قصة موسى الكليم عليه الصلاة والسلام
ذكر حج موسى عليه السلام إلى البيت العتيق وصفته
পৃষ্ঠা - ৭৩২
নিযুক্ত করা ৷হয়েছিল, কিন্তু তারা এগুলোর হিফাজত করতে পারেনি ৷ এগুলো সংরক্ষণ ও
এগুলোর পবিত্রতা রক্ষা করতে সমর্থ হয়নি ৷ এ জন্যই তাদের নির্বুদ্ধিতা, জ্ঞানের স্বল্পতা,
তাদের উপাস্যের প্রতি বিশ্বাসঘাতকত৷ ইত্যাদির কারণে ঐ সব কি৩ ৷বে বিভিন্ন ধরনের
পরিবর্ত্য৷ সাধিত হয়েছে ৷ আর তাদের প্রতিও কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ, তা জানার লা নত ৷ এ
জন্যেই তাদের কিতাবগুলোতে আল্লাহ তা আনা ও তার রাসুল সম্পর্কে এমন সব স্পষ্ট ভ্রান্তি
লক্ষ্য করা যায়, যেগুলোর কদর্যতা ভাষায় বর্ণনা করা যায় ন
সুরায়ে আম্বিয়ায় অ ৷ল্লাহ্ তাঅ লাইরশাদ করেন :
শুএে-দ্র র্চু
আমি তো মুসা ও হারুনকে দিয়েছিলাম কুরকান, জ্যোতি ও উপদেশ, মুত্তাকীদের জন্যে
যারা না দেখেও তাদের প্রতিপালককে ভয় করে এবং তারা কিয়ামত সম্বন্ধে ভীত-সন্ত্রস্ত ৷ এটা
কল্যাণময় উপদেশ, আমি এটা অবতীর্ণ করেছি ৷ তবুও কি তোমরা এটাকে অস্বীকার কর?
(সুরা আম্বিয়া : ৪৮ ৫০)
সুরায়ে কাসাসে আল্লাহ্ তাআ ৷ল৷ ইরশাদ করেন০ :
া
র্ধ্বএর্চুএ এ , ৷ ৮এ (া;এ দ্বু৷ ১াটুপু ৷ষ্ট্ৰট্রাদ্ব ৷এএ^ষ্এএ ট্রুএ র্চু;থ্রে ৷ ছু£শু£ার্বৃ ৷হুএএ
§fi
, ৷
৷ ’ র্চু,দ্বুপুএাহ্র ব্লুাঝুথু ৷পুা
(
তারপর যখন আমার নিকট থেকে তাদের নিকট সত্য আসল, তারা বলতে লাগল, মুসাকে
যেরুপ দেয়া হয়েছিল, তাকে সেরুপ দেয়া হলো না কেন? কিন্তু পুর্বে মুসাকে যা দেয়া হয়েছিল
ত ৷কি তারা অস্বীকার করেনি? ওরা বলেছিল, দৃটিই জাদু, একে অপরকে সমর্থ্য৷ করে ৷ এবং
ওরা বলেছিল, আমরা সকলকে প্রত্যাখ্যান করি ৷ বল, তোমরা সতাবাদী হলে আল্লাহর নিকট
হতে এক কিতাব আনয়ন কর, যা ৷পথনিদ্যেশ এ দুটি থেকে উৎকৃষ্টতর হবে, আমি সেই কিতাব
অনুসরণ করব ৷ (সুরা কাসাস : ৪৮ ৪৯)
উক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআ ৷লা উভয় কিতাব ও উভয় রাসুলের প্রশং যা করেছেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরকার হতে ফিরে গিয়ে জিনৃরা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিলেন,
আমরা এমন একটি কিতাবের বাণী শুনেছি, যা মুসা (আ)-এর পরে অবতীর্ণ হয়েছে ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর প্রতি প্রথম ওহী নাযিল হয় নিম্নরুপ :
ঞ্জ-শুএএধ্১ট্ট-“৬-র্যোভো-১ স্টোএে
এাএপু১১া^৷ণ্পুএ
াহ্
৭’
( >
রুহ্
[ذِكْرُ حَجِّ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَى الْبَيْتِ الْعَتِيقِ وَصِفَتِهِ]
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَرَّ بِوَادِي الْأَزْرَقِ، فَقَالَ: أَيُّ وَادٍ هَذَا؟ قَالُوا: وَادِي الْأَزْرَقِ. قَالَ: كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى مُوسَى، وَهُوَ هَابِطٌ مِنَ الثَّنِيَّةِ، وَلَهُ جُؤَارٌ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، بِالتَّلْبِيَةِ حَتَّى أَتَى عَلَى ثَنِيَّةِ هَرْشَاءَ فَقَالَ: أَيُّ ثَنِيَّةٍ هَذِهِ؟ قَالُوا: هَذِهِ ثَنِيَّةُ هَرْشَاءَ. قَالَ: كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى يُونُسَ بْنِ مَتَّى، عَلَى نَاقَةٍ حَمْرَاءَ، عَلَيْهِ جُبَّةٌ مِنْ صُوفٍ، خِطَامُ نَاقَتُهُ خُلْبَةٌ، - قَالَ هُشَيْمٌ: يَعْنِي لِيفًا - وَهُوَ يُلَبِّي» وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ بِهِ. وَرَوَى الطَّبَرَانِيُّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا: «إِنَّ مُوسَى حَجَّ عَلَى ثَوْرٍ أَحْمَرَ» وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: كُنَّا عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَذَكَرُوا الدَّجَّالَ، فَقَالَ: إِنَّهُ مَكْتُوبٌ بَيْنَ
পৃষ্ঠা - ৭৩৩
عَيْنَيْهِ: (ك ف ر) . قَالَ: مَا تَقُولُونَ؟ قَالَ: يَقُولُونَ مَكْتُوبٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ (ك ف ر) فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: لَمْ أَسْمَعْهُ قَالَ ذَلِكَ وَلَكِنْ قَالَ: «أَمَّا إِبْرَاهِيمُ فَانْظُرُوا إِلَى صَاحِبِكُمْ، وَأَمَّا مُوسَى فَرَجُلٌ آدَمُ جَعْدٌ، عَلَى جَمَلٍ أَحْمَرَ، مَخْطُومٍ بِخُلْبَةٍ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ وَقَدِ انْحَدَرَ مِنَ الْوَادِي يُلَبِّي» قَالَ هُشَيْمٌ: الْخُلْبَةُ اللِّيفُ.
ثُمَّ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ أَسْوَدَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَأَيْتُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، وَمُوسَى، وَإِبْرَاهِيمَ; فَأَمَّا عِيسَى، فَأَبْيَضُ، جَعْدٌ، عَرِيضُ الصَّدْرِ، وَأَمَّا مُوسَى، فَآدَمُ، جَسِيمٌ، قَالُوا: فَإِبْرَاهِيمُ؟ قَالَ: انْظُرُوا إِلَى صَاحِبِكُمْ» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يُونُسُ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، قَالَ: حَدَّثَ قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَمِّ نَبِيِّكُمْ ابْنُ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَأَيْتُ لَيْلَةَ أُسَرِي بِي مُوسَى بْنَ عِمْرَانَ، رَجُلًا طُوَالًا، جَعْدًا، كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ، وَرَأَيْتُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، مَرْبُوعُ الْخَلْقِ، إِلَى الْحُمْرَةِ وَالْبَيَاضِ، سَبْطَ الرَّأْسِ» وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ بِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَأَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حِينَ أُسْرِيَ بِهِ: لَقِيتُ مُوسَى فَنَعَتَهُ، فَقَالَ رَجُلٌ: قَالَ: حَسِبْتُهُ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৭৩৪
পাঠ কর, তোমার প্রতি পালকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত হতে ৷
পাঠ কর, আর তামার প্রনিপ লক মহামহিমাষিত, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন
মানুষকে, শিক্ষা দিয়েছেন যা সে জানত না ৷ ( সুবা আলড়াক৪ ১ ৫ )
এই প্রথম ওহী নাযিল হবার প্রেক্ষিতে যে ঘটনা ঘটেছিলত ৷গোনার পর ওয়ারকা ইব ন
নওফল বলেছিল, পবিত্র, পবিত্র, ইনিই সেই জিববীল (নামুস) যিনি মুসা ইবন ইমরানের নিকট
ওহী নিয়ে এসেছিলেন ৷ মেটিকথা, মুসা (আ) এর শরীয়ত ছিল মহান, তার উম্মতের সং থ্যা
ছিল প্রচুর,ত তাদের মধ্যে ছিলেন বহু নবী, আলিম তইবাদ গােযার বন্দো, সাধুসন্তু, বুদ্ধিজীবী,
বাদশাহ, আমীর-সর্দার ও স্ক্সাত ব্যক্তি ৷ কিন্তু তারা যখন বিদায় নিলেন, তখন সে উন্মতের
মধ্যেও পরিবর্ভা দেখা দিল ৷ যেমন তাদের এবং তাদের শরীয়তেও বিকৃতি ঘটলো ৷ তারা নিজ
নিজ কর্মদোষে বানর ও শুকরে পরিণত হলো ৷ একের পর এক বিধান রহিত হতে লাগল এবং
তাদের উপর বিপদাপদ নেমে আসতে লাগল ৷ তাদের এই ঘটনাসমুহ খুবই দীর্ঘ ও
আলোচনা সাপেক্ষ ৷ তাই অতি সংক্ষেপে অবহিত হতে ইচ্ছুকদের জন্যেত তার কিঞ্চিত বর্ণনা
করা হবে ৷
মুস৷ (আ) এর বায়তৃল্লাহয় হজ্জ পালন
ইমাম আহমদ (র) আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন একদিন রাসুলুল্লাছু
(সা) অল আযরাক উপত্যকায় গমন করেন এবং প্রশ্ন করেন এটা কে ন উপত্যকা? উপস্থিত
সাহাবায়ে কিরাম বললেন, আল আযরাক উপত্যকা ৷ তখন তিনি ইরশাদ করলেন, আমি যেন
মুসা (আ)-কে দেখতে পাচ্ছি, তিনি যেন রাস্তার মোড় থেকে অবতরণ করছেন এবং তালবিয়া
সহকারে আল্লাহ্ তাআলাকে উভৈচ্চ৪স্বরে তাকছেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (না) হারশা মোড়ে
পৌছলেন এবং প্রশ্ন করলেন, এটা কোন মোড়? উপস্থিত সাহাবায়ে কিরাম বললেন, “এটা
হারশা মোড়” ৷ তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, আমি যেন ইউনুস ইবন মাত্ত৷ (আ) কে দেখতে
পাচ্ছি ৷ তিনি একটি লাল রঙের উটের উপর সওয়ার রয়েছেন, তার পরনে পশমের একটি
জুব্বা এবং তার উটের নাকের দড়ি ছিল খেজুর গাছের ছালের ৷ তিনি তালবিয়া পড়ছেন ৷ এই
হাদীসটি মুসলিমও বর্ণনা করেছেন ৷
তাবারানী (র) ইবন আব্বাস (বা) থেকে মারফুরুপে হাদীস বর্ণনা করেন যে, মুসা (আ)
একটি লাল রঙের যীড়ে সওয়ার হয়ে হজ্জ করেছিলেন ৷ এ হাদীসঢি অত্যন্ত গরীব পর্যায়ের ৷
ইমাম আহমদ (র) মুজাহিদ (র) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা একদিন
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা )-এর নিকটে ছিলাম ৷ সকলে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করতে
লাগলেন ৷ কেউ একজন বললেন, দাজ্জালের কপালে দুই চক্ষুর মাঝে লিখা থাকবে ,-১-এ ৷
ইবন আব্বাস (রা) মৃজাহিদকে বলেন, তারা কি বলাবলি করছে?’ মুজাহিদ (র) বললেন, তারা
বলছেন, দাজ্জালের দুই চোখের মাঝখানে লিখা প্ থাকবে ,- ১-এ ৷ আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস
(বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আমি এরুপ কথা বলতে শুনিনি ৷ তবে এই কথা বলতে
শুনেছি, ইবরাহীম (আ) সম্বন্ধে জানতে হলে তোমাদের সাথীর দিকে অর্থাৎ আমার দিকে লক্ষ্য
, কর ৷ আর মুসা (আ) ছিলেন ধুসর রংয়ের ব্যক্তি, তার ছিল কে ৷কড়ানাে চুল ৷ ৷ত নি লাল রঙের
مُضْطَرِبٌ رَجِلُ الرَّأْسِ، كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ. وَلَقِيتُ عِيسَى فَنَعَتَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: رَبْعَةٌ أَحْمَرُ، كَأَنَّمَا خَرَجَ مِنْ دِيمَاسٍ. يَعْنِي حَمَّامًا، قَالَ: وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ وَأَنَا أَشْبَهُ وَلَدِهِ بِهِ.» الْحَدِيثَ. وَقَدْ تَقَدَّمَ غَالِبُ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ فِي تَرْجَمَةِ الْخَلِيلِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَسَلَامُهُ.