আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وستين

পৃষ্ঠা - ৬৮৭০

ইিজরী ৬৫ সন

এ বছরেই সুলাইমান ইবন সুরাদ (রা)-এর কাছে প্রায় ১৭ হাজার সৈন্য জমায়েত
ষ্টুহয়েতাি ৷ তারা সকলেই ইমাম হুসাইন (রা)এর হত্যাকারী হতে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য
আগমন করেছিল ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন, যখন লোকজন আন ন ৷র্থীল৷ নামক স্থানে একত্রিত
হয় তখন তাদেরন্ ত্খ্যা ছিল খুব কম ৷ সুলইিমান ইবন সৃৱাদ (রা)৩ তাদের এই কম সংখ্যাকে
পছন্দ করলেন না, তাই তিনি হাকীম ইবন মুনকিযকে প্রেরণ করেন যাতে তিনি কুফায় গলিতে
উচচস্বরে ঘোযণা করেন হে হুসাই ৷ (রা) এর খুনের প্রতিশোধকারীরা ! তোমরা অতিসত্ত্বব
একত্রিত হও ৷ ঘোষক ঘোষণা করতে করতে সবচাইতে বড় মসজিদ পর্যন্ত পৌছে গেলেন ৷
লোকজন €ঘাষহ্কর ঘোষণা শুভৈন আন নাথীলাহ নামক স্থানে একত্রিত হলেন ৷ কুফাব
মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ একত্রিত হয়ুহীন ৷ তাদের স ×খ্য৷ ছিল ২০ হাজার অথবা তার চাইতেও
বেশী যার৷ সুলাইমান ইবন সুরাদ (রা)-এর খাতায় নাম লিখেছিলেন ৷ যখন তিনি তাদেরকে
নিয়ে রওয়ানান্ হবার মনস্ত করেন তখন আল মুসায়্যাব ইবন নাজাবা, সুলাইমান ইবন সুরাদ
(রা) কে বলেন জোরপুর্বক আগত এই কম স ×খ্যক সৈন্য আপনার উপকারে আসবে না ৷ আর
আপনার সাথে তারাই যুদ্ধ করবে যাদের দৃঢ় সংকর আছে আর যারা আল্লাহর কাছে
নিজেদেরকে বিক্রি করে দিয়েছে ৷ কাজেই আপনি ক্ারো জন্য অপেক্ষা করবেন না, দৃশমনের
বিরুদ্ধে সাহায্য প্রার্থনা করুন ৷

সুলাইমান (রা)৩ তার সাথীদের মাবে৷ দণ্ডায়মান হলেন এবং বললেন, (হ জনগণ ৷
তোমাদের মধ্যে যে আল্লাহর সন্তুষ্টিব্র জন্য এবং আখিরান্বতর সওয়াবের জন্য ঘর থেকে বের

, দুনিয়ার জন্য বের হয়ে আসছে যে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং যে আমাদের স ৷থীও) হবে না ৷
তার সাথে অবশিষ্ট লোকজন বলেন, আমরা দুনিয়ার জন্য বের হয়ে আসিনি আর আমাদের
অন্বেষণও দুনিয়া নয় ৷ সুলাইমান (রা)-কে বলা হয়, আমরা কি সিরিয়ার অবস্থিত হুসাইন
(রা)-এব হত্যাকারীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করব ? অথচ কুফায় আমাদের কাছে যে সব ,হত্যাকায়ী
আছে যেমন উমর ইবন সাদ প্রমুখের প্রতি আমরা কি অভিযান পরিচালনা করব না ?
সুলাইমান (বা ) বললেন, ইবন যিয়াদই সৈন্য সংগ্রহ করে ইমাম হুসাইন (রা) এর বিক৷ দ্ধ যুদ্ধ
করার জন্য তাদেরকে প্রেরণ করেছিল ৷ আর তারা বা করার ছিল তা তারা করেছিল ৷৩

যখন আমরা সাবাড় করব তথনি আমরা কুফায় অবস্থিত আমাদের দুশমনদের প্রতি মনোযোগ

দিব ৷ যদি তোমরা কুফায় অবস্থিত শ ত্রুাদেরকে প্রথম হত্যা কর, আর তারা তোমাদের শহরের
বা৷সন্দা, তাহলে দেখা যাবে তোমাদের লোকজন তাদের পিতা, ভাই, বন্ধু ই৩া৷দিকে হত্যা
করার বেলায় অমনােযোগী হবে ৷ তাতে পরস্পরের মধ্যে অবমাননাকর পরিস্থিতির উদ্ভব হবে ৷
কাজেই৫ তামর৷ ইবন যিয়াদ ফ৷ ৷সিকের দফারফ৷ করার পর নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করলে
সফলকাম হবে ৷ তারা বলল, আপনি সত্য ও যথার্থ বলেছেন ৷ তখন তিনি তাদের মধ্যে

ঘোষণা করলেন আল্লাহর নামের উপর ভরসা করে চল ৷ তারা ববিউল আউয়াল মাসের ৫

৩ ৷বিখ শুক্রবার দিন বিক৷ ৷লে এ অভিযানে রওয়ানা হলেন ৷

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া- ৫৮
ণোমোঃ(হ্রাশ্রোা৪র্নো০ওোড়া

[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسٍ وَسِتِّينَ] [الْمُطَالَبَةُ بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ مِمَّنْ قَتَلَهُ] فَفِيهَا اجْتَمَعَ إِلَى سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ نَحْوٌ مِنْ سَبْعَةَ عَشَرَ أَلْفًا، كُلُّهُمْ يَطْلُبُونَ الْأَخْذَ بِثَأْرِ الْحُسَيْنِ مِمَّنْ قَتَلَهُ. وَقَدْ خَطَبَهُمْ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ حِينَ خَرَجُوا مِنَ الْكُوفَةِ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ بِالنُّخَيْلَةِ، فَحَرَّضَهُمْ عَلَى الْجِهَادِ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: مَنْ كَانَ خَرَجَ مِنْكُمْ لِطَلَبِ الدُّنْيَا ذَهَبِهَا وَحَرِيرِهَا فَلَيْسَ مَعَنَا مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ، وَإِنَّمَا مَعَنَا سُيُوفٌ عَلَى عَوَاتِقِنَا، وَرِمَاحٌ فِي أَكُفِّنَا، وَزَادٌ يَكْفِينَا حَتَّى نَلْقَى عَدُوَّنَا. فَأَجَابُوهُ إِلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَالْحَالَةُ هَذِهِ، ثُمَّ أَشَارَ عَلَيْهِمْ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ بِقَصْدِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ، فَأَشَارَ بَعْضُهُمْ بِمُقَاتَلَةِ مَنْ بِالْكُوفَةِ مِنْ رُءُوسِ الْقَبَائِلِ مِنْ قَتَلَةِ الْحُسَيْنِ كَعُمَرَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَأَضْرَابِهِ، فَامْتَنَعَ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ إِلَّا أَنْ يَذْهَبُوا إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ ; فَإِنَّهُ هُوَ الَّذِي جَهَّزَ إِلَيْهِ الْجُيُوشَ، وَأَلَّبَ النَّاسَ عَلَيْهِ، وَامْتَنَعَ مِنْ قَبُولِ مَا طَلَبَهُ مِنْهُ، وَقَالَ: لَيْسَ لَهُ إِلَّا السَّيْفُ، وَهَا هُوَ قَدْ أَقْبَلَ مِنَ الشَّامِ قَاصِدًا
পৃষ্ঠা - ৬৮৭১


তিনি তার থুতরার বলেন, তোমাদের মধ্যে যারা দুনিয়ার জন্য বের হয়েছে এর সোনা ও
মণিমুক্তার জন্য , তারা আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় ৷ আমাদের সাথে পর্দানে আছে তলোয়ার এবং
হাতে আছে ভীার, আর পাথেয় যা আমাদের জন্য যথেষ্ট দৃপমনের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করা
পর্যাপ্ত ৷ তারা তখন তার এ আহবানেংনড়ো দিল এবং আনুগত্য স্বীকার করল ৷ তিনিতাদেরকে
আবার বলেন, তোমরা প্রথমত, ইবন যিয়াদ, ফাসিককে লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত কর, তার জন্য
রয়েছে একমাত্রতলোয়ার ৷ আর যে এখন সিরিয়া থেকে ইরাকের দিকে রওয়ান৷ হয়েছে ৷
<লাকজন তার সাথে তার এ অস্তিমতে দৃঢ় সংকর প্রকাশ করল ৷ যখন তারা“ পুনরায় তাদের

ৎকল্লের কথা ব্যক্ত করল আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর পক্ষ থেকে নিয়োজিত কুফার
দু জন আমীর যথ৷ আ ৷বদুল্লাহ্ ইবন ইয়াযীদ ও ইবরাহীম ইবন ঘুহাম্মদকে সুলাইমান ইবন
সৃরাদ ( বা ) এর কাছে দুত প্রেরণ করলেন ৷

ন্ ৩ার৷ দু৩ ’জন তাকে বললেন আমরা চাই যে, ইরন যিয়াব্লুরুদর বিরুদ্ধে ত্া,৷ন্ম্র৷ যেন আমাদের
নম্মিলিত শক্তি গড়ে তুলি ৷ আর ইবন যিরাদ ও তার লঙ্গীরা তাদের, সাথে এমন এক শক্তিশালী
বাহিনী নিয়ে, আসতে চার যাতে তারা তাদের সুনিশ্চিতভারে সফল করতে পারে ৷ তারা এ

সম্পর্কে ডাক হরকর৷ মারফত সংবাদ প্রেরণ করে যে, তারা তাদের আগমনের অপেক্ষা
করছে ৷” , ,

এাদকে সুলাইমান ইরন সুরাদ, (রা) ও তাদের আগমনের কথা শুনে প্রস্তুতি নেন এবং
সেণ্াবাগ্রি না ও তার সাথে প্রস্তুত থাকে ৷ আবদুল্লাহ্ ইবন ইয়াযীদ ও ইবরাহীম ইবন তালহা
কুফার পণ্যমান্য লোকদের নিয়ে (যারা হযরত ইমাম হুসাইই৷ (রা) এর হত্যার অংশগ্রহণ
করেন ৷ন) সামনে অগ্রসর হলেন যাতে সিরিয়াবাসীরা তাদেরকে দলে ভিড়ানোহ্৷ চেষ্টা করতে
না পারে৷ এ দিন গুলোতে উমর ইবন সাদ ইরন আর ওয়াক্কান প্রাণের ভয়ে রাজপ্রাসাদে
আব্দুল্লাহ্ ইবন ইয়াযীদের কাছে ঘুমাতে তন ৷ উপরোক্ত দু জন আমীর সুলাইমান ইবন সুরাদ
(বা ) এর কাছে আগমন করে ইবন যিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সম্মিলিত শক্তি না পড়ে
যুদ্ধাভিংা৷নে অগ্রসর হওয়া উচিত নয় বলে জানান ৷ আর তারা আরো সৈন৷ সৎ গ্রহরে পরামর্শ

দেন ৷ ফেনন৷ সিরিয়াবাসীরা সং খ্যায় অনেক, তারা ইবন যিয়াদের পক্ষে রয়েছে এবং ইবন
যিয়াদকে রক্ষার জন্য৩ তারা সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে ৷ কিং সুলাইমান (রা) দুই আমীরের
পরামর্শ গ্রহণ করলেন না বরং তিনি বললেন, “আমরা যে কাজের জন্য বের হয়েছি তা না করে
ফিরে যাব না এবং এ কাজ করতে বিলম্বও করব না ৷ দু’ জন আমীরই ৷নরাশ হয়ে কুফার দিকে
চলে গেলেন ৷

এদিকে সুলাইমান ইবন সুরাদ (বা) ও তার সাথীপণ তাদের ঐ সব সাথীর জন্য
অপেক্ষা করছিলেন যারা বসরা ও মাদায়িন থেকে আগমন করার পরস্পর প্রতিশ্রুতি
দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু পরিতাপের ৰিষয,তাদের একজনও ওয়াদামত আগমন করেনি ৷
সুলাইমানঃ (রা) তার সাথীদের: মাঝে বক্তব্য রাখার জন্য ন্দণ্ডায়মানঃ হলেন এবং তাদেরকে
তারা যে কাজে বের হয়েছেন তার প্রতি উৎসাহিত করেন ৷ আর বললেন, “যদি তোমাদের
ভাইয়ের৷ তোমাদের বের হওয়ার সংবাদ শুনতে পায় ন্ তাহলে তারা অতিসত্ত্বর তোমাদের
সাথে মিলিত হয়ে ৷”

তারপর সুলাইমান (রা) ও তার সাথীপণ ৬৫ হিজরীর রবিউল আউয়াল মাসের ৫৩ তারিখ
শুক্রবার দিন আন নাথীল৷ নামক স্থান হতে ৩রওয়ান৷ হলেন ৷ তিনি তাদের নিয়ে কয়েক মনযিল-


الْعِرَاقَ. فَصَمَّمَ النَّاسُ مَعَهُ عَلَى هَذَا الرَّأْيِ. فَلَمَّا أَزْمَعُوا عَلَى ذَلِكَ بَعَثَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ أُمَرَاءُ الْكُوفَةِ مِنْ جِهَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ إِلَى سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ يَقُولَانِ لَهُ: إِنَّا نُحِبُّ أَنْ تَكُونَ أَيْدِينَا وَاحِدَةً عَلَى ابْنِ زِيَادٍ. وَأَنَّهُمْ يُرِيدُونَ أَنْ يَبْعَثُوا مَعَهُمْ جَيْشًا لِيُقَوِّيَهُمْ عَلَى مَا قَصَدُوا لَهُ، وَبَعَثُوا إِلَيْهِ الْبَرِيدَ أَنْ يَنْتَظِرَهُمْ حَتَّى يَقْدُمُوا عَلَيْهِ، فَتَهَيَّأَ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ لِقُدُومِهِمْ عَلَيْهِ فِي رُءُوسِ الْأُمَرَاءِ، وَجَلَسَ فِي أُبَّهَتِهِ، وَالْجُيُوشُ مُحْدِقَةٌ بِهِ، وَأَقْبَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ فِي أَشْرَافِ أَهْلِ الْكُوفَةِ مِنْ غَيْرِ قَتَلَةِ الْحُسَيْنِ ; لِئَلَّا يَطْمَعُوا فِيهِمْ، وَكَانَ عُمَرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ فِي هَذِهِ الْأَيَّامِ كُلِّهَا لَا يَبِيتُ إِلَّا فِي قَصْرِ الْإِمَارَةِ عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ خَوْفًا عَلَى نَفْسِهِ، فَلَمَّا اجْتَمَعَ الْأَمِيرَانِ عِنْدَ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ قَالَا لَهُ وَأَشَارَا عَلَيْهِ أَنْ لَا يَذْهَبُوا حَتَّى تَكُونَ أَيْدِيهِمْ كُلِّهِمْ وَاحِدَةً عَلَى قِتَالِ عَدُوِّهِمُ ابْنِ زِيَادٍ، وَيُجَهِّزُوا مَعَهُمْ جَيْشًا آخَرَ ; فَإِنَّ أَهْلَ الشَّامِ جَمْعٌ كَثِيرٌ وَجَمٌّ غَفِيرٌ، وَهُمْ يُحَاجِفُونَ عَنِ ابْنِ زِيَادٍ، فَامْتَنَعَ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ مِنْ قَبُولِ قَوْلِهِمَا وَقَالَ: إِنَّا قَدْ
পৃষ্ঠা - ৬৮৭২


অতিক্রম করেন ৷ যখন সিরিয়ার দিকে কোন একটি মনযিল অতিক্রম করেন তখনি তিনি
দেখেন, তাদের মধ্য থেকে একদল লোক পিছু হদুট যায় ৷ তার) যখন হযরত ইমাম হুস)ইন
(র))-এর কবর অতিক্রম করছিলেন তখন একই স্বদুর চীৎকার দিতে লাগলেন এবং বিলাপ
করতে লাপলেন ৷ আর তার কবরের কাছে তারা রাত্রি যাপনকরলেন, সালাত আদায় করলেন
এবং দুআ করলেন ৷ তার) একদিন সেখানে অবস্থান করলেন তার জন্য রহমত চান, ক্ষমা
প্রাহুনাি করেন ,তার প্রতি তাদের সন্তুষ্টি জ্ঞাপন করেন এবং আক)ডাঃন্) পেশ করেন যে যদি
তার) তার সাথে শাহ)দাত বরণ করতে পারতেন ৷ আমি বলি যদি তাদের এ সৎকল্প ও তাদের
এ জম)য়েত হযরত ইমাম হুস)ইন (বা) এ জায়গায় পৌছ)র আগে অনুষ্ঠিত হত তাহলে তার
জন) এটা উপক)র হত ৷ ভী)র চার বত্ব র পদুর সুল)ইম)ন (বা) ও তার স)থীদুদর কর্তক র্তাদুক
স)ছু)র) করার সৎকল্প দুথদুকও উত্তম হতো ৷ যখন তার) সেখান থেকে বিদায় হওয়ার ইচ্ছা
করলেন তখন তার) একে এদুক হযরত ইমাম হ্স ইন (র)) এর ম)য)রে আগমন ও ম)পফিরাত
কামন) কিৎর) মর্যাদা বৃদ্ধির জন) দু আ করার ব্যাপ)দুর ই)জদুর অ)সওয়)দ থেকেও বেশী ভিড়
করতে লাপদুলন ৷
এরপর তার) )সিরিয়ার দিকে ংরওয়ান) হলেন ) যরনন্তার) ক)রকীসিয়া নামক স্থানে

পৌছদুলন তখন যুফর ইবনৃল হারিস ন)মক এ দুপ)ত্রপ্র ধান তাদের সামনে দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ
করে ৷ তখন সুলাইম)ন ইবন সুরাদ (রা) তার কাছে দুত প্রেরণ করে বললেন, আমরা
দুত)ম)দের সাথে যুদ্ধ করতে আসিনি, তোমরা আমাদের কাছে গুপ্তচর প্রেরণ করে সব কিছু
দুজদুন নাও ৷ আমরা তোমাদের এখানে একদিন কি০ ৎবা তার চাইতে কম সময় অবস্থান
করব ৷ যুফর ইবনৃল হারিস গুপ্তচর প্রেরণের হুকুম দিলেন ) আর সুল)ইমান ইবন সুর)দ
(র))-এর দুত আল মুস)য়))ব ইবন ন)জাব)দুক একটি ঘোড়া ও এক হাজার দিরহ)ম
উপদুচীকন দেয়ার জন)ন্ কুম দিলেন ৷ তিনি বললেন সম্পদ আমি নিব ন) তবে দুঘ)ড়াঢি
হা)’ নিব ৷ যুফার ইবন হারিস, সুলাইম)ন ইবন সুর)দ (রা) ও তা সাথে যে সব আমীর ও
প্রধান রয়েছেন তাদের প্রদুতাদুকর জন্য ২০টি উট, কিছু খাবার ও বহু ঘাসের তা)টি প্রেরণ
করেন ৷

তারপর যুফার ইবন হ)বিছ ঘর থেকে বের হয়ে আসেন এবং কিছুদুর পর্যন্ত সেনাদের
)পদুছ )পদুছ হেটে ৩ )দের বিদায় সস্বর্ধনা জানান ৷ তিনি সুল)ইমান ইবন সুরাদ (র) )-এর
সাথেও কিছুন্কৃণ পথ চলেন এবং তাকে বলেন, আমার কাছে খবর এসেছে যে,
সিৰিয়)ব)সীর) এক বিরাট ভৈসন্যদল সংগ্রহ করেছে এবং হুস)ইন ইবন নুমাইর, শুর)হবীল
ইবন ষুল কাল), আদহাম ইবন মুহরিয আল-ব)হিলী, রাবীআ ইবন মুখারিক আল প)নৃৰী,
জিবিল্লা ইবন আবদুল্লাহ আল খ)সআমীদুক আমীর নিযুক্ত কদুরদুছ ৷

ন সুলাইমান ইবন সুর)দ (রা) বললেন, আল্লাহর উপর আমরা ত)ওয়)ক্কুল করেছি
এবং আল্লাহর উপরই মুমিন ব)ন্দার) তাওয়)ক্কুল করে থাকেন, তারপর যুফর তাদের কাছে
আরব করদুলন্তার) যেন তারন্ন্শহদুর প্রবেশ করেন কিৎর) তার শহরের দরজায় একটু
দ)ড়)ন যাতে কেউ তাদের সৎগী হতে চাইলে যেন সঙ্গী হতে পারে, কিন্তু তার) তাদের এ
দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন আমাদের শহরের বসিন্দার)ও আমাদের কাছে
এরুপ আরয করেছিলেন কিন্তু আমরা তাতে র)যী হইনি ৷


خَرَجْنَا لِأَمْرٍ لَا نَرْجِعُ عَنْهُ، وَلَا نَتَأَخَّرُ فِيهِ. فَانْصَرَفَ الْأَمِيرَانِ رَاجِعِينَ إِلَى الْكُوفَةِ، وَانْتَظَرَ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ وَأَصْحَابُهُ أَصْحَابَهُمُ الَّذِينَ كَانُوا قَدْ وَاعَدُوهُمْ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَأَهْلِ الْمَدَائِنِ أَنْ يَقْدُمُوا عَلَيْهِمُ النُّخَيْلَةَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، فَلَمْ يَقْدُمُوا عَلَيْهِمْ وَلَا وَاحِدٍ مِنْهُمْ، فَقَامَ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ فِي أَصْحَابِهِ خَطِيبًا، وَحَرَّضَهُمْ عَلَى الذَّهَابِ لِمَا خَرَجُوا لَهُ، وَقَالَ: لَوْ قَدْ سَمِعَ إِخْوَانُكُمْ بِمَسِيرِكُمْ لَلَحِقُوكُمْ سِرَاعًا. فَخَرَجَ سُلَيْمَانُ وَأَصْحَابُهُ مِنَ النُّخَيْلَةِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِخَمْسٍ مَضَيْنَ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، سَنَةَ خَمْسٍ وَسِتِّينَ، فَسَارَ بِهِمْ مَرَاحِلَ، مَا يَتَقَدَّمَونَ مَرْحَلَةً إِلَى نَحْوِ الشَّامِ إِلَّا تَخَلَّفَ عَنْهُ طَائِفَةٌ مِنَ النَّاسِ الَّذِينَ مَعَهُ، فَلَمَّا مَرُّوا بِقَبْرِ الْحُسَيْنِ صَاحُوا صَيْحَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ وَتَبَاكَوْا، وَبَاتُوا عِنْدَهُ لَيْلَةً، وَظَلُّوا يَوْمًا يَدْعُونَ وَيَتَرَحَّمُونَ عَلَيْهِ، وَيَسْتَغْفِرُونَ لَهُ وَيَتَرَضَّوْنَ عَنْهُ، وَيَتَمَنَّوْنَ أَنْ لَوْ كَانُوا مَاتُوا مَعَهُ شُهَدَاءَ. قُلْتُ: لَوْ كَانَ هَذَا الْعَزْمُ وَالِاجْتِمَاعُ قَبْلَ وُصُولِ الْحُسَيْنِ إِلَى تِلْكَ الْمَنْزِلَةِ لَكَانَ أَنْفَعَ لَهُ وَأَنْصُرَ مِنِ اجْتِمَاعِهِمْ لِنُصْرَتِهِ بَعْدَ أَرْبَعِ سِنِينَ. وَلَمَّا أَرَادُوا الِانْصِرَافَ جَعَلَ لَا يَسِيرُ أَحَدٌ مِنْهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ الْقَبْرَ فَيَتَرَحَّمَ عَلَيْهِ، وَيَسْتَغْفِرَ لَهُ، حَتَّى جَعَلُوا يَزْدَحِمُونَ عَلَيْهِ أَشَدَّ مِنِ ازْدِحَامِهِمْ عِنْدَ الْحَجَرِ الْأَسْوَدِ، ثُمَّ سَارُوا قَاصِدِينَ الشَّامَ، فَلَمَّا اجْتَازُوا بِقَرْقِيسِيَا تَحَصَّنَ مِنْهُمْ زُفَرُ بْنُ الْحَارِثِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ: إِنَّا لَمْ نَأْتِ لِقِتَالِكُمْ فَأَخْرِجْ إِلَيْنَا سُوقًا، فَإِنَّا إِنَّمَا نُقِيمُ عِنْدَكُمْ يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍ. فَأَمَرَ زُفَرُ بْنُ الْحَارِثِ أَنْ يُخْرَجَ السُّوقُ إِلَيْهِمْ،
পৃষ্ঠা - ৬৮৭৩


ঘুফার ইবন্ ,বুল হাবিছ আরো বলেন, যদিব্লু আমরা আমাদের এ কথায় রাযী ন৷ হও তাহলে
শ্ শত্রুদের পৌছার পুর্বেই আইনুল, ওয়ারদ৷ নামক স্থানে দ্র৩ ৩ পৌছে যাও ৷ ন্ শত্রুর মুকাবিলায়
নিজেদেরকে এমনভাবে ৰুসৃব্রিন্য ম্ভ কর যাতে পানি, শহর, বাজার ইত্যাদি তোমাদের পেছন
দিকে থাকে৷ আর তােমাদেরট্ ও আমাদের মাঝে যে ফাকা জায়গা রয়েছে তাব্লু ত্নু ত্বোমব্রা
থাকবে ৷নরাপদে ৷

এরপরে যুদ্ধ যেভাবে পরিচ৷ ৷ল্ন৷ করতে হব্লুব তার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “শত্রুর
সাথে তোমরা খোলা মাঠে লড়াই করবে না ৷ কেননা তারা ব্লুতামাদের থেকে সং থ্যায় বেশী ৷
তারা তােমাদেরব্লুক অবরোধ করে ফেলবে ৷ আমিতাে তোমাদের মধ্যে কোন ব্লুহ্াগ্য যোদ্ধা
ন্ দেখছ না৷ শহ্র র?ক্ট্রদর রয়েছে সৃযোপ্য যােদ্ধ৷ ও অশ্বারােহী এবং তাদের সাথে রয়েছে অশ্ববহর ৷
তাই তোমরা তাদের থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে চেষ্টা করার ৷” তার এ বক্তব্যের জন্য
সুলাইমান ইবুন সুরা ৷ (বা) তার প্রশ্ন না করেন ও তার ণ্লাকজব্লুনর জন্য মঙ্গল কামনা করেন ৷
তারপর যুফার তাদের থেকে প্রত্যাব৩ন করেন এক সুলাইযান ইবন সুরাদ (রা) রওয়ানা হন
ও আইনৃল ওয়ারদার দিব্লুক দ্রুর্ত গমন করেন এবং কুয়াের পশ্চিম পাশে অবতরণ করেন ৷
স্কৃাত্রুদল সেখানে পৌছার পুর্বে ত্মর৷ সেখানে অবস্থান কব্লুরন ৷ সুলাইযন (রা) ও৩ তার সাথীগ ণ
বিশ্রাম করতে লাগব্লুলন ও প্রসন্নব্লুবাধ করতে লান্ালোঃ ৷


وَأَمَرَ لِلرَّسُولِ إِلَيْهِ - وَهُوَ الْمُسَيَّبُ بْنُ نَجَبَةَ الْفَزَارِيُّ - بِفَرَسٍ وَأَلْفِ دِرْهَمٍ. فَقَالَ: أَمَّا الْمَالُ فَلَا، وَأَمَّا الْفَرَسُ فَنَعَمْ. وَبَعَثَ زُفَرُ بْنُ الْحَارِثِ إِلَى سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ وَرُءُوسِ الْأُمَرَاءِ الَّذِينَ مَعَهُ، إِلَى كُلِّ وَاحِدٍ عِشْرِينَ جَزُورًا وَطَعَامًا وَعَلَفًا كَثِيرًا، ثُمَّ خَرَجَ زُفَرُ بْنُ الْحَارِثِ فَشَيَّعَهُمْ، وَسَايَرَ سُلَيْمَانَ بْنَ صُرَدٍ وَقَالَ لَهُ: إِنَّهُ قَدْ بَلَغَنِي أَنَّ أَهْلَ الشَّامِ قَدْ وَجَّهُوا إِلَيْكُمْ جَيْشًا كَثِيفًا وَعَدَدًا كَثِيرًا مَعَ حُصَيْنِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَشُرَحْبِيلَ بْنِ ذِي الْكَلَاعِ، وَأَدْهَمَ بْنِ مُحْرِزٍ الْبَاهِلِيِّ، وَرَبِيعَةَ بْنِ الْمُخَارِقِ الْغَنَوِيِّ، وَجَبَلَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْخَثْعَمِيِّ. فَقَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ: عَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْنَا، وَعَلَيْهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُتَوَكِّلُونَ. ثُمَّ عَرَضَ عَلَيْهِمْ زُفَرُ بْنُ الْحَارِثِ أَنْ يَدْخُلُوا مَدِينَتَهُ أَوْ يَكُونُوا عِنْدَ بَابِهَا، فَإِنْ جَاءَهُمْ أَحَدٌ كَانَ مَعَهُمْ عَلَيْهِ، فَأَبَوْا أَنْ يَقْبَلُوا شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ، وَقَالُوا: قَدْ عَرَضَ عَلَيْنَا أَهْلُ بَلَدِنَا مِثْلَ ذَلِكَ فَامْتَنَعْنَا. قَالَ: فَإِذَا أَبَيْتُمْ ذَلِكَ فَبَادِرُوهُمْ إِلَى عَيْنِ الْوَرْدَةِ، فَيَكُونَ الْمَاءُ وَالْمَدِينَةُ وَالْأَسْوَاقُ خَلْفَ ظُهُورِكُمْ، وَمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ فَأَنْتُمْ آمِنُونَ مِنْهُ. ثُمَّ أَشَارَ عَلَيْهِمْ بِمَا يَعْتَمِدُونَهُ فِي حَالِ الْقِتَالِ، فَأَثْنَى عَلَيْهِ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ وَالنَّاسُ خَيَرًا، ثُمَّ رَجَعَ عَنْهُمْ، وَسَارَ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ فَبَادَرَ إِلَى عَيْنِ الْوَرْدَةِ، فَنَزَلَ غَرْبِيَّهَا، وَأَقَامَ هُنَاكَ خَمْسًا قَبْلَ وُصُولِ أَعْدَائِهِ إِلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৬৮৭৪

আইছুল ওয়া রদা রাযটনা

সিরিযাবাসীরা যখন তাদের নিকটবর্তী হল সুলাইমান (রা)৩ তার সাথীদেরকে সব্লুনাধন
করলেন তাদেরকে আখিরাহুতর ওাতি উৎসাহ প্রদান করলেন এবং দুনিয়া ৰিমুখ থাকার জন্য
নসীহত করলেন ৷৩ তাদেরকে জিহাদের প্রতি উৎসাহিত করলেন এবং বললেন, যদি আমি নিহত
হই তাহব্লুল তোমাদের আমীর হবেন আল যুসায়াব ইবন নাজ বা ৷ যদি তিনিও নিহত হন
তাহলে ণ্তামাদের আমীর হবেন আবদুল্লাহ ইবন সা দ ইবন নুফাইল ৷ তিনিও যদি নিহ ত হন
তাহলে তার পরে তোমাদের আমীর হবেন আবদুল্লাহ ইবন ওয়াল ৷ তিনিও যদি নিহত হন
’ ¢-!§€fi তার ংন্পর্দুরব্লু তামাদের আমীর হবেন বিফা আ ইবন শাদ্দাদ ৷৩ তারপর আল মুসায়াব ইবন
নুজাবাব্লুক “তিনি পাচশ ৩ অশ্বারাহী সৈন্য নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য হুকুম দেন ৷
তারা ইবন যুল কালা এর সৈন্যদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন ৷৩ তারা ছিলেন ভারী
অস্ত্রহীন ৷ তারা শক্রদের কিছু স খ্যককে হত্যা করেন এবং কিছু স খ্যকব্লুক আহত করেন ও
জন্তু জাব্লুনায়ারকে হাকিয়ে নিয়ে আসেন ৷ উবাইদুল্পাহ্ ইবন যিয়াদের কাছে এ সংবাদ পৌছল
তখন সে হুসাইন ইবন নুমাইরকে বার হাজার সৈনাসহ প্রেরণ করে ৷ সৈন্যদল সহ সুলাইমান
ইবন সুরাদ (বা) জমাদিউল আউয়াল মাসের ২২৩ তারিখ বুধবার দিন প্রস্তুত ছিলেন ৷ আর

া হুসাইন ইবন নমাইরও ১২ হাজার সৈন্য নিয়ে মুকাবিলার জন্য এগিয়ে আসল ৷ প্রনিটি সৈন্য

দলই প্রতিপক্ষব্লুক আঘাত করতে একেবারে প্রস্তুত ৷
এমন সময় সিরিয়া র সৈন্যরা সুলাইনান ইবন সুরাদ (রা) ও তার স্লা,থীদেরব্লুক মারওয়ান
, ইননল হাকাব্লুমর আনুগব্লু৩ তার প্রতি আহবান করে ৷ অন্যদিকে সুলাইমান ইবন সুরাদ (রা) এর
সাথীরা উবাইদ্ভুল্লাহ্ ইবন যিয়াদকে তাদের হাতে সােপর্দ করার জন্য সিরিয়ার সৈনাব্লুদরব্লুক
অনুরোধ জানায যাতে তারা ২স ইন (রা) এর হত্যার দায়ে তাকে হত্যা করতে পারো
প্রুব্লুতাকটিসেনাদল ডাঃদর প্রতিপক্ষের কাজ্জিত জ্বরাবদাব্লুন বিরত রইল ৷ তারপর তারা তুমুল
যুদ্ধে লিপ্ত হল ৷ রাত পর্যন্ত তারা সারাদিন যুদ্ধ করল ৷ এ যুদ্ধ ইরাক ও সিরিয়াবাসীর মধ্যে
সীমাবদ্ধ ছিল ৷ পরদিন সকালে ইবন য়ুল কালা সিব্লিয়াবাসীদের কাছে অ্াঠার হাজার অশ্বাব্লুরাহী
সৈন্য নিয়ে উপস্থিত হল ৷ ইবন যিয়াদ তাকে ভুশিয়ার করে দিয়েছিল এবৎ ত্া, ক গালিগালাজও
করেছিল ৷ আজকের দিনে দু’ পক্ষ যে যুদ্ধ করব্লুছ৩ তা ৩াবানব্লুদ্ধবশি৩া ৫কউ ৫কান দিন
ব্লুদব্লুখনি ৷ সালাতে ৩র সময়্ ব্যভীত রাত পর্যন্ত যুদ্ধে কোন বিরতি ছিল না ৷৩ তৃতীয় দিনে সকালে
সিরিয়াবাসীব্লুদর সাথে আদুহ্াম ইবন মুহাব্লিম দশ হাজার সৈন্য নিয়ে যুদ্ধে যোগ দিন ৷ এক
প্রহর পর্যন্ত তারা প্রচণ্ড যুদ্ধৃ করল ৷ তারপর সিবিয়ুাবাসীরা ইরাকবাসীদেরহ্রক চতুর্দিক দিয়ে
ঘিরে (ঢুকলল ৷
স্থুলাইমান ইবন সুরাদ (রা) লোকজনব্লুক সব্লুম্বাধ্ন করলেন এবং জিহাদের জন্য উৎসাহিত
করলেন ৷ তারা প্ৰঢ়ণ্ড যুদ্ধ করলেন ৷ তারপর সুলা ইঃান ইবন সুরাদ (রা) নীচে (নব্লুম গেলেন
এবং ভালায়াদ্ভুরর খাপ ভেঙে ব্লুফললেন আর ব্লুঘৃাষণা করলেন হে আল্লাহর বা ং ’ গণ ! যারা



জান্নাব্লুত ৫যহুত ঢাও গুনাহ থেকে তাওরা কয়ব্লুত চা ও এবং নিজেদের তাঙ্গীকার পুর্ণ করতে

চাও তারা আমার কাছে চলে এসোা তখন তার সাথে বহু (ল্াকৃ নীচে নেমে আসল এবৎ


[وَقْعَةُ عَيْنِ وَرْدَةَ] وَاسْتَرَاحَ سُلَيْمَانُ وَأَصْحَابُهُ وَاطْمَأَنُّوا، فَلَمَّا اقْتَرَبَ قُدُومُ أَهْلِ الشَّامِ إِلَيْهِمْ خَطَبَ سُلَيْمَانُ أَصْحَابَهُ، فَرَغَّبَهُمْ فِي الْآخِرَةِ، وَزَهَّدَهُمْ فِي الدُّنْيَا، وَحَثَّهُمْ عَلَى الْجِهَادِ، وَقَالَ: إِنْ قُتِلْتُ فَالْأَمِيرُ عَلَيْكَمُ الْمُسَيَّبُ بْنُ نَجَبَةَ، فَإِنْ قُتِلَ فَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ نُفَيْلٍ، فَإِنْ قُتِلَ فَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَالٍ، فَإِنْ قُتِلَ فَرِفَاعَةُ بْنُ شَدَّادٍ. ثُمَّ بَعَثَ بَيْنَ يَدَيْهِ الْمُسَيَّبَ بْنَ نَجَبَةَ فِي أَرْبَعِمِائَةِ فَارِسٍ، فَأَغَارُوا عَلَى جَيْشِ شُرَحْبِيلَ بْنِ ذِي الْكَلَاعِ وَهُمْ غَارُّونَ، فَقَتَلُوا مِنْهُمْ جَمَاعَةً وَجَرَحُوا آخَرِينَ، وَاسْتَاقُوا نَعَمًا، وَأَتَى الْخَبَرُ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ، فَأَرْسَلَ بَيْنَ يَدَيْهِ الْحُصَيْنَ بْنَ نُمَيْرٍ فَصَبَّحَ سُلَيْمَانَ بْنَ صُرَدٍ وَجَيْشَهُ فَتَوَاقَفُوا فِي يَوْمِ الْأَرْبِعَاءِ لِثَمَانٍ بَقِينَ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى، وَحُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ قَائِمٌ فِي اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا، وَقَدْ تَهَيَّأَ كُلٌّ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ لِصَاحِبِهِ، فَدَعَا الشَّامِيُّونَ أَصْحَابَ سُلَيْمَانَ إِلَى الدُّخُولِ فِي طَاعَةِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، وَدَعَا أَصْحَابُ سُلَيْمَانَ الشَّامِيِّينَ إِلَى أَنْ يُسَلِّمُوا إِلَيْهِمْ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ زِيَادٍ فَيَقْتُلُوهُ عَنِ الْحُسَيْنِ، وَامْتَنَعَ كُلٌّ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ أَنْ يُجِيبَ إِلَى مَا دَعَا إِلَيْهِ الْآخَرَ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا عَامَّةَ يَوْمِهِمْ إِلَى اللَّيْلِ، وَكَانَتِ الدَّائِرَةُ فِيهِ لِلْعِرَاقِيِّينَ عَلَى الشَّامِيِّينَ، فَلَمَّا أَصْبَحُوا أَصْبَحَ ابْنُ ذِي الْكَلَاعِ، وَقَدْ وَصَلَ إِلَى الشَّامِيِّينَ فِي ثَمَانِيَةِ آلَافِ فَارِسٍ، وَقَدْ أَنَّبَهُ وَشَتَمَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ، فَاقْتَتَلَ النَّاسُ فِي هَذَا الْيَوْمِ
পৃষ্ঠা - ৬৮৭৫


তার৷ ত দের তব্লুশুন্া৷হুান্ারুহুব্র খাপ ভেঙে ব্লুফলল এবং ব্লুজ৷ ব্লুর ব্লুশারে হামলা শুরু করল ৷ এমনকি
৩ ৷ র৷ পতিপ ক্ষ সৈন্যদের ম ধ৷ খাব্লুন পৌছে ব্লুদ্বুা ল ৷ সিরিয়া রাসীর৷ প্রচণ্ড যুদ্ধ করতে লাগল এবং
রক্তে গড়াপড়ি খেতে লাগল ৷ ইরাকী সেনাপতি সুলাইমান ইবন সুরাদ (বা) নিহত হলেন ৷
ইয়াযীদ ইবন আল হুসাইন নামক এক ব্যক্তি তার প্রতি তীর নিক্ষেপ করেছেন ৷ তিনি
মাটিতে পড়ে ব্লুপব্লুলন,আবার উঠব্লুলন, আবার প্ন,ড়ে গেলেন ৷ আবার উঠলেনঃ, ব্লুশযবার পড়ে
গিয়ে বলতে লাগলেন, কাব৷ ঘৃব্লুরর প্রতিপালব্লুকর শপথ ! আমি সফল হয়েছি ৷ তারপর
যুসায়ব্রার ইবন নাজাবা ঝাণ্ডা হাতে নিলেন ৷ তিনি ঝাণ্ডা হাতে নিয়ে প্রচণ্ড যুদ্ধ করলেন ৷ আর
তিনি বলছিব্লুলন : ৮ , ,

ইতিমব্লুধ৷ আমি জেনে নিব্লুয়ছি যুদ্ধের উটগুলোর কপাব্লুলর চুলের বফ্তোএদখতে পেয়েছি
তাদের প্রকাশ্য বুক ও বুকের উপরাংশ ৷ নিঃসন্দেহে আমি যুদ্ধও ওভয়ের দিনটি অতিবাহিত
করছি ৷ ব্লুকশরওয়ালা হিংস্র সিংহ থেকেও আমি নিজেকে বেশী সাহসী মনে করছি ৷ আমি বন্ধু
বান্ধবব্লুদর সাহায্যকারী এবং অবাধ্যের জন্য ভীতিপ্রদ ৷”

তারপর ইবন নাজাব৷ তুমুল যুদ্ধ করলেন এবং নিহত হলেন আর নাথীদের সাথে মিলিত
হয়ে গেলেন ৷ এরপর আবদুল্লাহ ইবন সা দ ইবন নুফাইল ঝাণ্ডা উত্তোলন করলেন এবং তিনিও
তুমুল যুদ্ধ করেন ৷ ঐ সময় রাবীআ ইবন মুখারিকইরাকীব্লুদর উপর ভীষণ হামলা করে ৷
নিনিও’ আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন নুফাইল দ্বন্ধ যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং তারা দুজনেই সমান
সমান থাকেন ৷ তারপর রাবীআ এর ভাইয়ের ছেলে আবদুল্লাহ ইবন সা দের উপর প্রচণ্ড হামলা
চালায় ও তাকে ইতা৷ করে ৷ এরপর আবদুল্লাহ ইবন ওয়াল ঝাণ্ডা উত্তোলন করেন ৷ তিনি সেনা
সদস্যব্লুদরব্লুক জিহাব্লুদর জন্য উৎসাহিত করতে লাগলেন এবং বলতে লাপলেন, জান্নাতের দিকে
চণ্:৷ ৷ এটান্ আসব্লুরর পরের ঘটনা ৷ এ কথী বলতে বলতে তিনি ব্লুলাকজব্লুনর উপর হামলা
করলেন ৷ ফলে আশে পাশের লোকজন ছুত্রভঙ্গ হয়ে গেল ৷ তারপর তিনিনিহভ ৩হলেন ৷ তিনি
ছিলেন ফকীহ ও মুফভীব্লুদর অন্যতম ৷ তখনকার সময়ের সিরিয়ান সৈন্যদের আমীর আদহাম
ইবন মুহারিব আল বাহিলী তাকে হত্যা করে ৷ তারপর রিফাহ ইবন শাদ্দাদ ঝাণ্ড৷ উত্তোলন
করেন ৷ লোকজন তার সামনে থেকে হব্লুট ব্লুগব্লুলনঃ এবং অন্ধকার ব্লুনমে আসল ৷ সিরিয়ান
সৈন্যগণ তাব্লুদর আস্তানঃায় ফিরে ব্লুগব্লুলন ৷ রিফাআ ও তার সাথে যারা বাকী ছিলেন তাদেরকে
নিয়ে নিজ শহরে প্রত্যাবর্তন করলেন ৷

পরদিন যখন সিরিয়াবাসীব্লুদৱ ভোর হল তখন তারা দেখে ইরার্কীদের যারা বাকী ছিল তারা
নিজ শহরে ফিরে গিয়েছে ৷ তারা তাদের ব্লুপছব্লুন আর কাউকে প্রেরণ করেনি কেননা তাদের
নিজেদেরও বহু লোক নিহত ও আহত হয়েছিল ৷ যখন ইরাকীরা হী৩ নামক স্থুাব্লুন পৌছলেন
, তখন সা দ ইবন হুযাইফ৷ ইবন আল ইয়াম৷ ৷ন মাদায়িনবাসীব্লুদর কিছু সংখ্যক সৈন৷ নিয়ে যারা

, তার সাথে সঙ্গী হয়েছিল তাব্লুদর সাহুায্যের উদ্দোশ্য তাদের সাথে সাক্ষাত করেন ৷ কিন্তু যখন

তারা তাকে তাদের অবস্থা, তাদের উপর পতিত মুসীবত ইত্যাদির বিস্তারিত বিবরণ দিলেন,
তাদের সাথীদেব মৃত্যুর সংবাদ প্রদান করলেন তখন সা দ ও তার সাথীগদৃ৷ তুাব্লুদরকে সাজ্বনা
দিলেন ,তার জন্য মাপফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শহরে ফিরে গেলেন এবং
কুফাবাসীরাও তাদের শহরে প্রত্যাবর্তন করেন ৷


قِتَالًا لَمْ يَرَ الشِّيبُ وَالْمُرْدُ مِثْلَهُ قَطُّ، لَا يَحْجِزُ بَيْنَهُمْ إِلَّا أَوْقَاتُ الصَّلَوَاتِ إِلَى اللَّيْلِ، فَلَمَّا أَصْبَحَ النَّاسُ مِنَ الْيَوْمِ الثَّالِثِ وَصَلَ إِلَى الشَّامِيِّينَ أَدْهَمُ بْنُ مُحْرِزٍ فِي عَشَرَةِ آلَافٍ، وَذَلِكَ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا إِلَى حِينِ ارْتِفَاعِ الضُّحَى، ثُمَّ اسْتَدَارَ أَهْلُ الشَّامِ بِأَهْلِ الْعِرَاقِ وَأَحَاطُوا بِهِمْ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، فَخَطَبَ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ النَّاسَ، وَحَرَّضَهُمْ عَلَى الْجِهَادِ، فَاقْتَتَلَ النَّاسُ قِتَالًا عَظِيمًا جِدًّا، ثُمَّ تَرَجَّلَ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ وَكَسَرَ جَفْنَ سَيْفِهِ، وَنَادَى: يَا عِبَادَ اللَّهِ، مَنْ أَرَادَ الرَّوَاحَ إِلَى الْجَنَّةِ، وَالتَّوْبَةَ مِنْ ذَنْبِهِ، وَالْوَفَاءَ بِعَهْدِهِ فَلْيَأْتِ إِلَيَّ. فَتَرَجَّلَ مَعَهُ نَاسٌ كَثِيرُونَ وَكَسَرُوا جُفُونَ سُيُوفِهِمْ، وَحَمَلُوا حَتَّى صَارُوا فِي وَسَطِ الْقَوْمِ، وَقَتَلُوا مِنْ أَهْلِ الشَّامِ مَقْتَلَةً عَظِيمَةً حَتَّى خَاضُوا فِي الدِّمَاءِ، وَقُتِلَ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ، رَمَاهُ يَزِيدُ بْنُ الْحُصَيْنِ بِسَهْمٍ فَوَقَعَ، ثُمَّ وَثَبَ، ثُمَّ وَقَعَ، ثُمَّ وَثَبَ، ثُمَّ وَقَعَ، فَأَخَذَ الرَّايَةَ الْمُسَيَّبُ بْنُ نَجَبَةَ، فَقَاتَلَ بِهَا قِتَالًا شَدِيدًا، وَهُوَ يَقُولُ: قَدْ عَلِمَتْ مَيَّالَةُ الذَّوَائِبِ ... وَاضِحَةَ اللَّبَاتِ وَالتَّرَائِبِ أَنِّي غَدَاةَ الرَّوْعِ وَالتَّغَالُبِ ... أَشْجَعُ مِنْ ذِي لِبْدَةٍ مُوَاثِبِ قَطَّاعُ أَقْرَانٍ مَخُوفُ الْجَانِبِ ثُمَّ قُتِلَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فَقَضَى فِي ذَلِكَ الْمَوْقِفِ نَحْبَهُ، وَلَحِقَ صَحْبَهُ، فَأَخَذَ الرَّايَةَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ نُفَيْلٍ، فَقَاتَلَ قِتَالًا شَدِيدًا أَيْضًا وَهُوَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৬৮৭৬


তাদের মর! হতে বহু লোক মার! পেয়েছিল ৷ তবে ৩!!চ্ ! মুখতার ইবন আর উবাইদ
ক!র!!গরে !ছভ ! বিধায় (স সেখান থেকে বের হয়নি যে বিফ!আ ইবন! শাদ্দাদের কাছে তাদের
রহুলােক হত!হত হওয়ার শোক প্রকাশ করে সান্তুনা পত্র লিখন, এবং, তার! যে শ!হ!দ!তবরণ
করেছেন ও বিরাট স!ওয়!বের অধিকারী হয়েছেন তার জন্যে শ্যেকর আদায় করে সে আরে!
বলে স্ব!হৃ!তম তাদের জন! যাদেরকে আল্লাহ তা আল লাবড় পুরস্কার দান করেছেন এবং তাদের
প্রতি তু!!ল্লু!হু তা আল! সন্তুষ্ট হয়েছেন ৷ আল্লাহর শপথ ! তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে তাদের প্রতি
আল্লাহ্প্রদত্ত সওয়!ব হবে দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে য! কিছু আছে তার থেকেও অনেক বড় ৷
, সুল!ইম!ন ইবন সুর!দ (র!)৩ তার উপর ত!র্পিত দ!য়িতু যথাযথ ত্যু!দ!য় করেছেন ! তাকে আল্লাহ
উঠিয়ে নিয়ে গেছেন এবৎ৩ তার রুহকে নবী, শহীদ ও ণ্নকক!র ব!ন্দাদের রুহের সাথে সম্পৃক্ত
করে দিয়েছেন ৷৩ তার পরে আমিই !নর্ভয়য়ােণ! আমীর ! ইনশাআ আল্লাহ সন্ত্র!সী ও পর!এ মশালীদের
আমিই হৰ হ৩ ত !!কারী ৷ সুতর !ৎ৩ !৩ !মর! অগ্রসর হও, তৈরী হও এবং বিজয়ের সুসৎ বাদ গ্রহণ
করে! ৷ আমি (৩ !ম!দেরকে আল্লাহর কিতা !ব রাসুল (সা) এর সুন্নাত এর প্রতি ৩আহব!ন করছি
এবং আহলি র! !ইণ্ডে র রক্তের প্রতিশোধ নেয়ার জন! আহবান জানাচ্ছি ৷ এ ব্যাপারে সে একটি

ন!তিদীর্ঘ বক্তব! পেশ করল !


সুল!ইম!ন ইবন সুর!দ (র!) এর স!থীগণ আইনুল ওয়ারদ! নামক স্থানে সংঘটিত ঘটনার
পর মদীন!য়্ আসার পুবেই মুখত!র তাদের নিহত হওয়ার খবর একটি শয়তানের ম রফ৩
প্রচার করেছিল যে শ্!য়ত!নটি মুখত!র এর কাছে য!ত!য়!ত করত এবং তার কাছে বিভিন্ন
ধরনের গোপন স০ বাদ পরিবেশন করত ৩৷ যেমন ভণ্ডনবী মস!ইল!ম! ক!যয!বের কাছে একটি
শয়তান গোপন স০ বাদ নিয়ে আসা যাওয়া করত ! সুল!ইম!ন ইবন সুর!দ (র!) ও তার
সাথীদের নিয়ে গঠিত সেনাবাহিনীকে জাইশুত তাওয়!বীন নাম দেয়া হয়েছিল! হযরত
সুল!ইম!ন ইবন সুর!দ আল খাযরাজী (র!) একজন বড় আবিদ পরহেযগার :@% স!হ!বী
ছিলেন ৷ তিনি বেকৃত্! কয়েকটি হাদীস রাসুল (না) থেকে বর্ণন! করেন য! সহীহবুখারী, সহীহ
মুসলিম ও অন!নে! হ!দীসের কিভাবে বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি হযরত আলী (রা)-এর সাথে
সিফফিন যুদ্ধে অং!মহণ করেছিলেন ৷ তিনি এমন একয!ক্তি ছিলেন যীর, ঘরে হযরত ইমাম
ধ্ হস!ইন (রা)এর প্রতি ব!য়আত ব্যক্ত করার জন! শীয়ার! একত্রিত হয়েছিল এবং তিনি
অন্যদের সাথে হযরত ইমাম হুস!ইন (রা) এর কাছে ইরাক আগমন করার জন! পত্র
লিখেছিলেন ৷ যখন হয৩ ত হুস!ইন (র!) ইরাকের সীমানায় আগমন করেন তখন তার! তার
থেকে পৃথক হয়ে যায় ! এরপর হযরত ইমাম হুস!ইন (র!) ক!রব!ল! প্র!ন্তার শ্!!হাদ!ত বরণ
করেন ! তার! অনুভব করল যে, হযরত ইমাম হুস!ইন (র!) এর আগমনের কারণ ছিল
ত!দেরই আহবান ! আর তারাই শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গ ত্যাগ করে ! ফলে তিনি ও তার পরিবার-
পবিজন সাথীর!সহ নৃশৎ সভ!বে নিহত হন ! তার! হযরত ইমাম হুস! !ইন (রা)-এর সাথে যেরুপ
ব্যবহার করেছে ত! স্মরণ করে তার! অত্যন্ত লজ্জিত হয় ৷
এরপর তার! বিরাট সেনাবাহিনী সৎ হ করে এবং এ সেনাবাহিনীর নাম দিয়েছিল জ!ইশুত
তাওয়!বীন’ আর তাদের আমীর সুল!ইম!ন ইবন সুর!দ (রা) কে নাম দিয়েছিল আমীরুত
তাওয়!বীন ! এ ঘটনাটি আইনুল ওয়ারদ! নামক স্থানে ৬৫ হিজরীতে স০ ঘটিত হয় এবৎএ


رَحِمَ اللَّهُ أَخَوَيَّ، مِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ، وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا. وَحَمَلَ حِينَئِذٍ رَبِيعَةُ بْنُ الْمُخَارِقِ عَلَى أَهْلِ الْعِرَاقِ حَمْلَةً مُنْكَرَةً، وَتَبَارَزَ هُوَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ نُفَيْلٍ، ثُمَّ اتَّحَدَا فَحَمَلَ ابْنُ أَخِي رَبِيعَةَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ فَقَتَلَهُ، ثُمَّ احْتَمَلَ عَمَّهُ، فَأَخَذَ الرَّايَةَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَالٍ، فَحَرَّضَ النَّاسَ عَلَى الْجِهَادِ، وَجَعَلَ يَقُولُ: الرَّوَاحَ إِلَى الْجَنَّةِ. وَذَلِكَ بَعْدَ الْعَصْرِ، وَحَمَلَ بِالنَّاسِ فَفَرَّقَ مَنْ كَانَ حَوْلَهُ، ثُمَّ قُتِلَ، وَكَانَ مِنَ الْفُقَهَاءِ الْمُفْتِينَ، قَتَلَهُ أَدْهَمُ بْنُ مُحْرِزٍ الْبَاهِلِيُّ أَمِيرُ الْحَرْبِ سَاعَتَئِذٍ مِنْ جِهَةِ الشَّامِيِّينَ، فَأَخَذَ الرَّايَةَ رِفَاعَةُ بْنُ شَدَّادٍ، فَانْحَازَ بِالنَّاسِ، وَقَدْ دَخَلَ الظَّلَامُ، وَرَجَعَ الشَّامِيُّونَ إِلَى رِحَالِهِمْ، وَانْشَمَرَ رِفَاعَةُ بِمَنْ بَقِيَ مَعَهُ رَاجِعًا إِلَى بِلَادِهِ، فَلَمَّا أَصْبَحَ الشَّامِيُّونَ إِذَا الْعِرَاقِيُّونَ قَدْ كَرُّوا رَاجِعِينَ إِلَى بِلَادِهِمْ، فَلَمْ يَبْعَثُوا وَرَاءَهُمْ طَلَبًا وَلَا أَحَدًا، فَقَطَعَ رِفَاعَةُ بِمَنْ مَعَهُ الْخَابُورَ وَمَرَّ عَلَى قَرْقِيسِيَا، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ زُفَرُ بْنُ الْحَارِثِ الطَّعَامَ وَالْعَلَفَ وَالْأَطِبَّاءَ فَأَقَامُوا ثَلَاثًا حَتَّى اسْتَرَاحُوا ثُمَّ رَحَلُوا، فَلَمَّا وَصَلُوا إِلَى هِيتَ إِذَا سَعْدُ بْنُ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ قَدْ أَقْبَلَ بِمَنْ مَعَهُ مِنْ أَهْلِ الْمَدَائِنِ قَاصِدِينَ إِلَى نُصْرَتِهِمْ، فَلَمَّا أَخْبَرُوهُ بِمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ، وَمَا حَلَّ بِهِمْ، وَنَعَوْا إِلَيْهِ أَصْحَابَهُمْ تَرَحَّمُوا عَلَيْهِمْ وَاسْتَغْفَرُوا لَهُمْ وَتَبَاكَوْا عَلَى إِخْوَانِهِمْ، وَانْصَرَفَ أَهْلُ الْمَدَائِنِ إِلَيْهَا، وَرَجَعَ رَاجِعَةُ أَهْلِ الْكُوفَةِ إِلَيْهَا، وَقَدْ قُتِلَ مِنْهُمْ خَلْقٌ كَثِيرٌ وَجَمٌّ غَفِيرٌ، وَإِذَا الْمُخْتَارُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ كَمَا هُوَ فِي السِّجْنِ لَمْ يَخْرُجْ مِنْهُ بَعْدُ، فَكَتَبَ إِلَى رِفَاعَةَ بْنِ شَدَّادٍ يُعَزِّيهِ فِيمَنْ قُتِلَ
পৃষ্ঠা - ৬৮৭৭
مِنْهُمْ وَيَتَرَحَّمُ عَلَيْهِمْ، وَيَغْبِطُهُمْ بِمَا نَالُوا مِنَ الشَّهَادَةِ وَجَزِيلِ الثَّوَابِ، وَيَقُولُ: مَرْحَبًا بِالَّذِينِ أَعْظَمَ اللَّهُ أُجُورَهُمْ، وَرَضِيَ عَنْهُمْ، وَاللَّهِ مَا خَطَا مِنْهُمْ أَحَدٌ خُطْوَةً إِلَّا كَانَ ثَوَابُ اللَّهِ لَهُ فِيهَا أَعْظَمَ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا، وَإِنَّ سُلَيْمَانَ قَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ، وَتَوَفَّاهُ اللَّهُ وَجَعَلَ رُوحَهُ فِي أَرْوَاحِ النَّبِيِّينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ، وَبَعْدُ فَأَنَا الْأَمِيرُ الْمَأْمُونُ، قَاتِلُ الْجَبَّارِينَ وَالْمُفْسِدِينَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، فَأَعِدُّوا وَاسْتَعَدُّوا وَأَبْشِرُوا، وَأَنَا أَدْعُوكُمْ إِلَى كِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ رَسُولِهِ، وَالطَّلَبِ بِدِمَاءِ أَهْلِ الْبَيْتِ. وَذَكَرَ كَلَامًا كَثِيرًا فِي هَذَا الْمَعْنَى، وَقَدْ كَانَ قَبْلَ قُدُومِهِمْ أَخْبَرَ النَّاسَ بِهَلَاكِهِمْ عَنْ رَئِيِّهِ الَّذِي كَانَ يَأْتِي إِلَيْهِ مِنَ الشَّيَاطِينِ، فَإِنَّهُ قَدْ كَانَ يَأْتِيهِ شَيْطَانٌ فَيُوحِي إِلَيْهِ قَرِيبًا مِمَّا كَانَ يُوحِي شَيْطَانُ مُسَيْلِمَةَ إِلَيْهِ. وَكَانَ جَيْشُ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ وَأَصْحَابِهِ يُسَمَّى بِجَيْشِ التَّوَّابِينَ. وَقَدْ كَانَ سُلَيْمَانُ بْنُ صُرَدٍ الْخُزَاعِيُّ أَبُو مُطَرِّفٍ الْكُوفِيُّ صَحَابِيًّا جَلِيلًا نَبِيلًا عَابِدًا زَاهِدًا، رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَادِيثَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمَا، وَشَهِدَ مَعَ عَلِيٍّ صِفِّينَ، وَكَانَ أَحَدُ مَنْ كَانَ يَجْتَمِعُ الشِّيعَةُ فِي دَارِهِ لِبَيْعَةِ الْحُسَيْنِ، وَكَتَبَ إِلَى الْحُسَيْنِ فِيمَنْ كَتَبَ بِالْقُدُومِ إِلَى الْعِرَاقِ، فَلَمَّا قَدِمَهَا تَخَلَّوْا عَنْهُ، وَقُتِلَ بِكَرْبَلَاءَ، وَرَأَى هَؤُلَاءِ أَنَّهُمْ كَانُوا سَبَبًا فِي قُدُومِهِ، وَأَنَّهُمْ خَذَلُوهُ حَتَّى قُتِلَ هُوَ وَأَهْلُ بَيْتِهِ، فَنَدِمُوا عَلَى مَا فَعَلُوا، ثُمَّ اجْتَمَعُوا فِي هَذَا الْجَيْشِ،
পৃষ্ঠা - ৬৮৭৮


হাটনায় সুলাইমান ইবন সুরাদ (রা) নিহত হ্ন্৷ ৷ কেই কেউ বলেন, এ হুটিনাটি সষ্ ঘটিত
হয়েছিল ৬৭ হিজবীতে ৷ প্রথম অভিমতটি বিশুদ্ধতর ৷ তিনি নিহত হওয়ার দিন তার বয়স ছিল
৯৩ বছর ৷ তার শির ম্বারক ও আল মুসায়া৷ব ইবন নাজাবার শির, ঘটনার পর মারওয়ান
ইবনুল হকােমের কাছে পাঠানো হয় ৷ সিরিয়ার ন্আমীররা মারওয়ানের কাছে তাদের শত্রুদের
উপর বিজয় লাভের খবরটি পত্রের মারফত জানায় ৷ তারপর মারওয়ান লোকজনের সামনে
খুতবা পাঠ করলেন এবং তার সেনাবাহিনীর বিজয় ও ইরাকের যারা নিহত হয়েছেনঃ তাদের
কথা জানিয়ে দিলেন ৷ তিনি বললেন, বিভ্রান্তির্তে লিপ্ত লোকদের প্রধান সুলাইমান ইবন সুরাদ
(রা) ও তার সাথীদেরকে আল্লাহ ধ্ব স করে দিয়েছেন ৷’ তাদের কয়েকজনের মাথা
দামেশৃকের রাজপথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল ৷ মারওয়ান ইবনুল হাকাম তার পুত্র আবদুল
মালিকের জন্য খিলাফতের মনোনয়ন দান করেছিলেন ৷ আবদুল মালিকের পরে আবদুল
আযীয যে খলীফ৷ হবেন এটারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল ৷ এ বছরেই এ ব্যাপারে আষীরদেব
থেকে বায়আত নেয়া হয়েছিল ৷ উপরোক্ত বক্তব্যটি ইবন জারীর (র) প্রমুখের ৷
এ বছরেই মারওয়ান ইবনুল ন্হাকাম ও আমর ইবন সাঈদ আল আশদাক মিশরের

শহরগুলােতে প্রবেশ করে এবং আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)-এর পক্ষ থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত
নায়িব আবদুর রহমান ইবন জাহদাম এর হাত থেকে এগুলাের কর্তৃত্ব হস্তগত করেন ৷
মারওয়ান যখন মিশরের উদ্দেশ্যে রওয়ান৷ হন সেখানকার নায়িব আবদুর রহমান ইবন
জাহদাম বের হয়ে আসেন এবং মারওয়ানের সাথে মুকাবিলা করেন ৷ দুজনের মধ্যে ভীষণ
লড়াই স ত্ঘর্টিত হয় ৷ অন্যদিকে আমর ইবন সাঈদ একদল সৈন্য নিয়ে আবদুর রহমান ইবন
জাহদামের পেছন দিক দিয়ে মিসরে প্রবেশ করে এবং মিসর দখল করে নেয় ৷ আবদুর রহমান
পালিয়ে যান এবং মারওয়ানঃও মিশরে প্রবেশ করে তা দখল করে নেন ৷ আর সেখানে তার পুত্র
আবদুল আযীযকে শাসনকর্তা নিয়োর্গকরেন ৷

এ বছরই আবদুল্লাহ ইবন যুবইির (রা)৩ তার ভাই মুসআব (রা) কে সিরিয়া জয় করার জন্য
প্রেরণ করেন ৷ আর অন্য দিকে মারওয়ানও আমর ইবন সাঈদকে প্রেরণ করেন৷ তারা
দুইজনে ফিলিস্তিনে একে অন্যের মোকাবিলা করেন ৷ মুসআব ইবন যুবাইর (বা) সেখান থেকে
পালিয়ে যান ৷ এভাবে মিশর ও সিরিয়ার মারওয়ানের একচ্ছত্র অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় ৷
ওয়াকিদী (র) বলেন, মারওয়ান যখন মিসর অবরোধ করেছিলেন আবদুর রহমান ইবন
জ্যহদাম শহরে একটি পরিখা খনন করেছিল এবং মিশরের বাসিন্দাদেরকে নিয়ে মারওয়ানের
সাথে যুদ্ধ করার জন্য সে বের হয়ে এসেছিলেন ৷ তাদের এক দল যুদ্ধ করত আর অন্যদল
বিশ্রাম নিত ৷ আবার একদল বিশ্রাম করত আর অন্যদল যুদ্ধ করত ৷ এজন্য ঐ দিনটিকে
“ইয়াওমুত তারাবীহ বলা হত ৷ শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে এ যুদ্ধটি চলতে ছিল-াতাই

তাদের বহুলোক নিহত হয় ৷ ঐদিন আবদুল্লাহ ইবন ইয়াযীদ ইবন মাদীকারাব আর কালাঈ
নিহত হন ৷ তিনি একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন ৷ তারপর আবদুর রহমান মারওয়ানের সাথে এ
মর্মে সন্ধি করেন যে, তিনি তার অর্থ সম্পদ ও পরিবার পরিজন নিয়ে মক্কায় চলে যাবেন ৷
মার ওয়ান এ চুক্তিতে সম্মতি দেন এবং মিশরের বাসিন্দাদের জন্য একটি নিরাপত্তানামা নিজ
হাতে লিখে দেন ৷ মিশরের জনগণ ছত্রভঙ্গ হয়ে যান এবং তাদের মৃত ব্যক্তিদের দাফন করতে
লেগে যান ও আহাজারি করতে থাকেন ৷ ঐদিন মারওয়ান ৮০জন লোককে হত্যা করেছিলেন ৷
কেননা তারা মারওয়ানের বায়আত গ্রহণ করেনি ৷ আল উকায়দির ইবন হামালাতাহ আল


وَسَمَّوْا جَيْشَهُمْ جَيْشَ التَّوَّابِينَ، وَسَمَّوْا سُلَيْمَانَ بْنَ صُرَدٍ أَمِيرَ التَّوَّابِينَ، فَقُتِلَ سُلَيْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي هَذِهِ الْوَقْعَةِ بِعَيْنِ وَرْدَةَ، سَنَةَ خَمْسٍ وَسِتِّينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ سَبْعٍ وَسِتِّينَ. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ. وَكَانَ عُمْرُهُ يَوْمَ قُتِلَ ثَلَاثًا وَتِسْعِينَ سَنَةً، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَأَمَّا الْمُسَيَّبُ بْنُ نَجَبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ الْفَزَارِيُّ، فَإِنَّهُ قَدِمَ مَعَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ مِنَ الْعِرَاقِ وَشَهِدَ فَتْحَ دِمَشْقَ، ثُمَّ عَادَ إِلَى الْعِرَاقِ وَشَهِدَ مَعَ عَلِيٍّ صِفِّينَ وَغَيْرِهَا، وَكَانَ أَحَدَ الْكِبَارِ الَّذِينَ خَرَجُوا يَطْلُبُونَ بِدَمِ الْحُسَيْنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَحُمِلَ رَأْسُهُ وَرَأْسُ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ إِلَى مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ بَعْدَ الْوَقْعَةِ، وَكَتَبَ أُمَرَاءُ الشَّامِيِّينَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ بِمَا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ، وَأَظْفَرَهُمْ مِنْ عَدُوِّهِمْ، فَخَطَبَ النَّاسَ، وَأَعْلَمَهُمْ بِمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ الْجُنُودِ وَمَنْ قُتِلَ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَقَدْ قَالَ: أَهْلَكَ اللَّهُ رُءُوسَ الضُّلَّالِ ; سُلَيْمَانَ بْنَ صُرَدٍ وَأَصْحَابَهُ. وَعَلَّقَ الرُّءُوسَ بِدِمَشْقَ. وَكَانَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ قَدْ عَهِدَ بِالْأَمْرِ مِنْ بَعْدِهِ إِلَى وَلَدَيْهِ ; عَبْدِ الْمَلِكِ، ثُمَّ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَأَخَذَ بَيْعَةَ الْأُمَرَاءِ عَلَى ذَلِكَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. قَالَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ. وَفِيهَا دَخَلَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ وَعَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ الْأَشْدَقُ إِلَى الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ،
পৃষ্ঠা - ৬৮৭৯

লাখমীকেও হত্যা করা হয়েছিল ৷ কেননা সে ছিল হযরত উসমান (রা) এর হতব্রাকারীদের
একজন ৷ আর এ ঘটন টি ঘটেছিল জমাদিউস সানী মাসের ১৫ তারিখ ৷ ঐদিন আবদুল্লাহ
ইবন আমর ইবনুল আন (বা ) ইনতিক ল করেন ৷ কিন্তু জা নায৷ নিয়ে কেউ বের হবার সাহস
করল না ৷ শেষ পর্যন্ত তাকে তার ঘরেই দাফন করতে হয়েছিল ৷ এভাবে মারওয়ান মিশরে
অধিকার প্রতিষ্ঠিত করলেন এবং এক মাস সেখানে অবস্থান করলেন ৷ তারপর সেখানে তার
পুত্র আবদুল আযীযকে শ্া৷সনকর্তা নিযুক্ত করলেন এবং তার ভাই বশর ইবন মারওয়ান ও মুসা
ইবন হুসায়নকে তার সাহায্যকারী হিস্যেব রেখে আসলেন ৷ নতুন আমীরকে মুরুববীদের প্রতি
ইহসান করার জন্য ওসীয়ত করলেন ৷ তারপর তিনি সিরিয়ার ফিরে আসলেন ৷

এ বছরেই মারওয়ান দুইটি সৈন্যদল প্রস্তুত করেন ৷ একটি সৈন্যদলকে হুবাইশ ইবন দালজা
আল উতাইবীর অধীনে মদীনা পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রেরণ করেন ৷ অন্য একটি দলকে
উবাইদুল্লাহ্ ইবন যিয়াদের অধীনে আবদুল্লাহ্ ইবন যুবাইর (রা)এর নিয়ন্ত্রণ হতে পুনরুদ্ধারের

জন্য ইরাকে প্রেরণ করেন ৷ যখন সৈন্যদলটি রাস্তায় বের হয় তখন সুল৷ ৷াইম ৷ন ইবন সুরাদ (রা)
এর নেতৃত্বে পরিচালিত জাইশুত৩ ৷ওয়াবীনের সাথে তাদের যুকা ৷বিলা হয় ৷ ইতিপুর্বে এর বিবরণ
আলোচিত হয়েছে ৷ সিরিয়ার সৈন্যরা ইরাকের দিকে তাদের অগ্রযাত্র৷ অব্যাহত রাখে ৷ যখন
বা জাযীরায় পৌছে তখন তাদের কাছে মারওয়ান ইবনুল হাকামের মৃত্যু সংবাদ পৌছে ৷

এ বছরের রায়যান মাসেই তার মৃত্যু ঘটেছিল ৷ তার মৃত্যুর কারণ সম্বন্ধে কথিত আছে যে,
তিনি ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার ত্রী খালিদের মাতাকে বিবাহ করেছিলেন ৷ তার নাম ছিন্নুউম্মে
হাশিম বিনত হশিম ইবন উতব৷ ইবন রাবীআ ৷ মারওয়ান তাকে বিয়ে করার উদ্দেশ্য ছিল
মানুষের চোখে তার পুত্র খালিদকে হেয় প্রতিপন্ন করা ৷ কেননা অনেক লোকের অন্তরে ’

খালিদের প্রতি শ্রদ্ধা ছিল এবং৩ তারা চেয়েছিল যাতে তার ভাই মুআবিয়ার মৃত্যুর পর তাকে
যেন খলীফা নির্বাচিত করা হয় ৷ তাই তার এ খিলাফতের বিষয়টি বানচাল করার জন্য৩ তিনি

তার বিধবা মাতাকে বিবাহ করেন ৷ একদিন খালিদ মারওয়ানেব দরবারে প্রবেশ করেন ৷
মারওয়ান তার সভাসদবর্গকে নিয়ে কথা বলছিলেন ৷ খালিদ যখন সেখানে বললেন মারওয়ান
তখন তাকে তিরস্কার করে বললেন, হে অমুক মহিলার ছেলে ! খালিদ তখন রেগে গেলেন
এবং মায়ের কাছে গমন করলেন ৷ আর মারওয়ান তাকে যা বলেছেন তা তার মায়ের কাছে
ব্যক্ত করলেন ৷ তার মাতা তখন বলেন, তুমি যে আমাকে তা রএ অসদ্ব্যবহারের কথা জানিয়েছ
তার কাছে এটা বলবে না, এটাকে গোপন রাখবে ৷

এরপর মারওয়ান যখন খালিদের মায়ের ঘরে প্রবেশ করলেন তখন মারওয়ান তাকে

বললেন, খালিদ কি তোমার কাছে আমার কোন বদনাম করেছে ? খালিদের মাতা বললেন, যে
তোমার সম্পর্কে খারাপ কিছু কেমন করে বলবে ? সেতো তোমাকে ভালবাসে এবং তোমাকে
অত্যন্ত শ্রদ্ধা করে ৷ তারপর মারওয়ান খ৷ লিদের মায়ের কাছে শয্যা গ্রহণ করেন ৷ যখন তিনি
ঘুমিয়ে পড়েন তখন খালিদের মাতা একটি বড় বালিশ হাতে নিলেন, এটা তার মুখের উপর
রেখে দিলেন ৷ বালিশের উপর তিনি ৩৩ তার দাসীরা চড়ে বললেন ৷ এতে ৩নিঃশ্বাস অটিকিয়ে
মারওয়ান মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷ এ ঘটনাটি দামেশক শহরে ৬৫ হিজরীর রমযা ন মাসের তিন
তারিখ সং ঘটিত হয়েছিল ৷ আর তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর ৷ কেউ কেউ বলেন, তার বয়স
হয়েছিল ৮১ বছর ৷ মারওয়ানের খিলাফ৩ কাল ছিল মাত্র নয় মাস, কেউ কেউ বলেন, তার
খিলাফতকা ৷ল ছিল তিন দিনের কম ১০ মাস ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া-৫৯

فَأَخَذَاهَا مِنْ يَدِ نَائِبِهَا الَّذِي كَانَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَهُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جَحْدَمٍ، وَكَانَ سَبَبَ ذَلِكَ أَنَّ مَرْوَانَ قَصَدَهَا، فَخَرَجَ إِلَيْهِ نَائِبُهَا ابْنُ جَحْدَمٍ، فَقَابَلَهُ مَرْوَانُ لِيُقَاتِلَهُ، فَاشْتَغَلَ بِهِ، وَخَلَصَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ بِطَائِفَةٍ مِنَ الْجَيْشِ مِنْ وَرَاءِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جَحْدَمٍ، فَدَخَلَ مِصْرَ، فَمَلَكَهَا، وَهَرَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَدَخَلَ مَرْوَانُ إِلَى مِصْرَ، فَمَلَكَهَا وَجَعَلَ عَلَيْهَا وَلَدَهُ عَبْدَ الْعَزِيزِ بْنَ مَرْوَانَ. وَفِيهَا بَعَثَ ابْنُ الزُّبَيْرِ أَخَاهُ مُصْعَبًا لِيَفْتَحَ لَهُ الشَّامَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ مَرْوَانُ عَمْرَو بْنَ سَعِيدٍ، فَتَلَقَّاهُ إِلَى فِلَسْطِينَ، فَهَرَبَ مِنْهُ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَكَرَّ رَاجِعًا، وَلَمْ يَظْفَرْ بِشَيْءٍ، وَاسْتَقَرَّ مُلْكُ الشَّامِ وَمِصْرَ لِمَرْوَانَ. وَفِيهَا جَهَّزَ مَرْوَانُ جَيْشَيْنِ ; أَحَدُهُمَا مَعَ حُبَيْشِ بْنِ دُلَجَةَ الْقَيْنِيِّ لِيَأْخُذَ لَهُ الْمَدِينَةَ، وَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا سَنَذْكُرُهُ، وَالْآخَرُ مَعَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ إِلَى الْعِرَاقِ
পৃষ্ঠা - ৬৮৮০
لِيَنْتَزِعَهُ مِنْ نُوَّابِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَلَمَّا كَانُوا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ لَقُوا جَيْشَ التَّوَّابِينَ مَعَ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ، وَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ مَا ذَكَرْنَاهُ عِنْدَ عَيْنِ الْوَرْدَةِ ; قَتَلُوا أَكْثَرَ أَصْحَابِ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ مَعَهُ وَاسْتَمَرُّوا ذَاهِبِينَ فَلَمَّا كَانُوا بِالْجَزِيرَةِ بَلَغَهُمْ مَوْتُ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَانَ سَبَبُ مَوْتِهِ أَنَّهُ تَزَوَّجَ بِأُمِّ خَالِدٍ امْرَأَةِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَهِيَ أُمُّ هَاشِمٍ بِنْتُ هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَإِنَّمَا أَرَادَ مَرْوَانُ بِتَزْوِيجِهِ إِيَّاهَا لِيُصَغِّرَ ابْنَهَا خَالِدًا فِي أَعْيُنِ النَّاسِ، فَإِنَّهُ قَدْ كَانَ فِي نُفُوسِ كَثِيرٍ مِنَ النَّاسِ مِنْهُ أَنْ يُمَلِّكُوهُ بَعْدَ أَخِيهِ مُعَاوِيَةَ، فَتَزَوَّجَ أُمَّهُ لِيُصَغِّرَ أَمْرَهُ، فَبَيْنَمَا هُوَ ذَاتَ يَوْمٍ دَاخِلٌ إِلَى عِنْدِ مَرْوَانَ، إِذْ جَعَلَ مَرْوَانُ يَتَكَلَّمُ فِيهِ عِنْدَ جُلَسَائِهِ، فَلَمَّا جَلَسَ قَالَ لَهُ فِيمَا خَاطَبَهُ بِهِ: يَابْنَ الرَّطْبَةِ الِاسْتِ. فَذَهَبَ خَالِدٌ إِلَى أُمِّهِ، فَأَخْبَرَهَا بِمَا قَالَ لَهُ، فَقَالَتْ: اكْتُمْ ذَلِكَ، وَلَا تُعْلِمْهُ أَنَّكَ أَعْلَمْتَنِي بِذَلِكَ. فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهَا مَرْوَانُ قَالَ لَهَا: هَلْ ذَكَرَنِي خَالِدٌ عِنْدَكِ بِسُوءٍ؟ فَقَالَتْ لَهُ: وَمَا عَسَاهُ يَقُولُ لَكَ وَهُوَ يُحِبُّكُ وَيُعَظِّمُكَ. ثُمَّ إِنَّ مَرْوَانَ رَقَدَ عِنْدَهَا، فَلَمَّا أَخَذَهُ النَّوْمُ عَمَدَتْ إِلَى وِسَادَةٍ، فَوَضَعَتْهَا عَلَى وَجْهِهِ، وَتَحَامَلَتْ عَلَيْهَا هِيَ وَجَوَارِيهَا حَتَّى مَاتَ غَمًّا، وَكَانَ ذَلِكَ فِي ثَالِثِ شَهْرِ رَمَضَانَ سَنَةَ خَمْسٍ وَسِتِّينَ بِدِمَشْقَ، وَلَهُ مِنَ الْعُمْرِ ثَلَاثٌ وَسِتُّونَ سَنَةً. وَقِيلَ: إِحْدَى وَسِتُّونَ وَقِيلَ: إِحْدَى وَثَمَانُونَ سَنَةً. وَكَانَتْ إِمَارَتُهُ تِسْعَةَ أَشْهُرٍ. وَقِيلَ: عَشَرَةَ أَشْهُرٍ إِلَّا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ.
পৃষ্ঠা - ৬৮৮১


তার পুর্ণনাম ছিল মারওয়ান ইবনুল হাকাম ইবন আবু আল ইবন উমাইয়া ইবন আবদি
শামস ইবন আবদি মানাফ আল কুরাশী আল উমামী ৷৩ তার কুনিয়ত ছিল আবুল হাকাম ৷
আবার কেউ কেউ বলেন আবুল কাসিম ৷ অনেকের মতে তিনি ছিলেন একজন সাহাবী ৷
কেননা তিনি রাসুল (সা) এর জীবদ্দশায় জন্মগ্রহণ করেন ৷ হুদাইবিয়ার সন্ধি সম্পর্কে তার
একটি বর্ণনা রয়েছে ৷ বুখারী শরীফেও মারওয়ান এবং আল মিসওয়ার ইবন মাখরাম৷ হতে
একটি বর্ণনা পেশ করেন ৷ মারওয়ান হযরত উমর (রা) ও হযরত উসমান (রা) হতে হাদীস
বর্ণনা করেন ৷ তিনি হযরত উসমান (র)-এর সচিব (কাতিব) ছিলেন ৷ তিনি হযরত আলী (রা)
ও ন্যায়দ ইবন সাবিত (রা)-এর আযদীয়ারও কাতিব ছিলেন ৷ বাসীরা তার শাশুড়ী ছিলেন ৷
আবু আহমদ আল হাকিম বলেন, তিনি ছিলেন তার খালা ৷ একজন খালা ও শাশুড়ী উভয়টাই
হতে পারেন ৷ কেননা একটি অন্যটির বিপরীত নয় ৷
তার থেকে যারা হাদীস বর্ণনা করেছেন তাদের মধ্যে তার পুত্র আবদুল মালিক, সহল ইবন
সা দ, সাঈদ ইবনুল মুসাইয়া৷ব, উরওয়া ইবনুয যুবইির, আলী ইবনুল হুসাইন ওরফে যাইনুল
আবেদীন, মুজাহিদ প্রমুখ প্রসিদ্ধ ৷
আল ওয়াকিদী (র) ও মুহাম্মদ ইবন স৷ দ বলেন, তিনি রাসুল (সা) কে পেয়েছেন কিন্তু
তার থেকে কোন হাদীস সংরক্ষণ করেন নি ৷ রাসুল (সা) যখন ইনতিকাল করেন তখন তার
বয়স ছিল ৮ বছর ৷ ইবন সা দ তাকে তাবিঈনদের প্রথম স্তরের গণ্য করেছেন ৷ মারওয়ান
কুরায়শদের সর্দার ও জ্ঞানী লোকদের অন্যতম ছিলেন ৷ ইবন আসাকির প্রমুখ বর্ণনা করেন,
উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) একবার এক মহিলার জন্য তার মায়ের কাছে প্রস্তাব পেশ করেন ৷
মহিলার মাত ৷ বলেন, তাকে অন্য যারা প্রস্তাব দিয়েছেন তারা হলেন জাৰীর ইবন আবদুল্লাহ
আল বাজালী (বা) ৷ তিনি প্রাচ্যের যুবকদের সর্দার অন্যজন মারওয়ান ইবনুল হাকাম (রা)৩ তিনি
হলেন কুরায়শদের যুবকদের সর্দার ৷ আর তৃতীয় হলেন আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রা) যার সম্বন্ধে
আপনি নিজজেই অবগত রয়েছেন ৷ মহিলার মাত৷ আরো বলেন, হে আমীরুল মু মিনীন ! আপনি
কি আমার মেয়েকে গ্রহণ করবেন ? উমর (রা) বললেন, হ্যা মহিলার মাতা বললেন, হে
আমীরুল মু মিনীন ! আযিতাকে আপনার নিকাহতে সমর্পণ করলাম ৷
হযরত উসমান (বা) মারওয়ানকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতেন ৷ মারওয়ান তার সচিব ছিলেন ৷
তার সামনেই গৃহবন্দীর ঘটনা প্রকাশ পেয়েছিল ৷ আর মারওরালের পুর্বে নিজ গৃহে অবরুদ্ধ
হয়ে পড়েছিলেন ৷ বিদ্রোহীরা বারবার দাবী করছিল যেন মারওয়ানকে তাদের কাছে সােপর্দ
কৰী হয়৷ কিন্তু হযরত উসমান (রা) তাদের এ দাবীকে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেন ৷
মারওয়ান গৃহবন্দীর দিন প্রচণ্ড সংগ্র গ্রাম করেছিলেন ৷ কিছু খারিজীদেরকেও তিনি হত্যা
, করেছিলেন ৷ আর উ ষ্টের যুদ্ধের দিন তিনি সেনাবাহিনীর মাইসারা বা নাম পা৷র্শ্বর দায়িত্বে
কর্তব্য পালন করেছিলেন ৷ কথিত আছে যে, তিনিই হযরত তালহ৷ (রা) কে হাটুা৩ তীর বিদ্ধ
করেছিলেন এবং হত্যা করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ই অধিক পরিজ্ঞাত ৷
আবুল হাকাম বলেন, আমি ইমাম শাফিঈ (র)-কে বলতে শুনেছি, উৰ্ষ্ট্ৰর যুদ্ধের দিন যখন

লোকজন পরাজয় বরণ করে তখন হযরত আলী (রা) মারওয়ান সম্পর্কে বারবার খবর নিচ্ছিলেন ৷ ,


[تَرْجَمَةُ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ جَدِّ خُلَفَاءِ بَنِي أُمَيَّةَ الَّذِينَ كَانُوا بَعْدَهُ] وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ جَدِّ خُلَفَاءِ بَنِي أُمَيَّةَ الَّذِينَ كَانُوا بَعْدَهُ هُوَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ الْقُرَشِيُّ الْأُمَوِيُّ، أَبُو عَبْدِ الْمَلِكِ، وَيُقَالُ: أَبُو الْحَكَمِ. وَيُقَالُ: أَبُو الْقَاسِمِ. وَهُوَ صَحَابِيٌّ عِنْدَ طَائِفَةٍ كَثِيرَةٍ ; لِأَنَّهُ وُلِدَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَوَى عَنْهُ فِي حَدِيثِ صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ، وَفِي رِوَايَةٍ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ "، عَنْ مَرْوَانَ وَالْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، الْحَدِيثَ بِطُولِهِ. وَرَوَى عَنْ عُمَرَ، وَعُثْمَانَ، وَكَانَ كَاتِبُهُ، وَعَلِيٍّ، وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، وَبُسْرَةَ بِنْتِ صَفْوَانَ الْأَسَدِيَّةِ، وَكَانَتْ حَمَاتَهُ. وَقَالَ الْحَاكِمُ أَبُو أَحْمَدَ: كَانَتْ خَالَتَهُ. وَلَا مُنَافَاةَ بَيْنَ كَوْنِهَا حَمَاتَهُ وَخَالَتَهُ. وَرَوَى عَنْهُ ابْنُهُ عَبْدُ الْمَلِكِ، وَسَهْلُ بْنُ سَعْدٍ، وَسَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَعَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ زَيْنُ الْعَابِدِينَ، وَمُجَاهِدٌ وَغَيْرُهُمْ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَمُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَدْرَكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يَحْفَظْ عَنْهُ شَيْئًا، وَكَانَ عُمْرُهُ ثَمَانِيَ سِنِينَ حِينَ تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَذَكَرَهُ ابْنُ سَعْدٍ فِي الطَّبَقَةِ الْأُولَى مِنَ التَّابِعِينَ. وَقَدْ كَانَ مَرْوَانُ مِنْ سَادَاتِ قُرَيْشٍ وَفُضَلَائِهَا.
পৃষ্ঠা - ৬৮৮২


তখন তাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন বল্পা হল ৷ উত্তরে তিনি বললেন, আত্মীরতার সম্পর্ক বারবার
আমাকে তার প্রতি নাড়া দিচ্ছে ৷ তিনি হলেন কুব,ায়ব্রুা যুবকদের সর্দারা
ইবনুল মৃবারক (র) আবীর ইবন হায়িম এর বরাতে ক,াৰীসা ইবন জাবির (বা) হতে বর্ণনা
কারনা র্ডিংসৌং আমীর মু আবিয়া (রা) কে বললেন, আপনার পরে এাহ্ালাফতের জন্য
অম্নানি কাৰে রেখে যাচ্ছেন ? তিনি বললেন, যিনি আল্লহের কিতাবের তিলাওয়াতকারী,
আল্লাহর দীনের যস্ফীহ এবং আল্লাহ্র বিধিনিয়েব বাস্তবায়ান কঠোর, তিনি হলেন মারওয়ান
ইবনুল হাকাম ৷ একাধিকবার তিনি তাক,মদীনার শাসনকর্তা নিয়োগ করেছিলেনাৰুভীকে
ন্ বরখাস্ত করেছিলেনা আবার নিয়োগ তিঃয়ছিলেনা বিজ্যি সালে তিনি,ালাকজনকে নিয়ে হজ্জ
আদায় করেন ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, “মারওয়ান বিচারপতি ছিলেন ৷ তিনি হযরত, উমর
ইবনুল পাত্তাব (রা)ণ্এর বি,চারের অনুকরণ :ও অনুসরণ করতেনা” ণ্
ইবন ওহাব বলেন, আমি ইমাম মালিক (র)-াক বলতে র্দুশু,নেছিা এক্,দিন মারওয়ানর
ব্যাপারে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়, মারওরান বলেকাি, “চল্লিশ বছর য়্াৰৎ আল্লাহ্র
কিতাব অধ্যয়ন করেছিা তারপর যা তুমিাদখছ, তা হয়ে গ্রেলাম অর্থাৎ নিলাফতের জন্য
, রক্তপাতের আশ্রয় নিয়েছিা ণ্ , ৰু ণ্,ন্
ইসমাঈল ইবন আইয়ার্শ;; শুবাইহণ্ইবন উবাইদ হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
মাব্ওয়ানের কাছে যখন ইসলাম সম্বন্ধে আলোঢ়না করা হত আর তিনি বলতেন : ,
“আমি :স্থলোঃ গ্রহণ করছি আমার রবের অনুগ্নহের ব্দৌল্ল্ডে আমার নিজের সাধনার
ডো নয়, আর পােক ক্ষেখানার জ্জা,াও নয় আমিতো ছিলাম অপরাধীা ন্
;াৰুশ্স্ লাইন ইয়াযীন ইবন হাবীরের বরাড়ে আবুন সদর সালিম হতে বনিা করেন যে তিনি
বাক্রো একদিন মারও,য়ান এক ব্যক্তির জ্যাযােয় উপস্থিত হনা সালাতে হুজানা যা আদায়
করার পর তিনিাম্ভপান থেকে চলে যানা হযরত আবুহক্সইবা (না) বলেন মারওয়ান এক-
, রুিরাতণ্ পরিমাণ নওয়াব অর্জুনাকরাললআর,এক্ল ক্লিৱাতট্রু নওয়াব ৰুহতে বঞ্চিত হলেনা
;ন্মারওয়ানকেৰুন্হবরতৰু আবুহুরাইরারুণ্ভ্র(রা)ন্ওএৱ বক্তব্য সবস্কো অবন্াক করাৰ্লা হলা;তপন তিনি
এত দ্রুত সৌড়িয়ে আসলেন যে; তার হীটুব্রুক্লাপড় উক্রো ;উঠেশুপিয়েছিলা; এরপর তিনি বসে
গােল্মআেবংাসপান অবস্থান কক্সত লাপলেন যক্ষাস্রণ না তাচক যেখান থেকে, নিদায় নিয়ে
ৰু ৰুষ্চলে যাবার অনুমতি দেয়া হন্নেইিল”া
আল মাদায়িনী (র) জা ফর ইবন মুশ্যে (র) হচ্ছে বর্ণনা কব্রেন, ৰ্বারু;ৰুৰুৰু অলীে ইবন
হুসাইন (রা)ৰুাক ছয় হাজার দীনার ধার নিংয়ছিলেনা আর এট,া জ্জি হৃররক ইমাম; হুসাইন
(র)ণ্ ওল্প শাহাদাতেরছু; পর: ম্ম্বীনা প্রত্যাবর্তন বল্পার সময়ের ঘটনা বপন তিনি ঘুতুা শ্যায়
শায়িকছিচনন তপন তিনি তার; পুত্র আবদুল মার;া রুক্লে ওসীব্রয়ত্ত করেছিলেন, তিনি যেন আলী
ইবন হুসাইন ;(রা) হতে কোন কিছু গ্রহণ না করেন ,া আবদুল নালিক এর কাছে বপন এ অর্থ
পেশ করা হয় তখন তিনি তা কবুল করতে এপমে আীকৃতি জানানা কিন্তু পত্র বারবার
অনুান্রার করার পর তিনি তাতে সম্মতি দেনা
ইমাম শাফিঈ (র) বলেন ইমাম হাসান (রা) ও ইবন হুনাইন (রা) দুজনেই মারওয়ানেৱ
পিছে সালা ত আদায় করতেনা তারা পুনরায় নিড্রো নিজে নালাত আদাষ করতেন না আর
এরুপ সরদ্বু,সৰুহুাড়ুবই, করত্নেনা:






رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ وَغَيْرُهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَطَبَ امْرَأَةً إِلَى أُمِّهَا، فَقَالَ: إِنَّ جَرِيرًا الْبَجَلِيَّ يَخْطُبُ إِلَيْكُمْ أَسْلَمَ، وَهُوَ سَيِّدُ شَبَابِ الْمَشْرِقِ، وَمَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، وَهُوَ سَيِّدُ شَبَابِ قُرَيْشٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَهُوَ مَنْ قَدْ عَلِمْتُمْ، وَعُمَرُ. فَقَالَتِ الْمَرْأَةُ: أَجَادٌّ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَتْ: قَدْ زَوَّجْنَاكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. وَقَدْ كَانَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ يُكْرِمُهُ وَيُعَظِّمُهُ، وَكَانَ كَاتِبَ الْحُكْمِ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَمِنْ تَحْتِ رَأْسِهِ جَرَتْ قَضِيَّةُ الدَّارِ، وَبِسَبَبِهِ حُصِرَ عُثْمَانُ فِيهَا، وَأَلَحَّ عَلَيْهِ أُولَئِكَ أَنْ يُسَلِّمَهُ إِلَيْهِمْ، فَامْتَنَعَ عُثْمَانُ أَشَدَّ الِامْتِنَاعِ، وَقَدْ قَاتَلَ مَرْوَانُ يَوْمَ الدَّارِ قِتَالًا شَدِيدًا، وَقَتَلَ بَعْضَ أُولَئِكَ الْخَوَارِجِ، وَكَانَ عَلَى الْمَيْسَرَةِ يَوْمَ الْجَمَلِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ رَمَى طَلْحَةَ بِسَهْمٍ فِي رُكْبَتِهِ، فَقَتَلَهُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ ابْنُ عَبْدِ الْحَكَمِ: سَمِعْتُ الشَّافِعِيَّ يَقُولُ: كَانَ عَلِيٌّ يَوْمَ الْجَمَلِ حِينَ انْهَزَمَ النَّاسُ يُكْثِرُ السُّؤَالَ عَنْ مَرْوَانَ، فَقِيلَ لَهُ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: إِنَّهُ تَعْطِفُنِي عَلَيْهِ رَحِمٌ مَاسَّةٌ، وَهُوَ سَيِّدٌ مِنْ شَبَابِ قُرَيْشٍ. وَقَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ جَابِرٍ، أَنَّهُ قَالَ لِمُعَاوِيَةَ: مَنْ تَرَى لِهَذَا الْأَمْرِ مِنْ بَعْدِكَ؟ فَقَالَ: وَأَمَّا الْقَارِئُ لِكِتَابِ اللَّهِ، الْفَقِيهُ فِي دِينِ اللَّهِ، الشَّدِيدُ فِي حُدُودِ اللَّهِ،
পৃষ্ঠা - ৬৮৮৩
فَمَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ. وَقَدِ اسْتَنَابَهُ عَلَى الْمَدِينَةِ غَيْرَ مَرَّةٍ، يَعْزِلُهُ ثُمَّ يُعِيدُهُ إِلَيْهَا، وَأَقَامَ لِلنَّاسِ الْحَجَّ فِي سِنِينَ مُتَعَدِّدَةٍ. وَقَالَ حَنْبَلٌ عَنِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ قَالَ: يُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ عِنْدَ مَرْوَانَ قَضَاءٌ، وَكَانَ يَتَّبِعُ قَضَاءَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ. وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ: سَمِعْتُ مَالِكًا يَقُولُ وَذَكَرَ مَرْوَانَ يَوْمًا، فَقَالَ: قَالَ مَرْوَانُ: قَرَأْتُ كِتَابَ اللَّهِ مُنْذُ أَرْبَعِينَ سَنَةً، ثُمَّ أَصْبَحْتُ فِيمَا أَنَا فِيهِ مِنْ هِرَاقَةِ الدِّمَاءِ وَهَذَا الشَّأْنِ. وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ عُبَيْدٍ وَغَيْرِهِ قَالَ: كَانَ مَرْوَانُ إِذَا ذَكَرَ الْإِسْلَامَ قَالَ: بِنِعْمَةِ رَبِّي لَا بِمَا قَدَّمَتْ يَدِي ... وَلَا بِبَرَاتِي إِنَّنِي كُنْتُ خَاطِئَا وَقَالَ اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، أَنَّهُ قَالَ: شَهِدَ مَرْوَانُ جِنَازَةً، فَلَمَّا صَلَّى عَلَيْهَا انْصَرَفَ، فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: أَصَابَ قِيرَاطًا وَحُرِمَ قِيرَاطًا. فَأُخْبِرَ بِذَلِكَ مَرْوَانُ، فَأَقْبَلَ يَجْرِي قَدْ بَدَتْ رُكْبَتَاهُ، فَقَعَدَ
পৃষ্ঠা - ৬৮৮৪


আবদুর রাযযাক (রা) সাওরী তারিক ইবন শিহাব হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
মারওয়ান ছিলেন প্রথম ব্যক্তি, যে ঈদের দিন সালাতের পুর্বে থু৩ ৩ব৷ দিতে ন ৷ এক ব্যক্তি তাকে
বললেন, আপনি সুন্নাত লঙ্ঘন করেছেন ৷ মারওয়ান তা৷ ক বললেন, হা” এখানে সুন্নাত ছেড়ে
দেয়৷ হয়েছে ৷ আবু সাঈদ (রা) বললেন, এ ব্যক্তি ওর দায়িতৃ পালন করেছে ৷ আমি রাসুল
(সা) কে বলাত ওনেছি, তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে যদি কেউ কেউ খারাপ কাজ হতে
াদখে তাহলে সে যেন তা নিজ হাতে মিটিয়ে ঘেয়, , যদি সে এরুপ করার ক্ষমতা না রাখে
তাহাল যেন তাব জিহবা দ্বারা অর্থাৎ নসীহাতরং মাধ্যমে তা মিটিয়ে দেয়, যদি এরুপ করারও
“ ক্ষম৩৷ না রাখে তাহাল যেন নিজ অতরে তার প্রতি ঘৃণা পোষণ করে ৷ আর এটাই হচ্ছে
দুর্বলতম ঈমান ৷” ইতিহাসবিদগ্ণি বলেন, যখন তিনি মদীনার শাসনকর্তা ছিলেন, যখনি কোন
সমস্যা দেখা দিত তখনি তিনি উপস্থিত সাহাবা৷র কিংামাক ৷ডাক ৰুপাঠাতেনৰুণ্ এবং সমস্যার
নমাবা৷নব ৷কত্রে তা৷দর মুলাবান পরামর্শ গ্রহণ করতেন ৷৩ তারা আরো বলেন, তিনি প্রচলিত
দুই ধবনৈর পরিমাব থেকে যেটা অধিকতর না৷যান্ ৷সটা৷বই গ্রহণ করেন ৷ আর এজন্য এ
পরিমাপকে ,-,া,,া;শু (সামবওযান) বলা হত ৷
আর যুবাইর ইবন ৰাক্কার (র) আবু সাঈদ আল খুদরী (রা) হতে বর্ণনা করেন যে তিনি
বলেন, একদিন হযরত আবু হুরাইব৷ (রা) মাবওযানর নিকট হতে বের হয়ে আসলেনঃ ৷ তার
সাথে একদল র্লোকের সাক্ষাত হয় ৷ তারাও তাব নিকট হতে বের হয়ে এসেছিলেন ৷ তারা
তখন তাকে (আবু হুরাইরা (রা)-কে বললেন, ৷হ আবু হুরাইর৷ (রা) ! তিনি একমাত্র
আমাদেবাক সাক্ষী করে একশত গোলাম আযাদ করে দিলেন ৷ নবর্ণনাকারী বলেন, আবু
হুরাইর৷ (বা) আমার হাতে চাপ দিলেন এবং বললেন ৷হ আবু সাঈদ ! হালাল অর্জনের
একটি পুর্ণ একশত গোলাম মুক্ত করা হতেও উত্তম ৷ আর র্বুবাইর (রা) বলেন হাদীসে
উল্লেখিত ৷বাক কথাটির অর্থ এক ৷” ইমামআহমদ (ব) বলেন, উসমান আবু সাঈদ (রা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, তিল্পিহ্র(বাসুল (না)) বলেছেন, অমুক ব্যক্তির পৌরিবার-পব্লিজনের
৷লাক “সংখ্যা যদি ত্রিগাে; পৌছে তাহলেতারা অ্যাংাহ্ৰুব সম্পদকে (যাকাত) নিজেদের
সম্পদ মনে করবে, আল্লাহর দীনাক তাদের ইচ্ছার অন্তরার ব৷ হস্তক্ষেপ মনে করার এবং
অ্াল্লাহ্র ঘান্দাদেরাক নিঃজষ্কেব আদিম বা ৷হৃরের্দুক মনে করবে ৷
আবু ইয়ালা (ব) যাক্লারিয়া আবু সাঈদ (বা) হতে বর্ণনাকরেন যে, তিনি বলেছেন, বাসুল
(স৷ ) বলেন, বনুল হাকা৷মর সদস্য স থ্যা যখন ত্রিশে পৌছবে তখন তারা আল্লাহর দীনাক
হস্তক্ষেপ মনে করবে, আল্লাহ সম্পবকে নিজ্যেদর সম্পদ মনে করবে ৷”
তাবাবানী আহমদ আবু বর (বা) হাতৎ বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুল
ৰু (সা)শুাক বলাত শুনেছি, বনু উমাইয়াৱ সদস্যরা যখন চল্লিশে পৌছবে (শেষ পর্বত) ৷ এটির
সনদ বিচ্ছিন্ন ৷ ইবন আবদুর রহমান হযরত আবুহুরাইরা, (বা) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
বনু আবুল আসের সদস্যরা যখন ত্রিশে পৌছবে ৷ আল বাইহাকী গৃআবিয়া (রা) ও হযরত
র্দু আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) এর বরাত রাসুল (সা) হতে ব্ণ্াম্৷ করেন যে,৩ তিনি বলেছেন,
বনুল হাকামর সদস্যগণ যখন ত্রিশে পৌছবে, তারা অল্লোহ্ৰ্ সম্পদকে নিাজাদর সম্পদ মনে
গ্রাব্,ন্অস্তোহ্র বস্পোাদরকে নিজেদের সম্পদ মনে করবে, আল্লাহর বান্দাদৈরাক নিজেদের
৷গানামচুন্মানকবাব ৷ আল্লাহর কিতা৷ব ৰুন্ত্রুটিপুর্গ মনে করবেঃাচুণ্ বখন তারশ্যে৯৬ (চারশত
ছিয়ানব্বই এ) পৌছবে তখন তাদের ধ্বংস একটি খেজুর চিবা৷নার ন্মোন্দ্রুততর হবে ৷


حَتَّى أُذِنَ لَهُ. وَرَوَى الْمَدَائِنِيُّ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، أَنَّ مَرْوَانَ كَانَ أَسْلَفَ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ حِينَ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ بَعْدَ مَقْتَلِ أَبِيهِ سِتَّةَ آلَافِ دِينَارٍ، فَلَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ أَوْصَى إِلَى ابْنِهِ عَبْدِ الْمَلِكِ أَنْ لَا يَسْتَرْجِعَ مِنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ شَيْئًا، فَبَعَثَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ بِذَلِكَ، فَامْتَنَعَ مِنْ قَبُولِهَا، فَأَلَحَّ عَلَيْهِ فَقَبِلَهَا. وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: أَنْبَأَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ كَانَا يُصَلِّيَانِ خَلْفَ مَرْوَانَ وَلَا يُعِيدَانِهَا، وَيَعْتَدَّانِ بِهَا. وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ قَالَ: أَوَّلُ مَنْ قَدَّمَ الْخُطْبَةَ عَلَى الصَّلَاةِ يَوْمَ الْعِيدِ مَرْوَانُ، فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: خَالَفْتَ السُّنَّةَ. فَقَالَ لَهُ مَرْوَانُ: إِنَّهُ قَدْ تُرِكَ مَا هُنَالِكَ. فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ: أَمَّا هَذَا فَقَدْ قَضَى مَا عَلَيْهِ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ، فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ، وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ» ". قَالُوا: وَلَمَّا كَانَ نَائِبًا بِالْمَدِينَةِ كَانَ إِذَا وَقَعَتْ مُعْضِلَةٌ جَمَعَ مَنْ عِنْدِهِ مِنَ الصَّحَابَةِ، فَاسْتَشَارَهُمْ فِيهَا. قَالُوا: وَهُوَ الَّذِي جَمَعَ الصِّيعَانَ، فَأَخَذَ بِأَعْدَلَهَا، فَنُسِبَ إِلَيْهِ الصَّاعُ، فَقِيلَ: صَاعُ مَرْوَانَ.
পৃষ্ঠা - ৬৮৮৫
وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ أَبِي عَلِيٍّ اللَّهَبِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: خَرَجَ أَبُو هُرَيْرَةَ مِنْ عِنْدِ مَرْوَانَ، فَلَقِيَهُ قَوْمٌ قَدْ خَرَجُوا مِنْ عِنْدِهِ فَقَالُوا: إِنَّهُ أَشْهَدَنَا الْآنَ عَلَى مِائَةِ رَقَبَةٍ أَعْتَقَهَا السَّاعَةَ. قَالَ: فَغَمَزَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَدِي، وَقَالَ: يَا أَبَا سَعِيدٍ، يَكٌّ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ خَيْرٌ مِنْ مِائَةِ رَقَبَةٍ. قَالَ الزُّبَيْرُ: الْيَكُّ: الْوَاحِدُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِذَا بَلَغَ بَنُو أَبِي فُلَانٍ ثَلَاثِينَ رَجُلًا اتَّخَذُوا مَالَ اللَّهِ دُوَلًا، وَدِينَ اللَّهِ دَخَلًا، وَعِبَادَ اللَّهِ خَوَلًا» ". وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ يَحْيَى زَحْمُوَيْهِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِذَا بَلَغَ بَنُو الْحَكَمِ ثَلَاثِينَ اتَّخَذُوا دِينَ اللَّهِ دَخَلًا، وَعِبَادَ اللَّهِ خَوَلًا، وَمَالَ اللَّهِ دُوَلًا» ". وَقَدْ رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْوَهَّابِ، عَنْ أَبِي الْمُغِيرَةِ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " «إِذَا بَلَغَ بَنُو أُمَيَّةَ أَرْبَعِينَ رَجُلًا» ". وَذَكَرَهُ، وَهَذَا مُنْقَطِعٌ. وَرَوَاهُ الْعَلَاءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِنْ قَوْلِهِ: «إِذَا بَلَغَ بَنُو أَبِي الْعَاصِ ثَلَاثِينَ رَجُلًا» فَذَكَرَهُ.
পৃষ্ঠা - ৬৮৮৬


রাসুল (সা) আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের কথা উল্লেখ করে বলেন, যে হবে চারজন
জালিম শাসকের পিতা ৷ উপরে যতগুলো হাদীস বর্ণনা করা হলধ্সবগুলোর সনদ দুর্বল ৷

আবু ইয়ালা (র) বিজ্যি সনদে হযরত আবু হুরাইরা (রা) হতে বর্ণনা করেন (য, তিনি
ন্রন্মোহন একদিন রাসুল (সা) স্বপ্নে দেখেন, হাকা মের বষ্ শধরর৷ রাসুল (সা) এর মিম্বরে
উঠছে এবং তা থােক নামছে ৷ তারপর সকাল বেলায় তাকে ক্রোধান্বিত মনে হল ৷ তিনি
বললেন, হাকামের বংশধরকেবানরের মত আমার মিম্বরে উঠানামা করতে আমি স্বপ্নে
দেখেছি ৷ এ স্বপ্নের পর রাসুল (না)-কে আর কখনও জনসমক্ষে ইন্তিকালের পুর্ব পর্যন্ত প্রাণ
খুলে হাসতে দেখা যায়নি ৷ আস সাওরী (র) এ হাদীসঢি সাঈদ ইবনুল মুসায়া৷ব হতে মুরসাল
হিসেবে বর্ণনা করেন, ঐ বর্ণনায় আছে, তারপর আল্লাহ তা আলা রাসুল (সা) এর,প্ৰতি ওহী
পাঠালেন, এটা হবে দুনিয়া, আর তাদেরকে এ দৃনিয়াই দেয়া হবে ৷ এরপর রাসুল (সা) এর
মনে প্ৰবােধ আসল ৷ তারপর সুরায়ে বনী ইসরাঈল ১ ৭ঙ্ক ৬০ অবতীর্ণ হয় ৷

) ১



অর্থাৎ আমি যে দৃশ্য তোমাকে দেখিয়েছি, তা এবং কুরআনে উল্লিখিত অভশপ্ত বৃক্ষটিও
(করল মানুষের পরীক্ষা ৷র জন্য ৷’ এ হাদীসটিও মুরসাল,৩ ৩ার সনদ দুর্বল ৷

আমি বলি, এ মর্মে বহু জাল হাদীস বর্ণিত রয়েছে ৷ আর এগুলোর মধ্যে কোন কল্যাণ
নিহিত নয় বিধার এরুপ অশুদ্ধ হাদীসগুালাকে এখানে উল্লেখ করা হল না ৷ মারওয়ানের পিতা
আল হাকাম রাসুল (সা) এর বড় দৃশমনদের অতভুক্তি ছিল ৷ তবে সে মক্কা বিজয়ের দিন
,যুসলমান হয়েছিল ৷ এরপর হাকাম মদীনার আগমন করে কিন্তু র্াসুনঃ (না) তাকে তাইফের
দিকে বিতাড়িত করেন এবং যে সেখানে মৃত্যুবরণ করে হযরত উসমান ইবন আফ্ফান (রা)-
এর অবরোধেৱ সবচাইতে বড় কারণ ছিল মারওয়ানের কুকর্ম ৷ কেননা সে হযরত উসমান
(রা) এর নামে জাল পত্র লিখেছিল ৷ ঐ পত্রে মিসর থেকে আগত প্রতিনিধিদল্কৈ হত্যাব হুকুম
দেয়া হয়েছিল ৷ যখন সে মদীনায় আমীর মু আবিয়া (রা) এব পক্ষ থেকে আমীয় ছিলেন তখন
সে প্ৰতি ৩জুমআর দিন মিম্বরে দাড়িয়ে হযরত আলী (রা) এর নিন্দা করত ৷ হাসান ইবন আলী
(রা) একদিন মারশুয়ারনকে বললেন, আল্লাহ্ তা আলা তোমার পিতা হাকামের প্রতি
অভিসম্পাত করেন আর তুমি তার (হলে, নবীর ভাষায় তোমার উপর সেই অভিসম্পা ৷ত প্রেরিত
হয়েছে ৷ তিনি (সা) বলেছেন “হাকাম এবং তার সন্তানের উপর আলুাহুৰু অভিসম্পাত ব্রুিত
হোক” পুর্বেও বর্ণনা করা হয়েছে যে, জাৰীয়ার মিতে হাসৃসান ইবন মালিকের কাছে
মারওয়ান যখন আগমন করেন তখন হাস্সান তার আগমনকে পছদৃদ করেন এবং তার জন্য
বায় আত গ্রহণ করেন এর জর্দানবীদ্দের থেকে তার জন্য এ শর্তে বায় আত গ্রহণ করেন যে, ,
যখন ৷খৃলাফা৩ তর বিষয়টি চুড়ান্ত হয়ে যাবে তখন মারওয়ান, খালিদ ইবন ইয়াযীদের পক্ষে
খিলড়াফত ছেড়ে দিয়ে ৷ মারওয়ানের হাতে শুধুমাত্র হিমস রাজ্যের ভার ন্যস্ত থাকবে আর
দামেশকের শাসনভার থাকবে আমর ইবন সাঈদেব্ল জন ৷ মারওয়ানের পক্ষে বায় আত করা
হয়েছিল ৬৪ ইিজরীর যুলকাদা মাসের ১৫ তারিখ দিয়ে ৷ উপরোক্ত বক্তব্য ঢি হল আল লাইস
ইবন৷ সা দ প্রমুখের ৷ আল লাইস আরো বলেন, এ বছরের কুরবানী ঈদের দু দিন পর যুলহাজ্জ
মাসে মা রজ রাহিণ্ডে র ঘটনা সংঘটিত হয় ৷




وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ وَغَيْرُهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي قَبِيلٍ، عَنِ ابْنِ مَوْهَبٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: " «إِذَا بَلَغَ بَنُو الْحَكَمِ ثَلَاثِينَ اتَّخَذُوا مَالَ اللَّهِ بَيْنَهُمْ دُوَلًا، وَعِبَادَ اللَّهِ خَوَلًا، وَكِتَابَ اللَّهِ دَغَلًا، فَإِذَا بَلَغُوا سِتَّةً وَتِسْعِينَ وَأَرْبَعِمِائَةٍ كَانَ هَلَاكُهُمْ أَسْرَعَ مِنْ لَوْكِ تَمْرَةٍ» ". «وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مَرْوَانَ فَقَالَ: " أَبُو الْجَبَابِرَةِ الْأَرْبَعَةِ» ". وَهَذِهِ الطُّرُقُ كُلُّهَا ضَعِيفَةٌ. وَرَوَى أَبُو يَعْلَى وَغَيْرُهُ، مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ الْعَلَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى فِي الْمَنَامِ أَنَّ بَنِي الْحَكَمِ يَنْزُونَ عَلَى مِنْبَرِهِ وَيَرْقَوْنَ، فَأَصْبَحَ كَالْمُتَغَيِّظِ، وَقَالَ: " رَأَيْتُ بَنِي الْحَكَمِ يَنْزُونَ عَلَى مِنْبَرِي نَزْوَ الْقِرَدَةِ ". فَمَا رُئِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسْتَجْمِعًا ضَاحِكًا بَعْدَ ذَلِكَ حَتَّى مَاتَ» . وَرَوَاهُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ مُرْسَلًا، وَفِيهِ: فَأُوحِيَ إِلَيْهِ: إِنَّمَا هِيَ دُنْيَا أُعْطُوهَا. فَقَرَّتْ عَيْنُهُ. وَهِيَ قَوْلُهُ: {وَمَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي أَرَيْنَاكَ إِلَّا فِتْنَةً لِلنَّاسِ} [الإسراء: 60] . يَعْنِي بَلَاءً لِلنَّاسِ وَهَذَا مُرْسَلٌ، وَسَنَدُهُ إِلَى سَعِيدٍ ضَعِيفٌ. وَقَدْ وَرَدَ فِي هَذَا الْمَعْنَى أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ مَوْضُوعَةٌ، فَلِهَذَا أَضْرَبْنَا صَفْحًا عَنْ إِيرَادِهَا لِعَدَمِ صِحَّتِهَا. وَقَدْ كَانَ أَبُوهُ الْحَكَمُ مِنْ أَكْبَرِ أَعْدَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّمَا أَسْلَمَ يَوْمَ الْفَتْحِ،
পৃষ্ঠা - ৬৮৮৭
وَقَدِمَ الْحَكَمُ الْمَدِينَةَ ثُمَّ طَرَدَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الطَّائِفِ، وَمَاتَ بِهَا، وَمَرْوَانُ كَانَ أَكْبَرَ الْأَسْبَابِ فِي حِصَارِ عُثْمَانَ، لِأَنَّهُ زَوَّرَ عَلَى لِسَانِهِ كِتَابًا إِلَى مِصْرَ بِقَتْلِ أُولَئِكَ الْوَفْدِ، وَلَمَّا كَانَ مُتَوَلِّيًا عَلَى الْمَدِينَةِ لِمُعَاوِيَةَ كَانَ يَسُبُّ عَلِيًّا كُلَّ جُمُعَةٍ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَقَالَ لَهُ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ: لَقَدْ لَعَنَ اللَّهُ أَبَاكَ الْحَكَمَ وَأَنْتَ فِي صُلْبِهِ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ، فَقَالَ: " «لَعَنَ اللَّهُ الْحَكَمَ وَمَا وَلَدَ» " وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ حَسَّانَ بْنَ مَالِكِ بْنِ بَحْدَلٍ لَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِ مَرْوَانُ أَرْضَ الْجَابِيَةِ، أَعْجَبَهُ إِتْيَانُهُ إِلَيْهِ، فَبَايَعَهُ، وَبَايَعَ لَهُ أَهْلَ الْأُرْدُنِّ عَلَى أَنَّهُ إِذَا انْتَظَمَ لَهُ الْأَمْرُ نَزَلَ عَنِ الْإِمْرَةِ لِخَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، وَيَكُونُ لِمَرْوَانَ إِمْرَةُ حِمْصَ، وَلِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ نِيَابَةُ دِمَشْقَ. وَكَانَتِ الْبَيْعَةُ لِمَرْوَانَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِلنِّصْفِ مِنْ ذِي الْقِعْدَةِ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ. قَالَهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ وَغَيْرُهُ. وَقَالَ اللَّيْثُ: وَكَانَتْ وَقْعَةُ مَرْجِ رَاهِطٍ فِي ذِي الْحِجَّةِ، مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ بَعْدَ عِيدِ النَّحْرِ بِيَوْمَيْنِ. قَالُوا: فَغَلَبَ الضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ، وَاسْتَوْسَقَ لَهُ مُلْكُ الشَّامِ وَمِصْرَ، فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৬৮৮৮


ইতিহাসবিদগণ বলেন, মারওয়ান আদ দাহ্হাক ইবন কইিস (রা)-এর উপর জয়লাভ
করেন এবং সিরিয়া ও মিসরের শাসনভার নিজের জন্য সুদৃঢ় করেন ৷ তারপর এসব শহরে তার
শাসনক্ষমতা সুদৃঢ় হওয়ার পর তার প্রথম পুত্র আবদুল মালিকের জন্য খিলাফতের বায়আত
গ্রহণ করে ৷ এরপর তার দ্বিতীয় পুত্র উমর ইবন আবদুল আযীযের পিতা, আবদুল আযীযের
জন্য খিলাফতেরংবায আত গ্রহণ করেন ৷ অন্যদিকে খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন মুআ ৷বিয়া এর

বায় আত প্রত্যাখ্যান করা হয় ৷ কেননা মারওয়ান তাকে খিলাফা৩ র উপযুক্ত মনে করতো না ৷

হাসৃসান ইবন মালিক এ প্ৰস্তাবকে সমর্থন করে যদিও সে ছিল খালিদ ইবন ইয়াযীদের মামা ৷

প্ আর সেই আবদুল মালিকের বায়আতের ধ্বজাধারী ছিল ৷ তারপর খালিদের মা মারওয়ানের

বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল এবং বিষ পান তাকে হত্যা করল ৷

কেউ কেউ বলেন, মারওয়ান যখন ঘুমে ছিল তখন তার শ্রী খ৷ ৷লিদের মা তার মুখে বালিশ
চাপা দিয়েছিল ৷ শ্বড়াসরুদ্ধ হয়ে মারওয়ান মৃত্যুমুখে পতিত হয় ৷ তারপর খালিদের মা ও তার
দাসীরা ঘোষণা করে আমীরুল মু মিনীন হঠাৎ মারা গেছেন ৷ এরপর তার পুত্র আবদুল মালিক
ইবন মারওয়ান খলীফা হন যেমনটি পরে বর্ণনা করা হবে ৷ ইবন আবু মাবুর কতিপয় আলিম
থেকে বর্ণনা করেন যে, মারওয়ানের মুখের শেষ কথা ছিল, যে জাহান্নামকে ভয় করে তার
জন্য জান্নাত ওয়াজিব ৷৩ তার সীল মােহরের নকশ৷ ছিল ;৷ ;,া৷ সম্মান আল্লাহর জন্য ৷’

, আল আসমাঈ বলেন, আদী ইবন আবু আম্মার হারব ইবন যিয়াদ হতে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, মারওয়ানের সীল মােহরের নকশা ছিল
আমি পরাক্রমশালী যেহেরবান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখি ৷

৬১ বছর বয়াসৃ কেউ কেউ বলেন, ৬৩ বছর বয়সে মারওয়ান দা৷যশ্া৷ক ইনতিকাল

, করেন ৷ আবু ষ্াশ্া৷ৰু বলেন, মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৮১ বছর ৷ খলী ফা বলেন, আল

ওয়ালিদ ইবন হিশাম বর্ণনা করেছেন যে, ৬৫ হিজরীর রামযান মা৷সর-৩ তিন তারিখ মারওয়ান
দামেশাক ইনতিকাল করেন ৷ তখন তার বয়স ছিল ৬৩ বছর ৷৩ তার পুত্র আবদুল মালিক তার

জানায়ার সালাত পড়ান ৷ তার খিলাফা তর সময়কাল ছিল, ৯মাস ১৮ দিন ৷ কেউ কেউ বলেন,
, ১০ মাস ৷ ইবন আবুদ দুনিয়৷ প্রমুখ বলেন, তিনি ছিলেন ৷বাট, লাল চেহারা বিশিষ্ট ৷ তার

গর্দান ছিল সরু, মাথা এবং দাড়ি ছিল বড় আকৃতির ৷৩ তার উপাধি ছিল খইিাত বাতিল ৬ন্ন্
এেষ্৷ আর্থাদুৎ বাতিল সুত৷ ৷

ইবন আসাকির বলেন, সাঈদ ইবন কাসীয় ইবন উফইির উল্লেখ করেন, মারওয়ান যখন
মিসর থেকে রওয়ানা হয়ে যানবারাহ নামক স্থানে পৌাছুন কেউ কেউ বলেন, বালাদ নামক
স্থানে পৌছেন তখন তিনি ইনতিকাল করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, মারওয়ান দামেশকে

ইনতিকাল করেন এবং তাকে বাবুল জাবীয়ু৷ ও বাবুস সাগীবেব মঝোমাঝি স্থা৷ন দাফন করা

হয় ৷ ,
মারওয়ানের সচিব ছিলেন উবইিদ ইবন আউস ৷ দারওযান জ্জি তার গোলাম আল
মিনহাল, বিচারপতি ছিলেন আবু ইদরীস আল খাওলানী, ৷দহ্রক্ষী ছিল ইয়াইইয়া ইবন কইিস

আল গাসৃসানী, তার পুত্রপণ ছিলেন আবদুল মালিক, আবদুল আযীয, মুআবিয়৷ প্রমুয ৷ তার

বিত্মি শ্রী থেকে কয়েকজন কন্যাও ছিল ৷ ,



১ মুল গ্রন্থেমালিক ইবন ইসহাক মুাট্রুতআছে ৷


اسْتَقَرَّ مُلْكُهُ فِي هَذِهِ الْبِلَادِ بَايَعَ مِنْ بَعْدِهِ لِوَلَدِهِ عَبْدِ الْمَلِكِ، ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِ لِوَلَدِهِ عَبْدِ الْعَزِيزِ - وَالِدِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ - وَتَرَكَ الْبَيْعَةَ لِخَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ ; لِأَنَّهُ كَانَ لَا يَرَاهُ أَهْلًا لِلْخِلَافَةِ، وَوَافَقَهُ عَلَى ذَلِكَ حَسَّانُ بْنُ مَالِكٍ، وَإِنْ كَانَ خَالًا لِخَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، وَهُوَ الَّذِي قَامَ بِأَعْبَاءِ بَيْعَةِ عَبْدِ الْمَلِكِ، ثُمَّ إِنَّ أُمَّ خَالِدٍ دَبَّرَتْ أَمْرَ مَرْوَانَ فَسَمَّتْهُ، وَيُقَالُ: بَلْ وَضَعَتْ عَلَى وَجْهِهِ وَهُوَ نَائِمٌ وِسَادَةً، فَمَاتَ مَخْنُوقًا، ثُمَّ إِنَّهَا أَعْلَنَتِ الصُّرَاخَ هِيَ وَجَوَارِيهَا وَصِحْنَ: مَاتَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فَجْأَةً. فَقَامَ مِنْ بَعْدِهِ وَلَدُهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ فِي الْخِلَافَةِ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي مَذْعُورٍ: حَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالَ: كَانَ آخِرُ مَا تَكَلَّمَ بِهِ مَرْوَانُ: وَجَبَتِ الْجَنَّةُ لِمَنْ خَافَ النَّارَ. وَكَانَ نَقْشُ خَاتَمِهِ: الْعِزَّةُ لِلَّهِ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: حَدَّثَنَا عَدِيُّ بْنُ أَبِي عُمَارَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَرْبِ بْنِ زِيَادٍ قَالَ: كَانَ نَقْشُ خَاتَمِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ آمَنْتُ بِالْعَزِيزِ الرَّحِيمِ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِدِمَشْقَ عَنْ إِحْدَى - وَقِيلَ: ثَلَاثٍ - وَسِتِّينَ سَنَةً. وَقَالَ أَبُو مَعْشَرٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: كَانَ عُمْرُهُ يَوْمَ تُوُفِّيَ إِحْدَى وَثَمَانِينَ سَنَةً. وَقَالَ خَلِيفَةُ: حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: مَاتَ
পৃষ্ঠা - ৬৮৮৯
مَرْوَانُ بِدِمَشْقَ لِثَلَاثٍ خَلَوْنَ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ سَنَةَ خَمْسٍ وَسِتِّينَ، وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ وَصَلَّى عَلَيْهِ ابْنُهُ عَبْدُ الْمَلِكِ، وَكَانَتْ وِلَايَتُهُ تِسْعَةَ أَشْهُرٍ وَثَمَانِيَةَ عَشَرَ يَوْمًا. وَقَالَ غَيْرُهُ: عَشَرَةَ أَشْهُرٍ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا وَغَيْرُهُ: كَانَ قَصِيرًا، أَحْمَرَ الْوَجْهِ، أَوْقَصَ، دَقِيقَ الْعُنُقِ، كَبِيرَ الرَّأْسِ وَاللِّحْيَةِ، وَكَانَ يُلَقَّبُ: خَيْطُ بَاطِلٍ. قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَذَكَرَ سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ، أَنَّ مَرْوَانَ مَاتَ حِينَ انْصَرَفَ مِنْ مِصْرَ بِالصِّنَّبْرَةِ، وَيُقَالُ: بِلُدٍّ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ مَاتَ بِدِمَشْقَ، وَدُفِنَ بَيْنَ بَابِ الْجَابِيَةِ وَبَابِ الصَّغِيرِ.
পৃষ্ঠা - ৬৮৯০

আবদুল মালিক ইবন মারওয়াচনর থিলাফ্ত
তার পিতার জীবদ্দশায় তার জন্য াইালাফচতর বায়আত গ্রহণ করা হয়েছিল ৷ রর্মাযানণ্

ণ্ন্ন্ন্ মাসের তিন তারিখ যখন তার পিতা ইনতিকাল করেন তখন দামেশকু ও মিসরে, আর এই দুই

দেশের প্ৰচদশগুচলাচতও আরদুল মালিক ইবন মারওয়ানের বায় আত ম্রবায়ন করা হয়েছিল ৷

তার পিতার ন্যায় তার ফ্লিাফতও সুদৃঢ় হয় ৷ তার পিতার মৃত্যুর পুর্বে তিনি দুটি সৈন্যদল
প্রেরণ করেছিলেন ৷ একদল সৈন্য উবাইদুঃক্াহ্ ইবন যিয়াদের চনতৃচতৃ ইরাকে প্রেরণ করা
হয়েছিল, যাতে সে আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা)-এর নায়িবের হাত চথচকরুইরাচকর দখল
ছিনিচয় চনয় ৷ রাস্তায় জাইশুত তাওয়াবীনের সাথে তার সংঘর্ষ হয় ৷ জাইশুত তাওয়াবীনের
শুষ্ নেতা ছিলেন সুলাইমান ইবন সুরাদ (রার্দুণ্) ৷ আইনুল ওয়ারদা নামক স্থানে উভয় সৈন্যদল যুদ্ধে
লিপ্ত হয় ৷ উবইিদৃল্লাহ্ ইবন যিয়াদ জয়লাভ করে এবং সুলাইমান ইবন সুরাদ (রা) চক হত্যা

করে ৷ সুলাইমান ইবন সুরাদ (রা)-এর অধিকাংশ সৈন্য নিহত হয় ৷
দ্বিতীয় সৈন্যদলঢি হুবাইশ ইবন দালাজ৷ এর নেতৃত্বে মদীনায় প্রেরণ বলা হচয়হ্নিৰ ঘাভে
সে আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর নাযিব হতে ৩মদীনাকে হস্তান্তর করতে পারে ৷ সে মদীনা

অভিমুখে রওয়ান৷ হয় ৷ যখন সে মদীন্যব পৌছে তখন মদীনায় নাযিব জাবির ইবন আল
ৰুণ্রু আসওয়াদ ইবন আউফ মদীনা থােক পালিয়ে যায় ৷ আর সে ছিল আবদুর রহমান ইবন আউফ

(রা) এর ভইিচয় র পুত্র ৷ , ন্

আবৃদুল্লাহ্ ইবন ঘৃবাইয় (রা) এর পক্ষ থেকে নিচয়াগপ্রাপ্ত বসরার নাযিব হাবিস ইবন
আবদুল্লাহ ইবন রা বীআ ৷একদল সৈন্য সংগ্রহ করেন এবং মদীনায় ইবন দালজার বিরুদ্ধে

প্রেরণ করেন ৷ যখন হ্বাইশ ইবন দালজ৷ আ গত সেনাবাহিনীর কথা শুনচলন, তখন তিনি
তাদের দি চক রওয়ান৷ হ্চলন ৷ অন্যদিকে আবদুল্লাহ্ ইবন যুবাইর (রা) আব্বাস ইবন সহল
ইবন স ৷ দ (র) চক মদীনার নাযিব নিযুক্ত করেন এবং হুবাইশের বিরুদ্ধে সৈ ন৷ পরিচালনা
করার জন্য হুকুম চদন ৷ বিলি হুবইিচশর সৈন্যচদরু ঘোচজ বের হন এবং রাবয৷ নামক স্থানে
চদখ৷ পান ৷ ইত্নাযীদ ইবন যিয়াহ নামক একদল সৈন্য হুবাইশকে লক্ষ্য করে ভীর ছুড়ে এবং
তাকে হত্যা করে ৷ তার কিছু সাল সঙ্গীও নিহত হয় এবং বার্কীর৷ পরাজয় বরণ করে ৷ তাদের
মধ্য থেকে পাচশত সৈন্য মদীনায় আশ্রয় চনৃয় ৷ তারপর ত্ার৷ আব্বাস ইবন সহল (ব) এর
ফায়সাল৷ যেচন নিঃয় আত্মসমর্পণ করে ৷ তিল্লি তাদচরচক হত্যা করেন ৷ সেনাবাহিনীর বাকী
অংশ সিবিযাব দিচক প্র৩া৷ব৩ন করে ৷

ইবন জারীর (র) বচলন, হ্বাইর্ন্তশ ইবন দালজায় হ্তা৷কারী ইয়াদীদ ইবন সিয়াহ আল
আসওয়ারী যখন আব্বাস ইবন সহচলর সাথে মদীনায় প্রবেশ করেন তখন তার পরচন হ্নিা
সাদা কাপড এবষ্রু৩ তিনি একটি ধুসর রংয়ের চঘভোয় সওয়ার ছিলেন ৷ জনগণ তার উপর খুশবু
ও চমসক ছিটায়ন্ঞাৎ তার সাথে জনগণ হাত মিলায় ও চকালাকুলি করে তাতে তার কাপড় ও
শ্প্ ঘোড়া কাচলা বর্ণ ধ;ারণ করে ৷ ন্ ন্ ৰু
ইবন জারীর (র) বলেন, এ বছরেই বসরায় খা বিজীচদর শ্বান ও শওকত বৃদ্ধি পায় ৷ আর

এ বছরেই খারিজীচদর চনত৷ নাফি ইবন আরযাক নিহত হয় ৷ সে ছিল খারিজীদের চনত৷ ৷

,


[خِلَافَةُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ] بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ فِي حَيَاةِ أَبِيهِ، فَلَمَّا مَاتَ أَبُوهُ فِي ثَالِثِ رَمَضَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، أَعْنِي سَنَةَ خَمْسٍ وَسِتِّينَ، جُدِّدَتْ لَهُ الْبَيْعَةُ بِدِمَشْقَ وَمِصْرَ وَأَعْمَالِهَا، فَاسْتَقَرَّتْ يَدُهُ عَلَى مَا كَانَتْ يَدُ أَبِيهِ عَلَيْهِ، وَقَدْ كَانَ أَبُوهُ قَبْلَ وَفَاتِهِ بَعَثَ بَعْثَيْنِ ; أَحَدُهُمَا مَعَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ إِلَى الْعِرَاقِ لِيَنْتَزِعهَا مِنْ نُوَّابِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَلَقِيَ فِي طَرِيقِهِ جَيْشَ التَّوَّابِينَ مَعَ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ عِنْدَ عَيْنِ الْوَرْدَةِ، فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ مَا تَقَدَّمَ، مِنْ ظَفَرِهِ بِهِمْ، وَقَتْلِهِ أَمِيرَهُمْ وَأَكْثَرَهُمْ. وَالْبَعْثُ الْآخَرُ مَعَ حُبَيْشِ بْنِ دُلَجَةَ إِلَى الْمَدِينَةِ لِيَرْتَجِعَهَا مِنْ نَائِبِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَسَارَ نَحْوَهَا، فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهَا هَرَبَ نَائِبُهَا جَابِرُ بْنُ الْأَسْوَدِ بْنِ عَوْفٍ، وَهُوَ ابْنُ أَخِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، فَجَهَّزَ نَائِبُ الْبَصْرَةِ مِنْ قِبَلِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَهُوَ الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ، جَيْشًا مِنَ الْبَصْرَةِ إِلَى ابْنِ دُلَجَةَ لِيُخْرِجُوهُ مِنَ الْمَدِينَةِ فَلَمَّا سَمِعَ بِذَلِكَ حُبَيْشُ بْنُ دُلَجَةَ سَارَ إِلَيْهِمْ، وَبَعَثَ ابْنُ الزُّبَيْرِ عَبَّاسَ بْنَ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ نَائِبًا عَلَى الْمَدِينَةِ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَسِيرَ فِي طَلَبِ حُبَيْشٍ، فَسَارَ فِي طَلَبِهِمْ حَتَّى لَحِقَهُمْ بِالرَّبَذَةِ، فَرَمَى يَزِيدُ بْنُ سِيَاهٍ حُبَيْشًا بِسَهْمٍ فَقَتَلَهُ، وَقُتِلَ بَعْضُ أَصْحَابِهِ، وَهُزِمَ الْبَاقُونَ، وَتَحَصَّنَ مِنْهُمْ خَمْسُمِائَةٍ فِي الْمَدِينَةِ، ثُمَّ نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ، فَقَتَلَهُمْ صَبْرًا، وَرَجَعَ فَلُّهُمْ إِلَى الشَّامِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَلَمَّا دَخَلَ يَزِيدُ بْنُ سِيَاهٍ الْأَسْوَارِيُّ قَاتِلُ حُبَيْشِ بْنِ دُلَجَةَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৬৮৯১


বসরাবাসীদের একজন অশ্বাটুরাহী সেনাপতি ছিলেন মুসলিম ইবন উব ইস ৷ তাকে রাবীআ
আস সালুভী হত্যা করেন ৷ এ দুই নেতার মধ্যবর্তী সময়ে প্রায় পাচজন টুনতা নিহত হয়েছিল ৷
খারিজীদের এ ঘটনায় আবু মুআবিয়া কুর৷ ইবন ইয়ান আল মুযানী নিহত হওয়ার পর
খাবিজীরা উবাইদুল্লাহ্ ইবন মাহুযকেত তাদের নেতা নির্বাচিত করে ৷ তাদের নেতা তাদেরকে
নিয়ে আল মাদায়িন রওয়ানা হয় ৷ তারা মাদায়িনবাসীদেরটুক হত্যা করে ৷ তারপর তারা
আহওয়ায় ও আশে পাশের অন্যান্য এলাকা জয় করে ৷ মানুটুররছুসহায়-সম্পদ আত্মসাৎ করে ৷
ইয়ামামা ও বাহরাইন থেকে তাদের জন্য সাহায্য-সহাযত৷ পৌছে ৷ তারপর তারা ইস্পাহানেব
দিটুক রওয়ানা হয় ৷ ইস্পাহাটুনর শাসক ছিলেন আত ৷ব ইবন ওয়ারাকা আর রাইয়াহী ৷ তিনি
তাদের মুকাবিল৷ করেন এবং তাদেরকে পরাজিত করেন ৷ খারিজীদের আমীর উবাইদুল্লাহ
ইবন মাহুয যখন নিহত হয় তখন তারা কুতরী ইবন আল ফাজাআটুক তাদের আমীর নির্বাচন
করে ৷ তারপর ইবন জারীর র্ভুর) বসরবাসীদের সাথে খারিজীদের সং বর্ষের বর্ণনা করেনা
দুলাব নামক স্থানে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ সংঘটিত হয় ৷ রসরাবাসীর৷ খারিজীদের লক্ষ্যবর্টু স্তুতে
ন্গালখন পরিণত হয় ৷ বসরাবাসীরা খারিজীদের রসরায় অনুপ্ৰটুবশ্বের ব্যাপারে ভীতস্ন্ত্রস্ত হয়ে
পড়ে ৷ তাই আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর কাছে দুত পাঠাটুন৷ হয় ও পরিস্থিতি সম্বন্ধে
তাকে অবহিত করা হয় ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) পরিস্থিতির নিরসনকল্পে রসরায় আমীর
আবদুল্লাহ্ ইবন আল হারিস উরফ্রে রাব্বাহটুক বরখাস্ত করে হারিস ইবন আবদুল্লাহ ইবন
রাবীআ ওরফে কাব্বাটুক আমীর নিযুক্ত করেন ৷
আর আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) আল মুহাল্লাব ইবন আবু সুকর৷ আল আযদীকে
খুরাসাটুনর শাসক নিয়োগ করেন ৷ আল মুহাল্লাব যখন যাত্রা পথে বসর৷ পৌছেন তখন
বসরাবাসীরা তাকে বলেন, খারিজীদের সাথে যুদ্ধ করার আপনি একমাত্র উপযুক্ত টুলাক ৷ তিনি
বললেন, আমীকল্ মুমিনীন ! হয়রত আবদুল্লাহ ইব যুবাইর (রা) আমাকে খুরাসান প্রেরণ
ন্ করেছেন, আমি তার অবাধ্যু হব ন ৷ ৷ তখন বসরাবাসীরা তাদের আমীর আল হারিস ইবন
আবদুল্লাহ ইবন আবু রাবীআ এর সাটুথ একমত হয়ে, আ’ইদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এর
জবানীটুত তারা মুহাল্লাটুত র নামে একটি পত্র লিখেন যেন গৃহাল্লাৰ্ খাবিজীটুদর বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করার জন্য যাত্রা করেন এবং তাদেরটুক রসরায় অনুপ্রবেশের কোন প্রকার সুযোগ টুযন না
দেন ৷ মুহাল্লাটুরর কাছে যখন পত্রটি পউ৷ হয় তখন তিনি র্শতর্সিাটুপক্ষে ইকুম তামিল করতে
বাযী হন ৷ শতাট হল বসরাবাসীরা তাদের বইিতুলমাল হতে মুহারাবের সৈন্য সামন্তটুক ভাত ৷
প্রদান করবেন এবং বিজয়ের পর খাবিজীদৈর যাবতীয় সম্পদ পুহাল্লাটুবর সৈন্যগণ ভোগ
করবেন ৷ বসরাবাসীরা এ শর্ত মেনে নেন ৷ কেউ কেউ বলেন যে, তারা এ সম্পর্কে আবদুল্লাহ
ইবন যুবইির (রা) টুক পত্র লিখে অবগত করেছিল তখন আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) এতে
” সম্মতি টুদন ৷
সে মতে মুহাল্লাব তাদের কাছে আগমন করেন ৷ তিনি ছিলেন অত্যন্ত সাহসী লৌহ মানব ৷
যখন তিনি খাবিজীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলার মনস্থ করেন, তখন বর্সরাবমীর৷ তাদের কাছে মজুদ
যু,দ্ধবর্ম ঘোড়া, অস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে মহা আনন্দে তার সামনে আগমন
করেন ৷ বেশ কিছুদিন যাবত সেনাবাহিনীর সদস্যরা এই এলাকায় খাওয়াদাওয়৷ করছিলেন,
তাদের এ অপ্রতিদ্বন্ধি বাহাদুরী ও তুলনা ৷হীন অমবর্তীতা ও যুদ্ধ ক্ষেত্রে নির্ভয়ে বিচরণ, অদম্য
শক্তি-সাহস নিয়ে ধৈর্যধারণ করা মুশকিল হয়ে পড়েছিল ৷৩ তাই তারা সালসালাবিল নামক স্থানে


الْمَدِينَةِ مَعَ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلٍ كَانَ عَلَيْهِ ثِيَابُ بَيَاضٍ وَهُوَ رَاكِبٌ بِرْذَوْنًا أَشْهَبَ، فَمَا لَبِثَ أَنِ اسْوَدَّتْ ثِيَابُهُ وَدَابَّتُهُ مِمَّا يَتَمَسَّحُ النَّاسُ بِهِ وَمِنْ كَثْرَةِ مَا صَبُّوا عَلَيْهِ مِنَ الطِّيبِ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ اشْتَدَّتْ شَوْكَةُ الْخَوَارِجِ بِالْبَصْرَةِ. وَفِيهَا قَتَلَ نَافِعَ بْنَ الْأَزْرَقِ، وَهُوَ رَأْسُ الْخَوَارِجِ وَرَأْسُ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، مُسْلِمُ بْنُ عُبَيْسٍ فَارِسُ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، ثُمَّ قَتَلَهُ رَبِيعَةُ السَّلِيطِيُّ، وَقُتِلَ بَيْنَهُمَا نَحْوُ خَمْسَةِ أُمَرَاءَ، وَقُتِلَ فِي وَقْعَةِ الْخَوَارِجِ قُرَّةُ بْنُ إِيَاسٍ الْمُزَنِيُّ أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَهُوَ مِنَ الصَّحَابَةِ. وَلَمَّا قُتِلَ نَافِعُ بْنُ الْأَزْرَقِ رَأَّسَتِ الْخَوَارِجُ عَلَيْهِمْ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ مَاحُوزَ، فَسَارَ بِهِمْ إِلَى الْمَدَائِنِ فَقَتَلُوا أَهْلَهَا، ثُمَّ غَلَبُوا عَلَى الْأَهْوَازِ وَغَيْرِهَا، وَجَبَوُا الْأَمْوَالَ وَأَتَتْهُمُ الْأَمْدَادُ مِنَ الْيَمَامَةِ وَالْبَحْرَيْنِ، ثُمَّ سَارُوا إِلَى أَصْفَهَانَ، وَعَلَيْهَا عَتَّابُ بْنُ وَرْقَاءَ الرِّيَاحِيُّ، فَالْتَقَاهُمْ فَهَزَمَهُمْ، وَلَمَّا قُتِلَ أَمِيرُ الْخَوَارِجِ ابْنُ مَاحُوزَ، كَمَا سَنَذْكُرُ، أَقَامُوا عَلَيْهِمْ قَطَرِيُّ بْنُ الْفُجَاءَةِ أَمِيرًا. ثُمَّ أَوْرَدَ ابْنُ جَرِيرٍ قِصَّةَ قِتَالِهِمْ مَعَ أَهْلِ الْبَصْرَةِ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: دُولَابُ. وَكَانَتِ الدَّوْلَةُ لِلْخَوَارِجِ عَلَى أَهْلِ الْبَصْرَةِ، وَخَافَ أَهْلُ الْبَصْرَةِ مِنَ الْخَوَارِجِ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৮৯২


পরস্পর মুকাবিলা করল , ও প্রচণ্ড যুদ্ধে লিপ্ত হল ৷ উভয় পক্ষই অত্যন্ত ধৈ৫র্যর পরিচয় দিল ৷
মুহাল্লাবের সৈন্য সংখ্যাট্রছিল প্রায় ত্রিশ হাজার ৷ তারপর, থারিজীরা ভীষ্ণভাবে হামলা করল ৷
মুহাল্লাবের সঙ্গীর৷ পরাজয় বরণ করল ৷ তাদের মধ্যে ন্পুত্র পিতার ^দিকে লক্ষ্য করল না ৷
৫হাটকর৷ কেউ কারো প্রতি লক্ষ্য করার সুযোগ পায়নি কিছুসৎখ্যক সৈন্য অবশ্য বসরায় পৌছে
গিয়েজ্জি এদিকে মুহাল্লাব পরাজয় বরণকারী সৈন্যদের প্রহানের পুর্বেই একটি উচু জায়গায়
দাড়িয়ে তাদেরকে আহবান করতে লাগলেন এবং বলতে লাপলেন, ৫হ আল্লাহর বান্দাগণ!
আমার দিকে এসো ৷ তখন তার দিকে তিন হাজার অশ্বারােহী সাহসী সৈন্য এগিয়ে আসল ৷
তিনি তাদের মধ্যখা৫ন দাড়ালেনঃ এবং তাদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ৷ বক্ত৫ব্য তিনি বলেন, ৫হ
জনগণ ! ধ্ তোমরা জেনে ৫রখো, কোন কোন সময় আল্লাহ তাআল৷ বিরাট ৫সনাদলকে তাদের
নিজেদের উপর নিভরিশীল করে দেন এবং তারা পরাজয় বরণ করে ৷ আর অনেক সময় ক্ষুদ্র
দলের প্রতি তিনি সাহায্য করেন এবং তারা জয়লাভ করে ৷ আমার আযুব শপথ ! তোমরা
এখন সং খ্যায় কম নও ৷ তোমরা ধৈর্য এবং বিজয়ের র্মুর্তপ্রত্তীক ৷ ;আমি পছন্দ করি না
তোমাদের মধ্যে এমন লোক একটিও থাকুক, যে পরাজয় বরণ করেছে ৷ ৩া৷ল্লাহ্ৰু তা জানা
সুৱায়ে তাওবার : অর্থাৎ তারা
তোমাদের সাথে বের হলে তারা তোমাদের বিভ্রাস্তি বৃদ্ধি করত এবং তোমাদের মধ্যে ফিৎনাব
সৃষ্টির উদ্দেশ্যে৫ তামা৫দর মধ্যে ছুটাছুটি করত ৷ তারপর তিনি বলেন, আমি চাই তোমাদের
প্রত্যেকে নিজের সাথে দশটি করে পাথরের টুকরো ধারণ কর, তারপর আমাদেরকে নিয়ে
তাদের সৈন্যদলের কাছে চল ৷ তারা এখন নিরাপদ বোধ করছে ৷ তাদের ঘোড়া তোমাদের
ভইিদেরকে খুজে ৫বর করার জন ইতিমধের্কবের হয়ে গেছে ৷ আল্লাহর-শপথ ! আমি চ ই
তারা ফিরে এসে যেন ৫দ৫য় যে, তোমরা তাদের সৈন্যদেরকে ধ্বং স করে দিয়েছ এবং তাদের
আর্মীরকে হত্যা করে ৫ফ৫লছ ৷ সৈন্যগণ নির্দেশিত কাজ করতে প্রস্তুত হন ৷ যুহাল্লাব ইবন আবু
সুফরা তাদেরকে নিয়ে খ্ারিজীদের উপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালা৫লন এবং তাদের অ৫নক৫ক
অর্থাৎ সাত হাজার লোককে হত্যা করলেন ৷ আযারিক৷ নামক খারিজীসম্প্রদা৫য়র অনেক
লোকের সাথে তাদের নেতা উবাইদুল্লাহ্ ইবন মাহুযও নিহত হয় ৷ মুহাল্পাৰ্ খারিজী দের প্রচুর
সম্পদ ন্তঃগত করেন ৷ যারা পরাজয় বরণকারী৫দর খোজে নিয়োজিত ছিল তাদের
প্রত্যাবর্ত৫নর পথে মুহাল্লাব কিছু অশ্বা৫রাহী সৈন্যকে সতর্ক অবস্থায় রাখলেন ৷৩ তারা নিজেদের
লোকদের ব্যতীত অন্যদের যাতায়াতে বিধি নিষেধ আরোপ করেন৷ তাই তাদের পরাজিত
সৈন্যদের কিছু অংশ কিরমান ও ইস্পাহান পলায়ন করে এবং মুহাল্লাব আল আহওয়ায নামক
স্থানে অবস্থান করেন ৷ আর হারিস ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু রাবীআ বসরা থেকে বহিষ্কৃত
হলে ঘুসআব ইবন যুবাইর বসরা আগমন করেন ৷
ইবন জা ৷রীর (রা) বলেন, এ বছরই মারওয়ান ইবনুল হাকাম তার মৃত্যুর পুর্ব মুহুর্তে তার
পুত্র মুহাম্মদ৫ক আল জাযীরার দিকে প্রেরণ করেন ৷ এটা ছিল তার মিস রে যাওয়ার পুর্বের
, ঘটনা! ৰু
আমি বলি, এই মুহাম্মদ ইবন মারওয়ানই মারওয়ানুল হিম৫রর পিতা ৷ আর মারওয়ানুল
হিমার হলেন মারওয়ান ইবন মুহাম্মদ ইবন মারওয়ান ৷ তিনি হলেন, বনু উমইিয়ার সর্বশেষ
খলীফা তার হাত থেকেই আব্বাসীয়৷ খিলাফত ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ৷

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া -৬০
€০া৷া


يَدْخُلُوا الْبَصْرَةَ، فَبَعَثَ ابْنُ الزُّبَيْرِ فَعَزَلَ نَائِبَهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ، الْمَعْرُوفَ بِبَبَّةَ، بِالْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ الْمَعْرُوفِ بِالْقُبَاعِ، وَأَرْسَلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ الْمُهَلَّبَ بْنَ أَبِي صُفْرَةَ الْأَزْدِيَّ عَلَى عَمَلِ خُرَاسَانَ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى الْبَصْرَةِ قَالُوا لَهُ: إِنَّ قِتَالَ الْخَوَارِجِ لَا يَصْلُحُ إِلَّا لَكَ. فَقَالَ: إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ بَعَثَنِي عَلَى خُرَاسَانَ، وَلَسْتُ أَعْصِي أَمْرَهُ. فَاتَّفَقَ أَهْلُ الْبَصْرَةِ مَعَ أَمِيرِهِمُ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ عَلَى أَنْ كَتَبُوا كِتَابًا عَلَى لِسَانِ ابْنِ الزُّبَيْرِ إِلَى الْمُهَلَّبِ يَأْمُرُهُ فِيهِ بِالْمَسِيرِ لِلْخَوَارِجِ لِيَكُفَّهُمْ عَنِ الدُّخُولِ إِلَى الْبَصْرَةِ، فَلَمَّا قُرِئَ عَلَيْهِ الْكِتَابُ اشْتَرَطَ عَلَى أَهْلِ الْبَصْرَةِ أَنْ يُقَوِّيَ جَيْشَهُ مِنْ بَيْتِ مَالِهِمْ، وَأَنْ يَكُونَ لَهُ مَا غَلَبَ عَلَيْهِ مِنْ أَمْوَالِ الْخَوَارِجِ، فَأَجَابُوهُ إِلَى ذَلِكَ، وَيُقَالُ: إِنَّهُمْ كَتَبُوا بِذَلِكَ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَأَمْضَى لَهُمْ ذَلِكَ وَسَوَّغَهُ. فَسَارَ إِلَيْهِمُ الْمُهَلَّبُ، وَكَانَ شُجَاعًا بَطَلًا صِنْدِيدًا، فَلَمَّا الْتَقَى هُوَ وَالْخَوَارِجُ أَقْبَلُوا إِلَيْهِ يَزِفُّونَ فِي عُدَّةٍ لَمْ يُرَ مِثْلُهَا مِنَ الدُّرُوعِ وَالزُّرُودِ وَالْخُيُولِ وَالسِّلَاحِ، وَذَلِكَ أَنَّ لَهُمْ مُدَّةً يَأْكُلُونَ تِلْكَ النَّوَاحِيَ، وَقَدْ صَارَ لَهُمْ تَحَمُّلٌ عَظِيمٌ مَعَ شَجَاعَةٍ لَا تُدَانَى، وَإِقَدْامٍ لَا يُسَامَى، وَقُوَّةٍ لَا تُبَارَى، وَسَبْقٍ إِلَى حَوْمَةِ الْوَغَى لَا يُجَارَى، فَلَمَّا تَوَاقَفَ النَّاسُ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: سِلَّى وَسِلِّبْرَى. اقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، وَصَبْرَ كُلٌّ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ صَبْرًا بَاهِرًا، وَكَانَ الْمُهَلَّبُ فِي نَحْوٍ مِنْ ثَلَاثِينَ أَلْفًا، ثُمَّ إِنَّ الْخَوَارِجَ حَمَلُوا حَمْلَةً مُنْكَرَةً، فَانْهَزَمَ أَصْحَابُ الْمُهَلَّبِ لَا يَلْوِي وَالِدٌ عَلَى وَلَدٍ، وَلَا يَلْتَفِتُ أَحَدٌ إِلَى أَحَدٍ، وَوَصَلَ إِلَى الْبَصْرَةِ فَلُّهُمْ، وَأَمَّا الْمُهَلَّبُ فَإِنَّهُ سَبَقَ الْمُنْهَزِمِينَ، فَوَقَفَ لَهُمْ بِمَكَانٍ مُرْتَفِعٍ مِنَ الْأَرْضِ، وَجَعَلَ يُنَادِي: إِلَيَّ عِبَادَ اللَّهِ. فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ مِنْ جَيْشِهِ ثَلَاثَةُ آلَافٍ مِنَ الْفُرْسَانِ الشُّجْعَانِ، فَقَامَ فِيهِمْ خَطِيبًا، فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: أَمَّا بَعْدُ، أَيُّهَا النَّاسُ، فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى رُبَّمَا يَكِلُ الْجَمْعَ الْكَثِيرَ إِلَى أَنْفُسِهِمْ فَيُهْزَمُونَ، وَيُنْزِلُ النَّصْرَ عَلَى الْجَمْعِ الْيَسِيرِ فَيَظْهَرُونَ،
পৃষ্ঠা - ৬৮৯৩
وَلَعَمْرِي مَا بِكُمُ الْآنَ مِنْ قِلَّةٍ، وَأَنْتُمْ فُرْسَانُ أَهْلِ الْمِصْرَ وَأَهْلُ النَّصْرِ، وَمَا أُحِبُّ أَنَّ أَحَدًا مِمَّنِ انْهَزَمَ مَعَكُمُ الْآنَ، وَلَوْ كَانُوا فِيكُمْ مَا زَادُوكُمْ إِلَّا خَبَالًا. ثُمَّ قَالَ: عَزَمْتُ عَلَى كُلِّ رَجُلٍ مِنْكُمْ إِلَّا أَخَذَ عَشَرَةَ أَحْجَارٍ مَعَهُ، ثُمَّ امْشُوا بِنَا إِلَى عَسْكَرِهِمْ ; فَإِنَّهُمُ الْآنَ آمِنُونَ، وَقَدْ خَرَجَتْ خُيُولُهُمْ فِي طَلَبِ إِخْوَانِكُمْ، فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَرْجُوَ أَنْ لَا تَرْجِعُ إِلَيْهِمْ خَيْلُهُمْ حَتَّى تَسْتَبِيحُوا عَسْكَرَهُمْ، وَتَقْتُلُوا أَمِيرَهُمْ. فَفَعَلَ النَّاسُ ذَلِكَ، فَزَحَفَ بِهِمْ الْمُهَلَّبُ بْنُ أَبِي صُفْرَةَ عَلَى عَسْكَرِ الْخَوَارِجِ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا نَحْوًا مِنْ سَبْعَةِ آلَافٍ، وَقَتَلَ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ الْمَاحُوزِ فِي جَمَاعَةٍ كَثِيرَةٍ مِنَ الْأَزَارِقَةِ، وَاحْتَازَ مِنْ أَمْوَالِهِمْ شَيْئًا كَثِيرًا، وَقَدْ أَرْصَدَ الْمُهَلَّبُ خُيُولًا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الَّذِينَ يَرْجِعُونَ مِنْ طَلَبِ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، فَجَعَلُوا يُقْتَطَعُونَ دُونَ قَوْمِهِمْ، وَانْهَزَمَ فَلُّهُمْ إِلَى كَرْمَانَ وَأَرْضِ أَصْبَهَانَ، وَأَقَامَ الْمُهَلَّبُ بِالْأَهْوَازِ حَتَّى قَدِمَ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ إِلَى الْبَصْرَةِ، وَعَزَلَ عَنْهَا الْحَارِثَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ، كَمَا سَيَأْتِي قَرِيبًا. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وَجَّهَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ قَبْلَ مَهْلِكِهِ ابْنَهُ مُحَمَّدًا إِلَى الْجَزِيرَةِ، وَذَلِكَ قَبْلَ مَسِيرِهِ إِلَى مِصْرَ. قُلْتُ: مُحَمَّدُ بْنُ مَرْوَانَ هَذَا هُوَ وَالِدُ مَرْوَانَ الْحِمَارِ، وَهُوَ مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ، وَهُوَ آخِرُ خُلَفَاءِ بَنِي أُمَيَّةَ، وَمِنْ يَدِهِ اسْتَلَبَ الْخِلَافَةَ الْعَبَّاسِيُّونَ كَمَا سَيَأْتِي. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ عَزَلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ أَخَاهُ عُبَيْدَةَ عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ، وَوَلَّاهَا أَخَاهُ مُصْعَبًا، وَذَلِكَ أَنَّ عُبَيْدَةَ خَطَبَ النَّاسَ، فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ:
পৃষ্ঠা - ৬৮৯৪


,
ইবন জারীর (র) আরো বলেন, এ বছরেই আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) তার ভইি
উবাইদুল্লাহ্কে মদীনায় শাসন ক্ষমতা থেকে অপসারর্ণ করেন এবং নিত্তেরে অন্য ভইি ঘৃসআবকে
সেখানকার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷ তার কারণ হল, একদিন উবাইদুল্লাহ্ জনগ ৷ণের কাছে বক্তব্য
রাখেন ৷ তিনি তার বক্তৃতায় বলেন তোমরা দেখেছ আল্লাহ্৩ ৷ আলা হযরত সালিহ (আ) এর
সম্প্রদায়ের সাথে একটি উটের ব্যাপারে কিরুপ ব্যবহার করেছেন ৷ যার মুল্য ছিল মত্রে ৫০০
দিরহাম ৷ যখন এ বক্তান্ব্যর খবর তার ভাইয়ের কাছে পৌছে তখন তিনি বললেন, এটাতাে কৃত্রিম
আচরণ ৷৩ তিনি তাকে বরখাস্ত করেন ৷ আর এজন্য উবাইদুল্লা হ্কে বলা হত উটের মুল্য বিচারক ৷
ইবন জারীর (র) আরো বলেন, এ বছরের শেষের দিকে আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা )
আবদুল্লাহ ইবন ইয়াষীদ আল খা৩ মীকে কুফ৷ হতে বরখাস্ত করেন এবং আবদুল্লাহ; ;ইবন
মুভীকে কুফার শ্া৷সনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷ তিনি হারবার দিন মুহাজিরদের আমীর ছিলেন যখন
তারা ইয়াযীদের বায় আত প্রত্যাহার করেছিল ৷
ইবন জারী র (র) বলেন, এ বছরেই বসরায় তাপঘাত জনিত প্লেগ রোগ দেখা দিয়েছিল ৷
আল মুনতাযিম নামক কিভাবে ইবনুল জাওযী (র) বলেন, এ রোগটি ৬৪ হিজরী সালে দেখা
দিয়েছিল ৷ কেউ কেউ বলেন ৬৯ হিজরী সালে দেখা দিয়েছিল ৷ শেষোক্ত অভিমতটি আমাদের
ওস্তাদ আর যাহবী (র) প্রমুখ উল্লেখ করেছেন৷ আর এ ঘটনার সিৎহভাগই বসরায় সংঘটিত
হয়েছিল ৷ আর এটা ছিল তিন দিন স্থায়ী ৷ তিনদিনের প্রথম দিনে বসরায় সত্তর হাজার লোক
মারা গিয়েছিল ৷ দ্বিতীয় দিনে মারা গিয়েছিল ৭১ হাজার লোক ৷ আর তৃতীয় দািন মারা
গিয়েছিল ৭৩ হাজার লোক ৷
চতুর্থ দিন কয়েকজন ব্যতীত প্রায় সকলেই মৃত অবস্থায় ছিল ৷ কথিত আছে যে, বসরায়
আমীরের মাতা ইনতিকাল করেন ৷ কিন্তু এমন কোন লোক পাওয়া গেল না, যে তাকে দাফনের
জন্য বয়ে নিয়ে যাবে ৷ ত তার জন্যে চারজন মজুর নিয়োগ করা হয়েজ্যি ৷ হাফিজ আবুনুঅইিম
ইস্পাহানী উবায়দুল্লাহ্ মাদী (বা) এক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন ৷ ঐ লোকটির কুনীয়াত ছিল আবু
নুফাইদ আর তিনি এ প্রেগ রোগ প্রত্যক্ষ করেছিলেন ৷ তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন গোত্রে গমন
ন্ করতাম এবং মৃত দেহ দাফন করতাম ৷ যখন মৃতের সংখ্যা বেড়ে গেল তখন আমাদের পক্ষে
লাশগুলো দাফন করা সম্ভব হল না ৷ ন্ আমরা তখন কোন একটি ঘরে প্রবেশ করতাম আর যখন
দেখতাম সে ঘরের সকলেই মারা গেছে তখন সব লাশ ঘরের ভেতর রেখে দরজা বন্ধ করে
দিতাম ৷ তিনি বলেন, একটি ঘরে আমরা প্রবেশ করলাম এবং খুজতে লাগলাম কিন্তু একজনকেও
জীবিত পেলাম না, আমরা তখন ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলাম ৷ যখন তালিকা প্রস্তুতকারীর দল
আসল, তখন আমরা তাদেরকে নিয়ে বিজ্যি গোত্রে গমন করতাম ও তাদের জন্যে বন্ধ দরজা খুলে
দিতাম ৷ এরুপ এক সময়“ আমরা একটি ঘরের দরজা খুলে দিলাম, যে দরজা আমরা পুর্বে বন্ধ
করেকািাম ৷ আমরা দরজাটি খুলে দিয়ে খোজ করতে লাগলাম কোন জীবিত ব্যক্তিআছে কিনা ৷
হঠাৎ ঘরের মধ্যে দেখতে পেলাম একটি জীবিত বালক, তরতাজা তৈল মাথা ৷ মনে হচ্ছে যেন
এখনই তাকে মায়ের কােল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ৷ তিনি আরও বলেন, আমরা এ বালকটির
কাছে দাড়িয়ে ছিলাম এবং বিস্ময় প্রকাশ করহ্নিম্াম ৷ হঠাৎ দেখি একটি কুকুর দেয়ালের ফাক দিয়ে
ঘরে ঢুকল ৷ ঘরে ঢুকে কুকুরটি বালকটির গা ঘেষে র্দাড়াল আর বালকটিও তার কাছে আগহে
এগিয়ে গেল ৷ এরপর বালকটি কুকুরের দুধ, পাস করতে লাগল ৷ তিনি বলেন, কিছুকাল পরে আমি
সেই বালকটিকে বসরায় মসজিদে দেখতে পেলাম তখনও তার একমুঠাে দাড়ি ছিল ৷


وَقَدْ رَأَيْتُمْ مَا صَنَعَ اللَّهُ بِقَوْمِ صَالِحٍ فِي نَاقَةٍ قِيمَتُهَا خَمْسُمِائَةِ دِرْهَمٍ. فَلَمَّا بَلَغَتْ أَخَاهُ قَالَ: إِنَّ هَذَا لَهُوَ التَّكَلُّفُ وَعَزَلَهُ، فَسُمِّيَ مُقَوِّمَ النَّاقَةِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي آخِرِهَا عَزَلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ عَنِ الْكُوفَةِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ الْخَطْمِيَّ، وَوَلَّى عَلَيْهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُطِيعٍ الَّذِي كَانَ أَمِيرَ الْمُهَاجِرِينَ يَوْمَ الْحَرَّةِ، لَمَّا خَلَعُوا يَزِيدَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: فِي هَذِهِ السَّنَةِ كَانَ الطَّاعُونُ الْجَارِفُ بِالْبَصْرَةِ. وَقَالَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي " الْمُنْتَظَمِ ": كَانَ فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ، وَقَدْ قِيلَ: إِنَّمَا كَانَ فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَسِتِّينَ. وَهَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ الَّذِي ذَكَرَهُ شَيْخُنَا الذَّهَبِيُّ وَغَيْرُهُ، وَكَانَ مُعْظَمَ ذَلِكَ بِالْبَصْرَةِ، وَكَانَ ذَلِكَ فِي ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، فَمَاتَ فِي أَوَّلِ يَوْمٍ مِنْهُ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ سَبْعُونَ أَلْفًا، وَفِي الْيَوْمِ الثَّانِي مِنْهُ أَحَدٌ وَسَبْعُونَ أَلْفًا، وَفِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ مِنْهُ ثَلَاثَةٌ وَسَبْعُونَ أَلْفًا، وَأَصْبَحَ النَّاسُ فِي الْيَوْمِ الرَّابِعِ مَوْتَى إِلَّا قَلِيلًا مِنْ آحَادِ النَّاسِ، حَتَّى ذُكِرَ أَنَّ أُمَّ الْأَمِيرِ بِهَا مَاتَتْ، فَلَمْ يُوجَدْ لَهَا مَنْ يَحْمِلُهَا، حَتَّى اسْتَأْجَرُوا لَهَا أَرْبَعَةَ أَنْفُسٍ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ الْأَصْبَهَانِيُّ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِصَامٍ،
পৃষ্ঠা - ৬৮৯৫


ইবন জারীব (রা) বলেন, এ বছরেই হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুব ৷ইর (বা) কারা শরীফকে
পুনর্নির্মাণ করেন এবং হাভীম কে কা বা ঘরের ভেতরে ঢুকিয়ে দেন ৷ কাব ৷শরীফের দু টি
দরজা রাখেন ৷ একটি দরজা প্রবেশ করার এবং ডান দরজা বের হবার জন ৷

ইবন জারীর (র) ইসহাক যিয়াদ ইবন জানলে (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) যখন মক্কার শাসনকর্তা ছিলেন ৷ তখন আমি তাকে

বলতে শুনেছি, আমার মাতা আসমা বিনত আবু,বক্র (রা) আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে,
একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত আয়েশা সিচুদীক৷ (রা)-কে বলেন,, যদি তোমার সম্প্রদায়ের
লোকদের কুফরীর যাযান৷ ৷নিকটবভী না হতাহলে আ মি হযরত ৩ইবরাহীম (আ) এর ভিত্তির
উপর কা বাকে নির্মাণ করা পছন্দ করতাম আর কা যার মধ্যে হাভীময়ুক সং যোজন করতায’ ৷

আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) হুকুম দিলেন তখন লোকজন খনন করতে আরম্ভ করল ৷ কিন্তু

তার উ টের আকারের একটি টিলা £দ রতে পেল ৷ তার থেকে তারা একটি বড় পাথরকে নাড়া
দিল কিংবা আঘাত করল ৷ তৎক্ষণাৎ সেখানে বিদ্যুৎ চমকে উঠতে লাগল ৷ আবদুর হ ইবন
যুবাইর (রা) বলেন, এটা যেভাবে আছে সেভাবেই থাকতে দাও ৷ এভাবে হযরত আবদুল্লাহ
ইবন যুবাইর (রা) কাব৷ শরীফের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করলেন ৷ তার দু’টি দরজা রাখেন-
একটি প্রবেশ করার জন্য এবং অপরটি বের হবার জন্য ৷

, আমি বলি, এ হাদীসটি বিভিন্ন সনদে হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (বা) হতে বিভিন্ন হাদীসের
ন্রুউঅিতাবে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন জারীর (বা) এ বছরে সং ঘটিত বিভিন্ন যুদ্ধের বিবরণ পেশ
করেন৷ ফেলে আবদুল্লাহ ইবন খাযিম এবং আল-হারশী ইবন হিলাল আলন্কাযীঈর মধ্যে
খুরাসানে বহু যুদ্ধ সংঘটিত হয় যার বর্ণনা অত্যন্ত দীর্ঘ ৷ ইবন জারীর (র) আরো বলেন,
বছরেই আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) লোকজনকে নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷ , আর তখন
মদীনায় শাসক ছিলেন মুসআব ইবন যুবাইর ৷ ন্ কুফার শাসক ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন মুতী
এবং বসরার শাসক ছিলেন আল হারিস ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু রাবীআ আল্-;মাখযুমী ৷

এ বছরে যেসব ন্বক্তিতৃ ইনতিকাল করেন তাদের মধ্যে একজন হলেন আবু মুহাম্মদ
আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন আল আস ৷ ইবন ওয়াইল আস-সাহমী ৷ তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ,
ৰিদ্বা ৷ন ও ইৰাদতগুযার সাহাৰীদের অন৩ ম ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) হতে বহু হাদীস লিপিবদ্ধ
করেন ৷ তিনি তার পিতার পুর্বে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তিনি তার পিতার চাইতে বার

বছরের ছেটি ছিলেন ৷ তিনি উচ্চ শিক্ষিত ছিলেন, ইবাদতাঃযারন্ ছিলেন এবং বৃদ্ধিমানরুছিলেন ৷
আমীর যুআবিয়া (রা)-এর সাথে থাকার জমে তিনি তার পিতাকে অনুযোগপ্কয়তেন ৷ তিনি
ছিলেন হৃষ্টপুষ্ট ৷ তিনি দুই আসমানী কিতাব তিলাওয়াত করতেন কুরআন শরীফ ও
তাওরাত ৷ কথিত ৩আছে যে তিনি তাল্লাহুৱ তার এত ক ৷ন্নাকাটি করতেন যে, বৃদ্ধ বয়সে তিনি

, অন্ধ হয়ে যান ৷ তিনি সারারাত জেগে সালাত আদায় করতে ন ৷ আর সরোদিন রােযা রাখতেন

এবং একদিন পর একদিন ব্রোয৷ রাখতেন ৷ আমীর মুআবির৷ (রা) তাকে কুক্ষাৱর্দু প্রশাসক
নিযুক্ত করেছিলেন ৷ তারপর ভীকে বরখাস্ত করেন এবং ৫সখান্থন মুগীরা ইবন শুপবাকে আমীর
নিযুক্ত কারন ৷ এ বছরেই তিনি মিসরে ইনতিক্ালকংরন ৷ আব্দুল্লাহ ইবন মাসআদাহ আল-
ফাৰাৰী মক্কায় এ বছরেই নিহত হন ৷ তিনি একজন সাহাৰী ছিলেন৷ তিনি দামেশৃক বসবাস
ন্ মোঃ ৷ কেউ কেউ বলেন, তিনি ছিলেন ফাযারা গোত্রের কয়েদীদের অন্তর্ভুক্ত ৷ ,


حَدَّثَنِي مَعْدِيٌّ، عَنْ رَجُلٍ يُكَنَّى أَبَا النُّفَيْلِ، وَكَانَ قَدْ أَدْرَكَ زَمَنَ الطَّاعُونِ، قَالَ: كُنَّا نَطُوفُ فِي الْقَبَائِلِ وَنَدْفِنُ الْمَوْتَى، فَلَمَّا كَثُرُوا لَمْ نَقْوَ عَلَى الدَّفْنِ، فَكُنَّا نَدْخُلُ الدَّارَ، وَقَدْ مَاتَ أَهْلُهَا، فَنَسُدُّ بَابَهَا. قَالَ: فَدَخَلْنَا دَارًا فَفَتَّشْنَاهَا، فَلَمْ نَجِدْ فِيهَا أَحَدًا حَيًّا فَسَدَدْنَا بَابَهَا، فَلَمَّا مَضَتِ الطَّوَاعِينُ كُنَّا نَطُوفُ نَنْزِعُ تِلْكَ السُّدَدِ عَنِ الْأَبْوَابِ، فَفَتَحْنَا سُدَّةَ الْبَابِ الَّذِي كُنَّا فَتَّشْنَاهُ، فَإِذَا نَحْنُ بِغُلَامٍ فِي وَسَطِ الدَّارِ طَرِيٍّ دَهِينٍ، كَأَنَّمَا أُخِذَ سَاعَتَئِذٍ مِنْ حِجْرِ أُمِّهِ. قَالَ: وَنَحْنُ وُقُوفٌ عَلَى الْغُلَامِ نَتَعَجَّبُ مِنْهُ فَدَخَلَتْ كَلْبَةٌ مِنْ شَقٍّ فِي الْحَائِطِ، فَجَعَلَتْ تَلُوذُ بِالْغُلَامِ، وَالْغُلَامُ يَحْبُو إِلَيْهَا حَتَّى مَصَّ مِنْ لَبَنِهَا. قَالَ مَعْدِيٌّ: وَأَنَا رَأَيْتُ ذَلِكَ الْغُلَامَ فِي مَسْجِدِ الْبَصْرَةِ، وَقَدْ قَبَضَ عَلَى لِحْيَتِهِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ بَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ الْكَعْبَةَ الْبَيْتَ الْحَرَامَ - يَعْنِي أَكْمَلَ بِنَاءَهَا - وَأَدْخَلَ فِيهَا الْحَجَرَ، وَجَعَلَ لَهَا بَابَيْنِ، يُدْخَلُ مِنْ أَحَدِهِمَا، وَيُخْرَجُ مِنَ الْآخَرِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي إِسْرَائِيلَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ خَالِدِ بْنِ رُسْتُمَ الصَّنْعَانِيُّ أَبُو مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي زِيَادُ بْنُ جِيلٍ، أَنَّهُ كَانَ بِمَكَّةَ يَوْمَ كَانَ عَلَيْهَا ابْنُ الزُّبَيْرِ، فَسَمِعَهُ يَقُولُ: حَدَّثَتْنِي أُمِّي أَسْمَاءُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَائِشَةَ: " لَوْلَا قُرْبُ عَهْدِ قَوْمِكِ بِالْكُفْرِ لَرَدَدْتُ الْكَعْبَةَ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৬৮৯৬
أَسَاسِ إِبْرَاهِيمَ، فَأَزِيدُ فِي الْكَعْبَةِ مِنَ الْحِجْرِ ". قَالَ: فَأَمَرَ ابْنُ الزُّبَيْرِ فَحَفَرُوا فَوَجَدُوا قِلَاعًا أَمْثَالَ الْإِبِلِ، فَحَرَّكُوا مِنْهَا صَخْرَةً، فَبَرَقَتْ بَرْقَةٌ فَقَالَ: أَقِرُّوهَا عَلَى أَسَاسِهَا. فَبَنَاهَا ابْنُ الزُّبَيْرِ، وَجَعَلَ لَهَا بَابَيْنِ، يُدْخَلُ مِنْ أَحَدِهِمَا، وَيُخْرَجُ مِنَ الْآخَرِ» . قُلْتُ: هَذَا الْحَدِيثُ لَهُ طُرُقٌ مُتَعَدِّدَةٌ عَنْ عَائِشَةَ فِي الصِّحَاحِ وَالْحِسَانِ وَالْمَسَانِيدِ، وَمَوْضُوعُ سِيَاقِ طُرُقِ ذَلِكَ فِي كِتَابِ " الْأَحْكَامِ " إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي هَذِهِ السَّنَةِ حُرُوبًا جَرَتْ بَيْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَازِمٍ بِخُرَاسَانَ، وَبَيْنَ الْحَرِيشِ بْنِ هِلَالٍ الْقُرَيْعِيِّ، يَطُولُ تَفْصِيلُهَا. قَالَ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَكَانَ عَلَى الْمَدِينَةِ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَعَلَى الْكُوفَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُطِيعٍ، وَعَلَى الْبَصْرَةِ الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ الْمَخْزُومِيُّ.