ثم دخلت سنة إحدى وسبعين
পৃষ্ঠা - ৭০২৬
৭১ হিজরী সন
এ বছর যুসআব ইবনুয যুবইির এর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ঘটনার প্উভদ্বুৰুখ্ হল , আব্দুল
মালিক ইবন মারওয়ান ভয়ঙ্কর প্রকৃতির একদল সৈন্য নিয়ে মৃসআব ইবনুয যুবাইর এর
উদ্দেশ্যে সিরিয়া থেকে রওয়ান৷ হন ৷ এ বছর৩ তাদের মাঝে যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ এর আগেও
তারা উভয়ে পরস্পর যুদ্ধ করার লক্ষে রওয়ান৷ হতেন ৷ কিন্তু শীত শীল৷ ও কাদ৷ তাদের
মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করত ৷ ফলে তারা উভয়ে নিজ নিজ শহরে ফিরে আসতেন ৷ এ বছরও
আব্দুল যা ৷লিক ঘুস আর এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা,হন এবং আগে ভাগে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কয়েকটি বাহিনী
প্রেরণ করেন ৷ তার প্রেরিত এক ব্যক্তি বসরা ঢুকে পড়ে এবং তার অধিবাসীদেরকে গোপনে
গোপনে আব্দুল মালিক এর আনুগত্যের প্রতি আহ্বান জানায় ৷ ফলে কিছু লোক তার ডাকে
সাড়া দেয় ৷ মুন আর তখন হিজায অবস্থান করছিলেন ৷ তার পরপরই তিনি বসরা ফিরে
আসেন ৷ এসে তিনি আব্দুল মালিক ইবন মায়ওয়ান এর লোককে অনুপ্রবেশ করতে দেয়ায় ও
’ তাদের প্রতি সমর্থাং ব্যক্ত করার সমাজের ঘেতস্থুানীয় ব্যক্তিবর্গকে৷ গা লমন্দ করেন ও তিরস্কার
করেন ৷ তিনি তাদের কিছু লোকের বাড়ি ঘরও গুড়িয়ে দেন ৷৩ তারপর তিনি কুফা চলে যান ৷
তারপর তিনি আব্দুল মালিক ইবন মারওয়ান-এর সৈন্য নিয়ে তার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার
সংবাদ পেয়ে তিনিও তার দিকে রওয়ান৷ হয়ে যান ৷ আব্দুল মালিক মাসকিন নামক স্থানে
পৌছে তার প্রেরিত ব্যক্তির আহবানে সাড়া দেয়৷ মারওয়ানীদের নিকট পত্র লিখেন ৷ তারা
তাকে সেই পত্রের জবাব দেয় এবং শর্ত আরোপ করে যে, ইস্পাহানের শাসন ক্ষমতা তাদের
হাতে তুলে দিতে ৩হবে ৷ তিনি বললেন, হা৷ ৷ আর তারা ছিল বিপুল সং খ্যক আমীরের একটি
দল ৷ আব্দুল মালিক তার বাহিনীর (সম্মুখ ভাগে) তার ভাই মুহাম্মদ ইবন মারওয়ানকে, (ডান
পার্শে) আব্দুল্লাহ ইবন ইয়াষীদ ইবন মুআবিয়াকে এবং (বাম পার্শে)৷ খালিদ ইবন ইয়াষীদ
ইবন ষু আ ৷বিয়াকে নিযুক্ত করেছিলেন ৷
যা হোক ঘুসআব মারওয়ান এর মােকাবেলায় বেরিয়ে পড়বুলন ৷ কিন্তু ইরাকীর৷ তার
ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করল এবং কোন সাহায্য না করে তাকে পরিত্যাগ করল ৷ এখন তার
একমাত্র ভরসা ছিল তার সাথীরা ৷ কিন্তু তাদেরকেও তিনি দুশমনের মােকাবেলায় পেলেন না ৷
ফলে তিনি নিজেকে উৎনর্পের জন্য পেশ করলেন এবং এর জন্য মন স্থির করে ফেললেন ও
বললেন, বায়আতের জন্য হাত না দেয়া এবং উবইিদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদের অপমান থেকে
আত্মরক্ষ৷ করার ক্ষেত্রে হুসাইন ইবন আলী (রা)-এর মধ্যে আমার জন্য আদর্শ রয়েছে ৷
তারপর তিনি কবিতা আবৃত্তি করতে শুরু করলেন,
এ্যাঙ্ শুা,ম্মু ৷ :া,
নিশ্চয় হাশিম বংশের প্রথম শ্রেণী ধৈর্যধারণ করেছে এবং সম্মানিত লোকদের জন্য নমুনা
স্থাপন করেছে ৷’
আব্দুল মালিক ইবন মারওয়ানকে তার কোন কোন সহচর পরামর্শ দিয়েছিল, আপনি নিজে
সিরিয়ার অবস্থান করুন এবং মুল আর এর নিকট বাহিনী প্রেরণ করুন ৷ কিন্তু তিনি সে পরামর্শ
প্রত্যাখ্যান করে বললেন, হয়তো এমন হয়ে যে, আমি একজন সাহাবী লোককে প্রেরণ করলাম,
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَسَبْعِينَ]
[مَقْتَلُ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ]
وَفِيهَا كَانَ مَقْتَلُ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَذَلِكَ أَنْ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ سَارَ فِي جُنُودٍ هَائِلَةٍ مِنَ الشَّامِ قَاصِدًا مُصْعَبَ بْنَ الزُّبَيْرِ بِالْعِرَاقِ، فَالْتَقَيَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقَدْ كَانَا قَبْلَهَا يَرْكَبُ كُلُّ وَاحِدٍ لِمُلْتَقَى الْآخَرِ، فَيَحُولُ بَيْنَهُمَا الشِّتَاءُ وَالْبَرْدُ وَالْوَحْلُ، فَيَرْجِعُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا إِلَى بَلَدِهِ، فَلَمَّا كَانَ فِي هَذَا الْعَامِ سَارَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ، وَبَعَثَ بَيْنَ يَدَيْهِ السَّرَايَا، وَدَخَلَ بَعْضُ مَنْ أَرْسَلَهُ إِلَى الْبَصْرَةِ فَدَعَا أَهْلَهَا إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ فِي السِّرِّ، فَاسْتَجَابَ لَهُ بَعْضُهُمْ، وَقَدْ كَانَ مُصْعَبٌ سَارَ إِلَى الْحِجَازِ، فَجَاءَ وَدَخَلَ الْبَصْرَةَ عَلَى إِثْرِ ذَلِكَ، فَأَنَّبَ الْكُبَرَاءَ مِنَ النَّاسِ، وَشَتَمَهُمْ وَلَامَهُمْ عَلَى دُخُولِ أُولَئِكَ إِلَيْهِمْ، وَإِقْرَارِهِمْ لَهُمْ عَلَى ذَلِكَ، وَهَدَمَ دُورَ بَعْضِهِمْ، ثُمَّ شَخَصَ إِلَى الْكُوفَةِ، ثُمَّ بَلَغَهُ قَصْدُ عَبْدِ الْمَلِكِ لَهُ بِجُنُودِ الشَّامِ فَخَرَجَ إِلَيْهِ.
وَوَصَلَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى مَسْكِنٍ، وَكَتَبَ إِلَى الْمَرْوَانِيَّةِ الَّذِينَ اسْتَجَابُوا لِمَنْ بَعَثَهُ إِلَيْهِمْ فَأَجَابُوهُ، وَاشْتَرَطُوا عَلَيْهِ أَنْ يُوَلِّيَهُمْ أَصْبَهَانَ، فَقَالَ: نَعَمْ. وَهُمْ جَمَاعَةٌ كَثِيرَةٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ، وَقَدْ جَعَلَ عَبْدُ الْمَلِكِ عَلَى مُقَدِّمَتِهِ أَخَاهُ مُحَمَّدَ بْنَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، وَعَلَى مَيْمَنَتِهِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَعَلَى مَيْسَرَتِهِ خَالِدَ بْنَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ،
পৃষ্ঠা - ৭০২৭
কিন্তু সে বিচক্ষণ নয় ৷ কিত্ব্৷ লােকট৷ বিচক্ষণ ঘটে কিন্তু সাহসী নয় ৷ পক্ষাম্ভরে আমার মধ্যে
বিচক্ষণতাও আছে, সাহসিকতাও আছে ৷ আর মুসআবও বীর ঘরানার সন্তান ৷ তার পিতা ,
কুরায়শের সবচাইতে বীর পুরুষ ৷ তার ভাইয়ের বীরতও ভুলব্ার মত নয় ৷ তবে সে বীর
হলেও তার কোন ষুদ্ধজ্ঞান নেই ৷ সে আরামপ্রিয় এবং ক্ষমাকে পছন্দ করে ৷ অপরদিকে আমার
সঙ্গে এমন লোক আছে, যে আমার হিতকামী ও আমার সমর্থক ৷
যা হোক, আব্দুল মালিক নিজেই রওয়ানা হয়ে গেলেন ৷ উভয় বাহিনী যখন যুখোমুখী হল,
তখন আব্দুল মালিক মৃসআব্ এর আমীরদের নিকট তাকে সমর্থন জানানোর দাওয়াত দিয়ে
লোক প্রেরণ করেন এবং তাদেরকে ক্ষমতা দানের প্রতিশ্রুতি দেন ৷ এক পর্যায়ে ইব্রাহীম
ইবনুল আশতার মুসাআবএর নিকট এসে তার দিকে একখান৷ মােহরকৃত পত্র ছুড়ে দিয়ে
বললেন, এটি আব্দুল মালিক এর পক্ষ থেকে আমার কাছে এসছে ৷ মুসআব্ পত্রখানা
খুললেন ৷ তা পাঠ করে তিনি দেখতে পেলেন, আব্দুল মালিক তাকে তার নিকট চলে যাওয়ার
আহবান জানাচ্ছেন এবং তাকে ইরাকের গভর্নর বানাব্ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ৷ ইব্রাহীম
ইবনুল আশতার মুসআবকে বললেন, হে আমীর ! আপনার আমীরদের একজনও এমন নেই
যার নিকট এরুপ পত্র আসেনি ৷ আপনি যদি নাম দেন, তাহলে আমি তাদেরকে হত্যা করে
ফেলতে পারি ৷ মুসআব৩ তাকে বললেন, যদি আমি তা করি তাহলে তাদের পরে তাদের
পােত্রসমুহ আমাদের হীত কামনা করবে না ৷ ইব্রাহীম বললেন, তাহলে তাদেরকে কিসরার
আবইয়াজ প্রাসাদে পাঠিয়ে দিন এবং তাদেরকে তাতে বন্দী করে রাখুন ৷ আপনি যদি
জয়লাভ করেন তাহলে তাদেরকে হত্যা করা যাবে আর যদি পরাজিত হন, তাহলে তারা
বেরিয়ে যাবে ৷ যুসআব্ বললেন, এ বিষয়টায় আমার কোন ভাবনা নেই হে আবু নুমানা
তারপর মুসআব বললেন, আল্লাহ্ আবু বাহ্র তথা আহ্নাফকে রহম করুন ৷ তিনি আমাকে
ইরাকীদের বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে সতর্ক করতেন ৷ যেন তিনি আমাদের ব্৩ মান এই
পরিস্থিতিট৷ চোখে দেখছিলেন ৷
মাসকিনের দায়রুল জাছলীক নামক স্থানে উভয় বাহিনী মুখোমুখী হয় ৷ ফলে মুসআব
বাহিনীর ইরাকী অগভাগের অধিনায়ক ইব্রাহীম ইবনুল আশ৩ার সিরীয় বাহিনীর অগ্রভাগের
অধিনায়ক মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান-এর উপর আক্রমণ চালায় ৷ তিনি তাদেরকে তাদের
অবস্থান থেকে সরিয়ে ফেলেন ৷ আব্দুল মালিক আব্দুল্লাহ ইবন ইয়াযীদ ইবন ম্আবিয়াকে
মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান-এর সাহায্যে প্রেরণ করেন ৷ এবার তারা ইবনুল আশতার ও তার
সঙ্গীদের উপর পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে তাদেরকে পিষে ফেলে এবং ইবনুল আশতারকে হত্যা
করে ফেলে ৷ আল্লাহ্ তাকে রহমত করুন ও তাকে ক্ষমা করুন ৷ তার সঙ্গে আমীরদের একটি
দলও নিহত হন ৷ আত্তাব্ ইবন ওয়ারাক৷ ছিলেন যুসআব-এর অশ্ববাহিনীর কমান্ডার ৷ তিনি
পালিয়ে আব্দুল মালিক ইবন মারওয়ান-এর নিকট গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন ৷ অপরদিকে
মুসআব ইবনুয যুবাইর বাহিনীর মধ্যস্থলে দাড়িয়ে পতাকাবাহী সৈন্যদেরকে র্দাড় করালেন এবং
সাহসী ও বীর যোদ্ধাদেরকে সম্মুখ সমরে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দিতে লাগলেন ৷ কিন্তু
তাদের একজনও নড়ল না ৷ এবার তিনি বলতে শুরু করলেন, হায় ইব্রাহীম ! আজ আমার
কোন ইব্রাহীম নেই ৷ ’ পরিস্থিতি গুরুতর রুপ ধারণ করল ৷ যুদ্ধ ঘোরতর হল ৷ মানুষ পরস্পর
দলত্যাগ করল ৷ অবস্থা জটিল আকার ধারণ করল এবং ঘোরতর স ঘাত-সং ঘর্ষ হল ৷
وَخَرَجَ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَقَدِ اخْتَلَفَ عَلَيْهِ أَهْلُ الْعِرَاقِ، وَخَذَلُوهُ وَجَعَلَ يَتَأَمَّلُ مَنْ مَعَهُ فَلَا يَجِدُهُمْ يُقَاوِمُونَ أَعْدَاءَهُ، فَاسْتَقْتَلَ وَطَمَّنَ نَفْسَهُ عَلَى ذَلِكَ، وَقَالَ: لِي بِالْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ أُسْوَةٌ حِينَ امْتَنَعَ مِنْ إِلْقَائِهِ يَدَهُ، وَمِنَ الذِّلَّةِ لِعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ، وَجَعَلَ يُنْشِدُ وَيَقُولُ مُسَلِّيًا نَفْسَهُ:
وَإِنَّ الْأُلَى بِالطَّفِّ مِنْ آلِ هَاشِمٍ ... تَأَسَّوْا فَسَنُّوا لِلْكِرَامِ التَّأَسِّيَا
وَكَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ قَدْ أَشَارَ عَلَيْهِ بَعْضُ أُمَرَائِهِ أَنْ يُقِيمَ بِالشَّامِ، وَأَنْ يَبْعَثَ إِلَى مُصْعَبٍ جَيْشًا فَأَبَى، وَقَالَ: لَعَلِّي أَبْعَثُ رَجُلًا شُجَاعًا لَا رَأْيَ لَهُ، أَوْ مَنْ لَهُ رَأْيٌ وَلَا شَجَاعَةَ لَهُ، وَإِنِّي أَجِدُ مِنْ نَفْسِي بَصَرًا بِالْحَرْبِ وَشَجَاعَةً، وَإِنَّ مُصْعَبًا فِي بَيْتِ شَجَاعَةٍ، أَبُوهُ أَشْجَعُ قُرَيْشٍ، وَأَخُوهُ لَا تُجْهَلُ شَجَاعَتُهُ، وَهُوَ شُجَاعٌ، لَا عِلْمَ لَهُ بِالْحَرْبِ، وَهُوَ يُحِبُّ الدَّعَةَ وَالْخَفْضَ، وَمَعَهُ مَنْ يُخَالِفُهُ، وَمَعِي مَنْ يَنْصَحُ لِي. فَسَارَ بِنَفْسِهِ، فَلَمَّا تَقَارَبَ
পৃষ্ঠা - ৭০২৮
الْجَيْشَانِ بَعَثَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى أُمَرَاءِ مُصْعَبٍ بِكُتُبٍ يَدْعُوهُمْ إِلَى نَفْسِهِ وَيَعِدُهُمُ الْوِلَايَاتِ، فَجَاءَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ إِلَى مُصْعَبٍ فَأَلْقَى إِلَيْهِ كِتَابًا مَخْتُومًا، وَقَالَ: هَذَا جَاءَنِي مِنْ عَبْدِ الْمَلِكِ. فَفَتَحَهُ فَإِذَا هُوَ يَدْعُوهُ إِلَى الْإِتْيَانِ إِلَيْهِ، وَلَهُ نِيَابَةُ الْعِرَاقِ. وَقَالَ لِمُصْعَبٍ: أَيُّهَا الْأَمِيرُ، إِنَّهُ لَمْ يَبْقَ أَحَدٌ مِنْ أُمَرَائِكَ إِلَّا وَقَدْ جَاءَهُ كِتَابٌ مِثْلُ هَذَا فَإِنْ أَطَعْتَنِي ضَرَبْتُ أَعْنَاقَهُمْ. فَقَالَ لَهُ مُصْعَبٌ: إِنِّي لَوْ فَعَلْتُ ذَلِكَ لَمْ تَنْصَحْنَا عَشَائِرُهُمْ بَعْدَهُمْ. فَقَالَ: فَأَوَقِرْهُمْ فِي الْحَدِيدِ وَابْعَثْهُمْ إِلَى أَبْيَضِ كِسْرَى فَاسْجُنْهُمْ فِيهِ، وَوَكِّلْ بِهِمْ مَنْ إِنْ غُلِبْتَ ضَرَبَ أَعْنُقَهُمْ، وَإِنْ غَلَبْتَ مَنَنْتَ بِهِمْ عَلَى عَشَائِرَهُمْ. فَقَالَ لَهُ: يَا أَبَا النُّعْمَانِ، إِنِّي لَفِي شُغْلٍ عَنْ هَذَا. ثُمَّ قَالَ مُصْعَبٌ: رَحِمَ اللَّهُ أَبَا بَحْرٍ - يَعْنِي الْأَحْنَفَ بْنَ قَيْسٍ - إِنْ كَانَ لِيُحَذِّرُنِي غَدْرَ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَكَأَنَّهُ كَانَ يَنْظُرُ إِلَى مَا نَحْنُ فِيهِ الْآنَ.
ثُمَّ تَوَاجَهَ الْجَيْشَانِ بِدَيْرِ الْجَاثَلِيقِ مِنْ مَسْكِنٍ، فَحَمَلَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ - وَهُوَ أَمِيرُ الْمُقَدِّمَةِ الْعِرَاقِيَّةِ لِجَيْشِ مُصْعَبٍ - عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ - وَهُوَ أَمِيرُ مُقَدِّمَةِ الشَّامِ - فَأَزَالَهُ عَنْ مَوْضِعِهِ، فَأَرْدَفَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، فَحَمَلُوا عَلَى إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْأَشْتَرِ، وَمَنْ مَعَهُ فَطَحَنُوهُمْ، وَقُتِلَ إِبْرَاهِيمُ
পৃষ্ঠা - ৭০২৯
মাদায়িনী বলেন, আব্দুল মালিক মুসআবকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য নিজ ভাইকে প্রেরণ
করেন ৷ কিন্তু মৃসআব নিরাপত্তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে বললেন, আমার পর্যায়ের মানুষ এই
স্থান থেকে বিজয়ী কিংবা পরাজিত না হয়ে ফিরে না ৷ ইতিহাসবিদগণ বলেছেন, এই জবাব
শোনার পর মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান মুসাআব-এর পুত্র ঈসাকে ডেকে বললেন, ভাতিজা ! নিজের
জীবনটাকে ধ্বংস কর না ৷ তোমাকে নিরাপত্তা দেয়া হল ৷ শুনে মুসআব তার পুত্রকে বললেন,
তোমার চাচা তোমাকে নিরাপত্তা প্রদান করেছেন ৷ কাজেই তুমি তার কাছে চলে যাও ৷ পুত্র
বলল, আমি কুরায়শের নারীদেরকে এ কথা বলতে দেব না যে, আমি আপনাকে খুনের জন্য
সমর্পন করেছি ৷ এবার ঘুসআব তাকে বললেন, তাহলে বৎস ! তুমি দ্রুতগামী ঘোড়ার
আরোহন করে তোমার চাচার নিকট গিয়ে তাকে অবহিত কর, ইরাকীরা কী আচরণ করেছে ৷
আমি এখানেই খুন হব ৷ পুত্র বলল, আল্লাহ্র শপথ ! আমি কখনো কাউকে আপনার সংবাদ
দিতে যাব না এবং কুরায়শের নারীদেরকেও আপনার মৃত্যুর সংবাদ দেব না, আর আমি
আপনার সঙ্গে ব্যতীত নিহত হব না ৷ তবে আপনি যদি ভাল মনে করেন, তাহলে আমি
আপনার ঘোড়ার আরোহণ করব এবং আমরা বসরা চলে যাব ৷ কারণ বসরাবাসী ঐক্যবদ্ধ ৷
মুসআব বললেন, আল্লাহর কসম ! আমি কুরায়শকে এ কথা বলতে দেব না যে, আমি যুদ্ধ
থেকে পলায়ন করেছি ৷ তিনি পুত্রকে বললেন, তুমি আমার সম্মুখে এগিয়ে যাও ৷ যাতে আমি
ভোমাংক হারাবার সওয়াব অর্জন করি ৷ ফলে পুত্র এগিয়ে যুদ্ধ করতে করতে নিহত হল ৷
মুসআব তীরের আঘাতে কাবু হয়ে গেলেন ৷ তাকে এই অবস্থায় দেখে যায়িদা ইবন কুদামা
আক্রমণ করে তাকে বর্শাঘাত করল ৷ তখন সে বলছিল, এ;১ৰুা৷ ধ্;ষ্াপ্রুাএ্াম্ হে
মুখতার-এর প্রতিশোধ গ্রহণকারী লোকেরা ! তোমরা কে কোথায় আছ, আস ৷ ’ ডাক শুনে এক
ব্যক্তি ছুটে আসল ৷ তার নাম উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদইবন যুরইয়ান আত-তামীমী ৷ লোকটি
এসে যুসআবকে হত্যা করে ফেলে এবং তার মাথাটা ছিন্ন করে আব্দুল মালিক ইবন মারওয়ান-
এর নিকট নিয়ে যায় ৷ আব্দুল মালিক সিজদায় লুটিয়ে পড়েন এবং তাকে এক হাজার দীনার
পুরস্কার প্রদান করেন ৷ কিন্তু উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান এবং
বলল, আমি তাকে আপনার আনুগত্যের খাতিরে হত্যা করি নি৷ আমি তাকে হত্যা করেছি
আমার ব্যক্তিগত প্ৰতিশোধ গ্রহণের উদ্দেশ্যে ৷ উল্লেখ্য, মুসআব ইবনুয যুবাইর তাকে একবার
প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিযুক্ত করে পরে বরখাস্ত করেছিলেন এবং তাকে অপদস্থ করেছিলেন ৷
ঐতিহাসিকগণ বলেছেন, যুসআব-এরমাথাটা যখন আব্দুল মালিক-এর সম্মুখে রাখা হল,
তখন আব্দুল মালিক বললেন, আমার ও মুসআবের মাঝে পুরাতন বন্ধুত্ব ছিল ৷ সে আমার
সবচাইতে প্রিয় ব্যক্তি ছিল ৷ কিন্তু এই রাজতুটা হল বাংলা (কল্যাণশুন্য) ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
যখন মুসআব-এর নিকট থেকে তীর দলবল কেটে পড়ে তখন তার পুত্র ঈসা তাকে
বলেছিলেন, আপনি কোন একটি দুর্পে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করুন ৷ তারপর মুহাল্লাব ইবন আবু
সাফরা কিৎবা অন্য কারো নিকট পত্র লিখুন ৷ তারপর যখন আপনার কাগ্রিত লোকজন এসে
সমবেত হবে, তখন আপনি শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়বেন ৷ কারণ, আপনি বেশ দুর্বল
হয়ে পড়েছেন ৷’ কিন্তু মুসআব তার কোন উত্তর দিলেন না ৷ তারপর মুসআব হুসাইন ইবন
আলী (রা)-এর ঘটনা পরম্পরা, কিভাবে তিনি মর্যাদার সাথে নিহত হলেন তবু আত্মসমর্পণ
করলেন না এবং তিনি ইরাকীদের থেকে আনুগত্য পেলেন না ৷ তার পিতা (আলী (রা) ও ভাই
بْنُ الْأَشْتَرِ، رَحِمَهُ اللَّهُ وَعَفَا عَنْهُ، وَقُتِلَ مَعَهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ، وَكَانَ عَتَّابُ بْنُ وَرْقَاءَ عَلَى خَيْلِ مُصْعَبٍ فَهَرَبَ أَيْضًا وَلَجَأَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، وَجَعَلَ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَهُوَ وَاقِفٌ فِي الْقَلْبِ يُنْهِضُ أَصْحَابَ الرَّايَاتِ، وَيَحُثُّ الشُّجْعَانَ وَالْأَبْطَالَ أَنْ يَتَقَدَّمُوا إِلَى أَمَامِ الْقَوْمِ، فَلَا يَتَحَرَّكُ أَحَدٌ، فَجَعَلَ يَقُولُ: يَا إِبْرَاهِيمُ وَلَا إِبْرَاهِيمَ لِي الْيَوْمَ! وَتَفَاقَمَ الْأَمْرُ، وَاشْتَدَّ الْقِتَالُ وَتَخَاذَلَتِ الرِّجَالُ، وَضَاقَ الْحَالُ، وَكَثُرَ النِّزَالُ.
قَالَ الْمَدَائِنِيُّ: عَنْ يَحْيَى بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ الْمُهَاجِرِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: أَرْسَلَ عَبْدُ الْمَلِكِ أَخَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ مَرْوَانَ إِلَى مُصْعَبٍ يُعْطِيهِ الْأَمَانَ فَأَبَى، وَقَالَ: إِنَّ مِثْلِي لَا يَنْصَرِفُ عَنْ هَذَا الْمَوْضِعِ إِلَّا غَالِبًا أَوْ مَغْلُوبًا.
قَالُوا: فَنَادَى مُحَمَّدُ بْنُ مَرْوَانَ عِيسَى بْنَ مُصْعَبٍ فَقَالَ: يَابْنَ أَخِي، لَا تَقْتُلْ نَفْسَكَ، لَكَ الْأَمَانُ. فَقَالَ لَهُ مُصْعَبٌ: قَدْ آمَنَكَ عَمُّكَ فَامْضِ إِلَيْهِ. فَقَالَ: لَا تَتَحَدَّثُ نِسَاءُ قُرَيْشٍ أَنِّي أَسْلَمْتُكَ لِلْقَتْلِ. فَقَالَ لَهُ: يَا بُنَيَّ، فَارْكَبْ خَيْلَ السَّبْقِ فَالْحَقْ بِعَمِّكَ، فَأَخْبِرْهُ بِمَا صَنَعَ أَهْلُ الْعِرَاقِ فَإِنِّي مَقْتُولٌ هَاهُنَا، فَقَالَ: وَاللَّهِ إِنِّي لَا أُخْبِرُ عَنْكَ أَحَدًا أَبَدًا، وَلَا أُخْبِرُ نِسَاءَ قُرَيْشٍ بِمَصْرَعِكَ أَبَدًا، وَلَا أُقْتَلُ إِلَّا مَعَكَ، وَلَكِنْ إِنْ شِئْتَ رَكِبْتَ خَيْلَكَ، وَسِرْنَا إِلَى الْبَصْرَةِ، فَإِنَّهُمْ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৭০৩০
الْجَمَاعَةِ. فَقَالَ مُصْعَبٌ: لَا وَاللَّهِ، مَا الْفِرَارُ لِي بِعَادَةٍ، وَلَكِنْ أُقَاتِلُ، فَإِنْ قُتِلْتُ فَمَا السَّيْفُ لِي بِعَارٍ، وَاللَّهِ لَا تَتَحَدَّثُ قُرَيْشٌ عَنِّي أَنِّي فَرَرْتُ مِنَ الْقِتَالِ. ثُمَّ قَالَ لِابْنِهِ: تَقَدَّمْ بَيْنَ يَدَيَّ حَتَّى أَحْتَسِبَكَ. فَتَقَدَّمَ ابْنُهُ، فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، وَأُثْخِنَ مُصْعَبٌ بِالرَّمْيِ، فَنَظَرَ إِلَيْهِ زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ، وَهُوَ كَذَلِكَ فَحَمَلُ عَلَيْهِ فَطَعَنَهُ، وَهُوَ يَقُولُ: يَا ثَارَاتِ الْمُخْتَارِ! فَصَرَعَهُ، وَنَزَلَ إِلَيْهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادِ بْنِ ظَبْيَانَ التَّمِيمِيُّ، فَقَتَلَهُ وَحَزَّ رَأْسَهُ، وَأَتَى بِهِ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ، فَسَجَدَ عَبْدُ الْمَلِكِ، وَأَطْلَقَ لَهُ أَلْفَ دِينَارٍ فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَهَا، وَقَالَ: لَمْ أَقْتُلْهُ عَلَى طَاعَتِكَ، وَلَكِنْ بِثَأْرٍ كَانَ لِي عِنْدَهُ، وَكَانَ قَدْ وَلِيَ لَهُ عَمَلًا قَبْلَ ذَلِكَ فَعَزَلَهُ عَنْهُ وَأَهَانَهُ.
قَالُوا: وَلَمَّا وُضِعَ رَأْسُ مُصْعَبٍ بَيْنَ يَدَيْ عَبْدِ الْمَلِكِ، قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: لَقَدْ كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ مُصْعَبٍ صُحْبَةٌ قَدِيمَةٌ، وَكَانَ مِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَيَّ، وَلَكِنَّ هَذَا الْمَلِكَ عَقِيمٌ.
وَقَالَ: لَمَّا تَفَرَّقَ عَنْ مُصْعَبٍ جُمُوعُهُ قَالَ لَهُ ابْنُهُ عِيسَى: لَوِ اعْتَصَمْتَ بِبَعْضِ الْقِلَاعِ، وَكَاتَبْتَ مَنْ بَعُدُ عَنْكَ مِثْلَ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ وَغَيْرِهِ فَقَدِمُوا عَلَيْكَ، فَإِذَا اجْتَمَعَ لَكَ مَا تُرِيدُ مِنْهُمْ لَقِيَتَ الْقَوْمَ ; فَإِنَّكَ قَدْ ضَعُفْتَ جِدًّا. فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ جَوَابًا. ثُمَّ ذَكَرَ مَا جَرَى لِلْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، وَكَيْفَ قُتِلَ كَرِيمًا، وَلَمْ يُلْقِ بِيَدِهِ، وَلَمْ يَجِدْ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ وَفَاءً. وَكَذَلِكَ أَبُوهُ وَأَخُوهُ، وَنَحْنُ مَا وَجَدْنَا لَهُمْ وَفَاءً.
ثُمَّ انْهَزَمَ أَصْحَابُهُ، وَبَقِيَ فِي قَلِيلٍ مِنْ خَوَاصِّهِ، وَمَالَ الْجَمِيعُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৭০৩১
(হাসান (রা)-এর ঘটনাও উল্লেখ করলেন এবং বললেন, আমরাও ইরাকীদের থেকে আনুগত্য
পেলাম না ৷ তারপর তার সঙ্গীর৷ পর্বুদস্ত হলেন ৷ শুধু কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি বেচে রইলেন ৷
৩ার৷ সকলে আব্দুল মালিক এর নিকট গিয়ে ভিড়ল ৷
আব্দুল মালিক মুসআবকে অত্যন্ত ভালবাসতেন ৷ খিলাফতের আগে তিনি তার বন্ধু ছিলেন ৷
তাই তিনি আপন ভাই ঘুহাম্মদকে বললেন, তুমি তার নিকট যাও ৷ গিয়ে তাকে নিরাপত্তা দিয়ে
অসে ৷ ’ মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান এসে মুসআবকে বললেন, আপনার চচোতো ভাই আপনাকে
আপনার জীবন, সন্তান, সম্পদ ও পরিজনের নিরাপত্তা প্রদান করেছেন ৷ কাজেই আপনি নগরী
ছেড়ে যেখানে ইচ্ছা চলে যেতে পারেন ৷ তিনি যদি এর ভিন্ন কিছু ইচ্ছা করতেন, তাহলে তা
ঘটে যেত ৷ তাই আপনাকে আপনার ব্যাপারে আল্লাহর শপথ দিচ্ছি (আপনি চলে যান) ৷’
জবাবে মুসাআব বললেন, সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়ে গেছে ৷ আমার পর্যায়ের মানুষ এই স্থান থেকে
বিজয়ী কিং বা পরাজিত না হয়ে ফিরে না ৷’
এরপরই যুসআব এর পুত্র ঈসা এগিয়ে নিয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন ৷ তখন মুহাম্মদ ইবন
মারওয়ান বললেন ভাতিজা ! নিজের জীবনটাকে ধ্বংস কর না ৷’ তারপর পুর্বের ঘটনা বর্ণনা
করলেন ৷ মুসআব যুদ্ধ করে নিহত হলেন ৷ আল্লাহ্ তার উপর রহমত বর্ষল্প করুন ৷ মুসআব-
এর পর তার দলের আরো যারা নিহত হলেন, বর্ণনাকারী তাদের কথাও উল্লেখ করেছেন ৷
যেমনটি পুর্বে আলোচিত হয়েছে ৷
বর্ণনাকারী বলেন, যখন মুসআব-এর মাথাটা আব্দুল মালিক এর সম্মুখে রাখা হল, তিনি
কেদে ফেললেন এবং বললেন, মুসআব ও আমার মাঝে তরবারি অনুপ্রবেশ করার আগে তার
প্রতি আমার এত তই হৃদ্যত৷ ছিল যে, আমি তাকে ছাড়া এক মুহুর্ত থাকতে পারতাম না ৷ কিন্তু
রাজতুটা হল কল্যাণশুন্য ৷ আমাদের মাঝে দীর্ঘদিন যাবত ভালবাসা ও মর্যাদাবােধ বিরাজ
করছিল ৷ নারীরা মুসআব-এর মত মানুষ কাব প্রসব করবে ?’
তারপর আব্দুল মালিক ইবন মারওয়ান মুসআব এর লাশটা লুকিয়ে রাখার নির্দেশ ৷প্রদান
করেন এবং তিনি নিজে তার পুত্র ও ইব্রাহীম ইবনুল আশ তার কৃফার সন্নিকটন্থ মাসকিন-এর
কবরস্থানে তাকে দাফন করেন ৷
মাদায়িনী বলেন, জুমহুর-এর অভিমত অনুসারে মুসআব ইবনুয যুবাইর-এর হত্যাকাণ্ড একাত্তর
হিজরীর জুমাদাল উলা কিংবা জুমাদাল আখিরার তেব তারিখ মঙ্গলবার সং ঘটিত হয় ৷
মাদায়িনী বলেন, বাহাত্তর হিজরী সনে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইতিহাসবিদপণ বলেছেন, যুসআবকে হত্যা করার পর আব্দুল মালিক কুফা চলে যান ৷
সেখানে তিনি নাখীলা নামক স্থানে অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ বিভিন্ন গোত্র ও আরবের নেতৃস্থানীয়
লোকজন দলে দলে তার নিকট আগমন করে ৷ তিনি বাগিতোপুর্ণ ও অলঙ্কারপুর্ণ ভাষায় তাদের
উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে শুরু করেন এবং আকর্ষণীয় উদ্ধৃতি ৩প্রদান করেন ৷ ইরাকীরা তার হাতে
বায়আত গ্রহণ করে ৷ তিনি লোকদের মাঝে দায়িতু বণ্টন করেন ৷ তিনি কুতন ইবন আব্দুল্লাহ
আল-হাবৃরীকে চল্লিশ দিনের জন্য কৃফার গভর্নর নিযুক্ত করেন ৷ তারপর তীকে বরখাস্ত করে
তার ভাই বিশর ইবন মারওয়ানকে কৃফার গভর্নর নিযুক্ত, করেন ৷ আব্দুল মালিক একদিন
কৃফার ভাষণ প্রদান করেন ৷ তাকে তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ্ ইবনুয যুবাইর যদি খলীফা হতেন,
যেমনটা তিনি ধারণা করেছেন, তাহলে তিনি বেরিয়ে এসে স্বয়ং সমবেদনা প্রকাশ করতেন
عَبْدِ الْمَلِكِ، وَقَدْ كَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ يُحِبُّ مُصْعَبًا حَبًّا شَدِيدًا، وَكَانَ خَلِيلًا لَهُ قَبْلَ الْخِلَافَةِ، فَقَالَ لِأَخِيهِ مُحَمَّدٍ: اذْهَبْ إِلَيْهِ فَآمِنْهُ، فَجَاءَهُ، فَقَالَ لَهُ: يَا مُصْعَبُ قَدْ آمَنُكَ ابْنُ عَمِّكَ عَلَى نَفْسِكَ وَوَلَدِكَ وَمَالِكَ وَأَهْلِكَ، فَاذْهَبْ حَيْثُ شِئْتَ مِنَ الْبِلَادِ، وَلَوْ أَرَادَ بِكَ غَيْرَ ذَلِكَ لَكَانَ، فَقَالَ مُصْعَبٌ: قُضِيَ الْأَمْرُ، إِنَّ مِثْلِي لَا يَنْصَرِفُ عَنْ مِثْلِ هَذَا الْمَوْقِفِ إِلَّا غَالِبًا أَوْ مَغْلُوبًا. فَتَقَدَّمَ ابْنُهُ عِيسَى فَقَاتَلَ، فَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مَرْوَانَ يَابْنَ أَخِي لَا تَقْتُلْ نَفْسَكَ. ثُمَّ ذَكَرَ مِنْ قَوْلِهِ مَا تَقَدَّمَ، ثُمَّ قَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، ثُمَّ ذَكَرَ مِنْ قَتْلِ أَبِيهِ بَعْدَهُ، كَمَا تَقَدَّمَ.
قَالَ: وَلَمَّا وُضِعَ رَأْسُ مُصْعَبٍ بَيْنَ يَدَيْ عَبْدِ الْمَلِكِ بَكَى وَقَالَ: وَاللَّهِ مَا كُنْتُ أَقْدِرُ أَنْ أَصْبِرَ عَلَيْهِ سَاعَةً وَاحِدَةً مِنْ حُبِّي لَهُ حَتَّى دَخَلَ السَّيْفُ بَيْنَنَا، وَلَكِنَّ الْمُلْكَ عَقِيمٌ! وَلَقَدْ كَانَتِ الْمَحَبَّةُ وَالْحُرْمَةُ بَيْنَنَا قَدِيمَةً، مَتَى تَلِدُ النِّسَاءُ مِثْلَ مُصْعَبٍ؟ ثُمَّ أَمَرَ بِمُوَارَاتِهِ، وَدَفَنَهُ هُوَ وَابْنَهُ وَإِبْرَاهِيمَ بْنَ الْأَشْتَرِ فِي قُبُورٍ بِمَسْكِنٍ بِالْقُرْبِ مِنَ الْكُوفَةِ.
قَالَ الْمَدَائِنِيُّ: وَكَانَ مَقْتَلُ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ الثَّالِثَ عَشَرَ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى أَوِ الْآخِرَةِ مِنْ سَنَةِ إِحْدَى وَسَبْعِينَ فِي قَوْلِ الْجُمْهُورِ، وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ: سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالُوا: وَلَمَّا قَتَلَ عَبْدُ الْمَلِكِ مُصْعَبًا ارْتَحَلَ إِلَى الْكُوفَةِ فَنَزَلَ النُّخَيْلَةَ فَوَفَدَتْ عَلَيْهِ الْوُفُودُ بِهَا مِنْ رُؤَسَاءِ الْقَبَائِلِ وَسَادَاتِ الْعَرَبِ، وَجَعَلَ يُخَاطِبُهُمْ بِفَصَاحَةٍ
পৃষ্ঠা - ৭০৩২
এবং লেজ গুটিয়ে হোরম শরীফে বসে থাকতে ন না ৷ তিনি আরো বলেন, আমি আমার ভাই
বিশর ইবন মা রওয়ানকে আপনাদের শাসনকর্তা নিয়োগ করেছি এবং৩ তা ৷কে অনুগত লোকদের
সঙ্গে সদর আচরণ এবং অবাধ্য লোকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করার নির্দেশ প্রদান করেছি ৷
অতএব, আপনারা তার কথা শুনবেন ও তাকে মান্য করবেন ৷
পক্ষাতরে বসরাবাসীদের অবস্থা হল, তাদের নিকট যখন মুসআবশ্এর হত্যাকাণ্ডের সংবাদ
পৌছল, তখন আবান ইবন আফফান ও উবাইদুল্লাহ্ ইবন আবু বকর সেখানকার ক্ষমতা
নিয়ে দ্বন্দে লিপ্ত হলেন ৷ শেষ পর্যন্ত আবান জয়ী হলেন ৷ এবার বসরার মানুষ তীর হাতে
বায়আত গ্রহণ করল ৷ এভাবে তিনি দুজনের মধ্যে মর্যাদাবাদ প্রমাণিত হলেন ৷ জনৈক
বেদুইন বলেছে, আল্লাহর শপথ ! আমি একদিন দেখলাম যে, একদিন আবানএর র্কাধ
থেকে তার চাদরট৷ সরে গেছে আর অমনি মারওয়ান ও সাইদ ইবনুল আস ছুটে এসে কার
আগে যে সেটি তার দুই কাধের উপর সমান করে দেবেন, তার প্রতিযোগিতায়, লেগে
গেলেন ৷
আরেক ব্যক্তি বলেছেন, একদিন আবান তার পা ছড়িয়ে দিলেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে মুআবিয়া ও
আব্দুল্লাহ্ ইবন আমির দৌড়ে এসে কে কার আগে তীর পা টিপবেন, তার প্রতিযোগিতায় লেগে
গেলেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এই পরিস্থিতিতে আব্দুল মালিক খালিদ ইবন আব্দুল্লাহ্ ইবন খালিদ ইবন
উসাইদকে বসরার গভর্নর নিযুক্ত করে প্রেরণ করেন ৷ খালিদ ইবন আব্দুল্লাহ্ আবান-এর নিকট
থেকে বসরার ক্ষমতা ছিনিয়ে নেন এবং তাকে বরখাস্ত করে আব্দুল্লাহ ইবন আবু বাকরাকে
সেখানকার নায়েব নিযুক্ত করেন ৷
ইতিহাসবিদগণ বলেছেন, আব্দুল মালিক বিপুল ভোজের আয়োজনের নির্দেশ দেন ৷-
কুফাবাসীদের জন্য ভোজের আয়োজন করা হয় ৷ কুফাবাসী আব্দুল মালিক-এর দস্তারখান
থেকে আহার করে ৷ সেদিন আমর ইবন হুরাইছ তার সঙ্গে সিংহাসনে বসা ছিলেন ৷ আব্দুল
মালিক তাকে বললেন, বস্তু সামগ্রীগুলাে যদি অপরিবর্তনীয় হত, তাহলে আমাদের জীবনটা
কতইন৷ মজাদার হত কিন্তু যেমনটি আউয়াল বলেছেন,
গােন উমাইম৷ ! সব নতুন জিনিসই পুরা৩ ন হওয়ার দিকে ধাবিত হয় ৷ সব মানুষই
একদিন যেঅন সে ছিল এমন অবস্থায় উপনীত হবে ৷
লোকজন আহার শেষ করার পর আব্দুল মালিক উঠে প্রাসাদে ঘোরাফেরা করতে শুরু করলেন
এবং আমর ইবন হুরাইছ তাকে প্রাসাদের অবস্থা এবং ভবন ও গৃহসমুহের নির্মাতা সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করতে শুরু করেন ৷৩ তারপর আব্দুল মালিক তার শয়ন ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েন ৷ তখন
তিনি বলছিলেন,
তুমি ধীরস্থি র কাজ করে যাও ৷ কেননা, তুমি তো মরণশীল ৷ আর নিজের জন্য পরিশ্রম
কর হে মানুষ ৷ অতীত ৩হয়ে যাওয়ার পর যা ছিল তা যেন এমন হয়ে যায় যে, তা ছিলই, না ৷
আর যা হৰার তা যেন আগেই ছিল ৷
وَبَلَاغَةٍ وَاسْتِشْهَادٍ بِأَشْعَارٍ حَسَنَةٍ، وَبَايَعَهُ أَهْلُ الْعِرَاقِ وَفَرَّقَ الْعِمَالَاتِ فِي النَّاسِ، وَوَلَّى الْكُوفَةَ قَطَنَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْحَارِثِيَّ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، ثُمَّ عَزَلَهُ وَوَلَّى أَخَاهُ بِشْرَ بْنَ مَرْوَانَ عَلَيْهَا، وَخَطَبَ عَبْدُ الْمَلِكِ يَوْمًا بِالْكُوفَةِ فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ لَوْ كَانَ خَلِيفَةً كَمَا يَزْعُمُ لَخَرَجَ فَآسَى بِنَفْسِهِ، وَلَمْ يَغْرِزْ ذَنْبَهُ فِي الْحَرَمِ. ثُمَّ قَالَ لَهُمْ: إِنِّي قَدِ اسْتَخْلَفْتُ عَلَيْكُمْ أَخِي بِشْرَ بْنَ مَرْوَانَ وَأَمَرْتُهُ بِالْإِحْسَانِ إِلَى أَهْلِ الطَّاعَةِ، وَبِالشِّدَّةِ عَلَى أَهْلِ الْمَعْصِيَةِ، فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا.
وَأَمَّا أَهْلُ الْبَصْرَةِ فَإِنَّهُمْ لَمَّا بَلَغَهُمْ مَقْتَلُ مُصْعَبٍ تَنَازَعَ فِي إِمَارَتِهَا حُمْرَانُ بْنُ أَبَانٍ مَوْلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، فَغَلَبَهُ حُمْرَانُ بْنُ أَبَانٍ عَلَيْهَا فَبَايَعَهُ أَهْلُهَا فَكَانَ أَشْرَفَ الرَّجُلَيْنِ. قَالَ أَعْرَابِيٌّ: وَاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُ رِدَاءَ ابْنِ أَبَانٍ مَالَ عَنْ عَاتِقِهِ يَوْمًا، فَابْتَدَرَهُ مَرْوَانُ، وَسَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ أَيُّهُمَا يُسَوِّيهِ عَلَى مَنْكِبَيْهِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: مَدَّ حُمْرَانُ يَوْمًا رِجْلَهُ فَابْتَدَرَ مُعَاوِيَةُ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ أَيُّهُمَا يَغْمِزُهَا. قَالَ: فَبَعَثَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ
পৃষ্ঠা - ৭০৩৩
خَالِدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدِ بْنِ أُسَيْدٍ وَالِيًا عَلَيْهَا - يَعْنِي عَلَى الْبَصْرَةِ - فَأَخَذَهَا مِنْ حُمْرَانَ بْنِ أَبَانٍ وَاسْتَنَابَ فِيهَا عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي بَكْرَةَ، وَعَزَلَ حُمْرَانَ بْنَ أَبَانٍ عَنْهَا.
قَالُوا: وَقَدْ أَمَرَ عَبْدُ الْمَلِكِ بِطَعَامٍ كَثِيرٍ فَعُمِلَ لِأَهْلِ الْكُوفَةِ فَأَكَلُوا مِنْ سِمَاطِهِ، وَمَعَهُ يَوْمَئِذٍ عَلَى السَّرِيرِ عَمْرُو بْنُ حُرَيْثٍ، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ: مَا أَلَذَّ عَيْشَنَا لَوْ أَنَّ شَيْئًا يَدُومُ، وَلَكِنْ نَحْنُ كَمَا قَالَ الْأَوَّلُ:
وَكُلُّ جَدِيدٍ يَا أُمَيْمَ إِلَى بِلًى ... وَكُلُّ امْرِئٍ يَوْمًا يَصِيرُ إِلَى كَانْ
فَلَمَّا فَرَغَ النَّاسُ مِنَ الطَّعَامِ نَهَضَ فَدَارَ فِي الْقَصْرِ، وَجَعَلَ يَسْأَلُ عَمْرَو بْنَ حُرَيْثٍ عَنْ أَحْوَالِ الْقَصْرِ وَمَنْ بَنَى أَمَاكِنَهُ وَبُيُوتَهُ، فَيُخْبِرُهُ، ثُمَّ جَاءَ إِلَى مَجْلِسِهِ فَاسْتَلْقَى وَهُوَ يَقُولُ:
اعْمَلْ عَلَى مَهَلٍ فَإِنَّكَ مَيِّتٌ ... وَاكَدَحْ لِنَفْسِكَ أَيُّهَا الْإِنْسَانْ
فَكَأَنَّ مَا قَدْ كَانَ لَمْ يَكُ إِذْ مَضَى ... وَكَأَنَّ مَا هُوَ كَائِنٌ قَدْ كَانْ
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَفِيهَا رَجَعَ عَبْدُ الْمَلِكِ - فِيمَا زَعَمَ الْوَاقِدِيُّ - إِلَى الشَّامِ.
পৃষ্ঠা - ৭০৩৪
ইবন জারীর বলেন, এ বছর আব্দুল ম৷ ৷লিক সিরিয়া ফিরে যান ৷ যেমনটি ওয়াকিদীর ধারণা ৷
এ বছর ইবনুয যুবইির জ বিব ইবনুল আসওয়াদকে মদীনা ৷থেকে বরখাস্ত করে তার স্থলে
তাল্হা ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আউফকে নিয়োগ দান করেন ৷
আর আব্দুল মালিক এর পক্ষ থেকে উসমান (রা) এর গোলাম তারিক ইবন আমর এর
আগমন পর্যন্ত ইনি ই ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবইির কর্তৃক নিযুক্ত মদীনায় সর্বশেষ গভর্নর ৷
এ বছর আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবইির ৫লাক্হ্দঃবুরু নিয়ে হজ্জ পরিচালনা করেন এবং তীর
ইরাকের শাসনক্ষমতার বিলুপ্তি ঘটে ৷ ওয়াকিদী বলেন, এ বছর মিশরের নায়েব আব্দুল আযীয
ন্ ইবন মারওয়ান হাসৃসান আল-আনীকে আফ্রিকা যুদ্ধের সেনা অধিনায়ক নিযুক্ত করেন ৷ তিনি
বিপুল সংখ্যক সৈন্য নিয়ে আফ্রিকা অভিমুখে রওয়ানা হয়ে যান এবংকারতাজিনা জয় করেন ৷
কারতাজিনার অধিবাসীগণ ছিল রোমান মুর্তিপুজক ৷ এ বছর নাজদা আল-হারুরী (খারেজী)
যিনি ইয়ামামার উপর আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন, নিহত হন ৷ এ বছুর আব্দুল্লাহ্ ইবন ছাওর
ইয়ামামায় বিদ্রোহ ঘোষণা করে ৷
মুস্আব ইব্ৰুয যুবইির-এর জীবনইচরিত
তার নাম মুসআব ইবনুয যুবইির ইবনুল আওয়াম ইবন খুয়াইলিদ ইবন আসাদ ইবন
আব্দুল উয্যা ইবন কুসাই ইবন কিশাব আবু আব্দুল্লাহ্ আল কুরাশী ৷ তাকে আবুঈসা আল-
আসাদীও বলা হয় ৷৩ তার মা হলেন কিরম৷ ৷ন বিনৃত আনীফ আ ৷ল-কালবিয়্যা ৷
তিনি সবচাইতে সুশ্রী, সাহসী ও দানশীল ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি উমর ইবনুল খাত্তাব, আপন
পিতা যুবইির, সাদ ও আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আর তার থেকে
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ হাকাম ইবন উয়া ইনা; আমর ইবন দীনারআল-জুমাহী ও ইসমাঈল
ইবন আবু খালিদ ৷ তিনি একবার হযরত মুআবিয়া (রা) এর নিকট গমন করেছিলেন ৷ হযরত
আবু হ্বায়রা (রা) এর সঙ্গে যারা উঠাবসা করতে ন, তিনি তাদের একজন ছিলেন ৷ তিনি
সবচাইতে সুদর্শন মানুষ ছিলেন ৷ যুবইির ইবন বাক্কার ঘটনা বর্ণনা করেন, জনৈক সুশ্রী ব্যক্তি
মুসআবকে দেখতে পায় ৷ তখন তিনি আরাফায় দওায়মান ছিলেন ৷ লোকটিবলল, ওখানে
এমন এক যুবক রয়েছে, তুমি তাকে ভেড়া-বকরীর বোয়াড় থেকে দেখ ৷ আমি তা অপছন্দ
করি ৷ শাবী বলেন, আমি মিম্বরে মুসআব অপেক্ষা অধিক সুশ্ৰী অন্য কাউকে কখনো দেখি নি ৷
ইসমাঈল ইবন খালিদও অনুরুপ বলেছেন ৷
হাসান বলেন, মুসআব হলেন বসরার অধিবাসীদের সর্বাপেক্ষা সুশ্ৰী মানুষ ৷ খতীর আল-
বাপদাদী বলেন, তিনি তার ভাই আব্দুল্লাহ-এর পক্ষ থােক ইরাকীদের শাসনকর্তা নিযুক্ত হন ৷
ণ্,;তার পর আব্দুল মালিক মাসকিন নামক স্থানে৩ তাকে হত্যা করেন ৷ জায়গাটা দায়রুল
জাদুলীকের নিকট দাজীলনদীর তীরে আওয়ানার সন্নিকটে অবস্থিত ৷ যে স্থানে তার কবর
ৰুৰুএখন পর্যন্ত সকলের নিকট সমধিক পরিচিত ৷ আমরা মুসআব কর্তৃক মুখ৩ তার ইবন আবু
;উবাইদকে হত্যা করার বিবরণ আলোচনা করেছি ৷ এ কথাও উল্লেখ করেছি যে, এক সকালে
মুখতার এর সাত হাজার সঙ্গীকে হত্যা করেছিলেন ৷ ন্ ,
ওয়াকিদী বলেন, ঘুস আর যখন মুখতারকে হত্যা করেন তখন প্রাসাদের মুখতার
সহচরগণ মুসআব-এর নিকট নিরাপত্তার আবেদন জানায় ৷ মুসআব তাদেরকে নিরাপত্তা প্রদান
قَالَ: وَفِيهَا عَزَلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ جَابِرَ بْنَ الْأَسْوَدِ عَنِ الْمَدِينَةِ، وَوَلَّى عَلَيْهَا طَلْحَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْفٍ، وَكَانَ هُوَ آخِرَ أُمَرَائِهِ عَلَيْهَا، حَتَّى قَدِمَ عَلَيْهَا طَارِقُ بْنُ عَمْرٍو مَوْلَى عُثْمَانَ، مِنْ جِهَةِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ.
وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَلَمْ يَبْقَ لَهُ وِلَايَةٌ عَلَى الْعِرَاقِ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِيهَا عَقَدَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ نَائِبُ مِصْرَ لِحَسَّانَ الْغَسَّانِيِّ عَلَى غَزْوِ إِفْرِيقِيَّةَ، فَسَارَ إِلَيْهَا فِي عَدَدٍ كَثِيرٍ، فَافْتَتَحَ قَرْطَاجَنَّةَ وَكَانَ أَهْلُهَا رُومًا عُبَّادَ أَصْنَامٍ.
وَفِيهَا قُتِلَ نَجْدَةُ الْحَرُورِيُّ الَّذِي تَغَلَّبَ عَلَى الْيَمَامَةَ، وَفِيهَا خَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَوْرٍ فِي الْيَمَامَةِ.
وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ رَحِمَهُ اللَّهُ
وَهُوَ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ بْنِ خُوَيْلِدِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قَصَيِّ بْنِ كِلَابٍ، أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْقُرَشِيُّ - وَيُقَالُ لَهُ: أَبُو عِيسَى أَيْضًا - الْأَسَدِيُّ. وَأَمُّهُ
পৃষ্ঠা - ৭০৩৫
الرَّبَابُ بِنْتُ أُنَيْفٍ الْكَلْبِيَّةُ. كَانَ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ وَجْهًا، وَأَشْجَعِهِمْ قَلْبًا، وَأَسْخَاهُمْ كَفًّا.
وَقَدْ حَكَى عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَرَوَى عَنْ أَبِيهِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ، وَسَعْدٍ، وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَرَوَى عَنْهُ الْحَكَمُ بْنُ عُتَيْبَةَ، وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ الْجُمَحِيُّ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، وَوَفَدَ عَلَى مُعَاوِيَةَ، وَكَانَ مِمَّنْ يُجَالِسُ أَبَا هُرَيْرَةَ، وَكَانَ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ وَجْهًا.
حَكَى الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ أَنَّ جَمِيلًا نَظَرَ إِلَيْهِ وَهُوَ وَاقِفٌ بِعَرَفَةَ، فَقَالَ: إِنَّ هَاهُنَا فَتًى أَكْرَهُ أَنْ تَرَاهُ بُثَيْنَةُ. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ: مَا رَأَيْتُ أَمِيرًا قَطُّ عَلَى مِنْبَرٍ أَحْسَنَ مِنْهُ. وَكَذَا قَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ. وَقَالَ الْحَسَنُ: هُوَ أَجْمَلُ أَهْلِ الْبَصْرَةِ.
وَقَالَ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ: وَلِيَ إِمْرَةَ الْعِرَاقَيْنِ لِأَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، حَتَّى قَتَلَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ بِمَسْكِنٍ فِي مَوْضِعٍ قَرِيبٍ مِنْ أَوَانَا عَلَى نَهْرِ دُجَيْلٍ عِنْدَ دَيْرِ الْجَاثَلِيقِ، وَقَبْرُهُ إِلَى الْآنِ مَعْرُوفٌ هُنَاكَ. وَقَدْ ذَكَرْنَا صِفَةَ قَتْلِهِ الْمُخْتَارَ بْنَ أَبِي عُبَيْدٍ، وَأَنَّهُ قَتَلَ فِي غَدَاةٍ وَاحِدَةٍ مِنْ أَصْحَابِ الْمُخْتَارِ سَبْعَةَ
পৃষ্ঠা - ৭০৩৬
করেন ৷ পরে তিনি তাদের নিকট আব্বাদ ইবনুল হুসাইনকে প্রেরণ করেন ৷ আব্বাদ তাদেরকে
সদলবলেবের করে দিতে শুরু করেন ৷ ফলে এক ব্যক্তি তাকে বলল, সকল প্রশং না সেই
আল্লাহর যিনি আপনাদেরকে আমাদের উপর জয়ী করেছেন এবং আমাদের বন্দিতৃ দ্বারা
পরীক্ষা করেছেন ৷ হে যুবাইর পুত্র ! যে ব্যক্তি ক্ষমা করে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন ৷ আর যে
শাস্তি প্রদান করে, সে কিসাস থেকে নিরাপদ থাকে না ৷ আমরা আপনাদের-ই কিবলার
অনুসারী এবং আপনাদেরই ধর্মের লোক ৷ আপনি এখন শক্তিধর ৷ কাজেই আমাদেরকে ক্ষমা
করে দিন ৷ ন্
বর্ণনাকারী বলেন, এতে মুসআব তাদের প্রতি সদর হয়ে পড়েন এবং তাদের পথ মুক্ত
করে দেয়ার মনস্থ করেন ৷ কিন্তু আব্দুর রহমান ইবন মুহাম্মদ ইবনুল আশআছ এবং প্রতি
গোত্রের অনেকে দাড়িয়ে বলে উঠলেন, তারা আমাদের সন্তান ও আপনজনদের হত্যা করেছে
এবং আমাদের অনেক লোককে আহত করেছে ৷ এখন আপনি হয় আমাদের গ্রহণ , করুন,
নতুবা তাদেরকে ৷ ফলে মুসআব তখনই তাদেরকে হত্যা করার আদেশ প্রদান করেন ৷ তারা
সকলে একসঙ্গে চীৎকার করে উঠল, আমাদেরকে খুন করবেন না ৷ আপনি আব্দুল মালিক ইবন
মারওয়ান বিরোধী যুদ্ধে আমাদেরকে আপনার অপ্রবাহিনীতে ব্যবহার করুন ৷ যদি আমরা
সফলকাম হই, তা হবে আপনাদেরই ৷ আর যদি নিহত হই,৩ আর আমরা তাদের উল্লেখযোগ্য
ৎখাক লোককে হত্যান্ না করে নিহত হয় না ৷ আর এটাই ৫ ত৷ আপনার লক্ষ্য ৷ কিন্তু মুসআব
তাদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন ৷ তখন ঘুসাকির তাকে বললেন, আল্লাহ্কে ভয় করুন
হে মুসআব ! কেননা মহান আল্লাহ্ আপনাকে জীবনের বিনিময় ছাড়া কোন মুসলিম ব্যক্তিকে
হত্যা না করার আদেশ প্রদান করেছেন ৷ আল্লাহ্ বলেছেন
’
কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মু মিনকে হত্যা করলে, তার শান্তি জাহান্নাম ৷ সৈখানে সে স্থায়ী
হবে এবং আল্লাহ তার প্রতি রুষ্ট হবেন, তাকে লা নত করবেন এবং তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত
রাখবেন ৷ (৪৪ ৯৩)
কিন্তু মুসআব তার উপদেশ শুনলেন না ৷ বরং তিনি তাদের সকলের গর্দান উড়িয়ে দেয়ার
নির্দেশ প্রদান করেন ৷৩ তারা ছিল সাত হাজার ব্যক্তি ৷
মুসআব তারপর ইবনুল আশ৩ার এর নিকট পত্র লিখলেন যে, আপনি আমার আহবানে
সাড়া দিন ৷ আপনার জন্য রয়েছে সিরিয়া ও ঘোড়ার লাগান ৷ ফলে ইবনুল আশতার মুসআব-
এর নিকট চলে যান ৷
কেউ কেউ বলেন, মুসআব যখন মক্কায় আগমন করেন, তখন তিনি আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর
(রা) এর নিকট এসে বললেন, চাচাজান ৷ আমি আপনার কাছে সেই লোকদের সম্পর্কে
জানতে চইি, যারা আনুগত্য৩ ত্যাগ করে যুদ্ধ করেছিল এবং পরাজিত ও দুর্গবদ্ধ হয়ে নিরাপত্তা
প্রার্থনা করেছিল ৷ তাদেরকে নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছিল ৷ কিন্তু পরে তাদেরকে হত্যা করা
হয়েছিল ৷ ইবন উমর (রা) বললেন, কতজন ছিল ? মুসআব বললেন, পাচ হাজার ৷ তা শুনে
ইবন উমর সুবহানাল্লাহ্ ও ইন্নালিল্লাহ্ পাঠ করলেন এবং বললেন, আচ্ছা, কেউ যদি যুবাইর-
এর পশুপালে এসে তারভ্রুথেকে এক সকালেই পাচ হাজার গবাদি জবাই করে ফেলে, তাহলে
€মাো
آلَافٍ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: لَمَّا قَتَلَ مُصْعَبٌ الْمُخْتَارَ طَلَبَ أَهْلُ الْقَصْرِ مِنْ أَصْحَابِ الْمُخْتَارِ مِنْ مُصْعَبٍ الْأَمَانَ فَأَمَّنَهُمْ، ثُمَّ بَعَثَ إِلَيْهِمْ عَبَّادَ بْنَ الْحُصَيْنِ فَجَعَلَ يُخْرِجُهُمْ مُلْتَفِّينَ، فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي نَصَرَكُمْ عَلَيْنَا، وَابْتَلَانَا بِالْأَسْرِ، يَابْنَ الزُّبَيْرِ مَنْ عَفَا عَفَا اللَّهُ عَنْهُ، وَمَنْ عَاقَبَ لَا يَأْمَنُ الْقِصَاصَ، نَحْنُ أَهْلُ قِبْلَتِكُمْ وَعَلَى مِلَّتِكُمْ وَقَدْ قَدَرْتَ فَاسْمَحْ وَاعْفُ عَنَّا. قَالَ: فَرَقَّ لَهُمْ مُصْعَبٌ وَأَرَادَ أَنْ يُخْلِيَ سَبِيلَهُمْ، فَقَامَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْأَشْعَثِ وَغَيْرُهُ مِنْ كُلِّ قَبِيلَةٍ، فَقَالُوا: قَدْ قَتَلُوا أَوْلَادَنَا وَعَشَائِرَنَا، وَجَرَحُوا مِنَّا خَلْقًا، اخْتَرْنَا أَوِ اخْتَرْهُمْ. فَأَمَرَ حِينَئِذٍ بِقَتْلِهِمْ، فَنَادَوْا بِأَجْمَعِهِمْ: لَا تَقْتُلْنَا وَاجْعَلْنَا مُقَدِّمَتَكَ فِي قِتَالِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، فَإِنْ ظَفَرْنَا فَلَكُمْ، وَإِنْ قُتِلْنَا لَا نُقْتَلُ حَتَّى نَقْتُلَ مِنْهُمْ طَائِفَةً وَكَانَ الَّذِي تُرِيدُ. فَأَبَى ذَلِكَ مُصْعَبٌ، فَقَالَ لَهُ مُسَافِرٌ: اتَّقِ اللَّهَ يَا مُصْعَبٌ، فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَمَرَكَ أَنْ لَا تَقْتُلَ نَفْسًا مُسْلِمَةً بِغَيْرِ نَفْسٍ، وَإِنَّ: {مَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا وَغَضِبَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُ وَأَعَدَّ لَهُ عَذَابًا عَظِيمًا} [النساء: 93] (النِّسَاءِ: 93) فَلَمْ يَسْمَعْ لَهُ، بَلْ أَمَرَ بِضَرْبِ أَعْنَاقِهِمْ جَمِيعِهِمْ، وَكَانُوا سَبْعَةَ آلَافِ نَفْسٍ، ثُمَّ كَتَبَ مُصْعَبٌ إِلَى ابْنِ الْأَشْتَرِ: إِنْ أَجَبْتَنِي فَلَكَ الشَّامُ، وَأَعِنَّةُ الْخَيْلِ. فَسَارَ ابْنُ الْأَشْتَرِ إِلَى مُصْعَبٍ. وَقِيلَ: إِنَّ مُصْعَبًا لَمَّا قَدِمَ مَكَّةَ أَتَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ فَقَالَ: أَيْ عَمِّ، إِنِّي أَسْأَلُكَ عَنْ قَوْمٍ خَلَعُوا الطَّاعَةَ، وَقَاتَلُوا حَتَّى إِذَا غُلِبُوا تَحَصَّنُوا، وَسَأَلُوا الْأَمَانَ فَأُعْطُوهُ، ثُمَّ قُتِلُوا بَعْدَ ذَلِكَ. فَقَالَ: وَكَمْ هُمْ؟ قَالَ: خَمْسَةُ
পৃষ্ঠা - ৭০৩৭
কি তুমি তাকে সীমালঙ্ঘনকারী আখ্যা দিয়ে না ? মুসআব বললেন, অবশ্যই ৷ ইবন উমর
বললেন, পশুর ক্ষেত্রে তুমি এ কাজটাকে সীমালঙ্ঘন মনে করবে, আর যে মানুষটির তওবার
আশা রাখতে পার তার ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন মনে করবে না কেন ? ভাতিজা ৷ ঠাণ্ডা পানি
য৩স্টুকু ঢালতে পার দুনিয়াতেই ঢেলে নাও ৷
তারপর মুসআব মুখতার এ-র মস্তকট৷ মক্কায় তার ভাইয়ের নিকট পাঠিয়ে দেন আর
নিজে ইরাকে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেন ৷ সেখানে তিনি বিভিন্ন অঞ্চলে প্রশাসক নিয়োগ
করেন ৷ ইবন আশতার তার প্রিয়ভাজন বলে স্বীকৃত হলেন ৷ তিনি তাকে দুত নিযুক্ত
করলেন ৷ তারপর মুসআব মক্কায় তার ভাইয়ের নিকট গিয়ে তাকে নিজের তৎপরতা
সম্পর্কে অবহিত করেন ৷ তিনি যা করেছেন, ভাই তার প্ৰতি স্বীকৃতি প্রদান করলেন ৷ কিন্তু
ইবনুল আশতার তার দায়িত্ব পালন করবেন না ৷ তিনি মুসআবকে বললেন, আপনি কি
দেখছেন না যে, আমি আশতারকে ভালবাসি তিনি ই তে ৷ আমাকে এই ক্ষতে ক্ষত
বিক্ষত করেছেন ৷
তারপর তিনি যুসআবএর সঙ্গে আসা ইরাকীদেরকে তলব করে বললেন, আল্লাহ্র শপথ ৷
আমার কামনা আমি যদি তোমাদের প্ৰতি দু’জনের পরিবর্তে সিরিয়ার একজন করে লোক
পেতাম ৷’ শুনে বসরার কাজী আবু হাজিব আল-আসাদী বললেন,“ আপনাদের ও আমাদের জন্য
একটি দৃষ্টান্ত আছে হে আমীরুল মু’মিনীন ! তা হল আশার পঙ্ক্তি-
ব্লুদ্বু
আমি তাকে (আমার প্রিয়াকে) ভালবাসা দিলাম ৷ আর সে ভালবাসল আমাকে বাদ দিয়ে
অন্য পুরুষকে ৷ আর লোকটি ভালবাসে তাকে বাদ দিয়ে অন্য নারীকে ৷ অন্য এক কবি
বলেন, ’
আমি পাগল হয়েছি লায়লার জন্য আর ও পাগল আমি ছাড়া অন্য পুরুষের জন্য ৷ আমার
জন্য পাগলপারা এমন এক নারী যাকে আমি কামনা করি না ৷ ’
আমরা ভালবেসেছি আপনাকে হে আমীরুল মু’মিনীন ! আপনি ভালবাসলেন সিরীয়দেরকে
আর তারা ভালবাসে মারওয়ানকে ৷ এখন আমরা কী কঃাব আপনিই বলুন ৷
শাবী বলেন, আমি এর চাইতে উত্তম জবাব আর শুনিনি ৷ অন্যরা বলেন, মুসআব প্রচন্ড
নারীপ্রেমী লোক ছিলেন ৷ এ ব্যাপারে তার অনেক ঘটনা আছে ৷ যেমন, বর্ণিত আছে, একদিন
হাজ্যরআসওয়াদের নিকট একদল লোকের সমাগম ঘটে ৷ তন্মধ্যে ইবন উমর (বা) এবং
মুসআব ইবনুয যুবইিরও ছিলেন ৷ র্তারা বললেন, আসুন আজ আমরা আল্লাহ্র নিকট যার যার
চাহিদা জানিয়ে দৃআ করি ৷ ফলে ইবন উমর (রা) মাগফিরাতের দুআ করলেন আর মুসআব
দুআ করলেন, যেন আল্লাহ্ র্তাকে সুকাইন বিনতৃল হুসইিন ও আয়েশা বিনত তালহাকে তার
শ্রী বানিয়ে দেন ৷ এরা দু’জন সেকালের সেরা সুন্দরী মহিলা ছিলেন ৷ তিনি আরেকটি দু’আ
করেন, যেন আল্লাহ্ তাকে ইরাকীদের শাসনক্ষমত৷ দান করেন ৷ আল্লাহ্ তাকে সেসবই দান
করেছিলেন ৷ তিনি আয়েশা বিনত তালহাকে বিয়ে করেন৷ তার মহর ছিল এক লাখ দীনার ৷
আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া ৭ ১
آلَافٍ. فَسَبَّحَ ابْنُ عُمَرَ وَاسْتَرْجَعَ، وَقَالَ: لَوْ أَنَّ رَجُلًا أَتَى مَاشِيَةَ الزُّبَيْرِ فَذَبَحَ مِنْهَا خَمْسَةَ آلَافِ مَاشِيَةٍ فِي غَدَاةٍ وَاحِدَةٍ أَلَسْتَ تَعُدُّهُ مُسْرِفًا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَفَتَرَاهُ إِسْرَافًا فِي الْبَهَائِمِ وَلَا تَرَاهُ إِسْرَافًا فِي مَنْ تَرْجُو تَوْبَتَهُ؟ ! يَابْنَ أَخِي أَصِبْ مِنَ الْمَاءِ الْبَارِدِ مَا اسْتَطَعْتَ فِي دُنْيَاكَ.
ثُمَّ إِنَّ مُصْعَبًا بَعَثَ بِرَأْسِ الْمُخْتَارِ إِلَى أَخِيهِ بِمَكَّةَ، وَتَمَكَّنَ مُصْعَبٌ فِي الْعِرَاقِ تَمَكُّنًا زَائِدًا، فَقَرَّرَ بِهَا الْوِلَايَاتِ وَالْعُمَّالَ، وَحَظِيَ عِنْدَهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ فَجَعَلَهُ عَلَى الْوِفَادَةِ، ثُمَّ رَحَلَ مُصْعَبٌ إِلَى أَخِيهِ بِمَكَّةَ فَأَعْلَمَهُ بِمَا فَعَلَ، فَأَقَرَّهُ عَلَى مَا صَنَعَ، إِلَّا إِبْرَاهِيمَ بْنَ الْأَشْتَرِ لَمْ يُمْضِ لَهُ مَا جَعَلَهُ عَلَيْهِ. فَقَالَ لَهُ: أَعَمَدْتَ إِلَى رَايَةٍ خَفَضَهَا اللَّهُ، تُرِيدُ أَنْ تَرْفَعَهَا؟ ثُمَّ كَشَفَ عَنْ ظَهْرِهِ فَإِذَا ضَرْبَةٌ قَدْ أَصَابَتْهُ، وَقَالَ لَهُ: أَتُرَانِي أُحِبُّ الْأَشْتَرَ وَهُوَ الَّذِي جَرَحَنِي هَذِهِ الْجِرَاحَةَ. ثُمَّ اسْتَدْعَى بِمَنْ قَدِمَ مَعَ مُصْعَبٍ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ فَقَالَ لَهُمْ: وَاللَّهِ لَوَدِدْتُ أَنَّ لِي بِكُلِّ رَجُلَيْنِ مِنْكُمْ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الشَّامِ. فَقَالَ لَهُ أَبُو حَاضِرٍ الْأَسَدِيُّ - وَكَانَ قَاضِيَ الْجَمَاعَةِ بِالْبَصْرَةِ -: إِنَّ لَنَا وَلَكُمْ مَثَلًا قَدْ مَضَى يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَهُوَ مَا قَالَ الْأَعْشَى:
عُلِّقْتُهَا عَرَضًا وَعُلِّقَتْ رَجُلًا ... غَيْرِي وَعُلِّقَ أُخْرَى غَيْرَهَا الرَّجُلُ
قُلْتُ كَمَا قِيلَ أَيْضًا:
جُنِنَّا بِلَيْلَى وَهِيَ جُنَّتْ بِغَيْرِنَا ... وَأُخْرَى بِنَا مَجْنُونَةٌ لَا نُرِيدُهَا
عُلِّقْنَاكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَعُلِّقْتَ أَهْلَ الشَّامِ، وَعُلِّقَ أَهْلُ الشَّامِ إِلَى مَرْوَانَ فَمَا عَسَيْنَا أَنْ نَصْنَعَ؟ قَالَ الشَّعْبِيُّ: فَمَا سَمِعْتُ جَوَابًا أَحْسَنَ مِنْهُ، وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ مُصْعَبٌ مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ مَحَبَّةً لِلنِّسَاءِ. وَقَدْ أَعْطَاهُ اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا كَثِيرًا، كَمَا رُوِيَ أَنَّهُ اجْتَمَعَ عِنْدَ الْحَجَرِ الْأَسْوَدِ جَمَاعَةٌ، فَقَالُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ: لِيَقُمْ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْكُمْ فَلْيَسْأَلْ عِنْدَ الْحَجَرِ الْأَسْوَدِ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا يُحِبُّهُ. فَقَامَ كُلٌّ يَسْأَلُ حَاجَتَهُ مِنْهُمْ، وَكَانَ مِنْهُمْ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ سَأَلَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يُزَوِّجَهُ سُكَيْنَةَ بِنْتَ الْحُسَيْنِ، وَعَائِشَةَ بِنْتَ طَلْحَةَ - وَكَانَتَا أَحْسَنَ النِّسَاءِ فِي ذَلِكَ الْعَصْرِ - وَأَنْ يُعْطِيَهُ اللَّهُ إِمْرَةَ الْعِرَاقَيْنِ. فَأَعْطَاهُ اللَّهُ ذَلِكَ كُلَّهُ؛ تَزَوُّجَ بِعَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، وَكَانَ صَدَاقُهَا مِائَةَ أَلْفِ دِينَارٍ، وَكَانَتْ بَاهِرَةَ الْجَمَالِ جِدًّا، وَكَانَ مُصْعَبٌ أَيْضًا جَمِيلًا جِدًّا، وَكَذَلِكَ بَقِيَّةُ زَوْجَاتِهِ. قَالَ الْأَصْمَعِيُّ، عَنْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: اجْتَمَعَ فِي الْحِجْرِ
পৃষ্ঠা - ৭০৩৮
مُصْعَبٌ، وَعُرْوَةُ، وَعَبْدُ اللَّهِ، بَنُو الزُّبَيْرِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، فَقَالُوا: تَمَنَّوْا، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ: أَمَّا أَنَا فَأَتَمَنَّى الْخِلَافَةَ، وَقَالَ عُرْوَةُ: أَمَّا أَنَا فَأَتَمَنَّى أَنْ يُؤْخَذَ عَنِّي الْعِلْمُ. وَقَالَ مُصْعَبٌ: أَمَّا أَنَا فَأَتَمَنَّى إِمْرَةَ الْعِرَاقِ وَالْجَمْعَ بَيْنَ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ وَسُكَيْنَةَ بِنْتِ الْحُسَيْنِ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ أَمَّا أَنَا فَأَتَمَنَّى الْمَغْفِرَةَ. قَالَ: فَنَالُوا كُلُّهُمْ مَا تَمَنَّوْا، وَلَعَلَّ ابْنُ عُمَرَ قَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ.
وَقَالَ عَامِرٌ الشَّعْبِيُّ: بَيْنَمَا أَنَا جَالِسٌ يَوْمًا إِذْ دَعَانِي الْأَمِيرُ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ فَأَدْخَلَنِي دَارَ الْإِمَارَةِ، ثُمَّ كَشَفَ عَنْ سِتْرٍ فَإِذَا وَرَاءَهُ عَائِشَةُ بِنْتُ طَلْحَةَ فَلَمْ أَرَ مَنْظَرًا أَبْهَى، وَلَا أَحْسَنَ مِنْهَا. فَقَالَ: أَتَدْرِي مَنْ هَذِهِ؟ فَقُلْتُ: لَا. فَقَالَ: هَذِهِ عَائِشَةُ بِنْتُ طَلْحَةَ، ثُمَّ خَرَجْتُ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: مَنْ هَذَا الَّذِي أَظَهَرْتَنِي عَلَيْهِ؟ قَالَ: هَذَا عَامِرٌ الشَّعْبِيُّ. قَالَتْ: فَأَطْلِقْ لَهُ شَيْئًا. فَوَهَبَنِي عَشَرَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ. قَالَ الشَّعْبِيُّ: فَكَانَ أَوَّلَ مَالٍ مَلَكْتُهُ.
وَحَكَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ عَائِشَةَ بِنْتَ طَلْحَةَ تَغَضَّبَتْ مَرَّةً عَلَى مُصْعَبٍ فَتَرَضَّاهَا بِأَرْبَعِمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ فَأَطْلَقَتْهَا هِيَ لِلْمَرْأَةِ الَّتِي أَصْلَحَتْ
পৃষ্ঠা - ৭০৩৯
আয়েশা বিনত ৩তালহ৷ অত্যন্ত রুপসী ছিলেন ৷ মুসআবও অত্যন্ত সুশ্ৰী ছিলেন ৷ তার অন্য সব
শ্রীও সুন্দরী ছিলেন ৷ ,
আসমায়ী বর্ণনা করেন যে, আবুয যিনাদ বলেছেন, মুসআব, উরওয়া, আব্দুল্লাহ ইবন
যুব হয় ও ইবন উমর হাজরে আসওয়াদের নিকট সমবে৩ হলেন ৷ আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবাইর
বললেন, আমি খিলাফত কামনা করি ৷ উরওয়া বললেন, আমি কামনা করি আমার থেকে ইলম
গ্রহণ করা হোক ৷ মুসআব বললেন, আমার কামনা ইরাকের শাসনক্ষমত৷ আর আয়েশা বিনত
তালহ৷ ও সুকাইন৷ বিনতৃল হুসাইনকে একসঙ্গে স্তীরুপে লাভ ক্যা ৷ আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা)
বলেন, আর আমি কামনা কবি ক্ষমা ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তাদের প্রত্যেকের আকাত্তক্ষাই পুরণ
হয়েছিল ৷ আর সম্ভবত আল্পাহ্ ইবন উমর (রা) কে ক্ষমা করে দিয়েছেন ৷
আমির আশ ৷৷ ৷বী বলেন, আমি একদিন বসে আছি ৷ এমন সময় মুসআব ইবনুয যুবাইর
আমাকে ডাক দেন ৷ তিনি আমাকে রাজপ্রাসাদে নিয়ে গেলেন ৷ তারপর পর্দা উন্মোচন
করলেন ৷ হঠাৎ দেখি পর্দায় ওপারে আয়েশা বিনত তালহ৷ ৷ এমন কমনীয় ও রুপসী নারী
আমি আর দেখি নি ৷ মুসআব বললেন, জান, এ কে ? আমি বললাম, না ৷ তিনি বললেন, এ
হল আয়েশা বিনত তালহ৷ ৷ তারপর মহিলা বেরিয়ে এসে বললেন, ইনি কে ? যাকে তুমি
আমার পরিচয় বলেছ ? তিনি বললেন, ইনি আমির আশ-শাবী ৷ আয়েশা বললেন, তাহলে
ভাবে কিছু উপহার দিন ৷ তিনি আমাকে দশ হাজার দিরহাম উপহার প্রদান করলেন ৷ শা ৷বী
বলেন, এই ই প্রথম সম্পদ, আমি যার মালিক ইে ৷
হাফিজ ইবন আসাকির বলেন, আয়েশা বিনত তালহ৷ একবার মুসআব-এর উপর রাগ ন্
করেন ৷ ফলে মুসআব তাকে চার লাখ দিরহাম দিয়ে খুশী করেন ৷ কিন্তু আয়েশান্বিনত
তালহ৷ সেই অর্থ যে মহিলা তাদের মাঝে ,মীমা ৎ সা সকরে দিয়েছিল, তাকে দিয়ে দেন ৷ কেউ
কেউ বলেন, মুসআব এমন একটি সোনার খেজুর গাছ হাদিয়া পেয়েছিলেন, যার ফলগুলো
ছিল মহামুল্যবান মণি-মুক্তার তৈরী ৷ তার মুল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল বিশ লাখ দীনার ৷
এটি ছিল পারস্য থেকে আহরিত সম্পদ ৷ মুসআব এটি আয়েশা বিনত তালহাকে দিয়ে
দেন ৷
মুসআব সবচাইতে বড় দানশীল ছিলেন ৷ তদুপরি যা দান করতে ন, তাকে বেশী মনে
করতেন না ৷ তা যত বেশী হোক না কেন তার দান সরল-দুর্বল ও ইতর ভদ্র সকলের জন্য
সমান ছিল ৷ পক্ষান্ত্যর তার ভাই আব্দুল্লাহ্ কৃপণত৷ করতেন ৷ খর্তীব আন-বাগদাদী তার
ইতিহাস গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে, মুসআব একবার এক ব্যক্তির উপর রাগান্বিত হয়ে তাকে
হত্যা করার নির্দেশ প্রদান করেন ৷ লোকটি বলল, আল্লাহ্ আমীরকে ইয্যত দান করুন ৷
আমার মত লোকের জন্য কত দুর্ভাগ্য যে, আমি কিয়ামতের দিন দণ্ডায়মান হয়ে আপনার
এই সুন্দর হাত-পা ও এই দীপ্তমান মুখমন্ডল জড়িয়ে ধরে বলব, ইয়৷ রব , ! আপনি
মুসআবকে জিজ্ঞাসা করুন, তিনি আমাকে কী কারণে হত্যা করেছিলেন ৷ এ কথার পর
মুসআব তাকে ক্ষমা করে দেন ৷ এবার লোকটি বলল, আল্লাহ্ আযীরকে ইয্যত দান
করুন ৷ আপনি আমাকে যে জীবন দান করলেন, তা যদি আমি সুখময় দেখতে পেতাম !
যুসআবতাকে এক লাখ দীনার দান করলেন ৷ এবার লোকটি বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,
এর অর্ধেকের মালিক ইবন করেন আর কুবায়আত ৷ কেননা, তিনি আপনার ব্যাপারে বলে
থাকেন, প্
بَيْنَهُمَا. وَقِيلَ: إِنَّهُ أُهْدِيَتْ لَهُ نَخْلَةٌ مِنْ ذَهَبٍ، ثِمَارُهَا مِنْ صُنُوفِ الْجَوَاهِرِ الْمُثْمِنَةِ، فَقُوِّمَتْ بِأَلْفِي أَلْفِ دِينَارٍ، وَكَانَتْ مِنْ مَتَاعِ الْفُرْسِ فَأَعْطَاهَا لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي فَرْوَةَ. وَقِيلَ: إِنَّ أَخَاهُ عَبْدَ اللَّهِ كَانَ إِذَا كَتَبَ لِأَحَدٍ جَائِزَةً بِأَلْفِ دِرْهَمٍ جَعَلَهَا مُصْعَبٌ مِائَةَ أَلْفِ دِرْهَمٍ.
وَقَدْ كَانَ مُصْعَبٌ مِنْ أَجْوَدِ النَّاسِ وَأَكْثَرِهِمْ عَطَاءً، لَا يَسْتَكْثِرُ مَا يُعْطِي وَلَوْ كَانَ مَا عَسَاهُ أَنْ يَكُونَ ; فَكَانَتْ عَطَايَاهُ لِلْقَوِيِّ وَالضَّعِيفِ وَالْوَضِيعِ وَالشَّرِيفِ مُتَقَارِبَةً، وَكَانَ أَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ يُبَخَّلُ.
وَرَوَى الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ فِي تَارِيخِهِ أَنَّ مُصْعَبًا غَضِبَ مَرَّةً عَلَى رَجُلٍ فَأَمَرَ بِضَرْبِ عُنُقِهِ، فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ: أَعَزَّ اللَّهُ الْأَمِيرَ، مَا أَقْبَحَ بِمِثْلِي أَنْ يَقُومَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَتَعَلَّقَ بِأَطْرَافِكَ الْحَسَنَةِ، وَبِوَجْهِكَ الَّذِي يُسْتَضَاءُ بِهِ، فَأَقُولُ: يَا رَبِّ سَلْ مُصْعَبًا فِيمَ قَتَلَنِي؟ فَعَفَا عَنْهُ، فَقَالَ الرَّجُلُ: أَعَزَّ اللَّهُ الْأَمِيرَ، إِنْ رَأَيْتَ أَنْ تَجْعَلَ مَا وَهَبْتَ لِي مِنْ حَيَاتِي فِي عَيْشٍ رَخِيٍّ. فَأَطْلَقَ لَهُ مِائَةَ أَلْفٍ، فَقَالَ الرَّجُلُ:
পৃষ্ঠা - ৭০৪০
إِنِّي أُشْهِدُكَ أَنَّ نِصْفَهَا لِابْنِ قَيْسِ الرُّقَيَّاتِ ; حَيْثُ يَقُولُ فِيكَ:
إِنَّ مُصْعَبًا شِهَابٌ مِنَ اللَّهِ ... تَجَلَّتْ عَنْ وَجْهِهِ الظَّلْمَاءُ
مُلْكُهُ مُلْكُ عِزَّةٍ لَيْسَ فِيهِ ... جَبَرُوتٌ مِنْهُ وَلَا كِبْرِيَاءُ
يَتَّقِي اللَّهَ فِي الْأُمُورِ وَقَدْ أَفْ ... لَحَ مَنْ كَانَ هَمَّهُ الِاتِّقَاءُ
وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ قَالَ لَهُ: أَيُّهَا الْأَمِيرُ، قَدْ وَهَبْتَنِي حَيَاةً، فَإِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تَجْعَلَ مَا قَدْ وَهَبْتَنِي مِنَ الْحَيَاةِ فِي عَيْشٍ رَخِيٍّ وَسِعَةٍ فَافْعَلْ. فَأَمَرَ لَهُ بِمِائَةِ أَلْفٍ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُؤَمِّلٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ قَالَ: بَلَغَ مُصْعَبًا عَنْ عَرِيفِ الْأَنْصَارِ شَيْءٌ فَهَمَّ بِهِ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، فَقَالَ لَهُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «اسْتَوْصُوا بِالْأَنْصَارِ خَيَّرًا - أَوْ قَالَ: مَعْرُوفًا - اقْبَلُوا مِنْ مُحْسِنِهِمْ وَتَجَاوَزُوا عَنْ مُسِيئِهِمْ» فَأَلْقَى مُصْعَبٌ نَفْسَهُ عَنْ سَرِيرِهِ وَأَلْصَقَ خَدَّهُ بِالْبِسَاطِ، وَقَالَ: أَمْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৭০৪১
প্এ্যা :া
মুসআব হলেন আল্লাহ্র উজ্জ্বল তারকা, যার আলোকে বিদুরিত হয়ে গেছে সব অন্ধকার ৷
তার রাজ্য হল রহমতের রাজ্য, যেখানে তার পক্ষ থেকে না চলে পরাক্রমশীলতা, না কোন
অহংকার ৷ সব কাজে তিনি আল্লাহ্কে ভয় করে চলেন ৷ তাকওয়া-ই যার ব্রত, জীবন তার
সফল ৷’ অন্য এক বর্ণনায় আছে, ল্যেকটি ঘুসআবকে বলেছিলেন, হে আমীর ! আপনি
আমাকে জীবন দান করলেন ৷ আপনার দানকৃত এই জীবনটাকে যদি সুখ ও স্বাচ্ছন্দাময়
করে তোলা সম্ভব হয়, তবে তাই করুন ৷ ফলে মুসআব তাকে এক লাখ দীনার দান করার
নির্দেশ দেন ৷
হাম্মাদ ইবন সালামা সুত্রে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেন যে, আলী ইবন ইয়াষীদ বলেছেন,
মুসআব এর নিকট আরীফ আল আনসারী সম্পর্কে অব্দিযাগ আসে ৷ মুসআব তাকে হত্যা
করতে উদ্যত হন ৷ তখন আনাস ইবন মালিক (রা) মুসআব-এর নিকট গমন করে বললেন,
আমি রাসুলুল্লাহ্ (না) কে বলতে শুরুনছি, তোমরা আনসারদের সম্পর্কে সদাচারের ওসীয়ত
কর এবং সৎকর্মগুলে৷ গ্রহণ ও অন্যান্য়গুলো ক্ষমা কর ৷’
এ কথা শুনে মুসআব নিজেকে সি হাসন থেকে নামিয়ে ফেললেন এবং তার পণ্ডাদশকে
বিছানার সঙ্গে লেপটে ধরলেন ও বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আদেশ শিরোধার্য ৷ তারপর
আরীফ আল-আনসারীকে ছেড়ে দেন ৷ ন্ ,
মুসআব বিনয় সম্পর্কে বলেছেন, আশ্চর্য আদম সন্তানের জন্য ! যে কিভাবে অহংকার করে ৷
অথচ সে প্রস্রাবনালীতে দু বার লোলে করেছে ৷’
মুহাম্মদ ইবন ইয়াযীদ আল-মুবাররাদ বলেছেন, কালিম ইবন মুহাম্মদকে মুসআব সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছেন,৩ তিনি অভিজাত নেতা ও মিশুক লোক ছিলেন ৷ পুর্বে
উল্লিখিত হয়েছে যে, মুসআব যখন মুখতার-এর উপর জয়লাভ করেন তখন এক সকালে তার
পাচ হাজার সহৃযােগীকে হত্যা করেছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেন, সাতহাজার ৷ , পরে তিনি ইবন
উমর (রা)-এর-সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে সালাম করেন ৷ কিন্ত ইবন উমর (রা) র্তাকে চিনতে
পারেন নি ৷ কেননা, তার দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ৷ মুসআব তাকে নিজের পরিচয় প্রদান
করেন ৷ এবার ইবন উমর (রা) র্তাকে ঢািন ফেলেন ৷ তিনি বললেন, তুমি কি সেই ব্যক্তি,
যিনি আল্লাহ্কে এক বলে বিশ্বাস করে এমন পাচ হাজার ব্যক্তিকে হত্যা করেছে ?’ ফলে
মুসআব তার নিকট এই বলে ওজর পেশ করেন যে, তারা মুখতার-এর হাতে বায়আত
গিয়েছিল ৷
ইবন উমর (রা) বললেন, তাদের মধ্যে কি (মুখতারকে) অপছন্দকারী কিংবা অন্য কেউ ছিল
না যে, তাকে সুযোগ দিলে সে তওব৷ করবে ? কোন ব্যক্তি যদি যুবইিরের ছাগলপালের নিকট
এসে তার থেকে পাচ হাজার ছাগল এক সকালে জবইি করে ফেলে, তাহলে কি যে
সীমালত্ঘনকারী বলে গণ্য হবে না ? তোমার অভিমত কি ? মুসআব বললেন, অবশ্যই হবে ৷
ইবনউমর (রা) বললেন, অথচ, ওরা আল্লাহর ইবাদত করে না এবং তাকে চিনে না, যেমন চিনে
র্দীৰুধ্ ৷ এমতাবস্থায় যে আল্লাহ্কে এক বলে বিশ্বাস করে, তার সঙ্গে এরুপ আচরণ কিভাবে করা
الرَّأْسِ وَالْعَيْنِ فَتَرَكَهُ.
وَمِنْ كَلَامِ مُصْعَبٍ فِي التَّوَاضُعِ أَنَّهُ قَالَ: الْعَجَبُ مِنِ ابْنِ آدَمَ كَيْفَ يَتَكَبَّرُ، وَقَدْ جَرَى فِي مَجْرَى الْبَوْلِ مَرَّتَيْنِ؟ !
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْمُبَرِّدُ: سُئِلَ الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ مُصْعَبٍ فَقَالَ: كَانَ نَبِيلًا رَئِيسًا نَفِيسًا أَنِيسًا.
وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّهُ لَمَّا ظَهَرَ الْمُخْتَارُ قَتَلَ مِنْ أَصْحَابِهِ فِي غَدَاةٍ وَاحِدَةٍ خَمْسَةَ آلَافٍ وَقِيلَ سَبْعَةَ آلَافٍ، فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ لَقِيَ ابْنُ عُمَرَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَعْرِفْهُ ابْنُ عُمَرَ ; لِأَنَّهُ كَانَ قَدِ انْضَرَّ فِي عَيْنَيْهِ فَتَعَرَّفَ لَهُ حَتَّى عَرَفَهُ، قَالَ: أَنْتَ الَّذِي قَتَلَتْ فِي غَدَاةٍ وَاحِدَةٍ خَمْسَةَ آلَافٍ مِمَّنْ يُوَحِّدُ اللَّهَ؟ فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِ بِأَنَّهُمْ بَايَعُوا الْمُخْتَارَ، فَقَالَ: أَمَا كَانَ فِيهِمْ مَنْ هُوَ مُسْتَكْرَهٌ أَوْ جَاهِلٌ فَيُنْظَرَ حَتَّى يَتُوبَ؟ أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى غَنَمِ الزُّبَيْرِ فَنَحَرَ مِنْهَا خَمْسَةَ آلَافٍ فِي غَدَاةٍ وَاحِدَةٍ أَمَا كَانَ مُسْرِفًا؟ قَالَ: بَلَى. قَالَ: وَهِيَ لَا تَعْبُدُ اللَّهَ وَلَا تَعْرِفُهُ كَمَا يَعْرِفُهُ الْآدَمِيُّ وَيَعْبُدُهُ؛ فَكَيْفَ بِمَنْ هُوَ مُوَحِّدٌ؟ ! ثُمَّ قَالَ لَهُ: يَا بُنَيَّ، تَمَتَّعْ مِنَ الْمَاءِ الْبَارِدِ فِي الدُّنْيَا مَا اسْتَطَعْتَ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ قَالَ لَهُ: عِشْ مَا اسْتَطَعْتَ.
পৃষ্ঠা - ৭০৪২
যায় ? তারপর ইবন উমর তাকে বললেন শোন বৎস ৷ যে পরিমাণ সম্ভব ঠাণ্ডা প ৷নি উপভোগ
করে নাও ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে তিনি বলেছেন, যে ক ’দিন সম্ভব বেচে থাক ৷
মুহাম্মদ ইবনুল হাসান সুত্রে যুবইির ইবন বাক্কার বর্ণনা করেন যে, আব্দুল মালিক ইবন
মারওয়ান একদিন তার সভাসদদের জিজ্ঞাসা করলেন, আরব ও রোমের সবচাইতে অধিক
সাহসী ব্যক্তি কে ? তারা বলল, শাৰীব ৷ অপর এক ব্যক্তি বলল, কাতারী ইবনুল ফুজা আ এবং
অমুক অমুক ৷ কিন্তু আব্দুল মালিক বললেন, সবচাইতে সাহসী হল সেই ব্যক্তি, যে সুকায়না
বিনতুল হুসাইন ও আয়েশ৷ বিন৩ তালহাকে একত্রিত করেছে, যার যা হলেন হুমাইদ বিনত
আব্দুল্লাহ ইবন আমির ইবন কুরায়য ৷ তার পুত্র হল রাইয়াল ইবন আনীফ আল-কাসবী ৷ যিনি
আরব উপকঠের নেতা এবং যিনি পাচ বছর ইরাকীদেরকে শাসন করেছেন ৷ সেই সুবাদে৩ তিনি
ত্রিশ লাখ দীনারের মালিক হয়েছেন ৷ তার সঙ্গে নিজের অন্যান্য বস্তুসাম্যী, পশুপাল ও
অগণিত সম্পদ৷ তা আছেই ৷৩ তদুপরি তাকে নিরাপত্তা এবং জীবন ভিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি এ
সকল সম্পদও দিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল ৷ কিন্তু তিনি এর সবইপ্রতা৷খ্যান করলেন
এবং লাঞ্চুনাকর অবস্থানের উপর নিহত হওয়াকে এবং এসব ত্যাগ করাকে বরণ করে নেন
এবং তরবারি নিয়ে সম্মুখপান এগিয়ে নিয়ে যুদ্ধ করে মারা যান ৷ এ ঘটনা তার সঙ্গীদের
তাক ত্যাগ করে চলে যাওয়ার পরের ঘটনা ৷ তিনি হলেন মুসআব ইবনুয যুবইির (রা) ৷ তিনি
সেই ব্যক্তির ন্যায় ছিলেন না, যে একবার এখান দিয়ে একবার ওখান দিয়ে পুল অতিক্রম করে
থাকে ৷ ইনিই হলেন সেই পুরুষ আর এটাই হল ত্যাগ ৷
ইতিহাসবিদপণ বলেছেন, মুসআবএর হত্যাকাণ্ড বাহাত্তর হিজরীর,জুমাদাল উলার পানর
তারিখ বৃহস্পতিবার সংঘটিত হয়েছিল ৷
ফুলাইহ্ ইবন ইসমাঈল আবু বাশারীর সুত্রে যুবইির ইবন বাক্কার বর্ণনা করেছেন যে, আবু
বাশীর বলেছেন, মুসআব এর মাথাট৷ যখন আব্দুল মালিক-এর সম্মুখে রাখা হল,৩ তিনি বললেন,
ধ্শ্ব ৰু) মুে
ধ্াদ্দৌ ¥,
মালপত্র রক্ষা করতেও অক্ষয এমন এক যুবককে আমি আবাস যুদ্ধের দিন অশ্ববাহিনীকে
ৎস করতে দেখেছি ৷ এমন এক যুবক যার নিকট কোন কল্যাণ আসলে সে আনন্দিত হয় না
এবং কোন বিপদাপদেণ্ড সে ভীত হয় না ৷ অশ্বপাল যখন ছুটে চলে তখন সে মান পত্র
প্রহরাদানকারী নয় আবার সে রাখা৷লর বাশিং৷ ন্যায় শুন্যও নয় ৷
এসব শুনে ঘুসআব-এর মস্তক নিয়ে আসা লোকটি বলল, আল্লাহর শপথ হে আমীরুল
মু মিনীন ! আপনি যদি তাকে দেখতেন যে তার এই হাতে বর্শা আবার এই হাতে তরবারি ৷
এটি দ্বারা তিনি ফাড়ছেন আবার এটি দ্বারা আঘাত হানছেন, তাহলে আপনি এমন একজন
মানুষকে দেখতেন, যার হৃদয় ও চোখ বীরাতু পরিপুর্ণ ৷ কিন্তু যখন তার লোকেরা তার থেকে
বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল, তার প্রতিপক্ষ বেড়ে গেল এবং তিনি নিঃসঙ্গ হয়ে পড়লেন, তখন তিনি
আবৃত্তি করতে শুরু করলেন,
وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ، عَنْ زَافِرِ بْنِ قُتَيْبَةَ عَنِ الْكَلْبِيِّ قَالَ: قَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ يَوْمًا لِجُلَسَائِهِ: مَنْ أَشْجَعُ الْعَرَبِ؟ قَالُوا: شَبِيبٌ، قَطَرِيُّ بْنُ الْفُجَاءَةِ، فُلَانٌ، فُلَانٌ. فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: إِنَّ أَشْجَعَ الْعَرَبِ لَرَجُلٌ جَمْعَ بَيْنَ سُكَيْنَةَ بِنْتِ الْحُسَيْنِ، وَعَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، وَأَمَةِ الْحَمِيدِ بِنْتِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ كُرَيْزٍ، وَأُمُّهُ رَبَابُ بِنْتُ أُنَيْفٍ الْكَلْبِيُّ، سَيِّدُ ضَاحِيَةِ الْعَرَبِ، وَوَلِيُّ الْعِرَاقَيْنِ خَمْسَ سِنِينَ، فَأَصَابَ أَلْفَ أَلْفٍ، وَأَلْفَ أَلْفٍ، وَأَلْفَ أَلْفٍ، وَأُعْطِيَ الْأَمَانَ، فَأَبَى، وَمَشَى بِسَيْفِهِ حَتَّى مَاتَ، ذَلِكَ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ، لَا مَنْ قَطَعَ الْجُسُورَ مَرَّةً هَاهُنَا، وَمَرَّةً هَاهُنَا.
قَالُوا: وَكَانَ مَقْتَلُهُ يَوْمَ الْخَمِيسِ النِّصْفِ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ.
وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي فُلَيْحُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَجَعْفَرُ بْنُ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৭০৪৩
كَثِيرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: لَمَّا وُضِعَ رَأْسُ مُصْعَبٍ بَيْنَ يَدَيْ عَبْدِ الْمَلِكِ قَالَ:
لَقَدْ أَرْدَى الْفَوَارِسَ يَوْمَ عَبْسٍ ... غُلَامًا غَيْرَ مَنَّاعِ الْمَتَاعِ
وَلَا فَرِحٍ لِخَيْرٍ إِنْ أَتَاهُ ... وَلَا هَلِعٍ مِنَ الْحَدَثَانِ لَاعِ
وَلَا وَقَّافَةٍ وَالْخَيْلُ تَعْدُو ... وَلَا خَالٍ كَأُنْبُوبِ الْيَرَاعِ
فَقَالَ الرَّجُلُ الَّذِي جَاءَ بِرَأْسِهِ: وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَوْ رَأَيْتُهُ وَالرُّمْحُ فِي يَدِهِ تَارَةً، وَالسَّيْفُ تَارَةً ; يَفْرِي بِهَذَا، وَيَطْعَنُ بِهَذَا، لَرَأَيْتَ رَجُلًا يَمْلَأُ الْقَلْبَ وَالْعَيْنَ شَجَاعَةً وَإِقْدَامًا، وَلَكِنَّهُ لَمَّا تَفَرَّقَتْ رِجَالُهُ، وَكَثُرَ مَنْ قَصَدَهُ وَبَقِيَ وَحْدَهُ مَا زَالَ يُنْشِدُ:
وَإِنِّي عَلَى الْمَكْرُوهِ عِنْدَ حُضُورِهِ ... أُكَذِّبُ نَفْسِي وَالْجُفُونُ لَهُ تَغُضِي
وَمَا ذَاكَ مِنْ ذُلٍّ وَلَكِنْ حَفِيظَةً ... أَذُبُّ بِهَا عِنْدَ الْمَكَارِمِ عَنْ عِرْضِي
وَإِنِّي لِأَهْلِ الشَّرِّ بِالشَّرِّ مَرْصَدٌ ... وَإِنِّي لِذِي سِلْمٍ أَذَلُّ مِنَ الْأَرْضِ
فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: كَانَ وَاللَّهِ كَمَا وَصَفَ بِهِ نَفْسَهُ وَصَدَقَ، وَلَقَدْ كَانَ مِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَيَّ، وَأَشَدِّهِمْ لِي إِلْفًا وَمَوَدَّةً، وَلَكِنَّ الْمُلْكَ عَقِيمٌ.
পৃষ্ঠা - ৭০৪৪
ণ্ঠেন্ণ্এম্মুষ্ এএ পুন্১
অপছন্দনীয় কোন বিষয় সামনে এসে পড়লে আমি আমার নফস ও চোখের পাত কে মিথ্যা
প্রতিপন্ন করি ৷ ফলে পাতা আর বন্ধ হয় না ৷ তবে তা অপমানবােধে নয়, আতায়র্যাদাবােধের
কারণে, যা দ্বারা আমি কল্যাণময় কাজের সময় আমার ইজ্জ্বত রক্ষা করি ৷ আর আমি
যুদ্ধবাজদের জন্য যুদ্ধের ওৎ পাতি এবং আত্মসমর্পণকারীদের সামনে মাটির চাইতেও নরম
হয়ে যাই ৷ ণ্
আব্দুল মালিক বললেন, ঐ ব্যক্তিটি যেভাবে নিজের পরিচয় প্রদান করেছেন,
আল্লাহর শপথ ! তিনি তেমনই ছিলেন এবং তিনি সত ৷ বলেছেন ৷ তিনি আমার
সবচইিতে প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন, আমার প্রতিও তার প্রচণ্ড ভালবাসা ও হৃদ্যত তা ছিল ৷ কিন্তু
ক্ষমতাই হল অকল্যাণকর ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান বর্ণনা করেন যে, সাঈদ ইবন ইয়াষীদ বলেছেন, যুসআবকে
উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ ইবন যুবইয়ান মাসকিনের দাজীল কুলবর্তী দাইরুল জাছলীকের
সন্নিকটে হত্যা করেছিল ৷ তারপর সে তার মাথটি৷ জ্জি করে আব্দুল মালিক এর নিকট নিয়ে
যায়৷ আব্দুল মালিক আল্লাহ্র শুকরিয়া আদায় করণার্থে সিজদা য় লুটিয়ে পড়েন ৷ ইবন
যুবইয়ান একজন দুঃসাহসী ও নিকৃষ্ট লোক ছিল ৷ সে বলত, হায় ! সেদিন যখৃন আব্দুল মালিক
সিজদায় গিয়েছিলেন তখন যদি আমি তাকে খুন করে ফেলতাম, তাহলে আমি আরবের দুই
রাজার ঘাতক হতে পারতাম৷ ৷ ইয়াকুব বলেন, এটি বাহাত্তর হিজরীর ঘটনা ৷ আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷
যুবাইর ইবন বাক্কার নিহত হওয়ার দিন মুসআবের বয়স কত ছিল সে ব্যাপারে তিনটি
অভিমত উল্লেখ করেছেন ৷ ১ পয়ত্রিশ বছর ৷ ২ চল্লিশ বছর ৷ ৩ পয়তাল্লিশ বছর ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷
খতীব আল বাগদাদী বলেন, মুসআব-এর শ্রী সুকায়না বিনতৃল হুসাইন এই ঘটনায় তার
সঙ্গে ছিলেন ৷৩ তার নিহত হওয়ার পর মহিলা তাকে নিহতদের মাঝে অনুসন্ধান করেন ৷ তার
গণ্ডদেশের একটি তিলক দ্বারা তিনি তাকে শনাক্ত করেন ৷ তখন তিনি বলেছিলেন, ইনি মুসলিম
নারীর কতই না উত্তম স্বামী ছিলেন ৷ আল্লাহর শপথ ! আনতারএর উক্তিত্বেই আমি তোমার
পরিচয় খুজে পাই ৷ আনতার বলেছেন,
ষ্ fi
সৌং মোঃ
আমি এক রুপসী নারীর বন্ধুকে জনমানবহীন মরুদ্যানে ধরাশায়ী অবস্থায় ফেলে এসেছি,
যিনি না নিজেকে রক্ষা করেছেন, না কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছেন ৷ আমি লম্বা বর্শা দ্বারা তার
চামড়া ছিড়ে ফেলি ৷ সভ্রান্ত মানুষ বর্শার আঘাতে ঘায়েল হবে না ৷
وَرَوَى يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ غَسَّانَ بْنِ مُضَرَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادِ بْنِ ظَبْيَانَ قَتَلَ مُصْعَبًا عِنْدَ دَيْرِ الْجَاثَلِيقِ عَلَى شَاطِئِ نَهْرٍ يُقَالُ لَهُ: دُجَيْلٌ، مِنْ أَرْضِ مَسْكِنَ، وَاحْتَزَّ رَأْسَهُ فَذَهَبَ بِهِ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ فَسَجَدَ شُكْرًا لِلَّهِ، وَكَانَ ابْنُ ظَبْيَانَ فَاتِكًا رَدِيًّا، وَكَانَ يَقُولُ: لَيْتَنِي قَتَلْتُ عَبْدَ الْمَلِكِ حِينَ سَجَدَ يَوْمَئِذٍ، فَأَكُونُ قَدْ قَتَلْتُ مَلِكَيِ الْعَرَبِ.
قَالَ يَعْقُوبُ: وَكَانَ ذَلِكَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ. قُلْتُ: وَكَذَا قَالَ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدَائِنِيُّ. وَالَّذِي رَجَّحَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ أَنَّهُ سَنَةَ إِحْدَى وَسَبْعِينَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَحَكَى الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ فِي عُمْرِهِ يَوْمَ قُتِلَ ثَلَاثَةَ أَقْوَالٍ ; أَحَدُهَا خَمْسٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً، وَالثَّانِي أَرْبَعُونَ سَنَةً، وَالثَّالِثُ خَمْسٌ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَرَوَى الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ، أَنَّ امْرَأَتَهُ سُكَيْنَةَ بِنْتَ الْحُسَيْنِ كَانَتْ مَعَهُ فِي هَذِهِ الْوَقْعَةِ، فَلَمَّا قُتِلَ تَطَلَّبَتْهُ فِي الْقَتْلَى حَتَّى عَرَفَتْهُ بِشَامَةٍ فِي فَخِذِهِ.
পৃষ্ঠা - ৭০৪৫
فَقَالَتْ: نِعْمَ بَعْلُ الْمَرْأَةِ الْمُسْلِمَةِ كُنْتَ، أَدْرَكَكَ وَاللَّهِ مَا قَالَ عَنْتَرَةُ:
وَحَلِيلِ غَانِيَةٍ تَرَكْتُ مُجَدَّلًا ... بِالْقَاعِ لَمْ يَعْهَدْ وَلَمْ يَتَثَلَّمِ
فَهَتَكْتُ بِالرُّمْحِ الطَّوِيلِ إِهَابَهُ ... لَيْسَ الْكَرِيمُ عَلَى الْقَنَا بِمُحَرَّمِ
قَالَ الزُّبَيْرُ: وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسِ الرُّقَيَّاتِ يَرْثِي مُصْعَبًا:
لَقَدْ أَوْرَثَ الْمِصْرَيْنِ خِزْيًا وَذِلَّةً ... قَتِيلٌ بِدَيْرِ الْجَاثَلِيقِ مُقِيمُ
فَمَا نَصَحَتْ لِلَّهِ بَكْرُ بْنُ وَائِلٍ ... وَلَا صَدَقَتْ يَوْمَ اللِّقَاءِ تَمِيمُ
وَلَوْ كَانَ بِكْرِيًّا تَعَطَّفَ حَوْلَهُ ... كَتَائِبُ يَغْلِي حَمْيُهَا وَيَدُومُ
وَلَكِنَّهُ ضَاعَ الذِّمَامُ وَلَمْ يَكُنْ ... بِهَا مُضَرِيٌّ يَوْمَ ذَاكَ كَرِيمُ
جَزَى اللَّهُ كُوفِيًّا هُنَاكَ مَلَامَةً ... وَبَصْرِيَّهُمْ إِنَّ الْمَلُومَ مَلُومُ
وَإِنَّ بَنِي الْعَلَّاتِ أَخْلَوْا ظُهُورَنَا ... وَنَحْنُ صَرِيحٌ بَيْنَهُمْ وَصَمِيمُ
فَإِنْ نَفْنَ لَا يَبْقَى أُولَئِكَ بَعْدَنَا ... لِذِي حُرْمَةٍ فِي الْمُسْلِمِينَ حَرِيمُ
পৃষ্ঠা - ৭০৪৬
যুবাইর বলেন, আব্দুল্লাহ্ ইবন কাইস আর রাকইয়াত মুসআব ইবনুয যুবাইর (রা) এর
মৃত্যুতে এভাবে শোক প্রকাশ করেছেন :
:াএ
দায়রুল র্জাছলীকে নিহত লোকটি দুটি শহরকে শোক ও অপমানে নিপতিত করেছেন ৷
যুদ্ধের দিন আল্লাহ্র সম্ভষ্টিরলক্ষে না বকর ইবন ওয়ায়িদ হিত কামনা করেছে, না তামীম
সত্য বলেছে ৷ বকর ন্পােত্রীয়্ কোন ব্যক্তি যদি তার আশপাশে বাহিনী পরিচালনা করত
তাহলে তার স্বাধীনতা অটুট থাকত এবং স্থায়ী ’ হত ৷ কিন্তু সে প্রজ্যিতি-বিষ্টে করে
ফেলেছে ৷ অথচ, সেদিন কোন সম্রান্ত মুজ্বারী সেখানে উপস্থিত ছিল না ৷ আল্লাহ্ কুফী ও
বসরীকে তিরস্কারের প্রতিদান দান করুন ৷ র্দু নিশ্চয় তিরস্কৃত ব্যক্তি তিরস্কৃত-ই হয়ে থাকে ৷
যতীন সন্তানরা (একটি পিতার ঔরসজাত বিভিন্ন মায়ের সন্তানরা) আমাদের পিঠ উদােম
করে দিয়েছে ৷ অথচ, তাদের মাঝে আমরা নির্ভেজাল ও খাটি মানুষ ছিলাম ৷ আমরা যদি
নিঃণেষ হয়ে যাই, তাহলে আমাদের পরে তারা কোন মযদাি সম্পন্ন মুসলমানের মযদািন্
অক্ষুগ্ন রাখবে না ৷
ইয়াহইয়া ইবন মুসআব আল-কালবী সুত্রে আবু হাতিম আর-রাষী বর্ণনা করেন, আবদুল
মালিক ইবন উমইির বলেছেন, আমি কুফার রাজ প্রাসাদে প্রবেশ করলাম ৷ দেখলাম,
উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ এর সম্মুখে বর্শায় গাথা হুসইিন ইবন আলী (রা) এর মাথা এবং
উবাইদৃল্লাহ্ সিংহাসনে উপৰিষ্ট ৷ কিছুকাল পর পুনরায় প্রাসাদে প্রবেশ করলাম ৷ মুসআব
ইবনুয যুবইির এর সম্মুখে বশয়ি গাথা উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ এর মাথা এবং মুসআব
ৎহাসনে উপবিষ্ট ৷ কিছুকাল পর আবার প্রাসাদে প্রবেশ করলাম ৷ দেখলাম, আবদুল
মালিক এর সম্মুখে বর্শায় গাথা মুসআব ইবনুয যুবাইর-এর মাথা এবং আবদুল মালিক
সিংহাসনে উপবিষ্ট ৷
, ইমাম আহমাদ প্রমুখ ও আবদুল মালিক ইবন উমাইর থেকে এটি বর্ণনা করেছেনা
আবদুল্লাহ ইবন কাইস আর রুকইিয়ার্ভ মুসআব এর শোক প্ৰকাশে আরো বলেছেন
وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسِ الرُّقَيَّاتِ يَرْثِي مُصْعَبًا أَيْضًا:
نَعَتِ السَّحَائِبُ وَالْغَمَامُ بِأَسْرِهَا ... جَسَدًا بِمَسْكِنَ عَارِيَ الْأَوْصَالِ
تُمْسِي عَوَائِذَهُ السِّبَاعُ وَدَارُهُ ... بِمَنَازِلٍ أَطْلَالُهُنَّ بَوَالِي
رَحَلَ الرِّفَاقُ وَغَادَرُوهُ ثَاوِيًا ... لِلرِّيحِ بَيْنَ صِبًا وَبَيْنَ شَمَالِ
وَقَدْ قَالَ أَبُو حَاتِمٍ الرَّازِيُّ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ مُصْعَبٍ الْكَلْبِيُّ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: دَخَلْتُ الْقَصْرَ بِالْكُوفَةِ فَإِذَا رَأَسُ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ عَلَى تُرْسٍ بَيْنَ يَدَيْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ عَلَى السَّرِيرِ، ثُمَّ دَخَلْتُ الْقَصْرَ بَعْدَ ذَلِكَ بِحِينٍ فَرَأَيْتُ رَأْسَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ عَلَى تُرْسٍ بَيْنَ يَدَيِ الْمُخْتَارِ، وَالْمُخْتَارُ عَلَى السَّرِيرِ، ثُمَّ دَخَلْتُ الْقَصْرَ بَعْدَ ذَلِكَ بِحِينٍ فَرَأَيْتُ رَأْسَ الْمُخْتَارِ عَلَى تُرْسٍ بَيْنَ يَدَيْ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَمُصْعَبٌ عَلَى السَّرِيرِ، ثُمَّ دَخَلْتُ الْقَصْرَ بَعْدَ حِينٍ فَرَأَيْتُ رَأْسَ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَلَى تُرْسٍ بَيْنَ يَدَيْ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ عَلَى السَّرِيرِ، وَقَدْ حَكَاهَا الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ رَحِمَهُ اللَّهُ.
فَصْلٌ (خُطْبَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ فِي مَقْتَلِ أَخِيهِ مُصْعَبٍ)
পৃষ্ঠা - ৭০৪৭
ণোমোঃ পুে ৷ ড়াব্র সে ও র্নো : :০ তো
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَذَكَرَ أَبُو زَيْدٍ، عَنْ أَبِي غَسَّانَ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى، حَدَّثَنِي مُصْعَبُ بْنُ عُثْمَانَ قَالَ: لَمَّا انْتَهَى إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَتْلُ أَخِيهِ مُصْعَبٍ، قَامَ فِي النَّاسِ خَطِيبًا فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ، يُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ يَشَاءُ، وَيَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ يَشَاءُ، وَيُعِزُّ مَنْ يَشَاءُ وَيُذِلُّ مَنْ يَشَاءُ، أَلَا وَإِنَّهُ لَمْ يُذِلَّ اللَّهُ مَنْ كَانَ الْحَقُّ مَعَهُ، وَإِنْ كَانَ فَرْدًا وَحْدَهُ، وَلَنْ يُفْلِحَ مَنْ كَانَ وَلَيَّهُ الشَّيْطَانُ وَحِزْبُهُ، وَلَوْ كَانَ مَعَهُ الْأَنَامَ طُرًّا، أَلَا وَإِنَّهُ أَتَانَا مِنَ الْعِرَاقِ خَبَرٌ أَحْزَنَنَا وَأَفْرَحَنَا، أَتَانَا قَتْلُ مُصْعَبٍ رَحِمَهُ اللَّهُ، فَأَمَّا الَّذِي أَفْرَحَنَا فَعِلْمُنَا أَنَّ قَتْلَهُ لَهُ شَهَادَةٌ، وَأَمَّا الَّذِي أَحْزَنَنَا فَإِنَّ لِفِرَاقِ الْحَمِيمِ لَوْعَةً يَجِدُهَا حَمِيمُهُ عِنْدَ الْمُصِيبَةِ بِهِ، ثُمَّ يَرْعَوِي مِنْ بَعْدِهَا، وَذُو الرَّأْيِ جَمِيلُ الصَّبْرِ كَرِيمُ الْعَزَاءِ، وَلَئِنْ أُصِبْتُ بِمُصْعَبٍ فَلَقَدْ أُصِبْتُ بِالزُّبَيْرِ قَبْلَهُ، وَمَا أَنَا مِنْ عُثْمَانَ بِخُلُوِّ مُصِيبَةٍ، وَمَا مُصْعَبٌ إِلَّا عَبْدٌ مِنْ عَبِيدِ اللَّهِ، وَعَوْنٌ مِنْ أَعْوَانِي، أَلَا وَإِنَّ أَهْلَ الْعِرَاقِ أَهْلُ الْغَدْرِ وَالنِّفَاقِ، أَسْلَمُوهُ وَبَاعُوهُ بِأَقَلِّ الثَّمَنِ، فَإِنْ يُقْتَلْ فَإِنَّا وَاللَّهِ مَا نَمُوتُ عَلَى مَضَاجِعِنَا كَمَا تَمُوتُ بَنُو أَبِي الْعَاصِ ; وَاللَّهِ مَا قُتِلَ رَجُلٌ فِي زَحْفٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَلَا فِي الْإِسْلَامِ، وَمَا نَمُوتُ إِلَّا بِأَطْرَافِ الرِّمَاحِ أَوْ تَحْتَ ظِلِّ السُّيُوفِ، أَلَا وَإِنَّ الدُّنْيَا عَارِيَةٌ مِنَ الْمَلِكِ الْأَعْلَى الَّذِي لَا يَزُولُ سُلْطَانُهُ وَلَا يَبِيدُ مُلْكُهُ، فَإِنْ تُقْبِلِ الدُّنْيَا لَا آخُذْهَا أَخْذَ الْأَشِرِ الْبَطِرِ، وَإِنْ تُدْبِرْ لَا أَبْكِ عَلَيْهَا بُكَاءَ الْحَزِينِ الْمَهِينِ، أَقُولُ قَوْلِي هَذَا، وَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ لِي وَلَكُمْ.
পৃষ্ঠা - ৭০৪৮
[مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ]
وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ:
إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ
وَاسْمُ الْأَشْتَرِ مَالِكُ بْنُ الْحَارِثِ النَّخَعِيُّ، كَانَ أَبُوهُ الْأَشْتَرَ مِنْ كِبَارِ أُمَرَاءِ عَلِيٍّ، وَاسْتَعْمَلَهُ عَلِيٌّ عَلَى خُرَاسَانَ وَهُوَ مِمَّنْ قَامَ عَلَى عُثْمَانَ وَقَتَلَهُ، وَكَانَ إِبْرَاهِيمُ هَذَا مِنَ الْأُمَرَاءِ الْمَعْرُوفِينَ بِالشَّجَاعَةِ وَلَهُ شَرَفٌ، وَهُوَ الَّذِي قَتَلَ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ كَمَا ذَكَرْنَا، ثُمَّ صَارَ إِلَى مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَقُتِلَ مَعَهُ هَذِهِ السَّنَةَ كَمَا ذَكَرْنَا.
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبْزَى الْخُزَاعِيُّ
لَهُ صُحْبَةٌ وَرِوَايَةٌ، وَاسْتَعْمَلَهُ عَلِيٌّ عَلَى خُرَاسَانَ، وَسَكَنَ الْكُوفَةَ وَوَلِيَهَا مَرَّةً. تُوُفِّيَ بِالْكُوفَةِ.
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُسَيْلَةَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْمُرَادِيُّ الصُّنَابِحِيُّ
كَانَ مِنَ الصُّلَحَاءِ، وَكَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ يُجْلِسُهُ مَعَهُ عَلَى السَّرِيرِ، وَكَانَ عَالِمًا فَاضِلًا تُوُفِّيَ بِدِمَشْقَ.
পৃষ্ঠা - ৭০৪৯
দ্বারা এমন শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার যাদের মধ্যে তাদের চাইতে শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত লোক
বিদ্যমান ৷ তারা তাদের ষ্অনুগামীদের সঙ্গে যোদ্ধা হয়ে লড়াই করে না ৷ আপনারা শুনে
রাখুন, দুনিয়া সেই মহান বাদশার নিকট থেকে ধার নেয়া জিনিস, হার রাজতৃ কখনো
নিঃশেষ হয়ে না, যীর রাজ্য কখনো ধ্ব স হবে না ৷ কাজেই দুনিয়া যদি এসে আমাকে
ধরা দেয়, তাহলে আমি চাকে গ্রহণ করবে গর্বিত আগ্রহী ব্যক্তির ন্যায় ৷ আর যদি পেছনে
সরে যায়, তাহলে আমি দুঃখ ভারাক্রাম্ভ ইতরেরন্যায় ক্রন্দন করব না ৷ এই আমার
বক্তব্য ৷ আমি আমার জন্য এবং আপনাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি ৷
এরছর যে সব বিশিষ্ট ব্যক্তির ইনতিকাল হয় তাদের অন্যতম হলেন
ইবরাহীম ইরনুল আশতার
তার ৷প৩ ৷ ছিলেন উসমান (রা) এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী ও ঘাতকদের একজন ৷ এই
ইবরাহীম বিখ্যাত বীরদের অন্যতম ছিলেন ৷৩ তার বিশেষ মর্যাদা রয়েছে, তিনিই সেই ব্যক্তি,
যিনি উবইিদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদকে হত্যা করেছিলেন, যেমনটি আমরা পুর্বে আলোচনা করেছি ৷:
আবদুর রহমান ইবন পাসীলা আবু আবদুল্লাহ আল-মুরাদী আস-সুমাবিহী ৷ তিনি সৎকর্মপরায়ণ
লোকদের একজন ছিলেন ৷ আবদুল মালিক তাকে নিজের সঙ্গে সিংহাসনে বসাতেন ৷ তিনি
আলিম ও গুণী লোক ছিলেন ৷ তিনি দামেশৃকে ইনতিকাল করেন ৷
উমর ইবন সালামা
আলমাখযুমী, আল-মাদানী ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পােষ্য ছিলেন ৷ তিনি হাবশায় জনাগ্রাহণ
করেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর গোলাম সাফীনা
তীর উপনাম আবু আবদুর-রহমান ৷ তিনি উম্মে সালামা (রা)এর গোলাম ছিলেন ৷ উম্মে
সালামা (রা) তাকে এই শর্তে আযাদ করে দেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমত
করবেন ৷ তিনি বললেন, আপনি যদি আমাকে আযাদ নাও করেন, তবু আমি আজীবন আল্লাহর
রাসুল (সা)শ্এর খিদমত করে যাব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বংশের সঙ্গে সাফীনার ঘনিষ্ঠত৷ ও
উঠাবসা ছিল ৷ তাবারানী বর্ণনা করেন যে, সাফীনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, আপনার নাম
কেন সাফীনা রাখা হল ? জবাবে তিনি বললেন, রাসুলুল্পাহ্ (না) আমার নাম সাফীনা
রেখেছেন ৷ তিনি একবার তার সাহাবীগণসহ সফরে বের হলেন ৷ তাদের সামানপত্র তাদের
জন্য ভারী হয়ে গেল ৷ ফলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বললেন, তুমি এগুলো বহন কর ৷ তুমি
জাহাজ বৈ নও ৷ সাফীনা বলেন, সেদিন যদি আমি এক, দুই, পাচ কিংবা ছয় উটের বোঝাও
বহন করতাম , তাও আমার জন্য ভারী হত না ৷
মুহাম্মদ ইবন মুনকাদির সাফীনা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একদা আমি
সমুদ্রে জাহাজে আরোহণ করলাম ৷ কিন্তু জাহাজটি আমাদেরকে নিয়ে ভেঙ্গে গেল ৷ আমি
তার একটি কাষ্ঠ খণ্ডের উপর চড়ে রসলাম ৷ সমুদ্র আমাকে এমন একটি জঙ্গলে নিক্ষেপ
করল, যেখানে বাঘ রয়েছে ৷ বাঘটি আমার নিকটে আসলে আমি তাকে বললাম, হে আবুল
عُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ الْمَخْزُومِيُّ الْمَدَنِيُّ
رَبِيبُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وُلِدَ بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ، وَكَانَ عِنْدَ أُمِّهِ ; أُمِّ سَلَمَةَ. وَلَهُ رِوَايَاتٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ.
سَفِينَةُ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ
كَانَ عَبْدًا لِأُمِّ سَلَمَةَ فَأَعْتَقَتْهُ وَشَرَطَتْ عَلَيْهِ أَنْ يَخْدِمَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: أَنَا لَا أَزَالُ أَخْدِمُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَوْ لَمْ تُعْتِقِينِي مَا عِشْتُ. وَقَدْ كَانَ سَفِينَةُ بِآلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلِيفًا، وَبِهِمْ خَلِيطًا، وَرَوَى الطَّبَرَانِيُّ أَنَّ سَفِينَةَ سُئِلَ عَنِ اسْمِهِ لِمَ سُمِّيَ سَفِينَةَ؟ قَالَ: سِمَّانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَفِينَةَ، خَرَجَ مَرَّةً وَمَعَهُ أَصْحَابُهُ فَثَقُلَ عَلَيْهِمْ مَتَاعُهُمْ، فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «ابْسُطْ كِسَاءَكَ فَبَسَطْتُهُ فَجَعْلَ فِيهِ مَتَاعَهُمْ ثُمَّ قَالَ لِي: احْمِلْ، مَا أَنْتَ إِلَّا سَفِينَةٌ» . قَالَ: فَلَوْ حَمَلْتُ يَوْمَئِذٍ وِقْرَ بَعِيرٍ أَوْ بَعِيرَيْنِ أَوْ خَمْسَةٍ أَوْ سِتَّةٍ مَا ثَقُلَ عَلَيَّ.
وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ سَفِينَةَ قَالَ: رَكِبْتُ مَرَّةً سَفِينَةً فِي الْبَحْرِ،
পৃষ্ঠা - ৭০৫০
فَانْكَسَرَتْ بِنَا فَرَكِبْتُ لَوْحًا مِنْهَا فَطَرَحَنِي الْبَحْرُ إِلَى غَيْضَةٍ فِيهَا الْأَسَدُ، فَجَاءَنِي فَقُلْتُ: يَا أَبَا الْحَارِثِ، أَنَا سَفِينَةُ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَطَأْطَأَ رَأْسَهُ، وَجَعَلَ يَدْفَعُنِي بِجَنْبِهِ أَوْ بِكَفِّهِ، حَتَّى وَضَعَنِي عَلَى الطَّرِيقِ، ثُمَّ هَمْهَمَ هَمْهَمَةً فَظَنَنْتُ أَنَّهُ يُوَدِّعُنِي.
وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ بَيْتَ فَاطِمَةَ فَرَأَى فِي نَاحِيَةِ الْبَيْتِ قِرَامًا مَضْرُوبًا، فَرَجَعَ وَلَمْ يَدْخُلْ، فَقَالَتْ فَاطِمَةُ لِعَلِيٍّ: سَلْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا الَّذِي رَدَّهُ؟ فَسَأَلَهُ فَقَالَ: «لَيْسَ لِي وَلَا لِنَبِيٍّ أَنْ يَدْخُلَ بَيْتًا مُزَوِّقًا»
عَمْرُو بْنُ أَخْطَبَ أَبُو زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ الْأَعْرَجُ
غَزَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ غَزْوَةً، وَمَسَحَ رَأَسَهُ وَقَالَ: «اللَّهُمَّ جَمِّلْهُ» ، فَبَلَغَ مِائَةَ سَنَةٍ وَلَمْ يَبْيَضَّ شَعْرُهُ. تُوُفِّيَ بِالْبَصْرَةِ.
غُضَيْفُ بْنُ الْحَارِثِ بْنُ زُنَيْمٍ السَّكُونِيُّ
مُخْتَلَفٌ فِي صُحْبَتِهِ، لَهُ
পৃষ্ঠা - ৭০৫১
হারিছ ! আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর গোলাম সাফীন৷ ৷ বলামাত্র বাঘটি তার মাথা অবনত
করে ফেলল এবং৩ তার পার্শ্বদেশ বাহুদ্বারা ঠেলে ঠেলে আমাকে রাস্তার উপর এনে রেখে
দেয় ৷ তারপর সে ফিসফিসিয়ে কি যেন বলল, তাতে আমি ধারণা করলাম, সে আমাকে
বিদায় জানাচ্ছে ৷
হাম্মাদ ইবন সালাম৷ সাঈদ ইবন জাহমান সুত্রে সাফীন৷ বর্ণনা করেন যে, সাফীন৷ বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদিন ফার্টিম্া (রা) এর ঘরে প্রবেশ করলেন ৷ ঘরে ঢুকেই তিনি ক ৷রুকার্য
খচিত একটি চামড়া দেখতে পেলেন ৷ র্ফলে তিনি ঘরে প্রবেশ না করেই ফিরে যান ৷ তা দেখে
হযরত ফাতিমা (রা) আলী (রা) (-ক বললেন, কি সেই জিনিস, যা তাকে ফিরিয়ে দিল ! হযরত
আলী (রা ) তাকে কারণটা জিজ্ঞেস করলেও তিনি বললেন, আমার জন্য এবং কোন নবীর জন্য
কোন কারুকার্য খট্রিত ঘরে প্রবেশ করা শোভা পায় না ৷
উমর ইবন আখতার (রা)
আবু যায়দ আল-আনসারী আল-আরাজ ৷ নবী করীম (সা) এর সঙ্গে তেরটি যুদ্ধে
অশেগ্রহণ করেছেন ৷
ইয়াযীদ ইবনুল আসওয়াদ আল -জারশী আস-সাকুনী
তিনি ইবাদাত কারী, দুনিয়াবিযুখ ও সৎকর্মপরায়ণ ছিলেন ৷ ইনি সিরিয়ার যীদাইন গ্রামের
বাসিন্দা ছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেন, জারীন গ্রামে ৷ পুর্ব যল্টকের অভ্যন্তরে তার একটি ঘর
ছিল ৷ তবে সাহাবী হওয়ার বিষয়টা বিতর্কিত ৷ তবে সাহাবীদের থেকে তার একাধিক বর্ণনা
রয়েছে ৷ দুর্ভিক্ষে নিপতিত হলে সিরীয়বাসী তার মাধ্যমে বৃষ্টির জন্য দু আ (ইসতিসৃকা)
করত ৷, যুআবিয়া ও যাহ্হাক ইবন করেন তার দ্বারা ইসতিসৃকা করেছেন ৷ মুআবিয়া র্তাকে
মিন্বরে নিজের সঙ্গে বসাতেন ৷ মুআবিয়৷ (রা) বললেন, র্দাড়াও হে ইয়াযীদ ! হে আল্লাহ্ !
আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠ ও সত্কর্ম পরায়ণ লোকদের উসিলায় তোমার নিকট প্রার্থনা কবি ৷
তারপর তিনি আল্লাহর নিকট বৃষ্টি প্রার্থনা করতেন ৷ তারা তৃপ্ত হত ৷
তিনি দামেশৃকের জামে মসজিদে নামায আদায় করতেন ৷ তিনি যখন অন্ধকার রাতে জামে
ন্ মসজ্যিদ নামায আদায় বল্পার উদ্দেশ্যে গ্রাম থেকে বের হতেন, তখন তার পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি থেকে
আলো বিচ্ছুরিত হত ৷ কেউ কেউ বলেন, পায়ের সব কটি আঙ্গুল থেকে ৷ তিনি মসজিদে প্রবেশ
করা পর্যন্ত এই আলো বিচ্ছুরিত হত ৷
ইতিহাসবিদগণ বলেছেন, তিনি যীদাইন গ্রামের কোন গাছ বাদ দেন নি যে, তা ৷র নিকট
তিনি দু রাকা আত নামায আদায় করেন নি ৷ আর অন্ধকার রাতে ইশার নামায আদায় করার
জন্য দামেশৃকের জামে মসজিদে নিজের বৃদ্ধাঙ্গুলির আলোড়ে ণ্যাওয়াআসা করতেন ৷ তিনি
প্রতি ওয়াক্ত নামায, দামেশৃকের জামে মসজিদে গিয়ে আদায় করতেন ৷ তিনি দামেশৃকের
যীদাইন কিংবা জারীন গ্রামে ইনতিকাল করেন ৷ আল্লাহ্ তার প্রতি রহমত রর্ষণ করুন ৷
আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া ৭২ামোঃ(হ্রাশ্রোা৪র্নো০€£হ্াড়া
,
رِوَايَاتٌ عَنِ الصَّحَابَةِ، قِيلَ: هُوَ مِنْ تَابِعِي أَهْلِ الشَّامِ، سَكَنَ حِمْصَ، وَكَانَ يَتَوَلَّى صَلَاةَ الْجُمْعَةِ نِيَابَةً عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، وَكَانَ مِنَ الصَّالِحِينَ.
يَزِيدُ بْنُ الْأَسْوَدِ الْجُرَشِيُّ السَّكُونِيُّ
كَانَ عَابِدًا زَاهِدًا صَالِحًا، سَكَنَ الشَّامَ بِقَرْيَةِ زِبْدِينَ، وَقِيلَ: بِقَرْيَةِ جِسْرِينِ، وَكَانَتْ لَهُ دَارٌ دَاخِلَ بَابٍ شَرْقِيٍّ، وَهُوَ مُخْتَلِفٌ فِي صُحْبَتِهِ، وَلَهُ رِوَايَاتٌ عَنِ الصَّحَابَةِ، وَكَانَ أَهْلُ الشَّامِ يَسْتَسْقُونَ بِهِ إِذَا قَحَطُوا، وَقَدِ اسْتَسْقَى بِهِ مُعَاوِيَةُ، وَالضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ، وَكَانَ يُجْلِسُهُ مَعَهُ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَإِذَا اجْتَمَعَ النَّاسُ قَالَ مُعَاوِيَةُ: " قُمْ يَزِيدُ، اللَّهُمَّ إِنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِخِيَارِنَا وَصُلَحَائِنَا "، فَيَسْتَسْقِي اللَّهَ فَيُسْقَوْنَ. وَكَانَ يُصَلِّي الصَّلَوَاتِ فِي الْجَامِعِ بِدِمَشْقَ، وَكَانَ إِذَا خَرَجَ مِنَ الْقَرْيَةِ يُرِيدُ الصَّلَاةَ بِالْجَامِعِ فِي اللَّيْلَةِ الْمُظْلِمَةِ يُضِيءُ لَهُ إِبْهَامُ قَدَمِهِ - وَقِيلَ: أَصَابِعُ رِجْلَيْهِ كُلُّهَا - حَتَّى يَدْخُلَ الْجَامِعَ، فَإِذَا رَجَعَ أَضَاءَتْ لَهُ حَتَّى يَدْخُلَ الْقَرْيَةَ، وَذَكَرُوا أَنَّهُ لَمْ يَدَعْ شَجَرَةً فِي قَرْيَةِ زِبْدِينَ إِلَّا صَلَّى عِنْدَهَا رَكْعَتَيْنِ، وَكَانَ يَمْشِي فِي ضَوْءِ إِبْهَامِهِ فِي اللَّيْلَةِ الْمُظْلِمَةِ ذَاهِبًا إِلَى صَلَاةِ الْعِشَاءِ بِالْجَامِعِ بِدِمَشْقَ، وَآيِبًا إِلَى قَرْيَتِهِ، وَكَانَ يَشْهَدُ الصَّلَوَاتِ بِالْجَامِعِ بِدِمَشْقَ لَا تَفُوتُهُ بِهِ صَلَاةٌ.
مَاتَ بِقَرْيَةِ زِبْدِينَ أَوْ جِسْرَيْنِ مِنْ غُوطَةِ دِمَشْقَ رَحِمَهُ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ৭০৫২
عَمْرُو بْنُ الْأَسْوَدِ، أَبُو عِيَاضٍ، الْعَنْسِيُّ الْحِمْصِيُّ، مِنْ كِبَارِ عُلَمَاءِ التَّابِعِينَ بِالشَّامِ، صَاحِبُ زُهْدٍ وَعِبَادَةٍ وَاجْتِهَادٍ، قَلِيلُ التَّشَيُّعِ، تُوُفِّيَ بِحِمْصَ.