قصة موسى الكليم عليه الصلاة والسلام
قصة عبادتهم العجل في غيبة كليم الله موسى عليه السلام
পৃষ্ঠা - ৬৬১
;, ৷
১৷ ৷
“মুসার সম্প্রদায় তার অনুপস্থিতিতে নিজেদের অলংকার দ্বারা গড়ল একটি বাছুর একটি
অবয়ব, যা হলো রব করত ৷ তারা কি দেখল ন যে, এটা তাদের সাথে কথা বলে নাও
তাদেরকে পথও দেখায় না ? তারা এটাকে উপাস্যরুপে গ্রহণ করলে এবং তারা ছিল জালিম ৷
তারা যখন অনুতপ্ত হল ও দেখল যে, তারা বিপথগামী হয়ে গিয়েছে, তখন তারা বলল,
আমাদের প্রতিপালক যদি আমাদের প্রতি দয়া না করেন ও আমাদেরকে ক্ষমা না করেন তবে
আমরা তাে ক্ষতিগ্রস্ত হবই ৷ মুসা যখন ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ হয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে প্রত্যাবর্তন
করল, তখন বলল, আমার অনুপন্থিতিতে তোমরা আমার কত নিকৃষ্ট প্রতিনিধিত্ব করেছ ৷
তোমাদের প্রতিপালকের আদেশের পুর্বে তোমরা ত্বরান্বিত করলে? এবং সে ফলকগুলো ফেলে
দিল আর তার ভাইকে চুলে ধরে নিজের দিকে টেনে আনল ৷ হারুন বললেন, হে আমার
সহোদর ! লোকেরা তো আমাকে দুর্বল ঠাউরিয়েছিল এবং আমাকে প্রায় হত্যা করেই ফেলেছিল ৷
তুমি আমার সাথে এমন করো না যাতে শক্ররা আনন্দিত হয় এবং আমাকে জালিমদের অন্তর্ভুক্ত
করো না ৷ মুসা বলল, হে আমার প্রতিপালক ৷ আমাকে ও আমার ভাইকে ক্ষমা করো এবং
আমাদেরকে তোমার রহমতের মধ্যে দাখিল কর ৷ তুমিই শ্রেষ্ঠ দয়ালু ৷ যারা বাছুরকে
উপাস্যরুপে গ্রহণ করেছে, পার্থিব জীবনে তাদের উপর তাদের প্ৰতিপালকের (ক্রাধ ও লাঞ্চুনা
আপতিত হবেই ৷ আর এভাবে আমি মিথ্যা রচনাকারীদেরকে প্ৰতিফল দিয়ে থাকি ৷ যারা
অসৎকার্য করে তারা পরে তওবা করলে ও ঈমান আনলে তোমার প্রতিপালক তো পরম
ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ৷ মুসার ক্রোধ যখন প্রশমিত হলো তখন সে ফলকগুলো তুলে নিল ৷
যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে তাদের জন্য এতে যা লিখিত ছিল তাতে ছিল পথনির্দেশ ও
রহমত ৷ (সুরা আরাফ : ১ ৪৮ ১ ৫৪ )
অন্যত্র আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন০ :
া
দ্বুহ্র,,ঞা ৷ ,
(
র্বোটুহু)-ধুর্বৃ
,৷ , , ৷
,
[قِصَّةُ عِبَادَتِهِمُ الْعِجْلَ فِي غَيْبَةِ كَلِيمِ اللَّهِ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ]
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَاتَّخَذَ قَوْمُ مُوسَى مِنْ بَعْدِهِ مِنْ حُلِيِّهِمْ عِجْلًا جَسَدًا لَهُ خُوَارٌ أَلَمْ يَرَوْا أَنَّهُ لَا يُكَلِّمُهُمْ وَلَا يَهْدِيهِمْ سَبِيلًا اتَّخَذُوهُ وَكَانُوا ظَالِمِينَ - وَلَمَّا سُقِطَ فِي أَيْدِيهِمْ وَرَأَوْا أَنَّهُمْ قَدْ ضَلُّوا قَالُوا لَئِنْ لَمْ يَرْحَمْنَا رَبُّنَا وَيَغْفِرْ لَنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ - وَلَمَّا رَجَعَ مُوسَى إِلَى قَوْمِهِ غَضْبَانَ أَسِفًا قَالَ بِئْسَمَا خَلَفْتُمُونِي مِنْ بَعْدِي أَعَجِلْتُمْ أَمْرَ رَبِّكُمْ وَأَلْقَى الْأَلْوَاحَ وَأَخَذَ بِرَأْسِ أَخِيهِ يَجُرُّهُ إِلَيْهِ قَالَ ابْنَ أُمَّ إِنَّ الْقَوْمَ اسْتَضْعَفُونِي وَكَادُوا يَقْتُلُونَنِي فَلَا تُشْمِتْ بِيَ الْأَعْدَاءَ وَلَا تَجْعَلْنِي مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ - قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِأَخِي وَأَدْخِلْنَا فِي رَحْمَتِكَ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ - إِنَّ الَّذِينَ اتَّخَذُوا الْعِجْلَ سَيَنَالُهُمْ غَضَبٌ مِنْ رَبِّهِمْ وَذِلَّةٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُفْتَرِينَ - وَالَّذِينَ عَمِلُوا السَّيِّئَاتِ ثُمَّ تَابُوا مِنْ بَعْدِهَا وَآمَنُوا إِنَّ رَبَّكَ مِنْ بَعْدِهَا لَغَفُورٌ رَحِيمٌ - وَلَمَّا سَكَتَ عَنْ مُوسَى الْغَضَبُ أَخَذَ الْأَلْوَاحَ وَفِي نُسْخَتِهَا هُدًى وَرَحْمَةٌ لِلَّذِينَ هُمْ لِرَبِّهِمْ يَرْهَبُونَ} [الأعراف: 148 - 154]
[الْأَعْرَافِ: 148 - 154] .
পৃষ্ঠা - ৬৬২
)
ঢ হু ন্
’
খ্ণ্১
ঢ
ৎণ্ণ্ষ্ণ
এ
,
দু >
টু পু
ণ্ডু
(,
শ্চেভু
ৰুা৷এব্;ব্র;;শুারুট্রৰু১র্চুএের্দুণ্ড্রওর্চুব্লুএপ্রুর্মুছু এেএ্া৷া,;া৷ষ্া৷,শুাএ
অর্থাৎ হে মুসা! তোমার সম্প্রদায়কে পশ্চাতে ফেলে তোমাকে তৃর৷ করতে বাধ্য করল
কিসাে সে বলল, এই তো তারা আমার পশ্চারুত এবং হে আমার প্রবিপালক ! আমি তৃবায়
৫তামার কাছে আসলাম, তুমি সন্তুষ্ট হবে এ জন্য ৷ তিনি বললেন, আমি তোমার সম্প্রদায়কে
পরীক্ষায় ফেলেছি তোমার চলে আসার পর এবং সামিরী তাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে ৷ তারপর
মুসা তার সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গেল ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ হয়ে ৷ সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়!
তোমাদের প্ৰর্টপ লক কি ৫তামাদেরকে এক উত্তম প্রতিশ্রুতি দেননিঃ তবে কি প্রতিশ্রুতিকাল
তোমাদের কাছে সুদীর্ঘ হয়েছে; না তোমরা চেয়েছ তোমাদের প্রতি আপতিত হোক তোমাদের
প্রতিপালকের ক্রোধ, যে কারণে তোমরা আমার প্রতি প্রদত্ত অংগীকার তংগ করলে? ওরা বলল,
আমরা তোমার প্রতি প্রদত্ত অংগীক৷ ৷র স্বেচ্ছায় ভঙ্গ করিনি, তবে আমাদের উপর চা ৷পিয়ে দেয়া
হয়েছিল লোকের অলংকারের বোঝা এবং আমরা তা অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করি অনুরুপভ্যবে
সামিরীও নিক্ষেপ করে ৷৩ তারপর সে ওদের জন্যে গড়ল একটা বাছুর, একটা অবয়ব, যা হাম্বা
বব করত ৷ ওরা বলল, “এটাও তামাদের ইলাহ এবং মুসারও ইলাহ, কিন্তু মুসা ভুলে গিয়েছে ৷
তবে কি ওরা ভেবে দেখে না যে, এটা তাদের কথায় সাড়া দেয় না এবং তাদের কোন ক্ষতি
অথবা উপকার করবার ক্ষমতাও রাখে না ৷ হারুন৩ তাদেরকে পুর্বেই বলেছিল, হে আমার
সম্প্রদায়! এটার৷ দ্বারা তো কেবল তামাদেরকে পরীক্ষায় ফেলা হয়েছে ৷ তোমাদের প্রতিপালক
দয়াময় ৷ সুতরাং তোমরা আমার অনুসরণ কর এবং আমার আদেশ মেনে চল ৷ ওরা বলেছিল,
আমাদের কাছে মুসা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা এটা ৷র পুজা হত ৩কিছুভ্রু তই বিরত হয় না ৷
মুসা বলল, হে হারুন! তুমি যখন দেখলে তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে তখন কিসে৫ তামাকে নিবৃত্ত
করল, আমার অনুসরণ করা থেকে ? তবে কি তুমি আমার আদেশ অমান্য করলে? হারুন বলল,
হে আমার সহােদর আমার দা ৷ড়ি ও চুল ধ্রো না ৷ আমি আশংকা করেছিলাম যে, তুমি বলবে,
তুমি বনী ইসরাঈলদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছ ও তুমি আমার বাক্য পালনে যত্নবান হওনি ৷
وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَمَا أَعْجَلَكَ عَنْ قَوْمِكَ يَا مُوسَى - قَالَ هُمْ أُولَاءِ عَلَى أَثَرِي وَعَجِلْتُ إِلَيْكَ رَبِّ لِتَرْضَى - قَالَ فَإِنَّا قَدْ فَتَنَّا قَوْمَكَ مِنْ بَعْدِكَ وَأَضَلَّهُمُ السَّامِرِيُّ - فَرَجَعَ مُوسَى إِلَى قَوْمِهِ غَضْبَانَ أَسِفًا قَالَ يَا قَوْمِ أَلَمْ يَعِدْكُمْ رَبُّكُمْ وَعْدًا حَسَنًا أَفَطَالَ عَلَيْكُمُ الْعَهْدُ أَمْ أَرَدْتُمْ أَنْ يَحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبٌ مِنْ رَبِّكُمْ فَأَخْلَفْتُمْ مَوْعِدِي - قَالُوا مَا أَخْلَفْنَا مَوْعِدَكَ بِمَلْكِنَا وَلَكِنَّا حُمِّلْنَا أَوْزَارًا مِنْ زِينَةِ الْقَوْمِ فَقَذَفْنَاهَا فَكَذَلِكَ أَلْقَى السَّامِرِيُّ - فَأَخْرَجَ لَهُمْ عِجْلًا جَسَدًا لَهُ خُوَارٌ فَقَالُوا هَذَا إِلَهُكُمْ وَإِلَهُ مُوسَى فَنَسِيَ - أَفَلَا يَرَوْنَ أَلَّا يَرْجِعُ إِلَيْهِمْ قَوْلًا وَلَا يَمْلِكُ لَهُمْ ضَرًّا وَلَا نَفْعًا - وَلَقَدْ قَالَ لَهُمْ هَارُونُ مِنْ قَبْلُ يَا قَوْمِ إِنَّمَا فُتِنْتُمْ بِهِ وَإِنَّ رَبَّكُمُ الرَّحْمَنُ فَاتَّبِعُونِي وَأَطِيعُوا أَمْرِي - قَالُوا لَنْ نَبْرَحَ عَلَيْهِ عَاكِفِينَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْنَا مُوسَى - قَالَ يَا هَارُونُ مَا مَنَعَكَ إِذْ رَأَيْتَهُمْ ضَلُّوا - أَلَّا تَتَّبِعَنِ أَفَعَصَيْتَ أَمْرِي - قَالَ يَا ابْنَ أُمَّ لَا تَأْخُذْ بِلِحْيَتِي وَلَا بِرَأْسِي إِنِّي خَشِيتُ أَنْ تَقُولَ فَرَّقْتَ بَيْنَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَمْ تَرْقُبْ قَوْلِي - قَالَ فَمَا خَطْبُكَ يَا سَامِرِيُّ - قَالَ بَصُرْتُ بِمَا لَمْ يَبْصُرُوا بِهِ فَقَبَضْتُ قَبْضَةً مِنْ أَثَرِ الرَّسُولِ فَنَبَذْتُهَا وَكَذَلِكَ سَوَّلَتْ لِي نَفْسِي - قَالَ فَاذْهَبْ فَإِنَّ لَكَ فِي الْحَيَاةِ أَنْ تَقُولَ لَا مِسَاسَ وَإِنَّ لَكَ مَوْعِدًا لَنْ تُخْلَفَهُ وَانْظُرْ إِلَى إِلَهِكَ الَّذِي ظَلْتَ عَلَيْهِ عَاكِفًا لَنُحَرِّقَنَّهُ ثُمَّ لَنَنْسِفَنَّهُ فِي الْيَمِّ نَسْفًا - إِنَّمَا إِلَهُكُمُ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ وَسِعَ كُلَ شَيْءٍ عِلْمًا} [طه: 83 - 98]
[طه: 83 - 98] . يَذْكُرُ تَعَالَى مَا كَانَ مِنْ أَمْرِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، حِينَ ذَهَبَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، إِلَى مِيقَاتِ رَبِّهِ، فَمَكَثَ عَلَى الطُّورِ يُنَاجِيهِ رَبُّهُ، وَيَسْأَلُهُ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَنْ أَشْيَاءَ كَثِيرَةٍ، وَهُوَ تَعَالَى يُجِيبُهُ عَنْهَا، فَعَمَدَ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: السَّامِرِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৬৬৩
মুসা বলল, হে সামিরী! তে ৷মার ব্যাপার কি? যে বলল, আমি দেখেছিলাম যা ওরা দেখেনি
তারপর আমি সেই দুতের (জিবরাঈলের) পদচিহ্ন থেকে এবং মুষ্ঠি (ধুলা) নিয়েছিলাম এবং
আমি এটা নিক্ষেপ করেছিলাম এবং আমার মন আমার জন্য শোভন করেছিল এইরুপ করা ৷”
মুসা বলল, দুর হও, তোমার জীবদ্দশায় তোমার জন্য এটাই রইল যে তুমি বলবে “আমি
অম্পৃশ্য” এবং তে ৷মার জন্য রইল একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ, তোমার বেলায় যার ব্যতিক্রম হবে না
এবং তৃমি৫ তামার সেই ইলাহের প্রতি লক্ষ্য কর যার পুজায়তু মি ব্ব৩ ছিলে; আমরা ওটাকে
জ্বালিয়ে দেবই ৷ অতঃপর ওটাকে বিক্ষিপ্ত করে সাগরে নিক্ষেপ কররই ৷ তোমাদের ইলাহ তো
কেবল আল্লাহই, যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই ৷৩ তার জ্ঞান সর্ববিষয়ে ব্যাপ্ত ৷ (সুরা তাহা
৪ ৮৩ ৯৮ )
উপরোক্ত আয়াতসমুহে আল্লাহ তাআলা বনী ইসরাঈলের ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷ মুসা
(আ) যখন আল্লাহ তাআলা নির্ধারিত সময়ে উপনীত ৩হলেন, তখন তিনি তুর পর্বতে অবস্থান
করে আপন প্রতিপালকের সাথে একান্ত কথা বললেন ৷ মুসা (আ ৷ আল্লাহ্ তা আলার নিকট
বিভিন্ন বিষয়ে জ নতে চান এবং আল্লাহ্ তা আল৷ সে সব বিষয়ে৩ তাকে জ ৷নিয়ে দেন ৷ তাদের
মধ্যকার এক ব্যক্তি যাকে হারুন আস সামিরী বলা হয় সে যেসব অলংকার ধারস্বরু প নিয়েছিল
সেগুলো দিয়ে সে একটি বাছুর-মুর্তি তৈরি করল এবং বনী ইসরাঈলের সামনে ফিরআউনকে
আল্লাহ তাআলা ডুবিয়ে যাবার সময় জিবরাঈল (আ)-এর ঘোড়ার পায়ের এক মুষ্ঠি ধুলা
মুর্তিটির ভিতরে নিক্ষেপ করল ৷ সাথে সাথে বাছুর মুর্তিটি জীবন্ত বাছুরের মত হলো হলো
আওয়াজ দিতে লাগল ৷ কেউ কেউ বলেন, এতে তা রক্ত-মাংসের জীবন্ত একটি বাছুরে
রুপান্তরিত হয়ে যায় আর তা হলো হলো রব করতে থাকে ৷ কাতাদ৷ (র) প্রমুখ মুফাসসিরীন এ
মত ব্যক্ত করেছেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, যখন এটার পেছন দিক থেকে বাতাস ঢুকত
এবং মুখ দিয়ে বের হত তখনই হলো হলো আওয়াজ হত যেমন সাধারণত গরু ডেকে থাকে ৷
এতে তারা এর চতুর্দিকে নাচতে থাকে এবং উল্লাস প্রকাশ করতে থাকে ৷ তারা বলতে লাগল,
এটাই তোমাদের ও মুসা (আ) এর ইলাহ, কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন ৷ অর্থাৎ মুসা (আ) আমাদের
নিবল্টস্থ প্রতিপালককে ভুলে গেছেন এবং অন্যত্র গিয়ে তাকে ঘোজাখুজি করছেন অথচ
প্রতিপালক তো এখানেই রয়েছেন ৷ (নির্বো ধরা যা বলছে আল্লাহ তাআলা তার বহু বহু উর্ধে,
তার নাম ও গুণগুলো এসব অপবাদ থেকে পুত পবিত্র এবং আল্লাহ্ ৷ আলা প্রদত্ত নিয়ামত
সমুহও অগণিত) তারা যেটাকে ইলাহরুপে গ্রহণ করেছিল তা বড় জো র একটা ৷জস্তু বা শ্৷ ৷য়তান
ছিল ৷৩ তাদের এই ভ্রান্ত ধারণার অসারতা বর্ণনা প্রসঙ্গে আল্লাহ তা জানা বলেন, তারা কি
দেখে না যে, এই বাছুরটি তাদের কথার কোন উত্তর দিতে পারে না এবং এটা তাদের কোন
উপকার বা অপকার করতে পারে না ৷ অন্যত্র বলেন, তারা কি দেখে না যে, এটা তাদের সাথে
কথা বলতে পারে না এবং তাদেরকে পথনির্দেশ করতে পারে না ৷ আর এরা ছিল জালিম ৷ (৭
আরাফ : ১৪৮)
এখানে আল্লাহ তাআলা উল্লেখ করেন যে, এ জন্তুটি তা ৷দের সাথে কথা বলতে পারে না,
তাদের কোন কথার জবাব দিতে পারে না, কোন ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে না কিৎবা কোন
উপকার করারও শক্তি রাখে না,৩ তাদেরকে পখনির্দেশও করতে পারে না, তারা তাদের আত্মার
فَأَخَذَ مَا كَانَ اسْتَعَارُوهُ مِنَ الْحُلِيِّ فَصَاغَ مِنْهُ عِجْلًا، وَأَلْقَى فِيهِ قَبْضَةً مِنَ التُّرَابِ، كَانَ أَخَذَهَا مِنْ أَثَرِ فَرَسِ جِبْرِيلَ، حِينَ رَآهُ يَوْمَ أَغْرَقَ اللَّهُ فِرْعَوْنَ عَلَى يَدَيْهِ، فَلَمَّا أَلْقَاهَا فِيهِ خَارَ كَمَا يَخُورُ الْعِجْلُ الْحَقِيقِيُّ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ اسْتَحَالَ عِجْلًا جَسَدًا. أَيْ لَحْمًا وَدَمًا، حَيًّا يَخُورُ. قَالَهُ قَتَادَةُ وَغَيْرُهُ. وَقِيلَ: بَلْ كَانَتِ الرِّيحُ إِذَا دَخَلَتْ مِنْ دُبُرِهِ، خَرَجَتْ مِنْ فَمِهِ، فَيَخُورُ كَمَا تَخُورُ الْبَقَرَةُ، فَيَرْقُصُونَ حَوْلَهُ وَيَفْرَحُونَ. {فَقَالُوا هَذَا إِلَهُكُمْ وَإِلَهُ مُوسَى فَنَسِيَ} [طه: 88] أَيْ; فَنَسِيَ مُوسَى رَبَّهُ عِنْدَنَا، وَذَهَبَ يَتَطَلَّبُهُ، وَهُوَ هَاهُنَا. تَعَالَى اللَّهُ عَمَّا يَقُولُونَ عُلُوًّا كَبِيرًا، وَتَقَدَّسَتْ أَسْمَاؤُهُ وَصِفَاتُهُ، وَتَضَاعَفَتْ آلَاؤُهُ وَعِدَاتُهُ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى، مُبَيِّنًا لَهُمْ بُطْلَانَ مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ، وَمَا عَوَّلُوا عَلَيْهِ، مِنْ إِلَهِيَّةِ هَذَا الَّذِي قُصَارَاهُ أَنْ يَكُونَ حَيَوَانًا بَهِيمًا وَشَيْطَانًا رَجِيمًا: {أَفَلَا يَرَوْنَ أَلَّا يَرْجِعُ إِلَيْهِمْ قَوْلًا وَلَا يَمْلِكُ لَهُمْ ضَرًّا وَلَا نَفْعًا} [طه: 89] وَقَالَ: {أَلَمْ يَرَوْا أَنَّهُ لَا يُكَلِّمُهُمْ وَلَا يَهْدِيهِمْ سَبِيلًا اتَّخَذُوهُ وَكَانُوا ظَالِمِينَ} [الأعراف: 148] فَذَكَرَ أَنَّ هَذَا الْحَيَوَانَ لَا يَتَكَلَّمُ، وَلَا يَرُدُّ جَوَابًا وَلَا يَمْلِكُ ضَرًّا وَلَا نَفْعًا، وَلَا يَهْدِي إِلَى رُشْدٍ، اتَّخَذُوهُ وَهُمْ ظَالِمُونَ لِأَنْفُسِهِمْ عَالِمُونَ فِي أَنْفُسِهِمْ بُطْلَانَ مَا هُمْ عَلَيْهِ مِنَ الْجَهْلِ وَالضَّلَالِ، {وَلَمَّا سُقِطَ فِي أَيْدِيهِمْ} [الأعراف: 149] أَيْ; نَدِمُوا عَلَى مَا صَنَعُوا، {وَرَأَوْا أَنَّهُمْ قَدْ ضَلُّوا قَالُوا لَئِنْ لَمْ يَرْحَمْنَا رَبُّنَا وَيَغْفِرْ لَنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ} [الأعراف: 149] .
পৃষ্ঠা - ৬৬৪
প্রতি জুলুম করেছে ৷ তারা তাদের এই মুর্থতা ও বিভ্রান্তির অসারতা সম্বন্ধে সম্যক অবগত ৷
“অতঃপর তারা যখন তাদের কৃতকর্মের জন্যেঅনুতপ্ত হল এবং অনুভব করতে পারল যে , তারা
ভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে তখন তারা বলতে লাগল, যদি আমাদের প্রতিপালক আমাদের প্রতি দয়া
না করেন এবং আমাদের ক্ষমা না করেন, তাহলে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ব ৷ ”
(৭ আরাফ : ১৪৯)
অতঃপর মুসা (আ) তাদের কাছে ফিরে আসলেন এবং তাদের বাছুর পুজা করার বিষয়টি
জানতে পারলেন ৷ তার সাথে ছিল বেশ কয়েকটি ফলক যেগুলোর মধ্যে তাওরাত লিপিবদ্ধ
ছিল, তিনি এগুলো ফেলে দিলেন ৷ কেউ কেউ বলেন, এগুলোকে তিনি ভেঙ্গে ফেলেন ৷
তাবীরা এরুপ বলে থাকে ৷ এরপর আল্লাহ তাআলা এগুলোর পয়িরৰর্ত অন্য ফলক দান
করেন ৷ কুরআনুল করীমের ভাষ্যে এর স্পষ্ট উল্লেখ নেই তবে এত দুর আছে যে, মুসা (আ)
তাদের কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করে, ফলকগুলাে ফেলে দিয়েছিলেন ৷ কিতাবীদের মতে, সেখানে
ছিল মাত্র দুইটি ফলক ৷ কুরআনের আয়াত দ্বারা বোঝা যায় যে, ফলক বেশ কয়েকটিই ছিল ৷
আল্লাহ্ তাআলা যখন তাকে তার সম্প্রদায়ের বাছুর পুজার কথা অবগত করেছিলেন , তখন মুসা
(আ) তেমন প্রভাবান্বিত হননি ৷ তখন আল্লাহ্ তাকে তা নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করতে নির্দেশ
দেন ৷ এ জন্যেই ইমাম আহমদ (র) ও ইবন হিব্বান (র) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রয়েছে যে ,
রসুলুল্লাহ (না) ইরশাদ করেন অর্থাৎ সংবাদ প্রাপ্তি এবং প্রত্যক্ষ
দর্শন সমান নয় ৷ অতঃপর মুসা (আ) তাদের দিকে অগ্রসর হলেন এবং তাদেরকে ভর্বৃসনা
করলেন এবং তাদের এ হীন কাজের জন্যে তাদেরকে দােষারোপ করলেন ৷ তখন তার কাছে
তারা মিথ্যা ওযর আপত্তি পেশ করে বলল :
ণ্হ্র৷ ৷ প্লুট্রু ;,প্লু ৷ , ৷ ১টু ৷ fl ,ঘ্রদ্বু এে৬ র্য;র্দ্রব্লুস্পে ৷ র্তুৰু প্রুপুএে
ৰুহু;া€ (,;প্রর্দু ঞ১হ্রদ্বু ৷$এের্দু£ন্দ্বু
অর্থাৎ- তারা বলল, আমরা তোমার প্রতি প্রর্দত্ত অঙ্গীকার স্বেচ্ছায় ভঙ্গ করিনি তবে
আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল লোকের অলংকারের বোঝা এবং আমরা তা অগ্নিকুণ্ডে
নিক্ষেপ করি ৷ অনুরুপতাবে সামিরীও নিক্ষেপ করে ৷ (সুরা তা-হা : ৮৭)
তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ফিরআউন সম্প্রদায়ের অলংকারের অধিকারী হওয়াকে তারা
পাপকার্য বলে মনে করতে লাগল অথচ আল্লাহ্ তাআলা এগুলোকে তাদের জন্য বৈধ করে
দিয়েছিলেন ৷ অথচ তারা মহা পরাক্রমশালী অদ্বিতীয় মহাপ্রতুর সাথে হলো হড়াম্ব৷ বরের অধিকারী
বাছুরের পুজাকে তাদের মুর্থতা ও নির্বৃদ্ধিতার কারণে পাপকার্য বলে বিবেচনা করছিল না ৷
অতঃপর মুসা (আ) আপন সহােদর হারুন (আ)-এর প্রতি মনােযোপী হলেন এবং তাকে
বললেন : মোঃ শু,ঠুকুপু১র্তৃ হে হড়ারুন! তুমি যখন দেখলে তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, তখন কিসে
তোমাকে নিবৃত্ত করল আমার অনুসরণ করা থেকে? (সুরা তা-হা : ৯২)
অর্থাৎ যখন তৃ তাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারটি দেখলে তখন ঢুমি কেন আমাকে সে সম্বন্ধে
fl
অবহিত করলে না? তখন তিনি বললেন, ট্রুস্চুশু ৰু)র্দুশু
وَلَمَّا رَجَعَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، إِلَيْهِمْ، وَرَأَى مَا هُمْ عَلَيْهِ مِنْ عِبَادَةِ الْعِجْلِ، وَمَعَهُ الْأَلْوَاحُ الْمُتَضَمِّنَةُ التَّوْرَاةَ، أَلْقَاهَا، فَيُقَالُ: إِنَّهُ كَسَرَهَا. وَهَكَذَا هُوَ عِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ، وَإِنَّ اللَّهَ أَبْدَلَهُ غَيْرَهَا. وَلَيْسَ فِي اللَّفْظِ الْقُرْآنِيِّ مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ، إِلَّا أَنَّهُ أَلْقَاهَا حِينَ عَايَنَ مَا عَايَنَ. وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ، أَنَّهُمَا كَانَا لَوْحَيْنِ. وَظَاهِرُ الْقُرْآنِ أَنَّهَا أَلْوَاحٌ مُتَعَدِّدَةٌ، وَلَمْ يَتَأَثَّرْ بِمُجَرَّدِ الْخَبَرِ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى، عَنْ عِبَادَةِ الْعِجْلِ، فَأَمَرَهُ بِمُعَايَنَةِ ذَلِكَ. وَلِهَذَا جَاءَ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَابْنُ حِبَّانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ الْخَبَرُ كَالْمُعَايَنَةِ» . ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِمْ فَعَنَّفَهُمْ، وَوَبَّخَهُمْ، وَهَجَّنَهُمْ فِي صَنِيعِهِمْ، هَذَا الْقَبِيحِ، فَاعْتَذَرُوا إِلَيْهِ بِمَا لَيْسَ بِصَحِيح; قَالُوا: {إِنَّا حُمِّلْنَا أَوْزَارًا مِنْ زِينَةِ الْقَوْمِ فَقَذَفْنَاهَا فَكَذَلِكَ أَلْقَى السَّامِرِيُّ} [طه: 87] تَحَرَّجُوا مِنْ تَمَلُّكِ حُلِيِّ آلِ فِرْعَوْنَ، وَهُمْ أَهْلُ حَرْبٍ، وَقَدْ أَمَرَهُمُ اللَّهُ بِأَخْذِهِ، وَأَبَاحَهُ لَهُمْ وَلَمْ يَتَحَرَّجُوا بِجَهْلِهِمْ، وَقِلَّةِ عِلْمِهِمْ وَعَقْلِهِمْ مِنْ عِبَادَةِ الْعِجْلِ الْجَسَدِ، الَّذِي لَهُ خُوَارٌ، مَعَ الْوَاحِدِ الْأَحَدِ، الْفَرْدِ الصَّمَدِ الْقَهَّارِ. ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أَخِيهِ هَارُونَ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، قَائِلًا لَهُ: {قَالَ يَا هَارُونُ مَا مَنَعَكَ إِذْ رَأَيْتَهُمْ ضَلُّوا - أَلَّا تَتَّبِعَنِ} [طه: 92 - 93] أَيْ; هَلَّا لَمَّا رَأَيْتَ مَا صَنَعُوا اتَّبَعْتَنِي فَأَعْلَمْتَنِي بِمَا فَعَلُوا، فَقَالَ: {إِنِّي خَشِيتُ أَنْ تَقُولَ فَرَّقْتَ بَيْنَ بَنِي إِسْرَائِيلَ} [طه: 94] أَيْ; تَرَكْتَهُمْ وَجِئْتَنِي، وَأَنْتَ قَدِ اسْتَخْلَفْتَنِي فِيهِمْ، {قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِأَخِي وَأَدْخِلْنَا فِي رَحْمَتِكَ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ} [الأعراف: 151] وَقَدْ كَانَ هَارُونُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ،
পৃষ্ঠা - ৬৬৫
ও () :§£ আমি আশংকা করেছিলাম যে, তুমি বলবে যে, তুমি বনী ইসরাঈলদের মধ্যে
বিভেদ সৃষ্টি করেছ ৷ (সুরা তা-হা : ৯৪)
অর্থাৎ তুমি হয়ত বলতে, তুমি তাদেরকে ছেড়ে আমার কাছে চলে আসলে অথচ আমি
তোমাকে তাদের মধ্যে আমার প্রতিনিধি নিযুক্ত করে এসেছিলাম ৷
আল্লাহ্ তাআলা বলেন $
ধ্ঈাধ্) এত্রৈ
“মুসা বলল, হে আমার প্রতিপালক ! আমাকে ও আমার ভাইকে ক্ষমা কর এবং আমাদেরকে
তোমার রহমতের মধ্যে দাখিল কর ৷ তৃমিই শ্রেষ্ঠ দয়ালু ৷ (সুরা আরাফ : ১৫১)
হারুন (আ) তাদেরকে এরুপ জঘন্য কাজ থেকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছিলেন এবং
তাদেরকে কঠোরভাবে ভর্ধসনা করেছিলেন ৷ যেমন আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন :
ও অর্থাৎ হারুন তাদেরকে
পুর্বেই বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! এর দ্বারা তো কেবল তোমাদেরকে পরীক্ষায় ফেলা
হয়েছে ৷ অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা এ বাছুর ও এর হলো রবকে তোমাদের জন্যে একটি পরীক্ষার
বিষয় করেছেন ৷
নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক খুবই দয়াময় অক্ট্রৎ এ বাছুর তোমাদের প্রভু নয় ৷ (সুরা
তা-হা : ৯০ আয়াত) ট্রু;,ন্^৷ ৷ ,ৰুার্মু৷ § গ্লুব্লু ,ক্ট্রভু;এে সুতরাং আমি যা বলি তার অনুসরণ
কর এবং আমার আদেশ মান্য কর ৷ তারা বলেছিল, আমাদের কাছে মুসা ফিরে না আসা পর্যন্ত
আমরা এটার পুজা থেকে কিছুতেই বিরত হয় না ৷” (সুরা তা-হা £ব্র ৯১) ৷ আল্লাহ তাআলা
হারুন (আ) সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছেন আর আল্লাহ্ তাআলার সাক্ষ্যই যথেষ্ট ৷ যে হারুন (আ)
তাদেরকে এরুপ জঘন্য কাজ থেকে নিষেধ করেছিলেন, তাদেরকে ভৎসনা করেছিলেন কিভু
তারা তার কথা মানা করেনি ৷ অতঃপর মুসা (আ) সড়ামিরীর প্রতি মনােযােগী হলেন এবং
বললেন, “তুমি যা করেছ কে তোমাকে এরুপ করতে বলেছিল ?” উত্তরে সে বলল, “আমি
জিবরাঈল (আ)-কে দেখেছিলাম, তিনি ছিলেন একটি ঘোড়ার উপর সওয়ার তখন আমি
জিবরাঈল (আ)-এর ঘোড়ার পায়ের ধুলা সংগ্রহ করেছিলাম ৷” আবার কেউ কেউ বলেন :
সামিরী জিবরাঈল (আ)-কে দেখেছিল ৷ জিবরাঈল (আ)-এর ঘোড়ার খুর যেখানেই পড়ত
অমনি সে স্থানটি ঘাসে সবুজ হয়ে যেত ৷ তাই সে ঘোড়ার খুরের নিচের মাটি সংগ্রহ করল ৷
এরপর যখন সে এই স্বর্ণ-নির্মিত বড়াছুরের মুখে ঐ মাটি রেখে দিল, তখনই সে আওয়াজ করতে
লাগল এবং পরবর্তী ঘটনা সংঘটিত হল ৷ এজনােই সামিরী বলেছিল-ষ্আমার মন আমার
জন্যে এরুপ করা শোভন করেছিল ৷ ’ তখন মুসা (আ) তাকে অভিশাপ দিলেন এবং বললেন,
তুমি সব সময়ে বলবে র্চু £পুব্লু ৰু৷ অর্থাৎ আমাকে কেউ স্পর্শ করবে না কেননা, যে এমন
জিনিস স্পর্শ করেছিল যা তার স্পর্শ করা উচিত ছিল না ৷ এটা তার দুনিয়ার শাস্তি ৷ অতঃপর
আখিরাতের শাস্তির কথাও তিনি ঘোষণা করেন ৷ অত্র আয়াতে উল্লেখিত এ্যা;; ;, কে কেউ
কেউ ধ্এে১ ;,পু পাঠ করেছেন অর্থাৎ এর ব্যতিক্রম হবে না’ স্থলে আমি ব্যতিক্রম করব
না ৷ ’ অতঃপর মুসা (আ) বাছুরটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেললেন ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম ঘ্নে)াছচীত্যাত্তগাে০ওেয়াে
نَهَاهُمْ عَنْ هَذَا الصَّنِيعِ الْفَظِيعِ أَشَدَّ النَّهْيِ، وَزَجَرَهُمْ عَنْهُ أَتَمَّ الزَّجْرِ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَقَدْ قَالَ لَهُمْ هَارُونُ مِنْ قَبْلُ يَاقَوْمِ إِنَّمَا فُتِنْتُمْ} [طه: 90] أَيْ; إِنَّمَا قَدَّرَ اللَّهُ أَمَرَ هَذَا الْعِجْلِ، وَجَعَلَهُ يَخُورُ فِتْنَةً وَاخْتِبَارًا لَكُمْ. {وَإِنَّ رَبَّكُمُ الرَّحْمَنُ} [طه: 90] أَيْ; لَا هَذَا الْعِجْلُ {فَاتَّبِعُونِي} [طه: 90] أَيْ; فِيمَا أَقُولُ لَكُمْ، {وَأَطِيعُوا أَمْرِي - قَالُوا لَنْ نَبْرَحَ عَلَيْهِ عَاكِفِينَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْنَا مُوسَى} [طه: 90 - 91] يَشْهَدُ اللَّهُ لِهَارُونَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَكَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا، أَنَّهُ نَهَاهُمْ وَزَجَرَهُمْ عَنْ ذَلِكَ، فَلَمْ يُطِيعُوهُ وَلَمْ يَتَّبِعُوهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، عَلَى السَّامِرِيِّ {قَالَ فَمَا خَطْبُكَ يَا سَامِرِيُّ} [طه: 95] أَيْ; مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ. {قَالَ بَصُرْتُ بِمَا لَمْ يَبْصُرُوا بِهِ} [طه: 96] أَيْ; رَأَيْتُ جِبْرَائِيلَ، وَهُوَ رَاكِبٌ فَرَسًا {فَقَبَضْتُ قَبْضَةً مِنْ أَثَرِ الرَّسُولِ} [طه: 96] أَيْ; مِنْ أَثَرِ فَرَسِ جِبْرِيلَ. وَقَدْ ذَكَرَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ رَآهُ وَكَانَ كُلَّمَا وَطِئَتْ بِحَوَافِرِهَا عَلَى مَوْضِعٍ، اخْضَرَّ وَأَعْشَبَ، فَأَخَذَ مِنْ أَثَرِ حَافِرِهَا، فَلَمَّا أَلْقَاهُ فِي هَذَا الْعِجْلِ الْمَصْنُوعِ مِنَ الذَّهَبِ، كَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا كَانَ، وَلِهَذَا قَالَ: {فَنَبَذْتُهَا وَكَذَلِكَ سَوَّلَتْ لِي نَفْسِي - قَالَ فَاذْهَبْ فَإِنَّ لَكَ فِي الْحَيَاةِ أَنْ تَقُولَ لَا مِسَاسَ} [طه: 96 - 97] وَهَذَا دُعَاءٌ عَلَيْهِ بِأَنْ لَا يَمَسَّ أَحَدًا; مُعَاقَبَةً لَهُ عَلَى مَسِّهِ مَا لَمْ يَكُنْ لَهُ مَسُّهُ. هَذَا مُعَاقَبَةٌ لَهُ فِي الدُّنْيَا، ثُمَّ تَوَعَّدَهُ فِي الْأُخْرَى فَقَالَ: {وَإِنَّ لَكَ مَوْعِدًا لَنْ تُخْلَفَهُ} [طه: 97] قُرِئَ: (لَنْ نُخْلِفَهُ) . {وَانْظُرْ إِلَى إِلَهِكَ الَّذِي ظَلْتَ عَلَيْهِ عَاكِفًا لَنُحَرِّقَنَّهُ ثُمَّ لَنَنْسِفَنَّهُ فِي الْيَمِّ نَسْفًا} [طه: 97] قَالَ: فَعَمَدَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، إِلَى هَذَا الْعِجْلِ فَحَرَقَهُ، قِيلَ: بِالنَّارِ. كَمَا
পৃষ্ঠা - ৬৬৬
এ অভিমত টি কাতাদ৷ (র) প্রমুখের ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, উখ৷ দিয়ে তিনি বাছুর
মুর্তিটি ধ্বংস করেছিলেন ৷ এ অভিমতটি আলী (রা) , আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) প্রমুখের ৷
কিতাবীদের ভাষাও তাই ৷ অতঃপর এটাকে মুসা (আ) সমুদ্রে নিক্ষেপ করলেন এবং বনী
ইসরাঈলকে সেই সমুদ্রের পানি পান করতে নির্দেশ দিলেন ৷ত তারা পানি পান করল ৷ যারা
বাছুরের পুজা করেছিল, বাছুরের ছাই তাদের ঠোটে লেগে রইল যাতে বোঝা গেল যে, তারাই
ছিল এর পুজারী ৷ কেউ কেউ বলেন, তাদের রং হলদে হয়ে যায় ৷
আল্লাহ তা আলা মুসা (আ) সম্বন্ধে আরও বলেন যে, তিনি বনী ইসর৷ ঈলকে বলেছিলেনর্গেৰু :
অর্থাৎ তোমাদের ইলাহ তো কেবল আল্লাহই যিনি বাতীত ৩অন্য কোন ইলাহ নেই ৷ তার
জ্ঞান সর্ববিষয়ে ব্যপ্ত ৷ ’
আল্লাহ তা ব্লেআটু৷ আরো বলেন০ ং
শুধ্ é
অর্থাৎ- যায়৷ বাছুরকে উপাস্যরুপে গ্রহণ করেছে পার্থিব জীবনে তাদের উপর তাদের
প্রতিপালকের ক্রোধ ও লাঞ্চুনা আপতিত হবেই, আর এভাবে আমি মিথ্যা রচনাকারীদের
প্রতিফল দিয়ে থাকি ৷ ’ (সুরা আরাফ : ১৫২)
বাস্তবিকই বনী ইসরাঈলের উপর এরুপ ৫ক্রা ধ ও লাঞ্চুন ই আপতিত হয়েছিল ৷ প্রাচীন
আলিমপণের কেউ কেউ বলেছেন, র্চু, )শুণ্হুপুি ৷ এে)পুন্;ন্ এে ;$§ আয়াতাত্শ এর মাধ্যমে
কিয়ামত পর্যন্ত আগমনকারী প্রতিটি বিদআত উদ্ভাবনকা বীর এরুপ অবশ্যম্ভ৷ ৷বী পরিণামের কথা
বলা হয়েছে ৷ অতঃপর আল্লাহ তাআলা আপন ধৈর্যশীলতা, সৃষ্টির প্রতি তার দয়া ও তওবা
কবুলের ব্যাপারে বন্দোদের উপর তার অনুগ্নহের কথা বর্ণনা করে বলেন, যায়৷ অসৎ কার্য করে
তারা পরে তওবা করলে ও ঈমান আনলে তোমার প্রতিপালক তাে পরম ক্ষমাশীল, পরম
দয়ালু ৷’ (সুরা আরাফ০ : ১৫৩) ৷
কিভু বাছুর পুজারীদের হত আর শাস্তি ব্যতীত আল্লাহ্ তা আলা কোন তওবা কবুল করলেন
না ৷ যেমন আল্লাহ তা আলা ইরশাদ করেন০
fl;
আর স্মরণ কর, যখন মুসা আপন সম্প্রদায়ের লোককে বলল, হে আমার সম্প্রদায় !
বাছুরকে উপাস্যরুপে গ্রহণ করে তোমরা নিজেদের প্রতি ঘোর অত্যাচার করেছ ৷ সুতরাং তোমরা
তোমাদের স্রষ্টার পানে ফিরে যাও , এবং তোমরা নিজেদেরকে হত্যা কর ৷ তোমাদের স্রষ্টার কাছে
قَالَهُ قَتَادَةُ، وَغَيْرُهُ. وَقِيلَ: بِالْمَبَارِدِ. كَمَا قَالَهُ عَلِيٌّ، وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَغَيْرُهُمَا. وَهُوَ نَصُّ أَهْلِ الْكِتَابِ. ثُمَّ ذَرَّاهُ فِي الْبَحْرِ، وَأَمَرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ فَشَرِبُوا، فَمَنْ كَانَ مِنْ عَابِدِيهِ، عَلَّقَ عَلَى شِفَاهِهِمْ مِنْ ذَلِكَ الرَّمَادِ مِنْهُ مَا يَدُلُّ عَلَيْهِ، وَقِيلَ: بَلِ اصْفَرَّتْ أَلْوَانُهُمْ.
ثُمَّ قَالَ تَعَالَى إِخْبَارًا عَنْ مُوسَى أَنَّهُ قَالَ لَهُمْ: {إِنَّمَا إِلَهُكُمُ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ وَسِعَ كُلَّ شَيْءٍ عِلْمًا} [طه: 98] وَقَالَ تَعَالَى: {إِنَّ الَّذِينَ اتَّخَذُوا الْعِجْلَ سَيَنَالُهُمْ غَضَبٌ مِنْ رَبِّهِمْ وَذِلَّةٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُفْتَرِينَ} [الأعراف: 152] وَهَكَذَا وَقَعَ، وَقَدْ قَالَ بَعْضُ السَّلَفِ {وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُفْتَرِينَ} [الأعراف: 152] مُسَجَّلَةٌ لِكُلِّ صَاحِبِ بِدْعَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ. ثُمَّ أَخْبَرَ تَعَالَى عَنْ حِلْمِهِ وَرَحْمَتِهِ بِخَلْقِهِ، وَإِحْسَانِهِ عَلَى عَبِيدِهِ فِي قَبُولِهِ تَوْبَةَ مَنْ تَابَ إِلَيْهِ، بِتَوْبَتِهِ عَلَيْهِ فَقَالَ: {وَالَّذِينَ عَمِلُوا السَّيِّئَاتِ ثُمَّ تَابُوا مِنْ بَعْدِهَا وَآمَنُوا إِنَّ رَبَّكَ مِنْ بَعْدِهَا لَغَفُورٌ رَحِيمٌ} [الأعراف: 153] لَكِنْ لَمْ يَقْبَلِ اللَّهُ تَوْبَةَ عَابِدِي الْعِجْلِ إِلَّا بِالْقَتْلِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ قَالَ مُوسَى لِقَوْمِهِ يَا قَوْمِ إِنَّكُمْ ظَلَمْتُمْ أَنْفُسَكُمْ بِاتِّخَاذِكُمُ الْعِجْلَ فَتُوبُوا إِلَى بَارِئِكُمْ فَاقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ عِنْدَ بَارِئِكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ} [البقرة: 54] . فَيُقَالُ: إِنَّهُمْ أَصْبَحُوا يَوْمًا وَقَدْ أَخَذَ مَنْ لَمْ يَعْبُدِ الْعِجْلَ فِي أَيْدِيهِمُ السُّيُوفَ، وَأَلْقَى اللَّهُ عَلَيْهِ ضَبَابًا، حَتَّى لَا يَعْرِفَ الْقَرِيبُ قَرِيبَهُ، وَلَا النَّسِيبُ نَسِيبَهُ، ثُمَّ مَالُوا عَلَى عَابِدِيهِ، فَقَتَلُوهُمْ، وَحَصَدُوهُمْ. فَيُقَالُ: إِنَّهُمْ قَتَلُوا فِي صَبِيحَةٍ وَاحِدَةٍ سَبْعِينَ أَلْفًا. ثُمَّ قَالَ تَعَالَى: {وَلَمَّا سَكَتَ عَنْ مُوسَى الْغَضَبُ أَخَذَ الْأَلْوَاحَ وَفِي نُسْخَتِهَا هُدًى وَرَحْمَةٌ لِلَّذِينَ هُمْ لِرَبِّهِمْ يَرْهَبُونَ} [الأعراف: 154] اسْتَدَلَّ بَعْضُهُمْ بِقَوْلِهِ: {وَفِي نُسْخَتِهَا} [الأعراف: 154] عَلَى أَنَّهَا تَكَسَّرَتْ، وَفِي هَذَا الِاسْتِدْلَالِ نَظَرٌ، وَلَيْسَ فِي اللَّفْظِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهَا تَكَسَّرَتْ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ عَبَّاسٍ فِي حَدِيثِ الْفُتُونِ، كَمَا سَيَأْتِي، أَنَّ عِبَادَتَهُمُ الْعِجْلَ كَانَتْ عَلَى أَثَرِ خُرُوجِهِمْ مِنَ الْبَحْرِ، وَمَا هُوَ بِبَعِيدٍ; لِأَنَّهُمْ حِينَ خَرَجُوا {قَالُوا يَامُوسَى اجْعَلْ لَنَا إِلَهًا كَمَا لَهُمْ آلِهَةٌ} [الأعراف: 138] .
وَهَكَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ، فَإِنَّ عِبَادَتَهُمُ الْعِجْلَ كَانَتْ قَبْلَ مَجِيئِهِمْ بِلَادَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ وَذَلِكَ أَنَّهُمْ لَمَّا أُمِرُوا بِقَتْلِ مَنْ عَبَدَ الْعِجْلَ، قَتَلُوا فِي أَوَّلِ يَوْمٍ ثَلَاثَةَ آلَافٍ. ثُمَّ ذَهَبَ مُوسَى يَسْتَغْفِرُ لَهُمْ، فَغُفِرَ لَهُمْ، بِشَرْطِ أَنْ يَدْخُلُوا الْأَرْضَ الْمُقَدَّسَةَ.
{وَاخْتَارَ مُوسَى قَوْمَهُ سَبْعِينَ رَجُلًا لِمِيقَاتِنَا فَلَمَّا أَخَذَتْهُمُ الرَّجْفَةُ قَالَ رَبِّ لَوْ شِئْتَ أَهْلَكْتَهُمْ مِنْ قَبْلُ وَإِيَّايَ أَتُهْلِكُنَا بِمَا فَعَلَ السُّفَهَاءُ مِنَّا إِنْ هِيَ إِلَّا فِتْنَتُكَ تُضِلُّ بِهَا مَنْ تَشَاءُ وَتَهْدِي مَنْ تَشَاءُ أَنْتَ وَلِيُّنَا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الْغَافِرِينَ - وَاكْتُبْ لَنَا فِي هَذِهِ الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ إِنَّا هُدْنَا إِلَيْكَ قَالَ عَذَابِي أُصِيبُ بِهِ مَنْ أَشَاءُ وَرَحْمَتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ فَسَأَكْتُبُهَا لِلَّذِينَ يَتَّقُونَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَالَّذِينَ هُمْ بِآيَاتِنَا يُؤْمِنُونَ - الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الرَّسُولَ النَّبِيَّ الْأُمِّيَّ الَّذِي يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِنْدَهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ يَأْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ وَيَضَعُ عَنْهُمْ إِصْرَهُمْ وَالْأَغْلَالَ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِمْ فَالَّذِينَ آمَنُوا بِهِ وَعَزَّرُوهُ وَنَصَرُوهُ وَاتَّبَعُوا النُّورَ الَّذِي أُنْزِلَ مَعَهُ أُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ} [الأعراف: 155 - 157]
[الْأَعْرَافِ: 155 - 157] .
পৃষ্ঠা - ৬৬৭
এটাই শ্রেয় ৷ তিনিও তামাদের প্রতি ক্ষমাপরবশ হবেন ৷ তিনি অ৩ তান্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ৷
(সুরা বাক্য রা ৫৪)
কথিত আছে একদিন ভে ৷রবেলা যারা বাছুর পুজা করেনি তারা তরবারি হাতে নিল;
অন্যদিকে আল্লাহ৩ তা অড়ালা তাদের প্রতি এমন ঘন কুয়াশা অবতীর্ণ করলেন যে প্রতিবেশী
প্রতিবেশীকে এবং একই বংশের একজন অন্যজনকে চিনতে পারছিল না ৷ তারা বাছুর
পুজারীদেরকে পাইকারী হারে হত্যা করল এবং তাদের মুলোৎপাটন করে দিল ৷ কথিত রয়েছে
তারা ঐ দিনের একই প্রভাতে সত্তর হাজার লোককে হত্যা করেছিল ৷
অতংপর আল্লাহ তাআলা বলেনং :
অর্থাৎ “যখন মুসার ণ্ক্রাধ প্রশমিত হল তখন সে ফলকগুলাে তুলে নিল ৷ যারা তাদের
প্রতিপালককে ভয় করে তাদের জন্য ওতে যা লিখিত ছিল তাতে ছিল পথনির্দেশ ও রহমত৷ ৷”
(সুরা আরাফং : ১৫৪)
আয়াতাৎশে উল্লেখিত দ্বারা কেউ কেউ প্রমাণ
করেন যে, ফলকগুলাে ভেঙে গিয়েছিল ৷ তবে এই প্রমাণটি সঠিক নয় ৷ কেননা কুরআনের
শব্দে এমন কিছু পাওয়া যায় না যাতে প্রমাণিত হয় যে, এগুলো ভেঙে গিয়েছিল ৷ আবদুল্লাহ
ইবন আব্বাস (রা) ফিৎনা সম্বলিত হাদীসসমুহে উল্লেখ করেছেন যে, তাদের বাছুর পুজা
ঘটনাটি ছিল তাদের সমুদ্র পার হবার পর ৷ এই অভিমতটি অযৌক্তিক নয়; কেননা তারা যখন
সমুদ্র পার হলো তখন, তারা বলেছিল, হে মুসা! তাদের যেমন ইলাহসমুহ রয়েছে আমাদের
জন্যেও তেমন একটি ইলাহ্ গড়ে দাও ৷ ” (সুরা আরাফ : ১০৮)
অনুরুপ অভিমত কিতাবীরা প্রকাশ করে থাকেন ৷ কেননা, তাদের বাছুর পুজার ঘটনাটি
ছিল বায়তৃল মুকাদ্দাস শহরে আগমনের পুর্বে ৷ বাছুর পুজারীদেরকে হত্যা করার যখন হকুম
দেয়া হয়, তখন প্রথম দিনে তিন হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছিল ৷ অতঃপর মুসা (আ)
তাদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন ৷ তাদের ক্ষমা করা হল এই শর্তে যে, তারা বায়তুল
মুকাদ্দাসে প্রবেশ করবে ৷ আল্লাহ তড়াআলা ইরশাদ করেনং :
া
সুমোঃ
ষু১ ণ্ডাচী
ণ্
ذَكَرَ السُّدِّيُّ، وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَغَيْرُهُمَا، أَنَّ هَؤُلَاءِ السَّبْعِينَ كَانُوا عُلَمَاءَ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَمَعَهُمْ مُوسَى، وَهَارُونُ، وَيُوشَعُ، وَنَادَابُ، وَأَبِيهُو، ذَهَبُوا مَعَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لِيَعْتَذِرُوا عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ فِي عِبَادَةِ مَنْ عَبَدَ مِنْهُمُ الْعِجْلَ، وَكَانُوا قَدْ أُمِرُوا أَنْ يَتَطَيَّبُوا وَيَتَطَهَّرُوا وَيَغْتَسِلُوا، فَلَمَّا ذَهَبُوا مَعَهُ، وَاقْتَرَبُوا مِنَ الْجَبَلِ، وَعَلَيْهِ الْغَمَامُ، وَعَمُودُ النُّورِ سَاطِعٌ، وَصَعِدَ مُوسَى الْجَبَلَ، فَذَكَرَ بَنُو إِسْرَائِيلَ أَنَّهُمْ سَمِعُوا كَلَامَ اللَّهِ، وَهَذَا قَدْ وَافَقَهُمْ عَلَيْهِ طَائِفَةٌ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ، وَحَمَلُوا عَلَيْهِ قَوْلَهُ تَعَالَى: {وَقَدْ كَانَ فَرِيقٌ مِنْهُمْ يَسْمَعُونَ كَلَامَ اللَّهِ ثُمَّ يُحَرِّفُونَهُ مِنْ بَعْدِ مَا عَقَلُوهُ وَهُمْ يَعْلَمُونَ} [البقرة: 75] . وَلَيْسَ هَذَا بِلَازِمٍ; لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {فَأَجِرْهُ حَتَّى يَسْمَعَ كَلَامَ اللَّهِ} [التوبة: 6] أَيْ; مُبَلَّغًا، وَهَكَذَا هَؤُلَاءِ سَمِعُوهُ مُبَلَّغًا مِنْ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَزَعَمُوا أَيْضًا أَنَّ السَّبْعِينَ رَأَوُا اللَّهَ، وَهَذَا غَلَطٌ مِنْهُمْ; لِأَنَّهُمْ لَمَّا سَأَلُوا الرُّؤْيَةَ أَخَذَتْهُمُ الرَّجْفَةُ; كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ قُلْتُمْ يَا مُوسَى لَنْ نُؤْمِنَ لَكَ حَتَّى نَرَى اللَّهَ جَهْرَةً فَأَخَذَتْكُمُ الصَّاعِقَةُ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ - ثُمَّ بَعَثْنَاكُمْ مِنْ بَعْدِ مَوْتِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ} [البقرة: 55 - 56]
[الْبَقَرَةِ: 55، 56] . وَقَالَ هَاهُنَا:
পৃষ্ঠা - ৬৬৮
৷ ন্£ট্রুৰু;;
’¢ ৷“ এ্যাগ্লুার্দুর্মং ,১াএে র্দুএ৷ ঠুঠু;া৷ ৷প্রুঠুওার্চুঙ্কুদ্বুর্তৃ;;গ্লু
”মুসা তার নিজ সম্প্রদায় থেকে সত্তরজন লোককে আমার নির্ধারিত স্থানে সমবেত হবার
জন্যে মনোনীত করল ৷৩ তারা যখন ভুমিকম্প দ্বারা আক্রান্ত হল, তখন মুসা বলল, হে আমার
প্রতিপালক! তুমি ইচ্ছা করলে পুর্বেই তো তাদেরকে এবং আমাৰুকও ধ্বং স করতে পারতে ৷
আমাদের মধ্যে যারা নির্বোধ তারা বা করেছে সেজন্য কি তুমি আমাদেরকে ধ্বংস করবেঃ এটা
তো শুধু তোমার পরীক্ষা, যা দিয়ে তুমি যাকে ইচ্ছে বিপথগামী কর এবং মাঝে ইচ্ছে সৎপথে
পরিচালিত কর ৷ তৃমিই তো আমাদের অভিভাবক ৷ সুতরাং আমাদের ক্ষমা কর ও আমাদের
প্রতি দয়া কর এবং ক্ষমাশীলদের মধ্যে ত্মিই তো শ্রেষ্ঠ ৷ আমাদের জন্য নির্ধারিত কর দুনিয়া ও
আখিরাঃ তর কল্যাণ, আমরা তোমার নিকট প্ৰত্যাবতনি করেছি ৷ আল্লাহ বলেন, আমার শাস্তি
যাকে ইচ্ছে দিয়ে থাকি, আর আমার দয়া, তাতো প্রত্যেক বন্তুতে ব্যাপ্ত ৷ সুতরাং × আমি এটা
তাদের জন্য নির্ধারিত করব, যারা তাকওয়৷ অবলম্বন করে, যাকাত দেয় ও আমার নিদর্শনে
বিশ্বাস করে ৷ যায়৷ অনুসরণ করে বড়ার্তাবাহক উঘী নবীর, যার উল্লেখ তাওরাত ও ইঞ্জিল, যা
তাদের নিকট রয়েছেত তাতে তারা লিপিবদ্ধ পায়, যে তাদেরকে সৎকা জের নির্দেশ দেয় ও
অসৎকার্যে বাধা দেয়, যে তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হ লাল করে ও অপবিত্র বস্তু হড়ারাম করে এবং
যে যুক্ত করে তাদেরকে তাদের গুরুভার থেকে ও শৃৎখল থেকে যা তাদের উপর ছিল ৷ সুতরাং
যারা তার প্রতি ঈমান আনে, তাকে সম্মান করে, তাকে সাহায্য করে এবং যেই নুর তার সাথে
অবতীর্ণ হয়েছে তার অনুসরণ করে তারাই সফলকাম ৷ ” (সুরা আরাফ : ১ ৫ ৫ ১ ৫ ৭ )
সুদ্দী (র) আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) ও অন্যান্য যুফাসৃসির উল্লেখ করেন যে, এই
সত্তরজন ছিলেন বনী ইসরাঈলের উলামায়ে কিয়াম ৷ আর তাদের সাথে ছিলেন মুসা (আ),
হারুন (আ), ইউশা (আ) নদোব ও আবীছ ৷ বনী ইসরাঈলের যারা বাছুর পুজা করেছিল তাদের
পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার জন্যে তারা মুসা (আ)-এর সাথে গিয়েছিলেন ৷ আর তাদেরকে হুকুম
দেয়৷ হয়েছিল তারা যেন পবিত্রতা ৷ও পরিচ্ছন্নত৷ অর্জন করে গোসল করে ও সুগন্ধি ব্যবহার
করে ৷ তখন তারা মুসা (আ)-এর সাথে আগমন করলেন, পাহাড়ের নিকটবর্তী হলেন;
পাহাড়ের উপরে ঝুলন্ত ছিল মেঘখণ্ড, নুরের স্তম্ভ ছিল সুউচ্চ ৷ মুসা (আ) পাহাড়ে আরোহণ
করলেন ৷ বনী ইসরাঈলর৷ দাবি করেন যে, তারা আল্লাহ তাআলার কালাম শুনেছেন ৷ কিছু
ৎখ্যক তাফসী রকার তাদের এ দাবিকে সমর্থন করেছেন এবং বলেছেন, সুরায়ে বাকারার ৭৫
{فَلَمَّا أَخَذَتْهُمُ الرَّجْفَةُ قَالَ رَبِّ لَوْ شِئْتَ أَهْلَكْتَهُمْ مِنْ قَبْلُ وَإِيَّايَ} [الأعراف: 155] الْآيَةَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: اخْتَارَ مُوسَى مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ سَبْعِينَ رَجُلًا، الْخَيِّرَ فَالْخَيِّرَ وَقَالَ: انْطَلَقُوا إِلَى اللَّهِ، فَتُوبُوا إِلَيْهِ مِمَّا صَنَعْتُمْ، وَسَلُوهُ التَّوْبَةَ عَلَى مَنْ تَرَكْتُمْ وَرَاءَكُمْ مِنْ قَوْمِكُمْ، صُومُوا وَتَطَهَّرُوا، وَطَهِّرُوا ثِيَابَكُمْ. فَخَرَجَ بِهِمْ إِلَى طُورِ سَيْنَاءَ لِمِيقَاتٍ وَقَّتَهُ لَهُ رَبَّهُ، وَكَانَ لَا يَأْتِيهِ إِلَّا بِإِذْنٍ مِنْهُ وَعِلْمٍ، فَطَلَبَ مِنْهُ السَّبْعُونَ أَنْ يَسْمَعُوا كَلَامَ اللَّهِ، فَقَالَ: أَفْعَلُ. فَلَمَّا دَنَا مُوسَى مِنَ الْجَبَلِ وَقَعَ عَلَيْهِ عَمُودُ الْغَمَامِ حَتَّى تَغَشَّى الْجَبَلَ كُلَّهُ، وَدَنَا مُوسَى فَدَخَلَ فِي الْغَمَامِ، وَقَالَ لِلْقَوْمِ: ادْنُوا. وَكَانَ مُوسَى إِذَا كَلَّمَهُ اللَّهُ وَقَعَ عَلَى جَبْهَتِهِ نُورٌ سَاطِعٌ، لَا يَسْتَطِيعُ أَحَدٌ مِنْ بَنِي آدَمَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَيْهِ، فَضَرَبَ دُونَهُ بِالْحِجَابِ، وَدَنَا الْقَوْمُ، حَتَّى إِذَا دَخَلُوا فِي الْغَمَامِ، وَقَعُوا سُجُودًا، فَسَمِعُوهُ وَهُوَ يُكَلِّمُ مُوسَى، يَأْمُرُ وَيَنْهَاهُ; افْعَلْ. وَلَا تَفْعَلْ. فَلَمَّا فَرَغَ اللَّهُ مِنْ أَمْرِهِ، وَانْكَشَفَ عَنْ مُوسَى الْغَمَامَ أَقْبَلَ إِلَيْهِمْ قَالُوا لِمُوسَى: {لَنْ نُؤْمِنَ لَكَ حَتَّى نَرَى اللَّهَ جَهْرَةً} [البقرة: 55] فَأَخَذَتْهُمُ الرَّجْفَةُ - وَهِيَ الصَّاعِقَةُ - فَافْتَلَتَتْ أَرْوَاحُهُمْ، فَمَاتُوا جَمِيعًا فَقَامَ مُوسَى يُنَاشِدُ رَبَّهُ، وَيَدْعُوهُ، وَيَرْغَبُ إِلَيْهِ، وَيَقُولُ: {رَبِّ لَوْ شِئْتَ أَهْلَكْتَهُمْ مِنْ قَبْلُ وَإِيَّايَ أَتُهْلِكُنَا بِمَا فَعَلَ السُّفَهَاءُ مِنَّا} [الأعراف: 155] أَيْ; لَا تُؤَاخِذْنَا بِمَا فَعَلَ السُّفَهَاءُ الَّذِينَ عَبَدُوا الْعِجْلَ مِنَّا، فَإِنَّا بُرَآءُ مِمَّا عَمِلُوا. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٌ،
পৃষ্ঠা - ৬৬৯
নং আয়াবুত উল্লেখিত আল্লাহ তা আলার বাণী শ্ররণকারী যে দলটির কথা বলা হয়েছে,
সত্তরজবুনর দলের দ্বারাও একই অর্থ নেয়া হয়েছে ৷
রাবুয় বাকারায় আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেবুছন০ :
বুক্ট্র)১ব্র১ামৰ্এণ্ট্রি
অর্থাৎ তোমরা কি এই আশা কর যে, তারা তোমাদের কথায় ঈমান আনবুব, যখন
তাদের একদল আল্লাহর বাণী শ্রবণ করে ৷৩ তারপর তা বুঝবার পর বুজবুন-শুবুন এটা বিকৃত
করে ৷ (সুরা বড়াকারা : ৭৫)
তবে এ আয়াতে যে শুধু তাদের কথাই বলা হয়েছে, এটাও অপরিহার্য নয় ৷ কেননা, আল্লাহ
তা আশা অন্যত্র ইরশাদ করেন ং
ষ্লোঃর্ভু র্দুশ্ঠু(ওছুপুাট্রু১
অর্থাৎ “মুশ্ারিকদের মধ্যে বুকউবু তামার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তুমি তাবুক আশ্রয়
দেবে যাতে সে আল্লাহর বাণী শুনতে পড়ায়, অতঃপর তাকে নিরাপদ স্থানে পৌছিবুয় দেবে ৷
কারণ তারা অজ্ঞ লোক ৷” (সুরা তওবা০ : ৬)
অর্থাৎ তাবলীগের খাতিরে তাবুক আল্লাহ্ তা আলার বাণী শোনাবার জন্যে হকুম দেয়া
হয়েছে, অনুরুপভাবুব তারাও মুসা (আ) থেকে তাবলীগ হিসেবে আল্লাহ তা আলার বাণী
শুনেছিবুলন ৷ কিত ৷বীরা আরো মনে করে যে, এ সত্তর ব্যক্তি আল্লাহ তা আলাবুক দেবুখছিল ৷
এটা তাদের ভ্রান্ত ধারণা বৈ আর কিছুই নয় ৷ কেননা, তারা যখন আল্লাহ তা আলাবুক দেখবুত
চেবুয়ছিল তখনই৩ ৷ ৷রা বজ্বাহত ৩হবুয়ছিল এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা ইন্া৷ষ্া৷ন্ৰু ফরেন০ ং
“স্মরণ কর, যখন তোমরা ববুলছিবুলপ্টি, হে মুসা ৷৷ আমরা আল্লাহবুক প্রতাক্ষভাবুব না দেখা
পর্যন্ত তোমাকে কখনও বিশ্বাস করব না ৷ তখন তোমরা বজ্রাহত হবুয়ছিবুল, আর তোমরা
নিজেরাই বুদখছিবুল, মৃতু র পর তোমাদের পুনর্জীবিত করলাম, যাবুত তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন
কর ৷’ ’(সুরা বাক বা ং ৫৫ ৫৬)
অন্যত্র আল্লাহ ত ৷আলা ইরশাদ করেনং :
মোঃ ’ পুার্চু র্বৃহ্;ও ট্র০ মোঃ
অর্থাৎ-“তারা যখন ভুমিকম্প দ্বারা আক্রান্ত হল তখন মুসা বলল, হে আমার প্রতিপালক
তুমি ইচ্ছে করলে পুর্বেই তো তাদেরকে এবং আমাবুকও ধ্বং স করতে পারবুত ৷ ”
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, ”মুসা (আ) বনী ইসরাঈল থেকে সত্তরজন সদস্যকে
তাদের বুশ্রষ্ঠবুৎ র ক্রমানুযায়ী মনোনীত করেছিলেন এবং তাদেরকে বলেছিলেন, আল্লাহ
وَقَتَادَةُ، وَابْنُ جُرَيْجٍ: إِنَّمَا أَخَذَتْهُمُ الرَّجْفَةُ لِأَنَّهُمْ لَمْ يَنْهَوْا قَوْمَهُمْ عَنْ عِبَادَةِ الْعِجْلِ. وَقَوْلُهُ: {إِنْ هِيَ إِلَّا فِتْنَتُكَ} [الأعراف: 155] أَيِ; اخْتِبَارُكَ، وَابْتِلَاؤُكَ، وَامْتِحَانُكَ. قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَأَبُو الْعَالِيَةِ، وَالرَّبِيعُ بْنُ أَنَسٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَاءِ السَّلَفِ وَالْخَلْفِ. يَعْنِي: أَنْتَ الَّذِي قَدَّرْتَ هَذَا، وَخَلَقْتَ مَا كَانَ مِنْ أَمْرِ الْعِجْلِ، اخْتِبَارًا تَخْتَبِرُهُمْ بِهِ، كَمَا قَالَ لَهُمْ هَارُونُ مِنْ قَبْلُ: {يَا قَوْمِ إِنَّمَا فُتِنْتُمْ بِهِ} [طه: 90] أَيِ ; اخْتُبِرْتُمْ بِهِ، وَلِهَذَا قَالَ: {تُضِلُّ بِهَا مَنْ تَشَاءُ وَتَهْدِي مَنْ تَشَاءُ} [الأعراف: 155] أَيْ ; مَنْ شِئْتَ أَضْلَلْتَهُ بِاخْتِبَارِكَ إِيَّاهُ، وَمَنْ شِئْتَ هَدَيْتَهُ، لَكَ الْحُكْمُ وَالْمَشِيئَةُ، فَلَا مَانِعَ وَلَا رَادَّ لِمَا حَكَمْتَ وَقَضَيْتَ. {أَنْتَ وَلِيُّنَا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الْغَافِرِينَ} [الأعراف: 155] .
{وَاكْتُبْ لَنَا فِي هَذِهِ الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ إِنَّا هُدْنَا إِلَيْكَ} [الأعراف: 156] أَيْ; تُبْنَا إِلَيْكَ وَرَجَعْنَا وَأَنَبْنَا. قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٌ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَأَبُو الْعَالِيَةِ، وَإِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ، وَالضَّحَّاكُ، وَالسُّدِّيُّ، وَقَتَادَةُ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ، وَهُوَ كَذَلِكَ فِي اللُّغَةِ. {قَالَ عَذَابِي أُصِيبُ بِهِ مَنْ أَشَاءُ وَرَحْمَتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ} [الأعراف: 156] أَيْ; أَنَا أُعَذِّبُ مَنْ شِئْتُ بِمَا أَشَاءُ مِنَ الْأُمُورِ، الَّتِي أَخْلُقُهَا وَأُقَدِّرُهَا، {وَرَحْمَتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ} [الأعراف: 156] كَمًّا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ لَمَّا فَرَغَ مِنْ خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، كَتَبَ كِتَابًا، فَهُوَ مَوْضُوعٌ عِنْدَهُ فَوْقَ الْعَرْشِ: إِنَّ رَحْمَتِي تَغْلِبُ غَضَبِي» {فَسَأَكْتُبُهَا لِلَّذِينَ يَتَّقُونَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَالَّذِينَ هُمْ بِآيَاتِنَا يُؤْمِنُونَ} [الأعراف: 156]
পৃষ্ঠা - ৬৭০
তাআলার দিকে প্রত্যাগমন কর, নিজেদের কৃতকর্মের জন্য তওবা কর এবং তোমাদের মধ্যে
যারা বাছুর পুজা করে অন্যায় করেছে তাদের পক্ষ থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে তোমরা
তওবা কর; তোমরা সিয়াম আদায় কর; পবিত্রতা অর্জন কর ও নিজেদের জামা-কাপড়
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর ৷” অতঃপর আপন প্রতিপালক কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে সীনাই মরুভুমির
তুর পাহাড়ে মুসা (আ) তাদেরকে নিয়ে বের হয়ে পড়লেন ৷ আর তিনি কোন সময়ই আল্লাহ
তাআলার অনুমতি ব্যতীত সেখানে গমন করতেন না ৷ আল্লাহ তাআলার কালাম শ্যেনাবার
জন্যে তাদের সেই সত্তরজন মুসা (আ ) ন্কে অনুরোধ করল ৷ মুসা (আ) বললেন, আমি একাজটি
করতে চেষ্টা করব ৷ মুসা (আ) যখন পাহাড়ের নিকটবর্তী হলেন, তখন তার উপর যেঘমালার
স্তম্ভ নেমে আসল এবং তা সমস্ত পাহাড়কে আচ্ছন্ন করে ফেলল ৷ মুসা (আ) আরও নিকটবর্তী
হলেন এবং মেযমালায় ঢুকে পড়লেন, আর নিজের সম্প্রদায়কে বলতে লাগলেন, তোমরা
নিকটবর্তী হও ৷ ’ মুসা (আ) যখন আল্লাহ তাআলার সাথে কথা বলতেন, তখন মুসা (আ)-এর
মুখমণ্ডালর উপর এমন উজ্জ্বল নুরের প্রতিফলন ঘটত যার দিকে বনী আদমের কেউ দৃষ্টি
নিক্ষেপ করতে পারত না ৷ তাই সামনে পর্দা ঝুলিয়ে দেয়া হল, সম্প্রদায়ের লোকেরা অ্যাসর
হলেন এবং মেঘমালায় ঢুকে সিজদাবনত হয়ে পড়লেন ৷ আল্লাহ তাআলা যখন মুসা (আ )-এর
সাথে কথা বলছিলেন, মুসা (আ)-কে বলছিলেন, এটা কর , ঐটা করো না ৷ তখন তারা আল্লাহ
তাআলার কথা শুনছিলেন ৷ আল্লাহ তাআলা যখন তার নির্দেশ প্রদান সম্পন্ন করলেন এবং মুসা
(আ) থেকে যেঘমালা কেটে গেল ও সম্প্রদায়ের দিকে তিনি দৃষ্টি দিলেন, তখন তারা বলল, হে
মুসা ! আমরা তোমার কথায় বিশ্বাস করি না, যতক্ষণ না আমরা আল্লাহকে প্রকাশ্য দেখতে
পাই ৷ তারা তখন বজ্বাহত হল ও তাদের থেকে তাদের রুহ বের হয়ে পড়ল ৷ তাতে তারা
সকলেই মৃত্যুবরণ করল ৷
তৎক্ষণাৎ মুসা (আ) আপন প্ৰতিপালককে ডাকতে লাগলেন এবং অনুনয় বিনয় করে
আরবী জানাতে লগেলেন :
৷শুশুপ্রু র্শ্বার্চুর্ধ£থ্রে ! (া র্ধর্ন্ত র্টু০ ৷এহ্রব্লুট্রুৰুশুর্দু ৰুহ্রপুিার্বুর্দুধ্ টু;,ন্ মোঃ ৷ ধ্পুষ্প;পু ষ্হুন্ঠু
অর্থাৎ “হে আমার প্রতিপালক ! তুমি ইচ্ছে করলে পুর্বেই তো তাদেরকে এবং আমাকেও
ধ্বংস করতে পারতে ৷ আমাদের মধ্যে যারা নির্বোধ, তারা বা করেছে সেজন্য তুমি আমাদেরকে
কি ধ্বংস করবেঃ
”অন্য কথায়, আমাদের মধ্য হতে নির্বোধরা যা করেছে; তারা বাছুরের পুজা করেছে ৷
তাদের এ কাজের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই ৷ আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা), মুজাহিদ
(র), কাতাদা (র) ও ইবন জুরায়জ (র) বলেন, বনী ইসরাঈলরা বজ্বাঘাতে আক্রান্ত হয়েছিল,
কেননা তারা তাদের সট্রুপ্নদায়কে বাছুর পুজা থেকে বিরত রাখেনি ৷ উক্ত আয়াতে উল্লেখিত
আয়াতাৎশ £&এে; ৰুর্ণ!এেগ্ ট্রু,া-এর অর্থ হচ্ছে, এটা তোমার প্রদত্ত পরীক্ষা ছাড়া কিছুই
নয় ৷ ’ এ অভিমতটি আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) , সাঈদ ইবন জুবাইর (রা) , আবুল আলীয়া
(র) , রাবী ইবন আনাস (র) ও পুৰ্বাপরের অসংখ্য উলামায়ে কিরামের ৷ অর্থাৎ হে আল্লাহ !
তৃমিই এটা নির্ধারিত করে রেখেছিলে, বা তাদেরকে এটার দ্বারা পরীক্ষা করার জন্যে বাছুর পুজা
করার বিষয়টি সৃষ্টি করেছিলে ৷
أَيْ; فَسَأُوجِبُهَا حَتْمًا لِمَنْ يَتَّصِفُ بِهَذِهِ الصِّفَاتِ، {الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الرَّسُولَ النَّبِيَّ الْأُمِّيَّ} [الأعراف: 157] الْآيَةَ. وَهَذَا فِيهِ تَنْوِيهٌ بِذِكْرِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأُمَّتِهِ، مِنَ اللَّهِ تَعَالَى لِمُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي جُمْلَةِ مَا نَاجَاهُ بِهِ، وَأَعْلَمَهُ وَأَطْلَعَهُ عَلَيْهِ. وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى هَذِهِ الْآيَةِ وَمَا بَعْدَهَا فِي " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ وَمَقْنَعٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَالَ قَتَادَةُ: قَالَ مُوسَى: يَا رَبِّ أَجِدُّ فِي الْأَلْوَاحِ أُمَّةً، خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ، يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ، وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ، رَبِّ اجْعَلْهُمْ أُمَّتِي. قَالَ: تِلْكَ أُمَّةُ أَحْمَدَ. قَالَ: رَبِّ إِنِّي أَجِدُ فِي الْأَلْوَاحِ أُمَّةً، هُمُ الْآخِرُونَ فِي الْخَلْقِ، السَّابِقُونَ فِي دُخُولِ الْجَنَّةِ، رَبِّ اجْعَلْهُمْ أُمَّتِي. قَالَ: تِلْكَ أُمَّةُ أَحْمَدَ. قَالَ: رَبِّ إِنِّي أَجِدُ فِي الْأَلْوَاحِ أُمَّةً، أَنَاجِيلُهُمْ فِي صُدُورِهِمْ، يَقْرَؤُونَهَا، وَكَانَ مَنْ قَبْلَهُمْ يَقْرَؤُونَ كِتَابَهُمْ نَظَرًا، حَتَّى إِذَا رَفَعُوهَا لَمْ يَحْفَظُوا شَيْئًا وَلَمْ يَعْرِفُوهُ، وَإِنَّ اللَّهَ أَعْطَاكُمْ أَيَّتُهَا الْأُمَّةُ مِنَ الْحِفْظِ شَيْئًا، لَمْ يُعْطِهِ أَحَدًا مِنَ الْأُمَمِ. قَالَ: رَبِّ اجْعَلْهُمْ أُمَّتِي. قَالَ: تِلْكَ أُمَّةُ أَحْمَدَ. قَالَ: رَبِّ إِنِّي أَجِدُ فِي الْأَلْوَاحِ أُمَّةً، يُؤْمِنُونَ بِالْكِتَابِ الْأَوَّلِ، وَبِالْكِتَابِ الْآخِرِ، وَيُقَاتِلُونَ فُضُولَ الضَّلَالَةِ، حَتَّى يُقَاتِلُوا الْأَعْوَرَ الْكَذَّابَ، فَاجْعَلْهُمْ أُمَّتِي. قَالَ: تِلْكَ أُمَّةُ أَحْمَدَ. قَالَ: رَبِّ إِنِّي أَجِدُ فِي الْأَلْوَاحِ أُمَّةً، صَدَقَاتُهُمْ يَأْكُلُونَهَا فِي بُطُونِهِمْ، وَيُؤْجَرُونَ عَلَيْهَا، وَكَانَ مَنْ قَبْلَهُمْ إِذَا تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَقُبِلَتْ مِنْهُ بَعْثَ اللَّهُ عَلَيْهَا نَارًا فَأَكْلَتْهَا، وَإِنْ رُدَّتْ عَلَيْهِ تُرِكَتْ فَتَأْكُلُهَا السِّبَاعُ وَالطَّيْرُ، وَإِنَّ اللَّهَ أَخَذَ صَدَقَاتِكُمْ مِنْ غَنِيِّكُمْ لِفَقِيرِكُمْ قَالَ: رَبِّ فَاجْعَلْهُمْ أُمَّتِي. قَالَ: تِلْكَ أُمَّةُ أَحْمَدَ. قَالَ: رَبِّ فَإِنِّي أَجِدُ فِي الْأَلْوَاحِ أُمَّةً، إِذَا هَمَّ أَحَدُهُمْ
পৃষ্ঠা - ৬৭১
بِحَسَنَةٍ، ثُمَّ لَمْ يَعْمَلْهَا كُتِبَتْ لَهُ حَسَنَةٌ، فَإِنْ عَمِلَهَا كُتِبَتْ لَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا، إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ، قَالَ: رَبِّ، اجْعَلْهُمْ أُمَّتِي. قَالَ: تِلْكَ أُمَّةُ أَحْمَدَ. قَالَ: رَبِّ إِنِّي أَجِدُ فِي الْأَلْوَاحِ أُمَّةً هُمُ الْمُشَفَّعُونَ، الْمَشْفُوعُ لَهُمْ، فَاجْعَلْهُمْ أُمَّتِي. قَالَ تِلْكَ أُمَّةُ أَحْمَدَ. قَالَ لَنَا قَتَادَةُ: فَذَكَرَ لَنَا أَنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، نَبَذَ الْأَلْوَاحَ وَقَالَ: اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنْ أُمَّةِ أَحْمَدَ. وَقَدْ ذَكَرَ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ مَا كَانَ مِنْ مُنَاجَاةِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَوْرَدُوا أَشْيَاءَ كَثِيرَةً لَا أَصْلَ لَهَا، وَنَحْنُ نَذْكُرُ مَا تَيَسَّرَ ذِكْرُهُ مِنَ الْأَحَادِيثِ وَالْآثَارِ، بِعَوْنِ اللَّهِ وَتَوْفِيقِهِ، وَحُسْنِ هِدَايَتِهِ وَمَعُونَتِهِ وَتَأْيِيدِهِ.
قَالَ الْحَافِظُ أَبُو حَاتِمٍ، مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ حِبَّانَ فِي " صَحِيحِهِ ": ذِكْرُ سُؤَالِ كَلِيمِ اللَّهِ رَبَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ عَنْ أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ وَأَرْفَعِهِمْ مَنْزِلَةً; أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدٍ الطَّائِيُّ بِمَنْبَجَ، حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ يَحْيَى الْبَلْخِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا مُطَرِّفُ بْنُ طَرِيفٍ وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبْجَرَ - شَيْخَانِ صَالِحَانِ - سَمِعْنَا الشَّعْبِيَّ يَقُولُ: سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ، «عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، سَأَلَ رَبَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ: أَيُّ أَهْلِ الْجَنَّةِ أَدْنَى مَنْزِلَةً؟ فَقَالَ: رَجُلٌ يَجِيءُ بَعْدَ مَا يَدْخُلُ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ، فَيُقَالُ: ادْخُلِ الْجَنَّةَ. فَيَقُولُ: كَيْفَ أَدْخُلُ الْجَنَّةَ وَقَدْ نَزَلَ النَّاسُ مَنَازِلَهُمْ وَأَخَذُوا أَخَذَاتِهِمْ. فَيُقَالُ لَهُ: تَرْضَى أَنْ يَكُونَ لَكَ مِنَ الْجَنَّةِ مِثْلُ مَا كَانَ لِمَلِكٍ مِنْ مُلُوكِ الدُّنْيَا؟ فَيَقُولُ: نَعَمْ أَيْ رَبِّ.
পৃষ্ঠা - ৬৭২
যেমন অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন০ ং
অর্থাৎ “হারুন তাদেরকে পুর্বেই বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! বাছুর পুজা দ্বার তো
কেবল তােমাদেরকে পরীক্ষায়ই ফেলা হয়েছে ৷” (সুরা তা-হাং : ৯০)
এজন্য মুসা (আ) বলেছিলেনং : ৰুন্ন্শুর্জু০ ধুন্০ভু
অর্থাৎ “তুমিই এই পরীক্ষা দ্বারা যাকে ইচ্ছে পথভ্রষ্ট কর এবৎ যাকে ইচ্ছে হিদায়ত কর ৷
তুমিই নির্দেশ ও ইচ্ছার মালিক ৷ তুমি যা নির্দেশ বা ফয়সাল৷ কর তা বাধা দেয়ার মত কারো
শক্তি নেই এবং কেউ তা প্রতিহতওঙু করতে পারে না ৷
ন্ন্১প্রু;
এর্দুএা৷, ৷ ১“ ” ৷শুষ্ট্রক্ট্রা
তুমিই তাে আমাদের অভিভাবক, সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি দয়া কর
এবং ক্ষমাশীলদের মধ্যে তুমিই তো শ্রেষ্ঠ ৷ আমাদের জন্য নির্ধারিত কর ইহকা ৷ল ও পরকালের
কল্যাণ, আমরা তােমা র নিকট প্রত্যাবর্তন করেছি এবং অনুনয় বিনয় সহকারে তােমাকেই স্মরণ
করেছি ৷
উপরোক্ত তাফসীরটি আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা), মুজাহিদ, সাঈদ ইবন জুবাইর, আবুল
আলীয়া, ইবরাহীম তায়মী, যাহ্হাক, সুদ্দী, কাত ৷দা (র) ও আরো অনেকেই এরুপ ব্যাখ্যা
করেছেন ৷ আভিধানিক অর্থও তইি ৷
fl
আয়াতাৎশ : শু এ৮
অর্থাৎ--আমি যেসব বস্তু সৃষ্টি করেছি এগুলোর কারণে আমি মাঝে ইচ্ছে শাস্তি প্রদান
করব ৷ আমার রহমত তা তো প্ৰতেক বন্তুতে ব্যাপ্ত ৷ (সুরা আরাফ : ১৫৬)
সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন : “আল্লাহ
তাআলা যখন আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃজন সমাপ্ত করেন তখন তিনি একটি লিপি লিখলেন
ও আরশের উপর তার কাছে রেখে দিলেন, তাতে লেখা ছিল ন্ ;; :০ান্ ;১এ ;, ৷
“নিশ্চয়ই আমার রহমত আমার গযবকে হার মানায়’ ৷’
আল্পাহ তা আলা ইরশাদ করেন০ সুতরাং এটা আমি তাদের জন্যে নির্ধারিত করব যারা
তাকওয়া অবলম্বন করবে, যাকাত দেবে ও আমার নিদর্শনে বিশ্বাস করবে ৷” অর্থাৎ আমি
সুনিশ্চিতভাবে তাদেরকেই রহমত দান করব যারা এসব গুণের অধিকারী হবে ৷ “আর যারা
বার্তাবাহক উথী নবীর অনুসরণ করবে’ এখানে মুসা (আ)-এর কাছে আল্লাহ তা জানা
মুহাম্মদ (না) ও তার উষ্মত সম্বন্ধে উল্লেখ করে তাদের মর্যাদার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন এবং মুসা
(আ)-এর সাথে একান্ত আলাপে আল্লাহ্ তা’আলা এ বিষয়টিও জানিয়ে দিয়েছিলেন ৷ আমার
তাফসীর গ্রন্থে এই আয়াত ও তার পরবর্তী আয়াতের তাফসীর বর্ণনাকালে আমি এ সম্পর্কে
বিস্তারিত প্রয়োজনীয় আলোচনা পেশ করেছি ৷
فَيُقَالُ: لَكَ هَذَا، وَمِثْلُهُ، وَمِثْلُهُ. فَيَقُولُ: أَيْ رَبِّ، رَضِيتُ. فَيُقَالُ: إِنَّ لَكَ هَذَا وَعَشَرَةَ أَمْثَالِهِ. فَيَقُولُ: أَيْ رَبِّ رَضِيتُ. فَيُقَالُ لَهُ: لَكَ مَعَ هَذَا مَا اشْتَهَتْ نَفْسُكَ، وَلَذَّتْ عَيْنُكَ. وَسَأَلَ رَبَّهُ: أَيُّ أَهْلِ الْجَنَّةِ أَرْفَعُ مَنْزِلَةً؟ قَالَ: سَأُحَدِّثُكَ عَنْهُمْ، غَرَسْتُ كَرَامَتَهُمْ بِيَدِي، وَخَتَمْتُ عَلَيْهَا، فَلَا عَيْنٌ رَأَتْ، وَلَا أُذُنٌ سَمِعَتْ، وَلَا خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ وَمِصْدَاقُ ذَلِكَ فِي كِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى {فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ} [السجدة: 17] الْآيَةَ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، وَالتِّرْمِذِيُّ، كِلَاهُمَا عَنِ ابْنِ أَبِي عُمَرَ، عَنْ سُفْيَانَ، وَهُوَ ابْنُ عُيَيْنَةَ، بِهِ، وَلَفْظُ مُسْلِمٍ: «فَيُقَالُ لَهُ: أَتَرْضَى أَنْ يَكُونَ لَكَ مِثْلَ مُلْكِ مَلِكٍ مَنْ مُلُوكِ الدُّنْيَا؟ فَيَقُولُ: رَضِيتُ رَبِّ. فَيَقُولُ: لَكَ ذَلِكَ وَمِثْلُهُ وَمِثْلُهُ وَمِثْلُهُ وَمِثْلُهُ. فَيَقُولُ فِي الْخَامِسَةِ: رَضِيتُ رَبِّ. فَيَقُولُ: هَذَا لَكَ وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهِ، وَلَكَ مَا اشْتَهَتْ نَفْسُكَ وَلَذَّتْ عَيْنُكَ. فَيَقُولُ: رَضِيتُ رَبِّ. قَالَ: رَبِّ، فَأَعْلَاهُمْ مَنْزِلَةً؟ قَالَ: أُولَئِكَ الَّذِينَ أَرَدْتُ غَرَسْتُ كَرَامَتَهُمْ بِيَدِي، وَخَتَمْتُ عَلَيْهَا، فَلَمْ تَرَ عَيْنٌ، وَلَمْ تَسْمَعْ أُذُنٌ، وَلَمْ يَخْطُرْ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ» قَالَ: وَمِصْدَاقُهُ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ {فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ} [السجدة: 17] وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. قَالَ: وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، فَلَمْ يَرْفَعْهُ، وَالْمَرْفُوعُ أَصَحُّ.
পৃষ্ঠা - ৬৭৩
কাতাদা (র) বলেন, মুসা (আ) বলেছিলেন, “হে আমার প্রতিপালক! ফলকে আমি এমন
এক উম্মতের উল্লেখ দেখতে পাচ্ছি যারা হবে শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানব জাতির জন্য তাদের আবির্ভাব
হবে, তারা সৎ কার্যের নির্দেশ দান করবে, অসৎ কাজে নিষেধ করবে ৷ হে প্রতিপালক!
তাদেরকে আমার উম্মত করে দিন আল্লাহ ৷ আলা বললেন, না, ওরা আহমদের উম্মত৷ ’
পুনরায় মুসা (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক ! ফলকে আমি একটি উম্মতের উল্লেখ পাচ্ছি
যারা সৃষ্টি হিসেবে সর্বশেষ কিন্তু জান্নাতে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম ৷ হে আমার প্রতিপালক !
তাদেরকে আমার উম্মত করে দিন!’ আল্লাহ তাআলা বললেন, না, এরা আহমদের উম্মত ৷
আবার মুসা (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক ! ফলকে আমি একটি উম্মতের উল্লেখ পাচ্ছি,
যাদের অত্তরে আল্লাহ তাআলার কালাম সুরক্ষিত, অর্থাৎ ওরা আল্লাহ তাআলার কালামের
হাফিজ ৷ তারা হিফজ হতে আল্লাহ তা আলার কালাম তিলাওয়াত ৩করবেন ৷ উম্মতে মুহড়াম্মদীর
পুর্বে যেসব উষ্মত ছিলেন তারা দেখে দেখে আল্লাহ তা জানার কালাম তিলাওয়াত করতেন ৷
বিন্দু যখন তাদের থেকে আল্লাহ তা জানার ক ৷লাম উঠিয়ে নেয়া হতো, তখন তারা আর কিছুই
তিলাওয়াত করতে পারতো না ৷ কেননা, তারা আল্লাহ তা আলার কালামের কোন অং শ্ইি হিফজ
করতে পারেনি ৷ তারা পরবর্তীতে আল্লাহ তা জানার কালামকে আর চিনতেই সক্ষম হতো না ৷
কিন্তু উম্মতে মুহাষ্মদীকে আল্লাহ তাআলার কালাম হিফজ করার তাওফীক দান করা হয়েছে, যা
অন্য কা ৷উকে দান করা হয়নি ৷ মুসা (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক ওদেরকে আমার
উম্মত করে দিন’ ৷ আল্লাহ৩ তা জানা বললেন, ,না ওরা আহমদের উষ্মত ৷
মুসা (আ) আবারো বললেন, “হে আমার প্রতিপালক ফলকে আমি এমন একটি উম্মতের
উল্লেখ পাচ্ছি, যারা তাদের পুর্বের আসমানী কিতাবসমুহের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার এবং শেষ
কিতাবের প্ৰতিও বিশ্বাস স্থাপন করবে ৷ তারা পথভ্রষ্ট বিভিন্ন গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে,
এমনকি আখেরী যামানার একচক্ষুবিশিষ্ট মিথ্যাবাদী দাজ্জালের বিরুদ্ধেও জিহাদ করবে ৷
তাদেরকে আমার উন্নত করে দিন ৷ ” আল্লাহ তাআলা বললেন, না, ওরা আহমদের উম্মত ৷ ’
মুসা (আ) পুনরায় বললেন, “হে আমার প্রতিপালক ফলকে আমি এমন একটি উম্মতের উল্লেখ
পাচ্ছি৷ যার ৷আল্লাহ তা আলার নামের সাদকা খয়রাত নিজেরা খাবে কিত্তু তাদেরকে এটার জন্যে
আবার পুরস্কারও দেয়া হবে ৷” উম্মতে মুহাম্মদীর পুর্বে অন্যান্য উষ্মতের কোন ব্যক্তি যদি সাদকা
করত এবং তা আল্লাহ তাআলার দরবারে কবুল হত তখন আল্লাহ তাআলা আগুন প্রেরণ
করতেন এবং সে আগুন তা পুড়িয়ে দিত ৷ কিত্তু যদি তা কবুল না হত তাহলে আগুন তা
পােড়াত না ৷ বরং এটাকে পশু-পাখিরা খেয়ে ফেলত এবং আল্লাহ তাআলা ঐ উষ্মতের ধনীদের
সাদকা দরিদ্রদের জন্যে গ্রহণ করবেন ৷ মুসা (আ) বললেন, “হে আমার প্রতিপালক ৷ এদেরকে
আমার উষ্মত বানিয়ে দিন ৷ আল্লাহ তাআলা বললেন, না, ওরা আহমদের উম্মত ৷ মুসা (আ)
পুনরায় বললেন, “ফলকে আমি এমন এক উম্মতের উল্লেখ পাচ্ছি, তারা যদি একটি নেক কাজ
করতে ইচ্ছে করে অথচ পরবর্তীতে তা করতে না পারে, তাহলে তাদের জন্য একটি নেকী লেখা
হবে ৷ আর যদি তা তারা করতে পারে, তাহলে তাদের জন্যে দশ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত
নেকী দেয়৷ হবে ৷ ওদেরকে আমার উষ্মত করে দিন !” আল্লাহ তাআলা বললেন, “না, ওরা
আহমদের উম্মত ৷” মুসা (আ) পুনরায় বললেন, “আমি ফলকে এমন একটি উম্মতের উল্লেখ
وَقَالَ ابْنُ حِبَّانِ: ذِكْرُ سُؤَالِ الْكَلِيمِ رَبَّهُ عَنْ خِصَالٍ سَبْعٍ; حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلْمٍ، بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ، حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ أَبَا السَّمْحِ حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ حُجَيْرَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «سَأَلَ مُوسَى رَبَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، عَنْ سِتِّ خِصَالٍ كَانَ يَظُنُّ أَنَّهَا لَهُ خَالِصَةٌ، وَالسَّابِعَةُ لَمْ يَكُنْ مُوسَى يُحِبُّهَا; قَالَ: يَا رَبِّ أَيُّ عِبَادِكَ أَتْقَى؟ قَالَ: الَّذِي يَذْكُرُ وَلَا يَنْسَى. قَالَ: فَأَيُّ عِبَادِكَ أَهْدَى؟ قَالَ الَّذِي يَتَّبِعُ الْهُدَى. قَالَ: فَأَيُّ عِبَادِكَ أَحْكَمُ؟ قَالَ: الَّذِي يَحْكُمُ لِلنَّاسِ كَمَا يَحْكُمُ لِنَفْسِهِ. قَالَ: فَأَيُّ عِبَادِكَ أَعْلَمُ؟ قَالَ: عَالِمٌ لَا يَشْبَعُ مِنَ الْعِلْمِ، يَجْمَعُ عِلْمَ النَّاسِ إِلَى عِلْمِهِ. قَالَ: فَأَيُّ عِبَادِكَ أَعَزُّ؟ قَالَ: الَّذِي إِذَا قَدَرَ غَفَرَ. قَالَ: فَأَيُّ عِبَادِكَ أَغْنَى؟ قَالَ: الَّذِي يَرْضَى بِمَا يُؤْتَى. قَالَ: فَأَيُّ عِبَادِكَ أَفْقَرُ؟ قَالَ: صَاحِبٌ مَنْقُوصٌ» قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ الْغِنَى عَنْ ظَهْرٍ، إِنَّمَا الْغِنَى غِنَى النَّفْسِ، وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدٍ خَيْرًا جَعَلَ غِنَاهُ فِي نَفْسِهِ، وَتُقَاهُ فِي قَلْبِهِ، وَإِذَا أَرَادَ بِعَبْدٍ شَرًّا جَعَلَ فَقْرَهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ» .
قَالَ ابْنُ حِبَّانَ: قَوْلُهُ: صَاحِبٌ مَنْقُوصٌ. يُرِيدُ بِهِ مَنْقُوصَ حَالَتِهِ، يَسْتَقِلُّ مَا أُوتِيَ، وَيَطْلُبُ الْفَضْلَ.
وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ فِي " تَارِيخِهِ "، عَنِ ابْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ يَعْقُوبَ
পৃষ্ঠা - ৬৭৪
পাচ্ছি যারা অন্যদের জন্যে কিয়ামতের দিন সুপারিশ করবে এবং তাদের সে সুপারিশ কবুলও
করা হবে ৷ তাদেরকে আমার উম্মত করে দিন ৷” আল্লাহ তাআলা বললেন, “না, এরা
আহমদের উষ্মত ৷ ”
কাতাদা (র) বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করা হয়েছে যে, অতঃপর মুসা (আ) ফলক
ফেলে দিলেন এবং বললেন ! ব ং৷ গ্লু, স্টো ণ্ধ্া৷ ! হে আল্লাহ ! আমাকেও
আহমদের উম্মতে শামিল করুন ৷ অনেকেই মুসা (আ) এর এরুপ মুনাজাত উল্লেখ করেছেন
এবং ঘুনাজাতে এমন বিষয়াদি সম্বন্ধে উল্লেখ রয়েছে, যেগুলোর কোন ভিত্তি খুজে পাওয়া যায়
না ৷ তাই বিশুদ্ধ হাদীস ও রাণীসমুহেয় মাধ্যমে প্রাপ্ত এ সংক্রান্ত বিবরণ আল্লাহ তাআলার
সাহায্য, তাওফীক, হিদায়াত ও সহায়তা নিয়ে পেশ করব ৷
হাফিজ আবু হড়াতিম মুহাম্মদ ইবন হড়াতিম ইবন হিব্বড়ান (র) তার বিখ্যাত সহীহ’ গ্রন্থে
জান্নাতীদের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলার কাছে মুসা (আ ) এর জিজ্ঞাসা
সম্পর্কে বলেন : মুপীরা ইবন তারা (বা) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুল (সা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
মুসা (আ) আল্লাহ তাআলাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, জান্নাভীদের মধ্যে মর্যাদার সর্বনিম্ন কে ?
আল্লাহ তাআলা বলেন, জান্নড়াভীগণ জান্নড়াতে প্রবেশ করার পর এক ব্যক্তি আগমন করবে ৷
তখন তাকে বলা হবে, তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর ৷ যে ব্যক্তি বলবে, আমি (কমন করে জান্নাতে
প্রবেশ করবো অথচ লোকজন সকলেই নিজ নিজ স্থান করে নিয়েছে ও নির্ধারিত নিয়ামত লাভ
করেছে ৷ তাকে তখন বলা হবে যে, যদি তোমাকে দুনিয়ার রাজাদের কোন এক রাজার রাজেব্রর
সমান জান্নাত দেয়া হয়, তাহলে কি তুমি সন্তুষ্ট হবো উত্তরে সে বলবে, ইশ্বা , আমার
প্রতিপালকৰু’ তাকে তখন বলা হবে, তোমার জন্যে এটা এটার ন্যায় আরো একটা এবং এটার
ন্যায় আরো এক জান্নাত ৷ সে তখন বলবে, হে আমার প্রতিপালক ! আমি সন্তুষ্ট ৷ ’ তখন তাকে
বলা হবে, এর সাথে রয়েছে তোমার জন্যে যা তোমার মন চাইবে ও যাতে চোখ জুড়াবে ৷ ’ মুসা
(আ) আল্লাহ তাআলড়ার কাছে জানতে চান, জান্নাডীদের মধ্যে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী ৫ক?’
আল্লাহ্ তাআলা বললেন, “তাদের সম্বন্ধে আমি তোমাকে বলছি, তাদের মর্যাদার বৃক্ষটি আমি
নিজ কুদরতী হাতে রোপণ করেছি এবং তা চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছিয়েছি- তা এমন যা কোন দিন
কোন চোখ দেখেনি, কোন কান শুনেনি এবং যা কোন আদম সন্তানের কল্পনায় আসেনি ৷”
এ হাদীসের বক্তব্যের যথার্থতার প্রমাণ বহন করে কুরআন মজীদের নিম্নোক্ত আয়াত
ঠো
অর্থাৎ “কেউই জানে না তাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর কি লুক্কায়িত রাখা হয়েছে তাদের
কৃতকর্মের পুরস্কার স্বরুপ ৷” (৩২ সাজদা : ১ ৭)
অনুরুপভাবে ইমাম মুসলিম (র) ও ইমাম তিরমিযী (র) সুফিয়ান ইবন উয়াইনা (র) সুত্রে
বর্ণনা করেন, মুসলিমের পাঠ হচ্ছে : র্দে০প্রুও ধ্৷ (ত্রেব্র অতঃপর তাকে বলা হবে যদি
পৃথিবীর কোন রাজার রাজ্যের সমতুল্য তোমাকে দান করা হয় তাতে কি তুমি সন্তুষ্ট হবো তখন
যে ব্যক্তি বলবে, হে আমার প্রতিপালক ! আমি এতে সত্তুষ্ট ৷ ’ আল্লাহ তাআলা বলবেন, তোমার
জন্যে রয়েছে এটা, এটার অনুরুপ এবং এটার অনুরুপ ৷ এটার অনুরুপ, আরো এটার অনুরুপ
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম ঞ্জো)ধ্হুমিঃন্তোমোঃজ্যো
الْقُمِّيِّ، عَنْ هَارُونَ بْنِ عَنْتَرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: سَأَلَ مُوسَى رَبَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ، وَفِيهِ: قَالَ: أَيْ رَبِّ، فَأَيُّ عِبَادِكَ أَعْلَمُ؟ قَالَ: الَّذِي يَبْتَغِي عِلْمَ النَّاسِ إِلَى عِلْمِهِ، عَسَى أَنْ يُصِيبَ كَلِمَةً تَهْدِيهِ إِلَى هُدًى، أَوْ تَرُدُّهُ عَنْ رَدًى. قَالَ: أَيْ رَبِّ، فَهَلْ فِي الْأَرْضِ أَحَدٌ أَعْلَمُ مِنِّي؟ قَالَ: نَعَمْ، الْخَضِرُ. فَسَأَلَ السَّبِيلَ إِلَيْهِ، فَكَانَ مَا سَنَذْكُرُهُ بَعْدُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى وَبِهِ الثِّقَةُ.