قصة موسى الكليم عليه الصلاة والسلام
ذكر الحديث الملقب بحديث الفتون المتضمن قصة موسى مبسوطة من أولها إلى آخرها
পৃষ্ঠা - ৬৯৬
জীবিত রাখা হচ্ছে, তাদের চেয়ে অধিক হবে না ৷ মােটকথা, প্রয়োজনীয় কর্মীদের সং থ্যা পুর্বের
মত থাকবে, তাতে হত্যার দ্বারা কোন প্রকার অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে না ৷ সুতরাং এই
সিদ্ধান্তে তারা একমত হল ৷ যে বছর নবজাতকদের হত্যা করা হয়ে না, সে বছরই মুসা
(আ) এর মা হারুন (আ) কে নিয়ে অন্তঃসত্ত্ব৷ হন এবং তিনি নিবিঘ্নে নবজা তক হারুন (আ কে
জন্ম দেন ৷ পরবর্তী বছর৩ তিনি মুস৷ (আ) কে গর্ভে ধারণ করেন ৷৩ তাই তার অম্ভরে ভীতি ও
দুশ্চিন্তার উদ্রেক হল ৷ ইবন আব্বাস (রা) বলেন, হে ইবন জুবায়র! এটা ছিল ফুতুন বা
পরীক্ষাসমুহের একটি ৷ মাতৃগর্ভে থাকতেই আল্লাহর ইচ্ছায় মুসা (আ)-কে এই পরীক্ষার সম্মুখীন
হতে হয় ৷
আল্লাহ্ তাআলা মুস৷ (আ)-এর মায়ের কাছে ইল্হাম করলেন যে, তুমি ভীত হয়ে না ও
চিম্ভাগ্রস্ত হবে না, আমি তাকে আবার তোমার কাছে ফেরত পাঠাব এবং তাকে রাসুলদের
অন্তর্ভুক্ত করব ৷ আল্লাহ তা আলা তখন তাকে নির্দেশ দিলেন যে, যখন তু৩মি ৷ ৩াকে প্রসব করবে
তখন তাকে একটি সিন্দুকে পুরে নদীতে ভাসিয়ে দেবে ৷ যখন তিনি মুসা (আ ) কে প্রসব করেন
তখন সে মতে কাজ করেন ৷ সন্তান যখন মার কাছ থেকে দুরে সরে গেল, তখন তার কাছে
শয়তান আগমন করল ৷ যা মনে মনে বলতে লাগলেন, হায়! আমার ছেলেকে আমি কী
করলাম ৷ যদি আমার সামনে ছেলেকে যবেহ্ করা হত, আমি তাকে দাফন-কড়াফন করতে
পারতাম ৷ তাহলে ছেলেটিকে সাগরের প্রাণী ও মাছের খাদ্য হিসেবে নদীতে ফেলে দেয়৷ থেকে
আমার কাছে অধিকতর প্রিয় হতো ৷ পা ৷নির স্রোত ৩সিন্দুকটিকে প্রায় নদীমুখে নিয়ে গেল, যেখান
থেকে ফিরআউনের ত্রীর বাদীরা পানি উঠিয়ে নিয়ে যেতে৷ ৷ যখন তারা সিন্দুকটি দেখতে পেল,
তখন এটাতার৷ উঠিয়ে নিল এবং খুলতে চাইল ৷ তাদের একজন বলল, এটার ভেতরে যদি
কোন সম্পদ থাকে আর আমরা এটা থুলি তাহলে এটাতে আমরা যা পাব ফিরআউনের শ্ৰী তা
বিশ্বাস নাও করতে পারেন ৷ সুতরাং তারা যেরুপ পেলো হুবহু যে অবস্থায় এটাকে
ফিরআউনের ব্রীর কাছে নিয়ে হাযির করল ৷ ফিরআউনের শ্ৰী যখন সিন্দুকটি খুললেন তাতে
একটি নবজা তক শিশুকে দেখতে গেলেন এবং তার অস্তরে শিশুটির প্রতি এক অভুতপুর্ব স্নেহের
উদ্রেক হল ৷ অন্যদিকে মুসা (আ)-এর মা অস্থির হয়ে পড়লেন এবং তার মনে শুধু মুসা
(আ)-এর স্মৃতিই ভাসতে লাগল ৷ জল্লাদেরা যখন এ নবজাতকটির কথা শুনতে পেল তখন তারা
তাকে যবেহ্ করার জন্যে ফিরআউনের ত্রীর কাছে ছবি নিয়ে ছুটে আসল ৷ আবদুল্লাহ ইবন
আব্বাস (রা) বললেন, হে ইবন জুবায়র এটাও ছিল সে ফুতু ন রা পরীক্ষড়াসমুহের অন্যতম ৷
ফিরআউনের শ্রী জল্লাদদের বললেন, ফিরআউন না আসা পর্যন্ত একে ছেড়ে দাও ৷ এই
একটি ছেলের জন্যে বনী ইসরাঈল সং থ্যায় বেড়ে যাবে না ৷ তিনি আসলে আমি তার কাছ
থেকে তাকে চেয়ে নেবো, যদি তিনি তা মঞ্জুর করেন, তাহলে এটা হয়ে তোমাদের একটা
চমৎকার কাজ, আর যদি তিনি তাকে হত্যার নির্দেশ দেন, তাহলে তোমাদের বিরুদ্ধে আমার
কোন অভিযোগ থাকবে না ৷ তিনি তখন ফিরআউনের কাছে গেলেন এবং বললেন, এই শিশুটি
আমার ও আপনার চোখ জুড়াবে ৷ ফিরআউন বলল, তোমার জন্যে তা হতে পারে , কিন্তু আমার
জন্যে নয়, আমার এটার কো ন প্রয়োজন নেই ৷ বসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন যে পবিত্র সভার
শপথ যার শপথ গ্রহণ করা হয়ে যা কে, যদি ফিরআউন মুসা নবজাত তককে নয়ন প্রীতিকর রুপে
[ذِكْرُ الْحَدِيثِ الْمُلَقَّبِ بِحَدِيثِ الْفُتُونِ الْمُتَضَمِّنِ قِصَّةَ مُوسَى مَبْسُوطَةً مِنْ أَوَّلِهَا إِلَى آخِرِهَا]
قَالَ الْإِمَامُ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ النَّسَائِيُّ، فِي كِتَابِ التَّفْسِيرِ مِنْ سُنَنِهِ، عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى فِي سُورَةِ " طه ": {وَقَتَلْتَ نَفْسًا فَنَجَّيْنَاكَ مِنَ الْغَمِّ وَفَتَنَّاكَ فُتُونًا} [طه: 40] .
(حَدِيثُ الْفُتُونِ) : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا أَصْبَغُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، قَالَ: سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ عَنْ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى لِمُوسَى: {وَفَتَنَّاكَ فُتُونًا} [طه: 40] . فَسَأَلْتُهُ عَنِ الْفُتُونِ: مَا هُوَ؟ فَقَالَ: اسْتَأْنِفِ النَّهَارَ يَا ابْنَ جُبَيْرٍ، فَإِنَّ لَهَا حَدِيثًا طَوِيلًا. فَلَمَّا أَصْبَحْتُ، غَدَوْتُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ; لِأَنْتَجِزَ مِنْهُ مَا وَعَدَنِي مِنْ حَدِيثِ الْفُتُونِ، فَقَالَ: تَذَاكَرَ فِرْعَوْنُ وَجُلَسَاؤُهُ مَا كَانَ اللَّهُ وَعَدَ إِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَنْ يَجْعَلَ فِي ذُرِّيَّتِهِ أَنْبِيَاءَ وَمُلُوكًا، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ يَنْتَظِرُونَ ذَلِكَ، مَا يَشُكُّونَ فِيهِ، وَكَانُوا يَظُنُّونَ أَنَّهُ يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ، فَلَمَّا هَلَكَ قَالُوا: لَيْسَ هَكَذَا كَانَ وَعْدُ إِبْرَاهِيمَ. فَقَالَ فِرْعَوْنُ: فَكَيْفَ تَرَوْنَ؟ فَائْتَمَرُوا، وَأَجْمَعُوا أَمْرَهُمْ عَلَى أَنْ يَبْعَثَ رِجَالًا مَعَهُمُ الشِّفَارُ، يَطُوفُونَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَلَا يَجِدُونَ مَوْلُودًا ذَكَرًا
পৃষ্ঠা - ৬৯৭
গ্রহণ করে নিত, যেমন৩ার শ্রী সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছিলেন তাহলে তাকে আল্লাহ তা ৷আলা
সুপথ প্রদর্শন করতেন যেমন তা ৷র ত্রীকে করেছিলেন কিন্তু সে৩ তা থেকে বঞ্চিত থাকে ৷ সুতরাং
ফিরআউনের ত্রী৩ র আশে পাশের প্রতিটি মহিলার কাছে লোক প্রেরণ করে একজন ধাত্রী
তালাশ করতে লাগলেন ৷ কিভু যে মহিলাই তাকে দুধ পান করাতে আসে কারো স্তন নবজাতক
মুসা গ্রহণ করলেন না ৷ তাতে ফিরআউনের ত্রী আশংকা করতে লাগলেন যে, হয়তো এই
শিশুটি দুধ না থেয়ে মারাই যাবে ৷ তিনি অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়লেন ৷
অতঃপর তিনি এ আমার তাকে বাজারে ও লোকালয়ে নিয়ে ৷:যতে নির্দেশ দিলেন যে,
হয়তো এই ধরনের কোন ধাত্রী পাওয়াও যাবে, যার স্তন শিশুটি গ্রহণ করবে ৷ কিন্তু শিশুটি
কারো স্তনই গ্রহণ করলেন ন ৷ অন্যদিকে মুসা জননী ব্যাকুল হয়ে মুসা ৷র বোনকে বললেন তার
পিছনে পিছনে যাও এবং ঘে৷ তো না ও যে, তার কোন সং বাদ পাওয়া যায় কিনা, সে জীবিত আছে
নাকি কোন জীব জন্তু৩ তাকে খেয়ে ফেলেছে ৷ আর এসময় তিনি তার সন্তান সম্পর্কে তার
প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতির কথাটি তুলেই বলেছিলেন ৷ দুর থেকে মুসা ৷ আ) এর বোন৩ার দিকে
লক্ষ্য রাখছিলেন, কিন্তু লোকজন টের পায়নি ৷ মুসার বোন দেখলেন, কোন ধাত্রীই মুসা
(আ)-কে দুধ পান করাতে পারছে না ৷ তখন তিনি অ৩ ন্তে খুশী হয়ে ধাত্রী অনেষণকারীদের
বলতে লাগলেন, আমি তে আমাদের এমন একটি পরিবারের সন্ধান দিতে পারি, বাবা তাকে
স্নেহ-মমতা দিয়ে সুচারুরুপে লালন-পালন করার দায়িত্ব নিতে পারে ৷ তারা সব সময়ই৩ ৷ র
হিতাকাভক্ষী হবে ৷ তারা বলতে লাগল, তুমি কেমন করে জানতে পারলে যে, তারা তার
হিতাকাডফী হবে,৩ তারা কি৩াকে চিহ্ন? এ ব্যাপারে তারা সন্দেহ করতে লাগল ৷ ইবন আব্বাস
(বা) বলেন, হে ইবনে জুবায়ব ! এটাও ছিল সে পরীক্ষা ৷সমুহের একটা৷
মুসার বোন বললেন, তারা তার হিতাকাভফী ও তার প্রতি সদয় ৷ কেননা, তারা সম্রাটের
শ্বশুর পক্ষের সত্তুষ্টি বিধান ও সম্রাটের কাছ থেকে উপকার লাভের আকাক্ষে৷ পোষণ করে ৷ তার
কথায় তারা মুগ্ধ হয়ে মুসার বোনকে তার মায়ের কাছে প্রেরণ করল ৷ তিনি মায়ের কাছে গিয়ে
এ সংবাদ দিলেন ৷ তখন তার মা আসলেন ৷ যখন তিনি তাকে আপন কােলে লে নিলেন,
তখন তিনি মায়ের স্তন চুষতে অ৩ারম্ভ করেন ও তৃপ্তিসহকাবে দুধ পান করেন ৷ তখন একজন
বাদদ তা ফিরআউনের শ্ৰীর কাছে গিয়ে এ সৃসং বাদ দিলেন যে, আমরা আপনার ছেলের
জন্যে ধা ৷ত্রী পেয়েছি ৷ ফিরআউনের ল্লী মা ও শিশুকে ডেকে পাঠান ৷ তারা তার কাছে গিয়ে
পৌছলেন ৷ তিনি যখন৩ার প্রতি শিশুটির আকর্ষণ লক্ষ্য করলেন, তখন তিনি তাকে বললেন,
তুমি এখানে থেকে যাও এবং আমার এই সন্তানকে দুধ পান করাও ৷ কেননা, সে আমার কাছে
অতি প্রিয় ৷ মা বললেন, আমার সন্তানাদি ও বাড়িঘর ছেড়ে আমি এখানে থাকতে পারি না,
তাতে আমার সব কিছু বিনাশ হয়ে যাবে ৷ যদি আপনি ভাল মনে করেন, তাহলে তাকে আমার
কাছে সমর্পণ করতে পারেন, আমি তাকে নিয়ে বাড়ি চলে যেতে পারি ৷ সে আমার সাথে
থাকবে ৷ তার কল্যাণ সাধনে আমার কোন প্রকার ত্রুটি হবে না ৷ আমি আমার ঘরবাড়ি ও
সন্তানাদি ছেড়ে কোথাও থাকতে পারব না ৷ মুসার যা ঐ মুহুর্তে আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি স্মরণ
করে ফিরআউনের শ্ৰীর নিকট অনড় রইলেন এবং নিশ্চিত থাকলেন যে, আল্লাহ তাআলা
অবশ্যই তার প্রতিশ্রুতি পুরণ করবেন ৷
إِلَّا ذَبَحُوهُ فَفَعَلُوا ذَلِكَ، فَلَمَّا رَأَوْا أَنَّ الْكِبَارَ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ يَمُوتُونَ بِآجَالِهِمْ، وَالصِّغَارَ يُذْبَحُونَ، قَالُوا: تُوشِكُونَ أَنْ تُفْنُوا بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَتَصِيرُوا إِلَى أَنْ تُبَاشِرُوا مِنَ الْأَعْمَالِ وَالْخِدْمَةِ، الَّذِي كَانُوا يَكْفُونَكُمْ، فَاقْتُلُوا عَامًا كُلَّ مَوْلُودٍ ذَكَرٍ، فَيَقِلُّ نَبَاتُهُمْ، وَدَعُوا عَامًا فَلَا تَقْتُلُوا مِنْهُمْ أَحَدًا فَيَشِبُّ الصِّغَارُ مَكَانَ مَنْ يَمُوتُ مِنَ الْكِبَارِ، فَإِنَّهُمْ لَنْ يَكْثُرُوا بِمَنْ تَسْتَحْيُونَ مِنْهُمْ، فَتَخَافُوا مُكَاثَرَتَهُمْ إِيَّاكُمْ، وَلَنْ يَفْنَوْا بِمَنْ تَقْتُلُونَ، وَتَحْتَاجُونَ إِلَيْهِمْ. فَأَجْمَعُوا أَمْرَهُمْ عَلَى ذَلِكَ، فَحَمَلَتْ أُمُّ مُوسَى بِهَارُونَ فِي الْعَامِ الَّذِي لَا يُذْبَحُ فِيهِ الْغِلْمَانُ، فَوَلَدَتْهُ عَلَانِيَةً آمِنَةً. فَلَمَّا كَانَ مِنْ قَابِلٍ، حَمَلَتْ بِمُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَوَقَعَ فِي قَلْبِهَا الْهَمُّ وَالْحُزْنُ - وَذَلِكَ مِنَ الْفُتُونِ يَا ابْنَ جُبَيْرٍ - مَا دَخَلَ عَلَيْهِ فِي بَطْنِ أُمِّهِ مِمَّا يُرَادُ بِهِ ; فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهَا: أَنْ لَا تَخَافِي وَلَا تَحْزَنِي إِنَّا رَادُّوهُ إِلَيْكِ وَجَاعِلُوهُ مِنَ الْمُرْسَلِينَ. فَأَمَرَهَا إِذَا وَلَدَتْ أَنْ تَجْعَلَهُ فِي تَابُوتٍ، وَتُلْقِيَهُ فِي الْيَمِّ، فَلَمَّا وَلَدَتْ فَعَلَتْ ذَلِكَ، فَلَمَّا تَوَارَى عَنْهَا ابْنُهَا، أَتَاهَا الشَّيْطَانُ، فَقَالَتْ فِي نَفْسِهَا: مَا فَعَلْتُ بِابْنِي؟ لَوْ ذُبِحَ عِنْدِي فَوَارَيْتُهُ وَكَفَّنْتُهُ كَانَ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أُلْقِيَهُ إِلَى دَوَابِّ الْبَحْرِ وَحِيتَانِهِ. فَانْتَهَى الْمَاءُ بِهِ حَتَّى أَوْفَى عِنْدَ فُرْضَةٍ تَسْتَقِي مِنْهَا جَوَارِي امْرَأَةِ فِرْعَوْنَ، فَلَمَّا رَأَيْنَهُ أَخَذْنَهُ، فَهَمَمْنَ أَنْ يَفْتَحْنَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৮
তারপর মুসার মা আপন সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন ৷ তখন থেকে আল্লাহ তাআলা মুসা
(আ) কে তার মায়ের তত্ত্বাবধানে অতি উত্তম রুপে লালন-পালন করতে লাগলেন এবং তাকে
ভাগ্য-নির্ধারিত পন্থায় তাকে হিফড়াজত করলেন ৷ ইতিপুর্বে বনী ইসরাঈল যেরুপ উপহাস ও
জুলুমের শিকার হচ্ছিল তা কিছুটা লাঘব হল এবং তারা শহরের এক প্রান্তে বসবাস করতে
লাগল ৷ মুসা (আ) যখন আরো বেড়ে উঠলেন, তখন একদিন ফিরআউনের শ্রী মুসার মাকে
বললেন, “ একদিন আমাকে তুমি আমার ছেলেটি দেখাবে ৷ ” মুসার মা ছেলেকে দেখাবার জন্যে
একটি দিন নির্ধারণ করেন ৷ এদিকে ফিরআউনের শ্রী খাজাধটী যাত্রী ও আমলাদেরকে নির্দেশ
দিলেন প্রত্যেকে যেন উপহারসহ তার পুত্র মুসা (আ)শ্কে সংবর্ধনা জানায় ৷ তিনি অন্য একজন
বিশ্বন্ত কর্মচারীকে পাঠালেন, যাতে তাদের মধ্যে কে কি উপহার দেয় তার হিসাব রাখে ৷
মুসা (আ) মায়ের বাড়ি থেকে বের হবার পর হতে ফিরআউনের শ্রীর কাছে পর্যন্ত আসার
পথে অসংখ্য উপহার ও উপটোকন লাভ করেন ৷ ফিরআউনের শ্রীর কাছে এসে পৌছলে তিনিও
তাকে উপচৌকনাদি প্রদান করলেন এবং অত্যন্ত খুশি হলেন মুসা (আ )-এর মাকেও তার
উত্তম সেবার জন্যে বহু টাকা-পযসা প্রদান করলেন ৷ অতঃপর তিনি বললেন, আমি মুসা
(আ)-কে নিয়ে ফিরআউনের কাছে যাবো, যাতে করে তিনিও তাকে উপচৌকন প্রদান করেন ও
তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন ৷ যখন ফিরআউনের শ্রী মুসা (আ)-কে নিয়ে তার কোলে তুলে দিলেন,
তখন মুসা ফিরআউনের দাড়ি ও মাটির দিকে আকর্ষণ করলেন ৷ তখন ফিরআউনকে আল্লাহর
শত্রু পথভ্রষ্ট পারিষদরা বলল, আপনার কি স্মরণ নেই যে, আল্লাহ তাআলা তার নবী ইবরাহীম
(আ)-কে কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন? তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ইবরাহীমের একজন
অধ৪স্তন বংশধর আপনার উত্তরাধিকারী হবেন ৷ তিনি আপনার উপর জয়লাভ করবেন ও
আপনাকে পরাজিত করবেন ৷ সুতরাং আপনি কসাই জল্লাদের নিকট কাউকে প্রেরণ করেন
যাতে তারা এসে তাকে হত্যা করে ফেলে ৷ আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) বলেন, হে ইবন
জ্বরায়র ! এটাও ছিল একটা পরীক্ষা ৷
ফিরআউনের শ্রী একথা শুনে ফিরআউনের কাছে দৌড়ে আসলেন এবং বললেন যে, শিশুটি
আপনি আমাকে দান করেছেন, এর ব্যাপারে আপনার কী হয়েছে? ফিরআউন বলল, তুমি কি
দেখতে পাচ্ছ না যে, এই শিশুটির ধারণা সে আমাকে পরাস্ত করবে ও আমার উপর বিজয়ী
হয়ে ৷ ফিরআউনের শ্রী বললেন, আপনি বরং তাকে পরীক্ষা করুন ৷ চলুন আমরা এমন একটি
কাজ করি যা থেকে সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে ৷ দুটি জ্বলন্ত অঙ্গার ও দুটি মুক্তা তার সামনে
রেখে দিন যদি সে মুক্তা দু’টি ধরে এবং জ্বলন্ত অঙ্গার না ধরে, তাহলে বুঝতে হবে যে তার
বোধশক্তি আছে ৷ আর যদি জ্বলম্ভ অঙ্গার দু’টি ধরে এবং মুক্তা না ধরে, তাহলে বুঝতে হবে
তার এখনও বোধোদয় হয়নি ৷ কেননা বোধশক্তি সম্পন্ন কেউ মুক্তার উপর অঙ্গারকে অগ্রাধিকার
দিতে পারে না ৷ সে মতে দু’টি জ্বলম্ভ অঙ্গার ও দুটি মুক্তা তার সামনে রাখা হল ৷ তিনি জুলম্ভ
অঙ্গার ধরলেন ৷ ফিরআউন তার হাত পুড়ে যাবে এ ভয়ে তার হাত থেকে অঙ্গারগুলাে সরিয়ে
নিল ৷ ফিরআউনের শ্রী বললেন, আপনি কি লক্ষ্য করছেন না?
শিশু মুসা মুক্তা ধরার জন্যে ইচ্ছে করেছিলেন কিন্তু আল্লাহ তাআলা তা থেকে তাকে
ফিরিয়ে রাখলেন ৷ আল্লাহ তাআলা তার সিদ্ধান্ত কার্যকরী করেই থাকেন ৷ মুসা (আ) যখন
التَّابُوتَ، فَقَالَ بَعْضُهُنَّ: إِنَّ فِي هَذَا مَالًا وَإِنَّا إِنْ فَتَحْنَاهُ، لَمْ تُصَدِّقْنَا امْرَأَةُ الْمَلِكِ بِمَا وَجَدْنَا فِيهِ فَحَمَلْنَهُ كَهَيْئَتِهِ لَمْ يُخْرِجْنَ مِنْهُ شَيْئًا حَتَّى دَفَعْنَهُ إِلَيْهَا، فَلَمَّا فَتَحَتْهُ رَأَتْ فِيهِ غُلَامًا، فَأُلْقِيَ عَلَيْهِ مِنْهَا مَحَبَّةٌ، لَمْ تُلْقَ مِنْهَا عَلَى أَحَدٍ قَطُّ، وَأَصْبَحَ فُؤَادُ أُمِّ مُوسَى فَارِغًا مِنْ ذِكْرِ كُلِّ شَيْءٍ، إِلَّا مِنْ ذِكْرِ مُوسَى، فَلَمَّا سَمِعَ الذَّبَّاحُونَ بِأَمْرِهِ أَقْبَلُوا بِشِفَارِهِمْ إِلَى امْرَأَةِ فِرْعَوْنَ; لِيَذْبَحُوهُ - وَذَلِكَ مِنَ الْفُتُونِ يَا ابْنَ جُبَيْرٍ - فَقَالَتْ لَهُمْ: أَقِرُّوهُ فَإِنَّ هَذَا الْوَاحِدَ لَا يَزِيدُ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ، حَتَّى آتِيَ فِرْعَوْنَ، فَأَسْتَوْهِبَهُ مِنْهُ، فَإِنْ وَهَبَهُ لِي، كُنْتُمْ قَدْ أَحْسَنْتُمْ وَأَجْمَلْتُمْ، وَإِنْ أَمَرَ بِذَبْحِهِ، لَمْ أَلُمْكُمْ. فَأَتَتْ فِرْعَوْنَ فَقَالَتْ: {قُرَّةُ عَيْنٍ لِي وَلَكَ} [القصص: 9] . فَقَالَ فِرْعَوْنُ: يَكُونُ لَكِ، فَأَمَّا لِي، فَلَا حَاجَةَ لِي فِيهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي يُحْلَفُ بِهِ لَوْ أَقَرَّ فِرْعَوْنُ أَنْ يَكُونَ لَهُ قُرَّةَ عَيْنٍ كَمَا أَقَرَّتِ امْرَأَتُهُ، لَهَدَاهُ اللَّهُ كَمَا هَدَاهَا، وَلَكِنَّ اللَّهَ حَرَمَهُ ذَلِكَ» فَأَرْسَلَتْ إِلَى مَنْ حَوْلَهَا، إِلَى كُلِّ امْرَأَةٍ لَهَا لَبَنٌ، تَخْتَارُ لَهُ ظِئْرًا، فَجَعَلَ كُلَّمَا أَخَذَتْهُ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ لِتُرْضِعَهُ، لَمْ يُقْبِلْ عَلَى ثَدْيِهَا، حَتَّى أَشْفَقَتِ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ أَنْ يَمْتَنِعَ مِنَ اللَّبَنِ فَيَمُوتَ، فَأَحْزَنَهَا ذَلِكَ فَأَمَرَتْ بِهِ، فَأُخْرِجَ إِلَى السُّوقِ وَمَجْمَعِ النَّاسِ تَرْجُو أَنْ تَجِدَ لَهُ ظِئْرًا تَأْخُذُهُ مِنْهَا، فَلَمْ يَقْبَلْ، وَأَصْبَحَتْ أُمُّ مُوسَى وَالِهًا، فَقَالَتْ لِأُخْتِهِ: قُصِّي أَثَرَهُ وَاطْلُبِيهِ هَلْ تَسْمَعِينَ لَهُ ذِكْرًا؟ أَحَيٌّ ابْنِي أَمْ أَكَلَتْهُ الدَّوَابُّ؟ وَنَسِيَتْ مَا كَانَ اللَّهُ وَعَدَهَا فِيهِ، فَبَصُرَتْ بِهِ أُخْتُهُ عَنْ جُنُبٍ - وَالْجُنُبُ; أَنْ يَسْمُوَ بَصَرُ الْإِنْسَانِ إِلَى شَيْءٍ بَعِيدٍ وَهُوَ إِلَى جَنْبِهِ لَا
পৃষ্ঠা - ৬৯৯
يَشْعُرُ بِهِ فَقَالَتْ مِنَ الْفَرَحِ، حِينَ أَعْيَاهُمُ الظُّؤورَاتُ: أَنَا أَدُلُّكُمْ عَلَى أَهْلِ بَيْتٍ يَكْفُلُونَهُ لَكُمْ، وَهُمْ لَهُ نَاصِحُونَ. فَأَخَذُوهَا فَقَالُوا: مَا يُدْرِيكِ مَا نُصْحُهُمْ؟ هَلْ تَعْرِفُونَهُ؟ حَتَّى شَكُّوا فِي ذَلِكَ - وَذَلِكَ مِنَ الْفُتُونِ يَا ابْنَ جُبَيْرٍ - فَقَالَتْ: نُصْحُهُمْ لَهُ وَشَفَقَتُهُمْ عَلَيْهِ، رَغْبَتُهُمْ فِي صِهْرِ الْمَلِكِ، وَرَجَاءُ مَنْفَعَةِ الْمَلِكِ. فَأَرْسَلُوهَا، فَانْطَلَقَتْ إِلَى أُمِّهَا، فَأَخْبَرَتْهَا الْخَبَرَ، فَجَاءَتْ أُمُّهُ فَلَمَّا وَضَعَتْهُ فِي حِجْرِهَا نَزَا إِلَى ثَدْيِهَا، فَمَصَّهُ حَتَّى امْتَلَأَ جَنْبَاهُ رِيًّا، وَانْطَلَقَ الْبَشِيرُ إِلَى امْرَأَةِ فِرْعَوْنَ يُبَشِّرُونَهَا أَنَّ قَدْ وَجَدْنَا لِابْنِكِ ظِئْرًا، فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهَا، فَأَتَتْ بِهَا وَبِهِ. فَلَمَّا رَأَتْ مَا يَصْنَعُ بِهَا، قَالَتِ: امْكُثِي تُرْضِعِي ابْنِي هَذَا; فَإِنِّي لَمْ أُحِبَّ شَيْئًا حُبَّهُ قَطُّ. قَالَتْ أُمُّ مُوسَى: لَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَتْرُكَ بَيْتِي وَوَلَدِي فَيَضِيعَ فَإِنْ طَابَتْ نَفْسُكِ أَنْ تُعْطِينِيهِ، فَأَذْهَبَ بِهِ إِلَى بَيْتِي فَيَكُونَ مَعِي لَا آلُوهُ خَيْرًا، فَعَلْتُ، فَإِنِّي غَيْرُ تَارِكَةٍ بَيْتِي وَوَلَدِي.
وَذَكَرَتْ أُمُّ مُوسَى مَا كَانَ اللَّهُ وَعَدَهَا، فَتَعَاسَرَتْ عَلَى امْرَأَةِ فِرْعَوْنَ، وَأَيْقَنَتْ أَنَّ اللَّهَ مُنْجِزٌ مَوْعُودَهُ، فَرَجَعَتْ إِلَى بَيْتِهَا مِنْ يَوْمِهَا، وَأَنْبَتَهُ اللَّهُ نَبَاتًا حَسَنًا، وَحَفِظَهُ لِمَا قَدْ قَضَى فِيهِ، فَلَمْ يَزَلْ بَنُو إِسْرَائِيلَ، وَهُمْ فِي نَاحِيَةِ الْقَرْيَةِ، مُمْتَنِعِينَ مِنَ السُّخْرَةِ وَالظُّلْمِ مَا كَانَ فِيهِمْ، فَلَمَّا تَرَعْرَعَ، قَالَتِ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ لِأُمِّ مُوسَى: أَرِينِي ابْنِي. فَوَعَدَتْهَا يَوْمًا تُرِيهَا إِيَّاهُ فِيهِ، وَقَالَتِ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ لِخُزَّانِهَا وَظُؤُورِهَا وَقَهَارِمَتِهَا: لَا يَبْقَيَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ إِلَّا اسْتَقْبَلَ ابْنِيَ الْيَوْمَ بِهَدِيَّةٍ وَكَرَامَةٍ; لِأَرَى ذَلِكَ فِيهِ، وَأَنَا بَاعِثَةٌ أَمِينًا يُحْصِي كُلَّ مَا يَصْنَعُ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْكُمْ. فَلَمْ تَزَلِ الْهَدَايَا وَالْكَرَامَةُ وَالنِّحَلُ تَسْتَقْبِلُهُ مِنْ حِينَ خَرَجَ مِنْ بَيْتِ
পৃষ্ঠা - ৭০০
যৌবনে পদার্পণ করলেন, তখন ফিরআউন সম্প্রদায়ের কারো পক্ষে বনী ইসরাঈলের প্রতি
কােনরুপ জুলুম বা কটাক্ষ করার উপায় ছিল না ৷ এখন বনী ইসরাঈল পুরোপুরি বিরত থাকে ৷
একদিন মুসা (আ) শহরের এক প্রান্ত দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন, অমনি দেখলেন যে, দুইটি লোক
একে অপরের সাথে ঝগড়া করছে ৷ এদের একজন কিবতী ও অন্য একজন ইসরাঈলী ৷ মুসা
(আ) কে দেখে ইসরাঈলীটি তার কাছে কিবতীর বিরুদ্ধে ফরিয়াদ করল ৷ তাতে মুসা (আ)
অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হলেন ৷ কেননা, কিবতীটি ইসরাঈলীদের মধ্যে মুসা (আ) এর অবস্থান এবং তিনি
ইসরাঈলীদের হিফাজত করে থাকেন তা জানতো ৷ যদিও অন্য কারো তা জানা ছিল না ৷ তখন
মুসা (আ) কিবতীটিকে একটি ঘুষি দিলেন ৷ ফলে সে মারা গেল ৷ ইসরাঈলী ও আল্লাহ ব্যতীত
অন্য ৰুকউপ্লুই হভ্যুার ব্যাট্রুা৷রটি দেখতে পাদ্বুানি ৷ যখন লোকটি মারা :পল, তখন মুসা (আ)
বললেন, ^গ্লে০ ৷;গ্রা
অর্থাৎ-এটা শয়তানের কাণ্ডা সে তো প্রকাশ্য শত্রু ও বিভ্রা ম্ভকারী ৷ (কাসাস : ১৫)
অতঃপর তিনি বলেন০ ং
এএ এত্রৈ
পু র্চু০;হুর্চু (হ্র;াহ্র ধ্র্দুধ্দ্বুএ ৷
সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমি৫ তা আমার নিজের প্রতি জুলুম করেছি ৷ সুতরা০
আমাকে ক্ষমা কর ৷ অতঃপর তাকে ক্ষমা করলেন ৷ তিনি৫ তা ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ৷ সে
আরো বলল, হে আমার প্রতিপালক! তুমি যেহেতু আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছ, আমি কখনও
অপরাধীদের সাহায্যকারী হবে৷ না ৷ অতঃপর ভীত সতর্ক অবস্থায় সেই নগরীতে তার প্রভাত
হল ৷ (সুরা ক মাস : ১৬ ১৮)
ফিরআউনের কাছে তার সম্প্রদায় সং বাদ পৌছাল যে, বনী ইসরাঈলর৷ ফিরআউন
সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে ৷ হে ফিরআউন ৷ আমাদের জন্য প্ৰতিশোধ গ্রহণ করুন
আমরা তাদেরকে ক্ষমা করব না ৷ ফিরআউন বলল, হত্যাকা ৷রীকে তোমরা খুজে বের করে দাও,
সাক্ষী উপস্থিত করে৷ ৷ কেননা, সম্রাট তার সম্প্রদায়কে ভালবাসলেও বিনা সাক্ষ্য প্রমাণে তাদের
জন্যে ক উকে হত্যা করা তার পক্ষে সমুচিত হবে না ৷ সুতরা০ তাকে ঘোজ করে বের কর;
আমি এর প্রতিশোধ নেব ৷৩ রতা৷ খুজতে লাগল কিন্তু তারা কোন প্রম৷ ৷ণ খুজে গেল না ৷ পরের
দিন মুসা (আ) উক্ত ইসরাঈলীকে দেখতে পেলেন, যে অন্য একজন কিবতীর সাথে ঝগড়া
করছে ৷ মুসা (আ)-কে দেখে সে পুর্বের দিনের মত কিবতীটির বিরুদ্ধে মুসা (আ )-এর কাছে
ফরিয়াদ করল ৷ মুসা (আ) অগ্রসর হলেন ৷ কিন্তু আগের দিন যেই ঘটনা ঘটে গেছে তার জন্য
খুবই লজ্জিত ছিলেন এবং আজকের দৃশ্যও অপছন্দ করতে লাগলেন ৷ এদিকে ইসরাঈলীঢি খুবই
রাগাম্বিত হয়ে কিবভীকে আক্রমণ করতে উদ্বুাত হ্রলশু গতদিনের ও আজকের কাজের জন্য মুসা
(আ) ইসরাঈলীকে লক্ষ্য করে বললেনং : ,£§“ এেগ্লুএ এ ৰু৷ অর্থা ৷ৎ তুমি তো স্পষ্টই একজন
বিভ্রান্ত ব্যক্তি ৷
أُمِّهِ إِلَى أَنَّ دَخَلَ عَلَى امْرَأَةِ فِرْعَوْنَ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهَا نَحَلَتْهُ، وَأَكْرَمَتْهُ وَفَرِحَتْ بِهِ، وَنَحَلَتْ أُمَّهُ بِحُسْنِ أَثَرِهَا عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَتْ: لَآتِيَنَّ بِهِ فِرْعَوْنَ، فَلَيَنْحِلَنَّهُ، وَلَيُكْرِمَنَّهُ. فَلَمَّا دَخَلَتْ بِهِ عَلَيْهِ، جَعَلَهُ فِي حِجْرِهِ، فَتَنَاوَلَ مُوسَى لِحْيَةَ فِرْعَوْنَ فَمَدَّهَا إِلَى الْأَرْضِ، فَقَالَ الْغُوَاةُ مِنْ أَعْدَاءِ اللَّهِ لِفِرْعَوْنَ: أَلَا تَرَى مَا وَعَدَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ نَبِيَّهُ، أَنَّهُ زَعَمَ أَنَّهُ يَرُبُّكَ وَيَعْلُوكَ، وَيَصْرَعُكَ؟ فَأَرْسِلْ إِلَى الذَّبَّاحِينَ لِيَذْبَحُوهُ - وَذَلِكَ مِنَ الْفُتُونِ يَا ابْنَ جُبَيْرٍ، بَعْدَ كُلِّ بَلَاءٍ ابْتُلِيَ بِهِ وَأُرِيدَ بِهِ فُتُونًا - فَجَاءَتِ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ تَسْعَى إِلَى فِرْعَوْنَ، فَقَالَتْ: مَا بَدَا لَكَ فِي هَذَا الْغُلَامِ الَّذِي وَهَبَتْهُ لِي؟ فَقَالَ: أَلَا تَرَيْنَهُ يَزْعُمُ أَنَّهُ يَصْرَعُنِي وَيَعْلُونِي؟ فَقَالَتِ: اجْعَلْ بَيْنِي وَبَيْنَكَ أَمْرًا تَعْرِفُ فِيهِ الْحَقَّ; ائْتِ بِجَمْرَتَيْنِ، وَلُؤْلُؤَتَيْنِ، فَقَرِّبْهُنَّ إِلَيْهِ، فَإِنْ بَطَشَ بِاللُّؤْلُؤَتَيْنِ وَاجْتَنَبَ الْجَمْرَتَيْنِ، عَرَفْتَ أَنَّهُ يَعْقِلُ. وَإِنْ تَنَاوَلَ الْجَمْرَتَيْنِ، وَلَمْ يُرِدِ اللُّؤْلُؤَتَيْنِ، عَلِمْتَ أَنَّ أَحَدًا لَا يُؤْثِرُ الْجَمْرَتَيْنِ عَلَى اللُّؤْلُؤَتَيْنِ وَهُوَ يَعْقِلُ. فَقُرِّبَ إِلَيْهِ، فَتَنَاوَلَ الْجَمْرَتَيْنِ، فَانْتَزَعَهُمَا مِنْهُ مَخَافَةَ أَنْ يَحْرِقَا يَدَهُ، فَقَالَتِ الْمَرْأَةُ: أَلَّا تَرَى؟ فَصَرَفَهُ اللَّهُ عَنْهُ، بَعْدَ مَا كَانَ هَمَّ بِهِ، وَكَانَ اللَّهُ بَالِغًا فِيهِ أَمْرَهُ، فَلَمَّا بَلَغَ أَشُدَّهُ، وَكَانَ مِنَ الرِّجَالِ، لَمْ يَكُنْ أَحَدٌ مِنْ آلِ فِرْعَوْنَ يَخْلُصُ إِلَى أَحَدٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ مَعَهُ، بِظُلْمٍ وَلَا سُخْرَةٍ، حَتَّى امْتَنَعُوا كُلَّ الِامْتِنَاعِ، فَبَيْنَمَا مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، يَمْشِي فِي نَاحِيَةِ الْمَدِينَةِ، إِذَا هُوَ بِرَجُلَيْنِ يَقْتَتِلَانِ، أَحَدُهُمَا فِرْعَوْنِيٌّ، وَالْآخَرُ إِسْرَائِيلِيٌّ، فَاسْتَغَاثَهُ الْإِسْرَائِيلِيُّ عَلَى الْفِرْعَوْنِيِّ، فَغَضِبَ مُوسَى غَضَبًا شَدِيدًا; لِأَنَّهُ تَنَاوَلَهُ، وَهُوَ يَعْلَمُ مَنْزِلَتَهُ مِنْ بَنِي
পৃষ্ঠা - ৭০১
ইসরাঈলীটি মুসা (আ)-এর প্রতি তাকাল ৷ মুসা (আ)-এর কথা শুনে এবং আগের দিনের
ন্যায় রাগাম্বিত অবস্থায় দেখে সে ঘাবড়ে গেলো এবং ভর করতে লাগলো যে, তাকে স্পষ্টই
একজন বিভ্রান্ত ব্যক্তি বলার পর হয়ত মুসা (আ) তাকেই আক্রমণ করতে পারেন ৷ অথচ তিনি
কিবভীকে আক্রমণ করতেই উদ্যত ছিলেন ৷ ইসরাঈলীটি মুসা (আ) কে লক্ষ্য করে বলল : হে
মুসান্ গতকাল তুমি যেমন এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছ, সেভাবে আমাকেও কি হত্যা করতে চাওন্
তাকে হত্যা করার জন্যে মুসা (আ) আক্রমণ করছেন ভেবেই যে এ কথাটি বলল ৷ ততক্ষণে
তারা দু’ জন ঝগড়৷ থেকে ক্ষান্ত হল ৷ কিন্তু কিবভীটি তার সম্প্রদায়ের কাছে ইসরাঈলীর মুখে
শোনা হত্যা তথ্যটি জা ৷নিয়ে দিল ৷ এই কথা শুনে ফিরআউন জল্লাদদের মুসা (আ)-কে হত্যার
জন্যে প্রেরণ করল ৷ ফিরআউন প্রেরিত জল্লাদরা রাজপথ ধরে ধীর গতিতে মুসা (আ)-এর
দিকে অগ্রসর হতে লাগল ৷ মুসা (আ) তাদের হাতছাড়া হয়ে গেল এরুপ কোন আশংকা তাদের
ছিল না ৷ অতঃপর মুসা (আ)-এর দলের একজন লোক শহরের প্রান্ত থেকে সংক্ষিপ্ত পথ ধরে
তাদের পুর্কেহ মুসা (আ)-এর কাছে পৌছে এ সংবাদটি দিল ৷ আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)
বলেন, হে ইবন জুবায়র (বা) ৷ মুসা (আ)-এর জন্য এটাও ছিল একটি পরীক্ষা ৷
মুসা (আ) তখন মাদায়ান শহরের দিকে রওয়ানা হয়ে গেলেন ৷ ইতিপুর্বে মুসা (আ) এ
ধরনের কোন পরীক্ষার শিকার হননি এবং এ রাস্তায়ও চলাচল করেন নি ৷ কাজেই এই রাস্তা
ছিল তার অপরিচিত ৷ কিন্তু আল্লাহ তা জানার ওপর ছিল তার অগাধ বিশ্বাস ও অটল ভরসা ৷
তিনি বলেছিলেন করি আমার
প্রতিপালক আমাকে সরল পথ প্রদর্শন করবেন ৷
এ সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে ং
থ
অর্থাৎ যখন সে মাদায়ানের কুপের নিকট পৌছল, দেখল একদল লোক তাদের
পশুগুলোকে পানি পান করাচ্ছে এবং ওদের দুটি ত্রীলােক তাদের পশুগুলোকে আগলাচ্ছে অর্থাৎ
ছাগলগুলোকে ৷
মুসা (আ) তাদের দু’জ্যাকে বললেন, তোমাদের কী ব্যাপার ? তোমরা পৃথক হয়ে বসে আছ,
লোকজনের সাথে পশুগুলােকে পানি পান করাচ্ছনাঃ তারা দু’জন বললেন, জনতার ভিড় ঠেলার
শক্তি আমাদের নেই ৷ আমরা তাদের পান করাবার পর উচ্ছিষ্ট পানির অপেক্ষা করছি ৷ মুসা
(আ) তাদের দুজনের বকরীগুলােকে পানি পান করালেন ৷ তিনি বা ৷লতি দিয়ে এত বেশি পানি
উঠাতে সক্ষম হলেন যে, তিনিই রাখা ৷লদের অগ্রবর্তী হয়ে গেলেন ৷ এরপর দু’জন মহিলা তাদের
বকরীগুলো নিয়ে তাদের বৃদ্ধ পিতার কাছে ৫পীছৰুলন ৷ অন্যদিকে মুসা (আ) গাছের ছায়ায়
(
আশ্রয় নিলেন এ,
অর্থাৎ-“হে আমার প্রতিপালক ! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করবে আমি তার কাঙ্গাল ৷
আজ বকরীগুলেড়াকে নিয়ে দেরি না করে দ্রুত পৌছায় তাদের পিতার কাছে কেমন কেমন
আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৮৫-
إِسْرَائِيلَ، وَحِفْظَهُ لَهُمْ لَا يَعْلَمُ النَّاسُ إِلَّا أَنَّهُ مِنَ الرَّضَاعِ إِلَّا أُمُّ مُوسَى، إِلَّا أَنْ يَكُونَ اللَّهُ أَطْلَعَ مُوسَى مِنْ ذَلِكَ عَلَى مَا لَمْ يُطْلِعْ عَلَيْهِ غَيْرَهُ، فَوَكَزَ مُوسَى الْفِرْعَوْنِيَّ، فَقَتَلَهُ، وَلَيْسَ يَرَاهُمَا أَحَدٌ إِلَّا اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، وَالْإِسْرَائِيلِيُّ، فَقَالَ مُوسَى حِينَ قَتَلَ الرَّجُلَ: {هَذَا مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ عَدُوٌّ مُضِلٌّ مُبِينٌ} [القصص: 15] ثُمَّ قَالَ: {رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ} [القصص: 16]
[الْقَصَصِ: 18] . فَنَظَرَ الْإِسْرَائِيلِيُّ إِلَى مُوسَى، بَعْدَ مَا قَالَ لَهُ، مَا قَالَ فَإِذَا هُوَ غَضْبَانُ كَغَضَبِهِ بِالْأَمْسِ، الَّذِي قَتَلَ فِيهِ الْفِرْعَوْنِيَّ، فَخَافَ أَنْ يَكُونَ بَعْدَ مَا قَالَ لَهُ: إِنَّكَ لَغَوِيٌّ مُبِينٌ. أَنْ يَكُونَ إِيَّاهُ أَرَادَ، وَلَمْ يَكُنْ أَرَادَهُ، إِنَّمَا أَرَادَ الْفِرْعَوْنِيَّ، فَخَافَ الْإِسْرَائِيلِيُّ، وَقَالَ: يَا مُوسَى، أَتُرِيدُ أَنْ تَقْتُلَنِي كَمَا قَتَلْتَ نَفْسًا بِالْأَمْسِ؟ وَإِنَّمَا قَالَ لَهُ; مَخَافَةَ أَنْ يَكُونَ إِيَّاهُ أَرَادَ مُوسَى لِيَقْتُلَهُ، فَتَتَارَكَا،
পৃষ্ঠা - ৭০২
ঠেকছিল ৷ তাই বললেনং আজকে তোমাদের ব্যাপার কী? তখন তারা দু জনেই মুসা (আ)
সম্বন্ধে তাদের পিতাকে অবহিত করল ৷ তাকে ডেকে আমার জন্যে পিতা একজনকে মুসা
(আ) এর কাছে পাঠালেন ৷ তাদের একজন মুসা (আ ) এর কাছে গিয়ে তাকে ডেকে আনলেন ৷
মুসা (অ ) যখন মহিলাদের পিতার সাথে আলোচনা করলেন, তখন তিনি মুসা (অ ) কে অভয়
দিয়ে বললেনং র্চু, ^ৰুপুএের্দু৷ €;§ ? ; ঠুন্টুঠু৷ অর্থ ৎ মি জালিম সম্প্রদায়ের করল
হতে যেচে গিয়েছ ৷ আমাদের এখানে ফিরআউন ও তার সম্প্রদায়ের কোন কতৃতৃ নেই ৷ আমরা
তার বা জত্বে বাস করি না ৷
?fl
ঢ়৪
অর্থ ৎ “াদেব একজন বলল, হে পিতা! তুমি তাকে মজুর নিযুক্ত কর ৷ কারণ তোমার
মজুর হিসাবে উত্তম হয়ে সেই ব্যক্তি, যে শক্তিশালী-বিশ্বস্ত ৷” পিতাকে তার মর্যাদাবােধ্ সম্বন্ধে
জিজ্ঞাসা করতে বাধ্য করল যে, তুমি কেমন করে জানলে যে, সে শক্তিশালী এবং আমানতদার ?
মেয়েটি বলল, তার শক্তির বিষয়ে প্রমাণ ৷এই যে, পানি পান করানোর ক্ষেত্রে বালতি টানার
ব্যাপারে এর চেয়ে অধিক শক্তিশালী আমি কাউকে দেখিনি ৷ আমান দারীর বিষয়ে প্রমাণ এই
যে, আমি যখন তার কাছে গিয়ে পরিচয় দিলাম, খনত তিনি একবার আমার দিকে
তাকিয়েছিলেন ৷ যখন তিনি আচ করতে পারলেন আমি একজন মহিলা, তখন তিনি তার মাথা
নীচু করলেন ৷ আপনার সংবাদ তার কাছে না পৌছানাে পর্যন্ত তিনি আর মাথা উঠিয়ে
াকাননি ৷ অতঃপর আমাকে বললেন, তুমি আমার পেছনে চলবে এবং রাস্তার নির্দেশনা দেবে ৷
তার এ কাজের দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, তিনি আমানতদার ৷ পিতার কাছে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে
গেল, মেয়ের কথার সত্যতাও প্রমাণিত হল এবং মেয়ের বক্তব্য অনুযায়ী মুসা (আ) সম্বন্ধে তিনি
৷ ৩ার অভিমত নির্ধারণ করলেন ৷ তিনি তখন মুসা (আ ) কে উদ্দেশ করে বললেন :
)
;,
আমি আমার এই কন্যা দৃটির একটি তোমার সাথে বিবাহ দিতে চাই এই শর্তে যে, তুমি
আট বছর আমার কাজ করবে ৷ যদি তুমি দশ বছর পুর্ণ কর, সে তোমার ইচ্ছে ৷ আমি তোমাকে
কষ্ট দিতে চাই না ৷ আল্লাহ চ ৷হেতোঙু মি আমাকে সদা ৷চারী পাবে ৷’ (সুরা কাসাস৪ ২৭)
তিনি এ প্রস্তাবে রাযী হলেন ৷ আট বছর কা জ করা ছিল মুসা (আ )-এর উপর অপরিহার্য ৷
আর দুই বছর ছিল তার পক্ষ থেকে অঙ্গীকার ৷ আল্লাহ তাআলা র্তাকে পুর্ণ দশ বছরের মেয়াদ
পালনের তাওফীক দেন ৷ সাঈদ ইবন জুবায়র (রা) বলেন, একদিন এক খৃক্টান পণ্ডিত আমার
সাথে সাক্ষাৎ করে বললেন, তৃমি কি জ৷ ন, মুসা (আ ) কো ন মেয়াদটি পুর্ণ করেছিলেনা তখন
আমি জানতাম না, তাই বললাম, না, আমি জানি না ৷ এরপর আমি আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস
(রা) এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম এবং এ সম্পর্কে আমি তার সাথে আলোচনা করলাম ৷ তিনি
وَانْطَلَقَ الْفِرْعَوْنِيُّ، فَأَخْبَرَهُمْ بِمَا سَمِعَ مِنَ الْإِسْرَائِيلِيِّ مِنَ الْخَبَرِ، حِينَ يَقُولُ: أَتُرِيدُ أَنْ تَقْتُلَنِي كَمَا قَتَلْتَ نَفْسًا بِالْأَمْسِ؟ فَأَرْسَلَ فِرْعَوْنُ الذَّبَّاحِينَ لِيَقْتُلُوا مُوسَى، فَأَخَذَ رُسُلُ فِرْعَوْنَ الطَّرِيقَ الْأَعْظَمَ، يَمْشُونَ عَلَى هِينَتِهِمْ يَطْلُبُونَ مُوسَى، وَهُمْ لَا يَخَافُونَ أَنْ يَفُوتَهُمْ، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ شِيعَةِ مُوسَى مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ، فَاخْتَصَرَ طَرِيقًا حَتَّى سَبَقَهُمْ إِلَى مُوسَى فَأَخْبَرَهُ - وَذَلِكَ مِنَ الْفُتُونِ يَا ابْنَ جُبَيْرٍ - فَخَرَجَ مُوسَى مُتَوَجِّهًا نَحْوَ مَدْيَنَ، لَمْ يَلْقَ بَلَاءً قَبْلَ ذَلِكَ وَلَيْسَ لَهُ بِالطَّرِيقِ عِلْمٌ إِلَّا حُسْنُ ظَنِّهِ بِرَبِّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، فَإِنَّهُ قَالَ: {عَسَى رَبِّي أَنْ يَهْدِيَنِي سَوَاءَ السَّبِيلِ - وَلَمَّا وَرَدَ مَاءَ مَدْيَنَ وَجَدَ عَلَيْهِ أُمَّةً مِنَ النَّاسِ يَسْقُونَ وَوَجَدَ مِنْ دُونِهِمُ امْرَأَتَيْنِ تَذُودَانِ} [القصص: 22 - 23]
[الْقَصَصِ: 22، 23] . يَعْنِي بِذَلِكَ حَابِسَتَيْنِ غَنَمَهُمَا، فَقَالَ لَهُمَا: {مَا خَطْبُكُمَا} [القصص: 23] مُعْتَزِلَتَيْنِ، لَا تَسْقِيَانِ مَعَ النَّاسِ؟ قَالَتَا: لَيْسَ لَنَا قُوَّةٌ نُزَاحِمُ الْقَوْمَ، وَإِنَّمَا نَنْتَظِرُ فُضُولَ حِيَاضِهِمْ. فَسَقَى لَهُمَا، فَجَعَلَ يَغْرِفُ مِنَ الدَّلْوِ مَاءً كَثِيرًا، حَتَّى كَانَ أَوَّلَ الرِّعَاءِ، وَانْصَرَفَتَا بِغَنَمِهِمَا إِلَى أَبِيهِمَا، وَانْصَرَفَ مُوسَى، فَاسْتَظَلَّ بِشَجَرَةٍ، {فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ} [القصص: 24] . وَاسْتَنْكَرَ أَبُوهُمَا سُرْعَةَ صُدُورِهِمَا بِغَنَمِهِمَا حُفَّلًا بِطَانًا، فَقَالَ: إِنَّ لَكُمَا الْيَوْمَ لَشَأْنًا. فَأَخْبَرَتَاهُ بِمَا صَنَعَ مُوسَى، فَأَمَرَ إِحْدَاهُمَا أَنْ تَدْعُوَهُ، فَأَتَتْ مُوسَى فَدَعَتْهُ، فَلَمَّا كَلَّمَهُ قَالَ: {لَا تَخَفْ نَجَوْتَ مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ} [القصص: 25] . لَيْسَ لِفِرْعَوْنَ وَلَا لِقَوْمِهِ عَلَيْنَا مِنْ سُلْطَانٍ، وَلَسْنَا فِي مَمْلَكَتِهِ {قَالَتْ إِحْدَاهُمَا يَا أَبَتِ اسْتَأْجِرْهُ إِنَّ خَيْرَ مَنِ اسْتَأْجَرْتَ الْقَوِيُّ الْأَمِينُ} [القصص: 26] . فَاحْتَمَلَتْهُ الْغَيْرَةُ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৭০৩
বললেন, তুমি কি জান না যে, আট বছর পুর্ণ করা আল্লাহর নবীর উপর ওয়াজিব ছিল ৷ তিনি
কােনক্রমেই তার থেকে কম করতে পারতেন না ৷ তুমি জেনে রেখ, আল্লাহ্ তাঅড়ালা মুসা
(আ) এর দ্বারা ওয়াদা মুতাবিক দশ বছরের মেয়াদ পুরণ করান ৷ অতঃপর আমি উক্ত খৃক্টানের
সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে সংবাদটি দিলাম, তখন সে বলল, তােমাকে এ ব্যাপারে যে সংবাদ
দিয়েছে সে কি তােমড়া থেকে বেশি জ্ঞানী?’ উত্তরে আমি বললড়াম, হীড়া, তিনি শ্রেষ্ঠ ও অগ্রগণ্য ৷ ’
মুসা (আ) যখন তার পরিবার নিয়ে রওয়ড়ানা হলেন, তখন আগুন, লাঠি ও হাতে র মু জিযা
প্রকাশিত হল যা আল্লাহ তা আলা কুরআনুল করীমে বর্ণনা করেছেন ৷ অতঃপর মুসা (আ)
নিহত ব্যক্তি ও মুখের জড়তা সম্পর্কে ফিরআউন সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যে আশঙ্কা পোষণ
করতেন, সে সম্বন্ধে তিনি আল্লাহ্৩ তা আলার দরবারে ফরিয়াদ করেন ৷ মুখের জড়তা অনর্গল
কথাবার্তা বলার ব্যাপারে কিছুটা অম্ভরায় সৃষ্টি করত ৷ তাই তিনি তার প্রতিপালকের কাছে
প্রার্থনা করলেন যেন আল্লাহ্ তাআলা তার ভইি হারুনের মাধ্যমে তার সাহায্য করেন ৷ তার
পক্ষ থেকে হারুন (আ) প্রাঞ্জল ভাষায় জনগণের সাথে কথা বলেন, যেখানে মুসা (আ) তাদের
সাথে অনর্গল কথা বলতে অপারক ৷ আল্লাহ তাআলা তার দরখাস্ত মঞ্জুর করলেন ৷ তার মুখের
জড়তা দুর করে দিলেন, হড়ারুন (আ)-এর কাছে ওহী প্রেরণ করলেন ও তাকে হুকুম দিলেন যেন
তিনি তার ভাই মুসা (আ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷ মুসা (আ) আপন লাঠিসহ ফিরে
আসলেন ৷ শেষ পর্যন্ত হড়ারুন (আ) এর সাথে তার সাক্ষাৎ হয় ৷
অতঃপর দু’জন একত্রে ফিরঅড়াউনের কাছে গমন করলেন এবং তার ফটকে বহুক্ষণ ধরে
অপেক্ষা করলেন কিন্তু তাদেরকে অনুমতি দেয়া হল না ৷ কঠোর গোপনীয়তা ৷অবলম্বন করে
তাদেরকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হল ৷৩ র্তারা বললেন, আমরা তোমার প্ৰতিপালকের দুত ৷
ফিরআউন বলল, তোমাদের প্রতিপালক কে? র্তারা তার উত্তর প্রদান করেন, যার বর্ণনা
কুরআনুল করীমে রয়েছে ৷ ফিরআউন বলল, তােমরা কী চাওস্তু’ প্রসঙ্গক্রমে সে ইতাবসরে
হত্যার কথাও উল্লেখ করল ৷ হত্যার ব্যাপারে ওযর পেশ করে মুসা (আ) বলেন, আমি চাই যে,
তুমি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং বনী ইসরাঈলকে আমার সাথে যেতে দেবে ৷
ফিরআউন তা অস্বীকার করল এবং বলল, যদি তুমি সত্যবাদী হও৩ ড়াহলে কোন মুজিযা প্রদশ্নি
কর ৷ তখন তিনি তার লাঠি নিক্ষেপ করলেন ৷ অমনি তা একটি বিরাট অজগরে পরিণত হল, যা
বিরাট হা মেলে ফিরআউনের দিকে দ্রুত ৩অগ্রসর হয় ৷ ফিরআউন যখন দেখল অজগরটি তার
দিকে আসর হচ্ছে, সে ভয় পেয়ে গেল এবং সিংহাসন থেকে লাফিয়ে পড়ল ৷ মুসা (আ)-এর
কাছে এটাকে ফিরিয়ে রাখার জন্যে ফরিয়াদ করতে লাগল ৷ তখন মুসা (আ) তা-ই করলেন ৷
অতঃপর মুসা (আ) তার হাত বগলের নীচ থেকে বের করলেন ৷ ফিরআউন এটাকে ওভ্রসমুজ্জ্বল
নির্দোষ ও শ্বেত রোগে আক্রান্ত নয় দেখতে পেল ৷ তিনি আবার হাত ভিতরে নিয়ে নিলেন ৷ এটা
অমনি পুর্বের রঙ ধারণ করল ৷ ফিরআউন যা দেখল তা নিয়ে তার পারিষদবর্গের সাথে
সলাপরামর্শ করল ৷ তখন তারা বলল :
أَنْ قَالَ لَهَا: مَا يُدْرِيكِ مَا قُوَّتُهُ، وَمَا أَمَانَتُهُ؟ فَقَالَتْ: أَمَّا قُوَّتُهُ فَمَا رَأَيْتُ مِنْهُ فِي الدَّلْوِ حِينَ سَقَى لَنَا، لَمْ أَرَ رَجُلًا قَطُّ أَقْوَى فِي ذَلِكَ السَّقْيِ مِنْهُ، وَأَمَّا الْأَمَانَةُ فَإِنَّهُ نَظَرَ إِلَيَّ حِينَ أَقْبَلْتُ إِلَيْهِ وَشَخَصْتُ لَهُ فَلَمَّا عَلِمَ أَنِّي امْرَأَةٌ صَوَّبَ رَأْسَهُ، فَلَمْ يَرْفَعْهُ حَتَّى بَلَّغْتُهُ رِسَالَتَكَ، ثُمَّ قَالَ لِي: امْشِي خَلْفِي، وَانْعَتِي لِيَ الطَّرِيقَ. فَلَمْ يَفْعَلْ هَذَا إِلَّا وَهُوَ أَمِينٌ. فَسُرِّيَ عَنْ أَبِيهَا، وَصَدَّقَهَا، وَظَنَّ بِهِ الَّذِي قَالَتْ، فَقَالَ لَهُ: هَلْ لَكَ {أَنْ أُنْكِحَكَ إِحْدَى ابْنَتَيَّ هَاتَيْنِ عَلَى أَنْ تَأْجُرَنِي ثَمَانِيَ حِجَجٍ فَإِنْ أَتْمَمْتَ عَشْرًا فَمِنْ عِنْدِكَ وَمَا أُرِيدُ أَنْ أَشُقَّ عَلَيْكَ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّالِحِينَ} [القصص: 27] . فَفَعَلَ، فَكَانَتْ عَلَى نَبِيِّ اللَّهِ مُوسَى ثَمَانِيَ سِنِينَ وَاجِبَةً، وَكَانَتِ السَّنَتَانِ عِدَةً مِنْهُ، فَقَضَى اللَّهُ عَنْهُ عِدَتَهُ، فَأَتَمَّهَا عَشْرًا.
قَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ: فَلَقِيَنِي رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ النَّصْرَانِيَّةِ، مِنْ عُلَمَائِهِمْ، قَالَ: هَلْ تَدْرِي أَيُّ الْأَجَلَيْنِ قَضَى مُوسَى؟ قُلْتُ: لَا. وَأَنَا يَوْمَئِذٍ لَا أَدْرِي، فَلَقِيتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ: أَمَا عَلِمَتْ أَنَّ ثَمَانِيَةً كَانَتْ عَلَى نَبِيِّ اللَّهِ وَاجِبَةً؟ لَمْ يَكُنْ نَبِيُّ اللَّهِ لِيُنْقِصَ مِنْهَا شَيْئًا وَتَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ كَانَ قَاضِيًا عَنْ مُوسَى عِدَتَهُ الَّتِي وَعَدَهُ، فَإِنَّهُ قَضَى عَشْرَ سِنِينَ. فَلَقِيتُ النَّصْرَانِيَّ، فَأَخْبَرَتْهُ ذَلِكَ، فَقَالَ: الَّذِي سَأَلْتَهُ فَأَخْبَرَكَ أَعْلَمُ مِنْكَ بِذَلِكَ. قُلْتُ: أَجَلْ، وَأَوْلَى.
فَلَمَّا سَارَ مُوسَى بِأَهْلِهِ، كَانَ مِنْ أَمْرِ النَّارِ، وَالْعَصَا، وَيَدِهِ، مَا قَصَّ اللَّهُ عَلَيْكَ فِي الْقُرْآنِ، فَشَكَا إِلَى اللَّهِ تَعَالَى مَا يَتَخَوَّفُ مِنْ آلِ فِرْعَوْنَ فِي الْقَتِيلِ، وَعُقْدَةِ لِسَانِهِ، فَإِنَّهُ كَانَ فِي لِسَانِهِ عُقْدَةٌ تَمْنَعُهُ مِنْ كَثِيرٍ مِنَ الْكَلَامِ وَسَأَلَ رَبَّهُ أَنْ يُعِينَهُ بِأَخِيهِ هَارُونَ، وَيَكُونُ لَهُ رَدْءًا وَيَتَكَلَّمُ عَنْهُ بِكَثِيرٍ مِمَّا لَا يُفْصِحُ بِهِ لِسَانُهُ،
পৃষ্ঠা - ৭০৪
এ দু’জন অবশ্যই জাদুকর, তারা চায় তাদের জাদু দ্বারা তােমাদেবকে তোমাদের দেশ
থেকে বের করে দিতে এবং তোমাদের উৎকৃষ্ট জীবন ব্যবস্থা ধ্বংস করতে ৷ ’
অর্থাৎ তোমাদের রাজতু এবং সুখ-স্বাচ্ছন্দা থেকে তােমাদেরকে বিতাড়িত করতে ৷ এভাবে
মুসা (আ) যা চেয়েছিলেন ফিরআউন ও তার পারিষদবর্গ তার কিছুই দিতে রাযী হল না ৷
পারিষদরা ফিরআউনকে পরামর্শ দিল, “আপনার রাজত্বে জাদুকরের অভাব নেই , কাজেই সকল
জাদুকর একত্রিত হবার জন্যে আপনি নির্দেশ দেন, যাতে তারা তাদের দু’জনের উপস্থাপিত
জাদুকে পরাজিত করতে পারে ৷ ” অতঃপর ফিরআউন বিভিন্ন শহরে জাদুকর সংগ্রহকারী পাঠাল ,
যাতে তারা উচুমানের জাদুকরদের ডেকে আসে ৷ যখন তারা ফিবআউরুনর কাছে আসল তখন
বলতে লাগল, কি দিয়ে তিনি জাদু দেখান? পারিষদবর্গ বলল, সাপ দিয়ে ৷ ’ তখন তারা বলল,
আল্লাহর শপথ, তাহলে তারা উতয়ে আমাদের উপর জয়লাভ করতে পারবে না ৷ কেননা,
পৃথিবীতে এমন কোন ব্যক্তি নেই, যে আমাদের ন্যায় সাপ, রশি ও লাঠি দিয়ে আমাদের চাইতে
উত্তম জাদু দেখাতে পারে ৷ তবে যদি আমরা তাদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে পারি, তাহলে
আমাদের পুরস্কার কী হবে? ফিরআউন তাদেরকে বলল, তড়াহলে তোমরা আমার নৈকটা
লাভকারী ও বিশিষ্ট সভাষদবর্গের অন্তর্ভুক্ত হবে ৷ আর তোমরা যা চাইবে তা-ই আমি
তােমাদেরকে দেবাে ৷ এভাবে তারা ফিরআউন থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করল ও উৎসবের দিন
নির্ধারিত করল, যে দিন পুর্বাহে জনগণকে সমবেত করা হয়ে ৷
সাঈদ ইবন জুবায়র (বা) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) আমার কাছে বর্ণনা করেন,
উৎসবের দিলেই আল্লাহ্ তাআলা মুসা (আ)-কে ফিরআউন ও তার জাদুকরদের বিরুদ্ধে বিজয়
দান করেছিলেন ৷ আর সেই দিনটি ছিল আশুরার দিন ৷ যখন তারা একটি মাঠে সমবেত হলো,
তখন লোকজন বলাবলি করতে লাগল-চল, আজ আমরা তাদের এই প্রতিযোগিতা দেখার
জন্যে উপস্থিত হই এবং উপহাস ছলে বলতে লাগল, যদি নতুন জাদুকররা (মুসা ও হারুন)
জয়লাভ করে তাহলে আমরা তাদের অনুসরণ করবো ৷ জাদুকরপণ বলল, হে মুসা ! হয় তুমি
প্রথমে নিক্ষেপ কর, নতুবা আমরাই প্রথমে নিক্ষেপ করি ৷ ’ মুসা (আ) বললেন, বরং তােমরাই
নিক্ষেপ কর ৷ ’ তখন তারা তাদের দড়ি ও লাঠি নিক্ষেপ করল ও বলতে লাগল, ফিরআউনের
ইযযতের শপথ, আমরাই জয়ী হব ৷ ’ মুসা (আ) তাদের জাদু প্রত্যক্ষ করলেন ও তাতে তিনি
তার অন্তরে কিছু ভীতি অনুভব করলেন ৷ তার কাছে আল্লাহ্ তাআলা ওহী পাঠালেন , হে মুসা ৷
তোমার লাঠি নিক্ষেপ কর ৷ ’ যখন তিনি তার লাঠি নিক্ষেপ করলেন, তখন তা একটি বিরাট
অজগরে পরিণত হল, যা হা করে থাকে ৷ সে লাঠি ও দড়িগুলোকে একত্র মিশিয়ে সবগুলোকে
তার মুখে পুরতে লাগল ৷ এমনকি কোন লাঠি বা দড়িই অবশিষ্ট রইল না ৷ জাদুকররা যখন
ঘটনার যথার্থতা বুঝতে পারল, তখন তারা বলতে লাগল, মুসা (আ) এর ব্যাপারটি যদি জাদু
হত তাহলে আমাদের জাদুকে এটা কখনও গ্রাস করতে পারত না ৷ এটা নিশ্চিতভাবেই আল্লাহ
তাআলার পক্ষ থেকে ৷ কারুফৌ আমরা আল্লাহ্ তাআলার প্রতি ও মুসা (আ) যা কিছু নিয়ে
এসেছেন তার প্রতিও বিশ্বাস স্থাপন করলাম, আমরা পুর্বে যা কিছু পাপ করেছি তার থেকে
তওবা করলাম ৷ ’ এভাবে আল্লাহ তা“আলা উক্ত জনপদে ফিরআউন ও তার পারিষদবশ্চেৰি শক্তি
চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দিলেন ৷
فَآتَاهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، سُؤْلَهُ وَحَلَّ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِهِ، وَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى هَارُونَ، فَأَمَرَهُ أَنْ يَلْقَاهُ، فَانْدَفَعَ مُوسَى بِعَصَاهُ حَتَّى لَقِيَ هَارُونَ، فَانْطَلَقَا جَمِيعًا إِلَى فِرْعَوْنَ، فَأَقَامَا عَلَى بَابِهِ حِينًا لَا يُؤْذَنُ لَهُمَا، ثُمَّ أُذِنَ لَهُمَا بَعْدَ حِجَابٍ شَدِيدٍ، فَقَالَا: إِنَّا رَسُولَا رَبِّكَ. فَقَالَ: فَمَنْ رَبُّكُمَا؟ فَأَخْبَرَهُ بِالَّذِي قَصَّ اللَّهُ عَلَيْكَ فِي الْقُرْآنِ، قَالَ: فَمَا تُرِيدَانِ؟ وَذَكَّرَهُ الْقَتِيلَ، فَاعْتَذَرَ بِمَا قَدْ سَمِعْتَ قَالَ: أُرِيدُ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ، وَتُرْسِلَ مَعِي بَنِي إِسْرَائِيلَ. فَأَبَى عَلَيْهِ، وَقَالَ: ائْتِ بِآيَةٍ إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ. فَأَلْقَى عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ حَيَّةٌ عَظِيمَةٌ، فَاغِرَةً فَاهَا، مُسْرِعَةً إِلَى فِرْعَوْنَ فَلَمَّا رَآهَا فِرْعَوْنُ، قَاصِدَةً إِلَيْهِ خَافَهَا، فَاقْتَحَمَ عَنْ سَرِيرِهِ، وَاسْتَغَاثَ بِمُوسَى أَنْ يَكُفَّهَا عَنْهُ، فَفَعَلَ، ثُمَّ أَخْرَجَ يَدَهُ مِنْ جَيْبِهِ، فَرَآهَا بَيْضَاءَ مِنْ غَيْرِ سُوءٍ - يَعْنِي مِنْ غَيْرِ بَرَصٍ - ثُمَّ رَدَّهَا فَعَادَتْ إِلَى لَوْنِهَا الْأَوَّلِ، فَاسْتَشَارَ الْمَلَأَ حَوْلَهُ فِيمَا رَأَى، فَقَالُوا لَهُ: هَذَانِ سَاحِرَانِ يُرِيدَانِ أَنْ يُخْرِجَاكُمْ مِنْ أَرْضِكُمْ بِسِحْرِهِمَا وَيَذْهَبَا بِطَرِيقَتِكُمُ الْمُثْلَى. يَعْنِي مُلْكَهُمُ الَّذِي هُمْ فِيهِ، وَالْعَيْشَ، وَأَبَوْا عَلَى مُوسَى أَنْ يُعْطُوهُ شَيْئًا مِمَّا طَلَبَ، وَقَالُوا لَهُ: اجْمَعِ السَّحَرَةَ فَإِنَّهُمْ بِأَرْضِكَ كَثِيرٌ ; حَتَّى تَغْلِبَ بِسِحْرِكَ سِحْرَهُمَا. فَأَرْسَلَ إِلَى الْمَدَائِنِ، فَحُشِرَ لَهُ كُلُّ سَاحِرٍ مُتَعَالِمٍ، فَلَمَّا أَتَوْا فِرْعَوْنَ، قَالُوا: بِمَ يَعْمَلُ هَذَا السَّاحِرُ؟ قَالُوا: يَعْمَلُ بِالْحَيَّاتِ. قَالُوا: فَلَا وَاللَّهِ مَا أَحَدٌ فِي الْأَرْضِ يَعْمَلُ بِالسِّحْرِ بِالْحَيَّاتِ وَالْحِبَالِ وَالْعِصِيِّ الَّذِي نَعْمَلُ، وَمَا أَجْرُنَا إِنْ نَحْنُ غَلَبْنَا؟ قَالَ لَهُمْ: أَنْتُمْ أَقَارِبِي وَخَاصَّتِي، وَأَنَا صَانِعٌ إِلَيْكُمْ كُلَّ شَيْءٍ أَحْبَبْتُمْ. فَتَوَاعَدُوا يَوْمَ الزِّينَةِ وَأَنْ يُحْشَرَ النَّاسُ ضُحًى. قَالَ سَعِيدٌ: فَحَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَّ يَوْمَ الزِّينَةِ الْيَوْمَ الَّذِي أَظْهَرَ اللَّهُ فِيهِ مُوسَى عَلَى فِرْعَوْنَ وَالسَّحَرَةِ، هُوَ يَوْمُ عَاشُورَاءَ، فَلَمَّا اجْتَمَعُوا فِي
পৃষ্ঠা - ৭০৫
সত্য প্রতিষ্ঠিত হল এবং তাদের সমস্ত কার্যকলাপ মিথ্যা প্রতিপন্ন হল ৷ তারা পরাভুত হল ও
অপদস্থ হল ৷ অন্যদিকে ফিরআউনের শ্রী ছিন্ন বসন পরিহিতা অবস্থায় বের হলেন এবং
ফিরআউন ও ফিরআউনীদের বিরুদ্ধে মুসা (আ)-এর সাহায্যের জন্যে আল্লাহর কাছে দুআ
করতে লাগলেন ৷ ফিরআউনের গোত্রের যারা তাকে (দখল তারা মনে করতে লাগল যে, তিনি
ফিরআউন ও ফিরআউনীদের জন্যে সহানুভুতি প্রদর্শনার্থে ছিন্ন বসন পারছেন ৷ আসলে তার
সমস্ত জ্যিড়া-ভাবনা ছিল মুসা (আ)-এর জন্যেই ৷ মুসা (আ)-এর সাথে কৃত ফিরআউনের মিথ্যা
প্রতিশ্রুতির বিষয়টি দীর্যায়িত হতে লাগল ৷ বনী ইসরাঈলকে মুসা (আ)-এর কাছে প্রত্যর্পণ
করার জন্যে যখনই ফিরআউন কোন নিদর্শন প্রদর্শন করার শর্ত আরোপ করতো এবং মুসা
(আ)-এর দু’আয় আল্লাহর পক্ষ থেকে নিদর্শন প্রকাশিত হতো, তখনই ফিরআউন প্রতিশ্রুতি
ভঙ্গ করে বলতাে, হে মুসা ! তোমার প্রতিপালক কি এটা ব্যতীত অন্য একটি নিদর্শন আমাদের
জন্যে প্রদর্শন করার ক্ষমতা রাখেনঃ ’
এরুপ বার বার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার কারণে আল্লাহ তাআলা ফিরঅড়াউনের সম্প্রদায়ের
প্রতি স্পষ্ট নিদর্শন হিসেবে পর্যায়ক্রমে ভুফান, পঙ্গপাল, উকুন , ভেক ও রক্ত আযাবরুগে
পাঠান ৷ প্রতেক্তকটি মুসীবত অবতীর্ণ হলে ফিরআউন মুসা (আ) এর কাছে ফরিয়াদ করত এবং
তা দুর করার জন্যে মুসা (আ)-কে অনুরোধ করত যে, মুসীবত দুর হয়ে গেলে সে বনী
ইসরাঈলকে মুসা (আ)-এর কাছে প্রতার্পণ করবে ৷ আবার যখনই মুসীবত দুর হয়ে যেত,
তারপর দিনই সে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করত ৷ শেষ পর্যন্ত আপন সম্প্রদায়সহ উক্ত জনপদ ত্যাগ
করার জন্যে মুসা (আ)-এর প্রতি আল্লাহর নির্দেশ আসল ৷ মুসা (আ) তাদেরকে নিয়ে রাতের
বেলা রওয়ানা হয়ে পড়লেন ৷ প্রত্যুষে ফিরআউন টের পেল যে, বনী ইসরাঈলরা চলে গেছে ৷
তখন যে বিভিন্ন শহরে লোক পাঠাল এবং বিরাট এক সৈন্যদল নিয়ে তাদের পিছু ধাওয়া করল ৷
এদিকে আল্লাহ তাআলা সমুদ্রকে হুকুম দিলেন, আমার বান্দা মুসা (আ) তোমাকে লাঠি দিয়ে
আঘাত করবে, তখন তুমি বারটি খণ্ডে খণ্ডিত হয়ে যাবে, যাতে মুসা ও তার সাথীরা নির্বিঘ্নে পার
হয়ে যেতে পারে ৷ অতঃপর তুমি ফিরআউন ও তার সাথীদেৱকে গ্রাস করে ফেলবে ৷
লাঠি দিয়ে সমুদ্রকে আঘাত করতে মুসা (আ) তুলে গেলেন ও সমুদ্রের পাড়ে পৌছে
গেলেন ৷ মুসা (আ) তার লাঠি দ্বারা আঘাত করবেন আর সে গাফিল থাকবে, যার কারণে সে
হবে আল্লাহ্ তাআলার কাছে নাফরমান এই ভয়ে সাগর উত্তাল ছিল ৷ যখন উভয় দল
পরস্পরকে দেখল ও নিকটবর্তী হল, মুসা (আ)-এর সাখিগণ তাকে বলল, আল্লাহ আপনার
প্রতিপালক, আল্লাহ তাআলা যা হুকুম করেন তাই করুন, নচেৎ আমরা ধরা পড়ে যার ৷ তিনি
মিথ্যা বলেননি এবং আপনিও আমাদেরকে মিথ্যা বলেননি ৷ মুসা (আ) বলেন, আমার
প্রতিপালক আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, আমি যখন সমুদ্রের কিনারায় আসর, তখন তা বার
ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে যাতে আমি নির্বিঘ্নে সমুদ্র পার হয়ে যেতে পারি ৷ অতঃপর লাঠির কথা
স্মরণে আসল, তখন তিনি আপন লাঠি দ্বারা সমুদ্রে আঘাত করলেন ৷ এরপর যখন ফিরআউনের
সেনাবাহিনীর অগ্রভাপ মুসা (আ)-এর সেনাবাহিনীর পশ্চাৎভাগের নিকটবর্তী হলো, সমুদ্র তার
প্রতিপালকের নির্দেশ অনুযায়ী ও মুসা (আ )-এর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বিভক্ত হয়ে গেল ৷ যখন
মুসা (আ) ও তার সাথিগণ সকলেই সমুদ্র পড়ার হলেন এবং ফিরআউন ও তার সাথীরা সমুদ্রে
صَعِيدٍ قَالَ النَّاسُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ انْطَلِقُوا فَلْنَحْضُرْ هَذَا الْأَمْرَ; لَعَلَّنَا نَتَّبِعُ السَّحَرَةَ إِنَّ كَانُوا هُمُ الْغَالِبِينَ. يَعْنُونَ مُوسَى وَهَارُونَ، اسْتِهْزَاءً بِهِمَا، فَقَالُوا: يَا مُوسَى - بِقُدْرَتِهِمْ بِسِحْرِهِمْ - إِمَّا أَنْ تُلْقِيَ وَإِمَّا أَنْ نَكُونَ نَحْنُ الْمُلْقِينَ. قَالَ: بَلْ أَلْقُوا. {فَأَلْقَوْا حِبَالَهُمْ وَعِصِيَّهُمْ وَقَالُوا بِعِزَّةِ فِرْعَوْنَ إِنَّا لَنَحْنُ الْغَالِبُونَ} [الشعراء: 44] . فَرَأَى مُوسَى مِنْ سِحْرِهِمْ مَا أَوْجَسَ فِي نَفْسِهِ خِيفَةً، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ: أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ، فَلَمَّا أَلْقَاهَا، صَارَتْ ثُعْبَانًا عَظِيمَةً، فَاغِرَةً فَاهَا، فَجَعَلَتِ الْعِصِيُّ تَلْتَبِسُ بِالْحِبَالِ، حَتَّى صَارَتْ جُرُزًا عَلَى الثُّعْبَانِ تَدْخُلُ فِيهِ، حَتَّى مَا أَبْقَتْ عَصًا وَلَا حَبْلًا إِلَّا ابْتَلَعَتْهُ فَلَمَّا عَرَفَ السَّحَرَةُ ذَلِكَ، قَالُوا: لَوْ كَانَ هَذَا سِحْرًا لَمْ تَبْلُغْ مِنْ سِحْرِنَا كُلَّ هَذَا وَلَكِنَّهُ أَمْرٌ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى، آمَنَّا بِاللَّهِ وَبِمَا جَاءَ بِهِ مُوسَى، وَنَتُوبُ إِلَى اللَّهِ مِمَّا كُنَّا عَلَيْهِ. فَكَسَرَ اللَّهُ ظَهَرَ فِرْعَوْنَ فِي ذَلِكَ الْمَوْطِنِ وَأَشْيَاعِهِ، وَظَهَرَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ، فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانْقَلَبُوا صَاغِرِينَ، وَامْرَأَةُ فِرْعَوْنَ بَارِزَةٌ مُتَبَذِّلَةٌ تَدْعُو لِلَّهِ بِالنَّصْرِ لِمُوسَى عَلَى فِرْعَوْنَ وَأَشْيَاعِهِ، فَمَنْ رَآهَا مِنْ آلِ فِرْعَوْنَ ظَنَّ أَنَّهَا إِنَّمَا ابْتُذِلَتْ لِلشَّفَقَةِ عَلَى فِرْعَوْنَ وَأَشْيَاعِهِ، وَإِنَّمَا كَانَ حُزْنُهَا وَهَمُّهَا لِمُوسَى، فَلَمَّا طَالَ مُكْثُ مُوسَى بِمَوَاعِيدِ فِرْعَوْنَ الْكَاذِبَةِ، كُلَّمَا جَاءَ بِآيَةٍ وَعَدَهُ عِنْدَهَا أَنْ يُرْسِلَ مَعَهُ بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَإِذَا مَضَتْ أَخْلَفَ مَوْعِدَهُ وَقَالَ: هَلْ يَسْتَطِيعُ رَبُّكَ أَنْ يَصْنَعَ غَيْرَ هَذَا؟ فَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَى قَوْمِهِ الطُّوفَانَ، وَالْجَرَادَ، وَالْقُمَّلَ، وَالضَّفَادِعَ، وَالدَّمَ آيَاتٍ مُفَصَّلَاتٍ، كُلُّ ذَلِكَ يَشْكُو إِلَى مُوسَى وَيَطْلُبُ إِلَيْهِ أَنْ يَكُفَّهَا عَنْهُ، وَيُوَافِقَهُ عَلَى أَنْ يُرْسِلَ مَعَهُ بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَإِذَا كَفَّ ذَلِكَ عَنْهُ، أَخْلَفَ مَوْعِدَهُ، وَنَكَثَ عَهْدَهُ، حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৭০৬
প্রবেশ করল, নির্দেশ মোতাবেক সমুদ্র দু’দিক থেকে মিশে গিয়ে তাদের ডুবিয়ে দিল ৷ আবার
মুসা (আ) যখন পার হয়ে গেলেন, তখন তার সাথিগণ বলতে লাগল, আমাদের আশংকা হচ্ছে
ফিরআউন হয়তো ডুবেনি ৷ আমরা তার ধ্বংসের ব্যাপারে সুনিশ্চিত নই ৷
মুসা (আ) তার প্রতিপালকের কাছে এ ব্যাপারে দুআ করলেন ৷ ফলে আল্লাহ্ তাআলা
ফিরআউনের শরীর সমুদ্র থেকে বের করে দিলেন যাতে তারা ফিরআউনের ধ্বংসের ব্যাপারে
নিশ্চিত হল ৷ অতংপর বনী ইসরাঈলরা এমন এক সম্প্রদায়ের কাছে আগমন করলেন যাদের
ইবাদরু তর জন্যে প্রতিমা রয়েছে, তখন তারা মুসা (আ) কে বলতে লাগল :
াদ্বুপুাব্ল
ন্খুদ্বুণ্ডি
তারা বলল, “হে মুসা ! তাদের দেবতার ন্যায় আমাদের জ্যনাও এক দেবতা গড়ে দাও ৷ ”
তিনি বললেন, তোমরা তো এক মুর্থ সম্প্রদায়, এসব লোক যাতে লিপ্ত রয়েছে তা তো বিধ্বস্ত
হবে এবং তারা বা করছে তাও অমুলক ৷” (সুরা আরাফ : ১৩৮)
অর্থাৎ হে আমার সম্প্রদায় ! তোমরা তো সমুদ্র পড়ার হওয়ার ব্যাপারটি নিজ চক্ষে প্রত্যক্ষ
করলে এবং নিজ কানেও শুনলে, যা তোমাদের পক্ষে আল্লাহ্র কুদরত অনুধাবন করার জানা
যথেষ্ট ৷
অতঃপর মুসা (আ) পথ চলতে লাগলেন এবং তাদেরকে নিয়ে অবতরণ করলেন ও বলতে
লাগলেন, তোমরা হারুন (আ)-এর আনুগত্য করবে ৷ কেননা, আল্লাহ্ তাআলা তাকে আমার
প্রতিনিধি মনোনীত করেছেন ৷ আমি আমার প্রতিপালকের সমীপে যাচ্ছি এবং ত্রিশ দিন পর
আমি তোমাদের কাছে ফিরে আসর ৷ মুসা (আ) যখন তার প্রতিপালকের সাথে ত্রিশ দিনের
মধ্যে কথাবার্তা বলার ইচ্ছে করলেন ও ত্রিশ দিন-রাত রোযা রাখলেন, তখন তিনি রোযাদারের
মুখের গন্ধের ন্যায় গন্ধ অনুভব করলেন এবং আপন প্রতিপালকের সাথে এ গন্ধ নিয়ে কথাবার্তা
বলা অপছন্দনীয় মনে করলেন ৷ তাই মুসা (আ) একটি গাছের ডাল নিয়ে চিবালেন যাতে মুখের
দৃর্পন্ধ দুর হয়ে যায় ৷ মুসা (আ) যখন আল্পাহ্র সমীপে পৌছলেন, তখন তার প্রতিপালক তাকে
বললেন, তুমি ণ্রাযা কেন ভঙ্গ করলো অথচ কেন তিনি এরুপ করেছিলেন এ ব্যাপারে তিনিই
অধিক জ্ঞাত ছিলেন ৷ মুসা (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক ! সুগন্ধিযুক্ত মুখ নিয়ে ছাড়া
আপনার সাথে কথাবার্তা বলা আমার অপছন্দনীয় ছিল ৷ আল্লাহ্ তাআলা বললেন, হে মুসা
তুমি কি জান না, রোযাদারের মুখের গন্ধ মিশকের গন্ধের চেয়ে শ্রেয়ঃ কারুআ তুমি ফেরত
যাও, আরো দশটি রােযা রাখ এবং তারপর আস ৷ ’ প্রতিপালক যা নির্দেশ দিলেন মুসা (আ)
তা-ই করলেন ৷
এদিকে মুসা (আ)-এর সম্প্রদায় যখন দেখতে পেল যে, মুসা (আ) নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ
ত্রিশদিনের মধ্যে ফেরত আসছেন না, এটা তাদের কাছে খুবই খারাপ লাগল ৷ হারুন (আ) বনী
ইসরাঈলদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, তোমরা মিসর থেকে বের হয়ে এসেছ অথচ তোমাদের
কাছে ফিবআউন সম্প্রদায়ের দেয়া ও আমানতের প্রচুর বন্তু রয়েছে ৷ অনুরুপভাবে তোমাদেরও
প্রচুর বস্তু তাদের কাছে রয়েছে ৷ আমার মতামত হচ্ছে, তাদের কাছে তোমাদের যে পরিমাণ বস্তু
أَمَرَ مُوسَى بِالْخُرُوجِ بِقَوْمِهِ، فَخَرَجَ بِهِمْ لَيْلًا، فَلَمَّا أَصْبَحَ فِرْعَوْنُ، وَرَأَى أَنَّهُمْ قَدْ مَضَوْا، أَرْسَلَ فِي الْمَدَائِنِ حَاشِرِينَ، فَتَبِعَهُ بِجُنُودٍ عَظِيمَةٍ كَثِيرَةٍ، وَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى الْبَحْرِ: إِذَا ضَرَبَكَ عَبْدِي مُوسَى بِعَصَاهُ، فَانْفَلِقِ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ فِرْقَةً، حَتَّى يَجُوزَ مُوسَى وَمَنْ مَعَهُ، ثُمَّ الْتَقِ عَلَى مَنْ بَقِيَ بَعْدُ مِنْ فِرْعَوْنَ وَأَشْيَاعِهِ. فَنَسِيَ مُوسَى أَنْ يَضْرِبَ الْبَحْرَ بِالْعَصَا، وَانْتَهَى إِلَى الْبَحْرِ وَلَهُ قَصِيفٌ مَخَافَةَ أَنْ يَضْرِبَهُ مُوسَى بِعَصَاهُ وَهُوَ غَافِلٌ فَيَصِيرُ عَاصِيًا لِلَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، فَلَمَّا تَرَاءَى الْجَمْعَانِ وَتَقَارَبَا، قَالَ أَصْحَابُ مُوسَى: {إِنَّا لَمُدْرَكُونَ} [الشعراء: 61] افْعَلْ مَا أَمَرَكَ بِهِ رَبُّكَ، فَإِنَّهُ لَمْ يَكْذِبْ وَلَمْ تَكْذِبْ. قَالَ: وَعَدَنِي رَبِّي إِذَا أَتَيْتُ الْبَحْرَ انْفَرَقَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ فِرْقَةً حَتَّى أُجَاوِزَهُ، ثُمَّ ذَكَرَ بَعْدَ ذَلِكَ الْعَصَا، فَضَرَبَ الْبَحْرَ بِعَصَاهُ، حِينَ دَنَا أَوَائِلُ جُنْدِ فِرْعَوْنَ مِنْ أَوَاخِرِ جُنْدِ مُوسَى، فَانْفَرَقَ الْبَحْرُ كَمَا أَمَرَهُ رَبُّهُ، وَكَمَا وَعَدَ مُوسَى، فَلَمَّا أَنْ جَاوَزَ مُوسَى وَأَصْحَابُهُ كُلُّهُمُ الْبَحْرَ، وَدَخَلَ فِرْعَوْنُ وَأَصْحَابُهُ، الْتَقَى عَلَيْهِمُ الْبَحْرُ كَمَا أَمَرَ، فَلَمَّا جَاوَزَ مُوسَى، قَالَ أَصْحَابُهُ: إِنَّا نَخَافُ أَنْ لَا يَكُونَ فِرْعَوْنُ غَرِقَ، وَلَا نُؤْمِنُ بِهَلَاكِهِ. فَدَعَا رَبَّهُ، فَأَخْرَجَهُ لَهُ بِبَدَنِهِ، حَتَّى اسْتَيْقَنُوا بِهَلَاكِهِ، ثُمَّ مَرُّوا بَعْدَ ذَلِكَ عَلَى قَوْمٍ يَعْكُفُونَ عَلَى أَصْنَامٍ لَهُمْ، {قَالُوا يَا مُوسَى اجْعَلْ لَنَا إِلَهًا كَمَا لَهُمْ آلِهَةٌ قَالَ إِنَّكُمْ قَوْمٌ تَجْهَلُونَ - إِنَّ هَؤُلَاءِ مُتَبَّرٌ مَا هُمْ فِيهِ وَبَاطِلٌ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ} [الأعراف: 138 - 139]
[الْأَعْرَافِ: 138، 139] . قَدْ رَأَيْتُمْ مِنَ الْعِبَرِ، وَسَمِعْتُمْ مَا يَكْفِيكُمْ وَمَضَى، فَأَنْزَلَهُمْ مُوسَى مَنْزِلًا، وَقَالَ أَطِيعُوا هَارُونَ، فَإِنِّي قَدِ اسْتَخْلَفْتُهُ عَلَيْكُمْ، فَإِنِّي ذَاهِبٌ إِلَى رَبِّي. وَأَجَّلَهُمْ ثَلَاثِينَ يَوْمًا أَنْ يَرْجِعَ إِلَيْهِمْ فِيهَا، فَلَمَّا أَتَى رَبَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، وَأَرَادَ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৭০৭
يُكَلِّمَهُ فِي ثَلَاثِينَ يَوْمًا، وَقَدْ صَامَهُنَّ، لَيْلَهُنَّ وَنَهَارَهُنَّ وَكَرِهَ أَنْ يُكَلِّمَ رَبَّهُ وَرِيحُ فِيهِ رِيحُ فَمِ الصَّائِمِ، فَتَنَاوَلَ مُوسَى شَيْئًا مِنْ نَبَاتِ الْأَرْضِ فَمَضَغَهُ، فَقَالَ لَهُ رَبُّهُ حِينَ أَتَاهُ: لِمَ أَفْطَرْتَ؟ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالَّذِي كَانَ، قَالَ: يَا رَبِّ إِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أُكَلِّمَكَ إِلَّا وَفَمِي طَيِّبُ الرِّيحِ. قَالَ: أَوَمَا عَلِمْتَ يَا مُوسَى أَنَّ رِيحَ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ ارْجِعْ فَصُمْ عَشْرًا، ثُمَّ ائْتِنِي. فَفَعَلَ مُوسَى مَا أَمَرَهُ بِهِ رَبُّهُ، فَلَمَّا رَأَى قَوْمُ مُوسَى أَنَّهُ لَمْ يَرْجِعْ إِلَيْهِمْ فِي الْأَجَلِ، سَاءَهُمْ ذَلِكَ، وَكَانَ هَارُونُ قَدْ خَطَبَهُمْ وَقَالَ: إِنَّكُمْ خَرَجْتُمْ مِنْ مِصْرَ، وَلِقَوْمِ فِرْعَوْنَ عِنْدَكُمْ عَوَارِيُّ وَوَدَائِعُ، وَلَكُمْ فِيهَا مِثْلُ ذَلِكَ، وَأَنَا أَرَى أَنْ تَحْتَسِبُوا مَا لَكُمْ عِنْدَهُمْ، وَلَا أُحِلُّ لَكُمْ وَدِيعَةً اسْتَوْدَعْتُمُوهَا، وَلَا عَارِيَّةً، وَلَسْنَا بِرَادِّينَ إِلَيْهِمْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ، وَلَا مُمْسَكِيهِ لِأَنْفُسِنَا. فَحَفَرَ حَفِيرًا، وَأَمَرَ كُلَّ قَوْمٍ عِنْدَهُمْ مِنْ ذَلِكَ مِنْ مَتَاعٍ أَوْ حِلْيَةٍ أَنْ يَقْذِفُوهُ فِي ذَلِكَ الْحَفِيرِ. ثُمَّ أَوْقَدَ عَلَيْهِ النَّارَ فَأَحْرَقَهُ، فَقَالَ: لَا يَكُونُ لَنَا وَلَا لَهُمْ.
وَكَانَ السَّامِرِيُّ مِنْ قَوْمٍ يَعْبُدُونَ الْبَقَرَ، جِيرَانٍ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ، وَلَمْ يَكُنْ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَاحْتَمَلَ مَعَ مُوسَى وَبَنِي إِسْرَائِيلَ حِينَ احْتَمَلُوا، فَقُضِيَ لَهُ أَنْ رَأَى أَثَرًا فَقَبَضَ مِنْهُ قَبْضَةً، فَمَرَّ بِهَارُونَ، فَقَالَ لَهُ هَارُونُ: يَا سَامِرِيُّ، أَلَا تُلْقِي مَا فِي يَدِكَ؟ وَهُوَ قَابِضٌ عَلَيْهِ، لَا يَرَاهُ أَحَدٌ طَوَالَ ذَلِكَ، فَقَالَ: هَذِهِ قَبْضَةٌ مِنْ أَثَرِ الرَّسُولِ الَّذِي جَاوَزَ بِكُمُ الْبَحْرَ، وَلَا أُلْقِيهَا لِشَيْءٍ إِلَّا أَنْ تَدْعُوَ اللَّهَ إِذَا أَلْقَيْتُهَا أَنْ يَكُونَ مَا أُرِيدُ. فَأَلْقَاهَا وَدَعَا لَهُ هَارُونُ، فَقَالَ: أُرِيدُ أَنْ تَكُونَ عِجْلًا. فَاجْتَمَعَ مَا كَانَ فِي الْحُفْرَةِ مِنْ مَتَاعٍ أَوْ حِلْيَةٍ، أَوْ نُحَاسٍ، أَوْ حَدِيدٍ،
পৃষ্ঠা - ৭০৮
রয়েছে, যে পরিমাণ তোমরা হিসাব করে রেখে দিতে পার, তবে তাদের ধার দেয়৷ বস্তু
তোমাদের কাছে তাদের আমানর্তী বন্তু , আমি তোমাদের জন্য হালাল মনে করি না ৷ আর
আমরা তাদের কোন বন্তু তাদের কাছে ফেরত পাঠাতে পারছি না ৷ অন্যদিকে আমরা তাদের
কোন বন্তু নিজেরাও ভোগ করতে পারছি না ৷ হারুন (আ) একটি গর্ত খুড়তে হুকুম দিলেন,
যখন একটি বিরাট গর্ত খোড়া হল, তখন তিনি সম্প্রদায়ের সকলকে তাদের কাছে মজুদ
জিনিসপত্র ও অলংকারাদি গর্ভে নিক্ষেপ করতে আদেশ করলেন ৷ অতঃপর তাতে আগুন ধরিয়ে
তা পুড়িয়ে দেয়৷ হল ৷ হারুন (আ) বললেন, এ সম্পদ আমাদেরও নয় এবং তাদেরও নয় ৷
সামিরী ছিল বনী ইসরাঈলের পড়শী এমন এক সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত যারা গরু পুজা করত ৷
সে বনী ইসরাঈলের লোক ছিল না ৷ মুসা (আ) ও বনী ইসরাঈলের সাথে সমুদ্র পাড়ি দেবার
সময় সে জিবরাঈলের যোটকীর পায়ের ধুল৷ দেখতে পেয়ে এক মুষ্টি তুলে নিয়েছিল ৷ এখন যে
হারুন (আ) এর কাছে গেল ৷ হারুন (আ) তাকে লক্ষ্য করে বললেন০ হে সামিরী! তোমার
মুষ্ঠির মধ্যে যা রয়েছেতু মি কি তা অগ্নিতে নিক্ষেপ করবে না?’ সে সকলের অলক্ষেদ্র সেই ধুলা
মুঠোয় ধরে রেখেছিল ৷ সে বলল, এটাতাে সেই দুতের যে টকীব পায়ের ধুলা, যে আপনাদেরকে
সমুদ্র পার করিয়েছেন, তবে আমি এটাকে কিছুতেই নিক্ষেপ করব না, যতক্ষণ না আপনি
আল্পাহ্ তাআলার কাছে দু আ করেন যে, আমি যে কাজের জন্য এটাকে নিক্ষেপ করব সে
কাডইি যেন হয়ে যায় ৷ সে মতে তিনি দু আ করলেন এবং সে তা নিক্ষেপ করে বলল, আমি চা ৷ই
এগুলো যেন বাছুরে পরিণত হয়ে যায় ৷ ফলে গর্তের মধ্যে যত সােনা-দানা, সহায়-সম্পদ
অলংকারাদি তামা-লোহ৷ ইত্যাদি ছিল, একত্রিত হয়ে একটি বাছুরের আকার ধারণ করল ৷ যার
মধ্যখানট৷ ছিল ফাকা, তার মধ্যে প্রাণ ছিল না, ছিল শুধু গরুর ডাক ৷
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) বলেন, আল্লাহ্র কসম, বাছুরটির কোন শব্দ ছিল না, বাতাস
তার পেছনের দিক্ দিয়ে ঢুকত এবং সামনের দিক্ দিয়ে বের হয়ে যেত ৷ এজন্য এক প্রকারের
শব্দ হত, বাছুরের নিজস্ব কো ন শব্দ ছিল না ৷ এই ঘটনার পর বনী ইসরা ঈল তিন তা ৷গে বিভক্ত
হয়ে পড়ল ৷ একদল বলল, হে সামিরী! এটা কি? তুমিই তে ৷ এটা সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত
সামিরী বলল, এটা তোমাদের প্রতিপালক ৷ তবে মুসা (আ) পথ হারিয়ে ফেলেছেন ৷ অন্য
একদল বলল, যতক্ষণ না মুসা (আ) আমাদের কাছে ফিরে আসেন, আমরা এটাকে মিথ্যা
প্রতিপন্ন করব না ৷ এমনও তো হতে পারে যে, এটাই আমাদের প্ৰতিপালক তাই এটাকে
আমরা বিনষ্ট করলাম না আর এটা সম্বন্ধে আমরা বিপাকেও পড়লাম না ৷৩ তাই আমরা এটাকে
দেখে-শুনে রাখব ৷ আর যদি এটা আমাদের প্ৰতিপালক বলে প্রমাণিত না হয়, তাহলে এ
সম্পর্কে আমরা মুসা (আ) এর নির্দেশই মান্য করব ৷ অন্য একদল বলল, এটা শয়তানের কাজ,
এটা আমাদের প্রতিপালক নয়, এটাতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করি না, এটাকে আমরা সত্য বলে
গ্রহণও করি না ৷ বাছুরটি সম্বন্ধে সামিরী যা বলেছিল, তাকে তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তার
মিথ্যা দা ৷৩বিকোরা মিথ্যা বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা করল ৷ হারুন (আ) তাদেরকে বললেন :
শু,ঠুহ্রপ্লু ৷ ন্দ্বুর্দুর্চু :, ৷এ ৫ ন্:ণ্ড্র ১০;৷ রু ট্রুন্এাপু
فَصَارَ عِجْلًا أَجْوَفَ، لَيْسَ فِيهِ رُوحٌ، لَهُ خُوَارٌ.
قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: لَا وَاللَّهِ مَا كَانَ لَهُ صَوْتٌ قَطُّ، إِنَّمَا كَانَتِ الرِّيحُ تَدْخُلُ مِنْ دُبُرِهِ، وَتَخْرُجُ مِنْ فِيهِ، فَكَانَ ذَلِكَ الصَّوْتُ مِنْ ذَلِكَ، فَتَفَرَّقَ بَنُو إِسْرَائِيلَ فِرَقًا، فَقَالَتْ فِرْقَةٌ: يَا سَامِرِيُّ، مَا هَذَا، وَأَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ؟ قَالَ: هَذَا رَبُّكُمْ، وَلَكِنَّ مُوسَى أَضَلَّ الطَّرِيقَ. وَقَالَتْ فِرْقَةٌ: لَا نُكَذِّبُ بِهَذَا حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْنَا مُوسَى، فَإِنْ كَانَ رَبُّنَا، لَمْ نَكُنْ ضَيَّعْنَاهُ وَعَجَزْنَا فِيهِ حِينَ رَأَيْنَاهُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ رَبَّنَا فَإِنَّا نَتَّبِعُ قَوْلَ مُوسَى. وَقَالَتْ فِرْقَةٌ: هَذَا مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ، وَلَيْسَ بِرَبِّنَا، وَلَا نُؤْمِنُ بِهِ، وَلَا نُصَدِّقُ. وَأُشْرِبُ فِرْقَةٌ فِي قُلُوبِهِمُ الصِّدْقَ بِمَا قَالَ السَّامِرِيُّ فِي الْعِجْلِ، وَأَعْلَنُوا التَّكْذِيبَ بِهِ، فَقَالَ لَهُمْ هَارُونُ عَلَيْهِ السَّلَامُ: {يَاقَوْمِ إِنَّمَا فُتِنْتُمْ بِهِ وَإِنَّ رَبَّكُمُ الرَّحْمَنُ} [طه: 90] . لَيْسَ هَذَا، قَالُوا: فَمَا بَالُ مُوسَى وَعَدَنَا ثَلَاثِينَ يَوْمًا ثُمَّ أَخْلَفَنَا؟ هَذِهِ أَرْبَعُونَ يَوْمًا قَدْ مَضَتْ. قَالَ سُفَهَاؤُهُمْ: أَخْطَأَ رَبَّهُ، فَهُوَ يَطْلُبُهُ وَيَبْتَغِيهِ. فَلَمَّا كَلَّمَ اللَّهُ مُوسَى وَقَالَ لَهُ مَا قَالَ، أَخْبَرَهُ بِمَا لَقِيَ قَوْمُهُ مِنْ بَعْدِهِ، فَرَجَعَ إِلَى قَوْمِهِ غَضْبَانَ أَسَفًا، فَقَالَ لَهُمْ مَا سَمِعْتُمْ مَا فِي الْقُرْآنِ، وَأَخَذَ بِرَأْسِ أَخِيهِ يَجُرُّهُ إِلَيْهِ وَأَلْقَى الْأَلْوَاحَ مِنَ الْغَضَبِ، ثُمَّ إِنَّهُ عَذَرَ أَخَاهُ بِعُذْرِهِ، وَاسْتَغْفَرَ لَهُ، فَانْصَرَفَ إِلَى السَّامِرِيِّ، فَقَالَ لَهُ: مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ؟ قَالَ: {فَقَبَضْتُ قَبْضَةً مِنْ أَثَرِ الرَّسُولِ} [طه: 96] وَفَطِنْتُ لَهَا، وَعُمِّيَتْ عَلَيْكُمْ فَقَذَفْتُهَا {وَكَذَلِكَ سَوَّلَتْ لِي نَفْسِي - قَالَ فَاذْهَبْ فَإِنَّ لَكَ فِي الْحَيَاةِ أَنْ تَقُولَ لَا مِسَاسَ وَإِنَّ لَكَ مَوْعِدًا لَنْ تُخْلَفَهُ وَانْظُرْ إِلَى إِلَهِكَ الَّذِي ظَلْتَ عَلَيْهِ عَاكِفًا لَنُحَرِّقَنَّهُ ثُمَّ لَنَنْسِفَنَّهُ فِي الْيَمِّ نَسْفًا} [طه: 96 - 97]
[طه: 96، 97] . وَلَوْ كَانَ إِلَهًا لَمْ نَخْلُصْ إِلَى ذَلِكَ مِنْهُ، فَاسْتَيْقَنَ بَنُو إِسْرَائِيلَ بِالْفِتْنَةِ، وَاغْتَبَطَ
পৃষ্ঠা - ৭০৯
“হে আমার সম্প্রদায়! এটা দ্বারা৫ তা কেবল তােমাদেরকে পরীক্ষায় ফেলা হয়েছে ৷ তোমাদের
প্ৰতিপা লক দয়াময় ৷” এটা তোমাদের প্রতিপা ৷লক নয় ৷ তারা হারুন (আ )-কে প্রশ্ন করল, মুসা
(আ)-এর খবর কি? আমাদের সাথে ত্রিশদিনের ওয়াদা করে গিয়েছেন, তিনি তো আমাদের
সাথে কৃত ওয়াদা পুরণ করলেন না চল্লিশ দিন অতিক্রাম্ভ হয়ে গিয়েছে ৷ তাদের মধ্যে যারা
নির্বোধ, তারা বলল, মুসা (আ) তার প্রতিপালককে পাননি, তাই তিনি তাকে খুজে রেড়াচ্ছেন ৷
আল্লাহ্ তা আলা মুসা (আ) এর সাথে কথা বলার সময় তিনি তাকে বনী ইসরাঈলের মধ্যে
ৎঘটিত ব্যাপারসমুহ অবগত করেন ৷ তাতে মুসা (আ) অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও রাপাম্বিত ৩হয়ে নিজ
সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে আসেন ৷ এরপর তিনি তাদেরকে যা বললেন, তা কুরআনুল করীমে
উল্লেখিত হয়েছে ৷
মুসা (আ ) তার সহোদর হারুন (আ) এর কেশ ধরে আকর্ষণ করতে লাগলেন এবং রাগের
কারণে ফলকগুলাে ফেলে দেন ৷ তারপর তিনি তার সহোদরের ওমর গ্রহণ করে নিলেন এবং
তার জন্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন ৷ অতঃপর তিনি সামিরীর দিকে মনোযোগ
দিলেন এবং৩ তাকে লক্ষ্য করে বললেন, তুমি এমনটি কেন করলো সামিরী বলল “আমি
জিবরাঈলের ঘোটকীর পায়ের এক মুঠে৷ ধুল৷ সঞ্চাহ করেছিলাম, আমি এটার অলৌকিক ক্ষমতা
অনুধাবন করেছিলাম এবং আপনাদের কাছে ছিল এটা অজানা বস্তু ৷ এরপর এটাকে নিক্ষেপ
করলাম এবং আমার মন এরুপ করাই আমার জন্য শোভন করেছিল ৷ মুসা (আ) বললেন, দৃর
হ’, তোর জীবদ্দশায় তোর জন্যে এটাই রইল যে, তুই বলবি, আমাকে কেউ ছুয়ে৷ না’ এবং
তোর জন্য রইল একটি নির্দিষ্ট কাল, তোর বেলায় যার ব্যতিক্রম হবে না ; তুই তোর সেই
ইলাহের প্রতি লক্ষ্য কর যার পুজায় তুই রত ছিলে, আমরা এটাকে জ্বালিয়ে দেবই; অতঃপর
এটাকে বিক্ষিপ্ত করে সাগরে নিক্ষেপ করবই ৷ ”
বলাবাহুল্য, এটা যদি উপাস্যই হত ৩তাহলে এটাকে এরুপ কেউ করতে পারত না ৷ এজন্যই
বনী ইসরাঈল এটাকে নিশ্চিতভাবে পরীক্ষা হিসেবে গণ্য করে ৷ আর যাদের মতামত হারুন
(আ) এর মতামতের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ ছিল তারা মহাথুশী হলো এবং নিজেদের সম্প্রদায়ের
উপকারার্থে মুসা (আ) কে লক্ষ্য করে তারা আরো বলল, হে মুসা (আ) ! আপনি আল্লাহ্
তাআলার কাছে প্রার্থনা করুন, যেন তিনি আমাদের জন্যে তওবা করার নিমিত্তে একটি বিধি
ব্যবস্থা করেন, যা আমরা তা ৷ঞ্জাম দিলে, আমাদের কৃত পাপরাশির কাফ্ফার৷ হয়ে যায় ৷”
অতঃপর মুসা (আ)ত ৷র সম্প্রদায় থেকে সত্তরজন এমন লোককে এ কাজের জন্যে মনোনীত
করলেন, যারা ভাল কাজ সম্পাদনে ত্রুটি করে না এবং আল্লাহ্ তা জানার সাথে কাউকে শরীক
করে না, তাদের নিয়ে মুসা (আ) তওবার জন্যে চললেন ৷ অতঃপর ভুমিকম্প দেখা দিল ৷ আর
এতে আল্লাহ্র নবী, তার সম্প্রদায় ও মনোনীত লোকদের কাছে লজ্জিত হলেন এবং বলতে
লাপলেন, “হে আল্লাহ্ তাআলা! ইচ্ছে করলে তুমি তাদেরকে ও আমাকে এর পুর্বেই ধ্বংস করে
দিতে পারতে ৷ আমাদের মধ্যে যারা নির্বে৷ ধ, তাদের কৃতকর্মের জন্যে কি আমাদেরকে তুমি
ৎস করবেঃ” উত্তর আসল, তাদের মধ্যে এমন লোক রয়েছে যাদের অম্ভরে বাছুরগ্রীতি রয়েছে
ও এটার প্রতি তারা বিশ্বাস রাখে, তাই তাদেরকে নিয়ে ভুমি কেপে উঠেছিল ৷
الَّذِينَ كَانَ رَأْيُهُمْ فِيهِ مِثْلَ رَأْيِ هَارُونَ، فَقَالُوا جَمَاعَتُهُمْ: يَا مُوسَى سَلْ لَنَا أَنْ يُفْتَحَ لَنَا بَابُ تَوْبَةٍ نَصْنَعْهَا، فَيُكَفَّرْ عَنَّا مَا عَمِلْنَا. فَاخْتَارَ مُوسَى قَوْمَهُ سَبْعِينَ رَجُلًا لِذَلِكَ، لَا يَأْلُو الْخَيْرَ، خِيَارَ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَمَنْ لَمْ يُشْرِكْ فِي الْعِجْلِ، فَانْطَلَقَ بِهِمْ يَسْأَلُ لَهُمُ التَّوْبَةَ، فَرَجَفَتْ بِهِمُ الْأَرْضُ، فَاسْتَحْيَا نَبِيُّ اللَّهِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنْ قَوْمِهِ، وَمِنْ وَفْدِهِ، حِينَ فُعِلَ بِهِمْ مَا فُعِلَ، فَقَالَ: {لَوْ شِئْتَ أَهْلَكْتَهُمْ مِنْ قَبْلُ وَإِيَّايَ أَتُهْلِكُنَا بِمَا فَعَلَ السُّفَهَاءُ مِنَّا} [الأعراف: 155] وَفِيهِمْ مَنْ كَانَ اللَّهُ اطَّلَعَ مِنْهُ عَلَى مَا أُشْرِبَ قَلْبُهُ مِنْ حُبِّ الْعِجْلِ، وَإِيمَانٍ بِهِ، فَلِذَلِكَ رَجَفَتْ بِهِمُ الْأَرْضُ، فَقَالَ: {وَرَحْمَتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ فَسَأَكْتُبُهَا لِلَّذِينَ يَتَّقُونَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَالَّذِينَ هُمْ بِآيَاتِنَا يُؤْمِنُونَ - الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الرَّسُولَ النَّبِيَّ الْأُمِّيَّ الَّذِي يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِنْدَهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ} [الأعراف: 156 - 157]
[الْأَعْرَافِ: 156، 157] .
فَقَالَ: يَا رَبِّ، سَأَلْتُكَ التَّوْبَةَ لِقَوْمِي، فَقُلْتَ: إِنَّ رَحْمَتَكَ كَتَبْتَهَا لِقَوْمٍ غَيْرِ قَوْمِي فَلَيْتَكَ أَخَّرْتَنِي حَتَّى تُخْرِجَنِي فِي أُمَّةِ ذَلِكَ الرَّجُلِ الْمَرْحُومَةِ. فَقَالَ لَهُ: إِنَّ تَوْبَتَهُمْ أَنْ يَقْتُلَ كُلُّ رَجُلٍ مَنْ لَقِيَ مِنْ وَالِدٍ وَوَلَدٍ، فَيَقْتُلُهُ بِالسَّيْفِ، لَا يُبَالِي مَنْ قَتَلَ فِي ذَلِكَ الْمَوْطِنِ. وَتَابَ أُولَئِكَ الَّذِينَ كَانَ خَفِيَ عَلَى مُوسَى وَهَارُونَ وَاطَّلَعَ اللَّهُ مِنْ ذُنُوبِهِمْ، فَاعْتَرَفُوا بِهَا، وَفَعَلُوا مَا أُمِرُوا، وَغَفَرَ اللَّهُ لِلْقَاتِلِ وَالْمَقْتُولِ، ثُمَّ سَارَ بِهِمْ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مُتَوَجِّهًا نَحْوَ الْأَرْضِ الْمُقَدَّسَةِ، وَأَخَذَ الْأَلْوَاحَ بَعْدَ مَا سَكَتَ عَنْهُ الْغَضَبُ، فَأَمَرَهُمْ بِالَّذِي أُمِرَ بِهِ مِنَ الْوَظَائِفِ فَثَقُلَ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ، وَأَبَوْا أَنْ يُقِرُّوا بِهَا، وَنَتَقَ
পৃষ্ঠা - ৭১০
আল্লাহ্৩ তা আলা ইরশাদ করেন০ :
এে১দ্বু১১র্চুড়ু
৷ ,ট্রিঠু;প্রুৰুট্রু,ঠু ৷;১র্ডান্ ৰুণ্হুপ্রুা
“আমার দয়া-তা তো প্রত্যেক রস্তুতে ব্যাপ্ত ৷ সুতরাংাম এটা তাদের জন্যে নির্ধারিত
করব যারা তাক্ওয়া অবলম্বন করে, যাকাত দেয় ও আমার নিদর্শনে বিশ্বাস করে, যারা অনুসরণ
করে বার্তাবাহক উমী নবীর, যার উল্লেখ তাওরাত ও ইঞ্জীল, যা তাদের কাছে আছে তাতে
লিপিবদ্ধ পায় ৷ (সুরা আরাফ : ১৫৬-১৫ ৭)
মুসা (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক আমার সম্প্রদায়ের জন্য আমি তােক্ট্রার কাছে
তওবা কবুলের দু আ করছি আর তুমি আমাকে বলছ, নিশ্চয়ই আমার রহমত এমন একটি
সম্প্রদায়ের জন্যে লিপিবদ্ধ করেছি যা তোমার সম্প্রদায় থেকে ভিন্ন ৷ হায়া যদি তুমি আমার
জন্মকে আরো বিলম্ব করতে এবং আমাকে সেই রহমত তপ্রাপ্ত ব্যক্তির উম্মতের অন্তর্ভুক্ত করতে
কতই না ভাল হত ! আল্লাহ তা আলা মুসা (আ)-কে বললেন, তাদের তওবা হচ্ছে তাদের মধ্য
হতে যে ব্যক্তি যার সাথে সাক্ষাৎ করবে, তার পিতা বা সন্তান হোক না কেন সে তাকে তরবারি
দ্বারা হত্যা করবে ৷ কে নিহত হলো, এ ব্যাপারে কোন পরোয়া করবে না ৷ যাদের গুনাহ্ মুসা
(আ) ও হারুন (আ)-এর কাছে অজ্ঞাত থাকলেও আল্লাহ্ তাআলা তাদের পাপ সম্বন্ধে অবহিত
ছিলেন ৷ তারা নিজ নিজ পাপের কথাীকার করলো ও তাদেরকে যা করতে বলা হয়েছে তা
করলো ৷ তখন আল্লাহ তাআলা হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয়কে মাফ করে দিলেন ৷
অতঃপর মুসা (আ) বনী ইসরাঈলদেরকে নিয়ে পবিত্র ভুমির দিকে অগ্রসর হলেন ৷ রাগ
থেমে যাবার পর তিনি ফলকগুলো কুড়িয়ে নিলেন এবং ফলকে লিখিত বিভিন্ন করণীয় কাজ
সম্পর্কে উম্মতদেরকে নির্দোা দিলেন ৷ এগুলো তাদের কাছে কঠিন মনে হতে লাগল এবং
এগুলোকে পুরোপুরিাীকার করে নিতে তারা আীকৃতি জ্ঞাপন করল ৷ তখন আল্লাহ্ তাআলা
তুর পাহাড় তাদের মাথার উপর চাদোয়ার মত উত্তোনিত করলেন ৷ পাহাড় তাদের নিকটবর্তী
হতে লাগল, এমনকি তারা ভয় করতে লাগল যে, তা তাদের মাথার উপর না পড়ে যায় ৷ তারা
একদিকে তাদের ডান হাতে কিতাবখানা ধরে রেখেছিল, অন্যদিকে গভীর মানাযােগ সহকারে
পাহাড়ের প্রতি দৃষ্টি রেখেছিল ৷৩ তারা ছিল পাহাড়ের পেছনে ৷ ভয় করছিল না জানি কখন
তাদের উপর তা পড়ে যায় ৷
অতঃপর তারা চলতে চলতে পবিত্র ভুমিতে পৌছে গেল এবং সেখানে তারা একটি শহর
পেল, যাতে রয়েছে একটি দুর্ধর্ষ জাতি ৷ তারা ছিল নিকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী ৷ তাদের
ফল-ফলাদি অত্যন্ত বৃহৎ আকারের ছিল বলে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ রনী ইসরাঈলরা বলল, হে
মুসা ! এখানে রয়েছে একটি দৃর্দাম্ভ জাতি যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শক্তি আমাদের নেই,
যতক্ষণ পর্যন্ত এরা শহরে অবস্থান করবে আমরা তাতে প্রবেশ করব না ৷ যদি তারা বের হয়ে
যায় তাহলেই কেবল আমরা সেখানে প্রবেশ করব ৷ দৃর্দান্ত সম্প্রদায়টির মধ্য থেকে দুই ব্যক্তি
আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খপ্ন্ার্পোষ্টুদ্যেদুট্রুক্ট্রব্লু-ণ্ডেপ্লোষ্কেজ্যো
اللَّهُ عَلَيْهِمُ الْجَبَلَ كَأَنَّهُ ظُلَّةٌ، وَدَنَا مِنْهُمْ حَتَّى خَافُوا أَنْ يَقَعَ عَلَيْهِمْ، فَأَخَذُوا الْكِتَابَ بِأَيْمَانِهِمْ وَهُمْ يُصْغُونَ يَنْظُرُونَ إِلَى الْجَبَلِ، وَالْكِتَابُ بِأَيْدِيهِمْ وَهُمْ مِنْ وَرَاءِ الْجَبَلِ، مَخَافَةَ أَنْ يَقَعَ عَلَيْهِمْ، ثُمَّ مَضَوْا حَتَّى أَتَوُا الْأَرْضَ الْمُقَدَّسَةَ، فَوَجَدُوا مَدِينَةً فِيهَا قَوْمٌ جَبَّارُونَ، خَلْقُهُمْ خَلْقٌ مُنْكَرٌ - وَذَكَرَ مِنْ ثِمَارِهِمْ أَمْرًا عَجِيبًا مِنْ عِظَمِهَا - فَقَالُوا: يَا مُوسَى إِنَّ فِيهَا قَوْمًا جَبَّارِينَ لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِمْ، وَلَا نَدْخُلُهَا مَا دَامُوا فِيهَا، فَإِنْ يَخْرُجُوا مِنْهَا فَإِنَّا دَاخِلُونَ. قَالَ رَجُلَانِ مِنَ الَّذِينَ يَخَافُونَ - قِيلَ لِيَزِيدَ: هَكَذَا قَرَأَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ - مِنَ الْجَبَّارِينَ آمَنَّا بِمُوسَى، وَخَرَجَا إِلَيْهِ، فَقَالُوا: نَحْنُ أَعْلَمُ بِقَوْمِنَا، إِنْ كُنْتُمْ إِنَّمَا تَخَافُونَ مَا رَأَيْتُمْ مِنْ أَجْسَامِهِمْ وَعَدَدِهِمْ، فَإِنَّهُمْ لَا قُلُوبَ لَهُمْ، وَلَا مَنَعَةَ عِنْدَهُمْ، فَادْخُلُوا عَلَيْهِمُ الْبَابَ، فَإِذَا دَخَلْتُمُوهُ فَإِنَّكُمْ غَالِبُونَ. وَيَقُولُ أُنَاسٌ: إِنَّهُمَا مِنْ قَوْمِ مُوسَى. فَقَالَ الَّذِينَ يَخَافُونَ; بَنُو إِسْرَائِيلَ: {قَالُوا يَا مُوسَى إِنَّا لَنْ نَدْخُلَهَا أَبَدًا مَا دَامُوا فِيهَا فَاذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا إِنَّا هَاهُنَا قَاعِدُونَ} [المائدة: 24] . فَأَغْضَبُوا مُوسَى، فَدَعَا عَلَيْهِمْ، وَسَمَّاهُمْ فَاسِقِينَ، وَلَمْ يَدْعُ عَلَيْهِمْ قَبْلَ ذَلِكَ; لِمَا رَأَى مِنْهُمْ مِنَ الْمَعْصِيَةِ وَإِسَاءَتِهِمْ، حَتَّى كَانَ يَوْمَئِذٍ، فَاسْتَجَابَ اللَّهُ لَهُ وَسَمَّاهُمْ كَمَا سَمَّاهُمْ فَاسِقِينَ، فَحَرَّمَهَا عَلَيْهِمْ أَرْبَعِينَ سَنَةً، يَتِيهُونَ فِي الْأَرْضِ، يُصْبِحُونَ كُلَّ يَوْمٍ، فَيَسِيرُونَ لَيْسَ لَهُمْ قَرَارٌ، ثُمَّ ظَلَّلَ عَلَيْهِمُ الْغَمَامَ فِي التِّيهِ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِمُ الْمَنَّ وَالسَّلْوَى، وَجَعَلَ لَهُمْ ثِيَابًا لَا تَبْلَى وَلَا تَتَّسِخُ، وَجَعَلَ بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ حَجَرًا مُرَبَّعًا وَأَمَرَ مُوسَى فَضَرَبَهُ بِعَصَاهُ،
পৃষ্ঠা - ৭১১
যারা আল্লাহ তাআলাকে ভয় করত; বললেন, আমরা মুসা (আ) এর প্রতি ঈমান এনেছি এবং
আমরা আমাদের সম্প্রদায় থেকে বেরিয়ে এসেছি ৷ তারা আরো বললেন, আমরা আমাদের
সম্প্রদায়ের শক্তি ও সামর্থ্য সম্পর্কে সম্যক অবগত ৷ তোমরা তাদের বিরাট শরীর ও সংখ্যার
আধিক্য দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছো ৷ আসলে তাদের তে মন শক্তি সামর্থ্য নেই ৷ তোমরা
তাদের ফটক দিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা কর ৷ তোমরা তাতে প্রবেশ করতে পারলেই তাদের
উপর জয়ী হয়ে ৷ কেউ কেউ বলেন, যাদের উক্তি উপরে উল্লেখ করা হল, তারা হলেন মুসা
(আ)-এর সম্প্রদায়ের লোক ৷ অর্থাৎ বনী ইসরাঈলের মধ্যে যারা ভয় করছিল ৷
অ আল্লাহ্ তাআলা ইবশাদ করেন ং
এে;,শু ৬১৷ ৷; ৷ছুপুা;
“তারা বলল, হে মুসা ! তারা যতদিন সেখানে থাকবে, ত এন্নদিন আমরা সেখানে প্রবেশ
করবই না ৷ সুতরাং তুমি আর তোমার প্রতিপালক যাও এবং যুদ্ধ কর ৷ আমরা এখানেই বসে
থাকর ৷ (৫ মায়িদা : ২৪) ৷
এরুপ বলে তারা মুসা (আ)-এর ক্রোধের উদ্রেক করল ৷ তিনি তাদের জন্য বদদুআ
করলেন, তাদেরকে ফাসিক’ বলে আখ্যায়িত করলেন ৷ এর আগে তিনি তাদের বিরুদ্ধে আর
বদদুআ করেননি ৷ কেননা, এখন তিনি তাদের মধ্যে পাপ এবং অবাধ্যত৷ দেখতে পেলেন , আর
আল্লাহ তাআলা তার বদদুআ কবুল করলেন এবছুআল্লাহ্ তাআলাও তাদেরকে ফাসিক বলে
আখ্যায়িত করলেন-যেমনটি মুসা (আ) করেছিলেন ৷ চল্লিশ বছরের জন্যে পবিত্র ভুমিতে
প্রবেশ তাদের জন্যে নিষিদ্ধ করে দিলেন ৷ যাতে৩ ৷ ৷রা পৃথিবীতে উদভ্রাস্ত হয়ে ঘুরে বেড়াবে ৷
সারাদিন ধরে তারা চলতে ই থাকবে ৷ তাদের কোন স্বস্তি নসীব হবে না ৷ অতঃপর আল্লাহ্
তা জানা সদয় হয়ে তাদের উপর তীহের ময়দানে মেঘের ছায়া দান করেন, তাদের জন্যে নানা
ও সালওয়৷ অবতীর্ণ করেন ৷ত তাদেরকে এমন পোশাক দান করেন বা না ছিড়ে, না ময়লা হয় ৷
তাদেরকে এমন একটি বর্ণাকৃতির পাথর দান করলেন এবং এটাকে লাঠি দ্বারা আঘাত করার
জন্য মুসা (আ)-কে নির্দেশ দিলেন ৷ ফলে পাথর থেকে বারটি প্রস্রবণ প্রবাহিত হল ৷ প্রতি দিকে
তিনটি করে প্রস্রবণ অব ত ছিল, তাদের প্রতিটি গোত্র নিজ নিজ প্রস্রবণের পরিচয় পেয়ে
গেল ৷ তারা নিজ নিজ প্রস্রবণ থেকে পানি পান করতো ৷ আবার তারা যখন এক জায়গা থেকে
অন্য জায়গায় যেত, সেখানেই এই পাথরঢিকে পুর্বদিনের অবস্থানে পেত ৷
উপরোক্ত হাদীসটি মারকু বলে ইবন আব্বাস (রা) উল্লেখ করেছেন ৷ আমার মতে এটাই
যথার্থ ৷ কেননা, একদা মুআবিয়া (রা) ইবন আব্বাস (আ) থেকে শোনার পর মুসা (আ) কর্তৃক
নিহত ব্যক্তিটি সম্বন্ধে ফিরআউনীকে তথ্য প্রকাশকারী হিসেবে মানতে অস্বীকার করেন ৷ তিনি
বলেন, এ ব্যাপারে ফিরআউন বংশীয় লোকটির আমার কোন উপায়ই ছিল না ৷ জানতে৷ কেবল
ইসরাঈলীটি, যে সেখানে উপস্থিত ছিল ৷ তাহলে ফিরআউনী ব্যক্তিটি কেমন করে এ তথ্য
প্রকাশ করতে পারাে তার এই উক্তি শুনে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) রাগান্বিত হলেন এবং
মুআবিয়৷ (রা) এর হাত ধরলেন ও তাকে নিয়ে সা’দ ইবন মালিক যুহরী (রা ) এর কাছে পেলেন
فَانْفَجَرَتْ مِنْهُ اثْنَتَا عَشْرَةَ عَيْنًا، فِي كُلِّ نَاحِيَةٍ ثَلَاثَةُ أَعْيُنٍ، وَأَعْلَمَ كُلَّ سِبْطٍ عَيْنَهُمُ الَّتِي يَشْرَبُونَ مِنْهَا، فَلَا يَرْتَحِلُونَ مِنْ مَنْقَلَةٍ إِلَّا وَجَدُوا ذَلِكَ الْحَجَرَ بِالْمَكَانِ الَّذِي كَانَ فِيهِ بِالْأَمْسِ. رَفَعَ ابْنُ عَبَّاسٍ هَذَا الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَدَّقَ ذَلِكَ عِنْدِي أَنَّ مُعَاوِيَةَ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ حَدَّثَ هَذَا الْحَدِيثَ فَأَنْكَرَ عَلَيْهِ أَنْ يَكُونَ الْفِرْعَوْنِيُّ الَّذِي أَفْشَى عَلَى مُوسَى أَمْرَ الْقَتِيلِ الَّذِي قَتَلَ، فَقَالَ: كَيْفَ يُفْشِي عَلَيْهِ، وَلَمْ يَكُنْ عَلِمَ بِهِ وَلَا ظَهَرَ عَلَيْهِ إِلَّا الْإِسْرَائِيلِيُّ الَّذِي حَضَرَ ذَلِكَ؟ فَغَضِبَ ابْنُ عَبَّاسٍ، فَأَخَذَ بِيَدِ مُعَاوِيَةَ، فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ الزُّهْرِيِّ، فَقَالَ لَهُ: يَا أَبَا إِسْحَاقَ، هَلْ تَذْكُرُ يَوْمَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ قَتِيلِ مُوسَى الَّذِي قَتَلَ مِنْ آلِ فِرْعَوْنَ؟ الْإِسْرَائِيلِيُّ الَّذِي أَفْشَى عَلَيْهِ، أَمِ الْفِرْعَوْنِيُّ؟ قَالَ: إِنَّمَا أَفْشَى عَلَيْهِ الْفِرْعَوْنِيُّ بِمَا سَمِعَ الْإِسْرَائِيلِيَّ الَّذِي شَهِدَ ذَلِكَ وَحَضَرَهُ. هَكَذَا سَاقَ هَذَا الْحَدِيثَ الْإِمَامُ النَّسَائِيُّ، وَأَخْرَجَهُ ابْنُ جَرِيرٍ، وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، فِي تَفْسِيرِهِمَا مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، وَالْأَشْبَهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، أَنَّهُ مَوْقُوفٌ، وَكَوْنُهُ مَرْفُوعًا فِيهِ نَظَرٌ، وَغَالِبُهُ مُتَلَقًّى مِنَ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ، وَفِيهِ شَيْءٌ يَسِيرٌ مُصَرَّحٌ بِرَفْعِهِ فِي أَثْنَاءِ الْكَلَامِ، وَفِي بَعْضِ مَا فِيهِ نَظَرٌ وَنَكَارَةٌ، وَالْأَغْلَبُ أَنَّهُ مِنْ كَلَامِ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، وَقَدْ سَمِعْتُ شَيْخَنَا الْحَافِظَ أَبَا الْحَجَّاجِ الْمِزِّيَّ يَقُولُ ذَلِكَ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ.