আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وثمانين

পৃষ্ঠা - ৭১৯৫

ভাল জানেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, আবদুল মালিক তাকে হত্যা করেছেন এই কাংাটি
অধিকতর সত্য ৷ মহান আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

৮ ১ হিজয়ী সন

এই সনে আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের পুত্র উবায়দুল্লাহ্ কালিকলা রাজ জয় করে ৷
এবং এই যুদ্ধে মুসলমানগণ বহু গনীমতের মাল অর্জন করে ৷ এই সনে বুকায়র ইবুন বিশাহ
নিহত হয় ৷ বুজায়র ইবন ওয়ারকা সারিমী তাকে হত্যা করে ৷ বুকায়র একজন নামকরা সাহসী
শাসনকর্তা ছিল ৷ এরপর বুকায়র হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার লক্ষে তার সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি
প্রস্তুত হয় ৷ তার নাম না না আ ইবন হারব আওফী সারিমী ৷ সে বুকায়রের হত্যাকারী বুজায়র
ইবন ওয়ারকাকে হত্যা করে ৷ বুজায়র তখন সেনাপতি ৩মুহাল্লাবের পাশে বসা ছিল ৷ সা সা আ
তাকে খঞ্জরের আঘাত করে ৷ বুজায়র গুরুতর আহত হয় ৷ তাকে সেখান থেকে তার বাড়ীতে
নিয়ে যাওয়া হয়; তখন তার অবস্থা শেষ পর্যায়ে ৷ মুহাল্লাব সাসাআকে গ্রেপ্তার করেন ৷ তারপর
তাকে আহত বুজায়রের নিকট পাঠিয়ে দেয়৷ হয় ৷ তাৰ্ক নাগালের মধ্যে পেয়েবুজায়র বলল,
ওর মাথাটা আমার পায়ের নিকট চেপে ধর ৷ লোকজন তইি করল ৷ মুমুর্বু বুজায়র তার বর্শা
দিয়ে সাসাআকে বোচা যাবে এবং তাকে হত্যা করে ৷ আর অবিলম্বে বুজায়রও মারা যায় ৷
আনাস ইবন তারিক বুজায়রকে বলেছিন সাসাআকে ছেড়ে দাও, ওকে ক্ষমা করে দাও ৷
কারণ, ভুমি বুকায়রকে হত্যা করেছ বলে সে তোমাকে আঘাত করেছে ৷ কিত্তু সে বলল, না,
তা হবে না ৷ সে যতক্ষণ জীবিত থাকবে ততক্ষণ আমার মৃত্যু হবে না ৷ এরপর সে না না তাকে
হত্যা করে ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, বুজায়রের মৃত্যুর পর সা সাআকে হত্যা করা হয় ৷
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

ইবনুল আশআছেঃ বিদ্রোহ

আবু মিখনাফ বলেন যে, এই ৮১ হিজয়ী সালে এই বিদ্রোহের সুচনা হয় ৷ ওয়াকিদী
বলেন, এই বিশৃত্খল৷ শুরু হয় ৮২ সনে ৷ ইবন জারীর এটিকে ৮১ সনের ঘটনা হিসেবে
লিপিবদ্ধ করেছেন ৷ তাই আমরা এটিকে এই সনে উল্লেখ করছি ৷

এই ফিতনা ও বিশৃৎখসার মুল কারণ এই ছিল যে, শাসনকর্তা হাজ্জাজ সেনাপতি ইবন্ল্
আশআছকে ঘৃণা করত ৷ ইবনুল আশআছ তা বুঝতেন কিন্তু বিচক্ষণত৷ হেতু সেটি প্রকাশ
করতেন না ৷ বরং মনে মনে তার প্রতিশোধ ম্পৃহা লালন করতেন ৷ তিনি হাজ্জাজের পদচ্যুতি
কামনা করত ৷ হাজ্জাজ তাকে এক বিশাল সেনাদলের সেনাপতি নিযুক্ত করেছিল ৷ ওই সেনাদল
প্রেরণ করা হয়েছিল তুর্কী বিরোধী অভিযানে ৷ ইতিপুর্বে যে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ হাজ্জাজ
তাকে তুর্কী সম্রাট রাতবীলের বাজে প্রবেশ করার জন্যে নির্দেশ দিয়েছিল ৷ ইবনুল আশআছ
অগ্রসর হয় এবং অনেক দ্র্কী শহর নগর দখল করে নেন ৷ এরপর তিনি তার অনুপামী
সৈনিকাদর সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেন যে, এই বৎসর তারা এখানে অবস্থান করে বিশ্রাম
নিবে এবং শক্তি বৃদ্ধি করবে ৷ পরবর্তী বৎসর পুনরায় অভিযান চালিয়ে তুর্কী রাজধানীসহ সকল
নগর জনপদ দখল করে নিয়ে ৷

ইবনুল আশআছ তার এই পরিকল্পনার কথা হাজ্জাজকে লিখে জানান ৷ হাজ্জাজ ফিরতি
চিঠিতে তার পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তকে উদ্ভট ও অবাস্তব আখ্যায়িত করে ৷ সে ইবনুল
আশআছকে একজন নির্বোধৃ, ভীতৃ ও কাপুরুষ আখ্যায়িত করে দোষারোপ করে ৷ সে তাকে যুদ্ধ
বিমুখ বলে অপবাদ দেয় ৷ এবং অবিলম্বে অবশ্যই রাতবীলের রাজ্যে প্রবেশের নির্দেশ দেয় ৷ এই
চিঠি পাঠানোর পর হাজ্জাজ অবিলম্বে ২য় এবং তারপর ৩য় চিঠি পাঠিয়ে অভিযানে বের হবার
তাগিদ দেয় ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَثَمَانِينَ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فَفِيهَا: فَتَحَ عَبِيدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ مَدِينَةَ قَالِيقَلَا، وَغَنِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْهَا غَنَائِمَ كَثِيرَةً، وَفِيهَا قُتِلَ بُكَيْرُ بْنُ وِشَاحٍ ; قَتَلَهُ بُحَيْرُ بْنُ وَرْقَاءَ الصُّرَيْمِيُّ، وَكَانَ بُكَيْرٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ الشُّجْعَانِ، ثُمَّ ثَارَ لَبُكَيْرِ بْنِ وِشَاحٍ رَجُلٌ مِنْ قَوْمِهِ يُقَالُ لَهُ: صَعْصَعَةُ بْنُ حَرْبٍ الْعَوْفِيُّ الصُّرَيْمِيُّ. فَقَتَلَ بُحَيْرَ بْنَ وَرْقَاءَ الَّذِي قَتَلَ بُكَيْرًا ; طَعْنُهُ بِخِنْجَرٍ، وَهُوَ جَالِسٌ عِنْدَ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ، فَحُمِلَ إِلَى مَنْزِلِهِ وَهُوَ بِآخِرِ رَمَقٍ، فَبَعَثَ الْمُهْلَّبُ بِصَعْصَعَةَ إِلَيْهِ، فَلَمَّا تَمَكَّنَ مِنْهُ بُحَيْرُ بْنُ وَرْقَاءَ قَالَ: ضَعُوا رَأْسَهُ عِنْدَ رِجْلِي. فَوَضَعُوهُ، فَطَعَنَهُ بَحِيرٌ بِحَرْبَتِهِ حَتَّى قَتَلَهُ، وَمَاتَ عَلَى إِثْرِهِ. وَقَدْ قَالَ لَهُ أَنَسُ بْنُ طَارِقٍ: اعْفُ عَنْهُ، فَقَدْ قَتَلْتَ بُكَيْرَ بْنَ وِشَاحٍ. فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ، لَا أَمُوتُ وَهَذَا حَيٌّ. ثُمَّ قَتَلَهُ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ إِنَّمَا قُتِلَ بَعْدَ مَوْتِهِ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. [فِتْنَةُ ابْنِ الْأَشْعَثِ] قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: كَانَ ابْتِدَاؤُهَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: فِي سَنَةِ
পৃষ্ঠা - ৭১৯৬


হাজ্জাজ তাকে এই ভাষায় চিঠি লিখে, হে তাতীয় বাচ্চা৷ গাদ্দাৱ, বিশ্বাসঘাতক,
সত্যত্যাপী! শত্রু -রাজ্য আক্রমণ ও তা লুটপাটের যে নির্দেশ আমিতােকে দিয়েছি শীঘ্রই তা
পালন করবি নতু বা (তার নিজের উপর এমন বিপদ আসবে যা সইবার ক্ষমতা তোর নেই ৷
মুলতং হাজ্জাজ সব সময়ই ইবনুল আশআছকে ঘৃণা করত ৷ তাকে আহমক, হিংসুক
ইত্যাদি বলে পালি দিত ৷ তার পিতা হযরত উছমানের জামা কাপড় খুলে ফেলেফ্লি এবং তার
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল বলে তিরস্কার করত ৷ তার বাবা উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদকে পথ দেখিয়ে
মুসলিম ইবন আকীলেৱ অবস্থান জানিয়ে দিয়েছিল এবং উবায়দুল্লাহ্ মুসলিমকে হত্যা
করেছিল ৷ তার দাদা আশআছ ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছিল ইত্যাদি কথা বলে সে ইবনুল
আশআছ কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করত ৷ সে একথাও বলত যে, তাকে দেখলেই আমার মনে তাকে
হত্যা করার ইচ্ছা জাগে ৷

হাজ্জাজ যখন ইবনুল আশআছকে এই ভাষায় চিঠি লিখল এবং একের পর এক
বার্তাবাহক পাঠিয়ে একাধিক চিঠি প্রদান করল তখন ইবনুল আশাআছ ক্রুদ্ধ হয়ে উঠলেন এবং
বললেন, ওই কমবখৃত আমার ম লোকের নিকট এভাবে চিঠি লিখল, অথচ সে এত নীচ ও
নিকৃষ্ট এবং দুর্বল যে, আমার একজন সৈনিক কিত্ব৷ খাদেম হবার যােগ্যও নয় ! তার ছাকীফ
গােত্রীয় পিতার কথা কি তার মনে পড়ে না ? ওই কাপুরুষ ভীরু পাযালা এর আক্রমণে
পলায়নকারী বেশরম নির্লজ্জ হাজ্জাজ! (এক সময় শাবীবের শ্রী পাযালাহ হাজ্জাজের উপর
আক্রমণ করে তাকে পরাজিত করেছিল ৷ হাজ্জাজ প লিখে প্রাণ রক্ষা করেছিল ৷ তাই ইবনুল
আশআছ তাকে মহিলার মুকাবিলায় পরাজয় বরণকারী ও পলায়নকারী হিসেবে তিরস্কার
করেন ৷

এই প্রেক্ষাপটে ইবনুল আশআছ নেতৃস্থানীয় ইরাকীদেরকে ডাকলেন ৷ তিনি ওদেরকে
বললেন, হাজ্জাজ তো আপনাদেরকে শত্রুদেশে প্রবেশের জন্যেও ভীষণ চাপ দিচ্ছে ৷ অল্প কিছুদিন
পুর্বে বহু মুসলিম ভাই সেখানে প্রাণ হারিয়েছে ৷ সামনে আসছে শীতকাল ৷ এবার আপনাদের
বিষয়টি আপনারা ভেবে দেখুন ৷ আমি কিন্তু ইতোপুর্বে গৃহীত আমার সিদ্ধান্ত রদ করব না ৷
আর ওই কমবখতের নির্দেশ মানব না ৷ এরপর ইবনুল আশআছ র্দাড়ালেন ৷ তার নিজের
সম্পর্কে এবং সৈনিকদের সম্পর্কে যে ইতোপুর্বে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তা তাদেরকে
জানিয়ে দিলেন ৷ এই পরিকল্পনার পেছনে বিজিত শহর-নগর পুনর্বাসন ও সংস্কার করা এবং
সেখুানে বিশ্রাম নিয়ে ওখানকার ফল ফসল ও র্ধনসম্পর্দ ভোগ ব্যবহার করে শক্তি সঞ্চয় করা
ইত্যাদি বিষয়ের যৌক্তিকত৷ ও প্রয়োজনীয়তা তাদের সামনে তুলে ধরলেন ৷ অতঃপর শীতকাল
শেষ হলে রাতবীলের দেশে প্রবেশ এবং শহরের পর শহর বিজয় ও নগরের পর নগর দখল
করে, তাদের রাজধানী জয়ের পরিকল্পনা সৈনিকদের সম্মুখে পেশ করেন ৷ এরপর ইবন
আশআছ তীর প্রতি লেখা শীঘ্র শত্রুরাষ্ট্ৰ আক্রমণের নির্দেশ সম্বলিত হাজ্জাজের চিঠি সম্পর্কে
তাদেরকে অবহিত করেন ৷ এটা শোনার সাথে সাথে সৈন্যরা৷ হাজ্জ ৷জের বিরুদ্ধে উত্তেজিত হয়
ও বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ৷ তারা বলেন যে, আমরা ওই নাফরমানের আদেশ অমান্য করব ৷
আমরা তার নির্দেশ পালন করব না ৷ তার অ ৷নুগত করব না ৷

আবু মিখনাফ বলেন, মুতাররিফ ইবন আমির ইবন ওয়াইল৷ আমাকে জানিয়েছেঃ“ যে, ওই
সমাবেশে সর্বপ্রথম তার বাবা-ই কথা বলে ৷ তার বাবা ছিল একজন কবি ও সুদক্ষ বক্তা ৷ তার
বাবা অন্যান্য বক্তব্যের সাথে এও বলেছিল যে, এই নির্দেশ ঘোষণায় হাজ্জাজ আর আমাদের
উদাহরণ হল যেমন একভাই তার অপর ভাইকে বন্থ লছিপ্স যে তোমার দাসঢিকে ঘোড়ার পিঠে


ثِنْتَيْنِ وَثَمَانِينَ، وَقَدْ سَاقَهَا ابْنُ جَرِيرٍ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، فَوَافَقْنَاهُ فِي ذَلِكَ. وَكَانَ سَبَبَ هَذِهِ الْفِتْنَةِ أَنَّ ابْنَ الْأَشْعَثِ كَانَ الْحَجَّاجُ يُبْغِضُهُ، وَكَانَ هُوَ يَفْهَمُ ذَلِكَ، وَيُضْمِرُ لَهُ السُّوءَ وَزَوَالَ الْمُلْكِ عَنْهُ، فَلَمَّا أَمَّرَهُ الْحَجَّاجُ عَلَى ذَلِكَ الْجَيْشِ الْمُتَقَدِّمِ ذِكْرُهُ، وَأَمَرَهُ بِدُخُولِ بِلَادِ رُتْبِيلَ مَلِكِ التُّرْكِ، فَمَضَى وَصَنَعَ مَا قَدَّمْنَاهُ مِنْ أَخْذِهِ بَعْضَ بِلَادِ التُّرْكِ، ثُمَّ رَأَى لِأَصْحَابِهِ أَنْ يُقِيمُوا حَتَّى يَتَقَوَّوْا إِلَى الْعَامِ الْمُقْبِلِ، فَكَتَبَ إِلَى الْحَجَّاجِ بِذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ الْحَجَّاجُ يَسْتَهْجِنُ رَأْيَهُ فِي ذَلِكَ، وَيَسْتَضْعِفُ عَقْلَهُ، وَيَقْرَعُهُ بِالْجُبْنِ وَالنُّكُولِ عَنِ الْحَرْبِ، وَيَأْمُرُهُ حَتْمًا بِدُخُولِ بِلَادِ رُتْبِيلَ، ثُمَّ أَرْدَفَ ذَلِكَ بِكِتَابٍ ثَانٍ ثُمَّ ثَالِثٍ، فَلَمَّا تَوَارَدَتْ كُتُبُ الْحَجَّاجِ إِلَيْهِ يَحُثُّهُ عَلَى التَّوَغُّلِ فِي بِلَادِ رُتْبِيلَ، جَمَعَ مَنْ مَعَهُ، وَقَامَ فِيهِمْ، فَأَعْلَمَهُمْ بِمَا كَانَ رَأَى مِنَ الرَّأْيِ فِي ذَلِكَ، وَبِمَا كَتَبَ إِلَيْهِ الْحَجَّاجُ مِنَ الْأَمْرِ بِمُعَاجَلَةِ رُتْبِيلَ، فَثَارَ
পৃষ্ঠা - ৭১৯৭
إِلَيْهِ النَّاسُ، وَقَالُوا: لَا، بَلْ نَأْبَى عَلَى عَدُوِّ اللَّهِ الْحَجَّاجِ، وَلَا نَسْمَعُ لَهُ وَلَا نُطِيعُ. قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: فَحَدَّثَنِي مُطَرِّفُ بْنُ عَامِرِ بْنِ وَاثِلَةَ الْكِنَانِيُّ، أَنَّ أَبَاهُ كَانَ أَوَّلَ مَنْ تَكَلَّمَ فِي ذَلِكَ، وَكَانَ شَاعِرًا خَطِيبًا، وَكَانَ مِمَّا قَالَ: إِنَّ مَثَلَ الْحَجَّاجِ فِي هَذَا الرَّأْيِ وَمَثَلَنَا كَمَا قَالَ الْأَوَّلُ لِأَخِيهِ: احْمِلْ عَبْدَكَ عَلَى الْفَرَسِ، فَإِنْ هَلَكَ هَلَكَ، وَإِنْ نَجَا فَلَكَ. إِنَّكُمْ إِنْ ظَفِرْتُمْ كَانَ ذَلِكَ زِيَادَةً فِي سُلْطَانِهِ، وَإِنْ هَلَكْتُمْ كُنْتُمُ الْأَعْدَاءَ الْبُغَضَاءُ. ثُمَّ قَالَ: اخْلَعُوا عَدُوَّ اللَّهِ الْحَجَّاجَ - وَلَمْ يَذْكُرْ خَلْعَ عَبْدِ الْمَلِكِ - وَبَايِعُوا لِأَمِيرِكُمْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَشْعَثِ، فَإِنِّي أُشْهِدُكُمْ أَنِّي أَوَّلُ خَالِعٍ لِلْحَجَّاجِ. فَقَالَ النَّاسُ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ: خَلَعْنَا عَدُوَّ اللَّهِ. وَوَثَبُوا إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَشْعَثِ فَبَايَعُوهُ عِوَضًا عَنِ الْحَجَّاجِ، وَلَمْ يَذْكُرُوا خَلْعَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ. وَبَعَثَ ابْنُ الْأَشْعَثِ إِلَى رُتْبِيلَ، فَصَالَحَهُ عَلَى أَنَّهُ إِنْ ظَفِرَ بِالْحَجَّاجِ فَلَا خَرَاجَ عَلَى رُتْبِيلَ أَبَدًا، ثُمَّ سَارَ ابْنُ الْأَشْعَثِ بِالْجُنُودِ الَّذِينَ مَعَهُ مُقْبِلًا مِنْ سِجِسْتَانَ إِلَى الْحَجَّاجِ ; لِيُقَاتِلَهُ وَيَأْخُذَ مِنْهُ الْعِرَاقَ، ثُمَّ لَمَّا تَوَسَّطُوا الطَّرِيقَ قَالُوا: إِنَّ خَلْعَنَا لِلْحَجَّاجِ خَلْعٌ لِابْنِ مَرْوَانَ. فَخَلَعُوهُمَا جَمِيعًا، وَجَدَّدُوا الْبَيْعَةَ لِابْنِ الْأَشْعَثِ، فَبَايَعَهُمْ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ وَسِنَةِ رَسُولِهِ، وَخَلْعِ أَئِمَّةِ الضَّلَالَةِ وَجِهَادِ الْمُحِلِّينَ. فَإِذَا قَالُوا: نَعَمْ. بَايَعَهُمْ. فَلَمَّا بَلَغَ الْحَجَّاجَ مَا صَنَعُوا مِنْ خَلْعِهِ وَخَلْعِ
পৃষ্ঠা - ৭১৯৮

উ ঠাও সফরে পাঠাও ৷ সে মারা গোল তো ভালই ৷ আর যদি বেচে বত্বে ফিরে আসে তাহলে
সে তোমার ৷ এখানে তোমরা যদি যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারত তবে তার শাসন এলাকা বৃদ্ধি
পাবে ৷ আর তোমরা মরলে ণ্তামরইিভাে মরবে ওর কোন ক্ষতি হবে না তোমরা তো ওর
শত্রু-ই শত্রু ৷

এরপর সে বলল, আল্লাহর দুশমন নাফরমান হাজ্জাজকে প্রতি প্রদত্ত অঙ্গীকার সকলে
প্র-তাহার করে নাও ৷ অবশ্য খলীফা আবদুল মালিকের প্রতি প্রদত্ত বায়আত ও অঙ্গীকার
প্রত্যাহারের কথা বলা হয়নি ৷ এখন তোমরা তোমাদের সেনাপতি তোমাদের শাসনকর্তা
আবদুর রহমান ইবন আশআছের হাতে বায়আত বল্ম, আনুগতোর শপথ কর ৷ আমি তোমাদের

সকলকে সাক্ষী রেখে বলছি আমি সর্বপ্রথম হাজ্জাজের প্রতি প্রদত্ত বায়আও প্রত্যাহার করে
নিলাম ৷ অবিলম্বে চারিদিক থেকে জনগণ বলে উঠল, আমরা ওই নাফরমানের আল্লাহর
দুশমনের প্রতি দেয়া বায়আত প্রত্যাহার করলাম ৷ তারা সকলে পরম ভক্তিতে আবদুর রহমানের
দিকে ঝাপিয়ে পড়ল এবং হাজ্জাজের স্থলে আবদুর রহমানের হাতে বায়আত করে নিল ৷ অবশ্য
তখন খলীফা আবদুল মালিকের প্রতি প্রদত্ত আনুগতা প্রতাহারের কোন ঘোষণা ছিল না ৷
ইবনুল আশআছ অতঃপর তুর্কী সম্রাট রাতবীলের নিকট আপোষ-মীমাং সার প্রস্তাব
দিলেন ৷ তারা এই মর্মে চুক্তিবদ্ধঙু হলেন যে, তারা যদি হাজ্জাজকে পরাজিত করতে পারে
তাহলে তৃকীরািজ রাতবীলের কোন জিযিয়া কর কিৎবা খাজনা দেয়া লাগবে না ৷ এবার ইবনুল
আশআছ তার অনুগামী সৈন্যদের নিয়ে হাজ্জাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে এবং তার কবল
থেকে ইরাক মুক্ত করার জন্যে সিজ্যিান থেকে যাত্রা করল ৷ মাঝামাঝি পথ অতিক্রম করার
পর তারা বলল, আমরা যে হাজ্জাজের প্রতি বায়আত প্রতাহার করেছি তাতো খলীফা আবদুল
মালিকের থেকেও বায়আত প্রত্যাহার! অতঃপর তারা হাজ্জাজ এবং আবদুল মালিক উভয়ের
বায়আত প্রত্যাহার করে ৷ নতুনভাবে ইবনুল আশআছের প্রতি বায়আত ও আনুগত্য প্রকাশ
করে ৷ ইবনুল আশআছ এই বিষয়ে ওদের বায়আত গ্রহণ করে যে, আল্লাহর কিতাব ও
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হাদীস মােন চলবে ৷ পথভ্রষ্টদের সংশ্রব থেকে দুরে থাকবে এবং
সতাদ্রোহীদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবে ৷ অনুসারিগণ এসব বিষয় মেনে নিতে রাযী হয় ৷ ইবনুল
আশআছ ওদের বায়আত গ্রহণ করেন ৷

হাজ্জাজ ও খলীফা আবদুল মালিকের প্রতি প্রদত্ত বায়আত প্রত্যাহার এবং ইবনুল
আশআছের হাতে বায়আত গ্রহণ বিষয়ক সংবাদ হাজ্জাজের কর্ণগােচর হয় ৷ সে খলীফা আবদুল
মালিককে লিখিতভাবে এ সংবাদ অবহিত করে ৷ এবং অবিলম্বে হাজ্জাজের সাহায্যে অতিরিক্ত
সৈন্য প্রেরণের আবেদন জানায়, হাজ্জাজ এগিয়ে এসে বসরাতে অবস্থান নেয় ৷ ইবনুল
আশআছের সংবাদ সেনাপতি মুহাল্লাবের নিকট পৌছে ৷ ইবনুল আশআছ মুহাল্লাবকে কেদ্রীয়
সরকারের প্রতি আনুগত্য ত্যাগ করে তার সাথে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান, বিৎ মুহাল্লাব এ
আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন এবং ওই চিঠিকে হাজ্জাজের নিকট পাঠিয়ে দেন ৷

ইবনুল আশআছের প্রস্তাবের জবাবে মৃহাল্লাবত তাকে লিখেন “হে ইবনুল আশআছ! আপনি
তো অনেক দীর্ঘ পাদানীতে আপনার পা রেখেছেন ৷ হযরত মুহাম্মদ (সা) এর এই উস্মতকে
ৰীচতে দিন ৷ নিজের বিষয়টি বিবেচনা করুন ৷ নিজেকে ধ্বংসের পথে ঠোল দিবেন না ৷
ষ্মেমানদের রক্ত ঝরাবেন না ৷ মুসলিম ঐকো ফাটল ধরাবেন না ৷ ইতিপুর্বে ণ্কদ্রীয় সরকারের
ধ্উ ঘোষিত বায়আত ও আনুগত্য প্রত্যাহার করবেন না ৷ যদি বলেন মানুষ আমাকে হত্যা
প্স ৰে এই ভয়ে আমি ডীত আছি, তঞ্জোন্ধ্রহু,নু,,ব্লুা,রুা দ্ভুন্ধ্রনু মানুষের ভয় নয় বরৎ আল্লাহ্কে ভয়

ابْنِ مَرْوَانَ، كَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ يُعْلِمُهُ بِذَلِكَ، وَيَسْتَعْجِلُهُ فِي بَعْثِهِ الْجُنُودَ إِلَيْهِ، وَجَاءَ الْحَجَّاجُ حَتَّى نَزَلَ الْبَصْرَةَ، وَبَلَغَ الْمُهَلَّبَ خَبَرُ ابْنِ الْأَشْعَثِ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ يَدْعُوهُ إِلَى ذَلِكَ فَأَبَى عَلَيْهِ، وَبَعَثَ بِكِتَابِهِ إِلَى الْحَجَّاجِ، وَكَتَبَ الْمُهَلَّبُ إِلَى ابْنِ الْأَشْعَثِ يَقُولُ لَهُ: إِنَّكَ يَا ابْنَ الْأَشْعَثِ قَدْ وَضَعْتَ رَجْلَكَ فِي رِكَابٍ طَوِيلٍ، أَبْقِ عَلَى أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، اللَّهَ اللَّهَ، انْظُرْ لِنَفْسِكَ فَلَا تُهْلِكْهَا، وَدِمَاءِ الْمُسْلِمِينَ فَلَا تَسْفِكْهَا، وَالْجَمَاعَةِ فَلَا تُفَرِّقْهَا، وَالْبَيْعَةِ فَلَا تَنْكُثْهَا، فَإِنْ قُلْتَ: أَخَافُ النَّاسَ عَلَى نَفْسِي، فَاللَّهُ أَحَقُّ أَنْ تَخَافَهُ مِنَ النَّاسِ، فَلَا تُعَرِّضْهَا لِلَّهِ فِي سَفْكِ الدِّمَاءِ، أَوِ اسْتِحْلَالِ مُحَرَّمٍ، وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ. وَكَتَبَ الْمُهَلَّبُ إِلَى الْحَجَّاجِ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ أَهْلَ الْعِرَاقِ قَدْ أَقْبَلُوا إِلَيْكَ مِثْلَ السَّيْلِ الْمُنْحَدِرِ مِنْ عَلِ، لَيْسَ شَيْءٌ يَرُدُّهُ حَتَّى يَنْتَهِيَ إِلَى قَرَارِهِ، وَإِنَّ لِأَهْلِ الْعِرَاقِ شِرَّةً فِي أَوَّلِ مَخْرَجِهِمْ وَصَبَابَةً إِلَى أَبْنَائِهِمْ وَنِسَائِهِمْ، فَلَيْسَ شَيْءٌ يَرُدُّهُمْ حَتَّى يَصِلُوا إِلَى أَهْلِيهِمْ، وَيَشَمُّوا أَوْلَادَهُمْ، ثُمَّ وَاقِعْهُمْ عِنْدَهَا، فَإِنَّ اللَّهَ نَاصِرُكَ عَلَيْهِمْ إِنْ شَاءَ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ৭১৯৯


করাই অধিক ন্ যুক্তিযুক্ত ৷ সুতরাং মুসলমানদের রক্ত ঝরানাে এবং হারামকে হালাল করার পথে
নিজেকে জড়াবেন না ৷ ওয়াসৃ সালামু আলাইকা ৷

মুহাল্লাব শাসনকর্তা হাজ্জাজকে এই মর্মে একটি চিঠি লিখেন অতঃপর ইরাকের জনগণ
দলে দলে আপনার দিকে এগিয়ে আসছে ৷ তারা পাহাড়ের উপর থেকে নীচের দিকে গড়িয়ে
আসা বন্যার পৃানির ন্যায় স্রোতের বেগে অগ্রসর হচ্ছে ৷ লক্ষ্যস্থলে পৌছার পুর্বে কিছু ওদের
যাত্রা রুখতে পারবে না ৷ ইরাকীগণ অভিযানের শুরুতে থাকে খুব কঠিন ৷ তবে ছোল-মেয়ে ও
ত্রী পরিবারের ভালবাসা তাদেরকে আকর্ষণ করে ৷৩ তারা তাদের পরিবার পরিজনের সাথে
মিসিত হ্বে, স্তীদের সাথে দেখা করবে ছোল মেয়ের শরীরের ঘ্রাণ নেবে আদর করবে এতে
তাদেরকে বাধা দেয়া যাবে না ৷ পরিবারের সাথে সাক্ষাতের পর আপনি ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নিবেন ৷ মহ্ান আল্লাহ্ শত্রুদের বিরুদ্ধে আপনাকে সাহায্য করবেন ইনশাআল্পাহ্ ৷

মুহাল্লাবের চিঠি পাঠাস্তে হাজ্জাজ মন্তব্য করল যে, আল্পাহ্ যা করার করবেন ৷ এখন তাে
আমার অপেক্ষা করার সময় সেই ৷ তবে এতে তার চাচাত ভাইয়ের জন্যে কিছু উপদেশ

হাজ্জাবজ্যা চিঠি নিয়ে বাহক খলীফার নিকট পৌাহু ৷ চিঠি পড়ে খলীফা আবদুল মালিক
ভয় পেয়ে যান ৷ তিনি সিংহাসন থেকে নেমে পড়েন ৷ চিঠিটি খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন
মুআবিয়ার নিকট প্রেরণ করে তাকে ওই চিঠি পাঠ কৱান ৷ চিঠি পাঠ করার পর খালিদ বলে ৷
ওহে আযীরুল ঘু মিনীন! এ ঘটনাটি যদি খােরাসানের দিক থেকে ঘটে তাহলে আপনার ভয়ের
কারণ রয়েছে বটে ৷ কিন্তু সিজিস্তানের দিক থােক যদি এই ঘটনা ঘটে তাহলে আপনি ভয়
করবেন না ৷

খলীফা আবদুল মালিক হ্াজ্জাজেয় সাহাযা৷র্থে এবং ইবনুল আশআছের মুকাবিলায় ইরাকে
প্রেরণের জন্যে সৈন্য প্রস্তুত করতে থাকেন ৷ সিরিয়া থেকে এই সেনাদল ইরাক অভিমুখে
প্রেরণে ব্যবস্থা করেন ৷ সেনাপতি মুহাল্লাব ইরাকীদের ব্যাপারে যে পরামর্শ দিয়েছিলেন খ,লীফাৰু
তা প্রত্যাখ্যান করেন ৷ মুলতঃ মুহাল্লাবের প্রস্তাবে সত্য ও বল্যাণমুলক পরামর্শ ছিল ৷

এদিকে ইবনুল আশআছের কর্মকাণ্ড ও গতিবিধি সম্পর্কে হাজ্জাজ ও খলীফার মধ্যে সকাল
বিকাল নিয়মিত পত্র যোগাযোগ চলছিল ৷ ইবনুল আশআছ কখন কোথায় অবস্থান করছেন,
কোথা হতে যাত্রা করলেন, তার সাথে কারা যোগ দিল সব বিষয়ে খলী,ফাকে অবহিত করা
হচ্ছিল ৷ এদিকে চারিদিক থেকে লোকজন ইবনুল আশআছের পক্ষে যোগ দিচ্ছিল ৷ তার
আশেপাশে লোকে সোকারণ্য ৷ বলা হয়ে থাকে যে, এই যাত্রায় তার সাথে তেত্রিশ হাজার
অশ্বারােহী এবং এক লক্ষ বিশ হাজার পদাতিক সৈনিক ছিল ৷

হাজ্জাজ সিরীয় সৈন্যদের দ্বারা গঠিত সেনাবহর নিয়ে বনরা থেকে ইবনুল আশআছের
মুকাবিলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ হাজ্জাজ এসে তুসতার নামক স্থানে শিবির স্থাপন করে ৷
মুহাহ্হায় ইবন হুয়্যায় আল কাবীকে সে তার সম্মুখ বাহিনীর সেনাপতি নিযুক্ত করে ৷ তার
সাথে দ্বিতীয় সেনাপতি হিসেবে আবদুল্লাহ্ ইবনয়ামীতকে নিয়োগ দান করে ৷ তারা দুজাদল
নদীর তীরে গিয়ে পৌছে ৷ সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল ইবনুল আশআছের
অগ্রবাহিনী, তিনশত অশ্বারোহীৱ সমন্বয়ে গঠিত ওই বাহিনীর সেনাপতি ছিল আবল্লোহ্ ইবন
আবান হারিহী ৷ দুজায়ল নদীর তীরে ঈদুল আযহার দিন উভয় পক্ষ যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷ হাজ্জাজের
অগ্রবাহিনী পরাজয় বরণ করে ৷ ইবনুল আশআছের বাহিনী হাজ্জাজের বহু সৈন্যকে হত্যা করে ৷
নিহতের সং ধ্যা হবে প্রায় এক হাজার পাচশত ৷ শত্রুবাহিনীতে থাকা সকল মালামাল ও অশ্ব


فَلَمَّا قَرَأَ الْحَجَّاجُ كِتَابَهُ قَالَ: فَعَلَ اللَّهُ بِهِ وَفَعَلَ، لَا وَاللَّهِ مَا لِي نَظَرَ، وَلَكِنْ لِابْنِ عَمِّهِ نَصَحَ. وَلَمَّا وَقَعَ كِتَابُ الْحَجَّاجِ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ هَالَهُ ذَلِكَ، ثُمَّ نَزَلَ عَنْ سَرِيرِهِ، وَبَعَثَ إِلَى خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، فَأَقْرَأَهُ كِتَابَ الْحَجَّاجِ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنْ كَانَ هَذَا الْحَدَثُ مِنْ قِبَلِ خُرَاسَانَ فَخَفْهُ، وَإِنْ كَانَ مِنْ قِبَلِ سِجِسْتَانَ فَلَا تَخَفْهُ. ثُمَّ أَخَذَ عَبْدُ الْمَلِكِ فِي تَجْهِيزِ الْجُنُودِ مِنَ الشَّامِ إِلَى الْعِرَاقِ فِي نُصْرَةِ الْحَجَّاجِ، وَتَجْهِيزِ الْحَجَّاجِ لِلْخُرُوجِ إِلَى ابْنِ الْأَشْعَثِ، وَعَصَى رَأْيَ الْمُهَلَّبِ فِيمَا أَشَارَ بِهِ عَلَيْهِ، وَكَانَ فِيهِ النُّصْحُ وَالصِّدْقُ، وَجُعِلَتْ كُتُبُ الْحَجَّاجِ لَا تَنْقَطِعُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بِخَبَرِ ابْنِ الْأَشْعَثِ صَبَاحًا وَمَسَاءً ; أَيْنَ نَزَلَ؟ وَمِنْ أَيْنَ ارْتَحَلَ؟ وَأَيُّ النَّاسِ إِلَيْهِ أَسْرَعُ؟ وَجَعَلَ النَّاسُ يَلْتَفُّونَ عَلَى ابْنِ الْأَشْعَثِ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، حَتَّى قِيلَ: إِنَّهُ سَارَ مَعَهُ ثَلَاثَةٌ وَثَلَاثُونَ أَلْفَ فَارِسٍ، وَمِائَةٌ وَعِشْرُونَ أَلْفَ رَاجِلٍ، وَخَرَجَ الْحَجَّاجُ فِي جُنُودِ الشَّامِ مِنَ الْبَصْرَةِ نَحْوَ ابْنِ الْأَشْعَثِ، فَنَزَلَ تُسْتَرَ، وَقَدَّمَ بَيْنَ يَدَيْهِ مُطَهِّرَ بْنَ حَيٍّ الْعَكِّيَّ أَمِيرًا عَلَى الْمُقَدِّمَةِ، وَمَعَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زُمَيْتٍ أَمِيرًا آخَرَ، فَانْتَهَوْا إِلَى دُجَيْلٍ، فَإِذَا مُقَدِّمَةُ ابْنِ الْأَشْعَثِ فِي ثَلَاثِمِائَةِ فَارِسٍ عَلَيْهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبَانٍ الْحَارِثِيُّ، فَالْتَقَوْا فِي يَوْمِ الْأَضْحَى عِنْدَ نَهْرِ دُجَيْلٍ، فَهُزِمَتْ مُقَدِّمَةُ الْحَجَّاجِ، وَقَتَلَ أَصْحَابُ ابْنِ الْأَشْعَثِ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، نَحْوَ أَلْفٍ وَخَمْسِمِائَةٍ،
পৃষ্ঠা - ৭২০০
وَاحْتَازُوا مَا فِي مُعَسْكَرِهِمْ مِنْ خُيُولٍ وَقُمَاشٍ وَأَمْوَالٍ، وَجَاءَ الْخَبَرُ إِلَى الْحَجَّاجِ بِهَزِيمَةِ أَصْحَابِهِ، فَأَخَذَهُ مَا دَبَّ وَدَرَجَ، وَقَدْ كَانَ قَائِمًا يَخْطُبُ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، ارْجِعُوا إِلَى الْبَصْرَةِ، فَإِنَّهُ أَرْفَقُ بِالْجُنْدِ، فَرَجَعَ بِالنَّاسِ، وَاتَّبَعَتْهُمْ خُيُولُ ابْنِ الْأَشْعَثِ لَا يُدْرِكُونَ مِنْهُمْ شَاذًّا إِلَّا قَتَلُوهُ، وَلَا فَاذًّا إِلَّا أَهْلَكُوهُ، وَمَضَى الْحَجَّاجُ هَارِبًا لَا يَلْوِي عَلَى شَيْءٍ، حَتَّى أَتَى الزَّاوِيَةَ، فَعَسْكَرَ عِنْدَهَا، وَجَعَلَ يَقُولُ: لِلَّهِ دَرُّ الْمُهَلَّبِ! أَيُّ صَاحِبِ حَرْبٍ هُوَ؟ ! قَدْ أَشَارَ عَلَيْنَا بِالرَّأْيِ، وَلَكِنَّا لَمْ نَقْبَلْ. وَأَنْفَقَ الْحَجَّاجُ عَلَى جَيْشِهِ - وَهُوَ بِهَذَا الْمَكَانِ - مِائَةً وَخَمْسِينَ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَخَنْدَقَ حَوْلَ جَيْشِهِ خَنْدَقًا، وَجَاءَ أَهْلُ الْعِرَاقِ فَدَخَلُوا الْبَصْرَةَ، وَاجْتَمَعُوا بِأَهَالِيهِمْ وَشَمُّوا أَوْلَادَهُمْ، وَدَخَلَ ابْنُ الْأَشْعَثِ الْبَصْرَةَ، فَخَطَبَ النَّاسَ بِهَا، وَبَايَعَهُمْ وَبَايَعُوهُ عَلَى خَلْعِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَنَائِبِهِ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ، وَقَالَ لَهُمُ ابْنُ الْأَشْعَثِ: لَيْسَ الْحَجَّاجُ بِشَيْءٍ، وَلَكِنِ اذْهَبُوا بِنَا إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ لِنُقَاتِلَهُ. وَوَافَقَهُ عَلَى خَلْعِهِمَا جَمِيعُ مَنْ بِالْبَصْرَةِ مِنَ الْفُقَهَاءِ وَالْقُرَّاءِ وَالشُّيُوخِ وَالشَّبَابِ، ثُمَّ أَمَرَ ابْنُ الْأَشْعَثِ بِخَنْدَقٍ حَوْلَ الْبَصْرَةِ فَعَمِلَ ذَلِكَ، وَكَانَ ذَلِكَ فِي أَوَاخِرِ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ فِيمَا ذَكَرَهُ الْوَاقِدِيُّ وَأَبُو
পৃষ্ঠা - ৭২০১

তারা দখল করে নেয় ৷ হাজ্জাজের নিকট তার বাহিনী পরাজিত হরার এবং মাছাব ও দুর্গ
পতনের সংবাদ পৌছে ৷ সে তখন দাড়িয়ে বক্তৃতা করছিল ৷ সে বলল লোক সকল! তোমরা
রসরাতে ফিরে যাও ৷ কারণ, সেটা সেনাবাহিনীর জন্য অনুকুল স্থান ৷ ফলে লোকজন ফিরে
যাচ্ছিল ৷ আশআছের সৈন্যরা ওদেরকে তাড়া করতে লাগল ৷ তারা যাকেই নাগালের মধ্যে
পাফ্লি হত্যা কৱজ্জি ৷ হাজ্জাজ নিজে পালিয়ে গেল ৷ কোন দিকেই তার ভ্রক্ষেপ ছিল না ৷ সে
পালিয়ে এসে যাবিয়াতে অবস্থান নেয়, সেখানে সৈন্য সমাবেশ ঘটায় ও সেনা ক্যাম্প স্থাপন
করে ৷ সে বলছিল, “মুহাল্লাব আসলেই সফল ও দক্ষ সেনাপতি ৷ সে আমাদেরকে একটা ভাল
প্রস্তাব দিয়েছিল ৷ কিন্তু আমরা তা গ্রহণ কবিনি ৷ হাজ্জাজ সেখানে অবস্থান নিয়ে সেনাদল প্রস্তুত
করতে থাকে ৷ সেনাবাহিনী গঠন করতে গিয়ে যে সেখানে ১৫ কোটি দিরহাম ব্যয় করে ৷ তার
সেনা ক্যাম্পের চারিদিকে পরিখা খনন করে ৷ ইরার্কীরা বসরা প্রবেশ করে ৷ তারা তাদের
পরিবার-পরিজনের সাথে মেলে ৷ প্ছোল মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে তাদের ঘ্রাণ নেয় ৷

ইবনুল আশআছ বসরা এসে অবতরণ করেন, ৷ তিনি ড্ডাসাধারণের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেন ৷
ওদের থেকে বায়আত নেন এবং তারা আবদুল মালিক ও হাজ্জাজ দু’জন থেকেই বায়আত
প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ৷ ইবনুল আশআছ ওদেরকে বলেছিলেন হাজ্জাজ কোন ব্যাপারই নয় ৷
আমাদেরকে বরং আবদুল মালিকের নিকট নিয়ে যাও ৷ আমরা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷ ওই
সময়ে বসরায় অবন্থনিকারী সকল আলিম-উলামা ন্ফর্কীহ, কিরআন্ডৰিদ এবং যুবক বৃদ্ধ
, নির্বিশেষে সকলেই হাজ্জাজ ও আবদুল মালিকের প্রতিংপ্রদত্তবায়আত প্রত্যাহারে সমর্থন

জানান, এরপর ইবনুল আশআছ বসরা নগরীর চারিদিকে পরিখা খননের নির্দেশ দেন ৷ পরিখা

খনন করা হয় ৷ এরসব ঘটনা ঘটেছিল ৮ ১ সনের যিলহাজ্জ মাসের শেষ দিকে ৷

ওয়াকিদী ও আবু যা পরে বলে যে, এই সনে হজ্জ পরিচালনা করেন ইসহ্াক ইবন ঈসা ৷
খলীফ৷ আবদুল মালিকের নিযুক্ত আফ্রিকার রাজ্যগুলোর শাসনকর্তা মুসা ইবন ৰুসায়র ণ্,স্পন
জয় করার জন্যে এই সনে অভিযান পরিচালনা করেন ৷ তিনি ওই অভিযানে অনেক শহর নগর
এবং আবাদী জমি দখল করে নেন ৷ তিনি প্রচণ্ড গতিতে পশ্চিমী শহরগুলােতে প্রবেশ করেন ৷
তিনি পশ্চিমে আটলান্টিকেৱ উপকুল পর্যন্ত দখল করে নেন ৷ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷ ন্

এই হিজয়ী সনে যাদের ওফাত হয়

বুজায়র ইবন ওয়ারকা সারীমী

৮১ হিজরী সনে যে সকল বিশিষ্ট ব্যক্তির ওফাত হয়৩ তাদের একজন হলেন বুজায়র ইবন
ওয়ারকা সারীমী ৷ তিনি খােরাসানের শীর্ষস্থানীয় ও বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি ইবন খাযিমের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন এবং তাকে হত্যা করেন ৷ তিনি বুকায়ব ইবন বিশাহ্কে হত্যা করেন ৷

পর এই৮১ সনেতিনিনিজেইনিহতহন ৷ ,

সুওয়াইদ ইবন গাফলাহ ইবন আওসাজা ৮১ হিজৰী সনে যাদের ইনতিকাল হয় তাদের
অন্যতম হল সুওয়াইদ ইবন গাফলাহ্ ইবন আওসম্পো ইবন আমির ৷ আবু উমাইয়৷ জুফী কুফী ৷
তিনি ইয়ারনুকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ বহু সাহাবী থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
প্রসিদ্ধ অভিমত অনুযায়ী তিনি জাহেলী যুগ ও ইসলামী যুগ উভয় যুগে শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি
হিসেবে পরিচিত ছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে দেখেছিলেন ৷
রাসুলুল্লাহ (না) যে বত্সয়ে দৃনিয়াতে আগমন করেছেন ওই বৎসরেই সুওয়াইদ ইবন গাফলাহ
(রা) এর জন্য হয় ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পেছনে নামায পড়েছেন ৷ তবে বিশুদ্ধ অভিমত


مَعْشَرٍ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. وَفِيهَا غَزَا مُوسَى بْنُ نُصَيْرٍ أَمِيرُ بِلَادِ الْمَغْرِبِ مِنْ جِهَةِ عَبْدِ الْمَلِكِ بِلَادَ الْأَنْدَلُسِ، فَافْتَتَحَ مُدُنًا كَثِيرَةً، وَأَرَاضِيَ عَامِرَةً، وَأَوْغَلَ فِي بِلَادِ الْمَغْرِبِ إِلَى أَنْ وَصَلَ إِلَى الزُّقَاقِ الْمُنْبَثِقِ مِنَ الْبَحْرِ الْأَخْضَرِ الْمُحِيطِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: بُحَيْرُ بْنُ وَرْقَاءَ الصُّرَيْمِيُّ الْبَصْرِيُّ أَحَدُ الْأَشْرَافِ بِخُرَاسَانَ، وَالْقُوَّادِ وَالْأُمَرَاءِ، وَهُوَ الَّذِي حَارَبَ ابْنَ خَازِمٍ وَقَتَلَهُ، وَقَتَلَ بُكَيْرَ بْنَ وِشَاحٍ. ثُمَّ قُتِلَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ: سُوِيدُ بْنُ غَفْلَةَ بْنِ عَوْسَجَةَ بْنِ عَامِرٍ أَبُو أُمَيَّةَ الْجَعَفِيُّ الْكُوفِيُّ، شَهِدَ الْيَرْمُوكَ، وَحَدَّثَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَكَانَ مِنْ كِبَارِ الْمُخَضْرَمِينَ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَلَّى مَعَهُ، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ لَمْ يَرَهُ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ عَامَ وُلِدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقِيلَ: إِنَّهُ وُلِدَ بَعْدَهُ بِسَنَتَيْنِ. وَعَاشَ مِائَةً وَعِشْرِينَ سَنَةً، لَمْ يُرَ يَوْمًا مُحْتَبِيًا وَلَا مُتَسَانِدًا، وَافْتَضَّ بِكْرًا عَامَ وَفَاتِهِ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي سَنَةِ إِحْدَى وَثَمَانِينَ، قَالَهُ أَبُو عُبَيْدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَقِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ فِي سَنَةِ ثِنْتَيْنِ
পৃষ্ঠা - ৭২০২

হলো যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখেননি ৷ কেউ কেউ বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
দুনিয়াতে আগমনের দুই বৎসর পর সুওয়াইদের জন্ম হয় ৷ তিনি ১২০ বৎসর জীবিত ছিলেন ৷
এই সময়ের মধ্যে কেউ তাকে কুজাে হয়ে হাটতে দেখেনি, আর তীর হাতে লাঠিও দেখেনি,
তার ওফাতের বৎসর অর্থাৎ ৮১ সনে তিনি জনৈকা কুমারী মেয়েকে বিয়ে করেন ৷ আবু উবায়দ
ও অন্যান্যরা এই তথ্য দিয়েছেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, ৮২ সনে৩ তার ইনদিক ল হয় ৷
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

আবদুল্লাহ ইধ্ন শাদ্দাদ ইবনুল হাদ

যীরা ৮১ সনে ইনৃতিকাল করেছেন তাদের একজন হলেন আবদুল্লাহ ইবন শাদ্দাদ ইবনুল
হাদ (র) ৷ তিনি ইবাদতকারী ও পরহেযগার লোক ছিলেন ৷ বিশিষ্ট জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি
বহু ওসিয়ত এবং উপদেশমুলক বাণী রচনা করে গিয়েছেন ৷ সাহাবীদের বরাতে একাধিক
হাদীস এবং তাবিঈদের বরাতে বহু হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আবু তালিব (বা)

৮১ সনে ওফৰুতপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অন্যতম এই মুহাম্মদ ইবন আলী (বা) ৷ তিনি আবুল
কাসিম এবং আবু আবদুল্লাহ উভয় উপনামে পরিচিত ৷ ইবনুল হানাফিয়্যাহ নামে তিনি
ততোধিক পরিচিত ছিলেন ৷৩ তার মাতা হানাফিয়্যাহ ছিলেন বানু হানীফ৷ গোত্রের একজন
কালো মহিলা ৷ তার মুলনাম খাওলা ৷ হযরত উম৷ ৷র ইবন খাত্তাব (রা) এর শাসনামলে মুহাম্মদ
ইবন আলীর জন্ম হয় ৷ পরিণত বয়সে তিনি আমীর মুআবিয়া এবং আবদুল মালিক ইবন
মারওয়ানের দরবারে গিয়েছিলেন ৷ উংষ্ট্রর যুদ্ধের দিন তিনি মারওয়ানকে মাটিতে ফেলে
দিয়েছিলেন এবং তার বুকের উপর চড়ে বলেছিলেন ৷ তিনি তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন ৷
কিন্তু মারওয়ান কাক্কুতি-মিনতি এবং আল্লাহর দােহাই দিয়ে প্রাণ ভিক্ষা চায় ৷ পরে তিনি তাকে
ছেড়ে দেন ৷ খলীফ৷ আবদুল মালিকের রাজত্বকালে তীর সাথে সাক্ষাত করতে গেলে আবদুল
মালিক এই ঘটনার উল্লেখ করেন ৷ মুহাম্মদ ইবন আলী ঘটনায় জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ৷

খলীফ৷ ক্ষমা মনয়ুর করেন এবং তাকে বহু উপহার-উপচৌকন প্রদান করেন ৷
মুহাম্মদ ইবন আলী (রা) কুরায়শের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি প্রসিদ্ধ বীর সাহসী
এবং শক্তিমান পুরুষদের একজন ছিলেন ৷ হযরত ইবন যুবায়র (না)-কে খলীফ৷ ঘোষণা করে
যখন তীর পক্ষে বায়আত গ্রহণ করা হয় তখন মুহাম্মদ ইবন আলী (রা) বায়আত করেননি ৷
ফলে র্তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে ৷ এমনকি খলীফ৷ ইবন যুবায়র
মুহাম্মদ ইবন আলী এবং তীর পরিবারের উপর আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন ৷ পরবর্তীতে
হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র নিহত হলেন ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের খিলাফত
নিষ্কন্টক হলো ৷ এ সময়ে হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রা) আবদুল মালিকের প্রতি বায়আত
ও আনুগত্য প্রকাশ করেন ৷ তীর অনুসরণে মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়্যাহ্ও খলীফার প্রতি আনুগত্য
প্রকাশ করেন ৷ এ সময়ে তিনি মদীনায় আগমন করেন ৷ এবং ৮১ সনে সেখানে ইনৃতিকাল
করেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন তার ওফাত হয়েছে ৮২ সনে ৷ আবার কেউ বলেছেন ৮০ সনে,
জান্ ত্ত্বা৷তুল বাকী গোরস্তানে র্তাকে দাফন করা হয় ৷ বাফিযী সম্প্রদায়ের ধারণা যে, মুহাম্মদ
ইবনুল হানাফিয়ব্র৷ রিজভী পর্বতে অবস্থান করছেন, তিনি জীবিত আছেন রিযকপ্ৰাপ্ত আছেন ৷


وَثَمَانِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ كَانَ مِنَ الْعُبَّادِ الزُّهَّادِ الْعُلَمَاءِ، وَلَهُ وَصَايَا وَكَلِمَاتٌ حِسَانٌ، وَقَدْ رَوَى عِدَّةَ أَحَادِيثَ عَنِ الصَّحَابَةِ، وَعَنْهُ خَلْقٌ مِنَ التَّابِعِينَ.
পৃষ্ঠা - ৭২০৩
আল-বিদা ৷য়া ওয়ান নিহায়৷ :ন্ন্ ৭৩

তারা তার আগমনের অপেক্ষায় আছে ৷ এই প্রসঙ্গে করি কুছায়িৰুর আয্যাহ্ নিম্নের কবিতা
আবৃতি করেন০ :


জেনে নাও যে, ইমামও খলীফা হবে কুরড়ায়শ বংশ থেকে ৷ তারা প্রকৃত খলীফা ৷ তারা
ৎখ্যায় চারজন ৷

একজন হলেন হযরত আলী (রা) ৷ আর তিনজন তার বংশধর, তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
দৌহিএ ৷ তাদের যোগ্যতা ও উপযুক্ততায় কোন অস্প্াষ্টতা নেই ৷


এক দৌহিত্র তিনি ছিলেন ঈমান ও সৎ পুণ্যের মুত প্রতীক ৷ (হযরত হাসান (রা)) ৷ অপর

এক দৌহিএ কারবালা তাকে লোকচক্ষু থেকে অদৃশ্য করে দিয়েছোহযরত ইমাম হুসায়ন (রা) ৷
টু ৷ঠুা

অপর এক দৌহিত্র ৷ তাকে এখন চোখে দেখা যাচ্ছে না ৷ এক সময় তিনি ঘোড়ায় চড়ে

তাক৷ উচিয়ে আবির্ভুত হবেন ৷

আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) যখন মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যা এর প্রতি দুব্যবহ ব শুরু
করলেন এবং তার প্রতি অত্যাচ৷ ৷র করার চেষ্টা করলেন, তখন মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়্যা আবু
তােফায়লের নেতৃত্বে কুফায় অবস্থানকারী শীআ দেরকে এ বিষয়ে অবহিত করলেন ৷ তখন
কুফার শাসনকর্তা ছিল মুখতার ইবন উবায়দুল্লাহ্ ৷ হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) মুহাম্মদ
ইবন হানাফিয়্যা এর ঘরের দরযায় প্রচুর কাঠ তুপীকৃত করেছিলেন যে, ওগুলোতে আগুন
ধরিয়ে মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়্যা ও তার পরিবারকে পুড়িয়ে দিবেন ৷ মুহাম্মদ ইবন হানাফিয়্যার
(র) চিঠি মুখতারের নিকট গিয়ে পৌছে ৷ মুখতার নিজে ইবনুল হানাফিয়্যাকে ইমাম মাহ্দী
জ্ঞান করত এবং তার নেতৃত্বের প্রতি জনগণকে আহবান করত ৷ এই পরিস্থিতিতে মুখতার আবু
আবদুল্লাহ বাজালীর নেতৃত্বে বানু হাশিম গোত্রের লোকদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবার জন্যে
চার হাজার সৈন্য পাঠায় ৷৩ তারা ইবন যুবায়র (রা) এর কবল থেকে বানু হাশিম গোত্রের
লোকদেরকে মুক্ত করে নিয়ে যায় ৷ হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা) ও তাদের সাথে যাত্রা
করেন ৷ তায়েফে তার ইনৃতিকাল হয় ৷ ইবন হানাফিয়্যাহ তার শীআ মতাবলম্বী অনুসারীদের
মধ্যে অবস্থান করতে থাকেন ৷ ইবন যুবায়র (রা) তাকে বেরিয়ে যাবার নির্দেশ দেন ৷ তিনি
সাথীদেরকে নিয়ে সিরিয়া চলে যান ৷ তাদের সং খ্যা ছিল প্রায় সাত হাজার ৷

: তারা আয়লা নামক স্থানে পৌছার পর খলীফা আবদুল মালিক এই মমে চিঠি লিখলেন
যে, আপনারা হয় আমার আনুগত্য স্বীক৷ ৷র করে এখানে বসবাস করেন, না হয় অন্যত্র চলে
যাবেন ৷ উত্তরে ইবনুল হানাফিয়্যা লিখলেন, আপনি আমার অনুসারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত
করবেন এই শর্তে আমি আপনার প্রতি ৩আনুগত্য প্রকাশ করতে পারি ৷ খলীফা আবদুল মালিক
বললেন হা, তাই হবে ৷ অতংপর ইবনুল হানাফিয়্যা তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে
দাড়ালেন ৷ মহান আল্পাহ্র প্রশং না ও গুণগান করার পর তিনি বললেন, প্রশং সা মহান আল্লাহ্র


مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ: أَبُو الْقَاسِمِ وَأَبُو عَبْدِ اللَّهِ أَيْضًا، وَهُوَ الْمَعْرُوفُ بِابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، وَكَانَتْ أُمُّهُ أَمَةً سَوْدَاءَ سِنْدِيَّةً مِنْ سَبْيِ بَنِي حَنِيفَةَ، اسْمُهَا خَوْلَةُ. وُلِدَ مُحَمَّدٌ فِي خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَوَفَدَ عَلَى مُعَاوِيَةَ، وَعَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، وَقَدْ صَرَعَ مَرْوَانَ يَوْمَ الْجَمَلِ، وَقَعَدَ عَلَى صَدْرِهِ، وَأَرَادَ قَتْلَهُ، فَنَاشَدَهُ مَرْوَانُ بِاللَّهِ، وَتَذَلَّلَ لَهُ فَأَطْلَقَهُ، فَلَمَّا وَفَدَ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ ذَكَّرَهُ بِذَلِكَ، فَقَالَ: عَفْوًا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَعَفَا عَنْهُ، وَأَجْزَلَ لَهُ الْجَائِزَةَ، وَكَانَ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ مِنْ سَادَاتِ قُرَيْشٍ، وَمِنَ الشُّجْعَانِ الْمَشْهُورِينَ، وَمِنَ الْأَقْوِيَاءِ الْمَذْكُورِينَ، وَلَمَّا بُويِعَ لِابْنِ الزُّبَيْرِ لَمْ يُبَايِعْهُ، فَجَرَى بَيْنَهُمَا شَرٌّ عَظِيمٌ، حَتَّى هَمَّ ابْنُ الزُّبَيْرِ بِهِ وَبِأَهْلِهِ، كَمَا تَقَدَّمَ ذَلِكَ فَلَمَّا قُتِلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ، وَاسْتَقَرَّ أَمْرُ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَبَايَعَهُ ابْنُ عُمَرَ، تَابَعَهُ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ، وَقَدِمَ الْمَدِينَةَ فَمَاتَ بِهَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَقِيلَ: فِي الَّتِي قَبِلَهَا، أَوْ فِي الَّتِي بَعْدَهَا. وَدُفِنَ بِالْبَقِيعِ، وَالرَّافِضَةُ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ بِجَبَلِ رَضْوَى، وَأَنَّهُ حَيٌّ يُرْزَقُ، وَهُمْ يَنْتَظِرُونَهُ، وَقَدْ قَالَ كُثَيِّرُ عَزَّةَ فِي ذَلِكَ: أَلَا إِنَّ الْأَئِمَّةَ مِنْ قُرَيْشٍ ... وُلَاةُ الْحَقِّ أَرْبَعَةٌ سَوَاءُ عَلَيٌّ وَالثَّلَاثَةُ مِنْ بَنِيهِ ... هُمُ الْأَسْبَاطُ لَيْسَ بِهِمْ خَفَاءُ فَسِبْطٌ سِبْطُ إِيمَانٍ وَبِرٍّ ... وَسِبْطٌ غَيَّبَتْهُ كَرْبُلَاءُ
পৃষ্ঠা - ৭২০৪

যিনি তোমাদের রক্তের হিফাযত করলেন, জীবনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করলেন এবং তোমাদের
দীন রক্ষা করলেন ৷ এখন তোমাদের মধ্যে যদি কেউ নিজ দেশে নিরাপদে বসবাস করতে
পারবে বলে মনে কর এবং সেখানে যেতে চাও, তবে যেতে পার ৷ এই ঘোষণার পর তীর
অনুসারীদের বেশীর ভাগ নিজ নিজ অঞ্চলে চলে যায় ৷ তার সাথে থাঃক মাত্র সাত শত পুরুষ ৷

এ পর্যায়ে ইবনুল হানাফিয়্যা উমরার ইহরাম বাধলেন, সাথে মালা পরিয়ে কুরবানীর জন্য
পশু নিলেন এবং মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷ হারাম শরীফে প্রবেশের প্রাক্কালে ইবন
যুবায়রের পাঠানো অশ্বারােহী বাহিনী তাকে বাধা দেয় ৷ তিনি ইবন যুবায়রের (রা) নিকট

ৎবাদ পাঠালেন যে, আমরা যুদ্ধ-ব্বিাহের জন্যে আস্লিনি ৷ আমাদের পথ ছেড়ে দিন ৷ উমরা
শেষ করে আমরা ফিরে যাব ৷ ইবন যুবায়র (বা) তাতে রাষী হলেন না ৷ ইবনুল হানাফিয়্যার
সাথে মালা জড়ানাে কুরবানীর পশু ছিল তাই ইহরাম অবস্থায় মদ্রীনা শরীফ ফিরে গেলেন এবং
ইহরাম অবস্থায় সেখানে অবস্থান করতে লাপলেন ৷

এরই মধ্যে হাজ্জাজ আসল ৷ মক্কা শরীফ আক্রমণ করে সে আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র
(রা) কে হত্যা করল ৷ তখনো ইবনুল হানাফিয়্যা ইহরাম অবস্থায় ছিলেন ৷ হাজ্জাজ ইরাক
ফিরে গেল ৷ ইবনুল হানাফিয়্যা মক্কা শরীফ গিয়ে উমরা আদায় করে এলেন ৷ ইহরাম করার
কয়েক বৎসর পর তিনি এই উমরা আদায় করলেন, এই দীর্ঘসম ত্যেয় তার মাথায় প্রচুর উকুন
জন্ম নিয়েছিল ৷ উকুনগুলো মাথা থেকে বারে বারে পড়ত ৷ উমরা শেষ করে তিনি মদীনা শরীফ
ফিরে যান ৷ তিনি ইনতিকাল পর্যন্ত সেখানে বসবাস করতে থাকেন ৷

কথিত আছে যে, আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র (রা) নিহত হবার পর হাজ্জাজ এসে ইবনুল

হানাফিয়্যাকে বলেছিল এখনতে৷ ওই আল্লাহর দুশমন নিহত হয়েছে এখন আপনি খলীফা
আবদুল মালিকের হাতে বায়আত করুন ৷ উত্তরে ইবনুল হানাফিয়্যা লিখেছিলেন যে, সকল
মানুষের বায়আত শেষ হলে আমি বায়আত করব ৷ প্রত্যুত্তরে হাজ্জাজ বলেহ্নি ৷ আল্লাহর কসম ৷
আমি অবশ্যই আপনাকে কতল করব ৷ পাল্টা উত্তরে ইবনুল হানাফিয়্যা বলেছিলেন, মহান
আল্লাহ্ প্রতিদিন ৩৬০ বার লাওহ-ই মাহফুয়ে দৃষ্টি দেন ৷ প্ৰতি দৃষ্টিতে ৩৬০টি বিষয়ে ফায়সালা
করেন৷ আশা করি একটি ফায়সাল৷ মহান আ ল্লাহ্ আমার সম্পর্কে করবেন ফলে তোমার হাত
থেকে তিনি আমাকে রক্ষা করবেন ৷ ইবনুল হানাফিয়্যা-এর এই বক্তব্য হাজ্জাজ খলীফ৷ আবদুল
মালিককে লিখে জানান ৷ এই মন্তব্য খলীফার রে শ পসন্দ হয় ৷ তিনি হাজ্জাজকে লিখট্যাং,
মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যা-এর বক্তব্যে তো কোন বিদ্রোহ কিৎবা বিরোধিতা নেই ৷ সুতরাং তার
প্রতি সদয় আচরণ করবে ৷ এক পর্যায়ে তিনি নিজেই আসবেন এবং বায়আত করবেন ৷

এক সময় খলীফ৷ আবদুল মালিক ইবনুল হানাফিয়্যা এর এই বক্তব্যটি রোমান সম্রাটাক
লিখে পাঠান “মহান আল্লাহ্ প্রতিদিন ৩৬০ বার লাওহ-ই মা হকুযে নজর করেন ৷” কারণ,
রোমান সম্রাট খলীফ৷ আবদুল মালিককে এই মর্মে ধমক দিয়েছিল যে, এক বিশাল বাহিনী
নিয়ে সে খলীফার উপর আক্রমণ করবে ৷ ওই আক্রমণ ঠেকানাের কোন শক্তি খলীফার থাকবে
না ৷ উত্তরে খলীফ৷ আবদুল মালিক ইবনুল হানাফিয়্যাহ এর বক্তব্যটি রোমান সম্রাটের নিকট
পৌছে দেন ৷ তখন রোমান সম্রাট বলেছিল, এটি তো আবদুল মালিকের বক্তব্য নয় ৷ এটি
নিশ্চয় নবী পরিবারের কারো মুখ থেকে বের হয়েছে ৷

আরৰের জনগণ যখন খলীফ৷ আবদুল মালিকের হাতে বায়আত করার জন্যে উপস্থিত হয়

তখন হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা) ইবনুল হানাফিয়্যাকে বলেছিলেন, এখন তো আর

সমস্যা নেই সুতরাং আবদুল মালিকের হাতে বায়আত করে নিন, ইবনুল হানাফিয়্যা তার


وَسِبْطٌ لَا تَرَاهُ الْعَيْنُ حَتَّى ... يَقُودَ الْخَيْلَ يَقْدُمُهَا لِوَاءُ تَغَيَّبَ لَا يُرَى عَنْهُمْ زَمَانًا ... بِرَضْوَى عِنْدَهُ عَسَلٌ وَمَاءُ
পৃষ্ঠা - ৭২০৫

বায়আতের কথা লিখিতভাবে আবদুল মালিককে জানিয়ে দিলেন ৷ এবং আরো পরে তিনি
সশরীরে আবদুল মালিকের নিকট এসে সাক্ষাত করেন ৷

মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যা র্মুহাররম মাসে মদীনায় ইন্তিকাল করেন ৷ তখন তার বয়স
ছিল ৬৫ বৎসর ৷ মৃত্যুকালে তিনি আবদুল্পাহ্, হামযা, আলী, বড় জা ফর, হাসান, ইব্রাহীম,
কাসিম, আবদুর রহমান, ছোট জাফর আওন এবং রুকায়্যা নামের পুত্র-কন্যাগণকে রেখে
যান ৷ এদের প্রত্যেকেরই ভিন্ন ভিন্ন মাতা ছিলেন ৷

যুবায়র ইবন বাককার বণেন যে, ইবনুল হানাফিয়্যা এর অনুসারীরা মনে করে যে, তিনি
মারা যাননি ৷ এ প্রসঙ্গে সাইয়েদ ইসমাঈল হিমইয়ারী বলেছেন ং


“ওহে পথিক, ভারপ্রাপ্ত অতিভাবককে (শুগ্রা) বলে দাও, আমার প্রাণ আপনার জন্যে
কুরবান হোক্ ৷ আপনি তো দীর্ঘদিন ওই পাহাড়ে অবস্থান করছেন ৷


তাকে নিয়ে একদল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ ওরা আপনাকে আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে ৷
ওরা আপনাকে খলীফা ও ইমাম নামে আখ্যায়িত করেছে ৷


পৃথিবীর অধিবাসিগণ হিংসা-বিদ্বৈষবশতঃ আপনার ব্যাপারে সীমা লংঘন করেছে ৷ আপনি
তো ষটি বৎসর ওদের মাঝে ছিলেন ৷


খাওলার পুত্র তো মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করেনি ৷ আর কোন মাটি তার হাডিদ্ৰ দেহ নিঃজয়
মধ্যে লুকিয়ে রাখেনি ৷




তিনি অবস্থান করছেন রিজভী পার্বত্য উপত্যকার ৷ ফেরেশতাগণ তার সাথে
আলাপচারিতায় মগ্ন থাকে ৷


সেখানে তিনি শাস্তিতে বিশ্রাম নিচ্ছেন ৷ এবং সম্মানিত ব্যক্তিদের সাথে আলাপচারিতায়
যেতে থাৰেম্স ৷

আল্লাহ্ আমাদের হিদারাত দান করেছেন ৷ তোমরা এমন এক বিষয়ের অপেক্ষায় আছ
তাকে দিয়ে আল্লাহ্ যেটি পুর্ণ করবেন ৷

মহান আল্লাহ্য় নুরের পুর্ণত৷ স্বরুপ ইবনুল হ্লানাফিয়্যাহ মাহদীরুপে আবির্ভুত হবেন ৷
তোমরা একের পর এক তার পরিচিতি, পতাকা ও নিদশনিঃ দেখতে পারে ৷


وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: كَانَتْ شِيعَتُهُ تَزْعُمُ أَنَّهُ لَمْ يَمُتْ، وَفِيهِ يَقُولُ السَّيِّدُ: أَلَا قُلْ لِلْوَصِيِّ فَدَتْكَ نَفْسِي ... أَطَلْتَ بِذَلِكَ الْجَبَلِ الْمُقَامَا أَضَرَّ بِمَعْشَرٍ وَالَوْكَ مِنَّا ... وَسَمَّوْكَ الْخَلِيفَةَ وَالْإِمَامَا وَعَادَوْا فِيكَ أَهْلَ الْأَرْضِ طُرًّا ... مَقَامُكَ عَنْهُمُ سِتِّينَ عَامَا وَمَا ذَاقَ ابْنُ خَوْلَةَ طَعْمَ مَوْتٍ ... وَلَا وَارَتْ لَهُ أَرْضٌ عِظَامَا لَقَدْ أَمْسَى بِمُورِقِ شِعْبِ رَضْوَى ... تُرَاجِعُهُ الْمَلَائِكَةُ الْكَلَامَا وَإِنَّ لَهُ بِهِ لَمَقِيلَ صِدْقٍ ... وَأَنْدِيَةً تُحَدِّثُهُ كِرَامَا هَدَانَا اللَّهُ إِذْ حُزْتُمْ لِأَمْرٍ ... بِهِ وَعَلَيْهِ نَلْتَمِسُ الْتَمَامَا تَمَامَ مَوَدَّةِ الْمَهْدِيِّ حَتَّى ... تَرَوْا رَايَاتِهِ تَتْرَى نِظَامَا وَقَدْ ذَهَبَ طَائِفَةٌ مِنَ الرَّافِضَةِ إِلَى إِمَامَتِهِ، وَأَنَّهُ يُنْتَظَرُ خُرُوجُهُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، كَمَا يَنْتَظِرُ طَائِفَةٌ أُخْرَى مِنْهُمُ الْحَسَنَ بْنَ مُحَمَّدٍ الْعَسْكَرِيَّ، الَّذِي يَخْرُجُ فِي زَعْمِهِمْ مِنْ سِرْدَابِ سَامَرَّا، وَهَذَا مِنْ خُرَافَاتِهِمْ وَهَذَيَانِهِمْ وَجَهْلِهِمْ وَضَلَالِهِمْ وَبُهْتَانِهِمْ، وَسَنَزِيدُ ذَلِكَ وُضُوحًا فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ.