ثم دخلت سنة ثمان وخمسين
পৃষ্ঠা - ৬৪৮৯
হিজরী ৫৮ সন
এই হিজরী সনে মালিক ইবন আবদুল্লাহ খাছআমী রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা
করেন ৷ ওয়াকিদী বলেছেন যে, কারো কারো মতে এই হিজরী সনে ইয়াযীদ ইবন শাজারা নৌ
অভিযান পরিচালনা করেন ৷ কারো কারো মতে নৌ-অভিযান এবং রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
পরিচালনা করেন জুনাদা ইবন আবু উমাইয়৷ ৷ আবার কেউ বলেছেন যে, এই বছর রোমান
এলাকা আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমর ইবন ইয়াষীদ জুহানী ৷
আবু মাশার এবং ওয়াকিদী বলেছেন যে, এই বছর হজ্জ পরিচালনা করেন ওয়ালীদ ইবন
উক্তৃর৷ ইবন আবু সুফিয়ান ৷ এই বছর আমীর মুআবিয়া (বা) আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ্
ইবন উসমান ইবন আবু রাবীআ ছাকাফীকে কুফার শাসনকতার পদে নিযুক্ত করেন ৷ আবদুর
রহমান হলেন উম্মু হাকামের পুত্র ৷ আর উম্মু হাকাম হল আমীর মুআৰিয়া (না)-এর বোন ৷
তিনি দাহ্হাক ইবন কায়সকে কুফার শাসনকর্তার পদ থেকে অপসারণ করেন ৷ আবদুর রহমান
ইবন উম্মু হাকাম শাসনকতার পদে অধিষ্ঠিত হবার পর যায়দা ইবন কুদামাকে৩ তার পুলিশ
প্রধান পদে নিয়োগ দেন ৷ তার শাসনামলে খারিজিগণ প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ৷ এই
ঘটনায় হাইয়ান ইবন দুবয়ান সুলামী খারিজিদের নেতৃত্ব দেন ৷ আবদুর রহমান তাদের বিরুদ্ধে
একদল সৈন্য প্রেরণ করেন ৷ তারা সকল খারিজিকে হত্যা করে ৷ এরপর তিনি কুফাবাসীদের
সাথে খুবই দুর্ব্যবহার শুরু করেন ৷ ওরা তাকে কুফ৷ থেকে বের করে দেয় ৷ আবদুর রহমান
তার মামা আমীর মুআবিয়৷ (রা) এর নিকট ফিরে আসেন ৷ তাকে সকল ঘটনা অবহিত
করেন ৷ তিনি বললেন, তাহলে তোমাকে মিসরের শাসনকর্তা পদে নিযুক্ত করব ৷ সেটি
তোমার জন্যে ভাল হবে ৷’ তারপর তাকে মিসরের শাসনকর্তারুপে নিয়োগ দেন ৷ ,
আবদুর রহমান নতুন পদে যোগদানের জন্যে মিসরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ মিসর থেকে
দুই মাইল দুরে৩ তার সাথে সাক্ষাত হয় মুআবিয়৷ ইবন খুদায়জের ৷ মুআবিয়৷ ইবন খুদায়জ
বললেন, আপনাকে আমরা মিসরে প্রবেশ করতে দেব না এবং সেখানে কোন মন্দ আচরণের
সুযোগ দেব না৷ কুফার আমাদের ভইিদের সাথে আপনার মন্দ আা>রণের কথা আমাদের জানা
আছে’ ৷ আবদুর রহমান আমীর যু আবিয়া (রা) এর নিকট ফিরে আসেন ৷ এদিকে মু আবিয়া
ইবন খুদায়জ ও আমীর মুআবিয়া (রা) এর নিকট উপস্থিত হন ৷ সেখানে আমীর মুআৰিয়া
(রা) এর বোন এবং আবদুর রহমানের মাতা উম্মু হাকাম উপস্থিত ছিলেন ৷ এই সেই আবদুর
রহমান যীকে কুফাবাসীগণও তাড়িয়ে দিয়েছিল, মিসরবাসীগণও তাড়িয়ে দিয়েছিল ৷ আমীর
মুআবিয়া (রা) মুআবিয়া ইবন খুদায়জকে দেখে বললেন, বাহ, বাহ, এই যে, মুআবিয়া ইবন
খুদায়জ ৷ ’
উম্মু হাকাম মুআবিয়া ইবন খুদায়জকে শাসিয়ে দিয়ে বললেন, তুমি ভাল কাজ কর নি ৷
আমার প্রতিশোধের কথা শোনার চাইতে তা দেখইি তোমার জন্যে কল্যাণকর ৷’ মুআবিয়া
ইবন খুদায়জ উত্তরে বললেন, হে উম্মু হাকাম! ধীরে চলুন, থামুন ৷ আল্পাহ্র কসম ! আপনি
তো একজন লোককে বিয়ে করেছেন তাতে বংশ মর্যাদা বজায় রাখেননি ৷ একটি, ছেলে প্রসব
করেছেন, তা ভাল ছেলে প্ৰসব করেন নি ৷ আপনি, মনে করেছেন যে, আপনার পাপাচারী
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ]
[مَا وَقَعَ فِيهَا مِنْ أَحْدَاثٍ]
فِيهَا غَزَا مَالِكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخَثْعَمِيُّ أَرْضَ الرُّومِ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَفِيهَا قُتِلَ يَزِيدُ بْنُ شَجَرَةَ فِي الْبَحْرِ. وَقِيلَ: بَلْ غَزَا الْبَحْرَ وَبِلَادَ الرُّومِ جُنَادَةُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ. وَقِيلَ: إِنَّمَا شَتَّى بِأَرْضِ الرُّومِ عَمْرُو بْنُ يَزِيدَ الْجُهَنِيُّ.
قَالَ أَبُو مَعْشَرٍ وَالْوَاقِدِيُّ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ. وَفِيهَا وَلَّى مُعَاوِيَةُ الْكُوفَةَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ رَبِيعَةَ الثَّقَفِيِّ، وَهُوَ ابْنُ أُمِّ الْحَكَمِ، وَأُمُّ الْحَكَمِ هِيَ أُخْتُ مُعَاوِيَةَ، وَعَزَلَ عَنْهَا الضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ، فَوَلَّى ابْنَ أُمِّ الْحَكَمِ عَلَى شُرْطَتِهِ زَائِدَةَ بْنَ قُدَامَةَ، وَخَرَجَتِ الْخَوَارِجُ فِي أَيَّامِ ابْنِ أُمِّ الْحَكَمِ، وَكَانَ رَئِيسَهُمْ فِي هَذِهِ الْوَقْعَةِ حَيَّانُ بْنُ ظِبْيَانَ السُّلَمِيُّ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ جَيْشًا فَقَتَلُوا الْخَوَارِجَ جَمِيعًا، ثُمَّ إِنَّ ابْنَ أُمِّ الْحَكَمِ أَسَاءَ السِّيرَةَ فِي أَهْلِ الْكُوفَةِ، فَأَخْرَجُوهُ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ طَرِيدًا، فَرَجَعَ إِلَى خَالِهِ مُعَاوِيَةَ، فَذَكَرَ لَهُ ذَلِكَ، فَقَالَ: لَأُوَلِّيَنَّكَ مِصْرًا هُوَ خَيْرٌ لَكَ. فَوَلَّاهُ مِصْرَ، فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৬৪৯০
ছেলেকে আমাদের উপর শ্া৷সনকর্তা নিযুক্ত করবেন আর যে আমাদের তাই কুফাবাসীদের
সাথে যে মন্দ ও কলুষিত আচরণ করেছে আমাদের সাথেও সেই আচরণ করবে ৷ আল্লাহ তা
পছন্দ করবেন না ৷ যদি যে আমাদের রাজ্যে যায়, তবে আমরা তাকে এমন প্রহার করবে যে,
তার মাথাংমাটিতে নুইয়ে পড়বে ৷ সিংহাসনে আসীন আমীরংলমু’মিনীন আমাদের কাজ পছন্দ
না করলেও আমরা তাকেতইি করব ৷ অর্থাৎ আমীর মুআবিয়৷ (বা) যদি আমাদের এই কাজ-
প্ পছন্দ নাও করেন তাও আবদুর রহমানকে আমরা মোর তাড়িয়ে দেব ই ৷ এবার আমীর
যু আবিয়া (রা)৩ তার বোন উম্মু হাকামের দিকে তাকিয়ে বললেন, যথেষ্ট হয়েছে ৷’
এক আজব ঘটনা
ইবনুল জাওযী তার “আল মুনতাযাম” গ্রন্থে নিজ সনদে এই ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ বানু
আযর৷ গোত্রের এক যুবকের মধ্যে আবদুর রহমান ইবন উম্মু হাকামের মধ্যে এই ঘটনা
ঘটেছিল ৷
একদিন আমীর যুআবিয়৷ (রা) খাবার সামনে নিয়ে বসা ছিলেন ৷ হঠাৎ বানু আমরা
গোত্রের এক যুবক তার সম্মুখে এসে হাযির হয় ৷ সে তার সম্মুখে নিজের শ্রী সুআদের বিরহ
ব্যথা সম্বলিত এক প্রেমগীতি ৩আবৃত্তি করে ৷ আমীর মুআবিয়া (রা) তাকে আরো কাছে টেনে
নিলেন এবং তার বক্তব্য শুনতে চাইলেন ৷ সে বলল, আমীরম্স মু মিনীন! আমি আমার চাচাত
বোনকে বিয়ে করেছিলাম ৷ তখন আমার প্রচুর উট ও বকরী-সম্পদ ছিল ৷ আমার শ্রীর
মনোরঞ্জন ও সুখের জন্য আমি আমার ঐ সম্পদ ব্যয় করি ৷ আমার সম্পদ কমে যাওয়ার পর
আমার শ্বশুর আমার প্রতি নারাজ হয়ে যান এবং আপনার নিযুক্ত কুফার শাসক আবদুর রহমান
ইবন উম্মু হাকামের নিকট আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ৷ ইতিমধ্যে আমার ত্রীর রুপ ও
সৌন্দর্যের কথা যে অবগত হয় ৷ তারপর সে আমাকে লোহার শিকলে আবদ্ধ করে ফেলে এবং
আমি যেন আমার ত্রীকে তালাক দিই তার জন্যে বাধ্য করে ৷ আমি দ্রীকে তালাক দিয়ে দিই ৷
ইদ্দত শেষ হবার পর আপনার শাসক ইবন উম্মু হাকাম ঐ মহিলাকে দশ হাজার দিরহাম
প্রদান করে এবং তাকে বিয়ে করে ৷ ৫হ আমীরুল মু’মিনীন! আপনি হলেন অসহায়ের সহায়,
মজলুমের আশ্রয়, দুঃখী মানুষের দুঃখ নিবারণকারী, এখন আমার জন্যে কি কিছু করাবনঃ’
এই বলে সে কেদে ফেলে এবং নিম্নের পৎক্তিমালা উচ্চারণ করে
এখন আমার অন্তরে ও ধু আগুন আর আগুন ৷ ঐ আগুন হল স্ফুলিঙ্গময় ৷
আমার দেহ এখন দুর্বল ও ক্ষীণ ৷ আমার দেহের ৰুবং এখন হলুদ পী৩ বর্ণ’ ৷
রেদনার কশাঘাতে আমার চক্ষু কাদছে ৷ আমার অশ্রু প্রবাহ এখন স্রোত বেগে প্রবাহিত
হচ্ছে ৷’
প্রেম-ভালবাসা এক দুরারোগ্য বাধি ৷ তা সারাতে গিয়ে ডাক্তারও হতভম্ব হয়ে যায়’ ৷
ওেতাে
سَارَ إِلَيْهَا تَلَقَّاهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ حُدَيْجٍ عَلَى مَرْحَلَتَيْنِ مِنْ مِصْرَ، فَقَالَ لَهُ: ارْجِعْ إِلَى خَالِكَ مُعَاوِيَةَ، فَلَعَمْرِي لَا تَسِيرُ فِينَا سِيرَتَكَ فِي إِخْوَانِنَا مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ. فَرَجَعَ ابْنُ أُمِّ الْحَكَمِ إِلَى مُعَاوِيَةَ، وَلَحِقَهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ حُدَيْجٍ وَافِدًا عَلَى مُعَاوِيَةَ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ وَجَدَ عِنْدَهُ أُخْتَهُ أُمَّ الْحَكَمِ، وَهِيَ أُمُّ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الَّذِي طَرَدَهُ أَهْلُ الْكُوفَةِ وَأَهْلُ مِصْرَ، فَلَمَّا رَآهُ مُعَاوِيَةُ قَالَ: بَخٍ بَخٍ، هَذَا مُعَاوِيَةُ بْنُ حُدَيْجٍ. فَقَالَتْ أُمُّ الْحَكَمِ: لَا مَرْحَبًا بِهِ، تَسْمَعُ بِالْمُعَيْدِيِّ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَرَاهُ. فَقَالَ: مُعَاوِيَةُ بْنُ حُدَيْجٍ عَلَى رِسْلِكِ يَا أُمَّ الْحَكَمِ، أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ تَزَوَّجْتِ فَمَا أَكْرَمْتِ، وَوَلَدْتِ فَمَا أَنْجَبْتِ، أَرَدْتِ أَنْ يَلِيَ ابْنُكِ الْفَاسِقُ عَلَيْنَا، فَيَسِيرَ فِينَا كَمَا سَارَ فِي إِخْوَانِنَا مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ فَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُرِيَهُ ذَلِكَ، وَلَوْ فَعَلَ ذَلِكَ لَضَرَبْنَاهُ ضَرْبًا يُطَأْطِئُ مِنْهُ، وَإِنْ كَرِهَ ذَلِكَ الْجَالِسُ. فَالْتَفَتَ إِلَيْهَا مُعَاوِيَةُ فَقَالَ: كُفِّي.
[قِصَّةٌ غَرِيبَةٌ]
ذَكَرَهَا ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي كِتَابِهِ " الْمُنْتَظَمِ " بِسَنَدِهِ، وَمُلَخَّصُهَا أَنَّ مُعَاوِيَةَ بَيْنَمَا هُوَ يَوْمًا عَلَى السِّمَاطِ إِذَا شَابٌّ مِنْ بَنِي عُذْرَةَ قَدْ مَثَلَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَأَنْشَدَهُ شِعْرًا مَضْمُونُهُ التَّشَوُّقُ إِلَى زَوْجَتِهِ سُعَادَ، فَاسْتَدْنَاهُ مُعَاوِيَةُ، وَاسْتَحْكَاهُ عَنْ أَمْرِهِ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنِّي كُنْتُ مُزَوَّجًا بِابْنَةِ عَمٍّ لِي، وَكَانَ لِي إِبِلٌ وَغَنَمٌ، فَأَنْفَقَتُ ذَلِكَ عَلَيْهَا، فَلَمَّا قَلَّ مَا بِيَدِي رَغِبَ عَنِّي أَبُوهَا وَشَكَانِي إِلَى عَامِلِكَ
পৃষ্ঠা - ৬৪৯১
এই বিরহ ব্যথায় আমি অনেক ধৈর্যধারণ করেছি, এখন আমার আর ধৈর্যধারণের সামর্থ্য নেই’ ৷
এখন আমার রাত রাত নয় আর দিনও দিন নয় ৷’
যুবকের আবেগ ও বিরহগাথা শুনে আমীর মুআবিয়া (রা)৩ তার প্ৰতি সহানুভুতি দ্ধিশীল হয়ে
পড়েন এবং ঐ অপকর্মের জান, গালশ্মন্দ করে , ইবন উম্মু হাকামকে চিঠি লিখেন ৷ তিনি
লিখিত নির্দেশ দেন, যেন যে ঐ মহিলাকে এক বাক্যে তালাক দিয়ে দেয় ৷
আমীর মুআবিয়৷ (রা)-এর চিঠি প্ পেয়ে ঐ মহিলার প্রতি তার আকর্ষণ আরো বেড়ে যায়
এবং সে বলে যে, আমি এতেও রাষী আছি যে, আমীর মুআবিয়৷ আমাকে এক বছর ঐ
মহিলার সাথে থাকতে দিবেন এবং তারপর আমাকে তরবারী দ্বারা হত্যা করবেন ৷ সে বারবার
ওকে তালাক দেয়ার জন্যে নিজের মনের সাথে বোঝাপড়৷ করছিল ৷ কিন্তু তার মন তাতে
সমর্থন দিচ্ছিল না ৷ এদিকে পত্রবাহক বারবার তাকে নির্দেশ পালনের তাগিদ দিচ্ছিলা শেষ
পর্যন্ত যে মহিলাটিকে তালাক দিয়ে প্রতিনিধি দলের সাথে আমীর মু আবিয়া (রা) এর নিকট
পাঠিয়ে দিন ৷
সে এসে আমীর মুআবিয়া (রা) এর সম্মুখে দণ্ডায়মান হল ৷ আমীর মুআবিয়া নয়ন
জুড়ানাে চমৎকার এক রমণীকে দেখতে পেলেন ৷ তিনি তার সাথে কথা বললেন, হার! ঐ
রমণীং তো অন্যতম বিশুদ্ধভাষী,-মিষ্টভাযী ও শ্রেষ্ঠ রুপবর্তী ৷ আমীর মুআবিয়া (রা)-এর ঐ
মহিলাকে ভাল লেগেছিল ৷ তিনি তার চাচাত ভাই ও প্রাক্তন স্বামীকে বললেন, হে বেদুইন
লোক ৷ এই মহিলার বিনিময়ে তৃমি-কি-চাও? কত চাও, কেমন আকর্ষণীয় বস্তু চাও?
লােকটি বলল, ইা৷, চাইব বটে, তবে আমার মাথা ও দেহ এক সাথে থাকা পর্যন্ত নয় ৷
দুটো অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার পর তা নেব বটে ৷ এ কপাবিলে সে নিম্নের কবিতা আবৃত্তি
ধ্ ম্মু
মোঃাও
আমার এমন পরিণতি যেন না হয় যে, আমাকে প্ৰবাদ বাক্যে পরিণত হতে হবে ৷ যেমন
কেউ বিপদ থেকে পালাতে গিয়ে আরো বড় বিপদের সম্মুথিন হয় ৷’
আমি তো হয়রানপেরেশান ও দুঃখ ভারাক্রাম্ভ হৃদয়ে সুআদকে খুজে ফিরছি ৷ আমার
দিন রজনী কাটে তার বিরহ ব্যথায় আর তার স্মরণে’ ৷ ,
আমি£ তা এমন এক ব্যুক্তিতে পবিণত ৩হয়েছি ভুলনাহীন দুঃখ যাকে রুগ্ন ও দুর্বল ক্ষীণকায়
করে তুলেছে ৷ যার অতরে জ্বলছে ব্যথার শিখাময় আগুন ৷ ’
ছু;) ন্ ন্দু,
আল্লাহ্অ ৷ল্লাহ্র কসম, আমি তার ভালবাসা তুলতে পারা না ৷ যতক্ষণ না কবরের মাটি
ও পাথরের মধ্যে অদৃশ্য হই’ ৷
بِالْكُوفَةِ ابْنِ أُمِّ الْحَكَمِ، وَبَلَغَهُ جَمَالُهَا فَحَبَسَنِي فِي الْحَدِيدِ، وَحَمَلَنِي عَلَى أَنْ أُطَلِّقَهَا، فَلَمَّا انْقَضَتْ عِدَّتُهَا أَعْطَاهُ عَامِلُكَ عَشَرَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ، فَزَوَّجَهُ إِيَّاهَا، وَقَدْ أَتَيْتُكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَأَنْتَ غِيَاثُ الْمَحْرُوبِ، وَسَنَدُ الْمَسْلُوبِ، فَهَلْ مَنْ فَرَجٍ؟ ثُمَّ بَكَى وَأَنْشَأَ يَقُولُ:
فِي الْقَلْبِ مِنِّي نَارُ ... وَالنَّارُ فِيهَا شَرَارُ
وَالْجِسْمُ مِنِّي نَحِيلُ ... وَاللَّوْنُ فِيهِ اصْفِرَارُ
وَالْعَيْنُ تَبْكِي بِشَجْوٍ ... فَدَمْعُهَا مِدْرَارُ
وَالْحُبُّ دَاءٌ عَسِيرٌ ... فِيهِ الطَّبِيبُ يَحَارُ
حَمَلْتُ فِيهِ عَظِيمًا ... فَمَا عَلَيْهِ اصْطِبَارُ
فَلَيْسَ لَيْلِي بِلَيْلٍ ... وَلَا نَهَارِي نَهَارُ
قَالَ: فَرَقَّ لَهُ مُعَاوِيَةُ، وَكَتَبَ إِلَى ابْنِ أُمِّ الْحَكَمِ يُؤَنِّبُهُ عَلَى ذَلِكَ وَيَعِيبُهُ عَلَيْهِ، وَيَأْمُرُهُ بِطَلَاقِهَا قَوْلًا وَاحِدًا، فَلَمَّا جَاءَهُ كِتَابُ مُعَاوِيَةَ تَنَفَّسَ الصُّعَدَاءَ، وَقَالَ: وَدِدْتُ أَنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ خَلَّى بَيْنِي وَبَيْنَهَا سَنَةً، ثُمَّ عَرَضَنِي عَلَى السَّيْفِ. وَجَعَلَ يُؤَامِرُ نَفْسَهُ عَلَى طَلَاقِهَا، فَلَا يَقْدِرُ عَلَى ذَلِكَ، وَلَا تُجِيبُهُ نَفْسُهُ، وَجَعَلَ الْبَرِيدُ الَّذِي وَرَدَ عَلَيْهِ بِالْكِتَابِ يَسْتَحِثُّهُ، فَطَلَّقَهَا وَأَخْرَجَهَا عَنْهُ وَسَيَّرَهَا مَعَ الْوَفْدِ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَلَمَّا وَقَفَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ رَأَى مَنْظَرًا جَمِيلًا، فَلَمَّا اسْتَنْطَقَهَا، فَإِذَا هِيَ أَفْصَحُ النَّاسِ وَأَحْلَاهُمْ كَلَامًا، وَأَكْمَلُهُمْ جَمَالًا وَدَلَالًا، فَقَالَ لِابْنِ عَمِّهَا: يَا أَعْرَابِيُّ، هَلْ مِنْ سُلُوٍّ عَنْهَا بِأَفْضَلِ الرَّغْبَةِ؟ قَالَ: نَعَمَ إِذَا فَرَّقْتَ بَيْنَ رَأْسِي وَجَسَدِي. ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৬৪৯২
لَا تَجْعَلَنِّي وَالْأَمْثَالُ تُضْرَبُ بِي ... كَالْمُسْتَغِيثِ مِنَ الرَّمْضَاءِ بِالنَّارِ
ارْدُدْ سُعَادَ عَلَى حَيْرَانَ مُكْتَئِبٍ ... يُمْسِي وَيُصْبِحُ فِي هَمٍّ وَتِذْكَارِ
قَدْ شَفَّهُ قَلَقٌ مَا مِثْلُهُ قَلَقٌ ... وَأَسْعَرَ الْقَلْبُ مِنْهُ أَيُ إِسْعَارِ
وَاللَّهِ وَاللَّهِ لَا أَنْسَى مَحَبَّتَهَا ... حَتَّى أُغَيَّبَ فِي رَمْسٍ وَأَحْجَارِ
كَيْفَ السُّلُوُّ وَقَدْ هَامَ الْفُؤَادُ بِهَا ... وَأَصْبَحَ الْقَلْبُ عَنْهَا غَيْرَ صَبَّارِ
فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: فَإِنَّا نُخَيِّرُهَا بَيْنِي وَبَيْنَكَ وَبَيْنَ ابْنِ أُمِّ الْحَكَمِ. فَأَنْشَأَتْ تَقُولُ:
هَذَا وَإِنْ أَصْبَحَ فِي أَطْمَارِ ... وَكَانَ فِي نَقْصٍ مِنَ الْيَسَارِ
أَكْثَرُ عِنْدِي مِنْ أَبِي وَجَارِي ... وَصَاحِبِ الدِّرْهَمِ وَالدِّينَارِ
أَخْشَى إِذَا غَدَرْتُ حَرَّ النَّارِ
قَالَ: فَضَحِكَ مُعَاوِيَةُ، وَأَمَرَ لَهُ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ وَمَرْكَبٍ وَوَطَاءٍ. وَلَمَّا انْقَضَتْ عِدَّتُهَا زَوَّجَهُ بِهَا وَسَلَّمَهَا إِلَيْهِ. حَذَفْنَا مِنْهَا أَشْعَارًا كَثِيرَةً مُطَوَّلَةً.
وَجَرَتْ فِي هَذِهِ السَّنَةِ فُصُولٌ طَوِيلَةٌ بَيْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ وَالْخَوَارِجِ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا وَجَمْعًا غَفِيرًا، وَحَبْسَ مِنْهُمْ آخَرِينَ، وَكَانَ صَارِمًا كَأَبِيهِ، مِقْدَامًا فِي أَمْرِهِمْ.
পৃষ্ঠা - ৬৪৯৩
৪
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ ১৬৯
আহ ! কেমন করে আমি তাকে ভুলব, আমার সাথে হৃদয় জুড়ে তো তার উপলব্ধি ৷ তার
জন্যে তো আমার অন্তর ধৈর্যচুাত হয়ে পড়েছে’ ৷
, এবার মুআবিয়া (রা) বললেন, তবে আমি মহিলা টিকে ইখতিয়ার দেব যে আমি, তুমি ও
ইবন উম্মু হাকাম এই তিনজনের যে কোন একজনকে জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেবে ৷ এবার
মহিলাটি নিম্নের কবি৩ ৷ আবৃত্তি করলশ্
এই লোক যদিও সে রুগ্ন ও দুর্বল হয়ে গিয়েছে, যদিও সে দরিদ্র ও সম্পদহীন হয়ে
গিয়েছে
তবুও সে আমার প্রিয়তম মানুষ ৷ সে আমার পিতা, আমার আশ্রয়দাতা এবং কাড়ি কাড়ি
বিশ্বাসঘাতক৩ ৷ করলে আগুনে জ্বলতে হবে ৷ সেই ভয়ও আমার রয়েছে ৷’
বর্ণনাকারী বলেন, মহিলাটির কথা শুনে আমীর মুআবিয়৷ হেসে উঠলেন এবং ঐ যুবককে দশ
হাজার রৌপ্য, মুদ্রা এবং একটি সওয়ারী উপহার দিলেন ৷ আর মহিলাঢিরইদ্দত শেষ হবার
পর তাকে ঐ যুবকের সাথে বিয়ে দিয়ে তার হাতে সোপর্দ করে দিলেন ৷ অবশ্য এখানে আমরা
দীর্ঘ হবার আশঙ্কায় কতক কবিতা ছেড়ে দিয়েছি ৷
এই হিজরী সনে উবায়দুল্লাহ্ ইবন যিয়াদ এবং খারেজী সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘ সংঘর্ষ
বিদ্যমান থাকে ৷ যে অনেক খারেজীকে হত্যা করে এবং অন্যদেরকে বন্দী করে ফেলে ৷ তার
০পিতা : যিয়াদের মত সেও খারেজীদের প্রতি ছিল কঠোর এবৎ খড়গহংষ্ক ৷ মহান আল্লাহ্ই ভাল
জ্যানন ৷
হিজরী ৫৮ সনে যাদের ওফাত হয়
সাঈদ ;ইবনুল ভৃা৷স ইবন উমাই-য়৷ ইবন আবৃদ শামৃস
ইবন আবৃদ মানাফ কুৰায়শী উমাবী
এই হিজরী সনে ইন্তিকাল করেন ৷৩ তার পিতা বদর দিবসে কাফির অবস্থায় নিহত হয় ৷
হযরত আলী (যা) তাকে হত্যা করেন ৷ হযরত সাঈদ লালিত-পালিত হয়েছিলেন হযরত
উসমান ইবন আফ্ফান (রা) এর নিকট ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাগ্লু৩ র সময় সাঈদ (রা) এর
বয়স ছিল নয় বছর ৷ তিনি নে৩ তৃস্থানীয় মুসলমান এবং দানশীল ব্যক্তিরুপে প্রসিদ্ধ ছিলেন ৷ তার
নানা সাঈদ ইবনুল আস ওরফে আবু আজনিহাহ্ শীর্ষস্থানীয় কুরাইশ নেতা ছিলেন ৷ তার
উপাধি ছিল ঘু-৩ আজ বা মুকুটধারী ব্যক্তি ৷ কারণ তিনি যখন পাগড়ি পরিধান করতেন তখন
তার সম্মানার্থে অন্য কেউ পাগড়ি পরিধান করত না ৷
হযরত সাঈদ (বা) দ্বিতীয় খলীফ৷ হযরত উমর (রা) এর শাসনামলে সুওয়াদ অঞ্চলের
প্রশাসক ছিলেন ৷ হযরত উসমান (রা)৩ তাকে কুরআনের কপি লেখকদের দলভুক্ত করেছিলেন ৷
এটি করেছিলেন তার ভাষাগত দক্ষতার কারণে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পবিত্র দাড়ির সাথে তার ন্
আল বিদায়া ওয়ান নিহাযা -২২ ণোমোঃ(হ্রাশ্রোা৪গাে০ওোড়া
[ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ]
تُوُفِّيَ فِي هَذَا الْعَامِ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مُنَافٍ الْقُرَشِيُّ الْأُمَوِيُّ، قُتِلَ أَبُوهُ يَوْمَ بَدْرٍ كَافِرًا، قَتَلَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَنَشَأَ سَعِيدٌ فِي حِجْرِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَكَانَ عُمْرُ سَعِيدٍ يَوْمَ مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِسْعَ سِنِينَ، وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ وَالْأَجْوَادِ الْمَشْهُورِينَ، وَكَانَ جَدُّهُ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ - وَيُكَنَّى بِأَبِي أُحَيْحَةَ - رَئِيسًا فِي قُرَيْشٍ، يُقَالُ لَهُ: ذُو التَّاجِ. لِأَنَّهُ كَانَ إِذَا اعْتَمَّ لَا يَعْتَمُّ أَحَدٌ يَوْمَئِذٍ ; إِعْظَامًا لَهُ، وَكَانَ سَعِيدٌ هَذَا مِنْ عُمَّالِ عُمَرَ عَلَى السَّوَادِ وَجَعَلَهُ عُثْمَانُ فِيمَنْ يَكْتُبُ الْمَصَاحِفَ ; لِفَصَاحَتِهِ، قَالُوا: وَكَانَ أَشْبَهُ النَّاسِ لَهْجَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ فِي جُمْلَةِ الِاثْنَيْ عَشَرَ رَجُلًا الَّذِينَ يَسْتَخْرِجُونَ الْقُرْآنَ وَيُعَلِّمُونَهُ وَيَكْتُبُونَهُ، مِنْهُمْ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ وَزَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ. وَاسْتَنَابَهُ عُثْمَانُ عَلَى الْكُوفَةِ بَعْدَ عَزْلِهِ الْوَلِيدَ بْنَ عُقْبَةَ، فَافْتَتَحَ طَبَرِسْتَانَ وَجُرْجَانَ، وَنَقَضَ الْعَهْدَ أَهْلُ أَذْرَبِيجَانَ فَغَزَاهُمْ فَفَتَحَهَا، فَلَمَّا مَاتَ عُثْمَانُ اعْتَزَلَ الْفِتْنَةَ، فَلَمْ يَشْهَدِ الْجَمَلَ وَلَا صِفِّينَ، فَلَمَّا اسْتَقَرَّ الْأَمْرُ لِمُعَاوِيَةَ وَفَدَ إِلَيْهِ، فَعَتَبَ عَلَيْهِ، فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِ فَعَذَرَهُ، فِي كَلَامٍ طَوِيلٍ
পৃষ্ঠা - ৬৪৯৪
দাড়ির মিল ছিল সর্বাধিক ৷ কুরআন মজীদ প্রকাশ, কুরআন শিক্ষা প্রদান এবং কুরআন লেখার
জন্যে মনে নীত ১২ সদস্যের কমিটিতে তিনি ছিলেন অন্যতম সদস্য ৷ ঐ কমিটিতে হযরত
উবাই ইবন কা ব (রা) এবং হযরত যায়দ ইবন ছাবিত (রা) ও ছিলেন ৷
হযরত উসমান (রা) তার শাসনামলে ওয়ালীদ ইবন উকবাকে কুফার শ্া৷সনকর্তার পদ
থেকে অপসারিত করে সাঈদ ইবনুল আসকে ঐ পদে নিয়োগ করেন ৷ তিনি তখন তাবার স্থান
ও জুরজান প্রদেশ জয় করেন ৷ আজরবাইজানের জনগণ সমঝোতা চুক্তি ভঙ্গ করলে তিনি
ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচা ৷লন৷ করেন এবং সেই প্রদেশ জয় করেন ৷ ,
হযরত উর্সমান (রা) এর ইনৃতিকালের পর হযরত আলী (রা) ও হযরত আয়েশা (রা) এবং
আমীর মু আবিয়া (রা) এর মধ্যে যে বিবাদ সৃষ্টি হয়৩ তিনি তার সৎ স্পর্শ থেকে নিজেকে দুরে
রাখেন ৷ তিনি জামাল যুদ্ধেও অং শ নেন নি ৷ সিফ্ফীন যুদ্ধেও অংশ নেন নি ৷ অবশেষে আমীর
যুআৰিয়৷ (বা) নিজের পক্ষে যখন রত্রীয় ক্ষমতা সুসংহত করে নেন, তখন তিনি তার নিকট
প্রতিনিধিরুপে আসেন ৷ মুআৰিয়া তার সমালোচনা করেন ৷ সাঈদ ইবনুল আস ওযর পেশ
করেন ৷ দীর্ঘ বক্তাব্যর পর আমীর মুআবিয়া (বা) ঐ ওযর গ্রহণ করেন ৷ তিনি তাকে দৃ বার
মদীনায় শাসনকর্তা নিয়োগ করেন এবং দৃ’বারই মারওয়ান ইবন হাকামকে তার পদে নিরো৷গ
দিয়ে তাকে বরখাস্ত করেন ৷
সাঈদ ইবনৃল আস (র) হযরত আলী (রা) কে মন্দ বলতেন না ৷ মারওয়ান হযরত আলী
(রা) কে মন্দ বলত ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে, উনার ইবন খাত্তাব (রা) থেকে, উসমান
ইবন আফ্ফান (রা) থেকে এবং হযরত অয়েশা (বা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ অন্য
দিকে তার দু’ পুত্র আমর ও আবু সাঈদ সালিম ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমার, উরওয়া ইবন
যুবায়র (রা) প্রমুখ তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ অবশ্য সিহাহ্ সিত্তাহ ও মুসনাদ গ্রন্থে
তার কোন হাদীস নেই ৷
তিনি একজন সৎ ও ধনাঢা ব্যক্তি ছিলেন ৷ প্রতি জুমআ পরে তিনি তার বন্ধুবান্ধবদেরকে ৰু
দাওয়াত দিয়ে খাবার খাওয়াতেন ৷ জামা-কাপড় প্রদান করতেন এবং বাড়িতে নিয়ে যাবার জন্যে
অন্যান্য উপহার ও কল্যাণকর বস্তু প্রদান করতেন ৷ তিনি টাকার পলি বেধে রাখতেন এবং
জুমআবারে মসজিদে উপস্থিত গরীবংদুঃখী মুসল্লীদের সেগুলো বিলি করে দিতেন ৷
ইবন আসাকির বলেছেন যে, সাঈদ ইবনুল আসের দামেদ্বুশৃকে একটি বাড়ি ছিল ৷ সেটি দার-
ই-জুনাঈম এবং হাম্মামইনাঈমনামে পরিচিত ত্যি ৷ সেটির অবস্থান ছিল দীমামএর পাশে ৷
পরবর্তীতে তিনি মদীনায় ফিরে আসেন এবং সেখানেই ইন্তিকাল করেন ৷ তিনি একজন দানশীল,
সম্রাত ও প্ৰশং সা যােগ্য লোক ছিলেন ৷ এরপর ইবন আসাকির ইয়াকুব ইবন সুফ্য়ান সুত্রে বর্ণিত
সাঈদ ইবনুল অ ৷সের একটি হাদীস উল্লেখ করেছেন ৷ সেটি এই আবু সাঈদ জুফী সাঈদ
ইবনুল আস থেকে বর্ণনা করেন যে, নিনি বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন
তােমাদের মধ্যে জাহেলী যুগে যারা ভাল ছিল (ইসলাম গ্রহণের পর) ইসলামী যুগেও তারা
তাল ৷ অন্যদিকে যুবাযর ইবন বাক্কার সাঈদ সুত্রে ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন ন্
যে, একদিন এক মহিলা একটি চাদ্রর নিয়ে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলেন
যে, আমি মানত করেছি এই চাদরটি দান করব আরবের অন্যতম সম্মানিত ব্যক্তিকে ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনলেন, তাহলে চাদরটি এই বালককে দিয়ে দাও ৷’ অর্থাৎ সাঈদ ইবনুল
جِدًّا، وَوَلَّاهُ الْمَدِينَةَ مَرَّتَيْنِ، وَعَزَلَهُ عَنْهَا مَرَّتَيْنِ بِمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، وَكَانَ سَعِيدٌ هَذَا لَا يَسُبُّ عَلِيًّا، وَمَرْوَانُ يَسُبُّهُ، وَرَوَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَعُثْمَانَ، وَعَائِشَةَ، وَعَنْهُ ابْنَاهُ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ الْأَشْدَقُ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَسَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَغَيْرُهُمْ، وَلَيْسَ لَهُ فِي " الْمُسْنَدِ " وَلَا فِي الْكُتُبِ السِّتَّةِ شَيْءٌ. وَقَدْ كَانَ حَسَنَ السِّيرَةِ، جَيِّدَ السَّرِيرَةِ، وَكَانَ كَثِيرًا مَا يَجْمَعُ أَصْحَابَهُ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ فَيُطْعِمُهُمْ وَيَكْسُوهُمُ الْحُلَلَ، وَيُرْسِلُ إِلَى بُيُوتِهِمْ بِالْهَدَايَا وَالتُّحَفِ وَالْبِرِّ الْكَثِيرِ، وَكَانَ يُصِرُّ الصُّرَرَ فَيَضَعُهَا بَيْنَ يَدَيِ الْمُصَلِّينَ مِنْ ذَوِي الْحَاجَاتِ فِي الْمَسْجِدِ.
قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَقَدْ كَانَتْ لَهُ دَارٌ بِدِمَشْقَ تُعْرَفُ بَعْدَهُ بِدَارِ نَعِيمٍ، وَحَمَّامِ نَعِيمٍ، بِنَوَاحِي الدِّيمَاسِ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَأَقَامَ بِهَا إِلَى أَنْ مَاتَ، وَكَانَ كَرِيمًا جَوَادًا مُمَدَّحًا.
ثُمَّ أَوْرَدَ شَيْئًا مِنْ حَدِيثِهِ مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْجُعْفِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَجْلَحِ، ثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «خِيَارُكُمْ فِي الْإِسْلَامِ خِيَارُكُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ ".»
পৃষ্ঠা - ৬৪৯৫
وَمِنْ طَرِيقِ الزُّبَيْرِ بْنِ بَكَّارٍ، حَدَّثَنِي رَجُلٌ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبَانٍ، حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبُرْدٍ، فَقَالَتْ: إِنِّي نَوَيْتُ أَنْ أُعْطِيَ هَذَا الثَّوْبَ أَكْرَمَ الْعَرَبِ. فَقَالَ: " أَعْطِيهِ هَذَا الْغُلَامَ "،» يَعْنِي سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ وَهُوَ وَاقِفٌ، فَلِذَلِكَ سُمِّيَتِ الثِّيَابَ السَّعِيدِيَّةَ.
وَأَنْشَدَ الْفَرَزْدَقُ قَوْلَهُ فِيهِ:
تَرَى الْغُرَّ الْجَحَاجِحَ مِنْ قُرَيْشٍ ... إِذَا مَا الْخَطْبُ فِي الْحَدَثَانِ عَالَا
قِيَامًا يَنْظُرُونَ إِلَى سَعِيدٍ ... كَأَنَّهُمُ يَرَوْنَ بِهِ هِلَالَا
وَذَكَرَ أَنَّ عُثْمَانَ عَزَلَ عَنِ الْكُوفَةِ الْمُغِيرَةَ، وَوَلَّاهَا سَعِيدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، ثُمَّ عَزَلَهُ وَوَلَّى الْوَلِيدَ بْنَ عُقْبَةَ، ثُمَّ عَزَلَهُ وَوَلَّى سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ، فَأَقَامَ بِهَا حِينًا، وَلَمْ تُحْمَدْ سِيرَتُهُ فِيهِمْ وَلَمْ يُحِبُّوهُ، ثُمَّ رَكِبَ مَالِكُ بْنُ الْحَارِثِ - وَهُوَ الْأَشْتَرُ النَّخَعِيُّ - فِي جَمَاعَةٍ إِلَى عُثْمَانَ، وَسَأَلُوهُ أَنْ يَعْزِلَ عَنْهُمْ سَعِيدًا، فَلَمْ يَعْزِلْهُ، وَكَانَ عِنْدَهُ بِالْمَدِينَةِ فَبَعْثَهُ إِلَيْهِمْ، وَسَبَقَ الْأَشْتَرُ إِلَى الْكُوفَةِ، فَخَطَبَ النَّاسَ، وَحَثَّهُمْ عَلَى مَنْعِهِ مِنَ الدُّخُولِ إِلَيْهِمْ، وَرَكِبَ الْأَشْتَرُ فِي جَيْشٍ يَمْنَعُونَهُ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৬৪৯৬
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১ ৭ ১
আসকো স ঈদ ইবনুল আস তখন ওখানে র্দাড়ানো ছিলেন ৷ এজন্যে জামা-কাপড়কে
সাঈদিয়াস বলা হয় ৷ত তার সসন্ধে করি ফারা যদা ক বলেছেন-
যুবক শ্রেণীর মধ্যে সাঈদ ইবনুল তাসের বক্তৃতা যখন বলিষ্ঠ কণ্ঠে উচ্চারিত হয় তখন
তুমি কুরায়শের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরকে দুেখবে যে,’
— ¥—“ ,
তারা দণ্ডায়মান অবস্থায় স্থির তাকিয়ে আছে সাঈদের দিকে ৷ তারা যেন তাকে দেখে নতুন
র্চাদ দেখছে ৷’
বর্ণিত আছে যে, হযরত উসমান (রা)ত তার শাসনামলে মুগীরা (রা) কে কুফা র শাসনকর্তার
পদ থেকে অপসারিত করে সাঈদ ইবনুল আস (বা) কে ঐ পদে নিয়োগ করেছিলেন ৷ এরপর
সাঈদকে বরখাস্ত করে ওয়ালীদ ইবন উত্বাকে নিয়োগ দেন ৷ পরবর্তীতে আবার ওয়ালীদকে
বরখাস্ত করে সাঈদকে নিয়োগ দেন ৷ তারপর কিছু দিন তিনি ঐ পদে বহাল থাকেন ৷ কিন্তু
কুফাবাসীদের ব্যাপারে ৩ার কর্ম তৎপরতা সন্তোষজনক ছিল না তারা তাকে পসন্দ করত
না ৷ এক পর্যায়ে মালিক ইবন হারিছ ওরফে আশৃতার নাখঈ একদল লোক নিয়ে খলীফা
উসমান (রা) এর নিকট আসে এবং সাঈদকে কুফা থেকে প্রত্যাহার করার আবেদন করে ৷
হযরত উসমান (রা)ত তাদের আবেদনে সাড়া দিলেন না ৷ সাঈদ অবশ্য তখন মদীনায় খলীফার
নিকট অবস্থান করছিলেন ৷ তিনি সাঈদকে কুফা পাঠালেন ৷
এদিকে তার আগেই আশৃতার কুফা চলে আসে ৷ সে কুফাবাসীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেয়
এবং সাঈদকে কুফা প্রবেশে বাধাদানের জন্যে প্ৰরো চিত করে ৷ আশৃতার নিজে একদল লোক
নিয়ে সাঈদকে বাধা দানের জন্যে পথে বের হয় ৷ রাছা এর পথে কুফা প্রবেশের মুখে তারা
আৰীব নামক স্থানে সাঈদের গতিরোধ করে ৷৩ তারা তাকে প্রচণ্ডভাবে বাধা দেয় ৷ শেষ পর্যন্ত
সাঈদ খলীফার নিকট মদীনায় ফিরে আসতে বাধ্য হন ৷ এদিকে আশৃ তার নাখঈ হযরত আবু
মুসা আশ আরী (রা) কে নামায পড়ানো এবং সীমান্ত পাহারার দায়িৎ দিল ৷ আর হুযায়ফাকে
দায়িতু দিল যুদ্ধলব্ধ মালামাল সং রক্ষণ ও বণ্টনের ৷ কুফাবাসীগণ এটি সমর্থন করল এবং এটি
অনুমােদনের জন্যে তারা খলীফার নিকট লোক পাঠাল ৷ খলীফা এটি অনুমোদন করেন এবং
তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন ৷ কিন্তু খলীফা উসমান (যা) মুলত প্রশাসনিককার্যে এই প্রথম
দুর্বলতা দেখালেন ৷ সাঈদ ইবনুল আসকে তিনি মদীনায় ব্লেখে দিলেন ৷ অরভ্রুশ্াষে হযরত
উসমান (রা) যখনাগৃহে অবরুদ্ধ হলেন তখন সাঈদ ইবনুল আস তার পক্ষে ছিলেন ৷
পরবর্তীতে হযরত আয়েশা (রা) যখন তালহা ও যুবায়র (রা)-কে সাথে নিয়ে হযরত উসমান
(রা)-এর খুনীদের বিচারের দাবীতে মদীনা যাত্রা করলেন তখন হযরত সাঈদ তাদের সাথে
যোগ দিলেন ৷ এরপর সাঈদ ও মুগীরা ইবন তারা (বা) এবং অন্য কতক লোক ঐ দল ছেড়ে
চলে গেলেন ৷ তারপর সাঈদ ইবনুল আস তায়িফ গিয়ে বসবাস করতে থাকেন ৷ সকল যুদ্ধের
সমাপ্তি না ঘটা পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন ৷
আমীর মুআবিয়া (বা) ক্ষমতা সুসং হত করার পর ৪৯ হিজরী সনে তিনি মারওয়ানকে
বরখাস্ত করার পর সাঈদ ইবনুল আসকে মদীনার শাসনকতা নিয়োগ করেন ৷ তিনি ৭ দিন ঐ
পদে দায়িত্ব পালন করেন এবং মারওয়ান এই ৭ দিন পদচ্যুত অবস্থায় থাকে ৷ণ্ ৭ দিন পর
পুনরায় মারওয়ানকে ঐ পদে নিয়োগ দেয়া হয় ৷
الدُّخُولِ، قِيلَ: تَلَقَّوْهُ إِلَى الْعُذَيْبِ - وَقَدْ نَزَلَ سَعِيدٌ بِالْعُذَيْبِ - فَمَنَعُوهُ مِنَ الدُّخُولِ إِلَيْهِمْ، وَلَمْ يَزَالُوا بِهِ حَتَّى رَدُّوهُ إِلَى عُثْمَانَ، وَوَلَّى الْأَشْتَرُ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ عَلَى الصَّلَاةِ وَالثَّغْرِ، وَحُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ عَلَى الْفَيْءِ، فَأَجَازَ ذَلِكَ أَهْلُ الْكُوفَةِ، وَبَعَثُوا إِلَى عُثْمَانَ فِي ذَلِكَ فَأَمْضَاهُ، وَسَرَّهُ ذَلِكَ فِيمَا أَظْهَرَهُ، وَلَكِنْ كَانَ هَذَا أَوَّلَ وَهَنٍ دَخَلَ عَلَى عُثْمَانَ.
وَأَقَامَ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ بِالْمَدِينَةِ حَتَّى كَانَ زَمَنُ حَصْرِ عُثْمَانَ، فَكَانَ عِنْدَهُ بِالدَّارِ، ثُمَّ لَمَّا رَكِبَ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ مَعَ عَائِشَةَ مِنْ مَكَّةَ يُرِيدُونَ قَتَلَةَ عُثْمَانَ رَكِبَ مَعَهُمْ، ثُمَّ انْفَرَدَ عَنْهُمْ هُوَ وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ وَغَيْرُهُمَا، فَأَقَامَ بِالطَّائِفِ حَتَّى انْقَضَتْ تِلْكَ الْحُرُوبُ كُلُّهَا، ثُمَّ وَلَّاهُ مُعَاوِيَةُ إِمْرَةَ الْمَدِينَةِ سَنَةَ تِسْعٍ وَأَرْبَعِينَ، وَعَزَلَ مَرْوَانَ، فَأَقَامَ سَبْعًا، ثُمَّ رَدَّ مَرْوَانَ.
وَقَالَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ جَابِرٍ قَالَ: بَعَثَنِي زِيَادٌ فِي شُغُلٍ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَلَمَّا فَرَغْتُ مِنْ أُمُورِي قُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لِمَنْ يَكُونُ الْأَمْرُ مِنْ بَعْدِكَ؟ فَسَكَتَ سَاعَةً، ثُمَّ قَالَ: يَكُونُ بَيْنَ جَمَاعَةٍ، أَمَّا كَرِيمَةُ قُرَيْشٍ فَسَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ، وَأَمَّا فَتَى قُرَيْشٍ حَيَاءً وَدَهَاءً وَسَخَاءً فَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ، وَأَمَّا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فَرَجُلٌ سَيِّدٌ كَرِيمٌ، وَأَمَّا الْقَارِئُ لِكِتَابِ اللَّهِ الْفَقِيهُ فِي دِينِ اللَّهِ، الشَّدِيدُ فِي حُدُودِ اللَّهِ فَمَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، وَأَمَّا رَجُلُ نَفْسِهِ فَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَأَمَّا رَجُلٌ
পৃষ্ঠা - ৬৪৯৭
يَرُدُّ الشَّرِيعَةَ مَعَ دَوَاهِي السِّبَاعِ وَيَرُوغُ رَوَغَانَ الثَّعْلَبِ فَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ.
وَرُوِّينَا أَنَّهُ اسْتَسْقَى يَوْمًا فِي بَعْضِ طُرُقِ الْمَدِينَةِ، فَأَخْرَجَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ دَارِهِ مَاءً فَشَرِبَ، ثُمَّ بَعْدَ حِينٍ رَأَى ذَلِكَ الرَّجُلَ يَعْرِضُ دَارَهُ لِلْبَيْعِ، فَسَأَلَ عَنْهُ: لِمَ يَبِيعُ دَارَهُ؟ فَقَالُوا: عَلَيْهِ دَيْنٌ ; أَرْبَعَةُ آلَافِ دِينَارٍ، فَبَعَثَ إِلَى غَرِيمِهِ فَقَالَ: هِيَ لَكَ عَلَيَّ. وَأَرْسَلَ إِلَى صَاحِبِ الدَّارِ فَقَالَ: اسْتَمْتِعْ بِدَارِكَ.
وَكَانَ رَجُلٌ مِنَ الْقُرَّاءِ الَّذِينَ يُجَالِسُونَهُ قَدِ افْتَقَرَ وَأَصَابَتْهُ فَاقَةٌ شَدِيدَةٌ، فَقَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ: إِنَّ أَمِيرَنَا هَذَا يُوصَفُ بِكَرَمٍ، فَلَوْ ذَكَرْتَ لَهُ حَالَكَ فَلَعَلَّهُ يَسْمَحُ لَكَ بِشَيْءٍ. فَقَالَ: وَيْحَكِ، لَا تُخْلِقِي وَجْهِي، فَأَلَحَّتْ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ، فَجَاءَ فَجَلَسَ إِلَيْهِ، فَلَمَّا انْصَرَفَ النَّاسُ عَنْهُ مَكَثَ الرَّجُلُ جَالِسًا فِي مَكَانِهِ، فَقَالَ لَهُ سَعِيدٌ: أَظُنُّ جُلُوسَكَ لِحَاجَةٍ. فَسَكَتَ الرَّجُلُ، فَقَالَ سَعِيدٌ لِغِلْمَانِهِ: انْصَرِفُوا. ثُمَّ قَالَ لَهُ سَعِيدٌ: لَمْ يَبْقَ غَيْرِي وَغَيْرُكَ. فَسَكَتَ، فَأَطْفَأَ الْمِصْبَاحَ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: رَحِمَكَ اللَّهُ، لَسْتَ تَرَى وَجْهِي، فَاذْكُرْ حَاجَتَكَ. فَقَالَ: أَصْلَحَ اللَّهُ الْأَمِيرَ، أَصَابَتْنَا فَاقَةٌ وَحَاجَةٌ فَأَحْبَبْتُ ذِكْرَهَا لَكَ فَاسْتَحْيَيْتُ. فَقَالَ لَهُ: إِذَا أَصْبَحْتَ فَالْقَ فُلَانًا وَكِيلِي. فَلَمَّا أَصْبَحَ الرَّجُلُ لَقِيَ الْوَكِيلَ، فَقَالَ لَهُ الْوَكِيلُ: إِنَّ الْأَمِيرَ قَدْ أَمَرَ لَكَ بِشَيْءٍ فَأْتِ بِمَنْ يَحْمِلُهُ مَعَكَ. فَقَالَ: مَا عِنْدِي مَنْ يَحْمِلُهُ. ثُمَّ انْصَرَفَ الرَّجُلُ إِلَى امْرَأَتِهِ فَلَامَهَا، وَقَالَ: حَمَلْتِينِي عَلَى بَذْلِ وَجْهِيَ لِلْأَمِيرِ، فَقَدْ أَمَرَ لِي بِشَيْءٍ يَحْتَاجُ إِلَى مَنْ يَحْمِلُهُ، وَمَا أَرَاهُ أَمَرَ لِي إِلَّا بِدَقِيقٍ أَوْ طَعَامٍ، وَلَوْ كَانَ مَالًا لَمَا احْتَاجَ إِلَى مَنْ يَحْمِلُهُ، وَلَأَعْطَانِيهِ. فَقَالَتْ لَهُ الْمَرْأَةُ: فَمَهْمَا أَعْطَاكَ فَإِنَّهُ يَقُوتُنَا
পৃষ্ঠা - ৬৪৯৮
আবদুল মালিক ইব ন উমায়র কাবীসা ইবন জাবির সুত্রে বংনাি করেন যে, তিনি বলেছেন,
যিয়াদ একটি কাজ দিয়ে আমীর মুআৰিয়৷ (রা)-এর নিকট আমাকে পাঠিয়েছিল ৷ নির্ধারিত
কাজ শেষ হবার পর আমি বললাম, আযীরুল মু’মিনীনৰু, আপনার পর খলীফার পদে কে
বসবেন?’ তিনি কিছুক্ষণ চুপ রইলেন ৷ তারপর বললেন, কয়েকজনের মধ্যে যে কোন
একজনের হাতে যাবে খিলাফবু তর দায়িত্ব ৷ হয়ত কুরায়শের সম্রাম্ভ ব্যক্তি সাঈদ ইবনুল
আসের হাতে যাবে অথবা আত্মসম্মানবােধ সম্পন্ন দানশীল কুরায়শী যুবক আবদুল্লাহ ইবন
আমিরের হাতে ৷ অথবা নেতৃতু ণ্ডণসম্পন্ন অভিযাত কুরায়শ বংশীয় ব্যক্তিত্ব ইমাম হাসান ইবন
আলী (রা) এর হাতে অথবা আল্লাহর কিতাবের পাঠক, দ্রীনের ,ফকীহ্, আল্লাহ্র সীমা রক্ষায়
কঠোর মারওয়ান ইবন হাকামের হাতে অথবা ফকীহ আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা) এর হাতে
অথবা হিংস্রতা ও শৃগালের ধুততাসম্পন্ন ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবন যুবায়রের হাতে ৷’
আমরা বর্ণনা করেছি যে, একদিন মদীনায় এক রাস্তায় চলার সময় তিনি পানি র্চইিলেন ৷
একটি গৃহ থেকে পানি এনে তাকে পান করতে দেয়৷ হল ৷ তিনি ঐ পানি পান করলেন ৷
কয়েক দিন পর তিনি দেখতে পেলেন যে, ঐ গৃহের মালিক পৃহটি বিক্রি করার ঘোষণা দিচ্ছে ৷
তিনি বললেন, সে গৃহ বিক্রি করছে কেন? লোকজন বলল, তার প্রায় চার হাজার দীনার ঋণ
আছে ৷ ঋণ পরিশোধের জন্য গৃহ বিক্রি করতে চাচ্ছে ৷ ’তিনি তার ঋণ দাতাকে লোক পাঠিয়ে
বলে দিলেন যে, ওর কাছে পাওনা ঋণের টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবে ৷ আর গৃহের
মালিককে সংবাদ দিলেন যে, তুমি নির্বিঘ্নে তোমার গৃহ ব্যবহার কর ৷’
সাঈদ ইবনুল আসের মজলিসে বসত এমন একজন কিরাআত বিশেষজ্ঞ লোক একবার
অভাবগ্নস্ত হয়ে পড়ে এবং প্রচণ্ড দুঃখের সম্মুখীন হয় ৷ তার শ্রী বলল, আমাদের শাসনকর্তা তো
দানশীল হিসেবে পরিচিত ৷ আপনি যদি আমাদের দুঃখ-দারিদ্রের কথা তাকে জানান,৩ তিনি হয়ত
আমাদেরকে কিছুটা সাহায্য-সহষেশিতা বহ্ববেন ৷’ লোকটি বলল, হায়! আমার মুখে কালি দিও
না ৷’ শ্রী কিন্তু নাছোড়বান্দা, বারবার কথাটি বলছিল ৷ তাই লোকটি শাসনকর্তা সাঈদেয় নিকট
এল ৷ তার নিকট বসল ৷ দরবারে উপস্থিত সকল লোক চলে যাবার পরও সে ওখানে বনে থাকে ৷
, সাঈদ ইবনুল আস তাকে বললেন, আমার তো মনে হয় আপনি কোন প্রয়োজনে বসে আছেন?’
লোকটি কিছুই বলল না ৷ সাঈদ তীর খাদেমদেরকে বললেন, তােমরা এখান থেকে সরে যাও ৷’
এরপর তিনি ণ্লাকঢিকে বললেন, এখন তো আমি ও আপনি ব্যতীত কেউ নেই ৷ আপনার
প্রয়োজনের কথা বলুন ৷’ লোকটি৩ তবুও কিছু বলল না ৷ সাঈদ ইবনুল আস এবার বাতি নিভিয়ে
দিলেন এবং বললেন, আল্লাহ্ আপনাকে দয়া করুন ৷ আপনি তো এখন আমার চেহারা দেখতে
পাচ্ছেন না ৷ সুতরাং আপনার প্রয়োজনের কথা বলুন ৷ ’ এবার সে বলল, মহান আল্লাহ
শাসনকর্তার মঙ্গল কবুন ৷ আমরা অভাবগ্নস্ত হয়ে পড়েছি ৷ একথা আপনাকে জানাতে চেয়েছিলাম ৷
কিন্তু তা বলতে লজ্জা পাচ্ছিলাম ৷ সাঈদ বললেন, আপনি কাল সকালে অমুক কর্মচারীর সাথে
দেখা করবেন ৷’ ভোরে সে নিল্টি কর্মচারীর সাথে দেখা করে ৷ কর্মচারী তাকে বলল, শাসনকর্তা
আপনার জন্যে কিছু জিনিস বরাদ্দ করেছেন, ওগুলো বহন করে নেয়ার জন্যে আপনি লোক নিয়ে
আসুন ৷ সে বলল, মালামাল বহন করার কোন লোক আমার নিকট নেই ৷’ একথা বলে লোকটি
তার ত্রীর নিকট ফিরে গেল এবং ত্রীকে পালমন্দ করে বলল, তুমি আমাকে আমীরের নিকট মুখ
বিক্রি করার জন্যে পাঠিয়েছিলে ৷ তিনি আমাকে এমন দ্রব্য-সামগী দিয়েছেন যা বহন করে আনার
জন্যে লোক দরকার ৷ আমার মনে হয় আটা ও খাদ্যশ্দ্রব্যই বরাদ্দ করেছেন ৷ অন্য শ্মালপত্র হলে
فَخُذْهُ. فَرَجَعَ الرَّجُلُ إِلَى الْوَكِيلِ، فَقَالَ لَهُ الْوَكِيلُ: إِنِّي أَخْبَرْتُ الْأَمِيرَ أَنَّهُ لَيْسَ لَكَ أَحَدٌ يَحْمِلُهُ، وَقَدْ أَرْسَلَ بِهَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةِ السُّودَانِ يَحْمِلُونَهُ مَعَكَ. فَذَهَبَ الرَّجُلُ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى مَنْزِلِهِ إِذَا عَلَى رَأْسِ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ عَشَرَةُ آلَافِ دِرْهَمٍ، فَقَالَ لِلْغِلْمَانِ: ضَعُوا مَا مَعَكُمْ وَانْصَرِفُوا. فَقَالُوا: إِنَّ الْأَمِيرَ قَدْ أَطْلَقْنَا لَكَ، فَإِنَّهُ مَا بَعَثَ مَعَ خَادِمٍ هَدِيَّةً إِلَى أَحَدٍ إِلَّا كَانَ الْخَادِمُ الَّذِي يَحْمِلُهَا مِنْ جُمْلَتِهَا. قَالَ: فَحَسُنَ حَالُ ذَلِكَ الرَّجُلِ.
وَذَكَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ زِيَادَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ بَعَثَ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ بِهَدَايَا وَأَمْوَالٍ وَكِتَابٍ ذَكَرَ فِيهِ أَنَّهُ يَخْطُبُ إِلَيْهِ ابْنَتَهُ أُمَّ عُثْمَانَ مِنْ أُمَيَّةَ بِنْتِ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، فَلَمَّا وَصَلَتِ الْهَدَايَا وَالْأَمْوَالُ وَالْكِتَابُ قَرَأَهُ، ثُمَّ فَرَّقَ الْهَدَايَا فِي جُلَسَائِهِ، ثُمَّ كَتَبَ إِلَيْهِ كِتَابًا لَطِيفًا فِيهِ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {كَلَّا إِنَّ الْإِنْسَانَ لَيَطْغَى أَنْ رَآهُ اسْتَغْنَى} [العلق: 6]
[الْعَلَقِ: 6، 7] . وَالسَّلَامُ.
وَرُوِّينَا أَنَّ سَعِيدًا خَطَبَ أُمَّ كُلْثُومٍ بِنْتَ عَلِيٍّ مِنْ فَاطِمَةَ، الَّتِي كَانَتْ تَحْتَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَأَجَابَتْ إِلَى ذَلِكَ وَشَاوَرَتْ أَخَوَيْهَا فَكَرِهَا ذَلِكَ - وَفِي رِوَايَةٍ: إِنَّمَا كَرِهَ ذَلِكَ الْحُسَيْنُ وَأَجَابَ الْحَسَنُ - فَهَيَّأَتْ دَارَهَا وَنَصَبَتْ سَرِيرًا وَتَوَاعَدُوا لِلْكِتَابِ، وَأَمَرَتِ ابْنَهَا زَيْدَ بْنَ عُمَرَ أَنْ يُزَوِّجَهَا مِنْهُ، فَبَعَثَ إِلَيْهَا بِمِائَةِ أَلْفٍ - وَفِي رِوَايَةٍ: بِمِائَتَيْ أَلْفٍ - مَهْرًا. وَاجْتَمَعَ عِنْدَهُ أَصْحَابُهُ لِيَذْهَبُوا مَعَهُ،
পৃষ্ঠা - ৬৪৯৯
তা আনার জন্যে অতিরিক্ত লোকের প্রয়োজন হত না ৷ এমনিতেই আমাকে দিয়ে দিতেন ৷’ শ্রী
বলল, যাই দিয়ে থাকুন, নিয়ে আসুন ৷ তাতে আমাদের খাবারের ব্যবস্থা হবে ৷
লোকটি উক্ত কর্মচারীর নিকট ফিরে গেল ৷ কর্মর্চারী বলল, বরাদ্দকৃত মালামাল বহন করার
জন্যে আপনার কোন লোক নেই এটা আমি আমীর সাঈদকে জানিয়েছি ৷ তারপর তিনি এই
তিনজন সুদানী লোক আপনার জন্যে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন ৷ তারা আপনার মালামাল বাড়ি
পৌছিয়ে দিবে ৷ ওদেরকে সাথে নিয়ে ল্যেকঢিযাত্রা করল ৷ বাড়ি গিয়ে দেখল তিনজন মুটের
প্রত্যেকের মাথায় দশ হাজার দিরহাম করে মুদ্র৷ পাঠিয়ে দেয়৷ হয়েছে ৷ লোকটি ওদেরকে
বলল, তবে এগুলো এখানে রুপ এবং তোমরা চলে যাও ৷’ তারা বলল, বস্তুত আমীর
আমাদেরকে আপনার জন্যে বরাদ্দ করে দিয়েছেন ৷ কারণ তিনি যে খাদেমেব মাধ্যমে কারো
নিকট উপহার প্রদান করেন, উপহারের সাথে ঐ খাদেমও তাকে দিয়ে দেন ৷’ বর্ণনাকারী
বলেন, এরপর ঐ ব্যক্তির অবস্থা ভাল হয়ে যায় ৷
ইবন আসাকির উল্লেখ করেছেন যে, যিয়াদ ইবন আবু সুফিয়ান সাঈদ ইবনুল আসের
মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে সাঈদের নিকট প্রচুর মালামাল, উপহার সামগ্রী ও একটি
চিঠি দিয়ে লোক পাঠিয়েছিলেন ৷৩ তার মেয়েটির নাম ছিল উম্মু উসমান ৷৩ তার শ্রী আমিনা ৰিনৃত
জারীর ইবন আবদুল্লাহ বাজালীর গর্ভে মেয়েটির জন্ম হয় ৷ উপহার সামগ্রী, মালপত্র ও চিঠি
তার হস্তপত হবার পর তিনি চিঠিটি পাঠ করেন ৷৩ তারপর উপহার সামগ্রীগুলাে তার বন্ধু
বান্ধবদের মধ্যে বিলিয়ে দেন ৷ এরপর যিয়াদ ইবন আবু সুফিয়ানের নিকট এভাবে চিঠির উত্তর
লিখেন “ৰিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, আল্লাহ্ তা জানা বলেছেন :৷ শু ;া এ :এেঘ্রাপু৷ ৷ হ্রা;<
,,-াত্ত;ব্লু৷ fl; বস্তুত মানুষওে তা সীমালং ৎঘন করেই থাকে ৷ কারণ সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে
করে ৷ (সুরা : আলাক৪ ৬ ৭)
আমরা আরো বর্ণনা করেছি যে, সাঈদ ইবনুল আস হযরত ফাতিমার গর্ভে জন্ম নেয়া হযরত
আলী (রা) এর কন্যা উম্মু কৃলছুমকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷ উম্মু ক্যুছুম (বা) এক সময়
হযরত উমর (রা)-এর সহধর্মিণী ছিলেন ৷ উম্মু কুলছুম ঐ প্রস্তাব গ্রহণ কঃতে রাযী হয়েছিলেন ৷
কিন্তুতার ভাইদের সাথে পরামর্শ করার পর এটি পছন্দ করেন নি ৷ অবশ্য এক বর্ণনায় আছে যে,
ইমাম হুসায়ন (রা)৩ তা সমর্থন করেন সি, আর ইমাম হাসান (রা) সমর্থন করেছিলেন ৷
উম্মু কুলছুম (রা) নিজ উদ্যোগে বিয়ের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন এবং নিজ পুত্র যায়দ
ইবন উমর (রা)কে বিবাহকার্ষ সম্পাদনের নির্দেশ দিলেন ৷ এদিকে সাঈদ ইবনুল আস দেন-
মোহর বাবদ এক লক্ষ দিরহাম উন্মু কুলছুমেঠুব নিকট পাঠিয়ে দিলেন ৷ অপর বর্ণনায় দেন-
মোহর বাবদ দুই লক্ষ দিরহাম প্রদান করেন ৷ ত্রীকে তুলে নেয়ার জন্যে সাঈদের সাথীগণ
সাঈদের সাথে উপস্থিত হয় ৷ কিন্তু যায়দ বলে দেন যে, আমি আমার মা ফাতিমাকে ঘর থেকে
বের করে দিতে রাযী নই ৷ একথা শুনে সাঈদ ইবনুল আস উম্মু কুলছুমকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত
ত্যাগ করেন এবং দেন-মােহয়রুপে পাঠানো রৌপ্য মুদ্রা তাকে দিয়ে চলে যান ৷
ইবন সাঈদ এবং আবদুল আ লা ইবন হাম্মাদ বলেছেন যে, এক আরব বেদৃইন সাঈদ
ইবনুল আসের নিকট সাহায্য চেয়েছিল ৷ তিনি তাকে পাচশত’ দেয়ার জন্যে কর্মচারীকে
নিয়োগ দিলেন ৷ কর্মচারী বলল, পাচশত দিরহাম দিব নাকি পাচশত দীনার দিব?ৰু উত্তরে তিনি
১ উম্মু কুলছুমের স্থলে এরুপই মুদ্রিত রয়েছে ৷
ওেতাে
فَقَالَ: إِنِّي أَكْرَهُ أَنْ أُحْرِجَ ابْنَيْ فَاطِمَةَ. فَتَرَكَ التَّزْوِيجَ، وَأَطْلَقَ جَمِيعَ ذَلِكَ الْمَالِ لَهَا.
وَقَالَ ابْنُ مَعِينٍ وَعَبْدُ الْأَعَلَى بْنُ حَمَّادٍ: سَأَلَ أَعْرَابِيٌّ سَعِيدَ بْنَ الْعَاصِ فَأَمَرَ لَهُ بِخَمْسِمِائَةٍ، فَقَالَ الْخَادِمُ: خَمْسُمِائَةِ دِرْهَمٍ أَوْ دِينَارٍ؟ فَقَالَ: إِنَّمَا أَمَرْتُكَ بِخَمْسِمِائَةِ دِرْهَمٍ، وَإِذْ قَدْ جَاشَ فِي نَفْسِكَ أَنَّهَا دَنَانِيرُ، فَادْفَعْ إِلَيْهِ خَمْسَمِائَةِ دِينَارٍ. فَلَمَّا قَبَضَهَا الْأَعْرَابِيُّ جَلَسَ يَبْكِي، فَقَالَ لَهُ: مَالِكٌ؟ أَلَمْ تَقْبِضْ نَوَالَكَ؟ قَالَ: بَلَى وَاللَّهِ، وَلَكِنْ أَبْكِي عَلَى الْأَرْضِ كَيْفَ تَأْكُلُ مِثْلَكَ.
وَقَالَ عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ: جَاءَ رَجُلٌ فِي حَمَالَةِ أَرْبَعِ دِيَاتٍ سَأَلَ فِيهَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ، فَقِيلَ لَهُ: عَلَيْكَ بِالْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، أَوْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، أَوْ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، أَوْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ. فَانْطَلَقَ إِلَى الْمَسْجِدِ، فَإِذَا سَعِيدٌ دَاخِلٌ إِلَيْهِ، فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ فَقِيلَ: سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ. فَقَصَدَهُ فَذَكَرَ لَهُ مَا أَقْدَمَهُ، فَتَرَكَهُ حَتَّى انْصَرَفَ مِنَ الْمَسْجِدِ إِلَى الْمَنْزِلِ، فَقَالَ لِلْأَعْرَابِيِّ: ائْتِ بِمَنْ يَحْمِلُ مَعَكَ؟ فَقَالَ: رَحِمَكَ اللَّهُ، إِنَّمَا سَأَلْتُكَ مَالًا لَا تَمْرًا. فَقَالَ: أَعْرِفُ، ائْتِ بِمَنْ يَحْمِلُ مَعَكَ؟ فَأَعْطَاهُ أَرْبَعِينَ أَلْفًا، فَأَخَذَهَا الْأَعْرَابِيُّ، وَانْصَرَفَ وَلَمْ يَسْأَلْ غَيْرَهُ.
وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ لِابْنِهِ: يَا بُنَيَّ، أَخْزَى اللَّهُ الْمَعْرُوفُ إِذَا لَمْ يَكُنِ
পৃষ্ঠা - ৬৫০০
ابْتِدَاءً مِنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ، فَأَمَّا إِذَا أَتَاكَ الرَّجُلُ تَكَادُ تَرَى دَمَهُ فِي وَجْهِهِ، أَوْ جَاءَكَ مُخَاطِرًا لَا يَدْرِي أَتُعْطِيهِ أَمْ تَمْنَعُهُ، فَوَاللَّهِ لَوْ خَرَجْتَ لَهُ مِنْ جَمِيعِ مَالِكِ مَا كَافَأْتَهُ.
وَقَالَ سَعِيدٌ: لِجَلِيسِي عَلَيَّ ثَلَاثٌ ; إِذَا دَنَا رَحَّبْتُ بِهِ، وَإِذَا جَلَسَ أَوْسَعْتُ لَهُ، وَإِذَا حَدَّثَ أَقْبَلْتُ عَلَيْهِ.
وَقَالَ أَيْضًا: يَا بُنَيَّ، لَا تُمَازِحِ الشَّرِيفَ فَيَحْقِدَ عَلَيْكَ، وَلَا الدَّنِيءَ فَتَهُونَ عَلَيْهِ. وَفِي رِوَايَةٍ: فَيَجْتَرِئَ عَلَيْكَ.
وَخَطَبَ يَوْمًا فَقَالَ: مَنْ رَزَقَهُ اللَّهُ رِزْقًا حَسَنًا فَلْيَكُنْ أَسْعَدَ النَّاسِ بِهِ، إِنَّمَا يَتْرُكُهُ لِأَحَدِ رَجُلَيْنِ ; إِمَّا مُصْلِحٌ فَيَسْعَدُ بِمَا جَمَعْتَ لَهُ وَتَخِيبُ أَنْتَ، وَالْمُصْلِحُ لَا يَقِلُّ عَلَيْهِ شَيْءٌ، وَإِمَّا مُفْسِدٌ فَلَا يَبْقَى لَهُ شَيْءٌ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: جَمَعَ أَبُو عُثْمَانَ طُرَفَ الْكَلَامِ.
وَرَوَى الْأَصْمَعِيُّ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ: قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْعَاصِ: مَوْطِنَانِ لَا أَسْتَحْيِي مِنْ رِفْقِي فِيهِمَا وَالتَّأَنِّي عِنْدَهُمَا، مُخَاطَبَتِي جَاهِلًا أَوْ سَفِيهًا، وَعِنْدَ مَسْأَلَتِي حَاجَةً لِنَفْسِي.
وَدَخَلَتْ عَلَيْهِ امْرَأَةٌ مِنَ الْعَابِدَاتِ، وَهُوَ أَمِيرُ الْكُوفَةِ، فَأَكْرَمهَا وَأَحْسَنَ إِلَيْهَا، فَقَالَتْ: لَا جَعَلَ اللَّهُ لَكَ إِلَى لَئِيمٍ حَاجَةً، وَلَا زَالَتِ الْمِنَّةُ لَكَ فِي أَعْنَاقِ الْكِرَامِ، وَإِذَا أَزَالَ عَنْ كَرِيمٍ نِعْمَةً جَعَلَكَ سَبَبًا لِرَدِّهَا عَلَيْهِ. وَقَدْ كَانَ لَهُ عَشَرَةٌ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৬৫০১
বললেন, আমি তো মুলত পাচশত দিরহাম দেয়ার নির্দেশ দি৫য়ছিলাম ৷ তোমার অন্তরে যখন
পাচশত দীনারের কথা ৫জগে৫ছ তখন তাকে পাচশত দীনারই দাও ৷ পাচশত দীনাৱ গ্রহণ
করার পর আরব বেদুইন বসে বসে কাদতে থাকে ৷ তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কাদছ
কেন? তুমি তো দান-দক্ষিণা ৫প৫য়ছ ৷-’ সে বলল, হীা, আল্পাহ্র কসম !“ আমি আমার দান-
দক্ষিা৷ গ্রহণ করেছি তবে মাটির বিষয় চিন্তা করে কাদছি যে, আপনার ন্যায় মহৎ মানুষকে
মাটি কেমন করে গ্রাস করবে ?
আবদুল হামৃদ ইবন জা ফর বলেছেন, এক লোক চারজ৫নর রক্তপ৫ণর দায় মাথায় নিয়ে
উপস্থিত হয় এবং তা আদায়ের জন্যে মদীনাবাসীদের সাহায্য কামনা করে ৷ তাকে বলা হল,
তুমি হাসান ইবন আলী (রা)-এর নিকট যাও ৷ কিংবা তুমি যাও আবদুল্লাহ ইবন জাফরের
নিকট কিংবা সাঈদ ইবনুল-“আসেন নিকট কিংবা আবদুল্লাহ্ ইব ন আব্বাসের নিকট ৷ লোকটি
মসজিদের দিকে গেল ৷ সেখানে তার সাক্ষাত হল সাঈদ ইবনুল আসের সাথে ৷ তিনি
মসজিদে প্রবেশ করছিলেন ৷ লোকটি জিজ্ঞেস করল, ইনি ৫কগু উত্তর দেয়া হল যে, ইনি
সাঈদ ইবনুল আস ৷ সে তার নিকট গিয়ে কি উদ্দেশ্যে এসেছে তা তাকে জানাল ৷ তিনি
তা৫ক তখন কিছু বললেন না ৷- অবশেষে তিনি মসজিদ থেকে বাড়ি ফিরে ৫গ৫লন এবং
৫লাকটি ৫ক বললেন, তােমার সাথে আর কে কে এটি বহন করে নিয়ে যাবে তাদেরকে নিয়ে
এস ৷’ বেদুইন লোকটি বলল, আল্লাহ্ আপনাকে দয়া করুন, আমি তাে খেজুর চাই নি,
আমি ৫চ৫য়ছি মাল, অর্থ, কড়ি ৷ সাঈদ বললেন, হ্যা আমি তা বুঝেছি ৷ এগুলো বহন করবে
তাকে নিয়ে এস ৷’ তারপর তিনি চল্লিশ হাজার দিরহাম দিয়ে দিলেন ৷ ৫লাকটি খুশি
মনে চলে গেল ৷ অন্য কারো নিকট আর সাহায্য প্রার্থনা করে নি ৷ তার পুন সাহায্য চাওয়ার
প্রয়োজন হয় নি ৷
সাঈদ ইবনুল আস তার পুত্রকে বলেছিলেন, বৎস! কেউ না চইিতে তাকে দান করার মত
সৎকর্মের প্রতিদান আল্লাহর নিকট র৫য়৫ছই ৷ তবে মুখে বিন৫য়র শব্দ আর রক্তিম চেহারা নিয়ে
কেউ যদি তোমার নিকট কিছু চায় কিংবা তুমি দিবে কি দিয়ে না এমন সংশয়যুক্ত মন নিয়ে
যদি তোমার নিকট হাত পা৫ত তাহলে সেই লোককে যদি তোমার সকল মালও দিয়ে দজৈ
তবুও তার উপযুক্ত বিনিময় হবে না ৷’
সাঈদ ইবনুল আস (রা) বলেছেন আমার বন্ধুর প্রতি আমার তিনটি কর্তব্য রয়েছে ৷ আমার
নিকট এলে আমি তাকে সাদরে বরণ করে নিব ৷ সে আমার নিকট বসলে আমি তার স্বাচ্ছ৫ন্দা
বসার ব্যবস্থা করব ৷ সে যখন কথা বলবে আমি তখন একান্ত মনাে৫যাগে তার কথা শুনব ৷’
তিনি আরো ব৫ল৫ছন,৫হ বৎস, কোন ড্ড মানুষের সাথে কৌতুক কর না তাহলে সে তোমার
প্রতি ঘৃণা পোষণ করবে ৷ আর নিম্নস্ত৫রর লো৫কং৷ সাথেও কৌতুক করো না, তাহলে সে
তোমার সাথে ৫বয়াদবী করার দুঃসাহস দেখাবে ৷
সাঈদ ইবনুল আস একদিন খুত্বায় বললেন, মহান আল্লাহ যাকে তাল জীবিকা দিয়েছেন
সে যেন অন্যতম সৎ মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ৷ কারণ সে মারা যাবার সময় তার ২
সম্পদ দু’প্রকারের মানুষের যে কোন এক প্রকারের জন্যে রেখে যাবে ৷ হয়ত ভাল মানুষের
জন্যে রেখে যাবে, এতে তার সঞ্চিত সম্পদ দ্বারা পরবর্তী লোকটি পুণ্য অর্জন করবে ৷ অথচ
যে সঞ্চয় করল যে বঞ্চিত হল ৷ উত্তরাধিকারী ভাল মানুষটি কিন্তু সম্পদ ব্যয়ের মাধ্যমে কল্যাণ
অর্জনে একটুও কমতি করবে না ৷ অথবা মুল ব্যক্তি সম্পদ ছেড়ে যাবে মন্দ মানুষের জন্য ৷
الْوَلَدِ ذُكُورًا وَإِنَاثًا، وَكَانَتْ إِحْدَى زَوْجَاتِهِ أُمَّ الْبَنِينَ بِنْتَ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ أُخْتَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ. وَلَمَّا حَضَرَتْ سَعِيدًا الْوَفَاةُ جَمَعَ بَنِيهِ، وَقَالَ لَهُمْ: لَا يَفْقِدْنَ أَصْحَابِي غَيْرَ وَجْهِي، وَصِلُوهُمْ بِمَا كُنْتُ أَصِلُهُمْ بِهِ، وَأَجْرُوا عَلَيْهِمْ مَا كُنْتُ أُجْرِي عَلَيْهِمْ، وَاكْفُوهُمْ مُؤْنَةَ الطَّلَبِ ; فَإِنَّ الرَّجُلَ إِذَا طَلَبَ الْحَاجَةَ اضْطَرَبَتْ أَرْكَانُهُ، وَارْتَعَدَتْ فَرَائِصُهُ ; مَخَافَةَ أَنْ يُرَدَّ، فَوَاللَّهِ لَرَجُلٌ يَتَمَلْمَلُ عَلَى فِرَاشِهِ يَرَاكُمْ مَوْضِعًا لِحَاجَتِهِ، أَعْظَمُ مِنَّةً عَلَيْكُمْ مِمَّا تُعْطُونَهُ. ثُمَّ أَوْصَاهُمْ بِوَصَايَا كَثِيرَةٍ، مِنْهَا أَنْ يُوَفُّوا مَا عَلَيْهِ مِنَ الدَّيْنِ وَالْوُعُودِ، وَأَنْ لَا يُزَوِّجُوا أَخَوَاتِهِمْ إِلَّا مِنَ الْأَكْفَاءِ، وَأَنْ يُسَوِّدُوا أَكْبَرَهُمْ. فَتَكَفَّلَ بِذَلِكَ كُلِّهِ ابْنُهُ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ الْأَشْدَقُ، فَلَمَّا مَاتَ دَفَنَهُ بِالْبَقِيعِ، ثُمَّ رَكِبَ عَمْرٌو إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَعَزَّاهُ فِيهِ، وَاسْتَرْجَعَ مُعَاوِيَةُ وَحَزِنَ عَلَيْهِ، وَقَالَ: هَلْ تَرَكَ مِنْ دَيْنٍ عَلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: وَكَمْ؟ قَالَ: ثَلَاثُمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ. وَفِي رِوَايَةٍ: ثَلَاثُ آلَافِ أَلْفِ دِرْهَمٍ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: هِيَ عَلَيَّ. فَقَالَ ابْنُهُ: لَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّهُ أَوْصَانِي أَنْ لَا أَقْضِيَ دَيْنَهُ إِلَّا مِنْ ثَمَنِ أَرَاضِيهِ. فَاشْتَرَى مِنْهُ مُعَاوِيَةُ أَرَاضِيَ بِمَبْلَغِ الدَّيْنِ، وَسَأَلَ مِنْهُ عَمْرٌو أَنْ يَحْمِلَهَا لَهُ إِلَى الْمَدِينَةِ فَحَمَلَهَا لَهُ، ثُمَّ شَرَعَ عَمْرٌو يَقْضِي مَا عَلَى أَبِيهِ مِنَ الدَّيْنِ حَتَّى لَمْ يَبْقَ أَحَدٌ، فَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ طَالَبَهُ شَابٌّ مَعَهُ رُقْعَةٌ مِنْ أَدِيمٍ فِيهَا عِشْرُونَ أَلْفًا، فَقَالَ لَهُ عَمْرٌو: كَيْفَ اسْتَحْقَقْتَ هَذِهِ عَلَى أَبِي؟ فَقَالَ الشَّابُّ: إِنَّهُ كَانَ يَوْمًا يَمْشِي وَحْدَهُ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَكُونَ مَعَهُ حَتَّى يَصِلَ إِلَى مَنْزِلِهِ فَلَمَّا وَصَلَ قَالَ: هَلْ مِنْ حَاجَةٍ؟ فَقُلْتُ: لَا إِلَّا أَنِّي رَأَيْتُ الْأَمِيرَ يَمْشِي وَحْدَهُ فَاخْتَرْتُ أَنْ أَكُونَ مَعَهُ حَتَّى يَصِلَ إِلَى مَنْزِلِهِ، فَقَالَ: أَبْغِنِي رُقْعَةً مِنْ أَدِيمٍ. فَذَهَبْتُ إِلَى الْخَرَّازِينَ
পৃষ্ঠা - ৬৫০২
فَأَتَيْتُهُ بِهَذِهِ، فَكَتَبَ لِي فِيهَا هَذَا الْمَبْلَغَ، وَاعْتَذَرَ بِأَنَّهُ لَيْسَ عِنْدَهُ الْيَوْمَ شَيْءٌ. فَدَفَعَ إِلَيْهِ عَمْرٌو ذَلِكَ الْمَالَ، وَزَادَهُ شَيْئًا كَثِيرًا. وَيُرْوَى أَنَّ مُعَاوِيَةَ قَالَ لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ: مَنْ تَرَكَ مِثْلَكَ لَمْ يَمُتْ. ثُمَّ قَالَ: رَحِمَ اللَّهُ أَبَا عُثْمَانَ. ثُمَّ قَالَ: قَدْ مَاتَ مَنْ هُوَ أَكْبَرُ مِنِّي وَمَنْ هُوَ أَصْغَرُ مِنِّي، ثُمَّ أَنْشَدَ قَوْلَ الشَّاعِرِ:
إِذَا سَارَ مَنْ دُونَ امْرِئٍ وَأَمَامَهُ ... وَأَوْحَشَ مِنْ إِخْوَانِهِ فَهُوَ سَائِرُ
وَكَانَتْ وَفَاةُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: فِي الَّتِي قَبْلَهَا. وَقِيلَ: فِي الَّتِي بَعْدَهَا. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: كَانَتْ وَفَاتُهُ قَبْلَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ بِجُمُعَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
شَدَّادُ بْنُ أَوْسِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ الْمُنْذِرِ بْنِ حَرَامٍ، أَبُو يَعْلَى الْأَنْصَارِيُّ الْخَزْرَجِيُّ
صَحَابِيٌّ جَلِيلٌ، وَهُوَ ابْنُ أَخِي حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ.
وَحَكَى ابْنُ مَنْدَهْ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ أَنَّهُ قَالَ: شَهِدَ بَدْرًا. قَالَ ابْنُ مَنْدَهْ: وَهُوَ وَهْمٌ. وَكَانَ مِنَ الِاجْتِهَادِ فِي الْعِبَادَةِ عَلَى جَانِبٍ عَظِيمٍ، كَانَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ يُعَلِّقُ عَلَى فِرَاشِهِ، وَيَتَقَلَّبُ عَلَيْهِ وَيَتَلَوَّى كَمَا تَتَلَوَّى الْحَيَّةُ، وَيَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنَّ خَوْفَ النَّارِ قَدْ أَقْلَقَنِي. ثُمَّ يَقُومُ إِلَى صَلَاتِهِ.
قَالَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ: كَانَ شَدَّادٌ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ وَالْحِلْمَ.
পৃষ্ঠা - ৬৫০৩
০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :
আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া ১৭৫
ফলে সে সব সম্পদ নষ্ট করে ফেলবে ৷ একটুও অবশিষ্ট রাখবে না ৷’ এ প্রসঙ্গে আবু মুআবিয়া
বলেছেন যে, আবু উসমান খুব সুক্ষ্ম কথা বলেছেন ৷
আসমাঈ হাকীম ইবন কায়স র্বণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, ৰ্বাসাঈদ ইবনুল আস
বলেছেন দু টো ক্ষেত্রে আমি বিনয় প্রদর্শন ও বিলম্বিত করতে লজ্জাবােধ করি না ৷ প্রথমত, সুর্য
ও অজ্ঞ ব্যক্তির সাথে কথা বলার সময় ৷ দ্বিতীয়ত, আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে অ ৷বেদন-নিরেদন
করার সময় ৷’
একদিন জনৈক ইবাদতকারিণী মহিলা তার নিকট উপস্থিত হন৷ তখন তিনি কৃফার
শাসনকর্তা পদে অধিষ্ঠিত ৷ তিনি মহিলাটিকে যথেষ্ট সম্মান ও সমাদর করলেন ৷ মহিলাটি তার
জন্যে দুঅ৷ করে বললেন, মহান আল্লাহ্ যেন কোন অযােগ্য লোকের প্রতি আপনাকে
ঘুখাপেক্ষী না করেন ৷ আপনি যেন চিরদিন সম্মানিত মানুষদেরকে সম্মান ও দয়া দেখিয়ে
যেতে পারেন ৷ আর কোন সম্মানিত মানুষ যখন তার সম্মান হারিয়ে ফেলেন, তখন আপনার
মাধ্যমে যেন তিনি তার হারানো সম্মান ফিরে পান ৷
সাঈদ ইবনুল আসের (হলে-মেয়ে মিলিয়ে মোট ১০ জন সন্তান-সন্ততি ছিল ৷ তার একজন
স্তীর পরিচয় হল উন্মুল বানীন বিনৃত হাকীম ইবন আবু আস ৷ সে ছিল মায়ওয়ান ইবন
হাকামের বোন ৷ হযরত সাঈদ (রা) যখন মৃত্যু শয্যায়, তখন তিনি তার ছোলদেরফে কাছে
ডাকলেন ৷ তাদেরকে বললেন, আমার মৃত্যুর পর আমার বন্ধু-বান্ধবেরা যেন শুধু আমার
ঢেহারাকেই চোখের আড়ালে পায় ৷ অন্যথায় আমি যেমন তাদের সাথে সুসম্পর্ক রেখেছি
তােমরাও তা-ই করবে ৷ আমি ওদেরকে যেমন উপহার-উপচৌকন দিয়েছি ৷তামরাগু দিবো
ওদের যেন কোন সময় কিছু চাওয়ার কষ্টটুকু ভোগ করতে না হয় ৷: ,কারং ৷ ; £কটুহৃয়খন তার
প্রয়োজনীয় বস্তুর জন্যে প্রার্থনা জানায়, তখন প্রত্যথ্যোত হবার আশংকায় তার অঙ্গন্প্রত্যঙ্গ
অস্থির হয়ে ওঠে তার ঘাড়ের রগ কেপে উঠে ৷ আল্লাহ্র কলম ! কোন অতাবগ্রস্ত মানুষ যদি
তার বিছানায় গড়াগডি খেয়ে তার অভাবের কথাতােমাদেরকে জানায় তবে তোমরা তাকে
কিছু দিয়ে তার খা যতটুকু অনুমহ দেখাবে, ওে ৷মাদের প্রতি তার অনুকম্পা তার চাইতে
বেশি হয়ে যাবে ৷’ এরপর তিনি তাদেরকে অনেক ওসীয়ত করেন ৷ ন্
এর একটি হল তার গৃহীত ঋণ ও প্রতিশ্রুতি যেন তারা পরিশোধ ও পালন করো
সমশ্রেণীর লোক ব্যতীত অন্যের সাথে যেন বিবাহ বন্ধহ্ন আবদ্ধ না হয় ৷ নিজেদের মধ্যে যে
বয়ােজ্যেষ্ঠ তাকে যেন নেতৃত্বের আসনে বসায় ৷ তার পুত্র আমর ইবন সাঈদ আল আসদাক
তার এসব ওসীয়ত রক্ষা করার দায়িতু নেয় ৷ তীর ওফাতের পর তাকে জওন্নৰুতুপ্স বার্কীতে
দাফন করা হয় ৷
এরপর তার পুত্র আমর আমীর মুআৰিয়া (রা) এর সাথে দেখা করে এবং পিতার মৃত্যুর
ৎবাদ তারুক জানায় ৷ তার মৃত্যুতে মুআবিয়৷ (রা) গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন এবং
তিনি কোন ঋণ রেখে নিয়েছেন কিনা তা জানতে চান ৷ আমর বললেন, ইা, ঋণ রেখে
নিয়েছেন ৷ ’ কি পরিমাণ ঋণ’ আমীর মুআবিয়া জিজ্ঞেস করলেন ৷ আমর বললেন, তিন লক্ষ
দিরহাম ৷’ অপর বর্ণনায় আছে ত্রিশ লক্ষ দিরহাম ৷ মুআবিয়া (রা) বললেন, সেটি গােধ করার
দায়িত্ব এখন আমি নিয়েন্ণ্নিলায় ৷’ আমর ইবনন্ সাঈদ বলল, রুআমীরুল মু’মিনীন ৷ বাবা তাে এ
মর্মে ওসীয়ত করে গিয়েছিলেন যে, তার জমি বিক্রির মুল্য ব্যতীত অন্য কোন খাত থেকে যেন
আমরা ঋণের টাকা শোধ না করি ৷ তার ওসীয়ত রক্ষায় আমীর মুআবিয়া (রা) র্ভার:ত্যাজ্য
نَزَلَ شَدَّادٌ فِلَسْطِينَ وَبَيْتَ الْمَقْدِسِ، وَمَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ خَمْسٍ وَسَبْعِينَ سَنَةً، وَقِيلَ: مَاتَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَسِتِّينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ كُرَيْزِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ حَبِيبِ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ الْقُرَشِيُّ الْعَبْشَمِيُّ، ابْنُ خَالِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ
وُلِدَ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَفَلَ فِي فِيهِ، فَجَعَلَ يَبْتَلِعُ رِيقَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " إِنَّهُ لَمِسْقَاءٌ ". فَكَانَ لَا يُعَالِجُ أَرْضًا إِلَّا ظَهَرَ لَهُ الْمَاءُ، وَكَانَ كَرِيمًا مُمَدَّحًا مَيْمُونَ النَّقِيبَةِ، اسْتَنَابَهُ عُثْمَانُ عَلَى الْبَصْرَةِ بَعْدَ أَبِي مُوسَى، وَوَلَّاهُ بِلَادَ فَارِسَ بَعْدَ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، وَعُمْرُهُ إِذْ ذَاكَ خَمْسٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً، فَفَتَحَ خُرَاسَانَ كُلَّهَا وَأَطْرَافَ فَارِسَ وَسِجِسْتَانَ وَكَرْمَانَ وَبِلَادَ غَزْنَةَ، وَقُتِلَ كِسْرَى مَلِكُ الْمُلُوكِ فِي أَيَّامِهِ - وَهُوَ يَزْدَجِرْدُ - ثُمَّ أَحْرَمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ بِحَجَّةٍ - وَقِيلَ: بِعُمْرَةٍ - مِنْ تِلْكَ الْبِلَادِ، شُكْرًا لِلَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَفَرَّقَ فِي أَهْلِ الْمَدِينَةِ أَمْوَالًا كَثِيرَةً جَزِيلَةً، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ لَبِسَ الْخَزَّ بِالْبَصْرَةِ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ.
وَهُوَ أَوَّلُ مَنِ اتَّخَذَ الْحِيَاضَ بِعَرَفَةَ وَأَجْرَى إِلَيْهَا الْمَاءَ الْمَعِينَ وَالْعَيْنَ، وَلَمْ يَزَلْ عَلَى الْبَصْرَةِ حَتَّى قُتِلَ عُثْمَانُ، فَأَخَذَ أَمْوَالَ بَيْتِ الْمَالِ وَتَلَقَّى بِهَا طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرَ، وَحَضَرَ مَعَهُمُ الْجَمَلَ، ثُمَّ سَارَ إِلَى دِمَشْقَ، وَلَمْ يُسْمَعْ لَهُ بِذِكْرٍ فِي صِفِّينَ، وَلَكِنْ
পৃষ্ঠা - ৬৫০৪
সম্পত্তি থেকে এই পরিমাণ জমি ক্রয় করলেন যার মুল্য দ্বারা ঋণ শোধ করা যায় ৷ ঐ মুল্য
আমরকে হস্তান্তর করে মদীনায় গিয়ে ঋণদাতাদের ঋণ পরিশোধ করে দিতে বললেন : আমর
মদীনায় ফিরে গেলেন এবং তার বাবার ঋণ গােধ্ করতে শুরু করলেন ৷ সবার ঋণ গোধ করে
দিলেন ৷ কেউ অবশিষ্ট রইল না ৷
যারা ঋণের টাকা দাবী করেছিল, তাদের মধ্যে এক যুবকও ছিল ৷ সে একটি চামড়ার
টুকর৷ এনে তাতে লেখা ২০,০০০ দিরহাম দাবী করে ৷ আমর তাকে বললেন, তুমি কোন সুত্রে
আমার বাবার নিকট এই পাওন৷ দাবী করছপ্ সে বলল, একদিন আপনার বাবা একাকী
, হাটছিলেন ৷ তখন আমি তার সাথে ইাটতে আগ্রহী হলাম ৷ আমি তার সাথে হাটছিলাম ৷ এক
পর্যায়ে তিনি তার গৃহে এসে পৌছেন এবং বলেন যে, আমাকে এক টুকরা চামড়া যােগাড় করে
দাও ৷ আমি গেলাম কসাইদের নিকট এবং এই চামড়া খণ্ড এসে তার হাতে তুলে দিয়েছিলাম ৷
তিনি আমাকে এই পরিমাণ প্রদানের জন্যে চামড়ার লিখে দেন ৷ সাথে সাথে এই ওযরও পেশ
করেন যে, আজ আমার নিকট কোন টাকা পয়সা নেই ৷ আমর ঐ যুবককে চামড়ার উল্লেখিত
পরিমাণ দিরহাম দিয়ে দিলেন ববৃৎ আরো অনেক অতিরিক্ত দান করলেন ৷
বর্ণিত আছে যে, আমীর মুআবিয়৷ (বা) একদিন আমর ইবন সাঈদকে বলেছিলেন,
তােমার মত, সন্তান যে রেখে যায় সে মরেও অমর ৷ এরপর আমীর মু আরিয়৷ (রা) বললেন,
মহান আল্লাহ আবু উসমানকে যেন দয়া করেন ৷’ তারপর বললেন, আমার চাইতে বড় যে
ছিল সেও; সারা গেল আমার চাইতে যে ছোট ছিল সেও মারা পেল’ ৷ এরপর তিনি জনৈক
কবির রচিত নিম্নের প ৎক্তিমালা আবৃত্তি করেন ৷
ক্রো
:যখন কোন মানুষের পেছনে অবস্থানকারীগণ চলতে থাকে আর সম্মুখের অবস্থানও চলতে
থাকে তখন সে নিজেও পথ চলতে বাধ্য হয় ৷’
হযরত সাঈদ ইবনুল আসের মৃত্যু হয় এই হিজরী সনে অর্থাৎ ৫৮ হিজরী সনে ৷ কেউ
কেউ বলেছেন, ন্ তার এক বছর পুর্বে ৷ আবার কেউ বলেছেন, এক বছর , পরে তিনি মারা
, নিয়েছেন ৷ আবার কেউ বলেছেন যে, আবদুল্লাহ ইবন আমিরের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পুর্বে সাঈদ
ইবসুল আসের মৃত্যু হয় ৷
শাদ্দাদ ইবন আওস ইবন ছাবিত (রা)
’ ৫৮ হ্নিজ্বরীৰুসনে যারাংইস্তিকাল করেন তাদের একজন হলেন শা দ্দাদ ইবন আওর্স ইবন
ছাবিত ইবন মুনয়ির ইবন হারাম (রা) ৷ তার উপনাম আবু ইয়ালা আনসারী খাযরাব্জী ৷
তিনি একজন উচু স্তরের সাহাবীছিলেন ৷ তিনি হযরত হাসৃসান-এর (রা) ভাতিজা ছিলেন ৷
ইবন মানৃদা মুসা ইবন উকবাহ থেকে উল্লেখ করেছেন যে, হযরত শাদ্দাদ (রা) বদর যুদ্ধে
অংশ নিয়েছিলেন ৷ তারপর ইবন মান্দা মন্তব্য করেছেন যে, মুসা ইবন উকবা এর এই
তথ্য সঠিক নয় ৷
হযরত শাদ্দাদ ইবন আওস (রা) অত্যন্ত ইৰাতোপ্রমী লোক ছিলেন ৷ তিনি যখন শয়ন
করতেন তখন বিছানার্ সাথে বুালে থাকতেন এবং সাপের ন্যায় বিছানায় গড়াগ্রড়ি দিক্তে৷ আর
বলতেন, হায় আল্লাহ ! জাহান্নামের ভয় তো আমাকে অস্থির করে ব্লেখেছে ৷ তারপর উঠে
শ্ শ্নামামে র্দাড়াতেন ৷
€০া৷া
وَلَّاهُ مُعَاوِيَةُ الْبَصْرَةَ بَعْدَ صُلْحِهِ مَعَ الْحَسَنِ، وَتُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ بِأَرْضِهِ بِعَرَفَاتٍ، وَأَوْصَى إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ. لَهُ حَدِيثٌ وَاحِدٌ، وَلَيْسَ لَهُ فِي الْكُتُبِ شَيْءٌ.
رَوَى مُصْعَبٌ الزُّبَيْرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قُتِلَ دُونَ مَالِهِ فَهُوَ شَهِيدٌ ".»
وَقَدْ زَوَّجَهُ مُعَاوِيَةُ بِابْنَتِهِ هِنْدَ، وَكَانَتْ جَمِيلَةً، فَكَانَتْ تَلِي خِدْمَتَهُ بِنَفْسِهَا مِنْ مَحَبَّتِهَا لَهُ، فَنَظَرَ يَوْمًا فِي الْمِرْآةِ، فَرَأَى صَبَاحَةَ وَجْهِهَا وَشَيْبَةً فِي لِحْيَتِهِ فَطَلَّقَهَا، وَبَعَثَ إِلَى أَبِيهَا أَنْ يُزَوِّجَهَا بِشَابٍّ كَأَنَّ وَجْهَهُ وَرَقَةُ مُصْحَفٍ. تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: بَعْدَهَا بِسَنَةٍ.
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ
وَهُوَ أَكْبَرُ وَلَدِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ. قَالَهُ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ قَالَ: وَكَانَتْ فِيهِ دُعَابَةٌ. وَأُمُّهُ أُمُّ رُومَانَ أُمُّ عَائِشَةَ فَهُوَ شَقِيقُهَا، بَارَزَ يَوْمَ بَدْرٍ وَأُحُدٍ مَعَ الْمُشْرِكِينَ، وَأَرَادَ قَتْلَ أَبِيهِ أَبِي بَكْرٍ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ أَبُوهُ أَبُو بَكْرٍ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمْتِعْنَا بْنفْسِكَ ".» ثُمَّ أَسْلَمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ
পৃষ্ঠা - ৬৫০৫
بَعْدَ ذَلِكَ فِي الْهُدْنَةِ، وَهَاجَرَ قَبْلَ الْفَتْحِ، وَرَزَقَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خَيْبَرَ كُلَّ سَنَةٍ أَرْبَعِينَ وَسْقًا، وَكَانَ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ.
وَهُوَ الَّذِي دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ مَاتَ، وَعَائِشَةُ مُسْنِدَتُهُ إِلَى صَدْرِهَا، وَمَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ سِوَاكٌ رَطْبٌ، فَأَمَدَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَصَرَهُ، فَأَخَذَتْ عَائِشَةُ ذَلِكَ السِّوَاكَ، فَقَضَمَتْهُ وَطَيَّبَتْهُ، ثُمَّ دَفَعَتْهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَنَّ بِهِ أَحْسَنَ اسْتِنَانٍ، ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ فِي الرَّفِيقِ الْأَعَلَى ".» ثُمَّ قَضَى.
قَالَتْ: فَجَمَعَ اللَّهُ بَيْنَ رِيقِي وَرِيقِهِ، وَمَاتَ بَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي، فِي بَيْتِي وَيَوْمِي، لَمْ أَظْلِمْ فِيهِ أَحَدًا.
وَقَدْ شَهِدَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَتْحَ الْيَمَامَةِ وَقَتَلَ يَوْمَئِذٍ سَبْعَةً، وَهُوَ الَّذِي قَتَلَ مُحَكَّمَ بْنَ الطُّفَيْلِ صَدِيقَ مُسَيْلِمَةَ عَلَى بَاطِلِهِ، كَانَ مُحَكَّمٌ وَاقِفًا فِي ثُلْمَةِ حَائِطٍ، فَرَمَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، فَسَقَطَ مُحَكَّمٌ، فَدَخَلَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ تِلْكَ الثُّلْمَةِ فَخَلَصُوا إِلَى مُسَيْلِمَةَ فَقَتَلُوهُ. وَقَدْ شَهِدَ فَتْحَ الشَّامَ، وَكَانَ مُعَظَّمًا بَيْنَ أَهْلِ الْإِسْلَامِ، وَنُفِلَ لَيْلَى بِنْتَ الْجُودِيِّ مَلِكِ عَرَبِ الشَّامِ، نَفَلَهُ إِيَّاهَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ عَنْ أَمْرِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ كَمَا سَنَذْكُرُهُ مُفَصَّلًا.
পৃষ্ঠা - ৬৫০৬
উবাদা ইবন সামিত (রা) বলেছেন যে, সকল লোককে একই সাথে ইলুম ও হিলুম অর্থাৎ ,
জ্ঞান ও ধৈর্য দেয়া হয়েছে শাদ্দাদ ইবন আওস (রা) তাদের অন্যতম ৷ তিনি ফিলিস্তীন ও
বায়তুল যুকাদ্দাস এলাকায় বসবাস করতেন ৷ ৫৮ হিজরী সনে ৭৫ বছর বয়সে তিনি ইন্তিকাল
করেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তার ইন্তিকাল হয়েছে ৬৪ হিজরী সনে ৷ আবার কেউ বলেছেন,
৪ ১ হিজরী সনে ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
আবদুল্লাহ ইবন আমীর (বা)
৫৮ হিজরী সনে যাদের ওফাত হয় তাদের অন্যতম হলেন হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমীর
(রা) ৷ তার বংশ পরিচয় হল আবদুল্লাহ ইন আমীর ইবন কুরায়য ইবন রাবীআ ইবন হাবীব
ইবন আবৃদ শামৃস ইবন আবৃদ মানাফ ইবন কুসাই কুরায়শী আবশামী ৷ তিনি হযরত উসমান
ইবন আফ্ফান (রা) এর মামার্তো’ ভাই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবদ্দশায় তার জন্ম হয়া
রাসুলুল্লাহ (সা) নিজেই তার মুখে নিজের লালা মুবারক দিয়ে দেন ৷ তখন শিশু আবদুল্লাহ
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পবিত্র লালা স্বাচ্ছান্দা গিলে ফেললেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন
এই শিশু তো সব সময় পিপাসাহীন পরিতৃপ্ত থাকবে’ ৷ বস্তুত হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমীর
(বা) যেখানেই যো৩ তন সেখানেই পানি উৎসাবিত হত ৷ তিনি একজন ভদ্র, দানশীল,
ৎসনীয় ও ভাল লোক ছিলেন ৷
তৃতীয় খলীফা হযরত উসমান (রা) আবু মুসা আশআরী (রা)-কে বসরার শাসনকর্তার পদ
হতে অপসারণ করে আবদুল্লাহ ইবন আমীর (রা)-কে ঐ পদে নিয়োগ করেন এবং উসমান
ইবন আবু আসের পর তাকে পারস্য অঞ্চলের প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়া হয় ৷ তখন তীর বয়স
মাত্র ২৫ বছর ৷ তিনি সমগ্র থােরাসান রাজ্য জয় করেন এবং পারস্যের পার্শ্ববর্তী দেশসমুহ,
সিজিন্থান, কিরমান ও গজনীর শহর নগরগুলাে দখল করেন ৷ পারস্য সম্রাট তার শাসনামলেই
নিহত হয় ৷ ঐ পারস্য আেটের নাম ছিল ইয়াঘৃদগিরদ ৷ এ সকল দেশ ও রাজ্য বিজয়ের
শোকরিয়া হিসেবে আবদুল্লাহ ইবন আমীর (রা) সেখান থেকে হাজার ইহ্রাম বীধেন ৷ কেউ
কেউ বলেছেন, উমরাহ্র ইহ্রাম বেধেছিলেন ৷ তা ছাড়া শোকরিয়া হিসেবে তিনি মদীনার
অধিবাসীদেরকে প্রচুর ধন-সম্পদ উপহার দিয়েছিলেন ৷ বসরায় সর্বপ্রথম তিনিই ব্লেশম জাতীয়
পোশাক পরিধান করেন ৷ মহান আল্লাহই ভাল জানেন ৷
তিনি সর্বপ্রথম আরাফাতের ময়দানে পানির কুপ খনন করেন এবং ওখানে পানি সরবরাহের
ব্যবস্থা করেন ৷ হযরত উসমান (রা) হত্যার সময়কাল পর্যন্ত তিনি বসরার শাসনক্র্তার পদে
বহাল ছিলেন ৷ হযরত উসমান (রা) নিহত হবার পর বায়তুলমালের অর্থ-সম্পদ নিয়ে তিনি
হযরত তাল্হা ও যুবায়র (রা)-এর সাথে মিলিত হন এবং তাদের সাথে উাষ্ট্ৰর যুদ্ধে অংশ
নেন ৷ এরপর তিনি দামেশৃক চলে যান ৷ তিনি সিফ্ফীনের যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন বলে কোন
তথ্য পাওয়া যায় না ৷ হযরত হাসান (রা)-এর সাথে আমীর মুআবিয়া (রা)-এর সমঝোতা
চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার পর আমীর মুআবিয়া (রা) তাকে বসরার শাসনকর্তা পদে পুনঃনিয়ােপ
দেন ৷ ৫৮ হিজরী সনে তার প্রিয় আরাফাত অঞ্চলে তিনি ইন্তিকাল করেন এবং হযরত
আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) এর নিকট ওসীয়তের বিষয়গুলো বলে যান ৷৩ তার বরাতে একটি
হাদীস বর্ণিত আছে ৷ তবে প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থওলােতে ৩তার হাদীস নেই ৷
নাোল্ ন্বিচামা এমান মিন্থামা ১এ
وَقَدْ قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ - وَلَمْ يُجَرَّبْ عَلَيْهِ كَذْبَةٌ قَطُّ - ذَكَرَ عَنْهُ حِكَايَةً ; أَنَّهُ لَمَّا جَاءَتْ بَيْعَةُ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ إِلَى الْمَدِينَةِ، قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لِمَرْوَانَ: جَعَلْتُمُوهَا وَاللَّهِ هِرَقْلِيَّةً وَكِسْرَوِيَّةً. يَعْنِي جَعَلْتُمْ مُلْكَ الْمَلِكِ لِمَنْ بَعْدَهُ مِنْ وَلَدِهِ. فَقَالَ لَهُ مَرْوَانُ: اسْكُتْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الَّذِي أَنْزَلَ اللَّهُ فِيكَ: {وَالَّذِي قَالَ لِوَالِدَيْهِ أُفٍّ لَكُمَا أَتَعِدَانِنِي أَنْ أُخْرَجَ} [الأحقاف: 17] . فَقَالَتْ عَائِشَةُ: وَاللَّهِ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ فِينَا شَيْئًا مِنَ الْقُرْآنِ، إِلَّا أَنَّهُ أَنْزَلَ عُذْرِي. وَيُرْوَى أَنَّهَا بَعَثَتْ إِلَى مَرْوَانَ تَعْتِبُهُ وَتُؤَنِّبُهُ وَتُخْبِرُهُ بِخَبَرٍ فِيهِ ذَمٌّ لَهُ وَلِأَبِيهِ لَا يَصِحُّ عَنْهَا.
قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: بَعَثَ مُعَاوِيَةُ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ بِمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ بَعْدَ أَنْ أَبَى الْبَيْعَةَ لِيَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، فَرَدَّهَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَأَبَى أَنْ يَأْخُذَهَا، وَقَالَ: أَبِيعُ دِينِي بِدُنْيَايَ؟ ! وَخَرَجَ إِلَى مَكَّةَ فَمَاتَ بِهَا.
وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ: ثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، ثَنَا مَالِكٌ قَالَ: تُوُفِّيَ
পৃষ্ঠা - ৬৫০৭
عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فِي نَوْمَةٍ نَامَهَا. وَرَوَاهُ أَبُو مُصْعَبٍ عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، فَذَكَرَهُ وَزَادَ: فَأَعْتَقَتْ عَنْهُ عَائِشَةُ رِقَابًا. وَرَوَاهُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ، فَذَكَرَهُ.
وَلَمَّا تُوُفِّيَ كَانَتْ وَفَاتُهُ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: الْحُبْشِيُّ - عَلَى سِتَّةِ أَمْيَالٍ مِنْ مَكَّةَ. وَقِيلَ: اثْنَيْ عَشَرَ مِيلًا - فَحَمَلَهُ الرِّجَالُ عَلَى أَعْنَاقِهِمْ حَتَّى دُفِنَ بِأَعَلَى مَكَّةَ فَلَمَّا قَدِمَتْ عَائِشَةُ مَكَّةَ زَارَتْهُ، وَقَالَتْ: أَمَا وَاللَّهِ لَوْ شَهِدْتُكَ لَمْ أَبْكِ عَلَيْكَ، وَلَوْ كُنْتُ عِنْدَكَ لَمْ أَنْقُلْكَ مِنْ مَوْضِعِكَ الَّذِي مِتَّ فِيهِ. ثُمَّ تَمَثَّلَتْ بِشِعْرِ مُتَمِّمِ بْنِ نُوَيْرَةَ فِي أَخِيهِ مَالِكٍ:
وَكُنَّا كَنَدْمَانَيْ جَذِيمَةَ حِقْبَةً ... مِنَ الدَّهْرِ حَتَّى قِيلَ لَنْ يَتَصَدَّعَا
فَلَمَّا تَفَرَّقْنَا كَأَنِّي وَمَالِكًا ... لِطُولِ اجْتِمَاعٍ لَمْ نَبِتْ لَيْلَةً مَعَا
رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَغَيْرُهُ.
وَرَوَى ابْنُ سَعْدٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَأَى فُسْطَاطًا مَضْرُوبًا عَلَى قَبْرِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - ضَرَبَتْهُ عَائِشَةُ بَعْدَ مَا ارْتَحَلَتْ - فَأَمَرَ ابْنُ عُمَرَ بِنَزْعِهِ وَقَالَ: إِنَّمَا يُظِلُّهُ عَمَلُهُ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي هَذَا الْعَامِ فِي قَوْلِ كَثِيرٍ مِنْ عُلَمَاءِ التَّارِيخِ، وَيُقَالُ: إِنَّ
পৃষ্ঠা - ৬৫০৮
মুস আব যুবায়রী তার পিতা সুত্রে হানয৷ ৷লা ইবন কায়সের মাধ্যমে আবদুল্লাহ্ ইবন আমীর
(রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লা-হ্ (সা) বলেছেন, , ; $ ধ্া৷প্রু :১১ হু):ছু ;
-১াৰুণ্ডুথ্ যে ব্যক্তি তার সম্পদ রক্ষায় নিহত হয় সে শহীদ’ ৷ আমীর মু আবিয়া (বা) তবে
বল্যা হিন্দ৷ জ্যি পরম৷ সুন্দরী মহিলা ৷ আবদুল্লাহ (রা)-এর প্রতি পরম ভালবাসার আকর্ষণে
হিনদা একনিষ্ঠভাবে তার সেরা করত ৷ একদিন আবদুল্লাহ ইবন আমীর (রা) আয়নায় নিজের
মুখ ও ইিন্দার মুখের উজ্জ্বল৩ ৷ ও সৌন্দর্য দেখতে পেলেন ৷ তিনি নিজের দাড়ির শুভ্রতা ও
বার্ধক্য অবলোকন করলেন ৷ আর তখনই তিনি তার যুবতী শ্রী হিন্দাকে তালাক দিয়ে তায়
পিতার নিকট পাঠিয়ে দিলেন এবং একজন সুদর্শন পৌরবর্ণ যুবকের সাথে তাকে বিয়ে দেবার
জন্যে অনুরোধ করলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন আমীর এই হিজরী সনে অর্থাৎ ৫৮ হিজ্জী সনে ইন্তি
কাল করেন ৷ অবশ্য কারো কারো মতে তিনি ইন্তিকাল করেছেন ৫৯ হিজরী সনে ৷
আবদুর রহমান ইবন আবু বকর (বা)
৫৮ হিজরী সনে যারা ইন্তিকাল করেন, তাদের একজন হলেন, হযরত আবদুর রহমান
ইবন আবু বকর (রা) ৷ তিনি প্রথম খলীফা হযরত আবু বকর (রা)-এর জ্যেষ্ঠ সন্তান ৷ এটি
বলেছেন, যুৰায়র ইবন বাক্কার ৷ তিনি আরো বলেছেন যে, হযরত আবদুর রহমান (রা)
একত্তনে মিষ্টতাষী ও কৌতুকপ্রিয় লোক ছিলেন ৷ তার মা হলেন উম্মু রুমান (রা) ৷ হযরত
আয়েশা (বা) ও আবদুর রহমান সহােদর ভইি বোন ৷ তিনি কিন্তু বদর ও উহুদ যুদ্ধে
মুশরিকদের পক্ষ নিয়ে তাদের সাথে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং আপন পিতা হযরত আবু
বকর (রা) কে হত্যা করতে চেয়েছিলেন ৷ ঐ সময় যুদ্ধের ময়দানে আবু বকর (বা) তার দিকে ,
এগিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “আবু বকর (রা) আপনার দ্বারা আমাদেরকে
উপকৃত হবার সুযোগ দিন ৷
পরবর্তীতে হুদাইবিয়ার সন্ধির মেয়াদে আবদুর রহমান (রা) ইসলাম গ্রহণ করলেন ৷ তিনি
মক্কা বিজয়ের পুর্বে মদীনা-য় হিজঃাত করলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) খায়বারের আর থেকে তাকে
প্রতি বছর ৪০ ওয়াসাক করে খাদ্য শস্য প্রদান করতেন ৷ তিনি শীর্ষস্থানীয় মুসলমানদের
একজন ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাতের সময় তিনি জার পাশে উপস্থিত হয়েছিলেন ৷
তখন হযরত আয়েশা (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মাথা নিজের বুকের সাথে ঠেকিয়ে
রেখেছিলেন ৷ আবদুর রহমান (রা)-এর সাথে একটি তাজা মিসওয়াক ছিল ৷ হযরত আয়েশা
(বা) ঐ মিসওয়াক নিয়ে কামড়িয়ে সেটিকে নরম করে ফেললেন এবং সেটি রাসুলুল্পাহ্ (সা)-
কে দিলেন ৷ ঐ মিসওয়াক দ্বারা রাসুলুল্লাহ্ (যা) খুব সুন্দর ও যত্নের সাথে মিসওয়াক
করলেন ৷ তারপর বললেন, ট্রুৰুা;ৰুষ্ট্র৷ প্রু;হ্র ওড্রা৷ ন্;,ট্রুা৷ হে আল্লাহ ! গ্রেষ্ঠ বন্ধু ৷ এরপর
তীর ওফাত হয় ৷ এ প্রসঙ্গে হযরত আয়েশা (রা) বলেন, এই অস্তিম মুহুর্তে আল্লাহ তাআ লা
আমার লালা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর লালার সাথে একত্রিত করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) আমার
বুকে ঠেস দেয়৷ অবস্থায় ইন্তিকাল করেছেন ৷ তিনি আমার জন্যে বরাদ্দকৃত দিবসে আমার গৃহে
ইন্তিকাল করেছেন ৷ আমি এ বিষয়ে কারো প্রতি ৩জুলুম করি নি’ ৷
হযরত আবদুর রহমান ইবন আবু বকর (রা) ইয়ামামার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ তিনি
সেদিন সাতজন শত্রু সৈন্য হত্যা করেছিলেন ৷ মাহ্কাম ইবন তােফায়লকে তিনিই হত্যা
عَبْدَ الرَّحْمَنِ تُوُفِّيَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَخَمْسِينَ. قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ وَكَاتِبُهُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ وَأَبُو عُبَيْدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ أَرْبَعٍ وَخَمْسِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
[قِصَّةُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصَّدِيقِ مَعَ لَيْلَى بِنْتِ الْجُودِيِّ مَلِكِ عَرَبِ الشَّامِ]
قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الضَّحَّاكِ الْحِزَامِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَدِمَ الشَّامَ فِي تِجَارَةٍ - يَعْنِي فِي زَمَانِ جَاهِلِيَّتِهِ - فَرَأَى هُنَالِكَ امْرَأَةً يُقَالُ لَهَا: لَيْلَى ابْنةُ الْجُودِيِّ. عَلَى طُنْفُسَةٍ، حَوْلَهَا وَلَائِدُهَا، فَأَعْجَبَتْهُ - قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: رَآهَا بِأَرْضِ بُصْرَى، فَقَالَ فِيهَا:
تَذَكَّرْتُ لَيْلَى وَالسَّمَاوَةُ دُونَهَا ... فَمَا لِابْنَةِ الْجُودِيِّ لَيْلَى وَمَا لِيَا
وَأَنَّى تَعَاطَى قَلْبُهُ حَارِثِيَّةً ... تُدَمِّنُ بُصْرَى أَوْ تَحُلُّ الْجَوَابِيَا
পৃষ্ঠা - ৬৫০৯
যুবায়রী আবদুল্লাহ ইবন নাফি উরওয৷ থেকে বংনাি করেন যে, তিনি বলেছেন যে,
উমার ইবন খাত্তার (বা) যখন দামেশৃক জয় করেন, তখন জুদীর কন্যা লায়লাকে উপহার
হিসাবে হযরত আবদুর রহমান ইবন আবু বকর (রা) এর নিকট হস্তান্তর করেছিলেন ৷ সে ছিল
দামেণেকর রাজকন্যা ৷ অর্থাৎ দামেশ্ ক অঞ্চলে বসবাসকারী আররদের রাজা জুদীর কন্যা ৷
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
উবায়দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (বা)
৫৮ হিজরী সনে যারা ইন্তিকাল করেন, র্তাদের একজন হলেন হযরত উবায়দুল্লাহ্ ইবন
আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব কুরায়শী হাশেমী (রা) ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চাচাত
ভাই৷ তিনি আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) এর চেয়ে এক বছরের ছোট ৷ হযরত উবায়দুল্লাহ্
ইবন আব্বাস (বা) একজন তদু, সুদর্শন ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন ৷ তিনি তার পিতার ন্যায়
গৌরবশ্চেরি লোক ছিলেন ৷
আমরা ইতিপুর্বে বর্ণনা করেছি যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত আবদুল্লাহ উবায়দুল্লাই, (বা)
এবং আরো বালককে এক সারিতে দাড় করাতেন এবং বলতেন, যে দৌড়ে সবার আগে
আমার নিকট পৌছতে পারবে সে এই এই পুরস্কার পাবে’ ৷ ফলে৩ তারা সকলে দৌড় দিত এবং
তার বুকে পিঠে বাপিয়ে পড়ত ৷ তিনি ওদেরকে চুমাে খেতে তন, বুকে জড়িয়ে ধরতেন ৷
হযরত আলী (রা)৩ তার শাসনামলে উবায়দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা) কে ইয়ামানের
শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছিলেন ৷ হযরত উবায়দুল্লাহ্ (বা) ৩৬ ও ৩৭ হিজরী সনে নিজে ইমাম
হয়ে হজ্জ পরিচালনা করেন ৷ ৩৮ হিজরী সনে তিনি এবং মুআবিয়া (রা)-এর নিকট থেকে
দায়িতু প্রাপ্ত ইয়াযীদ ইবন সামুরা রাহাবী দু’জনে হজ্জ পরিচালনা নিয়ে রিবাদে লিপ্ত হন ৷
এরপর উভয়ে এই মর্মে সমঝোতায় উপনীত হন যে, পায়বা ইবন উসমানহাজারী হজ্ব
পরিচালনা করবেন ’৷ এই ভিত্তিতে শায়ব৷ ইবন উসমান হাজাবী এই বছর হজ্জ পরিচালনা
করেন ৷
পরবর্তীতে আমীর ঘুআবিয়া (রা) যখন নিজের ক্ষমতা সুসং হত করেন তখন বুসর ইবন
আবু আরতাতকে উবায়দুল্লাহ্ (রা) এর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেন ৷ সে উবায়দুল্লাহ্ (রা) এর দুটো
ছেলেকে খুন করে ফেলে ৷ তখন ইয়ামানে দারুণ অরাজকতা বিরাজ করছিল ৷৩ তার কিছুটা
আমরা ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছি ৷
হযরত উবায়দুল্লাহ্ এবং আবদুল্লাহ (রা) দুজন মদীনায় বসবাস করছিলেন ৷ হযরত
আবদুল্লাহ (রা জ্ঞান ও শিক্ষা-দীক্ষায় অগ্রণী ছিলেন ৷ আর উবায়দুল্লাহ্ (বা) দান-দক্ষিণায় অগ্রণী
ছিলেন ৷ বর্ণিত আছে যে, উবায়দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) একদিন সফরকালে তার এক
ক্রীতদাসসহ জনৈক আরব বেদুইনের তাবুতে গিয়ে উঠেন ৷ বেদুইন ল্যেকটি তাকে দেখে আন্তরিক
শ্রদ্ধা আমার এবং সম্মান দেখায় ৷ সে তার জ্যেতির্ময় চেহারা দেখে অভিভুত হয়ে পড়ে ৷ সে তার
স্তীকে বলে, আফসোস ! মেহমানের আপ্যায়ানের জন্যে৫ তোমার নিকট কি আছেঃ সে বলল,
আমার কাছে কিহুছু নেই৩ ৷ তবে একটা ছোট্ট বকরী আছে যার দুধ পান করে৫ ৫াতমার ছোট মেয়েটি
বেচে আছে’ ৷ বেদুইন বলল, সেটিই এখন জবাই করতে হবে ৷ শ্রী বলল, তাহলে কি তুমি
দুধের অভাবে তোমার যেয়েটিকে যেয়ে ফেলবেঃ’ সে বলল, যদি তা হয় হবে ৷ সে ছুরি নিয়ে
বকরীটি জবাই করে ৷ চামড়া খুলতে ৩শুরু করে আর এই পত্ক্তিমালা আবৃত্তি করে
ওো৷া
ন্ত্
وَأَنَّى تُلَاقِيهَا بَلَى وَلَعَلَّهَا
إِنِ النَّاسُ حَجُّوا قَابِلًا أَنْ تُوَافِيَا
قَالَ: فَلَمَّا بَعَثَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ جَيْشَهُ إِلَى الشَّامِ قَالَ لِلْأَمِيرِ عَلَى الْجَيْشِ: إِنْ ظَفِرْتَ بِلَيْلَى بِنْتِ الْجُودِيِّ عَنْوَةً فَادْفَعْهَا إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ. فَظَفِرَ بِهَا فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ، فَأُعْجِبَ بِهَا وَآثَرَهَا عَلَى نِسَائِهِ، حَتَّى جَعَلْنَ يَشْكُونَهُ إِلَى عَائِشَةَ، فَعَاتَبَتْهُ عَائِشَةُ عَلَى ذَلِكَ، فَقَالَ: وَاللَّهِ كَأَنِّي أَرْشُفُ بِأَنْيَابِهَا حَبَّ الرُّمَّانِ. فَأَصَابَهَا وَجَعٌ سَقَطَ لَهُ فُوهَا، فَجَفَاهَا حَتَّى شَكَتْهُ إِلَى عَائِشَةَ، فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ: يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ، لَقَدْ أَحْبَبْتَ لَيْلَى فَأَفْرَطْتَ، وَأَبْغَضَتْهَا فَأَفْرَطَتْ، فَإِمَّا أَنْ تُنْصِفَهَا، وَإِمَّا أَنْ تُجَهِّزَهَا إِلَى أَهْلِهَا. فَجَهَّزَهَا إِلَى أَهْلِهَا.
قَالَ الزُّبَيْرِيُّ: وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: إِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ نَفَلَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ لَيْلَى بِنْتَ الْجُودِيِّ حِينَ فَتَحَ دِمَشْقَ، وَكَانَتِ ابْنةَ مَلِكِ دِمَشْقَ. يَعْنِي ابْنَةَ مَلِكِ الْعَرَبِ الَّذِينَ هُمْ حَوْلَ دِمَشْقَ فِي زَمَنِ الرُّومِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
[عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ الْقُرَشِيُّ الْهَاشِمِيُّ]
ابْنُ عَمِّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ أَصْغَرَ مِنْ أَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بِسَنَةٍ. وَأُمُّهُمَا أُمُّ الْفَضْلِ لُبَابَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ الْهِلَالِيَّةُ. وَكَانَ عُبَيْدُ اللَّهِ كَرِيمًا جَمِيلًا وَسِيمًا، يُشْبِهُ أَبَاهُ فِي الْجَمَالِ.
পৃষ্ঠা - ৬৫১০
رُوِّينَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصِفُ عَبْدَ اللَّهِ وَعُبَيْدَ اللَّهِ وَكَثِيرًا ثُمَّ يَقُولُ: «مَنْ سَبَقَ إِلَيَّ فَلَهُ كَذَا ".» فَيَسْتَبِقُونَ إِلَيْهِ فَيَقَعُونَ عَلَى ظَهْرِهِ وَصَدْرِهِ فَيُقَبِّلُهُمْ وَيَلْتَزِمُهُمْ.
وَقَدِ اسْتَنَابَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فِي أَيَّامِ خِلَافَتِهِ عَلَى الْيَمَنِ، وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ وَسَنَةَ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ، فَلَمَّا كَانَ سَنَةُ ثَمَانٍ وَثَلَاثِينَ اخْتَلَفَ هُوَ وَيَزِيدُ بْنُ شَجَرَةَ الرَّهَاوِيُّ الَّذِي قَدِمَ عَلَى الْحَجِّ مِنْ جِهَةِ مُعَاوِيَةَ، ثُمَّ اصْطَلَحَا عَلَى شَيْبَةَ بْنِ عُثْمَانَ الْحَجَبِيِّ، فَأَقَامَ لِلنَّاسِ الْحَجَّ عَامَئِذٍ، ثُمَّ لَمَّا صَارَتِ الشَّوْكَةُ لِمُعَاوِيَةَ تَسَلَّطَ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بُسْرُ بْنُ أَبِي أَرْطَاةَ، فَقَتَلَ لَهُ وَلَدَيْنِ، وَجَرَتْ أُمُورٌ بِالْيَمَنِ قَدْ ذَكَرْنَا بَعْضَهَا. وَكَانَ يَقْدُمُ هُوَ وَأَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ الْمَدِينَةَ فَيُوسِعُهُمْ عَبْدُ اللَّهِ عِلْمًا، وَيُوسِعُهُمْ عُبَيْدُ اللَّهِ كَرَمًا.
وَقَدْ رُوِيَ أَنَّهُ نَزَلَ فِي مَسِيرٍ لَهُ، مَعَ مَوْلًى لَهُ عَلَى خَيْمَةِ رَجُلٍ مِنَ الْأَعْرَابِ، فَلَمَّا رَآهُ الْأَعْرَابِيُّ أَعْظَمَهُ وَأَجَلَّهُ، وَرَأَى حُسْنَهُ وَشَكْلَهُ، فَقَالَ لِامْرَأَتِهِ: وَيْحَكِ! مَاذَا عِنْدَكِ لِضَيْفِنَا هَذَا؟ فَقَالَتْ: لَيْسَ عِنْدَنَا إِلَّا هَذِهِ الشُّوَيْهَةُ الَّتِي حَيَاةُ ابْنَتِكَ مِنْ لَبَنِهَا. فَقَالَ: إِنَّهُ لَا بُدَّ مِنْ ذَبْحِهَا. فَقَالَتْ: أَتَقْتُلُ ابْنَتَكَ؟ فَقَالَ: وَإِنْ. فَأَخَذَ الشَّفْرَةَ وَالشَّاةَ، وَجَعَلَ يَذْبَحُهَا وَيَسْلُخُهَا، وَهُوَ يَقُولُ مُرْتَجِزًا:
يَا جَارَتِي لَا تُوقِظِي الْبُنَيَّهْ
পৃষ্ঠা - ৬৫১১
إِنْ تُوقِظِيهَا تَنْتَحِبْ عَلَيَّهْ ... وَتَنْزِعِ الشَّفْرَةَ مِنْ يَدَيَّهْ
ثُمَّ هَيَّأَهَا طَعَامًا، فَوَضَعَهَا بَيْنَ يَدَيْ عُبَيْدِ اللَّهِ وَمَوْلَاهُ فَعَشَّاهُمَا، وَكَانَ عُبَيْدُ اللَّهِ قَدْ سَمِعَ مُحَاوَرَتَهُ لِامْرَأَتِهِ فِي الشَّاةِ، فَلَمَّا أَرَادَ الِارْتِحَالَ قَالَ لِمَوْلَاهُ: وَيْلَكَ! مَاذَا مَعَكَ مِنَ الْمَالِ؟ فَقَالَ: مَعِي خَمْسُمِائَةِ دِينَارٍ فَضَلَتْ مِنْ نَفَقَتِكَ. فَقَالَ: ادْفَعْهَا إِلَى الْأَعْرَابِيِّ. فَقَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ، تُعْطِيهِ خَمْسَمِائَةِ دِينَارٍ، وَإِنَّمَا ذَبْحَ لَكَ شَاةً وَاحِدَةً تُسَاوِي خَمْسَةَ دَرَاهِمَ؟ ! فَقَالَ: وَيْحَكَ! وَاللَّهِ لَهْوَ أَسْخَى مِنَّا وَأَجْوَدُ ; لِأَنَّا إِنَّمَا أَعْطَيْنَاهُ بَعْضَ مَا نَمْلِكُ، وَجَادَ هُوَ عَلَيْنَا بِجَمِيعِ مَا يَمْلُكُ، وَآثَرَنَا عَلَى مُهْجَةِ نَفْسِهِ وَوَلَدِهِ. فَبَلَغَ ذَلِكَ مُعَاوِيَةَ فَقَالَ: لِلَّهِ دَرُّ عُبَيْدِ اللَّهِ! مِنْ أَيِّ بَيْضَةٍ خَرَجَ؟ ! وَمَنْ أَيِّ شَيْءٍ دَرَجَ؟ !
قَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ: تُوُفِّيَ سَنَةَ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: تُوُفِّيَ فِي أَيَّامِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ. وَقَالَ أَبُو عُبَيْدٍ الْقَاسِمُ بْنُ سَلَّامٍ: تُوُفِّيَ فِي سَنَةِ سَبْعٍ وَثَمَانِينَ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِالْمَدِينَةِ، وَقِيلَ: بِالْيَمَنِ. وَلَهُ حَدِيثٌ وَاحِدٌ.
قَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا هُشَيْمٌ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ،
পৃষ্ঠা - ৬৫১২
fl
০ ৷ ৷ ৷ : ৷ ৷ ৷ :
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ ১৮৩
গ্লু ১ § ণ্
)
হে আমার জীবন সঙ্গিনী ! যেয়েটিকে ঘুম থেকে উঠাবে না ৷ সে যদি ঘুম থেকে জেগে
উঠে এই বাবার উপর বাপিয়ে পড়বে এবং তার হাত থেকে ছবি কেড়ে নিবে’ ৷
শ্ এরপর সে খাদ্য তৈরী করে হযরত উবায়দুল্লাহ্ (রা) ও তার খাদেমের সম্মুখে উপস্থিত
করে এবং তাদেরকে রাতের খাবার খাওয়ার ৷ এদিকে বেদৃইন ও তার শ্রী বকরী সম্পর্কে যে
আলাপটা করেছিল হযরত উবায়দুল্লাহ্ (বা) তা শুনেছিলেন ৷ বেদুইনের র্তাবু ত্যাগ করার সময়
তিনি তার খাদেমকে বললেন, ভোমার সাথে দিরহাম-দীনার কি পরিমাণ আছে?’ সে বলল,
আমার সাথে ৫০০ দীনার বার্ণমুদ্রা রয়েছে : আপনার পথ খরচা শেষেন্এটি অবশিষ্ট
রয়েছে ৷’ তিনি বললেন, ঐ ৫০০ দীনার সবর্টুকু এই আরব বেদুইনকে দিয়ে দাও ৷’প্ খাদেম
বলল, সুবহানাল্লাহ্! আপনি ওকে ৫০০ার্ণমুদ্র৷ দিয়ে দিবেন, অথচ যে আপনার জন্যে পাচ
দিরহাম মুল্যের একটি বকরী জবাই করেছে ৷ উবায়দুল্লাহ্ (বা) বললেন, আল্লাহ্র কসম ! যে
আমাদের চাইতে অধিক দানশীল ৷ কারণ আমরা আমাদের মালিকানাধীন সম্পদের একটা
ৎশ দান করছি, অথচ সে তার মালিকানাধীন সম্পদের সবর্টুকু আমাদেরকে দান করে
দিয়েছে ৷ যে নিজের এবং তার বাচ্চার ক্ষুধা ও প্রয়োজনীয়তার উপর আমাদের ক্ষুধাকে
প্রাধান্য দিয়েছে’ ৷ ন্
এই ঘটনা আমীর ঘৃআৰিয়৷ (রা) এর কানে গিয়ে পৌছে ৷ তিনি তখন বলেন, শাবাশ,
কোন বীজ থেকে তার জন্ম হল আর কোন কাজে সে সম্পক্ত হল ৷’
খলীফা ইবন খায়য়াত বলেছেন যে, হযরত উবায়দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) ৫৮ হিজরী সনে
ইন্তিকাল করেন ৷ অন্যরা বলেছেন যে, ইয়াযীদ ইব নমু আবিয়া (রা) এর শাসনামলে তার ইতি
কাল হয়েছে ৷ অবু উবায়দ কাসিম ইবন সাল্লাম বলেছেন ৮৭ হিজরী সনে তীর ওফাত হয় এবং
তিনি মদীনায় ইন্তিকাল করেছেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, ইয়ামানে তার ইন্তিকাল হয়েছে ৷ তার
বর্ণিত একটি হাদীস রয়েছে ৷ ন্
ইমাম আহমদ (র) হুশায়য উবায়দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, উমায়মাহ কিংবা রুমায়সানামের এক মহিলা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে
এসে তারামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছিল ৷ তার অভিযোগ ছিল যে, তারামী তার প্রতি
ভাল আচরণ করে না ৷ এর অল্পক্ষণ পর ঐ মহিলারামী সেখানে উপস্থিত হয় ৷ সে দাবী করে
তার শ্রী যা বলেছে৩ ত৷ সর্বৈব মিথ্যা ৷ তার মধ্যে সত্যের লেশমাত্র নেই ৷ সে বরং আমাকে
ছেড়ে তার পুব ’ামীর নিকট চলে যেতে চাচ্ছে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, এা৷১ এএ স্পে
না, তোমার জন্যে তা বৈধ হবে না যতক্ষণ
না অন্য একলােক তোমার মধু আাদন করবে ৷’ ইমাম নাসাঈ আলী ইবন হুজরাহ সুত্রে
হুশায়ম থেকে এটি বর্ণনা করেছেন ৷
উন্মুল মু মিনীন হযরত আয়েশা বিনুত আবু বকর সিদ্দীক (বা)
এই হিজরী সনে যারা ইন্তিকাল করেছেন, তাদের অন্যতম হলেন হযরত আয়েশা বিনৃত
আবু বকর সিদ্দীক (রা) ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সহধর্মিণী ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: جَاءَتِ الْغُمَيْصَاءُ - أَوِ الرُّمَيْصَاءُ - إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَشْكُو زَوْجَهَا ; تَزْعُمُ أَنَّهُ لَا يَصِلُ إِلَيْهَا، فَمَا كَانَ إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى جَاءَ زَوْجُهَا، فَزَعَمَ أَنَّهَا كَاذِبَةً، وَأَنَّهَا تُرِيدُ أَنْ تَرْجِعَ إِلَى زَوْجِهَا الْأَوَّلِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ لَكِ ذَلِكَ حَتَّى يَذُوقَ عُسَيْلَتَكِ رَجُلٌ غَيْرُهُ ".» وَأَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ هُشَيْمٍ بِهِ.
[وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ الصَّدِيقِ]
زَوْجَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَحَبُّ أَزْوَاجِهِ إِلَيْهِ، الْمُبَرَّأَةُ مِنْ فَوْقِ سَبْعِ سَمَاوَاتٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، وَأُمُّهَا هِيَ أُمُّ رُومَانَ بِنْتُ عَامِرِ بْنِ عُوَيْمِرٍ الْكِنَانِيَّةُ، تُكَنَّى عَائِشَةُ بِأُمِّ عَبْدِ اللَّهِ، قِيلَ: كَنَّاهَا بِذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; بِابْنِ أُخْتِهَا عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ. وَقِيلَ: إِنَّهَا أَسْقَطَتْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُقْطًا، فَسَمَّاهُ عَبْدُ اللَّهِ.
وَلَمْ يَتَزَوَّجْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكْرًا غَيْرَهَا، وَلَمْ يَنْزِلْ عَلَيْهِ الْوَحْيُ فِي لِحَافِ امْرَأَةٍ غَيْرِهَا، وَلَمْ يَكُنْ فِي أَزْوَاجِهِ أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْهَا، تَزَوَّجَهَا بِمَكَّةَ بَعْدَ وَفَاةِ خَدِيجَةَ، وَقَدْ أَتَاهُ الْمَلَكُ بِهَا فِي الْمَنَامِ فِي سَرَقَةٍ مِنْ حَرِيرٍ، مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا، فَيَقُولُ: هَذِهِ زَوْجَتُكَ. قَالَ: «فَأَكْشِفُ عَنْكِ فَإِذَا هِيَ أَنْتِ ". فَأَقُولُ: " إِنْ يَكُنْ هَذَا مِنْ عِنْدِ
পৃষ্ঠা - ৬৫১৩
সর্বাধিক প্রিয় শ্রী ৷ সপ্ত আকাশের উপর থেকে তার পবিত্রতা ও নির্দোষিতায় ঘোষণা নাযিল
হয়েছে ৷ তার মাতা হলেন, উম্মু রুমান বিনৃত আমীর ইবন উওয়াইমির কিনানী ৷ হযরত
আয়েশার (রা) এর উপনাম উম্মু আবদুল্লাহ ৷ বর্ণিত আছে যে হযরত আয়েশা (রা) এর ভাগ্ন
আবদুল্লাহ ইবন যুবা৷য়র (রা) এর সাথে সম্পর্কিত করে রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তার নাম দিয়েছেন
উম্মু আবদিল্লাহ্ ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, হযরত আয়েশার গর্ভে একটি অসম্পুর্ণ মৃত বাচ্চা
জ্জা গ্রহণ করেছিল ৷ সেটির নাম রাখা হয়েছিল আবদুল্লাহ ৷ সেই সুত্রে তার উপনাম উম্মু
আবদুল্লাহ বা আবদুল্লাহ এর মাতা ৷ হযরত আয়েশা (রা) ব্যতীত রাসুলুল্লাহ্ (সা) অন্য কোন
কুমারী মেয়ে বিয়ে করেন নি ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা)৩ তার শ্রীর ৷লাপ আবৃত থাকা অবস্থায় তার
প্ৰতি ওহী না৷যল হয়েছে ৷৩ মন ঘটনা হযরত আয়েশা (রা) ব্যতীত অন্য কোন স্তীর ক্ষেত্রে
ঘটে নি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অন্য কোন শ্রী তার নিকট হযরত আয়েশা (রা) এর চাইতে
বেশি প্রিয় ছিলেন না ৷ হিজরতের পুর্বে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় অবস্থানকালে হযরত খাদীজা
(রা) এর ইনৃতিকালের পর রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাকে বিয়ে করেন ৷ ৷ফরেশৃত৷ হযরত আয়েশা
(রা) কে রেশমী কাপড়ে জড়ানাে অবস্থায় দুবার কি তিনবার স্বপ্নে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-াক
দেখিয়েছিলেন ৷ তখন ফোরশৃত৷ বলেছিলেন, ইনি আপনার শ্রী ৷ রাসুলুল্লাহ (না) বললেন,
তার মুখ দেখাও ৷’ রাসুলুল্লাহ (না) বললেন, মুখ দেখে আমি চিনতে পারলাম যে, তুমি
আয়েশা ৷’ তখন আমি বললাম, এটি যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হয়ে থাকে তবে
তিনি তা বাস্তবায়ন করে দিবেন ৷
এরপর রাসুলুল্লাহ (সা) হযরত আবু বকর (রা)-এর নিকট হযরত আয়েশা (রা)কে বিয়ে
করার জন্যে প্রস্তাব দেন ৷ আবু বকর (রা) বললেন, ওকে বিয়ে করা কি আপনার জন্যে বৈধ
হবেঃ’ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হ্যা, বৈধ হবে ৷’ আবু বকর (রা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ
আপনি যে আমার ভইি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হা৷, ভইি বাট আর তা হল ইসলাম ও ধর্মীয় ভইি, প্রকৃতপক্ষে
ওকে বিয়ে করা আমার জন্যে হলো ল ও বৈধ ৷ অতপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাকে বিয়ে করলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে বিয়ে হবার পর হযরত আয়েশা (রা) সাবালিকা হন ৷ সীরাত গ্রন্থের
প্রথম দিকে আমরা বিষয়টি উল্লেখ করেছি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে হযরত আয়েশা (রা) এর বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় হিজরতের দুই বছর
পুর্বে ৷ কেউ কেউ বলেছেন, দেড় বছর পুর্বে ৷ আবার কেউ বালছেন,৩ তিন বছর পুর্বে ৷ তখন
হযরত আয়েশা (রা)-এর বয়স ছিল ছয় বছর ৷ বদরের যুদ্ধের সময় হযরত আয়েশার বয়স
যখন ৯ বছর তখন তাদের বাসর হয় ৷ এটি ছিল ২য় হিজরীর শাওয়ালমাসের ঘটনা ৷
মিথ্যা অপবাদদানকারীগৃণ যখন হযরত আয়েশা (রা) সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ রট্রনা
করেছিল, তাতে মহান আল্লাহ ক্রোধান্বিত হয়েছিলেন এবং ওদের অপবাদ মিথ্যা করে হযরত
আয়েশা (রা) এর সতীত ও পবিত্রত৷ বিষয়ে কুরআনের ১০টি আয়াত নাযিল করেন ৷ যুগ যুগ
ধরে ঐ আয়া৩ গুলাে পঠিত হচ্ছে ৷ ইতিপুর্বে আমরা এই ঘটনায় বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ
করেছি ৷ যুরায়সী যুদ্ধের আলোচনায় আমরা এই আয়াতগুলাের তাফসীর ও ব্যাখ্যা উল্লেখ
করেছি ৷ তাছাড়া তাফসীর গ্রন্থে আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেছি ৷ সকল
ংসা মহান আল্লাহর ৷
اللَّهِ يُمْضِهِ ". فَخَطَبَهَا مِنْ أَبِيهَا فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَوَتَحِلُّ لَكَ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: أَوَلَسْتُ أَخَاكَ؟ قَالَ: " بَلَى، فِي الْإِسْلَامِ، وَهِيَ لِي حَلَالٌ» فَتَزَوَّجَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَظِيَتْ عِنْدَهُ. وَقَدْ قَدَّمْنَا ذَلِكَ فِي أَوَّلِ السِّيرَةِ، وَكَانَ ذَلِكَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ بِسَنَتَيْنِ، وَقِيلَ: بِسَنَةٍ وَنِصْفٍ. وَقِيلَ: بِثَلَاثِ سِنِينَ. وَكَانَ عُمْرُهَا إِذْ ذَاكَ سِتَّ سِنِينَ، ثُمَّ دَخَلَ بِهَا وَهِيَ بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ بَعْدَ بَدْرٍ فِي شَوَّالٍ مِنْ سَنَةِ ثِنْتَيْنِ مِنَ الْهِجْرَةِ فَأَحَبَّهَا. وَلَمَّا تَكَلَّمَ فِيهَا أَهْلُ الْإِفْكِ بِالزُّورِ وَالْبُهْتَانِ غَارَ اللَّهُ لَهَا، فَأَنْزَلَ لَهَا بَرَاءَتَهَا فِي عَشْرِ آيَاتٍ مِنَ الْقُرْآنِ تُتْلَى عَلَى تَعَاقُبِ الْأَزْمَانِ. وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ مُفَصَّلًا فِيمَا سَلَفَ، وَشَرَحْنَا الْآيَاتِ وَالْأَحَادِيثَ الْوَارِدَةَ فِي ذَلِكَ فِي غَزْوَةِ الْمُرَيْسِيعِ، وَبَسَطْنَا ذَلِكَ أَيْضًا فِي كِتَابِ " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ وَمَقْنَعٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَدْ أَجْمَعَ الْعُلَمَاءُ عَلَى تَكْفِيرِ مَنْ قَذَفَهَا بَعْدَ بَرَاءَتِهَا، وَاخْتَلَفُوا فِي بَقِيَّةِ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، هَلْ يَكْفُرُ مَنْ قَذَفَهُنَّ أَمْ لَا؟ عَلَى قَوْلَيْنِ، وَأَصَحُّهُمَا أَنَّهُ يَكْفُرُ ; لِأَنَّ الْمَقْذُوفَةَ زَوْجَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاللَّهُ تَعَالَى إِنَّمَا غَضِبَ لَهَا، لِأَنَّهَا زَوْجَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَهِيَ وَغَيْرُهَا مِنْهُنَّ سَوَاءٌ.
وَمِنْ خَصَائِصِهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا كَانَ لَهَا فِي الْقَسْمِ يَوْمَانِ ; يَوْمُهَا وَيَوْمُ سَوْدَةَ حِينَ وَهَبَتْهَا ذَلِكَ تَقَرُّبًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّهُ مَاتَ فِي يَوْمِهَا وَفِي بَيْتِهَا، وَبَيْنَ سَحْرِهَا وَنَحْرِهَا، وَجَمْعَ اللَّهُ بَيْنَ رِيقِهِ وَرِيقِهَا فِي آخِرِ سَاعَةٍ مِنْ سَاعَاتِهِ مِنَ الدُّنْيَا، وَأَوَّلِ سَاعَةٍ مِنَ الْآخِرَةِ، وَدُفِنَ فِي بَيْتِهَا.
পৃষ্ঠা - ৬৫১৪
, এ বিষয়ে সকল উলামা-ইষ্কিরাম্, একমত যে, হযরত আয়েশা (রা)-এর সভীত্বের পক্ষে
মহান আল্লাহ আয়াত নাযিল করার পর কেউ যদি ভীকে অপবাদ দেয় তাহলে সে কাফির হয়ে
যাবে ৷ তবে অন্যান্য উম্মুল যু,’মিনীন অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অন্যান্য শ্ৰীদেরকে যদি কেউ
ব্যভিচারের অপবাদ দেয় যে কাফির হবে কি না এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে ৷ বিশুদ্ধ অভিমত
হল যদি কেউ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর যে কোন শ্রীকে ব্যভিচারের মিথ্যা অপবাদ দিলে সে কাফির
হয়ে যাবে ৷ কারণ যীকে, অপবাদ দেয়া হবে ,তিনি তো রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সহধর্মিণী ৷ হযরত
আয়েশা (রা) কে অপবাদ দেয়ায় মহান আল্লাহ ক্রোধান্বিত হয়েছিলেন এ কারণে যে, হযরত
আয়েশা (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর শ্রী ৷ সুতরাংম মানহানি গুরুতর অপরাধ এবং আল্লাহর অসম্ভষ্টির
কারণ এই বিষয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সকল ত্রী সমান ৷
হযরত আয়েশা (রা) এর অন খ্য বৈশ্যিষ্ট্যর মধ্যে একটি এই যে, অন্যান্য স্তীগণ যেখানে
রাসুলুল্পাহৃ (সা) কে পালায় একদিন কাছে পােতন সেখানে হযরত আয়েশ ৷ (রা) তাকে দু দিন
কাছে পােতন ৷ একদিন আর নিজের অংশ হিসেবে আর অন্যদিন হযরত সাওদা (রা) এর
অংশের দিনটি ৷ হযরত সাওদা (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সন্তুষ্টির জন্যে নিজের দিবসটি
হযরত আয়েশা (রা)-কে দান করেছিলেন ৷ আরেকটি বৈশিষ্ট্য এই যে, রাসুলুছুা৷হ্ (সা) ইন্তি
কাল করেছেন হযরত আয়েশা (রা) এর কক্ষে, আয়েশা (রা) এর জন্যে নির্ধারিত দিবসে এবং
হযরত আয়েশা (রা) এর বুক ও গলার মাঝে মাথা রেখে ৷ দুনিয়া থেকে বিদায়ের মুহুর্তে
হযরত আয়েশ্ ৷ (রা) এর নানা ও রাসুলুল্লাহ্ (সা)এয় লালা একত্রিত হয়েছিল রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর মুখে মিসওয়াকের মাধ্যমে ৷ হযরত আয়েশা (রা)-এর ঘরেই রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
দাফন করা হয়েছে ৷
ইমাম আহমদ (র) ওয়াকী হযরত অ ৷য়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন, ব্লুা
জান্নাতে আয়েশার হাতের উত্তজ্বাত৷ দেখার কারণে মৃত্যুর কষ্ট আমার জন্যে সহজ হয়ে
গিয়েছে’ ৷ ইমাম আহমদ (র) একা এই হাদীস উদ্ধৃত করেছেন ৷ এটি হল হযরত আয়েশা (রা)-
এর প্ৰতি প্রিয়নবী (সা) এর প্রচণ্ড মহব্বতে তর বহিঃপ্রকাশ যে, সম্মুখে হযরত অ ৷য়েশা (রা) এর
হাংঙ্ঘ শুভ্রভা দেখার কারণে দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণ তার জন্যে সহজ মনে হয়েছে ৷
হযরত আয়েশা (রা) এর আরো একটি বৈশিষ্ট্য এই যে, তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
শ্রীদের মধ্যে সর্বাধিক জ্ঞানবভী ৷ এও বলা যায় যে, তিনি সমগ্র নারী সমাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ
জ্ঞানরভী ছিলেন ৷
, আল্লামা যুহ্রী বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অন্যান্য সকল গ্রীর জ্ঞান একত্রিত করে
একদিকে রাথা হলে বরং পৃথিবীর সকল মহিলার জ্ঞান একত্রিত করে একদিকে রাখা হলে আর
হযরত আয়েশা (রা) এর জ্ঞান অপরদিকে রাখা হলে হযরত আয়েশ ৷র জ্ঞান শ্রেষ্ঠ হবে ৷
, আত৷ ইবন আবু রাবাহ৷ বলেছেন যে হযরত আয়েশা (রা) ছিলেন সমগ্র মানব জাতির
মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্ঞা নরভী মহিলা এবং অন্যতম বিচক্ষণ-বুদ্ধিমভী নারী ৷
উরওয়া (র) বলেছেন, ধর্মীয় বিচারবুব্ধি চিকিৎসা শাস্ত্র এবং কাব্য রচনা ও আবৃত্তিভে
হযরত আয়েশ্ ৷ (রা) এর চাইতে শ্রেষ্ঠ আমি কাউকে দেখি নি ৷ তাছুাড়৷ হযরত আবু হুরায়রা
(রা) ব্যতীত হাদীস বর্ণনায় অন্য কোন নায়ী কিংবা পুরুষ হযরত আয়েশ ৷ (রা) এর সমকক্ষ
হতে পারেন নি ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া-২৪
وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّهُ لَيُهَوِّنُ عَلَيَّ أَنِّي رَأَيْتُ بَيَاضَ كَفِّ عَائِشَةَ فِي الْجَنَّةِ ".» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَهَذَا فِي غَايَةِ مَا يَكُونُ مِنَ الْمَحَبَّةِ الْعَظِيمَةِ ; أَنَّهُ يَرْتَاحُ لِأَنَّهُ رَأَى بَيَاضَ كَفِّهَا أَمَامَهُ فِي الْجَنَّةِ.
وَمِنْ خَصَائِصِهَا أَنَّهَا أَعْلَمُ نِسَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَلْ هِيَ أَعْلَمُ النِّسَاءِ عَلَى الْإِطْلَاقِ ; قَالَ الزُّهْرِيُّ: لَوْ جُمِعَ عِلْمُ عَائِشَةَ إِلَى عِلْمِ جَمِيعِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعِلْمِ جَمِيعِ النِّسَاءِ، لَكَانَ عِلْمُ عَائِشَةَ أَفْضَلَ. وَقَالَ عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ كَانَتْ عَائِشَةُ أَفْقَهَ النَّاسِ، وَأَعْلَمَ النَّاسِ، وَأَحْسَنَ النَّاسِ رَأْيًا فِي الْعَامَّةِ. وَقَالَ عُرْوَةُ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَعْلَمَ بِفِقْهٍ وَلَا طِبٍّ وَلَا شِعْرٍ مِنْ عَائِشَةَ. وَلَمْ تَرْوِ امْرَأَةٌ وَلَا رَجُلٌ، غَيْرُ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَحَادِيثِ بِقَدْرِ رِوَايَتِهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا.
وَقَالَ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ: مَا أَشْكَلَ عَلَيْنَا - أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَدِيثٌ قَطُّ فَسَأَلْنَا عَائِشَةَ، إِلَّا وَجَدْنَا عِنْدَهَا مِنْهُ عِلْمًا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ.
وَقَالَ أَبُو الضُّحَى عَنْ مَسْرُوقٍ: رَأَيْتُ مَشْيَخَةَ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ الْأَكَابِرَ يَسْأَلُونَهَا عَنِ الْفَرَائِضِ.
পৃষ্ঠা - ৬৫১৫
আবু মুসা আশআরী (রা) বলেছেন, আমরা রাসুলুলাহ (না)-এর সাহাবীগণ কোন হাদীস
সম্পর্কে সমস্যায় পড়লে হযরত আয়েশা (রা)-এর নিকট তার সমাধান খুজে পেতাম ৷ ইমাম
তিবমিষী এটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ আবু দৃহ৷ মাসরুক থেকে বর্ণনা করেন; যে, তিনি বলেছেন যে,
আমি শীর্ষস্থানীয় ও বয়স্ক সাহাবীদেরকে দেখেছি যে, তারা ফারায়েয ও উত্তরাধিকার বিষয়ে
হযরত আয়েশা (রা) থেকে জেনে নিতেন ৷
অবশ্য অধিকাংশ আলিম ও ফিকহ্বিদ যে হাদীসটি উৎসাহ বংনাি করেন যে,
তোমাদের দীনের অর্ধেক জ্ঞান এই রক্তিম রমণী থেকে অর্থাৎ আয়েশ৷ থেকে গ্রহণ কর ৷
বস্তুত এই হাদীসের, কোন ভিত্তি নেই এবং ইসলামের গুরুত্বপুর্ণ কোন গ্রন্থে এটির অস্তিত্ব
নেই ৷ আমি আমার শায়খ আবু হাজ্জাজ মিযযীকে এই হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম,
উত্তরে তিনি বললেন, এটির কোন ভিত্তি নেই ৷ ’
উল্লেখ্য যে, মহিলাদের মধ্যে হযরত আয়েশা (ৱা)-এর শিষ্যদের চাইড়ে অধিক জ্ঞানী কেউ
নেই ৷ তার শিষ্য’দর মধ্যে আছেন আমরাহ বিনৃত আবদুর রহমান, হাফসা বিনৃত সীরীন এবং
আয়েশা বিনৃ৩ তালহা প্রমুখ মহিলা ৷ বহু মাসআলায় হযরত ৩আয়েশা (বা) অন্যা সাহাবীদেৱ
থেকে ভিন্ন মত পোষণ করতেন এবং বহু হাদীসের ব্যাখ্যায় তার গৃহীত অভিমত মাসআলা ও
বা৷খ্যাগুলাে অনেক ইমাম আলাদাভাবে গ্রন্থাবদ্ধ করেছেন ৷
শাবী (রা) বলেছেন যে, মাসরুক যখন হযরত আয়েশা (রা) থেকে হাদীস বর্ণনা করতেন
তখন বলতেন আমাকে হাদীস শুনিয়েছেন সিদ্দীকা বিনত সিদ্দীক, রাসুলুলাহ (না)-এর
প্রিয়৩ মা, সপ্তম আকাশের উপর থেকে পবিত্রতার ঘোষণা প্রাপ্ত হযরত আয়েশ৷ (বা) ৷
সহীহ্ বুখারীতে বর্ণিত আছে আবু উসমান নাহ্দী আমর ইবনুল আস (যা) থেকে বর্ণনা
করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুলাহ (সা) কে বলেছিলাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্!ণ্কানৃ
লোক আপনার সৰ্বাধিক প্রিয়ঃ’ তিনি বললেন, আয়েশা ৷’ আমি বললাম, পুরুষের মধ্যে?’
তিনি বললেন, তার পিতা অর্থাৎ হযরত আবু বকর (রা) ৷ ,
সহীহ্ বুখারীস্তু৩ ৩আবু মুসা (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন রাসুলুলাহ (সা)
বলেছেন
এ
,
পুরুষদের মধ্যে অন্যেইে কামালিয়াত ও পুর্ণতা অর্জন করেছেন, কিন্তু মহিলাদের মধ্যে
কাম লিযা৩ অর্জন করেছেন মাত্র ইমরানের কন্যা মারয়াম এবং খুওয়ইিলিদের কন্যা খাদীজা
(রা) এবং ফিরআওনের শ্রী আসিয়৷ ৷ আর সকল নারীর উপর আয়েশা (রা) এর সম্মান তেমন,
যেমন সকল খাদ্যের উপর ছারীদ তথা “রুটি গোশতের” শ্রেষ্ঠতুা
যে সকল উলামা-ই কিরাম হযরত আয়েশা (রা)ৰুক হযরত খৃাদীজা (রা) এর চাইতে শ্রেষ্ঠ
মনে করেন তারা এই হাদীস দ্বারাই প্রমাণ উপস্থাপন করেন ৷৩ ৩ার৷ বলেন যে, হাদীসে বর্ণিত
“সকল মহিলা এর মধ্যে উপরোক্ত তিনজনও অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৷ ইমাম বুখারী (র) উদ্ধৃত
আরেকটি হাদীস এই অভিমত সমর্থন করে ৷ ইমাম বুখারী (র) ইসমাঈল ইবন খলীল
فَأَمَّا مَا يَلْهَجُ بِهِ كَثِيرٌ مِنَ الْفُقَهَاءِ وَعُلَمَاءِ الْأُصُولِ مِنْ إِيرَادِ حَدِيثِ: «خُذُوا شَطْرَ دِينِكُمْ عَنِ الْحُمَيْرَاءِ ".» فَإِنَّهُ لَيْسَ لَهُ أَصْلٌ، وَلَا هُوَ مُثْبَتٌ فِي شَيْءٍ مِنْ أُصُولِ الْإِسْلَامِ، وَسَأَلَتُ عَنْهُ شَيْخَنَا أَبَا الْحَجَّاجِ الْمِزِّيَّ فَقَالَ: لَا أَصْلَ لَهُ.
ثُمَّ لَمْ يَكُنْ فِي النِّسَاءِ أَعْلَمُ مِنْ تِلْمِيذَاتِهَا ; عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَحَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، وَعَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ، وَقَدْ تَفَرَّدَتْ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، بِمَسَائِلَ مِنْ بَيْنِ الصَّحَابَةِ لَمْ تُوجَدْ إِلَّا عِنْدَهَا، وَانْفَرَدَتْ بِاخْتِيَارَاتٍ أَيْضًا، وَرَدَّتْ أَخْبَارًا بِخِلَافِهَا بِنَوْعٍ مِنَ التَّأْوِيلِ. وَقَدْ جَمَعَ ذَلِكَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ: كَانَ مَسْرُوقٌ إِذَا حَدَّثَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَ: حَدَّثَتْنِي الصِّدِّيقَةُ بِنْتُ الصِّدِّيقِ، حَبِيبَةُ حَبِيبِ اللَّهِ، الْمُبَرَّأَةُ مِنْ فَوْقِ سَبْعِ سَمَاوَاتٍ.
وَثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: «قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ: " عَائِشَةُ ". قُلْتُ: وَمِنَ الرِّجَالِ؟ قَالَ: " أَبُوهَا ".»
وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " أَيْضًا، عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
পৃষ্ঠা - ৬৫১৬
আয়েশা (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত খাদীজ৷ (রা)-এর বোন হলো
একদিন রাসুলুলাহ (সা) এর দরবারে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থন৷ করলেন ৷ত ষ্ারত কণ্ঠস্বর শুনে
রাসুলুলাহ (সা) এর মনে হযরত খাদীজা (রা) এর অনুমতি প্রার্থনার স্মৃতি জেগে উঠে ৷ তিনি
বিচলিত হয়ে উঠলেন এবং বললেন, হার আল্লাহ! এায হলো এসােছ ৷’ হযরত আয়েশা (বা)
বললেন, র ৷সুলুল্লাহু (সা) এর এ অবস্থা দেখে আমি ঈর্ষান্বিত ৩হয়ে পড়ি এবং বলি, আপনি তো
সেই কুরায়শী বৃদ্ধার কথাই স্মরণ করে যাচ্ছেন, যার পাল দু ’টো ছিল লাল, যিনি বহুদিন আগে
এই দুনিয়া ছেড়ে চলে ৷ণয়েছেন ৷ অথচ আল্লাহ তা আল ৷ তার চাইতে উত্তম স্তী আপনাকে দান
করেছেন ৷’ ইমাম বুখারী এরুপই উদ্ধৃত করেছেন ৷
অবশ্য এ প্রসঙ্গে কোন কে ন বর্ণনায় আছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর এ বক্তব্য বর্ণিত হয়েছে
তার চাইতে ভাল স্তী অ ৷ল্লাহ্ আমাকে
দেন নি ৷ ঐ বর্ণনা মােটে ই বিশুদ্ধ নয় ৷ হযরত খাদীজা (বা) এর ইনতিকালের আলোচনায়
আমরা ঐ দীর্ঘ হাদীস উদ্ধৃত করেছি ৷ এবং হযরত খাদীজ়৷ (রা) হযরত আয়েশা (রা) এর
চইিতে ৷শ্রষ্ঠ যারা এ অভিমাত র অনুসারী তাদের দলীল-প্ৰমাণও আমরা সেখানে উল্লেখ
করেছি ৷ সেগুলো পুনকল্লেখের প্রয়োজন নেই ৷
ইমাম বুখারী (র) হযরত আয়েশা (রা) এর একটি হাদীস উল্লেখ করেছেন যে, একদিন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন
আয়েশা! এই যে, জ্বিবরাঈল, তিনি তােমা৷কণ্,সালাম জানাচছুন’ ৷ আয়েশা (রা) বলেন, তখন
আমি বলেছিলাম, তার ষ্প্ৰতি সালাম এবং
আল্লাহর রহমত ও বরকত ৷ আপনি যা দেখেন আমি তো তা দেখিনা’ ৷
সহীহ বুখারীাত বর্ণিত আছে যে, লোকজন হযরত আয়েশা (রা) এর জন্যে নির্ধারিত
দিবাসত ৷৷দর উপহার-উপচৌকন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জন্যে নিয়ে আসত ৷ এই প্রেক্ষিতে
সকল উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মু সালামার ঘরে সমবেত হয়ে তাকে অনুরোধ জানান তিনি
যেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলে দেন মানুষকে এই নির্দেশ দিাত যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) সেখানেই
থাকেন সেখানেই তারা যেন হাদিয়৷ তােহ্ফা প্রেরণ করে ৷ উম্মু সালাম৷ (রা) বলেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (না) আমার নিকট আসার পর আমি তাকে এই কথা জানালাম ৷ তিনি আমার দিক
থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন ৷ এরপর ঐ মহিলাগণ আবার উম্মু সালামার ঘরে সমবেত হয়ে
তাদের দাবীর কথা উল্লেখ করেন ৷ উম্মু সার্লাম৷ (বা) তাদের বক্তব্য রাসুলুল্লাহ্ (সা)-াক
জানালেন ৷ তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন ৷ এরপর তিনি যখন সকল ত্রীর সাথে মিলিত হবার পর
হযরত উম্মু সালামার নিকট এলেন, উন্মু সালামা (বা) তাদের বক্তব্য রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে
জানালেন ৷ উত্তরে তিনি বললেন, হে উম্মু সালাম৷ হযরত আয়েশা (রা) এর ব্যাপারে তোমরা
আমাকে কষ্ট দিও না ৷ কারণ আল্লাহর কসম৷ হযরত আয়েশ ৷ (বা) ব্যতীত অন্য কারো ৷লপের
নীচে থাকা অবস্থায় আমার নিকট ওহী আসে নি ৷
এও উল্লেখ আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ত্রীগণ একবার হযরত কাতিম্৷ (রা) কে
দুতিয়ালি করার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট পাঠান ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বললেন,
আপনার স্তীগণ৷ তা আবু বকর ইবন আবু র্কুহাফার মেয়ের ব্যাপারে ন্যায়পরায়ণতা
অবলম্বনের দাবীত তলেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, প্রিয় কন্যা আমি যাকে তালরাসি তুমি
«كَمَلَ مِنَ الرِّجَالِ كَثِيرٌ، وَلَمْ يَكْمُلْ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَخَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ، وَآسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ، وَفَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ ".» وَقَدِ اسْتَدَلَّ كَثِيرٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ مِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى تَفْضِيلِ عَائِشَةَ عَلَى خَدِيجَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ، فَإِنَّهُ دَخَلَ فِيهِ سَائِرُ النِّسَاءِ الثَّلَاثِ الْمَذْكُورَاتِ وَغَيْرُهُنَّ.
وَيُعَضِّدُ ذَلِكَ أَيْضًا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ خَلِيلٍ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتِ: «اسْتَأْذَنَتْ هَالَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ أُخْتُ خَدِيجَةَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَعَرَفَ اسْتِئْذَانَ خَدِيجَةَ، فَارْتَاعَ لِذَلِكَ، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ هَالَةَ ". قَالَتْ عَائِشَةُ: فَغِرْتُ، فَقُلْتُ: مَا تَذْكُرُ مِنْ عَجُوزٍ مِنْ عَجَائِزِ قُرَيْشٍ، حَمْرَاءِ الشِّدْقَيْنِ، هَلَكَتْ فِي الدَّهْرِ، قَدْ أَبْدَلَكَ اللَّهُ خَيْرًا مِنْهَا؟ هَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ. فَأَمَّا مَا يُرْوَى فِيهِ مِنَ الزِّيَادَةِ: " مَا أَبْدَلَنِي اللَّهُ خَيْرًا مِنْهَا» ". فَلَيْسَ يَصِحُّ سَنَدُهَا. وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ مُطَوَّلًا عِنْدَ وَفَاةِ خَدِيجَةَ، وَذَكَرْنَا حُجَّةَ مَنْ ذَهَبَ إِلَى تَفْضِيلِهَا عَلَى عَائِشَةَ بِمَا أَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ هَاهُنَا.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، ثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَبُو سَلَمَةَ: إِنَّ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৬৫১৭
কি র্তাকে তালবাস নাপ্’ণ্হযরত ফাভিমা (রা) বললেন, ইা৷ তা-তাে অবশ্যই ৷ আমি তো তাকে
ভালবাসিইা’ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তাহলে তুমি আবু বকরের এই মেয়েকে ভালবেসে
যাও
এরপর তারা মধ্যস্থতাকারীরুপে যায়নাব বিনৃত জাহাশকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট
প্রেরণ করলেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট গমন করলেন ৷ সেখানে হযরত আয়েশা
(রা) উপস্থিত ছিলেন ৷ হযরত যায়নাব (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে কথা বললেন এবং
হযরত আয়েশা (রা)-কে দোষারোপ করলেন ৷ হযরত আয়েশা ক্ষেপে উঠলেন ৷ তিনি পাল্টা
জবাব দিলেন ৷ এমন তীব্রভাবে যায়নাব (রা) এর কথার উত্তর দিলেন যে, হযরত যায়নাব
(রা) চুপ হয়ে গেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকিয়ে তাকিয়ে হযরত আয়েশা (রা) কে দেখছিলেন
এবং বলছিলেন, এ যে আবু বকরের মেয়ে ৷”
আমরা উল্লেখ করেছি যে, উংষ্ট্ৰর যুদ্ধের প্রাক্কালে হযরত আম্মার লোকজনকে তালহ৷ ও
যুবায়র (রা) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছিলেন এবং তিনি ও হাসান (রা) কুফার
মিম্বরের উপর আরোহণ করেছিলেন ৷ তখন হযরত আম্মার (রা) শুনতে পেলেন যে, একলোক
হযরত আয়েশা (না)-কে মন্দ বলছে ৷ তখনই ঐ ব্যক্তিকে ধমক দিয়ে হযরত আম্মার (বা)
বললেন, চুপ কর চুপ কর কথা ৰু বন্ধ কর ৷’ ঘৃণিত ব্যক্তি কােথাকার৷ আল্লাহর কসম! তুমি
যাকে মন্দ বলছ, তিনি রাসুলুল্পাহ্ (সা)-এর সহধর্মিণী দুনিয়াতে ও আখিরাতেওা তবে মহান
আল্লাহ্ তােমাদেরকে পরীক্ষা করছেন, তোমরা হযরত আলী (রা)-এর আনুগত্য করবে না কি
হযরত আয়েশা (রা)-এর আনুগত্য করবে ৷ ’
ইমাম আহমদ (র) মুআবিয়ান্রুইবন আমর হযরত আয়েশা (রা)এর দারোয়ান
যাকওয়ান থেকে বর্ণনা করেন যে, হযরত আয়েশা (রা)-এয়অন্তিমকালে হযরত আবদুল্লাহ
ইবন আব্বাস (বা) তার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন ৷ যাকওয়ান বলেন ইবন আব্বাস
(রা)-এর প্রবেশের অনুমতি নেয়ার জন্যে আমি হযরত আয়েশা (রা)-এর নিকট যইি ৷ সেখানে
তার তাতিজা আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান ছিলেন ৷ আমি বললাম, ইবন আব্বাস (বা)
আপনার সাথে দেখা করতে এসেছেন ৷ আবদুল্লাহ্,ইবন আবদুর রহমান হযরত আয়েশা (রা)-
এর প্ৰতি ঝুকে পড়ে বললেন, আবদুল্পাহ্ ইবন আব্বাস আপনার সাথে দেখা করতে চাচ্ছেন ৷
বস্তু৩শু হযরত আয়েশা (রা) তখন মৃত্যু পথযাত্রী ৷ তিনি বললেন, না, থাক, সাক্ষাতের দরকার
নেই’ ৷ আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান বললেন, আম্মাবাদ ৷ আপনার বাধ্য পুত্র ইবন আব্বাস
(রা) আপনাকে সালাম জানাচ্ছেন এবং আপনাকে বিদায় জানাচ্ছেন ৷’ হযরত আয়েশা (বা)
বললেন, তুমি চাইলে তাকে ভেতরে আমার অনুমতি দিতে পার ৷ র্বণনাকারী বলেন, তারপর
আমি তাকে ভিতরে নিয়ে এলাম ৷ পাশে বসে ইবন আব্বাস (বা) বললেন, আপনি সুসংবাদ
নিন’ ৷ আয়েশা (রা) বললেন, কেনঃ কিসের সুসং বাদ?-’ ইবন আব্বাস (বা) বললেন, এজন্যে
যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও আপনার প্রিয়জনদের সাথে মিলিত হবার জন্যে আপনার শুধু প্রাণটা
বের হবার অপেক্ষা ৷ আপনি তো রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সবচাইতে প্রিয় শ্রী ছিলেন ৷ ভাল মানুষ
ব্যতীত কাউকে তো রাসুলুল্লাহ্ (সা) ভালবাসা তন না ৷ আবওয়া অভিযানের রাতে আপনার
গলার মালা হারিয়ে গেল ৷ সকাল হল অথচ কারো নিকট পানি ছিল না৷ এই প্রেক্ষাপটে
আল্লাহ তাআলা৩ তায়্ান্মুমেৱ আয়াত নাযিল করলেন ৷ সুতরাং উম্মত তায়াম্মুমের বিধান পেল
আপনার উসিলায় ৷ উম্মত এই সুযোগ অর্জন করল আপনার কারণে ৷ মহান আল্লাহ সাত
يَوْمًا: «يَا عَائِشُ، هَذَا جِبْرِيلُ يُقْرِئُكِ السَّلَامَ ". فَقُلْتُ: وَعَلَيْهِ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، تَرَى مَا لَا أَرَى.»
وَثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " «أَنَّ النَّاسَ كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، فَاجْتَمَعَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ، وَقُلْنَ لَهَا: قُولِي لَهُ يَأْمُرُ النَّاسَ أَنْ يُهْدُوا إِلَيْهِ حَيْثُ كَانَ. فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ: فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيَّ قُلْتُ لَهُ ذَلِكَ، فَأَعْرَضَ عَنِّي. ثُمَّ قُلْنَ لَهَا ذَلِكَ، فَقَالَتْ لَهُ، فَأَعْرَضَ عَنْهَا، ثُمَّ لَمَّا دَارَ إِلَيْهَا قَالَتْ لَهُ، فَقَالَ: " يَا أُمَّ سَلَمَةَ، لَا تُؤْذِينِي فِي عَائِشَةَ، فَإِنَّهُ وَاللَّهِ مَا نَزَلَ عَلَيَّ الْوَحْيُ وَأَنَا فِي لِحَافِ امْرَأَةٍ مِنْكُنَّ غَيْرِهَا ". وَذَكَرَ أَنَّهُنَّ بَعَثْنَ فَاطِمَةَ ابْنَتَهُ إِلَيْهِ، فَقَالَتْ: إِنَّ نِسَاءَكَ يَنْشُدُونَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنةِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي قُحَافَةَ. فَقَالَ: " يَا بُنَيَّةُ، أَلَّا تُحِبِّينَ مَنْ أُحِبُّ؟ " قَالَتْ: قُلْتُ: بَلَى. قَالَ: " فَأَحِبِّي هَذِهِ ". ثُمَّ بَعَثْنَ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ فَدَخَلَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعِنْدَهُ عَائِشَةُ، فَتَكَلَّمَتْ زَيْنَبُ، وَنَالَتْ مِنْ عَائِشَةَ، فَانْتَصَرَتْ عَائِشَةُ مِنْهَا، وَكَلَّمَتْهَا حَتَّى أَفْحَمَتْهَا، فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْظُرُ إِلَى عَائِشَةَ، وَيَقُولُ: " إِنَّهَا ابْنَةُ أَبِي بَكْرٍ ". وَذَكَرْنَا أَنَّ عَمَّارًا لَمَّا جَاءَ يَسْتَصْرِخُ النَّاسَ وَيَسْتَنْفِرُهُمْ إِلَى قِتَالِ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ أَيَّامَ الْجَمَلِ، صَعِدَ هُوَ وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ عَلَى مِنْبَرِ الْكُوفَةِ فَسَمِعَ عَمَّارُ رَجُلًا يَنَالُ مِنْ عَائِشَةَ فَقَالَ لَهُ: اسْكُتْ مَقْبُوحًا مَنْبُوحًا، وَاللَّهِ إِنَّهَا لِزَوْجَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الدُّنْيَا
পৃষ্ঠা - ৬৫১৮
আসমানের উপর থেকে আপনার সভীতু ও পবিত্রতা ঘোষণা সম্বলিত আয়াত নাযিল করলেন ৷
রুহ আল আমীন হযরত জিবরাঈল (আ) ঐ আয়াতগুলাে নিয়ে এলেন ৷ ফলে দুনিয়ার সকল
মসজিদে মসজিদে দিনে রাতে ঐ আয়াতগুলো পঠিত হচ্ছে ৷’
এ পর্যায়ে হযরত আয়েশা (রা) বললেন ইবন আব্বাস ! এবার যায় ৷ আল্লাহর কসম ৷
আমি এত প্রশং স৷ চাই না, আমি চইি বিস্মৃতির গভীরে তলিয়ে যেতে ,স্মৃতি থেকে মুছে
যেতে ৷’
বস্তুত হযরত আয়েশা (রা) এর প্রশংসা ও মর্যাদা বিষয়ক হাদীস প্রচুর ৷ এই হিজরী সনে
অর্থাৎ ৫৮ হিজরী সনে তার ওফাত হয় ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তীর ইন্তিকাল হয়েছে ৫৭
হিজরী সনে ৷ আবার কেউ বলেছেন ৫৬ হিজরী সনে ৷ প্রসিদ্ধ অভিমত এই যে, তার ইস্তিকাল
হয়েছে রমযান মাসে ৷ কেউ বলেছেন, শাওয়াল মাসে ৷ সর্বাধিক প্রসিদ্ধ অভিমত হল রামাদান
মাসের ১৭ তারিখ মঙ্গলবারে তার ইন্তিকাল হয় ৷ তিনি ওসীয়ত করে গিয়েছিলেন যে, রাতের
বেলা জান্নাভুল বাকীতে যেন উা কে দাফন করা হয় ৷ বিতর নামাযের পর হযরত আবু হুরায়রা
(বা) তার জানাযার নামায আদায় করেন ৷ তীর কবরে নেমেছিলেন পাচজন ৷ আবদুল্লাহ ইবন
যুবায়র (রা) , উরওয়৷ ইবন যুবায়র (বা) , র্তারা হযরত আয়েশা (রা)-এর বোন আসমার পুত্র ৷
কাসিম ইবন মুহাম্মদ ও আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ৷ তীর৷ দুজন হযরত আয়েশা (রা)-এর ভাই
মুহাম্মদের পুত্র ৷ আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান ইবন আবু বকর (রা) ৷ ইনৃতিকালের সময়
হযরত আয়েশা (রা) এর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর ৷ কারণ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ইনৃতিকালের
সময় তীর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর হিজরতের সময় তার বয়স ছিল
৮৯ বছর ৷ মহান আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ আল্লাহ্৩ তার প্রতি, তীর পি ৷র প্রতি এবং সকল
সাহাবীর প্ৰতি সন্তুষ্ট হোন ৷ ,
وَفِي الْآخِرَةِ، وَلَكِنَّ اللَّهَ ابْتَلَاكُمْ لِيَعْلَمَ إِيَّاهُ تُطِيعُونَ أَوْ إِيَّاهَا.»
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، ثَنَا زَائِدَةُ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خُثَيْمٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ ذَكْوَانُ حَاجِبُ عَائِشَةَ، أَنَّهُ جَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ يَسْتَأْذِنُ عَلَى عَائِشَةَ، فَجِئْتُ وَعِنْدَ رَأْسِهَا ابْنُ أَخِيهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، فَقُلْتُ: هَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ يَسْتَأْذِنُ. فَأَكَبَّ عَلَيْهَا ابْنُ أَخِيهَا عَبْدُ اللَّهِ فَقَالَ: هَذَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ يَسْتَأْذِنُ. وَهِيَ تَمُوتُ، فَقَالَتْ: دَعْنِي مِنِ ابْنِ عَبَّاسٍ. فَقَالَ: يَا أُمَّتَاهُ، إِنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ مِنْ صَالِحِ بَنِيكِ يُسَلِّمُ عَلَيْكِ وَيُوَدِّعُكِ. فَقَالَتِ: ائْذَنْ لَهُ إِنْ شِئْتَ. قَالَ: فَأَدْخَلْتُهُ، فَلَمَّا جَلَسَ قَالَ: أَبْشِرِي. فَقَالَتْ: بِمَاذَا؟ فَقَالَ: مَا بَيْنَكِ وَبَيْنَ أَنْ تَلْقَيْ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْأَحِبَّةَ إِلَّا أَنَّ تَخْرُجَ الرُّوحُ مِنَ الْجَسَدِ، كُنْتِ أَحَبَّ نِسَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِ، وَلَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحِبُّ إِلَّا طَيِّبًا، وَسَقَطَتْ قِلَادَتُكِ لَيْلَةَ الْأَبْوَاءِ فَأَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى يُصْبِحَ فِي الْمَنْزِلِ، وَأَصْبَحَ النَّاسُ وَلَيْسَ مَعَهُمْ مَاءٌ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ آيَةَ التَّيَمُّمِ، فَكَانَ ذَلِكَ فِي سَبَبِكِ وَمَا أَنْزَلَ اللَّهُ مِنَ الرُّخْصَةِ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ، وَأَنْزَلَ اللَّهُ بَرَاءَتَكِ مِنْ فَوْقِ سَبْعِ سَمَاوَاتٍ، جَاءَ بِهَا الرُّوحُ الْأَمِينُ، فَأَصْبَحَ لَيْسَ لِلَّهِ مَسْجِدٌ مِنْ مَسَاجِدِ اللَّهِ إِلَّا يُتْلَى فِيهِ آنَاءَ اللَّيْلِ وَآنَاءَ النَّهَارِ. فَقَالَتْ: دَعْنِي مِنْكَ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ نَسْيًا مَنْسِيًّا. وَالْأَحَادِيثُ فِي فَضَائِلِهَا وَمَنَاقِبِهَا كَثِيرَةٌ جِدًّا. وَقَدْ كَانَتْ وَفَاتُهَا فِي هَذَا الْعَامِ سَنَةَ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ، وَقِيلَ: قَبْلَهُ بِسَنَةٍ. وَقِيلَ: بَعْدَهُ بِسَنَةٍ. وَالْمَشْهُورُ فِي رَمَضَانَ مِنْهُ، وَقِيلَ: فِي
পৃষ্ঠা - ৬৫১৯
شَوَّالٍ. وَالْأَشْهَرُ لَيْلَةَ الثُّلَاثَاءِ السَّابِعُ عَشَرَ مِنْ رَمَضَانَ، وَأَوْصَتْ أَنْ تُدْفَنَ بِالْبَقِيعِ لَيْلًا، وَصَلَّى عَلَيْهَا أَبُو هُرَيْرَةَ بَعْدَ صَلَاةِ الْوِتْرِ، وَنَزَلَ فِي قَبْرِهَا خَمْسَةٌ، وَهُمْ ; عَبْدُ اللَّهِ وَعُرْوَةُ ابْنَا الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ مِنْ أُخْتِهَا أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ وَالْقَاسِمُ وَعَبْدُ اللَّهِ ابْنَا أَخِيهَا مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَكَانَ عُمْرُهَا يَوْمَئِذٍ سَبْعًا وَسِتِّينَ سَنَةً ; لِأَنَّهُ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعُمْرُهَا ثَمَانِيَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَكَانَ عُمْرُهَا عَامَ الْهِجْرَةِ ثَمَانِ سِنِينَ أَوْ تِسْعَ سِنِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.