ثم دخلت سنة خمس وسبعين
পৃষ্ঠা - ৭১৩৩
;:ট্রুট্রু৷ ৷ পু’; হেট্রুব্লু;পু ৷ ;’: এরপর মহান আল্লাহ্ আরশে সমাসীন হয়েছেন আঘাতের
অর্থ হিসেবে জাহমিয়্যা সম্প্রদায় বলে যে, আল্লাহ্ আরশের উপর কর্তৃতু স্থাপন করেছেন ৷ তারা
কবিআখতড়ালের কবিতার আলোকে এই অর্থ গ্রহণ করে ৷ করি আখতাল বলেছিলর্দ্ধ
শ্শু
বিশর ইরাকের উপর ,কর্তৃৎ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কোন তরবারি ব্যবহার এবং রক্তপাত
ছাড়া ৷ ’ ,
বস্তুতঃ এই কবিতায় জাহমিয়্যাদের পক্ষে কোন প্রমাণ নেই ৷ সুতরাং তাদের বক্তব্যও
দলীল-প্রমাণহীন এবং বাতিল ৷ সেটি বাতিলের পক্ষে বহু যুক্তি রয়েছে ৷ করি আখতাল ছিল খৃন্ট
ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি ৷ প্
শাসনকর্তা-বিশর ইবন মারওয়ানের মৃত্যুর ঘটনা ছিল এই যে, তার চোখে ক্ষত হয়েছিল ৷
গোড়া থেকে ওই চক্ষু কেটে ফেলে দেয়ার জন্য তাকে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল ৷ তাতে, তিনি ভয়
পেয়ে গেলেন ৷ কিন্তু চোখের ঘা বৃদ্ধি হতে হতে ঘাড়ে গিয়ে পৌছল ৷ এরপর পৌছল পেটে ৷
এরপর তাতে র্তার মৃত্যু ঘটে ৷ মৃত্যু শয্যায় শায়িত হয়ে তিনি কাদছিলেন আর বলছিলেন,
“আহ্! আমি যদি শাসনকর্তা না হয়ে কোন আরব বেদুঈনের বকরী চারণকারী রাখলে হতাম,
তাও ভাল হতো ৷”
তার এই মন্তব্য আবু হাযিম কিৎরা সাঈদ ইবন মুসায়া ড়াবকে জানানো হল ৷ তখন তিনি
বললেন, “সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্র যিনি ওদেরকে মৃত্যুকালে আমাদের দিকে ধাবিত
করেছেন আমাদেরকে ওদের দিকে ধাবিত করেননি ৷ ওদের জীবনে আমাদের জন্যে শিক্ষা ও
উপদেশ রয়েছে ৷
হাসান বলেছেন, আমি বিশরের নিকট গিয়েছিলাম ৷ তখন তিনি তার খাটে গড়াগড়ি
দিচ্ছিলেন ৷ ছটফট করছিলেন ৷ এরপর খাট ছেড়ে ঘরের আঙ্গিনায় গিয়ে পড়লেন ৷
চিকিত্সকেরা তার চারপাৰ্;শ ছিল ৷ এই ৭৪ সনে তিনি বসরাতে ইনৃতিকাল করেন ৷ বসরায়
ইনৃতিকাল করেছেন এমন শাসনকর্তাদের মধ্যে তিনিই প্রথম ৷ বিশরের মৃত্যু সংবাদ শুনে
খলীফা আবদুল মালিক খুবই দুঃখ পান ৷ তিনি কবিদের তার শ্যেকগাথা রচনা ও আবৃত্তির
নির্দেশ দেন ৷ মহান আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ণ্ ৭৫ হিজরী সন
এই সনে মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন ৷ মুহাম্মদ
ইবন মারওয়ান হলেন খলীফা আবদুল মালিবেরে ভাই এবং মারওয়ান আল হিমার-এর পিতা ৷
ণ্রামানগণ মারআশ থেকে বের হবার পর তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন ৷ এই সনে খলীফা
আবদুল মালিক ইয়াহ্য়া ইবন আবুআসকে মদীনায় শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷ ইয়াহ্য়া হলেন
তার চাচা, হাজ্জাজকে মদীনায় শাসনকর্তার পদ থেকে অপসারিত করে ইরাক, বসরা, কুফা
এবং আশেপাশের অন্যান্য অঞ্চলের শাসনকর্তার পদে নিয়োগ দেয়া হয় ৷ বিশর ইবন
মারওয়ানের মৃত্যুর পর এ রদ-বদল ঘটে ৷ এ সময়ে খলীফা আবদুল মালিক অনুধাবন করলেন
যে, শক্তি, শৌর্য, সাহস, নিষ্ঠুরতার অধিকারী হাজ্জাজ ব্যতীত অন্য কেউ ইরাকের বিশৃৎখল
ক্কনেগণকে শৃৎখলাবদ্ধ করতে পারবে না ৷ তাই তিনি মদীনায় অবস্থানকারী হাজ্জাজকে ইরাকের
শাসনকর্তা নিয়োগ করে চিঠি প্রেরণ করলেন ৷ মাত্র ১২ জন অশ্বারােহী সাথী নিয়ে হাজ্জাজ
মদীনা থেকে ইরাকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسٍ وَسَبْعِينَ]
[الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا]
فَفِيهَا غَزَا مُحَمَّدُ بْنُ مَرْوَانَ - أَخُو عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، وَهُوَ وَالِدُ مَرْوَانَ الْحِمَارِ - صَائِفَةَ الرُّومِ حِينَ خَرَجُوا مِنْ عِنْدِ مَرْعَشٍ، وَفِيهَا وَلَّى عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ نِيَابَةَ الْمَدِينَةِ لِيَحْيَى بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، وَهُوَ عَمُّهُ، وَعَزَلَ عَنْهَا الْحَجَّاجَ.
وَفِيهَا وَلَّى عَبْدُ الْمَلِكِ الْحَجَّاجَ بْنَ يُوسُفَ نِيَابَةَ الْعِرَاقِ ; الْبَصْرَةِ وَالْكُوفَةِ، وَمَا يَتْبَعُ ذَلِكَ مِنَ الْأَقَالِيمِ الْكِبَارِ، وَذَلِكَ بَعْدَ مَوْتِ أَخِيهِ بِشْرُ بْنُ مَرْوَانَ، فَرَأَى عَبْدَ الْمَلِكِ أَنَّهُ لَا يَسُدُّ عَنْهُ أَهْلَ الْعِرَاقِ غَيْرُ الْحَجَّاجِ ; لِسَطْوَتِهِ وَقَهْرِهِ وَقَسْوَتِهِ وَشَهَامَتِهِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ وَهُوَ بِالْمَدِينَةِ بِوِلَايَةِ الْعِرَاقِ، فَسَارَ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى الْعِرَاقِ فِي اثْنَيْ عَشَرَ رَاكِبًا عَلَى النَّجَائِبِ، فَنَزَلَ قَرِيبَ الْكُوفَةِ فَاغْتَسَلَ وَاخْتَضَبَ، وَلَبِسَ ثِيَابَهُ، وَتَقَلَّدَ سَيْفَهُ، وَأَلْقَى عَذَبَةَ الْعِمَامَةَ بَيْنَ كَتِفَيْهِ، ثُمَّ سَارَ فَنَزَلَ دَارَ الْإِمَارَةِ، وَذَلِكَ يَوْمَ الْجُمْعَةِ، وَقَدْ أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ الْأَوَّلُ، فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ وَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ، فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ وَجَلَسَ عَلَيْهِ، وَأَمْسَكَ عَنِ الْكَلَامِ طَوِيلًا، وَقَدْ شَخَصُوا إِلَيْهِ بِأَبْصَارِهِمْ، وَجَثَوْا عَلَى الرُّكَبِ، وَتَنَاوَلُوا الْحَصَى لِيَقْذِفُوهُ بِهَا، وَقَدْ كَانُوا حَصَبُوا الَّذِي كَانَ قَبْلَهُ، فَلَمَّا سَكَتَ أَبْهَتَهُمْ، وَأَحَبُّوا أَنْ يَسْمَعُوا كَلَامَهُ، فَكَانَ أَوَّلَ مَا تَكَلَّمَ بِهِ أَنْ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৭১৩৪
জনগণের অজ্ঞাতসারে সে কুফায় প্রবেশ করে ৷ কুফা নগরীর কাছাকাছি এক স্থানে তারা
অবস্থান নেয় ৷ সে গোসল করল ৷ খিযাব লাগলে ৷ নিজের পেশোক পরিধান করল ৷ গলায়
তরবারি ঝুলাল ৷ পাগড়ীর মাথা ঝুলিয়ে দিল দু’কীধের মাঝখানে ৷ এরপর গিয়ে প্রশাসনিক
ভবনে প্রবেশ করল ৷ সেদিন ছিল জুমাআবার, মুয়ায্যিন জুমাআর প্রথম আযান দিল ৷ সবার
অজান্তে হাজ্জাজ মসজিদে গিয়ে মিম্বরে উঠে বসল ৷ দীর্ঘক্ষণ কোন কথা বলল না ৷ সকলে তীক্ষ্ণ
দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রইল ৷ সবাই হীটু গেড়ে বসল তাকে কংকর মারার জন্যে ৷ সবার
হাতে পাথর কণিকা ৷ ইতোপুর্বেকার শাসনকর্তাকে তারা কংকর যেয়ে তাড়িয়ে দিয়েছিল ৷
হাজ্জাজ মিম্বরে উঠে দীর্ঘক্ষণ চুপ মেরে রইল, কোন কথা বলল না ৷ তাতে সকলে স্তষিত
হয়ে গেল ৷ এবং তার বক্তব্য ণ্শানার জন্যে আগ্রহী হয়ে উঠল ৷ অতঃপর সর্বপ্রথম সে বলে
উঠল, ওহে ইরার্কী জনগণ ৷ বিদ্রোহী ও মুনাফিক জনতা ! বদ চরিত্রের লোকসমাজৰু আল্পাহ্র
কসম ! তোমাদের এখানে আসার আগেই তোমাদের অবস্থান ও কার্যকলাপ আমাকে ভাবিয়ে
তৃলেছিল ৷ আমি আল্পাহ্র নিকট দুআ করেছিলাম আমার হাতে যেন তিনি তোমাদেরকে
শায়েস্তা করার সুযোগ করে দেন ৷ শুনে নাও, ণ্তামাষ্কদরকে শিক্ষা দেয়ার জন্যে আমার হাতে যে
চাবুক ছিল গতরাতে সেটি হাত থেকে পড়ে গিয়েছে ৷ এখন সেস্থানে এসেছে এই তরবারি ৷ সে
তার তরবারির’ দিকে ইঙ্গিত করল ৷ এরপর বলল, আল্লাহ্র কসম, তোমাদের বড়দের জন্য
আমি ছোটদেরকে পাকড়াও করব ৷ দাসদের জন্য ৰুস্বতৃধীনদেরকে পাকড়াও করব ৷ এরপর আমি
তােমাদেরকে কামায়ের লোহা পেটানোর মত পিটার, বাবুর্চির মণ্ড মাথার ন্যায় দলিত-মথিত
করে পিষে ফেলব ৷ তার বক্তব্য শুনে সবার হাত থেকে কংকরগুলো খসে পড়তে শুরু করে ৷
কেউ কেউ বলেছেন যে, শাসনকর্তা হাজ্জাজ কুফায় প্রবেশ করে রমযান মাসে যুহরের সময়ে ৷
সে তখন মসজিদে আগমন করে ৷ মিম্বরে উঠে ৷ তার মাথায় লাল পাগড়ী বীধা ছিল ৷ পাগড়ীর
মাথায় ঢাকা ছিল তার মুখমণ্ডল ৷ সে নির্দেশ দিল, সবাইকে আমার নিকট উপস্থিত কর ৷
জনসাধারণ তাকে ও তার সাথীদেরকে খারেজী সম্প্রদায়ের লোক বলে ণ্ভবেছিল ৷ তারা তাদের
উপর হামলা চালানোর ইচ্ছা করেছিল ৷ লোকজন একত্রিত হবার পর সে দাড়ালাে এবং মুখের
পর্দা সরিয়ে দিল ৷ আর বলল-
শ্শ্শ্শ্শ্শ্
আমি প্রভাত আলো ৷ আমার সম্মুখের বড় দাত গজিয়েছে ৷ আমি অভিজ্ঞ ৷ পাগড়ী
ণ্ খুললেই তোমরা আমাকে চিনতে পারবে ৷ ’
এরপর সে বললো, আল্লাহ্র কসম ! আমি প্রত্যেকটি বিষয়কে তার উপযুক্ত মাধ্যম দিয়েই
উত্তোলন করি ৷ জুতার জোড়ার মাপের মত সমান সমানডাবে ব্যবস্থা নিই ৷ রশি অনুযায়ী পইিট
বীধি ৷ আমি দেখতে পাচ্ছি যে, তোমাদের মধ্যে কতগুলো মাথা থেকে গেছে ৷ ওগুলো কেটে
যেস্পার সময় হয়ে গিয়েছে ৷ আমি দেখতে পাচ্ছি তোমাদের মধ্যে কতক লোকের রক্ত দাড়ি ও
পাগড়ীর মধ্যে খইথই করছে ৷ আমি পায়ের নলার কাপড় খুলে ফেলেছি, এখন তা উন্মুক্ত ৷
এরপর সে নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করলো ৷
এা১১ ৷ ৷ , ৷ ৷ এই
এখন বেধে নেয়ার সময় ৷ আমি এখন গোশতগুলাে প্যাকেট করে নিব ৷ নিষ্ঠুর রাথাল
রাতভর যে গোশতগুৰলাকে সাজিয়ে ব্লেখেছে ৷
يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ، يَا أَهْلَ الشِّقَاقِ، وَيَا أَهْلَ النِّفَاقِ وَمَسَاوِئِ الْأَخْلَاقِ، وَاللَّهِ إِنْ كَانَ أَمْرُكُمْ لَيَهُمُّنِي قَبْلَ أَنْ آتَى إِلَيْكُمْ، وَلَقَدْ كُنْتُ أَدْعُو اللَّهَ أَنْ يَبْتَلِيَكُمْ بِي، فَأَجَابَ دَعْوَتِي، إِلَّا أَنِّي سِرْتُ الْبَارِحَةَ فَسَقَطَ مِنِّي سَوْطِي الَّذِي أُؤْذِيكُمْ بِهِ، فَاتَّخَذْتُ هَذَا مَكَانَهُ - وَأَشَارَ إِلَى سَيْفِهِ - ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ لَأَجُرَّنَّهُ فِيكُمْ جَرَّ الْمَرْأَةِ ذَيْلَهَا، وَلَأَفْعَلَنَّ بِكُمْ وَلَأَصْنَعَنَّ، فَلَمَّا سَمِعُوا كَلَامَهُ جَعَلَ الْحَصَى يَتَسَاقَطُ مِنْ أَيْدِيهِمْ، وَقِيلَ: إِنَّهُ دَخَلَ الْكُوفَةَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ ظُهْرًا، فَأَتَى الْمَسْجِدَ، وَصَعِدَ الْمِنْبَرَ وَهُوَ مُعْتَجِرٌ بِعِمَامَةٍ حَمْرَاءَ، مُتَلَثِّمٌ بِطَرَفِهَا، ثُمَّ قَالَ: عَلَيَّ بِالنَّاسِ. فَحَسِبَهُ النَّاسُ وَأَصْحَابَهُ مِنَ الْخَوَارِجِ، فَهَمُّوا بِهِ حَتَّى إِذَا اجْتَمَعَ النَّاسُ قَامَ وَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ، وَقَالَ:
أَنَا ابْنُ جَلَا وَطَلَّاعُ الثَّنَايَا ... مَتَى أَضَعُ الْعِمَامَةَ تَعْرِفُونِي
ثُمَّ قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لَأَحْمِلُ الشَّرَّ بِحَمْلِهِ، وَأَحْذُوهُ بِنَعْلِهِ،
পৃষ্ঠা - ৭১৩৫
وَأَجْزِيهِ بِمِثْلِهِ، وَإِنِّي لَأَرَى رُءُوسًا قَدْ أَيْنَعَتْ وَحَانَ قِطَافُهَا، وَإِنِّي لَأَنْظُرُ إِلَى الدِّمَاءِ تَتَرَقْرَقُ بَيْنَ الْعَمَائِمِ وَاللِّحَى:
قَدْ شَمَّرَتْ عَنْ سَاقِهَا فَشَمِّرِي
ثُمَّ أَنْشَدَ أَيْضًا:
هَذَا أَوَانُ الشَّدِّ فَاشْتَدِّي زِيَمْ ... قَدْ لَفَّهَا اللَّيْلُ بِسَوَّاقٍ حُطَمْ
لَسْتُ بِرَاعِي إِبِلٍ وَلَا غَنَمْ ... وَلَا بِجَزَّارٍ عَلَى ظَهْرِ وَضَمْ
قَدْ لَفَّهَا اللَّيْلُ بِعَصْلَبِيٍّ ... أَرْوَعَ خَرَّاجٍ مِنَ الدَّوِّيِّ
مُهَاجِرٍ لَيْسَ بِأَعْرَابِيِّ
পৃষ্ঠা - ৭১৩৬
ণ্হ্নএড্র এব্লএচ্ ন্
মুলতঃ আমি উটের রাখাল নই ৷ বকরীরও নই, আমি কাঠের গুড়িতে রেখে গোশত
কাটার কসাইও নই ৷
আমার পক্ষ থেকে জনৈক শক্তিশালী এবং অনুগত ব্যক্তি ওই গোশতগুলো কেটে
সাজিয়েছে ৷ ওই ব্যক্তি একরোখা, গৌড়া, বনবাসী ৷
সুন্এ
সে দেশত্যাগী, গ্রাম্য বেদৃঈন নয় ৷
এরপর সে বললো, আল্পাহ্র কসম! হে ইরাকী জনগণ! আমি সাধারণ তীরন্দায নই ৷
আমি খালি কলসী বজােই না প্রভাবিত ও ভীত হই না ৷ আমি বয়সে পাকা হয়েছি ৷
জীবন-অভিজ্ঞতার সমৃদ্ধ হয়েছি ৷ খলীফা আবদুল মালিক তার তীরের ঝুড়ি ঝোড় সবগুলো
তীর সম্মুখে রেখেছিলেন ৷৩ তারপর একটা একটা করে সবগুলো পরীক্ষা করেছেন ৷ আমাকে
? পেম্বেহেন ডীক্ষ্ণধার ও মষবুত তীর ৷৩ তারপর তিনি আমাকে তোমাদের নিকট পাঠিয়েছেন ৷
তোমরা যতবেশী ফিতনার-ময়দানে বিচরণ করবে, বিভ্রাস্তির পথে চলবে, গোমরাহীর
নীতি অবলম্বন করবে আল্লাহর কসম আমি ততই ওে ৷মাদেরকে লাঠির ছাল খোলার ন্যায়
চামড়া খুলব ৷ সালামা বৃক্ষের পাতা পেষার নৃা৷য় পিষে (নব ৷ অবাধ্য উটের ন্যায় পেটাব ৷
আল্লাহ্র কসম৷ আ ৷মি যে প্রতিশ্রুতি দিই তা পুরণ করি ৷ যা ৷তৈরী করি তা ভালভাবেই তৈরী
করি ৷ সুতরাং ওই বিচ্ছিন্নতা, দলবাজি এবং অপ্রীতিকর কথাবার্তা ছেড়ে দাও ৷ আল্লাহর কসম
তোমরা অবশ্যই সরল ও সোজা পথে চলবে নতুবা আমিণ্ তামাদের শরীরে শরীরে এমন ক্ষত
ও জখম সৃষ্টি করে দিব যে, তার যন্ত্রণায় তোমরা অন্যসব কথা ভুলে যাবে ৷
এরপর সে বললো, বিশর ইবন মারওয়ানের ঙু পর সেনাপতি ঘুহাল্লাবের দল ত্যাগ
করে যারা এসেছ আজ থেকে তিন দিন পর যদি তাদের কাউকে ওই দলের বাহিরে পাই
অবশ্যই আমি তার রক্ত প্রবাহিত করে দেব খুন করে ফেলব এবং তার ধন-সম্পদ বাজেয়াপ্ত
করব ৷ এতটুকু বলে সে মিম্বর থেকে নেমে গেলো এবং প্রাসাদে ফিরে এলো ৷
কেউ কেউ বলেন যে, শাসনকর্তা হাজ্জাজ মিম্বরে আরোহণ করার পর এবং লোকজন
সমবেত হবার পর দীর্ঘক্ষণ চুপচাপ বসে রইলাে ৷ জনৈক শ্রোতা মুহাম্মদ ইবন উমায়র এক
পর্যায়ে পাথবকুচি হাতে তুলে নিল ৷ হ জ্জাজেব গায়ে সেগুলো নিক্ষেপ করার ইচ্ছা ছিল তার ৷
সে বলেছিল, অ ৷ল্লাহ্ এই লোককে অপমানিত করুন, কত মন্দ লোক সে ৷
হাজ্জাজ যখন র্দাড়ালাে আর তার ওই পিলে চমকানাে কড়া বক্তব্য রাখল তখনতয়ের
চোর্টে মুহাম্মদ ইবন উমায়রের হাত থেকে পাথরকুচিগুলাে আপনা-আপনি খসে পড়ে গেল
অথচ সে টেবই পায়নি ৷ হাজ্জাজের বক্তব্যের ধার, বিশুদ্ধতা ও জােরদেখে সে স্তস্তিত হয়ে
যায় ৷
কেউ কেউ বলেছেন যে, হাজ্জাজ তার বক্তব্যে বলেছিল, সবার মুখমওল বিশ্ৰী হোক ৷
মহান অ ৷ল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে একটি উদাহরণ দিয়ে বলেছেন :
ثُمَّ قَالَ: إِنِّي يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ مَا أُغْمَزُ بِغِمَازٍ، وَلَا يُقَعْقَعُ لِي بِالشِّنَانِ، وَلَقَدْ فُرِرْتُ عَنْ ذَكَاءٍ، وَجَرَيْتُ إِلَى الْغَايَةِ الْقُصْوَى، وَإِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ نَثَرَ كِنَانَتَهُ، ثُمَّ عَجَمَ عِيدَانَهَا عُودًا عُودًا، فَوَجَدَنِي أَمَرَّهَا عُودًا، وَأَصْلَبَهَا مَغْمِزًا، فَوَجَّهَنِي إِلَيْكُمْ، فَإِنَّكُمْ طَالَمَا أَوْضَعْتُمْ فِي أَوْدِيَةِ الْفِتَنِ، وَسَنَنْتُمْ سُنَنَ الْغَيِّ، أَمَا وَاللَّهِ لَأَلْحُوَنَّكُمْ لَحْيَ الْعُودِ، وَلَأَعْصِبَنَّكُمْ عَصْبَ السَّلَمَةِ، وَلَأَضْرِبَنَّكُمْ ضَرْبَ غَرَائِبِ الْإِبِلِ، إِنِّي وَاللَّهِ لَا أَعِدُ إِلَّا وَفَيْتُ، وَلَا أَخْلُقُ إِلَّا فَرَيْتُ، فَإِيَّايَ وَهَذِهِ الْجَمَاعَاتِ وَقِيلًا وَقَالًا، وَاللَّهِ لَتَسْتَقِيمُنَّ عَلَى سَبِيلِ الْحَقِّ، أَوْ لَأَدَعَنَّ لِكُلِّ رَجُلٍ مِنْكُمْ شُغْلًا فِي جَسَدِهِ. ثُمَّ قَالَ: مَنْ وَجَدْتُ بَعْدَ ثَالِثَةٍ مِنْ بَعْثِ الْمُهَلَّبِ - يَعْنِي الَّذِينَ كَانُوا قَدْ رَجَعُوا عَنْهُ لَمَّا سَمِعُوا بِمَوْتِ بِشْرِ بْنِ مَرْوَانَ كَمَا تَقَدَّمَ - سَفَكْتُ دَمَهُ، وَانْتَهَبْتُ مَالَهُ، ثُمَّ نَزَلَ
পৃষ্ঠা - ৭১৩৭
فَدَخَلَ مَنْزِلَهُ، وَلَمْ يَزِدْ عَلَى ذَلِكَ.
وَيُقَالُ: إِنَّهُ لَمَّا صَعِدَ الْمِنْبَرَ وَاجْتَمَعَ النَّاسُ تَحْتَهُ أَطَالَ السُّكُوتَ، حَتَّى إِنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عُمَيْرٍ أَخَذَ كَفًّا مِنْ حَصًى وَأَرَادَ أَنْ يَحْصِبَهُ بِهَا، وَقَالَ: قَبَّحَهُ اللَّهُ، مَا أَعْيَاهُ وَأَذَمَّهُ. فَلَمَّا نَهَضَ الْحَجَّاجُ وَتَكَلَّمَ بِمَا تَكَلَّمَ بِهِ، جَعَلَ الْحَصَى يَتَنَاثَرُ مِنْ يَدِهِ وَهُوَ لَا يَشْعُرُ بِهِ ; لِمَا يَرَى مِنْ فَصَاحَتِهِ وَبَلَاغَتِهِ.
وَيُقَالُ: إِنَّ الْحَجَّاجَ قَالَ فِي خُطْبَتِهِ هَذِهِ: شَاهَتِ الْوُجُوهُ، إِنَّ اللَّهَ ضَرَبَ مَثَلًا {قَرْيَةً كَانَتْ آمِنَةً مُطْمَئِنَّةً يَأْتِيهَا رِزْقُهَا رَغَدًا مِنْ كُلِّ مَكَانٍ فَكَفَرَتْ بِأَنْعُمِ اللَّهِ فَأَذَاقَهَا اللَّهُ لِبَاسَ الْجُوعِ وَالْخَوْفِ بِمَا كَانُوا يَصْنَعُونَ} [النحل: 112] (النَّحْلِ: 112) ، وَأَنْتُمْ أُولَئِكَ، فَاسْتَوْثِقُوا وَاسْتَقِيمُوا، فَوَاللَّهِ لَأُذِيقَنَّكُمُ الْهَوَانَ حَتَّى تَدِرُّوا، وَلَأَعْصِبَنَّكُمْ عَصَبَ السَّلَمَةِ حَتَّى تَنْقَادُوا، وَأُقْسِمُ بِاللَّهِ لَتُقْبِلُنَّ عَلَى الْإِنْصَافِ، وَلَتَدَعُنَّ الْإِرْجَافَ وَكَانَ وَكَانَ، وَأَخْبَرَنِي فُلَانٌ عَنْ فُلَانٍ، وَالْخَبَرُ وَمَا الْخَبَرُ، أَوْ لَأَهْبُرَنَّكُمْ بِالسَّيْفِ هَبْرًا يَدَعُ النِّسَاءَ أَيَامَى، وَالْأَوْلَادَ يَتَامَى، حَتَّى تَمْشُوا السُّمَّهَى، وَتُقْلِعُوا عَنْ هَا وَهَا. فِي كَلَامٍ طَوِيلٍ بَلِيغٍ غَرِيبٍ، يَشْتَمِلُ عَلَى وَعِيدٍ شَدِيدٍ، لَيْسَ فِيهِ وَعْدٌ بِخَيْرٍ.
পৃষ্ঠা - ৭১৩৮
আল্লাহ দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন এক জনপদের যা ছিল নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত, যেখানে আসত সবদিক
হতে সেটির প্রচুর জীবনােপকরণ ৷ অতঃপর সেটি আল্লাহর অনুগ্রহ অম্বীক৷ ৷র করল, ফলে তারা
বা করত তার জন্যে আল্লাহ তাদেরকে আস্বাদ গ্রহণ করালেন ক্ষুধা ও ভীতির আচ্ছাদনের ৷
(নাহ্ল১৬ং : ১১২) ৷ বন্তুতঃ তোমরা হলে সেই জাতি ও সম্প্রদায় ৷ অবিলম্বে তোমরা ঠিক
হয়ে যাও, সরল র্পথের পথিক হও ৷ আল্লাহর কসম! আমি তোমড়াদেবকে এমন শাস্তি ভোগ
করার যে, তোমরা ছিন্নভিন্ন-ছত্রভঙ্গ হয়ে যাবে ৷ সালামা বৃক্ষের রস লিংড়ানাের মত আমি
তোমাদেরকে পিষে ফেলব যে, তোমরা অনুগত হবে ৷
আমি আল্লাহর কসম করে বলছি তোমরা ইনসাফ ও ন্যায়নীতির পথে অগ্রসর হয়ে ৷
ফিতনা ও বিশৃৎখলার পথ পরিহার করবে ৷ কেউ কেউ আমাকে তোমাদের অবস্থা জ নিয়েছে
বটে ৷ তোমাদের এই অবস্থা কেন ? ব্যাপার কি ? অবশ্যই তোমরা এসব ছেড়ে দিবে, না হয়
তররারির আঘাতে আমি তোমাদের দেহকে টুকরো টুকরো করে ফেলব ৷ তোমাদের ত্রীগণ হবে
বিধবা ৷ ছেলেমেয়েরা ইয়াতীম হয়ে যাবে ৷ তখন তোমরা ঋ জু হয়ে চলবে, বাকা ও বিদ্রোহের
পথ ছেড়ে আসবে ৷ এটিশ্ ৷৷সনকর্তা৷ হজ্জ ৷জের একটি সুদীর্ঘ, উন্নত, কঠোর ও নির্দয় বক্তব্যের
শ৷ শওই বক্তব্যে কোন পুরস্কার ও কল্যাণের ওয়াদা ছিল না ৷ বক্তৃতার পর তৃতীয় দিনে সে
বাজারের দিকে শ্লোগান ও তা ৷কবীরধ্বনি শুনলেন ৷ সে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসল ৷
এবং বলল, ওহে ইরাকী জনগণ! ওহে বিদ্রোহী ও মুনাফিকগণ! ওহে বদমাশ জনগণ আমি
তো বাজারে তাকবীরধ্বনি শুনেছি ৷ ওই৩ ৷কবীর উৎসাহব্যঞ্জক তাকবীর নয় ৷ বরং শ্াং কা ও
তর উদ্রেকক৷ রী তাকবীর ৷ প্রচণ্ড ঝড় শুরু হয়েছে ৷৩ তার নীচে দুমড়ে-মুচড়ে পড়ছে বৃক্ষরাজি ৷
ওহে ছোট লোকের বাচ্চারা৷ লাঠি প্রহার খাওয়া গােলামেরা, দ সী ও বিধবাদের পুত্রগণ!
তোমাদের প্রত্যেকে নিজ নিজ অপরাধের জন্যে অনুতপ্ত হতে পাবনা? নিজ নিজ রক্ত ও খুন
নিরাপদ রাখতে পাবনা ? নিজের দীড়ানোর স্থান দেখে নিতে পাবনা ?
আমি আল্লাহর কসম করে বলছি, আমি তোমাদের উপর এমন আঘাত হানব যে, সেটি
বর্তমান লোকদের জন্যে হবে কঠিন শাস্তি আর পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে হবে শিক্ষণীয় ৷
এ বক্তব্য শুনে উমায়র ইবন হানী তামীমী হানযালী উঠে দীড়ালাে ৷ সে বলল, মহান
আল্লাহ শাসনকর্তার ভাল করুন ৷ আমি সেনাপতি ৩মুহাল্লাবের সেনাদলের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম, আমি
একজন দুর্বল বুড়াে মানুষ ৷ এই আমার পুত্র, সে আমার চইিতে জােয়ান ৷
হাজ্জাজ বলল, তুমি কে ? সে বলল, আমি উমায়র ইবন দাবী তামীমী ৷ হাজ্জাজবলল,
আমার গত দিনের বক্তব্য কি তমি শুনেছ ? সে বলল, হা, শুনেছি ৷ হাজ্জ ৷জ বলল, তুমি হযরত
উছমান ইবন আফ্ফানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলে৩ ৷ই না ? সে বলল, ভুা,৩ ৩ইি ৷ হাজ্জাজ
বলল, তুমি তা করতে গেলে কেন ? সে বলল,৩ তিনি আমার বাবাকে বন্দী করে রেখেছিলেন ৷
আমার বাবা ছিলেন বুড়ো মানুষ ৷ হ ৷জ্জাজ বলল, তোমার বাব৷ কি এই কবিতাটি বলেনি ?
আমি তার উপর (হয়য়ত উছমানের উপর) আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ৷ কিন্তু
আক্রমণ করিনি ৷ যদি করতাম৫ তা ভালই হত ৷ যদি তার শ্ৰীদেরকে ক্রন্দনকারিণী বানাতে
পারতাম, তাহলে বেশ ভাল হতো ৷
এরপর হাজ্জাজ বলল, আমি অবশ্যই মনে করছি যে, তোমাকে হত্যা করলে মিসরীয়দের-
কল্যাণ হবে ৷ এরপর নিরাপত্তা প্রহরীকে ডেকে বলল, ওকে শেষ করে দাও ৷ এক লোক তার
فَلَمَّا كَانَ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ سَمِعَ تَكْبِيرًا فِي السُّوقِ، فَخَرَجَ حَتَّى جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَقَالَ: يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ، يَا أَهْلَ الشِّقَاقِ وَالنِّفَاقِ وَمَسَاوِئِ الْأَخْلَاقِ، إِنِّي سَمِعْتُ تَكْبِيرًا فِي الْأَسْوَاقِ، لَيْسَ بِالتَّكْبِيرِ الَّذِي يُرَادُ بِهِ التَّرْغِيبُ، وَلَكِنَّهُ تَكْبِيرٌ يُرَادُ بِهِ التَّرْهِيبُ، وَقَدْ عَصَفَتْ عَجَاجَةٌ تَحْتَهَا قَصْفٌ، يَا بَنِي اللَّكِيعَةِ، وَعَبِيدَ الْعَصَا، وَأَبْنَاءَ الْإِمَاءِ وَالْأَيَامَى، أَلَا يَرْبَعُ كُلُّ رِجْلٍ مِنْكُمْ عَلَى ظَلْعِهِ، وَيُحْسِنُ حَقْنَ دَمِهِ، وَيُبَصِرُ مَوْضِعَ قَدَمِهِ، وَأُقْسِمُ بِاللَّهِ لَأُوشِكُ أَنْ أُوقِعَ بِكُمْ وَقْعَةً تَكُونُ نَكَالًا لِمَا قَبِلَهَا، وَأَدَبًا لِمَا بَعْدَهَا. فَقَامَ إِلَيْهِ عُمَيْرُ بْنُ ضَابِئٍ التَّمِيمِيُّ ثُمَّ الْحَنْظَلِيُّ، قَالَ: أَصْلَحَ اللَّهُ الْأَمِيرَ، أَنَا فِي هَذَا الْبَعْثِ، وَأَنَا شَيْخٌ كَبِيرٌ وَعَلِيلٌ، وَهَذَا ابْنِي هُوَ أَشِبُّ مِنِّي. قَالَ: وَمَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنَا عُمَيْرُ بْنُ ضَابِئٍ التَّمِيمِيُّ. قَالَ: أَسَمِعْتَ كَلَامَنَا بِالْأَمْسِ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَلَسْتَ الَّذِي غَزَا عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ؟ قَالَ: بَلَى. قَالَ: وَمَا حَمَلَكَ عَلَى ذَلِكَ؟ قَالَ: كَانَ حَبَسَ أَبِي وَكَانَ شَيْخًا كَبِيرًا. قَالَ: أَوَلَيِسَ هُوَ الَّذِي يَقُولُ:
هَمَمْتُ وَلَمْ أَفْعَلْ وَكِدْتُ وَلَيْتَنِي ... فَعَلْتُ وَوَلَّيْتُ الْبُكَاءَ حَلَائِلَهُ
পৃষ্ঠা - ৭১৩৯
দিকে এগিয়ে গেল এবং তার ঘাড়ে তরবারির কােপ মারল এবং৩ তার মালামাল ছিনিয়ে নিল:
তারপর হাজ্জাজ তার ঘোষককে বলল, জনসমক্ষে এ কথা ঘোষণা করে দাও যে, উমায়র ইবন
দাবী শাসনকর্তার ঘোষণা শোনার পরও তিনদিন পর্যন্ত মুল সেনাদলের সাথে যোগ দেয়নি ৷
বিধায় তাকে হত্যার আদেশ দেয়া হয়েছে ৷ এবং তাকে হত্যা করা হয়েছে ৷
ঘোষণা শুনে সবইি পড়ি কি মরি অবস্থায় দলে দলে মুহ ৷ল্পাবের দিকে দৌড়াতে শুরু করে ৷
নদী অতিক্রমকালে সেতুর উপর প্রচণ্ড ভিড় জমে যায় ৷ একই সময়ে ৪০০০ লোক ওই সেতু
পার হয় এবং মুহাল্পাবের নিকট গিয়ে পৌছে ৷ ইউনিট প্রধানগণও প্রত্যাবর্তনকা ৷রী দলে ছিল ৷
সেখানে পৌছার পর তারা মুহাল্পাবের নিকট থেকে সেখানে পৌছেছে মর্মে সনদ সংগ্রহ করে ৷
মুহাল্লাব তখন বলেছিলেন, এবার ইরাকে একজন মরদের মত মরদ এসেছে বটে ৷ এবার শত্রু
পক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই হবে ৷ শত্রু বিনাশ হবে ৷ এক বর্ণনায় এসেছে যে, হাজ্জাজ বৃদ্ধ উমায়র
ইবন দাবীকে চিনতেন না ৷ অ ৷ম্বাম৷ ইবন সা ৷ঈদ তাকে ডেকে বলেছিল, শাসনকর্তা এই যে,
বড়ো লোকটি দেখতে পাচ্ছেন, হযরত উছমান (রা) নিহত হবার পর সে তার পবিত্র মুখে চড়
মেরেছিল ৷ তখনই হাজ্জাজ তাকে হত্যা করার আদেশ দেয় ৷
শাসনকর্তা হাজ্জাজ তার পক্ষ থেকে হাকাম ইবন আইয়ুব ছাকাফীকে বসরার শাসনকর্তা
নিয়োগ করল ৷ত তাকে খালিদ ইবন আবদুল্লাহ-এর বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনার জন্যে নির্দেশ
দিল ৷ শুরায়হকে কুফা র বিচ৷ ৷রক পদে বহাল রাখল ৷ এরপর হাজ্জা জ নিজে বসরার উদ্দেশ্যে
যাত্রা করে ৷ কুফায় তার প্রতিনিধি রেখে যায় আবু ইয়াকুরকে ৷ বসরার বিচারক পদে নিয়োগ
দেয় যুরারাহ ইবন আবু আওফাকে ৷ পরে সে কুফায় ফিরে আসে ৷ এই বৎসর হজ্জ পরিচালনা
করেন খলীফা আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান ৷ তার চাচা ইয়াহ্য়া মদীনা শরীফের শাসনকর্তা
পদে বহাল রাখেন ৷ থােরাসানের শাসনকর্তা পদে বহাল থাকেন উমায়্যা ইবন আবদুল্লাহ ৷
এই সনে বসরার জনগণ হ জ্জাজেব বিরুদ্ধে প্রচণ্ড আন্দোলন গড়ে তোলে ৷ কারণ, উমায়র
ইবন দা ৷বীকে হত্যার পর হাজ্জ ৷জ কুফা থেকে বসরা গমন করে ৷ তখন সে বসরার জনগণের
সম্মুখে বক্তৃতা দিতে উঠে ৷ কুফা র জনগণের সম্মুখে সে যেমন আক্রমণাত্মক্, কঠিন, কঠোর ও
নিদয় বক্তব্য রেখেছিল বসরাবুত ও সে রকম বক্তৃতা দিল ৷ এরপর বানু ইয়াশকা ৷র গোত্রের এক
ব্যক্তিকে ধ্রে এনে বলা হলো, এ ব্যক্তি সরকারের নিদ্যে৷ অমান্যকারী ৷ সে বলল, আমি
অসুস্থ ৷ মহান আল্লাহ আমাকে অক্ষম বানিয়েছেন ৷ পুর্ববর্তী শাসক বিশর ইবন মারওয়ানও
আমার অক্ষমত৷ মঞ্জুর করেছেন ৷ এই যে, আমার ভাতা, আমি বায়তৃল মাল তথা সরকারী ধ্
কােষাণারে ফেরত দিলাম ৷ হাজ্জাজ তার বক্তব্য গ্রহণ করল না, তাকে হত্যার নির্দেশ দিল ৷
তাকে হত্যা করা হল ৷ এ ঘটনায় উপস্থিত জনগণ বেসামাল ও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল ৷ তারা
বসরা ছেড়ে বাইরে চলে গেল ৷ তারা জমায়েত হল, রামহুরমুয সেতুর নিকট ৷ তখন তাদের
নেতৃত্বে এল আবদুল্লাহ ইবন জারুদ ৷ ওদেরকে শায়েস্তা করার জন্যে হাজ্জাক নিজে অভিযানে
বের হল ৷ সাথে তার অনেক সৈন্য সামন্ত ৷ এটি হলো শাবান মাসের ঘটনা, সেখানে উভয়
পক্ষে প্রচণ্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ যুদ্ধে বিরোধী পক্ষের অন্যান্য নেতাদের সাথে প্রধান নেতা
আবদুল্লাহ ইবন জারুদ নিহত হয়, হাজ্জাজের নির্দেশে ওদের মাথা কেটে রামহুরমুয সেতুর
উপর ঝুলিয়ে রাখা হয়, এরপর সেগুলো মুহাল্লারের নিকট পাঠানো হয়, এতে মুহাল্লাবের শক্তি
ও সাহস বৃদ্ধি পায় এবং খারিজী নেতাদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ে ৷ তা ৷রা দুর্বল হয়ে যায়,
হাজ্জাজ সংবাদ পাঠায় যুহ ৷ল্পাব ও আবদুর রহমান ইবন মিখনাকের নিকট তারা যেন আযারিকা
সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে ৷ নিজ নিজ সৈন্যবাহিনী নিয়ে তারা আযারিকী খারিজীদের
ثُمَّ قَالَ الْحَجَّاجُ: إِنِّي لَأَحْسَبُ أَنَّ فِي قَتْلِكَ صَلَاحُ الْمِصْرَيْنِ. ثُمَّ قَالَ: قُمْ إِلَيْهِ يَا حَرَسِيُّ فَاضْرِبْ عُنُقَهُ. فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَضَرَبَ عُنُقَهُ، وَانْتَهَبَ مَالَهُ، وَأَمَرَ مُنَادِيًا فِي النَّاسِ: أَلَا إِنَّ عُمَيْرَ بْنَ ضَابِئٍ تَأَخَّرَ بَعْدَ سَمَاعِ النِّدَاءِ ثَلَاثًا، فَأُمِرَ بِقَتْلِهِ.
قَالَ: فَخَرَجَ النَّاسُ حَتَّى ازْدَحَمُوا عَلَى الْجِسْرِ، فَعَبَرَ عَلَيْهِ فِي سَاعَةٍ وَاحِدَةٍ أَرْبَعَةُ آلَافٍ مِنْ مَذْحِجٍ، وَخَرَجَتْ مَعَهُمُ الْعُرَفَاءُ حَتَّى وَصَلُوا بِهِمْ إِلَى الْمُهَلَّبِ، وَأَخَذُوا مِنْهُ كِتَابًا بِوُصُولِهِمْ إِلَيْهِ، فَقَالَ الْمُهَلَّبُ: قَدِمَ الْعِرَاقَ وَاللَّهِ رَجُلٌ ذَكَرٌ، الْيَوْمَ قُوتِلَ الْعَدُوُّ.
وَيُرْوَى أَنَّ الْحَجَّاجُ لَمْ يَعْرِفْ عُمَيْرَ بْنَ ضَابِئٍ حَتَّى قَالَ لَهُ عَنْبَسَةُ بْنُ سَعِيدٍ: أَيُّهَا الْأَمِيرُ، إِنَّ هَذَا جَاءَ إِلَى عُثْمَانَ وَقَدْ قُتِلَ فَلَطَمَ وَجْهَهُ، فَأَمَرَ الْحَجَّاجُ عِنْدَ ذَلِكَ بِقَتْلِهِ.
وَبَعَثَ الْحَجَّاجُ الْحَكَمَ بْنَ أَيُّوبَ الثَّقَفِيَّ نَائِبًا عَلَى الْبَصْرَةِ مِنْ جِهَتِهِ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَشْتَدَّ عَلَى خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَأَقَرَّ عَلَى قَضَاءِ الْكُوفَةِ شُرَيْحًا، ثُمَّ رَكِبَ الْحَجَّاجُ إِلَى الْبَصْرَةِ وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْكُوفَةِ أَبَا يَعْفُورَ، وَوَلَّى قَضَاءَ الْبَصْرَةِ لِزُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، ثُمَّ عَادَ إِلَى الْكُوفَةِ.
وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ، وَأَقَرَّ عَمَّهُ يَحْيَى عَلَى نِيَابَةِ الْمَدِينَةِ، وَعَلَى بِلَادِ خُرَاسَانَ أُمَيَّةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وَثَبَ النَّاسُ بِالْبَصْرَةِ عَلَى الْحَجَّاجِ، وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا رَكِبَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৭১৪০
الْكُوفَةِ، بَعْدَ قَتْلِ عُمَيْرِ بْنِ ضَابِئٍ، وَقَامَ فِي أَهْلِ الْبَصْرَةِ بِخُطْبَةٍ نَظِيرَ مَا قَامَ فِي أَهْلِ الْكُوفَةِ مِنَ الْوَعِيدِ الشَّدِيدِ وَالتَّهْدِيدِ الْأَكِيدِ، ثُمَّ أُتِيَ بِرَجُلٍ مِنْ بَنِي يَشْكُرَ، فَقِيلَ: هَذَا عَاصٍ. فَقَالَ الرَّجُلُ: إِنَّ بِي فَتْقًا، وَقَدْ عَذَرَنِي بِشْرُ بْنُ مَرْوَانَ، وَهَذَا عَطَائِي مَرْدُودٌ عَلَى بَيْتِ الْمَالِ. فَلَمْ يَقْبَلْ مِنْهُ وَأَمَرَ بِقَتْلِهِ فَقُتِلَ، فَفَزِعَ أَهْلُ الْبَصْرَةِ، وَخَرَجُوا مِنَ الْبَصْرَةِ حَتَّى اجْتَمَعُوا عِنْدَ قَنْطَرَةِ رَامَهُرْمُزَ، وَعَلَيْهِمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْجَارُودِ، وَخَرَجَ إِلَيْهِمُ الْحَجَّاجُ - وَذَلِكَ فِي شَعْبَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ - فِي أُمَرَاءِ الْجَيْشِ مِنَ الْمِصْرَيْنِ، فَاقْتَتَلُوا هُنَاكَ قِتَالًا شَدِيدًا، فَهَزَمَهُمِ الْحَجَّاجُ، وَقَتَلَ أَمِيرَهُمْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْجَارُودِ فِي رُءُوسٍ مِنَ الْقَبَائِلِ مَعَهُ، وَأَمَرَ بِرُءُوسِهِمْ فَنُصِبَتْ عِنْدَ الْجِسْرِ مِنْ رَامْهُرْمُزَ، ثُمَّ بَعَثَ بِهَا إِلَى الْمُهَلَّبِ فَقَوِيَ بِذَلِكَ، وَضَعُفَ أَمَرُ الْخَوَارِجِ، وَأَرْسَلَ الْحَجَّاجُ إِلَى الْمُهَلَّبِ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مِخْنَفٍ فَأَمَرَهُمَا بِمُنَاهَضَةِ الْأَزَارِقَةِ، فَنَهَضَا بِمَنْ مَعَهُمَا إِلَى الْخَوَارِجِ الْأَزَارِقَةِ فَأَجْلَوْهُمْ عَنْ أَمَاكِنِهِمْ مِنْ رَامْهُرْمُزَ بِأَيْسَرِ قِتَالٍ، فَهَرَبُوا إِلَى أَرْضِ كَازَرُونَ مِنْ إِقْلِيمِ سَابُورَ، وَسَارَ النَّاسُ وَرَاءَهُمْ، فَالْتَقَوْا فِي الْعَشْرِ الْآخَرِ مِنْ رَمَضَانَ.
فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ بَيَّتَ الْخَوَارِجُ الْمُهَلَّبَ مِنَ اللَّيْلِ، فَوَجَدُوهُ قَدْ تَحَصَّنَ بِخَنْدَقٍ حَوْلَ مُعَسْكَرِهِ، فَجَاءُوا إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مِخْنَفٍ فَوَجَدُوهُ غَيْرَ مُحْتَرِزٍ - وَكَانَ الْمُهَلَّبُ قَدْ أَمَرَهُ بِالِاحْتِرَازِ بِخَنْدَقٍ حَوْلَهُ فَلَمْ يَفْعَلْ - فَاقْتَتَلُوا فِي اللَّيْلِ، فَقَتَلَتِ الْخَوَارِجُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مِخْنَفٍ وَطَائِفَةً مِنْ جَيْشِهِ، وَهَزَمُوهُمْ هَزِيمَةً مُنْكَرَةً.
وَيُقَالُ: إِنَّ الْخَوَارِجَ لَمَّا الْتَقَوْا مَعَ النَّاسِ فِي هَذِهِ الْوَقْعَةِ كَانَ ذَلِكَ فِي يَوْمِ الْأَرْبِعَاءِ لِعَشْرٍ بَقِينَ
পৃষ্ঠা - ৭১৪১
বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করে ৷ এবং স্বল্প যুদ্ধে সহজে ওদেরকে রামহুরমুযের আস্তান৷ থেকে
বহিফার করে দেয় ৷ ওরা পালিয়ে পারস্যরাজ শাপুরের দেশ কাযরুন চলে যায় ৷ মুসলিম
সরকারী বাহিনী তাদেরকে ৷পছু ধাওয়৷ করে ৷ রামাযানের শেষ ভাগে উভয় পক্ষ পুনরায়
মুখোমুখি হয় ৷
রাতের বেলা খারিজিগণ মুহাল্লাবের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে ৷ তারা দেখতে পায় যে,
ঘুহাল্লাব তার সেনা ক্যাম্পের চারিদিকে পরিখা খনন করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন ৷ এরপর
খারিজীগণ আবদুর রহমান ইবন নিখনাফের সেনা ছাউনী দেখতে আসে ৷ তারা দেখতে পায়
যে , আবদুর রহমান নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা-ই নেননি ৷ কোন প্রকারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ
ব্যতীত তার সৈন্যরা রাত্রিযাপন করছে ৷ অবশ্য সেনাপতি মৃহাল্লাব আবদুর রহমানকে পরিখা
খনন করে নিরাপত্তা ব্যুহ তৈরী করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ তিনি তা করেননি ৷ তারপর উভয়
পক্ষের সৈন্যরা রাতের মধ্যেই যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৷ খারিজীরা সরকারী সেনাপতি আবদুর রহমানকে
হত্যা করে ৷ সাথে তার বেশ কিছু সৈন্যকে হত্যা করে, ওদেরকে চরমভাবে পরাজিত করে ৷
বলা হয় যে, খাবিজী ও সরকারী বাহিনীর এই যুদ্ধ সংঘটিত হয় রামাযান মাসের ১০ তারিখ
বুধ্বারে ৷ প্রচও সংঘর্ষ হয় উভয় পক্ষের মধ্যে ৷ ইতিপুর্বে খারিজীগণ কখনো এত বড় যুদ্ধ
: ং করতে পারেনি ৷
এবার খারিজীণণ মুহাল্পারের ভৈসনিকদের উপর হামলা চালায় ৷ তারা তাদুক তার সেনা
ছাউনীতে নিয়ে ঠেকিয়েছিল ৷ ইতােপুর্বে সেনাপতি আবদুর রহমান অশ্বারোহী দলের পর
অশ্বারোহী দল পাঠিয়ে মুহাল্পাবকে সাহায্য করেছিলেন ৷ তিনি সেনাদলের পর সেনাদল
পাঠিয়েছিল ৷ আসরের পর খারিজীগণ আবদুর রহমানের সেনাদলের উপর আক্রমণ চালায় ৷
রাত পর্যন্ত যুদ্ধ হয়, রাতের মধ্যে আবদুর রহমান নিহত হন, তার সাথে থাক৷ সেনাবাহিনীর
অনেক লোক তখন নিহত হয় ৷
তােররেলা মুহাল্লাব উপস্থিত হলেন ৷ আবদুর রহমানের জানাযা শেষ করে তাকে দাফন
করলেন ৷ এবং হাজ্জাজের নিকট তার মৃত্যু সংবাদ পাঠালেন ৷ ওই শোক সং বাদ হাজ্জাজ
পাঠাল খলীফ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের নিকট ৷ আবদুল মালিক মিনায় উপস্থিত
লোকজনের নিকট সেনাপতি আবদুর রহমান ইবন মিখনাফের মৃত্যু সংবাদ প্রচার করেন ৷
শাসনকর্তা হাজ্জাজ নিহত আবদুর রহমানের পদে আত্তাব ইবন ওয়ারকাকে সেনাপতি নিযুক্ত
করে ৷ তাকে নির্দেশ প্রদান করে যেন মুহাল্লাবের কথা মেনে চলে ৷ কিন্তু নবনিযুক্ত সেনাপতি
আত্তাব মুহাল্লাবের নির্দেশ মানতে রাযী ছিল না ৷ জ্যিজ্জ হাজ্জ ৷জের নির্দেশ অমান্য করারও তার
উপায় ছিল না ৷৩ তাই অনিচ্ছা সত্বেও সে মুহাল্লাবের সাথে মিলিত হবার জ্যন্য যাত্রা করে ৷
সেখানে সে প্রকাশ্যে মুহাল্লাবের নির্দেশ পালন করেছিল বর্টে; কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তার
বিরোধিতা করছিল ৷ এক পর্যায়ে উভয়ে তর্কে লিপ্ত হয় ৷ উভয়ের মাঝে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়
হয় ৷ মুহাল্লাব আত্তাবকে আঘাত করতে উদ্যত হন ৷ লোকজন উভয়কে নিবৃত্ত করে থামিয়ে
দেয় ৷ আত্তাব হাজ্জাজকে চিঠি লিখে মুহাল্লাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় ৷ হাজ্জাজ৩ তাকে ওই
পদে ইস্তফ৷ দিয়ে তার নিকট ফিরে আসতে বলে ৷ তারপর মুহাল্লাব ওই পদে নিজ পুত্র হাবীব
, ইবন মুহাল্লাবকে নিয়োগ করেন ৷
এই সনে দাউদ ইবন নু মান মাযিনী বসরার শইরতলিতে বিদ্রোহী হয়ে উঠে ৷ হাজ্জাজ
তাকে দমন করার জন্যে একদল সেনাবাহিনী প্রেরণ করে ৷ তাদের হাতে দাউদ ইবন ৰু মান
নিহত হয় ৷
مِنْ رَمَضَانَ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا لَمْ يُعْهَدْ مِثْلُهُ مِنَ الْخَوَارِجِ، وَحَمَلَتِ الْخَوَارِجُ عَلَى جَيْشِ الْمُهَلَّبِ، فَاضْطَرُّوهُ إِلَى مُعَسْكَرِهِ، فَجَعَلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مِخْنَفٍ يَمُدُّهُ بِالْخَيْلِ بَعْدَ الْخَيْلِ، وَالرِّجَالِ بَعْدَ الرِّجَالِ، فَمَالَتِ الْخَوَارِجُ إِلَى مُعَسْكَرِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مِخْنَفٍ بَعْدَ الْعَصْرِ، فَاقْتَتَلُوا مَعَهُ إِلَى اللَّيْلِ، فَقُتِلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فِي أَثْنَاءِ اللَّيْلِ، وَقُتِلَ مَعَهُ طَائِفَةٌ كَثِيرَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ الَّذِينَ ثَبَتُوا مَعَهُ، فَلَمَّا كَانَ الصَّبَاحُ جَاءَ الْمُهَلَّبُ فَصَلَّى عَلَيْهِ وَدَفَنَهُ، وَكَتَبَ إِلَى الْحَجَّاجِ بِمَهْلِكِهِ، فَكَتَبَ الْحَجَّاجُ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ يُعَزِيهِ فِيهِ، فَنَعَاهُ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى النَّاسِ بِمِنًى، وَأَمَّرَ الْحَجَّاجُ مَكَانَهُ عَتَّابَ بْنَ وَرْقَاءَ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنْ يُطِيعَ الْمُهَلَّبَ، فَكَرِهَ ذَلِكَ، وَلَمْ يَجِدْ بُدًّا مِنْ طَاعَةِ الْحَجَّاجِ، وَلَمْ يُمْكِنْهُ مُخَالَفَتُهُ، فَسَارَ إِلَى الْمُهَلَّبِ فَجَعَلَ لَا يُطِيعُهُ إِلَّا ظَاهِرًا، وَيَعْصِيهِ كَثِيرًا، ثُمَّ تَقَاوَلَا، فَهَمَّ الْمُهَلَّبُ أَنْ يُوقِعَ بِعَتَّابٍ، ثُمَّ حَجَزَ بَيْنَهُمَا النَّاسُ، فَكَتَبَ عَتَّابُ إِلَى الْحَجَّاجِ يَشْكُو الْمُهَلَّبَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنْ يَقَدَمَ عَلَيْهِ، وَأَعْفَاهُ مِنْ ذَلِكَ، وَجَعَلَ الْمُهَلَّبُ مَكَانَهُ ابْنَهُ حَبِيبَ بْنَ الْمُهَلَّبِ.
وَفِيهَا خَرَجَ دَاوُدُ بْنُ النُّعْمَانِ الْمَازِنِيُّ بِنَوَاحِي الْبَصْرَةِ، فَوَجَّهَ إِلَيْهِ الْحَجَّاجُ أَمِيرًا عَلَى سِرِّيَّةٍ فَقَتَلَهُ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تَحَرَّكَ صَالِحُ بْنُ مُسَرِّحٍ أَحَدُ بَنِي امْرِئِ الْقَيْسِ، وَكَانَ يَرَى رَأْيَ الصُّفْرِيَّةِ، وَقِيلَ: إِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ خَرَجَ مِنَ الصُّفْرِيَّةِ، وَكَانَ سَبَبَ ذَلِكَ أَنَّهُ حَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَمَعَهُ شَبِيبُ بْنُ يَزِيدَ، وَالْبَطِينُ،
পৃষ্ঠা - ৭১৪২
وَأَشْبَاهُهُمْ مِنْ رُءُوسِ الْخَوَارِجِ، وَاتَّفَقَ حَجُّ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَهَمَّ شَبِيبٌ بِالْفَتْكِ بِهِ، فَبَلَغَ عَبْدَ الْمَلِكِ ذَلِكَ مِنْ خَبَرِهِ، فَكَتَبَ إِلَى الْحَجَّاجِ بَعْدَ انْصِرَافِهِ مِنَ الْحَجِّ أَنَّ يَتَطَلَبَهُمْ، وَكَانَ صَالِحُ بْنُ مُسَرِّحٍ هَذَا يُكْثِرُ الدُّخُولَ إِلَى الْكُوفَةِ وَالْإِقَامَةَ بِهَا، وَكَانَ لَهُ جَمَاعَةٌ مِنْ أَهْلِ دَارَا وَأَهْلِ الْمَوْصِلِ يُعَلِّمُهُمُ الْقُرْآنَ وَيُفَقِّهُهُمْ، وَيَقُصُّ عَلَيْهِمْ، وَكَانَ مُصْفَرًّا كَثِيرَ الْعِبَادَةِ، وَكَانَ إِذَا قَصَّ يَحْمَدُ اللَّهَ وَيُثْنِي عَلَيْهِ، وَيُصَلِّي عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ يَأْمُرُ بِالزُّهْدِ فِي الدُّنْيَا، وَالرَّغْبَةِ فِي الْآخِرَةِ، وَيَحُثُّ عَلَى ذِكْرِ الْمَوْتِ، ثُمَّ يَتَرَحَّمُ عَلَى الشَّيْخَيْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَعُمَرَ، وَيُثْنِي عَلَيْهِمَا ثَنَاءً حَسَنًا، وَلَكِنْ بَعْدَ ذَلِكَ يَذْكُرُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَيَسُبُّهُ وَيَنَالُ مِنْهُ، وَيُنْكِرُ عَلَيْهِ أَشْيَاءَ مِنْ جِنْسِ مَا كَانَ يُنْكِرُ عَلَيْهِ الَّذِينَ خَرَجُوا عَلَيْهِ وَقَتَلُوهُ مِنْ فَجَرَةِ أَهْلِ الْأَمْصَارِ، ثُمَّ يَحُضُّ أَصْحَابَهُ عَلَى الْخُرُوجِ مَعَ الْخَوَارِجِ لِلْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَلِإِنْكَارِ الْمُنْكَرِ الَّذِي قَدْ شَاعَ فِي النَّاسِ وَذَاعَ، وَيُهَوِّنُ عَلَيْهِمُ الْقَتْلَ، وَيَذُمُّ الدُّنْيَا وَأَمْرَهَا وَيُصَغِّرُهَا، فَالْتَفَّ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنَ النَّاسِ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ شَبِيبُ بْنُ يَزِيدَ الْخَارِجِيُّ يَسْتَبْطِئُهُ فِي الْخُرُوجِ، وَيَحُثُّهُ عَلَيْهِ، وَيَنْدُبُهُ إِلَيْهِ، ثُمَّ قَدِمَ شَبِيبٌ عَلَى صَالِحٍ وَهُوَ بِدَارَا، فَتَوَاعَدُوا وَتُوَافَقُوا عَلَى الْخُرُوجِ فِي مُسْتَهَلِّ صَفَرٍ مِنَ السَّنَةِ الْآتِيَةِ - وَهِيَ سَنَةُ سِتٍّ وَسَبْعِينَ - وَقَدِمَ عَلَى صَالِحٍ شَبِيبٌ، وَأَخُوهُ مُصَادٌ، وَالْمُحَلَّلُ، وَالْفَضْلُ بْنُ عَامِرٍ، فَاجْتَمَعَ عَلَيْهِ مِنَ الْأَبْطَالِ وَهُوَ بِدَارَا نَحْوُ
পৃষ্ঠা - ৭১৪৩
ইবন জারীর বলেন যে, এই সনে ইমরুল কায়েস গোত্রের সালিহ্ ইবন মুসাররাহ একটি
আন্দোলন গড়ে তোলে ৷ সে সুফারিয়্যাহ (খারিজীদের একটি শাখা) মতবাদের অনুসারী ছিল ৷
কারো কারো মতে সে ছিল সুফারিয়্যাহ মতবাদের গোড়া পত্তনকারী ৷ ঘটনা ছিল এই যে, এই
৭৫ সনে সে হজ্জ করতে গিয়েছিল ৷ শাবীব ইর্বৃন ইয়াযীদ,ধ্ বাভীন এবং এই পর্যায়ের খারিজী
নেতৃবৃন্দ তার সাথে ছিল ৷ ঘটনাক্রমে ওই বৎসর খলীফা আবদুল মালিক হজ্জ করতে
গিয়েছিলেন ৷ খারিজী নেতা শাবীব খলীফাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল ৷ কিভু তা সম্ভব
হয়নি ৷ হজ্জ থেকে ফিরে আসার পর খলীফা এই সংবাদ জানতে পারেন ৷ ফলে ওই দলের
লোকদেরকে ধরে আমার জন্যে খলীফ৷ শাসনকর্তা হাজ্জাজকে নির্দেশ দেন ৷ আলোচ্য সালিহ্
ইবন মুসাররাহ্ বারবার কুফ৷ যেত এবং সেখানে অবস্থান করত ৷ তার একদল অনুসারী ছিল ৷
তারা তার মজলিসে বসত ৷ তার বুযুগীতিত বিশ্বাস করত ৷ এদের অধিকাৎশ ছিল দারা ও
মুসেলের অধিবাসী ৷ সালিহ্ ওদেরকে কুরআন শিক্ষা দিত ৷ ওয়ায নসীহত করত ৷ তার গায়ের
রং ছিল হলুদ ৷ সে প্রচুর ইবাদত বন্দেপী করত ৷ ওয়ায করার সময় সে আল্লাহ্র
ৎসা-গুণগান ও রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি দরুদ শরীফ পাঠ করে ওয়ায শুরু করত ৷
ওয়াযের মধ্যে যে দুনিয়ার প্রতি নির্লোভ থাকা, আখিরাতের প্রতি আগ্রহী হওয়া, মৃত্যুর কথা
বেশী বেশী স্মরণ করা ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা করত ৷ সে হযরত আবু বকর (বা) ও উমর
(রা) এর প্রতি আল্লাহর রহমত কামনা করত ৷ তাদের সুনাম সুকীর্তি বর্ণনা করত ৷ এরপর
হযরত উছমান (রা) এর বিষয় আলোচনায় আনত এবং তাকে গালমন্দ করত ৷ তার হত্যাকারী
পাপাচারী ঘাতকেরা তাকে যে সব দোষে অভিযুক্ত করেছিল ওইসব তথাকথিত দােষগুলো সে
উল্লেখ করত ৷ এরপর তা তার সাথীদেরকে খারিজীদের দলভুক্ত হয়ে খারিজী আন্দোলনে শরীক
হয়ে সৎকর্মের আদেশ ও মন্দ কর্মে নিষেধ করতে বেরিয়ে পড়ার জন্যে উদ্বুদ্ধ করত ৷ লোক
সমাজে প্রচলিত রসুম রেওয়াজের প্রতি ঘৃণাবােধ সৃষ্টিতে সে তার অনুসারীদেরকে কাজে
লাগতে ৷ সে তাদেরকে এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে হেলায় মৃত্যুবরণ করতে দীক্ষা দিত ৷ সে দুনিয়ার
বিরুপ সমালোচনা করত ৷ পার্থিব বিষয়গুলােকে নিতান্ত তুচ্ছ ও গৌণ বিবেচনা করত ৷ হতে
হতে একদল লোক তার মতবাদে বিশ্বাসী হয়ে উঠে ৷ এক পর্যায়ে তার সতীর্থ শাবীব নিজ
অনুসারীদেরকে নিয়ে তাকে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার আহ্বান জানান ৷ এরপর
সালিহের নিকট শাবীব নিজে এসে উপস্থিত হন ৷ সালিহ্ তখন “দাবা অঞ্চলে অবস্থান
করছিল ৷ আলাপ আলোচনার পর উভয়ে একমত হল যে, আগামী বছর ৭৬ সনের সফর
মাসের শুরুর দিকে তারা মাঠ পর্যায়ে বিদ্রোহ ও আন্দোলন শুরু করবে ৷ এই যাত্রার শাবীবের
সাথে তার ভাই মুসাদ, মুজাল্লাল এবং ফযল ইবন আমির সালিহের নিকট উপস্থিত হয়েছিল ৷
দারায় সালিহের নিকট তখন প্রায় ১২০ জনের মত নেতৃস্থানীয় খারিজী লোকের সমাবেশ
ঘটেছিল ৷ একদিন তারা শাসনকর্তা মুহাম্মদ ইবন মারওয়ানের অশ্বগুলোর উপর আক্রমণ করে ৷
তারা অশ্বগুলোকে ছিনিয়ে নেয় এবং সেগুলো নিয়ে পালিয়ে যায় ৷ এরপর তারা কী কী ঘটিনা
ঘটিয়েছিল “৭৬ সনের ঘটনাবলী প্রসঙ্গে আমরা তা আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ্ ৷
৭৫ হিজধী সনে নেতৃন্থৰুনীয় যীরা ইন্তিকাল করেন
আবু মুসহির ও আবু উবায়দ এর অভিমত অনুসারে এই সনে হারা ইনৃতিকাল করেন
তাদের অন্যতম হলেন হযরত ইরবাদ ইবন সারিয়৷ ৷ তিনি আবু নাজীহ সুলড়ামী উপনামেও
পরিচিত ৷ তিনি একজন বিশিষ্ট সাহাবী ৷ তিনি হিমস নগরীতে বসবাস করতেন ৷ ইসলামের
مِائَةٍ وَعَشَرَةِ أَنْفُسٍ، ثُمَّ وَثَبُوا عَلَى خَيْلٍ لِمُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ، فَأَخَذُوهَا وَتَقْوَوْا بِهَا، ثُمَّ كَانَ مِنْ أَمَرِهِمْ بَعْدَ ذَلِكَ مَا سَنَذْكُرُهُ فِي الَّتِي بَعْدَهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
[مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ]
وَكَانَ مِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ
فِي قَوْلِ أَبِي مُسْهِرٍ، وَأَبِي عُبَيْدٍ:
الْعِرْبَاضُ بْنُ سَارِيَةَ السُّلَمِيُّ أَبُو نَجِيحٍ
سَكَنَ حِمْصَ، وَهُوَ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، أَسْلَمَ قَدِيمًا هُوَ وَعَمْرُو بْنُ عَبَسَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَنَزَلَ الصُّفَّةَ، وَكَانَ مِنَ الْبَكَّائِينَ الْمَذْكُورِينَ فِي سُورَةِ بَرَاءَةٍ، كَمَا قَدْ ذَكَرْنَا أَسْمَاءَهُمْ عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلَا عَلَى الَّذِينَ إِذَا مَا أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ قُلْتَ لَا أَجِدُ مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ تَوَلَّوْا وَأَعْيُنُهُمْ تَفِيضُ مِنَ الدَّمْعِ حَزَنًا أَلَّا يَجِدُوا مَا يُنْفِقُونَ} [التوبة: 92] (التَّوْبَةِ: 92) .
وَهُوَ رَاوِي حَدِيثِ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُطْبَةً وَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ، وَذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ، حَتَّى قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَأَنَّهَا مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَأَوْصِنَا. قَالَ: «أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ، وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، وَإِنْ تَأَمَّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ حَبَشِيٌّ، كَأَنَّ رَأْسَهُ زَبِيبَةٌ، عَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي، وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ مِنْ بَعْدِي، عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ، وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ ; فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ» رَوَاهُ
পৃষ্ঠা - ৭১৪৪
প্রথম যুগেই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তার সাথে ইসলামে দীক্ষিত হয়েছিলেন হযরত আমর
ইবন আম্বাসাহ (রা) ৷ তিনি তখন অবস্থান করেছিলেন মক্কার আল-সৃফ্ফা নামক স্থানে ৷
াটুপ্রু;
fl ৩ ×
৷ ;; ট্রু,;;;র্চু; ণ্;;;; ৷ ;
“ওদেরও কোন অপরাধ ণ্নই যারা আপনার নিকট বাহনের জন্যে আসার পর আপনি
বলেছিলেন তোমাদের জন্যে কোন বাহন আমি পাচ্ছি না ৷ ওরা অর্থ ব্যয়ে অসামর্থজনির্ত দুঃখে
অশ্রু বিগলিত ণ্নত্রে ফিরে গেল ৷” (তাওবা ৯০ ৯২) ৷
এই আয়াতে ক্রন্দনকারী যাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে হযরত ইরবাদ ইবন সারিয়া
তাদের অন্যতম ছিলেন ৷ ইতেড়াপুর্বে আমরা এই প্রসঙ্গে সাশ্রু নয়নে ফিরে যাওয়া
ক্রন্দনকারীদের নাম উল্লেখ করেছি ৷ তারা ছিলেন যেটি ৯ জন ৷ হযরত ইরবাদ ইবন সারিয়া
একটি গুরুত্বপুর্ণ হাদীসের বর্ণন্যক্যরী ৷ সেটি হল০ ং
’
৷ ৷গ্লুট্রু;;
একদা রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দিলেন ৷ তাতে সকলের মন ভয়ে
প্রকম্পিত ও শিহরিত হয়ে উঠল, চক্ষুগুলো থেকে ঝর বার করে অশ্রু ঝরে পড়ল ) ৷ ইমাম
আহমদ (র) এবং সুনান সংকলনকারিগণ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইমাম তিরমিযী এবং
অন্যরা এটি বিশুদ্ধ হাদীস বলে মন্তব্য করেছেন৷ হযরত ইরবাদ ইবন মারিয়া এও বর্ণনা
করেছেন যে, ৷;গু; ৷ঠো ৷ পু ;৷ ৷া হু,া;;’; ছু,াব্র ,;ট্টা; ধ্১া; রুা৷ ৷ ;শ্ দু,ন্ট্ট৷ ৷ র্দু১া
হুটুা ৷ট্রু ১াক্ট্র ৷ ;ট্রু রাসুলুল্পাহ্ৰু (সা) প্রথম কাতারের জন্য তিনবার এবং দ্বিতীয় কাতারের
জনা একবার
ইরবাদ ইবন সারিয়া বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ৷ তিনি চইিতেন যে, মহান আল্লাহ য়েন তাকে
দুনিয়া থেকে তুলে নেন ৷ তিনি এই দুআ করতেন চে;া;; ট্রু)ট্রুট্রুট্রুং ;; ;;,;ৰু ষ্কধ্ন্া৷’া
;াপু ৷ং ;র্দু;;;া; হে আল্লাহ আমার বয়স বেশী হয়ে গিয়েছে ৷ আমি বার্ধক্যে পৌছে
গিয়েছি ৷ আমাকে আপনার নিকট তুলে নিন ৷ তিনি বহু হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
আবু ছালাৰা খুশানী (বা)
৭৫ সনে যারা ইনৃতিকাল করেন তাদের একজন হলেন হয্রত আবু ছালাবা খুশানী (রা) ৷
তিনি হুদায়বিয়ার সন্ধির প্রাক্কালে অনুষ্ঠিত বায়আত-ই রিযওয়ানে উপস্থিত ছিলেন না ৷ তিনি
হুনায়নের যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ৷ যারা পশ্চিম দামেস্কে বসতি স্থাপন করেছিলেন ৷ তিনি ছিলেন
তাদের একজন ৷ কেউ বলেছেন যে, তিনি পুর্ব দামেশকের বিলাত অঞ্চলে বসতি স্থাপন
করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
তার নাম এবং তার পিতার নাম সম্পর্কে বিভিন্ন মত রয়েছে ৷ প্রসিদ্ধ অভিমত এই যে,
তার নাম জারছুম ইবন নাশির ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে এবং অনেক সাহাবী থেকে তিনি হাদীস
أَحْمَدُ، وَأَهْلُ السُّنَنِ، وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ وَغَيْرُهُ.
وَرَوَى أَيْضًا: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي عَلَى الصَّفِّ الْمُقَدَّمِ ثَلَاثًا، وَعَلَى الثَّانِي وَاحِدَةً» . وَقَدْ كَانَ الْعِرْبَاضُ شَيْخًا كَبِيرًا، وَكَانَ يُحِبُّ أَنْ يَقْبِضَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ، وَكَانَ يَدْعُو: اللَّهُمَّ كَبِرَتْ سِنِّي، وَوَهَنَ عَظْمِي، فَاقْبِضْنِي إِلَيْكَ. وَرَوَى أَحَادِيثَ.
أَبُو ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيُّ
صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، شَهِدَ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ، وَغَزَا حُنَيْنًا، وَكَانَ مِمَّنْ نَزَلَ الشَّامَ بِدَارَيَّا غَرْبِيِّ دِمَشْقَ إِلَى جِهَةِ الْقِبْلَةِ، وَقِيلَ: بِبَلَاطِ - قَرْيَةٍ شَرْقِيِّ دِمَشْقَ - فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي اسْمِهِ، وَاسْمِ أَبِيهِ عَلَى أَقْوَالٍ كَثِيرَةٍ، وَالْأَشْهُرُ مِنْهَا: جُرْثُومُ بْنُ نَاشِرٍ.
وَقَدْ رَوَى عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَادِيثَ، وَعَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنَ التَّابِعَيْنِ ; مِنْهُمْ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَمَكْحُولٌ الشَّامِيُّ، وَأَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيُّ، وَأَبُو قِلَابَةَ الْجَرْمِيُّ.
وَكَانَ مِمَّنْ يُجَالِسُ كَعْبَ الْأَحْبَارِ، وَكَانَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ يَخْرُجُ، فَيَنْظُرُ إِلَى السَّمَاءِ، فَيَتَفَكَّرُ، ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى الْمَنْزِلِ فَيَسْجُدُ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَكَانَ يَقُولُ: إِنِّي لَأَرْجُوَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৭১৪৫
বর্ণনা করেছেন ৷ অনেক তাবিঈ তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তার থেকে হাদীস
বর্ণনাকারী তাবিঈদের মধ্যে আছেন সাঈদ ইবন মুসায়্যাৰ্ (র), মাকহুল শামী (বা), আবু
ঈদরীস খাওলানী (র), আবু কিলাবাহ্ জুরমী (র) প্রমুখ ৷ তিনি কা ব আল-আহবার (বা) এর
মজলিসে বেশী বেশী থাকতে তন ৷ প্রতি রাতে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে আকাশে তাকাতেন ৷
নভে,াজগত সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করতেন ৷ এরপর ঘরে গিয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদাবনত
হতেন ৷ তিনি প্রায়ই বলতেন যে, আমি আশা করছি যে, ৫তামাদেরকে যেমন দম আটকে
মরতে দেখি মহান আল্লাহ আমাকে সেভাবে দম বন্ধ করে মৃত্যু দিবেন না ৷
একরাতে তিনি নামায আদায় করছিলেন ৷ সিজদায় থাকা অবস্থায় মহান আল্লাহ তাকে
মৃত্যু দেন ৷ ওই মুহুব র্তে তার কন্যা স্বপ্ন দেখেন যে তার বাবা যেন মারা গিয়েছেন ৷৩ ভীত সস্ত্রস্ত
হয়েও তিনি ঘুম থেকে জেগে উঠেন ৷ তার মাতাকে জিজ্ঞেস করেন যে, বাবা কোথায়? মাতা
বললেন,৩ তিনি তার জা ৷য়নড়ামাযে আছেন ৷ মেয়ে বাবাকে ডাক দেয় ৷ কিন্তু পিতা কোন উত্তর
দেননি ৷ মেয়ে তার নিকট উপস্থিত হয়ে তীকে নাড়৷ দেয় ৷ তিনি একদিকে পড়ে যান ৷ তখন
, দেখা যায় যে, তিনি মারা গিয়েছেন ৷ আল্লাহ্ তার প্রতি দয়া করুন ৷
আবু উবায়দা, মুহাম্মদ ইবন সা দ, খলীফ৷ এবং অন্য অনেকে বলেছেন যে, ৭৫ সনে
, হযরত ইরবাদ ইবন মারিয়া ইনতিকাল করেন ৷ অন্যরা বলেছেন যে, তার ওফাত হয় আমীর
মুআবিয়ার (রা) শাসন কা লের প্রথম দিকে ৷ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷
আসওয়াদ ইবন ইয়াযীদ
এই সনে যাদের যেতে হয় তাদের একজন হলেন আসওয়াদ ইবন ইয়াযীদ ৷ তিনি হযরত
ইবন মাসউদ (রা) এর সহচর ছিলেন ৷ তার পরিচয় হল আসওয়াদ ইবন ইয়াযীদ নাখঈ (র) ৷
তিনি উচ্চ পর্যায়ের তাবিঈ ছিলেন ৷ কুফাবাসীদের মধ্যে তিনি একজন অতি বৃদ্ধ লোক ছিলেন ৷
তিনি সবদিন রোযা রাখতেন ৷ অধিক রােযা রাখার ফলে তার দৃ’চােখ নষ্ট হয়ে যায় ৷ হজ্জ ও
উমর৷ মিলিয়ে সর্বমোট ৮০ বার তিন মক্কা মদীনায় যান ৷ হজ্জ ও উমর৷ উপলক্ষে তিনি ইহরাম
করতেন কুফ৷ থেকে ৷ ৭৫ সনে তার ইনতিকাল হয় ৷ রােযা রাখতে রাখতে তার শরীর হলুদ ও
সবুজ রংয়ের হয়ে গিয়েছিল ৷
মৃত্যুর মুখোমুখি হবার পর তিনি কেদে উঠলেন ৷ তাকে বলা হল যে, এত অন্থিরতার
কারণ কি ? উত্তরে তিনি বললেন যে, আমি অস্থির হব না কেন ? অস্থির হবার জন্যে আমার
চাইতে অধিক যোগ্য আর কে আছে ? আল্লাহ্র কসম ! আমি যদি জানতে পারতাম যে, মহান
আল্লাহ্ আমার জন্যে ক্ষমা মঞ্জুর করেছেন তাহলে আমার কৃতকর্মের জন্যে সজ্জিত ও অনুতপ্ত
হয়ে আমি মাটিতে মিশে যেতাম ৷ মানুষের প্রতি মানুষের দোষত্রুটি ও অপরাধ তো সামান্য
থাকে ৷ ৫সটি ক্ষমা করে দিলে দোষী ব্যক্তি চিরদিন ক্ষমাকারীর প্রতি লজ্জাবনত থাকে ৷
হামরান ইবন অবােন (র)
৭৫ সনে বাদের মৃত্যু হয় তাদের একজন হলেন হামরান ইবন আবান ৷ তিনি হযরত
উছমান ইবন আফ্ফাল (রা) এর মুক্ত দাস ছিলেন ৷ আয়নুত৩ তামর যুদ্ধে বন্দী হওয়ার প্রেক্ষিতে
তিনি দাসত্বের শৃত্খলে আবদ্ধ হয়েছিলেন ৷ হযরত উছমান (বা) তাকে খরিদ করেছিলেন ৷
তিনি হযরত উছমানের (রা) গৃহের প্রবেশ দ্বারে থাকতেন এবং কারো ভেতরে যাবার প্রয়োজন
হলে ভেতর থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে তন ৷ এই ৭৫ সনে তার ওফাত হয় ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷
لَا يَخْنُقَنِي اللَّهُ عِنْدَ الْمَوْتِ كَمَا أَرَاكُمْ تَخْتَنِقُونَ. فَبَيْنَمَا هُوَ لَيْلَةً يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ إِذْ قُبِضَتْ رُوحُهُ وَهُوَ سَاجِدٌ، وَرَأَتِ ابْنَتُهُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ أَبَاهَا قَدْ مَاتَ، فَانْتَبَهَتْ مَذْعُورَةً، فَقَالَتْ لِأُمِّهَا: أَيْنَ أَبِي؟ قَالَتْ: هُوَ فِي مُصَلَّاهُ. فَنَادَتْهُ فَلَمْ يُجِبْهَا، فَجَاءَتْهُ فَحَرَّكَتْهُ فَسَقَطَ لِجَنْبِهِ، فَإِذَا هُوَ مَيِّتٌ، رَحِمَهُ اللَّهُ.
قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، وَخَلِيفَةُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: كَانَتْ وَفَاتُهُ سَنَةَ خَمْسٍ وَسَبْعِينَ. وَقَالَ غَيْرُهُمْ: كَانَتْ وَفَاتُهُ فِي أَوَّلِ إِمْرَةِ مُعَاوِيَةَ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ:
الْأَسْوَدُ بْنُ يَزِيدَ
صَاحِبُ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَهُوَ الْأَسْوَدُ بْنُ يَزِيدَ النَّخَعِيُّ، مِنْ كِبَارِ التَّابِعِينَ، وَمِنْ أَعْيَانِ أَصْحَابِ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَمِنْ كِبَارِ أَهْلِ الْكُوفَةِ، وَكَانَ يَصُومُ الدَّهْرَ، وَقَدْ ذَهَبَتْ عَيْنُهُ مِنْ كَثْرَةِ الصَّوْمِ، وَقَدْ حَجَّ الْبَيْتَ ثَمَانِينَ حَجَّةً وَعُمْرَةً، وَكَانَ يُهِلُّ مِنَ الْكُوفَةِ، تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَانَ يَصُومُ حَتَّى يَخْضَرَّ وَيَصْفَرَّ، فَلَمَّا احْتَضَرَ بَكَى، فَقِيلَ لَهُ: مَا هَذَا الْجَزَعُ؟ فَقَالَ: مَا لِيَ لَا أَجْزَعُ؟ وَمَنْ أَحَقُّ بِذَلِكَ مِنِّي؟ وَاللَّهِ لَوْ أُنْبِئْتُ بِالْمَغْفِرَةِ مِنَ اللَّهِ لَأَهَمَّنِي الْحَيَاءُ مِنْهُ مِمَّا قَدْ صَنَعْتُ، إِنَّ الرَّجُلَ لَيَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الرَّجُلِ الذَّنَبُ الصَّغِيرُ فَيَعْفُو عَنْهُ، فَلَا يَزَالُ مُسْتَحْيِيًا مِنْهُ.
পৃষ্ঠা - ৭১৪৬
حُمْرَانُ بْنُ أَبَانٍ، مَوْلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ
كَانَ مِنْ سَبْيِ عَيْنِ التَّمْرِ، اشْتَرَاهُ عُثْمَانُ، وَهُوَ الَّذِي كَانَ يَأْذَنُ لِلنَّاسِ عَلَى عُثْمَانَ. تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ.