ثم دخلت سنة تسعين من الهجرة
পৃষ্ঠা - ৭৩১২
৯০ হিজরীর আগমন
এ বছরেই মাসলামা ইবন আবদুল মালিক এবং আল আব্বাস ইবন আল ওয়ালীদ রোমের
শহরগুলোতে যুদ্ধ করেন ৷ দুইজনে মিলে রোমের বহু দুর্গ জয় করেন, বহু লোককে হত্যা
করেন, প্রচুর গনীমত অর্জন করেন এবৎ বহু লোককে বন্দী করেন ৷
এ বছরেই রােমীয়রা নাবিক খালিদ ইবন কায়সানকে বন্দী করে এবং৩ তারা তাকে নিয়ে
তাদের বাদশাহর কাছে পৌছে ৷ তখন রোমের বাদশাহ তাকে আল ওয়ালীদ ইবন আবদুল
মালিকের কাছে হাদিয়া স্বরুপ প্রেরণ করেন ৷
এ বছরেই আল-ওয়ালীদ তার ভাই আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুল মালিককে মিসরের আমীরের
পদ হতে বরখাস্ত করেন এবৎ কুৰ্বাহ ইবন শুরায়ককে সেখানের আমীর নিযুক্ত করেন ৷
এ বছরেই মুহাম্মদ ইবন আল-কাসিম সিন্ধুর রাজা দাহিৱ ইবন সাসসাহকে হত্যা করেন ৷
আর এই মুহাম্মদ ইবন আল-কাসিম হাজ্জাজের তরফ থেকে সেনাপ্রধান নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷
এ বছরেই কুতায়বা ইবন মুসলিম বুথারা শহর জয়লাভ করেন এবং তুর্কীয় সকল
দৃশমনদেরকে পরাজিত করেন ৷ তাদের মধ্যে বহু ঘটনা ঘটেছে যার বর্ণনা অত্যন্ত ণ্ডুদীর্ঘ ৷ ইবন
জারীর তা বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন ৷
এ বছরেই বুখারা বিজয়ের পর সুগদের বাদশাহ তারখুন কুতায়বার কাছে প্রতিবছর প্রচুর
সম্পদ প্রদানের শর্তে সন্ধি করার আবেদন জানায় ৷ এ আবেদনে কুতায়বা সাড়া দেন এবং এ
ব্যাপারে তার থেকে সন্ধি গ্রহণ করেন ৷ প্
এ বছরেই ওয়ারদান খামার জন্যে তুর্কীদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন ৷ চর্তৃদিক থেকে
তারা তার সাহায্যে আগমন করেন ৷ এটাকে কুতায়বা গ্রহণ করার পর ওয়ারদানই এখন
ৰুখারার কর্ণধার ৷ ওয়ারদান খাযাহ্র পক্ষে সংগ্রাম করে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে হামলা
করে ৷ আর তাদেরকে চুর্ণ-বিচুর্ণ করতে চায় ৷ তারপর মুসলমানের৷ ওয়ারদানও তার সাথীদের
উপর হামলা করে এবং তাদের সাথে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় ৷ কুতায়বা সুগদের বাদশার সাথে সন্ধি
করেন ৷ আর অন্য দিকে বুখারা ও তার দুর্গগুলো জয়লাভ করেন ৷ কুতায়বা৩ তার সৈন্যদল নিয়ে
নিজ শহরে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ হাজ্জাজ তাকে এ ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করেন ৷ যখন তিনি
তার নিজ শহরে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ তখন তার কাছে সংবাদ পৌছে যে, সুগদের বাদশাহ্ তুর্কী
বাদশাহদের বলেছেন যে, আরবরা চোর, যদি তাদেরকে কিছু দান কর এটা নিয়ে এরা চলে
যাবে ৷ আর কুতায়বাহ্ও এরুপভাবে রাজ্য বিস্তা ৷রের আশা পোষণ করে ৷ যদি তারা তাকে কিছু
দান করে তা নিয়ে নিয়ে এবং তাদের থেকে প্রত্যাবর্তন করবে ৷ কুতায়বা বাদশাহও নয় এবং
রাজতুও দাবী করবে না ৷ যখন এ কথা কুতায়বার কাছে পৌছল, তখন সে তাদের কাছে
প্রত্যাবর্তন করল ৷ তুর্কী বাদশাহ্ নাইযাক মাওরাউন নাহার’-এর অন্যান্য বাদশাহ্ যেমন
তালেকানের বাদশার কাছে পত্র লিখে জানাল ৷ তিনিও কুতইিবার সাথে সন্ধি করেছিলেন ৷ তার
ও কুতায়বার মধ্যে যে সন্ধি ছিল যে তা ভৎগ করল এবৎ তার বিরুদ্ধে সকল বাদশার কাছে
সাহায্য প্রার্থনা করল ৷ তার সাহায্যে বহু বাদশা এগিয়ে আসল ৷ যারা কুতায়বার সাথে সন্ধি
করেছিল তারা সকলে সন্ধি ভৎগ করল এবং কুতায়বার বিরুদ্ধে তারা সৎঘবদ্ধ হল ৷ তারা
রাবীউল আউয়াল মাসে হামলা করার প্রস্তুতি নিতে লাগল ৷ একে অন্যের সাথে যোগাযোগ
স্থাপন করে একথার উপর ওয়াদা অঙ্গীকার করতে লাগল যে, আগামী বছরের বসম্ভকালেশ্তারা
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعِينَ مِنَ الْهِجْرَةِ]
[الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا]
فِيهَا غَزَا مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَالْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بِلَادَ الرُّومِ، فَفَتَحَا حُصُونًا، وَقَتَلَا خَلْقًا مِنَ الرُّومِ، وَغَنِمَا وَأَسَرَا خَلْقًا كَثِيرًا. وَفِيهَا أَسَرَتِ الرُّومُ خَالِدَ بْنَ كَيْسَانَ صَاحِبَ الْبَحْرِ، وَذَهَبُوا بِهِ إِلَى مَلِكِهِمْ، فَأَهْدَاهُ مَلِكُ الرُّومِ إِلَى الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ.
وَفِيهَا عَزَلَ الْوَلِيدُ أَخَاهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ إِمْرَةِ مِصْرَ، وَوَلَّى عَلَيْهَا قُرَّةَ بْنَ شَرِيكٍ.
وَفِيهَا قَتَلَ مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ الثَّقَفِيُّ مَلِكَ السِّنْدِ دَاهِرَ بْنَ صَصَّةَ، وَكَانَ مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ هَذَا عَلَى جَيْشٍ مِنْ جِهَةِ الْحَجَّاجِ، وَفِيهَا فَتَحَ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ مَدِينَةَ بُخَارَى، وَهَزَمَ جَمْعَ الْعَدُوِّ مِنَ التُّرْكِ بِهَا، وَجَرَتْ بَيْنَهُمْ فُصُولٌ يَطُولُ ذِكْرُهَا، وَقَدْ تَقَصَّاهَا ابْنُ جَرِيرٍ، وَفِيهَا طَلَبَ طَرْخُونُ مَلِكُ الصُّغْدِ بَعْدَ فَتْحِ بُخَارَى مِنْ قُتَيْبَةَ أَنْ يُصَالِحَهُ عَلَى مَالٍ يَبْذُلُهُ فِي كُلِّ عَامٍ، فَأَجَابَهُ قُتَيْبَةُ إِلَى ذَلِكَ، وَأَخَذَ مِنْهُ رَهْنًا عَلَيْهِ.
وَفِيهَا اسْتَنْجَدَ وَرْدَانُ خُذَاهْ بِالتُّرْكِ، فَأَتَوْهُ مِنْ جَمِيعِ النَّوَاحِي وَهُوَ صَاحِبُ بُخَارَى بَعْدَ أَخْذِ قُتَيْبَةَ لَهَا وَخَرَجَ وَرْدَانُ خُذَاهْ وَحَمَلَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ فَحَطَّمُوهُمْ، ثُمَّ عَادَ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِمْ فَقَتَلُوا مِنْهُمْ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً، وَصَالَحَ قُتَيْبَةُ مَلِكَ الصُّغْدِ، وَفَتَحَ بُخَارَى وَحُصُونَهَا، وَرَجَعَ قُتَيْبَةُ بِالْجُنْدِ إِلَى بِلَادِهِ فَأَذِنَ لَهُ الْحَجَّاجُ، فَلَمَّا سَارَ إِلَى بِلَادِهِ بَلَغَهُ أَنَّ صَاحِبَ الصُّغْدِ قَالَ لِمُلُوكِ التُّرْكِ: إِنِ الْعَرَبَ بِمَنْزِلَةِ اللُّصُوصِ، فَإِنْ أُعْطُوا شَيْئًا ذَهَبُوا، وَإِنَّ قُتَيْبَةَ هَكَذَا يَقْصِدُ الْمُلُوكَ، فَإِنْ
পৃষ্ঠা - ৭৩১৩
সকলে কুতায়ৰার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবে ৷ এ সময় কুতায়বা তাদের সাথে এত বড় যুদ্ধ করলেন
যে কেউ এত বড় যুদ্ধের কথা আর কোনদিন শুনেনি ৷ বার মাইল পর্যন্ত সারিবদ্ধ করে তাদের
উপর এরুপ কঠোর আচরণ করেছেন ৷ ফলে তারা একেবারে ছিন্ন জ্যি হয়ে পড়ল ৷
এবছরেই ইয়াযীদ ইবন আল-যুহাল্লাব ও তার দৃই ভইি আল-মুফাবৃযাল ও আবদুল মালিক
হাজ্জাজের কারাগারে থেকে পলায়ন করে সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের সাথে মিলিত হন
এবং তিনি তাদেরকে হাজ্জাজ থেকে নিরাপত্তা প্রদান করেন ৷ এর পুর্বে হাজ্জাজ তাদেরকে
গ্রেফতার করেছিল এবং তাদেরকে বড় শাস্তি দিয়েছিল ৷ আর তাদের থেকে জরিমানা আদায়
করেছিল ৬ কোটি মুদ্রা ৷ এভাবে ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবকে অভ্যস্ত কঠোর শাস্তি ভোগ করতে
হয়েছিল ৷ তারা যখন তার উপর কোন অত্যাচার করত তারা তাকে কোন প্রকার আওয়ায
করতে দিতনা ৷ কেননা, এতে হাজ্জাজরাগাষিত হয়ে যেত ৷ এক ব্যক্তি হাজ্জাজকে বললেন,
“ইয়াযীদের পিগুলীতে তীরের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় ৷ তীরের মাথা সেখানে আটকিয়ে
রয়েছে ৷ যখনই ঐ জায়গায় কোন কিছু লাগত তখন সে উচ্চস্বরে চীৎকার করে উঠত সে তখন
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হতো না ৷ তখন হাজ্জাজ তার ঐ জায়গায় শাস্তি দেওয়ার জন্যে
হুকুম দিল ৷ ইয়াযীদ চীৎকার করতে লাগল ৷ তার বোন হিন্দ বিন্ত আল-মুহাল্লাব চীৎকার
শুনতে পেল, সেও ক্রন্দন করতে লাগল ৷ তার জন্যে বিলাপ করতে লাগল ৷ সে ছিল হাজ্জাজের
শ্রী ৷ হাজ্জাজ তখন তাকে তালাক দিল ৷ তারপর তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করল ৷ এরপর
হাজ্জাজ কুর্দীদর তার বাধ্যগত রাখার জন্যে তাদের প্রতি সৈন্য মুতায়েন করার লক্ষে কোন
এক জায়গায় গমন করল এবং তাদের পাশে পরিখা খনন করল ও তাদের প্রতি পাহারাদার
নিযুক্ত করল ৷ কোন এক রাতে ইয়াযীদ ইবন আল-মুহাল্লাব অতিরিক্ত খাবার তৈরীর আদেশ
দিলেন ৷ পাহারাদারদের জন্য খাবার তৈরী হলো ৷ তারপর সে কোন একজন বাবুর্চির পোশাক
পরিধান করল এবং তার দাড়িতে সাদা রং লাপাল ও বের হয়ে পড়ল ৷ কোন এক পাহারাদার
তাকে দেখল এবং বলতে লাগল এ ব্যক্তির হটিায় ভঙ্গি , ইয়াযীদ ইবন আলমুহাল্পাবের ইটিার
ভঙ্গির সাথে বেশী সামঞ্জস্যকর আর কারোর ইাটা আমি দেখি নইি ৷ এরপর নিশ্চিত হবার
জন্যে সে তার পিছু নিল ৷ কিন্তু, যখন তার সাদা দাড়ি দেখল, তখন সে তার থেকে ফিরে
গেল ৷ তারপর তার ভাইয়েরা তার সাথে যোগ দিল এবং তারা জাহাজে উঠে পেল ও সিরিয়ার
দিকে রওয়ানা হলো ৷ তার পলােনাের সংবাদ যখন হাজ্জাজের কাছে পৌছে এটার জন্যে তখন
সে অস্বস্তি বোধ করতে লাগল এবং তার ধারণা হলো যে, তারা হয়ত খুরাসানের দিকে পালিয়ে
গেছে ৷ সে কুতায়বা ইবন মুসলিমকে পত্র লিখল এবং তাদের আগমনের ব্যাপারে অবহিত ন্
করল, ভয় দেখাতে লাগল এবং তাদেরকে ধরার জন্যে প্রস্তুতি নিতে বলল ৷ আর প্রতিটি সম্ভাব্য
জায়গায় লোকজনকে ওৎপেতে থাকার জন্যে নির্দেশ দিতে বলল ৷ সীমান্ত এলাকার আমীরদের
কাছে তাদেরকে ধরার জন্যে পত্র লিখতে বলল ৷ আমীরুল মু’মিনীনকে তাদের পালিয়ে যাবার
সংবাদ জানাবার জন্যে পত্র লিখল এবং বলল তার মনে হয় যে, তারা খুরাসানের দিকেই
পালিয়ে গেছে ৷ আর সে আশংকা করছে যে, ইবনুল আশআছ যেভাবে পালিয়ে গিয়ে তার
বিরুদ্ধে সগ্রোম করেছে ও জনগণকে তার বিরুদ্ধে প্ররোচিত করেছে ইয়াষীদও এরুপ করবে ৷
অন্যদিকে সংসার ত্যাগী সন্নাসীর কথাও পরিণত হতে যাচ্ছে ৷ তারা যখন জাহাজ থেকে
অবতরণ করল তাদেরকে নেওয়ার জন্যে তার ভইি মারওয়ান ইবন আল-মুহাল্লাব ঘোড়া তৈরী
রেখেছিন ৷ সে <ঘাড়ায় আরোহণ করল এবং বনুকালবের একজন পথ প্রদর্শক আবদুল জব্বার
ইবন ইয়াযীদ তাদেরকে পথ দেখিয়ে তৃরিতগতিতে নিয়ে গেল ৷ দু’দিন পর হাজ্জাজের কাছে
أَعْطَوْهُ شَيْئًا أَخْذَهُ وَرَجَعَ عَنْهُمْ، وَإِنَّ قُتَيْبَةَ لَيْسَ بِمَلِكٍ، وَلَا يَطْلُبُ مُلْكًا. فَبَلَغَ قُتَيْبَةَ قَوْلُهُ، فَرَجَعَ إِلَيْهِمْ، فَكَاتَبَ نَيْزَكُ مَلِكُ التُّرْكِ مُلُوكَ مَا وَرَاءَ النَّهْرِ; مِنْهُمْ مَلِكُ الطَّالَقَانِ، وَكَانَ قَدْ صَالَحَ قُتَيْبَةَ فَنَقَضَ الصُّلْحَ الَّذِي كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ قُتَيْبَةَ، وَاسْتَجَاشَ عَلَيْهِ بِالْمُلُوكِ كُلِّهَا، فَأَتَاهُ مُلُوكٌ كَثِيرٌ كَانُوا قَدْ عَاهَدُوا قُتَيْبَةَ عَلَى الصُّلْحِ، فَنَقَضُوا كُلُّهُمْ وَصَارُوا يَدًا وَاحِدَةً عَلَى قُتَيْبَةَ، وَاتَّعَدُوا إِلَى الرَّبِيعِ، وَتَعَاهَدُوا وَتَعَاقَدُوا عَلَى أَنْ يَجْتَمِعُوا فَيُقَاتِلُوا كُلُّهُمْ فِي فَصْلِ الرَّبِيعِ مِنَ السَّنَةِ الْآتِيَةِ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ قُتَيْبَةُ فِي ذَلِكَ الْحِينِ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً جِدًّا لَمْ يُسْمَعْ بِمِثْلِهَا، وَصَلَبَ مِنْهُمْ سِمَاطَيْنِ فِي مَسَافَةِ أَرْبَعَةِ فَرَاسِخَ فِي نِظَامٍ وَاحِدٍ، وَذَلِكَ مِمَّا كَسَرَ جُمُوعَهُمْ كُلَّهُمْ.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ هَرَبَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ وَأَخَوَاهُ الْمُفَضَّلُ وَعَبْدُ الْمَلِكِ مِنْ سِجْنِ الْحَجَّاجِ، فَلَحِقُوا بِسُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَأَمَّنَهُمْ مِنَ الْحَجَّاجِ، وَذَلِكَ أَنَّ الْحَجَّاجَ كَانَ قَدِ احْتَاطَ عَلَيْهِمْ قَبْلَ ذَلِكَ، وَعَاقَبَهُمْ عُقُوبَةً عَظِيمَةً، وَأَخَذَ مِنْهُمْ سِتَّةَ آلَافِ أَلْفٍ، وَكَانَ أَصْبَرَهُمْ عَلَى الْعُقُوبَةِ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ، كَانَ لَا يُسْمَعُ لَهُ صَوْتٌ، وَلَوْ فَعَلُوا بِهِ مَا فَعَلُوا، فَكَانَ ذَلِكَ يَغِيظُ الْحَجَّاجَ، حَتَّى قَالَ قَائِلٌ لِلْحَجَّاجِ: إِنَّ فِي سَاقِهِ أَثَرَ نُشَّابَةٍ بَقِيَ نَصْلُهَا فِيهِ، وَإِنَّهُ مَتَى أَصَابَهَا شَيْءٌ لَا يَمْلِكُ نَفْسَهُ أَنْ يَصْرُخَ، فَأَمَرَ الْحَجَّاجُ أَنْ يُنَالَ ذَلِكَ الْمَوْضِعُ مِنْهُ بِعَذَابٍ، فَصَاحَ، فَلَمَّا سَمِعَتْ أُخْتُهُ هِنْدُ بِنْتُ الْمُهَلَّبِ وَكَانَتْ تَحْتَ الْحَجَّاجِ صَوْتَهُ بَكَتْ
পৃষ্ঠা - ৭৩১৪
খবর পৌছল যে, ইয়াষীদ সিরিয়ার দিকে গমন করেছে ৷ হাজ্জাজ ব্যাপারটি সম্বন্ধে অবগত
করা বার জন্যে আলওয়ালীদকে পত্র লিখল ৷ অন্যদিকে ইয়াষীদ জর্দানে ওহায়ব ইবন আবদুর
রহমান আল-ইযদীর কাছে অবতরণ করল ৷ তিনি সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের কাছে
সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন ৷ ওহায়ব সুলায়মান ইবন আবদ্যুন্ মালিকের কাছে গমন করলেন এবং
তাকে বললেন, ইয়াষীদ ইবন আল-মুহাল্পাব ও তার ভাইয়েরা আমার ঘরে অবস্থান করছে ৷
তারা হাজ্জাজ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার লক্ষে আপনার আশ্রয় প্রার্থনার জন্যে আগমন করেছে ৷
তিনি বললেন যাও তাদেরকে নিয়ে এস, আমি যত দিন জীবিত আছি, তারা আমার কাছে
ততদিন নিরাপদে থাকবে ৷ তিনি তাদের কাছে আগমন করলেন ও তাদেরকে নিয়ে সুলায়মান
ইবন আবদুল মালিকের কাছে প্রবেশ ব্বলেন ৷ তিনি তাদেরকে নিরাপত্তা দিলেন এবং তার
ভাই আল ওয়ালীদের কাছে লিখলেন, আমি আল মুহাল্পাব পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছি ৷
হাজ্জাজ তাদের কাছে ত্রিশ লক্ষ মুদ্রা পাওনা আছে ৷ এ সম্পদ আমার কাছে জমা আছে ৷ আল-
ওয়ালীদ তার কাছে লিখলেন, না, আল্লাহর শপথ, তুমি তাকে নিরাপত্তা দিয়ো না তুমি তাকে
আমার কাছে প্রেরণ কর ৷ তিনি আবার উত্তরে লিখলেন না, আল্লাহ্র শপথ, আমি তাকে প্রেরণ
করব না; বরং আমি তাকে সাথে নিয়ে তোমার কাছে আগমন করব ৷ হে আমীরলে মৃ’মিনীন!
আমি আল্লাহর শপথ সহকারে তোমাকে বলছি তুমি আমাকে অপমানিত করো না কিংবা তুমি
আমাকে আমার নিরাপত্তা বিধানে লজ্জিত করো না ৷
তখন তিনি তার কাছে পত্র লিখে বললেন, না, আল্পাহ্র শপথ, তুমি তার সাথে এসো
না ৷ ভুমি তাকে আমার কাছে বেড়ী পরািয় প্রেরণ কর ৷ তখন ইয়াষীদ বলল, আমাকে কারো
দ্বারা তার কাছে প্রেরণ করুন ৷ আমি চইি না যে আমাকে নিয়ে আপনার ও তার মধ্যে কোন
প্রকার মতবিরোধ ও বিবাদ সৃষ্টি হোক ৷ আমাকে তার কাছে প্রেরণ করুন ৷ আর তার কাছে
অনুরোধ জ্ঞাপন করে একটি পত্র লিখুন এবং আমার সাথে আপনার ছেলেকে প্রেরণ করুন ৷
তারপর তিনি তাকে প্রেরণ করেন এবং তার সাথে তার ছেলে আয়ুদ্রবকেও প্রেরণ করেন ৷ আর
তার ছেলেকে বললেন, যখন তুমি দহলিজে প্রবেশ করবে তখন তুমি ইয়াযীদের সাথে শিকলে
ৰীধা অবস্থায় প্রবেশ করবে তারা দুইজন অনুরুপ অবস্থায় প্রবেশ করল ৷ আর আল-ওয়ালীদ
যখন তার ভাতিজাকে শিকলে ৰীধা দেখলেন তখন বললেন, আল্লাহর শপথ, সে সুলায়মানের
তরফ থেকে আমাদের কাছে পৌছেছে ৷ আয়ুবে তার চাচার কাছে তার পিতার পত্র হস্তান্তর
করল এবং বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আমার প্রাণ আপনার জন্যে উৎসর্গ হোক, আপনি
আমার পিতার আশ্রয়েব ব্যাপারে তাকে লজ্যি করবেন না ৷ আর আপনিই তার সম্মান রক্ষার
বেশী হকদার , ৷ আমাদের প্রতািবশীর যারা আপনার সাথে আমাদের সম্পর্ক থাকার কারণে
আমাদের থেকে না আশা করে সে আশা থেকে আপনি তাদেরকে মেহেরবানী করে বঞ্চিত
করবেন না ৷ আপনার সাথে আমাদের ইয্যতের সম্পর্ক থাকার কারণে আমাদের থেকে যারা
ইযযত পাওয়ার আশা রাখে তাদেরকে আপনি অপমানিত করবেন না ৷ তারপর আল-ওয়ালীর্দ
সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের পত্রটি পড়লেন ৷ পত্রে লিখা ছিল, আল্লাহর হামদ ও
রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর লাভের পর সমাচার এই যে, হে আমীরুল মুমিনীন ! আমি ধারণা করি,
যে শত্রু ণ্তামার বিরোধিতা করেছে তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে সে যদি আমার কাছে আশ্রয়
চায় আর আমি তাকে যদি আপ্যায়ন করি ও তাকে আশ্রয় দান করি তাহলে তুমি আমার
আশ্রিতাকে অপমান করবে না এবং তাকে লজ্জিতও করবে না ৷ আমি বরং বাধ্যগত, অনুগত ও
সাহসী ব্যক্তিকে আশ্রয় দিয়েছে ৷ সে, তার পিতা ও তার পরিবারবর্গ ইসলাংমর স্মৃতি স্তম্ভ
وَنَاحَتْ عَلَيْهِ فَطَلَّقَهَا الْحَجَّاجُ، ثُمَّ أَوْدَعَهُمُ السِّجْنَ، ثُمَّ خَرَجَ الْحَجَّاجُ إِلَى بَعْضِ الْمَحَالِّ لِيُنْفِذَ جَيْشًا إِلَى الْأَكْرَادِ، وَاسْتَصْحَبَهُمْ مَعَهُ، فَخَنْدَقَ حَوْلَهُمْ، وَوَكَّلَ بِهِمُ الْحَرَسَ، فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ اللَّيَالِي أَمَرَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ بِطَعَامٍ كَثِيرٍ فَصُنِعَ لِلْحَرَسِ، فَاشْتَغَلُوا بِهِ، ثُمَّ تَنَكَّرَ فِي هَيْئَةِ بَعْضِ الطَّبَّاخِينَ، وَجَعَلَ لِحْيَتَهُ لِحْيَةً بَيْضَاءَ، ثُمَّ خَرَجَ، فَرَآهُ بَعْضُ الْحَرَسِ فَقَالَ: مَا رَأَيْتُ مِشْيَةً أَشْبَهَ بِمِشْيَةِ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ مِنْ هَذَا. ثُمَّ اتَّبَعَهُ يَتَحَقَّقُهُ، فَلَمَّا رَأَى بَيَاضَ لِحْيَتِهِ انْصَرَفَ عَنْهُ، ثُمَّ لَحِقَهُ أَخَوَاهُ، فَرَكِبُوا السُّفُنَ، وَسَارُوا نَحْوَ الشَّامِ، فَلَمَّا بَلَغَ الْحَجَّاجَ هَرَبُهُمُ انْزَعَجَ لِذَلِكَ، وَذَهَبَ وَهْمُهُ أَنَّهُمْ سَارُوا إِلَى خُرَاسَانَ، فَكَتَبَ إِلَى قُتَيْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ يُحَذِّرُهُ قُدُومَهُمْ، وَيَأْمُرُهُ بِالِاسْتِعْدَادِ لَهُمْ، وَأَنْ يَرْصُدَهُمْ فِي كُلِّ مَكَانٍ، وَيَكْتُبَ إِلَى أُمَرَاءِ الثُّغُورِ وَالْكُوَرِ بِتَحْصِيلِهِمْ، وَكَتَبَ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ يُخْبِرُهُ بِهَرَبِهِمْ، وَأَنَّهُ لَا يَرَاهُمْ هَرَبُوا إِلَّا إِلَى خُرَاسَانَ، وَخَافَ الْحَجَّاجُ مِنْ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ، أَنْ يَصْنَعَ كَمَا صَنَعَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْأَشْعَثِ مِنَ الْخُرُوجِ عَلَيْهِ، وَجَمْعِ النَّاسِ لَهُ.
وَأَمَّا يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ فَإِنَّهُ سَلَكَ عَلَى الْبَطَائِحِ، وَجَاءَتْهُ خُيُولٌ كَانَ قَدْ أَعَدَّهَا لَهُ أَخُوهُ مَرْوَانُ بْنُ الْمُهَلَّبِ لِهَذَا الْيَوْمِ، فَرَكِبَهَا وَسَلَكَ بِهِ دَلِيلٌ مِنْ بَنِي كَلْبٍ يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ يَزِيدَ. فَأَخَذَ بِهِمْ عَلَى السَّمَاوَةِ. وَجَاءَ الْخَبَرُ إِلَى الْحَجَّاجِ بَعْدَ يَوْمَيْنِ أَنَّ يَزِيدَ قَدْ سَلَكَ نَحْوَ الشَّامِ، فَكَتَبَ إِلَى الْوَلِيدِ يُعْلِمُهُ بِذَلِكَ،
পৃষ্ঠা - ৭৩১৫
স্বরুপ ৷ আমি তাকে তোমার কাছে প্রেরণ করেছি ৷ তুমি যদি আমাদের পারম্পারিক বিচ্ছিন্নতা
চাও, আমার আশ্রিতাকে লজ্জা দিতে চাও এবং আমার অসন্তুষ্টি বৃদ্ধি করতে চাও, তা তুমি
করতে পার ৷ আমি আমার বিচ্ছিন্নতা থেকে, আমার ইয্যত হুরমতের বিনষ্ট থেকে, আমি
তোমার কাছে যা চাই তার প্ৰতিউত্তর প্রদান বর্জন এবং আমার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ইত্যাদি
থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাই ৷ আল্লাহর শপথ, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আপনি জানেন না আমার
ও আপনার আবু আর কতদিন আছে ? আর আমরা এটাও জানি না যে, মৃত্যু কখন আমার ও
আপনার মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করবে ৷ আমীরুল মু’মিনীনকে মহান আল্লাহ সব সময় সুখে
রাখুন ৷ তিনি যদি পারেন যে, মৃত্যুর“ সময়টাকে আমাদের কাছে আগমন থেকে বিরত রাখবেন
তাহলে তিনি যেন এটা করেন অথচ এটাত আমার কাছে পৌছবেই, আমার অধিকারকে
আদায়ের সুযোগ দেবেনই এবং আমার অভাব অনটন দুর করবেনই ৷ আল্লাহর শপথ, হে
আমীরুল ঘু’মিনীন! মহান আল্লাহ্র তাকওয়া ছাড়া আমি দুনিয়ার কোন বন্তুই আমার তরফ
থেকে আপনার সন্তুষ্টি ও সুখ শান্তি অর্জনের জ্যাদ্র নিয়োজিত করতে বাকী রাখি নইি ৷ আর
আপনার সন্তুষ্টি ও সুখ শান্তি আমার কাছে আমার সন্তুষ্টি ও সুখ শান্তি থেকে অধিক প্রিয় ৷ যে
বস্তুর মাধ্যমে আমি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চইি তাহলো আপনার ও আমার মধ্যে
ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা ৷ হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি কোন একদিন আমার ঘনিষ্ঠতা, সম্মান
ও আমার অধিকারকে অপ্রাধিকার দিয়েছেন ৷ কাজেই আমার খাতিরে আপনি ইয়াযীদকে ক্ষমা
করে দেন ৷ আর আপনি যা কিছু চান তার সব কিছুর দায়িত্ব আমার উপরই রয়ে গেল ৷
আল-ওয়ালীদ যখন পত্রটি পড়লেন বললেন, আমরা সুলায়মানের প্রতি দয়াবান হলাম ৷
তারপর তিনি তার ভাতিজাকে ডাকলেন এবং তাকে নিকটবর্তী করলেন ৷ ইয়াযীদ ইবন
আলন্মুহাল্লাব কথা বলতে লাগলেন ৷ তিনি প্রথমে মহান আল্লাহ্র হামদ ও প্রশংসা করলেন
এবং তার রাসুল (না)-এর প্রতি দরুদ প্রেরণ করেন ৷ তারপর বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন!
আপনার পরীক্ষাটি আমাদের কাছে উত্তম পরীক্ষা, কেউ এটা ভুলে যেতে পারে কিত্তু আমরা তা
ভুলবন্ না ৷ কেউ এটা অস্বীকার করতে পারে কিত্তু আমরা তা অস্বীকার করব না ৷ আপনাদের
আনুগ্যত্যর দরুন আমাদের পরিবারের উপর দুঃখ নেমে আসে ৷ পুর্ব ও পশ্চিমের বড় বড়
জায়গাগুৰলাভে দুশমনেরা আমাদের রদনামে লিপ্ত হয় ৷ বিক্ষু এতে আমাদের কৃতজ্ঞতা ও
বিসর্জন তত বড় ছিল না ৷ তখন তিনি তাকে বললেন, বসে যাও ৷ তিনি বলে পড়লেন ৷ তখন
তিনি তাকে নিরাপত্তা প্রদান করলেন, তার ব্যাপারে নিরস্ত রইলেন ও তাকে সুলায়মানের কাছে
ফেরত পাঠালেন ৷ ইয়াযীদ সুলায়মানের আশ্রয়ে উত্তম অবস্থায় বসবাস করতে লাগলেন এবং
তার কাছে বিভিন্ন রকম রুচিপুর্ণ খাদ্যের বিবরণ পেশ করতে লাগলেন ৷ তিনি তার কাছে
ছিলেন ভাগ্যবান ৷ যখনই সুলায়মানের কাছে কোন হাদীয়া আসত অর্ধেকটা তার কাছে প্রেরণ
করতেন ৷ ইয়াযীদ ইবন আল মুহাল্লাব সুলায়মানের কাছে বিজ্যি ধরনের হাদীয়া তােহফা ও
উপচৌকনের মাধ্যমে নৈকট্য লাভ করেন ৷
আল-ওয়ালীদ হাজ্জাজের কাছে পত্র লিখেন এবং বলেন যে, আমি ইয়াযীদ ইবন আল-
মুহাল্লাব, তার পরিবারবর্গ ও আমার ভাই সুলায়মানের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি
তুমি তাদের থেকে বিরত থাকবে এবং তাদের সম্পর্কে আমার কাছে কোন পত্র লিখা থেকেও
বিরত থাকবে ৷ তারপর হাজ্জাজ, আল-মুহাল্লাব পরিবার থেকে বিরত থাকে এবং তাদের কাছে
যে আর্থিক দেনা পাওনা ছিল তাও সে বর্জন করে এমনকি আবু উইয়াইনাহ ইবন আল-
মুহাল্লাবেরও হাজার হাজার দিরহাম ক্ষমা করে দেওয়া হয় ৷ ইয়াযীদ ইবন আল-মুহাল্লাব
وَسَارَ يَزِيدُ حَتَّى نَزَلَ الْأُرْدُنَّ، عَلَى وُهَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَزْدِيِّ وَكَانَ كَرِيمًا عَلَى سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ فَسَارَ وُهَيْبٌ إِلَى سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ فَقَالَ لَهُ: إِنَّ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ وَأَخَوَيْهِ فِي مَنْزِلِي، قَدْ جَاءُوا مُسْتَعِيذِينَ بِكَ مِنَ الْحَجَّاجِ. قَالَ: فَاذْهَبْ فَائْتِنِي بِهِمْ، فَهُمْ آمِنُونَ مَا دُمْتُ حَيًّا. فَجَاءَهُمْ، فَذَهَبَ بِهِمْ حَتَّى أَدْخَلَهُمْ عَلَى سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَأَمَّنَهُمْ سُلَيْمَانُ، وَكَتَبَ إِلَى أَخِيهِ الْوَلِيدِ: إِنَّ آلَ الْمُهَلَّبِ قَدْ أَمَّنْتُهُمْ، وَإِنَّمَا بَقِيَ لِلْحَجَّاجِ عِنْدَهُمْ ثَلَاثَةُ آلَافِ أَلْفٍ، وَهِيَ عِنْدِي. فَكَتَبَ إِلَيْهِ: لَا وَاللَّهِ لَا أُؤَمِّنُهُ حَتَّى تَبْعَثَ بِهِ إِلَيَّ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ: لَا وَاللَّهِ لَا أَبْعَثُهُ حَتَّى أَجِيءَ مَعَهُ، فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْ تَفْضَحَنِي أَوْ تُخْفِرَنِي فِي جِوَارِي. فَكَتَبَ إِلَيْهِ: لَا وَاللَّهِ لَا تَجِئْ مَعَهُ وَابْعَثْ بِهِ إِلَيَّ فِي وَثَاقٍ. فَقَالَ يَزِيدُ: ابْعَثْنِي إِلَيْهِ، فَمَا أُحِبُّ أَنْ أُوقِعَ بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ عَدَاوَةً وَحَرْبًا، فَابْعَثْنِي إِلَيْهِ، وَابْعَثْ مَعِي ابْنَكَ، وَاكْتُبْ إِلَيْهِ بِأَلْطَفِ عِبَارَةٍ تَقْدِرُ عَلَيْهَا. فَبَعَثَهُ وَبَعَثَ مَعَهُ ابْنَهُ أَيُّوبَ، وَقَالَ لِابْنِهِ: إِذَا دَخَلْتَ فِي الدِّهْلِيزِ فَادْخُلْ مَعَ يَزِيدَ فِي السِّلْسِلَةِ، وَادْخُلَا عَلَيْهِ كَذَلِكَ.
فَلَمَّا رَأَى الْوَلِيدُ ابْنَ أَخِيهِ فِي السِّلْسِلَةِ، قَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ بَلَغْنَا مِنْ سُلَيْمَانَ. وَدَفَعَ أَيُّوبُ كِتَابَ أَبِيهِ إِلَى عَمِّهِ، وَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، نَفْسِي فِدَاؤُكَ لَا تَخْفِرْ ذِمَّةَ أَبِي، وَأَنْتَ أَحَقُّ مَنْ مَنَعَهَا، وَلَا تَقْطَعْ مِنَّا رَجَاءَ مَنْ رَجَا السَّلَامَةَ فِي جِوَارِنَا لِمَكَانِنَا مِنْكَ، وَلَا تُذِلَّ مَنْ رَجَا الْعِزَّ فِي الِانْقِطَاعِ إِلَيْنَا لِعِزِّنَا بِكَ.
ثُمَّ قَرَأَ الْوَلِيدُ كِتَابَ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ فَإِذَا فِيهِ:
أَمَّا بَعْدُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، فَوَاللَّهِ إِنْ كُنْتُ لَأَظُنُّ لَوِ اسْتَجَارَ بِي عَدُوٌّ قَدْ نَابَذَكَ وَجَاهَدَكَ فَأَنْزَلْتُهُ وَأَجْرَتْهُ، أَنَّكَ لَا تُذِلُّ
পৃষ্ঠা - ৭৩১৬
جَارِي، وَلَا تَخْفِرُ جِوَارِي، بَلْ لَمْ أُجِرْ إِلَّا سَامِعًا مُطِيعًا، حَسَنَ الْبَلَاءِ وَالْأَثَرِ فِي الْإِسْلَامِ، هُوَ وَأَبُوهُ وَأَهْلُ بَيْتِهِ، وَقَدْ بَعَثْتُ بِهِ إِلَيْكَ، فَإِنْ كُنْتَ إِنَّمَا تُعِدُّ قَطِيعَتِي وَالْإِخْفَارَ بِذِمَّتِي وَالْإِبْلَاغَ فِي مَسَاءَتِي، فَقَدْ قَدَرْتَ إِنْ أَنْتَ فَعَلْتَ، وَأَنَا أُعِيذُكَ بِاللَّهِ مِنِ احْتِرَادِ قَطِيعَتِي، وَانْتِهَاكِ حُرْمَتِي، وَتَرْكِ بِرِّي وَصِلَتِي، فَوَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَا تَدْرِي مَا بَقَائِي وَبَقَاؤُكَ، وَلَا مَتَى يُفَرِّقُ الْمَوْتُ بَيْنِي وَبَيْنَكَ، فَإِنِ اسْتَطَاعَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ أَدَامَ اللَّهُ سُرُورَهُ أَنْ لَا يَأْتِيَ أَجَلُ الْوَفَاةِ عَلَيْنَا إِلَّا وَهُوَ لِي وَاصِلٌ، وَلِحَقِّي مُؤَدٍّ، وَعَنْ مَسَاءَتِي نَازِعٌ، فَلْيَفْعَلْ، وَوَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَا أَصْبَحْتُ بِشَيْءٍ مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا بَعْدَ تَقْوَى اللَّهِ بِأَسَرَّ مِنِّي بِرِضَاكَ وَسُرُورِكَ، وَإِنَّ رِضَاكَ وَسُرُورَكَ مِمَّا أَلْتَمِسُ بِهِ رِضْوَانَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَإِنْ كُنْتَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمًا مِنَ الدَّهْرِ تُرِيدُ مَسَرَّتِي وَصِلَتِي وَكَرَامَتِي وَإِعْظَامَ حَقِّي فَتَجَاوَزْ لِي عَنْ يَزِيدَ، وَكُلُّ مَا طَلَبْتَهُ بِهِ فَهُوَ عَلَيَّ.
فَلَمَّا قَرَأَ الْوَلِيدُ كِتَابَهُ قَالَ: لَقَدْ أَشْفَقْنَا عَلَى سُلَيْمَانَ. ثُمَّ دَعَا ابْنَ أَخِيهِ، فَأَدْنَاهُ مِنْهُ، وَتَكَلَّمَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ فَحَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَصَلَّى عَلَى رَسُولِهِ، ثُمَّ قَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنْ بَلَاءَكُمْ عِنْدَنَا أَحْسَنُ الْبَلَاءِ، فَمَنْ يَنْسَى ذَلِكَ فَلَسْنَا نَاسِيهِ، وَمَنْ يَكْفُرُهُ فَلَسْنَا بِكَافِرِيهِ، وَقَدْ كَانَ مِنْ بَلَائِنَا أَهْلَ الْبَيْتِ فِي طَاعَتِكُمْ
পৃষ্ঠা - ৭৩১৭
হাজ্জাজের মৃত্যুপর্যন্ত সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের আশ্রয়ে বসবাস করেন ৷ ৯৫ হিজরীতে
হাজ্জাজ ইনতিকাল করে ৷ ইয়াষীদ হাজ্জাজের পর ইরাকের বিভিন্ন শহরের আমীর নিযুক্ত হন
(যেমন সংসারত্যাগী সন্নাসী সংবাদ দিয়েছিলেন) ৷ এ বছরে যে সব ব্যক্তিত্ব ইনৃতিকাল করেন :
চিকিৎসক ইয়াতাবুক ৷
তিনি একজন দক্ষ চিকিৎসক ছিলেন ৷ চিকিৎসা বিজ্ঞানে তার বহু প্রকাশনা রয়েছে ৷ তিনি
ছিলেন হ ৷জ্জাজের কাছে ভাতাপ্রাপ্ত ৷ ওয়৷ ৷সিত নামক স্থানে৩ তিনি ৯০ হিজরীর দিকে ইনৃতিকাল
করেন ৷ এ বছরে যারা ইন্তিকাল করেন তাদের মধ্যে একজন হলেন আবদুর রহমান ইবন
আল মিসওয়ার ইবন মাখরামা ৷ অন্য একজন আবুল আলিয়া আর বিয়াহী এবং সিনান ইবন
সালামা ইবন আল-মুহাব্বাক ৷ তিনি ছিলেন উল্লেখযোগ্য বাহাদুরদের অন্যতম ৷ তিনি পবিত্র
মক্কা বিজয়ের দিন ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ হিন্দুস্তানের যুদ্ধে তিনি অংশ্যাহণ করেন এবং দীর্ঘ
হায়া ত পেয়েছিলেন ৷
এ বছরেই হাজ্জাজের ভাই মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ আস-ছাকাফী ইনৃতিকাল করেন ৷ তিনি
ইয়ামানের আমীর ছিলেন ৷ সে মিম্বরে বসে হযরত আলী (রা) এর প্রতি লা’নত করত ৷ কেউ
কেউ বলেন, যে হাজার আল-মুনৃযিরীকে আলী (রা)-এর প্রতি লা’নত করতে হুকুম দিয়েছিল ৷
তখন সে বলেছিল, যে আলী (রা) কে লা’নত করে তাকে আল্পাহ্ লা’নত করেন, যে আলী
(বা) এর প্রতি লা’ নত করে তার প্রতি আল্লাহ্র লা’নত ৷ কেউ কেউ বলেন, যে আলী
(রা) এর লা নতের ব্যাপারে ছিল পবিত্র ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷
খালিদ ইবন ইয়াষীদ ইবন মুআবিয়া
তার পুর্ণ নাম ছিল আবু হাশিম খালিদ ইবন ইয়াষীদ ইবন মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান
আল-উমুবী আদ-দামেশৃকী ৷ তীর বাড়ী ছিলদাৰমশৃকের দারুল হিজারাতের পশ্চাতে ৷ তিনি
ছিলেন বিদ্বা ন ও একজন কবি ৷ রসায়ন শ্যাস্ত্রর কিছু অবদান তার থেকে এসেছে ৷ প্রাকৃতিক
শাস্ত্রগুলাের অগ্নগতিতে তার কিছু কিছু অবদান স্বীকৃত ৷ তিনি তার পিতা ও দি ইেয়াতুল কাল্বী
(বা) হতে হাদীস বর্ণনা করেন এবং তার থেকে ইমাম যুহরী ও অন্যরা হাদীস বর্ণনা করেন, ৷
ইমাম যুহরী (র) বলেন, খালিদ সপ্তাহের ঈদগুলােতে রােয৷ পালন করতেন জুমুআর দিন,
শনিবার ও রবিবার অর্থাৎ জুমুআর দিন মুসলমানদের ঈদের দিন, শনিবার ইয়াহ্রদীদের ঈদের
দিন আর রবিবার খৃক্টানদের ঈদের দিন ৷
আবু যুরআ আদ-দ৷ ৷মেশৃকী বলেন, তিনি এবং তার ভাই মুআবিয়া (২য়) উত্তম লোকদের
অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ তার ভাই মুআবিয়া ইবন ইয়াষীদের পর খিলাফতের জন্যে তীর নাম উল্লেখ
করা হয়েছিল ৷ আবার মারওয়ানের পরও খিলাফহু তর জন্যে তিনি উত্তরাধিকারী মনোনীত
হয়েছিলেন ৷ কিভু বিষয়টি তার অনুকুলে প্রতিষ্ঠিত হয়নি ৷ মারওয়ান তার মাত কে বিয়ে
করেছিলেন ৷ তিনি বলতেন, মানুষের সবচেয়ে নিকটতম হলো তার মৃত্যু এবং দুরতম হলো
তার আকাহ্মে৷ ৷ আর সবচেয়ে বড় আশার বস্তু হলো তার আমল বা কার্যকলাপ ৷ তার প্রশংসায়
এক করি বলেন : প্
প্রাচুর্য ও বদান্যতাকে আমি একদিন বললামৰু ওে ৷মরা তো স্বাধীন মুক্তা সাদৃশ ৷ তারা
বলল আমরা তােঅ অবশ্যই গোলাম ৷ তখন আমি তাদেরকে বললাম, তোমাদের প্রভু কে ?
তারা আমার কাছে গর্ব করল এবং বলল, তিনি হলেন খালিদ ইবন ইয়াষীদ ৷
وَالطَّعْنِ فِي أَعْيُنِ أَعْدَائِكُمْ فِي الْمَوَاطِنِ الْعِظَامِ فِي الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ مَا إِنَّ الْمِنَّةَ عَلَيْنَا فِيهِ عَظِيمَةٌ. فَقَالَ لَهُ: اجْلِسْ. فَجَلَسَ، فَأَمَّنَهُ، وَكَفَّ عَنْهُ، وَرَدَّهُ إِلَى سُلَيْمَانَ، فَكَانَ عِنْدَهُ يُعَلِّمُهُ الْهَيْئَةَ، وَيَصِفُ لَهُ أَلْوَانَ الْأَطْعِمَةِ الطَّيِّبَةِ، وَكَانَ حَظِيًّا عِنْدَهُ لَا يُهْدَى إِلَيْهِ بِهَدِيَّةٍ إِلَّا بَعَثَ إِلَيْهِ بِنِصْفِهَا، وَتَقَرَّبَ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ إِلَى سُلَيْمَانَ بِأَنْوَاعِ الْهَدَايَا وَالتُّحَفِ وَالتَّقَادُمِ.
وَكَتَبَ الْوَلِيدُ إِلَى الْحَجَّاجِ: إِنِّي لَمْ أَصِلْ إِلَى يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ، وَأَهْلِ بَيْتِهِ مَعَ أَخِي سُلَيْمَانَ، فَاكْفُفْ عَنْهُمْ، وَالْهَ عَنِ الْكِتَابِ إِلَيَّ فِيهِمْ. فَكَفَّ الْحَجَّاجُ عَنْ آلِ الْمُهَلَّبِ، وَتَرَكَ مَا كَانَ يُطَالِبُهُمْ بِهِ مِنَ الْأَمْوَالِ، حَتَّى تَرَكَ لِأَبِي عُيَيْنَةَ بْنِ الْمُهَلَّبِ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَلَمْ يَزَلْ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ عِنْدَ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ حَتَّى هَلَكَ الْحَجَّاجُ فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ ثُمَّ وَلِيَ يَزِيدُ بِلَادَ الْعِرَاقِ بَعْدَ الْحَجَّاجِ، كَمَا أَخْبَرَهُ الرَّاهِبُ.
[مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ]
وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ
تَيَاذُوقُ الطَّبِيبُ الْحَاذِقُ
لَهُ مُصَنَّفَاتٌ فِي فَنِّهِ، وَكَانَ حَظِيًّا عِنْدَ الْحَجَّاجِ، مَاتَ فِي حُدُودِ سَنَةِ تِسْعِينَ بِوَاسِطٍ.
وَفِيهَا تُوُفِّيَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، وَأَبُو الْعَالِيَةِ الرِّيَاحِيُّ،
পৃষ্ঠা - ৭৩১৮
وَسِنَانُ بْنُ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبَّقِ، أَحَدُ الشُّجْعَانِ الْمَذْكُورِينَ، أَسْلَمَ يَوْمَ الْفَتْحِ، وَتَوَلَّى غَزْوَ الْهِنْدِ، وَطَالَ عُمْرُهُ.
وَتُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ الثَّقَفِيُّ أَخُو الْحَجَّاجِ، وَكَانَ أَمِيرًا عَلَى الْيَمَنِ وَكَانَ يَلْعَنُ عَلِيًّا عَلَى الْمَنَابِرِ. قِيلَ: إِنَّهُ أَمَرَ حُجْرًا الْمَدَرِيَّ أَنْ يَلْعَنَ عَلِيًّا. فَقَالَ: بَلْ لَعَنَ اللَّهُ مَنْ يَلْعَنُ عَلِيًّا، وَلَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى مَنْ لَعَنَهُ اللَّهُ. وَقِيلَ: إِنَّهُ وَرَّى فِي لَعْنِهِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، أَبُو هَاشِمٍ الْأُمَوِيُّ الدِّمَشْقِيُّ
وَكَانَتْ دَارُهُ بِدِمَشْقَ تَلِي دَارَ الْحِجَارَةِ، وَكَانَ عَالِمًا شَاعِرًا، وَيُنْسَبُ إِلَيْهِ شَيْءٌ مِنْ عِلْمِ الْكِيمْيَاءِ، وَكَانَ يَعْرِفُ شَيْئًا مِنْ عُلُومِ الطَّبِيعَةِ. رَوَى عَنْ أَبِيهِ وَدِحْيَةَ الْكَلْبِيِّ، وَعَنْهُ الزُّهْرِيُّ وَغَيْرُهُ.
قَالَ الزُّهْرِيُّ: كَانَ خَالِدُ يَصُومُ الْأَعْيَادَ كُلَّهَا: الْجُمُعَةَ وَالسَّبْتَ وَالْأَحَدَ. يَعْنِي يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَهُوَ عِيدُ الْمُسْلِمِينَ، وَيَوْمَ السَّبْتِ، وَهُوَ عِيدُ الْيَهُودِ، وَالْأَحَدُ لِلنَّصَارَى. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ: كَانَ هُوَ وَأَخُوهُ مُعَاوِيَةُ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৭৩১৯
خِيَارِ الْقَوْمِ. وَقَدْ ذُكِرَ لِلْخِلَافَةِ بَعْدَ أَخِيهِ مُعَاوِيَةَ بْنِ يَزِيدَ، وَكَانَ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ مَرْوَانَ، فَلَمْ يَلْتَئِمْ لَهُ الْأَمْرُ، وَكَانَ مَرْوَانُ زَوْجَ أُمِّهِ، وَمِنْ كَلَامِهِ: أَقْرَبُ شَيْءٍ الْأَجَلُ، وَأَبْعَدُ شَيْءٍ الْأَمَلُ، وَأَرْجَى شَيْءٍ الْعَمَلُ.
وَقَدِ امْتَدَحَهُ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ فَقَالَ:
سَأَلْتُ النَّدَا وَالْجُودَ حُرَّانِ أَنْتُمَا ... فَقَالَا جَمِيعًا إِنَّنَا لَعَبِيدُ
فَقُلْتُ وَمَنْ مَوْلَاكُمَا فَتَطَاوَلَا ... عَلَيَّ وَقَالَا خَالِدُ بْنُ يَزِيدِ
قَالَ: فَأَمَرَ لَهُ بِمِائَةِ أَلْفٍ.
وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي هَذَا الْعَامِ، وَقِيلَ: فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَثَمَانِينَ. وَقَدْ ذُكِرَ هُنَاكَ، وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ.
পৃষ্ঠা - ৭৩২০
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ بْنِ سَلِيمٍ الْأَسَدِيُّ، الشَّاعِرُ أَبُو كَثِيرٍ
وَيُقَالُ: أَبُو سَعْدٍ. وَهُوَ مَشْهُورٌ، وَفَدَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ فَامْتَدَحَهُ، فَلَمْ يُعْطِهِ شَيْئًا، فَقَالَ: لَعَنَ اللَّهُ نَاقَةً حَمَلَتْنِي إِلَيْكَ. فَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ: إِنْ وَصَاحِبَهَا. يُقَالُ: إِنَّهُ مَاتَ فِي زَمَنِ الْحَجَّاجِ.