ثم دخلت سنة ثمان وثمانين
পৃষ্ঠা - ৭৩০৩
আবুউমামাতুল ৰাহিলী প্
তার নাম স্বাদা ইবন আজলান ৷ তিনি হিমৃসে বসবাস করেন ৷ তিনি তলকীনে মায়িক্লত
অর্থাৎ দাফনেয় পর মৃত ব্যক্তিকে কালিমা ইত্যাদি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার হাদীসটির বর্ণনাকারী ৷
আত-তাবৃরানী এ হাদীসটিন্আদ-দুআ অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন ৷ আল-ওয়াফীয়াত নামক
কিতাবেও এর বর্ণনা এসেছে ৷
কাবীসা ইবন যুওয়ায়ব (রা) ,
তিনি হলেন, আবু সুফিয়ান আল-খাযায়ী আল-মড়াদানী ৷ তিনি পবিত্র মক্কা বিজয়ের বছর
জন্মগ্রহণ করেন এবং তার জন্যে দুআ করার নিমিত্তে তাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আনয়ন
করা হয় ৷ তিনি সাহাবায়ে কিরামের একটি বিরাট দল হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ হড়ার্বাৱ দিন
তার চোখ নষ্ট হয়ে যায় ৷ তিনি পবিত্র মদীনায় ফকীহদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ খলীফা আবদুল
মালিকের কাছে তার একটি বিশেষ মর্যাদা ছিল এবং অনুমতি ব্যতীত তিনি তার কাছে প্রবেশ
করতেন ৷ দেশের বিভিন্ন শহর হতে পত্র এলে তিনি এগুলো পাঠ বহ্বতেন ৷ তারপর আবদুল
মালিকের দরবারে প্রবেশ করতেন এবং বিভিন্ন শহরে কি ঘটেছে সে সম্বন্ধে আবদুল মালিককে
সংবাদ পরিবেশন করতেন ৷ তিনি তার গোপন তথ্যের সংরক্ষণকারী ৷ দামেশৃক্যে৷ বাবুল বারীদে
তার একটি বাড়ী ছিল ৷ তিনি দামেশৃকে ইনতিকাল করেন ৷
উরওয়া ইবনুস মুগীরা ইবন শু’ৰাহ্
কুফায় তাকে হাজ্জাজের আমীর নিযুক্ত করা হয় ৷ তিনি ছিলেন ড্ড, বুদ্ধিমান এবং
জনগণের কাছে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় ৷ তিনি ছিলেন টেরা চক্ষুবিশিষ্ট ৷ তিনি কুফায়
ইনতিকাল করেন ৷ তিনি মারজ্ঞে৷ কাযী ছিলেন ৷ তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি কুরআনুল কারীমের
অক্ষরে নুকতার প্রবর্তন করেন ৷ তিনি ছিলেন বিদ্বান ও জ্ঞানী লোকদের অন্যতম ৷ তার সম্পর্কে
বহু ঘটনা ও বিষয়াদি বর্কিং রয়েছে ৷ তিনি ছিলেন বিশুদ্ধ ভাষাবিদদের অন্যতম ৷ তিনি আবুল
আসওয়াদ আদ্ দু ’লী থেকে আ ৷রবী ভাষা শিখেছেন ৷
কায়ী শুরায়হ ইবন আল-হাবিছ ইবন কায়স ,
তিনি জাহিলিয়াণ্ডে র যুগ পেয়েছেন ৷ হযরত উমর (রা) তাকে কুফায় কাযী নিয়োগ
করেন ৷ তিনি সেখানে ৬৫ বছর ক যী ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন জ্ঞানী, ন্যায়বিচারক ও অধিক
কল্যাণকামী, সচ্চরিত্রবান ৷ তিনি ছিলেন খুব রঙ্গ রহস্যময়ী ৷ তার ছিল খুব কম দাড়ি ৷
চেহারায় কোন চুল ছিল না ৷ আবদুল্লাহ ইবন আয-যুবায়র আহনাফ ইবন কায়স এবং কায়স
ইবন সাদ ইবন উবাদাহও এরুপ ছিলেন ৷ তার বংশধারা, বয়স ও মৃত্যুর বছর নিয়ে মতভেদ
দেখা যায় ৷ ইবন খাল্লিকান এ বছর তার মৃত্যু হয়েছে বলে অগ্নাধিকার ভিত্তিতে বর্ণনা করেন ৷
আল্লাম৷ ইবন কাহীর (ব) বলেন, আমি ৭৮ হিজরীতে কাযী শুরায়হের মৃত্যু বর্ণনা করে
যেখানে বর্তমান বর্ণনা ব্যতীত বহুকিছু বর্ণনা করেছি ৷
৮৮ হিজরীর প্রাৱশু
এ বছরেই মাসলামাহ ইবন আবদুল মালিক ও তার ভাতিজা আব্বাস ইবন আল ওয়ালীদ
ইবন আবদুল মালিক আস সাইফার যুদ্ধ করেন ৷ তারা মুসলমানদেরকে সাথে নিয়ে এ বছরেই
জুমাদাল্-উলা মাসে তাওয়ান নাহ দুর্গ জয়লাভ করেন ৷ আর এ দুর্গটি ছিল দুর্ভেদ্য ৷ জনগণও তার
সমীপে তুমুল যুদ্ধ করে ৷ তারপর মুসলমানরা খৃস্টানদের উপর হামলা করেন ও তাদেরকে
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ]
[الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهِ]
فِيهَا غَزَا الصَّائِفَةَ مَسْلَمَةُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَابْنُ أَخِيهِ الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَافْتَتَحَا بِمَنْ مَعَهُمَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ حِصْنَ طُوَانَةَ فِي جُمَادَى مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَانَ حِصْنًا مَنِيعًا اقْتَتَلَ النَّاسُ عِنْدَهُ قِتَالًا عَظِيمًا، ثُمَّ حَمَلَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى النَّصَارَى، فَهَزَمُوهُمْ حَتَّى أَدْخَلُوهُمُ الْكَنِيسَةَ، ثُمَّ خَرَجَتِ النَّصَارَى فَحَمَلُوا عَلَى الْمُسْلِمِينَ، فَانْهَزَمَ الْمُسْلِمُونَ، وَلَمْ يَبْقَ أَحَدٌ مِنْهُمْ فِي مَوْقِفِهِ إِلَّا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ، وَمَعَهُ ابْنُ مُحَيْرِيزٍ الْجُمَحِيُّ، فَقَالَ الْعَبَّاسُ لِابْنِ مُحَيْرِيزٍ: أَيْنَ قُرَّاءُ الْقُرْآنِ الَّذِينَ يُرِيدُونَ وَجْهَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ؟ فَقَالَ: نَادِهِمْ يَأْتُوكَ. فَنَادَى: يَا أَهْلَ الْقُرْآنِ. فَتَرَاجَعَ النَّاسُ، فَحَمَلُوا عَلَى النَّصَارَى فَكَسَرُوهُمْ، وَلَجَأُوا إِلَى الْحِصْنِ، فَحَاصَرُوهُمْ حَتَّى فَتَحُوهُ.
وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ فِي شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ قَدِمَ كِتَابُ الْوَلِيدِ عَلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بِالْمَدِينَةِ، يَأْمُرُهُ بِهَدْمِ الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ، وَإِضَافَةِ حُجَرِ أَزْوَاجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ، وَأَنْ يُوَسِّعَهُ مِنْ قِبْلَتِهِ وَسَائِرِ نَوَاحِيهِ، حَتَّى يَكُونَ مِائَتَيْ ذِرَاعٍ فِي مِائَتَيْ ذِرَاعٍ، فَمَنْ بَاعَكَ مِلْكَهُ فَاشْتَرِ مِنْهُ، وَإِلَّا فَقَوِّمْهُ لَهُ قِيمَةَ عَدْلٍ، ثُمَّ اهْدِمْ، وَادْفَعْ إِلَيْهِمْ أَثْمَانَ بُيُوتِهِمْ، فَإِنَّ لَكَ فِي ذَلِكَ سَلَفَ صِدْقٍ; عُمَرَ وَعُثْمَانَ.
فَجَمَعَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وُجُوهَ النَّاسِ، وَالْفُقَهَاءَ الْعَشَرَةَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ،
পৃষ্ঠা - ৭৩০৪
পরাজিত করেন এমনকি তাদেরকে নিজ উপাসনালয়ে প্রবেশ করতে বাধ্য করেন ৷ এরপর
খৃক্টানরা নিরুপায় হয়ে তথা হতে বের হয়ে আসে এবং মুসলমানদের উপর হামলা করে ৷
মুসলমানগণ পরাজিত হয় ৷ আল-আব্বাস ইবন আল-ওয়ালীদ ও মুহায়রীয়ুল জামহী ব্যতীত
তাদের জায়গায় তারা কেউ রইল না ৷ তখন আলষ্আব্বাস ইবন মুহায়রীযকে বললেন :
কুরআনের কারীগণ কোথায় ? যারা শুধু মহান আল্লাহর সত্তুষ্টির প্রত্যাশা করে ৷ তখন তিনি
বললেন : তাদেরকে ডাক ৷ তোমার কাছে তারা চলে আসবে ৷ তিনি তখন ডাকলেনষ্ক হে
কুরআনের ধারর্কগণ! তোমরা অতি ৩সতুর এখানে আগমন কর ৷ জনগণ প্রত্যাবর্তন করল এবং
খৃক্টানদের উপর হামলা করল ও তাদেরকে পরাজিত করল ৷৩ তারা দুর্পে আশ্রয় নিল ৷ তখন
তারা তাদেরকে অবরোধ করলও এরপর তারা দুর্পটি জয় করে নিল ৷
ইবন জা ৷রীর উল্লেখ করেন ও এ বছরের রাবীউল আউয়াল মাসে আল ওয়ালীদের তরফ
থেকে উমর ইবন আবদুল আযীযের কাছে একটি পত্র পৌছে ৷ এ পত্রে আল ওয়ালীদ উমর
ইবন আবদুল আযীযকে আদেশ দেন যেন, মসজিদে নববীকে ধ্বংস করা হয়, রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর ত্রীদের হুজরাগুলাে সম্প্রসারণ, করা হয় ৷ আর মসজ্যিদ নববীকে কিবলার দিকসহ
চভুর্দিকে সম্প্রসারণ করা হয় ৷ এমনকি দুইশত গজের মধ্যে যেন দৃইশত গজ বৃদ্ধি করা হয় ৷
এলাকায় জমির যে সব মালিক জমি বিক্রি করতে চায় তাদের থেকে জমি কিনে নাও অন্যথায়
জমির ন্যায্য মুল্য স্থির কর ৷ তারপর জমিকে প্রয়োজনে ধ্বংস ও পুননির্মাণ কর এবং জমির
মালিকদেরকে ন্যায্য মুল্য প্রদান কর ৷ কেননা, একাজে হযরত উমর (রা)ও হযরত উছমান
(রা) হতে তোমার জন্য নমুনা রয়েছে ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয বিশিষ্ট লোক, দশজন
ফকীহ ও পবিত্র মদীনাবাসীদেরকে ডেকে জমায়েত করেন এবং তাদের কাছে আমীরুল
মু’মিনীন আল-ওয়ালীদেৱ পত্র পড়ে শুনান ৷ তাদের কাছে এটা অত্যন্ত কষ্টকর বলে মনে হল ৷
আর তারা বলতে লাগল : এ কুঠুরীগুলাের ছাদ ছোট, আর ছাদগুলো থেজুরের ডালা দ্বারা
নির্মিত ৷ দেওয়ালগুলো কাচা ইটের তৈরী ৷ দরজাগুলোতে রয়েছে চামড়ার পর্দা ৷ এগুলো নিজ
নিজ অবস্থায় রেখে দেওয়া ভাল ৷ তাহলে হজ্জব্রত পালনকারী, যিয়ার৩ কারী ও পর্যটকগণ
এগুলোর প্ৰতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করবে এবং রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর ঘরগুলাের প্ৰতি লক্ষ্য করবে ৷
এণ্ডালার দ্বারা উপকৃত হবে ও শিক্ষা গ্রহণ করবে ৷ আর এগুলো তাদেরকে দুনিয়া থেকে
পরহেয করা ও সতর্কতা অবলম্বন করার দিকে বেশী আহ্বান করবে ৷ তখন তারা প্রয়োজনের
অতিরিক্ত দুনিয়াকে আবাদ করবে না ৷ দুনিয়া যতদুর তাদেরকে খাওয়া পরার ব্যবস্থা করবে
এতদুরই তারা প্রত্যাশা করবে ৷ তারা একথাও বুঝতে পারবে যে, বৃহদাকারের নির্মাণ কাজ
ফিরআউনীও পারস্য দেশীয় সভ্যতারই অংশ বিশেষ ৷ আর প্রতিটি দীর্ঘ প্রত্যাশা দুনিয়ার দিকে
আকৃষ্ট করবে ও তথায় চিরস্থায়ী হওয়ার দিকে প্ৰরােচিত করবে ৷ এরপর উমর ইবন আবদুল
আযীয পুর্বে উল্লিখিত দশজন ফকীহর সিদ্ধান্ত , সম্পর্কে আমীরুল মু’মিনীন আল ওয়ালীদকে
অবগত করালেন ৷ খলীফ৷ তার কাছে পুনরায় পত্র লিখলেন এবং তাকে আদেশ দিলেন যেন
পুরানো মসজিদকে ধ্বংস করে নতুন মসজিদের ভিত্তি উল্লিখিত সিদ্ধান্ত মুতাবিক রাখা হয় এবং
ছাদকে সুউচ্চ করা হয় ৷ উমর ধ্বং স করা ব্যতীত অন্য কোন পন্থা খুজে পেলেন না ৷ তিনি যখন
পুরানো মসজিদ ধ্বংস করতে ৩লাগলেন তখন বনু হাশিম অন্যান্য গোত্রের গণ্যমান৷ ব্যক্তিবর্গ
উচ্চস্বরে ক্রন্দন করতে লাগলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেদিন ইনৃতিকাল করেছিলেন, সেদিন তারা
যেরুপ ত্রুন্দন করেছিলেন আজকের দিলেও তারা এরুপ ক্রন্দন করতে লাগলেন ৷ মসজিদের
আওতায় যাদের জমি ছিল তাদের থেকে জমি কেনা হলো এবং মসজিদ তৈরীর কাজ জোরে
وَقَرَأَ عَلَيْهِمْ كِتَابَ الْوَلِيدِ، فَشَقَّ عَلَيْهِمْ ذَلِكَ وَقَالُوا: هَذِهِ حُجَرٌ قَصِيرَةُ السُّقُوفِ، وَسُقُوفُهَا مِنْ جَرِيدِ النَّخْلِ، وَحِيطَانُهَا مِنَ اللَّبِنِ، وَعَلَى أَبْوَابِهَا الْمُسُوحُ، وَتَرْكُهَا عَلَى حَالِهَا أَوْلَى; لِيَنْظُرَ إِلَيْهَا الْحُجَّاجُ وَالزُّوَّارُ وَالْمُسَافِرُونَ، وَإِلَى بُيُوتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَنْتَفِعُوا بِذَلِكَ وَيَعْتَبِرُوا بِهِ، وَيَكُونَ ذَلِكَ أَدْعَى لَهُمْ إِلَى الزُّهْدِ فِي الدُّنْيَا، فَلَا يُعَمِّرُونَ فِيهَا إِلَّا بِقَدْرِ الْحَاجَةِ، وَهُوَ مَا يَسْتُرُ وَيُكِنُّ، وَيَعْرِفُونَ أَنَّ هَذَا الْبُنْيَانَ الْعَالِيَ إِنَّمَا هُوَ مِنْ أَفْعَالِ الْفَرَاعِنَةِ وَالْأَكَاسِرَةِ، وَكُلِّ طَوِيلِ الْأَمَلِ رَاغِبٍ فِي الدُّنْيَا وَفِي الْخُلُودِ فِيهَا.
فَعِنْدَ ذَلِكَ كَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى الْوَلِيدِ بِمَا أَجْمَعَ عَلَيْهِ الْفُقَهَاءُ الْعَشَرَةُ الْمُتَقَدِّمُ ذِكْرُهُمْ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ يَأْمُرُهُ بِالْخَرَابِ وَبِنَاءِ الْمَسْجِدِ عَلَى مَا ذَكَرَ، وَأَنْ يُعَلِّيَ سُقُوفَهُ، فَلَمْ يَجِدْ عُمَرُ بُدًّا مِنْ هَدْمِهَا، وَلَمَّا شَرَعُوا فِي الْهَدْمِ صَاحَ الْأَشْرَافُ وَوُجُوهُ النَّاسِ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ وَغَيْرِهِمْ، وَتَبَاكَوْا مِثْلَ يَوْمِ مَاتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَجَابَ مَنْ لَهُ مِلْكٌ مُتَاخِمٌ لِلْمَسْجِدِ لِلْبَيْعِ فَاشْتَرَى مِنْهُمْ، وَشَرَعَ فِي بِنَائِهِ، وَشَمَّرَ عَنْ إِزَارِهِ، وَاجْتَهَدَ فِي ذَلِكَ، وَجَاءَتْهُ فُعُولٌ كَثِيرَةٌ مِنْ قِبَلِ الْوَلِيدِ، فَأَدْخَلَ فِيهِ الْحُجْرَةَ النَّبَوِيَّةَ، حُجْرَةَ عَائِشَةَ، فَدَخَلَ الْقَبْرُ فِي الْمَسْجِدِ، وَكَانَتْ حَدَّهُ مِنَ الشَّرْقِ، وَسَائِرُ حُجَرِ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، كَمَا أَمَرَ الْوَلِيدُ.
وَرُوِّينَا أَنَّهُمْ لَمَّا حَفَرُوا الْحَائِطَ الشَّرْقِيَّ مِنْ حُجْرَةِ عَائِشَةَ بَدَتْ لَهُمْ قَدَمٌ، فَخَشُوا أَنْ تَكُونَ قَدَمَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى تَحَقَّقُوا أَنَّهَا قَدَمُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ
পৃষ্ঠা - ৭৩০৫
সােরে ষ্-শুরু হল ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয এদিকে অত্যন্ত মনোযোগ দিলেন ৷ অন্যদিকে
খলীফা আল-ওয়ালীদও বহু নির্মাতাদেরতার কাছে প্রেরণ করলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর হুজরা
তথা আইশা (রা)-এর হুজরা মসজিদের মধ্যে ঢুকে গেল ৷ অনুরুপভাবে রওযা মুবারকও
মসজিদে ঢুকে পড়ল ৷ এটার সীমানা ছিল পুর্বদিকে ৷ এরুপে অন্যান্য ত্রীদের হুজরাগুলোও
মসজিদে ঢুকে পড়ল ৷ এরুপ্ইি আল-ওয়ালীদ নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ বর্ণিত আছে যে, যখন তারা
হযরত অইিশা সিদ্দীকা (রা)শ্এর হুজরার পুর্ব দিকের দেওয়াল খুদার কাজ আরম্ভ করল তখন
একটি পা প্রকাশ হয়ে পড়ল ৷ সকলে ভয় পেয়ে গেলেন যে, এটা হয়ত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পা
হবে ৷ পরে তারা নিশ্চিত হলেন যে, এটা ছিল উমর (রা)-এর পা মুবাৱক ৷ এটাও কথিত
আছে যে, সাঈদ ইবনুল মুসামািব (র) আইশা সিদ্দীকা (রা)-এর হুজ্যা৷ মসজিদে ঢুকাতে
অস্বীকার করেছিলেন ৷ তিনি যেন কবরকে মসজিদ হিসেবে গণ্য করার ভয় করতে ছিলেন ৷
পবিত্র আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷
ইবন জারীর (র) উল্লেখ করেন আল ওয়ালীদ রোমের সম্রাটের কাছে পত্র লিখেন এবং
তাকে নির্মাণ কারিগর প্রেরণ করার জন্যে অনুরোধ করেন ৷ তিনি তখন তার কাছে একশত
কারিগর প্রেরণ করেন এবং মসজিদে নববীর জন্যে বহু পাথর প্রেরণ করেন ৷ যা সাধারণত
আত্ঢির মধ্যে ব্যবহৃত হয় ৷ প্রসিদ্ধ হল এ যে, এগুলো দামেশৃকের মসজিদের জন্যে আনয়ন
করা হয়েছিল ৷ মহান আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷ আল-ওয়াসীদ উমর ইবন আবদুল আযীষের
কাছে লিখেছিলেন যেন পবিত্র মদীনায় ফোয়ারা খনন করা হয় এবং পবিত্র মদীনায় পানি
প্রবাহিত করা হয় ৷ তিনি তা করলেন ৷ তাকে আরো হুকুম দেওয়া হল পবিত্র মদীনায় যেন
পানির নহর খনন করা হয়, সাধারণ রাস্তা ও পাহাড়িয়া রাস্তাগুলো সংস্কার ও মসৃণ করা হয় ৷
পবিত্র মদীনায় ভুপৃষ্ঠে ফোয়ারা থেকে পানি জারী করা হয় আর পবিত্র মদীনায় মসজিদে নববীর
আঙ্গিনায়ও ফোয়ারা জারী করা হয় যা দেখতে অতিশয় বিস্ময়কর বলে প্রতীয়মান হয় ৷
এ বছরেই কুতায়বা ইবন মুসলিম তুর্কী বাদশা, চীনের বাদশার বোনের ছেলে কুর
বুপানুনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ৷ তার সাথে ছিল দুই , লাখ যোদ্ধা ৷ তারা হল চুগদ পরগনা ও
অন্যান্য জায়গার বাসিন্দা ৷ তোদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হল ৷ কুতায়বা ইবন মুসলিম তাদেরকে
চুর্ণ বিচুর্ণ করে দেন ৷ তাদের থেকে প্রচুর গনীমতের মাল লাভ করেন ৷ তাদের অনেককে হত্যা
করেন ও বহু লোককে বন্দী করেন ৷
এ বছরেই লোকজন নিয়ে উমর ইবন আবদুল আযীয হজ্জাত পালন করেন ৷ তার সাথে
কুরায়শদের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ ছিলেন ৷ যখন তিনি তানয়ীম পৌহ্নে৷ পবিত্র মক্কাবাসীদের
একটি বিরাট দল তার সাথে সাক্ষাত করেন এবং তাকে সং বাদ দেন যে, কম বৃষ্টিপাতের দৰল্দো
পবিত্র মক্কায় পানির অভাব দেখা দিয়েছে ৷ তখন তিনি তার সাথীদের বললেন, আমরা কি
বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা করব না ? তখন তিনি দৃআ করলেন এবং জনগণও দৃআ করলেন ৷ তারা
দুআ করতে থাকেন যতক্ষণ না তারা বৃষ্টির মধ্যে ভিজে পেলেন ৷ তারা বৃষ্টি সহকারে পবিত্র
মক্কায় প্রবেশ করেন ৷ বিরাট বন্যা দেখা দিল এমনকি পবিত্র মক্কাবাসীরা অতিরিক্ত বৃষ্টির
কারণে ডীত সস্ত্রস্ত হয়ে পড়লেন ৷ আরাফাত, মুযদালিফা ও মীনায় অত্যন্ত বৃষ্টিপাত হয় ৷ আর
এ বছর পবিত্র মক্কা ও আশেপাশের এলাকায় তরি-তরকারির প্রাচুর্য দেখা যায় ৷ আর এটা ছিল
উমর ইবন আবদুল আযীয ও তার সাথে সফররত নেক্কার বান্দাদের দু আর কারণে ৷ এ বছরে
শহরসমুহের শাসনকর্তাগণ নিজ পদে বহাল ছিলেন ৷ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্পের মধ্যে যারা এ বছর
ইনৃতিকাল করেছেন
رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَيُحْكَى أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ أَنْكَرَ إِدْخَالَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ فِي الْمَسْجِدِ، كَأَنَّهُ خَشِيَ أَنْ يُتَّخَذَ الْقَبْرُ مَسْجِدًا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ الْوَلِيدَ كَتَبَ إِلَى مَلِكِ الرُّومِ يَسْأَلُهُ أَنْ يَبْعَثَ لَهُ صُنَّاعًا لِلْبِنَاءِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ بِمِائَةِ صَانِعٍ، وَفُصُوصٍ كَثِيرَةٍ مِنْ أَجْلِ الْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ نَحْوَ خَمْسِينَ حِمْلًا، وَمِائَةَ أَلْفِ دِينَارٍ وَالْمَشْهُورُ أَنَّ هَذَا إِنَّمَا كَانَ مِنْ أَجْلِ مَسْجِدِ دِمَشْقَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَكَتَبَ الْوَلِيدُ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَنْ يَحْفِرَ الْفَوَّارَةَ بِالْمَدِينَةِ، وَأَنْ يُجْرِيَ مَاءَهَا، فَفَعَلَ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَحْفِرَ الْآبَارَ، وَأَنْ يُسَهِّلَ الطُّرُقَ وَالثَّنَايَا، وَسَاقَ إِلَى الْفَوَّارَةِ الْمَاءَ مِنْ ظَاهِرِ الْمَدِينَةِ، وَالْفَوَّارَةُ بُنِيَتْ فِي ظَاهِرِ الْمَسْجِدِ، عِنْدَ بُقْعَةٍ رَآهَا فَأَعْجَبَتْهُ.
وَفِيهَا غَزَا قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ مَلِكَ التُّرْكِ كُورْمَغَانُونَ ابْنَ أُخْتِ مَلِكِ الصِّينِ، وَمَعَهُ مِائَتَا أَلْفِ مُقَاتِلٍ مِنْ أَهْلِ الصُّغْدِ وَفَرْغَانَةَ وَغَيْرِهِمْ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا وَكَانَ مَعَ قُتَيْبَةَ نَيْزَكُ مَلِكُ التُّرْكِ مَأْسُورًا، فَكَسَرَهُمْ قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، وَغَنِمَ مِنْ أَمْوَالِهِمْ شَيْئًا كَثِيرًا، وَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا وَسَبَى وَأَسَرَ.
وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَمَعَهُ جَمَاعَاتٌ مِنْ أَشْرَافِ قُرَيْشٍ، فَلَمَّا كَانَ بِالتَّنْعِيمِ لَقِيَهُ طَائِفَةٌ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ، فَأَخْبَرُوهُ عَنْ قِلَّةِ الْمَاءِ بِمَكَّةَ لِقِلَّةِ الْمَطَرِ،
পৃষ্ঠা - ৭৩০৬
فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: أَلَا نَسْتَمْطِرُ؟ فَدَعَا وَدَعَا النَّاسُ، فَمَا زَالُوا يَدْعُونَ حَتَّى سُقُوا، وَدَخَلُوا مَكَّةَ وَمَعَهُمُ الْمَطَرُ، وَجَاءَ سَيْلٌ عَظِيمٌ حَتَّى خَافَ أَهْلُ مَكَّةَ مِنْ شِدَّةِ الْمَطَرِ، وَمُطِرَتْ عَرَفَةُ وَمُزْدَلِفَةُ وَمِنًى، وَأَخْصَبَتِ الْأَرْضُ هَذِهِ السَّنَةَ خِصْبًا عَظِيمًا بِمَكَّةَ وَمَا حَوْلَهَا، وَذَلِكَ بِبَرَكَةِ دُعَاءِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَمَنْ كَانَ مَعَهُ مِنَ الصَّالِحِينَ. وَكَانَ النُّوَّابُ عَلَى الْبُلْدَانِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ هُمُ الَّذِينَ كَانُوا قَبْلَهَا.
[مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ]
وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ:
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُسْرِ بْنِ أَبِي بُسْرٍ الْمَازِنِيُّ
صَحَابِيٌّ كَأَبِيهِ، سَكَنَ حِمْصَ، وَرَوَى عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعِينَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: تُوُفِّيَ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ، عَنْ أَرْبَعٍ وَتِسْعِينَ سَنَةً. زَادَ غَيْرُهُ: وَهُوَ آخِرُ مَنْ تُوَفِّيَ مِنَ الصَّحَابَةِ بِالشَّامِ. وَقَدْ جَاءَ فِي الْحَدِيثِ أَنَّهُ يَعِيشُ قَرْنًا. فَعَاشَ مِائَةَ سَنَةٍ.
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أَوْفَى عَلْقَمَةُ بْنُ خَالِدِ بْنِ الْحَارِثِ الْخُزَاعِيُّ ثُمَّ الْأَسْلَمِيُّ
صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، وَهُوَ آخِرُ مَنْ بَقِيَ مِنَ الصَّحَابَةِ بِالْكُوفَةِ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِيمَا قَالَهُ الْبُخَارِيُّ سَنَةَ تِسْعٍ أَوْ ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُ
পৃষ্ঠা - ৭৩০৭
وَاحِدٍ: سَنَةَ سِتٍّ وَثَمَانِينَ، وَقَدْ جَاوَزَ الْمِائَةَ، وَقِيلَ: قَارَبَهَا. رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
وَفِيهَا تُوُفِّيَ هِشَامُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ هِشَامِ بْنِ الْوَلِيدِ الْمَخْزُومِيُّ الْمَدَنِيُّ
وَكَانَ حَمَا عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ وَنَائِبَهُ عَلَى الْمَدِينَةِ، وَهُوَ الَّذِي ضَرَبَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ كَمَا تَقَدَّمَ، ثُمَّ قَدِمَ دِمَشْقَ فَمَاتَ بِهَا، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ أَحْدَثَ دِرَاسَةَ الْقُرْآنِ بِجَامِعِ دِمَشْقَ، فَمَاتَ بِهَا فِي السَّبْعِ.
حَكِيمُ بْنُ عُمَيْرٍ الْعَنْسِيُّ الشَّامِيُّ
لَهُ رِوَايَةٌ، وَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ فِي الشَّامِ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَعِيبَ الْحَجَّاجَ عَلَانِيَةً إِلَّا هُوَ وَابْنُ مُحَيْرِيزٍ أَبُو الْأَحْوَصِ، قُتِلَ فِي غَزْوَةِ طُوَانَةَ مِنْ بِلَادِ الرُّومِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ.