سنة أربعين من الهجرة النبوية
خلافة الحسن بن علي بن أبي طالب رضي الله عنهما
পৃষ্ঠা - ৬৩০৭
আমরা ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছি যে, হযরত আলী (রা) আহত গ্কাে অবস্থায় লোকজন
র্তাকে বলেছিল হে আমীরুল মুমিনীন ! আপনার পরে খলীফ্৷ কেহবে তা নির্ধারিত করে
দিন ৷ তিনি উত্তরে বলেছিলেন, না, তা আমি করব না, বরং রাসুক্ষাং (সা) ভোমাদেরকে
যেমন খলীফা নির্ধারণ না করে রেখে গিয়েছিলেন আমিও তেমনি ক্সের যাব ৷ মহান আল্লাহ
যদি£ আমাদের কল্যাণ চান তাহলে তোমাদের মধ্যে যে শ্রেষ্ঠতম, তার জীবন নির্ধারণে তিনি
তােমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে দিবেন, যেমন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর পরে উম্মরুতঃ শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির ,
খলীফ৷ নির্বাচনে তিনিও আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে দিয়েছিলেন ৷
তিনি ইন্তিক৷ ল করলেন ৷ হযরত ইমাম হাসান (বা) তার স্কোর নামাষে ইমামতি
করলেন ৷ তিনি ছিলেন হযরত আলী (রা)-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র ৷ রাজধ্ার্নীডের্তীা,ক দাফন করা
হল ৷ এটিই বিশুদ্ধ অভিমত ৷
হযরত আলী (রা)এর দাফনকাফ্যা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সমাপ্ত বলার পর সর্বপ্রথম কায়স
ইবন সাদ ইবন উবাদা (রা) হযরত হাসান (রা)-এর সম্মুখে এলেন এবং বললেন, আপনার
হাত প্রসারিত করুন ৷ আল্লাহর কিতাব ও রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সুন্নাত রস্তেৰফ্তেমর্মেআমি
আপনার হাতে বায়আত করব ৷ ’ হযরত হাসান (বা) কিছুই বললেন বা ৷ তারপর কায়স ইবন
সাদ স্বতঃস্ফুর্তভাবে তার হাতে বায়আত করেন ৷ এরপর অন্যান্য লোকজন তার হাতে
বায়আত করে ৷ এটি ঠিক সেদিনেই অনুষ্ঠিত হয় যে দিন হযরত আলী ৷দ্বুরা)- এর ওফাত হয় ৷
মুলত যেদিন হযরত আলী (রা) আক্রান্ত ও-আহত হয়েছিলেন সেদ্দিনই র্তারন্ওফাত হয় ৷
দিনটি ছিল : : হিতরীি সনের ১ ৭ই রমযান জুমআবার ৷ £ল্টে কেউ বলোঃহ্ন৷ ন্নে, আহত হবার
দৃ’দিন পর তীর ওফাত হয় ৷ কারো মতে তার ওফাত হয় রমযানের শেৰ্ দশ দিনের কোন
একদিন ৷ বস্তুত সেদিন হতে হযরত হাসান (রা) খলীফ৷ হিসেবে কাজ শুরু কারন ৷ কায়স
ইবন সা দ ছিলেন আযারবাইজানের গভর্নর ৷,৩ তার অধীনে ছিল চল্লিশ হলোঃ লড়াকু যােদ্ধ৷ ৷
তার৷ সকলে আমৃত্যু হযরত আলী (রা) এর প্রতি আনুগত্যের শপথ করেছিল ৷
হযরত আলী (রা)-এর ইনৃতিকালের পর গভর্নর কায়স ইবন সাদ ন্াৰ নিযুক্ত খলীফা
হযরত হাসান (রা)-কে সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার জন্যে চাপ দিতে লাক্রোন ৷ এক পর্যায়ে
হযরত হাসান (রা) গভর্নর কায়সকে বরখাস্ত করে তার স্থলে উবায়দৃল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা)-কে
আযারবাইজানের গভর্নর নিযুক্ত করলেন ৷ চুকারাে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ইচ্ছা হযরত হাসান (রা)-এর
ছিল না ৷ কিন্তু অন্যদের অভিমজী জয়ী হল ৷৩ তিনি সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার রায়ী হলেন ৷
জনসাধারণ বিশ৷ ৷াল যুদ্ধ সমাব্যেশ একত্রিত ৩হল ৷ ইতিপুর্বে এত বড় যােৰুদ্ধা দ্যা দেখা যায় নি,
শো ৷নাও যায় নি ৷
হযরত হাসান (বা) কায়স ইবন্ সাদ (রা) কে বার হাজার সৈন্য সমন্বয়ে গঠিত সম্মুখ
শাখার দায়িতু দিলেন ৷ আর তিনি নিজে তার পেছনে পেছনে অবশিষ্ট সৈন্যের নেতৃত্ব দিয়ে
যুআবিয়া (বা) ও সিরিয়াবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে সিরিয়া অভিম্যুখ যাত্রা ক্যালেন ৷
মাদ৷ ৷ইন অতিক্রম করে তারা যাত্রা বিরতি ও শিবির স্থাপন করলেন ৷ সম্মুখ শাকারসৈন্যদেরকে
[خِلَافَةُ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا]
قَدْ ذَكَرْنَا أَنَّ عَلِيًّا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لَمَّا ضَرَبَهُ ابْنُ مُلْجَمٍ قَالُوا لَهُ: اسْتَخْلِفْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: لَا، وَلَكِنْ أَدَعُكُمْ كَمَا تَرَكَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَنْهُ وَسَلَّمَ - يَعْنِي بِغَيْرِ اسْتِخْلَافٍ - فَإِنْ يُرِدِ اللَّهُ بِكُمْ خَيْرًا يَجْمَعْكُمْ عَلَى خَيْرِكُمْ، كَمَا جَمَعَكُمْ عَلَى خَيْرِكُمْ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمَّا تُوُفِّيَ وَصَلَّى عَلَيْهِ ابْنُهُ الْحَسَنُ، لِأَنَّهُ أَكْبَرُ بَنِيهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَدُفِنَ كَمَا ذَكَرْنَا بِدَارِ الْإِمَارَةِ بِالْكُوفَةِ، عَلَى الصَّحِيحِ مِنْ أَقْوَالِ النَّاسِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ شَأْنِهِ كَانَ أَوَّلُ مَنْ تَقَدَّمَ إِلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَيْسُ بْنُ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، فَقَالَ لَهُ: ابْسُطْ يَدَكَ أُبَايِعْكَ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ نَبِيِّهِ. فَسَكَتَ الْحَسَنُ، فَبَايَعَهُ ثُمَّ بَايَعَهُ النَّاسُ بَعْدَهُ، وَكَانَ ذَلِكَ يَوْمَ مَاتَ عَلِيٌّ، وَكَانَ مَوْتُهُ يَوْمَ ضُرِبَ، عَلَى قَوْلٍ، وَهُوَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ السَّابِعَ عَشَرَ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ أَرْبَعِينَ، وَقِيلَ: إِنَّمَا مَاتَ بَعْدَ الطَّعْنَةِ بِيَوْمَيْنِ. وَقِيلَ: مَاتَ فِي الْعَشْرِ الْأَخِيرِ مِنْ رَمَضَانَ، وَمِنْ يَوْمَئِذٍ وَلِيَ الْحَسَنُ ابْنُهُ.
وَكَانَ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ عَلَى إِمْرَةِ أَذْرَبِيجَانَ تَحْتَ يَدِهِ أَرْبَعُونَ أَلْفَ مُقَاتِلٍ قَدْ بَايَعُوا عَلِيًّا عَلَى الْمَوْتِ، فَلَمَّا مَاتَ عَلِيٌّ أَلَحَّ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ عَلَى الْحَسَنِ فِي النَّفِيرِ لِقِتَالِ أَهْلِ الشَّامِ فَعَزْلَ قَيْسًا عَنْ إِمْرَةِ أَذْرَبِيجَانَ، وَوَلَّى عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ عَلَيْهَا، وَلَمْ يَكُنْ فِي نِيَّةِ الْحَسَنِ أَنْ يُقَاتِلَ أَحَدًا، وَلَكِنْ غَلَبُوهُ عَلَى رَأْيِهِ،
পৃষ্ঠা - ৬৩০৮
সম্মুখ পা৫ন এগিয়ে যেতে বললেন ৷ হযরত হাসান (রা) সৈন্য পবি৫রষ্টিত অবস্থায় মাদাই৫নর
উপকণ্ঠে অবস্থান করছিলেন ৷ এমন সময়ে হঠাৎ জনৈক চিত্কারকারী লোক, সজােরে চিৎকার
দি৫য বলল, সম্মুখ সেনাদলের সেনাপতি কায়স ইবন সা দ (রা) নিহত হয়েছেন ৷’ এ ঘোষণা
শু৫ন সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশৃঙখল৷ সৃষ্টি হয় ৷ সবাই উচছুঙখল হয়ে পড়ে ৷ একে অন্যের
মালপত্র লুটপটি করে নিতে লাগল ৷ এমনকি তারা হযরত হাসান (রা) এর তাবুর সরষ্মাদিও
খুলে নিতে লাগল ৷ তিনি যে বিছানার বলেছিলেন ৫সটিও নিয়ে যাবার জন্যে টানাটানি শুরু
করেছিল ৷ তিনি যখন স্াওয়ারীত্বে আরোহণ করছিলেন ৫ক একজন এসে তাকে বর্শার আঘাত
’ করে ৷ এমন পরিস্থিতি দেখে হযরত হাসান (রা) ভষর্ণীভাবে বিরক্ত হয়ে পড়েন ৷ তিনি
সওয়ারীভৈ চড়ে মদীনার সুরক্ষিত প্রাসাদ “কাসর আলআরয়াদ” বা শ্বেত প্রাসাদে আশ্রয়
নিলেন ৷ আহত অবস্থায় তিনি সেখানেই অবস্থান করছিলেন ৷ তরন মাদাইনের পতায় ছিল
তারই নিযুক্ত সা দ ইবন মাস্উদ্ সাকাফী ৷ তিনি ছিলেন ৫ সভু যু৫দ্ধৱ ৫সনাপতি ৩আবু-উবায়৫দর
৷ ৩ইি ৷ বিদ্রোহী ৫সনাবাহিনী শ্বেত প্রাসাদের নিকট অবস্থান গ্রহণ করে ৷ এ সময় দুর্ভাপ৷ মুখতা র
ইবন আবু উৰারদ তার চাচা মাদাই৫নর পতার সা দ ইবন মাসউদকে বলল, চ্াচ৷া আপনি
;;কি ধ নসম্পদের অধিকারী হ৫ত চান? সা দ বললেন, তা কিভাবে ? মুখতার বলল ত৷ এভাবে
যে, আপনি যলীক৷ হাসান (রা) ৫ক বন্দী করে ৰুআৰিয়া (রা) এর নিকট পাঠিয়ে দিবেন ৷
জৈব তার চাচা বললেন, ও৫হ দ্বর্ভাগ৷ আ৷ল্লাহ্ ক্ষেত্রে এবং ভোর পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে
দিন, আমি কি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দৌহিত্রের সাথে ৰিশ্বাসঘাতকত৷ কবর ?
হযরত হাসান (রা) যখন তার নিজের সৈন্যদের মধ্যে বিশৃগ্রল ও তার প্রতি অসন্তুষ্টি লক
করলেন, তখন মীমাত্সায় বা য়ী করানোর জন্যে হযরত মুআবিয়া (রা) এর নিকট চিঠি
লিখলেন ৷ মু আৰিয়দু (রা) তখন সিরিয়বিাসী৫দব্৫ক সঙ্গে নিয়ে যাত্রা করে এনে একটি বাড়িতে
অবস্থান করছিলেন ৷ মু আবিয়৷ (বা) তার পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে অৰেদুল্লাহ্ ইবন আমীর
ও আবদুর রহমান ইবন সামুরা৫ক প্রেরণ করলেন ৷ তারা কুফা এসে হযরত হার্টুসানের সাথে
সাক্ষাত করলেন ৷ তার ৷ খিলাফর্ত থেকে সরে দাড়া৫নার বিনিময়ে হযরত হাসান (রা) যত ধন
সম্পদ চাই৫বন তার সবই প্রদানের প্রস্তাব করলেন ৷ হযরত হাসান (বা) এই শর্তে খিলাফতের
দাবী পরিত্যা৫র্গ রাষী হলেন যে, তাকে কুফার বাযভুলমাল থােক পঞ্চাশ লক্ষ দিরহাম ৫দয়া
হবে, আবজারাদ অঞ্চলের খাজনা তিনি গ্রহণ করবেন এবং হযরত আলী (বা) এর প্রতি কোন ;
নিন্দাবাদ যেন তার কানে না আসে ৷ মু আবিয়৷ (বা) যদি এসব শর্ভে রাযী হন তাহলে৩ তিনি
মুআবিযা (রা) এর পক্ষে খিলাফ্৫তর পদ ৫ছ৫ড় দিবেন এবং তাতে মুসলমানদের পরস্পরের
রক্তপাত বন হয়ে ৷ শেষ পর্যন্ত তারা এই শ৫র্ত মীমা সা ও আ৫ পাষরফ৷ করলেন এবং
মু আবিয়া (বা) একক খলীক৷ হিসেবে স্বীকৃতি ৩৫প৫লন ৷
হযরত হাসান (রা) এর ভাই হযরত হুসায়ন (রা) এই সিদ্ধান্তে তার ভ্রাতা হযরত হাসা৫নর
সমালোচনা করেন এবং তিনি এই মীমাং সাণ্ মেনে নেন নি ৷ অবশ্য সার্বিক বিবেচনায় হযরত
ইমাম হাসান (রা)-এর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল এ বিষয়ে প্রমাণাদি আমরা অবিলম্বে উল্লেখ করব ৷
হযরত হাসান তার নিযুক্ত অগ্নবর্তীদলের সেনাপতি কায়স ইবন সাদ-এর প্রতি ৫লাক
পাঠালেন এ মর্মে যে, সে যেন মীমাংসা ৫ম৫ন ৫নয় ৷ কিন্তু সেনাপতি কায়স এই মীমাংস৷ হুণ্া
আপােযরফা মেনে নিতে অস্বীকার করেন ৷ ফলে সে হযরত হাসান (রা) এবং মুআবিয়া (রা)
উভয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠে এবং তার অনুগত সৈন্যদেরকে নিয়ে পৃথক সেনা দল
فَاجْتَمَعُوا اجْتِمَاعًا عَظِيمًا لَمْ يُسْمَعْ بِمِثْلِهِ، فَأَمَرَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ قَيْسَ بْنَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ عَلَى الْمُقَدِّمَةِ فِي اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَسَارَ هُوَ بِالْجُيُوشِ فِي إِثْرِهِ قَاصِدًا بِلَادَ الشَّامِ لِيُقَاتِلَ مُعَاوِيَةَ وَأَهْلَ الشَّامِ فَلَمَّا اجْتَازَ بِالْمَدَائِنِ نَزَلَهَا وَقَدَّمَ الْمُقَدِّمَةَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَبَيْنَمَا هُوَ فِي الْمَدَائِنِ مُعَسْكِرٌ بِظَاهِرِهَا، إِذْ صَرَخَ فِي النَّاسِ صَارِخٌ: أَلَا إِنَّ قَيْسَ بْنَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ قَدْ قُتِلَ. فَثَارَ النَّاسُ فَانْتَهَبَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، حَتَّى انْتَهَبُوا سُرَادِقَ الْحَسَنِ. حَتَّى نَازَعُوهُ بِسَاطًا كَانَ جَالِسًا عَلَيْهِ، وَطَعَنَهُ بَعْضُهُمْ حِينَ رَكِبَ طَعْنَةً أَشْوَتْهُ، فَكَرِهَهُمُ الْحَسَنُ كَرَاهِيَةً شَدِيدَةً، ثُمَّ رَكِبَ فَدَخَلَ الْقَصْرَ الْأَبْيَضَ مِنَ الْمَدَائِنِ فَنَزَلَهُ وَهُوَ جَرِيحٌ، وَكَانَ عَامِلَهُ عَلَى الْمَدَائِنِ سَعْدُ بْنُ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيُّ، أَخُو أَبِي عُبَيْدٍ صَاحِبِ يَوْمِ الْجِسْرِ، فَلَمَّا اسْتَقَرَّ الْحَسَنُ بِالْقَصْرِ قَالَ الْمُخْتَارُ بْنُ أَبَى عُبَيْدٍ، قَبَّحَهُ اللَّهُ، لِعَمِّهِ سَعْدِ بْنِ مَسْعُودٍ: هَلْ لَكَ فِي الشَّرَفِ وَالْغِنَى؟ قَالَ: وَمَاذَا؟ قَالَ: تَأْخُذُ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ فَتُقَيِّدُهُ وَتَبْعَثُ بِهِ إِلَى مُعَاوِيَةَ. فَقَالَ لَهُ عَمُّهُ: قَبَّحَكَ اللَّهُ وَقَبَّحَ مَا جِئْتَ بِهِ! أَأَغْدِرُ بِابْنِ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ !
وَلَمَّا رَأَى الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ تَفَرُّقَ جَيْشِهِ عَلَيْهِ مَقَتَهُمْ، وَكَتَبَ عِنْدَ ذَلِكَ إِلَى مُعَاوِيَةَ - وَكَانَ قَدْ رَكِبَ فِي أَهْلِ الشَّامِ فَنَزَلَ مَسْكِنَ - يُرَاوِضُهُ عَلَى الصُّلْحِ بَيْنَهُمَا فَبَعَثَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرٍ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ، فَقَدِمَا عَلَيْهِ الْكُوفَةَ فَبَذَلًا لَهُ مَا أَرَادَ مِنَ الْأَمْوَالِ، فَاشْتَرَطَ أَنْ يَأْخُذَ مِنْ بَيْتِ مَالِ الْكُوفَةِ خَمْسَةَ آلَافِ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَأَنْ يَكُونَ خَرَاجُ دَارَابْجِرْدَ لَهُ، وَأَنْ لَا يُسَبَّ
পৃষ্ঠা - ৬৩০৯
গঠন করে ৷ কেদ্রীয় সরকার থেকে পৃথক হয়ে যায়৷ অবশ্য তার কিছুদিন পরে সে তার
সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে এবং মুআবিয়া (রা) এর প্রতি আনুপত্য প্রকাশ করে তার হয়
যার আত করে ৷ এই বিষয়টি আমরা অবিলম্বে উল্লেখ করব ৷
প্রসিদ্ধ অভিমত এই যে, খলীফা হিসেবে মুআবিয়া (রা) এর প্রতি হযরত হাসান (
আনুপত্যের এই ঘটনা ঘটে ৪০ হিজরী সনে ৷ এজন্যে এই বছরটি ঐ ক্যের বছর’ নামে
প্রসিদ্ধ ৷ যেহেতু এই বছর খলীফারুপে মুআবিয়া (রা) এর পক্ষে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয় ৷
অবশ্য ইবন জারীর ও অন্যান্য কতক ইতিহাস বিশারদের মতে এই ঘটনা ঘটেফ্লি ৪১ হিজরী
সনের শুরুর দিকে ৷ এটিও আমরা ইনৃশাআল্লাহ্ অবিলম্বে উল্লেখ করব ৷ এই বছর আমীর-ই
হজ্জ হয়ে জনসাধারণ নিয়ে হজ্জ সম্পাদন করেন, মুগীর৷ ইবন শু বা (বা) ৷
ইসমাঈল ইবন রাশেদের উদ্ধৃতি দিয়ে ইবন জারীর বলেছেন যে, ঐ বছর হুরুজ্জন্ৰুন্
নেতৃতুদড়ানের জন্যে মুগীর৷ ইবন শু বা (বা) শাসক মুআবিয়া (রা) এর নামে একটি ড
অনুমতি পত্র তৈরী করেন ৷ হজ্জ পরিচালনায় নেতৃত্ব লাভের অপর দাবীদার উত্বা ইবন
আবু সফিয়ানের আগেই তিনি হজ্জ অনুষ্ঠান সম্পাদন করে ফেলেন ৷ অথচ উত্বা ইবন
আবু সুফিয়ানের নিকট তার ভাই শাসক মুআবিয়৷ (রা) এর পক্ষ থেকে হক্কজ্জ নেতৃতু
প্রদানের লিখিত পত্র বিদ্যমান ছিল ৷ এদিকে উত্বাকে ডিঙ্গিয়ে নিজের নেতৃতু অকু
রাখার জন্যে মুগীর৷ (বা) ঐ বছর ৮ই যিলহজ্জ্ব আরাফাতের ময়দানে অবস্থান বা (অকুযে
আরাফা) সম্পন্ন করেন ৷ কিন্তু আমরা বলি যে, ইবন জারীর এ বিষয়ে যে উদ্ধৃতি উল্পেং
করেছেন, তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় ৷ মুগীর৷ ইবন শুব৷ (রা)-এর ন্যায় একজন সাহাবীয়
ব্যাপারে এমন ,অপকর্ম কল্পনাও করা যায় না ৷ এই বর্ণনাটি উল্লেখ করে আমরা সতর্ক করে
দিলাম যে, বর্ণনাটি বাতিল ও অগ্রহণযোগ্য ৷ কারণ এমন অপকর্ম থেকে সাহারা-ই
কিরামেব অবস্থান অনেক উভ্রুর্ধ্ব ৷ অবশ্য এটি শিয়া-সম্প্রদায়ের বানােয়াট ও মিথ্যা রচনা
হতে পারে ৷
ইবন জারীর বলেছেন, এই বহ্বই হযরত আলী (রা) এর ইনৃতিকালের পর ইলিয়৷ তথা বায়তুল
মুকাদ্দাসে হযরত মুআবিয়া (বা) এর পক্ষে আন্যুাত্যের শপথ নেয়া হয় ৷ অর্থাৎ হযরত আলী (বা)
যখন ইন্তিকাল করেন তখন সিরিয়ার অধিবাসীপণ মুআবিয়া (রা) কে “আমীল্পে মৃ মিনীন” ঘোষণা
করে এবং তার প্রতি তআনৃগত্য প্রকাশ করে ৷ কারণ তখন তার প্রতিদ্বস্বী কেউ ছিলেন না ৷ এদিবে
তখনই ইরাক অধিবাসীপণ হযরত হাসান (রা)-কেখিলাফত্যে৷ পদে অধিষ্ঠিত করে যাতে তার মাধ্যমে
সিরিয়াবাসীদেয়কে প্রতিহত করা যায় ৷ বিত ব্লোষ পর্যন্ত তাদের আশা পুর্ণ হয়নি, লক্ষ্য অর্জিত হয়নি ৷
তারা ব্যর্থ হয়েছে নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য ও নেতৃত্বের বিরোধিতা করার কারন্থণ ৷ মুলত ততাদের যদি
গভীর জ্ঞান থাকত তাহলে তারা উপলব্ধি করতে পারত যে, স্বয়ং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দৌহিত্রের হাতে
বায়আত করা কি নিআমত্ আল্লাহ্ তাদেরকে দিয়েছেন ৷ হযরত হাসান (রা) ছিলেন একাধারে
রাসুলুল্লাহ্ (সা)শ্এর দৌহিত্র, মুসলমানদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, গভীর জ্ঞান সমৃদ্ধ সাহাবী, আলিমদের
একজন, ধৈর্যশীল ও প্রসিদ্ধ অভিজ্ঞ সাহাবী ৷ তিনি ছিলেন খুলাফায় রাশিদীনের পঞ্চম খলীফা ৷ এর্ভু
প্রমাণ সেই হাদীস, যা ৷দালইিল-ই নৃবুওয়াত গ্রন্থে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আযাদকৃত দাস সকীন৷ থাে;র্দু
সে টি আমরা উদ্ধৃত করেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন-
——
তাল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া-৬
عَلِيٌّ وَهُوَ يَسْمَعُ، فَإِذَا فُعِلَ ذَلِكَ نَزَلَ عَنِ الْإِمْرَةِ لِمُعَاوِيَةَ، وَيَحْقِنُ الدِّمَاءَ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ. فَاصْطَلَحُوا عَلَى ذَلِكَ وَاجْتَمَعَتِ الْكَلِمَةُ عَلَى مُعَاوِيَةَ، عَلَى مَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ وَتَفْصِيلُهُ، وَقَدْ لَامَ الْحُسَيْنُ أَخَاهُ الْحَسَنَ عَلَى هَذَا الرَّأْيِ، فَلَمْ يَقْبَلْ مِنْهُ، وَالصَّوَابُ مَعَ الْحَسَنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَمَا سَنَذْكُرُ دَلِيلَهُ قَرِيبًا.
ثُمَّ بَعَثَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ إِلَى أَمِيرِ الْمُقَدِّمَةِ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ أَنْ يَسْمَعَ وَيُطِيعَ لِمُعَاوِيَةَ، فَأَبَى قَيْسٌ مِنْ قَبُولِ ذَلِكَ، وَخَرَجَ عَنْ طَاعَتِهِمَا جَمِيعًا، وَاعْتَزَلَ بِمَنْ أَطَاعَهُ، ثُمَّ رَاجَعَ الْأَمْرَ فَبَايَعَ مُعَاوِيَةَ بَعْدَ أَيَّامٍ قَرِيبَةٍ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ. ثُمَّ الْمَشْهُورُ أَنَّ مُبَايَعَةَ الْحَسَنِ لِمُعَاوِيَةَ كَانَتْ فِي سَنَةِ أَرْبَعِينَ، وَلِهَذَا يُقَالُ لَهُ: عَامُ الْجَمَاعَةِ. لِاجْتِمَاعِ الْكَلِمَةِ فِيهِ عَلَى مُعَاوِيَةَ، وَالْمَشْهُورُ عِنْدَ ابْنِ جَرِيرٍ وَغَيْرِهِ مِنْ عُلَمَاءِ السِّيَرِ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي أَوَائِلِ سَنَةِ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ كَمَا سَنَذْكُرُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ أَرْبَعِينَ - الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ.
وَزَعَمَ ابْنُ جَرِيرٍ فِيمَا رَوَاهُ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَاشِدٍ، أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ افْتَعَلَ كِتَابًا عَلَى لِسَانِ مُعَاوِيَةَ أَنَّهُ قَدْ وَلَّاهُ إِمْرَةَ الْحَجِّ عَامَئِذٍ، وَبَادَرَ إِلَى ذَلِكَ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، وَكَانَ مَعَهُ كِتَابٌ مِنْ أَخِيهِ مُعَاوِيَةَ بِإِمْرَةِ الْحَجِّ، فَتَعَجَّلَ الْمُغِيرَةُ فَوَقَفَ بِالنَّاسِ يَوْمَ الثَّامِنِ لِيَسْبِقَ عُتْبَةَ إِلَى الْإِمْرَةِ. وَهَذَا الَّذِي نَقَلَهُ ابْنُ جَرِيرٍ لَا يُقْبَلُ، وَلَا يُظَنُّ بِالْمُغِيرَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، ذَلِكَ، وَإِنَّمَا نَبَّهْنَا عَلَى ذَلِكَ لِيُعْلَمَ أَنَّهُ بَاطِلٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَإِنَّ الصَّحَابَةَ أَجَلُّ قَدْرًا مِنْ هَذَا، وَلَكِنْ هَذِهِ نَزْعَةٌ شِيعِيَّةٌ.
পৃষ্ঠা - ৬৩১০
“আমার পরে খিলাকত নীতি বহাল থাকবে ৩০ বছর পর্যন্ত ৷ তারপরে শুরু হবে
রাজতন্ত্র ৷” হযরত হাসান (রা) এর র্শাসনামল যোগ করলে খিলাফতকাল মোট ৩০ বছর পুর্ণ
হয় ৷ কারণ ৪১ হিজরঅর রবিউল আউয়াল মৃা সে তিনি মুআবিয়া (রা) এর সপক্ষে নিজে
াখলাফত থেকে সরে দাড়ান, তাতে র্াসুলুল্লাহ্ (ঈা) এর ওফ্াত থেকে এ সময় পর্যন্ত ৩০ বছর
পুর্ণ হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাত হয় ১১ হিজ়রী সনের রবিউল আউয়াল মাসে ৷ এ হাদীস
এবং এর বাস্তবতা রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর সত্য নবী হওয়ার একটি উজ্জ্ব৷ প্রমাণ ৷ হযরত হাসান
(রা) এর এই আপোষরফাকে বহু আগেই রাসুলুত্মাহ্ (সা) প্রশংসা করে গিয়েছেনঃ ৷ এভাবে
হযরত হাসান (রা) ধ্বংসশীল এই দৃনিরার মােহ ত্যাগ করেছেন, চিরস্থায়ী আখিরাতের প্রতি
আংাহ দেখিয়েছেন এবং এই উম্মতের রক্তপাত বন্ধের পর অবলম্বন করেছেন ৷ তিনি
খিলাফতের পদ থেকে সরে দাড়িয়েছেন এবং রাজত্ব সােপর্দ করেছে৷ মুআৰির৷ (রা) এর
হাতে ৷ ফলে সকলে এক শাসকের পেছনে ঐকাবদ্ধ হয়েছে ৷
হযরত হাসান (রা) কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যে প্রশংসা করেছেন তা আমরা পুর্বে উল্লেখ
করেছি ৷ অবিলম্বে তা আবার উল্লেখ করব ৷ আর তা এই যে, একদিন রাসৃল্লুল্পা হ্ (সা) মিম্বরে
বসা ছিলেন ৷ তার পাশে বসা ছিক্ষো হযরত হাসান ইবন আলী (রা) ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) একবার
শ্রোতাদের দিক আরেক বার হযরত হাসান (রা) এর দিকে তাকাচ্ছিলেন ৷ তারপর বললেন্থ
৫হ লোক সকল ! আমার এই বশেধয় নেতা ও পথ প্রদর্শক ৷ অআিত্তুস্বতারর্মাধ্যযে
আল্লাহ তাআলা দু’টো বৃহ্ৎ মুসলিম র্দলের মধ্যে আপোষ-মীমাৎসার ব্যবস্থা কট্টৰেন ৷ ইমাম্
বুখারী (বা) এই হাদীস উদ্ধৃত করেছেন ৷
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ بُويِعَ لِمُعَاوِيَةَ بِإِيلِيَاءَ. يَعْنِي لَمَّا مَاتَ عَلِيٌّ قَامَ أَهْلُ الشَّامِ فَبَايَعُوا مُعَاوِيَةَ عَلَى إِمْرَةِ الْمُؤْمِنِينَ ; لِأَنَّهُ لَمْ يَبْقَ لَهُ عِنْدَهُمْ مُنَازِعٌ، فَعِنْدَ ذَلِكَ أَقَامَ أَهْلُ الْعِرَاقِ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لِيُمَانِعُوا بِهِ أَهْلَ الشَّامِ، فَلَمْ يُتِمَّ لَهُمْ مَا أَرَادُوهُ وَمَا حَاوَلُوهُ، وَإِنَّمَا كَانَ خِذْلَانُهُمْ مِنْ قِبَلِ تَدْبِيرِهِمُ السَّيِّئِ وَآرَائِهِمُ الْمُخْتَلِفَةِ الْمُخَالِفَةِ لِأُمَرَائِهِمْ، وَلَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ لَعَظَّمُوا مَا أَنْعَمَ اللَّهُ بِهِ عَلَيْهِمْ مِنْ مُبَايَعَتِهِمُ ابْنَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسَيِّدَ الْمُسْلِمِينَ، وَأَحَدَ عُلَمَاءِ الصَّحَابَةِ وَحُلَمَائِهِمْ وَذَوَى آرَائِهِمْ. وَالدَّلِيلُ عَلَى أَنَّهُ أَحَدُ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْحَدِيثُ الَّذِي أَوْرَدْنَاهُ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ مِنْ طُرُقٍ عَنْ سَفِينَةَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْخِلَافَةُ بَعْدِي ثَلَاثُونَ سَنَةً، ثُمَّ تَكُونُ مُلْكًا» ". وَإِنَّمَا كَمَلَتِ الثَّلَاثُونَ بِخِلَافَةِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَإِنَّهُ نَزَلَ عَنِ الْخِلَافَةِ لِمُعَاوِيَةَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ سَنَةِ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ، وَذَلِكَ كَمَالُ ثَلَاثِينَ سَنَةً مِنْ مَوْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; فَإِنَّهُ تُوُفِّيَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ مِنَ الْهِجْرَةِ، وَهَذَا مِنْ أَكْبَرِ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ، وَقَدْ مَدَحَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى صَنِيعِهِ هَذَا، وَهُوَ تَرْكُهُ الدُّنْيَا الْفَانِيَةَ، وَرَغْبَتُهُ فِي الْآخِرَةِ الْبَاقِيَةِ، وَحَقْنُهُ دِمَاءَ هَذِهِ الْأُمَّةِ، فَنَزَلَ عَنِ الْخِلَافَةِ وَجَعَلَ الْمُلْكَ بِيَدِ مُعَاوِيَةَ، حَتَّى تَجْتَمِعَ الْكَلِمَةُ عَلَى أَمِيرٍ وَاحِدٍ، وَهَذَا الْمَدْحُ قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِيمَا تَقَدَّمَ وَسَنُورِدُهُ فِي حَدِيثِ أَبِي بَكْرَةَ الثَّقَفِيِّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَعِدَ الْمِنْبَرَ يَوْمًا، وَجَلَسَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ إِلَى جَانِبِهِ، فَجَعَلَ يَنْظُرُ إِلَى النَّاسِ مَرَّةً وَإِلَيْهِ أُخْرَى، ثُمَّ قَالَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ، وَسَيُصْلِحُ اللَّهُ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ عَظِيمَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ» " رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ.