سنة أربعين من الهجرة النبوية
ذكر زوجاته وبنيه وبناته رضي الله عنهم أجمعين
পৃষ্ঠা - ৬২০০
অর্থাৎ স্মরণ কর, যখন ইম রানের শ্রী বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক৷ আমার গর্ভে যা
আছে তা একান্ত তোমার জন্যে আমি উৎসর্গ করলাম (আলে-ইমরান : ৩৫) ৷
এখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, এ আয়াতে মারইয়াম বিনত ইমরান (আ) এর জন্মের কথা
বলা হয়েছে ৷ আবু তালিব স্বভাব সুলভ৩ ভাবেই রাসুলুল্লাহ্হৃ,ভু;;ৰুকে অত্যধিক স্নেহ করতেন ৷
কিন্তু তিনি রাসুলুল্লাহ্অ্যাংগু এর উপর ঈমান আনেননি ৷ শেষ পর্যন্ত তার পুর্ব-পুরুষের ধর্মের
উপর বিশ্বাস রেখেই তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন ৷ সহীহ বুখারীতে এর প্রমাণ রয়েছে ৷ যেমন
সাঈদ ইবন মুস৷ ৷ইয়িব তার পিতার থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু তালিংবৰু মৃত্যু সময় ঘনিয়ে
এলে রাসুলুল্লাহ্শ্নোতার কাছে বসে তাওহীদের কালিমা পেশ করেন ৷ আবু৩ তালিবও লা-ইলাহা
ইল্লাল্লাহ পড়ার দিকে ঝুকে গিয়ােছন ৷ ঠিক যে সময়ে আবু জাহল ও আবদুল্লাহ ইবন আবু
উমাইয়্যাহ বলে উঠলাে হে আবু৩ তালিব তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের ধর্ম ত্যাগ করছো? শেষ
পর্যন্ত তিনি লা ইলাহ৷ ইল্লাল্লাহ বলতে অস্বীকার করেন এবং আবদুল মুত্তালিবের ধর্মের উপর
মুত্যু বরণ করার ঘোষণা দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্দ্যো আঃশৃ তখন ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন এবং বলেন :
মামি আপনার জন্যে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবাে যতক্ষণ না আমাকে নিষেধ
করা হয় ৷
এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ নাযিল করেন :
অর্থাৎ তুমি যাকে ভাল বাস, ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপখে আনতে পারবে না ৷ তবে
আল্পাহ্ই যাকে ইচ্ছা, সৎপথে আনয়ন করেন এবং তিনিই ভাল জানেন সৎপথ অনুসারীদেরকে
(কাসাসং ৫৬) ৷
এরপর পবিত্র মদীনায় নিম্নোল্লিখিত আয়াত নাযিল করেনং :
শ্শ্শ্শ্শ্
ধু
াট্রু১াষ্টু
অর্থাৎ আত্মীয়-স্বজন হলেও মুশরিকদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী এবং মু’মিনগণের
জন্যে সঙ্গত নয় ৷ যখন এটা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, নিশ্চিতই ওর্াজাহান্নামী ৷ ইবরাহীম তার
পিতার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল, তাকে এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে; তারপর যখন এটা
তার নিকট সুস্পষ্ট হলো যে, সে আল্লাহ্র শত্রু তখন ইবরাহীম তার সম্পর্ক ছিন্ন করল ৷
ইবরাহীম তো কোমল হৃদয় ও সহনশীল (সুরা তাওব৷ : ১ ১৩ ১ ১ ৪) ৷
রাসুলুল্লাহ্স্শং”ণ্রুএর আবির্ভাবের আলোচনার প্রথম দিকে আমরা এ বিষয়ে বিশদভাবে
আলোচনা করেছি ৷ সেখানে রাফিযীদের দলীল প্রমাণ বিহীন দাবি এবৎ কুরআনের স্পষ্ট
বক্তব্যের পরিপন্থী মনগড়৷ বিশ্বাস যে, আবু৩ তালিব ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তার অসারতা
প্রমাণ করেছি ৷
عُمَرَ قَالَ: ضُرِبَ عَلِيٌّ يَوْمَ الْجُمْعَةِ، فَمَكَثَ يَوْمَ الْجُمْعَةِ وَلَيْلَةَ السَّبْتِ، وَتُوُفِّيَ لَيْلَةَ الْأَحَدِ، لِإِحْدَى عَشْرَةَ لَيْلَةً بَقِيَتْ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ أَرْبَعِينَ، عَنْ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ سَنَةً. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَهُوَ الثَّبْتُ عِنْدَنَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ.
[ذِكْرُ زَوْجَاتِهِ وَبَنِيهِ وَبَنَاتِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ]
فَصْلٌ فِي ذِكْرِ زَوْجَاتِهِ وَبَنِيهِ وَبَنَاتِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هَانِئِ بْنِ هَانِئٍ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: «لَمَّا وُلِدَ الْحَسَنُ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " أَرُونِي ابْنِي، مَا سَمَّيْتُمُوهُ؟ " فَقُلْتُ: سَمَّيْتُهُ حَرْبًا. فَقَالَ: " بَلْ هُوَ حَسَنٌ ". فَلَمَّا وُلِدَ الْحُسَيْنُ قَالَ: " أَرُونِي ابْنِي، مَا سَمَّيْتُمُوهُ؟ " فَقُلْتُ: سَمَّيْتُهُ حَرْبًا. قَالَ: " بَلْ هُوَ حُسَيْنٌ ". فَلَمَّا وُلِدَ الثَّالِثُ جَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَرُونِي ابْنِي، مَا سَمَّيْتُمُوهُ؟ " فَقُلْتُ: حَرْبًا. فَقَالَ: " بَلْ هُوَ مُحَسِّنٌ ". ثُمَّ قَالَ: " إِنِّي سَمَّيْتُهُمْ بِاسْمِ وَلَدِ هَارُونَ ; شَبَّرُ وَشَبِيرٌ وَمُشَبِّرٌ» ". وَقَدْ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عِيسَى التَّيْمِيِّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ: كُنْتُ رَجُلًا أُحِبُّ الْحَرْبَ، فَلَمَّا وُلِدَ الْحَسَنُ هَمَمْتُ أَنْ أُسَمِّيَهُ حَرْبًا. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ، لَكِنْ لَمْ يَذْكُرِ الثَّالِثَ. وَقَدْ وَرَدَ فِي بَعْضِ الْأَحَادِيثِ أَنَّ عَلِيًّا سَمَّى الْحَسَنَ أَوَّلًا بِحَمْزَةَ وَحُسَيْنًا بِجَعْفَرٍ، فَغَيَّرَ اسْمَيْهِمَا
পৃষ্ঠা - ৬২০১
আলী (রা) ইসলামের সুচনালগ্রে মুসলমান হন ৷ প্রসিদ্ধ মতে তিনি তখনও প্রাপ্ত বয়স্ক
হননি ৷ বলা হয়ে থাকে যে, বালকদের মধ্যে তিনিই সর্ব প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ যেমন
মহিলাদের মধ্যে খাদীজা, স্বাধীন পুরুষদের মধ্যে আবু বকর সিদ্দীক এবং গোলামদের মধ্যে
যাইদ ইবন হারিসা সর্ব প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছেন ৷
তিরমিযী ও আবু ইয়া’লা ইসমাঈল ইবন সুদ্দীর সুত্রে আনাস ইবন মালিক থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ট্রুশ্ম:ত্ন,; প্লোসোমবারে নবুওয়াত প্রকাশের আদেশ লাভ করেন
বৎআলী মঙ্গলবারে সালাত আদায় করেন ৷ আরও কেউ কেউ এ হাদীস হাব্বাহ ইবন
জ্বরওয়ইিন সুত্রে আলী থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ সালমা ইবন কুহইিল-হাব্বাহর সুত্রে আলী থেকে
বর্ণনা করেন ৷ আলী বলেন৪ আমি বাসুলুল্পড়াহন্ছেট্রুষ্ণ্ধ্ৰু০ এর সাথে সাত বছর যাবত আল্লাহর
ইবাদত করেছি যখন আর কেউ তার ইবাদত করতে ৷ না ৷ হাদীস মিথ্যা এ কখনও সহীহ্
হতে পারে না ৷ সুফিয়ান ছাওরী ও ও বা সালমা থেকে হাব্বার সুত্রে আলীঙ্গু হতে ৩বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন : আমিই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছি ৷ এ হাদীসও সহীহ্ নয় ৷ এর সনদে
হাব্বাহ দুর্বল রাবী ৷ সুওয়াইদ ইবন সা’দ মুআযাত৷ ল আদাবিয়্যা থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন ংআমি বসরার মিন্বরে আলী ইবন আবু৩ তালিবকে বলতে ওনেছি যে, আমি হলাম
সিদ্দীকে আকবার ৷ আবু বকরের পুর্বে আমি ঈমান এসেছি এবং তার ইসলাম গ্রহণের পুর্বে
আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি ৷ ইমাম বুখারী বলেছেন এ হাদীস সহীহ্ নয় ৷ এর বিপরীতে
ঘুতাওয়াতির সুত্রে প্রমাণ আছে যে আলী কুফার মিম্বরে বসে বলেছেন৪ হে লোক সকল নবীর
পরে এ উম্মতে ন্র মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি হলেন আবুবকর, তারপরে উমর ৷৩ তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে
যদি আমার নাম বলতে ইচ্ছা করতাম তা হলে বলতে পারতাম ৷ শাইখা ইনের ফযীলাত অধ্যায়ে
এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে ৷
ন্ষ্ৰ্ষ্
ইসলাম কবুল করেছেন৩ তিনি আলী ইবন আবু তালিব ৷ তিরমিযী এ লহাদীস ও’বাহ্ থেকে আববু
বালাজের সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ যাইদ ইবন আরকাম ও আবুআইয়ুব আনসারী থেকে বর্ণিত
যে, আলী অন্যদের থেকে সাত বছর পুর্ব হতে সালাত শুরু করেন ৷ এ বর্ণনা সঠিক নয় তা
যার থেবেইি বর্ণিত হোক না কেন ৷ অনেকগুলো হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, এ উম্মতের মধ্যে
আলীই সর্ব প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ কিন্তু এ জাতীয় কোন হাদীসই সহীহ্ না ৷ এ সব
হাদীসের মধ্যে যেগুলো উত্তম তা আমরা উল্লেখ করেছি ৷ এর মধ্যে বিপরীত বর্ণনাও এসেছে ৷
হাফিজ্ব ল কাবীর আবুল কাসিম ইবন আসাকির তার ইতিহাস গ্রন্থে এসব হাদীস সনদসহ
বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ৷ আগ্রহী পাঠক, তার ইতিহাস পাঠ করে জানতে পারেন ৷
তিরমিযী ও নাসাঈ আমর ইবন মুররাহ্ হতে তালহা ইবন যাইদের সুত্রে যাইদ ইবন আরকাম
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, সর্ব প্রথম যিনি ইসলাম কবুল করেন তিনি আলী (রা) ৷
তিরমিযী এ হাদীসকে হাসান সহীহ্ বলেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্স্লেযতদিন পবিত্র মক্কায় ছিলেন
ততদিন আলী (বা) তার সংগে ছিলেন ৷ তখন আলী রাসুলুল্লাহ্শ্যেগু এর কাছে শুার বাড়িতে
থাকতেন ৷ আলীর পিতার জীবদ্দশায় দৃর্ভিক্ষ ও পরিবারের সদস্য বেশি হওয়ার কারণে দারিদ্র
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
فَأَوَّلُ زَوْجَةٍ تَزَوَّجَهَا عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَنَى بِهَا بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ الْحَسَنَ وَحُسَيْنًا، وَيُقَالُ: وَمُحَسِّنًا. وَمَاتَ وَهُوَ صَغِيرٌ، وَوَلَدَتْ لَهُ زَيْنَبَ الْكُبْرَى، وَأُمَّ كُلْثُومٍ الْكُبْرَى، وَهِيَ الَّتِي تَزَوَّجَ بِهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ كَمَا تَقَدَّمَ، وَلَمْ يَتَزَوَّجْ عَلِيٌّ عَلَى فَاطِمَةَ حَتَّى تُوُفِّيَتْ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسِتَّةِ أَشْهُرٍ، فَلَمَّا مَاتَتْ تَزَوَّجَ بَعْدَهَا بِزَوْجَاتٍ كَثِيرَةٍ ; مِنْهُنَّ مَنْ تُوُفِّيَتْ فِي حَيَاتِهِ وَمِنْهُنَّ مَنْ طَلَّقَهَا وَتُوُفِّيَ عَنْ أَرْبَعٍ، كَمَا سَيَأْتِي.
فَمِنْ زَوْجَاتِهِ أُمُّ الْبَنِينَ بِنْتُ حِزَامٍ وَهُوَ أَبُو الْمُحِلِّ بْنُ خَالِدِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْوَحِيدِ بْنِ كَعْبِ بْنِ عَامِرِ بْنِ كِلَابٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ الْعَبَّاسَ وَجَعْفَرًا وَعَبْدَ اللَّهِ وَعُثْمَانَ، وَقَدْ قُتِلَ هَؤُلَاءِ مَعَ أَخِيهِمُ الْحُسَيْنِ بِكَرْبَلَاءَ، وَلَا عَقِبَ لَهُمْ سِوَى الْعَبَّاسِ.
وَمِنْهُنَّ لَيْلَى بِنْتُ مَسْعُودِ بْنِ خَالِدِ بْنِ مَالِكٍ، مِنْ بَنِي تَمِيمٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ عُبَيْدَ اللَّهِ وَأَبَا بَكْرٍ. قَالَ هِشَامُ بْنُ الْكَلْبِيِّ وَقَدْ قُتِلَا بِكَرْبَلَاءَ أَيْضًا. وَزَعَمَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ قَتَلَهُ الْمُخْتَارُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ يَوْمَ الْمَذَارِ.
وَمِنْهُنَّ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ الْخَثْعَمِيَّةُ، فَوَلَدَتْ لَهُ يَحْيَى وَمُحَمَّدًا الْأَصْغَرَ.
পৃষ্ঠা - ৬২০২
قَالَهُ ابْنُ الْكَلْبِيِّ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَلَدَتْ لَهُ يَحْيَى وَعَوْنًا. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: فَأَمَّا مُحَمَّدٌ الْأَصْغَرُ فَمِنْ أُمِّ وَلَدٍ.
وَمِنْهُنَّ أُمُّ حَبِيبٍ بِنْتُ رَبِيعَةَ بْنِ بُجَيْرِ بْنِ الْعَبْدِ بْنِ عَلْقَمَةَ، وَهِيَ أُمُّ وَلَدٍ مِنَ السَّبْيِ الَّذِينَ سَبَاهُمْ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ مِنْ بَنِي تَغْلِبَ حِينَ أَغَارَ عَلَى عَيْنِ التَّمْرِ فَوَلَدَتْ لَهُ عُمَرَ - وَقَدْ عُمِّرَ خَمْسًا وَثَمَانِينَ سَنَةً - وَرُقَيَّةَ.
وَمِنْهُنَّ أُمُّ سَعِيدٍ بِنْتُ عُرْوَةَ بْنِ مَسْعُودِ بْنِ مُعَتِّبِ بْنِ مَالِكٍ الثَّقَفِيِّ، فَوَلَدَتْ لَهُ أُمَّ الْحَسَنِ وَرَمْلَةَ الْكُبْرَى.
وَمِنْهُنَّ ابْنَةُ امْرِئِ الْقَيْسِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ أَوْسِ بْنِ جَابِرِ بْنِ كَعْبِ بْنِ عُلَيْمِ بْنِ كَلْبٍ الْكَلْبِيَّةُ، فَوَلَدَتْ لَهُ جَارِيَةً، فَكَانَتْ تَخْرُجُ مَعَ عَلِيٍّ إِلَى الْمَسْجِدِ وَهِيَ صَغِيرَةٌ، فَيُقَالُ لَهَا: مَنْ أَخْوَالُكِ؟ فَتَقُولُ: وَهْ وَهْ تَعْنِي بَنِي كَلْبٍ.
وَمِنْهُنَّ أُمَامَةُ بِنْتُ أَبِي الْعَاصِ بْنِ الرَّبِيعِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ، وَأُمُّهَا زَيْنَبُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَهِيَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْمِلُهَا وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ ; إِذَا قَامَ حَمَلَهَا، وَإِذَا سَجَدَ وَضَعَهَا - فَوَلَدَتْ لَهُ مُحَمَّدًا الْأَوْسَطَ.
وَأَمَّا ابْنُهُ مُحَمَّدٌ الْأَكْبَرُ فَهُوَ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ، وَهِيَ خَوْلَةُ بِنْتُ جَعْفَرِ بْنِ قَيْسِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬২০৩
নেমে আসলে আলী রাসুলুল্লাহ্মোঃ-এর অভিভাবকত্বে থাকেন ৷ এরপর থেকে হিজরত পর্যন্ত
রাসুলুল্লাহ্ ম্পো দ্যো-ই তার যাবতীয় খরচ বহন করেন ৷
হিজরতের সময় রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর কাছে মানুষের পচ্ছিত আমানত তথা অর্থ-সম্পদ
মালিককে ফেরত দেওয়ার জন্যে তিনি আলী (রা)-ণ্ক তার স্থুলাভিষিক্ত করে যান ৷ ঐ সময়
তিনি তার কওমের নিকট আল-আমীন বলে খ্যাত ছিলেন ৷ সে জন্যে তারা তাদের মাল ও
মুল্যবান সম্পদ তার কাছে গচ্ছিত রাখভাে ৷ আমানতের মাল ফেরত দেওয়ার পর আলী (রা)
হিজরত করে রাসুলুল্লাহ্ এর কাছে চলে যান এবং রাসুলুলুাহ্-ণুক্ষ্ণ ট্রু-এর ইনতিকাল পর্যন্ত
তিনি৩ার সঙ্গে থাকেন ৷ রাসুলুল্লাহ্অ্যাংআলীর প্রতি আজীবন সন্তুষ্ট থ৷ ৷কেন ৷ তিনি সকল যুদ্ধে
রাসুলে পাকের সঙ্গে থাকেন ৷ যুদ্ধক্ষেত্রে রড়াসুলুল্লাহ্ৰুট্রু এর উপস্থিতিতে আলী (রা) অসীম
বীরত্বে র পরিচয় দেন ৷ সীরাত্তেৰ্ আলোচনায় আমরা বিস্তারিত ভাবে এসব বর্ণনা করেছি ৷
কাজেই এখানে তার পুনরুক্তির প্রয়োজন নেই ৷ বদর, উহুদ, আহযাব, খাইবড়ার ইত্যাদি যুদ্ধে
তার বীরত্বের প্রমাণ পাওয়া যাবে ৷ তাবুক যুদ্ধের সময় বাসুলুল্লাহঅ্যাং আলী (রা) কে পবিত্র
মদীনায় তার পরিবারের দেখাশুনার দ ৷য়িৎ দেন এবং বলেন, তুমি কি আমার স্থলাভিষিক্ত হয়ে
সভুষ্ট, যেমন ঘুসার স্থলাভিষিক্ত ছিলেন হারুন ৷৩ তবে পার্থক্য এই যে, আমার পরে আর কোন
নবী নেই ৷ ইতিপুর্বেআমরা উল্লেখ করেছি যে, রাসুলম্পুতনয়৷ ফাতিমা (রা) এর সাথে আলী
(রা) এর বিবাহ হয় এবং বদর যুদ্ধের পর তাকে ঘরে তুলে আনেন ৷ এখানে যে আলোচনার
পুনরাবৃত্তির প্রয়েজেন নেই ৷
বিদায় হজ্জ থেকে প্রত্যাবর্তনকালে পবিত্র মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী গাদীরে খােম নামক
স্থানে পৌছে রাসুলুল্লাহ্মোঃসাথীদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণ দেন ৷ সে দিন ছিল যিলহজ্জ্ব মাসের
বাব তারিখ ৷ ভাষণে তিনি ব্লেনং : আমি যার অভিভ৷ ৷বক, আলীও তার অভিভ৷ ৷বক ৷ কোন কোন
বর্ণনায় আছেশু ং হে আল্লাহ্! আলী (রা) কে যে বন্ধুরুপে গ্রহণ করে আপনিও তাকে বন্ধুরুপে
গ্রহণ করুন ৷ আর আলীর সাথে যে শত্রুত৷ করে আপনিও তার সাথে শত্রুত৷ করুন ৷ আলীকে
যে সাহায্য করবে আপনিও তাকে সাহায্য করুন ৷ আলীকে যে ত্যাগ করবে আপনিও তাকে
ত্যাগ করুন ৷ এ ইে বর্ণনার মধ্যে প্রথমটি মাহফুজ ৷ রাসুলুল্লাহ্খ্যাঃ এর এই ভাষণ প্রদানের ও
আলীর মর্যাদা তুলে ধরার পশ্চাতে সুক্ষ্ম কারণ ছিল ৷ সে কারণটি ইবন ইসহাক উল্লেখ
করেছেন ৷ তা হলো : আলী ও খালিদ ইবন ওয়ালীদকে রাসুলুল্লাহ্লোঃইয়ামনের আমীর করে
প্রেরণ করেন ৷ আলী ইয়ামান থেকে চলে আসেন এবং বিদায় হলোঃ সময় পবিত্র মক্কায়
রাসুলুল্লাহ্মোঃ :::;ণ্ এর সাথে মিলিত হন ৷ এ বিষয় নিয়ে অনেক কথা ওঠে ৷ তার সাথে আসা
কোন কোন লোক তাদের প্রতিনিধিকে প্ৰ৩ ত্যাহার করে আমার সমালোচনা করে ৷ কেননা তিনি
রাসুলুল্লাহ্সাঃ এর কাছে চলে আসতে খুবই তাড়াহুড়া করেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ঘ্নে ল্যাংবিদায়
হরুজ্জ্বর সকল কার্যাবলী যখন সম্পন্ন করেন, তখন আলী (রা) এর প্রতি যেসব ভিত্তিহীন
কথাবার্তা আরোপ করা হচ্ছে তা থেকে তার যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেয়ার প্রয়োজনীয়তা তিনি
অনুভব করেন ৷
রাফিষী সম্প্রদায় এ দিনটিকে ঈদের দিন হিসেবে পালন করে ৷ বার্মেকী ব ংশের শাসনকালে
তার৷ বাগদাদের চারশ’ বর্গমান্ ল এলাকা জুড়ে খুশিতে ঢোল তবলা বাজাতাে ৷ এ বিষয়ে
আল-বিদায়া ৭৫
مَسْلَمَةَ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ يَرْبُوعِ بْنِ ثَعْلَبَةَ بْنِ الدُّئِلِ بْنِ حَنِيفَةَ بْنِ لُجَيْمِ بْنِ صَعْبِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ، سَبَاهَا خَالِدٌ أَيَّامَ الصِّدِّيقِ أَيَّامَ الرِّدَّةِ، مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ، فَصَارَتْ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ مُحَمَّدًا هَذَا، وَمِنَ الشِّيعَةِ مَنْ يَدَّعِي فِيهِ الْإِمَامَةَ وَالْعِصْمَةَ، وَقَدْ كَانَ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ، وَلَكِنْ لَيْسَ بِمَعْصُومٍ وَلَا أَبُوهُ مَعْصُومٌ، بَلْ وَلَا مَنْ هُوَ أَفْضَلُ مِنْ أَبِيهِ مِنَ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ قَبْلَهُ لَيْسُوا بِوَاجِبِي الْعِصْمَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ كَانَ لِعَلِيٍّ أَوْلَادٌ كَثِيرَةٌ آخَرُونَ مِنْ أُمَّهَاتِ أَوْلَادٍ شَتَّى، فَإِنَّهُ مَاتَ عَنْ أَرْبَعِ نِسْوَةٍ وَتِسْعَ عَشْرَةَ سُرِّيَّةً، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَمِنْ أَوْلَادِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، مِمَّنْ لَا يُعْرَفُ أَسْمَاءُ أُمَّهَاتِهِمْ ; أُمُّ هَانِئٍ، وَمَيْمُونَةُ، وَزَيْنَبُ الصُّغْرَى، وَرَمْلَةُ الصُّغْرَى، وَأُمُّ كُلْثُومٍ الصُّغْرَى، وَفَاطِمَةُ، وَأُمَامَةُ، وَخَدِيجَةُ، وَأُمُّ الْكِرَامِ، وَأُمُّ جَعْفَرٍ، وَأُمُّ سَلَمَةَ، وَجُمَانَةُ، وَنَفِيسَةُ. قَالَ: ابْنُ جَرِيرٍ فَجَمِيعُ وَلَدِ عَلِيٍّ أَرْبَعَةَ عَشَرَ ذَكَرًا وَسَبْعَ عَشْرَةَ أُنْثَى. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَإِنَّمَا كَانَ النَّسْلُ مِنْ خَمْسَةٍ ; وَهُمُ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ وَمُحَمَّدُ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ وَالْعَبَّاسُ ابْنُ الْكِلَابِيَّةِ وَعُمَرُ ابْنُ التَّغْلِبِيَّةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ.
وَقَدْ قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي ابْنُ سِنَانٍ الْقَزَّازُ، ثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، ثَنَا سُكَيْنُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَنَا حَفْصُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي خَالِدُ بْنُ جَابِرٍ قَالَ: سَمِعْتُ الْحَسَنَ لَمَّا قُتِلَ عَلِيٌّ قَامَ خَطِيبًا فَقَالَ: لَقَدْ قَتَلْتُمُ اللَّيْلَةَ رَجُلًا فِي لَيْلَةٍ نَزَلَ فِيهَا
পৃষ্ঠা - ৬২০৪
الْقُرْآنُ، وَرُفِعَ فِيهَا عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، وَفِيهَا قُتِلَ يُوشَعُ بْنُ نُونٍ فَتَى مُوسَى عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَاللَّهِ مَا سَبَقَهُ أَحَدٌ كَانَ قَبْلَهُ، وَلَا يُدْرِكُهُ أَحَدٌ يَكُونُ بَعْدَهُ، وَاللَّهِ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيَبْعَثُهُ فِي السَّرِيَّةِ، جِبْرِيلُ عَنْ يَمِينِهِ وَمِيكَائِيلُ عَنْ يَسَارِهِ، وَاللَّهِ مَا تَرَكَ صَفْرَاءَ وَلَا بَيْضَاءَ إِلَّا ثَمَانَمِائَةٍ أَوْ سَبْعَمِائَةٍ أَرْصَدَهَا لِخَادِمٍ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا، وَفِيهِ نَكَارَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ سُكَيْنٍ بِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ هُبَيْرَةَ قَالَ: خَطَبَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ قَالَ: لَقَدْ فَارَقَكُمْ رَجُلٌ بِالْأَمْسِ لَمْ يَسْبِقْهُ الْأَوَّلُونَ بِعِلْمٍ وَلَا يُدْرِكْهُ الْآخِرُونَ، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبْعَثُهُ بِالرَّايَةِ، جِبْرِيلُ عَنْ يَمِينِهِ وَمِيكَائِيلُ عَنْ شِمَالِهِ، لَا يَنْصَرِفُ حَتَّى يَفْتَحَ لَهُ. وَرَوَاهُ زَيْدٌ الْعَمِّيُّ وَشُعَيْبُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ بِهِ، وَقَالَ: مَا تَرَكَ إِلَّا سَبْعَمِائَةٍ كَانَ أَرْصَدَهَا يَشْتَرِي بِهَا خَادِمًا.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، أَنَّ عَلِيًّا قَالَ: لِقَدْ رَأَيْتُنِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنِّي لَأَرْبِطُ الْحَجَرَ عَلَى بَطْنِي مِنَ الْجُوعِ، وَإِنَّ صَدَقَتِي الْيَوْمَ لَتَبْلُغُ أَرْبَعِينَ