ثم دخلت سنة سبع وثلاثين
محاولات للصلح بين علي ومعاوية
পৃষ্ঠা - ৫৯৯৮
বল, উসমানের হত্যা কারীদেব বিরুদ্ধে আমাদের কিসাস গ্রহণের সুযোগ দিক ৷৩ তারপর আমিই
হব ৷৷মবাসীদের মধ্যে তার হাতে সৰ্বাগ্রে বায় আ৩ কাৰী ৷ তারা দৃ’ জন আলী (রা) এর কাছে
গিয়ে কথাটি তাকে অবহিত ৩করলেন ৷ আলী (রা) বললেন, তোমরা এ লোকদের দেখছে৷ তো,
(এরা সকলেই উসমান হও ত্যাকারীদের পক্ষাবলম্বনকারী) ৷ এ সময় এক বিশাল জনতা এগিয়ে
এসে বলতে লাগল, আমরা সকলেই উসমান হত্যাকারী, যার ইচ্ছা হয় যে আমাদের সংগে
বোঝাপড়৷ করুক
বর্ণনাকা রী বলেন, এ অবস্থা দেখে আবুদ দারদা ও আবু উসাম৷ (রা) চলে গেলেন এবং
যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেন না ৷
আমর ইবন সা দ তার সনদে বংনাি করেছেন ৷ যখন রজব মাস আগত হলো এবং
মুআবিয়৷ (রা) কারীগণের সকলে আলী (রা)-র বার আত হয়েস্মাওয়ার ব্যাপারে শংকিত
হলেন তখন তিনি একটি তীরের গায়ে লিখলেন, হে ইরাকবাসীগণ ! মুআবিয়৷ তোমাদের দিকে
ফোরাতের পানি প্রবাহিত করে তোমাদের ডুবিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছে ৷ কাজেই তোমরা
আত্মরক্ষার ব্যবস্থা কর ৷” পরে তীরটি ইরাকীদের বাহিনীর দিকে ছুড়ে দেওয়া হলো ৷ লোকেরা
ঠীরটি তলে নিয়ে তার লেখা পড়তে লাগল এবং তা নিয়ে আলোচনায় লিপ্ত হলো ৷ পরে তারা
বিষয়টি অড়ালী (রা)-কে অবহিত করলে তিনি বললেন, এটা তো এমন একটা ব্যাপার যা
কখনও হবে না, কখনও ঘটবে না ৷” কিন্তু কথাটি ছড়িয়ে পড়ল এবং অপরদিকে ঘু’আৰিয়৷ (রা)
দৃইশত কর্মী পাঠিয়ে ফোরাতে তর৩ তীর খনন করতে শুরু করলেন ৷ ইরাকীদের কাছে এ সংবাদ
গো লে তাদের মধ্যে অস্থির৩ ৷ ছড়িয়ে পড়ল এবং তারা ভী৩ সন্ত্রস্ত হয়ে “আলী (রা) এর কাছে
গেল ৷ তিনি বললেন, নির্বোধের দল ৷ সে তো তোমাদের সঙ্গে কুটংকীশলের আচরণ করছে ৷
তার উদ্দেশ্যে, তোমাদের এ অবস্থান হতে তোমাদের হটিয়ে দিয়ে এ স্থানটি তার দখলে নিয়ে
নয়া ৷ কেননা, এটি তার অবস্থান ক্ষেত্রের চেয়ে উত্তম ৷
লোকেরা বলল, আমরা অবশ্যই এ স্থানটি খালি করে দিব ৷ এ কথা বলে তারা প্রন্থান শুরু
করে দিল এবং মু আবিয়া (রা)৩ তার বাহিনী নিয়ে এসে সেখানে অবন্থ ন নিলেন ৷ আলী (রা)
দিলেন সর্বশেষ স্থান তাগকারী ৷ তিনি এ সময় আক্ষেপ করে বলছিলেন ৷ ( কবিতা )
’
আমার আনুগত্য করা হলে আমি আমার সম্প্রদায়কে হিফাযত করতাম ইয়ামামা কিংবা
শামের সুরক্ষিত কেড্রে ৷
কিন্তু, আমি যখন কোন বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করি তখন আহম্মকের গোষ্ঠীরা তার
বিরুদ্ধাচরণ করে ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এ অবস্থায় তারা যুল-হাজ্জাহ্ মাস পর্যন্ত অতিবাহিত করল ৷ এরপরে
শুরু হলো যুদ্ধ ৷ অ ৷লী (রা) যুদ্ধের জন্য এক এক দিন এক একজনকে সেনাপতি নিযুক্ত করতে
লাগলেন ৷ অধিকাং শ দিন তিনি আশত৷ ৷রকে সেনাপতি নিয়োগ করতেন ৷ মু আৰিয়া (রা) এক
এক দিন এক একজনকে সেনাপতি নিয়োগ করলেন ৷ পুর্ণ যুল্-হাজ্জাহ্ মাস যুদ্ধ চলল ৷ এ সময়
কোন কোন দিনি তারা দুই বার যুদ্ধে লিপ্ত হতো ৷
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ]
[مُحَاوَلَاتٌ لِلصُّلْحِ بَيْنَ عَلِيٍّ وَمُعَاوِيَةَ]
اسْتَهَلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَأَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مُتَوَاقِفٌ هُوَ وَمُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، كُلٌّ مِنْهُمَا فِي جُنُودِهِ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: صِفِّينَ بِالْقُرْبِ مِنَ الْفُرَاتِ، شَرْقِيِّ بِلَادِ الشَّامِ، وَقَدِ اقْتَتَلُوا فِي مُدَّةِ شَهْرِ ذِي الْحِجَّةِ كُلَّ يَوْمٍ، وَفِي بَعْضِ الْأَيَّامِ رُبَّمَا اقْتَتَلُوا مَرَّتَيْنِ، وَجَرَتْ بَيْنَهُمْ حُرُوبٌ يَطُولُ ذِكْرُهَا. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ لَمَّا دَخَلَ شَهْرُ الْمُحَرَّمِ تَحَاجَزُوا عَنِ الْقِتَالِ، طَلَبًا لِلصُّلْحِ وَرَجَاءَ أَنْ يَقَعَ بَيْنَهُمْ مُهَادَنَةٌ وَمُوَادَعَةٌ يَئُولُ أَمْرُهَا إِلَى الصُّلْحِ بَيْنَ النَّاسِ وَحَقْنِ دِمَائِهِمْ، فَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ، مِنْ طَرِيقِ هِشَامٍ عَنْ أَبِي مِخْنَفٍ قَالَ: حَدَّثَنِي سَعْدٌ أَبُو الْمُجَاهِدِ الطَّائِيُّ، عَنْ مُحِلِّ بْنِ خَلِيفَةَ أَنَّ عَلِيًّا بَعَثَ عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ، وَيَزِيدَ بْنَ قَيْسٍ الْأَرْحَبِيَّ، وَشَبَثَ بْنَ رِبْعِيٍّ، وَزِيَادَ بْنَ خَصَفَةَ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَيْهِ - وَعَمْرُو
পৃষ্ঠা - ৫৯৯৯
ইবন জারীর লিখেছেন, তারপর আলী (বা) ও মুআবিয়া (রা)-এর মধ্যে দুতদের
আনাগােনা চলতে থাকল এবং লোকেরা যুদ্ধ হতে বিরত রইল ৷ এভাবে মুহাররম মাস শেষ হয়ে
গেল এবং দুই পক্ষে কোন প্রকার সন্ধি সম্পাদিত হলো না ৷ পরে আলী (বা) ইয়াযীদ (মারদাদ)
ইবন ইবনুল হারিছ জুশামীকে আদেশ করলে সে সুর্ষান্তের সময় শামবাসীদের লক্ষ্য করে এ
ঘোষণা দিল ৷ “ শোন ! আমীরুল মু’মিনীন তোমাদের অবহিত করছেন, সত্যের দিকে ,তোমরা
ফিরে আসবে এ উদ্দেশ্যে আমি তোমাদের জন্য দীর্ঘকাল প্রতীক্ষা করেছি এবং তোমাদের
সামনে প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত করেছি, তোমরা তাতে সাড়া দাওনি ৷ আমি এখন তোমাদের প্রতি
সম্পর্ক ছিন্নতার স্পষ্ট ঘোষণা দিচ্ছি ৷ আল্লাহ্ বিশ্বাস ভঙ্গকারীদের ভালবাসেন না ৷ ”
শামীরা এ ঘোষণা শুনে তাদের আমীরগণের কাছে ছুটে গেল এবং ঘোষকের ঘোষণা সম্বন্ধে
তাদের অবহিত করল ৷ তখন মুআবিয়া (বা) ও আমর ইবনুল আস (বা) উঠে পড়লেন এবং
বাহিনীকে ডান ও বাম দলে সজ্জিত করলেন ৷ “আলী (রা)-ও রাতভর সেনা লজ্জা করলেন ৷
যিনি কুফাবাসী অশ্বারোহী বাহিনীর জন্য আশতার নাখঈকে এবং তাদের পদাতিকদের জন্য
“আমার ইবন ইয়াসির (রা)-কে আমীর নিয়োগ করলেন ৷ রসরার অশ্বারােহীদের আমীর নিযুক্ত
করলেন সাহ্ল ইবন হুনায়ফ (রা)-কে এবং তাদের পদাতিকদের আমীর নিযুক্ত করলেন কায়স
ইবন সাদ ও হাশিম ইবন উতবাকে ৷ কারীদের আমীর নিযুক্ত করলেন সাদ (মিসআর) ইবন
ফদােকী তামীমীকে ৷
আলী (বা) জনতার সামনে এসে বললেন, শামবাসীরা যুদ্ধ শুরু না করা পর্যন্ত তারা যুদ্ধ
শুরু করবে না; কোন আহতকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিবে না, কোন পলায়নকারীর পশ্চাদ্ধারন
করবে না কোন নারীর পর্দা নষ্ট করবে না, বেইজ্জত করবে না ৷ আমীর, নেতৃবৃন্দ ও
পুণ্যবানদের বকাবকি করলেও নয় ৷ মুআবিয়া (রা) রাত শেষের ভোরে জনসমক্ষে বেরিয়ে
এসে ডান বাহুর জন্য ইবন যুল কৃলা হিমইয়ারীকে, বাম বাহুর জন্য হাবীব ইবন মুসলিম
ফিহরীকে, সম্মুখ বাহিনীর জন্য আবুল আওয়ার সুলামীকে, দামিশকের অশ্বারোহী দলের জন্য
আম্র ইবনুল আস (রা)-কে এবং তাদের পদাতিকদের জন্য যাহ্হাক ইবন কায়সকে সেনা
পরিচালক নিযুক্ত করলেন ৷ এ বিবরণ ইবন জারীর তাবারীর ৷
ইবন দীযীল (দায়যীল) জাবির জুফীর সনদে আবু জাফর বাকির, ইয়াযীদ ইবনুল হাসান
ইবন আলী প্রমুখ হতে বর্ণনা করেছেন, মু’আবিয়া (রা)-এর কাছে আলী (রা)-এর
অগ্রাভিযানের সংবাদ পৌছলে তিনিও আলী (রা)-এর দিকে এগিয়ে চললেন ৷ তিনি তার
অগ্রবাহিনীর জন্য সুফয়ান ইবন আম্র (আওফ) আবুল আওয়ার সুলড়ামীকে এবং পশ্চাত
বাহিনীর জন্য বুস্র ইবন আরতাতকে সেনাপতি নিয়োগ করলেন ৷ পরে সমগ্র বাহিনী
সিফফীনের প্রান্তে সমবেত হলো ৷ কালবীর বর্ণনায় আরও আছে, তিনি অগ্নবাহিনীর জন্য আবুল
আওয়ার সুলামীকে, পশ্চাত বাহিনীর জন্য বুলুরকে, অশ্বড়ারােহীদের জন্য উবায়দৃল্লাহ্ ইবন
উমড়ার (রা)-ণ্ক সেনাপতি নিযুক্ত করলেন এবং পতাকা দিলেন আবদুর রহমান ইবনুল
ওয়ালীদকে ৷ এছাড়া তিনি ডান বাহুর (অশ্বারোহীদের) জন্য হাবীব ইবন মাসলামাকে তাদের
পদাতিকদের জন্য ইয়াযীদ ইবন ষাহার আনসীকে, বাম বাহুর (অশ্বারোহীদের) জন্য আবদুল্লাহ্
ইবন আম্র ইবনুল আস (রা)-কে তাদের পদাতিকদের জন্য হাবিস ইবন সাদ তাঈকে,
بْنُ الْعَاصِ إِلَى جَانِبِهِ - قَالَ عَدِيٌّ بَعْدَ حَمْدِ اللَّهِ وَالثَّنَاءِ عَلَيْهِ -: أَمَّا بَعْدُ، يَا مُعَاوِيَةُ فَإِنَّا جِئْنَاكَ نَدْعُوكَ إِلَى أَمْرٍ يَجْمَعُ اللَّهُ بِهِ كَلِمَتَنَا وَأُمَّتَنَا، وَتُحْقَنُ بِهِ دِمَاؤُنَا، وَيَأْمَنُ بِهِ السَّبِيلُ وَيُصْلَحُ بِهِ ذَاتُ الْبَيْنِ ; إِنَّ ابْنَ عَمِّكَ سَيِّدُ الْمُسْلِمِينَ أَفْضَلُهَا سَابِقَةً، وَأَحْسَنُهَا فِي الْإِسْلَامِ أَثَرًا، وَقَدِ اسْتَجْمَعَ لَهُ النَّاسُ وَقَدْ أَرْشَدَهُمُ اللَّهُ بِالَّذِي رَأَوْا فَلَمْ يَبْقَ أَحَدٌ غَيْرُكُ وَغَيْرُ مَنْ مَعَكَ، فَانْتَهِ يَا مُعَاوِيَةُ لَا يُصِبْكَ اللَّهُ وَأَصْحَابَكَ مِثْلَ مَا أَصَابَ النَّاسَ يَوْمَ الْجَمَلِ. فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: كَأَنَّكَ إِنَّمَا جِئْتَ مُتَهَدِّدًا وَلَمْ تَأْتِ مُصْلِحًا، هَيْهَاتَ يَا عَدِيُّ، كَلَّا وَاللَّهِ إِنِّي لِابْنُ حَرْبٍ، لَا يُقَعْقَعُ لِي بِالشِّنَانِ، أَمَا وَاللَّهِ إِنَّكَ لِمِنَ الْمُجْلِبَيْنِ عَلَى ابْنِ عَفَّانَ، وَإِنَّكَ لَمِنْ قَتَلَتِهِ، وَإِنِّي لَأَرْجُو أَنْ تَكُونَ مِمَّنْ يَقْتُلُهُ اللَّهُ بِهِ. وَتَكَلَّمَ شَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ، وَزِيَادُ بْنُ خَصَفَةَ فَذَكَرَا مِنْ فَضْلِ عَلِيٍّ، وَقَالَا: اتَّقِ اللَّهَ يَا مُعَاوِيَةُ وَلَا تُخَالِفْهُ،
পৃষ্ঠা - ৬০০০
দামির্শকেব অশ্বারােহীদের জন্য যাহ্হাক ইবন কায়সকে ও তাদের পদাতিকতের জন্য ইয়াযীদ
ইবন লাবীদ ইবন কুর খ ৰাজালীকে সেনাপতি নিযুক্ত করলেন ৷ ড্ডাপ হিমসবাসীদের জন্য
যুলকুলাকে, ফিলিসৃভীনীদের জন্য মাসলামা ইবন মাখলাদকে নিযুক্ত করলেন ৷
এরপর মুআবিয়া (রা) লোকদ্যে৷ সামনে ভাষণ দিলেন ৷ তাতে তিনি মহান আল্লাহর
হামৃদ-ন্তুতির পরে বললেন, হে লোকেরা! আল্লাহ্র কসম, আমি শামের কর্তৃত্ব অর্জন করেছি
আনুগত্য দিয়েই ৷ ইরাকীদের সঙ্গে আমি যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করব সহনশীলতা দিয়ে এবং হিজাযীদের
সঙ্গে বোঝাপড়া করব কােমলতা দিয়ে ৷ তোমরা প্রস্তুতি নিয়ে অভিযানে বের হয়েছ এ উদ্দেশ্যে
যে, তোমরা শামকে রক্ষা করবে ও ইরাক দখল করবে ৷ আর প্রতিপক্ষ আভিযড়ানে বের হয়েছে
এ উদ্দেশ্যে তারা ইরাক রক্ষা করবে ও শাম দখল করবে, আমার জীবনের কসম ! শামের জন্য
ইরাকের জনতা নয়, তাদের সম্পদও নয় এবং ইরাকের জন্যও নয় শামের নির্বাচিত ও বুদ্ধিদীপ্ত
অংশ ৷ তবে প্রতিপক্ষের পেছনে আরও বহু স০ খ্যাঙ্ক রয়েছে, আর তোমাদের পেছনে আর কেউ
নেই ৷ তোমরা তাদের উপর বিজয়ী হলে তা হবে তোমরা ধীরগন্তীর পরিকল্পনা দিয়ে তারা
বিজয়ী হলে৩ তা হবে তোমাদের পরবর্গীদর উপরেই ৷
প্রতিপক্ষ তোমাদের মুখোমুখি হবে ইরাকীদের কুটকৌশল সহকারে, ইয়ামানীদেব মমতা
দিয়ে, হিজাযীদের বুদ্ধিদীপ্ততা দিয়ে এ মিসরীদের রুঢ়তা-কঠোরত ৷ দিয়ে ৷ কাল তারাই
সাহায্যপ্রাপ্ত হবে আজ যারা সাহায্য প্রাপ্ত হবে ৷ (অর্থাৎ আত্ম সাহায্যের পন্থইি বিজয়ের পন্থা ৷)
আল্লাহ তাআলা বলেন-
া;ৰুড়ুৰুব্লুটুঠুৰুা
অল্লোহ্র কাছে সাহায্য প্রার্থনা কর ও ধৈর্যধারণ কর ৷ নিশ্চয় আল্লাহ্ রয়েছেন-
ধৈর্যশীলদের সঙ্গে ৷ (সুরা আরাফ ৭ : ১২৮)
“আলী (রা)-এর কাছে মুআৰিয়া (রা)এর ভাষণ দেওয়ার সংবাদ পৌছলে তিনিও তার
অনুসারীদের সামনে দীড়িয়ে৩ (ভাষণ দিলেন, তিনি) তাদের জিহাদে উদ্বুদ্ধ করলেন তাদের
সবর-সহনশীলতার প্রশংসা করলেন এবং শামীদের তুলনায় তাদের স খ্যাধিক্য উল্লেখ করে
সাহসিকতায় উদ্বুদ্ধ করলেন ৷
জাবির জুফী আবু জাফর বাকির ও যায়দ ইবন আনাস প্রমুখ হতে বর্ণনা করেছেন, তারা
বলেছেন, আলী (রা) এক লাখ পঞ্চাশ হাজার ইরাকীকে নিয়ে অভিযানে বের হয়েছিলেন এবং
মুআবিয়৷ (রা) ও প্রায় অনুরুপ শামীদের সঙ্গে নিয়ে বের হয়েছিলেন, অন্যান্যের বর্ণনায়
আলী (রা) এর সঙ্গে ছিল এক লাখ বা তার কিছু অধিক এবং মু আবিয়া (রা) এর সঙ্গে ছিল
এক লাখ ত্রিশ হাজার ৷ ইবন দযীল তার কিভাবে এ বর্ণনা দিয়েছেন ৷
শামীদের একটি দল যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়ন না করার অৎগীকারে পরস্পর অ০ গীকারাবদ্ধ
হয়েছিল ৷ এজন্য তারা নিজেদের পাগড়ি দিয়ে স০ যুক্ত করে বেধে নিয়েছিল ৷ তারা ছিল পাচ
সারি এবং তাদের পশ্চাতে আরও ছয় সারি ৷ অনুরুপ ইরাকীরাও ছিল এগার সারি ৷ সফর
মাসের প্রথম দিন এভাবেই তারা পরস্পর মুখোমুখি অবস্থানে দাড়াল ৷ দিনটি ছিল বুধবার ৷ এ
দিনের যুদ্ধে ইরাকীদের সেনাপতি ছিল আশতার নাখ ঈ এবং শামীদের সেনাপতি ছিল হাবীব
فَإِنَّا وَاللَّهِ مَا رَأَيْنَا رَجُلًا قَطُّ أَعْمَلَ بِالتَّقْوَى، وَلَا أَزْهَدَ فِي الدُّنْيَا، وَلَا أَجْمَعَ لِخِصَالِ الْخَيْرِ كُلِّهَا مِنْهُ. فَتَكَلَّمَ مُعَاوِيَةُ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّكُمْ دَعَوْتُمُونِي إِلَى الْجَمَاعَةِ وَالطَّاعَةِ، فَأَمَّا الْجَمَاعَةُ فَنِعِمَّا هِيَ، وَأَمَّا الطَّاعَةُ فَكَيْفَ أُطِيعُ رَجُلًا أَعَانَ عَلَى قَتْلِ عُثْمَانَ وَهُوَ يَزْعُمُ أَنَّهُ لَمْ يَقْتُلْهُ؟ وَنَحْنُ لَا نَرُدُّ ذَلِكَ عَلَيْهِ وَلَا نَتَّهِمُهُ بِهِ، وَلَكِنَّهُ أَوَى قَتَلَتَهُ ; فَيَدْفَعَهُمْ إِلَيْنَا حَتَّى نَقْتُلَهُمْ، ثُمَّ نَحْنُ نُجِيبُكُمْ إِلَى الطَّاعَةِ وَالْجَمَاعَةِ. فَقَالَ لَهُ شَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ: أَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا مُعَاوِيَةَ، لَوْ تَمَكَّنْتَ مَنْ عَمَّارٍ أَكُنْتَ قَاتِلَهُ بِعُثْمَانَ؟ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: وَاللَّهِ لَوْ تَمَكَّنْتُ مِنَ ابْنِ سُمَيَّةَ مَا قَتَلْتُهُ بِعُثْمَانَ، وَلَكِنِّي كُنْتُ أَقْتُلُهُ بِغُلَامِ عُثْمَانَ. فَقَالَ لَهُ شَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ: وَإِلَهِ الْأَرْضِ وَالسَّمَاءِ لَا تَصِلُ إِلَى قَتْلِ عَمَّارٍ حَتَّى تَنْدُرَ الرُّءُوسُ عَنْ كَوَاهِلِهَا، وَيَضِيقُ فَضَاءُ الْأَرْضِ وَرَحْبُهَا عَلَيْكَ. فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: لَوْ قَدْ كَانَ ذَلِكَ كَانَتْ عَلَيْكَ أَضْيَقَ. وَخَرَجَ الْقَوْمُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ فَذَهَبُوا إِلَى عَلِيٍّ فَأَخْبَرُوهُ الْخَبَرَ.
পৃষ্ঠা - ৬০০১
وَبَعَثَ مُعَاوِيَةُ حَبِيبَ بْنَ مَسْلَمَةَ الْفِهْرِيَّ، وَشُرَحْبِيلَ بْنَ السِّمْطِ، وَمَعْنَ بْنَ يَزِيدَ بْنِ الْأَخْنَسِ إِلَى عَلِيٍّ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ، فَبَدَأَ حَبِيبٌ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ كَانَ خَلِيفَةً مَهْدِيًّا، عَمِلَ بِكِتَابِ اللَّهِ وَثَبَتَ لِأَمْرِ اللَّهِ، فَاسْتَثْقَلْتُمْ حَيَاتَهُ، وَاسْتَبْطَأْتُمْ وَفَاتَهُ، فَعَدَوْتُمْ عَلَيْهِ فَقَتَلْتُمُوهُ، فَادْفَعْ إِلَيْنَا قَتَلَةَ عُثْمَانَ - إِنْ زَعَمْتَ أَنَّكَ لَمْ تَقْتُلْهُ - ثُمَّ اعْتَزِلْ أَمْرَ النَّاسِ، فَيَكُونَ أَمْرُهُمْ شُورَى بَيْنَهُمْ، فَيُوَلِّي النَّاسُ أَمْرَهُمْ مَنْ أَجْمَعُوا عَلَيْهِ رَأْيَهُمْ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: وَمَا أَنْتَ، لَا أُمَّ لَكَ وَهَذَا الْأَمْرَ وَهَذَا الْعَزْلَ، فَاسْكُتْ فَإِنَّكَ لَسْتَ هُنَاكَ وَلَا بِأَهْلٍ لِذَاكَ. فَقَالَ لَهُ حَبِيبٌ: أَمَا وَاللَّهِ لَتَرَيَنِّي حَيْثُ تَكْرَهُ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: وَمَا أَنْتَ وَلَوْ أَجَلَبْتَ بِخَيْلِكَ وَرَجِلِكَ لَا أَبْقَى اللَّهُ عَلَيْكَ إِنْ أَبْقَيْتَ، اذْهَبْ فَصَعِّدْ وَصَوِّبْ مَا بَدَا لَكَ. ثُمَّ ذَكَرَ أَهْلُ السِّيَرِ كَلَامًا طَوِيلًا جَرَى بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ عَلِيٍّ، وَفِي صِحَّةٍ ذَلِكَ عَنْهُمْ وَعَنْهُ نَظَرٌ، فَإِنَّ فِي مَطَاوِي ذَلِكَ الْكَلَامِ مِنْ كَلَامِ عَلِيٍّ مَا يَنْتَقِصُ فِيهِ مُعَاوِيَةَ وَأَبَاهُ، وَإِنَّهُمْ إِنَّمَا دَخَلُوا فِي الْإِسْلَامِ كَرْهًا وَلَمْ يَزَالَا فِي تَرَدُّدٍ فِيهِ، وَغَيْرَ ذَلِكَ، وَأَنَّهُ قَالَ فِي غُبُونِ ذَلِكَ: لَا أَقُولُ إِنَّ عُثْمَانَ قُتِلَ مَظْلُومًا وَلَا ظَالِمًا. فَقَالُوا: نَحْنُ نَبْرَأُ مِمَّنْ لَمْ يَقُلْ: إِنَّ عُثْمَانَ قُتِلَ مَظْلُومًا. وَخَرَجُوا مِنْ عِنْدِهِ، فَقَالَ عَلِيٌّ: {إِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتَى وَلَا تُسْمِعُ الصُّمَّ الدُّعَاءَ إِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِينَ - وَمَا أَنْتَ بِهَادِي الْعُمْيِ عَنْ ضَلَالَتِهِمْ إِنْ تُسْمِعُ إِلَّا مَنْ يُؤْمِنُ بِآيَاتِنَا فَهُمْ مُسْلِمُونَ وَإِذَا وَقَعَ} [النمل: 80 - 81]
[النَّمْلِ: 80، 81] . ثُمَّ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: لَا يَكُنْ هَؤُلَاءِ أَوْلَى بِالْجِدِّ فِي ضَلَالَتِهِمْ مِنْكُمْ بِالْجِدِّ فِي حَقِّكُمْ وَطَاعَةِ نَبِيِّكُمْ. وَهَذَا عِنْدِي لَا يَصِحُّ عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
وَقَدْ رَوَى ابْنُ دِيزِيلَ، مِنْ طَرِيقِ عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ بِإِسْنَادِهِ، أَنَّ قُرَّاءَ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَقُرَّاءَ أَهْلِ الشَّامِ عَسْكَرُوا نَاحِيَةً، وَكَانُوا قَرِيبًا مِنْ ثَلَاثِينَ أَلْفًا، وَأَنَّ جَمَاعَةً مِنْ قُرَّاءِ الْعِرَاقِ ; مِنْهُمْ عَبِيدَةُ السُّلْمَانِيُّ، وَعَلْقَمَةُ بْنُ قَيْسٍ، وَعَامِرُ بْنُ عَبْدِ قَيْسٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، وَغَيْرُهُمْ جَاءُوا إِلَى مُعَاوِيَةَ فَقَالُوا لَهُ: مَا تَطْلُبُ؟ قَالَ: أَطْلُبُ بِدَمِ عُثْمَانَ. قَالُوا: لِمَنْ تَطْلُبُ بِهِ؟ قَالَ: عَلِيًّا. قَالُوا: أَهْوَ قَتَلَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ، وَأَوَى قَتَلَتَهُ. فَانْصَرَفُوا إِلَى عَلِيٍّ فَذَكَرُوا لَهُ مَا قَالَ، فَقَالَ: كَذَبَ، لَمْ أَقْتُلْهُ وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنِّي لَمْ أَقْتُلْهُ. فَرَجَعُوا إِلَى مُعَاوِيَةَ فَأَخْبَرُوهُ، فَقَالَ: إِنْ لَمْ يَكُنْ قَتَلَهُ بِيَدِهِ فَقَدْ أَمَرَ بِقَتْلِهِ وَمَالَأَ عَلَيْهِ. فَرَجَعُوا إِلَى عَلِيٍّ فَأَخْبَرُوهُ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَا قَتَلْتُ وَلَا أَمَرْتُ وَلَا مَالَأْتُ، فَرَجَعُوا إِلَى مُعَاوِيَةَ فَأَخْبَرُوهُ، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: إِنْ كَانَ صَادِقًا فَلْيُقِدْنَا مِنْ قَتَلَةِ عُثْمَانَ، فَإِنَّهُمْ فِي عَسْكَرِهِ وَجُنْدِهِ. فَرَجَعُوا إِلَى عَلِيٍّ فَقَالَ عَلِيٌّ: تَأَوَّلَ الْقَوْمُ عَلَيْهِ الْقُرْآنَ فِي فِتْنَةٍ
পৃষ্ঠা - ৬০০২
ইবন মাসলামা ৷ এদিন তারা প্রচণ্ড যুদ্ধে লিপ্ত হলো এবং দিন শেষে নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে
গেল ৷ যুদ্ধের ফলড়াফলে উভয় পক্ষ ছিল সমান সমান এক পক্ষ অপর পক্ষকে সমান সমান
প্রতিঘাত করল ৷
পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে আবার তারা যুদ্ধ শুরু করল ৷ এদিন ইরাকীদের সেনাপতি
ছিল হাশিম ইবন উ৩ বা এবং শামীদের সেনাপতি ছিল আবুল আ ওয়ার সুলামী ৷ এদিনও তারা
প্রচণ্ড যুদ্ধ করল ৷ অশ্বারােহীরা অশ্বারোহীদের উপর এবং পদাতিকরা পদাতিকদের উপর
আক্রমণ চালাল ৷ দিন শেষে তারা নিজ নিজ অবস্থানে ফিলে গেল ৷ এ দিনের যুদ্ধে পক্ষদ্বয়
একে অপরের সামনে দৃঢ়তার পরিচয় দিল এবং যুদ্ধের ফলাফল ছিল সমড়ানে সমান ৷৩ তৃতীয় দিন
শুক্রবার উভয় পক্ষ ময়দানে এল ৷ এ দিন ইরাকীদের পক্ষে (সেনাপতি ছিলেন) আম্মার ইবন
ইয়াসির এবং শামীদের নিয়ে ময়দানে এলেন অড়াম্র ইবনুল আস (রা) ৷ লোকেরা এদিনও
প্রচণ্ড যুদ্ধ করল এবং এক পর্যায়ে আম্র ইবনুল আস (বা) আমার (রা)-এর উপর আক্রমণ
চালিয়ে র্তাকে তীর অবস্থান হতে হটিয়ে দিলেন ৷ অশ্বারোহী দলের অধিনায়ক যিয়াদ ইবনুল
নায্র হারিন্থী এক ব্যক্তিকে দ্বৈতযুদ্ধের আহ্বান জানাল ৷ দুইজন সামনাসামনি র্দাড়িয়ে যখন
তারা (দ্বৈত যুদ্ধের নিয়মানুসারে) পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত হলো তখন দেখা গেল যে, তারা
পরস্পর এক মায়ের সন্তান ভাই ভাই ৷ তখন তারা পরস্পর পৃথক হয়ে নিজ নিজ দলের কাছে
চলে গেল ৷ বিকালে উভয় পক্ষ নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে গেল ৷ এদিনের যুদ্ধেও উভয়পক্ষ
বীরতৃ ও দৃঢ় অবস্থা নর পরাকাষ্ঠ্য দেখাল ৷
চতুর্থ দিন শানবা র পুনরায় দুই বাহিনী ময়দানে এল ৷ এ ৷ স্ন ইরাকী <া৷ ৷হিনীর পরিচালনায়
ছিলেন মুহাম্মদ ইবন আলী (বা) (যিনি মুহাম্মাদ ইবনুল হানাফিয়া নামে সমধিক পরিচিত)
তার সঙ্গে ছিল বিশাল বাহিনী ৷ এ দিন শামীদের বিশাল বাহিনীর (৩ ভুকরছিলেন উবায়দুল্লাহ্
ইবন উমর (রা) ৷ এদিনও উভয় পক্ষ প্রচণ্ড যুদ্ধ করল ৷ উবায়দুল্লাহ্ ইবন উমর (রা) সামনে
বেরিয়ে এসে মুহাম্মাদ ইবনুল হানাফিয়াকে দ্বৈতযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানালেন ৷
ইবনুল হড়ানাফিয়াও সামনে এগিয়ে গেলেন ৷ দুইজন পরস্পরের সন্নিকট হওয়ার প্রাক্কালে আলী
(বা) বললেন, দ্বৈত যুদ্ধে অবতীর্ণ হলো কে কে ? লোকেরা বলল, আপনার ছেলে মুহাম্মাদ ও
উবায়দুল্লাহ্ বর্ণনশ্বমকৃ৩ ,আলী (বা) তার বাহনটি দ্রুত চালিয়ে নিয়ে ছেলেকে বিরত থাকার
আদেশ দিলেন এবং নিজে উবায়দুল্পাহ্র কাছে এগিয়ে গিয়ে বললেন, আমার সংগে এগিয়ে
এস ৷ উবায়দৃল্লাহ্ বললেন, আপনার সঙ্গে ভৈদ্বতষুদ্ধে আমার প্রয়োজন নেই ৷ আলী (বা)
বললেন, কেন নয়? উবায়দুল্লাহ্ বলল, না ৷ তখন আলী (বা) ফিরে এলেন এবং লোকেরা সে
দিনের জন্য যুদ্ধে বিরতি দিল ৷
পঞ্চম দিন রবিবার আবার দুই বাহিনী ময়দানে হাজির হলো ৷ এদিন ইরাকীদের নেতৃত্বে
ছিলেন আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) এবং শামীদের নেতৃত্বে ছিলেন ওয়ালীদ ইবন উক্বা
(বা) যুদ্ধ চলল প্রচণ্ড রুপে ৷ আবুমিখনাদের বর্ণনামতে ওয়ালীদ ইবন আবাস (রা)-এর প্রতি
বাজে উক্তি করল ৷ সে বলল, তোমরা তোমাদের খলীফাকে হত্যা করেছ;কিভৃ যা চেয়েছিলে
১ যিয়াদ ইবনুল নায়বের প্রতিপক্ষ অপর ব্যক্তি ছিল আমর ইবন মুআবিয়৷ ইবনুল মুনতাফিক ইবন আমির
ইবন উজায়ল ৷ দুইজনের যা ছিল বনু ইয়াযীদের এক মহিলা ৷ (তাবায়ী, ৬খ ৭ পৃ)
وَوَقَعَتِ الْفُرْقَةُ لِأَجْلِهَا، وَقَتَلُوهُ فِي سُلْطَانِهِ وَلَيْسَ لِي عَلَيْهِمْ سَبِيلٌ. فَرَجَعُوا إِلَى مُعَاوِيَةَ فَأَخْبَرُوهُ، فَقَالَ: إِنْ كَانَ الْأَمْرُ عَلَى مَا يَقُولُ، فَمَا لَهُ انْتَهَزَ الْأَمْرَ دُونَنَا مِنْ غَيْرِ مَشُورَةٍ مِنَّا وَلَا مِمَّنْ هَاهُنَا؟ فَرَجَعُوا إِلَى عَلِيٍّ، فَقَالَ: إِنَّمَا النَّاسُ تَبَعُ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، فَهُمْ شُهُودُ النَّاسِ عَلَى وِلَايَتِهِمْ وَأَمْرِ دِينِهِمْ، وَقَدْ رَضُوا وَبَايَعُونِي، وَلَسْتُ أَسْتَحِلُّ أَنْ أَدَعَ مِثْلَ مُعَاوِيَةَ يَحْكُمُ عَلَى الْأُمَّةِ وَيَشُقُّ عَصَاهَا. فَرَجَعُوا إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَقَالَ: مَا بَالُ مَنْ هَاهُنَا مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ لَمْ يَدْخُلُوا فِي هَذَا الْأَمْرِ؟ فَرَجَعُوا إِلَى عَلِيٍّ، فَقَالَ: إِنَّمَا هَذَا لِلْبَدْرِيِّينَ دُونَ غَيْرِهِمْ، وَلَيْسَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ بَدْرِيٌّ إِلَّا وَهُوَ مَعِي، وَقَدْ تَابَعَنِي وَبَايَعَنِي وَرَضِيَ بِي، فَلَا يَغُرَّنَّكُمْ مِنْ دِينِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ. قَالَ: فَأَقَامُوا يَتَرَاسَلُونَ فِي ذَلِكَ مُدَّةَ شَهْرِ رَبِيعٍ الْآخِرِ وَجُمَادَيَيْنِ، وَيَفْزَعُونَ فِي غُبُونِ ذَلِكَ الْفَزْعَةَ بَعْدَ الْفَزْعَةِ، وَيَزْحَفُ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ، وَيَحْجِزُ بَيْنَهُمُ الْقُرَّاءُ، فَلَا يَكُونُ فِي ذَلِكَ قِتَالٌ. قَالَ: فَفَزِعُوا فِي ثَلَاثَةِ أَشْهُرٍ خَمْسَةً وَثَمَانِينَ فَزْعَةً. قَالَ: وَخَرَجَ أَبُو
পৃষ্ঠা - ৬০০৩
তা পাওনি ৷ আল্লাহ্র কসম৷ নিশ্চয় আল্লাহ্£ তোমাদের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করবেন ৷
বর্ণনামতে এদিন ইবন আব্বাস (রা) নিজেও প্রচণ্ড যুদ্ধ করেন ৷
ষষ্ঠ দিন সােমবারও লোকেরা ময়দানে বের হলো ৷ এ দিন ইরাকীদের পরিচালক ছিল
কায়স ইবন সাদ এবং শামীদের পক্ষে ছিল যুল কুলা৷ এদিনও তারা প্রচণ্ড যুদ্ধ করল এবং
পরস্পর দৃঢ় অবস্থানের পরিচয় দিল ও শেষে নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে গেল ৷ সপ্তম দিন
মঙ্গলবার (ইরাকীদের পক্ষে) ময়দানে এল আশ৩ার নাথ ঈ এবং অপরদিকে তার সমকক্ষ
প্রতিদ্বম্বী হাবীব ইবন মাসলাম৷ ৷ এ দিনও তারা প্রচণ্ড লড়ইি করল ৷ এ সা৩ দিনের যুদ্ধে কোন
পক্ষ অপর পক্ষের উপর বিজয়ী হতে পারল না ৷
আবু মিখনাফ বলেছেন, মালিক ইবন আয়ান জুহানী যায়দ ইবন ওয়াহ্ব হতে বর্ণনা
করেছেন, আলী (রা) বললেন, আর ক৩ দিন আমরা সম্মিলিত রুপে তাদের প্রতিরোধে অবতীর্ণ
হব নাঃ পরে তিনি বুধবার বিকালে আসরের পরে লোকদের সামনে ৩াষণ দিলেন ৷
তিনি বললেন ং
ৰুদ্বুদ্বুছু ট্রু,ন্ ৷
৷ ; এস্পো ৷
’
া
৷ ওটু১া১
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র, তিনি যা ভেঙ্গে দেন তা কেউ সুদৃঢ় করতে প্া৷রে না এবং তিনি যা
চুড়ান্ত করেন ভঙ্গকারীরা তা ভঙ্গ করতে পারে না ৷ তিনি ইচ্ছা করলে তার সৃষ্টি দৃজনও
মতভেদ করত না এবং উম্ম৩ তার নির্দেশি ৷৩ কোন বিষয়ে ঝগড়া বিবাদ করত না এবং অশ্রেষ্ঠ
ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির শ্রেষ্ঠতৃ অস্বীকার করত না ৷ (অযােগ্য যোগ্যের যোগ্য৩ ৷ অস্বীকার করত
না ৷) ভাগ্যলিপি আমাদের ও লোকদের৩াড়িয়ে নিয়ে এসেছে এবং এ স্থানটিতে ঠেলে দিয়েছে ৷
আমরা আমাদের প্রতিপালকের দর্শন ও শ্রবণ পরিধিতে রয়েছে ৷ তিনি ইচ্ছা করলেই প্রতিশোধ
নিবেন এবং তার পক্ষ হতে কঠিনকরণ সংঘটিত হবে অবশেষে আল্পাহ্ জ্যলিমকে মিথ্যা
প্রতিপন্ন করবেন এবং সত্য তার প্রত্যাবর্তনের স্থান জেনে নিয়ে, কিন্তু তিনি দুনিয়াকে
কর্মক্ষেত্র’ বানিয়েছেন এবং তার কাছে সংরক্ষিত আখিরাতকে করেছেন স্থিরতার ক্ষেত্র ৷ “যারা
মন্দ কাজ করে তাদের তিনি দেন মন্দ ফল এবং যারা ভাল কাজ করে তাদের দেন উত্তম
পুরস্কার ৷ (সুরা নাজম ৫৩, আয়াত : ৩১)
الدَّرْدَاءِ وَأَبُو أُمَامَةَ، فَدَخَلَا عَلَى مُعَاوِيَةَ، فَقَالَا لَهُ: يَا مُعَاوِيَةُ، عَلَامَ تُقَاتِلُ هَذَا الرَّجُلَ؟ فَوَاللَّهِ إِنَّهُ لَأَقْدَمُ مِنْكَ وَمِنْ أَبِيكَ سَلْمًا، وَأَقْرَبُ مِنْكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَحَقُّ بِهَذَا الْأَمْرِ مِنْكَ. فَقَالَ: أُقَاتِلُهُ عَلَى دَمِ عُثْمَانَ، وَأَنَّهُ أَوَى قَتَلَتَهُ، فَاذْهَبَا إِلَيْهِ فَقُولَا لَهُ فَلْيُقِدْنَا مِنْ قَتَلَةِ عُثْمَانَ، ثُمَّ أَنَا أَوَّلُ مَنْ يُبَايِعُهُ مَنْ أَهْلِ الشَّامِ. فَذَهَبَا إِلَى عَلِيٍّ، فَقَالَا لَهُ ذَلِكَ، فَقَالَ: هَؤُلَاءِ الَّذِينَ تَرَوْنَ. فَخَرَجَ خَلْقٌ كَثِيرٌ فَقَالُوا: كُلُّنَا قَتَلَةُ عُثْمَانَ فَمَنْ شَاءَ فَلْيَرْمِنَا وَلْيَكِدْنَا. قَالَ: فَرَجَعَ أَبُو الدَّرْدَاءِ وَأَبُو أُمَامَةَ فَلَمْ يَشْهَدَا لَهُمْ قِتَالًا، بَلْ لَزِمَا بُيُوتَهُمَا.
وَقَالَ عُمَرُ بْنُ سَعْدٍ بِإِسْنَادِهِ: حَتَّى إِذَا كَانَ رَجَبٌ وَخَشِيَ مُعَاوِيَةُ أَنْ تُبَايِعَ الْقُرَّاءُ كُلُّهُمْ عَلِيًّا، كَتَبَ فِي سَهْمٍ: مِنْ عَبْدِ اللَّهِ النَّاصِحِ، يَا مَعْشَرَ أَهْلِ الْعِرَاقِ، إِنَّ مُعَاوِيَةَ يُرِيدُ أَنْ يَفْجُرَ عَلَيْكُمُ الْفُرَاتَ لِيُغْرِقَكُمْ، فَخُذُوا حِذْرَكُمْ. وَرَمَى بِهِ فِي جَيْشِ أَهْلِ الْعِرَاقِ. فَأَخَذَهُ النَّاسُ فَقَرَأُوهُ وَتَحَدَّثُوا بِهِ، وَذَكَرُوهُ لِعَلِيٍّ، فَقَالَ: إِنَّ هَذَا مَا لَا يَكُونُ وَلَا يَقَعُ. وَشَاعَ ذَلِكَ فِيهِمْ، وَبَعَثَ مُعَاوِيَةُ مِائَتَيْ فَاعِلٍ يَحْفِرُونَ فِي جَنْبِ الْفُرَاتِ وَبَلَغَ النَّاسَ ذَلِكَ، فَخَافَ أَهْلُ الْعِرَاقِ مِنْ ذَلِكَ وَفَزِعُوا إِلَى عَلِيٍّ، فَقَالَ: وَيَحْكُمُ إِنَّهُ يُرِيدُ أَنْ يَخْدَعَكُمْ وَيُوهِنَ كَيْدَكُمْ،
পৃষ্ঠা - ৬০০৪
ণ্শান! ৫ আমরা আগামী দিন ৰিপক্ষদলের মুখোমুখি হবে ৷ কাজেই আজ রাতে
(ইরাদাত ৩ড়াহাজ্জ্বদে) দীর্ঘ কিয়াম করবে এবং অধিক পরিমাণে কুরআন৩ তিলাওয়াত করবে ৷
আল্লাহ্র কাছে সাহায্য, সবর ও দৃঢ়তা এবং পরম ও অনমনীয় শক্তি প্রার্থনা করবে এবং
নিষ্ঠাবান হবে ৷” ধ্
বর্ণনাকারী বলেন, ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় লোকেরা তাদের তরবারি বল্লম ও তীর ধনুক
সংস্কারের কাজে ঝাপিয়ে পড়ল ৷ এ অবস্থায় বা ব ইবন জুআয়ল তাগলিবী লোকদের পাশ
দিয়ে পথ চলতে চলতে লোকদের প্রস্তুতি দেখে বলে উঠল (কবিতা)
দ্ভন্ষ্া৷ ম্পোা
উম্মত এক আজব পরিস্থিতিতে নিপতিত; আগামীকাল রাজত্ব সমন্বিত হবে বিজয়ীর জন্য ৷
আমি বলেছি একটি উক্তি যা মিথ্যে নয়; আগামী দিন নিঃশেষ হবে আরবের শ্রেষ্ঠ
সত্তানেরা ৷
বর্ণনকােরী বলেন, পরের ভোরে আলী (বা) তার পরিকল্পনা মাফিক সেনা সজ্জা সম্পন্ন
করলেন এবং মু ’আ ৷ৰিয়া (রা) ও অশ্বারোহণ করে তার পরিকল্পনা মাফিক ণ্সনাসজ্জা করলেন ৷
আলী (রা) ইরাক হতে আগত প্রতিটি গোত্রের লোকদের শাম থেকে আগত তাদের
স্বগােত্রীরদের সামাল দেওয়ার নির্দেশ দিলেন ৷ এ দিন লোকেরা ভীষণ যুদ্ধে লিপ্ত হলো ৷ কেউ
পলায়ন করছিল না এবং কোন পক্ষই প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করছিল না ৷ ৰিকালে তারা যুদ্ধে
বিরতি দিল ৷ পরের দিন ভোরে আলী (রা) আধার থাকাকালে ফজরের সালাত আদায় করলেন
এবং প্ৰতৃবৃষেই যুদ্ধ শুরু করিয়ে দিলেন ৷ পরে শামীদের অভিমুখে এগিয়ে পেলেন ৷ শামীরাও
সমানতালে এগিয়ে এল ৷
যায়দ ইবন ওয়াহ্ব হতে মালিক ইবন আয়ালের মাধ্যমে আবু মিখনাদের বর্ণনা
অনুসারে-এ সময় আলী (র!) বললেন :
, ণ্র্দু৷ ৷
, ণ্াফোশ্এ ণ্এেঞা ণ্এএহ্র প্রুই খ্যাঃষ্ম্শ্চে এংএখু গ্রএ১ ই১এেন্ ৮ম্বু দুষ্ণ্প্ত১ষ্ক্ট্র;শ্পুখু ন্র্চুন্১শু
لِيُزِيلَكُمْ عَنْ مَكَانِكُمْ هَذَا وَيَنْزِلَ فِيهِ ; لِأَنَّهُ خَشِيَ مِنْ مَكَانِهِ. فَقَالُوا: لَا بُدَّ أَنْ نَرْتَحِلَ عَنْ هَذَا الْمَكَانِ. فَارْتَحَلُوا مِنْهُ - وَجَاءَ مُعَاوِيَةُ فَنَزَلَهُ بِجَيْشِهِ - وَكَانَ عَلِيٌّ آخَرَ مَنِ ارْتَحَلَ، فَنَزَلَ بِهِمْ وَهُوَ يَقُولُ:
فَلَوْ أَنِّي أَطَعْتُ عَصَمْتُ قَوْمِي ... إِلَى رُكْنِ الْيَمَامَةِ أَوْ شَمَامِ
وَلَكِنِّي إِذَا أَبْرَمْتُ أَمْرًا ... يُخَالِفُهُ الطَّغَامُ بَنُو الطَّغَامِ
قَالَ: فَأَقَامُوا إِلَى شَهْرِ ذِي الْحِجَّةِ ثُمَّ شَرَعُوا فِي الْقِتَالِ، فَجَعَلَ عَلِيٌّ يُؤَمِّرُ عَلَى الْحَرْبِ كُلَّ يَوْمٍ رَجُلًا، وَأَكْثَرُ مَنْ كَانَ يُؤَمِّرُ الْأَشْتَرُ. وَكَذَلِكَ مُعَاوِيَةُ كَانَ يُؤَمِّرُ كُلَّ يَوْمٍ أَمِيرًا، فَاقْتَتَلُوا شَهْرَ ذِي الْحِجَّةِ بِكَمَالِهِ، وَرُبَّمَا اقْتَتَلُوا فِي بَعْضِ الْأَيَّامِ مَرَّتَيْنِ.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ: ثُمَّ لَمْ تَزَلِ الرُّسُلُ تَتَرَدَّدُ بَيْنَ عَلِيٍّ وَمُعَاوِيَةَ، وَالنَّاسُ كَافُّونَ عَنِ الْقِتَالِ حَتَّى انْسَلَخَ الْمُحَرَّمُ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَلَمْ يَقَعْ بَيْنَهُمْ صُلْحٌ، فَأَمَرَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ مَرْثَدَ بْنَ الْحَارِثِ الْجُشَمِيَّ، فَنَادَى أَهْلَ الشَّامِ عِنْدَ غُرُوبِ الشَّمْسِ: أَلَا إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ يَقُولُ لَكُمْ: إِنِّي قَدِ
পৃষ্ঠা - ৬০০৫
اسْتَدَمْتُكُمْ لِتُرَاجِعُوا الْحَقَّ، وَأَقَمْتُ عَلَيْكُمُ الْحُجَّةَ فَلَمْ تُجِيبُوا، وَإِنِّي قَدْ أَعْذَرْتُ إِلَيْكُمْ وَنَبَذْتُ إِلَيْكُمْ عَلَى سَوَاءٍ، إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْخَائِنِينَ. فَفَزِعَ أَهْلُ الشَّامِ إِلَى أُمَرَائِهِمْ فَأَعْلَمُوهُمْ بِمَا سَمِعُوا الْمُنَادِي يُنَادِي بِهِ، فَنَهَضَ عِنْدَ ذَلِكَ مُعَاوِيَةُ وَعَمْرٌو، فَعَبَّيَا الْجَيْشَ مَيْمَنَةً وَمَيْسَرَةً، وَبَاتَ عَلِيٌّ يُعَبِّي جَيْشَهُ مِنْ لَيْلَتِهِ، فَجَعَلَ عَلَى خَيْلِ أَهْلِ الْكُوفَةِ الْأَشْتَرَ النَّخَعِيَّ، وَعَلَى رَجَّالَتِهِمْ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ، وَعَلَى خَيْلِ أَهْلِ الْبَصْرَةِ سَهْلَ بْنَ حُنَيْفٍ، وَعَلَى رَجَّالَتِهِمْ قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ وَهَاشِمَ بْنَ عُتْبَةَ، وَعَلَى قُرَّائِهِمْ مِسْعَرَ بْنَ فَدَكِيٍّ التَّمِيمِيَّ، وَتَقَدَّمَ عَلِيٌّ إِلَى النَّاسِ أَنْ لَا يَبْدَأُوا أَحَدًا بِقِتَالٍ حَتَّى يَبْدَأَهُمْ وَيَعْتَدِيَ عَلَيْهِمْ، وَأَنَّهُ لَا يُذَفَّفُ عَلَى جَرِيحٍ، وَلَا يُتْبَعُ مُدْبِرٌ، وَلَا يُكْشَفُ سِتْرَ امْرَأَةٍ وَلَا تُهَانُ وَإِنْ شَتَمَتْ أُمَرَاءَ النَّاسِ وَصُلَحَاءَهُمْ. وَبَرَزَ مُعَاوِيَةُ صُبْحَ تِلْكَ اللَّيْلَةِ وَقَدْ جَعَلَ عَلَى الْمَيْمَنَةِ ابْنَ ذِي الْكَلَاعِ الْحِمْيَرِيَّ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ حَبِيبَ بْنَ مَسْلَمَةَ الْفِهْرِيَّ، وَعَلَى الْمُقَدِّمَةِ أَبَا الْأَعْوَرِ السُّلَمِيَّ، وَعَلَى خَيْلِ دِمَشْقَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ، وَعَلَى رَجَّالَتِهِمُ الضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ. ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ
وَرَوَى ابْنُ دِيزِيلَ، مِنْ طَرِيقِ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْبَاقِرِ، وَزَيْدِ
পৃষ্ঠা - ৬০০৬
হে সংরক্ষিত সুরক্ষিত আসমানের মালিক! যাকে আপনি দিন ও রাতের জন্য ছাদ
(আচ্ছাদন) করেছেন, সেখানে তৈরি করেছেন সুর্য ও চাদের চলাচল ক্ষেত্র ও তারকাদের
(গ্রহ-নক্ষত্রের) অবস্থান ক্ষেত্র এবং তাতে রেখেছেন ফেরেশতা সম্প্রদায় যারা ইবাদতে ক্লড়ান্তি
অনুভব করে না ৷ হে যমীনের মালিক ! যাকে আপনি বসবাস ক্ষেত্র করেছেন মানব, পশু ও
পােকা-মাকড়ের জন্য এবং আমরা যা দেখি তার অসংখ্যা অগণিতের জন্য ও আমরা যা দেখি না
আপনার সে বিশাল সৃষ্টির জন্য ৷ হে নৌযানসমুহের মালিক ৷ যা মানুষের জন্য উপকারী
জিনিসপত্র নিয়ে চলাচল করে ৷ হে আসমান-যমীনের মাঝে (শুন্যে) ভাসমান মেঘের মালিক ৷
হে বিশ্বজগত বেষ্টনকারী উথাল মাথা সাগরের মালিক! হে স্থির-অবিচল পর্বতমালার মালিক
যাকে আপনি পৃথিবীর জন্য পেরেক’ বানিয়েছেন এবং সৃষ্টির জন্য ভোগের সুত্র বানিয়েছেন,
আপনি আমাদের প্রতিপক্ষের উপরে আমাদের বিজয়ী করলে আমাদের জুলুম-নির্যাতন ও
বিশৃৎখলা সৃষ্টি করা হতে দুরে রাখবেন এবং সত্য-ন্যায়ের যথার্থ অনুসারী করবেন ৷ আর
আমাদের উপরে তাদের বিজয়ী করলে আমাকে শাহাদাত নসীব করবেন এবং আমার সংগীদের
ফিতনা হতে দুরে রাখবেন ৷
এরপর আলী (রা) মদীনাবাসীদের মাঝে মুল কেদ্রীয় বাহিনীতে অবস্থান নিয়ে এগিয়ে
চললেন ৷ এ সময় ডান বাহুর পরিচালনায় ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন বুদড়ায়ল (রা), বাম বাহুর
পরিচালনায় ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) এবং কারীগণের নেতৃত্বে ছিলেন আম্মার
ইবন ইয়াসির (রা) ও কায়স ইবন সাদ (রা) জনতা ছিল নিজ নিজ পতাকার সঙ্গে ৷ আলী
(বা) তাদের নিয়ে ধার গাততে প্রতিপক্ষের দিকে এগিয়ে চললেন ৷
অপর দিক হতে মুআ ৷বিয়া (রা)ও এগিয়ে এলেন ৷ শামবাসীরা তার হাতে আমৃত্যু লড়াই
করার বহ্বয়আত করেছিল ৷ তখন দুই পক্ষ একটি ভয়ংকর অবস্থানে ও মারাত্মক ব্যাপারে নিয়ে
মুখোমুখি হলো ৷ এ সময় আলী (রা) ডান বাহুর আমীর আবদুল্লাহ ইবন বুদায়ল শামীদের বাম
বাহুর উপর আক্রমণ চালালেন ৷ এ বাম বাহু পরিচালনা করছিলেন হাবীব ইবন মাসলামা ৷
আবদুল্লাহ তার প্রতিপক্ষকে তাদের বাহিনীর মধ্যভাগ পর্যন্ত ঠেলে নিয়ে গেলেন ৷ মুআবিয়া
(রা) সেখানে অবস্থান করছিলেন ৷
এ সময় আবদুল্লাহ ইবন বুদায়ল দাড়িয়ে লোকদের সামনে ভাষণ দিলেন ৷ ভাষণে তিনি
লোকদের যুদ্ধে উৎসাহিত করলেন এবং সবর-দৃঢ়তা ও জিহাদে অনুপ্রাণিত করলেন ৷ আমীরুল
মু’মিনীন আলী (রা) ও লোকদের সবর, অবিচলভা ও জিহাদে উদ্বুদ্ধ করলেন এবং শামীদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধে উৎসাহিত করলেন ৷ অন্যান্য আমীরগণও নিজ নিজ দলকে অনুপ্রাণিত করতে
লাগলেন ৷ তাদের ভাষণে তারা পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন স্থান হতে ৩জিহাদ সং ক্রান্ত আয়াত
তিলাওয়াত করে পোনালেন ৷
যেমন, আল্লাহ্ তাআলার কালাম :
’ ’ ৷ ; শ্ ষ্ ’ ষ্ fl:
“আল্লাহ সে মু ’মিনদের ভালবাসেন যারা তার পথে যুদ্ধ করে সীসা ঢালাই প্রাচীরের ন্যায়
(দৃঢ়তার সঙ্গে) ৷ (সুরা সাফ্ফ ৬১ , আয়াতং ৪)
بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، وَغَيْرِهِمَا، قَالُوا: لَمَّا بَلَغَ مُعَاوِيَةَ مَسِيرُ عَلِيٍّ إِلَيْهِ، سَارَ مُعَاوِيَةُ نَحْوَ عَلِيٍّ وَاسْتَعْمَلَ عَلَى مُقَدِّمَتِهِ سُفْيَانَ بْنَ عَمْرٍو أَبَا الْأَعْوَرِ السُّلَمِيَّ، وَعَلَى السَّاقَةِ بُسْرَ بْنَ أَرْطَاةَ حَتَّى تَوَافَوْا جَمِيعًا بِقُنَاصِرِينَ إِلَى جَانِبِ صِفِّينَ. وَزَادَ ابْنُ الْكَلْبِيِّ فَقَالَ: جَعَلَ عَلَى الْمُقَدِّمَةِ أَبَا الْأَعْوَرِ السُّلَمِيَّ، وَعَلَى السَّاقَةِ بُسْرًا، وَعَلَى الْخَيْلِ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، وَدَفَعَ اللِّوَاءَ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَجَعَلَ عَلَى الْمَيْمَنَةِ حَبِيبَ بْنَ مَسْلَمَةَ، وَعَلَى رَجَّالَتِهَا يَزِيدَ بْنَ زَحْرٍ الْعَنْسِيَّ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، وَعَلَى رَجَّالَتِهَا حَابِسَ بْنَ سَعْدٍ الطَّائِيَّ، وَعَلَى خَيْلِ دِمَشْقَ الضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ، وَعَلَى رَجَّالَتِهِمْ يَزِيدَ بْنَ لَبِيدِ بْنِ كُرْزٍ الْبَجَلِيَّ، وَجَعَلَ عَلَى أَهْلِ حِمْصَ ذَا الْكَلَاعِ، وَعَلَى أَهْلِ فِلَسْطِينَ مَسْلَمَةَ بْنَ مُخَلَّدٍ، وَقَامَ مُعَاوِيَةُ فِي النَّاسِ خَطِيبًا، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، وَاللَّهِ مَا أَصَبْتُ الشَّامَ إِلَّا بِالطَّاعَةِ، وَلَا أَضْبِطُ حَرْبَ أَهْلِ الْعِرَاقِ إِلَّا بِالصَّبْرِ، وَلَا أُكَابِدُ أَهْلَ الْحِجَازِ إِلَّا بِاللُّطْفِ، وَقَدْ تَهَيَّأْتُمْ وَسِرْتُمْ
পৃষ্ঠা - ৬০০৭
আলী (বা) আরও বললেন :
ণ্ধ্৷ ৷
া
বর্ষ পরিহিতরা সামনে এবং বর্মহীনরা পিছনে থাকবে ৷£ তােমা শক্ত করে মাড়ি কামড়ে
থাকবে ৷ কেননা, তা মাথার খুলি তরবারির আঘা৩ কে অধিক অকার্যকর করে দেয় ৷ বল্লমের
অগ্রভাগ মযবুত করে ধরবে ৷ কেননা এ পদ্ধতি বল্লমের ফল৷ অধিক সংরক্ষণ করে ৷ দৃষ্টি
অবনত রাখবে ৷ কেননা তা কলিজা (হৃৎপিণ্ড) অধিক স্থির রাখে ও মনকে অধিক প্রশস্ত রাখে ৷
আওয়ায ম্মিমিত রাখবে (হৈহুল্লোড় করবে না) ৷ কেননা, তা পদস্থালন অধিক বিদুরীত করে
এবং অধিক গাষ্টীর্য রক্ষা করে ৷ তোমাদের পতাকাগুলো কাত হতে দিবে না, স্থানচ্যুত হতে দিবে
না ৷ সেগুলো শুধু তোমাদের বাহাদুরদ্যে৷ হাতে দিবে ৷
ইতিহাসবিদও অন্যান্য বিষয়বিদগণ উল্লেখ করেছেন যে, আলী (রা) সিফ্ফীন যুদ্ধের
দিনগুলিতে বিভিন্ন সময়ে দ্বন্দুযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে যুদ্ধের মহড়া প্রদর্শন করেছেন এবং অনেককে
মৃত্যুর দুয়ারে পৌছে দিয়েছেন ৷ কেউ কেউ তার হাতে নিহতদের সংখ্যা পাচশত বলেছেন ৷ এ
সবের মধ্যে একটির বিবরণে আছে, কুরায়ব ইবনুল সাব্বাহ ইরাকী দলের চারজনকে হত্যা
করেছিল, তাদের লাশ তার পায়ের তলে রেখে ঘোষণা দিয়েছিল কেউ কি আছে দ্বৈত যুদ্ধে
অবতীর্ণ হবো তখন আলী (রা) দ্বৈত ৩যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন তার সামান এগিয়ে গেলেন ৷
দুই যোদ্ধা কিছুক্ষণ যুদ্ধের পায়তারা করল এবং এক পর্যায়ে আলী (রা) তাকে আঘাত করলেন
এবং তাকে ধরাশায়ী করে ঘোষণা দিলেন : আছে কোন বাহাদুর দ্বৈত যুদ্ধের জন্য ? তখন হারিছ
ইবন ^ওয়াদাআ হিমইয়ারী তার সামনে এগিয়ে এলে আলী (রা) তাকে হত্যা করলেন ৷ এরপর
দ্বৈত যুদ্ধের জন্য এগিয়ে এল রাওওয়াদ ইবন হারিছ কুলাঈ ৷ আলী (রা) তাকেও হত্যা
করলেন ৷
পরবর্তী ব্যজ্জিপে দ্বৈতযুহ্দ্ধ অবতরণ করল মৃ৩ তা ইবনুল মৃত্তালিব আল কায়সী ৷ আলী
(বা) তাকে হত্যা করে চার এর সং খ্যাপুর্ণ করলেন এবং এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন-
:,£,§ এন্৷ ৷ , (এবং নিষিদ্ধপবিত্র বিষয়সমুহ পরস্পর সমান সমান ৷ (সুরা বাক৷ ৷রা ২,
আয়াত৪ ১৯৪) এ সময় আলী (রা) আওয়াজ দিয়ে বললেন, গোড়ার মুখো হে মু আব্লিষ্কৃহ্নঢু;
(হিষ্মত থাকে তো) তুমি আমার সামনে বেরিয়ে এসো ৷ যাতে আমার ও তোমার দৃষ্টির সামনে
আরবের মানুষগুলাের জীবন নাশ ঘটতে না থাকে ৷ আওয়ায শুনে আমৃর ইবনুল আস (বা)
মুআবিয়া (রা)-কে বললেন, এ সুযোগ গ্রহণ কর ! কেননা সে তো ঐ চার চনকে হত্যা করে
রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে! মুআবিয়া (বা) বললেন, আল্লাহ্র কসম৷ তুমি নিশ্চিতই জান যে,
আলী কখনও পরাভু৩ হয়নি ৷ তোমার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমি নিহত হই, যাতে তুমি আমার পরে
নির্বিঘ্নে খিলাফতের মসনদ দখল করতে পার ৷ তৃমিই যাও না কেনা আমার মত লোককে
প্রভাবিত করা যায় না ৷
لِتَمْنَعُوا الشَّامَ وَتَأْخُذُوا الْعِرَاقَ، وَسَارَ الْقَوْمُ لِيَمْنَعُوا الْعِرَاقَ وَيَأْخُذُوا الشَّامَ وَلَعَمْرِي مَا لِلشَّامِ رَجَاءٌ فِي الْعِرَاقِ وَلَا أَمْوَالِهَا، وَلَا لِلْعِرَاقِ خِبْرَةُ أَهْلِ الشَّامِ وَلَا بَصَائِرُهَا، مَعَ أَنَّ لِلْقَوْمِ أَعْدَادَهُمْ، وَلَيْسَ بَعْدَكُمْ غَيْرُكُمْ، فَإِنْ غَلَبْتُمُوهُمْ فَلَيْسَ تَغْلِبُوهُمْ إِلَّا مِنْ أَنَاتِكُمْ وَصَبْرِكُمْ، وَإِنْ غَلَبُوكُمْ غَلَبُوا مَنْ بَعْدَكُمْ، وَالْقَوْمُ لَاقُوكُمْ بِكَيْدِ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَرِقَّةِ أَهْلِ الْيَمَنِ، وَبَصَائِرِ أَهْلِ الْحِجَازِ، وَقَسْوَةِ أَهْلِ مِصْرَ، وَإِنَّمَا يُنْصَرُ غَدًا مَنْ يُنْصَرُ الْيَوْمَ، فَاسْتَعِينُوا بِاللَّهِ وَاصْبِرُوا إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ. فَلَمَّا بَلَغَ عَلِيًّا خُطْبَةُ مُعَاوِيَةَ، قَامَ فِي أَصْحَابِهِ أَيْضًا خَطِيبًا وَحَضَّهُمْ عَلَى الْجِهَادِ، وَمَدَحَهُمْ بِالصَّبْرِ وَشَجَّعَهُمْ بِكَثْرَتِهِمْ بِالنِّسْبَةِ إِلَى أَهْلِ الشَّامِ.
قَالَ جَابِرٌ الْجُعْفِيُّ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْبَاقِرِ، وَزَيْدِ بْنِ الْحَسَنِ، وَغَيْرِهِمَا قَالُوا: سَارَ عَلِيٌّ إِلَى الشَّامِ فِي مِائَةٍ وَخَمْسِينَ أَلْفًا مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَأَقْبَلَ مُعَاوِيَةُ فِي نَحْوٍ مِنْهُمْ مَنْ أَهْلِ الشَّامِ. وَقَالَ غَيْرُهُمْ: أَقْبَلَ عَلِيٌّ فِي مِائَةِ أَلْفٍ أَوْ يَزِيدُونَ، وَأَقْبَلَ مُعَاوِيَةُ فِي مِائَةِ أَلْفٍ وَثَلَاثِينَ أَلْفًا. ذَكَرَ ذَلِكَ ابْنُ دِيزِيلَ فِي كِتَابِهِ. وَقَدْ تَعَاقَدَ جَمَاعَةٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ عَلَى أَنْ لَا يَفِرُّوا، فَعَقَلُوا أَنْفُسَهُمْ بِالْعَمَائِمِ، وَكَانَ هَؤُلَاءِ خَمْسَةَ صُفُوفٍ، وَمَعَهُمْ سِتَّةُ صُفُوفٍ آخَرِينَ، وَكَذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৬০০৮
ঐতিহাসিকদের বর্ণনা মতে একদিন আলী (রা) আমৃর ইবনুল আস (রা) ন্কে আক্রমণ
করলেন এবং বল্লম দ্বারা আঘাত করে তাকে মাটিতে ফেলে দিলেন ৷ মাটিতে পড়ে যাওয়ার
সময় আম্র (রা)এর লজ্জাস্থান উন্মুক্ত হয়ে গেলে আলী (রা) সেখান হতে চলে গেলেন ৷
আলী (রা)-এর লোকেরা তাকে বললেন, আমীরুল মু’মিনীন! কি ব্যাপার,তাকে ছেড়ে দিলেন
কেনা তিনি বললেন, তোমরা কি জান, সে কে (কি ঘটেছে)? তারা বলল, না তিনি বললেন,
এই তো আম্র ইবনুল আস, তার লজ্জান্থান উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছিল, তা আমার মনে দায়ার্দ্রতার
(রক্ত সম্বন্ধের স্মরণ?) উদ্রেক করেছে, একারণে আমি সরে এসেছি ৷ পরে আম্র (রা)
মুআবিয়া (রা)-এর কাছে ফিরে গেলে তিনি বললেন, আমি আল্লাহ্র প্রশংসা করছি এবং
তোমার পাছা’রও প্রশংসা করছি ৷ (তোমার পাছাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ৷)
ইব্রাহীম ইবনুল হুমায়ন ইবন দীযীল বলেছেন, ইয়াহ্ইয়া-নাস্র আম্র ইবন
যিম্মার-জাবির জুফী-নুমায়র আনসারী সনদ পরম্পরায় বর্ণিত, নুমায়র বলেন, আল্পাহ্র কসম ৷
আমি যেন এখনও শুনতে পাচ্ছি, আলী (রা) সিফফীন যুদ্ধে তার অনুসারীদের বলছেন, গোনা
তোমরা কি অল্লোহ্র ক্রেড়াধকে ভয় করছ নাঃ আর কত কাল ? পরে তিনি কিবলার দিকে
ঘুরে দৃআ করতে লাগলেন ৷ (বর্ণনাকরী বলেন) আল্লাহ্র কসম ! আজ আলী (রা) যত লোককে
আক্রান্ত করেছেন, আল্লাহ্র কসম, কোন দলপতি এত লোক আক্রান্ত করেছেন, এমন আমরা
শুনি নি ৷ পরিসংখ্যানকারীদের বর্ণনা অনুসারে তিনি পড়াচ শতের অধিক লোককে হত্যা
করেছেন ৷ তিনি তরবারিসহ বেরিয়ে গিয়ে তরবারি দ্বারা আঘাত করলে প্রতিপক্ষ লুটিয়ে
পড়ত ৷ তিনি ফিরে এসে বলতেন, আল্লাহ্র কাছে ও তোমাদের কাছে আমি আমার ওযর
অপারগতার কথা বলছি ৷ আল্লাহ্র কসম ! আমার ইচ্ছা ছিল তাকে স্থানচ্যুত করে হটিয়ে দেয়া ৷
কিন্তু এ বিষয়ে আমার জন্য অন্তরায় (ওযর) ছিল এই যে, আমি রাসুলুল্লাহছুক্ট্র কে বলতে
শুনেছি প্রুা ৰু৷ ৷ ;া৷ ১৷ ৰু, ৷ ৮ষ্৷ ৷ ,; ৰু৷ ৷ এ্ঠুটুষ্৷ (অর্থ : তরবারি তো আলীর তরবারিই ৷ এবং
সাহসী তরুণ র্বৃর্তড়া একমাত্র“আলী-ই ৷
বংনািকারী বলেন, এর পর আলী (রা) তরবারিটি নিয়ে সেটিকে পরিচ্ছন্ন-কার্যক্ষম করতেন
পুনরায় যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে যেতে ৷ (এ সনদটি দুর্বল বিধায় হাদীসটি মুনকার’ হাদীস)
ইয়াহ্ইয়া ইবন জাহ্র লায়ছ ইয়াযীদ ইবন (আবু) হাবীব-সনদে বর্ণিত, সিফ্ফীনে
আলী (রা) মু’আবিয়া (রা)-এর সংগে উপস্থিত ব্যক্তিগণ ইয়াযীদ ইবন আবু হাবীবকে অবহিত
করেছেন ইবন ওয়াহ্ব বলেছেন, ইবন নাহীআ ইয়াযীদ ইবন আবু হাবীব সুত্রে রাবীআ
ইবন লাকীত হতে বর্ণনা করেছেন, রাবীআ বলেন, আমরা আলী (রা) মুআবিয়া (রা) এর
ৎগে সিফফীনে উপস্থিত ছিলাম, (বর্ণনাকারী বলেন) আকাশ আমাদের উপর তাজা রক্ত বর্ষণ
করল ৷ লায়ছ তার বর্ণনায় বলেছেন, এমন কি লোকেরা রক্ত দিয়ে পাত্র ও পেয়ালা পুর্ণ করতে
লাগল ৷ ইবন লাহীআ বলেছেন, পাত্রগুলি পুর্ণ হয়ে গেলে আমরা তা ঢেলে ফেলতড়াম ৷
আগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, (ইরার্কীদের ডান বাহুর আমীর) আবদুল্লাহ্ ইবন বুদায়ল
হড়াবীব ইবন মাসলামার পরিচালনাধীন শামীদের বাম বাহু তছনছ করে দিয়ে তাকে তাদের
বাহিনীর কেন্দ্র পর্যন্ত ঠেলে দিয়েছিলেন ৷ তখন মুআবিয়া (রা) বাহাদুরগণকে পাল্টা আক্রমণের
জন্য হাবীবকে সহায়তা দেয়ার আদেশ দিলেন এবং মুআবিয়া (রা) হাবীবের কাছে বুদায়লের
أَهْلُ الْعِرَاقِ كَانُوا أَحَدَ عَشَرَ صَفًّا أَيْضًا، فَتَوَاقَفُوا عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ أَوَّلَ يَوْمٍ مِنْ صَفَرٍ، وَكَانَ ذَلِكَ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ، وَكَانَ أَمِيرَ الْحَرْبِ يَوْمَئِذٍ لِلْعِرَاقِيِّينَ الْأَشْتَرُ النَّخَعِيُّ، وَأَمِيرَ الْحَرْبِ يَوْمَئِذٍ لِلشَّامِيِّينَ حَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ، فَاقْتَتَلُوا ذَلِكَ الْيَوْمَ قِتَالًا شَدِيدًا، ثُمَّ تَرَاجَعُوا مِنْ آخِرِ يَوْمِهِمْ، وَقَدِ انْتَصَفَ بَعْضُهُمْ مِنْ بَعْضٍ، وَتَكَافَئُوا فِي الْقِتَالِ، ثُمَّ أَصْبَحُوا مِنَ الْغَدِ يَوْمَ الْخَمِيسِ وَأَمِيرُ حَرْبِ أَهْلِ الْعِرَاقِ هَاشِمُ بْنُ عُتْبَةَ، وَأَمِيرُ الشَّامِيِّينَ يَوْمَئِذٍ أَبُو الْأَعْوَرِ السُّلَمِيُّ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا ; تَحْمِلُ الْخَيْلُ عَلَى الْخَيْلِ، وَالرِّجَالُ عَلَى الرِّجَالُ، ثُمَّ تَرَاجَعُوا مِنْ آخِرِ يَوْمِهِمْ، وَقَدْ صَبَرَ كُلٌّ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ لِلْآخَرِ وَتَكَافَئُوا، ثُمَّ خَرَجَ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ - وَهُوَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ - عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ مِنْ نَاحِيَةِ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَخَرَجَ إِلَيْهِ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ فِي الشَّامِيِّينَ فَاقْتَتَلَ النَّاسُ قِتَالًا شَدِيدًا، وَحَمَلَ عَمَّارٌ عَلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، فَأَزَالَهُ عَنْ مَوْقِفِهِ، وَبَارَزَ زِيَادُ بْنُ النَّضْرِ الْحَارِثِيُّ - وَكَانَ عَلَى الْخَيَّالَةِ يَوْمَئِذٍ - رَجُلًا، فَلَمَّا تَوَاقَفَا تَعَارَفَا فَإِذَا هُمَا أَخَوَانِ مِنْ أُمٍّ، فَانْصَرَفَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا إِلَى قَوْمِهِ، وَتَرَكَ صَاحِبَهُ، وَتَرَاجَعَ النَّاسُ مِنَ الْعَشِيِّ، وَقَدْ صَبَرَ كُلُّ فَرِيقٍ لِصَاحِبِهِ، وَخَرَجَ فِي الْيَوْمِ الرَّابِعِ - وَهُوَ يَوْمُ السَّبْتِ - مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ، وَهُوَ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ، وَمَعَهُ جَمْعٌ عَظِيمٌ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ فِي جَحْفَلٍ كَثِيرٍ مِنْ جِهَةِ الشَّامِيِّينَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، فَاقْتَتَلَ النَّاسُ قِتَالًا شَدِيدًا، وَبَرَزَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، فَطَلَبَ
পৃষ্ঠা - ৬০০৯
مِنَ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ أَنْ يَبْرُزَ إِلَيْهِ، فَبَرَزَ إِلَيْهِ، فَلَمَّا كَادَا أَنْ يَقْتَرِبَا قَالَ عَلِيٌّ: مَنِ الْمُبَارِزُ؟ قَالُوا: مُحَمَّدٌ ابْنُكُ وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ. فَيُقَالُ: إِنَّ عَلِيًّا حَرَّكَ دَابَّتَهُ وَأَمَرَ ابْنَهُ أَنْ يَتَوَقَّفَ، وَتَقَدَّمَ عَلِيٌّ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ فَقَالَ لَهُ: تَقَدَّمْ إِلَيَّ. فَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: لَا حَاجَةَ لِي فِي مُبَارَزَتِكَ. فَقَالَ: بَلَى. فَقَالَ: لَا. فَرَجَعَ عَنْهُ عَلِيٌّ وَتَحَاجَزَ النَّاسُ يَوْمَهُمْ ذَلِكَ، ثُمَّ خَرَجَ فِي الْيَوْمِ الْخَامِسِ - وَهُوَ يَوْمُ الْأَحَدِ - فِي الْعِرَاقِيِّينَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، وَفِي الشَّامِيِّينَ الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ، فَاقْتَتَلَ النَّاسُ قِتَالًا شَدِيدًا وَجَعَلَ الْوَلِيدُ يَنَالُ مِنَ ابْنِ عَبَّاسٍ - فِيمَا ذَكَرَهُ أَبُو مِخْنَفٍ - وَيَقُولُ: قَتَلْتُمْ خَلِيفَتَكُمْ وَلَمْ تَنَالُوا مَا طَلَبْتُمْ، وَوَاللَّهِ إِنَّ اللَّهَ نَاصِرُنَا عَلَيْكُمْ. فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَابْرُزْ إِلَيَّ. فَأَبَى عَلَيْهِ. وَيُقَالُ: إِنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ قَاتَلَ يَوْمَئِذٍ قِتَالًا شَدِيدًا بِنَفْسِهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، ثُمَّ خَرَجَ فِي الْيَوْمِ السَّادِسِ - وَهُوَ يَوْمُ الِاثْنَيْنِ - مِنْ جِهَةِ عَلِيٍّ عَلَى الْعِرَاقِيِّينَ قَيْسُ بْنُ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، وَمِنْ جِهَةِ أَهْلِ الشَّامِ ابْنُ ذِي الْكَلَاعِ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا أَيْضًا، وَتَصَابَرُوا ثُمَّ تَرَاجَعُوا، ثُمَّ خَرَجَ الْأَشْتَرُ النَّخَعِيُّ فِي الْيَوْمِ السَّابِعِ - وَهُوَ يَوْمُ الثُّلَاثَاءِ - مِنْ جِهَةِ عَلِيٍّ، وَخَرَجَ إِلَيْهِ قِرْنُهُ مِنْ جِهَةِ مُعَاوِيَةَ، وَهُوَ حَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا أَيْضًا، وَلَمْ يَغْلِبْ أَحَدٌ أَحَدًا فِي هَذِهِ الْأَيَّامِ كُلِّهَا.
পৃষ্ঠা - ৬০১০
উপর পুনঃ পাল্টা আক্রমণের আদেশ পাঠালেন ৷ তখন হাবীব তার সাহায্যে আগত বাহাদৃরদের
নিয়ে ইরার্কীদের ডান বাহুতে আঘাত হেনে তাদের অবস্থান হতে তাদের হটিয়ে দিল ৷ এতে
ডান বাহুর যােদ্ধারা তাদের আমীর হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পেছনে সরে গেল ৷ এমনকি আমীরের
সঙ্গে বিদ্যমান লোকের সং খ্যা তিন শতে র বেশি রইল না ৷ ইরাকী বাহিনীর অন্য সকলেও
বিক্ষিপ্ত হয়ে গেল এবং তখন আলী (রা)-এর সঙ্গে পুর্বোল্লিখিত গোত্রসমুহেৱ মধ্য হতে শুধু
পবিত্র মক্কাবাসীদের ব্যতীত আর কেউ টিকে রইল না ৷ পবিত্র মক্কাবাসীদের পরিচালনায় ছিলেন
সাহ্ল ইবন হুনায়ফ (বা) ৷ বারীআ আলী (রা)-এর সঙ্গে অবিচল ছিলেন ৷ শার্মী বাহিনী অতি
দ্রুত এত নিকটে পৌছে গেল যে, তাদের তীর “আলী (রা)-এব্র কাছে পৌছতে লাগল ৷ এ সময়
বনু উমায়ার এক মাওলা (আযাদকৃত গোলাম) আলী (রা)-এর দিকে এগিয়ে আসার চেষ্টা
করলে আলী (রা) এর জনৈক মাওলা তার পথে বা বা সৃষ্টি করল ৷ উমাইয়া গোলাম
বাধাদানকারীকে হত্যা করে আলী (রা)-এর দিকে এগিয়ে আসতে থাকল ৷ তখন তার
আশ-পাশে ছিল তার পুত্রগণষ্হাসান, হুসাইন ও মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়া ৷
মাওলা গোলামটি আলী ( রা)-এর একান্ত কাছে পৌছলে তিনি তাকে ধরে ফেললেন এবং
তাকে মাটিতে তাছড়ে ফেলে দিলেন ৷ এতে বাহু ও কী ধ চুর্ণ হয়ে গেল এবং হুসায়ন ও মুহাম্মাদ
দ্রুত তা ৷দের তরবা ৷রি দিয়ে তার জীবন সাঙ্গ করে দিলেন ৷ আলী (বা) এর পুত্র হাসান (রা) কে
বললেন যে তার কাছেই দাড়িয়ে ছিল, ওরা যা করল মি তা করলে না কেনঃ হাসান (বা)
বললেন, আমীরুল মু মিনীন ! ওরা দু জনই তার জন্য যথেষ্ট ছিল ৷
এ সময় শামীরা আলী (রা) এর দিকে দ্রুত ছুটে আসতে শুরু করলে আলী (রা)
স্বাভাবিক গতিতে ই চলতে লাগলেন ৷ শক্রপক্ষের কাছে চলে আসা৩ তার চলার গতি মোটেই
বৃদ্ধি করছিল না ৷ তখন তার পুত্র হাসান (রা)৩ তাকে বললেন, আপনি যদি আপনার চলার গতি
একটু বাড়িয়ে দিতেন ৷
আলী (বা) বললেন :
প্রিয় বৎস! তোমার পিতার জন্য একটি নির্ধারিত (মৃত্যুর) দিন আছে যা সে কিছুতে
অতিক্রম করতে পারবে না ৷ চেষ্টা (ও দৌড়া ৷নো) সে দিনটিকে তার থেকে দুরে সরিয়ে দিয়ে বা
এবং সাধলোঃ গতিতে ছুাটাও তাকে দ্রুত নিয়ে আস্যু , বৃ না ৷ আল্লাহর কলম তোমার পিতা এতে
কোন পরােয়া করে না যে, সে মৃত্যুর উপর ঝাপিয়ে পড়বে কিংবা মৃভ্যু৩ তার উপর বাপিয়ে
পড়বে ৷
পরে আলী (রা) আশতার নাখঈকে পরাস্ত পলায়নকারীদের কাছে গিয়ে তাদের ফিরিয়ে
আনার আদেশ দিলেন ৷ আশতার দ্রুত পলায়নকারীদের সামনে গিয়ে তাদের ধমক দিতে ও
ভর্ভুসনা করতে লাগলেন এবং বিভিন্ন গোত্র ও বাহাদুরদের পাল্টা আক্রমণে উদ্বুদ্ধ করাতে
লাগলেন ৷ এতে কোন কোন দল তাকে অনুসরণ করল এবং কোন কোন দলো তাদের পলায়ন
অব্যাহত রাখল ৷ আশতার তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলেন ৷ এতে একটি বিশা ৷ল সং খ্যা সমবেত
قَالَ أَبُو مِخْنَفٍ: حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَعْيَنَ الْجُهَنِيُّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، أَنَّ عَلِيًّا قَالَ: حَتَّى مَتَى لَا نُنَاهِضُ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ بِأَجْمَعِنَا؟ ثُمَّ قَامَ فِي النَّاسِ عَشِيَّةَ الْأَرْبِعَاءِ بَعْدَ الْعَصْرِ، فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَا يُبْرَمُ مَا نَقَضَ، وَمَا أَبْرَمَ لَمْ يَنْقُضْهُ النَّاقِضُونَ، لَوْ شَاءَ مَا اخْتَلَفَ اثْنَانِ مِنْ خَلْقِهِ، وَلَا تَنَازَعَتِ الْأُمَّةُ فِي شَيْءٍ مِنْ أَمْرِهِ، وَلَا جَحَدَ الْمَفْضُولُ ذَا الْفَضْلِ فَضْلَهُ، وَقَدْ سَاقَتْنَا وَهَؤُلَاءِ الْقَوْمَ الْأَقْدَارُ، فَلَفَّتْ بَيْنَنَا فِي هَذَا الْمَكَانِ، فَنَحْنُ مِنْ رَبِّنَا بِمَرْأَى وَمَسْمَعٍ، فَلَوْ شَاءَ لَعَجَّلَ النِّقْمَةَ، وَكَانَ مِنْهُ التَّغْيِيرُ حَتَّى يُكَذِّبَ اللَّهُ الظَّالِمَ، وَيُعْلَمَ الْحَقُّ أَيْنَ مَصِيرُهُ، وَلَكِنَّهُ جَعَلَ الدُّنْيَا دَارَ الْأَعْمَالِ، وَجَعَلَ الْآخِرَةَ عِنْدَهُ هِيَ دَارُ الْقَرَارِ لِيَجْزِيَ {الَّذِينَ أَسَاءُوا بِمَا عَمِلُوا وَيَجْزِيَ الَّذِينَ أَحْسَنُوا بِالْحُسْنَى} [النجم: 31] . أَلَا وَإِنَّكُمْ لَاقُوا الْقَوْمِ غَدًا فَأَطِيلُوا اللَّيْلَةَ الْقِيَامَ، وَأَكْثِرُوا تِلَاوَةَ الْقُرْآنِ، وَأَسْأَلُوا اللَّهَ النَّصْرَ وَالصَّبْرَ، وَالْقَوْهُمْ بِالْجِدِّ وَالْحَزْمِ، وَكُونُوا صَادِقِينَ. قَالَ: فَوَثَبَ النَّاسُ إِلَى سُيُوفِهِمْ وَرِمَاحِهِمْ وَنِبَالِهِمْ يُصْلِحُونَهَا. قَالَ: وَمَرَّ بِالنَّاسِ وَهُمْ كَذَلِكَ كَعْبُ بْنُ جُعَيْلٍ التَّغْلَبِيُّ، فَرَأَى مَا يَصْنَعُونَ فَجَعَلَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৬০১১
হল এবং আশতার সামনে পেয়েযাওয়া প্রতিটি দলকে ফিরিয়ে আনতে লাগল ৷ এভাবে সে ডান
বাহুর আমীর আবদুল্লাহ্ ইবন বুদায়লের কাছে পৌছে গেল ৷ ইবন বুদায়ল তখনও তার তিনশত
যোদ্ধা নিয়ে নিজ অবস্থানে অবিচল ছিলেন ৷ তারা আমীরুল মু’মিনীন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে
এরা বলল, তিনি জীবিত ও সুস্থ আছেন ৷ তখন তারা আশতারের দিকে ফিরে এলে সে তাদের
নিয়ে এগিয়ে চলল এবং অবশেষে অনেক লোক ফিরে এলো ৷ তখন ছিল আসর ও মাগরিবের
মধ্যবর্তী সময় ৷ এ সময় ইবন বুদায়ল শামীদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা করলে আশতড়ার
তাকে তার অবস্থানে স্থির থাকার পরামর্শ দিল ৷ কেননা, তার দৃষ্টিতে সেটাই ছিল উত্তম ৷ ইবন
ন্ংবুদায়ল এ পরামর্শগ্নহশে সম্মত হলেন না ৷ তিনি মুআবিয়া (রা)-এর অবস্থান অভিমুখে
আক্রমণ পরিচালিত করলেন ৷ কাছাকাছি পৌছে তিনি মুআবিয়া (রা)-কে তার অনুসারীদের
সামনে র্দাড়ালো দেখতে পেলেন ৷ তার হাতে ছিল দুইটি তরবারি এবং তার চারপাশে ছিল
পাহাড়তৃল্য বিশাল বাহিনী ৷ ইবন বৃদায়ল আরো কাছে পৌছলে তাদের একটি দল সম্মিলিত
আক্রমণ করে তাকে হত্যা করল এবং তার মরদেহ মাটিতে ফেলে দিল ৷ ইবন বুদায়লের
সহযোদ্ধারা পরাস্ত হয়ে পালাতে লাগল ৷ তাদের অধিকাংশ ছিল আহত ৷
ইবন বুদায়লের সহযােদ্ধারা পরাজিত হলে মুআবিয়া (বা) তার অনুসারীদের বললেন, দেখ
তো তাদের আমীর কে ছিল ৷ তারা তার লাশের কাছে এল, কিন্তু তাকে চিনতে পাল না ৷ তখন
মুআবিয়া (রা) নিজেই এগিয়ে এলেন ৷ তিনি দেখতে পেলেন যে, সে ছিল আবদুল্লাহ্ ইবন
বুদায়ল ৷ মুআবিয়া (রা) বললেন, আল্লাহ্র কসম ! এ ঘটনাটি তেমনই হলো যেমন করি হাতিম
তাঈ বলেছেন :
া,প্রুঢু ৷এ ৷১দ্বু “fl? এ ৮ ;ম ৷ এ১ এ্যা১হ্র দ্বুএে গ্লু,ঙ্কে ;প্রু৷ ৷ ৷এ ৷১৷ গে১ৰুপ্রু
এমন যুদ্ধবাজ যে, যুদ্ধ তাকে কামড়ে দিলে সেও যুদ্ধকে কামড়ে দেয় এবং কখনও যুদ্ধ তার
জন্য পায়ের গোছা উন্মুক্ত করলে (উলঙ্গ হলে) সেও পায়ের গোছা উন্মুক্ত করে (উলঙ্গ হয়) ৷
মৃত্যু তার মুখোমুখি দীড়ালে সে আত্মরক্ষা ও প্রতিরোধ করে ৷ সিংহতুল্য বাহাদুর নেতৃতু গ্রহণ
করলে এমনই প্রতিরোধ করে থাকে ৷ হিংস্র ভয়ংকর ব্যাব্রের ন্যায় যে তার পরিজন’ণ্ক সুরক্ষা
করে চলছিল, মৃভ্যুদৃত তার তীর দ্বারা তাকে বিদ্ধ করল, ফলে সে ধরাশায়ী হলো ৷ এরপরে
আশতার নাখঈ পরাস্ত হয়ে পলায়নকারীদের মধ্য হতে যারা তার সংগে সমবেত হয়েছিল
তাদের নিয়ে আক্রমণ করল এবং যথার্থ আক্রমণে প্রতিপক্ষের সে পাচ সারির মধ্যে ঢুকে পড়ল
যারা মু’আবিয়া (রা)-এর চারপ্যাশ অবস্থান নিয়েছিল এবং পলায়ন না করার ব্যাপারে পরস্পর
চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ৷ আশতার চারটি সারি ভেদ করে ফেলল এবং তার ও মুআৰিয়া (রা)-এর
মধ্যে মাত্র একটি সারি অবশিষ্ট রইল ৷ আশতারের বর্ণনা, আমি তখন এক ভয়ংকর দৃশ্য
দেখলাম এবং পালিয়ে বীচার উপক্রম করছিলাম ৷ এ কঠিন মুহুর্তে ইবনুল ইতনাবার কবিতা-ই
আমাকে অবিচল রেখেছিল ৷ (ইবনুল ইতনাবার মা ইতনবাে ছিল বুলকীন (মিসরীয়-ফিলিস্তীনী)
গোত্রের এবং আনসারী গোত্রের জাহিলী করি ৷ (কবিতা)
أَصْبَحَتِ الْأَمَّةُ فِي أَمْرِ عَجَبْ ... وَالْمُلْكُ مَجْمُوعٌ غَدًا لِمَنْ غَلَبْ
فَقُلْتُ قَوْلًا صَادِقًا غَيْرَ كَذِبْ ... إِنَّ غَدًا تَهْلِكُ أَعْلَامُ الْعَرَبْ
قَالَ: ثُمَّ أَصْبَحَ عَلِيٌّ فِي جُنُودِهِ قَدْ عَبَّأَهُمْ كَمَا أَرَادَ، وَرَكِبَ مُعَاوِيَةُ فِي جَيْشِهِ قَدْ عَبَّأَهُمْ كَمَا أَرَادَ، وَقَدْ أَمَرَ عَلِيٌّ كُلَّ قَبِيلَةِ مَنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ أَنْ تَكْفِيَهُ أُخْتَهَا مَنْ أَهْلِ الشَّامِ، ثُمَّ زَحَفَ النَّاسُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ، فَتَقَاتَلُوا قِتَالًا عَظِيمًا لَا يَفِرُّ أَحَدٌ مِنْ أَحَدٍ وَلَا يَغْلِبُ أَحَدٌ أَحَدًا، ثُمَّ تَحَاجَزُوا عِنْدَ الْعَشِيِّ وَأَصْبَحَ عَلِيٌّ فَصَلَّى الْفَجْرَ بِغَلَسٍ وَبَاكَرَ الْقِتَالَ، ثُمَّ اسْتَقْبَلَ أَهْلَ الشَّامِ فَاسْتَقْبَلُوهُ بِوُجُوهِهِمْ، فَقَالَ عَلِيٌّ فِيمَا رَوَاهُ أَبُو مِخْنَفٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَعْيَنَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ: اللَّهُمَّ رَبَّ السَّقْفِ الْمَحْفُوظِ الْمَكْفُوفِ الَّذِي جَعَلْتَهُ مَغِيضًا لِلَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَجَعَلْتَ فِيهِ مَجْرَى الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ وَمَنَازِلَ النُّجُومِ، وَجَعَلْتَ فِيهِ سِبْطًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ لَا يَسْأَمُونَ الْعِبَادَةَ، وَرَبَّ هَذِهِ الْأَرْضِ الَّتِي جَعَلْتَهَا قَرَارًا لِلْأَنَامِ وَالْهَوَامِّ وَالْأَنْعَامِ، وَمَا لَا يُحْصَى مِمَّا يُرَى وَمَا لَا يُرَى مِنْ خَلْقِكَ الْعَظِيمِ، وَرَبَّ الْفُلْكِ الَّتِي تَجْرِي فِي الْبَحْرِ بِمَا يَنْفَعُ النَّاسَ، وَرَبَّ السَّحَابِ الْمُسَخَّرِ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، وَرَبَّ الْبَحْرِ الْمَسْجُورِ الْمُحِيطِ بِالْعَالَمِ، وَرَبَّ الْجِبَالِ الرَّوَاسِي الَّتِي جَعَلْتَهَا لِلْأَرْضِ أَوْتَادًا وَلِلْخَلْقِ مَتَاعًا، إِنْ أَظَهَرْتَنَا عَلَى عَدُوِّنَا فَجَنِّبْنَا الْبَغْيَ وَالْفَسَادَ وَسَدِّدْنَا لِلْحَقِّ، وَإِنْ أَظَهَرْتَهُمْ عَلَيْنَا فَارْزُقْنِي الشَّهَادَةَ، وَجَنِّبْ بَقِيَّةَ أَصْحَابِي مِنَ
পৃষ্ঠা - ৬০১২
, প্লুষ্ৰুপু ৷ ,া; ধ্,৷ ৷
আমার সচ্চরিত্র আমার জীবন সংগ্রাম, দুর্ধর্ষ বাহাদুর অভিমুখে আমার নির্তীক অগ্রগমন,
অপছন্দনীয় বিষয়ের প্রতিরোধে আমার সম্পদ উৎসর্ণীকরণ, উত্সপীতি প্রাণ ব্যক্তির মস্তকের
উপরে আমার আঘাত হলো এবং আমার (মনকে সম্বোধন করে আমার) উক্তি স্থির থাক’,
তবেই (বীরত্বের কারণে) প্রশংসিত হবে কিৎরা শাড়ি লাভ ব্ববে-শ্ এসব আমার পলায়নের
ইচ্ছাকে প্রত্যাখ্যান করল ৷
আশতার বলেন, ব্যস, এ কবিতাই আমাকে সে সঙ্গীন পরিস্থিতিতে অবিচল রেখেছিল ৷
এখানে বিস্ময়ের সৎরু পে লক্ষণীয় যে, ইবন দীষীল তার কিভাবে বর্ণনা করেছেন, ইরার্কীরা
যৌথ ও সম্মিলিত আক্রমণ করল এবৎ৩ শরা শামীদের সকল সারি হটিয়ে দিয়ে মুআবিয়া
(রার্টু-এর সন্নিকটে পৌছে দেন, মুআবিয়া (রা) আত্মরক্ষার জন্য তার ঘোড়া নিয়ে আসতে
বললেন ৷ মুআবিয়া বলেন, আমি পাদানিতে পা রাখার সময় আমৃর ইবনুল ইতনাবার এ
পংক্তিগুলো আবৃত্তি করলাম
র্টন্)৷ ৷ ৷
র্চুপু;া৷ ষ্১া৷ন্;াগ্লু
শুপ্রুওগ্লু
(আমার সচ্চরিত্রতা এবং অতি উচ্চমুল্যে আমার বাহন সংগ্রহ করা দৃর্ধর্ষ বাহাদুরের খুলিতে
আমার আঘাত অস্বীকার করল ৷
এ বর্ণনা মতে কবিতা আবৃত্তি করে মুআবিয়া (রা) অবিচল বইলেন এবং আমর ইবনুল
আস (রা)-এর দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আজিকার সবর-ধৈর্য আগামী দিনের গৌরব-পর্ব ৷
আমর জবাবে বললেন, যথার্থ বলেছ ৷ মুআবিয়া বললেন, আমি যেহেতু দুনিয়ার কল্যাণ অর্জন
করেছি, কাজেই আমি আশা করছি যে, আখিরাতের কল্যাণও আমি অর্জন করব ৷ মুহাম্মা দ ইবন
ইসহাক এ বিষয়টি আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর আবদুর রহমান ইবন হাতির সনদে মু আবিয়া
হতে বর্ণনা করেছেন ৷
এক পর্যায়ে মুআবিয়া (রা) আলী (রা)এর অশ্বারোহী দলের আমীর খালিদ ইবনুল
মুতামিরের কাছে এ মর্মে প্রস্তাব পাঠালেন যে, তৃমি ত্বোমার বাহিনী নিয়ে আমার আনুগত্য
করলে তোমার জন্য ইরাকের আমীর (গভর্নর) পদের অ পীকার রইল ৷ খালিদ এ প্রস্তাবের
লােভে পড়ে গেল ৷ পরে মু আবিয়া (রা) ক্ষম৩ ৷সীন হলে তাকে ইরাকের শাসনকর্তা নিয়োগ
করেছিলেন ৷ কিন্তু খালিদ তা ভোগ করার সুযোগ পেলেন না ৷
الْفِتْنَةِ. ثُمَّ تَقَدَّمَ عَلِيٌّ وَهُوَ فِي الْقَلْبِ فِي أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَعَلَى مَيْمَنَتِهِ يَوْمَئِذٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُدَيْلٍ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، وَعَلَى الْقُرَّاءِ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ وَقَيْسُ بْنُ سَعْدٍ، وَالنَّاسُ عَلَى رَايَاتِهِمْ، فَزَحَفَ بِهِمْ إِلَى الْقَوْمِ. وَأَقْبَلَ مُعَاوِيَةُ - وَقَدْ بَايَعَهُ أَهْلُ الشَّامِ عَلَى الْمَوْتِ - فَتَوَاقَفَ النَّاسُ فِي مَوْطِنٍ مَهُولٍ وَأَمْرٍ عَظِيمٍ، وَحَمَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُدَيْلٍ أَمِيرُ مَيْمَنَةِ عَلِيٍّ عَلَى مَيْسَرَةِ أَهْلِ الشَّامِ وَعَلَيْهَا حَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ، فَاضْطَرَّهُ حَتَّى أَلْجَأَهُ إِلَى الْقَلْبِ، وَفِيهِ مُعَاوِيَةُ، وَقَامَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُدَيْلٍ فِي النَّاسِ خَطِيبًا، فَحَرَّضَهُمْ عَلَى الْقِتَالِ، وَقَامَ كُلُّ أَمِيرٍ فِي أَصْحَابِهِ يُحَرِّضُهُمْ عَلَى الْقِتَالِ، وَيَحُثُّهُمْ عَلَى الصَّبْرِ وَالثَّبَاتِ وَالْجِهَادِ، وَيَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِ الْقِتَالِ، وَحَرَّضَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيٌّ النَّاسَ عَلَى الثَّبَاتِ وَالصَّبْرِ، وَحَثَّهُمْ عَلَى قِتَالِ أَهْلِ الشَّامِ وَتَلَا عَلَيْهِمْ آيَاتِ الْقِتَالِ مِنْ أَمَاكِنَ مُتَفَرِّقَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ ; فَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُمْ بُنْيَانٌ مَرْصُوصٌ} [الصف: 4] . ثُمَّ قَالَ: قَدِّمُوا الْمُدَارِعَ وَأَخِّرُوا الْحَاسِرَ وَعَضُّوا عَلَى الْأَضْرَاسِ، فَإِنَّهُ أَنْبَى لِلسُّيُوفِ عَنِ الْهَامِ، وَالْتَوُوا فِي أَطْرَافِ الرِّمَاحِ، فَإِنَّهُ أَصْوَنُ لِلْأَسِنَّةِ، وَغُضُّوا الْأَبْصَارَ فَإِنَّهُ أَرْبُطُ لِلْجَأْشِ وَأَسْكُنُ لِلْقَلْبِ، وَأَمِيتُوا الْأَصْوَاتَ فَإِنَّهُ أَطْرَدُ لِلْفَشَلِ، وَأَوْلَى بِالْوَقَارِ، رَايَاتِكُمْ لَا تُمِيلُوهَا وَلَا تُزِيلُوهَا وَلَا تَجْعَلُوهَا إِلَّا بِأَيْدِي شُجْعَانِكُمْ.
পৃষ্ঠা - ৬০১৩
وَقَدْ ذَكَرَ عُلَمَاءُ التَّارِيخِ وَغَيْرُهُمْ أَنَّ عَلِيًّا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَارَزَ فِي يَوْمِ صِفِّينَ وَقَاتَلَ وَقَتَلَ خَلْقَا، حَتَّى ذَكَرَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ قَتَلَ خَمْسَمِائَةٍ، فَمِنْ ذَلِكَ أَنَّ كُرَيْبَ بْنَ الصَّبَّاحِ قَتَلَ أَرْبَعَةً مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ مُبَارَزَةً، ثُمَّ وَضَعَهُمْ تَحْتَ قَدَمَيْهِ وَنَادَى: هَلْ مِنْ مُبَارِزٍ؟ فَبَرَزَ إِلَيْهِ عَلِيٌّ فَتَجَاوَلَا سَاعَةً ثُمَّ ضَرَبَهُ عَلِيٌّ فَقَتَلَهُ، ثُمَّ قَالَ عَلِيٌّ: هَلْ مِنْ مُبَارِزٍ؟ فَبَرَزَ إِلَيْهِ الْحَارِثُ بْنُ وَدَاعَةَ الْحِمْيَرِيُّ فَقَتَلَهُ، ثُمَّ بَرَزَ إِلَيْهِ رُودُ بْنُ الْحَارِثِ الْكَلَاعِيُّ فَقَتَلَهُ، ثُمَّ بَرَزَ إِلَيْهِ الْمُطَاعُ بْنُ الْمُطَّلِبِ الْقَيْنِيُّ فَقَتَلَهُ. ثُمَّ تَلَا عَلِيٌّ قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَالْحُرُمَاتُ قِصَاصٌ} [البقرة: 194] ثُمَّ نَادَى: وَيْحَكَ يَا مُعَاوِيَةُ! ابْرُزْ إِلَيَّ وَلَا تُفْنِ الْعَرَبَ بَيْنِي وَبَيْنَكَ. فَقَالَ لَهُ عَمْرٌو يَا مُعَاوِيَةُ اغْتَنِمْهُ فَإِنَّهُ قَدْ أَثْخَنَ بِقَتْلِ هَؤُلَاءِ الْأَرْبَعَةِ. فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: وَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّ عَلِيًّا لَمْ يُقْهَرْ قَطُّ، وَإِنَّمَا أَرَدْتَ قَتْلِي لِتُصِيبَ الْخِلَافَةَ مِنْ بَعْدِي، اذْهَبْ إِلَيْكَ! فَلَيْسَ مِثْلِي يُخْدَعُ.
وَذَكَرُوا أَنَّ عَلِيًّا حَمَلَ عَلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ يَوْمًا فَضَرَبَهُ بِالرُّمْحِ، فَأَلْقَاهُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৬০১৪
অপরদিকে আলী (রা)ত তার বাহিনীর ডান বাহুকে পুনঃ সমবেত হতে দেখলে তাদের কাছে
গেলেন এবং কিছু লোককে তিনি ভৎসন৷ করলেন কিছু লোকের অপারগত৷ গ্রহণ করলেন ৷
তিনি তাদের অবিচল থাকার জন্য অনুপ্রাণিত করলেন ৷ তখন ইরাকীরা পুনঃ আক্রমণ শুরু
করল এবং তাদের ব্যুহে শৃৎখলা পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হলো, এভাবে যুদ্ধের চাকা তাদের অনুকুলে
ঘুরে (গল এবং তারা শামীদের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে আক্রমণ চালাতে লাগল ৷ বীর বাহাদুররা
দ্বৈত ও সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হলো এবং উভয় পক্ষের শীর্ষস্থানীয় বহু লোক নিহত হলো ৷ শ্ইন্না
লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাহি রাজিউন ৷
কোন কোন বর্ণনামতে এ দিনের নিহতদের শামীদের মধ্যে শীর্ষ তালিকায় রয়েছেন
উবায়দুল্লাহ্ ইবন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) ৷ ইরাকীদের মধ্যে তার হভ্যাকারী কে ছিল এ
বিষয়ে যথেষ্ট মত পার্থক্য রয়েছে ৷ ১ ইব্রাহীম ইবনুল হ্স ইন ইবন দীযীল লিখেছেন, সেদিন
যখন উবায়দুল্পাহ্ অন্যত তম সেনাপতি রুপে ময়দানে অবতীর্ণ হলেন তখন তার ইে ত্রী-আসম৷
বিনতেউতারিদ ইবন হাসিব আত তামীম৩ ণ্ বাহরিয়া বিনত হানি ইবন ক ৷বীসা শায়বানী-কে
যুদ্ধক্ষেত্রে তার সঙ্গে নিয়ে গেলেন ৷৩ তারা দু জন স্বামীর যুদ্ধও ও তার বীরত্-শক্তিমত্তা প্রত্যক্ষ
করার জন্য তার পেছনে দু ’টি বাহনে অবস্থান করতে লাগল ৷ ইরাকী বাহিনীর অন্তর্গত কুফার
বর্মধারী (বাহাদুর) দের একটি দল তার বিপরীতে দাড়াল ৷ দলটি প্ারিচালন করছিল যিয়াদ
ইবন খাসসা তামীমী ৷ ৩ ৷র৷ সম্পুর্ণ একযোগে একক আক্রমণ চা৷লয়ে উবায়দুল্লাহ্-র সঙ্গীদের
পরাস্ত করল এবং পরে তাকে হত্যা করল
এ সময় বর্মধার৷ দলটি অবতরণ করে তাদের আমীরের জন্য তাবু স্থাপন করল ৷ তারা
তাবুর একটি রশি বাধার জন্য কোন খুটি খুজে না পেয়ে রশিটি উৰায়দৃল্পাহ্র একটি পায়ের
সঙ্গে বেধে দিল ৷ তার ত্রীদ্বয় বিলাপ করতে করতে এগিয়ে এল এবং তার লাশের পাশে র্দাড়িয়ে
ক্রন্দন করতে লাগল ৷ এ সময় তার শ্রী বাহরিয়া ইরাকী আমীরের কাছে সুপারিশ করলে আমীর
তার লাশ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলেন ৷ তখন তারা তাদের হাওদায তুলে লাশ বহন করে
নিয়ে (গল ৷ যুলকুলাও এ সময় নিহত হয়েছিল ৷ আবী বলেন, উবায়দুল্লাহ্ ইবন উমর-এর
নিহত হওয়া প্রসঙ্গে কা ব ইবন জুআয়ল তাগলিবীর গােকপাথা রচনা করলং :
ড্রু)ই)ই
;ৰুন্শ্রো
কেউ বেস্ট বলেছেন হানি ইবন খাত্তাব আরহাবী কারো মতে মালিক ইবন আমর আতত ৷নঈ (া), কারো
মতে মিহারায ইবনুস সাহ্সাহ, মরুজুয যাহাব ( ২৪ ২৭) এর বর্ণনা অনুসারে হুরায়দ ইবন জাবির জুফী ৷
আল আখবারুত তিওয়াল (১৭৮ পৃ) এটিকে সর্বসষ্মত বলা হয়েছে ৷ ইবনুল আছামের ফুতৃহে আছে,
প্রামাণ্য মতে তার হত্যাকারী ছিল আবদুল্লাহ ইবন সিওয়ার আল আবদী ৷
الْأَرْضِ فَبَدَتْ سَوْءَتُهُ فَرَجَعَ عَلِيٌّ عَنْهُ، فَقَالَ لَهُ أَصْحَابُهُ: مَالَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ رَجَعَتْ عَنْهُ؟ فَقَالَ: أَتُدْرُونَ مَنْ هُوَ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: هُوَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، وَإِنَّهُ تَلَقَّانِي بِسَوْءَتِهِ فَذَكَّرَنِي بِالرَّحِمِ فَرَجَعْتُ عَنْهُ. فَلَمَّا رَجَعَ عَمْرٌو إِلَى مُعَاوِيَةَ قَالَ لَهُ: احْمَدِ اللَّهَ، وَاحْمَدِ اسْتَكَ.
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ دِيزِيلَ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ نَصْرٍ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ شَمِرٍ، عَنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ، عَنْ نُمَيْرٍ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ: وَاللَّهِ لَكَأَنِّي أَسْمَعُ عَلِيًّا وَهُوَ يَقُولُ لِأَصْحَابِهِ يَوْمَ صِفِّينَ، أَمَا تَخَافُونَ مَقْتَ اللَّهِ حَتَّى مَتَى. ثُمَّ انْفَتَلَ إِلَى الْقِبْلَةِ يَدْعُو ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ مَا سَمِعْنَا بِرَئِيسٍ أَصَابَ بِيَدِهِ مِنَ الْقَتْلِ مَا أَصَابَ عَلِيٌّ يَوْمَئِذٍ، إِنَّهُ قَتَلَ فِيمَا ذَكَرَ الْعَادُّونَ زِيَادَةً عَلَى خَمْسِمِائَةِ رَجُلٍ يَخْرُجُ فَيَضْرِبُ بِالسَّيْفِ حَتَّى يَنْحَنِيَ، ثُمَّ يَجِيءُ فَيَقُولُ: مَعْذِرَةً إِلَى اللَّهِ وَإِلَيْكُمْ، وَاللَّهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَقْلَعَهُ وَلَكِنْ يَحْجِزُنِي عَنْهُ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «لَا سَيْفَ إِلَّا ذُو الْفَقَارِ وَلَا فَتًى إِلَّا عَلِيٌّ» قَالَ: فَيَأْخُذُهُ فَيُصْلِحُهُ ثُمَّ يَرْجِعُ بِهِ. وَهَذَا إِسْنَادٌ ضَعِيفٌ وَحَدِيثٌ مُنْكَرٌ.
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ حَبِيبٍ أَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৬০১৫
ষ্ষ্-ন্’১
গােন ৷ সিফফীন প্রাত্তরের এক অশ্বারােহীর জ্যাব্রু চােখগুলো ক্রন্দন করছে যার সঙ্গী
ঘোড়সওয়াররা পালিয়ে গিয়েছে এবং সে স্থির দাড়িয়ে রয়েছে ৷
ওয়ইিলে তরবার ও আসমার মধ্যে যে রদবদল ও প্রতিবিনিময় করেছে (া) সে জ্যি এক
সাহসী যুবক ৷ হার যদি ধ্বংস ক্ষেত্রগুলো তার ব্যাপারে লক্ষ্যচ্যুত হতো ! তারা উবায়দৃল্লাহ্কে
উন্মুক্ত প্রাতরে সমাহিত করে রেখে গেল ৷ তার রক্ত প্রবাহিত হয়ে (অতিশয় রক্তক্ষরণে)
শিরাগুলো ছিল রক্তশুন্য ৷ ধরাশায়ী হলো এবং রক্তের প্রলেপ তাকে আচ্ছাদিত করে রাখল ৷
যেমন কামীচের আচল (হতো) হাত পাঞ্জাগুলো উকি দিতে থাকে ৷ মুহাম্মাদ মোঃ এর চাচাত
ভাই (আলী রা)-এর আশপাশে মৃত্যুর মুখোমুখি দাড়িয়ে ভৈন্থর্যের পরাকাষ্ঠ্য দেখলে সমুচ্চ শ্রেষ্ঠ
গুণবান লোকেরা ৷ তারা অবিচল রইল, যতক্ষণ না মহান আল্লাহ তাদের অবিচলত৷ দেখলেন
এবং যতক্ষণ না (প্রতিপক্ষের) হাতে পবিত্র গ্রন্থ (কুরআন) উত্তোলিত হলো ৷
এ প্রসঙ্গে অন্য কেউ বলেছেন
ট্রুদ্ভু,ভ্রু ৰুট্ট৷ দ্ভু )»,; fi ৷ ;;’ হ্;াৰু £ব্র এেন্ট্রু প্লুট্রু ন্ছু প্রু ঠুছুছুব্লুষ্ট্র৷ ঞা;ট্রুশু
ওহে মুআবিয়া সিদ্ধ যুক্তিপ্রমাণ ব্যতীত দীড়াতে উদ্যুত হ্য়াে না ৷ কেননা, আজিকার পরে
তুমি খ্যাতিমান হবেনীচতার সঙ্গে ৷
আবু জাহ্ম আসাদী তার একটি কবিতার এর জবাব দিয়েছিল, তাতে বিভিন্ন ধরনের
ব্যাঙ্গোক্তি রয়েছে ৷ এ কারণে আমি জ্ঞাতানুসারে তা উদ্ধৃত করা বর্জন করলাম ৷
নিহতদের তালিকায় অন্যতম উল্লেখযোগ্য ছিলেন আমীরুল মু’মিনীন আলী ইবন আবু
তালিব (রা)-এর পক্ষের আমার ইবন ইয়াসির (রা) ৷ শামী পক্ষ তাকে হত্যা করেছিল ৷ তার
নিহত হওয়া দ্বারা তার সম্পর্কে রাসুলুল্পাহ্জ্জ এর একটি বাণীর অন্তর্নিহিত সত্যের সমুজ্জল
প্রকাশ ঘটেছিল ৷ তিনি বলেছিলেন যে, বিদ্রোহী পক্ষ তাকে হত্যা করবে ৷ এতে আলী
(রা)-এর হক পন্থী’ হওয়া এবং মু’আবিয়া (রা)-এর ৰিদ্রোহী পক্ষ হওয়া প্রকাশ হলো এবং
সেই সংগে নবুয়তের অন্যতম মুজিযা (ভবিষ্যদ্বাণীর বাস্তবায়ন) প্রকাশিত হলো ৷
ইবন জাবির আবু মাখনাদের সুত্রধারায় বর্ণনা করেছেন, (আবু মিখনাদ বলেন,) মালিক
ইবন মায়ান জুহানী-যায়দ ইবন ওয়াহব জুহানী হতে বর্ণনা করেছেন, যে দিন আমার বললেন,
কে আছে এমন যে তার পালনকর্তার সন্তুষ্টি অম্বেষণ করে এবং সম্পদ ও সন্তানের প্রতি আকৃষ্ট
হয়ে না ! তখন একদল লোক তীর কাছে সমবেত হলে তিনি বললেন, “হে লোকেরা ৷ চল,
আমরা ঐ লোকগুলোর উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাই যারা উসমান (রা)-এর রত্তেল্ম দাবি তৃল্যেছ এবং
তিনি মজলুম হয়ে শহীদ হওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে ৷ আল্লাহর কসম ৷ তাদের উদ্দেশ্য তার
রস্কঙ্ঘ বদলা নেওয়া নয়, তীর থুনের প্রতিশোধ নেয়াও নয় ৷ কিন্তু ওরা দুনিয়ার স্বাদ আস্বাদন
করেছে এবং তাকে মজাদার মনে করেছে আর আখিরাতকে তিক্ত মনে করে তার প্রতি বিদ্বেষ
পোষণ করেছে ৷ তারা বুঝতে পেয়েছে যে, সত্য যখন তাদের জন্য অনিবার্য হয়ে যাবে তখন
তাদের মাঝে এবং তাদের দৃনিয়াও তাদের কামনা-বাসনায় লুটোপুটি খাওয়ার মাঝে অস্তরায়
৬১
أَخْبَرَهُ مَنْ حَضَرَ صِفِّينَ مَعَ عَلِيٍّ وَمُعَاوِيَةَ، قَالَ ابْنُ وَهْبٍ، وَأَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ لَقِيطٍ قَالَ: شَهِدْنَا صِفِّينَ مَعَ عَلِيٍّ وَمُعَاوِيَةَ، قَالَ: فَمَطَرَتِ السَّمَاءُ عَلَيْنَا دَمًا عَبِيطًا. قَالَ اللَّيْثُ فِي حَدِيثِهِ: حَتَّى أَنْ كَانُوا لَيَأْخُذُونَهُ بِالصِّحَافِ وَالْآنِيَةِ. قَالَ ابْنُ لَهِيعَةَ فَتَمْتَلِئُ وَنُهْرِيقُهَا.
وَقَدْ ذَكَرْنَا أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ بُدَيْلٍ كَسَرَ الْمَيْسَرَةَ الَّتِي فِيهَا حَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ حَتَّى أَدْخَلَهَا فِي الْقَلْبِ، فَأَمَرَ مُعَاوِيَةُ الشُّجْعَانَ أَنْ يُعَاوِنُوا حَبِيبًا عَلَى الْكَرَّةِ، وَبَعَثَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ يَأْمُرُهُ بِالْحَمْلَةِ وَالْكَرَّةِ عَلَى ابْنِ بُدَيْلٍ، فَحَمَلَ حَبِيبٌ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الشُّجْعَانِ عَلَى مَيْمَنَةِ أَهْلِ الْعِرَاقِ، فَأَزَالُوهُمْ عَنْ أَمَاكِنِهِمْ وَانْكَشَفُوا عَنْ أَمِيرِهِمْ حَتَّى لَمْ يَبْقَ مَعَهُ إِلَّا زُهَاءُ ثَلَاثِمِائَةٍ وَانْجَفَلَ بَقِيَّةُ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَلَمْ يَبْقَ مَعَ عَلِيٍّ مِنْ تِلْكَ الْقَبَائِلِ إِلَّا أَهْلُ الْمَدِينَةِ وَعَلَيْهِمْ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ، وَثَبَتَ رَبِيعَةُ مَعَ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَاقْتَرَبَ أَهْلُ الشَّامِ مِنْهُ حَتَّى جَعَلَتْ نِبَالُهُمْ تَصِلُ إِلَيْهِ، وَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ مَوْلًى لِبَنِي أُمَيَّةَ فَاعْتَرَضَهُ مَوْلًى لِعَلِيٍّ فَقَتَلَهُ الْأُمَوِيُّ، وَأَقْبَلَ يُرِيدُ عَلِيًّا، وَحَوْلَهُ بَنُوهُ الْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَنَفِيَّةِ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى عَلِيٍّ، أَخَذَهُ عَلِيٌّ بِيَدِهِ، فَرَفَعَهُ ثُمَّ أَلْقَاهُ عَلَى الْأَرْضِ فَكَسَرَ عَضُدَهُ وَمَنْكِبَهِ وَابْتَدَرَهُ
পৃষ্ঠা - ৬০১৬
সৃষ্টি করবে ৷ ইসলামে তাদের এমন কোন পুর্ব অবদান নেই যা দিয়ে তাদের অনুকুলে জনতার
আনুপত্যের এবং তাদের উপর কর্তৃত্বের দাৰিদার হতে পারে ৷ তাদের অম্ভরে আল্লাহ্র ভয়
সেরুপ বদ্ধমুল ও সুদৃঢ় হয়নি বা অম্ভরে আল্লাহ্ভীতি ৩সুদৃঢ় হওয়া লোকদের কামনা-বাসনা
অর্জনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে ৷ যা দুনিয়াক লক্ষ্য বানানো এবং তাতে উর্ধারােহণ হতে রুখতে
পারে এবং যা তাদের সত্যের অনুসরণ ও ন্যায়পন্থীদের প্ৰতি আকৃষ্ট হতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে ৷
সুতরাং তারা তাদের অনুসারীদের এই বলে প্রভাবিত করেছে যে, তাদের ইমাম (পুরোধা)
মজলুম হয়ে শহীদ হয়েছেন, যাতে এ পন্থায় তারা স্বেচ্ছাচারী রাজা হতে পারে ৷ এটি একটি
কুট চক্রান্ত যা দিয়ে তারা তাদের ঈন্সিত বাসনার কাছে উপনীত হয়েছে যেমন তোমরা
দেখতে পাচ্ছ ৷ এমন না হলে দুইজন মানুষও তাদের অনুসরণ করত না এবং তারা হত অতি
লাঞ্ছিত, অতি অপমানিত ও অতি নগণ্য ৷ বিন্দু বাতিল কথা উদাসীন লোকদের কানে এক
ধরনের মধু বর্ষণ করে ৷ কাজেই তে তামরা মহান আল্লাহ্র দিকে পরিভ্রমণ কর উত্তম ভ্রমণ এবং
তাকে স্মরণ কর অনেক অনেক স্মরণ ৷”
এরপর তিনি এগিয়ে গেলে আমৃর ইবনুল আস (রা) ও উবায়দুল্লাহ্ ইবন উমর (বা) তার
সামনে এল ৷ তিনি তাদের ভর্ভুসনা ও বকাবকি করলেন এবং সদুপদেশ দিলেন ৷ বর্দনাকারীগণ
এ দৃ জনকে লক্ষ্য করে তার কিছু রুঢ় কথা উল্লেখ করেছেন ৷ মহান আল্লাহ্ সমধিক অবহিত ৷
ইমাম আহমাদ (র) বলেছেন, মুহাম্মাদ ইবন জাফর-শুবা আমৃর ইবন মুবৃরা-আবদুল্লাহ্
ইবন সালামা (র) সুত্রে পরম্পরায় বর্ণনা করেছেন, ইবন সালামা বলেন, আমি সিফ্ফীন যুদ্ধের
সময় আম্মার (রা) কে দেখেছি, তিনি ছিলেন বেশ বৃদ্ধ, পীত (পৌর) বর্ণ দীর্ঘকায় ৷ তার হাতে
ছিল একটি ক্ষুদে বলুম ( ? পতাকা) (বার্ধক্যের কারণে) তার হাত র্কাপছিল ৷ তিনি বললেন ৷
যার হাতে আমার জীবন তার কসম এ পতাকা (? বলুন) নিয়ে আমি তিনবার রসুলুল্লাহ্ন্ঙ্কু;:
এর সংগে থেকে যুদ্ধ করেছি, আজ এটি চতৃর্থবার ৷ যার হাতে ৩আমার জীবন তার কলম তারা
যদি আমাদের আঘাত করে করে হাজার অঞ্চলের প্রান্তসীমায় পৌছে দেয় তবুও আমি বিশ্বাস
করব যে, আমাদের অনুসরণীয় মুরবধীগণ হকের উপরে রয়েছেন এবং ওরা রয়েছে ভ্রাস্তিতে ৷ ১
ইমাম আহমাদ (র) বলেছেন, মুহাম্মাদ ইবন জাফর শুবা এবং হাজ্জাজ শুবা (উভয়
সনদ একত্রে) কাতাদা আবুনড়ায্রা হতে হাজ্জাজ আবুনাদরা কায়স ইবন আব্বাস (উবাদা)
সুত্রে পরম্পরায় কায়স বলেন, আমি আমার (রা)-কে বললাম, আচ্ছা বলুন তো, আপনারা যে
আলী (রা)-এর সঙ্গে যুদ্ধ করলেন তা কি আপনাদের চিন্তাপ্রসুত (ইজতিহাদ প্রসুত) ছিল?
কেননা, ইজতিহাদ যেমন সঠিক হতে পারে ড্ডাপ সঠিকও হতে পারে, কিংবা তা আপনাদের
প্রতি রাসুলুল্লাহ্স্লে এর নির্দেশ প্রদত্ত কোন বিষয় ছিল? তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ্ক্রে
আমাদের এমন কোন বিশেষ নির্দেশ দেন নি যে নির্দেশ সমগ্র মানব জাতিকে দেন নি ৷ ২ মুসলিম
হাদীসটি ৩ বা হতে ৩রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এবং হুযায়ফা (বা) হতে মুনাফিকদের প্রসঙ্গে এর
পরিপুর্ণ বর্ণনা রয়েছে ৷
১ মুসনাদে আহমাদ, : খ, ৩১৯ পৃ
২ মুসনাদে আহমাদ, : খ , ২৬২, ৩১৯ পৃ মুসলিম (মুনাফিক প্রসঙ্গ) হাদীস নং ২১৪৩ ৷
الْحُسَيْنُ وَمُحَمَّدٌ بِأَسْيَافِهِمَا فَقَتَلَاهُ، فَقَالَ عَلِيٌّ لِلْحَسَنِ ابْنِهِ، وَهُوَ وَاقِفٌ مَعَهُ: مَا مَنَعَكَ أَنْ تَصْنَعَ كَمَا صَنَعَا؟ فَقَالَ: كَفَيَانِي أَمْرَهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. وَأَسْرَعَ إِلَى عَلِيٍّ أَهْلُ الشَّامِ فَجَعَلَ عَلِيٌّ لَا يَزِيدُهُ قُرْبُهُمْ مِنْهُ سُرْعَةً فِي مِشْيَتِهِ، بَلْ هُوَ سَائِرٌ عَلَى هِينَتِهِ، فَقَالَ لَهُ ابْنُهُ الْحَسَنُ: يَا أَبَهْ، لَوْ سَعَيْتَ أَكْثَرَ مِنْ هَذَا! فَقَالَ: يَا بُنَيَّ إِنَّ لِأَبِيكَ يَوْمًا لَنْ يَعْدُوَهُ، وَلَا يُبْطِئُ بِهِ عَنْهُ السَّعْيُ، وَلَا يُعَجِّلُ بِهِ إِلَيْهِ الْمَشْيُ، إِنَّ أَبَاكَ وَاللَّهِ مَا يُبَالِي أَوَقَعَ عَلَى الْمَوْتِ أَوْ وَقَعَ عَلَيْهِ الْمَوْتُ. ثُمَّ إِنَّ عَلِيًّا أَمَرَ الْأَشْتَرَ النَّخَعِيَّ أَنْ يَلْحَقَ الْمُنْهَزِمِينَ فَيَرُدَّهُمْ، فَسَاقَ بِأَسْرَعِ سَوْقٍ حَتَّى اسْتَقْبَلَ الْمُنْهَزِمِينَ مِنَ الْعِرَاقِيِّينَ مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ، فَجَعَلَ يُؤَنِّبُهُمْ وَيُوَبِّخُهُمْ وَيُحَرِّضُ الْقَبَائِلَ وَالشُّجْعَانَ مِنْهُمْ عَلَى الْكَرَّةِ، فَتَابَعَهُ طَائِفَةٌ وَاسْتَمَرَّ آخَرُونَ فِي هَزِيمَتِهِمْ، فَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ دَأْبُهُ حَتَّى اجْتَمَعَ عَلَيْهِ مِنْهُمْ جَمْعٌ عَظِيمٌ، فَرَجَعَ بِهِمْ إِلَى أَهْلِ الشَّامِ فَجَعَلَ لَا يَلْقَى قَبِيلَةً مِنَ الشَّامِيِّينَ إِلَّا كَشَفَهَا، وَلَا طَائِفَةَ إِلَّا رَدَّهَا حَتَّى انْتَهَى إِلَى أَمِيرِ الْمَيْمَنَةِ وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُدَيْلٍ، وَمَعَهُ نَحْوٌ مَنْ ثَلَاثِمِائَةٍ قَدْ ثَبَتُوا فِي مَكَانِهِمْ فَسَأَلُوهُ عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ فَقَالَ: حَيٌّ صَالِحٌ.
পৃষ্ঠা - ৬০১৭
فَالْتَفُّوا عَلَيْهِ، فَتَقَدَّمَ بِهِمْ حَتَّى تَرَاجَعَ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ، وَذَلِكَ مَا بَيْنَ صَلَاةِ الْعَصْرِ إِلَى الْغُرُوبِ، وَأَرَادَ ابْنُ بُدَيْلٍ أَنْ يَتَقَدَّمَ إِلَى أَهْلِ الشَّامِ، فَأَمَرَهُ الْأَشْتَرُ أَنْ يَثْبُتَ مَكَانَهُ فَإِنَّهُ خَيْرٌ لَهُ، فَأَبَى عَلَيْهِ ابْنُ بُدَيْلٍ، وَحَمَلَ نَحْوَ مُعَاوِيَةَ، فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهِ وَجَدَهُ وَاقِفًا أَمَامَ أَصْحَابِهِ وَفِي يَدِهِ سَيْفَانِ وَحَوْلَهُ كَتَائِبُ أَمْثَالُ الْجِبَالِ، فَلَمَّا اقْتَرَبَ ابْنُ بُدَيْلٍ حَمَلَ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ فَقَتَلُوهُ وَأَلْقَوْهُ إِلَى الْأَرْضِ قَتِيلًا، وَفَرَّ أَصْحَابُهُ مُنْهَزِمِينَ وَأَكْثَرُهُمْ مَجْرُوحٌ، فَلَمَّا انْهَزَمُوا قَالَ مُعَاوِيَةُ لِأَصْحَابِهِ: انْظُرُوا إِلَى أَمِيرِهِمْ؟ فَجَاءُوا إِلَيْهِ فَلَمْ يَعْرِفُوهُ، فَتَقَدَّمَ مُعَاوِيَةُ إِلَيْهِ فَإِذَا هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُدَيْلٍ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ:
هَذَا وَاللَّهِ كَمَا قَالَ الشَّاعِرُ - وَهُوَ حَاتِمٌ الطَّائِيُّ -:
أَخُو الْحَرْبِ إِنْ عَضَّتْ بِهِ الْحَرْبُ عَضَّهَا ... وَإِنْ شَمَّرَتْ يَوْمًا بِهِ الْحَرْبُ شَمَّرَا
وَيَحْمِي إِذَا مَا الْمَوْتِ حَانَ لِقَاؤُهُ ... كَذَلِكَ ذُو الْأَشْبَالِ يَحْمِي إِذَا فَرَّا
كَلَيْثً هِزَبْرٍ كَانَ يَحْمِي ذِمَارَهُ ... رَمَتْهُ الْمَنَايَا قَصْدَهَا فَتَقَطَّرَا
পৃষ্ঠা - ৬০১৮
এ বিষয়টি বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থে একদল তাবিঈ হতে বণিতি অপর একটি
বর্ণনার সম৩ ঢুল্য ৷ বর্ণনাকারী তাবিঈ গণের মধ্যে রয়েছেন, হারিছ ইবন সৃওয়ায়দ, কায়স ইবন
উবাদা (আেব্বাদ), আবু জুহায়সা ওয়াহ্ব ইবন আবদুল্লাহ আসসাওয়াঈ, ইয়াযীদ ইবনুর রাশৃক,
আবু হাসৃসান আল আজরাদ (র) প্রমুখ ৷ এদের প্রত্যেকে বলেছেন, আমি আলী (রা) কে
বললাম, আপনাদের কাছে কি এমন কোন বিষয় আছে যার বিশেষ নির্দেশ রসুলুল্পাহ্মোঃ
আপনাদের দিয়েছেন, সাধারণ মানুষদের তার নির্দেশ প্রদান করেন নি? আলী (রা) বললেন, না,
যিনি বীজকে বিদীর্ণ (অংকুরিত) করেন এবং প্রাণ সৃষ্টি করেন তীর কসম ! (আমার কাছে বিশেষ
কিছু নেই), তবে কুরআনের ৰুমর্ম সম্পর্কে কোন বন্দোকে মহলে আল্লাহর দেওয়া জ্ঞান, এবং (এ
বিষয়টি যে) কােন মুসলমানকে কোন কাফিরের বিনিময়ে হত্যা করা হবে না এবং ছাবীর
(?আয়র) হতে ছাওর পর্বত পর্যন্ত মদীনা হরম’ রুপে পরিগণিত ৷
তদ্রাপ, বুখারী-মুসলিম আমাশ সুত্রের বর্ণনায় আবু ওয়াইল সৃফইয়ান ইবন মুসলিম
সাহ্ল ইবন হুনায়ফ (বা) হতে বর্ণিত হয়েছে ৷ সাহল (রা) সিফফীন যুদ্ধের সময়ে বললেন, হে
মানবমণ্ডলী! দীনের ব্যাপারে তোমাদের মতামত ও সিদ্ধান্তকে তোমরা সন্দেহের দৃষ্টিতে
দেখবে ৷ কেননা, (তা নির্ভুল নাও হতে পারে ৷) আবু জানদালের ঘটনার দিন (অর্থাৎ
হুদায়বিয়ার সন্ধি, যা বাহ্যত মুসলমানদের স্বার্থ পরিপন্থী ও অবমাননাকর শর্তে সম্পাদিত
হয়েছিল এবং একটি শর্তের বিধিতে মুসলমানদের কাছে আশ্রয়প্রাথী নির্য্যতিত আবু জানদালকে
কাফিরদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েজ্জি ৷) আমি (এবং অন্যান্য অনেক সাহাবী) নিজেকে এ
অবস্থায় পেয়েছিলাম যে, আমার সাধ্য থাকলে রাসুলুল্লাহন্;ণুষ্ট্র:-এর সিদ্ধ৷ ৷স্ত প্রত্যা থ্যান করতাম ৷
(অথচ পরবর্তী সময়ে যে সব অপছন্দনায় শতহ মুসলমানদের জন্য সুফল বয়ে এনেছিল এবং
পবিত্র মক্কা বিজয়ের পথ সৃগম করেছিল ৷) আল্লাহর কলম! আমরা ইসলাম গ্রহণের পর হতে
আমাদের ঘাবড়ে দেওয়া যে কোন ভয়ংকর বিষয়ের জন্য আমরা তরবারি কাধে তুলে নিয়েছি
মহান আল্লাহ তার সবগুলোতেই আমাদের বোধগম্য ও দ্বিধামুক্ত পরিণতিতে উপনীত হওয়া
সহজ করে দিয়েছেন, কিন্তু একমাত্র আমাদের বর্তমান সমস্যাটি ব্যতিক্রম ৷ কেননা, এ ক্ষেত্রে
আমরা তার একটি ছিদ্র বন্ধ করলে (একটি শুধরে আনলে) সাথে সাথে অপর একটি ন্ধি খুলে
যায় এবংআমরা তা সামাল দেওয়ার পন্থা খুজে পাই না ৷
আহমাদ (র) আরও বলেছেন, ওয়াকী সুফইয়ান হাবীব ইবন আবু ছাবিত আবুল
বুখতারীসনদে বর্ণিত ৷ আবুল বুখতারী বলেন, সিফফীনের দিন আমার (বা) বললেন, আমার
জন্য এক পাত্র দুধ নিয়ে আস ৷
কেননা, রাসুলুল্লাহ্শুন্ বলেছেন-
)১
তুমি দুনিয়ার সর্বশেষ পানীয় যা পান করবে তা তুমি পান করবে তোমার নিহত হওয়ার
দিন ৷ ইমাম আহমাদ (র) আরও বলেছেন, আবদুর রহমান সুফইয়ান হাবীব আবুল
বুখতারী সনদে আমার (বা) এর কাছে দুধের শরবত নিয়ে আসা হলেও তিনি হাসলেন এবং
বললেন, রাসুলুল্লাহ্ fl আমাকে বলেছেন-
১ মুসনাদে আহমাদ, ৪খ ২৬২, ৩১৯ পৃ ৷
ثُمَّ حَمَلَ الْأَشْتَرُ النَّخَعِيَّ بِمَنْ رَجَعَ مَعَهُ مِنَ الْمُنْهَزِمِينَ، فَصَدَقَ الْحَمْلَةَ حَتَّى خَالَطَ الصُّفُوفَ الْخَمْسَةَ الَّذِينَ تَعَاقَدُوا وَتَعَاهَدُوا عَلَى الْمَوْتِ أَنْ لَا يَفِرُّوا وَهُمْ حَوْلَ مُعَاوِيَةَ، فَخَرَقَ مِنْهُمْ أَرْبَعَةً، وَبَقِيَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ مُعَاوِيَةَ صَفٌّ وَاحِدٌ، قَالَ الْأَشْتَرُ: فَرَأَيْتُ هَوْلًا عَظِيمًا، وَكِدْتُ أَنْ أَفِرَّ فَمَا ثَبَّتَنِي إِلَّا قَوْلُ ابْنُ الْإِطْنَابَةِ - وَهِيَ أُمُّهُ مِنْ بَلْقَيْنَ، وَكَانَ هُوَ مِنَ الْأَنْصَارِ وَهُوَ جَاهِلِيٌّ:
أَبَتْ لِي عِفَّتِي وَأَبَى بَلَائِي ... وِإِقْدَامِي عَلَى الْبَطَلِ الْمُشِيحِ
وَإِعْطَائِى عَلَى الْمَكْرُوهِ مَالِي ... وَضَرْبِي هَامَةَ الرَّجُلِ السَّمِيحِ
وَقَوْلِي كُلَّمَا جَشَأَتْ وَجَاشَتْ ... مَكَانَكِ تُحْمَدِي أَوْ تَسْتَرِيحِي
قَالَ: هَذَا هُوَ الَّذِي ثَبَّتَنِي فِي ذَلِكَ الْمَوْقِفِ. وَالْعَجَبُ أَنَّ ابْنَ دِيزِيلَ رَوَى فِي كِتَابِهِ أَنَّ أَهْلَ الْعِرَاقِ حَمَلُوا حَمْلَةً وَاحِدَةً، فَلَمْ يَبْقَ لِأَهْلِ الشَّامِ صَفٌّ إِلَّا أَزَالُوهُ، حَتَّى أَفْضَوْا إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَدَعَا بِفَرَسِهِ لِيَنْجُوَ عَلَيْهِ، قَالَ مُعَاوِيَةُ: فَلَمَّا وَضَعْتُ رِجْلِي فِي آلَةِ الرِّكَابِ تَمَثَّلْتُ بِأَبْيَاتِ عَمْرِو بْنِ الْإِطْنَابَةِ:
أَبَتْ لِي عِفَّتِي وَأَبَى بَلَائِي ... وَأَخْذِي الْحَمْدَ بِالثَّمَنِ الرَّبِيحِ
পৃষ্ঠা - ৬০১৯
আমি সর্বশেষ যে পানীয় পান করব তা হবে দুধ আমার মৃত্যুর (সন্নিকট) সময়ে ৷ ১
ইবরাহীম ইবনুল হাসান ইবন দীযীল বলেছেন, ইয়াহ্ইয়া ইবন নাসুর-আমৃর ইবন
আম্মার-জাবির জু “ফী-শা বী আহনাফ ইবন কায়স সনদে-আহনাফ বলেছেন, এরপর আম্মার
ইবন ইয়াসির (রা) প্রতিপক্ষের উপর আক্রমণ করলে ইবন জাওয়া আসৃসরাকসাকী ও আবুল
গাসিয়৷ আলফাযারী তার উপর পাল্টা আক্রমণ করল ৷ আবুল গাসিয়া তাকে তরবারির আঘাতে
আহত করল এবং ইবন জাওয়া তার মাথা কেটে ফেলল ৷২
আর ইতিপুর্বে যুল কুলা আমৃর ইবনুল আস (রা)-কে একথা বলতে শুনেছিল, রাসুলুল্লাহ্
, জ্যোআম্মার ইবন ইয়াসির (রা) কে বলেছেন
৷ ছুা৷;ান্ট্র
তোমাকে হত্যা করবে বিদ্রোহী দলটি, তুমি সর্বশেষ পানীয় পান করবে এক সা
(পরিমাণ) দুধ ৷ এ কারণে যুলকুলা আমর (রা) বলতেন, দুর্ভাগা! হে আমরা এটা কি?
(আমার ওদিকে কেন?) আমৃর (রা) তাকে বলতেন, নিশ্চয় সে অচিরে আমাদেরকাছে ফিরে
আসবে ৷ বর্গনাকারী বলেন, পরবর্তী সময়ে যুলকুলা এবং তার পরে আমার (বা) নিহত হলে
অড়াম্র (রা) মুআবিয়া (রা)-কে বললেন, আমি বুঝতে পারছি না যে , এ দুইজনের মধ্যে কার
নিহত হওয়ায় অধিক আনন্দিত আম্মারের নিহত হওয়ার অথবা যুলকুলা এর? আল্লাহ্র কসম
(যুলকুলা আগে নিহত না হলে এবং ) আমার (বা) নিহত হওয়ার পরেও যুলকুলা বেচে
থাকলে সে অবশ্যই শামের বিপুল জনতা নিয়ে সরে যেত এবং আমাদের সেনাবাহিনীটি
বিশৃৎখল করে দিত ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় এক একজন মুআবিয়া ও আমৃর (রা)-এর
কাছে এসে বলত, আমি তা ৷ম্মারকে হত্যা করেছি ৷
আমৃর (রা) তাকে বলতেন, তৃমি তাকে কি বলতে শুনেছ’া তখন তারা পােলমেলে কথা
বলত ৷ অবশেষে (ইবন) জাওয়া এসে আমার (রা) কে হত্যা করার দাবি করল এবং বলল,
আমি তাকে বলতে শুনেছি, ৷ “আজ আমি বন্ধুদের
সাক্ষাত লাভ করব মুহাম্মদন্ -ল্লু: ও তীর দলবলের ৷ ” আম্র (রা) তাকে বললেন, তুমি সত
বলেছ, তৃমিই তার যথার্থ হআকারী ৷ পরে তাকে বললেন, র্দাড়াও, শোনা আল্লাহর কনঃমা
তোমার হাত দু টি সফল হয়নি এবং তুমি তোমার প্রতিপালককে অসন্তুষ্ট করেছ ৷ ইবন দীযীল
আবু ইয়ুসুফ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ ইবন আবু বক্র আবদুর রহমান কিব্দী-
তার ৷পতা সনদে আম্র ইবনুল আস (রা) হতে বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহমোঃআম্মার
— বিদ্রোহী দল তোমাকে হত্যা করবে ৷ একদল
তাবি ঈ হতেও যে এটি বর্ণনা করেছে যাদের মধ্যে আবদুল্লাহ ইবন আবুল “হুযায়ল, মুজাহিদ,
১ মুসনাদে আহমাদ : খ ,৩১৯ পু,
২ ফুতুহু ইবনুল আ ছাম (৩খ, ২৬৬ পৃ ) তাকে হত্যা করেছিল ইবনুল জাওন আস সাকুনী, আল কামিল
(৩খ ৩১০ পৃ ), তাকে হত্যা করেছিল আবুল গাযিয়া এবং তীর মাথা কর্তন করেছিল ইবন হাওয়া আস
সাকসাকী এবং বর্ণনাস্তরে, আবুল শারিয়৷ ৷ মরুজুয যাহাব (২খ ৪২৩ পৃ) হত্যাকারী ছির আবুল আদিয়া
আমিলী ও ইবন জাওন আস সাকসাকী ৷
وَإِعْطَائِي عَلَى الْمَكْرُوهِ مَالِي ... وَضَرْبِي هَامَةَ الْبَطَلِ الْمُشِيحِ
وَقَوْلِي كُلَّمَا جَشَأَتْ وَجَاشَتْ ... مَكَانَكِ تُحْمَدِي أَوْ تَسْتَرِيحِي
قَالَ: فَثَبَتُّ. وَنَظَرَ مُعَاوِيَةُ إِلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ يَوْمَ صِفِّينَ، فَقَالَ: الْيَوْمَ صَبْرٌ وَغَدًا فَخْرٌ. فَقَالَ لَهُ عَمْرُو: صَدَقْتَ. قَالَ مُعَاوِيَةُ: فَأَصَبْتُ خَيْرًا فِي الدُّنْيَا، وَأَنَا أَرْجُو أَنْ أُصِيبَ خَيْرًا فِي الْآخِرَةِ.
وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ. وَبَعَثَ مُعَاوِيَةُ إِلَى خَالِدِ بْنِ الْمُعْتَمِرِ - وَهُوَ أَمِيرُ الْخَيَّالَةِ لِعَلِيٍّ - فَقَالَ لَهُ: اتْبَعْنِي عَلَى مَا أَنْتَ عَلَيْهِ وَلَكَ إِمْرَةُ الْعِرَاقِ. فَطَمِعَ فِيهَا، فَلَمَّا وَلِيَ مُعَاوِيَةُ الْعِرَاقَ لَمْ يُعْطِهِ شَيْئًا. ثُمَّ إِنَّ عَلِيًّا لَمَّا رَأَى الْمَيْمَنَةَ قَدِ اجْتَمَعَتْ، رَجَعَ إِلَى النَّاسِ فَأَنَّبَ بَعْضَهُمْ وَعَذَّرَ بَعْضَهُمْ وَحَرَّضَ النَّاسَ وَثَبَّتَهُمْ، ثُمَّ تَرَاجَعَ أَهْلُ الْعِرَاقِ فَاجْتَمَعَ شَمْلُهُمْ وَدَارَتْ رَحَى الْحَرْبِ لَهُمْ وَجَالُوا فِي الشَّامِيِّينَ وَصَالُوا، وَتَبَارَزَ الشُّجْعَانُ فَقُتِلَ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنَ الْأَعْيَانِ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ - فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ - مِنْهُمْ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ مِنَ الشَّامِيِّينَ، وَاخْتَلَفُوا فِي قَاتِلِهِ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ مَنْ هُوَ؟ وَقَدْ ذَكَرَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ دِيزِيلَ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ لَمَّا خَرَجَ يَوْمَئِذٍ أَمِيرًا عَلَى الْحَرْبِ مِنْ جِهَةِ مُعَاوِيَةَ، أَحْضَرَ امْرَأَتَيْهِ ; أَسْمَاءَ بِنْتَ عُطَارِدِ بْنِ حَاجِبٍ التَّمِيمِيِّ، وَبَحْرِيَّةَ بِنْتَ هَانِئِ بْنِ قَبِيصَةَ الشَيْبَانَيِّ، فَوَقَفَتَا وَرَاءَهُ فِي رَاحِلَتَيْنِ لِتَنْظُرَا إِلَى قِتَالِهِ وَشَجَاعَتِهِ وَقُوَّتِهِ، فَوَاجَهَتْهُ مِنْ جَيْشِ الْعِرَاقِيِّينَ رَبِيعَةُ الْكُوفَةِ وَعَلَيْهِمْ زِيَادُ بْنُ خَصَفَةَ التَّيْمِيُّ، فَشَدُّوا عَلَيْهِ شَدَّةً وَاحِدَةً، فَقَتَلُوهُ بَعْدَ مَا انْهَزَمَ عَنْهُ أَصْحَابُهُ، وَنَزَلَتْ رَبِيعَةُ فَضَرَبُوا لِأَمِيرِهِمْ خَيْمَةً، فَبَقِيَ مِنْهَا طُنُبٌ لَمْ يَجِدُوا لَهُ وَتَدًا فَشَدُّوهُ بِرِجْلِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَجَاءَتِ امْرَأَتَاهُ تُوَلْوِلَانِ حَتَّى وَقَفَتَا عَلَيْهِ وَبَكَتَا عِنْدَهُ، وَشَفَعَتِ امْرَأَتُهُ بَحْرِيَّةُ إِلَى الْأَمِيرِ أَنْ يُطْلِقَهُ لَهَا فَأَطْلَقَهُ لَهَا فَاحْتَمَلَتَاهُ فِي هَوْدَجِهِمَا. وَقُتِلَ مَعَهُ أَيْضًا ذُو الْكَلَاعِ الْحِمْيَرِيُّ، قَالَ الشَّعْبِيُّ: فَفِي مَقْتَلِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يَقُولُ كَعْبُ بْنُ جُعَيْلٍ التَّغْلَبِيُّ:
أَلَا إِنَّمَا تَبْكِي الْعُيُونُ لِفَارِسٍ ... بِصِفِّينَ وَلَّتْ خَيْلُهُ وَهْوَ وَاقِفُ
পৃষ্ঠা - ৬০২০
হাবীব ইবন আবু ছাৰিত ও হাব্বাহ্র উরানী (র) এটি মুরসাল’ রুপে বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন
দীষীল আবানের সনদে আনাস (বা) হতে এটি মা ৷রফু’ রুপে বর্ণনা করেছেন এবং আমৃর ইবন
আম্মারষ্জ ৷বির জু ফী-আবুয যুৰায়র সনদে হুযায়ফা (রা) হতেও মারফু রুপে বর্ণনা করেছেন,
আম্মারকে যে কোন দুইটি বিষয়ের মধ্যে
পছন্দ করার ইখৃতিয়ায় দেওয়া হলে সে দুইটির মধ্যে অধিক কল্যাণ পুর্ণটি পছন্দ করবে ৷
উপরিউক্ত সনদে আমৃর ইবন আমার আয়সারিয়াইয়াকুব ইবন রাকিত হতে বর্ণিত ৷
ইয়াকুব বলেন, দুই ব্যক্তি আম্মার (রা)-কে হত্যা বল্পা ও তার সালাব’ (নিহত যোদ্ধার পোশাক
ও যুদ্ধাস্ত্রকে সালাব’ বলে ৷)-এব দাবিতে কলহে লিপ্ত হলো ৷ তারা আম্র ইবনুল আস
(রা)-এর কাছে এসে এ বিষয়ে বিচার প্রার্থনা করলে তিনি তাদের বললেন, কপাল পােড়ারা
আমার কাছ থেকে বেরিয়ে যাও ! কুরায়শীরা আম্মাৱ (রা)-কে নিয়ে তামাশা করছিল, তখন
রাসুলুল্লাহমোঃ বললেন-
ষ্১ হ্ ৷ ৷ট্রু র্দুা;৷দ্বু এার্দু৷ ৷ ”fl ৷ গ্লুট্রুটুছুটুাঠুওট্রু ৰু ৷ গ্লু৷ ৷ ন্ট্রৰু,ছুট্ঠু ঠু£র্মু; ,এে ) ণ্ছু৷
,র্চুএ ৷
আস্মারকে নিয়ে তাদের কী হলো ? আমার তো তাদের জান্নাতের দিকে আহ্বান করছে
আর তারা তাকে আহ্বান করছে জাহান্নামের দিকে ৷ ত ৷কে হত্যাকারী ও তার সা’লাব এর
দাবিদার জাহ্ান্নামী ৷
বর্ণনাকারী বলেন, আমার কাছে এ বর্ণনা পৌছেছে যে, মুআবিয়া (রা) বলেছেন
আষ্মারকে তারাই হত্যা করেছে যায়৷ তাকে (যুদ্ধের ময়দানে) বের করে এনেছে র্শামবাসীদের
প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে ৷
ইব্রাহীম ইবনুল হুসায়ন বলেছেন, ইয়াহইয়া আদী ইবন উনার হুশায়ম আওয়াম্ম ইবন
হাওশাব ইবন আসওয়াদ ইবন মাস উদ হানজাল৷ ইবন খুওয়ায়লিদ সনদে আলী ( ? আমৃর ৷
আবদুল্লাহ ইবন আমৃর ও মু’আবিয়৷ (রা)এর কাছে লোকজন উপস্থিত ছিল ৷
বর্ণনাকারী বলেন যে, সে মুআবিয়া (রা)-এর কাছে অবস্থান করছিল, এ সময় দুই ব্যক্তি
এসে প্রত্যেকে আম্মা ৰুরা)-কে হত্যা করার দাবি করতে লাগল ৷ তখন আবদুল্লাহ ইবন আমর
(বা) তাদের বললেন, তোমাদের প্রত্যেকের উচিত আম্মার হত্যার অবদান তার প্রতিপক্ষকে
দিয়ে আনন্দিত হওয়া ৷ কেননা, আমি
ভুা,৷ ৷ বিদ্রোহী দলটি তাকে হত্যা করবে ৷ তখন মু আবিয়া (বা) আমৃর (রা) কে
বললেন, তোমার এ পাগলকে থামিয়ে দিচ্ছ না কেনা তখন আম্র (বা) পুত্র আবদুল্লাহ্কে
লক্ষ্য করে বললেন, তবে তুমি আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছ কেন : আবদুল্লাহ (রা)
বললেন, রাসুলুল্পাহ্ মোঃ আমাকে আমার পিতা হারাতে থাকা পর্যন্ত তার আনুগত্য করার
আদেশ দিয়েছেন ৷ এ কারণে আমি আপনাদের সঙ্গে আছি বটে, বিন্দু (প্রত্যক্ষ) যুদ্ধ করছি না ৷’
ইয়াহ্ইয়া ইবন নাসৃর হাফ্স ইবন ইমরান বাৱজামী নাফি ইবন উমার জুমাহী-ইবন
আবু মুলায়মা (রা) সনদে বর্ণনা করেন, আবদুল্লাহ ইবন আম্র (বা) তার পিতাকে বললেন,
রাসুলুল্লাহ্অ্যাং আমাকে আপনার আনুগত্য করার আদেশ না দিলে আমি এ অভিযানে আপনার
تَبَدَّلَ مِنْ أَسْمَاءَ أَسْيَافَ وَائِلٍ
وَكَانَ فَتًى لَوْ أَخْطَأَتْهُ الْمَتَالِفُ ... تَرَكْنَ عُبَيْدَ اللَّهِ بِالْقَاعِ ثَاوِيًا
تَسِيلُ دَمَاهُ وَالْعُرُوقُ نَوَازِفُ ... يَنُوءُ وَيَغْشَاهُ شَآبِيبُ مِنْ دَمٍ
كَمَا لَاحَ مِنْ جَيْبِ الْقَمِيصِ الْكَفَائِفُ ... وَقَدْ صَبَرَتْ حَوْلَ ابْنِ عَمِّ مُحَمَّدٍ
لَدَى الْمَوْتِ أَرْبَابُ الْمَنَاقِبِ ... شَارِفُ فَمَا بَرَحُوا حَتَّى رَأَى اللَّهُ صَبْرَهُمْ
وَحَتَّى أُلِيِحَتْ بِالْأَكُفِّ الْمَصَاحِفُ
وَزَادَ غَيْرُهُ فِيهَا:
مُعَاوِيَ لَا تَنْهَضْ بِغَيْرِ وَثِيقَةٍ ... فَإِنَّكَ بَعْدَ الْيَوْمِ بِالذُّلِّ عَارِفُ
وَقَدْ أَجَابَهُ أَبُو جَهْمَةَ الْأَسْدِيُّ بِقَصِيدَةٍ فِيهَا أَنْوَاعٌ مِنَ الْهِجَاءِ تَرَكْنَاهَا قَصْدًا.
وَهَذَا مَقْتَلُ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مَعَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
قَتَلَهُ أَهْلُ الشَّامِ وَبَانَ بِذَلِكَ وَظَهَرَ سِرُّ مَا أَخْبَرَ بِهِ الرَّسُولُ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِنْ أَنَّهُ تَقْتُلُهُ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ، وَبَانَ بِذَلِكَ أَنَّ عَلِيًّا مُحِقٌّ وَأَنَّ مُعَاوِيَةَ بَاغٍ وَمَا فِي ذَلِكَ مِنْ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ.
পৃষ্ঠা - ৬০২১
ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ، مِنْ طَرِيقِ أَبِي مِخْنَفٍ: حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَعْيَنَ الْجُهَنِيُّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ الْجُهَنِيِّ أَنَّ عَمَّارًا قَالَ يَوْمَئِذٍ: أَيْنَ مَنْ يَبْتَغِي رِضْوَانَ اللَّهِ وَلَا يَلْوِي إِلَى مَالٍ وَلَا وَلَدٍ؟ قَالَ: فَأَتَتْهُ عِصَابَةٌ مِنَ النَّاسِ فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، اقْصِدُوا بِنَا نَحْوَ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ الَّذِينَ يَبْتَغُونَ دَمَ عُثْمَانَ وَيَزْعُمُونَ أَنَّهُ قُتِلَ مَظْلُومًا، وَاللَّهِ مَا قَصْدُهُمُ الْأَخْذَ بِدَمِهِ وَلَا الْقِيَامَ بِثَأْرِهِ، وَلَكِنَّ الْقَوْمَ ذَاقُوا الدُّنْيَا فَاسْتَحْلَوْهَا وَاسْتَمْرَءُوهَا، وَعَلِمُوا أَنَّ الْحَقَّ إِذَا لَزِمَهُمْ حَالَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مَا يَتَمَرَّغُونَ فِيهِ مِنْ دُنْيَاهُمْ وَشَهَوَاتِهِمْ، وَلَمْ يَكُنْ لِلْقَوْمِ سَابِقَةٌ فِي الْإِسْلَامِ يَسْتَحِقُّونَ بِهَا طَاعَةَ النَّاسِ لَهُمْ وَالْوِلَايَةَ عَلَيْهِمْ، وَلَا تَمَكَّنَتْ مِنْ قُلُوبِهِمْ خَشْيَةُ اللَّهِ الَّتِي تَمْنَعُ مَنْ تَمَكَّنَتْ مِنْ قَلْبِهِ عَنْ نَيْلِ الشَّهَوَاتِ، وَتَعْقِلُهُ عَنْ إِرَادَةِ الدُّنْيَا وَطَلَبِ الْعُلُوِّ فِيهَا، وَتَحْمِلُهُ عَلَى اتِّبَاعِ الْحَقِّ وَالْمَيْلِ إِلَى أَهْلِهِ، فَخَدَعُوا أَتْبَاعَهُمْ بِقَوْلِهِمْ: إِمَامُنَا قُتِلَ مَظْلُومًا. لِيَكُونُوا بِذَلِكَ جَبَابِرَةً مُلُوكًا، وَتِلْكَ مَكِيدَةٌ بَلَغُوا بِهَا مَا تَرَوْنَ، وَلَوْلَا هِيَ مَا تَبِعَهُمْ مِنَ النَّاسِ رَجُلَانِ، وَلَكَانُوا أَذَلَّ وَأَخَسَّ وَأَقَلَّ، وَلَكِنَّ قَوْلَ الْبَاطِلِ لَهُ حَلَاوَةٌ فِي أَسْمَاعِ الْغَافِلِينَ، فَسِيرُوا إِلَى اللَّهِ سَيْرًا جَمِيلًا، وَاذْكُرُوهُ ذِكْرًا كَثِيرًا. ثُمَّ تَقَدَّمَ فَلَقِيَهُ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৬০২২
সকরসঙ্গী হতাম না ৷ ’আপনি কি আম্মারকে লক্ষ্য করে রাসুলুল্পাহ্মোঃ কে বলতে শুনেন নি-
<ঠু ; ৷পু ৷ ’::fl ৷ এ বিদ্রোহী দল তোমাকে হত্যা করবে?” ইয়াহ্ইয়াষ্ আবদুর রহমান ইবন
যিয়াদ (?) হুশায়ম মুজালিদ শাবী সনদে বর্ণিত ৷ শাবী বলেন, আম্মার (না)-এর হভ্যাকারী
এসে র্মু আৰিয়া (রা) এর কাছে আপমানের অনুমতি প্রার্থনা করল ৷ তখন আম্র (রা) সেখানে
ছিলেন ৷ তিনি বললেন, তাকে অনুমতি দাও এবং সেই সং গে তাকে জাহান্নামের সুসংবাদ’
দাও ৷ লোকটি বলল, আমৃর যা বলছে তা কি আপনি শুনছেন না? মু আবিয়৷ (রা) বললেন, যে
ঠিকই বলছে ৷ তবে তাকে তারাই হত্যা করেছে যারা তাকে (যুদ্ধের ময়দানে) নিয়ে এসেছে!
বিষয়টি বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থে একদল ৷বি ঈ হতে উদ্ধৃত বর্ণনার সমতৃল ৷
হারিছ ইবন সুওয়ায়দ, কায়স ইবন উবাদা, আবু জুহায়ফা ওয়াহব ইবন্আবদৃল্লাহ্ আস
সাওয়াঈ, ইয়াষীদ ইবন শরীফ, আবু হাসসান আল আজরাফ প্রমুখ তড়াবেঈগণেব প্রত্যেকে
বলেছেন, আমি “আলী (রা)-ণ্ক বললাম, আপনাদের কাছে কি এমন কোন বিষয় আছে, যার
নির্দেশ ৷রাসুলুল্লাহ্£ট্রুগ্লুট্রু বিশেষভাবে আপনাদের দিয়েছে, অন্যান্য স ধারণ জনতাকে সে নির্দেশ
দেন নি? তিনি বল লন না, যিনি বীজ অ কুরিত করেন এবং প্রাণ সৃষ্টি করেন তার কসম!
(এমন কোন বিশেষ নির্দেশ তিনি আমাদের দেন নি,) তবে বিশেষ মর্মবোধ, যা কুরআনের
ব্যাপারে কোন বান্দাকে মহান আল্লাহ্ দান করেন এবং যা কিছু এ পান্ন্ায় (খাতায়) আছে ৷
আমি বললাম, এ পা৩ যে কি আছে? দেখা গেল, তাতে আছে দিয়াত (রক্তপণ বিধি),
বব্দীযুক্তি (বিধি) এবং এ বিধি যে, কোন মুসলমানকে কোন কাফিরের বিনিময়ে হত্যা করা হবে
না ৷ এবং পবিত্র মদীনা দাবীর হতে ছাওর (পর্বতদ্বয়) পর্যন্ত হারাম সাব্যস্ত হবে ৷ সহীহ বুখারী
ও মুসলিমে আবু ওয়াইল শাকীক ইবন সালাম ৷ হতে আমাশেব বর্ণিত হাদীসে আরও আছে
সাহ্ল ইবন হুনায়ফ (রা) সিফফীন যুদ্ধের দিনে বললেন, হে মা নবমণ্ডলী তে ৷মরা দীনের বিষয়ে
তোমাদের মতামতকে সন্দেহের দৃষ্টিতে ৩দেখবে ৷ কেননা, আবু জানদালের (হুদায়বিয়া র সন্ধির)
ঘটনার দিন আমি নিজেকে এ অবস্থায় দেখেছি যে,রাসুলুল্লাহ্ছুক্ট্রৰু এর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান
করার সাধ্য আমার থাকলে অবশ্যই আমি তা প্রত্যাখ্যান করতাম ৷
আল্লাহ্র কসম! আমরা ইসলাম গ্রহণের পর হতে যখন কোন কঠিন সমস্যার সমাধানে
তরবারি কাধে তুলে নিয়েছি তখন তা আমাদের পরিজ্ঞাত বিষয় রুপ সহজ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু
আমাদের বর্তমানের এ বিষয়টি, ইবন জারীর বলেন, আহমাদ ইবন ঘুহাম্মাদ ওয়ালীদ ইবন
সালিহ আতা ইবন মুসলিম আমাশ হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আবু আবদুর রহমান
সুলাযী বলেছেন, আমরা সিফীনে ছিলাম আলী (রা) এর সংগে এবং আমরা দুইজন লোককে
তার ঘোড়ার দায়িত্বে নিয়োজিত করেছিলাম ৷ তাদের কতব্যি ছিল তার হিফাজত করা এবং
আক্রমণ করা হতে তাকে বিরত রাখা ৷ কখনও তারা একটু অমনােযােগী হলেই সে সুযোগে
তিনি আক্রমণ চালাতেন এবং তরবারি রঙ্গীন না করে ফিরে আসতেন না ৷ একদিন তিনি হামলা
করলেন এবং তরবারি ভেৎগে না যাওয়া পর্যন্ত ফিরে এলেন না ৷ ভাঙ্গা তরবারী ছুড়ে ফেলে
দিয়ে তিনি বললেন, এটি নাভাঙ্গলে আমি ফিরে আসতাম না ৷ আবু আবদুর রহমান বলেন, যে
দিন আমি আম্মারকে দেখেছি যে, সিফফীনের যে কোন মাঠ প্রান্তের দিকে তিনি এর্পিয়ে
যেতেন, রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর সাহাবীগণের একটি দল তার অনুগামী হতো ৷ র্তাকে আমি
عُمَرَ فَلَامَهُمَا وَانْتَهَرَهُمَا وَوَعَظَهُمَا، وَذَكَرُوا مِنْ كَلَامِهِ لَهُمَا مَا فِيهِ غِلْظَةٌ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَلَمَةَ يَقُولُ: رَأَيْتُ عَمَّارًا يَوْمَ صِفِّينَ شَيْخًا كَبِيرًا آدَمَ طُوَالًا، آخِذٌ الْحَرْبَةَ بِيَدِهِ وَيَدُهُ تَرْعَدُ، فَقَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ قَاتَلْتُ بِهَذِهِ الرَّايَةِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، وَهَذِهِ الرَّابِعَةُ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ ضَرَبُونَا حَتَّى يَبْلُغُوا بِنَا شَعَفَاتِ هَجَرَ، لَعَرَفْتُ أَنَّ مُصْلِحِينَا عَلَى الْحَقِّ وَأَنَّهُمْ عَلَى الضَّلَالَةِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ وَحَجَّاجٌ، حَدَّثَنِي شُعْبَةُ: سَمِعْتُ قَتَادَةَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، قَالَ حَجَّاجٌ: سَمِعْتُ أَبَا نَضْرَةَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، قَالَ: قُلْتُ لِعَمَّارٍ: أَرَأَيْتَ قِتَالَكُمْ رَأْيًا رَأَيْتُمُوهُ، فَإِنَّ الرَّأْيَ يُخْطِئُ وَيُصِيبُ، أَوْ عَهْدًا عَهِدَهُ إِلَيْكُمْ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: مَا
পৃষ্ঠা - ৬০২৩
দেখেছি, তিনি আলী (রা)-এর পতাকাবাহী হাশিম ইবন উত্বা-র কাছে গিয়ে বললেন, হে
হাশিম! এগিয়ে চলো ! জান্নাত তরবারির ছায়াতলে, মৃত্যু বল্লমের ডপায় এবং জান্নাতের
দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে ও ডাগর নয়না হুরীরা সাজসজ্জা করেছে ৰুট্রু ১খু ষ্া৷ ব্লু- ব্লু ,া
ণ্ৰুট্রুন্ট্রু ৷ ’ ’ “আজি লতিব সাক্ষাতসঙ্গ বন্ধুজনের, (প্রিয়) মুহাম্মাদ ও জৱ সঙ্গী দলের ৷”
একর্থা বলে তিনি ও হাশ্বিম আক্রমণ চালালেন এবং দৃজনই শা হাদাতের সুধা পান করলেন ৷
(আল্লাহ্ তাআলা তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন ৷)
বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় আলী (রা) ও তার অনুসারীগণ শামীদের বিরুদ্ধে একক
সম্মিলিত আক্রমণ চালালেন, যেন তারা ইেজন (আমার ও হাশিম) তাদের জন্য পথরেখা তৈরি
করে গিয়েছিলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, রাত নেমে এলে আমি মনে মনে বললাম, আজ রাতে
আমি শামীদের সেনা ছাউনিতে গিয়ে দেখব, আমার (বা) নিহত হওয়ার যেরুপ প্রতিক্রিয়া
আমাদের মধ্যে হয়েছে, তাদের মধ্যেও ণ্সরুপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না? উল্লেখ্য যে, দিনের
বেলা যুদ্ধ শেষে বিরতিকালে আমরা উভয় পক্ষ একে অপরের সঙ্গে আলাপচারিতা করতাম ৷
আমি আমার ঘোড়ার আরোহণ করলাম ৷ তখন লোকজন ঘুমিয়ে গিয়েছে (এবং পরিবেশ নিঝুম
হয়েছে) ৷ আমি তাদের ছাউনিতে প্রবেশ করলাম ৷ দেখলাম, চারজন লোক আলড়াপে মগ্ন
রয়েছে ৷ তারা হলো মুআবিয়া, আবুল আওয়ার আস সুলামী, আমৃর ইবনুল আস ও তীর
পুত্র আবদুল্লাহ্ ইবন আমর (রা) এবং (আমার দৃষ্টিতে) আবদৃল্লাহ্ ছিল এ চড়ারজনের মধ্যে
উত্তম ব্যক্তি ৷
তাদের পরস্পর কথাবার্তা শুনতে না পারার আশংকায় আমি আমার ঘোড়াটি তাদের মাঝ
পর্যন্ত নিয়ে গেলাম ৷ তখন আবদৃল্লাহ্ তার পিতাকে বলল, আব্বাজানঃ আপনারা আপনাদের
আজিকার এ দিনটিতে এ লোকটিকে হত্যা করলেন, অথচ রাসুলুল্লাহ্শ্রু- ছুযা বলেছেন তা তুলে
গিয়েছেনঃ আমৃর (রা) বলল, তিনিত্রেকী বলেছেন? আবদুল্লাহ্ (রা) বললেন, সে (আমার)
কি আমাদের সঙ্গে ছিল না, যখন আমরা মসজিদ (নববী) নির্মাণ করছিলাম ৷ তখন লোকেরা
একটি একটি করে পাথর ইট বয়ে আনছিল, আর আম্মার বয়ে আনছিল দু’টি করে পাথর ও
দু’টি করে ই’ট ৷ এক সময় সে চেতনা হারিয়ে ফেললে রাসুলুল্লাহ্ক্রো তার কাছে আগমন
করলেন এবং তার স্রহারা হতে ধুলাে-বালি মুছে দিতে লাগলেন ও বললেন-
১১১১;
’এে
তােমার পােড়া কপাল হে সুমায়্যা তনয় ! লোকেরা এক একটি পাথর ও এক একটি ই’ট
বয়ে আনছে, আর তুমি বয়ে আনছ দুই দুইটি পাথর ও দুই দুইটি ইট সওয়াবের প্রতি তোমার
অতি অগ্রেহের কারণে ৷ এতদৃসত্বেও তুমি হে দুর্ভাগা৷ তেমােকে বিদ্রোহী দ্ল হত্যা করবে ৷ ’
এ সময় আমৃর (বা) তার ঘোড়ার মুখ ঘুরিয়ে দিলেন এবং মুআবিয়া (রা) ষ্কে নিজের
দিকে আকর্ষণ করে বললেন, হে মুআবিয়া! আবদুল্লাহ্ যা বলছে তা কি তুমি শুনছ না?
মুআবিয়া (রা) বললেন, যে কি বলছে? আমর (রা) বললেন, যে বলছে ন্ৰু বিষয়টি তাকে
عَهِدَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، شَيْئًا لَمْ يَعْهَدْهُ إِلَى النَّاسِ كَافَّةً.
وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَلَهُ تَمَامٌ عَنْ عَمَّارٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ فِي الْمُنَافِقِينَ.
وَهَذَا كَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمَا، عَنْ جَمَاعَةٍ مِنَ التَّابِعِينَ ; مِنْهُمُ الْحَارِثُ بْنُ سُوَيْدٍ، وَقَيْسُ بْنُ عُبَادٍ، وَأَبُو جُحَيْفَةَ وَهْبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ السُّوَائِيُّ، وَيَزِيدُ بْنُ شَرِيكٍ، وَأَبُو حَسَّانَ الْأَجْرَدُ، وَغَيْرُهُمْ أَنَّ كُلًّا مِنْهُمْ قَالَ: قُلْتُ لِعَلِيٍّ: هَلْ عِنْدَكُمْ شَيْءٌ عَهِدَهُ إِلَيْكُمْ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَمْ يَعْهَدْهُ إِلَى النَّاسِ؟ فَقَالَ: لَا وَالَّذِي فَلَقَ الْحَبَّةَ وَبَرَأَ النَّسَمَةَ، إِلَّا فَهْمًا يُؤْتِيهِ اللَّهُ عَبْدًا فِي الْقُرْآنِ، وَمَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ. قُلْتُ: وَمَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ؟ فَإِذَا فِيهَا الْعَقْلُ وَفَكَاكُ الْأَسِيرِ، وَأَنْ لَا يُقْتَلَ مُسْلِمٌ بِكَافِرٍ، وَأَنَّ الْمَدِينَةَ حَرَمٌ مَا بَيْنَ عَيْرٍ إِلَى ثَوْرٍ.
পৃষ্ঠা - ৬০২৪
অবহিত করলেন ৷ তখন মুআবিয়া (রা) বললেন, ভুমি এক নির্বোধ বুড়াে, তুমি কোন কথা
বলতে থাক, পরে তুমি নিজের (পেশাবেই) পিছুলে পড় ৷ আরে, আমরা কি আম্মারকে হত্যা
করেছি : আম্মারাক তারাই হত্যা করেছে যারা তাকে নিয়ে এসেছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন,এর
পরপরই লোকেরা তাদের তাবু থেকে বেরিয়ে এল এবং জোর গলায় বলতে লাগল, আষ্মারকে
তারইি হত্যা করেছে যারা তাকে নিয়ে এসেছে ৷ আমি বুঝতে পারছি না, কে ছিল অধিক বিনয়
সৃষ্টিকারী সে কিত্বা তারা :
ইমাম আহমাদ বলেন, আবু মু আবিয়া আ মাশ আবদুর রহমান ইবন আবু যিয়াদ হতে
বর্ণিত ৩৷ তিনি বলেন, যু আবিয়া (রা) এর সিফফীন হতে ফেরার সময় আমি তার স ত্পে সফর
করছিলড়াম ৷ আমি ছিলাম তার ও আমৃর ইবনুল আস (রা) এর মাঝে ৷ তখন আবদৃল্লাহ্ ইবন
আমর (রা) বলল, আব্বাজান! আপনি কি আম্মারের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ্শ্নো কে এ কথা
শ্শ্শ্শ্শ্শ্
তনয় বিদ্রোহী দল তৌমাকে হত্যা করবে ৷
বর্ণনাকা রী বললে, তখন আমৃর (রা) মুআৰিয়া (রা); কে বললেন, তুমি কি শুনতে পাচ্ছ,
আবদুল্লাহ্ এ কি কথা বলছে? মুআবিয়া (বা) বললেন, সে তো একটার পর একটা অজুহাত
তুলতে থাকবেই ৷ আমরা কি তাকে হত্যা করেছি? তাকে তারাই হত্যা করেছে বাবা তাকে
এখানে নিয়ে এসেছে ৷ ১ আবু নুআয়ম সুফিয়ড়ান ছাওরী আ মাশ সনদেও ইমাম আহমাদ
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ আহমাদের এ বর্ণনা তার একক স্মরণীয় ৷
আমাদের মতে, হাদীসের বিশ্নেষণে মুআবিয়া (রা) এর এ ব্যাখ্যা অনেকটা অব৷ ভর ৷ তবে
মুল হাদীস শুধু আবদুল্পাহ্ ইবন আম্র (বা) হতে তই বর্ণিত হয়নি ৷ বরং আরও একা ৷ধিক সুত্রে
বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম আহমাদ বলেছেন, মুহাম্মাদ ইবন জা ফর শু বা খালিদ ইকরিমা সুত্রে
আবু সা ঈদ থুদরী (বা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্মোঃ টু আমার (বা) যে বলেছেন, ছু ৷া৷ণ্
ৰু ; ৷ ৷ — বিদ্রোহীরা তোমাকে হত্যা করবে ৷২ ইমাম বুখারী তার সহীহ বুখারীতে রিওয়ায়াত
করেছেন আবদুল আযীয ইবনুল মুখতার ও আবদুল ওয়াহ্হাব ছাকাফী খ৷ লিদ আল হায্যা-
ইকরিমা সুত্রে আবু সাঈদ (রা) হতে-মসজিদ (নববী) নির্মাণের ঘটনা প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ্ -
আম্মার হার
আম্মারেব্ল কপাল৷ সে তাদের ডাকবে জান্নাতের দিকে আর তারা তাকে ডাকবে জাহান্নামের
দিকে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমার (বা) বলতেন, , এ ৷ ট্রু ,ষ্ ৰু র্দুা৷ , ’ান্ছু৷ আমি
আল্লাহ্র কাছে ফিতনা’ হতে আশ্রয় প্রার্থনা বল্মছি ৷ বুখারীর কৌন কৌর্নঅনুনিপিতে (নুসখায়)
আছে,
১ তারীখে তাবারী, ৬ খ, ২২-২৩ পৃ; বায়হাকী-দালইিল, ২খ ৫৫২ পৃ ; মুসলিম (আংশিক) ফিতনা অধ্যায়,
: খ ২৩৩ পৃ (আরবীয় দ্রেণ), বুখারী, কিতাবুস সালাত, ফাতহ্ন৷ বারী, ২খ ৫৪১ পৃ , মুসনাদে আহমাদ,
৩খ, ৫পৃ, ৪খ ৩১৯, ৬ খঃ ২৮৯ পৃ
২ মুসনাদে আহমাদ, ২খ, ৫৬১ পৃ, ৫ খ, ৩০৬, ৩০৭ পৃ, ৬ খ, ৩০০, ৩১১ পৃ
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ أَنَّهُ قَالَ يَوْمَ صِفِّينَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ، اتَّهِمُوا الرَّأْيَ عَلَى الدِّينِ، فَلَقَدْ رَأَيْتُنِي يَوْمَ أَبِي جَنْدَلٍ وَلَوْ أَقْدِرُ لَرَدَدْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَمْرَهُ، وَوَاللَّهِ مَا حَمَلْنَا سُيُوفَنَا عَلَى عَوَاتِقِنَا مُنْذُ أَسْلَمْنَا لِأَمْرٍ يَقْطَعُنَا إِلَّا أَسْهَلَنْ بِنَا إِلَى أَمْرٍ نَعْرِفُهُ، غَيْرِ أَمْرِنَا هَذَا، فَإِنَّا لَا نَسُدُّ مِنْهُ خَصْمًا إِلَّا انْفَتَحَ لَنَا غَيْرُهُ لَا نَدْرِي كَيْفَ نُبَالِي لَهُ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ قَالَ: قَالَ عَمَّارٌ يَوْمَ صِفِّينَ: ائْتُونِي بِشَرْبَةِ لَبَنٍ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «آخِرُ شَرْبَةٍ تَشْرَبُهَا مِنَ الدُّنْيَا شَرْبَةُ لَبَنٍ»
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، أَنَّ عَمَّارًا أُتِيَ بِشَرْبَةِ لَبَنٍ، فَضَحِكَ وَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِي: «إِنَّ آخَرَ شَرَابٍ أَشْرَبُهُ لَبَنٌ حِينَ أَمُوتُ»
পৃষ্ঠা - ৬০২৫
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ دِيزِيلَ: ثَنَا يَحْيَى، ثَنَا نَصْرٌ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ شَمِرٍ، عَنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، عَنِ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ: ثُمَّ حَمَلَ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ عَلَيْهِمْ، فَحَمَلَ عَلَيْهِ ابْنُ جَوْنٍ السَّكُونِيُّ، وَأَبُو الْغَادِيَةِ الْفَزَارِيُّ، فَأَمَّا أَبُو الْغَادِيَةِ فَطَعَنَهُ، وَأَمَّا ابْنُ جَوْنٍ فَاحْتَزَّ رَأْسَهُ. وَقَدْ كَانَ ذُو الْكَلَاعِ سَمِعَ قَوْلَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِعَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ: «تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ، وَآخَرُ شَرْبَةٍ تَشْرَبُهَا صَاعُ لَبَنٍ» . فَكَانَ ذُو الْكَلَاعِ يَقُولُ لِعَمْرٍو: وَيْحَكَ مَا هَذَا يَا عَمْرُو؟ فَيَقُولُ لَهُ عَمْرٌو: إِنَّهُ سَيَرْجِعُ إِلَيْنَا. قَالَ: فَلَمَّا أُصِيبَ عَمَّارٌ بَعْدَ ذِي الْكَلَاعِ، قَالَ عَمْرٌو لِمُعَاوِيَةَ: مَا أَدْرِي بِقَتْلِ أَيِّهِمَا أَنَا أَشَدُّ فَرَحًا ; بِقَتْلِ عَمَّارٍ أَوْ ذِي الْكَلَاعِ، وَاللَّهِ لَوْ بَقِيَ ذُو الْكَلَاعِ حَتَّى يُقْتَلَ عَمَّارٌ لَمَالَ بِعَامَّةِ أَهْلِ الشَّامِ إِلَى عَلِيٍّ، وَلَأَفْسَدَ عَلَيْنَا جُنْدَنَا. قَالَ: وَكَانَ لَا يَزَالُ يَجِيءُ رَجُلٌ فَيَقُولُ لِمُعَاوِيَةَ وَعَمْرٍو: أَنَا قَتَلْتُ عَمَّارًا. فَيَقُولُ لَهُ عَمْرٌو: فَمَا سَمِعْتَهُ يَقُولُ؟ فَيَخْلِطُونَ فِيمَا يُخْبِرُونَ، حَتَّى جَاءَ ابْنُ جَوْنٍ فَقَالَ: أَنَا سَمِعْتُهُ
পৃষ্ঠা - ৬০২৬
হার আম্মারের কপাল! বিদ্রোহী দলটি তাকে হত্যা করবে, সে তাদের জান্নাতের দিকে
ডাকবে, আর তারা তাকে ডাকরে জাহান্নামের দিকে ৷ আহমাদ আরও বলেছেন, সুলায়মান ইবন
দাউদ শুবাআমৃর ইবন দীযার আবু ইিশাম সনদে আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত,
রাসুলুল্লাহমোঃ আমার (রা)-কে বলেছেন, ব্যিদ্রাহী দল তোমাকে হত্যা করবে ৷ ’
মুসলিম শুবা সুত্রের হাদীস রুপে আবু নাযরা আবু সাঈদ খুদরী (বা) হতে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, আমার চেয়ে উত্তম এক ব্যক্তি অর্থাৎ আবু কাতদাে অড়ামাকে
হাদীস বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ্লোঃ আমার (রা)-কে বলেছেন, বিদ্রোহী দল তোমাকে হত্যা
করবে ৷’ মুসলিমের অপর একটি বর্ণনা শুবা সুত্রে খালিদ আল হায্যা আবুল হাসানের দুই
ছেলে হাসান ও সাঈদ তড়াদের মা হাররাউম্মু সালামা (বা) হতে বর্ণিত, রসুলুল্লাহক্রো
আমার (রা) কে বলেছেন, বিদ্রোহী দল তোমাকে হত্যা ক্যাবে ৷ ’ মুসলিম হাদীসটি আবু বক্র
ইবন আবু শায়বা ইবন উলায়্যা ইবন আওন হাসান র্তার পিতার সনদেও উম্মু সালামা
(রা) অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ একটি রিওয়ায়াতে অধিক বর্ণনা আছে র্মেন্ এএ্র্চুট্রু
,র্চু৷ ৷ এবং তার হত্যাকারী জাহান্নামে যাবে ৷
বায়হাকী হাকিম প্রমুখ হতে আসমা আবু বক্র মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক আস সাখানী১
-আবুল জাওয়াব আম্মার ইবন যুরায়ক (রুযায়কঙ্ক) আম্মার আদ দুহানী২ সড়ালিম ইবন
আবুল সাদ সনদে ইবন মাসউদ (বা) হতে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ড়ো কে আমার
(বা) সম্পর্কে বলতে শুনেছি, যখন
ণ্ল্যাক্যন্ব মতবিরোধে লিপ্ত হবে তখন সুমায়্যা তনয় সত্যের উপরে থাকবে ৷
ইব্রাহীম ইবনুল হুসায়ম ইবন দীযীল সীরাতে আলী’-তে বলেছেন, ইয়াহইয়া ইবন
উৰায়দুঃ!হহ্ রাবীসী আবু কুরায়ব আবু মুআবিয়া আম্মব্রর ইবন যুরায়ক আম্মার আদ
দৃহানী সালিম ইবন আবুল জাদ সনদে বর্ণিত ৷ সালিম বলেন, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ
(রা)এর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, জুলুমের শিকার হওয়ার ব্যাপারে মহান আল্লাহ্ আমাদের
নিরাপত্তা দিয়েছেন কিন্তু ফিতনা-দৃবর্যাগের শিকার হওয়ার ব্যাপারে আমাদের নিরাপত্তা দেননি ৷
বলুন তো, কোন ফিতনাদৃর্যোগ দেখা দিলে তখন আমি কিভাবে কী করব? ইবন মাসউদ (রা)
বললেন, তুমি দৃঢ়ভাবে আল্লাহর কিতাব জাকড়ে থাকবে ৷ সে বলল, আচ্ছা যদি এমন হয় যে,
প্রতিটি দলই এসে আল্লাহর কিতাবের দিকে আহবান করে? ইবন মাসউদ (রা) বললেন, আমি
রাসুলুল্পাহ্ল্লীণ্কে বলতে শুনেছি, এ১৷ ৷ ৷ ৷ট্ট ৷ যখন;
নেতা মতবিরোধে লিপ্ত হবে তখন সুমায়্যা তনয় সত্যের উপর থাকবে ৷ ইবন স্টিংমোঃ
আমার ইবনুল আস (রা) হতে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন যাতে আমার (বা) প্রসঙ্গে
আলোচনা রয়েছে এবং তিনি হক দলের সঙ্গে থাকার কথা বিবৃত করেছেন ৷ এ হাদীসের সনদ
ণরীব’ (একক সুত্রের) ৷
বায়হাকী বলেছেন, আলী ইবন আহমাদ ইবন আবদান অহমাদ ইবন উবায়দুল্লাহ্
ন্সাস্সাফ্ফার আসফাতী আবু মুসা আয-য়ুসুফ ইবনুল রুমন্জিশুন তার পিতা আবু
১ বায়হাকীর দালাইল ৬ খ , : ৪ ২ পৃ দ্রবিদায়া মুল্যান্থে এখানে (সাআলী) আছে, যা সঠিক নয় ৷
২ বয়েহাকীর দালইিল হতে, এখানে যাহাবী সঠিক নয় ৷
৬২
يَقُولُ:
الْيَوْمَ أَلْقَى الْأَحِبَّةْ ... مُحَمَّدًا وَحِزْبَهْ
فَقَالَ لَهُ عَمْرٌو: صَدَقْتَ أَنْتَ، إِنَّكَ صَاحِبُهُ. ثُمَّ قَالَ لَهُ: رُوَيْدًا، أَمَا وَاللَّهِ مَا ظَفِرْتَ بِذَاكَ، وَلَقَدْ أَسَخَطْتَ رَبَّكَ.
وَقَدْ رَوَى ابْنُ دِيزِيلَ، مِنْ طَرِيقِ أَبِي يُوسُفَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكِنْدِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِعَمَّارٍ: «تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» .
وَرَوَاهُ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ جَمَاعَةٍ مِنَ التَّابِعَيْنِ أَرْسَلُوهُ ; مِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي الْهُذَيْلِ، وَمُجَاهِدٌ، وَحَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ، وَحَبَّةُ الْعُرَنِيُّ، وَسَاقَهَ مِنْ طَرِيقِ أَبَانَ، عَنْ أَنَسٍ مَرْفُوعًا. وَمِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ شَمِرٍ، عَنْ جَابِرٍ الْجُعْفِيِّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ حُذَيْفَةَ مَرْفُوعًا: " «مَا خُيِّرَ عَمَّارٌ بَيْنَ شَيْئَيْنِ إِلَّا اخْتَارَ أَرْشَدَهُمَا» ". وَبِهِ عَنْ عَمْرِو بْنِ شَمِرٍ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬০২৭
ণ্
৪৯০ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া
উবায়দাশ্ মুহাম্মাদ ইবন আষ্মার ইবন ইয়াসির সনদে আমার (বা) এর জনৈকা মাওলা
(আযাদকৃতদা ৷ত্রুসী) হতে ৩বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একবার আমার (রা) অসুস্থ হয়ে পড়লেন যাতে
তিনি র্চিন্দ্রাহীনতার কারণে বেছুশ হয়ে গেলেন ৷ পরে তিনি চেতনা ফিরে পেলেন ৷ তখন আমরা
তার চারপাশে বসে কাদছিলায় ৷ তিনি বললেন, তোমরা কাদছ কেনা তোমরা কি আশংকা
করছ যে, আমি আমার বিছানায় মৃত্যুবরণ করব? আমার ’প্রিযতাজন’ মোঃ আমাকে অবহিত
করে গিয়েছেন যে, বিদ্রোহী দল আমাকে হত্যা করবে এবং দুনিয়ার আমার সর্বশেষ পাথেয়’
হবে দুধের এক চুমুকে ৷
আহমাদ বলেছেন, ইবন আবু আদী-দাউদ-আবু নাযরা সনদে আবু সাঈদ খুদরী (বা) হতে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, বাসুলুল্লাহ , , আমাদের মসজিদ (নববী) নির্মাণের আদেশ দিলেন ৷
আমরা এক একটি করে ইট বয়ে আনতে লাগলাম এবং আমার দুই দুইটি করে ইট বয়ে
আনতে লাগল ৷ এতে তার মাথা ধুলিমাখ৷ হয়ে গেল ৷ এ প্রসঙ্গে আমার সঙ্গী (সাহাবী)-পণ
আমাকে বলেছেন, আমি নিজে তা রাসুলুল্লাহ্লোঃ এর কাছে শুনি নি (তারা বলেছেন) যে,
তিনি (সা) তার মাথায় ধুলা বোড়ে দিচ্ছিলেন এবং বলছিলেন, এাথ্; ব্লুষ্টু ট্রু;ট্রুাঠুাৰুশ্ম
; ; :; ৷ ৷ তোমার কপাল হে সুমায়্যা তনয়! বিদ্রোহী দল তোমাকে হত্যা করবে ৷২
’ এটি আহমাদ (রা) এর একক বর্ণনা ৷ এ হাদীসে রাফিব্জী (শীআ) সম্প্রদায়ের লোকেরা
৷ ১৷ অর্থাৎ
“আল্লাহ্র কসম৷ কিয়ামতে র দিন তারা আম ৷র শাফাআত পাবে না ৷ এ বর্ধিত অংশ
রাসুলুল্লাহ্ন্,”র্টুট্রুষ্এর নামে মিথ্যা ও বানােয়াট সংযোজন ৷ কেননা, রাসুলুল্লাহ্শ্নো হতে হাদীস
উভয় দলকে মুসলিম’ অভিহিত করে প্রামাণ্য রুপে বর্ণিত ৩হয়েছে ৷ পরবর্তী আলোচনায় আমি
যেসব হাদীস উদ্ধৃত করব ইনশাআল্লাহ্ ৷
ইবন জারীর বলেছেন, একটি বর্ণনায় আছে, আমার (বা) শহীদ হলে ’আলী (রা) রাবীআ
ও হামাদান গোত্রদ্বয়কে বললেন, তােমরাই আমার বর্য ও বলুন ৷ তখন প্রায় বার হাজার লোক
তার আহ্বানে উদ্বুদ্ধ হলো ৷ আরী (রা) তার খচ্চরে আরোহণ করে তাদের সামনে সামনে
এগিয়ে চললেন এবং তিনি ও তার সহযােদ্ধারা একক সম্মিলিত আক্রমণ চালাল ৷ এতে
শামীদের প্রতিটি সারি ভেঙ্গে গেল ৷ তারা যে সারি পর্যন্ত পৌছতেন তাদের হত্যা করে
বেলতেন ৷ এভাবে তারা মু’আবিয়া (রা)-এর কাছাকাছি পৌছলেন ৷ আলী (রা) আক্রমণ
চালিয়ে যাচ্ছিলেন ও বলছিলেনং
ণ্ধ্,ম্)ঠুণ্ ৷
“ওদের তাে আঘাত করছি, কিন্তু মুআবিয়াকে দেখছি না ৷ সেই উচু উচু চোখওয়ালা
বিশাল উদরওয়ালা নােকটি ৷
১ বায়হাকী-দালাইলুন নুবুওয়াত; ৬ খ , ৪২০ পৃ; মুসনাদে আহমাদ ৪খ, ৩১৯ পৃ ; হাকিম-মুসতাদরাক,
৩খ, ৩৮৯ পৃ-৭
২ মুসনাদে আহমাদ, ২খ, ১৬১ পৃ, ৩খ, ৫ পৃ, ৬খ, ৩১৫ পৃ
الْأَوْسَطِ، قَالَ: اخْتَصَمَ رَجُلَانِ فِي سَلَبِ عَمَّارٍ وَفِي قَتْلِهِ، فَأَتَيَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ لِيَتَحَاكَمَا إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُمَا: وَيْحَكُمَا، اخْرُجَا عَنِّي، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «وَلِعَتْ قُرَيْشٌ بِعَمَّارٍ، مَا لَهُمْ وَلِعَمَّارٍ؟ عَمَّارٌ يَدْعُوهُمْ إِلَى الْجَنَّةِ، وَيَدْعُونَهُ إِلَى النَّارِ، قَاتِلُهُ وَسَالِبُهُ فِي النَّارِ» . قَالَ: فَبَلَغَنِي أَنَّ مُعَاوِيَةَ قَالَ: إِنَّمَا قَتَلَهُ مَنْ أَخْرَجَهُ. يَخْدَعُ بِذَلِكَ أَهْلَ الشَّامِ.
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحُسَيْنِ: حَدَّثَنَا يَحْيَى، ثَنَا عِيسَى بْنُ عُمَرَ، ثَنَا هُشَيْمٌ، ثَنَا الْعَوَّامُ بْنُ حَوْشَبٍ عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ خُوَيْلِدٍ - وَكَانَ يَأْتِي مِنْ عِنْدِ عَلِيٍّ وَمُعَاوِيَةَ - قَالَ: بَيْنَا هُوَ عِنْدَ مُعَاوِيَةَ إِذْ جَاءَهُ رَجُلَانِ يَخْتَصِمَانِ فِي قَتْلِ عَمَّارٍ، فَقَالَ لَهُمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو: لِيَطِبْ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْكُمَا نَفْسًا لِصَاحِبِهِ بِقَتْلِ عَمَّارٍ، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «تَقْتُلُهُ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» . فَقَالَ مُعَاوِيَةُ لِعَمْرٍو: أَلَا تَنْهَى عَنَّا مَجْنُونَكَ هَذَا؟ ثُمَّ أَقْبَلَ مُعَاوِيَةُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ لَهُ: فَلِمَ تُقَاتِلُ مَعَنَا؟ فَقَالَ لَهُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَمَرَنِي بِطَاعَةِ وَالِدِي مَا كَانَ حَيًّا، وَأَنَا مَعَكُمْ وَلَسْتُ أُقَاتِلُ.
পৃষ্ঠা - ৬০২৮
বর্ণনাকারী বলেন, তারপর আলী (রা) মলযুদ্ধে (দ্বৈতযুদ্ধে) অবতীর্ণ হওয়ার জন্য
মু আবিয়া (রা) কে আহ্বান জানালে আমর ইবন আস (রা) তাকে চন্নুলেঞ্জ গ্রহণ করে সামনে
আমার ইঙ্গিত করলে মু আবিয়া (রা) তাকে বললেন, তৃমি তো জান যে, যে কেউ তার সঙ্গে
দ্বৈতযুদ্ধে অবতীর্ণ হলে সে তাকে হত্যা করেই ছোড়ছে ৷ বরং তুমি আমার পরে এ বিষয়টির
(খলীফা হওয়ার) প্রতি লালায়িত হয়েছে ৷
এরপর বিশাল একদল নিয়ে মুহাম্মাদকে অগ্রবর্তী করা হলো ৷ প্রতিপক্ষ প্রচণ্ডরুপে যুদ্ধ
করলে আলী (বা) অপর একটি দল নিয়ে এগিয়ে চললেন এবং তাদের সঙ্গে নিয়ে আক্রমণ
করলেন ৷ এ সময় উভয় দলের অনেক অনেক লোক নিহত হলো যাদের সঠিক সংখ্য৷ আল্পাহ্ই
ভাল জানেন ৷ ইরাকী পক্ষে নিহতের সংখ্যাও ছিল অনেক ৷ এ সময় মানুষের কর্তিত পাঞ্জা, বাহু
এবং ঘাড় হতে বিচ্ছিন্ন মাথাগুলো উড়তে লাগল ৷ (মহান অ ড়াল্লাহ্ তা ৷দের উপর রহম করুন!)
এ সময় মাগরিবের সাল ৷ন্তের সময় হয়ে গেল ৷ কিন্তু যুদ্ধের প্রচণ্ডতার কারণে আলী (বা)
লোকদের নিয়ে মাগরিব ও ইশার সালাত ইশারায় আদায় করতে বাধ্য হলেন ৷ এ রাতে রাতভর
যুদ্ধ চলতে থাকল এবং রাতটি ছিল মুসলমানদের ইতিহাসে নিকৃষ্ট৩ তার বিচারে চরম স্তরের ৷
রাতটি “লায়লাতুলু হারীর (অপছন্দনীয় বা অকল্যাণকর রাত) নামে অভিহিত ৷ রাতটি ছিল
জুমুআর পুর্ববর্তী রাত ৷ এ রাতে বল্পমগুলাে ভেঙ্গে চুড়ে গেল, তীর ফুরিয়ে গেল এবং লোকেরা
তরবারি হাতে তুলে নিল ৷ আলী (বা) বিভিন্ন গোত্রকে উদ্বুদ্ধ করে চলছিলেন এবং তাদের কাছে
গিয়ে স্থির অবিচল থাকার উপদেশ দিচ্ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন কেশ্ৰীয় বাহিনীর সম্বুখ ভাগে; ডান
বাহ্ব পরিচালনায় ছিল আশ৩ ড়ার ৷ বৃহস্পতিবার বিকালে আব্দুল্লাহ ইবন বুদায়ল নিহত হলে
শুক্রবারের পুর্ববর্তী রাতে আশতার ডান বাহুর পরিচালন-দায়িতৃ গ্রহণ করেছিল ৷ বাম বাহুর
দায়িত্ব দিলেন আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা)-কে ৷ সব দিকেই লোকেরা যুদ্ধ করে চলছিল ৷
এ প্রসঙ্গে আমাদের সীরাত গ্রন্থকার মনীষীগণের বিবরণ এই যে, তারা প্রথমে বল্লম সড়কি
দিয়ে যুদ্ধ করল ৷ এবং সেগুলো ভেঙ্গে চুরে গেল ৷ পরে তারা তীর দিয়ে যুদ্ধ করল এবং
একসময় সব তীর শেষ হয়ে গেল ৷ তখন তারা ৩রবারি দিয়ে যুদ্ধ করল এবং এক সময়
সেগুলোও ভেঙ্গে গেল ৷ তখন তারা হাতাহাতি ৩করে পাথর ছুড়ে ও মুখে মাটি ছুড়ে ছুড়ে লড়াই
অব্যাহত রাথল ৷ অবশেষে তারা কামড়া-কামড়ি করল ৷ অবস্থা ছিল এরুপ যে, দু’জন লড়তে
লড়তে কাবু হয়ে পড়লে দৃ’জনই বসে বিশ্রাম নিত এবং এ সময় লাথালাথি চলতে থাকত ৷ পরে
আবার দু’জন দাড়িয়ে যথারীতি লড়ইি শুরু করত ৷ “ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ৷
শুক্রবার সকাল হওয়া পর্যন্ত তাদের এ অবস্থা চলতে থাকল ৷ ফজরের সালাত তারা যুদ্ধরত
অবস্থায় ইশারায় আদায় করল ৷ এভাবে দিনের প্রথম প্রহর পার হয়ে ৫গল,ষ্এরং:;শ্রু£ষীদ্রের
বিপক্ষে ইরাকীদের জয়ের পাল্লা ভারী হয়ে উঠল ৷ এর কারণ ছিল এই যে, ডান বাহুর
পরিচালনা আশতার নাখঈর দায়িত্বে ন্যস্ত হলে সে তার বাহিনী নিয়ে শামীদের বিরুদ্ধে শক্ত
আক্রমণ পরিচালিত করল এবং আলী (বা) তার বাহিনী নিয়ে আশতারের অনুগমন করলে
শামীদের প্রায় সকল সারি ভেঙ্গে গেল এবং পরাজয়ের দ্বারপ্রাম্ভে উপনীত হলো ৷ এরুপ নাযুক
সময়ে শামীরা বর্শার মাথায় কুরআন শরীফ তুলে ধরে আওয়াজ দিতে লাগল “আমাদের ও
তোমাদের মাঝে এটিই ফয়সালা করবে ৷ লোকজন শেষ হেয় গোল ৷ (ইসলামী রান্থষ্ট্ৰর) সীমান্ত
রক্ষা করবে কারাঃ মুশরিক ও কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবে কারা ?
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى، ثَنَا نَصْرٌ، حَدَّثَنِي حَفْصُ بْنُ عِمْرَانَ الْبُرْجُمِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي نَافِعُ بْنُ عُمَرَ الْجُمَحِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو قَالَ لِأَبِيهِ: لَوْلَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَمَرَنِي بِطَاعَتِكَ مَا سِرْتُ مَعَكَ هَذَا الْمَسِيرَ، أَمَا سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ لِعَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ: «تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» ؟
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ، ثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: جَاءَ قَاتِلُ عَمَّارٍ يَسْتَأْذِنُ عَلَى مُعَاوِيَةَ وَعِنْدَهُ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، فَقَالَ: ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالنَّارِ. فَقَالَ الرَّجُلُ: أَمَا تَسْمَعُ مَا يَقُولُ عَمْرٌو؟ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: صَدَقَ إِنَّمَا قَتَلَهُ الَّذِينَ جَاءُوا بِهِ.
وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ صَالِحٍ، ثَنَا عَطَاءُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ قَالَ: قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيُّ: كُنَّا مَعَ عَلِيٍّ بِصِفِّينَ وَكُنَّا قَدْ وَكَّلْنَا بِفَرَسِهِ نَفْسَيْنِ يَحْفَظَانِهِ وَيَمْنَعَانِهِ أَنْ يَحْمِلَ، فَكَانَ إِذَا حَانَتْ مِنْهُمَا غَفْلَةٌ، حَمَلَ فَلَا يَرْجِعُ حَتَّى يَخْضِبَ سَيْفَهُ، وَإِنَّهُ حَمَلَ ذَاتَ يَوْمٍ فَلَمْ يَرْجِعْ حَتَّى انْثَنَى سَيْفُهُ، فَأَلْقَاهُ إِلَيْهِمْ، وَقَالَ: لَوْلَا أَنَّهُ انْثَنَى مَا رَجَعْتُ. قَالَ: وَرَأَيْتُ عَمَّارًا لَا يَأْخُذُ وَادِيًا مِنْ أَوْدِيَةِ صِفِّينَ إِلَّا اتَّبَعَهُ مَنْ كَانَ هُنَاكَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৬০২৯
أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَأَيْتُهُ جَاءَ إِلَى الْمِرْقَالِ، هَاشِمِ بْنِ عُتْبَةَ، وَهُوَ صَاحِبُ رَايَةِ عَلِيٍّ، فَقَالَ: يَا هَاشِمُ تَقَدَّمَ، الْجَنَّةُ تَحْتَ ظِلَالِ السُّيُوفِ، وَالْمَوْتُ فِي أَطْرَافِ الْأَسَلِ، وَقَدْ فُتِحَتْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَتَزَيَّنَتِ الْحَوَرُ الْعَيْنُ:
الْيَوْمَ أَلْقَى الْأَحِبَّةْ مَحُمَّدًا وَحِزْبَهْ ثُمَّ حَمَلَا هُوَ وَهَاشِمٌ فَقُتِلَا، رَحِمَهُمَا اللَّهُ تَعَالَى، قَالَ: وَحَمَلَ حِينَئِذٍ عَلِيٌّ وَأَصْحَابُهُ عَلَى أَهْلِ الشَّامِ حَمْلَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ كَأَنَّهُمَا كَانَا - يَعْنِي عَمَّارًا وَهَاشِمًا - عَلَمًا لَهُمْ، قَالَ: فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ قُلْتُ: لَأَدْخُلَنَّ اللَّيْلَةَ إِلَى عَسْكَرِ الشَّامِيِّينَ حَتَّى أَعْلَمَ هَلْ بَلَغَ مِنْهُمْ قَتْلُ عَمَّارٍ مَا بَلَغَ مِنَّا؟ وَكُنَّا إِذَا تَوَادَعْنَا مِنَ الْقِتَالِ تَحَدَّثُوا إِلَيْنَا وَتَحَدَّثْنَا إِلَيْهِمْ، فَرَكِبْتُ فَرَسِي وَقَدْ هَدَأَتِ الرِّجْلُ، ثُمَّ دَخَلْتُ عَسْكَرَهُمْ فَإِذَا أَنَا بِأَرْبَعَةٍ يَتَسَامَرُونَ ; مُعَاوِيَةُ، وَأَبُو الْأَعْوَرِ السُّلَمِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ، وَابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو - وَهُوَ خَيْرُ الْأَرْبَعَةِ - فَأَدْخَلْتُ فَرَسِي بَيْنَهُمْ مَخَافَةَ أَنْ يَفُوتَنِي مَا يَقُولُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لِأَبِيهِ: يَا أَبَتِ قَتَلْتُمْ هَذَا الرَّجُلَ فِي يَوْمِكُمْ هَذَا، وَقَدْ قَالَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَا قَالَ! قَالَ: وَمَا قَالَ؟ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৬০৩০
’
৪৯২ আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া
ইবন জারীর প্রমুখ ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন যে, এ (কুরআন শরীফ তুলে ধরার)
বুদ্ধি দিয়েছিলেন আমৃর ইবনুল আস (রা) ৷ কারণ তিনি যখন দেখতে পেলেন যে, ময়দানে
ইরাকীরা বিজয়ী হতে চলছে তখন পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে বিষয়টিকে বিলন্বিত করতে
চইিলেন ৷ কেননা , উভয় দল একে অপরের মুখোমুখি অনড় অবস্থানে ছিল, জনতার জীবন নড়াশ
ঘটে চলছিল ৷ আমৃর (রা) মুআবিয়৷ (রা)-কে বললেন, আমি একটি বুদ্ধি স্থির করেছি যা
বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের দলের সমন্বিত হওয়ার অধিক সুযোগ সৃষ্টি করতে এবং ওদের
বিভক্তি বাড়িয়ে দিবে ৷ আমার মতে আমরা কুরআন শরীফ তুলে ধরে ওদের সেদিকে আহ্বান
করব ৷ তাদের সকলে এ আহ্বানে সাড়৷ দিলে যুদ্ধ স্তিমিত হয়ে যাবে ৷ আর তারা এতে
মতবিরােধে লিপ্ত হলে একদল বলবে আমরা তাদের আহ্বানে সাড়া দেই, অপর দল বলবে না,
আমরা সাড়া দিব না ৷ এতে তারা হীনবল হয়ে পড়বে এবং যুদ্ধে তাদের প্রভাব শেষ হয়ে
যাবে ৷
ইমাম আহমাদ বলেছেন, ইয়ালা ইবন উবায়দ-আবদৃল আযীয ইবন সিয়াহ হাবীব ইবন
আবু ছাবিত সনদে বর্ণনা করেছেন ৷ হাবীব বলেন, আমি আবু ওয়ইিল (রা) এর কাছে তার
বাড়ির মসজিদে গিয়ে সাক্ষাত করলাম ৷ আমি তাকে নাহরাওয়ানে আলী (রা) যাদের হত্যা
করেছিলেন তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম যে, তারা কােনৃ বিষয়ে তার প্ৰতি সাড়া দিয়েছিল
এবং কোন বিষয়ে বিরোধ করেছিল এবং কােনৃ যুক্তিতে তিনি তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করা বৈধ মনে
করেছিলেন? আবু ওয়াইল (বা) বললেন, আমরা সিফ্ফীনে (যুদ্ধরত) ছিলাম ৷ যখন শামীদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধের লেলিহ ন শিখ৷ উত্তেজিত হলো তখন তারা একটি টীলার উপরে সমবেত হলো ৷
এ সময় আমৃর ইবনুল আস (রা) মু আবিয়৷ (রা) কে বললেন, আলী (রা) এর কাছে একখানি
কুরঅ৷ ন শরীফ পাঠিয়ে দিয়ে তাকে আল্লাহ্র কিত৷ ৷বের (ফয়সালার) প্রতি ৩আহ্বান কর ৷ কেননা,
সে কিছুতেই তা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না ৷ তখন এক ব্যক্তি তা নিয়ে এসে বলল, আমাদের
ও তোমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব (ফয়সালা করবে) ৷
া
— : ’ £ : ’ : ’ ৩ ’ ন্ ’ ’ ন্ ’ ষ্ ’
তুমি কি তাদের দেখনি যাদের কিতাবের অং শ দেওয়া হয়েছিল? তাদের অ ৷ল্লাহ্র কিতাবের
দিকে আহ্বান করা হয়েছিল যাতে তা তাদের মধ্যে মীমাং না করে দেয়, তারপর তাদের একদল
ফিরে দাড়ায় ৷ আর তারা বিমুখিত৷ দেখায় ৷ (সুরা-আলে ইমরান ৩; আয়াত ২৩)
আলী (রা) বললেন, ইা, আমিই এর অধিক উপযোগী ৷ আমাদের ও তোমাদের মাঝে
আল্লাহ্র কিতাবই মীমাংস৷ করবে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় খারিজীরা এল যাদের সে যুগে
আমরা কুররা’ (কুরআনবিদ) নামে অভিহিত করতাম তাদের তরৰারি তখন র্কাধের উপর
উত্তোলিত ছিল ৷ তারা বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! টীলাতে অবস্থানকারী ঐ লোকেরা কিসের
অপেক্ষা করছে? আমরা কেন আমাদের তরবারিগুলো নিয়ে তাদের কাছে যাচ্ছি না যাতে মহান
আল্পাহ্ই আমাদের ও তাদের মাঝে ফয়সালা করে দেন? এ সময় সাহল ইবন হনায়ফ (রা) কথা
বললেন ৷ তিনি বললেন, হে মানবমওলী! তোমরা তোমাদের মতামতকে দ্বিধা-দ্বস্থের দৃষ্টিতে
أَلَمْ تَكُنْ مَعَنَا وَنَحْنُ نَبْنِي الْمَسْجِدَ وَالنَّاسُ يَنْقُلُونَ حَجَرًا حَجَرًا، وَلَبِنَةً لَبِنَةً، وَعَمَّارٌ يَنْقُلُ حَجَرَيْنِ حَجَرَيْنِ، وَلَبِنَتَيْنِ لِبِنْتَيْنِ، فَأَتَاهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ يَمْسَحُ التُّرَابَ عَنْ وَجْهِهِ وَيَقُولُ: " وَيْحَكَ يَا ابْنَ سُمَيَّةَ، النَّاسُ يَنْقُلُونَ حَجَرًا حَجَرًا، وَلَبِنَةً لَبِنَةً، وَأَنْتَ تَنْقُلُ حَجَرَيْنِ حَجَرَيْنِ، وَلَبِنَتَيْنِ لِبِنْتَيْنِ ; رَغْبَةً مِنْكَ فِي الْأَجْرِ! وَأَنْتَ وَيْحَكَ مَعَ ذَلِكَ تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ "؟ قَالَ: فَدَفَعَ عَمْرٌو صَدْرَ فَرَسِهِ، ثُمَّ جَذَبَ مُعَاوِيَةَ إِلَيْهِ، فَقَالَ: يَا مُعَاوِيَةُ، أَمَا تَسْمَعُ مَا يَقُولُ عَبْدُ اللَّهِ؟ قَالَ: وَمَا يَقُولُ؟ فَأَخْبَرُهُ الْخَبَرَ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: إِنَّكَ شَيْخٌ أَخْرَقُ، وَلَا تَزَالُ تُحَدِّثُ بِالْحَدِيثِ، وَأَنْتَ تَدْحَضُ فِي بَوْلِكَ، أَوَنَحْنُ قَتَلْنَا عَمَّارًا؟ إِنَّمَا قَتَلَ عَمَّارًا مَنْ جَاءَ بِهِ. قَالَ: فَخَرَجَ النَّاسُ مِنْ عِنْدِ فَسَاطِيطِهِمْ وَأَخْبِيَتِهِمْ وَهُمْ يَقُولُونَ: إِنَّمَا قَتَلَ عَمَّارًا مَنْ جَاءَ بِهِ. فَلَا أَدْرَى مَنْ كَانَ أَعْجَبُ هُوَ أَوْ هُمْ؟
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِعَمَّارٍ: «تَقْتُلُهُ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» .
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ
পৃষ্ঠা - ৬০৩১
ষ্
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৪৯৩
দেখবে ৷ (চুড়ান্ত সঠিক মনে বল্মবে না ৷) কেননা, হুদায়বিয়ার ঘটনায় অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ্মোঃ
মুশরিকদের মধ্যে সম্পাদিত সন্ধির ঘটনায় আমরা আমাদের এ অবস্থায় দেখেছি যে,
আমরা যুদ্ধ করার সুযোগ পেলে যুদ্ধই করতাম ৷ তখন উমর (রা) রাসুলুল্লাহ্ড়ো এর কাছে
গিয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্৷ আমরা কি হকের উপরে নই এবং তারা কি বাতিলের উপরে
নয়৷ তিনি পুর্ণাঙ্গ হাদীস উল্লেখ করলেন, যা আমরা যথান্থানে উদ্ধৃত করেছি ৷ ১
শামীদের পবিত্র কুরআন উত্তোলন
শামীরা কুরআন শরীফ উচিয়ে ধরলে ইরাকীরা বলল, “আমরা মহান আল্লাহর কিভাবে
সাড়া দিব এবং সেদিকে ধাবিত হব ৷” আবু মিখনাফ বলেছেন, আবদুর রহমান ইবন জুনদুব
আয়দী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, আলী (রা) বললেন, “হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা
তোমাদের ন্যায় ও সত্যের দিকে এবং শক্রদের সঙ্গে যুদ্ধের দিকে এগিয়ে চল ৷ কেননা,
মুআবিয়া, আমৃর ইবনুল আস, ইবন আবু মুআয়ত, হাবীব ইবন মাসলামা, ইবন আবু সাবৃহ,
যাহ্হাক ইবন কায়স এরা দীন ও কুরআনের একনিষ্ঠ অনুসারী নয় ৷ আমি ওদের ভাল করে
চিনি শৈশবেও আমি তাদের সঙ্গে কাটিয়েছি, যৌবনেও তাদের সঙ্গে কাটিয়েছি ৷ তারা ছিল
দৃষ্ট প্রকৃতির বালক ও দুষ্ট প্রকৃতির যুবক ৷ তোমাদের কপাল পুড়ুক ! আল্লাহর কসম ৷ এরা
কুরআন শরীফ এ কারণেউংত্তালন করেনি যে, শুধু তারইি তা পাঠ করে থাকে আর তাতে
আছে তোমরা তা জান না ৷ তারা শুধু প্রতারণা, কুটকৌশল ও চক্রান্তের উদ্দেশ্যেই তা উত্তোলন
করেছে ৷ শ্রোতারা (ইরাকীরা) বলল, আমাদের মহান আল্লাহর কিতাবের দিকে আহ্বান করা
হবে, আর আমরা তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করব তা আমাদের পক্ষে সমীচীন নয় ৷
আলী (বা) তাদের বললেন, আমি তো তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছি এ উদ্দেশ্যে যাতে তারা
মহান আল্লাহর কিতাবের আনুগত্য করে ৷ কেননা তারা তাদের প্রতি মহান আল্লাহর আদেশের
অবাধ্য হয়েছে, তার সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার বর্জন করেছে এবং তার কিতাবকে দুরে সরিয়ে
রেখেছে ৷ তখন মিসআর ইবন ফাদাকী তামীমী ও যায়দ ইবন হুসায়ন তাঈ-সাবাঈ (আম্বাসী)
ও তাদের অনুগড়ামী একর্দল ক্যুআেনবিদ পণ্ডিত যারা পরে খারিব্জী মতাবলম্বী হয়েছিল তারা
বলল, হে আলী ! যখন আপনাকে মহান আল্লাহর কিতাবের দিকে আহ্বান করা হয় তখন তাতে
সাড়া দিন ৷ অন্যথায় আপনাকে দলবলসহ ওদের দিকে ঠেলে দিব কিৎবা আপনার সঙ্গেও সে
আচরণই করব যা আমরা করেছি (উসমান) ইবন আফ্ফানের্বু সঙ্গে ৷ যে মহান আল্লাহর কিতাব
অনুসারে আমল করার ব্যপােরে আমাদের পরাভুত করে ব্লেখেছিল ৷ কাজেই, আমরা তাকে হত্যা
করেছিলাম ৷ আল্লাহ্র কসম ! আপনিও অবশ্যই ওটা মেনে নিবেন, অন্যথায় অবশ্যই আমরা তা
করব ৷
আলী (রা) বললেন, তাই যদি হবে তবে তোমরা আমার পক্ষ হতে তোমাদের প্রতি
আমার নিষেধাজ্ঞা স্মরণে সংরক্ষণ করে রাখবে এবং আমাকে তোমাদের দেওয়া বক্তব্যও স্মরণে
সংরক্ষণ করে রাখবে ৷ আমার বত্তত্রা হচ্ছে তোমরা আমার আনুগত্য করতে চাইলে যুদ্ধ কর,
আর আমার অৰাধ্য হতে চাইলে তোমাদের যা ইচ্ছা তা-ই কর ৷ তারা বলল, আপনি এখন
১ দ্র£ মুসনাদে আহমাদ, ৩খ, ৪৮৫ পৃ , ৪৮৬ পৃ
دِينَارٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِعَمَّارٍ: «تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» .
وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ: إِنِّي لَأَسِيرُ مَعَ مُعَاوِيَةَ مُنْصَرَفَهُ مِنْ صِفِّينَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو: يَا أَبَتِ، أَمَا سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ لِعَمَّارٍ: «وَيْحَكَ يَا ابْنَ سُمَيَّةَ، تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» ؟ فَقَالَ عَمْرٌو لِمُعَاوِيَةَ: أَلَا تَسْمَعُ مَا يَقُولُ هَذَا؟ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: لَا يَزَالُ يَأْتِينَا بِهَنَةٍ، أَنْحَنُ قَتَلْنَاهُ؟ إِنَّمَا قَتَلَهُ الَّذِينَ جَاءُوا بِهِ. ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ نَحْوَهُ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ بِهَذَا السِّيَاقِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
وَهَذَا التَّأْوِيلُ الَّذِي سَلَكَهُ مُعَاوِيَةُ بَعِيدٌ، ثُمَّ لَمْ يَنْفَرِدْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو بِهَذَا الْحَدِيثِ، بَلْ قَدْ رُوِيَ مِنْ وُجُوهٍ أُخَرَ ; فَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ فِي " صَحِيحِهِ "،
পৃষ্ঠা - ৬০৩২
আশতারের কাছে লোক পাঠান, সে যেন আপনার কাছে চলে আসে এবং যুদ্ধ বন্ধ করে ৷ তখন
আলী (বা) যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য তার কাছে লোক পাঠালেন ৷
হায়ছাম ইবন আদী খারিজীদের সম্পর্কে লিখিত তার কিভাবে উল্লেখ করেছেন যে, ইবন
আব্বাস (রা) বলেছেন, মুহাম্মদ ইবনুল মুনতাশির হামাদানী সিফ্ফীনে উপস্থিত লোকদের
বরাতে এবং খারিব্জীদের কতক শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তির বরাতে যাদের মিথ্যাবাদীরুপে অভিযুক্ত
করা হয় না আমাকে অবহিত করেছেন যে, আমার ইবন ইয়াসির (রা) বিষয়টি অপছন্দ করে
তা প্রত্যাখ্যান করলেন এবং আলী (বা) এমন কিছু কথা বললেন যা উল্লেখ করা আমার কাছে
পছন্দনীয় নয় ৷ তারপর তিনি বললেন, মহান আল্লাহ “ব্যতীত কাউকে বিচারকরুপে সন্ধান
করার আগে কে যাবে মহান আল্লাহর কাছে? এ কথা বলে তিনি আক্রমণ শুরু করলেন এবং যুদ্ধ
করতে করতে শাহাদাত বরণ করলেন ৷ (রহমাতৃল্লাহি আলায়হি) শামী পক্ষের নেতৃবৃন্দের মধ্যে
এ আহ্বান দাতাদের অন্যতম ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন আমৃর ইবনুল আস (রা) ৷ তিনি
ইরাকীদের মাঝে দাড়িয়ে তাদের সন্ধি সম্পাদন, অস্ত্র বিরতি ও যুদ্ধ বর্জন এবং কুরআনের
বিধানের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের আহ্বান জানালেন ৷ তিনি তা করেছিলেন তার প্রতি
মুআৰিয়া (রা)-এর এতদসংক্রাম্ভ আদেশ পালনার্থে ৷ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুম্া) এ বিষয়টি গ্রহণ
ও মেনে নেওয়ার জন্য আলী (রা)-ণ্ক পরামর্শ দানকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আশআছ
ইবন কায়স কিন্দী (রা) ৷
এ প্রসঙ্গে অন্য একটি সুত্রে আবু মিখনাফ বর্ণনা করেছেন, আলী (রা) আশতারের কাছে
লোক পাঠালে সে তাকে বলল, র্তাকে আলী (রা)-কে গিয়ে বলুন, এটি এমন একটি নাযুক
সময় যখন আমাকে আমার এ অবস্থান হতে বিচ্যুত করা সমীচীন নয় ৷ আমি তো আশাবাদী যে,
মহান আল্লাহ আমাকে বিজয় দান করবেন ৷ কাজেই, আমাকে তাড়াহুড়ােয় ফেলে দিবেন না ৷
সংবাদ-বাহক-ইয়াযীদ ইবন হানি ফিরে এসে আলী (রা)-কে আশতারের বক্তব্য অব ত
করল ৷ আশতার অনুকুল পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনমনীয় রইল ৷
ফলে হঙ্গোমা ও হৈ চৈ শুরু হয়ে গেল ৷ তখন প্রতিপক্ষের লোকেরা আলী (রা)-কে বলল,
আল্লাহ্র কসম ! আমরা দেখছি, আপনিই তাকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আদেশ দিয়েছেন ৷ আলী
(রা) বললেন, তোমরা কি আমাকে তার সঙ্গে কানে কানে কথা বলতে দেখেছা আমি কি
প্ৰকাংশ্য আদেশ দিয়ে তার কাছে পাঠাই নি, যা তোমরা শুনতে পেয়েছিল্যে লোকেরা বলল, তা
হলে তাকে আপনার কাছে চলে আসার জন্য সংবাদ পাঠান ৷ অন্যথায় আমরা আপনাকে বর্জন
করব ৷
আলী (রা) ইয়াযীদ ইবন হড়ানি-কে বললেন, কপাল পােড়া! যাও , তাকে গিয়ে বল, সে
যেন আমার কাছে চলে আসে ৷ কেননা, সংকট শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ ইয়াযীদ ইবন হানি
আশতারের কাছে চলে গেল এবং আমীরুল মু’মিনীনের পক্ষ হতে যুদ্ধে বিরতি প্রদান করে তীর
কাছে চলে আসার আদেশ অবহিত করল ৷ আদেশ শুনে আশতার দৃহ্রছুখ-ক্ষোৰুত অস্থির হয়ে
বলতে লাগল, দুর্ভাগা৷ আমরা যে বিজয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি, আর সামান্যই অবশিষ্ট
রয়েছে ৷ আমি (ইয়াযীদ) বললাম, এ দৃ’য়ের কোনটি তোমার কাছে অধিক প্রিয় তুমি চলে
আসবে কিৎবা আমীরুল মুমিনীনকে হত্যা করা হবে, যে রুপে হত্যা করা হয়েছিল উসমান
مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الْمُخْتَارِ وَعَبْدِ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيِّ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ فِي قِصَّةِ بِنَاءِ الْمَسْجِدِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِعَمَّارٍ: «يَا وَيْحَ عَمَّارٍ، يَدْعُوهُمْ إِلَى الْجَنَّةِ، وَيَدْعُونَهُ إِلَى النَّارِ قَالَ: يَقُولُ عَمَّارٌ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْفِتَنِ» . وَفِي الْفِتَنِ مِنْ صَحِيحِهِ أَيْضًا: «يَا وَيْحَ عَمَّارٍ، تَقْتُلُهُ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ، يَدْعُوهُمْ إِلَى الْجَنَّةِ، وَيَدْعُونَهُ إِلَى النَّارِ» .
وَرَوَى مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي - يَعْنِي أَبَا قَتَادَةُ - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِعَمَّارٍ: «تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» .
وَرَوَى مُسْلِمٌ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي - يَعْنِي قَتَادَةَ - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِعَمَّارٍ: «تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» .
وَرَوَاهُ أَيْضًا عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ بِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ: " وَقَاتِلُهُ فِي النَّارِ ".
পৃষ্ঠা - ৬০৩৩
وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ وَغَيْرِهِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ أَبِي الْجَوَّابِ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ زُرَيْقٍ، عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِذَا اخْتَلَفِ النَّاسُ كَانَ ابْنُ سُمَيَّةَ مَعَ الْحَقِّ» .
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ دِيزِيلَ فِي " سِيرَةِ عَلِيٍّ ": ثَنَا يَحْيَى بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْكَرَابِيسِيُّ، ثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، ثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ زُرَيْقٍ، عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ مَسْعُودٍ، فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَمَّنَنَا أَنْ يَظْلِمَنَا وَلَمْ يُؤَمِّنَّا أَنْ يَفْتِنَنَا، أَرَأَيْتَ إِذَا نَزَلَتْ فِتْنَةٌ كَيْفَ أَصْنَعُ؟ قَالَ: عَلَيْكَ بِكِتَابِ اللَّهِ. قُلْتُ: أَرَأَيْتَ إِنْ جَاءَ قَوْمٌ كُلُّهُمْ يَدْعُونَ إِلَى كِتَابِ اللَّهِ؟ فَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِذَا اخْتَلَفَ النَّاسُ كَانَ ابْنُ سُمَيَّةَ مَعَ الْحَقِّ» .
وَرَوَى ابْنُ دِيزِيلَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ نَفْسِهِ حَدِيثًا فِي ذِكْرِ عَمَّارٍ وَأَنَّهُ مَعَ فِرْقَةِ الْحَقِّ، وَإِسْنَادُهُ غَرِيبٌ.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، أَنَا أَحْمَدُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৬০৩৪
(রা)-কে ৷ তারপর তোমার এ বিজয় কোন কাজে আসবেঃ বর্ণনাকারী বলেন, তখন আশতার
যুদ্ধ বন্ধ করে আলী (রা)-এর কাছে চলে এল ৷ সে লোকদের লক্ষ্য করে বলল, হে ইরার্কীরা
হে লাঞ্ছিত ও ভীরুর দল! যখন নাকি তোমরা প্রতিপক্ষকে পরাভুত করছিলে এবং তাদের
বিশ্বাস হচ্ছিল যে , তোমরা তাদের উপর বিজয়ী হবে, তখন তারা কুরআন শরীফ উচু করে ধরে
তার বিধানের প্রতি তোমাদের আহ্বান করল ৷ অথচ আল্পাহ্র কসম ! ইতিপুর্বে তারা কুরআনে
বর্ণিত মহান আল্লাহ্র আদেশ এবং য়ার কাছে তা নাযিল করা হয়েছে তার সুন্নাত বর্জন
করেছিল ৷ কাজেই, তোমরা তাদের আহ্বান গ্রহণ কর না ৷ তোমরা আমাকে এতটুকু সময় দাও,
আমি তো জয়লাভের অনুভুতি উপলব্ধি করছি ৷ তারা বলল, না ৷ আশতার বলল, আমাকে একটু
ঘোড়া দৌড়াবার সুযোগ দাও, এখন আমি বিজয়ে নিশ্চিত আশাবাদী ৷ তারা বললো, তা হলে
তো আমরাও তোমার অন্যায়ের অংশীদার হন ৷
তারপর আশতার শামীদের আহ্বানে সাড়া প্রদানে উদ্বুদ্ধকারী কুরআনবিদদের সঙ্গে বিতর্ক
করতে লাগল ৷ তার যুক্তি ছিল যদি শামীদের বিরুদ্ধে তোমাদের যুদ্ধে প্ৰথমাংশ হক ও সঠিক
হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে আপত্তি কোথায়? আর যদি তা বাতিল হয় তবে
তোমরা তোমাদের পক্ষের নিহতদের জ্বাহান্নামী হওয়ার সাক্ষ্য দাও ৷ জবাবে তারা বলল,
তোমার সঙ্গে আমাদের কোন ব্যাপার নয়, আমরা কখনও তোমার অনুগামী নই ৷ তোমার
সহষাত্রীও নই ৷ আমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম মহান আল্লাহর জন্য, এখন যে যুদ্ধ
বর্জন করলাম তা-ও মহান আল্লাহর জন্যই ৷ আশতার বলল, আল্লাহ্র কসম! তোমাদের সংগে
প্রতারণা করা হয়েছে, তোমরা সে প্রতারণার শিকার হয়েছ ৷ তোমাদের যুদ্ধ বহ্মে উদ্বুদ্ধ করা
হয়েছে, তোমরা তাতে সাড়া দিয়েছ ৷ হে মন্দ তাগ্যের (কালো কপালধারী) লোকেরা ৷ আমরা
তোমাদের সালাত-ইবাদাতকে মনে করতাম দুনিয়ার প্ৰতি অনীহা ও মহান আল্লাহ্র সাক্ষাত
লাভাে৷ প্ৰতি আকর্ষণ ৷ এখন দেখছি, তোমরা মৃত্যু হতে দুনিয়ার দিকেই পলায়ন করছ ৷ হে
দাত পড়া বুড়াে উটের তৃল্য লোকেরা ৷ তোমরা এ ঘটনার পরে আর রাব্বানী (আল্লাহ্ওয়ালা)
নও! তোমাদের দৃর্গতি হোক জ্বালিম সম্প্রদায়ের দুর্পতির ন্যায় ৷ ’ একথা শুনে তারা আশতারকে
পালি দিল এবং সেও তাদের গালাগালি করল ৷ তারা তাদের চাবুক দিয়ে আশতারের বাহনের
মুখে আঘাত করল এবং তাদের মধ্যে আরও অনেক ব্যাপার ঘটল ;
মােটকথা, ইরার্কীদের অধিকাংশ ও শামীর্দের সকলেই অন্তত কিছুদিনের জা হলেও সন্ধি
ও যুদ্ধবিরতির প্রতি আগ্নহাৰিত হলো ৷ তাদের লক্ষ্য ছিল হয়তো এভাবে এমন কোন ঐকমত্য
সৃষ্টি হবে যা মুসলমানদের জীবন রক্ষা করবে ৷ কেননা, বিগত সংঘাতের দিনগুলিতে অগণিত
মানব সন্তান নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল ৷ বিশেষ করে শেষের তিনদিনে, যার শেষ সময় ছিল
জুমুআর পুর্ববর্তী রাত যা লায়লাতুল হারীর নামে অভিহিত ৷ এ সময় উভয় বাহিনী বীরতু,
বাহাদুরী ও ভৈন্থর্যের এমন পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছিল, পৃথিবীর ইতিহাসে যার নজির পাওয়া যায় না ৷
এ কারণেই কেউই রণভঙ্গ দিয়ে পলায়ন করেছিল না, বরং তারা ছিল ন্থির অবিচল ৷ যাতে
একাধিক বর্ণনামতে নিহতের সংখ্যা দাড়িয়েছিল সত্তুর হাজারে ৷ পয়তাল্লিশ হাজার শাম
পক্ষীয়দের এবং পচিশ হাজার ইরাক পক্ষীয়দের ৷ এ বর্ণনা ইবন সীরীন ও সায়ফ প্রমুখের ৷
আবুল হাসান ইবনুল বাররা যিনি ইরাকী পক্ষের লোক ছিলেন তার বর্ণনায় অধিক তথ্য
عُبَيْدِ اللَّهِ الصَّفَّارُ، ثَنَا الْأَسْفَاطِيُّ، ثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، ثَنَا يُوسُفُ الْمَاجِشُونُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، عَنْ مَوْلَاةٍ لِعَمَّارٍ، قَالَتْ: «اشْتَكَى عَمَّارٌ شَكْوَى أَرِقَ مِنْهَا فَغُشِيَ عَلَيْهِ، فَأَفَاقَ وَنَحْنُ نَبْكِي حَوْلَهُ، فَقَالَ: مَا تَبْكُونَ، أَتَخْشَوْنَ أَنْ أَمُوتَ عَلَى فِرَاشِي؟ أَخْبَرَنِي حَبِيبِي، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ تَقْتُلُنِي الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ، وَأَنَّ آخِرَ زَادِي مِنَ الدُّنْيَا مَذْقَةٌ مِنْ لَبَنٍ» .
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ دَاوُدَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِبِنَاءِ الْمَسْجِدِ، فَجَعَلْنَا نَنْقُلُ لَبِنَةً لَبِنَةً، وَكَانَ عَمَّارٌ يَنْقُلُ لَبِنَتَيْنِ لَبِنَتَيْنِ، فَتَتَرَّبَ رَأْسُهُ، قَالَ: فَحَدَّثَنِي أَصْحَابِي، وَلَمْ أَسْمَعْهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ جَعَلَ يَنْفُضُ رَأْسَهُ وَيَقُولُ: «وَيْحَكَ يَا ابْنَ سُمَيَّةَ، تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَمَا زَادَهُ بَعْضُ الرُّوَاةِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَهُوَ قَوْلُهُ: لَا أَنَالَهَا اللَّهُ شَفَاعَتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ. فَهُوَ كَذِبٌ وَبَهْتٌ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنَّهُ قَدْ ثَبَتَتِ الْأَحَادِيثُ عَنْهُ صَلَوَاتُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৬০৩৫
৪৯৬ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া
রয়েছে পচিশ জন বদরী সাহাৰীর শহীদ হওয়ার ৷ এ সময়কালে তাদের মধ্যে প্রচণ্ড
আক্রমণপতি আক্রমণ হয়েছিল নব্বই বার ৷
সিফফীনে পক্ষদ্বয় ক্তদিন অবস্থান করেছিল এ বিষয় ইবন সীরীন ও সড়ায়ফ-এৱ বর্ণনায়
বিরোধ রয়েছে ৷ সায়ফের বর্ণনায় সাত মাস কিংবা নয় মাস ৷ আবুল হাসান ইবনুল বাররা
বল্যেছন, একশত দশ দিন ৷ আমার (গ্রহুকার ইবন কাসীরের) মতে আবু মিখনাফের বিবরণ
অনুসারে সময়কাল ছিল যুল্-হাজ্জাহ্ চাদের সুচনা হতে সফরের তেব ( ? সতর) তারিখ পর্যন্ত ৷
কাজেই তা হবে সাতাত্তর (?) দিন ৷১ মহান আল্লাহ সমধিক অবগত ৷ যুহরী বলেছেন, আমার
প্রাপ্ত তথ্য মতে (শহীদানের স০ খ্যা অত্যধিক হওয়ার কারণে) এক এক কবরে পঞ্চাশ জন করে
দাফন করা হয়েছিল ৷ উল্লিখিত সমগ্র বিবরণ ইবন জারীর তাবারী (তারীখে তাবারী) ও আল
মুন্তাজাম গ্রন্থে ইবনুল আওযীর প্রদত্ত বিবরণের সার- সংক্ষেপ ৷
বায়হাকী ইয়াকুব ইবন সুফইয়ান-আবুল ইয়ামান-সাফওয়ান ইবন আমৃর সনদে বর্ণনা
করেছেন, শামীদের যেটি সং খ্যা ছিল ষাট হাজার, এদের মধ্যে নিহত হয়েছিল বিশ হাজার,
আর ইরাকীদের যেটি সং খ্যা ছিল এক লাখ বিশ হাজার, এদের মধ্যে নিহত হয়েছিল চল্লিশ
হাজার ৷ ২ বায়হাকী সিফ্ফীনে এ ঘটনাকে সে হাদীসটির বাস্তবায়নরুপে সাব্যস্ত করেছেন যেটি
বুখারী ও মুসলিম তাদের সহীহ গ্রন্থদ্বয়ে আবদুর রাঘৃযাক মামার হন্মোম ইবন মুনাব্বিহ
সনদে আবু হুরায়রা (বা) হতে বর্ণনা করেছেন এবং বুখারী শুআয়ব যুহরী শ্অড়াবু সালামা
সনদে আবু হুরায়রা (বা) হতে অনুরুপ শুআয়ব আবুয যিনাদ আল আরাজ সনদে আবু
হুরায়রা (রা) হতে ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্মোঃ হতে বর্ণনা করেছেন ৷ (হাদীসের ভাষ্য)৩ তিনিট্রুটু
বলেছেন-
মোঃ ৷ ট্রু,ব্লু;শ্ব
কিয়ড়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না দুটি বিরাট দল যুদ্ধ করবে, তাদের মধ্যে ভীষণ
যুদ্ধ সংঘটিত হয়ে এবং দুই দলের প্রতিটির দাবি হবে অভিন্ন ৷৩ হাদীসখানি মুআলিদ আবুল
হাওয়ারী সুত্রে আবু সাঈদ (রা) হতে মারফুরুপে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ছাওরীও ইবন
১ হিসাবটি অস্পষ্ট এর কারণ মুদ্রণ প্রমাদ হতে পারে ৷ যুল-হাজ্জাহর শুরু থেকে তেরই সফর পর্যন্ত হলে
তিহাত্তর দিন হবে ৷ অন্যথায় সফরের সতের তারিখ ,:: ¢, পর্বত অথবা সফরের (তর দিন বাকি থাকা
পর্যন্ত হবে ৷ যে ক্ষেত্রে সাতাত্তর দিন হবে ৷ অনুবাদক
২ দ্র বায়হাকী, দালইিলুন নুবুওয়াত, ৬খ ৪১৯ পৃ, মরুজুঘৃ যাহাৰ ২ খ ৪৩৭ পৃ র বর্ণনা শাম পক্ষে
উপস্থিত যােদ্ধাদের স খ্যা ছিল ১ লাখ পঞ্চাশ হাজার ৷ খাদিম অনুচর (নারী ও শিশুরা) ছিল এ হিসাবের
অতিরিক্ত ৷ ইরাক পক্ষের যোদ্ধাদের সং খ্যা ছিল এক লাখ বিশ হাজার এবং খাদিম-অনুচর (নারী ও শিশুরা)
সিং এর অতিরিক্ত ৷
৩ দ্রঙ্ক বুখারী, কিতাবুল মানাকিব, বাব-২৫, আলামাতুনঃ নুবুওয়াতি ফিল ইসলাম ৷ অর্থাৎ মুজিযা প্রসংগ,
কিতাবুল ফিতান, বাব ২৫; কিতাবুল সুরতদ্দীন, ৰাব ৮, মুসলিম ৷ কিতাবুল ফিতান, ৰাব ৪, হাদীস নং
১ ৭; মুসনৃাদে ইমাম আহমাদ, ২খ , ৩১৩ পৃ ৷
عَلَيْهِ وَسَلَامُهُ، بِتَسْمِيَةِ الْفَرِيقَيْنِ مُسْلِمِينَ، كَمَا سَنُورِدُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَقَدْ ذُكِرَ أَنَّ عَمَّارًا لَمَّا قُتِلَ قَالَ عَلِيٌّ لِرَبِيعَةَ وَهَمْدَانَ: أَنْتُمْ دِرْعِي وَرُمْحِي. فَانْتُدِبَ لَهُ نَحْوٌ مِنَ اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا، وَتَقَدَّمَهُمْ عَلَى بَغْلَتِهِ فَحَمَلَ وَحَمَلُوا مَعَهُ حَمْلَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، فَلَمْ يَبْقَ لِأَهْلِ الشَّامِ صَفٌّ إِلَّا انْتَقَضَ، وَقَتَلُوا كُلَّ مَنِ انْتَهَوْا إِلَيْهِ، حَتَّى بَلَغُوا مُعَاوِيَةَ، وَعَلِيٌّ يُقَاتِلُ وَيَقُولُ:
أَضْرِبُهُمْ وَلَا أَرَى مُعَاوِيَةْ ... الْجَاحِظَ الْعَيْنِ الْعَظِيمَ الْحَاوِيَةْ
قَالَ ثُمَّ دَعَا عَلِىٌّ مُعَاوِيَةَ إِلَى أَنْ يُبَارِزَهُ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ أَنْ يَبْرُزَ إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: إِنَّكَ لَتَعْلَمُ أَنَّهُ لَمْ يُبَارِزْهُ رَجُلٌ قَطُّ إِلَّا قَتَلَهُ، وَلَكِنَّكَ طَمِعْتَ فِيهَا بَعْدِي. ثُمَّ قَدَّمَ عَلِيٌّ ابْنَهُ مُحَمَّدًا فِي عِصَابَةٍ كَثِيرَةٍ مِنَ النَّاسِ، فَقَاتَلُوهُ قِتَالًا شَدِيدًا، ثُمَّ أَتْبَعَهُ عَلِيٌّ فِي عِصَابَةٍ أُخْرَى فَحَمَلَ بِهِمْ، فَقَتَلَ فِي هَذَا الْمَوْطِنِ خَلْقًا كَثِيرًا أَيْضًا، وَقُتِلَ مِنَ الْعِرَاقِيِّينَ خَلْقٌ كَثِيرٌ أَيْضًا، وَطَارَتْ أَكُفٌّ وَمَعَاصِمُ وَرُءُوسٌ عَنْ كَوَاهِلِهَا - رَحِمَهُمُ اللَّهُ - ثُمَّ حَانَتْ صَلَاةُ الْمَغْرِبِ، فَمَا صَلَّى بِالنَّاسِ إِلَّا إِيمَاءً ; صَلَاتَيِ الْعِشَاءِ، وَاسْتَمَرَّ الْقِتَالُ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ كُلِّهَا
পৃষ্ঠা - ৬০৩৬
وَهِيَ مِنْ أَعْظَمِ اللَّيَالِي شَرًّا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، وَتُسَمَّى هَذِهِ اللَّيْلَةُ لَيْلَةَ الْهَرِيرِ. وَكَانَتْ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ تَقَصَّفَتْ فِيهَا الرِّمَاحُ وَنَفَدَتِ النِّبَالُ، وَصَارَ النَّاسُ إِلَى السُّيُوفِ وَعَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يُحَرِّضُ الْقَبَائِلَ، وَيَتَقَدَّمُ إِلَيْهِمْ، يَأْمُرُ بِالصَّبْرِ وَالثَّبَاتِ وَهُوَ أَمَامَ النَّاسِ فِي قَلْبِ الْجَيْشِ، وَعَلَى الْمَيْمَنَةِ الْأَشْتَرُ النَّخَعِيُّ، تَوَلَّاهَا بَعْدَ قَتْلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُدَيْلٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ، عَشِيَّةَ الْخَمِيسِ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَالنَّاسُ يَقْتَتِلُونَ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، وَذَلِكَ لَمَّا قُتِلَ عَمَّارٌ، عَرَفَ أَهْلُ الْعِرَاقِ أَنَّ أَهْلَ الشَّامِ بُغَاةٌ لَيْسَ مَعَهُمْ حَقٌّ.
وَذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَاءِ السِّيَرِ، أَنَّهُمُ اقْتَتَلُوا بِالرِّمَاحِ حَتَّى تَقَصَّفَتْ، وَبِالنِّبَالِ حَتَّى فَنِيَتْ، وَبِالسُّيُوفِ حَتَّى تَحَطَّمَتْ، ثُمَّ صَارُوا إِلَى أَنْ تَقَاتَلُوا بِالْأَيْدِي، وَالرَّمْيِ بِالْحِجَارَةِ، وَالتُّرَابِ يَعْفِرُونَهُ فِي الْوُجُوهِ، ثُمَّ تَعَاضُّوا بِالْأَسْنَانِ، فَكَانَ يَقْتَتِلُ الرَّجُلَانِ حَتَّى يُثْخِنَا ثُمَّ يَجْلِسَانِ يَسْتَرِيحَانِ، وَكُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا يَهْمِزُ عَلَى الْآخَرِ وَيَهِرُّ عَلَيْهِ، ثُمَّ يَقُومَانِ فَيَقْتَتِلَانِ كَمَا كَانَا،