ثم دخلت سنة سبع وستين
পৃষ্ঠা - ৬৯৩৬
৬৭ হিজরী সন ,
এ বছর ইবরাহীম ইবনুল আশতার আন-নাখয়ীর হাতে উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদের
হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ৷ ঘটনার বিবরণ এরুপ ইব্রাহীম ইবনুল আশতার পুববর্তী বছরের ২২
যিলহজ্জ শনিবার কুফা থেকে বের হন ৷ তারপর এ সন আরম্ভ হয়ে গেল ৷ তখন তিনি
মাওলিনের মাটিতে ইবন যিয়াদের হত্যার মুখোমুখি হন, যেখান থেকে মাওসিলের দুরতু ছিল
পাচ ফারসখ (১৫ মাইল) ৷ ফলে ইবনুল আশতার সে রাতটা বিনিদ্র অতিবাহিত করেন ৷ তিনি
ঘুমাতে পারছিলেন না ৷ শেষ রাতে উঠে তিনি তার বাহিনীকে বিন্যস্ত করেন, দলসমুহ ভাগ
করেন এবং সঙ্গীদের নিয়ে আগে-ভাগে ফজরের নামায আদায় করেন ৷ তারপর ঘোড়ার চড়ে
ইবন যিয়াদের বাহিনীর উদ্দেশ্যে অগ্রসর হতে থাকেন ৷ তিনি তার বাহিনী নিয়ে ধীরে ধীরে
অগ্রসর হতে থাকেন ৷ তিনি ঘোড়া থেকে নেমে পদাতিক বাহিনীর সঙ্গে হাটতে শুরু করেন ৷
এক পর্যায়ে তিনি টিলার উপর থেকে ইবন যিয়াদের বাহিনীর প্রতি উকি দিয়ে তাকান ৷
দেখলেন, তারা একজনও নড়াচড়া করছে না ৷ কিন্তু পরক্ষণই তাদের দেখে তারা উঠে ভীত-
সন্ত্রস্ত মনে যার যার ঘোড়া এবং অঙ্কের দিকে ছুটতে শুরু করে ৷ সঙ্গে সঙ্গে ইবনুল আশতার
তার ঘোড়ার ৷রােহণ করে গোত্রগুলাের পতাকার কাছে এসে দাড়িয়ে তাদেরকে ইবন
যিয়াদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য উৎসাহিত করতে লাগলেন ৷ তিনি বলতে শুরু করেন, এলোকটি
রাসুল (সা)ন্এর কন্যার পুত্রের ঘাতক ৷ আবদুল্লাহ তাংক তোমাদের সম্মুখে এনে দিয়েছেন
এবং তিনি আজ তার উপর তােমাদেরকে ক্ষমতা দান করেছেন ৷ তাকে হত্যা করা তোমাদের
জন্য অপরিহার্য ৷ কারণ, সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ফেরআউন ও বনী ইসরাঈল-এর সঙ্গে করে
নি ৷ এ হল হুসাইনএর ঘাতক ইবন যিয়াদ, যে তার ও ফুৰাতের পানির মাঝে প্রতিবন্ধকতা
সৃষ্টি করেছিল, যেন তিনি তার সন্তানাদি এবং মহিলাগণ তার পানি পান করতে না পারেন ৷
এই ব্যক্তি তাকে নিজ শহরে ফিরেও যেতে দেয় নি এবং ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার নিকটও
যেতে দেয় নি৷ অবশেষে তাকে সে হত্যা করে ফেলে ৷ ধিক তোমাদের ! একে খুন করে
তোমরা তোমাদের অন্তরগুলােকে প্রশান্ত কর এবং তোমাদের বর্শা ও তরবারিগুলােকে তার
রক্ত দ্বারা পরিতৃপ্ত কর ৷ এই সেই লোক, যে তোমাদের নবীর বংশধরদের সঙ্গে যথেচ্ছ আচরণ
করেছে ৷ আল্লাহ তাকে তোমাদের নাগালে এনে দিয়েছেন ৷ ইবনুল আশতার এজাতীয় আরো
অনেক কথা-বার্তা বলেন ৷ তারপর তিনি নেমে নিজ পতাকার নীচে চলে আসেন ৷
এদিকে ইবন যিয়াদ বিপুল সংখ্যাক অশ্বারোহী ও পদাতিক সৈন্য নিয়ে এগিয়ে আসেন ৷
তিনি তার ডান পার্শের বাহিনীতে হুসাইন ইবন নুমায়র এবং বাম পার্শের বাহিনীতে উমায়র
ইবনুল হুবাব আস-সুলামীকে অধিনায়ক নিযুক্ত করেন ৷ লোকঢি ইবনুল আশতার-এর সঙ্গে
সক্ষোত করে তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিল যে, সে তার সঙ্গে আছে এবং আগামীকালই
সদলবলে পরাজয় বরণ করবে ৷ ইবন যিয়াদের অশ্বারােহী বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন শুরাহবীল
ইবনুল কালা ৷ ইবন যিয়াদ নিজে পদাতিক বাহিনীর সঙ্গে পায়ে হেটে আসেন ৷ উভয় পক্ষ
যুখোমুখী হল ৷ সঙ্গে সঙ্গে হুসাইন ইবন নুমাই র ডান বাহিনীকে নিয়ে ইরাকীদের বাম বাহিনীর
উপর বাপিয়ে পড়ে তাদেরকে পরাজিত করে ফেলেন ৷ এরপর অধিনায়ক আলী ইবন মালিক
আলজুশামীকে হত্যা করে ফেলেন ৷ তার মৃত্যুর পর তার পুত্র মুহাম্মদ ইবন আলী তার পতাকা
صِهْرِيجٍ، وَكَانَتْ صَفَائِحُ الْقُبَّةِ وَسَقْفُ الْأَقْصَى مِنْ صَفَائِحِ الذَّهَبِ عِوَضَ الرَّصَاصِ، وَكَذَلِكَ أَبْوَابُ الْقُبَّةِ صَفَائِحُهَا، وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا كَمَلَ الْبِنَاءُ فَضَلَ مِنَ الْمَالِ ثَلَاثُمِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ، وَقِيلَ سِتُّمِائَةِ أَلْفٍ. وَكَتَبَ رَجَاءُ بْنُ حَيْوَةَ، وَيَزِيدُ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ يُعَرِّفَانِهِ بِذَلِكَ، فَكَتَبَ إِلَيْهِمَا: قَدْ جَعَلْتُهُ لَكُمَا عِوَضًا عَنْ تَعَبِكُمَا. فَكَتَبَا إِلَيْهِ: إِنَّمَا قُمْنَا بِهَذَا الْبَيْتِ لِلَّهِ تَعَالَى، فَلَا نَقْبَلُ عَلَى ذَلِكَ عَرَضَ الدُّنْيَا، وَلَوَدِدْنَا أَنْ نَزِيدَ فِيهِ مِنْ حَلْيِ نِسَائِنَا. فَكَتَبَ إِلَيْهِمْ إِذَا أَبَيْتُمْ ذَلِكَ فَأَفْرِغَاهُ عَلَى الْقُبَّةِ وَالْأَبْوَابِ، فَمَا كَانَ أَحَدٌ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَتَأَمَّلَ الْقُبَّةَ مِمَّا عَلَيْهَا مِنَ الذَّهَبِ. فَلَمَّا كَانَ فِي خِلَافَةِ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ قَدِمَ الْقُدْسَ سَنَةَ أَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ فَوَجْدَ الْأَقْصَى وَقِبَابُهُ تَشْكُو مِنَ الْخَرَابِ، فَأَمَرَ بِقَلْعِ الصَّفَائِحِ الَّتِي عَلَى الْقُبَّةِ وَالْأَبْوَابِ، وَأَنْ يُعَمَّرَ بِهَا مَا تَشَعَّثَ فِي الْحَرَمِ، فَفَعَلُوا ذَلِكَ، وَكَانَ الْمَسْجِدُ طَوِيلًا فَأَمَرَ أَنْ يُؤْخَذَ مِنْ طُولِهِ وَيُزَادَ فِي عَرْضِهِ، وَلَمَّا كَمَلَ الْبِنَاءُ كَتَبُوا عَلَى الْقُبَّةِ مِمَّا يَلِي الْبَابَ الْقِبْلِيَّ مِنْ جِهَةِ الْأَقْصَى بِالنَّصِّ بَعْدَ الْبَسْمَلَةِ: بَنَى هَذِهِ الْقُبَّةَ عَبْدُ اللَّهِ عَبْدُ الْمَلِكِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ سَنَةَ اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِنَ الْهِجْرَةِ النَّبَوِيَّةِ، وَكَانَ طُولُ الْمَسْجِدِ مِنَ الْقِبْلَةِ إِلَى الشَّمَالِ سَبْعَمِائَةٍ وَخَمْسَةٍ وَسِتِّينَ ذِرَاعًا، وَعَرَضُهُ أَرْبَعَمِائَةٍ وَسِتِّينَ ذِرَاعًا، وَكَانَ فَتْحُ الْقُدْسِ سَنَةَ سِتَّ عَشْرَةَ، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ.
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعٍ وَسِتِّينَ]
[مَقْتَلُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ]
ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعٍ وَسِتِّينَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৩৭
فَفِيهَا كَانَ مَقْتَلُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ عَلَى يَدَيْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْأَشْتَرِ النَّخَعِيِّ ; وَذَلِكَ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ بْنَ الْأَشْتَرِ خَرَجَ مِنَ الْكُوفَةِ يَوْمَ السَّبْتِ لِثَمَانٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فِي السَّنَةِ الْمَاضِيَةِ، ثُمَّ اسْتَهَلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَهُوَ سَائِرٌ لِقَصْدِ ابْنِ زِيَادٍ فِي أَرْضِ الْمَوْصِلِ فَكَانَ اجْتِمَاعُهُمَا بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: الْخَازِرُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمَوْصِلِ خَمْسَةُ فَرَاسِخَ، فَبَاتَ ابْنُ الْأَشْتَرِ تِلْكَ اللَّيْلَةَ سَاهِرًا لَا يَغْتَمِضُ بِنَوْمٍ، فَلَمَّا كَانَ قَرِيبَ الصُّبْحِ نَهَضَ فَعَبَّأَ جَيْشَهُ وَكَتَّبَ كَتَائِبَهُ، وَصَلَّى بِأَصْحَابِهِ الْفَجْرَ فِي أَوَّلِ وَقْتٍ، ثُمَّ رَكِبَ فَنَاهَضَ جَيْشَ ابْنِ زِيَادٍ وَزَحَفَ بِجَيْشِهِ رُوَيْدًا وَهُوَ مَاشٍ فِي الرَّجَّالَةِ حَتَّى أَشْرَفَ مِنْ فَوْقِ تَلٍّ عَلَى جَيْشِ ابْنِ زِيَادٍ، فَإِذَا هُمْ لَمْ يَتَحَرَّكْ مِنْهُمْ أَحَدٌ، فَلَمَّا رَأَوْهُمْ نَهَضُوا إِلَى خَيْلِهِمْ وَسِلَاحِهِمْ مَدْهُوشِينَ، فَرَكَبَ ابْنُ الْأَشْتَرِ فَرَسَهُ وَجَعَلَ يَقِفُ عَلَى رَايَاتِ الْقَبَائِلِ فَيُحَرِّضُهُمْ عَلَى قِتَالِ ابْنِ زِيَادٍ وَيَقُولُ: هَذَا قَاتَلُ ابْنَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَدْ جَاءَكُمُ اللَّهُ بِهِ وَأَمْكَنَكُمُ اللَّهُ مِنْهُ الْيَوْمَ، فَعَلَيْكُمْ بِهِ، فَإِنَّهُ قَدْ فَعَلَ فِي ابْنِ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا لَمْ يَفْعَلْهُ فِرْعَوْنُ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ! هَذَا ابْنُ زِيَادٍ قَاتِلُ الْحُسَيْنِ الَّذِي حَالَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ مَاءِ الْفُرَاتِ أَنْ يَشْرَبَ مِنْهُ هُوَ وَأَوْلَادُهُ وَنِسَاؤُهُ، وَمَنَعَهُ أَنْ يَنْصَرِفَ إِلَى بَلَدِهِ أَوْ يَأْتِيَ يَزِيدَ بْنَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৩৮
হাতে তুলে নেয় ৷ কিন্তু সেও নিহত হয় ৷ এভাবে ইরা কীদের বাম পার্শ্বস্থ বাহিনীটি নি শেষ হতে
থাকে ৷ ফলে ইবনুল আশতার তাদেরকে ইাক দিয়ে বলতে শুরু করেন, আমার নিকট চলে এস হে
আল্লাহর সৈনিকপণ ! ৩৷ মি তা৷শতা ৷রের পুত্র ৷ তিনি তার মাথা থেকে আ ৷বরণটা সরিয়ে ফেলেন,
যাতে মানুষ তাকে চিনতে পারে ৷ তারা ছুটে এসে তার নিকট সমবেত হয় ৷ ত ৷রপর কুফার৷ ডান
পার্শ্বস্থ বাহিনী সিরিয়ার বাম পার্শ্বস্থ এর উপর হামলা করে ৷
কারো কারো মতে বরং সিরিয়ার বাম পার্শ্বস্থ বাহিনী পরাজিত হয়ে ইবনুল আশতার এর
নিকট জড়ো হয় ৷৩ তারপর ইবনুল আশতার তার নিজের বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করেন এবং
পতাকাধারী ব্যক্তিকে বলতে শুরু কারন্য তুমি পতাকাসহ৩ তাদের মধ্যে ঢুকে পড় ৷ ইবনুল
আশতার সেদিন প্রচণ্ড এক যুদ্ধে লড়েন ৷ যাকেই তিনি তার তরবারি দ্বারা আঘাত করেছেন
তাকেই ধরাশায়ী করে ছেড়েছেন ৷৩ তাদের বিপুল সংখ্যাক লোক নিহত হয় ৷ কেউ কেউ বলেন,
সিরিয়ার বাম বাহিনী দৃঢ়পদ ছিল এবং তারা প্রথমে বর্শা ও পরে তরবারি দ্বারা প্রচণ্ড লড়াই
লড়েছিল ৷ অবশেষে ইবনুল আশতাব যখন নিজে আক্রমণ করেন তখন সিয়ীয় বাহিনী তার
চোখের সামনে পরাজয় বরণ করে ৷ ফলে তিনি তাদেরকে বকরীর বাচচা র ন্যায় হত্যা করতে
শুরু করেন এবং তিনি নিজে ও তার দলের বীর সৈনিকগণ তাদের ধাওয়৷ করেন৷ কেবল
উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ নিজ অবস্থানে দৃঢ়পদ থাকেন ৷ ইবনুল আশতা র তার নিকট গিয়ে
তাকেও হত্যা করে ফেলেন ৷ কিন্তু তিনি তাকে চিনতেন না ৷ তবু৩ তিনি তার সঙ্গীদের বললেন,
তোমরা নিহ৩ তদের মধ্যে সেই লোকটাকে খুজে বের কর, আমি যাকে রতবারির আঘাতে হত্যা
করার পর তার থেকে আমি মাঝে মেশকের ঘ্রাণ পেয়েছিলাম ৷ আমি দেখলাম, তার হাত দু ’টো
ছিল পুর্বদিকে এবং পা দুটো পশ্চিম দিকে ৷ আর সে স্বতন্ত্র একটি পতাকা হাতে নিয়ে খাযির
নদীর কুলে দাড়িয়ে ছিল ৷ লোকেরা তাকে খুজে বের করে ৷ দেখা গেল, তিনি হলেন
উবইিদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ ৷ ইবনুল আশতার তরবারির আঘাতে তাকে দ্বি-খণ্ডিত করে
ফেলেছেন ৷ তারা তার মাথাটা কেটে আলাদা করে ফেলে এবং বিজয়ের সংবাদ ও সিরীয়দের
উপর জয়লাভ সংবাদসহ সেটি কুফায় যুখতার-এর নিকট পাঠিয়ে দেয় ৷ হুসইিন ইবন নৃমাইর
এবং শুরাহ্র্বীল ইবন যিল কালা সিরিয়ার নেতৃস্থানীয় বহু লোককেও হত্যা করে এবং কুফীগণ
সিরীয়দের ধাওয়৷ করে অনেককে হত্যা করে এবং নিহতদের অধিকাংশ পানিতে ডুবে যায় ৷ তারা
তাদের সেনা ছাউনীতে ৩যে সব মালামাল ও ঘোড়া হ্নিা, সেগুলো নিয়ে যায় া
এদিকে মুখতার সংবাদ আসার আগেই তার সঙ্গীদেরকে বিজয়ের সংবাদ দিয়ে রেখেছিল ৷
তা কি সে শুভ লক্ষণ হিসেবে বলেছিল, নাকি ঘটনাটা ভৈদবাৎ ঘটেছে, নাকি রাশি গণনা করে
বলেছিল, তা জানি না ৷ তবে তার সঙ্গীরা যে মনে করত তার নিকট ওহী এসেছিল,ত
অবশ্যই নয় ৷ যে ব্যক্তি এরুপ বিশ্বাস রাখে সে তো কাফির ৷ আর যে অন্যকে এরুপ বিশ্বাস
করায়, সেও কাফির ৷ কিন্তু সে বলেছিল, যুদ্ধট৷ নাসীবীনে সংঘ টিঘত হবে ৷ তা ভুল প্রমাণিত
হয়েছে ৷ কেননা, যুদ্ধটা স০ ৎঘটিত হয়েছে মাওসিলের মাটিতে ৩৷ সৎবাদট৷ পাওয়ার পর আমির
আশ-শা বী এ বিষয়টা নিয়েই সহচরদের নিকট মুখতার-এর সামালােচনা করেছিলেন ৷ মুখতার
সুসৎবাদ গ্রহণের জন্য কৃফ৷ থেকে বের হয়ে পড়েছিল ৷ মাদায়িনে এসে সে মিম্বরে দাড়িয়ে
ভাষণ দিচ্ছিল ৷ এমতাবস্থায় সেখানেই তার নিকট সুসৎ বাদ আসে ৷ শাবী বলেন, মুখতাব-এর
এক সহচর আমাকে বলল, আপনি কি গতকাল তাকে আামদের এর ভবিষ্যদ্বাণী করতে শুনেন
নি ? আমি বললাম, যে তে ৷ ধারণা করেছিল, ঘটনাটা জায়ীর৷ ৷র নাসীবীন নামক স্থালে সংঘটিত
আল বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া- ৬৪
مُعَاوِيَةَ حَتَّى قَتَلَهُ! وَيْحَكُمْ، اشْفُوا صُدُورَكُمْ مِنْهُ، وَارْوُوا رِمَاحَكُمْ وَسُيُوفَكُمْ مِنْ دَمِهِ، هَذَا الَّذِي فَعَلَ فِي آلِ نَبِيِّكُمْ مَا فَعَلَ، قَدْ جَاءَكُمُ اللَّهُ بِهِ. ثُمَّ أَكْثَرَ مِنْ هَذَا الْقَوْلِ وَأَمْثَالِهِ، ثُمَّ نَزَلَ تَحْتَ رَايَتِهِ.
وَأَقْبَلَ ابْنُ زِيَادٍ فِي جَيْشٍ كَثِيفٍ قَدْ جَعَلَ عَلَى مَيْمَنَتِهِ حُصَيْنَ بْنَ نُمَيْرٍ وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ عُمَيْرَ بْنَ الْحُبَابِ السُّلَمِيَّ، وَكَانَ قَدِ اجْتَمَعَ بِابْنِ الْأَشْتَرِ وَوَعْدَهُ أَنَّهُ مَعَهُ وَأَنَّهُ سَيَنْهَزِمُ بِالنَّاسِ غَدًا وَعَلَى خَيْلِ ابْنِ زِيَادٍ شُرَحْبِيلُ بْنُ ذِي الْكَلَاعِ، وَابْنُ زِيَادٍ فِي الرَّجَّالَةِ يَمْشِي مَعَهُمْ، فَمَا كَانَ إِلَّا أَنْ تَوَاقَفَ الْفَرِيقَانِ حَتَّى حَمَلَ حُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ بِالْمَيْمَنَةِ عَلَى مَيْسَرَةِ أَهْلِ الْعِرَاقِ فَهَزَمَهَا، وَقُتِلَ أَمِيرُهَا عَلِيُّ بْنُ مَالِكٍ الْجُشَمِيُّ فَأَخْذَ رَايَتَهُ مِنْ بَعْدِهِ وَلَدُهُ قُرَّةُ بْنُ عَلِيٍّ فَقُتِلَ أَيْضًا، وَاسْتَمَرَّتِ الْمَيْسَرَةُ ذَاهِبَةً فَجَعَلَ ابْنُ الْأَشْتَرِ يُنَادِيهِمْ: إِلَيَّ يَا شُرْطَةَ اللَّهِ، أَنَا ابْنُ الْأَشْتَرِ. وَقَدْ كَشَفَ عَنْ رَأْسِهِ لِيَعْرِفُوهُ فَالْتَاثُوا بِهِ وَانْعَطَفُوا عَلَيْهِ، وَاجْتَمَعُوا إِلَيْهِ، ثُمَّ حَمَلَتْ مَيْمَنَةُ أَهْلِ الْكُوفَةِ عَلَى مَيْسَرَةِ أَهْلِ الشَّامِ وَقِيلَ: بَلِ انْهَزَمَتْ مَيْسَرَةُ أَهْلِ الشَّامِ وَانْحَازَتْ إِلَى ابْنِ الْأَشْتَرِ، ثُمَّ حَمَلَ ابْنُ الْأَشْتَرِ بِمَنْ مَعَهُ وَجَعَلَ يَقُولُ لِصَاحِبِ رَايَتِهِ: ادْخُلْ بِرَايَتِكَ فِيهِمْ. وَقَاتَلَ ابْنُ الْأَشْتَرِ يَوْمَئِذٍ قِتَالًا عَظِيمًا، وَكَانَ لَا يَضْرِبُ بِسَيْفِهِ رَجُلًا إِلَّا صَرَعَهُ، وَكَثُرَتِ الْقَتْلَى بَيْنَهُمْ وَقِيلَ: إِنَّ
পৃষ্ঠা - ৬৯৩৯
مَيْسَرَةَ أَهْلِ الشَّامِ ثَبَتُوا وَقَاتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا بِالرِّمَاحِ ثُمَّ بِالسُّيُوفِ، ثُمَّ أَرْدَفَ الْحَمْلَةَ ابْنُ الْأَشْتَرِ، فَانْهَزَمَ جَيْشُ الشَّامِ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَجَعَلَ يَقْتُلُهُمْ كَمَا تُقْتَلُ الْحُمْلَانِ، وَأَتْبَعَهُمْ بِنَفْسِهِ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الشُّجْعَانِ، وَثَبَتَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ فِي مَوْقِفِهِ حَتَّى اجْتَازَ بِهِ ابْنُ الْأَشْتَرِ فَقَتَلَهُ، وَهُوَ لَا يَعْرِفُهُ، لَكِنْ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: الْتَمِسُوا فِي الْقَتْلَى رَجُلًا ضَرَبْتُهُ بِالسَّيْفِ فَنَفَحَنِي مِنْهُ رِيحُ الْمِسْكِ، شَرَّقَتْ يَدَاهُ وَغَرَّبَتْ رِجْلَاهُ وَهُوَ وَاقِفٌ عِنْدَ رَايَةٍ مُنْفَرِدَةٍ عَلَى شَاطِئِ نَهْرِ خَازِرَ، فَالْتَمَسُوهُ فَإِذَا هُوَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ وَإِذَا هُوَ قَدْ ضَرَبَهُ ابْنُ الْأَشْتَرِ فَقَطَعَهُ نِصْفَيْنِ، فَاحْتَزُّوا رَأَسَهُ وَبَعَثُوهُ إِلَى الْمُخْتَارِ إِلَى الْكُوفَةِ مَعَ الْبِشَارَةِ بِالنَّصْرِ وَالظَّفَرِ بِأَهْلِ الشَّامِ. وَقُتِلَ مِنْ رُءُوسِ أَهْلِ الشَّامِ أَيْضًا حُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ، وَشُرَحْبِيلُ بْنُ ذِي الْكَلَاعِ، وَأَتْبَعَ الْكُوفِيُّونَ أَهْلَ الشَّامِ فَقَتَلُوا مِنْهُمْ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً وَغَرِقَ مِنْهُمْ أَكْثَرُ مِمَّنْ قُتِلَ، وَاحْتَازُوا مَا كَانَ فِي مُعَسْكَرِهِمْ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْخُيُولِ.
وَقَدْ كَانَ الْمُخْتَارُ بِشَّرَ أَصْحَابَهُ بِالنَّصْرِ قَبْلَ أَنْ يَجِيءَ الْخَبَرُ فَمَا نَدْرِي أَكَانَ ذَلِكَ تَفَاؤُلًا مِنْهُ أَوِ اتِّفَاقًا وَقْعَ لَهُ أَوْ كِهَانَةً - وَأَمَّا عَلَى مَا كَانَ يَزْعُمُ أَصْحَابُهُ أَنَّهُ أُوحِيَ إِلَيْهِ بِذَلِكَ فَلَا، فَإِنَّ مَنِ اعْتَقَدَ ذَلِكَ كَفَرَ، وَمَنْ أَقَرَّهُمْ عَلَى ذَلِكَ كَفَرَ - لَكِنْ قَالَ: إِنَّ الْوَقْعَةَ كَانَتْ بِنَصِيبِينَ. فَأَخْطَأَ مَكَانَهَا، فَإِنَّهَا إِنَّمَا كَانَتْ بِأَرْضِ الْمَوْصِلِ، وَهَذَا مِمَّا انْتَقَدَهُ عَامِرٌ الشَّعْبِيُّ عَلَى أَصْحَابِ الْمُخْتَارِ حِينَ جَاءَهُ الْخَبَرُ بِالْفَتْحِ، وَقَدْ خَرَجَ الْمُخْتَارُ مِنَ الْكُوفَةِ لِيَتَلَقَّى الْبِشَارَةَ، فَأَتَى الْمَدَائِنَ فَصَعِدَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৪০
مِنْبَرَهَا، فَبَيْنَمَا هُوَ يَخْطُبُ إِذْ جَاءَتْهُ الْبِشَارَةُ وَهُوَ هُنَالِكَ. قَالَ الشَّعْبِيُّ: فَقَالَ لِي بَعْضُ أَصْحَابِهِ: أَمَا سَمِعْتُهُ بِالْأَمْسِ يُخْبِرُنَا بِهَذَا؟ فَقُلْتُ لَهُ: إِنَّهُ زَعَمَ أَنَّ الْوَقْعَةَ كَانَتْ بِنَصِيبِينَ مِنْ أَرْضِ الْجَزِيرَةِ وَإِنَّمَا قَالَ الْبَشِيرُ: إِنَّهُمْ كَانُوا بِالْخَازِرِ مِنْ أَرْضِ الْمَوْصِلِ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا تُؤْمِنُ يَا شَعْبِيُّ حَتَّى تَرَى الْعَذَابَ الْأَلِيمَ.
ثُمَّ رَجَعَ الْمُخْتَارُ إِلَى الْكُوفَةِ وَفَى غَيْبَتِهِ هَذِهِ تَمَكَّنَ جَمَاعَةٌ مِمَّنْ كَانَ قَاتَلَهُ يَوْمَ جَبَّانَةِ السَّبِيعِ وَالْكُنَاسَةِ مِنَ الْخُرُوجِ إِلَى الْبَصْرَةِ ; لِيَجْتَمِعُوا بِمُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَكَانَ مِنْهُمْ شَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ، وَأَمَّا ابْنُ الْأَشْتَرِ فَإِنَّهُ بَعَثَ بِالْبِشَارَةِ وَرَأَسِ عُبَيْدِ اللَّهِ إِلَى الْمُخْتَارِ، وَاسْتَقَلَّ هُوَ فِي تِلْكَ الْبِلَادِ فَبَعَثَ أَخَاهُ لِأُمِّهِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَلَى نِيَابَةِ نَصِيبِينَ، وَبَعَثَ عُمَّالًا إِلَى الْمَوْصِلِ، وَأَخَذَ سِنْجَارَ وَدَارَا وَمَا وَالَاهَا مِنَ الْجَزِيرَةِ.
وَقَالَ أَبُو أَحْمَدَ الْحَاكِمُ: كَانَ مَقْتَلُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ يَوْمَ عَاشُورَاءَ سَنَةَ سِتٍّ وَسِتِّينَ وَالصَّوَابُ سَنَةَ سَبْعٍ وَسِتِّينَ.
পৃষ্ঠা - ৬৯৪১
০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :
৫০৬ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া
হবে ৷ অথচ, সুসংবাদদাত৷ বলে পেল তারা মাওসিলের থাযির নামক স্থানে ছিল ৷ লোকটি
বলল, হে শাবী ! আমি তা ৷ল্লাহ্র শপথ করে বলছি, যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি না দেখা পর্যন্ত আপনি
বিশ্বাস করবেন না ৷ তারপর মুখ৩ তার কৃফা ফিরে যায়
জিবানাত সাবী এবং কিনামার যুদ্ধে যারা মুখ৩ তারের সঙ্গে লড়াই করেছিল, তার এই
অনুপন্থিতির সুযোগেত তাদের একদল লোক বসরায় মুসআব ইবনুয যুবায়রের নিকট চলে
যেতে সক্ষম হয় ৷ শাবৃছ ইবন রিবয়ী তাদের একজন ছিলেন ৷ এদিকে ইবনৃল আশতার
সুসৎ বাদ ও ইবন যিয়াদের মাথা প্রেরণ করে এক ব্যক্তির হাতে নাসীবীনের শাসন ক্ষমতা অর্পণ
করে নিজে সেই এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন এবং প্রশাসক প্রেরণ করে
সানজার দ্বারা এবং জাযীরার আশে পাশের এলাকাসমুহ দখল করে নেন ৷
আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ-এর হত্যাকাণ্ড ছেষট্টি হিজরী
আশুরার দিন সংঘ টিত হয়েছিল ৷ সঠিক সন হল, সাতষট্টি হিজরী ৷ ইবনুল আশতার কর্তৃক
ইবন যিয়াদ এর হতভৃার প্ৰশ্া০ না করে সুরাকা ৷ইবন মিরদাস আলবারেকী বলেন-
তোমাদের নিকট মাযহাজ গোত্রের এমন একজন সরদারের আগমন ঘটেছে যিনি শত্রুর
মোকাবিলায় দুঃসাহসী এবং পিছু হটবার লোক নন ৷
ওহে যিয়াদের পুত্র ! তুমি মহান ব্যক্তির থুনের বদলায় খুন হও এবং দোধারী ধারাল
তরবারির ধার আস্বাদন কর ৷ ন্
তুমি যখন নিহতের বদলে নিহত হয়ে আমাদের নিকট এসেছিলে, তখন আমরা তোমাকে
ধারাল তরবারি দ্বারা আঘাত করেছি ৷
আল্লাহ্ তার সৈনিকদেরকে উত্তম বিনিময় দান করুন ৷ তারইি গতকাল আমাকে উবাইদুল্লাহ্
, খুনের পিপাসা থেকে নিষ্কৃতি দান করেছে ৷ ’
ইবন যিয়াদের জীবন-চরিত
তার নাম উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ ইবন উবাইদ ৷ ইবন যিয়াদ ইবন আবু সুফিয়ান নামে
সমধিক পরিচিত ৷৩ তাকে যিয়াদ ইবন আবীহি এবং যিয়াদ ইবন সুমাইয়াও বলা হত ৷ পিতা
যিয়াদের পর তিনি ইরাকের গভর্নর ছিলেন ৷ ইবন মাঈন বলেন, তাকে উবাইদুল্লাহ্ ইবন
মারজানাও বলা হয় ৷ মারজ ৷ন৷ ছিল তার মাতা ! অন্যরা বলেন, উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদের মা
মারজান৷ অগ্নিপুজারী ছিলেন ৷৩ তার উপনাম আবু হাফস ৷ ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার পর তিনি
দামেশৃকে বসবাস করেন ৷ দীমাসের নিকট তার একটি বাড়ী ছিল ৷৩ তার মৃত্যুর পর সেটি ইবন
আজরানের বাড়ী বলে পরিচিত লাভ করে ৷ আবুল আব্বাস আহমাদ ইবন ইউনুস আযযাবী
থেকে ইবন আসাকিরের বর্ণনা মতে তার জন্ম হয় উনচল্পিশ হিজরী সনে ৷ ইবন আসাকির
বলেন, তিনি মুআবিয়া, সা দ ইবন আবী ওয়াক্কাস ও মা কিল ইবন ইয়াসার থেকে হাদীস
বর্ণনা করেছেন এবং হাসান আলশ্বসরী ও আবুল মালীহ ইবন উসামা তার থেকে হাদীস বর্ণনা
এ
وَقَدْ قَالَ سُرَاقَةُ بْنُ مِرْدَاسٍ الْبَارِقِيُّ يَمْدَحُ ابْنَ الْأَشْتَرِ عَلَى قَتْلِهِ ابْنَ زِيَادٍ:
أَتَاكُمْ غُلَامٌ مِنْ عَرَانِينِ مَذْحِجٍ ... جَرِيءٌ عَلَى الْأَعْدَاءِ غَيْرُ نَكُولِ
فَيَا ابْنَ زِيَادٍ بُؤْ بِأَعْظَمِ مَالِكٍ ... وَذُقْ حَدَّ مَاضِي الشَّفْرَتَيْنِ صَقِيلِ
ضَرَبْنَاكَ بِالْعَضْبِ الْحُسَامِ بِحَدِّهِ ... إِذَا مَا أَبَأْنَا قَاتِلًا بِقَتِيلِ
جَزَى اللَّهُ خَيْرًا شُرْطَةَ اللَّهِ إِنَّهُمْ ... شَفَوْا مِنْ عُبَيْدِ اللَّهِ أَمْسِ غَلِيلِي
[تَرْجَمَةُ ابْنِ زِيَادٍ]
وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ ابْنِ زِيَادٍ
هُوَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادِ بْنِ عُبَيْدٍ الْمَعْرُوفُ بِابْنِ زِيَادِ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ وَيُقَالُ لَهُ: زِيَادُ بْنُ أَبِيهِ، وَابْنُ سُمَيَّةَ. أَمِيرُ الْعِرَاقِ بَعْدَ أَبِيهِ زِيَادٍ، وَقَالَ ابْنُ مَعِينٍ: وَيُقَالُ لَهُ: عُبَيْدُ اللَّهِ ابْنُ مَرْجَانَةَ - وَهِيَ أُمُّهُ. وَقَالَ غَيْرُهُ: وَكَانَتْ مَجُوسِيَّةً. وَكُنْيَتُهُ أَبُو حَفْصٍ وَقَدْ سَكَنَ دِمَشْقَ بَعْدَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَكَانَتْ لَهُ دَارٌ عِنْدَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৪২
করেছেন ৷ আবু নৃআইমআলষ্ফজল ইবন দাকীন বলেন, ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন যে,
উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ যখন হুসাইনকে হত্যা করে তখন তার বয়স ছিল আটাশ বছর ৷
আমার মতে, এতে প্রমাণিত হয় তার জন্ম হয় তেত্রিশ হিজরী সনে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইবন আসাকির বর্ণনা করেছেন, মুআঘিয়া (রা) যিয়াদ এর নিকট পত্র লিখেন আপনি
আপনার পুত্রকে আমার নিকট পাঠিয়ে দিন ৷ পুত্র আসলে মুআবিয়া (রা)৩ তাকে যে কটি প্রশ্ন
করেন, তিনি সবগুলো প্রশ্নের উত্তরদানে সক্ষম হন ৷ অবশেষে মুআবিয়া (রা)৩ তাকে কবিতা
বিয়য়ে প্রশ্ন করেন ৷ কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারলেন না ৷ মুআবিয়া (রা)৩ তাকে
বললেন, কিসে তোমাকে কাব্য শিক্ষা থেকে বিরত রেখেছে ? তিনি বললেন, হে আমীরুল
মুমিনীন : আমি আমার বুকে আল্লাহর কথার সঙ্গে শয়তানের কথাকে একত্রিত করাকে অপছন্দ
করেছি ৷ একথা শুনে মুআবিয়া (বা) বললেন, তুমি বড় অভিনব কথা বললে, আল্লাহর শপথ ৷
সিফ্ফীনের দিন ইবনুল আতনাবার পঙ;ক্তিমালা ছাড়া অন্য কিছু আমাকে পলায়ন থেকে নিবৃত্ত
;
আমার সচ্চরিত্র, আমার বিপদাপদ, লাভজনক মুল্যের বিনিময়ে প্রশং সা কুড়ানাে, নিঃস্বকে
দান করা,৩ ভয়ানক বীর সৈনিকের প্রতি এগিয়ে যাওয়া, বিপদের সময় আমার বসা তুমি
াযখানে আট, দাড়িয়ে থাক, প্রশংসা পারে কিংবা স্বস্তি লাভ করবে এসব আমাকে সৎক্র্ম
পরিহার এবং সঠিক কাজের সহযোগিতা করতে অস্বীকা ৷র করে ৷ ’
তারপর হযরত মু আবিয়া (রা)৩ তার পিতার নিকট পত্র লিখেন আপনি আপনার ছেলেটাকে
কাব্য দ্বারা পরি৩ প্ত করুন ৷ তিনি পুত্রকে কাব্য দ্বারা পরিতৃপ্ত করলেন ৷ ফলে পরে তার এমন
তাবন্থা হয়েছে যে, কোন কবি৩ ৷মালাই তার অজানা রইল না ৷ উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ পরে
যেসব কাবতা আবৃত্তি করতেন, তার দ ’টি পঙ্ক্তি হল এই
৷ ৰুা ১া১৷ ঢাচ্া,
উভয় অশ্বারোহী যখন মুখোমুথী হবে তখন মারওয়ান ইবন নিসওয়৷ জানতে পারবে যে, তাকে
তেরছা বর্শা দ্বারা আ ৷৷ত হানছি ৷ যখন যেহমানের আগমন ঘটে, আর আমি আমার ঘোড়াটা ছাড়া
আর কিছু না পাই, তখন আমি সেটিই জবইি করে তাদের যথোপযুক্ত আপ্যায়ন করি ৷
হযরত মুআবিয়া (বা) একদিন বসরার লোকদেরশুক ইবন যিয়াদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
করেছিলেন, তারা বলল, তিনি রসিক্ মানুষ ৷ কিন্তু তিনি আরবীতে ভুল করে থাকেন ৷
মুআবিয়া (রা) বললেন, এই ভুলটাই তার রসিকতার পরিচয় নয় কি ? ইবন কুতাইবা প্রমুখ
বলেছেন, তারা বুঝতে চেয়েছিল যে,৩ তিনি ভাষায় ভুল করে থাকেন ৷ অর্থাৎ তিনি কথা অস্পষ্ট
বলেন ৷ এ প্রসঙ্গে করি বলেন
الدِّيمَاسِ تُعْرَفُ بَعْدَهُ بِدَارِ ابْنِ عَجْلَانَ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَثَلَاثِينَ فِيمَا حَكَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْ أَبِي الْعَبَّاسِ أَحْمَدَ بْنِ يُونُسَ الضَّبِّيِّ.
قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَرَوَى الْحَدِيثَ عَنْ مُعَاوِيَةَ، وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، وَمَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ. وَحَدَّثَ عَنْهُ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ، وَأَبُو الْمُلَيْحِ بْنُ أُسَامَةَ، وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ: ذَكَرُوا أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ حِينَ قَتَلَ الْحُسَيْنَ كَانَ عُمْرُهُ ثَمَانِيًا وَعِشْرِينَ سَنَةً. قُلْتُ: فَعَلَى هَذَا يَكُونُ مَوْلِدُهُ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ مُعَاوِيَةَ كَتَبَ إِلَى زِيَادٍ أَنْ أَوْفِدْ إِلَيَّ ابْنَكَ. فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِ لَمْ يَسْأَلْهُ مُعَاوِيَةُ عَنْ شَيْءٍ إِلَّا نَفَذَ مِنْهُ، حَتَّى سَأَلَهُ عَنِ الشِّعْرِ فَلَمْ يَعْرِفْ مِنْهُ شَيْئًا، فَقَالَ لَهُ مَا مَنَعَكَ مِنْ تَعَلُّمِ الشِّعْرِ؟ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أَجْمَعَ فِي صَدْرِي مَعَ كَلَامِ الرَّحْمَنِ كَلَامَ الشَّيْطَانِ. فَقَالَ: اغْرُبْ، فَوَاللَّهِ مَا مَنَعَنِي مِنَ الْفِرَارِ يَوْمَ صِفِينَ إِلَّا قَوْلُ ابْنِ الْإِطْنَابَةِ حَيْثُ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৬৯৪৩
أَبَتْ لِي عِفَّتِي وَأَبَى بَلَائِي ... وَأَخْذِي الْحَمْدَ بِالثَّمَنِ الرَّبِيحِ
وَإِعْطَائِي عَلَى الْإِعْدَامِ مَالِي ... وَإِقْدَامِي عَلَى الْبَطَلِ الْمُشِيحِ
وَقَوْلِي كُلَّمَا جَشَأَتْ وَجَاشَتْ ... مَكَانَكِ تُعْذَرِي أَوْ تَسْتَرِيحِي
لِأَدْفَعَ عَنْ مَآثِرَ صَالِحَاتٍ ... وَأَحْمِي بَعْدُ عَنْ أَنْفٍ صَحِيحِ
ثُمَّ كَتَبَ إِلَى أَبِيهِ: أَنْ رَوِّهِ مِنَ الشِّعْرِ، فَرَوَّاهُ حَتَّى كَانَ لَا يَسْقُطُ عَنْهُ مِنْهُ شَيْءٌ.
وَمِنْ شِعْرِهِ بَعْدَ ذَلِكَ:
سَيَعْلَمُ مَرْوَانُ ابْنُ نِسْوَةِ أَنَّنِي ... إِذَا الْتَقَتِ الْخِيلَانِ أَطْعَنُهَا شَزْرًا
وَإِنِّي إِذَا حَلَّ الضُّيُوفُ وَلَمْ أَجِدْ ... سِوَى فَرَسِي أَوْسَعْتُهُ لَهُمْ نَحْرًا
وَقَدْ سَأَلَ مُعَاوِيَةُ يَوْمًا أَهْلَ الْبَصْرَةِ عَنِ ابْنِ زِيَادٍ فَقَالُوا: إِنَّهُ لَظَرِيفٌ وَلَكِنَّهُ يَلْحَنُ. فَقَالَ: أَوَلَيْسَ اللَّحْنُ أَظْرَفَ لَهُ؟ قَالَ ابْنُ قُتَيْبَةَ وَغَيْرُهُ: إِنَّمَا أَرَادُوا أَنَّهُ يَلْحَنُ فِي كَلَامِهِ، أَيْ يُلْغِزُ. وَهُوَ أَلْحَنُ بِحُجَّتِهِ كَمَا قَالَ الشَّاعِرُ:
مَنْطِقٌ رَائِعٌ وَتَلْحَنُ أَحْيَا ... نًا وَخَيْرُ الْحَدِيثِ مَا كَانَ لَحْنَا
পৃষ্ঠা - ৬৯৪৪
তিনি চমৎকার কথা বলেন, কিন্তু মাঝে-মধ্যে ভুলও করে থাকেন ৷ উত্তম কথা তো তা ই,
যাতে কিছু কিছু ভুলও থাকে ৷
কেউ কেউ বলেন, তারা বুঝাতে চেয়েছেন যে, তিনি বাচনভঙ্গিতে ত্যু’৷ করেন ৷ অর্থাৎ
আরবীর বিপরীত উচ্চারণ করেন ৷ কারো কারো মতে, তারা যে ভুলের কথা বুঝাতে চেয়েছেন,
তা হল শুদ্ধের বিপরীত ৷ এ ব্যাখ্যাই অধিক যুক্তিযুক্ত ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ যাহোক হযরত
মুআবিয়া (রা) উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদের কথায় সরলতাকে পছন্দ করেছেন ৷ তিনি কথা
বলতেন না এবং কথায় জটিলতা সৃষ্টি করতেন না ৷ কেউ কেউ বলেন, তার মধ্যে কিছুটা
তােতলামি ছিল ৷ ফলে তার ভাষায় অন বরের সুর প্রকাশ পেত ৷ কারণ, তার মাতা মারজানা
ছিলেন সিরীয় ৷ তিনি ছিলেন ইয়াযদড়াগিরদ বা কোন এক অনারব রাজার কন্যা ৷ ফলে
উবাইদৃল্লাহ্ ইবন যিয়াদের ভাষায় অনারব ভাষার মিশ্রণ ছিল ৷ একদিন তিনি এক খারেজীকে
জিজ্ঞাসা করলেন, :ন্প্রু৷ ,,,,, ণ্৷ কিন্তু বলার প্রয়োজন ছিল, ধ্ধ্াষ্৷ ;;,,, ন্৷ একদিন তিনি
বললেন, আর এই যে, হযরত
মুআবিয়া (রা) বললেন, ৰু ৷ এ্,ড়ু৷ এা; তার অর্থ হল, ৰু ৷ ১,৷ এা; অর্থাৎ এটাই তার জন্য
উত্তম ৷ কেননা, তিনি তার মাতৃকুলের চরিত্র লাভ করেছেন ৷ আর তারা ভাল রাজনীতি
জানতেন, প্রজাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করতেন এবং ব্যক্তিগতভাবে তারা ছিলেন
সচচরিত্রবান ৷ তারপর৫ তেপ্পান্ন হিজরী সনে যখন যিয়াদের মৃত্যু হয় তখন মুআবিয়া (রা)
সামুরা ইবন জুনদুবকে দেড় বছরের জন্য বসরার গভর্নর নিযুক্ত করেন ৷ তারপর তাকে বরখাস্ত
করে আবদুল্লাহ ইবন ’আমর ইবন পায়লান ইবন সালামাকে ছয় মাসের জন্য নিয়োগদান
করেন ৷ তারপর তাকেও পদচ্যুত করে পঞ্চান্ন হিজরীতে বসরার গভর্নর নিয়োগ করেন ইবন
যিয়াদকে ৷ ইয়াযীদ যখন ৷খলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন, তখন তিনি বসরা ও কুফার
শাসনক্ষমতা ইবন যিয়াদের হাতে তুলে দেন ৷ ইবন যিয়াদ ইয়াযীদের শাসনামলে আল-বাইযা
(সাদা প্রাসাদ) নির্মাণ করেন এবং কিসরায় শ্বে৩ প্রাসাদের দরজাটা তাতে স্থাপন করেন এবং
মারবাদ সড়কের পার্শে নির্মাণ করেন আলহামরা (লাল প্রাসাদ) ৷ তিনি শীতকাল কাটালেন
আলষ্হামরায় আর গ্রীষ্মকাল কটিালেন আল-বাইযায় ৷
ঐতিহাসিকপণ লিখেছেন, এক ব্যক্তি ইবন যিয়াদের নিকট এসে বলল, আল্লাহ্ গভর্নরের
মঙ্গল করুন ৷ আমার শ্রী ইনতিকাল করেছে ৷ এখন আমি তার মাকে বিয়ে করতে চাই ৷ ইবন
যিয়াদ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, অফিসে তুমি বেতন পাও কত ? লোকটি বলল, সাতশত
দিরহাম ৷ ইবন যিয়াদ তার পােলামকে ডেকে বললেন, এর বেতন থেকে চারশত দিরহাম
কমিয়ে দাও ৷ তারপর তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমার যা জ্ঞান, তাতে ৩নশতই তোমার
জন্য যথেষ্ট ৷ ঐতিহাসিকপণ বলেছেন, উম্মুল ফাজীজ ও তার স্বামী ইবন যিয়াদের নিকট
মামলা নিয়ে আসে ৷ মহিলা তার স্বামী থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের দাবী জানায় ৷ আবুল ফাজীজ
বলল, আল্লাহ আমীরের মঙ্গল করুন ৷ পুরুষের জীবনের দুইভাগের শেষ ভাগ হল কল্যাণকর ৷
আর মহিলাদের জীবনের অকল্যাণকর অংশ হল জীবনের শেষ ভাগ ৷ ইবন যিয়াদ বললেন, তা
কভাবে প্ আবুল ফ৷ ৷জীজ বলল, পুরুষ যখন বয়ােবৃদ্ধ হয়, তখন তার জ্ঞান হয়, চিন্তা শক্তি
মজবুত হয় এবং অজ্ঞত৷ বিদুরিত হয় ৷ আর নারী যখন বয়ােবৃদ্ধা হয় ৷ তখন তার চরিত্র নষ্ট
হয়ে যায়, জ্ঞান কমে যায়, জরায়ু বন্ধ হয়ে যায় এবং জিহব৷ ধারাল হয়ে যায় ৷ তার কথা শুনে
ইবন যিয়াদ বললেন, তুমি সত্য বলেছ ৷ তুমি মহিলার হাত ধর এবং ফিরে যাও ৷ ইয়াহ্ইয়া
وَقِيلَ: إِنَّهُمْ أَرَادُوا أَنَّهُ يَلْحَنُ فِي قَوْلِهِ لَحْنًا وَهُوَ ضِدُّ الْإِعْرَابِ. وَقِيلَ: أَرَادُوا اللَّحْنَ الَّذِي هُوَ ضِدُّ الصَّوَابِ. وَهُوَ الْأَشْبَهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَاسْتَحْسَنَ مُعَاوِيَةُ مِنْهُ السُّهُولَةَ فِي الْكَلَامِ وَأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ مِمَّنْ يَتَغَنَّى فِي كَلَامِهِ وَيُفَخِّمُهُ، وَيَتَشَدَّقُ فِيهِ، وَقِيلَ: أَرَادُوا أَنَّهُ كَانَتْ فِيهِ لُكْنَةٌ مِنْ كَلَامِ الْعَجَمِ ; فَإِنَّ أُمَّهُ مَرْجَانَةَ كَانَتْ سُرِّيَّةً، وَكَانَتْ بِنْتَ بَعْضِ مُلُوكِ الْأَعَاجِمِ ; يُزْدَجِرْدَ أَوْ غَيْرِهِ. قَالُوا: وَكَانَ فِي كَلَامِهِ شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ الْعَجَمِ ; قَالَ يَوْمًا لِبَعْضِ الْخَوَارِجِ: أَهَرُورِيٌّ أَنْتَ؟ يَعْنِي: أَحَرُورِيٌّ أَنْتَ؟ وَقَالَ يَوْمًا: مِنْ كَاتَلَنَا كَاتَلْنَاهُ. أَيْ: مَنْ قَاتَلَنَا قَاتَلْنَاهُ، وَقَوْلُ مُعَاوِيَةَ: ذَاكَ أَظْرَفُ لَهُ؛ أَيْ أَجْوَدُ لَهُ حَيْثُ نَزَعَ إِلَى أَخْوَالِهِ، وَقَدْ كَانُوا يُوصَفُونَ بِحُسْنِ السِّيَاسَةِ وَجَوْدَةِ الرِّعَايَةِ وَمَحَاسِنِ الشِّيَمِ.
ثُمَّ لَمَّا مَاتَ زِيَادٌ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَخَمْسِينَ وَلَّى مُعَاوِيَةُ عَلَى الْبَصْرَةِ سَمُرَةَ بْنَ جُنْدُبٍ سَنَةً وَنِصْفًا ثُمَّ عَزَلَهُ وَوَلَّى عَلَيْهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ غَيْلَانَ بْنِ سَلَمَةَ سِتَّةَ أَشْهُرٍ، ثُمَّ عَزَلَهُ وَوَلَّى عَلَيْهَا ابْنَ زِيَادٍ سَنَةَ خَمْسٍ وَخَمْسِينَ. فَلَمَّا تَوَلَّى يَزِيدُ الْخِلَافَةَ جَمْعَ لَهُ بَيْنَ الْبَصْرَةِ وَالْكُوفَةِ، فَبَنَى فِي إِمَارَةِ يَزِيدَ الْبَيْضَاءَ، وَجَعَلَ بَابَ الْقَصْرِ الْأَبْيَضِ الَّذِي كَانَ لِكِسْرَى عَلَيْهَا، وَبَنَى الْحَمْرَاءَ وَهِيَ عَلَى سِكَّةِ الْمِرْبَدِ، فَكَانَ يَشْتُو فِي الْحَمْرَاءِ وَيَصِيفُ فِي الْبَيْضَاءِ.
قَالُوا: وَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ فَقَالَ: أَصْلَحَ اللَّهُ الْأَمِيرَ، إِنَّ امْرَأَتِي مَاتَتْ،
পৃষ্ঠা - ৬৯৪৫
وَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَتَزَوَّجَ أُمَّهَا. فَقَالَ لَهُ: كَمْ عَطَاؤُكَ فِي الدِّيوَانِ؟ فَقَالَ: سَبْعُمِائَةٍ، فَقَالَ: يَا غُلَامُ، حُطَّهُ مِنْ عَطَائِهِ أَرْبَعَمِائَةٍ. ثُمَّ قَالَ لَهُ: يَكْفِيكَ مَنْ فِقْهِكَ هَذَا ثَلَاثُمِائَةٍ!
قَالُوا: وَتَخَاصَمَتْ أُمُّ الْفُجَيْعِ وَزَوْجُهَا إِلَيْهِ وَقَدْ أَحَبَّتِ الْمَرْأَةُ أَنْ تُفَارِقَ زَوْجَهَا، فَقَالَ أَبُو الْفُجَيْعِ: أَصْلَحَ اللَّهُ الْأَمِيرَ، إِنَّ خَيْرَ شَطْرَيِ الرَّجُلِ آخِرُهُ، وَإِنَّ شَرَّ شَطْرَيِ الْمَرْأَةِ آخِرُهَا. فَقَالَ لَهُ: وَكَيْفَ ذَلِكَ؟ فَقَالَ: إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا أَسَنَّ اشْتَدَّ عَقْلُهُ، وَاسْتَحْكَمَ رَأْيُهُ، وَذَهَبَ جَهْلُهُ، وَإِنَّ الْمَرْأَةَ إِذَا أَسَنَّتْ سَاءَ خُلُقُهَا، وَقُلَّ عَقْلُهَا، وَعَقِمَ رَحِمُهَا، وَاحْتَدَّ لِسَانُهَا. فَقَالَ: صَدَقْتَ خُذْ بِيَدِهَا وَانْصَرِفْ.
وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: أَمَرَ ابْنُ زِيَادٍ لِصَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ بِأَلْفَيْ دِرْهَمٍ فَسُرِقَتْ، فَقَالَ: عَسَى أَنْ يَكُونَ خَيْرًا. فَقَالَ أَهْلُهُ: كَيْفَ يَكُونُ هَذَا خَيْرًا؟ فَبَلَغَ ذَلِكَ ابْنُ زِيَادٍ، فَأَمَرَ لَهُ بِأَلْفَيْنِ آخَرَيْنِ، ثُمَّ وَجَدَ الْأَلْفَيْنِ فَصَارَتْ أَرْبَعَةَ آلَافٍ، فَكَانَ خَيْرًا.
وَقِيلَ: لِهِنْدَ بِنْتِ أَسْمَاءَ بْنِ خَارِجَةَ - وَكَانَتْ قَدْ تَزَوَّجَتْ بِعِدَّةِ أَزْوَاجٍ مِنْ نُوَّابِ الْعِرَاقِ -: مَنْ أَعَزُّ أَزْوَاجِكِ عِنْدَكِ وَأَكْرَمُهُمْ عَلَيْكِ؟ فَقَالَتْ: مَا أُكْرِمَ النِّسَاءُ إِكْرَامَ بِشْرِ بْنِ مَرْوَانَ وَلَا هَابَ النِّسَاءُ هَيْبَةَ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ،
পৃষ্ঠা - ৬৯৪৬
ইবন মাঈন বলেন-, ইবন যিয়াদ সাফওয়ান ইবন মুহাররিযব্লুক দৃই হাজার দিরহাম দান করার
নির্দেশ প্রদান করেন ৷ কিন্তু সেগুলো চুরি হয়ে যায় তিনি বলেছেন, এটা হয়ত আমার জন্য
মঙ্গলজনক ৷ কিন্তু তার পরিবারের লোকজন বলল, এ আবার কল্যাণকর হয় কিডাঃধ্ ? কথাট
যিয়াদ-এর নিকট ব্লুপাছব্লুল তিনি আরো দু হাজার প্রদানের আদেশ দেন ৷ তারপরম্প্রথম প্রথম
দু’হাজারও পাওয়া যায় ৷ তাতে তার হয়ে যায় চার হাজার ৷ এভাবেই ঘটনাটা তার জন্যে
কল্যাণকয় প্রমাণিত হয় ৷
হিনদ ৰিনৃত আসম৷ ইবন খারিজাকে জিজ্ঞাসা করা হল-এই মহিলা ইবন যিয়াদ-এর পর
ইরাকের কয়েকজন গভর্নকে বিয়ে করেছিল-তোমার নিকট তোমার স্বামীদেরন্মধ্যে ব্লুক সব
চেয়ে বেশী সম্মানিত এবং কে তোমার প্রতি বেশী ব্লুয়হশীল ? হিনদ বলল, বাশীর ইবন
মারওয়ান-এর ন্যায় আর কেউ নারীকে সম্মান প্রদান করেনি আর হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ-এর
ন্যায় কেউ নারীকে অত আতং ত করেনি ৷ আর আমার কামনা কিয়ামত কায়েম হয়ে যাক,
আমি উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ-এর কথা শুনে এবং তাকে দেখে শান্তি লাভ করি ৷ উবাইদুল্লাহ্
ইবন যিয়াদ তাকে কুমারীরুপে বিবাহ করেছিলেন ৷
উসমান ইবন আবু শায়ব৷ জারীর ও মুগীরা সুত্রে ইব্রাহীম থেকে বর্ণনা করেছেন, ইবরাহীম
বলেছেন, যিনি সর্বপ্রথম ফরয নামাব্লুয সুরা বাস ও সুরা ফালাক সশব্লুব্দ তিলাওয়াত করেন,
তিনি হলেন ইবন যিয়াদ ৷ আমার মব্লুত-আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ অর্থাৎ কুফায় ৷ কেননা, ইবন
মাসউদ (রা)ত তার মসহাব্লুফ এই সুরা দুটো লিপিবদ্ধ করতেন না ৷ আর কুফার ফকীহগণ ইবন
মাসউদ (রা) এর বড় বড় শিষ্যদের থেকে ইল্ম অর্জন করতেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইবন যিয়াদ এর মধ্যে দুঃসাহস এবং অন্যায় ও অপ্রয়োজনীয় কাজের প্রবণতা ছিল ৷ যেমন
০ আবু ইয়ালা ও মুসলিম কর্তৃক হাসান থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেছেন, আয়িব ইবন আমর
উবাইদৃল্লাহ্ ইবন যিয়াদ এর নিকট এসে বললেন, বৎস ! আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) ব্লুক বলতে
শুব্লুনছি, শাসক গোষ্ঠীর মধ্যে সবচাইতে বেশী নিকৃষ্ট হল ঐ ব্যক্তি যে জালিম হয় ৷ অতএব
তুমি নিজেকে তাদের থেকে রক্ষা করে চল ৷’ শুনে ইবন যিয়াদ বললেন, বসুন, আপনি তো
রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর সাহাবীদের মধ্য থেকে ফেলনা ৷ তিনি বলব্লুলন,ত তাদের মাঝে আবার কেউ
ফেলনা ছিলেন নাকি ? ফেলনা তো হয় তাদের পরের লোকদের মাঝে ৷ হাসান থেকে
একাধিক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন যে, উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ অসুস্থ মাকিল ইবন ইয়াসার (রা)-
ব্লুক দেখতে গেলে তিনি তাকে বললেন, আমি তোমাকে এমন একটি হাদীস বর্ণনা করব, যা
আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে শুব্লুনছি ৷ তিনি (সা) বলেছেন, আল্লাহ যাকে প্ৰজ৷ প্রতিপালনের
দায়িতৃ প্রদান করেন, যে যদি তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা অবস্থায় মারা যায়, তাহলে আল্পাহ্
তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন ৷ ণ্
একাধিক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন, মাকিব্লুলর ইনতিকাব্লুলর পর উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ তার
জানাযা পড়াব্লুলন বব্লুট, কিংব্র তার দাফব্লুন উপস্থিত হন নি ৷ গৌড়৷ ওজর দেখিয়ে তিনি প্রাসাদে
চলে গিয়েছিলেন ৷৩ তার একটি দুঃসাহসিক কাজ ছিল, হযরত হুসাইন (রা) কে তার সম্মুখে
উপস্থিত করার নির্দেশ প্রদান করা যদিও এতে তিনি নিহত হন ৷ অথচ, হুসাইন (রা)ত তার প্ৰতি
আবেদন ক্যরছিব্লুলন, হয় আমাকে ইয়াযীদের নিকট যেতে দাও, কিংবা মক্কায় অথবা কোন
এক সীমান্তে চলে যাওয়ার সুযোগ দাও ৷ ইবন যিয়াদ এর কর্তব্য ছিল তার এই আবেদব্লুন
সাড়া দেয়া ৷ কিন্তু শিমার ইবন যুল যাওশান তাকে পরামর্শ দিল, ভাবে আপনার নিকট
وَوَدِدْتُ أَنَّ الْقِيَامَةَ قَدْ قَامَتْ، فَأَرَى عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ وَأَشْتَفِي مِنْ حَدِيثِهِ وَالنَّظَرِ إِلَيْهِ. وَكَانَ أَبَا عُذْرِهَا وَقَدْ تَزَوَّجَتْ بِالْآخَرِينَ أَيْضًا.
وَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: أَوَّلُ مَنْ جَهَرَ بِالْمُعَوِّذَتَيْنِ فِي الْمَكْتُوبَةِ ابْنُ زِيَادٍ. قُلْتُ: يَعْنِي - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - فِي الْكُوفَةِ، فَإِنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ كَانَ لَا يَكْتُبُهُمَا فِي مُصْحَفِهِ، وَكَانَ فُقَهَاءُ الْكُوفَةِ عَنْ كُبَرَاءِ أَصْحَابِ ابْنِ مَسْعُودٍ يَأْخُذُونَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ كَانَتْ فِي ابْنِ زِيَادٍ جُرْأَةٌ وَإِقْدَامٌ وَمُبَادَرَةٌ إِلَى مَا لَا يَجُوزُ، وَمَا لَا حَاجَةَ لَهُ بِهِ. ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى، وَمُسْلِمٌ، كِلَاهُمَا عَنْ شَيْبَانَ بْنِ فَرُّوخَ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنِ الْحَسَنِ، أَنَّ عَائِذَ بْنَ عَمْرٍو دَخْلَ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فَقَالَ: أَيْ بُنَيَّ، إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ شَرَّ الرِّعَاءِ الْحُطَمَةُ، فَإِيَّاكَ أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ» . فَقَالَ لَهُ: اجْلِسْ، فَإِنَّمَا أَنْتَ مِنْ نُخَالَةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: وَهَلْ كَانَ فِيهِمْ نُخَالَةٌ؟ إِنَّمَا كَانَتِ النُّخَالَةُ بَعْدَهُمْ وَفِي غَيْرِهِمْ. وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ، عَنِ الْحَسَنِ أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ دَخَلَ عَلَى مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ يَعُودُهُ فَقَالَ: إِنِّي مُحَدِّثُكَ بِحَدِيثٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৪৭
أَنَّهُ قَالَ «مَا مِنْ رَجُلٍ اسْتَرْعَاهُ اللَّهُ رَعِيَّةً يَمُوتُ يَوْمَ يَمُوتُ وَهُوَ غَاشٌّ لَهُمْ، إِلَّا حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ» . وَقَدْ ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ أَنَّهُ لَمَّا مَاتَ مَعْقِلٌ صَلَّى عَلَيْهِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ وَلَمْ يَشْهَدْ دَفْنَهُ، وَاعْتَذَرَ بِمَا لَيْسَ يُجْدِي شَيْئًا، وَرَكِبَ إِلَى قَصْرِهِ.
وَمِنْ جَرَاءَتِهِ إِقْدَامُهُ عَلَى الْأَمْرِ بِإِحْضَارِ الْحُسَيْنِ إِلَى بَيْنِ يَدَيْهِ وَإِنْ قُتِلَ دُونَ ذَلِكَ. وَكَانَ الْوَاجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يُجِيبَهُ إِلَى سُؤَالِهِ الَّذِي سَأَلَهُ فِيمَا طَلَبَ مِنْ ذَهَابِهِ إِلَى يَزِيدَ، أَوْ إِلَى مَكَّةَ، أَوْ إِلَى أَحَدِ الثُّغُورِ، فَلَمَّا أَشَارَ عَلَيْهِ شَمِرُ بْنُ ذِي الْجَوْشَنِ بِأَنَّ الْحَزْمَ أَنْ يُحْضَرَ عِنْدَكَ وَأَنْتَ تُسَيِّرُهُ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى حَيْثُ شِئْتَ مِنْ هَذِهِ الْخِصَالِ أَوْ غَيْرِهَا، فَوَافَقَ شَمِرًا عَلَى مَا أَشَارَ بِهِ مِنْ إِحْضَارِهِ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَأَبَى الْحُسَيْنُ أَنْ يَحْضُرَ عِنْدَهُ لِيَقْضِيَ فِيهِ بِمَا يَرَاهُ ابْنُ مَرْجَانَةَ، وَقَدْ تَعِسَ وَخَابَ وَخَسِرَ، فَلَيْسَ لِابْنِ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَحْضُرَ بَيْنَ يَدَيِ ابْنِ مَرْجَانَةَ الْخَبِيثِ.
وَقَدْ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، وَمَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَا: حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ كُرْدُوسٍ، عَنْ حَاجِبِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ قَالَ: دَخَلْتُ مَعَهُ الْقَصْرَ حِينَ قُتِلَ الْحُسَيْنُ، قَالَ: فَاضْطَرَمَ فِي وَجْهِهِ نَارًا - أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا - فَقَالَ بِكُمِّهِ هَكَذَا عَلَى وَجْهِهِ، وَقَالَ: لَا تُحَدِّثَنَّ بِهَذَا أَحَدًا.
وَقَالَ شُرَيْكٌ، عَنْ مُغِيرَةَ قَالَ: قَالَتْ مَرْجَانَةُ لِابْنِهَا عُبَيْدِ اللَّهِ: يَا خَبِيثُ، قَتَلْتَ ابْنَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَا تَرَى الْجَنَّةَ أَبَدًا.
পৃষ্ঠা - ৬৯৪৮
উপস্থিত করইি ভাল হবে এবং তারপর আপনি তাকে নিয়ে এগুলো বা অন্য যা খুশী তা ই
করবেন ৷ তিনি তার এই পরামশ্ইি গ্রহণ করলেন ৷ এদিকে হ্স ইন (রা)ত তার সম্মুখে উপস্থিত
হগ্লোজােস্বীকার করলেন যে, মারজানার পুত্র য৷ খুশী সিদ্ধ ন্ত নিক ৷ পরিণামে তিনি শহীদই
হলেন ৷ মারজানার অপদার্থ ছেলেটার সম্মুখে উপস্থিত হওয়া রাসুল-কন্যার পুত্রের পক্ষে ,
শ্যেভনীয় ছিল না ৷ মুহাম্মদ ইবন সা দ ফজল ইবন দাকীন ও মাকিল ইবন কারদুস সুত্রে
উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ এর সঙ্গে তার প্রাসাদে প্রবেশ করি ৷ সংবাদ গুশানার পর তার
ঢেহারায় আগুন বা অনুরুপ ছিল জ্বলজ্বল করে ওঠে ৷ তিনি তার হাতে র আস্তিন ধরে ইশারায়
চেহারায় অবন্থাট৷ প্রকাশ করেন এবং বললেন, তুমি এ সংবাদ কাউকে বলবে না ৷ শারীক
ইবন মুগীর৷ বলেন, মারজানা তার পুত্র উবাইদুল্লাহ্কে বলেছিল, নরাধঘ৷ তুই রাসুল-কন্যার
পুত্রকে থুন করলি ? তুই কখনো জান্নাত চোখে দেখবি না ৷
আমরা পুর্বে উল্লেখ করে এসেছি, ইয়াযীদ ইবন মু আ ৷বিয়ার মৃত্যুর পর (বসরা-কুফা) উভয়
নগরীতে মানুষ জনগণের এক নেতার অধীনে ঐক্যবদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত সময়ের জন্যে
উবায়দুল্পাহ্র হাতে বড়ায়আত গ্রহণ করে ৷ পরে তারা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং তাকে
তাদের মধ্য থেকে বের করে দেয় ৷ তিনি সিরিয়া চলে গিয়ে মারওয়ান-এর সঙ্গে যোগ দেন
এবং মারওয়ানকে খিলাফতের ক্ষমতা হাতে নিয়ে নেয়া ও জনগণকে নিজের প্রতি আহবান
করার জন্য উৎসাহিত করলেন ৷ অবশেষে মারওয়ান তা-ই করলেন এবং যাহহাক ইবন কারন-
এর বিরুদ্ধাচরণ শুরু করলেন ৷ তারপর উবাইদুল্লাহ্ যাহহাকইবন কায়স এর নিকট গিয়ে তার
সঙ্গে অবস্থান করা শুরু করলেন ৷ এক পর্যায়ে তাকে দামেশক থেকে মারজে বাহিতের দিকে
নিয়ে যান ৷ তারপর ইবন যুবইিরকে ত্যাগ করে জনগণকে তার নিজের হাতে বায়আত গ্রহণ
করার জন্য ইবন যিয়াদ যাহ্হাককে উৎসাহিত করেন ৷ যাহ্হাকৰু শ্চ৷ ই করলেন ৷ পরিণামে তার
শৃৎখলা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল এবং মারজে রাহিতে যাহহাক ও বিপুল সংখ্যক মানুষের হত্যাকাণ্ডসহ
যা ঘটবার তা সংঘটিত হল ৷ মারওয়ান শাসন ক্ষমতা হাতে নেয়ার পর ইবন যিয়াদকে একদল
সৈন্যসহ ইরাক প্রেরণ করেন ৷ ফলে তিনি এবং তাওরাকারী বাহিনী সুলাইমান ইবন সুরাদ এর
সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং তাদরেকে পরাজিত করেন ৷ তিনি সেই বাহিনীটি নিয়ে কুফা
অভিমুখে অগ্রসর হতে থাকেন ৷ পথে ইবন যুবইির প্রেরিত জাষীরাবাসী শত্রু বাহিনী তাদের
গতিরোধ করে ৷ তারপর অপ্রত্যাশিতভাবে ইবনুল আশতার সাত হাজার সৈন্য নিয়ে তার
মুখোমুখি হন ৷ আর ইবন যিয়াদ এর সঙ্গে ছিল তার কয়েকগুণ সৈন্য ৷ কিন্তু ইবনুল আশতার
তার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন এবং মওসেলের মাত্র পাচ যনযিল দুরে আল খাষির নদীর তীরে
ইবন যিয়াদকে নির্যমতা ৷বে হত্যা করে ফেলেন ৷
আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, ঘটনাটি ঘটেছিল আশুরার দিন ৷ এই সেই দিন যেদিন
শহীদ হয়েছিলেন হযরত হুসাইন (বা) ৷ তারপর ইবনুল আশতার ইবন যিয়াদের মাথাটা
মুখতার এর নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ সঙ্গে প্রেরণ করেনহুসাইন ইবন নুমাইর, শুরাহবীল বিল
কালা এবং তাদের নেতৃস্থানীয় আরো মানুষের ছিন্ন মস্তক ৷ মুখতার তাতে আনন্দিত হন ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান ইউসুফ ইবন মুসা ইবন জরীর সুত্রে ইয়াযীদই ধ্বৃন আবু যিয়াদ থেকে
বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, মারজানার পুত্র এবং তার সহচরদের মস্তকগুলাে বহন করে
এনে যখন মুখতার এর সম্মুখে ছুড়ে ফেলা হল, তখন সরু একটি সাপ এসে মস্তকগুলোর
মধ্যে ঢুকে পড়ল ৷ এক পর্যায়ে সাপটি মারজানাব পুত্রের মুখ দিয়ে ঢুকে নাসারন্দ্র দিয়ে বেরিয়ে
وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنْ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ لَمَّا مَاتَ بَايَعَ النَّاسُ فِي الْمِصْرَيْنِ لِعُبَيْدِ اللَّهِ حَتَّى يَجْتَمِعَ النَّاسُ عَلَى إِمَامٍ، ثُمَّ خَرَجُوا عَلَيْهِ فَأَخْرَجُوهُ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ، فَسَارَ إِلَى الشَّامِ فَاجْتَمَعَ بِمَرْوَانَ، وَحَسَّنَ لَهُ أَنْ يَتَوَلَّى الْخِلَافَةَ وَيَدْعُوَ إِلَى نَفْسِهِ، فَفَعَلَ ذَلِكَ، فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا تَقَدَّمَ مَعَ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ. ثُمَّ سَيَّرَهُ مَرْوَانُ فِي جَيْشٍ إِلَى الْعِرَاقِ، فَالْتَقَى بِعَيْنِ الْوَرْدَةِ مَعَ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدَ وَمَنْ كَانَ مَعَهُ مِنَ الْجَيْشِ الَّذِينَ يُسَمُّونَهُ جَيْشَ التَّوَّابِينَ فَكَسَرَهُمْ، وَاسْتَمَرَّ قَاصِدًا الْكُوفَةَ فِي ذَلِكَ الْجَيْشِ، فَتَعَوَّقَ فِي الطَّرِيقِ بِسَبَبِ مَنْ كَانَ يُمَانِعُهُ فِي أَرْضِ الْجَزِيرَةِ مِنَ الْأَعْدَاءِ مِمَّنْ بَايَعَ لِابْنِ الزُّبَيْرِ، ثُمَّ اتَّفَقَ خُرُوجُ ابْنِ الْأَشْتَرِ إِلَيْهِ فِي سَبْعَةِ آلَافٍ، وَكَانَ مَعَ ابْنِ زِيَادٍ أَضْعَافُ ذَلِكَ، وَلَكِنْ ظَفَرَ بِهِ ابْنُ الْأَشْتَرِ، فَقَتَلَهُ شَرَّ قِتْلَةٍ، عَلَى شَاطِئِ نَهْرِ الْخَازِرِ قَرِيبًا مِنَ الْمَوْصِلِ بِخَمْسِ مَرَاحِلَ.
قَالَ أَبُو أَحْمَدَ الْحَاكِمُ: وَكَانَ ذَلِكَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ. قُلْتُ: وَهُوَ الْيَوْمُ الَّذِي قُتِلَ فِيهِ الْحُسَيْنُ.
ثُمَّ بَعَثَ ابْنُ الْأَشْتَرِ بِرَأْسِهِ إِلَى الْمُخْتَارِ وَمَعَهُ رَأْسُ حُصَيْنِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَشُرَحْبِيلَ بْنِ ذِي الْكَلَاعِ وَجَمَاعَةٍ مِنْ رُؤَسَاءِ أَصْحَابِهِمْ، فَسُرَّ بِذَلِكَ الْمُخْتَارُ.
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنِي يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৯৪৯
يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ قَالَ: لَمَّا جِيءَ بِرَأْسِ ابْنِ مَرْجَانَةَ وَأَصْحَابِهِ، طُرِحَتْ بَيْنَ يَدِيِ الْمُخْتَارِ، فَجَاءَتْ حَيَّةٌ دَقِيقَةٌ تَخَلَّلَتِ الرُّءُوسَ حَتَّى دَخَلَتْ فِي فَمِ ابْنِ مَرْجَانَةَ وَخَرَجَتْ مِنْ مِنْخَرِهِ، وَدَخَلَتْ فِي مِنْخَرِهِ وَخَرَجَتْ مِنْ فَمِهِ، وَجَعَلَتْ تَدْخُلُ وَتَخْرُجُ مَنْ رَأَسِهُ مِنْ بَيْنِ الرُّءُوسِ، وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ بِلَفْظٍ آخَرَ فَقَالَ: حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ: لَمَّا جِيءَ بِرَأْسِ عُبَيْدِ اللَّهِ وَأَصْحَابِهِ نُضِّدَتْ فِي الْمَسْجِدِ فِي الرَّحَبَةِ، فَانْتَهَيْتُ إِلَيْهِمْ وَهُمْ يَقُولُونَ: قَدْ جَاءَتْ، قَدْ جَاءَتْ. فَإِذَا حَيَّةٌ قَدْ جَاءَتْ تَخَلَّلُ الرُّءُوسَ حَتَّى دَخَلَتْ فِي مِنْخَرَيْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فَمَكَثَتْ هُنَيْهَةً ثُمَّ خَرَجَتْ فَذَهَبَتْ حَتَّى تَغَيَّبَتْ، ثُمَّ قَالُوا: قَدْ جَاءَتْ، قَدْ جَاءَتْ. فَفَعَلَتْ ذَلِكَ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا. قَالَ التِّرْمِذِيُّ: وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ.
وَقَالَ أَبُو سُلَيْمَانَ بْنُ زَبْرٍ: وَفِي سَنَةِ سِتٍّ وَسِتِّينَ قَالُوا: فِيهَا قُتِلَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ، وَالْحُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ، وَلِيَ قَتْلَهُمَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْأَشْتَرِ، وَبَعَثَ بِرُءُوسِهِمَا إِلَى الْمُخْتَارِ فَبَعَثَ بِهِمَا إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَنُصِبَتْ بِمَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ. وَهَكَذَا حَكَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنْ أَبِي أَحْمَدَ الْحَاكِمِ وَغَيْرِهِ، أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَسِتِّينَ - زَادَ أَبُو أَحْمَدَ: فِي يَوْمِ عَاشُورَاءَ - وَسَكَتَ ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْ ذَلِكَ، وَالْمَشْهُورُ أَنَّ
পৃষ্ঠা - ৬৯৫০
পড়ে ৷ এভাবে সাপটি অন্যান্য মাথা বাদ দিয়ে৩ তার মাথায় ঢুকতে ও রেরুতে থাকে ৷ ইমাম
তিরমিযী অন্য সুত্রেও অন্য শ্াব্দমালায় এ ক হিনীটি বর্ণনা করেছেন ৷ তার বর্ণনাটি হল
ওয়াসিল ইবন আবদুল আ সা ইবন আবু মুআবিয়া যথাক্রমে আ মাশ, উমার৷ ইবন উমাইর
থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি উবাইদুল্লাহ্ ও তার সহচরদের মস্তকগুলো এনে যখন মসজিদে
রাখ৷ হল, আমি সেদিকে এগিয়ে গেলাম ৷ শুনতে পেলাম জনতা বলছে, এল এল ৷ আমি
তাকিয়ে দেখি একটি সাপ এসে মাথাগুলাের ভেতরে ঢুকে পড়েছে ৷ খানিকক্ষণ অবস্থান করেই
সাপটি বেরিয়ে এসে চলে যায় এবং অদৃশ্য হয়ে যায় ৷ পরক্ষণে লোকে আবারো বলল
এসেছে! এসেছো৷ এবার সর্পঢি দুই কি তিনবার পুর্বের কাণ্ড করে ৷ তিরমিযী বলেন, এটি
হাসান ও সহীহ হাদীস ৷
আবু সুলাহমান ইবন যায়দ বলেন, ঐতিহাসিকদের মতে ইবন যিয়াদ ও হুসাইন ইবন
নুমাইর-এর হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ছেষট্টি হিজরীতে ৷ তাদের হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দেন ইব্রাহীম
ইবনুল আশতার ৷ তিনিই তাদের মাথাগুলো মুখতার-এর নিকট প্রেরণ করেন এবং মুখতার
সেগুলো ইবন যুবাইর এর নিকট পাঠিয়ে দেয় ৷ পরে এগুলো মক্কা ও মদীনায় স্থাপন করে রাখা
হয় ৷ ইবন আসাকির আবু আহমাদ আল-হাকিম প্রমুখ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, এ ঘটনাটা
ঘটেছিল ছেসট্টি হিজরীতে ৷ আবু আহমাদ অতিরিক্ত করে বলেছেন, এটা ছিল আশুরার দিন ৷
কিন্তু ইবন আসাকির এ ব্যাপারে নীরব থেকেছেন ৷ প্রসিদ্ধ মতে এ ঘটনাটি ঘটেছে সাতযট্টি
হিজরীতে ৷ যেমনটি ইবন জারীর প্রমুখ উল্লেখ করেছেন ৷ কিন্তু এ বছর যুবাইর-এর নিকট
মস্তক প্রেরণ দুঃসাধ্য ছিল বলে প্রতীয়মান হয় ৷ কেননা, এ বছরই মুখতার ও ইবন যুবাইর-
এর মাঝে শত্রুত৷ জোরদার হয়েছিল এবং অল্প ক’দিন পরই ইবন যুবাইর তার ভাই
মুসআবকে আদেশ প্রদান করেন, যেন তিনি বসরা থেকে কৃফ্৷ গিয়ে মুখতারকে অবরোধ
করেন ও তাকে হত্যা করেন ৷ আল্লাহই ভাল জানেন ৷
মুস আব ইবন যুবাইর-এর হাতে মুখতার
ইবন আবু উবাইদ-এর হত্যাকাণ্ড
এ বছর আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর বসরার শাসন ক্ষমতা থেকে হারিছ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু
প্ রবীআ আল মাখয়ুমীকে-যিনি কুব৷ নামে পরিচিত ছিলেন বরখাস্ত করেন এবং আপন ভাই মুসআব
ইবন যুবাইরকে বসরার গভর্নর নিযুক্ত করেন, যাতে তিনি মুখতারএর মুকাবিলায় তার সমর্থক ও
সহযোগীর ভমিক৷ পালন করতে পারেন ৷ মুসআব নেকাবাবৃত অবস্থায় বসরার ঢুকে মসজিদের মিম্বরে
আরোহণ করতে উদ্যত হন ৷ তিনি যখন যিম্বরে আরোহণ করেন, তখন মানুষ বলতে শুরু করল-
আমীর, আমীর ৷ যখন তিনি নেকাব সরিয়ে ফেলেন, তখন মানুষ তাকে চিনে ফেলে এবং তীর দিকে
এগিয়ে আসে ৷ ইতিমধ্যে কৃবা ও এসে উপস্থিত হলেন এবং তার এক সিড়ি নীচে উপবেশন করেন ৷
লোকেরা সমবেত হলে ঘুসআব ভাষণ দিতে দণ্ডায়মান হন ৷ তিনি সুরা আল-কাসা স-এর প্রথম
থেকে তিলাওয়াত শুরু করেন ৷
(ফেরাউন দেশে পরাক্রমশালী) হয়েছিল এবং তথাকার অধিবাসীবৃন্দকে বিভিন্ন শ্রেণীতে
বিভক্ত করেছিল-২৮০ : এই আয়াত পর্যন্ত পৌছার পর তিনি হাত দ্বারা সিরিয়া কিংবা কুফার
প্ৰতি ইঙ্গিত করেন ৷ও তারপর তিলাওয়াত করলেন-
ذَلِكَ كَانَ فِي سَنَةِ سَبْعٍ وَسِتِّينَ كَمَا ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ. وَلَكِنَّ بَعْثَ الرُّءُوسِ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مُتَعَذِّرٌ ; لِأَنَّ الْعَدَاوَةَ كَانَتْ قَدْ قَوِيَتْ وَتَحَقَّقَتْ بَيْنَ الْمُخْتَارِ، وَابْنِ الزُّبَيْرِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ كَمَا ذَكَرْنَا، وَعَمَّا قَلِيلٍ أَمَرَ ابْنُ الزُّبَيْرِ أَخَاهُ مُصْعَبًا أَنْ يَسِيرَ مِنَ الْبَصْرَةِ إِلَى الْكُوفَةِ لِحِصَارِ الْمُخْتَارِ وَقِتَالِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
[مَقْتَلُ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ الثَّقَفِيِّ الْكَذَّابِ عَلَى يَدَيْ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَأَهْلِ الْبَصْرَةِ]
كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ قَدْ عَزَلَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ نِيَابَةِ الْبَصْرَةِ الْحَارِثَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ الْمَخْزُومِيَّ الْمَعْرُوفَ بِالْقُبَاعِ، وَوَلَّاهَا لِأَخِيهِ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ ; لِيَكُونَ رِدْءًا وَقَرْنًا وَكُفُؤًا لِلْمُخْتَارِ، فَلَمَّا قَدِمَ مُصْعَبٌ الْبَصْرَةَ دَخْلَهَا مُتَلَثِّمًا فَيَمَّمَ الْمِنْبَرَ، فَلَمَّا صَعِدَهُ قَالَ النَّاسُ: أَمِيرٌ أَمِيرٌ. فَلَمَّا كَشَفَ اللِّثَامَ عَرَفَهُ النَّاسُ فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ، وَجَاءَ الْقُبَاعُ فَجَلَسَ تَحْتَهُ بِدَرَجَةٍ، فَلَمَّا اجْتَمَعَ النَّاسُ قَامَ مُصْعَبٌ خَطِيبًا، فَاسْتَفْتَحَ (الْقَصَصَ) حَتَّى بَلَغَ {إِنَّ فِرْعَوْنَ عَلَا فِي الْأَرْضِ وَجَعَلَ أَهْلَهَا شِيَعًا} [القصص: 4] وَأَشَارَ بِيَدِهِ نَحْوَ الشَّامِ أَوِ الْكُوفَةِ، ثُمَّ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৬৯৫১
— এ৩ৰ্বা
আমি ইচ্ছা করলাম, সে দেশে যাদেরকে হীনবল করা হয়েছিল, তাদের প্রতি অনুমহ
করতে, তাদেরকে নেতৃতৃ দান করতে ও দেশের অধিকারী হতে এবং তাদেরকে দেশে ক্ষমতায়
প্রতিষ্ঠিত’ (২৮ : ৫) ৷
এই আয়াত তিলাওয়াত করে তিনি হিজাযের প্রতি ইঙ্গিত করেন এবং বললেন, হে বসরার
অধিবাসীগণ! তোমরা তোমাদের শাসকবর্গকে নানা উপাধিতে ষিত করে থাক ৷ আর আমি
আমার নাম রেখেছি জাযযার (কস ই) ৷ ফলে মানুষ তার আগে পাশে সমবেত হল এবং তাকে
পেয়ে খুশী হল ৷৩ তারপর যখন কৃফাবাসী মুখ৩ তারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কারর পর পরাজিত হল,
ফলে মুখতার তাদের যাকে খুশী হত্যা করল, তখন তারা পরাজয়বরণ করে বসরার চলে যেতে
শুরু করল ৷ তারপর যখন মুখতার যে লেকটি (ইবন ইয়ায়ীদ প্রমুখের) মস্তক ও সুসৎবাদ নিয়ে
এসেছিল, তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বেরিয়ে গেল,তখন মুখতার-এর শক্রদের যারা কুফার
অবশিষ্ট রয়ে গিয়েছিল, তারা তার এই অনুপস্থিতিকে গনীমত হিসেবে গ্রহণ করল তারা
মুখতার এর ধ র্মহীন৩ , কুফরী কর্মকাণ্ড তার নিকট ওহী আগমনের মিথ্যা দাবী এবং সস্রান্ত
লোকদের উপর দাসদেরকে প্রাধান্য দেয়ার কারণে মুখতার থেকে পালিয়ে বসরা চলে যেতে
শুরু করে ৷ অপরদিকে ইবনুল আশতর ইবন যিয়াদকে খুন করে সেই অঞ্চলের একক
অধিপতিতে পরিণত হন ৷ বেশ ক টি শহর-নগর নিজের করায়ত্ত নিয়ে নেন এবং মুখতরকে
অবহেলা করতে শুরু করেন ৷ ফলে এ বিষয়ে মুস অবের মনে ক্ষমতার মোহ জাগ্রত হয় এবং
তিনি মুহাম্মাদ ইবনুল আশআছ ইবন কায়সকে দুত হিসেবে মুহল্লব ইবন আবু সফরর
নিকট প্রেরণ করেন ৷ মুহল্লাব ছিলেন খুরাসানে৩ তাদের পক্ষ থেকে নিযুক্ত শ সক ৷ তিনি বিপুল
ৎখ্যক সৈন্য, সরঞ্জাম ও ধন-সম্পদ নিয়ে মহাসমরোহে এসে পৌছেন ৷ তাকে পেয়ে বসরার
মানুষ খুশী হয় এবং মুখতার তাকে পেয়ে শক্তি লাভ করেন ৷ এবার মুসআব বসরবসী এবং
কুফার যারা তার অনুসারী, তাদেরকে নিয়ে জল ও স্থলপথে কুফার উদ্দেশ্যে রওনা হন ৷
মুসআব আব্বাদ ইবনুল হুসইনকে আগে-ভাগে সম্মুখ পানে পাঠিয়ে দেন ৷ তার ডান
পার্শে উমর ইবন উবাইদুল্লাহ্ ইবন মামরকে এবং বাম পার্শে মুহাল্লাব ইবন সাফরাকেনিষুক্ত
করেন এবং আমীরগণকে নিজ নিজ পতাকা ও গোত্রের সেনাপতি হিসাবে নিয়োগ দিয়ে বিন্যস্ত
করেন ৷ যেমন মালিক ইবন ঘুসাম্মা, আহনাফ ইবন কায়স, যিয়াদ ইবন মুখ৩ তার তার সৈন্য-
সমন্ত নিয়ে রওয়না হয়ে যাবার নামক স্থানে অবতরণ করেন ৷ সে তার বাহিনীর অগ্নভগে
আবু কামিল অশ-শাকিরীকে ডান পাংর্শ্ব আবদুল্লাহ ইবন কামিলকে, বাম পহ্রর্শ্ব আবদুল্লাহ
ইবন ওহ্ব আল-জুশামীকে, অশ্ববাহিনীতে ওয়াযীর ইবন আবদুল্লাহ আস-সামুলীকে, এবং
গো লামদের উপর পুলিশ প্রধান আবু আমরকে সেনাপতি নিয়োগ করে ৷
তারপর লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদান করে এবং তাদেরকে অভিযানে বেরিয়ে পড়ার
জন্য উদ্বুদ্ধ করে ৷ যে নিজের আগে একদল সৈন্য পাঠিয়ে দেয় এবং কিছুসং খ্যক সহচর নিয়ে
ঘোড়ার আরোহণ করে র ওয়ান৷ করে ৷ তখন সে তাদেরকে জয়ের সুসৎবাদ প্রদান করেছিল ৷
মুখতার যখন কুফার নিকটে গিয়ে পৌছল, তাদের সঙ্গে মুখতার বাহিনী তাদের উপর হামলা
করে বসে ৷ মুখতার বাহিনী বেশীক্ষণ টিকতে না পেরে অত্মগ্লানি মাথায় নিয়ে পালিয়ে যায়
{وَنُرِيدُ أَنْ نَمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الْأَرْضِ} [القصص: 5] وَأَشَارَ إِلَى الْحِجَازِ، وَقَالَ: يَا أَهْلَ الْبَصْرَةِ، إِنَّكُمْ تُلَقِّبُونَ أُمَرَاءَكُمْ، وَقَدْ سَمَّيَتُ نَفْسِي الْجَزَّارَ. فَاجْتَمَعَ عَلَيْهِ النَّاسُ وَفَرِحُوا بِهِ. وَلَمَّا انْهَزَمَ أَهْلُ الْكُوفَةِ حِينَ خَرَجُوا عَلَى الْمُخْتَارِ فَقَهَرَهُمْ وَقَتَلَ مِنْهُمْ مَنْ قَتَلَ، كَانَ لَا يَنْهَزِمُ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِهَا إِلَّا قَصَدَ الْبَصْرَةَ، ثُمَّ لَمَّا خَرَجَ الْمُخْتَارُ لِتَلَقِّي ابْنِ الْأَشْتَرِ حِينَ بَلَغَهُ أَنَّهُ قَتَلَ ابْنَ زِيَادٍ، اغْتَنَمَ مَنْ بَقِيَ بِالْكُوفَةِ مِنْ أَعْدَاءِ الْمُخْتَارِ غَيْبَتَهُ، فَذَهَبُوا إِلَى الْبَصْرَةِ فِرَارًا مِنَ الْمُخْتَارِ ; لِقِلَّةِ دِينِهِ وَكَفْرِهِ وَدَعْوَاهُ أَنَّهُ يَأْتِيهِ الْوَحْيُ، وَأَنَّهُ قَدَّمُ الْمَوَالِي عَلَى الْأَشْرَافِ. وَاتَّفَقَ أَنَّ ابْنَ الْأَشْتَرِ حِينَ قَتَلَ ابْنَ زِيَادٍ اشْتَغَلَ بِتِلْكَ النَّوَاحِي، فَأَحْرَزَ بِلَادًا وَأَقَالِيمَ وَرَسَاتِيقَ لِنَفْسِهِ، وَاسْتَهَانَ بِالْمُخْتَارِ، فَطَمِعَ مُصْعَبٌ فِيهِ وَبَعَثَ مُحَمَّدُ بْنُ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ عَلَى الْبَرِيدِ إِلَى الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ، وَهُوَ نَائِبُهُمْ عَلَى خُرَاسَانَ، فَقَدِمَ فِي تَجَمُّلٍ عَظِيمٍ وَمَالٍ وَرِجَالٍ وَعَدَدٍ وَعُدَدٍ وَجَيْشٍ كَثِيفٍ، فَفَرِحَ بِهِ أَهْلُ الْبَصْرَةِ وَتَقَوَّى بِهِ مُصْعَبٌ، فَرَكِبَ فِي أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَمَنِ اتَّبَعَهُمْ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ فَرَكِبُوا فِي الْبَحْرِ وَالْبَرِّ قَاصِدِينَ الْكُوفَةَ.
وَقَدَّمَ مُصْعَبٌ بَيْنَ يَدَيْهِ عَبَّادَ بْنَ الْحُصَيْنِ، وَجَعَلَ عَلَى مَيْمَنَتِهِ عُمَرَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْمَرٍ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ الْمُهَلَّبَ بْنَ أَبِي صُفْرَةَ، وَرَتَّبَ الْأُمَرَاءَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৫২
عَلَى رَايَاتِهَا وَقَبَائِلِهَا كَمَالِكِ بْنِ مِسْمَعٍ، وَالْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، وَزِيَادِ بْنِ عُمَرَ، وَقَيْسِ بْنِ الْهَيْثَمِ وَغَيْرِهِمْ. وَخَرَجَ الْمُخْتَارُ بِعَسْكَرِهِ فَنَزَلَ الْمَذَارَ، وَقَدْ جَعَلَ عَلَى مُقَدِّمَتِهِ أَبَا كَامِلٍ الشَّاكِرِيَّ، وَعَلَى مَيْمَنَتِهِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَامِلٍ، وَعَلَى مَيْسَرَتِهِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ وَهْبٍ الْجُشَمِيَّ، وَعَلَى الْخَيْلِ وَزِيرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ السَّلُولِيَّ، وَعَلَى الْمَوَالِي أَبَا عَمْرَةَ صَاحِبَ شُرْطَتِهِ. ثُمَّ خَطَبَ النَّاسَ وَحَثَّهُمْ عَلَى الْخُرُوجِ، وَبَعَثَ بَيْنَ يَدَيْهِ الْجُيُوشَ، وَرَكِبَ هُوَ وَخَلْقٌ مِنْ أَصْحَابِهِ وَهُوَ يُبَشِّرُهُمْ بِالنَّصْرِ. فَلَمَّا انْتَهَى مُصْعَبٌ إِلَى قَرِيبِ الْكُوفَةِ لَقِيَتْهُمُ الْكَتَائِبُ الْمُخْتَارِيَّةُ، فَحَمَلَتْ عَلَيْهِمُ الْفُرْسَانُ الزُّبَيْرِيَّةُ، فَمَا لَبِثَتِ الْمُخْتَارِيَّةُ إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى هَرَبُوا عَلَى حِمْيَةٍ، وَقَدْ قُتِلَ مِنْهُمْ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ، وَخَلْقٌ مِنَ الْقُرَّاءِ، وَطَائِفَةٌ كَثِيرَةٌ مَنِ الشِّيعَةِ الْأَغْبِيَاءِ، ثُمَّ انْتَهَتِ الْهَزِيمَةُ إِلَى الْمُخْتَارِ.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: لَمَّا انْتَهَتْ مُقَدِّمَةُ الْمُخْتَارِ إِلَيْهِ، جَاءَ مُصْعَبٌ فَقِطَعَ الدِّجْلَةَ إِلَى الْكُوفَةِ وَقَدْ حَصَّنَ الْمُخْتَارُ الْقَصْرَ وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ شَدَّادٍ، وَخَرَجَ الْمُخْتَارُ بِمَنْ بَقِيَ مَعَهُ فَنَزَلَ حَرُورَاءَ، فَلَمَّا قَرُبَ جَيْشُ مُصْعَبٍ مِنْهُ جَهَّزَ إِلَى كُلِّ قَبِيلَةٍ كُرْدُوسًا، فَبَعَثَ إِلَى بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ سَعِيدَ بْنَ مُنْقِذٍ، وَإِلَى عَبْدِ الْقَيْسِ مَالِكَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৫৩
তাদের একদল আমীর বেশ কিছু কারী এবং বিপুলসং খ্যক শী আ ধনপতি নিহত হয় ৷ তারপর
পরাজয়ের ঢেউ মুখতাব পর্যন্ত গিয়ে পৌছে ৷
ওয়াকিদী বলেন, মুখতাব-এর অগ্রবাহিনী যখন তার নিকট গিয়ে পৌছে, তখন মুসআব
এসে কুফা পর্যন্ত দজলার পথ বন্ধ করে দেন ৷ অপরদিকে মুখতাব তার প্রসাদের নিরাপত্তা শক্ত
করে এবং আবদুল্লাহ ইবন শাদ্দাদকে তার হেফাজতের দায়িত্ব অর্পণ করে ৷ মুখতাব নিজে
অবশিষ্ট সঙ্গীদের নিয়ে হারুরা চলে যায় ৷ ণ্মুসআব-এর বাহিনী যখন তার নিকটে এসে পড়ে,
তখন সে প্রতিটি গোত্রের নিকট একজন করে অশ্বারোহী প্রেরণ করে ৷ আবদুল কাইম-এর
নিকট সাঈদ মুনযিরকে আলিয়ার নিকট আবদুল্লাহ ইবন জাদাকে, আবৃদ-এর নিকট মুসাফির
ইবন সাঈদকে, বনু তামীম-এর সুলাইমএর নিকট সায়িব ইবন মালিককে প্রেরণ করে ৷
মুখতার নিজে অবশিষ্ট সঙ্গীদের সঙ্গে যথাস্থানে অবস্থান করে রক্তে পর্যন্ত প্রচণ্ড লড়াই চালিয়ে
যায় ৷ তাতে মুখতার-এর বেশ ক’জন ঘনিষ্ট সহচর নিহত হৃ৷ ৷ সেরাতে মুহাম্মাদ ইবন
আশআছ ও উমাইর ইবন আবু তালিব নিহত হয় ৷ মুখতাব-এর অবশিষ্ট সঙ্গীরা তাকে ফেলে
এদিক ওদিক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তাকে বলা হল, আপনি প্রাসাদে চলুন, আপনি প্রাসাদে চলুন ৷
সে বলল, আল্লাহর শপথ ৷ আমি সেখান থেকে এই সংকল্প নিয়ে বের হই নি যে, আবার
সেখানে ফিরে যাব ৷ কিন্তু এটা আল্লাহ্র সিদ্ধান্ত ৷ তারপর তারা প্রাসাদ অভিমুখে রওয়ানা হয়ে
গেল ৷ মুসআব তার নিকট আসলেন ৷ তিনি গোত্রগুলোকে কুফার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেন
এবং মহলগুলোর দখল করে রাজপ্রাসাদের প্রতি মনোনিবেশ করেন ৷ মুখতাব-এর
জীবনােপকরণ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেন ৷ মুখতার বেরিয়ে এসে তাদের সঙ্গে লড়ইি
করত এবং আবার প্রাসাদে ফিরে যেত ৷ পরে যখন অবরোধ তার জন্য অসহনীয় হয়ে পড়ে,
তধন সে সঙ্গীদেরকে বলল, এ অবরোধ কেবল আমাদের দুর্বলতাই বৃদ্ধি করবে ৷ তোমরা
আমার সঙ্গে নেমে আস, আমরা রাত পর্যন্ত যুদ্ধ করে সম্মানের সাথে মৃত্যুবরণ করব ৷ বিস্তু
তারা দুর্বলত৷ প্রকাশ করল ৷ ফলে মুখতাব বলল, আল্লাহর শপথ ! আমি আত্মসমর্পণ করব
না ৷ তারপর সে গোসল করল, পায়ে সুগন্ধি মাখল ৷ তারপর সে তার সঙ্গীরা যুদ্ধে অবতীর্ণ
হল ৷ অবশেষে তারা নিহত হল ৷
কেউ কেউ বলেন, মুখতাব-এর একদল ভীরন্দাজ তাকে পরামর্শ দিল, আপনি আপনার
রাজ-প্রাসাদে ঢুকে পড়ুন ৷ সে বিমর্ষ ও অপদস্থরুপে তাতে প্রবেশ করল ৷ একটু পরই তার
ক্ষেত্রে চুড়ান্ত ভাগ্যলিপি বাস্তবায়িত হবে ৷ মুসআব সেখানেই তাকে ও তার সকল সঙ্গীকে
অবরোধ করে ফেলেন ৷ এক পর্যায়ে তারা চরমভাবে গিপাসার্ত হয়ে পড়ল, যা আল্লাহ্ই ভাল
জানেন ৷ তাদের চলাচল ও লক্ষ্য অর্জনের পথ সংকীর্ণ হয়ে গেল এবং তাদের জন্য সব কলা;
কৌশলের দ্বার বন্ধ হয়ে গেল ৷ এখন তাদের মাঝে বুদ্ধিমান ও সহনশীল বলতে কেউ নেই ৷
মুখতাব উদ্ভুত ৩পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় বের বস্মার লক্ষে তার ভাবনাট৷ ঝালইি করে
নিল ৷ মুখতাব সঙ্গের দাসগােলামস্থদর সঙ্গে পরামর্শ করল, যাদের পরিণতিও তার পরিণতির
সঙ্গে সম্পৃক্ত ৷ কিন্তু ভাগ্য ও শরী আতের ভাষা তাকে ডাক দিয়ে বলছে-
ছুাদ্ব
ব,ল সত্য এসে পড়েছে এবং অসত্য না পারে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে, না পারে পুনরাবৃত্তি
করতে (৩৪৪ ৩৯) ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া-৬৫
ণোমোঃ(হ্রাড়াশ্রা৪র্নো০ওোড়া
بْنَ الْمُنْذِرِ، وَإِلَى الْعَالِيَةِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جَعْدَةَ، وَإِلَى الْأَزْدِ مُسَافِرَ بْنَ سَعِيدٍ، وَإِلَى بَنِي تَمِيمٍ سُلَيْمَ بْنَ يَزِيدَ الْكِنْدِيَّ، وَإِلَى مُحَمَّدِ بْنِ الْأَشْعَثِ السَّائِبَ بْنَ مَالِكٍ، وَوَقَفَ الْمُخْتَارُ فِي بَقِيَّةِ أَصْحَابِهِ فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا إِلَى اللَّيْلِ ; فَقُتِلَ أَعْيَانُ أَصْحَابِ الْمُخْتَارِ وَقُتِلَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ مُحَمَّدُ بْنُ الْأَشْعَثِ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ.
وَتَفَرَّقَ عَنِ الْمُخْتَارِ بَاقِي أَصْحَابِهِ فَقِيلَ لَهُ: الْقَصْرَ الْقَصْرَ. فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا خَرَجْتُ مِنْهُ وَأَنَا أُرِيدُ أَنَّ أَعُودَ إِلَيْهِ، وَلَكِنَّ هَذَا حُكْمُ اللَّهِ. ثُمَّ سَارَ إِلَى الْقَصْرِ فَدَخَلَهُ، وَجَاءَهُ مُصْعَبٌ فَفَرَّقَ الْقَبَائِلَ فِي نَوَاحِي الْكُوفَةِ، وَاقْتَسَمُوا الْمَحَالَّ، وَخَلَصُوا إِلَى الْقَصْرِ، وَقَدْ مَنَعُوا الْمُخْتَارَ الْمَادَّةَ وَالْمَاءَ، وَكَانَ الْمُخْتَارُ يَخْرُجُ فَيُقَاتِلُهُمْ ثُمَّ يَعُودُ إِلَى الْقَصْرِ. وَلَمَّا اشْتَدَّ عَلَيْهِ الْحِصَارُ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: إِنَّ الْحِصَارَ لَا يَزِيدُنَا إِلَّا ضَعْفًا، فَانْزِلُوا بِنَا حَتَّى نُقَاتِلَ حَتَّى اللَّيْلِ حَتَّى نَمُوتَ كِرَامًا. فَوَهَنُوا، فَقَالَ: أَمَّا أَنَا فَوَاللَّهِ لَا أُعْطِي بِيَدِي. ثُمَّ اغْتَسَلَ وَتَطَيَّبَ وَتَحَنَّطَ وَخَرَجَ، فَقَاتَلَ هُوَ وَمَنْ مَعَهُ حَتَّى قُتِلُوا.
وَقِيلَ: بَلْ أَشَارَ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْ أَسَاوِرَتِهِ بِأَنْ يَدْخُلَ الْقَصْرَ دَارَ إِمَارَتِهِ فَدَخَلَهُ وَهُوَ مَلُومٌ مَذْمُومٌ، وَعَنْ قَرِيبٍ يَنْفُذُ فِيهِ الْقَدَرُ الْمَحْتُومُ، فَحَاصَرَهُ مُصْعَبٌ فِيهِ وَجَمِيعَ أَصْحَابِهِ، حَتَّى أَصَابَهُمْ مِنْ جَهْدِ الْعَطَشِ مَا اللَّهُ بِهِ عَلِيمٌ،
পৃষ্ঠা - ৬৯৫৪
وَضَيَّقَ عَلَيْهِمُ الْمَسَالِكَ وَالْمَقَاصِدَ وَانْسَدَّتْ عَلَيْهِمْ أَبْوَابُ الْحِيَلِ، وَلَيْسَ فِيهِمْ رَجُلٌ رَشِيدٌ وَلَا حَلِيمٌ، ثُمَّ جَعَلَ الْمُخْتَارُ يُجِيلُ فِكْرَتَهُ وَيُكَرِّرُ رَوِيَّتَهُ فِي الْأَمْرِ الَّذِي قَدْ حَلَّ بِهِ، وَاسْتَشَارَ مَنْ عِنْدَهُ مِنَ الْمَوَالِي وَالْعَبِيدِ وَلِسَانُ الْقَدَرِ وَالشَّرْعِ يُنَادِيهِ {قُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِيدُ} [سبأ: 49] ثُمَّ قَوَّى عَزْمَهُ قُوَّةُ الشُّجَاعَةِ الْمُرَكَّبَةِ فِيهِ عَلَى أَنْ أَخْرَجَتْهُ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِ مَنْ كَانَ يُحَالِفُهُ وَيُوَالِيهِ، وَرَأَى أَنْ يَمُوتَ عَلَى فَرَسِهِ، حَتَّى يَكُونَ عَلَيْهَا انْقِضَاءُ آخَرِ نَفَسِهِ، فَنَزَلَ حَمِيَّةً وَغَضَبًا، وَشُجَاعَةً وَكَلَبًا، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ لَا يَجِدُ مَنَاصًا وَلَا مَفَرًّا وَلَا مَهَرَبًا، وَلَيْسَ مَعَهُ مِنْ أَصْحَابِهِ سِوَى تِسْعَةَ عَشَرَ. وَلَعَلَّهُ إِنْ كَانَ قَدِ اسْتَمَرَّ عَلَى مَا عَاشَ عَلَيْهِ أَنْ لَا يُفَارِقَهُ التِّسْعَةَ عَشَرَ الْمُوَكَّلُونَ بِسَقَرَ. وَلَمَّا خَرَجَ مِنَ الْقَصْرِ قَالَ لِأَصْحَابِ مُصْعَبٍ: أَتُؤَمِّنُونِي؟ قَالُوا: لَا، إِلَّا عَلَى حُكْمِ الْأَمِيرِ. فَقَالَ: إِلَّا حُكْمَ نَفْسِي أَبَدًا. ثُمَّ قَاتَلَ قِتَالًا شَدِيدًا، وَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ رَجُلَانِ شَقِيقَانِ أَخَوَانِ، وَهَمَا طَرَفَةُ، وَطَرَّافُ ابْنَا عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دَجَاجَةَ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ، فَقَتَلَاهُ بِمَكَانِ الزَّيَّاتِينَ مِنَ الْكُوفَةِ وَاحْتَزَّا رَأْسَهُ وَأَتَيَا بِهِ إِلَى مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَقَدْ دَخَلَ قَصْرَ الْإِمَارَةِ، فَوُضِعَ بَيْنَ يَدَيْهِ كَمَا وُضِعَ رَأْسُ ابْنِ زِيَادٍ بَيْنَ يَدَيِ الْمُخْتَارِ، وَكَمَا وُضِعَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৫৫
তারপর মুখতার দৃঢ় প্ৰতিজ্ঞ হয়ে মনে শক্তি সঞ্চয় করে, যে শক্তি তাকে বৃদ্ধ সহযােগীদের
মধ্যে থেকে বাইরে বের করে আগে ৷ সে ঘোড়৷ র পিঠে আরোহীরুপে মৃত্যুবরণ করার সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করে যে, তার জীবনের শেষ নিঃশ্বাসট৷ ঘোড়ার পিঠে থাকা অবস্থায় হোক ৷ সে
আত্মমর্যাদা, ক্রোধ, বীরত্বের সাথে নেমে আসে ৷ কিন্তু তা সত্বেও যে যুক্তি ও পলায়নের কোন
পথ পেল না ৷ তখন তার সঙ্গে উনিশ ব্যক্তি ছাড়৷ সঙ্গীদের আর কেউ ছিল না ৷ মনে হচ্ছিল,
তার জীবনের অবসান না হওয়া পর্যন্ত জাহান্নামের দায়িত্বে নিয়োজিত উনিশজন তার থেকে
বিচ্ছিন্ন হয়ে না ৷ মুখ৩ তার প্রাসাদ থেকে বের হয়ে আল্লাহর যমীনের কোথাও চলে যাওয়ার জন্য
সুযোগ প্রার্থনা করে ৷ জবাবে প্রতিপক্ষ বলল, আমীরের নির্দেশ ছাড়া যেতে পারবে না
যাহোক, ঘুখতার যখন প্রাসাদ থেকে বের হল, তখন সহোদর দুভাই তার দিকে এগিয়ে
আসে ৷ তারা হল, বনু হানাফিয়্যা গোত্রের আবদুল্লাহ ইবন দাজাজাহ্এর পুত্র তারাফ৷ ও
তাররাফ্ ৷ তারা মুখতারকে কুফার যিয়া৩ ৷ইন নামক স্থানে হত্যা করে ফেলে এবং তার মাথাটা
বিচ্ছিন্ন করে মুসআব ইবন যুরাইর এর নিকট চলে আসে ৷ ততক্ষণে মুস আর রাজ প্রাসাদে
ঢুকে পড়েছেন ৷ তারা মুখতার এর মাথাটা তার সম্মুখে রাখে, যেমনটি রাখা হয়েছিল ইবন
যিয়াদ এর সম্মুখে হুসাইন (রা) এর ছিন্ন শির এবং অল্প কিছুকাল পরেই রাখা হয়েছিল
আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান এর সামনে মুস আর এর ছিন্ন শির ৷ মুখতার এর কর্ভিত মস্ত
কটা ৷যখন ঘুস আ-ব এর সম্মুখে রাখা হয়, তখন তিনি তাদের জন্য ণ্ত্রিশ হাজ৷ র দীনায় পুরস্কার
প্রদানের নির্দেশ ৷দেন ৷
মুস আর ঘুখতার সমর্থকদের একদল লোককে হত্যা করেন এবং তাদের পাচশত
ব্যক্তিকে বন্দী করেন ৷ বন্দীদেরও সব ক জনকে একদিনে হত্যা করে ফেলেন ৷ আবার এক
যুদ্ধে ঘুসআব-এর সমর্থক মুহাম্মাদ ইবনুল আশআছ নিহত হন ৷ অপরদিকে মুসআব-এর
নির্দেশে ঘুখতারের হাতশ্কােট নিয়ে মসজিদের একদিকে পেরেকবিদ্ধ করে রাখা হয় ৷ হাজ্জাজ
ইবন ইউসুফ-এর আগমন পর্যন্ত সেটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তাকে বলা হল, এটি মুখতার-
এর হাত ৷ তার নির্দেশে সেটি খুলে ফেলা হল এবং সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হল ৷ কেননা,
মুখতার হাজ্জাজ এর গোত্রের লোক ছিলেন ৷ মুখ৩ তার হল (হাদীসে বর্ণিত) কাঘৃয়াব’
(মিথ্যাবাদী) আর মুবীর (ধরং সকারী) হলেন হজোজ ৷ সে কারণে হাজ্জাজ ইবন যুবইির
থেকে তার প্রতিশোধ গ্রহণ করেন যে তিনি তাকে হত্যা কক্লো এবং কদ্ভয়ুরু মা স পর্যম্ভতাকে ,
শুলিতে ৩ঝুলিয়ে রাখেন ৷ মুস আব মুখ৩ আর এর শ্রী উম্মে ছাবিত বিনত সামুর৷ ইবন §fififi€¢
মুখতার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন ৷ জবাবে তিনি বললেন, তার ব্যাপারে তোমরা যা যা
বলে থাক, আমি তার ব্যতিক্রম বলব না ৷ ফলে মুস আর তাকে ছেড়ে দেন এবং মুখতার এর
অপর এক শ্ৰীকে তােক পাঠাল ৷ সে ছিল আমরা বিনৃত ৩নু মান ইবন বশ্লীর ৷ ঘুস আর তাকে
জিজ্ঞাসা করলেন তুমি তার ব্যাপারে কী বল ? সে বলল, আল্লাহ তাকে রহম করুন ৷ তিনি
আল্লাহর সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের একজন ছিলেন ৷ মুস আর তাকে কারারুদ্ধ করেন এবং তার
ভাইকে পত্র লিখে জানান যে, তোমার বোন দাবী করছে মুখ৩ তার নবী ৷ ভইি জবাবে লিখেন,
আপনি তাকে বের করে এনে হত্যা করে ফেলুন ৷ মুসআব তাকে জনসম্মুখে বের করে
আনেন ৷ তাকে কয়েকটি আঘাত করা হয় ৷ তাতেই সে মারা যায় ৷ উমর ইবন আবু রিম্ছ৷ এ
ব্যাপারে বলেছেন-
এসৌং প্লে০
رَأْسُ الْحُسَيْنِ بَيْنَ يَدِيِ ابْنِ زِيَادٍ - وَكَمَا سَيُوضَعُ رَأْسُ مُصْعَبٍ بَيْنَ يَدَيْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ - فَلَمَّا وُضِعَ رَأْسُ الْمُخْتَارِ بَيْنَ يَدَيْ مُصْعَبٍ أَمْرَ لَهُمَا بِثَلَاثِينَ أَلْفًا.
وَقَدْ قَتَلَ مُصْعَبٌ جَمَاعَةً مِنَ الْمُخْتَارِيَّةِ وَأَسَرَ مِنْهُمْ خَمْسَمِائَةِ أَسِيرٍ، فَضُرِبَتْ أَعْنَاقُهُمْ عَنْ آخِرِهِمْ فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ، وَقَدْ قُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ مُصْعَبٍ فِي الْوَقْعَةِ مُحَمَّدُ بْنُ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ.
وَأَمَرَ مُصْعَبٌ بِكَفِّ الْمُخْتَارِ فَقُطِعَتْ وَسُمِرَتْ إِلَى جَانِبِ الْمَسْجِدِ فَلَمْ يَزَلْ هُنَالِكَ حَتَّى قَدِمَ الْحَجَّاجُ، فَسَأَلَ عَنْهَا فَقِيلَ لَهُ: هِيَ كَفُّ الْمُخْتَارِ، فَأَمَرَ بِهَا فَرُفِعَتْ وَانْتُزِعَتْ مِنْ هُنَالِكَ ; لِأَنَّ الْمُخْتَارَ كَانَ مِنْ قَبِيلَةِ الْحَجَّاجِ - فَالْمُخْتَارُ هُوَ الْكَذَّابُ وَالْمُبِيرُ الْحَجَّاجُ - وَلِهَذَا أَخَذَ الْحَجَّاجُ بِثَأْرِهِ مِنَ ابْنِ الزُّبَيْرِ فَقَتْلَهُ وَصَلْبَهُ شُهُورًا.
وَقَدْ سَأَلَ مُصْعَبٌ أُمَّ ثَابِتٍ بِنْتَ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ امْرَأَةَ الْمُخْتَارِ عَنْهُ فَقَالَتْ: مَا عَسَى أَنْ أَقُولَ فِيهِ إِلَّا مَا تَقُولُونَ أَنْتُمْ فِيهِ؟ فَتَرَكَهَا وَاسْتَدْعَى بِزَوْجَتِهِ الْأُخْرَى، وَهِيَ عَمْرَةُ بِنْتُ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ فَقَالَ لَهَا مَا تَقُولِينَ فِيهِ؟ فَقَالَتْ: رَحِمَهُ اللَّهُ، لَقَدْ كَانَ عَبْدًا مِنْ عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ. فَسَجَنَهَا وَكَتَبَ إِلَى أَخِيهِ: إِنَّهَا تَقُولُ إِنَّهُ نَبِيٌّ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنْ أَخْرِجْهَا فَاقْتُلْهَا. فَأَخْرَجَهَا إِلَى ظَاهِرِ الْبَلَدِ فَضُرِبَتْ ضَرَبَاتٍ حَتَّى مَاتَتْ، فَقَالَ فِي ذَلِكَ عُمَرُ بْنُ أَبِي رَبِيعَةَ الْمَخْزُومِيُّ:
পৃষ্ঠা - ৬৯৫৬
إِنَّ مِنْ أَعْجَبِ الْعَجَائِبِ عِنْدِي ... قَتْلَ بَيْضَاءَ حُرَّةٍ عُطْبُولِ
قُتِلَتْ هَكَذَا عَلَى غَيْرِ جُرْمٍ ... إِنَّ لِلَّهِ دَرَّهَا مِنْ قَتِيلِ
كُتِبَ الْقَتْلُ وَالْقِتَالُ عَلَيْنَا ... وَعَلَى الْغَانِيَاتِ جَرُّ الذُّيُولِ
وَقَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ أَنَّ مُصْعَبًا لَقِيَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ مَنْ أَنْتَ؟ فَقَالَ: أَنَا ابْنُ أَخِيكَ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ: نَعَمْ، أَنْتَ الْقَاتِلُ سَبْعَةَ آلَافٍ مِنْ أَهْلِ الْقِبْلَةِ فِي غَدَاةٍ وَاحِدَةٍ؟ عِشْ مَا اسْتَطَعْتَ! فَقَالَ مُصْعَبٌ: إِنَّهُمْ كَانُوا كَفَرَةً سَحَرَةً. فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: وَاللَّهِ لَوْ قَتَلْتَ عِدَّتَهُمْ غَنَمًا مِنْ تُرَاثِ أَبِيكَ لَكَانَ ذَلِكَ سَرَفًا.
وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ الْكَذَّابِ
هُوَ الْمُخْتَارُ بْنُ أَبِي عُبَيْدِ بْنِ مَسْعُودِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُمَيْرِ بْنِ عَوْفِ بْنِ عُقْدَةَ بْنِ غِيَرَةَ بْنِ عَوْفِ بْنِ ثَقِيفٍ الثَّقَفِيُّ، أَسْلَمَ أَبُوهُ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَكِنْ لَمْ يَرَهُ، فَلِهَذَا لَمْ يَذْكُرْهُ أَكْثَرُ النَّاسِ فِي الصَّحَابَةِ، وَإِنَّمَا ذَكَرَهُ ابْنُ الْأَثِيرِ فِي الْغَابَةِ،
পৃষ্ঠা - ৬৯৫৭
ৰু
দীর্ঘ লম্বা গ্রীবওয়ালী সুন্দরী ও সম্রাত মহিলাকে হত্যা করা আমার নিকট বিস্ময়কর
বিষয়সমুহের একটি ৷ এভাবে তাকে বিনা দােষে হত্যা করা হয়েছে ৷ সে হত্যাকাণ্ডের বিচার
আল্পাহ্ই করবেন ৷ আল্লাহ আমাদের উপর যুদ্ধের বিধান আরোপ করেছেন ৷ আর রুপসী সতী-
সাধধীর নারীর কর্তব্য তার জাচল সামলানাে ৷
আবু মিখন্ড়াফ বলেন, মুহাম্মাদ ইবন ইউসুফ বলেছেন, মুসআব একদিন আবদুল্লাহ ইবন
উমর ইবন খাত্তাব (রা-) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ৷ তিনি তাকে সালাম দিলে ইবন উমর (রা)
বললেন, কে তুমি ? মুস আব বললেন, আমি আপনার ভ্রাতৃম্পুত্র মুস আর ইবন যুবাইর ৷ ইবন
উমর (রা) বললেন, হ্যা, ভুমিই কি এক সকালে সাত হাজার আহলে কিবলার (মুসলিম)
ব্যক্তির খুনী ? বেচে থাক যে ক’দিন পার ৷ জবাবে মুসআব তাকে বললেন, তারা কাফির ও
যাদুকর ছিল ৷ ইবন উমর (রা) বললেন, আল্লাহর শপথ ! তমি যদি তাদের পরিবর্তে তোমার
পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত সমসংখর্বৃক ছাগলকে খুন করতে, তবু৩ তা সীমালংঘন বলে বিইবচিত হত ৷
মুখতার ইরন আবু উবায়দ আছ-ছাকাফীর জীবন-চরিত
ঘুখতার ইবন আবু উবইিদ ইবন মাসউদ ইবন আমর ইবন উমাইর ইবন আউফ ইবন আফ্রা
ইবন ন্উমাইরা ইবন আউফ ইবন ছাকীফ আছ,-ছাকাফী ৷ তার পিতা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
জীবদ্দশায় ইসলাম গ্রহণ করেন, বিস্তু তাকে দেখেন নি ৷ সে কারণে অধিকাংশ লোক তাকে
সাহাবীদের মধ্যে গণ্য করেন নি৷ শুধু ইবনুল আহীর তার উসদুল পাবার তার কথা উল্লেখ
করেছেন ৷ হিজরী৩ তেইশ সনে হযরত উমর (রা) বিশাল এক সেনাদলের সঙ্গে পারস্যের বিক্কাদ্ধ
যুদ্ধ করার জন্য প্রেরণ কারছিলেন ৷ যুদ্ধে তিনি শাহাদাতবরণ করেন ৷ তার সঙ্গে প্রায় চার হাজার
মুসলমান নিহত হয়েছিল, যেমনটি আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ দাজলার উপর নির্মিত একটি পুল
তার নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে ৷ সেদিন থেকে আজ অবধি সেটি ন্আবুউবইিদ পুল নামে খ্যাত ৷ তার
একটি কন্যাও ফ্লি ৷ তার নাম সাফিয়্যা বিনৃত আবু উঃাইদ ৷ তিনি লেককার ও ইবাদাতগুজার
ছিলেন ৷ তিনিই আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)এর শ্রী ৷ আবদুল্লাহ তাকে সম্মান বল্মতেন
ৰুও ভালবাসতেন ৷৩ তিনি আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) এর জীবদ্দশাতেই মারা যান ৷ পক্ষাভরে তার এই
ভইি মুখতার প্রথমে নাসিবী ছিল ৷ সে হযরত আলী (রা) এর প্ৰতি প্রচন্ড বিদ্ধেষ পোষণ করত ৷ সে
মাদায়িনে চাচার সঙ্গে বাস কঃাত ৷ত তার চাচা ছিলেন মাদায়িনের গভর্নর ৷ পরবর্তীতে হাসান ইবন
আলী (রা) যখন মাদায়িনে প্রবেশ করেন, তখন ইরাকীর৷ তার পক্ষত্যাগ করে ৷ সে সময় তিনি
তার পিতার শাহাদাতের পর ঘু আবিয়া (রা)-এর সঙ্গে যুদ্ধ করার লক্ষো সিরিয়া যাচ্ছিলেন ৷ হাসান
(রা) যখন কুফাবাসীর পক্ষ থেকে বিশ্বাসঘাতকতার বিষয় আচ করলেন, তিনি তাদের থেকে
পালিয়ে স্বল্পসং থ্যক সৈন্য নিয়ে মাদায়িনে চলে যান ৷ তখন যুখতারত তার চাচাকে বলল, আপনি
যদি হাসানকে ধরে যুআৰিয়ার নিকট পাঠিয়ে দেন, তাহলে তার কাছে চিরকালের জন্য আপনার
সুনাম বয়ে আনবে ৷ জবারে চাচা তাকে বললেন, ভাতিজা ! তুমি আমাকে বা পরামর্শ দিচ্ছ তা
নিতাস্তই মন্দ ৷ ফলে শীয়ারা আজীরনের জ্যা৷ তার প্ৰতি বিদ্বেষ পোষণ করতে থাকে ৷ শেষ পর্যন্ত
শ্ মুসলিম ইবন আ কীল-এর ভাগ্যে যা ঘটনার হিল, সৎ ঘটিত ৩হ্ল ৷ ণ্
وَقَدْ كَانَ عُمَرُ بَعْثَهُ فِي جَيْشٍ كَثِيفٍ فِي قِتَالِ الْفُرْسِ سَنَةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ، فَقُتِلَ يَوْمَئِذٍ شَهِيدًا، وَقُتِلَ مَعَهُ نَحْوٌ مِنْ أَرْبَعَةِ آلَافٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ - كَمَا قَدَّمْنَا - وَعُرِفَ ذَلِكَ الْجِسْرُ بِهِ، وَهُوَ جِسْرٌ عَلَى دِجْلَةَ، فَيُقَالُ لَهُ إِلَى الْيَوْمِ جِسْرُ أَبِي عُبَيْدٍ، وَكَانَ لَهُ مِنَ الْوَلَدِ صَفِيَّةُ بِنْتُ أَبِي عُبَيْدٍ، وَكَانَتْ مِنَ الصَّالِحَاتِ الْعَابِدَاتِ، وَهِيَ زَوْجَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ لَهَا مُكْرِمًا وَمُحِبًّا وَمَاتَتْ فِي حَيَاتِهِ. وَأَمَّا أَخُوهَا الْمُخْتَارُ هَذَا فَإِنَّهُ كَانَ أَوَّلًا نَاصِبِيًّا يُبْغِضُ عَلِيًّا بُغْضًا شَدِيدًا، وَكَانَ عِنْدَ عَمِّهِ بِالْمَدَائِنِ، وَكَانَ عَمُّهُ نَائِبَهَا، فَلَمَّا دَخَلَهَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ يَوْمَ خَذَلَهُ أَهْلُ الْعِرَاقِ وَهُوَ سَائِرٌ إِلَى الشَّامِ لِقِتَالِ مُعَاوِيَةَ بَعْدَ مَقْتَلِ أَبِيهِ عَلِيٍّ، فَلَمَّا أَحَسَّ الْحَسَنُ مِنْهُمْ بِالْغَدْرِ، فَرَّ مِنْهُمْ إِلَى الْمَدَائِنِ فِي جَيْشٍ قَلِيلٍ، فَقَالَ الْمُخْتَارُ لِعَمِّهِ: لَوْ أَخَذْتَ الْحَسَنَ فَبَعَثْتَهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ لَاتَّخَذْتَ عِنْدَهُ بِذَلِكَ الْيَدَ الْبَيْضَاءَ أَبَدًا. فَقَالَ لَهُ عَمُّهُ: بِئْسَ مَا تَأْمُرُنِي بِهِ يَابْنَ أَخِي.
فَمَا زَالَتِ الشِّيعَةُ تُبْغِضُهُ حَتَّى كَانَ مِنْ أَمْرِ مُسْلِمِ بْنِ عَقِيلٍ بِالْكُوفَةِ مَا كَانَ، وَكَانَ الْمُخْتَارُ مِنَ الْأُمَرَاءِ بِالْكُوفَةِ، فَجَعَلَ يَقُولُ: أَمَا لَأَنْصُرَنَّهُ، فَبَلَغَ ابْنَ زِيَادٍ ذَلِكَ فَحَبْسَهُ بَعْدَمَا ضَرَبَهُ مِائَةَ جَلْدَةٍ، فَأَرْسَلَ ابْنُ عُمَرَ إِلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ يَشْفَعُ فِيهِ، فَأَرْسَلَ يَزِيدُ إِلَى ابْنِ زِيَادٍ فَأَطْلَقَهُ وَسَيَّرَهُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৬৯৫৮
মুখতার ছিলেন কুফার আমীরদের আনট্টতম ৷ সে বলতে শুরু করল, আমি অবশ্যই
অবশ্যই মুসলিমকে সাহায্য করব ৷ ইবন যিয়াদ এর নিকটএ ৎবাদ পৌছলে তিনি একশত
বেত্রাঘাত করে তাকে অটিক করে ফেলেন ৷ স বাদ শুনে ইবন উমর তার জন্য সুপারিশ করে
ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার নিকট পত্র লিখেন ৷ ইয়াযীদ পত্র লিখেন ইবন যিয়াদ এর নিকট ৷
ইবন যিয়াদ তাকে মুক্ত করে একটি চোপা পরিয়ে হিজায পাঠিয়ে দেন ৷ মুখ৩ তার মক্কায় ইবন
যুবায়রের নিকট চলে যায় এবং সিরীয়রা যখন যুবাইরকে অবরোধ করে, তখন সে তার সঙ্গে
যোগ দিয়ে ঘোরতর যুদ্ধ করে ৷৩ তারপর মুখতার ইরাকবাসী কর্তৃক তার কথা শুনতে পায় ৷
তাই সে ইবন যুবাইরকে হত্যা করে ইরাক চলে যায় ৷
কথিত আছে, সে ইবন যুবইিরকে কুফার গভার ইবন মুভীর নিকট একটি পত্র লিখে
দেয়ার অনুরোধ করে ৷ ইবন যুবইির পত্র লিখেন তখন সে কুফা চলে যায় ৷ সে প্রকাশ্যে ইবন
যুবাইরের প্রশংসা করত এবং গোপনে তাকে গালিপালাজ করত আর মুহাম্মাদ ইবন
হানাফিয়্যার প্রশংসা করত ও মানুষকে তার প্রতি আনুগত্যের আহবান করত ৷ এভাবে সে
শিয়াবাদ অবলম্বনের মাধ্যমে এবং হুসাইন (না)-এর প্রতিশোধ নেয়ার কথা বলে কুফার কর্তৃত্ব
দখল করে নেয় ৷ আর সেই সুত্রে শীয়াদের বহু গোষ্ঠী তার প্রতি ঝুকে পড়ে এবং ইবন
যুবাইরের প্রতিনিধিকে সেখান থেকে বের করে দেয় ৷ ফলে সেখানে মুখতার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে
যায় ৷ পরে সে ইবন যুবাইরের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে পত্র লিখেন এবং তাকে সংবাদ দেয়
যে ইবন মুভী বনু উমাইয়্যার সঙ্গে তােষামােদমুলক আচরণ করে থাকেন ৷ তখন তিনি কুফা
থেকে বেরিয়ে গেছেন এবং আমি ও কুফাবাসী আপনার অনুগত হয়ে কাজ করছি ৷ ইবন
যুবইির তাকে সত্য বলে মেনে নেন ৷ কারণ ,মুখতার জুযু আর দিন মিম্বরে দাড়িয়ে জনসম্মুখে
তার প্রতি আহবান জানাত এবং তার আনুগত্য প্রকাশ করত ৷ তারপর সে হুসাইন (বা) এর
ঘাতকচক্র এবং যারা ইবন যিয়াদের পক্ষ থেকে কারবালার ঘটনায় উপস্থিত ছিল, তাদের
অনুসন্ধান করতে শুরু করে ৷ সে তাদের বিপুল স ×খ্যাক লোককে হত্যা করে এবং তাদের
শীর্ষস্থানীয় কয়েকজনের মাথা কেটে আনতে সক্ষম হয় ৷ যেমন, হুসইিন (রা)-এর ঘাতক
বাহিনীর নেতা উমর ইবন সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস, হুসইিন (রা)-এর ঘাতক চক্রের এক ,
হাজার সৈন্যের অধিনায়ক শাম্মারইবন যিল জাওশান, সিনান ইবন আবু আনাস, খাওলা ইবন
ইয়াযীদ আল-আসবাহী প্রমুখ ৷ মুখতার এভাবেই চলতে থাকে ৷ এক পর্যায়ে সে বিশ হাজার
সৈন্যসহ তার প্রতিশোধের তরবারি ইব্রাহীম ইবনুল আশতারকে ইবন যিয়াদের মোকাবেলায়
প্রেরণ করে ৷ ইবন যিয়াদের সৈন্য অধিক সংখ্যক ছিল, ইবন আশতারের বাহিনীর কয়েক গুণ ৷
তারা ছিল আশি হাজার মতান্তরে ষটি হাজার তারা মুথোমুখী হন ৷ ইবনুল আশতার ইবন
যিয়াদকে হত্যা করে ফেলেন, তার বাহিনীকে ছিন্নভিন্ন করে দেন এবং তার সেনা ছাউনীতে যা
কিছু ছিল সব নিয়ে নেন ৷ তারপর তিনি বিজয়ের সুসংবাদসহ ইবন যিয়াদ ও তার সঙ্গীদের
মস্তক মুখতারের নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ তা পেয়ে মুখতার বেজায় খুশী হয় ৷ তারপর মুখতার
ইবন যিয়াদ, হুসাইন ইবন নুমইির ও তাদের সঙ্গীদের মাথাগুলো মক্কায় ইবন যুবইিরের নিকট
প্রেরণ করে ৷ ইবন যুবইির-এর নির্দেশে সেগুলো হাজুন-এর ঘাটিতে ঝুলিয়ে রাখা হয় ৷
তারা এই মর্ন্তকগুলো মদীনায়ও ঝুলিয়ে ব্লেখেছিল এবং মুখতারের মন ক্ষমতা নিয়ে
আনন্দিত হয় ৷ সে তােবছিল তার আর কোন শত্রু এবং প্রতিপক্ষ রইল না ৷ কিন্তু পরে যখন
ইবন যুবইির তার প্রতারণা, ষড়যন্ত্র ও কুউদ্দেশ্য বুঝে ফেললেন, তখন তিনি তার ভইি
الْحِجَازِ فِي عَبَاءَةٍ، فَضَوَى إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ، فَقَاتَلَ مَعَهُ حِينَ حَصَرَهُ أَهْلُ الشَّامِ قِتَالًا شَدِيدًا، ثُمَّ بَلَغَ الْمُخْتَارُ مَا أَهْلُ الْعِرَاقِ فِيهِ مِنَ التَّخْبِيطِ، فَسَارَ إِلَيْهِمْ وَتَرَكَ ابْنَ الزُّبَيْرِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ سَأَلَ ابْنَ الزُّبَيْرِ أَنْ يَكْتُبَ لَهُ كِتَابًا إِلَى ابْنِ مُطِيعٍ نَائِبِ الْكُوفَةِ فَفَعَلَ، فَسَارَ إِلَيْهَا.
وَكَانَ يُظْهِرُ مَدْحَ ابْنِ الزُّبَيْرِ فِي الْعَلَانِيَةِ وَيَسُبُّهُ فِي السِّرِّ، وَيَمْدَحُ مُحَمَّدَ ابْنَ الْحَنَفِيَّةِ وَيَدْعُو إِلَيْهِ، وَمَا زَالَ حَتَّى اسْتَحْوَذَ عَلَى الْكُوفَةِ بِطَرِيقِ التَّشَيُّعِ وَإِظْهَارِ الْأَخْذِ بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ، وَبِسَبَبِ ذَلِكَ الْتَفَّتْ عَلَيْهِ جَمَاعَاتٌ كَثِيرَةٌ مِنَ الشِّيعَةِ حَتَّى قَاوَمَ نُوَّابَ ابْنِ الزُّبَيْرِ عَلَى الْكُوفَةِ، وَأَخْرَجَ عَامِلَ ابْنِ الزُّبَيْرِ مِنْهَا، وَاسْتَقَرَّ مُلْكُ الْمُخْتَارِ بِهَا، ثُمَّ كَتَبَ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ يَعْتَذِرُ إِلَيْهِ وَيُخْبِرُهُ أَنَّ ابْنَ مُطِيعٍ كَانَ مُدَاهِنًا لِبَنِي أُمَيَّةَ، وَقَدْ خَرَجَ مَنَ الْكُوفَةِ، وَأَنَا وَمَنْ بِهَا فِي طَاعَتِكَ، فَصَدَّقَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ ; لِأَنَّهُ كَانَ يَدْعُو لَهُ عَلَى الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمْعَةِ عَلَى رُءُوسِ النَّاسِ، وَيُظْهِرُ طَاعَتَهُ.
ثُمَّ شَرَعَ فِي تَتَبُّعِ قَتَلَةِ الْحُسَيْنِ وَمَنْ شَهِدَ الْوَقْعَةَ بِكَرْبَلَاءَ مِنْ نَاحِيَةِ ابْنِ زِيَادٍ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَظَفِرَ بِرُءُوسِ كِبَارٍ مِنْهُمْ كَعُمَرَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَمِيرِ الْجَيْشِ الَّذِينَ قَتَلُوا الْحُسَيْنَ، وَشَمِرِ بْنِ ذِي الْجَوْشَنِ أَمِيرِ الْأَلْفِ الَّذِينَ وَلُوا قَتْلَ الْحُسَيْنِ، وَسِنَانَ بْنَ أَبِي أَنَسٍ، وَخَوْلِيِّ بْنِ يَزِيدَ الْأَصْبَحِيِّ، وَخَلْقًا غَيْرَ هَؤُلَاءِ، وَمَا زَالَ حَتَّى بَعَثَ سَيْفَ نِقْمَتِهِ إِبْرَاهِيمَ بْنَ الْأَشْتَرِ النَّخَعِيِّ فِي عِشْرِينَ أَلْفًا
পৃষ্ঠা - ৬৯৫৯
إِلَى ابْنِ زِيَادٍ، وَهُوَ فِي جَيْشٍ أَعْظَمَ مِنْ جَيْشِ الْمُخْتَارِ بِأَضْعَافٍ، كَانُوا سِتِّينَ أَلْفًا، وَقِيلَ: ثَمَانِينَ أَلْفًا، فَقَتَلَ ابْنُ الْأَشْتَرِ بْنَ زِيَادٍ وَكَسَرَ جَيْشَهُ، وَاحْتَازَ مَا فِي مُعَسْكَرِهِ، - وَاتَّفَقَ ذَلِكَ فِي يَوْمِ عَاشُورَاءَ سَنَةَ سَبْعٍ وَسِتِّينَ -، ثُمَّ بَعَثَ بِرَأْسِ ابْنِ زِيَادٍ وَرُءُوسِ أَصْحَابِهِ مَعَ الْبِشَارَةِ إِلَى الْمُخْتَارِ، فَفَرِحَ بِذَلِكَ فَرَحًا شَدِيدًا. ثُمَّ إِنَّ الْمُخْتَارَ بَعْثَ بِرَأْسِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ وَرَأْسِ حُصَيْنِ بْنِ نُمَيْرٍ وَمَنْ مَعَهُمَا إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ فَأَمَرَ ابْنُ الزُّبَيْرِ بِهَا فَنُصِبَتْ عَلَى عَقَبَةِ الْحَجُونَ، وَقَدْ كَانُوا نَصَبُوهَا بِالْمَدِينَةِ.
وَطَابَتْ نَفْسُ الْمُخْتَارِ بِالْمُلْكِ وَظَنَّ أَنَّهُ لَمْ يَبْقَ لَهُ عَدُوٌّ وَلَا مُنَازِعٌ، ثُمَّ إِنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ تَبَيَّنَ خِدَاعَهُ وَمَكْرَهُ وَسُوءَ مَذْهَبِهِ، فَبَعَثَ أَخَاهُ مُصْعَبًا أَمِيرًا عَلَى الْعِرَاقِ، فَسَارَ إِلَى الْبَصْرَةِ فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ أَهْلُهَا، وَوَفَدَ إِلَيْهِ جَمَاعَاتٌ مِنَ الْكُوفَةِ فَلَمْ يَتِمَّ سُرُورُ الْمُخْتَارِ حَتَّى سَارَ إِلَيْهِ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ مِنَ الْبَصْرَةِ فِي جَيْشٍ هَائِلٍ فَحَاصَرَهُ بِالْكُوفَةِ، وَضَيَّقَ عَلَيْهِ، وَمَا زَالَ حَتَّى أَمْكَنَ اللَّهُ مِنْهُ، فَقَتَلَهُ وَاحْتَزَّ رَأْسَهُ، وَأَمَرَ بِصَلْبِ كَفِّهُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ، وَبَعَثَ مُصْعَبٌ بِرَأْسِ الْمُخْتَارِ مَعَ رَجُلٍ مِنَ الشُّرَطِ عَلَى الْبَرِيدِ إِلَى أَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، فَوَصَلَ مَكَّةَ بَعْدَ الْعِشَاءِ فَوَجَدَ عَبْدَ اللَّهِ يَتَنَفَّلُ، فَمَا زَالَ يُصَلِّي حَتَّى أَسْحَرَ، وَلَمْ يَلْتَفِتْ إِلَى الْبَرِيدِ الَّذِي جَاءَ بِالرَّأْسِ، فَلَمَّا كَانَ قَرِيبَ الْفَجْرِ قَالَ: مَا جَاءَ بِكَ؟ فَأَلْقَى إِلَيْهِ الْكِتَابَ فَقَرَأَهُ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، مَعِي الرَّأْسُ. فَقَالَ: أَلْقِهِ عَلَى بَابِ
পৃষ্ঠা - ৬৯৬০
যুস আবকে ইরাকের প৩ র্ন,র নিযুক্ত করে পাঠিয়ে দেন ৷ তিনি সদলবলে বসরা রওয়ানা হয়ে
যান ৷ সেখানে পৌছে মুসআব আরো সৈন্য সংগ্রহ করেন ৷ মুখতার এর আনন্দ পুর্ণতা লাভ
করতে ন করতে যুস আ ব ইবন যুব ৷ইর ভয়ঙ্কর একদল সৈন্য নিয়ে বসরা থেকে৩ তার উদ্দেশ্যে
রওয়ানা হয়ে যান ৷ মুসআব তাকে হত্যা করে ফেলেন এবং৩ র মাথাট৷ কেটে ছিন্ন করেন,
হাল্টে৷ কেটে মসজিদের দরজায় ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেন ৷ তিনি মুখতার-এর মাথাটা
পুলিশের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার ভাই আবদুল্পাহ্ ইবন যুবাইর-এর নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ দুত
ইশার পর মক্কা গিয়ে পৌছে দেখতে পান আবদুল্লাহ্ নফল নামায আদায় করছেন ৷ তিনি
নামায আদায় করতে থাকেন এভাবে ভোর হয়ে যায় ৷ এই সময়ের মধ্যে তিনি মস্তক নিয়ে
আসা দুতের প্ৰতি মুখ ফিরিয়ে তাকান নি ৷ ফজ্যরর পুর্ব মুহুর্তে তিনি বললেন, কে এল ? দুত
পত্রখানা তার দিকে এগিয়ে ধরে ৷ তিনি পত্রখানা পাঠ করেন৷ দুত বলল, হে আমীরুল
মু’মিনীন আমি মাথাট৷ নিয়ে এসেছি ৷ তিনি বললেন, ওটা মসজিদের দরজায় সামনে ফেলে
দাও ৷ দুত মাথাট৷ মসজিদের দরজায় ছুড়ে মারে ৷ তারপর ফিরে এসে বলল, আমীরুল
মু’মিনীন ! আমার বখৃশিশ ? তিনি বললেন, যে মাথাট৷ ভুমি নিয়ে এসেই ওটাই তোমার
বখৃশিশ ৷ ওটা সঙ্গে করে তুমি ইরাক নিয়ে যাও ৷
তারপর যুখতার এর রাজত্ব এমনভাবে শেষ হয়ে গেল, যেন তার অস্তিত্বই ছিল না ৷
তেমনি অন্যসব রাজত্বেরও এবইি পরিণতি ঘটল ৷ মুসলমানরা৩ তার পতনে উল্লাসিত হল ৷ তার
কারণ, লোকটি ব্যক্তিগতভাবে সত্যবাদী ছিল না ৷ বরং সে ছিল মিথ্যাবাদী , ৷ যে মনে করত
জিবরাঈল (আ)-এর মাধ্যামে তার নিকট ওহী আসে ৷ ইবন নুমায়র রিফাঅ৷ আল-কাবারী
সুত্রে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেন যে, রিফাআ বলেছেন, আমি মুখতারের নিকট গমন
করলাম ৷ সে বসবার জন্য আমাকে একখানা বিছান৷ বিছিয়ে দিয়ে বলল, আমার ভইি
জিবরাঈল যদি এখান থেকে না উঠতেন, তাহলে আমি এটি আপনার জন্য ছেড়ে দিতাম ৷
রিফাআ আল-কাবারী বলেন, একথা শুনে আমি তার গর্দানে আঘাত হানার মনস্থ করলাম ৷
কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমার একটি হাদীস মনে পড়ে গেল, যেটি আমার ভাই আমর ইবনুল হুমুক
আমাকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, কােন মু’মিন যদি
কোন মু ’মিনকে জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করে, পরে তাকে খুন করে ফেলে তা হলে আমি সেই
হত্যাকারী থেকে দায়মুক্ত ৷
ইমাম আহমাদ ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ রিফা আ ইবন শাদ্দাদ থেকে বর্ণনা করেছেন যে,
তিনি বলেছেন, আমি যুখতার-এর মাথার কাছে দাড়িয়ে থাকতাম ৷ কিন্তু পরে যখন আমি তার
মিথ্যাচার বুঝতে পারলাম, তখন সংকল্প করলাম, আমার তরবাবিট৷ কােষমুক্ত করে তার ঘাড়ে
আঘাত হানি ৷ কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমার একখানা হাদীস মনে পড়ে গেল, যেটি আমর ইবনুল
হুমুক আমাকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে ৩শুনেছি-
কেউ যদি কাউকে নিরাপত্তা প্রদান করে পরে তাকে হত্যা করে ফেলে, তাহলে কিয়ামতের
দিন তাকে ৰিশ্বাসঘাতকতার ঝাণ্ডা প্রদান করা হবে ৷’
ইমাম নাসায়ী, ইবন মাজাহ্ অন্য এক সুত্রে আবদুল মালিক ইবন উমাইর থেকে হাদীসটি
বর্ণনা করেছেন ৷৩ তাদের ভাষ্য হল নিম্নরুপ-
الْمَسْجِدِ. فَأَلْقَاهُ ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ: جَائِزَتِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: جَائِزَتُكَ الرَّأْسُ الَّذِي جِئْتَ بِهِ تَأْخُذُهُ مَعَكَ إِلَى الْعِرَاقِ.
ثُمَّ زَالَتْ دَوْلَةُ الْمُخْتَارِ كَأَنْ لَمْ تَكُنْ، وَكَذَلِكَ سَائِرُ الدُّوَلِ، وَفَرِحَ الْمُسْلِمُونَ بِزَوَالِهَا، وَذَلِكَ لِأَنَّ الرَّجُلَ لَمْ يَكُنْ فِي نَفْسِهِ صَادِقًا، بَلْ كَانَ كَاذِبًا وَكَاهِنًا، وَكَانَ يَزْعُمُ أَنَّ الْوَحْيَ يَنْزِلُ عَلَيْهِ عَلَى يَدِ جِبْرِيلَ يَأْتِي إِلَيْهِ.
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى الْقَارِئُ أَبُو عُمَرَ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا السُّدِّيُّ، عَنْ رِفَاعَةَ الْقِتْبَانِيِّ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى الْمُخْتَارِ فَأَلْقَى لِي وِسَادَةً وَقَالَ: لَوْلَا أَنَّ أَخِي جِبْرِيلَ قَامَ عَنْ هَذِهِ لَأَلْقَيْتُهَا لَكَ. قَالَ: فَأَرَدْتُ أَنْ أَضْرِبَ عُنُقَهُ. قَالَ: فَذَكَرْتُ حَدِيثًا حَدَّثَنِيهِ أَخِي عَمْرُو بْنُ الْحَمِقِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَيُّمَا مُؤْمِنٍ أَمَّنَ مُؤْمِنًا عَلَى دَمِهِ فَقَتَلَهُ، فَأَنَا مِنَ الْقَاتِلِ بَرِيءٌ»
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ رَفَاعَةَ بْنِ شَدَّادٍ، قَالَ: كُنْتُ أَقُومُ عَلَى رَأْسِ الْمُخْتَارِ، فَلَمَّا عَرَفْتُ كَذِبَهُ هَمَمْتُ أَنْ أَسُلَّ سَيْفِي فَأَضْرِبَ عُنُقَهُ، فَذَكَرْتُ حَدِيثًا حَدَّثْنَاهُ عُمَرُ بْنُ الْحَمِقِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ أَمَّنَ رَجُلًا عَلَى نَفْسِهِ فَقَتَلَهُ أُعْطِيَ لِوَاءَ غَدْرٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ
পৃষ্ঠা - ৬৯৬১
مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ بِهِ. وَفِي لَفْظٍ لَهُمَا: «مَنْ أَمَّنَ رَجُلًا عَلَى دَمٍ فَقَتَلَهُ، فَأَنَا بَرِيءٌ مِنَ الْقَاتِلِ وَإِنْ كَانَ الْمَقْتُولُ كَافِرًا» وَفِي سَنَدِ هَذَا الْحَدِيثِ اخْتِلَافٌ. وَقَدْ قِيلَ لِابْنِ عُمَرَ: إِنَّ الْمُخْتَارَ يَزْعُمُ أَنَّ الْوَحْيَ يَأْتِيهِ. فَقَالَ: صَدَقَ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَى أَوْلِيَائِهِمْ} [الأنعام: 121] وَرَوَى ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ قَالَ: قَدِمْتُ عَلَى الْمُخْتَارِ فَأَكْرَمَنِي وَأَنْزَلَنِي حَتَّى كَانَ يَتَعَاهَدُ مَبِيتِي بِاللَّيْلِ، قَالَ: فَقَالَ لِي: اخْرُجْ فَحَدِّثَ النَّاسَ. قَالَ: فَخَرَجْتُ فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ: مَا تَقَوُلُ فِي الْوَحْيِ؟ فَقُلْتُ: الْوَحْيُ وَحْيَانِ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {بِمَا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ هَذَا الْقُرْآنَ} [يوسف: 3] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَكَذَلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا شَيَاطِينَ الْإِنْسِ وَالْجِنِّ يُوحِي بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ زُخْرُفَ الْقَوْلِ غُرُورًا} [الأنعام: 112] قَالَ: فَهَمُّوا بِي أَنْ يَأْخُذُونِي، فَقُلْتُ: مَا لَكُمْ وَذَاكَ، إِنِّي مُفْتِيكُمْ وَضَيْفُكُمْ، فَتَرَكُونِي. وَإِنَّمَا أَرَادَ عِكْرِمَةُ أَنْ يُعَرِّضَ بِالْمُخْتَارِ وَكَذِبِهِ فِي ادِّعَائِهِ أَنَّ الْوَحْيَ يَنْزِلُ عَلَيْهِ.
وَرَوَى الطَّبَرَانِيُّ، مِنْ طَرِيقِ أُنَيْسَةَ بِنْتِ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، أَنَّ أَبَاهَا دَخَلَ
পৃষ্ঠা - ৬৯৬২
ৰুফুস্পো
যে ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে প্রাণের নিরাপত্তা প্রদান করল এবং পরে তাকে হত্যা করে
ফেলল, তাহলে আমি হত্যাকারী থেকে দয়মুক্ত, নিহত ব্যক্তি ক ফির হলেও ’ এই হাদীসের
সনদে মতবিরোধ রয়েছে
ইবন উমর (রা) কে বলা হয়েছিল, যুখতর মনে করছে, তার নিকট ওহী আসে ৷ ইবন
উমর (রা) বললেন, যে সত্য বলেছে ৷ আল্লাহ তা আলা বলেছেন
টুড্রুধ্,
শয়তন তার বন্ধুর প্রতি প্রত্যাদেশ করে ৷’ (৬৪ ১২১) ইবন আবু হাতিম ইকরিমা থেকে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি যুখত তার এর নিকট গমন করলাম সে আমাকে তার
নিকট থাকতে দিল সে রাত আমার খোজ খবর নিত ত৷ সে আমাকে বলল, আপনি বের হয়ে
মানুষের সঙ্গে কথ-বর্তা বলুন ৷ ইকরিমা বলেন, তার কথা অনুযায়ী আমি বের হলাম এক
ব্যক্তি বলল, আপনি ওহীব ব্যাপারে কী বলেন ? আমি বললাম, ওহী দুই প্রকার আল্লাহ
৩
নিশ্চয়ই আমিণ্ তামার নিকট উত্তম কাহিনী বর্ণনা করছি, ওহীব মাধ্যমে তোমার নিকট এই
কুরআন প্রেরণ করে ৷’ (১২৪ ৩)
এরুপে আমি মানব ও জিনের মধ্যে শয়তনদেরকে প্রত্যেক নবীর শত্রু করেছি, প্রতারণার
উদ্দেশ্যে তাদের একে অন্যকে চমকপ্রদ বাক্য দ্বারা প্ররােচিত করে (৬৪ ১১২)
ইকরিমা বলেন, ফলে তারা আমাকে ধরে ফেলতে উদ্যত হয় ৷ আমি বললাম, তোমরা
একী করছ ? আমি তাে তোমাদের মুফভী ও যেহমন ফলে তারা আমকে ছেড়ে দেয়া
ইকরিমা মুখতা ৩রাক উপেক্ষা করতে এবং তার উপর ওহী নাযিল হওয়ার দাবীকে মিথ্যা ,
প্রতিপন্ন করতে চেয়েছিলেন ৷
আনীস বিনৃত যয়দ ইবনৃল আরকাম থেকে তাবারানী বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন,
তার পিতা মুখতর ইবন আবু উবাইদ-এর নিকট গমন করেন তখন মুখতর তাকে বললেন,
হে আবুআমির আমি যদি জিবরাঈল ও মীকাঈলকে দেখে ধন্য হতম ! জবাবে যয়দ তাকে
বললেন, তুমি ব্যর্থ হও এবং ধ্বংস হও তুমি আল্লাহর নিকট এর চেয়ে অনেক তৃচ্ছ তুমি
মিথ্যাবাদী, আল্লাহ ও তীর রাসুলের প্রতি মিথ্যা আরােপকারী
ইমাম আহমাদ ইসহাক ইবন ইউসুফ ইবন আউফ আস সিদ্দীক আন নাজী থেকে বর্ণনা
করেছেন, ইবন আউফ বলেন, আসম বিনৃত আবু বকর আস সিদ্দীর্ক-এর পুত্র আবদুল্লাহ্ ইবন
যুবইর (রা)-কে হত্যা কারার পর হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ আসম (র)-এর রিকট গমন করে
১
عَلَى الْمُخْتَارِ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ فَقَالَ لَهُ: يَا أَبَا عَامِرٍ لَوْ سَبَقْتَ رَأَيْتَ جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ. فَقَالَ لَهُ زَيْدٌ: حُقِرْتَ وَتَعِسْتَ، أَنْتَ أَهْوَنُ عَلَى اللَّهِ مِنْ ذَلِكَ، كَذَّابٌ مُفْتَرٍ عَلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ، ثَنَا ابْنُ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ، أَنَّ الْحَجَّاجَ بْنَ يُوسُفَ دَخْلَ عَلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، بَعْدَمَا قَتَلَ ابْنَهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، فَقَالَ: إِنَّ ابْنَكِ أَلْحَدَ فِي هَذَا الْبَيْتِ، وَإِنَّ اللَّهَ أَذَاقَهُ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ، وَفَعَلَ بِهِ وَفَعَلَ، فَقَالَتْ: كَذَبْتَ، كَانَ بَرًّا بِالْوَالِدَيْنِ، صَوَّامًا قَوَّامًا، وَاللَّهِ لَقَدْ أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ سَيَخْرُجُ مِنْ ثَقِيفٍ كَذَّابَانِ الْآخِرُ مِنْهُمَا شَرٌّ مِنَ الْأَوَّلِ وَهُوَ مُبِيرٌ» . هَكَذَا رَوَاهُ أَحْمَدُ بِهَذَا السَّنَدِ وَاللَّفْظِ.
وَقَدْ أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " فِي كِتَابِ الْفَضَائِلِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ مُكْرَمٍ الْعَمِّيِّ الْبَصْرِيِّ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ الْحَضْرَمِيِّ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ شَيْبَانَ، عَنْ أَبِي نَوْفَلٍ عَنْ أَبِي عَقْرَبٍ - وَاسْمُهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ مُسْلِمٍ - عَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৯৬৩
أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «إِنَّ فِي ثَقِيفٍ كَذَّابًا وَمُبِيرًا» . وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ طَوِيلَةٌ فِي مَقْتَلِ الْحَجَّاجِ وَلَدَهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ، كَمَا سَيَأْتِي. وَقَدْ ذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ.
وَذَكَرَ الْعُلَمَاءُ أَنَّ الْكَذَّابَ هُوَ الْمُخْتَارُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ، وَكَانَ يُظْهِرُ التَّشَيُّعَ وَيُبْطِنُ الْكَهَانَةَ، وَيُسِرُّ إِلَى أَخِصَّائِهِ أَنَّهُ يُوحَى إِلَيْهِ، وَلَكِنْ مَا أَدْرِي هَلْ كَانَ يَدَّعِي النُّبُوَّةَ أَمْ لَا؟ وَكَانَ قَدْ وُضِعَ لَهُ كُرْسِيٌّ يُعَظَّمُ، وَيُحَفُّ بِالرِّجَالِ وَيُسْتَرُ بِالْحَرِيرِ، وَيُحْمَلُ عَلَى الْبِغَالِ، وَكَانَ يُضَاهِي بِهِ تَابُوتَ بَنِي إِسْرَائِيلَ الْمَذْكُورُ فِي الْقُرْآنِ، وَلَا شَكَّ أَنَّهُ كَانَ ضَالًّا مُضِلًّا، أَرَاحَ اللَّهُ الْمُسْلِمِينَ مِنْهُ بَعْدَمَا انْتَقَمَ بِهِ مِنْ قَوْمٍ آخَرِينَ مِنَ الظَّالِمِينَ، كَمَا قَالَ تَعَالَى {وَكَذَلِكَ نُوَلِّي بَعْضَ الظَّالِمِينَ بَعْضًا بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ} [الأنعام: 129] . وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَهُوَ الْقَتَّالُ وَهُوَ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ الثَّقَفِيُّ، نَائِبُ الْعِرَاقِ لِعَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، الَّذِي انْتَزَعَ الْعِرَاقَ مِنْ يَدِ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ قَرِيبًا.
وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ الْمُخْتَارَ لَمْ يَزَلْ مُظْهِرًا مُوَافَقَةَ ابْنِ الزُّبَيْرِ حَتَّى قَدِمَ مُصْعَبٌ إِلَى الْبَصْرَةِ فِي أَوَّلِ سَنَةِ سَبْعٍ وَسِتِّينَ، وَأَظْهَرَ مُخَالَفَتَهُ، فَسَارَ إِلَيْهِ مُصْعَبٌ فَقَاتَلَهُ، وَكَانَ الْمُخْتَارُ فِي نَحْوٍ مَنْ عِشْرِينَ أَلْفًا، وَقَدْ حَمَلَ عَلَيْهِ الْمُخْتَارُ مَرَّةً فَهَزَمَهُ، وَلَكِنْ لَمْ يَثْبُتْ جَيْشُ الْمُخْتَارِ حَتَّى جَعَلُوا يَنْصَرِفُونَ إِلَى مُصْعَبٍ وَيَدْعُونَ الْمُخْتَارَ،
পৃষ্ঠা - ৬৯৬৪
বললেন, আপনার পুত্র এই ঘরটিতে নাস্তিকতার অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে ৷ ফলে আল্লাহ্ তাকে
যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি আস্বাদন কবিয়েছেন এবং তার সঙ্গে যা করবার তা করেছেন ৷ আসম৷ বিনৃত
আবু বকর (বা) বললেন, আপনি মিথ্যা বলেছেন ৷ সে পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহারকারী ছিল ৷
ন্ভ্রুৰুাযা পালনকারী ও রাত জেগে ইবাদাতকারী ছিল ৷ আল্লাহ্র শপথ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মাদেরকে বলে গেছেন যে, অদুব ভবিষ্যতে ছার্কীফ গোত্র থেকে দু’জন মিথ্যাবাদীর
ন্ন্ত্রাবির্ভাব ঘটবে, মাসের শেষের জন প্রথম জন অপেক্ষা নিকৃষ্ট হবে ৷ সে হবে ধ্বংসকারী ৷
ইমাম আহমাদ এ হাদীসটি এই সনদে ও এই ভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম মুসলিম তার
সহীহ্-এ উক্বা ইবন মুকারিম আল আশী আল বাসারী, সুত্রে আসম৷ বিনৃত আবু বকর (রা)
থেকে বর্ণনা করেছেন, ছাকীফ পােত্রে এক মিখ্যাবাদী ও একজন ধ্ব সকারী আছে ৷ এ হাদীন্সে
হতোত্তর হিজরীতে হাজ্জা জ কর্তৃক আসমা পুত্র আবদুল্লাহ্কে হত্যা করার দীর্ঘ ক ৷হিনী উল্লেখ
রয়েছে যার বিবরণ পরে আসছে ৷ বায়হাকী এ হাদীসটি দ ৷লায়িলুন্নুবুওয়া গ্রন্থে উল্লেখ
করেছেন ৷ আলিমগণ উল্লেখ করেছেন যে, কায্যাব (মিখ্যাবাদী) হলো মুখা৩ তর ইবন আবু
উরাইদ ৷ সে নিজেকে প্রকাশ করত শীয়া বলে আর তলে তলে ছিল গণক ৷ সে ঘনিষ্ঠজনদের
মাঝে দাবী করত কিনা, তা আমি জানি না ৷ তার জন্য একখান৷ চেয়ার রাখা ছিল, যেটিকে
সম্মান করা হত এবং খচচরে করে বহন করা হত ৷ চেয়ারখানাকে কুরআনে বর্ণিত বনী
ইসরাঈলের৩ তাবুত এর ন্যায় গণ্য করা হত ৷ ল্যেকটি যে বিভ্রান্ত ও বিভ্রান্তকারী ছিল তাতে
সন্দেহ নেই ৷ আল্লাহ্ অপর একদল অত্যাচারী সম্প্রদায় দ্বারা প্রতিশ্যেধ নিয়ে যুসলমানদেরকে
তার কবল থেকে স্বস্তি দান করেন ৷ যেমন, আল্লাহ্ তায়ালা বলেন ং
, এা৷১এ্এ
এভাবে আমি তাদের কৃতকর্মের জন্য জালিমদের একদলকে অন্যদলের বন্ধু করে থাকি ৷
(৬ : ১ ২৯) ৷
আর মুবীর অর্থ অধিক হত্যাকারী ৷ তিনি হলেন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান কর্তৃক ন্
নিয়োজিত ইরাকের গভর্নর হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ আছ-ছাকাফী, যিনি মুস আব ইবন যুবাইর-
এর হাত থেকে ইরাককে উদ্ধার করেছিলেন ৷ একটু পরই এর বিবরণ আসছে ৷
ওয়াকিদী বলেন, মুখতার ইবন যুবাইর এর প্ৰতি সমর্থন প্রকাশ করতে থাকেন ৷ পরবর্তীতে
ন্ মুস আর সাতষট্টি হিজরীর শুরুতে বসরা আগমন করার পর যখন যুখতার৩ তার বিরোধিতা
প্রকাশ করল, তখন মুস আর তার নিকট পৌছে তার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হন ৷ মুখতার-এর প্রায়
বিশ হাজার সৈন্য ছিল ৷ সে মুসআব এর উপর একযোগে আক্রমণ করে তাকে পরাজিত
করে ৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখত তার এর বাহিনী তার পক্ষ ত্যাগ করে মুস আর এর নিকট চলে
যেতে শুরু করে এবং গণক ও মিথ্যাচারের অপরাধে তার থেকে প্ৰতিশোধ নিতে শুরু করে ৷
এই অবস্থা দেখে মুখতাব তার প্রাসাদে ফিরে যায় ৷ মুস আর তাকে সেখানে চার মাস মাবত
অবরোধ করে রাখেন ৷ তারপর সাতট্ট হিজরী সনের চৌদ্দ রমযানে তাকে হত্যা করেন ৷ বর্ণিত
তথ্যমতে মুখতার-এর বয়স তখন সাতষট্টি বছর ৷
পরিচ্ছেদ
ঘুসাআব ইবন যুবাইর যখন কুফার ক্ষমতা হাতে নেন, তখন তিনি ইব্রাহীম ইবনুল
আশতারকে তার নিকট চলে আসার জন্য সংবাদ পাঠান ৷ অপরদিকে মারওয়ান তার নিকট
وَيَنْقِمُونَ عَلَيْهِ مَا هُوَ فِيهِ مِنَ الْكَهَانَةِ وَالْكَذِبِ. فَلَمَّا رَأَى الْمُخْتَارُ ذَلِكَ انْصَرَفَ إِلَى قَصْرِ الْإِمَارَةِ، فَحَاصَرَهُ مُصْعَبٌ فِيهِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ، ثُمَّ قَتَلَهُ فِي رَابِعَ عَشَرَ رَمَضَانَ سَنَةَ سَبْعٍ وَسِتِّينَ، وَلَهُ مِنَ الْعُمُرِ سَبْعٌ وَسِتُّونَ سَنَةً فِيمَا قِيلَ.
[فَصْلُ اسْتِقْرَارِ الْأَمْرِ لِمُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِالْكُوفَةِ]
وَلَمَّا اسْتَقَرَّ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ بِالْكُوفَةِ بَعْثَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْأَشْتَرِ لِيَقْدَمَ عَلَيْهِ، وَبَعَثَ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ لِيَقْدَمَ عَلَيْهِ، فَحَارَ ابْنُ الْأَشْتَرِ فِي أَمْرِهِ، وَشَاوَرَ أَصْحَابَهُ إِلَى أَيِّهِمَا يَذْهَبُ، ثُمَّ اتَّفَقَ رَأْيُهُمْ عَلَى الذَّهَابِ إِلَى بَلَدِهِمُ الْكُوفَةِ، فَقَدِمَ ابْنُ الْأَشْتَرَ عَلَى مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ فَأَكْرَمَهُ وَعَظَّمَهُ وَاحْتَرَمَهُ كَثِيرًا، وَبَعَثَ مُصْعَبٌ الْمُهَلَّبَ بْنَ أَبِي صُفْرَةَ عَلَى الْمَوْصِلِ وَالْجَزِيرَةِ وَأَذْرَبِيجَانَ وَأَرْمِينِيَّةَ - وَكَانَ قَدِ اسْتَخْلَفَ عَلَى الْبَصْرَةِ حِينَ خَرَجَ مِنْهَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْمَرٍ - وَأَقَامَ هُوَ بِالْكُوفَةِ. ثُمَّ لَمْ تَنْسَلِخُ هَذِهِ السَّنَةُ حَتَّى عَزَلَهُ أَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ عَنِ الْبَصْرَةِ وَوَلَّى عَلَيْهَا ابْنَهُ حَمْزَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَكَانَ شُجَاعًا جَوَادًا مُخَلِّطًا، يُعْطِي أَحْيَانًا حَتَّى لَا يَدَعَ شَيْئًا، وَيَمْنَعُ أَحْيَانًا مَا لَا يُمْنَعُ مِثْلُهُ، وَظَهَرَتْ خِفَّتُهُ وَطَيْشٌ فِي عَقْلِهِ وَسُرْعَةٌ فِي أَمْرِهِ، فَبَعَثَ الْأَحْنَفُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ فَعَزَلَهُ وَأَعَادَ إِلَى وِلَايَتِهَا أَخَاهُ مُصْعَبًا مُضَافًا إِلَى مَا بِيَدِهِ مِنْ وِلَايَةِ الْكُوفَةِ، قَالُوا: وَخَرَجَ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ مِنَ الْبَصْرَةِ بِمَالٍ كَثِيرٍ مِنْ بَيْتِ مَالِهَا فَعَرَضَ لَهُ مَالِكُ بْنُ مِسْمَعٍ، فَقَالَ: لَا نَدَعُكَ تَذْهَبُ بِأَعْطِيَاتِنَا. فَضَمِنَ لَهُ
পৃষ্ঠা - ৬৯৬৫
যাওয়ার জন্য সংবাদ প্রেরণ করেন ৷ বিষয়টা নিয়ে ইবনুর্ল আখতার সমস্যায় পড়ে যান এবং
সঙ্গীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন যে, তিনি কার নিকট যাবেন ৷ তারা তাদের নিজ শহর কুফা
যাওয়ার ব্যাপারে একমত পোষণ করে ৷ ফলে ইবনুল আশতার মুসআব ইবন যুবইিরএর
নিকট গমন করেন ৷ মুস আর তাকে অনেক সম্মান করেন ৷
মুস আব মুহাল্লাব ইবন আবু সুফরাকে মাওসিলে জাযীরা, আযারবাইযান ও আরমােনিয়ার
গবর্নর নিযুক্ত করে প্রেরণ করেন ৷ উবাইদুল্লাহ্ ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন যা মার যখন বসরা থেকে
বের হন, তখন মুসআব মুহাল্লাবকে বসরার শাসনকর্তা নিযুক্ত করে নিয়ে কুফার অবস্থান
করেন ৷ তারপর এই বছরটা অতিক্রম হতে না হতে তার ভইি আবদুল্লাহ ইবন যুবইির তাকে
বসরা থেকে পদচ্যুত করেন এবং তার স্থলে নিজ পুত্র হামযা ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন যুবইিরকে
বসরার গভাব নিযুক্ত করেন ৷ হামযা ইবন আবদুল্লাহ ছিলেন সাহসী, দানশীল মিশুক মানুষ ৷
কখনো তিনি এমন দান করতে ন যে, কিছুই অবশিষ্ট রাখতেন না ৷ আবার কখনো এমনভাবে
হাত গুটিয়ে রাখতে ন যে, তার মত কেউ হাত গুটিয়ে রাখে না ৷৩ তার মস্তিষ্কের দুর্বলতা এবং
কাজ-কমে তাড়াহুড়ার প্রবণতা প্রকাশ হয়ে পড়েছিল ৷ ফলে আহনাফ আবদুল্লাহ্ ইবন যুবইির
তাকে বরখাস্ত করে আপন ভইি যুসআব-এর হাতে , কুফার ক্ষমতার পাশাপাশি বসরার
ক্ষমতাও তুলে দেন৷
ইতিহাসবিদগণ বলেছেন, হামযা ইবন আবদুল্লাহ ইবন যুবইির রম্ভীয় কােষাগারের বিপুল
পরিমাণ সম্পদ নিয়ে বের হয়েছিলেন ৷ ফলে মালিক ইবন মুসান্ন৷ তাকে বললেন, আমরা
তোমাকে আমাদের সম্পদ নিয়ে যেতে দেব না ৷ প্ঢুরে উবইিদুল্লাহ্ ইবন মামার-এর হস্তক্ষেপে
তিনি নিবৃত্ত হন ৷ হামযা ফিরে গিয়ে পিতার নিকট মক্কা যান নি ৷ বরং সোজা মদীনা চলে যান ৷
সেখানে সেই সম্পদ্গুরুল৷ কয়েক ব্যক্তির নিকট গচিছত রাখেন ৷ কিং আহলে কিতাবের এক
ব্যক্তি ছাড়া তাদের প্রত্যেকে আমানতে খিয়ানত করে এবং তা অস্বীকার করে ৷ শুধু আহলে
বিতোবের লোকটি তার আমানত সম্পদ তাকে ফিরিয়ে দেয় ৷ পরবর্তীতে হামযার পিতা যখন
তার কর্মকাণ্ডের কথা শুনতে পান ৷ তখন তিনি বললেন, আল্লাহ্ তাকে ধ্বংস করুন ৷ আমি তার
দ্বারা বনু মারওয়ানের উপর গৌরব করতে চেয়েহ্নিা৷ম ৷ কিন্তু সে পিছু হটে পেল ৷ আবু
মিখনাফ বলেন, হামযা ইবন উবইিদুল্লাহ্ ইবন যুবইির পুর্ণ এক বহ্ব বসরার শাসন
করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
ইবন জারীর বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন যুবইির সে বছর হজ্জ পরিচালনা করেন ৷ তখন কুফার
তার ভইি মুস আব এবং বসরার পুত্র হামযা তার গভর্নর ছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেন, বরং তার
ভইি পুর্ণবাৱ বসরা গিয়েছিলেন ৷ থােরাসান ও পার্শ্ববর্তী শহরগুলোতে ইবন যুবইির-এর পভার
ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন হাযিম আস-সুলামী ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
, এ বছর শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের মধ্যে যারা ইনতিকাল করেন ৷ তারা হলেন অলীদ ইবন
উকবা ইবন আবু মুআইত ও আবুল জুহ্ম ৷ ইনিই সহীহ্ হাদীসে বর্ণিত আম্বাজানিয়া পশমী
চাদরওয়ালা ব্যক্তি ৷ এবহ্ব বিপুলসংখ্যাক মানুষ খুন হয়, যার বিবরণ দীর্ঘ ৷
عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْمَرٍ الْعَطَاءَ، فَكَفَّ عَنْهُ، فَلَمَّا انْصَرَفَ حَمْزَةُ لَمْ يَقْدَمْ عَلَى أَبِيهِ مَكَّةَ بَلْ عَدَلَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَأَوْدَعَ ذَلِكَ الْمَالَ رِجَالًا، فَكُلُّهُمْ غَلَّ مَا أَوْدَعَهُ وَجَحَدَهُ، سِوَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ، فَأَدَّى إِلَيْهِ أَمَانَتَهُ، فَلَمَّا بَلَغَ أَبَاهُ مَا صَنَعَ، قَالَ: أَبْعَدَهُ اللَّهُ، أَرَدْتُ أَنْ أُبَاهِيَ بِهِ بَنِي مَرْوَانَ فَنَكَصَ.
وَذَكَرَ أَبُو مِخْنَفٍ أَنَّ حَمْزَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَلِيَ الْبَصْرَةَ سَنَةً كَامِلَةً، فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ وَكَانَ عَامِلُهُ عَلَى الْكُوفَةِ أَخَاهُ مُصْعَبًا، وَعَلَى الْبَصْرَةِ ابْنَهُ حَمْزَةَ، وَقِيلَ: بَلْ كَانَ رَجَعَ إِلَيْهَا أَخُوهُ. وَعَلَى خُرَاسَانَ وَتِلْكَ الْبِلَادِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَازِمٍ السُّلَمِيُّ مِنْ جِهَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ.
وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: الْوَلِيدُ بْنُ عَقَبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ، وَأَبُو الْجَهْمِ، وَهُوَ صَاحِبُ الْأَنْبِجَانِيَّةِ الْمَذْكُورَةِ فِي الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ وَفِيهَا قُتِلَ خَلْقٌ كَثِيرٌ يَطُولُ ذِكْرُهُمْ.