ثم دخلت سنة سبع وثلاثين
ذكر خروج الخوارج من الكوفة ومبارزتهم عليا رضي الله عنه بالعداوة والمخالفة
পৃষ্ঠা - ৬০৭১
তাই তারা বসরা ও অন্যান্য ন্থানেত তাদের অনুসারীদের নিকট পত্রসহ লোক পাঠালাে যেন
তারা দ্রুত নাহ্রে গিয়ে সমবেত ৩হয় ৷ শত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ একক শক্তিতে পরিণত হওয়ার
জন্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ এরপর তারা পর্যায়ক্রমে একে একে বের হয়ে যায় ৷ কেউ যাতে
তাদের উদ্দেশ্য জানতে পেরে বাধা দিতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয় ৷ নিজেদের
পিতা-মাতা, মামা খ্যলাসহ সকল পর্যায়ের আত্মীয়দের পশ্চাতে ফেলে এই সুধারণ৷ নিয়ে তারা
পৃথক হয়ে যায় যে, এর দ্বারইি আসমান যমীনের প্রতিপালক তাদের উপর সন্তু ষ্ট হবেন ৷ রন্তুত
এটা ছিলতাদের চরম মুর্থতা এবং ইলম ও জ্ঞানের স্বল্পত তারই পবিচায়ক ৷ ওরা বুঝতে পারেনি
যে, এটা ছিল তাদের ধ্ব০ সাত্মক পদক্ষেপ, সকল কবীরা গুনাহের মধ্যে বড় কবীরা গুনাহ্ ৷
মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত ৷ অভিশ ৷প্ত শয়তানই তাদের নিকট এ জঘন্য কাজকে আকর্ষণীয় ভাল কাজ
হিসেবে দেখায় ৷ শয়তান যখন আসমান থেকে বিতাড়িত হয়, তখনই সে পিতা আদমের
বিরুদ্ধে এবং তার পরে তার সন্তানদের বিরুদ্ধে জীবনব্যাপী শত্রুতা করার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ মহান
আল্লাহর নিকট আমরা শয়ত ৷নের ধোকা থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রার্থনা জানাই ৷
রওয়ানা হয়ে আসা লোকদের একটি দল তাদের সন্তান ও ভ্রাতাগণকে ভয়-ভীতি ও
তিরস্কার করে ফিরিয়ে দেয় ৷ তবে তাদের এক অংশ স্থির থেকে যায় আর কিছু অংশ পালিয়ে
খারিজীদের সাথে মিলিত হয়ে চিরস্থায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হয়, অবিশষ্টর৷ ঐ স্থানে চলে যায় ৷
বসরা ও অন্যান্য জায়গায় যাদের কাছে পত্র দেওয়া হয়েছিল তারা এদের কাছে চলে আসে ৷
এভাবে তাদের সকল জনশক্তি নাহ রাওয়ানে এসে একত্রিত হয় ৷ এখানে তারা বিরাট শক্তি ও
প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে ৷ ৭২ বীর বাহাদুরত তাদের বাহিনীকে শক্তিশালী করে ৷ এদের
মােকা ৷বিল৷ করা ও প্রতিশোধ গ্রহণ করা অসম্ভব বলে মনে করা হয় ৷ এদের দ্বারা নৈকট্য লাভের
আশা করা হতো ৷ বস্তুত সাহায্য কামনার ন্থান আল্লাহ ছাড়া অন্য কোথাও নেই ৷
আবু মাখনাফ আবুরওকের সুত্রে শা’বী থেকে বর্ণনা করেন : খারিজীরা যখন নাহরাওয়ানে
বেরিয়ে গেল , আবু মুসা পালিয়ে পবিত্র মক্কায় চলে গেল এবং ইবন আব্বাসকে রসরায় পাঠিয়ে
দেওয়া হলো তখন আলী কুফায় জনগণের উদ্দেশ্যে এক ভাষণ দেন ৷ মহান আল্লাহর প্রশৎস
করার পর তিনি বলেন০ বত মান সময়ে জাতির উপর দুর্যোগের ঘনঘট৷ নেমে এসেছে, পতিত
হয়েছে ঘৃণিত ভয়াবহ অবস্থা ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই এবং
ঘুহাম্মদচ্:::;আল্লাহ্র রাসুল ৷ জোন রেখ, অপরাধ সর্বদা ঘৃণিত ৩ও নিন্দনীয় হয় এবং পরিণামে
অনুশোচনার জন্ম দেয় ৷ আমি তােমাদেরকে এ দু ব্যক্তি সম্পর্কে ও এ সালিস সম্পর্কে আমার
মতামত জা ৷নিয়েছি এবং আমার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছি ৷ কিন্তু আমরা যা চো;য়ছিলে তা ছাড় তা
অন্য কিছু মানতে রাজি হওনি ৷ ফলে আমার ও তোমাদের অবস্থা তইি হয়েছে যা হাওয়াযিন
নেতা (দৃরাইদ) বলেছে ৷ যথা :
ণ্০য় ’;া;৷ন্
ত্ব্লুর্থ০ আমি ওদেরকে ঝাণ্ডা স্থাপনের ব্যাপারে ক৩ ই না পরামর্শ দিলাম ৷ কিন্তু আগামী
দিনের প্রভাত ছাড়া সঠিক পন্থা বুঝবা র চেষ্টা ওরা করেনি ৷
এরপর হযরত আলী (রা) সালিসদ্বয়ের কৃত তকর্ম সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং তাদের
ফয়সালা প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে ভৎসনা করেন ৷ তিনি বলেন, এর মধ্যে যা কিছু আছেত
[ذِكْرُ خُرُوجِ الْخَوَارِجِ مِنَ الْكُوفَةِ وَمُبَارَزَتِهِمْ عَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ بِالْعَدَاوَةِ وَالْمُخَالَفَةِ]
ِ وَقِتَالِ عَلِيٍّ إِيَّاهُمْ وَمَا وَرَدَ فِي ذَلِكَ مِنَ الْأَحَادِيثِ
لَمَّا بَعَثَ عَلِيٌّ أَبَا مُوسَى وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجَيْشِ إِلَى دُومَةِ الْجَنْدَلِ، اشْتَدَّ أَمْرُ الْخَوَارِجِ وَبَالَغُوا فِي النَّكِيرِ عَلَى عَلِيٍّ وَصَرَّحُوا بِكُفْرِهِ، فَجَاءَ إِلَيْهِ رَجُلَانِ مِنْهُمْ، وَهَمَا زُرْعَةُ بْنُ الْبُرْجِ الطَّائِيُّ، وَحُرْقُوصُ بْنُ زُهَيْرٍ السَّعْدِيُّ، فَقَالَا: لَا حُكْمَ إِلَّا لِلَّهِ. فَقَالَ عَلِيٌّ: لَا حُكْمَ إِلَّا لِلَّهِ. فَقَالَ لَهُ حُرْقُوصُ: تُبْ إِلَى اللَّهِ مِنْ خَطِيئَتِكَ، وَارْجِعْ عَنْ قَضِيَّتِكَ، اذْهَبْ بِنَا إِلَى عَدُوِّنَا حَتَّى نُقَاتِلَهُمْ حَتَّى نَلْقَى رَبَّنَا. فَقَالَ عَلِيٌّ: قَدْ أَرَدْتُكُمْ عَلَى ذَلِكَ فَأَبَيْتُمْ، وَقَدْ كَتَبْنَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقَوْمِ كِتَابًا وَعُهُودًا، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَأَوْفُوا بِعَهْدِ اللَّهِ إِذَا عَاهَدْتُمْ} [النحل: 91] الْآيَةَ [النَّحْلِ: 91] . فَقَالَ لَهُ حُرْقُوصُ: ذَلِكَ ذَنْبٌ يَنْبَغِي أَنْ تَتُوبَ مِنْهُ. فَقَالَ عَلِيٌّ: مَا هُوَ بِذَنْبٍ وَلَكِنَّهُ عَجْزٌ مِنَ الرَّأْيِ، وَقَدْ تَقَدَّمْتُ إِلَيْكُمْ فِيمَا كَانَ مِنْهُ، وَنَهَيْتُكُمْ عَنْهُ. فَقَالَ لَهُ زُرْعَةُ بْنُ الْبُرْجِ: أَمَا وَاللَّهِ يَا عَلِيُّ لَئِنْ لَمْ تَدَعْ تَحْكِيمَ الرِّجَالِ فِي كِتَابِ اللَّهِ لَأُقَاتِلَنَّكَ أَطْلُبُ بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ وَرِضْوَانَهُ. فَقَالَ لَهُ: تَبًّا لَكَ مَا
পৃষ্ঠা - ৬০৭২
أَشْقَاكَ! كَأَنِّي بِكَ قَتِيلًا تَسْفِي عَلَيْكَ الرِّيحُ. فَقَالَ: وَدِدْتُ أَنْ قَدْ كَانَ ذَلِكَ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: إِنَّكَ لَوْ كُنْتَ مُحِقًّا كَانَ فِي الْمَوْتِ تَعْزِيَةٌ عَنِ الدُّنْيَا، وَلَكِنَّ الشَّيْطَانَ قَدِ اسْتَهْوَاكُمْ. فَخَرَجَا مِنْ عِنْدِهِ يُحَكِّمَانِ أَمْرَهُمَا، وَفَشَى فِيهِمْ ذَلِكَ، وَجَاهَرُوا بِهِ النَّاسَ، وَتَعَرَّضُوا لِعَلِيٍّ فِي خُطَبِهِ وَأَسْمَعُوهُ السَّبَّ وَالشَّتْمَ وَالتَّعْرِيضَ بِآيَاتٍ مِنَ الْقُرْآنِ، وَذَلِكَ أَنَّ عَلِيًّا قَامَ خَطِيبًا فِي بَعْضِ الْجُمَعِ فَذَكَرَ أَمْرَ الْخَوَارِجِ فَذَمَّهُ وَعَابَهُ. فَقَامَ إِلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ كُلٌّ يَقُولُ: لَا حُكْمَ إِلَّا لِلَّهِ. وَقَامَ رَجُلٌ مِنْهُمْ وَهُوَ وَاضِعٌ أُصْبُعَهُ فِي أُذُنَيْهِ يَقُولُ: {وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيْكَ وَإِلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكَ لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ} [الزمر: 65] . فَجَعَلَ عَلِيٌّ يُقَلِّبُ يَدَيْهِ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ: حُكْمَ اللَّهِ نَنْتَظِرُ فِيكُمْ. ثُمَّ قَالَ: إِنَّ لَكُمْ عَلَيْنَا أَنْ لَا نَمْنَعَكُمْ مَسَاجِدَنَا مَا لَمْ تَخْرُجُوا عَلَيْنَا، وَلَا نَمْنَعَكُمْ نَصِيبَكُمْ مِنْ هَذَا الْفَيْءِ مَا دَامَتْ أَيْدِيكُمْ مَعَ أَيْدِينَا، وَلَا نُقَاتِلَكُمْ حَتَّى تُقَاتِلُونَا.
وَقَالَ أَبُو مِخْنَفٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي حُرَّةَ أَنَّ عَلِيًّا لَمَّا بَعَثَ أَبَا مُوسَى لِإِنْفَاذِ الْحُكُومَةِ، اجْتَمَعَ الْخَوَارِجُ فِي مَنْزِلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ الرَّاسِبِيِّ فَخَطَبَهُمْ خُطْبَةً بَلِيغَةً زَهَّدَهُمْ فِي هَذِهِ الدُّنْيَا وَرَغَّبَهُمْ فِي الْآخِرَةِ وَالْجَنَّةِ، وَحَثَّهُمْ عَلَى الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ، ثُمَّ قَالَ: فَاخْرُجُوا بِنَا إِخْوَانَنَا مِنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا، إِلَى جَانِبِ هَذَا السَّوَادِ إِلَى بَعْضِ كُوَرِ الْجِبَالِ، أَوْ بَعْضِ هَذِهِ الْمَدَائِنِ مُنْكِرِينَ لِهَذِهِ الْأَحْكَامِ الْجَائِرَةِ. ثُمَّ قَامَ حُرْقُوصُ بْنُ زُهَيْرٍ فَقَالَ بَعْدَ حَمْدِ اللَّهِ وَالثَّنَاءِ عَلَيْهِ: إِنَّ الْمَتَاعَ بِهَذِهِ الدُّنْيَا قَلِيلٌ، وَإِنَّ الْفِرَاقَ لَهَا وَشِيكٌ، فَلَا
পৃষ্ঠা - ৬০৭৩
তাদের উপরই বর্তাবে ৷ এ কথা বলে তিনি সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার জন্যে নির্দেশ দেন ৷
বের হওয়ার জন্যে সোমবার দিন ধার্য করেন ৷ সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সৈন্য পাঠাবার জন্যে তিনি
ইবন আব্বাস ও বসরাবাসীদের নিকট আহ্বান জানান ৷ এই সাথে খারিজীদের কাছে প্রেরিত
এক চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন যে, সালিসদ্বয় যে ফয়সালা করেছে তা তাদের উপর প্রত্যাখ্যান
করা হয়েছে ৷ আমি এখন সিরিয়ার বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ সুতরাং চিঠি পাওয়া
মাত্র তোমরা চলে এসো ৷ আমরা একযোগে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবো ৷ আলী (রা)-এর এ
পত্র পেয়ে তারা জওয়াবে লিখলো আপনি মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রাগ করেননি; বরং
আপনার নিজের স্বার্থের জন্যে রাগ করেছেন, কাংজহ আপনি যদি নিজেকে কাফির বলে স্বীকার
করেন এবং সে জন্যে তওবা করেন তবে আমরা আপনার এ আহ্বান নিয়ে বিবেচনা করবো ৷
অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ঘোষণা দিচ্ছি-
১৷ হুট্রুা৷টু,
নিশ্চয়ই আল্লাহ চুক্তি তংগকা ৷রীদেরকে পছন্দ করেন না (আনফালং ৫৮ ) ৷
আলী (রা) যখন তাদের চিঠি পাঠ করলেন, তখন তাদের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেলেন ৷
এখন তিনি সিরিয়ার বিরুদ্ধে মুকাবিলা করতে দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করেন ৷ অচিরেই তিনি বিরাট
এক সৈন্যবাহিনী নিয়ে যাত্রা শুরু করেন এবং নাখীলায় উপনীত হন ৷ পয়ষট্টি হাজার সৈন্য
তাকে অনুসরণ করে চলে ৷ বসরা থেকে আরও তিন হাজার দৃশ অশ্বারােহী ইবন আব্বাস কর্তৃক
প্রেরিত হয় ৷ তারাও আলীর সৈন্য বাহিনীর সাথে মিলিত হয় ৷ এছাড়া জারিয়৷ ইবন কুদামার
নেতৃত্বে ছিল এক হাজার পাচ শ’ এবং আবুল আসওয়াদ দৃয়ালীর নেতৃত্বে ছিল আরও এক
হাজার সাত শ’ সৈন্য ৷ আলীর নেতৃত্বে সর্বমোট সৈন্য ,সংখ্যা দাড়ায় আটষাট্টি হাজার দুণ ৷
সিরিয়া অভিমুখে যাত্রাকালে তিনি যুদ্ধের সময় শত্রুদের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত আক্রমণ করার ও অসীম
ধৈর্য প্রদর্শন করার জন্যে উৎসাহব্যঞ্জুক ভাষণ দেন ৷ ঠিক এ সময় খারিব্জীদের সম্পর্কে তার
কাছে সংবাদ এলো যে, তারা সমাকৃজুৰুফ্রিত্না-ফাড়াসাদ বিস্তার করছে, খুন-রাহাজানিসহ নানা
প্রকার হারাম কাজ করে চলছে ৷ এমনকি রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর সাহাবী আবদৃল্লাহ্ ইবন
খাবৃবাবকেও তড়ারা হত্যা করেছে ৷ ইবন খাবৃবাবকে ও তার অন্তঃসত্তা শ্ৰীকে তারা বন্দী করে
এনে জিজ্ঞেস করে, ৫৩ ৷মার পরিচয় কি? যে বললো, আমার নাম আবদুল্লাহ ইবন থাবৃবাব ৷
আমি রাসুলুল্লাহ্ এর সাহাবী ৷ তোমরা আমাকে৩ ভীতি প্রদর্শন করছে৷ ৷ তারা তাকে অভয়
দিয়ে বললো, আপনি আপনার পিতার থেকে যে হাদীসটি শুনেছেন তা আমাদেরকে শুনান ৷
তিনি বললেন, আমি আমার পিতার থেকে শুনেছি, তিনি রাসুলুল্পাহ্-::: কে বলতে শুন্যেছন :
শীঘ্রই এমন সময় আসবে যখন গৃহে অবস্থানকারী ব্যক্তি দও ৷য়মান ব্যক্তি থেকে ভাল অবস্থায়
থাকবে ৷ আর দণ্ডায়মান ব্যক্তি হেটে চলা ব্যক্তি থেকে ভাল অবস্থায় থাকবে ৷ আবার হেটে চলা
ব্যক্তি দৌড়ে চলা ব্যক্তি থেকে ভাল অবস্থায় থাকবে
( ; ৷ ৷ তারা তার হাতে বেড়ি
পরিয়ে সাথে নিয়ে চললাে ৷
পথিমধ্যে জনৈক যিগীর একটি শুকর দেখে তাদের একজন শুকরঢিকে মেরে চামড়া খুলে
ফেললো ৷ অন্য একজন তাকে বললো, ভুমি এ কাজ করলে কেন ? এ তা এক যিযীর
تَدْعُوَنَّكُمْ زِينَتُهَا وَبَهْجَتُهَا إِلَى الْمُقَامِ بِهَا، وَلَا تَلْفِتَنَّكُمْ عَنْ طَلَبِ الْحَقِّ وَإِنْكَارِ الظُّلْمِ، فَإِنَّ اللَّهَ مَعَ الَّذِينَ اتَّقَوْا وَالَّذِينَ هُمْ مُحْسِنُونَ. فَقَالَ سِنَانُ بْنُ حَمْزَةَ الْأَسَدِيُّ: يَا قَوْمُ إِنَّ الرَّأْيَ مَا رَأَيْتُمْ، وَإِنَّ الْحَقَّ مَا ذَكَرْتُمْ، فَوَلُّوا أَمْرَكُمْ رَجُلًا مِنْكُمْ، فَإِنَّهُ لَا بُدَّ لَكُمْ مِنْ عِمَادٍ وَسِنَادٍ، وَمِنْ رَايَةٍ تَحُفُّونَ بِهَا وَتَرْجِعُونَ إِلَيْهَا. فَبَعَثُوا إِلَى زَيْدِ بْنِ حُصَيْنٍ الطَّائِيِّ - وَكَانَ مِنْ رُءُوسِهِمْ - فَعَرَضُوا عَلَيْهِ الْإِمَارَةَ عَلَيْهِمْ فَأَبَى، ثُمَّ عَرَضُوهَا عَلَى حُرْقُوصَ بْنَ زُهَيْرٍ فَأَبَى، ثُمَّ عَرَضُوهَا عَلَى حَمْزَةَ بْنِ سِنَانٍ فَأَبَى، ثُمَّ عَرَضُوهَا عَلَى شُرَيْحِ بْنِ أَوْفَى الْعَبْسِيِّ فَأَبَى، ثُمَّ عَرَضُوهَا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ الرَّاسِبِيِّ فَقَبِلَهَا، وَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَا أَقْبَلُهَا رَغْبَةً فِي الدُّنْيَا وَلَا أَدَعُهَا فَرَقًا مِنَ الْمَوْتِ. وَاجْتَمَعُوا أَيْضًا فِي بَيْتِ زَيْدِ بْنِ حُصَيْنٍ الطَّائِيِّ السِّنْبِسِيِّ فَخَطَبَهُمْ وَحَثَّهُمْ عَلَى الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَتَلَا عَلَيْهِمْ آيَاتٍ مِنَ الْقُرْآنِ مِنْهَا قَوْلُهُ تَعَالَى: {يَا دَاوُدُ إِنَّا جَعَلْنَاكَ خَلِيفَةً فِي الْأَرْضِ فَاحْكُمْ بَيْنَ النَّاسِ بِالْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعِ الْهَوَى فَيُضِلَّكَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ} [ص: 26] الْآيَةَ [ص: 26] . وَقَوْلُهُ: {وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ} [المائدة: 44] . وَالَّتِي بَعْدَهَا وَبَعْدَهَا: الظَّالِمُونَ، الْفَاسِقُونَ [الْمَائِدَةِ: 45، 47] . ثُمَّ قَالَ: فَأَشْهَدُ عَلَى أَهْلِ دَعْوَتِنَا مِنْ أَهْلِ قِبْلَتِنَا أَنَّهُمْ قَدِ اتَّبَعُوا الْهَوَى، وَنَبَذُوا حُكْمَ
পৃষ্ঠা - ৬০৭৪
الْكِتَابِ، وَجَارُوا فِي الْقَوْلِ وَالْأَعْمَالِ، وَأَنَّ جِهَادَهُمْ حَقٌّ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ. قَالَ: فَبَكَى رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَجَرَةُ السُّلَمِيُّ. ثُمَّ حَرَّضَ أُولَئِكَ عَلَى الْخُرُوجِ عَلَى النَّاسِ، وَقَالَ فِي كَلَامِهِ: اضْرِبُوا وُجُوهَهُمْ وَجِبَاهَهُمْ بِالسُّيُوفِ حَتَّى يُطَاعَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ، فَإِنْ أَنْتُمْ ظَفِرْتُمْ وَأُطِيعَ اللَّهُ كَمَا أَرَدْتُمْ، آتَاكُمُ اللَّهُ ثَوَابَ الْمُطِيعِينَ لَهُ الْعَامِلِينَ بِأَمْرِهِ، وَإِنْ قُتِلْتُمْ فَأَيُّ شَيْءٍ أَفْضَلُ مِنَ الصَّبْرِ وَالْمَصِيرِ إِلَى اللَّهِ وَرِضْوَانِهِ وَجَنَّتِهِ؟
قُلْتُ: وَهَذَا الضَّرْبُ مِنَ النَّاسِ مَنْ أَغْرَبَ أَشْكَالِ بَنِي آدَمَ، فَسُبْحَانَ مَنْ نَوَّعَ خَلْقَهُ كَمَا أَرَادَ، وَسَبَقَ فِي قَدَرِهِ ذَلِكَ. وَمَا أَحْسَنَ مَا قَالَ بَعْضُ السَّلَفِ فِي الْخَوَارِجِ: إِنَّهُمُ الْمَذْكُورُونَ فِي قَوْلُهُ تَعَالَى: {قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْأَخْسَرِينَ أَعْمَالًا الَّذِينَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ يُحْسِنُونَ صُنْعًا أُولَئِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِ رَبِّهِمْ وَلِقَائِهِ فَحَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فَلَا نُقِيمُ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَزْنًا} [الكهف: 103]
[الْكَهْفِ: 103 - 105] . وَالْمَقْصُودُ أَنَّ هَؤُلَاءِ الْجَهَلَةَ الضُّلَّالَ، وَالْأَشْقِيَاءَ فِي الْأَقْوَالِ وَالْأَفْعَالِ، اجْتَمَعَ رَأْيُهُمْ عَلَى الْخُرُوجِ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِ الْمُسْلِمِينَ، وَتَوَاطَئُوا عَلَى الْمَسِيرِ إِلَى الْمَدَائِنِ ; لِيَمْلِكُوهَا وَيَتَحَصَّنُوا بِهَا، ثُمَّ يَبْعَثُوا إِلَى إِخْوَانِهِمْ وَأَضْرَابِهِمْ - مِمَّنْ هُوَ عَلَى مَا هُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَغَيْرِهَا - فَيُوَافُوهُمْ إِلَيْهَا، وَيَكُونُ
পৃষ্ঠা - ৬০৭৫
اجْتِمَاعُهُمْ عَلَيْهَا. فَقَالَ لَهُمْ زَيْدُ بْنُ حُصَيْنٍ الطَّائِيُّ: إِنَّ الْمَدَائِنَ لَا تَقْدِرُونَ عَلَيْهَا، فَإِنَّ بِهَا جَيْشًا لَا تُطِيقُونَهُ وَسَيَمْنَعُوهَا مِنْكُمْ، وَلَكِنْ وَاعِدُوا إِخْوَانَكُمْ إِلَى جِسْرِ نَهْرِ جُوخَا، وَلَا تَخْرُجُوا مِنَ الْكُوفَةِ جَمَاعَاتٍ، وَلَكِنِ اخْرُجُوا وُحْدَانَا لِئَلَّا يَشْعُرُوا بِكُمْ. فَكَتَبُوا كِتَابًا عَامًّا إِلَى مَنْ هُوَ عَلَى مَذْهَبِهِمْ وَمَسْلَكِهِمْ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَغَيْرِهَا، وَبَعَثُوا بِهِ إِلَيْهِمْ لِيُوَافُوهُمْ إِلَى النَّهْرِ، لِيَكُونُوا يَدًا وَاحِدَةً عَلَى النَّاسِ، ثُمَّ خَرَجُوا يَتَسَلَّلُونَ وُحْدَانَا ; لِئَلَّا يَعْلَمَ أَحَدٌ بِهِمْ فَيَمْنَعُوهُمْ مِنَ الْخُرُوجِ فَخَرَجُوا مِنْ بَيْنِ الْآبَاءِ وَالْأُمَّهَاتِ وَالْأَعْمَامِ وَالْعَمَّاتِ وَفَارَقُوا سَائِرَ الْقِرَابَاتِ، يَعْتَقِدُونَ بِجَهْلِهِمْ وَقِلَّةِ عِلْمِهِمْ وَعَقْلِهِمْ أَنَّ هَذَا الْأَمْرَ يُرْضِي رَبَّ الْأَرْضِ وَالسَّمَاوَاتِ، وَلَمْ يَعْلَمُوا أَنَّهُ مِنْ أَكْبَرِ الْكَبَائِرِ وَالذُّنُوبِ الْمُوبِقَاتِ، وَالْعَظَائِمِ وَالْخَطِيئَاتِ، وَأَنَّهُ مِمَّا يُزَيِّنُهُ لَهُمْ إِبْلِيسُ وَأَنْفُسُهُمُ الَّتِي هِيَ بِالسُّوءِ أَمَّارَاتٌ. وَقَدْ تَدَارَكَ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ بَعْضَ أَوْلَادِهِمْ وَقَرَابَاتِهِمْ وَإِخْوَانِهِمْ فَرَدُّوهُمْ وَوَبَّخُوهُمْ، فَمِنْهُمْ مَنِ اسْتَمَرَّ عَلَى الِاسْتِقَامَةِ، وَمِنْهُمْ مَنْ فَرَّ بَعْدَ ذَلِكَ فَلَحِقَ بِالْخَوَارِجِ فَخَسِرَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَذَهَبَ الْبَاقُونَ إِلَى ذَلِكَ الْمَوْضِعِ، وَوَافَى إِلَيْهِمْ مَنْ
পৃষ্ঠা - ৬০৭৬
মালিকানাধীন শুকর ৷ তখন যে ঐ যিস্বীর কাছে গিয়ে তাকে নিজের কৃতকর্মের কথা বলে সম্মত
করে আসে আরও কিছুদুর অগ্রসর হওয়ার পর একটি খেজুর গাছ থেকে একটি খেজুর পড়তে
দেখে দলের একজনে থেজুরটি উঠিয়ে মুখে পুরে দেয় ৷ অন্য একজন তাকে বললাে; খেজুরটি
তুমি খেয়ে ফেললে, অথচ মালিকের অনুমতিও ৫নওনি, মুল্যও দেওনি ৷ তখন যে ব্যক্তি মুখের
ভিতর থেকে খেজুরটি ফেলে দিল ৷ এতদসাত্ত্বও তারা আবদুল্লাহ্ ইব ন খাব্বাবকে টেনে নিয়ে
যবাই করে দিল ৷ এরপর তারা তার শ্রীর কাছে যায় ৷ ত্রী তাদেরকে বললো, আমি অন্তঃসত্তা,
আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ পাষণ্ডরা তার ণ্কান কথায় কান দিল না ৷ বরং তাকে যবাই করে পেট
ফেড়ে সন্তান বের করে দেয় ৷
হযরত আলী (রা)এর বাহিনীর কাছে দ্রুত এ সংবাদ পৌছে গেল ৷ এতে তারা ঘাবড়িয়ে
গেল ৷ হতে পারে তারা যখন সিরিয়ার গিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত থাকবে তখন এরা পুরুষশুন্য এদের
বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে তাদের ত্রী ও সন্তানদের উপর ঐরুপ নারকীয় ঘটনা ঘটাতে পারে ৷
সুতরাং তারা এ ব্যাপারে শং ত হয়ে আলী (রা)-কে পরামর্শ দিল যে, সিরিয়া যাওয়া মুলত
রেখে আগে এদের বিরুদ্ধে লড়াই করা হোক ৷ এটাৰু শেষ করে সিরিয়ার গেলে আমাদের
লোকেরা ওদের অত্যাচারের আশংকা থেকে নিশ্চিত থাকতে পারবে ৷ এ পরামর্শের উপরে
সকলে ঐকমত্য পোষণ করে ৷ এ ব্যবস্থার মধ্যে তাদেরও সিরিয়াবাসীদের জন্যে প্রভুত কল্যাণ
নিহিত ছিল ৷ এ সিদ্ধান্তের পর হযরত আলী (রা) হারিছ ইবন মুর রা আবাদী নামক একজনকে
দুত হিসেবে খারিজীদের কাছে প্রেরণ করেন ৷ তিনি দুতকে বলে দেন যে, ওদের সকল
পরিকল্পনা ও তৎপরতা সংগ্রহ করে আমার কাছে সুস্পষ্ট তথ্য দিয়ে পত্র দিও ৷ দুত যখন
খারিজীদের মাঝে যায় তখন তারা কোন সুযোগ না দিয়ে তাকে হ্তরুৰু করে ফেলে ৷ আলীর
কাছে “এ সংবাদ পৌছলে তিনি সিরিয়ার অভিযান মুলতবি রেখে প্রথমে খারিজীদের বিরুদ্ধে
লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন ৷
খারিজীদের বিরুদ্ধে অড়ামীরুল ঘু’মিনীন
হযরত আলী (না)-এর অভিযান
আলী (রা) ও তার অনুগত সৈন্যরা যখন খারিজীদের বিরুদ্ধে প্রথমে মুকাবিলা করার
সিদ্ধান্ত নেন তখন দ্রুত যাত্রা করার ঘোষণা দেন ৷ সহসাই সৈন্যরা যাত্রা শুরু করে পুল
অতিক্রম করে গেল ৷ সেখানে তিনি সকলকে নিয়ে দৃ’ৱাকআত সালাত আদায় করেন ৷ সালাত
শেষ হলে আবার যাত্রা আরম্ভ করেন ৷ একটানা চলে প্রথমে পদ্রী আবদুর রহমানের গির্জা এবং
তারপরে পদ্রী আবু মুসার গির্জা অতিক্রম করে ফোরাত উপকুলে উপনীত হন ৷ সেখানে এক
জ্যেড়াতিষীর১ সাথে তার সাক্ষাৎ হয় ৷ ণ্জ্যাতিষী হযরত আলী (রা)-কে দিবসের একটি নির্দিষ্ট
সময়ের উল্লেখ করে বলে ঠিক এ সময়ে আপনি যাত্রা করবেন ৷ ঐ সময় ব্যতীত অন্য সময়ে
যাত্রা করলে বিপদে পড়ার আশংকা আছে ৷ কিন্তু আলী (বা) জোাতিষীর প্রদর্শিত সময় বাদ
দিয়ে ভিন্ন সময়ে যাত্রা করেন এবং আল্লাহ্ তাকে বিজয় দান করেন ৷
১ মুসাফির ইবন আফীফ আল-ইযদী দ্র কামিল ৩৩৪ ৩
كَاتَبُوهُ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَغَيْرِهَا، وَاجْتَمَعَ الْجَمِيعُ بِالنَّهْرَوَانِ، وَصَارَتْ لَهُمْ شَوْكَةٌ وَمَنَعَةٌ، وَهُمْ جُنْدٌ مُسْتَقِلُّونَ وَفِيهِمْ شَجَاعَةٌ وَثَبَاتٌ وَصَبْرٌ، وَعِنْدَهُمْ أَنَّهُمْ مُتَقَرِّبُونَ بِذَلِكَ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ ; فَهُمْ قَوْمٌ لَا يُصْطَلَى لَهُمْ بِنَارٍ، وَلَا يَطْمَعُ أَحَدٌ فِي أَنْ يَأْخُذَ مِنْهُمْ بِثَأْرٍ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.
وَقَالَ أَبُو مِخْنَفٍ، عَنْ أَبِي رَوْقٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ أَنَّ عَلِيًّا لَمَّا خَرَجَتِ الْخَوَارِجُ إِلَى النَّهْرَوَانِ وَهَرَبَ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ إِلَى مَكَّةَ، وَرَدَّ ابْنَ عَبَّاسٍ إِلَى الْبَصْرَةِ، قَامَ فِي النَّاسِ بِالْكُوفَةِ خَطِيبًا فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ وَإِنْ أَتَى الدَّهْرُ بِالْخَطْبِ الْفَادِحِ، وَالْحَدَثَانِ الْجَلِيلِ، وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ غَيْرُهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ الْمَعْصِيَةَ تُورِثُ الْحَسْرَةَ، وَتُعْقِبُ النَّدَمَ، وَقَدْ كُنْتُ أَمَرْتُكُمْ فِي هَذَيْنَ الرَّجُلَيْنِ وَفِي هَذِهِ الْحُكُومَةِ بِأَمْرِي، وَنَحَلْتُكُمْ رَأْيِي، فَأَبَيْتُمْ إِلَّا مَا أَرَدْتُمْ، فَكُنْتُ أَنَا وَأَنْتُمْ كَمَا قَالَ أَخُو هَوَازِنَ فَأَجَادَ:
بَذَلْتُ لَهُمْ نُصْحِي بِمُنْعَرَجِ اللِّوَى ... فَلَمْ يَسْتَبِينُوا الرُّشْدَ إِلَّا ضُحَى الْغَدِ
পৃষ্ঠা - ৬০৭৭
ثُمَّ تَكَلَّمَ فِيمَا فَعَلَهُ الْحَكَمَانِ فَرَدَّ عَلَيْهِمَا فِيمَا حَكَمَا بِهِ وَأَنَّبَهُمَا، وَبَيَّنَ مَا فِي ذَلِكَ مِنْ هَوًى وَزُورٍ وَمَحَبَّةٍ لِلدُّنْيَا، وَقِلَّةِ نُصْحٍ وَنَظَرٍ لِلْأُمَّةِ، وَحَطَّ عَلَيْهِمَا، ثُمَّ نَدَبَ النَّاسَ إِلَى الْخُرُوجِ إِلَى أَهْلِ الشَّامِ وَالْجِهَادِ فِيهِمْ، وَعَيَّنَ لَهُمْ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ يَخْرُجُونَ فِيهِ، وَكَتَبَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ وَالِى الْبَصْرَةِ يَسْتَنْفِرُ لَهُ النَّاسَ إِلَى الْخُرُوجِ إِلَى أَهْلِ الشَّامِ. وَكَتَبَ إِلَى الْخَوَارِجِ يُعْلِمُهُمْ أَنَّ الَّذِي حَكَمَ بِهِ الْحَكَمَانِ مَرْدُودٌ عَلَيْهِمَا، وَأَنَّهُ قَدْ عَزَمَ عَلَى الذَّهَابِ إِلَى أَهْلِ الشَّامِ، فَهَلُمُّوا حَتَّى نَجْتَمِعَ عَلَى قِتَالِهِمْ، فَكَتَبُوا إِلَيْهِ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّكَ لَمْ تَغْضَبْ لِرَبِّكَ وَإِنَّمَا غَضِبْتَ لِنَفْسِكَ، وَإِنْ شَهِدَتْ عَلَى نَفْسِكَ بِالْكُفْرِ وَاسْتَقْبَلْتَ التَّوْبَةَ نَظَرْنَا فِيمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ، وَإِلَّا فَقَدَ نَابَذْنَاكَ عَلَى سَوَاءٍ {إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْخَائِنِينَ} [الأنفال: 58] .
فَلَمَّا قَرَأَ عَلِيٌّ كَتَابَهُمْ يَئِسَ مِنْهُمْ وَعَزَمَ عَلَى الذَّهَابِ إِلَى أَهْلِ الشَّامِ لِيُنَاجِزَهُمْ، وَخَرَجَ مِنَ الْكُوفَةِ إِلَى النُّخَيْلَةِ فِي عَسْكَرٍ كَثِيفٍ - خَمْسَةٍ وَسِتِّينَ أَلْفًا - وَبَعَثَ إِلَيْهِ ابْنُ عَبَّاسٍ بِثَلَاثَةِ آلَافٍ وَمِائَتَيْ فَارِسٍ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ مَعَ جَارِيَةَ بْنِ قُدَامَةَ أَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ، وَمَعَ أَبِي الْأَسْوَدِ الدُّئَلِيِّ أَلْفٌ وَسَبْعُمِائَةٍ، فَكَمَلَ جَيْشُهُ فِي ثَمَانِيَةٍ وَسِتِّينَ أَلْفَ فَارِسٍ وَمِائَتَيْ فَارِسٍ.
وَقَامَ عَلِيٌّ فِي النَّاسِ خَطِيبًا فَحَثَّهُمْ عَلَى الْجِهَادِ وَالصَّبْرِ عِنْدَ اللِّقَاءِ ; فَبَيْنَمَا هُوَ عَازِمٌ عَلَى غَزْوِ أَهْلِ الشَّامِ إِذْ بَلَغَهُ أَنَّ الْخَوَارِجَ قَدْ عَاثُوا فِي الْأَرْضِ فَسَادًا،
পৃষ্ঠা - ৬০৭৮
এ প্রসঙ্গে আলী বলেন, আমি চেয়েছি লোকে যাতে বুঝতে পারে যে, জ্যোতিষীর বাণী ঠিক
না ৷ আমার আরও আশংকা ছিল যে, বিজয় হলে মুর্থ লোকেরা বলবে জ্যোতিষীর বাণী
অনুসরণ করায়ই বিজয় সম্ভব হয়েছে ৷ হযরত ৩আলী (রা) আম্বারের উপকণ্ঠে প্রবেশ করেন এবং
কইিস ইবন স৷ দকে সম্মুখে মাদাইন পাঠিয়ে দেন ৷ তাকে মাদাইনের প্রশাসক স৷ দ ইবন
মাসউদ (আবদুল্লাহ ইবন মাসউদের ভাই)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে মাদইিনের সৈন্যদের সাথে
মিলিত হওয়ার সংবাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন ৷ সকল দিক থেকে সৈন্যরা এসে আলী (রা) এর
কাছে একত্রিত হয় ৷ এখান থেকে তিনি যা ৷রিব্জীদের নিকট সংবাদ পাঠিয়েজানান যে, তোমাদের
যে সব লোক আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে তাদেরকে আমাদের হাতে অর্পণ কর ৷ আমরা
তাদেরকে মৃত্যু দণ্ড দিব ৷ এরপরে ৫তামাদের সাথে আমাদের আর কোন সংঘর্ষ নেই ৷
আমরা সিরিয়ার চলে যাব ৷ হয়তো এরপর মহান আল্লাহ তোমাদের অন্তরে পরিবর্তন এনে
দিবেন এবং এখন যে পথে রয়েছ তার থেকে উত্তম পথে ফিরে আসার তাওফীক দান করবেন ৷
এর জওয়াবে তারা আলী (বা) কে জ নাল আমরা সকলে মিলেধ্ব আমাদের ভাইদের হত্যা
করেছি ৷ শুধু তইি নয় তাদের ও তোমাদের হত্যা করা ন্যায়সং গত বলে আমরা বিশ্বাস করি ৷
তখন কইিস ইবন সা দ ইবন উবাদাহ্ অগ্রসর হয়ে তারা যে ভয়াবহ কাজে জড়িয়ে পড়েছে এবং
যে মহা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে সে বিষয়ে তাদেরকে উপদেশ দিলেন ৷ কিস্তু তার উপদেশে
কোন কাজ হলো না ৷ এরপর আবু আইয়ুব আনসারীও তাদেরকে ভয়-ভীতি ও দুঃখময় সংবাদ
শুনান ৷ কিন্তু তার কথায়ও তাদেরকে প্রভাবিত করলো না ৷ এরপর আমীরুল মু’মিনীন আলী
ইবন আবু৩ তালিব তাদের কাছে গেলেন ৷ তিনি তাদেরকে বোঝাবার চেষ্টা করলেন ৷ তারপর
সাবধান করলেন, সতর্কবাণী উচ্চারণ করলেন, ভয় দেখালেন ও ভীতি প্রদর্শন করলেন ৷
তারপরে বললেন, তোমরা এমন একটি বিষয়ে আমার উপর অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছো, যে
বিষয়ের দিকে ভোমরইি আমাকে আহ্বান জানিয়েছিলে আর আমি তা করতে তােমাদেরকে
নিষেধ করেছিলাম ৷ বিন্তু তোমরা তা গ্রহণ করনি ৷ এখন সেই আমি ও তোমরা এই অবস্থায়
আছি ৷ কাজেই তোমরা যেখান থেকে বেরিয়ে এসেছিলে আবার সেখানে ফিরে যাও ন্াণ্ মহান
আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজে লিপ্ত হয়াে না ৷
কেননা তোমাদের প্রবৃত্তি এমন একটি বিষয়কে ৫৩ ৷মাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তৃলেছে
যার উপর ভিত্তি করে তোমরা মুসলমানদের হত্যা কবছে৷ ৷ আল্লাহর কসম৷ ঐ যুক্তিতে যদি
একটি মুরগীও হত্যা কর সেটিও মহান আল্লাহ্র নিকট মহাপাপ হিন্সে সবেই গণ্য হবো
মুসলমানদের হত্যা করা তো অনেক দুরের ব্যাপার ৷ এ কথার কোন জওয়াব তারা দিতে
পারেনি ৷ বরং তাদের লোকদের জানিয়ে দিল যে, ওদের সাথে কোন আলোচনা করে৷ না, কোন
কত৷ বলো না ৷ তার বদলে মহান আল্লাহর সাথে মিলনের জন্যে প্রস্তুত হয়ে যাও ৷ চলো চলো,
জান্নাতের দিকে চলো ৷ তারা অগ্রসর হয়ে যুদ্ধের জন্যে সারিবদ্ধ হলো এবং হামলা করার প্রস্তুতি
নিল ৷ এ উদ্দেশ্যে মাইমানাহ্ (দক্ষিণ) দলে ষইিদ ইবন হাসান তাঈকে; মাইসারাহ্ (বাম) দলে
শুরাইহ্ ইবন আওয়াকে; অশ্বারোহী দলে হাময৷ ইবন সিনানকে এবং পদ৷ ৷তিক দলে হারকুস
ইবন যুহাইর সা দীকে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্বে নিযুক্ত করে ৷ আলী ও তার সংগীদের বিরুদ্ধে
লড়াই করার উদ্দেশ্যে তারা পুর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে দাড়িয়ে যায় ৷
আল ৬৬
وَسَفَكُوا الدِّمَاءَ، وَقَطَعُوا السَّبِيلَ، وَاسْتَحَلُّوا الْمَحَارِمَ، وَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ قَتَلُوهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَبَّابٍ صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَسَرُوهُ وَامْرَأَتَهُ مَعَهُ وَهِيَ حَامِلٌ فَقَالُوا لَهُ: مَنْ أَنْتَ؟ فَقَالَ: أَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَبَّابٍ صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَأَنْتُمْ قَدْ رَوَّعْتُمُونِي. فَقَالُوا: لَا بَأْسَ عَلَيْكَ، حَدِّثْنَا مَا سَمِعْتَ مِنْ أَبِيكَ. فَقَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «سَتَكُونُ فِتْنَةٌ الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ، وَالْقَائِمُ خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي، وَالْمَاشِي خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي،» فَقَادُوهُ بِيَدِهِ، فَبَيْنَمَا هُوَ يَسِيرُ مَعَهُمْ إِذْ لَقِيَ بَعْضُهُمْ خِنْزِيرًا لِبَعْضِ أَهْلِ الذِّمَّةِ فَضَرَبَهُ بَعْضُهُمْ بِسَيْفِهِ فَشَقَّ جِلْدَهُ، فَقَالَ لَهُ آخَرُ: لِمَ فَعَلْتَ هَذَا وَهُوَ لِذِمِّيٍّ؟ فَذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ الذِّمِّيِّ فَاسْتَحَلَّهُ وَأَرْضَاهُ. وَبَيْنَمَا هُوَ مَعَهُمْ إِذْ سَقَطَتْ تَمْرَةٌ مِنْ نَخْلَةٍ فَأَخَذَهَا أَحَدُهُمْ فَأَلْقَاهَا فِي فَمِهِ، فَقَالَ لَهُ آخَرُ: بِغَيْرِ إِذْنٍ وَلَا ثَمَنٍ؟ فَأَلْقَاهَا ذَاكَ مِنْ فَمِهِ، وَمَعَ هَذَا قَدَّمُوا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ خَبَّابٍ فَذَبَحُوهُ، وَجَاءُوا إِلَى امْرَأَتِهِ فَقَالَتْ: إِنِّي امْرَأَةٌ حُبْلَى أَلَا تَتَّقُونَ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ! فَذَبَحُوهَا وَبَقَرُوا بَطْنَهَا عَنْ وَلَدِهَا، فَلَمَّا بَلَغَ النَّاسَ هَذَا مِنْ صَنِيعِهِمْ، خَافُوا إِنْ هُمْ ذَهَبُوا إِلَى الشَّامِ وَاشْتَغَلُوا بِقِتَالٍ أَنْ يَخْلُفَهُمْ هَؤُلَاءِ فِي ذَرَارِيِّهِمْ وَدِيَارِهِمْ وَيَفْعَلُوا هَذَا الصَّنِيعَ، فَخَافُوا غَائِلَتَهُمْ، وَأَشَارُوا عَلَى عَلِيٍّ بِأَنْ يَبْدَأَ بِهِمْ، ثُمَّ إِذَا فَرَغَ مِنْهُمْ سَارُوا مَعَهُ إِلَى الشَّامِ، وَالنَّاسُ آمِنُونَ مِنْ شَرِّهِمْ، فَاجْتَمَعَ الرَّأْيُ عَلَى هَذَا وَفِيهِ خِيَرَةٌ عَظِيمَةٌ لَهُمْ وَلِأَهْلِ الشَّامِ أَيْضًا ; إِذْ لَوْ قَوُوا هَؤُلَاءِ لَأَفْسَدُوا الْأَرْضَ كُلَّهَا عِرَاقًا وَشَامًا، وَلَمْ يَتْرُكُوا طِفْلًا
পৃষ্ঠা - ৬০৭৯
وَلَا طِفْلَةَ وَلَا رَجُلًا وَلَا امْرَأَةً ; لِأَنَّ النَّاسَ عِنْدَهُمْ قَدْ فَسَدُوا فَسَادًا لَا يُصْلِحُهُمْ إِلَّا الْقَتْلُ جُمْلَةً. فَأَرْسَلَ عَلِيٌّ إِلَيْهِمُ الْحَارِثَ بْنَ مُرَّةَ الْعَبْدِيَّ، وَقَالَ لَهُ: اخْبُرْ لِي خَبَرَهُمْ، وَاعْلَمْ لِي أَمْرَهُمْ، وَاكْتُبْ إِلَيَّ بِهِ عَلَى الْجَلِيَّةِ. فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِمُ الْحَارِثُ قَتَلُوهُ وَلَمْ يُنْظِرُوهُ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ عَلِيًّا سَارَ إِلَيْهِمْ وَتَرَكَ أَهْلَ الشَّامِ.
[ذِكْرُ مَسِيرِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِلَى الْخَوَارِجِ
لَمَّا عَزَمَ عَلِيٌّ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجَيْشِ عَلَى الْبَدَاءَةِ بِالْخَوَارِجِ، نَادَى مُنَادِيهِ فِي النَّاسِ بِالرَّحِيلِ، فَعَبَرَ الْجِسْرَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ عِنْدِهِ، ثُمَّ سَلَكَ عَلَى دَيْرِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، ثُمَّ دَيْرِ أَبِي مُوسَى، ثُمَّ عَلَى شَاطِئِ الْفُرَاتِ، فَلَقِيَهُ هُنَالِكَ مُنَجِّمٌ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ بِوَقْتٍ مِنَ النَّهَارِ يَسِيرُ فِيهِ وَلَا يَسِيرُ فِي غَيْرِهِ، فَإِنَّهُ إِنْ سَارَ فِي غَيْرِهِ يُخْشَى عَلَيْهِ، فَخَالَفَهُ عَلِيٌّ، وَسَارَ عَلَى خِلَافِ مَا قَالَ الْمُنَجِّمُ، وَقَالَ: نَسِيرُ ثِقَةً بِاللَّهِ، وَتَوَكُّلًا عَلَيْهِ، وَتَكْذِيبًا لِقَوْلِ الْمُنَجِّمِ. فَأَظْفَرَهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، وَقَالَ عَلِيٌّ: إِنَّمَا أَرَدْتُ أَنْ أُبَيِّنَ لِلنَّاسِ خَطَأَهُ وَخَشِيْتُ أَنْ يَقُولَ النَّاسُ: إِنَّمَا ظَفِرَ لِكَوْنِهِ
পৃষ্ঠা - ৬০৮০
وَافَقَهُ فِيمَا أَشَارَ بِهِ، فَيُشْرِكُوا بِاللَّهِ غَيْرَهُ.
وَسَلَكَ عَلِيٌّ نَاحِيَةَ الْأَنْبَارِ، وَبَعَثَ بَيْنَ يَدَيْهِ قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ، وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْتِيَ الْمَدَائِنَ، وَأَنْ يَلْقَاهُ بِنَائِبِهَا سَعْدِ بْنِ مَسْعُودٍ - وَهُوَ أَخُو عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيِّ - فِي جَيْشِ الْمَدَائِنِ، فَاجْتَمَعَ النَّاسُ هُنَالِكَ عَلَى عَلِيٍّ، وَبَعَثَ إِلَى الْخَوَارِجِ أَنِ ادْفَعُوا إِلَيْنَا قَتَلَةَ إِخْوَانِنَا مِنْكُمْ لِنَقْتُلَهُمْ بِهِمْ، ثُمَّ إِنَّا تَارَكُوكُمْ وَذَاهِبُونَ عَنْكُمْ إِلَى الشَّامِ، ثُمَّ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُقْبِلَ بِقُلُوبِكُمْ، وَيَرُدَّكُمْ إِلَى خَيْرٍ مِمَّا أَنْتُمْ عَلَيْهِ، فَبَعَثُوا إِلَيْهِ يَقُولُونَ: كُلُّنَا قَتَلَ إِخْوَانَكُمْ، وَنَحْنُ مُسْتَحِلُّونَ دِمَاءَهُمْ وَدِمَاءَكُمْ. فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِمْ قَيْسُ بْنُ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، فَوَعَظَهُمْ فِيمَا هُمْ مُرْتَكِبُوهُ مِنَ الْأَمْرِ الْعَظِيمِ، وَالْخَطْبِ الْجَسِيمِ فَلَمْ يَنْفَعْ ذَلِكَ فِيهِمْ، وَكَذَلِكَ فَعَلَ أَبُو أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيُّ ; أَنَّبَهُمْ وَوَبَّخَهُمْ، فَلَمْ يَنْجَعْ فِيهِمْ، وَتَقَدَّمَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ إِلَيْهِمْ، فَوَعَظَهُمْ وَخَوَّفَهُمْ وَحَذَّرَهُمْ وَأَنْذَرَهُمْ وَتَهَدَّدَهُمْ وَتَوَعَّدَهُمْ، وَقَالَ: إِنَّكُمْ أَنْكَرْتُمْ عَلَيَّ أَمْرًا أَنْتُمْ دَعَوْتُمُونِي إِلَيْهِ وَأَبَيْتُمْ إِلَّا إِيَّاهُ، فَنَهَيْتُكُمْ عَنْهُ فَلَمْ تَقْبَلُوا، وَهَا أَنَا وَأَنْتُمْ فَارْجِعُوا إِلَى مَا خَرَجْتُمْ مِنْهُ، وَلَا تَرْكَبُوا مَحَارِمَ اللَّهِ فَإِنَّكُمْ قَدْ سَوَّلَتْ لَكُمْ أَنْفُسُكُمْ أَمْرًا تَقْتُلُونَ عَلَيْهِ الْمُسْلِمِينَ، وَاللَّهِ لَوْ قَتَلْتُمْ عَلَيْهِ دَجَاجَةً لَكَانَ عَظِيمًا عِنْدَ اللَّهِ، فَكَيْفَ بِدِمَاءِ الْمُسْلِمِينَ؟ !
পৃষ্ঠা - ৬০৮১
فَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ جَوَابٌ إِلَّا أَنْ تَبَادَرُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ أَنْ لَا تُخَاطِبُوهُمْ وَلَا تُكَلِّمُوهُمْ وَتَهَيَّئُوا لِلِقَاءِ الرَّبِّ، عَزَّ وَجَلَّ، الرَّوَاحَ الرَّوَاحَ إِلَى الْجَنَّةِ! وَتَقَدَّمُوا فَاصْطَفُّوا لِلْقِتَالِ، وَتَأَهَّبُوا لِلنِّزَالِ، فَجَعَلُوا عَلَى مَيْمَنَتِهِمْ زَيْدَ بْنَ حُصَيْنٍ الطَّائِيَّ السِّنْبِسِيَّ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ شُرَيْحَ بْنَ أَوْفَى، وَعَلَى خَيَّالَتِهِمْ حَمْزَةَ بْنَ سِنَانٍ، وَعَلَى الرَّجَّالَةِ حُرْقُوصَ بْنَ زُهَيْرٍ السَّعْدِيَّ، وَوَقَفُوا مُقَاتِلِينَ لِعَلِيٍّ وَأَصْحَابِهِ.
وَجَعَلَ عَلِيٌّ عَلَى مَيْمَنَتِهِ حُجْرَ بْنَ عَدِيٍّ وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ شَبَثَ بْنَ رِبْعِيٍّ أَوْ مَعْقِلَ بْنَ قَيْسٍ الرِّيَاحِيَّ، وَعَلَى خَيَّالَتِهِ أَبَا أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيَّ، وَعَلَى الرَّجَّالَةِ أَبَا قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيَّ، وَعَلَى أَهْلِ الْمَدِينَةِ - وَكَانُوا سَبْعَمِائَةٍ - قَيْسَ بْنَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، وَأَمَرَ عَلِيٌّ أَبَا أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيَّ أَنْ يَرْفَعَ رَايَةَ أَمَانٍ لِلْخَوَارِجِ، وَيَقُولَ لَهُمْ: مَنْ جَاءَ إِلَى هَذِهِ الرَّايَةِ فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنِ انْصَرَفَ إِلَى الْكُوفَةِ وَالْمَدَائِنِ فَهُوَ آمِنٌ، إِنَّهُ لَا حَاجَةَ لَنَا فِي دِمَائِكُمْ، إِلَّا فِي مَنْ قَتَلَ إِخْوَانَنَا.
فَانْصَرَفَ مِنْهُمْ طَوَائِفُ كَثِيرُونَ، وَكَانُوا فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ فَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ إِلَّا أَلْفٌ - أَوْ أَقَلُّ - مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ الرَّاسِبِيِّ، فَزَحَفُوا إِلَى عَلِيٍّ فَقَدَّمَ عَلِيٌّ بَيَنَ يَدَيْهِ الْخَيْلَ، وَقَدَّمَ مِنْهُمُ الرُّمَاةَ، وَصَفَّ الرَّجَّالَةَ وَرَاءَ الْخَيَّالَةِ، وَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: كُفُّوا عَنْهُمْ حَتَّى يَبْدَأُوكُمْ. وَأَقْبَلَتِ الْخَوَارِجُ وَهُمْ يَقُولُونَ: لَا حُكْمَ إِلَّا لِلَّهِ، الرَّوَاحَ الرَّوَاحَ إِلَى الْجَنَّةِ! فَحَمَلُوا عَلَى الْخَيَّالَةِ الَّذِينَ قَدَّمَهُمْ عَلِيٌّ، فَفَرَّقُوهُمْ حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৬০৮২
أَخَذَتْ طَائِفَةٌ مِنَ الْخَيَّالَةِ إِلَى الْمَيْمَنَةِ، وَأُخْرَى إِلَى الْمَيْسَرَةِ، فَاسْتَقْبَلَتْهُمُ الرُّمَاةُ بِالنَّبْلِ، فَرَمَوْا وُجُوهَهُمْ، وَعَطَفَتْ عَلَيْهِمُ الْخَيَّالَةُ مِنَ الْمَيْمَنَةِ وَالْمَيْسَرَةِ، وَنَهَضَ إِلَيْهِمُ الرِّجَالُ بِالرِّمَاحِ وَالسُّيُوفِ، فَأَنَامُوا الْخَوَارِجَ، فَصَارُوا صَرْعَى تَحْتَ سَنَابِكِ الْخُيُولِ، وَقُتِلَ أُمَرَاؤُهُمْ ; عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، وَحُرْقُوصُ بْنُ زُهَيْرٍ، وَشُرَيْحُ بْنُ أَوْفَى، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَجَرَةَ السُّلَمِيُّ، قَبَّحَهُمُ اللَّهُ.
قَالَ أَبُو أَيُّوبَ: وَطَعَنْتُ رَجُلًا مِنَ الْخَوَارِجِ بِالرُّمْحِ، فَأَنْفَذْتُهُ مِنْ ظَهْرِهِ، وَقُلْتُ لَهُ: أَبْشِرْ يَا عَدُوَّ اللَّهِ بِالنَّارِ، فَقَالَ: سَتَعْلَمُ أَيُّنَا أَوْلَى بِهَا صِلِيًّا.
قَالُوا: وَلَمْ يُقْتَلْ مِنْ أَصْحَابِ عَلِيٍّ إِلَّا سَبْعَةُ نَفَرٍ.
وَجَعَلَ عَلِيٌّ يَمْشِي بَيْنَ الْقَتْلَى مِنْهُمْ وَيَقُولُ: بُؤْسًا لَكُمْ، لَقَدْ ضَرَّكُمْ مَنْ غَرَّكُمْ. فَقَالُوا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَمَنْ غَرَّهُمْ؟ قَالَ: الشَّيْطَانُ، وَأَنْفُسٌ بِالسُّوءِ أَمَّارَةٌ، غَرَّتْهُمْ بِالْأَمَانِيِّ، وَزَيَّنَتْ لَهُمُ الْمَعَاصِيَ، وَنَبَّأَتْهُمْ أَنَّهُمْ ظَاهِرُونَ. ثُمَّ أَمَرَ بِالْجَرْحَى مِنْ بَيْنِهِمْ فَإِذَا هُمْ أَرْبَعُمِائَةٍ، فَسَلَّمَهُمْ إِلَى قَبَائِلِهِمْ لِيُدَاوُوهُمْ، وَقَسَمَ مَا وَجَدَ مِنْ سِلَاحٍ وَمَتَاعٍ لَهُمْ.
وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ فِي كِتَابِ " الْخَوَارِجِ ": حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قَيْسٍ الْأَسَدِيُّ وَمَنْصُورُ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنِ النَّزَّالِ بْنِ سَبْرَةَ، أَنَّ عَلِيًّا لَمْ يُخَمِّسْ مَا أَصَابَ مِنَ الْخَوَارِجِ يَوْمَ النَّهْرَوَانِ، وَلَكِنْ رَدَّهُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৬০৮৩
হাইছাম ইবন আদী কিতাবুল খাওয়ারিজে মুহাম্মাদ ইবন কইিস আসাদী ও মানসুর ইবন
দীনার থেকে আবদুল মালিক ইবন সাবুরার সুত্রে নাযাল ইবন সাবুরা থেকে বর্ণনা করেন যে,
নাহরাওয়ানের যুদ্ধে হযরত আলী খারিজীদের থেকে যা কিছু লাভ করেন তা বণ্টনের জন্যে পাচ
ভাগ করেননি বরং সবটাই তাদের পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেন ৷ এমনকি শেষ পর্যন্ত একখানা
চিরুনি তার কাছে আনা হলে তিনি তাও ফেরত দেন ৷ আবু মাখনাফ আবদুল মালিক ইবন আবু
হুর্রাহ্ থেকে বর্ণনা করেন যে, আলী যিছু-ছুদাইয়াকে খুজতে বের হন ৷ সাথে ছিল সুলাইমান
ইবন ছুমামাহ্ হানাফী, আবু জ্যবরা ও রাইয়ান ইবন সাবুরাহ্ ইবন হাওযা ৷ অনুসন্ধানের পর
রাইয়ান তাকে নদীর পাশে এক গর্তের মধ্যে চল্লিশ-পঞ্চাশটি লাশের মধ্যে দেখতে পেল ৷
তাকে সেখান থেকে বের করে তার বাজুর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা গেল, তার স্কন্ধের উপর
জমাট মাংসের একটি শিশু উচু হয়ে আছে ৷ দেখতে মহিলাদের স্তনের মত দেখায় ৷ স্তনের
অগ্রভাগের বোটার ন্যায় তাতেও বোটা আছে ৷ আর বোটার উপরেকেয়েকটি কাল চুল আছে ৷
মাংস পিণ্ডের বোটা ধরে টানলে লম্বা হয়ে অন্য হাত পর্যন্ত পৌছে যায় ৷ আবার ছেড়ে দিলে
বন্ধের কাছে চলে আসে ঠিক যেয়ে লোকের স্তনের ন্যায় অবস্থা ৷ আলী (রা) তাকে দেখেই
বলে উঠলেন : আল্লাহ আকবার ৷ আল্লাহ্র কলম, আমি মিথ্যা বলিমি ৷ জেনে রেখো, আল্লাহ্র
কলম, তোমরা যদি আমাকে বড় বৃযুর্গ হয়ে গেছি বলে আমার আমলের চর্চা না করতে তা হলে
আমি অবশ্যই তোমাদেরকে জানিয়ে দিতাম যে, এদের হত্যা করার মধ্যে আল্লাহ্ পুরস্কারের কি
ফয়সালা করেছেন ৷
হাইছাম ইবন আদী তার খাওয়ারিজ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন : মুহাম্মাদ ইবন রাবীআ
আখনড়াসী নাফি ইবন মাসলামাহ্ আখনাসী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ষুছু-ছুদাইয়৷ ছিল
বুজাইলাহ্ গোত্রের উরানাহ্ সম্প্রদায়ের লোক ৷ সে ছিল অতিশয় কৃষ্ণ-বর্ণ ৷ তার শরীর থেকে
দৃর্গন্ধ বের হতো যা তার বাহিনীর সকলেই জানতো ৷ এর পুর্বে আমাদের সাথে তার ভাল
সম্পর্ক ছিল ৷ যে আমাদের কাছে আসতে৷ , আমরাও তার কাছে যেতাম ৷ আবু ইসমাঈল হানাফী
রাইয়ান ইবন সাবুরাহ্ হানাফী থেকে বর্ণনা করেন যে, নাহরাওয়ান যুদ্ধে আমরা আলীর সাথে
অংশ্যাহণ করি ৷ তিনি যখন মাখদাজকে দেখলেন তখন দীর্ঘ সিজদা করেন ৷ সুফিয়ান ছাওরী
মুহাম্মদ ইবন কাইস হড়ামদানীর সুত্রে তার গোত্রের আবু মুসা নামে পরিচিত এক ব্যক্তি থেকে
বর্ণনা করেন যে, আলী যখন মাখদাজকে দেখতে পান তখন দীর্ঘ সময় ধরে শোকরানা সিজদা
করেন ৷
ইউনুস ইবন আবু ইসহাক ইসমাঈলের সুত্রে হুব্বাতৃল উরানী থেকে বর্ণনা করেনযে,
নাহরাওয়ানের যুদ্ধ শেষে সৈন্যরা যখন ফিরে আসছিল তখন লোকজন বলতে লাগলো : হে
আমীরুল মুমিনীন! সেই আল্লাহ্র প্রশংসা যিনি খারিজীদের মুলােৎপাটন করে দিয়েছেন ৷ তিনি
বললেন, কখনও না, আল্লাহ্র কসম ! তারা অবশ্যই পুরুষ লোকের পৃষ্ঠদেশে এবং মেয়ে
লোকের রেহেমে বিদ্যমান আছে ৷ যখন এ দুই ধারা থেকে তারা বেরিয়ে আসবে তখন যার
সাথেই তার সাক্ষাৎ হবে তার উপর প্রাধান্য বিস্তারের জন্যে সে ফিৎনা সৃষ্টি করতে থাকবে-
এর ব্যতিক্রম হবে না ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আবদৃল্লাহ্ ইবন ওহাব রাসিবী, এতো অধিক ইবাদত
ও সিজদা করতো যে, তার সিজদার স্থানসমুহের চামড়া শুকিয়ে গিয়েছিল ৷ লোকে তাকে
أَهْلِيهِمْ كُلَّهُ، حَتَّى كَانَ آخِرَ ذَلِكَ مِرْجَلٌ أُتِيَ بِهِ فَرَدَّهُ.
وَقَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي حُرَّةَ، أَنَّ عَلِيًّا خَرَجَ فِي طَلَبِ ذِى الثُّدَيَّةِ، وَمَعَهُ سُلَيْمَانُ بْنُ ثُمَامَةَ الْحَنَفِيُّ أَبُو جَبْرَةَ، وَالرَّيَّانُ بْنُ صَبْرَةَ بْنِ هَوْذَةَ، فَوَجَدَهُ الرَّيَّانُ فِي حُفْرَةٍ عَلَى جَانِبِ النَّهْرِ فِي أَرْبَعِينَ أَوْ خَمْسِينَ قَتِيلًا، قَالَ: فَلَمَّا اسْتُخْرِجَ لَهُ نَظَرَ إِلَى عَضُدِهِ، فَإِذَا لَحْمٌ مُجْتَمِعٌ عَلَى مَنْكِبِهِ كَثَدْيِ الْمَرْأَةِ، لَهُ حَلَمَةٌ كَحَلَمَةِ الثَّدْيِ، عَلَيْهَا شَعَرَاتٌ سُودٌ، فَإِذَا مُدَّتِ امْتَدَّتْ حَتَّى تُحَاذِيَ يَدَهُ الْأُخْرَى، ثُمَّ تُتْرَكُ فَتَعُودُ إِلَى مَنْكِبِهِ كَثَدْيِ الْمَرْأَةِ. فَلَمَّا رَآهُ قَالَ عَلِيٌّ: أَمَا وَاللَّهِ لَوْلَا أَنْ تَتَّكِلُوا عَلَى غَيْرِ الْعَمَلِ لَأَخْبَرْتُكُمْ بِمَا قَضَى اللَّهُ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِمَنْ قَاتَلَهُمْ مُسْتَبْصِرًا فِي قِتَالِهِمْ عَارِفًا لِلْحَقِّ.
পৃষ্ঠা - ৬০৮৪
وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ فِي كِتَابِهِ فِي الْخَوَارِجِ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ الْأَحْمَسِيُّ، عَنْ نَافِعِ بْنِ مَسْلَمَةَ الْأَحْمَسِيِّ، قَالَ: كَانَ ذُو الثُّدَيَّةِ رَجُلًا مِنْ عُرَيْنَةَ مِنْ بَجِيلَةَ، وَكَانَ أَسْوَدَ شَدِيدَ السَّوَادِ، لَهُ رِيحٌ مُنْتِنَةٌ مَعْرُوفٌ فِي الْعَسْكَرِ، يُرَافِقُنَا عَلَى ذَلِكَ وَيُنَازِلُنَا وَنُنَازِلُهُ.
وَحَدَّثَنِي أَبُو إِسْمَاعِيلَ الْحَنَفِيُّ، عَنِ الرَّيَّانِ بْنِ صِبْرَةَ الْحَنَفِيِّ قَالَ: شَهِدْنَا النَّهْرَوَانَ مَعَ عَلِيٍّ، فَلَمَّا وَجَدَ الْمُخْدَجَ سَجَدَ سَجْدَةً طَوِيلَةً شُكْرًا لِلَّهِ.
وَحَدَّثَنِي سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ يُكَنَّى أَبَا مُوسَى، أَنَّ عَلِيًّا لَمَّا وَجَدَ الْمُخَدَجَ سَجَدَ.
وَحَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ حَبَّةَ الْعُرَنِيِّ قَالَ: لَمَّا قَتَلَ عَلِيٌّ أَهْلَ النَّهْرَوَانِ، جَعَلَ النَّاسُ يَقُولُونَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِي قَطَعَ دَابِرَهُمْ. فَقَالَ عَلِيٌّ: كَلَّا وَاللَّهِ إِنَّهُمْ لَفِي أَصْلَابِ الرِّجَالِ وَأَرْحَامِ النِّسَاءِ، فَإِذَا خَرَجُوا مِنْ بَيْنِ الشَّرَايِينِ فَقَلَّمَا يُقَاتِلُونَ أَحَدًا إِلَّا
পৃষ্ঠা - ৬০৮৫
أَلِفُوا أَنْ يَظْهَرُوا عَلَيْهِ. قَالَ: وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ الرَّاسِبِيُّ قَدْ قَحِلَتْ مَوَاضِعُ السُّجُودِ مِنْهُ مِنْ شِدَّةِ اجْتِهَادِهِ وَكَثْرَةِ سُجُودِهِ، وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: ذُو الْمَنْقَبَاتِ.
وَرَوَى الْهَيْثَمُ عَنْ بَعْضِ الْخَوَارِجِ أَنَّهُ قَالَ: مَا كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ مِنْ بَغْضَتِهِ لِعَلِيٍّ يُسَمِّيهِ إِلَّا الْجَاحِدَ.
وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جَابِرٍ قَالَ: سُئِلَ عَلِيٌّ عَنْ أَهْلِ النَّهْرَوَانِ أَمُشْرِكُونَ هُمْ؟ فَقَالَ: مِنَ الشِّرْكِ فَرُّوا. قِيلَ: أَفَمُنَافِقُونَ هُمْ؟ قَالَ: إِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَا يَذْكُرُونَ اللَّهَ إِلَّا قَلِيلًا. فَقِيلَ: فَمَا هُمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: إِخْوَانُنَا بَغَوْا عَلَيْنَا فَقَاتَلْنَاهُمْ بِبَغْيِهِمْ عَلَيْنَا. هَذَا مَا أَوْرَدَهُ ابْنُ جَرِيرٍ، وَغَيْرُهُ فِي هَذَا الْمَقَامِ.