আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثنتين وتسعين

পৃষ্ঠা - ৭৩২৬


৯২ হিজরীর আগমন

এ বছরে মাসলামা ও তার ভাতিজা উমর ইবন আলওয়ালীদ রোমের শহরগুলোতে যুদ্ধ
করেন ৷ তারা বহু দুর্গ ও প্রচুর যুদ্ধলব্ধ সম্পদ অর্জন করেন ৷ রোমের অধিবাসীরা তাদের থেকে
পালিয়ে গিয়ে তাদের দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় পৌছে ৷ মুসা ইবন নুসায়রেৱ আযাদকৃত
গোলাম, তারিক ইবন যিয়াদ ১২ হাজার সৈন্য নিয়ে আন্দুলুসের শহরগুলোতে যুদ্ধ করেন ৷
আন্দুলুন্সেৰু রাজা আযরীকুন তার বিরাট সেনাবাহিনী, মাথার মুকুট ও সিংহাসন নিয়ে ঘর থেকে
বের হয়ে পড়েন ৷ তারিক তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ও তাকে পরাজিত করেন এবং তার সেনা
বাহিনীতে যে সব জিনিসপত্র ছিল তা যুদ্ধলব্ধ সম্পদ হিসেবে অর্জন করেন ৷ এগুলোর মধ্যে
প্রধান ছিল তার সিংহাসন ৷ তিনি আন্দুলুসের শহরগুলোকে পরিপুর্ণতাবে দখল করে নেন ৷

আয-যাহাবী বলেন, তারিক ইবন যিয়াদ তানজাহ এর আমীর ছিলেন ৷ আরত ৷ছিল
মরক্কোর সীমান্তে অবস্থিত ৷ তিনি তার প্রভু মুসা ইবন নুসায়রের নায়িব ছিলেন ৷ তার কাছে ’
সবুজ দ্বীপের গভার শত্রুর বিরুদ্ধে সাহায্য চেয়ে পত্র লিখেন ৷ তারিক আন্দুলুস দ্বীপে সাবতাত
প্রণালী দিয়ে প্রবেশ করেন ৷ ফ্রান্সবাসীরা নিজেদের মধ্যে গৃহযুদ্ধে সিং! থাকায় তারিক সুযোগ
পেয়ে গেলেন এবং আক্বাসেয় শহরগুলোতে পুরাপুরি মান্যাযাগ দিলেন ৷ তিনি কর্তোভা জয়
করেন এবং তার প্রশাসক আদরীনুককে হত্যা করেন ৷ আর তারিক, মুসা ইবন নুসায়রকে
বিজয়ের সং বাদ জ্ঞাপন করে পত্র লিখলেন ৷ তখন মুসা একক বিজয়ের জন্যে তারিকের হিংসা
করেন ৷ আল-ওয়ালীদের কাছে বিজয়ের সংবাদ প্রেরণ করেন ৷ কিন্তু বিজরক্কক নিজের বলে দাবী
করেন আর তারিকের কাছে পত্র লিখেন এবং তার অনুমতি ব্যতীত অগ্রসর হওয়ায় দােষাবরাপ
করেন ও সেখানে না পৌছা পর্যন্ত সেখানটা অতিক্রম করার জন্য নিষেধ করলেন ৷ তারপর
তিনি তার স্লেনাবাহিনী নিয়ে দ্রুত অগ্রসর হলেন এবং তার সাথে হাবীব ইবন উবায়দাহ্ আল-
ফিহরীকে নিয়ে আন্দুলুস প্রবেশ করেন৷ আন্দুলুসের শহরগুলোকে জয় করার জন্যে তিনি
সেখানে কয়েক বছর অবস্থান করেন ৷ বিভিন্ন শহর ও প্রচুর সম্পদ দখল করেন ৷ পুরুষদেরকে
হত্যা করেন, মহিলা ও শিশ্যুদরকে বন্দী করেন ৷ সীমাহীন, সংখ্যাহীন ও বিবরণহীন গনীমত
অর্জন করেন ৷ সেগুলোর মধ্যে ছিল মুক্তা, রুবী পাথর, স্বর্ণ-রৌপ্য, স্বর্ণ ও রৌপোৱ পাত্র,
আসবাবপত্র, অশ্বাদি, খচ্চর ইত্যাদির ন্যায় বহু জিনিসপত্র ৷ বিভিন্ন ও প্রচুর বড় বড় প্রদেশ ও
শহর জয় লাভ করেন ৷ মাসলামাহ ও তার ভাতিজা, উমর ইবন আল-ওয়ালীদ ণ্রামের
শহরগুলোর যে সব দুর্গ জয় করেছেন এগুলোর মধ্যে প্রসিদ্ধ ছিল সুসিনাহ দুর্গ ৷ তারা দৃইজনে
জয়লাভ করতে করতে কুসতানতানীয়ার উপসাগর পর্যন্ত পৌছে যান ৷

এ বছরেই কুতায়বা ইবন মুসলিম শুমান, কাশ ও নাসাফ জয় করেন ৷ ফারইয়ারের ;
বাসিন্দারা তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তৃললে তিনি তাদেরকে পুড়িয়ে দেন এবং তার ভাই
আবদুর রহমানকে এসব শহরের বাদশাহ্ তারখুন কান ও সুগদের দিকে প্রেরণ করেন ৷ আবদুব্ ;
রহমান তার সাথে সন্ধি করেন এবং তাকে তারথুন খান’ প্রচুর সম্পদ প্রদান করেন ৷ তিনি
তখন তার ভাইয়ের কাছে বুখারায় আগমন করেন ৷ পরে মড়ারভের দিকে প্রত্যাবর্তন করেন ৷
তারবুন খান আবদুর রহমানের সাথে সন্ধি করেন ও তার থেকে বিদায় নেন ৷ সুগদের
বাসিন্দারা একত্রিত হন ও তারবুনীকে বলতে লাগলেন, তুমি অপমানের বোঝা উঠিয়ে নিরেছৰুছুর্চু
কর আদায় করছ আর তুমি হচ্ছ বৃদ্ধ ৷ তোমার মধ্যে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই ৷ তারপরস্টু


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَتِسْعِينَ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا غَزَا مَسْلَمَةُ، وَابْنُ أَخِيهِ عُمَرُ بْنُ الْوَلِيدِ بِلَادَ الرُّومِ، فَفَتَحَا حُصُونًا كَثِيرَةً، وَغَنِمَا شَيْئًا كَثِيرًا، وَهَرَبَتْ مِنْهُمُ الرُّومُ إِلَى أَقْصَى بِلَادِهِمْ. وَفِيهَا غَزَا طَارِقُ بْنُ زِيَادٍ مَوْلَى مُوسَى بْنِ نُصَيْرٍ بِلَادَ الْأَنْدَلُسِ فِي اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا، فَخَرَجَ إِلَيْهِ مَلِكُهَا أَذَرِينُوقُ فِي جَحَافِلِهِ، وَعَلَيْهِ تَاجُهُ وَمَعَهُ سَرِيرُ مُلْكِهِ، فَقَاتَلَهُ طَارِقٌ فَهَزَمَهُ، وَغَنِمَ مَا فِي مُعَسْكَرِهِ، فَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ ذَلِكَ السَّرِيرُ، وَتَمَلَّكَ بِلَادَ الْأَنْدَلُسِ بِكَمَالِهَا. قَالَ الذَّهَبِيُّ: كَانَ طَارِقُ بْنُ زِيَادٍ أَمِيرَ طَنْجَةَ، وَهِيَ أَقْصَى بِلَادِ الْمَغْرِبِ، وَكَانَ نَائِبًا لِمَوْلَاهُ مُوسَى بْنِ نُصَيْرٍ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ صَاحِبُ الْجَزِيرَةِ الْخَضْرَاءِ يَسْتَنْجِدُ بِهِ عَلَى عَدُوِّهِ، فَدَخَلَ طَارِقٌ إِلَى جَزِيرَةِ الْأَنْدَلُسِ مِنْ زُقَاقِ سَبْتَةَ، وَانْتَهَزَ الْفُرْصَةَ لِكَوْنِ الْفِرِنْجِ قَدِ اقْتَتَلُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ، وَأَمْعَنَ طَارِقٌ فِي بِلَادِ الْأَنْدَلُسِ فَافْتَتَحَ قُرْطُبَةَ، وَقَتَلَ مَلِكَهَا أَذَرِينُوقَ، وَكَتَبَ إِلَى مُوسَى بْنِ نُصَيْرٍ بِالْفَتْحِ، فَحَسَدَهُ مُوسَى عَلَى الِانْفِرَادِ بِهَذَا الْفَتْحِ، وَكَتَبَ إِلَى الْوَلِيدِ يُبَشِّرُهُ بِالْفَتْحِ، وَيَنْسِبُهُ إِلَى نَفْسِهِ، وَكَتَبَ إِلَى طَارِقٍ يَتَوَعَّدُهُ لِكَوْنِهِ دَخَلَ بِغَيْرِ أَمْرِهِ، وَيَأْمُرُهُ أَنْ لَا يَتَجَاوَزَ مَكَانَهُ حَتَّى يَلْحَقَ بِهِ، ثُمَّ سَارَ إِلَيْهِ مُسْرِعًا بِجُيُوشِهِ، فَدَخَلَ الْأَنْدَلُسَ وَمَعَهُ حَبِيبُ بْنُ أَبِي عُبَيْدَةَ الْفِهْرِيُّ، فَأَقَامَ سِنِينَ يَفْتَحُ فِي بِلَادِ الْأَنْدَلُسِ، وَيَأْخُذُ الْمُدُنَ وَالْأَمْوَالَ، وَيَقْتُلُ الرِّجَالَ، وَيَأْسِرُ النِّسَاءَ وَالْأَطْفَالَ، فَغَنِمَ شَيْئًا لَا يُحَدُّ وَلَا
পৃষ্ঠা - ৭৩২৭
يُوصَفُ وَلَا يُعَدُّ مِنَ الْجَوَاهِرِ وَالْيَوَاقِيتِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ، وَمِنْ آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَالْأَثَاثِ وَالْخُيُولِ وَالْبِغَالِ وَغَيْرِ ذَلِكَ شَيْئًا كَثِيرًا، وَفَتَحَ مِنَ الْأَقَالِيمِ الْكِبَارِ وَالْمُدُنِ شَيْئًا كَثِيرًا. وَكَانَ مِمَّا فَتَحَ مَسْلَمَةُ وَابْنُ أَخِيهِ عُمَرُ بْنُ الْوَلِيدِ مِنْ حُصُونِ بِلَادِ الرُّومِ حِصْنُ سَوْسَنَةَ، وَبَلَغَا إِلَى خَلِيجِ الْقُسْطَنْطِينِيَّةِ. وَفِيهَا فَتَحَ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ شُومَانَ وَكِسَّ، وَنَسَفَ، وَامْتَنَعَ عَلَيْهِ أَهْلُ فِرْيَابَ فَأَحْرَقَهَا، وَجَهَّزَ أَخَاهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ إِلَى الصُّغْدِ إِلَى طَرْخُونَ خَانَ مَلِكِ تِلْكَ الْبِلَادِ، فَصَالَحَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَأَعْطَاهُ طَرْخُونُ خَانَ أَمْوَالًا كَثِيرَةً، وَقَدِمَ عَلَى أَخِيهِ وَهُوَ ببُخَارَى فَرَجَعَ إِلَى مَرْوَ، وَلَمَّا صَالَحَ طَرْخُونُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ وَرَحَلَ عَنْهُ، اجْتَمَعَتِ الصُّغْدُ وَقَالُوا لِطَرْخُونَ: إِنَّكَ قَدْ بُؤْتَ بِالذُّلِّ وَأَدَّيْتَ الْجِزْيَةَ، وَأَنْتَ شَيْخٌ كَبِيرٌ فَلَا حَاجَةَ لَنَا فِيكَ، ثُمَّ عَزَلُوهُ وَوَلَّوْا عَلَيْهِمْ غَوْزَكَ خَانَ أَخَا طَرْخُونَ خَانَ، ثُمَّ إِنَّهُمْ عَصَوْا وَنَقَضُوا الْعَهْدَ، وَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ مَا سَيَأْتِي. وَفِيهَا غَزَا قُتَيْبَةُ سِجِسْتَانَ يُرِيدُ رُتْبِيلَ مَلِكَ التُّرْكِ الْأَعْظَمَ، فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى أَوَّلِ مَمْلَكَةِ رُتْبِيلَ تَلَقَّتْهُ رُسُلُهُ يُرِيدُونَ مِنْهُ الصُّلْحَ عَلَى أَمْوَالٍ عَظِيمَةٍ; خُيُولٍ وَرَقِيقٍ وَنِسَاءٍ مِنْ بَنَاتِ الْمُلُوكِ يُحْمَلُ ذَلِكَ إِلَيْهِ، فَصَالَحَهُ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ نَائِبُ الْمَدِينَةِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَتُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ مَالِكُ بْنُ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ النَّصْرِيُّ أَبُو سَعِيدٍ الْمَدَنِيُّ مُخْتَلَفٌ فِي
পৃষ্ঠা - ৭৩২৮
صُحْبَتِهِ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: رَكِبَ الْخَيْلَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَرَأَى أَبَا بَكْرٍ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يَحْفَظْ مِنْهُ شَيْئًا. وَأَنْكَرَ ذَلِكَ ابْنُ مَعِينٍ وَالْبُخَارِيُّ وَأَبُو حَاتِمٍ وَقَالُوا: لَا تَصِحُّ لَهُ صُحْبَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: فِي الَّتِي قَبْلَهَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. طُوَيْسٌ الْمُغَنِّي اسْمُهُ عِيسَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَبُو عَبْدِ الْمُنْعِمِ الْمَدَنِيُّ، مَوْلَى بَنِي مَخْزُومٍ، كَانَ بَارِعًا فِي صِنَاعَتِهِ، وَكَانَ طَوِيلًا مُضْطَرِبًا أَحْوَلَ الْعَيْنِ، وَكَانَ مَشْئُومًا; لِأَنَّهُ وُلِدَ يَوْمَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفُطِمَ يَوْمَ تُوُفِّيَ الصِّدِّيقُ، وَاحْتَلَمَ يَوْمَ قُتِلَ عُمَرُ، وَتَزَوَّجَ يَوْمَ قُتِلَ عُثْمَانُ، وَوُلِدَ لَهُ يَوْمَ قُتِلَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ. وَقِيلَ: وُلِدَ لَهُ يَوْمَ قُتِلَ عَلِيٌّ. حَكَاهُ ابْنُ خَلِّكَانَ وَغَيْرُهُ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ ثِنْتَيْنِ وَثَمَانِينَ سَنَةً بِالسُّوَيْدَاءِ، وَهِيَ عَلَى مَرْحَلَتَيْنِ مِنَ الْمَدِينَةِ. الْأَخْطَلُ كَانَ شَاعِرًا مُطْبِقًا، فَاقَ أَقْرَانَهُ فِي الشِّعْرِ.