আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وسبعين

পৃষ্ঠা - ৭১৪৭

৭৬ হিজরী সন

এই সনের প্রথম দিকে সফর সালের শুরুতে এক বুধবার রাতে খারিজীদের এক সমাবেশ
অনুষ্ঠিত হয় ৷ সুফারিয়্যাহ সম্প্রদায়ের প্রধান সালিহ্ ইবন মুসাররাহ এবং খারিজী সম্প্রদায়ের
বিশিষ্ট বীর ও সাহসী ব্যক্তি শাবীব ওই সমাবােশ উপস্থিত ছিল ৷ প্রথমে বক্তৃতা দিল সালিহ্
ইবন মুসাররাহ ৷ উপস্থিত জনতাকে সে আল্লাহ্র তাকওয়া বা থোদাভীতি অর্জনের নির্দেশ দিল ৷
তারপর জিহাদে অং ৷নিতে উদ্বুদ্ধ করল ৷ সে এই আদেশ ও জারী করল যে, প্রথমে নিজেদের
দলে অন্তর্ভুক্ত হবার আহ্বান জানানো ছাড়৷ কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা য বের না ৷

এরপর তারা জা ৷যীরা অঞ্চলের প্রশাসক মুহাম্মদ ইবন মারওয়ালের পশুপালের উপর হামলা
চালায় এবং পশুগুলো লুট করে নিয়ে আসে ৷ তারা “দাবা” অঞ্চলে ১৩ দিন অবস্থান করে ৷
দার৷ নসীবীন এবং সানজায়ের নাগরিকরা নিরাপত্তার জন্য দৃর্গে আশ্রয় নেয় ৷ জাযীরার
শাসনকর্তা মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান আদী ইবন আদী ইবন উমায়রাহ-এর নেতৃত্বে পাচশত
অশ্বারােহী বিশিষ্ট এক সেনা ব্রিগেড প্রেরণ করেন ওদেরকে মুকাবিলা করার জন্যে ৷ পরে ওদের
সাহাষ্যার্থে অতিরিক্ত আরো ৫০০ জন সৈন্য পাঠালেন ৷ আদী ১০০০ সৈন্যের বহর নিয়ে
হাররান থেকে ওদের মুকাবিলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ মনে হচ্ছিল তারা যেন দেখে শুনে মৃত্যুর
দিকে অগ্রসর হচ্ছিল ৷ কারণ, খাবিজীদের শক্তি সাহস এবং যুদ্ধ অভিজ্ঞতা তাদের জানা ছিল ৷
তারা খাবিজীদের মুখোমুখি হল ৷ উভয় পক্ষে প্রচণ্ড সংঘর্ষ হল ৷ খাবিজীগণ তাদেরকে
শ্যেচনীয়ভাবে পরাজিত করে এবং তাদের রসদপত্র সরঞ্জামাদি ও অস্ত্রশস্ত্র দখল করে নেয় ৷
পরাজিত বাহিনী ফিরে যায় মুহাম্মদ ইবন মারওয়ানের নিকট, পরাজয়ের সংবাদে মুহাম্মদ ইবন
মারওয়ান ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হন ৷ এবার তিনি হারিছ ইবন জাউনার নেতৃত্বে ১৫০০ এবং খালিদ
ইবন হুবর-এর নেতৃত্বে থা ৷রিজীদের বিরুদ্ধে ১ ৫০০ সৈন্য প্রেরণ করেন ৷ উভয় সেনাপতিকে
বলে দেওয়া হয় যে, আগে যেজন শত্রু পক্ষের নিকট পৌছভে পারবে সে সম্মিলিত বাহিনীর
সেনাপতিতু লাভ করবে ৷ ৩০০০ সৈন্যের এই বহর শত্রুর সন্ধানে অগ্রসর হল ৷ খারিজীগণ
সংখ্যায় ছিল মাত্র ১২০ জন ৷ সরকারী বাহিনী আমেদ পৌছার পর ৬০ জন অনুসারী নিয়ে
সালিহ্ এগিয়ে গেল খা ৷ণিদ ইবন হুবরকে মুকাবিলা করার জন্যে ৷ আর অবশিষ্ট অনুসারীদেরকে
নিয়ে শাবীব এগিয়ে গেল হারিছ ইবন জাউনাকে মুক৷ ৷বিল৷ করার জন্যে ৷

উভয় পক্ষে প্রচণ্ড যুদ্ধ হল ৷ দিন গড়িয়ে রাত এসে গেল ৷ সন্ধ্য৷ বেলা উভয় পক্ষ যুদ্ধ
বিরতি মেনে নিল ৷ ইতোমধ্যে খ৷ রিজীদের প্রায় ৭০ জন এবং উমাইয়া বাহিনীর প্রায় ৩০ জন
যোদ্ধ৷ নিহত হয়ে গিয়েছে ৷ রাতের অন্ধকারে খারিজিগণ ওই অঞ্চল ছেড়ে পা ৷লিয়ে যায় ৷ তারা
যুসেলের পথে দাসকারাহ অতিক্রম করে যায় ৷ তাদের পেছনে হজ্জ ৷জ হারিছ ইবন উমায়রাহ
এর নেতৃত্বে ৩০০০ সৈন্যের একটি বাহিনী প্রেরণ করে ৷ ,সেনাদল এগিয়ে যায় ৷ মুসেল পৌছে
এরা খারিজীদের সাক্ষাত পায় ৷ তখন খারিজী নেতা সালিহের সাথে মাত্র ৯০ জন অনুসারী
ছিল ৷ উভয় পক্ষ মুখোমুখি হল ৷ সালিহ্ তার সৈন্যদেরকে তিনটি অশ্বারােহী দলে বিভক্ত
করল ৷ একদলের নেতৃত্বে সে নিজে থ৷ ৷কল ৷ত তার ডান দিকের দলের নেতৃত্বে শাবীব এবং বাম
পার্শের দলের নেতৃত্বে রাখল সুওয়া য়দ ইবন সুলায়মানকে ৷ হারিছ ইবন উমায়রাহ তাদের উপর
আক্রমণ করল ৷ তার ডান বাহুতে নেতৃতৃ দিচ্ছিল ৷ আবু রাওয়৷ শাকিরী এবং বাম বাহুতে
নেতৃতু দিচ্ছিল যুবায়র ইবন আরওয়াহত তামীমী ৷ সং খ্যায় কম হলেও খারিজীগণ পরম ধৈর্যের
সাথে আক্রমণ প্রতি আক্রমণ করছিল ৷ এক পর্যায়ে সুওয়ায়দ ইবন সুলায়মান নিহত হয় ৷
এরপর নিহত হয় খারিজী দল নেতা সালিহ্ ইবন মুসাররাহ ৷ শা ৷বীব তার ঘোড়ার পিঠ থেকে


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتٍّ وَسَبْعِينَ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] وَكَانَ فِي أَوَّلِهَا فِي مُسْتَهَلِّ صَفَرٍ مِنْهَا لَيْلَةَ الْأَرْبِعَاءِ اجْتِمَاعُ صَالِحِ بْنِ مُسَرِّحٍ أَمِيرِ الصُّفْرِيَّةِ، وَشَبِيبِ بْنِ يَزِيدَ أَحَدِ شُجْعَانِ الْخَوَارِجِ، فَقَامَ فِيهِمْ صَالِحُ بْنُ مُسَرِّحٍ، فَأَمَرَهُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ، وَحَثَّهُمْ عَلَى الْجِهَادِ، وَأَنْ لَا يُقَاتِلُوا أَحَدًا حَتَّى يَدْعُوهُ إِلَى الدُّخُولِ مَعَهُمْ. ثُمَّ مَالُوا إِلَى دَوَابِّ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ، نَائِبِ الْجَزِيرَةِ لِأَخِيهِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَأَخَذُوهَا فَتَقْوَوْا بِهَا، وَأَقَامُوا بِأَرْضِ دَارَا ثَلَاثَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، وَتَحَصَّنَ مِنْهُمْ أَهْلُ دَارَا وَنَصِيبِينَ وَسِنْجَارَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ مُحَمَّدُ بْنُ مَرْوَانَ نَائِبُ الْجَزِيرَةِ خَمْسَمِائَةِ فَارِسٍ، عَلَيْهِمْ عَدِيُّ بْنُ عَدِيِّ بْنِ عُمَيْرَةَ، ثُمَّ زَادَهُ خَمْسَمِائَةٍ أُخْرَى، فَسَارَ فِي أَلْفٍ مِنْ حَرَّانَ إِلَيْهِمْ، وَكَأَنَّمَا يُسَاقُ إِلَى الْمَوْتِ وَهُوَ يَنْظُرُ ; لِمَا يَعْلَمُ مِنْ جَلَدِ الْخَوَارِجِ وَقُوَّتِهِمْ وَشِدَّةِ بِأَسِهِمْ، فَلَمَّا الْتَقَى مَعَ الْخَوَارِجِ هَزَمُوهُ هَزِيمَةً شَنِيعَةً بَالِغَةً، وَاحْتَوَوْا عَلَى مَا فِي مُعَسْكَرِهِ، وَرَجَعَ فَلُّهُمْ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৭১৪৮
مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ فَغَضِبَ، وَبَعَثَ إِلَيْهِمْ أَلْفًا وَخَمْسَمِائَةٍ مَعَ الْحَارِثِ بْنِ جَعْوَنَةَ، وَأَلْفًا وَخَمْسَمِائَةٍ مَعَ خَالِدِ بْنِ جَزْءٍ السُّلَمِيِّ، وَقَالَ لَهُمَا: أَيُّكُمَا سَبَقَ إِلَيْهِمْ فَهُوَ الْأَمِيرُ عَلَى النَّاسِ. فَسَارُوا إِلَيْهِمْ فِي ثَلَاثَةِ آلَافِ مُقَاتِلٍ، وَالْخَوَارِجُ فِي نَحْوٍ مِنْ مِائَةِ نَفْسٍ، وَعَشَرَةِ أَنْفُسٍ، فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَى آمِدَ تَوَجَّهَ صَالِحٌ إِلَى خَالِدِ بْنِ جَزْءٍ فِي شَطْرِ النَّاسِ، وَوَجَّهَ شَبِيبًا إِلَى الْحَارِثِ بْنِ جَعْوَنَةَ فِي الْبَاقِينَ، فَاقْتَتَلَ النَّاسُ فِي هَذَا الْيَوْمِ قِتَالًا شَدِيدًا إِلَى اللَّيْلِ، فَلَمَّا كَانَ الْمَسَاءُ انْكَفَّ كُلٌّ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ عَنِ الْآخَرِ، وَقَدْ قُتِلَ مِنَ الْخَوَارِجِ نَحْوَ السَّبْعِينَ، وَقُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ مَرْوَانَ نَحْوَ الثَّلَاثِينَ، وَهَرَبَتِ الْخَوَارِجُ فِي اللَّيْلِ، فَخَرَجُوا مِنَ الْجَزِيرَةِ، وَأَخَذُوا فِي أَرْضِ الْمَوْصِلِ، وَمَضَوْا حَتَّى قَطَعُوا الدَّسْكَرَةَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمِ الْحَجَّاجُ ثَلَاثَةَ آلَافٍ مَعَ الْحَارِثِ بْنِ عُمَيْرَةَ، فَسَارَ نَحْوَهُمْ حَتَّى لَحِقَهُمْ بِأَرْضِ الْمَوْصِلِ، وَلَيْسَ مَعَ صَالِحٍ سِوَى تِسْعِينَ رَجُلًا، فَالْتَقَى مَعَهُمْ،
পৃষ্ঠা - ৭১৪৯

পড়ে যায় ৷ তার অনুসারীরা তার নিকট এসে পড়ে ৷ তারা তাকে উঠিয়ে তাদের একটি
নিরাপত্তা দুর্গে নিয়ে যায় ৷ তারা তখনো ৭০ জন অবশিষ্ট ছিল ৷
উমায়রু৷ সেনাপতি হারিছ ইবন উমায়রা ও তার সাথীরা খারিজীদের চারিদিক থেকে ঘিরে
ফেলে ৷ হারিছ তার সাথীদেবকে নির্দেশ দেয় ওই দুর্গের দবযায় আগুন ধরিয়ে দিতে ৷ তারা
দুর্গে আগুন ধরিয়ে দেয় ৷ এবং নিজেরা ওখান থেকে নিজেদের ক্যাম্পে সরে আসে ৷ তারা
অপেক্ষায় থাকে কখন দরযা পুড়বে আর খারিজীরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসবে তখন তারা
ওদেরকে পাকড়াও করবে ৷ সরকারী বাহিনী সেনা ছাউনিতে এসে বিশ্রাম নিচ্ছিল হঠাৎ
ৰাবিজীগণ জ্বলম্ভ দুর্গের দরযা অতিক্রম করে বের হয়ে আসে এবং রাতের অন্ধকারে সরকারী
বাহিনীর ছাউনীতে আক্রমণ চালায় ৷ বহু সৈন্যকে তারা হত্যা করে ৷ সরকারী সেনাদল অতর্কিত
হামলায় কিত্কর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়ে ৷ এবং দ্রুত মাদায়ন পালিয়ে যায় ৷ শাবীব ও তার
অনুসারীরা সেনা ছাউনিতে থাকা সকল অস্ত্রশস্ত্র ও মালপত্র দখল করে নেয় ৷ হারিছের সেনাদল
ছিল শাবীবের হাতে পরাজিত প্রথম সেনাদল ৷ ইতোপুর্বে শাবীব অন্য কোন সেনাদলকে
পরাজিত করতে পারেনি ৷ এই সনের জুমাদাল আখিরাহ মাসের ১৩ দিন অবশিষ্ট থাকতে এক
মঙ্গলবারে সালিহ্ ইবন মুসাররাহ নিহত হয় ৷ ন্
এই সনে খারিজী নেতাশ্ ৷৷বীব কুফা প্রবেশ করে ৷ তার শ্রী গাযালা তার সাথে ছিল ৷
সালিহ্ ইবন মুসাররিহ নিহত হবার পর শাবীবকে ঘিরে অনেক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয় ৷ সেগুলো
বিস্তারিত উল্লেখ করলে অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে ৷ এ সময়ে খারিজীরা শাবীবের নিকট জমায়েত
হয় তার হাতে বাযুআত করে ৷ হাজ্জাজ শাবীবকে হত্যা করার জন্যে অন্য একটি সেনা অভিযান
প্রেরণ করে ৷ শাবীব ওই সেনাদলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যায় ৷ একবার সে ওদের নিকট
পরাজিত হয় ৷ পুনরায় সে ওদেরকে পরাজিত করে ৷ এরপর সে মাদায়নের উদ্দেশ্যে যাত্রা
করে ৷ সে মাদায়ন অতিক্রম করে যায় ৷ তবু সে সরকারী বাহিনীর কারো খোজ পায়নি ৷ সে
আরো সম্মুখে অগ্রসর হয় ৷ কালুযা অঞ্চলে হাজ্জাজের কতক পশু খাদ্য তার নজরে পড়ে ৷ সে
ওগুলো লুট করে নেয় ৷ তার সিদ্ধান্ত ছিল যে, সে মাদায়ন এসে রাত্রি যাপন করবে ৷ কিভু
গোপনে সংবাদ পেয়ে মাদায়ন অবস্থানকারী সকল সরকারী সৈন্য মাদায়ন ছেড়ে কুফা পালিয়ে
যায় ৷ ওদের পরাজিত সেনা সদস্যগণ হাজ্জাজের দরবারে পৌছার পর সে শাবীবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করার জন্যে ৪০০০ সৈন্যের একটি সেনাদল প্রেরণ করে ৷ তারা মাদায়ন এসে শাবীবকে
খুজতে থাকে৷ শাবীব তাদের সম্মুখে অল্প অল্প পথ অতিক্রম করে এগিয়ে যায় ৷ সে ওদেরকে
দেখায় যে, সে ওদেরকে খুব ভয় করছে ৷ তারপর সুযোগ বুঝে সে সবকা ৷রী বাহিনীর সম্মুখ
ভাগের উপর আচমক৷ আক্রমণ করে এবং তাদেরকে পরাজিত করে অস্ত্রশস্ত্র ও মালামাল দখল
করে নেয় ৷ যে কেউ তার সামনে এসে তা তাকে পরাজিত করে ফেলে ৷
শাবীবের বিরুদ্ধে৷ হাজ্জ্ব ৷জ প্রচুর শক্তি নিয়োগ করে ৷৩ তাকে পরাজিত করার জন্যে সৈন্যদল
৩ অন্ত্রশাস্ত্রর যোগান দেয় ৷ শাবীব এসবের কিছুই পরোয়া করে না ৷ তার সাথে তখন মাত্র
১৬০ জন অশ্বারোহী সৈন্য ৷ এটি এক অবাক ব্যাপারও বটে ৷
এবার শাবীব অন্য পথে যাত্রা করল ৷ সে কুফ৷ অভিমুখে রওয়ান৷ দিল ৷ কুফ৷ অবরোধ
ম্ব৷ ছিল তার লক্ষ্য ৷৩ তাকে প্রতিরোধ করার জ্যন্য সরকারী বাহিনী এগিয়ে গেল ৷ শাবীব
মিঃ এই সংবাদ জানতে পারে ৷ কিভু তাতে সে ণ্কানো পরোয়া করে না ৷ বর তার তার
সরকারী সৈন্যগণ সন্ত্রস্ত ও শংকিত থাকে ৷ তার ভয়ে সরকারী বাহিনী প্রথমে কুফা নগরীতে


وَقَدْ جَعَلَ صَالِحٌ أَصْحَابَهُ ثَلَاثَةَ كَرَادِيسَ ; فَهُوَ فِي كُرْدُوسٍ، وَشَبِيبٌ عَنْ يَمِينِهِ فِي كُرْدُوسٍ، وَسُوَيْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ يَسَارِهِ فِي كُرْدُوسٍ، وَحَمَلَ عَلَيْهِمُ الْحَارِثُ بْنُ عُمَيْرَةَ، وَعَلَى مَيْمَنَتِهِ أَبُو الرَّوَّاغِ الشَّاكِرِيُّ، وَعَلَى مَيْسَرَتِهِ الزُّبَيْرُ بْنُ الْأَرْوَحِ التَّمِيمِيُّ، فَصَبَرَتِ الْخَوَارِجُ عَلَى قِلَّتِهِمْ صَبْرًا شَدِيدًا، ثُمَّ انْكَشَفَ وَسُوَيْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثُمَّ قُتِلَ صَالِحُ بْنُ مُسَرِّحٍ أَمِيرُهُمْ، وَصُرِعَ شَبِيبٌ عَنْ فَرَسِهِ، فَالْتَفَّ عَلَيْهِ بَقِيَّةُ الْخَوَارِجَ حَتَّى احْتَمَلُوهُ، فَدَخَلُوا بِهِ حِصْنًا هُنَالِكَ، وَقَدْ بَقِيَ مَعَهُمْ سَبْعُونَ رَجُلًا، فَأَحَاطَ بِهِمُ الْحَارِثُ بْنُ عُمَيْرَةَ، وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَحْرِقُوا الْبَابَ، فَفَعَلُوا، وَرَجَعَ النَّاسُ إِلَى مُعَسْكَرِهِمْ يَنْتَظِرُونَ حَرِيقَ الْبَابَ، فَيَأْخُذُونَ الْخَوَارِجَ قَهْرًا، فَلَمَّا رَجَعَ النَّاسُ وَاطْمَأَنُّوا خَرَجَتْ عَلَيْهِمُ الْخَوَارِجُ مِنَ الْبَابِ عَلَى الصَّعْبِ وَالذَّلُولِ، فَبَيَّتُوا جَيْشَ الْحَارِثِ بْنِ عُمَيْرَةَ، فَقَتَلُوا مِنْهُمْ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً، وَهَرَبَ النَّاسُ سِرَاعًا إِلَى الْمَدَائِنِ، وَاحْتَازَ شَبِيبٌ وَأَصْحَابُهُ مَا فِي مُعَسْكَرِهِمْ، فَكَانَ جَيْشُ الْحَارِثِ بْنِ عُمَيْرَةَ أَوَّلَ جَيْشٍ هَزَمَهُ شَبِيبٌ، وَكَانَ مَقْتَلُ صَالِحِ بْنِ مُسَرِّحٍ فِي يَوْمِ الثُّلَاثَاءِ لِثَلَاثَ عَشْرَةَ لَيْلَةً بَقِيَتْ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. وَفِيهَا دَخَلَ شَبِيبٌ الْكُوفَةَ وَمَعَهُ زَوْجَتُهُ غَزَالَةُ، وَذَلِكَ أَنَّ شَبِيبًا جَرَتْ لَهُ
পৃষ্ঠা - ৭১৫০
فُصُولٌ يَطُولُ تَفْصِيلُهَا بَعْدَ مَقْتَلِ صَالِحِ بْنِ مُسَرِّحٍ، وَاجْتَمَعَتْ عَلَيْهِ الْخَوَارِجُ وَبَايَعُوهُ، وَبَعَثَ إِلَيْهِ الْحَجَّاجُ جَيْشًا آخَرَ، فَقَاتَلُوهُ فَهَزَمُوهُ ثُمَّ هَزَمَهُمْ بَعْدَ ذَلِكَ، ثُمَّ سَارَ فَحَاصَرَ الْمَدَائِنَ، فَلَمْ يَنَلْ مِنْهَا شَيْئًا، فَسَارَ فَأَخَذَ دَوَابَّ لِلْحَجَّاجِ مِنْ كَلْوَاذَا، وَمِنْ عَزْمِهِ أَنْ يُبَيِّتَ أَهْلَ الْمَدَائِنِ، فَهَرَبَ مَنْ فِيهَا مِنَ الْجُنْدِ إِلَى الْكُوفَةِ فَلَمَّا وَصَلَ الْفَلُّ إِلَى الْحَجَّاجِ جَهَّزَ جَيْشًا أَرْبَعَةَ آلَافِ مُقَاتِلٍ إِلَى شَبِيبٍ، فَمَرُّوا عَلَى الْمَدَائِنِ، ثُمَّ سَارُوا فِي طَلَبِ شَبِيبٍ، فَجَعَلَ شَبِيبٌ يَسِيرُ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ قَلِيلًا قَلِيلًا، وَهُوَ يُرِيهِمْ أَنَّهُ خَائِفٌ مِنْهُمْ، ثُمَّ يَكُرُّ فِي كُلِّ وَقْتٍ عَلَى الْمُقَدِّمَةِ فَيَكْسِرُهَا، وَيَنْهَبُ مَا فِيهَا، وَلَا يُوَاجِهُ أَحَدًا إِلَّا هَزَمَهُ، وَالْحَجَّاجُ يُلِحُّ فِي طَلَبِهِ، وَيُجَهِّزُ إِلَيْهِ السَّرَايَا وَالْبُعُوثَ وَالْمَدَدَ، وَشَبِيبٌ لَا يُبَالِي بِأَحَدٍ، وَإِنَّ مَا مَعَهُ مِائَةٌ وَسِتُّونَ فَارِسًا، وَهَذَا مِنْ أَعْجَبِ الْعَجَبِ، ثُمَّ سَارَ مِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى حَتَّى وَاجَهَ الْكُوفَةَ، وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُحَاصِرَهَا، فَخَرَجَ الْجَيْشُ بِكَمَالِهِ إِلَى السَّبَخَةِ لِقِتَالِهِ، وَبِلَغَهُ ذَلِكَ فَلَمْ يُبَالِ بِهِمْ، وَانْزَعَجَ النَّاسُ، وَخَافُوا مِنْهُ وَفَرِقُوا، وَهَمُّوا أَنْ يَدْخُلُوا الْكُوفَةَ خَوْفًا مِنْهُ، فَيَتَحَصَّنُوا فِيهَا مِنْهُ، حَتَّى قِيلَ لَهُمْ: إِنَّ سُوَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فِي آثَارِهِمْ، وَقَدِ اقْتَرَبَ مِنْهُمْ، وَشَبِيبٌ نَازِلٌ بِالْكُوفَةِ بِالدَّيْرِ، لَيْسَ عِنْدَهُ خَبَرٌ مِنْهُمْ وَلَا خَوْفٌ، وَقَدْ أَمَرَ بِطَعَامٍ وَشِوَاءٍ أَنْ يُصْنَعَ لَهُ، فَقِيلَ لَهُ: قَدْ جَاءَكَ الْجُنْدُ فَأَدْرِكْ نَفْسَكَ. فَجَعَلَ لَا يَلْتَفِتُ إِلَى ذَلِكَ وَلَا يَكْتَرِثُ بِهِمْ، وَيَقُولُ لِلدِّهْقَانِ
পৃষ্ঠা - ৭১৫১


প্রবেশ করে শাবীবের হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্যে শহরে প্রবেশ করে দৃর্গে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা
করে ৷ তাদেরকে ও এটা জানানো হল যে, সুওয়ায়দ ইবন আবদুর রহমান তাদের পেছনে
রয়েছে ৷ এবং সে তাদের কাছাকাছি পৌছে গিয়েছে ৷
শাবীব মাদায়নে অবতরণ করল ৷ তার মধ্যে তর-ভীতির কোন চিহ্ন নেই ৷ সে তার জন্যে
আয়েশী খাবার তৈরীর নির্দেশ দিল ৷ যেন রান্না করা ও তাজা উভয় প্রকারের খাবার থাকে ৷
তাকে বলা হল যে, সরকারী সৈন্য তো এসে পড়েছে ৷ নিজের প্রাণ বীচান ৷ ওইসব কথায় সে
কর্ণপাত করেনি ৷ সে ওই কথার কোন গুরুতুই দেয়নি ৷ সে বরর্ধতার বাবুর্চি রুপে কর্মরত
স্থানীয় নেতাকে বলেছিল ভাল করে রান্না কর, ঠিক ঠাক কমত পাকাও ৷ তবে তাড়াতা ৷ড়ি খাবার
নিয়ে আস ৷ ভালভাবে রান্না হবার পর সে আবার খায় ৷ তারপর পরিপুর্ণভাবে উয়ুকরে এবং
দীর্ঘক্ষণ যাবত ধীরন্থির ও শান্তির সাথে সাথীদের নিয়ে নামায আদায় করে ৷ এরপর তার যুদ্ধ
পোশাক পরিধান করে ৷ দুটো তরবারি গলায় ঝুলিয়ে নেয়, লোহার একটি হাতুড়ি হাতে নেয় ৷
এরপর বলল, আমার খচ্চরটা নিয়ে এস ৷ সে খচ্চরে সওয়ড়ার হল ৷ তার ভাই মুসাদ তাকে
বলল, খচ্চর ছেড়ে ঘোড়ার পিঠে চড়ুন ৷ সে বলল না, প্রত্যেক বিষয় তার পরিগতিয় অপেক্ষায়
থাকে ৷ সে খচ্চরের পিঠেই চড়ল ৷ এরপর যে এলাকায় সে ছিল সেটির দরযা খুলল ৷ সে তখন
সদন্তে বলছিল , আমি আবু মুদিল্লাহ্ আল্লাহ্র আইন ছাড়া কোন আইন নেই ৷ ’ এগিয়ে গিয়ে সে
তার সন্মুখস্থ শত্রুদলের সেনাপতির নিকট পৌছে এবং লোহার হাতৃড়ির আঘাতে তাকে হত্যা
করে ৷ ওই সেনাপতির নাম ছিল সাঈদ ইবন মুজালিদ ৷ এরপর যে অন্য একটি বড় সেনা
ইউনিটের উপর আ ঘাত হানে ৷ ওই ইউনিটের সেনাপতিকে হত্যা করে ৷ ফলে অন্যান্য সৈন্যগণ
ছএভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায় ৷৩ তারা কুফার অভ্যন্তরে গিয়ে আশ্রয় নেয় ৷ শাবীব ও কুফ৷ প্রবেশ :
করে ৷ ফোরাত নদীর তীরের পথ ধরে ৷ সেখানে বহু লোককে সে হত্যা করে ৷ তার তার
শাসনকর্তা হাজ্জাজ কুফা ছেড়ে বসরায় পালিয়ে যায় ৷ উরওয়া ইবন মুপীরা ইবন শুবাহকে সে
তার পক্ষে কুফার শাসনকর্তা নিয়োগ করে যায় ৷ কুফা প্রবেশের লক্ষে৷ অগ্রসরমান শাবীব কুফা
নগরীর খুব কাছাকাছি এসে পৌছে ৷ স্থানীয় প্রধানগণ শাসনকর্তা উরওয়াকে এই সংবাদ
অবহিত করে ৷ তিনি সৎবাদঢি৷ হ ৷জ্জাজ়কে জানান ৷ হাজ্জাজ দ্রুত বসরা ছেড়ে কুফার পথে যাত্রা
করে ৷ এদিকে শাবীবও খুব দ্রুত কুফা নগরীতে প্রবেশ করছিল ৷ হ্াজ্জাজ শাবীবের আগে
নগরীতে প্রবেশ করে ৷ সে নগরীতে প্রবেশ করে আসরের সময় ৷ শাবীব মারবাদ (যেলাস্থলে)
গিয়ে পৌছে মাগবিবের সময় ৷ শেষ রাতে সে কুফা নগরীতে ঢুকে পড়ে ৷ এর শাসক ভবনের
সম্মুখে গিয়ে পৌছে ৷ হাতে থাকা লোহার হাতুড়ি দ্বারা সে শাসক ভবনের দরযায় আঘাত করে ৷
তাতে দরযায় আঘাতের চিহ্ন সৃষ্টি হয় ৷ পরবর্তী সময়েও সেটি দৃষ্টিগােচর হয় ৷ বলা হত যে,
এই চিহ্ন হল শাবীবের হাতুড়ি পেটানাের চিহ্ন ৷ এরপর সে নগরীর রাজপথে চলতে থাকে ৷
উদ্দেশ্য লড়াই স্থলে উপস্থিত হওয়া ৷ ইতোমধ্যে কুফ৷ নগরীর নেতৃস্থানীয় অনেক লোক্যুক সে
হত্যা করে ৷ নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন লায়ছ ইবন আবু সুলায়মের পিতা আবু
সুলায়ম, আদী ইবন আমর, আযহার ইবন আবদুল্লাহ আমিরী, প্রমুখ ৷ এই যংাত্রায় শাবীবের
সাথে তার ত্রী গাযালাহও ছিল ৷ পাযালা নিজেও খুব সাহসী মহিলা ছিল ৷ শাবীব গিয়ে কুফার
জামে মসজিদে প্রবেশ করে ৷ সে মিম্বরে আরোহণ করে এবং মারওয়ান বংশীয় লোকদের সুনাম
ও সমালোচনা করতে থাকে ৷

হাজ্জাজ জনসাধারণকে ডেকে ডেকে বলছিল, ওহে মহান আল্লাহর অশ্বারোহী দল ৷
তোমরা অশ্বপৃষ্ঠে চড়ে তাড়াতাড়ি আস ৷ শাবীব মসজিদ থেকে বের হয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্রের দিকে


الَّذِي يَصْنَعُ لَهُ الطَّعَامَ: عَجِّلْ بِهِ. فَلَمَّا اسْتَوَى أَكَلَهُ، ثُمَّ تَوَضَّأَ، ثُمَّ صَلَّى بِأَصْحَابِهِ صَلَاةً تَامَّةً بِتَطْوِيلٍ وَطُمَأْنِينَةٍ، ثُمَّ لَبِسَ دِرْعَهُ، وَتَقَلَّدَ سَيْفَيْنِ، وَأَخَذَ عَمُودَ حَدِيدٍ، ثُمَّ قَالَ: أَسْرِجُوا لِي الْبَغْلَةَ. فَقَالَ لَهُ أَخُوهُ مُصَادٌ: أَفِي هَذَا الْيَوْمِ تَرْكَبُ بَغْلَةً، وَقَدْ أَحَاطَ بِكَ الْأَعْدَاءُ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَرَكِبَهَا، ثُمَّ فَتَحَ بَابَ الدَّيْرِ الَّذِي هُوَ فِيهِ، وَهُوَ يَقُولُ: أَنَا أَبُو الْمُدَلَّهِ، لَا حُكْمَ إِلَّا لِلَّهِ، وَتَقَدَّمَ إِلَى أَمِيرِ الْجَيْشِ الَّذِي تَقَدَّمُوا إِلَيْهِ، فَضَرَبَهُ بِالْعَمُودِ الْحَدِيدِ فَقَتَلَهُ، وَهُوَ سَعِيدُ بْنُ الْمُجَالِدِ، وَحَمَلَ عَلَى الْجَيْشِ الْآخَرِ الْكَثِيفِ فَصَرَعَ أَمِيرَهُ، وَهَرَبَ النَّاسُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ، وَلَجَئُوا إِلَى الْكُوفَةِ، وَمَضَى شَبِيبٌ حَتَّى أَغَارَ عَلَى أَسْفَلِ الْفُرَاتِ، وَقَتَلَ جَمَاعَةً هُنَاكَ، وَخَرَجَ الْحَجَّاجُ مِنَ الْكُوفَةِ إِلَى الْبَصْرَةِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْكُوفَةِ عُرْوَةَ بْنَ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، ثُمَّ اقْتَرَبَ شَبِيبٌ مِنَ الْكُوفَةِ يُرِيدُ دُخُولَهَا، فَأَعْلَمَ الدَّهَاقِينُ عُرْوَةَ بْنَ الْمُغِيرَةِ بِذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَى الْحَجَّاجِ يُعْلِمُهُ بِذَلِكَ، فَأَسْرَعَ الْحَجَّاجُ الْخُرُوجَ مِنَ الْبَصْرَةِ، وَقَصَدَ الْكُوفَةَ، فَأَسْرَعَ السَّيْرَ، وَبَادَرَهُ شَبِيبٌ إِلَى الْكُوفَةِ، فَسَبَقَهُ الْحَجَّاجُ إِلَيْهَا، فَدَخَلَهَا الْعَصْرَ، وَوَصَلَ شَبِيبٌ إِلَى الْمِرْبَدِ عِنْدَ الْغُرُوبِ، فَلَمَّا كَانَ آخِرُ اللَّيْلِ دَخَلَ شَبِيبٌ الْكُوفَةَ، وَقَصَدَ
পৃষ্ঠা - ৭১৫২
قَصْرَ الْإِمَارَةِ، فَضَرَبَ بَابَهُ بِعَمُودِهِ الْحَدِيدِ، فَأَثَّرَتْ ضَرْبَتُهُ فِي الْبَابِ، فَكَانَتْ تُعْرَفُ بَعْدَ ذَلِكَ؛ يُقَالُ: هَذِهِ ضَرْبَةُ شَبِيبٍ، وَسَلَكَ فِي طُرُقِ الْمَدِينَةِ، وَتَقَصَّدَ مَحَالَّ الْقَبَائِلِ، وَقَتَلَ رِجَالًا مِنْ رُؤَسَاءِ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَأَشْرَافِهِمْ، مِنْهُمْ أَبُو سُلَيْمٍ وَالِدُ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ، وَعَدِيُّ بْنِ عَمْرٍو، وَأَزْهَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعَامِرِيُّ، فِي طَائِفَةٍ كَثِيرَةٍ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ، وَكَانَ مَعَ شَبِيبٍ امْرَأَتُهُ غَزَالَةُ، وَكَانَتْ مَعْرُوفَةً بِالشَّجَاعَةِ، فَدَخَلَتْ مَسْجِدَ الْكُوفَةِ، وَجَلَسَتْ عَلَى مِنْبَرِهِ، وَجَعَلَتْ تَذُمُّ بَنِي مَرْوَانَ. وَنَادَى الْحَجَّاجُ فِي النَّاسِ: يَا خَيْلَ اللَّهِ ارْكَبِي وَأَبْشِرِي. فَخَرَجَ شَبِيبٌ مِنَ الْكُوفَةِ، فَجَهَّزَ الْحَجَّاجُ فِي أَثَرِهِ سِتَّةَ آلَافِ مُقَاتِلٍ، فَسَارُوا وَرَاءَهُ، وَهُوَ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ، يَنْعَسُ وَيَهُزُّ رَأْسَهُ، وَفِي أَوْقَاتٍ كَثِيرَةٍ يَكُرُّ عَلَيْهِمْ شَبِيبٌ، فَيَقْتُلُ مِنْهُمْ جَمَاعَةً، حَتَّى قَتَلَ مَنْ جَيْشِ الْحَجَّاجِ خَلْقًا كَثِيرًا، وَقَتَلَ جَمَاعَةً مِنَ الْأُمَرَاءِ، مِنْهُمْ: زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ - قَتَلَهُ شَبِيبٌ، وَهُوَ ابْنُ عَمِّ الْمُخْتَارِ - فَوَجَّهَ الْحَجَّاجُ مَكَانَهُ لِحَرْبِهِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنِ الْأَشْعَثِ، فَلَمْ يُقَابِلْ شَبِيبًا وَرَجَعَ، فَوَجَّهَ مَكَانَهُ عُثْمَانَ بْنَ قَطَنٍ الْحَارِثِيَّ، فَالْتَقَوْا فِي آخِرِ السَّنَةِ، فَقُتِلَ عُثْمَانُ بْنُ قَطَنٍ، وَانْهَزَمَتْ جُمُوعُهُ بَعْدَ أَنْ قُتِلَ مِنْ أَصْحَابِهِ سِتُّمِائَةِ نَفْسٍ، فَمِنْ أَعْيَانِهِمْ عَقِيلُ بْنُ شَدَّادٍ السَّلُولِيُّ،
পৃষ্ঠা - ৭১৫৩


যাত্রা করে ৷ তাকে মুকাবিলা করার জন্যে হাজ্জাজ ছয় হাজার লড়াকু সৈন্যের এক বিশাল
বাহিনী প্রেরণ করে ৷ ওরা শাবীবের পেছনে পেছনে যেতে থাকে ৷ শাবীব তখনও বেপরোয়া ৷
ঘুমে ঢুলু ঢুলু অবস্থার সে ৷হলেদুলে সম্মুখে অগ্রসর হচ্ছিল ৷ তন্দ্রার ঘোরে তার মাথা এদিকে
সেদিকে নুষ্মে পড়হিণ ৷ এরই মধ্যে যে একাধিকবার সরকারী সৈন্যের উপর আচমকা আক্রমণ
চালিয়েছে এবং ওদের অনেক লোককে হত্যা করেছে ৷ এই পর্যায়ে হাজ্জাজের বহু সৈন্য নিহত
হয় ৷ তাদের বহু সেনাপতিও নিহত হয় ৷ নিহতদ্যো মধ্যে সেনাপতি রইিদাহ ইবন কুদামাহও
ছিল ৷ শাবীব নিজে তাকে হত্যা করে ৷ সে ফি৷ মুখতারের চাচাত ভাই ৷ রাইদার স্থলে হাজ্জাজ
আবদুর রহমান ইবন আশআছকে সেনাপতি নিয়োগ করে এবং শাবীবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার
জন্যে পাঠায় ৷ তিনি শাবীবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করে ফিরে আসেন ৷ তারপর হাজ্জাজ তার
পরিবর্তে উছমান ইবন কুতন হারিহীকে সেনাপতি নিয়োগ করে পাঠার ৷ বৎসরের শেষ ভাগে
যে শাবীবের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয় ৷ যুদ্ধে সে নিহত হয়৷ তার সেনা ইউনািটর প্রায় ছয়শত
সৈন্যও নিহত হয় ৷ তারপর অবশিষ্ট সৈন্যগণ যুদ্ধ ময়দান ত্যাগ করে পালিয়ে যায় ৷ এই যুদ্ধে
যারা নিহত হয় তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আকীল ইবন শাদ্দাদ সালুলী, খালিদ ইবন
নাহীক এবং আসওয়াদ ইবন রাবীআ ৷ ইতোমধ্যে শাবীব অপ্রতিরোধ্য শক্তিমান রুপে পরিগণিত
হয় ৷ খলীকা আবদুল মালিকসহ হাজ্জাজ ও অন্যান্য শাসনকর্তাগণ তার ভয়ে কম্পমান হয়ে
উঠেন ৷ তার সম্পর্কে খলীফ৷ আবদুল মালিকের মনে ভীষণ ভয় সৃষ্টি হয় ৷ তাকে প্রতিরোধ
করার জন্যে খলীফ নিজে বসরীয় সৈনিকৃদের এক বিশাল বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ পরবর্তী বছুর
অর্থাৎ ৭৭ সনে ওই সেনাবহর শাবীবের মুখোমুখি হয় ৷ তখনো শাবীবের সাথে মাত্র কয়েকজন
অনুসারী যোদ্ধা ৷ তাতেই জনগণের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি হয়ে গিয়েজ্জি ৷ এভাবেই চলছিল সরকারী
বাহিনী ও খায়ির্জী বাহিনীর মধ্যে ঘাত-প্রতিঘাত ও দ্বন্দ্ব-সংঘাত ৷ এই পরিক্রমার নতুন বছর
৭৭ সনের আগমন ঘটে ৷
ইবন আ ন্ন্নীর বলেন, এই সনে খলীক৷ আবদুল মালিক দিরহাম ও দীনারে অর্থাৎ রৌপ্য ও
স্বর্ণ মুদ্রার বিশেষ ছাপ বা চিহ্ন অং কিত করেন ৷ ইসলামী আমলে তিনিই সর্বপ্রথম এই কাজটি
করেন ৷ আল আহ্কামুস সুলতানিয়্যাহ গ্রন্থে আল মাওরারদী বলেছেন যে, ইসলামী আমলে কে
সর্বপ্রথম রাগ্রীর মুদ্রার আরবী ছাপ ও নকশা অংকন করেছিলেন তা নিয়ে একাধিক অভিমত
রয়েছে ৷ সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (র) বলেছেন যে, খলীফ৷ আবদুল মালিকই সর্বপ্রথম রাদ্বীর
মুদ্রার আরবী লিখা ও ছাপ অংকন করেন ৷ তখন মুদ্রা হিসেবে রোমান ও পারসিক মুদ্র্যই
প্রচলিত ছিল
আবুয্ যিনাদ বলেন যে, ৭৪ সনে খলীফা আবদুল মালিক মুদ্রার বিশেষ ছাপ ও নকশা
অংক্লিত করেন ৷ মাদাইনী বলেন যে, এই কাজসম্পন্ন করা হয়েছে ৭৫ সনে ৷ ৭৬ সনে এটি

সমগ্র রাৰ্ষ্ট্ৰ কার্যকর হয় ৷ বর্ণিত আছে যে,ত তিনি মুদ্রার এক পিঠোশ্ ৷ ৰুা৷ ৷ (আল্পা হ্ এক)
এবং অপর পৃষ্ঠো৷ ৷ ইা ৷৷ (আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন) অংকন করেছিলেন ৷
ইয়াহ্য়া ইবন নুমান গিফারী তার বাবার সুত্রে বলেছেন যে, সর্বপ্রথম মুদ্রার নকশা অংকন

করেন হযরত মুন আব্ল ইবন যুবায়র (বা) ৷ তিনি তার ভাই আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) এর
নির্দেশে তা করেন ৷ তিনি এটা করেছিলেন ৭০ সনে ৷ পারসিক দিরহামের উপর তিনি এটা

করেছিলেন ৷ ওই মুদ্রার একপিঠে অংকন করেছিলেন এ্যা ৷ (আল মালিক) আর অপর পিঠে
অংকন করেছিলেন ধ্া৷ ৷ (আল্লাহ) ৷ পরবর্তীতে হাজ্জাজ তাতে পরিবর্ত্য৷ সাধন করে ৷ সে মুদ্রার


وَخَالِدُ بْنُ نَهِيكٍ الْكِنْدِيُّ، وَالْأَسْوَدُ بْنُ رَبِيعَةَ. وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُ شَبِيبٍ، وَتَزَلْزَلَ لَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ، وَالْحَجَّاجُ، وَسَائِرُ الْأُمَرَاءِ، وَخَافَ عَبْدُ الْمَلِكِ مِنْهُ خَوْفًا شَدِيدًا، فَبَعَثَ لَهُ جَيْشًا مِنْ أَهْلِ الشَّامِ، فَقَدِمُوا فِي السَّنَةِ الْآتِيَةِ، وَإِنَّ مَا مَعَ شَبِيبٍ شِرْذِمَةٌ قَلِيلَةٌ، وَقَدْ مَلَأَ قُلُوبَ النَّاسِ رُعْبًا، وَجَرَتْ خُطُوبٌ كَثِيرَةٌ لَهُ مَعَهُمْ، وَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ دَأْبَهُ وَدَأْبَهُمْ حَتَّى اسْتَهَلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ نَقَشَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ عَلَى الدَّرَاهِمِ وَالدَّنَانِيرِ، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ نَقَشَهَا. وَقَالَ الْقَاضِي الْمَاوَرْدِيُّ فِي كِتَابِ " الْأَحْكَامِ السُّلْطَانِيَّةِ ": اخْتُلِفَ فِي أَوَّلِ مَنْ ضَرَبَهَا بِالْعَرَبِيَّةِ فِي الْإِسْلَامِ ; فَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ: أَوَّلُ مَنْ ضَرَبَ الدَّرَاهِمَ الْمَنْقُوشَةَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ، وَكَانَتِ الدَّنَانِيرُ رُومِيَّةٌ، وَالدَّرَاهِمُ كِسْرَوِيَّةٌ. قَالَ أَبُو الزِّنَادِ وَكَانَ نَقْشُهُ لَهَا فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَسَبْعِينَ. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ: خَمْسٍ وَسَبْعِينَ. وَضُرِبَتْ فِي الْآفَاقِ سَنَةَ سِتَّةٍ وَسَبْعِينَ. وَذَكَرَ أَنَّهُ ضُرِبَ عَلَى الْجَانِبِ الْوَاحِدِ مِنْهَا " اللَّهُ أَحَدٌ "، وَعَلَى الْوَجْهِ الْآخَرِ " اللَّهُ
পৃষ্ঠা - ৭১৫৪
الصَّمَدُ "، قَالَ: وَحَكَى يَحْيَى بْنُ النُّعْمَانِ الْغِفَارِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَوَّلَ مَنْ ضَرَبَ الدَّرَاهِمَ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَمْرِ أَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، سَنَةَ سَبْعِينَ، عَلَى ضَرْبِ الْأَكَاسِرَةِ، وَعَلَيْهَا " الْمُلْكُ بَرَكَةٌ " مِنْ جَانِبٍ، وَ " لِلَّهِ " مِنْ جَانِبٍ، ثُمَّ غَيَّرَهَا الْحَجَّاجُ، وَكَتَبَ اسْمَهُ عَلَيْهَا مِنْ جَانِبٍ، ثُمَّ خَلَّصَهَا بَعْدَهُ يُوسُفُ بْنُ هُبَيْرَةَ فِي أَيَّامِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، ثُمَّ خَلَّصَهَا أَجْوَدَ مِنْهَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيُّ فِي أَيَّامِ هِشَامٍ، ثُمَّ يُوسُفُ بْنُ عُمَرَ أَجْوَدَ مِنْهُمْ كُلِّهِمْ. وَلِذَلِكَ كَانَ الْمَنْصُورُ لَا يَقْبَلُ مِنْهَا إِلَّا الْهُبَيْرِيَّةَ وَالْخَالِدِيَّةَ وَالْيُوسُفِيَّةَ. وَذَكَرَ أَنَّهُ قَدْ كَانَ لِلنَّاسِ نُقُودٌ مُخْتَلِفَةٌ، مِنْهَا الدِّرْهَمُ الْبَغْلِيُّ، وَكَانَ ثَمَانِيَةَ دَوَانِقَ، وَالطَّبَرِيُّ وَكَانَ أَرْبَعَةَ دَوَانِقَ، وَالْمِصْرِيُّ ثَلَاثَةَ دَوَانِقَ، وَالْيَمَنِيُّ دَانَقًا، فَجَمَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ بَيْنَ الْبَغْلِيِّ وَالطَّبَرِيِّ، ثُمَّ أَخَذَ نِصْفَهَا فَجَعَلَهُ الدِّرْهَمَ الشَّرْعِيَّ، وَهُوَ نِصْفُ مِثْقَالٍ وَخُمْسُ مِثْقَالٍ، وَذَكَرُوا أَنَّ الْمِثْقَالَ لَمْ يُغَيِّرُوا وَزْنَهُ فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ، وَفِي هَذَا نَظَرٌ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِيهَا وُلِدَ مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، وَهُوَ مَرْوَانُ
পৃষ্ঠা - ৭১৫৫


এক পিঠে নিজের নাম অৎকন করে ৷ এরপর ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিকের শাসনামলে
ইউসুফ ইবন হুবায়রা মুদ্রা তৈরীতে উৎকর্ষ সাধন করেন ৷ এরপর হিশামের শাসনামলে খালিদ
ইবন আবদুল্লাহ কাসারী মুদ্রার সাথে ও ডিজাইনে আরো উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ৷ এরপর
ইউসুফ ইবন উমার সর্বাধিক উন্নত পদ্ধতিতে মুদ্রায় উৎকর্ষ সাধন করেন ৷ এজন্য আব্বাসী
খলীফ৷ মানসুর হুবায়াবিয়্যাহ খালিদিয়া এবং ইউসুফিয়্যাহ মুদ্র৷ ব্যতীত অন্য মুদ্রা গ্রহণ করতেন
না ৷

উল্লেখ্য যে, সে যুগে মুসলিম রাষ্ট্ৰসমুহে বিভিন্ন প্রকারের মুদ্রার প্রচলন ছিল ৷ যেমন
বালিয়্যা দিরহাম এটির মুল্যমান ছিল ৮ দানিক ৷ তাবারিয়্যা দিরহাম এটির মুল্যমান ছিল :
দানিক ৷ ইয়ামানীদিরহাম এটির মুল্যমান ছিল ১ দানিক ৷ হযরত উনার (রা) বালিয়্যা এবং
তাবারিয়ব্র দিরহামকে একত্রিত করে পরে দুভাগেভাণ করে এক দিরহামের মুল্যমান নির্ধারণ
করেছেন ৷ ফলে এক দিরহাম-ই-শারঈ হল ই ৫ ৫ ই) মিছকাল ৷ ঐতিহাসিকপণ বলেন
যে, মিছকালের ওযন পরিবর্তিত হয় না ৷ জাহেলী যুগেও হয়নি ইসলামী যুগেও পরিবর্তন
হয়নি ৷ অবশ্য এই মন্তব্য সন্দেহমুক্ত নয় ৷ আল্লাইে ভাল জানেন ৷

এই সনে মারওয়ান ইবন মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান ইবন হাকামের জন্ম হয়; তিনি

মারওয়ান মাল হিমার নামে পরিচিত ৷ তিনি ছিলেন উমাইয়৷ বংশের শেষ খলীফ৷ ৷ তার নিকট
থেকেই আব্বাসীণণ খিলাফত ছিনিয়ে নেন ৷ এই সনে মদীনায় শাসনকর্তা আবান ইবন উছমান
ইবন আফফান ন(রা) হজ্জ পরিচালনা করেন ৷ এই সনে ইরাকের শাসনকর্তা পদে নিয়োজিত
ছিল হাজ্জাজ ৷ খােরাসানে উমাইয়া ইবন আংদুল্লাহ্ ৷ আ ৷ল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

৭৬ হিজরী সনে ওফ্াতপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ

আবু উছমান আন নাহ্দী

৭৬ সনে ওফাতপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের একজন হলেন আবু উছমান আন নাহ্দী (রা) ৷
তার নাম আবদুর রহমান ইবন মার ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর জীবদ্দশায় তিনি ইসলাম গ্রহণ
করেন ৷ জালুলা,ধ্কাদেসিয়া, তৃসতর, নিহাদওয়ান্দ, আযরবায়জান ও অন্যান্য যুদ্ধে তিনি অংশ
নেন ৷ তিনি খুব ইবাদতগুয়ার লোক ছিলেন ৷ দুনিয়া বিরাগী, জ্ঞান বিশারদ ও সংযমী ছিলেন
আবুউছমান ৷ তিনি দীনের বেলায় রোযা রাখতেন এবং রাতের বেলায় ইবাদতে কাটাতেন ৷
তিনি ১৩০ বছর বয়সে কুফায় ইনৃতিকাল করেন ৷

সাল্লাহ্ ইবন আশীম আদাবী (র)

তিনি বসরার অধিবাসী, বিশিষ্ট তাবিঈদের একজন ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন সম্মানিত
পরহেযণার, দুনিয়া বিমুখ ও ইবাদতকারী মানুষ ৷ তীর উপনাম আবু সাহবা ৷ খুব নামাযী
ছিলেন তিনি ৷ নামায পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে যেতেন ৷ তারপর বিছানায় আসতেন হামাগুডি
দিয়ে ৷৩ তার বহু গৌরবজনক কীর্তি ৩রয়েছে ৷ যুব সম্প্রদায়কে হাসি-তামাশায় মগ্ন দেখে তিনি
বলতেন, তোমরা বল দেখি এমন কতক লোক মারা বহু দুরে যাবার লক্ষে সফরে বেরিয়েছে ৷
তারপর তারা দিনভর ভুল পথে চলেছে আর রাতভর ঘুমিয়ে কাটিয়েছে, তাহলে কেমন করে
তারা মনযিলে মকসুদে পৌছবে ? একদিন তিনি একথা বলার পর জনৈক যুবক বলল, ওহে
আমার সাথীরা, উনি তে ৷ আমাদের কথা বলেছেন ৷ আমরা দিনভর থেলাধুলায় কাটাচ্ছি আর
রাতের বেলা ঘুমিয়ে কাটাচ্ছি ৷ সেদিন থেকে ওই যুবক সাল্লাহ্ এর সঙ্গ অবলম্বন করে এবং
তার সাথে ইবাদতে নিয়োজিত হয় ৷ ঞ্জোপ্লুর্যত ম্বুবকটি তার সঙ্গ ছাড়েনি ৷

ান্যো৪ য়ুশো০ওো৷৷

الْحِمَارُ، آخِرُ مَنْ تَوَلَّى الْخِلَافَةَ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ بِالشَّامِ، وَمِنْهُ أَخَذَهَا بَنُو الْعَبَّاسِ. وَفِيهَا وَلَّى عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ نِيَابَةَ الْمَدِينَةِ لَأَبَانِ بْنِ عُثْمَانَ، وَعَزَلَ عَنْهَا يَحْيَى بْنَ مَرْوَانَ عَمَّهُ، وَاسْتَدْعَاهُ إِلَى الشَّامِ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ أَبَانِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ نَائِبَ الْمَدِينَةِ، وَكَانَ عَلَى إِمْرَةِ الْعِرَاقِ الْحَجَّاجُ، وَعَلَى خُرَاسَانَ أُمَيَّةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] أَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ الْقُضَاعِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُلَّ، أَسْلَمَ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَغَزَا جَلُولَاءَ وَالْقَادِسِيَّةَ وَتُسْتَرَ وَنَهَاوَنْدَ وَأَذْرَبِيجَانَ وَغَيْرَهَا، وَكَانَ كَثِيرَ الْعِبَادَةِ، زَاهِدًا عَالِمًا، يَصُومُ النَّهَارَ وَيَقُومُ اللَّيْلَ، تُوُفِّيَ وَعُمْرُهُ مِائَةٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً بِالْكُوفَةِ. صِلَةُ بْنُ أَشْيَمَ الْعَدَوِيُّ مِنْ كِبَارِ التَّابِعِينَ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، وَكَانَ ذَا فَضْلٍ وَوَرَعٍ وَعِبَادَةٍ وَزُهْدٍ، كُنْيَتُهُ أَبُو الصَّهْبَاءِ، كَانَ يُصَلِّي حَتَّى مَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَأْتِيَ الْفِرَاشَ إِلَّا حَبْوًا، وَلَهُ مَنَاقِبُ كَثِيرَةٌ جِدًّا، مِنْهَا أَنَّهُ كَانَ يَمُرُّ عَلَيْهِ شَبَابٌ يَلْهُونَ
পৃষ্ঠা - ৭১৫৬

একদিন এক যুবক তার পাশ দিয়ে যাফ্লি ৷ সে তার লুঙ্গি পরিধান করেছিল পায়ের গিরার
নীচে ৷ তার সাথিগণ এই গর্হিত কাজের জন্যে যুবকটিকে গালি-গালাজ ও মন্দ বলতে
চেয়েছিল ৷ তিনি বললেন থাক, আমি তাকে দেখব, তোমরা কিছু করোনা ৷ এরপর তিনি
যুবকটিকে ডাকলেন এবং বললেন, ভাতিজা! তোমার নিকট আমার একটু প্রয়োজন আছে ৷ সে
বলল, আমার নিকট কী প্রয়োজন আপনার ? তিনি বললেন, তুমি কি তোমার লুঙ্গিটি একটু
উপরে উঠিয়ে নিবে ? সে বলল, ছুা৷, অবশ্যই কত ভাল আপনার দৃষ্টি ৷ কত ভাল আপনার
চোখ ৷ এরপর সে তার লুঙ্গি উপরে উঠিয়ে নেয় ৷ সাল্লাহ্ (র)ত তার সাথীদেরকে বললেন
তোমরা যা করতে চেয়েছিলে তার চাইতে এটি অনেক ভাল হল তো! তোমরা যদি ওকে গাল্লি
দিতে সেও তােমাদেরকে পালি দিত ৷
এই প্রসঙ্গে জা ফর ইবন যায়দ বলেন যে, আমরা এক যুদ্ধে বের হয়েছিলাম ৷ সেনা দলে
হযরত সাল্লাহ্ ইবন আশীমও ছিলেন ৷ ইশার সময় সবাই যাত্রা বিরতি তকরল ৷ বাহন থ৷ মিয়ে
নেমে পড়ল ৷ আমি মনে মনে বললাম যে, আজ রাত আমি সাল্লাহ্ (র) এর আমল ও কর্ম
গভীরতা ব দেখব ৷ আমি দেখলাম হযরত সাল্পাহ্ (র) এক ঝোপের মধ্যে প্রবেশ করলেন ৷
আমি তার পেছনে পেছনে গেলাম ৷ তিনি নামায়ে দাড়ালেন ৷ একটি সিংহ এল ৷ সেটি তার খুব
কাছাকাছি পৌছে গেল ৷ আমি একটি গাছে উঠে গেলাম ৷ আমি দেখতে পাচ্ছিলাম যে, সিংহটি
এদিক সেদিক তাকাচ্ছিল আর গর্জন করছিল ৷ হযরত সাল্লাহ্ রীতিমত সিজদায গেলেন ৷ আমি
মনে মনে বললাম, এবার তাকে ছিড়ে ফেড়ে শেষ করে দিবে ৷ তিনি সিজদা থেকে উঠলেন ৷
বসলেন, তারপর সালাম ফিরালেন ৷ এরপর বললেন, ওহে হিংস্র পশু আমাকে হত্যা করা
সম্পর্কিত যদি কোন নির্দেশ থাকেত তবে তা করে নাও ৷ নতুবা তোমার জীবিকার সন্ধানেশ্অন্যএ
চলে যাও ৷ সিংহ চলে গেল ৷ সিংহ যাচ্ছিল গর্জন করতে করতে যে, তার গর্জনে পর্বত কেপে
কেপে উঠছিল ৷ ভোরবেলা তিনি বসলেন ৷ এমন সুন্দর ভাষায় মহান আল্লাহ্র প্রশংসা করলেন

যে, আমি তেমন ভাষা কােনদিন শুনিনি ৷ এরপর বললেন, ইয়৷ অ ৷ল্পাহ্! আমি আপনার নিকট
নিবেদন পেশ করছি যে, আপনি আমাকে জ ৷হান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন ৷ আমার মত লোক কি
জান্নাত প্রার্থনা করার সাহস দেখাতে পারে ?

এরপর তিনি সেনাদলের নিকট ফিরে গেলেন, তিনি এমন তার দেখালেন যে, তিনি
রাতভর আরামে শুয়ে ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন ৷ আর এদিকে রাত জাগার ও ঘুম নষ্ট হওয়ার কারণে
আমার যা করুণ অবস্থা ৷ তা আল্লাহ্ই জানেন ৷

বর্ণনাকারী আরো বলেন যে, পিঠে মালপএ নিয়ে হযরত সাল্লাহ্ (র)-এর সওয়ারী হারিয়ে
গিয়েছিল ৷ তিনি দুআ করে বললেন, হে আলুাহ্ আমি নিবেদন পেশ করছি যে, আপনি
আমার খচ্চর মালপত্রসহ ফিরিয়ে দিবেন ৷ অবিলম্বে খচ্চর ফিরে এল এবং তা সম্মুখে দাড়িয়ে
গেল ৷

বর্ণনাকারী জাফর ইবন যায়দ বলেন, তারপর আমরা শত্রুপক্ষের মুখোমুখি হলাম ৷
হযরত সাল্লাহ্(র) এবং হিশাম ইবন আমির শত্রুপক্ষের উপর হামলা করলেন ৷ আমরা ওদের
প্রচুর ক্ষতি সাধন করলাম ৷ আমাদের পক্ষে তারা দুজন ওদেরকে আক্রমণে আক্রমণে
নাস্তানাবুদ্ করে ফেললেন ৷ ওরা বলল, হার আরবের মাত্র দুজন লোক আমাদের এই দশা করে
ছেড়েছে, ওদের সবাই যদি যুদ্ধে নামে তাহলে আমাদের কী অবস্থা হবে ! বরং মুসলমানেরা যা
চায় তা ওদেরকে দিয়ে দাও ৷ ওদের সিদ্ধান্ত মেনে নাও ৷


وَيَلْعَبُونَ، فَيَقُولُ: أَخْبِرُونِي عَنْ قَوْمٍ أَرَادُوا سَفَرًا، فَحَادُوا فِي النَّهَارِ عَنِ الطَّرِيقِ، وَنَامُوا اللَّيْلَ، فَمَتَى يَقْطَعُونَ سَفَرَهُمْ؟ فَقَالَ لَهُمْ يَوْمًا هَذِهِ الْمَقَالَةَ، فَقَالَ شَابٌّ مِنْهُمْ: وَاللَّهِ يَا قَوْمِ إِنَّهُ مَا يَعْنِي بِهَذَا غَيْرَنَا، نَحْنُ بِالنَّهَارِ نَلْهُو وَبِاللَّيْلِ نَنَامُ. ثُمَّ تَبِعَ صِلَةَ، فَلَمْ يَزَلْ يَتَعَبَّدُ مَعَهُ حَتَّى مَاتَ، وَمَرَّ عَلَيْهِ فَتًى يَجُرُّ ثَوْبَهُ، فَهَمَّ أَصْحَابُهُ أَنْ يَأْخُذُوهُ بِأَلْسِنَتِهِمْ، فَقَالَ: دَعُونِي أَكْفِكُمْ أَمْرَهُ. ثُمَّ دَعَاهُ فَقَالَ: يَابْنَ أَخَى، لِي إِلَيْكَ حَاجَةٌ. قَالَ: وَمَا حَاجَتُكَ؟ قَالَ: أَنْ تَرَفَعَ إِزَارَكَ. قَالَ: نَعَمْ، وَنِعْمَتْ عَيْنٌ. فَرَفَعَ إِزَارَهُ، فَقَالَ صِلَةُ: هَذَا أَمْثَلُ مِمَّا أَرَدْتُمْ، لَوْ شَتَمْتُمُوهُ لَشَتَمَكُمْ. وَمِنْهَا مَا حَكَاهُ جَعْفَرُ بْنُ زَيْدٍ قَالَ: خَرَجْنَا فِي غَزَاةٍ، وَفَى الْجَيْشِ صِلَةُ بْنُ أَشْيَمَ، فَنَزَلَ النَّاسُ عِنْدَ الْعَتَمَةِ، فَقُلْتُ: لَأَرْمُقَنَّ عَمَلَهُ اللَّيْلَةَ. فَدَخَلَ غَيْضَةً، وَدَخَلْتُ فِي أَثَرِهِ، فَقَامَ يُصَلِّي، وَجَاءَ الْأَسَدُ حَتَّى دَنَا مِنْهُ، وَصَعِدْتُ أَنَا فِي شَجَرَةٍ. قَالَ: فَتُرَاهُ الْتَفَتَ، أَوْ عَدَّهُ جِرْوًا حَتَّى سَجَدَ؟ فَقُلْتُ: الْآنَ يَفْتَرِسُهُ. فَجَلَسَ، ثُمَّ سَلَّمَ، فَقَالَ: أَيُّهَا السَّبْعُ، إِنْ كُنْتَ أُمِرْتَ بِشَيْءٍ فَافْعَلْ، وَإِلَّا فَاطْلُبِ الرِّزْقَ مِنْ مَكَانٍ آخَرَ. فَوَلَّى الْأَسَدُ وَإِنَّ لَهُ لَزَئِيرًا تَصَّدَّعُ مِنْهُ الْجِبَالُ، فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ الصَّبَاحِ جَلَسَ فَحَمِدَ اللَّهَ بِمَحَامِدَ لَمْ أَسْمَعْ بِمِثْلِهَا، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ أَنْ تُجِيرَنِي مِنَ النَّارِ، أَوَ مِثْلِي يَجْتَرِئُ أَنْ يَسْأَلَكَ الْجَنَّةَ؟ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْجَيْشِ، فَأَصْبَحَ كَأَنَّهُ بَاتَ عَلَى الْحَشَايَا، وَأَصْبَحْتُ وَبِي مِنَ الْفَتْرَةِ شَيْءٌ اللَّهُ بِهِ عَلِيمٌ. قَالَ: وَذَهَبَتْ بِغْلَتُهُ بِثِقَلِهَا، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ أَنْ تَرُدَّ عَلَيَّ بَغْلَتِي
পৃষ্ঠা - ৭১৫৭

হযরত সাল্লাহ্ (র) বললেন, এক যুদ্ধে আমি ভীষণভাবে ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ি ৷ আমি তখন
ইাটছিলাম আর আল্লাহর নিকট মিনতি করে খাদ্য প্রার্থনা করছিলাম ৷ হঠাৎ আমার পেছনে
থাদ্য রাখার শব্দ পেলাম ৷ আমি পেছনে তাকালাম ৷ দেখলাম একটি সাদা রুমাল তার মধ্যে
তাজা খেজুর ভর্তি একটি বাক৷ ৷ আমি ওই বাক৷ থেকে থেলাম ৷ আমি তৃপ্ত হলায় ৷ তখন
প্রায় সন্ধ্য৷ ৷ আমি জনৈক ইয়াহুদী যাজকের গৃহে উঠলাম ৷ এই ঘটনা তাকে জানালাম ৷ সে
আমার নিকট ওই তাজা খেজ্বব খেতে চাইল ৷ আমি তাকে খাওয়ালাম ৷ অনেক দিন পর আমি
ওই যাজকের গৃহে উপস্থিত হই ৷ সেখানে দেখতে পাই কতক সুন্দর সুন্দর খেজুর গাছ ৷ সে
বলল, এই খেজুর গাছ, এগুলো ওই তাজা খেজুরের বিচি থেকে ভাজানো যে খেজুর আপনি
আমাকে খেতে দিয়েছিলেন ৷ সাল্লাহ্ (র) ওই সাদা রুমাল তার ত্রীর নিকট নিয়ে এসেছিলেন ৷
তার ত্রী ওই রুমাল লোকজনকে দেখাতেন ৷

তার শ্রী মু আযাহকে যখন তার নিকট হাদিয়া রুপে প্রেরণ করা হয়, তার ভাতিজা তাকে
গোসলখানায় পাঠায় ৷ তাররপর তাকে সুসজ্জিত ও সুশোভিত এক বাসর গৃহে পাঠায় ৷ সেখানে
তিনি নামায পড়তে শুরু করেন ৷ মুআযাহ ও তার সাথে নামায পড়তে শুরু করে ৷ দুজনেই
নামায পড়তেছিলেন ৷ এভাবেই রাত কেটে গিয়ে ভোর হয় ৷ তার ভাতিজা বলেন, আমি ভোরে
তার নিকট উপস্থিত হই ৷ আমি তাকে বলি চাচা আমি তো আপনার চাচাত ণ্বানকে আজ
রাতে আপনার নিকট হাদিয়া রুপে পাঠাই ৷ আর আপনি সারা রাত তাকে ছেড়ে নামায আদায়
করলেন ? সাল্লাহ (র) বললেন, তুমি তো প্রথমে দিনের প্রথম ভাগে একটি গৃহে ঢুকি য়েছ ৷
সেটি দ্বারা তুমি আমাকে জাহান্নামের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছ ৷ আর দিনের শেষ বেলায় তুমি
আমাকে একটি গৃহে প্রবেশ করিয়েছ ৷ সেটি দ্বারা তুমি আমাকে জান্নড়াতের কথা স্মরণ করিয়ে
দিয়েছ ৷ তারপর ওই দৃটোর অর্থাৎ জ ন্না৩ আর জাহান্নামের ফিকর ও চিন্তা ভাবনায় মগ্ন
থাকতে থাকতে ভোর হয়ে যায় ৷ যে গৃহ তাকে জাহান্নামের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সেটি
হল পোসলথানা ৷ আর যে গৃহ তাকে জান্নাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সেটি হল বাসর
গৃহ

এক ব্যক্তি হযরত সাল্লাহ্ (র)-কে বলেছিল যে, আমার জন্যে দুআ করল ৷ সাল্পাহ্ (র)
বললেন, মহান আল্লাহ্ চিরস্থায়ী বিষয়গুলাের প্রতি তোমার আগ্রহ সৃষ্টি করে দিন এবং অস্থায়ী
বিষয়গুলোৱ প্রতি তোমার অনাসক্তি সৃষ্টি করে দেন ৷ আল্লাহ তোমাকে সেই ইয়াকীন ও বিশ্বাস ,
দিন যার মাধ্যমে শুধু তারই প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয় এবং যে ইয়ার্কীনের মাধ্যমে দীনী বিষয়ে ,
তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন হয় ৷

অন্য একটি ঘটনা ৷ স ৷ল্লাহ্ (র) একটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ ওই যুদ্ধে তার সাথে তার
পুত্রও ছিল ৷ পুত্রকে তিনি বললেন, বৎস! তুমি এগিয়ে যাও, লড়াই কর ৷ আমি তোমার
মাধ্যঘুম ছাওয়াবের আশা করি, যে এগিয়ে গেল ৷ যুদ্ধ করল ৷ এবং এক পর্যায়ে সে নিহত হলা
এরপর সাল্লাহ্ এগিয়ে গেলেন ৷ তিনি নিজে যুদ্ধ করলেন ৷ এবং এক পর্যায়ে তিনি নিজেও
শহীদ হলেন ৷ এই প্রেক্ষিতে শোক প্রকাশ ও সান্তুনা দেয়ার জন্যে মহিলাগণ তার শ্রী মুআযাহ
আদাবিয়্যার নিকট উপস্থিত হয় ৷ তার শ্রী বললেন, আপনারা যদি আমাকে ধন্যবাদ জানাতে
এসে থাকেন তবে আপনাদের প্রতি সাদর সন্তাষণ ৷ আর যদি আপনারা আমার প্রতি শোক
প্রকাশ ও সমবেদনা জানাতে আসেন তবে তার দরকার নেই আপনারা ফিরে যান ৷ ইতিহাস
খ্যাত এই বুষুর্গব্যড়ি এবং তার পুত্র এই ৭৬ সনে পারস্যের এক যুদ্ধে নিহত হন ৷


بِثِقَلِهَا. فَجَاءَتْ حَتَّى قَامَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ. قَالَ: فَلَمَّا الْتَقَيْنَا الْعَدُوَّ حَمَلَ هُوَ وَهِشَامُ بْنُ عَامِرٍ، فَصَنَعَا بِهِمْ طَعْنًا وَضَرْبًا، فَقَالَ الْعَدُوُّ: رَجُلَانِ مِنَ الْعَرَبِ صَنَعَا بِنَا هَذَا؛ فَكَيْفَ لَوْ قَاتَلُونَا كُلُّهُمْ؟ أَعْطُوا الْمُسْلِمِينَ حَاجَتَهُمْ. يَعْنِي انْزِلُوا عَلَى حُكْمِهِمْ. وَقَالَ صِلَةُ: جُعْتُ مَرَّةً فِي غَزَاةٍ جَوْعًا شَدِيدًا، فَبَيْنَمَا أَنَا أَسِيرُ أَدْعُو رَبِّي وَأَسْتَطْعِمُهُ، إِذْ سَمِعْتُ وَجْبَةً مِنْ خَلْفِي، فَالْتَفَتُّ فَإِذَا أَنَا بِمِنْدِيلٍ أَبْيَضَ، فَإِذَا فِيهِ دَوْخَلَةٌ مَلْآنَةٌ رُطَبًا، فَأَكَلْتُ مِنْهُ حَتَّى شَبِعْتُ، وَأَدْرَكَنِي الْمَسَاءُ، فَمِلْتُ إِلَى دَيْرِ رَاهِبٍ فَحَدَّثْتُهُ الْحَدِيثَ، فَاسْتَطْعَمَنِي مِنَ الرُّطَبِ فَأَطْعَمْتُهُ، ثُمَّ إِنِّي مَرَرْتُ عَلَى ذَلِكَ الرَّاهِبِ بَعْدَ زَمَانٍ فَإِذَا نَخَلَاتٌ حِسَانٌ، فَقَالَ: إِنَّهُنَّ لَمِنَ الرُّطَبَاتِ الَّتِي أَطْعَمْتَنِي. وَجَاءَ بِذَلِكَ الْمِنْدِيلِ إِلَى امْرَأَتِهِ فَكَانَتْ تُرِيهُ لِلنَّاسِ. وَلَمَّا أُهْدِيَتْ مُعَاذَةُ إِلَى صِلَةَ، أَدْخَلَهُ ابْنُ أَخِيهِ الْحَمَّامَ، ثُمَّ أَدْخَلَهُ بَيْتَ الْعَرُوسِ ; بَيْتًا مُطَيَّبًا، فَقَامَ يُصَلِّي، فَقَامَتْ تُصَلِّي مَعَهُ، فَلَمْ يَزَالَا يُصَلِّيَانِ حَتَّى بَرَقَ الصُّبْحُ. قَالَ: فَأَتَيْتُهُ، فَقُلْتُ لَهُ: أَيْ عَمِّ، أَهْدَيْتُ إِلَيْكَ ابْنَةَ عَمِّكَ اللَّيْلَةَ، فَقُمْتَ تُصَلِّي وَتَرَكْتَهَا. قَالَ: إِنَّكَ أَدَخَلْتَنِي بَيْتًا أَوَّلَ النَّهَارِ أَذْكَرْتَنِي بِهِ النَّارَ، وَأَدْخَلْتَنِي بَيْتًا آخِرَ النَّهَارِ أَذْكَرْتَنِي بِهِ الْجَنَّةَ، فَلَمْ تَزَلْ فِكْرَتِي فِيهِمَا حَتَّى أَصْبَحْتُ. الْبَيْتُ الَّذِي أَذْكَرَهُ بِهِ النَّارَ هُوَ الْحَمَّامُ، وَالْبَيْتُ الَّذِي أَذْكَرَهُ بِهِ الْجَنَّةَ هُوَ بَيْتُ الْعَرُوسِ.
পৃষ্ঠা - ৭১৫৮
وَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: ادْعُ اللَّهَ لِي. فَقَالَ: رَغَّبَكَ اللَّهُ فِيمَا يَبْقَى، وَزَهَّدَكَ فِيمَا يَفْنَى، وَرَزَقَكَ الْيَقِينَ الَّذِي لَا تَرْكَنُ إِلَّا إِلَيْهِ، وَلَا تُعَوِّلُ فِي الدِّينِ إِلَّا عَلَيْهِ. وَكَانَ صِلَةُ فِي غَزَاةٍ، وَمَعَهُ ابْنُهُ، فَقَالَ لَهُ: أَيْ بُنَيَّ، تَقَدَّمْ فَقَاتِلْ حَتَّى أَحْتَسِبَكَ. فَحَمَلَ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، ثُمَّ تَقَدَّمَ صِلَةُ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، فَاجْتَمَعَ النِّسَاءُ عِنْدَ امْرَأَتِهِ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، فَقَالَتْ: إِنْ كُنْتُنَّ جِئْتُنَّ لِتُهَنِّئْنَنِي فَمَرْحَبًا بِكُنَّ، وَإِنْ كُنْتُنَّ جِئْتُنَّ لِغَيْرِ ذَلِكَ فَارْجِعْنَ. تُوُفِّيَ صِلَةُ فِي غَزَاةٍ هُوَ وَابْنُهُ نَحْوَ بِلَادِ فَارِسَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. زُهَيْرُ بْنُ قَيْسٍ الْبَلَوِيُّ شَهِدَ فَتْحَ مِصْرَ وَسَكَنَهَا، لَهُ صُحْبَةٌ، قَتَلَتْهُ الرُّومُ بِبَرْقَةَ مِنْ بِلَادِ الْمَغْرِبِ، وَذَلِكَ أَنَّ الصَّرِيخَ أَتَى الْحَاكِمَ بِمِصْرَ - وَهُوَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ - أَنَّ الرُّومَ نَزَلُوا بَرْقَةَ، فَأَمَرَهُ بِالنُّهُوضِ إِلَيْهِمْ، فَسَاقَ زُهَيْرٌ وَمَعَهُ أَرْبَعُونَ نَفْسًا، فَوَجَدَ الرُّومَ، فَأَرَادَ أَنْ يَكُفَّ عَنِ الْقِتَالِ حَتَّى يَلْحَقَهُ الْعَسْكَرُ، فَقَالُوا: يَا أَبَا شَدَّادٍ، احْمِلْ بِنَا عَلَيْهِمْ. فَحَمَلُوا، فَقُتِلُوا جَمِيعًا. الْمُنْذِرُ بْنُ الْجَارُودِ مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. تَوَلَّى بَيْتَ الْمَالِ، وَوَفَدَ عَلَى مُعَاوِيَةَ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ.