আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وثلاثين

مناظرة علي رضي الله عنه للخوارج

পৃষ্ঠা - ৬০৫৮
الْمُخْدَجِ الَّذِي أَخْبَرَ بِهِ الرَّسُولُ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوُجِدَ كَمَا أَخْبَرَ، فَفَرِحَ بِذَلِكَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَسَجَدَ شُكْرًا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. [مُنَاظَرَةُ عَلِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لِلْخَوَارِجِ] فَصْلٌ (مُنَاظَرَةُ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لِلْخَوَارِجِ) قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ عَلِيًّا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَمَّا رَجَعَ مِنَ الشَّامِ بَعْدَ وَقْعَةِ صِفِّينَ، ذَهَبَ إِلَى الْكُوفَةِ فَلَمَّا دَخَلَهَا اعْتَزَلَهُ طَائِفَةٌ مِنْ جَيْشِهِ، قِيلَ: سِتَّةَ عَشَرَ أَلْفًا. وَقِيلَ: اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا. وَقِيلَ: أَقَلُّ مِنْ ذَلِكَ. فَبَايَنُوهُ، وَخَرَجُوا عَلَيْهِ، وَأَنْكَرُوا عَلَيْهِ أَشْيَاءَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، فَنَاظَرَهُمْ فِيهَا وَرَدَّ عَلَيْهِمْ مَا تَوَهَّمُوهُ مِنَ الشُّبْهَةِ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ حَقِيقَةٌ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ، فَرَجَعَ بَعْضُهُمْ، وَاسْتَمَرَّ بَعْضُهُمْ عَلَى ضَلَالِهِ حَتَّى كَانَ مِنْهُمْ مَا سَنُورِدُهُ قَرِيبًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَيُقَالُ: إِنَّ عَلِيًّا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، ذَهَبَ إِلَيْهِمْ فَنَاظَرَهُمْ فِيمَا نَقَمُوا عَلَيْهِ حَتَّى اسَتَرْجَعَهُمْ عَمَّا كَانُوا عَلَيْهِ، وَدَخَلُوا مَعَهُ الْكُوفَةَ، ثُمَّ إِنَّهُمْ عَادُوا فَنَكَثُوا مَا عَاهَدُوا عَلَيْهِ، وَتَعَاقَدُوا وَتَعَاهَدُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ عَلَى الْقِيَامِ بِالْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَالْقِيَامِ عَلَى النَّاسِ فِي ذَلِكَ ثُمَّ تَحَيَّزُوا نَاحِيَةً إِلَى مَوْضِعٍ يُقَالُ لَهُ: النَّهْرَوَانُ. وَفِيهِ قَاتَلَهُمْ عَلِيٌّ كَمَا سَيَأْتِي.
পৃষ্ঠা - ৬০৫৯


আযরাহ প্রদেশের দুমাতুল জানদাল নামক স্থানে একাত্রত হয় ৷ এ স্থানটি কুফা ও নাম থেকে
সমান দুরত্বে অবস্থিত ৷ এখান থেকে উভয় শহরের দুরত্ব নয় মারহালা ৷ সালিস কার্য দেখার
জন্যে মুসলিম সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তথায় উপস্থিত ছিলেন ৷ যেমন আবদুল্লাহ্ ইবন
উমর, আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর, মুগীরাহ্ ইবন শু’ৰাহ্, আবদুর রহমান ইবন হারিছ ইবন হিশাম
মাখয়ুমী, আবদুর রহমান ইবন আবদে ইয়াপুছ যুহরী এবং আবু জাহান ইবন হুযাইফাহ্ ৷ কেউ
কেউ বলেছেন যে, সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাসও সেখানে অংশ্যাহণ করেছেন ৷ বিক্ষ্ম অন্যরা তা
অস্বীকার করেন ৷
ইবন জায়ীর লিখেছেন, সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস গােলযােপ থেকে দুরে থাকার জন্যে
মরুদ্যানে বণু সালিমের কুয়াৱ কাছে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন ৷ তার ছেলে উমর ইবন সা’দ
তথায় গিয়ে বললো, আব্বাজান ! সিফফীন প্রাত্তরে মানুষের কি অবস্থা হয়েছে তা আপনি
শুনেছেন ৷ সেখানে মুসলিম জনতা আবু মুসা আশআরী ও অড়ামর ইবন আসকে সালিস নিযুক্ত
করেছেন ৷ কুরায়শদের অনােইে সালিস বৈঠকে উপস্থিত হয়েছে ৷ আপনিও তথায় চলুন ৷
আপনি রাসুলুল্লাহ্লোঃ এর সংপী এবং মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য ৷ এই উম্মতের কোন
ক্ষতিকর কার্জে আপনি জড়িত হননি ৷ কাজেই, আপনি এই সালিসি বৈঠকে উপস্থিত হন ৷
খিলাফতের দায়িত্ব পাওয়ার অধিক যোগ্য ব্যক্তি এখন আপনিই ৷ পিতা বললেন, আমি তা
করবো না ৷ কেননা, রাসুলুল্লাহ্লোঃ ণ্ক আমি বলতে শ্যুনছি, অচিরেই সমাত্তেরে বুকে ফিৎনা
দেখা দািব ৷ সে সময়ে যে ব্যক্তি লুকিয়ে থাকবে ও সতর্ক থাকবে সে-ই ভাল থাকতে পারবে ৷
আল্লাহ্র কসম ! আমি কখনই এ জাতীয় কাজে অংশগ্রহণ করবো না ৷
ইমাম আহমদ আমির ইবন সাদ (ইবন আবু ওয়াক্কাস) থেকে বর্ণনা করেন যে,
আমির ইবন সাদের ভইি উমর ইবন সাদ কিছু বকয়ী সাথে নিয়ে পবিত্র মদীনায় বাইরে তার
পিতা সাদের কাছে যায় ৷ সাদ তাকে দেখেই বললেন : এই আগমনকারী আরােহীর অনিষ্ট
হতে আমি মহান আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি ৷ যখন সে কাছে আসলাে তখন বললো,
হে পিতা ! আপনি কি এতে সত্তুষ্ট যে, মেৰ্-বকয়ী নিয়ে এখানে আপনি বেদুঈনী জীবন-যাপন
করবেন আর ওদিকে লোকজন রাষ্টীয় বিষয় নিয়ে পবিত্র মদীনায় গােলমাল করছে : এ কথা শুনে
সাদ উমরের বুকে হাত মেরে বললেন, চুপ থাক ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্জ্জ কে বলতে শুনেছি যে,
মহান আল্লাহ অখ্যাত, মুস্নাকী ও চিঙ্কামুক্ত মানুষকে ভালবাসেন ৷ ইমাম মুসলিমও তার সহীহ
গ্রন্থে এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ এ সম্পর্কে আরও একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন ৷
তিনি আবদুল মালিক ইবন আসন থেকে উমর ইবন সাদের সুত্রে তার পিতা সাদন্
ইবন আবু ওয়াক্কাস থেকে বর্ণনা করেন ৷ একদিন তার ছেলে আমির এসে তাকে বললো, হে
পিতাঃ মুসলমান জনসাধারণ জাগতিক বিষয় নিয়ে যুদ্ধ-ৰিগ্রহে লিপ্ত আছে, আর আপনি এখানে
নিরিবিলি বসে আছেন ৷ সা’দ বললেন, হে বত্স৷ তুম কি বলতে চাও যে, এই ফিত্নার মধ্যে
প্রবেশ করে আমি তাতে নেতৃত্ব দিব : আল্লাহর কসম, তা কিছুতেই হবে না ৷ তবে, যদি আমার
হাতে একটা তলােয়ার থাকে, আর তা ’দিয়ে কোন মু’মিনকে আঘাত করি তবে তার থেকে আমি
সত্যত রাখবাে ৷ আর যদি কোন কাযিৱদের উপর আঘাত করি, তা হলে তাকে তো হত্যা করে


قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى الطَّبَّاعُ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عِيَاضِ بْنِ عَمْرٍو الْقَارِيِّ، قَالَ: جَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَدَّادٍ، فَدَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ - وَنَحْنُ عِنْدَهَا مَرْجِعَهُ مِنَ الْعِرَاقَ لَيَالِيَ قَتْلِ عَلِيٍّ - فَقَالَتْ لَهُ: يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ شَدَّادٍ، هَلْ أَنْتَ صَادِقِي عَمَّا أَسْأَلُكَ عَنْهُ؟ تُحَدِّثُنِي عَنْ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ الَّذِينَ قَتَلَهُمْ عَلِيٌّ. قَالَ: وَمَا لِي لَا أَصْدُقُكِ. قَالَتْ: فَحَدِّثْنِي عَنْ قِصَّتِهِمْ. قَالَ: فَإِنَّ عَلِيًّا لَمَّا كَاتَبَ مُعَاوِيَةَ وَحَكَمَ الْحَكَمَانِ، خَرَجَ عَلَيْهِ ثَمَانِيَةُ آلَافٍ مِنْ قُرَّاءِ النَّاسِ فَنَزَلُوا بِأَرْضٍ يُقَالُ لَهَا: حَرُورَاءُ. مِنْ جَانِبِ الْكُوفَةِ، وَأَنَّهُمْ عَتَبُوا عَلَيْهِ، فَقَالُوا: انْسَلَخْتَ مِنْ قَمِيصٍ أَلْبَسَكَهُ اللَّهُ، وَاسْمٍ سَمَّاكَ بِهِ اللَّهُ، ثُمَّ انْطَلَقْتَ فَحَكَّمْتَ فِي دِينِ اللَّهِ وَلَا حُكْمَ إِلَّا لِلَّهِ. فَلَمَّا أَنْ بَلَغَ عَلِيًّا مَا عَتَبُوا عَلَيْهِ وَفَارَقُوهُ عَلَيْهِ، فَأَمَرَ فَأَذَّنَ مُؤَذِّنٌ: أَنْ لَا يَدْخُلَ عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ إِلَّا رَجُلٌ قَدْ حَمَلَ الْقُرْآنَ. فَلَمَّا أَنِ امْتَلَأَتِ الدَّارُ مِنْ قُرَّاءِ النَّاسِ، دَعَا بِمُصْحَفِ إِمَامٍ عَظِيمٍ، فَوَضَعَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَجَعَلَ
পৃষ্ঠা - ৬০৬০


দিলাম ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ষ্ন্স্রোলাং-কে বলতে শুনেছি মহান আল্লাহ্ নির্লোভ, অপ্রসিদ্ধ ও মুত্তাকী
লোকদের ভালবাসেন ৷ এ হাদীসের বক্তব্য পুর্বের হাদীসের বক্তব্যের বিপরীত ৷ >

বন্তুত উমর ইবন সাদ আপন ভ্রাতা আমির ইবন সা’দের সহযোগিতায় স্বীয় পিতাকে
সালিসি বৈঠকে উপস্থিত করতে চেয়েছিল ৷ উদ্দেশ্য ছিল, যাতে তথাকার লোকেরা মুআবিয়া ও
আলীর পক্ষ ত্যাগ করে তার পিতাকে শাসক নির্বাচন করে ৷ কিন্তু সাদ এতে অস্বীকৃতি জানান
এবং অত্যন্ত জোরাঃলাভাবে প্রত্যাখ্যান করেন ৷ জীবন ধারণের জন্যে সামান্য উপকরণ ও
লোকালয় থেকে দুরে ডীব্রিব্লিল্লিথ্রাক্বাকেই তিনি পছন্দ করেন ৷ এ পর্যায়ে মুসলিম শরীফে এক
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্মোঃ বলেছেন : সেই ব্যক্তিই ধন্য, যে ইসলাম গ্রহণ
করেছে, জীবন যাপনের মত কিছু রিযিক পেয়েছে এবং মহান আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন
তাতেই সে সত্তুষ্ট থেকেছে ৷ পক্ষান্তরে সাদের পুত্র উমর ইবন সাদ শাসন ক্ষমতার প্ৰতি
আগ্রহী ছিল ৷ এটা তার নীতি ও লেখার পরিণত হয় ৷ এরই ধারাবাহিকতায় যে ঐ বাহিনীর
সেনাপজ্যি পদ লাভ করে, যে বাহিনী হুসয়েন ইবন আলী (রা)-কে হত্যা করেছিল ৷ সামনে
যথাস্থানে এর বর্ণনা আসবে ৷ তার পিতা (সা’দ) যেভাবে সরল জীবন-যাপন করেছিলেন যদি
উমর তা অনুসরণ করতো তা হলে এর কিছু হতো না ৷

মোটকথা সালিসি বৈঠকে সাদ উপ ত ছিলেন না ৷ উপস্থিত থাকার ইচ্ছা এবং কল্পনাও
তিনি করেননি ৷ তারাই উপস্থিত ছিল যাদের নাম উপরে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এরপর সালিসদ্বয়
মুসলমানদের মধ্যে শান্তি-নিরাপত্তা পুনঃ প্রতিষ্ঠার উপায় নির্ধারণকল্পে সংলাপ শুরু করে ৷
অবশেষে তারা এই সিদ্ধান্তে ঐকমত্যে পৌছে যে, তারা দুজনেই আলী (রা) ও মুআবিয়া
(রা)-কে অপসারণ করবে তারপরে খলীফা নির্বাচনের বিষয়টি সাধারণ মুসলমানদের
মতামতের উপর ছেড়ে দিবে ৷ তারা একমত হয়ে ইচ্ছা করলে এ দৃজানর মধ্যে যিনি অধিক
যোগ্য তাকে অথবা এ দু’জকে বাদ দিয়ে তৃতীয় কাউকে খলীফা নির্বাচিত করবে ৷ আবু মুসা
আশআরী এ পদের জন্যে আবদুল্লাহ ইবন উমরের নাম প্রস্তাব করলে আমর ইবন আন নিজের
পুত্রের নাম উল্লেখ করে বলেন, আমার পুত্র আবদুল্লাহবেইি খলীফা মনোনীত করুন ৷ সেও তো
ইল্ম, আমল ও সত্য সাধনার আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন খাত্তাবের কাছাকাছি ৷ জবাবে আবু
মুসা বলেন, কিন্তু তুমি যে তাকে ফিৎনার মধ্যে তোমার সাথে কাজে লাগিয়েছ ৷ এতদসত্তেও সে
একজন সভ্যপন্থী লোক ৷

আবু মাখনাফ বলেন : আমার কাছে মুহাম্মদ ইবন ইসহাক বর্ণনা করেছেন নাফি থেকে,
তিনি ইবন উমর থেকে ৷ তিনি বলেন, আমর ইবন আস বলেছিল খিলাফতের্বু এ পদ এমন
ণ্লাককেই দেওয়া উচিত যার মাড়ির র্দাত আছে যা দিয়ে সে নিজেও পেতে পারে, অপরকেও
খাওয়াতে পারে (অর্থাৎ অভিজ্ঞ) ৷ কিত্তু ইবন উমরের মধ্যে কিছুটা উদাসীনতার ভাব আছে ৷
ইবন যুবইির তাকে বললেন, তিনি অত্যন্ত বিচক্ষণ ও সজাগ ৷ ইবন উমর বললেন, না আল্পাহ্র
কসম৷ আমি এ পদের জন্যে কখনও সামান্যতম ঘুষ দিব না ৷ এরপর ইবন উমর আমর ইবন
আসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে ইবন আস ৷ আরবের জনগণ বর্শা ও তরবারি ব্যবহারের পর



১ মাসউদী ২৪৩৮ : আখবারুত তিওয়াল পৃ ১৯৮ এর মতে সাদ উপস্থিত ছিলেন ৷ কিন্তু তাবারী ৬৩৮-এর
মতে উপস্থিত ছিলেন না-ইবনুল আহীর, কামিল ৩ ৩৩০ তাবারীর মত সমর্থন করেন ৷


يَصُكُّهُ بِيَدِهِ، وَيَقُولُ: أَيُّهَا الْمُصْحَفُ، حَدِّثِ النَّاسِ! فَنَادَاهُ النَّاسُ فَقَالُوا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَا تَسْأَلُ عَنْهُ! إِنَّمَا هُوَ مِدَادٌ فِي وَرَقٍ، وَنَحْنُ نَتَكَلَّمُ بِمَا رُوِّينَا مِنْهُ، فَمَاذَا تُرِيدُ؟ قَالَ: أَصْحَابُكُمْ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ خَرَجُوا، بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ كِتَابُ اللَّهِ، يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ فِي امْرَأَةٍ وَرَجُلٍ: {وَإِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَيْنِهِمَا فَابْعَثُوا حَكَمًا مِنْ أَهْلِهِ وَحَكَمًا مِنْ أَهْلِهَا إِنْ يُرِيدَا إِصْلَاحًا يُوَفِّقِ اللَّهُ بَيْنَهُمَا} [النساء: 35] . فَأُمَّةُ مُحَمَّدٍ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَعْظَمُ دَمًا وَحُرْمَةً مِنَ امْرَأَةٍ وَرَجُلٍ، وَنَقِمُوا عَلَيَّ أَنْ كَاتَبْتُ مُعَاوِيَةَ: كَتَبَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَقَدْ جَاءَنَا سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِالْحُدَيْبِيَةَ حِينَ صَالَحَ قَوْمَهُ قُرَيْشًا، فَكَتَبَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ. فَقَالَ سُهَيْلُ: لَا أَكْتُبُ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ. فَقَالَ: " كَيْفَ نَكْتُبُ؟ ". فَقَالَ: اكْتُبْ بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَكَتَبَ: هَذَا مَا صَالَحَ عَلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قُرَيْشًا. يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ: {لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ} [الأحزاب: 21] فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ فَخَرَجْتُ مَعَهُ، حَتَّى إِذَا تَوَسَّطْتُ عَسْكَرَهُمْ قَامَ ابْنُ الْكَوَّاءِ يَخْطُبُ النَّاسَ فَقَالَ: يَا حَمَلَةَ الْقُرْآنِ، هَذَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ فَمَنْ لَمْ يَكُنْ يَعْرِفُهُ فَأَنَا أَعْرِفُهُ، هَذَا مِمَّنْ يُخَاصِمُ فِي كِتَابِ اللَّهِ بِمَا لَا يَعْرِفُهُ، هَذَا مِمَّنْ نَزَلَ فِيهِ وَفِي قَوْمِهِ {بَلْ هُمْ قَوْمٌ خَصِمُونَ} [الزخرف: 58]
পৃষ্ঠা - ৬০৬১
[الزُّخْرُفِ: 58] . فَرُدُّوهُ إِلَى صَاحِبِهِ وَلَا تُوَاضِعُوهُ كِتَابَ اللَّهِ. فَقَالَ بَعْضُهُمْ: وَاللَّهِ لَنُوَاضِعَنَّهُ، فَإِنْ جَاءَ بِحَقٍّ نَعْرِفُهُ لَنَتَّبِعَنَّهُ، وَإِنْ جَاءَ بِبَاطِلٍ لَنُبَكِّتَنَّهُ بِبَاطِلِهِ. فَوَاضَعُوا عَبْدَ اللَّهِ الْكِتَابَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، فَرَجَعَ مِنْهُمْ أَرْبَعَةُ آلَافٍ كُلُّهُمْ تَائِبٌ، فِيهِمُ ابْنُ الْكَوَّاءِ، حَتَّى أَدْخَلَهُمْ عَلَى عَلِيٍّ الْكُوفَةَ، فَبَعَثَ عَلِيٌّ إِلَى بَقِيَّتِهِمْ فَقَالَ: قَدْ كَانَ مِنْ أَمْرِنَا وَأَمْرِ النَّاسِ مَا قَدْ رَأَيْتُمْ، فَقِفُوا حَيْثُ شِئْتُمْ حَتَّى تَجْتَمِعَ أُمَّةُ مُحَمَّدٍ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَنْ لَا تَسْفِكُوا دَمًا حَرَامًا، أَوْ تَقْطَعُوا سَبِيلًا، أَوْ تَظْلِمُوا ذِمَّةً، فَإِنَّكُمْ إِنْ فَعَلْتُمْ فَقَدْ نَبَذْنَا إِلَيْكُمُ الْحَرْبَ عَلَى سَوَاءٍ: {إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْخَائِنِينَ} [الأنفال: 58] . فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ: يَا ابْنَ شَدَّادٍ فَقَتَلَهُمْ؟ فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا بَعَثَ إِلَيْهِمْ حَتَّى قَطَعُوا السَّبِيلَ، وَسَفَكُوا الدِّمَاءَ، وَاسْتَحَلُّوا أَهْلَ الذِّمَّةِ. فَقَالَتْ: آللَّهِ؟ قَالَ: آللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَقَدْ كَانَ ذَلِكَ. قَالَتْ: فَمَا شَيْءٌ بَلَغَنِي عَنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ يَقُولُونَ: ذُو الثُّدَيِّ وَذُو الثُّدَيَّةِ؟ قَالَ: قَدْ رَأَيْتُهُ، وَقُمْتُ مَعَ عَلِيٍّ عَلَيْهِ فِي الْقَتْلَى، فَدَعَا النَّاسَ فَقَالَ: أَتَعْرِفُونَ هَذَا،
পৃষ্ঠা - ৬০৬২


গোলমাল নিষ্পত্তির বিষয়টি তোমার উপর অর্পণ করেছে ৷ অতএব এখন তুমি তাদেরকে অনুরুপ
বা তার চেয়ে জঘন্য আরেকটি ফিৎনার মধ্যে নিক্ষেপ করো না ৷ আমর ইবন আস আবু মুসার
দৃষ্টি আকর্ষণ করে মুআবিয়াকে খলীফা বানাবার প্রস্তাব দেন ৷ কিন্তু আবু মুসা তা মেনে নিতে
অস্বীকার করেন ৷ এরপর তিনি স্বীয় পুত্র আবদুল্লাহ ইবন আমরকে খলীফা পদের জন্যে প্রস্তাব
রাখেন ৷ কিন্তু আবু মুসা এ প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেন ৷ এক পর্যায়ে আবু মুসা আবদুল্লাহ ইবন
উমরকে খিলাফতের পদে মনোনীত করার জন্যে ইবন আসের নিকট প্রস্তাব করলে তিনি তাতে
অসম্মতি জ্ঞাপন করেন ৷

অবশেষে তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, তারা দৃজনেই মৃআবিয়া ও আলীকে পদচ্যুত
করে খলীফা নির্বাচনের তার জনগণের উপর ছেড়ে দিয়ে ৷ তারা পরামর্শের ভিত্তিতে নিজেদের
পছন্দ মত কাউকে খলীফা নির্বাচিত করবে ৷ এরপর সালিসদ্বয় সেই মজলিসের কাছে আসেন
যেখানে উভয় পক্ষের লোকজন সমবেত ছিল ৷ আমর ইবন আস প্রতিটি ক্ষেত্রে আবু মুসাকে
অগ্ৰাধিকার দিত, তার সম্মান ও ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ৷ কোন ব্যাপারেই তিনি নিজেকে
অগ্রগামী করতেন না ৷ এবারও তিনি একইভাবে আবু মুসাকে বললেন, আপনি অগ্রসর হোন
এবং যে ব্যাপারে আমরা ঐকমত্য হয়েছি তা লোকদের অবহিত করুন ৷ আবু মুসা জনসম্মুখে
এসে প্রথমে মহান আল্পাহ্র প্রশংসা এবং রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর উপর দরুদ পড়েন ৷ এরপর
তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, হে জনমশুলী আমরা দুজনে এ উম্মতের কল্যাণের বিষয় নিয়ে
গভীরভাবে জ্যিা-তারনা করেছি ৷ মুসলমানদের এই দুঃখজনক বিভক্তি দেখে সংশোধনের একটি
পথ ছাড়া অন্য কোন উপায় খুজে পাইনি ৷ আমি ও আমর একটি বিষয়ে একমত হয়েছি ৷ তা
হলো

আমরা আলী ও মুআবিয়াকে অপসারণ করবো এবং নিষ্পত্তির বিষয়টি শুরার উপর ছেড়ে
দিব ৷ মুসলিম উষ্মাহ্ যাকে পছন্দ করে তাকেই নিজেদের শাসক বানাবে ৷ সুতরাং আমি আলী ও
মুআবিয়াকে তাদের পদ থেকে অপসারণ করলাম ৷ এ ঘোষণা দিয়ে তিনি স্থান ছেড়ে একটু
সরে দীড়ান ৷ আমর ইবন আস এসে ঐ স্থানে দাড়িয়ে আল্লাহর প্রশংসা ও গুনগান করে বলেন :
এই ব্যক্তি এতক্ষণে যা কিছু বলেছেন, আপনারা তা শুনেছেন ৷ তিনি তার লোককে (আলীকে)
অপসারণ করেছেন ৷ তদ্র্যপ আমিও তাকে অপসারণের ঘোষণা দিলাম ৷ কিন্তু আমি আমার
লোক মুআৰিয়াকে স্বপদে বহাল রাখলম ৷ কারণ তিনি খলীফা উসমান ইবন আফফানের
নিকটাত্মীয় এবং তার খুনের বিচারপ্রার্ণী ৷ আর এই পদের জন্যে তিনি যােপ্যতম ব্যক্তি ৷ আমর
ইবন আস জ্যিৰু করলেন যে, এই পরিস্থিতিতে জনগণকে নেতৃতুহীন বা ইমামবিহীন অবস্থায়
ছেড়ে দিলে ফিত্না ও বিভেদ যে পরিমাণ আছে তার থেকে অনেকগুণ বেড়ে যাবে এবং
দীর্ঘস্থায়ী হবে ৷ এই জন্যে তিনি কল্যাণ মনে করে মুআবিয়াকে বহাল রাখেন ৷ এটা ছিল তার
ইজতিহাদ ৷ আর ইজতিহাদ ভুলও হতে পারে, সঠিকও হতে পারে ৷ কথিত আছে যে, রায়
ঘোষণার পরে আবু মুসা আমর ইবন আসকে অত্যন্ত কঠিন ভাষায় সম্যালাচনা করেন ৷ প্রতি
উত্তরে ইবন আসও আবুমুসাকে অনুরুপ কড়া কথা বলেন ৷

ইবন জারীর লিখেছেন যে, হযরত আলীর সেনাধ্যক্ষ শুরাইহ্ ইবন হানী আমর ইবন

আসের উপর বাপিয়ে পড়েন এবং তাকে কোড়া মারেন ৷ আমরের এক ছেলে কাছেই দাড়িয়ে

৬৫


فَمَا أَكْثَرَ مَنْ جَاءَ يَقُولُ: قَدْ رَأَيْتُهُ فِي مَسْجِدِ بَنِي فُلَانٍ يُصَلِّي وَيَقْرَأُ، وَرَأَيْتُهُ فِي مَسْجِدِ بَنِي فُلَانٍ يُصَلِّي. وَلَمْ يَأْتُوا فِيهِ بِثَبَتٍ يُعْرَفُ إِلَّا ذَلِكَ. قَالَتْ: فَمَا قَوْلُ عَلِيٍّ حِينَ قَامَ عَلَيْهِ كَمَا يَزْعُمُ أَهْلُ الْعِرَاقِ؟ قَالَ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ: صَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ. قَالَتْ: هَلْ سَمِعْتَ مِنْهُ أَنَّهُ قَالَ غَيْرَ ذَلِكَ؟ قَالَ: اللَّهُمَّ لَا. قَالَتْ: أَجَلْ، صَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ، يَرْحَمُ اللَّهُ عَلِيًّا، إِنَّهُ كَانَ لَا يَرَى شَيْئًا يُعْجِبُهُ إِلَّا قَالَ: صَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ. فَيَذْهَبُ أَهْلُ الْعِرَاقِ يَكْذِبُونَ عَلَيْهِ وَيَزِيدُونَ عَلَيْهِ فِي الْحَدِيثِ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ صَحِيحٌ، وَاخْتَارَهُ الضِّيَاءُ. فَفِي هَذَا السِّيَاقِ مَا يَقْتَضِي أَنَّ عِدَّتَهُمْ كَانَتْ ثَمَانِيَةَ آلَافٍ، لَكِنْ مِنَ الْقُرَّاءِ، وَقَدْ يَكُونُ وَاطَأَهُمْ عَلَى مَذْهَبِهِمْ آخَرُونَ مِنْ غَيْرِهِمْ حَتَّى بَلَغُوا اثْنِي عَشَرَ أَلْفًا، أَوْ سِتَّةَ عَشَرَ أَلْفًا، وَلَمَّا نَاظَرَهُمُ ابْنُ عَبَّاسٍ رَجَعَ مِنْهُمْ أَرْبَعَةُ آلَافٍ، وَبَقِيَ بَقِيَّتُهُمْ عَلَى مَا هُمْ عَلَيْهِ. وَقَدْ رَوَاهُ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ مُوسَى بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ عَمَّارٍ، عَنْ سِمَاكٍ أَبِي زُمَيْلٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَذَكَرَ الْقِصَّةَ وَأَنَّهُمْ عَتَبُوا عَلَيْهِ فِي كَوْنِهِ حَكَّمَ الرِّجَالِ، وَأَنَّهُ مَحَا اسْمَهُ مِنَ الْإِمْرَةِ، وَأَنَّهُ غَزَا يَوْمَ الْجَمَلِ فَقَتَلَ الْأَنْفُسَ الْحَرَامَ وَلَمْ يَقْسِمِ الْأَمْوَالَ وَالسَّبْيَ، فَأَجَابَ عَنِ الْأَوَّلَتَيْنِ بِمَا تَقَدَّمَ، وَعَنِ الثَّالِثَةِ بِأَنْ قَالَ: قَدْ كَانَ فِي السَّبْيِ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةُ، فَإِنْ قُلْتُمْ: لَيْسَتْ لَكُمْ بِأُمٍّ. فَقَدْ كَفَرْتُمْ، وَإِنِ اسْتَحْلَلْتُمْ سَبْيَ أُمِّكُمْ فَقَدْ كَفَرْتُمْ. قَالَ: فَرَجَعَ مِنْهُمْ
পৃষ্ঠা - ৬০৬৩
أَلْفَانِ وَخَرَجَ سَائِرُهُمْ فَتَقَاتَلُوا. وَذَكَرَ غَيْرُهُ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسِ لَبِسَ حُلَّةً لَمَّا خَرَجَ إِلَيْهِمْ، فَنَاظَرُوهُ فِي لُبْسِهِ إِيَّاهَا، فَاحْتَجَّ عَلَيْهِمْ بِقَوْلِهِ تَعَالَى: {قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللَّهِ الَّتِي أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ} [الأعراف: 32] الْآيَةَ [الْأَعْرَافِ: 32] . وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ عَلِيًّا خَرَجَ بِنَفْسِهِ إِلَى بَقِيَّتِهِمْ، فَلَمْ يَزَلْ يُنَاظِرُهُمْ حَتَّى رَجَعُوا مَعَهُ إِلَى الْكُوفَةِ، وَذَلِكَ يَوْمَ عِيدِ الْفِطْرِ أَوِ الْأَضْحَى - شَكَّ الرَّاوِي فِي ذَلِكَ - ثُمَّ جَعَلُوا بَعْدَ ذَلِكَ يُعَرِّضُونَ لَهُ فِي الْكَلَامِ، وَيُسْمِعُونَهُ شَتْمًا وَيَتَأَوَّلُونَ تَآوِيلَ فِي أَقْوَالِهِ. قَالَ الشَّافِعِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ: قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْخَوَارِجِ لِعَلِيٍّ وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ {لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ} [الزمر: 65] . فَقَرَأَ عَلِيٌّ: {فَاصْبِرْ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ وَلَا يَسْتَخِفَّنَّكَ الَّذِينَ لَا يُوقِنُونَ} [الروم: 60] . وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ هَذَا الْكَلَامَ إِنَّمَا قَالَهُ وَعَلِيٌّ يَخْطُبُ، لَا فِي الصَّلَاةِ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَيْضًا أَنَّ عَلِيًّا بَيْنَمَا هُوَ يَخْطُبُ يَوْمًا إِذْ قَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ مِنَ الْخَوَارِجِ فَقَالَ: يَا عَلِيُّ أَشْرَكْتَ فِي دِينِ اللَّهِ الرِّجَالَ وَلَا