ثم دخلت سنة خمس وأربعين
পৃষ্ঠা - ৬৩৪৪
হিজ্জী ৪৫ সন
এই বছরে আমীর মুআবিয়া (বা) হারিস ইবন আবদুল্লাহ আযদিকে বসরার শাসনকর্তা
নিযুক্ত করেন এবং চারমাস পর তাকে ঐ পদ থেকে অপসারণ করেন ৷ তার স্থলে যিয়াদকে
তিনি নিয়োগ দেন ৷ এ সময় যিয়াদ কুফায় এসে পৌছলেন ৷ তখন কুফায় শাসনকর্তা ছিলেন
মুগীর৷ ইবন শু বা (রা) ৷ আমীর মু আবিযা (রা) এর পক্ষ থেকে নিয়োগ বিষয়ে সংবাদ বাহক
আগমনের অপেক্ষায় যিয়াদ তখন কুফায় অবস্থান করছিলেন ৷ কিং মুগীৱা (রা) মনে করলেন,
কুফায় শাসনকর্তা পদে নিয়োগ লাভের জন্যে যিয়াদ কুফায় অবস্থান করছেন ৷ প্রকৃত অবস্থা
জানার জন্যে তিনি ওয়ইিল ইবন হুজরাকে যিয়াদের নিকট পাঠালেন ৷ ওরাইল তার সাথে
সাক্ষাত করলেন, কিন্তু কোন তথ্য অবগত হতে পারলেন না ৷ ইতিমধ্যে ৷কান্দ্রর পক্ষ থেকে
যিয়াদের নিকট পত্র বাহক এল যিয়াদের বসরা যাত্রার নির্দেশ নিয়ে ৷ একইসাথে তা৷ক
খুরমান ও সিজিন্থানের শাসনভার দেয়া হল ৷ এরপর হিন্দ, বাহরাইন এবং মানেরশাসনভারও
তার উপর ন্যস্ত করা হল ৷ জুমাদাল উলা মাসের প্রথম তারিখে যিয়াদ বসর৷ প্রবেশ করলেন,
সেখানে তখন চরম অরাজকতা আর অশ্লীলতার ছড়াছড়ি ৷ তিনি তার প্রথম ভাষণে বললেন,
াহ লোক সকল ! আপনাদের অবস্থা এমন মনে হচ্ছে যে, ইবাদতকারী ও আনুগত্যশীলদের
জন্যে আল্লাহ্ তা জানা যে পুরস্কারের প্ৰআিতি দিয়েছেন, আর পাপাচারীাদ র জান৷ যে শাস্তির ;
সংবাদ দিয়েছেন, তা আপনারা মোটেই শুনেননি ৷ আপনারা এমন হয়ে গিঘ্নোইন পার্থিব
কামনা যাদের কপালাক পদদলিত করেছে আর কামনা ও প্ৰবৃত্তি যাদের কান ও শ্রবণেব্ধিয়কে
বিনষ্ট করে দিয়েছে ৷ ফলশ্রুতিতে তার৷ চিরস্থায়ী সাফল্যের মুকাবিলায় ক্ষণস্থায়ী লাভ ও
সাফল্যকে গ্রহণ করেছে ৷
এরপর তিনি কঠোরভাবে প্রশাসনিক আইন কার্যকর করতে লাগালন এবং ৷- কাষমুক্ত
তরবারি নিয়ে শাসনকার্য পরিচালনা করতে লাগলেপুন ৷ তা৷ত জনসাধারণ্৷ তাকে ভর পেতে
লাগল ৷ এবং প্রকাশ্যে পাপাচারী ত৷ পরিত্যাগ করতে লাগল ৷ অবশ্য তিনি এ কাজে একদল
সাহাবী (রা) এর সহাযাগিত৷ গ্রহণ কয়েহ্যিল্ন ৷ তিনি ইমরান ইবন হুসাযন (রা) ৷ক বসরার
বিচারক পদে নিয়োগ করলেন ৷ হাকাম ইবন আমর গিফারী (রা)াক তার পক্ষে খুরসাোনর
উপ্াদ্প্রশাসক নিায়াপ করলেন ৷ সা র্মুর৷ ইবন যুনদুব, আবদুর রহমান ইবন সামুরা এবং আনাস
; ইবন মালিক (রা) ৷কও তার পক্ষে উপপ্রশাসক পদে নিয়োগ দিালন ৷ বস্তুত যিয়াদ ছিলেন
ৰিচহ্মণ, গুরুগন্তীর ও ব্যক্তিতৃশীল প্রশাসক ৷ তিনি একজন বিশুদ্ধভাষী, বাকপর্টু ও বাশ্মী লোক
: ছিলেন ৷ শাবি বালাহ্না, আমি যখন কোন ভাষণ দানকারীক্ষে দেখেছি যে, তিনি খুব সুন্দর
, ৬াষণ দিচ্ছেন তখন আমি কামনা করেছি যে, তার কথায় কোন অপ্লীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির
আগে যেন তিনি তাড়াতাড়ি ভাষণ শেষ করে দেন, চুপ ৷ মার যান ৷ কিন্তু যিয়াদ ছিলেন তার
ব্যতিক্রম ৷ তিনি যত বেশি কথা বলতে ন তত বেশি উন্নত কথা বলাতন ৷ হযরত উমর ইবনুল
থাত্তাব (রা) এর নিকট যিয়াদের একটি বিশেষ মর্যাদা ছিল ৷
এই বছরেই যিয়া দের পক্ষ থেকে খুরাসানে নিযুক্ত উপ-প্রশাসক হাকাম ইবন আমর তার
নির্দেশে ,“জাবাল আল-আসাল” যুদ্ধ পরিচালনা করেন ৷ এই যুদ্ধে তারা বহু শত্রু সৈন্য হতাহত
ণোমোঃ(হ্রা৷াশ্রা৪র্নো০ওোড়া
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ]
فِيهَا وَلَّى مُعَاوِيَةُ الْبَصْرَةَ لِلْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَزْدِيِّ، ثُمَّ عَزَلَهُ بَعْدَ أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ، وَوَلَّى زِيَادًا، فَقَدِمَ زِيَادٌ الْكُوفَةَ وَعَلَيْهَا الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، فَأَقَامَ بِهَا لِيَأْتِيَهُ رَسُولُ مُعَاوِيَةَ بِوِلَايَةِ الْبَصْرَةِ، فَظَنَّ الْمُغِيرَةُ أَنَّهُ قَدْ جَاءَ عَلَى إِمْرَةِ الْكُوفَةِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ وَائِلَ بْنَ حُجْرٍ لِيَعْلَمَ لَهُ خَبَرَهُ، فَاجْتَمَعَ بِهِ فَلَمْ يَقْدِرْ مِنْهُ عَلَى شَيْءٍ، فَجَاءَ الْبَرِيدُ إِلَى زِيَادٍ أَنَّ يَسِيرَ إِلَى الْبَصْرَةِ وَاسْتَعْمَلَهُ عَلَى خُرَاسَانَ وَسِجِسْتَانَ، ثُمَّ جَمَعَ لَهُ الْهِنْدَ وَالْبَحْرَيْنَ وَعُمَانَ. وَدَخَلَ زِيَادٌ الْبَصْرَةَ فِي مُسْتَهَلِّ جُمَادَى الْأُولَى، فَقَامَ فِي أَوَّلِ خُطْبَةٍ خَطَبَهَا، وَقَدْ وَجَدَ الْفِسْقَ ظَاهِرًا فِي الْبَصْرَةِ، فَقَالَ فِيهَا: أَيُّهَا النَّاسُ، كَأَنَّكُمْ لَمْ تُسْمِعُوا مَا أَعَدَّ اللَّهُ مِنَ الثَّوَابِ لِأَهْلِ الطَّاعَةِ، وَالْعَذَابِ لِأَهْلِ الْمَعْصِيَةِ، أَتَكُونُونَ كَمَنْ طَرَفَتْ عَيْنُهُ الدُّنْيَا، وَسَدَّتْ مَسَامِعَهَ الشَّهَوَاتُ فَاخْتَارَ الْفَانِيَةَ عَلَى الْبَاقِيَةِ. ثُمَّ مَا زَالَ يُقِيمُ أَمْرَ السُّلْطَانِ وَيُجَرِّدُ السَّيْفَ حَتَّى خَافَهُ النَّاسُ خَوْفًا عَظِيمًا، وَتَرَكُوا مَا كَانُوا فِيهِ مِنَ الْمَعَاصِي الظَّاهِرَةِ، وَاسْتَعَانَ بِجَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَوَلَّى عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ الْقَضَاءَ بِالْبَصْرَةِ، وَوَلَّى الْحَكَمَ بْنَ عَمْرٍو الْغِفَارِيَّ نِيَابَةَ خُرَاسَانَ، وَوَلَّى سَمُرَةَ بْنَ جُنْدَبٍ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ وَأَنَسَ بْنَ مَالِكٍ.
وَكَانَ زِيَادٌ حَازِمَ الرَّأْيِ، ذَا هَيْبَةَ، دَاهِيَةً، وَكَانَ مُفَوَّهًا فَصِيحًا بَلِيغًا ; قَالَ
পৃষ্ঠা - ৬৩৪৫
করে এবং প্রচুর ধন-সম্পদ অর্জন করে ৷ প্রশাসক ৰিয়াদ হাকামের নিকট লিখলেন যে,
আমীরুল মু’মিনীন! মুআবিয়া (রা)-এর পক্ষ থেকে লিখিত নির্দেশ এসেছে, যেন স্ফো
মালামাল থেকে সকল সোনা রুপা সরকারী কােযাপার বায়তুলমালেব জন্যে সংরক্ষিত ঞ্জো
হয় ৷ হাকাম ইবন আমর উত্তরে লিখলেন, আমীরুল মুমিনীনের বিধির উপর আল্পাহ্র
কিতাবের বিধান অগ্ৰাধিকারী ৷ আল্লাহর কসম ! কোন ক্রো পক্ষে যদি আসমান-যমীন সব র্দমোঃ
তবুও আমি আল্লাহ্কে ভয় করব, অন্য সব কিছুকে তৃচ্ছ জ্ঞান ন্কঃাব ৷ আল্লাহ্ নিশ্চয় আমার জন্যে এ
সংকট থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করবেন ৷
এরপর তিনি সাধারণ ঘোষণা দিলেন যে, আপামীকঃল পনীমতের মাল বন্টন করা হাং ৷
সংশ্লিষ্ট সকল লোক যেন উপস্থিত থাকে ৷৩ তারপর তিনি বিধি মুতাৰেক কুরআন ও সৃন্নাহ্রধ্
আলোকে সং শ্রিষ্টদের মধ্যে ঐ মালামাল বন্টন করে দিলেন এবং মু আবিয়৷ (রা) এর নির্দেশে
যিয়াদের পা ৷ঠানাে পত্রের বিপরীত কাজ করলেন ৷ কুরআনহাদীস ঘুতাবেক সম্পুর্ণ মালের ১৫
অংশ বায়তুলমালেব জন্যে রক্ষিত রাখলেন ৷ এরপর মহান আল্লাহর দরবারে এই বলে দৃআ
করলেন, হে আল্লাহ ! আপনার নিকট যদি আমার জন্য কোন বঅ্যাণ না থাকে তবে আমারে
আপনার নিকট উঠিয়ে নিন ৷ অনন্তর খুরাসান শহরের মাত নামক স্থানে৩ তিনি ইন্তিকাল করেন ৷
মহান আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন ৷
ইবন জ৷ ৷রীর (র) বলেছেন, এই বছর মারওয়ান ইবন হ্াৰাম আযীরে হজ্জ হয়ে হজ্জ পরিচালনা
করেন ৷ তিনি তখন পবিত্র মদীনায় শাসনকর্তা ছিলেন ৷ এই বছর অন্যতম প্রধান ওহী লিখক বক্ষো
ইবন সাবিত আনসারী (রা) ইন্তিকাল ৰুক্লো ৷ ন্সীরাত আঃান্নের শেষ দিকে আমরা তার জীবনী
আলোচনা করব ৷ তিনিই হযরত উসযানের (রা) নির্দেশে প্রচবিভে, ও বর্তমানে বিদ্যমান বুঞ্চান
কপি মাসহাফে ইমাম প্রস্তুত করেছিলেন ৷ এটি উত্তম ও ঝরৱরে তকতকে উক্তা লিপি ৷ ,
যাইদ ইবন সাবিত ছিলেন, প্রচণ্ড স্মরণ শজিং অধিকারী ৷ মাত্র ১৫ দিলে তিনি ইয়াহদীদ্যো
ভাষা ও তাদের কিতাবগুলাে শিখে ফেলেন ৷ আবু হাসানইবন বারা বলেছেন যে, মাত্র ১৮
দিনের মধ্যে তিনি পারস্য সম্রাটের দুতের নিকট হতে পারসী র্ভাষ৷ শিখে নেন ৰু আর রাসুলুল্লাহু
(সা) এর খাদেমদের থেকে তিনি হাবশী ভাষা, রোমান ভাবা এবৎকিবতী ভাষা শিখে নেন ৷
ওয়াকিদী বলেছেন যে, সর্বপ্রথম তিনি খন্দকেব যুদ্ধে অংশ নেন ৷ তীর বয়স তখন ১৫
বছর ৷ ইমাম আহমদ (র) ও নাসাঈ (র);এর উদ্ধৃত হাঙ্গীমে আছে যে, ষায়্দ ইবন সাবিত
(রা) ফ ৷রায়েয তথা উত্তরা ধিকায় শাত্রে অযাধ জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন ৷ দ্বিতীয় খলীফ৷ হযরত
আলী (বা)৩ তাকে বিচারক পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন ৷ মাসর্বুক বলেছেন যে, যাযদ ইবন সারিত
(রা) গভীর জ্ঞানের অধিকারী লোকদের অন্যতম ছিলেন৷ ৷মুহ্মোঃ ইবন আমর আবু সালামা
সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেহ্নে৷ যে,৩ তিনি একদিন হযরত যায়দ ইবন সাব্যিতব
বাহনের “পাদানি” ধরে র্তাকে বাহনে উঠতে সাহায্য করেছিলেন ৷ তখন হযরত যায়দ্
বললেন, আহ ! এমন করবেন না, আপনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চাচাত ভইি, আপনি তা
করবেন না ৷ উত্তরে ইবন আব্বাস (রা) বললেন, আমি তা কঃাবই, আমাদের উলামাপ্ই কিরাম্
ও জ্ঞান বিশ ৷৷রদ মুরব্বিদের সম্মানার্থেআমরা এরুপই করি ৷
আ মাশ সাবিত ৩সুত্রে উবায়দ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, হযরত যাযদ ইবন
সাবিত (বা) তার পারিব৷ ৷রিক আ ৷ঙ্গিনায় হ্াস্যকৌতুরু করতেন ৷ কিন্তু জনসমাবেশ ও
সামাজিক আঙ্গিনায় তা পছন্দ করতেন না ৷ মুহাম্মদ ইবন সিরীন বলেহ্নো, যায়দ ইবন সাৰিত
الشَّعْبِيُّ: مَا سَمِعْتُ مُتَكَلِّمًا قَطُّ تَكَلَّمَ فَأَحْسَنَ إِلَّا أَحْبَبْتُ أَنْ يَسْكُتَ ; خَوْفًا مِنْ أَنْ يُسِيءَ إِلَّا زِيَادًا ; فَإِنَّهُ كَانَ كُلَّمَا أَكْثَرَ كَانَ أَجْوَدَ كَلَامًا. وَقَدْ كَانَتْ لَهُ وَجَاهَةٌ عِنْدَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ غَزَا الْحَكَمُ بْنُ عَمْرٍو نَائِبُ زِيَادٍ عَلَى خُرَاسَانَ جَبَلَ الْأَشَلِّ، عَنْ أَمْرِ زِيَادٍ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَغَنِمَ أَمْوَالًا جَمَّةً، فَكَتَبَ إِلَيْهِ زِيَادٌ: إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ جَاءَ كِتَابَهُ أَنَّ يُصْطَفَى لَهُ كُلُّ صَفْرَاءَ وَبَيْضَاءَ - يَعْنِي الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ - يُجْمَعُ كُلُّهُ مِنْ هَذِهِ الْغَنِيمَةِ لِبَيْتِ الْمَالِ. فَكَتَبَ الْحَكَمُ بْنُ عَمْرٍو إِلَيْهِ: إِنَّ كِتَابَ اللَّهِ مُقَدَّمٌ عَلَى كِتَابِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، وَإِنَّهُ وَاللَّهِ لَوْ كَانَتِ السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ عَلَى عَبْدٍ فَاتَّقَى اللَّهَ، لَجَعَلَ لَهُ مَخْرَجًا. ثُمَّ نَادَى فِي النَّاسِ أَنِ اغْدُوَا عَلَى قَسْمِ غَنِيمَتِكُمْ. فَقَسَّمَهَا بَيْنَهُمْ، وَخَالَفَ زِيَادًا فِيمَا كَتَبَ إِلَيْهِ عَنْ مُعَاوِيَةَ، وَعَزَلَ الْخُمُسَ كَمَا أَمَرَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ الْحَكَمُ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ لِي عِنْدَكَ خَيْرٌ فَاقْبِضْنِي إِلَيْكَ. فَمَاتَ بِمَرْوَ مِنْ خُرَاسَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ وَكَانَ نَائِبَ الْمَدِينَةَ. وَكَانَتِ الْوُلَاةُ وَالْعُمَّالُ هُمُ الَّذِينَ كَانُوا فِي السَّنَةِ الْمَاضِيَةِ.
পৃষ্ঠা - ৬৩৪৬
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تُوُفِّيَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ الْأَنْصَارِيُّ أَحَدُ كُتَّابِ الْوَحْيِ، وَقَدْ ذَكَرْنَا تَرْجَمَتَهُ فِيهِمْ فِي أَوَاخِرِ السِّيرَةِ، وَهُوَ الَّذِي كَتَبَ هَذَا الْمُصْحَفَ الْإِمَامَ الَّذِي بِالشَّامِ، عَنْ أَمْرِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَهُوَ خَطٌّ جَيِّدٌ قَوِّيٌّ جِدًّا فِيمَا رَأَيْتُهُ، وَقَدْ كَانَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ ذَكَاءً، تَعَلَّمَ لِسَانَ يَهُودَ وَكِتَابَهُمْ فِي خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا. قَالَ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ الْبَرَاءِ: تَعَلَّمَ الْفَارِسِيَّةَ مِنْ رَسُولِ كِسْرَى فِي ثَمَانِيَةَ عَشَرَ يَوْمًا، وَتَعَلَّمَ الْحَبَشِيَّةَ وَالرُّومِيَّةَ وَالْقِبْطِيَّةَ مِنْ خُدَّامِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَأَوَّلُ مَشَاهِدِهِ الْخَنْدَقُ، وَهُوَ ابْنُ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً. وَفِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالنَّسَائِيُّ: " وَأَعْلَمَهُمْ بِالْفَرَائِضِ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ ". وَقَدِ اسْتَعْمَلَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَلَى الْقَضَاءِ. وَقَالَ مَسْرُوقٌ: كَانَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ مِنَ الرَّاسِخِينَ فِي الْعِلْمِ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ أَخَذَ لِزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ بِالرِّكَابِ فَقَالَ لَهُ: تَنَحَّ يَا ابْنَ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: لَا هَكَذَا نَفْعَلُ بِعُلَمَائِنَا وَكُبَرَائِنَا.
পৃষ্ঠা - ৬৩৪৭
(রা) একদিন নামাব্লুযর জন্যে ব্লুবর হলেন তখন ব্লুদখৃব্লুত পেলেন যে, ব্লুলাকজন জামা,আত
শেব্লুষ ফিরে আসছে ৷ তখন তিনি নজ্জায় নি ?জব্লুক ওদের দৃষ্টি থেকে আড়াল করে ব্লুফল্যলন
এবং বললেন, যে ব্যক্তি মানুষকে লজ্জা করে না সে আল্লাহ থেকেও লজ্জাবােধ করে না ৷
এই বছর অর্থাৎ ৪৫ হিজরী সব্লুন ইন্তিকাল করেন ৷ কেউ কেউ বব্লুলব্লুছন,ত তার ইন্তিকাল হয়
৫৫ হিজরী সনে ৷ তবে প্রথম অভিমতটি বিশুদ্ধ ৷ ওফাতের সময় তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৬০
বছর ৷ মাবওয়ান তার জানাযায় ইমামতি ৩করেগুছন ৷ তার মৃত্যুতে হযরত ইবন আব্বাস (বা)
বলেছিলেন, আজ এক মহান আলিম ও জ্ঞান বিশারদের মৃত্যু হল ৷ হবৃরত আবু হুরায়র৷ (বা)
বলেছিলেন, এই উম্মব্লুতর পণ্ডিত ব্যক্তির মৃত্যু হল ৷
এই বছর সালম৷ ইবন সালামাহ্ ইবন ওয়াকক্াস (রা) এর ওফাত হয় ৷ তখন তার বয়স
৭০ বছর ৷ বদর ও এর পরবর্তী যুদ্ধসমুহে৩ তিনি অংশ নিয়েছিলেন ৷ তার ব্লুকান ছেব্লুল মেয়ে
ছিল না ৷ এই বছর আলিম ইবন আদী (রা) এর ইন্তিকাল হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বদর যুদ্ধে
যাবার সময় কুর৷ ও উচু অঞ্চলের দায়িত্বে বোন গিয়েছিলেন ৷ তিনি উহুদ ও পরবর্তী যুদ্ধসমুহে
অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ ১২৫ বছর বয়সে তার ওফাত হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলিম ইবন
আদী (রা) কে এবং মালিক ইবন দুখশুমব্লুক “মসজিদ ই দিরার” বা ফিত্নার উদ্দেশ্যে নির্মিত
মসজিদের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছিলেন ৷ তারা দু’ জলে ঐ মসজিদ জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন ৷
এই বছর হযরত উমর (রা) এর কন্যা রাসুল (সা) এর সহধর্মিণী হযরত হাফস৷ (রা) ইন্তি কাল
করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার পুর্বে তিনি খুনার্মৃ ইবন্ হুযাফা সাহ্ষী
(রা) এর ত্রী ছিলেন ৷৩ তিনি তার স্বাযীসহ হিজরত করে মদীনায় এসেছিলেন ৷ এবং বদর যুদ্ধের পর
মদীনাতেই খুনায়ম মারা যান ৷
স্বামীর মৃত্যুর পর বিধি মোতাবেক ইদ্দত শেষ হবার পর তার পিতা উমর (রা)ত তাকে বিবাহ
করার জন্যে হযরত উসমান (রা) কে অনুরোধ করেন ৷ ইতিমধ্যে হযরত ৩উসমান (রা) এর শ্রী
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কন্যা রুকাইয়া (বা) মারা যান ৷ হযরত উসমান (বা) এই মুহুর্তে হাফসা
(রা) ব্লুক বিবাহ করতে রাযী হলেন না ৷ ৷রপরত উমর ইবন খাত্তাব (বা) হাফস৷ (রা) ব্লুক বিবাহ
করার জন্যে হযরত আবু বকর (রা) কে অনুরোধ করলেন ৷ হযরত আবু বকর (বা) কোন উত্তর
দিলেন না ৷ অল্প কিছুদিন পর রাসুলুল্লাহ্ (না) নিজে হাফস৷ (রা) ব্লুক বিয়ের প্রস্তাব দিলেন এবং
যথারীতি তাকে বিয়ে করলেন ৷ হযরত আবু বকর (রা) পুর্বে এই বিষয়ে কোন উত্তর না দেয়ায়
উমর (বা) তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন ৷ আর আবু বকর (রা) বললেন, হাফস৷ (রা) সম্পর্কে
ইতিপুর্বে রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘরোয়া আলোচনা করেছিলেন ৷ যাতে তার প্রতি ৩রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছিল ৷ তার পক্ষ থেকে তা প্রকাশ না পাওয়া পর্যন্ত আমি তার ব্যক্তিগত বিষয়
প্রকাশ করতে চইি নি ৷ তিনি হাফস৷ (রা) কে বিয়ে না করলে আমি করতাম ৷
ইতিপুর্বে আমরা একটি হাদীসে উল্লেখ করেছি যে, একবার রাসুলুল্পাহ্ (সা) হযরত হাফসা
(রা) কে ৩ লোক দিয়েছিলেন এবং পরে পুনরায়ত তাকে বিবাব্লুহ ফিরিয়ে ব্লুনন ৷ এক বর্ণনায় এসেছে
যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) ব্লুক হযরত হাফস৷ (রা) ব্লুক বিবাব্লুহ ফিরিয়ে নিতে জিবরাঈল (আ) নির্দেশ
দিয়েছিলেন ৷ জিবরাঈল (আ) এ : : বলেছিলেন, হাফস৷ (রা) অধিকহারে ব্লুরাযা পালনকারিণী
প্রচুর ইবাদতকারি ণী মহিলা এবং ব্লুহ রাসুল ! হাফস৷ (বা) আপনার জান্নাব্লুতর শ্রী ৷
প্রায় সকল ঐতিহাসিক এই বিষয়ে একমত যে, ৬০ বছর বয়ব্লু স ৪৫ হিজরী সনের শা রান
মাসে হযরত হাফস৷ (বা) ইন্তিকাল করেন ৷
وَقَالَ الْأَعْمَشُ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ عُبَيْدٍ قَالَ: كَانَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ مِنْ أَفْكَهِ النَّاسِ فِي بَيْتِهِ، وَمَنْ أَزْمَتِهِ إِذَا خَرَجَ إِلَى الرِّجَالِ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ: خَرَجَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ إِلَى الصَّلَاةِ، فَوَجَدَ النَّاسَ رَاجِعِينَ مِنْهَا، فَتَوَارَى عَنْهُمْ وَقَالَ: مَنْ لَا يَسْتَحِي مِنَ النَّاسِ لَا يَسْتَحِي مِنَ اللَّهِ.
مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: فِي سَنَةِ خَمَسٍ وَخَمْسِينَ. وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ، وَقَدْ قَارَبَ السِّتِّينَ، وَصَلَّى عَلَيْهِ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ نَائِبُ الْمَدِينَةِ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: لَقَدْ مَاتَ الْيَوْمَ عَلَمٌ كَثِيرٌ. وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: مَاتَ حَبْرُ هَذِهِ الْأُمَّةِ.
وَفِيهَا مَاتَ سَلَمَةُ بْنُ سَلَامَةَ بْنِ وَقْشٍ، عَنْ سَبْعِينَ سَنَةً، وَقَدْ شَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَلَا عَقِبَ لَهُ.
وَعَاصِمُ بْنُ عَدِيٍّ، وَقَدِ اسْتَخْلَفَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ خَرَجَ إِلَى بَدْرٍ عَلَى قُبَاءَ وَأَهْلِ الْعَالِيَةِ، وَشَهِدَ أُحُدًا وَمَا بَعْدَهَا، وَتُوُفِّيَ عَنْ خَمْسَ عَشْرَةَ وَمِائَةٍ، وَقَدْ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ وَمَالِكُ بْنُ الدُّخْشُمِ إِلَى مَسْجِدِ الضِّرَارِ فَحَرَّقَاهُ.
পৃষ্ঠা - ৬৩৪৮
وَفِيهَا تُوُفِّيَتْ حَفْصَةُ بِنْتُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ، وَكَانَتْ قَبْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحْتَ خُنَيْسِ بْنِ حُذَافَةَ السَّهْمِيِّ، وَهَاجَرَتْ مَعَهُ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَتُوُفِّيَ عَنْهَا بَعْدَ بَدْرٍ، فَلَمَّا انْقَضَتْ عُدَّتُهَا عَرَضَهَا أَبُوهَا عَلَى عُثْمَانَ بَعْدَ وَفَاةِ زَوْجَتِهِ رُقَيَّةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَبَى أَنْ يَتَزَوَّجَهَا، فَعَرَضَهَا عَلَى أَبِي بَكْرٍ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا، فَمَا كَانَ عَنْ قَرِيبٍ حَتَّى خَطَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَزَوَّجَهَا، فَعَاتَبَ عُمَرُ أَبَا بَكْرٍ بَعْدَ ذَلِكَ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ قَدْ ذَكَرَهَا، فَمَا كُنْتُ لِأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَوْ تَرَكَهَا لَتَزَوَّجْتُهَا.
وَقَدْ رَوَيْنَا فِي الْحَدِيثِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَلَّقَ حَفْصَةَ ثُمَّ رَاجَعَهَا» . وَفِي رِوَايَةٍ «أَنَّ جِبْرِيلَ أَمَرَهُ بِمُرَاجَعَتِهَا، وَقَالَ: إِنَّهَا صَوَّامَةٌ قَوَّامَةٌ، وَهِيَ زَوْجَتُكَ فِي الْجَنَّةِ» . وَقَدْ أَجْمَعَ الْجُمْهُورُ أَنَّهَا تُوُفِّيَتْ فِي شَعْبَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ سِتِّينَ سَنَةً. وَقِيلَ: إِنَّهَا تُوُفِّيَتْ أَيَّامَ عُثْمَانَ. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.