قصة موسى الكليم عليه الصلاة والسلام
ذكر حديث آخر بمعنى ما ذكره ابن حبان
পৃষ্ঠা - ৬৭৫
পঞ্চম বারের পর সে ব্যক্তি বলবে : হে আমার প্রতিপালক! এটাতে আমি সন্তুষ্ট ৷ ’ অতঃপর
বলা হবে, এটা তো তোমার জন্যে থাকবেই এবং তার সাথে আরো দশগুণ, আর এছাড়াও
তোমার জন্যে থাকবে যা তোমার মনে চাইবে ও যাতে তোমার চোখ জুড়াবে ৷ ’ তখন সে ব্যক্তি
বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি সন্তুষ্ট ৷’ আর মুসা (আ) বললেন : হে আমার
প্রতিপালক ! এরাই তাহলে মর্যাদার সর্বোচ্চ?’ তখন আল্লাহ তাআলা বললেন, তাদের সম্মানের
বৃক্ষ আমি নিজ হাতে বোপণ করেছি এবং সম্মানের পরিচর্যার কাজও আমিই সমাপ্ত করেছি ৷
তাদের এত নিয়ামত দেয়৷ হবে, যা কোন চোখ দেখেনি, কোন কান শুনেনি এবং কোন
মানবহৃদয় এর কল্পনাও করেনি’ ৷ ইমাম মুসলিম (র) বলেন, কুরআন মজীদের আয়াতে তার
যথার্থতার প্রমাণ রয়েছে ৷ র্দুর্যণ্
ইমাম তিরমিযী (র) হাদীসটি হাসান’ ও সহীহ বলেছেন ৷ কেউ কেউ বলেন, হাদীসটিকে
মওকুফ বললেও বিশুদ্ধ মতেত তা মারফু ৷ ইবন হিব্বান (র)৩ তা ৷র সহীহ’ গ্রন্থে মুসা (আ) কর্তক
তার প্রতিপালককে সাতটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা প্রসঙ্গে বলেন ং
আবু হরায়রা (রা) রাসুলুল্পাহ (যা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ একদিন মুসা (আ) আপন
প্রতিপা ৷লকের কাছে ছয়টি বিষয়ে প্রশ্ন করেন, আর এই ছয়টি বিষয় শুধু৩ তারই জন্যে বলে তিনি
মনে করেছিলেন ৷ সপ্তম বিষয়টি মুসা (আ) পছন্দ করেননি ৷ মুসা (আ) প্রশ্ন করেন, (১) হে
আমার প্রতিপালক৷ তোমার বান্দাদের মধ্যে সর্বাধিক পরহেজগার কে ? আল্লাহ তাআলা
বললেন? যে ব্যক্তি যিকির করে এবং পাফিল থাকে না ৷ (২) মুসা (অ ) বলেন, তোমার
বান্দাদের মধ্যে সর্বাধিক হিদায়াতপ্রাপ্ত কে? আল্লাহ তা আল৷ বলেন, যে আমার হিদায়াতের
অনুসরণ করে ৷ (৩) মুসা (আ) বলেন, তোমার বান্দাদের মধ্যে সর্বোত্তম বিচারক কে? আল্লাহ
তাআলা বলেন, যে মানুষের জন্যে সেরুপ বিচারই করে যা সে নিজের জন্যে করে ৷ (৪ ) মুসা
(আ) বলেন, তোমার বান্দাদের মধ্যে সর্বাধিক জ্ঞানী কে?অ ৷ল্লাহ তা আলা বলেন, এমন জ্ঞানী
যে জ্ঞান আহরণে তৃপ্ত হয় না বরং লোকজনের জ্ঞানকে নিজের জ্ঞানের সাথে যোগ করে ৷ (৫)
মুসা (আ) বলেন, তোমার বান্দাদের মধ্যে সর্বাধিক সম্মানিত কে? আল্লাহ্ তাআলা বলেন, যে
বান্দ৷ প্রতিশোধ গ্রহণের সামর্থ্য থাকা সত্বেও ক্ষমা করে দেয় ৷ (৬) মুসা (আ) প্রশ্ন করেন ?
তোমার বান্দাদের মধ্যে সর্বাধিক ধনী কে? আল্লাহ্ তাআলা বলেন, যে বান্দা তাকে যা দেয়া
হয়েছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে ৷ ’ (৭) মুসা (আ) প্রশ্ন করেন : তোমার বান্দাদের মধ্যে সর্বাধিক
দরিদ্র কে? আল্লাহ্ তাআলা বলেন, মানকুস’-যার মনে অভাববোধ রয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ (স)
বলেন, “বাহ্যিক ধনীকে প্রকৃত পক্ষে ধনী বলা হয় না, অম্ভরের ধনীকেই ধনী বলা হয় ৷” যখন
আল্লাহ তা আলা কোন বান্দার প্রতি কল্যাণ চান, তখন তাকে অম্ভরে ধনী হবার এবং হৃদয়ে
আল্লাহর প্রতি ভয় করার৩ তাওফীক দেন ৷ আর যদি কোন বান্দার অকল্যাণ চান তাহলে তার
চোখ দা ৷রিদ্রকে প্রকট করে লেন ৷ হাদীসে বর্ণিত ,ংপ্রুন্১ শব্দের ব্যাখ্যার ইবন হিব্বান (র)
বলেন, এটার অর্থ হচ্ছে তাকে যা কিছু দেয়৷ হয়েছে তা সে নগণ্য মনে করে এবং আরো ৷অধিক
চায় ৷
ইবন জারীর (র) তার ইতিহাস গ্রন্থে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ তবে তিনি এতটুকু বর্ধিত করে বলেন, মুসা (আ) বলেন, হে আমার প্রতিপালক !
[ذِكْرُ حَدِيثٍ آخَرَ بِمَعْنَى مَا ذَكَرَهُ ابْنُ حِبَّانَ]
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ مُوسَى قَالَ: أَيْ رَبِّ، عَبْدُكَ الْمُؤْمِنُ مُقَتَّرٌ عَلَيْهِ فِي الدُّنْيَا. قَالَ: فَفُتِحَ لَهُ بَابٌ مِنَ الْجَنَّةِ، فَنَظَرَ إِلَيْهَا، قَالَ: يَا مُوسَى، هَذَا مَا أَعْدَدْتُ لَهُ. فَقَالَ مُوسَى: يَا رَبِّ، وَعِزَّتِكَ وَجَلَالِكَ، لَوْ كَانَ أَقْطَعَ الْيَدَيْنِ وَالرِّجْلَيْنِ، يُسْحَبُ عَلَى وَجْهِهِ مُنْذُ يَوْمَ خَلَقْتَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَكَانَ هَذَا مَصِيرَهُ، لَمْ يَرَ بُؤْسًا قَطُّ. قَالَ: ثُمَّ قَالَ: أَيْ رَبِّ، عَبْدُكَ الْكَافِرُ مُوَسَّعٌ عَلَيْهِ فِي الدُّنْيَا. قَالَ: فَفُتِحَ لَهُ بَابٌ إِلَى النَّارِ، فَيَقُولُ: يَا مُوسَى، هَذَا مَا أَعْدَدْتُ لَهُ. فَقَالَ: أَيْ رَبِّ، وَعِزَّتِكَ وَجَلَالِكَ، لَوْ كَانَتْ لَهُ الدُّنْيَا مُنْذُ يَوْمَ خَلَقْتَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَكَانَ هَذَا مَصِيرَهُ، لَمْ يَرَ خَيْرًا قَطُّ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَفِي صِحَّتِهِ نَظَرٌ وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ ابْنُ حِبَّانَ: ذِكْرُ سُؤَالِ كَلِيمِ اللَّهِ رَبَّهُ، جَلَّ وَعَلَا، أَنْ يُعَلِّمَهُ شَيْئًا يَذْكُرُهُ بِهِ، حَدَّثَنَا ابْنُ سَلْمٍ، حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، إِنَّ دَرَّاجًا حَدَّثَهُ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ،
পৃষ্ঠা - ৬৭৬
তোমার বন্দোদের মধ্যে কে সৰ্বাধিক জ্ঞানী? আল্লাহ তাআলা বলেন, যে নিজের জ্ঞানের সাথে
সাথে লোকজনের জ্ঞানও অন্বেষণ করে ৷ অচিরেই সে একটি উপদেশ বাণী পারে, যা তাকে
আমার হিদায়াতের দিকে পথপ্রদর্শন করবে কিৎবা আমার নিষেধ থেকে বিরত রাখবে ৷ মুসা
(আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক আমার চেয়ে অধিক জ্ঞানী কি পৃথিবীতে কেউ আছেন?
আল্লাহ্ তাআলা বললেন, হী৷ আছে, সে হচ্ছে খিযির ৷ ’ মুসা (আ) খিযির (আ)-এর সাথে
সাক্ষাৎ করার জন্যে পথের সন্ধান চান ৷ পরবর্তীতে এর আলোচনা হবে ৷
ইবন হিব্বানের বর্ণিত হাদীসের অনুরুপ হাদীস ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু সাঈদ
খুদরী (রা) রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে বর্ণনা করেন, “একদিন মুসা (আ) বললেন, হে আমার
প্রতিপালকা তোমার মুমিন বান্দা দুনিয়াতে অভাবে-অনটনে দিন যাপন করে ৷ আল্লাহ বলেন,
তার জন্যে জান্নাতের একটি দ্বার খুলে দেয়া হবে তা দিয়ে সে জান্নাতের দিকে তাকাবে ৷
আল্লাহ্ তাআলা বলেন, হে মুসা! এটা হচ্ছে সেই বস্তু যা আমি তার জন্যে তৈরি করে
রেখেছি ৷” মুসা (আ) বলেন, হে আমার প্রতিপালক৷ তোমার ইয্যত ও পরাত্রুমের শপথ, যদি
তার দুই হাত ও দুই পা কাটা গিয়ে থাকে এবং তার জন্ম থেকে কিয়ামত পর্যন্ত যে হামাগুড়ি
দিয়ে চলে আর এটাই যদি তার শেষ গম্ভব্যস্থল হয়, তাহলে সে যেন কােনদিন কোন কষ্টই
ভোগ করেনি ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, “পুনরায় মুসা (আ) বলেন, হে আমার প্রতিপালক!
তোমার কাফির বন্দো দুনিয়ার প্রাচুর্যের মধ্যে রয়েছে ৷ ’ আল্লাহ্ তাআলা বলেন, তার জন্যে
জাহান্নড়ামের একটি দ্বার খুলে দেয়া হবে ৷’ আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে মুসা ! এটা আমি তার
জন্যে তৈরি করে রেখেছি ৷’ মুসা (আ) বলেন, হে আমার প্রতিপালক! তোমার ইযযত ও
পরাক্রমের শপথ, তার জন্ম থেকে কিয়ামত পর্যন্ত যদি তাকে পার্থিব সম্পদ দেয়া হত, আর
এটাই যদি তার গস্তব্যন্থল হয় তাহলে সে যেন কখনও কোন কল্যাণ লাভ করেনি ৷ ” তার এ
হাদীসের সুত্রের বিশুদ্ধতার ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে ৷ আল্লাহই সম্যক জ্ঞাত ৷
ইবন হিব্বান (র) মুসা (আ) কর্তৃক আপন প্রতিপালকের কাছে এমন একটি যিকির
প্রার্থনা’ শিরোনামে আবু সাঈদ (রা) থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ (সা)
থেকে এটি বর্ণনা করেন যে, একদিন মুসা (আ) আরব করলেন, হে আমার প্রতিপালক!
আামাকে এমন কিছু শিক্ষা দিন, যার মাধ্যমে আমি আপনাকে স্মরণ করতে পারি ও ডাকতে
পারি ৷ আল্লাহ্ তাআলা বলেন, হে মুসা ! তুমি বল, ণ্এ৷ ! খু ৭ খু মুসা (আ) বললেন, হে
আমার প্রতিপালক! আপনার প্রত্যেক বান্দাই তো এই কলেমা বলে থাকে ৷ আল্লাহ তাআলা
বললেন, তুমি বল ণ্! ! ১! ব্ ! ১ণ্ মুসা (আ) বললেন, আমি এমন একটি কালেমা চাই যা
আপনি আমার জন্যেই বিশেষভাবে দান করবেন ৷ আল্লাহ তাআলা বললেন, হে মুসা যদি
সাত আসমান ও সাত যমীনের বাসিন্দাদেরকে এক পাল্লায় রাখা হয় এবং হ্এে ! খু ৷ কলেমাকে
অন্য পাল্লায় রাখা হয় তাহলে এ৷ ১৷ ৭ ১৷ এর পাল্লাটি অপর পাল্লাটি থেকে অধিক ভারী
হবে ৷ এই হাদীসের সভ্যতার প্রমাণ ভ্ররএে এ ! স্র;,ৰুা১ আর অর্থের দিক দিয়ে এ হাদীসের
অতি নিকটবর্তী হল নিম্ন বর্ণিত হাদীস যা হাদীসের কিতাবগুলােতে বর্ণিত রয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) ইরশাদ করেন, সর্বোত্তম দুআ হচ্ছে, আরাফাত ময়দানের দুআ ৷
عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «قَالَ مُوسَى: يَا رَبِّ عَلِّمْنِي شَيْئًا أَذْكُرُكَ بِهِ وَأَدْعُوكَ بِهِ. قَالَ: قُلْ يَا مُوسَى: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. قَالَ: يَا رَبِّ كُلُّ عِبَادِكَ يَقُولُ هَذَا. قَالَ: قُلْ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. قَالَ: إِنَّمَا أُرِيدُ شَيْئًا تَخُصُّنِي بِهِ. قَالَ: يَا مُوسَى لَوْ أَنَّ أَهْلَ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَالْأَرْضِينَ السَّبْعِ فِي كِفَّةٍ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فِي كِفَّةٍ مَالَتْ بِهِمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ» وَيَشْهَدُ لِهَذَا الْحَدِيثِ حَدِيثُ الْبِطَاقَةِ. وَأَقْرَبُ شَيْءٍ إِلَى مَعْنَاهُ الْحَدِيثُ الْمَرْوِيُّ فِي " السُّنَنِ " عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «أَفْضَلُ الدُّعَاءِ، دُعَاءُ عَرَفَةَ، وَأَفْضَلُ مَا قُلْتُ أَنَا وَالنَّبِيُّونَ مِنْ قَبْلِي: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ» .
وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، عِنْدَ تَفْسِيرِ آيَةِ الْكُرْسِيِّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْقَاسِمِ بْنِ عَطِيَّةَ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّشْتَكِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي الْمُغِيرَةِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ قَالُوا لِمُوسَى: هَلْ يَنَامُ رَبُّكَ؟ قَالَ: اتَّقُوا اللَّهَ. فَنَادَاهُ رَبُّهُ: يَا مُوسَى سَأَلُوكَ هَلْ يَنَامُ رَبُّكَ، فَخُذْ زُجَاجَتَيْنِ فِي يَدَيْكَ فَقُمِ اللَّيْلَ، فَفَعَلَ مُوسَى، فَلَمَّا ذَهَبَ مِنَ اللَّيْلِ ثُلُثُ، نَعَسَ فَوَقَعَ لِرُكْبَتَيْهِ، ثُمَّ انْتَعَشَ،
পৃষ্ঠা - ৬৭৭
আমি ও আমার পুর্ববর্তী নবীগণের সর্বোত্তম বাণী হল :
অর্থাৎ এক আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই, তিনি একক, অংশীদারহীন, র্তারই
জন্য যত প্রশংসা এবং তিনিই সর্বশক্তিমান ৷ র্গে০পু£ ব া-এর তাফসীর প্রসঙ্গে ইবন আবু
হাতিম (র) ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বনী ইসরাঈল মুসা (আ )-কে
প্রশ্ন করলেন, তোমার প্রতিপালক কি ঘুমান? মুসা (আ) বললেন, তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর ৷
তখন তার প্রতিপালক তাকে ডেকে বললেন, হে মুসা ত ৷রা তোমাকে শ্চশ্নে করেছে তোমার
প্রতিপালক কি ঘুমান?৩ তাই তুমি তোমার দুই হাতে দুইটি বোতল ধারণ কর এবং রাত জাগরণ
কর ৷ মুসা (আ) এরুপ করলেন, যখন রাতের এক তৃতীয়াৎশ অতিক্রাম্ভ হল, তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন
হলেন এবং তার মাথা হীটুর উপর ঝুকে পড়ল ৷ অতঃপর তিনি সোজা হয়ে র্দাড়ালেন এবং
বোতল দু’ঢিকে মজবুত করে ধরলেন ৷ এরপর যখন শেষরাত হলো তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে
পড়লেন ৷ অমনি তার দুই হাতের দু’টি বোতল পড়ে গেল ও ভেঙ্গে গেল ৷
অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা মুসা (আ)-কে বললেন, হে মুসা ! যদি আমি নিদ্রাচ্ছন্ন হতাম
তাহলে আসমান ও যমীন পতিত হত এবং তোমার হাতের বোতল দুটির ন্যায় আসমান-যমীন
ৎস হয়ে যেত ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এই প্রেক্ষিতে আল্পাহ্ তাআলা রাসুল (সা) এর কাছে
আয়াতুল কুরসী নাযিল করেন ৷
ইবন জারীর (র) আবু হুরায়র৷ (রা) থেকে বর্ণনা করেন; তিনি বলেন, “আমি রাসুল
(না)-কে মিম্বরে বসে মুসা (আ)-এর ঘটনা বর্ণনা করতে শুনেছি ৷ রাসুলুল্লাহ (না) বলেন,
“একদিন মুসা (আ) এর অন্তরে এই প্রশ্ন উদিত হল যে, আল্লাহ্ তাআলা কি নািব্র৷ যান? তখন
আল্লাহ তড়া আলা তার কাছে একজন ফেরেশতাকে পাঠালেন, তিনি তাকে তিন রাত অনিদ্রা
অবস্থায় রা খলেন ৷ অতঃপর তাকে দুই হাতে দুটি কাচের বো তল দিলেন, আর এই দুটো
বোতলকে সযত্নে রা ৷খার নির্দেশ দিলেন ৷ অতঃপর তার ঘুম পেলেই দু টো হাত একত্র হয়ে
যাবার উপক্রম হত এবং৩ তিনি জেগে উঠতেন ৷ অতঃপর তিনি একটিকে অপরটির সাথে একত্রে
ধরে রাখতেন ৷ এমনকি শেষ পর্যন্ত তিনি ঘুমিয়ে পড়েন ৷ তার দুটো হাত কেপে উঠলাে এবং
দুটো বোতলই পড়ে ভেঙ্গে গেল ৷” রাসুল (সা) বলেন, আল্লাহ তাআলা মুসা (আ) এর জন্যে
এই একটি উদাহরণ বর্ণনা করেন যে, যদি আল্লাহ্ তা আলা নিদ্রা যেতেন তাহলে আসমান ও
যযীনকে ধরে রাখতে পারতেন না ৷
উপরোক্ত হাদীস মারকুরুপে গরীব পর্যায়ের ৷ তবে খুব সম্ভব এটা কোন সাহাবীর বাণী এবং
এর উৎস ইহুদীদের বর্ণনা ৷
আল্লাহ্ তাআলা ইরশ ৷দ করেনং :
’
فَضَبَطَهُمَا حَتَّى إِذَا كَانَ آخِرُ اللَّيْلِ نَعَسَ، فَسَقَطَتِ الزُّجَاجَتَانِ، فَانْكَسَرَتَا. فَقَالَ: يَا مُوسَى، لَوْ كُنْتُ أَنَامُ، لَسَقَطَتِ السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ، فَهَلَكْنَ كَمَا هَلَكَتِ الزُّجَاجَتَانِ فِي يَدَيْكَ. قَالَ: وَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ آيَةَ الْكُرْسِيِّ.
وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي إِسْرَائِيلَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ أُمَيَّةَ بْنِ شِبْلٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبَانٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْكِي عَنْ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَلَى الْمِنْبَرِ، قَالَ: «وَقَعَ فِي نَفْسِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، هَلْ يَنَامُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ؟ فَأَرْسَلَ اللَّهُ إِلَيْهِ مَلَكًا، فَأَرَّقَهُ ثَلَاثًا، ثُمَّ أَعْطَاهُ قَارُورَتَيْنِ، فِي كُلِّ يَدِ قَارُورَةٌ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَحْتَفِظَ بِهِمَا، قَالَ: فَجَعَلَ يَنَامُ، وَكَادَتْ يَدَاهُ تَلْتَقِيَانِ فَيَسْتَيْقِظُ، فَيَحْبِسُ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى، حَتَّى نَامَ نَوْمَةً، فَاصْطَفَقَتْ يَدَاهُ، فَانْكَسَرَتِ الْقَارُورَتَانِ» قَالَ: ضَرَبَ اللَّهُ لَهُ مَثَلًا، أَنْ لَوْ كَانَ يَنَامُ، لَمْ تَسْتَمْسِكِ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ. وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ رَفْعُهُ، وَالْأَشْبَهُ أَنْ يَكُونَ مَوْقُوفًا، وَأَنْ يَكُونَ أَصْلُهُ إِسْرَائِيلِيًّا.
وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى:
পৃষ্ঠা - ৬৭৮
ন্দ্বুৰু£ব্লু
স্মরণ কর যখন তোমাদের অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং তৃরকে তোমাদের উর্ধে উত্তোলন
করেছিলাম; বলেছিলড়াম, আমি যা দিলাম দৃঢ়তার সাথে তা গ্রহণ কর এবং তাতে যা রয়েছে তা
স্মরণ রাখ ৷ যাতে তোমরা সাবধান হয়ে চলতে পার ৷ এটার পরেও তোমরা মুখ ফিরালে!
আল্লাহ্র অনুঘহ এবং অনুকম্প৷ তোমাদের প্ৰতি না থাকলে তে তামরা অবশ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে ৷
(সুরা বাকারা : ৬৩ ৬৪)
আল্লাহ্ তা ৷আলা ইরশ ৷ড়াদ করেন০ :
ণ্হ্রএে গ্লু€স্ট;া৷দ্বু
; <; ( ,
অর্থাৎ “স্মরণ কর, আমি পর্বতকে তাদের উর্ধে উত্তোলন করি ৷ আর তা ছিল যেন এক
র্চাদোয়৷ ৷ তারা ধারণা করল যে, এটা তাদের উপর পড়ে যাবে ৷ বললড়াম, আমি যা দিলাম তা
দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং ওতে যা আছে তা স্মরণ করো, যাতে তোমরা তাকওয়ার অধিকারী
হও ৷ ” (সুরা আরাফ : ১৭১ )
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) ও প্রাচীন যুগের উলামায়ে কিরামের অনেকেই বলেন, মুসা
(আ) যখন তাওরাত সম্বলিত ফলক নিয়ে নিজ সম্প্রদায়ের কাছে আগমন করলেন তখন নিজ
সম্প্রদায়কে তা গ্রহণ করতে ও শক্তভাবে তা ধরতে নির্দেশ দিলেন ৷ তারা তখন বলল,
তাওরাতকে আমাদের কাছে খুলে ধরুন, যদি এর আদেশ নিষেধাবলী সহজ হয় তাহলে আমরা
তা গ্রহণ করব ৷ মুসা (আ) বললেন, তাওরাতের মধ্যে যা কিছু রয়েছে তা তোমরা কবুল কর ,
তারা তা কয়েকবার প্রত্যাখ্যান করে ৷ অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা ফেরেশতাদেরকে হুকুম করেন
তারা যেন তুর পাহাড় বনী ইসরাঈলের মাথার উপর উত্তোলন করেন ৷ অমনি পাহাড় তাদের
মাথার উপর যেঘখণ্ডের ন্যায় ঝুলতে লাগল, তাদের তখন বলা হল, তোমরা যদি তাওরাতকে
তার সব কিছুসহ কবুল না কর এই পাহাড় তোমাদের মাথার উপর পড়বে ৷ তখন তারা তা
কবুল করল ৷ তাদেরকে সিজদা ৷করার হুকুম দেয়া হলো, তখন তারা সিজদা ৷করল ৷ তবে তারা
পাহাড়ের দিকে আড় নজরে৩ তাকিয়ে রয়েছিল ৷ ইহুদীদের মধ্যে আজ পর্যন্ত এরুপ বলাবলি
করে থাকে যে, যে সিজদার কারণে আমাদের উপর থেকে আমার বিদুরিত হয়েছিল তার থেকে
উত্তম সিজদা হতে পারে না ৷
আবু বকর ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত আছে ৷ তিনি বলেন, মুসা (আ) যখন
তাওরাতকে খুলে ধরলেন তখন পৃথিবীতে যত পাহাড়, গাছপালা ও পাথর রয়েছে সবই কস্পিত
হয়ে উঠল, আর দুনিয়ার বালক বৃদ্ধ নির্বিশেষে যত ইহুদীর কাছে তাওরাত পাঠ করা হল তারা
প্রকস্পিত হয়ে উঠল ও মাথা অবনত করল ৷
আল্লাহ তা জানা ইরশা ৷দ করেনশু র্দ্রা১ ঠােষ্ ণ্াপ্রুন্ ণ্১
অর্থাৎ তোমরা এই মহাপ্রতিশ্রুতি ও বিরাট ব্যাপার দেখার পর তোমাদের অঙ্গীকার ও
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছ ৷
{وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَاقَكُمْ وَرَفَعْنَا فَوْقَكُمُ الطُّورَ خُذُوا مَا آتَيْنَاكُمْ بِقُوَّةٍ وَاذْكُرُوا مَا فِيهِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ - ثُمَّ تَوَلَّيْتُمْ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ فَلَوْلَا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ لَكُنْتُمْ مِنَ الْخَاسِرِينَ} [البقرة: 63 - 64]
[الْبَقَرَةِ: 63، 64] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ نَتَقْنَا الْجَبَلَ فَوْقَهُمْ كَأَنَّهُ ظُلَّةٌ وَظَنُّوا أَنَّهُ وَاقِعٌ بِهِمْ خُذُوا مَا آتَيْنَاكُمْ بِقُوَّةٍ وَاذْكُرُوا مَا فِيهِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ} [الأعراف: 171] . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ السَّلَفِ: لَمَّا جَاءَهُمْ مُوسَى بِالْأَلْوَاحِ فِيهَا التَّوْرَاةُ، أَمَرَهُمْ بِقَبُولِهَا، وَالْأَخْذِ بِهَا بِقُوَّةٍ وَعَزْمٍ، فَقَالُوا: انْشُرْهَا عَلَيْنَا، فَإِنْ كَانَتْ أَوَامِرُهَا وَنَوَاهِيهَا سَهْلَةً، قَبِلْنَاهَا. فَقَالَ: بَلِ اقْبَلُوهَا بِمَا فِيهَا. فَرَاجَعُوهُ مِرَارًا فَأَمْرَ اللَّهُ الْمَلَائِكَةَ فَرَفَعُوا الْجَبَلَ عَلَى رُءُوسِهِمْ، حَتَّى صَارَ كَأَنَّهُ ظُلَّةٌ، أَيْ غَمَامَةٌ عَلَى رُءُوسِهِمْ، وَقِيلَ لَهُمْ: إِنْ لَمْ تَقْبَلُوهَا بِمَا فِيهَا، وَإِلَّا سَقَطَ هَذَا الْجَبَلُ عَلَيْكُمْ. فَقَبِلُوا ذَلِكَ، وَأُمِرُوا بِالسُّجُودِ فَسَجَدُوا، فَجَعَلُوا يَنْظُرُونَ إِلَى الْجَبَلِ بِشِقِّ وُجُوهِهِمْ، فَصَارَتْ سُنَّةً لِلْيَهُودِ إِلَى الْيَوْمِ، يَقُولُونَ لَا سَجْدَةَ أَعْظَمُ مِنْ سَجْدَةٍ رَفَعَتْ عَنَّا الْعَذَابَ. وَقَالَ سُنَيْدُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: فَلَمَّا نَشَرَهَا لَمْ يَبْقَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ جَبَلٌ وَلَا شَجَرٌ وَلَا حَجَرٌ، إِلَّا اهْتَزَّ، فَلَيْسَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ يَهُودِيٌّ صَغِيرٌ وَلَا كَبِيرٌ تَقْرَأُ عَلَيْهِ التَّوْرَاةَ إِلَّا اهْتَزَّ، وَنَفَضَ لَهَا رَأْسَهُ.
পৃষ্ঠা - ৬৭৯
আল্লাহ তাআল৷ পুনরায় বলেন ং
৷ ট্রুাদ্বু;র্চু; র্বুাটুর্দুৰু
অর্থাৎ-ঢ তামাদের প্রতি ৩রাসুল ও কিতাব প্রেরণের মাধ্যমে যদি আল্লাহর অনুগ্রহ এবং
অনুকম্প৷ না থাকত তাহলে তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হতে ৷
বনী ইসরাঈলের গাভীর ঘটনা
আল্লাহ তাআল৷ ইরশাদ করেন :
,
৷ ৷দ্বুশুাব্ল
ধ
,১
ঞ্জো
৷ ৷ ,৷ ৮;
)
লোঃ
(;; “’ প্রুাষ্টু;^শ্রো ণ্;;াপু ;৷ ন্হ্রব্লুদ্বুট্রুঠাং ,এ ৷ এ্যা ৷ স্-ন্ এা১ও
অর্থ্যৎ স্মরণ কর, যখন মুসা (আ) আপন সম্প্রদায়কে বলেছিল ৷ আল্লাহ তােমাদেরকে
একটি গরু যবেহ্র আদেশ দিয়েছেন ৷ তারা বলেছিল, তুমি কি আমাদের সঙ্গে ঠাট্টা করছ? মুসা
বলল, আল্লাহর শরণ নিচ্ছি যাতে আমি অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত না হই ৷ তারা বলল, আমাদের জন্য
ণ্তামার প্রতিপালককে স্পষ্টভাবে জা ৷নিয়ে দিতে বল, ওটা কী রুপ? মুসা বলল, আল্লাহ বলেছেন,
এট৷ এমন গরু যা বৃদ্ধও নয়, অল্পবয়স্কও নয় মধ্যবয়সী ৷ সুতরাং৩ তে ৷মরা যা আদিষ্ট হয়েছ
তা কর ৷ তারা বলল, আমাদের জন্য তোমার প্রতিপ৷ ৷লককে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে বল , এটার
রং কিং মুসা বলল, আল্লাহ বলছেন, এট৷ হলুদ বর্ণের গরু, এটার রং উজ্জ্বল গাঢ়, যা
দর্শকদেরকে আনন্দ দেয় ৷’ তারা বলল, আমাদের জন্য তোমার প্রতিপালককে স্পষ্টভাবে
জানিয়ে দিতে বল , তা কােনৃটিং আমরা গরুটি সম্পর্কে সন্দেহে পতিত হয়েছি এবং আল্লাহ্ ইচ্ছে
করলে নিশ্চয়ই আমরা দিশা পাব ৷ মুসা বলল, তিনি বলছেন, ওটা এমন এক গরু যা জমি৷ চা যে
ও ক্ষেতে পানি সেচের জন্য ব্যবহৃত হয়নি, সুস্থ ও নিখুত ৷৩ তারা বলল, এখন তুমি সত্য
এনেছে৷ যদিও তারা যবেহ্ করতে প্রস্তুত ছিল না, তবুও তারা এটাকে যবেহ্ করল ৷ স্মরণ কর,
যখন তোমরা এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে এবং একে অন্যের প্রতি, দােষারোপ করছিলে ৷
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {ثُمَّ تَوَلَّيْتُمْ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ} [البقرة: 64] أَيْ; ثُمَّ بَعْدَ مُشَاهَدَةِ هَذَا الْمِيثَاقِ الْعَظِيمِ، وَالْأَمْرِ الْجَسِيمِ، نَكَثْتُمْ عُهُودَكُمْ وَمَوَاثِيقَكُمْ، {فَلَوْلَا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ} [البقرة: 64] بِأَنْ تَدَارَكَكُمْ بِالْإِرْسَالِ إِلَيْكُمْ، وَإِنْزَالِ الْكِتَابِ عَلَيْكُمْ {لَكُنْتُمْ مِنَ الْخَاسِرِينَ} [البقرة: 64] .