قصة موسى الكليم عليه الصلاة والسلام
ذكر بناء قبة الزمان
পৃষ্ঠা - ৭১২
এবং তাকে বললেন, হে আবু ইসহাক ৷ আপনার কি ঐ দিনটির কথা মনে পড়ে? যেদিন
রাসুলুল্পাহ্ (সা) মুসা (আ) কর্তৃক নিহত ফিরআউন সম্প্রদায়ের লোকটি সম্বন্ধে বর্ণনা
করেছিলেন? তথ্যটি ইসরাঈলীঢি প্রকাশ করেছিল, না-কি ফিরআউনী? জবাবে তিনি
বলেছিলেন, এই তথ্যটি প্রকাশ করেছিল ফিরআউনী ৷ তবে যে এটা শুনেছিল ইসরাঈলী থেকে,
যে এ ঘটনার সাক্ষ্য দিয়েছিল ও এটা উল্লেখ করেছিল ৷
ইমাম নাসাঈ (র)-ও অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেন ৷ ইবন জারীর তড়াবারী (র) ও ইবন আবু
হাতিম (র) র্তাদের তাফসীরে এরুপ হাদীসের উল্লেখ করেছেন ৷ তবে এ হাদীসটি মরকু না হয়ে
মওকুফ হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক ৷ এ বর্ণনার অধিকাৎশই ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে গৃহীত ৷ এতে
কিছু কিছু অংশ এমনও রয়েছে যা সন্দেহমুক্ত নয় ৷ আমি আমার উস্তাদ হাফিজ আবুল হাজ্জাজ
মযী (র) থেকে শুনেছি ৷ তিনি বলেন, এটা ইহুদী আলিমদের বর্ণনা হওয়ার সন্তাবনাই অধিক ৷
আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
র্তাবু ষ্াম্বুজের নির্মাণ প্রসঙ্গ
কিতড়াবীরা বলে, আল্লাহ্ তড়াআলা একবার মুসা (আ)-কে শিমশার কাঠ, পশুর চামড়া ও
ভেড়ার পশমের দ্বারা একটি র্তাবু তৈরি করতে নির্দেশ দিলেন ৷ তাদের বিস্তারিত বর্ণনা অনুযায়ী
রঙিন রেশম,ার্ণ ও রৌপ্য দ্বারা এটাকে সজ্জিত করার হুকৃম দেয়া হয়েছিল ৷ এতে ছিল ১০টি
শামিয়ানা ৷ প্রতিটি শামিয়ানার দৈর্ঘ ছিল ২৮ হাত ও প্রস্থ ছিল : হাত ৷ এতে ছিল ৪টি দরজা ৷
এর রশিগুলো ছিল বিভিন্ন প্রকার ও বিভিন্ন বর্ণের রেশমের, এতে এর চৌকাঠ এবং তাক ছিল
ার্ণ-রৌপের ৷ প্রতিটি কোণে ছিল ২টি দরজা, এছাড়া আরো অনেক বড় বড় দরজা ছিল ৷ এর
পর্দাগুলো ছিল রঙিন রেশমের ৷
এ ধরনের বহু সাজসজ্জার সামগ্রী ছিল, যার ফিরিস্তি ছিল দীর্ঘ ৷ আল্লাহ্ তড়াআলা মুসা
(আ)-কে শিমশার কাঠের একটি সিন্দুকও তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ যার দৈর্ঘ আড়াই
হাত এবং প্রস্থ দুই হাত এবং উচ্চতা ছিল দেড় হাত ৷ ভিতরে ও বাইরে র্খাটিার্ণ দ্বারা
মোড়ানাে, এটার চার কোণে ছিল চারটি আঙটা, সম্মুখ ভাগের দুই দিকে ছিল চারটি আঙটা;
সম্মুখ ভাগের দুই দিক ছিলার্ণের পাখাবিশিষ্ট ৷ তাদের ধারণায় দুইজন ফেরেশতড়ার মুর্তি
যেগুলো মুখোমুখিভাবে স্থাপিত ছিল ৷ এগুলো ছিল বাসলিয়াল নামক এক প্রসিদ্ধ শিল্পীর তৈরি ৷
তারা তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন শিমশার কাঠের একটি খাঞ্চা তৈরি করতে যার দৈর্ঘ দুই হাত ও
প্রস্থ ছিল দেড় হাত ৷ এতে ছিল উপরের ডালায়ার্ণের তালা ওার্ণের মুকুট ; এর চতুর্দিকে ছিল
চারটি আঙটা যেগুলোর কিনারাগুলো ছিল সোনা দিয়ে মোড়ানাে, আনারের ন্যায় কাঠের তৈরি ৷
তড়ারা তাকে নির্দেশ দেন, তিনি যেন থাঞ্চাটিতে বড় বড় বরতন; পেয়ালা ও গ্লাসের ব্যবস্থা
করেন ৷ তিনি যেনার্ণের মিনারা তৈরি করেন যাতে প্রতি দিকে তিনটি করে ৬টি সোনার
আলোক স্তম্ভ থাকে, আবার প্রতিটি স্তস্তে যেন ৩টি করে বাতি থাকে ৷ আর মিনারের মধ্যে যেন
চারটি ঝাড় বাতি থাকে ৷ এগুলো এবং অন্যান্য পানপাত্র যেনার্ণ দ্বারা নির্মিত হয় ৷ এ সবই
ছিল বাসলিয়ালের তৈরী ৷ বাসলিয়াল পশু যবাইর বেদীও তৈরী করে ৷ উপরোক্ত র্তাবৃটি তাদের
[ذِكْرُ بِنَاءِ قُبَّةِ الزَّمَانِ]
قَالَ أَهْلُ الْكِتَابِ: وَقَدْ أَمَرَ اللَّهُ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بِعَمَلِ قُبَّةٍ مِنْ خَشَبِ الشَّمْشَارِ، وَجُلُودِ الْأَنْعَامِ، وَشَعْرِ الْأَغْنَامِ، وَأَمَرَ بِزِينَتِهَا بِالْحَرِيرِ الْمُصَبَّغِ، وَالذَّهَبِ، وَالْفِضَّةِ، عَلَى كَيْفِيَّاتٍ مُفَصَّلَةٍ عِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ، وَلَهَا عَشْرُ سُرَادِقَاتٍ، طُولُ كُلِّ وَاحِدٍ ثَمَانِيَةٌ وَعِشْرُونَ ذِرَاعًا، وَعَرْضُهُ أَرْبَعَةُ أَذْرُعٍ، وَلَهَا أَرْبَعَةُ أَبْوَابٍ، وَأَطْنَابٌ مِنْ حَرِيرٍ، وَدِمَقْسٍ مُصَبَّغٍ، وَفِيهَا رُفُوفٌ وَصَفَائِحُ، مِنْ ذَهَبٍ وَفِضَّةٍ، وَلِكُلِّ زَاوِيَةٍ بَابَانِ، وَأَبْوَابٌ أُخَرُ كَبِيرَةٌ، وَسُتُورٌ مِنْ حَرِيرٍ مُصَبَّغٍ، وَغَيْرُ ذَلِكَ مِمَّا يَطُولُ ذِكْرُهُ، وَبِعَمَلِ تَابُوتٍ مِنْ خَشَبِ الشَّمْشَارِ، يَكُونُ طُولُهُ ذِرَاعَيْنِ وَنِصْفًا، وَعَرْضُهُ ذِرَاعَيْنِ، وَارْتِفَاعُهُ ذِرَاعًا وَنِصْفًا، وَيَكُونُ مُضَبَّبًا بِذَهَبٍ خَالِصٍ مِنْ دَاخِلِهِ وَخَارِجِهِ، وَلَهُ أَرْبَعُ حِلَقٍ، فِي أَرْبَعِ زَوَايَاهُ، وَيَكُونُ عَلَى حَافَّتَيْهِ كَرُوبِيَّانِ مِنْ ذَهَبٍ، يَعْنُونَ صِفَةَ مَلِكَيْنِ بِأَجْنِحَةٍ، وَهُمَا مُتَقَابِلَانِ صَنَعَهُ رَجُلٌ اسْمُهُ بَصْلِيَالُ. وَأَمَرَهُ أَنْ يَعْمَلَ مَائِدَةً مِنْ خَشَبِ الشَّمْشَارِ، طُولُهَا ذِرَاعَانِ، وَعَرْضُهَا ذِرَاعٌ وَنَصِفٌ، لَهَا ضِبَابُ ذَهَبٍ، وَإِكْلِيلُ ذَهَبٍ بِشَفَةٍ مُرْتَفِعَةٍ، بِإِكْلِيلٍ مِنْ ذَهَبٍ، وَأَرْبَعِ حِلَقٍ مِنْ نَوَاحِيهَا مِنْ ذَهَبٍ; خَرَزُهُ مِثْلِ الرُّمَّانِ مِنْ خَشَبٍ مُلَبَّسٍ ذَهَبًا، وَاعْمَلْ صِحَافًا وَمَصَافِيَ وَقِصَاعًا عَلَى الْمَائِدَةِ، وَاصْنَعْ مَنَارَةً مِنْ ذَهَبٍ دُلِيَّ فِيهَا سِتُّ قَصَبَاتٍ مِنْ ذَهَبٍ، مِنْ كُلِّ
পৃষ্ঠা - ৭১৩
বছরের প্রথম দিন স্থাপন করা হয় ৷ আর সেই দিনটি ছিল বসন্ত ঋতৃর প্রথম দিন ৷ আবার
শাহাদতের তাবুত’ও এতে স্থাপন করা হয়েছিল ৷ সম্ভবত কুরআনুল করীমে নিম্নোক্ত আয়াতে
এর প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে ৷
গ্রফু
?
¢(»
সিন্দুক) আসবে, যাতে তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে চিত্ত প্রশান্তি এবং মুসা ও হারুন
বংশীয়গণ যা পরিত্যাগ করেছে তার অবশিষ্টাত্শ থাকবে; ফেরেশতাগণ এটা বহন করে
আনবে ৷ তোমরা মুমিন হও, তবে অবশ্যই তোমাদের জন্য এটাতে নিদর্শন রয়েছে ৷” (সুরা
বাকারা : ২৪ ৮)
ইসরাঈলী কিভাবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে ৷ এতে রয়েছে তাদের শরীয়ত ,
তাদের জন্যে নির্দেশাবলী, তাদের কুরবানীর বৈশিষ্ট্য ও নিয়ম-পদ্ধতি সম্বন্ধে আলোচনা ৷
আবার এতে বর্ণিত রয়েছে যে, তার গম্বুজ তাদের বাছুর পুজার পুর্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৷ আর
বাছুর পুজার ব্যপারটি ঘটেছিল তাদের বায়তুল মুকাদ্দাসে আগমনের পুর্বে ৷ আবার এটা ছিল
তাদের কাছে কারা শরীফ তুলা ৷ তারা এটার ভিতরে ও এটার দিকে মুখ করে প্রার্থনা করত
এবং এটার কারুইে আল্লাহ তাআলার ভৈনকট্য লাভের আশা করত ৷ মুসা (আ) যখন এটার
ভিতরে প্রবেশ করতেন, তখন বনী ইসরাঈলরা এর পাশে দণ্ডায়মান থাকত ৷ এটার দ্বারপ্রান্তেই
মেঘমালার ৫জ্যাতির্ময় স্তম্ভ অবতীর্ণ হত ৷ তখন তারা আল্লাহ্ তাআলার উদ্দেশে সিজদায়
লুটিয়ে পড়ত ৷ আল্লাহ তাআলা মেঘমালার স্তন্তের ভেতর থেকে মুসা (আ)-এর সাথে কথা
বলতেন ৷ মেঘমালড়াটি ছিল আল্লাহ তাআলার নুর ৷ আল্লাহ তড়াআলা মুসা (আ)-কে লক্ষ্য করে
একান্তে কথা বলতেন ৷ তার প্রতি আদেশ-নিষেধ অবতীর্ণ করতেন এবং মুসা (আ) তাবুতের
কাছে দণ্ডায়মান থাকতেন ও পুর্বোক্ত মুর্তি দুইটির মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করতেন ৷ ঐ সময়
শাসন সংক্রান্ত ফয়সালাদি আসভাে ৷ ইবাদতথানায় স্বর্ণ, রঙিন মুক্তার ব্যবহার তাদের শরীয়তে
বৈধ ছিল ৷ কিন্তু আমাদের শরীয়তে বৈধ নয় ৷ আমাদের শরীয়তে মসজিদে জাকজমকপুর্ণ
অলংকরণ নিষিদ্ধ, যাতে সালাতে মুসল্লীদের মনোযোগ বিখ্রিত না হয় ৷ মসজিদুন নববী
সম্প্রসারণের সময় উমর ইবন থাত্তাব (রা) নির্মাণ কার্যে নিযুক্ত ব্যক্তিকে বললেন, এমনভাবে
মসজিদটি নির্মাণ কর যাতে বেশি বেশি লোকের জায়গা হয় ৷ তবে মসজিদকে লাল কিত্বা
হলদে বং করা থেকে বিরত থাকো ৷ কেননা, তাতে মুসল্লীগণের একাগ্রতা বিয়িত হবে ৷
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) বলেন, আমরা অবশ্যই আমাদের মসজিদসমুহ এমনভাবে
সাজাবাে যেরুপ ইয়াহুদ ও নাসারাগণ তাদের গির্জা ও ইবাদতখানাগুলােকে সাজায় ৷ এটা হবে
মসজিদের ইজ্জত-সম্মান ও পবিত্রতড়া রক্ষার উদ্দেশ্যে ৷ কেননা, এই উম্মত পুর্বেকার উম্মতের
মত নয় ৷ তাদেরকে আল্লাহ তাআলা তাদের সালাতে আল্লাহ তাআলার প্রতি একনিষ্ঠ ও
মনােযোগী হবার, গাইরুল্লাহ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখার, এমনকি অন্য সকল চিন্তা ও
جَانِبٍ ثَلَاثٌ، عَلَى كُلِّ قَصَبَةٍ ثَلَاثُ سُرُجٍ، وَلْيَكُنْ فِي الْمَنَارَةِ أَرْبَعُ قَنَادِيلَ، وَلْتَكُنْ هِيَ وَجَمِيعُ هَذِهِ الْآنِيَةِ مِنْ قِنْطَارٍ مِنْ ذَهَبٍ، صَنَعَ ذَلِكَ بَصْلِيَالُ أَيْضًا، وَهُوَ الَّذِي عَمِلَ الْمَذْبَحَ أَيْضًا، وَنَصَبَ هَذِهِ الْقُبَّةَ أَوَّلَ يَوْمٍ مِنْ سَنَتِهِمْ، وَهُوَ أَوَّلُ يَوْمٍ مِنَ الرَّبِيعِ وَنَصَبَ تَابُوتَ الشَّهَادَةِ، وَهُوَ - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - الْمَذْكُورُ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {إِنَّ آيَةَ مُلْكِهِ أَنْ يَأْتِيَكُمُ التَّابُوتُ فِيهِ سَكِينَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَبَقِيَّةٌ مِمَّا تَرَكَ آلُ مُوسَى وَآلُ هَارُونَ تَحْمِلُهُ الْمَلَائِكَةُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ} [البقرة: 248] .
[الْبَقَرَةِ: 248] . وَقَدْ بُسِطَ هَذَا الْفَصْلُ فِي كِتَابِهِمْ مُطَوَّلًا جِدًّا، وَفِيهِ شَرَائِعُ لَهُمْ وَأَحْكَامٌ، وَصِفَةُ قُرْبَانِهِمْ، وَكَيْفِيَّتُهُ، وَفِيهِ أَنَّ قُبَّةَ الزَّمَانِ كَانَتْ مَوْجُودَةً قَبْلَ عِبَادَتِهِمُ الْعِجْلَ، الَّذِي هُوَ مُتَقَدِّمٌ عَلَى مَجِيئِهِمْ بَيْتَ الْمَقْدِسِ، وَأَنَّهَا كَانَتْ لَهُمْ كَالْكَعْبَةِ يُصَلُّونَ فِيهَا وَإِلَيْهَا، وَيَتَقَرَّبُونَ عِنْدَهَا، وَأَنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَانَ إِذَا دَخَلَهَا يَقِفُونَ عِنْدَهَا، وَيُنْزِلُ عَمُودَ الْغَمَامِ عَلَى بَابِهَا فَيَخِرُّونَ عِنْدَ ذَلِكَ سُجَّدًا لِلَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَيُكَلِّمُ اللَّهُ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنْ ذَلِكَ الْعَمُودِ الْغَمَامِ، الَّذِي هُوَ نُورٌ وَيُخَاطِبُهُ، وَيُنَاجِيهِ، وَيَأْمُرُهُ، وَيَنْهَاهُ، وَهُوَ وَاقِفٌ عِنْدَ التَّابُوتِ صَامِدٌ إِلَى مَا بَيْنَ الْكَرُوبِيِّيْنِ، فَإِذَا فُصِلَ الْخِطَابُ، يُخْبِرُ بَنِي إِسْرَائِيلَ بِمَا أَوْحَاهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، إِلَيْهِ مِنَ الْأَوَامِرِ وَالنَّوَاهِي، وَإِذَا تَحَاكَمُوا إِلَيْهِ فِي شَيْءٍ، لَيْسَ عِنْدَهُ مِنَ اللَّهِ فِيهِ شَيْءٌ، يَجِيءُ إِلَى قُبَّةِ الزَّمَانِ، وَيَقِفُ عِنْدَ التَّابُوتِ، وَيَصْمُدُ لِمَا بَيْنَ ذَيْنِكَ الْكَرُوبِيِّيْنِ، فَيَأْتِيهِ الْخِطَابُ بِمَا فِيهِ فَصْلُ تِلْكَ الْحُكُومَةِ، وَقَدْ كَانَ هَذَا مَشْرُوعًا لَهُمْ فِي زَمَانِهِمْ، أَعْنِي اسْتِعْمَالَ الذَّهَبِ وَالْحَرِيرِ الْمُصَبَّغِ،
পৃষ্ঠা - ৭১৪
ধ্যান-ধারণা থেকে মুক্ত থেকে শুধু আল্লাহ তাআলার দিকে একাগ্রচিত্ত হবার নির্দেশ দিয়েছেন ৷
আল্লাহর জন্যেই সমস্ত প্রশংসা ৷
উপরোক্ত র্তাবু গম্বুজ’৩ ভীহ্ প্রাতরে বনী ইসরাঈলদের সাথে ছিল, তারা এটার দিকে মুখ
করে সালাত আদায় করত ৷ এটা ছিলত তাদের কিবলা ও কা’ বা এবং মুসা (আ) ছিলেন তাদের
ইমাম আর তার ভাই হারুন (আ) ছিলেন কুরবানীর দায়িতুপ্রাপ্ত ৷ যখন হারুন (আ) এবং
তারপর মুসা (আ) ইন্তিকাল করলেন, তখন হারুন (আ) এর বং শধররা নিজেদের মধ্যে
কুরবানী প্রথা চালু রাখেন এবং এটা আজ পর্যন্তও তাদের মধ্যে চালু রয়েছে ৷ মুসা (আ) এরপর
তার খাদেম ইউশা ইবন নুন (আ) রিসালাতসহ সমস্ত কাজের দায়িতৃভা র গ্রহণ করেন এবং
তিনি তাদেরকে নিয়ে বায়তুল ঘুকাদ্দাসে প্রবেশ করেন ৷ এ ঘটনাটি পরে বর্ণনা কর হবে ৷
মােদ্দা কথা, বায়তুল মুকাদ্দাসের নিয়ন্ত্রণভার যখন ইউশা ইবন নুন (আ) এর উপর ন্যস্ত
হল, তখন তিনি বায়তুল মুকাদ্দাসের একটি পাথরের উপর এইত ইাবু পম্বুজটি স্থাপন করেন ৷
বনী ইসরাঈলরা এটার দিকে মুখ করে সালড়াত আদায় করত ৷ অতঘ্র পর যখন তাবু গম্বুজটি বিনষ্ট
হয়ে যায় তখন তারা গম্বুজের স্থান অর্থাৎ পাথরের দিকেই সালাত আদায় করতে লাগল ৷ এ
জন্যেই ইউশা (আ)-এর পর থেকে রাসুলুল্লাহ (না)-এর যুগ পর্যন্ত সমস্ত নবীর কিবলা ছিল
এটা ই ৷ এমনকি রাসুলুল্লাহ্ (সা)ও হিজবতের পুর্বে বায়তৃল মুকাদ্দাসেব দিকে মুখ করে সালাত
আদায় করতেন, তবে ক বারীফকে সামনে রেখেই তা করতেন ৷ রাসুল (সা) যখন মদীনায়
হিজরত করেন, তখন তাকে বায়তৃল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করার নির্দেশ
দেয়া হয় এবং ষোল মাস মতান্তরে সতের মাস তিনি বায়তৃল ঘুকাদ্দাসেব দিকে মুখ করে
সালাত আদায় করেন ৷ অতঃপর দ্বিতীয় হিজরীর শাবান মাসে আসরেব নামাযে মতান্তরে
জোহরের সময় ইবরাহীমী কিবলা কা বার দিকে কিবলা পরিবর্তিত হয় ৷৩ তাফসীরে এ সম্পর্কে
নিম্ন বর্ণিত আয়াতের ব্যাখায় বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে ৷
আল্লাহ তা অ ৷লা ইরশাদ করেন :
)
ন্পুদ্র;;£ন্ষ্ ৷ ৷ ) ভ্রুদ্বুা৷,শুা;র্বৃ ;,হ্ প্রুম্ম্পু এ;স্পো ৷এ দ্বু প্রু ৷ ৷ ৰুা৷ fl;
,
নির্বোধ লোকেরা বলবে যে, তারা এ যাবত যে কিবলা অনুসরণ করে আসছিল এটা হতে
কিসে তাদেরকে ফিরিয়ে দিল? বল, পুর্ব ও পশ্চিম অ ল্লাহবই ৷ তিনি যাকে ইচ্ছে সরল পথে
পরিচালিত করেন ৷ আকাশের দিকে তোমার বার বার তাকানােকে আমি অবশ্য লক্ষ্য করি ৷
সুতরাং তোমাকে অবশ্যই এমন কিবলার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছি, যা তুমি পছন্দ কর ৷ অতএব,
তুমি মসজিদৃল হারমের দিকে মুখ ফিরাও ৷ তোমরা যেখানেই থাক না কেন সেদিকে মুখ
ফিরাও ৷ (সুরা বাকারা : ১৪২ ও ১৪৪)
وَاللَّآلِيءِ فِي مَعْبَدِهِمْ، وَعِنْدَ مُصَلَّاهُمْ، فَأَمَّا فِي شَرِيعَتِنَا فَلَا، بَلْ قَدْ نُهِينَا عَنْ زَخْرَفَةِ الْمَسَاجِدِ وَتَزْيِينِهَا; لِئَلَّا تَشْغَلَ الْمُصَلِّينَ، كَمَا قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَمَّا وَسَّعَ فِي مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِلَّذِي وَكَّلَهُ عَلَى عِمَارَتِهِ: ابْنِ لِلنَّاسِ مَا يُكِنُّهُمْ وَإِيَّاكَ أَنْ تُحَمِّرَ أَوْ تُصَفِّرَ فَتَفْتِنَ النَّاسَ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: لَتُزَخْرِفُنَّهَا كَمَا زَخْرَفَتِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى كَنَائِسَهُمْ.
وَهَذَا مِنْ بَابِ التَّشْرِيفِ وَالتَّكْرِيمِ وَالتَّنْزِيهِ، فَهَذِهِ الْأُمَّةُ غَيْرُ مُشَابِهَةٍ مَنْ كَانَ قَبْلَهُمْ مِنَ الْأُمَمِ; إِذْ جَمَعَ اللَّهُ هَمَّهُمْ فِي صَلَاتِهِمْ عَلَى التَّوَجُّهِ إِلَيْهِ، وَالْإِقْبَالِ عَلَيْهِ، وَصَانَ أَبْصَارَهُمْ وَخَوَاطِرَهُمْ عَنِ الِاشْتِغَالِ وَالتَّفَكُّرِ فِي غَيْرِ مَا هُمْ بِصَدَدِهِ مِنَ الْعِبَادَةِ الْعَظِيمَةِ، فَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
وَقَدْ كَانَتْ قُبَّةُ الزَّمَانِ هَذِهِ مَعَ بَنِي إِسْرَائِيلَ فِي التِّيهِ، يُصَلُّونَ إِلَيْهَا، وَهِيَ قِبْلَتُهُمْ وَكَعْبَتُهُمْ، وَإِمَامُهُمْ كَلِيمُ اللَّهِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَمُقَدِّمُ الْقُرْبَانِ أَخُوهُ هَارُونُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ.
فَلَمَّا مَاتَ هَارُونُ، ثُمَّ مُوسَى، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، اسْتَمَرَّتْ بَنُو هَارُونَ فِي الَّذِي كَانَ يَلِيهِ أَبُوهُمْ مِنْ أَمْرِ الْقُرْبَانِ، وَهُوَ فِيهِمْ إِلَى الْآنَ، وَقَامَ بِأَعْبَاءِ النُّبُوَّةِ بَعْدَ مُوسَى وَتَدْبِيرِ الْأَمْرِ بَعْدَهُ، فَتَاهَ يُوشَعُ بْنُ نُونٍ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَهُوَ الَّذِي دَخَلَ بِهِمْ بَيْتَ الْمَقْدِسِ; كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ.
পৃষ্ঠা - ৭১৫
وَالْمَقْصُودُ هُنَا أَنَّهُ لَمَّا اسْتَقَرَّتْ يَدُهُ عَلَى الْبَيْتِ الْمُقَدَّسِ، نَصَبَ هَذِهِ الْقُبَّةَ عَلَى صَخْرَةِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، فَكَانُوا يُصَلُّونَ إِلَيْهَا، فَلَمَّا بَادَتْ صَلَّوْا إِلَى مَحِلَّتِهَا، وَهِيَ الصَّخْرَةُ، فَلِهَذَا كَانَتْ قِبْلَةَ الْأَنْبِيَاءِ بَعْدَهُ إِلَى زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ صَلَّى إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ وَكَانَ يَجْعَلُ الْكَعْبَةَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَلَمَّا هَاجَرَ أُمِرَ بِالصَّلَاةِ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، فَصَلَّى إِلَيْهَا سِتَّةَ عَشَرَ وَقِيلَ: سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا. ثُمَّ حُوِّلَتِ الْقِبْلَةُ إِلَى الْكَعْبَةِ، وَهِيَ قِبْلَةُ إِبْرَاهِيمَ فِي شَعْبَانَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ، فِي وَقْتِ صَلَاةِ الْعَصْرِ. وَقِيلَ: الظُّهْرِ، كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ "، عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {سَيَقُولُ السُّفَهَاءُ مِنَ النَّاسِ مَا وَلَّاهُمْ عَنْ قِبْلَتِهِمُ الَّتِي كَانُوا عَلَيْهَا} [البقرة: 142] إِلَى قَوْلِهِ: {قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ} [البقرة: 144]
[الْبَقَرَةِ: 142 - 144] .