سنة أربعين من الهجرة النبوية
صفة مقتله رضي الله عنه
صفة مقتله رضي الله عنه
صفة مقتله رضي الله عنه
صفة مقتله رضي الله عنه
পৃষ্ঠা - ৬১৮৮
কারণ হলো : তোমরা তোমাদের ইমামের বিরুদ্ধাচরণ কর, আর তারা তাদের ইমামের
আনুগত্য করে; তোমরা থেয়ানত কর, আর তারা আমানত রক্ষা করে, তোমরা ভাঙ্গার কাজে
লিপ্ত আর তারা গড়ার কাজে ব্যাপৃত ৷ আমি অমুককে পাঠিয়েছিলাম ৷ সে থেয়ানত করেছে ও
ৰিশ্বাসঘাতকতা করেছে ৷ অমুককেংপাঠালাম, সেও থেয়ানত করলো ও বিশ্বাসঘাতকতা করলো
এবং মাল্গুল্যে মুআৰিয়ার নিকট পাঠিয়ে দিলো ৷ আমি যদি তোমাদের করেও নিকট একটা
তীরও আমানত রাখি, তবে সে তার সংশ্লিষ্ট রশি পর্যন্ত নিয়ে যাবে ৷ হে আল্লাহ্ ! আপনি
ওদরেকে নিকৃষ্ট বানিয়েছেন , তইি ওরা আমার সাথে দৃর্ব্যবহার করে ৷ আপনি ওদেরকে অপছন্দ
করেন, তাই ওরা আমাকে অপছন্দ করে ৷ হে আল্লাহ ! ওদেরকে আমার থেকে নিষ্কৃতি দিন এবং
আমকেও ওদের থেকে যুক্ত করুন ৷ রাবী যুহাইর বলেন, এরপর পরবর্তী জুমুআর আগেই আলী
(রা) আততায়ীর হাতে হত হন ৷
আলী (রা) এর হত্যার ঘটনা
ইবন জ বীর অধিক ংশ ঐতিহাসিক, সীরাত ৩গ্রন্থকার ও অন্য মনীষীপণ বলেদে ন, তিনজন
খারিজী এ হত্যাকাণ্ডে অঙ্গীকাবা বাবদ্ধ হয় ৷ তারা হলো ১ আবদুর রহমান ইবন আমর ওরফে
ইবৃ ন মুলজিম আল-হিময়ারী আল-কিন্দী আল-মিসরী কিন্দার বনু হানিফার মিত্র ৷ গো ধুম বর্ণ
উজ্জ্বল চেহারা, দুই কানের লতি পর্যন্ত লম্বা চুল এবং ললাটে তার সিজদার চিহ্ন ৷ ২ বারক
ইবন আবদৃল্লাহত তামীমী এবং ৩ আমর ইবন বকর৩ তামীমী ৷ এরা তিনজন একত্রিত হয়ে
নাহ্রাওয়ানে আলীর হাতে তাদের ভাইদের নিহত ৩হওয়ার ঘটনা আলোচনা করে অনুশোচনা
ব্যক্ত করে বলে এরাই যখন মারা পেল, তখন আমাদের বেচে থাকার সার্থকতা কি? তারা তো
আল্লাহর সভুষ্টির পথে কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করতো না ৷ আমরা যদি জীবনের ঝুকি নিয়ে
এসব পথ ভ্রষ্ট নেতাদের (া>ৎ;পু ৷< <া) হত্যা করি, তাহলে সারা দেশের মানুষ এদের জুলুম্
থেকে নাজাত পাবে ৷ তেমনি আমাদের নিহত ভইিদের প্রতিশোধও গ্রহণ করা হবে ৷ তখন ইবন
মুলজিম বললো, আমি আলী ইবন আবু৩ তড়ালিবের দায়িতু নিলাম ৷ বারক বললো, আমি
মুআবিয়ার দায়িভু নিলাম ৷ আমর ইবন বকর বললো, আমি আমর ইবন আসের দায়িতু
নিলাম ৷ এরপর তিনজন শপখের মাধ্যমে অঙ্গীকার করলো যে, প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বের
লোককে হত্যা করা থেকে ক্ষান্ত হবে না ৷ হয় তার শত্রুকে হত্যা করবে না হয় নিজে নিহত
হবে ৷ এরপর তারা নিজ নিজ তলোয়ারে বিষ সং যোগ করলো এবং হত্যাকাণ্ড ঘটাবার জন্যে
রমযানের সতের৩ তারিখ দিন ধার্য করলো ৷ যে মাঝে হ৩ ত্যা করার দায়িতু নিল সে যে শহরে
থাকে যে দিকে তারা রওনা হয়ে গেল ৷
ইবন মুলজিম কুফা গিয়ে পৌছলো ৷ সে তার উদ্দেশ্য গোপন রেখে অবস্থান করতে থাকে ৷
কুফায় তার নিজ সম্প্রদায়ের যেসব খারিজী বসবাস করতো তাদের কাছেও সে তার উদ্দেশ্য
গোপন রাখে ৷ একদিন বনু রাবাবের কতিপয় লোকের এক বৈঠকে ইবন ঘুলজিম বসে আছে ৷
বৈঠকে তারা নাহ্রাওয়ানের যুদ্ধে নিজেদের নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আলোচনা করছিলেন ৷ এক
পর্যায়ে ঐ গোত্রের এক মহিলা তথায় উপস্থিত হয় ৷ মহিলার নাম কি৩ ৷ম বিনত শ্া৷জানাহ্ ৷
নাহ্রাওয়ানে তার পিতা ও ভাই আলীর হাতে নিহত হয় ৷ মহিলাঢি ছিল সে যুগের এক
অপ্রতিদ্বন্দী অনিন্দা সুন্দরী ৷ সারাক্ষণ মসজিদে ইবাদত বন্দেগীতে নিমগ্ন থাকওে ৷ ৷ মহিলার
فِي أَرْضِكُمْ وَإِصْلَاحِهِمْ فِي أَرْضِهِمْ، قَدْ بَعَثْتُ فُلَانًا فَخَانَ وَغَدَرَ، وَبَعَثْتُ فُلَانًا فَخَانَ وَغَدَرَ وَبَعَثَ الْمَالَ إِلَى مُعَاوِيَةَ، لَوِ ائْتَمَنْتُ أَحَدَكُمْ عَلَى قَدَحٍ لَأَخَذَ عِلَاقَتَهُ، اللَّهُمَّ سَئِمْتُهُمْ وَسَئِمُونِي وَكَرِهْتُهُمْ وَكَرِهُونِي، اللَّهُمَّ فَأَرِحْهُمْ مِنِّي وَأَرِحْنِي مِنْهُمْ. قَالَ: فَمَا صَلَّى الْجُمُعَةَ الْأُخْرَى حَتَّى قُتِلَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ.
[صِفَةُ مَقْتَلِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ]
ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَاءِ التَّارِيخِ وَالسِّيَرِ وَأَيَّامِ النَّاسِ، أَنَّ ثَلَاثَةً مِنِ الْخَوَارِجِ ; وَهُمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الْمَعْرُوفُ بِابْنِ مُلْجَمٍ الْحِمْيَرِيُّ ثُمَّ الْكِنْدِيُّ حَلِيفُ بَنِي جَبَلَةَ مِنْ كِنْدَةَ، الْمِصْرِيُّ، وَكَانَ أَسْمَرَ حَسَنَ الْوَجْهِ أَبْلَجَ، شَعْرُهُ مَعَ شَحْمَةِ أُذُنَيْهِ، وَفِي جَبْهَتِهِ أَثَرُ السُّجُودِ. وَالْبُرَكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ التَّمِيمِيُّ. وَعَمْرُو بْنُ بَكْرٍ التَّمِيمِيُّ أَيْضًا، اجْتَمَعُوا فَتَذَاكَرُوا قَتْلَ عَلِيٍّ إِخْوَانَهُمْ مِنْ أَهْلِ النَّهْرَوَانِ فَتَرَحَّمُوا عَلَيْهِمْ وَقَالُوا: مَاذَا نَصْنَعُ بِالْبَقَاءِ بَعْدَهُمْ؟! كَانُوا مِنْ خَيْرِ النَّاسِ وَأَكْثَرَهُمْ صَلَاةً، وَكَانُوا دُعَاةَ النَّاسِ إِلَى رَبِّهِمْ، لَا يَخَافُونَ فِي اللَّهِ لَوْمَةَ لَائِمٍ، فَلَوْ شَرَيْنَا أَنْفُسَنَا فَأَتَيْنَا أَئِمَّةَ الضَّلَالَةِ فَقَتَلْنَاهُمْ فَأَرَحْنَا مِنْهُمُ الْبِلَادَ وَأَخَذْنَا مِنْهُمْ ثَأْرَ إِخْوَانِنَا. فَقَالَ ابْنُ مُلْجَمٍ أَنَا أَكْفِيكُمْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৬১৮৯
طَالِبٍ. وَقَالَ الْبُرَكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَا أَكْفِيكُمْ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ. وَقَالَ عَمْرُو بْنُ بَكْرٍ: أَنَا أَكْفِيكُمْ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ فَتَعَاهَدُوا وَتَوَاثَقُوا أَنْ لَا يَنْكِصَ رَجُلٌ مِنْهُمْ عَنْ صَاحِبِهِ حَتَّى يَقْتُلَهُ أَوْ يَمُوتَ دُونَهُ، فَأَخَذُوا أَسْيَافَهُمْ فَسَمُّوهَا، وَاتَّعَدُوا لِسَبْعَ عَشْرَةَ مِنْ رَمَضَانَ أَنْ يُبَيِّتَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ صَاحِبَهُ فِي بَلَدِهِ الَّذِي هُوَ فِيهِ. فَأَمَّا ابْنُ مُلْجَمٍ فَسَارَ إِلَى الْكُوفَةِ فَدَخَلَهَا، وَكَتَمَ أَمْرَهُ حَتَّى عَنْ أَصْحَابِهِ مِنَ الْخَوَارِجِ الَّذِينَ هُمْ بِهَا، فَبَيْنَمَا هُوَ جَالِسٌ فِي قَوْمٍ مِنْ بَنِي تَيْمِ الرَّبَابِ وَهُمْ يَتَذَاكَرُونَ قَتْلَاهُمْ يَوْمَ النَّهْرَوَانِ إِذْ أَقْبَلَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهَا: قَطَامِ بِنْتُ الشِّجْنَةِ. قَدْ قَتَلَ عَلِيٌّ يَوْمَ النَّهْرَوَانِ أَبَاهَا وَأَخَاهَا، وَكَانَتْ فَائِقَةَ الْجَمَالِ مَشْهُورَةً بِهِ، وَكَانَتْ قَدِ انْقَطَعَتْ فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ تَتَعَبَّدُ فِيهِ، فَلَمَّا رَآهَا ابْنُ مُلْجَمٍ سَلَبَتْ عَقْلَهُ، وَنَسِيَ حَاجَتَهُ الَّتِي جَاءَ لَهَا، وَخَطَبَهَا إِلَى نَفْسِهَا، فَاشْتَرَطَتْ عَلَيْهِ ثَلَاثَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ وَخَادِمًا وَقَيْنَةً، وَأَنْ يَقْتُلَ لَهَا عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: فَهُوَ لَكِ، وَوَاللَّهِ مَا جَاءَ بِي إِلَى هَذِهِ الْبَلْدَةِ إِلَّا قَتْلُ عَلِيٍّ. فَتَزَوَّجَهَا وَدَخَلَ بِهَا، ثُمَّ شَرَعَتْ تُحَرِّضُهُ عَلَى ذَلِكَ، وَنَدَبَتْ لَهُ رَجُلًا مِنْ قَوْمِهَا مِنْ تَيْمِ الرَّبَابِ يُقَالُ لَهُ: وَرْدَانُ. لِيَكُونَ مَعَهُ رِدْءًا، وَاسْتَمَالَ ابْنُ مُلْجَمٍ رَجُلًا آخَرَ يُقَالُ لَهُ: شَبِيبُ بْنُ بَجَرَةَ الْأَشْجَعِيُّ الْحَرُورِيُّ. قَالَ لَهُ ابْنُ مُلْجَمٍ هَلْ لَكَ فِي شَرَفِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ؟ فَقَالَ: وَمَا ذَاكَ؟ قَالَ: قَتْلُ عَلِيٍّ. فَقَالَ: ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ! لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا إِدًّا، كَيْفَ تَقْدِرُ عَلَيْهِ؟ قَالَ: أَكْمُنُ لَهُ فِي الْمَسْجِدِ، فَإِذَا خَرَجَ لِصَلَاةِ الْغَدَاةِ شَدَدْنَا عَلَيْهِ فَقَتَلْنَاهُ، فَإِنْ نَجَوْنَا شَفَيْنَا أَنْفُسَنَا وَأَدْرَكْنَا ثَأْرَنَا، وَإِنْ قُتِلْنَا فَمَا
পৃষ্ঠা - ৬১৯০
উপর দৃষ্টি পড়তে তার সৌন্দর্য দর্শনে ইবন মুলজিম আত্মহার৷ হয়ে যায় ৷ এমনকি তার
আগমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কেই সে বিস্মৃত হয়ে পড়ে ৷
অবশেষে সে মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় ৷ মহিলা তিন হাজার দিরহাম, একজন খাদেম,
একজন দাসী ও আলী ইবন আবু৩ তালিবকে হত্যার শর্তে প্রস্তাবে সম্মত হয় ৷ ইবন মুলজিম
সকল শর্ত মেনে নেয় ৷ প্রথম তিনটি তখনই আদায় করে এবং যে ৷ষেরটি সম্পর্কে জানায় যে,
আমি এ শহরে কেবল আ ৷লীকে হত তা৷ করার উদ্দেশ্যেই এসেছি ৷ উভয়ের মধ্যে বিয়ে হয়ে যায়
এবং একত্রে বসবাস করে ৷ মহিলা আলীর হত্যা ত্বরান্বিত করতে ইবন মুলজিমকে উত্তেজিত
করতে থাকে ৷ সে তার নিজের রাবাব গোত্রের ওয়ারদান নামক এক ব্যক্তিকে আলীর হত্যা
কাজে সহযোগী হিসেবে ইবন মুলজিমের সাথী বানিয়ে দেয় ৷
আবদুর রহমান ইবন ঘুলজিম শাবীব ইবন নাজদাতাল আশজা ৷ঈ আল-হারুরী নামক আর
এক ব্যক্তিকে তার কাজে সহযোগী বানাবার চেষ্টা করে ৷ ইবন মুলজিম তার কাছে গিয়ে বলে :
ভুমি কি দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভ করতে চাও৷ সে বললাে, কিভাবে ? ইবন মুলজিম
বললাে, আলীকে হত্যা করতে হবে ৷ শাবীব বললাে, তোমার মা তোমাকে হ বিয়ে ফেলুক !
ভুমি তা এক বীভৎস কাজের পরিকল্পনা নিয়ে এসেছো ৷ আচ্ছা, কিভাবে তাকে হত্যা করবে,
বলো ? ইবন মুলজিম বললাে, আমি মসজিদে লুকিয়ে থাকবাে ৷ তিনি যখন ফজরের সালাতে
আসবেন তখন তাকে আঘাত হানবাে ও হত্যা করবো ৷ এরপর যদি বেচে যাই৩ ন্৷ হলে তো
অন্তরে তৃপ্তি বোধ করলাম ও প্রতিণোধ গ্রহণে সক্ষম হলাম ৷ আর যদি মারা পড়ি তাহ
আল্লাহর কাছে যে প্ৰতিদান পাবাে৩ তা দুনিয়ার থেকে বহওণে উত্তম৷ শাবীব বললাে, তোমার
সর্বনাশ হোক ! যদি আলী ব্যতীত ৩অন্য কেউ হতো তা হলে আমার কাছে সহজ লাগতে ৷ ৷ তু
ভো জান যে, আলী (বা) হচ্ছে প্রথম সময়ে ইসলাম প্রহণকারীদের অন্যতম ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্
হুষ্ণ্ষ্ণ্ন্,ট্রুট্রুট্রুণ্ট্রু এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ৷ তাকে হত্যা করতে আমি অন্তরের সাড়া পাচ্ছি না ৷
ইবন মুলজিম বললাে,; তামার কি জানা নেই যে, নাহ্রাওয়ানে আলী আমাদের লোকদের
হত্যা করেছেন ? শাবীব বললাে, হ্যা, তা করেছেন ৷ ইবন মুলজিম বললাে, তা হলে আমাদের
যেসব ভাইদের তিনি হত্যা করেছেন তার পরিবর্তে আমরা তাকে হত্যা করবো ৷ কিছুক্ষণ চুপ
থাকার পর শাবীব ইবন ঘুলজিমের প্রস্তাবে সম্মতি প্রদান করলো ৷ ইতিমধ্যে রমযান মাস এসে
গেল ৷ তখন ইবন মুলজিম তার সাথীদেরকে সতের রময৷ ন শুক্রবার রাতে হামলা চালাবার কথা
জানিয়ে দিল ৷৩ তাদেরকে সে আরও জানানো যে, আমার আরও দুই সঙ্গী আছে যারা এই একই
সময়ে মুআবিয়৷ ও আমর ইবন আসের উপর হামলা করবে ৷ নির্ধারিত সময়ে তারা তিনজন
অর্থাৎ ইবন মুলজিম ওয়ারদা ন ও শাবীব৩ তলোয়ার সজ্জিত হয়ে মসজিদের যেই দরজা দিয়ে
আলী বের হন সেই দরজার কাছে গিয়ে অবস্থান নেয় ৷ ৷কছুক্ষণেয় মধ্যে আলী (বা) তার কক্ষ
থেকে বেরিয়ে মসজিদে রওন৷ হন ৷ আসার পথে লোকদের ঘুম থেকে জাপাবার জন্যে
আসৃ-সালাত আসৃ-সালাত শব্দে আহ্বান করেন ৷ মসিজদে ঢুকার প্রাক্কালে প্রথমে শাবীব তার
তলোয়ার দিয়ে আঘাত করে ৷ কিন্তু সে আঘাত আলীর পারে না লেগে মসজিদের প্রাচীরে
তাকের উপর লাগে ৷ এরপর ইবন মুলজিম আলীর মাথার উপরিভাগে আঘাত করে ৷ তখন
আলীর মস্তক থেকে রক্ত প্রবাহিত হয়ে দাড়ি ভিজে যেতে থাকে ৷
عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا. فَقَالَ: وَيْحَكَ لَوْ غَيْرَ عَلِيٍّ لَكَانَ أَهْوَنَ عَلَيَّ، قَدْ عَرَفْتُ سَابِقَتَهُ فِي الْإِسْلَامِ وَقَرَابَتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَا أَجِدُنِي أَنْشَرِحُ صَدْرًا لِقَتْلِهِ. فَقَالَ: أَمَا تَعْلَمُ أَنَّهُ قَتَلَ أَهْلَ النَّهْرَوَانِ؟ فَقَالَ: بَلَى قَالَ: فَنَقْتُلُهُ بِمَنْ قَتَلَ مِنْ إِخْوَانِنَا. فَأَجَابَهُ إِلَى ذَلِكَ بَعْدَ لَأْيٍ. وَدَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ، فَوَاعَدَهُمُ ابْنُ مُلْجَمٍ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ لِسَبْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ، وَقَالَ: هَذِهِ اللَّيْلَةُ الَّتِي وَاعَدْتُ أَصْحَابِي يَقْتُلُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنَّا فِيهَا صَاحِبَهُ الَّذِي ذَهَبَ إِلَيْهِ. ثُمَّ جَاءُوا إِلَى قَطَامِ، وَهِيَ امْرَأَةُ ابْنِ مُلْجَمٍ، فَدَعَتْ لَهُمْ بِعِصَبِ الْحَرِيرِ فَعَصَبَتْهُمْ بِهَا، وَكَانَتْ فِي الْمَسْجِدِ، فَجَاءَ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةُ ; وَهُمُ ابْنُ مُلْجَمٍ وَوَرْدَانُ وَشَبِيبٌ، وَهُمْ مُشْتَمِلُونَ عَلَى سُيُوفِهِمْ، فَجَلَسُوا مُقَابِلَ السُّدَّةِ الَّتِي يَخْرُجُ مِنْهَا عَلِيٌّ، فَلَمَّا خَرَجَ جَعَلَ يُنْهِضُ النَّاسَ مِنَ النَّوْمِ إِلَى الصَّلَاةِ وَيَقُولُ: الصَّلَاةَ الصَّلَاةَ. فَثَارَ إِلَيْهِ شَبِيبٌ بِالسَّيْفِ فَضَرَبَهُ فَوَقَعَ فِي الطَّاقِ، فَضَرَبَهُ ابْنُ مُلْجَمٍ بِالسَّيْفِ عَلَى قَرْنِهِ، فَسَالَ دَمُهُ عَلَى لِحْيَتِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَلَمَّا ضَرَبَهُ ابْنُ مُلْجَمٍ قَالَ: لَا حُكْمَ إِلَّا لِلَّهِ، لَيْسَ لَكَ يَا عَلِيُّ وَلَا لِأَصْحَابِكَ. وَجَعَلَ يَتْلُو قَوْلُهُ تَعَالَى {وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْرِي نَفْسَهُ ابْتِغَاءَ مَرْضَاةِ اللَّهِ وَاللَّهُ رَءُوفٌ بِالْعِبَادِ} [البقرة: 207] وَنَادَى عَلِيٌّ: عَلَيْكُمْ بِهِ. وَهَرَبَ وَرْدَانُ، فَأَدْرَكَهُ رَجُلٌ مِنْ حَضْرَمَوْتَ فَقَتَلَهُ، وَذَهَبَ شَبِيبٌ فَنَجَا بِنَفْسِهِ وَفَاتَ النَّاسَ، وَمُسِكَ ابْنُ مُلْجَمٍ، وَقَدَّمَ عَلِيٌّ جَعْدَةَ بْنَ هُبَيْرَةَ بْنِ أَبِي وَهْبٍ فَصَلَّى بِالنَّاسِ صَلَاةَ الْفَجْرِ، وَحُمِلَ عَلِيٌّ إِلَى مَنْزِلِهِ، وَحُمِلَ إِلَيْهِ ابْنُ مُلْجَمٍ، فَأُوقِفَ بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُوَ مَكْتُوفٌ،
পৃষ্ঠা - ৬১৯১
قَبَّحَهُ اللَّهُ، فَقَالَ لَهُ: أَيْ عَدُوَّ اللَّهِ، أَلَمْ أُحْسِنْ إِلَيْكَ؟ قَالَ: بَلَى. قَالَ: فَمَا حَمَلَكَ عَلَى هَذَا؟ قَالَ: شَحَذْتُهُ أَرْبَعِينَ صَبَاحًا، وَسَأَلْتُ اللَّهَ أَنْ يَقْتُلَ بِهِ شَرَّ خَلْقِهِ. فَقَالَ لَهُ عَلِيُّ: لَا أُرَاكَ إِلَّا مَقْتُولًا بِهِ، وَلَا أُرَاكَ إِلَّا مِنْ شَرِّ خَلْقِهِ. ثُمَّ قَالَ: إِنْ مِتُّ فَاقْتُلُوهُ، وَإِنْ عِشْتُ فَأَنَا أَعْلَمُ كَيْفَ أَصْنَعُ بِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ ظَبْيَانَ، عَنْ أَبِي تِحْيَى قَالَ: لَمَّا ضَرَبَ ابْنُ مُلْجَمٍ عَلِيًّا قَالَ لَهُمُ: افْعَلُوا بِهِ كَمَا أَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَفْعَلَ بِرَجُلٍ أَرَادَ قَتْلَهُ فَقَالَ «اقْتُلُوهُ ثُمَّ حَرِّقُوهُ» .
وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ أُمَّ كُلْثُومٍ بِنْتَ عَلِيٍّ قَالَتْ لِابْنِ مُلْجَمٍ وَهُوَ وَاقِفٌ: وَيْحَكَ! لِمَ ضَرَبْتَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: إِنَّمَا ضَرَبْتُ أَبَاكِ. فَقَالَتْ: إِنَّهُ لَا بَأْسَ عَلَيْهِ. فَقَالَ: فَلِمَ تَبْكِينَ؟ وَاللَّهِ لَقَدْ ضَرَبْتُهُ ضَرْبَةً لَوْ أَصَابَتْ أَهْلَ الْمِصْرِ لَمَاتُوا أَجْمَعِينَ، وَاللَّهِ لَقَدْ سَمَمْتُ هَذَا السَّيْفَ شَهْرًا، وَلَقَدِ اشْتَرَيْتُهُ بِأَلْفٍ وَسَمَمْتُهُ بِأَلْفٍ.
فَقَالَ جُنْدَبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنْ مِتَّ نُبَايِعُ الْحَسَنَ؟ فَقَالَ: لَا آمُرُكُمْ وَلَا أَنْهَاكُمْ، أَنْتُمْ أَبْصَرُ. وَلَمَّا احْتُضِرَ عَلِيٌّ جَعْلَ يُكْثِرُ مِنْ قَوْلِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، لَا يَنْطِقُ بِغَيْرِهَا - وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ آخِرَ مَا تَكَلَّمَ بِهِ: {فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا - يَرَهُ وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ} [الزلزلة: 7]
[الزَّلْزَلَةِ: 7، 8]- وَقَدْ أَوْصَى وَلَدَيْهِ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ، وَغَفْرِ الذَّنْبَ،