আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثنتين وستين

পৃষ্ঠা - ৬৭৮২

করতে পারি এবং যাদেরকে বিপদের দিনের জন্য সংরক্ষিত রাখতে পারি, যারা অতি ওরুতুপুর্ণ
ব্যাপার ও আকস্মিক দুর্যোগপুর্ণ মুহুর্তে সমস্যার সমাধান দিতে পারে ৷ আমি বলি, ইয়াযীদ এ
ধরনের একটি নাতিদীর্ঘ বক্তব্য দেন ৷

ওয়ালীদ ইবন উত্বা হিজাযে অবস্থান করছে ৷ কয়েকবার তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবন
যুবাইর (রা)-কে পাকড়াও করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তাকে তিনি সুরক্ষিত ও অবরুদ্ধ পান
এবং সমসাময়িক ঘটনাবলী ও তার উদ্দেশ্য সাধনে অম্ভরায় সৃষ্টি , করে ৷ ইয়ামামার অন্য
একটি লোক হযরত ইমাম হুসায়ন (রা)এর শাহাদাতেব সময় বিদ্রোহ ঘোষণা করেন ৷ তার
নাম নাজদা ইবন আমির আল-হানাফী ৷ তিনি ইয়াযীদ ইবন মুআবীয়ার বিরোধিতা করেন,
তবে ইবন যুবাইর (রা)-এর বিরোধিতা না করে পৃথক হয়ে জীবনযাপন করেন ৷ তার ছিল
বিপুল সংখ্যাক অনুসারী ৷ আরাফাতের রাতে ওয়ালীদ ইবন উত্বা সর্বসাধারণকে খাদ্য
পরিবেশন করতেন, কিন্তু আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর (বা) ও নাজদার অনুসারীরা সর্বসাধারণ
থেকে পৃথক থাকতেন ৷ আমীর প্রত্যেককে পৃথক পৃথক খাবার পরিবেশন করতেন ৷ নাজদা
ইয়াযীদের কাছে লিখেছিলেন, আপনি আমাদের কাছে এমন একটি অপদার্থ লোককে প্রেরণ
করেছেন, যে ভাল কাজের প্রতি মাংনাযােপী নয় এবং বিজ্ঞলোকদের উপদেশমুলক বাণীর
তােয়াক্কা করে না ৷ যদি আপনি আমাদের কাছে একজন নম্র মেযাজ ও সদাচরণে অভ্যস্ত
ব্যক্তিকে প্রেরণ করেন তাহলে আমি আশা করি আপনার অনেক কঠিন সমস্যার সমাধান হবে
এবং অনৈক্য দুরীতুত হয়ে ঐক্য স্থাপিত হবে ৷ আপনি ব্যাপারটি সম্বন্ধে অধিক মনােযোপী
হবেন তাতে আমাদের সর্বসা ধারণ ও বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গের উপকার সাধিত হবে ইনশাআল্লাহ্ ৷

ইতিহাসবিদগণ বলেন, ইয়াযীদ ওয়ালীদকে বরখাস্ত করলেন এবং উসমান ইবন মুহাম্মদ
ইবন আবু সুফিয়ানকে তার স্থলাভিষিক্ত করলেন ৷ উসমান হিজায গমন করেন ৷ তিনি ছিলেন
তরুণ ও অনভিজ্ঞ যুবক ৷ তাই তারা তার মাধ্যমে কিছু অবৈধ সুবিধা ভোগ করার প্রয়াস
পেল ৷ যখন তিনি মদীনায় প্রবেশ করলেন তাদের মধ্যে ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন হানযালা
আল-গত্ত্বসীল আল-আনসারী, আবদুল্লাহ ইবন আবু,আমর ইবন হাফ্স ইবন আল-মুগীরা আল-
হাদরামী, আল-মুনযির ইবনুয যুবাইর (বা) এবং মদীন বােসীদের মধ্যে হতে বহু সম্মানিত
ব্যক্তিবর্গ ৷ তারা সকলে ইয়াযীদের দরবারে হাযির হল ৷ ইয়াযীদ র্তাদেরকে মোটা অৎকের
উপটোকন প্রদান করলেন ৷ তারপর তারা মুনষির ইবনুয যুবাইর (রা) ব্যতীত সকলে মদীনায়
প্রত্যাবর্তন করলেন ৷ কেননা তিনি তার সাথী উবইিদুল্লাহ ইবন যিয়াদের কাছে বসরায় গমন
করেন ৷ ইয়াযীদ তাকেও তার প্রতিনিধিদলের সাথীদের ন্যায় এক লাখ দীনার উপচৌকনন্ন্
প্রদান করেছিলেন ৷ যখন প্রতিনিধিদলের সদস্যগণ মদীনায় পৌছলেন তখন তারা ইয়াযীদের
দোষ ত্রুটি বর্ণনা করতে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন যে, আমরা এমন একটি লোকের
নিকট থেকে প্রত্যাগমন করেছি, যার ধর্মে গতি নেই, যে মদপান করে ও যার কাছে গায়িকারা
বাদ্যযন্ত্রসহ সংগীত পরিবেশন করে থাকে ৷ জনগণকে উদ্দেশ্য করে তারা বলতে লাগলেন,
আমরা তোমাদের কাছে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমরা তার থেকে আমাদের বায়অড়াত প্রত্যাহার
করছি ৷ লোকজন একথা শুনে তারাও তাদের প্রত্যাহারে অংশ্যাহণ করলেন ৷ আর আবদুল্লাহ
ইবন হানযালা আল-গাসীলের হাতে বায়আত ও মৃত্যু পর্যন্ত বাধ্য থাকার কথা প্রকাশ
করলেন ৷ কিন্তু আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবনুল থাত্তাব (বা) তাদের কাজের প্রতিবাদ করলেন ৷

মুনযির ইবনুয যুবাইর (বা) বসরা হতে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন এবং অনুসরণ করলেন ৷
আর জনগণকে সংবাদ পরিবেশন করেন যে, ইয়াযীদ মদপান করে নেশগ্রেস্ত হয় ৷ এমনকি


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَسِتِّينَ] [مَا وَقَعَ فِيهَا مِنْ أَحْدَاثٍ] يُقَالُ: فِيهَا قَدِمَ وَفْدُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ عَلَى يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، فَأَكْرَمَهُمْ وَأَجَازَهُمْ بِجَوَائِزَ سَنِيَّةٍ، ثُمَّ عَادُوا مِنْ عِنْدِهِ بِالْجَوَائِزِ فَخَلَعُوهُ، وَوَلَّوْا عَلَيْهِمْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حَنْظَلَةَ الْغَسِيلَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ يَزِيدُ جُنْدًا فِي السَّنَةِ الْآتِيَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَكَانَتْ وَقْعَةُ الْحَرَّةِ عَلَى مَا سَنُبَيِّنُهُ فِي الَّتِي بَعْدَهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَقَدْ كَانَ يَزِيدُ عَزَلَ عَنِ الْحِجَازِ عَمْرَو بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، وَوَلَّى عَلَيْهِمْ الْوَلِيدَ بْنَ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَلَمَّا دَخَلَ الْمَدِينَةَ احْتَاطَ عَلَى الْأَمْوَالِ وَالْحَوَاصِلِ وَالْأَمْلَاكِ، وَأَخَذَ الْعَبِيدَ الَّذِينَ لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ فَحَبَسَهُمْ، وَكَانُوا نَحْوًا مِنْ ثَلَاثِمِائَةِ عَبْدٍ، فَتَجَهَّزَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ إِلَى يَزِيدَ فَرَكِبَ وَبَعَثَ إِلَى عَبِيدِهِ أَنْ يَخْرُجُوا مِنَ السَّجْنِ وَيَلْحَقُوا بِهِ، وَأَعَدَّ لَهُمْ إِبِلًا يَرْكَبُونَهَا، فَفَعَلُوا ذَلِكَ، فَمَا لَحِقُوهُ حَتَّى وَصَلَ إِلَى يَزِيدَ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ أَكْرَمَهُ وَاحْتَرَمَهُ وَرَحَّبَ بِهِ يَزِيدُ، وَأَدْنَى مَجْلِسَهُ، ثُمَّ إِنَّهُ عَاتَبَهُ فِي تَقْصِيرِهِ فِي شَأْنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ، فَقَالَ لَهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، الشَّاهِدُ يَرَى مَا لَا يَرَى الْغَائِبُ، وَإِنَّ جُلَّ أَهْلِ مَكَّةَ وَالْحِجَازِ مَالَئُوهُ عَلَيْنَا وَأَحَبُّوهُ، وَلَمْ يَكُنْ لِي جُنْدٌ أَقْوَى بِهِمْ عَلَيْهِ لَوْ نَاهَضْتُهُ، وَقَدْ كَانَ يَحْذَرُنِي وَيَحْتَرِسُ مِنِّي، وَكُنْتُ أَرْفُقُ بِهِ كَثِيرًا، وَأُدَارِيهِ لِأَسْتَمْكِنَ مِنْهُ فَأَثِبُ عَلَيْهِ، مَعَ أَنِّي قَدْ ضَيَّقْتُ عَلَيْهِ وَمَنَعْتُهُ مِنْ أَشْيَاءَ كَثِيرَةٍ، وَجَعَلْتُ عَلَى مَكَّةَ وَطُرُقِهَا وَشِعَابِهَا
পৃষ্ঠা - ৬৭৮৩


স্া-র্নিতহ্শু (ট্রুদুড় ৷দৰু অনাব৷ ইয়যৌদেব যেরুপ (দায় ৷বর্ণল৷ করোহুংন্,৷ মুনাযর অ্যাং চাইতেও
বেশী দোব বর্ণনা করেন ৷ ইয়াযীদের কাছে যখন এখবর পৌছল তখন তিনি বললেন, হে

প্৩া৷ণ্;ন্া৷হ্ ! ডা৷মি তাকে এত সম্মান করলাম ৩াকে উপচৌকন দিলাম আর সে আমার বিরুদ্ধে যা
ইচ্ছা তা ই করছে আমি ৩াকে ৷শ দ্রু৷ দেয়ার চেষ্টা করব এবং তার থেকে প্ৰতিশোধ ৷নব ৷
তারপর ইয়াষীদ মদীনাবাসীাদর কাছে নুমান ইবন বশীরকে প্রেরণ করেন ৷ দিল্লি; তাদেরকে
র্ত্যদ্যে৷ এ কাজে নিষেধ করলেন ও এটার পরিণতি সম্বন্ধে ভয়-ভীতি প্রদশ্নি করলেন এবং
তাদেরকে আনৃগতোর দিকে ফিরে আল তে অনুরোধ করলেন ৷ আর বিভিন্ন দলে বিভক্ত না হয়ে
ঐকাবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিলেন ৷ তিনি ৩াদের দ্বারে দ্বারে গেলেন এবং অনুরোধ করলেন,
ইয়াষীদ ৩াদ্যোকে যা হুকুম করেন তা যেন তারা মনে করেন ৷ তিনি বলেন, “সন্তানের
বিরুদ্ধে ভুশিয়ার করে দেন ৷ তাদেরকে তিনি বলেন, সস্ত্রাস অত্যন্ত খারাপ পরিণতি ডেকে
আনবে ৷ তিনি আরোশ্বলেন সিরিয়াবাসীাদর মুকাৰিলা করারশক্তিস্মদীনাৰাসীদেবানই ৷

আবদুল্লাহ ইবন মুত্তী ভীাক বললেন ন্আল্লাহ্র শপথ ! আমি তাে ঐসব কাজ ছেড়ে
দিয়েছি বার দিকে তুমি আমাকে ডাকছে৷ ৷ আর লোকজন এমন কাজে লিপ্ত রয়েছে যে কাজে
থাকার জন্য সম্প্রদায়ের সকল সদস্যের মস্তক তলােয়ার দ্বারা ক৩ন করা হবে এবং উভয়
দলের মৃত্যুর চাকা ঘুর্ণায়মান হচ্ছে ৷ আমি যেন তোমার খচ্চরের এক পা৷র্শ্ব আঘাত করছি
এবং এসব মিসকিানর অর্থাৎ আনসারদেব বিরোধিতা করেছি ৷ ৩ারা ৩াদের গলির মধ্যে
মসজিদের মধ্যে ও ঘরের দরজায় নিহত হবে৷ কিন্তু লোকজন তার আনুগত্য করল না
এমনকি তার কথাও মানাযোগ সহকারে শুনল না ৷ তিনি চাল যান মেং আল্লাহবক্ষাং
ব্যাপারটি ঐ রকমই ঘটেছিল যা তিনি বলেছিলেন ৷

ইবন জায়ীর (র) বালন, “এবছরই আলওয়ালীদ ইবন উত্ব৷ ৷লাকজনকে নিয়ে হজ্জ
আমার করেছিলেন ৷ব্লু একর্থাটি সন্দেহাতীদ্ভ নয়, কেননা যদি তিনি মদীনাবাসীদের প্রতিনিধিদের
মধ্যে থােক থাকেন আর প্রতিনিধি দলটি ইয়াযীদের নিকট থেকে প্রত্যাবর্তন করেন অন্য দিকে
আল ওয়ালীর্দও এবছর হজ্জ করন৩ ৩াহলে মদীনায় প্রতিনিধিদের ইয়াযীদের কাছে আগৃমন
করার তারিখ হবে ৬৩ হিজবীর প্রথম দিকে ৷ আর এ অভিম৩ ঢিই গ্রহণীয় ৷ আল্লাহ্ই অধিক
পারজ্ঞাত ৷

এবছর যে সব ব্যক্তিত্ব ইনতিকাল করেছেন

রাসুল (না) যখন মদীনায় হিজরত করছিলেন তখন কুরাউল পামাম নামক স্থানে হযরত
বুরয়দা ইবন্াল হুসাইব আল আসলামী (রা) রাসুল (সা) এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ উক্ত
জায়গায় তিনি পরিবারের ৮০ জন সদস্য নিয়ে রাসুল (সা) এর সাক্ষাত করেন ও তারা সকলে
ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ রাসুল (সা)৩ ৩াদের নিয়ে নানা কুল ইন্শ্া৷ আদায় করেন এবং তাকে
ঐরা৷ত সুরা৷য় মারয়ামের, প্রারম্ভের আয়াতগুলো শিক্ষা দেন ৷ এরপর তিনি মদীনা শরীাফ
উহুাদর যুদ্ধের পর রাসুল (না)-এর দরবারে আগমন করেন ৷ তিনি রাসুল (সা)-এর সাথে
পরবর্তী সবগুলো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং মদীনায় বসবাস করেন ৷ যখন বসরা বিজয় হয়,
তখন তিনি তথায় আগমন করেন এবং সেখানে তিনি একটি বাড়ি তৈরি করেন ৷৩ শুারপর তিনি
থুরাসানর যুদ্ধাভিযানে বের হন এবং ইয়াষীদ ইবন মু আবিয়ার আমলে মার্ভ নামক ন্থানে৩ তিনি
ইনতিকাল করেন ৷ একাধিক ইতিহাসবিদ এবছার তার মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেছেন ৷


رِجَالًا لَا يَدَعُونَ أَحَدًا يَدْخُلُهَا حَتَّى يَكْتُبُوا إِلَيَّ اسْمَهُ وَاسْمَ أَبِيهِ، وَمِنْ أَيِّ بِلَادِ اللَّهِ هُوَ وَمَا جَاءَ لَهُ، وَمَاذَا يُرِيدُ، فَإِنْ كَانَ مِنْ أَصْحَابِهِ أَوْ مِمَّنْ أَرَى أَنَّهُ يُرِيدُهُ رَدَدْتُهُ صَاغِرًا، وَإِلَّا خَلَّيْتُ سَبِيلَهُ، وَقَدْ وَلَّيْتَ الْوَلِيدَ، وَسَيَأْتِيكَ مِنْ عَمَلِهِ وَأَمْرِهِ مَا لَعَلَّكَ تَعْرِفُ بِهِ فَضْلَ مُبَالَغَتِي فِي أَمْرِكَ وَمُنَاصَحَتِي لَكَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَاللَّهُ يَصْنَعُ لَكَ وَيَكْبِتُ عَدُوَّكَ. فَقَالَ لَهُ يَزِيدُ: أَنْتَ أَصْدَقُ مِمَّنْ رَمَاكَ وَحَمَلَنِي عَلَيْكَ، وَأَنْتَ مِمَّنْ أَثِقُ بِهِ وَأَرْجُو مَعُونَتَهُ وَأَدَّخِرُهُ لِرَأْبِ الصَّدْعِ، وَكِفَايَةِ الْمُهِمِّ وَكَشْفِ نَوَازِلِ الْأُمُورِ الْعِظَامِ. فِي كَلَامٍ طَوِيلٍ. وَأَمَّا الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ فَإِنَّهُ أَقَامَ بِالْحِجَازِ، وَقَدْ هَمَّ مِرَارًا أَنْ يَبْطِشَ بِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، فَلَا يَجِدُهُ إِلَّا مُتَحَذِّرًا مُمْتَنِعًا، قَدْ أَعَدَّ لِلْأُمُورِ أَقْرَانَهَا، وَثَارَ بِالْيَمَامَةِ رَجُلٌ آخَرُ يُقَالُ لَهُ: نَجْدَةُ بْنُ عَامِرٍ الْحَنَفِيُّ. حِينَ قُتِلَ الْحُسَيْنُ، وَخَالَفَ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ وَلَمْ يُخَالِفِ ابْنَ الزُّبَيْرِ بَلْ بَقِيَ عَلَى حِدَةٍ، لَهُ أَصْحَابٌ يَتَّبِعُونَهُ، فَإِذَا كَانَ لَيْلَةُ عَرَفَةَ دَفَعَ الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ بِالْجُمْهُورِ، وَتَخَلَّفَ عَنْهُ أَصْحَابُ ابْنِ الزُّبَيْرِ وَأَصْحَابُ نَجْدَةَ، ثُمَّ يَدْفَعُ كُلُّ فَرِيقٍ وَحْدَهُمْ. ثُمَّ كَتَبَ نَجْدَةُ إِلَى يَزِيدَ: إِنَّكَ بَعَثْتَ إِلَيْنَا رَجُلًا أَخْرَقَ، لَا يَتَّجِهُ لِأَمْرِ رُشْدٍ وَلَا يَرْعَوِي لِعِظَةِ الْحَكِيمِ، فَلَوْ بَعَثْتَ إِلَيْنَا رَجُلًا سَهْلَ الْخُلُقِ، لَيِّنَ الْكَنَفِ، رَجَوْتُ أَنْ يَسْهُلَ مِنَ الْأُمُورِ مَا اسْتَوْعَرَ مِنْهَا، وَأَنْ يَجْتَمِعَ مَا تَفَرَّقَ، فَانْظُرْ فِي ذَلِكَ، فَإِنَّ فِيهِ صَلَاحَ خَوَاصِّنَا وَعَوَامِّنَا،
পৃষ্ঠা - ৬৭৮৪
إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. قَالُوا: فَعَزَلَ يَزِيدُ الْوَلِيدَ، وَوَلَّى عُثْمَانَ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَسَارَ إِلَى الْحِجَازِ، وَإِذَا هُوَ فَتًى غِرٌّ حَدَثٌ غُمْرٌ، لَمْ يُمَارِسِ الْأُمُورَ، فَطَمِعُوا فِيهِ، وَلَمَّا دَخَلَ الْمَدِينَةَ بَعَثَ إِلَى يَزِيدَ مِنْهَا وَفْدًا، فِيهِمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَنْظَلَةَ الْغَسِيلُ الْأَنْصَارِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي عَمْرِو بْنِ حَفْصِ بْنِ الْمُغِيرَةِ الْمَخْزُومِيُّ، وَالْمُنْذِرُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَرِجَالٌ كَثِيرٌ مِنْ أَشْرَافِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَقَدِمُوا عَلَى يَزِيدَ، فَأَكْرَمَهُمْ وَأَحْسَنَ إِلَيْهِمْ وَأَعْظَمَ جَوَائِزَهُمْ، ثُمَّ انْصَرَفُوا رَاجِعِينَ إِلَى الْمَدِينَةِ، إِلَّا الْمُنْذِرَ بْنَ الزُّبَيْرِ، فَإِنَّهُ سَارَ إِلَى صَاحِبِهِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ بِالْبَصْرَةِ، وَكَانَ يَزِيدُ قَدْ أَجَازَهُ بِمِائَةِ أَلْفٍ نَظِيرَ أَصْحَابِهِ مِنْ أُولَئِكَ الْوَفْدِ، وَلَمَّا رَجَعَ وَفْدُ الْمَدِينَةِ إِلَيْهَا أَظْهَرُوا شَتْمَ يَزِيدَ وَعَيْبَهُ، وَقَالُوا: قَدِمْنَا مِنْ عِنْدِ رَجُلٍ لَيْسَ لَهُ دِينٌ، يَشْرَبُ الْخَمْرَ، وَتَعْزِفُ عِنْدَهُ الْقَيْنَاتُ بِالْمَعَازِفِ، وَإِنَّا نُشْهِدُكُمْ أَنَّا قَدْ خَلَعْنَاهُ. فَتَابَعَهُمُ النَّاسُ عَلَى خَلْعِهِ، وَبَايَعُوا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حَنْظَلَةَ الْغَسِيلَ عَلَى الْمَوْتِ، وَأَنْكَرَ عَلَيْهِمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَرَجَعَ الْمُنْذِرُ بْنُ الزُّبَيْرِ مِنَ الْبَصْرَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَوَافَقَ أُولَئِكَ عَلَى خَلْعِ يَزِيدَ، وَأَخْبَرَهُمْ عَنْهُ أَنَّهُ يَشْرَبُ الْخَمْرَ وَيَسْكَرُ حَتَّى يَتْرُكَ الصَّلَاةَ، وَعَابَهُ أَكْثَرُ مِمَّا عَابَهُ أُولَئِكَ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ يَزِيدَ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي آثَرْتُهُ وَأَكْرَمْتُهُ فَفَعَلَ مَا قَدْ رَأَيْتَ، فَأَدْرِكْهُ وَانْتَقِمَ مِنْهُ. ثُمَّ إِنَّ يَزِيدَ بَعَثَ إِلَى أَهْلِ الْمَدِينَةِ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ يَنْهَاهُمْ عَمَّا صَنَعُوا، وَيُحَذِّرُهُمْ غِبَّ ذَلِكَ، وَيَأْمُرُهُمْ بِالرُّجُوعِ إِلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ
পৃষ্ঠা - ৬৭৮৫

আব-রাবী ইবন খুসাইম

তার কুনিয়াত ছিল আবু ইয়াযীদ ও উপাধি ছিল আল কুফী ৷ তিনি আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ
(রা) এর একজন সাথী ছিলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)৩ তাকে একদিন বলেছিলেন,
“আমি যখনই ওে মােকে দেখি তখনই আল্পাহ্র ভয়ে কম্পবান ব্যক্তিদের কথা আমার স্মরণে
আসে ৷ যদি রাসুল (সা) তোমাকে দেখতেন তাহলে তিনি তোমাকে অবশ্যই ভালবাসতেন ৷
এভাবে ইবন মাসউদ (বা) প্রায় সময় তার প্রশংসা করতেন ৷ ইমাম শাবী ,(ৱা) বলতেন,
“রাবী ছিলেন সত্যের এক খনি ৷ তিনি ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) এর পরহেযগার
ব্যক্তিতৃ সম্বন্ধে প্রশ্ন করার প্রয়োজন পড়ে না ৷ তার বহু গুণাবলী দেখতে পাওয়া যায় ৷ ইব্ৰুল
জাওযী এবছরেই তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন বলে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন ৷

আবু শাবাল আলকাম৷ ইবন কাউস আন-নাখয়ী আল-কুফী
তিনি আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)-এরং জ্ঞানী ও ংবিগ্রিষ্টি সাথীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ তিনি
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) এর মত ছিলেন ৷ আলকাম৷ বহু সাহাবী থেকে হাদীস বর্ণনা
করেন ৷ অন্য দিকে তার থেকে বহু তাবিঈ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

উক্বা ইবন নাফি আল ফিহ্রী

জ্জীকে দশ হাজার সৈন্য নিয়ে হযরত আমীরে মুআবীয়া (রা) আফ্রিকার অভিযানে প্রেরণ
করেন এবং তিনি তা বিজয় করেন ৷ কায়রওয়ানে তিনি বাসস্থান তৈরি করেন ৷ ঐ জায়গাটি
ছিল বনাঞ্চল, হিংস্র প্রাণী, সরীসৃপ ও কীট পতঙ্গে পরিপুর্ণ ৷ তখন তিনি আল্লাহর কাছে দুআ

, করেন ৷ তাতে দেখা গেল এগুলো তাদের ছানা ও শাবকদের নিয়ে বাসা ও গর্ত থেকে বের

, হয়ে গেল ৷ তখন তিনি ঐ জায়গাটি মানুষের বসবাসের জন্য তৈরি করলেন ৷ এবছর পর্যন্ত
তিনি ওৰা নে বসবাস করেছিলেন ৷ তিনি রােমক ও বারবার প্রভৃতি বিতিন্ন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে
লডইি করে এবহ্ব শাহাদাৎ বরণ করেন ৷

আম্র ইবন হাঘম (রা)

তিনি একজন সাহাবী ছিলেন ৷ রাসুল (মা) তাকে নাজরানের প্রশাসক নিযুক্ত করেছিলেন ৷
তখন তার বয়স ছিল ১ ৭ বছর ৷ নাজরানে তিনি দীর্ঘ সময় বসবাস করেন এবং ইয়াযীদ ইবন
মু আবিয়ার যুগ পর্যন্ত জীবিত ছিলেন ৷

মুসলিম ইবন মুখাল্লাদ আল-আনসারী (রা)

তার উপাধি ছিল আয় যারক হিজবরু৩ তের বছর তিনি জন্মগ্রহণ করেন এবং রাসুল (সা)
থেকে দীনের কথা শুনেন ৷ তিনি মিসর বিজয়ে অং শণ্নহণ করেন ৷ মু আবিয়া (না) ও ইয়াযীদের

পক্ষ থেকে তিনি সেখানে সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেন ৷ এ বছর যুলকা দাহ মাসে তিনি
ইনতিকাল করেন ৷

মুসলিম ইবন মুআবিয়া আদ-দায়লার্মী (রা)
তিনি একজন সম্মানিত সাহাবী ছিলেন ৷ কাফিরদের পক্ষে বদর উহুদ ও খন্দকের যুদ্ধে
তিনি অংশগ্রহণ করেন ৷ মুসলমানদের প্রতি তার মনে একটি আক্রোশ ছিল ৷৩ তারপর তিনি
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (৮ম খণ্ড)-৫ ১




وَلُزُومِ الْجَمَاعَةِ، فَسَارَ إِلَيْهِمْ فَفَعَلَ مَا أَمَرَهُ يَزِيدُ وَخَوَّفَهُمُ الْفِتْنَةَ، وَقَالَ لَهُمْ: إِنَّ الْفِتْنَةَ وَخِيمَةٌ. وَقَالَ: لَا طَاقَةَ لَكُمْ بِأَهْلِ الشَّامِ. فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُطِيعٍ الْعَدَوِيُّ: مَا حَمَلَكَ يَا نُعْمَانُ عَلَى تَفْرِيقِ جَمَاعَتِنَا وَفَسَادِ مَا أَصْلَحَ اللَّهُ مِنْ أَمْرِنَا؟ فَقَالَ لَهُ النُّعْمَانُ: أَمَا وَاللَّهِ لَكَأَنِّي بِكَ لَوْ قَدْ نَزَلَتْ تِلْكَ الَّتِي تَدْعُو إِلَيْهَا، وَقَامَتِ الرِّجَالُ عَلَى الرَّكْبِ تَضْرِبُ مَفَارِقَ الْقَوْمِ وَجِبَاهَهُمْ بِالسُّيُوفِ، وَدَارَتْ رَحَا الْمَوْتِ بَيْنَ الْفَرِيقَيْنِ، وَكَأَنِّي بِكَ قَدْ ضَرَبْتَ جَنْبَ بَغْلَتِكَ إِلَى مَكَّةَ وَخَلَّفْتَ هَؤُلَاءِ الْمَسَاكِينَ - يَعْنِي الْأَنْصَارَ - يُقْتَلُونَ فِي سِكَكِهِمْ وَمَسَاجِدِهِمْ، وَعَلَى أَبْوَابِ دُورِهِمْ. فَعَصَاهُ النَّاسُ، فَلَمْ يَسْمَعُوا مِنْهُ، فَانْصَرَفَ وَكَانَ الْأَمْرُ وَاللَّهِ كَمَا قَالَ سَوَاءً. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ. كَذَا قَالَ، وَفِيهِ نَظَرٌ، فَإِنَّهُ إِنْ كَانَ وَفَدَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ - وَقَدْ رَجَعُوا مِنْ عِنْدِ يَزِيدَ - فَإِنَّمَا وَفَّدَهُمْ عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، وَإِنْ كَانَ قَدْ حَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا الْوَلِيدُ فَمَا قَدِمَ وَفْدُ الْمَدِينَةِ إِلَى يَزِيدَ إِلَّا فِي أَوَّلِ سَنَةِ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ، وَهُوَ أَشْبَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. [وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ] بُرَيْدَةُ بْنُ الْحُصَيْبِ الْأَسْلَمِيُّ، كَانَ إِسْلَامُهُ حِينَ اجْتَازَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৬৭৮৬
وَهُوَ مُهَاجِرٌ إِلَى الْمَدِينَةِ عِنْدَ كُرَاعِ الْغَمِيمِ، فَلَمَّا كَانَ هُنَاكَ تَلَقَّاهُ بُرَيْدَةُ فِي ثَمَانِينَ نَفْسًا مِنْ أَهْلِهِ، فَأَسْلَمُوا، وَصَلَّى بِهِمْ صَلَاةَ الْعِشَاءِ، وَعَلَّمَهُ لَيْلَتَئِذٍ صَدْرًا مِنْ سُورَةِ " مَرْيَمَ "، ثُمَّ قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ بَعْدَ أُحُدٍ، فَشَهِدَ بَقِيَّةَ الْمُشَاهِدِ كُلَّهَا، وَأَقَامَ بِالْمَدِينَةِ، فَلَمَّا فُتِحَتِ الْبَصْرَةُ نَزَلَهَا وَاخْتَطَّ بِهَا دَارًا، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى غَزْوِ خُرَاسَانَ، فَمَاتَ بِمَرْوَ فِي خِلَافَةِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ. ذَكَرَ مَوْتَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. الرَّبِيعُ بْنُ خُثَيْمٍ أَبُو يَزِيدَ الثَّوْرِيُّ الْكُوفِيُّ، أَحَدُ أَصْحَابِ ابْنِ مَسْعُودٍ. قَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ: مَا رَأَيْتُكَ إِلَّا ذَكَرْتُ الْمُخْبِتِينَ، وَلَوْ رَآكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَأَحَبَّكَ. وَكَانَ ابْنُ مَسْعُودٍ يُجِلُّهُ كَثِيرًا. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ: كَانَ الرَّبِيعُ مِنْ مَعَادِنَ الصِّدْقِ، وَكَانَ أَوَرَعَ أَصْحَابِ ابْنِ مَسْعُودٍ. وَقَالَ ابْنُ مَعِينٍ: لَا يُسْأَلُ عَنْ مِثْلِهِ. وَلَهُ مَنَاقِبُ كَثِيرَةٌ جِدًّا، أَرَّخَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ وَفَاتَهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. عَلْقَمَةُ بْنُ قَيْسٍ أَبُو شِبْلٍ النَّخَعِيُّ الْكُوفِيُّ كَانَ مِنْ أَكَابِرِ أَصْحَابِ
পৃষ্ঠা - ৬৭৮৭


ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হুনাইনের যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন ৷ নবম হিজরীতে তিনি হযরত
আবু বকর (রা)-এর সাথে পবিত্র হজ্জ আদায় করেন ৷ তিনি বিদায় হরুজ্জও অংশগ্রহণ করেন ৷
তিনি ইসলামের পুর্বে ৬০ বছর বয়স হায়াত পেয়েছিঢান এবং অনুরুপভাবে ইসলামেও ৬০
বছর বয়স পেয়েছিলেন ৷ ওয়াকিদী (র) এ তথ্য পেশ করেছেন ৷ তিনি আরও বলেন, যে
মুসলিম (রা) ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়ার যুগ পর্যন্ত জীবিত ছিলেন ৷ ইবনৃল জাওযী বলেন,
এবছর তিনি ইনতিকাল করেন ৷” শ্

এ বছরেই যহরত হুসাইন (রা)-এর শ্রী করার বিনৃত আনীফ (বা) ইনতিকাল করেন ৷ তিনি
তার স্বামী, হযরত আলী (রা)-এর পুত্র এবং রাসুল (না)-এর মেয়ের পুত্র ইমাম হুসাইন (রা)-
এর উপর ইরাকীরা শনিবার অথবা জুমুআর দিনে যে জুলুম অত্যাচার করেছিল তা তিনি নিজ
চোখে দেখেছিলেন ৷

হিজরী ৬৩ সাল

এবছর হারবার ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল তার কারণ ছিল নিম্নরুপ

মদীনাবাসীরা যখন ইয়াষীদ ইবন মুআবিরার বায়আত প্রত্যাহার করল, তারা আবদুল্লাহ
ইবন হানযালা ইবন আমিরকে আনসারদের সর্দার নির্বাচন করল ৷ তারা সকলে মিম্বরের কাছে
জমায়েত হল ৷ তখন তাদের মধ্যে হতে একজন বলতে লাগলেন, আমি এ পাগডীকে প্রত্যাহার
করলাম এ বলে সে মাথা থেকে পাগড়ীটে ফেলে দিল ৷ অন্য একজন বলল, আমি ইয়াষীদকে
প্রত্যাহার করলাম যেমন আমি আমার এ জুতা প্রত্যাহার করলাম, ৷ এ বলে সে তার জুতা ছুড়ে
মারল ৷ এভাবে একজনের পর একজন বলতে লাগল ও এরুপ করতে লাগল ৷ ফলে সেখানে
অনেক পাগড়ী ও জুতার ম্ভপ হয়ে গেল ৷ তারপর তারা তাদের মধ্যে থেকে ইয়াযীদের
গভর্নরকে বহিষ্কার করার ব্যাপারে একমত হল ৷ তিনি হলেন উসমান ইবন মুহাম্মদ ইবন আবু
সুফিয়ান, ইয়াষীদের চাচাতাে ভাই ৷ বনুউমাইয়ার সদস্যদেরকে মদীনা থেকে বিতাড়িত করার
ব্যাপারেও তারা ঐকমত্যে পৌছল ৷

তারপর বনু উমাইয়ার লোকেরা মারওয়ান ইবন হাকাম এর ঘরে একত্রিত হলো ৷ আর
মদীনাবাসীরা তাদেরকে চভুর্দিক দিয়ে ঘিরে রাখল ৷ কিন্তু আলী ইবনুল হুসাইন ওরফে
যয়নুল অড়াবেদীন (বা) সাধারণ সােকজনেয় থেকে ভিন্নমত পোষণ করলেন ৷ অনুরুপভাবে
আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন খাত্তাব (রা)ও ভিন্নমত পোষণ করে ইয়াযীদকে প্রত্যাহার
করেন নি ৷ আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা) তার পরিবারের সদস্যদেরকে বললেন, তোমাদের
মধ্যে কেউ যেন ইয়াষীদকে প্রত্যাহার না করে ৷ অন্যথায় আমার সাথে তার শত্রুতা সৃষ্টি
হবে ৷ মদীনাবাসীদের আবদুল্লাহ ইবন মুর্তী ও আবদুল্লাহ ইবন হানযালার হাতে মৃত্যু
পর্যন্ত বায়আত করার ব্যাপারটিকে তিনি পসন্দ করলেন না এবং তিনি বললেন, আমার শুধু
রাসুল (না)-এর হাতে এ কথার উপরে বাআত করতাম যে, আমরা পলায়ন করব না ৷
এভাবে বনু আবদুল মুত্তালিবের কোন সদস্যও বায়আত প্রত্যাহার করেন নি ৷ মুহাম্মদ
ইবনৃল হানাফিয়াবেঃ এ ব্যাপারে প্রশ্ন করার এ কাজ থেকে তিনি কঠােরভাবে বিরত থাকেন
ইয়াষীদ সম্বন্ধে তিনি তাদের সাথে বাদানুবাদ করেন ও ঝগড়া করেন এবং ইয়াযীদকে
তারা যে মদ্যপান করা ও নামায ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উত্থাপন করেছিল তা তিনি প্রতিবাদ
করেন ৷


ابْنِ مَسْعُودٍ وَعُلَمَائِهِمْ، وَكَانَ يُشَبَّهُ بِابْنِ مَسْعُودٍ. وَقَدْ رَوَى عَلْقَمَةُ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَعَنْهُ خَلْقٌ مِنَ التَّابِعِينَ. عُقْبَةُ بْنُ نَافِعٍ الْفِهْرِيُّ بَعَثَهُ مُعَاوِيَةُ إِلَى إِفْرِيقِيَّةَ فِي عَشَرَةِ آلَافٍ، فَافْتَتَحَهَا، وَاخْتَطَّ الْقَيْرَوَانَ، وَكَانَ مَوْضِعُهَا غَيْضَةً لَا تُرَامُ ; مِنَ السِّبَاعِ وَالْحَيَّاتِ وَالْحَشَرَاتِ، فَدَعَا اللَّهَ تَعَالَى، فَجَعَلْنَ يَخْرُجْنَ بِأَوْلَادِهِنَّ مِنَ الْأَوْكَارِ وَالْجِحَارِ، فَبَنَاهَا وَلَمْ يَزَلْ بِهَا حَتَّى هَذِهِ السَّنَةِ. غَزَا أَقْوَامًا مِنَ الْبَرْبَرِ وَالرُّومِ، فَقُتِلَ شَهِيدًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. عَمْرُو بْنُ حَزْمٍ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، اسْتَعْمَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى نَجْرَانَ وَعُمْرُهُ سَبْعَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَأَقَامَ بِهَا مُدَّةً، وَأَدْرَكَ أَيَّامَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ. مَسْلَمَةُ بْنُ مُخَلَّدٍ الْأَنْصَارِيُّ الزُّرَقِيُّ وُلِدَ عَامَ الْهِجْرَةِ، وَسَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَشَهِدَ فَتَحَ مِصْرَ، وَوَلِيَ الْجُنْدَ بِهَا لِمُعَاوِيَةَ وَيَزِيدَ، وَمَاتَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. نَوْفَلُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الدِّيلِيُّ صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، شَهِدَ بَدْرًا وَأُحُدًا وَالْخَنْدَقَ
পৃষ্ঠা - ৬৭৮৮
مَعَ الْمُشْرِكِينَ، وَكَانَتْ لَهُ فِي الْمُسْلِمِينَ نِكَايَةٌ، ثُمَّ أَسْلَمَ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَشَهِدَ فَتْحَ مَكَّةَ وَحُنَيْنًا، وَحَجَّ مَعَ أَبِي بَكْرٍ سَنَةَ تِسْعٍ، وَشَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ، وَعُمِّرَ سِتِّينَ سَنَةً فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَمِثْلَهَا فِي الْإِسْلَامِ. قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ. قَالَ: وَأَدْرَكَ أَيَّامَ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ. وَقَالَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ: مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَفِيهَا تُوُفِّيَتِ الرَّبَابُ بِنْتُ امْرِئِ الْقَيْسِ امْرَأَةُ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ الَّتِي كَانَتْ حَاضِرَةً أَهْلَ الْعِرَاقِ إِذْ هُمْ يَعْدُونَ فِي السَّبْتِ أَوْ فِي الْجُمُعَةِ عَلَى زَوْجِهَا الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ ابْنِ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.