আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة موسى الكليم عليه الصلاة والسلام

فصل في دخول بني إسرائيل التيه وما جرى لهم فيه من الأمور العجيبة

পৃষ্ঠা - ৬৪৭


নিয়ামত প্রদান করেছেন, তা স্মরণ করিয়ে দেন ৷ যেমন আল্লাহ্ তাআলা বনী ইসরাঈলকে
ফিরআউন ও তার সম্প্রদায়ের কবল থেকে রক্ষা করেহ্নেৰু এবং তাদেরকে যেন শকুনের দুইটি
পাখায় উঠিয়ে ফিরআউনের কবল থেকে রক্ষা করেছেন ৷ অতঃপর আল্পাহ্ তাআলা মুসা
(আ)কে নির্দেশ দেন, তিনি যেন বনী ইসরাঈলকে পবিত্রতা অর্জন করতে, গোসল করতে,
কাপড়-চােপড় ধুয়ে তৃতীয় দিবসের জন্যে তৈরি হতে হুকুম দেন ৷ তৃতীয় দিন সমাগত হলে
তিনি নির্দেশ দেন, তারা যেন পাহাড়ের পাশে সমবেত হন, তবে তাদের মধ্য হতে কেউ যেন
মুসা (আ)-এর কাছে না আসে ৷ যদি তাদের মধ্য থেকে কেউ তার কাছে আসে তাহলে তাকে
হত্যা করা হবে ৷ যতক্ষণ পর্যন্ত তারা শিংগার আওয়াজ শুনতে থাকবে, এমনকি একটি প্রাণীও
তখন তীর কাছে যেতে পারবে না ৷ যখন শিংগার আওয়াজ বন্ধ হয়ে যাবে তখন পাহাড়ে যাওয়া
তাদের জন্যে বৈধ হবে ৷ বনী ইসরাঈলও মুসা (আ)-এর কথা শুনলেন; তার আনুগত্য করলেন,
গোসল করলেন; পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হলেন; পবিত্রতা অর্জন করলেন ও খুশবু ব্যবহার করলেন ৷
তৃতীয় দিন পাহাড়ের উপর বিরাট মেঘখণ্ড দেখা দিল; সেখানে গর্জন শোনা (গল; বিদ্যুৎ
চমকাতে লাগল ও শিংগার বিকট আওয়াজ শোনা যেতে লাগল ৷ এতে বনী ইসরইিল ঘাবড়ে
গেল ও অভ্যস্ত আতৎকগ্রস্ত হয়ে পড়ল ৷ তারা ঘরের বের হল এবং পাহাড়ের কিনারায় র্দাড়াল ৷
পাহাড়কে বিরাট ঘেড়ায়ায় ঢেকে ফেলল , তার মধ্যে ছিল অনেকগুলো নুরের স্তম্ভ ৷

সমস্ত পাহাড় প্রচণ্ডভাবে র্কাপতে লাগল, শিংগার গত্তনি অব্যাহত রইল এবং ক্রমাগত তা
বৃদ্ধি পেতে লাগল ৷ মুসা (আ) ছিলেন পাহাড়ের উপরে, আল্লাহ্ তাআলা তার সাথে একান্তে
কথা বলছিলেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা মুসা (আ)-কে নেমে যেতে হুকুম দিলেন ৷ মুসা (আ) বনী
ইসরাঈলকে আল্পাহ্ তাআলার কালাম শোনার জন্যে পাহাড়ের নিকটবর্তী হতে নির্দেশ
দিয়েছিলেন ৷ তাদের আলেমদেরকেও তিনি নিকটবর্তী হতে আদেশ দিয়েছিলেন ৷ অতঃপর
অধিক নৈকট্য অর্জন করার জন্যে তাদেরকে পাহাড়েও চড়তে হুকুম দিলেন ৷

উপরোক্ত সংবাদটি হলো কিতাবীদের গ্রন্থাদিতে লিখিত সংবাদ যা পরবর্তীতে রহিত হয়ে
যায়৷ )

মুসা (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক ! এরা পাহাড়ে চড়তে সক্ষম নয় আর তুমি পুর্বে
এ্যাকাজ করতে নিষেধ করেছিলে ৷ অতঃপর আল্লাহ তাআলা মুসা (আ) কে তার ভাই হারুন
(আ)-কে নিয়ে আসতে হুকুম দিলেন ৷ আর আলিমগণ এবং বনী ইসরাঈলের অন্যরা যেন
নিকটে উপস্থিত থাকে ৷ মুসা (আ) তইি করলেন ৷ তার প্রতিপালক তার সাথে কথা বললেন ৷
তখন আল্লাহ্ তাআলার্তাকে দশটি কলেমা বা উপদেশ বাণী দিলেন ৷

কিতাবীদের মতে, বনী ইসরাঈলরা আল্লাহ্র কালাম শুনেছিল কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি ,
যতক্ষণ না মুসা (আ) তাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ৷ আর মুসা (আ)-কে তারা বলতে লাগল,
আপনি প্রতিপালকের কাছ থেকে আমাদের কাছে উপদেশ বাণী পৌছিয়ে দিন ৷ আমরা
আশংকা করছি হয়তো আমরা যারা পড়ব ৷’ অতঃপর মুসা (আ) তাদের কাছে আল্লাহ্
তাআলার তরফ থেকে প্রাপ্ত দশটি উপদেশ বাণী পৌছিয়ে দেন ৷ আর এগুলো হচ্ছে : (এক)
লা-শরীক আল্লাহ তাআলার ইবড়াদতের নির্দেশ, (দুই) আল্লাহ্ তাআলার সাথে মিথ্যা শপথ


[فَصْلٌ فِي دُخُولِ بَنِي إِسْرَائِيلَ التِّيهَ وَمَا جَرَى لَهُمْ فِيهِ مِنَ الْأُمُورِ الْعَجِيبَةِ] قَدْ ذَكَرْنَا نُكُولَ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَنْ قِتَالِ الْجَبَّارِينَ، وَأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى عَاقَبَهُمْ بِالتِّيهِ، وَحَكَمَ بِأَنَّهُمْ لَا يَخْرُجُونَ مِنْهُ إِلَى أَرْبَعِينَ سَنَةً، وَلَمْ أَرَ فِي كِتَابِ أَهْلِ الْكِتَابِ قِصَّةَ نُكُولِهِمْ عَنْ قِتَالِ الْجَبَّارِينَ، وَلَكِنَّ فِيهَا أَنَّ يُوشَعَ جَهَّزَهُ مُوسَى لِقِتَالِ طَائِفَةٍ مِنَ الْكُفَّارِ، وَأَنَّ مُوسَى وَهَارُونَ، وَخُورَ، جَلَسُوا عَلَى رَأْسِ أَكَمَةٍ، وَرَفَعَ مُوسَى عَصَاهُ، فَكُلَّمَا رَفَعَهَا انْتَصَرَ يُوشَعُ عَلَيْهِمْ وَكُلَّمَا مَالَتْ يَدُهُ بِهَا مِنْ تَعَبٍ أَوْ نَحْوِهِ، غَلَبَهُ أُولَئِكَ، وَجَعَلَ هَارُونُ وَخُورُ يُدَعِّمَانِ يَدَيْهِ عَنْ يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ ذَلِكَ الْيَوْمَ إِلَى غُرُوبِ الشَّمْسِ، فَانْتَصَرَ حِزْبُ يُوشَعَ عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَعِنْدَهُمْ; أَنَّ يَثْرُونَ كَاهِنَ مَدْيَنَ، وَخَتَنَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بَلَغَهُ مَا كَانَ مِنْ أَمْرِ مُوسَى، وَكَيْفَ أَظْفَرَهُ اللَّهُ بِعَدُوِّهِ فِرْعَوْنَ فَقَدِمَ عَلَى مُوسَى مُسْلِمًا وَمَعَهُ ابْنَتُهُ صِفُّورَا زَوْجَةُ مُوسَى، وَابْنَاهَا مِنْهُ جَرْشُونُ، وَعَازِرُ، فَتَلَقَّاهُ مُوسَى وَأَكْرَمَهُ، وَاجْتَمَعَ بِهِ شُيُوخُ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَعَظَّمُوهُ وَأَجَلُّوهُ. وَذَكَرُوا أَنَّهُ رَأَى كَثْرَةَ اجْتِمَاعِ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى مُوسَى، فِي الْخُصُومَاتِ الَّتِي تَقَعُ بَيْنَهُمْ، فَأَشَارَ عَلَى مُوسَى أَنْ يَجْعَلَ عَلَى النَّاسِ رِجَالًا أُمَنَاءَ، أَتْقِيَاءَ،
পৃষ্ঠা - ৬৪৮


করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা, (তিন) সারা ত’ সং রক্ষ্যণর জন্যে নির্দেশ ৷ তার অর্থ হচ্ছে সপ্তাহের
একদিন অর্থাৎ শনিবারকে ইবাদং তর জন্যে নির্দিষ্ট রাখা ৷ শনিবারকে রহিত করে আল্লাহ
তা আলা এর ৰিকল্পরুপে আমাদেরকে জুম আর দিন দান করেছেন ৷ (চার) তোমার
পিতা-মাতাকে সম্মান কর ৷ তাহলে পৃথিবীতে আল্লাহ্ তাআলা তোমার আয়ু বৃদ্ধি করে দেবেন,
(পাচ) নর হত্যা করবে না, (ছয়) ব্যভিচার করবে না, (সাত) চুরি করবে না, (আট) তোমার
প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেবে না, (নয়) তোমার প্রতিবেশীর ঘরের প্রতি লোভের
দৃষ্টিতে ডাকা বে না (দশ) তোমার সাথীর শ্রী, গো লাম-রাদী, গরু-গাধা ইত্যাদি কোন জিনিসে
লোড করবেন ৷ অর্থাৎ হিংসা থেকে বারণ করা হয় ৷ আমাদের প্ৰাচীনকালের আলিমগণ ও
অন্য অনেকেই বলেন যে, এ দশটি উপদেশ বাণীর সারমর্ম কুরআনের সৃরায়ে আনআমের দুটি
আয়াতে বর্ণিত হয়েছে ৷
যাতে আল্পাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন :


¥’

১৷ ৷ «fl ৷ ৷


ণ্পুধুা৷১


ব্র;:ার্বুদ্বু ৷
৷ ৷র্দুঠুদ্বুক্ট্র

অর্থাৎ-বল, এস তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য যা হারাম করেছেন, তোমাদেরকে
তা পড়ে শুনাই, তাহল তোমরা তার কোন শরীক করবে না, পিতা-মাতার প্ৰতি সদ্ব্যবহার
করবে, দারিদ্রের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, আমিই তোমাদেরকে ও
তাদেরকে রিযিক দিয়ে থাকি ৷ প্রকাশ্যে হোক কিৎবা গোপনে হোক, অশ্লীল কাজের কাছে যাবে
না; আল্লাহ্ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করবে না ৷
তোমাদেরকে তিনি এই নির্দেশ দিলেন, যেন তোমরা অনুধাবন কর ৷ ইয়াতীম বয়ঃপ্রাপ্ত না
হওয়া পর্যন্ত উত্তম ব্যবস্থা ব্যতীত তোমরা তার সম্পত্তির নিকটবর্তী হবে না এবং পরিমাণ ও
ওজন ন্যায্যভারে পুরোপুরি দেবে ৷ আমি কাউকেও তার সাধ্যাতীত তার অর্পণ করি না ৷ যখন
তোমরা কথা বলবে তখন ন্যায্য বলবে,াজনের সম্পর্কে হলেও এবং আল্লাহকে প্রদত্ত অঙ্গীকার
পুর্ণ করবে ৷ এভাবে আল্লাহ তােমাদেরকে নির্দেশ দিলেন, যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর এবং
এপথই স্লামার সরলপথ ৷ সুতরাং তোমরা এরই অনুসরণ করবে ৷ (সুরা আনআম :

১ ৫ ১ ১ ৫৩ )

তারা এই দশটি উপদেশ বাণীর পরও বহু ওসীয়ত ও বিভিন্ন মুল্যবান নির্দেশাবলীর উল্লেখ
করেছেন, যেগুলো বহুদিন যাবত চালু ছিল ৷ তার একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এগুলো আমল
করেছেন কিন্তু এরপরই এগুলোতে আমলকারীদের পক্ষ হতে অবাধ্যতার ছোয়া লাগে ৷ তারা

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ডপ্)ণো


أَعِفَّاءَ، يُبْغِضُونَ الرِّشَاءَ وَالْخِيَانَةَ، فَيَجْعَلُهُمْ عَلَى النَّاسِ رُءُوسَ أُلُوفٍ، وَرُءُوسَ مِئِينَ، وَرُؤْسَ خَمْسِينَ، وَرُؤْسَ عَشَرَةٍ، فَيَقْضُوا بَيْنَ النَّاسِ، فَإِذَا أَشْكَلَ عَلَيْهِمْ أَمْرٌ جَاءُوكَ، فَفَصَلْتَ بَيْنَهُمْ مَا أَشْكَلَ عَلَيْهِمْ، فَفَعَلَ ذَلِكَ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالُوا: وَدَخَلَ بَنُو إِسْرَائِيلَ الْبَرِّيَّةَ، عِنْدَ سَيْنَاءَ فِي الشَّهْرِ الثَّالِثِ مِنْ خُرُوجِهِمْ مِنْ مِصْرَ، وَكَانَ خُرُوجُهُمْ فِي أَوَّلِ السَّنَةِ الَّتِي شُرِعَتْ لَهُمْ، وَهِيَ أَوَّلُ فَصْلِ الرَّبِيعِ. فَكَأَنَّهُمْ دَخَلُوا التِّيهَ فِي أَوَّلِ فَصْلِ الصَّيْفِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالُوا: وَنَزَلَ بَنُو إِسْرَائِيلَ حَوْلَ طُورِ سَيْنَاءَ، وَصَعِدَ مُوسَى الْجَبَلَ، فَكَلَّمَهُ رَبُّهُ، وَأَمَرَهُ أَنْ يُذَكِّرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ مَا أَنْعَمَ اللَّهُ بِهِ عَلَيْهِمْ مِنْ إِنْجَائِهِ إِيَّاهُمْ مِنْ فِرْعَوْنَ وَقَوْمِهِ، وَكَيْفَ حَمَلَهُمْ عَلَى مِثْلِ جَنَاحَيْ نِسْرٍ مِنْ يَدِهِ وَقَبْضَتِهِ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْمُرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ بِأَنْ يَتَطَهَّرُوا وَيَغْتَسِلُوا وَيَغْسِلُوا ثِيَابَهُمْ وَلْيَسْتَعِدُّوا إِلَى الْيَوْمِ الثَّالِثِ، فَإِذَا كَانَ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ فَلْيَجْتَمِعُوا حَوْلَ الْجَبَلِ، وَلَا يَقْتَرِبَنَّ أَحَدٌ مِنْهُمْ إِلَيْهِ، فَمَنْ دَنَا مِنْهُ قُتِلَ، حَتَّى وَلَا شَيْءٌ مِنَ الْبَهَائِمِ، مَا دَامُوا يَسْمَعُونَ صَوْتَ الْقَرْنِ، فَإِذَا سَكَنَ الْقَرْنُ فَقَدْ حَلَّ لَكُمْ أَنْ تَرْتَقُوهُ، فَسَمِعَ بَنُو إِسْرَائِيلَ ذَلِكَ، وَأَطَاعُوا، وَاغْتَسَلُوا، وَتَنَظَّفُوا، وَتَطَيَّبُوا، فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الثَّالِثُ رَكِبَ الْجَبَلَ غَمَامَةٌ عَظِيمَةٌ، وَفِيهَا أَصْوَاتٌ وَبُرُوقٌ، وَصَوْتُ الصُّورِ شَدِيدٌ جِدًّا، فَفَزِعَ بَنُو إِسْرَائِيلَ مِنْ ذَلِكَ فَزَعًا شَدِيدًا، وَخَرَجُوا فَقَامُوا فِي سَفْحِ الْجَبَلِ، وَغَشِيَ الْجَبَلَ دُخَانٌ عَظِيمٌ فِي وَسَطِهِ عَمُودُ نُورٍ، وَتَزَلْزَلَ الْجَبَلُ كُلُّهُ زَلْزَلَةً شَدِيدَةً، وَاسْتَمَرَّ صَوْتُ الصُّورِ، وَهُوَ الْبُوقُ، وَاشْتَدَّ، وَمُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَوْقَ الْجَبَلِ، وَاللَّهِ يُكَلِّمُهُ وَيُنَاجِيهِ، وَأَمَرَ الرَّبُّ، عَزَّ وَجَلَّ، مُوسَى أَنْ يَنْزِلَ، فَيَأْمُرَ بَنِي
পৃষ্ঠা - ৬৪৯


এগুলোর দিকে লক্ষ্য করলো এবং এগুলোতে পরিবর্তন সাধন করল, কোন কোনটা একেবারে
বদল করে দিল; আবার কোন কােনটার মনগড়া ব্যাখ্যা দান করতে লাগল ৷ তারপর এগুলোকে
একেবারেই তারা ছেড়ে দিল ৷ এরুপ এসব নির্দেশ এককালে পুর্ণরুপে চালু থাকার পর
পরিবর্তিত ও বর্জিত হয়ে যায় ৷ পুর্বে ও পরে আল্লাহ৩ তা অড়ালার হুকুমই বলবৎ থ৷ ৷কবে, তিনিই
যা ইচ্ছে হুকুম করে থাকেন এবং যা ইচ্ছে করে থাকেন, তারই হাতে সৃষ্টি ও আদেশের মুল

চাবিকাঠি ৷ জগতের প্রতিপালক আল্ল হই বয়কত ময় ৷ অন্যত্র আল্লাহ তা আল৷ ইরশাদ করেন :

;)

এে,;,


দ্বুছো ; ৷ ,

হে বনী ইসরাঈল৷ আমি তো তোমাদেরকে শত্রু থেকে উদ্ধার করেছিলাম আমি
তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তুর পর্বতে র দক্ষিণ পার্শে এবং তোমাদের কাছে মান্ন৷ ও
সালওয়া প্রেরণ করেছিলাম, তােমাদেরকে যা দান করেছি তা হতে ভাল ভাল বস্তু আহার কর
এবং এ বিষয়ে সীমাল্ৎঘন করো না, করলে তোমাদের উপর আমার ক্রে৷ ধ অবধারিত এবং যার
উপর আমার ক্রোধ অবধারিত সে তো ধ্বংস হয়ে যায় ৷ আমি অবশ্যই ক্ষমাশীলও ৷র প্ৰতি, যে

তওরা করে ঈমান আনে, সৎকর্ম করে ও সৎপথে অবিচলিত থাকে ৷ (সুরা তা-হাং ; ৮০-৮২)
আল্লাহ তাআলা বনী ইসরাঈলের প্রতি যে দয়া ও অনুগ্রহ করেছিলেন সেগুলোর সংক্ষিপ্ত
বর্ণনা এখানে দিচ্ছেন ৷ তিনি তাদেরকে শত্রু থেকে রক্ষা করেছিলেন, ৰিপদ-আপদ ও সংকীর্ণ
অবস্থা থেকে রেহাই দিয়েছিলেন ৷ আর তাদেরকে তুর পর্বতের দক্ষিণ পার্শে তাদের নবী মুসা
(আ)-এব সঙ্গ দান করার জন্যে অংপীকার করেছিলেন যাতে তিনি তাদের দুনিয়া ও আখিরাতের
উপকারের জন্যে গুরুত্বপুর্ণ বিধান অবতীর্ণ করতে পারেন ৷ আর অড়াল্লাহ্ তা আলা তাদের উপর
মান্ন৷ আসমান থেকে প্রতি প্রভু ৷ষে নাযিল করেন ৷৩ তাদের জন্যে অতি প্রয়োজনের বেলায় কঠিন
সময়ে এমন ভুমিতে ভ্রমণ ও অবস্থানকালে যেখানে কোন প্রকার ফসলাদি ও দৃধেল প্রাণী ছিল
না, প্রতিদিন সকা নেতারা মান্ন৷ ঘরের মাঝেই পেয়ে যেত এবং তাদের প্রয়োজন মুতাবিক রেখে
দিত যাতে ঐদিনের সকাল হতে ৩আগড়ামী দিনের ঐ সময় পর্যন্ত তাদের খাওয়া দাওয়৷ চলে ৷ যে
ব্যক্তি এরুপ প্রয়োজনের অতিরিক্ত সঞ্চয় করে রাখত তা নষ্ট হয়ে যেত; আর যে কম গ্রহণ
করত এটাই তার জন্যে যথেষ্ট হত; যে অতিরিক্ত নিত তাও অবশিষ্ট থাকতো না ৷ মান্ন৷ তারা
রুটির মত করে তৈরি করত এটা ছিল ধবৃধবে সাদা এবং অতি মিষ্ট ৷ দিনের শেষ বেলা
সালওয়া নামক পাখি তাদের কাছে এসে যেত, রাতের খাবারের প্রয়োজন মত পরিমাণ পাখি
তারা অনায়াসে শিকার করত গ্রীষ্মক ল দেখা ৷দিলে আল্লাহ্ তা আল৷ তাদের উপর যেঘখণ্ড
প্রেরণ করে ছায়া দান করতেন ৷ এই মেঘখণ্ড তাদেরকে সুর্যের প্রখর৩ ৷ ও উত্তা ৷প থেকে রক্ষা

করত ৷


إِسْرَائِيلَ أَنْ يَقْتَرِبُوا مِنَ الْجَبَلِ; لِيَسْمَعُوا وَصِيَّةَ اللَّهِ، وَيَأْمُرَ الْأَحْبَارَ، وَهُمْ عُلَمَاؤُهُمْ، أَنْ يَدْنُوا فَيَصْعَدُوا الْجَبَلَ; لِيَتَقَدَّمُوا بِالْقُرْبِ - وَهَذَا نَصٌّ فِي كِتَابِهِمْ عَلَى وُقُوعِ النَّسْخِ لَا مَحَالَةَ - فَقَالَ مُوسَى: يَا رَبِّ إِنَّهُمْ لَا يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يَصْعَدُوهُ، وَقَدْ نَهَيْتَهُمْ عَنْ ذَلِكَ فَأَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى أَنْ يَذْهَبَ، فَيَأْتِيَ مَعَهُ بِأَخِيهِ هَارُونَ، وَلْيَكُنِ الْكَهَنَةُ، وَهُمُ الْعُلَمَاءُ، وَالشَّعْبُ، وَهُمْ بَقِيَّةُ بَنِي إِسْرَائِيلَ، غَيْرَ بَعِيدٍ. فَفَعَلَ مُوسَى، وَكَلَّمَهُ رَبُّهُ عَزَّ وَجَلَّ، فَأَمَرَهُ حِينَئِذٍ بِالْعَشْرِ كَلِمَاتٍ. وَعِنْدَهُمْ; أَنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ سَمِعُوا كَلَامَ اللَّهِ، وَلَكِنْ لَمْ يَفْهَمُوا حَتَّى فَهَّمَهُمْ مُوسَى، وَجَعَلُوا يَقُولُونَ لِمُوسَى: بَلِّغْنَا أَنْتَ عَنِ الرَّبِّ، فَإِنَّا نَخَافُ أَنْ نَمُوتَ. فَبَلَّغَهُمْ عَنْهُ، فَقَالَ هَذِهِ الْعَشْرُ الْكَلِمَاتِ; وَهِيَ الْأَمْرُ بِعِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَالنَّهْيُ عَنِ الْحَلِفِ بِاللَّهِ كَاذِبًا، وَالْأَمْرُ بِالْمُحَافَظَةِ عَلَى السَّبْتِ، وَمَعْنَاهُ تَفَرُّغُ يَوْمٍ مِنَ الْأُسْبُوعِ لِلْعِبَادَةِ. وَهَذَا حَاصِلٌ بِيَوْمِ الْجُمُعَةِ، الَّذِي نَسَخَ اللَّهُ بِهِ السَّبْتَ، أَكْرِمْ أَبَاكَ وَأُمَّكَ، لِيَطُولَ عُمْرُكَ فِي الْأَرْضِ، الَّذِي يُعْطِيكَ اللَّهُ رَبُّكَ، لَا تَقْتُلْ، لَا تَزْنِ، لَا تَسْرِقْ، لَا تَشْهَدْ عَلَى صَاحِبِكَ شَهَادَةَ زُورٍ، لَا تَمُدَّ عَيْنَكَ إِلَى بَيْتِ صَاحِبِكَ، وَلَا تَشْتَهِ امْرَأَةَ صَاحِبِكَ، وَلَا عَبْدَهُ، وَلَا أَمَتَهُ، وَلَا ثَوْرَهُ، وَلَا حِمَارَهُ، وَلَا شَيْئًا مِنَ الَّذِي لِصَاحِبِكَ، وَمَعْنَاهُ النَّهْيُ عَنِ الْحَسَدِ. وَقَدْ قَالَ كَثِيرٌ مِنْ عُلَمَاءِ السَّلَفِ وَغَيْرِهِمْ: مَضْمُونُ هَذِهِ الْعَشْرِ الْكَلِمَاتِ
পৃষ্ঠা - ৬৫০

)
া,১দ্বুন্নু; ১া, ন্ওর্দ্রপুাৰুপ্রু ৷ঘ্রঠুৰু , ৷ ৷ ট্রু;, ৷ , ;,,র্দু , ’ fl ৷ § ণ্ও;হ্£


“হে বনী ইসরাঈল আমার যে অনুগ্নহকে৩ ৫৩ আেরা স্মরণ কর যা দিয়ে আমি তােমাদেরকে
অনুগৃ৩ ৩করেছি এবং আমার সঙ্গে তোমাদের অঙ্গীকার পুর্ণ কর ৷ আমিও তোমাদের সঙ্গে
আমার অঙ্গীকার পুর্ণ করব এবং ৫৩ আেরা শুধু আমাকেই ভয় কর ৷ আমি যা অবতীর্ণ করেছি
তাতে ঈমান আন ৷ এটা তোমাদের কাছে যা আছে তার প্রত্যয়নকারী ৷ আর ভোমরাই এটার
প্রথম প্রত্যাখ্যানকারী হয়াে না এবং আমার আঘাতের বিনিময়ে তুচ্ছ মুল্য গ্রহণ করবে না ৷
তোমরা শুধু আমাকেই ভয় করবে ৷” (সুরা বাকারা : ৪ :-৪ ১)

এরপর আল্লাহ্ তাআ লা ইরশাদ করেন :










এএে গ্রপুহাহ্রন্

,

অর্থাৎ হে বনী ইসরা ঈল! আমার সেই অনুগ্রহকে স্মরণ কর, যা দ্বারা আমি তােমাদেরকে
অনুগৃহীত করেছিলাম এবং বিশ্বে সবার উপরে শ্রেষ্ঠতৃ দিয়েছিলাম ৷ তোমরা সে দিনকে ভয় কর


فِي آيَتَيْنِ مِنَ الْقُرْآنِ، وَهُمَا قَوْلُهُ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الْأَنْعَامِ " {قُلْ تَعَالَوْا أَتْلُ مَا حَرَّمَ رَبُّكُمْ عَلَيْكُمْ أَلَّا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُمْ مِنْ إِمْلَاقٍ نَحْنُ نَرْزُقُكُمْ وَإِيَّاهُمْ وَلَا تَقْرَبُوا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَلَا تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ ذَلِكُمْ وَصَّاكُمْ بِهِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ - وَلَا تَقْرَبُوا مَالَ الْيَتِيمِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ حَتَّى يَبْلُغَ أَشُدَّهُ وَأَوْفُوا الْكَيْلَ وَالْمِيزَانَ بِالْقِسْطِ لَا نُكَلِّفُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا وَإِذَا قُلْتُمْ فَاعْدِلُوا وَلَوْ كَانَ ذَا قُرْبَى وَبِعَهْدِ اللَّهِ أَوْفُوا ذَلِكُمْ وَصَّاكُمْ بِهِ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ - وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ وَلَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيلِهِ ذَلِكُمْ وَصَّاكُمْ بِهِ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ} [الأنعام: 151 - 153] [الْأَنْعَامِ: 151 - 153] . وَذَكَرُوا بَعْدَ الْعَشْرِ الْكَلِمَاتِ وَصَايَا كَثِيرَةً، وَأَحْكَامًا مُتَفَرِّقَةً عَزِيزَةً، كَانَتْ فَزَالَتْ وَعُمِلَ بِهَا حِينًا مِنَ الدَّهْرِ، ثُمَّ طَرَأَ عَلَيْهَا عِصْيَانٌ مِنَ الْمُكَلَّفِينَ بِهَا ثُمَّ عَمَدُوا إِلَيْهَا فَبَدَّلُوهَا، وَحَرَّفُوهَا، وَأَوَّلُوهَا. ثُمَّ بَعْدَ ذَلِكَ كُلِّهِ سَلَبُوهَا، فَصَارَتْ مَنْسُوخَةً مُبَدَّلَةً، بَعْدَ مَا كَانَتْ مَشْرُوعَةً مُكَمِّلَةً، فَلِلَّهِ الْأَمْرُ مِنْ قَبْلُ وَمِنْ بَعْدُ، وَهُوَ الَّذِي يَحْكُمُ مَا يَشَاءُ، وَيَفْعَلُ مَا يُرِيدُ، أَلَّا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ، تَبَارَكَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ. وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ قَدْ أَنْجَيْنَاكُمْ مِنْ عَدُوِّكُمْ وَوَاعَدْنَاكُمْ جَانِبَ الطُّورِ الْأَيْمَنَ وَنَزَّلْنَا عَلَيْكُمُ الْمَنَّ وَالسَّلْوَى - كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتٍ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَلَا تَطْغَوْا فِيهِ فَيَحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبِي وَمَنْ يَحْلِلْ عَلَيْهِ غَضَبِي فَقَدْ هَوَى - وَإِنِّي لَغَفَّارٌ لِمَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدَى} [طه: 80 - 82] [طه: 80 - 82] . يَذْكُرُ تَعَالَى مِنَّتَهُ
পৃষ্ঠা - ৬৫১


যেদিন কেউ কারো কোন কাজে আসবে না, কারো সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না এবং কারো
নিকট থেকে বিনিময় গৃহীত হবে না এবং তারা কোন প্রকার সাহায্য প্রাপ্তও হবে না ৷ স্মরণ কর,
যখন আমি ফিরআউনী সম্প্রদায়ের করল থেকে তােমড়াদেরকে নিকৃতি দিয়েছিলাম, যারা

তোমাদের পুত্রদেরকে যবেহ করে ও তোমাদের নারীদেরকে জীবিত রেখে তোমাদেরকে
মর্মান্তিক যস্ত্রণ৷ দিত; এবং এতে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এক মহাপরীক্ষা ছিল;
যখন তোমাদের জন্য সাগরকে বিভক্ত করেছিলাম এবং তোমাদেরকে উদ্ধার করেছিলাম ও
ফিরআউনী সম্প্রদায়কে নিমজ্জিত করেছিলাম আর তোমরা তা প্রত্যক্ষ করেছিলে ৷ যখন মুসার
জন্যে, চল্লিশ রাত নির্ধারিত করেছিলাম, তার প্ৰস্থানের পর তোমরা তখন রাছুরকে উপাস্যরুপে
গ্রহণ করেছিলে ৷ তোমরা তো জালিম ৷ এরপরও আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছি যাতে তোমরা
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর ৷ আর যখন আমি মুসাকে কিতাব ও ফুরকান দান করেছিলাম যাতে
তোমরা হিদায়াতপ্রাপ্ত হও ৷ আর যখন মুসা আপন সম্প্রদায়ের লোককে বলল, হে আমার
সম্প্রদায়! বাছুরকে উপাস্যরুপে গ্রহণ করে তোমরা নিজেদের প্ৰতি ঘোর অত্যাচার করেছ ৷
সুতরাং তোমরা তোমাদের স্রষ্টার পানে ফিরে যাও এবং তোমরা নিজেদেরকে হত্যা কর ৷
তোমাদের স্রষ্টার কাছে এটাই শ্রেয় ৷ তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমাপররশ হবেন ৷ তিনি অত্যত
ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ৷ যখন তোমরা রলেছিলে, হে মুসা ৷ আমরা আল্লাহকে প্ৰত্যক্ষভাবে না
দেখা পর্যন্ত তোমাকে কখনও বিশ্বাস করব না, তখন তোমরা রজ্বাহত হয়েছিলে আর তোমরা
নিজেরাই দেখছিলে ৷৩ তারপর মৃত্যুর পর আমি তােমড়াদেরকে পুনর্জীবিত করলাম যাতে তোমরা
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর ৷ অ ৷মি মেঘ দ্বারা তোমাদের উপর ছায়া বিস্তার করলাম ৷ ওে ৷মাদের নিকট
মান্না ও সালওয়৷ প্রেরণ করলাম ৷ রলেছিলড়াম, তোমাদেরকে ভাল যা দান করেছি তা হতে
আহড়ার কর ৷ তারা আমার প্রতি কে ন জুলুম করে নাই বরং তারা তাদের প্ৰতিই জুলুম
করেছিল ৷ (সুরা রড়াকারা : ৭ ৫ ৭)

অতঃপর আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন :

’ ব্লুহুর্চু১১হু ৷ ১ ৷
ষ্চুষ্ট্র, , ৷^১রুহ্র১কুা৷দ্বু ৷দ্বুপুর্বৃ ণ্ছুর্চুদ্বুটুণ্ডুদ্বু১ ,১ধোক্ট্রহ্র )হ্র,১; ১১ é;£ হুদ্বু১হু১ছু ৷ ১১া

ার্চুএব্লু১এে ১১াদ্বুষ্ট্রর্ডর্দুষ্
এন্;র্দ্রও
শুর্দু১১ ৷ স্পে১; পুএ,শু ট্রু “’ং“ার্দ্র fl ন্হ্রপু ৷ র্চুর্চু১পুন্১ ৷ স্পো ৷ র্দুপুছু
পু>মোঃ ৰুাশু৷ ;ন্র্চ১ ১ওদ্বুকুন্হ্র১র্শ্ব ৷দ্বু১’এে ;পু€পু, গ্রা১ ;এা৷ ;হুৰুণ্ মোঃশু ওট্টএেও

স্মরণ কর, যখন মুসা তার সম্প্রদায়ের জন্য পানি প্রার্থনা করল ৷ আমি রললাম, তোমরা

লাঠি দ্বারা পাথরে আঘাত কর , ফলে তাখেকে বারটি ঝরনা প্রবাহিত হল ! প্রতোক গোত্র নিজ



وَإِحْسَانَهُ إِلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ، بِمَا أَنْجَاهُمْ مِنْ أَعْدَائِهِمْ، وَخَلَّصَهُمْ مِنَ الضِّيقِ وَالْحَرَجِ، وَأَنَّهُ وَعَدَهُمْ صُحْبَةَ نَبِيِّهِمْ كَلِيمِهِ إِلَى جَانِبِ الطُّورِ الْأَيْمَنِ، أَيْ مِنْهُمْ لِيُنَزِّلَ عَلَيْهِ أَحْكَامًا عَظِيمَةً فِيهَا مُصْلِحَةٌ لَهُمْ فِي دُنْيَاهُمْ وَأُخْرَاهُمْ، وَأَنَّهُ تَعَالَى أَنْزَلَ عَلَيْهِمْ فِي حَالِ شِدَّتِهِمْ وَضَرُورَتِهِمْ، فِي سَفَرِهِمْ فِي الْأَرْضِ الَّتِي لَيْسَ فِيهَا زَرْعٌ وَلَا ضَرْعٌ، مِنَّا مِنَ السَّمَاءِ، يُصْبِحُونَ فَيَجِدُونَهُ خِلَالَ بُيُوتِهِمْ، فَيَأْخُذُونَ مِنْهُ قَدْرَ حَاجَتِهِمْ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ إِلَى مِثْلِهِ مِنَ الْغَدِ، وَمَنِ ادَّخَرَ مِنْهُ لِأَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ فَسَدَ، وَمَنْ أَخَذَ مِنْهُ قَلِيلًا كَفَاهُ، أَوْ كَثِيرًا لَمْ يَفْضُلْ عَنْهُ، فَيَصْنَعُونَ مِنْهُ مِثْلَ الْخُبْزِ، وَهُوَ فِي غَايَةِ الْبَيَاضِ وَالْحَلَاوَةِ، فَإِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ النَّهَارِ غَشِيَهُمْ طَيْرُ السَّلْوَى، فَيَقْتَنِصُونَ مِنْهُ بِلَا كُلْفَةٍ مَا يَحْتَاجُونَ إِلَيْهِ حَسَبَ كِفَايَتِهِمْ لِعَشَائِهِمْ، وَإِذَا كَانَ فَصْلُ الصَّيْفِ ظَلَّلَ اللَّهُ عَلَيْهِمُ الْغَمَامَ، وَهُوَ السَّحَابُ الَّذِي يَسْتُرُ عَنْهُمْ حَرَّ الشَّمْسِ، وَضَوْءَهَا الْبَاهِرَ. كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الْبَقَرَةِ ": {يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ اذْكُرُوا نِعْمَتِيَ الَّتِي أَنْعَمْتُ عَلَيْكُمْ وَأَوْفُوا بِعَهْدِي أُوفِ بِعَهْدِكُمْ وَإِيَّايَ فَارْهَبُونِ - وَآمِنُوا بِمَا أَنْزَلْتُ مُصَدِّقًا لِمَا مَعَكُمْ وَلَا تَكُونُوا أَوَّلَ كَافِرٍ بِهِ وَلَا تَشْتَرُوا بِآيَاتِي ثَمَنًا قَلِيلًا وَإِيَّايَ فَاتَّقُونِ} [البقرة: 40 - 41] [الْبَقَرَةِ: 40، 41] . إِلَى أَنْ قَالَ: {وَإِذْ نَجَّيْنَاكُمْ مِنْ آلِ فِرْعَوْنَ يَسُومُونَكُمْ سُوءَ الْعَذَابِ يُذَبِّحُونَ أَبْنَاءَكُمْ وَيَسْتَحْيُونَ نِسَاءَكُمْ وَفِي ذَلِكُمْ بَلَاءٌ مِنْ رَبِّكُمْ عَظِيمٌ - وَإِذْ فَرَقْنَا بِكُمُ الْبَحْرَ فَأَنْجَيْنَاكُمْ وَأَغْرَقْنَا آلَ فِرْعَوْنَ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ - وَإِذْ وَاعَدْنَا مُوسَى أَرْبَعِينَ لَيْلَةً ثُمَّ اتَّخَذْتُمُ الْعِجْلَ مِنْ بَعْدِهِ وَأَنْتُمْ ظَالِمُونَ - ثُمَّ عَفَوْنَا عَنْكُمْ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ - وَإِذْ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ وَالْفُرْقَانَ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ - وَإِذْ قَالَ مُوسَى لِقَوْمِهِ يَا قَوْمِ إِنَّكُمْ ظَلَمْتُمْ أَنْفُسَكُمْ بِاتِّخَاذِكُمُ الْعِجْلَ فَتُوبُوا إِلَى بَارِئِكُمْ فَاقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ عِنْدَ بَارِئِكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ - وَإِذْ قُلْتُمْ يَا مُوسَى لَنْ نُؤْمِنَ لَكَ حَتَّى نَرَى اللَّهَ جَهْرَةً فَأَخَذَتْكُمُ الصَّاعِقَةُ وَأَنْتُمْ تَنْظُرُونَ - ثُمَّ بَعَثْنَاكُمْ مِنْ بَعْدِ مَوْتِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ - وَظَلَّلْنَا عَلَيْكُمُ الْغَمَامَ وَأَنْزَلْنَا عَلَيْكُمُ الْمَنَّ وَالسَّلْوَى كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَمَا ظَلَمُونَا وَلَكِنْ كَانُوا أَنْفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ} [البقرة: 49 - 57] [الْبَقَرَةِ: 49 - 57] .
পৃষ্ঠা - ৬৫২


নিজ পান-ন্থান চিনে নিল ৷ আমি বাংলায়, আল্লাহ্ প্রদত্ত জীবিকা হতে তোমরা পানাহার কর
এবং দৃকৃতকারীরুপে পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে বেড়াবে না ৷ ’ যখন তোমরা বলেছিলে, “হে
মুসা ! আমরা একই রকম খাদ্যে কখনও ধৈর্যধারণ করব না ৷ সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের
কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা কর তিনি যেন ভুমিজাত দ্রব্য, শাক-সনৃজি, ফীকুড় , গম, মসৃর ও
পিয়াজ আমাদের জন্য উৎপাদন করেন ৷ ’ মুসা বলল, তোমরা কি উংকৃষ্টতর বস্তুকে নিকৃষ্টতর
বস্তুর সাথে বদল করতে চাও ? তবে কোন নগরে অবতরণ কর ৷ তোমরা যা চাও তা সেখানে
রয়েছে ৷ আর তারা লাঞ্চুনা ও দারিদ্র্যগ্রস্ত হল ও তারা আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হলো ৷ এটা
এজন্য যে, তারা আল্লাহ্র আয়াতকে অস্বীক৷ ৷র করত এবং নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করতা
অবাধ্যত৷ ও সীমালৎঘ ঘন করবার জন্যই তাদের এই পরিণতি হয়েছিল ৷ (সুরা বাকারা৪
৬০ ৬ ১ )

এখানে আল্লাহ তাআলা বনী ইসরাঈলকে যেসব নিয়ামত দান করেছেন ও অনুগ্রহ করেছেন
তার বর্ণনা দিয়েছেন ৷ আল্লাহ্ত তা জানা তাদেরকে দৃ’টো সুস্বাদৃ খাবার বিনাকষ্টে ও পরিশ্রমে
সহজ্যাভ্য করে দিয়েছিলেন ৷ প্রতিদিন ভোরে আল্লাহ তা আলা তাদের জন্যে মান্ন৷ অবতীর্ণ
করতেন এবং সন্ধ্যার সময় সালওয়া নামক পাখি প্রেরণ করতেন ৷ মুসা (আ )-এর লাঠি দ্বারা
পাথরে আঘাত করার ফলে তাদের জন্যে আল্লাহ তাআলা পানি প্রবাহিত করে দিয়েছিলেন ৷
তারা এই পাথরটিকে তাদের সাথে লাঠি সহকারে বহন করত ৷ এই পা ৷থর থেকে বারটি প্রস্রবণ
প্রবাহিত হত; প্রতিটি গোত্রের জন্যে একটি প্রস্রবণ নির্ধারিত ছিল ৷ এই প্রস্রবণগুলো পরিষ্কার ও
স্বচ্ছ পানি প্রবাহিত করত ৷ তারা নিজেরা পান করত ও তাদের প্রাণীদেরকে পানি পান করতে
এবং তারা প্রয়োজনীয় পানি জমা করেও রাখত ৷ উত্তাগ থেকে বীচাবার জন্যে মেঘ দ্বারা
তাদেরকে আল্লাহ তাআলা ছায়া দান করেছিলেন ৷ আল্লাহ তাআলার তরফ হতে তাদের জন্যে
ছিল এগুলো বড় বড় নিয়ামত ও দান, তবে তারা এগুলোর পুর্ণ মর্যাদা অনুধাবন করেনি এবং
এগুলোর জন্যে যথাযােগ্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেনি ৷ আর যথাযথভাবে ইবাদতও তারা আঞ্জাম
দেয়নি ৷ অতঃপর তাদের অনেকেই এসব নিয়ামতের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করল ৷ এগুলোর প্রতি
অধৈর্য হয়ে উঠল এবং চাইল যাতে তাদেরকে এগুলো পরিবর্ভা করে দেয়৷ হয় ৷ এমন সব বস্তু
যা ভুমি উৎপন্ন করে যেমন শাক, সবজি, ফীকুড়, গম, মসুর ও পিয়াজ ইত্যাদি ৷ এ কথার জন্যে
মুসা (আ) তাদেরকে ভৎসনা করলেন এবং ধমক দিলেন, তাদের সতর্ক করে বললেন ং
অর্থাৎ--ছোট-বড় নির্বিশেষে সকল শহরেরত্মধিবাসীর জন্য অর্জিত উৎকৃষ্ট নিয়ামতসমুহের
পরিবর্তে কি তোমরা নিকৃষ্টতর বস্তু চা ও? তাহলে তোমরা যেসব বস্তু ও মর্যাদার উপযুক্ত নও
তার থেকে অবতরণ করে তোমরা যে ধরনের নিকৃষ্ট মানের খাদ্য খাবার চাও তা তোমরা অর্জন
করতে পারবে ৷ তবে আমি তোমাদের আবদারের প্রতি সাড়া দিচ্ছি না এবং তোমরা যে ধরনের
আকাঙক্ষা পোষণ করছ তাও আল্লাহ্ তাআলার দরবারে আপাতত পৌছাচ্ছি না ৷ উপরোক্ত
যেসব আচরণ তাদের থেকে পরিলক্ষিত হয়েছে তা থেকে বোঝা যায় যে, মুসা (আ) তাদেরকে
যেসব কাজ থেকে বিরত রাখতে ইচ্ছে করেছিলেন তা থেকে তারা বিরত থাকেনি ৷


إِلَى أَنْ قَالَ: {وَإِذِ اسْتَسْقَى مُوسَى لِقَوْمِهِ فَقُلْنَا اضْرِبْ بِعَصَاكَ الْحَجَرَ فَانْفَجَرَتْ مِنْهُ اثْنَتَا عَشْرَةَ عَيْنًا قَدْ عَلِمَ كُلُّ أُنَاسٍ مَشْرَبَهُمْ كُلُوا وَاشْرَبُوا مِنْ رِزْقِ اللَّهِ وَلَا تَعْثَوْا فِي الْأَرْضِ مُفْسِدِينَ - وَإِذْ قُلْتُمْ يَا مُوسَى لَنْ نَصْبِرَ عَلَى طَعَامٍ وَاحِدٍ فَادْعُ لَنَا رَبَّكَ يُخْرِجْ لَنَا مِمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ مِنْ بَقْلِهَا وَقِثَّائِهَا وَفُومِهَا وَعَدَسِهَا وَبَصَلِهَا قَالَ أَتَسْتَبْدِلُونَ الَّذِي هُوَ أَدْنَى بِالَّذِي هُوَ خَيْرٌ اهْبِطُوا مِصْرًا فَإِنَّ لَكُمْ مَا سَأَلْتُمْ وَضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ الذِّلَّةُ وَالْمَسْكَنَةُ وَبَاءُوا بِغَضَبٍ مِنَ اللَّهِ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَانُوا يَكْفُرُونَ بِآيَاتِ اللَّهِ وَيَقْتُلُونَ النَّبِيِّينَ بِغَيْرِ الْحَقِّ ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ} [البقرة: 60 - 61] [الْبَقَرَةِ: 60، 61] . يَذْكُرُ تَعَالَى إِنْعَامَهُ عَلَيْهِمْ، وَإِحْسَانَهُ إِلَيْهِمْ بِمَا يَسَّرَ لَهُمْ مِنَ الْمَنِّ وَالسَّلْوَى طَعَامَيْنِ شَهِيَّيْنِ بِلَا كُلْفَةٍ وَلَا سَعْيٍ لَهُمْ فِيهِ، بَلْ يُنَزِّلُ اللَّهُ الْمَنَّ بَاكِرًا، وَيُرْسِلُ عَلَيْهِمْ طَيْرَ السَّلْوَى عَشِيًّا، وَأَنْبَعَ الْمَاءَ لَهُمْ بِضَرْبِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، حَجَرًا كَانُوا يَحْمِلُونَهُ مَعَهُمْ، بِالْعَصَا فَتَفَجَّرَ مِنْهُ اثْنَتَا عَشْرَةَ عَيْنًا، لِكُلِّ سِبْطٍ عَيْنٌ مِنْهُ تَنْبَجِسُ ثُمَّ تَنْفَجِرُ مَاءً زُلَالًا، فَيَسْتَقُونَ وَيَشْرَبُونَ وَيَسْقُونَ دَوَابَّهُمْ، وَيَدَّخِرُونَ كِفَايَتَهُمْ. وَظَلَّلَ عَلَيْهِمُ الْغَمَامَ مِنَ الْحَرِّ. وَهَذِهِ نِعَمٌ مِنَ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৬৫৩


যেমন আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন :

১৷ এ
এ বিষয়ে সীমালংঘন করবে না, করলে তোমাদের উপর আমার ৫ক্রাধ্ অবধারিত এবং যার
উপর আমার ৫ক্রাধ অবধারিত সে তো ধ্বংস হয়ে যায় ৷ (সুরা তা-হা ও ৮১)

বনী ইসরাঈলের উপর মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলার গযব অবধারিত হয়েছিল ৷ তবে
আল্লাহ্ তাআলা এরুপ কঠোর শাস্তিকে আশা-আকাস্ফোর সাথেও সম্পৃক্ত করেছেন, ঐ ব্যক্তির
ক্ষেত্রে যে আল্লাহ্ তাআলার প্রতি প্রত্যাবর্তন করে ও পাপরাশি থেকে তওবা করে এবং

বিতাড়িত শয়তানের অনুসরণে আর লিপ্ত না থাকে ৷ আল্লাহ তা’ আলা বলেন০ ং



আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল তার প্রতি যে তওবা করে, ঈমান আসে সৎকর্ম করে ও সৎপখে
অবিচলিত থাকে ৷ (সুরা তা-হা : ৮২)

আল্লাহ্ৱ দীদার লাভের জন্য মুসা (আ)-এর প্রার্থনা

আল্পাহ্ তাআলা ইরশার্দ করেন :




ট্রুপুছুদ্বুা

মোঃ

)




;র্চুৰুঠুব্লুাপুণ্ড্র৷ ৷




এওব্র;৬ন্ৰুট্টর্ন্ত ৰু৷ ” এেইশ্র ৷ ধ্ান্ন্ন্

লোঃঢ়প্রু ৷;£র্দ্রব্রও


عَظِيمَةٌ وَعَطِيَّاتٌ جَسِيمَةٌ، فَمَا رَعَوْهَا حَقَّ رِعَايَتِهَا، وَلَا قَامُوا بِشُكْرِهَا وَحَقِّ عِبَادَتِهَا، ثُمَّ ضَجِرَ كَثِيرٌ مِنْهَا وَتَبَرَّمُوا بِهَا، وَسَأَلُوا أَنْ يَسْتَبْدِلُوا مِنْهَا بِبَدَلِهَا، مِمَّا تَنْبُتُ الْأَرْضُ مِنْ بَقْلِهَا، وَقِثَّائِهَا، وَفُومِهَا، وَعَدَسِهَا، وَبَصَلِهَا. فَقَرَّعَهُمُ الْكَلِيمُ، وَوَبَّخَهُمْ وَأَنَّبَهُمْ عَلَى هَذِهِ الْمَقَالَةِ، وَعَنَّفَهُمْ قَائِلًا: {أَتَسْتَبْدِلُونَ الَّذِي هُوَ أَدْنَى بِالَّذِي هُوَ خَيْرٌ اهْبِطُوا مِصْرًا فَإِنَّ لَكُمْ مَا سَأَلْتُمْ} [البقرة: 61] أَيْ; هَذَا الَّذِي تَطْلُبُونَهُ وَتُرِيدُونَهُ بَدَلَ هَذِهِ النِّعَمِ الَّتِي أَنْتُمْ فِيهَا، حَاصِلٌ لِأَهْلِ الْأَمْصَارِ الصِّغَارِ وَالْكِبَارِ، مَوْجُودٌ بِهَا، وَإِذَا هَبَطْتُمْ إِلَيْهَا، أَيْ; وَنَزَلْتُمْ عَنْ هَذِهِ الْمَرْتَبَةِ الَّتِي لَا تَصْلُحُونَ لِمَنْصِبِهَا، تَجِدُوا بِهَا مَا تَشْتَهُونَ، وَمَا تَرُومُونَ مِمَّا ذَكَرْتُمْ مِنَ الْمَآكِلِ الدَّنِيَّةِ وَالْأَغْذِيَةِ الرَّدِيَّةِ، وَلَكِنِّي لَسْتُ أُجِيبُكُمْ إِلَى سُؤَالِكُمْ ذَلِكَ هَاهُنَا، وَلَا أُبَلِّغُكُمْ مَا تَعَنَّتُّمْ بِهِ مِنَ الْمُنَى، وَكُلُّ هَذِهِ الصِّفَاتِ الْمَذْكُورَةِ عَنْهُمُ الصَّادِرَةِ مِنْهُمْ، تَدُلُّ عَلَى أَنَّهُمْ لَمْ يَنْتَهُوا عَمَّا نُهُوا عَنْهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَلَا تَطْغَوْا فِيهِ فَيَحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبِي وَمَنْ يَحْلِلْ عَلَيْهِ غَضَبِي فَقَدْ هَوَى} [طه: 81] . أَيْ; فَقَدْ هَلَكَ، وَحَقَّ لَهُ وَاللَّهِ الْهَلَاكُ وَالدَّمَارُ، وَقَدْ حَلَّ عَلَيْهِ غَضَبُ الْمَلِكِ الْجَبَّارِ، وَلَكِنَّهُ تَعَالَى مَزَجَ هَذَا الْوَعِيدَ الشَّدِيدَ بِالرَّجَاءِ لِمَنْ أَنَابَ وَتَابَ، وَلَمْ يَسْتَمِرَّ عَلَى مُتَابَعَةِ الشَّيْطَانِ الْمَرِيدِ، فَقَالَ: {وَإِنِّي لَغَفَّارٌ لِمَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدَى} [طه: 82] .