ثم دخلت سنة سبع وثلاثين
صفة اجتماع الحكمين وهما أبو موسى الأشعري وعمرو بن العاص بدومة الجندل
পৃষ্ঠা - ৬০৬৪
ছিল তাকেও তিনি কােড়া মারেন ৷ এরপর লোকজন নিজ নিজ এলাকার দিকে যাত্রা করে ৷
আমর ইবন আস ও তার সংগীরা মুআবিয়ার কাছে পৌছে তাকে খিলাফতের রাজকীয় মুকুট
পরিয়ে দেয় ৷ অপর দিকে আবু মুসা আলীর সম্মুখে যেতে লজ্জাবােধ্ করে সরাসরি পবিত্র মক্কায়
চলে গেলেন ৷ ইবন আব্বাস ও শুরাইহ্ ইবন হানী আলীর কাছে প্রত্যাবর্তন করে আবু মুষা ও
ইবন আসেৱ কার্য-বিবরণী পেশ করেন ৷ সবাই বুঝলো যে, আবু মুসার মধ্যে বিচক্ষণতার
দারুণ অভাব ৷ আমর ইবন আসৈর সাথে তার কোন তুলনা করা যায় না ৷
আবু মাখনাফ আবু জানার কালবীর সুত্রে উল্লেখ করেছেন যে, আমর ইবন আসের
কর্মকাণ্ডের সংবাদ হযরত আলীর কাছে পৌছলে তিনি কুনুতের মধ্যে মুআবিয়া, আমর ইবন
আস, আবুল-আ’ওয়ার সুলামী, হাবীব ইবন মাসলামা, যাহ্হাক ইবন কইিস, আবদুর রাহমান
ইবন খালিদ ইবন ওয়ালীদ ও ওয়ালীদ ইবন উকবার উপর অভিশাপ করতেন ৷ এ সংবাদ
মুআবিয়ার কাছে পৌছলে তিনিও কুনুতের মধ্যে আলী, হাসান, হুসায়ন, ইবন আব্বাস ও
আশতার নাখঈর উপর অভিশাপ বর্ষণ করতেন, কিন্তু এ বর্ণনা সঠিক নয় ৷
ইমাম বায়হাকী তার দালাইল গ্রন্থে এ জাতীয় একটি হাদীসের উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি
আলী ইবন আহমাদ ইবন আবদান, আহমাদ ইবন উবাইদ সাফার, ইসমাঈল ইবন ফযল,
কুতাইবাহ্ ইবন সাঈদ, জারীর, যাকারিয়া ইবন ইয়াহ্ইয়ার সনদে আবদৃল্লাহ্ ইবন ইয়াযীদ ও
হাবীব ইবন ইয়াসার-এর সুত্রে সুওয়াইদ ইবন পাকল৷ হতে বর্ণনা করেন ৷ সুওয়াইদ বলেন,
একদা আমি হযরত আলীর সংগে ফোরাত নদীর তীর দিয়ে হীটছিলাম ৷ তিনি বললেন,
রক্ষ্ণসুলুল্পাহ্ফ্লো,বলেছেন; বনী ইসরাঈল পারস্পরিক মত-বিরোধে লিপ্ত হয় ৷ এ মত-ৰিরােধ্
চলতে থাকলে তা নিষ্পত্তির জন্যে তারা দু’জন সালিস নিয়োগ করে ৷ কিন্তু সালিসদ্বয়ও পথভ্রষ্ট
হয় এবং অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ট করে ৷ এই উম্মতের মধ্যেও অচিরেই মতবিরোধ দেখা দিয়ে
এবং তা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকবে ৷ শেষে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্যে তারা দুজন সালিস নিয়োগ
করবে ৷ কিন্তু সালিসদ্বয় পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে এবং তাদের অনুসারীরাও পথভ্রষ্ট হবে ৷ বিন্তু এ
হাদীস মুনকার এবং মারকু’ বর্ণনা মওয়ু’ ৷ কেননা, আলীর যদি এ হাদীস জানা থাকতো তা
হলে তিনি কখনও সালিস নিয়ােগের প্রস্তাব সমর্থন করতেন না এবং মানুষের পথভ্রষ্ট হওয়ার
পথ সুগম করে দিতেন না ৷ যেমন এ হাদীস থেকে স্পষ্টত তাই বোঝা যাচ্ছে ৷ এ হাদীস অগ্রাহ্য
হওয়ার কারণ হলো সনদে উল্লেখিত রাবী যাকারিয়া ইবন ইয়াহ্ইয়া আল-কিনৃদী,
আল-হিসৃইয়ারী, আল-আ’মা (অন্ধ) ৷ ইবন মুঈনের মন্তব্য হলো, হাদীস বংনািয় তার কোন
গ্রহণযোগ্যতা নেই ৷
খারির্জীদেৱ কুফা ত্যাগ ও আলীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ
হযরত আলী (রা) যখন আবু মুসা আশআরীকে প্রয়োজনীয় সৈন্যসহ দৃমাতুল জানদালে
পাঠান তখন খারিজীরা তাদের তৎপরতা অত্যন্ত বৃদ্ধি করে দেয় ৷ আলীর বিরুদ্ধে তীব্র
আন্দোলন গড়ে তোলে এবং প্রকাশ্যভাবে তাকে কাফির বলে আখ্যায়িত করে ৷ তাদের মধ্য
থেকে দুই ব্যক্তি যুরআ ইবন বাবৃজ তাঈ এবং হারকুস ইবন যুহাইর সাদী আলীর কাছে এসে
বলতে লাগলো এ ন্৷ ৷ ণ্হ্র ন্শ্ব আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও হুকুম নেই ৷ আলীও বললেন
এ ১ ৷ রু£ন্ঘু আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারও হুকুম নেই ৷ হারকুস বললো, আপনি নিজের কৃত
حُكْمَ إِلَّا لِلَّهِ. فَتُنَادُوا مِنْ كُلِّ جَانِبٍ: لَا حُكْمَ إِلَّا لِلَّهِ، لَا حُكْمَ إِلَّا لِلَّهِ. فَجَعَلَ عَلِيٌّ يَقُولُ: هَذِهِ كَلِمَةُ حَقٍّ أُرِيدَ بِهَا بَاطِلٌ. ثُمَّ قَالَ: إِنَّ لَكُمْ عَلَيْنَا أَنْ لَا نَمْنَعَكُمْ فَيْئًا مَا دَامَتْ أَيْدِيكُمْ مَعَنَا، وَأَنْ لَا نَمْنَعَكُمْ مَسَاجِدَ اللَّهِ، وَأَنْ لَا نَبْدَأَكُمْ بِالْقِتَالِ حَتَّى تَبْدَأُونَا بِهِ. ثُمَّ إِنَّهُمْ خَرَجُوا بِالْكُلِّيَّةِ عَنِ الْكُوفَةِ وَتَحَيَّزُوا إِلَى النَّهْرَوَانِ، عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ بَعْدَ حُكْمِ الْحَكَمَيْنِ.
[صِفَةُ اجْتِمَاعِ الْحَكَمَيْنِ وَهُمَا أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ بِدُومَةِ الْجَنْدَلِ]
صِفَةُ اجْتِمَاعِ الْحَكَمَيْنِ وَهُمَا أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، بِدُومَةِ الْجَنْدَلِ
وَكَانَ ذَلِكَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ كَمَا تَشَارَطُوا عَلَيْهِ وَقْتَ التَّحْكِيمِ بِصِفِّينَ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: اجْتَمَعُوا فِي شَعْبَانَ. وَذَلِكَ أَنَّ عَلِيًّا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَمَّا كَانَ مَجِيءُ رَمَضَانَ، بَعَثَ أَرْبَعَمِائَةِ فَارِسٍ مَعَ شُرَيْحِ بْنِ هَانِئٍ، وَمَعَهُمْ أَبُو مُوسَى، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، وَإِلَيْهِ الصَّلَاةُ، وَبَعَثَ مُعَاوِيَةُ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ فِي أَرْبَعِمِائَةٍ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ وَمَعَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، ابْنُهُ فَتَوَافَوْا بِدُومَةِ
পৃষ্ঠা - ৬০৬৫
গুনাহ থেকে তওবা করুন এবং আমাদের সংগে থেকে শত্রুর বিরুদ্ধে জীবনের শেষ রক্তবিন্দু
দিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করুন ৷ আলী (রা) বললেন, আমি তো তোমাদের থেকে তইি চেয়েছিলাম
কিন্তু৫ তামরাই ভো অস্বীকার করলে ৷ এখন তাদের ও আমাদের মধ্যে একটা লিখিত চুক্তিপত্র
হয়েছে ৷ আর চুক্তির ব্যাপারে মহান আল্লাহ্ ইরশাদ করেন : ন্;ওশ্রুাহ্র ৷ ৷ ৷ ধ্৷ ৷াহুষ্ দ্বু £;’,’’,
তোমরা আল্লাহ্ৱ অৎগীকার পুর্ণ করে৷ যখন পরস্পর অৎগীকার কর (নাহল৪ ৯১) ৷
হারকুস বললো, এ অৎগীকার একটি পাপ, এর থেকে আপনার তওবা করা উচিত ৷ আলী
(রা) বললেন, এটি পাপ নয়, বরৎ বলা যায় এটা একটি দুর্বল মত ৩৷ আমি তাে তোমাদের কাছে
সালিসি প্রস্তাবের শুঢ় রহস্য সম্পর্কে সতর্ক করে এর থেকে ফিরে থাকতে বলেছিলাম ৷ যুরআ
ইবন বুর জ বললো, হে আলী! আপনি যদি আল্লাহর কিভাবে সালিস মানা ত্যাগ না করেন তা
হলে আমরা আল্লাহর রহমত ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনার বিরুদ্ধে লড়ইি করবো ৷ আলী বললেন,
তুমি ধ্বংস হও তুমি কি আমাকে লাশ মনে করেছে৷ ৷ মনে রেখ, তোমার দেহ মাটিতে আচ্ছন্ন
হয়ে যাবে ৷ যুরআ বল ৰলা, সেটাইতাে আমার কাম্য ৷ আলী বললেন, তুমি যদি সঠিক পথের
উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে তা হলে দুনিয়া থেকে বিদায়কালে প্রশান্তি লাভ করতে ৩৷ কিন্তু শয়ত
যে তােমাদেরকে প্ৰতারণার জালে আবদ্ধ করে ফেলেছে ৷ এরপর তারা উভয়ে সেখান থেকে
দর্পভরে চলে যায় এবং জনগণের মধ্যে এসব কথা নিয়ে প্রচার প্রপাগান্ডা করতে থাকে ৷ আলী
যখন খুত্ব৷ দিতে পারেন তখন তারা গােরগােল করে খুতবায় বাধার সৃষ্টি করতো, গালাগাল
দিতে৷ এবং কুরআনের আয়াত পড়ে কটাক্ষ করতো ৷ কোন এক জুমুআর খুতবায় তিনি
থারিজীদের বিষয়ে আলোচনার মধ্যে তাদেরকে সমালোচনা করেন ও তিরস্কার জানান ৷ তখন
খাব্লিজীদের একটি দল প্রতিবাদ জানাতে র্দাড়িয়ে যায় এবং সবইি চিৎকার দিয়ে বলতে থাকে ১’
দ্ব৷ ৷ ণ্হ্রন্ আল্লাহ ছাড়া কোন হুকুমদাত৷ নেই ৷ তাদের একজন কানে আৎগু প্রবেশ করে এ
আয়াত পড়তে থাকে :
তোমার প্রতি ও তোমার পুর্ববর্তীণ্দর প্রতি অবশ্যই ওহী হয়েছে ৷ তুমি আল্লাহর শরীক স্থির
কালে তোমার কর্ম তো নিবৃফল হবে এবং অবশ্য তুমি হবে ক্ষতিগ্রস্ত ৷ (যুমারং ৬৫) ৷
এ আয়াত শুনে হযরত আলী (রা) মিম্বরের উপর থেকে এর সমর্থন করে উভয় হাত
উলটপালট করে বললেন, আমরা তোমাদের সম্বন্ধে আল্লাহ্র ফয়সালার অপেক্ষায় আছি ৷
এরপর আলী (রা) বললেন, তোমরা আমাদের থেকে যে ব্যবহার পারে তা হলো, আমরা
াতামা৷দরকে আমাদের মসজিদে সালাত আদায় করতে নিষেধ করবো না, যতক্ষণ পর্যন্ত
বিদ্রোহ না কর ৷ যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের দায়-দায়িৎ আমাদের উপর থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত
তােমাদ্যো প্রাপ্য অংশ থেকে বঞ্চিত করবো না এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে
হাতিয়ার না তৃলবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তে যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো না ৷
আবু মাখনাফ আবদুল মালিকের সুত্রে আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেন যে, আলী (রা)
যখন আবু মুসাকে সালিস কার্যকর করার জন্যে পাঠান, তখন সকল খারিজী আবদৃল্লাহ্ ইবন
ওহাব রাসিবির গৃহে সমবেত ৩হয় ৷ ইবন ওহাব৩ তাদের উদ্দেশ্যে এক জ্বালাময়ীভা ৷ষণ দের ৷
দুনিয়ার মোহ থেকে মুক্ত হতে, আখিরাত ও জান্নাঙে তর প্রতি লালায়িত হতে এবং ভাল কাজের
الْجَنْدَلِ بِأَذْرُحَ - وَهِيَ نِصْفٌ بَيْنَ الشَّامِ وَالْكُوفَةِ، بَيْنَهَا وَبَيْنَ كُلٍّ مِنَ الْبَلَدَيْنِ تِسْعُ مَرَاحِلَ - وَشَهِدَ ذَلِكَ مَعَهُمْ جَمَاعَةٌ مِنْ رُءُوسِ النَّاسِ ; كَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَالْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ الْمَخْزُومِيِّ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ الزُّهْرِيِّ، وَأَبِي جَهْمِ بْنِ حُذَيْفَةَ. وَزَعَمَ بَعْضُ النَّاسِ أَنَّ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ شَهِدَهُمْ أَيْضًا، وَأَنْكَرَ حُضُورَهُ آخَرُونَ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ خَرَجَ إِلَى أَبِيهِ وَهُوَ بِمَاءٍ لِبَنِي سُلَيْمٍ مُعْتَزِلٌ بِالْبَادِيَةِ، فَقَالَ: يَا أَبَهْ، قَدْ بَلَغَكَ مَا كَانَ مِنَ النَّاسِ بِصِفِّينَ، وَقَدْ حَكَّمَ النَّاسُ أَبَا مُوسَى الْأَشْعَرِيَّ، وَعَمْرَو بْنَ الْعَاصِ، وَقَدْ شَهِدَهُمْ نَفَرٌ مِنْ قُرَيْشٍ، فَاشْهَدْهُمْ فَإِنَّكَ صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَحَدُ أَصْحَابِ الشُّورَى، وَلَمْ تَدْخُلْ فِي شَيْءٍ كَرِهَتْهُ هَذِهِ الْأُمَّةُ، فَاحْضُرْ إِنَّكَ أَحَقُّ النَّاسِ بِالْخِلَافَةِ. فَقَالَ: لَا أَفْعَلُ، إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِنَّهُ سَتَكُونُ فِتْنَةٌ، خَيْرُ النَّاسِ فِيهَا الْخَفِيُّ التَّقِيُّ» . وَاللَّهِ لَا أَشْهَدُ شَيْئًا مِنْ هَذَا الْأَمْرِ أَبَدًا.
وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ عَبْدُ الْكَبِيرِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، ثَنَا بُكَيْرُ بْنُ مِسْمَارٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ أَخَاهُ عُمَرَ انْطَلَقَ
পৃষ্ঠা - ৬০৬৬
إِلَى سَعْدٍ فِي غَنَمٍ لَهُ خَارِجًا مِنَ الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا رَآهُ سَعْدٌ قَالَ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شَرِّ هَذَا الرَّاكِبِ، فَلَمَّا أَتَاهُ قَالَ: يَا أَبَهْ، أَرَضِيتَ أَنْ تَكُونَ أَعْرَابِيًّا فِي غَنَمِكَ وَالنَّاسُ يَتَنَازَعُونَ فِي الْمُلْكِ بِالْمَدِينَةِ؟ فَضَرَبَ سَعْدٌ صَدْرَ عُمَرَ وَقَالَ: اسْكُتْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْعَبْدَ التَّقِيَّ الْغَنِيَّ الْخَفِيَّ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ ".
وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، ثَنَا كَثِيرُ بْنُ زَيْدٍ الْأَسْلَمِيُّ، عَنِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ جَاءَهُ ابْنُهُ عَامِرٌ فَقَالَ: يَا بُنَيَّ، أَفِي الْفِتْنَةِ تَأْمُرُنِي أَنْ أَكُونَ رَأْسًا؟ لَا وَاللَّهِ حَتَّى أُعْطَى سَيْفًا إِنْ ضَرَبْتُ بِهِ مُؤْمِنًا نَبَا عَنْهُ، وَإِنْ ضَرَبْتُ بِهِ كَافِرًا قَتَلْتُهُ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْغَنِيَّ الْخَفِيَّ التَّقِيَّ»
وَهَذا السِّيَاقُ كَأَنَّهُ عَكْسُ الْأَوَّلِ، وَالظَّاهِرُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ سَعْدٍ اسْتَعَانَ بِأَخِيهِ عَامِرٍ عَلَى أَبِيهِ، لِيُشِيرَ عَلَيْهِ أَنْ يَحْضُرَ أَمْرَ التَّحْكِيمِ لَعَلَّهُمْ يَعْدِلُونَ عَنْ عَلِيٍّ وَمُعَاوِيَةَ وَيُوَلُّونَهُ، فَامْتَنَعَ سَعْدٌ مِنْ ذَلِكَ وَأَبَاهُ أَشَدَّ الْإِبَاءِ وَقَنِعَ بِمَا هُوَ فِيهِ مِنَ الْكِفَايَةِ وَالْخَفَاءِ، كَمَا ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «قَدْ أَفْلَحَ
পৃষ্ঠা - ৬০৬৭
আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধ করতে তাদেরকে উৎসাহিত করে ৷ এরপর সে তাদেরকে বলে,
সালিসের যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তা সুস্পষ্ট জুলুম আমরা এ সালিস মানি না ৷ যে জনপদের
অধিবাসীরা জালিম সে জনপদ থেকে আমাদের ভাইদের বের করে পার্শ্ববর্তী এই পাহাড়ের
কোন হাটিতে কিৎৰা কোন শহরে নিয়ে চলো ৷ এরপর হারকুস ইবন যুহাইর ভাষণ দিতে
দণ্ডায়মান হয় ৷ মহান আল্লাহর প্রাণৎস৷ করার পর বলে, এই নশ্বরব্দুনিয়ার সম্পদ খুবই কম ৷
শীঘ্রই এখান থেকে সবাইকে চলে যেতে হবে ৷ এখানকার সৌন্দর্য ও চাকচিক্য যেন
তােমাদেরকে আকর্ষণ করতে না পারে ৷ সত্যের দাবি ও জুলুমের উচ্ছেদ কামনা থেকে কোন
কিইে যেন তােমাদেরকে ফিরিয়ে না রাখে ;;
আল্লাহ্ তড়াদেরই সংগে আছেন যারা তাক্ওয়া অবলম্বন করে এবং যারা সৎকর্মপরায়ণ
(নাহলষ্ক ১ ২৮) ৷
এরপর সিনান ইবন হড়ামযাহ্ আসাদী উঠে বল্ল্লো, ভাইসব! তোমরা যা চিভা-উপলব্ধি
করেছ এটাই আসল চিন্তাউপলব্ধি ৷ আর তোমরা যা আলোচনা করছে৷ এটাই সত্য-সঠিক ৷
এখন এ কাজ পরিচালনার জন্যে তোমাদের মধ্য হতে একজনকে আমীর নিযুক্ত কর ৷
তোমাদের একটা স্তন্তের দরকার ৷ একটা পতাকার দরকার যাকে কেন্দ্র করে তোমরা
পরিচালিত হয়ে এবং যার দিকে প্রত্যাবর্তন করবে ৷ সিনড়ানেৱ ঘোষণা মতে তারা তাদের নেতা
যাইদ ইবন হাসান তাঈর নিকট আমীর পদ গ্রহণ করার প্রস্তাব পাঠয়ে ৷ কিন্তু এ পদ গ্রহণ
করতে সে অস্বীকৃতি জানায় ৷ এরপর পর্যায়ক্রমে হারকুস ইবন যুহাইর, হড়ামযাহ্ ইবন সিনান ও
শুরাইহ্ ইবন আবু আওফা আবাসির নিকট আমীরের পদ গ্রহণ করার প্রস্তাব পাঠানো হয় ৷ কিন্তু
সকলেই এ দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে ৷ অবশেষে তারা আবদুল্লাহ ইবন ওহাব রাসিবীর কাছে
প্রস্তাব দিলে সে গ্রহণ করে এবং বলেং আল্পাহ্র কসম! দুনিয়ার ল্যেভে অমি এ পদ গ্রহণ
করছি না ৷ আর মৃত্যু থেকে পালাবার ভয়ে ছাড়তেও পারছি না ৷ এ পর্ব শেষ হলে৩ তারা যাইদ
ইবন হাসান তাঈ সাৰাসীর গৃহে সমবেত হয় ৷ সেখানে ইবন ওহাব তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ
দিয়ে সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধে তৎপর হতে উদ্বুদ্ধ করে ৷ এ উপলক্ষে সে
পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত পড়ে শোনায় ৷ যথা :
গােণ্, ৷
হে দাউদ আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব তুমি লোকদের মধ্যে
সুবিচার কর এবং খেয়াল খুশির অনুসরণ করে৷ না ৷ কেননা তা তোমাকে আল্লাহ্র পথ হতে
বিচ্যুত করবে ৷ (সাদ : ২৬) ৷
মহান আল্লাহর বাণী :
আ ল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনৃসারে যারা বিধান দেয় না, তীরাই কাফির’ (মায়িদা : ৪৪) ৷
مَنْ أَسْلَمَ وَرُزِقَ كَفَافًا، وَقَنَّعَهُ اللَّهُ بِمَا آتَاهُ» . وَكَانَ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ هَذَا يُحِبُّ الدُّنْيَا وَالْإِمَارَةَ، فَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ دَأْبَهُ حَتَّى كَانَ هُوَ مِنَ السَّرِيَّةِ الَّتِي قَتَلَتِ الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ وَلَوْ قَنِعَ بِمَا كَانَ عَلَيْهِ أَبُوهُ لَمْ يَكُنْ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ سَعْدًا لَمْ يَحْضُرْ أَمْرَ التَّحْكِيمِ وَلَا أَرَادَ ذَلِكَ وَلَا هَمَّ بِهِ، وَإِنَّمَا حَضَرَهُ مَنْ ذَكَرْنَا، فَلَمَّا اجْتَمَعَ الْحَكَمَانِ تَرَاوَضَا عَلَى الْمَصْلَحَةِ لِلْمُسْلِمِينَ بِعِلْمٍ وَنَظَرٍ فِي تَقْدِيرِ أُمُورٍ، ثُمَّ اتَّفَقَا عَلَى أَنْ يَعْزِلَا عَلِيًّا وَمُعَاوِيَةَ، ثُمَّ يَجْعَلَا الْأَمْرَ شُورَى بَيْنَ النَّاسِ لِيَتَّفِقُوا عَلَى الْأَصْلَحِ لَهُمْ مِنْهُمَا أَوْ مِنْ غَيْرِهِمَا، وَقَدْ أَشَارَ أَبُو مُوسَى بِتَوْلِيَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَقَالَ لَهُ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: فَوَلِّ ابْنِي عَبْدَ اللَّهِ، فَإِنَّهُ يُقَارِبُهُ فِي الْعِلْمِ وَالْعَمَلِ وَالزُّهْدِ. فَقَالَ لَهُ أَبُو مُوسَى: إِنَّكَ قَدْ غَمَسْتَ ابْنَكَ فِي الْفِتَنِ وَالدُّنْيَا مَعَكَ، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ رَجُلُ صِدْقٍ.
قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: فَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ لَا يُصْلِحُهُ إِلَّا رَجُلٌ لَهُ ضِرْسٌ يَأْكُلُ وَيُطْعِمُ. وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ فِيهِ غَفْلَةٌ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ: يَا عَبْدَ اللَّهِ افْطَنْ وَانْتَبِهْ.
পৃষ্ঠা - ৬০৬৮
فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: لَا وَاللَّهِ لَا أَرْشُو عَلَيْهَا شَيْئًا أَبَدًا. ثُمَّ قَالَ: يَا ابْنَ الْعَاصِ، إِنَّ الْعَرَبَ قَدْ أَسْنَدَتْ إِلَيْكَ أَمْرَهَا بَعْدَ مَا تَقَارَعَتْ بِالسُّيُوفِ وَتَشَاكَّتْ بِالرِّمَاحِ، فَلَا تَرُدَّنَّهُمْ فِي فِتْنَةٍ مِثْلِهَا أَوْ أَشَدَّ مِنْهَا. ثُمَّ إِنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ حَاوَلَ أَبَا مُوسَى عَلَى أَنْ يُقِرَّ مُعَاوِيَةَ وَحْدَهُ عَلَى النَّاسِ فَأَبَى عَلَيْهِ، ثُمَّ حَاوَلَهُ لِيَكُونَ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو هُوَ الْخَلِيفَةُ، فَأَبَى أَيْضًا، وَطَلَبَ أَبُو مُوسَى مِنْ عَمْرٍو أَنْ يُوَلِّيَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَأَبَى عَمْرٌو أَيْضًا، ثُمَّ اصْطَلَحَا عَلَى أَنْ يَخْلَعَا مُعَاوِيَةَ وَعَلِيًّا وَيَتْرُكَا الْأَمْرَ شُورَى بَيْنَ النَّاسِ لِيَتَّفِقُوا عَلَى مَنْ يَخْتَارُوهُ لِأَنْفُسِهِمْ، ثُمَّ جَاءَا إِلَى الْمَجْمَعِ الَّذِي فِيهِ النَّاسُ - وَكَانَ عَمْرٌو لَا يَتَقَدَّمُ بَيْنَ يَدَيْ أَبِي مُوسَى بَلْ يُقَدِّمُهُ فِي كُلِّ الْأُمُورِ أَدَبًا وَإِجْلَالًا - فَقَالَ لَهُ: يَا أَبَا مُوسَى قُمْ فَأَعْلِمِ النَّاسَ بِمَا اتَّفَقْنَا عَلَيْهِ.
فَخَطَبَ أَبُو مُوسَى النَّاسَ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ صَلَّى عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى لِلَّهِ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا قَدْ نَظَرْنَا فِي أَمْرِ هَذِهِ الْأُمَّةِ فَلَمْ نَرَ أَمْرًا أَصْلَحَ لَهَا وَلَا أَلَمَّ لِشَعَثِهَا مَنْ رَأَيٍ قَدِ اتَّفَقْتُ أَنَا وَعَمْرٌو عَلَيْهِ، وَهُوَ أَنَّا نَخْلَعُ عَلِيًّا وَمُعَاوِيَةَ وَنَتْرُكُ الْأَمْرَ شُورَى، وَتَسْتَقْبِلُ الْأُمَّةُ هَذَا الْأَمْرَ فَيُوَلُّوا عَلَيْهِمْ مَنْ أَحَبُّوهُ وَاخْتَارُوهُ، وَإِنِّي قَدْ خَلَعْتُ عَلِيًّا وَمُعَاوِيَةَ. ثُمَّ تَنَحَّى وَجَاءَ عَمْرٌو فَقَامَ مَقَامَهُ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّ هَذَا قَالَ مَا قَدْ سَمِعْتُمْ، وَإِنَّهُ قَدْ خَلَعَ صَاحِبَهُ، وَإِنِّي قَدْ خَلَعْتُهُ أَيْضًا كَمَا خَلَعَهُ، وَأَثْبَتُّ صَاحِبِي مُعَاوِيَةَ، فَإِنَّهُ وَلِيُّ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَالطَّالِبُ بِدَمِهِ، وَهُوَ أَحَقُّ النَّاسِ بِمَقَامِهِ. وَكَانَ عَمْرٌو رَأَى
পৃষ্ঠা - ৬০৬৯
কোন আয়াতে আছে, তারাই ফাসিক, কোন আয়াতে আছে, তারাই জালিম ৷ এ
আয়াতগুালাও সে তিলাওয়াত করে শোনার ৷ এরপর সে বললাে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আমাদের
একই কিবলার অনুসারী যাদের কাছে আমরা দাওয়াত পৌছাতে চইি, তারা নিজেদের
খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে চলছে ৷ কিতাবের বিধানকে উপেক্ষা করছে এবং কথায় ও কাজে
জুলুর্মেৰু আশ্রয় নিয়েছে ৷ এদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা মু’মিনদের উপর ফরজ ৷ এ ভাষণ শুনে
আবদুল্লাহ্ইবন সাখবুর৷ সুলামী নামে জনৈক খারিজী ত্রুন্দন করতে থাকে ৷ এরপর সে
তাদেরকে যুদ্ধে বেরিয়ে পড়ার জন্যে উত্তেজনাকর ভাষণ দেয় ৷ ভাষণে বলে, আল্লাহর সন্তুষ্টির
জন্যে তোমরা ওদের মুখে ও কপালে তলোয়ার মার ৷ যদি তোমরা আল্লাহর ইচ্ছার বিজয় লাভ
ধ্ কর তাহলে তিনি তােমাদেরকে তার হুকুম পালনকারীদের সমান সওয়াব দিবেন ৷ আর যদি
তোমরা মারা যাও, তা হলে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাতের দিকে যাওয়ার চেয়ে অধিক ফযীলতের
কাজ আর কি থাকতে পারে ?
গ্রন্থকার বলেন, খারিজীরা ছিল বনী-আদমের মধ্যে এক ব্যতিক্রমী সৃষ্টি ৷ পবিত্র সেই সত্তা
যিনি তার ইচ্ছা অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীতে তার সৃষ্টিকে বিভিন্ন রুপ দান করেছেন এবং তার মহা
শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছেন ৷ জনৈক প্রাচীন মনীষী কতই না ভাল উক্তি করেছেন যে, পবিত্র
কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতে খারিব্জীদের কথইি উল্লেখ করা হয়েছে ৷ যথা :
চু;ট্ট৷ ৷ ;া;ৰু
ষ্
অর্থ ং “বল, আমি কি ভোমাদেরকে সংবাদ দিব কর্মে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্তদের ? ওরা তারাই,
পার্থিব জীবনে যাদের প্রচেষ্টা পণ্ড হয়, যদিও তারা মনে করে যে, তারা সৎকঙ্কইি করছে ৷ ওরা
তারাই, যারাঅম্বীকার করে ওদের প্রতিপালকের নির্দেশাবলী এবং তার সাথে ওদের সাক্ষাতের
বিষয় ৷ ফলে ওদের কম fi¥fifi হয়ে যায় ৷ কাজেই কিয়ামতের দিন ওদের জন্যে ওজনের কোন
ব্যবস্থা রাখবাে না” (কাহ্ ফং ১০৩ ১০৫) ৷
মোটকথা খ-ারিজীদের এ দলটি ভ্রান্তির ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত ৷ কথায় ও কাজে তারা
অত্যন্ত রুষ্ট ও রুক্ষ্ম ৷ আলোচনা শেষে তারা ঐকমত্যে পৌছে যে, মুসলমানদের এ এলাকা
ছেড়ে মাদাইন শহরে চলে যাবে ৷ তাদের যুক্তি হলো, মাদাইন শহর তারা দখল করে সেখানে
নিরাপত্তা দুর্গ তৈরি করবে ৷ সেখান থেকে বসরা ও অন্যান্য স্থানে তাদের সম আদার্শর যে সব
লোকজন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাদেরকে সব বাদ দিয়ে এখানে জ ড়াে করবে ৷ এই পরিকল্পনা
যখন প্রায় চুড়ান্ত তখন যইিদ ইবন হাসান তাঈ বললো তোমরা মাদাইন দখল করতে পারবে
না, সেখানে দৃর্ধর্ষ সেনাবাহিনী আছে ৷ তাদেরকে তোমরা কিছুতেই পর্বুদস্ত করতে পারবে না ৷
তারা তােমা দেরকে তাড়িয়ে দিয়ে ৷ বরং আমার পরামর্শ হলো, তোমরা াতামাদের সকল সাথী
বন্ধুদেরকে নাহ্রে জাওখাব্ল পুলের কাছে সমবেত হতে বলো ৷ যইিদ আরও বললো, কুফ৷ থেকে
তোমরা দলবদ্ধভাবে বের ইেও না; বরছু একজন একজন করে হও ৷ যাতে াকউ তোমাদের
বিষয়টি বুঝাতনা পারে ৷ এ পরামর্শ সকলের পছর্ল হলো ৷ ট্রু
مِنَ الْمَصْلَحَةِ أَنَّ تَرْكَ النَّاسِ بِلَا إِمَامٍ - وَالْحَالَةُ هَذِهِ - يُؤَدِّي إِلَى مَفْسَدَةٍ طَوِيلَةٍ عَرِيضَةٍ أَعْظَمَ مِمَّا النَّاسُ فِيهِ مِنَ الِاخْتِلَافِ، فَأَقَرَّ مُعَاوِيَةَ لَمَّا رَأَى ذَلِكَ مِنَ الْمَصْلَحَةِ فَاجْتَهَدَ، وَالِاجْتِهَادُ يُخْطِئُ وَيُصِيبُ. وَيُقَالُ: إِنَّ أَبَا مُوسَى تَكَلَّمَ مَعَ عَمْرٍو بِكَلَامِ فِيهِ غِلْظَةٌ، وَرَدَّ عَلَيْهِ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ مِثْلَهُ.
وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ شُرَيْحَ بْنَ هَانِئٍ - مُقَدَّمَ جَيْشِ عَلِيٍّ - وَثَبَ عَلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ فَضَرَبَهُ بِالسَّوْطِ، وَقَامَ إِلَيْهِ ابْنٌ لِعَمْرٍو فَضَرَبَهُ بِالسَّوْطِ، وَتَفَرَّقَ النَّاسُ فِي كُلِّ وَجْهٍ إِلَى بِلَادِهِمْ، فَأَمَّا عَمْرٌو وَأَصْحَابُهُ فَدَخَلُوا عَلَى مُعَاوِيَةَ، فَسَلَّمُوا عَلَيْهِ بِتَحِيَّةِ الْخِلَافَةِ، وَأَمَّا أَبُو مُوسَى فَاسْتَحْيَى مِنْ عَلِيٍّ فَذَهَبَ إِلَى مَكَّةَ، وَرَجَعَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَشُرَيْحُ بْنُ هَانِئٍ إِلَى عَلِيٍّ، فَأَخْبَرَاهُ بِمَا فَعَلَ أَبُو مُوسَى وَعَمْرٌو، فَاسْتَضْعَفُوا رَأْيَ أَبِي مُوسَى، وَعَرَفُوا أَنَّهُ لَا يُوَازِنُ عَمْرًا. فَذَكَرَ أَبُو مِخْنَفٍ، عَنْ أَبِي جَنَابٍ الْكَلْبِيِّ أَنَّ عَلِيًّا لَمَّا بَلَغَهُ مَا فَعَلَ عَمْرٌو كَانَ يَلْعَنُ فِي قُنُوتِهِ مُعَاوِيَةَ، وَعَمْرَو بْنَ الْعَاصِ، وَأَبَا الْأَعْوَرِ السُّلَمِيَّ، وَحَبِيبَ بْنَ مَسْلَمَةَ، وَالضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَالْوَلِيدَ بْنَ عُتْبَةَ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ مُعَاوِيَةَ أَيْضًا، كَانَ يَلْعَنُ فِي قُنُوتِهِ عَلِيًّا وَحَسَنًا وَحُسَيْنًا وَابْنَ عَبَّاسٍ وَالْأَشْتَرَ النَّخَعِيَّ. وَلَا
পৃষ্ঠা - ৬০৭০
يَصِحُّ هَذَا عَنْهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ ": أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، أَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ الْفَضْلِ، ثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ وَحَبِيبِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ قَالَ: إِنِّي لَأَمْشِي مَعَ عَلِيٍّ بِشَطِّ الْفُرَاتِ فَقَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ اخْتَلَفُوا فَلَا يَزَالُ اخْتِلَافُهُمْ بَيْنَهُمْ حَتَّى يَبْعَثُوا حَكَمَيْنِ فَضَلَّا وَأَضَلَّا، وَإِنَّ هَذِهِ الْأُمَّةَ سَتَخْتَلِفُ فَلَا يَزَالُ اخْتِلَافُهُمْ بَيْنَهُمْ حَتَّى يَبْعَثُوا حَكَمَيْنِ، فَيَضِلَّانِ وَيُضِلَّانِ مَنِ اتَّبَعَهُمَا» . فَإِنَّهُ حَدِيثٌ مُنْكَرٌ وَرَفْعُهُ مَوْضُوعٌ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ - إِذْ لَوْ كَانَ هَذَا مَعْلُومًا عِنْدَ عَلِيٍّ لَمْ يُوَافِقْ عَلَى تَحْكِيمِ الْحَكَمَيْنِ حَتَّى لَا يَكُونَ سَبَبًا لِإِضْلَالِ النَّاسِ، كَمَا فِي هَذَا الْحَدِيثِ. وَآفَةُ هَذَا الْحَدِيثِ هُوَ زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى، وَهُوَ الْكِنْدِيُّ الْحِمْيَرِيُّ الْأَعْمَى. قَالَ ابْنُ مَعِينٍ: لَيْسَ بِشَيْءٍ.