আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة موسى الكليم عليه الصلاة والسلام

ذكر وفاته عليه السلام

পৃষ্ঠা - ৭৩৫


উটের উপর সওয়ার ছিলেন ৷ উটের নাকের দড়ি ছিল খেজুর গাছের ছালের ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেন, আমি যেন তাকে দেখতে পাচ্ছি ৷ আর তিনি উপত্যকা থেকে তালবীয়া পড়ায় রত
অবস্থায় নেমে আসছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) অন্য এক সুত্রে আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, (মিরাজের রাতে) ঈসা ইবন মারয়াম, মুসা (আ) ও ইব্রাহীম
(আ)-কে দেখেছি ৷ তবে ঈসা (আ)-এর রঙ সাদা ৷ তিনি ছিলেন কেড়াকড়ানো চুল ও চওড়া
বুকধারী ৷ মুসা (আ) ছিলেন ধুসর রঙের এবং বিশালদেহী ৷ ’ সাহাবায়ে কিরাম বললেন,
ইব্রাহীম (আ) কেমন ছিলেন? তিনি বললেন, তোমাদের সাথী অর্থাৎ আমার দিকে তাকাও ৷ ’

ইমাম আহমদ (র) আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আল্লাহ্র নবী বলেছেন, মিরাজের রাতে আমি মুসা (আ) ইবন ইমরানকে দেখেছি একজন
দীর্ঘদেহী ও কেড়াকড়ানাে চুলধারী ব্যক্তি হিসেবে, মনে হয় যেন তিনি শানুয়া গোত্রের লোক ৷
ঈসা ইবন মারয়ড়াম (আ)-কে দেখেছি মাঝারি গড়ন, লাল-সাদা মিশ্রিত রং ও লম্বাটে মাথার
অধিকারী ৷

ইমাম আহমদ (র) অন্য এক সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, মিরাজের রাতে আমি মুসা (আ)-এর সাথে সাক্ষাত করেছি ৷
অতঃপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার শারীরিক গঠন বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, তিনি ছিলেন ঢেউ
খেলানাে চুলের অধিকারী, যেন তিনি শানুয়া গোত্রের একজন ৷ এরপর আমি ঈসা (আ )-এর
সাথে সাক্ষাত করলাম ৷ ’ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঈসা (আ)-এর শারীরিক গঠন বর্ণনা করেন এবং
বলেন, তিনি ছিলেন মাঝারি গড়নের ও গৌরবর্ণের অধিকারী ৷ মনে হয় তিনি যেন এইমাত্র
গোসলখানা থেকে বেরিয়ে এসেছেন ৷ তিনি বলেন, আমি ইব্রাহীম (আ)-কে দেখেছি ৷ তার
বংশধরের মধ্যে তার সাথে আমার অত্যধিক সামঞ্জস্য রয়েছে ৷ ইব্রাহীম (আ ) এর আলোচনায়
এই ধরনের অধিকাংশ হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে ৷

মুসা (আ) এর ইস্তিকাল

ইমাম বুখারী (র) তার সহীহ বুখড়ারী’তে মুসা (আ)-এর ইস্তিকড়াল শিরোনামে আবু
হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একদিন মৃত্যুর ফেরেশতা (অড়াযরাঈল)-কে মুসা
(আ)-এর কাছে প্রেরণ করা হয় ৷ যখন তিনি মুসা (আ )-এর কাছে আসলেন , তখন তিনি তাকে
চপেটাঘাত করলেন ৷ ফেরেশতা আল্লাহ তাআলার দরবারে ফিরে গিয়ে আরয করলেন,
আপনি আমাকে এমন এক বান্দার কাছে প্রেরণ করেছেন যিনি মৃত্যু চান না ৷ ’ আল্লাহ তা আলা
বললেন, তার কাছে পুনরায় যাও ও তাকে একটি র্ষাড়ের পিঠে হাত রাখতে বল এবং এ
কথাটিও বল যে, তার হাতের নিচে যতগুলাে চুল পড়বে তাকে তত বছরের আযু দেয়া হবে ৷ ’
মুসা (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক৷ তারপর কি হবে?’ আল্লাহ বললেন, তারপর
মৃত্যু ৷ ’ তখন তিনি বললেন, তাহলে এখনই তা হয়ে যাক ৷ ’

বর্ণনকোরী বলেন, তখন তিনি আল্লাহ্ তা’আলার দরবারে আরব করলেন যেন তাকে একটি
ছিল নিক্ষেপের দুরত্বে পবিত্র ভুমি বায়তুল মুকাদ্দাসের নিকটবর্তী করা হয় ৷ আবু হুরায়রা (রা )


[ذِكْرُ وَفَاتِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ] قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ ": (وَفَاةُ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ) : حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُوسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: أُرْسِلَ مَلَكُ الْمَوْتِ إِلَى مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَلَمَّا جَاءَهُ صَكَّهُ، فَرَجَعَ إِلَى رَبِّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، فَقَالَ: أَرْسَلْتَنِي إِلَى عَبْدٍ لَا يُرِيدُ الْمَوْتَ، قَالَ: ارْجِعْ إِلَيْهِ، فَقُلْ لَهُ يَضَعُ يَدَهُ عَلَى مَتْنِ ثَوْرٍ، فَلَهُ بِمَا غَطَّتْ يَدُهُ بِكُلِّ شَعْرَةٍ سَنَةٌ. قَالَ: أَيْ رَبِّ ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: ثُمَّ الْمَوْتُ، قَالَ: فَالْآنَ. قَالَ: فَسَأَلَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يُدْنِيَهُ مِنَ الْأَرْضِ الْمُقَدَّسَةِ، رَمْيَةً بِحَجَرٍ، قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ": «فَلَوْ كُنْتُ ثَمَّ لَأَرَيْتُكُمْ قَبْرَهُ، إِلَى جَانِبِ الطَّرِيقِ، عِنْدَ الْكَثِيبِ الْأَحْمَرِ» . قَالَ: وَأَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نَحْوَهُ. وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ الطَّرِيقَ الْأَوَّلَ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ. وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا، وَسَيَأْتِي.
পৃষ্ঠা - ৭৩৬


বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, “যদি আমি সেখানে এখন থাকতাম, তাহলে ঐ
স্থানটিতে তার কবরটি তােমাদেরকে চিহ্নিত করে দেখাতাম ৷ এটা রাস্তার পার্শে লাল ঢিবির’
নিকটে অবিন্থত ৷” ভিন্ন সুত্রেও অনুরুপ বর্ণিত রয়েছে ৷ ইমাম মুসলিম (র) ও ইমাম আহমদ
(র) অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তবে আহমদ (র) ও আবু হুরায়রা (রা) এর উক্তিরুপে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মৃত্যুর ফেরেশতা মুসা (আ) এর নিকট আগমন করে বললেন,
“আপনি আপনার প্রতিপালকের ডাকে সাড়া দিন ৷ তিনি তখন মৃত্যুর ফেরেশতাকে চপেটাঘাত
করে তার একটি চোখ নষ্ট করে দেন ৷ ফেরেশত ৷ তখন আল্লাহ্ তা আলার কাছে গিয়ে বললেন,
’আপনি আমাকে আপনার এমন এক বান্দার কাছে প্রেরণ করেছেন , যিনি মৃত্যু চান না ৷ তিনি
আমার চোখ নষ্ট করে দিয়েছেন ৷ ’ বর্ণনাকারী বলেন, তখন আল্লাহ্ তাআলা তার চোখ নিরাময়
করে দিলেন এবং বললেন, তুমি আমার বান্দার কাছে ফিরে যাও এবং তাকে বল, আপনি কি
দীর্ঘ্যযু চান? যদি আপনি দীর্যায়ু চান, তাহলে আপনি একটি র্ষাড়ের পিঠের উপর আপনার ৷ত
রাখুন এবং আপনার হাতের নিচে যতগুলাে নােম পড়বে তাঃ বছরের আয়ু আপনাকে প্রদান
করা হবে ৷ মুসা (আ) বললেন, তারপর কি হবে? আল্লাহ্ তাআল৷ বললেন, তারপর মৃত্যু ৷
মুসা (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক তাহলে অচিরেই মৃত্যু দেয়া হোক ৷ এ বর্ণনাটি শুধু
ইমাম আহমদ (র) এরই ৷

ইবন হিব্বান (র)-ও উপরোক্ত হাদীসটি আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করে এ হড়াদীসে
কিছু জটিলতা রয়েছে বলে ইঙ্গিত করে এগুলোর যে উত্তর প্রদান করেছেন তার সারসংক্ষেপ
নিম্নরুপ

মৃত্যুর ফেরেশত৷ যখন মুসা (আ) কে মৃত্যুর কথা বললেন, তখন তিনি তাকে চিনতে
পারেননি ৷ কেননা,ত তিনি মুসা (আ) এর কাছে অপরিচিত অবয়বে আগমন করেছিলেন ৷ যেমন
একবার জিবরাঈল (আ) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকটে এক বেদৃঈনের অবয়বে আগমন
করেছিলেন ৷ ইবরাহীম (আ) ও লুত (আ)-এর নিকট ফেরেশতাগণ যুবকের অবয়বে
এসেছিলেন ৷ তাই তারা তাদেরকে প্রথমে চিনতে পারেননি ৷ অনুরুপভাবে মুসা (আ)-ও তাকে
সম্ভবত চিনতে পারেননি, তাই তাকে চপেটাঘাত করে তার চোখ নষ্ট করে দিয়েছিলেন ৷
কেননা, তিনি বিনা অনুমতিতে মুসা (আ) এর ঘরে প্রবেশ করেছিলেন ৷ এই ব্যাথ্যাটি আমাদের
শরীয়ত সম্মত ৷ কেননা, যদি কেউ কারো ঘরের মধ্যে বিনা অনুমতিতে তা কায় তাহলে এভাবে
তার চোখ ফুটো করে দেয়ার বৈধতা রয়েছে ৷ অতঃপর তিনি হাদীসটি আ বু হুরায়রা (রা ) থেকে
বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, একদা মুসা (আ)-এর রুহ কবয করার জন্যে
মৃত্যুর ফেরেশতা মুসা (আ)-এর কাছে আগমন করে তাকে বলেন, আপনার প্রতিপালকের
ডাকে সাড়া দিন তখন মুসা (আ) মৃত্যুর ফেরেশতাকে চপেটাঘাত করলেন ৷ তাতে তার চোখ
বিনষ্ট হয়ে যায় ৷ এরপর তিনি সম্পুর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করেন, যেমন ইমাম বুখড়ারী (র)-ও এর
প্রতি ইঙ্গিত করেছেন ৷
অতঃপর তিনি তার ব্যাখ্যার বলেন, যখন মুসা (আ) মৃত্যুর ফেবেশ৩ ৷কে চপেটাঘাত
করার জন্যে হাত উঠালেন, তখন ফেরেশত৷ তাকে বললেনং এপ্রু , ! অর্থাৎ “আপনার


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو يُونُسَ، يَعْنِي سُلَيْمَ بْنَ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: لَمْ يَرْفَعْهُ - قَالَ: جَاءَ مَلَكُ الْمَوْتِ إِلَى مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَقَالَ: أَجِبْ رَبَّكَ. فَلَطَمَ مُوسَى عَيْنَ مَلَكِ الْمَوْتِ، فَفَقَأَهَا، فَرَجَعَ الْمَلَكُ إِلَى اللَّهِ، فَقَالَ: إِنَّكَ بَعَثْتَنِي إِلَى عَبْدٍ لَكَ لَا يُرِيدُ الْمَوْتَ. قَالَ: وَقَدْ فَقَأَ عَيْنِي، قَالَ: فَرَدَّ اللَّهُ عَيْنَهُ، وَقَالَ: ارْجِعْ إِلَى عَبْدِي، فَقُلْ لَهُ: الْحَيَاةَ تُرِيدُ؟ فَإِنْ كُنْتَ تُرِيدُ الْحَيَاةَ، فَضَعْ يَدَكَ عَلَى مَتْنِ ثَوْرٍ، فَمَا وَارَتْ يَدُكَ مِنْ شَعْرِهِ فَإِنَّكَ تَعِيشُ بِهَا سَنَةً، قَالَ: ثُمَّ مَهْ؟ قَالَ: ثُمَّ الْمَوْتُ، قَالَ: فَالْآنَ يَا رَبِّ، مِنْ قَرِيبٍ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَهُوَ مَوْقُوفٌ بِهَذَا اللَّفْظِ. وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي " صَحِيحِهِ "، مِنْ طَرِيقِ مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ مَعْمَرٌ: وَأَخْبَرَنِي مَنْ سَمِعَ الْحَسَنَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَهُ، ثُمَّ اسْتَشْكَلَهُ ابْنُ حِبَّانَ، وَأَجَابَ عَنْهُ بِمَا حَاصِلُهُ: أَنَّ مَلَكَ الْمَوْتِ، لَمَّا قَالَ لَهُ هَذَا لَمْ يَعْرِفْهُ; لِمَجِيئِهِ لَهُ عَلَى غَيْرِ صُورَةٍ يَعْرِفُهَا مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَمَا جَاءَ جِبْرِيلُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي صُورَةِ أَعْرَابِيٍّ، وَكَمَا وَرَدَتِ الْمَلَائِكَةُ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَلَوْ فِي صُورَةِ شَبَابٍ، فَلَمْ يَعْرِفْهُمْ إِبْرَاهِيمُ وَلَا لُوطٌ أَوَّلًا، وَكَذَلِكَ مُوسَى لَعَلَّهُ لَمْ يَعْرِفْهُ لِذَلِكَ وَلَطَمَهُ فَفَقَأَ عَيْنَهُ; لِأَنَّهُ دَخَلَ دَارَهُ بِغَيْرِ إِذْنِهِ، وَهَذَا مُوَافِقٌ لِشَرِيعَتِنَا فِي جَوَازِ فَقْءِ عَيْنِ مَنْ
পৃষ্ঠা - ৭৩৭


প্রতিপাল্যকর ডাকে সাড়া দিন ৷ তীর এ ধরনের ব্যাখ্যা যথার্থ বলে মােন নেয়া যায় না,
কেননা মুল পাষ্ঠে তাকে চপেটাঘাত করার বিষয়টি প্ৰতিপালকের ডাকে সাড়া দিন বলার
পরের ঘটনা বলে উল্লেখিত হয়েছে ৷ তবে প্রথম ন্যাখ্যাটি মুল পাঠের সাথে সামঞ্জস্যর্শীল ৷
কেননা, মুসা (আ) মৃত্যুর ফেরেশতাকে চিনতে পারেন নি ৷ ঐ নির্দিষ্ট সমরটিতে ফেরেশতা রুহ
করব করার জন্যে আসবেন এরুপ ধারণা করাও হয়নি ৷ কেননা, মুসা (আ ) অনেক কিছু করার
আশা পোষণ করেছিলেন আর সেই সব কতো বাকি রয়ে গিয়েছিল ৷ যেমন মুসা (আ) ময়দানে
তীহ থেকে বের হয়ে পবিত্র ভুমি বায়তুল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করার প্রবল আকভেক্ষা পোষণ
করেছিলেন ৷ কিত্তু আল্লাহ্ তাআলা নির্ধারণ করে ব্লেখেছিলেন যে, তিনি হারুন ( আ )এর পর
ভীহ প্রাডরে ইনতিকাল করবেন ৷ অচিরেই এ সম্পর্কে বর্ণনা পেশ করা হবে ৷

কোন ৷কােন তাফসীরকার মনে করেন, মুসা (আ) বনী ইসরাঈলকে নিয়ে ভীহ ময়দান
থেকে বের হয়ে বায়তুন মুকাদ্দাসে প্রবেশ করেছিলেন ৷ এই অভিতেঢি কিতাবীদের ও জমহুর
উলামার অভিমভের পব্লিপন্থী ৷ আর এটা মুসা (আ )-এর সেই দুভ্রার সাথেও সঙ্গতিপুর্ণ
যাতে তিনি বলেছিলেন হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একটি ঢিল নিক্ষেপের ডফাতে বারতুল
মুকাদ্দাসের নিকটবর্তী করল ৷ যদি তিনি তথষ্মে গ্রবেশই করে ফেলডেন তাহলে তিনি এরুপ
দৃ’অন্ব করতেন না ৷ কিন্তু তিনি তার সম্প্রদায়ের সাথে ডীহ প্রান্তার ছিলেন ৷ যখন তীর মৃত্যু
সন্নিকট হল তখন তিনি যেই পবিত্র ভুমিতে হিজরত করার জন্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন, সেই
ভুমির নিকটবর্তী হবার জন্যে আগ্রহ প্রকাশ করলেন এবং নিজের সম্প্রদায়কে এই কাজে
অনৃপ্ৰর্শের্দীত করলেন, কিভু তাদের ও তাদের আকাজ্জিত পবিত্র ভুমির মাঝে ভাগ্য অস্তরয়ে হয়ে
দাড়ায় ৷ এই জন্যই সারা দুনিয়ার জন্যে প্রেরিত রাসুল ও মানব-কুল শিরােমনি মুহাম্মদ ( না)
ইরশাদ করেন, যদি আমি সেখানে যেতাম তাহলে তােমড়াদেরকে লাল ঢিবির কাছে মুসা
(আ)-এর কবর দেখাতাম ৷

ইমাম বুখারী (র) আনন্দে ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি রলেনপৃ রড়াসুলুল্লাহ্
(সা) ইরশাদ করেন মিরাজের রাতে যখন আমি মুসা (আ)-এর কাছে গমন করলাম তখন
আমি তাকে লাল ঢিৰির নিকট তার কবরে সালাত আদায় করতে দেখলাম ৷

ইমাম মুসলিম (র)-ও অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেন ৷ সুদ্দী (র) ইবন আব্বাস (রা), ইবন
মাসউদ (রা) প্রমুখ সাহাবারে কিরাম (রা ) থেকে বর্ণনা করেন ৷ র্ডারা বলেন অতঃপর আল্লাহ
তাআলা মুসা ( আ)-এর কাছে ওহী প্রেরণ করলেন, আমি হারুন (আ)-£ক মৃত্যু দান কবর ৷
তাই র্তাকে অমুক পাহাড়ে নিয়ে আর ৷ নির্দেশ ঘুতাবিক মুসা (আ) ও হড়ারুন (আ ) নির্দেশিত
পাহাড়ের দিকে রওয়ানা হলেন ৷ পথে র্তারা এমন একটি গাছ দেখতে পেলেন যেরুপ গাছ
কেউ ণ্কানদিন দেখেনি ৷ এরপর তারা একটি পাকা ঘর দেখতে পেলেন, সেখানে একটি থাট
রয়েছে এবং খাটে লুসজ্জিত ৰিছানাও রয়েছে ৷ আর ঘরে তখন সৃবাতাস খেলছে ৷

হড়ারুন (আ) যখন পাহাড় ও ঘরের দিকে তাকালেন তখন এগুলো তার কাছে খুবই ভাল
লাগল ৷ তাই তিনি বললেন : হে মুসা) আমি এই খাটে ঘুমাতে চাই ৷ মুসা (আ) বললেন
আপনার ভাল লাগলে আপনি এখানে ঘৃমিয়ে পড়ুন ৷ হড়ারুন (আ) বললেন তবে আমার ভর


نَظَرَ إِلَيْكَ فِي دَارِكَ بِغَيْرِ إِذْنٍ. ثُمَّ أَوْرَدَ الْحَدِيثَ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «جَاءَ مَلَكُ الْمَوْتِ إِلَى مُوسَى لِيَقْبِضَ رُوحَهُ، قَالَ لَهُ: أَجِبْ رَبَّكَ. فَلَطَمَ مُوسَى عَيْنَ مَلَكِ الْمَوْتِ، فَفَقَأَ عَيْنَهُ» وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ - كَمَا أَشَارَ إِلَيْهِ الْبُخَارِيُّ - ثُمَّ تَأَوَّلَهُ عَلَى أَنَّهُ لَمَّا رَفَعَ يَدَهُ لِيَلْطِمَهُ قَالَ لَهُ: أَجِبْ رَبَّكَ. وَهَذَا التَّأْوِيلُ لَا يَتَمَشَّى عَلَى مَا وَرَدَ بِهِ اللَّفْظُ، مِنْ تَعْقِيبِ قَوْلِهِ: أَجِبْ رَبَّكَ. بِلَطْمِهِ، وَلَوِ اسْتَمَرَّ عَلَى الْجَوَابِ الْأَوَّلِ، لَتَمَشَّى لَهُ. وَكَأَنَّهُ لَمْ يَعْرِفْهُ فِي تِلْكَ الصُّورَةِ، وَلَمْ يَحْمِلْ قَوْلَهُ هَذَا عَلَى أَنَّهُ مُطَابِقٌ; إِذَا لَمْ يَتَحَقَّقْ فِي السَّاعَةِ الرَّاهِنَةِ أَنَّهُ مَلَكٌ كَرِيمٌ; لِأَنَّهُ كَانَ يَرْجُو أُمُورًا كَثِيرَةً كَانَ يُحِبُّ وُقُوعَهَا فِي حَيَاتِهِ; مِنْ خُرُوجِهِ مِنَ التِّيهِ، وَدُخُولِهِمُ الْأَرْضَ الْمُقَدَّسَةَ، وَكَانَ قَدْ سَبَقَ فِي قَدَرِ اللَّهِ، أَنَّهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، يَمُوتُ فِي التِّيهِ، بَعْدَ هَارُونَ أَخِيهِ، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَقَدْ زَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، هُوَ الَّذِي خَرَجَ بِهِمْ مِنَ التِّيهِ، وَدَخَلَ بِهِمُ الْأَرْضَ الْمُقَدَّسَةَ. وَهَذَا خِلَافُ مَا عَلَيْهِ أَهْلُ الْكِتَابِ، وَجُمْهُورُ الْمُسْلِمِينَ. وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ، قَوْلُهُ لَمَّا اخْتَارَ الْمَوْتَ: رَبِّ، أَدْنِنِي إِلَى الْأَرْضِ الْمُقَدَّسَةِ، رَمْيَةً بِحَجَرٍ. وَلَوْ كَانَ قَدْ دَخَلَهَا، لَمْ يَسْأَلْ ذَلِكَ، وَلَكِنْ لَمَّا كَانَ مَعَ قَوْمِهِ بِالتِّيهِ، وَحَانَتْ وَفَاتُهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَحَبَّ أَنْ يَتَقَرَّبَ إِلَى الْأَرْضِ الَّتِي هَاجَرَ إِلَيْهَا، وَحَثَّ قَوْمَهُ عَلَيْهَا، وَلَكِنْ حَالَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهَا الْقَدَرُ، رَمْيَةً بِحَجَرٍ، وَلِهَذَا قَالَ
পৃষ্ঠা - ৭৩৮
سَيِّدُ الْبَشَرِ، وَرَسُولُ اللَّهِ إِلَى أَهْلِ الْوَبَرِ وَالْمَدَرِ: «فَلَوْ كُنْتُ ثَمَّ لَأَرَيْتُكُمْ قَبْرَهُ عِنْدَ الْكَثِيبِ الْأَحْمَرِ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، وَسُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَمَّا أُسْرِيَ بِي، مَرَرْتُ بِمُوسَى، وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي قَبْرِهِ، عِنْدَ الْكَثِيبِ الْأَحْمَرِ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ. وَقَالَ السُّدِّيُّ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، وَأَبِي صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَنْ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَعَنْ نَاسٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، قَالُوا: ثُمَّ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَوْحَى إِلَى مُوسَى: إِنِّي مُتَوَفٍّ هَارُونَ، فَائِتِ بِهِ جَبَلَ كَذَا وَكَذَا. فَانْطَلَقَ مُوسَى وَهَارُونُ نَحْوَ ذَلِكَ الْجَبَلِ، فَإِذَا هُمْ بِشَجَرَةٍ لَمْ تُرَ شَجَرَةٌ مِثْلُهَا، وَإِذَا هُمْ بِبَيْتٍ مَبْنِيٍّ، وَإِذَا هُمْ بِسَرِيرٍ عَلَيْهِ فُرُشٌ، وَإِذَا فِيهِ رِيحٌ طَيِّبَةٌ، فَلَمَّا نَظَرَ هَارُونُ إِلَى ذَلِكَ الْجَبَلِ وَالْبَيْتِ وَمَا فِيهِ، أَعْجَبَهُ، قَالَ: يَا مُوسَى، إِنِّي أُحِبُّ أَنَّ أَنَامَ عَلَى هَذَا السَّرِيرِ. قَالَ لَهُ مُوسَى: فَنَمْ عَلَيْهِ، قَالَ: إِنِّي أَخَافُ أَنْ يَأْتِيَ رَبُّ هَذَا الْبَيْتِ فَيَغْضَبَ عَلَيَّ. قَالَ لَهُ: لَا تَرْهَبْ، أَنَا أَكْفِيكَ رَبَّ هَذَا الْبَيْتِ، فَنَمْ. قَالَ: يَا مُوسَى، بَلْ نَمْ مَعِي فَإِنْ جَاءَ رَبُّ هَذَا الْبَيْتِ، غَضِبَ عَلَيَّ وَعَلَيْكَ جَمِيعًا فَلَمَّا نَامَا، أَخَذَ هَارُونَ الْمَوْتُ، فَلَمَّا وَجَدَ حِسَّهُ، قَالَ: يَا مُوسَى، خَدَعَتْنِي. فَلَمَّا قُبِضَ، رُفِعَ ذَلِكَ الْبَيْتُ، وَذَهَبَتْ تِلْكَ الشَّجَرَةُ، وَرُفِعَ السَّرِيرُ
পৃষ্ঠা - ৭৩৯


হচ্ছে, ঘরের মালিক যদি এসে আমার উপর রাগাষিত হন ৷ মুসা (আ) বললেন, এ ব্যাপারে
আপনি কোন ভয় করবেন না, ঘরের মালিকের ব্যাপারটি আমিই দেখব ৷ আপনি ঘুমিয়ে পড়ুন ৷
তিনি বললেন, হে মুসা ! তুমিও আমার সাথে ঘুমিয়ে পড় ৷ যদি ঘরের মালিক আসেন তাহলে
তিনি আমাদের দু জনের প্রতিই রাগাম্বিত হবেন ৷’ যখন তারা দৃজনই ঘুমিয়ে পড়লেন, হারুন
(আ)কে মৃত্যু স্পর্শ করল ৷ যখন তিনি ব্যাপারটি টের পেলেন, তখন বললেন, “হে মুসা ! তুমি
আমাকে র্ফড়াকি দিয়েছ ৷” হারুন (আ) যখন ইন্তিকাল করলেন, ঘর, গাছ ও খাট আসমানে
উঠিয়ে নেয়া হল ৷ অতঃপর মুসা (আ) যখন তার সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে আসলেন, অথচ
হারুন (আ) ও তার সাথে নেই, তখন বনী ইসরাঈলরা বলতে ৩,লাগল নিশ্চয়ই মুসা হারুনকে
হত্যা করেছেন ৷ বনী ইসরাঈলরা৷ হ রুন (আ)-ফে যেহেতু অধিকতর ভ ৷লবাসে, সে জন্য মুসা
হিংসা করে হারুন (আ)-কে হত্যা করেছেন ৷ বন্তুত মুসা (আ) থেকে বনী ইসরাঈলের কাছে
হারুন (আ) ছিলেন অধিকতর নমনীয় ৷ পক্ষান্তরে মুসা (আ)-এর মধ্যে ছিল কিছুটা কঠােরতা ৷
”মুসা (আ) একথা শুনে তাদেরকে বললেন, “ তোমাদের জন্য আমাদের আফসােস তোমরা কি
জান না, তিনি ছিলেন আমার সহােদর ৷ ৫৩ ৷মরা কি করে ত ৷বলে যে, আমি তাকে হত্যা করতে
পারি? যখন তারা এ বিষয় নিয়ে মুসা (আ)-কে অধিক জ্বালাতন করতে লাগল, তখন তিনি
দাড়িয়ে দৃরাকাত সালাত আদায় করলেন ও আন্মাহ্ তাঅড়ালার কাছে প্রার্থনা করলেন ৷ তখন
খাটটি উপর থেকে নিচে নেমে আসল এবং তারা সকলে আসমান ও যমীনের মধ্যবর্তী জায়গায়
হারুন (আ)-এর লাশঢি দেখতে পেল ৷

অতঃপর মুসা (আ) ও তার খাদেম ইউশা (আ) একদিন পায়চারী করছিলেন ৷ এমনি সময়
একটি কাল বাতাস বইতে, লাগল ৷ ইউশা (আ) সেদিকে তাকালেন এবং এটাকে কিয়ামতের
আলামত বলে ধারণা করলেন ৷ তখন তিনি মুসা (আ)-কে জড়িয়ে ধরলেন এবং বলতে
লাগলেন, কিয়ামত সমাগত আর আমি আল্লাহর নবী মুসা (আ)-কে জড়িয়ে ধরে আছি ৷ মুসা
(আ) তখন আমার ভিতর থেকে বেরিয়ে পড়লেন এবং ইউশা (আ)-এর হাতে জামা রয়ে গেল ৷
ইউশা (আ) জামা নিয়ে যখন বনী ইসরাঈলের কাছে আসলেন, তখন তারা র্তাকে অভিযুক্ত
করে বলতে লাগল, “তুমি আল্লাহর নবীকে হত্যা করেছ ৷” তিনি বললেন, না, আল্লাহর শপথ,
আমি তাকে হত্যা করিনি ৷ বরং তিনি আমার হাত থেকে ছুটে চলে গেছেন ৷ তারা তার কথা
বিশ্বাস করল না এবং তাকে হত্যা করতে উদ্যত হল ৷ ইউশা (আ) বললেন, “যেহেতু তোমরা
আমাকে বিশ্বাস করছ না, সেহেতু আমাকে তিন দিনের অবকাশ দাও ৷” অতঃপর তিনি আল্লাহ্
তাআলার নিকট প্রার্থনা করেন ৷ ফলে যত জন ইউশা (আ)-কে পাহারা দিত সকলকে স্বপ্নে
দেখানো হল যে, ইউশা (আ) মুসা (আ)-কে হত্যা করেন নি বরং র্তাকে আল্লাহ্ তাআলা
উঠিয়ে নিয়ে গেছেন ৷ ফলে তারা ছেড়ে দিল ৷ অন্যদিকে মুসা (আ)-এর সাথে যারা দৃর্ধর্ষ
লোকদের করলিত পবিত্র শহর বায়তৃল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করতে অস্বীকার করেছিল তাদের
কেউই এ শহরের বিজয়ের সময় অবশিষ্ট ছিল না ৷ সকলেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছিল ৷ তবে
উপরোক্ত বর্ণনার সুত্রে কিছু দুর্বলত৷ রয়েছে ৷ আল্লাহ্ই অধিকতর জ্ঞাত ৷ পুর্বে আমরা বর্ণনা
করেছি যে, মুসা (আ)-এর সাথে যারা ছিলেন, তাদের মধ্য হতে ইউশা ইবন নুন (আ) ও
কালিব ইবন ইউকাল্লা (আ) ব্যতীত অন্য কেউ তীহ প্রান্তর থেকে বের হতে পারেনি ৷ কালিব

আল-বিদড়ায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৮৯-


بِهِ إِلَى السَّمَاءِ، فَلَمَّا رَجَعَ مُوسَى إِلَى قَوْمِهِ، وَلَيْسَ مَعَهُ هَارُونُ قَالُوا: فَإِنَّ مُوسَى قَتَلَ هَارُونَ، وَحَسَدَهُ حُبَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَهُ. وَكَانَ هَارُونُ أَكَفَّ عَنْهُمْ وَأَلْيَنَ لَهُمْ مِنْ مُوسَى، وَكَانَ فِي مُوسَى بَعْضُ الْغِلْظَةِ عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا بَلَغَهُ ذَلِكَ قَالَ لَهُمْ: وَيْحَكُمْ، كَانَ أَخِي أَفَتَرُونِي أَقْتُلُهُ؟ فَلَمَّا أَكْثَرُوا عَلَيْهِ، قَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ دَعَا اللَّهَ فَنَزَلَ السَّرِيرُ حَتَّى نَظَرُوا إِلَيْهِ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، ثُمَّ إِنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بَيْنَمَا هُوَ يَمْشِي وَيُوشَعُ فَتَاهُ، إِذْ أَقْبَلَتْ رِيحٌ سَوْدَاءُ، فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهَا يُوشَعُ ظَنَّ أَنَّهَا السَّاعَةُ، فَالْتَزَمَ مُوسَى وَقَالَ: تَقُومُ السَّاعَةُ وَأَنَا مُلْتَزِمٌ مُوسَى نَبِيَّ اللَّهِ، فَاسْتَلَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنْ تَحْتِ الْقَمِيصِ، وَتَرَكَ الْقَمِيصَ فِي يَدَيْ يُوشَعَ، فَلَمَّا جَاءَ يُوشَعُ بِالْقَمِيصِ أَخَذَتْهُ بَنُو إِسْرَائِيلَ وَقَالُوا: قَتَلْتَ نَبِيَّ اللَّهِ؟ فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ مَا قَتَلْتُهُ وَلَكِنَّهُ اسْتَلَّ مِنِّي. فَلَمْ يُصَدِّقُوهُ وَأَرَادُوا قَتْلَهُ. قَالَ: فَإِذَا لَمْ تُصَدِّقُونِي فَأَخِّرُونِي ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ. فَدَعَا اللَّهَ، فَأَتَى كُلُّ رَجُلٍ مِمَّنْ كَانَ يَحْرُسُهُ فِي الْمَنَامِ فَأَخْبَرَ أَنَّ يُوشَعَ لَمْ يَقْتُلْ مُوسَى، وَإِنَّا قَدْ رَفَعْنَاهُ إِلَيْنَا، فَتَرَكُوهُ، وَلَمْ يَبْقَ أَحَدٌ مِمَّنْ أَبَى أَنْ يَدْخُلَ قَرْيَةَ الْجَبَّارِينَ مَعَ مُوسَى، إِلَّا مَاتَ، وَلَمْ يَشْهَدِ الْفَتْحَ. وَفِي بَعْضِ هَذَا السِّيَاقِ نَكَارَةٌ وَغَرَابَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّهُ لَمْ يَخْرُجْ أَحَدٌ مِنَ التِّيهِ مِمَّنْ كَانَ مَعَ مُوسَى، سِوَى يُوشَعَ بْنِ نُونٍ، وَكَالِبَ بْنِ يُوفَنَّا، وَهُوَ زَوْجُ مَرْيَمَ أُخْتِ مُوسَى وَهَارُونَ، وَهُمَا الرَّجُلَانِ الْمَذْكُورَانِ فِيمَا تَقَدَّمَ اللَّذَانِ أَشَارَا عَلَى مَلَأِ بَنِي إِسْرَائِيلَ بِالدُّخُولِ عَلَيْهِمْ، وَذَكَرَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ أَنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مَرَّ بِمَلَأٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ يَحْفِرُونَ قَبْرًا، فَلَمْ يَرَ أَحْسَنَ مِنْهُ، وَلَا أَنْضَرَ وَلَا أَبْهَجَ، فَقَالَ: يَا مَلَائِكَةَ اللَّهِ لِمَنْ تَحْفِرُونَ هَذَا الْقَبْرَ؟
পৃষ্ঠা - ৭৪০


ছিলেন মুসা (আ) ও হারুন (আ)-এর বোন মারয়ামের স্বামী ৷ র্তারা উল্লেখিত দুই ব্যক্তি
ইসরাঈলদেরকে বায়তুল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করার পক্ষে মত প্রকাশ করেছিলেন ৷

ওহড়াব ইবন মুনাব্বিহ্ (র) উল্লেখ করেছেন যে, একদিন মুসা (আ) একদল ফেরেশতার
নিকট আগমন করলেন ৷ তারা তখন একটি কবর খুড়ছিলেন ৷ এই কবর থেকে উত্তম, সুন্দর ও
মনােরম কবর কখনও দেখা যায়নি ৷ তিনি ফেরেশতাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, আপনারা কার
জন্যে এই কবরটি খুড়ছেন? তারা বললেন, “এটা আল্লাহ্ তাআলার এক বান্দার জন্যে যিনি
খুবই সম্মানিত ৷ যদি আপনি এরুপ সম্মানিত বান্দা হতে চান তাহলে এ কবরে প্রবেশ করুন ৷
বহুক্ষণ এখানে সটান শুয়ে পড়ুন এবং আপনার প্রতিপালকের প্রতি মনোনিবেশ করুন এবং
আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস নিতে থাকুন ৷ তিনি তইি করলেন ও ইন্তিকাল করলেন ৷ ফেরেশতাগণ
তীর জানাযার নামায আদায় করেন এবং তাকে দাফন করেন ৷

কিতাবীরা ও অন্যান্য উলামায়ে কিরাম উল্লেখ করেন যে, মুসা (আ) যখন ইনৃতিকাল
করেন তখন তার বয়স ছিল একশ বিশ বছর ৷ ইমাম আহমদ (র) আবু হুরায়রা (বা ) থেকে
মারফু হাদীস বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেছেন; পুর্বে মৃত্যুর ফেরেশতা
জনগণের কাছে প্রকাশ্যে আগমন করতেন ৷ তইি একদিন মুসা (আ)-এর কাছেও প্রকাশ্যে
আগমন করলেন ৷ অমনি মুসা (আ) তাকে চপেটাঘাত করে তার চোখ নষ্ট করে দেন ৷
ফেরেশতা প্রতিপালকের কাছে আগমন করলেন ও বললেন, হে আমার প্রতিপালক ৷ আপনার
বন্দো মুসা (আ) আমার চোখ বিনষ্ট করে দিয়েছেন ৷ তিনি যদি আপনার কাছে সম্মানিত না
হতেন তাহলে আমি তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতাম ৷

আল্লাহ তাআলা বললেন, “হে ফেরেশতা! তুমি আমার বান্দার কাছে ফিরে যাও এবং
তাকে বল যে, সে যেন একটি র্ষাড়ের পিঠের উপর তার হাত রাখে ৷ তাতে তার হাতের নিচে
যতটি লোম পড়বে তাকে ড্ড বছরের আয়ু দেয়া হবে ৷ মুসা (আ) বললেন, তারপর কী হবে?
তিনি বললেন, “তারপর মৃত্যু ৷” মুসা (আ) বললেন, “তাহলে তা এখনই হোক ৷” বর্ণনাকারী
বলেন, মৃত্যুর ফেরেশতা তাকে একটি বস্তুর ঘ্রড়াণ নিতে দিলেন এবং এভাবে তার রুহ কবয
করলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আল্লাহ তাআলা মৃত্যুর ফেরেশতার চোখ নিরাময় করে
দিলেন ৷ এরপর থেকে মৃত্যুর ফেরেশতা লোকজনের কাছে গোপনে আসেন ৷ ইবন জারীর
তাবারী (র)-ও অনুরুপ হাদীস মাবফুভাবে বর্ণনা করেন ৷

ইউশা (আ) এর নবুওত লাভ এবং বনী ইসরাঈলের দায়িত্ব গ্রহণ

তিনি হলেন ইউশা ইবন নুন ইবন আফরাসীম ইবন ইউসুফ (আ), ইবন ইয়াকুব (আ),
ইবন ইসহড়াক (আ), ইবন ইবরাহীম খলীল (আ) ৷ কিতাবীরা বলেন, “ইউশা হলেন হুদ
(আ)-এর চাচাভাে ভাই ৷ আল্পাহ্ তাআলা কুরআন শরীফে খিযির (আ)-এর ঘটনা প্রসঙ্গে
ইউশা (আ)-এর নাম উল্লেখ না করে তার বর্ণনা দিয়েছেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা বলেন : ^১)টু

শু $£ ত্বে£ঝু fl (§ স্মরণ কর, যখন মুসা তার খাদেমকে বলেছিল’ ৷ বুখারী শরীফেও উবায়


فَقَالُوا: لِعَبْدٍ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ كَرِيمٍ، فَإِنْ كُنْتَ تُحِبُّ أَنْ تَكُونَ هَذَا الْعَبْدَ، فَادْخُلْ هَذَا الْقَبْرَ، وَتَمَدَّدْ فِيهِ، وَتَوَجَّهْ إِلَى رَبِّكَ، وَتَنَفَّسْ أَسْهَلَ تَنَفُّسٍ. فَفَعَلَ ذَلِكَ فَمَاتَ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ فَصَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ، وَدَفَنُوهُ. وَذَكَرَ أَهْلُ الْكِتَابِ وَغَيْرُهُمْ أَنَّهُ مَاتَ وَعُمْرُهُ مِائَةٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ خَالِدٍ، وَيُونُسُ، قَالَا: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ يُونُسُ: رَفَعَ هَذَا الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَانَ مَلَكُ الْمَوْتِ يَأْتِي النَّاسَ عِيَانًا قَالَ: فَأَتَى مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَلَطَمَهُ، فَفَقَأَ عَيْنَهُ، فَأَتَى رَبَّهُ، فَقَالَ: يَا رَبِّ عَبْدُكَ مُوسَى فَقَأَ عَيْنِي، وَلَوْلَا كَرَامَتُهُ عَلَيْكَ لَعَنُفْتُ بِهِ " وَقَالَ يُونُسُ: " لَشَقَقْتُ عَلَيْهِ ". " قَالَ لَهُ اذْهَبْ إِلَى عَبْدِي، فَقُلْ لَهُ: فَلْيَضَعْ يَدَهُ عَلَى جِلْدِ - أَوْ مَسْكِ - ثَوْرٍ، فَلَهُ بِكُلِّ شَعْرَةٍ وَارَتْ يَدُهُ سَنَةٌ. فَأَتَاهُ فَقَالَ لَهُ، فَقَالَ: مَا بَعْدَ هَذَا؟ قَالَ: الْمَوْتُ، قَالَ: فَالْآنَ ". قَالَ: فَشَمَّهُ شَمَّةً، فَقَبَضَ رُوحَهُ قَالَ يُونُسُ: " فَرَدَّ اللَّهُ عَلَيْهِ عَيْنَهُ، وَكَانَ يَأْتِي النَّاسَ خُفْيَةً» وَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ الْمِقْدَامِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ، فَرَفَعَهُ أَيْضًا وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.