আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وثمانين

পৃষ্ঠা - ৭২৪৯


ন্যায় অবস্থান করতেন ৷ তিনি কখনও তার থেকে পৃথক হতেন না ৷ তিনি আবদুল মালিকের
পিতা মারওয়ানের সাথে মারজ রাহাতের দিন সঙ্গী ছিলেন ৷ ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া তাকে
ফিলিস্তীনে প্রেরিত সেনাবাহিনীর সেনাপতি নিযুক্ত করেছিলেন ৷ মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ মনে
করেন যে, রাওহ ইবন যাম্বা একজন সাহাবী ছিলেনত ৷ তবে তার এ অভিমতের সমর্থন পাওয়া
যায় না ৷ শুদ্ধ হলো যে, তিনি একজন তাবিঈ ছিলেন, সাহাবী ছিলেন না ৷ তার একটি বিশেষ

গুণ ছিল, যখন তিনি গোসলখানা থেকে বের হতে ন, তখন একটি ণ্গালাম আযাদ করতেন ৷ ’

ইবন যায়দ বলেন,ত তিনি ৮৪ হিজরীতে জর্দানে ইনৃতিকাল করেন ৷ আবার কেউ কেউ মনে
করেন, তিনি হিশাম ইবন আবদুল মালিকের আমল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন ৷ তিনি একবার হজ্জ
করার সময় পবিত্র মক্কা ও মদীনায় মধ্যবর্তী একটি কুয়ার কাছে অবতরণ করেন ৷ তার জন্য
বিভিন্ন রকমের খাবারের আয়োজন করা হয় ৷ তারপর তার সামনে পরিবেশন করা হয় ৷ তিনি
খাবার খাওয়া শুরু করেছেন এমন সময় একজন রাখাল সেখানে পানির জন্য আগমন করল ৷
রাওহ ইবন যাম্বা তাকে খাবার খেতে ডাকলেন ৷ রাখালটি এগিয়ে আসল এবং খাবারের দিকে
নযর করল, আর বলল, “আমি রোযাদার ৷ রাওহ তাকে বললেন, “এত বড় ও অত্যন্ত
গরমের দিন তুমি রােযা রেখেছ হে রাখলে! রাখাল বলল, ৷তামার খাবারের জন্য কি আমি
আমার অভ্যাসের ব্যতিক্রম করব ? তারপর রাখাল নিজের জায়গায় ফিরে গেল ও সেখানে
অবস্থান করল এবং রাওহ ইবন যাম্বাকে ছেড়ে পেল ৷ তখন রাওহ ইবন যাম্বা বলেন, হে
রাখাল! তুমি তোমার অভ্যাসের ব্যাপারে কৃপণতার আশ্রয় নিয়েছ, যখন রাওহ ইবন যাম্বা
তোমাকে দান করতে চেয়েছিল ৷ তারপর রাওহ অনেকক্ষণ কা ন্নাকাটি করেন এবং এ
খাবারগুলোকে নিয়ে যাবার আদেশ দিলেন, আর বললেন দেখত, এ খাবার ভক্ষণকারী কোন
গ্রাম্য বা বেদুঈন লোক অথবা রাখালকে পাওয়া যায় কিনা ? তারপর তিনি ঐ জায়গা ত্যাগ
করেন অথচ রাখাল তার সমগ্র অস্তরাক নিয়ে নিল এবং তার নাফস রাখালের কারণে
অবমাননা বোধ করল ৷ মহাপবিএ অ ৷ল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

৮৫ হিজরীর আগমন

ইবন জারীরের মতে ৩এ বছরেই আবদুর রহমান ইবন আল আশআছ নিহত হয় ৷ এবছুরেই
হাজ্জাজ ইয়াযীদ ইবন আল মুহ ৷ল্লাবকে খুরা সালের শাসন ক্ষমতা থেকে বরখাস্ত করে এবং তার
ভইি আল-মুফাদ্দাল ইবন আল মুহাল্লাবকে তথাকার শাসক নিয়োগ করে ৷ত তার কারণ ছিল
নিম্নরুপ :
আল হাজ্জাজ একবার আবদুল মালিকের কাছে একটি প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসাবে
আগমন করে ৷ ফেরত যাওয়ার সময় সে একটি আশ্রমে আগমন করে ৷ তখন তাকে বলা হল
যে, এখানে একজন বৃদ্ধলোক আছেন যিনি কিতাবী আলিম ৷ সে তার কাছে গেল এবং বলল,
হে শায়খ! আমরা যে অবস্থায় আছি এবং আপনারা যে অবস্থায় আছেন, এ সম্বন্ধে কি
আপনাদের কিভাবে কোন কিছু লিখা আছে ? শায়খ বললেন, “হ্যা ইাজ্জাজ তাকে বলল,
“আপনি আমাদের আমীরুল মদ্বুমিনীনের গুণাবলী সম্পর্কে কি কোন কিছু পেয়েছেন ?” শায়খ
বললেন, তার গুণাবলী সম্বন্ধে আমি পাচ্ছি যে, তিনি হবেন একজন টাক বিশিষ্ট বাদশা ৷ যে
তার পথে অম্ভরায় সৃষ্টি করবে সে নিহত হবে ৷ হাজ্জাজ বলল, “তার পরে কে খলীফা হবে?”
শায়খ বললেন, “তার পরে যিনি বাদশা হবেনত তার নাম আল ওয়ালীদ ৷” হাজ্জাজ বলল, “এর


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسٍ وَثَمَانِينَ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا - كَمَا ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ - كَانَ مَقْتَلُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَشْعَثِ الْكِنْدِيِّ فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِيهَا عَزَلَ الْحَجَّاجُ عَنْ إِمْرَةِ خُرَاسَانَ يَزِيدَ بْنَ الْمُهَلَّبِ، وَوَلَّى عَلَيْهَا أَخَاهُ الْمُفَضَّلَ بْنَ الْمُهَلَّبِ، وَكَانَ سَبَبَ ذَلِكَ أَنَّ الْحَجَّاجَ وَفِدَ مَرَّةً عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ فَلَمَّا انْصَرَفَ مَرَّ بِدَيْرٍ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّ فِيهِ شَيْخًا كَبِيرًا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ عَالِمًا. فَدُعِيَ لَهُ فَقَالَ: يَا شَيْخُ، هَلْ تَجِدُونَ فِي كُتُبِكُمْ مَا أَنْتُمْ فِيهِ وَمَا نَحْنُ فِيهِ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ لَهُ: فَمَا تَجِدُونَ صِفَةَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: نَجِدُهُ مَلِكًا أَقْرَعَ مَنْ يَقُمْ بِسَبِيلِهِ يُصْرَعُ. قَالَ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: ثُمَّ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: الْوَلِيدُ. قَالَ: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: ثُمَّ رَجُلٌ اسْمُهُ اسْمُ نَبِيٍّ، يَفْتَحُ بِهِ عَلَى النَّاسِ. قَالَ: أَفَتَعْرِفُنِي؟ قَالَ: قَدْ أُخْبِرْتُ بِكَ. قَالَ: أَفَتَعْرِفُ مَا أَلِي؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَمَنْ يَلِي الْعِرَاقَ بَعْدِي؟ قَالَ: رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: يَزِيدُ. قَالَ: أَفِي حَيَاتِي أَوْ بَعْدَ مَوْتِي؟ قَالَ: لَا أَدْرِي. قَالَ: أَفَتَعْرِفُ صِفَتَهُ؟ قَالَ: يَغْدِرُ غَدْرَةً لَا أَعْرِفُ غَيْرَهَا.
পৃষ্ঠা - ৭২৫০

পর কে ?” শায়খ বললেন, “এরপর যিনি বাদশা হবেন তার নাম হল একজন নবীর নামে,
তিনি জনগণের উপরে বিজয় লাভ করবেন ৷ ” হাজ্জাজ বলল, “আমার কাছে তার পরিচিতি
পেশ করুন ৷” শায়খ বললেন, “আমি তো আপনাকে ইতোমধ্যে সংবাদ দিয়েছি ৷” হাজ্জাজ
বলল, “আপনিকি আমার পরিণাম জানেন ?” তিনি বললেন, “হ্যা” ৷ হাজ্জাজ বলল, “আমার
পরে ইরাকের শাসনকর্তা কে হবে ? শায়খ বললেন, এমন একজন লোক যার নাম ইয়াযীদ ৷”
হাজ্জাজ বলল, “সে কি আমার জীবদ্দশায়, না মৃত্যুর পর শাসনকর্তা হবে ?” শায়খ বললেন,
”তা আমি জানি না” হাজ্জাজ বলল, “আপনি কি তার গুণাবলী সম্পর্কে অবগত?” শায়খ
বললেন, “তিনি তখন বিশ্বাসঘাতকতার আশ্রয় নিবেন ৷ এর বেশী কিছু আমি জানিনা ৷”
বর্ণনাকারী বলেন, হাজ্জাজের অন্তরে কল্পনার সৃষ্টি হল যে, সে ব্যক্তিঢি হবেন ইয়াযীদ ইবন
আল-মুহাল্লাৰ ৷ হাজ্জাজ আশ্রম ত্যাগ করল ৷ কিংহ্র শায়খের ন্ কথায় সে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল ৷
তারপর সে আবদুল মালিকের কাছে ইরাকের শাসন ক্ষমতার ইস্তিফাপত্র প্রেরণ করল ৷ উদ্দেশ্য
ছিল আবদুল মালিকের কাছে তার মান মর্যাদার গভীরৎ যাচাই করা ৷ তারপর তার কাছে
আবদুল মালিকের একটি পত্র আসল যার মধ্যে ছিল তিরস্কার, ভৎর্সনা, নিন্দা, নিজের কর্তব্য
কর্মে স্থিতিশীল থাকার নির্দেশ ইত্যাদি ৷ তারপর হাজ্জাজ একদিন চিন্তিত হয়ে পড়ল এবং
উবায়দ ইবন মাওহাবকে কাছে ডড়াকল ৷ উবায়দ ইবন মাওহাব তার কাছে প্রবেশ করল ৷
হাজ্জাজ তখন মাটিতে নখাঘাত করতে ছিল ৷ উবায়দের দিকে মাথা উঠায়ে বলল, “দুর্ভাপ্য
তোমার হে উবায়দ! কিতাবীরা উল্লেখ করছে যে, আমার অধীনে এমন এক লোক আছে, যে
আমার পরে শাসনকর্তা হবে ৷ তার নাম হল ইয়াযীদ ৷ ইয়াযীদ ইবন আবু কাবশাহ্, ইয়াযীদ
ইবন হুছায়ন ইবন নুমইিয়র, এবং ইয়াযীদ ইবন দীনারের কথা আমার মনে পড়ছে ৷ কিন্তু
তারা তো এখানে নেই ৷ কাজেই, এটা ইয়াযীদ ইবন আল-মুহাল্লাব ব্যতীত আর কেউই নয় ৷
উবায়দ তখন বলল, ইয়াযীদ ইবন আল ঘুহাল্লাব ও তার গোষ্ঠীকে খলীফা সম্মানিত করেছেন
এবং আপনিও তাদের শাসন ব্যবস্থাকে সম্মান দিয়ে থাকেন ৷ কাজেই, তাদের বিশেষ একটি
সম্মান, দৃঢ়তা এবং সৌভাগ্য রয়েছে ৷ কাজেই আপনি তার সাথে তাল ব্যবহার করুন ৷ কিংহ্র
শেষ পর্যন্ত ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাবের বরথান্তের ব্যাপারেই হাজ্জাজ মনন্থির করল ৷ হাজ্জাজ
তার দুর্নাম করে, তার বিশ্বাসঘড়াতকতার ভীতি প্রদর্শন করে, এর শায়খ তার সম্বন্ধে যা কিছু
বলেছে তার , একটি প্রতিবেদন সহকারে আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের কাছে একটি পত্র
লিখল ৷ তারপর ডাক হবকরা আবদুল মালিক থেকে একটি পত্র নিয়ে আসল, যার মধ্যে
ইয়াযীদ সম্বন্ধে বহু কিছু বলা হয়েছে এবং তার পরিবর্তে একজন ব্যজ্যি নাম প্রস্তাব করার জন্য
বলা হয়েছে যে, খুরাসানের শাসনকার্য পরিচালনার যোগ্য ৷ হবুজ্জাজ আল-ঘুফাদ্দাল ইবন
মুহাল্পাবের নামকে মনোনীত করে এবং তাকে শুধু নয় মাসের জন্য শাসন ক্ষমতা দেওয়া হয় ৷
আল-মুফাদ্দাল আবাসের বিভিন্ন শহর ও অন্যান্য শহরে যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং প্রচুর
গনীমত অর্জন করেন ৷ কবিরাও তার প্রশংসা করেন ৷ তারপর তাকে বরখাস্ত করা হয় এবং
কুতায়বাহ্ ইবন মুসলিমকে তার স্থলে নিয়োগ করা হয় ৷

ইবন জারীর (র) বলেন, “এ বছরেই তিৱমিযে, মুসা ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন খাযিম নিহত
হয় ৷ ” তারপর ইবন জারীর তার কারণ ব্যাখ্যা করেন ৷ তার সংক্ষিপ্ত সার নিম্নরুপ :

মুসা ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন খাযিমের পিতার মৃত্যুর পর তার হাতে এমন কোন শহর ছিল
না যার মধ্যে তিনি ও তার সাথীরা আশ্রয় নিতে পারেন ৷ যখনই তিনি কোন শহরের নিকটবর্তী
হতেন তখনই সেই শহরের শাসনকর্তা ঘর থেকে বের হয়ে আসতেন এবং তার সাথে যুদ্ধ


قَالَ: فَوَقَعَ فِي نَفْسِ الْحَجَّاجِ أَنَّهُ يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ، وَسَارَ سَبْعًا وَهُوَ وَجِلٌ مِنْ كَلَامِ الشَّيْخِ، ثُمَّ بَعَثَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ يَسْتَعْفِيهِ مِنْ وِلَايَةِ الْعِرَاقِ ; لِيَعْلَمَ مَكَانَتَهُ عِنْدَهُ، فَجَاءَ الْكِتَابُ بِالتَّقْرِيعِ وَالتَّأْنِيبِ وَالتَّوْبِيخِ، وَالْأَمْرِ بِالثَّبَاتِ وَالِاسْتِمْرَارِ عَلَى مَا هُوَ عَلَيْهِ، ثُمَّ إِنَّ الْحَجَّاجَ جَلَسَ يَوْمًا مُفَكِّرًا، وَاسْتَدْعَى بِعُبَيْدِ بْنِ مَوْهَبٍ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ وَهُوَ يَنْكُتُ فِي الْأَرْضِ، فَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: وَيْحَكَ يَا عُبَيْدُ، إِنَّ أَهْلَ الْكِتَابِ يَذْكُرُونَ أَنَّ مَا تَحْتَ يَدِي سَيَلِيهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: يَزِيدُ. وَقَدْ تَذَكَّرْتُ يَزِيدَ بْنَ أَبِي كَبْشَةَ وَيَزِيدَ بْنَ حُصَيْنِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَيَزِيدَ بْنَ دِينَارٍ، فَلَيْسُوا هُنَاكَ وَمَا هُوَ - إِنْ كَانَ - إِلَّا يَزِيدُ بْنُ الْمُهَلَّبِ، فَقَالَ عُبَيْدٌ: لَقَدْ شَرَّفْتَهُمْ، وَعَظَّمْتَ وِلَايَتَهُمْ، وَإِنَّ لَهُمْ لَعَدَدًا وَجَلَدًا وَحَظًّا فَأَخْلِقْ بِهِ. فَأَجْمَعَ رَأْيُ الْحَجَّاجِ عَلَى عَزْلِ يَزِيدَ بْنِ الْمُهَلَّبِ، فَكَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ يَذُمُّهُ وَيُخَوِّفُهُ غَدْرُهُ، وَيُخْبِرُهُ بِمَا أَخْبَرَهُ بِهِ ذَلِكَ الشَّيْخُ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ: قَدْ أَكْثَرْتَ فِي شَأْنِ يَزِيدَ، فَسَمِّ رَجُلًا يَصْلُحُ لِخُرَاسَانَ، فَوَقَعَ اخْتِيَارُ الْحَجَّاجِ عَلَى الْمُفَضَّلِ بْنِ الْمُهَلَّبِ، فَوَلَّاهُ قَلِيلًا تِسْعَةَ أَشْهُرٍ، فَغَزَا بَاذَغِيسَ وَغَيْرَهَا، وَغَنِمَ مَغَانِمَ كَثِيرَةً، وَامْتَدَحَهُ الشُّعَرَاءُ ثُمَّ عَزَلَهُ بِقُتَيْبَةَ بْنِ مُسْلِمٍ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ قُتِلَ مُوسَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَازِمٍ بِتِرْمِذَ.
পৃষ্ঠা - ৭২৫১

করতেন ৷ এভাবেই তিনি শহরের পর শহর অতিক্রম করতে লাগলেন ৷ তারপর তিনি
তিরমিঘের কাছে অবতরণ করেন ৷ বিক্ষ্ম তিরমািযর শাসনকর্তা ছিলেন দুর্বল ৷৩ তা,ই তিনি তার
সাথে সন্ধি করতে চাইলেন এবং তার কাছে উপচৌকন ও হাদীয়া সহকারে লোক প্রেরণ
করেন ৷ এভাবে বিজ্যি পন্থায় তিনি তার মানােরঞ্জন করতে থাকেন ৷ তারপর শাসনকর্তা একটি
পরিকল্পনা করলেন এবং মুসা ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন খাষিমের জন্য খাবার তৈরী করলেন এবং
লোক প্রেরণ করে বললেন, তােমার একশত সাথী নিয়ে আমার কাছে আগমন করে ৷ মুসা
তার সৈন্যদের মধ্য থেকে একশত বাহাদুর সৈনিককে নির্বাচন করলেন এবং তাদেরকে নিয়ে
শহরে প্রবেশ করলেন ৷ খাওয়ার ণ্শষে মুসা শাসকের ঘরে শুয়ে পড়লেন এবং বলতে লাগলেন,
আল্লাহ্র শপথ, এখান থেকে আমি আর উঠতেছি না যতক্ষণ না এ ঘরটি আমার ঘর হিসেবে
কিংবা আমার কবর হিসেবে গণ্য হবে ৷ ’ তখন প্রাসাদের বাসিন্দারা তার উপর বাটিয়ে পড়ল ৷
তার সাথীরা তাকে রক্ষা করল ৷ তারপর তাদের মধ্যেও তিরমিযবাসীদের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত
হল, তারা তুমুল যুদ্ধ করল, তিরমিযবাসীদের বহু লোক নিহত হল ৷ আর তাদের বাকী লোক
পালিয়ে গেল ৷ মুসা তার সেনাবাহিনীর অবশিষ্ট সোকদেরকে তার কাছে ডাকলেন এবং শহরটি
দখল করে নিলেন ন্৷ শহরটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মযবুত করলেন এবং শত্রু থেকে সুরক্ষিত
করলেন ৷ শহর থেকে শহরে শাসনকর্তা পালিয়ে গেল এবং তার ভাই তুরস্কের শাসকের কাছে
গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করল ৷ যে তুকীরিদর থেকে সাহায্য প্রার্থনা করল ৷ তখন তারা তাকে বলল,
“তারা প্রায় একশত লোকসহ তোমাকে তোমার শহর থেকে বের করে দিয়েছে, তাদের সাথে
যুদ্ধ করার শক্তি আমাদের নেই ৷ তারপর তিরমিযের শাসক তুর্কীদেৱ অন্য একদলের কাছে
গমন করলেন এবং তাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলেন ৷ তখন তারা তার সাথে মুসার কাছে
দুত পাঠাল যাতে তারা তার কথা শুনে ৷ মুসা যখন তাদের আগমনের বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত
হলেন আর তখন ছিল অত্যন্ত গরমের দিন ৷ নিজের সাথীদের হুকুম দিলেন, তারা যেন অগ্নি
প্রজ্বলিত করে শীতের পোশাক পরিধান করে আগুনের নিকটে তাদের হস্ত প্রসারিত করে, মনে
হয় যেন তারা আগুন থেকে তাপ নিচ্ছে ৷ যখন তাদের কাছে দুতেরা পৌছল এবং মুসার
সাথীদেরকে অত্যন্ত গরমের মধ্যে এরুপ করতে দেখল তখন তারা তাদেরকে জিজ্ঞেস করল,
এটা কি তোমাদেরকে আমরা যা করতে দেখতেছি ? তারা তখন তাদেরকে বলল, আমরা
গরমের দিন শীত অনুভব করি আর শীতের দিন খুব কষ্ট অনুভব করি ৷ তখন তারা তাদের
লোকদের কাছে ফিরে গেল এবং বলল যে, এরা কেমন ধরনের লোক ? এরা মানুষ নয় বরং
জ্বিন ৷ এরপর তারা তাদের শাসকের কাছে ফিরে গেল এবং যা কিছু তারা দেখল তাকে তা
অবহিত করল, আর সকলে মিলে বলতে লাগল, ঐসব লোকের সাথে আমাদের যুদ্ধ করার
ক্ষমতা নেই ৷ত তারপর তিরমিযের শাসক অন্য একটি দলের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করল ৷ আর
সেই দলের প্রধান ছিলেন, আ ল খাযাঈ ৷ত তারা তখন তার সাহায্যার্থে তিরমিয আগমন করল
এবং খাযাঈও তাদের সাথে আগমন করল ৷ তারা তিরমিযকে অবরোধ করল ৷ খাযাঈ দিনের
প্রথমাং শে মুসা ও তার সাথীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত এবং শেষাৎশে অন্যদের সাথে যুদ্ধ করত ৷
তারপর মুসা তাদের উপর চােরাগুপ্তা হামলা করল এবং প্রচণ্ড যুদ্ধ করল ৷ এতে উমর
আল খাযাঈ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল এবং তার সাথে সন্ধি করল ৷ উমর তার সাথে অতিঘনিষ্ঠ
হয়ে গেল এবং তারা একত্রে উঠাবসা করতে লাগল ৷ একদিন উমর মুসার কাছে প্রবেশ করল,
যে সময় তার কাছে কেউই ছিল না এবং তার সাথে কোন অস্ত্রও দেখা গেল না ৷ তখন « উমর
তাকে উপদেশের সুরে বলল, “আল্লাহ্ আমীরকে হিফাযত করুন ৷ তোমার মত ব্যক্তিকে এরুপ
অস্ত্রৰিহীন থাকা মোটেই সযীচীন নয় ৷ মুসা তখন বললেন, আমার কাছে অস্ত্র আছে, একথা


ثُمَّ ذَكَرَ سَبَبَ ذَلِكَ، وَمُلَخَّصُهُ: أَنَّهُ بَعْدَ مَقْتَلِ أَبِيهِ لَمْ يَبْقَ بِيَدِهِ بَلَدٌ يَلْجَأُ إِلَيْهِ بِمَنْ مَعَهُ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَجَعَلَ كُلَّمَا اقْتَرَبَ مِنْ بَلْدَةٍ خَرَجَ إِلَيْهِ مَلِكُهَا فَقَاتَلَهُ، فَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ دَأْبَهُ حَتَّى نَزَلَ قَرِيبًا مِنْ تِرْمِذَ، وَكَانَ مَلِكُهَا فِيهِ ضَعْفٌ، فَجَعَلَ يُهَادِنُهُ وَيَبْعَثُ إِلَيْهِ بِالْأَلْطَافِ وَالتُّحَفِ، حَتَّى جَعَلَ يَتَصَيَّدُ هُوَ وَهُوَ، ثُمَّ عَنَّ لِلْمَلِكِ فَعَمِلَ لَهُ طَعَامًا، وَبَعَثَ إِلَى مُوسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَازِمٍ: أَنِ ائْتِنِي فِي مِائَةٍ مِنْ أَصْحَابِكَ، فَاخْتَارَ مُوسَى مِنْ جَيْشِهِ مِائَةً مِنْ شُجْعَانِهِمْ، ثُمَّ دَخَلَ الْبَلَدَ، فَأَكَلَ مِنْ طَعَامِ الْمَلِكِ، فَلَمَّا فَرَغَتِ الضِّيَافَةُ اضْطَجَعَ مُوسَى عَلَى جَنْبِهِ فِي دَارِ الْمَلِكِ، وَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أَقْوَمُ مِنْ هُنَا حَتَّى يَكُونَ هَذَا الْمَنْزِلُ مَنْزِلِي، أَوْ يَكُونَ قَبْرِي، فَثَارَ أَهْلُ الْقَصْرِ إِلَيْهِ فَحَاجَفَ عَنْهُ أَصْحَابُهُ، ثُمَّ وَقَعَتِ الْحَرْبُ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ أَهْلِ تِرْمِذَ، فَاقْتَتَلُوا، فَقُتِلَ مِنْ أَهْلِ تِرْمِذَ خَلْقٌ كَثِيرٌ، وَهَرَبَ بَقِيَّتُهُمْ، وَاسْتَدْعَى مُوسَى بَقِيَّةَ جَيْشِهِ إِلَيْهِ، وَاسْتَحْوَذَ مُوسَى عَلَى الْبَلَدِ فَحَصَّنَهَا وَمَنَعَهَا مِنَ الْأَعْدَاءِ، وَخَرَجَ مِنْهَا مَلِكُهَا هَارِبًا، فَلَجَأَ إِلَى إِخْوَانِهِ مِنَ الْأَتْرَاكِ فَاسْتَنْصَرَهُمْ، فَقَالُوا لَهُ: هَؤُلَاءِ قَوْمٌ فِي نَحْوٍ مِنْ مِائَةِ رَجُلٍ أَخْرَجُوكُمْ مِنْ بَلَدِكُمْ لَا طَاقَةَ لَنَا بِقِتَالِ هَؤُلَاءِ. ثُمَّ ذَهَبَ مَلِكُ تِرْمِذَ إِلَى طَائِفَةٍ أُخْرَى مِنَ التُّرْكِ فَاسْتَصْرَخَهُمْ، فَبَعَثُوا مَعَهُ قُصَّادًا نَحْوَ مُوسَى ; لِيَسْمَعُوا كَلَامَهُ، فَلَمَّا أَحَسَّ بِقُدُومِهِمْ - وَكَانَ ذَلِكَ فِي شِدَّةِ الْحَرِّ - أَمْرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يُؤَجِّجُوا نَارًا، وَيَلْبَسُوا ثِيَابَ الشِّتَاءِ، وَيُدْنُوا أَيْدِيَهُمْ مِنَ النَّارِ كَأَنَّهُمْ يَصْطَلُونَ بِهَا، فَلَمَّا وَصَلَتْ إِلَيْهِمُ الرُّسُلُ، رَأَوْا أَصْحَابَهُ وَمَا يَصْنَعُونَ
পৃষ্ঠা - ৭২৫২
فِي شِدَّةِ الْحَرِّ، فَقَالُوا لَهُمْ: مَا هَذَا الَّذِي تَفْعَلُونَهُ؟ فَقَالُوا لَهُمْ: إِنَّا نَجِدُ الْبَرْدَ فِي الصَّيْفِ وَالْكُرْبَ فِي الشِّتَاءِ، فَرَجَعُوا إِلَى أَنْفُسِهِمْ فَقَالُوا: مَا هَؤُلَاءِ بَشَرٌ، مَا هَؤُلَاءِ إِلَّا جِنٌّ. ثُمَّ عَادُوا إِلَى مَلِكِهِمْ فَأَخْبَرُوهُ بِمَا رَأَوْا، فَقَالُوا: لَا طَاقَةَ لَنَا بِقِتَالِ هَؤُلَاءِ. ثُمَّ ذَهَبَ صَاحِبُ تِرْمِذَ فَاسْتَجَاشَ بِطَائِفَةٍ أُخْرَى، فَجَاءُوا فَحَاصَرُوهُمْ بِتِرْمِذَ، وَجَاءَ الْخُزَاعِيُّ فَحَاصَرَهُمْ أَيْضًا، فَجَعَلَ يُقَاتِلُ الْخُزَاعِيَّ أَوَّلَ النَّهَارِ، وَيُقَاتِلُ آخِرَهُ الْعَجَمَ، ثُمَّ إِنَّ مُوسَى بَيَّتَهُمْ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً، وَأَفْزَعَ ذَلِكَ عُمَرَ الْخُزَاعِيَّ فَصَالَحَهُ، وَكَانَ مَعَهُ، فَدَخَلَ يَوْمًا عَلَيْهِ وَلَيْسَ عِنْدَهُ أَحَدٌ، وَلَيْسَ يَرَى مَعَهُ سِلَاحًا، فَقَالَ عَلَى وَجْهِ النُّصْحِ: أَصْلَحَ اللَّهُ الْأَمِيرَ، إِنَّ مِثْلَكَ لَا يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ بِلَا سِلَاحٍ. فَقَالَ: إِنَّ عِنْدِي سِلَاحًا. ثُمَّ رَفَعَ صَدْرَ فِرَاشِهِ فَإِذَا سَيْفُهُ مُنْتَضًى، فَأَخَذَهُ عُمَرُ، فَضَرْبَهُ بِهِ حَتَّى بَرَدَ، وَخَرَجَ هَارِبًا، ثُمَّ تَفَرَّقَ أَصْحَابُ مُوسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَازِمٍ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ عَزَمَ عَبْدُ الْمَلِكِ عَلَى عَزْلِ أَخِيهِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مَرْوَانَ عَنْ إِمْرَةِ الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ، وَحَسَّنَ لَهُ ذَلِكَ رَوْحُ بْنُ زِنْبَاعٍ الْجُذَامِيُّ، فَبَيْنَمَا هُمَا فِي ذَلِكَ إِذْ دَخَلَ عَلَيْهِمَا قَبِيصَةُ بْنُ ذُؤَيْبٍ فِي اللَّيْلِ، وَكَانَ لَا يُحْجَبُ عَنْهُ أَيَّ سَاعَةٍ جَاءَ مِنْ لَيْلٍ أَوْ نَهَارٍ، فَعَزَّاهُ فِي أَخِيهِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، فَنَدِمَ عَلَى مَا كَانَ مِنْهُ مِنَ الْعَزْمِ عَلَى عَزْلِهِ، وَإِنَّمَا حَمَلَهُ عَلَى إِرَادَةِ عَزْلِهِ أَنَّهُ أَرَادَ أَنْ يَعْهَدَ بِالْأَمْرِ مِنْ بَعْدِهِ لِأَوْلَادِهِ ; الْوَلِيدِ ثُمَّ سُلَيْمَانَ ثُمَّ يَزِيدَ ثُمَّ هِشَامٍ، وَذَلِكَ عَنْ رَأْيِ الْحَجَّاجِ وَتَرْتِيبِهِ ذَلِكَ لِعَبْدِ الْمَلِكِ، وَكَانَ أَبُوهُ مَرْوَانُ
পৃষ্ঠা - ৭২৫৩

বলে সে তার বিছানার চাদর উপরে উঠাল ৷ আর অমনি তার তলোয়ার চকচক করতে লাগল ৷প্
উমর এটাকে হাতে নিল এবং এ তলোয়ার দিয়ে মুসার উপরে সজােরে আঘাত করল ৷ মুসা
মৃত্যুমুখে পতিত হলো এবং উমর অতি দ্রুত পালিয়ে গেল ৷ তারপর মুসার সাথী সংগীরা
ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল ৷

ইবন জারীর বলেন, এ বছরেই আবদুল মালিক নিজের ডাই আবদুল আষীয ইবন
মারওয়ানকে মিসরীয় প্রদেশগুলোর শাসন ক্ষমতা থেকে বরখাস্ত করার মনস্থু করেন ৷ আররাওহ
ইবন যাম্বা আল-জুযামী এ কাজটি করার জন্যে প্রলুব্ধ করেন ৷ তারা এ দুইজন এ পরিকল্পনায়
লিপ্ত ছিলেন ৷ একরাত কাবীসা ইবন যুয়ায়ব তাদের কাছে প্রবেশ করল আর এ ব্যক্তির
প্রাসাদে প্রবেশের ব্যাপারে রাত দিনের পার্থক্য ছিল না ৷ তিনি তার ভাই আবদুল আষীয
সম্পর্কে সহ্াৰুতুতি প্রকাশ করলেন ৷ এটাতে আবদুল মালিক তার ভাইয়ের বরখাস্তের ব্যাপারে
মনন্থ করার লজ্জাবােধ করলেন আর তাকে বরখাস্ত করার জন্যে যে বিষয়টি তাকে প্রলুব্ধ
করেছিল তা হল এই যে, তার পরে খিলাফভের বিষয়টি তার আওলাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ও
নির্ধারিত করার জন্যে সে মনস্থু করেছিল ৷ তার পরে তার ছেলে ওয়ালীদ, তারপর সুলায়মান,
তার পরে ইয়াযীদ তার পরে হিশামের জন্যে নির্ধারিত করেছিল ৷ আর এটা হলো হাজ্জাজের
পরামর্শ এবং আবদুল মালিকের জন্যে হাজ্জাজ এ তালিকাটি প্রণয়ন করেছিল ৷ আবদুল
মালিকের পিতা মারওয়ান খিলাফভের বিষয়টি আবদুল মালিকের জন্য নির্ধারণ করেছিল এবং
তার পরে আবদুল আষীযের জন্যে ৷ কিন্তু আবদুল মালিক বড় ভাইকে পুরাপুরি খিলাফত থেকে
দুরে রাখার জন্য ইচ্ছে পোষণ করেছিল ৷ আর তার পরই তার আওলাদ ও পরে যারা আসবে
তাদের জন্যে খিলাফতকে নির্ধারণ করার জন্যে ইচ্ছে পোষণ করেছিল ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক
পরিজ্ঞাত ৷

আবদুল আষীয ইবন মারওয়ান

তার পুর্ণ নাম ও আবুল আসবাগ, আবদুল আষীয ইবন মারওয়ান ইবন আল হাকাম ইবন
আবুল আ’স ইবন উমায়্যা ইবন আবদ শামস আলণ্কারশী আল উমুয়ী ৷ তিনি পবিত্র মদীনায়
জন্মগ্রহণ করেন ৷ তারপর স্বীয় পিতার সাথে সিরিয়া চলে যান ৷ তার ভাই আবদুল মালিকের
পর তিনি ছিলেন খিলাফভের উত্তরাধিকারী ৷ তার পিতা তাকে ৬৫ হিজরীতে মিসরীয়
প্রদেশগুলাের শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷ তিনি ৮৫ হিজরী পর্যন্ত ওখানেৱ শাসনকর্তা হিসেবে
বলবৎ ছিলেন ৷ তিনি সাঈদ ইবন আমর ইবনুল আ’স এর হত্যাকাণ্ডে উপস্থিত ছিলেন ৷ এটা
পুর্বেও বর্ণনা করা হয়েছে ৷ দামেষ্কে তার একটি বাড়ী ছিল যা আজকাল সুফীদের বাড়ী হিসেবে
প্রসিদ্ধ এবং আল-খানকায়ে আল সামীসাতীয়া নামেও প্রসিদ্ধ ৷ ঐ বাড়ীটি তার পরে তার পুত্র
উমর ইবন আবদুল আষীযের জন্যে নির্ধারিত হয়েছিল ৷ এরপর খানকায়ে সুফীয়া হিসাবে
পরিচিত হয় ৷ আবদুল আষীয ইবন মারওয়ান যাদের থেকে হাদীস বর্ণনা করেন তাদের মধ্যে
প্রসিদ্ধ হলেন, তার পিতা মারওয়ান ইবনুল হাকাম, আবদুল্লাহ্ ইবনুয যুবায়র, উকবাহ্ ইবন
আমির, আবুহুরায়রাহ (বা) ৷

আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত তার একটি হাদীস মুসনাদে আহমদ ও সুনানে আবু দাউদে
বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, মানুষের মধ্যে যে অভ্যাসটি খারাপ সেটা
হল অস্বীকৃতিৰাচক কাপুরুষতা এবং লোভ লালসা পুর্ণ কৃপণতা ৷ আবদুল আষীয হতে যারা
হাদীস বর্ণনা করেন, তারা হলেন ৪ তড়ারপুত্র উমর, আয় যুহরী, আলী ইবন রাবাহ এবং
মুহাদ্দিসগৰ্পুণর বড় একটি দল ৷


عَهِدَ بِالْأَمْرِ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ، ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِ إِلَى عَبْدِ الْعَزِيزِ، فَأَرَادَ عَبْدُ الْمَلِكِ أَنْ يُنَحِّيَهُ عَنِ الْإِمْرَةِ مِنْ بَعْدِهِ بِالْكُلِّيَّةِ، وَيَجْعَلَ الْأَمْرَ فِي أَوْلَادِهِ وَعَقِبِهِ، وَأَنْ تَكُونَ الْخِلَافَةُ بَاقِيَةً فِيهِمْ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى] هُوَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، أَبُو الْأَصْبَغِ، الْقُرَشِيُّ الْأُمَوِيُّ، وُلِدَ بِالْمَدِينَةِ، ثُمَّ دَخَلَ الشَّامَ مَعَ أَبِيهِ مَرْوَانَ، وَكَانَ وَلِيَّ عَهْدِهِ مِنْ بَعْدِ أَخِيهِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَوَلَّاهُ أَبُوهُ إِمْرَةَ الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَسِتِّينَ، فَكَانَ وَالِيًا عَلَيْهَا إِلَى هَذِهِ السَّنَةِ، وَشَهِدَ قَتْلَ عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، كَمَا قَدَّمْنَا، وَكَانَتْ لَهُ دَارٌ بِدِمَشْقَ، وَهِيَ الدَّارُ الَّتِي لِلصُّوفِيَّةِ الْيَوْمَ، الْمَعْرُوفَةُ بِالْخَانَقَاهِ السُّمَيْسَاطِيَّةِ، ثُمَّ كَانَتْ مِنْ بَعْدِهِ لِوَلَدِهِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ ثُمَّ تَنَقَّلَتْ إِلَى أَنْ صَارَتْ خَانِقَاهَ لِلصُّوفِيَّةِ. وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ الْحَدِيثَ عَنْ أَبِيهِ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَعُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ. وَحَدِيثُهُ عَنْهُ فِي " مُسْنَدِ أَحْمَدَ "، وَ " سُنَنِ أَبِي دَاوُدَ "، أَنَّ
পৃষ্ঠা - ৭২৫৪

মুহাম্মদ ইবন সাদ বলেন, তিনি ছিলেন হাদীস বর্ণনায় বিশ্বস্ত ৷ কিন্তু কম হাদীস
বর্ণনাকারী ৷ অন্যান্য ইতিহাসবিদগণ বলেন, আবদুল আযীয হাদীস বর্ণনায় এবং নিজের
কথারার্তায় ব্যাকরণজনিত ভুল করতেন ৷ তারপর তিনি আরবী ভাষা শিক্ষা করেন এবং তা
উত্তমরুপে শিখে নেন ৷ পরবর্তী কালে তিনি বিশুদ্ধতম আরবী ভাষাভাষীদের অন্যতম ছিলেন ৷
তার আরবী ভাষা শিক্ষার পটভুমি ছিল নিম্নরুপ : একদিন তার কাছে একটি লোক নিজ
জামাতার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে প্রবেশ করে ৷ আবদুল আযীয তখন তাকে বলে, মান
খাতানাকা ১ :,; অর্থাৎ আপনাকে কে খতৃনাহ্ করেছে ? লোকটি উত্তরে বলল, আমাকে
ঐ ব্যক্তি খাতনাহ্ করেছে যে অন্যান্য লোকদেরকেও খাতনাহ্ করে থাকে ৷ তখন তিনি তার
লিখককে বললেন, হতভাগা আমার প্রশ্নের কী জবাব দিল ? লিখক বললেন, হে আমীরুল
মু’মিনীন! আপনার উচিত ছিল তাকে বলা মান খাতানুকা ?া; ১১ অর্থাৎ তোমার
জামাতা কে ? তারপর তিনি নিজে নিজে শপথ করলেন, আরবী ভাষা উত্তম রুপে শিক্ষা না
করা পর্যন্ত তিনি লোক সমক্ষে বের হবেন না ৷ তিনি এক সপ্তাহ ঘরে অবস্থান করেন এবং
আরবী ভাষা উত্তমরুপে শিখে নিলেন ও আরবী ভাষায় পারদর্ণীদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে
পরিগণিত হন ৷ এরপর থেকে তিনি আরবী ভাষায় পারদশীদৈরকে প্রচুর অর্ঘ্য ও উপচৌকন
দিতেন এবং আরবী ভাষায় যারা ভুল করত, তাদের ভাতা হ্রাস করে দিতেন ৷ ফলে লোকজন
তার যুগে আরবী ভাষা শিক্ষা করার প্রতি ঝুকে পড়ে ৷ একদিন আবদুল আযীয এক ব্যক্তিকে
বললেন অর্থাৎ
আমি বনু আবদুদদার গোত্রের ৷ শুদ্ধ আরবী ভাষাটি হতো , ৷ৰু৷ ৷া ; ঠু ট্রু,র্মুআবদুল
আযীয বললেন, এ ভুলের প্রতিফলন তুমি তোমার ভাতায় ণ্দৰু২াতে পাবে ৷ তারপর তার ভাতা
একশত দীনারহ্রাস করা হলো ৷

আবু ইয়ালা আল-মুসিলী আল-কা’কা ইবন হাকীম হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একদিন আবদুল আযীয ইবন মারওয়ান আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-এর কাছে লিখলেন,
“তোমার প্রয়োজনের কথা আমাকে জানাবে ৷ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) প্রতি উত্তরে
লিখলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, “দাতা গ্রহীতার চেয়ে উত্তম এবং নিকটতম ব্যক্তি
থেকে দান বন্টন শুরু কর” ৷ আমি তোমার কাছে আর কিছু চইি না এবং আল্লাহ্ তাআলা
তোমার মাধ্যমে আমাকে যে রিঘৃক দান করেছেন তাও আমি প্রত্যাখ্যান করি না া

ইবন ওহাব সুওয়ায়দ ইবন কায়স হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আবদুল
আযীয ইবন মারওয়ান এক হাজার দীনারসহ আমাকে আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-এর কাছে
প্রেরণ করেন ৷ আমি তার কাছে একটি পত্র নিয়ে হাযির হলাম তখন-তিনি আমাকে বললেন
তোমার সাথে প্রেরিত সম্পদ কোথায় ? তখন আমি বললাম, ভোর না হওয়া পর্যন্ত এ রাতের
বেলায় সমুদয় সম্পদ বহন করতে পারি নাই ৷ তখন তিনি বললেন, আমি এ সম্পদ চইি না ৷
আল্লাহর শপথ, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) কখনও এক হাজার দীনার নিয়ে রাত্রি যাপন করে
না ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি পত্রটি তার হাতে প্রদান করলাম কিন্তু তিনি তা ছিড়ে ফেলে
দিলেন

তীর কিছু স্মরণীয় বাণী নিম্নে বর্ণনা করা হল, তিনি বলতেন, “ভাবতেও অবাক লাগে
কোন ব্যক্তি মহান আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সুদৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ্
তাআলা তাকে রিবৃক দান করেন ৷ তারপর সে তীর বিরোধিতা করে, তার নির্দেশাবলী
যথাযথভাবে পালন করে না ৷” তিনি আরো বলেন, “মহাপুরস্কার ও প্রশংসা অর্জনের জন্য মানুষ


رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «شَرُّ مَا فِي الرَّجُلِ شُحٌّ هَالِعٌ وَجُبْنٌ خَالِعٌ» . وَعَنْهُ ابْنُهُ عُمَرُ، وَالزُّهْرِيُّ، وَعَلِيُّ بْنُ رَبَاحٍ، وَجَمَاعَةٌ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: كَانَ ثِقَةً قَلِيلَ الْحَدِيثِ، وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ يَلْحَنُ فِي الْحَدِيثِ وَفِي كَلَامِهِ، ثُمَّ تَعَلَّمَ الْعَرَبِيَّةَ فَأَتْقَنَهَا وَأَحْسَنَهَا، فَكَانَ مِنْ أَفْصَحِ النَّاسِ، وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ يَشْكُو خَتَنَهُ - وَهُوَ زَوْجُ ابْنَتِهِ - فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الْعَزِيزِ مَنْ خَتَنَكَ؟ فَقَالَ الرَّجُلُ: خَتَنَنِي الْخَاتِنُ الَّذِي يَخْتِنُ النَّاسَ. فَقَالَ لِكَاتِبِهِ: وَيْحَكَ، بِمَاذَا أَجَابَنِي؟ فَقَالَ الْكَاتِبُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، كَانَ يَنْبَغِي أَنْ تَقُولَ مَنْ خَتَنُكَ؟ فَآلَى عَلَى نَفْسِهِ أَنْ لَا يَخْرُجَ مِنْ مَنْزِلِهِ حَتَّى يَتَعَلَّمَ الْعَرَبِيَّةَ، فَمَكَثَ جُمُعَةً وَاحِدَةً فَتَعَلَّمَهَا، فَخَرَجَ وَهُوَ مِنْ أَفْصَحِ النَّاسِ، وَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ يَجْزِلُ عَطَاءَ مَنْ يُعْرِبُ كَلَامَهُ، وَيَنْقُصُ عَطَاءَ مَنْ يَلْحَنُ فِيهِ ; فَتَسَارَعَ النَّاسُ فِي زَمَانِهِ إِلَى تَعَلُّمِ الْعَرَبِيَّةِ، قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ يَوْمًا لِرَجُلٍ: مِمَّنْ أَنْتَ؟ قَالَ مِنْ بَنُو عَبْدِ الدَّارِ. فَقَالَ: تَجِدُهَا فِي جَائِزَتِكَ، فَنَقَصَهُ مِائَةَ دِينَارٍ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: حَدَّثَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৭২৫৫
يُوسُفَ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ، عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، قَالَ: كَتَبَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ: ارْفَعْ إِلَيَّ حَاجَتَكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ ابْنُ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى، وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ» . وَلَسْتُ أَسْأَلُكَ شَيْئًا، وَلَا أَرُدُّ رِزْقًا رَزَقَنِيهِ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مِنْكَ. وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ سُوِيدِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ: بَعَثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ بِأَلْفِ دِينَارٍ إِلَى ابْنِ عُمَرَ. قَالَ: فَجِئْتُهُ، فَدَفَعْتُ إِلَيْهِ الْكِتَابَ. فَقَالَ: أَيْنَ الْمَالُ؟ فَقُلْتُ: لَا أَسْتَطِيعُهُ اللَّيْلَةَ حَتَّى أُصْبِحَ. قَالَ: لَا وَاللَّهِ، لَا يَبِيتُ ابْنُ عُمَرَ اللَّيْلَةَ وَلَهُ أَلْفُ دِينَارٍ. قَالَ: فَدَفَعَ إِلَيَّ الْكِتَابَ حَتَّى جِئْتُهُ بِهَا، فَفَرَّقَهَا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَمِنْ كَلَامِهِ رَحِمَهُ اللَّهُ: عَجَبًا لِمُؤْمِنٍ يُؤْمِنُ وَيُوقِنُ أَنَّ اللَّهَ يَرْزُقُهُ وَيُخْلِفُ عَلَيْهِ، كَيْفَ يَحْبِسُ مَالًا عَنْ عَظِيمِ أَجْرٍ وَحُسْنِ سَمَاعٍ. وَلَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ أُحْضِرَ لَهُ مَالٌ يَخُصُّهُ، وَإِذَا هُوَ ثَلَاثُمِائَةِ مُدْيٍ مِنْ ذَهَبَ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَوَدِدْتُ أَنَّهُ بَعْرٌ حَائِلٌ بِنَجْدٍ. وَقَالَ: وَاللَّهِ لَوَدِدْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ شَيْئًا مَذْكُورًا، وَلَوَدِدْتُ أَنْ أَكُونَ هَذَا الْمَاءَ الْجَارِيَ، أَوْ نَبَاتَةً بِأَرْضِ الْحِجَازِ.
পৃষ্ঠা - ৭২৫৬


কেমন করে সম্পদকে কুক্ষিগত করে রাখে ৷ যখন তীর মৃত্যু উপস্থিত হয় এবং তার সামনে
তীর সম্পদ পেশ করা হয়, তখন তিনি সম্পদের হিসাব করতে লাগলেন এবং তিনশত মুদ
(মুদ ১ ছায়ের চার ভাগের এক ভাগ) স্বর্ণ পেলেন ৷ তখন তিনি বললেন, “আল্লাহ্র শপথ,
আমি এ সম্পদকে নজদের কোন রাখালের কোন একটি মেয়ের মল তুলা মনে করি ৷” তিনি
আরো বলতেন, আল্লাহর শপথ ! আমি পছন্দ করি যে, যদি আমি কোন উল্লেখযোগ্য বস্তু না
হতাম ৷ আমি আরো পসন্দ করি যে, হিজাযের পবিত্র ভুমিতে যদি পানির নহর জারী হত এবং
তা শস্য শ্যামল ভুমিতে পরিণত হতো ৷ তিনি তার সভাসদ বর্পকে বলতেন, “মৃত্যুর পর
তোমরা আমাকে যে কাপড়ে কাফন দিয়ে তা আমাকে দেখাও (যেন বেশী মুল্যের না হয়)
তারপর তিনি নিজকে লক্ষ্য কর বলতেন, “তোমার জন্যে আফসোস! তোমার দৈর্ঘ্য কতই না
ছোট ৷ তোমার প্রাচুর্য কতই না স্বল্প ৷

ইয়া কুব ইবন সুফিয়ান, ইবন বুকায়রের মাধ্যমে লায়স ইবন সা দ থেকে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন, “তার মৃত্যুর তারিখ ছিল, ৮৬ হিজরীর জুমাদাল উলা মাসের তের তারিখ
সোমবার দিবাগত রাত৷ ইবন আসাকির বলেন, এ অভিমত ইয়া কুব ইবন সুফ্য়ানের ভ্রান্ত
ধারণা ৷ সঠিক সন হল ৮৫ হিজরী ৷ কেননা,৩ তিনি তার ভাই আবদুঃ৷ মালিকের পুর্বে মৃত্যুবরণ
করেছিলেন এবং আবদুল মালিক তীর পরে ৮৬ হিজরীতে ইন্তিকাল করেছিলেন ৷

আবদুল আযীয ইবন মারওয়ান উত্তম শাসকগণের দলভুক্ত ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন দয়ালু,
দাতা ও প্ৰশং সনীয় চরিত্রের মানুষ ৷ তিনি ন্যায় পরায়ণ শাসক উমর ইবন আবদুল আষীযের
পিতা ছিলেন ৷ উমর তার পিতা হতে উত্তম চরিত্রের উত্তরাধিকারী হিসেবে প্রাপ্ত হয়েছিলেন
এবং তার থেকেও বেশী গুণাবলীর অধিকারী ছিলেন ৷ উমর ব্যতীত আবদুল আযীযের আরো
কয়েকজন সন্তান “ছিল ৷ যেমন আসিম, আবু বকর, মুহাম্মদ ও আল আসবাগ ৷ আল-আসবাগ
তার পিতার মৃত্যুর কিছুদিন পুর্বে মারা যায় ৷ পুত্রের মৃত্যুর ণ্শাকে পিতা অসুস্থ হয়ে পড়েন
এবং কিছু দিনের মধ্যে ইনৃতিকাল করেন ৷ তার অন্য এক সন্তানের নাম ছিল সুহইিল ৷ আর
কিছু সংখ্যক কন্যাও ছিল যেমন উম্মে মুহাম্মদ, উম্মে সুহইিল, উম্মে উছমান, উম্মে আল হাকাম
ও উম্মে আল বানীন ৷ তারা বিভিন্ন মায়ের সন্তান ছিলেন ৷ উপরোক্ত সন্তানদের ব্যভীতও তার
আরো সন্তান ছিল ৷ তিনি মিসর থেকে কয়েক মইিল দুরে তার প্রতিষ্ঠিত শহরে ইনৃতিকাল
করেন ৷ মিসরের নীলনদের কিনারায় তাকে আনা হয় এবং সেখানে তাকে দাফন করা হয় ৷
আবদুল আযীয মৃত্যুকালে বহু সম্পদ, দাসী, ঘোড়া, খচ্চর ও উট রেখে যান তার বর্ণনা
দেওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ ৷ এগুলোর মধ্যে স্বষ্ন্থিদ্র৷ ছাড়াও তিনশত মুদ স্বর্ণ ছিল তার ৷ অথচ
তিনি ছিলেন অত্যন্ত দাতা ও দয়ালু, বড় বড় উপচৌকন প্রদানকারী, বিশাল আকারের দান
দাতাদের অন্তর্ভুক্ত ৷ মহান আল্পাহ্ তার প্রতি ৩রহম করল ৷

ইবন জারীর (র) উল্লেখ করেন, একদিন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান তীর ভইি
আবদুল আযীযের কাছে পত্র লিখেন ৷ যখন তিনি মিসরের ৰিজ্যি শহরের শাসনকর্তা ছিলেন ৷
তাকে তিনি পত্রের মাধ্যমে তার পরে আপন ছেলে ওয়ালীদের অনুকুলে যুবরাজের পদ ছেড়ে
দেওয়ার জন্যে আদেশ দেন কিংবা খােদ আবদুল মালিক যেন তার পরে যুবরাজের পদ দখল
করতে পারেন ৷ কেননা, তার ছেলে তার কাছে বেশী প্রিয় ৷ তখন তার কাছে আবদুল আযীয
পত্র লিখে বলেন, তুমি ওয়ালীদের মধ্যে যে সব গুণাবলী দেখছ, আমি আবু বকর ইবন আবদুল
আষীযের মধ্যেও সে সব গুণাবলী দেখতে পাচ্ছি ৷ তখন আবদুল মালিক তাকে পত্র লিখে
মিসরের খাজনা প্রদানের জন্যে আদেশ দেয় ৷ আবদুল আযীয পুর্বে খাজনা কিংবা অন্য কোন


وَقَالَ: ائْتُونِي بِكَفَنِي الَّذِي تُكَفِّنُونِي فِيهِ. فَجَعَلَ يَقُولُ: أُفٍّ لَكَ مَا أَقْصَرَ طَوِيلَكَ، وَأَقَلَّ كَثِيرَكَ! قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنِ ابْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ اللَّيْثِ: كَانَتْ وَفَاتُهُ لَيْلَةَ الِاثْنَيْنِ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى سَنَةَ سِتٍّ وَثَمَانِينَ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَهَذَا وَهْمٌ مِنْ يَعْقُوبَ، وَالصَّوَابُ سَنَةَ خَمْسٍ وَثَمَانِينَ ; فَإِنَّهُ مَاتَ قَبْلَ عَبْدِ الْمَلِكِ أَخِيهِ، وَمَاتَ عَبْدُ الْمَلِكِ سَنَةَ سِتٍّ وَثَمَانِينَ. وَقَدْ كَانَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ مِنْ خِيَارِ الْأُمَرَاءِ، كَرِيمًا جَوَادًا مُمَدَّحًا، وَهُوَ وَالِدُ الْخَلِيفَةِ الرَّاشِدِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَقَدِ اكْتَسَى عُمْرُ أَخْلَاقَ أَبِيهِ، وَزَادَ عَلَيْهِ بِأُمُورٍ كَثِيرَةٍ، وَكَانَ لِعَبْدِ الْعَزِيزِ مِنَ الْأَوْلَادِ غَيْرُ عُمْرَ: عَاصِمٌ وَأَبُو بَكْرٍ وَمُحَمَّدٌ وَالْأَصْبَغُ - مَاتَ قَبْلَهُ بِقَلِيلٍ، فَحَزِنَ عَلَيْهِ حُزْنًا كَثِيرًا، وَمَرِضَ بَعْدَهُ وَمَاتَ - وَسُهَيْلٌ، وَكَانَ لَهُ عِدَّةُ بَنَاتٍ: أُمُّ مُحَمَّدٍ، وَأُمُّ عُثْمَانَ، وَأُمُّ الْحَكَمِ، وَأُمُّ الْبَنِينَ، وَهُنَّ مِنْ أُمَّهَاتٍ شَتَّى، وَلَهُ مِنَ الْأَوْلَادِ غَيْرُ هَؤُلَاءِ، مَاتَ بِالْمَدِينَةِ الَّتِي بَنَاهَا عَلَى مَرْحَلَةٍ مِنْ مِصْرَ، وَحُمِلَ إِلَى مِصْرَ فِي النِّيلِ، وَدُفِنَ بِهَا، وَقَدْ تَرَكَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَثَاثِ وَالدَّوَابِّ ; مِنَ الْخَيْلِ وَالْبِغَالِ وَالْإِبِلِ وَغَيْرِ ذَلِكَ مَا يَعْجَزُ عَنْهُ الْوَصْفُ، مِنْ جُمْلَةِ ذَلِكَ: ثَلَاثُمِائَةِ مُدِّ ذَهَبٍ غَيْرُ الْوَرِقِ، مَعَ جُودِهِ وَكَرَمِهِ وَبَذْلِهِ وَعَطَايَاهُ الْجَزِيلَةِ ; فَإِنَّهُ كَانَ مِنْ أَعْطَى النَّاسَ لِلْجَزِيلِ،
পৃষ্ঠা - ৭২৫৭
رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ كَتَبَ إِلَى أَخِيهِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَهُوَ بِالدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ يَسْأَلُهُ أَنْ يَنْزِلَ عَنِ الْعَهْدِ الَّذِي لَهُ مِنْ بَعْدِهِ لِوَلَدِهِ الْوَلِيدِ، أَوْ يَكُونَ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِهِ، فَإِنَّهُ أَعَزُّ الْخَلْقِ عَلَيَّ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْعَزِيزِ يَقُولُ: إِنِّي أَرَى فِي أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ مَا تَرَى فِي الْوَلِيدِ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ يَأْمُرُهُ بِحَمْلِ خَرَاجِ مِصْرَ، وَقَدْ كَانَ عَبْدُ الْعَزِيزِ لَا يَحْمِلُ إِلَيْهِ شَيْئًا مِنَ الْخَرَاجِ وَلَا غَيْرِهِ، وَإِنَّمَا كَانَتْ بِلَادُ مِصْرَ بِكَمَالِهَا وَبِلَادُ الْمَغْرِبِ وَغَيْرُ ذَلِكَ كُلُّهَا لِعَبْدِ الْعَزِيزِ ; مَغَانِمُهَا وَخَرَاجُهَا وَحِمْلُهَا، فَكَتَبَ عَبْدُ الْعَزِيزِ إِلَى أَخِيهِ عَبْدِ الْمَلِكِ: إِنِّي وَإِيَّاكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ بَلَغْنَا سِنًّا لَمْ يَبْلُغْهَا أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِكَ إِلَّا كَانَ بَقَاؤُهُ قَلِيلًا، وَإِنِّي لَا أَدْرِي وَلَا تَدْرِي أَيُّنَا يَأْتِيهِ الْمَوْتُ أَوَّلًا ; فَإِنْ رَأَيْتَ أَنْ لَا تُغَثِّثَ عَلَيَّ بَقِيَّةَ عُمْرِي فَافْعَلْ. فَرَقَّ لَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ، وَقَالَ: لَعَمْرِي لَا أُغَثِّثُ عَلَيْكَ بَقِيَّةَ عُمْرِكَ. وَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ لِابْنِهِ الْوَلِيدِ: إِنْ يُرِدِ اللَّهُ أَنْ يُعْطِيَكَهَا لَا يَقْدِرُ أَحَدٌ مِنَ الْعِبَادِ عَلَى رَدِّ ذَلِكَ عَنْكَ. وَقَالَ لِابْنَيْهِ الْوَلِيدِ وَسُلَيْمَانَ: هَلْ قَارَفْتُمَا
পৃষ্ঠা - ৭২৫৮

প্রকার কর আদায় করতেন না ৷ মিসরের বিভিন্ন শহর এবং মাগরিবের বিভিন্ন শহর ও অন্যান্য
শহরের সমুদয় কর, যুদ্ধলব্ধ সম্পদ ও উৎপাদন আবদুল আযীয ভোগ করতেন ৷ আবদুল আষীয
আবদুল মালিকের কাছে পত্র লিখে বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আমি ও আপনি আমাদের
পরিবারে এমন বয়সে পৌছেছি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আর কেউ এ বয়সে পৌছেনি ৷ তারা
সকলে কম বয়স পেয়েছে ৷ আমি ও আপনি আমরা কেউই জানি না আমাদের মধ্যে কার কাছে
মৃত্যু প্রথম আসবে ৷ যদি তুমি আমার বাকী জীবনে কোন প্রকার কষ্ট না দেওয়াটা ভাল মনে
কর, তাহলে তাই কর ৷ এ কথা শুনে আবদুল মালিক তার প্রতি দয়াবান হন এবং তার কাছে
লিখেন, আমার আয়ুর শপথ, আমি তোমার বাকী জীবনে তোমাকে কোন প্রকার কষ্ট দিব না ৷প্
আবদুল মালিক তার ছেলে আল-ওয়ালীদকে বলেন, যদি আল্লাহ তাআলা তোমাকে রাজতু দান
করার ইচ্ছে করেন তাহলে বান্দাদের মধ্যে কেউ এমন নেই যে, তোমাকে তা থেকে বঞ্চিত
করতে পারে ৷ তারপর তার ছেলে আল-ওয়ালীদ ও সুলায়মানকে বলেন, তোমরা কি কখনও
দুই ভাই কোন ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেছ ? তারা বললেন, না, আল্লাহর শপথ ! তিনি
বললেন, , আল্লাহ আকবার, কাবার প্রতিপালকের শপথ ৷ তাহলে তোমরা সফলকাম হয়েছ ৷
কথিত আছে যে, আবদুল মালিক যখন তার ছেলে আল ওয়ালীদের অনুকুলে বায়আতের
ব্যাপারে আপন ভাই থেকে কাডিক্ষত উত্তর পেলেন না তখন তিনি তার ভাইয়ের জন্য বদ দু আ
করলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! সে আমার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে তুমি তাকে উঠিয়ে
নিয়ে যাও ৷ তারপর যে ঐ বছরই মৃত্যুমুখে পতিত হয় ৷ এ ব্যাপারে পুর্বেও উল্লেখ করা
হয়েছে ৷ যখন তার ভাই আবদুল আযীষের মৃত্যুর সংবাদ তার কাছে রাতের বেলায় পৌছে,
তখন তিনি তার ভাইয়ের জন্য শোকাহত হয়ে পড়েন ও ভাইয়ের জন্য অত্যন্ত কান্নাকাটি
করেন ৷ কিন্তু, তার দুই ছেলে থেকে তা গোপন রাখেন ৷ কেননা, তার মৃত্যুর পর তার দুই
ছেলের খলীফা হবার আশা তার পুর্ণ হয়েছে ৷
হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ আবদুল মালিকের কা ৷ছে একটি প্রতিনিধি দল প্রেরণ করে ৷ ইমরান

ইবন ইসাম আল আসরীকে৩ ৷দের প্রধান নিযুক্ত করে ৷ উদ্দেশ্য হল আবদুল মালিকের পর

তার ছেলে ওয়ালীদের রাজত্বের প্রশংসা করা ও আবদুল মালিকের কাছে তা শ্যেভনীয় বলে
প্রতীয়মান করা ৷ প্রতিনিধিদল যখন আবদুল মালিকের কাছে পৌছল, ইমরান এ ব্যাপারে
একটি ভাষণ রাখেন, প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এ ব্যাপারে বক্তব্য রাখেন এবং আবদুল
মালিককে এ ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করেন ৷ ইমরান ইবন ইসাম এ সম্পর্কে একটি কবিতা
রচনা করেন যা নিম্নরুপং :

হে আমীরুল মু মিনীন! আপনার খিদমতে আমরা পৃথক পৃথক ভাবে সালাম ও অভিবাদন
পেশ করছি ৷ আপনার সন্তান সম্পর্কে আমার আকুতি-মিনতির জবাব দিন ৷ তাহলে প্রজাদের
সম্পর্কে আমার প্রতিউত্তর হবে স্বাভাবিক এবং আমাদের জন্যে তা হবে শক্তির উৎস ৷ আপনার
সন্তান ওয়ালীদ যদি খিলাফত গ্রহণের আকৃতি মিনতিতে রাযী হন ৷ তাহলে, আপনি তার জ্যা৷
খিলাফত উপহার দিন এবং তাকে দায়িতৃ অর্পণ করুন ৷ তিনি আপনারই মত যার চভুর্দিকে
রয়েছে কুরায়শদের শক্তি, তার থেকে লোকজন দয়ার দৃষ্টি কামনা করবেন ৷ পরহেযগারীতেও
তিনি আপনার ন্যায় শিশুদের গলায় ব্লোগমুক্তির জন্যে মালা পরাবার বা খোলার বিষয়ে কোন
দিন তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি ৷ আপনি যদি খিলাফতের ব্যাপারে আপনার ভাইকে
অগ্ৰাধিকার দেন তাহলে আমরা আপনার অভিমতকে মেনে নিতে বাধ্য থাকর ৷ এ ব্যাপারে
কােনরুপ দােষারোপ করার শক্তি আনুমোঃৰুষ্ক্কুন্নুহৃতবে আমরা তার বংশধরদেরকে ভয় করি ৷


مُحَرَّمًا أَوْ حَرَامًا قَطُّ؟ قَالَا: لَا وَاللَّهِ. فَقَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ، نِلْتُمَاهَا وَرَبِّ الْكَعْبَةِ. وَيُقَالُ: إِنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ لَمَّا امْتَنَعَ أَخُوهُ عَبْدُ الْعَزِيزِ مِنْ إِجَابَتِهِ إِلَى مَا طَلَبَ مِنْهُ مِنْ بَيْعَتِهِ لِوَلَدِهِ الْوَلِيدِ دَعَا عَلَيْهِ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّهُ قَطَعَنِي فَاقْطَعْهُ. فَمَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ كَمَا ذَكَرْنَا، فَلَمَّا جَاءَهُ الْخَبَرُ بِمَوْتِ أَخِيهِ عَبْدِ الْعَزِيزِ لَيْلًا حَزِنَ وَبَكَى، وَبَكَى أَهْلُهُ بُكَاءً كَثِيرًا عَلَى عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَلَكِنْ سَرَّهُ ذَلِكَ مِنْ جِهَةِ ابْنَيْهِ الْوَلِيدِ وَسُلَيْمَانَ ; فَإِنَّهُ نَالَ فِيهِمَا مَا كَانَ يُؤَمِّلُهُ لَهُمَا مِنْ وِلَايَتِهِ إِيَّاهُمَا الْعَهْدَ مِنْ بَعْدِهِ. وَقَدْ كَانَ الْحَجَّاجُ كَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ يُزَيِّنُ لَهُ وِلَايَةَ الْوَلِيدِ مِنْ بَعْدِهِ، وَأَوْفَدَ إِلَيْهِ وَفَدًا فِي ذَلِكَ، عَلَيْهِمْ عِمْرَانُ بْنُ عِصَامٍ الْعَنْزِيُّ، فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَيْهِ قَامَ عِمْرَانُ خَطِيبًا فَتَكَلَّمَ، وَتَكَلَّمَ الْوَفْدُ فِي ذَلِكَ، وَحَثُّوا عَبْدَ الْمَلِكِ عَلَى ذَلِكَ، وَأَنْشَدَ عِمْرَانُ بْنُ عِصَامٍ فِي ذَلِكَ:
পৃষ্ঠা - ৭২৫৯
أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِلَيْكَ نُهْدِي ... عَلَى النَّأْيِ التَّحِيَّةَ وَالسِّلَامَا أَجِبْنِي فِي بَنِيكَ يَكُنْ جَوَابِي ... لَهُمْ عَادِيَةً وَلَنَا قِوَامَا فَلَوْ أَنَّ الْوَلِيدَ أُطَاعُ فِيهِ ... جَعَلْتَ لَهُ الْخِلَافَةَ وَالذِّمَامَا شَبِيهُكَ حَوْلَ قُبَّتِهِ قُرَيْشٌ ... بِهِ يَسْتَمْطِرُ النَّاسُ الْغَمَامَا وَمِثْلُكَ فِي التُّقَى لَمْ يَصْبُ يَوْمًا ... لَدُنْ خَلَعَ الْقَلَائِدَ وَالْتِمَامًا فَإِنْ تُؤْثِرْ أَخَاكَ بِهَا فَإِنَّا ... وَجَدِّكَ لَا نُطِيقُ لَهَا اتِّهَامَا وَلَكِنَّا نُحَاذِرُ مِنْ بَنِيهِ ... بَنِي الْعَلَّاتِ مَأْثَرَةً سَمَامَا وَنَخْشَى إِنْ جَعَلْتَ الْمُلْكَ فِيهِمْ ... سَحَابًا أَنْ تَعُودَ لَهُمْ جَهَامَا فَلَا يَكُ مَا حَلَبْتَ غَدًا لِقَوْمٍ ... وَبَعْدَ غَدٍ بُنُوكَ هُمُ الْعِيَامَا فَأُقْسِمُ لَوْ تَخَطَّأْنِي عِصَامٌ ... بِذَلِكَ مَا عَذَرْتُ بِهِ عِصَامَا وَلَوْ أَنِّي حَبَوْتُ أَخًا بِفَضْلٍ ... أُرِيدُ بِهِ الْمَقَالَةَ وَالْمَقَامَا لِعَقَّبَ فِي بَنِيَّ عَلَى بَنِيهِ ... كَذَلِكَ أَوْ لَرُمْتُ لَهُ مَرَامَا فَمَنْ يَكُ فِي أَقَارِبِهِ صُدُوعٌ ... فَصَدْعُ الْمُلْكِ أَبْطَؤُهُ الْتِئَامَا
পৃষ্ঠা - ৭২৬০


(কানা, এরা সম্ভবতঃ চতুর্দিকে বিষ ছড়িয়ে দিবে ৷ যদি তাদের মধ্যে আপনি খিলাফত বণ্টন্
করে দেন তাহলে আমাদের ভয় হয় তারা জনগণের দয়ার পরিবর্তে জাহান্নামের হাওয়া বইয়ে
দিবে ৷ আপনি সম্প্রদায়ের জন্য যে পরিশ্রম করেছেন৩ তারা ভবিষ্যতে তার ফল ভোগ করতে
পারবে না ৷ আর ভবিষ্যতে আপনার বংশধররা পুতুলে পরিণত হয়ে থাকবে ৷ আমি শপথ করে
বলছি, যদি ইসাম আমাকে পদদলিত করে তাহলে এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে আমি ইসামের কোন
ওযর আপত্তি শুনব না ৷ আমি যদি আমার কোন ভাইকে কোন দয়া দেখাই তাহলে আমি
সাহিত্য চর্চার মজলিস এবং জলসা তার থেকে কামনা করি ৷ তা নাহলে আমার বংশধররা
অন্যদের পিছনে পড়েযাবে কিৎরা তার জন্যে তোমার কোন প্রকার ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ যদি
কারো আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে কোনরুপ অসঙ্গতি ও মাথা ব্যথা দেখা দেয় তাহলে তাতে
বিচলিত হবার কিছু নেই; কিন্তু শাসকের মধ্যে যদি এরুপ অসঙ্গতি দেয়৷ দেয় তাহলে তা সুস্থ
হতে বহু সময় লেগে যায় ও জনগণের ভোগান্তির আর অভ থাকে না ৷

বর্ণনাকারী বলেন, উপরোক্ত কবিতাটি তার মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে এবং এজন্যই
তার ভাইকে ছেলে ওয়ালীদের অনুকুলে খিলাফত হতে সরে র্দাড়াবার জন্য পত্র লিখেন বিত্তু
তিনি তা অস্বীকার করেন ৷ অন্য দিকে অ ৷ল্পাহ্ তা আলা আবদুল মালিকের মৃত্যুর একবছর পুর্বে
আবদুল আযীয়ের মৃত্যু ঘটায় ৷ তারপর তিনি তার ছেলে ওয়ালীদ ও সুলায়মানের বায়আতের
কাজ অতি সহজে সম্পন্ন করে নেন ৷ আল্লাহ তা জানা অধিক পরিজ্ঞাত ৷

আবদুল মালিকের আপন ছেলে ওয়ালীদ ও তার পরে সুলায়মানের জন্য বায়আত গ্রহণ

এ বছরেই আবদুল আযীয ইবন মারওয়ানের মৃত্যুর পর দামেশৃকে আল-ওয়ালীদের
অনুকুলে বায়আত গ্রহণ করা হয় ৷ তারপর রাজ্যের সমস্ত অংশে বায়আত গ্রহণ করা হয় ৷ তার
পরে তার ভাই সুলায়মানের অনুকুলে বায়আত গ্রহণ করা হয় ৷ এরপর যখন বায়আতের
কার্যক্রম পবিত্র মদীনা মুনাওয়ারাতে পৌছে সাঈদ ইবন আল-মুসায়্যাব আবদুল মালিকের
জীবদ্দশায় অন্য কারো হাতে বায়আত করা হতে ৩বিরত থাকেন ৷ পবিত্র মদীনায় নাইব হিশাম
ইবন ইসম৷ ঈল তখন তাকে ষটিটি বেত্রাঘাত করার হুকুম দেন ৷ তিনি আরো হুকুম দেন যেন

তাকে পশমের কাপড় পরানাে হয়, একটি উটে আরোহণ করানো হয় এবং পবিত্র মদীনায়
প্রদক্ষিণ করানো হয় ৷ তারপর তিনি হুকুম দিলেন যেন রাজকর্মচারীরা তাকে ছানিয়াহ্ যাবাবে
নিয়ে যায় ৷ এ ছানিয়াহ্ বা গিরিপথের কাছে তারা সালাত আদায় করতেন ও মধ্যাহ্ন ভোজের
পর বিশ্রাম নিতেন ৷ যখন তারা তাকে নিয়ে সেখানে পৌছে পুনরায় তাকে তারা পবিত্র মদীনায়
ফিরিয়ে নিয়ে আসে এবং তাকে কারাগারে বন্দী করে ৷ তিনি তাদেরকে বলেন, আল্লাহর শপথ,
যদি আমি জানতাম যে, তোমরা আমাকে হত্যা করবে না আমি কখনও এ কাপড় পরিধান
করতাম না ৷ তারপর হিশ ৷৷ম ইবন ইসমাঈল আল-মাখবুমী আবদুল মালিকের কাছে পত্র লিখে
এ ব্যাপারে সাঈদ (র) এর বিরোধিতা সম্বন্ধে অবহিত করে ৷ আবদুল মালিক তখন তার কাছে
পত্র লিখে তাকে এ ব্যাপারে শাসায় এবং তাকে বহিষ্কারের হুকুম দেয় ও তাকে বলে তুমি
সাঈদের সাথে যেরুপ কঠিন ব্যবহার করেছ সে তোমার চেয়ে অধিক সদ্ব্যবহারের যোগ্য এবং
আমি জানি তার মধ্যে কোন শত্রুতা ও বিরোধিতা নেই ৷ এরুপও বণিতি ৩আছে যে, তিনিত
বলেছিলেন বায়আত ব্যতীত কোন গতম্ভের নেই ৷ যদি সে বায়আত না করে তার গর্দান কাটা
যাবে অথবা তার অবস্থায় তাকে ছেড়ে দিতে হবে ৷

আল্লাম৷ ওয়াকিদী (র) উল্লেখ করেন সাঈদের কাছে যখন ওয়ালীদের বায়আভ্রু তর প্রশ্নটি
উথাপিত হয়, তখন তিনি বায়আত ৩হতে বিরত থাকেন ৷ তখনকার পবিত্র মদীনায় নাইব


فَهَاجَهُ ذَلِكَ عَلَى أَنْ كَتَبَ لِأَخِيهِ يَسْتَنْزِلُهُ عَنِ الْخِلَافَةِ لِلْوَلِيدِ، فَأَبَى عَلَيْهِ، وَقَدَّرَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ مَوْتَ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَبْلَ مَوْتِ عَبْدِ الْمَلِكِ بِعَامٍ وَاحِدٍ، فَتَمَكَّنَ حِينَئِذٍ مِمَّا أَرَادَ مِنْ بَيْعَةِ الْوَلِيدِ وَسُلَيْمَانَ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. [ذِكْرُ بَيْعَةِ عَبْدِ الْمَلِكِ لِوَلَدِهِ الْوَلِيدِ ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِ لِأَخِيهِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ] وَكَانَ ذَلِكَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ بَعْدَ مَوْتِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مَرْوَانَ، بُويِعَ لَهُ بِدِمَشْقَ، ثُمَّ فِي سَائِرِ الْأَقَالِيمِ، ثُمَّ لِسُلَيْمَانَ مِنْ بَعْدِهِ، ثُمَّ لَمَّا انْتَهَتِ الْبَيْعَةُ إِلَى الْمَدِينَةِ امْتَنَعَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ أَنْ يُبَايِعَ فِي حَيَاةِ عَبْدِ الْمَلِكِ لِأَحَدٍ، فَأَمَرَ بِهِ هِشَامَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ نَائِبَ الْمَدِينَةِ، فَضُرِبَ سِتِّينَ سَوْطًا، وَأَلْبَسَهُ ثِيَابًا مِنْ شَعْرٍ، وَأَرْكَبَهُ جَمَلًا، وَطَافَ بِهِ فِي الْمَدِينَةِ، ثُمَّ أَمَرَ بِهِ، فَذَهَبُوا بِهِ إِلَى ثَنِيَّةِ ذُبَابٍ - وَهِيَ الثَّنِيَّةُ الَّتِي كَانُوا يَصْلُبُونَ عِنْدَهَا، وَيَقْتُلُونَ - فَلَمَّا وَصَلُوا إِلَيْهَا رَدُّوهُ إِلَى الْمَدِينَةِ فَأَوْدَعُوهُ السَّجْنَ، فَقَالَ لَهُمْ: وَاللَّهِ لَوْ أَعْلَمُ أَنَّكُمْ لَا تَقْتُلُونَنِي لَمْ أَلْبَسْ هَذَا الْتُّبَّانَ.
পৃষ্ঠা - ৭২৬১
ثُمَّ كَتَبَ هِشَامُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْمَخْزُومِيُّ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ يُعْلِمُهُ بِمُخَالَفَةِ سَعِيدٍ فِي ذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ يُعَنِّفُهُ فِي ذَلِكَ، وَيَأْمُرُهُ بِإِخْرَاجِهِ، وَيَقُولُ لَهُ: إِنَّ سَعِيدًا كَانَ أَحَقَّ مِنْكَ بِصِلَةِ الرَّحِمِ مِمَّا فَعَلْتَ بِهِ، وَإِنَّا لِنَعْلَمُ أَنَّ سَعِيدًا لَيْسَ عِنْدَهُ شِقَاقٌ وَلَا خِلَافٌ. وَيُرْوَى أَنَّهُ قَالَ لَهُ: مَا يَنْبَغِي إِلَّا أَنْ يُبَايِعَ، فَإِنْ لَمْ يُبَايِعْ ضَرَبْتَ عُنُقَهُ، أَوْ خَلَّيْتَ سَبِيلَهُ. وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ سَعِيدًا رَحِمَهُ اللَّهُ لَمَّا جَاءَتْ بَيْعَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ إِلَى الْمَدِينَةِ امْتَنَعَ مِنَ الْبَيْعَةِ، فَضَرَبَهُ نَائِبُهَا فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ - وَهُوَ جَابِرُ بْنُ الْأَسْوَدِ بْنِ عَوْفٍ - سِتِّينَ سَوْطًا أَيْضًا، وَسَجَنَهُ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ، وَأَبُو مَعْشَرٍ، وَالْوَاقِدِيُّ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ هِشَامُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْمَخْزُومِيُّ نَائِبُ الْمَدِينَةِ، وَكَانَ عَلَى الْعِرَاقِ وَالْمَشْرِقِ بِكَمَالِهِ الْحَجَّاجُ. قَالَ شَيْخُنَا الْحَافِظُ الذَّهَبِيُّ: وَتُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَبَانُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ
পৃষ্ঠা - ৭২৬২


জারীর ইবন আল-আসওয়াদ ইবন আওফ তাকে ষাটটি বেত্রাঘাত করেন ও তাকে কারাগারে

নিক্ষেপ করেন ৷ মহান আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

আবু মিখনাফ, আবু মা’শায় এবং আল ওয়াকিদী (র) বলেন, এ বছরেই পবিত্র মদীনায়
নইিব হিশাম ইবন ইসমাস্টা আল-মাখয়ুমী লোকজনকে নিয়ে হজ্জ পালন করেন ৷ তখন ইরাক
ও পুর্ণ পুর্বাঞ্চল হাজ্জাজ ইবন ইউসুফের আয়ত্তাধীন ছিল ৷ ওস্তাদ আল-হাফিয় আয-যাহাবী (য়)
বলেন, এবছরেই পবিত্র মদীনায় আমীর আবাস ইবন উছমান ইবন আফ্ফান (র) ইনৃতিকাল
করেন ৷ তিনি পবিত্র মদীনায় দশজন বিখ্যাত ফকীহ্য় অন্যতম ছিলেন ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন
আল-কাত্তানও অনুরুপ মন্তব্য পেশ করেন ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ বলেন, তিনি একজন বিশ্বস্ত
ব্যক্তি ছিলেন, তার মধ্যে জ্জি বধিয়তা ও বহু শ্বেতচিহ্ন ৷ মৃত্যুর পুর্বে তিনি পক্ষাগাত রোগে
আক্রান্ত হন ৷ এবছরে অন্য যারা ইনতিকাল করেন তারা হলেন, আবদুল্লাহ ইবন আমির ইবন
রাবীআহ্, আময় ইবন হুরায়স, আময় ইবন সালড়ামাহ, ওয়াসিলাহ্ ইবন আল-আসকা ৷
ওয়াসিলাহ্ তাবুক অভিযানে অংশ নেন ৷৩ তারপর তিনি দামেশৃক বিজয়ে অংশ নেন ও তথায়
বসবাস করেন ৷ সেখানে তার মসজিদ রয়েছে যা কিবলাহর বাবে সাগীরেয় বন্দিশালায়
অবস্থিত ৷

আল্লামা ইবন কাহীয় (য়) বলেন, তৈমুয় লং এর সংকটের সময় মসজিদটি পুড়িয়ে দেওয়া
হয়েছে ৷ বর্তমানে তার কিছু চিহ্ন ব্যতীত আর কিছুই বাকী নেই ৷ তার পুর্ব দিকের দরযায়
একটি পানির নহর রয়েছে ৷ এবছরে অন্যান্য যারা ইনৃতিকাল করেন, তাদের মধ্যে একজন
হলেন, খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান, সখয় ইবন হায়ব ইবন
উমাইয়া ৷ তিনি জ্ঞানের বিষয়াদি সম্পর্কে কুরায়শদের মধ্যে অত্যন্ত জ্ঞানী ছিলেন ৷ চিকিৎসা
বিজ্ঞানে ছিল তার পাকা হাত ৷ রসায়ন শাত্রে তিনি ছিলেন অতিশয় বিজ্ঞ ৷ মির ইয়ানড়াশ নামী
এক সন্নাসী হতে তিনি তা অর্জ্য৷ করেছিলেন ৷ খালিদ ছিলেন বিশুদ্ধ ভাষায় পণ্ডিত, বান্সী,
কবি ও পিতার ন্যায় তর্কশাস্ত্রবিদ ৷ একদিন তিনি আল-হাকাম বিন আবুল আ’সের উপস্থিতিতে
আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের দরবারে প্রবেশ করেন এবং তার কাছে নালিশ করেন যে,
তার ছেলে আল-ওয়ালীদ তার ভইি আবদুল্পাহ্ ইবন ইয়াযীদকে ঠাট্টা-বিন্ধ্ৰপ করেন ৷ তখন
আবদুল মালিক কুয়আনুল কারীমের সুরায়ে নামলের ৩৪ নম্বর আয়াতাৎশটি পাঠ করেন :

“রাজা
বাদশাহ্রা যখন কোন জনপদে প্রবেশ করে, তখন এটাকে বিপর্যস্ত করে দেয় এবং তথাকার

মর্যাদাবান ব্যক্তিদেয়কে অপদস্থু করে ৷ তখন খালিদ সুরায়ে বনী ইসয়ইিলের ১৬ নম্বর আয়াত
পাঠ করেন :

,াপ্রু৷ ৷

অর্থাৎ আমি যখন কোন জনপদ ধ্বংস করতে চাই, তখন তার সমৃদ্ধিশালী ব্যক্তিদেরকে
সত্কর্ম করতে আদেশ করি কিভু তারা সেখানে অসৎ কর্ম করে ৷ তারপর তার প্রতি দণ্ডাজ্ঞা
ন্যায়সৎগত হয়ে যায় এবং আমি এটাকে সম্পুর্ণরুপে বিধ্বস্ত করি ৷ আবদুল মালিক তখন

বললেন, আল্লাহ্য় শপথ তোমার ভইি আবদুল্লাহ্ আমার কাছে প্রবেশ করে বিন্তু সে শুদ্ধ
উচ্চারণ করতে পারে ন৷ ৷ তখন খালিদ বলল, তোমার ছেলে ওয়ালীদও শুদ্ধ উচ্চারণ করতে


أَمِيرُ الْمَدِينَةِ، كَانَ مِنْ فُقَهَاءِ الْمَدِينَةِ الْعَشَرَةِ. قَالَهُ يَحْيَى بْنُ الْقَطَّانِ، وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: كَانَ ثِقَةً، وَكَانَ بِهِ صَمَمٌ، وَوَضَحٌ كَثِيرٌ، وَأَصَابَهُ الْفَالِجُ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ وَعَمْرُو بْنُ حُرَيْثٍ وَعَمْرُو بْنُ سَلَمَةَ وَوَاثِلَةُ بْنُ الْأَسْقَعِ قَالَ الْوَاقِدِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: كَانَ يَسْكُنُ الصُّفَّةَ فِي زَمَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: أَسْلَمَ وَاثِلَةُ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَجَهَّزُ إِلَى تَبُوكَ فِي آخِرِ الْأَمْرِ. قَالَ وَاثِلَةُ: قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَيْفَ أَنْتُمْ بَعْدِي إِذَا شَبِعْتُمْ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৭২৬৩
خُبْزِ الْبُرِّ وَالزَّيْتِ، فَأَكَلْتُمْ أَلْوَانَ الطَّعَامِ، وَلَبِسْتُمْ أَنْوَاعَ الثِّيَابِ، فَأَنْتُمُ الْيَوْمَ خَيْرٌ أَمْ ذَلِكَ الْيَوْمُ؟» قَالَ: قُلْنَا: ذَلِكَ الْيَوْمُ. قَالَ: «بَلْ أَنْتُمُ الْيَوْمَ خَيْرٌ» . قَالَ وَاثِلَةُ: فَمَا ذَهَبَتْ عَنَّا الْأَيَّامُ حَتَّى أَكَلْنَا أَلْوَانَ الطَّعَامِ، وَلَبِسْنَا أَنْوَاعَ الثِّيَابِ، وَرَكِبْنَا الْمَرَاكِبَ. شَهِدَ وَاثِلَةُ تَبُوكَ، ثُمَّ شَهِدَ فَتْحَ دِمَشْقَ وَنَزَلَهَا، وَمَسْجِدُهُ بِهَا عِنْدَ حَبْسِ بَابِ الصَّغِيرِ مِنَ الْقِبْلَةِ. وَهُوَ آخِرُ مَنْ تُوَفِّيَ بِدِمَشْقَ مِنَ الصَّحَابَةِ، قَالَهُ سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَثَمَانِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ صَخْرِ بْنِ حَرْبِ بْنِ أُمَيَّةَ كَانَ أَعْلَمَ قُرَيْشٍ بِفُنُونِ الْعِلْمِ، وَلَهُ يَدٌ طُولَى فِي الطِّبِّ، وَكَلَامٌ كَثِيرٌ فِي الْكِيمْيَاءِ وَكَانَ قَدِ اسْتَفَادَ ذَلِكَ مِنْ رَاهِبٍ اسْمُهُ مَرْيَانُسُ، وَكَانَ خَالِدٌ فَصِيحًا بَلِيغًا شَاعِرًا مُطْبِقًا كَأَبِيهِ، دَخَلَ يَوْمًا عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ بِحَضْرَةِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، فَشَكَا إِلَيْهِ أَنَّ ابْنَهُ الْوَلِيدَ يَحْتَقِرُ أَخَاهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ، فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: {إِنَّ الْمُلُوكَ إِذَا دَخَلُوا قَرْيَةً أَفْسَدُوهَا وَجَعَلُوا أَعِزَّةَ أَهْلِهَا أَذِلَّةً} [النمل: 34] (النَّمْلِ: 34) فَقَالَ لَهُ خَالِدٌ: {وَإِذَا أَرَدْنَا أَنْ نُهْلِكَ قَرْيَةً أَمَرْنَا مُتْرَفِيهَا فَفَسَقُوا فِيهَا فَحَقَّ عَلَيْهَا الْقَوْلُ فَدَمَّرْنَاهَا تَدْمِيرًا} [الإسراء: 16] (الْإِسْرَاءِ: 16) . فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: وَاللَّهِ لَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৭২৬৪
دَخَلَ عَلَيَّ أَخُوكَ عَبْدُ اللَّهِ، فَإِذَا هُوَ لَا يُقِيمُ اللَّحْنَ. فَقَالَ خَالِدٌ: وَالْوَلِيدُ لَا يُقِيمُ اللَّحْنَ. فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: إِنَّ أَخَاهُ سُلَيْمَانَ لَا يَلْحَنُ. فَقَالَ خَالِدٌ: وَأَنَا أَخُو عَبْدِ اللَّهِ لَا أَلْحَنُ. فَقَالَ الْوَلِيدُ - وَكَانَ حَاضِرًا - لِخَالِدِ بْنِ يَزِيدَ: اسْكُتْ، فَوَاللَّهِ مَا تُعَدُّ فِي الْعِيرِ وَلَا فِي النَّفِيرِ. فَقَالَ خَالِدٌ: اسْمَعْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. ثُمَّ أَقْبَلَ خَالِدٌ عَلَى الْوَلِيدِ فَقَالَ: وَيْحَكَ، وَمَا هُوَ الْعِيرُ وَالنَّفِيرُ غَيْرُ جِدِّي أَبِي سُفْيَانَ صَاحِبِ الْعِيرِ، وَجَدِّي عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ صَاحِبِ النَّفِيرِ، وَلَكِنْ لَوْ قُلْتَ: غُنَيْمَاتٌ وَحُبَيْلَاتٌ وَالطَّائِفُ، وَرَحِمَ اللَّهُ عُثْمَانَ. لَقُلْنَا: صَدَقْتَ. - يَعْنِي أَنَّ الْحَكَمَ كَانَ مَنْفِيًّا بِالطَّائِفِ يَرْعَى غَنَمًا، وَيَأْوِي إِلَى حَبَلَةِ الْكَرَمِ، حَتَّى آوَاهُ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ حِينَ وَلِيَ، فَسَكَتَ الْوَلِيدُ وَأَبُوهُ، وَلَمْ يُحِيرَا جَوَابًا. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ.