আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وثلاثين

ذكر خروج الخوارج

পৃষ্ঠা - ৬০৫৩


কি তুমি সত্য কথা বলবে ৷ যদি বলো, তা হলে আমাকে ঐ দলের কথা জন্যেও যাদেরকে আলী
হত্যা করেছে ৷
আবর্দুল্লাহ্ বললো, কেন আমি আপনাকে সত্য কথা বলবো না ৷ আয়েশা (রা) বললেন, তা

হলে তুমি তাদের ঘটনা শুনাও ৷ আবদুল্লাহ বললো, আলী যখন মুআৰিয়াকে চুক্তিপত্র লিখে
দেন এবং সালিস নিযুক্ত করেন, তখন তার দল থেকে আট হাজার কারী বেরিয়ে যায় এবং কৃফা
নগরীর উপকণ্ঠে হারুরা নামক স্থানে গিয়ে সমবেত হয় ৷ তারা আলীর উপরে দােষারোপ ও
তাকে তিরস্কার করে বলতে থাকে মহান আল্লাহ্ আপনাকে যে জামা পরিধান করিয়েছিলেন,
আপনি যে জামা খুলে ফেলেছেন ৷ যে উপাধিতে মহান আল্লাহ্ আপনাকে ভুষিত করেছিলেন
আপনি যে উপাধি প্রত্যাহার করেছেন ৷ এরপর আপনি আরও অগ্রসর হয়ে মহান আল্লাহ্র
দীনের ব্যাপারে সালিস নিযুক্ত করেছেন ৷ অথচ মহান আল্লাহ ব্যতীত আর কারও ফয়সালা
করার অধিকার নেই ৷ হযরত আলীর কাছে যখন তাদের এসব অভিযোগের কথা পৌছলো এবং
তিনি জানতে পারলেন যে, এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তারা তার থেকে পৃথক হয়ে গেছে ৷
তিনি এক ঘোষণাকা ন্রীর মাধ্যমে নির্দেশ জারি করলেন যে, আমীরুল মু মিনীনের দরবারে যেন
কেবল ঐসব লোক প্রবেশ করে যারা পবিত্র কুরআন বহন করে ৷ (হাফেজে কুরআন)া

আমীরুল মুমিনীনের দরবার যখন কারীদের সমাগমে পরিপুর্ণ হয়ে গেল, তখন তিনি
পবিত্র কুরআনের একটি কপি এনে সবার সম্মুখে রাখলেন ৷ এরপর তিনি হাতের আত্গুল দ্বারা
পবিত্র কুরআনের উপর জোরে টেড়াকা মোর বললেন, ওহে কুরআন ! তুমি লোকদেরকে তোমার
কথা জানাও ৷ উপস্থিত লোকজন আলীকে বললো, হে আমীরুল মুমিনীন! আপনি পবিত্র
কুরআনের কপির কাছে এ কি জিজ্ঞেস করছেন ? ও তো কাগজ আর কালি ছাড়া আর কিছু
নয় ৷ আমরা তো ওর মধ্যে যা দেখি তা নিয়ে কথা বলছি ৷ তা হলে এরুপ করার আপনার
উদ্দেশ্য কি ? তিনি জওবাবে বললেনং তোমাদের ঐসব সাথী যারা আমার থেকে পৃথক হয়ে
অবস্থান নিয়েছে, তাদের ও আমার মাঝে মহান আল্লাহ্র কিতাব রয়েছে ৷ মহান আল্লাহ র্তার
কিভাবে একজন পুরুষ ও একজন নারীর ব্যাপারে বলেছেন :

শ্শ্শ্শ্শ্



অর্থং তাদের উভয়ের মধ্যে বিরোধ আশংকা করলে তােমরা তার (স্বামীর) পরিবার হতে
একজ্যা ও তার (শ্রীর) পরিবার হতে একজন সালিস নিযুক্ত করবে; তারা উভয়ে নিষ্পত্তি চাইলে
আল্লাহ তাদের মধ্যে মীমাংসার অনুকুল অবস্থা সৃষ্টি করবেন (নিসা : ৩৫) ৷
সে ক্ষেত্রে হযরত মুহাষ্মদচু, এর সমস্ত উম্মতের রক্ত ও সম্মান একজন নারী ও একজন
পুরুষের তুলনায় অধিক গুরুত্বপুর্ণ ৷ তারা আমার উপর আরও অভিযোগ এসেছে যে, আমি
মুআবিয়াকে যে চুক্তিপত্র লিখে দিয়েছি, তাতে দািখছি আলী ইবন আবু তালিব ৷ এ ব্যাপারে
আমার বক্তব্য হলো ? হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় কুরইিশদের পক্ষ থেকে সুহইিল ইবন আমর
আসলে রাসুলুল্লাহ্লোঃ যখন নিজ কওমের সাথে সন্ধিপত্র লেখেন, তখন আমরা তথায় উপস্থিত
ছিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ ক্রো,প্ৰথমে ণ্লখলেন বিসমিল্লাহির রাহমানির ৱাহীম ৷ সুহইিল আপত্তি


مِنْهُمْ قَدْ أَسَرَهُمْ أَهْلُ الشَّامِ، وَكَانَ مُعَاوِيَةُ قَدْ عَزَمَ عَلَى قَتْلِهِمْ لِظَنِّهِ أَنَّ عَلِيًّا قَدْ قَتَلَ أَسْرَاهُمْ، فَلَمَّا جَاءَ أُولَئِكَ الَّذِينَ أَطْلَقَهُمْ، أَطْلَقَ مُعَاوِيَةُ الَّذِينَ فِي يَدِهِ، وَيُقَالُ: إِنَّ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ: عَمْرُو بْنُ أَوْسٍ - مِنَ الْأَوْدِ. كَانَ مِنَ الْأُسَارَى، فَأَرَادَ مُعَاوِيَةُ قَتْلَهَ، فَقَالَ: امْنُنْ عَلَيَّ فَإِنَّكَ خَالِي. فَقَالَ: وَيْحَكَ! مِنْ أَيْنَ أَنَا خَالُكَ؟ فَقَالَ: إِنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ زَوْجَةُ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهِيَ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ، وَأَنَا ابْنُهَا وَأَنْتَ أَخُوهَا، فَأَنْتَ خَالِي. فَأَعْجَبَ ذَلِكَ مُعَاوِيَةَ وَأَطْلَقَهُ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ - وَذَكَرَ أَهْلَ صِفِّينَ - فَقَالَ: كَانُوا عَرَبًا يَعْرِفُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَالْتَقَوْا فِي الْإِسْلَامِ مَعَهُمْ بِتِلْكَ الْحَمِيَّةِ نُهْيَةِ الْإِسْلَامِ، فَتَصَابَرُوا وَاسْتَحْيَوْا مِنَ الْفِرَارِ، وَكَانُوا إِذَا تَحَاجَزُوا دَخَلَ هَؤُلَاءِ فِي عَسْكَرِ هَؤُلَاءِ، وَهَؤُلَاءِ فِي عَسْكَرِ هَؤُلَاءِ، فَيَسْتَخْرِجُونَ قَتْلَاهُمْ فَيَدْفِنُوهُمْ. قَالَ الشَّعْبِيُّ: هُمْ أَهْلُ الْجَنَّةِ، لَقِيَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا فَلَمْ يَفِرَّ أَحَدٌ مِنْ أَحَدٍ. [ذِكْرُ خُرُوجِ الْخَوَارِجِ] وَذَلِكَ أَنَّ الْأَشْعَثَ بْنَ قَيْسٍ مَرَّ عَلَى مَلَأٍ مَنْ بَنِي تَمِيمٍ، فَقَرَأَ عَلَيْهِمُ الْكِتَابَ،
পৃষ্ঠা - ৬০৫৪


জানিয়ে বললো : আমি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লিখতে রাজী নই ৷ রাসুলুল্লাহ্ড়ো
বললেন, তা হলে কিভাবে লিখব ? সুহাইল বললাে, লিখব বিছমিকা আল্লাহুম্মা ৷ রাসুলুল্লাহমোঃ
বললেন, তাই লিখ ৷ সুহাইল সেভাবেই লিখল ৷ রাসুলুল্লাহ্মোঃবললেন, এখন লিখ এই
সন্ধিপত্র, যা ঘুহাম্মাদৃর রাসুলুল্লাহমোঃ দ্যো সম্পাদন করলেন ৷ সুহাইল বললদ্র আমি যদি জানতাম
যে, আপনি আল্লাহর রাসুল, তা হলে তো আপনার সাথে আমার কোন ৰিরোধই থাকতো না ৷
অবশেষে লেখা হলো : এই সন্ধিপত্র যা আবদুল্লাহর ছেলে মুহাম্মদ কুরাইশদের সাথে সম্পাদন
কলোঃাটণ্ন্হেনি আল্লাহ আপন কিভাবে ইরশাদ করেন :

; -ন্ৰু ৷ ণ্টুছু ৷ , ব্লুদু ৷ ৷ড্রুছুটু; , ট্রু,হ্র টু,ট্রুপ্রু গুট্রুঠ্ হুট্রু’৷ এাপু ৷ গ্লুটুঠুট্রু চু১ ণ্ন্নু৷ টু,াছু এে

অর্থ : তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখিরাতকে ভয় করে তাদের জন্যে রাসুলুল্লাহ্
হ্র:চুছুন্ ণ্ন্ এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ (আহযাব : ২১) ৷

আবদুল্লাহ ইবন শাদ্দাদ বলেন, এরপর হযরত আলী তাদের কাছে আবদুল্লাহ ইবন
আব্বাসকে প্রেরণ করেন ৷ আমিও তার সাথে সাথে গেলাম ৷ তাদের বাহিনীর মধ্যতা ৷গে যখন
পৌছলড়াম তখন দেখলাম, ইবনুল কাওয়া দাড়িয়ে জনতার উদ্দেশ্যে বলছে, হে কুরআন
বহনকারীগণ! ইনি হলেন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস, তোমরা যদি কেউ তাকে না চিন, তবে
আমি তাকে ভালরুপেই চিনি ৷ মহ ন আল্লাহর কিতাবের যেসব বিষয়ে তিনি অবহিত নন সে সব
বিষয়ে তিনি বিতর্ক করে থাকেন ৷ তার সম্পর্কে ও তার কওম সম্পর্কে আয়াত নাযিল হয়েছে
যে; ট্রু,প্রুছুহ্র ’ণ্টুও ট্রুঠু১ পু বন্তুত তারা তো এক বিতণ্ডাকারী সম্প্রদায় (যুখরুফ : ৫৮)

কাঙেইি তেড়ামরা তাকে তার নেতার কাছে চলে যেতে বলো এবং মহান আল্লাহর কি
কিতাবের কোন বিষয় নিয়ে তার সাথে মত বিনিময় করে৷ না ৷ তখন জনতার মধ্য হতে কেউ
কেউ বললাে, আল্লাহর কসম ৷ আমরা অবশ্যই তার সাথে মত বিনিময় করবো ৷ তিনি যদি
সঠিক কথা বলেন, আমরা তা বুঝবাে এবং অবশ্যই তা গ্রহণ করবো ৷ আর যদি তিনি কোন
ভ্রান্ত কথা বলেন, তবে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করবো ৷ এরপর আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস তিনদিন
পর্যন্ত সেখানে তাদের সাথে আলোচনা ও মত বিনিময় করেন ৷ অবশেষে তাদের মধ্য থেকে
চার হাজার লোক তওবা করে ফিরে আসে ইবনুল কাওয়াও তাদের অন্তর্ভুক্ত ৷ ইবন আব্বাস
এদেরকে হযরত আলী (রা)-এর কাছে কুফায় নিয়ে আসেন ৷ অবশিষ্ট লোকদের কাছে হযরত
আলী বার্তা পাঠিয়ে জানান যে, তোমরা আমাদের ও অন্যদের কর্মনীতি দেখেছ ৷ কাজেই
তোমরা যেথায় ইচ্ছা অবস্থান কর ৷ উস্মতে মুহাম্মাদীর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি পুনঃ প্রতিষ্ঠিত
হোক ৷ আর তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত থাকলো যে, তোমরা অন্যায়ভাবে কারও
রক্তপাত ঘটাবে না ৷ ডাকাতি, রাহাজানি করবে না এবং যিংঘীদের উপর অত্যাচার চালাবে না ৷
যদি এর কোনটিতে লিপ্ত হয়ে পড় তবে তোমাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠিন যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে৷ ৷
১টু;;ও£;৷ ৷ ষ্স্ৰু এ৷ ৷ ৷ — আল্লাহ বিশ্বাস তঙ্গকারীদেরকে পছন্দ করেন না (আনফানঙ্ক ৫৮)া

হযরত আয়েশা (রা) আবদুল্লাহ ইবন শাদ্দাদকে বললেন, হে ইবন শাদ্দাদ এরপরেই কি
আলী তাদেরকে হত্যা করেছিল ? জওয়াবে ইবন শাদ্দাদ বললাে, আল্লাহর কসম! ওদের
বিরুদ্ধে তখনই অভিযান পাঠানো হয়েছে, যখন ওরা ডাকাতি, রাহড়াজানি শুরু করেছে,
খুন-খারাবি ছড়িয়ে দিয়েছে এবং যিমীদের উপর অত্যাচার করে তাদের সবকিছু নিজেদের জন্যে


فَقَامَ إِلَيْهِ عُرْوَةُ ابْنُ أُدَيَّةَ - وَهِيَ أُمُّهُ، وَهُوَ عُرْوَةُ بْنُ حُدَيْرٍ مِنْ بَنِي رَبِيعَةَ بْنِ حَنْظَلَةَ، وَهُوَ أَخُو أَبِي بِلَالٍ مِرْدَاسِ بْنِ حُدَيْرٍ - فَقَالَ: أَتُحَكِّمُونَ فِي دِينِ اللَّهِ الرِّجَالَ؟ ثُمَّ ضَرَبَ بِسَيْفِهِ عَجُزَ دَابَّةِ الْأَشْعَثِ، فَغَضِبِ الْأَشْعَثُ وَقَوْمُهُ، وَجَاءَ الْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ وَجَمَاعَةٌ مِنْ رُؤَسَاءِ بَنِي تَمِيمٍ يَعْتَذِرُونَ إِلَى الْأَشْعَثِ مِنْ ذَلِكَ. قَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ وَالْخَوَارِجُ يَزْعُمُونَ أَنَّ أَوَّلَ مَنْ حَكَّمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ الرَّاسِبِيُّ، وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ. وَقَدْ أَخَذَ هَذِهِ الْكَلِمَةَ مِنْ هَذَا الرَّجُلِ طَوَائِفُ مِنْ أَصْحَابِ عَلِيٍّ مِنَ الْقُرَّاءِ وَقَالُوا: إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ. فَسُمُّوا الْمُحَكِّمِيَّةَ. وَتَفَرَّقَ النَّاسُ إِلَى بِلَادِهِمْ مِنْ صِفِّينَ، فَرَجَعَ عَلِيٌّ إِلَى الْكُوفَةِ عَلَى طَرِيقِ هِيتَ، وَرَجَعَ مُعَاوِيَةُ إِلَى الشَّامِ بِأَصْحَابِهِ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلِيٌّ الْكُوفَةَ سَمِعَ رَجُلًا يَقُولُ: ذَهَبَ عَلِيٌّ وَرَجَعَ فِي غَيْرِ شَيْءٍ. فَقَالَ عَلِيٌّ: لَلَّذِينَ فَارَقْنَاهُمْ آنِفًا خَيْرٌ مِنْ هَؤُلَاءِ. ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৬০৫৫
أَخُوكَ الَّذِي إِنَّ أَجْرَضَتْكَ مُلِمَّةٌ ... مِنَ الدَّهْرِ لَمْ يَبْرَحْ لِبَثِّكَ وَاجِمَا وَلَيْسَ أَخُوكَ بِالَّذِي إِنْ تَشَعَّبَتْ ... عَلَيْكَ الْأُمُورُ ظَلَّ يَلْحَاكَ لَائِمَا ثُمَّ مَضَى فَجَعَلَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى دَخَلَ قَصْرَ الْإِمَارَةِ مِنَ الْكُوفَةِ، وَلَمَّا كَانَ قَدْ قَرُبَ مِنْ دُخُولِ الْكُوفَةِ انْخَزَلَ مَنْ جَيْشِهِ قَرِيبٌ مِنِ اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا وَهُمُ الْخَوَارِجُ، وَأَبَوْا أَنْ يُسَاكِنُوهُ فِي بَلَدِهِ، وَنَزَلُوا بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: حَرُورَاءُ. وَأَنْكَرُوا عَلَيْهِ أَشْيَاءَ فِيمَا يَزْعُمُونَ أَنَّهُ ارْتَكَبَهَا، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ فَنَاظَرَهُمْ، فَرَجَعَ أَكْثَرُهُمْ وَبَقِيَ بَقِيَّتُهُمْ، فَقَاتَلَهُمْ عَلِيٌّ وَأَصْحَابُهُ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ وَتَفْصِيلُهُ قَرِيبًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ هَؤُلَاءِ الْخَوَارِجَ هُمُ الْمُشَارُ إِلَيْهِمْ فِي الْحَدِيثِ الْمُتَّفَقِ عَلَيْهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «تَمْرُقُ مَارِقَةٌ عَلَى حِينِ فُرْقَةٍ مِنَ النَّاسِ - وَفِي رِوَايَةٍ: " مِنَ الْمُسْلِمِينَ ". وَفِي رِوَايَةٍ: " مِنْ أُمَّتِي " - " فَيَقْتُلُهَا أَوْلَى الطَّائِفَتَيْنِ بِالْحَقِّ ".»
পৃষ্ঠা - ৬০৫৬


হালাল করে নিয়েছে ৷ আয়েশা (রা) বললেন : আল্লাহ্ ! ইবন শাদ্দাদ বললো, আল্লাহ্ যিনি
ছাড়া আর কোন ইলাহ ণ্নই,য টনা এ রকমই ৷

আয়েশা (রা) বললেন : ইরাকীদের পক্ষ হতে আমার কাছে যুছ-ছাদিব্যি কিৎবা
যুছ-ছুদাইয়্যা (খারিজীদের প্রধান হারকুস ইবন যুহাইরের উপাধি) সম্পর্কে যে সংবাদ পৌছেছে
সে সম্পর্কে তুমি কি জান ? ইবন শাদ্দাদ বললেন ? যুদ্ধক্ষেত্রে নিহতদের মধ্যে আমি তার লাশ
দেখেছি ৷ তখন হযরত আলীর সাথেই আমি ছিলাম ৷ তিনি লোকদেরকে ডেকে জিজ্ঞেস
করলেন, তোমরা কি একে চিন ? আগন্তুকদের অধিকাৎশই এ জওয়াব দিল যে, আমরা তাকে
অমুক গোত্রের মসজিদে দেখেছি, আমরা তাকে অমুক কবীলার মসজিদে সালাত আদায় করতে
দেখেছি ৷ এর চেয়ে বেশি কিছু পরিচয় আর কেউ দিতে পারেনি ৷ আয়েশা (বা) জানতে
চাইলেন যে, তার লাশের পাশে দাড়িয়ে আলী কি উক্তি করেছিল ? ইরাকীরা তো এ সম্পর্কে
এক কথা বলে থাকে ৷ ইবন শাদ্দাদ বলালা, আমি শুনেছি,তিনি বলেছিলেন, “আল্লাহ্ ও তার
রাসুল সত্য বলেছেন ৷

আয়েশা (রা) বললেন, তুমি কি এ কথা ছাড়া তড়াকে অন্য কিছু বলতে শুনেছ ? ইবন
শাদ্দাদ বললেন, আল্লাহ্র পানড়াহ্ চাই ৷ আমি তাকে এ কথা ছাড়া অন্য কিছু বলতে শুনিনি ৷
আয়েশা (রা) বললেন, হীড়া, আল্লাহ্ ও তার রাসুল সত্য বলেছেন ৷ মহান আল্লাহ্ আলীর উপর
রহমত বর্ষণ করুন ৷ তার অভ্যাস হ্নিা, যখনই তিনি কোন বিস্ময়কর কিছু দেখতেন তখনই
এ কথা বলতেন যে, আল্লাহ্ ও তার রাসুল সত্য বলেছেন ৷ কিত্তু ইরাকীরা তার উপর মিথ্যা
আরোপ করতো ও তার সম্পর্কে অতিরঞ্জিত কথা বলতাে ৷ আহমদ এ হাদীস মুফরাদ বর্ণনা
করেছেন ৷ তবে এর সনদ সহীহ ৷ জিয়া একে পছন্দ করেছেন ৷ উক্ত হাদীস থেকে জানা গেল
যে, খারিজীদের মুল সংখ্যা ছিল আট হাজার ৷ অবশ্যই এরা সবাই ছিল কারী (হাফিজে
কুরআন) ৷ অন্যান্য লোক এসে তাদের মাযহাব গ্রহণ করার সংখ্যা বেড়ে বার হাজার কিংবা
ষোল হাজারে উন্নীত হয় ৷ ইবন আব্বাস আদর সাথে আলোচনা করার ফলে তাদের থেকে চার
হাজার লোক ফিরে আসে এবং অবশিষ্টরা স্ব-মতে বহাল থাকে ৷

এ হাদীস ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান সাম্মাকের সুত্রে ইবন আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেন
এবং ঘটনা উদ্ধৃত করেছেন ৷ আলীকে তাদের সমালোচনার কারণ ছিল এই যে, তিনি মানুষকে
ফয়সালাকারী নিযুক্ত করেছিলেন ৷ শাসকের পদবীকে তিনি মুছে দিয়েছিলেন ৷ উৰ্ষ্ট্ৰর যুদ্ধে তিনি
অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করেছেন; অথচ শত্রুদের থেকে প্রাপ্ত সম্পদ ও বন্দী সৈন্যদের মধ্যে
বন্টন করেননি ৷ প্রথম দুটি অভিযোগের (সালিস ও মুছে ফেলা) জওয়াবে তিনি যা বলেন,
ইতিপুর্বে তা আলোচনা করা হয়েছে ৷ তৃতীয় অভিযোগের জওয়াবে তিনি বলেন : বন্দীদের ,
মধ্যে উম্মুল মু’মিনীনও (মু’মিনীদের জননী) অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ৷ এখন যদি তোমরা দাবি করো
যে, তোমাদের কোন উম্মুল মুমিনীন নেই, তবে তা হবে তোমাদের জন্যে কুফরী কাজ ৷ আবার
যদি উম্মুল মু’মিনীনগণকে বন্দী করে রাখাকে বৈধ মনে করো, তাও হবে কুফরী কাজ ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এবার তাদের মধ্য থেকে দৃ হাজার লোক বেরিয়ে আসে ৷ বাকি সকলেই
বিদ্রোহ করে ৷ এরপর তাদের সাথে যুদ্ধ হয় ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, ইবন আব্বাস যখন
তাদের মাঝে যান তখন তিনি একটি অলংকার পরিধান করেছিলেন ৷ অলংকার দেখে তারা
বিতর্ক শুরু করলে ইবন আব্বাস নিম্নের আয়াত দ্বারা দলীল পেশ করেন ৷


وَهَذَا الْحَدِيثُ لَهُ طُرُقٌ مُتَعَدِّدَةٌ وَأَلْفَاظٌ كَثِيرَةٌ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ وَعَفَّانُ، ثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ الْفَضْلِ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَمْرُقُ مَارِقَةٌ عِنْدَ فُرْقَةٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ تَقْتُلُهُمْ أَوْلَى الطَّائِفَتَيْنِ بِالْحَقِّ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ شَيْبَانَ بْنِ فَرُّوخَ، عَنِ الْقَاسِمِ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «تَكُونُ أُمَّتِي فِرْقَتَيْنِ، تَخْرُجُ بَيْنَهُمَا مَارِقَةٌ، يَلِي قَتْلَهَا أَوْلَاهُمَا بِالْحَقِّ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ وَدَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ذَكَرَ قَوْمًا يَكُونُونَ فِي أُمَّتِهِ يَخْرُجُونَ فِي فِرْقَةٍ مِنَ النَّاسِ، سِيمَاهُمُ التَّحْلِيقُ، هُمْ شَرُّ الْخَلْقِ - أَوْ مِنْ شَرِّ الْخَلْقِ - يَقْتُلُهُمْ أَدْنَى الطَّائِفَتَيْنِ مِنَ الْحَقِّ» . قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: وَأَنْتُمْ قَتَلْتُمُوهُمْ يَا أَهْلَ الْعِرَاقِ.
পৃষ্ঠা - ৬০৫৭



এও

অর্থং রস, আল্লাহ স্বীয় বন্দোদের জন্যে যেসব গােভার বস্তু ও বিশুদ্ধ জীবিকা সৃষ্টি
করেছেন তা কে নিষিদ্ধ করেছে ? (আরাফ্ল : ৩২) ৷ ইবনজারীর লিখেছেন যে, খাব্লিজীদ্যো
অবশিষ্ট লোকদের কাছে হযরত আলী (রা) স্বয়ং গমন করেন ৷ তিনি তাদের সাথে আলোচনা
অব্যাহত চালিয়ে যান ৷ অবশেষে তারা সকলেই তার সাথে কুফায় চলে আসে ৷ সে দিনটি ছিল
ঈদুল ফিত্ৱ বা ঈদুল আযহার দিন (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) ৷ এরপর তারা আলীর কথাবার্তায়
বাধা সৃষ্টি করতে থাকে ৷ তীকে গালমন্দ করে এবং তার বক্তব্যের অপব্যাখ্য৷ করতে থাকে ৷
ইমাম শাফি’ঈ (র) বলেন : হযরত আলী (রা) একদিন সালাত আদায় করছিলেন ৷ এমন সময়
তবে লক্ষ্য করে জনৈক খারিজী এ আয়াতটি পড়ে ং

০ )

অর্থ৪ তুমি আল্লাহর শরীক স্থির করলে তোমার কর্ম তো নিম্ফল হবে এবং অবশ্য তুমি হবে
ক্ষতিগ্রস্ত ৷ (যুমারং ৬৫) ৷ জওয়াবে হযরত ৩আলী শে(রা) নিম্নের আয়াত পড়লেনশু ং

ষ্ষ্ষ্ষ্ষ্

অর্থ৪ কাজেই, তুমি ধৈর্যধ্াৱণ কর ৷ নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য ৷ যারা দৃঢ় বিশ্বাসী
নয়, তারা যেন তোমাকে বিচলিত করতে না পারে ৷ (রুম : ৬০)

ইবন জারীর বলেন, এ ঘটনা হয়েছিল তখন যখন হযরত আলী (রা) ৰুত্বা পাঠ
করছিলেন ৷ ইবন জারীর আরও একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ তা হলো, হযরত আলী (রা)
একদিন থুতবা দিচ্ছিলেন ৷ এ সময় এক খারিব্জী দাড়িয়ে বললো, হে আলী! আপনি মহান
আল্লাহর দীনে মানুষকে শরীক করেছেন ৷ অথচ আল্লাহ ব্যতীত হুকুম দেওয়ার অধিকার আর
কারও নেই ৷ এ সময় চারদিক থেকে একই আওয়াজ উঠলো এ ১৷ ৷ ণ্পু ১া এ ১ ৷ ণ্ধুন্ ১া
আল্লাহ ছাড়া আর কারও হুকুম নেই ৷ আলী বললেন৪ কথাটি সভ্য কিন্তু উদ্দেশ্য খারাপ ৰাহ্র)
তারপর তিনি বললেন, যত দিন তোমাদের দায়িত্ব আমাদের উপরে
জ্জি ততদিন আমরাও তামাদের গনীমত দেওয়া বন্ধ করিনি এবং আল্লাহর মসজিদে সালাত
আদায় করতে বাধা দ্দেইনি ৷ এখন তোমাদের উপর আমরা আগেই হামলা করবো না ৷ যদি
তোমরা প্রথমে হামলা না করে৷ ৷ এরপর তারা সবাই কুফ৷ থেকে বেরিয়ে গিয়ে নাহরাওয়ান
নামক স্থানে সমবেত হয় ৷ সালিসদ্বয়ের ফয়সালার পর আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করবো ৷

দুম্াতুষ্৷ জানদালে সালিসদ্বয়ের উপস্থিতি আবু মুসা ও আমর ই বনুস আস

সিফ্ফীন যুদ্ধের সময় সালিস নিয়োগে উভয় পক্ষের শর্ত অনুযায়ী রমযান সালে উভয়
সালিস দুমাভুল জানদালে উপস্থিত হয় ৷ ওয়াকিদী বলেন, তাদের উ পন্থিতি ছিল শা রান মাসে ৷
হযরত আলী (বা) রমযান সালের শুরুতে শুরাইহ্ ইবন হানীর নেতৃত্বে চাবশ অশ্বারোহীর সাথে
আবু মুসা আশৃআরীকে প্রেরণ করেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন আব্বাসকে সবকিছু পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব
দিয়ে একই সাথে পাঠান ৷ অপর দিকে মুআবিয়াও সিরিয়ার চারশ’ অশ্বারোহী সংগে দিয়ে
’ আমর ইবন আসবে প্রেরণ করেন ৷ এদ্যো সাথে ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন উমর ৷ উভয় দল


وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا عَوْفٌ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَفْتَرِقُ أُمَّتِي فِرْقَتَيْنِ، فَتَمْرُقُ بَيْنَهُمَا مَارِقَةٌ، فَيَقْتُلُهَا أَوْلَى الطَّائِفَتَيْنِ بِالْحَقِّ» . وَرَوَاهُ أَيْضًا، عَنْ يَحْيَى الْقَطَّانِ، عَنْ عَوْفٍ ; وَهُوَ الْأَعْرَابِيُّ، بِهِ مِثْلَهُ. فَهَذِهِ طُرُقٌ مُتَعَدِّدَةٌ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ الْمُنْذِرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ قِطْعَةَ الْعَبْدِيِّ، وَهُوَ أَحَدُ الثِّقَاتِ الرُّفَعَاءِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا، مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ الْمِشْرَقِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ بِنَحْوِهِ. فَهَذَا الْحَدِيثُ مِنْ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ ; لِأَنَّهُ قَدْ وَقَعَ الْأَمْرُ طِبْقَ مَا أَخْبَرَ الرَّسُولُ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفِيهِ الْحُكْمُ بِإِسْلَامِ الطَّائِفَتَيْنِ ; أَهْلِ الشَّامِ وَأَهْلِ الْعِرَاقِ، لَا كَمَا يَزْعُمُهُ فِرْقَةُ الرَّافِضَةِ، أَهْلُ الْجَهْلِ وَالْجَوْرِ، مِنْ تَكْفِيرِهِمْ أَهْلَ الشَّامِ. وَفِيهِ أَنَّ أَصْحَابَ عَلِيٍّ أَدْنَى الطَّائِفَتَيْنِ إِلَى الْحَقِّ، وَهَذَا هُوَ مَذْهَبُ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ، أَنَّ عَلِيًّا هُوَ الْمُصِيبُ وَإِنْ كَانَ مُعَاوِيَةُ مُجْتَهِدًا فِي قِتَالِهِ لَهُ وَقَدْ أَخْطَأَ، وَهُوَ مَأْجُورٌ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَلَكِنْ عَلِيًّا هُوَ الْإِمَامُ الْمُصِيبُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، فَلَهُ أَجْرَانِ كَمَا ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ "، مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِذَا اجْتَهَدَ الْحَاكِمُ فَأَصَابَ فَلَهُ أَجْرَانِ، وَإِذَا اجْتَهَدَ فَأَخْطَأَ فَلَهُ أَجْرٌ» . وَسَيَأْتِي بَيَانُ كَيْفِيَّةِ قِتَالِ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لِلْخَوَارِجِ، وَصِفَةُ