ثم دخلت سنة ثمان وسبعين
পৃষ্ঠা - ৭১৭০
৭৭ সনে যারা ইনৃতিকাল করেন ইয়ান ইবন গানাম অড়াশআরী (রা) তাদের একজন ৷
তিনি ইয়ারমুকের যুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি বহু সাহাবী থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
বসরাতে তার ওফাত হয় ৷
মুতাররিক ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) ৭৭ সনে ইনৃতিকাল করেছেন ৷ তারা কয়েক ভাই
, ছিলেন ৷ উরওয়া, মুতাররিফ এবং হামযা (র) ৷ উমাইয়াদের প্রতি তাদের আকর্ষণ ও
আন্তরিকতা ছিল ৷ তাই হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ তাদেরকে বিভিন্ন প্রদেশে শাসনকর্তারুপে নিয়োগ
দেয় ৷ এই সুত্রে উরওয়া নিযুক্ত হন কুফার কর্মকর্তা ৷ মুতাররিফ মাদাইনের এবং হামযা
হামদানের প্রশাসক নিযুক্ত হন ৷
৭৮ হিজরী সন
এই সনে মুসলমানগণ একটি বিরাট যুদ্ধে অংশ নেয় ৷ ওই যুদ্ধ ছিল ণ্রামানদের বিরুদ্ধে ৷
এই যুদ্ধে মুসলমানগণ ইরকিলিয়্যাহ জয় করে ৷ যুদ্ধ শেষে প্রত্যাবর্ত্যনর পথে তারা প্রবল বৃষ্টি,
তৃষারপাত ও শৈত্য প্রবাহের শিকার হয় ৷ তাতে বহু লোক অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷
এই সনে খলীফা আবদুঃ৷ মালিক মুসা ইবন নুসায়র কে আফ্রিকার দেশগুলো জয় করার
জন্যে দায়িত্ব দেন ৷ তিনি সৈন্য সামম্ভ নিয়ে তানজাহ্ এর উদ্দেশ্যে ২যাত্রা করেন ৷ সম্মুখ
বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন তারিক ৷ তারা ওইসব অঞ্চলের রাজা বাদশাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন
এবং ওদেরকে হত্যা করেন ৷ ওদের কাউকে কাউকে নাক কেটে দেশাস্তরী করা হয়, এই সনে
খলীফা আবদুল মালিক থােরাসানের শাসনকর্তার পদ থেকে উমাইয়া ইবন আবদুল্লাহ্কে
বরখাস্ত করে খােরাসান এবং সিজিস্তান দুটোকে হাজ্জাজের শাসনাধীনে ন্যস্ত করেন ৷ এদিকে
খারিজী নেতা শাৰীব ইবন ইয়াযীদের ঝামেলা থেকে মুক্ত হবার পর শাসনকর্তা হাজ্জাজ কুফা
ছেড়ে বসরাৱ উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ মুগীরা ইবন আবদুল্লাহ ইবন আমির হাদরামীকে কুফার
শাসনকর্তা নিয়োগ করে হাজ্জাজ বসরায় গিয়ে পৌছে ৷ সেনাপতি মুহাল্লাব তার সাথে সাক্ষাত
করেন ৷ তিনিও আযারিকা সম্প্রদায়কে পরাজিত করে এসেছিলেন ৷ হাজ্জাজ তার সেনাপতি
মুহাল্লাবকে নিজের সাথে সিংহাসনে বসতে দেয় ৷ তার সৈনিকদের মধ্যে যারা আহত তাদেরকে
ডেকে আনে ৷ মুহাল্পাব যে সৈনিকে র সুনাম করেন হাজ্জাজ তাকে প্রচুর পুরস্কার প্রদান করে ৷
এরপর হাজ্জাজ সেনাপতি মুহাল্লাবকে সিজ্যিানের শাসনকর্তা নিয়োগ করে ৷ আর আবদুল্লাহ্
ইবন আবু বকরাহকে থােরাসানের শাসনকর্তার পদ প্রদান করে ৷ কিন্তু অবিলম্বে সাক্ষাতকার-
শেয হবার পুকেহ উভয়ের কর্মক্ষোর পরিবর্তন করে দেয় ৷ মুহাল্লাবকে দেয় খােরাসান ৷ শাসনের
দায়িত্ব আর আবদুল্লাহ্কে প্রদান করে সিজিস্তানের শাসনভার ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে,
মুহাল্লাবের পরামর্শে হাজ্জাজ এই রদবদল করে ৷ আবার কেউ বলেছেন যে, হাজ্জাজ তৎকালীন
পুলিশ প্রধান আবদুর রহমান ইবন উবায়দ ইবন তারিক আবশামীর পরামর্শ চেয়েছিল ৷ সে
হাজ্জা জকে এরুপ পরামর্শ দিয়েছিল ৷ হাজ্জাজ তার পরামর্শ গ্রহণ করে এই রদবদল করে এবং
মুহাল্পাবকে লক্ষ ব্বিহাম পরিশোধের নির্দেশ দেয় ৷ কারণ, তিনি এই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন
তৃলেছিলেন ৷
আবু মাশার বলেন এই সনে ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক হজ্জ পরিচালনা করেন ৷ এ
সময়ে মদীনা শরীফের শাসনকর্তা ছিলেন আৰান ইবন উছমান ৷ ইরাক, থােরাসান ও
সিজ্যিানসহ ওই অঞ্চলের সকল রাজ্যের প্রশাসক ছিল হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ ৷ তার পাশে
থােরাসাভৈনর দায়িত্বে ছিলেন মুহাল্লাব ইবন আবু সুফ্রাহ, সিডিন্তোনে আবদুল্লাহ ইবন আবু
বকরাহ ছাকাফী ৷ কুফার বিচারক পদে ছিলেন শুরায়হ, বাসরার বিচারক পদে মুসা ইবন
আনাস ইবন মালিক আনসারী (রা) ৷
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَمَانٍ وَسَبْعِينَ]
[مَا وَقَعَ فِيهَا مِنْ أَحْدَاثٍ]
فَفِيهَا كَانَتْ غَزْوَةٌ عَظِيمَةٌ لِلْمُسْلِمِينَ بِبِلَادِ الرُّومِ، فَفَتَحُوا إِرْقِيلِيَّةَ، فَلَمَّا رَجَعُوا أَصَابَهُمْ مَطَرٌ عَظِيمٌ وَثَلْجٌ وَبَرَدٌ، فَأُصِيبَ بِسَبَبِهِ نَاسٌ كَثِيرٌ.
وَفِيهَا وَلَّى عَبْدُ الْمَلِكِ مُوسَى بْنَ نُصَيْرٍ غَزْوَ بِلَادِ الْمَغْرِبِ جَمِيعِهِ، فَسَارَ إِلَى طَنْجَةَ وَقَدَّمَ عَلَى مُقَدِّمَتِهِ طَارِقًا، فَقَتَلُوا مُلُوكَ تِلْكَ الْبِلَادِ، وَبَعْضُهُمْ قَطَعُوا أَنْفَهُ وَنَفَوْهُ.
وَفِيهَا عَزَلَ عَبْدُ الْمَلِكِ أُمَيَّةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ إِمْرَةِ خُرَاسَانَ، وَأَضَافَهَا إِلَى الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ الثَّقَفِيِّ مَعَ سِجِسْتَانَ أَيْضًا، وَرَكِبَ الْحَجَّاجُ بَعْدَ فَرَاغِهِ مِنْ شَأْنِ شَبِيبٍ مِنَ الْكُوفَةِ إِلَى الْبَصْرَةِ، وَقَدِ اسْتَخْلَفَ عَلَى الْكَوْفَةِ الْمُغِيرَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ الْحَضْرَمِيَّ، فَقَدِمَ الْمُهَلَّبُ عَلَى الْحَجَّاجِ وَهُوَ بِالْبَصْرَةِ، وَقَدْ فَرَغَ مِنْ شَأْنِ الْأَزَارِقَةِ أَيْضًا، فَأَجْلَسَهُ مَعَهُ عَلَى السَّرِيرِ، وَاسْتَدْعَى بِأَصْحَابِ الْبَلَاءِ مِنْ جَيْشِهِ، فَمَنْ أَثْنَى عَلَيْهِ الْمُهَلَّبُ أَجْزَلَ الْحَجَّاجُ لَهُ الْعَطِيَّةَ، ثُمَّ وَلَّى الْحَجَّاجُ الْمُهَلَّبَ إِمْرَةَ سِجِسْتَانَ، وَوَلَّى عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي بَكْرَةَ إِمْرَةَ خُرَاسَانَ، ثُمَّ نَاقَلَ بَيْنَهُمَا قَبْلَ خُرُوجِهِمَا مِنْ عِنْدِهِ، فَقِيلَ: كَانَ ذَلِكَ بِإِشَارَةِ الْمُهَلَّبِ. وَقِيلَ: إِنَّهُ اسْتَعَانَ بِصَاحِبِ الشُّرْطَةِ، وَهُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ طَارِقٍ الْعَبْشَمِيُّ، حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৭১৭১
৭৮ সনে ওফ্াতপ্রাপ্ত বিপ্টি ব্যক্তিবর্গ
আবির ইবন আবদুল্লাহ ইব্র্ল আমব (বা)
৭৮ হিজরী সনে যারা ইনৃতিকাল করেন তাদের অন্যতম হলেন জা ৷বির ইবন আবদুল্লাহ
(রা) ৷ তার উপনাম আবু আরদুল্লাহ্ আনসারী সুলামী, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে সাথে
থাকতেন ৷ তিনি বহু হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি আকবার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৷
বদরের যুদ্ধে যেতে চেয়েছিলেন ৷ কিত্তু পরিবারিক কারণে তার পিতা তাকে যুদ্ধে যেতে ধারণ
করেন ৷ তার পিতা নিজে যুদ্ধে গিয়েছি₹লনএ৷ পিতা যুদ্ধে যাবার কালে হযরত জাবির (রা)-কে
তার ভই-ণ্বানদেরকে দেখাশোনা করার জন্যে বাড়ী রেখে গিয়েছিলেন ৷ তারা ভাইবোন মিলে
নয়জন ছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, মৃত্যুর পুর্বে হযরত জাবির (রা)-এর দৃষ্টি শক্তি সোপ
পেয়েছিল ৷
হযরত জব্যিরর (রা) ওফাত হয় মদীনায় ৷ তখন তার বয়স ৯৪ বছর ৷ তার বরাতে প্রায়
১ ৫৪ :টি হাদীস বর্গিত হয়েছে ৷
শুরা য়হইবন হারিছ (র)
৭৮ সনে যাদের ওফাত হয় তাদের একজন হলেন শুরায়হ ইবন হারিছ ইবন কায়স, আবু
উমইিয়া কিন্দী, তিনি কুফাৱ কাযী ও বিচারক ছিলেন ৷ হযরত উমার (,রা) উছমান ও আলী
(রা) এর শাসনামলে তিনি বিচারক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন ৷ এক পর্যায়ে হযরত আলী (রা)
তাকে বিচারকের পদ থেকে অব্যাহতি দেন ৷ এরপর আমীর মুআবিয়৷ (রা) এর শাসনামলে
তাকে পুনরায় বিচারক পদে নিয়োগ ৫দয়া হয়, সেই থেকে এই সনে মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তিনি
বিচারকের পদে কাজ করে গিয়ে ন্থড্ডা ৷ বিচারকের দায়িত্ব পালনের, প্রেক্ষিতে তিনি মাসিক
একশত দিরহাম করে ভাতা প্রেতেন ৷ কেউ বলেছেন ৫০০ (পাচশত) দিরহাম ৷
তার এই নিয়ম ছিল যে, বিচার কার্যের জন্যে বের হবার সময় তিনি একথা বলতেন যে,
অন্যায়কারী অবিলম্বে জানতে পারবে সে ক্ষতিগ্রস্তের কী পরিমাণ হক নষ্ট করেছে ৷ কেউ কেউ
বলেছেন যে, বিচারকের এজল্াসে বসার সময় তিনি এই আয়াত তিলাওয়াত করতেন-া ৷
fl × : :
ণ্হ দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি ৷ অতএব তুমি লোক্যদ্যা মধ্যে সুবিচার
বল্ম, এবং খেয়াল খুশীর অনুসরণ করে৷ না ৷ ( সাদ ৩৮৪ ২৬) ৷
তিনি প্রায়ই বলতেন যে, যালিম ও অন্যায়াচারী ব্যক্তি শাস্তির আপেক্ষায় থাকে আর
ন্ মাযলুম ও নির্যাতিত ব্যক্তি সাহায্যের প্রতীক্ষায় থাকে ৷ বলা হয়ে থাকে যে, তিনি প্রায় ৭০
বছর বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন, কেউ কেউ বলেন যে, মৃত্যুর এক বছর পুর্বে৩ তিনি
বিচারকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন, আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷
তীর পুর্ব পুরুষ ছিল ইয়ামানে বসবাসকারী পারসিক জাতিভৃক্ত ৷ রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর
ইনৃতিকালের পর শুরায়হ (র) মদীনা শরীফে আগমন করেন ৷ তার ওফাত হয় কুফাংত ৷ তখন
তার বয়স ১০৮ বছর ৷
তাবারানী উল্লেখ করেছেন যে, আলী ইবন আবদুল আযীয ইব্রাহীম তায়মী থেকে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, বিচারপতি শুরায়হ প্রায়ই বলতেন, যালিম ও অন্যায়াচারী অবিলম্বে
أَشَارَ عَلَى الْحَجَّاجِ بِذَلِكَ، فَأَجَابَهُ الْحَجَّاجُ إِلَى ذَلِكَ، وَأَلْزَمَ الْمُهَلَّبَ بِأَلْفِ أَلْفِ دِرْهَمٍ ; لِكَوْنِهِ اعْتَرَضَ عَلَى ذَلِكَ.
قَالَ أَبُو مَعْشَرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَكَانَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ أَبَانَ بْنَ عُثْمَانَ، وَأَمِيرُ الْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ وَسِجِسْتَانَ وَتِلْكَ النَّوَاحِي كُلِّهَا الْحَجَّاجَ، وَنَائِبُهُ عَلَى خُرَاسَانَ الْمُهَلَّبَ بْنَ أَبِي صُفْرَةَ وَنَائِبُهُ عَلَى سِجِسْتَانَ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي بَكْرَةَ الثَّقَفِيَّ، وَعَلَى قَضَاءِ الْكُوفَةِ شُرَيْحٌ، وَعَلَى قَضَاءِ الْبَصْرَةِ مُوسَى بْنُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ الْأَنْصَارِيُّ.
[مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ]
وَقَدْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ:
جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَرَامٍ
أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، الْأَنْصَارِيُّ السُّلَمِيُّ، صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَهُ رِوَايَاتٌ كَثِيرَةٌ، وَشَهِدَ الْعَقَبَةَ، وَأَرَادَ أَنْ يَشْهَدَ بَدْرًا فَمَنَعَهُ أَبُوهُ، وَخَلَّفَهُ عَلَى أَخَوَاتِهِ وَإِخْوَتِهِ، وَكَانُوا تِسْعَةً، وَقِيلَ: إِنَّهُ ذَهَبَ بَصَرُهُ قَبْلَ مَوْتِهِ. تُوُفِّيَ جَابِرٌ بِالْمَدِينَةِ، وَعُمْرُهُ أَرْبَعٌ وَتِسْعُونَ سَنَةً، وَأَسْنَدَ أَلْفًا وَخَمْسَمِائَةٍ وَأَرْبَعِينَ حَدِيثًا.
شُرَيْحُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ قَيْسٍ، أَبُو أُمَيَّةَ، الْكِنْدِيُّ
وَهُوَ قَاضِي الْكُوفَةِ، وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৭১৭২
’ ১ × ! শ্ ১ ) প্ শ্
১ এে
৫স আমার কোলে এসে পড়ল, আমার দায়িত্বে এসে পড়ল ইয়াড়ীম, একক ও অসহায়
হয়ে
তখন আমি সদুদ্দেশ্য নিয়ে বিয়ে করেছি ৷ এমন এক ব্যক্তিকে যে আমাকে এবং আমার
পুত্রকে নিঃশেষ ও ধ্বংস হবার পথ থেকে রক্ষা বরেবে ৷
ন্ শ্ ’ : ’ : × শ্
আমি বিয়ে করেছি এমন এক লোককে যে আমার প্রতি ভালবাসা নিবেদন করে এবং যে
আমাকে ভালভাবে ত্যাগ-পোষণ ও সাহায্য-সহযোগিতা করে ৷
উভয়পহ্মের বক্তব্য শেষে বিচারক শুরায়হ বললেনং
,াটুটু
বিচারক তোমাদের দুজনের কথা শু৫নছেন ৷ তারপর রায় দিবেন ৷ ৫কান বক্তব্য গ্রহণ
গাকিং ও উদাসীন থাকলে সেজন্যে বিচারক দায়ী থাকবেন ৷
এট্রি
বিচারক শুরায়হ দাদীকে বললেন, আপনার নাতি নিয়ে আপনি চলে যান ৷ ওই দরুিদৃ ও
দুঃখিনী মাতা থেকে শিশুটিকে নিয়ে নিন ৷
এগ্রো ভ্রু০ট্টা
ওই মাতা যদি ধৈর্যধাৱণ করত এবং অন্যত্র বিয়ে না করত, তাহলে দাবী ছাড়া বাচ্চাঢি
তারই নিকট থেকে যেত ৷
অতঃপর বিচারপতি শুরায়হ শিশুটি দাদীর হিফাযতে থাকবে বলে রায় দিয়ে দিলেন ৷
আবদুর রায্যাক মামার ইবন আওন শুরড়ায়হ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি জনৈক ব্যক্তির
স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে তার বিপক্ষে রায় প্রদান করলেন ৷ তখন ৫লাকটি বলল, হে আৰু
উমাইয়া ! আপনি তো দলীল-প্রমাণ ছাড়া আমার বিরুদ্ধে রায় প্রদান করলেন ৷ উ ত্তরে শুরায়হ
বললেন, তোমার খালার ভাগ্নে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং সেই ভিত্তিতে আমি রায়
প্রদান করেছি ৷ আলী ইবন জা দ বলেছেন মাসউদী আমাকে জানিয়েহ্নে৷ আবু ছুসায়ন থেকে ৷
তিনি বলেছেন, শুরায়হ৫ক জি৫জ্ঞস করা হয়েছিল এমন এক বকরী সম্পর্কে যে বকরী মাছি
খেয়ে থাকে ৷ উত্তরে তিনি বলেছিলেন, তাভাে ভালই বিনে পয়সায় ঘাস আর মজার দুধ্
ইমাম আহমদ বলেছেন, ইয়াহ্য়া ইবন সাঈদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
আমার পিতা বলেছেন যে, শুবায়হ-এর পরিবারে যদি কোন বিড়াল মা রা যেত ত৫ ব সেটিকে
তিনি তার বাড়ীর মাঝখানে ফেলে রাখতেন ৷ কারণ, বাড়ীর মাঝখানে ছাড়া বড় রাস্তার সাথে
সং যোগ সাধনকারী কোন নালা ছিল না ৷ জনসাধারণের যাতে কষ্ট না হয় তইি তিনি এমনটি-
করতেন ৷ অর্থাৎ মৃত বিড়ালটি তার বাড়ীর মাঝখানে ৫ল্দো৫তন ৷ যাতে বড় রাস্তায় চলাচলকারী
মুসলমানগণ এটির দৃর্গন্ধে কষ্ট না পড়ায় ৷ তার ঘরের ছাদ থেকে পানি পড়ার নাল৷ ছিল তার
বাড়ীর মাঝখানে ৷
تَوَلَّى الْقَضَاءَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، ثُمَّ عَزَلَهُ عَلِيٌّ، ثُمَّ وَلَّاهُ مُعَاوِيَةُ، ثُمَّ اسْتَقَلَّ فِي الْقَضَاءِ، إِلَى أَنْ مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَانَ رِزْقُهُ عَلَى الْقَضَاءِ فِي كُلِّ شَهْرٍ مِائَةَ دِرْهَمٍ، وَقِيلَ: خَمْسَمِائَةِ دِرْهَمٍ. وَكَانَ إِذَا خَرَجَ إِلَى الْقَضَاءِ يَقُولُ: سَيَعْلَمُ الظَّالِمُ حَظَّ مَنْ نَقَصَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ كَانَ إِذَا جَلَسَ لِلْقَضَاءِ قَرَأَ هَذِهِ الْآيَةَ: {يَا دَاوُدُ إِنَّا جَعَلْنَاكَ خَلِيفَةً فِي الْأَرْضِ فَاحْكُمْ بَيْنَ النَّاسِ بِالْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعِ الْهَوَى} [ص: 26] (ص: 26) الْآيَةَ، وَكَانَ يَقُولُ: إِنَّ الظَّالِمَ يَنْتَظِرُ الْعِقَابَ، وَالْمَظْلُومَ يَنْتَظِرُ النَّصْرَ، أَوِ الْمَثُوبَةَ. وَقِيلَ لَهُ: كَيْفَ أَصْبَحْتَ؟ فَقَالَ: كَيْفَ يُصْبِحُ حَالُ مَنْ شَطْرُ النَّاسِ عَلَيْهِ غَضْبَانُ؟ وَقِيلَ: إِنَّهُ مَكَثَ قَاضِيًا نَحْوَ سَبْعِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: إِنَّهُ اسْتُعْفِيَ مِنَ الْقَضَاءِ قَبْلَ مَوْتِهِ بِسَنَةٍ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَأَصْلُهُ مِنْ أَوْلَادِ الْفَرَسِ الَّذِينَ كَانُوا بِالْيَمَنِ، وَقَدِمَ الْمَدِينَةَ بَعْدَ مَوْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتُوُفِّيَ بِالْكُوفَةِ، وَعُمْرُهُ مِائَةٌ وَثَمَانِ سِنِينَ.
পৃষ্ঠা - ৭১৭৩
এক ব্যক্তি কাযী শুরায়হকে বলেছিল, আপনি অন্যের প্রতি আগত নিআমতগুলোর কথা
আলোচনা করেন আর নিজের প্ৰতি আগত নিআমতগুলাের কথা ভুলে যান তার কারণ কি ? ন্
উত্তরে শুরায়হ বললেন, বস্তুতঃ তোমার মধ্যে আমি যে নিআমতগুলো দেখি তাতে আমার ঈর্ষ৷
হয়, আল্লাহর পক্ষ থেকে আমি যেন ওই নিআমত পাই তা কামনা করি ৷ লোকটি বলল,
তাতে আল্লাহ তোমার কল্যাণ করবেন না আর আমার কোন ক্ষতি করবেন না ৷ জারীর (র)
শায়বানী সুত্রে শা বী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার হযরত উমার (রা)
একলোক থেকে একটি ঘোড়া কিনেছিলেন এই শর্তে যে, তিনি ঘোড়াটি যাচাই করে দেখবেন ৷
তিনি ঘোড়াটি নিলেন এবং সেটি নিয়ে যাত্রা করলেন ৷ এক পর্যায়ে ঘোড়াটি খােড়া হয়ে যায় ৷
তিনি ঘোড়ার মালিককে বললেন, তোমার ঘোড়া তুমি নিয়ে যাও ৷ লোকটি বলল, না, আমি
এটি নিব না ৷ হযরত উমার (রা) বললেন, তাহলে একজন বিচারক নির্ধারণ কর যিনি
আমাদের এই বিষয়টির ফায়সালা করে দিবেন ৷ লোকটি বলল, হা, তাই হোক, ন্কাযী শুরায়হ
আমাদের মাঝে বিচার করে দিবেন ৷ হযরত উমর (রা) বললেন, কোন শুরায়হ ? লোকটি
বলল ইরাকী নাগরিক শুরায়হ ৷ র্টু
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর হযরত উমার (বা) এবং ঘোড়ার মালিক দু জনে কাযী
শুরায়হ-এর নিকট গেলেন ৷ দুজনেই ঘটনার বৃত্তান্ত জানালেন ৷ বিচারক শুরায়হ বললেন,
আমীরুল মু ’মিনীন! আপনি ঘোড়াটি যেভাবে নিয়েছেন সেইভাবে তা ফেরত দিন নতুবা আপনি
যেটি ক্রয় করেছেন ৷ মুল্য পরিশোধ করে সেটি নিয়ে যান ৷ রায় শুনে আমীরুল মু মিনীন হযরত
উমার (রা) বললেন, এছাড়া কি বিচার হয় ? এবং আপনি কুফায় চলে যান ৷ ওখানে বিচারক
পদে যোগদান করুন ৷ আমি আপনাকে কুফাব বিচারকের পদে নিয়োগ দান করলাম, এই
দিলেই হযরত উমার (রা) কাযী শুরায়হের বুদ্ধিমত্তা ও দুরদর্শিতা সম্পর্কে প্রথম অবগত
হয়েছিলেন ৷
হিশাম ইবন মুহাম্মদ কালবী বলেছেন, সাদ ইবন ওয়াক্কাসের জনৈক পুত্র বলেছেন যে,
আছে (রা) এর একটি পুত্র ছিল ৷ সে কুকুরগুলো জড়ো করত এবং সেগুলোর মধ্যে ঝগড়া
বাধিয়ে দিত ৷ সেগুলোকে পরস্পরের প্রতি ক্ষেপিয়ে তৃলত ৷ অতঃপর শুরায়হ কাগজ-কলম এনে
ওই ছেলের শিক্ষ্ণককে লিখলেন-
আমার এই পুত্র ধ্ন, নামায তরক করেছে ৷ কুকুরের পেছনে লেগেছে ৷ সেগুলোর মধ্যে
ঝগড়৷ ও যুদ্ধ বাধানাের জন্যে ৷ অন্যান্য দুষ্ট ছেলেদের দলে তিড়ে সে এমনটি করেছে ৷
সে যখন আপনার নিকট উপস্থিত হবে, তখন একটু গালমন্দ ও কটুকথ৷ বলে তাকে ছেড়ে
দিবেন এবং বিচক্ষণ শিক্ষকের ন্যায় তাকে উপদেশ দিবেন ৷
আপনি যদি ওকে প্রহার করতে চান, তাহলে প্রহার করবেন চা বুক দিয়ে ৷ আর তিন বা
দেয়ার পর প্রহার বন্ধ করে দিবেন ৷ আর আঘাত করবেন না ৷
জেনে রাখুন, আপনি যা করেছেন এবং আমার মধ্যে তার প্রতি ৩যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে উভয়ের
ফ্লশ্রুতিতে যে খুব ভাল মানুষে পরিণত হয়ে ৷
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ غَنْمٍ الْأَشْعَرِيُّ
نَزِيلُ فِلَسْطِينَ، وَقَدْ رَوَى عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَقِيلَ: إِنَّ لَهُ صُحْبَةٌ. وَقَدْ بَعَثَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى الشَّامِ ; لِيُفَقِّهَ أَهْلَهَا فِي الدِّينِ، وَكَانَ مِنَ الْعُبَّادِ الصَّالِحِينَ.
جُنَادَةُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ الْأَزْدِيُّ
شَهِدَ فَتْحَ مِصْرَ، وَكَانَ أَمِيرًا عَلَى غَزْوِ الْبَحْرِ لِمُعَاوِيَةَ، وَكَانَ مَوْصُوفًا بِالشَّجَاعَةِ وَالْخَيْرِ، تُوُفِّيَ بِالشَّامِ وَقَدْ قَارَبَ الثَّمَانِينَ.
الْعَلَاءُ بْنُ زِيَادٍ الْبَصْرِيُّ
كَانَ مِنَ الصَّالِحِينَ الْعُبَّادِ، مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، وَكَانَ كَثِيرَ الْخَوْفِ وَالْوَرَعِ، وَكَانَ يَعْتَزِلُ فِي بَيْتِهِ، وَلَا يُخَالِطُ النَّاسَ، وَكَانَ كَثِيرَ الْبُكَاءِ، لَمْ يَزَلْ يَبْكِي حَتَّى عَمِيَ، وَلَهُ مَنَاقِبُ كَثِيرَةٌ، تُوُفِّيَ بِالْبَصْرَةِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ.
سُرَاقَةُ بْنُ مِرْدَاسٍ الْأَزْدِيُّ
كَانَ شَاعِرًا مُطْبِقًا، هَجَا الْحَجَّاجَ فَنَفَاهُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৭১৭৪
া
ণ্ ;
কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ ঋণ্যাস্ত ব্যক্তিকে ডেকে আসবেন ৷ তারপর বলবেন কেন
তুমি মানুষের হক নষ্ট করেছ ? কেন তুমি ওদের মালামাল নিয়ে গিয়েছ ? সে বলবে, ইয়া
রাব্ব ৷ আমি ইচ্ছাকৃতভাবে তা নষ্ট করিনি ৷ জাহাজ ভুবি নৌকা ডুবিতে আমার সম্পদ নষ্ট
হয়েছে কিৎবা আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়েছে ৷ তখন মহান আল্লাহ বলবেন, তবে আমি আজ তোমার
পক্ষে ঋণ শোধ করে দিব ৷ এরপর ওই ব্যক্তির পাপাচারের তুলনায় পুণ্য ভারী হবে, লেক
আমলের ওযন বেশী হয়ে এবং তাকে জান্নাতেপাঠানোর নির্দেশ দেয়া হবে ৷’ এটি হল আবু
দাউদেৱ ভাষ্য ৷ ইয়াযীদ ইবন হারুন এটি সাদাকা থেকে যা বর্ণনা করেছেন তাতে আছে যে,
এরপর মহান আল্লাহ কি একটা বস্তু আনয়নের নির্দেশ দিবেন ৷ সেটি তার পাল্লায় রাখা হবে
এবং তাতে তার নেকীর পাল্লা ভারী হয়ে যাবে ৷
আল্লামা তাবারানী এটি উদ্ধৃত করেছেন আবু নুআয়ম সুত্রে সাদাকা থেকে ৷ আল্লামা
তাবারানী এটি হাফস ইবন উমার এবং আহমদ ইবন দাউদ মকী থেকেও বর্ণনা করেছেন ৷
তারা দুজনে বলেছেন যে, মুসলিম ইবন ইব্রাহীম এই হাদীস সাদাকা সুত্রে আমাদের নিকট
বর্ণনা করেছেন ৷: মহান আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
আবদুল্লাহ ইবন পানাম (র)
এই সনে যে সব বিশিষ্ট ব্যক্তির ইনৃতিকাল হয় তাদের একজন হলেন আবদুল্লাহ ইবন
গানাম আশআরী ৷ তিনি ফিলিস্তিনে বসবাস করতেন ৷ একাধিক সাহাবী থেকে তিনি হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ কেউ কেউ বলেন যে, তিনি সাহাবী ছিলেন ৷ হযরত উমার (রা) তাকে সিরিয়া
পাঠিয়েছিলেন জনসাধারণকে দীন শিক্ষা দেবার জন্যে ৷ তিনি সৎ ও পুণ্যৰান মানুষদের একজন
ছিলেন ৷
জুনাদা ইবন উমাইয়া আযদী (র)
৭৮ সনে যাদের ওফাত হয় তাদের একজন হলেন জুনাদা ইবন উমইিয়া আযদী ৷ তিনি :
মিসর বিজয় অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন ৷ মুআবিয়ার (র) আমলে নৌযুদ্ধে তিনি সেনাপতির
দায়িত্ব পালন করেছিলেন ৷ বীরতৃ ও কল্যাণমুলক কাজে তার প্রসিদ্ধি ছিল ৷ প্রায় ৮০ বছর
বয়সে এই সনে তিনি সিরিয়াতে ইনতিকাল করেন ৷
আশা ইবন যিয়াদ বসরী
এই সনে যাদের ওফাত হয় তাদের একজ্যা হলেন আলা ইবন যিয়াদ বসরী ৷৩ তিনি বসরার
অধিবাসী ছিলেন ৷৩ তিনি সৎ ও পুণ্যবান মানুষ ছিলেন ৷ তার মধ্যে পরম খােদাভীতি ও তাকওযা
জ্জি ৷ তিনি প্রায়ই নিজ গৃহে একাকী সময় কাটাতেন ৷ লোকজনের সাথে খুব একটা মিশতেন
না ৷ খুব বেশী র্কাদতেন ৷ কেদে কেদে তিনি অন্ধ হয়ে যান ৷ তার অনেক সুকীর্তি ও
গৌরবজ্যাক ঘটনা রয়েছে ৷ ৭৮ সনে বসরাতে তিনি ইনৃতিকাল করেন ৷
আমি বলি আলা ইবন যিয়াদের কান্নার মাত্রা প্রচুর বেড়ে গেল সেদিন থেকে যেদিন এক
ব্যক্তি র্ডাকে জান্নাতী বলে স্বপ্নে ণ্দখল ৷ সিরিয়ার অধিবাসী এক লোক তাকে স্বপ্নে দেখে যে,
তিনি জান্নাতের অধিবাসী হয়ে আছেন ৷ এই সংবাদ ণ্শা নার পর আলা ইবন যিয়াদ তাকে
الشَّامِ، فَتُوُفِّيَ بِهَا.
النَّابِغَةُ الْجَعْدِيُّ الشَّاعِرُ
السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ الْكِنْدِيُّ
تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ.
سُفْيَانُ بْنُ سَلَمَةَ الْأَسَدِيُّ
مُعَاوِيَةُ بْنُ قُرَّةَ الْبَصْرِيُّ
زِرُّ بْنُ حُبَيْشٍ