আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة أربعين من الهجرة النبوية

باب ذكر شيء من فضائل أمير المؤمنين علي بن أبي طالب رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ৬২০৫


আমরা পরে আলোচনা করবো, ইনশাআল্লাহ্ ৷ এরপর প্রায় বিশ দিন পর্যন্ত প্রতিটি দােকানের
দরজায় তারা কম্বল ঝুলিয়ে রাখে এবং ভুমি ও ছইি উড়াতে থাকে ৷৩ তারপর আশুরার দিন
সকালে শহরের শিশু-কিগাের ও মহিলারা অলি-গলি প্রদক্ষিণ করে হুসাইনের উপর মাতম
করে ৷ এ সময় তার শাহাদত সম্পর্কে মিথ্যা ও বানােয়টি কবিতা গযল পায় ৷ আমরা যথাস্থানে
হুসাইনেব শাহাদতের সঠিক বর্ণনা তুলে ধরবাে, ইনশা আল্লাহ্ ৷ বনী উমাইয়ার কোন কোন
লোক আলীর আবু তরাব উপাধিকে মিথ্যা বলে থাকে ৷ বস্তুত রাসুলুল্লাহ্ল্যাং৩ তাকে এ উপাধিতে
ভুষিত করেছিলেন ৷ ৰুখারী ও মুসলিমে সাহল ইবন সা দ থেকে বর্ণিত আছে যে, একদিন আলী

ফাতিমার উপর অভিযান করে মসজিদে এসে শুয়ে থাকেন ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ এসে দেখেন যে,

আলী ঘুমিয়ে আছে এবৎ ধুলা-মাটি তার দেহে লেগে আছে ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ ন্মোনিজ হাতে তার
শরীর থেকে ধুলা-মা ঢি ঝেড্রে দেন এবং বলেন ৷ , ৷ ৷ ৷ ,ন্ ৷ ওহেআবুতু রাব৷ উঠে রস
(তৃরাব মানে মাটি) ৷

ভ্রাতৃ বন্ধনের বর্ণনা

হাকিম বলেন : আবু বকর ৰুমুহাষ্মদ ইবন আবদুল্লাহ আল জুনাইদ আবুউমামাহ্ থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ফ্রো,ন্ যখন মুসলমানগণের মধ্যে পারস্পরিক ভ্রাতৃবন্ধন স্থাপন
করে দেন, তখন তিনি আলী ও তার মধ্যে ভ্রাতৃ সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেন ৷ এরপর হাকিম
বলেন, মাকহুল থেকে এ হাদীস উপরোক্ত সনদ ব্যতীত অন্য কোন সনদে সৎগ্নহ করিনি ৷ এ
হাদীসটি মুহাদ্দিসগণের কাছে কৌতুহল সৃষ্টি করতো ৷ কেননা সিরিয়াবাসী রাবীদের মাধ্যমে
এটা বর্ণিত হয়েছে ৷ গ্রহুকার বলেন, এ হাদীসের সহীহ হওয়া প্রশ্নাতীত নয় ৷ অ ৷নড়াস ও উমর
(রা)-এর সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ন্হুক্ট্র বলেছেন : দুনিয়া ও আখিরাতে তুমি আমার
ভাই ৷ এভাবে যাইদ ইবন আবু আওফ, ইবন আব্বাস, মাহদুজ ইবন যাইদ আয যুহালী, জাবির
ইবন আবদুল্লাহ আমির ইবন রাবীআহ্, আবু যায় ও স্বয়ৎ আলী থেকে অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷
কিন্তু এর সকল সনদই দুর্বল যার দ্ব৷ ৷রা কোন প্রমাণ গ্রহণ করা যায় না ৷

একাধিক সুত্রে আলী থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন, আমি আল্লাহ্র গোলাম এবং
তার রাসুলের তইি ৷ আমার পরে এ দাবি মিথ্যাবাদী ছাড়া আর কেউ করবে না ৷ তিরমিযী
বলেন৪ ইউসুফ ইবন মুসা আলকাত্তান বাগদাদী ইবন উমর থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্;খোট্রুসাহাবাগণের মধ্যে পারস্পরিক ভ্রাতৃ সম্পর্ক স্থাপন করে দেন ৷ এ সময় আলী
(রা) অশ্রুসজল নয়রুন এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি সাহাবাগণের মধ্যে পারস্পরিক
ভ্রাতৃ সম্পর্ক স্থাপন করে দিয়েছেন কিন্তু আমার সাথে কারও ভ্রাতৃ সম্পর্ক করেননি ৷ তখন
রাসুলুঙ্কৰুাহ্ৰুমোঃ বললেন, দুনিয়ার ও আখিরাতে তুমি আমার ভইি ৷ এরপর তিরমিযী বলেন, এ
হাদীস হাসান গরীব ৷ এ হাদীস যইিদ ইবন আবুআওফ৷ থেকেও বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি একজন
বদরী সাহাবী ৷ রাসুলুল্লাহ্ড়োউমরকে বলেছিলেন, তুমি কি জান, আল্লাহ্ বদরী সাহাবীগণের ’
প্রতি সদর হয়ে বলে দিয়েছেন৪ তোমাদের যা ইচ্ছে কর, আমি তােমাদেরকে ক্ষমা করে
দিয়েছি ৷ পুর্বেই বলা হয়েছে যে, বদর যুদ্ধে আলী (রা) মল্লযুদ্ধে অ ৎশগ্রহণ করেন ৷ আলীর ছিল
বীরত্বের সুখ্যাতি ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ ষ্ বদর যুদ্ধের পতাকা আলীর হাতে অর্পণ করেন ৷ অথচ তখন
তার বয়স ছিল মাত্র বার বছর ৷ হাকাম মুকসিংমর সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে এ কথা বর্ণনা


أَلْفًا. وَرَوَاهُ، عَنْ أَسْوَدَ، عَنْ شَرِيكٍ بِهِ، وَقَالَ: إِنَّ صَدَقَتِي لَتَبْلُغُ أَرْبَعِينَ أَلْفَ دِينَارٍ. [بَابُ ذِكْرِ شَيْءٍ مِنْ فَضَائِلِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] [أَقْرَبُ الْعَشَرَةِ الْمَشْهُودُ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ نَسَبًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] بَابُ ذِكْرِ شَيْءٍ مِنْ فَضَائِلِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَمِنْ ذَلِكَ أَنَّهُ أَقْرَبُ الْعَشَرَةِ الْمَشْهُودِ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ نَسَبًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَهُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَاسْمُهُ شَيْبَةُ بْنُ هَاشِمٍ، وَاسْمُهُ عَمْرُو بْنُ عَبْدِ مَنَافٍ، وَاسْمُهُ الْمُغِيرَةُ بْنُ قُصَيٍّ، وَاسْمُهُ زَيْدُ بْنُ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ بْنِ خُزَيْمَةَ بْنِ مُدْرِكَةَ بْنِ إِلْيَاسَ بْنِ مُضَرَ بْنِ نِزَارِ بْنِ مَعَدِّ بْنِ عَدْنَانَ، أَبُو الْحَسَنِ الْقُرَشِيُّ الْهَاشِمِيُّ، ابْنُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَبُوهُ أَخُو أَبِيهِ، وَأُمُّهُ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَسَدِ بْنِ هَاشِمِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ. قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: وَهِيَ أَوَّلُ هَاشِمِيَّةٍ وَلَدَتْ هَاشِمِيًّا. وَقَدْ أَسْلَمَتْ وَهَاجَرَتْ، وَأَبُوهُ هُوَ الْعَمُّ الشَّقِيقُ الرَّفِيقُ أَبُو طَالِبٍ، وَاسْمُهُ عَبْدُ مَنَافٍ كَذَا نَصَّ عَلَيْهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، هُوَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَاءِ النَّسَبِ وَأَيَّامِ النَّاسِ، وَزَعَمَتِ الرَّوَافِضُ أَنَّ اسْمَ أَبِي طَالِبٍ عِمْرَانُ، وَأَنَّهُ الْمُرَادُ مِنْ قَوْلِهِ تَعَالَى {إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى آدَمَ وَنُوحًا وَآلَ إِبْرَاهِيمَ وَآلَ عِمْرَانَ عَلَى الْعَالَمِينَ} [آل عمران: 33] . وَقَدْ أَخْطَئُوا فِي ذَلِكَ خَطَأً كَبِيرًا، وَلَمْ يَتَأَمَّلُوا الْقُرْآنَ
পৃষ্ঠা - ৬২০৬


করেছেন ৷ ইসলামের সকল যুদ্ধে মুহাজিরগণের পতাকা আলীর হাতেই থাকতো ৷ সাঈদ ইবন
মুসইিয়িব এবং কাতদােহ্ও অনুরুপ কথা বলেছেন ৷
খাইছামাহ্ ইবন সুলাইমান আআবিলাসী আল হাফিজ বলেন : আহমাদ ইবন হাযিম
জাবির ইবন সামুরা থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলো, ইয়া বড়াসুলাল্লাহ্ ;
কিয়ামতের দিন আপনার পতাকা কে বহন করবেঃ তিনি বললেন, আর কে? কিয়ামতে আমার
পতাকা সেই বহন করবে, যে দুনিয়ার তা বহন করে অর্থাৎ আলী ইবন আবু তালিব ৷ এ
হাদীসের সনদ দুর্বল ৷ ইবন আসাকির এ হাদীস আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
কিন্তু সে সনদও সহীহ নয় ৷ হাসান ইবন আরাফাহ্ বলেনং আমার ইবন মুহাম্মদ আবু
জাফর ইবন আলী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন আসমান থেকে এক
ঘোষণাকারী ঘোষণা দিয়েছিল যে, যুলফিকার ছাড়া আর কোন তলোয়ার নেই এবং আলী ছাড়া
আর কোন যুবকদ্যো নেই ৷ হাফিজ ইবন আসাকির বলেন, এটা মুরসাল হাদীস ৷ প্রকৃত পক্ষে, বদর
যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্আে ,, মোঃনিজের যুলফিকার তলোয়ার আলীকে দান করেছিলেন ৷ এরপরে তিনি তা
আলীকে স্থায়িভাবে দিয়ে দেন ৷ যুব৷ ৷ইর ইবন বাকার বলেনং আলী ইবন মুগীরা যা মার ইবন -
মুছান্ন৷ সুত্রে বলেন, বদর যুদ্ধে মুশরিকদের পতাকা ছিল তালহ৷ ইবন আবু তালহার হাতে ৷
আলী ইবন আবু তালিব তাকে হত্যা করেন ৷
এ সম্পর্কে হাজ্জাজ ইবন আলাত কবিতায় বলেন :
১াড্রুশ্হৃ৷ ৷ র্চে ৷ ণ্া৷া
)
অর্থ০ অ ৷ল্লাহ্র সত্তুষ্টি কামনায় বর্শ৷ দ্বারা যে আঘাত দেওয়া হয়, তাতে কোন দোষ নেই
অর্থাৎ ফাতিমার ছেলে৩ তার মামুদের উপরে যে আঘাত করেছিল ৷ তোমার বাহু তীর সন্তুষ্টির

জন্যে দ্রুত আঘাত করতে উদারত৷ প্রদর্শন করে ৷ ফলে তৃলাইহাকে এক বৃহৎ পাষাণের মত
রেখে দেয় ৷

ক্ষুরধার তরবা ৷রি দ্বারা তুমি প্রচণ্ড আঘাত হেনেছ, ফলে তাদের সম্মুখে তুমি সতাকে প্রকাশ
করে দিলে যস্বান মাযুর বংশের লোকেরা আক্রমণের উদ্যোগ নেয় ৷

আর তুমি তোমার তল্যেয়ারাক খুলে ?fi“§@ করে রেখে দিলে ৷ এ রকম প্রচণ্ড আক্রমণ
ছাড়া তাদেরকে তুমি হটাতে পারতে না ৷

আলী (রা) বাই আতুর ব্লিজওয়ানের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন ৷ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্
বলেন০ :


অর্থাৎ আল্পাহ্ তো মু মিনদের উপর সন্তুষ্ট হলেন যখন বৃক্ষতলে তোমার নিকট বইি আত
গ্রহণ করল (ফাত্হ : ১৮)


قَبْلَ أَنْ يَقُولُوا هَذَا الْبُهْتَانَ مِنَ الْقَوْلِ فِي تَفْسِيرِهِمْ لَهُ عَلَى غَيْرِ مُرَادِ اللَّهِ تَعَالَى، فَإِنَّهُ تَعَالَى قَدْ ذَكَرَ بَعْدَهَا قَوْلَهُ تَعَالَى {إِذْ قَالَتِ امْرَأَةُ عِمْرَانَ رَبِّ إِنِّي نَذَرْتُ لَكَ مَا فِي بَطْنِي مُحَرَّرًا} [آل عمران: 35] . فَذَكَرَ بَعْدَهَا مِيلَادَ مَرْيَمَ بِنْتِ عِمْرَانَ، عَلَيْهَا السَّلَامُ، وَهَذَا ظَاهِرٌ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَدْ كَانَ أَبُو طَالِبٍ كَثِيرَ الْمَحَبَّةِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يُؤْمِنْ بِهِ بَلْ مَاتَ عَلَى الْكُفْرِ، كَمَا ثَبَتَ ذَلِكَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ رِوَايَةِ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِيهِ، فِي عَرْضِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، عَلَى عَمِّهِ أَبِي طَالِبٍ وَهُوَ فِي السِّيَاقِ أَنْ يَقُولَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. فَقَالَ لَهُ أَبُو جَهْلٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ: يَا أَبَا طَالِبٍ أَتَرْغَبُ عَنْ مِلَّةِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ؟ فَقَالَ: كَانَ آخِرُ مَا قَالَ: هُوَ عَلَى مِلَّةِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ. وَأَبَى أَنْ يَقُولَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَقُولُ «أَمَا لَأَسْتَغْفِرَنَّ لَكَ مَا لَمْ أُنْهَ عَنْهُ " فَنَزَلَ فِي ذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى {مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَى مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ - وَمَا كَانَ اسْتِغْفَارُ إِبْرَاهِيمَ لِأَبِيهِ إِلَّا عَنْ مَوْعِدَةٍ وَعَدَهَا إِيَّاهُ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ أَنَّهُ عَدُوٌّ لِلَّهِ تَبَرَّأَ مِنْهُ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَأَوَّاهٌ حَلِيمٌ} [التوبة: 113 - 114] [التَّوْبَةِ: 113: 114] . وَنَزَلَتْ {إِنَّكَ لَا تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ} [القصص: 56] » .
পৃষ্ঠা - ৬২০৭
وَقَدْ تَقَدَّمَ هَذَا كُلُّهُ فِي أَوَّلِ الْمَبْعَثِ وَنَبَّهْنَا عَلَى خَطَأِ الرَّافِضَةِ فِي دَعْوَاهُمْ أَنَّهُ أَسْلَمَ، وَافْتِرَائِهِمْ ذَلِكَ بِلَا دَلِيلٍ، وَعَلَى مُخَالَفَتِهِمُ النُّصُوصَ الصَّحِيحَةَ الصَّرِيحَةَ. وَأَمَّا عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَإِنَّهُ أَسْلَمُ قَدِيمًا، وَهُوَ دُونَ الْبُلُوغِ عَلَى الْمَشْهُورِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ. وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ حَدِيثٌ عَنْهُ وَلَا يَصِحُّ، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ الْغِلْمَانِ. كَمَا أَنَّ خَدِيجَةَ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ النِّسَاءِ، وَأَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ الرِّجَالِ الْأَحْرَارِ، وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ الْمَوَالِي. وَقَدْ رَوَى التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو يَعْلَى مِنْ حَدِيثِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «بُعِثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَصَلَّى عَلِيٌّ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ» . وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ، عَنْ مُسْلِمٍ الْمُلَائِيِّ، عَنْ حَبَّةَ بْنِ جُوَيْنٍ عَنْ عَلِيٍّ وَحَدِيثُ حَبَّةَ لَا يُسَاوِي حَبَّةً. وَقَدْ رَوَى سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ، عَنْ حَبَّةَ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: عَبَدْتُ اللَّهَ مَعَ
পৃষ্ঠা - ৬২০৮


রাসুলুল্লাহ্ড্রো বলেছেন : যারা বৃক্ষতলে বাইআত গ্রহণ করেছিল তাদের কেউ
জাহান্নড়ামের আগুনে প্রবেশ করবে না ৷ সহীহ হাদীস গ্রন্থে ও অন্যান্য কিভাবে আছে যে,
খাইবার যুদ্ধে রাসুলুল্পাহ্জাে বলেছিলেন, আগামীকাল আমি এমন এক ব্যক্তির হাতে পতাকা
তুলে দিব যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তার রাসুলকে ভালবাসে এবং তাকেও আল্লাহ্ ও তার রাসুল
ভালবাসেন ৷ সে যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করবে না ৷ তার হাতেই আল্লাহ্ খাইবারের বিজয়
দান করবেন ৷ পুরা সৈন্যরাহিনী এ চিন্তা ও আলোচনায় রাত কাটিয়ে দিল যে, আগামীকাল
রাসুলুল্লাহ্আঃ কার হাতে এ পতাকা তুলে দেন ৷ উমর (রা) বলেন : ;এ ৷১৷ ৷ ;, ৷ৰু
১, ১৷ ৷ আমি কখনও নেতৃত্ব কামনা করিনি; কিন্তু সে দিন এ কামনা করেছিলাম ৷ পরদিন
সকালে আল্লাহ্র রাসুল আলীর হাতে পতাকা তুলে দেন এবং তার হাতে খাইবার বিজয় হয় ৷ এ
হাদীসটি আবু হুরায়রা থেকে আবদুল্লাহ ইবন সাহলের সুত্রে অনেকেই বর্ণনা করেছেন যথা :
মালিক, হাসান, ইয়া’কুব ইবন আবদুর রাহমান, জারীর ইবন আবদুল হামীদ, হাম্মাদ ইবন
সালমা, আবদুল আষীষ ইবন মুখতার ও খালিদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন সাহল ৷ ইমাম মুসলিম এ
সব সুত্রে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন আবু হাযিমও এ হাদীস সাহল ইবন সাদ থেকে
বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিমে তা বর্ণিত হয়েছে৷ এ বর্ণনায় আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ £শ্প্র্চু;;রুষ্
সকাল বেলা আলী (রা) কে ডেকে পাঠান ৷ তিনি রাসুলুল্পাহ্জােএর কাছে আসেন ৷ তখন তার
চোখ উঠেছিল ৷ তিনি তার চোখে সামান্য থুথু ছিটিয়ে দেন ৷ এত সে সুস্থ হয়ে যায় ৷ এ হাদীস
সালমা ইবন আকওয়৷ তার পিতা থেকে এবং ইয়াযীদ ইবন আবু উবাইদ তার মুক্ত গোলাম
সালমা থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিমে তা বর্ণিত হয়েছে ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বলেন : যুবাইদা সালামা ইবন আমর ইবন আকওয়া’ থেকে
বর্ণিত ৩৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্মোঃআবুবকর সিদ্দীকের হাতে পতাকা দিয়ে খাইবারের কোন
এক দুর্গের প৩ নের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন ৷ তিনি প্রাণপণে যুদ্ধ করেও বিজয় লাভ করতে ব্যর্থ
হয়ে ফিরে আসেন ৷ এরপর উমর ইবন খাত্তাবকে প্রেরণ করেন ৷ তিনিও সর্বাত্মক চেষ্টা
চালিয়েও ব্যর্থ হয়ে চলে আসেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্মোঃ বলেনং আপামীকাল আমি এ পতাকা
এমন এক ব্যক্তির কাছে দিব যে বাক্তি আল্লাহ্ ও তার রাসুলকে ভালরাসে এবং তাকেও আল্লাহ
ও তার রাসুল ভালবাসেন ৷ সে খালি হাতে আসবে না ৷ আল্লাহ্ তার হাতে দুর্গের পতন
ঘটাবেন ৷ সালামা বলেন, রাসুলুল্লাহ্ড্ডাআলীকে ডেকে পাঠান ৷ তখন আলীর চোখে ছিল
যস্ত্রণা ৷ তিনি তার চোখে সামান্য থুথু দিয়ে বলেন : তুমি এ পতাকা লও ও যাত্রা কর ৷ তারপর
লড়াই চালিয়ে যাও ৷ আল্লাহ তোমার হাতে বিজয় দিবেন ৷ সালামা বলেন, আলী (রা) পতাকা
নিয়ে দৌড়াতে থাকেন ৷ আমি তার পশ্চড়াতে তাকে অনুসরণ করে চলছিলাম ৷ তিনি সেই দুর্গের
পাশে পাথরের মধে৷ পতাকা (পড়ে দেন ৷ দুর্গের উপর থেকে জনৈক ইয়াহুদী তাকে দেখে
বললো, তুমি কো তিনি বললেন, আমি আবু তালিবের হোল আলী ৷ ইয়াহুদী বললোশ্ সেই
সত্তার কসম ৷ যিনি মুসা (আ)-এর উপর তাওরাত প্রেরণ করেছেন, এবার তোমরা বিজয় লাভ
করবে ৷ সালামা বলেন, মহান আল্লাহ্ তার হাতে দুর্গের বিজয় দান করেন ৷ বিজয়ের পর তিনি
সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ ইব্বাম৷ ইবন আম্মার এ হাদীস ছায়িবের মুক্ত গোলাম আতার
সুত্রে সালামা ইবন আকওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ এ বর্ণনায় আছে যে, আলীকে রাসুলুল্লাহ্


رَسُولِ اللَّهِ سَبْعَ سِنِينَ قَبْلَ أَنْ يَعْبُدَهُ أَحَدٌ. وَهَذَا لَا يَصِحُّ أَبَدًا، وَهُوَ كَذِبٌ. وَرَوَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَشُعْبَةُ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ حَبَّةَ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: أَنَا أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ. وَهَذَا لَا يَصِحُّ أَيْضًا، وَحَبَّةُ ضَعِيفٌ. وَقَالَ سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ: ثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ، ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ قَالَتْ: سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ عَلَى مِنْبَرِ الْبَصْرَةِ يَقُولُ: أَنَا الصِّدِّيقُ الْأَكْبَرُ، آمَنْتُ قَبْلَ أَنْ يُؤْمِنَ أَبُو بَكْرٍ، وَأَسْلَمْتُ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ. وَهَذَا لَا يَصِحُّ. قَالَهُ الْبُخَارِيُّ. وَقَدْ ثَبَتَ عَنْهُ بِالتَّوَاتُرِ أَنَّهُ قَالَ عَلَى مِنْبَرِ الْكُوفَةِ أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ خَيْرَ هَذِهِ الْأُمَّةِ بَعْدَ نَبِيِّهَا أَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ عُمَرُ، وَلَوْ شِئْتُ أَنْ أُسَمِّيَ الثَّالِثَ لَسَمَّيْتُ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: أَوَّلُ مَنْ صَلَّى - وَفِي رِوَايَةٍ: مَنْ أَسْلَمَ - مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ خَدِيجَةَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৬২০৯
حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ بِهِ. وَقَدْ رَوَى عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ وَأَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّهُ صَلَّى قَبْلَ النَّاسِ بِسَبْعِ سِنِينَ. وَهَذَا لَا يَصِحُّ مِنْ أَيِّ وَجْهٍ كَانَ. وَقَدْ رُوِيَ فِي أَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ، لَا يَصِحُّ مِنْهَا شَيْءٌ، وَأَجْوَدُ مَا فِي ذَلِكَ مَا ذَكَرْنَاهُ، عَلَى أَنَّهُ قَدْ خُولِفَ فِيهِ، وَقَدِ اعْتَنَى الْحَافِظُ الْكَبِيرُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ فِي " تَارِيخِهِ " بِتَطْرِيقِ هَذِهِ الرِّوَايَاتِ، فَمَنْ أَرَادَ كَشَفَ ذَلِكَ، فَعَلَيْهِ بِهِ، وَاللَّهُ الْمُوَفِّقُ لِلصَّوَابِ. وَقَدْ رَوَى التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ: أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ عَلِيٌّ. قَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَصَحِبَ عَلِيٌّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُدَّةَ مُقَامِهِ بِمَكَّةَ، وَكَانَ عِنْدَهُ فِي مَنْزِلِهِ وَفِي كَفَالَتِهِ فِي حَيَاةِ أَبِيهِ أَبِي طَالِبٍ إِلَى أَنْ هَاجَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَتَخَلَّفَ عَلِيٌّ بَعْدَهُ لِيُؤَدِّيَ مَا كَانَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ وَدَائِعِ النَّاسِ، فَإِنَّهُ كَانَ يُعْرَفُ فِي قَوْمِهِ بِالْأَمِينِ، فَكَانُوا يُودِعُونَهُ الْأَمْوَالَ وَالْأَشْيَاءَ النَّفِيسَةَ، ثُمَّ هَاجَرَ عَلِيٌّ بَعْدَ رَسُولِ
পৃষ্ঠা - ৬২১০


স্লে এর কাছে ধরে আনা হয় ৷ তখন তার চোখে অসুখ ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্র্চু তার চোখে থুথু
মুবারক ছিটিয়ে দেন ৷ এতে তিনি সুস্থ হয়ে যান ৷ ,
বুরাইদাহ্ ইবন হাসীবেয় বর্ণনা : ইমাম আহমাদ বলেন : যাইদ ইবন হবার

বুরাইদাহ্ ইবন হাসীব থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমরা খাইবার অবরোধ করি ৷ আবু বকর
(রা) ছিলেন পতাকাধারী ৷ কিন্তু আমাদের বিজয় হলো না ৷ তিনি ফিরে এলেন ৷ পরদিন পতাকা
নিলেন উমর (রা) ৷ তিনি যুদ্ধে অবতীর্ণ হন ৷ এবারও জয় হলো না ৷ ফিরে এলেন তিনি ৷
মুসলমানপণ এ দিন প্রাণপণ চেষ্টা করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ স্কুক্ট্রক্ট্র বললেন,
আগামীকাল আমি পতাকা এমন একজনের কাছে দিব, যাকে আল্লাহ ও তার রাসুল ভালবাসেন
এবং সেও আল্লাহ ও তার রাসুলকে ভালবাসে ৷ সে বিজয় না নিয়ে ফিরবে না ৷ আমরা এ
আনন্দে রাত কাটালাম বৈ, আগামীকা ৷ল আমাদের বিজয় আসছে ৷ সকাল বেলা রাসুলুল্লাহহ্রৰুসঃ
ফজরের সালাত শেষে দওায়মান হন ৷ তারপর পতাকা আনতে বলেন ৷ লোকজন সালাতের
কাতারেই আছে ৷ তিনি আলী (রা)-কে আহ্বান করলেন ৷ আলী (রা) চােখওঠ৷ রোগে
ভুগছিলেন ৷ র ৷সুলুল্লাহ হ্র’হ্;;চ্চুতার চোখে নিজের থুথু লাগিয়ে দেন ৷ এরপর তার কাছে পতাকা

অর্পণ করেন ৷ তিনি যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেন ৷ বুরাইদাহ্ বলেন, আমি ছিলাম ঐ পতাকা
পাওয়ার আকাক্ষোকারীদের মধ্যে একজন ৷ নাসাঈ হুসাইন ইবন ওয়াকিদ থেকে এ হাদীস
আরও দীর্ঘভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ এরপর ইমাম আহমাদ এ হাদীস মুহাম্মদ ইবন জাফর ও
রাওহ্ থেকে তারা উভয়ে আওফ থেকে তিনি মাইমুন আবু আবদুল্লাহ কুরদী থেকেন্ তিনি
আবদুল্লাহ ইবন বুরাইদাহ্ থেকে তিনি তার পিতা থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ইমাম নাসৰুএ ন্ত্ব
এ হাদীস ৰিনদার ও গুনদুর থেকে উক্ত সনদে বর্ণনা করেন ৷৩ তার বর্ণনায় কবিতার উল্লেখ
আছে ৷

আবদুল্লাহ ইবন উমরের বর্ণনা৪ হুশা ৷ইম আওয়াম ইবন হাওশাব থেকে তিনি হাবীব ইবন
আবু ছাবিত থেকে তিনি ইবন উমর থেকে বুর৷ ৷াইদ ৷র অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ এ ছাড়া
কাহীরুন-নাওয়া জামি ইবন উমাইর থেকে তিনি ইবন উমর থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
তবে এ বর্ণনায় আছে যে, আলী (রা) বলেন : ঐ দিনের পরে আর কখনও আমি চোখের রোগে
আক্রান্ত হইনি ৷ এ হাদীস ইমাম আহমাদ ওয়াকী’ থেকে তিনি হিশাম ইবন সাঈদ থেকে তিনি
উমর ইবন উসইিদ থেকে তিনি ইবন উমর থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ এ হাদীস পরে আসছে ৷
ইবন আব্বাসের বর্ণনা ং আবু ইয়া’ল৷ বলেন৪ ইয়াহইয়াহ ইবন আবদুল হামীদ
আমর ইবন মইিমুনের সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, বাসুলুল্লাহন্,;ণু ;: বলেছেন
আমি আগামীকাল পতাকা এমন একজনকে দিব যে আল্লাহ ও তার রাসুলকে ভালবাসে এবং
তাকেও আল্লাহ ও তার রাসুল৩ ভালব সেন ৷ সে মতে তিনি জিজ্ঞেস করলেন আ ৷লী কোথায় ?
লোকজন বললো, সে আটা পিষছে ৷ তিনি বললেন, তাদের মধ্যে অন্য কেউ কি অটো পিষ তে
রাজি আছে ? এরপর আলীকে রাসুলুল্পাহ্জ্যো ,লাক্ষ্ণ-এর কাছে আনা হয় ৷ তখন তিনি তার কাছে
পতাকা প্রদান করেন ৷ এ সময় সাফিয়াহ্ বিনত হইি ইবন আখ৩ যে সেখানে উপস্থিত হয় ৷ এ
হাদীসটি আলোচনা সনদে গরীব ৷ একটা দীর্ঘ হাদীসের এটা সার সংক্ষেপ ৷ ইমাম আহমদ
ইয়াহ্ইয়া ইবন হাস্মাদ থেকে আমর ইবন মইিমুনের সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে পুর্ণ হাদীস


اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصَحِبَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَنْ تُوُفِّيَ وَهُوَ رَاضٍ عَنْهُ، وَحَضَرَ مَعَهُ مَشَاهِدَهُ كُلَّهَا، وَجَرَتْ لَهُ مَوَاقِفُ شَرِيفَةٌ بَيْنَ يَدَيْهِ فِي مُوَاطِنِ الْحَرْبِ، كَمَا بَيَّنَّا ذَلِكَ فِي السِّيرَةِ بِمَا أَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ هَاهُنَا، كَيَوْمِ بَدْرٍ وَأُحُدٍ وَالْأَحْزَابِ وَخَيْبَرَ وَغَيْرِهَا، وَلَمَّا اسْتَخْلَفَهُ عَامَ تَبُوكَ عَلَى أَهْلِهِ بِالْمَدِينَةِ قَالَ: " «أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى، غَيْرَ أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعَدِي» . وَقَدْ ذَكَرْنَا تَزْوِيجَهُ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدُخُولَهُ بِهَا بَعْدَ وَقْعَةِ بِدْرٍ بِمَا أَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ، وَلَمَّا رَجَعَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ، فَكَانَ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: غَدِيرُ خُمٍّ. خَطَبَ النَّاسَ هُنَالِكَ فِي الْيَوْمِ الثَّامِنَ عَشَرَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: " «مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ» ". وَفِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ «اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ وَانْصُرْ مَنْ نَصَرَهُ، وَاخْذُلْ مَنْ خَذَلَهُ» وَالْمَحْفُوظُ الْأَوَّلُ. وَإِنَّمَا كَانَ سَبَبَ هَذِهِ الْخُطْبَةِ وَالتَّنْبِيهِ عَلَى فَضْلِ عَلِيٍّ مَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ مِنْ أَنَّ عَلِيًّا لَمَّا بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ أَمِيرًا هُوَ وَخَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ، وَرَجَعَ عَلِيٌّ، فَوَافَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَقَدْ كَثُرَتْ فِيهِ الْمَقَالَةُ، وَتَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُ مَنْ كَانَ مَعَهُ بِسَبَبِ اسْتِرْجَاعِهِ مِنْهُمْ خُلَعًا كَانَ خَلَعَهَا نَائِبُهُ
পৃষ্ঠা - ৬২১১
عَلَيْهِمْ لَمَّا تَعَجَّلَ السَّيْرَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ أَحَبَّ أَنْ يُبَرِّئَ سَاحَةَ عَلِيٍّ مِمَّا نُسِبَ إِلَيْهِ مِنَ الْقَوْلِ فِيهِ، وَقَدِ اتَّخَذَتِ الرَّوَافِضُ هَذَا الْيَوْمَ عِيدًا، فَكَانَتْ تَضْرِبُ فِيهِ الطُّبُولَ بِبَغْدَادَ فِي أَيَّامِ بَنِي بُوَيْهٍ فِي حُدُودِ الْأَرْبَعِمِائَةٍ، كَمَا سَنُنَبِّهُ عَلَيْهِ إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ بَعْدَ ذَلِكَ بِنَحْوٍ مَنْ عِشْرِينَ يَوْمًا تُعَلِّقُ الْمُسُوحَ السُّودَ عَلَى أَبْوَابِ الدَّكَاكِينِ وَتُذِرُّ التِّبْنَ وَالرَّمَادَ فِي الطُّرُقِ وَالْأَسْوَاقِ، وَتَدُورُ النِّسَاءُ فِي سِكَكِ الْبَلَدِ يَنُحْنَ عَلَى الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ يَوْمَ عَاشُورَاءَ صَبِيحَةَ قِرَاءَتِهِمُ الْمَصْرَعَ الْمَكْذُوبَ فِي قَتْلِ الْحُسَيْنِ، وَسَنُبَيِّنُ ذَلِكَ كُلَّهُ إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ وَكَيْفَ وَقَعَ الْأَمْرُ عَلَى الْجَلِيَّةِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَدْ كَانَ بَعْضُ بَنِي أُمَيَّةَ يَعِيبُ عَلَى عَلِيٍّ فِي تَسْمِيَتِهِ أَبَا تُرَابٍ، وَهُوَ اسْمٌ سَمَّاهُ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، أَنَّ عَلِيًّا غَاضَبَ فَاطِمَةَ، فَرَاحَ إِلَى الْمَسْجِدِ، فَجَاءَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَجَدَهُ نَائِمًا وَقَدْ لَصِقَ التُّرَابُ بِجِلْدِهِ، «فَجَعَلَ يَنْفُضُ عَنْهُ التُّرَابَ وَيَقُولُ: " اجْلِسْ أَبَا تُرَابٍ، اجْلِسْ أَبَا تُرَابٍ» .
পৃষ্ঠা - ৬২১২


বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি ইয়াহ্ইয়া ইবন হ্রাষ্মাদ থেকে তিনি আবু আওয়ালা থেকে তিনি আবু
বালজ থেকে তিনি আমর ইবন মইিমুন থেকে বর্ণনা করেন ৷
আমর ইবন মইিমুন বলেন ৪ আমি ইবন আব্বাসের কাছে বসা ছিলাম ৷ এমন সময় তার
কাছে নয়জন লোকের একটি দল এসে বললো, হে ইবন আব্বাস ! ৷ হয় আপনি উঠে আমাদের
নিকট আসুন; না হয় ঐ লোকগুলোকে সরিয়ে দিন ৷ ইবন আব্বাস বললেন, আমিই তোমাদের
নিকট আসছি ৷ এ সময়ে তার চোখ ভাল হ্নিা অন্ধ হয়ে যাননি ৷ এরপর তারা ইবন আব্বাসের
সাথে কথা শুরু করলো এবং অনেক আলোচনা করলো ৷ তারা কি বলেছিল, আমরা তা জানতে
পারিনি ৷,এরপর তিনি আমাদের কাছে এলেন এবং কাপড় ঝাড়তে ঝাড়তে উফ-তৃফ করে
বললেন, ওরা এমন এক ব্যক্তির সমালোচনা করছে যে দশজন জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্তদের
অন্যতম ৷ তারা এমন এক ব্যক্তির নিন্দা-মন্দ করছে র্ষার সম্পর্কে নবী করীমক্রেবলেছিলেন :
আমি এমন এক ব্যক্তিকে এবার পাঠাব যাকে আল্লাহ্ কখনও ব্যর্থ করবেন না এবং যে আল্পাহ্
ও তার রাসুলকে ভালবাসে ৷
ইবন আব্বাস বলেন, ঐ মর্যাদা লাভের জন্যে অনেকেই উদগ্রীব হয়েছিল ৷ অবশেষে নবী
করীমল্লে বললেন, আলী কােথায়ঃ লোকেরা জানানো, সে চাক্কি দিয়ে অটো পিষছে ৷ তিনি
বললেন, তোমাদের মধ্য হতে কেউ অটিড়া পিষুক ৷ এরপর আলী (বা) আসলেন ৷ তার চোখওঠা
রোগ হয়েছিল ৷ যার ফলে চোখ মেলে দেখতে পারছিলেন না ৷ নবী করীমমোঃ তার দৃ চোখে
ফুক দিলেন৷ এরপর পতাকা তিনবার ঝাকি দিয়ে আলীর কাছে প্রদান করেন ৷ এ সময় তিনি
সাফিয়া বিন ৩ হাই ইবন আখতাবের নিকট যান ৷ ইবন আব্বাস বলেনং রাসুলুল্লাহ্র্মাগু:;
অমুককে সুরা তাওবার ঘোষণড়াসহ (পবিত্র মক্কায়) প্রেরণ করেন ৷ কিন্তু তার পেছনে পেছনে
আলীকেও পাঠান ৷ তিনি সেটা গ্রহণ করেন ৷ নবী করীমহ্রহু দ্বুতখন বলেন, এটা নিয়ে সে ই
যেতে পারবে যে আমার এবং আমি তার ৷ ইবন আব্বাস বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ন্::::; তার চাচাত
ভাইদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের মধ্যে কে দুনিয়ার ও আখিরাতে আমার সাথে থাকতে
আগ্রহী তাদের মধ্য হতে কেউ এ আহ্বানে সাড়া দিলাে না ৷ তখন আলী (বা) তার সাথেই
বসা ছিলেন ৷ তিনি বললেন, দুনিয়া ও আখিরাতে আমি আপনার সাথে থাকতে আগ্রহী ৷ এরপর
তিনি তাকে রেখে তাদের প্রবীণদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের মধ্যে কে ইহকালে ও পরকালে
আমার সংগী হতে চাও ৷ এ আহ্বানেও কেউ সাড়া দিল না ৷ আমি ইহ কালে ও পরকালে
আপনার সঙ্গী হতে চাই ৷ তখন রাসুলণ্প্লো মোঃ বললেন, দুনিয়ার এবং আখিরাতে তৃমিই আমার
সঙ্গী ৷
ইবন আব্বাস বলেন : খাদীজা (রা)-এর পরে ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি হলেন আলী
(রা) ৷ একবার রাসুলুল্লাহ্ মোঃ তার কাপড় আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইনের মাথার উপর
রেখে নিম্নের আয়াতটি পাঠ করেন :



অর্থাৎ হে নবী পরিবার! আল্লাহ্ তো কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দুর করতে
এবং তােমাদেরকে সম্পুর্ণরুপে পবিত্র করতে ৷ (সুরা আহ্যাব ৩৩) ৷


[حَدِيثُ الْمُؤَاخَاةِ] قَالَ الْحَاكِمُ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْجُنَيْدُ، ثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ جَعْفَرٍ الْقُرَشِيُّ، ثَنَا الْعَلَاءُ بْنُ عَمْرٍو وَالْحَنَفِيُّ، ثَنَا أَيُّوبُ بْنُ مُدْرِكٍ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: «لَمَّا آخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ النَّاسِ آخَى بَيْنَهُ وَبَيْنَ عَلِيٍّ» . ثُمَّ قَالَ الْحَاكِمُ: لَمْ نَكْتُبْهُ مِنْ حَدِيثِ مَكْحُولٍ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَكَانَ الْمَشَايِخُ يُعْجِبُهُمْ هَذَا الْحَدِيثُ ; لِكَوْنِهِ مِنْ رِوَايَةِ أَهْلِ الشَّامِ. قُلْتُ: وَفِي صِحَّةِ هَذَا الْحَدِيثِ نَظَرٌ، وَوَرَدَ مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ وَابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَلِيٍّ «أَنْتَ أَخِي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ» . وَكَذَلِكَ مَنَّ طَرِيقِ زَيْدِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَمَحْدُوجِ بْنِ زَيْدٍ الذُّهْلِيِّ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَعَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، وَأَبِي ذَرٍّ، وَعَلِيٍّ نَفْسِهِ، نَحْوَ ذَلِكَ، وَأَسَانِيدُهَا كُلُّهَا ضَعِيفَةٌ لَا يَقُومُ بِشَيْءٍ مِنْهَا حُجَّةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ جَاءَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّهُ قَالَ: أَنَا عَبْدُ اللَّهِ وَأَخُو رَسُولِهِ، لَا يَقُولُهَا بَعْدِي إِلَّا كَذَّابٌ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: ثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ الْبَغْدَادِيُّ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ قَادِمٍ،
পৃষ্ঠা - ৬২১৩


ইবন আব্বাস ববুলন, আলী বাসুলুল্লাহ্ট্টদু,ট্ট এর কাপড়ের ন্যায় কাপড় খরিদ করে তার
স্থানে শুয়ে থাকেন ৷ সে সময় মুশবিকরা রাসুলুল্লাহ্মোঃ-কে হত আর পরিকল্পনা নিয়েছিল ৷ আবু
বকর (বা) যে রাতে রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর ঘরে আসেন ৷ আলী (বা) খনত ঘৃমিয়ে ছিলেন ৷ আবু
বকর মনে করছেন আল্লাহর নবী শুয়ে আছেন ৷ তাই তিনি ডাক দিলেন ইয়৷ নবী আল্লাহ্! আলী
(বা) জেগে উঠে বললেন, আল্লাহ্র নবী ৰিরে মায়মুনার দিকে বেরিয়ে গেছেন ৷ আপনি সেখানে
তার কাছে চলে যান ৷ তখন আবু বকর (রা) তথায় গিয়ে তাকে পেয়ে যান এবং এক সাথে
গুহায় প্রবেশ করেন ৷ ইবন আব্বাস বলেন, রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর প্রতি যেভাবে প্রস্তর নিক্ষেপ
করা হতো সেতা বুব আলীর প্রতিও প্রস্তর বর্ষ ণ করা হতে তা ৷ তিনি তার জা ৷য়গায় অবস্থান করেন ৷
আলী (রা) মাথায় কাপড় পেচিবুয় রাখেন ৷ ভোর হওয়ার পুর্বে তা থােলেন না ৷ যখন ভোর হয়
খনত মাথার থেকে কাপড় খুলে রাখেন ৷ মুশরিকরা তাকে বললো, তুমি নিকৃষ্ট লোক ৷ আমরা
তোমার সঙ্গীর উদ্দেশে ৷ এসেছি ৷ তিনি এখানে নেই ৷ অথচ তুমি রয়েছো ৷ এটা আমাদের জা না
ছিল না ৷ ইবন আব্বাস বলেন, বাসুলুল্লাহ ণ্ণ্ৰ্ যখন তাবুক যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন, তখন
আলী (না) এসে তাকে বলেন, আমি কি আপনার সঙ্গী হবো? র ৷সুলুল্লাহ্ মোঃ বললেন, না৷ এ
জওয়াব শুনে আলী (রা) কাদবুত থাকেন ৷ রাসুলুল্লাহ্র্চুখা বললেন, হারুন যেমন মুসার
স্থলাভিষিক্ত ছিলেন, তমি কি তদ্র্যপ আমার স্থলাভিষিক্ত হতে ৩সন্তুষ্ট নও ?৩ তবুব পার্থক্য এই যে,
হারুন নবী ছিলেন আর তুমি নবী নও ৷ আমি চলে যাব আর তুমি আমার স্থলাভিষিক্ত থাকবে
না তা হয় না ৷ রাসুলুল্লাহ্ :::::: তাকে বলেছেন, সকল মুমিবুনর জন্যে তুমি আমার ওয়ালী
থাকবে, আমার বিদা য়ের পর ৷ ইবন আব্বাস ববুলন০ ং আলীর দরজা ব্যতীত মসজিদে যাওয়ার
সকল দরজা তিনি বন্ধ করে দেন ৷ কাজেই, জুনুবী অবস্থায় তিনি মসজিদে প্রবেশ করতেন ৷
কেননা এই দরজাই ছিল তার যাতায়াতের পথ ৷ এটা ব্যতীত যাতায়াতের ৩ন কোন পথ ছিল
না ৷ ইবন আব্বাস বলেন, রাসুলুল্লাহ্,,, বলেছেন, আমি যার মাওলা আলওে তার মাওল৷ ৷
রাসুলুল্লাহ্প্লো :-;::: বলেছেন ং আল্লাহ কুরআনের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, বৃক্ষতবুল
যারা ব ইআ নিয়েছিল তাদের প্ৰতি মহান আল্লাহ সভুষ্ট হয়েছেন ৷ এরপরে কি তিনি
৩াস্৷ ৷াদেরবুক বলেছেন যে, তিনি তাদের প্রতি ৩অসন্তুষ্ট হয়ে গেছেন? ইবন আব্বাস বলেন উমর
যখন বলেছিল, আমাকে অনুমতি দিন এ মুনাফিকের অর্থাৎ হাতির ইবন আবু বালতার পর্দান
উড়িয়ে দিহ ৷ তখন নবী করীমন্মোঃহ্রউমরকে বলেছিলেন, তুমি কি জান, মহান আল্লাহ আহলে
বদরদের প্রতি সদর হয়ে বলে দিয়েছেন, বু৩ আমরা যা ইচ্ছে তাই কর ৷ আমি তােমাদেরবুক ক্ষমা
করে দিয়েছি ৷ শ্
ইমাম তিরমিযী এ হাদীসের কিছু অংশ শু’বার সুত্রে আবুবালজ ইয়াহ্ইয়া ইবন আবু
সুলাইম থেকে বর্ণনা করে গরীব বলে অভিহিত করেছেন ৷ ইমাম নাসাঈও এর কিছু অংশ
মুহাম্মদ ইবন মুছান্নার সুত্রে ইয়৷ হ্ইয়৷ ইবন হাষ্মাদ থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী তার তারিখে
বলেন৪ উমর ইবন আবদুল ওহাব রামাহী ইমরান ইবন হুসাইন থেকে বর্ণিত ৷ তিনি ববুলন,
রাসুলুল্পাহ্শ্যেগুব লেছিলেন০ আমি এ পতাকা এমন একজনকে দিব যে আল্লাহ ও তার রাসুলকে
ভালবাসে এবং তাকেও আল্লাহ্ ও তার রাসুল ভালবাসেন ৷ এরপর তিনি আলীবুক ডেকে
পাঠান ৷ আলী চোখের পীড়ায় ভুগছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ ,,, তার চক্ষুদ্বয়ে কুক দেন এবং পতাকা


ثَنَا عَلِيُّ بْنُ صَالِحِ بْنِ حَيٍّ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ التَّيْمِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: آخَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَصْحَابِهِ، فَجَاءَ عَلِيٌّ تَدْمَعُ عَيْنَاهُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، آخَيْتَ بَيْنَ أَصْحَابِكَ وَلَمْ تُؤَاخِ بَيْنِي وَبَيْنَ أَحَدٍ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنْتَ أَخِي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ".» ثُمَّ قَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ، وَفِيهِ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أَوْفَى. وَقَدْ شَهِدَ عَلِيٌّ بَدْرًا، وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَرَ «وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ قَدِ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ: اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ» . وَبَارَزَ يَوْمَئِذٍ كَمَا تَقَدَّمَ. وَكَانَتْ لَهُ الْيَدُ الْبَيْضَاءُ وَدَفَعَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّايَةَ يَوْمَئِذٍ وَهُوَ ابْنُ عِشْرِينَ سَنَةً. قَالَهُ الْحَكَمُ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: وَكَانَتْ تَكُونُ مَعَهُ رَايَةُ الْمُهَاجِرِينَ فِي الْمَوَاقِفِ كُلِّهَا. وَكَذَلِكَ قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَقَتَادَةُ. وَقَالَ خَيْثَمَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْأَطْرَابُلُسِيُّ الْحَافِظُ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَازِمٍ
পৃষ্ঠা - ৬২১৪
بْنِ أَبِي غَرَزَةَ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانٍ، ثَنَا نَاصِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُحَلِّمِيُّ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: قَالُوا: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَنْ يَحْمِلُ رَايَتَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ قَالَ " وَمَنْ عَسَى أَنْ يَحْمِلَهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَّا مَنْ كَانَ يَحْمِلُهَا فِي الدُّنْيَا ; عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ ضَعِيفٌ. وَرَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَلَا يَصِحُّ أَيْضًا. وَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ: حَدَّثَنِي عَمَّارُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْحَنْظَلِيِّ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ قَالَ: «نَادَى مُنَادٍ فِي السَّمَاءِ يَوْمَ بَدْرٍ: لَا سَيْفَ إِلَّا ذُو الْفَقَارِ، وَلَا فَتَى إِلَّا عَلِيٌّ» . قَالَ الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ: وَهَذَا مُرْسَلٌ، وَإِنَّمَا تَنَفَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيْفَهُ ذَا الْفَقَارِ يَوْمَ بَدْرٍ ثُمَّ وَهَبَهُ لِعَلِيٍّ بَعْدَ ذَلِكَ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ مَعْمَرِ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: كَانَ لِوَاءُ الْمُشْرِكِينَ يَوْمَ بَدْرٍ مَعَ طَلْحَةَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، فَقَتَلَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ. فَفِي ذَلِكَ يَقُولُ الْحَجَّاجُ بْنُ عِلَاطٍ السَّلَمِيُّ لِلِهِ أَيُّ مُذَبِّبٍ عَنْ حُرْمَةٍ ... أَعْنِي ابْنَ فَاطِمَةَ الْمُعَمَّ الْمُخْوَلَا
পৃষ্ঠা - ৬২১৫


তার হাতে তুলে দেন ৷ এরপর তার চেহারা অন্য দিকে না ঘুরাতে তই চক্ষুদ্বয় ভাল হয়ে যায় এবং
এরপর আর কখনও তার চোখে ,কােন পীড়া হয়নি ৷ আবুল কাসিম বগবী এ হাদীস ইসহাক
ইবন ইব্রাহীম ইমরানের সনদে বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম নাসাঈ এ হাদীস আব্বাস
আম্বারীর সুত্রে উমর ইবন আবদ্যুন্ ওহাব থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

এ সম্পর্কে আবু সাঈদের বর্ণনা : ইমাম আহমাদ বলেন : মৃসআব ইবন মিকদাস ও
হাব্জীন ইবন মুছান্না আবু সাঈদ খুদরী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্স্ফো শ্ল্যাংপতাকা
হাতে নিয়ে বাকি দিয়ে বললেন, এ পতাকার হক আদায় করতে কে গ্রহণ করতে চাও ৷ এক
ব্যক্তি অগ্রসর হয়ে বললো, আ ৷মি ৷ রাসুলুল্লাহ্ মোঃ তাকে বললেন, তুমি ফিরে যাও এরপর
আর এক ব্যক্তি এপিংয়ুএসে বললো, আমি ৷ রাস লুল্লাহ্মোঃ ,তাকেও বললেন, তুমি ফিরে যাও ৷
তারপর নবী করীমজ্যো :;;ন্: বললেন, সেই সত্তার কসম ! যিনি মুহাম্মদের ঢেহারাকে সম্মানিত
করেছেন, আমি এ পতাকা এমন এক ব্যক্তিকে দেব যে পলায়ন করবে না ৷ তারপর আলী (রা)
এগিয়ে আসলেন ৷ তিনি পতাকা নিয়ে যুদ্ধে গমন করেন৷ মহান আল্লাহ তার হাতে খাইবাব ও
ফাদাক-এর বিজয় দান করেন৷ তিনি এ বিজিত দৃএলাকা থেকে খেজুর ও চট নিয়ে ফিরে
আসেন ৷ আবু ইয়া’লা এ হাদীস হুসাইন ইবন মুহাম্মাদের সুত্রে ইসরাঈল থেকে বর্ণনা করেছেন ৷
এ বর্ণনার শুরুতে আছে যুবাইর এসে বললো, আমি ৷ রাসুলুল্লাহ্ ট্রুণ্ন্দ্বু বললেন, তুমি যাও ৷
এরপর অন্য একজন এলে রাসুলুল্লাহ্ড়ােতাকেও বললেন, তুমি যাও ৷ এরপর হাদীসের বাকি
অংশ তিনি উপরের অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷

এ সম্পর্কে আলী ইয়ুন আবু তালিৰের বর্ণনা ও ইমাম আহমাদ বলেন, ওয়াকী’ আবু
লাইলা থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমার পিতা আলী (রা)-এর সাথে সফর করতেন ৷ আলীর
অভ্যাস ছিল জ্যি শীতকালে গরমের কাপড় পরতের্ন এবং গ্রীষ্মকাল শীতের কাপড় পরিধান
করতেন ৷ আবু লাইলার পিতাকে লোকজন বললো, এ রকম করার কারণ যদি আপনি তাকে
জিজ্ঞেস করতেন ৷ এরপর তিনি এর কারণ সম্পর্কে আলীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জওয়াবে
বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ্ন্মোঃ, আমাকে ডেকে পাঠান ৷ তখন খাইবারের যুদ্ধ চলছিল ৷ আমি
ছিলাম চোখওঠা রোগে আক্রান্ত ৷ আমি এসে বললাম, হে আল্লাহ্র রাসুল! আমি তাে চোখওঠ্য
রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি ৷ তিনি আমার চোখে থুক দিয়ে বললেন, হে আল্লাহ্ ! তুমি এর
থেকে গরম ও শীত স্ফোদুর করে দাও ৷ তখন থেকে আর কখনও আমি গরম ও শীত অনুভব করি
না ৷ রাসুলুলুাহ্মোঃ , এরপর বললেন, আমি এমন এক ব্যক্তির কাছে পতাকা দেব, যে আল্লাহ
ও তার রাসুলকেভ ৩ালরাসে এবং তাকেও আল্লাহ্ ও তার রাসুল ভালবাসেন ৷ সে যুদ্ধের ময়দান
থেকে পলায়ন করবে না ৷ নবী কবীমমোঃ এর সাহাবাপণ এ মর্যাদা পাওয়ার তীব্র আগ্রহ
দেখায় ৷ অবশেষে তিনি তা আমাকে প্রদান করেন ৷ অনেবেইি এ হাদীস মুহাম্মাদ ইবন আবদুর
রহমান ইবন আবু লাই লার থেকে তার পিতার সুত্রে আলী থেকে দীর্ঘাকার বর্ণনা করেছেন ৷
আবুইয়ালা বলেনং যুহাইর, জারীর, মুগীরাহ্, উষ্মে কাইম সনদে বর্ণিত ৷ উষ্মে কাইম বলেন,
আমি আলীকে এ কথা বলতে শুনেছি যে, খাইবাব যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ ন্ আমার মুখে হাত
বসিয়ে, চোখে থুক দিয়ে ও আমাকে পতাকা দিয়ে দেন ৷ সে দিন থেকে আর কখনও আমি
চোখের রোগে আক্রান্ত হইনি এবং ব্যথাও অনুভব করিনি ৷


جَادَتْ يَدَاكَ لَهُ بِعَاجِلِ طَعْنَةٍ تَرَكَتْ طُلَيْحَةَ لِلْجَبِينِ مُجَدَّلَا ... وَشَدَدْتَ شِدَّةَ بَاسِلٍ فَكَشَفْتَهُمْ بِالْحَقِّ إِذْ يَهْوُونَ أَخْوَلَ أَخْوَلَا ... وَعَلَلْتَ سَيْفَكَ بِالدِّمَاءِ وَلَمْ تَكُنْ لِتَرُدَّهُ حَرَّانَ حَتَّى يَنْهَلَا وَشَهِدَ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ} [الفتح: 18] الْآيَاتَ [الْفَتْحِ: 18] . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَنْ يَدْخُلَ أَحَدٌ بَايَعَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ النَّارَ» . وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصِّحَاحِ وَغَيْرِهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَوْمَ خَيْبَرَ «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، لَيْسَ بِفَرَّارٍ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ ". فَبَاتَ النَّاسُ يَدُوكُونَ أَيُّهُمْ يُعْطَاهَا، حَتَّى قَالَ عُمَرُ: مَا أَحْبَبْتُ الْإِمَارَةَ إِلَّا يَوْمَئِذٍ. فَلَمَّا أَصْبَحَ أَعْطَاهَا عَلِيًّا، فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ» . وَرَوَاهُ جَمَاعَةٌ، مِنْهُمْ ; مَالِكٌ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَجَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، وَحَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، وَخَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سُهَيْلٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ. وَرَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬২১৬
سَعْدٍ. أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ "، وَقَالَ فِي حَدِيثِهِ «فَدَعَا بِهِ رَسُولُ اللَّهِ وَهُوَ أَرْمَدُ، فَبَصَقَ فِي عَيْنَيْهِ فَبَرَأَ» . وَرَوَاهُ إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ عَنْ أَبِيهِ، وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ عَنْ مَوْلَاهُ سَلَمَةَ أَيْضًا، وَحَدِيثُهُ عَنْهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ ". وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي بُرَيْدَةُ بْنُ سُفْيَانَ بْنِ فَرْوَةَ الْأَسْلَمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ: «بَعْثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ بِرَايَتِهِ إِلَى بَعْضِ حُصُونِ خَيْبَرَ فَقَاتَلَ ثُمَّ رَجَعَ وَلَمْ يَكُنْ فَتْحٌ وَقَدْ جَهَدَ، ثُمَّ بَعَثَ الْغَدَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَاتَلَ ثُمَّ رَجَعَ وَلَمْ يَكُنْ فَتْحٌ وَقَدْ جَهَدَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ، لَيْسَ بِفَرَّارٍ ". قَالَ: سَلَمَةُ: فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا وَهُوَ أَرْمَدُ، فَتَفَلَ فِي عَيْنَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " خُذْ هَذِهِ الرَّايَةَ فَامْضِ بِهَا حَتَّى يَفْتَحَ اللَّهُ عَلَيْكَ " قَالَ سَلَمَةُ: فَخَرَجَ وَاللَّهِ يُهَرْوِلُ بِهَا هَرْوَلَةً، وَإِنَّا لَخَلْفَهُ نَتَّبِعُ أَثَرَهُ حَتَّى رَكَزَ رَايَتَهُ فِي رَجَمٍ مِنْ حِجَارَةٍ تَحْتَ الْحِصْنِ، فَاطَّلَعَ إِلَيْهِ يَهُودِيٌّ مِنْ رَأْسِ الْحِصْنِ، فَقَالَ: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ عَلِيُّ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৬২১৭


এ সম্পর্কে সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাসের বর্ণনা : বুখারী ও মুসলিমে আছে তারা হতে
সাদ ইবন ইব্রাহীম ইবন সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাসের সুত্রে তার পিতা সাদ ইবন আবু
ওয়াক্কাস থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্:;ণো একবার আলীকে বললেন, হারুন যেমন মুসার
স্থলাভিষিক্ত ছিলেন, ড্ডাপ তুমি কি আমার স্থলাভিষিক্ত হতে রাজী নওণ্ তবে পার্থক্য এই যে,
আমার পরে কোন নবী নেই ৷ আহমদ, মুসলিম ও তিরমিষী বলেন, কুতাইবা ইবন সাঈদ,
হাতিম ইবন ইসমাঈল, বুকাইর ইবন মিসমার, আমির ইবন সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস সনদে
তার পিতা থের্কেবর্ণিত ৷ তিনি বলেন, মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান সা’দকে বলেছিল, আবু
তৃরাবকে পালাগাল করতে তোমার বাধা কিসের ? সাদ বলেছিলেন, তিনটি বিষয়ের স্মরণ
আমাকে এ কাজে বাধা দেয় ৷ যে৩ তিনটি বিষয় আল্লাহর রাসুল তাকে বলেছিলেন এর একঢিও
যদি আমার সম্পর্কে বলা হতে তা তা হলে আমি মুল্যবান লাল উটের মালিক হওয়ার থেকেও
অধিক খুশি হতাম

আমি আল্লাহর রাসুলকে বলতে শুনেছি যখন তিনি কোন এক যুদ্ধে আলী (রা) কে
বাড়িতে রেখে যেতে চেয়েছিলেন ৷ আলী বলেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল ! আপনি কি আমাকে
নারী ও শিশুদের তত্ত্বাবধানের জন্যে রেখে যেতে চাচ্ছেনঃ রাসুলুল্লাহ্ত্রুতখন বলেছিলেন,
হারুন যেমন মুসার প্রতিনিধি ছিলেন ড্ডাপ তুমি কি আমার প্রতিনিধি থাকতে রাষী নও : অবশ্য
আমার পরে কোন নবী নেই ৷ খাইবারের যুদ্ধের সময় আমি রাসুলুল্লাহঅ্যাংকে বলতে শুনেছি,
আমি এমন এক ব্যক্তিকে পতাকা দেব যে আল্লাহ ও তার রাসুলকে ভালবাসে এবং তাকেও
আল্লাহ ও তার রাসুল ভালবাসেন ৷ সাদ বলেন, আমি মনে মনে এই মর্যাদা পাওয়ার আশা
করছিলাম ৷ শেষে তিনি আলী (রা)-কে ডেকে আনতে বলেন ৷ চোখের রোগে আক্রান্ত অবস্থায়
আলীকে তার নিকট আন৷ হলো ৷ রাসুলুল্লাহ্ স্-দ্,র্দু আলীর চোখে কিছু থুথু লাগিয়ে দেন এবং
তার কাছে পতাকা প্রদান করেন ৷ আল্লাহ পাক তাকে সে যুদ্ধে বিজয় দান করেন ৷

কুরআন মজীদের এ আয়াতটি যখন নাজিল হয়ং :

অর্থাৎ ভুমি বল, এসো, আমরা আহ্বান করি আমাদের ছেলেগণকে ও তোমাদের
ছেলেগণকে ৷ আমাদের নারীগণকে ও তোমাদের নারীগণকে ৷ আমাদের নিজেদেরকে ও
তোমাদের নিজেদেরকে (আল ইমরানং ৬১) ৷

তখন রাসুলুল্লাহ্হ্গ্লুৰুক্ট্রআলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইনব্লু-ক শুজ্যো করে বলেন, হে
আল্লাহ্৷ এরা আমার আহ্ল ও পরিবারের লোক ৷ মুসলিম, তিরমিষী ও নসোঈ এ হাদীস সাঈদ
ইবন মুসায়িাবের সুত্রে সা দ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তাতে আছে, রাসুলুল্পাহ্ট্যাংট্রুআলীকে
বললেন, আমার স্থলে তুমি সে রকম, যে রকম ছিল মুসার স্থলে হারুন ৷ তিরমিষী বলেন, সা দ
থেকে সাঈদের সুত্রে বর্ণনাটি গরীব ৷ ইমাম আহমদ বলেন, আহমাদ যুবইিরী আবদুল্লাহ
ইবন উমর সনদে সাদ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ড়াে যখন তাবুক যুদ্ধে বের হন
তখন আলী (রা) কে প্রতিনিধি হিসেবে রেখে যান ৷ আলী (বা) বললেন, আমাকে যুদ্ধে না নিয়ে
বাড়িতে রেখে যাচ্ছেন : তখন বাসুলুল্লাহ বললেন, তুমি কি এতে সত্তুষ্ট নও যে, আমার

৭৬


أَبِي طَالِبٍ قَالَ الْيَهُودِيُّ: عَلَيْتُمْ وَمَنْ أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى. قَالَ: فَمَا رَجَعَ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ» . وَقَدْ رَوَاهُ عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنْ عَطَاءٍ مَوْلَى السَّائِبِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ وَفِيهِ أَنَّهُ هُوَ الَّذِي جَاءَ بِهِ يَقُودُهُ وَهُوَ أَرْمَدُ، حَتَّى بَصَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عَيْنَيْهِ فَبَرَأَ. رِوَايَةُ بُرَيْدَةَ بْنِ الْحُصَيْبِ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، ثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ وَاقِدٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، حَدَّثَنِي بُرَيْدَةُ بْنُ الْحُصَيْبِ قَالَ: حَاصَرْنَا خَيْبَرَ، فَأَخْذَ اللِّوَاءَ أَبُو بَكْرٍ، فَانْصَرَفَ وَلَمْ يُفْتَحْ لَهُ، ثُمَّ أَخَذَهُ مِنَ الْغَدِ عُمَرُ، فَخَرَجَ فَرَجَعَ وَلَمْ يُفْتَحْ لَهُ، وَأَصَابَ النَّاسَ يَوْمَئِذٍ شِدَّةٌ وَجَهْدٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِنِّي دَافِعٌ اللِّوَاءَ غَدًا إِلَى رَجُلٍ يُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَيُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، لَا يَرْجِعُ حَتَّى يُفْتَحَ لَهُ " قَالَ: وَبِتْنَا طَيِّبَةً أَنْفُسُنَا أَنَّ الْفَتْحَ غَدًا. قَالَ: فَلَمَّا أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الْغَدَاةَ، ثُمَّ قَامَ قَائِمًا، فَدَعَا بِاللِّوَاءِ وَالنَّاسُ عَلَى مَصَافِّهِمْ، فَدَعَا عَلِيًّا وَهُوَ أَرْمَدُ، فَتَفَلَ فِي عَيْنَيْهِ، وَدَفَعَ إِلَيْهِ اللِّوَاءَ، فَفُتِحَ لَهُ» . قَالَ بُرَيْدَةُ: وَأَنَا فِيمَنْ تَطَاوَلَ لَهَا. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ بِهِ أَطْوَلَ مِنْهُ، ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ
পৃষ্ঠা - ৬২১৮


স্থলে তোমার সেই মর্যাদা, যেমন মুসার স্থলে ছিল হারুনের মর্যাদা ৷ তবে পার্থক্য এই যে,
আমার পরে কোন নবী নেই ৷ হাদীসের উল্লিখিত সনদ খুবই উৎকৃষ্ট ৷ তবে গ্রন্থকারগণ এর
তাখরীজ করেনি ৷
হাসান ইবন আরফাহ্ আবাদী বলেন : মুহাম্মদ ই বৃন হাযিম আবু মুআৰিয়া যড়ারীর
সা’দ ইবন আবু ওয়াক্কাস থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একবার মুআবিয়া হরুজ্জ আগমন
করেন ৷ সা’দ ইবন আবু ওয়াক্কাস তার কাছে আসেন ৷ তারাআলীর বিষয় নিয়ে আলোচনা
করলে সা’দ বলেন, আলীর বিশেষ তিনটি মর্যাদা আছে৷ ৷তন্মধ্যে একটি মর্যড়াদড়াও যদি আমার প্
“থাকতােতা হলে দুনিয়া ও তার মধ্যের যাবতীয় সম্পদের মালিক হওয়ার চেয়েও বেশি খুশি
হতাম ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্স্লো:-কে বলতে শুনেছি যে, আমি যার অভিভাবক, আলীও তার
অভিভাবক ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্মোঃ কে আরও বলতে শুনেছি যে, আপামীকাল আমি এমন
একজনকে পতাকা দেব যে আল্লাহ্ ও তার রাসুলকে ভালবাসে এবং তড়াকেও আল্লাহ্ ও তার
রাসুল তা ৷লব৷ সেন ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ইর্টুৰুদ্বু কে এ কথাও বলতে শুনেছি যে, আমার স্থলে তোমার
সেই তু,মিক৷ মুসার স্থলে হারুনের ছিল সেই ভুমিকা ৷ তবে পাংকাি এই যে, আমার পরে কোন
নবী নেই ৷ এ বর্ণনার সনদ হাসান ৷ কিন্তু ঘুহাশ্ম ৷দ্দিসগণ এর তাখরীজ করেনি ৷
আবু যুরআ দামিশকী বলেনং : আহমাদ ইবন খালিদ যাহাবী আবু সাঈদ আবু নাজীহ
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, মুআৰিয়া যখন হজ্জ করতে আসেন, তখন সা’দ ইবন আবু
ওয়াক্কাসের হাত ধরে বলেন, হে আবু ইসহ্াক ! আমরা এমন এক কাওম যাদেরকে ধারাবাহিক
ঘুদ্ধরিঃাহ হজ্জ পালন থেকে দীর্ঘ দিন দুরে সরিয়ে রেখেছে ৷ ফলে হবুজ্জ্বর অনেক নিয়ম-নীতি
প্রায় তুলে যেতে বচসছি ৷ কাজেই তুমি তাওয়াফ কর ৷ আমরা তোমাকে অনুসরণ করে তাওয়াফ
করবো ৷ আবুনড়াজীহ বলেন, হজ্জ সম্পন্ন হলে ঘু আবিয়া তাকে বিশ্বে যে পরামর্শ গৃহে নিয়ে যান
এবং নিজের আসনের উপরে অতি নিকটে তাকে বসান ৷ এরপর আলী ইবন আবু৩ তালিবের
প্রসঙ্গ তুলে তার সমালোচনা করতে থাকেন ৷ তখন সা দ বললেন, আপনি আমাকে আপনার
গৃহে এনে নিজের আসনে বসতে দিয়ে আলীর সমালোচনা করছেন এবং তাকে পালাপাল
দিচ্ছেন ৷ আল্লাহর কসম তার তিনটি বিশ্বে যে মর্যাদার একটি মর্যাদাও যদি আমার থাকতো তা
হলে সুর্য য৷ কিছুর উপরে উদিত হয় সে সবের মালিক হওয়ার চেয়েও অধিক সন্তুষ্ট হতামা
তাবুক যুদ্ধের প্রাক্কালে তাকে রাসুলুল্লাহ্ র্চুট্রু,ট্টয৷ বলেছিলন, তা যদি আমাকে বলতেন ৷ তাকে
বলেছিলেন, আমার স্থুলেতু মি সেরুপ, যেরুপ ছিল মুসার স্থলে হ রুন ৷ অবশ্য আমার পরে
কোন নবী সেই ৷৩ তবে সুর্য যার উপর উদিত হয় তার মালিক হওয়ার চেয়েও আমি অধিক খুশি
হতাম ৷ খাইবারের যুদ্ধের সময় তিনি আলী (রা) কে বা বলেছিলেন তা যদি আমার ক্ষেত্রে
বলতেন ৷
তিনি বলেছিলেন, আমি এমন একজনকে পতাকা প্রদান করবো যে আল্লাহ ও তার
রাসুলকে ভালবাসে এবং তড়াকেও আল্লাহ ও তার রাসুল ভালবাসেন ৷ তার হাতে আল্লাহ বিজয়
দান করবেন ৷ সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাবার লোক নয় ৷ তবে সুর্য যার উপর উদিত হয় তার
অধিকারী হওয়ার চেয়েও আমি অধিক খুশি হত তাম ৷ আর আমি যদি তার কন্যার স্বামী হতাম
এবং তার গর্ভে আমার সন্তান জন্মলাভ করতো তা হলে সুর্য যার উপর উদয় হয়ত তার মালিক


وَرَوْحٍ، كِلَاهُمَا عَنْ عَوْفٍ، عَنْ مَيْمُونٍ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْكُرْدِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ بِهِ نَحْوَهُ، وَأَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ عَنْ بُنْدَارٍ عَنْ غُنْدَرٍ بِهِ، وَفِيهِ الشِّعْرُ. رِوَايَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ: وَرَوَاهُ هُشَيْمٌ عَنِ الْعَوَّامِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، فَذَكَرَ سِيَاقَ حَدِيثِ بُرَيْدَةَ. وَرَوَاهُ كَثِيرٌ النَّوَّاءُ عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ نَحْوَهُ، وَفِيهِ قَالَ عَلِيٌّ: فَمَا رَمِدْتُ بَعْدَ يَوْمَئِذٍ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَسِيدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ كَمَا سَيَأْتِي. رِوَايَةُ ابْنِ عَبَّاسٍ: قَالَ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ ". فَقَالَ: " أَيْنَ عَلِيٌّ؟ " قَالُوا: يَطْحَنُ. قَالَ: وَمَا أَحَدٌ مِنْهُمْ يَرْضَى أَنْ يَطْحَنَ، فَأَتَى بِهِ، فَدَفَعَ إِلَيْهِ الرَّايَةَ، فَجَاءَ بِصَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ» . وَهَذَا غَرِيبٌ مِنْ هَذَا
পৃষ্ঠা - ৬২১৯
الْوَجْهِ، وَهُوَ مُخْتَصَرٌ مِنْ حَدِيثٍ طَوِيلٍ. وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمَّادٍ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَذَكَرَهُ بِتَمَامِهِ، فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ثَنَا أَبُو بَلْجٍ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ قَالَ: إِنَّى لَجَالِسٌ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ إِذْ أَتَاهُ تِسْعَةُ رَهْطٍ، فَقَالُوا: يَا ابْنَ عَبَّاسٍ، إِمَّا أَنْ تَقُومَ مَعَنَا وَإِمَّا أَنْ يُخَلُّونَا هَؤُلَاءِ. فَقَالَ: بَلْ أَقْوَمُ مَعَكُمْ. قَالَ: وَهُوَ يَوْمَئِذٍ صَحِيحٌ قَبْلَ أَنْ يَعْمَى، قَالَ: وَابْتَدَءُوا فَتَحَدَّثُوا فَلَا نَدْرِي مَا قَالُوا. قَالَ: فَجَاءَ يَنْفُضُ ثَوْبَهُ وَيَقُولُ: أُفْ وَتُفْ، وَقَعُوا فِي رَجُلٍ لَهُ عَشْرٌ، وَقَعُوا فِي رَجُلٍ قَالَ لَهُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَأَبْعَثَنَّ رَجُلًا لَا يُخْزِيهِ اللَّهُ أَبَدًا، يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ". قَالَ: فَاسْتَشْرَفَ لَهَا مَنِ اسْتَشْرَفَ، قَالَ: " أَيْنَ عَلِيٌّ؟ " قَالُوا: هُوَ فِي الرَّحَا يَطْحَنُ. قَالَ: وَمَا كَانَ أَحَدُكُمْ لِيَطْحَنَ قَالَ: فَجَاءَ وَهُوَ أَرْمَدُ لَا يَكَادُ أَنْ يُبْصِرَ، فَنَفَثَ فِي عَيْنَيْهِ، ثُمَّ هَزَّ الرَّايَةَ ثَلَاثًا، فَأَعْطَاهُ إِيَّاهَا، فَجَاءَ بِصَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ» . قَالَ «ثُمَّ بَعَثَ فُلَانًا بِسُورَةِ " التَّوْبَةِ "، فَبَعَثَ عَلِيًّا خَلْفَهُ، فَأَخَذَهَا مِنْهُ، قَالَ: " لَا يَذْهَبُ بِهَا إِلَّا رَجُلٌ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ» . قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৬২২০


হওয়ার চেয়ে নিজেকে অধিক ধন্য মনে করতাম ৷ আজকের পর আর কখনও আমি আপনার
সাথে কোন গৃহে প্রবেশ করবো না ৷ এরপর সা’দ তার চাদর বোড়ে সেখান থেকে বেরিয়ে
আসেন ৷
আহমাদ বলেনং : মুহাম্মদ ইবন জাফর সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ্ :::: পবিত্র মদীনায় আলী (রা) কে৩ তার স্থলাভিষিক্ত রেখে যুদ্ধে গমন
করেন ৷ আলী (বা) বললেন, হে আল্লাহ্র রাসুল ! আপনি আমাকে নারী ও শিশুদের মধ্যে
আপনার স্থলাভিষিক্ত করছেন ? রাসুলুল্লাহ্ফ্তে বললেন, তুমি কি আমার স্থলে হারুনের ন্যায়
মুসার স্থলে থাকতে রাজী নও ? তবে আমার পরে কোন নবী নেই ৷ এ হাদীসের সনদ বুখারী ও
মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ ৷ অবশ্য তারা এ সনদ তাখরীজ করেনি ৷ এ হাদীস আবু
আ ওয়ালাহ্ আ মাশের সুত্রে হাকাম ইবন মুস আব থেকে এবং তিনি তার পিতা থেকে অনুরুপ
বর্ণনা করেছেন ৷ আবু দাউদ তায়ালিমীও এ হাদীস শু বাহ্ আসিম, মুস আব সনদে তার পিতা
থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমাদ বলেনং : বনু হাশিমের মাওলা আবু সাঈদ
আয়িশাহ বিনত সা দ তার পিতা থেকে বর্ণিত ৩৷ র ৷সুলুল্লাহ্প্লো মোঃ এর সাথে আলীও বের হয়ে
যান ৷ ছানিয়াতৃল বিদায় পৌছে দেখেন আলী (বা) কাদছে এবং কেদে কেদে বলছে যারা
যুদ্ধে যেতে অক্ষম আপনি আমাকে তাদের সাথে রেখে যাচ্ছেন ? রাসুলুল্পাহ্ মোঃ বললেন , তু
কি রাষী নও আমার থেকে সেই মর্যাদার থাকতে, যে মর্যাদার ছিল৷ হ রুন মুসার থেকে ৷ তবে
নবুওয়ত ব্যতীত ৷ এ বিওয়ায়েতে র সনদও সহীহ ৷ তবে তারা এর তাখরীজ করেনি ৷ বেশ কিছু
ত্খ্যক রাবী আয়েশা বিনত স৷ দের সুত্রে তার পিতা থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
হাফিজ ইবন আসাকির বলেন : সাহাবাদের একটি দল রাসুলুল্লাহ্ স্পো মোঃথেকে এ হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ যথা : উমর, আলী, ইবন আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবন জা ফর, মু আবিয়া, জাবির
ইবন আবদুল্লাহ, জাবির ইবন সামুরাহ্ ৷ আবু সাঈদ, বারা ইবন আমির, যাইদ ইবন আরকাম,
যাইদ ইবন আবু আওফা, নাবীত ইবন শারীত, হাবাশী ইবন জুনাদা, মালিক ইবন হুওয়ায়রিছ,
আনাস ইবন মালিক, আবুল ফযল, উম্মে সালমা, আসমা বিনত উমাইস ও ফাতিমা বিনত
হামযা ৷ ইবন আ ৷সাকির তার ইতিহাস গ্রন্থে এ সব হাদীস বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন ৷ এভাবে
তিনি তার সাথী-সঙ্গী, সমালোচক ও গবেষক সকলের সামনে বিষয়টি উন্মুক্ত করে দিয়েছেন-
উমর (না)-এর বর্ণনা ও আবু ইয়ালা বলেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর আবু হুরায়রা
সনদে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, উমর (রা) বলেছেন, আলী ইবন আবু তালিবকে তিনটি মর্যাদা দান
করা হয়েছে ৷ একটি মর্যাদাও যদি আমার থাকতো, তা হলে আমর নিকট তা মুল্যবান লাল
উটের চেয়েও অধিক প্রিয় হতো ৷ তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, হে আমীরুল মু’মিনীন! সে
মর্ষদাগুলি কি? তিনি বললেন, রন্াসুলুহৃা৷হ্মোঃআং এর কন্যা ফাতিমাকে বিবাহ করা, মসজিদে
রাসুলুলুাহ্ত্রুএর সাথে তার বসবাসের ব্যবস্থা ৷ ফলে রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর জন্যে মসজিদে
যা হালাল ছিল আলীর জন্যেও তা হালাল হয় এবং খাইবার যুদ্ধে তার হাতে পতাকা ৮প্রদান ৷ এ
ছাড়া আরও বিভিন্ন সুত্রে এ হাদীস উমর (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷


وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِبَنِي عَمِّهِ " «أَيُّكُمْ يُوَالِينِي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ؟ " فَأَبَوْا. قَالَ: وَعَلِيٌّ مَعَهُ جَالِسٌ، فَقَالَ عَلِيٌّ: أَنَا أُوَالِيكَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. قَالَ: " أَنْتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ". قَالَ: فَتَرَكَهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى رَجُلٍ مِنْهُمْ، فَقَالَ: " أَيُّكُمْ يُوَالِينِي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ؟ " فَأَبَوْا، فَقَالَ عَلِيٌّ: أَنَا أُوَالِيكَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. فَقَالَ: " أَنْتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ» ". قَالَ: وَكَانَ أَوَّلُ مَنْ أَسْلَمَ مِنَ النَّاسِ بَعْدَ خَدِيجَةَ. قَالَ ( «وَأَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَوْبَهُ، فَوَضَعَهُ عَلَى عَلِيٍّ وَفَاطِمَةَ وَحَسَنٍ وَحُسَيْنٍ، فَقَالَ {إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا} [الأحزاب: 33] » [الْأَحْزَابِ: 18] . قَالَ: وَشَرَى عَلِيٌّ نَفْسَهُ ; لَبِسَ ثَوْبَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ نَامَ مَكَانَهُ. قَالَ: وَكَانَ الْمُشْرِكُونَ يَرُومُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ وَعَلَيٌّ نَائِمٌ، وَأَبُو بَكْرٍ يَحْسَبُ أَنَّهُ نَبِيُّ اللَّهِ، فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ قَدِ انْطَلَقَ نَحْوَ بِئْرِ مَيْمُونٍ فَأَدْرِكْهُ. قَالَ: فَانْطَلَقَ أَبُو بَكْرٍ، فَدَخَلَ مَعَهُ الْغَارَ. قَالَ: وَجَعَلَ عَلِيٌّ يُرْمَى بِالْحِجَارَةِ كَمَا كَانَ يُرْمَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَتَضَوَّرُ، وَقَدْ لَفَّ رَأْسَهُ فِي الثَّوْبِ، لَا يُخْرِجُهُ حَتَّى أَصْبَحَ، ثُمَّ كَشَفَ عَنْ رَأْسِهِ، فَقَالُوا: إِنَّكَ لَئِيمٌ، كَانَ صَاحِبُكَ نَرْمِيهِ فَلَا يَتَضَوَّرُ، وَأَنْتَ تَتَضَوَّرُ، وَقَدِ اسْتَنْكَرْنَا ذَلِكَ. قَالَ: وَخَرَجَ يَعْنِي، رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِالنَّاسِ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: أَخْرُجُ مَعَكَ؟ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا ". فَبَكَى عَلِيٌّ، فَقَالَ: «أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلَّا أَنَّكَ لَسْتَ بِنَبِيٍّ، إِنَّهُ لَا
পৃষ্ঠা - ৬২২১
يَنْبَغِي أَنْ أَذْهَبَ إِلَّا وَأَنْتَ خَلِيفَتِي» قَالَ: وَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنْتَ وَلِيِّي فِي كُلِّ مُؤْمِنٍ بَعْدِي ".» قَالَ: وَسَدَّ أَبْوَابَ الْمَسْجِدِ غَيْرَ بَابِ عَلِيٍّ. قَالَ: فَيَدْخُلُ الْمَسْجِدَ جُنُبًا، وَهُوَ طَرِيقُهُ لَيْسَ لَهُ طَرِيقٌ غَيْرُهُ. قَالَ: وَقَالَ «مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَإِنَّ مَوْلَاهُ عَلِيٌّ» " قَالَ: وَأَخْبَرَنَا اللَّهُ فِي الْقُرْآنِ أَنَّهُ قَدْ رَضِيَ عَنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمْ، فَهَلْ حَدَّثَنَا أَنَّهُ سَخِطَ عَلَيْهِمْ بَعْدُ؟ ! قَالَ: «وَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَرَ حِينَ قَالَ: ائْذَنْ لِي لِأَضْرِبَ عُنُقَهُ. يَعْنِي حَاطِبَ بْنَ أَبِي بَلْتَعَةَ قَالَ: " وَكُنْتُ فَاعِلًا؟ ! وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ قَدِ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ، فَقَالَ: اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ» وَقَدْ رَوَى التِّرْمِذِيُّ بَعْضَهُ مِنْ طَرِيقِ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ يَحْيَى بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ وَاسْتَغْرَبَهُ، وَأَخْرَجَ النَّسَائِيُّ بَعْضَهُ أَيْضًا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمَّادٍ بِهِ. رِوَايَةُ عِمْرَانَ: قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي " التَّارِيخِ ": ثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ الرِّيَاحِيُّ، ثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَأَدْفَعَنَّ الرَّايَةَ إِلَى رَجُلٍ يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ ". فَبَعَثَ إِلَى عَلِيٍّ وَهُوَ أَرْمَدُ، فَتَفَلَ
পৃষ্ঠা - ৬২২২


ইবন উমরের বর্ণনাং ইমাম আহমাদ বলেন, ওয়াকী ইবন উমর থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, রাসুণুল্লাহ্মোঃ-এ্যার সময় আমরা বলতাম মানুষের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি আবু বকর,
তারপরে উমর (রা) ৷ অথচ আবু তালিবের ছেলেকে এমন তিনটি মর্যাদা দেওয়া হয়েছে যেগুলো
আমাকে দেওয়া হলে মুল্যবান লাল উটের মালিক হওয়ার থেকেও অধিক খুশি হতাম ৷ এরপর
তিনি উক্ত তিনটি বিষয় উল্লেখ করেন ৷ আহমাদ ও তিরমিযী আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবন
আকীল সুত্রে জ ৷বির থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্পাহ্সাঃ মোঃআলী (রা) কে বলেছিলেন,ত
কি অ ৷নন্দবােধ কর না যে, আমার কাছে৩ তে ৷মার সেই মর্যাদা, যেমন ছিল মুসার কাছে হারুনের
মর্যাদা ? অবশ্য আমার পরে আর কোন নবী নেই ৷ আহমাদ এ হাদীস আতিয়্যার সুত্রে আবু
সাইদ থেকে রাসুলুল্লাহ্,র্দুল্পঃ এর অনুরুপ বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন যে, আমার পক্ষ থেকে তুমি
মুসার পক্ষ হতে হারুনের ন্যায় ৷ তবে আমার পরে কোন নবী ৫ন্ইি ৷ তিবরানী এ হাদীস আবদুল
আযীয ইবন হাকীমের সুত্রে ইবন উমর থেকে মারকু’ (সরাসরি) বর্ণনা করেছেন ৷ সালমা ইবন
কুহ্াইল এ হাদীস আমির ইবন সা দ থেকে তিনি৩ ৷র পিতা থেকে তিনি উম্মে সালামা থেকে
বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ :শাথদ্ষ্ৰুৰুআলী (রা)-কে বলেছিলেন,তু মি কি সন্তুষ্ট নও যে, আমার
কাছে তোমার সেই মর্যাদা, যেমনটি ছিল মুসার কাছে হারুনের মর্যাদা, তবে আমার পরে কোন
নবী নেই ৷ সালামা বলেন, আমি বনু মাওহাবের এক মুক্ত গোলামকে বলতে শুনেছি, তিনি
বলতেন আমি ইবন আব্বাসকে বলতে শ্যুনছি নবী করীমব্লুক্ট্রক্ট্রব্লু অনুরুপ বলেছেন ৷

আলী (বা) এর সাথে ফাতিমাতৃয্ যােহরার বিবাহ
সুফিয়ান ছাওরী বলেন : ইবন আবুনাব্জীহতার পিতা আবুনাজীহ থেকে বর্ণনা করেন যে,
এক ব্যক্তি কুফার মসজিদের মিম্বরে আলী (রা) কে বলতে শুনেছেন ৷ আলী (রা) বলেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ট্রু;;:ন্ৰু এর কন্যা ফাতিমাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেওয়ার সংকল্প করি ৷ কিন্তু মনে
মনে ভাবলাম, আমার তাে কিছুই নেই ৷ আবার চিন্তা করলাম আমার সাথে রাসুলুল্লাহ্:,ন্স্ট্ ;ন্ধ্রএর
সুসম্পর্ক ও আত্মীয়তার বন্ধন আছে ৷ তাই আমি শেষ পর্যন্ত বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে ফেললাম ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্মোঃবললেন, তোমার কাছে কি কো ন অর্থ-সম্পদ আছে ? আমি বললাম না ৷
তিনি বললেন, আমি অমুক দিন তোমাকে হা৩ তমী১ বর্ষ দিয়েছিলাম, সেটি কোথায় ? আমি
বললাম, সেটি আমার নিকট আছে ৷
রাসুলুল্লাহ্ন্,ন্ণ্ষ্ণ্ণ্ বললেন, তুমি ফাতিমাকে (মহ্র বাবদ) এটি দিয়ে দাও ৷ আমি দিয়ে
দিলাম ৷ ৩ খন তিনি আমার সাথে ফাতিমাকে বিবাহ দিলেন ৷ এরপর যে রাতে আমি তাকে ঘরে
আনলাম তখন ঘাসুলুল্লাহখ্যাঃবললেন আমি তোমাদের কাছে না আসা পর্যন্ত? তামরা কিছু
বলাবলি করে৷ না ৷ কিছু সময় পর তিনি আমাদের কাছে আসেন ৷ তখন আমাদের গায়ের উপর
একটি শাল বা চাদর ছড়িয়ে দেওয়া ছিল ৷৩ তার আগমনে আমরা বিচলিত ৩হয়ে পড়লাম, তিনি
বললেন, তোমরা তোমাদের স্থানে থাক ৷ তারপর তিনি এক পেয়ালা পানি আনিয়ে তাতে দু’আ
পড়ে আমার ও ফাতিমার গায়ে ছিটিয়ে দিলেন ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্া
আপনার নিকট আমি বেশি প্রিয় না ফাতিম৷ ? তিনি বললেন, যে আমার কাছে বেশি প্রিয়, আর
তুমি আমার কাছে তার তুলনায় অধিক আদরের ৷



১ হাতমা ইবন মুহারিবের দিকে সম্পর্ক করে বলা হয়েছে ৷ কেননা, সে বর্ম নির্মাণ করতো ৷


فِي عَيْنَيْهِ وَأَعْطَاهُ الرَّايَةَ، فَمَا رَدَّ وَجْهَهُ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ، وَمَا اشْتَكَاهُمَا بَعْدُ» . وَرَوَاهُ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ أَبِي مُوسَى الْهَرَوِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ هَاشِمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ عِمْرَانَ، فَذَكَرَهُ، وَأَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ عَنْ عَبَّاسٍ الْعَنْبَرِيِّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْوَهَّابِ بِهِ. رِوَايَةُ أَبِي سَعِيدٍ: فِي ذَلِكَ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ الْمِقْدَامِ وَحُجَيْنُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَا: ثَنَا إِسْرَائِيلُ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِصْمَةَ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ يَقُولُ «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ الرَّايَةَ فَهَزَّهَا ثُمَّ قَالَ: " مَنْ يَأْخُذُهَا بِحَقِّهَا؟ " فَجَاءَ فُلَانٌ فَقَالَ: أَنَا. فَقَالَ: " أَمِطْ ". ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ آخَرُ، فَقَالَ: أَنَا. فَقَالَ: " أَمِطْ ". ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَالَّذِي أَكْرَمَ وَجْهَ مُحَمَّدٍ لَأُعْطِيَنَّهَا رَجُلًا لَا يَفِرُّ ". فَجَاءَ عَلِيٌّ، فَانْطَلَقَ حَتَّى فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ خَيْبَرَ وَفَدَكَ، وَجَاءَ بِعَجْوَتِهِمَا وَقَدِيدِهِمَا» . وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى عَنْ حُسَيْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، وَقَالَ فِي سِيَاقِهِ:
পৃষ্ঠা - ৬২২৩


নাসাঈ এ হাদীস আবদুল করীম ইবন সালীতের সুত্রে, তিনি ইবন বুরাইদা থেকে, তিনি
তার পিতা বুরাইদা থেকে উপরোক্ত বর্ণনার চেয়ে আরও বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন ৷ এ বর্ণনায়
আছে যে, আলী ফাতিমার ওয়ালীমা খাওয়্যানার জন্যে সা’দ-এর থেকে একটি দুম্বা ও কয়েকজন
আনসারের কাছ থেকে কিছু খাদ্য সংগ্রহ করেন ৷ আরও আছে যে, তাদের গায়ে পানি ছিটিয়ে
দেওয়ার পর দৃ’আ করেছিলেন যে, হে আল্লাহ্৷ তাদের দাস্পত্য সম্পর্কে আপনি বরকত দান
করুন ৷ মুহাম্মদ ইবন কাহীর আওযায়ী থেকে, তিনি ইয়াহ্ইয়া ইবন আবু কাহীর থেকে, তিনি
আবু সালামা থেকে, তিনি আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেন ৷ আবু হুরায়রা বলেন, আলী (রা)
রাসুলুল্লাহ্র্ন্ত গাং এর নিকট ফাতিমাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিলে তিনি ফাতিমার কাছে গিয়ে;
বললেন, হে প্রিয় কন্যা ও আমার চাচাতো ভাই আলী তোমাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিয়েছে ৷ এ
সম্পর্কে তোমার মতামত কি? প্রস্তাব শ্যুন ফাতিমা কিছুক্ষণ র্কাদলেন ৷ তার পর বললেন,
আব্বাজান ! মনে হয় আপনি আমাকে এক কুরাইশ ফর্কীরের কাছে সপে দিতে চাচ্ছেনা
রাসুলুল্লাহ্আঃ বললেন, যেই সত্তা আমাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন তার কসম ! আসমানের
উপর থেকে আল্লাহ্র নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমি এ সম্পর্কে মুখ খুলিনি ৷ তখন ফাতিমা
বললেন, আল্লাহ্ ও তার রাসুল যাতে খুশি, আমিও তাতে সন্তুষ্ট ৷ এ কথার পর রাসুলুল্লাহ্ স্রদ্বুস্টু
ফাতিমার কাছ থেকে বেরিয়ে আসেন ৷ মুসলমস্ফোণ তার কাছে এসে জড়ো হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্
মোঃ বললেন, হে আলী ! তুমি নিজেই প্রস্তাব দাও ৷

তখন আলী (রা) বললেন, সেই আল্লাহ্র প্রশংসা যার ক্ষয় নেই এবং ইনি আল্লাহ্র রাসুল
মুহাম্মদ-ক্তেচারশ দিরহাম মহরের বিনিময়ে তার কন্যাকে আমার নিকট বিবাহ দিয়েছেন ৷
এখন তিনি যা বলেন, তোমরা তা শুনাে ও সাক্ষী থাকে৷ ৷ সাহাবাগণ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্
মোঃ ; আপনার মতামত কি : তিনি বললেন, তোমরা সাক্ষী থাক, আমি আমার কন্যাকে তার
সাথে বিবাহ দিয়েছি ৷ এ বর্ণনা করেছেন ইবন আসাকির ৷ কিন্তু তিনি মুনকার রাবী ৷ আলী ও
ফাতিমার বিবাহকে কেন্দ্র করে বহু সংখ্যক ঘুনকার ও মাওয়ু হাদীস বর্ণিত হয়েছে কিতাব দীর্ঘ
হওয়ার আশংকায় আমরা সেগুলি বর্ণনা-করা থেকে বিরত থাকলাম ৷ তবে হাফিজ ইবন
আসাকির তার ইতিহাস গ্রন্থে উত্তম সনদে কতিপয় হাদীস বর্ণনা করেহ্নেষ্ক ৷ ওয়াকী আবু
খালিদের সুত্রে শা’বী থেকে বর্ণনা করেন যে, আলী (বা) বলেছেন : দৃম্বার একটি চামড়া ব্যতীত
আমাদের আর কোন আলবাব ছিল না ৷ এ চামড়ার এক পাৰুশ আমরা ঘুমেআেম আর অন্য পাশে
ফাতিমা অটো পিষভাে ৷ শাবী থেকে মুজানিদের বর্ণনায় আছে যে, দিনের বেলা ঐ চামড়ার
উপর উটকে ঘাস খেতে দিতাম এবং ফাতিমা ব্যতীত এর অন্য কোন বন্ত্রদিম ছিল না ৷

আরও একটি হাদীস

ইমাম আহমদ বলেন : মুহাম্মদ ইবন জা’ফর সাইদ ইবন আরকাম থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্মোঃ-এর কয়েকজন সাহাবীর ঘর থেকে সরাসরি মসজিদে যাওয়ার পথ
ছিল ৷ একদিন রাসুলুল্পাহ্আঃ ঘোষণা করে দেন যে, আলীর পথ ব্যতীত অন্য সকলের পথ
বন্ধ করে দাও ণ্৷ রাবী বলেন, এ ঘোষণা দেওয়ার পর লোকের মধ্যে কানা-ঘুষা চলতে থাকে ৷
রাসুলুল্লাহ্ড্রো তা বুঝতে পেরে লোকদের সম্মুখে দাড়িয়ে ভাষণে বলেন : সকল প্রশংসা
আল্লাহ্র ৷ সকল গুণগান তার ৷ এরপর কথা হচ্ছে, আমি আলীর পথ ব্যতীত অন্য সকলের পথ


فَجَاءَ الزُّبَيْرُ فَقَالَ: أَنَا. فَقَالَ: " أَمِطْ ". ثُمَّ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ: " أَمِطْ ". وَذَكَرَهُ، تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. رِوَايَةُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فِي ذَلِكَ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى عَنِ الْمِنْهَالِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى قَالَ: كَانَ أَبِي يَسْمُرُ مَعَ عَلِيٍّ، وَكَانَ عَلِيٌّ يَلْبَسُ ثِيَابَ الصَّيْفِ فِي الشِّتَاءِ وَثِيَابَ الشِّتَاءِ فِي الصَّيْفِ، فَقِيلَ لَهُ: لَوْ سَأَلْتَهُ. فَسَأَلَهُ، فَقَالَ «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ إِلَيَّ وَأَنَا أَرْمَدُ الْعَيْنِ يَوْمَ خَيْبَرَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أَرْمَدُ الْعَيْنِ. فَتَفَلَ فِي عَيْنِي وَقَالَ: " اللَّهُمَّ أَذْهِبْ عَنْهُ الْحَرَّ وَالْبَرْدَ» فَمَا وَجَدْتُ حَرًّا وَلَا بَرْدًا مُنْذُ يَوْمَئِذٍ، وَقَالَ: " «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ لَيْسَ بِفَرَّارٍ» " فَتَشَرَّفَ لَهَا أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَانِيهَا. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْمِنْهَالِ، زَادَ بَعْضُهُمْ: وَالْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ. وَرَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ بِهِ مُطَوَّلًا. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، ثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ أُمِّ مُوسَى، قَالَتْ: سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ: «مَا رَمِدْتُ وَلَا صُدِّعْتُ مُنْذُ مَسَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجْهِي وَتَفَلَ فِي عَيْنِي يَوْمَ خَيْبَرَ وَأَعْطَانِي الرَّايَةَ» .
পৃষ্ঠা - ৬২২৪
رِوَايَةُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍّ فِي ذَلِكَ: ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَلِيٍّ «أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى غَيْرَ أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي؟» . قَالَ أَحْمَدُ وَمُسْلِمٌ وَالتِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ مِسْمَارٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: أَمَرَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ سَعْدًا، فَقَالَ: مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَسُبَّ أَبَا تُرَابٍ؟ فَقَالَ: أَمَّا مَا ذَكَرْتُ ثَلَاثًا قَالَهُنَّ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَا، لَأَنْ تَكُونَ لِي وَاحِدَةٌ مِنْهُنَّ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِعَلِيٍّ - وَخَلَّفَهُ فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تُخَلِّفُنِي مَعَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - " أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلَّا أَنَّهُ لَا نُبُوَّةَ بَعْدِي؟» وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ يَوْمَ خَيْبَرَ " «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ ". قَالَ: فَتَطَاوَلْتُ لَهَا. قَالَ: " ادْعُوا لِي عَلِيًّا ". فَأُتِيَ بِهِ أَرْمَدَ، فَبَصَقَ فِي عَيْنَيْهِ، وَدَفَعَ الرَّايَةَ إِلَيْهِ، فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ» ، «وَلَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ {فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ وَنِسَاءَنَا وَنِسَاءَكُمْ وَأَنْفُسَنَا وَأَنْفُسَكُمْ} [آل عمران: 61] . دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا وَفَاطِمَةَ وَحَسَنًا وَحُسَيْنًا فَقَالَ: " اللَّهُمَّ هَؤُلَاءِ أَهْلِي» " ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ وَمُسْلِمٌ
পৃষ্ঠা - ৬২২৫


বন্ধ করতে বলেছি ৷ এ নিয়ে তোমাদের মধ্যে নানা রকম কথা চলছে ৷ তবে জেনে রাখ, আমি
নিজের সিদ্ধান্তে কারও পথ বন্ধ করিনি এবং কারও পথ খোলা রাখিনি ৷ বরং আমাকে এ
প্ ব্যাপারে আদেশ করা হয়েছে ৷ আর আমি যে আদেশ পালন করেছি ৷ আবুল আশহাব
বারা’ ইবন আযিব থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইতিপুর্বে আহমদ ও নাসাঈর বর্ণিত আবু
আওয়ড়ানার সুত্রে ইবন আব্বাসের দীর্ঘ হাদীস উল্লেখ“ করা হয়েছে ৷ সেখানেও আলীর
দরজা ব্যতীত অন্যান্য দরজা বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ৷ ও না আবু বালজ থেকেও
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
অনুরুপ আবু ইয়৷ লা সা দ ইবন আবু ওয়াক্কাস থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ ;র্দু:হুহৃ
মসজিদের সকল দরজা বন্ধ করে দেন এবং কেবল আলীর দরজা খোলা রাখেন ৷ এতে কিছু
লোক কানা-ঘুষ৷ করে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ মোঃ বলে দেন যে, তার দরজা আ মি খোলা রাখিনি
বরং আল্লাহই খোলা রেখেছেন ৷ এ হাদীসের সাথে বুখারী শরীফে বর্ণিত সে হাদীসের কোন
বিরোধ নেই ৷ যেখানে বলা হয়েছে যে, মুমুর্বৃকালে রাসুলুল্লাহ্ হ পুমোঃ ,বলেছিন্লন, মসজিদে সরাসরি
প্রবেশের সকল পথ বন্ধ করে দাও, কেবল আবু বকর সিদ্দীকের পথ খোলা রাখ ৷ কেননা
আলীর ক্ষেত্রে তার পথ খোলা রাখার কথা বলেছিলেন তিনি জীবিত থাকাকালে ৷ কেননা
ফাতিমাকে তার ঘর থেকে পিতার ঘরে আসার প্রয়োজন ছিল ৷৩ তার প্রতি সদর হয়ে তিনি এ
রকম করেছিলেন ৷ কিন্তু তার ইনতিকালের পরে প্রয়োজন আর থাকেনি ৷ তখন আবু বকর
সিদ্দীকের জন্যে পথ খোলা রাখার প্রয়োজন হয় ৷ কেননা রাসুলুল্লাহ্ক্রে ধু এর পরে তিনি ছিলেন
মুসলমানদের খলীফ ৷ ৷ মসজিদে গিয়ে মানুষকে নিয়ে তাকে সালাতের ইমামতি করতে হতো ৷
রাসুলের এ উক্তির মধ্যে পরবভীকািলে আবুবকরের খিলাফতের প্রতি প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত রয়েছে ৷
তিরমিষী বলেন : আলী ইবন মুনযির আবু সাঈদ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুভুম্’ড়াহ্মোঃআলী (রা)-কে বলেছিলেন, হে আলী ! মসজিদের মধ্যে আমি এবং তুমি ব্যতীত
অন্য কারও জন্যে জুনুবী হওয়া বৈধ নয় ৷ আলী ইবন মুনযির বলেন, আমি যিরার ইবন
সুরাদকে জিজ্ঞেস করলাম, এ হাদীসটির অর্থ কি ৷ যিরার বললেন, এর অর্থ হলো, আমি এবং
তুমি ব্যতীত জুনুবী অবস্থায় মসজিদের ভিতর দিয়ে যেতে পারবে না ৷ এরপর তিরমিষী বলেন,
এ হাদীস হাসান গরীব ৷ উল্লিখিত সনদ ব্যতীত অন্য কোন সুত্রে এ হাদীস আমাদের জানা
নেই ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল অবশ্য এ হাদীস শুনেছেন ৷ ইবন আসাকির এ হাদীস কাহীরুন
নাওয়ার সুত্রে আতিয়্যার মাধ্যমে আবু সাঈদ থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এরপর ইৰ্ন
আসাকির আবুনুঅইিমের সুত্রে উম্মে সালামা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
ক্রোরােগাক্রাম্ভ অবস্থায় ঘর থেকে বেরিয়ে মসজিদের শেষ প্রান্তে গিয়ে উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা দেন
যে, কোন জুনুবী কিৎবা কোন হায়িজ৷ নারীর জন্যে মসজিদে অবস্থান করা অথবা মসজিদের
ভিতর দিয়ে যাতায়াত করা হড়ালাল নয় ৷ তবে কেবল মুহাম্মদ, তার শ্রীগণ, আলী ও ফাতিমা
বিনত মুহাম্মদের জন্যে হালাল আছে ৷ সাবধান ! আমি তোমাদের কাছে নাম প্রকাশ করে দিলাম
যাতে তোমরা বিভ্রান্ত না হও ৷ এ হাদীসের সনদ গরীব ৷ তা ছাড়া এর মধ্যে অন্য দুর্বলতাও
আছে ৷ এরপর ইবন আসাকির আবু রাফি’ বর্ণিত হাদীসও উল্লেখ করেছেন ৷ কিন্তু তার সনদেও
গারাবাত আছে ৷ ন্


وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ سَعْدٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَلِيٍّ «أَنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى» وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: وَيُسْتَغْرَبُ مِنْ رِوَايَةِ سَعِيدٍ عَنْ سَعْدٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ الزُّبَيْرِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ - يَعْنِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ - عَنْ سَعْدٍ قَالَ: لَمَّا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى تَبُوكَ خَلَّفَ عَلِيًّا، فَقَالَ: أَتُخَلِّفُنِي؟ قَالَ «أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى غَيْرَ أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي؟» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ سَعْدٍ يُحَدِّثُ عَنْ سَعْدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ لَعَلِيٍّ: " «أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى؟» " أَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو سَعِيدٍ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ، ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، حَدَّثَنَا الْجُعَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُعْفِيُّ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهَا، أَنَّ عَلِيًّا
পৃষ্ঠা - ৬২২৬
خَرَجَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى جَاءَ ثَنِيَّةَ الْوَدَاعِ، وَعَلِيٌّ يَبْكِي يَقُولُ: تُخَلِّفُنِي مَعَ الْخَوَالِفِ؟ فَقَالَ «أَوَ مَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلَّا النُّبُوَّةَ؟» . وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ أَيْضًا، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ الْعَبْدِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَازِمٍ أَبُو مُعَاوِيَةَ الضَّرِيرُ، عَنْ مُوسَى بْنُ مُسْلِمٍ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ: قَدِمَ مُعَاوِيَةُ فِي بَعْضِ حِجَّاتِهِ، فَأَتَاهُ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ فَذَكَرُوا عَلِيًّا، فَقَالَ سَعْدُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَهُ ثَلَاثَ خِصَالٍ، لَأَنْ تَكُونَ لِي وَاحِدَةٌ مِنْهُنَّ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا، سَمِعْتُهُ يَقُولُ «مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فِعَلِيٌّ مَوْلَاهُ» . وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ» وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: " «أَنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي» . إِسْنَادُهُ حَسَنٌ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ الدِّمَشْقِيُّ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْوَهْبِيُّ أَبُو سَعِيدٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: لَمَّا حَجَّ مُعَاوِيَةُ أَخْذَ بِيَدِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ فَقَالَ: يَا أَبَا إِسْحَاقَ، إِنَّا قَوْمٌ قَدْ أَجْفَانَا هَذَا الْغَزْوُ عَنِ الْحَجِّ حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৬২২৭


আর একটি হাদীস
হাকিম ও আরও কতিপয় গ্রন্থকার সাঈদ ইবন জুবইিরের সুত্রে ইবন আব্বাসের মাধ্যমে
বুরাইদা ইবন হুদইিব থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আলীর সাথে আমি ইয়ামান যুদ্ধে যাই ৷
সেখানে আমি তার থেকে একটা অসংগত কাজ দেখতে পাই ৷ রাসুলুল্লা মোঃএর কাছে এসে
আমি আলীর প্রসঙ্গ তুলে যে বিষয়টি উল্লেখ করি এবং তার ব্যাপারে নিন্দাসুচক কথা বলি ৷
এতে দেখলাম রাসুলুল্লাহ্জাে এর চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেছে ৷ তিনি বললেন, হে বুরাইদা
আমি কি মু মিনগণের জন্যে তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক কল্যাণকামী নই ৷ আমি বললাম,
হ্যা ইয়া রাসুলাল্লাহ্!৩ তিনি বললেন, আমি যার অভিভাবক আলীও তার অভিভাবক ৷
’ ইমাম আহমদ বলেন : ইবন নুমাইর বুরাইদা থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
স্রইয়ামান অভিযানে দুটি দল প্রেরণ করেন ৷ এক দলের নেতৃত্বে ছিলেন আলী ইবন আবু
ন্নালিব এবং অন্য দলের অধিনায়ক ছিলেন খালিদ ইবন ওয়ালীদ ৷ যাত্রাকালে তিনি বলে দেন
য, দৃ’দল একত্রিত হলে উভয় দলের নেতা হবে আলী ৷ আর যখন দৃ’দল পৃথক হয়ে যাবে
তখন দৃ’জনের প্রত্যেকেই স্বস্ব বাহিনীর নেতৃত্ব দিবে ৷ রাবী বুরাইদা বলেন, ইয়ামানের বসু
ধায়িদার্ সাথে আমাদের মুকাবিলা হয় ৷ আমরা সম্মিলিততাবে যুদ্ধে অংশ্যাহণ করি ৷ যুদ্ধে
মুসলমানরা মুশরিকদের উপর বিজয় লাভ করে ৷ ফলে তাদের যুবক যােদ্ধাদের আমরা হত্যা
করি এবং শ্রী ও সন্তানদের বন্দী করি ৷ বন্দীদের মধ্য হতে এক মহিলাকে আলী নিজের জন্যে
রেখে দেন ৷
বুরাইদা বলেন : খালিদ ইবন ওয়ালীদ এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি পত্রসহ আমাকে
রাসুলুল্পাহ্ ;ণ্ণ্;ণ্শ্প্ষ্মোঃষ্,ষ্ এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ আমি এসে রাসুলুল্লাহ্জােএর কাছে যথারীতি
পত্রটি পৌছে দিই ৷ পত্রটি তিনি একজনকে দিয়ে পড়িয়ে শুনেন ৷ আমি দেখলাম, রাসুলুল্লাহ্
—“ : : এর চেহারায় ক্রোধের চিহ্ন ফুটে উঠেছে ৷ আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ষ্ আমাকে ক্ষমা
করুন ৷ আপনি আমাকে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে পাঠিয়েছেন এবং তার আনুগত্য করতে নির্দেশ
দিয়েছেন ৷ সে হিসেবে তিনি আমাকে যে পত্র দিয়ে পাঠিয়েছেন আমি তা আপনার নিকট পৌছে
দিয়েছি মাত্র ৷ তখনরাসুলুল্লাহ্র্দুআঃ বললেন, আলীর সমালোচনা করো না ৷ কেননা, সে আমার
থেকে এবং আমি তার থেকে ৷ আমার পরে সে হবে তোমাদের অভিভাবক ৷ হাদীসের এ ভাষ্য
মুনকার ৷ এর এক রাবী আজলাহ একজন শীআ ৷ এ জাতীয় রাবীর বর্ণনা গ্রহণষেগ্যে নয়, যখন
সে একা বর্ণনাকারীহয় ৷ অবশ্য তার ন্যায় আরও একজন এটা বর্ণনা করেছেন ৷ কিন্তু যে
আত্তলােহ অপেক্ষা অধিক দুর্বল ৷
এ সম্পর্কে মাহফুজ বর্ণনা হলে; সেটি যা আহমদ বর্ণনা করেছেন ওয়ার্কী’ থেকে, তিনি
আ মাশ থেকে, তিনি যা দ ইবন উবাইদাহ্ থেকে, তিনি আবদুল্লাহ ইবন বুরাইদাহ থেকে,৩ তিনি
তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন ৷ বুরাইদাহ বলেন, রাসুলুল্লাহ্ হুশ্ণ্ণ্ৰ্,ৰু বলেছেন, আমি যার
অভিভাবক আলীও তার অভিভাবক ৷ হাসান ইবন আরফাহ্ এবং আহমদও আমাশ থেকে এ
বর্ণনা করেছেন ৷ নাসাঈ আবু কুরাইবের সুত্রে আবু ঘুআবিয়া থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
আহমাদ বলেন : রাওহু ইবন আলী ইবন সুওয়ায়িদ ইবন ঘুনজাওফ আবদুল্লাহ্ ইবন
বুরাইদাহ সুত্রে তার পিতা বৃরইিদাহ্ থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্আঃ আলী


كِدْنَا أَنْ نَنْسَى بَعْضَ سُنَنِهِ، فَطُفْ نَطُفْ بِطَوَافِكَ. قَالَ: فَلَمَّا فَرَغَ أَدْخَلَهُ دَارَ النَّدْوَةِ، فَأَجْلَسَهُ مَعَهُ عَلَى سَرِيرِهِ، ثُمَّ ذَكَرَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَوَقَعَ فِيهِ، فَقَالَ: أَدْخَلْتَنِي دَارَكَ، وَأَجْلَسْتَنِي عَلَى سَرِيرِكَ، ثُمَّ وَقَعْتَ فِي عَلِيٍّ تَشْتُمُهُ؟ ! وَاللَّهِ لَأَنْ يَكُونَ فِي إِحْدَى خِلَالِهِ الثَّلَاثِ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ يَكُونَ لِي مَا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ، وَلَأَنْ يَكُونَ لِي مَا قَالَ لَهُ حِينَ غَزَا تَبُوكَ " «أَلَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي؟» . أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ، وَلَأَنْ يَكُونَ لِي مَا قَالَ لَهُ يَوْمَ خَيْبَرَ " «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ، لَيْسَ بِفَرَّارٍ» . أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ، وَلَأَنْ أَكُونَ صِهْرَهُ عَلَى ابْنَتِهِ، وَلِي مِنْهَا مِنَ الْوَلَدِ مَا لَهُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ يَكُونَ لِي مَا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ، لَا أَدْخُلُ عَلَيْكَ دَارًا بَعْدَ هَذَا الْيَوْمِ. ثُمَّ نَفَضَ رِدَاءَهُ ثُمَّ خَرَجَ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ «خَلَّفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تُخَلِّفُنِي فِي النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ؟ قَالَ: " أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى غَيْرَ أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي؟» . إِسْنَادُهُ عَلَى شَرْطِهِمَا، وَلَمْ يُخْرِجَاهُ. وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ مُصْعَبٍ، عَنْ أَبِيهِ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ مُصْعَبٍ، عَنْ أَبِيهِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهَا.
পৃষ্ঠা - ৬২২৮
قَالَ الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ: وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ ; مِنْهُمْ عُمَرُ، وَعَلِيٌّ، وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، وَمُعَاوِيَةُ، وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَجَابِرُ بْنُ سَمُرَةَ، وَأَبُو سَعِيدٍ، وَالْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ، وَزَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ، وَزَيْدُ بْنُ أَبِي أَوْفَى، وَنُبَيْطُ بْنُ شُرَيْطٍ، وَحُبْشِيُّ بْنُ جُنَادَةَ، وَمَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ، وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، وَأَبُو الْفِيلِ، وَأُمُّ سَلَمَةَ، وَأَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ، وَفَاطِمَةُ بِنْتُ حَمْزَةَ. وَقَدْ تَقَصَّى الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ فِي تَرْجَمَةِ عَلِيٍّ فِي " تَارِيخِهِ " فَأَجَادَ وَأَفَادَ، وَبَرَزَ عَلَى النُّظَرَاءِ وَالْأَشْبَاهِ وَالْأَنْدَادِ، رَحِمَهُ رَبُّ الْعِبَادِ يَوْمَ التَّنَادِ. رِوَايَةُ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي ذَلِكَ: قَالَ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ عُمَرُ: لَقَدْ أُعْطِيَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ ثَلَاثَ خِصَالٍ، لَأَنْ تَكُونَ لِي خَصْلَةٌ مِنْهَا أَحَبُّ إِلَيَّ مَنْ حُمْرِ النَّعَمِ. قِيلَ: وَمَا هُنَّ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: تَزْوِيجُهُ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسُكْنَاهُ الْمَسْجِدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَا يَحِلُّ لِي فِيهِ مَا يَحِلُّ لَهُ، وَالرَّايَةُ يَوْمَ خَيْبَرَ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ. رِوَايَةُ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَسِيدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: كُنَّا نَقُولُ فِي زَمَانِ رَسُولِ
পৃষ্ঠা - ৬২২৯


(আঃ কে গনীমবুত র থুঘুস (এক পঞ্চমাত্শ) আনার জন্যে খালিদ ইবন ওয়ালীদের নিকট প্রেরণ
করেন ৷ বুরাইদাহ্ বলেন, সকাল বেলা দেখা গেল আলীর মাথা থেকে পানি টপকাচ্ছে ৷ খনত
প্ খালিদ বুরাইদাকে বললেন, লক্ষ্য করেছ, এ লোকটি কি কর্ম করেছে ? বাবী বলেন, আমি যখন
ফিরে আমি তখন রাসুলুল্লাহ্মোঃ বুক আলীর ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করি এবং আলীর প্রতি
ক্রোধ প্রকাশ করি ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ , বললেন, হে বুরাইদাহ্গ্লুতুমি কি আলীর প্রতি ক্রোধ রাখ ?
আমি বললাম হ্যা ৷ তিনি তখন আমাকে বললেন, তার প্রতি ক্রোধ রেখো না; বরং তাকে
ম্হব্বত কর ৷ কেননা, খুমুসে যে এর চেয়েও বেশি পাবে ৷ বুখারী তার সহীহ গ্রন্থে এ হাদীস
বিনদারম্মাতহ্ ২এরসুত্রেন্বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমাদ ববুলন : ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ বর্ণনা করেন ৷ তিনি আবদুল জলীল থেকে
শুবুনছেন ৷ আবদুল জলীল বলেন, আমি এক বৈঠকে উপস্থিত হই ৷ ঐ বৈঠকে আবু মিজলায ও
বুরাইদার দুই ছেলে শরীক ছিলেন ৷ তখন আবদুল্লাহ ইবন বুরাইদাহ্বলবুলন, আমার পিতা
-বুরাইদাহ্ আমাকে বলেছেন যে, আমি আলীর উপরে এবুত ৷ ক্রোধান্বিত ছিলাম যে, অবুত৷ ক্রোধ
অন্য কারও উপর ছিল না ৷ অপর দিকে কুরাইশের এক ব্যক্তিকে আমি মুহব্বত করতাম ৷ তাকে
মুহব্বত করতাম শুধু এ কারণে যে, আলীর প্রতি তার ক্রোধ ছিল ৷ বুরাইদাহ্ বলেন, ঐ
ব্যক্তিকে এক অশ্বারােহী বা ৷হিনীর নেতা হিসেবে অভিযানে প্রেরণ করা হয় ৷ আমি তার বাহিনীর
অন্তভুক্তি হয়ে অভিযানে গমন করি ৷ তার বাহিনীতে ৩যাওয়ার কারণ ঐ একটাই আলীর প্রতি
তার ক্রে৷ ধ ৷ সে অভিযানে অনেক বন্দী আমাদের হস্তগত হয় ৷ এর খুমুস বের করে নেওয়ার
জন্যে আমরা রাসুলুল্লাহ্সাঃস্,ৰুন্ এর নিকট পত্র দিই ৷ তিনি এ কাজে আলীকে আমাদের নিকট
প্রেরণ করেন ৷ বুর৷ ৷ইদাহ্ বলেন, বন্দীদের মধ্যে ওয়াহীফাহ নামের এক সুন্দরী মহিলা ছিল ৷
আলী খৃমুস বের করেন ও বন্টন করেন ৷ পরে যখন তিনি ঘর থেকে বের হন তখন দেখা গেল
তার মাথা হতে পানির ফৌট৷ গড়িয়ে পড়ছে ৷
তাবুক দেখে আমরা বললাম, হে আবুল হাসান এ কি অবস্থা! তিনি বললেন, কেন
বন্দীদের মাঝে ওে ৷মরা কি ওয়াহীফাহকে দেখনি ? আমি বন্দীদের বণ্টন করেছি, খুমুস বের
করেছি ৷ ওয়াহীফাহ্ খুমুসেব অম্ভভুক্তি হয় ৷ এরপর সে নবীর পরিবারভুক্ত হয় এবং অবশেষে
আলীর অধিকারে আসে ৷ ফলে তার সাথে আমি রাত যাপন করি ৷ বুর৷ ৷ইদাহ্ ববুলন, আমি যে
বুনতাব বাহিনীতে গিয়েছিলাম তিনি এ ঘটনার উল্লেখ করে বাসুলুল্লাহ্মোঃ এর নিকট এক পত্র
লিখেন ৷ আমি নেতাকে বললাম, চিঠির সাথে আমাকে পাঠান ৷ তিনি আমাকে চিঠির সাথে
সমর্থক :হিঃসবে প্রেরণ করেন ৷ বুরাইদা হ্ ববুলন, আমি এবুস রাসুলুল্লাহ্ম্পো ৰু ণ্ক চিঠি পড়ে
শুনালাম এবং চিঠির বক্তব্য স ত্য ববুল সমর্থন করলাম ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্লোঃ আমার হাত ও
চিঠি তার হাতে নিয়ে বললেন, তৃমি কি আলীর প্রতি বুক্রাধ রাখঃ আমি বললাম ,হী৷ ৷ তিনি
বললেন, আলীর প্ৰতি ক্রোধ রেখাে না ৷ আর যদি তাকে ভালবাস তা হলে সে ভালবাসা আরো
বৃদ্ধি করে দাও ৷ ঐ সত্তাৱ কলম, যাব হাতে আমার জীবন, ধৃনুসের মধ্যে আলীর পরিবারের যে
অংশ আছে তা ওয়াহীফাহ্র চেয়ে অনেক বেশি ৷
বুরাইদাহ্ বলেন, রাসুলুল্লাহ্চুর্দুল্পঃ এর কথা শোনার পর আমার নিকট আলীর চেয়ে অধিক
প্রিয় আর কেউ ছিল না ৷ আবদুল্লাহ বলেন, সেই সত্তাব কসম, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ


اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رَسُولُ اللَّهِ خَيْرُ النَّاسِ، ثُمَّ خَيْرُ النَّاسِ، أَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ عُمَرُ، وَلَقَدْ أُوتِيَ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ ثَلَاثًا لَأَنْ أَكُونَ أُعْطِيتُهُنَّ أَحَبُّ إِلَيَّ مَنْ حُمْرِ النَّعَمِ. فَذَكَرَ هَذِهِ الثَّلَاثَ. وَقَدْ رَوَى أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ جَابِرٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَلِيٍّ: " أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى غَيْرَ أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي؟» . وَرَوَاهُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي» . وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ مَرْفُوعًا. وَرَوَاهُ سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَلِيٍّ: " «أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي؟» . قَالَ سَلَمَةُ: وَسَمِعْتُ مَوْلًى لِبَنِي مَوْهِبَةَ يَقُولُ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. مِثْلَهُ. [تَزْوِيجُ عَلِيٍّ فَاطِمَةَ الزَّهْرَاءَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا] قَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ أَبِيهِ: «سَمِعَ رَجُلٌ عَلِيًّا عَلَى مِنْبَرِ الْكُوفَةِ يَقُولُ: أَرَدْتُ أَنْ أَخْطُبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنَتَهُ، ثُمَّ ذَكَرْتُ أَنْ لَا
পৃষ্ঠা - ৬২৩০


নেই এ হাদীস বর্ণনায় আমার ও নবী করীমমোঃ এর মাঝে আমার পিতা বুরইিদাহ্ ছাড়া আর
কোন মাধ্যম নেই ৷ আহমাদ এ হাদীস মুফরাদ বর্ণনা করেছেন ৷

এ হাদীসটি অনেরেইি আবুল জাওয়াব বারা ইবন আযিব সনদে বুরইিদাহ্ ইবন

ন্থনাইবের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন, অবশ্য এ সনদ গরীব ৷ তিরমিযী এ হাদীস আবদুল্লাহ ইবন

আবু যিয়াদের সুত্রে আবুল জাওয়াব আহওয়াস ইবন জাওয়াব থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
তিরমিযী একে হাসান গরীব অভিহিত করে বলেছেন যে, আবদুল্লাহ ইবন যিয়াদ ব্যতীত অন্য
কারও থেকে আমরা এ বর্ণনা শুনিনি ৷

ইমাম আহমাদ বলেনষ্ক আবদুর রায্যাক ইমরান ইবন হুসাইন থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, §¥flfi§?§::(:; এক অভিযানে সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন ৷ আলী ইবন আবু৩ তালিবকে
বাহিনীর অধিনায়ক করেন ৷ সে সফরে আলী (বা) একটি নতুন ঘটনা সৃষ্টি করেন ৷ মুহাম্মদন্,;:;শু
এর চারজন সাহাবী এ ঘটনা রাসুলুল্লাহ্মোঃ-কে জানাবার জন্যে পরস্পর অঙ্গীকারবদ্ধ হন ৷

ইমরান বলেন, আমরা কোন সফর থেকে ফিরে আসলে প্রথমে রাসুলুল্লাহ্ঘ্নে এর নিকট
উপস্থিত হয়ে তাকে সালাম করতড়াম ৷ ইমরান ইবন হুসাইন বলেন, এ নিয়মাৰুযায়ী আমরা
রাসুলুল্লাহ্ত্তু ণুহুদ্ঙ্ এর কাছে গেলে উক্ত চার সাহাবী তার সম্মুখে উপস্থিত হয় ৷ একজন র্দাড়িয়ে
বললো, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আলী এই এই কাজ করেছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ ন্”ইশ্হু,ক্ষুৰু তার কথাকে উপেক্ষা
করলেন ৷ তখন দ্বিতীয় ব্যক্তি দাড়িয়ে বললো, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আলী এমন এমন কাজ করেছে ৷
রাসুলুলুড়াহ্ ইন্ষ্র্দুহুট্রু তাকেও উপেক্ষা করলেন ৷ এরপর তৃতীয় ব্যক্তি র্দাড়িয়ে বললো, ইয়দ্ব

রাসুলাল্লাহ্! আলী এই এই কাজ করেছে ৷৩ তারপর চতুর্থ রাজি না ৷ড়িয়ে বললো, ইয়া রাসুলাল্লাহ্

আলী এমন এমন কাজ করেছে ৷ রাবী বলেন, রাসুলুল্লড়াহ্ন্::ক্ট্রচতুর্থ ব্যক্তির দিকে ফিরে তাকান ৷
এ সময় তার চেহারা পরিবর্তন হয়ে যায় ৷ তিনি বলেন, আলীকে ছাড় ৷ আ ৷লীকে ছাড়, আলীকে
ছাড় ৷ আলী আমার থেকে এবং আমি আলীর থেকে ৷ আমার পরে সেই হবে প্রা তব্রুক মু মিনের
অজ্যিাবক ৷

তিরমিযী ও নাসাঈ এ হাদীস কুত তাইবার সুত্রে জা ফর ইবন সুলাইমান থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ তবে তিরমিযীর বর্ণনা অনেক দীর্ঘ ৷ সে বর্ণনায় এ কথার উল্লেখ আছে যে, আলী
এক বন্দী মহিলার সাথে রাত যাপন করেন ৷ বর্ণনা শেষে তিরমিযী বলেন, এর সনদ হাসান
গরীব ৷ জাফর ইবন সুলাইমান ব্যতীত অন্য কারও থেকে আমরা এ বর্ণনা পাইনি ৷ আবু ’
ইয়ালা মুসিলী এ হাদীস আবদুল্লাহ ইবন উমর আল-কাওয়ারীরী ৷ হাসান ইবন উমর ইবন
শাকীক আল-হারামী ও মুআল্লা ইবন মাহদীর সুত্রে জা’ফৱ ইবন সুলাইমান থেকে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷

খাইছামাহ্ ইবন সুলাইমান বলেন : আহমদ ইবন হাযিম ওহাব ইবন হাম্মাহ্ থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি আলীর সাথে পবিত্র মদীনা হতে পবিত্র মক্কা পর্যন্ত সফর করেছি ৷ এ
সময়ে আমি তার থেকে কিছু অসঙ্গত কাজ দেখতে পইি ৷ তখন আমি মনে মনে সিন্ধান্ত নিলাম
যে, যদি আমি সফর থেকে ফিরে যেতে পারি তা হলে রাসুলুল্পাহ্মোঃ এর সাথে সাক্ষাৎ করে
তাকে এ বিষয়ে অবহিত করবো ৷ তিনি বলেন, সফর থেকে ফিরে এসে আমি রাসুলুল্লাহ্ মোঃ
এর সাথে সাক্ষাৎ করে আলীর বিষয়ে অবহিত করি ৷ তিনি আমাকে বললেন, আলীর সম্পর্কে

আর্ল-বিদায়া — ৭৭


شَيْءَ لِي، ثُمَّ ذَكَرْتُ عَائِدَتَهُ وَصِلَتَهُ، فَخَطَبْتُهَا، فَقَالَ: " هَلْ عِنْدَكَ شَيْءٌ؟ " قُلْتُ: لَا. قَالَ: " فَأَيْنَ دِرْعُكَ الْحُطَمِيَّةُ الَّتِي أَعْطَيْتُكَ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا؟ " قُلْتُ: عِنْدِي. قَالَ: " فَأَعْطِهَا ". فَأَعْطَيْتُهَا فَزَوَّجَنِي، فَلَمَّا كَانَ لَيْلَةً دَخَلْتُ عَلَيْهَا قَالَ: " لَا تُحَدِّثَا شَيْئًا حَتَّى آتِيَكُمَا ". قَالَ: فَأَتَانَا وَعَلَيْنَا قَطِيفَةٌ أَوْ كِسَاءٌ فَتَحَشْحَشْنَا، فَقَالَ: " مَكَانَكُمَا ". ثُمَّ دَعَا بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ، فَدَعَا فِيهِ، ثُمَّ رَشَّهُ عَلَيَّ وَعَلَيْهَا، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا أَحَبُّ إِلَيْكَ أَمْ هِيَ؟ قَالَ: " هِيَ أَحَبُّ إِلَيَّ، وَأَنْتَ أَعَزُّ عَلَيَّ مِنْهَا» . وَقَدْ رَوَى النَّسَائِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ سَلِيطٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، فَذَكَرَهُ بِأَبْسَطِ مِنْ هَذَا السِّيَاقِ، وَفِيهِ أَنَّهُ أَوْلَمَ عَلَيْهَا بِكَبْشٍ مِنْ عِنْدِ سَعْدٍ، وَآصُعٍ مِنَ الذُّرَةِ مِنْ عِنْدِ جَمَاعَةٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَأَنَّهُ دَعَا لَهُمَا بَعْدَ مَا صَبَّ عَلَيْهِمَا الْمَاءَ، فَقَالَ: «اللَّهُمَّ بَارِكْ فِيهِمَا، وَبَارِكْ عَلَيْهِمَا، وَبَارِكْ لَهُمَا فِي شَمْلِهِمَا ".» يَعْنِي الْجِمَاعَ. وَرَوَى مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «لَمَّا خَطَبَ عَلِيٌّ فَاطِمَةَ دَخَلَ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهَا: " أَيْ بُنَيَّةَ، إِنَّ ابْنَ عَمِّكِ عَلِيًّا قَدْ خَطَبَكِ، فَمَاذَا تَقُولِينَ؟ " فَبَكَتْ ثُمَّ قَالَتْ: كَأَنَّكَ يَا أَبَتِ إِنَّمَا دَخَرْتَنِي لِفَقِيرِ قُرَيْشٍ. فَقَالَ: " وَالَّذِي بَعَثَنِي بِالْحَقِّ مَا
পৃষ্ঠা - ৬২৩১
تَكَلَّمْتُ فِي هَذَا حَتَّى أَذِنَ اللَّهُ لِي فِيهِ مِنَ السَّمَاءِ ". فَقَالَتْ فَاطِمَةُ: رَضِيتُ بِمَا رَضِيَ اللَّهُ لِي وَرَسُولُهُ. فَخَرَجَ مِنْ عِنْدِهَا، وَاجْتَمَعَ الْمُسْلِمُونَ إِلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " يَا عَلِيُّ، اخْطُبْ لِنَفْسِكَ ". فَقَالَ عَلِيٌّ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَا يَمُوتُ، وَهَذَا مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ زَوَّجَنِي ابْنَتَهُ فَاطِمَةَ عَلَى صَدَاقٍ مَبْلَغُهُ أَرْبَعُمِائَةِ دِرْهَمٍ، فَاسْمَعُوا مَا يَقُولُ وَاشْهَدُوا. قَالُوا: مَا تَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ زَوَّجْتُهُ» . رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ، وَهُوَ حَدِيثٌ مُنْكَرٌ. وَقَدْ وَرَدَ فِي هَذَا الْفَصْلِ أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ مُنْكَرَةٌ وَمَوْضُوعَةٌ أَضْرَبْنَا عَنْهَا ; لَئِلَّا يَطُولُ الْكِتَابُ بِهَا، وَقَدْ أَوْرَدَ مِنْهَا الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ طَرَفًا جَيِّدًا فِي " تَارِيخِهِ " مَعَ ضَعْفِهِمَا وَوَضْعِهَا. وَرَوَى وَكِيعٌ عَنْ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ: مَا كَانَ لَنَا إِلَّا إِهَابُ كَبْشٍ نَنَامُ عَلَى نَاحِيَتِهِ وَتَعْجِنُ فَاطِمَةُ عَلَى نَاحِيَتِهِ. وَفِي رِوَايَةِ مُجَالِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ: وَنَعْلِفُ عَلَيْهِ النَّاضِحَ بِالنَّهَارِ، وَمَا لِي خَادِمٌ عَلَيْهَا غَيْرَهَا. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا عَوْفٌ، عَنْ مَيْمُونٍ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ: «كَانَ لِنَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبْوَابٌ شَارِعَةٌ فِي الْمَسْجِدِ. قَالَ: فَقَالَ يَوْمًا: " سُدُّوا هَذِهِ الْأَبْوَابَ إِلَّا بَابَ عَلِيٍّ ". قَالَ: فَتَكَلَّمَ فِي ذَلِكَ أُنَاسٌ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَمِدَ اللَّهَ تَعَالَى وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " أَمَّا بَعْدُ، فَإِنِّي أَمَرْتُ بِسَدِّ هَذِهِ الْأَبْوَابِ غَيْرَ بَابِ عَلِيٍّ،
পৃষ্ঠা - ৬২৩২


এমন কথা বলো না ৷ কেননা, আমার পরে আলী হবে তোমাদের অভিভাবক ৷ আবু দাউদ
তায়ালিসী বলেন, শুবা ইবন আব্বাস থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ দ্দোএকদ৷ আলীকে
বলেছিলেন, আমার পরে তুমি হবে সকল মু মিনীনের অভিভাবক ৷ ইমাম আহমাদ বলেন :
ইয়া’কুব ইবন ইবরাহীম যয়নাব বিনত কাব থেকে বর্ণিত ৷ তিনি তার স্বামী আবু সাঈদ
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একবার লোকজন আলীর ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্ল্লী এর
নিকট অভিযোগ করে ৷ তখন তিনি আমাদের মাঝে এক ভাষণ দেন ৷ আমি যে ভাষণ শুনেছি ৷
তিনি বলেছেন, হে লোক সকল ! তোমরা আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ কর না ৷ আল্লাহর কসম ৷
সে আল্লাহ্র সত্তায় কিৎবা আল্লাহর রাস্তায় প্রবৃত্তির অনুসরণ করে না ৷ আহমাদ এ হাদীস
মুফরাদ বর্ণনা করেছেন ৷
হাফিজ বায়হাকী বলেন : আবুল হাসান ইবন ফযল আল-কাত্তান যয়নাব বিনত কা’ব
ইবন আজুরার সুত্রে আবু সাঈদ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, বাসুলুল্লাহট্রু,ট্রু আলী ইবন আবু
তালিবকে ইয়ামানে প্রেরণ করেন ৷ আবু সাঈদ বলেন, যারা তার সাথে সহযাত্রী হয়েছিল
আমিও তাদের মধ্যে একজন ৷ ইয়ামানে পৌছার পর আলীর সামনে যখন সদকা র উট হাযির
করা হয় তখন আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে, আমাদের উট ছেড়ে দিয়ে সদকার উট বাহন
হিসেবে ব্যবহার করতে পারি কি না ? কেননা, আমাদের উটগুলো সফরে দুর্বল হয়ে পড়েছিল ৷
কিন্তু তিনি আমাদের সেরুপ করার অনুমতি দিলেন না ৷ তিনি বললেন, এসব উটে তোমাদের
যেমন অধিকার আছে, তদ্র্যপ অন্যান্য মুসলমানেরও অধিকার রয়েছে ৷ এরপর আলী ইয়ামানে
তার কাজ সম্পন্ন করে দ্রুত পবিত্র মক্কায় চলে আসেন এবং সে বছরের হজ্জ পালন করেন ৷
ফিরে আসার সয়ম তিনি অন্য এক ব্যক্তিকে আমাদের আমীর নিযুক্ত করে দেন ৷ হজ্জ শেষে ৰু
রাসুলুল্লাহ্ক্রো আলীকে বললেন, তুমি ইয়ামানে ফিরে যাও এবং তোমার সাথীদের সাথে
মিলিত হও ৷
আবু সাঈদ বলেন, যে ব্যক্তিকে আলী আমীর নিযুক্ত করেছিলেন তার নিকট আমরা সেই
বিষয়ে জিজ্ঞেস করি যা আলী নিষেধ করেছিলেন ৷ তিনি আমাদেরকে তার অনুমতি দেন ৷ আলা
ফিরে এসে দেখেন যে, সদকার উট বাহন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ৷ উটের উপর
ব্যবহারের আলামত দেখা যাচ্ছে ৷ তখন তিনি ঐ আমীরকে তিরস্কার ও গালমন্দ করেন ৷ আমি
তখন মনে মনে আল্লাহর নামে শপথ করলাম যে, যদি পবিত্র মদীনায় ফিরে যেতে পারি এবং
রাসুলুজ্ব:া৷হ্মোঃ এর সাথে সাক্ষাৎ করার সুযোগ আসে তা হলে আমি রাসুলুল্লাহ্মোঃ-কে
বলবো এবং আমাদের প্ৰতি কঠােরতা ও সংকীর্ণতার কথা জানাবাে ৷ আবু সাঈদ বলেন, পবিত্র
মদীনায় ফিরে এসে আমি আমার শপথকৃত বিষয় জানাবার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ মোঃ এর সাথে
সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি ৷ কিন্তু, পথে আবু বকরের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয় ৷ তিনি
আমাকে দেখে থেমে যান ও ধন্যবাদ জানান ৷ তিনি আমার খবরাদি নেন এবং আমিও তার
কুশলাদি জিজ্ঞেস করি ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কখন পৌছেছো ৷^ আমি বললাম, গত রাতে
পৌছেছি ৷৩ তারপর আমার সাথে তিনিও রাসুলুল্লাহ্মোঃ মোঃ এর নিকট যান ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্মোঃ
কে জানান, সা দ ইবন মালিক ইবন শহীদ আপনার সাথে সাক্ষাৎ করতে চায় ৷ তিনি বললেন,
তাকে আসতে বল ৷ ভিতরে প্রবেশ করে আমি রাসুলুল্লাহ্ক্রো কে মুবারকবাদ জানইি ৷ তিনিও


فَقَالَ فِيهِ قَائِلُكُمْ، وَإِنِّي وَاللَّهِ مَا سَدَدْتُ شَيْئًا وَلَا فَتَحْتُهُ، وَلَكِنْ أُمِرْتُ بِشَيْءٍ فَاتَّبَعْتُهُ ".» وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو الْأَشْهَبِ عَنْ عَوْفٍ، عَنْ مَيْمُونٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ فَذَكَرَهُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ مَا رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ. الْحَدِيثُ الطَّوِيلُ، وَفِيهِ سَدُّ الْأَبْوَابِ غَيْرَ بَابِ عَلِيٍّ. وَكَذَا رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ. وَرَوَاهُ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا حَجَّاجٌ، ثَنَا فِطْرٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَرِيكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَرْقَمِ الْكِنَانِيِّ قَالَ: خَرَجْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ زَمَنَ الْجَمَلِ فَلَقِينَا سَعْدَ بْنَ مَالِكٍ بِهَا فَقَالَ: ( «أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَدِّ الْأَبْوَابِ الشَّارِعَةِ فِي الْمَسْجِدِ وَتَرْكِ بَابِ عَلِيٍّ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. طَرِيقٌ أُخْرَى عَنْ سَعْدٍ: قَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا مُوسَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَيَّانَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ الطَّحَّانُ، ثَنَا غَسَّانُ بْنُ بِشْرٍ الْكَاهِلِيُّ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنْ سَعْدٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَدَّ أَبْوَابَ النَّاسِ فِي الْمَسْجِدِ وَفَتَحَ بَابَ عَلِيٍّ، فَقَالَ النَّاسُ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: " مَا أَنَا فَتَحْتُهُ، وَلَكِنَّ اللَّهَ
পৃষ্ঠা - ৬২৩৩
فَتَحَهُ» . وَهَذَا لَا يُنَافِي مَا ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ أَمْرِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ بِسَدِّ الْأَبْوَابِ الشَّارِعَةِ إِلَى الْمَسْجِدِ إِلَّا بَابَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ ; لِأَنَّ نَفْيَ هَذَا فِي حَقِّ عَلِيٍّ كَانَ فِي حَالِ حَيَاتِهِ لِاحْتِيَاجِ فَاطِمَةَ إِلَى الْمُرُورِ مِنْ بَيْتِهَا إِلَى بَيْتِ أَبِيهَا، فَجَعَلَ هَذَا رِفْقًا بِهَا، وَأَمَّا بَعْدَ وَفَاتِهِ فَزَالَتْ هَذِهِ الْعِلَّةُ، فَاحْتِيجَ إِلَى فَتْحِ بَابِ الصِّدِّيقِ لِأَجْلِ خُرُوجِهِ إِلَى الْمَسْجِدِ لِيُصَلِّيَ بِالنَّاسِ إِذْ كَانَ الْخَلِيفَةُ عَلَيْهِمْ بَعْدَ مَوْتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَفِيهِ إِشَارَةٌ إِلَى خِلَافَتِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ، ثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي حَفْصَةَ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَلِيٍّ: «يَا عَلِيُّ، لَا يَحِلُّ لِأَحَدٍ يُجْنِبُ فِي الْمَسْجِدِ غَيْرِي وَغَيْرُكَ ". قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ: قُلْتُ لِضِرَارِ بْنِ صُرَدَ: مَا مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ؟ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِأَحَدٍ يَسْتَطْرِقُهُ جُنُبًا غَيْرِي وَغَيْرُكَ» . ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَقَدْ سَمِعَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ مِنِّي هَذَا الْحَدِيثَ فَاسْتَغْرَبَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ كَثِيرٍ النَّوَّاءِ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ بِهِ، ثُمَّ أَوْرَدَهُ مِنْ طَرِيقِ أَبِي نُعَيْمٍ، ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي غَنِيَّةَ، عَنْ أَبِي الْخَطَّابِ عُمَرَ الْهَجَرِيِّ،
পৃষ্ঠা - ৬২৩৪


আমাকে মুবারকবাদ দেন ৷ আমি তাকে সালাম করলাম ৷ তিনি আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক
বোজ-খবর নেন ৷ আমি এ সময় আমার জিজ্ঞাসার বিষয়টি গোপন রাখছিলাম ৷

সুযোগ পেয়ে বললাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! আলীরকাহু থেকে আমরা কঠোরতা, সংকীংতাি ও
দৃর্ব্যবহার পেয়েছি ৷ তিনি আমার কথা উপেক্ষা করে অন্য কথায় প্রবৃত্ত হলেন ৷ কিন্তু আলীর
ব্যবহারের কথা আমি বারবার বলে চললাম ৷ এক পর্যায়ে তিনি আমার কথার মাঝখানে আমার
উরুতে হাত মেরে বললেন (আমি তার পাশেই বসা ছিলাম), ওহে সাদ ইবন মালিক ইবন
শহীদ ৷ তোমার ভাই আলীর ব্যাপারে এসব কথা বন্ধ রাখ ৷ আল্লাহর কসম ! আমি ভাল করেই
জানি আল্লাহর পথে সে অত্যন্ত কষ্ট সহিষ্ণ ৷ আবু সা ৷ঈদ বলেন, আমি মনে মনে বললাম, ওহে
সা দ ইবন মালিক ৫৩ ৷মাকে যদি ৫৩ তামার মা হারিয়ে ফেলতে তা আজ কয়েক দিন যাতে আমি

তার অপছন্দনীয় বিষয়ে জড়িত রয়েছি এবং আমি ভাবিনি যে, আমি অন্যায় করছি ৷ আল্লাহর
কসম ৷ আমি আর কখনও আলীর নিন্দা-মন্দ করবো না গোপনেও নয় এবং প্রকাশ্যেও নয় ৷
ইউনুস ইবন বুকাইর বলেনঃ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক আমর ইবন শাশ অড়াসলামী থেকে
বর্ণিত ৷ ইবন শাশ হলেন হুদাইবিয়ায় অংশগ্রহণকারীদেয় অন্য৩ ম সাহাবী ৷ তিনি বলেন
রাসুলুল্লাহ্আ ণ্ জ্যোআলীর নেতৃত্বে যে বাহিনী ইয়ামানে প্রেরণ করেন আমি ঐ বাহিনীর একজ
সদস্য ছিলাম ৷ কোন এক ব্যাপারে আলী আমার সাথে দুর্ব্যবহ৷ ৷র করেন ৷ এতে তার প্রতি আমি
অত্তরে অসত্তুষ্টি অনুভব করি ৷ পবিত্র মদীনায় প ত্যাবর্তন করার পর পবিত্র মদীনায় বিভিন্ন
বৈঠকে আমি আলারবিষয়ট্য অভিযোগ আকারে আলোচনা করি এবং যার সাথে আমার ণ্া; ক্ষাৎ
হয়, তাকেই বিষয়টিরুিজ্বানাই ৷ এক দিনের ঘটনা ৷ বাসুলুৰুৰুাহন্থত্তু মসজ্যোদ বসে আছেন ৷
আমিও তথায় আগমন করি ৷ তিনি যখন দেখলেন যে, আমি তার চক্ষুদ্ব য়র দিকে তা৷কয়ে আছি
তখন তিনিও আমার দিকে তাকান ৷ অবশেষে আমি তার কাছে গিয়ে বসে পড়ি ৷ বলার পর
তিনি আমাকে বললেনং ওহে আমরা আল্লাহর কসম! তুমি আমাকে কষ্ট দিয়েছ ৷ আমি
বললাম, ইয়৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলইিহিরাজিউন ৷ আল্লাহর রাসুলকে কষ্ট দেওয়া হতে ৩আমি
আল্লাহর নিকট পানাহ চাই, ইসলামে আশ্রয় চাই ৷ তখন তিনি বললেন : যে আলীকে কষ্ট দেয়,
যে আমাকে কষ্ট দেয় ৷

ইমাম আহমাদ এ হাদীস ইয়া’কুব আবদুল্লাহ ইবন দীনার সনদে তার মামা আমর
ইবন শাশ থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ অনুরুপভাবে অনেকেই এ হাদীস মুহাম্মদ ইবন
ইসহাকের সুত্রে আবাস ইবন কমন্স থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ এভাবে সাঈফ ইবন উমর এ হাদীস
আবদুল্লাহ ইবন সাঈদ থেকে, তিনি আবান ইবন সালিহ থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এ
হাদীসে বক্তব্যটি এসেছে এভাবে যে, যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে কষ্ট দেয়, যে আমাকেই কষ্ট
দেয় ৷ আর যে আমাকে কস্ট দেয়, যে আল্লাহ্কে কষ্ট দেয় ৷ আব্বাস ইবন ইয়াকুব রাওয়াজিনী
মুসা ইবন উমাইর থে ক তিনি আর্কীল ইবন নাজদাত৷ ইবন হুবইিরাতা, তিনি আসর ইবন শাশ
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, বাসুলুল্লাহ , বলেছেন হে আমর নিশ্চয়ই যে আলীকে
কষ্ট দিল সে আমাকেই কষ্ট দিল ৷

আবু ইয়৷ লা বলেন : মাহমুদ ইবন খাদাশ সা’দ ইবন আবু ওয়াক্কাস থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, আমি একবার মসজিদে বসে আছি, আমার সাথে আরও দুইব্যক্তি বসে আছে ৷


عَنْ مَحْدُوجٍ، عَنْ جَسْرَةَ بِنْتِ دَجَاجَةَ، أَخْبَرَتْنِي أُمُّ سَلَمَةَ قَالَتْ: خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَيْتِهِ حَتَّى انْتَهَى إِلَى صَرْحَةِ الْمَسْجِدِ، فَنَادَى بِأَعْلَى صَوْتِهِ: «أَنَّهُ لَا يَحِلُّ الْمَسْجِدُ لِجُنُبٍ وَلَا لِحَائِضٍ إِلَّا لِمُحَمَّدٍ وَأَزْوَاجِهِ وَعَلِيٍّ وَفَاطِمَةَ بِنْتِ مُحَمَّدٍ، أَلَا هَلْ بَيَّنْتُ لَكُمُ الْأَسْمَاءَ أَنْ تَضِلُّوا ".» وَهَذَا إِسْنَادٌ غَرِيبٌ، وَفِيهِ ضَعْفٌ، ثُمَّ سَاقَهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي رَافِعٍ بِنَحْوِهِ، وَفِي إِسْنَادِهِ غَرَابَةٌ أَيْضًا. حَدِيثٌ آخَرُ قَالَ الْحَاكِمُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ بُرَيْدَةَ بْنِ الْحُصَيْبِ قَالَ «غَزَوْتُ مَعَ عَلِيٍّ إِلَى الْيَمَنِ، فَرَأَيْتُ مِنْهُ جَفْوَةً فَقَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرْتُ عَلِيًّا فَتَنَقَّصْتُهُ، فَرَأَيْتُ وَجْهَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَغَيَّرُ، فَقَالَ: " يَا بُرَيْدَةُ، أَلَسْتُ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ؟ " فَقُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ ".» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، ثَنَا الْأَجْلَحُ الْكِنْدِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ بُرَيْدَةَ قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْثَيْنِ إِلَى الْيَمَنِ ; عَلَى أَحَدِهِمَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَعَلَى الْأُخْرَى خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ، وَقَالَ: " إِذَا الْتَقَيْتُمَا فَعَلِيٌّ عَلَى النَّاسِ، وَإِنِ افْتَرَقْتُمَا فَكُلُّ وَاحِدٍ مِنْكُمَا عَلَى جُنْدِهِ ". قَالَ: فَلَقِينَا بَنَى زَيْدٍ مِنَ أَهْلِ الْيَمَنِ، فَاقْتَتَلْنَا، فَظَهَرَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى الْمُشْرِكِينَ، فَقَتَلْنَا الْمُقَاتِلَةَ وَسَبَيْنَا الذُّرِّيَّةَ، فَاصْطَفَى عَلِيٌّ امْرَأَةً مِنَ السَّبْيِ لِنَفْسِهِ. قَالَ بُرَيْدَةُ: فَكَتَبَ مَعِي خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُخْبِرُهُ بِذَلِكَ، فَلَمَّا أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَفَعْتُ إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৬২৩৫


আমরা আলীর কোন এক আচরণে কষ্ট পেয়েছিলাম ৷ ইত্যবসরে রাসুলুল্লাহ্মোঃ মসজিদে
আসলেন ৷ তার চেহারায় ৫ব্ ন্দাধের আলামত ফুটে উঠেছিল ৷ আমি তার অসভুষ্টি থেকে আল্লাহর

নিকট আশ্রয় চাইলাম ৷ তিনি বললেন, কি হলো তোমাদের, কি হলো আমার ? যে ব্যক্তি
আলীকে কষ্ট দেয়, যে আমাকেই কষ্ট দেয় ৷

গাদীরে খান এর ঘটনা১
ইমাম আহমাদ বলেন হুসাইন ইবন মুহাম্মদ ও আবু নুঅইিম আল মুআন্ন৷ উভয়ে কাতার
থেকে,ত তিনি আবৃত তুফাইল থেকে বর্ণনা করেন ৷ আবৃত তুফাইল বলেন, আলী কুফার উন্মুক্ত
স্থান রাহ্বায়২ লোকজন সমবেত করেন, এরপর তাদেরকে আল্লাহ্র কসম দিয়ে বলেন, গাদীরে
খাম দিবসে রাসুলুল্লাহ্ন্:;;ৰুয৷ বলেছিলেন তা ণ্তামাদের মধ্যে যে সব মুসলমান শুনেছিল তারা
দাড়িয়ে বলুক ৷
এ কথার পর উপস্থিত লোকদের অনেকেই দাড়িয়ে যায় ৷ আবু নুআইম বলেন, অনেক
লোক দণ্ডায়মান হয় ৷ তারা সাক্ষ্য দেয় যে, সে দিন বাসুলুল্লাহ , আলীর হাত ধারণ করে
জনতার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ওে ৷মর৷ কি জা ন যে, আমি মু মিনগণের জান্য৩ তাদের নিজেদের
অপেক্ষা অধিক আপন ? তারা জওয়াবে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল এ কথা যথার্থ ৷ তখন তিনি
বলেন, আমি যার অভিভাবক এও তার অভিভাবক ৷ হে আল্লাহ এর সাথে যে বন্ধুত্ব রাখবে
তাকে আপনি বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করুন; আর এর সাথে যে শক্রতা পোষণ করবে আপনি তার
সাথে শত্রুতার সম্পর্ক করুন ৷ রাবী আবু নুআইম বলেন, আমার মনে এ বিষয়ে সন্দেহ জাপায়
আমি বেরিয়ে যাইদ ইবন আরকামের কাছে গিয়ে বললাম, আমি আলীকে এই এই কথা বলতে
শুনলাম ৷ যাইদ ইবন আরকাম বললেন, তুমি এতে সন্দেহ কর কেন? আমিই তো রাসুলুল্লাহ্
শু,দা, কে এ কথা বলতে শুনেছি ৷ ইমাম নাসাঈ এ ঘটনা হাবীব ইবন আবু ছাবিতের সুত্রে
আবুত্-তৃফাইল থেকে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন ৷
আবু বকর আশ শ্া৷ফিঈ বলেনঃ মুহাম্মদ ইবন সুলাইমান যাইদ ইবন আরকাম থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আলী লোকদেরকে শপথ দিয়ে বলেন, তোমাদের মধ্যে রাসুলুল্লাহ্ট্রুন্ভো
কে এ কথা বলতে ণ্ক শুনেছে যে আমি যার অভিভাবক আলীও তার অভিভাবক ৷ হে আল্লাহ্
তাকে যে বন্ধু জানে আপনি তাকে বন্ধু বানান এবং তাকে যে শত্রু জানে আপনিও তাকে শত্রু
জানুন ৷ তখন ষোল ব্যক্তি দাড়িয়ে এ কথার সাক্ষ্য দেয় ৷ আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম ৷

আবু ইয়৷ না ও আবদুল্লাহ ইবন আহমদ তার পিতার মুসনাদ গ্রন্থে বলেন কাওয়ারীরী
আবদুর রহমান ইবন আবু লায়ল৷ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাহবারুত তআলী যখন
লোকদের কাছে কসম দিয়ে কথা বলেছিলেন তখন আমি সেখানে উপ তছিলাম ৷ তিনি
আল্লাহ্র কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, গাদীরে খামে রাসুলুল্লাহ্মোঃযা বলেছিলেনত
তোমাদের মধ্যে কে কে শুনেছে ৷ আলী তথায় র্দাড়িয়েছিলেন আর রাসুলুল্লা শ্জ্জবলেছিলেন,
আমি যার অভিভাবক আলীও তার অভিভাবক ৷ এ কথা যায়৷ শুনেছিলে তারা সাক্ষ্য দাও ৷



১ খাম বা খুম, পবিত্র মক্কা ও মদীনায় মাঝে জুহফ৷ থেকে তিন মইিল দুরে অবস্থিত একটি জলাধার ৷
২ রাহ্বা অর্থ খোলা জায়গা ৷ এখানে কুফার একটি স্থান বুঝান হয়েছে ৷


الْكِتَابَ، فَقُرِئَ عَلَيْهِ، فَرَأَيْتُ الْغَضَبَ فِي وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا مَكَانُ الْعَائِذِ، بَعَثْتَنِي مَعَ رَجُلٍ وَأَمَرْتَنِي أَنْ أُطِيعَهُ، فَبَلَّغْتُ مَا أُرْسِلْتُ بِهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا تَقَعُ فِي عَلِيٍّ ; فَإِنَّهُ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ، وَهُوَ وَلِيُّكُمْ بَعْدِي ".» هَذِهِ اللَّفْظَةُ مُنْكَرَةٌ وَالْأَجْلَحُ شِيَعِيٌّ، وَمَثَلُهُ لَا يُقْبَلُ إِذَا تَفَرَّدَ بِمِثْلِهَا، وَقَدْ تَابَعَهُ فِيهَا مَنْ هُوَ أَضْعَفُ مِنْهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَحْفُوظُ فِي هَذَا رِوَايَةُ أَحْمَدَ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «: مَنْ كُنْتُ وَلَيَّهُ فَعَلِيٌّ وَلَيُّهُ ".» وَرَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا وَالْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا رَوْحٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ سُوَيْدِ بْنِ مَنْجُوفٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا إِلَى خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ لِيَقْبِضَ الْخُمُسَ. قَالَ: فَأَصْبَحَ وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ، فَقَالَ خَالِدٌ لِبُرَيْدَةَ: أَلَا تَرَى مَا يَصْنَعُ هَذَا؟ قَالَ: فَلَمَّا رَجَعْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرْتُهُ مَا صَنَعَ عَلِيٌّ. قَالَ: وَكُنْتُ أُبْغِضُ عَلِيًّا، فَقَالَ: " يَا بُرَيْدَةُ، أَتُبْغِضُ عَلِيًّا؟ " فَقُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: " لَا تُبْغِضْهُ وَأَحِبَّهُ ;
পৃষ্ঠা - ৬২৩৬
فَإِنَّ لَهُ فِي الْخُمُسِ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي " الصَّحِيحِ " عَنْ بُنْدَارٍ، عَنْ رَوْحٍ بِهِ مُطَوَّلًا. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا عَبْدُ الْجَلِيلِ قَالَ: «انْتَهَيْتُ إِلَى حَلْقَةٍ فِيهَا أَبُو مِجْلَزٍ وَابْنُ بُرَيْدَةَ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ: حَدَّثَنِي أَبِي بُرَيْدَةُ قَالَ أَبْغَضْتُ عَلِيًّا بُغْضًا لَمْ أُبْغِضْهُ أَحَدًا. قَالَ: وَأَحْبَبْتُ رَجُلًا مِنْ قُرَيْشٍ لَمْ أُحِبَّهُ إِلَّا عَلَى بُغْضِهِ عَلِيًّا. قَالَ: فَبُعِثَ ذَلِكَ الرَّجُلُ عَلَى خَيْلٍ. قَالَ: فَصَحِبْتُهُ مَا أَصْحَبُهُ إِلَّا عَلَى بُغْضِهِ عَلِيًّا. قَالَ: فَأَصَبْنَا سَبْيًا. قَالَ: فَكَتَبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ابْعَثْ إِلَيْنَا مَنْ يُخَمِّسُهُ. فَبَعَثَ إِلَيْنَا عَلِيًّا. قَالَ: وَفِي السَّبْيِ وَصِيفَةٌ هِيَ مِنْ أَفْضَلِ السَّبْيِ، فَخَمَّسَ وَقَسَمَ، فَخَرَجَ وَرَأَسُهُ يَقْطُرُ، فَقُلْنَا: يَا أَبَا الْحَسَنِ، مَا هَذَا؟ قَالَ: أَلَمْ تَرَوْا إِلَى الْوَصِيفَةِ الَّتِي كَانَتْ فِي السَّبْيِ، فَإِنِّي قَسَمْتُ وَخَمَّسْتُ فَصَارَتْ فِي الْخُمُسِ، ثُمَّ صَارَتْ فِي أَهْلِ بَيْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ صَارَتْ فِي آلِ عَلِيٍّ، فَوَقَعْتُ بِهَا. قَالَ: وَكَتَبَ الرَّجُلُ إِلَى نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: ابْعَثْنِي؟ فَبَعَثَنِي مُصَدِّقًا. قَالَ: فَجَعَلْتُ أَقْرَأُ الْكِتَابَ وَأَقُولُ: صَدَقَ. قَالَ: فَأَمْسَكَ يَدِي وَالْكِتَابَ قَالَ: " أَتُبْغِضُ عَلِيًّا " قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: " فَلَا تُبْغِضْهُ، وَإِنْ كُنْتَ تُحِبُّهُ فَازْدَدْ لَهُ حُبًّا، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَنَصِيبُ آلِ عَلِيٍّ فِي الْخُمُسِ أَفْضَلُ مِنْ وَصِيفَةٍ ". قَالَ: فَمَا كَانَ مِنَ النَّاسِ أَحَدٌ بَعْدَ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ عَلِيٍّ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: فَوَالَّذِي لَا إِلَهَ غَيْرُهُ مَا بَيْنِي وَبَيْنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ غَيْرُ أَبِي، بُرَيْدَةَ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي الْجَوَّابِ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৬২৩৭

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ও ১৩

আবদুর রহমান বলেন, এরপর বারজন বদরী সাহাবী দাড়িয়ে গেলেন ৷ আমি যেন এখনও
দেখতে পাচ্ছি তাদের একজনের পরিধানে ছিল পাজামা ৷৩ তারা বললাে, আমরা গাদীরে খাম
দিবসে রাসুলুল্লহ্র্দ্র স্পা ক্লে বলতে শুনেছি যে, আমি কি মু মিনভুাণের জন্যে তাদের নিজেদের
চেয়ে ও তাদের মায়েদেরামীদের চেয়ে অধিক আপন নই ? আমরা বললাম, হ্যা ইয়া
রাসুলালুাহ্ ! তিনি বললেন, আমি যার মাওলা আলীও তার মাওলা ৷ হে আল্লাহ! আপনি তাকে
বন্ধু বানান যে আলীকে বন্ধু বানায় এবং আপনি তার সাথে শত্রুতা করেন যে আলীর সাথে
শত্রুতা করে ৷

আবদুল্লাহ ইবন আহমদ আবদুর রহমান ইবন আবু ল ইলা থেকে এন্ হাদীস অনুরুপ
বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, তারপর বারজন লোক দাড়িয়ে বললাে, আমরা রাসুল ল্লাহ্শ্নো
--কে দেখেছি এবং তার কথা শুনেছি যখন তিনি আপনার হাত ধরে বলেছিলেন : হে আল্লাহ!
আপনি তাকে বন্ধু বানান যে আলীকে বন্ধু বানায় এবং তার সাথে শত্রুতা করেন যে আলীর
সাথে শত্রুতা করে ৷ আপনি তাকে সাহায্য করুন যে আলীকে সাহায্য করেন এবং তাকে
পরিত্যাগ করুন যে আলাকে পরিওাগ করে ৷ এ হাদীস অনুরুপ বর্ণনা করেছেন আবু দাউদ
আত তাহবী যার নাম ঈসা ইবন মুসলিম আবদুর রহমান ইবন আবু লাইলা ( খকে ৷ দার
কুতনী এ বর্ণনাকে গরাব বলেছেন ৷ তিবরানী বলেনং , আহমদ ইবন ইব্রাহীম হবৃন আবদুল্লাহ
ইবন কাইসান মাদীনী ইমাইরাহ্ ইবন সাদ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি দেখেছি-
আলী (রা) মিম্বরের উপর বসে রাসুলুলুাহ্ট্ট,দুট্রুৰু সাহাৰীগণাকে কসম দিয়ে বলেছিলেন রাসুলুল্লাহ
-; ষ্ন্শ্,ন্ন্ জ্যোগাদীরে খাম দিবসে যা কিছু বলেছিলেন তোমাদের মধ্যে সে কথা শ্রবণকারাব্লু< কউ আছে
কি ? তখন বারজন লোক দাড়িয়ে পেল ৷ তাদের মধ্যে আবু হুরায়রা (রা), আবু সাঈদও
আনাস ইবন মালিকও ছিলেন ৷৩ তারা সাক্ষ্য দিলেন যে, রাসুলুল্লাহ্চ্ন্ত্র;ন্ ষ্ঠে কে তারা বলতে
শুনেছেন যে, আমি যার অভিভা,বক আলীও তার অভিভাবক ৷ হে আল্লাহ! আপান তাকে বন্ধু
বানান, যে আলীকে বন্ধু বানায় ৷ আপনি তাকে শত্রু বানান, যে আলীকে শত্রু বানায় ৷

আবুল আব্বাস ইবন উকদাতাল হাফিজ আশ-শীঈ আমর ইবন মুররাহ্ সাঈদ ইবন
ওহাব ও যাইদ ইবন নার্কী থেকে বর্ণি৩ ৷৩ তারা বলেন, আমরা রাহবাহ্ নামক জায়পায় আলী
(বা) কে বলতে শুনেছি ৷ এরপর সে কথার উল্লেখ করেন ৷ তখনও ওে বজন লোক দাড়িয়ে সাক্ষ্য
দেয় যে, বাসুলুল্লাহ ,, বলেছিলেন আমি যার বন্ধু, আলীও তার বন্ধু ৷ হে আল্লাহ! যারা
আলীর সাথে বন্ধুত্ব রাখে আপনিও তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখুন ৷ আর যারা তার সাথে শক্রতা
রাখে তাদের সাথে আপনিও শত্রুতা রাখুন ৷ যারা তার সাথে মহববত রাখে, আপান তাদেরকে
মহব্বত করুন ৷ আর যারা তার সাথে বিদ্বেষ রাখে আপনিও তাদের সাথে বি দ্বেষ রাখুন ৷ বাবা
তাকে সাহায্য করে, আপনি তাদেরকে সাহায্য করুন ৷ আর বাবা তাকে বর্জন করে, আপনি

তাদেরকে বর্জন করুন ৷ আবু ইসহাক বলেন,৩ তিনি এ হাদীস বর্ণনা শেষে জিজ্ঞেস করলেন, হে

আবু বকর ! এ সনদের শাইখ কারা ? আবদুল্লাহ ইবন আহমদ আবু ইসহাক থেকে অনুরুপ
বর্ণনা করেছেন ৷

আবদুর রায্যাক বলেন, ইসরাঈল, আবুইসহাক সনদে সাঈদ ইবন ওহাব ও আবদে খাইর
থেকে বর্ণনা করেন ৷৩ তারা উভয়ে বলেন, আমরা কুফা র রাহ্বাতে আলীকে বলতে ৩শুনেছি যে,


يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ نَحْوَ رِوَايَةِ بُرَيْدَةَ بْنِ الْحُصَيْبِ، وَهَذَا غَرِيبٌ. وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ أَبِي الْجَوَّابِ الْأَحْوَصِ بْنِ جَوَّابٍ بِهِ. وَقَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ الرِّشْكُ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَرِيَّةً، وَأَمَرَ عَلَيْهَا عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَأَحْدَثَ شَيْئًا فِي سَفَرِهِ، فَتَعَاهَدَ أَرْبَعَةٌ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَذْكُرُوا أَمْرَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ عِمْرَانُ: وَكُنَّا إِذَا قَدِمْنَا مِنْ سِفْرٍ بَدَأْنَا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمْنَا عَلَيْهِ. قَالَ: فَدَخَلُوا عَلَيْهِ، فَقَامَ رَجُلٌ مِنْهُمْ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ عَلِيًّا فَعَلَ كَذَا وَكَذَا. فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ قَامَ الثَّانِي فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ عَلِيًّا فَعَلَ كَذَا وَكَذَا. فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ قَامَ الثَّالِثُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ عَلِيًّا فَعَلَ كَذَا وَكَذَا. فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ قَامَ الرَّابِعُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ عَلِيًّا فَعَلَ كَذَا وَكَذَا. قَالَ: فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الرَّابِعِ وَقَدْ تَغَيَّرَ وَجْهُهُ، وَقَالَ: " دَعُوا عَلِيًّا، دَعُوا عَلِيًّا، إِنَّ عَلِيًّا مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ، وَهُوَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤْمِنٍ بَعْدِي ".» وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، وَسِيَاقُ التِّرْمِذِيِّ
পৃষ্ঠা - ৬২৩৮
مُطَوَّلٌ، وَفِيهِ أَنَّهُ أَصَابَ جَارِيَةً مِنَ السَّبْيِ. ثُمَّ قَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ. وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ، عَنْ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيِّ وَالْحَسَنِ بْنِ عُمَرَ بْنِ شَقِيقٍ الْجَرْمِيِّ وَالْمُعَلَّى بْنِ مَهْدِيٍّ، كُلُّهُمْ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ بِهِ. وَقَالَ خَيْثَمَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَازِمٍ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، ثَنَا يُوسُفُ بْنُ صُهَيْبٍ، عَنْ رُكَيْنٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ حَمْزَةَ قَالَ «سَافَرْتُ مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ فَرَأَيْتُ مِنْهُ جَفْوَةً، فَقُلْتُ: لَئِنْ رَجَعْتُ فَلَقِيتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَأَنَالَنَّ مِنْهُ. قَالَ: فَرَجَعْتُ فَلَقِيتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرْتُ عَلِيًّا، فَنِلْتُ مِنْهُ. فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا تَقُولَنَّ هَذَا لِعَلِيٍّ ; فَإِنَّ عَلِيًّا وَلِيُّكُمْ بَعْدِي ".» وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بَلْجٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَلِيٍّ: " أَنْتَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤْمِنٍ بَعْدِي ".» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ،
পৃষ্ঠা - ৬২৩৯


তিনি আল্লাহ্র্ শপথ করে জিজ্ঞেস করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ শ্ষ্:,ষ্ণ্ণ্ষ্ণ্ন্,-৫ক এ কথা বলতে কে শুনেছে যে,
আমি যার অভিভাবক, আলীও তার অভিভাবক ৷ তখন কয়েকজন সাহাবী দাড়িয়ে সাক্ষ্য দিলেন
যে, তারা রাসুলুল্লাহ্ মোঃ কে এ কথা বলতে শুনেছে ৷

ইমাম আহমাদ বলেন৪ মুহাম্মদ ইবন জা ফর সাঈদ ইবন ওহাব থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন আলী লোকদের শপথ দিয়ে জিজ্ঞেস করলে পাচজন বা ছয়জন সাহাবী দাড়িয়ে সাক্ষ্য
দেয় যে, রাসুলুল্লাহ্ মোঃ বলেছিলেন, আমি যার অভিভাবক, আলীও তার অভিভাবক ৷ ইমাম
আহমদ বলেন৪ ইয়াহ্ইয়৷ ইবন আদম রাবাহ ইবন হারিছ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
একদল লোক রাহ্বাতে আলীর সামনে হ যিব হয়ে বললাে, এেন্০ ৮ ণ্ব্লুয়ু;ণ্ ১া৷ ৷ সালাম
আপনার উপর, হে আমাদের অভিভাবক আলী বললেন, আমি কিভায়ে তোমাদের অভিভাবক ৷
তোমরা তো আরব জনগোষ্ঠী ৷ তারা বললো, আমরা গাদীরে খাম দিবসে রাসুলুল্লাহ্হুপু; কে
বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন৪ আমি যার অভিভাবক, এই আলীও তার অভিভাবক ৷ রাবাহ
বলেন, ঐ লোকগুলো চলে গেলে আমি তাদের অনুসরণ করলাম এবং কাছে ৷গয়ে জিজ্ঞেস
করলাম এরা কারা ? তারা বললেন, এরা সবাই আনসার ৷ আবু আইয়ুব আনসারীও তাদের
মধ্যে ছিলেন ৷

আবু বকর ইবন আবু শাইবাহ্ বলেন০ ং শারীক, হানাশ সুত্রে রাবাহ ইবন হারিছ থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমরা আলীর সাথে রাহ্বাতে বসেছিলাম ৷ এমন সময় এক ব্যক্তি তথায়
উপস্থিত হয় ৷ সফরের আলামত তার উপর স্পষ্ট ৷ ঐ লোকটি এসে বললো ণ্দ্বুা০ ণ্১ান্৷ ৷

শ্বে fl ৷শু আপনার উপর সালাম হে আমার মাওলা! উপস্থিত লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, ইনি
কে ? তখন আবু আইয়ুব বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ মোঃ-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, আমি
যার মাওলা, আলীও তার মাওলা ৷ আহমাদ বলেন০ ং মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ যিয়াদ ইবন
আবু যিয়াদ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি আলী ইবন আবু৩ তালিবকে লোকের সামনে কসম
করতে শুনেছি ৷ তিনি বলেছেন, আমি আল্লাহ্র কসম করে বলছি এমন কোন মুসলমান আছে
কি, যে গাদীরে খামে রাসুলুল্লামোঃ ন্,ট্রুএর বক্তব্য শুনেছে : তখন বারজন বদরী সাহাবী দাড়িয়ে
সে কথার সাক্ষ্য দেয় ৷ আহমাদ বলেন, ইবন নুমাইর ইবন উমর থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, আমি রাহ্বাতে আলীকে বলতে শুনেছি ৷ তিনি লোকদের কসম করে বলেন, গাদীরে
খাম দিবসে বাসুলুল্লাহভ্রুভু:ক্ট্র যা বলেছিলেন, তা শুনেছে এমন কেউ আছে কি? তখন তেরজন
লোক দাড়িয়ে সাক্ষ্য দিলেন যে, তারা রাসুলুল্লাহ্মোঃ-ণ্ক বলতে শুন্যেছন যে, আমি যার
অভিভাবক আলীও তার অভিভাবক ৷

আহমাদ বলেন০ ং হাজ্জাজ ইবনশাইর আলী থেকে বর্ণি ৩৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
গাদীরেমোঃ খামে বলেছিলেন, আমি যার অভিভাবক, আলীও তার অভিভাবক ৷ রাবী বলেন,
পরবর্তীতে লোকে এর সাথে আরও কিছু কথা জুড়ে দিয়েছে ৷ যেমন হে আল্লাহ্ ! যে আলীকে
বন্ধু বানায় তাকে আপনি বন্ধু করে নিন, আর যে তাকে শত্রু আসে তার সাথে আপনি শত্রুতাব
ব্যবহার করুন ৷ এ হাদীস আলী (রা) থেকে বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত ৷ যাইদ ইবন আরকাম থেকেও
বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে ৷


حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرِ بْنِ حَزْمٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ عَمَّتِهِ زَيْنَبَ بِنْتِ كَعْبٍ - وَكَانَتْ عِنْدَ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ - عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ «اشْتَكَى عَلِيًّا النَّاسُ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِينَا خَطِيبًا فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: " أَيُّهَا النَّاسُ، لَا تَشْكُوا عَلِيًّا، فَوَاللَّهِ إِنَّهُ لَأَخْشَنُ فِي ذَاتِ اللَّهِ ". أَوْ " فِي سَبِيلِ اللَّهِ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ الْفَضْلِ الْقَطَّانُ، أَنَا أَبُو سَهْلِ بْنُ زِيَادٍ الْقَطَّانُ، ثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِسْحَاقَ الْقَاضِي، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ عَمَّتِهِ زَيْنَبَ بِنْتِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ إِلَى الْيَمَنِ. قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: فَكُنْتُ فِيمَنْ خَرَجَ مَعَهُ، فَلَمَّا أَخَذَ مِنْ إِبِلِ الصَّدَقَةِ سَأَلْنَاهُ أَنْ نَرْكَبَ مِنْهَا وَنُرِيحَ إِبِلَنَا - وَكُنَّا قَدْ رَأَيْنَا فِي إِبِلِنَا خَلَلًا - فَأَبَى عَلَيْنَا وَقَالَ: إِنَّمَا لَكُمْ مِنْهَا سَهْمٌ كَمَا لِلْمُسْلِمِينَ. قَالَ: فَلَمَّا فَرَغَ عَلِيٌّ وَانْصَفَقَ مِنَ الْيَمَنِ رَاجِعًا أَمَّرَ عَلَيْنَا إِنْسَانًا، فَأَسْرَعَ هُوَ فَأَدْرَكَ الْحَجَّ، فَلَمَّا قَضَى حَجَّتَهُ قَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " ارْجِعْ إِلَى أَصْحَابِكَ حَتَّى تَقْدَمَ عَلَيْهِمْ ". قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: وَقَدْ كُنَّا سَأَلْنَا الَّذِي اسْتَخْلَفَهُ مَا كَانَ عَلِيٌّ مَنَعَنَا إِيَّاهُ فَفَعَلَ، فَلَمَّا جَاءَ عَلِيٌّ عَرَفَ فِي إِبِلِ الصَّدَقَةِ أَنَّهَا قَدْ رُكِبَتْ - رَأَى أَثَرَ الْمَرَاكِبِ - فَذَمَّ الَّذِي أَمَّرَهُ وَلَامَهُ، فَقُلْتُ: أَمَا إِنَّ لِلَّهِ عَلَى إِنْ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ لَأَذْكُرَنَّ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৬২৪০


গৃনদুর বলেন, শুবাহ আবু মারইয়াম অথবা যাইদ ইবন আরকাম থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন-, রাসুলুল্লাহ, মোঃ বলেছেন, আমি যার অভিভাবক, আলীও তার অভিভাবক ৷ সাঈদ
ইবন জুবাইর বলেন, ইতিপুর্বে আমি এ হাদীস ইবন আব্বাস থেকে শুনেছি ৷ তিরমিযী এ হাদীস
বিনদাবের সুত্রে গুনদৃর থেকে বর্ণনা করে বলেছেন৩ তা হাসান, গরীব ৷ ইমাম আহমাদ বলেন
আফফান যাইদ ইবন আরকাম থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ,খ্যাঃ এর
সাথে এক উপত্যকায় অবতরণ করি ৷ উপত্যকাঢির নাম খাম ৷ তিনি আমাদেরকে সালাতের
প্রস্তুতি নিতে বললেন ৷ এরপর যোহরের সালাত আদায় করলেন ৷ সালাত শেষে তিনি কিছু
বক্তব্য রাখেন ৷ তখন বাবল৷ বৃক্ষের উপর কাপড় রেখে রৌদ্র থেকে ছায়া দেওয়া হয় ৷ তিনি
বললেন, তোমরা কি জা ৷ননা, অথবা বলেছেন, তোমরা কি সাক্ষ্য দিবে না যে, প্রতোক মৃ’মিনের
জন্যে আমি তার নিজের চেয়ে অধিক আপন ? উপস্থিত সবাই বললো, ইা৷ ৷ তিনি বললেন, তা
হলে আমি যার অভিভাবক, আলীও তার অভিভ৷ ৷বক ৷ হে আল্লাহ আপনি তাকে শত্রু বানান যে
আলীকে শত্রু বা নাম ৷ আর তাকে বন্ধু বানান যে আলীকে বন্ধু বানায় ৷ আহমদ অনুরুপ বর্ণনা
গুনদুরের সুত্রে ভিন্ন সনদে যাইদ ইবন আরকাম থেকে বলেছেন ৷ যাইদ ইবন আরকাম থেকে
বেশ কিছু রাবী এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ যেমন আবু ইসহাক সাবীঈ, হাবীব আসাফ,
আতিয়্যাহ্ আওফী, আবু আবদুল্লাহ শামী ও আবৃত তুফাইল আমির ইবন ওয়াছিলা ৷

মা রুফ ইবন হারবুয আবৃত-৩ ৩তফাইলের সুত্রে হুযাইফা ইবন উসাইদ থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্,ৰু বিদায় হজ্জ থেকে প্রত্যাবর্তন কালে বাতহার বৃক্ষাদির কাছে
থামার নির্দেশ দেন ৷ বৃক্ষাদির কাছেই সবাইকে নিয়ে সালাত আদায় করেন ৷ সালাত শেষে তিনি
র্দাড়িয়ে বলেন ?, লোক সকল! লাতীফুল খাবীর আল্লাহ আমাকে জানিয়েছেন যে, যে কোন
নবীকে তার পুর্ববর্তী নবীর অর্ধেক বয়স দান করা হয় ৷ আমার ধারণা খুব শিপপিরই আমার
ডাক এসে যাবে, আর আমি সে ডাকে সাড়া দিব ৷ আমাকে জিজ্ঞেস করা হবে এবং তোমরাও
জিজ্ঞাসিত হবে ৷ তোমরা খনত কি জওয়াব দিবে ?৩ তারা বললো, আমরা সাক্ষ্য দিব যে, আপনি
আপনার দা ৷তৃয়ি পৌছে দিয়েছেন, উপদেশ দান করেছেন এবং অসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন ৷
ফলে মহান আল্লাহ আপনাকে উত্তমভ৷ ৷বে পুরস্কৃত ৩করবেন ৷ তিনি বললেন,৩ আমরা কি এ কথার
সাক্ষ্য দাও না যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মদ তার বান্দা ও রাসুল ৷ জান্নাত
সত্য, জ ৷হান্নাম সত্য, মৃত্যু সত্য, কিয়ামত হয়ে এতে কোন সন্দেহ নেই এবং কবরে যারা আছে

তাদেরকে পুনরায় জীবিত করা হবে ? সাহাবাগণ বললেন, হ্যা, আমরা ও সবের সাক্ষ্য দিই ৷

তিনি বললেন, হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন ৷ এরপর তিনি বললেন, লোক সকল
আল্লাহ আমার অভিভাবক আর আমি মু’মিনদের অভিভাবক ৷ আর আমি তাদের ব্যাপারে
তাদের নিজেদের চেয়েও অধিক কল্যাণকামী ৷ আমি যার অভিভাবক এও তার অভিভাবক ৷ হে
আল্লাহ! আপনি তাকে বন্ধু করুন যে একে বন্ধু বানায় এবং তাকে আপনার শত্রু করুন যে একে
শত্রু বানায় ৷ এরপর তিনি বলেন : লোক সকল ৷ আমি তোমাদের আগে বিদায় নিব ৷ হাউয়ে
কাউসারে আমার সাথে তোমাদের সাক্ষাৎ হবে ৷ সে হাউষের দীর্ঘতা হবে আমার চোখ হতে
সানআ পর্যন্ত দুরত্বের সমান ৷ তার পানপাত্রের সং খ্য৷ হবে নক্ষত্রের সংখা৷র সমান ৷ পান
পাত্রগুলো রৌপ্য নির্মিত ৷ তে তামরা যখন আমার সাথে মিলিত হয়ে তখন আমি তোমাদের নিকট


وَلَأُخْبِرَنَّهُ مَا لَقِينَا مِنَ الْغِلْظَةِ وَالتَّضْيِيقِ. قَالَ: فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ غَدَوْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرِيدُ أَنْ أَذْكُرَ لَهُ مَا كُنْتُ حَلَفْتُ عَلَيْهِ، فَلَقِيتُ أَبَا بَكْرٍ خَارِجًا مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَآنِي وَقَفَ مَعِي وَرَحَّبَ بِي، وَسَاءَلَنِي وَسَاءَلَتْهُ وَقَالَ: مَتَى قَدِمْتَ؟ قُلْتُ: قَدَّمْتُ الْبَارِحَةَ. فَرَجَعَ مَعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَخَلَ فَقَالَ: هَذَا سَعْدُ بْنُ مَالِكٍ ابْنُ الشَّهِيدِ. قَالَ: " ائْذَنْ لَهُ ". فَدَخَلْتُ فَحَيَّيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحَيَّانِي وَسَلَّمَ عَلَيَّ، وَسَاءَلَنِي عَنْ نَفْسِي وَعَنْ أَهْلِي فَأَحْفَى الْمَسْأَلَةَ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا لَقِينَا مِنْ عَلِيٍّ مِنَ الْغِلْظَةِ وَسُوءِ الصُّحْبَةِ وَالتَّضْيِيقِ؟ فَانْتَبَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَجَعَلْتُ أَنَا أُعَدِّدُ مَا لَقِينَا مِنْهُ، حَتَّى إِذَا كُنْتُ فِي وَسَطِ كَلَامِي ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى فَخِذِي، وَكُنْتُ مِنْهُ قَرِيبًا، وَقَالَ: " سَعْدُ بْنُ مَالِكٍ ابْنُ الشَّهِيدِ، مَهْ بَعْضَ قَوْلِكَ لِأَخِيكَ عَلِيٍّ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتُ أَنَّهُ أَخْشَنُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ". قَالَ: فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ سَعْدَ بْنَ مَالِكٍ، أَلَا أَرَانِي كُنْتُ فِيمَا يَكْرَهُ مُنْذُ الْيَوْمِ وَمَا أَدْرِي، لَا جَرَمَ وَاللَّهِ لَا أَذْكُرُهُ بِسُوءٍ أَبَدًا سِرًّا وَلَا عَلَانِيَةً» وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي أَبَانُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نِيَارٍ الْأَسْلَمِيِّ، «عَنْ خَالِهِ عَمْرِو بْنِ شَأْسٍ الْأَسْلَمِيِّ - وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ الْحُدَيْبِيَةِ - قَالَ: كُنْتُ مَعَ عَلِيٍّ فِي خَيْلِهِ الَّتِي بَعَثَهُ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ، فَجَفَانِي عَلِيٌّ بَعْضَ الْجَفَاءِ، فَوَجَدْتُ عَلَيْهِ فِي نَفْسِي، فَلَمَّا قَدِمْتُ
পৃষ্ঠা - ৬২৪১
الْمَدِينَةَ اشْتَكَيْتُهُ فِي مَجَالِسِ الْمَدِينَةِ وَعِنْدَ مَنْ لَقِيتُهُ، فَأَقْبَلْتُ يَوْمًا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ، فَلَمَّا رَآنِي أَنْظُرُ إِلَى عَيْنَيْهِ نَظَرَ إِلَيَّ حَتَّى جَلَسْتُ إِلَيْهِ، فَلَمَّا جَلَسْتُ قَالَ: " أَمَا إِنَّهُ وَاللَّهِ يَا عَمْرُو لَقَدْ آذَيْتَنِي ". فَقُلْتُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، أَعُوذُ بِاللَّهِ وَالْإِسْلَامِ أَنْ أُوذِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: " مَنْ آذَى عَلِيًّا فَقَدْ آذَانِي» . وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ يَعْقُوبَ، عَنْ أَبِيهِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبَانِ بْنِ صَالِحٍ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ مَعْقِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نِيَارٍ، عَنْ خَالِهِ عَمْرِو بْنِ شَأْسٍ، فَذَكَرَهُ. وَكَذَا رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبَانٍ، عَنِ الْفَضْلِ. وَكَذَلِكَ رَوَاهُ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبَانِ بْنِ صَالِحٍ بِهِ، وَلَفْظُهُ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ آذَى مُسْلِمًا فَقَدْ آذَانِي، وَمَنْ آذَانِي فَقَدْ آذَى اللَّهَ» . وَرَوَى عَبَّادُ بْنُ يَعْقُوبَ الرَّوَاجِنِيُّ عَنْ مُوسَى بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ عَقِيلِ بْنِ نَجْدَةَ بْنِ هُبَيْرَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شَأْسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا عَمْرُو، إِنَّهُ مَنْ آذَى عَلِيًّا فَقَدْ آذَانِي ".» وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خِدَاشٍ، ثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، ثَنَا قَنَّانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ النِّهْمِيُّ، «ثَنَا مُصْعَبُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ أَنَا وَرَجُلَانِ مَعِي، فَنِلْنَا مِنْ عَلِيٍّ، فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْرَفُ فِي
পৃষ্ঠা - ৬২৪২


এ দুটি তার বন্তু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবো ৷ কাৰুজ্জী ভেবে দেখ এ দুটির সাথেও তামরা কিরুপ
আচরণ করবে ? এরমধ্যে; বড় তার বন্তুটি হলো আল্লাহর কিতাব ৷ এর একটা দিক রয়েছে
আল্লাহ্র হাতে আর একটি দিক আছে তোমাদের হাতে ৷ কাজেই একে শক্তভাবে ধারণ করবো
একে ত্যাগ করবে না, পরিবর্তন করবে না ৷ আর একটি হলো আমার পরিবার আহলে
বাইত ৷ কেননা, আল্লাহ্ লাতীফুল খাবীর আমাকে জানিয়েছেন যে, এ দুটির একটি থেকে
আরেকটি কখনও পৃথক হয়ে না, হাওষে আমার কাছে না আসা পর্যন্ত ৷ এ হাদীস ইবন
আসাকির মা’ রুফের সুত্রে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন ৷
আবদুর রায্যাক বলেন৪ মা মার বারা ইবন আযিব থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,

আমরা রাসুলুল্লাহ্ক্রো এর সাথে বের হই ৷ চলতে চলতে গাদীরে থাম এ অবতরণ করি ৷
সেখানে সকলকে একত্র করার জন্যে তিনি ঘোষক পাঠান ৷ একত্রিত হওয়ার পর তিনি বলেন :
আমি কি তোমাদের কাছে তোমাদের নিজেদের চেয়ে আপন নই ? আমরা বললাম, ইা, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! তিনি বললেন, আমি কি£ আমাদের কাছে তোমাদের মায়েদের চেয়ে আপন নই?
আমরা বললাম, হ্যা, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্! তিনি বললেন, আমি কি তোমাদের কাছে তোমাদের
পিতাদের চেয়ে আপন নই ? আমরা বললাম, হ্যা, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! তিনি বললেন, আমি কি
নই, আমি কি নই, আমি কি নই ? আমরা বললাম, ছুা৷, ইয়৷ রড়াসুলাল্লাহ্ ! তিনি বললেন, আমি
যার অভিভাবক, আলীও তার অভিভাবক ৷ হে আল্লাহ আপনি অভিভাবক হন তার যে তাকে
অভিভাবক মাসে এবং আপনি বিরোধিতা করেন তার যে তার বিরোধিতা করে ৷ তখন উমর
ইবন খাত্তাব আলী (রা)-কে বললেন, সৌভাগ্য তোমার হে আ বু তালিবের নন্দন! আজ হতে
তুমি সমস্ত মু’মিনের অভিভাবক হয়ে গেলে ৷ ইবন মাজাহ্ এ হাদীস হাম্মাদ ইবন সালমার সুত্রে
বারা ইবন আযিব থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ মুসা ইবন উসমান হাযরামী আবু
ইসহাকের সুত্রে বারা থেকে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

এ হাদীস আরও বর্ণিত হয়েছে সা’দ,৩ তালহা ইবন উবাইদুল্লাহ, জাৰির ইবন আবদুল্লাহ
(তার থেকে বিভিন্ন সুত্রে), আবু সাঈদ খৃদরী, হাবাশী ইবন জুনাদাহ্, জারীর ইবন আবদুল্লাহ,
উমর ইবন খাত্তাব ও আবু হুরায়রা থেকে ৷ আবু হুরায়রা থেকে বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ এ
সবের মধ্যে হাফিজ আবু বকর খাতীব বাগদাদী আবদুল্লাহ ইবন আলী ইবন মুহাম্মদ ইবন
বুশরান সুত্রে আবু হুরায়র৷ থেকে বর্ণিত হাদীস সবচেয়ে গরীব ৷ এ হাদীসে বলা হয়েছে
যে ব্যক্তি যিল্হজ্জ মাসের আঠারো তারিখে সাওম পালন করবে যে ব্যক্তি ষাট মাস সাওম
পালন করার সওয়াব পাবে ৷ এ আঠারো যিলহজ্জ্ব তারিখ ছিল পাদীরে খড়াম দিবস ৷ সে দিন
বাসুলুল্লাহ,,, আলী ইবন আবু৩ তালিবের হাত ধারণ করে লোকদের বলেছিলেন, আমি কি
মু মিনগণের অভিভাবক নই সাহাবাগণ বললেন হ্যা ইয়৷ রাসুলুল্লাহ্শ্নোর্চু’ ! তিনি তখন বললেন,
আমি যার অতিঃাবক আলীও তার অভিভাবক ৷ তখন উমর ইবন খাত্তাব অড়ালীকে বললেন,
বাহ্৪ বাহ্৪ হে আবু তালিবের নন্দন! তুমি তো আমার অভিভাবক ও সকল মুসলমানের
অভিভাবক হয়ে গেলে ৷ তখন আল্লাহ পাক এ আয়াত নাযিল করেন ণ্ব্র ষ্ন্ণ্ঘু ৷ ণ্, ৷ ৷
ণ্দ্বুট্রু অর্থাৎ আজ আমি তোমাদের দীন পরিপুর্ণ করে দিলাম ৷ আর যে ব্যক্তি র জব মাসের
সাতাইশ তারিখে সাওম পালন করবে সে ব্যক্তিকে ষাট মাস সাওম পালন করার সওয়াব দেওয়া
হবে ৷ এই দিনে জিবরাঈল ফেরেশত৷ সর্ব প্রথম রিসালাতের কাজ নিয়ে অবতরণ করেন ৷


وَجْهِهِ الْغَضَبُ، فَتَعَوَّذْتُ بِاللَّهِ مِنْ غَضَبِهِ فَقَالَ: " مَا لَكَمَ وَمَا لِي! مَنْ آذَى عَلِيًّا فَقَدْ آذَانِي ".» حَدِيثُ غَدِيرِ خُمٍّ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَأَبُو نُعَيْمٍ، الْمَعْنَى، قَالَا: ثَنَا فِطْرٌ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ قَالَ: «جَمَعَ عَلِيٌّ النَّاسَ فِي الرَّحْبَةِ، ثُمَّ قَالَ لَهُمْ: أَنْشُدُ اللَّهَ كُلَّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ مَا سَمِعَ لَمَّا قَامَ. فَقَامَ ثَلَاثُونَ مِنَ النَّاسِ - قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَقَامَ نَاسٌ كَثِيرٌ - فَشَهِدُوا حِينَ أَخَذَ بِيَدِهِ، فَقَالَ لِلنَّاسِ: " أَتَعْلَمُونَ أَنِّي أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ؟ " قَالُوا: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَهَذَا مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ ". قَالَ: فَخَرَجْتُ كَأَنَّ فِي نَفْسِي شَيْئًا، فَلَقِيتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ، فَقُلْتُ لَهُ: إِنِّي سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ كَذَا وَكَذَا. قَالَ: فَمَا تُنْكِرُ؟ قَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ ذَلِكَ لَهُ» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ عَنْهُ أَتَمَّ مِنْ ذَلِكَ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الشَّافِعِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ الْحَارِثِ، ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنِ مُوسَى، ثَنَا أَبُو إِسْرَائِيلَ الْمُلَائِيُّ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ أَبِي سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ «أَنَّ عَلِيًّا انْتَشَدَ النَّاسَ: مَنْ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ "؟ فَقَامَ سِتَّةَ عَشَرَ رَجُلًا،
পৃষ্ঠা - ৬২৪৩
فَشَهِدُوا بِذَلِكَ، وَكُنْتُ فِيهِمْ.» وَقَالَ أَبُو يَعْلَى وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ فِي مُسْنَدِ أَبِيهِ: حَدَّثَنَا الْقَوَارِيرِيُّ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ أَرْقَمَ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى قَالَ: «شَهِدْتُ عَلِيًّا فِي الرَّحْبَةِ يُنَاشِدُ النَّاسَ: أَنْشُدُ اللَّهَ مَنْ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ ". لِمَا قَامَ فَشَهِدَ. قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: فَقَامَ اثْنَا عَشَرَ بَدْرِيًّا، كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى أَحَدِهِمْ عَلَيْهِ سَرَاوِيلُ، فَقَالُوا: نَشْهَدُ أَنَّا سَمِعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ: " أَلَسْتُ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ وَأَزْوَاجِي أُمَّهَاتُهُمْ؟ " قُلْنَا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " فَمَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ» . ثُمَّ رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عُمَرَ الْوَكِيعِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ الْحُبَابِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ بْنِ نِزَارٍ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ الْوَلِيدِ الْعَنْسِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، فَذَكَرَهُ، قَالَ «فَقَامَ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا فَقَالُوا: قَدْ رَأَيْنَاهُ وَسَمِعْنَاهُ حِينَ أَخَذَ بِيَدِهِ يَقُولُ: " اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ، وَانْصُرْ مَنْ نَصَرَهُ وَاخْذُلْ مَنْ خَذَلَهُ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطُّهَوِيُّ، وَاسْمُهُ عِيسَى بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هِنْدٍ الْجَمَلِيِّ وَعَبْدِ الْأَعْلَى بْنِ عَامِرٍ الثَّعْلَبِيِّ، كِلَاهُمَا، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، فَذَكَرَهُ بِنَحْوِهِ. قَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: غَرِيبٌ تَفَرَّدَ بِهِ عَنْهُمَا أَبُو دَاوُدَ الطُّهَوِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৬২৪৪


খাভীবে ৰাগদাদী বলেন, এ হাদীস হাবশুনের বর্ণনা বলে প্রসিদ্ধ ৷ তিনি একাই তা বর্ণনা
করেছেন ৷ তার অনুসরণ করেছেন আহমদ ইবন উবাইদুল্লাহ ইবন আব্বাস ইবন সালিম ইবন
মাহরান যিনি ইবন নাবারী নামে খ্যাত ৷ তিনি আলী ইবন সাঈদ শামী থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ গ্রন্থকার বলেন, এ হাদীস কয়েকটি কারণে মুনকার হওয়ার যোগ্য ৷ একটি হলো
গাদীরে খাম দিবসে ;<£;; ;এ শু£ব্লু ৷ হুটুৰু ৷ আয়াত নাযিল হওয়ার কথা ৷ ইবন হারুন
অড়াবড়াদী সুত্রে আবু সাঈদ থুদরী থেকেও অনুরুপ কথা বর্ণিত হয়েছে ৷ কিন্তু এ বর্ণনাও সহীহ
নয় ৷ বন্তুত এ আয়াত নাযিল হয়েছিল আরাফাত দিবসে ৷ বুখারী ও মুসলিমে উমর ইবন খাত্তাব
থেকে এ প্রসঙ্গে হা ৷দীস বর্ণিত হয়েছে যা আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ বহু সং থ্যক সাহাবী থেকে
এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ ঐ সব সাহড়াসী ব্যতীত যাদের নাম আমি যার অভিভা রক” বর্ণনায়
উল্লেখ করা হয়েছে ৷ কেননা, তাদের থেকে যে সনদে বর্ণিত হয়েছে সে সব সনদ দুর্বল ৷

পাখির হাদীস

বিভিন্ন গ্রন্থকা র এ হাদীস লিপিবদ্ধ করেছেন ৷ নানা সনদে এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ কিন্তু
প্রতিটি সনদই সমাৱলাচনাযোগ্য ৷ আমরা এ গ্রন্থেত তর কতিপয় দিক উল্লেখ করেছি ৷ তিরমিযী
বলেন : সুফিয়ান ইবন ওয়াকী আনাস থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, নবী করীমখ্যাঃ এর
নিকট খাদ্য হিসেবে পাখি ছিল ৷ তখন তিনি দৃঅ৷ করলেন, হে আল্লাহ ৷ আপনার নিকট
সবচেয়ে প্রিয় যে, তাকে আমার কাছে এসে দিন ৷ সে আমার সাথে এই পাখি আহার করবে শুরু
এরপর আলী এলেন এবং তীর সাথে আহার করলেন ৷ তিরমিযী বলেন, এ হাদীসের সনদ
গরীব ৷ সৃদ্দী থেকে উক্ত সনদ ব্যতীত অন্য কোন সনদ আমাদের জানা নেই ৷ তিরমিযী বলেন,
আনাস থেকে এ হাদীস বিভিন্ন সনদে বর্ণিত ৩হয়েছে ৷ আবু ইয়া’লা এ হাদীস হুসাইন ইবন
হাম্মাদ সুত্রে ঈস৷ ইবন উমর থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

আবু ইয়া’লা বলেন কুতন ইবন বশীর আবদুল্লাহ্ ইবন অন্যেস সুত্রে আনা স থেকে
বর্ণিত ৩৷ তিনি বলেন, বাসুলুল্লাহ , ন্-কে হাদিয়৷ হিসেবে হাজা ল ষ্দ্বা৷ৰি ভুনা, রুটি ও অন্যান্য
খাদ্য সরবরাহ করা হয় ৷ তখন তিনি দু আ করলেন, হে আল্লাহ ৷ অস্ফোন্র কাছে সৰ্বাধিক প্রিয়
ব্যক্তিকে আমার নিকট এনে দিন ৷ যাতে সে আমার সাথে এ খানায় অংশ্যাহণ করতে পারে ৷
তখন আয়েশা (রা) দু’আ করলেন, হে আল্লাহ! আমার পিতাকে এ সুযোগ দিন ৷ হাফ্স্মাহ্
বললেন, হে আল্লাহ! আমার পিতাকে এ মর্যাদা দান করুন ৷ আনন্দ বলেন, আমি দু’আ৷
কালাম, হে আল্লাহ! সা’দ ইবন উবাদাকে এ সম্মান দান করুনল অন্যের বলেন, এ সময়আেক্কি
দরজার শব্দ করতে শুনতে পাই ৷ আগন্তুককে আমি বলে দিলাম, রাসুলুল্লাহ্ হুষ্,শুশু শু প্রয়োজনীয়
কাজে আছেন আপনি চলে যান ৷ কিছুক্ষণ পরে আবার দরজার আওয়াজ শুনতে পেলাম ৷
বেরিয়ে দেখি দরজার কাছে আলী (রা) দণ্ডায়মান ৷ আমি তাকে বললাম, রাসুলুল্লাহড্রাকাজে
আছেন, এখন ফিরে যান ৷ এরপর আবার দরজার আওয়াজ শুনতে পইি ৷ এবার আলী (রা)
বাহিৱ থেকে সালাম দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ঘ্নেতার আওয়াজ শুনে বললেন, দেখো তাে কে এসেছে?
আমি বেরিয়ে দেখি আলী (রা) দণ্ডায়মান ৷ আমি ভিতরে এসে রাসুলুল্পাহ্মোঃ £ক সংবাদ
জানালাম ৷ তিনি বললেন, তাকে আমার কাছে আসতে দাও ৷ আমি অনুমতি দিলে আলী (রা)

আল-বিদায়া — ৭৮


وَقَالَ الطَّبَرَانِيُّ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَيْسَانَ الْمَدِينِيُّ سَنَةَ تِسْعِينَ وَمِائَتَيْنِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَمْرٍو الْبَجَلِيُّ، ثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ عَمِيرَةَ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: «شَهِدْتُ عَلِيًّا عَلَى الْمِنْبَرِ يُنَاشِدُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ يَقُولُ مَا قَالَ؟ فَقَامَ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا، مِنْهُمْ أَبُو هُرَيْرَةَ وَأَبُو سَعِيدٍ وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، فَشَهِدُوا أَنَّهُمْ سَمِعُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ» . وَرَوَاهُ أَبُو الْعَبَّاسِ بْنُ عُقْدَةَ الْحَافِظُ الشِّيعِيُّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَفَّانَ الْعَامِرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى، عَنْ فِطْرٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو ذِي مُرٍّ وَسَعِيدِ بْنِ وَهْبٍ وَعَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ قَالُوا: «سَمِعْنَا عَلِيًّا يَقُولُ فِي الرَّحْبَةِ. فَذَكَرَ نَحْوَهُ، فَقَامَ ثَلَاثَةَ عَشَرَ رَجُلًا، فَشَهِدُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ، وَأَحِبَّ مَنْ أَحَبَّهُ وَأَبْغِضْ مَنْ أَبْغَضَهُ، وَانْصُرْ مَنْ نَصَرَهُ وَاخْذُلْ مَنْ خَذَلَهُ» . قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ حِينَ فَرَغَ مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ: يَا أَبَا بَكْرٍ، أَيُّ أَشْيَاخٍ هُمْ! وَكَذَلِكَ رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حَكِيمٍ الْأَوْدِيِّ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ وَهْبٍ
পৃষ্ঠা - ৬২৪৫


ভিতরে আসলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্;শ্প্ষ্ বল্যলন, হে আল্লাহ আপনি তাকে মহব্বত করুন যে
একে মহব্বত করে ৷

হাকিম তার মুসতাদরাকে এ হাদীস আবু আলী হাফিজ ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ সনদে
আনা স থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ এর সনদ গরীব ৷ হাকিম বলেন, এ হাদীস বুখারী ও মুসলিমের
শর্ত অনুযায়ী বর্ণিত ৷ কিন্তু তার এ মন্তব্য ঠিক নয় ৷ কেননা, আবু ইলাসা মুহাম্মদ ইবন আহমদ
ইবন আইয়ায মা রুফ ও পরিচিত ব্যক্তি ৷ বিক্ষ্ম অনেকেই তার এ হাদীস তার পিতার থেকে
বর্ণনা করেছেন ৷ আর যারা তার থেকে বর্ণনা করেছেন তাদের মধ্যে আবুল কাসিম তিবরানী
অন্যতম ৷ এরপর বলেন, তিনি তার পিতার থেকে ঘুফরাদ বর্ণনা করেছেন ৷ হাকিম বলেন,
আনাস থেকে এ হাদীস ত্রিশজনের ও অধিক রাবী এ বর্ণনা করেছেন ৷ আমাদের শাইখ হাফিযুল
কাবীর আবু আবদুল্লাহ যাহাবী বলেন, তাদেরকে ছিকাহ্ শর্তে আলাদা করা হয়েছে যাতে
ইসনাদ করা সম্ভব হয় ৷ তারপরে হাকিম বলেন, আলী, আবু সাঈদ ও সাফীনাহ্ থেকে
বর্ণনাগুলো সহীহ আছে ৷ আমাদের শাইখ আবু আবদুল্লাহ বলেন, আল্লাহ্র কসম ! এর একটি
সনদও সহীহ না ৷ হাকিম এ হাদীস ইব্রাহীম ইবন ছাবিত কাসসার (তিনি মাজহুল) ছাবিত
বালানীর সুত্রে আনাস থেকে বর্ণনা করেন ৷ আনাস বলেন, একবার মুহাম্মদ ইবন হাজ্জাজ
আলীকে গালাপালি করতে করতে প্রবেশ করে ৷ তখন আনাস তাকে বলেন, আলীকে প্যলাগাল
দেওয়া বন্ধ কর ৷ এরপর তিনি উক্ত হাদীস বিস্তারিত বর্ণনা করেন ৷ কিন্তু এ হাদীস সনদও
মতনের দিক দিয়ে মুনকা র ৷ হাকিম তার মুস৩ তাদরাকে এ দুটি ব্যতীত আর কোন হাদীস বর্ণনা
করেননি ৷

ইবন আবু হাতিম আম্মার ইবন খালিদ ওয়াসির্তী সুত্রে আনাস থেকে এ হাদীস বংনাি
করেছেন ৷ এর সনদ হাকীমের সনদ থেকে উত্তম ৷ আবদুল্লাহ ইবন যিয়াদ আবুল আলা এ
হাদীস আলী ইবন যা ৷ইদ থেকে তিনি সাঈদ ইবন ঘুসাব্যিব থেকে তিনি আনাস থেকে বর্ণনা
করেন ৷ আনাস ইবন মালিক বলেনং রাসুলুল্লাহ্:;:;ৰুৰু এর নিকট হাদিয়া স্বরুপ পাখি ভোনা
আসে ৷ তিনি তখন আল্লাহ্র কাছে দু আ করে বলেন, হে অ ৷ল্লাহ্! সৃষ্টিকুলের মধ্যে যে আপনার
নিকট সবচেয়ে প্রিয় তাকে আমার কাছে এনে দিন ৷ যাতে সে আমার সাথে এই পাখির গােশত
যেতে পারে ৷ এরপর উপরের অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেন ৷ মুহাম্মদ ইবন মুসাফফ৷
হাসানের সুত্রে আনাস থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ আলী ইবন হাসান শামী কাতাদার
সুত্রে আনাস থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ আহমদ ইবন ইয়াযীদ ওয়ারতানিস উসমান
তাবীল এর সুত্রে আনাস থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ উবাইদুল্লাহ ইবন মুসা মাইমুন আবু
খালাফের সুত্রে আনাস ইবন মালিক থেকে অনুরুপ হাদীস উল্লেখ করেছেন ৷

দার কুতনী বলেন, মাইমুন আবু খালাফের হাদীস কেবল মিসকীন ইবন আবদুল আযীয
বর্ণনা করেছেন ৷ হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ ইবন কুতাইবাহ্ যুবাইর ইবন আদীর সুত্রে আনাস
থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেন ৷ ইবন ইয়াকুব ইসহাক ইবন ফয়েজ এ হাদীস মাযাহ ইবন
জারুদ থেকে তিনি আবদুল আযীয ইবন যিয়াদ থেকে বর্ণনা করেন যে, হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ
আনাস ইবন মালিককে বসর৷ থেকে ডেকে আনেন ৷ তারপর তাকে আলী ইবন আবু তালিব
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীমহ্রহুৰুদ্বু এর নিকট একটি পাখি হাদিয়া আসে ৷


وَعَبْدِ خَيْرٍ قَالَا: ( «سَمِعْنَا عَلِيًّا بِرَحْبَةِ الْكُوفَةِ يَقُولُ: أَنْشُدُ اللَّهَ مَنْ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ ". فَقَامَ عِدَّةٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَشَهِدُوا أَنَّهُمْ سَمِعُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ ذَلِكَ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ وَهْبٍ قَالَ: «نَشَدَ عَلِيٌّ النَّاسَ، فَقَامَ خَمْسَةٌ أَوْ سِتَّةٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَشَهِدُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ» . وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ ثَنَا حَنَشُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ لَقِيطٍ الْأَشْجَعِيُّ، عَنْ رِيَاحِ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ: «جَاءَ رَهْطٌ إِلَى عَلَيٍّ بِالرَّحْبَةِ فَقَالُوا: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا مَوْلَانَا. فَقَالَ: كَيْفَ أَكُونُ مَوْلَاكُمْ وَأَنْتُمْ قَوْمٌ عَرَبٌ؟ قَالُوا: سَمِعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ يَقُولُ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَإِنَّ هَذَا مَوْلَاهُ ". قَالَ: رِيَاحٌ: فَلَمَّا مَضَوُا اتَّبَعْتُهُمْ فَسَأَلْتُ: مَنْ هَؤُلَاءِ؟ قَالُوا: نَفَرٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، فِيهِمْ أَبُو أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيُّ.» وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ: ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ حَنَشٍ، عَنْ رِيَاحِ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ: «بَيْنَا نَحْنُ جُلُوسٌ فِي الرَّحْبَةِ مَعَ عَلِيٍّ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا مَوْلَايَ. فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: أَبُو أَيُّوبَ، سَمِعْتُ
পৃষ্ঠা - ৬২৪৬
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ» . وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا الرَّبِيعُ - يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ الْأَسْلَمِيَّ - حَدَّثَنِي زِيَادُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ الْأَسْلَمِيُّ، «سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ يَنْشُدُ النَّاسَ فَقَالَ: أَنْشُدُ اللَّهَ رَجُلًا مُسْلِمًا سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ مَا قَالَ. فَقَامَ اثْنَا عَشَرَ بَدْرِيًّا فَشَهِدُوا.» وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكِنْدِيِّ، عَنْ زَاذَانَ أَبِي عُمَرَ قَالَ: «سَمِعْتُ عَلِيًّا فِي الرَّحْبَةِ وَهُوَ يَنْشُدُ النَّاسَ: مَنْ شَهِدَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ وَهُوَ يَقُولُ مَا قَالَ؟ فَقَامَ ثَلَاثَةَ عَشَرَ رَجُلًا، فَشَهِدُوا أَنَّهُمْ سَمِعُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ ".» وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ: ثَنَا حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، ثَنَا شَبَابَةُ، ثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنِي أَبُو مَرْيَمَ وَرَجُلٌ مِنْ جُلَسَاءِ عَلِيٍّ، عَنْ عَلِيٍّ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَوْمَ غَدِيرِ خُمٍّ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ ". قَالَ: فَزَادَ النَّاسُ بَعْدُ: " اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ ".» وَقَدْ رُوِيَ هَذَا مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَلَهُ طُرُقٌ مُتَعَدِّدَةٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ.
পৃষ্ঠা - ৬২৪৭


রাসুলুল্পাহ্মোঃ এর নির্দেশক্রমে পাখিটি ভুনা করা হয় ও খান৷ পাক করা হয় ৷ তখন তিনি
দু আ করেন হে আল্লাহ্! আমার সর্বাধিক প্রিয় ণ্লাকটিকে আমার কাছে এসে দিন ৷ সে আমার
সাথে খাবে ৷ এরপর হাদীসের বাকি অংশ উল্লেখ করেন ৷

খাতীবে বাগদাদী বলেন : হাসান ইবন আবু বুকাইর আবুল হিন্দী সুত্রে আনাস থেকে
বর্ণিত ৷ এরপর উপরের অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেন ৷ হাকিম ইবন মুহাম্মদ এ হাদীস মুহাম্মদ
ইবন সুলাইমের সুত্রে আনাস ইবন মালিক থেকে উপরের অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ আবু ইয়া’লা
বলেনং হাসান ইবন হাম্মাদ ওয়াররাক ঈসা ইবন উমরের সুত্রে ইসমাঈল সুদ্দী থেকে
বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ্আঃট্রুট্রু,;চু; এর নিকট ছিল একটি পাখি ৷ তিনি দু আ করলেন, হে আল্লাহ্া
আপনার নিকট সর্বাধিক প্রিয় যে, তাকে আমার কাছে এসে দিন ৷ সে আমার সাথে এই পাখি
আহার করবে ৷ এরপর আবু বকর আসলেন, কিন্তু তিনি তাকে ফিরিয়ে দেন ৷ এরপর উমর
আসলেন, তাকেও ফিরিয়ে দিলেন ৷ এরপর উসমান আসলেন ৷ তিনি ৩াকেও ফেরৎ পাঠান ৷
এরপর আলী আসলেন ৷ তিনি তাকে প্রবেশের অনুমতি দেন ৷
আবুল কাসিম ইবন উক্দাহ্ বলেন, মুহাম্মদ ইবন আহমদ ইবন হাসান আবদুল
মালিক ইবন উমাইর সুত্রে আনাস ইবন মালিক থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ব্লুদাদ্বুক্ট্রহু এর
কাছে একটি পাখি হাদিয়া আসে ৷ আহারের জন্যে তার সামনে তা রাখা হয় ৷ তখন তিনি দু আ
করলেন হে আল্লাহ্৷ হে আল্লাহ্ ! আপনার কাছে সবচেয়ে প্রিয় লোককে আমার নিকট এনে
দিন ৷ সে আমার সাথে খাবে ৷ আনাস বলেন, কিছুক্ষণের মধ্যে আলী (রা) এসে দরজায় ধাক্কা
দেয়৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম, কে আপনি ? তিনি বললেন, আমি আলী ৷ আমি বললাম,
রাসুলুল্লাহ্হুঢু;ব্লু ব্যক্তিগত কাজে আছেন ৷ আলী তিনব্য ৷র এ রকম করেন ৷ চতুর্থ বার এসে আলী
দরজায় পা দ্বারা আঘাত করেন এবং ভিতরে প্রবেশ করেন ৷ নবী করীমপ্লো মোঃত তাকে জিজ্ঞেস
করলেন, তোমাকে কিংস বাধা দিয়েছিল ? আলী বললেন; আমি ইতিপুর্বে তিনবার এসেছি ৷
কিন্তু আসলে আমাকে প্রবেশ করতে দেয়নি ৷ নবী করীমন্নুণ্ন্,ণ্;আনাসকে জিজ্ঞেস করলেন, তু
এ রকম করলে কেন ? আনাস বললেন, আমি কামনা করছিলাম যেন সে লোকঢি আমার কাওম
থেকে হোক ৷ হাকিম নিসাপুরী এ হাদীস আবদান ইবন ইয়াষীদ হুসাইন ইবন সুলাইমান
ইবন আবদুল মালিক ইবন উমাইর সুত্রে আনাস থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ এরপর হাকিম
বলেন, এ হাদীস আমরা উল্লিখিত সনদ ব্যতীত অন্য কোন সনদে গ্রহণ করিনি ৷ ইবন আসাকির
এ হাদীস হারাছ ইবন নাবহান থেকে কুফার ইসমাঈলের সুত্রে আনাস থেকে, হাফ্স ইবন উমর
মাহরিকামী থেকে আবদুল মালিক ইবন আবু সুলাইমানের সুত্রে আনাস থেকে এবং
সুলাইমান ইবন করম থেকে আবু হুযাইফাহ্ আকীলীর সুত্রে আনাস থেকে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷
আবু ইয়া’লা বলেন৪ আবু হিশাম মুসলিম মালাঈ সুত্রে আনাস থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, উম্মে আইমান রাসুলুল্লাহ্মোঃ ৫-ক একভি ৩ভুনা পাখি হাদিয়া দেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
জ্যো; দু আ করলেন, হে আল্লাহ! আপনি যাকে মহব্বত করেন তাকে আমার কাছে এসে দিন ৷
সে আমার সাথে এ পাখির গোশ্৩ ভক্ষণ করবে আনাস বলেন, কিছু সময় পর আলী (রা)
আসেন এবং ভিতরে প্রবেশের অনুমতি চান ৷ আমি তাকে বললাম, রাসুলুল্লাহ্হুড়াশ্রশ্ন: এখন
ব্যক্তিগত কাজে আছেন ৷ এ কথা শুনে আলী (রা) ফিরে গেলেন ৷ কিছুক্ষণ পর পুনরায় এসে


وَقَالَ غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، سَمِعْتُ أَبَا الطُّفَيْلِ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَرِيحَةَ أَوْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ - شُعْبَةَ الشَّاكُّ - قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ» . قَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ: وَأَنَا قَدْ سَمِعْتُهُ قَبْلَ هَذَا مِنَ ابْنِ عَبَّاسٍ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ بُنْدَارٍ، عَنْ غُنْدَرٍ، وَقَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ مَيْمُونِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ وَأَنَا أَسْمَعُ: «نَزَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَادٍ يُقَالُ لَهُ: وَادِي خُمٍّ. فَأَمَرَ بِالصَّلَاةِ فَصَلَّاهَا بِهَجِيرٍ. قَالَ: فَخَطَبَنَا وَظُلِّلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِثَوْبٍ عَلَى شَجَرَةِ سَمُرٍ مِنَ الشَّمْسِ، فَقَالَ: " أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ - أَوْ: أَلَسْتُمْ تَشْهَدُونَ - أَنِّي أَوْلَى بِكُلِّ مُؤْمِنٍ مِنْ نَفْسِهِ؟ " قَالُوا: بَلَى. قَالَ: " فَمَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَإِنَّ عَلِيًّا مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ عَادِ مَنْ عَادَاهُ وَوَالِ مَنْ وَالَاهُ» . وَكَذَا رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَيْمُونِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ. وَقَدْ رَوَاهُ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ جَمَاعَةٌ، مِنْهُمْ ; أَبُو إِسْحَاقَ السَّبِيعِيُّ، وَحَبِيبٌ الْإِسْكَافُ، وَعَطِيَّةُ الْعَوْفِيُّ، وَأَبُو عَبْدِ اللَّهِ الشَّامِيُّ، وَأَبُو الطُّفَيْلِ عَامِرُ بْنُ وَاثِلَةَ. وَقَدْ رَوَاهُ مَعْرُوفُ بْنُ خَرَّبُوذَ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ أَسِيدٍ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৬২৪৮
«لَمَّا قَفَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ نَهَى أَصْحَابَهُ عَنْ شَجَرَاتٍ بِالْبَطْحَاءِ مُتَقَارِبَاتٍ أَنْ يَنْزِلُوا حَوْلَهُنَّ، ثُمَّ بَعَثَ إِلَيْهِنَّ فَصَلَّى تَحْتَهُنَّ، ثُمَّ قَامَ فَقَالَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، قَدْ نَبَّأَنِيَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ أَنَّهُ لَمْ يُعَمَّرْ نَبِيٌّ إِلَّا مِثْلَ نِصْفِ عُمْرِ الَّذِي مِنْ قَبْلِهِ، وَإِنِّي لَأَظُنُّ أَنْ يُوشِكَ أَنْ أُدْعَى فَأُجِيبَ، وَإِنِّي مَسْئُولٌ وَأَنْتُمْ مَسْئُولُونَ، فَمَاذَا أَنْتُمْ قَائِلُونَ؟ " قَالُوا: نَشْهَدُ أَنَّكَ قَدْ بَلَّغْتَ وَنَصَحْتَ وَجَهَدْتَ، فَجَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا. قَالَ: " أَلَسْتُمْ تَشْهَدُونَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَأَنَّ جَنَّتَهُ حَقٌّ، وَأَنَّ نَارَهُ حَقٌّ، وَأَنَّ الْمَوْتَ حَقٌّ، وَأَنَّ الْبَعْثَ بَعْدَ الْمَوْتِ حَقٌّ، وَأَنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ لَا رَيْبَ فِيهَا، وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَنْ فِي الْقُبُورِ؟ " قَالُوا: بَلَى نَشْهَدُ بِذَلِكَ. قَالَ: " اللَّهُمَّ اشْهَدْ ". ثُمَّ قَالَ: " يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللَّهَ مَوْلَايَ وَأَنَا مَوْلَى الْمُؤْمِنِينَ، وَأَنَا أَوْلَى بِهِمْ مِنْ أَنْفُسِهِمْ، مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَهَذَا مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ ". ثُمَّ قَالَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي فَرَطُكُمْ وَإِنَّكُمْ وَارِدُونَ عَلَى الْحَوْضِ، حَوْضٌ أَعْرَضُ مِمَّا بَيْنَ بُصْرَى وَصَنْعَاءَ، فِيهِ آنِيَةٌ عَدَدَ النُّجُومِ، قُدْحَانٌ مِنْ فِضَّةٍ، وَإِنِّي سَائِلُكُمْ حِينَ تَرِدُونَ عَلَيَّ عَنِ الثَّقَلَيْنِ، فَانْظُرُوا كَيْفَ تَخْلُفُونِي فِيهِمَا ; الثَّقَلُ الْأَكْبَرُ كِتَابُ اللَّهِ، سَبَبٌ طَرَفُهُ بِيَدِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَطَرَفٌ بِأَيْدِيكُمْ، فَاسْتَمْسِكُوا بِهِ لَا تَضِلُّوا وَلَا تُبَدِّلُوا، وَعِتْرَتَي أَهْلُ بَيْتِي ; فَإِنَّهُ قَدْ نَبَّأَنِيَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ أَنَّهُمَا لَنْ يَفْتَرِقَا حَتَّى يَرِدَا عَلَى الْحَوْضِ ".» رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ بِطُولِهِ مِنْ طَرِيقِ مَعْرُوفٍ كَمَا ذَكَرْنَا. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬২৪৯


প্রবেশের অনুমতি চান ৷ আমি বললাম, তিনি এখনও তার প্রয়োজনীয় কাজে লিপ্ত আছেন ৷
আলী এবারও চলে গেলেন ৷ কিছু সময় পর তিনি আবার আসেন ও প্রবেশের অনুমতি চান ৷
রাসুলুল্লাহঘ্নে,আলীর কণ্ঠস্বর শুনতে পান ৷ তিনি আনাসকে বললেন, তাকে আসার অনুমতি
দাও ৷ আলী (রা)৩ ভিতরে প্রবেশ করেন ৷ তখনও পাখি রাসুলুল্লাহ্ট্রু,ল্পঃ এর সামনে রয়েছে ৷
আলী (রা) সেখান থেকে আহার করলেন ও আল্লাহ্র প্রশংসা করলেন ৷ এ হলো বিভিন্ন সুত্র
ঘেগুলির মাধ্যমে আনাস ইবন মালিক থেকে এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ কিত্তু এর প্রতিটি সুত্রে
আছে দুর্বলত৷ ও সমালােচনা৷

শ্ ন্ আমাদের শাইখ আবু আবদুল্লাহ যাহাবী তার গ্রন্থে এ হাদীস বিভিন্ন সুত্রে উল্লেখ করেছেন
যার সং থ্যা আমাদের উপরে বর্ণিত সুত্রসমুহের প্রায় সমান হবে ৷ এ ছাড়া এ হাদীসটি
অনেকগুলি বাতিল ও অন্ধকায়ময় সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ যাদের থেকে বর্ণিত হয়েছে তাদের মধ্যে
রয়েছে হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ, আবু ইমাম খালিদ ইবন উবাইদ, দীনার আবু কাইসান, যিয়াদ
ইবন মুহাম্মদ ছাকাফী, যিয়াদ আবাসী, যিয়াদ ইবন ঘুনযির, সা’দ ইবন মাইসারাহ্ বিকরী,
সুল৷ ৷ইমান৩াইমী, সুলা ৷ইমান ইবন আলী আল আমীর সালামাহ্ ইবন ওর ৷রদান, সাবাহ ইবন
মহারিব,৩ তাল্হ৷ ইবন ঘুসার রাফ, আর্য যিনাদ, আবদুল আ ’ল৷ ইবন আমির, উমর ইবন
রাশিদ, উমর ইবন আবু হাফ্নৃ ছাকাফী যারীর, উমর ইবন সুলাইম রাজ্যলী, উমর ইবন
ইয়াহ্ইয়া, ছাকাফী, উসমান ত,াবীল আলী ইবন আবু রাফি’, ঈসা ইবন তাহমান, আতিয়্যাহ্
আওফী, উববাদ ইবন আবদুস-সামাদ, আমার যাহাবী, আব্বাস ইবন আলী, ফুযাইল ইবন
গযওয়ান , কাসিম ইবন জুনদুব, কুলছুম ইবন জাবার , মুহাম্মদ ইবন আলী বাকির, যুহ্রী, মুহাম্মদ
ইবন আমর ইবন আলকামাহ্ মুহাম্মদ ইবন মালিক ছাকাফী , নুহাম্মদ ইবন জাহাদাহ্ মাইমুন
ইবন মাহরান, মুসা তাবীল, ম৷ ইসুন ইবন জাবির সুলামী, মানসুর ইবন আবদুল হড়ামীদ, মুআল্পা
ইবন আনাস, মাইমুন আবু খ লাফ জিরাফ ৷ কারও মতে এ পর্যায়ে আরো আছে আবু খালিদ,
মাতার ইবন খালিদ, মু আবিয়াহ্ ইবন আবদুল্লাহ ইবন জা ’ফর, মুসা ইবন আবদুল্লাহ জুহানী,
নাফি’ মওলা ইবন উমর নযব ইবন আনাস ইবন মালিক; ইউসুফ ইবন ইবরাহীম, ইউনুস ইবন
হাইয়্যান, ইয়াযীদ ইবন সুফিয়ান, ইয়াযীদ ইবন আবু হাবীব, আবুল মালীহ, আবুল হাকাম,
আবু দাউদ সাবিঈ, আবু হামযাহ্ ওয়াসিভী, আবু হুযাইফাহ্ উকায়লী ও ইবরাহীম ইবন
হাদবাহ্ ৷ সকলের নাম উল্লেখ করার পর তিনি বলেন, এদের সবমে ট ০স খ্যা নব্বই এর
উপরে ৷ এরমধ্যে সবচেয়ে নিকট৩ তম সুত্র গরীব যয়ীফ, এর পরের স্তর ঐ সব সুত্র যার মধ্যে
পরস্পর বিরোধ আছে ৷ আর সর্বশেষ হচ্ছে মনগড়া সুত্র ৷

এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ্ন্ধুপভ্রু এর মুক্ত গোলাম সাফীনার হাদীসও বর্ণিত হয়েছে ৷ কাজেই
আবুল কাসিম বাপাবী ও আবু ইয়ড়া’লা মুসিলী বলেন : কাওয়ারীরী ছাবিত বাজালীর সুত্রে
সাফীনাহ্ মাওলা রাসুলুল্লাহ্লোঃ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একবার এক আনসার মহিলা
রাসুলুল্লাহ্“ট্রু, এর জন্যে দুটি রুঢির মাঝে দুটি পাখি হাদিয়া পাঠায় ৷ তখন আমি ও আসাম
ব্যতীত ঘরে আর কেউ ছিল না ৷ পরে রাসুলুল্পাহ্র্ন্ত:;হুদ্বুবাড়ি আসেন ৷ তিনি থানা পরিবেশন
করতে বলেন ৷ আমি জানালাম, হে আল্লাহর রাসুল! র্জ্য£নক আসনারী মহিলা আপনার জন্যে
হাদিয়া পাঠিয়েছে ৷ এই বলে আমি রান্না করা পাখি দুটো তার সামনে পেশ করি ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ট্টট্রুর্দুট্ট দৃ’আ করলেন, হে আল্লাহ সৃষ্টি ফুলের মধ্যে যে ব্যক্তি আপনার নিকট ও
আপনার রাসুলের নিকট অধিক ৷প্রয় তবে আমার কাছে পৌছে দিন ৷ কিছু সময় পর আলী


ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى نَزَلْنَا غَدِيرَ خُمٍّ فَبَعَثَ مُنَادِيًا يُنَادِي، فَلَمَّا اجْتَمَعْنَا قَالَ: " أَلَسْتُ أَوْلَى بِكُمْ مِنْ أَنْفُسِكُمْ؟ " قُلْنَا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " أَلَسْتُ أَوْلَى بِكُمْ مِنْ أُمَّهَاتِكُمْ؟ ". قُلْنَا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " أَلَسْتُ أَوْلَى بِكُمْ مِنْ آبَائِكُمْ؟ " قُلْنَا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " أَلَسْتُ، أَلَسْتُ، أَلَسْتُ؟ " قُلْنَا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ، اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ ". فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: هَنِيئًا لَكَ يَا بْنَ أَبِي طَالِبٍ، أَصْبَحْتَ الْيَوْمَ وَلِيَّ كُلِّ مُؤْمِنٍ.» وَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ. وَرَوَاهُ أَبُو يَعْلَى عَنْ هُدْبَةَ بْنِ خَالِدٍ وَإِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَجَّاجِ السَّامِيِّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ وَأَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنِ الْبَرَاءِ بِهِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ مُوسَى بْنُ عُثْمَانَ الْحَضْرَمِيُّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بِهِ. وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ سَعْدٍ وَطَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَلَهُ طُرُقٌ عَنْهُ، وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَحُبْشِيِّ بْنِ جُنَادَةَ وَجَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَلَهُ عَنْهُ طُرُقٌ، مِنْهَا - وَهِيَ أَغْرَبُهَا - الطَّرِيقُ الَّتِي قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ بِشْرَانَ،
পৃষ্ঠা - ৬২৫০
أَنَا عَلِيُّ بْنُ عُمَرَ الْحَافِظُ، أَنَا أَبُو نَصْرِ حَبْشُونُ بْنُ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْخَلَّالُ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَعِيدٍ الرَّمْلِيُّ، ثَنَا ضَمْرَةُ بْنُ رَبِيعَةَ الْقُرَشِيُّ، عَنِ ابْنِ شَوْذَبٍ، عَنْ مَطَرٍ الْوَرَّاقِ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، «عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: مَنْ صَامَ يَوْمَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ كُتِبَ لَهُ صِيَامُ سِتِّينَ شَهْرًا، وَهُوَ يَوْمُ غَدِيرِ خُمٍّ لَمَّا أَخَذَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: " أَلَسْتُ وَلِيَّ الْمُؤْمِنِينَ؟ " قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ ". فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ بَخٍ بَخٍ لَكَ يَا ابْنَ أَبِي طَالِبٍ، أَصْبَحْتَ مَوْلَايَ وَمَوْلَى كُلِّ مُسْلِمٍ. فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ} [المائدة: 3] . وَمَنْ صَامَ يَوْمَ سَبْعَةٍ وَعِشْرِينَ مِنْ رَجَبٍ كُتِبَ لَهُ صِيَامُ سِتِّينَ شَهْرًا، وَهُوَ أَوَّلُ يَوْمٍ نَزَلَ جِبْرِيلُ بِالرِّسَالَةِ» . قَالَ: الْخَطِيبُ: اشْتَهَرَ هَذَا الْحَدِيثُ بِرِوَايَةِ حَبْشُونَ، وَكَانَ يُقَالُ: إِنَّهُ تَفَرَّدَ بِهِ، وَقَدْ تَابَعَهُ عَلَيْهِ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْعَبَّاسِ بْنِ سَالِمِ بْنِ مِهْرَانَ، الْمَعْرُوفُ بِابْنِ النِّيرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ سَعِيدٍ الشَّامِيِّ. قُلْتُ: وَفِيهِ نَكَارَةٌ مِنْ وُجُوهٍ، مِنْهَا قَوْلُهُ: نَزَلَ فِيهِ {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ} [المائدة: 3]- وَقَدْ وَرَدَ مَثَلُهُ مِنْ طَرِيقِ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيَّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَلَا يَصِحُّ أَيْضًا - وَإِنَّمَا نَزَلَ ذَلِكَ يَوْمَ عَرَفَةَ، كَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَقَدْ تَقَدَّمَ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ الصَّحَابَةِ غَيْرِ مَنْ ذَكَرْنَا فِي قَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ «مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ» وَالْأَسَانِيدُ إِلَيْهِمْ ضَعِيفَةٌ.
পৃষ্ঠা - ৬২৫১


ইবন আবু তালিব এসে দরজায় আস্তে শব্দ করেন ৷ আমি তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তিনি
বলেন, আমি আবুল হাসান ৷ এরপর তিনি পুনরায় দরজায় শব্দ করেন এবং জোরে আওয়াজ
দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্অ্যাংর্দুজিজ্ঞেস করলেন, ওখানে কে ৷ আমি বললাম, আলী ইবন আবু তালিব ৷
তিনি বললেন, তার জন্যে দরজা খুলে দাও ৷ আমি দরজা খুলে দিলাম ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ন্গাং
তাকে নিয়ে পাখির পােশৃত আহার করেন এবং খেয়ে শেষ করে ফেলেন ৷ ইবন আব্বাস থেকেও
এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ যথাঃ

আবু মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়৷ ইবন মুহাম্মদ ইবন সইিদ দাউদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস
পিতার মাধ্যমে দাদা ইবন আব্বাস থেকেবর্ণিৎ ৷ তিনি বলেন : নৰীশ্ ডঃ-এর জন্যে একটি
রান্না করা পাখি সরবরাহ করা হয় ৷ তখন তিনি দৃ’আ করলেন, হে আল্লাহ্ৰু যে লোকটিকে
আল্লাহ্ ও তীর রাসুল ভালবাসে তাকে আমার কাছে এসে দিন ৷ কিছু সময়ের মধ্যে আলী (রা)
আসলেন, তখন নবী করীম ন্শ্ট্রুপ্শ্ ;হ্র বললেন : আল্লাহ্ ! আপনি তাকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করুন ৷ আলী
থেকেও এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ যথাং আব্বাস ইবন ইয়া’কুব বলেন, ঈসা ইবন আবদুল্লাহ
ইবন মুহাম্মদ ইবন উমর ইবন আলী তার পিতা, পিতামহ ও প্রপিতামহের সুত্রে আলী থেকে
বর্ণিত ত৷ তিনি বলেন, হুবার৷ নামক একটি পাখি রান্না করে রাসুলুল্লহ্মোঃ-ণ্ক খাওয়ার জন্যে
হাদিয়া দেওয়া হয় ৷ সময়মত উক্ত খাদ্য তার সামনে পরিবেশন করা হয় ৷ আনাস ইবন ম৷ ৷লিক
ছিলেন তার দারোয়ান ৷ নবী ৰ্গুষ্রীম্ল্যাং মোঃ হাত উত্তোলন করে মহান আল্লাহ্র দরবারে দু আ
করেন এবং বলেন, হে আল্লাহ্ ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে আপনার নিকট সবচেয়ে যে বেশি প্রিয়
তাকে আমার কাছে,এনে দিন ৷ সে আমার সাথে এ পাখি আহার করবে ৷ কিছুক্ষণের মধ্যে আলী
(রা) তথায় এসে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন ৷ আনাস তাকে বললেন, রাসুলুল্লাহ্মোঃ মোঃবিশেষ
কাজে ব্যস্ত আছেন ৷ এ কথা শুনে আলী (রা) চলে যান ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃপুনরায় দুআ করলেন ৷
এব৷ রও আলী (রা) এসে ফিরে গেলেন ৷ বাসুলুল্লাহ ন্, লীযবাব দৃ’আ করলেন ৷ এবার
আলী (রা) আসলে তাকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় ৷ র্তাকে দেখে রাসুলুল্লাহ্ই:;ভুৰু
বললেন, হে আল্লাহ এ আমার বন্ধু ৷ এরপর তিনি তার সাথে আহার করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃও
আহার করেন ৷ ৷রপরত আলী (রা) প্রস্থান করেন ৷

আনাস বলেন, খান৷ শেষে আলী (রা) চলে যাওয়ার সময় তার শব্দ শুনে আমি বাংলায়, হে
আবুল হাসান ! আমার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করুন ৷ কেননা আপনার সাথে আমি একটা অপরাধ
করে ফেলেছি আর আমার কাছে একটা সুসবোদ আছে ৷ এরপর আমি তাকে সেসব কথা
জানালাম যা রাসুলুল্পাহ্আং তার ব্যাপারে ক্যরহিঃট্রুলন ৷ ফলে তিনি আভুাহ্র প্রশংসা করেন,
আমার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং আমার প্রতি সভুষ্টি প্রকাশবঙ্গুব্রন ৷ সুসংবাদ জানাকর
ফলে আমারংঅপরাধ বিদুরিত হয়ে যায় ৷

জাবির ইবন আবদৃল্পাহর হাদীসও এ প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে ৷ ইবন আসাকিং৷ বলেন :
আবদুল্লাহ ইবন সালিহ মুহাম্মদ ইবন মুনকাদির সুত্রে জাবিৱ থেকে অনুরুপ হাদীস
দীর্ঘাকারে বর্ণিত হয়েছে ৷ আবু সাঈদ খুদৰী থেকে অনুরুপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ হাকিম এ
বংনািকে সহীহ বলেছেন ৷ কিন্তু এর সনদে ত্রুটি আছে এবং কতিপহ্ব রাবী দুর্বল ৷ হাৰাশী ইবন
জুনাদা থেকেও এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ কিত্তু সে বর্ণনাও সহীহ নয় ৷ এ সম্পর্কে ইয়াল৷ ইবন
মুর্রার বর্ণিত হাদীসেও ত্রুটি রয়েছে ৷ আবু রাফি’র বর্ণিত হাদীসও সহীহ নয় ৷ এ হ্মতীয়
হাদীসের উপর অনেকে মুসান্নাফ গ্রন্থ রচনা করেছেন ৷ যেমন আবু বকর ইবন মারদুবিব্ৰঢহে ৷


[حَدِيثُ الطَّيْرِ] ِ: وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ صَنَّفَ النَّاسُ فِيهِ، وَلَهُ طُرُقٌ مُتَعَدِّدَةٌ، وَفِي كُلٍّ مِنْهَا نَظَرٌ، وَنَحْنُ نُشِيرُ إِلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ. قَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ عِيسَى بْنِ عُمَرَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَيْرٌ فَقَالَ: " اللَّهُمَّ ائْتِنِي بِأَحَبِّ خَلْقِكَ إِلَيْكَ يَأْكُلُ مَعِي هَذَا الطَّيْرَ ". فَجَاءَ عَلِيٌّ فَأَكَلَ مَعَهُ» . ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: غَرِيبٌ، لَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ السُّدِّيِّ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. قَالَ: وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَنَسٍ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى عَنِ الْحَسَنِ بْنِ حَمَّادٍ، عَنْ مُسْهِرِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عِيسَى بْنِ عُمَرَ بِهِ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا قَطَنُ بْنُ بَشِيرٍ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُثَنَّى، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «أُهْدِيَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَلٌ مَشْوِيٌّ بِخُبْزِهِ وَصِنَابِهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ ائْتِنِي بِأَحَبِّ خَلْقِكَ إِلَيْكَ يَأْكُلُ مَعِي مِنْ هَذَا الطَّعَامِ ". فَقَالَتْ عَائِشَةُ: اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ أَبِي. وَقَالَتْ حَفْصَةُ: اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ أَبِي. وَقَالَ أَنَسٌ: وَقُلْتُ: اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ قَالَ: أَنَسٌ: فَسَمِعْتُ حَرَكَةً بِالْبَابِ، فَخَرَجْتُ، فَإِذَا عَلِيٌّ، فَقُلْتُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حَاجَةٍ. فَانْصَرَفَ، ثُمَّ سَمِعْتُ حَرَكَةً بِالْبَابِ، فَخَرَجْتُ
পৃষ্ঠা - ৬২৫২
فَإِذَا عَلِيٌّ بِالْبَابِ. فَقُلْتُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حَاجَةٍ. فَانْصَرَفَ، ثُمَّ سَمِعْتُ حَرَكَةً بِالْبَابِ، فَسَلَّمَ عَلِيٌّ، فَسَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَوْتَهُ، فَقَالَ: " انْظُرْ مَنْ هَذَا؟ " فَخَرَجْتُ فَإِذَا هُوَ عَلِيٌّ، فَجِئْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ ". فَدَخَلَ عَلِيٌّ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. " اللَّهُمَّ وَإِلَيَّ، اللَّهُمَّ وَإِلَيَّ ".» وَرَوَاهُ الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ "، عَنْ أَبِي عَلِيٍّ الْحَافِظِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَحْمَدَ الصَّفَّارِ وَحُمَيْدِ بْنِ يُونُسَ الزَّيَّاتِ، كِلَاهُمَا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَحْمَدَ بْنِ عِيَاضٍ، عَنْ أَبِي غَسَّانَ أَحْمَدَ بْنِ عِيَاضِ بْنِ أَبِي طَيْبَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَسَّانَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَنَسٍ، فَذَكَرَهُ. وَهَذَا إِسْنَادٌ غَرِيبٌ. ثُمَّ قَالَ الْحَاكِمُ: هَذَا الْحَدِيثُ عَلَى شَرْطِ الْبُخَارِيِّ وَمُسْلِمٍ. وَهَذَا فِيهِ نَظَرٌ، فَإِنَّ أَبَا عُلَاثَةَ مُحَمَّدَ بْنَ أَحْمَدَ بْنِ عِيَاضٍ هَذَا غَيْرُ مَعْرُوفٍ، لَكِنْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنْهُ جَمَاعَةٌ عَنْ أَبِيهِ، وَمِمَّنْ رَوَاهُ عَنْهُ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ، ثُمَّ قَالَ: تَفَرَّدَ بِهِ عَنْ أَبِيهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ الْحَاكِمُ: وَقَدْ رَوَاهُ عَنْ أَنَسٍ أَكْثَرُ مِنْ ثَلَاثِينَ نَفْسًا. قَالَ شَيْخُنَا الْحَافِظُ الْكَبِيرُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ: وَصْلُهُمْ بِثِقَةٍ يَصِحُّ الْإِسْنَادُ إِلَيْهِ. ثُمَّ قَالَ الْحَاكِمُ: وَصَحَّتِ الرِّوَايَةُ عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي سَعِيدٍ وَسَفِينَةَ. قَالَ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: لَا وَاللَّهِ مَا صَحَّ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ. ثُمَّ رَوَاهُ الْحَاكِمُ مِنْ طَرِيقِ
পৃষ্ঠা - ৬২৫৩


হাফিজ আবু তাহিব মুহাম্মদ ইবন আহমদ ইবন হামদা ন ৷ এ সব হড়াদীসই আমাদের শইিখ আবু
আবদুল্লাহ যাহাবী তার কিতাবে বর্ণনা করেছেন ৷ ঐতিহাসিক ও মুফাসসির আবু জা ফর ইবন
জারীর তাবারী এ সব হাদীসের উপর একটি খণ্ড লিখেছেন যা আমি প্র৩ ত্যক্ষ করেছি ৷ এরপর
আমি কাযী আবু বকর বাকিল্লানীর রচিত একটি বড় কি৩াবে দেখি, তিনি ঐ সব হাদীসের
প্রতিবাদ করো ছন এবং সনদ ও মত নের দৃর্বল৩ ৷ প্রকাশ করেছেন ৷ যাই হোক এ সব হাদীসের
সুত্রের সং থ্যা যতই বেশি হোক এর সহীহ হওয়া সম্বন্ধে সন্দেহ আছে ৷

, অলীে,(রা-এর ফযীলত সম্পর্কে আরও
কতিপয় হাদীস

আবু বকর শাফিঈ বলেন৪ বিশর ইবন মুসা আসাদী জাবির ইবন আবদুল্লাহ থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি একবার রাসুলুল্লাহ্:-;হৃগু-এর সাথে জনৈক আনস৷ র মাহিলার খেজুর
বাগানে যাই ৷ বাগানঢির নাম ইছরাফ ৷ বাগানের ট্রুপ্রাচীরের পাশে রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর জন্যে
আমি বিছানা বিছিয়ে দিই ৷ প্রাচীরের সাথে ছিল পানির ঝরনা ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ ব্-দ্বুটু বললেন,
এখনই তোমাদের কাছে একজন জা ৷ন্নাভী লোক আসবে ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই আবু বকর এসে
হাযির হন ৷ রাসুলুল্লাহ্:;-::ক্ষু পুনরায় বললেন, এখনই৫ তামাদের মাঝে একজন জান্নাভী লোক
আসবেন ৷ একটু পরে তথায় উমর (রা) আসলেন ৷ এরপর আবার তিনি বললেন, এখনই
তোমাদের মধ্যে একজন জ ন্নালী লোক আসবেন ৷ জ বিব বলেন, আমি দেখলাম রাসুলুল্লাহ্
:হ্র;; প্রাচীরের নিচে মাথা ঝুকিয়ে বলছেন, হে আল্লাহ আপনি যদি চান তা হলে আলী (রা) কে
যে ব্যক্তি করতে পারেন ৷ এর কিছুক্ষণের মধ্যে আ ৷লী (রা) এসে উপস্থিত হন ৷ এরপর আনসার
মহিলা রাসুলুল্লাহ্, ষ্ষ্ ৰু ংর জন্যে একটি বকরী যবেহ করে রান্ন৷ করেন ৷ বাসুলুল্লাহমোঃৰু তা
আহার করলেন এবং আমরাও আহার করলাম ৷ যুহরের সালাতের সময় হলে৩ তিনিও সালাত
আদায় করলেন, আমরাও সালাত আদায় করি ৷ তিনিও ওঘু করেননি আমরাও ওঘু করিনি ৷
যখন আসরের ওয়াক্ত হলো তখন তিনি সালাত আদায় করলেন, ওঘু করলেন না এবং আমরাও
ওঘু করলাম না ৷
হাদীস৪ আবু ইয়া’লা বলেনঃ হাসান ইবন৷ হ ম্মাদ কুফী জুমায়’ ইবন উমাইর থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সাথে আয়েশার কাছে মাই এবং তাকে আলী (বা)
সম্পর্কে কিজ্ঞেস করি ৷ জওয়াবে তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্মোঃ , এর নিকট আলীর চেয়ে
অধিক প্রিয় কোন পুরুষ দেখিনি এবং আলীর ত্রীর চেয়ে অধিক স্নেহভাজন কোন মহিলা
দেখিনি ৷ একাধিক শীআ বর্ণনাকারী এ হাদীস জুমায় ইবন উমইির থেকে অনুরুপ বর্ণনা
ন্ করেছেন ৷
ণ্ হাদীস : ইমাম আহমদ বলেন : ইয়াহ্ইয়া ইবন আবু বুকায়র আবুআবদুল্পাহ জাদালী
আল-বাজালী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি একবার উষ্মে সালামার কাছে যাই ৷ তিনি
আমাকে বললেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কি রাসুলুল্লাহ্মোঃ-কে পালি দেয় ৷ আমি বললড়াম,
মাআশাল্লাহঃ অথবা সুবহানাল্লাহ্! অথবা এ জাতীয় অন্য কোন শব্দ ৷ তিনি বললেন, আমি
রাসুলুল্লাহ্লোঃ-কে বলতে শুনেছি যে আলীকে পালি দেয় যে আমাকেই পালিদেয় ৷ আবু
ইয়ালা এ হাদীস উবইিদুল্লাহ ইবন মুসা আবু আবদুল্লাহ বাজালী থেকে বর্ণনা করেছেনা
তিনি বলেন, উষ্মে সালামা আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কি মিম্বরের উপর
দাড়িয়ে রাসুলুল্লাহ্রীি কে পালি দেয় ? আমি বাংলায়, তা কি করে সম্ভব ! তিনি বললেন,


إِبْرَاهِيمَ بْنِ ثَابِتٍ الْقَصَّارِ - وَهُوَ مَجْهُولٌ - عَنْ ثَابِتِ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: دَخَلَ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَجَّاجِ، فَجَعَلَ يَسُبُّ عَلِيًّا، فَقَالَ أَنَسٌ: اسْكُتْ عَنْ سَبِّ عَلِيٍّ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ مُطَوَّلًا، وَهُوَ مُنْكَرٌ سَنَدًا وَمَتْنًا، ثُمَّ لَمْ يُورِدِ الْحَاكِمُ فِي " مُسْتَدْرَكِهِ " غَيْرَ هَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ. وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ عَنْ عَمَّارِ بْنِ خَالِدٍ الْوَاسِطِيِّ، عَنْ إِسْحَاقَ الْأَزْرَقِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ أَنَسٍ. وَهَذَا أَجْوَدُ مِنْ إِسْنَادِ الْحَاكِمِ. وَرَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ أَبُو الْعَلَاءِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «أُهْدِيَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَيْرٌ مَشْوِيٌّ فَقَالَ: " اللَّهُمَّ ائْتِنِي بِأَحَبِّ خَلْقِكَ إِلَيْكَ يَأْكُلُ مَعِي مِنْ هَذَا الطَّيْرِ» . فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ مُصَفَّى، عَنْ حَفْصِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ مُوسَى بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسٍ فَذَكَرَهُ. وَرَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ الشَّامِيُّ، عَنْ خُلَيْدِ بْنِ دَعْلَجٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ بِنَحْوِهِ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ بْنُ يَزِيدَ الْوَرْتَنِيسِيُّ عَنْ زُهَيْرٍ، عَنْ عُثْمَانَ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسٍ، فَذَكَرَهُ. وَرَوَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ سُكَيْنِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ مَيْمُونِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ. فَذَكَرَهُ. قَالَ الدَّارَقُطْنِيِّ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ مَيْمُونٍ
পৃষ্ঠা - ৬২৫৪
أَبِي خَلَفٍ، تَفَرَّدَ بِهِ سُكَيْنُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَرَوَاهُ الْحَجَّاجُ بْنُ يُوسُفَ بْنِ قُتَيْبَةَ، عَنْ بِشْرِ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ أَنَسٍ. وَرَوَاهُ أَبُو يَعْقُوبَ إِسْحَاقُ بْنُ الْفَيْضِ، ثَنَا الْمَضَاءُ بْنُ الْجَارُودِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ زِيَادٍ، أَنَّ الْحَجَّاجَ بْنَ يُوسُفَ دَعَا أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ مِنَ الْبَصْرَةِ فَسَأَلَهُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، فَقَالَ: «أُهْدِيَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَائِرٌ، فَأَمَرَ بِهِ فَطُبِخَ وَصُنِعَ فَقَالَ: " اللَّهُمَّ ائْتِنِي بِأَحَبِّ الْخَلْقِ إِلَيَّ يَأْكُلُ مَعِي» فَذَكَرَهُ. وَقَالَ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ: أَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، أَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَبَّاسِ بْنِ نَجِيحٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْقَاسِمِ النَّحْوِيُّ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي الْهِنْدِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، فَذَكَرَهُ. وَرَوَاهُ الْحَكَمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، فَذَكَرَهُ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ حَمَّادٍ الْوَرَّاقُ، ثَنَا مُسْهِرُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَلْعٍ - ثِقَةٌ - ثَنَا عِيسَى بْنُ عُمَرَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ السُّدِّيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ عِنْدَهُ طَائِرٌ فَقَالَ: " اللَّهُمَّ ائْتِنِي بِأَحَبِّ خَلْقِكَ إِلَيْكَ يَأْكُلُ مَعِي مِنْ هَذَا الطَّيْرَ ". فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ فَرَدَّهُ، ثُمَّ جَاءَ عُمَرُ فَرَدَّهُ، ثُمَّ جَاءَ عُثْمَانُ فَرَدَّهُ، ثُمَّ جَاءَ عَلِيٌّ فَأَذِنَ لَهُ.»
পৃষ্ঠা - ৬২৫৫
وَقَالَ أَبُو الْعَبَّاسِ بْنُ عُقْدَةَ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ الْحَسَنِ، ثَنَا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ الْمُخْتَارِ الْكُوفِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: «أُهْدِيَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَائِرٌ، فَوُضِعَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَقَالَ: " اللَّهُمَّ ائْتِنِي بِأَحَبِّ خَلْقِكَ إِلَيْكَ يَأْكُلُ مَعِي ". قَالَ: فَجَاءَ عَلِيٌّ فَدَقَّ الْبَابَ، فَقُلْتُ: مَنْ ذَا؟ فَقَالَ: أَنَا عَلِيٌّ. فَقُلْتُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حَاجَةٍ. حَتَّى فَعَلَ ذَلِكَ ثَلَاثًا، فَجَاءَ الرَّابِعَةَ فَضَرَبَ الْبَابَ بِرِجْلِهِ فَدَخَلَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا حَبَسَكَ؟ " فَقَالَ: قَدْ جِئْتُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ فَيَحْبِسُنِي أَنَسٌ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا حَمَلَكَ عَلَى ذَلِكَ؟ " قَالَ: قُلْتُ: كُنْتُ أُحِبُّ أَنْ يَكُونَ رَجُلًا مِنْ قَوْمِي» . وَقَدْ رَوَاهُ الْحَاكِمُ النَّيْسَابُورِيُّ عَنْ عَبْدَانَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ يَعْقُوبَ الدَّقَّاقِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحُسَيْنِ الْكِسَائِيِّ، عَنْ أَبِي تَوْبَةَ الرَّبِيعِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَنَسٍ، فَذَكَرَهُ. ثُمَّ قَالَ الْحَاكِمُ: لَمْ نَكْتُبْهُ إِلَّا بِهَذَا الْإِسْنَادِ. وَسَاقَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ حَدِيثِ الْحَارِثِ بْنِ نَبْهَانَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ - رَجُلٍ مَنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ - عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، فَذَكَرَهُ. وَمِنْ حَدِيثِ حَفْصِ بْنِ عُمَرَ الْمِهْرِقَانِيِّ، عَنِ النَّجْمِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سُلَيْمَانَ أَخِي إِسْحَاقَ بْنِ سُلَيْمَانَ الرَّازِيِّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَنَسٍ، فَذَكَرَهُ. وَمِنْ حَدِيثِ
পৃষ্ঠা - ৬২৫৬


আলীকে এবং যে তাকে ভালবাসে তাকে কি পালি দেওয়া হয় না ? শুন ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি
রাসুলুল্লাহ্ড্রেআলীকে ভালৰাসতেন ৷ উষ্মে সালামা থেকে এ হাদীস আরও একাধিক সুত্রে
বর্ণিত হয়েছে ৷ এ ছাড়া উষ্মে সালামা জাবির ও আবু সাঈদ থেকে বর্ণিত হয়েছে যে; রাসুলুল্লাহ্
“: ,« আলীকে বলেছিলেন, যে ব্যক্তি আমাকে ভালবাসার ও তোমার প্রতি বিদ্বেষ রাখার কথা
বলবে সে মিথ্যা কথা বলবে ৷ কিন্তু এ সকল হাদীসের সনদ দুর্বল ৷ এর দ্বারা কোন প্রমাণ
দেওয়া চলে না ৷

আমি আলীকে বলতে শুনেছি ঐ সত্তার কসম৷ যিনি বীজ কাটিয়ে চারা উদ্গত করেন ও পানি
সৃষ্টি করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ক্রো আমাকে বলেছেন, তোমাকে মু’মিন ব্যতীত কেউ ভালবাসার না
এবং মুনাফিক ব্যতীত কেউ শত্রুতা করবে না ৷ এ হাদীস আহমদ ইবন উমাইঃ যেৰে এবং
ওয়াকী’ আ’মাশ থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ অনুরুপ আবু মুআৰিয়াহ্ মুহাঙ্গদ ইবন দ্দৌ,
আবদুল্লাহ ইবন দাউদ হারবী, উবাইদুল্লাহ ইবন মুসা, মুহাৰির ইবন মুওয়াররি ও ইয়াহ্ইয়া
ইবন ঈসা রামালী আমাশ থেকে এ হাদীস বনাি করেহ্নেষ্ক ৷ মুসলিম তার সহীহ গ্রন্থে এ হাদীস

থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ গাসসান ইবন হাসসান সুবাহ্ থেকে আদী ইবন ছাবিতের সুত্রে
আলী থেকে অনুরুপ কথা বর্ণনা করেছেন ৷ এ ছাড়াও বিজ্যি সনদে আলী থেকে এ হাদীস বর্ণিত
হয়েছে ৷ কিন্তু উপরে আমরা যে সনদে বংনাি করেছি তা এ সব সনদ অপেক্ষা অধিক সহীহ ৷

ইমাম আহমদ বলেন : উস্মান ইবন আবু শাইবাহ্ উম্মে সালামা থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ড্রো কে আলীর উদ্দেশ্যে বলতে শুনেছি, কোন মুমিন তোমার প্রতি
বিদ্বেষ রাখবে না এবং কোন মৃনাফিক তোমাকে ভালবাসবে না ৷ উম্মে সালামা থেকে ভিন্ন সনদে
ভিন্ন শব্দে এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ কিন্তু তা সহীহ নয় ৷ ইবন উকদাতা এ হাদীস হাসান ইবন
আলী ইবন বাযীগ আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্পাহ্
মোঃ ণ্ক বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি দাবি করে যে সে আমার উপর ও আমার আনীত দীৰুনর
উপর ঈমান রাখে অথচ সে আলীর প্ৰতি বিদ্বেষ রাখে সে নি:সান্দাহ ৰিশাৰাদী যে মুষিট্রুৰ
নয় ৷ এ বর্ণনাটি এ সনদে ক্রটিপুণ, দলীল হওয়ার যোগ্য নয় ৷
হাসান ইবন আরফাহ্ বলেন : সাঈদ ইবন মুহাম্মদ ওয়াররক আমার ইবন ই!ষিৰ্

থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি নবী করীমঘ্নে কে আলীর উদ্দেশ্যে বলতে শুনেছি, সেই
ব্যক্তি সৌভাগ্যবান, যে তোমাকে ভালবাসে ও তোমার নীতিকে সত্য জানে; আর ধ্বংস তার যে

তোমার প্রতি বিদ্বেষ রাখে ও তোমার নীতিকে প্রত্যাখ্যানকব্রে ৷ এ হাদীসের কাছাকাছি অর্থে
আরও বহু হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ কিন্তু সবগুলেইি মাওয়ু ভিত্তিহীস ৷ একাধিক বর্ণনাকারী আবুল

আযহার আহমদ ইবন আযহার্ ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্
,:—;-: একদিন আলীর প্রতি তাকালেন এবং বললেন, তুমি দুনিয়ার সর্দার এবং আখিরাতেও
সর্দার ৷ যে তােমাংক ভালবাসে সে আমাকে ভালবাসে ৷ যে তোমার প্রিয় সে আল্লাহ্ৱও প্রিয় ৷

যে তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে সে আমার প্রতিই বিদ্বেষ পোষণ করে ৷ যে তোমার দৃশমন
সে আল্লাহরও দৃশমন ৷ মহা অকল্যাণ তার, যে আমার পরে তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ

করবে ৷


سُلَيْمَانَ بْنِ قَرْمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ السُّلَمِيِّ، عَنْ أَبِي حُذَيْفَةَ الْعُقَيْلِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، فَذَكَرَهُ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى ثَنَا أَبُو هِشَامٍ، ثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، ثَنَا مُسْلِمٌ الْمُلَائِيُّ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ «أَهَدَتْ أُمُّ أَيْمَنَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَيْرًا مَشْوِيًّا، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ ائْتِنِي بِمَنْ تُحِبُّهُ يَأْكُلُ مَعِي مِنْ هَذَا الطَّيْرِ ". قَالَ أَنَسٌ: فَجَاءَ عَلِيٌّ فَاسْتَأْذَنَ، فَقُلْتُ: هُوَ عَلَى حَاجَتِهِ. فَرَجَعَ، ثُمَّ عَادَ فَاسْتَأْذَنَ فَقُلْتُ: هُوَ عَلَى حَاجَتِهِ. فَرَجَعَ، ثُمَّ عَادَ فَاسْتَأْذَنَ، فَسَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَوْتَهُ، فَقَالَ: " ائْذَنْ لَهُ ". فَدَخَلَ وَهُوَ مَوْضُوعٌ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَأَكَلَ مِنْهُ وَحَمِدَ اللَّهَ.» فَهَذِهِ طُرُقٌ مُتَعَدِّدَةٌ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، كُلٌّ مِنْهَا فِيهِ ضَعْفٌ وَمَقَالٌ. وَقَالَ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ فِي جُزْءٍ جَمَعَهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ بَعْدَ مَا أَوْرَدَ طُرُقًا مُتَعَدِّدَةً نَحْوًا مِمَّا ذَكَرْنَا: وَيُرْوَى هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ وُجُوهٍ بَاطِلَةٍ أَوْ مُظْلِمَةٍ عَنْ حَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ، وَأَبِي عِصَامٍ خَالِدِ بْنِ عُبَيْدٍ، وَدِينَارِ أَبِي مَكْيَسٍ، وَزِيَادِ بْنِ مُحَمَّدٍ الثَّقَفِيِّ، وَزِيَادٍ الْعَبْسِيِّ، وَزِيَادِ بْنِ الْمُنْذِرِ، وَسَعْدِ بْنِ مَيْسَرَةَ الْبَكْرِيِّ، وَسُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، وَسُلَيْمَانَ بْنِ عَلِيٍّ الْأَمِيرِ، وَسَلَمَةَ بْنِ وَرْدَانَ، وَصَبَّاحِ بْنِ مُحَارِبٍ، وَطَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، وَأَبِي الزِّنَادِ، وَعَبْدِ الْأَعْلَى بْنِ عَامِرٍ، وَعُمَرَ بْنِ رَاشِدٍ، وَعُمَرَ بْنِ أَبِي حَفْصٍ الثَّقَفِيِّ الضَّرِيرِ، وَعُمَرَ بْنِ سُلَيْمٍ الْبَجَلِيِّ، وَعُمَرَ بْنِ يَحْيَى الثَّقَفِيِّ، وَعُثْمَانَ الطَّوِيلِ، وَعَلِيِّ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، وَعِيسَى بْنِ طَهْمَانَ، وَعَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، وَعَبَّادِ بْنِ عَبْدِ الصَّمَدِ، وَعَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، وَعَبَّاسِ بْنِ عَلِيٍّ، وَفُضَيْلِ بْنِ غَزْوَانَ، وَقَاسِمِ بْنِ حَبِيبٍ، وَكُلْثُومِ بْنِ جَبْرٍ، وَمُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ
পৃষ্ঠা - ৬২৫৭
الْبَاقِرِ، وَالزُّهْرِيِّ، وَمُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ، وَمُحَمَّدِ بْنِ مَالِكٍ الثَّقَفِيِّ، وَمُحَمَّدِ بْنِ جُحَادَةَ، وَمَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ، وَمُوسَى الطَّوِيلِ، وَمَيْمُونِ بْنِ جَابِرٍ السُّلَمِيِّ، وَمَنْصُورِ بْنِ عَبْدِ الْحَمِيدِ، وَمُعَلَّى بْنِ أَنَسٍ، وَمَيْمُونٍ أَبِي خَلَفٍ الْحَرَّانِيِّ، وَقِيلَ: أَبُو خَالِدٍ. وَمَطَرٍ أَبِي خَالِدٍ، وَمُعَاوِيَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، وَمُوسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْجُهَنِيِّ، وَنَافِعٍ مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ، وَالنَّضْرِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَيُوسُفَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، وَيُونُسَ بْنِ خَبَّابٍ، وَيَزِيدَ بْنِ سُفْيَانَ، وَيَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، وَأَبِي الْمَلِيحِ، وَأَبِي الْحَكَمِ، وَأَبِي دَاوُدَ السَّبِيعِيِّ، وَأَبِي حَمْزَةَ الْوَاسِطِيِّ، وَأَبِي حُذَيْفَةَ الْعُقَيْلِيِّ وَإِبْرَاهِيمَ بْنِ هُدْبَةَ. ثُمَّ قَالَ بَعْدَ أَنْ ذَكَرَ الْجَمِيعَ: الْجَمِيعُ بِضْعَةٌ وَتِسْعُونَ نَفْسًا، أَقْرَبُهَا غَرَائِبُ ضَعِيفَةٌ، وَأَرْدَؤُهَا طُرُقٌ مُخْتَلِفَةٌ مُفْتَعَلَةٌ، وَغَالِبُهَا طُرُقٌ وَاهِيَةٌ. وَقَدْ رُوِيَ مِنْ حَدِيثِ سَفِينَةَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ وَأَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: حَدَّثَنَا الْقَوَارِيرِيُّ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ أَرْقَمَ، ثَنَا مُطَيْرُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ ثَابِتٍ الْبَجَلِيِّ، عَنْ سَفِينَةَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَهَدَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ طَائِرَيْنِ بَيْنَ رَغِيفَيْنِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يَكُنْ فِي الْبَيْتِ غَيْرِي وَغَيْرُ أَنَسٍ، فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَعَا بِغَدَائِهِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ أَهْدَتْ لَكَ امْرَأَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ هَدِيَّةً. فَقَدَّمْتُ الطَّائِرَيْنِ إِلَيْهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ ائْتِنِي بِأَحَبِّ خَلْقِكَ إِلَيْكَ وَإِلَى رَسُولِكَ ". فَجَاءَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَضَرَبَ
পৃষ্ঠা - ৬২৫৮
الْبَابَ ضَرْبًا خَفِيًّا، فَقُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: أَبُو الْحَسَنِ. ثُمَّ ضَرَبَ الْبَابَ وَرَفَعَ صَوْتَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ هَذَا؟ " قُلْتُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: " افْتَحْ لَهُ ". فَفَتَحْتُ لَهُ، فَأَكَلَ مَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الطَّيْرَيْنِ حَتَّى فَنِيَا.» وَرَوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَقَالَ أَبُو مُحَمَّدٍ يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ صَاعِدٍ: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، ثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ قَرْمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِطَائِرٍ فَقَالَ: " اللَّهُمَّ ائْتِنِي بِرَجُلٍ يُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ ". فَجَاءَ عَلِيٌّ، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ وَإِلَيَّ ".» وَرُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ نَفْسِهِ، فَقَالَ عَبَّادُ بْنُ يَعْقُوبَ: ثَنَا عِيسَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَلِيٍّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «أُهْدِيَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَيْرٌ يُقَالُ لَهُ: الْحُبَارَى فَوُضِعَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَكَانَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ يَحْجُبُهُ، فَرَفَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ إِلَى اللَّهِ ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُمَّ ائْتِنِي بِأَحَبِّ خَلْقِكَ إِلَيْكَ يَأْكُلُ مَعِي هَذَا الطَّيْرَ ". قَالَ: فَجَاءَ عَلِيٌّ فَاسْتَأْذَنَ، فَقَالَ لَهُ أَنَسٌ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ - يَعْنِي - عَلَى حَاجَتِهِ، فَرَجَعَ ثُمَّ أَعَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الدُّعَاءَ، فَرَجَعَ ثُمَّ دَعَا الثَّالِثَةَ، فَجَاءَ عَلِيٌّ فَأَدْخَلَهُ، فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " اللَّهُمَّ وَإِلَيَّ ". فَأَكَلَ مَعَهُ، فَلَمَّا أَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَرَجَ عَلِيٌّ، قَالَ أَنَسٌ: اتَّبَعْتُ عَلِيًّا فَقُلْتُ: يَا أَبَا الْحَسَنِ، اسْتَغْفِرْ لِي فَإِنَّ لِي إِلَيْكَ ذَنْبًا، وَإِنَّ عِنْدِي
পৃষ্ঠা - ৬২৫৯


একাধিক বর্ণনকারী হারিছ ইবন হা ৷সীরা ৷হ্, আবু সাদিক, বারীআহ্ ইবৃ নাজিদ সনদে আলী
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্সাং একদিন আমাকে ডেকে বলেনং ৫৩ামাব মধ্যে ঈসা
ইবন মারইয়ামের দৃষ্টান্ত আছে ৷ ইয়াহুদীরা তার প্রতি চরমভ ৷বে বিদ্বেষ পোষণ করে ৷ এমনকি
তার মাতার উপর জঘন্য কল ক আরোপ করে ৷ পক্ষান্তবে, নাসারাপণ তাকে অতিশয য়
ভালবড়াসে ৷ এমনকি তারা র্তাকে এমন মর্যাদার ভুষিত করে যার অধিকারী তিনি নন ৷ আলী
(বা) বলেন, জেনে ব্লেখো, আমার ব্যাপারে দু দল লোক ধ্বং সের পথে যাবে ৷ একদল আমাকে
অতিমাত্রায় ভালবাসবে ৷ এমনকি তারা আমাকে এমন মর্যাদ৷ দান করবে, যা আমার মধ্যে
ৰুনেই ৷ আর একদল লোক হিৎ যায় আমার সাথে এমন শত্রুত৷ করবে যে আমার প্রতি অন্যায়
অপবাদ দিবে ৷ জেনে য়েখো, আমি নবী নই, আমার প্রতি ওহী আসে না ৷ বরং আমি সাধ্যমত
আল্লাহর কিতাব ও তীর নবীর সুন্নত অনুযায়ী আমল করার চেষ্টা করি ৷ কাজেই আমি
তােমাদেবকে যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর তৃানুগত্যের দিকে আহবান করবো ততক্ষণ পর্যন্ত আমার
আনুগত্য করা তোমাদের কর্ত্যা, তা ৷তামাদের পছন্দ হোক বা অপছন্দ হোক ৷
আবদুল্লাহ ইবন আহমদের বর্ণনা ং ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান বলেন৪ ইয়াহ্ইয়া ইবন
আবদুল হামীদ আবাইয়াহ্ সুত্রে আ ৷লী থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, কিয়ামণ্ডে তর দিন আমি
হব জ্যহান্নাম বণ্টনক৷ রী ৷ আ ৷মি বলবে৷ এটা তোমার এবং এটি আমার ৷ ইয়া কুব বলেন, মুসা
ইবন তারীফ দুর্বল রাবী আদালতের অভাব এবং আবাইয়াহ্ তার চেয়েও নিম্নমানের ৷ তার
বর্ণনার কোন মুল্য নেই ৷ বলা হয় যে, আবু ঘুআবিয়৷ হাদীস বর্ণনা করার জন্যে আ মাশকে
তিরস্কাব করেন ৷ তখন আমাশ তাকে বললেন, আমি যখন তুলে যাবো, তখন তোমরা আমাকে
স্মরণ করে৷ ৷ বলা হয়, রাফিষী সম্প্রদায়কে বিদ্র্যপ করার উদ্দেশ্যে আমাশ এট৷ বর্ণনা
করেছেন ৷ কেননা, বাফিযীরা এটাকে স৩ তা বলে বিশ্বাস কবতো, তাই আমাশ এর প্রতিবাদ
করেছেন ৷ গ্রন্থকার বলেন, সাধারণ মানুষর ধারণা বরং তাদের মধ্যে এটা বহুল প্রচারিত যে,
আলী হাওয়ে কাউসারেয় পানি পান করাবেন ৷ বন্তুত এ কথার কােনই ভিত্তি নেই ৷ কোন
নির্ভরযোগ্য সুত্রে এর বর্ণনা পাওয়া যায় না ৷
এ সম্পর্কে যেটা প্রমাণিত তা হলো রাসুলুল্লাহ্:; মোঃ ই উম্মতকে হা ৷উযে কাউসারের পা ৷নি
পান করাবেন ৷ আম জনগণের মধ্যে এ ধরনের আরও একটি কথা প্রচারিত আছে যে,
কিয়ামতের দিন মাত্র চারজন লোক ব্যতীত আর কেউ বাহনে চড়তে পারবে না ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ
বুরাকেব উপর থাকবেন ৷ সালিহ (আ) তার উষ্টীর উপর আরোহণ করবেন ৷ হাময৷ থাকবেন
তার আযবা’ উটের উপর ৷ আর আলী (রা) জান্নাতের একটি উটের উপর আারাহণ করে
লা ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ্ উভৈচ্চংস্বরে বলতে বলতে আসবেন ৷ আ ৷লী (বা) সম্পর্কে সাধারণের মধ্যে
প্রচারিত এরুপ আরেকটি বিষয় হলো, কিয়ামতের দিন কেউ বলবে আলীকে ধরো ৷ কেউ বলবে
আলীকে আমার কাছে এসে দাও ইত্যাদি ৷ এ সবের একটিরও কোন ভিত্তি নেই ৷ বরৎ এগুলো
সবই রাফিযীদের মনগড়৷ তৈরি কথা-বার্তা ৷ এর কোন সনদই সহীহ নয় ৷ কেউ যদি এর উপর
বিশ্বাস রাখে তবে মৃতৃাকালে ঈমানহার৷ হওয়ার আশংকা আছে ৷ গায়রুল্লাহব নামে যে শপঞ্চ
করে সে শিরক করে ৷
হাদীসঃ ইমাম আহমাদ, বলেনং ইয়াহ্ইয়া আলী (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
একদিন আমি ব্যথায় কাত তর হয়ে পড়ি ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃ তখন আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷
ব্যথার ভীব্রতায় আমি মুখ দিয়ে বলে চলছিলাম, হে আল্লাহ! আমার যদি মৃত্যু ঘনিয়ে এসে
থাকে তাহলে মৃত্যু দিয়ে আমাকে শান্তি দিন, যদি মৃতু তু৷ দেরিতে হয় তা হলে ব্যথা দুর করে


بِشَارَةً. فَأَخْبَرْتُهُ بِمَا كَانَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَاسْتَغْفَرَ لِي، وَرَضِيَ عَنِّي ; أَذْهَبَ ذَنْبِي عِنْدَهُ بِشَارَتِي إِيَّاهُ.» وَمِنْ حَدِيثِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيِّ أَوْرَدَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَالِحٍ كَاتِبِ اللَّيْثِ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، فَذَكَرَهُ بِطُولِهِ، وَقَدْ رُوِيَ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَصَحَّحَهُ الْحَاكِمُ، وَلَكِنَّ إِسْنَادَهُ مُظْلِمٌ وَفِيهِ ضُعَفَاءُ. وَرُوِيَ مِنْ حَدِيثِ حُبْشِيِّ بْنِ جُنَادَةَ، وَلَا يَصِحُّ أَيْضًا، وَمِنْ حَدِيثِ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، وَالْإِسْنَادُ إِلَيْهِ مُظْلِمٌ، وَمِنْ حَدِيثِ أَبِي رَافِعٍ نَحْوَهُ وَلَيْسَ بِصَحِيحٍ بَلْ طَرِيقُهُ مُظْلِمٌ. وَقَدْ جَمَعَ النَّاسُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ مُصَنَّفَاتٍ مُفْرَدَةً، مِنْهُمْ ; أَبُو بَكْرِ بْنُ مَرْدَوَيْهِ، وَالْحَافِظُ أَبُو طَاهِرٍ مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ حَمْدَانَ، فِيمَا رَوَاهُ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ، وَرَأَيْتُ فِيهِ مُجَلَّدًا فِي جَمْعِ طُرُقِهِ وَأَلْفَاظِهِ لِأَبِي جَعْفَرِ بْنِ جَرِيرٍ الطَّبَرِيِّ الْمُفَسِّرِ صَاحِبِ " التَّارِيخِ "، ثُمَّ وَقَفْتُ عَلَى مُجَلَّدٍ كَبِيرٍ فِي رَدِّهِ وَتَضْعِيفِهِ سَنَدًا وَمَتْنًا لِلْقَاضِي أَبِي بَكْرٍ الْبَاقِلَّانِيِّ الْمُتَكَلِّمِ. وَبِالْجُمْلَةِ فَفِي الْقَلْبِ مِنْ صِحَّةِ هَذَا الْحَدِيثِ نَظَرٌ، وَإِنْ كَثُرَتْ طُرُقُهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. حَدِيثٌ آخَرُ فِي فَضْلِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَالَ أَبُو بَكْرٍ الشَّافِعِيُّ: ثَنَا بِشْرُ بْنُ مُوسَى الْأَسَدِيُّ، ثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ
পৃষ্ঠা - ৬২৬০
اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى امْرَأَةٍ مِنَ الْأَنْصَارِ فِي نَخْلٍ لَهَا يُقَالُ لَهُ: الْأَسْوَافُ. فَفَرَشَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحْتَ صَوْرٍ لَهَا مَرْشُوشٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْآنَ يَأْتِيكُمْ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ ". فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ قَالَ: " الْآنَ يَأْتِيكُمْ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ ". فَجَاءَ عُمَرُ، ثُمَّ قَالَ: " الْآنَ يَأْتِيكُمْ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ ". قَالَ: فَلَقَدْ رَأَيْتُهُ مُطَأْطِئًا رَأْسَهُ مِنْ تَحْتِ الصَّوْرِ، ثُمَّ يَقُولُ: " اللَّهُمَّ إِنْ شِئْتَ جَعَلَتْهُ عَلِيًّا ". فَجَاءَ عَلِيٌّ، ثُمَّ إِنَّ الْأَنْصَارِيَّةَ ذَبَحَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاةً وَصَنَعَتْهَا، فَأَكَلَ وَأَكَلْنَا، فَلَمَّا حَضَرَتِ الظَّهْرُ قَامَ يُصَلِّي وَصَلَّيْنَا، مَا تَوَضَّأَ وَلَا تَوَضَّأْنَا، فَلَمَّا حَضَرَتِ الْعَصْرُ صَلَّى، وَمَا تَوَضَّأَ وَلَا تَوَضَّأْنَا.» حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ حَمَّادٍ الْكُوفِيُّ، ثَنَا ابْنُ أَبِي غَنِيَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: دَخَلْتُ مَعَ أُمِّي عَلَى عَائِشَةَ، فَسَأَلْتُهَا عَنْ عَلِيٍّ فَقَالَتْ: مَا رَأَيْتُ رَجُلًا كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُ، وَلَا امْرَأَةً كَانَتْ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنِ امْرَأَتِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الشِّيعَةِ عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ بِهِ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَقَالَتْ لِي:
পৃষ্ঠা - ৬২৬১
«أَيُسَبُّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيكُمْ؟ فَقُلْتُ: مَعَاذَ اللَّهِ - أَوْ: سُبْحَانَ اللَّهِ. أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا - قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ سَبَّ عَلِيًّا فَقَدْ سَبَّنِي ".» وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى عَنْ أَبِي خَيْثَمَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى، عَنْ عِيسَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْبَجْلِيِّ - مِنْ بَجْلَةَ مِنْ سُلَيْمٍ - عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ قَالَ: «قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ: أَيُسَبُّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيكُمْ عَلَى الْمَنَابِرِ؟ قَالَ: قُلْتُ: وَأَنَّى ذَلِكَ؟ قَالَتْ: أَلَيْسَ يُسَبُّ عَلِيٌّ وَمَنْ أَحَبَّهُ؟ فَأَشْهَدُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُحِبُّهُ» . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ. وَقَدْ وَرَدَ مِنْ حَدِيثِهَا وَحَدِيثِ جَابِرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِعَلِيٍّ: " كَذَبَ مَنْ زَعَمَ أَنَّهُ يُحِبُّنِي وَيُبْغِضُكَ ".» وَلَكِنَّ أَسَانِيدَهَا كُلَّهَا ضَعِيفَةٌ لَا يُحْتَجُّ بِهَا. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ قَالَ: «سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ: وَالَّذِي فَلَقَ الْحَبَّةَ وَبَرَأَ النَّسَمَةَ إِنَّهُ لَعَهْدُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيَّ: " إِنَّهُ لَا يُحِبُّكَ إِلَّا مُؤْمِنٌ وَلَا يُبْغِضُكَ إِلَّا مُنَافِقٌ ".» وَرَوَاهُ أَحْمَدُ عَنِ ابْنِ نُمَيْرٍ وَوَكِيعٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ. وَكَذَلِكَ رَوَاهُ أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ الْخُرَيْبِيُّ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৬২৬২
مُوسَى، وَمُحَاضِرُ بْنُ الْمُوَرِّعِ، وَيَحْيَى بْنُ عِيسَى الرَّمْلِيُّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، بِهِ. وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " عَنْ وَكِيعٍ وَأَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَرَوَاهُ حَسَّانُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَلِيٍّ، فَذَكَرَهُ، وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَلِيٍّ. وَهَذَا الَّذِي أَوْرَدْنَاهُ هُوَ الصَّحِيحُ مِنْ ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبِي نَصْرٍ، حَدَّثَنِي مُسَاوِرٌ الْحِمْيَرِيُّ، عَنْ أُمِّهِ قَالَتْ: «سَمِعْتُ أُمَّ سَلَمَةَ تَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِعَلِيٍّ: " لَا يُبْغِضُكَ مُؤْمِنٌ وَلَا يُحِبُّكَ مُنَافِقٌ» وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ بِلَفْظٍ آخَرَ، وَلَا يَصِحُّ. وَرَوَى ابْنُ عُقْدَةَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ بَزِيعٍ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا سَوَّارُ بْنُ مُصْعَبٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ يَحْيَى الْجَزَّارِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ زَعَمَ أَنَّهُ آمَنَ بِي وَبِمَا جِئْتُ بِهِ وَهُوَ يُبْغِضُ
পৃষ্ঠা - ৬২৬৩
عَلِيًّا، فَهُوَ كَاذِبٌ لَيْسَ بِمُؤْمِنٍ» . وَهَذَا بِهَذَا الْإِسْنَادِ مُخْتَلَقٌ لَا يَثْبُتُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْوَرَّاقُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحَزَوَّرِ، سَمِعْتُ أَبَا مَرْيَمَ الثَّقَفِيَّ، سَمِعْتُ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ يَقُولُ: «سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِعَلِيٍّ: " طُوبَى لِمَنْ أَحَبَّكَ وَصَدَقَ فِيكَ، وَوَيْلٌ لِمَنْ أَبْغَضَكَ وَكَذَبَ فِيكَ» . وَقَدْ رُوِيَ فِي هَذَا الْمَعْنَى أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ مَوْضُوعَةٌ لَا أَصَلَ لَهَا. وَقَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ أَبِي الْأَزْهَرِ أَحْمَدَ بْنِ الْأَزْهَرِ، ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَظَرَ إِلَى عَلِيٍّ فَقَالَ: " أَنْتَ سَيِّدٌ فِي الدُّنْيَا، سَيِّدٌ فِي الْآخِرَةِ، مَنْ أَحَبَّكَ فَقَدْ أَحَبَّنِي، وَحَبِيبُكَ حَبِيبُ اللَّهِ، وَمَنْ أَبْغَضَكَ فَقَدْ أَبْغَضَنِي، وَبَغِيضُكَ بَغِيضُ اللَّهِ، وَالْوَيْلُ لِمَنْ أَبْغَضَكَ مِنْ بَعْدِي ".» وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ أَيْضًا عَنِ الْحَارِثِ بْنِ حَصِيرَةَ، عَنْ أَبِي صَادِقٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ نَاجِذٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «دَعَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " إِنَّ فِيكَ مِنْ عِيسَى مَثْلًا، أَبْغَضَتْهُ يَهُودُ حَتَّى بَهَتُوا أُمَّهُ، وَأَحَبَّتْهُ النَّصَارَى حَتَّى أَنْزَلُوهُ بِالْمَنْزِلِ الَّذِي لَيْسَ بِهِ ". قَالَ عَلِيٌّ: أَلَا وَإِنَّهُ يَهْلِكُ فِيَّ اثْنَانِ ; مُحِبٌّ مُطْرٍ يُقَرِّظُنِي بِمَا لَيْسَ
পৃষ্ঠা - ৬২৬৪
فِيَّ، وَمُبْغِضٌ يَحْمِلُهُ شَنَآنِي عَلَى أَنْ يَبْهَتَنِي، أَلَا وَإِنِّي لَسْتُ بِنَبِيٍّ وَلَا يُوحَى إِلَيَّ، وَلَكِنِّي أَعْمَلُ بِكِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ نَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا اسْتَطَعْتُ، فَمَا أَمَرْتُكُمْ مِنْ طَاعَةِ اللَّهِ فَحَقٌّ عَلَيْكُمْ طَاعَتِي فِيمَا أَحْبَبْتُمْ وَكَرِهْتُمْ.» لَفْظُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَحْمَدَ. قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْحُمَيْدِ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَرِيفٍ، عَنْ عَبَايَةَ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: أَنَا قَسِيمُ النَّارِ، إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ قُلْتُ: هَذَا لَكِ وَهَذَا لِي. قَالَ يَعْقُوبُ: وَمُوسَى بْنُ طَرِيفٍ ضَعِيفٌ يَحْتَاجُ إِلَى مَنْ يُعَدِّلُهُ، وَعَبَايَةُ أَقَلُّ مِنْهُ، لَيْسَ حَدِيثُهُ بِشَيْءٍ. وَذَكَرَ أَنَّ أَبَا مُعَاوِيَةَ لَامَ الْأَعْمَشَ عَلَى تَحْدِيثِهِ بِهَذَا الْحَدِيثِ، فَقَالَ لَهُ الْأَعْمَشُ: إِذَا نَسِيتُ فَذَكِّرُونِي. وَيُقَالُ: إِنَّ الْأَعْمَشَ إِنَّمَا رَوَاهُ عَلَى سَبِيلِ الِاسْتِهْزَاءِ بِالرَّوَافِضِ وَالتَّنْقِيصِ لَهُمْ فِي تَصْدِيقِهِمْ ذَلِكَ. قُلْتُ: وَمَا يَتَوَهَّمُهُ بَعْضُ الْعَوَامِّ - بَلْ هُوَ مَشْهُورٌ بَيْنَ كَثِيرٍ مِنْهُمْ - أَنَّ عَلِيًّا هُوَ السَّاقِي عَلَى الْحَوْضِ، فَلَيْسَ لَهُ أَصْلٌ، وَلَمْ يَجِئْ مِنْ طَرِيقٍ مَرْضِيٍّ يُعْتَمَدُ عَلَيْهِ، وَالَّذِي ثَبَتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ الَّذِي يَسْقِي النَّاسَ. وَهَكَذَا الْحَدِيثُ الْوَارِدُ فِي أَنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ رَاكِبًا إِلَّا أَرْبَعَةٌ ; رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْبُرَاقِ، وَصَالِحٌ عَلَى نَاقَتِهِ، وَحَمْزَةُ عَلَى الْعَضْبَاءِ، وَعَلِيٌّ عَلَى نَاقَةٍ مِنْ نُوقِ الْجَنَّةِ رَافِعًا صَوْتَهُ بِالتَّهْلِيلِ. وَلَا يَصِحُّ شَيْءٌ مِنْ هَذِهِ الْوُجُوهِ أَلْبَتَّةَ، وَهُوَ مِنْ وَضْعِ
পৃষ্ঠা - ৬২৬৫
الرَّافِضَةِ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنِي يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «مَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا وَجِعٌ، وَأَنَا أَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ أَجَلِي قَدْ حَضَرَ فَأَرِحْنِي، وَإِنْ كَانَ آجِلًا فَارْفَعْنِي، وَإِنْ كَانَ بَلَاءً فَصَبِّرْنِي. قَالَ: " مَا قُلْتَ؟ " فَأَعَدْتُ عَلَيْهِ، فَضَرَبَنِي بِرِجْلِهِ وَقَالَ: " مَا قُلْتَ؟ " فَأَعَدْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ عَافِهِ " أَوِ: " اشْفِهِ ". قَالَ: فَمَا اشْتَكَيْتُ ذَلِكَ الْوَجَعَ بَعْدُ.» حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ وَارَةَ: ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، ثَنَا أَبُو عُمَرَ الْأَزْدِيُّ، عَنْ أَبِي رَاشِدٍ الْحُبْرَانِيِّ، عَنْ أَبِي الْحَمْرَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ أَرَادَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى آدَمَ فِي عِلْمِهِ، وَإِلَى نُوحٍ فِي فَهْمِهِ، وَإِلَى إِبْرَاهِيمَ فِي حِلْمِهِ، وَإِلَى يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا فِي زُهْدِهِ، وَإِلَى مُوسَى فِي بَطْشِهِ، فَلْيَنْظُرْ إِلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ". وَهَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ جِدًّا، وَلَا يَصِحُّ إِسْنَادُهُ. [حَدِيثُ رَدِّ الشَّمْسِ لَهُ حَتَّى صَلَّى الْعَصْرَ] َ ضَعِيفٌ لَا يَصِحُّ، قَدْ ذَكَّرْنَاهُ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ بِأَسَانِيدِهِ وَأَلْفَاظِهِ كَمَا تَقَدَّمَ فَأَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ.
পৃষ্ঠা - ৬২৬৬
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ أَبُو عِيسَى التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ الْكُوفِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الْأَجْلَحِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا يَوْمَ الطَّائِفِ فَانْتَجَاهُ، فَقَالَ النَّاسُ: لَقَدْ طَالَ نَجْوَاهُ مَعَ ابْنِ عَمِّهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا انْتَجَيْتُهُ وَلَكِنَّ اللَّهَ انْتَجَاهُ» . ثُمَّ قَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ الْأَجْلَحِ، وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ ابْنِ فُضَيْلٍ عَنِ الْأَجْلَحِ، وَمَعْنَى قَوْلِهِ: " وَلَكِنَّ اللَّهَ انْتَجَاهُ ". أَنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أَنْتَجِيَ مَعَهُ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ التِّرْمِذِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ، ثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي الْجَرَّاحِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ صُبْحٍ، حَدَّثَتْنِي أُمِّي أُمُّ شَرَاحِيلَ، حَدَّثَتْنِي أُمُّ عَطِيَّةَ قَالَتْ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَيْشًا فِيهِمْ عَلِيٌّ. قَالَتْ: فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ رَافِعٌ يَدَيْهِ يَقُولُ: " اللَّهُمَّ لَا تُمِتْنِي حَتَّى تُرِيَنِي عَلِيًّا» . ثُمَّ قَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ، إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ قَالَ: حُصَيْنٌ أَخْبَرَنَا عَنْ هِلَالِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ظَالِمٍ الْمَازِنِيِّ قَالَ: «لَمَّا خَرَجَ مُعَاوِيَةُ مِنَ الْكُوفَةِ اسْتَعْمَلَ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ. قَالَ: فَأَقَامَ خُطَبَاءَ يَقَعُونَ فِي عَلِيٍّ. قَالَ: وَأَنَا إِلَى جَنْبِ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عُمَرَ بْنِ نُفَيْلٍ. قَالَ: فَغَضِبَ، فَقَامَ وَأَخَذَ بِيَدِي فَتَبِعْتُهُ، فَقَالَ: أَلَا تَرَى إِلَى هَذَا الرَّجُلِ الظَّالِمِ لِنَفَسِهِ الَّذِي يَأْمُرُ بِلَعْنِ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ! وَأَشْهَدُ عَلَى التِّسْعَةِ أَنَّهُمْ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ، وَلَوْ شَهِدْتُ عَلَى الْعَاشِرِ لَمْ
পৃষ্ঠা - ৬২৬৭
آثَمْ. قَالَ: قُلْتُ: وَمَا ذَاكَ؟ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اثْبُتْ حِرَاءُ، فَلَيْسَ عَلَيْكَ إِلَّا نَبِيٌّ أَوْ صِدِّيقٌ أَوْ شَهِيدٌ ". قَالَ: قُلْتُ: مَنْ هُمْ؟ فَقَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَعُثْمَانُ، وَعَلِيٍّ، وَالزُّبَيْرُ، وَطَلْحَةُ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَسَعْدُ بْنُ مَالِكٍ. قَالَ: قُلْتُ: وَمَنِ الْعَاشِرُ؟ قَالَ: قَالَ: أَنَا.» وَيَنْبَغِي أَنْ يُكْتَبَ هَاهُنَا حَدِيثُ أُمِّ سَلَمَةَ الْمُتَقَدِّمُ قَرِيبًا، أَنَّهَا قَالَتْ لِأَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ: أَيُسَبُّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيكُمْ عَلَى الْمَنَابِرِ؟ الْحَدِيثَ، رَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ وَابْنُ أَبِي بُكَيْرٍ قَالَا: ثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حُبْشِيِّ بْنِ جُنَادَةَ السَّلُولِيِّ - وَكَانَ قَدْ شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَلِيٌّ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ، وَلَا يُؤَدِّي عَنِّي إِلَّا أَنَا أَوْ عَلِيٌّ ".» ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ أَبِي أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيِّ، عَنْ إِسْرَائِيلَ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ قَالَ: قَالَ إِسْرَائِيلُ: قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَهُ بِ " بَرَاءَةٌ " إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ: لَا يَحُجُّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ وَلَا يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ، وَلَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا نَفْسٌ مُؤْمِنَةٌ، مَنْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُدَّةٌ فَأَجَلُهُ إِلَى مُدَّتِهِ، وَاللَّهُ بَرِيءٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَرَسُولُهُ. قَالَ: فَسَارَ بِهَا ثَلَاثًا، ثُمَّ قَالَ لِعَلِيٍّ: " الْحَقْهُ وَرُدَّ عَلَيَّ أَبَا بَكْرٍ، وَبَلِّغْهَا أَنْتَ ". قَالَ: فَلَمَّا قَدِمَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَكَى وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، حَدَثَ فِيَّ شَيْءٌ؟ قَالَ: " مَا حَدَثَ فِيكَ إِلَّا
পৃষ্ঠা - ৬২৬৮
خَيْرٌ، وَلَكِنْ أُمِرْتُ أَنْ لَا يُبَلِّغَهُ إِلَّا أَنَا أَوْ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي» . وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ لُوَيْنٌ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَابِرٍ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ حَنَشٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «لَمَّا نَزَلَتْ عَشْرُ آيَاتٍ مِنْ " بَرَاءَةٌ " عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ، فَبَعَثَهُ بِهَا لِيَقْرَأَهَا عَلَى أَهْلِ مَكَّةَ ثُمَّ دَعَانِي، فَقَالَ لِي: " أَدْرِكْ أَبَا بَكْرٍ، فَحَيْثُ لَحِقْتَهُ فَخُذِ الْكِتَابَ مِنْهُ، فَاذْهَبْ بِهِ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ فَاقْرَأْهُ عَلَيْهِمْ ". فَلَحِقْتُهُ بِالْجُحْفَةِ فَأَخَذْتُ الْكِتَابَ مِنْهُ، وَرَجَعَ أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، نَزَلَ فِيَّ شَيْءٍ؟ قَالَ: " لَا، وَلَكِنَّ جِبْرِيلَ جَاءَنِي فَقَالَ: لَا يُؤَدِّي عَنْكَ إِلَّا أَنْتَ أَوْ رَجُلٌ مِنْكَ» . وَقَدْ رَوَاهُ كَثِيرٌ النِّوَّاءُ. عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِنَحْوِهِ، وَفِيهِ نَكَارَةٌ مِنْ جِهَةِ أَمْرِهِ بِرَدِّ الصِّدِّيقِ ; فَإِنَّ الصِّدِّيقَ لَمْ يَرْجِعْ، بَلْ كَانَ هُوَ أَمِيرَ الْحَجِّ فِي سَنَةِ تِسْعٍ، وَكَانَ عَلِيٌّ هُوَ وَجَمَاعَةٌ مَعَهُ بَعَثَهُمُ الصِّدِّيقُ يَطُوفُونَ بِرِحَابِ مِنًى فِي يَوْمِ النَّحْرِ وَأَيَّامِ التَّشْرِيقِ يُنَادُونَ بِ " بَرَاءَةٌ ". وَقَدْ قَرَّرْنَا ذَلِكَ فِي حَجَّةِ الصِّدِّيقِ، وَفِي أَوَّلِ تَفْسِيرِ سُورَةِ " بَرَاءَةٌ ". حَدِيثٌ آخَرُ: رُوِيَ مِنْ حَدِيثِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَعُمَرَ، وَعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، وَأَنَسٍ، وَثَوْبَانَ، وَعَائِشَةَ، وَأَبِي ذَرٍّ، وَجَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: النَّظَرُ إِلَى وَجْهِ
পৃষ্ঠা - ৬২৬৯
عَلِيٍّ عِبَادَةٌ ". وَفِي حَدِيثِ عَائِشَةَ: " ذِكْرُ عَلِيٍّ عِبَادَةٌ ". وَلَكِنْ لَا يَصِحُّ شَيْءٌ مِنْهَا ; فَإِنَّهُ لَا يَخْلُو كُلُّ سَنَدٍ مِنْهَا عَنْ كَذَّابٍ أَوْ مَجْهُولٍ لَا يُعْرَفُ حَالُهُ، وَهُوَ شِيعِيٌّ. [حَدِيثُ الصَّدَقَةِ بِالْخَاتَمِ وَهُوَ رَاكِعٌ] ٌ: قَالَ الطَّبَرَانِيُّ: ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلْمٍ الرَّازِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ ضُرَيْسٍ الْعَبْدِيُّ، ثَنَا عِيسَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ} [المائدة: 55] . فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بَيْنَ رَاكِعٍ وَقَائِمٍ، وَإِذَا سَائِلٌ، فَقَالَ: " يَا سَائِلُ، هَلْ أَعْطَاكَ أَحَدٌ شَيْئًا؟ " فَقَالَ: لَا، إِلَّا هَاذَاكَ الرَّاكِعُ - لِعَلِيٍّ - أَعْطَانِي خَاتَمَهُ.» وَقَالَ الْحَافِظُ بْنُ عَسَاكِرَ: أَنَا خَالِي أَبُو الْمَعَالِي الْقَاضِي، أَنَا أَبُو الْحَسَنِ الْخِلَعِيُّ، أَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الشَّاهِدُ، ثَنَا أَبُو الْفَضْلِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ الرَّمْلِيُّ، ثَنَا الْقَاضِي جُمْلَةُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ، ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ الْأَحْوَلُ، عَنْ مُوسَى بْنِ قَيْسٍ، عَنْ سَلَمَةَ قَالَ: «تَصَدَّقَ عَلِيٌّ بِخَاتَمِهِ وَهُوَ رَاكِعٌ، فَنَزَلَتْ: {إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ} [المائدة: 55] .»
পৃষ্ঠা - ৬২৭০
وَهَذَا لَا يَصِحُّ بِوَجْهٍ مِنَ الْوُجُوهِ ; لِضَعْفِ أَسَانِيدِهِ، وَلَمْ يَنْزِلْ فِي عَلِيٍّ شَيْءٌ مِنَ الْقُرْآنِ بِخُصُوصِيَّتِهِ، وَكُلُّ مَا يُورِدُونَهُ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى {إِنَّمَا أَنْتَ مُنْذِرٌ وَلِكُلِّ قَوْمٍ هَادٍ} [الرعد: 7] . وَقَوْلِهِ {وَيُطْعِمُونَ الطَّعَامَ عَلَى حُبِّهِ مِسْكِينًا وَيَتِيمًا وَأَسِيرًا} [الإنسان: 8] . وَقَوْلُهُ {أَجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ الْحَاجِّ وَعِمَارَةَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ كَمَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ} [التوبة: 19] . وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْآيَاتِ وَالْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ فِي أَنَّهَا نَزَلَتْ فِي عَلِيٍّ لَا يَصِحُّ شَيْءٌ مِنْهَا. وَأَمَّا قَوْلُهُ تَعَالَى {هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ} [الحج: 19] . فَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " أَنَّهَا نَزَلَتْ فِي عَلِيٍّ وَحَمْزَةَ وَعُبَيْدَةَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، وَفِي عُتْبَةَ وَشَيْبَةَ وَالْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ مِنَ الْكَافِرِينَ. وَمَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: مَا نَزَلَ فِي أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ مَا نَزَلَ فِي عَلِيٍّ وَفِي رِوَايَةٍ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: نَزَلَ فِيهِ ثَلَاثُمِائَةِ آيَةٍ. فَلَا يَصِحُّ ذَلِكَ عَنْهُ لَا هَذَا وَلَا هَذَا. وَلَا يَصِحُّ أَيْضًا مَا قَالُوا فِيهِ أَنَّهُ قَالَ: مَا نَزَلَتْ آيَةٌ فِيهَا يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِلَّا وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَأْسُهَا. كُلُّ ذَلِكَ لَا يَصِحُّ، وَإِنَّمَا هَذَا مِنْ غُلُوِّ الرَّافِضَةِ.
পৃষ্ঠা - ৬২৭১
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ أَبُو سَعِيدِ بْنُ الْأَعْرَابِيِّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زَكَرِيَّا الْغَلَابِيُّ، ثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ بَكَّارٍ أَبُو الْوَلِيدِ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُثَنَّى الْأَنْصَارِيُّ، عَنْ عَمِّهِ ثُمَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ وَقَدْ أَطَافَ بِهِ أَصْحَابُهُ، إِذْ أَقْبَلَ عَلِيٌّ فَسَلَّمَ، ثُمَّ وَقَفَ يَنْظُرُ مَكَانًا يَجْلِسُ فِيهِ، فَنَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى وُجُوهِ أَصْحَابِهِ أَيُّهُمْ يُوَسِّعُ لَهُ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ عَنْ يَمِينِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسًا، فَتَزَحْزَحَ أَبُو بَكْرٍ عَنْ مَجْلِسِهِ وَقَالَ: هَاهُنَا يَا أَبَا الْحَسَنِ. فَجَلَسَ بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَ أَبِي بَكْرٍ، فَرَأَيْنَا السُّرُورَ فِي وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ: " يَا أَبَا بَكْرٍ، إِنَّمَا يَعْرِفُ الْفَضْلَ لِأَهْلِ الْفَضْلِ ذَوُو الْفَضْلِ ".» فَأَمَّا الْحَدِيثُ الْوَارِدُ عَنْ عَلِيٍّ وَحُذَيْفَةَ مَرْفُوعًا: " عَلِيٌّ خَيْرُ الْبَشَرِ، مَنْ أَبَى فَقَدْ كَفَرَ ". فَهُوَ مَوْضُوعٌ مِنَ الطَّرِيقَيْنِ مَعًا. قَبَّحَ اللَّهُ مَنْ وَضَعَهُ وَاخْتَلَقَهُ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ أَبُو عِيسَى التِّرْمِذِيُّ: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ الرُّومِيِّ، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ، عَنِ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَا دَارُ الْحِكْمَةِ وَعَلِيٌّ بَابُهَا» . ثُمَّ قَالَ: هَذَا الْحَدِيثُ غَرِيبٌ. قَالَ: وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ.
পৃষ্ঠা - ৬২৭২
قُلْتُ: رَوَاهُ سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنِ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ مَرْفُوعًا: «أَنَا مَدِينَةُ الْعِلْمِ وَعَلِيٌّ بَابُهَا، فَمَنْ أَرَادَ الْعِلْمَ فَلْيَأْتِ بَابَ الْمَدِينَةِ» . وَأَمَّا حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَرَوَاهُ ابْنُ عَدِيٍّ مِنْ طَرِيقِ أَحْمَدَ بْنِ سَلَمَةَ أَبِي عَمْرٍو الْجُرْجَانِيِّ، ثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " أَنَا مَدِينَةُ الْعِلْمِ وَعَلِيٌّ بَابُهَا، فَمَنْ أَرَادَ الْعِلْمَ فَلْيَأْتِهَا مِنْ قِبَلِ بَابِهَا ". ثُمَّ قَالَ ابْنُ عَدِيٍّ: وَهَذَا الْحَدِيثُ يُعْرَفُ بِأَبِي الصَّلْتِ الْهَرَوِيِّ عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، سَرَقَهُ مِنْهُ أَحْمَدُ بْنُ سَلَمَةَ هَذَا، وَمَعَهُ جَمَاعَةٌ مِنَ الضُّعَفَاءِ. هَكَذَا قَالَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَقَدْ رَوَى أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحْرِزٍ، عَنِ ابْنِ مَعِينٍ أَنَّهُ قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَيْمَنَ، أَنَّ أَبَا مُعَاوِيَةَ حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ قَدِيمًا، ثُمَّ كَفَّ عَنْهُ. قَالَ: وَكَانَ أَبُو الصَّلْتِ رَجُلًا مُوسِرًا يُكْرِمُ الْمَشَايِخَ وَيُحَدِّثُونَهُ بِهَذِهِ الْأَحَادِيثِ. وَسَاقَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ بِإِسْنَادٍ مُظْلِمٍ عَنْ جَعْفَرٍ الصَّادِقِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، فَذَكَرَهُ مَرْفُوعًا، وَمِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى عَنْ جَابِرٍ. قَالَ ابْنُ عَدِيٍّ: وَهُوَ مَوْضُوعٌ أَيْضًا. وَقَالَ أَبُو الْفَتْحِ الْأَزْدِيُّ: لَا يَصِحُّ فِي هَذَا الْبَابِ شَيْءٌ.
পৃষ্ঠা - ৬২৭৩
حَدِيثٌ آخَرُ يَقْرُبُ مِمَّا قَبْلَهُ: قَالَ ابْنُ عَدِيٍّ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَمْدُونَ النَّيْسَابُورِيُّ، ثَنَا ابْنُ بِنْتِ أَبِي أُسَامَةَ - هُوَ جَعْفَرُ بْنُ هُذَيْلٍ - ثَنَا ضِرَارُ بْنُ صُرَدٍ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ عِيسَى الرَّمْلِيُّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَبَايَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «: " عَلِيٌّ عَيْبَةُ عِلْمِي» . حَدِيثٌ آخَرُ فِي مَعْنَى مَا تَقَدَّمَ: قَالَ ابْنُ عَدِيٍّ: ثَنَا أَبُو يَعْلَى، ثَنَا كَامِلُ بْنُ طَلْحَةَ، ثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، ثَنَا حُيَيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي مَرَضِهِ: " ادْعُوا لِي أَخِي ". فَدَعَوا لَهُ أَبَا بَكْرٍ، فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ قَالَ: " ادْعُوا لِي أَخِي ". فَدَعَوا لَهُ عُمَرَ، فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ قَالَ: " ادْعُوا لِي أَخِي ". فَدَعَوا لَهُ عُثْمَانَ، فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ قَالَ: " ادْعُوا لِي أَخِي ". فَدُعِيَ لَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَسَتَرَهُ بِثَوْبٍ وَأَكَبَّ عَلَيْهِ، فَلَمَّا خَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ قِيلَ لَهُ: مَا قَالُ لَكَ؟ قَالَ: عَلَّمَنِي أَلْفَ بَابٍ، يَفْتَحُ كُلُّ بَابٍ إِلَى أَلْفِ بَابٍ.» قَالَ ابْنُ عَدِيٍّ: هَذَا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ، وَلَعَلَّ الْبَلَاءَ فِيهِ مِنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، فَإِنَّهُ شَدِيدُ الْإِفْرَاطِ فِي التَّشَيُّعِ وَقَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ الْأَئِمَّةُ وَنَسَبُوهُ إِلَى الضَّعْفِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْمُقْرِئُ، أَنَا أَبُو نُعَيْمٍ
পৃষ্ঠা - ৬২৭৪
الْحَافِظُ، أَنَا أَبُو أَحْمَدَ الْغِطْرِيفِيُّ، ثَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ أَبِي مُقَاتِلٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ عَتَبَةَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ الْوَهْبِيُّ الْكُوفِيُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِمْرَانَ بْنِ سَلَمَةَ - وَكَانَ ثِقَةً عَدْلًا مَرْضِيًّا - ثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسُئِلَ عَنْ عَلِيٍّ، فَقَالَ: " قُسِمَتِ الْحِكْمَةُ عَشَرَةَ أَجْزَاءٍ، أُعْطِيَ عَلِيٌّ تِسْعَةً وَالنَّاسُ جُزْءًا وَاحِدًا» وَسَكَتَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ وَلَمْ يُنَبِّهْ عَلَى أَمْرِهِ، وَهُوَ مُنْكَرٌ بَلْ مَوْضُوعٌ، مُرَكَّبٌ عَلَى سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ بِإِسْنَادِهِ، قَبَّحَ اللَّهُ وَاضِعَهُ وَمَنِ افْتَرَاهُ وَاخْتَلَقَهُ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ وَأَنَا حَدِيثُ السِّنِّ، لَيْسَ لِي عِلْمٌ بِالْقَضَاءِ. قَالَ: فَضَرَبَ فِي صَدْرِي وَقَالَ: " إِنَّ اللَّهَ سَيَهْدِي قَلْبَكَ وَيُثَبِّتُ لِسَانَكَ ". قَالَ: فَمَا شَكَكْتُ فِي قَضَاءٍ بَيْنَ اثْنَيْنِ بَعْدُ.» وَقَدْ ثَبَتَ عَنْ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: عَلِيٌّ أَقْضَانَا، وَأُبَيٌّ أَقْرَؤُنَا لِلْقُرْآنِ. وَكَانَ عُمَرُ يَقُولُ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ مُعْضِلَةٍ وَلَا أَبُو حَسَنٍ لَهَا. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ أُمِّ مُوسَى، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: «وَالَّذِي أَحْلِفُ بِهِ إِنْ كَانَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ لَأَقْرَبُ النَّاسِ عَهْدًا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; عُدْنَا رَسُولَ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৬২৭৫
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَدَاةً بَعْدَ غَدَاةٍ يَقُولُ: " جَاءَ عَلِيٌّ؟ " مِرَارًا، وَأَظُنُّهُ كَانَ بَعَثَهُ فِي حَاجَةٍ. قَالَتْ: فَجَاءَ بَعْدُ، فَظَنَنْتُ أَنَّ لَهُ إِلَيْهِ حَاجَةً، فَخَرَجْنَا مِنَ الْبَيْتِ فَقَعَدْنَا عِنْدَ الْبَابِ، فَكُنْتُ مِنْ أَدْنَاهُمْ إِلَى الْبَابِ، فَأَكَبَّ عَلَيْهِ عَلِيٌّ، فَجَعَلَ يُسَارُّهُ وَيُنَاجِيهِ، ثُمَّ قُبِضَ مِنْ يَوْمِهِ ذَلِكَ، فَكَانَ أَقْرَبَ النَّاسِ بِهِ عَهْدًا» . وَهَكَذَا رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ وَأَبُو يَعْلَى، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ بِهِ. حَدِيثٌ آخَرُ فِي مَعْنَاهُ: قَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ صَالِحٍ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ صَدَقَةَ بْنِ سَعِيدٍ، «عَنْ جُمَيْعِ بْنِ عُمَيْرٍ أَنَّ أُمَّهُ وَخَالَتَهُ دَخَلَتَا عَلَى عَائِشَةَ فَقَالَتَا: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، أَخْبِرِينَا عَنْ عَلِيٍّ. قَالَتْ: أَيُّ شَيْءٍ تَسْأَلْنَ؟ عَنْ رَجُلٍ وَضَعَ يَدَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَوْضِعًا، فَسَالَتْ نَفْسُهُ فِي يَدِهِ فَمَسَحَ بِهَا وَجْهَهُ، وَاخْتَلَفُوا فِي دَفْنِهِ فَقَالَ: إِنَّ أَحَبَّ الْأَمَاكِنِ إِلَى اللَّهِ مَكَانٌ قُبِضَ فِيهِ نَبِيُّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَتَا: فَلِمَ خَرَجْتِ عَلَيْهِ؟ قَالَتْ: أَمْرٌ قُضِيَ، لَوَدِدْتُ أَنِّي أَفْدِيهِ بِمَا عَلَى الْأَرْضِ» وَهَذَا مُنْكَرٌ جِدًّا، وَفِي " الصَّحِيحِ " مَا يَرُدُّ هَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ أَبِي جَعْفَرٍ - يَعْنِي الْفَرَّاءَ - عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَنْ نُؤَمِّرُ بَعْدَكَ؟ قَالَ: " إِنْ تُؤَمِّرُوا أَبَا بَكْرٍ تَجِدُوهُ أَمِينًا زَاهِدًا فِي الدُّنْيَا رَاغِبًا فِي الْآخِرَةِ، وَإِنْ تُؤَمِّرُوا عُمَرَ تَجِدُوهُ قَوِيًّا أَمِينًا لَا يَخَافُ فِي اللَّهِ لَوْمَةَ لَائِمٍ، وَإِنْ تُؤَمِّرُوا عَلِيًّا، وَلَا أُرَاكُمْ فَاعِلِينَ، تَجِدُوهُ
পৃষ্ঠা - ৬২৭৬
هَادِيًا مَهْدِيًّا يَأْخُذُ بِكُمُ الطَّرِيقَ الْمُسْتَقِيمَ ".» وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَنْ يَحْيَى بْنِ الْعَلَاءِ، عَنِ الثَّوْرِيِّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. وَرَوَاهُ أَبُو الصَّلْتِ الْهَرَوِيُّ عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ نُمَيْرٍ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ بِهِ. وَقَالَ الْحَاكِمُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ النَّيْسَابُورِيُّ: أَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ الْآدَمِيُّ بِمَكَّةَ، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الصَّنْعَانِيُّ، أَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ بْنُ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مِينَاءَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ وَفَدَ الْجِنُّ. قَالَ: فَتَنَفَّسَ فَقُلْتُ: مَا شَأْنُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " نُعِيَتْ إِلَيَّ نَفْسِي ". قُلْتُ: فَاسْتَخْلِفْ. قَالَ: " مَنْ؟ " قُلْتُ: أَبَا بَكْرٍ. قَالَ: فَسَكَتَ، ثُمَّ مَضَى سَاعَةً، ثُمَّ تَنَفَّسَ فَقُلْتُ: مَا شَأْنُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " نُعِيَتْ إِلَيَّ نَفْسِي ". يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ". قُلْتُ: فَاسْتَخْلِفْ. قَالَ: " مَنْ؟ " قُلْتُ: عُمَرَ. قَالَ: فَسَكَتَ، ثُمَّ مَضَى سَاعَةً، ثُمَّ تَنَفَّسَ فَقُلْتُ: مَا شَأْنُكَ؟ قَالَ: " نُعِيَتْ إِلَيَّ نَفْسِي ". يَا ابْنَ مَسْعُودٍ ". قُلْتُ: فَاسْتَخْلِفْ. قَالَ: " مَنْ؟ " قُلْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: " أَمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَئِنْ أَطَاعُوهُ لَيَدْخُلُنَّ الْجَنَّةَ أَجْمَعِينَ أَكْتَعِينَ ".» قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: هَمَّامٌ وَمِينَاءُ مَجْهُولَانِ.
পৃষ্ঠা - ৬২৭৭
حَدِيثٌ آخَرُ: قَالَ أَبُو يَعْلَى ثَنَا أَبُو مُوسَى - يَعْنِي مُحَمَّدَ بْنَ الْمُثَنَّى - ثَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ أَبُو عَتَّابٍ الدَّلَّالُ، ثَنَا مُخْتَارُ بْنُ نَافِعٍ التَّيْمِيُّ، ثَنَا أَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " رَحِمَ اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ، زَوَّجَنِي ابْنَتَهُ، وَحَمَلَنِي إِلَى دَارِ الْهِجْرَةِ، وَأَعْتَقَ بِلَالًا مِنْ مَالِهِ، رَحِمَ اللَّهُ عُمَرَ، يَقُولُ الْحَقَّ وَإِنْ كَانَ مُرًّا، تَرَكَهُ الْحَقُّ وَمَا لَهُ مِنْ صَدِيقٍ، رَحِمَ اللَّهُ عُثْمَانَ، تَسْتَحِيهِ الْمَلَائِكَةُ، رَحِمَ اللَّهُ عَلِيًّا، اللَّهُمَّ أَدِرِ الْحَقَّ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ» . وَقَدْ وَرَدَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَأُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ الْحَقَّ مَعَ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَفِي كُلٍّ مِنْهُمَا نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. حَدِيثٌ آخَرُ، قَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا عُثْمَانُ، ثَنَا جَرِيرٌ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِنَّ مِنْكُمْ مَنْ يُقَاتِلُ عَلَى تَأْوِيلِ الْقُرْآنِ كَمَا قَاتَلْتُ عَلَى تَنْزِيلِهِ ". فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: أَنَا هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " لَا ". فَقَالَ عُمَرُ: أَنَا هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " لَا، وَلَكِنَّهُ خَاصِفُ النَّعْلِ ". وَكَانَ قَدْ أَعْطَى عَلِيًّا نَعْلَهُ يَخْصِفُهُ.» وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ وَكِيعٍ وَحُسَيْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ فِطْرِ بْنِ خَلِيفَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ بِهِ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ أَيْضًا، مِنْ