আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثلاث وستين

পৃষ্ঠা - ৬৭৮৯


বনু উমাইয়ার সদস্যরা যেরুপ বন্দী অবস্থায় আছে, অপমনিত হয়েছে এবং ক্ষুধা ও তৃষ্ণায়

কষ্ট পাচ্ছে তা তার ইয়াযীদকে জনাল ৷ যদি তাদেরকে রক্ষা করার জন্য কাউকে পাঠানে না
হয় তাহলে তার সমুলে বিনাশ হয়ে যাবে ৷ তার এ সংবাদটি ডাক হরকরা মরফত দমেশৃকে
প্রেরণ করে ৷ ডাক হরকরা যখন ইয়াযীদের কাছে আগমন করে তখন সে তাকে চেয়রের উপর
বসে গেটিবাতে আক্রান্ত হওয়ার দু প পানির মধ্যে রেখে ঠণ্ডা করতে দেখল ৷ ইয়াযীদ যখন
পত্রটি পড়ল তখন সে অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়ল এবং বলল, তুমি ধ্বংস হয়ে যাও ৷ তাদের
মধ্যে কি এক হাজার লোকও সেই ? ড়ক হরকরা বলল, হা ৷’ ইয়াযীদ বলল, তাহলে তারা
দিনের এক ঘন্টার জন্য হলেও যুদ্ধ করে না কেন ? তারপর সে আমর ইবন সাঈদ ইবন আল
আসের কাছে লোক প্রেরণ করল ৷ সে তার কাছে পত্রটি পড়ে শোনাল এবং তাদের কাছে
কাকে পাঠনো যায় এ ব্যাপারে তার সাথে পরামর্শ করল ৷ তাদের কাছে আমরকে প্রেরণের প্ৰস্ত
ব পেশ করা হলে তিনি তা অস্বীকার করেন এবং বলেন আমীরুল মু’মিনীন ! আমাকে যখন
মদীনা থেকে বরখাস্ত করেন তখন মদীনায় অবস্থা ছিল ভাল, আইন শৃৎখল ছিল নিয়ন্তিত ৷
বিস্তু এখন পরিস্থিতি এত নাজুক আকার ধারণ করেছে যে, কুরয়শদের রক্ত মাটিতে ঝরানাে
হবে ৷ আমি এখন তাদের শাসক হতে চইি না তাদের কাছে যে আমার থেকে অধিক দুরে

তাকে শাসক নিযুক্ত কর হোক ৷
বর্ণনাকরী বলেন, ডাক হরকরকে মুসলিম ইবন উক্ব আল মুযনীর কাছে প্রেরণ করা
হল; তিনি ছিলেন অত্যন্ত বৃদ্ধ ও দুর্বল ৷ কিন্তু তিনি এ অভিযানের আহবানে সাড়া দিলেন ৷
ইয়াযীদ তার সাথে দশ হাজার অশ্বারােহী সৈন্য প্রেরণ করে ৷ কেউ কেউ বলেন বার হাজার
অশ্বরােহী সৈন্য প্রেরণ করে এবং পনের হাজার পদাতিক সৈন্য প্রেরণ করে ৷ তাদের প্রত্যেক
সৈন্যকে ১০০ দীনর করে প্রদান“ করে ৷ কেউ কেউ বলেন, চার দীনার প্রদান করে ৷ তারপর
ইয়াযীদ তাদেরকে পরিদর্শন করল, তখন সে তার ঘোড়ার সওয়র ছিল ৷ আল-মাদায়িনী
বলেন; ইয়ষীদ দৃমেশৃকবসী সৈন্যদের সেনাপতি নির্ধারণ করে আবদুল্লাহ ইবন মাসআদা
আল-ফাযরীকে, হিমৃসবসী সৈন্যদের সেনাপতি নির্ধারণ করে হুসাইন ইবন নুমইির আস-
সাকুনী কে, জর্দানবাসী সৈন্যদের সেনাপতি নির্ধারণ করে হুবইিশপু দলজা আল-কীনীকে,
ফিলিস্তীনবাসী সৈন্যদের সেনাপতি নির্ধারণ করে রাওহ ইবন যাম্বা আল-জুযমীকে ও শুরাইক
আল কিনানীকে, কিনআসরীনবাসী সৈন্যদের সেনাপতি নির্ধারণ করে তৃরাইফ ইবন আল-
হসহস আল হিললীকে, আর সকলের উপর সেনাপতি নির্ধারণ করে পতফন গোত্রের
মুসলিম ইবন উক্ব আল-মুযনীকে ৷ আগে কার উলময়ে কিরাম তার নাম মুসরিফ ইবন
উক্ব বলে উল্লেখ করেছেন ৷ ’

আননুমান ইবন বশীর বললেন, হে আমীরুল ম্মিনীন তাদের সকলের উপরে
সেনাপতি আমাকে নির্ধারণ করুন, আমি আপনার জন্য যথেষ্ট খিদমত করব ৷ আন-নুমন
ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন হানযলার ম আশার বিনৃত রাওহর দিক দিয়ে ভইি ৷ ইয়াযীদ বলল
ন তাদের জন্য শুধু ঐ জলিমঢিৱই প্রয়োজন ৷ আল্লাহর শপথ তাদের প্রতি ইহসান প্রদর্শন
করার পর এবং বারবার তাদের প্রতি ক্ষমা করার পর এবার অবধ্যদের অবশ্যই হত্যা করব ৷
আন-নুমন বললেন, হে আমীরুল মুমিনীন ৷ আপনাকে আমি আপনার আত্মীয়-স্বজন ও
রাসুল (সা) এর সাহায্যকারীদের সম্পর্কে আল্লাহ্র কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি ৷ আবদুল্লাহ ইবন
জ ফর ইয়াযীদকে বললেন, যদি তার আপনার আনুগত্যে ফিরে আসে তাহলে আপনি কি


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ] فَفِيهَا كَانَتْ وَقْعَةُ الْحَرَّةِ، وَكَانَ سَبَبَهَا أَنَّ أَهْلَ الْمَدِينَةِ لَمَّا خَلَعُوا يَزِيدَ، وَوَلَّوْا عَلَى قُرَيْشٍ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُطِيعٍ، وَعَلَى الْأَنْصَارِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي عَامِرٍ وَعَلَى قَبَائِلِ الْمُهَاجِرِينَ مَعْقِلَ بْنَ سِنَانٍ الْأَشْجَعِيَّ، فَلَمَّا كَانَ فِي أَوَّلِ هَذِهِ السَّنَةِ أَظْهَرُوا ذَلِكَ، وَاجْتَمَعُوا عِنْدَ الْمِنْبَرِ، وَجَعَلَ الرَّجُلُ مِنْهُمْ يَقُولُ: قَدْ خَلَعْتُ يَزِيدَ كَمَا خَلَعْتُ عِمَامَتِي هَذِهِ. وَيُلْقِيهَا عَنْ رَأْسِهِ، وَيَقُولُ الْآخَرُ: قَدْ خَلَعْتُهُ كَمَا خَلَعْتُ نَعْلِي هَذِهِ. حَتَّى اجْتَمَعَ شَيْءٌ كَثِيرٌ مِنَ الْعَمَائِمِ وَالنِّعَالِ هُنَاكَ، ثُمَّ اجْتَمَعُوا عَلَى إِخْرَاجِ عَامِلِ يَزِيدَ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ، وَهُوَ عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ ابْنُ عَمِّ يَزِيدَ، وَعَلَى إِجْلَاءِ بَنِي أُمَيَّةَ مِنَ الْمَدِينَةِ، فَاجْتَمَعَتْ بَنُو أُمَيَّةَ وَهُمْ قَرِيبٌ مِنْ أَلْفِ رَجُلٍ فِي دَارِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، وَأَحَاطَ بِهِمْ أَهْلُ الْمَدِينَةِ يُحَاصِرُونَهُمْ، وَاعْتَزَلَ النَّاسَ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ زَيْنُ الْعَابِدِينَ، وَكَذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ لَمْ يَخْلَعْ يَزِيدَ، وَلَا أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ، وَقَدْ قَالَ ابْنُ عُمَرَ لِأَهْلِهِ: لَا يَخْلَعَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ يَزِيدَ فَيَكُونَ الْفَيْصَلُ - وَيُرْوَى: الصَّيْلَمُ - بَيْنِي وَبَيْنَهُ. وَسَيَأْتِي هَذَا الْحَدِيثُ بِلَفْظِهِ وَإِسْنَادِهِ فِي تَرْجَمَةِ يَزِيدَ، وَأَنْكَرَ عَلَى أَهْلِ الْمَدِينَةِ فِي مُبَايَعَتِهِمْ لِابْنِ مُطِيعٍ وَابْنِ حَنْظَلَةَ عَلَى الْمَوْتِ، وَقَالَ: إِنَّمَا كُنَّا نُبَايِعُ
পৃষ্ঠা - ৬৭৯০


তাদবেকে গ্রহণ করবেন ? ইয়াযীদ বলল, তা, তারা যদি বশ্যত স্বীকার করে, তাহলে তাদের
উপর আমার কোন অভিযোগ থাকবে ন ৷ ইয়াযীদ মুসলিম ইবন উকবাকে বলল, “মদীনায়
সম্প্রদয়কে তুমি তিনবার আহবান করবে, যদিও তারা বশ্যতা স্বীকার করে তাহলে তুমি তাদের
থেকে আ ;গ৩ব্রু গ্রহণ করবে এবং তাদের থেকে বিরত থাকবে অন্যথায় তুমি আল্লাহর সাহায্য
প্রার্থাং করবে এবং তাদের সাথে যুদ্ধ করবে ৷ যদিতু তাদের উপর বিজয় লাভ করো
মদীনায় তিনদিন হালাল ঘোষণা করবে তারপর লোকজন থেকে বিরত থাকবে ৷ আলী ইবন
হ্স ইন (রা)-এর প্ৰতি নযর রাখবে,৩ তার থেকে বিরত থাকবে এবং তার কল্যাণ কামনা
করবে, তাকে মজলিসে ডেকে নিবে ৷ কেননা তিনি ঐসব জিনিসে প্রবেশ করেন নি যাতে
অন্যরা প্রবেশ করেছে ৷

তরপর ইয়াযীদ মুসলিমকে হুকুম দিল যে, মদীনায় কাজ সমাপ্ত করে ইবন যুব ইব কে
অবরোধ করার জন্য সে যেন মক্কায় গমন করে ৷ তাকে আরো বলল, যদি তুমি কোন অঘটনে
পতিত হও তাহলে হুসাইন ইবন নুমাইর অস-সাকুনীকে যেন জনগ ণ আমীর হিসেবে গ্রহণ
করে নেয় ৷

ইতিপুর্বে ইয়াযীদ উবইদুল্লাহ ইবন যিয়দকে পত্র লিখেছিলেন, সে যেন আবদুল্লাহ ইবন
যুবইির (রা) কে মক্কায় অবরোধ করার জন্য সেখানে গমন করে ৷ কিন্তু উবাইদুল্লাহ ইবন
যিয়দ তার আদেশ অমান্য করে এবং বলে আল্লাহর শপথ ! আমি ইয়ষীদের ন্যায় এরুপ
ফসিক লোকের জন্য দুইটি মারাত্মক কাজ একত্রে করতে পারবে না একটি হল রাসুল (সা)-
এর কন্যার পুত্রকে হত্যা করা এবং দ্বিতীয়টি হল মহসন্মনিত বইতু ল্লহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ৷

তার মাতা মারজান তাকে ইমাম হ্যাইন (রা)-এর শাহদতের সময় বলেছিলেন, দুর্ভ গ্য

ভোর তুই কি করেছিল, তুই কিসের দযিতু নিয়েছিস ৷ এভাবে তার মাতা তাকে কঠোরভ বে
ভর্ভুসনা করেছিলেন ৷ ইতিহসবিদগণ বলেন, ইয়ষীদের কাছে এস০ বাদ পৌছেছিল যে,
আবদুল্লাহ ইবন যুবা ইর (বা) খুতবর মধ্যে ইয়যীদকে বলেছেন, বাবর, শরাব খাের, সালাত
ত্যগক রী এবং ন্র্দ্রক্লীদের প্রতি অসক্ত ইত্যাদি ৷

মুসলিম ইবন উক্ব যখন তৈরি হলো ও দামেশকে সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি পরিদর্শন করল,
৩ খন সে, বলতে লাগল-

é)—§——“ ণ্ড্রখো এ é——)——
@ ““““““
আবু বকরকে এ সংব বাদ পৌছিয়ে দাও যে, যখন সেনাবাহিনী অভিযান পরিচলন করবে
তখন সেনাবাহিনীর সিং হ৩া০ ই কুরা নামক সনৃদ্ধস্থনে অবস্থান করবে ৷ তুমি দেখছ সম্প্রদায়ের
তাল ব্যক্তিবর্গ একত্রিত হয়েছে, উম্মুল কুর তথা পবিত্র কা বার বিদ্রোহীর আস্তান গড়ে উঠেছে ৷
কি অবাক কাণ্ড ! সে ধর্মের জন্য বেক্বাজ সেজেছে এবং সে মিথ্যার ব্যবসা করছে অন্য এক
বর্ণনায় আছে :
ণ্,দ্বুএ্া




হু মুল গ্রন্থে ইবন নুমায়ী মুদ্রিত আছে ৷ প্রকৃতপক্ষে তা হবে ইবন যুবয়র ৷ ন্


رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَنْ لَا نَفِرَّ. وَكَذَلِكَ لَمْ يَخْلَعْ يَزِيدَ أَحَدٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَقَدْ سُئِلَ مُحَمَّدُ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ فِي ذَلِكَ، فَامْتَنَعَ مِنْ ذَلِكَ وَأَبَى أَشَدَّ الْإِبَاءِ، وَنَاظَرَهُمْ وَجَادَلَهُمْ فِي يَزِيدَ وَرَدَّ عَلَيْهِمْ مَا اتَّهَمُوهُ بِهِ مِنْ شُرْبِهِ الْخَمْرَ وَتَرْكِهِ بَعْضَ الصَّلَوَاتِ، كَمَا سَيَأْتِي مَبْسُوطًا فِي تَرْجَمَةِ يَزِيدَ قَرِيبًا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَكَتَبَ بَنُو أُمَيَّةَ إِلَى يَزِيدَ بِمَا هُمْ فِيهِ مِنَ الْحَصْرِ وَالْإِهَانَةِ، وَالْجُوعِ وَالْعَطَشِ، وَأَنَّهُ إِنْ لَمْ يَبْعَثْ إِلَيْهِمْ مَنْ يُنْقِذُهُمْ مِمَّا هُمْ فِيهِ وَإِلَّا اسْتُؤْصِلُوا عَنْ آخِرِهِمْ، وَبَعَثُوا ذَلِكَ مَعَ الْبَرِيدِ، فَلَمَّا قَدِمَ بِذَلِكَ عَلَى يَزِيدَ وَجَدَهُ جَالِسًا عَلَى سَرِيرِهِ وَرِجْلَاهُ فِي مَاءٍ يَتَبَرَّدُ مِمَّا بِهِ مِنَ النِّقْرِسِ فِي رِجْلَيْهِ، فَلَمَّا قَرَأَ الْكِتَابَ انْزَعَجَ لِذَلِكَ، وَقَالَ: وَيْلَكَ! أَمَا فِيهِمْ أَلْفُ رَجُلٍ؟ قَالَ: بَلَى. قَالَ: أَفَلَا قَاتَلُوا وَلَوْ سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ؟ ثُمَّ بَعَثَ إِلَى عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، فَقَرَأَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، وَاسْتَشَارَهُ فِيمَنْ يَبْعَثُهُ إِلَيْهِمْ، وَعَرَضَ عَلَيْهِ ذَلِكَ، فَأَبَى وَقَالَ: إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عَزَلَنِي عَنْهَا وَهِيَ مَضْبُوطَةٌ، وَأُمُورُهَا مُحْكَمَةٌ، فَأَمَّا الْآنَ فَإِنَّمَا هِيَ دِمَاءُ قُرَيْشٍ تُرَاقُ بِالصَّعِيدِ، فَلَا أُحِبُّ أَنْ أَتَوَلَّى ذَلِكَ مِنْهُمْ، لِيَتَوَلَّ ذَلِكَ مَنْ هُوَ أَبْعَدُ مِنْهُمْ مِنِّي. قَالَ: فَبَعَثَ الْبَرِيدُ إِلَى مُسْلِمِ بْنِ عُقْبَةَ الْمُرِّيِّ وَهُوَ شَيْخٌ كَبِيرٌ ضَعِيفٌ، فَانْتَدَبَ لِذَلِكَ، وَأَرْسَلَ مَعَهُ يَزِيدُ عَشَرَةَ آلَافِ فَارِسٍ وَقِيلَ: اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا وَنَادَى مُنَادِي يَزِيدَ بِدِمَشْقَ أَنْ سِيرُوا عَلَى أَخْذِ أَعْطِيَاتِكُمْ كَامِلًا وَمَعُونَةِ أَرْبَعِينَ دِينَارًا. قَالَ
পৃষ্ঠা - ৬৭৯১
الْمَدَائِنِيُّ: وَيُقَالُ: فِي سَبْعَةٍ وَعِشْرِينَ أَلْفًا ; اثَنَا عَشَرَ أَلْفَ فَارِسٍ وَخَمْسَةَ عَشَرَ أَلْفَ رَاجِلٍ، وَأَعْطَى كُلَّ وَاحِدٍ مِائَةَ دِينَارٍ. وَقِيلَ: أَرْبَعِينَ دِينَارًا. ثُمَّ اسْتَعْرَضَهُمْ يَزِيدُ وَهُوَ عَلَى فَرَسٍ لَهُ. قَالَ: الْمَدَائِنِيُّ: وَجَعَلَ عَلَى أَهْلِ دِمَشْقَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعَدَةَ الْفَزَارِيَّ، وَعَلَى أَهْلِ حِمْصَ حُصَيْنَ بْنَ نُمَيْرٍ السَّكُونِيَّ، وَعَلَى أَهْلِ الْأُرْدُنِّ حُبَيْشَ بْنَ دُلْجَةَ الْقَيْنِيَّ، وَعَلَى أَهْلِ فِلَسْطِينَ رَوْحَ بْنَ زِنْبَاعٍ الْجُذَامِيَّ وَشَرِيكَ الْكِنَانِيَّ، وَعَلَى أَهْلِ قِنَّسْرِينَ طَرِيفَ بْنَ الْحَسْحَاسِ الْهِلَالِيَّ، وَعَلَيْهِمْ جَمِيعًا مُسْلِمَ بْنَ عُقْبَةَ الْمُرِّيَّ، مُرَّةَ غَطَفَانَ، فَقَالَ النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَلِّنِي عَلَيْهِمْ أَكْفِكَ - وَكَانَ النُّعْمَانُ أَخَا عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْظَلَةَ لِأُمِّهِ عَمْرَةَ بِنْتِ رَوَاحَةَ - فَقَالَ يَزِيدُ: لَا، لَيْسَ لَهُمْ إِلَّا هَذَا الْعَشَمَةُ، وَاللَّهِ لَا أَقْبَلُهُمْ بَعْدَ إِحْسَانِي إِلَيْهِمْ وَعَفْوِي عَنْهُمْ مَرَّةً بَعْدَ مَرَّةٍ. فَقَالَ النُّعْمَانُ: أَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فِي عَشِيرَتِكَ وَأَنْصَارِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ: أَرَأَيْتَ إِنْ رَجَعُوا إِلَى طَاعَتِكَ أَتَقْبَلُ ذَلِكَ مِنْهُمْ؟ قَالَ: إِنْ فَعَلُوا فَلَا سَبِيلَ عَلَيْهِمْ. وَقَالَ يَزِيدُ لِمُسْلِمِ بْنِ عُقْبَةَ: إِذَا قَدِمْتَ
পৃষ্ঠা - ৬৭৯২


“আবু বকরকে খবর পৌছিয়ে দাও, যখন ব্যাপারটি স্ফীত হয়ে উঠবে এবং ওয়াদিল কুবা
নামক স্থানে সেনাবাহিনী অবতরণ করবে, তখন তারা হবে পৌঢ় ও যুবক শ্রেণীর মাঝামাঝি
বয়সের ২০ হাজার সৈন্য ৷ কেননা তুমি দেখছো যে, সমাজের মাদকাসক্ত ব্যক্তিবর্গ আমীরুল
মুমিনীনেয় বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হয়েছে ৷ ”

ইতিহাসবিদপণ বলেন,মুসলিম তার সেনাবাহিনী নিয়ে মদীনায় দিকে রওয়ানা হল,
সেনাবাহিনী যখন মদীনায় নিকটবর্তী হলো, মদীনাবাসীরা বনু উমাইয়ার সদস্যদের অবরােধে
কঠোরতা অবলম্বন করতে লাগল এবং বলতে লাগল, আল্লাহর শপথ ! আমরা তোমাদের
সকলকে এখনই হত্যা করব ৷ যদি তোমরা আমাদেরকে এমন একটি চুক্তিনামা লিখে দাও যে,
তোমরা সিরিয়ার সৈন্যদেরকে আমাদেরকে চিনিয়ে দৌৰে না এবং আমাদের প্রতি তাদেরকে
উসকানিও দিবে না ৷ তখন বনু উমাইয়ার লোকেরা তাদেরকে এ ব্যাপারে একটি অঙ্গীকারনামা
প্রদান করল ৷

যখন সেনাবাহিনী মদীনায় পৌছল তখন বনু উমাইয়ার লোকেরা তাদের সাথে সাক্ষাত
করল ৷ সেনাপতি তাদের খবরাখবর সম্বন্ধে জিজ্ঞাস করল, তখন তাদের কেউ তাকে কোন

হুবাদ দিল না ৷ সেনাপতি এ ব্যাপারে নিচুপ য়ইলেন ৷ আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান
সেনাপতির কাছে আসলেন এবং তাকে বললেন, যদি আপনি তাদের উপর জয়ী হতে চান
তাহলে আপনি মদীনায় পুর্বদিকে হাররায় সেনাবাহিনী নিয়ে অবতরণ প্ করুন ৷ যখন শত্রুর
লোকেরা আপনার দিকে নিয়ে আসবে তখন সুর্যের তাপ থাকবে তাদের চোখে মুখে ৷ এমন
সময় আপনি তাদেরকে আপনার বাধ্যতা স্বীকার করতে আহবান জানাবেন ৷ যদি তারা
আপনার আহবানে সাড়া দেয় তাহলে ভাল কথা, অন্যথায় আপনি আল্লাহর সাহায্য নিবেন এবং
তাদেরকে হত্যা শুরু করবেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা আপনাকে তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য করবেন ৷
কেননা তারা দেশের ইমাম তথা খলীফার বিরুদ্ধাচরণ করছে এবং তার অবাধ্য হয়েছে ৷ এ
পরামর্শ দেয়ার জন্য মুসলিম ইবন উক্বা আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করেন এবং তিনি যেদিকে ইঙ্গিত করলেন তা তিনি পরোপুরি পালন করলেন ৷ তিনি পুর্ব
মদীনায় হাররায় অবতরণ করেন এবং মদীনাবাসীদেয়হ্মে তিনদিনের অবকাশ দিলেন ৷

প্রতিদিন তারা বশ্যতা স্বীকার না করে যুদ্ধ ও মুকাবিলার কথা পুনরাবৃত্তি করে ৷ যখন
তিনদিন শেষ হয়ে গেল তখন সেনাপতি তাদরকে চতুর্থ দিন অর্থাৎ ৬৩ হিজরীর যুলহাজ্জ
মাসের ২৮ তারিখ বুধবার দিন বললেন, হে মদীনাবাসীগণ ! তিনদিন অতিবাহিত হল
আমীরুল মু’মিনীন আমাকে বলেছিলেন যে, তোমরা তার আত্মীয়স্বজন, তাই তিনি তোমাদের
য়ক্তপাতকে খারাপ মনে করেন ৷ তিনি আমাকে হুকুম দিয়েছেন আমি যেন তােমাদেরকে তিন
দিনের সময় সেই ৷ তিনদিন শেষ হয়ে গেল ৷ এখন তোমরা কি করবে ? তোমরা কি আমাদের
সাথে যুদ্ধ করবে, না সন্ধি করবে ? তারা বললেন, যুদ্ধ করব ৷,” মুসলিম আবার বললেন, যুদ্ধ
করো না বরং সন্ধি কর তাহলে আমরা ঐ বিদ্রোহী ব্যক্তি অর্থাৎ হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবাইয়
(রা)-কে দমন করার জন্য সর্বশক্তি ও প্রচেষ্টা প্রয়োগ করতে পারব ৷ তারা বললেন, “হে
আল্লাহর দৃশ্বমন !

তোমায় যদি এটাই ইচ্ছে হয়ে থাকে তাহলে আমরা তোমাকে কোন দিনও এটা করতে
দেব না ৷ আমরা কি ভোমাদেরকে ছেড়ে দিব যে, তোমরা মহসম্মানিত বাইতুল্লাহ্ গিয়ে যখেচ্ছ
আচরণ করবে ? তারপর তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিল ৷ তারা ইতিমধ্যে মুসলিম ইবন উকবা


الْمَدِينَةَ وَلَمْ تُصَدَّ عَنْهَا، وَسَمِعُوا وَأَطَاعُوا فَلَا تَتَعَرَّضْ لِأَحَدٍ مِنْهُمْ، وَامْضِ إِلَى الْمُلْحِدِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، وَإِنْ صَدُّوكَ عَنِ الْمَدِينَةِ فَادْعُهُمْ ثَلَاثًا، فَإِنْ رَجَعُوا إِلَى الطَّاعَةِ فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ، وَإِلَّا فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ وَقَاتِلْهُمْ، وَإِذَا ظَهَرْتَ عَلَيْهِمْ فَأَبِحْهَا ثَلَاثًا، ثُمَّ اكْفُفْ عَنِ النَّاسِ، وَقِيلَ: إِنَّهُ قَالَ لِمُسْلِمِ بْنِ عُقْبَةَ: إِذَا ظَهَرْتَ عَلَيْهِمْ فَإِنْ كَانَ قُتِلَ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ أَحَدٌ فَجَرِّدِ السَّيْفَ، وَاقْتُلِ الْمُقْبِلَ وَالْمُدْبِرَ، وَأَجْهِزْ عَلَى الْجَرِيحِ وَانْهَبْهَا ثَلَاثًا، وَانْظُرْ إِلَى عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ فَاكْفُفْ عَنْهُ وَاسْتَوْصِ بِهِ خَيْرًا، وَأَدْنِ مَجْلِسَهُ ; فَإِنَّهُ لَمْ يَدْخُلْ فِي شَيْءٍ مِمَّا دَخَلُوا فِيهِ. وَأَمَرَهُ إِذَا فَرَغَ مِنَ الْمَدِينَةِ أَنْ يَذْهَبَ إِلَى مَكَّةَ لِحِصَارِ ابْنِ الزُّبَيْرِ وَقَالَ لَهُ: إِنْ حَدَثَ بِكَ أَمْرٌ فَعَلَى النَّاسِ حُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ السَّكُونِيُّ. وَقَدْ كَانَ يَزِيدُ كَتَبَ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ أَنْ يَسِيرَ إِلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَيُحَاصِرَهُ بِمَكَّةَ، فَأَبَى عَلَيْهِ وَقَالَ: وَاللَّهِ لَا أَجْمَعُهُمَا لِلْفَاسِقِ أَبَدًا، أَقْتُلُ ابْنَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَغْزُو الْبَيْتَ الْحَرَامَ؟ ! وَقَدْ كَانَتْ أُمُّهُ مَرْجَانَةُ قَالَتْ لَهُ حِينَ قَتَلَ الْحُسَيْنَ: وَيْحَكَ! مَاذَا صَنَعْتَ؟ ! وَمَاذَا رَكِبْتَ؟ ! قَالُوا: وَقَدْ بَلَغَ يَزِيدَ أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ: يَزِيدُ الْقُرُودِ، شَارِبُ الْخَمْرِ. فَلَمَّا جَهَّزَ مُسْلِمَ بْنَ عُقْبَةَ وَاسْتَعْرَضَ الْجَيْشَ بِدِمَشْقَ، جَعَلَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৬৭৯৩
أَبْلِغْ أَبَا بَكْرٍ إِذَا الْجَيْشُ سَرَى ... وَأَشْرَفَ الْجَيْشُ عَلَى وَادِي الْقُرَى أَجَمْعَ سَكْرَانٍ مِنَ الْقَوْمِ تَرَى ... يَا عَجَبًا مِنْ مُلْحِدٍ يَا عَجَبَا مُخَادِعٌ لِلدِّينِ يَقْفُو بِالْفِرَى وَفِي رِوَايَةٍ: أَبْلِغْ أَبَا بَكْرٍ إِذَا الْأَمْرُ انْبَرَى ... وَنَزَلَ الْجَيْشُ عَلَى وَادِي الْقُرَى عِشْرُونَ أَلْفًا بَيْنَ كَهْلٍ وَفَتَى ... أَجَمْعَ سَكْرَانٍ مِنَ الْقَوْمِ تَرَى قَالُوا: وَسَارَ مُسْلِمٌ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجُيُوشِ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا اقْتَرَبَ مِنْهَا اجْتَهَدَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ فِي حِصَارِ بَنِي أُمَيَّةَ، وَقَالُوا لَهُمْ: وَاللَّهِ لَنَقْتُلَنَّكُمْ عَنْ آخِرِكُمْ أَوْ لَتُعْطُونَا مَوْثِقًا أَنْ لَا تَدُلُّوا عَلَيْنَا أَحَدًا مِنْ هَؤُلَاءِ الشَّامِيِّينَ، وَلَا تُمَالِئُوهُمْ عَلَيْنَا. فَأَعْطَوْهُمُ الْعُهُودَ بِذَلِكَ، فَلَمَّا وَصَلَ الْجَيْشُ تَلَقَّاهُمْ بَنُو أُمَيَّةَ، فَجَعَلَ مُسْلِمٌ يَسْأَلُهُمْ عَنِ الْأَخْبَارِ، فَلَا يُخْبِرُهُ أَحَدٌ فَانْحَصَرَ لِذَلِكَ، وَجَاءَهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ فَقَالَ لَهُ: إِنْ كُنْتَ تُرِيدُ النَّصْرَ فَانْزِلْ شَرْقِيَّ الْمَدِينَةِ فِي الْحَرَّةِ، فَإِذَا خَرَجُوا إِلَيْكَ كَانَتِ الشَّمْسُ فِي أَقْفِيَتِكُمْ وَفِي وُجُوهِهِمْ، فَادْعُهُمْ إِلَى الطَّاعَةِ، فَإِنْ أَجَابُوكَ وَإِلَّا فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ وَقَاتِلْهُمْ، فَإِنَّ اللَّهَ نَاصِرُكَ عَلَيْهِمْ ; إِذْ خَالَفُوا الْإِمَامَ، وَخَرَجُوا مِنَ الطَّاعَةِ. فَشَكَرَهُ مُسْلِمُ بْنُ عُقْبَةَ عَلَى ذَلِكَ، وَامْتَثَلَ مَا أَشَارَ بِهِ، فَنَزَلَ شَرْقِيَّ
পৃষ্ঠা - ৬৭৯৪


তাদের মধ্যে পরিখ৷ খনন করে নেয় আর তারা নিজেদের সৈন্যদেরকে চার ভাগে ভাগ করে
নেয় এবং প্রতিটি ভাগের জন্য একজন সুযোগ আমীর নিয়োগ করে ৷ সবচাইতে সুবিন্যস্থ
ভাগের আমীর হলেন আবদুল্লাহ ইবন হানযালা আল পাসীল ৷ তারপর তারা প্রচণ্ড যুদ্ধ করলেন
কিন্তু মদীনাবানীর৷ পরাজয় বরণ করেন ৷ দুপক্ষ থেকেই রহু সর্দার ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ
নিহত হলেন ৷ তাদের মধ্যে প্রসিদ্ধ হলেন, আবদুল্লাহ ইবন মুভী ও তার সম্মুখে নিহত, তার
সাত ছেলে, আবদৃল্লাহইবন হানযাল৷ আল পাসীল এবং তার বৈপিত্রেয় মুহাম্মাদ ইবন সাধিত
ইবন শাম্মাস, মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযম ৷ তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন ৷ তখন
মারওয়ার্ন তার পাশ ৷দািয় গমন করছিলেন ৷ বললেন, আল্লাহ্ তে ৷মার উপর রহম করুন
কতইনা ৷স্তম্ভ আমি দেখেছি তার পাশে তুমি সালাতে দীর্ঘ সময় আল্লাহর ধ্যানে রুকু ও
সিজদাতে মগ্ন থাকত ৷
তারপর মুসলিম ইবন উকবা যারুক পুর্বেকায় উলামায়ে কিরাম বিদ্র্যপ করে রলঃতন
মুসরিফ ইবন উকবা’ আল্লাহ্৩ তার অমঙ্গল করুন, এক দুষ্ট বৃদ্ধ, মদীনায় তিন দিন যাবত
লুটতরাজ করার নির্দেশ দিল যেমনটি তাংক তার মনীব ইয়াযীদ নির্দেশ প্রদান করেছিল
(আল্লাহ যেন তাকে শুভ প্রতিদান প্রদান না করেন) ৷ যে এ তিন দিনে মদীনায় সম্মানিত
ব্যক্তিবর্গ ও কারীদের ন্যায় বহু লোককে হত্যা করে৷ বহু সম্পদ লুট করে, এভাবে একাধিক
’ ইতিহাসৰিদদের মতে জফ্যা৩ ম লুট, ধর্ষণ, নির্যাতন ও উৎপীড়নের ঘটনা সংঘটিত হয় ৷ যারা
তার সামনে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে মাকিল ইবন সিনানও ছিলেন ৷ তিনি
ছিলেন পুর্বে৩ তার বন্ধু কিন্তু তিনি তাকে শুনিয়ে ইয়াযীদকে পালিপালা ৷জ করেছিলেন ৷ তাই সে
তার থেকে প্রতিশোধ্ গ্রহণ করে ৷
আলী ইবন হুসাইন (রা) কে তলব করা হল ৷ তিনি মারওয়ান ইবনুল হাকাম তার পুত্র
আবদুল মালিক এর সাথে তাদের দু জনের মাধ্যমে সেনাপতি থেকে নিরাপত্তা গ্রহণ করার জন্য
আগমন করেন ৷ ইয়াষীদ যে তাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য সেনাপতিকে ওসীয়ত করেছিলত
তিনি জানতেন না ৷ যখন তিনি তাদের সামনে বসলেন মারওয়ান পানীয়ের আদেশ দািলন ৷
মুসলিম ইবন উকবা সিরিয়া থেকে মদীন৷ পর্যন্ত তার সাথে বরফ বহন করে নিয়ে এসেছিলেন ৷
তার পানীয়ের সাথে তা মিশিয়ে নিত ৷ পানীয় যখন আনা হল মারওয়ান কিছুটা পান করলেন
এবং বাকী অংশ হযরত ইমাম হুসাইন (রা) কে পান করতে দিলেন ৷ আর এর মাধ্যমে তিনি
সেনা ৷পতি থেকে নিরাপত্তা নেয়ার মনহ্ করলেন ৷ মারওয়ান ছিলেন আলী ইবন হুসাইন (রা)-
এর জন্যে হিব্রেতকর অবস্থার সৃষ্টিকারী ৷
মুসলিম ইবন উকবা যখন তার দিকে নজর করলেন এবং দেখলেন যে, তিনি তার হাতে
পানির পেয়াল৷ ধরে রয়েছেন তিনি তাকে বললেন, আপনি আমাদের পানীয় পান করবেন না ৷
তারপর সে তাকে বলল, আপনি কি এ দুজনের সাথে এসেছেন নিরাপত্তা নেয়ার জন্য ? আলী
ইবন হুসাইন (রা) এর হাত কাপতে লাগল ৷ তিনি পাত্রটি নীচেও রাখতে পাছিলেন না এবং
পানিও পান করতে পারছিলেন না ৷ সেনাপতি আবার ৩াকে বললেন, যদি আমীরুল মৃ মিনীন
আপনার সম্পর্কে আমাকে ওসীয়ত না করতেন তাহলে এতক্ষণে আমি আপনাকে হত্যা করে
ফেলতাম ৷ তারপর সে আবার তাকে বললেন, যদি আপনি পান করতে চান তাহলে পান করে
নিন আর যদি আপনি চান৩ তাহলে আমরা আপনার জনা অন্য ধরনের পানীয় আনার জন্য
আদেশ প্রদান করব ৷ আলী ইবন হুসাইন (রা) বললেন, আমার হাতে যে পানি আছে তা পান


الْمَدِينَةِ فِي الْحَرَّةِ، وَدَعَا أَهْلَهَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، كُلُّ ذَلِكَ يَأْبَوْنَ إِلَّا الْمُحَارَبَةَ وَالْمُقَاتَلَةَ، فَلَمَّا مَضَتِ الثَّلَاثُ قَالَ لَهُمْ فِي الْيَوْمِ الرَّابِعِ - وَهُوَ يَوْمُ الْأَرْبِعَاءِ لِلَيْلَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ - قَالَ لَهُمْ: يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ، مَضَتِ الثَّلَاثُ، وَإِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَالَ لِي: إِنَّكُمْ أَصْلُهُ وَعَشِيرَتُهُ، وَإِنَّهُ يَكْرَهُ إِرَاقَةَ دِمَائِكُمْ، وَإِنَّهُ أَمَرَنِي أَنْ أُؤَجِّلَكُمْ ثَلَاثًا، فَقَدْ مَضَتْ فَمَا أَنْتُمْ صَانِعُونَ؟ أَتُسَالِمُونَ أَمْ تُحَارِبُونَ؟ فَقَالُوا: بَلْ نُحَارِبُ. فَقَالَ: لَا تَفْعَلُوا، بَلْ سَالِمُوا وَنَجْعَلُ جَدَّنَا وَقُوَّتَنَا عَلَى هَذَا الْمُلْحِدِ. يَعْنِي ابْنَ الزُّبَيْرِ. فَقَالُوا لَهُ: يَا عَدُوَّ اللَّهِ، لَوْ أَرَدْتَ ذَلِكَ لَمَا مَكَّنَّاكَ مِنْهُ، أَنَحْنُ نَذَرُكُمْ تَذْهَبُونَ فَتُلْحِدُونَ فِي بَيْتِ اللَّهِ الْحَرَامِ؟ ! ثُمَّ تَهَيَّئُوا لِلْقِتَالِ، وَقَدْ كَانُوا اتَّخِذُوا خَنْدَقًا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مُسْلِمِ بْنِ عُقْبَةَ وَجَعَلُوا جَيْشَهُمْ أَرْبَعَةَ أَرْبَاعٍ، عَلَى كُلِّ رُبْعٍ أَمِيرٌ، وَجَعَلُوا أَجَلَّ الْأَرْبَاعِ الرُّبُعَ الَّذِي فِيهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَنْظَلَةَ الْغَسِيلِ، ثُمَّ اقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، ثُمَّ انْهَزَمَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ إِلَيْهَا، وَقَدْ قُتِلَ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ خَلْقٌ مِنَ السَّادَاتِ وَالْأَعْيَانِ، مِنْهُمْ ; عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُطِيعٍ، وَبَنُونَ لَهُ سَبْعَةٌ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَنْظَلَةَ الْغَسِيلُ، وَأَخُوهُ لِأُمِّهِ مُحَمَّدُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ شَمَّاسٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، وَقَدْ مَرَّ بِهِ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ وَهُوَ مُجَدَّلٌ، فَقَالَ: رَحِمَكَ اللَّهُ، فَكَمْ مِنْ سَارِيَةٍ قَدْ رَأَيْتُكَ تُطِيلُ عِنْدَهَا الْقِيَامَ وَالسُّجُودَ. ثُمَّ أَبَاحَ مُسْلِمُ بْنُ عُقْبَةَ الَّذِي يَقُولُ فِيهِ السَّلَفُ: مُسْرِفُ بْنُ عُقْبَةَ. قَبَّحَهُ
পৃষ্ঠা - ৬৭৯৫
اللَّهُ الْمَدِينَةَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ كَمَا أَمَرَهُ يَزِيدُ لَا جَزَاهُ اللَّهُ خَيْرًا، وَقَتَلَ خَلْقًا مِنْ أَشْرَافِهَا وَقُرَّائِهَا، وَانْتَهَبَ أَمْوَالًا كَثِيرَةً مِنْهَا، وَوَقَعَ شَرٌّ عَظِيمٌ وَفَسَادٌ عَرِيضٌ، عَلَى مَا ذَكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ، فَكَانَ مِمَّنْ قُتِلَ بَيْنَ يَدَيْهِ صَبْرًا مَعْقِلُ بْنُ سِنَانٍ الْأَشْجَعِيُّ، وَقَدْ كَانَ صَدِيقَهُ قَبْلَ ذَلِكَ، وَلَكِنْ أَسْمَعَهُ فِي يَزِيدَ كَلَامًا غَلِيظًا، فَنَقَمَ عَلَيْهِ بِسَبَبِهِ. وَاسْتَدْعَى بِعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ فَجَاءَ يَمْشِي بَيْنَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ وَابْنِهِ عَبْدِ الْمَلِكِ، لِيَأْخُذَ لَهُ بِهِمَا عِنْدَهُ أَمَانًا، وَلَمْ يَشْعُرْ أَنَّ يَزِيدَ قَدْ أَوْصَاهُ بِهِ، فَلَمَّا جَلَسَ بَيْنَ يَدَيْهِ اسْتَدْعَى مَرْوَانُ بِشَرَابٍ - وَقَدْ كَانَ مُسْلِمُ بْنُ عُقْبَةَ قَدْ حَمَلَ مَعَهُ مِنَ الشَّامِ ثَلْجًا إِلَى الْمَدِينَةِ فَكَانَ يُشَابُ لَهُ بِشَرَابِهِ - فَلَمَّا جِيءَ بِالشَّرَابِ، شَرِبَ مَرْوَانُ قَلِيلًا، ثُمَّ أَعْطَى الْبَاقِيَ لِعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ لِيَأْخُذَ لَهُ بِذَلِكَ أَمَانًا، وَكَانَ مَرْوَانُ مُوَادًّا لِعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهِ مُسْلِمُ بْنُ عُقْبَةَ قَدْ أَخَذَ الْإِنَاءَ فِي يَدِهِ قَالَ لَهُ: لَا تَشْرَبْ مِنْ شَرَابِنَا. ثُمَّ قَالَ لَهُ: إِنَّمَا جِئْتَ مَعَ هَذَيْنَ لِتَأْمَنَ بِهِمَا. فَارْتَعَدَتْ يَدُ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ وَجَعَلَ لَا يَضَعُ الْإِنَاءَ مِنْ يَدِهِ وَلَا يَشْرَبُهُ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: لَوْلَا أَنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَوْصَانِي بِكَ لَضَرَبْتُ عُنُقَكَ. ثُمَّ قَالَ لَهُ: إِنْ شِئْتَ أَنْ تَشَرَبَ فَاشْرَبْ، وَإِنْ شِئْتَ دَعَوْنَا لَكَ بِغَيْرِهَا. فَقَالَ: هَذِهِ الَّتِي فِي كَفِّي أُرِيدُ. فَشَرِبَ ثُمَّ قَالَ لَهُ مُسْلِمُ بْنُ عُقْبَةَ إِلَيَّ، هَاهُنَا. فَأَجْلَسَهُ مَعَهُ عَلَى السَّرِيرِ، وَقَالَ لَهُ: إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَوْصَانِي بِكَ، وَإِنَّ هَؤُلَاءِ شَغَلُونِي عَنْكَ. ثُمَّ قَالَ: لَعَلَّ أَهْلَكَ فَزِعُوا. قَالَ: إِي وَاللَّهِ. فَأَمَرَ بِدَابَّتِهِ فَأُسْرِجَتْ، ثُمَّ حَمَلَهُ عَلَيْهَا حَتَّى رَدَّهُ إِلَى مَنْزِلِهِ مُكَرَّمًا، ثُمَّ اسْتَدْعَى بِعَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ - وَلَمْ يَكُنْ خَرَجَ مَعَ بَنِي أُمَيَّةَ - فَقَالَ لَهُ: إِنَّكَ إِنْ ظَهَرَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ قُلْتَ: أَنَا كُنْتُ مَعَكُمْ. وَإِنْ ظَهَرَ أَهْلُ
পৃষ্ঠা - ৬৭৯৬


করতে আমার কোন আপত্তি নেই ৷৩ তারপর তিনি তা পান করলেন মুসলিম ইবন উকব৷ তাকে
বললেন, আপনি দাড়ান , এখানে আসুন এবং আমাদের সাথে বসুন ৷ সেনাপতি এ কথা ৷বলে
তাকে রাজকীয় আসনে বসালেন এবং বললেন, আমীরুল মু’মিনীন আমাকে আপনার সম্পর্কে
ওসীয়ত করেছেন তবে ,এর৷ আমাকে আপনার থেকে বিরত রেথেছিল ৷ সে আবার আলী ইবন
হুসাইন (বা) ৫ক বলেন, আপনার পরিবারবর্গ হয়ত ৩ ত-সস্ত্রস্ত রয়েছেন, হীা, আল্লাহর শপথ
তারপর সেনাপতি তার সাওয়ারীতে নিয়ে আসতে হুকুম দিলেন ৷ সাওয়ারী তৈরি করা হলো
এবং আলী ইবন হুসাইন (রা)কে ৷রত উপরে উঠিয়ে দেয়৷ হলো ৷ আর যথাযােগ্য মর্যাদাসহ
তাকে তার নিজ ঘরে প্রেরণ করা হল ৷ তারপর আমর ইবন আফফানকে তলব করা হল ৷ তিনি
নিজ আস্তান৷ থেকে বের হয়ে বনু উমাইয়ার সাথে যোগ দেন নি৷ সেনাপতি তাকে বলল,
মদীনাবাসীরা যদি জয়লাভ করত তাহলে তুমি বলতে আমি তে আমাদের সাথে আছি ৷ আর যদি
সিরিয়াবাসীরা জয়লাভ করে তাহলে তুমিণ্ডু বলবে, আমি আমীরুল মুমিনীনের পুত্র ৷ তারপর
আদেশ দেয়৷ হল এবং তার সামনে আমর ইবন উসমান ইবন আফ্ফান (রা)এর দাড়ি
উপড়িয়ে ফেলা হল, তিনি ছিলেন বড় দাড়ির অধিকারী ৷
আল মাদায়িনী (র) বলেন, সেনাপতি মুসলিম ইবন উকব৷ তিন দিনের জন্য মদীনায়
লুটপাটের অনুমতি দিল ৷ তারা যাকে (পল হত্যা করল এবং সম্পদ লুটে নিল ৷ ,সুদ৷ বিনত
আউফ মুসলিম ইবন উকবা সেনাপতির কাছে লোক প্রেরণ করে বলে, আমি তোমার ড্রা চাতো
বোন তা ৷ই তোমার সাথীদেরকে হুকুম দাও যেন অমুক অমুক জায়গায় রাখা আমাদের
উটগুলোকে বাধা না দেয় ৷ সেনাপতি৩ার সা৷থীদেরকে বলল, প্রথমে তাদের উটগুলােকে লুন্ঠন
কর ৷ সেনাপতির কাছে একটি ত্রীলোক এসে বলল, আমি ওোমার এক বন্দিনী দাসী ৷ তখন
সে তার সাথের একটি লোককে দেখিয়ে বলল, তাকে এ বাদীর জন হত্যা ক্র্ ৷ লোক্ঢিকে
হত্যা করা হল ৷ সেনাপতি বলল, তাকে তার মাথাটা দািয় দাও এবং বল, তুমি কি এতে খুশী
নও যে, যতক্ষণ তুমি তোমার পুত্র সম্পর্কে কথা না বলবে ততক্ষণ আর কউকে হত্যা করা
হবে না ? সেনাবাহিনীর লোকেরা মহিলাদের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হল ৷ কথিত আছে যে, এ
কয়েকদিনে স্বামী বাভীত এক হাজার মহিলা গতর্বিতী হয়েছিল ৷ আল্লাহ্ই অধিক পরিজ্ঞাত ৷
মাদায়িনী (র) আবু কুবরা ও হিশৃাম্র ইবন হাসান হতে;হুদ্রুবর্ণনা করেন,৩ তিনি বলেন, হারবার
ঘটনার পর ,স্বামী ব্যতীত এক হাজার মহিলা মদীনায় গর্ভবতী হয়েছিল ৷ বিশিষ্ট সাহাবীশুদর
, একটি দল আত্মগােপন করেছিলেন তাদের মধ্যে জাবির ইবন আবদুল্লাহ ,(ৰুরা) বিশেষভাবে
বিখ্যাত ৷ হযরত আবু সাঈদ আল খুদরী(রা) পাহাড়োৰ্ একটি গুহায় আশ্রয় নিঃয়ছির্লেন ৷ তার
সাথে তখন সিরিয়াবাসীদের একজন সৈনিক সাক্ষঢ়াত করল ৷ তিনি বহ্লন, যখন আমি তাকে
দেখলাম আমার তলােয়ারঢি কােষমুক্ত করলাম ৷ সে আমার দিকে এগিয়ে আসল এবং আমাকে
হত্যা করার সৎকল্প গ্রহণ করল তখন আমি আমার তলোয়ৰুার,টি উঠিয়ে নিলাম এবং বললাম,
আমি চাই তুমি যেন আমার ঞাতামা র পাপের বোঝা বহন কর এবৎ জাহান্নামবা ৷সী হও ৷ আর
এটাই জালিমদের সাজা ৷ যখন সে এরুপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হল জিজ্ঞাসা করল, তুমি কে ?
“আমি বললাম আমি আবু সাঈদ আল খুদরী ৷ যে বলল, র;াসুলুল্লাহ (সা) এর সাহাৰী নাকি ? প্
;:ৰু আমিঃবললাম হ্যা ৷’ তখন সে আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে গেল ৷
আলমাদায়ি,নী (র) বলেন, সেনাপতি ;মুসলিমের কাছে সাঈদ ইবনুল মুসইিয়াব (রা) কে
আনা হল ৷ সে র্তাত্বে রলল,ন্বায় আত কর ৷’ তিনি বললেন, , আমি আবু বকর (,রা) ও উমর


الشَّامِ قُلْتَ: أَنَا ابْنُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ. ثُمَّ أَمَرَ بِهِ، فَنُتِفَتْ لِحْيَتُهُ بَيْنَ يَدَيْهِ. قَالَ الْمَدَائِنِيُّ: وَأَبَاحَ مُسْلِمُ بْنُ عُقْبَةَ الْمَدِينَةَ ثَلَاثًا، يَقْتُلُونَ النَّاسَ، وَيَأْخُذُونَ الْأَمْوَالَ. فَأَرْسَلَتْ سُعْدَى بِنْتُ عَوْفٍ الْمُرِّيَّةُ إِلَى مُسْلِمِ بْنِ عُقْبَةَ تَقُولُ: أَنَا بِنْتُ عَمِّكَ، فَمُرْ أَصْحَابَكَ أَنْ لَا يَتَعَرَّضُوا لِإِبِلٍ لَنَا بِمَكَانِ كَذَا وَكَذَا. فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ لَا تَبْدَءُوا إِلَّا بِإِبِلِهَا. وَجَاءَتِ امْرَأَةٌ فَقَالَتْ: أَنَا مَوْلَاتُكَ، وَابْنِي فِي الْأُسَارَى. فَقَالَ: عَجِّلُوهُ لَهَا. فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ، وَقَالَ: أَعْطُوهَا رَأْسَهُ، أَمَا تَرْضَيْنَ أَنْ لَا تُقْتَلِي حَتَّى تَتَكَلَّمِي فِي ابْنِكِ؟ وَوَقَعُوا عَلَى النِّسَاءِ حَتَّى قِيلَ: إِنَّهُ حَبِلَتْ أَلْفُ امْرَأَةٍ فِي تِلْكَ الْأَيَّامِ مِنْ غَيْرِ زَوْجٍ. قَالَ الْمَدَائِنِيُّ، عَنْ أَبِي قُرَّةَ قَالَ: قَالَ هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ: وَلَدَتْ أَلْفُ امْرَأَةٍ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ بَعْدَ الْحَرَّةِ مِنْ غَيْرِ زَوْجٍ. وَقَدِ اخْتَفَى جَمَاعَةٌ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ، مِنْهُمْ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَخَرَجَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ فَلَجَأَ إِلَى غَارٍ فِي جَبَلٍ، فَلَحِقَهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ. قَالَ: فَلَمَّا رَأَيْتُهُ انْتَضَيْتُ سَيْفِي فَقَصَدَنِي، فَلَمَّا رَآنِي صَمَّمَ عَلَى قَتْلِي، فَشِمْتُ سَيْفِي، ثُمَّ قُلْتُ: {إِنِّي أُرِيدُ أَنْ تَبُوءَ بِإِثْمِي وَإِثْمِكَ فَتَكُونَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ وَذَلِكَ جَزَاءُ الظَّالِمِينَ} [المائدة: 29] .
পৃষ্ঠা - ৬৭৯৭
فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَالَ: مَنْ أَنْتَ؟ قُلْتُ: أَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ قَالَ: صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قُلْتُ: نَعَمَ. فَمَضَى وَتَرَكَنِي. قَالَ الْمَدَائِنِيُّ: وَجِيءَ إِلَى مُسْلِمٍ بِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، فَقَالَ لَهُ: بَايِعْ. فَقَالَ: أُبَايِعُ عَلَى سِيرَةِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ. فَأَمَرَ بِضَرْبِ عُنُقِهِ، فَشَهِدَ رَجُلٌ أَنَّهُ مَجْنُونٌ، فَخَلَّى سَبِيلَهُ. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْقُرَشِيِّ وَأَبِي إِسْحَاقَ التَّمِيمِيِّ قَالَا: لَمَّا انْهَزَمَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ يَوْمَ الْحَرَّةِ صَاحَ النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: بِعُثْمَانَ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ.
পৃষ্ঠা - ৬৭৯৮


(রা) এর ন্যায় চরিত্রে বায় আত করব ৷ তখন তার হত্যার হুকুম দেয়৷ হল ৷ তখন এক ব্যক্তি

সাক্ষ্য দিল যে, তিনি পাগল, তাই তাকে ছেড়ে দেয়া হল ৷

আল্পাম৷ মাদায়িনী, আবদুল্লাহ আল কুরাশী ও আবু ইসহ্াক তামীমী হতে বর্ণনা করেন যে
তারা বলেছেন হারবার দিন যখন মদীনাবাসীরা পরাজিত হলেন তখন মহিলারা ও ছেলে
মেয়েরা চীৎকার দিয়ে কাদতে লাগলেন ৷

আল মাদায়িনী মদীনাবাসীদেব কোন এক উস্তাদ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
আমি ইমাম যুহরী (রা) কে জিজ্ঞাসা করলাম, হারবার ঘটনায় কত লোক নিহত হয়েছিল তিনি
বললেন, মুহাজিয় ও আনসারদের মধ্যে হতে সাতশত জন গণ্যমান্য ব্যক্তি, তাদের দাস-দাসী
এবং অপরিচিত ব্যক্তিবর্গ দশ হাজার নিহত হয়েছিল ৷ বর্ণনাক৷ রী বলেন, ঘটনাটি ঘটেছিল ৬৩
হিজরীর যিলহজ্জ মা৷সর সাতাশ তারিখ ৷ শত্রু সৈন্যরা মৃদীনাত তিন দিন লুট পাট করেছিল ৷
ওয়াকিদী (র) ও আবু মাশ্া৷র (র) বলেন, হারবার বলো ৬৩ হিজরীর যিলহজ্জ মাসের আটাশ
ংন্তারিখ রোজ বুধবার সংঘটিত হয়েছিল ৷ ওয়াকিদী (র) আরদুল্লাহ্ ইবন জাফর ইবন আওন
াথকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, এবছরেই হযরত আবদুল্লাহ ইবনুয যুবইির (রা)
জনগণকে নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷ আর তাকে তারা বাইতৃল্লাহর আশ্রয় গ্রহণকারী বলে
ডাকাতন এবং তারা পরামর্শ সভার মাধ্যমে সিদ্ধাত গ্রহণাক পছন্দ করতেন ৷ মিসওয়াব ইবন
মাখরামা (বা) এর আযাদকৃত গোলাম সাঈদের মাধ্যমে বর্ণিত তথ্য অনুযায়ী ৬৪ সালের
, ঘুহররম মাসের পহেলা তারিখ মক্কাবাসীদের কাছে মদীনায় হারবার হৃদয় বিদার ক ঘটনার
সত্রাদ পৌছল ৷ তারা তখন অত্যন্ত শোক বিহবল হয়ে পড়েন এবং সিবিয়াবাসীদেয় বিরুদ্ধে
যুদ্ধ করার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করলেন ৷

ইবন জারীর (র) বলেন, আবু মিখরাফ্ যেভাবে হারবার ঘটন৷ বর্ণনা করেছেন তার থেকে

; কিছু ভিন্নতর আমি হাররায় ঘটনা রকৃনি৷ করছি ৷ আমাকে আহমদ জুওমাইরিয়৷ ইবন আসমা
থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন মদীনাবাসীদ্বেৱ উস্তাদাদর কাছে আমি শুনেছি যে,
আমীর মু আবিয়া (রা) এর যখন মৃত্যু ঘনিয়ে আসে তিনি তার পুত্র আয়ার্ষীদাক ডাকলেন এবং
তাকে বললেন মদীনাবাসীদেব সাথে তোমার ৷কান একদিন সংঘর্ষ বাধবে ৷ যদি তারা তোমার
বিরুদ্ধে কিছু করে তুমি তাদেরর্দুক মুসলিম ইবন উকবার সাহায্যে দমন করবে ৷ মুসলিম ইবন

উকবা এমন এক ব্যক্তি, যে আমাদের হিতাকাত্তর্কী হিসেবে আমার কাছে পরিচিত ৷ আমীর
মুআবিয়৷ (বা) য়খন ইনতিকাল করেন তখন ইয়াযীদেয় কা৷ছ মদীনাবাসীদেব নিকট থেকে
একটি প্রতিনিধি দল এসেছিলেন আর এই প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন
হানযালা ইবন আবু আমির ৷ তিনি ছিলেন খুব ড্ড, বিদ্ব্যন সর্দার ও ইবাদতগুযাৱ ৷ তার সাথে
ছিল তার আটজন ছেলে ৷ তাকে ইয়াযীদ এক লাখ দিরহাম দান করেন এবং তার প্রাতকটি
ছেলেকে কাপড় এবং হাতিয়ার ছাড়াও দশ হাজার দিরহাম প্রদান করেন ৷

তারপর তারা মদীনায় ফিরে আসেন ৷ প্রতিনিধির প্রধান আরর্দুদ্বুল্লাহ ইবন হানযালা যখন
মদীনায় প্রত্যাগমন করেন জন্যাণ তার কাছে হার্জির হন এবং তারা তাকে বলেন, ণ্তামার এ
প্রতিনিধিদের পেছনের খবর কী ? তিনি বললেন, আমি এমন এক ৷লা৷কর কাছ থেকে এসেছি
আল্লাহর শপথ ! আমি যদি আমার এই পুত্রদের ব্যতীত অন্য কাউকে নাও পেতাম তবুও আমি
তাদের মাধ্যমে তার সাথে এ ব্যাপারে যুদ্ধ করতাম্ ৷ তারা বনালন, আমাদের কাছে এ সংবাদ

পৌছেছে যে তোমাকে মোটা অং’কের অর্থ দান করেছে, সে ৷তামায় খিদমত করেছে এবং


قَالَ الْمَدَائِنِيُّ عَنْ شَيْخٍ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ قَالَ: سَأَلْتُ الزُّهْرِيَّ: كَمْ كَانَ الْقَتْلَى يَوْمَ الْحَرَّةِ؟ قَالَ: سَبْعُمِائَةٌ مِنْ وُجُوهِ النَّاسِ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، وَوُجُوهِ الْمَوَالِي، وَمِمَّنْ لَا يُعْرَفُ مِنْ حُرٍّ وَعَبْدٍ وَغَيْرِهِمْ عَشَرَةُ آلَافٍ. قَالَ: وَكَانَتِ الْوَقْعَةُ لِثَلَاثٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ، وَانْتَهَبُوا الْمَدِينَةَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ وَأَبُو مَعْشَرٍ: كَانَتْ وَقْعَةُ الْحَرَّةِ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِلَيْلَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ
পৃষ্ঠা - ৬৭৯৯
ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنِ ابْنِ عَوْفٍ قَالَ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَكَانُوا يُسَمُّونَهُ الْعَائِذَ، وَيَرَوْنَ الْأَمْرَ شُورَى. وَجَاءَ الْخَبَرُ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ بِمَا حَصَلَ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ لَيْلَةَ مُسْتَهَلِّ الْمُحَرَّمِ، مَعَ سَعِيدٍ مَوْلَى الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، فَحَزِنُوا حُزْنًا شَدِيدًا، وَتَأَهَّبُوا لِقِتَالِ أَهْلِ الشَّامِ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَقَدْ رُوِيَتْ قِصَّةُ الْحَرَّةِ عَلَى غَيْرِ مَا رَوَاهُ أَبُو مِخْنَفٍ فَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ زُهَيْرٍ، ثَنَا أَبِي، سَمِعْتُ وَهْبَ بْنَ جَرِيرٍ، ثَنَا جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ قَالَ: سَمِعْتُ أَشْيَاخَ أَهْلِ الْمَدِينَةِ يُحَدِّثُونَ أَنَّ مُعَاوِيَةَ لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ دَعَا ابْنَهُ يَزِيدَ فَقَالَ لَهُ: إِنْ لَكَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ يَوْمًا، فَإِنْ فَعَلُوا فَارْمِهِمْ بِمُسْلِمِ بْنِ عُقْبَةَ فَإِنَّهُ رَجُلٌ قَدْ عَرَفْتُ نَصِيحَتَهُ. فَلَمَّا هَلَكَ مُعَاوِيَةُ وَفَدَ إِلَيْهِ وَفْدٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، وَكَانَ مِمَّنْ وَفَدَ عَلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي عَامِرٍ - وَكَانَ شَرِيفًا فَاضِلًا سَيِّدًا عَابِدًا - مَعَهُ ثَمَانِيَةُ بَنِينَ لَهُ، فَأَعْطَاهُ مِائَةَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَأَعْطَى بَنِيهِ، كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ عَشَرَةَ آلَافٍ سِوَى كِسْوَتِهِمْ وَحُمْلَانِهِمْ، فَلَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَنْظَلَةَ أَتَاهُ النَّاسُ فَقَالُوا: مَا وَرَاءَكَ؟ قَالَ: جِئْتُكُمْ مِنْ عِنْدِ رَجُلٍ وَاللَّهِ لَوْ لَمْ أَجِدْ إِلَّا بَنِي هَؤُلَاءِ
পৃষ্ঠা - ৬৮০০

তোমার প্রতি যথাদুযাপ্য সম্মান প্রদর্শন করেছে ৷ উত্তরে তিনি বললেন, হা, যে অনেক কিছু
করেছে, তার থেকে আমি যা কিছু পেয়েছি তা শুধু তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য তৈরী হবার
সমক্ট্র ৷ এভ ৷দুব তিনি মানুষকে উৎসাহিত করেন এক তারা তার হাতে বাই আত গ্রহণ করেন ৷
সংবৃাদ ইয়াযীদুদর কাছে পৌছল তখন ইয়াযীদ মুসলিম ইবন ইকবাকে তাদের প্ৰতি
প্রেরণ করেন ৷ মদীনাবাসী ও সিরিয়াবাসীদুদর মাঝে যে সব পানির কুয়াে অবস্থিত এগুলোর
প্রত্যেকটিতে মদীনাবাসীরা লোক প্রেরণ করে এক মশক করে আলকা৩ রা ঢেলে দিয়ে
প্রত্যেকটি কুয়ােকে নষ্ট করে দিল ৷ আল্লাহ তা আল৷ সিরিয়ার সৈন্যদের জন্য আকাশ থেকে
বৃষ্টির মাধ্যমে পানি অবতীর্ণ করেন ৷ তাই তারা বালতি ব্যবহারে বাধ্য না হয়ে সরাসরি সুস্থ
শরীরে মদীনা পৌছে যায় ৷ মদীনাবাসীগণ বিরাট দলে সৃবিন্যস্ত আ ৷কাদুর শহর থেকে বের হয়ে
আসদুলন ৷ এ ধবদুনব প্রস্তুতি তাদুদর মধ্যে আর কোন সময় পরিলক্ষিত হয় নি৷ সিরিয়াবাসীরা
যখন তাদেরদুক দুদখল তখন তারা খুবই ভীত-সস্ত্রস্ত হয়ে পড়ল এবং তাদের সাথে যুদ্ধ করা
অপছন্দ করল ৷ তাদের আমীর মুসলিম ছিল কিংকর্তব্বিযুঢ় ৷ এভা বে যখন লোকজন যুদ্ধে
বিষয়ে দ্বিধা দ্বদুন্দ্ব ছিল তারা তাদের পেছনের দিকে মদীনায় দুকন্দ্রস্থদুল৩ তাকবীর শুনতে দুপল ৷
সিরিয়াবাসীদুদর মধ্য হতে বনু হারিস৷ মদীনাবাসীদের উপর প্রচণ্ড হামলা পরিচালনা করে ৷
আর তারা ছিল দেয়ালের উপর ৷ মদীনায় জনগণ পরাজয় বরণ করল ৷ পরিখায় পড়ে যারা
মৃত্যুবরণ করেছিল তারা যুদ্ধের কারণে নিহত ব্যক্তিদের চাইতে সংখ্যায় দুবশী ছিল ৷
সিরিয়াবাসীরা মদীনা প্রবেশ করল, আবদুল্লাহ ইবন হানযালা দেয়ালে দুঠস দিয়ে নিদ্রায়
বিভোর ছিদুলন ৷৩ তার পুত্র তাকে জাপাল ৷ যখন তিনি চোখ খৃললেন, দেখলেন দুলাকজদুনর
দুর্দ শ৷ চরমে ৷ তখন তিনি তার বড় ছেলেকে যুদ্ধের আদেশ দিলেন ৷ তিনি যুদ্ধ করতে করতে
ক্ষুা৷হাদাত বরণ করেন ৷ তারপর মুসলিম ইবন উকবা মদীনায় প্রবেশ করে এবং জনগণকে এ
মর্মে বায়আদুতর জন্য আহবান করে যে, তারা এখন হতে ইয়াযীদুদর খাদিম হবে এবংইয়াষীদ
তাদের জানমাল ও পরিবার পৰিজন সম্পর্কে যা ইচ্ছা তা সিদ্ধান্ত নিবেন ৷
ইবন আসাকির, আহমদ ইবন আবদুস সামাদের জীবনীদুত তার ইতিহাস গ্রন্থাওওা৷

হ্া;;া৷ এ বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন, আল মাদায়িনী বর্ণনা কদুরন যে, যখন

হাররাবাসীরা নিহত হয় তখন সেদিন বিকাল বেলায় মক্কার আবু কুবইিস পাহাড়ের উপর ,

একজন ঘোষক নিম্নবর্ণিত দুঘাষণাটি দিলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) বসে বলে তা
শুনছিদুলন-
দুরাযাদারগণ ইবাদত ও কল্যাদুণর অধিকারী, আল্লাহর ইবাদদুত মগ্ন ব্যক্তিগণ, সফলতার
জন্য প্রতিযোগী ব্যক্তিগণ, লাগাম ধরে জানােয়ারদুক নিয়ে দণ্ডায়মান ব্যক্তির অবস্থা কি ?
জান্নাতৃল বাকী নামক কবরস্থুানটি সকাল বেলায় সৎকাদুজঃ৷ প্রতি প্রতিযোগী সর্দারদুদর লাশ
দ্বারা পরিপুর্ণ হল ৷ ইয়াসরিব ভুখণ্ড কান্নাকাটি ও আহাজারীতে ভারী হয়ে উঠল ৷ মহাশ্রদ্ধ৷ ও
ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিবর্গ মহান ব্যক্তিবর্গদুক হত্যা করল ৷ আবদুল্লাহ ইবন ঘুবাইর (রা)
বললেন, “দুহ্ মহান দুলাকজন ! তোমরা তোমাদের সাথীদুদর হত্যা করলে ? আমরা আল্লাহর
জন্য এবং আমরা আল্লাহর দিকেই প্রত্যাবর্তন করব ৷ ”

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ (৮ম খণ্ড)৫ ২

لَجَاهَدْتُهُ بِهِمْ. قَالُوا: قَدْ بَلَغَنَا أَنَّهُ أَعْطَاكَ وَأَحْذَاكَ وَأَكْرَمَكَ. قَالَ: قَدْ فَعَلَ، وَمَا قَبِلْتُ مِنْهُ إِلَّا لِأَتَقَوَّى بِهِ. فَحَضَّ النَّاسَ فَبَايَعُوهُ، فَبَلَغَ ذَلِكَ يَزِيدَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ مُسْلِمُ بْنُ عُقْبَةَ، وَقَدْ بَعَثَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ إِلَى كُلِّ مَاءٍ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الشَّامِ فَصَبُّوا فِيهِ زِقًّا مِنْ قَطِرَانٍ وَعَوَّرُوهُ، فَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَى جَيْشِ الشَّامِ السَّمَاءَ مِدْرَارًا، فَلَمْ يَسْتَقُوا بِدَلْوٍ حَتَّى وَرَدُوا الْمَدِينَةَ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ أَهْلُ الْمَدِينَةِ بِجُمُوعٍ كَثِيرَةٍ وَهَيْئَةٍ لَمْ يُرَ مِثْلُهَا، فَلَمَّا رَآهُمْ أَهْلُ الشَّامِ هَابُوهُمْ وَكَرِهُوا قِتَالَهُمْ، وَمُسْلِمٌ شَدِيدُ الْوَجَعِ، فَبَيْنَمَا النَّاسُ فِي قِتَالِهِمْ إِذْ سَمِعُوا التَّكْبِيرَ مِنْ خَلْفِهِمْ فِي جَوْفِ الْمَدِينَةِ، وَأَقْحَمَ عَلَيْهِمْ بَنُو حَارِثَةَ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ وَهُمْ عَلَى الْجَدَدِ، فَانْهَزَمَ النَّاسُ، فَكَانَ مَنْ أُصِيبَ فِي الْخَنْدَقِ أَكْثَرَ مِمَّنْ قُتِلَ مِنَ النَّاسِ، فَدَخَلُوا الْمَدِينَةَ،
পৃষ্ঠা - ৬৮০১
وَهُزِمَ النَّاسُ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَنْظَلَةَ مُسْتَنِدٌ إِلَى الْجِدَارِ يَغُطُّ نَوْمًا، فَنَبَّهَهُ ابْنُهُ، فَلَمَّا فَتَحَ عَيْنَيْهِ، وَرَأَى مَا صَنَعَ النَّاسُ، أَمَرَ أَكْبَرَ بَنِيهِ فَتَقَدَّمَ حَتَّى قُتِلَ، فَدَخَلَ مُسْلِمُ بْنُ عُقْبَةَ الْمَدِينَةَ، فَدَعَا النَّاسَ لِلْبَيْعَةِ عَلَى أَنَّهُمْ خَوَلٌ لِيَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، يَحْكُمُ فِي دِمَائِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ وَأَهْلِيهِمْ مَا شَاءَ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الصَّمَدِ مِنْ " تَارِيخِهِ " مِنْ كِتَابِ الْمُجَالَسَةِ لِأَحْمَدَ بْنِ مَرْوَانَ الْمَالِكِيِّ، ثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْحَسَنِ الْيَشْكُرِيُّ، ثَنَا الزِّيَادِيُّ، عَنِ الْأَصْمَعِيِّ (ح) وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنِ الْمَدَائِنِيِّ قَالَ: لَمَّا قُتِلَ أَهْلُ الْحَرَّةِ هَتَفَ هَاتِفٌ بِمَكَّةَ عَلَى أَبِي قُبَيْسٍ مَسَاءَ تِلْكَ اللَّيْلَةِ، وَابْنُ الزُّبَيْرِ جَالِسٌ يَسْمَعُ: قُتِلَ الْخِيَارُ بَنُو الْخِيَا ... رِ ذَوُو الْمَهَابَةِ وَالسَّمَاحِ وَالصَّائِمُونَ الْقَائِمَو ... نَ الْقَانِتُونَ أُولُو الصَّلَاحِ الْمُهْتَدُونَ الْمُتَّقُو ... نَ السَّابِقُونَ إِلَى الْفَلَاحِ مَاذَا بِوَاقِمَ وَالْبَقِيعِ ... مِنَ الْجَحَاجِحَةِ الصِّبَاحِ وَبِقَاعُ يَثْرِبَ وَيْحَهُنَّ ... مِنَ النَّوَادِبِ وَالصِّيَاحِ
পৃষ্ঠা - ৬৮০২


ইয়াযীদ তিনদিদুনর জন্য মদীনাকে লুটপাটের লক্ষে মুসলিম ইবন উকবাকে অনুমতি দিয়ে
মারাত্মক ভুল করেছে৷ এটা অত্যন্ত জঘন্য ও মারাত্মক ভুল ৷ যার দরুন সাহাবায়ে কিরামের
একটি বিরাট দলও তাদের সভানগণ নিহত হন ৷ পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে সে উরায়্দুল্লাহ
ইবন যিয়াদুদর মাধ্যমে হুসাইন (রা) ও তার সাথীদেরকে হত্যা করেছে আর এ তিনদিদুনঃ
মদীনা মুনাওওয়ারায় যে জঘন৷ ধরনের সন্তান ও হত্যাকাণ্ড এবং ব্যভিচার ও লুটতরাজ
সংঘটিত হয়েছে তার কোন সীমা দুনই ৷ তা ছিল অবর্ণনীয়, তা একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া আর
কেউ জানে না ৷ সে মুসলিম ইবন উকবাদুক প্রেরণ করে তার রাজতু ও অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত
করতে দুচদুয়ছিল এবং অপ্ৰদিদ্বন্দী৷ র ৷জতৃকাল স্থায়ী করতে ৩দুচদুয়ছিল কিন্তু আল্লাহ তাআলা তার
ইচ্ছার বিপরীতে তাকে শাস্তি প্রদান করেন এবং তার ইচ্ছার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে
দেন ৷ আর তাকে চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দেন যেভাবে অন্যান্য স্বৈরাচারীদুদর চুর্ণ বিচুর্ণ করে
দিয়েছেন ৷ আর তাকে কঠোর হাতে পাকড়াও করেছেন এভাবে আল্লাহ তাআলা কঠোরভাদুৰ্
জালিম জনপদদুক পাকড়াও করে থাকেন ৷ আল্লাহ পাদুকর ধরাটা অত্যন্ত কঠোর ৷

ইমাম বুখারী (রটু তার সহীহ বুখারীতে হুসায়ন হযরত সা দ ইবন আবু ওয়াক্কা স (রা) হতে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা) দুক বলতে শুৰুন্াছি, “যদি কেউ
মদীনাবাসীদুদর সাথে ষড়যন্ত্র করে তাহলে লবন যেভাবে পানিতে র্গলে নিঃশেষ হয়ে যায় দুসও
এভাবে গদুল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ৷” ইমাম মুসলিম (র) ও আবু আবদুল্লাহ সা দ ইবন আবু
ওয়াক্কাস (বা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন রাসুলুল্পাহ (যা) বলেছেন, “যদি দুকান
ব্যক্তি মদীনারাসীদুদর সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাহলে আল্লাহ র্তা আলা তাদুক জাহ্ান্নামে
এমনভাবে গলাবেন যেমন সীসা আগুনে গদুল যায় কিৎবা লবণ যেভাবে পানিতে গদুল যায় ৷”
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় সা দ (বা) ও আবু রাইৱ৷ (বা) হতে ৩বর্ণনা করা হয়েছে যে
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, “যে ব্যক্তি মদীনাবব্লসীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে তাকে
আল্লাহ্ তাআলা এমনভাবে গলিয়ে দিবেন যেমনলবণ পানিরশ্মধ্যে গলে যায়া

ইমাম আহমদ (র) আনাস আসন্সায়িবন্ৰুণ্ইবন খাল্লাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে,

রাসুল (সা) ইরশাদ করেন যে ব্যক্তি মদীনাবাসীদেরদুক অন্যায়ভাদুব ভীত-সস্ত্রস্ত করবে তাকে

আল্লাহ তা-আলা ভীত সস্ত্রস্ত করবেন এবং তার উপর আল্লাহ, ফিরিশ৩ ৷ ও মানবগােষ্ঠীর
অভিসম্পাদ্ভ আবর্তি৩ হবে ৷ কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা আলা তার থেকে কোন অর্থ বৃ৷ দুকান
বিনিময়ও গ্রহণ করবেন না ৷ ইমাম নাসায়ী (র) বিভিন্ন সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন
ওহাব যাহাবী আস সায়িৰ্ ইবন খাল্লাদ (বা) হতে বর্ণনা করেন যে,৩ তিনি বলেছেন, আমি
রাসুলুল্পাহ (সা) দুক বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি
মদীনাবাসীদুদরকে ভীত-সস্ত্রস্ত করবে আল্পাহ তাকে ভীত সন্ত্রস্ত করবেন ৷ আর তার উপর
আল্লাহর ফিরিশ ৷ত৷ ও সমগ্র মানব জাতির অভিসস্পাত বর্ষি৩ হবে ৷”

দারাকুতনী (র)আলী জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা); এর দুই পুত্র মুহাম্মাদ (র) ও
আবদুর রহমান (র) হতে বর্ণনা করেন যে, তারা বলেছেন একদিন আমরা আমাদের পিতার
সাথে হারবার দিদুন ঘর থেকে বের হলাম ৷ তিনি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন আমাদের পিতা
বললেন, যে ব্যক্তি ওরাসুলুল্পাহ (সা) দুক ভীত সন্ত্রস্ত করে সে ধ্বং স হয়ে যাবে ৷ আমরা বললাম,
দুহ আমাদের পিতা ! দুবউি কি রাসুল (সা) দুক ভীত-সন্ত্রস্ত করতে পাদুর ? তিনি বললেন, আমি
রাসুল (সা) দুক বলতে শুদুনছি “যে ব্যক্তি আনসারদুদর এ দুগাত্রের অধিবাসীদুদরদুক ভীত-


فَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ لِأَصْحَابِهِ: يَا هَؤُلَاءِ، قُتِلَ أَصْحَابُكُمْ، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. وَقَدْ أَخْطَأَ يَزِيدُ خَطَأً فَاحِشًا فِي قَوْلِهِ لِمُسْلِمِ بْنِ عُقْبَةَ أَنْ يُبِيحَ الْمَدِينَةَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، وَهَذَا خَطَأٌ كَبِيرٌ، فَإِنَّهُ وَقَعَ فِي هَذِهِ الثَّلَاثَةِ أَيَّامٍ مِنَ الْمَفَاسِدِ الْعَظِيمَةِ فِي الْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ مَا لَا يُحَدُّ وَلَا يُوَصَفُ، مِمَّا لَا يَعْلَمُهُ إِلَّا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ. وَقَدْ أَرَادَ بِإِرْسَالِ مُسْلِمِ بْنِ عُقْبَةَ تَوْطِيدَ سُلْطَانِهِ وَمُلْكِهِ، وَدَوَامَ أَيَّامِهِ، فَعَاقَبَهُ اللَّهُ بِنَقِيضِ قَصْدِهِ، فَقَصَمَهُ اللَّهُ قَاصِمُ الْجَبَابِرَةِ، وَأَخَذَهُ أَخْذَ عَزِيزٍ مُقْتَدِرٍ. قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ ": حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، ثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا الْجُعَيْدُ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهَا قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا يَكِيدُ أَهْلَ الْمَدِينَةِ أَحَدٌ إِلَّا انْمَاعَ كَمَا يَنْمَاعُ الْمِلْحُ فِي الْمَاءِ ".» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْقَرَّاظِ الْمَدَنِيِّ - وَاسْمُهُ
পৃষ্ঠা - ৬৮০৩
دِينَارٌ - عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يُرِيدُ أَحَدٌ أَهْلَ الْمَدِينَةِ بِسُوءٍ إِلَّا أَذَابَهُ اللَّهُ فِي النَّارِ ذَوْبَ الرَّصَاصِ " أَوْ: " ذَوْبَ الْمِلْحِ فِي الْمَاءِ ".» وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ مِنْ طَرِيقِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْقَرَّاظِ، عَنْ سَعْدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَرَادَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ بِسُوءٍ أَذَابَهُ اللَّهُ كَمَا يَذُوبُ الْمِلْحُ فِي الْمَاءِ ".» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ خُصَيْفَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ خَلَّادٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَخَافَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ ظُلْمًا أَخَافَهُ اللَّهُ، وَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لَا يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا وَلَا عَدْلًا ".» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنِ ابْنِ
পৃষ্ঠা - ৬৮০৪

( :া ৷া :া ৷া :

আল-বিদারা ওয়াননিহারা : ১১

সন্ত্রস্ত করবে, যে যেন ডীত সন্ত্রম্ভ করল এদু’টোর মধ্যখানের জায়গাকে এবং নিজ হাত আপন
কপালের উপর রাখলেনা” দারাকুতনী (র) আরো বলেন, এ বর্ণনাটি সাদ ইবন আযীয়েয়
একক বর্ণনা ৷
উপরোক্ত হাদীস ও অনুরুপ অন্যান্য বর্ণনা র প্রেক্ষিতে কেউ কেউ ইয়াযীদ ইবন মুয়াবিয়াকে
লা নত করার অনুমতি প্রদান করেছেন ৷ ইমাম আহমদ ইবন হাবল (র) হন্ব তও এ মর্মে একটি
বর্ণনা পাওয়া যাৰ্ ৷ এ বর্ণনাটি যারা গ্রহণ করেছেন৩ তাদের মধ্যে নিম্নবর্ণিত উলামায়ে দীন
ৰিশেবভাবে উল্লেখযোগ্য ৷ যথা আলখিলাল, আবু বকর, আবদুল আযীয, আবু ইয়ালা, তার
পুত্র কাযী আবুল হুসাইন, আবুর্লফারজ ইবন জাওশীাীয় রচনায়ণ্ড লানত করা বৈধ ঘোষণা
করেন ৷ আমার অন্যরা লানত করা নিষেধ করেছেন যাতে তাকে লানত করার মাধ্যমে তার
পিতার ন্যায় কোন একজন সাহারীকে লা ন৩ করা না হয় ৷ আর তার থেকে যা কিছু জঘন্য
অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তাকে তার ভুল বলে আখ্যায়িত করেন এবং ইজতিহাদে ভ্রাস্তি বলে
রান করেন যা ক্ষমার যোগ্যা তারা আরো বলেন, এতদসত্বে ও সে ছিল একজন ফাসিক
ইমামা ইমাম যদি ফাসিক হয়ত তাহলে তার এ ফিসকেৱ জন্য উলামায়ে কিরামের বিশুদ্ধমতে
সে ইমাম হতে ৩ও অপসারিত হয়ে যায় না বরং তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা বৈধ নয়া
কেননা, এর দ্বারা দেশে ফ্লিণুৎখলার সৃষ্টি হয়, রক্তপাত হয়, সন্ত্রাস জন্ম নেয় এবং অশান্তির
উৎপত্তি হয়, লুটতরাজ, মহিলাদের ধর্ষণ ইত্যাদির নায় বহুবিধ অরাজকতাৱ সৃষ্টি হয় ও বৃদ্ধি
পায় ৷ ইমামের ফিসক হতেও এসব ফ্যাসাদ ও অরাজকতার ভয়াবহতা সমাজে অধিকতর
বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে যা আজ পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন দেশে ও অঞ্চলে, অবলোকন করে
আসছিা কোন কোন লোক বর্ণনা করেন যে, ইয়াযীদ যখন মদীনাবাসীদের উপর কৃত
অত্যাচার, অবিচার, ব্যভিচার, খুন, ধর্ষণ ইত্যাদির কথা শুনে তখন যার পর সেই খুশী হয় ও
উল্লাস করতে থাকে ৷ এ ব্যাপারে তাদের অভিমত হল যে, সে একজন ইমাম বা আমীর ছিল ৷
তার বিরুদ্ধে তারা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল এবং অন্যকে৩ তার পরিবর্তে আমীর বা ইমাম
নিযুক্ত করেছিলা কাজই তাদের সাথে যুদ্ধ করে তাদেরকে বশ্য৩াীকার করানো ও তাদের
মধ্যে একতা সৃষ্টি করানাে তার জন্যে বৈধ ছিলা তাদেরকে আন-নু মান ইবন বশীরের মাধ্যমে
এবং মুসলিম ইবন উকবার মাধ্যমেও বারবার নসীহত করানো হয়েছিলা আনুগত্য, প্রত্যাহারের
পরিণাম্ সম্বন্ধেও তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল যেমন পুর্বে যথাস্থানে তা বিস্তারিত
বর্ণনা করা হয়েছে ৷
বুখারী শরীফ বর্ণিত রয়েছে, তোমাদের মধ্যে যে কেউ আগমন করবে এবং তোমাদের
মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে, সে যে কেউ হোক না কেন তাকে হত্যা কর তবে তার
থেকে যে কবিতাটি এ ব্যাপারে শুনতে পাওয়া যায় তা উহুদের যুদ্ধে ইবন আয যাব আরী রচনা
করেছিল
ৰু
বদরে যেসব আমার মুরুববী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে হেরে গিয়েছিল, তারা যদি আসালের

ঘটনার প্রেক্ষিতে খাযরাজ গোত্রের আহাজারী দেখত, যখন তাদের উটগুলাে তাদের ঘরের
পাশেই ভীত হয়ে বসে পড়েছিল এবং আবদুল আশহাল গোত্রের যুদ্ধের৩ ভীব্রতা বৃদ্ধি


خَلَّادٍ مِنْ بِلْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ، أَخْبَرَهُ، فَذَكَرَهُ. وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الْحُمَيْديُّ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ أَيْضًا، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ خَلَّادٍ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَهُ. وَقَالَ ابْنُ وَهْبٍ: أَخْبَرَنِي حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنِ السَّائِبِ بْنِ خَلَّادٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ أَخَافَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ أَخَافَهُ اللَّهُ، وَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ ".» وَقَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ الْهَيْثَمِ، ثَنَا أَبِي، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ، ثَنَا أَبُو زَكَرِيَّا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ الْأَنْصَارِيُّ، عَنْ مُحَمَّدٍ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ ابْنَيْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَا: «خَرَجْنَا
পৃষ্ঠা - ৬৮০৫
مَعَ أَبِينَا يَوْمَ الْحَرَّةِ، وَقَدْ كُفَّ بَصَرُهُ فَقَالَ: تَعِسَ مَنْ أَخَافَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقُلْنَا: يَا أَبَتِ، وَهَلْ أَحَدٌ يُخِيفُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ ! فَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ أَخَافَ هَذَا الْحَيَّ مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَدْ أَخَافَ مَا بَيْنَ هَذَيْنَ ". وَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى جَنْبَيْهِ» قَالَ الدِّارَقُطْنِيُّ: تَفَرَّدَ بِهِ سَعْدُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ لَفْظًا وَإِسْنَادًا. وَقَدِ اسْتَدَلَّ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَأَمْثَالِهِ مَنْ ذَهَبَ إِلَى التَّرْخِيصِ فِي لَعْنَةِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَهُوَ رِوَايَةٌ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ اخْتَارَهَا الْخَلَّالُ، وَأَبُو بَكْرٍ عَبْدُ الْعَزِيزِ، وَالْقَاضِي أَبُو يَعْلَى، وَابْنُهُ الْقَاضِي أَبُو الْحُسَيْنِ، وَانْتَصَرَ لِذَلِكَ الشَّيْخُ أَبُو الْفَرَجِ بْنُ الْجَوْزِيِّ فِي مُصَنَّفٍ مُفْرَدٍ وَجَوَّزَ لَعْنَهُ، وَمَنَعَ مِنْ ذَلِكَ آخَرُونَ - وَصَنَّفُوا فِيهِ أَيْضًا - لِئَلَّا يُجْعَلَ لَعْنُهُ وَسِيلَةً إِلَى أَبِيهِ أَوْ أَحَدٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَحَمَلُوا مَا صَدَرَ عَنْهُ مِنْ سُوءِ التَّصَرُّفَاتِ عَلَى أَنَّهُ تَأَوَّلَ وَأَخْطَأَ، وَقَالُوا: إِنَّهُ كَانَ مَعَ ذَلِكَ إِمَامًا فَاسِقًا، وَالْإِمَامُ إِذَا فَسَقَ لَا يُعْزَلُ بِمُجَرَّدِ ذَلِكَ، عَلَى أَصَحِّ قَوْلَيِ الْعُلَمَاءِ، بَلْ وَلَا يَجُوزُ الْخُرُوجُ عَلَيْهِ ; لِمَا فِي ذَلِكَ مِنْ إِثَارَةِ الْفِتْنَةِ، وَوُقُوعِ الْهَرْجِ، كَمَا جَرَى. وَأَمَّا مَا يَذْكُرُهُ بَعْضُ النَّاسِ مِنْ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ لَمَّا بَلَغَهُ خَبَرُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ،
পৃষ্ঠা - ৬৮০৬


পেয়েছিল ৷ আমরা গোত্রের প্রধান ও দুর্বলদেরকেহত্যা করলাম ৷ আমরা বদরেরবিপর্যয়ের
উপযুক্ত প্রতিশোধ্ নিঃতে সক্ষম হয়েছিলাম ৷ কোন কোন রাফিষী নীচের কবিতাগুলো
ৎযোজন করেছে :

“হাশিমীরা রাজত্ব নিয়ে যেন তামাশ৷ করছিল ৷ তার কাছে কোন প্রকার ফিবিশতা আসেনি
এবং কোন বাণীও নাযিল হয়নি ৷” উপরোক্ত কবিতাগুলো যদি ইয়াষীদ ইবন মুআবিয়া বলে
তাকে তাহলে তার উপর আল্লাহর লানত এবং ফিরিশতাদের লানত ৷ আর যদি সে বলে
থাকে তাহলে যে এগুলো রচনা করেছে এবং এগুলোর মাধ্যমে তাকে দোষারোপ করতে
চেয়েছে তার প্রতি আল্লাহর এবং ফিরিশতাদের লানত ৷ এ ব্যাপারে ইয়াষীদের জীবন
কাহির্নীতে বিস্তারিত শুকনো পেশ করা হবে ৷ ইনশাআল্পাহ্ হারবার ঘটনার পর: পরবর্তী বছরের
কি কি ঘটনা তার দিকে আরোপ করা হয়েছে তাও বর্ণনা করা হবে ৷ তবে হযরত ইমাম
হুসাইন (রা) এর শাহাদাত ও হারবার ঘটনার পর আল্লাহ তা আলা তাকে বেশী দিন এ
দুনিয়ার থাকার সুযোগৃ দেননি অন্যান্য স্বৈরাচারীদের ন্যায় তারও অবসান ঘটে ৷
এবছর বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব এবং সা হাবায়ে কিরাম হারবার ঘটনায় ইনতিকাল করেছেন ৷
সাহাবীদের মধ্যে যারা প্রসিদ্ধ ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবন হানযালা আল গাসীল হারবার ঘটনা
সময় মদীনায় আমীর মাবিলে ইবন সিনান, উবইিদুল্লাহ ইবন যায়দ ইবন আসিম (বা) এবং
মাসরুক ইবন আল আজদা’ ৷



,হিজরী ৬৪ লা

এ বছরের মুহররমের পহেলা তারিখ মুসলিম ইবন উকৰা, আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা) ও
তার সাথে ইয়াষীদ ইবন মুআবিয়ার বিরুদ্ধে আরব্র্দের যারা যুক্ত হয়েজ্জি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করার জন্য মক্কায় রওয়ানা হল এবং রাওহ ইবন যাম্বাকে মদীনায় প্ৰতি নিধি হি সাবে নিযুক্ত
করে রেখে এসেছিল ৷ যখন সে সানিয়াতে হারসা নামক স্থানে পৌছ ল তখন সেনাদলের
; সেনাপতিদের কাছে লোক প্রেরণ করে সে তাদেরকে একত্রিত করল এবং বলল, “তোমরা
জোন রেখো, আমীরুল মু মিনীন (ইয়াষীদ) আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, যদি আমার মৃত্যু
— ঘটে তাহলে আমি যেন হুসাইন ইবনন্নুমাইর আস সাকুনীকে তোমাদের জন্য আমার
স্থলাভিষিক্ত করি ৷ আল্লাহ্র শপথ ! যদি আমার ক্ষমতা থাকত তাহলে আমি তাকে আমার
স্থলাভিষিক্ত করতাম না ৷ তারপর সে হুসাইন ইবন নুমাইর আস-সাকুনীকে ডাবপ্স এবং বলল,
হে ইবন বুরদান্ আল হিমার ! আমি ভৌমাকে যে ওসীয়ত করছি তা তুমি সংরক্ষণং করবে ৷
তারপর সে তাকে নির্দেশ দিল, ,যখনণ্সে মক্কায় পৌছৰে তখনি তিনদিন পুর্বে আবদুল্লাহ ইবন
যুবাইব (রা)-এর ৰিবুদ্ধেন্যুদ্ধ শুরু করে ক্তৃদৃয় ৷ তারপর সে বলল, হে আল্লাহ্ ! লা-ইলাহা
ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ কালেম৷ গ্রহণ করার পর এমন কোন কাজ করিনি যা
মদীনাবাসীদেরকে হত্যা করার চইিতে বেশী প্রির এবং আমাকে অখিরাতে তার পুরস্কার দেয়া
হবে ৷ এরপরও যদি আমাকে জাহান্নামে যেতে হয় তাহলে এটা হবে আমার দৃর্ভাপা৷ এরপর
সে মৃত্যুমুখে পতিত হয় (আল্লাহ তার অমঙ্গল করুন) ৷
ওয়াকিদীর ভাষ্যমতে, মাসলা ক নামক জায়গায় তাকে দাফন করা হয়েছিল ৷ এর পরপরই
আল্লাহ্ তা আলা ইয়াষীদ ইবন মুঅ৷ ৷বিয়াকে নিপাত করেন এবং সে রবিউল আউয়াল মাসের


وَمَا جَرَى عَلَيْهِمْ عِنْدَ الْحَرَّةِ مِنْ مُسْلِمِ بْنِ عُقْبَةَ وَجَيْشِهِ، فَرِحَ بِذَلِكَ فَرَحًا شَدِيدًا، فَإِنَّهُ كَانَ يَرَى أَنَّهُ الْإِمَامُ، وَقَدْ خَرَجُوا عَنْ طَاعَتِهِ، وَأَمَّرُوا عَلَيْهِمْ غَيْرَهُ، فَلَهُ قِتَالُهُمْ حَتَّى يَرْجِعُوا إِلَى الطَّاعَةِ، وَلُزُومِ الْجَمَاعَةِ، كَمَا أَنْذَرَهُمْ بِذَلِكَ عَلَى لِسَانِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَمُسْلِمِ بْنِ عُقْبَةَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ كَمَا تَقَدَّمَ، وَقَدْ جَاءَ فِي الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ: " «مَنْ جَاءَكُمْ وَأَمْرُكُمْ جَمِيعٌ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَكُمْ فَاقْتُلُوهُ كَائِنًا مَنْ كَانَ» ". وَأَمَّا مَا يُورِدُونَهُ عَنْهُ مِنَ الشِّعْرِ فِي ذَلِكَ، وَاسْتِشْهَادِهِ بِشِعْرِ ابْنِ الزِّبَعْرَى فِي وَقْعَةِ أُحُدٍ الَّتِي يَقُولُ فِيهَا: لَيْتَ أَشْيَاخِي بِبَدْرٍ شَهِدُوا ... جَزَعَ الْخَزْرَجِ مِنْ وَقَعِ الْأَسَلْ حِينَ حَكَّتْ بِقُبَاءٍ بَرْكَهَا ... وَاسْتَحَرَّ الْقَتْلُ فِي عَبْدِ الْأَشَلْ قَدْ قَتَلْنَا الضِّعْفَ مِنْ أَشْرَافِهِمْ ... وَعَدَلْنَا مَيْلَ بَدْرٍ فَاعْتَدَلْ وَقَدْ زَادَ بَعْضُ الرَّوَافِضِ فِيهَا فَقَالَ: لَعِبَتْ هَاشِمُ بِالْمُلْكِ فَلَا ... مَلَكٌ جَاءَ وَلَا وَحْيٌ نَزَلَ فَهَذَا إِنْ قَالَهُ يَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ فَلَعْنَةُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَلَعْنَةُ اللَّاعِنِينَ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ قَالَهُ فَلَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى مَنْ وَضَعَهُ عَلَيْهِ لِيُشَنِّعَ عَلَيْهِ بِهِ وَعَلَى مُلُوكِ الْمُسْلِمِينَ، وَسَنَذْكُرُ تَرْجَمَةَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ قَرِيبًا، وَمَا ذُكِرَ عَنْهُ، وَمَا قِيلَ فِيهِ، وَمَا كَانَ يُعَانِيهِ مِنَ الْأَفْعَالِ وَالْقَبَائِحِ وَالْأَقْوَالِ، فِي السَّنَةِ الْآتِيَةِ، فَإِنَّهُ لَمْ يُمْهَلْ بَعْدَ وَقْعَةِ الْحَرَّةِ وَقَتْلِ الْحُسَيْنِ إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى قَصَمَهُ اللَّهُ الَّذِي قَصَمَ الْجَبَابِرَةَ قَبْلَهُ
পৃষ্ঠা - ৬৮০৭
وَبَعْدَهُ، إِنَّهُ كَانَ عَلِيمًا قَدِيرًا. وَقَدْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ خَلْقٌ مِنَ الْمَشَاهِيرِ وَالْأَعْيَانِ مِنَ الصَّحَابَةِ وَغَيْرِهِمْ فِي وَقْعَةِ الْحَرَّةِ مِمَّا يَطُولُ ذِكْرُهُمْ ; فَمِنْ مَشَاهِيرِهِمْ مِنَ الصَّحَابَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَنْظَلَةَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ، الَّذِي بَايَعَهُ أَهْلُ الْحَرَّةِ، وَمَعْقِلُ بْنُ سِنَانٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَاصِمٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَمَسْرُوقُ بْنُ الْأَجْدَعِ.