قصة موسى الكليم عليه الصلاة والسلام
سؤال الرؤية
পৃষ্ঠা - ৬৫৪
া,এেও
(,দ্বুএন্এহুশু ৷টুট্াওঘুৰু র্বু ৷ বৃএ,ঠুপু fl$ ^ৰু£শুপুথ্রো
“স্মরণ কর মুসার জন্য আমি ত্রিশ রাত নির্ধারিত কবি এবং আরো দশ দ্বারা তা পুর্ণ করি ৷
এভাবে তার প্রতিপালকের নির্ধারিত সময় চল্লিশ রাত্রিতে পুর্ণ হয় এবং মুসাত তার ভাই হারুন
(আ)-কে বলল, আমার অনুপস্থিতিতে আমার সম্প্রদায়ের মধ্যে তুমি আমার প্রতিনিধিত্ব করবে;
সংশোধন করবে এবং বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পথ অনুসরণ করবে না , মুসা যখন আমার নির্ধারিত
সময়ে উপস্থিত হল এবং তার প্রতিপালক তার সাথে কথা বললেন, তখন সে বলল হে আমার
প্রতিপালক! আমাকে দর্শন দাও, আমি (ত তামাকে দেখব ৷ তিনি বললেন তুমি আমাকে কখনই
দেখতে পাবে না, বরং তুমি পাহাড়ের প্রতি লক্ষ্য কর, এটা স্বস্থানে স্থির থাকলেত তবে ভুমি
আমাকে দেখবে’ ৷ যখন তার প্রতিপালক পাহাড়ে জ্যোতি প্রকাশ করলেন, তখন তা পাহাড়কে
চুর্ণ-বিচুর্ণ করল ৷ আর মুসা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ল ৷ যখন সে জ্ঞান ফিরে পেল তখন সে বলল,
মহিমময় তুমি , আমি অনুতপ্ত হয়ে তােমাতেই প্রত্যাবর্তন করলাম এবং মুমিনদের মধ্যে আমিই
প্রথম ৷’
তিনি বললেন, হে মুসা ! আমি তোমাকে আমার বিসালাত ও বাক্যালাপ দ্বারা মানুষের মধ্যে
শ্রেষ্ঠতু দিয়েছি; সুতরাৎ আমি যা দিলাম তা গ্রহণ কর এবং কৃতজ্ঞ হও ৷ আমি তার জন্য ফলকে
সর্ববিষয়ে উপদেশ ও সকল বিষয়ের স্পষ্ট ব্যাখ্যা লিখে দিয়েছি; সুতরাং এগুলো শক্তভাবে ধর
এবং তোমার সম্প্রদায়কে এগুলোর যা উত্তম তা গ্রহণ করতে নির্দেশ দাও ৷ আমি শীঘ্র
সতৰুত্যাগীদের বাসস্থান তােমাদেরকে দেখার ৷ পৃথিবীতে যারা অন্যায়ভাবে দন্ত করে রেড়ায়
তাদের দৃষ্টি আমার নিদশ্নি থেকে ফিরিয়ে দেব, তারা আমার প্রত্যেকটি নিদর্শন দেখলেও তাতে
বিশ্বাস করবে না, তারা সৎপথ দেখলেও এটাকে পথ বলে গ্রহণ করবে না ৷ কিন্তু তারা ভ্রান্ত
পথ দেখলে এটাকে তারা পথ হিসেবে গ্রহণ করবে, এটা এজন্য যে, তারা আমার নিদর্শনকে
অস্বীকার করেছে এবং সে সম্বন্ধে তারা ছিল পাফিল ৷ যারা আমার নিদর্শন ও পরকালে
সাক্ষাৎকে অস্বীকার করেত তাদের কার্য নিম্ফল হয় ৷ তারা যা করে তদনুযায়ীই তাদেরকে
প্রতিফল দেয়৷ হবে ৷” (সুরা আ রাফং : ১ : ২ ১ : ৭)
পুর্ববর্তী যুগের উলামায়ে কিরামের একটি দল, যাদের মধ্যে প্রসিদ্ধ আবদুল্লাহ ইবন
আব্বাস (রা) ও মুজাহিদ (র) বলেন, আয়াতে উল্লেখিত ত্রিশ রাত্রের অর্থ হচ্ছে যিলকাদ মাসের
পুর্ণটা এবং যিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ রাত যেটি চল্লিশ রাত ৷ এ হিসেবে মুসা (আ)-এর জন্যে
আল্লাহ তআলার বাক্যালাপের দিন হচ্ছে কুরব৷ ৷নীর ঈদের দিন ৷ আর অনুরুপ একটি দিলেই
আল্লাহ তা আলা মুহাম্মদ (সা) এর জন্যে তার দীনকে পুর্ণতা দান করেন এবং তার
দলীল প্রমাণাদি প্রতিষ্ঠিত করেছেন ৷
মুলত মুসা (আ) যখন তার নির্ধারিত মেয়াদ পরিপুর্ণ করলেন তখন তিনি ছিলেন
রােযাদার ৷ কথিত আছে, তিনি কো ন প্রকার খাবার চাননি ৷ অত তঃপর যখন মাস সমাপ্ত হল৩ তিনি
এক প্রকার একটি বৃক্ষের ছ ল হাতে নিলেন এবং মুখে সুগন্ধি আনয়ন করার জন্যেত তা একটু
চিবিয়ে নিলেন ৷ কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাকে আরো দশদিন রােয৷ রাখত আদেশ দিলেন ৷
তাতে চল্লিশ দিন পুরা হলো ৷ আর এ কারণে হাদীস শরীফে রয়েছে যে, ণ্;া৷ ৷ ণ্রু এ্গ্লুা
[سُؤَالُ الرُّؤْيَةِ]
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَوَاعَدْنَا مُوسَى ثَلَاثِينَ لَيْلَةً وَأَتْمَمْنَاهَا بِعَشْرٍ فَتَمَّ مِيقَاتُ رَبِّهِ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً وَقَالَ مُوسَى لِأَخِيهِ هَارُونَ اخْلُفْنِي فِي قَوْمِي وَأَصْلِحْ وَلَا تَتَّبِعْ سَبِيلَ الْمُفْسِدِينَ وَلَمَّا جَاءَ مُوسَى لِمِيقَاتِنَا وَكَلَّمَهُ رَبُّهُ قَالَ رَبِّ أَرِنِي أَنْظُرْ إِلَيْكَ قَالَ لَنْ تَرَانِي وَلَكِنِ انْظُرْ إِلَى الْجَبَلِ فَإِنِ اسْتَقَرَّ مَكَانَهُ فَسَوْفَ تَرَانِي فَلَمَّا تَجَلَّى رَبُّهُ لِلْجَبَلِ جَعَلَهُ دَكًّا وَخَرَّ مُوسَى صَعِقًا فَلَمَّا أَفَاقَ قَالَ سُبْحَانَكَ تُبْتُ إِلَيْكَ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُؤْمِنِينَ - قَالَ يَا مُوسَى إِنِّي اصْطَفَيْتُكَ عَلَى النَّاسِ بِرِسَالَاتِي وَبِكَلَامِي فَخُذْ مَا آتَيْتُكَ وَكُنْ مِنَ الشَّاكِرِينَ - وَكَتَبْنَا لَهُ فِي الْأَلْوَاحِ مِنْ كُلِ شَيْءٍ مَوْعِظَةً وَتَفْصِيلًا لِكُلِ شَيْءٍ فَخُذْهَا بِقُوَّةٍ وَأْمُرْ قَوْمَكَ يَأْخُذُوا بِأَحْسَنِهَا سَأُرِيكُمْ دَارَ الْفَاسِقِينَ - سَأَصْرِفُ عَنْ آيَاتِيَ الَّذِينَ يَتَكَبَّرُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَإِنْ يَرَوْا كُلَ آيَةٍ لَا يُؤْمِنُوا بِهَا وَإِنْ يَرَوْا سَبِيلَ الرُّشْدِ لَا يَتَّخِذُوهُ سَبِيلًا وَإِنْ يَرَوْا سَبِيلَ الْغَيِّ يَتَّخِذُوهُ سَبِيلًا ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَكَانُوا عَنْهَا غَافِلِينَ - وَالَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَلِقَاءِ الْآخِرَةِ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ هَلْ يُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ} [الأعراف: 142 - 147]
[الْأَعْرَافِ: 142 - 147] . قَالَ جَمَاعَةٌ مِنَ السَّلَفِ; مِنْهُمُ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَمَسْرُوقٌ، وَمُجَاهِدٌ: الثَّلَاثُونَ لَيْلَةً هِيَ; شَهْرُ ذِي الْقَعْدَةِ
পৃষ্ঠা - ৬৫৫
৷ অর্থাৎ রোযাদারের মুখের গন্ধ, আল্লাহ তাআলার
কাছে মিশকের সুগন্ধি উত্তম ৷
মুসা (আ) যখন তার নির্ধারিত মেয়াদ পুর্ণ করার জন্যে পাহাড় পানে রওয়ানা হলেন, তখন
ভাই হারুন (আ) কে বনী ইসরা ঈলের কাছে স্বীয় প্রতিনিধিরুপে রেখে গেলেন ৷ হারুন (আ)
ছিলেন মুসা (আ) এর সহােদর ভাই ৷ অতি নিষ্ঠাবান দায়িত্বশীল ও জনপ্রিয় ব্যক্তি ৷
আল্লাহ তাআলার মনোনীত ধর্মের প্রতি আহ্বানের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন মুসা (আ)-এর
সাহায্যকারী ৷ মুসা (আ) তাকে প্রয়োজনীয় কাজের আদেশ দিলেন ৷ নবুওতের ক্ষেত্রে তার
বিশিষ্ট মর্যাদা থাকায় মুসা (আ) এর নবুওত্ত তর মর্যাদার কোন ব্যাঘাত ঘটেনি ৷ আল্লাহ তা আলা
ইরশাদ করেন : (:; ব্লু১র্দুদ্বু,া১;ক্রো ১ট্রুপ্রুখুৰু é ৷হ্র €fi’, (অর্থাৎ মুসা (আ) যখন তার
জন্যে নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত স্থানে পৌছলেন তখন তার প্রতিপালক আল্লাহ তা ’আলা পর্দায়
আড়াল থেকে তার সাথে কথা বললেন ৷) আল্লাহ তা আল৷ তাকে আপন কথা শুনালেন; মুসা
(আ)-কে আহ্বান করলেন, সংব্গাপনে তার সাথে কথা বললেন; এবং নিকটবর্তী করে নিলেন,
এটা উচ্চ একটি সম্মানিত স্থান, দৃর্ভেদ্য দুর্গ, সম্মানিত পদমর্যাদা ও অতি উচ্চ অবস্থান ৷ তার
উপর আল্লাহ তাঅ৷ ৷লার অবিরাম দরুদ এবং দুনিয়া ও আখিরাতে তার উপর আল্লাহ তা’আলার
সালাম বা শান্তি ৷ যখন তাকে উচ্চ মর্যাদা ও মহাসষ্মড়ান দান করা হল এবং তিনি আল্লাহ
তা জানার কালাম শুনলেন, তখন তিনি পর্দা ৷সরিয়ে নেবার আবেদন করলেন এবং এমন মহান
সত্তার উদ্দেশে যাকে দৃনিয়ার৷ সা ধারণ চোখ দেখতে পায় না, তার উদ্দেশে বললেন :
) &’
“ ’ হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দর্শন দাও আমি তোমাকে
দেখব ৷ আল্লাহ্ উত্তরে বলেনং : ১ ৷ প্রু১ :,;> মি আমাকে কখনই দেখতে পাবে না ৷ অর্থাৎ
মুসা (আ) আল্লাহ্ তাআলার প্রকাশের সময় স্থির থাকতে পারবেন না; কেননা পাহাড় যা
মানুষের তুলনায় অধিকতর স্থির ও কাঠামোগতভ ৷বে অধিক শক্তিশালী ৷ পাহাড়ই যখন আল্লাহ
তা আলার জ্যোতি প্রকাশের সময় স্থির থাকতে পারে না তখন মানুষ কেমন করে প ববে০ এ
জন্যই আল্লাহ্ তা আলা বলেন৪ ৷ ;,ছু১দ্ভু
গো ৷প্রুও র্মুগ্লু১ৰু১৷ অর্থাৎ তুমি বরং পাহাড়ের প্রতি লক্ষ্য কর৩ তা স্বস্থানে স্থির থা ৷কলে তবে ভুমি
আমাকে দেখতে পারবে
প্রাচীন যুগের কিতাবগুলোতে বর্ণিত রয়েছে যে, আল্লাহ তাআলা মুসা (আ)-কে বললেন,
হে মুসা, কোন জীবিত ব্যক্তি আমাকে দেখলে মারা পড়বে এবং কোন শুষ্ক দ্রব্য আমাকে
দেখলে উলট-পালট হয়ে গড়িয়ে পড়বে ৷ বুখারী ও মুসলিম শরীফে আবু মুসা (বা) হতে বর্ণিত
আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন যে , আল্লাহ্ তাআলার পর্দা হচ্ছে নুর বা জ্যোতির ৷
অন্য এক বর্ণনা মতে, আল্লাহ তাআলার পর্দা হচ্ছে আগুন ৷ যদি তিনি পর্দা সরান তাহলে তার
চেহারার ঔজ্জ্বল্যের দরুন যতদুর তার দৃষ্টি পৌছে সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়েযাবে ৷
আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) আয়াতাংশ ? ’§ ৷ , ১১ ১৷ এর তাফসীর প্রসঙ্গে
বলেন, এটা হচ্ছে আল্লাহ্ তা আলড়ার ঐ নুর যা কোন বস্তুর সামনে প্রকাশ করলে তা ঢিকতে
পারবে না ৷ এজন্যই অ ৷ল্লাহ্ তা আলা ইরশাদ করেছেন :
بِكَمَالِهِ، وَأُتِمَّتْ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً بِعَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ. فَعَلَى هَذَا يَكُونُ كَلَامُ اللَّهِ لَهُ يَوْمَ عِيدِ النَّحْرِ، وَفِي مِثْلِهِ أَكْمَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِينَهُ، وَأَقَامَ حُجَّتَهُ وَبَرَاهِينَهُ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَمَّا اسْتَكْمَلَ الْمِيقَاتَ، وَكَانَ فِيهِ صَائِمًا، يُقَالُ: إِنَّهُ لَمْ يَسْتَطْعِمِ الطَّعَامَ. فَلَمَّا كَمَلَ الشَّهْرُ أَخَذَ لِحَا شَجَرَةٍ فَمَضَغَهُ، لِيُطَيِّبَ رِيحَ فَمِهِ، فَأَمَرَ اللَّهُ أَنْ يُمْسِكَ عَشْرًا أُخْرَى، فَصَارَتْ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً. وَلِهَذَا ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ أَنَّ: «خَلُوفَ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ» فَلَمَّا عَزَمَ عَلَى الذَّهَابِ، اسْتَخْلَفَ عَلَى شَعْبِ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَخَاهُ هَارُونَ الْمُحَبَّبَ الْمُبَجَّلَ الْجَلِيلَ، وَهُوَ ابْنُ أُمِّهِ وَأَبِيهِ، وَوَزِيرُهُ فِي الدَّعْوَةِ إِلَى مُصْطَفِيهِ، فَوَصَّاهُ وَأَمَرَهُ وَنَهَاهُ، وَلَيْسَ فِي هَذَا لِعُلُوِّ مَنْزِلَتِهِ فِي نُبُوَّتِهِ مُنَافَاةٌ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَمَّا جَاءَ مُوسَى لِمِيقَاتِنَا} [الأعراف: 143] أَيْ; فِي الْوَقْتِ الَّذِي أُمِرَ بِالْمَجِيءِ فِيهِ، {وَكَلَّمَهُ رَبُّهُ} [الأعراف: 143] أَيْ; كَلَّمَهُ اللَّهُ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ، إِلَّا أَنَّهُ أَسْمَعَهُ الْخِطَابَ، فَنَادَاهُ وَنَاجَاهُ، وَقَرَّبَهُ وَأَدْنَاهُ، وَهَذَا مَقَامٌ رَفِيعٌ، وَمَعْقِلٌ مَنِيعٌ، وَمَنْصِبٌ شَرِيفٌ، وَمَنْزِلٌ مُنِيفٌ، فَصَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِ تَتْرَى وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ فِي الدُّنْيَا وَالْأُخْرَى. وَلَمَّا أُعْطِيَ هَذِهِ الْمَنْزِلَةَ الْعَلِيَّةَ وَالْمَرْتَبَةَ السَّنِيَّةَ، وَسَمِعَ الْخِطَابَ، سَأَلَ رَفْعَ الْحِجَابِ، فَقَالَ لِلْعَظِيمِ الَّذِي لَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ، الْقَوِّيُّ الْبُرْهَانِ: {رَبِّي أَرِنِي أَنْظُرْ إِلَيْكَ قَالَ لَنْ تَرَانِي} [الأعراف: 143] ثُمَّ بَيَّنَ تَعَالَى أَنَّهُ لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَثْبُتَ عِنْدَ تَجَلِّيهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى; لِأَنَّ الْجَبَلَ الَّذِي هُوَ أَقْوَى وَأَكْبَرُ ذَاتًا، وَأَشَدُّ ثَبَاتًا مِنَ الْإِنْسَانِ، لَا يَثْبُتُ عِنْدَ التَّجَلِّي مِنَ الرَّحْمَنِ، وَلِهَذَا قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৬৫৬
“যখন তার প্রতিপালক পাহাড়ে জ্যোতি প্রকাশ করলেন তখন তা পাহাড়কে চুর্ণ বিচুর্ণ
করল ৷ আর মুসা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ল, যখন সে জ্ঞান ফিরে পেল তখন সে বলে উঠল৪
মহিমময় তুমি , আমি অনুতপ্ত হয়ে তােমাতেই প্রত্যাবর্তন করলাম এবং ঘুমিনদেব মধ্যে আমিই
প্রথম ৷ ”
মুজাহিদ (র) ৷ , দ্বু,পুর্চুর্ন্ত হ্পুাধু ’ ’ ,র্চু;ঠু” ৷ ;,ান্ স্পে ৷ চুে৷ ৷ ,(; ৷ ৰু,ষ্কৃাদ্বু
আয়াতাংশ-এর তাফসীর প্রসঙ্গে বলেনং :
এটার অর্থ হচ্ছে পাহাড় তোমার চাইতে বড় এবং কাঠামােতেও তোমার চ ইভ্রু
অধিকতর শক্ত, যখন তার প্রতিপালক পাহাড়ে জ্যোতি প্রকাশ করলেন, মুসা (আ) পাহাড়ের
প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখেন, পাহাড় স্থির থাকতে পারছে না ৷ পাহাড় সামনের দিকে অগ্রসর
হচ্ছে, প্রথম ধাক্কায় তা চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে গেল ৷ মুসা (আ) প্রত্যক্ষ করছিলেন পাহাড় কি করে ৷
অতঃপর তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লেন ৷ ইমাম আহমদ (ব) ও তিরমিযী (ব ) হতে বর্ণিত এবং
ইবন জারীর (র) ও হাকিম (র) কর্তৃক সত্যায়িত এ ৰিববণটি আমি আমার তাফসীর গ্রন্থে বর্ণনা
করেছি ৷ ইবন জারীর (ব) আনাস (রা) সুত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতে অতিবিক্ত এটুকু রয়েছে যে
একদিন রাসুলুল্লাহ (সা) ৷দ্বু র্ধার্ধব্লু ক্রো দ্বুর্বৃ ষ্া১ র্দুর্দুৰু আয়াতাংশ তিলাওয়াত
করেন এবং আঙ্গুলে ইশারা করে বলেন, এভাবে পাহাড় ধসে গেল বলে রাসুলুল্পাহ (সা)
বৃদ্ধাঙ্গুলিকে কনিষ্ঠা আঙ্গুলেব উপরের জােড়ায় স্থাপন করলেন ৷
সুদ্দী (ব) ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি তার জ্যোতি কনিষ্ঠ অঙ্গুলির
পরিমাণে প্রকাশ করার পাহাড় চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে গেল অর্থাৎ মাটি হয়ে গেল ৷ আয়াতাৎশ ক্ট্রব্লু এ
উল্লেখিত ৷দ্রন্শু১ ঢ়’ট্রুঝু র্চুব্লুদ্বু এর অর্থ হচ্ছে বেভুশ হয়ে যাওয়া ৷ কাতাদা (ব) বলেন এটার
অর্থ হচ্ছে মারা যাওয়াত তবে প্রথম অর্থটি বিশুদ্ধতর ৷ কেননা, পরে আল্লাহ তা আলা বলেছেন :
দ্বুক্রো এেষ্ কেননা বেহুশ হবার পরই জ্ঞ ন ফিরে পায় ৷ আয়াতাৎ শ দ্বু শু১ র্চুাট্রুর্চুশু
ষ্প্রুপু ৷ শুর্দু, ৷ ৷,ার্চু শ্া৷ ৷ (মহিমময় তুমি, আমি অনুতপ্ত হয়ে তােমাতেই প্রত্যাবর্তন
করলাম এবং ঘুমিনদেব আমিই প্রথম ৷) অর্থাৎ আল্লাহ যেহেতু মহিমময় ও মহাসম্মানিত
সেহেতু কেউ তাকে দেখতে পারবে না ৷ মুসা (আ) বলেন, এর পর আর কোন দিনও তোমার
দর্শনের আকভক্ষা করব না ৷ আমিই প্রথম মুমিন অর্থাৎ তোমাকে কোন জীবিত লোক দেখলে
মারা যাবে এবং কোন শুষ্ক বন্তু দেখলে তা গড়িয়ে পড়বে ৷ ৰুখাবী ও মুসলিম শরীফে আবু
সাঈদ খুদরী (ব) থেকে বর্ণিত রয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) ইবশাদ করেন : “আমাকে তোমরা
আম্বিয়ায়ে কিরামের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে প্রাধান্য দিও না ৷ কেননা, কিয়ামবুত তব দিন যখন মানব
জাতি জ্ঞানহারা হয়ে যাবে, তখন আমিই সর্বপ্রথম জ্ঞান ফিরে পাব ৷ আর তখন আমি মুসা
(আ) ৫-ক আল্লাহ তাআলার আরশের কাছে স্তম্ভ ধরে থাকতে দেখতে পাব ৷ আমি জানি না,
তিনি কি আমার পুর্বেই জ্ঞান ফিরে পাবেন, না কি তাকে তুর পাহাড়ে জ্ঞান হারাবার প্রতিদান
দেয়৷ হবে ৷’ পাঠটি বুখারীর ৷
আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৮০-
{وَلَكِنِ انْظُرْ إِلَى الْجَبَلِ فَإِنِ اسْتَقَرَّ مَكَانَهُ فَسَوْفَ تَرَانِي} [الأعراف: 143] .
وَفِي الْكُتُبِ الْمُتَقَدِّمَةِ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ لَهُ: يَا مُوسَى، إِنَّهُ لَا يَرَانِي حَيٌّ إِلَّا مَاتَ، وَلَا يَابِسٌ إِلَّا تَدَهْدَهَ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ "، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «حِجَابُهُ النُّورُ» وَفِي رِوَايَةٍ: «النَّارُ، لَوْ كَشَفَهُ لَأَحْرَقَتْ سُبُحَاتُ وَجْهِهِ مَا انْتَهَى إِلَيْهِ بَصَرُهُ مِنْ خَلْقِهِ» وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {لَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ} [الأنعام: 103] ذَاكَ نُورُهُ الَّذِي هُوَ نُورُهُ إِذَا تَجَلَّى لِشَيْءٍ لَا يَقُومُ لَهُ شَيْءٌ; وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {فَلَمَّا تَجَلَّى رَبُّهُ لِلْجَبَلِ جَعَلَهُ دَكًّا وَخَرَّ مُوسَى صَعِقًا فَلَمَّا أَفَاقَ قَالَ سُبْحَانَكَ تُبْتُ إِلَيْكَ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُؤْمِنِينَ} [الأعراف: 143] قَالَ مُجَاهِدٌ: {وَلَكِنِ انْظُرْ إِلَى الْجَبَلِ فَإِنِ اسْتَقَرَّ مَكَانَهُ فَسَوْفَ تَرَانِي} [الأعراف: 143] فَإِنَّهُ أَكْبَرُ مِنْكَ وَأَشَدُّ خَلْقًا، فَلَمَّا تَجَلَّى رَبُّهُ لِلْجَبَلِ فَنَظَرَ إِلَى الْجَبَلِ لَا يَتَمَالَكُ، وَأَقْبَلَ الْجَبَلُ فَدُكَّ عَلَى أَوَّلِهِ، وَرَأَى مُوسَى مَا يَصْنَعُ الْجَبَلُ، فَخَرَّ صَعِقَا. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي " التَّفْسِيرِ " مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ، وَصَحَّحَهُ ابْنُ جَرِيرٍ، وَالْحَاكِمُ، مِنْ طَرِيقِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، زَادَ ابْنُ جَرِيرٍ، وَلَيْثٌ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ: {فَلَمَّا تَجَلَّى رَبُّهُ لِلْجَبَلِ جَعَلَهُ دَكًّا} [الأعراف: 143] قَالَ: هَكَذَا بِأُصْبُعِهِ وَوَضَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْإِبْهَامَ عَلَى الْمَفْصِلِ الْأَعْلَى
পৃষ্ঠা - ৬৫৭
এ হাদীসের প্রথম দিকে এক ইহুদীর ঘটনা রয়েছে ৷ একজন আনসারী তাকে চড়
মেরেছিলেন যখন সে বলেছিল : অর্থাৎ না,
এমন সভার শপথ করে বলছি যিনি মুসা (আ)-কে সমস্ত বনী আদমের মধ্যে অধিকতর সম্মান
দিয়েছেন ৷ তখন আনসারী প্রশ্ন করেছিলেন আল্লাহ কি মুহাম্মদ (সা) থেকেও মুসা (আ)-কে
অধিক সম্মান দিয়েছিলেন? ইহুদী বলল, ইা, এ সময় রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন :
বুখারী ও মুসলিম শরীফে আবু হুরায়রা (বা) হতেও
অনুরুপ বর্ণনা রয়েছে ৷ এই হড়াদীসে , ন্প্রুএে ফাং :১এেন্ন্১১ ১! অর্থাৎ মুসা (আ) থেকে
আমাকে অপ্রাধিকার দেবে না, কথাঢিরও উল্লেখ রয়েছে ৷ এরুপ নিষেধ করার কারণ বিভিন্ন হতে
পারে ৷ কেউ কেউ বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (সা) এটা বিনয় প্রকাশ করার জন্য বলেছিলেন ৷ আবার
কেউ কেউ বলেন, এটার অর্থ হচ্ছে আমার প্রতি পক্ষপাতিতৃ করে কিৎবা আম্বিয়ায়ে কিরামকে
তুচ্ছ করার উদ্দেশ্যে আমার অগ্ৰাধিকার বর্ণনা করবে না ৷
অথবা এটার অর্থ হচ্ছে এরুপ : এটা তোমাদের কাজ নয় বরং আল্লাহ্ তাআলাই কোন
নবীকে অন্য নবীর উপর মর্যাদা দান করে থাকেন ৷ এই মর্যাদা ও অগ্রাধিকার কারো অভিমতের
উপর নির্ভরশীল নয় ৷ এই মর্যাদা অভিমতের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় না বরং আল্লাহ তাআলার
ওহীর উপর নির্ত্যাশীল ৷ যিনি বলেছেন, রড়াসুলুল্লাহ (সা) সকলের মধ্যে উত্তম’ এই তথ্যটি
জানার পুর্বে রাসুলুল্লাহ (সা) এরুপ বলতে নিষেধ করেছিলেন, যখন তিনি জানতে পারলেন যে,
তিনিই সকলের মধ্যে উত্তম তখন এ নিষেধাজ্ঞাটি রহিত হয়ে যায় ৷ তার এ অভিমত
সন্দেহমুক্ত নয় ৷ কেননা, উপরোক্ত হাদীসটি আবু সাঈদ খুদরী (র) ও আবু হুরায়রা (বা) হতে
বর্ণিত হয়েছে ৷ আর আবুহুরায়রা (বা) খায়বর যুদ্ধের বছরে মদীনায় হিজরত করেছিলেন ৷ তাই
খায়বর যুদ্ধের পর রাসুলুল্লাহ (সা) নিজের গ্রেষ্ঠত্বের কথা জানতে পেয়েছেন, এর সম্ভাবনা
ক্ষীণ ৷ আল্লাহ তাআলাই সর্বজ্ঞ ৷ তবে রাসুলুল্লাহ (সা) যে সমস্ত মানব তথা সমস্ত সৃষ্টির সেরা
এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নই ৷
,
আল্লাহ্ ৩াআলা ইরশাদ করেন : র্ত্যা৷ ;ন্শ্; ৷ প্লুন্ণ্ ৷ )ৰুন্ ণ্ও আেমরাই শ্রেষ্ঠ
উম্মত, মানব জাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে ৷ ’ (সুরা আলে ইমরান : ১১০) আর
উম্মতের পরিপুতাি তাদের নবীর মান-মর্যাদার দ্বারাই প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ হাদীসের সর্বোচ্চ সুত্র তথা
মুতাওয়াতির বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ কবেছেন্ স্কিয়ামতের
দিন আমি থাকর আদম সন্তানদের সর্দার ৷ এটা আমার পর্ব নয় ৷ অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা)
মাকামে মাহমুদ যে কেবল তারই জন্য নির্দিষ্ট তা তিনি উল্লেখ করেন ৷ মাকামে মাহমুদ পুর্বের
ও পরের সকলের কাছেই ঈর্ষণীয় এবং এই মর্যাদা অন্য সব নবী-রাসুলের নাগালের বাইরে
থাকবে ৷ এমনকি নুহ (আ), ইব্রাহীম (আ), মুসা (আ) এবং ইসা ইবন মারয়াম (আ) প্রমুখ
বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন নবীপণও এ গৌরব লাভ করবেন না ৷
হাদীসে উক্ত উপরোক্ত বাক্য দ্বারা বোঝা যায়, বড়ান্দাদের আমলের ফয়সালা করার সময়
আল্লাহ তাআলা যখন জ্যোতি প্রকাশ করবেন, তখন কিয়ামতের মাঠে সৃষ্টিকুল জ্ঞানহারা হয়ে
مِنَ الْخِنْصَرِ، فَسَاخَ الْجَبَلُ» . لَفْظُ ابْنِ جَرِيرٍ وَقَالَ السُّدِّيُّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: مَا تَجَلَّى - يَعْنِي مِنَ الْعَظَمَةِ - إِلَّا قَدْرُ الْخِنْصَرِ، فَجَعَلَ الْجَبَلَ دَكًّا، قَالَ: تُرَابًا {وَخَرَّ مُوسَى صَعِقًا} [الأعراف: 143] أَيْ; مَغْشِيًّا عَلَيْهِ. وَقَالَ قَتَادَةُ: مَيِّتًا. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ; لِقَوْلِهِ: {فَلَمَّا أَفَاقَ} [الأعراف: 143] فَإِنَّ الْإِفَاقَةَ إِنَّمَا تَكُونُ عَنْ غَشْيٍ. قَالَ: سُبْحَانَكَ تَنْزِيهٌ، وَتَعْظِيمٌ، وَإِجْلَالٌ أَنْ يَرَاهُ بِعَظَمَتِهِ أَحَدٌ. {تُبْتُ إِلَيْكَ} [الأعراف: 143] أَيْ: فَلَسْتُ أَسْأَلُ بَعْدَ هَذَا الرُّؤْيَةَ: {وَأَنَا أَوَّلُ الْمُؤْمِنِينَ} [الأعراف: 143] أَنَّهُ لَا يَرَاكَ حَيٌّ إِلَّا مَاتَ، وَلَا يَابِسٌ إِلَّا تَدَهْدَهَ.
وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ "، مِنْ طَرِيقِ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ بْنِ أَبِي حَسَنٍ الْمَازِنِيِّ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُخَيِّرُونِي مِنْ بَيْنِ الْأَنْبِيَاءِ فَإِنَّ النَّاسَ يُصْعَقُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ يُفِيقُ، فَإِذَا أَنَا بِمُوسَى آخِذٍ بِقَائِمَةٍ مِنْ قَوَائِمِ الْعَرْشِ، فَلَا أَدْرِي أَفَاقَ قَبْلِي، أَمْ جُوزِيَ بِصَعْقَةِ الطُّورِ» لَفْظُ الْبُخَارِيِّ، وَفِي أَوَّلِهِ قِصَّةُ الْيَهُودِيِّ الَّذِي لَطَمَ وَجْهَهُ الْأَنْصَارِيُّ، حِينَ قَالَ: لَا وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَى الْبَشَرِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا تُخَيِّرُونِي مِنْ بَيْنِ الْأَنْبِيَاءِ» وَفِي
পৃষ্ঠা - ৬৫৮
" الصَّحِيحَيْنِ "، مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ، وَفِيهِ: «لَا تُخَيِّرُونِي عَلَى مُوسَى.» وَذَكَرَ تَمَامَهُ. وَهَذَا مِنْ بَابِ الْهَضْمِ وَالتَّوَاضُعِ، أَوْ نَهْيٌ عَنِ التَّفْضِيلِ بَيْنَ الْأَنْبِيَاءِ عَلَى وَجْهِ الْغَضَبِ وَالْعَصَبِيَّةِ، أَوْ لَيْسَ هَذَا إِلَيْكُمْ، بَلِ اللَّهُ هُوَ الَّذِي رَفَعَ بَعْضَهُمْ فَوْقَ بَعْضٍ دَرَجَاتٍ، وَلَيْسَ يُنَالُ هَذَا بِمُجَرَّدِ الرَّأْيِ، بَلْ بِالتَّوْقِيفِ. وَمَنْ قَالَ: إِنَّ هَذَا قَالَهُ قَبْلَ أَنْ يَعْلَمَ أَنَّهُ أَفْضَلُ، ثُمَّ نُسِخَ بِاطِّلَاعِهِ عَلَى أَفْضَلِيَّتِهِ عَلَيْهِمْ كُلِّهِمْ. فَفِي قَوْلِهِ نَظَرٌ; لَأَنَّ هَذَا مِنْ رِوَايَةِ أَبِي سَعِيدٍ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَمَا هَاجَرَ أَبُو هُرَيْرَةَ إِلَّا عَامَ خَيْبَرَ مُتَأَخِّرًا، فَيَبْعُدُ أَنَّهُ لَمْ يَعْلَمْ بِهَذَا إِلَّا بَعْدَ هَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلَا شَكَّ أَنَّهُ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، أَفْضَلُ الْبَشَرِ، بَلِ الْخَلِيقَةِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ} [آل عمران: 110] . وَمَا كَمُلُوا إِلَّا بِشَرَفِ نَبِيِّهِمْ، وَثَبَتَ بِالتَّوَاتُرِ عَنْهُ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، أَنَّهُ قَالَ: «أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا فَخْرَ» ثُمَّ ذَكَرَ اخْتِصَاصَهُ بِالْمَقَامِ الْمَحْمُودِ، الَّذِي يَغْبِطُهُ بِهِ الْأَوَّلُونَ وَالْآخَرُونَ، الَّذِي تَحِيدُ عَنْهُ الْأَنْبِيَاءُ وَالْمُرْسَلُونَ، حَتَّى أُولُو الْعَزْمِ الْأَكْمَلُونَ; نُوحٌ، وَإِبْرَاهِيمُ، وَمُوسَى، وَعِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ. وَقَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ يُفِيقُ، فَأَجِدُ مُوسَى بَاطِشًا بِقَائِمَةِ الْعَرْشِ - أَيْ; آخِذًا بِهَا - فَلَا أَدْرِي أَفَاقَ قَبْلِي، أَمْ جُوزِيَ بِصَعْقَةِ الطُّورِ.
পৃষ্ঠা - ৬৫৯
যাবে ৷ অতিরিক্ত ভয়-ভীতি ও আতংকগ্রস্ততার জন্যই তারা এরুপ জ্ঞানহারা হবে ৷ তাদের মধ্যে
সর্বপ্রথম যিনি জ্ঞান ফিরে পারেন তিনি হচ্ছেন সর্বশেষ নবী এবং সব নবীর চেয়ে আসমান
যমীনের প্রতিপালকের প্রিয়তম মুহাম্মদ (সা) ৷ তিনি মুসা (আ) কে আরণের স্তম্ভ ধরে থাকতে
দেখবেন ৷ সত্যবাদী নবী মুহাম্মদ (সা) বলেন :
এেএগো ৰু
অর্থাৎ আমি জানি না তার জ্ঞানহারা হওয়া কি অতি হালকা ছিল কেননা তিনি দুনিয়ার
একবার জ্ঞানহার৷ হয়েছিলেন, নাকি তাকে তুর পাহাড়ে জ্ঞান হারানাের প্রতিদান দেয়৷ হয়েছে
অর্থাৎ তিনি আদৌ জ্ঞা ৷নহার৷ হননি ৷ এতে রয়েছে মুসা (আ) এর জন্য একটি বড় মর্যাদা ৷ তবে
এই বিশেষ মর্যাদা ৷র কারণে তার সার্বিক মর্যাদা বান বুঝায় না আর এজন্যই রাসুলুল্লাহ (সা ) মুসা
(আ)-এর মর্যাদা ও ফযীলতের দিকে এভাবে ইং গিত ৩করেন, কেননা যখন ইহুদী বলেছিল ং
সমগ্র
মানব জাতির উপর শ্রেষ্ঠতৃ দিয়েছেন, আনসারী ইহুদীর ণালে চপেটাঘাত করায় মুসা (আ) এর
সম্পর্কে কেউ বিরুপ মনোভাব পোষণ করতে পারে তাই রাসুলুল্লাহ্ (না) তার মর্যাদা ও মাহাত্ম্য
বর্ণনা করেছিলেন ৷
আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন, হে মুসা! আমি তোমাকে আমার রিসালাত এবং
বাক্যালাপ দ্বারা তোমাকে মানুষের উপর গ্রেষ্ঠতৃ দিয়েছি অর্থাৎ সমসাময়িক যুগের লোকদের
উপর পুর্ববর্তীদের উপর নয়, কেননা ইব্রাহীম (আ) মুসা (আ) থেকে উত্তম ছিলেন ৷ যা
ইব্রাহীম (আ) এর কাহিনীর মধ্যে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে ৷ আবার তার পরবর্তীদের
উপরও নয়, কেননা মুহাম্মদ (সা)ত তাদের উভয় থেকেই উত্তম ছিলেন ৷ যেমন মি রাজের রাতে
সকল নবী-রাসুলের উপর মুহাম্মদ (সা )-এর শ্রেষ্ঠতৃ প্রকাশ পেয়েছে ৷ যেমন রাসুলুল্লাহ (সা)
ইরশাদ করেছেন : ণ্প্রুওটু অর্থাৎ আমি
এমন মর্যাদায় অর্শ্ব ৩ হব যার আখাডক্ষ৷ সৃষ্টিকুলের সকলেই করবে, এমনকি ইব্রাহীম
া
আল্লাহ তাআলার বাণীন্ত্র র্দুা,ব্লুএে৷ ;,’ ট্রু;,ছুদ্বু ;এে ৷ টু র্দু;শুষ্ট্রি অর্থাৎ আমি যে
রিসা ৷লাত তোমাকে দান করেছি তা শক্তভ৷ রে গ্রহণ কর, তার চাইতে বেশি প্রা ৷ংনাে কর না এবং
কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হও ৷
আল্লাহ্ তা আলা বলেন ং “আমি তার জন্যে ফলকে সর্ববিষয়ে উপদেশ ও সকল বিষয়ের
স্পষ্ট ব্যাখ্যা লিখে দিয়েছি ৷ ফলকগুলোর উপাদান ছিল খুবই মুল্যবান ৷ সহীহ গ্রন্থে আছে যে,
আল্লাহ তাআলা নিজ কুদরতী হাতে মুসা (আ) এর জন্য তাওরাত লিখেছিলেন, তার মধ্যে ছিল
উপদেশাবলী এবং বনী ইসরাঈলের প্রয়োজনীয় হালাল হারামের বিস্তারিত ব্যাখ্যা ৷ আল্লাহ
তা জানা বলেন, ব্লুদ্রৰু এেশু১পুন্ৰুব্র অর্থাৎ এগুলোকে সুদৃঢ়ভাবে লেক নিয়তে ধর ৷ তারপর বলেন
? মোঃটু) ’ টু এ£ র্টও ঠুএর্দু ৷ § অর্থাৎ তোমার সম্প্রদায়কে নির্দেশ দাও তারা যেন
এগুলোর যা উত্তম তা গ্রহণ করে ৷ অর্থাৎ তারা যেন তার উত্তম ব্যাখ্যা গ্রহণ করে ৷ উপরোক্ত
আয়াতে উল্লেখিত স্পো ৷ ৷ é;)@ এর অর্থ হচ্ছে তারা আমার আনুগত্য
» دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ هَذَا الصَّعْقَ، الَّذِي يَحْصُلُ لِلْخَلَائِقِ فِي عَرَصَاتِ الْقِيَامَةِ، حِينَ يَتَجَلَّى الرَّبُّ لِفَصْلِ الْقَضَاءِ بَيْنَ عِبَادِهِ، فَيُصْعَقُونَ مِنْ شِدَّةِ الْهَيْبَةِ وَالْعَظَمَةِ وَالْجَلَالِ، فَيَكُونُ أَوَّلَهُمْ إِفَاقَةً مُحَمَّدٌ، خَاتَمُ الْأَنْبِيَاءِ، وَمُصْطَفَى رَبِّ الْأَرْضِ وَالسَّمَاءِ عَلَى سَائِرِ الْأَنْبِيَاءِ، فَيَجِدُ مُوسَى بَاطِشًا بِقَائِمَةِ الْعَرْشِ. قَالَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ: «لَا أَدْرِي أَصُعِقُ، فَأَفَاقَ قَبْلِي» أَيْ كَانَتْ صَعْقَتُهُ خَفِيفَةً; لِأَنَّهُ قَدْ نَالَهُ بِهَذَا السَّبَبِ فِي الدُّنْيَا صَعْقٌ، أَوْ جُوزِيَ بِصَعْقَةِ الطُّورِ، يَعْنِي فَلَمْ يُصْعَقْ بِالْكُلِّيَّةِ، وَهَذَا فِيهِ شَرَفٌ كَبِيرٌ وَعُلُوُّ مَرْتَبَةٍ لِمُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنْ هَذِهِ الْحَيْثِيَّةِ، وَلَا يَلْزَمُ تَفْضِيلُهُ بِهَا مُطْلَقًا مِنْ كُلِّ وَجْهٍ; وَلِهَذَا نَبَّهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى شَرَفِهِ وَفَضِيلَتِهِ بِهَذِهِ الصِّفَةِ; لِأَنَّ الْمُسْلِمَ لَمَّا ضَرَبَ وَجْهَ الْيَهُودِيِّ، حِينَ قَالَ: لَا وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَى الْبَشَرِ. قَدْ يَحْصُلُ فِي نُفُوسِ الْمُشَاهِدِينَ لِذَلِكَ هَضْمٌ بِجَنَابِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَبَيَّنَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضِيلَتَهُ وَشَرَفَهُ. وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {قَالَ يَا مُوسَى إِنِّي اصْطَفَيْتُكَ عَلَى النَّاسِ بِرِسَالَاتِي وَبِكَلَامِي} [الأعراف: 144] أَيْ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، لَا مَا قَبْلَهُ; لِأَنَّ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلَ أَفْضَلُ مِنْهُ، كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُ ذَلِكَ فِي قِصَّةِ إِبْرَاهِيمَ، وَلَا مَا بَعْدَهُ; لِأَنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْضَلُ مِنْهُمَا; كَمَا ظَهَرَ شَرَفُهُ لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ عَلَى جَمِيعِ الْمُرْسَلِينَ وَالْأَنْبِيَاءِ، وَكَمَا ثَبَتَ أَنَّهُ قَالَ: «سَأَقُومُ مَقَامًا يَرْغَبُ إِلَيَّ الْخَلْقُ حَتَّى إِبْرَاهِيمُ» وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {فَخُذْ مَا آتَيْتُكَ وَكُنْ مِنَ الشَّاكِرِينَ} [الأعراف: 144] أَيْ; فَخُذْ مَا أَعْطَيْتُكَ مِنَ الرِّسَالَةِ
পৃষ্ঠা - ৬৬০
পরিহারকারী, আমার আদেশের বিরোধী ও আমার রাসুলদের মিথ্যা প্রতিপন্নকারীদের পরিণাম
গোপন রাখছে ৷ আমি শীঘ্রই সত্য-ত্যাপীদের বাসস্থান তােমাদেরকে দেখার ৷
আয়াতে উল্লেখিত
)
এ্যাএএএষ্পুব্রে
াক্ট্রদ্বু;;; ণ্ৰু; ৷
,; ন্াব্লু;
পুন্, ,৷ ৰুা৷
অর্থাৎ-শ্ পৃথিবীতে যারা অন্যায়ভাবে দম্ভ করে বেড়ায় তাদের দৃষ্টি আমার নিদর্শন হতে
ফিরিয়ে দেব ৷ তারা এগুলোর তাৎপর্য ও মুল অর্থ বুঝতে অক্ষম থাকবে; তারা আমার
প্রত্যেকটি নিদর্শন ও অলৌকিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পরও তাতে বিশ্বাস স্থাপন করবে না ; তারা
সৎপথ দেখলেও এটাকে পথ বলে গ্রহণ করবে না, এ পথে চলবে না, এ পথের অনুসরণ করবে
না ৷ কিভু তারা ভ্রান্ত পথ দেখলে এটাকে তারা পথ হিসেবে গ্রহণ করবে এটা এজন্য যে তারা
আমার নিদশ্নিকে প্র লাখ্যান করেছে, মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে; এগুলো থেকে তারা গাফিল
রয়েছে; এগুলোর অর্থ ও তাৎপর্য বৃঝতে৩ ৩তারা ব্যর্থ হয়েছে এবং সে অনুযায়ী আমল করা থেকে
বিরত রয়েছে ৷ যারা আমার নিদর্শন ও পরকালের সাক্ষা৩ তকে মিথ্যা ৷প্রতিপন্ন করে তাদের কর্ম
নিম্ফল হবে ৷ তারা বা করবে তদনুযায়ীই তাদেরকে প্ৰতিফল দেয়৷ হবে ৷ (সুরা আ যায়১
১ : ৬ ১ : ৭ )
বনী ইসরাঈলেৱ বাছুর পুজার বিবরণ
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন ং
৷ ট্রু,;
র্চু,; ৷;দ্বু;র্দু
এেট্রু;ৰু;;দ্বু প্রে, এেহু র্ন্ত,; পু৷ ৰু,;৷ ৷দ্বু;এে ৷,পু; ; দ্ব ণ্;; ৷ ৷ টু, ৷ , , ণ্;; ;; ৷
৷ ,হ্র;;
মোঃ
وَالْكَلَامِ، وَلَا تَسْأَلْ زِيَادَةً عَلَيْهِ، وَكُنْ مِنَ الشَّاكِرِينَ عَلَى ذَلِكَ.
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَكَتَبْنَا لَهُ فِي الْأَلْوَاحِ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ مَوْعِظَةً وَتَفْصِيلًا لِكُلِّ شَيْءٍ} [الأعراف: 145] وَكَانَتِ الْأَلْوَاحُ مِنْ جَوْهَرٍ نَفِيسٍ، فَفِي " الصَّحِيحِ " أَنَّ اللَّهَ كَتَبَ لَهُ التَّوْرَاةَ بِيَدِهِ وَفِيهَا مَوَاعِظُ عَنِ الْآثَامِ، وَتَفْصِيلٌ لِكُلِّ مَا يَحْتَاجُونَ إِلَيْهِ مِنَ الْحَلَالِ وَالْحَرَامِ، وَالْحُدُودِ وَالْأَحْكَامِ، {فَخُذْهَا بِقُوَّةٍ} [الأعراف: 145] أَيْ; بِعَزْمٍ وَنِيَّةٍ صَادِقَةٍ قَوِيَّةٍ، {وَأْمُرْ قَوْمَكَ يَأْخُذُوا بِأَحْسَنِهَا} [الأعراف: 145] أَيْ، يَضَعُوهَا عَلَى أَحْسَنِ وُجُوهِهَا، وَأَجْمَلِ مَحَامِلِهَا، سَأُورِيكُمْ دَارَ الْفَاسِقِينَ أَيْ; سَتَرَوْا عَاقِبَةَ الْخَارِجِينَ عَنْ طَاعَتِي، الْمُخَالِفِينَ لِأَمْرِي، الْمُكَذِّبِينَ لِرُسُلِي. {سَأَصْرِفُ عَنْ آيَاتِي} [الأعراف: 146] أَيْ; عَنْ فَهْمِهَا، وَتَدَبُّرِهَا، وَتَعْقُّلِ مَعْنَاهَا الَّذِي أُرِيدَ مِنْهَا، وَدَلَّ عَلَيْهِ مُقْتَضَاهَا، {الَّذِينَ يَتَكَبَّرُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَإِنْ يَرَوْا كُلَّ آيَةٍ لَا يُؤْمِنُوا بِهَا} [الأعراف: 146] أَيْ; وَلَوْ شَاهَدُوا مَهْمَا شَاهَدُوا مِنَ الْخَوَارِقِ، وَالْمُعْجِزَاتِ، لَا يَنْقَادُوا لِاتِّبَاعِهَا، {وَإِنْ يَرَوْا سَبِيلَ الرُّشْدِ لَا يَتَّخِذُوهُ سَبِيلًا} [الأعراف: 146] أَيْ; لَا يَسْلُكُوهُ، وَلَا يَتَّبِعُوهُ {وَإِنْ يَرَوْا سَبِيلَ الْغَيِّ يَتَّخِذُوهُ سَبِيلًا ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا} [الأعراف: 146] أَيْ; صَرَفْنَاهُمْ عَنْ ذَلِكَ; لِتَكْذِيبِهِمْ بِآيَاتِنَا، وَتَغَافُلِهِمْ عَنْهَا، وَإِعْرَاضِهِمْ عَنِ التَّصْدِيقِ بِهَا، وَالتَّفَكُّرِ فِي مَعْنَاهَا، وَتَرْكِ الْعَمَلِ بِمُقْتَضَاهَا، {وَالَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَلِقَاءِ الْآخِرَةِ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ هَلْ يُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ} [الأعراف: 147] .