ثم دخلت سنة إحدى وتسعين
পৃষ্ঠা - ৭৩২১
বর্ণনকােরী বলেন, তখন তার জ্যনৃব্র একলাখ মুদ্রা প্রদান করা হল ৷ আল্লামা ইবন কাসীর
(র) বলেন, এ কবিতাণ্ডালাকে হযরত খালিদ ইবন আল ওয়ালীদ (রা) এর ক্ষেত্রেও পাঠ
করতে প্রত্যক্ষ করেছি ৷ যখন জিজ্ঞেস করা হল, তোমাদের প্রভু কে ? তারা বলল, খালিদ ইবন
আল-ওয়ালীদ (বা) ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷
খালিদ ইবন ইয়াষীদ হিমসের আমীর ছিলেন ৷ তিনি হিমসের জামে মসজিদ তৈরী
করেন ৷ সেখানে তার চারশত গোলাম কাজ করত ৷ যখন তারা মসজিদের কাজ সমাধা করল
তখন তিনি তাদেরকে মুক্ত করে দিলেন ৷ খালিদ হাজ্জাজের সাথে শত্রুতা পোষণ করতেন ৷
হাজ্জাজ যখন বিন্ত জাফরকে বিয়ে করেন, তখন খালিদ আবদুল মালিককে ইংগিত
করেছিলেন যেন তার কাছে লোক পাঠানো হয় এবং সে তাকে তালাক দেয় ৷ তাই করা হল ৷
যখন তিনি মারা যান আল-ওয়ালীদ তার জানাযা পড়ান ও জানাযার সাথে গমন করেন ৷
খালিদের প্রতি পুনরায় দুর্বলতা দেখা দিলে আবদুল মালিক তাকে এসম্বন্ধে প্রশ্ন করেন ৷ কিন্তু
তিনি তাকে এ ব্যাপারে কোন সংবাদ দিলেন না ৷ পরবর্তীতে তিনি সংবাদ দেন যে, মুসআব
ইবন আয-যুবায়রের বোন রাযলাহ্র প্রেমে সে মুহ্যমান ৷ আবদুল মালিক খালিদের জন্যে তার
কাছে বিয়ের পয়পাম প্রেরণ করেন ৷ রামলাহ বলে, সে তাকে বিয়ে করবে না যতক্ষণ না সে
তার অন্যান্য ব্রীদের তালাক দেয় ৷ সে তাদেরকে তালাক দিল এবং রামলাহকে বিয়ে করল ও
তার সম্বন্ধে কবিতা পাঠ করল ৷
এ বছরেই তিনি ইন তিকাল করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, ৮৪ হিজয়ীতে তিনি
ইন্তিকাল করেন ৷ সেখানেও এরুপ মতভেদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ৷ প্রথম অভিমতটি
শুদ্ধ ৷
আবদুল্লাহ ইবন আয-যুৰায়র
তার পুর্ণ বাম ছিল আবুকাহীর আবদুল্লাহ ইবন আয-যুবায়র ইবন সুলায়ম আল আসাদী ৷
তিনি একজন কবি ছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেন, “তার কুনিয়ত-আবু সাঈদ বলে প্রসিদ্ধ ছিল ৷
তিনি খলীফা আবদুল্লাহ ইবন আয-যুবায়র (রা)-এর কাছে প্রতিনিধি হিসেবে এসেছিলেন এবং
তার প্রশংসা করেছিলেন ৷ কিভু তিনি তাকে কোন বখৃশীশ ণ্দননি ৷ তাই সে বলেছিল, মহান
আল্পাহ্ এ উটটির উপর লানত করুন, যা আমাংক তোমার কাছে বহন করে নিয়ে এসেছে ৷
আবদুল্লাহ্ ইবন আয-যুবাইর (রা) বলেন, তার মালিকের উপরও (লানত) ৷ কথিত আছে যে,
তিনি হাজ্জাজের শাসনকালে মারা যান ৷
৯১ হিজরীর প্রারম্ভ
ষ্ এ বছরেই মাসলামড়াহ্ ইবন আবদুল মালিক ও তার ভাতিজা আবদুল আযীয ইবন আল
ওয়ালীদ আস-সাইফার যুদ্ধে অশেগ্রহণ করেন ৷ এ বছরেই মাসলামড়াহ্ তুর্কী শহরগুলােতে যুদ্ধ
করেন এবং আযারৰায়জান এলাকায় আল-বাব বা দরযা পর্যন্ত পৌছে যান ৷ তারপর তিনি বহু
শহর ও দুর্গ জয়লাভ করেন ৷ আল-ওয়ালীদ তার চাচা মুহাম্মদ ইবন মারওয়ানকে আলজেরিয়া
ও আযারৰায়জান থেকে বরখাস্ত করেন এবং এ দুই জায়গায় তার ভাই মাসলামড়াহ্ ইবন
আবদুল মালিককে আমীর নিযুক্ত করেন ৷
এ বছরেই মুসা ইবন নুসায়র পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরগুলােতে যুদ্ধ করেন ৷ অনেক শহর তিনি
জয়লাভ করেন এবং এগুলোতে প্রবেশ করেন ৷ এমনকি অবশিষ্ট দুরবর্তী স্থানগুলোতে প্রবেশ
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَتِسْعِينَ]
[الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا]
فِيهَا غَزَا الصَّائِفَةَ مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَابْنُ أَخِيهِ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْوَلِيدِ.
وَفِيهَا غَزَا مَسْلَمَةُ بِلَادَ التُّرْكِ حَتَّى بَلَغَ الْبَابَ مِنْ نَاحِيَةِ أَذْرَبِيجَانَ، فَفَتَحَ مَدَائِنَ وَحُصُونًا كَثِيرَةً أَيْضًا، وَكَانَ الْوَلِيدُ قَدْ عَزَلَ عَمَّهُ مُحَمَّدَ بْنَ مَرْوَانَ عَنِ الْجَزِيرَةِ وَأَذْرَبِيجَانَ، وَوَلَّاهُمَا أَخَاهُ مَسْلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ.
وَفِيهَا غَزَا مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ بِلَادَ الْمَغْرِبِ، فَفَتَحَ مُدُنًا كَثِيرَةً، وَدَخَلَ فِي تِلْكَ الْبِلَادِ، وَوَلَجَ فِيهَا حَتَّى دَخَلَ أَرَاضِيَ غَابِرَةً قَاصِيَةً، فِيهَا آثَارُ قُصُورٍ وَبُيُوتٍ لَيْسَ بِهَا سَاكِنٌ، وَوَجَدَ هُنَاكَ مِنْ آثَارِ نِعْمَةِ أَهْلِ تِلْكَ الْبِلَادِ مَا يَلُوحُ عَلَى سِمَاتِهَا أَنَّ أَهْلَهَا كَانُوا أَصْحَابَ أَمْوَالٍ وَنِعْمَةٍ دَارَّةٍ سَابِغَةٍ، فَبَادُوا جَمِيعًا فَلَا مُخْبِرَ بِهَا.
وَفِيهَا مَهَّدَ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ بِلَادَ التُّرْكِ الَّذِينَ كَانُوا قَدْ نَقَضُوا مَا كَانُوا عَاهَدُوهُ عَلَيْهِ مِنَ الْمُصَالَحَةِ، وَذَلِكَ بَعْدَ قِتَالٍ شَدِيدٍ، وَحَرْبٍ يَشِيبُ لَهَا الْوَلِيدُ، وَذَلِكَ أَنَّ مُلُوكَهُمْ كَانُوا قَدِ اتَّعَدُوا فِي الْعَامِ الْمَاضِي فِي أَوَانِ الرَّبِيعِ أَنْ يَجْتَمِعُوا، وَيُقَاتِلُوا قُتَيْبَةَ، وَأَنْ لَا يُوَلُّوا عَنِ الْقِتَالِ حَتَّى يُخْرِجُوا الْعَرَبَ مِنْ بِلَادِهِمْ، فَاجْتَمَعُوا اجْتِمَاعًا هَائِلًا لَمْ يَجْتَمِعُوا مِثْلَهُ فِي مَوْقِفٍ، فَكَسَرَهُمْ قُتَيْبَةُ، وَقَتَلَ مِنْهُمْ أُمَمًا كَثِيرَةً، وَرَدَّ الْأُمُورَ إِلَى مَا كَانَتْ عَلَيْهِ، حَتَّى ذُكِرَ أَنَّهُ صَلَبَ مِنْهُمْ فِي
পৃষ্ঠা - ৭৩২২
করেন, যেখানে অট্টালিকা ও বড় বড় প্রাসাদের চিহ্ন রয়েছে, যেগুলো অনাবাদ পড়ে রয়েছে ৷
সেখানে তিনি এ সব শহরের ভগ্লাবশেষ পান যেগুলোর মাধ্যর্মেসে সব শহরের আকার ও
নমুনা বুঝা যায় ৷ আরো বুঝা যায় যে, তারা অত্যন্ত ধনী ও বড় বড় প্রাসাদের মালিক, ছিলেন ৷
তারা সকলে ধ্বংস হয়ে যায় ৷ তাদের মধ্যে সংবাদ প্রদানের জন্যেও কেউ অবশিষ্ট নেই ৷
এ বছরেই কুতায়বাহ্ ইবন মুসলিম তৃর্কীর ঐ সব শহরকে শায়েস্তা করেন ৷ যার বাসিন্দারা
তার সাথে সন্ধি করেছিল ও সন্ধি তংগ করেছিল ৷ আর এটা সম্ভব হয়েজ্যি এমন প্রচণ্ড যুদ্ধের
পর যে যুদ্ধে যুবক বৃদ্ধ হয়ে যায় ৷ এসব শহরের রাজাগণ গত বছরের বসস্তের প্রারম্ভে প্রন্তুতি
নিয়েছিল ও কুতায়বাৱ বিরুদ্ধে তুমুল যুদ্ধ করার জন্যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল ৷ আর তারা
ৎপীকারাবদ্ধ হয়েছিল যে, তারা আরবদেরকে তাদের ভুমি হতে বহিষ্কার না করে ক্ষান্ত হবে
না ৷ তইি তারা এমনভাবে ঐক্যবদ্ধ হল যে, আর কোন সময় তারা এরুপ ঐক্যবদ্ধ হয় নাই ৷
কুতায়বা তাদেরকে পরাজিত করল এবং তাদের বহু লোককে হত্যা করল ৷ আর পুর্বের
পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনল ৷ এমনকি উল্লেখ করা হয়েছে যে, তাদের মধ্যে কোন কোন জায়গায়
যাকে পাওয়া গিয়েছে তাবেইি শুলীতে বিদ্ধ করা হয়েছে ৷ তাদের দুইটি সারি লোক ছিল যে
দুইটি সারির দৈর্ঘ্য বাম দিক থেকে ডান দিকে বার মাইল ৷ প্রতিটি লোক তার পাশের লোককে
শুলী বিদ্ধ করে ৷ এটা ছিল ৰীভৎস ব্যাপার ৷ এভাবে কাফিরদের মধ্যে একজন অন্যর্জন দ্বারা
নিহত হয় ৷ তারপর তুর্কীয় মহারাজা নায়যাক খানকে এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে, এক
অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে, এক শহর থেকে অন্য শহরে এবং এক পরগণা থেকে অন্য পরগণায়
খোজাখুজি করা হলো ৷ এভাবে বেশ কয়েকদিন চলতে লাগল ৷ শেষ পর্যন্ত তাকে কুতায়বা
একটি দৃর্গে অবরোধ করেন ৷ এ অবরোধ একাধারে ইেমাস চলতে থাকে ৷ নায়যাক খানের
রসদ ফুরিয়ে যায় ৷ সে এবং তার সাথীরা ধ্বংস হবার উপক্রম হয়ে পড়ে ৷ তারপর কুতায়বা
তার কাছে এমন একজন লোককে প্রেরণ করেন, যিনি তাকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত অবস্থায়
নিরাপত্তা দান করে ও তাকে কারাগারে বন্দী করে রাখে ৷ তারপর তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত
নেওয়ার জন্যে কুতায়বা হাজ্জাজের কাছে পত্র লিখেন ৷ চল্লিশ দিন পর পত্রের উত্তর আসে যে,
ষ্ তাকে হত্যা কর ৷” কুতায়বা অন্যান্য আমীরদেরকে একত্র করেন ও তার ব্যাপারে তাদের
’ পরামর্শ চান ৷ তারা তার ব্যাপারে মতবিরোধ করল ৷ কেউ কেউ বলেন, “তাকে হত্যা কর ৷”
আবার কেউ কেউ বলেন, “তাকে হত্যা করো না ৷” কোন কোন আমীর কৃতায়বাকে বললেন,
তুমি মহান আল্পাহ্র কাছে অংগীকার করেছ যে, যদি তুমি তার উপর জয়লাভ কর তবে তুমি
তাকে হত্যা করবে ৷ আর এখন মহান আল্লাহ তোমাকে তার উপর পরিপুর্ণ বিজয় দান
করেছেন ৷ কুতায়বা বললেন, আল্লাহ্র শপথ, যদি আমার জীবন শুধুমাত্র তিনটি বাক্য উচ্চারণ
করার সময় পার আমি তাকে অবশ্যই হত্যা করব ৷ তারপর তিনি বললেন, তাকে হত্যা কর,
তাকে হত্যা কর, তাকে হত্যা কর ৷ একটি সকাল বেলায় (সুবহে সাদেক থেকে শুরু করে
সুর্যোদয় পর্যন্ত সময়) তাকে এবং তার সাতশত আমীরকে হত্যা করা হল ৷ কুতায়বা তাদের
সম্পদরাজি, অশ্বাদি,কাপড়-চোপড়, ছেলে-মেয়ে ও মহিলাদের ন্যায় বহু জিনিসপত্র অর্জন
করেন ৷ আর এ বছরে তিনি বহু শহর জয়লাভ করেন ৷ বহু শহরকে স্বীয় স্থানে স্থিতি রাখলেন
এবং সম্পদ ও মহিলার পরিপুর্ণ দুর্গ দখল করলেন, স্বর্ণ ও রৌপোর বহু পাত্র অর্জন করলেন ৷
তারপর কুতায়বা আত তালিকানের দিকে অগ্রসর হন ৷ এটা একটি বড় শহর, এতে
রয়েছে অনেক দুর্গ ও প্রদেশ ৷ তিনি এগুলো দখল করে নিলেন এবং এগুলোতে শাসক নিযুক্ত
করেন ৷ তারপর তিনি আল-ফারইয়াবের দিকে অগ্রসর হন সেখানে ছিল বহু শহর ও প্রদেশ ৷
بَعْضِ الْمَوَاضِعِ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ أَخَذَ مِنَ الْأُسَارَى سِمَاطَيْنِ طُولُهُمَا أَرْبَعَةُ فَرَاسِخَ مِنْ هَاهُنَا وَهَاهُنَا، وَاتَّبَعَ نَيْزَكَ خَانَ مَلِكَ التُّرْكِ الْأَعْظَمَ مِنْ إِقْلِيمٍ إِلَى إِقْلِيمٍ، وَمِنْ كُورَةٍ إِلَى كُورَةٍ، وَمِنْ رُسْتَاقٍ إِلَى رُسْتَاقٍ، وَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ دَأْبَهُ وَدَأْبَهُ حَتَّى حَصَرَهُ فِي قَلْعَةٍ هُنَالِكَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ، حَتَّى نَفِدَ مَا عِنْدَ نَيْزَكَ خَانَ مِنَ الْأَطْعِمَةِ، وَأَشْرَفَ هُوَ وَمَنْ مَعَهُ عَلَى الْهَلَاكِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ قُتَيْبَةُ مَنْ جَاءَ بِهِ مُسْتَأْمَنًا مَذْمُومًا مَخْذُولًا، فَسَجَنَهُ عِنْدَهُ، ثُمَّ كَتَبَ إِلَى الْحَجَّاجِ فِي أَمْرِهِ، فَجَاءَ الْكِتَابُ بَعْدَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا بِقَتْلِهِ، فَجَمَعَ قُتَيْبَةُ الْأُمَرَاءَ، فَاسْتَشَارَهُمْ فِيهِ فَاخْتَلَفُوا عَلَيْهِ; فَقَائِلٌ يَقُولُ: اقْتُلْهُ. وَقَائِلٌ يَقُولُ: لَا تَقْتُلْهُ. فَقَالَ لَهُ بَعْضُ الْأُمَرَاءِ: إِنَّكَ أَعْطَيْتَ اللَّهَ عَهْدًا أَنَّكَ إِنْ ظَفِرْتَ بِهِ لَتَقْتُلَنَّهُ، وَقَدْ أَمْكَنَكَ اللَّهُ مِنْهُ. فَقَالَ قُتَيْبَةُ: وَاللَّهِ لَوْ لَمْ يَبْقَ مِنْ عُمْرِي إِلَّا مَا يَسَعُ ثَلَاثَ كَلِمَاتٍ لَقَتَلْتُهُ. ثُمَّ قَالَ: اقْتُلُوهُ اقْتُلُوهُ اقْتُلُوهُ، فَقُتِلَ هُوَ وَسَبْعُمِائَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فِي غَدَاةٍ وَاحِدَةٍ، وَأَخَذَ قُتَيْبَةُ مِنْ أَمْوَالِهِمْ وَخُيُولِهِمْ وَثِيَابِهِمْ وَأَبْنَائِهِمْ وَنِسَائِهِمْ شَيْئًا كَثِيرًا، وَفَتَحَ فِي هَذَا الْعَامِ مُدُنًا كَثِيرَةً، وَقَرَّرَ مَمَالِكَ كَثِيرَةً.
পৃষ্ঠা - ৭৩২৩
তার বাদশাহ্ বাধ্যগত ও অনুগত অবস্থায় কুতায়বার কাছে আত্মসমর্পণ করেন ৷ সেখানে তিনি
তার সাথীদের মধ্য হতে একজন শাসক নিযুক্ত করেন ৷
তারপর তিনি আল-জুযজা নের দিকে অগ্রসর হন ৷ তিনি তার বাদশাহ্ থেকে তা নিয়ে নেন
এবং সেখানে শাসক নিযুক্ত করেন ৷ তারপর তিনি বালখের দিকে অগ্রসর হন ৷ তিনি সেখানে
প্রবেশ করেন ও সেখানে একদিন তিনি অতিক্রান্ত করেন ৷ এরপর সেখান থেকে তিনি বের হয়ে
যান ও বুগলানে অবস্থিত নায়যাক খানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ৷ নায়যাক খান সেনাবাহিনীসহ
এমন গিরিপথের মুখে অবস্থান করছে যেখান দিয়ে শহরে প্রবেশ করতে হয় ৷ গিরিপথের মুখে
একটি বিরাট দুর্গ অবস্থিত যার নাম হচ্ছে শামসিয়াহ ৷ যেহেতু এটা উচু, প্রশস্ত ও প্রকাও তাই
এ নামে অভিহিত ৷ সামানজান ও আর-রাউবের বাদশাহ্ আর-রাউব খান কুতায়বার কাছে
আগমন করেন এর দুর্গের অভ্যন্তরে তাকে পথ প্রদর্শনের শর্তে তার কাছে নিরাপত্তা কামনা
করেন ৷ তিনি তাকে নিরাপত্তা দেন এবং তার সাথে কিছু সংখ্যক লোককে দুর্পে প্রেরণ করেনা
তারা রাতের বেলায় দুর্গে প্রবেশ করে এবং এটাকে জয় লাভ করে ৷ তার কিছু সংখ্যক
বাসিন্দাকে তারা হত্যা করে ৷ আর বাকীওলো পালিয়ে যায় ৷ কুতায়বাহ্ গিরিপথে প্রবেশ করেন
ও সামানুজানে আগমন করেন ৷ এটা একটি বড় শহর ৷ তিনি এখানে অবস্থান করেন এবং তার
ভাই আবদুর রহমানকে এসব শহর ও টাউনের শাসক নায়যাক খানের পিছনে একটি বিরাট
সেনাবাহিনী নিয়ে প্রেরণ করেন ৷ তিনি তার পিছনে বুগলানের দিকে অগ্রসর হন এবং তাকে
সেখানে অবরোধ করেন ৷ আর এ অবরোধ দুই মাস কাল স্থায়ী হয় ৷ ফলে তাদের কাছে
মওজুদকৃত খাদ্য সভার শেষ হয়ে যায় ৷ তখন কুতায়বা নিজের কাছ থেকে আন-নাসিহ নামক
একজন দােভাষীকে প্রেরণ করেন এবং তাকে বলেন, “তুমি নায়যাক খানকে আমার কাছে নিয়ে
আসবে ৷ যদি ভুমি নায়যাক খানকে ব্যতীত ফিরে আল, তাহলে তোমার গর্দান কর্তন করা
হবে ৷ কুতায়বা তার সাথে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য ও অর্থ প্রেরণ করেন ৷ দােতাষী নায়যাকের দিকে
অগ্রসর হ্নঃ এবং তার কাছে পৌছেন ও খাদ্য সভার তাদের সামনে পেশ করেন ৷ নায়যাকের
সাথীরা খাদ্য সামগ্রী দেখে ঝাপিয়ে পড়ে ৷ কেননা, তারা ছিল অত্যর্ন্ত ক্ষুধার্ত ৷ তারপর
আন-নাসিহ তাকে নিরাপত্তা দান করে ও তার জন্যে শপথ করে ৷ তাকে নিয়ে সে কুতায়বার
সামনে আগমন করে ৷ নায়যাক খানের সাথে তার সাতশত আমীর সাথী ও পরিবার সদস্যদের
একটি বিরাট দল ছিল ৷ অনুরুপভাবে কুতায়বার কাছে আমীরদের একটি বড় দল নিরাপত্তার
জন্যে আবেদন পেশ করে ৷ কুতায়বা তাদেরকে নিরাপত্তা দেন ৷ আর তাদের শহরওলােতে
আমীর নিযুক্ত করেন ৷ মহান অ ৷ল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত
আল্লামা ওয়াকিদী (রা) ও অন্যান্যরা বলেন, এ বছরেই আমীল্পে মু ’,মিনীন আল ওয়ালীদ
ইবন আবদুল মালিক লোকজনকে নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷ যখন তিনি পবিত্র মদানাৰ র
নিকটবর্তী হন, তখন উমর ইবন আবদুল আযীয পবিত্র মদীনায় সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে আদেশ
করলেন, যাতে তারা খলীফার সাথে সাক্ষাত করেন ৷ পবিত্র মদীনায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ
খলীফার সাথে সাক্ষাত করেন ৷ খলীফা তাদেরকে স্বাগত জানান এবং তাদের সাথে উত্তম
ব্যবহার করেন ৷ খলীফা মসজিদে নববীতে প্রবেশ করেন ৷ মসজিদে নববী তার জন্যে খালী
করে দেওয়া হয়েছিল ৷ সাঈদ ইবন আল-নৃসায়িব্রব ব্যতীত আর কেউ মসজিদে ছিল না ৷ কিন্তু
কেউ সাঈদ ইবন আল-মুসায়িব্রবকে বের করতে সাহস গেল না ৷৩ তার পরনের কাপড় পাচ
দিরহাম মুল্যেরও ছিল না ৷ তারা তাকে বললেন হে বৃদ্ধ! আপনি মসজিদ থেকে সরে যান
আমীরুল মু’মিনীন আসছেন ৷ তিনি বললেন আল্লাহর শপথ, আমি এখান থেকে বের হব
قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُهُ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَلَمَّا قَرُبَ مِنَ الْمَدِينَةِ أَمَرَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ نَائِبُ الْمَدِينَةِ أَشْرَافَ الْمَدِينَةِ فَتَلَقَّوْهُ، فَرَحَّبَ بِهِمْ، وَأَحْسَنَ إِلَيْهِمْ، وَدَخَلَ الْمَدِينَةَ النَّبَوِيَّةَ، فَأُخْلِيَ لَهُ الْمَسْجِدُ النَّبَوِيُّ، فَلَمْ يَبْقَ بِهِ أَحَدٌ سِوَى سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، لَمْ يَتَجَاسَرْ أَحَدٌ أَنْ يُخْرِجَهُ، وَإِنَّمَا عَلَيْهِ ثِيَابٌ لَا تُسَاوِي خَمْسَةَ دَرَاهِمَ، فَقَالُوا لَهُ: تَنَحَّ عَنِ الْمَسْجِدِ أَيُّهَا الشَّيْخُ، فَإِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَادِمٌ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أَخْرُجُ مِنْهُ. فَدَخَلَ الْوَلِيدُ الْمَسْجِدَ فَجَعَلَ يَدُورُ فِيهِ يُصَلِّي هَاهُنَا وَهَاهُنَا، وَيَدْعُو اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، قَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: وَجَعَلْتُ أَعْدِلُ بِهِ عَنْ مَوْضِعِ سَعِيدٍ خَشْيَةَ أَنْ يَرَاهُ، فَحَانَتْ مِنْهُ الْتِفَاتَةٌ، فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ أَهْوَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ؟ فَقُلْتُ: نَعَمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَلَوْ عَلِمَ بِمَكَانِكَ لَقَامَ إِلَيْكَ وَسَلَّمَ عَلَيْكَ. فَقَالَ الْوَلِيدُ: قَدْ عَلِمْتُ حَالَهُ. وَجَعَلَ يَدُورُ فِي الْمَسْجِدِ، وَيَتَفَرَّجُ فِي عِمَارَتِهِ، وَيَسْأَلُنِي عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّهُ وَإِنَّهُ، وَقَصَدْتُ مُوَافَقَتَهُ فِي ذَلِكَ، فَشَرَعَ الْوَلِيدُ يُثْنِي عَلَيْهِ بِالْعِلْمِ وَالدِّينِ، فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّهُ ضَعِيفُ الْبَصَرِ وَإِنَّمَا قُلْتُ ذَلِكَ لِأَعْتَذِرَ لَهُ فَقَالَ: نَحْنُ أَحَقُّ بِالسَّعْيِ إِلَيْهِ. فَجَاءَ فَوَقَفَ عَلَيْهِ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَلَمْ يَقُمْ لَهُ سَعِيدٌ، ثُمَّ قَالَ
পৃষ্ঠা - ৭৩২৪
না ৷ তারপর আল-ওয়ালীদ মসজিদে প্রবেশ করেন ও মসজিদে ঘুরতে থাকেন ৷ এখানে সেখানে
সালাত আদায় করেন ৷ আর আল্লাহর কাছে দুআ করতে থাকেন ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয
বলেন, আমি সাঈদের জায়গা থেকে খলীফাকে সরিয়ে রাখতে তৎপর ছিলাম এ ভয়ে যে
খলীফা যেন তাকে না দেখে ৷ কিন্তু খলীফার দৃষ্টি তার দিকে নিপতিত হল ৷ তিনি বললেন,
এটা কে ? সাঈদ ইবন আল মুসায়িদ্রব নয় ? আমি বললাম “হ্যা, হে আযীরুল যু’মিনীন! সে
যদি জানত যে আপনি আসতেছেন ৷ তাহলে, যে আপনার দিকে আসত এবং আপনাকে সালাম
করত ৷ খলীফা বললেন, আমি জানি যে, আমাদের প্রতি সে হিহ্সা বিদ্বেয় রাখে ৷ তখন আমি
বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন! সে এরুপ, এরুপ এবং আমি তার প্রশং যা করতে লাগলাম ৷
অশ্ল-ওয়ালীদও তার জ্ঞান এবং দীনদারীর প্রশংসা করতে লাগলেন ৷ তখন আমি বললাম, “হে
আমীরপ্স মু’মিনীন৷ তিনি চোখে একটু কম দেখেন ৷” আমার এটা বলার উদ্দেশ্য হল তার
পক্ষ থােক অজুহাত পেশ করা ৷ খলীফা বললেন, “তার কাছে যাওয়া ও তার সাথে সাক্ষাত
করার ব্যাপারে আমরাই বেশী হকদার ৷ তখন খলীফা আসলেন এবং তার কাছে দণ্ডায়মান
হলেন ৷ সাঈদ খলীফাকে সালাম করলেন ৷ কিন্তু, তার জন্যে দাড়ালেন না ৷ তারপর
আল ওয়ালীদ বললেন, ওস্তাদ কেমন আছেন ? উত্তরে তিনি বললেন, ভালো, আলহাম্দু
লিল্লাহ্ ৷ আমীরুল মু’মিনীন কেমন আছেন ? আল ওয়ালীদ বললেন, “ভালো, এক আল্পাহ্র
জন্যই প্রশং সা ৷” তারপর খলীফা চলে গেলেন এবং উমর ইবন আবদুল আষীযকে বলছিলেন,
“তিনি একজন বিখ্যাত ফর্কীহ ৷” উমর ইবন আবদুল আযীয বলেন, “হ্যা, আমীরুল
মুমিনীন! ঐতিহাসিকগণ বলেন, তারপর আল-ওয়ালীদ ৱাসুলুল্পাহ্ (না)-এর মিম্বারে খুতবা
পাঠ করেন ৷ প্রথম খুত্বায় তিনি বসে ছিলেন এবং দ্বিতীয় খুতৃবায় তিনি দণ্ডায়মান ছিলেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, খলীফা বললেন, এ রকমই উছমান (রা) খুতবা দিয়েছিলেন ৷ তারপর
খলীফা বিদায় হয়ে চলে গেলেন ৷ তিনি পবিত্র মদীনাৰাসীদের জন্য প্রচুর স্বর্ণ ও রৌপ্য খরচ
করেন ৷ তারপর তিনি মসজিদে নববীকে কাপড়ের গিলাফ পরালেন যেমন কাবা শরীফকে
গিলাফ পরালেন ৷ গিলাফটি ছিল ভারী ব্লেশমী কাপড়ের ৷
এ বছরেই আস-সইিব ইবন ইয়ফুঈদ ইবন সাদ ইবন তামামা ইনৃতিকাল করেন ৷ তার
পিতা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে হজ্জ পালন করেছিলেন ৷ ঐ সময় আস-সাঈবের বয়স ছিল
সাত বছর মাত্র ৷ এ হাদীসটি, ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন ৷ এ জন্যই আল্লামা ওয়াকিদী
বলেন যে, তিনি তিন হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৯১ হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন ৷ কেউ
কেউ বলেন, তিনি ছয় হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তিনি ৮৮
হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন ৷
সাহল ইবন সা দ আস-সাঈদী (বা)
তিনি একজন সম্মানিত মাদানী সাহাবী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন ইনৃতিকাল করেন, তখন
তার বয়সছিল ১৫ বছর ৷ হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ যখন মারা যায় তখন আনাস ইবন মালিক
(রা) ও জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) জীবিত ছিলেন ৷ যে তাদেরকে অপমানিত ও লঞ্ছিত করত
যাতে জনগণ তাদের অভিমত শ্রবণ না করে ৷ আল্লামা আল-ওয়াকিদী (র) বলেন, সাহল (রা)
একশত বছর বয়সে ৯১ হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন ৷ তিনি ছিলেন পবিত্র মদীনায় সর্বশেষ
সাহাবী ৷ মুহাম্মদ ইবন সা দ বলেন, এতে কোন মতভেদ নেই ৷ ইমাম বুখারী (র) ও অন্যরা
বলেন, তিনি ৮৮ হিজরীতে ইনৃতিকাল করেন ৷
الْوَلِيدُ: كَيْفَ الشَّيْخُ؟ فَقَالَ: بِخَيْرٍ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، كَيْفَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ الْوَلِيدُ: بِخَيْرٍ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَحْدَهُ. ثُمَّ انْصَرَفَ، وَهُوَ يَقُولُ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ: هَذَا بَقِيَّةُ النَّاسِ. فَقَالَ: أَجَلْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ.
قَالُوا: ثُمَّ خَطَبَ الْوَلِيدُ عَلَى مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَلَسَ فِي الْخُطْبَةِ الْأُولَى، وَانْتَصَبَ قَائِمًا فِي الثَّانِيَةِ، وَقَالَ: هَكَذَا خَطَبَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ. ثُمَّ انْصَرَفَ، فَصَرَفَ عَلَى النَّاسِ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ ذَهَبًا كَثِيرًا وَفِضَّةً كَثِيرَةً، ثُمَّ كَسَا الْمَسْجِدَ النَّبَوِيَّ كُسْوَةً مِنْ كُسْوَةِ الْكَعْبَةِ الَّتِي مَعَهُ، وَهِيَ مِنْ دِيبَاجٍ غَلِيظٍ.
[مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ]
وَتُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ
السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ ثُمَامَةَ
وَقَدْ حَجَّ بِهِ أَبُوهُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ عُمْرُ السَّائِبِ سَبْعَ سِنِينَ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ. فَلِهَذَا قَالَ الْوَاقِدِيُّ: إِنَّهُ وُلِدَ سَنَةَ ثَلَاثٍ مِنَ الْهِجْرَةِ، وَتُوُفِّيَ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَتِسْعِينَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: سَنَةَ سِتٍّ. وَقِيلَ: ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ السَّاعِدِيُّ، صَحَابِيٌّ مَدَنِيٌّ جَلِيلٌ، تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَكَانَ مِمَّنْ خَتَمَهُ الْحَجَّاجُ فِي عُنُقِهِ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَسَبْعِينَ، هُوَ وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ فِي يَدِهِ; لِيُذِلَّهُمْ كَيْلَا يَسْمَعَ النَّاسُ مِنْ رَأْيِهِمْ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: تُوُفِّيَ سَنَةَ إِحْدَى وَتِسْعِينَ
পৃষ্ঠা - ৭৩২৫
عَنْ مِائَةِ سَنَةٍ، وَهُوَ آخِرُ مَنْ مَاتَ فِي الْمَدِينَةِ مِنَ الصَّحَابَةِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: لَيْسَ فِي هَذَا خِلَافٌ. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.