قصة موسى الكليم عليه الصلاة والسلام
قصة موسى والخضر عليهما الصلاة والسلام
পৃষ্ঠা - ৬৮৪
মুসা (আ) ও খিযির (আ)-এর ঘটনা
আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন :
?
ৰুর্চুঠু
fl
০
এে এ
দি
প্রশ্ন
এ
#
ণাং
এ ত্রৈ
া
[قِصَّةُ مُوسَى وَالْخَضِرِ عَلَيْهِمَا الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ]
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذْ قَالَ مُوسَى لِفَتَاهُ لَا أَبْرَحُ حَتَّى أَبْلُغَ مَجْمَعَ الْبَحْرَيْنِ أَوْ أَمْضِيَ حُقُبًا - فَلَمَّا بَلَغَا مَجْمَعَ بَيْنِهِمَا نَسِيَا حُوتَهُمَا فَاتَّخَذَ سَبِيلَهُ فِي الْبَحْرِ سَرَبًا - فَلَمَّا جَاوَزَا قَالَ لِفَتَاهُ آتِنَا غَدَاءَنَا لَقَدْ لَقِينَا مِنْ سَفَرِنَا هَذَا نَصَبًا - قَالَ أَرَأَيْتَ إِذْ أَوَيْنَا إِلَى الصَّخْرَةِ فَإِنِّي نَسِيتُ الْحُوتَ وَمَا أَنْسَانِيهُ إِلَّا الشَّيْطَانُ أَنْ أَذْكُرَهُ وَاتَّخَذَ سَبِيلَهُ فِي الْبَحْرِ عَجَبًا - قَالَ ذَلِكَ مَا كُنَّا نَبْغِ فَارْتَدَّا عَلَى آثَارِهِمَا قَصَصًا - فَوَجَدَا عَبْدًا مِنْ عِبَادِنَا آتَيْنَاهُ رَحْمَةً مِنْ عِنْدِنَا وَعَلَّمْنَاهُ مِنْ لَدُنَّا عِلْمًا - قَالَ لَهُ مُوسَى هَلْ أَتَّبِعُكَ عَلَى أَنْ تُعَلِّمَنِ مِمَّا عُلِّمْتَ رُشْدًا - قَالَ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا - وَكَيْفَ تَصْبِرُ عَلَى مَا لَمْ تُحِطْ بِهِ خُبْرًا - قَالَ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ صَابِرًا وَلَا أَعْصِي لَكَ أَمْرًا - قَالَ فَإِنِ اتَّبَعْتَنِي فَلَا تَسْأَلْنِي عَنْ شَيْءٍ حَتَّى أُحْدِثَ لَكَ مِنْهُ ذِكْرًا - فَانْطَلَقَا حَتَّى إِذَا رَكِبَا فِي السَّفِينَةِ خَرَقَهَا قَالَ أَخَرَقْتَهَا لِتُغْرِقَ أَهْلَهَا لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا إِمْرًا - قَالَ أَلَمْ أَقُلْ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا - قَالَ لَا تُؤَاخِذْنِي بِمَا نَسِيتُ وَلَا تُرْهِقْنِي مِنْ أَمْرِي عُسْرًا - فَانْطَلَقَا حَتَّى إِذَا لَقِيَا غُلَامًا فَقَتَلَهُ قَالَ أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً بِغَيْرِ نَفْسٍ لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا نُكْرًا - قَالَ أَلَمْ أَقُلْ لَكَ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا - قَالَ إِنْ سَأَلْتُكَ عَنْ شَيْءٍ بَعْدَهَا فَلَا تُصَاحِبْنِي قَدْ بَلَغْتَ مِنْ لَدُنِّي عُذْرًا - فَانْطَلَقَا حَتَّى إِذَا أَتَيَا أَهْلَ قَرْيَةٍ اسْتَطْعَمَا أَهْلَهَا فَأَبَوْا أَنْ يُضَيِّفُوهُمَا فَوَجَدَا فِيهَا جِدَارًا يُرِيدُ أَنْ يَنْقَضَ فَأَقَامَهُ قَالَ لَوْ شِئْتَ لَاتَّخَذْتَ عَلَيْهِ أَجْرًا - قَالَ هَذَا فِرَاقُ بَيْنِي وَبَيْنِكَ سَأُنَبِّئُكَ بِتَأْوِيلِ مَا لَمْ تَسْتَطِعْ عَلَيْهِ صَبْرًا - أَمَّا السَّفِينَةُ فَكَانَتْ لِمَسَاكِينَ يَعْمَلُونَ فِي الْبَحْرِ فَأَرَدْتُ أَنْ أَعِيبَهَا وَكَانَ وَرَاءَهُمْ. مَلِكٌ يَأْخُذُ كُلَّ سَفِينَةٍ غَصْبًا - وَأَمَّا الْغُلَامُ فَكَانَ أَبَوَاهُ مُؤْمِنَيْنِ فَخَشِينَا أَنْ يُرْهِقَهُمَا طُغْيَانًا وَكُفْرًا - فَأَرَدْنَا أَنْ يُبْدِلَهُمَا رَبُّهُمَا خَيْرًا مِنْهُ زَكَاةً وَأَقْرَبَ رُحْمًا - وَأَمَّا الْجِدَارُ فَكَانَ لِغُلَامَيْنِ يَتِيمَيْنِ فِي الْمَدِينَةِ وَكَانَ تَحْتَهُ كَنْزٌ لَهُمَا وَكَانَ أَبُوهُمَا صَالِحًا فَأَرَادَ رَبُّكَ أَنْ يَبْلُغَا أَشُدَّهُمَا وَيَسْتَخْرِجَا كَنْزَهُمَا رَحْمَةً مِنْ رَبِّكَ وَمَا فَعَلْتُهُ عَنْ أَمْرِي ذَلِكَ تَأْوِيلُ مَا لَمْ تَسْطِعْ عَلَيْهِ صَبْرًا} [الكهف: 60 - 82]
[الْكَهْفِ: 60 - 82] .
পৃষ্ঠা - ৬৮৫
ধ্এ; ব্লুা ১ট্রু; ন্া৷ৰু> শ্রুষ্,;ৰু ;ৰুদ্বুার্দুপু ১া এ,;হুএ গ্লু প্রু১ছুর্চু এ ৷ ;হ্র৷ এ ৷ ’;; ৷
১ ৷ ;ট্দ্বুপুা১
১
)
ধ্)গ্র
(?
ষ্ন্নী
স্মরণ কর, যখন মুসা তার সঙ্গীকে বলেছিল, দৃই সমুদ্রের সঙ্গমস্থলে না পৌছে আমি থামব
না ৷ অথবা আমি যুগ যুগ ধরে চলতে থাকব ৷ তারা উভয়েই যখন দৃই সমুদ্রের সৎগমস্থলে
পৌছল তারা নিজেদের মাছের কথা ভুলে গেল এটা সুড়ৎগের মত পথ করে সমুদ্রে নেমে
গেল ৷ যখন তারা আরো অগ্রসর হলো, মুসা তার সঙ্গীকে বলল, আমাদের সকালের নাশৃতা
নিয়ে এসো, আমরা তে ৷ আমাদের এ সফরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি’ ৷ সঙ্গী বলল, আপনি কি লক্ষ্য
করেছেন, আমরা যখন শিলাখণ্ডে বিশ্রাম করছিলাম তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম ৷
শয়তানই এটার কথা বলতে আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল ৷ মাছটি আশ্চর্যজনকভাবে নিজের পথ
করে সমুদ্রে নেমে গেল ৷ মুসা বলল, আমরা তো সেই স্থানটিরই অনুসন্ধান করছিলাম ৷ তারপর
তারা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চলল ৷ তারপর তারা সাক্ষাৎ পেল , আমার বান্দাদের মধ্যে
একজনের, যাকে আমি আমার কাছ থেকে অনুগ্রহ দান করেছিলাম ও আমার কাছ থেকে শিক্ষা
দিয়েছিলাম এক বিশেষ জ্ঞান ৷
মুসা তাকে বলল, সত্য পথের যে জ্ঞান আপনাকে দান করা হয়েছে তা হতে আমাকে শিক্ষা
দেবেন, এই শর্তে আমি আপনার অনুসরণ করব কি? যে বলল, আপনি কিছুতেই আমার সঙ্গে
ধৈর্যধারণ করে থাকতে পারবেন ন, যে বিষয়ে আপনার জ্ঞানায়ত্ত নয় সে বিষয়ে আপনি
ধৈর্যধারণ করবেন কেমন করে? মুসা বলল, আল্লাহ্ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পারেন
এবং আপনার কোন আদেশ আমি অমান্য করব না ৷ সে বলল, আচ্ছাঅ ৷পনি যদি আমার
অনুসরণ করবেনই ৩বে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না যতক্ষণ না ৷আমি সে সম্বন্ধে
আপনাকে কিছু বলি ৷ ’ ৷ ৩ারপর উভয়ে চলতে লাগল, পরে তারা যখন নৌকায় আরোহণ করল,
তখন সে ওটা বিদীর্ণ করে দিল ৷ মুসা বলল, আপনি কি আরােহীদের নিমজ্জিত করে দেবার
জন্যে এটা বিদীর্ণ করলেন? আপনি তো এক গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন ৷ ’ সে বলল, আমি
বলিনি যে, আপনি আমার সঙ্গে কিছুতে ই ধৈর্যধারণ করতে পারবেন না?’ মুসা বলল আমার
ভুলের জন্য আমাকে অপরাধী করবেন না এবং আমার ব্যাপারে অত্যধিক কঠােরতা অবলম্বন
করবেন না
قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْكِتَابِ: إِنَّ مُوسَى هَذَا الَّذِي رَحَلَ إِلَى الْخَضِرِ، هُوَ مُوسَى بْنُ مِيشَا بْنِ يُوسُفَ بْنِ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ. وَتَابَعَهُمْ عَلَى ذَلِكَ بَعْضُ مَنْ يَأْخُذُ مِنْ صُحُفِهِمْ، وَيَنْقُلُ عَنْ كُتُبِهِمْ، مِنْهُمْ نَوْفُ بْنُ فَضَالَةَ الْحِمْيَرِيُّ الشَّامِيُّ الْبِكَالِيُّ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ دِمَشْقِيٌّ. وَكَانَتْ أُمُّهُ زَوْجَةَ كَعْبِ الْأَحْبَارِ. وَالصَّحِيحُ الَّذِي دَلَّ عَلَيْهِ ظَاهِرُ سِيَاقِ الْقُرْآنِ، وَنَصُّ الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ الصَّرِيحِ الْمُتَّفَقِ عَلَيْهِ، أَنَّهُ مُوسَى بْنُ عِمْرَانَ، صَاحِبُ بَنِي إِسْرَائِيلَ.
قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: إِنَّ نَوْفًا الْبِكَالِيَّ يَزْعُمُ أَنَّ مُوسَى صَاحِبَ الْخَضِرِ لَيْسَ هُوَ مُوسَى صَاحِبَ بَنِي إِسْرَائِيلَ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: كَذَبَ عَدُوُّ اللَّهِ; حَدَّثَنَا أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৬৮৬
তারপর উভয়ে চলতে লাগল ৷ চলতে চলতে ওদের সাথে এক বালকের সাক্ষাত ৩হলে সে
তাকে হত্যা করল ৷ তখন মুসা বলল, আপনি কি এক নিষ্পাপ জীবন নাশ করলেন, হত্যার
অপরাধ ছা ৷ড়াই৷ আপনি তে ৷ এক গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন ৷’ সে বলল, আমি কি বলিনি
যে, আপনি আমার সঙ্গে কিছুতেই ধৈর্যধারণ করতে পারবেন না ? মুসা বলল, এটার পর যদি
আমি আপনাকে কে ন বিষয়ে জিজ্ঞেস কবি৩ তবে আপনি আমাকে সঙ্গে রাখবেন না আমার
ওযর আপত্তির চুড়ান্ত হয়েছো’ তারপর উভয়ে চলতে লাগল, চলতে চলতে তারা এক
জনপদের অধিবাসীদের কাছে পৌছে তাদের কাছে খাদ্য চাইল, কিভু৩ারা তাদের মেহমানদারী
করতে অস্বীকার করলো ৷ তারপর তারা এক পতনােন্মুখ প্রাচীর দেখতে গেল এবং সে এটাকে
সুদৃঢ় করে দিল ৷ মুসা বলল, আপনি তো ৷ইচ্ছে করলে এটার জন্য পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে
পারতেন ৷ ’ সে বলল, এখানেই আপনার এবং আমার মধ্যে সম্পর্কছেদ হল; যে বিষয়ে আপনি
ধৈর্যধারণ করতে পারেন নি আমি তার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করছি ৷ ’
নৌকাটির ব্যাপার এটা ছিল কয়েকজন দরিদ্র ব্যক্তির, ওরা সমুদ্রে জীবিকা অম্বেযণ
করত; আমি ইচ্ছা করলাম নৌকাটিকে ত্রুটিযুক্ত করতে ৷ কারণ, তা ৷দের সম্মুখে ছিল এক রাজা
যে বলপ্রয়োগে সকল নৌকা ছিনিয়ে নিত ৷ আর কিশোরঢি-৩ ৷র পিতামা৩ ৷ ছিল মু মিন ৷
আমি আশঙ্কা করলাম যে, সে বিদ্রোহাচরণ ও কুফরীর দ্বারা তাদেরকে ব্বিত করবে ৷ তারপরে
আমি চাইলাম যে, ওদের প্রতিপালক যেন ওদেরকে তার পরিবর্তে এক সন্তান দান করেন, যে
হবে পবিত্রতায় মহত্তর ও ভক্তি ভ৷ ৷লবাসায় ঘনিষ্ঠতর ৷ আর ঐ প্রাচীবটি এটা ছিল নগরবাসী
দুই পিতহীন কিশোরের, এর নিম্নদেশে ৷আছে ওদের গুপ্তধন এবং ওদের পি৩ ৷ ছিল
সৎকর্যপরায়ণ ৷ সুতরাং আপনার প্রর্ণিপ লক দয়াপরবশ হয়ে ইচ্ছা করলেন যে, ওরা বয়ঃপ্রাপ্ত
হউক এবং ওরা ওদের ধনভাণ্ডার উদ্ধার করুক ৷ আমি নিজ থেকে কিছু করিনি, আপনি যে
বিষয়ে ধৈর্যধারণে অপারক হয়েছিলেন, এটাই তার ব্যাখ্যা ৷ (সুরা কাহাফ : ৫৯ ৮ ২)
কোন কোন কিতাবী বলে যে, খিযির (আ) এর কাছে যে মুসা (আ) গমন করেছিলেন, তিনি
হচ্ছেন মুসা (আ) ইবন মীশা ইবন ইউসুফ (আ) ইবন ইয়াকুব (আ) ইবন ইসহাক (আ) ইবন
ইব্রাহীম আল খলীল (আ) ৷ এ সব কিতাবীর অভিমতে র সমর্থ্য৷ করে যারা তাদের কিতাব ও
বই পুস্তক থেকে তথ্যাদি উদ্ধৃত করে থাকে, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন নুপ ইবন ফুআলা
আল হেমইয়ারী আশ-শ্ ৷,৷মী আল বৃকালী ৷ কথিত আছে যে, তিনি ছিলেন দামিশ্াকের
অধিবাসী ৷৩ তার মাতা হচ্ছেন কা ব আহবারের শ্রী ৷ বাহ্যত কুরআনের পুর্ব৷ ৷পর বর্ণনা ও সর্বজন
গৃতহী ৩বিশুদ্ধ হাদীসের স্পষ্ট দলীল দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মুসা (আ) ইবন ইমরানই হচ্ছেন বনী
ইসরাঈলের কাছে প্রেরিত মুসা (আ) ৷
ইমাম বুখারী (র) বলেন, সাঈদ ইবন জুবায়র (রা) বলেছেন একদিন আমি ইবন আব্বাস
(রা)-কে বললাম যে, নুফ আল বুকালীর ধারণা যে, খিযির (আ)-এর সাথে যে মুস৷ (আ)
সাক্ষাত করেছিলেন তিনি বনী ইসরাঈলের মুসা (আ) নন ৷ ইবন আব্বাস (বা) বলেন,
“আল্লাহর দুশমন মিথ্যা বলেছে ৷” উবাই ইবন কাব (রা) বলেন, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা)-কে
বলতে শুনেছেন যে, একদিন মুসা (আ) ইসরাঈলীদের কাছে বক্তব্য রাখছিলেন ৷ এমন সময়
তাকে প্রশ্ন করা হল যে, মানব জ দিব মধ্যে সর্ব ধিক জ্ঞানী কে ? তিনি বললেন আমি ৷
যেহেতু জ্ঞা ৷নকে তিনি আল্লাহ্ তা অ ৷লার দিকে সম্পর্কিত করেন নি৩ ৷ই আল্লাহ তা আলা তাকে
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ «إِنَّ مُوسَى قَامَ خَطِيبًا فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَسُئِلَ: أَيُّ النَّاسِ أَعْلَمُ؟ فَقَالَ: أَنَا. فَعَتَبَ اللَّهُ عَلَيْهِ; إِذْ لَمْ يَرُدَّ الْعِلْمَ إِلَيْهِ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ، إِنَّ لِي عَبْدًا بِمَجْمَعِ الْبَحْرَيْنِ، هُوَ أَعْلَمُ مِنْكَ. قَالَ مُوسَى: يَا رَبِّ، وَكَيْفَ لِي بِهِ؟ قَالَ: تَأْخُذُ مَعَكَ حُوتًا فَتَجْعَلُهُ فِي مِكْتَلٍ فَحَيْثُمَا فَقَدْتَ الْحُوتَ فَهُوَ ثَمَّ. فَأَخَذَ حُوتًا فَجَعَلَهُ بِمِكْتَلٍ، ثُمَّ انْطَلَقَ، وَانْطَلَقَ مَعَهُ فَتَاهَ يُوشَعُ بْنُ نُونٍ، حَتَّى إِذَا أَتَيَا الصَّخْرَةَ، وَضَعَا رُءُوسَهُمَا فَنَامَا، وَاضْطَرَبَ الْحُوتَ فِي الْمِكْتَلِ، فَخَرَجَ مِنْهُ فَسَقَطَ فِي الْبَحْرِ، وَاتَّخَذَ سَبِيلَهُ فِي الْبَحْرِ سَرَبًا، وَأَمْسَكَ اللَّهُ عَنِ الْحُوتِ جَرْيَةَ الْمَاءِ، فَصَارَ عَلَيْهِ مِثْلُ الطَّاقِ، فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ نَسِيَ صَاحِبُهُ أَنْ يُخْبِرَهُ بِالْحُوتِ، فَانْطَلَقَا بَقِيَّةَ يَوْمِهِمَا وَلَيْلَتِهِمَا، حَتَّى إِذَا كَانَ مِنَ الْغَدِ " قَالَ " مُوسَى {لِفَتَاهُ آتِنَا غَدَاءَنَا لَقَدْ لَقِينَا مِنْ سَفَرِنَا هَذَا نَصَبًا} [الكهف: 62] . وَلَمْ يَجِدْ مُوسَى النَّصَبَ حَتَّى جَاوَزَ الْمَكَانَ الَّذِي أَمَرَهُ اللَّهُ بِهِ " قَالَ " لَهُ فَتَاهَ: {أَرَأَيْتَ إِذْ أَوَيْنَا إِلَى الصَّخْرَةِ فَإِنِّي نَسِيتُ الْحُوتَ وَمَا أَنْسَانِيهُ إِلَّا الشَّيْطَانُ أَنْ أَذْكُرَهُ وَاتَّخَذَ سَبِيلَهُ فِي الْبَحْرِ عَجَبًا} [الكهف: 63] قَالَ: فَكَانَ لِلْحُوتِ سَرَبًا، وَلِمُوسَى وَلِفَتَاهُ عَجَبًا قَالَ: {ذَلِكَ مَا كُنَّا نَبْغِ فَارْتَدَّا عَلَى آثَارِهِمَا قَصَصًا} [الكهف: 64] قَالَ: فَرَجَعَا يَقُصَّانِ أَثَرَهُمَا، حَتَّى انْتَهَيَا إِلَى الصَّخْرَةِ، فَإِذَا رَجُلٌ مُسَجًّى بِثَوْبٍ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ مُوسَى، فَقَالَ الْخَضِرُ: وَأَنَّى بِأَرْضِكَ السَّلَامُ. قَالَ: أَنَا مُوسَى. قَالَ: مُوسَى بَنِي إِسْرَائِيلَ؟ قَالَ: نَعَمْ، أَتَيْتُكَ لِتُعَلِّمَنِي مِمَّا عُلِّمْتَ رُشْدًا. " {قَالَ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا} [الكهف: 67] "، يَا مُوسَى، إِنِّي عَلَى عِلْمٍ مِنْ عِلْمِ اللَّهِ عَلَّمَنِيهِ اللَّهُ، لَا تَعْلَمُهُ أَنْتَ، وَأَنْتَ عَلَى عِلْمٍ مَنْ عِلْمِ اللَّهِ عَلَّمَكَهُ اللَّهُ لَا أَعْلَمُهُ، فَقَالَ مُوسَى: {سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ صَابِرًا وَلَا أَعْصِي لَكَ أَمْرًا} [الكهف: 69] . قَالَ لَهُ الْخَضِرُ: {فَإِنِ اتَّبَعْتَنِي فَلَا تَسْأَلْنِي عَنْ شَيْءٍ حَتَّى أُحْدِثَ لَكَ مِنْهُ ذِكْرًا} [الكهف: 70]
পৃষ্ঠা - ৬৮৭
তর্ধসনা করলেন ৷ তার কাছে আল্লাহ তাআলা এ মর্মে ওহী প্রেরণ করেন যে, দুই সমুদ্রের
সংগমস্থুলে আমার এক বান্দা রয়েছে যিনি তোমার চাইতে অধিক জ্ঞ৷ ৷নী ৷ মুসা (আ) বললেন
“হে আমার প্রতিপালক৷ আমি কেমন করে তার কাছে পৌছতে পারব?” আল্লাহ তা আলা
বললেন, একটি মাছ সাথে নিয়ে তা থলেতে পুরে নাও ৷ যেখানেই মাছটি হারিয়ে যাবে,
সেখানেই তাকে পাওয়া যাবে ৷’ তিনি একটি মাছ নিয়ে তা একটি থলে পুরে নিলেন ৷ তারপর
তিনি চলতে লাগলেন ৷ তার সাথে তার খাদিম ইউশা ইবন নুনও ছিলেন ৷ যখন তারা
শৈলশীলার কাছে পৌছলেন, তখন তারা তাতে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন ৷ মাছটি লাফ দিয়ে
থলে থেকে বের হয়ে গেল এবং সৃড়ঙ্গের পথ করে সাগরে নেমে গোল ৷
আল্লাহ তাআলা মাছের যাত্রাপথের পানি ঠেকিয়ে রাখলেন, যাতে সুড়ঙ্গের মত হয়ে গেল ৷
মুসা যখন জাগলেন, তখন খাদিম মাছটি সম্বন্ধে তাকে অবহিত করতে ভুলে গেলেন এবং তারা
বাকি দিন ও রাত পথ চলতে লাগলেন ৷ পরদিন সকালে মুসা (আ)৩ তার খাদিমকে বলেন
আমাদের প্রাত৪রাশ আন, আমরা তো আমাদের এ সফরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি ৷ যে স্থানে
পৌছার জন্য আল্লাহ্ তাআলা মুসা (আ)-কে হুকুম দিয়েছিলেন যে স্থান অতিক্রম করার পুর্ব
পর্যন্ত তিনি কোন ক্লান্তি বোধ করেননি ৷ থাদিম মুসা (আ)-কে বললেন, “আপনি কি লক্ষ্য
করেছেন আমরা যখন শিলাখণ্ডে বিশ্রাম করছিলাম তখন আমি মাছের কথা তুলে গিয়েছিলামঃ
শয়তানই এটার কথা বলতে আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল ৷ মাছটি আশ্চর্যজনকতাবে নিজের পথ
করে সাগরে নেমে যায় ৷ অর্থাৎ মাছটি পথ করে সমুদ্রে নেমে যাওয়ায় দুজনই আশ্চর্য৷ ত
হয়ে গেলেন ৷ মুসা (আ) বললেন, আমরা তো সেই স্থানটিরই অম্বেষণ করছিলাম ৷ ’
তারপর তারা নিজেদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে চললেন এবং পাথরটির কাছে গিয়ে পৌছলেন ৷
তারা সেখানে একজন বস্ত্রাবৃত লোককে দেখতে পান ৷ মুসা (আ) তাকে সালাম দিলেন, তখন
ঐ ব্যক্তি অর্থাৎ খিযির (আ) বললেন, আপনার এ জনপদে সালাম আসল কােখেকে? মুসা (আ)
বললেন, আমি মুসা ৷ তিনি প্রশ্ন করলেন, বনী ইসরাঈলের মুসা (আ) ? মুসা (আ) বললেন হ্যা,
তাই ৷ সত্যের যে জ্ঞান আপনাকে দান করা হয়েছে৩ তা থেকে আমাকে শিক্ষা দেবেন এজন্য
আমি আপনার কাছে এসেছি ৷ খিযির (আ) বললেন, “হে মুসা (আ) ! আল্লাহ তা আলা তার
জ্ঞান থেকে আমাকে একটি বিশেষ জ্ঞান প্রদান করেছেন, যা আপনার অজ্ঞাত ৷ অনুরুপভারে
আপনাকে এমন একটি জ্ঞান দান করেছেন যা আমার অজ্ঞাত ৷ তা ৷ই আপনি কিছুতে ই আমার
সঙ্গে ধৈর্যধারণ করে থাকতে পারবেন না ৷”
হযরত মুসা (আ) খিযির (আ) কে বললেন, “আল্লাহ ইচ্ছা করলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল
পারেন এবং আপনার কোন আদেশ আমি অমান্য করব না ৷” খিযির (আ) মুসা (আ)-কে
বললেন, যদি আপনি আমার অনুকরণ করেনই, তবে কে ন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না
যতক্ষণ না আমি সে সম্বন্ধে আপনাকে কিছু বলি ৷ ’ তারপর উভয়ে সাগরের তীর ধরে চলতে
লাগলেন এবং একটি নৌকার দেখা পেলেন ৷ নৌকার মালিকদের সাথে পারাপারের ব্যাপারে
আলোচনা করলেন ৷ নৌকার মালিকগণ খিযির (আ) কে চিনতে পারলেন এবং ভাড়া না নিয়েই
তাদেরকে পার করে দিলেন ৷ যখন তারা উভয়ে নৌকায় আরোহণ করলেন, খিযির (আ)
কিছুক্ষণের মধ্যে কুঠার দ্বারা নৌক র একটি কাঠ খুলে ফেললেন ৷ তখন মুসা( (আ) তাকে
فَانْطَلَقَا يَمْشِيَانِ عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ، فَمَرَّتْ سَفِينَةٌ، فَكَلَّمَهُمْ أَنْ يَحْمِلُوهُمْ فَعَرَفُوا الْخَضِرَ، فَحَمَلُوهُمْ بِغَيْرِ نَوْلٍ، فَلَمَّا رَكِبَا فِي السَّفِينَةِ لَمْ يَفْجَأْ إِلَّا وَالْخَضِرُ قَدْ قَلَعَ لَوْحًا مِنْ أَلْوَاحِ السَّفِينَةِ بِالْقَدُومِ، فَقَالَ لَهُ مُوسَى: قَوْمٌ حَمَلُونَا بِغَيْرِ نَوْلٍ، عَمَدْتَ إِلَى سَفِينَتِهِمْ فَخَرَقْتَهَا " {لِتُغْرِقَ أَهْلَهَا لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا إِمْرًا - قَالَ أَلَمْ أَقُلْ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا - قَالَ لَا تُؤَاخِذْنِي بِمَا نَسِيتُ وَلَا تُرْهِقْنِي مِنْ أَمْرِي عُسْرًا} [الكهف: 71 - 73] » " قَالَ: وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَكَانَتِ الْأُولَى مِنْ مُوسَى نِسْيَانًا. قَالَ: وَجَاءَ عُصْفُورٌ فَوَقَعَ عَلَى حَرْفِ السَّفِينَةِ فَنَقَرَ فِي الْبَحْرِ نَقْرَةً، فَقَالَ لَهُ الْخَضِرُ: مَا عِلْمِي وَعِلْمُكَ فِي عِلْمِ اللَّهِ إِلَّا مِثْلُ مَا نَقَصَ هَذَا الْعُصْفُورُ مِنْ هَذَا الْبَحْرِ. ثُمَّ خَرَجَا مِنَ السَّفِينَةِ، فَبَيْنَمَا هُمَا يَمْشِيَانِ عَلَى السَّاحِلِ، إِذْ أَبْصَرَ الْخَضِرُ غُلَامًا يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ، فَأَخَذَ الْخَضِرُ رَأْسَهُ بِيَدِهِ فَاقْتَلَعَهُ بِيَدِهِ فَقَتَلَهُ، فَقَالَ لَهُ مُوسَى: " {أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً بِغَيْرِ نَفْسٍ لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا نُكْرًا - قَالَ أَلَمْ أَقُلْ لَكَ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا} [الكهف: 74 - 75] " قَالَ: وَهَذِهِ أَشَدُّ مِنَ الْأُولَى، " {قَالَ إِنْ سَأَلْتُكَ عَنْ شَيْءٍ بَعْدَهَا فَلَا تُصَاحِبْنِي قَدْ بَلَغْتَ مِنْ لَدُنِّي عُذْرًا - فَانْطَلَقَا حَتَّى إِذَا أَتَيَا أَهْلَ قَرْيَةٍ اسْتَطْعَمَا أَهْلَهَا فَأَبَوْا أَنْ يُضَيِّفُوهُمَا فَوَجَدَا فِيهَا جِدَارًا يُرِيدُ أَنْ يَنْقَضَّ} [الكهف: 76 - 77] " قَالَ: مَائِلٌ. فَقَالَ الْخَضِرُ بِيَدِهِ " فَأَقَامَهُ " فَقَالَ مُوسَى: قَوْمٌ أَتَيْنَاهُمْ فَلَمْ يُطْعِمُونَا، وَلَمْ يُضَيِّفُونَا " {لَوْ شِئْتَ لَاتَّخَذْتَ عَلَيْهِ أَجْرًا - قَالَ هَذَا فِرَاقُ بَيْنِي وَبَيْنِكَ سَأُنَبِّئُكَ بِتَأْوِيلِ مَا لَمْ تَسْتَطِعْ عَلَيْهِ صَبْرًا} [الكهف: 77 - 78] » قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَدِدْنَا أَنَّ مُوسَى كَانَ
পৃষ্ঠা - ৬৮৮
বললেন, এরা বিনাভাড ড়ায় আমাদেরকে পার করে দিলেন আর আপনি আরােহীদেরকে নিমজ্জিত
করার জন্যে নৌকা টিকে বিদীর্ণ করে দিলেন আপনি তো এক গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন
তিনি মুসা (আ) কে বললেন, “আমি কি আপনাকে বলিনি যে, আপনি আমার সাথে কিছুতেই
ধৈর্যধারণ করতে পারবেন না?” মুসা (আ) বললেন, “আমার ভুলের জন্য আমাকে অপরাধী
ঠাওরাবেন না এবং আমার ব্যাপারে অত্যধিক কঠোরতা অবলম্বন করবেন না ৷”
রসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, “প্রথম বারের প্রশ্নটি মুসা (আ) হতে ভুলক্রমে সংঘটিত
হয়েছিল ৷ ” রসুলুল্লাহ (সা) আরো বলেন, এমন সময় একটি চড়ুই পাখি এসে নৌকার এক
পাশে বসল তারপর ণ্ঠীট দিয়ে পানি উঠাল ৷ তখন খিযির (আ) মুসা (আ)-কে লক্ষ্য করে
বললেন, “আল্লাহ্ তাআলার জ্ঞানের তুলনায় আমার ও আপনার জ্ঞানের পরিমাণ হচ্ছে সাগর
থেকে নেয়া চড়ুই পাখির এক বিন্দু পানির মত৷ ” বা উভযে নৌকা থেকে অবতরণের পর
সাগরের কুল যেষে চলতে লাগলেন ৷ অতঃপর খিযির (আ) এক বা লককে দেখতে পেলেন ৷ যে
অন্যান্য বালকের সাথে খেলাধুলা করছিল ৷ খিযির (আ) কিশোরটির মাথা ধরে টেনে ছিড়ে
ফেললেন ৷ এভাবে ভাবে তিনি হত্যা করলেন ৷ মুসা (আ) তখন র্তাকে বললেন, “আপনি কি
এক নিষ্পাপ জীবন নাশ করলেন, হত্যার অপরাধ ছাড়াই? আপনি তো এক গুরুতর অন্যায়
কাজ করলেন!” তিনি বললেন, “আমি কি বলিনি যে, আপনি আমার সঙ্গে কিছুতেই ধৈর্যধারণ
করতে পারবেন না?
রসুলুল্লাহ (সা) বলেন, এবারের প্রশ্নটি উত্থাপন ছিল পুর্বের বারের চেয়ে গুরুতর ৷৩ তাই
মুসা (আ) বললেন, এটার পর যদি আমি আপনাকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞা ৷স৷ করিত তবে আপনি
আমাকে সঙ্গে রাখবেন না ৷ আমার ওযর আপত্তির চুড়ান্ত হয়েছে ৷ অতঃপর উভযে চলতে
লাগলেন ৷ চলতে চলতে তারা এক জনপদের আধিবাসীদের নিকট পৌছে তাদের কাছে খাদ্য
চাইলেন ৷ বিন্দু তারা এদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল ৷ অতঃপর তারা তথায় এক
পতনোন্মুখ প্রাচীর দেখতে পেলেন, তখন খিযির (আ)ত তা সুদৃঢ় করে দিলেন ৷ তখন মুসা (আ)
বললেন, “তারা এমন একটি সম্প্রদায় যাদের কাছে আমরা আগমন করলাম, তারা আমাদেরকে
না দিল খাদ্য, না করল মেহমানদারী, আপনি তাে ইচ্ছে করলে এটার জন্যে পারিশ্রমিক গ্রহণ
করতে পারতেন ৷” খিযির (আ) বললেন, “এখানেই আপনার এবংঅ আমার মধ্যে সম্পর্কছেদ
হল ৷ যে বিষয়ে আপনি ধৈর্যধারণ করতে পারেন নি আমি তার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করছি ৷ ”
রসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, আমাদের এটা পছন্দনীয় ছিল যে, মুসা (আ) যদি
ধৈর্যধারণ করতেন, তাহলে আল্লাহ্ তাআল৷ তাদের সম্বন্ধে আমাদেরকে আরও অনেক
ঘটনা শুনাভ্রুত তন ৷ সাঈদ ইবন জুবায়র (র) বলেন, উপরোক্ত আয়াতে উল্লেখিত আয়াতাত্শ
মোঃ এর স্থলে আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস
(রা) পাঠ হৰু রু শব্দটির সাথে এোশু বিশেষণ সহকারে পাঠ করতেন ৷ পুনরায়
আয়াতাংশ ,ব্লে১ >’éfl ৷ খ্রিাট্রু এর সাথে আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) পড়তেন
ষ্হু;র্দু;ন্ষ্ট্রুপ্লুশুশু !ঠুার্চু) র্দুশুস্ ন্১ছো ;১ এ শব্দটি যোগ করে পড়তে তন ৷ হাদীস শরীফে উল্লেখ
রয়েছে যে, যে ছিল কাফির ৷ বুখারী শরীফে সুফয়ান ইবন উয়ায়ন৷ (রা) এর সুত্রে অনুরুপ
صَبَرَ، حَتَّى يَقُصَّ اللَّهُ عَلَيْنَا مِنْ خَبَرِهِمَا» قَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ: فَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقْرَأُ: (وَكَانَ أَمَامَهُمْ مَلِكٌ يَأْخُذُ كُلَّ سَفِينَةٍ صَالِحَةٍ غَصْبًا) . وَكَانَ يَقْرَأُ: (وَأَمَّا الْغُلَامُ فَكَانَ كَافِرًا وَكَانَ أَبَوَاهُ مُؤْمِنَيْنِ) .
ثُمَّ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ. وَفِيهِ: «فَخَرَجَ مُوسَى، وَمَعَهُ فَتَاهُ يُوشَعُ بْنُ نُونٍ، وَمَعَهُمَا الْحُوتُ، حَتَّى انْتَهَيَا إِلَى الصَّخْرَةِ، فَنَزَلَا عِنْدَهَا. قَالَ: فَوَضَعَ مُوسَى رَأْسَهُ فَنَامَ» قَالَ سُفْيَانُ: وَفِي حَدِيثِ غَيْرِ عَمْرٍو، قَالَ: «وَفِي أَصْلِ الصَّخْرَةِ عَيْنٌ يُقَالُ لَهَا: الْحَيَاةُ. لَا يُصِيبُ مِنْ مَائِهَا شَيْءٌ إِلَّا حَيِيَ، فَأَصَابَ الْحُوتُ مِنْ مَاءِ تِلْكَ الْعَيْنِ، قَالَ: فَتَحَرَّكَ، وَانْسَلَّ مِنَ الْمِكْتَلِ، وَدَخَلَ الْبَحْرَ، فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ قَالَ مُوسَى لِفَتَاهُ: آتِنَا غَدَاءَنَا» كَذَا قَالَ. وَسَاقَ الْحَدِيثَ، وَقَالَ: «وَوَقَعَ عُصْفُورٌ عَلَى حَرْفِ السَّفِينَةِ، فَغَمَسَ مِنْقَارَهُ فِي الْبَحْرِ، فَقَالَ الْخَضِرُ لِمُوسَى: مَا عِلْمِي وَعِلْمُكَ وَعِلْمُ الْخَلَائِقِ، فِي عِلْمِ اللَّهِ، إِلَّا مِقْدَارُ مَا غَمَسَ هَذَا الْعُصْفُورُ مِنْقَارَهُ» وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ أَخْبَرَهُمْ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يَعْلَى بْنُ مُسْلِمٍ، وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ - يَزِيدُ أَحَدُهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ، وَغَيْرُهُمَا قَدْ سَمِعْتُهُ يُحَدِّثُهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ - قَالَ: إِنَّا لَعِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي بَيْتِهِ إِذْ قَالَ: سَلُونِي. فَقُلْتُ: أَيْ أَبَا عَبَّاسٍ، جَعَلَنِي اللَّهُ فِدَاكَ، بِالْكُوفَةِ رَجُلٌ قَاصٌّ، يُقَالُ لَهُ: نَوْفٌ. يَزْعُمُ أَنَّهُ لَيْسَ بِمُوسَى بَنِي إِسْرَائِيلَ. أَمَّا عَمْرٌو فَقَالَ لِي: قَالَ: قَدْ كَذَبَ عَدُوُّ اللَّهِ.
পৃষ্ঠা - ৬৮৯
বর্ণনা রয়েছে ৷ তবে এতে অতিরিক্ত রয়েছে, মুসা (আ) সফরে বের হয়ে পড়লেন ৷ তার সাথে
ছিলেন ইউশা ইবন নুন এবং৩ তাদের সাথে ছিল একটি মাছ ৷ অতঃপর তারা উভয়ে একটি
পাথরের কাছে পৌছলেন এবং দুজনেই পাথরের নিকট অবতরণ করলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
মুস৷ (আ) পাথরের উপর৩ার মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন ৷ পাথরের উপর ছিল একটি প্রস্রবণ,
যাকে ব্লুা! বলা হত ৷ কে ন কিছুর মধ্যে ঐ প্রস্রবণের পানি পড়লে ঐ বস্তুটি জীবিত হয়ে
যেত ৷ ভুনা মাছটির উপরও উক্ত প্রস্রবণ ৷৫থকে পানি পডেছিল ৷ ত ই মাছটি নড়ে উঠল, থলে
থেকে বের হয়ে সমুদ্রে পড়ে গেল ৷ অতঃপর যখন মুসা (আ) জেগে উঠলেন, তখন খাদিমকে
বললেন, আমাদের নাশত৷ নিয়ে এস ৷ আমরা তো আমাদের এ সফরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি ৷
তারপর হাদীসটির বাকি অংশ বর্ননা করা হয়েছে ৷ উক্ত হাদীসে আ রো আছে, তিনি বলেন,
নৌকার একপাশে একটি চড়ুই পাখি এসে বসল; সমুদ্রে৩ার হ্রঠ ট ডুবাল ৷ তখন খিযির (আ)
মুসা (আ)-কে বললেন, “আমার, আপনার এবং সমস্ত সৃষ্টিকুলের জ্ঞ৷ ৷ন আল্লাহর জ্ঞানের
তুলনায় এই চড়ুই পাখির সমুদ্রে ভুবানাে ৫ঠাটের মাধ্যমে সংগৃহীত এক বিন্দু পানির ন্যায়
নগণ্য ৷ আতঃপর পুর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷
ইমাম বুখারী (র) অন্য একটি সুত্রেও সাঈদ ইবন জুবায়র (বা) হতে এ হাদীসটি বর্ণনা
করেন ৷ সাঈদ ইবন জুবায়র (রা) বলেন, একদিন আমরা আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) এর
ঘরে উপবিষ্ট ছিলাম ৷ তখন তিনি বললেন, “তোমরা আমাকে যে কোন প্রশ্ন করতে পার ৷
আমি বললাম, হে আবু আব্বাস (রা) আল্লাহ তা আলা আপনার জন্যে আমাকে উৎসর্গ করে
দিন, কুফ৷ তে একজন বক্তা আছে, তাকে বলা হয় নুফ ৷ তার ধারণা যে, খিযির (আ ) এর সাথে
যায় ঘটনা ঘটেছে তিনি বনী ইসরাঈলের মুসা (আ) নন ৷ বর্ননাকারী আমরের মতে, আবদুল্লাহ
ইবন আব্বাস (রা) বলেন, “আল্লাহর দৃশমন মিথ্যা বলেছে ৷” বর্ণনাকারী ইয়ালা (র)-এর মতে,
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) বলেন, আমাকে উবাই ইবন কা’ব (রা) বলেছেন যে, রসুলুল্লাহ
(সা) বলেন, আল্লাহর রাসুল মুসা (আ) একদিন জনগণকে নসীহত করছিলেন, তাতে চোখে
পানি এসে গিয়েছিল এবং অম্ভরসমুহ ৰিগলিত হয়ে গিয়েছিল ৷ মুসা (আ) যখন স্থান ত্যাগ
করছিলেন অমনি এক ব্যক্তি তাকে পেয়ে জিজ্ঞাসা করল, “হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর যমীনে
কি কেউ আপনার চেয়ে অধিক জ্ঞানী রয়েছেন ?” তিনি প্রতি উত্তরে বললেন “না” ৷ জ্ঞানকে
আল্লাহ তাআলার প্রতি সম্পর্কিত না করায় আল্লাহ তাআলা মুসা (আ)-কে ভর্চুসন৷ করেন ৷
মুসা (আ)-কে বলা হল, “হী৷ রয়েছে ৷ মুসা (আ) বললেন, “হে আমার প্ৰতিপালক৷ তিনি
কোথায় আছেন?” আল্লাহ তাআল৷ বললেন, “দুই সমুদ্রের সংগমস্থানে ৷ ” মুসা (আ) বললেন,
“হে আমার প্রতিপালক৷ আমাকে একটি চিহ্ন নির্দেশ করুন যা দিয়ে আমি তাকে চিনে নিতে
পারব ৷” তিনি বললেন, “যেখানে মাছটি তোমার নিকট থেকে পৃথক হয়ে যাবে ৷ ”
ইয়ালা (র) বলেন, আল্লাহ ৷ আল৷ বললেন, একটি তুন৷ মাছ সাথে নিয়ে না ও ৷ যেখানেই
তাতে প্রাণ সঞ্চার করা হবে সেখানেই তুমি খিযির (আ) কে পাবে ৷ মুসা (আ) একটি মাছ
নিয়ে একটি থলে রাখলেন ৷ অতঃপর আবার খাদেমকে বললেন, “আমি তোমাকে অন্য কোন
দায়িত্ব দিয়ে কষ্ট দেব না, তুমি শুধু যেখানে মাছটি আমাদের থেকে পৃথক হয়ে যাবে যে
জায়গাটি সম্বন্ধে আমাকে অবহিত করবে ৷” খাদেম ইউশ ৷৷ (আ) বললেন, এটাতে৷ আর তেমন
কো ন কঠিন কাজ নয় ৷ এ সম্পর্কে আল্লাহ তা আল৷ বলেন, é :৷ £প্রুশুণ্ fl এে ৷ ; ৷ , অর্থাৎ
وَأَمَّا يَعْلَى، فَقَالَ لِي: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: حَدَّثَنِي أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مُوسَى رَسُولُ اللَّهِ، قَالَ: ذَكَّرَ النَّاسَ يَوْمًا حَتَّى إِذَا فَاضَتِ الْعُيُونُ وَرَقَّتِ الْقُلُوبُ، وَلَّى، فَأَدْرَكَهُ رَجُلٌ، فَقَالَ: أَيْ رَسُولَ اللَّهِ، هَلْ فِي الْأَرْضِ أَحَدٌ أَعْلَمُ مِنْكَ؟ قَالَ: لَا. فَعَتَبَ اللَّهُ عَلَيْهِ; إِذْ لَمْ يَرُدَّ الْعِلْمَ إِلَى اللَّهِ. قِيلَ: بَلَى. قَالَ: أَيْ رَبِّ فَأَيْنَ؟ قَالَ: بِمَجْمَعِ الْبَحْرَيْنِ. قَالَ: أَيْ رَبِّ، اجْعَلْ لِي عِلْمًا أَعْلَمُ ذَلِكَ بِهِ. قَالَ لِي» عَمْرٌو: قَالَ: حَيْثُ يُفَارِقُكَ الْحُوتُ. وَقَالَ لِي يَعْلَى: قَالَ: خُذْ حُوتًا مَيِّتًا، حَيْثُ يُنْفَخُ فِيهِ الرُّوحُ، فَأَخَذَ حُوتًا فَجَعَلَهُ فِي مِكْتَلٍ، فَقَالَ لِفَتَاهُ: لَا أُكَلِّفُكَ إِلَّا أَنْ تُخْبِرَنِي بِحَيْثُ يُفَارِقُكَ الْحُوتُ. قَالَ مَا كَلَّفْتَ كَبِيرًا فَذَلِكَ قَوْلُهُ: {وَإِذْ قَالَ مُوسَى لِفَتَاهُ} [الكهف: 60] يُوشَعَ بْنِ نُونٍ - لَيْسَتْ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ - قَالَ: «فَبَيْنَمَا هُوَ فِي ظِلِّ صَخْرَةٍ، فِي مَكَانٍ ثَرْيَانَ ; إِذْ تَضَرَّبَ الْحُوتُ، وَمُوسَى نَائِمٌ، فَقَالَ فَتَاهَ: لَا أُوقِظُهُ. حَتَّى إِذَا اسْتَيْقَظَ، نَسِيَ أَنْ يُخْبِرَهُ، وَتَضَرَّبَ الْحُوتُ حَتَّى دَخَلَ الْبَحْرَ، فَأَمْسَكَ اللَّهُ عَنْهُ جَرْيَةَ الْبَحْرِ، حَتَّى كَأَنَّ أَثَرَهُ فِي حَجَرٍ» قَالَ لِي عَمْرٌو: «هَكَذَا كَأَنَّ أَثَرَهُ فِي حَجَرٍ» وَحَلَّقَ بَيْنَ إِبْهَامَيْهِ وَاللَّتَيْنِ تَلِيَانِهِمَا.
পৃষ্ঠা - ৬৯০
স্মরণ কর, যখন মুসা (আ) আপন খাদেম ইউশা ইবন নুন-কে বললেন ৷ ’ সাঈদ (বা) ব্যতীত
অন্য বর্ণনাকারী বর্ণনা করেন, ইউশা (আ) একটি পরিষ্কার জায়গায় পাথরের ছায়ায় অবস্থান
করছিলেন এবং মুসা (আ) নিদ্রিত ছিলেন ৷ মাছটি নড়ে উঠল, ইউশা (আ) মনে মনে বললেন,
নিজে না জেগেওঠা পর্যন্ত আমি মুসা (আ) কে জাগাব না বরং জেগে উঠলে তার কাছে মাছের
ঘটনাটি বলব ৷ কিন্তু পরে তিনি তা বলতে ভুলে গেলেন ৷ এদিকে মাছটি নড়াচড়া করতে করতে
সাগরে নেমে গেল ৷ আল্লাহর হুকুমে মাছের নির্গমন জায়গায় পানির চলাচল বন্ধ হয়ে গেল ৷
পাথরের মধ্যেও মাছের কিছু চিহ্ন রয়ে যায় ৷ বর্ণনাকারী আমর সেই চিহ্নের প্ৰতি ইঙ্গিত করতে
গিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তার পাশের দুইটি আঙ্গুলের দ্বারা বৃত্ত তৈরি কার ণ্দখালেন ৷
অতঃপর মুসা (আ ) বললেন :
আমরা এ সফরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি’ ৷ এ পর্যন্ত তোম৷ থে ক আল্লাহ তা আলা ভ্রমণের কষ্ট
দুর করে রেখেছিলেন ৷ উভয়ে ফিরে চললেন এবং খিযির (আ)-কে পেয়ে গেলেন ৷ উনমান
ইবন আবু সুলাইমান (র) বলেন, খিযির (আ) সমুদ্রের বুকে একটি সবুজ রংয়ের চাটাইয়ের
উপর ছিলেন ৷ সাঈদ (বা) বলেন, তিনি তার কাপড়ে আবৃত অবস্থায় ছিলেন ৷ কাপড়ের
একপ্রান্ত ছিল তার দুই পায়ের নিচে এবং অপরপ্রাম্ভ ছিল তার মাথার নিচে ৷ মুসা (আ) তাকে
সালাম করলেন ৷ তখন তিনি চেহারা থেকে কাপড় সরালেন এবং বললেন, “এ অঞ্চলে কি
সালামের প্রথা আছেঃ আপনি কে?” মুসা (আ) বললেন, “আমি মুসা ৷ ” তিনি বললেন, বনী
ইসরাঈলের মুসা?’ মুসা (আ) বললেন, ইা৷ ৷ খিযির (আ) বললেন, “ব্যাপার কী? আপনি কেন
এসেছেন? মুসা (আ) বললেন, আপনি যে জ্ঞান শিক্ষা লাভ করেছেন তার থেকে আপনি
আমাকে কিছু শিখাবেন এজন্যই আমি এখানে এসেছি ৷ ’ আপনার হাতে তৌরাত রয়েছে তা কি
যথেষ্ট নয়? হে মুসা (আ) ৷ আপনার কাছে তো আল্লাহ্র ওহী আসে ৷ আমার কাছে এক প্রকার
জ্ঞান রয়েছে যা শিক্ষা করা আপনার পক্ষে সমীচীন নয় ৷ অন্যদিকে আপনার কাছে এমন জ্ঞান
রয়েছে যা আমাকে মানায় না ৷
এমন সময় একটি পাখি তার ঠোট দ্বারা সমুদ্র থেকে এক বিন্দু পানি উঠাল ৷ খিযির (আ)
বললেন, “আল্লাহর শপথ, আল্লাহ্ তাআলার জ্ঞানের তুলনায় আমার ও আপনার জ্ঞানের
পরিমাণ হচ্ছে সমুদ্র থেকে উঠানাে পাখির ঠোটের এ পানির বিন্দুর মত ৷ যখন র্তার৷ উভয়ে
নৌকায় আরোহণ করলেন তখন র্তারা দেখলেন, ছোট ছোট ফেরী নৌকা ৷রয়েছে, যেগুলো
সােকদেরকে নদী পারাপার করে ৷৩ তারা খিযির (আ)-কে চিনতে পেরে বলে উঠল৪ “ইনি তো
আল্লাহ্র পুণ্যবান বান্দ৷ ৷ ” বর্ণনাকারী বলেন, আমরা সাঈদ (রা)-কে জিজ্ঞ সা করলাম : তিনি
কি খিযির (আ) ? তিনি বললেন হীা’ ৷ তারা আরো বলল, তার কাছ থেকে আমরা ভাড়া গ্রহণ
করব না ৷ খিযির (আ) নৌকাটিকে ফুটো করে দিলেন এবং এতে একটি পেরেক ঠুকে দিলেন ৷
মুসা (আ) বললেন, “আপনি কি আরোহীদেরকে ডুবিয়ে ফেলার উদ্দেশ্যে ফুটো করে দিলেন ?
আপনি তো একটা গুরুতর অন্যায় কাজ করলেন ৷”
মুজাহিদ (র) বলেন, আয়াতে উল্লেখিত মেং ৷ শব্দটির অর্থ হচ্ছে ,£ৰু অর্থাৎ অন্যায়
কাজ ৷ খিযির (আ) বললেন, “আমি কি বলিনি যে, আপনি আমার সঙ্গে কিছুতে ই ধৈয ধারণ
{لَقَدْ لَقِينَا مِنْ سَفَرِنَا هَذَا نَصَبًا} [الكهف: 62] قَالَ: " وَقَدْ قَطَعَ اللَّهُ عَنْكَ النَّصَبَ " لَيْسَتْ هَذِهِ عَنْ سَعِيدٍ، " أَخْبَرَهُ فَرَجَعَا، فَوَجَدَا خَضِرًا، قَالَ لِي عُثْمَانُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ: " عَلَى طِنْفِسَةٍ خَضْرَاءَ، عَلَى كَبِدِ الْبَحْرِ ". قَالَ سَعِيدٌ: " مُسَجًّى بِثَوْبِهِ، قَدْ جَعَلَ طَرَفَهُ تَحْتَ رِجْلَيْهِ، وَطَرَفَهُ تَحْتَ رَأْسِهِ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ مُوسَى، فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ، وَقَالَ: هَلْ بِأَرْضٍ مِنْ سَلَامٍ؟ مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنَا مُوسَى. قَالَ: مُوسَى بَنِي إِسْرَائِيلَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَمَا شَأْنُكَ؟ قَالَ: جِئْتُكَ لِ " تُعَلِّمَنِي مِمَّا عُلِّمْتَ رُشْدًا " قَالَ: أَمَا يَكْفِيكَ أَنَّ التَّوْرَاةَ بِيَدَيْكَ وَأَنَّ الْوَحْيَ يَأْتِيكَ؟ يَا مُوسَى، إِنَّ لِي عِلْمًا لَا يَنْبَغِي لَكَ أَنْ تَعْلَمَهُ، وَإِنَّ لَكَ عِلْمًا لَا يَنْبَغِي لِي أَنْ أَعْلَمَهُ، فَأَخَذَ طَائِرٌ بِمِنْقَارِهِ مِنَ الْبَحْرِ، فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا عِلْمِي وَعِلْمُكَ فِي جَنْبِ عِلْمِ اللَّهِ، إِلَّا كَمَا أَخَذَ هَذَا الطَّائِرُ بِمِنْقَارِهِ مِنَ الْبَحْرِ، حَتَّى إِذَا رَكِبَا فِي السَّفِينَةِ وَجَدَا مَعَابِرَ صِغَارًا، تَحْمِلُ أَهْلَ هَذَا السَّاحِلِ إِلَى أَهْلِ هَذَا السَّاحِلِ الْآخَرِ، عَرَفُوهُ فَقَالُوا: عَبْدُ اللَّهِ الصَّالِحُ؟ " قَالَ: فَقُلْنَا لِسَعِيدٍ: خَضِرٌ؟ قَالَ: نَعَمْ. " لَا نَحْمِلُهُ بِأَجْرٍ فَخَرَقَهَا وَوَتَّدَ فِيهَا وَتِدًا " قَالَ " مُوسَى: {أَخَرَقْتَهَا لِتُغْرِقَ أَهْلَهَا لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا إِمْرًا} [الكهف: 71]- قَالَ مُجَاهِدٌ: مُنْكَرًا - {قَالَ أَلَمْ أَقُلْ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا} [الكهف: 72] كَانَتِ الْأُولَى، نِسْيَانًا، وَالْوُسْطَى شَرْطًا، وَالثَّالِثَةُ عَمْدًا {قَالَ لَا تُؤَاخِذْنِي بِمَا نَسِيتُ وَلَا تُرْهِقْنِي مِنْ أَمْرِي عُسْرًا - فَانْطَلَقَا حَتَّى إِذَا لَقِيَا غُلَامًا فَقَتَلَهُ} [الكهف: 73 - 74] قَالَ يَعْلَى: قَالَ سَعِيدٌ: وَجَدَ غِلْمَانًا يَلْعَبُونَ، فَأَخَذَ غُلَامًا كَافِرًا ظَرِيفًا، فَأَضْجَعَهُ ثُمَّ ذَبَحَهُ بِالسِّكِّينِ
পৃষ্ঠা - ৬৯১
قَالَ {أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً بِغَيْرِ نَفْسٍ} [الكهف: 74] لَمْ تَعْمَلْ بِالْخَبَثِ ". ابْنُ عَبَّاسٍ قَرَأَهَا: (زَكِيَّةً زَاكِيَةً مُسْلِمَةً) . كَقَوْلِكَ: غُلَامًا زَكِيًّا. فَانْطَلَقَا فَوَجَدَا فِيهَا جِدَارًا يُرِيدُ أَنْ يَنْقَضَّ فَأَقَامَهُ " قَالَ بِيَدِهِ هَكَذَا وَرَفَعَ يَدَهُ فَاسْتَقَامَ. قَالَ يَعْلَى: حَسِبْتُ أَنَّ سَعِيدًا قَالَ: " فَمَسَحَهُ بِيَدِهِ فَاسْتَقَامَ {قَالَ لَوْ شِئْتَ لَاتَّخَذْتَ عَلَيْهِ أَجْرًا} [الكهف: 77] قَالَ سَعِيدٌ: أَجْرًا نَأْكُلُهُ وَكَانَ وَرَاءَهُمْ (وَكَانَ أَمَامَهُمْ) قَرَأَهَا ابْنُ عَبَّاسٍ. أَمَامَهُمْ مَلِكٌ يَزْعُمُونَ عَنْ غَيْرِ سَعِيدٍ أَنَّهُ هُدَدُ بْنُ بُدَدَ وَالْغُلَامُ الْمَقْتُولُ يَزْعُمُونَ: جَيْسُورُ. {مَلِكٌ يَأْخُذُ كُلَّ سَفِينَةٍ غَصْبًا} [الكهف: 79] فَإِذَا هِيَ مَرَّتْ بِهِ يَدَعُهَا بِعَيْبِهَا فَإِذَا جَاوَزُوا أَصْلَحُوهَا فَانْتَفَعُوا بِهَا. مِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: سَدُّوهَا بِقَارُورَةٍ. وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: بِالْقَارِ. {فَكَانَ أَبَوَاهُ مُؤْمِنَيْنِ} [الكهف: 80] وَكَانَ كَافِرًا {فَخَشِينَا أَنْ يُرْهِقَهُمَا طُغْيَانًا وَكُفْرًا} [الكهف: 80] أَيْ; يَحْمِلَهُمَا حُبُّهُ عَلَى أَنْ يُتَابِعَاهُ عَلَى دِينِهِ {فَأَرَدْنَا أَنْ يُبْدِلَهُمَا رَبُّهُمَا خَيْرًا مِنْهُ زَكَاةً وَأَقْرَبَ رُحْمًا} [الكهف: 81] لِقَوْلِهِ: {أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً} [الكهف: 74] " وَأَقْرَبَ رُحْمًا " هُمَا بِهِ أَرْحَمُ مِنْهَا بِالْأَوَّلِ، الَّذِي قَتَلَ خَضِرٌ. وَزَعَمَ غَيْرُ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ أَنَّهُمَا أُبْدِلَا جَارِيَةً، وَأَمَّا دَاوُدُ بْنُ أَبِي عَاصِمٍ فَقَالَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ: إِنَّهَا جَارِيَةٌ.
পৃষ্ঠা - ৬৯২
করে থাকতে পারবেন না?” প্রথম প্রশ্নটি ছিল তুলক্রমে, দ্বিতীয়টি ছিল শর্ত হিসেবে আর
তৃতীয়টি ছিল ইচ্ছাকৃত ৷ মুসা (আ) বললেন, “আমার ভুলের জন্যে আমাকে অপরাধী
ঠাওরাবেন না ও আমার ব্যাপারে অত্যধিক কঠোরতা অবলম্বন করবেন না ৷ ’ তারপর উভয়ে
চলতে লাগলেন, চলতে চলতে তাদের সাথে এক বালকের সাক্ষাত হলে তিনি তাকে হত্যা
করলেন ৷ বর্ণনাকারী ইয়াল৷ (র) বলেন, সাঈদ (রা) বলেছেন, তিনি অনেকগুলো ছেলেকে
থেলারত অবস্থায় পেলেন, তাদের মধ্য থেকে তিনি একটি চটপটে কাফির বালককে গোয়ালেন
এবং ছুরি দ্বারা যবেহ্ করে ফেললেন ৷ মুসা (আ) বললেন, আপনি একটি নিষ্পাপ জীবন নাশ
করলেন, যে এখনও কোন নােৎরা কাজ করেনি !” ইবন আব্বাস (রা) আয়াতে উল্লেখিত র্দুশুএৰু
এিব্লু১-কে — ও;প্রুাশু ধ্ন্দ্বুা১ ৷ব্লু পাঠ করেছেন অর্থাৎ নিম্পাপ ও মুসলিম পবিত্রাত্মা
বালক ৷ অতঃপর উভয়ে চলতে লাগলেন এবং তারা একটি পতনােন্মুখ প্রাচীর দেখতে পেলেন ৷
তিনি এটাকে সুদৃঢ় করে দিলেন ৷ বর্ণনাকারী হাত উঠিয়ে বলেন খিযির (আ) এভাবে হাত
উঠালেন এবং এতে প্রাচীরটি ঠিক হয়ে গেল ৷ বর্ণনাকারী ইয়ালা ৷বলেন, আমার ধারণা সাঈদ
(র) বলেছেন, “খিযির (আ ) প্রাচীরটিকে আপন হাত দ্বারা পর্শকরলেন ৷ অমনিন্ব তই এটা সুদৃঢ়
হয়ে গেল ৷ মুসা (আ ) বললেন, আপনি তো ইচ্ছা করলে এটার জন্যে পাবিশ্রমিক গ্রহণ করতে
পারতেন, যা আমরা খেতে পারতাম ৷ আয়াতে উল্লেখিত : ন্ছুর্চু৷ ৷দ্বুদ্বু :,($; (তাদের পেছনে)
ণ্ক ইবন আব্বাস (বা) ণ্প্রুা (তাদের সামনে) পড়েছেন ৷ সাঈদ (র) ব্যতীত অন্য
মুফাসসিরগণ বলেন, উল্লেখিত বাদশার নাম ছিল : (১শু ;প্রু াএে ) (হাদাদ ইবন বাদাদ ) ৷
আর নিহত কিশোরটির নাম ছিল জায়সুর ৷
বাদশা’র সামনে দিয়ে যখন কোন খুত বিশিষ্ট নৌকা অতিক্রম করত তখন সে এটাকে
খুতের কারণে ছেড়ে দিত এবং তারপর এ স্থান অতিক্রম করার পর মালিকের খুত সারিয়ে নিয়ে
নৌকাকে কাজে লাগতে ৷ তাফসীরকারদের কেউ কেউ বলেন, নৌকার ছিদ্রটি বন্ধ করা
হয়েছিল র্কাচের দ্বারা ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, আলকাতর৷ দিয়ে ৷ কিশোরটির পিতামাতা
ছিলেন মুমিন বান্দা কিন্তু কিশোরটি নিজে ছিল কাফির ৷ খিযির (আ) বলেন, তাই আমি আশঙ্কা
করেছিলাম যে, তার প্রতি বাৎসল্যের কারণে পিতামাতা তার ধর্মের অনুসারী হয়ে পড়বেন ৷
এজন্যেই আমি চেয়েছিলাম যে, তাদেরকে প্রতিপালক যেন ওর পরিবর্তে এমন এক সন্তান দান
করেন, যে হবে পবিত্রতায় মহত্তর ও ভক্তি ভ লবাসায ঘনিষ্ঠতর ৷ সাঈদ ইবন জুবায়র (ব ) এর
ধারণা, সম্ভানটি ছিল বালক, যেয়ে নয় ৷ দ উদ ইবন আবুআসিম (র) অসং খ্য তাফসীরকারের
থেকে বনাি করেন যে সম্ভানটি ছিল বালিকা ৷
আবদুর রাজ্জাক (র) আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে এবং মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র)
উবাই ইবন কাব সুত্রে অন্যরুপ হাদীছ বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম যুহরী (র) আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ একদিন তিনি ও হুর
ইবন কায়স ইবন হাসন ফারাবী মুসা (আ)-এর সঙ্গী সম্পর্কে বিতর্কে রত ছিলেন ৷ ইবন
আব্বাস (রা) বলেন, তিনি ছিলেন খিযির (আ) ৷’ এমন সময় উবাই ইবন কাব (বা) তাদের
কাছ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন ৷ ইবন আব্বাস (বা) ভীকে ডাকলেন এবং বললেন, আমি ও
আমার এই সঙ্গী মুসা (আ)-এর সঙ্গী সম্পর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছি, ইা৷র সাথে সাক্ষাত করার
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৮৪
وَقَدْ رَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: خَطَبَ مُوسَى بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَقَالَ: مَا أَحَدٌ أَعْلَمُ بِاللَّهِ وَبِأَمْرِهِ مِنِّي. فَأُمِرَ أَنْ يَلْقَى هَذَا الرَّجُلَ. فَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ.
وَهَكَذَا رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُمَارَةَ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ أَيْضًا، وَرَوَاهُ الْعَوْفِيُّ عَنْهُ مَوْقُوفًا.
وَقَالَ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ تَمَارَى هُوَ وَالْحُرُّ بْنُ قَيْسِ بْنِ حِصْنٍ الْفَزَارِيُّ، فِي صَاحِبِ مُوسَى، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: هُوَ خَضِرٌ. فَمَرَّ بِهِمَا أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، فَدَعَاهُ ابْنُ عَبَّاسٍ، فَقَالَ: إِنِّي تَمَارَيْتُ أَنَا وَصَاحِبِي هَذَا فِي صَاحِبِ مُوسَى الَّذِي سَأَلَ السَّبِيلَ إِلَى لُقِيِّهِ، فَهَلْ سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ فِيهِ شَيْئًا؟ قَالَ: نَعَمْ. وَذَكَرَ الْحَدِيثَ، وَقَدْ تَقَصَّيْنَا طُرُقَ هَذَا الْحَدِيثِ، وَأَلْفَاظَهُ فِي تَفْسِيرِ سُورَةِ الْكَهْفِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
وَقَوْلُهُ: {وَأَمَّا الْجِدَارُ فَكَانَ لِغُلَامَيْنِ يَتِيمَيْنِ فِي الْمَدِينَةِ وَكَانَ تَحْتَهُ كَنْزٌ لَهُمَا وَكَانَ أَبُوهُمَا صَالِحًا فَأَرَادَ رَبُّكَ أَنْ يَبْلُغَا أَشُدَّهُمَا وَيَسْتَخْرِجَا كَنْزَهُمَا رَحْمَةً مِنْ رَبِّكَ وَمَا فَعَلْتُهُ عَنْ أَمْرِي ذَلِكَ تَأْوِيلُ مَا لَمْ تَسْطِعْ عَلَيْهِ صَبْرًا} [الكهف: 82]
পৃষ্ঠা - ৬৯৩
জন্যে মুসা (আ) আল্লাহ তাআলার নিকট পথের সন্ধান চেয়েছিলেন ৷ আপনি কি এ সম্পর্কে
রাসুলুল্লাহ (না) থেকে কিছু শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যা ৷ এরপর হাদীসের বাকি অংশটুকু
বর্ণনা করেন ৷ হাদীসের বিস্তারিত বর্ণনা বিভিন্ন সনদ সহকারে সুরায়ে কাহাফের তাফসীরে আমি
বর্ণনা করেছি ৷ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর ৷
আয়াতাৎশ এ্যার্বৃর্ন্তৰু ; এ ;শুঙ্কেদ্বু এ উল্লেখিত ইয়ার্তীমদের সম্পর্কে সুহায়লী (র)
বলেন, ত ৷র৷ ছিল ক ৷শিহ-এর দুই ছেলে আসরাম ও সুরাইম ৷ আয়াতে উল্লেখিত কানৃয ( ড্রুাহ্র )
ছিল অর্থ স্বর্ণ ৷ এটা ইকরিমা (র)-এর অভিমত ৷ আবার আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) বলেন,
(ড্রুদ্বু)-এর অর্থ হচ্ছে জ্ঞান ৷ অধিক গ্রহণীয় অভিমত অনুসারে এটার অর্থ হচ্ছে, জ্ঞানের বাণী
সম্বলিত একটি স্বর্ণের পাত ৷ বায্যার (র) আবুযর (রা)-এর সুত্রে একটি মারফু হাদীস বর্ণনা
করেন এবং বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আল্লাহ্ তাআলা র্তার কিভাবে যে গ্লুদুহ্র-এর কথা
উল্লেখ করেছেন তা ছিল একটি নিরেট সোনার পাত ৷
তাতে লিখা ছিল :
মোঃ এে স্শ্রো ষ্হ্ন১
ণ্এে ৷ ১৷ ৷ ধ্৷ ৷ ১৷ ধ্া১; এ্হ্র ;ন্প্রুপু ৷ ,হ্র১ ;,৷ <; ণ্ন্প্রু
অর্থাৎ “তকদীরে বিশ্বাসী লোক কী করে ব্যতিব্যস্ত হয়, সে জন্যে বিস্মিত হই, দোযখের
কথা মনে য়েখেও যে ব্যক্তি হাসতে পারে তার জন্যে আ ৷মি বিস্ময় বোধ করি; যে ব্যক্তি মৃত্যুর
কথা স্মরণে রেখেও লা ইলাহ৷ ইল্লা ৷ল্লাহ্ থেকে পাফিল থাকে, তর জন্য বিস্মিত রোধ করি ৷
অনুরুপভা বে হাসান বসরী (র) ও জাফর সাদেক (র) থেকে অনুরুপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷
আয়াতে উল্লেখিত এে ঞ্জীষ্টু বলতে কারো কারো সপ্তম পুব-পুরুষের, আবার কারো কারো
মতে দশম পুর্ব পুরুষের কথা বলা হয়েছে ৷ য ই হোক, এর দ্বারা বোঝা যাচ্ছে যে, আল্লাহ
পুণ বোন লোকের রং শধরদের হেফাজত করে থাকেন ৷
আয়াতাৎশ এব্লু দ্বু ১শুর্চুইৰ্শুহুঠু এর দ্বারা বোঝা যায় যে, খিযির (আ) নবী ছিলেন ৷ তিনি
নিজের থেকে কিছুই করেননি ৷ বরং যা করেছেন তার প্রতিপালকের নির্দোশই করেছেন ৷
সুতরাং তিনি নবী ছিলেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তিনি একজন রাসুল ছিলেন ৷ আবার
কেউ কেউ বলেন, ’তিনি একজন ওলী ছিলেন ৷ ’ একটি বিরল মতে, তিনি একজন ফেরেশতা
ছিলেন ৷’ এর চাইতে আশ্চর্যজনক কথা হচ্ছে যে, কেউ কেউ বলেন, তিনি ফিরআউনের পুত্র
ছিলেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তিনি ছিলেন যাহ্হাকের পুত্র যিনি হাজার বছর ধরে গোটা
পৃথিবীতে রাজতু করে গেছেন ৷ ’
ইবন জ বীর তাবারী (র) বলেন, কিতাবীদের অধিকাং শের অভিমত হচ্ছে, তিনি ছিলেন
আফরীদুনের যুগের লোক ৷ আরো কথিত আছে যে, তিনি ছিলেন সুপ্রসিদ্ধ যুল-কারনায়নের
অগ্রগামী বাহিনীর সেনাপতি ৷ আর এ যুলকুরনায়নকেই কেউ কেউ আফরীদুন ও যুল ফারাস
বলে অভিহিত করেছেন ৷ তিনি ছিলেন, ইব্রাহীম খলীল (আ)-এর যুগের লোক ৷ কিতাবীরা
আরো মনে করেন যে, “তিনি আবে-হায়াত’ পান করে অমর হয়ে গেছেন এবং আজও তিনি
قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَهُمَا أَصْرَمُ وَصَرِيمُ، ابْنَا كَاشِحَ. وَكَانَ تَحْتَهُ كَنْزٌ لَهُمَا قِيلَ: كَانَ ذَهَبًا. قَالَهُ عِكْرِمَةُ، وَقِيلَ: عِلْمًا. قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَالْأَشْبَهُ أَنَّهُ كَانَ لَوْحًا مِنْ ذَهَبٍ، مَكْتُوبًا فِيهِ عِلْمٌ.
قَالَ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْيَحْصُبِيُّ، عَنْ عَيَّاشِ بْنِ عَبَّاسٍ الْغَسَّانِيِّ، عَنِ ابْنِ حُجَيْرَةَ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، رَفَعَهُ قَالَ: «إِنَّ الْكَنْزَ الَّذِي ذَكَرَ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ لَوْحٌ مِنْ ذَهَبٍ مُصْمَتٍ: عَجِبْتُ لِمَنْ أَيْقَنَ بِالْقَدَرِ كَيْفَ نَصِبَ، وَعَجِبْتُ لِمَنْ ذَكَرَ النَّارَ ثُمَّ ضَحِكَ، وَعَجِبْتُ لِمَنْ ذَكَرَ الْمَوْتَ ثُمَّ غَفَلَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ.» وَهَكَذَا رُوِيَ عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، وَعُمَرَ مَوْلَى غُفْرَةَ، وَجَعْفَرٍ الصَّادِقِ، نَحْوُ هَذَا. وَقَوْلُهُ: {وَكَانَ أَبُوهُمَا صَالِحًا} [الكهف: 82] وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ كَانَ الْأَبَ السَّابِعَ، وَقِيلَ: الْعَاشِرَ. وَعَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ، فِيهِ دَلَالَةٌ عَلَى أَنَّ الرَّجُلَ الصَّالِحَ يُحْفَظُ فِي ذُرِّيَّتِهِ، فَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ.
وَقَوْلُهُ رَحْمَةً مِنْ رَبِّكَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ كَانَ نَبِيًّا، وَأَنَّهُ مَا فَعَلَ شَيْئًا مِنْ تِلْقَاءِ نَفْسِهِ، بَلْ بِأَمْرِ رَبِّهِ، فَهُوَ نَبِيٌّ وَقِيلَ: رَسُولٌ. وَقِيلَ: وَلِيٌّ. وَأَغْرَبُ
পৃষ্ঠা - ৬৯৪
জীবিত আছেন ৷ ” কেউ কেউ বলেন, ইবরাহীম (আ)-এর প্রতি যারা ঈমান আনয়ন করেছিলেন
এবং রাবুবল শহর থেকে ইবরাহীম (আ) এর সাথে হিজরত করেছিলেন, তিনি তাদের কারোর
সন্তান ছিলেন ৷ ’ আবার কেউ কেউ ববুলন, তার নাম ছিল মাল্কান ৷ ’ কেউ কেউ বলেন, তার
নাম ছিল, আরমিয়া ইবন খাল্কিয়৷ ৷ ’ কেউ কেউ বলেন, লাহরাসিবুবর পুত্র সাবাসিবের আমবুল
তিনি একজন নবী ছিলেন ৷ ’ ইবন জারীর (র) বলেন, আফরীদুন ও সাবাসিবের মধ্যে
যুগ-য়ুগান্তবুরর ফারাক ছিল যা সম্পর্কে বংশ বৃত্তান্তের পারদশীবুদর কেউ অনবহিত থাকতে পারে
না ৷
ইবন জারীর (র) বলেন, বিশুদ্ধ অভিমত হল যে, তিনি আফরীদুনের যুগের লোক, যিনি
মুসা (আ)-এর যুগ পর্যন্ত জীবিত ছিলেন ৷ মুসা (আ)-এর নবুওবুতর কাল ছিল মনুবুচবুহবুরর
আমল ৷ আর মনুবুচবুহর ছিলেন পারস্য সম্রাট আফরীদুনের পৌত্র এবং আবরাজের পুত্র ৷
পিতামহ আফরীদুনের পর যুবরাজ মনুবুচবুহর সম্রাট হন ৷ তিনি ছিলেন ন্যায়পরায়ণ ৷ তিনিই
প্রথম পরিখ৷ খনন করেছিলেন এবং তিনিই প্রথম প্রবুত্যক গ্রামে সর্দার নিযুক্ত করেছিলেন ৷ তার
রাজতুকাল প্রায় ১৫০ বছর পর্যন্ত বিন্তুত ছিল ৷ কথিত আছে যে, তিনি ছিলেন ইসহাক ইবন
ইবরাহীমের অধ৪স্তন বংশধর ৷ ত ৷র বহু বাগিাতাপুর্ণ সুন্দর সুন্দর বক্তৃতা ও উক্তির উল্লেখ পা ওয়া
যায়, যা শ্রোতৃবর্গকে বিস্ময়াভিভু৩ করে ৷ আর এটাই প্রমাণ করে যে, তিনি ইবরাহীম খলীল
(আ) এর অধ৪স্তন বংশধর ছিলেন ৷ আল্লাহ্ই সর্বাধিক জ্ঞাত ৷
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন ং
া
ষ্
১!র্চু
(é
এে এক্ট্রদ্বু;হ্দ্বু
স্মরণ কর, যখন আল্লাহ তা আল৷ নবীদের অঙ্গীকার নিয়েছিলেন যে, বুতামাবুদরবুক কিতাব
ও হিকমত যা কিছু দিয়েছি আর তোমাদের কাছে যা আছে তার সমর্থকরুপে, যখন একজন
রাসুল আসবে তখন তোমরা অবশ্যই তার প্রতি ঈমান আনবে এবং৩ তাকে সাহায্য করবুব ৷ তিনি
বললেন, তোমরা কি স্বীকা ৷র করবুলঃ (সুরা আল ইমরানঘ্র ৮১)
অন্য কথায়, আল্লাহ্ তা জানা প্রবুত্যক নবী থেকে অঙ্গীক৷ ৷র নিয়েছেন যে, তিনি ত ৷র পরে
আগত নবীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবেন ও তাকে সাহায্য করবুবন ৷ যদি রাসুলুল্লাহ (সা) এর
যমানায় খিযির (আ) জীবিত থাকবুতন, ৩াহবুল রসুলুল্লাহ (সা) এর আনুগত্য স্বীকার, তার
সাথে মিলিত হওয়া ও তার সাহায্য করা ব্যতীত খিযির (আ) এর কোন পতাম্ভর থাকত না ৷
তিনি অবশ্যই ঐসব লোকের অন্তর্ভুক্ত হবুতন যারা বদবুরর দিন রসুলুল্লাহ (সা ) এর পতাকাতবুল
সমবুবত হয়েছিলেন ৷ যেমনটি জিবরাঈল (আ) ও ফেবুরশত ৷বুদর সর্দড়ারগণ হয়েছিলেন ৷ কিত্রা
তিনি রাসুল ছিলেন-যা কেউ কেউ বলেছেন; অথবা তিনি বুফবুরশত৷ ছিলেন-যেমনি কেউ
কেউ উল্লেখ কবুরবুছন ৷ খিযির (আ) নবী ছিবুলন এবং এটিই সঠিক অভিমত ৷ তিনি যাই হয়ে
থাকুন না কেন, জিবরাঈল (আ) হবুচ্ছন ফেরেশতাবুদর সর্দার এবং মুসা (আ) মর্যাদার খিযির
রসুলুল্লাহ (সা) এর প্রতি ঈমান আনা ও তার সাহায্য করা তবে জন্যেও অপরিহার্য হত ৷
مِنْ هَذَا مَنْ قَالَ: كَانَ مَلَكًا. قُلْتُ: وَقَدْ أَغْرَبَ جِدًّا مَنْ قَالَ: هُوَ ابْنُ فِرْعَوْنَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ ابْنُ ضَحَّاكٍ الَّذِي مَلَكَ الدُّنْيَا أَلْفَ سَنَةٍ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَالَّذِي عَلَيْهِ جُمْهُورُ أَهْلِ الْكِتَابِ، أَنَّهُ كَانَ فِي زَمَنِ أَفْرِيدُونَ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ عَلَى مُقَدَّمَةِ ذِي الْقَرْنَيْنِ الَّذِي قِيلَ: إِنَّهُ كَانَ أَفْرِيدُونَ، وَذُو الْفَرَسِ هُوَ الَّذِي كَانَ فِي زَمَنِ الْخَلِيلِ. وَزَعَمُوا أَنَّهُ شَرِبَ مِنْ مَاءِ الْحَيَاةِ، فَخَلَدَ، وَهُوَ بَاقٍ إِلَى الْآنَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ مِنْ وَلَدِ بَعْضِ مَنْ آمَنَ بِإِبْرَاهِيمَ وَهَاجَرَ مَعَهُ مِنْ أَرْضِ بَابِلَ. وَقِيلَ: اسْمُهُ مَلْكَانُ. وَقِيلَ: إِرْمِيَا بْنُ حَلْقِيَا. وَقِيلَ: كَانَ نَبِيًّا فِي زَمَنِ سَبَاسِبَ بْنِ لَهْرَاسِبَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَقَدْ كَانَ بَيْنَ أَفْرِيدُونَ وَبَيْنَ سَبَاسِبَ دُهُورٌ طَوِيلَةٌ، لَا يَجْهَلُهَا أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالْأَنْسَابِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ كَانَ فِي زَمَنِ أَفْرِيدُونَ، وَاسْتَمَرَّ حَيًّا إِلَى أَنْ أَدْرَكَهُ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَكَانَتْ نُبُوَّةُ مُوسَى فِي زَمَنِ مَنُوشِهْرَ، الَّذِي هُوَ مِنْ وَلَدِ إِيرَجَ بْنِ أَفْرِيدُونَ، أَحَدِ مُلُوكِ الْفُرْسِ وَكَانَ إِلَيْهِ الْمُلْكُ بَعْدَ جَدِّهِ أَفْرِيدُونَ لِعَهْدِهِ، وَكَانَ عَادِلًا، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ خَنْدَقَ الْخَنَادِقَ، وَأَوَّلُ مَنْ جَعَلَ فِي كُلِّ قَرْيَةٍ دِهْقَانًا، وَكَانَتْ مُدَّةُ مُلْكِهِ قَرِيبًا مِنْ مِائَةٍ وَخَمْسِينَ سَنَةً. وَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ مِنْ سُلَالَةِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ. وَقَدْ ذُكِرَ عَنْهُ مِنَ الْخُطَبِ الْحِسَانِ، وَالْكَلِمِ الْبَلِيغِ النَّافِعِ الْفَصِيحِ، مَا يُبْهِرُ الْعَقْلَ، وَيُحَيِّرُ السَّامِعَ، وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ مِنْ سُلَالَةِ الْخَلِيلِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৬৯৫
এমতাবস্থায় খিযির (আ) যদি ওলীই হয়ে থাকেন যেমনি অনেকেই মনে করে থাকেন ৷ তবে
তার উম্মতভুক্ত হওয়াট৷ অধিকতর যুক্তিযুক্ত হতে তা ৷ কিন্তু কোন হাসান পর্যায়ের কিৎবা
নির্ত্যায়োগ্য দুর্বল হাদীসেও পাওয়া যায় না যে,৩ তিনি একদিনও রসুলুল্লাহ (সা )-এর দরবারে
হাবিব হয়েছিলেন কিৎব৷ তার সাথে মিলিত হয়েছিলেন ৷ এ সম্পর্কে হাকীম (র) কর্তৃক যে
ণ্শাকবাণী সংক্রান্ত হাদীস বর্ণিত রয়েছে, তার সুত্র খুবই দুর্বল ৷ পরবর্তীতে খিযির (আ) সম্বন্ধে
স্বতন্ত্রভাবে আলোচনা করা হবে ৷
মুসা (আ)এর কাহিনী সম্বলিত পরীক্ষার হাদীস
ইমাম আবু আবদুর রহমান নাসাঈ (র)৩ তার সুনানের’ কিতাবুত তাফসীরে কুরআন
মজীদের সুরায়ে তা-হার ৪০ নং আয়াতেব তাফসীরে দুপ্রুাপু ৷ ন্ ৰুা বা ৷৷পরীক্ষর হাদীস
বর্ণনা করেন ৷
আয়াতটি হচ্ছে : —
“আর তুমি এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে; অতঃপর আমি তোমাকে দৃশ্চিস্তা হতে মুক্তি
নেই, আমি তোমাকে বহু পরীক্ষা করেছি ৷ আর সে হাদীসটি হচ্ছে নিম্নরুপ :
আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র) হতে বর্ণিত ৷ তিনি সাঈদ ইবন জুবায়র (রা) থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি একদিন আয়াতাৎশ ১প্রুব্র এা; ষ্গ্লু-এর তাফসীর প্রসঙ্গেংইবন আব্বাস
(রা) কে প্রশ্ন করলেন, ফুতুন’ কি? আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) বললেন , হে ইবন জুবায়র !
দিন ফুরিয়ে আসছে ()প্রুড়ুদ্বু সম্বন্ধে একটি সুদীর্ঘ হাদীস রয়েছে ৷ বর্ণনাকারী বললেন, পরদিন
সকালে সে প্রতিশ্রুত ফুতুন সং ×ক্রান্ত হাদীসটি শোনার জন্যে আমি আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস
(রা ) এর কাছে গেলাম ৷ তিনি বললেন : ইবরাহীম (আ) এর বংশে আল্লাহ তা আলা যে নবীগণ
ও রাজ-রাজড়ার উদ্ভব ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সে সম্পর্কে ফিরআউন ও তার
পরামর্শদাতা ৷রা আলোচনায় বসে ৷৩ তাদের কেউ কেউ বলল, বনী ইসরাঈলরা এটা সম্বন্ধে কোন
সন্দেহ পোষণ করে না ৷ তাই তারা এটার জন্যে অপেক্ষা করছে ৷ তারা ধারণা করেছিল যে,
ইউসুফ ইবন ইয়াকুব (আ) সেই প্রতিশ্রুত নবী ৷ কিন্তু যখন তিনি ইনতিকাল করলেন, তখন
তারা বলল, ইব্রাহীম (আ)-কে এরুপ ওয়াদা দেয়৷ হয়নি ৷
ফিরআউন বলল, তোমাদের অভিমত কি? অতঃপর তারা পরামর্শ করল এবং এ কথার
উপর একমত হল যে, ফিরআউন কিছু সংখ্যক লোককে বড় বড় ছুরিসহ পাঠাবে ৷৩ তারা বনী
ইসরাঈলের মধ্যে ঘুরে ঘুরে যখনই কে ৷ন ছেলে সন্তান পাবে, তখনই তাকে হত্যা করবে ৷ তারা
কিছুদিন য়াবত এরুপ করল ৷ অতঃপর যখন তার ৷ দেখল যে, বনী ইসরাঈলের বৃদ্ধরা মৃত্যুর
কারণে এবং ছোটরা হত্যার কারণে নিঃশে ৷ষ হয়ে যাচ্ছে, তখন তার ৷বলাবলি করতে লাগল যে,
এভাবে বনী ইসরাঈলরা ধ্বংস হয়ে গেলে যে সব দৈহিক শ্রম ও সেবার কাজ তারা করত তা
ভবিষ্যতে কিবভীদেরকে করতে হবে, তাই তারা পুনরায় স্থির করল যে, এক বছর প্রতিটি ছেলে
সন্তান হত্যা করা হবে এবং পরের বছর তাদের কাউকে হত্যা করা হবে না ৷ নবজাতকগুলো
বড় হয়ে বৃদ্ধদের মধ্যে বাবা মারা যাবে তাদের স্থান পুরণ করবে ৷ আর বৃদ্ধরা সংখ্যায় যাদের
وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ النَّبِيِّينَ لَمَا آتَيْتُكُمْ مِنْ كِتَابٍ وَحِكْمَةٍ ثُمَّ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مُصَدِّقٌ لِمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَتَنْصُرُنَّهُ قَالَءَأَقْرَرْتُمْ} [آل عمران: 81] .
فَأَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ كُلِّ نَبِيٍّ عَلَى أَنْ يُؤْمِنَ بِمَنْ يَجِيءُ بَعْدَهُ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ، وَيَنْصُرُهُ، فَلَوْ كَانَ الْخَضِرُ حَيًّا فِي زَمَانِهِ، لَمَا وَسِعَهُ إِلَّا اتِّبَاعُهُ، وَالِاجْتِمَاعُ بِهِ، وَالْقِيَامُ بِنَصْرِهِ، وَلَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ تَحْتَ لِوَائِهِ يَوْمَ بَدْرٍ، كَمَا كَانَ تَحْتَهَا جِبْرِيلُ وَسَادَاتٌ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، وَقُصَارَى الْخَضِرِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَنْ يَكُونَ نَبِيًّا، وَهُوَ الْحَقُّ، أَوْ رَسُولًا، كَمَا قِيلَ، أَوْ مَلَكًا فِيمَا ذُكِرَ، وَأَيًّا مَا كَانَ، فَجِبْرِيلُ رَئِيسُ الْمَلَائِكَةِ، وَمُوسَى أَشْرَفُ مِنَ الْخَضِرِ، وَلَوْ كَانَ حَيًّا لَوَجَبَ عَلَيْهِ الْإِيمَانُ بِمُحَمَّدٍ وَنُصْرَتُهُ، فَكَيْفَ إِنْ كَانَ الْخَضِرُ وَلِيًّا، كَمَا يَقُولُهُ طَوَائِفُ كَثِيرُونَ، فَأَوْلَى أَنْ يَدْخُلَ فِي عُمُومِ الْبَعْثَةِ، وَأَحْرَى.
وَلَمْ يُنْقَلْ فِي حَدِيثٍ حَسَنٍ، بَلْ وَلَا ضَعِيفٍ يُعْتَمَدُ، أَنَّهُ جَاءَ يَوْمًا وَاحِدًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا اجْتَمَعَ بِهِ، وَمَا ذُكِرَ مِنْ حَدِيثِ التَّعْزِيَةِ فِيهِ، وَإِنْ كَانَ الْحَاكِمُ قَدْ رَوَاهُ، فَإِسْنَادُهُ ضَعِيفٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَسَنُفْرِدُ لِخَضِرٍ تَرْجَمَةً عَلَى حِدَةٍ بَعْدَ هَذَا.