আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة تسع وستين

পৃষ্ঠা - ৭০০৬

৬৯ হিজ্জী সন
এ বছর আমর ইবন সাঈদ আল-আশৃদাক আন-উমাবী-এর হত্যরে ঘটনা ঘটে ৷ আবদুল
মালিক ইবন মারওয়ান তাকে হত্যা করেছিলেন ৷ তার কারণ ছিল, ওযারদা কুপের সন্নিকটে
সংঘটিত যুদ্ধে যুফার ইবনৃল হারিছ আল-কিলাবী মারওয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে সুলাইমান ইবন
সৃরাদকে সহযোগিতা করে ৷ সে কারণে কৃফার ইবনুল হাব্রিছকে অবরোধ করার উদ্দেশ্যে
আবদুল মালিক এ বছরের শুরুতে বাহিনী নিয়ে কারকিসিয়া অভিমুখে রওয়ানা হয়ে যান তার
প্রতিজ্ঞা ছিল, এই অভিযান য়শষ করে তিনি ঘুসআব ইবন যুবাইরের বিরুদ্ধে অভিযান
পরিচালনা করবেন ৷ কারকিসিয়া রওয়ানা হওয়ার প্রাক্কালে তিনি আমর ইবন সাঈদ আল-
আশদাককে দামেশৃকের গভর্নর নিযুক্ত করেন ৷ ক্ষমতা পেয়ে আমর ইবন সাঈদ দামেশৃকে দুর্গ
গড়ে তোলেন এবং রাষ্টীয় কােযাগারের অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, বরং
তিনি আবদুল মালিকের সঙ্গে ছিলেন ৷ কিন্তু তিনি তার পক্ষ ত্যাগ করে একদল সৈন্য নিয়ে
রাতে দমেশৃক ফিরে যান ৷ হামীদ ইবন হুরইিছ ইবনবাহদাল আলকালবী ও যুবাইর ইবনুল
আবরড়াদ আল-কালবী তার সঙ্গে ছিলেন ৷ তারা দামেশৃক গিয়ে পৌছেন ৷ তখন আবদুর রহমান
ইবন উম্মুল হাকাম আবদুল মালিক-এর নায়েব হিসাবে দামেশৃকের শাসনকর্তা ৷ তাদের
প্রত্যাগমন টের পেয়ে তিনি শহর ত্যাগ করে পালিয়ে যান ৷ এই সুযোগে আমর ইবন সাঈদ
আল-আ-শদাক নগরীতে প্রবেশ করে কোষাপারের সমুদয় সম্পদ কুক্ষিগত করে ফেলেন এবং
জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদান করেন ৷ ভাষণে তিনি জনগণকে ন্যায় বিচার ও সাহায্য
সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ৷ এদিকে ন্আবদুল মালিক আলআশদাক-এর আচরণ
সম্পর্কে অবহিত হয়ে তৎক্ষণাৎ ফেরত রওয়ানা হন ৷ ফিরে এসে তিনি দেখতে পান, আল-
আশদাক দামেশকের উপর শক্তভড়াবে দখল প্রতিষ্টিত করে ফেলেছেন, তাতে পর্দা ঝুলিয়ে
দিয়েছেন এবং আশদাক নিজে দামেশৃকের দুর্ভেদ্য রােমীয় দুর্গে গিয়ে অবস্থান গ্রহণ করেছেন ৷
অগত্যা আবদুল মালিক দুর্গটি অবরোধ করে ফেলেন এবং আশদাক তার সঙ্গে সােল দিন যুদ্ধ ,
করেন ৷ তারপর তারা উভয়ে এই শর্তে যুদ্ধবন্ধে চুক্তিবদ্ধ হন যে, আবদুল মালিকের পর
আল-আশদাক পরবর্তী (অলী আহদ) হবেন এবং আবদুল মালিকের প্রতিজন কর্মকর্তার
বিপরীতে আল-আশদাক-এর একজন করে কর্মকর্তা থাকবে ৷ তারা পরস্পর নিরাপত্তাপত্র
লিপিবদ্ধ করে নেন ৷ এ কাজটি সম্পাদিত হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যড়াবেলা ৷
এদিকে আবদুল মালিক দামেশক ফিরে গিয়ে তার অভ্যাস অনুযায়ী রাজ প্রাসাদে প্রবেশ
করেন এবং আমর ইবন সাঈদ আল-আশদাক-এর সমীপে এই মর্মে পত্র লিখেন যে, তুমি
বাইতৃল সাল থেকে জনগণের যে সম্পদ নিয়ে গেছ, সেগুলো ফিরিয়ে দাও ৷ আল-আশদাক
জবাবে লিখেন, এসব আমি আপনার হাতে ফেরত দেব না এবং এই নগরীও আপনার নয় ৷
কাজেই আপনি এখান থেকে বেরিয়ে যান ৷ সোমবার দিন আবদুল মালিক আশদাককে সবুজ
রাজ-প্রাসাদে তার ভবনে আসবার নির্দেশ প্রেরণ করেন ৷ আবদুল মালিক-এর দুত যখন তার
নিকট এসে পৌছে, তখন তার কন্যা উম্মে মুসার স্বামী আবদুল্লাহ ইবন ইয়াযীদ ইবন
মুআবিয়া তার নিকট উপ ত ছিলেন ৷ তিনি আবদুল মালিক-এর নিকট যাবেন কিনা সে
ব্যাপারে তার সঙ্গে পরামর্শ করেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন ইয়াযীদ বললেন, হে সাঈদের পিতা !


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعٍ وَسِتِّينَ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فَفِيهَا كَانَ مَقْتَلُ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ الْأُمَوِيِّ الْأَشْدَقِ، قَتَلَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ، وَكَانَ سَبَبَ ذَلِكَ أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ رَكِبَ فِي أَوَّلِ هَذِهِ السَّنَةِ فِي جُنُودِهِ قَاصِدًا قَرْقِيسِيَاءَ ; لِيُحَاصِرَ زُفَرَ بْنَ الْحَارِثِ الْكِلَابِيَّ الَّذِي أَعَانَ سُلَيْمَانَ بْنَ صُرَدَ عَلَى جَيْشِ مَرْوَانَ حِينَ قَاتَلُوهُمْ بِعَيْنِ وَرْدَةَ، وَمِنْ عَزْمِهِ إِذَا فَرَغَ مِنْ ذَلِكَ أَنْ يَقْصِدَ مُصْعَبَ بْنَ الزُّبَيْرِ بَعْدَ ذَلِكَ، فَلَمَّا سَارَ إِلَيْهَا اسْتَخْلَفَ عَلَى دِمَشْقَ عَمْرَو بْنَ سَعِيدٍ الْأَشْدَقَ، فَتَحَصَّنَ بِهَا وَأَخْذَ أَمْوَالَ بَيْتِ الْمَالِ. وَقِيلَ: بَلْ كَانَ مَعَ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَلَكِنَّهُ انْخَذَلَ عَنْهُ فِي طَائِفَةٍ مِنَ الْجَيْشِ وَكَرَّ رَاجِعًا إِلَى دِمَشْقَ فِي اللَّيْلِ، وَمَعَهُ حُمَيْدُ بْنُ حُرَيْثِ بْنِ بَحْدَلٍ الْكَلْبِيُّ، وَزُهَيْرُ بْنُ الْأَبْرَدِ الْكَلْبِيُّ، فَانْتَهَوْا إِلَى دِمَشْقَ وَعَلَيْهَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أُمِّ الْحَكَمِ نَائِبًا مِنْ جِهَةِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، فَلَمَّا أَحَسَّ بِهِمْ هَرَبَ وَتَرَكَ الْبَلَدَ، فَدَخَلَهَا عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ الْأَشْدَقُ، فَاسْتَحْوَذَ عَلَى مَا فِيهَا مِنَ الْخَزَائِنِ، وَخَطَبَ بِالنَّاسِ فَوَعَدَهُمُ الْعَدْلَ وَالنَّصَفَ وَالْعَطَاءَ الْجَزِيلَ وَالثَّنَاءَ الْجَمِيلَ، وَلَمَّا عَلِمَ عَبْدُ الْمَلِكِ بِمَا فَعَلَهُ الْأَشْدَقُ، كَرَّ رَاجِعًا مِنْ فَوْرِهِ فَوَجَدَ الْأَشْدَقَ قَدْ حَصَّنَ دِمَشْقَ وَعَلَّقَ عَلَيْهَا السَّتَائِرَ وَالْمُسُوحَ، وَانْحَازَ الْأَشْدَقُ إِلَى حِصْنٍ رُومِيٍّ مَنِيعٍ كَانَ بِدِمَشْقَ فَنَزَلَهُ،
পৃষ্ঠা - ৭০০৭
فَحَاصَرَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ وَقَاتَلَهُ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ الْأَشْدَقُ مُدَّةَ سِتَّةَ عَشَرَ يَوْمًا، وَرَاسَلَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ، وَقَالَ لَهُ: أَنْشُدُكَ اللَّهَ وَالرَّحِمَ أَنْ تُفْسِدَ أَمْرَ بَيْتِكَ وَمَا هُمْ عَلَيْهِ مِنِ اجْتِمَاعِ الْكَلِمَةِ، وَإِنَّ فِيمَا صَنَعْتَ قُوَّةً لِابْنِ الزُّبَيْرِ، فَارْجِعْ إِلَى بَيْتِكَ، وَلَكَ عَلَيَّ عَهْدُ اللَّهِ وَمِيثَاقُهُ. وَحَلَفَ بِالْأَيْمَانِ الْمُؤَكَّدَةِ أَنَّكَ وَلِيُّ عُهَدِي مِنْ بَعْدِي، وَكَتَبَا بَيْنَهُمَا كِتَابًا، فَانْخَدَعَ لَهُ عَمْرٌو وَفَتَحَ أَبْوَابَ دِمَشْقَ، ثُمَّ اصْطَلَحَا عَلَى تَرْكِ الْقِتَالِ، وَعَلَى أَنْ يَكُونَ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَعَلَى أَنْ يَكُونَ مَعَ كُلِّ عَامِلٍ لِعَبْدِ الْمَلِكِ عَامِلٌ لَهُ، وَكَتَبَا بَيْنَهُمَا كِتَابَ أَمَانٍ، وَذَلِكَ عَشِيَّةَ الْخَمِيسِ. وَدَخَلَ عَبْدُ الْمَلِكِ دِمَشْقَ إِلَى دَارِ الْإِمَارَةِ عَلَى عَادَتِهِ، وَبَعَثَ إِلَى عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ الْأَشْدَقِ يَقُولُ لَهُ: رُدَّ عَلَى النَّاسِ أَعْطِيَاتِهِمُ الَّتِي أَخَذْتَهَا لَهُمْ مِنْ بَيْتِ الْمَالِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ عَمْرٌو يَقُولُ لَهُ: إِنَّ هَذَا لَيْسَ إِلَيْكَ، وَلَيْسَ هَذَا الْبَلَدُ لَكَ، فَاخْرُجْ مِنْهُ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الِاثْنَيْنِ بَعَثَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ يَأْمُرُهُ بِالْإِتْيَانِ إِلَى مَنْزِلِهِ بِدَارِ الْإِمَارَةِ الْخَضْرَاءِ فَلَمَّا جَاءَهُ الرَّسُولُ صَادَفَ عِنْدَهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَهُوَ زَوْجُ ابْنَتِهِ أُمِّ مُوسَى بِنْتِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، فَاسْتَشَارَهُ عَمْرٌو فِي الذَّهَابِ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ فَقَالَ لَهُ: يَا أَبَا سَعِيدٍ وَاللَّهِ لَأَنْتَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ سَمْعِي وَبَصَرِي، وَأَرَى أَنْ لَا تَأْتِيَهُ ; فَإِنَّ تُبَيْعًا الْحِمْيَرِيَّ ابْنَ امْرَأَةِ كَعْبِ الْأَحْبَارِ قَالَ: إِنَّ عَظِيمًا مِنْ عُظَمَاءَ بَنِي إِسْمَاعِيلَ يُغْلِقُ أَبْوَابَ دِمَشْقَ فَلَا يَلْبَثُ أَنْ يُقْتَلَ. فَقَالَ عَمْرٌو: وَاللَّهِ لَوْ كُنْتُ نَائِمًا مَا تَخَوَّفْتُ أَنْ يُنَبِّهَنِي ابْنُ الزَّرْقَاءِ، وَمَا كَانَ لِيَجْتَرِئَ عَلَى ذَلِكَ مِنِّي، مَعَ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ أَتَانِي الْبَارِحَةَ فِي الْمَنَامِ
পৃষ্ঠা - ৭০০৮


আল্লাহর শপথ আপনি আমার নিকট আমার কানও চোখের তুলনায় বেশী প্রিয় ৷ আমার
অভিমত আমরা তার নিবল্ট যাব না ৷ কারণ, কাব আল আহযাবের শ্রীর পুত্র৩ তাবী আল-
হিময়ারী বলেছেন, বনু ইসমাঈ ল-এর কোন এক মহান ব্যক্তি দামেশকের কটক বন্ধ করে
দিবেন ৷ পরে অবিলম্বে তিনি খুন হয়ে যাবেন ৷ শুনে আমর বললেন, আল্লাহর শপথ ! আমি
যদি ঘুমিয়ে থাকি, যারকার পুএ এআমাকে জাগিয়ে তুলবে এই ভয় আমার নেই এবং আমার
সঙ্গে এতটুকু আচরণ করার দুঃসাহসও৩ তার নেই ৷ কিন্তু আমি পতরাতে স্বপ্ন দেখেছি যে,
উসমান ইবন আফ্ফান (বা) আমার নিকট এসে আমাকে তার জামাট৷ পরিয়ে দিলেন ৷

যাহোক, আমর ইবন সাঈদ দুতকে বললেন, তুমি গিয়ে তাকে আমার সালাম জানাবে এবং
বলবে, আমি ইনশাআল্লাহ্ বিকালে আপনার নিকট এসে যাব ৷ বিকাল বেলা, অর্থাৎ জােহরের
পর আমর তার পোশাকের নিচে বর্ষ পরিধান করে তরবারি ঝুলিয়ে উঠে দাড়ান ৷ ঠিক এসময়
তিনি বিছানায় হোচট খ ন ৷ তা দেখে তার শ্রী ও উপস্থিত লোকেরা বলল, আমরা আপনার না
যাওটাই ভাল মনে করি ৷ কিন্তু তিনি তাদের কথায় কর্ণপাত না করে একশত গোলাম নিয়ে
রওয়ানা হয়ে যান ৷

ওদিকে মারওয়ান গোত্রের লোকেরা প্রত্যেকে আবদুল মালিক এর নিদেশে তার নিকট এসে
সমবেত হয় ৷ আমর ফটকে এসে পৌছার পর আবদুল মালিক তাকে ঢুকতে এবং তার
সঙ্গীদেরকে ফটকে আটকে রাখতে নির্দেশ প্রদান করেন ৷ আমর প্রাসাদে প্রবেশ করে আবদুল
মালিক যে স্থানে অবস্থান করছিলেন, তার আঙ্গিন৷ পর্যন্ত গিয়ে পৌছান ৷ তখন তার সঙ্গে
ওয়ামীক নামক একজন পরিচারক ব্যতীত আর কেউ ছিল না ৷ তিনি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখতে
পেলেন, মারওয়ান দলবলসহ আবদুল মালিকের এর নিকট সমবেত হয়ে আছেন ৷ তাতে
আমর ইবন সা ৷ঈদ ষড়যন্ত্র আচ করলেন ৷ তিনি আড়চোখে পরিচারকের দিকে তাকিয়ে তাকে
ফিসফিসিয়ে বললেন, সর্বনাশ ! তুমি আমার ভাই ইয়াহইয়ার নিকট গিয়ে তাকে আমার নিকট
আসতে বল ৷ কিন্তু সে কথাটা বৃঝল না এবং বলল, লাব্বাইক ৷ তিনি পুনরায় কথাটা বললেন ৷
কিন্তু পরিচারক এবারও তা না বুঝে বলল, লাব্বাইক ৷ এবার তিনি বলেন তুমি ধ্বংস হও ৷

তুমি আমার সম্মুখ থেকে সরে গিয়ে আল্লাহর অগ্নিকুণ্ড ও তার জাহান্নামে যাও ৷ তখন হাসৃসান
ইবন ম লিক ইবন বাহদাল ও কাবীস৷ ইবন যুআইব আবদুল মালিক এর নিকট উপস্থিত
ছিলেন ৷ আবদুল মালিক তাদেরকে চলে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করেন ৷ তারা বের হয়ে গেলে
দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হল এবং আমর ইবন সাঈদ আবদুল মালিক এর নিকটে চলে
যান ৷ আবদুল মালিক তাকে স্বাগত জানান এবং তাকে সিংহাসনের উপর নিজের সঙ্গে বসান ৷
তারপর তার সঙ্গে তিনি দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত আলাপ করেন ৷ এক পর্যায়ে আবদুল মালিক বললেন,
হে গোলাম! ওর থেকে তরবারিট৷ নিয়ে নাও ৷ আমর বললেন, ইন্নালিল্পাহ্ ! হে আমীরুল
মু’মিনীন ! আবদুল মালিক বললেন তুমি কি তরবারি ঝুলিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে আশা
করছ ? নির্দেশ মোতাবেক গোলাম তার থেকে তরবারি নিয়ে নেয় ৷ তারপর দু জলে ঘন্টা
খানেক কথা বলেন ৷ শেষে আবদুল মালিক বললেন, হে আবু উমাইয়৷ ! আমর বললেন,
লাব্বাইক হে আমীরুল মু’মিনীন ! আবদুল মালিক বললেন, আপনি যখন আমার আনুগত্য
ত্যাগ করেন, তখনই আমি শপথ করেছিলাম, আপনার দর্শনে যদি আমার চোখ তবে আর
আমি আপনাকে আয়ত্তে পাই তাহলে আমি আপনাকে শৃৎখলাবদ্ধ করব ৷ একথা শুনে বনু
মারওয়ান বলে উঠল, এরপর আপনি তাকে ছেড়ে দিবেন হে আমীরুল মু’মিনীন আবদুল


فَأَلْبَسَنِي قَمِيصَهُ، وَقَالَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ لِلرَّسُولِ: أَبْلِغْهُ السَّلَامَ، وَقُلْ لَهُ: أَنَا رَائِحٌ إِلَيْكَ الْعَشِيَّةَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. فَلَمَّا كَانَ الْعَشِيُّ - يَعْنِي بَعْدَ الظُّهْرِ - لَبِسَ عَمْرٌو دِرْعًا بَيْنَ ثِيَابِهِ وَتَقَلَّدَ سَيْفَهُ وَنَهَضَ فَعَثَرَ بِالْبُسَاطِ، فَقَالَتِ امْرَأَتُهُ وَبَعْضُ مَنْ حَضَرَهُ: إِنَّا نَرَى أَنْ لَا تَأْتِيَهُ. فَلَمْ يَلْتَفِتْ إِلَى ذَلِكَ وَمَضَى فِي مِائَةٍ مِنْ مَوَالِيهِ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ قَدْ أَمَرَ بَنِي مَرْوَانَ فَاجْتَمَعُوا كُلُّهُمْ عِنْدَهُ، فَلَمَّا انْتَهَى عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ إِلَى الْبَابِ أَمَرَ عَبْدُ الْمَلِكِ أَنْ يَدْخُلَ وَأَنْ يُحْبَسَ مَنْ مَعَهُ، عِنْدَ كُلِّ بَابٍ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ، فَدَخَلَ كَذَلِكَ حَتَّى انْتَهَى إِلَى صَرْحَةِ الْمَكَانِ الَّذِي فِيهِ عَبْدُ الْمَلِكِ، وَلَمْ يَبْقَ مَعَهُ مِنْ مَوَالِيهِ سِوَى وَصَيْفٍ وَاحِدٍ، فَرَمَى بِبَصَرِهِ فَإِذَا بَنُو مَرْوَانَ عَنْ بَكْرَةِ أَبِيهِمْ مُجْتَمِعُونَ عِنْدَ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَأَحَسَّ بِالشَّرِّ فَالْتَفَتَ إِلَى وَصِيفِهِ، فَقَالَ لَهُ هَمْسًا: وَيْلَكَ انْطَلِقْ إِلَى أَخِي يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ فَقُلْ لَهُ فَلْيَأْتِنِي. فَلَمْ يَفْهَمْ عَنْهُ، وَقَالَ لَهُ: لَبَّيْكَ. فَأَعَادَ عَلَيْهِ ذَلِكَ، فَلَمْ يَفْهَمْ أَيْضًا، وَقَالَ: لَبَّيْكَ. فَقَالَ: وَيْلَكَ! اغْرُبْ عَنِّي فِي حَرَقِ اللَّهِ وَنَارِهِ. وَكَانَ عِنْدَ عَبْدِ الْمَلِكِ حَسَّانُ بْنُ مَالِكِ بْنِ بَحْدَلٍ، وَقَبِيصَةُ بْنُ ذُؤَيْبٍ، فَأَذِنَ لَهُمَا عَبْدُ الْمَلِكِ بِالِانْصِرَافِ، فَلَمَّا خَرَجَا غُلِّقَتِ الْأَبْوَابُ وَاقْتَرَبَ عَمْرٌو مِنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَرَحَّبَ بِهِ وَأَجْلَسَهُ مَعَهُ عَلَى السَّرِيرِ، ثُمَّ جَعَلَ يُحَدِّثُهُ طَوِيلًا. ثُمَّ إِنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ قَالَ: يَا غُلَامُ، خُذِ السَّيْفَ عَنْهُ. فَقَالَ عَمْرٌو: إِنَّا لِلَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ! فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ: أَوَتَطْمَعُ أَنْ تَتَحَدَّثَ مَعِي مُتَقَلِّدًا سَيْفَكَ؟ فَأَخَذَ الْغُلَامُ السَّيْفَ عَنْهُ، ثُمَّ تَحَدَّثَا سَاعَةً، ثُمَّ قَالَ لَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ: يَا أَبَا أُمَيَّةَ. قَالَ: لَبَّيْكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ.
পৃষ্ঠা - ৭০০৯
قَالَ: إِنَّكَ حَيْثُ خَلَعْتَنِي آلَيْتُ بِيَمِينِي إِنْ مَلَأْتُ عَيْنِي مِنْكَ وَأَنَا مَالِكٌ لَكَ أَنْ أَجْمَعَكَ فِي جَامِعَةٍ. فَقَالَتْ بَنُو مَرْوَانَ: ثُمَّ تُطْلِقُهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: ثُمَّ أُطْلِقُهُ، وَمَا عَسَيْتُ أَنْ أَفْعَلَ بِأَبِي أُمَيَّةَ؟ فَقَالَ بَنُو مَرْوَانَ: أَبِرَّ قَسَمَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَقَالَ عَمْرٌو: فَأَبِرَّ قَسَمَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَأَخْرَجَ عَبْدُ الْمَلِكِ مِنْ تَحْتِ فِرَاشِهِ جَامِعَةً فَطَرَحَهَا إِلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: يَا غُلَامُ، قُمْ فَاجْمَعْهُ فِيهَا. فَقَامَ الْغُلَامُ فَجَمَعَهُ فِيهَا، فَقَالَ عَمْرٌو: أُذَكِّرُكَ اللَّهَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْ تُخْرِجَنِي فِيهَا عَلَى رُءُوسِ النَّاسِ. فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: أَمَكْرًا يَا أَبَا أُمَيَّةَ عِنْدَ الْمَوْتِ؟ لَاهَا اللَّهِ إِذًا، مَا كُنَّا لِنُخْرِجَكَ فِي جَامِعَةٍ عَلَى رُءُوسِ النَّاسِ، وَلَمَّا نُخْرِجْهَا مِنْكَ إِلَّا صَعَدًا. ثُمَّ اجْتَبَذَهُ اجْتِبَاذَةً أَصَابَ فَمَهُ السَّرِيرُ فَكَسَرَ ثَنِيَّتَهُ، فَقَالَ عَمْرٌو: أُذَكِّرُكَ اللَّهَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْ يَدْعُوَكَ كَسْرُ عَظْمِي إِلَى مَا هُوَ أَعْظَمُ مِنْ ذَلِكَ. فَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ: وَاللَّهِ لَوْ أَعْلَمُ أَنَّكَ إِذَا بَقِيتَ تَفِي لِي وَتَصْلُحُ قُرَيْشٌ لَأَطْلَقْتُكَ، وَلَكِنْ مَا اجْتَمَعَ رَجُلَانِ قَطُّ فِي بَلَدٍ عَلَى مَا نَحْنُ عَلَيْهِ إِلَّا أَخْرَجَ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّهُ قَالَ لَهُ: أَمَا عَلِمْتَ يَا عَمْرُو أَنَّهُ لَا يَجْتَمِعُ فَحْلَانِ فِي شَوْلٍ؟ فَلَمَّا تَحَقَّقَ عَمْرٌو مَا يُرِيدُ مِنْ قَتْلِهِ قَالَ لَهُ: أَغَدْرًا يَابْنَ الزَّرْقَاءِ؟ وَبَيْنَمَا هُمَا كَذَلِكَ إِذْ أُذِّنَ لِلْعَصْرِ، فَقَامَ عَبْدُ الْمَلِكِ لِيَخْرُجَ إِلَى الصَّلَاةِ، وَأَمَرَ أَخَاهُ عَبْدَ الْعَزِيزِ بْنَ مَرْوَانَ بِقَتْلِهِ، وَخَرَجَ عَبْدُ الْمَلِكِ وَقَامَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْعَزِيزِ بِالسَّيْفِ، فَقَالَ لَهُ
পৃষ্ঠা - ৭০১০


মালিক বললেন, তারপর আমি তাকে ছেড়ে দেব ৷ আবু উমাইয়ার সঙ্গে মন্দ আচরণ করা
আমার জন্য গোভনীয় হবে না ৷ বনু মারওয়ান বললেন, আপনার শপথ পুরণ কবুন হে
আমীরুল মু’মিনীন আব্দুল মালিক তার বিছানার নীচ থেকে একটি বেড়ী বের করে আমর-
এর দিকে ;ছুচুড় দিয়ে বললেন, হে গোলাম ! উঠে গিয়ে তাকে এই বেড়ীতে আবদ্ধ করে ফেল ৷
গোলাম উঠে গিয়ে তাকে বেড়ী পড়িয়ে দিল ৷ আমর বললেন, আমি আপনাকে আল্লাহ্র
দােহইি দিয়ে বলছি, হে আমীবুল মু’মিনীন এই জনসমাজে আপনি আমাকে এই শৃৎখল
থেকে মুক্তি দিন ৷ আবদুল মালিক বললেন, আবু উমাইয়৷ ! মৃত্যুর সময়ও প্রতারণা করতে
চাচ্ছ ? না, আল্লাহর শপথ ! আমি জনসম্মুখে ণ্ডে তামাকে শৃৎখলামুক্ত করার নই এবং যন্ত্রণ৷ না
দিয়ে আমি তােম৷ র থেকে এই শৃৎখল থুলছি না ৷৩ তারপর তিনি আমরকে এমনভাবে টান দেন
যে, তিনি সিৎহাসনের উপর মুখ থুবড়ে পড়ে যান, যার ফলে তার সন্মুখের দাত ভেঙে যায় ৷
আমর বললেন, আমি আপনাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি ৷ তিনি এর চাইতে বড়
কিছু ভেঙে ফেলার নিমিত্ত আপনাকে তলব করতে পারেন ৷ আবদুল্লাহ বললেন, আল্লাহর শপথ
৷ আমি যদি জানতাম যে, বেচে থাকলে তুমি আমার আনুগত্য করবে এবং কুরায়শের সঙ্গে
আপোস-মীমাংসা করে নেবে, তাহলে আমিও তামাকে ছেড়ে দিতাম ৷ কিন্তু আমরা দু জন যে
অবস্থানে আছি এরুপ দুই ব্যক্তি যদি কখনো এক শহর একত্রিত হয় ৷ তাহলে তাদের একজন
অপরজনকে শহর থেকে বিত৷ ৷ড়ন না করে ছাড়ে না ৷ এক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছিলেন,
তুমি কি জা ন না হে আমর দুই যাড় এক রশিতে একত্রিত হয় না ৷

যাহােক আমর যখন বুঝতে পারলেন যে, আবদুল মালিক তাকে হত্যা করতে চাচ্ছে তখন
তিনি তাকে বললেন, আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘা৩ কত৷ করলে ইবনুল যারকা ? এবং তিনি তাকে
জঘন্য ভাষায় পালমন্দ শুনিয়ে দেন ৷ ঠিক এই অবস্থায় মুআঘৃযিন আসর নামাযের আযান
দেন ৷ আবদুল মালিক তার ভাই আবদুল আযীয ইবন মারওয়ানকে আমর ইবন সাঈদকে হত্যা
করার নির্দেশ দিয়ে নামায আদায়ের জন্য বেরিয়ে যান ৷ আবদুল মালিক বের হয়ে গেলেন
এবং আবদুল আযীয তরবারি হাতে করে আমর ইবন সাঈদ এর দিকে এগিয়ে যান ৷ দেখে
আমর বললেন আমি আপনাকে আল্লাহ্ ও আত্মীয়৩ ৷ বন্ধনের দো হাই দিচ্ছি আমার সঙ্গে এই
আচরণ আপনি না করে অন্য কাউকে এর দায়িত্ব দিন ৷ ফলে আবদুল আযীয তার থেকে হাত
গুটিয়ে নেন ৷ মানুষ যখন দেখল যে, আবদুল আযীয বেরিয়ে এসেছেন, কিন্তু আমর ইবন
সাঈদ তার সঙ্গে নেই, তখন তারা আমর সম্পর্কে গুজব ছড়িয়ে দিল ৷ ফলে আমর-এর ভাই
ইয়াহ্ইয়৷ ইবন সাঈদ আমরকে উদ্ধার করার লক্ষে এক হাজার গোলাম ও বিপুল সংখ্যক
লোক নিয়ে রওয়ানা হয় এবং আবদুল মালিক তড়িঘড়ি করে রাজপ্রাসাদে ঢুকে পড়েন ৷ তারা
এসে রাজপ্রাসাদের দরজায় আঘাত করতে শুরু করে এবং বলতে থাকে, আমাদেরকে তোমার
আওয়াজ শোনাও হে আবু উমাইয়৷ ! তাদের এক ব্যক্তি তরবারি দ্বারা আঘাত করে ওলীদ
ইবন আবদুল মালিক এর মাথা জখম করে দেয় ৷ ফলে অফিস কর্মকতা ইররাহীম ইবন আদী
একটি ঘরে ঢুকিয়ে তাকে রক্ষা করেন ৷ মসজিদে বিরাট হট্টগােল ও হৈ-হুল্লো ড় শুরু হয়ে যায় ৷
আবদুল মালিক ফিরে গিয়ে যখন দেখতে পেলেন যে, তার ভাই আমরকে হত্যা করেন নি,
তখন তিনি তাকে তিরস্কার করেন এবং তাকে ও তার মাকে পালাগাল করেন ৷ রলাবাহুল্য যে,
আব্দুল আযীয-এর মা আব্দুল মালিক-এর মা ছিলেন না ৷ জবাবে আব্দুল আযীয বললেন, যে
আমাকে আল্লাহ ও আত্মীয়তার বন্ধনের দােহাই দিয়েছে ৷ আমর আব্দুল মালিক ইবন মারওয়ান-


عَمْرٌو: أُذَكِّرُكَ اللَّهَ وَالرَّحِمَ أَنْ لَا تَلِيَ ذَلِكَ مِنِّي، وَلْيَتَوَلَّ ذَلِكَ غَيْرُكَ. فَكَفَّ عَنْهُ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ. وَلَمَّا رَأَى النَّاسُ عَبْدَ الْمَلِكِ قَدْ خَرَجَ وَلَيْسَ مَعَهُ عَمْرٌو أَرْجَفَ النَّاسُ بِعَمْرٍو، وَأَقْبَلَ أَخُوهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ فِي أَلْفِ عَبْدٍ لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، وَأُنَاسٍ مَعَهُمْ كَثِيرٍ، وَأَسْرَعَ عَبْدُ الْمَلِكِ الدُّخُولَ إِلَى دَارِ الْإِمَارَةِ، وَجَاءَ أُولَئِكَ فَجَعَلُوا يَدُقُّونَ بَابَ الْإِمَارَةِ وَيَقُولُونَ: أَسْمِعْنَا صَوْتَكَ يَا أَبَا أُمَيَّةَ. وَضَرَبَ رَجُلٌ مِنْهُمِ الْوَلِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ فِي رَأْسِهِ بِالسَّيْفِ فَجَرَحَهُ، فَأَدْخَلَهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَرَبِيٍّ صَاحِبُ الدِّيوَانِ بَيْتًا، وَأَحْرَزَهُ فِيهِ، وَوَقَعَتْ خَبْطَةٌ عَظِيمَةٌ فِي الْمَسْجِدِ، وَضَجَّتِ الْأَصْوَاتُ. وَلَمَّا رَجَعَ عَبْدُ الْمَلِكِ وَجَدَ أَخَاهُ لَمْ يَقْتُلْهُ، فَلَامَهُ وَسَبَّهُ وَسَبَّ أُمَّهُ، - وَلَمْ تَكُنْ أُمُّ عَبْدِ الْعَزِيزِ أُمُّ عَبْدِ الْمَلِكِ - فَقَالَ: إِنَّهُ نَاشَدَنِي اللَّهَ وَالرَّحِمَ. وَكَانَ ابْنَ عَمَّةِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ ثُمَّ إِنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ قَالَ: يَا غُلَامُ، آتِنِي بِالْحَرْبَةِ. فَأَتَاهُ بِهَا فَهَزَّهَا، وَضَرَبَهُ بِهَا فَلَمْ تُغْنِ شَيْئًا، ثُمَّ ثَنَّى فَلَمْ تُغْنِ شَيْئًا، فَضَرَبَ بِيَدِهِ إِلَى عَضُدِ عَمْرٍو فَوَجْدَ مَسَّ الدِّرْعِ فَضَحِكَ، وَقَالَ: وَدَارِعٌ أَيْضًا! إِنْ كُنْتَ لَمُعِدًّا، يَا غُلَامُ، ائْتِنِي بِالصَّمْصَامَةِ. فَأَتَاهُ بِسَيْفِهِ ثُمَّ أَمَرَ بِعَمْرٍو فَصُرِعَ فَجَلَسَ عَلَى صَدْرِهِ فَذَبَحَهُ، وَهُوَ يَقُولُ: يَا عَمْرُو إِنْ لَا تَدَعْ شَتْمِي وَمَنْقَصَتِي ... أَضْرِبْكَ حَيْثُ تَقُولُ الْهَامَةُ اسْقُونِي
পৃষ্ঠা - ৭০১১
قَالُوا: وَانْتَفَضَ عَبْدُ الْمَلِكِ بَعْدَمَا ذَبَحَهُ كَمَا تَنْتَفِضُ الْقَصَبَةُ بِرِعْدَةٍ شَدِيدَةٍ جِدًّا، بِحَيْثُ إِنَّهُمْ مَا رَفَعُوهُ عَنْ صَدْرِهِ إِلَّا مَحْمُولًا، فَوَضَعُوهُ عَلَى سَرِيرِهِ وَهُوَ يَقُولُ: مَا رَأَيْتُ مِثْلَ هَذَا قَطُّ قِتْلَةً، صَاحِبُ دُنْيَا وَلَا طَالِبُ آخِرَةٍ. وَدَفَعَ الرَّأْسَ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أُمِّ الْحَكَمِ، فَخَرَجَ بِهِ لِلنَّاسِ فَأَلْقَاهُ بَيْنَ أَظْهُرِهِمْ، وَخَرَجَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ وَمَعَهُ الْبِدَرُ مِنَ الْأَمْوَالِ تُحْمَلُ، فَأُلْقِيَتْ بَيْنَ النَّاسِ فَجَعَلُوا يَخْتَطِفُونَهَا، وَيُقَالُ: إِنَّهَا اسْتُرْجِعَتْ بَعْدَ ذَلِكَ مِنَ النَّاسِ إِلَى بَيْتِ الْمَالِ. وَيُقَالُ إِنَّ الَّذِي وَلِيَ قَتْلَ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ مَوْلَى عَبْدِ الْمَلِكِ أَبُو الزُّعَيْزِعَةِ بَعْدَمَا خَرَجَ عَبْدُ الْمَلِكِ إِلَى الصَّلَاةِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ دَخَلَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ أَخُو عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ دَارَ الْإِمَارَةِ، بَعْدَ مَقْتَلِ أَخِيهِ، بِمَنْ مَعَهُ، فَقَامَ إِلَيْهِمْ بَنُو مَرْوَانَ فَاقْتَتَلُوا، وَجُرِحَ جَمَاعَاتٌ مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ، وَجَاءَتْ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ صَخْرَةٌ فِي رَأْسِهِ أَشْغَلَتْهُ عَنْ نَفْسِهِ، وَعَنِ الْقِتَالِ، ثُمَّ إِنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ خَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ فَجَعَلَ يَقُولُ: وَيْحَكُمُ أَيْنَ الْوَلِيدُ؟ وَأَبِيهِمْ لَئِنْ كَانُوا قَتَلُوهُ لَقَدْ أَدْرَكُوا ثَأْرَهُمْ، فَأَتَاهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَرَبِيٍّ الْكِنَانِيُّ فَقَالَ: هَذَا الْوَلِيدُ عِنْدِي، قَدْ أَصَابَتْهُ جِرَاحَةٌ، وَلَيْسَ عَلَيْهِ بَأْسٌ، ثُمَّ أَمَرَ عَبْدُ الْمَلِكِ بِيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنْ يُقْتَلَ، فَشَفَعَ فِيهِ أَخُوهُ
পৃষ্ঠা - ৭০১২


এর ঢাচ
৩!কে বর্শা এনে দেয় ! !তান বর্শ! দ্বার! আমরকে আঘাত করেন ! বর্শ! কোন কাজ করল ন! !
তিনি পুনরায় আ ;ফ্তে ক !বণ্! ! এর!রও কাজ হল না ! তৃতীয়বার মালিক হাত দ্বার! আমর এর
প!জরে তা! !!ত করেন ! এবার তিনি টের পান যে আমর বর্ন পরিহিত ! ফলে তিনি হেসে
ফেললেন এবং বললেন তুমি বর্ম পরে এসেছ ? তুমি প্রস্তুত হয়ে এসেছ ? গোলাম ! আমার
ধ!র!ল তরব!রিট! নিয়ে আস !’ পেন্ব্!লাম তরব!রি এনে দিলে তিনি আমরকে মাটিতে শুইয়ে
দেয়ার নির্দেশ দেন ! !প!ল!ম তাকে ধর!শ!য়ী করে ফেলে ! আব্দুল মালিক তার বুকের উপর
চড়ে বলেন এবং তাকে জবাই করে ফেলেন ! তখনও তিনি বলছিলেন
হে আমর ! তুমি যদি আমাকে গালমন্দ কর! ও আমার দে!ষচর্চা কর! ত্যাগ ন! কর,
তাহলে আমি তোমাকে মেরে ফেলব ! এমনকি পোকা মাকড় বলবে, আমাকে পান করাও ! ’
ইতিহাসঘিদগণ বলেছেন, আমর ইবন সাঈদকে জব!ই করার পর প্রচণ্ড ভয়ে আব্দুল
মালিক কেপে ওঠেন! যেমনিভাবে নলখ!পড়! কেপে থ!!,ক ! লোকদেরকে তাকে আমর এর
বুকের উপর থেকে ধরাধরি করে ন!মাতে ৩হয়েছে ! আমর এর বুকের উপর থেকে ন! !মিয়ে ত !রা
যখন তাকে তার সিং হাসনের উপর রাখে তখন তিনি বলছিলেন, ইতিপুর্বে আমি দুনিয়ার
হোক ব! আখির!তপন্থী হোক এর মত মানুষ কখনো দেখি নি’ ! তিনি আমর ইবন সাঈদ এর
মাথ!টা আব্দুর রহমান ইবন উম্মুল হ!কামের নিকট পাঠিয়ে দেন ! আব্দুর রহমান ইবন উম্মুল
হাকাম জনতার মাঝে উপস্থিত হয়ে সেটি তাদের মাঝে ছুড়ে মারেন ! অপর দিকে আব্দুল
আযীয ইবন মারওয়!ন বেশ কিছু র্তার্থ-সম্পদ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন এবং সেগুলো জনতার মাঝে
ছুড়ে মারেন ! জনতা সেগুলো ছে! মেরে নিয়ে নিতে শুরু করে ! কথিত আছে যে, পরে সেইসব
সম্পদ লোকদের থেকে ফিরিয়ে নিয়ে বাইতৃলমালে ফেরত দেয়! হয় ! আরে! কথিত আছে,
আব্দুল মালিক নামায়ের জন্য বের হওয়ার সময় যাকে আমর ইবন সাঈদকে হত্যা করার
দায়িতৃ প্রদান করেছিলেন ! তিনি হলেন আব্দুল মালিক এর গোলাম আবুয যায়ীযা অ! !
আল্লাহ্ই ভাল জানেন !
আমর ইবন সাঈদ খুন হওয়ার পর তার ভাই ইয়াহইয়! ইবন সাঈদ দলবল নিয়ে
র!জপ্রাসাদে ঢুকে পড়েন ! বনু মারওয়!ন তাদের মােক!বিলায় অবতীর্ণ হয় ! ফলে উভয় যুদ্ধে
লিপ্ত হয় এবং উভয় দলের বিপুল সংখ্যক লোক আহত হয় ! ইয়াহইয়! ইবন সাঈদ এর মাথায়
একটি পাথর আঘাত হ!নে ! তিনি নিক্রিয় হয়ে পড়েন !৩ তারপর আব্দুল মালিক ইবন মারওয়!ন
জামে মসজিদে গিয়ে মিম্বরে আরোহণ করে বললেন, তােমরা ধ্বংস হভু, ওলীদ কোথায় ?
তাদের ব!পের শপথ ! তার! যদি তাকে হত্যা করে থীকে তবে তো তার! তাদের প্রতিশোধ
নিয়ে নিয়েছে’! ই৩ ত!বসরে ইবরাহীম ইবন আদী আল-কিন!লী এসে বললেন, ওলীদ আমার
নিকটে আছেন ! তিনি জখম হয়েছেন ! তবে তার অবস্থা আশংকাজনক নয় ৷’
তারপর আব্দুল মালিক ইয়াহইয়! ইবন সাঈদকে হত্যা করার নির্দেশ দেন ! কিন্তু তার ভাই
আব্দুল আযীয়ইবন ম!রওয়ান তার নিকট ইয়াহইয়! ইবন সাঈদ ও তার সঙ্গীদের জন!
সুপারিশ করেন ! আব্দুল মালিক তাদেরকে হত্যা করার আদেশ দিয়েছিলেন ! আব্দুল আযীয

ণোমোঃ

عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مَرْوَانَ وَفِي جَمَاعَاتٍ آخَرِينَ مَعَهُ، كَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ قَدْ أَمَرَ بِقَتْلِهِمْ يَوْمَئِذٍ، فَشَفَّعَهُ فِيهِمْ وَأَمَرَ بِحَبْسِهِ فَسُجِنَ شَهْرًا، ثُمَّ سَيَّرَهُ وَبَنِي عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ وَأَهْلِيهِمْ إِلَى الْعِرَاقِ فَدَخَلُوا عَلَى مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ فَأَكْرَمَهُمْ وَأَحْسَنَ إِلَيْهِمْ. ثُمَّ لَمَّا انْعَقَدَتِ الْجَمَاعَةُ لِعَبْدِ الْمَلِكِ بَعْدَ مَقْتَلِ ابْنِ الزُّبَيْرِ - كَمَا سَيَأْتِي - وَفَدُوا عَلَيْهِ فَكَادَ يَقْتُلُهُمْ، فَتَلَطَّفَ بَعْضُهُمْ فِي الْعِبَارَةِ حَتَّى رَقَّ لَهُمْ رِقَّةً شَدِيدَةً، وَقَالَ: إِنَّ أَبَاكُمْ خَيَّرَنِي بَيْنَ أَنْ يَقْتُلَنِي أَوْ أَقْتُلَهُ، فَاخْتَرْتُ قَتْلَهُ عَلَى قَتْلِي، وَأَمَّا أَنْتُمْ فَمَا أَرْغَبَنِي فِيكُمْ وَأَوْصَلَنِي لِقَرَابَتِكُمْ وَأَرْعَانِي لِحَقِّكُمْ! فَأَحْسَنَ جَائِزَتَهُمْ وَقَّرَبَهُمْ، وَقَدْ كَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ بَعَثَ إِلَى امْرَأَةِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ أَنِ ابْعَثِي إِلَيَّ بِكِتَابِ الْأَمَانِ الَّذِي كُنْتُ كَتَبْتُهُ لِعَمْرٍو. فَقَالَتْ: إِنِّي دَفَنْتُهُ مَعَهُ لِيُحَاكِمَكَ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِنْدَ اللَّهِ. وَقَدْ كَانَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ وَعَدَ عَمْرَو بْنَ سَعِيدٍ هَذَا أَنْ يَكُونَ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ وَلَدِهِ عَبْدِ الْمَلِكِ كَلَامًا مُجَرَّدًا فَطَمِعَ فِي ذَلِكَ وَقَوِيَتْ نَفْسُهُ بِسَبَبِ ذَلِكَ. وَكَانَ عَبْدُ الْمَلِكِ يُبْغِضُهُ بُغْضًا شَدِيدًا مِنَ الصِّغَرِ، ثُمَّ كَانَ هَذَا صَنِيعَهُ إِلَيْهِ فِي الْكِبَرِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَذُكِرَ أَنَّ خَالِدَ بْنَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ قَالَ لِعَبْدِ الْمَلِكِ ذَاتَ يَوْمٍ: عَجَبٌ مِنْكَ وَمِنْ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، كَيْفَ أَصَبْتَ غِرَّتَهُ حَتَّى قَتَلْتَهُ؟ فَقَالَ: أَدْنَيْتُهُ مِنِّي لِيَسْكُنَ رَوْعُهُ ... فَأَصُولُ صَوْلَةَ حَازِمٍ مُسْتَمْكِنِ غَضَبًا وَمَحْمِيَةً لِدِينِي إِنَّهُ ... لَيْسَ الْمُسِيءُ سَبِيلُهُ كَالْمُحْسِنِ
পৃষ্ঠা - ৭০১৩
قَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ: وَهَذَا الشِّعْرُ لِلصَّبِيِّ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، تَمَثَّلَ بِهِ عَبْدُ الْمَلِكِ. وَرَوَى ابْنُ دُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي حَاتِمٍ، عَنِ الْعُتْبِيِّ أَنْ عَبْدَ الْمَلِكِ قَالَ: لَقَدْ كَانَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ دَمِ النَّوَاظِرِ، وَلَكِنَّ وَاللَّهِ لَا يَجْتَمِعُ فَحْلَانِ فِي الْإِبِلِ إِلَّا أَخْرَجَ أَحَدُهُمَا الْآخَرَ، وَإِنَّا لَكَمَا قَالَ أَخُو بَنِي يَرْبُوعٍ: أُجَازِي مَنْ جَزَانِي الْخَيْرَ خَيْرًا ... وَجَازِي الْخَيْرِ يُجْزَى بِالنَّوَالِ وَأَجْزِي مَنْ جَزَانِي الشَّرَّ شَرًّا ... كَمَا تُحْذَى النِّعَالُ عَلَى النِّعَالِ قَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ وَأَنْشَدَ أَبُو الْيَقْظَانِ لِعَبْدِ الْمَلِكِ فِي قَتْلِهِ عَمْرَو بْنَ سَعِيدٍ: صَحَّتْ وَلَا تَشْلَلْ وَضَرَّتْ عَدُوَّهَا ... يَمِينٌ أَرَاقَتْ مُهْجَةَ ابْنِ سَعِيدِ وَجَدْتُ ابْنَ مَرْوَانَ وَلَا تَبْلَ نَفْسُهُ ... شَدِيدًا ضَرِيرَ الْبَأْسِ غَيْرَ بَلِيدِ هُوَ ابْنُ أَبِي الْعَاصِي لِمَرْوَانَ يَنْتَمِي ... إِلَى أُسْرَةٍ طَابَتْ لَهُ وَجُدُودِ قَالَ الْوَاقِدِيُّ: أَمَّا حِصَارُ عَبْدِ الْمَلِكِ لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ الْأَشْدَقِ فَكَانَ فِي
পৃষ্ঠা - ৭০১৪

ইবন মারওয়ান তাদের ব্যাপারে আব্দুল মালিক-এর নিকট সুপারিশ করেন ৷ সেম৫ত তিনি
ইয়াহইয়৷ ইবন সাঈদ৫ক আটক করে রাখার নির্দেশ দেন ৷ ইয়াহইয়৷ ইবন সাঈদ একমাস
আটক থাকেন ৷ তারপর আব্দুল মালিক তাকে এবং আমর ইবন সাঈদ-এর ৫গাত্র ও তাদের
পরিবার-পরিজন৫ক ইরাক পাঠিয়ে দেন ৷ তারা মুসআব ইবনুয যুবাইরএর নিকট’ গি৫য়
উপস্থিত, হয় ৷ মুসআব তাদেরকে সম্মান করেন এবং তাদের সঙ্গে সদাচার করেন ৷ তারপর
ইবনুয যুবাইরএর হত্যার পর যখন সর্বসম্মতভাবে আব্দুল মালিক-এর বায়আত অনুষ্ঠিত হয়,
তখন তারা তার নিকট গি৫য় উপস্থিত হয় ৷ আব্দুল মালিক তাদেরকে হত্যা করতে উদ্যত হন ৷
কিন্তু তাদের কিছু লোক রক্তব্যে নমনীয়তা অবলম্বন করে ৷ ফলে তিনি তাদের জন্য অত্যন্ত
কোমল হয়ে যান ৷
আব্দুল মালিক বলেন ৫তামাদের পিতা আমাকে এই এবুতিয়ার দিয়েছিলেন, হয়৩ তিনি
(আমর ইবন সাঈদ) আমাকে হত্যা করবেন নয়তো আমি তাকে হত্যা করব ৷ ফলে আমি আমার
নিহত হওয়ার উপর তার নিহত হওয়া৫ক প্রাধান্য দিয়েছি ৷ আর তোমাদের ব্যাপারে তিনি
আমাকে কোন উৎসাহ দেন নি ৷ বরং তোমাদের আত্মীয়তার কারণে তিনি আমাকে কাছে ভিড়ি৫য়
রেখেছিলেন এবং তোমাদের অধিকারের ব্যাপারে আমার রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন ৷’ মোটকথা,
আব্দুল মালিক তাদেরকে উত্তম পুরস্কার প্রদান করেন এবং৩ তাদের আত্মীয়তার মুল্যায়ন করেন ৷
আব্দুল মালিক আমর ইবন সাঈদ-এর শ্রীর নিকট সংবাদ প্রেরণ করেন যে, আমর-এর
নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে চুক্তি লিপিবদ্ধ করেছিলাম, সেই পত্রটি আমার নিকট পাঠিয়ে দিন ৷ আমর-
এর শ্রী বললেন, আমি সেটি তার সঙ্গে দাফন করে দিয়েছি যাতে তিনি কিয়াম৫তর দিন আল্লাহর
নিকট এর মাধ্যমে আপনার বিচার পেতে পারেন ৷ ’
মারওয়ান ইবনৃল হাকাম এই আমর ইবন সাঈদকে মৌখিকভা৫ব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন
যে, তার পুত্র আব্দুল মালিক-এর পরে তিনি সিংহাস৫নর অধিকারী হ৫বন৷ কিন্তু আব্দুল মালিক
যে; ক্ষেত্রে লো৫ভ ;পড়ে যান এবং সে কারণে কঠোর হয়ে যান ৷ তা ছাড়া আব্দুল মালিক শৈশব
থেকেই আমর ইবন সাঈদএর প্রতি প্রচণ্ড বি৫দ্বষ পোষণ করতেন এবং পরিণত বয়সে তার
ব্যাপারে এটা তার স্থায়ী চরিত্রের রুপ ধারণ করে ৷ ইবন জারীর বলেন, বর্ণিত আছে যে,
খালিদ ইবন মুআবিয়া একদিন আব্দুল মালিৰু৫ক বলেছেন, ৫তামার এবংঅ আমর ইবন
সাঈ৫দর ঘটনাটা বিস্ময়কর ! ভুমি কিভাবে ললাট চেপে ধরে আমর ইবন সাঈদ৫ক হত্যা
ক৫রছি৫ল ?’ জবাবে আব্দুল মানিক বললেন,



আমি তাকে আমার কাছে টেনে এসেছি, যাতে তার ভয় বিদুরিত হয় এবং আমি আমার
দীনি মর্যাদা৫বাধ এবং ৫ক্ষাভ নিরসনকল্পে তা৫ক চুড়ান্তুভা৫ব হামলা করতে পারি ৷ নিশ্চয়
পাপিষ্ঠ লোকের পথ সৎকর্মপরায়ণদের মত নয় ৷’

খলীফা ইবন খইিয়াত বলেছেন, এই কবিতাটি যাবী ইবন আবু রাকি এর ৷ আব্দুল মালিক
একে দৃষ্ট৷ ন্তস্বরুপ আবৃত্তি করেছেন ৷
ইবন দুরাইদ আবু হ্াতিম সুত্রে শাবী থেকে বর্ণনাক৫রছেন যে, আব্দুল মালিক বলেছেন,

আমর ইবন সাঈদ আমার নিকট চোখের অশ্রু অপেক্ষা প্রিয় জ্জি ৷ কিন্তু দু’টি র্ষাড় উট একত্রিত

অালষ্বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৬৯

ামোঃ (হ্র ৫৷ ৷ব্র ৷৷€ র্নো০ ওো৷া



سَنَةِ تِسْعٍ وَسِتِّينَ رَجَعَ إِلَيْهِ مَنْ بُطْنَانَ، فَحَاصَرَهُ بِدِمَشْقَ، وَأَمَّا قَتْلُهُ إِيَّاهُ فَكَانَ فِي سَنَةِ سَبْعِينَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ الْأَشْدَقِ هُوَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، أَبُو أُمَيَّةَ الْقُرَشِيُّ الْأُمَوِيُّ، الْمَعْرُوفُ بِالْأَشْدَقِ، يُقَالُ: إِنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَوَى عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: «مَا نَحَلَ وَالِدٌ وَلَدًا أَحْسَنَ مِنْ أَدَبٍ حَسَنٍ» . وَحَدِيثًا آخَرَ فِي الْعِتْقِ. وَرَوَى عَنْ عُمَرَ، وَعُثْمَانَ، وَعَلِيٍّ وَعَائِشَةَ، وَحَدَّثَ عَنْهُ بَنُوهُ؛ أُمَيَّةُ وَسَعِيدٌ، وَمُوسَى وَغَيْرُهُمْ. وَاسْتَنَابَهُ مُعَاوِيَةُ عَلَى الْمَدِينَةِ، وَكَذَلِكَ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ بَعْدَ أَبِيهِ كَمَا تَقَدَّمَ. وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ، وَمِنَ الْكُرَمَاءِ الْمَشْهُورِينَ، يُعْطِي الْكَثِيرَ، وَيَتَحَمَّلُ الْعَظَائِمَ، وَكَانَ وَصِيَّ أَبِيهِ مِنْ بَيْنِ بَنِيهِ، وَكَانَ أَبُوهُ - كَمَا
পৃষ্ঠা - ৭০১৫
قَدَّمْنَا - مِنَ الْمَشَاهِيرِ الْكُرَمَاءِ، وَالسَّادَةِ النُّجَبَاءِ. قَالَ عَمْرٌو: مَا شَتَمْتُ رَجُلًا مُنْذُ كُنْتُ رَجُلًا، وَلَا كَلَّفْتُ مَنْ قَصَدَنِي أَنْ يَسْأَلَنِي ; لَهُوَ أَمَنُّ عَلَيَّ مِنِّي عَلَيْهِ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ: خُطَبَاءُ النَّاسِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ: الْأَسْوَدُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَسُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو، وَخُطَبَاءُ النَّاسِ فِي الْإِسْلَامِ: مُعَاوِيَةُ وَابْنُهُ، وَسَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ وَابْنُهُ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ثَنَا حَمَّادٌ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، أَخْبَرَنِي مَنْ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَيُرْعَفَنَّ عَلَى مِنْبَرِي جَبَّارٌ مِنْ جَبَابِرَةِ بَنِي أُمَيَّةَ حَتَّى يَسِيلَ رُعَافُهُ» . قَالَ: فَأَخْبَرَنِي مَنْ رَأَى عَمْرَو بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ رَعَفَ عَلَى مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى سَالَ رُعَافُهُ. وَهُوَ الَّذِي كَانَ يَبْعَثُ الْبُعُوثَ إِلَى مَكَّةَ بَعْدَ وَقْعَةِ الْحَرَّةِ أَيَّامَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ لِقِتَالِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَنَهَاهُ أَبُو شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيُّ، وَذَكَرَ لَهُ الْحَدِيثَ الَّذِي سَمِعَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي تَحْرِيمِ مَكَّةَ فَقَالَ: نَحْنُ أَعْلَمُ بِذَلِكَ مِنْكَ يَا أَبَا شُرَيْحٍ، إِنَّ الْحَرَمَ لَا يُعِيذُ عَاصِيًا وَلَا فَارًّا بِدَمٍ وَلَا فَارًّا بِخَرْبَةٍ. الْحَدِيثَ كَمَا تَقَدَّمَ، وَهُوَ فِي الصَّحِيحَيْنِ. ثُمَّ إِنَّ مَرْوَانَ دَخَلَ إِلَى مِصْرَ بَعْدَمَا دَعَا إِلَى
পৃষ্ঠা - ৭০১৬


হলে একটি অপরটিাক না তাড়িয়ে ছাড়ে না ৷ আমাদের দৃষ্টান্ত হল, যেমন বনু ইয়ারবু এর
করি বলেছেন




যে ব্যক্তি আমাকে উত্তম বিনিময় দান করে, আমিও তাকে উত্তম বিনিময় প্রদান করি ৷ আর
উত্তম বিনিময় প্রদানকারী বখৃশিশসহ বিনিময় প্রদান করে থাকে৷ আর যে আমাকে মন্দ
বিনিময় দেয়, আমিও তাকে মন্দ বিনিময় প্রদান করে থাকি ৷ যেমন, এক জুতা অপর জুতার
সাথে তালি দেয়া হয়ে থাকে ৷

খলিফা ইবন খাইয়াত বলেন, আব্দুল মালিক যে আমর ইবন সাঈদকে হত্যা করেছেন, সে
ব্যাপারে আবুল ইয়াক্যান আব্দুল মালিক সম্পর্কে বলেছেন,




যে শপথ ইবন সাঈদ এর রক্ত প্রবাহিত করেছে, সেই শপথ সঠিক প্রমাণিত হয়েছে ৷ ব্যর্থ

হয়নি এবং শত্রুর ক্ষতিসাধন করেছে ৷’

আমি মারওয়ানের পুত্রাক এমন অবস্থায় পেয়েছি যে, তার কোন বুদ্ধি সুদ্ধি ৷নই ৷ যে মানুষের
প্রচণ্ড ক্ষতিকারক এবং নিাবাধ ৷ মারওয়ান এবং তার পিতৃপুরুাষর তুলনায় সে আবুল আস-এর
বংশধর, একটি সম্রাম্ভ পরিবার পর্যন্ত গিয়ে যার সমাপ্তি ঘটে ৷

ওয়াকিদী বলা৩ ন, আব্দুল মালিক কর্তৃক আমর ইবন সাঈদ এর অবরোধের ঘটনা
সংঘটিত হয়েছিল উনসত্তর হিজরী সনে ৷ বাতনান থেকে ফিরে এসে তিনি দামেশৃকে তাকে
এই অবরোধ করেছিলেন ৷ তারপর তার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় সত্তর হিজ্যধীতে ৷ আল্লাহ্ই
ভাল জানেন ৷

আল-আশৃদাক-এর জীবন-চরিত

, তার নাম আমরইবন সাঈদ ইবনুল আছ ইবন উমাইয়া ইবন আবৃদ:শাম্স আবু উমাইয়া
আল-কুরাশী আলউমাবী ৷ তার ডাকনাম ছিল আলআশৃদাক ৷ কথিত আছে যে, তিনি
রাসুলুল্পাহ্ (না) কে দেখেছেন এবং তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তন্মধ্যে একটি হাদীস
হল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলোছনং কোন
পিত ৷ সন্তানাক উত্তম আদর অপেক্ষা উত্তম আর কিছু দান করে না ৷’ তিনি দাসমুক্তি বিষয়েও
একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তাছাড়া৩ তিনি উমর, উ সমান, আলী এবং স্লায়শা (না) থেকেও
হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আবার তার থেকেও তার পুত্র উমাইয়া, সাঈদ ও মুসা প্রমুখ হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ হযরত মু আবিয়৷ (রা)৩ তাকে মদীনায় শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছিলেন ৷ অনুরুপ
পিতার পর ইয়াযীদ ইবন মু আবিয়াত্ত তাকে নায়ব নিযুক্ত করেছিলেন ৷ তিনি ছিলেন



১ এটার সম্ভাবনা ক্ষীণ ৷ কেননা, তার পিতা সাঈাদর জন্মসাল ছিল এক বর্ণনা মতে হিজরতের বছর ৷ অপর
বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ (সা) এর ইনতিকালের সময় সাঈদের বয়স ছিল নয় বছর ৷


بَيْعَةِ نَفْسِهِ، وَاسْتَقَرَّ لَهُ الشَّامُ وَدَخَلَ مَعَهُ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ فَفَتَحَ مِصْرَ، وَقَدْ كَانَ وَعَدَ عَمْرًا أَنْ يَكُونَ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَأَنْ يَكُونَ قَبْلَ ذَلِكَ نَائِبًا بِدِمَشْقَ، فَلَمَّا قَوِيَتْ شَوْكَةُ مَرْوَانَ رَجَعَ عَنْ ذَلِكَ، وَجَعَلَ الْأَمْرَ مِنْ بَعْدِ عَبْدِ الْمَلِكِ لِوَلَدِهِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَخَلَعَ عَمْرَو بْنَ سَعِيدٍ مِنْ ذَلِكَ، فَمَا زَالَ ذَلِكَ فِي نَفْسِهِ، حَتَّى كَانَتْ هَذِهِ السَّنَةُ، وَعَزَمَ عَبْدُ الْمَلِكِ عَلَى الدُّخُولِ إِلَى الْعِرَاقِ لِقِتَالِ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ، فَرَجَعَ مِنْ جَيْشِهِ وَدَخَلَ عَمْرٌو دِمَشْقَ وَتَحَصَّنَ بِهَا، وَأَجَابَهُ أَهْلُهَا، فَاتَّبَعَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ فَحَاصَرَهُ، ثُمَّ اسْتَنْزَلَهُ عَلَى أَمَانٍ صُورِيٍّ، ثُمَّ قَتَلَهُ كَمَا قَدَّمْنَا. وَكَانَ ذَلِكَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى الْمَشْهُورِ عِنْدَ الْأَكْثَرِينَ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ، وَأَبُو سَعِيدِ بْنُ يُونُسَ: سَنَةَ سَبْعِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنَ الْغَرِيبِ مَا ذَكَرَهُ هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْكَلْبِيُّ بِسَنَدٍ لَهُ: أَنْ رَجُلًا سَمِعَ فِي الْمَنَامِ قَائِلًا يَقُولُ عَلَى سُورِ دِمَشْقَ قَبْلَ أَنْ يَخْرُجَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ بِالْكُلِّيَّةِ، وَقَبْلَ قَتْلِهِ بِمُدَّةٍ، هَذِهِ الْأَبْيَاتِ: أَلَا يَا لِقَوْمِي لِلسَّفَاهَةِ وَالْوَهْنِ ... وَلِلْفَاجِرِ الْمَوْهُونِ وَالرَّأْيِ ذِي الْأَفْنِ وَلِابْنِ سَعِيدٍ بَيْنَمَا هُوَ قَائِمٌ ... عَلَى قَدَمَيْهِ خَرَّ لِلْوَجْهِ وَالْبَطْنِ رَأَى الْحِصْنَ مَنْجَاةً مِنَ الْمَوْتِ فَالْتَجَا ... إِلَيْهِ فَزَارَتْهُ الْمَنِيَّةُ فِي الْحِصْنِ قَالَ: فَأَتَى الرَّجُلُ عَبْدَ الْمَلِكِ فَأَخْبَرَهُ، فَقَالَ: وَيَحَكَ، سَمِعَهَا مِنْكَ أَحَدٌ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: ضَعْهَا تَحْتَ قَدَمَيْكَ. ثُمَّ بَعْدَ ذَلِكَ خَلَعَ عَمْرٌو الطَّاعَةَ، وَقَتَلَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ أَيْضًا أَبُو الْأَسْوَدِ الدُّؤَلِيُّ وَيُقَالُ: الدِّيلِيُّ. قَاضِي الْبَصْرَةَ، تَابِعِيٌّ جَلِيلٌ، وَاسْمُهُ ظَالِمُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سُفْيَانَ بْنِ جَنْدَلِ بْنِ يَعْمَرَ بْنِ حِلْسِ بْنِ نُفَاثَةَ بْنِ عَدِيِّ بْنِ الدُّئِلِ بْنِ بَكْرٍ أَبُو
পৃষ্ঠা - ৭০১৭


মুসলমানদের নেতৃস্থানীয় ও খ্যাতিমান সম্মানিত ব্যক্তিবর্পের একজন ৷ এ বিষয়ে পুর্বে
আলোচনা হয়েছে ৷ তিনি অত্যধিক পরিমাণ দান খয়রাত করতেন এবং কঠিন কঠিন বিপদ
সহ্য করতেন ৷ পিতার অন্যান্য পুত্রদের মাঝে তিনি ছিলেন তার প্রতিনিধি (ওয়াসী) ৷ তার
পিত ৷ বিখ্যাত সম্মা ৷নিতদের এবং সম্রান্ত লেতৃন্থানীয়ল্কদর একজন ছিলেন ৷ যেমনটি আমরা পুর্বে
উল্লেখ করেছি ৷
আমর বলেছেন, আমি বয়৪প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে কাউকে পালি দেইনি এবং কিছু
চাওয়ার জন্য যে আমার নিকট এসেছে,৩ তাকে আমি কষ্ট দেইনি ৷ ফলে আমি তার যতটুকু
উপকার করেছি, যে আমাকে তার চাইতে বেশী প্ৰতিদান দিয়েছে’ ৷
সাঈদ ইবন মুসায়্যাব বলেন, জা ৷হেলী যুগে মানুষের খতীব ছিলেন আসওয়াদ ইবন আব্দুল
মুত্তালিব ও সুহাইল ইবন আমর ৷ আর ইসলামে মানুষের খতীব হলেন মুআবিয়া ও তার পুত্র
সাঈদ ইবনুল আস ও তার পুত্র এবং আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) ৷
আব্দুস সামাদ সুত্রে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেছেন যে, আবু হুরায়রা (বা) বলেছেন,
আমি রাসুলুল্লাহ্ (সার্চু কে বলতে ওনেছি, বনু উমইিয়্যার স্বৈরাচারী শাসকদের কোন এক
শাসক আমার মিম্বরের উপর নাক থেকে রক্ত ঝরাবে ৷ এমনকি তার নাক-নিসৃত রক্ত
প্রবাহিত হয়ে ৷ ’
আমর ইবন সাঈদ সেই ব্যক্তি, যিনি ইয়াযীদ ইবন মু আবিয়ার যুগে হারবার ঘটনার পর ইবন
যুবইির এর সঙ্গে যুদ্ধ বন্মার জন্য মক্কা অভিমুখে অভিযান প্রেরণ করতেন ৷ কিন্তু আবু শুরইিহ্
আল খুযায়ী তাকে বারণ করেছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে মক্কার মর্যাদা সংরক্ষণ সং ক্রাম্ভ
যে হাদীসটি ওনেছিলেন, সেটি তাকে ওনিয়েছিলেন ৷ জবাবে আমর ইবন সাঈদ বলেছিলেন, এ
ব্যাপারে তোমার অপেক্ষা আমি ভাল জানি হে শুরইিহ ! হারাম না আশ্রয় দেয় কোন পাপিষ্ঠকে না
খুন করে পলায়নকারীকে, না জিযিয়া না দিয়ে পলায়নকারীকে ৷ এ হাদীসটি সহীহ্ বুখারী ও
মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে ৷ তারপর মারওয়ান জনগণকে নিজের আনুগত্যের আহবান করার এবং
সিরিয়ার তীর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মিশর প্রবেশ করেন ৷ তার সঙ্গে আমর ইবন সাঈদও
ছিলেন ৷ তিনি মিশর জয় করে ফেলেন ৷ তিনি আমরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, আব্দু৷ মালিক-
এর পর তিনি সিংহাসনের অধিকারী হবেন এবং তার আগে তিনি দামেশবেল্ম গভর্নর নিযুক্ত
হবেন ৷ কিন্তু পরে যখন মারওয়ান-এর ক্ষমতা পােক্ত হল, তখন তিনি সেইপ্রতিশ্রুতি থেকে ফিরে
গেলেন এবং নিজ পুত্র আব্দুল আযীযকে সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধীকারী মনোনীত করে ফেলেন
ও আমরের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন ৷ পুর্বে বর্ণিত ঘটনাবলী সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত তিনি এই
মানসিকতাই পোষণ করতে থাকেন ৷ ফলে আমর দামেশকে প্রবেশ করে সেখানেদুর্গ স্থাপন করেন
বংসেখানকার জনগণ তার ডাকে সাড়া দেয় ৷ বিস্তু আব্দুল মালিক র্তাকে অবরোধ করে ফেলেন
এবং নিরাপত্তার নাম করে তাকে বের করে আনেন ৷ তারপর তাকে হত্যা করেন, যেমনটি আমরা
পুর্বে উল্লেখ করেছি ৷
অধিকাংশ ইতিহাসবিদের নিকট প্রসিদ্ধ অভিমত হল, এসব ঘটনা এ বছর সংঘটিত
হয়েছে ৷ ওয়াকিদী ও আবু সাঈদ ইবন ইউনুসএর মতে এটা সত্তর হিজরী সনের ঘটনা ৷
আল্লাহ ভাল জানেন ৷ হিশাম ইবন মুহাম্মদ আল-কালবী বর্ণিত একটি দুর্লভ বর্ণনা আছে যে,



১ তার পিতার মৃত্যুকালে তার ঋণের পরিমাণ ছিল ৮০ হাজার দীনার ৷ যা তার পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হয় ৷


الْأَسْوَدِ، الَّذِي نُسِبَ إِلَيْهِ عِلْمُ النَّحْوِ وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ تَكَلَّمَ فِيهِ، وَإِنَّمَا أَخَذَهُ عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي اسْمِهِ عَلَى أَقْوَالٍ ; أَشْهَرُهَا أَنَّ اسْمَهُ ظَالِمُ بْنُ عَمْرٍو. وَقِيلَ: عَكْسُهُ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: اسْمُهُ عَوَيْمِرُ بْنُ ظُوَيْلِمٍ. قَالَ: وَقَدْ أَسْلَمَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَرَهُ، وَشَهِدَ الْجَمَلَ مَعَ عَلِيٍّ، وَهَلَكَ فِي وِلَايَةِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعِجْلِيُّ: كَانَ ثِقَةً، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ تَكَلَّمَ فِي النَّحْوِ، وَقَالَ ابْنُ مَعِينٍ وَغَيْرُهُ: مَاتَ فِي طَاعُونِ الْجَارِفِ سَنَةَ تِسْعٍ وَسِتِّينَ. قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ، وَقِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ فِي خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَقَدْ كَانَ ابْتِدَاؤُهَا فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَتِسْعِينَ. قُلْتُ: وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا. قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ وَغَيْرُهُ: كَانَ أَوَّلَ مَنْ أَلْقَى إِلَيْهِ عِلْمَ النَّحْوِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৭০১৮


আমর ইবন সাঈদ-এর সম্পুর্ণরুপে বিদ্রোহী হওয়ার এবং নিহত হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে
এক ব্যক্তি স্বপ্নে জনৈক ব্যক্তিকে দামেশকের দেয়ালের উপর দাড়িয়ে নিম্নলিখিত পঙ্ক্তিগুলাে
আবৃত্তি করতে শুনেছে :
ধ্;াএ
হে লোকসকল ৷ তোমরা নির্বোধ, দুর্বল, পাপিষ্ঠ ও অস্থিরচিত্ত লোকটির ব্যপারে সতর্ক
থাক ৷ তোমরা দুঃখ প্রকাশ কর ইবন সাঈদ এর জন্য ৷ লোকটি তার দু’ পায়ের উপর দণ্ডায়মান
ছিল ৷ হঠাৎ সে উপুড় হয়ে লুটিয়ে পড়ল ৷ সে দুর্গকে মৃত্যু থেকে নিরাপদ স্থান মনে করেজ্যি ৷
ফলে সেখানে পিত্তুয় সে আশ্রয় নিয়েছিল ৷ কিন্তু মৃত্যু দুর্গে গিয়েই তার সঙ্গে সাক্ষাত্করেছে ৷’
বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি আব্দুল মালিক এর নিকট এসে তাকে স্বপ্ন সম্পর্কে অব
করে ৷ শুনে আব্দুল মালিক বললেন, তােমার ধ্বংস হোক, কেউ কি ৫৩ামার থেকে এ কাহিনী
শুনেছে ? লোকটি বলল, না ৷’ আব্দুল মালিক বললেন, তাহ লে৩ ৩াকে তোমার দু পায়ের নীচে
রেখে দাও ৷’ বর্ণনাকারী বলেন, তারপরই আমর আনুগত্য ত্যাগ করেন এবং আব্দুল মালিক
ইবন মারওয়ান তাকে হত্যা করে ফেলেন ৷
কথিত আছে যে, আব্দুল মালিক যখন আমর ইবন সাঈদকে অবরোধ করেন, তখন তিনি
তীর নিকট পত্র লিখেন যে, আমি আল্লাহ্ ও আত্মীয়তার দোহাই দিয়ে বলছি, তুমি তোমার
পরিবারের ব্যাপারটি ত্যাগ কর এবং৩ তারা যে পরি৷ স্থতির শিকার হয়েছে, তাদেরকে সে
অবস্থায় ফেলে রাখ ৷ কেননা, তুমি যা করেছ, তাতে আমাদের বিপক্ষে ইবন যুব৷ ৷ইব-এর শক্তি
বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ সুতরাং তুমি তোমার বায়আতের দিকে ফিরে আস ৷ তোমার জন্য আমার
যিম্মায় আল্লাহ্র প্রজ্যিতি ৩রয়েছে ৷ তিনি তার জন্য ঈমানের দোহ্াই দিয়ে শক্ত শপথ করেন
যে, আমার পরে তৃমিই সিংহাসনের অধিকারী হবে ৷৩ তারা দু জন পরস্পর একটি চুক্তি লিপিবদ্ধ
করেন ৷ এভাবে আমর প্রতারণার শিকার হন এবং আব্দুল মালিক এর জন্য দামেশৃকের দরজা
খুলে দেন ৷ ফলে আব্দুল মালিক তাতে প্রবেশ করেন ৷ তারপর দুজনের মাঝে যেসব ঘটনা
সংঘটিত হয়েছে তা আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি ৷

এ বছর যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ইনতিকাল করেন
আবুল আসওয়াদ আদ-দুয়ালী

তাকে আদ-দায়লীও বলা হয় ৷ তিনি ছিলেন কুফার কাজী ও মহান তাবেয়ী ৷ তার নাম
জালিম ইবন আমর ইবন সুফিয়ান ইবন জানদাল ইবন ইয়ামুর ইবন জালস ইবন শাবাহা ইবন
আদী ইবন আদ-দুয়াল ইবন বকর ৷ ইনি সেই আবুল আসওয়াদ, যাকে ইলমুন নাহু ( ,১১)এর
আবিষ্কারক বলা হয় ৷ কথিত আছে যে, ইনিই সর্বপ্রথম ইলমুন নাহু সম্পর্কে কথা বলেছেন ৷
তিনি আমীরুল মু’মিনীন আলী ইবন আবী তালিব (রা) থেকে তা অর্জন করেছেন ৷ তার নামের
ব্যাপারে একাধিক অভিমত রয়েছে ৷ প্রসিদ্ধ অভিমত হল, তার নাম জালিম ইবন আমর ৷ কেউ
কেউ বলেছেন, তার উল্টে৷ ৷ ওয়াকিদী বলেন, তার নাম উয়াইমির ইবন জুয়াইলিম ৷ ওয়াকিদী
বলেন, তিনি নবী করীম (না)-এর জীবদ্দশায় ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ তবে তিনি তাকে


طَالِبٍ وَذَكَرَ لَهُ أَنَّ الْكَلَامَ اسْمٌ وَفِعْلٌ وَحَرْفٌ، ثُمَّ إِنَّ أَبَا الْأَسْوَدِ نَحَا نَحْوَهُ وَفَرَّعَ عَلَى قَوْلِهِ، وَسَلَكَ طَرِيقَهَ فَسُمِّيَ هَذَا الْعِلْمُ النَّحْوَ لِذَلِكَ. وَكَانَ الْبَاعِثَ لِأَبِي الْأَسْوَدِ عَلَى بَسْطِ ذَلِكَ تَغَيُّرُ لُغَةِ النَّاسِ، وَدُخُولُ اللَّحْنِ فِي كَلَامِ بَعْضِهِمْ أَيَّامَ وِلَايَةِ زِيَادٍ عَلَى الْعِرَاقِ، وَكَانَ أَبُو الْأَسْوَدِ مُؤَدِّبَ بَنِيهِ ; فَإِنَّهُ جَاءَ رَجُلٌ يَوْمًا إِلَى زِيَادٍ فَقَالَ: تُوُفِّيَ أَبَانَا وَتَرَكَ بَنُونَ، فَأَمَرَهُ زِيَادٌ أَنْ يَضَعَ لِلنَّاسِ شَيْئًا يَهْتَدُونَ بِهِ إِلَى مَعْرِفَةِ كَلَامِ الْعَرَبِ. وَيُقَالُ: إِنَّ أَوَّلَ مَا وَضَعَ مِنْهُ بَابُ التَّعَجُّبِ ; مِنْ أَجْلِ أَنَّ ابْنَتَهُ قَالَتْ لَهُ لَيْلَةً: يَا أَبَهْ، مَا أَحْسَنُ السَّمَاءِ! فَقَالَ: نُجُومُهَا. فَقَالَتْ: إِنِّي لَمْ أَسْأَلْ عَنْ أَحْسَنِهَا، إِنَّمَا تَعَجَّبْتُ مِنْ حُسْنِهَا. فَقَالَ قُولِي: مَا أَحْسَنَ السَّمَاءَ! قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ: وَقَدْ كَانَ أَبُو الْأَسْوَدِ يَبْخَلُ، وَكَانَ يَقُولُ: لَوْ أَطَعْنَا الْمَسَاكِينَ فِي أَمْوَالِنَا لَكُنَّا مِثْلَهُمْ، وَعَشَّى لَيْلَةً مِسْكِينًا، ثُمَّ قَيَّدَهُ وَبَيَّتَهُ عِنْدَهُ، وَمَنَعَهُ أَنْ يَخْرُجَ لَيْلَتَهُ تِلْكَ ; لِئَلَّا يُؤْذِيَ الْمُسْلِمِينَ بِسُؤَالِهِ، فَقَالَ لَهُ الْمِسْكِينُ: أَطْلِقْنِي. فَقَالَ: هَيْهَاتَ، إِنَّمَا عَشَّيْتُكَ لِأُرِيحَ مِنْكَ الْمُسْلِمِينَ اللَّيْلَةَ. فَلَمَّا أَصْبَحَ أَطْلَقَهُ. وَلَهُ شِعْرٌ حَسَنٌ - رَحِمَهُ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ৭০১৯


দেখেননি ৷ তিনি জামাল যুদ্ধে অং শঃাহণ করেন এবং উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ এর শাসনামলে
ইনতিকাল করেছেন ৷ ইয়াহইয়া ইবন মাঈন ও আহমাদ ইবন আবদুল্লাহ্ আল আজালী
বলেছেন, তিনি নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন এবং তিনিই সর্বপ্রথম নাহ্ব সম্পর্কে কথা বলেছেন ৷
ইবন মাঈন প্রমুখ বলেন, তিনি উনসত্তর হিজরী সনে ৫প্লগে আক্রান্ত হয়ে ইনতিকাল করেন ৷

ইবন খাল্লিকান বলেন, কথিত আছে যে, তিনি উমর ইবন আব্দুল আযীয-এর খিলাফ্ত
আমলে ইনতিকাল করেন ৷ আর উমর ইবন আব্দুল আষীযএর খিলাফত শুরু হয়েছিল
নিরানব্বই হিজরীতে ৷ আমার মতে এই অজািতটি অত্যন্ত গরীব পর্যায়ের ৷ ইবন খাল্লিকান
প্রমুখ বলেন, আলী ইবন আবী তালিব (রা) সর্বপ্রথম তাকে ইলমুন নাহ্ব এর ধারণা প্রদান
করেন এবং তাকে জানান যে, কালাম হল-ইসৃম, ফেল ও হরফ ৷ পরে আবুল আসওয়াদ
তাকে অনুসরণ করেন, তার বক্তব্যের সুত্র ধরে শ্া৷খা-প্রশাখ৷ বের করেন এবং তার পথ ধরে
পথ চলেন ৷ তাই পরবর্তীতে এর নাম রাখেন ইলমুন নাহ্ব ৷ আর যে বিষয়টি আবুল
আসওয়াদকে এ কাজের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে তা হল মানুষের ভাষার বিবর্তন এবং যিয়াদ এর
ইরাক শাসনামলে মানুষের ভাষায় ভুলের অনুপ্রবেশ ৷ আবুল আসওয়াদ যিয়াদ এর পুত্রদের
ওস্তাদ ছিলেন ৷ এ ক দিন এক ব্যক্তি যিয়াদ এর নিকট এসে বলল


তখনই যিয়াদ তাকে বলেন, মানুষের জন্য এমন একটা কিছু আবিষ্কার করুন, যার মাধ্যমে
তারা আরবী ভাষার সঠিক পরিচয় লাভ করতে পারে৷ কথিত আছে যে, আবুল আসওয়াদ
সর্বপ্রথম তা আজ্জব অধ্যায় উদ্ভাবন করেন ৷ত তার পটভুমি হল, আবুল আসওয়াদ এর কন্যা
এক রাতে তাকে বলল--


আবুল আসওয়াদ বললেন, ৷রু; কন্যা বলল, আমি আপনাকে আকাশের সবচাইতে
সুন্দর বস্তু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিনি ৷ আমিত ৷র সৌন্দর্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছি ৷ তখন আবুল
আসওয়াদ বললেন, তাহলে তুমি

ইবন খাল্লিকান বলেন, আবুল আসওয়াদ কার্পণ্য করতেন ৷ তিনি বলভ্রু ত,ন আমরা যদি
আমাদের ধন সম্পদে মিসকীনদের অনুসরণ কবি,৩ তাহলে আমরা অবশ্যই তাদের মত হয়ে
যাব ৷ এক রাতে তিনি একজন মিসকীনকে খাবার খাওয়ান ৷ পরে তাকে আটক করে
রাখেন, তাকে নিজের নিকট রাত যাপনে বাধ্য করেন এবং সে রাতে তাকে বের হতে রাবণ
করেন, যাতে ভিক্ষার মাধ্যমে সে মুসলমানদেরকে কষ্ট দিতে না পারে ৷ মিসকীন তাকে
বলল, আপনি আমাকে ছেড়ে দিন ৷ তিনি বললেন, তা হবে না ৷ আমি এই রাতটা
মুসলমানদেরকে তোমার ভিক্ষার কষ্টদান থেকে রেহাই দেয়ার জন্য তোমাকে রাতের
খাবার খাইয়েছি ৷ অবশেষে যখন ভোর হল, তখন তিনি তাকে ছেড়ে দেন ৷ তার সুন্দর
কবিতা রয়েছে ৷

ইবন জারীর বলেন, এ বছর আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) লোকদের নিয়ে হজ্জ পরিচালনা

করেন ৷ একজন খারেজী মিনার স্বাধীনতা ঘোষণা করলে আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর হুজরার নিকট
তাকে হত্যা করে ফেলেন ৷ বিগত বছর যারা বিভিন্ন শহরে প্রতিনিধি ছিলেন, এ বছরও তারাই
প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন ৷




قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَقَدْ أَظْهَرَ خَارِجِيٌّ التَّحْكِيمَ بِمِنًى فَقُتِلَ عِنْدَ الْجَمْرَةِ. وَالنُّوَّابُ فِيهَا هُمُ الَّذِينَ كَانُوا فِي السَّنَةِ الَّتِي قَبْلَهَا. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ جَابِرُ بْنُ سَمُرَةَ بْنِ جُنَادَةَ ، لَهُ صُحْبَةٌ وَرِوَايَةٌ، وَلِأَبِيهِ أَيْضًا صُحْبَةٌ وَرِوَايَةٌ. نَزَلَ الْكُوفَةَ وَبِهَا تُوُفِّيَ هَذِهِ السَّنَةَ، وَقِيلَ: تُوُفِّيَ سَنَةَ سِتٍّ وَسِتِّينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. أَسْمَاءُ بِنْتُ يَزِيدَ بْنِ السَّكَنِ الْأَنْصَارِيَّةُ ، بَايَعَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَتَلَتْ بِعَمُودِ خَيْمَتِهَا يَوْمَ الْيَرْمُوكِ تِسْعَةً مِنَ الرُّومِ لَيْلَةَ عُرْسِهَا، وَسَكَنَتْ دِمَشْقَ وَقَبْرُهَا بِبَابِ الصَّغِيرِ. حَسَّانُ بْنُ مَالِكِ بْنِ بَحْدَلٍ، الْأَمِيرُ أَبُو سُلَيْمَانَ الْبَحْدَلِيُّ
পৃষ্ঠা - ৭০২০

জাবির ইবন সামুরা ইবন জুনদাে (বা)

তীর সাহাবী হওয়া ও রাসুল (সা) থেকে হাদীস বর্ণনা করা প্রমাণিত ৷ তার পিতাও সাহাবী
ছিলেন ও রাসুল (সা) থেকে হাদীস রেওয়ায়াত করেছেন ৷ কারো কারো মতে, তিনি ছেষট্টি
হিজরীতে ইনতিকাল করেছেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷

আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রা)

আসমা বিনতে ইয়াযীদ ইবনুস সাক ন আল-আনসারিয়্যা ৷ নবী কবীম (সা) এর নিবল্ট
বায় আত গ্রহণ করেছিলেন ৷ ইয়ারমুকের দিন তার বাসর রাতে তিনি নিজ৩ র্তীবুর খুটি দ্বারা
নয়জন রোমান সৈন্যকে হত্যা করেছিলেন ৷ পরে তিনি দামেশকে বসবাস করেন এবং ব!বুসৃ
সাগীর এর নিকটে তাকে দাফন করা হয় ৷ ৰু

হাসৃসান ইবন মালিক

আবু সুলাইমান আল-বাহদালী ৷ মারওয়ান যখন খিলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন,
তখন তিনি তার বায়আণ্ডে র যিম্মাদারী নিজ কাধে তুলে নেন ৷ তিনি এ বছর ইনতিকাল
করেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷


الْكَلْبِيُّ. وَهُوَ الَّذِي قَامَ بِبَيْعَةِ مَرْوَانَ. وَقِيلَ: إِنَّهُمْ سَلَّمُوا عَلَيْهِ بِالْخِلَافَةِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، ثُمَّ سَلَّمَهَا لِمَرْوَانَ. وَقَصْرُ حَسَّانَ بِدِمَشْقَ، وَيُعْرَفُ بِقَصْرِ ابْنِ أَبِي الْحَدِيدِ، وَهُوَ قَصْرُ الْبَحَادِلَةِ. مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ. يُوسُفُ بْنُ الْحَكَمِ الثَّقَفِيُّ وَالِدُ الْحَجَّاجِ. قَدِمَ مِنَ الطَّائِفِ إِلَى الشَّامِ ثُمَّ ذَهَبَ إِلَى مِصْرَ وَالْمَدِينَةِ، وَكَانَ يَلْزَمُ مَرْوَانَ. عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْحَكَمِ أَخُو مَرْوَانَ، شَهِدَ الدَّارَ مَعَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَكَانَ شَاعِرًا مُحْسِنًا، وَلَهُ مَنْزِلَةٌ عِنْدَ مُعَاوِيَةَ وَابْنُهُ.