنْ وَجْهِي هَذَا، أَتَذْهَبُ إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ وَالْمُؤْمِنِينَ تَدْعُو عَلَيْهِمْ؟ فَلَمْ يَنْزِعْ عَنْهَا فَضَرَبَهَا حَتَّى سَارَتْ بِهِ، حَتَّى أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ مِنْ رَأْسِ جَبَلِ حُسْبَانَ، وَنَظَرَ إِلَى مُعَسْكَرِ مُوسَى وَبَنِي إِسْرَائِيلَ، فَأَخَذَ يَدْعُو عَلَيْهِمْ فَجَعَلَ لِسَانُهُ لَا يُطِيعُهُ إِلَّا أَنْ يَدْعُوَ لِمُوسَى وَقَوْمِهِ، وَيَدْعُو عَلَى قَوْمِ نَفْسِهِ، فَلَامُوهُ عَلَى ذَلِكَ، فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِمْ بِأَنَّهُ لَا يَجْرِي عَلَى لِسَانِهِ إِلَّا هَذَا، وَانْدَلَعَ لِسَانُهُ حَتَّى وَقَعَ عَلَى صَدْرِهِ، وَقَالَ لِقَوْمِهِ: ذَهَبَتْ مِنِّي الْآنَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةُ، وَلَمْ يَبْقَ إِلَّا الْمَكْرُ وَالْحِيلَةِ. ثُمَّ أَمَرَ قَوْمَهُ
পৃষ্ঠা - ৭৪৮
বালয়াম ইবন বাওর-এর ঘটনা তাফসীরে উল্লেখ রয়েছে ৷ ইবন আব্বাস (বা ) প্রমুখ
উল্লেখ করেছেন যে, সে ইসমে আযম জানত ৷ তার সম্প্রদায় তাকে মুসা (আ) ও তার
সম্প্রদায়ের উপর অভিশাপ দিতে অনুরোধ করেছিল ৷ প্রথমত সে বিরত ছিল কিন্তু যখন তারা
তাকে পুনঃ পুনঃ অনুরোধ করল, তখন সে তার একটি পাধার উপর আরোহণ করল ৷ এরপর
বনী ইসরাঈলের শিবিরের দিকে অগ্রসর হল ৷ যখন সে তাদের নিকটবর্তী হল, তখন গাধাটি
তাকে নিয়ে বসে পড়ল ৷ সে গাধাটিকে মারধর করতে লাগল ৷ গড়াধাটি দাড়িয়ে কিছু দুর চলার
পর আবার বসে পড়ল ৷ তখন সে পাধাটিকে আগের চইিতে অধিক মার দিল ৷ পাধাটি দীড়াল ,
পরে আবার বসে পড়ল ৷ তখন সে আবার পার্ধাটিকে অধিক জোরে পিটাতে লাগল ৷ তখন
পাধাটির মুখে ভাষা ফুটল ৷ সে বালয়ামকে বলতে লাগল, হে বালয়াম ! তুমি কোথায় যড়াচ্ছ?
তুমি কি ফেরেশতাদের দেখছ না-র্তারা আমার সামনে দাড়িয়ে আমাকে ভীব্রতাবে বাধা
দিচ্ছেন? তুমি কি আল্লাহর নবী ও ষু’মিনদের অভিশাপ দেওয়ার জন্য যাচ্ছ? তবু সে বিরত
রইল না, সে আবার গাধাটিকে মার দিল ৷
পাধাটি অগ্রসর হল এবং হাসবড়ান পাহাড়ের চুড়ার নিকটবর্তী হল ৷ বালয়াম মুসা (আ )-এর
শিবির ও নদী ইসরাঈলের দিকে তাকালো এবং তাদেরকে অভিশাপ দিতে লাগল ৷ তবে তার
জিহবা তার এখতিয়ায়ে ছিল না ৷ সে মুসা (আ) ও তার সম্প্রদায়ের জন্যে আশীর্বাদ করতে
লাগল এবং তার নিজের সম্প্রদায়ের উপর অভিশাপ দিতে লাগল ৷ তার সম্প্রদায় তাকে এ জন্য
তিরস্কার করতে লাগল ৷ তখন সে তার সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল এবং বলল যে, সে
তার জিহ্াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না ৷ তার জিহবা ক্রমেই ঝুলে পড়ছিল এবং তা শেষ পর্যন্ত
বুকের উপর গিয়ে পড়ল ৷ সে তার সম্প্রদায়কে বলতে লাগল, আমার দুনিয়া ও আখিরাত
বরবাদ হয়ে গেল ৷ প্রতারণা ও ধৌকাবাজি ব্যতীত আমার জন্যে আর কোন পথই বাকি রইলাে
না ৷ তারপর সে তার সম্প্রদায়কে নির্দেশ দিল তারা যেন তাদের নারীদেরকে বিশেষ সাজে
সজ্জিত করে পণ্য বিক্রয়ের ছলে মুসা (আ)-এর সৈন্যদের কাছে পাঠায় ৷ তারা তাদের কাছে
মালপত্র বিক্রয় করবে ও নিজেদেরকে তাদের কাছে সমর্পণ করবে যাতে তারা তাদের সাথে
ব্যভিচারে লিপ্ত হয় ৷ কেননা, তাদের মধ্য হতে যদি একজনও ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তাহলে এটা
তাদের সকলের ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট ৷ তারা এরুপ করল ৷ তাদের নারীদের বিশেষভাবে সজ্জিত
করল এবং তাদেরকে বনী ইসরাঈল শিবিরে পাঠাল ৷ তাদের মধ্যকার কুস্তি নান্নী একজন নারী
বনী ইসরাঈলের একজন সরদারের কাছে গেল ৷ তার নাম ছিল যামরী ইবন শালুম ৷ কথিত
আছে যে, সে ছিল বনু শামাউন ইবন ইয়াকুব (আ)-এর গোত্রের সরদার ৷ সে তখনই এই
নারীটিকে নিয়ে তার র্তাবুতে প্রবেশ করল ও তার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হল ৷ আল্লাহ্ তাআলা
বনী ইসরাইলের প্ৰতি প্লেগ রোগ পাঠালেন ৷ এ রোগ তাদের মধ্যে ছড়াতে লাগল ৷ এই সংবাদ
যখন ফিনহাস ইবন আমার ইবন হারুন-এর কাছে পৌছল , তখন তিনি তার লোহার বর্শ৷ হাতে
ঐ র্তীবুতে ঢুকে তাদের দুইজনকেই বিদ্ধ করলেন ৷ অতঃপর তাদেরকে নিয়ে ঘরের বের হয়ে
জনসমক্ষে আসলেন ৷ তখন তার হাতে ঐ হাতিয়ারটিও ছিল ৷ পুরুষ ও মহিলা উভয়ের লাশ
তিনি ঘরের বাইরে নিয়ে আসেন এবং আকাশের দিকে লাশ দুটি তুলে ধরে বললেন, হে
أَنْ يُزَيِّنُوا النِّسَاءَ، وَيَبْعَثُوهُنَّ بِالْأَمْتِعَةِ يَبِعْنَ عَلَيْهِمْ، وَيَتَعَرَّضْنَ لَهُمْ، حَتَّى لَعَلَّهُمْ يَقَعُونَ فِي الزِّنَى فَإِنَّهُ مَتَى زَنَى رَجُلٌ مِنْهُمْ كُفِيتُمُوهُمْ. فَفَعَلُوا وَزَيَّنُوا نِسَاءَهُمْ وَبَعَثُوهُنَّ إِلَى الْمُعَسْكَرِ، فَمَرَّتِ امْرَأَةٌ مِنْهُمُ اسْمُهَا كَسْتَى بِرَجُلٍ مِنْ عُظَمَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَهُوَ زِمْرِيُّ بْنُ شَلُومَ، يُقَالُ إِنَّهُ كَانَ رَأْسَ سِبْطِ بَنِي شَمْعُونَ بْنِ يَعْقُوبَ. فَدَخَلَ بِهَا قُبَّتَهُ، فَلَمَّا خَلَا بِهَا أَرْسَلَ اللَّهُ الطَّاعُونَ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَجَعَلَ يَجُوسُ فِيهِمْ، فَلَمَّا بَلَغَ الْخَبَرُ إِلَى فِنْحَاصَ بْنِ الْعَيْزَارِ بْنِ هَارُونَ، أَخَذَ حَرْبَتَهُ، وَكَانَتْ مِنْ حَدِيدٍ فَدَخَلَ عَلَيْهِمَا الْقُبَّةَ، فَانْتَظَمَهُمَا جَمِيعًا فِيهَا، ثُمَّ خَرَجَ بِهِمَا عَلَى النَّاسِ وَالْحَرْبَةِ فِي يَدِهِ، وَقَدِ اعْتَمَدَ عَلَى خَاصِرَتِهِ وَأَسْنَدَهَا إِلَى لِحْيَتِهِ، وَرَفْعَهُمَا نَحْوَ السَّمَاءِ وَجَعَلَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ هَكَذَا نَفْعَلُ بِمَنْ يَعْصِيكَ. وَرَفَعَ الطَّاعُونَ، فَكَانَ جُمْلَةُ مَنْ مَاتَ فِي تِلْكَ السَّاعَةِ سَبْعِينَ أَلْفًا، وَالْمُقَلِّلُ يَقُولُ: عِشْرِينَ أَلْفًا. وَكَانَ فِنْحَاصُ بِكْرَ أَبِيهِ الْعَيْزَارِ بْنِ هَارُونَ، فَلِهَذَا يَجْعَلُ بَنُو إِسْرَائِيلَ لِوَلَدِ فِنْحَاصَ مِنَ الذَّبِيحَةِ الْقِبَةَ وَالذِّرَاعَ وَاللَّحْيَ، وَلَهُمُ الْبِكْرُ مِنْ كُلِّ أَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ مِنْ قِصَّةِ بِلْعَامَ صَحِيحٌ قَدْ ذَكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَاءِ السَّلَفِ، لَكِنْ لَعَلَّهُ لَمَّا أَرَادَ مُوسَى دُخُولَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، أَوَّلَ مَقْدَمِهِ مِنَ الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ، وَلَعَلَّهُ مُرَادُ ابْنِ إِسْحَاقَ، وَلَكِنَّهُ مَا فَهِمَهُ بَعْضُ النَّاقِلِينَ عَنْهُ. وَقَدْ قَدَّمْنَا عَنْ نَصِّ التَّوْرَاةِ مَا يَشْهَدُ لِبَعْضِ هَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلَعَلَّ هَذِهِ قِصَّةٌ أُخْرَى كَانَتْ فِي خِلَالِ
পৃষ্ঠা - ৭৪৯
আল্লাহ ! আপনার অবাধ্যের সাথে আপনি এরুপ আচরণই করে থাকেন ৷ এরপর ংপ্লগের প্রকোপ
প্রশমিত হয়ে যায় ৷ ঐ প্লেগ মহামারীতে সত্তর হাজার লোক মারা গিয়েছিল ৷ যারা এ সংখ্যা কম
, করে বলেন, তারাও বিশ হাজার লোক মারা গিয়েছিল বলে থাকেন ৷
ফিনহাস ছিলেন তার পিতার প্রথম সন্তান ৷ তার পিতা আল আযার ছিলেন হারুন (আ ) এর
পুত্র ৷ এ জন্য বনী ইসরাঈলরা কুরবানীর পশুর নিতম্ব, বাহু ও চোয়াল ফিনহাস বংশীয়দের
প্রাপ্য বলে মনে করত ৷ অনুরুপভাবে তাদের সবকিছুর প্রথমটি তাদের প্রাপ্য বলে মনে করত ৷
বালয়ামের উপরোক্ত ঘটনাটি ইবন ইসহাক (র) বর্ণনা করেন ৷ আর তা যথাঃইি বলে বুযুর্গানে
দীনের অনেকেই মন্তব্য করেছেন ৷ তবে হয়ত মিসর থেকে প্রথমবার বায়তুল মুকাদ্দাস
প্রবেশের জন্যে মুসা (আ) যে উদ্যেম্পো গ্রহণ করেন তিনি তা বোঝাতে চেয়েছেন ৷ কিন্তু কোন
কোন বর্ণনাকারী তা অনুধাবনে সক্ষম হননি ৷ ইতিপুর্বেও এ সম্বন্ধে কিছু বর্ণনা তাওরাতের
বরাতে উদ্ধৃত করা হয়েছে ৷ আল্লাহই অধিক পরিজ্ঞাত ৷ আবার এ ঘটনাটি ভীহ ময়দানে
ভ্রমণকালে সংঘটিত একটি ভিন্ন ঘটনাও হতে পারে ৷ কেননা এ ঘটনার বর্ণনায় হাসবান
পাহাড়ের উল্লেখ রয়েছে ৷ তা বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে বহু দুরে অবস্থিত ৷ অথবা এ ঘটনা ছিল
মুসা (আ)-এর বাহিনীর যারা ইউশা ইবন নুন (আ)-এর নেতৃত্বে বায়তুল মুকাদ্দাসের উদ্দেশে
তীহ ময়দান থেকে বের হয়ে এসেছিল তাদের-যেমন সুদ্দী (র) বলেছেন ৷
উপরোক্ত বিভিন্ন মতামতের প্রেক্ষিতে জমহুর উলামড়ায়ে কিরাম এ ব্যাপারে একমত যে,
হারুন (আ) তার ডইি মুসা (আ)-এর প্রায় দু’বছর পুর্বে র্তীহ প্রান্তরে ইনতিকাল করেন ৷
তারপর মুসা (আ)ও সেখানেই ইনতিকাল করেন ৷ একথা আমরা পুর্বেই উল্লেখ করেছি যে, মুসা
(আ) তার প্রতিপালকের কাছে বায়তুল মুকাদ্দাসের নিকটবর্তী স্থানে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য
দ,ট্রুআ করেছিলেন এবং তা কবুলও হয়েছিল ৷
বনী ইসরাঈল বীর সাথে তীহ ময়দান থেকে বের হয়েছিল এবং বায়তুল মুকাদ্দাসের
উদ্দেশে যাত্রা করেছিল, তিনি ছিলেন ইউশা ইবন নুন (আ) ৷ কিতাবীরা ও অন্যান্য
ইতিহাসবেত্তা উল্লেখ করেন যে, ইউশা ইবন নুন (আ) বনী ইসরাঈল্যক নিয়ে জর্দড়ান নদী
অতিক্রম করে উরায়হায় পৌছলেন ৷ উরায়হা ছিল ময়দানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মজবুত
প্রাচীরঘেরা দুর্গ, সুউচ্চ অট্টালিকাপুর্ণ জনবহুল শহর ৷ তিনি এ শহরটিকে ছয় মাস অবরোধ
করে রাখেন ৷ অতঃপর একদিন ইউশা (আ)-এর সৈন্যরা শহরটি আক্রমণ করলেন এবং যুদ্ধের
শিংগায় কুক এবং সমস্বরে তাকবীর দিতে লাগলেন, শহরের প্রাচীরগুলােতে ফাটল সৃষ্টি হল
এবং প্রাচীরের একটি বিধ্বস্ত অংশ দিয়ে ইউশা (আ)-এর সৈন্য দৃর্গে ঢুকে গেলেন ৷ তারা প্রচুর
গণিমত লাভ করলেন এবং যার হাজার নারী-পুরুষকে হত্যা করলেন ৷ এভাবে তারা বহু
রাজরাজড়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন ৷
এরুপও কথিত আছে যে, ইউশা (আ) সিরিয়ার একত্রিশজন রজাের বিরুদ্ধে জয়লাভ
করেছিলেন আবার এরুপও বর্ণিত রয়েছে যে, উপরোক্ত শহরটির অবরোধ জুমআর দিন
আসরের পর পর্যন্ত দীর্ঘ্যয়িত হয় ৷ যখন সুর্য অস্ত যায় কিৎবা অস্ত্র যাওয়ার উপক্রম হয় ও
তাদের জন্য তাদের শরীয়তে নিষিদ্ধ শনিবার প্রায় আগত, তখন ইউশা (আ) সুর্যকে লক্ষ্য করে
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খনীিগ্যেরু
سَيْرِهِمْ فِي التِّيهِ، فَإِنَّ فِي هَذَا السِّيَاقِ ذِكْرَ حُسْبَانَ، وَهِيَ بَعِيدَةٌ عَنْ أَرْضِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، أَوْ لَعَلَّهُ كَانَ هَذَا لِجَيْشِ مُوسَى الَّذِينَ عَلَيْهِمْ يُوشَعُ بْنُ نُونٍ، حِينَ خَرَجَ بِهِمْ مِنَ التِّيهِ قَاصِدًا بَيْتَ الْمَقْدِسِ، كَمَا صَرَّحَ بِهِ السُّدِّيَّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَعَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ، فَالَّذِي عَلَيْهِ الْجُمْهُورُ، أَنَّ هَارُونَ تُوُفِّيَ بِالتِّيهِ قَبِلَ مُوسَى أَخِيهِ بِنَحْوٍ مَنْ سَنَتَيْنِ. وَبَعْدَهُ مُوسَى فِي التِّيهِ أَيْضًا، كَمَا قَدَّمْنَا، وَأَنَّهُ سَأَلَ رَبَّهُ أَنْ يُقَرَّبَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، فَأُجِيبَ إِلَى ذَلِكَ، فَكَانَ الَّذِي خَرَجَ بِهِمْ مِنَ التِّيهِ، وَقَصَدَ بِهِمْ بَيْتَ الْمَقْدِسِ، هُوَ يُوشَعُ بْنُ نُونٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَذَكَرَ أَهْلُ الْكِتَابِ، وَغَيْرُهُمْ مِنْ أَهْلِ التَّارِيخِ، أَنَّهُ قَطَعَ بِبَنِي إِسْرَائِيلَ نَهْرَ الْأُرْدُنِّ، وَانْتَهَى إِلَى أَرِيحَا، وَكَانَتْ مَنْ أَحْصَنِ الْمَدَائِنَ سُورًا، وَأَعْلَاهَا قُصُورًا، وَأَكْثَرِهَا أَهْلًا، فَحَاصَرَهَا سِتَّةَ أَشْهُرٍ، ثُمَّ إِنَّهُمْ أَحَاطُوا بِهَا يَوْمًا، وَضَرَبُوا بِالْقُرُونِ، يَعْنِي الْأَبْوَاقَ، وَكَبَّرُوا تَكْبِيرَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، فَتَفَسَّخَ سُورُهَا، وَسَقَطَ وَجْبَةً وَاحِدَةً، فَدَخَلُوهَا، وَأَخَذُوا مَا وَجَدُوا فِيهَا مِنَ الْغَنَائِمِ، وَقَتَلُوا اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ، وَحَارَبُوا مُلُوكًا كَثِيرَةً، وَيُقَالُ: إِنَّ يُوشَعَ ظَهَرَ عَلَى أَحَدٍ وَثَلَاثِينَ مَلِكًا مِنْ مُلُوكِ الشَّامِ. وَذَكَرُوا أَنَّهُ انْتَهَى مُحَاصَرَتُهُ لَهَا إِلَى يَوْمِ جُمُعَةٍ بَعْدَ الْعَصْرِ، فَلَمَّا غَرَبَتِ الشَّمْسُ، أَوْ كَادَتْ تَغْرُبُ، وَيَدْخُلُ عَلَيْهِمُ السَّبْتُ الَّذِي جُعِلَ
পৃষ্ঠা - ৭৫০
বললেন, তুমি অস্ত যাবার জন্যে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত, আর আমিও এই শহরকে
জয় করার জন্য নির্দেশ প্রাপ্ত ৷ হে আল্লাহ ! সুর্যকে আমার জন্যে ঠেকিয়ে রাখুন ৷ শহরটি
জয়লাভ করা পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা সুর্যকে ইউশা (আ) এর জন্য ঠেকিয়ে রাখলেন ৷ অন্যদিকে
আলাহ্ তাআলা চীদকে হুকুম দিলেন-যেন উদয় হতে বিলম্ব করে ৷ এতে প্রতীয়মান হয় যে,
উক্ত রাতটি ছিল পুর্গিমার রাত ৷ সুর্যের ঘটনাটি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর হাদীসে উল্লেখিত রয়েছে
যা একটু পরেই আমরা আলোচনা করছি ৷ তবে চাদের ব্যাপারটি কিতাবীদের দ্বারা বর্ণিত এবং
তা হাদীসের পরিপন্থী নয়; বরং এটা অতিরিক্ত ৷ এ বর্ধিত অংশকে সত্য বা মিথ্যা বলা যায় না ৷
তারা আরো উল্লেখ করেন যে, এ ঘটনাটি ঘটেছিল উরায়হা বিজয়কালে ন্ তবে এতে সন্দেহের
অবকাশ রয়েছে ৷ আল্লাহ তাআলা অধিক পরিজ্ঞাত ৷ অধিকতর গ্রহণযেগ্যে মতামত হচ্ছে এ
ঘটনাটি ঘটেছিল রায়তুল ঘুকাদ্দাস বিজয়কালে ৷ মুল লক্ষ্য ছিল রায়তুল মুকাদ্দাস বিজয় আর
উরায়হা বিজয় ছিল তার উপায় মাত্র ৷
ইমাম আহমদ (র) আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা ) ইরশাদ
করেন-ইউশা (আ) ব্যতীত অন্য কারোর জন্যে সুর্যকে নিশ্চল করে রাখা হয়নি ৷ এ বংনািটি
শুধু ইমাম আহমদ (র) থেকেই বর্ণিত ৷ তবে এটা ইমাম বুখারী (র)-এর শর্ত অনুযায়ী সুত্রে
বর্ণিত ৷ এ হড়াদীসের দ্বারা বোঝা যায়, রায়তুল মুকাদ্দাস নির্মিত হয় ইউশা ইবন নুন (আ )-এর
হাতে, মুসা (আ)-এব হাতে নয় ৷ আর সুর্যের নিশ্চলতা ছিল রায়তুল মৃকাদ্দাস বিজয়কালে ,
উরায়হা বিজয় করার সময় নয় ৷ এ কথা আমরা পুর্বেই বর্ণনা করেছি ৷ আবার এটাও বোঝা
যায় যে, সুর্যকে নিশ্চল করে রাখা ছিল ইউশা (আ)-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ৷ এই বর্ণনার দ্বারা
নিম্নোক্ত হাদীসের দুর্বলতাও বোঝা যায়, যাতে বলা হয়েছে যে, একদা রাসুলুল্লাহ (সা ) আলী
(রা)-এর কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়েছিলেন ৷ সে জন্য আলী (রা) আসরের নামায আদায় করতে
পারেননি ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ (সা)এর নিকট আবেদন করলেন, যেন সুর্যকে তার জন্য ফিরিয়ে
দেয়া হয় যাতে তিনি আসরের নামায আদায় করতে পারেন ৷ তখন সুর্যকে ফিরিয়ে দেয়া
হয় ৷ উপরোক্ত হাদীস আলী ইবন সালেহ আল মিসরী (র) বিশুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করেছেন ৷
কিন্তু এটা মৃনকার হাদীস যার মধ্যে বিশুদ্ধতার লেশমাত্র নেই ৷ এমনকি এটাকে হাসান পর্যায়ের
হাদীসও বলা যায় না ৷ এ ঘটনাটি বহু সংখ্যক বর্ণনাকারী কর্তৃক বর্ণিত হওয়াই ছিল স্বাভাবিক
অথচ এক পর্যায়ে আহলে বায়তের কোন একজন মাত্র অপরিচিত মহিলা হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (ব) আবুহুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন একজন নবী যুদ্ধের প্রন্তুতি নেন ৷
তখন তিনি তার সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে বলেন, যে ব্যক্তি নব বিবাহিত, এখনও বাসর রাত
যাপন করেনি, সে যেন আমার সৈন্যদলের অন্তর্ভুক্ত না হয়, আর এমন ব্যক্তিও যেন অন্তর্ভুক্ত না
হয়-যে ঘরের ভিত্তি পত্তন করেছে কিত্তু এখনও তার ছাদ দিতে পারেনি ৷ আবার এমন ব্যক্তিও
যেন অন্তর্ভুক্ত না হয়, যে বকরী কিৎরা মেষ খরিদ করেছে ও শাবক জন্মের অপেক্ষায় রয়েছে ৷
অতঃপর তিনি যুদ্ধ করতে করতে এমন সময় শহরের নিকটবর্তী হলেন, যখন আসরের সালাত
عَلَيْهِمْ، وَشُرِعَ لَهُمْ ذَلِكَ الزَّمَانَ، قَالَ لَهَا: إِنَّكِ مَأْمُورَةٌ وَأَنَا مَأْمُورٌ، اللَّهُمَّ احْبِسْهَا عَلَيَّ. فَحَبَسَهَا اللَّهُ عَلَيْهِ، حَتَّى تَمَكَّنَ مِنْ فَتْحِ الْبَلَدِ، وَأَمَرَ الْقَمَرَ فَوَقَفَ عِنْدَ الطُّلُوعِ، وَهَذَا يَقْتَضِي أَنَّ هَذِهِ اللَّيْلَةَ كَانَتِ اللَّيْلَةَ الرَّابِعَةَ عَشْرَةَ مِنَ الشَّهْرِ. وَالْأَوَّلُ، وَهُوَ قِصَّةُ الشَّمْسِ الْمَذْكُورَةِ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي سَأَذْكُرُهُ. وَأَمَّا قِصَّةُ الْقَمَرِ، فَمِنْ عِنْدِ أَهْلِ الْكِتَابِ، وَلَا يُنَافِي الْحَدِيثَ، بَلْ فِيهِ زِيَادَةٌ تُسْتَفَادُ، فَلَا تُصَدَّقُ وَلَا تُكَذَّبُ، وَلَكِنَّ ذِكْرَهُمْ أَنَّ هَذَا فِي فَتْحِ أَرِيحَا فِيهِ نَظَرٌ، وَالْأَشْبَهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، أَنَّ هَذَا كَانَ فِي فَتْحِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، الَّذِي هُوَ الْمَقْصُودُ الْأَعْظَمُ، وَفَتْحُ أَرِيحَا كَانَ وَسِيلَةً إِلَيْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الشَّمْسَ لَمْ تُحْبَسْ لِبَشَرٍ إِلَّا لِيُوشَعَ لَيَالِيَ سَارَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ» . انْفَرَدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِ الْبُخَارِيِّ. وَفِيهِ دَلَالَةٌ عَلَى أَنَّ الَّذِي فَتَحَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ هُوَ يُوشَعُ بْنُ نُونٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَا مُوسَى، وَأَنَّ حَبْسَ الشَّمْسِ كَانَ فِي فَتْحِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ لَا أَرِيحَا، كَمَا قُلْنَا وَفِيهِ أَنَّ هَذَا كَانَ مِنْ خَصَائِصِ يُوشَعَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَيَدُلُّ عَلَى ضَعْفِ الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَيْنَاهُ; أَنَّ الشَّمْسَ رَجَعَتْ حَتَّى صَلَّى عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ صَلَاةَ الْعَصْرِ، بَعْدَ مَا فَاتَتْهُ، بِسَبَبِ نَوْمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رُكْبَتِهِ، فَسَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ أَنْ يَرُدَّهَا عَلَيْهِ، حَتَّى يُصَلِّيَ
পৃষ্ঠা - ৭৫১
আদায় করা হয় কিৎরা তিনি বলেন, আসরের ওয়!ক্তের নিকটবর্তী হন ৷ তখন তিনি সুর্যকে
লক্ষ্য করে বলেন, দ্মি যেমন নির্দেশপ্রাপ্ত তেমনি আমিও নির্দেশপ্রাপ্ত ৷ হে আল্লাহ! এটাকে
ক্ষণকাল আমার জন্যে নিশ্চল করে রাখুন! অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা বিজয় দান পর্যন্ত সুর্যকে
নিশ্চল করে রাখেন ৷ নবীর সৈন্যগণ গনীমতের ম!ল এক স্থানে জড়ো করলেন এবং আগুন
এগুলোকে গ্রাস করার জন্যে আসল কিভু গ্রাস করতে অস্বীকার করল ৷ তখন তিনি বললেন, হে
আমার সম্প্রদায়! তোমরা কেউ এ গনীমতের মাল হতে কিছু সালে খিয়ানত করেছ, কাজেই
তোমাদের প্রতি গোত্র থেকে একজন করে আমার কাছে বায়আত কর ৷ তার! ব!য়আত
করলো ৷ একজনের হাত নবীর হাতের সাথে আটকে গেল ৷ তখন তিনি বললেন, তোমাদের
গোত্রের সােইে গনীমতের মাল আত্মসাৎ করেছে ৷ কাজেই তোমাদের গোত্রের লোকজনকে
বল, আমার বায়আত গ্রহণ করতে ৷ গোত্রের সকলে তার হাতে ব!য়আত হল, কিত্তু দুই বা
তিনজনের হাত নবীর হাতের সাথে আটকিয়ে গেল ৷ তখন নবী বললেন, তোমাদের কাছে চ্রির
ম!ল রয়েছে ৷ তােমর!ই আত্মস!ৎকারী ৷ তখন তার! একটি গরুর মাথা পরিমাণ স্বর্ণ বের করে
দিল ৷ বর্ণনাকায়ী বলেন, তার! তা গনীমতে র ম!লের সাথে রেখে !দল ৷ ম!ল ময়দানে রাখা
ছিল ৷ এরপর আগুন অগ্রসর হয়ে আসল এবং মালগুলােকে গ্রাস করে নিল ৷ আমাদের উম্মতের
পুর্বে কারোর জন্য গনীমতের ম!ল বৈধ ছিল না ৷ আল্লাহ্ তাআল! আমাদের দৃর্বলত! ও
অক্ষমতার দিকে লক্ষ্য করে গনীমতের ম!ল আমাদের জন্য বৈধ করে দিলেন ৷ উপরোক্ত সুত্রে
শুধু ইমাম মুসলিম (র)-ই এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
ব!যযায (র)ও অন্য সুত্রে আবু হুরায়র! (রা)-এর বরাতে র!সুলুল্লাহ (স!) থেকে অনুরুপ
বর্ণনা করেছেন ! মোদ্দাকথা, যখন ইউশ! (অ!) বনী ইসরাঈলকে নিয়ে শহরের দরজায়
পৌছেন তখন তাদেরকে বিনীতভ! !বে শহরে প্রবেশের নির্দেশ দেওয়! হয় ৷ অর্থাৎ যেহেতু
আল্লাহ্ তা আল! তার প্রতিশ্রুতি তমতে মহান বিজয় দা ন করে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন,
সেজন্য তাদেরকে অনুনয়-বিনয়ের সাথে শোকর গোযার হয়ে ও রুকু অবস্থায় প্রবেশ করতে
হুকুম দেয়! হল ৷ তাদেরকে আরো হুকুম দেয়! হল, যেন তার! প্রবেশ করার সময় মুখে উচ্চারণ
করে হ্!ধ্১ অর্থাৎ পুর্বে ব!য়তুল মুক!দ্দাসে প্রবেশ করতে অস্বীকার করে আমর! ও আমাদের
পুর্ব পুরুষের! যে ভুল করেছিলাম সেই ভুল ক্ষমা কর ৷ আর এজন্যই মক্কা বিজয়ের সময় যখন
রাসুলুল্লাহ (স!) মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন তিনি উটের উপর আরোহণ করে অত্যন্ত
বিনীতভাবে আল্লাহর শোকর গোযার ও প্রশংস!কারী রুপে প্রবেশ করেন ৷ তিনি মাথা এতই নিচু
করেছিলেন যে, তার পবিত্র দ ডি জিনের গদি স্পর্শ করছিল ৷ আর তার সাথে ছিল এমন
সৈন্য স!মন্ত যাদের মাথানত থাকার কারণে শুধু চোখের কাল অং শই দেখ! যাচ্ছিল ৷ বিশেষ
করে র!সুলুল্লাহ (স!) যে সবুজ বাহিনীতে অবস্থান করছিলেনত তাদের অবস্থা এরুপ ছিল ৷
রাসুলুল্লাহ্ (স!) মক্কায় পৌছে গোসল করেন ও আট বাক! !ত স!ল!ত আদায় করেন ৷ এই স! !ল!ত
সম্পর্কে উল!ম!য়ে কিরামের দুইটি মতামত রয়েছে ৷ কেউ কেউ বলেন, এট! ছিল শোকরান!
স!ল!ত ৷ যেহেতু আল্লাহ্ তাআল! তাকে মহ! বিজয় দান করেছিলেন ৷ আবার কেউ কেউ
বলেন, এট! ছিল চ!শতের স!ল!ত ৷ কেননা, রাসুলুল্লাহ্ (স!) চ!শতের ওয়!ক্তে এই স!ল!ত টি
আদায় করেন ৷ বনী ইসরা ঈল কথায় ও কাজে আল্লাহ্ তা“ অ !লার নিদ্যেশর বিরে!ধিত ! করেছিল
الْعَصْرَ، فَرَجَعَتْ. وَقَدْ صَحَّحَهُ أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ الْمِصْرِيُّ، وَلَكِنَّهُ مُنْكَرٌ، لَيْسَ فِي شَيْءٍ مِنَ الصِّحَاحِ وَلَا الْحِسَانِ، وَهُوَ مِمَّا تَتَوَفَّرُ الدَّوَاعِي عَلَى نَقْلِهِ، وَتَفَرَّدَتْ بِنَقْلِهِ امْرَأَةٌ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ مَجْهُولَةٌ، لَا يُعْرَفُ حَالُهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «غَزَا نَبِيٌّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ فَقَالَ لِقَوْمِهِ: لَا يَتْبَعُنِي رَجُلٌ قَدْ مَلَكَ بُضْعَ امْرَأَةٍ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يَبْنِيَ بِهَا وَلَمَّا يَبْنِ، وَلَا آخَرُ قَدْ بَنَى بُنْيَانًا وَلَمْ يَرْفَعْ سَقْفَهَا، وَلَا آخَرِ قَدِ اشْتَرَى غَنَمًا أَوْ خُلُفَاتٍ وَهُوَ يَنْتَظِرُ أَوْلَادَهَا. فَغَزَا فَدَنَا مِنَ الْقَرْيَةِ حِينَ صَلَّى الْعَصْرَ أَوْ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ، فَقَالَ لِلشَّمْسِ: أَنْتِ مَأْمُورَةٌ وَأَنَا مَأْمُورٌ، اللَّهُمَّ احْبِسْهَا عَلَيَّ شَيْئًا. فَحُبِسَتْ عَلَيْهِ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ، فَجَمَعُوا مَا غَنِمُوا فَأَقْبَلَتِ النَّارُ لِتَأْكُلَهُ، فَأَبَتْ أَنْ تَطْعَمَهُ فَقَالَ: فِيكُمْ غُلُولٌ فَلْيُبَايِعْنِي مِنْ كُلِّ قَبِيلَةٍ رَجُلٌ. فَبَايَعُوهُ، فَلَصِقَتْ يَدُ رَجُلٍ بِيَدِهِ، فَقَالَ: فِيكُمُ الْغُلُولُ وَلْتُبَايِعْنِي قَبِيلَتُكَ. فَبَايَعَتْهُ قَبِيلَتُهُ، فَلَصِقَ بِيَدِ رَجُلَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةٍ فَقَالَ: فِيكُمُ الْغُلُولُ، أَنْتُمْ غَلَلْتُمْ. فَأَخْرَجُوا لَهُ مِثْلَ رَأْسِ بَقَرَةٍ مِنْ ذَهَبٍ، قَالَ: فَوَضَعُوهُ بِالْمَالِ وَهُوَ بِالصَّعِيدِ، فَأَقْبَلَتِ النَّارُ فَأَكَلَتْهُ، فَلَمْ تَحِلَّ الْغَنَائِمُ لِأَحَدٍ مِنْ قَبْلِنَا، ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ رَأَى ضَعْفَنَا، وَعَجْزَنَا، فَطَيَّبَهَا لَنَا» انْفَرَدَ بِهِ مُسْلِمٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
পৃষ্ঠা - ৭৫২
وَقَدْ رَوَى الْبَزَّارُ مِنْ طَرِيقِ مُبَارَكِ بْنِ فَضَالَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ. قَالَ: وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلَانَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، قَالَ: وَرَوَاهُ قَتَادَةُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ لَمَّا دَخَلَ بِهِمْ بَابَ الْمَدِينَةِ، أُمِرُوا أَنْ يَدْخُلُوهَا سُجَّدًا; أَيْ رُكَّعًا مُتَوَاضِعِينَ شَاكِرِينَ لِلَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، عَلَى مَا مَنَّ بِهِ عَلَيْهِمْ مِنَ الْفَتْحِ الْعَظِيمِ، الَّذِي كَانَ اللَّهُ وَعْدَهُمْ إِيَّاهُ، وَأَنْ يَقُولُوا حَالَ دُخُولِهِمْ: حِطَّةٌ. أَيْ; حُطَّ عَنَّا خَطَايَانَا الَّتِي سَلَفَتْ مِنْ نُكُولِنَا الَّذِي تَقَدَّمَ مِنَّا. وَلِهَذَا لَمَّا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ يَوْمَ فَتْحِهَا دَخَلَهَا وَهُوَ رَاكِبٌ نَاقَتَهُ، وَهُوَ مُتَوَاضِعٌ حَامِدٌ شَاكِرٌ، حَتَّى إِنَّ عُثْنُونَهُ، وَهُوَ طَرَفُ لِحْيَتِهِ، لَيَمَسُّ مَوْرِكَ رَحْلِهِ، مِمَّا يُطَأْطِئُ رَأْسَهُ خُضْعَانًا لِلَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَمَعَهُ الْجُنُودُ وَالْجُيُوشُ، مِمَّنْ لَا يُرَى مِنْهُ إِلَّا الْحَدَقُ لَا سِيَّمَا الْكَتِيبَةُ الْخَضْرَاءُ، الَّتِي فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ لَمَّا دَخَلَهَا، اغْتَسَلَ وَصَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ. وَهِيَ صَلَاةُ الشُّكْرِ عَلَى النَّصْرِ، عَلَى الْمَنْصُورِ مِنْ قَوْلَيِ الْعُلَمَاءِ. وَقِيلَ: إِنَّهَا صَلَاةُ الضُّحَى. وَمَا حَمَلَ هَذَا الْقَائِلَ عَلَى قَوْلِهِ هَذَا، إِلَّا لِأَنَّهَا وَقَعَتْ وَقْتَ الضُّحَى. وَأَمَّا بَنُو إِسْرَائِيلَ، فَإِنَّهُمْ خَالَفُوا مَا أُمِرُوا بِهِ قَوْلًا وَفِعْلًا; دَخَلُوا الْبَابَ يَزْحَفُونَ عَلَى أسْتَاهِهِمْ وَهُمْ
পৃষ্ঠা - ৭৫৩
এবং নিতন্বের ওপর৬ ভর করে দ্বড়ারে প্রবেশ করেছিল ও বলতে ছিল ঙগ্লুর্দু ও ব অর্থাৎ
বীজ তার খােসায় ৷ অন্য বর্ণনা মতে, তারা বলেছিল ১প্রুধ্; : ষ্ ভ্র;১ অর্থাৎ গম তার
খােসায় ৷ মােটকথা,তাদেরকে যা নির্দেশ দেয়া হয়েছিল তারা তা পাল্টে দিয়েছিল ও এ নিয়ে
ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছিল ৷ মকী সুরা আল আরাফের উক্ত ঘটনার বর্ণনা প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তাআলা
ইরশাদকরেনং
ন্নুর্চু ৷ক্ট্রা,
?
ঠু১এা
া
স্মরণ কর, তাদেরকে বলা হয়েছিল, এ জনপদে বাস কর এবং যেখানে ইচ্ছা আহার কর
এবং বল, ক্ষমা চাই এবং ন৩ তশিরে দরজায় প্রবেশ কর ৷ আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করব ৷
আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে আরও অধিক দান করব ৷ কিন্তু তাদের মধ্যে যারা জ লিম ছিল
তাদেরকে যা বলা হয়েছিল, তার পরিবর্তে তারা অন্য কথা বলল ৷ সুতরাং আমি আকাশ
থেকে তাদের প্রতি শাস্তি প্রেরণ করলাম যেহেতু তারা সীমালৎঘন করেছিল ৷ (সুরা আরাফ ?;
১৬১ ১৬২) ,প্
মাদানী সুরা আলবাকারায় ইরশাদ হয়েছেং :
া
& ট্রু
স্মরণ কর, যখন আমি বললাম, এ জনপদে প্রবেশ কর, যা ইচ্ছা এবৎ£ যেখানে ইচ্ছা
াচ্ছন্দে আহার কর, নতশিরে প্রবেশ কর দরজা দিয়ে এবং বল, ক্ষমা চাই ৷ আমি তোমাদের
অপরাধ ক্ষমা করব এবং সৎকর্মপরায়ণ লোকদের প্রতি আমার দান বৃদ্ধি করব ৷ কিন্তু যারা
অন্যায় করেছিল তারা তাদেরকে যা বলা হয়েছিল তার পরিবর্তে অন্য কথা বলল ৷ সুতরাৎ
অনাচারীদের প্রতি আমি আকাশ থেকে শাস্তি প্রেরণ করলাম , কারণ তারা সত্য ত্যাগ করেছিল ৷
(সুরা বাকড়ারা : ৫৮-৫৯)
সাওরীর (র) ইবন আব্বাস (রা) থেকে আয়াতৎশ্
তাফসীর বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন, তিনি বলেছেন এটার অর্থ হচ্ছে ছোট দরজা দিয়ে ন৩ শিরে
প্রবেশ কর ৷ হাকিম (র), ইবন জ বীর (র), ইবন আবু হাতিম (র) এবং আওফী (র ) ইবন
يَقُولُونَ: حَبَّةٌ فِي شَعْرَةٍ. وَفِي رِوَايَةٍ: حِنْطَةٌ فِي شَعْرَةٍ. وَحَاصِلُهُ: أَنَّهُمْ بَدَّلُوا مَا أُمِرُوا بِهِ، وَاسْتَهْزَءُوا بِهِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى، حَاكِيًا عَنْهُمْ فِي سُورَةِ " الْأَعْرَافِ "، وَهِيَ مَكِّيَّةٌ: {وَإِذْ قِيلَ لَهُمُ اسْكُنُوا هَذِهِ الْقَرْيَةَ وَكُلُوا مِنْهَا حَيْثُ شِئْتُمْ وَقُولُوا حِطَّةٌ وَادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا نَغْفِرْ لَكُمْ خَطِيئَاتِكُمْ سَنَزِيدُ الْمُحْسِنِينَ - فَبَدَّلَ الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْهُمْ قَوْلًا غَيْرَ الَّذِي قِيلَ لَهُمْ فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِجْزًا مِنَ السَّمَاءِ بِمَا كَانُوا يَظْلِمُونَ} [الأعراف: 161 - 162]
[الْأَعْرَافِ: 161، 162] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الْبَقَرَةِ " وَهِيَ مَدَنِيَّةٌ مُخَاطِبًا لَهُمْ: {وَإِذْ قُلْنَا ادْخُلُوا هَذِهِ الْقَرْيَةَ فَكُلُوا مِنْهَا حَيْثُ شِئْتُمْ رَغَدًا وَادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا وَقُولُوا حِطَّةٌ نَغْفِرْ لَكُمْ خَطَايَاكُمْ وَسَنَزِيدُ الْمُحْسِنِينَ - فَبَدَّلَ الَّذِينَ ظَلَمُوا قَوْلًا غَيْرَ الَّذِي قِيلَ لَهُمْ فَأَنْزَلْنَا عَلَى الَّذِينَ ظَلَمُوا رِجْزًا مِنَ السَّمَاءِ بِمَا كَانُوا يَفْسُقُونَ} [البقرة: 58 - 59]
[الْبَقَرَةِ: 58، 59] . قَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، {وَادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا} [البقرة: 58] قَالَ: رُكَّعًا مِنْ بَابٍ صَغِيرٍ. رَوَاهُ الْحَاكِمُ، وَابْنُ جَرِيرٍ، وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، وَكَذَا رَوَى الْعَوْفِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ. وَكَذَا رَوَى الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ. قَالَ مُجَاهِدٌ وَالسُّدِّيُّ،
পৃষ্ঠা - ৭৫৪
আব্বাস (বা) থেকে এটি বর্ণনা করেছেন ৷ সাওরী (র) থেকে ভিন্ন সুত্রেও অনুরুপ বর্ণনা
রয়েছে ৷ মুজাহিদ, সুদ্দী ও যাহ্হাক (র) বলেন, উপরোক্ত দরজাটি ছিল বায়তুল মুকাদ্দাসের
বায়তে ঈলিয়ার বাবে হিত্তা ৷
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) বলেন, তারা নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তাদের মাথা উচিয়ে
প্রবেশ করে ৷ তবে এটি ইবন আব্বাস (রা)-এর মতের পরিপন্থী নয় ৷ ইবন আব্বাস (রা)
বলেছেন যে, তারা তাদের নিতন্বের উপর ভর দিয়ে প্রবেশ করেছিল ৷ তারা মাথা উচিয়ে
নিতন্বের ওপর ভর দিয়ে প্রবেশ করেছিল বলে একটি হাদীস পরবর্তীতে আসছে ৷
(
আয়াতাৎশে উল্লেখিত শু!পুব্লু ৷ণ্,র্দুট্রুর্চুদ্বু এ ওয়াও’ অক্ষরঢি অবস্থা জ্ঞাপক ৰুন্াণ্
সংযোজক অব্যয় (এে£:) নয় ৷ অর্থাৎ তোমরা (বা ) বলতে বলতে নতশিরে প্রবেশ
কর ৷ ইবন আব্বাস (রা), আতা, হাসান বসরী, কাতাদা, রড়াবী (ব) বলেন, তাদেরকে ক্ষমা
চাওয়ার জন্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল ৷
ইমাম বুখারী (ব) আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন ;
বনী ইসরাঈলকে বলা হয়েছিলে, নতশিরে দরজায় প্রবেশ কর, ভ্র বল কিন্তু তারা
তাদের নিতম্বের ওপর ভর করে প্রবেশ করেছিল ৷ এভাবে তারা ধ্! এর পরিবর্তে বলেছিল
;-,;;: ঘে৷ ন্; ন্ অর্থাৎ চুলের মধ্যে বীজ রয়েছে ৷ অনুরুপভাবে নাসাঈ (র) মওকুফ রুপে
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
আবদুর রাজ্জাক (র) আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে , রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন,
আল্লাহ্ তাআলড়া বনী ইসরাঈলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তোমরা নতশিরে বায়তুল মুকড়াদ্দাসের
দ্বারে প্রবেশ কর এবং বল ব অর্থাৎ ক্ষমা চাই, তাহলে তোমাদের তাবৎ পাপ মাফ করে
দেব ৷ কিত্তু তারা আল্লাহ্ তাআলার নির্দেশ পরিবর্তন করে নিতম্বের ওপর ভর করে
ঙগ্লুদ্বু শুপ্ দ্ভা; ১ বলতে বলতে বায়তুল ঘুকাদ্দাসে প্রবেশ করে ৷ ইমাম বৃখারী, মুসলিম ও
তিরমিযী (র) এ হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ তিরমিযী (র) হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ পর্যায়ের
বলে মন্তব্য করেছেন ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহড়াক (ব) আবু হুরায়রা ও ইবন আব্বাস (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ তবে সে বর্ণনায় বলেছিল
বলে উল্লেখ আছে ৷ যার অর্থ হচ্ছে যবের মধ্যে গম ৷
মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করে আসবাত (র) আয়াতাৎশ ;
৩ড়াফসীর প্রসঙ্গে বলেন,
নিজ ভাষায় বনী ইসরাঈল বলেছিল ঘ্র ড্রুগ্লুষ্ ম্বুপ্ ১ ৷ ব্রে ব্লু ষ্কোষ্১ আরবী অর্থ হচ্ছে :
অর্থাৎ লাল গমের বীজ যার মধ্যে খচিত ছিল কাল দানা ৷ ’
وَالضَّحَّاكُ: الْبَابُ هُوَ بَابُ حِطَّةٍ مِنْ بَيْتِ إِيلِيَاءَ، بَيْتِ الْمَقْدِسِ. قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: فَدَخَلُوا مُقْنِعِي رُؤُوسِهِمْ، ضِدَّ مَا أُمِرُوا بِهِ. وَهَذَا لَا يُنَافِي قَوْلَ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُمْ دَخَلُوا يَزْحَفُونَ عَلَى أَسْتَاهِهِمْ. وَهَكَذَا فِي الْحَدِيثِ الَّذِي سَنُورِدُهُ بَعْدُ، فَإِنَّهُمْ دَخَلُوا يَزْحَفُونَ وَهُمْ مُقْنِعُو رُءُوسِهِمْ. وَقَوْلُهُ: {وَقُولُوا حِطَّةٌ} [البقرة: 58] الْوَاوُ هُنَا حَالِيَّةٌ، لَا عَاطِفَةٌ أَيِ ادْخُلُوا سُجَّدًا فِي حَالِ قَوْلِكُمْ: حِطَّةٌ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَعَطَاءٌ، وَالْحَسَنُ، وَقَتَادَةُ، وَالرَّبِيعُ: أُمِرُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا.
قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «قِيلَ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ: ادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا، وَقُولُوا حِطَّةٌ. فَدَخَلُوا يَزْحَفُونَ عَلَى أَسْتَاهِهِمْ فَبَدَّلُوا وَقَالُوا: حِطَّةٌ; حَبَّةٌ فِي شَعْرَةٍ» وَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ الْمُبَارَكِ بِبَعْضِهِ، وَرَوَاهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ مَهْدِيٍّ بِهِ مَوْقُوفًا. وَقَدْ قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَالَ اللَّهُ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ: {ادْخُلُوا هَذِهِ الْقَرْيَةَ فَكُلُوا مِنْهَا حَيْثُ شِئْتُمْ رَغَدًا وَادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا وَقُولُوا حِطَّةٌ نَغْفِرْ لَكُمْ خَطَايَاكُمْ} [البقرة: 58] فَبَدَّلُوا فَدَخَلُوا الْبَابَ يَزْحَفُونَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৭৫৫
আল্লাহ্ তাআলা কুরআনুল করীমে উল্লেখ করেছেন যে, তাদের ঐ বিরোধিতার জন্যে তিনি
আবার নাযিল করেছিলেন ৷ আর এই আমার হচ্ছে প্লেগ , যেমন সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে
উল্লেখ রয়েছে ৷ উসড়ামা ইবন যায়িদ (র) থেকে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসুল (সা) ইরশাদ
করেন-এই ব্যথা কিৎবা রোগ (প্লেগ) একটি আযাব, তোমাদের পুর্বে কোন কোন সম্প্রদায়কে
এর মাধ্যমে শান্তি দেয়া হয়েছিল ৷
ইমাম নাসাঈ (র) ও ইবন আবু হড়াতিম (র) সাদ ইবন আবু ওয়াক্কড়াস (রা) উসড়ামা ইবন
যায়দ ও খুযায়ম (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, প্লেগ রোগটি একটি
আমার, তোমাদের পুর্বে যারা ছিল তাদেরকে এর মাধ্যমে আমার দেয়া হয়েছিল ৷ পাঠটি ইবন
আবু হড়াতিমের ৷ যাহহাক (র) ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, গ্লু , শব্দটির অর্থ
হচ্ছে আমার ৷
অনুরুপভাবে মুজাহিদ, আবু মালিক , সুদ্দী, হাসা ন বসরী (র) ও কাতাদা (র ) বলেছেন :
আবুল আলীয়া (র) বলেন ঙু১ প্রু এর অর্থ গযব ৷ শাবী বলেন ব্লু প্রু শব্দটির অর্থ প্লেগ
কিৎবা তুষারপাত ৷ সাঈদ ইবন জুবায়র (রা) বলেন, তা হচ্ছে প্লেগ ৷
যখন বনী ইসরাস্টা বায়তুল ঘুকাদ্দাসে আধিপত্য বিস্তার করে, তখন থেকেই তারা সেখানে
বসবাস করতে থাকে ৷ আর তাদের মধ্যে ছিলেন আল্লাহর নবী ইউশা (আ) ৷ আল্লাহর কিতাব
তাওরাতের নির্দেশ মুতড়াবিক তিনি তাদের প্রশাসন কার্য পরিচালনা করতেন ৷ অতঃপর তিনি
একশ’ সাতাশ বছর বয়সে ইস্তিকাল করেন ৷ তিনি মুসা (আ)-এর ইস্তিকালের পর সাতাশ
বছরকাল জীবিত ছিলেন ৷
নতুন নতুন বাংলায় ইসলামীক বই ডাউনলোড করতে ইসলামী বই ওয়েব সাইট ভিজিট করুণ
أَسْتَاهِهِمْ، فَقَالُوا: حَبَّةٌ فِي شَعْرَةٍ» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، وَمُسْلِمٌ، وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ: وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: كَانَ تَبْدِيلُهُمْ كَمَا حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ كِيسَانَ، عَنْ صَالِحٍ مَوْلَى التَّوْأَمَةِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَعَمَّنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «دَخَلُوا الْبَابَ الَّذِي أُمِرُوا أَنْ يَدْخُلُوا فِيهِ سُجَّدًا، يَزْحَفُونَ عَلَى أَسْتَاهِهِمْ، وَهُمْ يَقُولُونَ: حِنْطَةٌ فِي شُعَيْرَةٍ» وَقَالَ أَسْبَاطٌ عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ مُرَّةَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ فِي قَوْلِهِ: {فَبَدَّلَ الَّذِينَ ظَلَمُوا قَوْلًا غَيْرَ الَّذِي قِيلَ لَهُمْ} [البقرة: 59] قَالَ: قَالُوا: (هطى سمقاثا أزبة مزبا) فَهِيَ بِالْعَرَبِيَّةِ: حَبَّةُ حِنْطَةٍ حَمْرَاءُ مَثْقُوبَةٌ، فِيهَا شَعْرَةٌ سَوْدَاءُ. وَقَدْ ذَكَرَ اللَّهُ تَعَالَى أَنَّهُ عَاقَبَهُمْ عَلَى هَذِهِ الْمُخَالَفَةِ بِإِرْسَالِ الرِّجْزِ الَّذِي أَنْزَلَهُ عَلَيْهِمْ، وَهُوَ الطَّاعُونُ، كَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، وَمِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، وَسَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ هَذَا الْوَجَعَ - أَوِ السَّقَمَ - رِجْزٌ عُذِّبَ بِهِ بَعْضُ الْأُمَمِ قَبْلَكُمْ» وَرَوَى النَّسَائِيُّ، وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، وَهَذَا لَفْظُهُ، مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ،
পৃষ্ঠা - ৭৫৬
عَنْ أَبِيهِ، وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، وَخُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ، قَالُوا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الطَّاعُونُ رِجْزُ عَذَابٍ، عُذِّبَ بِهِ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ» وَقَالَ الضَّحَّاكُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: الرِّجْزُ: الْعَذَابُ. وَكَذَا قَالَ مُجَاهِدٌ، وَأَبُو مَالِكٍ، وَالسُّدِّيُّ، وَالْحَسَنُ، وَقَتَادَةُ، وَقَالَ أَبُو الْعَالِيَةِ: هُوَ الْغَضَبُ. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ: الرِّجْزُ إِمَّا الطَّاعُونُ، وَإِمَّا الْبَرْدُ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ هُوَ الطَّاعُونُ.
وَلَمَّا اسْتَقَرَّتْ يَدُ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، اسْتَمَرُّوا فِيهِ، وَبَيْنَ أَظْهُرِهِمْ نَبِيُّ اللَّهِ يُوشَعُ، يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ التَّوْرَاةِ، حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ، وَهُوَ ابْنُ مِائَةٍ وَسَبْعٍ وَعِشْرِينَ سَنَةً، فَكَانَ مُدَّةُ حَيَّاتِهِ بَعْدَ مُوسَى، سَبْعًا وَعِشْرِينَ سَنَةً. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.