قصة موسى الكليم عليه الصلاة والسلام
تحريض فرعون على قتل موسى وإسلام السحرة
পৃষ্ঠা - ৫৯৬
৩ারাবলল৪ ;াদ্বুহুা৷দ্বু :৷ ,এ্শু ,,০,ন্ ৷ ১ ৷০া০০০০ৰু ৷ ৰু০হুদ্বু০ওঠু ত্বে’০০ঠু০০০ এা; ৷
অর্থাৎ আপনি কি মুসা ওত পর সম্প্রদায়কে রড়াজেদ্র বিপর্যয় সৃষ্টি করতে এবং আপনাকে
ও আপনার দেবতাগণকে বর্জন করতে দেবেনঃ’ (আ রাফ৪ ১২৭) একক লা শরীক আল্লাহ
তাআলার ইবাদতের প্রতি আহ্বান করা এবং আল্লাহ তাআলা ব্যতীত অন্যের ইবাদত থেকে
নিষেধ করাকে তারা বিপর্যয় সৃষ্টি বলে আখ্যায়িত করেছে ৷ আবার কেউ কেউ বলেন,
অড়ায়াতাৎশের অর্থ হচ্ছে, আপনি কি মুসা ও তার সম্প্রদায়কে রাজে৷ বিপর্যয় সৃষ্টি করতে এবং
আপনাকে ও আপনার ইবাদতকে বর্জন করতে দেবেন?’ দু’টি অর্থেরই এখানে সম্ভাবনা রয়েছে ৷
তার একটি হচ্ছে, যে আপনার ধর্মকে বর্জন করে চলে আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে যে আপনার
ইবাদত বর্জন করে ৷ শেষোক্ত সম্ভড়াবনাটির কথা এজন্যই বলা হয়ে থাকে যে, তারা তাকে
উপাস্য বলেও ধারণা করত ৷ তার প্রতি আল্লাহর লানত ৷
সে (ফিরআউন) বলল, আমরা তাদের পুত্রদের হত্যা করব এবং নারীদেরকে জীবিত
রাখব’ অর্থাৎ যাতে তাদের মধ্যে যােদ্ধার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে না পারে ৷ আমরা তাদের উপর
সর্বদা প্রভাবশালী থাকর ৷’ অর্থাৎ বিজয়ীরুপে থাকর ৷ তখন মুসা (আ) তার সম্প্রদায়কে
বললেন, আল্লাহ তাআলার নিকট সাহায্য প্রার্থনা কর এবং ধৈর্যধারণ কর ৷ অর্থাৎ যখন তারা
তোমাদেরকে দুঃখ-কষ্ট দিতে উদ্যত, তখন তোমরা তোমাদের প্ৰতিপালকের কাছে সাহায্যের
প্রার্থাং৷ কর এবং তোমাদের দুঃখ-কষ্টে তোমরা ধৈর্যধ্ড়ারণ কর ৷ জেনে ব্লেখো, এই পৃথিবীর
মালিক একমাত্র আল্লাহ তাআলা, তিনি তার বান্দাদের মধ্য হতে যাকে চান এই পৃথিবীর
উত্তরাধিকারী করেন ৷ তবে শেষ শুভ পরিণতি মুত্তার্কীদের জন্যেই ৷ সুতরাং তোমরা মুত্তাকী
হতে সচেষ্ট হও যাতে তোমাদের পরিণাম শুভ হয় ৷
যেমন আল্লাহ তা জানা অন্য আয়াতে ইরশাদ করেন০ ং
ক্রো সৌং
অর্থাৎ মুসা (আ) বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! যদি তোমরা আল্লাহ্তে ঈমান এনে
থাক, যদি তোমরা আত্মসমর্পণকারী হও তবে তোমরা তারই উপর নির্ভর কর ৷ তারপর তারা
বলল, আমরা আল্লাহর উপর নির্ভর করলাম ৷ হে আমাদের প্ৰতিপালক৷ আমাদেরকে জালিম
সম্প্রদায়ের উৎপীড়নের পাত্র করো না এবং আমাদেরকে তোমার অনুগ্রহে কাফির সম্প্রদায় হতে
রক্ষা করা (সুরা ইউনুসং ৮৪, ৮৫, ৮৬)
আয়াতাংশ অর্থ
হচ্ছে, হে মুসা! তোমার আগমনের পুর্বে আমাদের পুত্র সন্তানদের হত্যা করা হতো এবং
তোমার আগমনের পরেও আমাদের পুত্র-সত্তানদের হত্যা করা হচ্ছে ৷ মুসা (আ) তাদেরকে
বললেন, অতি শীঘ্রই তোমাদের প্ৰতিপালক তোমাদের শত্রুকে ধ্বংস করে দেবেন এবং
তোমাদেরকে যমীনে তাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন ৷’
أَيْ; مَا اجْتَرَمْنَاهُ مِنَ الْمَآثِمِ وَالْمَحَارِمِ أَنْ كُنَّا أَوَّلَ الْمُؤْمِنِينَ أَيْ; مِنَ الْقِبْطِ، بِمُوسَى وَهَارُونَ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ. وَقَالُوا لَهُ أَيْضًا: {وَمَا تَنْقِمُ مِنَّا إِلَّا أَنْ آمَنَّا بِآيَاتِ رَبِّنَا لَمَّا جَاءَتْنَا} [الأعراف: 126] أَيْ لَيْسَ لَنَا عِنْدَكَ ذَنْبٌ إِلَّا إِيمَانُنَا بِمَا جَاءَنَا بِهِ رَسُولُنَا، وَاتِّبَاعُنَا آيَاتِ رَبِّنَا لَمَّا جَاءَتْنَا، {رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا} [الأعراف: 126] أَيْ; ثَبِّتْنَا عَلَى مَا ابْتُلِينَا بِهِ مِنْ عُقُوبَةِ هَذَا الْجَبَّارِ الْعَنِيدِ، وَالسُّلْطَانِ الشَّدِيدِ، بَلِ الشَّيْطَانِ الْمَرِيدِ، وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ وَقَالُوا أَيْضًا يَعِظُونَهُ وَيُخَوِّفُونَهُ بِأْسَ رَبِّهِ الْعَظِيمِ: {إِنَّهُ مَنْ يَأْتِ رَبَّهُ مُجْرِمًا فَإِنَّ لَهُ جَهَنَّمَ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيَا} [طه: 74] يَقُولُونَ لَهُ: فَإِيَّاكَ أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ فَكَانَ مِنْهُمْ. {وَمَنْ يَأْتِهِ مُؤْمِنًا قَدْ عَمِلَ الصَّالِحَاتِ فَأُولَئِكَ لَهُمُ الدَّرَجَاتُ الْعُلَا} [طه: 75] أَيِ; الْمَنَازِلُ الْعَالِيَةُ {جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ جَزَاءُ مَنْ تَزَكَّى} [طه: 76] فَاحْرِصْ أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ. فَحَالَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ ذَلِكَ الْأَقْدَارُ الَّتِي لَا تُغَالَبُ، وَلَا تُمَانَعُ وَحُكْمُ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ بِأَنَّ فِرْعَوْنَ، لَعَنَهُ اللَّهُ، مِنْ أَهْلِ الْجَحِيمِ، لِيُبَاشِرَ الْعَذَابَ الْأَلِيمَ، يَصُبُّ مِنْ فَوْقِ رَأْسِهِ الْحَمِيمُ. وَيُقَالُ لَهُ، عَلَى وَجْهِ التَّقْرِيعِ وَالتَّوْبِيخِ، وَهُوَ الْمَقْبُوحُ الْمَنْبُوحُ، الذَّمِيمُ اللَّئِيمُ: {ذُقْ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْكَرِيمُ} [الدخان: 49] .
[الدُّخَانِ: 49] . وَالظَّاهِرُ مِنْ هَذِهِ السِّيَاقَاتِ أَنَّ فِرْعَوْنَ، لَعَنَهُ اللَّهُ، صَلَبَهُمْ وَعَذَّبَهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، وَعُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ: كَانُوا مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ سَحَرَةً، فَصَارُوا مِنْ آخِرِهِ شُهَدَاءَ بَرَرَةً. وَيُؤَيِّدُ هَذَا قَوْلُهُمْ: {رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ} [الأعراف: 126] .
[تَحْرِيضُ فِرْعَوْنَ عَلَى قَتْلِ مُوسَى وَإِسْلَامُ السَّحَرَةِ]
فَصْلٌ
পৃষ্ঠা - ৫৯৭
আল্লাহ তাআলা সুরা মুমিনে ইরশাদ করেন০ :
?
র্চুঠুর্মী১র্বুর্দু £ ৷প্রুা৷ঘ্র এে,ঞের্চু
অর্থাৎ-আমি আমার নিদর্শন ও স্পষ্ট প্ৰমাণসহ মুসা (আ)-কে প্রেরণ করেছিলাম
ফিরআউন, হামান ও কারুণের নিকট কিভু তারা বলেছিল, এতে৷ এক জাদুকর, চরম
মিথ্যাবাদী ৷ ’ (সুরা মুমিন : ২৩-২৪ )
ফিরআউন ছিল রাজা, হামান ছিল তার মত্রী এবং কারুণ ছিল মুসা (আ)-এর সম্প্রদায়ের
একজন ইহুদী কিন্তু সে ছিল ফিরআউন ও তার অমাত্যদের ধর্মের অনুসারী, সে ছিল প্রচুর
ধন-সম্পদের মালিক ৷ তার ঘটনা পরে সবিস্তারে বর্ণনা করা হবে ৷
অন্য আয়াতে আল্লাহ তা আলা উল্লেখ করেন :
াৰুএে
৷ §
অর্থাৎ-অতঃপর মুসা আমার নিকট থেকে সত্য নিয়ে তাদের নিকট উপস্থিত হলে তারা
বলল, মুসার সাথে যারা ঈমান আনয়ন করেছে, তাদের পুত্রদের হত্যা কর এবং তাদের
নারীদেরকে জীবিত রাখ ৷ কিন্তু কাফিরদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবেই ৷ (সুরা মুমিন : ২৫)
মুসা (আ)-এর নবুওত প্রাপ্তির পর পুরুষদের হত্যার উদ্দেশ্য ছিল, বনী ইসরাঈলকে
লাঞ্ছিত ও অপমানিত করা এবং তাদের কর্মক্ষমদের সংখ্যা হ্রাস করা যাতে তাদের শান-শওকত
লোপ পেয়ে যায় এবং তাদের কোন প্রতিপত্তিই অবশিষ্ট না থাকে ৷ আর তারা যেন কিবভীদের
বিরুদ্ধে কোন সময় মাথা উচু করে র্দাড়াতে না পারে এবং কিবতীদেরকে তারা প্রতিহত না
করতে পারে ৷ অন্যদিকে কিবতীরা অবশ্য তাদেরকে যমের মত ভয় করত ৷ তবে এতে তাদের
কোন লাভ হয়নি এবং তাদের ভাণ্যলিপি যা আল্লাহ তাআলার মহাহুকুম ৰুকু এর মাধ্যমে
সংঘটিত হয়ে থাকে তা তারা রদ করতে পারেনি ৷
ফিরআউন বলতে লাগল :
অর্থাৎ “আমাকে ছেড়ে দাও আমি মুসাকে হত্যা করি এবং সে৩ তার প্রতিপালকের
শরণাপন্ন হউক ৷ আমি আশংকা করি যে, সে তোমাদের দীনের পরিবর্ত্য৷ ঘটাবে অথবা সে
পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে ৷” (সুরা মুমিন : ২৬)
এ জন্যই জনগণ ঠাট্টার ছলে বলত, ফিরআউন নির্দেশদাতা হয়ে গেছে ৷ কেননা
ফিরআউন তার ধারণায় জনগণকে ভয় দেখাত যেন মুসা (আ) তাদেরকে পথভ্রষ্ট করতে না
পারে ৷ আল্লাহ বলেন :
وَلَمَّا وَقَعَ مَا وَقَعَ مِنَ الْأَمْرِ الْعَظِيمِ، وَهُوَ الْغَلَبُ الَّذِي غُلِبَهُ فِرْعَوْنُ وَقَوْمُهُ مِنَ الْقِبْطِ فِي ذَلِكَ الْمَوْقِفِ الْهَائِلِ، وَأَسْلَمَ السَّحَرَةُ، الَّذِينَ اسْتَنْصَرُوا رَبَّهُمْ لَمْ يَزِدْهُمْ ذَلِكَ إِلَّا كُفْرًا وَعِنَادًا وَبُعْدًا عَنِ الْحَقِّ.
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى، بَعْدَ قَصَصِ مَا تَقَدَّمَ فِي سُورَةِ " الْأَعْرَافِ ": {وَقَالَ الْمَلَأُ مِنْ قَوْمِ فِرْعَوْنَ أَتَذَرُ مُوسَى وَقَوْمَهُ لِيُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ وَيَذَرَكَ وَآلِهَتَكَ قَالَ سَنُقَتِّلُ أَبْنَاءَهُمْ وَنَسْتَحْيِي نِسَاءَهُمْ وَإِنَّا فَوْقَهُمْ قَاهِرُونَ - قَالَ مُوسَى لِقَوْمِهِ اسْتَعِينُوا بِاللَّهِ وَاصْبِرُوا إِنَّ الْأَرْضَ لِلَّهِ يُورِثُهَا مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ - قَالُوا أُوذِينَا مِنْ قَبْلِ أَنْ تَأْتِيَنَا وَمِنْ بَعْدِ مَا جِئْتَنَا قَالَ عَسَى رَبُّكُمْ أَنْ يُهْلِكَ عَدُوَّكُمْ وَيَسْتَخْلِفَكُمْ فِي الْأَرْضِ فَيَنْظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُونَ} [الأعراف: 127 - 129]
[الْأَعْرَافِ: 127 - 129] . يُخْبِرُ تَعَالَى عَنِ الْمَلَأِ مِنْ قَوْمِ فِرْعَوْنَ، وَهُمُ الْأُمَرَاءُ وَالْكُبَرَاءُ، أَنَّهُمْ حَرَّضُوا مِلَكَهُمْ فِرْعَوْنَ عَلَى أَذِيَّةِ نَبِيِّ اللَّهِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَمُقَابَلَتِهِ - بَدَلَ التَّصْدِيقِ بِمَا جَاءَ بِهِ - بِالْكُفْرِ وَالرَّدِّ وَالْأَذَى، فَقَالُوا {أَتَذَرُ مُوسَى وَقَوْمَهُ لِيُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ وَيَذَرَكَ وَآلِهَتَكَ} [الأعراف: 127] يَعْنُونَ، قَبَّحَهُمُ اللَّهُ، أَنَّ دَعْوَتَهُ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَالنَّهْيَ عَنْ عِبَادَةِ مَا سِوَاهُ فَسَادٌ بِالنِّسْبَةِ إِلَى اعْتِقَادِ الْقِبْطِ، لَعَنَهُمُ اللَّهُ. وَقَرَأَ بَعْضُهُمْ:
পৃষ্ঠা - ৫৯৮
অর্থাৎ-মুসা বলল, যারা বিচার দিবসে বিশ্বাস করে না, সেই সকল উদ্ধত ব্যক্তি থেকে
আমি আমার ও তোমাদের প্রতিপালকের শরণাপন্ন হয়েছি ৷ (সুরা ঘুমিন : ২৭)
অর্থাৎ আমি আল্লাহ তাআলার শাহী দরবারের শরণাপন্ন হচ্ছি যাতে ফিরআউন ও অন্যরা
আমার প্রতি অনিষ্টের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করতে না পারে , তারা এতই উদ্ধত যে, তারা আমার
প্রতি কােনরুপ ভ্রাক্ষেপই করে না এবং আল্লাহ তাঅড়ালার আমার ও গযবকে ভয় করে না;
কেননা তারা আখিরাতে ও হিসাব-নিকাশে বিশ্বাস রাখে না ৷
অতঃপর আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন :
া
গ্রার্দুএ-ণ্ং এ এত্রৈ
(,;
া
,অর্থাৎ-ফিরআউন বংশের এক ব্যক্তি যে মু’মিন ছিল এবং নিজ ঈমান গোপন রাখত;
বললেন, তোমরা কি এক ব্যক্তিকে এ জন্য হত্যা করবে যে, সে বলে, আমার প্ৰতিপালক
আল্লাহ, অথচ সে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ তোমাদের নিকট
এসেছেঃ সে মিথ্যাবাদী হলে তার মিথ্যাবাদিতার জন্যে সে দায়ী হবে আর যদি সে সতবােদী
হয়, সে তোমাদেরকে যে শাস্তির কথা বলে, তার কিছু তো তোমাদের উপর আপতিত হবেই ৷
নিশ্চয় আল্লাহ সীমালৎঘনকারী ও মিথ্যাবাদীকে সৎপথে পরিচালিত করেন না ৷ হে আমার
সম্প্রদায় ! আজ কর্তৃত্ব তোমাদের, দেশে তোমরাই প্রবল; কিন্তু আমাদের উপর আল্লাহর শাস্তি
এসে পড়লে কে আমাদেরকে সাহায্য করবো ফিরআউন বলল, “আমি যা বুঝি আমি তোমাদের
তাই বলছি ৷ আমি তোমাদের কেবল সৎপথই দেখিয়ে থাকি ৷ ’ (সুরা মুমিন ২৮-২৯ )
উপরোক্ত ব্যক্তিটি ফিরআউনের চাচাতাে ভাই ছিল ৷ সে তার সম্প্রদায়ের কাছে ঈমান
গোপন রাখত ৷ কেননা, সে তাদের তরফ থেকে তার জীবন নাশের ভয় করত ৷ কেউ কেউ
বলেন, এ লোকটি ছিল ইসরাঈলী ৷ এই অভিমতটি শুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা অতম্ভে ক্ষীণ এবং
পুর্বাপরের সাথে শব্দ ও অর্থের দিক দিয়ে তার কোন মিল নেই ৷ আল্লাহ তাআলাই অধিক
জ্ঞাত ৷ ,
ইবন জুরায়জ (র) ইবন আব্বাস (রা)-এর বরাতে বলেন, এই লোকটি এবং যে লোকটি
শহরের শেষ প্রান্ত থেকে এসেছিলেন তিনি এবং ফিরআউনের শ্রী ব্যতীত কিবতীদের মধ্যকার
অন্য কেউ মুসা (আ)-এর প্রতি ঈমান আনয়ন করেনি ৷ বর্ণনাঢি ইবন হাতিমের ৷ দারাকুতনী
" وَيَذَرَكَ وَإِلَاهَتَكَ " أَيْ ; وَعِبَادَتَكَ. وَيَحْتَمِلُ شَيْئَيْنِ ; أَحَدُهُمَا وَيَذْرُ دِينَكَ. وَتُقَوِّيهِ الْقِرَاءَةُ الْأُخْرَى. الثَّانِي، وَيَذَرُ أَنْ يَعْبُدَكَ، فَإِنَّهُ كَانَ يَزْعُمُ أَنَّهُ إِلَهٌ، لَعَنَهُ اللَّهُ {قَالَ سَنُقَتِّلُ أَبْنَاءَهُمْ وَنَسْتَحْيِي نِسَاءَهُمْ} [الأعراف: 127] أَيْ ; لِئَلَّا تَكْثُرَ مُقَاتِلَتُهُمْ {وَإِنَّا فَوْقَهُمْ قَاهِرُونَ} [الأعراف: 127] أَيْ ; غَالِبُونَ {قَالَ مُوسَى لِقَوْمِهِ اسْتَعِينُوا بِاللَّهِ وَاصْبِرُوا إِنَّ الْأَرْضَ لِلَّهِ يُورِثُهَا مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ} [الأعراف: 128] أَيْ ; إِذَا هَمُّوا هُمْ بِأَذِيَّتِكُمْ وَالْفَتْكِ بِكُمْ فَاسْتَعِينُوا أَنْتُمْ بِرَبِّكُمْ، وَاصْبِرُوا عَلَى بَلِيَّتِكُمْ، {إِنَّ الْأَرْضَ لِلَّهِ يُورِثُهَا مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ} [الأعراف: 128] أَيْ ; فَكُونُوا أَنْتُمْ مِنَ الْمُتَّقِينَ ; لِتَكُونَ لَكُمُ الْعَاقِبَةُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: {وَقَالَ مُوسَى يَا قَوْمِ إِنْ كُنْتُمْ آمَنْتُمْ بِاللَّهِ فَعَلَيْهِ تَوَكَّلُوا إِنْ كُنْتُمْ مُسْلِمِينَ - فَقَالُوا عَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْنَا رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ - وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ} [يونس: 84 - 86]
[يُونُسَ: 84 - 86] . وَقَوْلُهُمْ: {أُوذِينَا مِنْ قَبْلِ أَنْ تَأْتِيَنَا وَمِنْ بَعْدِ مَا جِئْتَنَا} [الأعراف: 129] أَيْ ; قَدْ كَانَتِ الْأَبْنَاءُ تُقْتَلُ قَبْلَ مَجِيئِكَ، وَبَعْدَ مَجِيئِكَ إِلَيْنَا {قَالَ عَسَى رَبُّكُمْ أَنْ يُهْلِكَ عَدُوَّكُمْ وَيَسْتَخْلِفَكُمْ فِي الْأَرْضِ فَيَنْظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُونَ} [الأعراف: 129] وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي سُورَةِ " حم الْمُؤْمِنِ ": {وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَى بِآيَاتِنَا وَسُلْطَانٍ مُبِينٍ - إِلَى فِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَقَارُونَ فَقَالُوا سَاحِرٌ كَذَّابٌ} [غافر: 23 - 24]
[غَافِرٍ: 23، 24] . وَكَانَ فِرْعَوْنُ الْمَلِكَ، وَهَامَانُ الْوَزِيرَ، وَكَانَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৯
(র) বলেছেন, শাম আন নামে ফিরআউন বংশের উক্ত মুমিন ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কারো কথা
জানা যায় না ৷ সুহড়াইলী এরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তাবারানী (র) তার ইতিহাস গ্রন্থে তার নাম
খইির বলে উল্লেখ করেছেন ৷ আল্লাহ ডাআলাই অধিকতর জ্ঞাত ৷ মুলত এই ব্যক্তিটি তার
ঈমান গোপন রেখেছিলেন ৷ যখন ফিরআউন মুসা (আ)-কে হত্যা করার ইছে করল এবং এই
ব্যাপারে দৃঢ় সংকর হল , তখন সে তার আমীরদের সাথে এ ব্যাপারে পরামর্শ করল ৷ মুমিন
বান্দাটি মুসা (আ) এর ব্যাপারে শস্কিত হয়ে পড়লেন ৷ তাই তিনি ফিরআউনকে
উৎসাহ-উদ্দীপনা ও তয়ভীতিপুর্ণ কথাবার্তা দ্বারা সুকৌশলে এ কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা
করলেন ৷ তিনি তাকে সৎপরামর্শ স্বরুপ এবং যাতে সেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে এ জন্য
তার সাথে কথা বললেন ৷
রাসুসুল্লাহ (সা) থেকে হাদীস বর্ণিত রয়েছে ৷ তিনি বলেছেন :
ছোা
অর্থাত্ অত্যাচারী শাসকের সম্মুখে ন্যায় কথা বলা সর্বোত্তম জিহাদ ৷ আর এখানে এটার
মর্যাদা আরো অধিক ৷ কেননা, ফিরআউন হিল সর্বাধিক অত্যাচারী ৷ আর মুমিন বান্দার বক্তব্য
ছিল অত্যধিক ন্যায়তিত্তিক ৷ কেননা, এর উদ্দেশ্য ছিল নবীকে নিরাপদ রাখা ৷ আবার এটাও
সম্বাবনা রয়েছে যে, তিনি তাদের কাছে নিজের গোপন ঈমানকে প্রকাশ করতেই চেয়েছিলেন ৷
তবে প্রথম সম্ভাবনাই অধিকতর স্পষ্ট ৷ আল্লাহ তাআলাই সম্যক জ্ঞাত ৷ তিনি বললেন, “হে
ফিরআউনা আপনি কি এমন একটি লোককে হত্যা করতে যাচ্ছেন যে বলে যে , তার প্রতিপালক
আল্লাহ তাআলা! এ ধরনের কথা বা দাবির প্রতিশোধ অবজ্ঞা ও লাষ্কৃনা-পঞ্জনা হয় না ৷ এ
ধরনের কথা যারা বলেন বা স্বীকার করেন তাদের সমান ও ইজ্জত করতে হয়; তাদের সাথে
ভদ্র ব্যবহার করতে হয় ৷ তাদের কোন কাজের প্ৰতিশোধ্ নিতে হয় না ৷ কেননা, তিনি
আপনাদের কাছে আপন প্রতিপড়ালকের নিকট থেকে সুস্পষ্ট নিদর্শন তথা মুজিযা নিয়ে এসেছেন;
যা তার সত্যতা প্রমাণ করে ৷ কাজেই যদি আপনারা তাকে তার কাজ চালিয়ে যেতে দেন
তাহলে আপনারা নিরাপদ থাকবেন ৷ কেননা, যদি তিনি মিণ্যাৰাদী হয়ে থাকেন, তাহলে এই
মিথ্যার দায়দায়িভু তার উপরেই বর্তাবে; এতে আপনাদের কোন ক্ষতি হবার আশংকা
একেবারেই নেই ৷ আর যদি তিনি সত্যৰাদী হয়ে থাকেন (আর আসলেও ভাই) এবং আপনারা
তার বিরোধিতা করেন, তাহলে আপনাদের উপর ঐসব মুসীবতের কিয়দংশ অবতীর্ণ হবে
যেগুলো আপনাদের উপর অবতীর্ণ হবে বলে তিনি সতর্ক করছেন ৷ আপনারা ঐসব আযাবের
কিয়দংশ অবতীর্ণ হওয়ার আশংকায় ভীত-সস্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন ৷ আর যদি ঐসব শাস্তির
সবগুলো অবতীর্ণ হয় তাহলে আপনাদের অবস্থা কিরুপ হবো সেই অবস্থায় ফিরআউনের প্রতি
মুমিন বড়ান্দার এরুপ উপদেশ প্রদান তার উশ্চমার্পের বুদ্ধিমত্তা, কর্মকুশলতা ও সতর্কতার
পরিচায়ক ৷
৩
অতঃপর তার উক্তি দ্বারা তিনি
তার সম্প্রদায়ের লোকজনদের সতর্ক করে দিলেন যে , তাদের এই গ্ৰাণপ্রিয় রাজ্য শীঘ্রই হরণ
করে নেয়া হবে ৷ কেননা, যে কোন বাদশাহ বা রাজা যদি ধর্মের বিরোধিতা করে তাহলে তাদের
আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খ্যাঃপ্া৷ইিট্রুষ্ট্যম্যাল্গুগাে০ওেপ্নে
قَارُونُ إِسْرَائِيلِيًّا مِنْ قَوْمِ مُوسَى، إِلَّا أَنَّهُ كَانَ عَلَى دِينِ فِرْعَوْنَ وَمَلَئِهِ، وَكَانَ ذَا مَالٍ جَزِيلٍ جِدًّا، كَمَا سَتَأْتِي قِصَّتُهُ فِيمَا بَعْدُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
{فَلَمَّا جَاءَهُمْ بِالْحَقِّ مِنْ عِنْدِنَا قَالُوا اقْتُلُوا أَبْنَاءَ الَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ وَاسْتَحْيُوا نِسَاءَهُمْ وَمَا كَيْدُ الْكَافِرِينَ إِلَّا فِي ضَلَالٍ} [غافر: 25] . وَهَذَا الْقَتْلُ لِلْغِلْمَانِ، مِنْ بَعْدِ بَعْثَةِ مُوسَى، إِنَّمَا كَانَ عَلَى وَجْهِ الْإِهَانَةِ وَالْإِذْلَالِ، وَالتَّقْلِيلِ لِمَلَأِ بَنِي إِسْرَائِيلَ ; لِئَلَّا تَكُونَ لَهُمْ شَوْكَةٌ يَمْتَنِعُونَ بِهَا أَوْ يَصُولُونَ عَلَى الْقِبْطِ بِسَبَبِهَا، وَكَانَتِ الْقِبْطُ مِنْهُمْ يَحْذَرُونَ، فَلَمْ يَنْفَعْهُمْ ذَلِكَ ; وَلَمْ يَرُدَّ عَنْهُمْ قَدَرَ الَّذِي يَقُولُ لِلشَّيْءِ: كُنْ. فَيَكُونُ. {وَقَالَ فِرْعَوْنُ ذَرُونِي أَقْتُلْ مُوسَى وَلْيَدْعُ رَبَّهُ إِنِّي أَخَافُ أَنْ يُبَدِّلَ دِينَكُمْ أَوْ أَنْ يُظْهِرَ فِي الْأَرْضِ الْفَسَادَ} [غافر: 26] . وَلِهَذَا يَقُولُ النَّاسُ عَلَى سَبِيلِ التَّهَكُّمِ: صَارَ فِرْعَوْنُ مُذَكِّرًا. وَهَذَا مِنْهُ، فَإِنَّ فِرْعَوْنَ فِي زَعْمِهِ يَخَافُ عَلَى النَّاسِ أَنْ يُضِلَّهُمْ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ. {وَقَالَ مُوسَى إِنِّي عُذْتُ بِرَبِّي وَرَبِّكُمْ مِنْ كُلِّ مُتَكَبِّرٍ لَا يُؤْمِنُ بِيَوْمِ الْحِسَابِ} [غافر: 27] . أَيْ ; عُذْتُ بِاللَّهِ، وَلَجَأْتُ إِلَيْهِ وَاسْتَجَرْتُ بِجَنَابِهِ مِنْ أَنْ يَسْطُوَ فِرْعَوْنُ أَوْ غَيْرُهُ عَلَيَّ بِسُوءٍ. وَقَوْلُهُ: {مِنْ كُلِّ مُتَكَبِّرٍ} [غافر: 27] أَيْ ; جَبَّارٍ عَنِيدٍ، لَا يَرْعَوِي وَلَا
পৃষ্ঠা - ৬০০
রাজ্য হরণ করে নেয়া হয় এবং তাদেরকে সম্মান প্রদানের পর লাঞ্ছিত করা হয় যা ফিরআউনেব
সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে ঘটেছে ৷
অতঃপর মুসা (আ) যা কিছু নিয়ে এসেছিলেন এ সম্পর্কে ফিবআউনের অনুসারীরা সন্দেহ
পোষণ, বিরোধিতা ও বৈরীভাব পোষণ করায় তাদেরকে আল্লাহ তাআলা তাদের ঘরবাড়ি,
সহায় সম্পদ, বিত্তবৈভব, রাজতু ও সৌভাণ্য থেকে বহিষ্কার করলেন এবং লাঞ্ছিত ও অপমানিত
করে তাদেরকে সাগরের দিকে ঠেলে দেয়া হলো; আর তাদেরকে উচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দানের
পর তাদের কর্মফলের দরুন তাদের রুহসমুহকে হীনতাগ্রস্তদের হীনত ম পর্যায়ে অধ৪পতিত করা
হয় ৷ এ জন্যই প্রা জ্ঞ, আপন সম্প্রদায়ের পরম শুভাক ৷ভকী সত্যের অনুসা ৷রী, স৩ বােদী পুণ্যবান
ও হিদায়াত প্রাপ্ত মুমিন বান্দাটি বললেন, হে আমার সম্প্রদায় ৷ আজ কর্তৃত্ব তোমাদের ,
জনগণের মধ্যে তোমরা অধিক মর্য্যদাসম্পন্ন এবং তাদের উপর তোমরা শাসন চালিয়ে যাচ্ছ,
তোমরা সংখ্যায়, সামর্থো, শক্তিতে ও দৃঢ়তায় যদি ব৩ মানের চেয়ে অধিক গুণে ৷প্রতিপত্তি অর্জন
করতে পার তাহলেও এটা আমাদের কোন উপকাংর আসবে না এবং আহকামুল হাকিমীন
আল্লাহ তাআলার আযাবকে আমাদের থেকে প্রতিহত করতে পারবে না ৷ জবাবে ফিরআউন
বলল, আমি যা বুঝি, আমি তাই তোমাদের বলছি, আমি৫ তামাদের কেবল সৎপথই প্রদর্শন
করে থাকি’ ৷ উপরোক্ত দুটি বাক্যেই ফিরআউন ছিল মিথ্যাবাদী ৷ কেননা, অন্তরের অন্তস্থল
থােক সে উপলব্ধি করত যে, মুসা (আ) এর আনীত বিষয়াদি নিশ্চিত ভা ৷বে আল্লাহ তাঅ ৷লার
তরফ থেকেই ৷৩ তবে সে হঠকারিতা, শত্রুতা, সীমালংঘন ও কুফরীর কারণে মুখে এর বিপরীত
প্রকাশ করত ৷
আল্লাহ তা আলা মুসা (আ) এর উক্তির বিবরণ দিয়ে ইরশাদ করেন০ :
চ
ড্রু)ংএ
;fl
ৰুপ্রু০
র্দুব্র০ট্রুএে ণ্ছুট্রু ৷
অর্থাৎ-“তুমি অবশ্যই অবগত আছ যে, এ সমস্ত স্পষ্ট নিদর্শন, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর
প্ৰতিপালকই অবতীর্ণ করেছেন প্রত্যক্ষ প্রমাণস্বরুপ ৷ হে ফিরআউন আমি তাে দেখছি তোমার
ধ্বংস আসন্ন ৷ তারপর ফিরআ উন তাদেরকে দেশ হতে উচ্ছেদ করার সংকল্প করল, তখন আমি
ফিরআউন ও তার সঙ্গীদের সকলকে ডুবিয়ে দিলাম ৷ এরপর আমি বনী ইসরাঈলকে বললাম ,
তোমরা যমীনে বসবাস কর এবং যখন কিয়ামতের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে তখন তোমাদের
সকলকে আমি একত্র করে উপস্থিত করব ৷” (সুরা বনী ইসরাঈল : ১ : ২ ১ : : )
অন্যত্র আল্লাহ তা অ ৷লদ্বু ইরশাদ করেন :
ঢ় ণ্ধ্
র্তু,, ৷ দ্বুৰুৰু০পু:হু,
ণ্ড্রশ্রো ৷ é ৷
يَنْتَهِي، وَلَا يَخَافُ عَذَابَ اللَّهِ وَعِقَابَهُ ; لِأَنَّهُ لَا يَعْتَقِدُ مَعَادًا وَلَا جَزَاءً، وَلِهَذَا قَالَ {مِنْ كُلِّ مُتَكَبِّرٍ لَا يُؤْمِنُ بِيَوْمِ الْحِسَابِ} [غافر: 27] .
{وَقَالَ رَجُلٌ مُؤْمِنٌ مِنْ آلِ فِرْعَوْنَ يَكْتُمُ إِيمَانَهُ أَتَقْتُلُونَ رَجُلًا أَنْ يَقُولَ رَبِّيَ اللَّهُ وَقَدْ جَاءَكُمْ بِالْبَيِّنَاتِ مِنْ رَبِّكُمْ وَإِنْ يَكُ كَاذِبًا فَعَلَيْهِ كَذِبُهُ وَإِنْ يَكُ صَادِقًا يُصِبْكُمْ بَعْضُ الَّذِي يَعِدُكُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي مَنْ هُوَ مُسْرِفٌ كَذَّابٌ - يَا قَوْمِ لَكُمُ الْمُلْكُ الْيَوْمَ ظَاهِرِينَ فِي الْأَرْضِ فَمَنْ يَنْصُرُنَا مِنْ بَأْسِ اللَّهِ إِنْ جَاءَنَا قَالَ فِرْعَوْنُ مَا أُرِيكُمْ إِلَّا مَا أَرَى وَمَا أَهْدِيكُمْ إِلَّا سَبِيلَ الرَّشَادِ} [غافر: 28 - 29]
[غَافِرٍ: 28، 29] . هَذَا الرَّجُلُ هُوَ ابْنُ عَمِّ فِرْعَوْنَ، وَكَانَ يَكْتُمُ إِيمَانَهُ مِنْ قَوْمِهِ، خَوْفًا مِنْهُمْ عَلَى نَفْسِهِ. وَزَعَمَ بَعْضُ النَّاسِ أَنَّهُ كَانَ إِسْرَائِيلِيًّا، وَهُوَ بَعِيدٌ وَمُخَالِفٌ لِسِيَاقِ الْكَلَامِ لَفْظًا وَمَعْنًى. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: لَمْ يُؤْمِنْ مِنَ الْقِبْطِ بِمُوسَى إِلَّا هَذَا، وَالَّذِي جَاءَ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ، وَامْرَأَةِ فِرْعَوْنَ. رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ. قَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: لَا يُعْرَفُ مَنِ اسْمُهُ شَمْعَانُ - بِالشِّينِ الْمُعْجَمَةِ - إِلَّا مُؤْمِنُ آلِ فِرْعَوْنَ. حَكَاهُ السُّهَيْلِيُّ. وَفِي " تَارِيخِ الطَّبَرَانِيِّ " أَنَّ اسْمَهُ: جَبْرٌ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ هَذَا الرَّجُلَ كَانَ يَكْتُمُ إِيمَانَهُ، فَلَمَّا هَمَّ فِرْعَوْنُ، لَعَنَهُ اللَّهُ،
পৃষ্ঠা - ৬০১
তারপর যখন তাদের নিকট আমার স্পষ্ট নিদর্শন আসল তারা বলল, এটা স্পষ্ট জাদু ৷ তারা
অন্যায় ও উদ্ধতভাবে নিদর্শাৰগুলােকে প্রত্যাখ্যান করল যদিও তাদের অন্তর এগুলোকে সত্য
বলে গ্রহণ করেছিল ৷ দেখ, বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পরিণাম কেমন হয়েছিল ৷ (সুরা নামল :
১৩ ১ : )
আয়াতাংশে বর্ণিত ফিরআউনের উক্তি চু; ট্রুপ্র ৷ ম্পে ? ৷ ন্হ্রএ ^ ৷ ৷ ঠু
অর্থাৎ “আমি তােমাদেরকে কেবল সৎপথই প্রদর্শন করে থাকি ৷” এডেও সে মিথ্যা কথা
বলেছে ৷ কেননা, যে সঠিক রাস্তায় ছিল না, সে ছিল পথভ্রষ্টতা, নির্বৃদ্ধিতা ও সন্ত্রাসের উপর
প্রতিষ্ঠিত ৷ সে প্রথমত নিজে দেবদেবী ও মুর্তিদের পুজা করে ৷ অতঃপর তার সুর্য ও পথভ্রষ্ট
সম্প্রদায়কে তার অনুকরণ ও অনুসরণ করতে এবং সে যে নিজেকে রব’ বলে দাবি করেছিল এ
ব্যাপারে তাকে সত্য বলে স্বীকার করার জন্যে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করে ৷
আল্লাহ তাআল৷ ইরশাদ করেন০ ং
)
র্শ্ব
অর্থাৎ-ফিরআউন তার সম্প্রদায়ের মধ্যে এই বলে ঘোষণা করল, হে আমার সম্প্রদায়!
মিসর রাজ্য কি আমার নয়? এ নদীগুলো আমার পাদদেশে প্রবাহিত, তোমরা এটা দেখ না?
আমি তাে শ্রেষ্ঠ এই ব্যক্তি থেকে, যে হীন এবং স্পষ্ট কথা বলতেও অক্ষম ৷ মুসাকেন্কেন দেয়া
হল না স্বর্ণবলয় অথবা তার সাথে কেন আসল না ফেরেশতাপণ দলবদ্ধভাবেঃ এভাবে সে তার
সম্প্রদ৷ য়কে হতবুদ্ধি করে দিল, ফলে ওরা তার কথা মেনে নিল ৷ ওরা তো ছিল এক স৩ ত্যত্যাগী
সম্প্রদায় ৷ যখন ওরা আমাকে ক্রোধাম্বিত করল আমি তাদেরকে শাস্তি দিলাম এবং নিমজ্জিত
করলাম ওদের সকলকে ৷ তৎপর পরবর্তীদের জন্যে আমি ওদেরকে করে রাখলাম অতীত
ইতিহাস ও দৃষ্টান্ত ৷ (৪৩ যুখরুফ : ৫ ১ ৫৬)
আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেন :
,
অর্থাৎ-অতঃপর মুসা ওকে (ফিরআউনকে) মহা নিদর্শন দেখাল ৷ কিন্তু সে অস্বীকার করল
এবং অবাধ্য হল ৷ তারপর সে পেছন ফিরে প্রতিবিধানে সচেষ্ট হল ৷ সে সকলকে সমবেত
بِقَتْلِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَعَزَمَ عَلَى ذَلِكَ وَشَاوَرَ مَلَأَهُ فِيهِ، خَافَ هَذَا الْمُؤْمِنُ عَلَى مُوسَى، فَتَلَطَّفَ فِي رَدِّ فِرْعَوْنَ بِكَلَامٍ جَمَعَ فِيهِ التَّرْغِيبَ وَالتَّرْهِيبَ، فَقَالَ كَلِمَةَ الْحَقِّ عَلَى وَجْهِ الْمَشُورَةِ وَالرَّأْيِ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «أَفْضَلُ الْجِهَادِ كَلِمَةُ عَدْلٍ عِنْدَ سُلْطَانٍ جَائِرٍ» وَهَذَا مِنْ أَعْلَى مَرَاتِبِ هَذَا الْمَقَامِ، فَإِنَّ فِرْعَوْنَ لَا يَكُونُ أَشَدُّ جَوْرًا مِنْهُ، وَهَذَا الْكَلَامُ لَا أَعْدَلَ مِنْهُ; لِأَنَّ فِيهِ عِصْمَةَ دَمِ نَبِيٍّ. وَيُحْتَمَلُ أَنَّهُ أَشَارَ لَهُمْ بِإِظْهَارِ إِيمَانِهِ، وَصَرَّحَ لَهُمْ بِمَا كَانَ يَكْتُمُهُ. وَالْأَوَّلُ أَظْهَرُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ: {أَتَقْتُلُونَ رَجُلًا أَنْ يَقُولَ رَبِّيَ اللَّهُ} [غافر: 28] أَيْ; مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ قَالَ: رَبِّيَ اللَّهُ. فَمِثْلُ هَذَا لَا يُقَابَلُ بِمِثْلِ هَذَا، بَلْ بِالْإِكْرَامِ وَالِاحْتِرَامِ وَالْمُوَادَعَةِ وَتَرَكِ الِانْتِقَامِ، يَعْنِي: لِأَنَّهُ {وَقَدْ جَاءَكُمْ بِالْبَيِّنَاتِ مِنْ رَبِّكُمْ} [غافر: 28] أَيْ; بِالْخَوَارِقِ الَّتِي دَلَّتْ عَلَى صَدْقِهِ فِيمَا جَاءَ بِهِ عَمَّنْ أَرْسَلَهُ فَهَذَا إِنْ وَادَعْتُمُوهُ كُنْتُمْ فِي سَلَامَةٍ; لِأَنَّهُ {وَإِنْ يَكُ كَاذِبًا فَعَلَيْهِ كَذِبُهُ} [غافر: 28] وَلَا يَضُرُّكُمْ ذَلِكَ {وَإِنْ يَكُ صَادِقًا} [غافر: 28] وَقَدْ تَعَرَّضْتُمْ لَهُ {يُصِبْكُمْ بَعْضُ الَّذِي يَعِدُكُمْ} [غافر: 28] أَيْ; وَأَنْتُمْ تُشْفِقُونَ أَنْ يَنَالَكُمْ أَيْسَرُ جَزَاءٍ مِمَّا يَتَوَعَّدُكُمْ بِهِ، فَكَيْفَ بِكُمْ إِنَّ حَلَّ جَمِيعُهُ عَلَيْكُمْ؟ وَهَذَا
পৃষ্ঠা - ৬০২
করল এবং উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করল আর বলল, আমিই ওে ৷মাদের শ্রেষ্ঠ প্ৰতিপালক ৷’ তারপর
আল্লাহ তাকে আখিরাতে ও দুনিয়ার কঠিন শ্ ৷৷ন্তিতে পাকড়াও করলেন ৷ যে ভয় করে তার জন্য
অবশ্যই এটাতে শিক্ষা রয়েছে ৷ (সুরা নাযিআত : ২০-২৬)
আল্লাহ তাআলা অন্য আয়াতে ইরশাদ করেন :
^পুব্লুপুদ্বু
’¢§’:,(§”“ ৷ ন্দ্বুহ্র্চু’র্চুএে
)
া
অর্থাৎ-আমি তো মুসাকে আমার নিদশনিাবলী ও স্পষ্ট প্রমাণসহ পাঠিয়ে ছিলাম ফিরআউন
ও তার প্ৰধানদের নিকট ৷ কিভু তারা ফিরআউনের কার্যকলাপের অনুরুপ করত এবং
ফিরআউনের কার্যকলাপ ভাল ছিল না ৷ সে কিয়ামতের দিনে তার সম্প্রদায়ের অগ্রতাগে থাকবে
এবং সে তাদেরকে নিয়ে আগুনে প্রবেশ করবে ৷ যেখানে প্রবেশ করানো হবে তা কত নিকৃষ্ট
স্থান৷ এ দুনিয়ার তাদেরকে করা হয়েছিল অভিশাপগ্রস্ত এবং অভিশাপগ্রস্ত হয়ে তারা কিয়ামতের
দিলেও ৷ কত নিকৃষ্ট সে পুরস্কার যা ওদেরকে দেওয়া হবে ৷ (সুরা হুদ৪ ৯৬-৯৯ )
ফিরআউনের উক্তি দুটি যে মিথ্যা৩ার ৷বর্ণন৷ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা আলা ইরশাদ করেন :
া
ন্
ণ্১#ম্
(
৷ র্মুহ্াব্লুর্দ্র
অর্থাৎ-ফিরাউন বলল, আমি যা বুঝি, আমি তোমাদের ত ই বলছি ৷ আমি তোমাদের
কেবল সৎপথই দেখিয়ে থাকি ৷ মুমিন ব্যক্তিটি বলল, হে আমার সম্প্রদায় ৷ আমি তোমাদের
জন্য পুর্ববর্তী সম্প্রদায়সমুহের শাস্তির দিনের অনুরুপ দৃদািনর আশংকা করি ৷ যেমন ঘটেছিল
নুহ, আদ, হুামুদ ও তাদের পুর্ববর্তীদের ব্যাপারে ৷ আল্লাহ তো বান্দাদের প্রতি কোন জুলুম
করতে চান না ৷ হে আমার সম্প্রদায়৷ আমি তোমাদের জন্য আশংকা করি আর্ভাৰাদ দিবসের ৷
الْكَلَامُ فِي هَذَا الْمَقَامِ مِنْ أَعْلَى مَقَامَاتِ التَّلَطُّفِ وَالِاحْتِرَازِ وَالْعَقْلِ التَّامِّ. وَقَوْلُهُ: {يَاقَوْمِ لَكُمُ الْمُلْكُ الْيَوْمَ ظَاهِرِينَ فِي الْأَرْضِ} [غافر: 29] يُحَذِّرُهُمْ أَنَّ يَسْلُبُوا هَذَا الْمُلْكَ الْعَزِيزَ، فَإِنَّهُ مَا تَعَرَّضَتِ الدُّوَلُ لِلدِّينِ إِلَّا سُلِبُوا مُلْكَهُمْ وَذَلُّوا بَعْدَ عِزِّهِمْ، وَكَذَا وَقْعَ لِآلِ فِرْعَوْنَ; مَا زَالُوا فِي شَكٍّ وَرَيْبٍ، وَمُخَالَفَةٍ وَمُعَانَدَةٍ لِمَا جَاءَهُمْ مُوسَى بِهِ، حَتَّى أَخْرَجَهُمُ اللَّهُ مِمَّا كَانُوا فِيهِ مِنَ الْمُلْكِ وَالْأَمْلَاكِ وَالدُّورِ وَالْقُصُورِ، وَالنِّعْمَةِ وَالْحُبُورِ، ثُمَّ حُوِّلُوا إِلَى الْبَحْرِ مُهَانِينَ، وَنُقِلَتْ أَرْوَاحُهُمْ بَعْدَ الْعُلُوِّ وَالرِّفْعَةِ إِلَى أَسْفَلِ السَّافِلِينَ. وَلِهَذَا قَالَ هَذَا الرَّجُلُ الْمُؤْمِنُ الصَّادِقُ، الْبَارُّ الرَّاشِدُ، التَّابِعُ لِلْحَقِّ النَّاصِحُ لِقَوْمِهِ، الْكَامِلُ الْعَقْلِ: {يَاقَوْمِ لَكُمُ الْمُلْكُ الْيَوْمَ ظَاهِرِينَ فِي الْأَرْضِ} [غافر: 29] أَيْ; عَالِينَ عَلَى النَّاسِ حَاكِمِينَ عَلَيْهِمْ، {فَمَنْ يَنْصُرُنَا مِنْ بَأْسِ اللَّهِ إِنْ جَاءَنَا} [غافر: 29] أَيْ; لَوْ كُنْتُمْ أَضْعَافَ مَا أَنْتُمْ فِيهِ مِنَ الْعَدَدِ وَالْعُدَّةِ وَالْقُوَّةِ وَالشِّدَّةِ لَمَا نَفَعَنَا ذَلِكَ وَلَا رَدَّ عَنَّا بَأْسَ مَالِكِ الْمَمَالِكِ. {قَالَ فِرْعَوْنُ} [غافر: 29] أَيْ; فِي جَوَابِ هَذَا كُلِّهِ: {مَا أُرِيكُمْ إِلَّا مَا أَرَى} [غافر: 29] أَيْ; مَا أَقُولُ لَكُمْ إِلَّا مَا عِنْدِي {وَمَا أَهْدِيكُمْ إِلَّا سَبِيلَ الرَّشَادِ} [غافر: 29] وَكَذَبَ فِي كُلٍّ مِنْ هَذَيْنِ الْقَوْلَيْنِ، وَهَاتَيْنِ الْمُقَدِّمَتَيْنِ، فَإِنَّهُ قَدْ كَانَ يَتَحَقَّقُ وَيَعْلَمُ فِي بَاطِنِهِ وَفِي نَفْسِهِ أَنَّ هَذَا الَّذِي جَاءَ بِهِ مُوسَى حَقٌّ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ لَا مَحَالَةَ، وَإِنَّمَا كَانَ يُظْهِرُ خِلَافَهُ بَغْيًا وَعُدْوَانًا، وَعُتُوًّا وَكُفْرَانًا.
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى إِخْبَارًا عَنْ مُوسَى:
পৃষ্ঠা - ৬০৩
যেদিন তোমরা পশ্চাৎ ফিরে পলায়ন করতে চাইবে, আল্লাহর শাস্তি থেকে তোমাদের রক্ষা করার
কেউ থাকবে না ৷ আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার জন্যে কোন পথপ্রদর্শক নেই ৷ পুর্বেও
তোমাদের নিকট ইউসুফ এসেছিল স্পষ্ট নিদর্শনসহ; কিন্তু সে তোমাদের নিকট যা নিয়ে
এসেছিল তোমরা তাতে বার বার সন্দেহ পোষণ করতে ৷ পরিশেষে যখন ইউসুফের মৃত্যু হল
তখন তোমরা বলেছিলে তার পরে আল্লাহ আর কোন রাসুল প্রেরণ করবেন না ৷ এভাবে আল্লাহ
বিভ্রান্ত করেন সীমালংঘনকারী ও সংশয়বাদীদেরকে ৷ যায়৷ নিজেদের নিকট কোন দলীল-প্রমাণ
না থাকলেও আল্লাহর নিদর্শন সম্পর্কে বিতণ্ডায় লিপ্ত হয়, তাদের এই কর্ম আল্লাহ এবং
মুমিনদের দৃষ্টিতে অতিশয় ঘৃণাহ ৷ এভাবে আল্লাহ প্রত্যেক উদ্ধত ও স্বৈরাচারী ব্যক্তির হৃদয়ে
মােহর মেরে দেন ৷ (সুরা মুমিন : ২৯-৩৫)
এমনিভা ৷বে আল্লাহত তা আলার এ ওলী মুমিন বান্দাটি তাদেরকে সতর্ক করে দেন যে, যদি
তারা আল্লাহর রাসুল মুসা (আ) কে মিথ্যা প্ৰতিপন্ন করে তাহলে তাদের প্রতি ৩অ ৷ল্লাহ তা জানার
আমার ও পযব অবতীর্ণ হবে, যেমনিভাবে তাদের পুর্ববর্তী উম্ম৩ তদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছিল ৷
তাদের পুর্ববর্তী উষ্মত যেমন নুহ (আ) এর সম্প্রদায়, আদ, ছামুদ ও তাদের পরবর্তী যুগের
উম্মতদের প্রতি আল্লাহ তাআলার পযব অবতীর্ণ হবার বিষয়টি বিশ্ববাসীর কাছে দলীলাদির দ্বারা
সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত ছিল ৷ আরও প্রমাণিত ছিল যে, আম্বিয়ায়ে কিরাম যা কিছু নিয়ে
প্রেরিত হয়েছিলেন তা অস্বীক৷ ৷র করার কারণে তাদের শক্রদের প্রতি আল্লাহ তা আলার আযাব
ও পযব অবতীর্ণ হয়েছিল এবং তাদের অনুসরণ করার কারণে তাদের অনুসারীদেরকে আল্লাহ
তা আলা নজােত দিয়েছেন ৷ তিনি তাদেরকে কিয়ামত সম্পর্কে স৩ তর্ক করেন ৷ উক্ত আয়াতে
কিয়ামতের দিবসকে প্রুশ্রো ¢,: বা আহ্বানের দিবস বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে ৷ উক্ত
দিবসে যখন লোকজন ছুটাছুটি করতে থাকবে, তখন তারা যদি সমর্থ হয় তবে একে অন্যকে
আহ্বান করবে অথচ এরুপ সুযোগ তাদের হয়ে উঠবে না ৷
অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন :
এদ্বুষ্এ ১া৷ এন্ম্বুন্
অর্থাৎ-“সেদিন মানুষ বলবে, আজ পালাবার স্থান কোথায়? না, কোন আশ্রয়ন্থল নেই ৷
সেদিন ঠীই হবে তোমার প্রতিপালকেরই নিকট ৷ (সুরা কিয়ামা : ১ : ১২)
পুনরায় আল্লাহ তাআল৷ অন্য আয়াতে ইরশাদ করেন০
৷ ,
অর্থাৎ “হে জিন ও মানব সম্প্রদায় ! আকড়াশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সীমা তোমরা যদি
অতিক্রম করতে পার, অতিক্রম কর, কিন্তু তোমরা অতিক্রম করতে পারবে না সনদ
ব্যতিরেকে ৷ সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
{قَالَ لَقَدْ عَلِمْتَ مَا أَنْزَلَ هَؤُلَاءِ إِلَّا رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ بَصَائِرَ وَإِنِّي لَأَظُنُّكَ يَافِرْعَوْنُ مَثْبُورًا} [الإسراء: 102] . وَقَالَ تَعَالَى: {فَلَمَّا جَاءَتْهُمْ آيَاتُنَا مُبْصِرَةً قَالُوا هَذَا سِحْرٌ مُبِينٌ - وَجَحَدُوا بِهَا وَاسْتَيْقَنَتْهَا أَنْفُسُهُمْ ظُلْمًا وَعُلُوًّا فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُفْسِدِينَ} [النمل: 13 - 14]
[النَّمْلِ: 13، 14] . وَأَمَّا قَوْلُهُ: {وَمَا أَهْدِيكُمْ إِلَّا سَبِيلَ الرَّشَادِ} [غافر: 29] . فَقَدْ كَذَبَ أَيْضًا، فَإِنَّهُ لَمْ يَكُنْ عَلَى رَشَادٍ مِنَ الْأَمْرِ، بَلْ كَانَ عَلَى سَفَهٍ وَضَلَالٍ، وَخَبَالٍ، وَكَانَ أَوَّلًا مِمَّنْ يَعْبُدُ الْأَصْنَامَ وَالْأَمْثَالَ، ثُمَّ دَعَا قَوْمَهُ الْجَهَلَةَ الضُّلَّالَ إِلَى أَنِ اتَّبَعُوهُ وَطَاوَعُوهُ، وَصَدَّقُوهُ فِيمَا زَعَمَ مِنَ الْكُفْرِ الْمُحَالِ فِي دَعْوَاهُ أَنَّهُ رَبٌّ، تَعَالَى اللَّهُ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَنَادَى فِرْعَوْنُ فِي قَوْمِهِ قَالَ يَا قَوْمِ أَلَيْسَ لِي مُلْكُ مِصْرَ وَهَذِهِ الْأَنْهَارُ تَجْرِي مِنْ تَحْتِي أَفَلَا تُبْصِرُونَ - أَمْ أَنَا خَيْرٌ مِنْ هَذَا الَّذِي هُوَ مَهِينٌ وَلَا يَكَادُ يُبِينُ - فَلَوْلَا أُلْقِيَ عَلَيْهِ أَسْوِرَةٌ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ جَاءَ مَعَهُ الْمَلَائِكَةُ مُقْتَرِنِينَ - فَاسْتَخَفَّ قَوْمَهُ فَأَطَاعُوهُ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا فَاسِقِينَ - فَلَمَّا آسَفُونَا انْتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَأَغْرَقْنَاهُمْ أَجْمَعِينَ - فَجَعَلْنَاهُمْ سَلَفًا وَمَثَلًا لِلْآخِرِينَ} [الزخرف: 51 - 56]
[الزُّخْرُفِ: 51 - 56] . وَقَالَ تَعَالَى: {فَأَرَاهُ الْآيَةَ الْكُبْرَى - فَكَذَّبَ وَعَصَى - ثُمَّ أَدْبَرَ يَسْعَى - فَحَشَرَ فَنَادَى - فَقَالَ أَنَا رَبُّكُمُ الْأَعْلَى - فَأَخَذَهُ اللَّهُ نَكَالَ الْآخِرَةِ وَالْأُولَى - إِنَّ فِي ذَلِكَ لَعِبْرَةً لِمَنْ يَخْشَى} [النازعات: 20 - 26]
[النَّازِعَاتِ: 20 - 26] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَى بِآيَاتِنَا وَسُلْطَانٍ مُبِينٍ - إِلَى فِرْعَوْنَ وَمَلَإِيْهِ فَاتَّبَعُوا أَمْرَ فِرْعَوْنَ وَمَا أَمْرُ فِرْعَوْنَ بِرَشِيدٍ - يَقْدُمُ قَوْمَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَأَوْرَدَهُمُ النَّارَ وَبِئْسَ الْوِرْدُ الْمَوْرُودُ - وَأُتْبِعُوا فِي هَذِهِ لَعْنَةً وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ بِئْسَ الرِّفْدُ الْمَرْفُودُ} [هود: 23 - 99]
[هُودٍ: 96 - 99] . وَالْمَقْصُودُ بَيَانُ كَذِبِهِ فِي قَوْلِهِ: {مَا أُرِيكُمْ إِلَّا مَا أَرَى} [غافر: 29] وَفِي قَوْلِهِ: {وَمَا أَهْدِيكُمْ إِلَّا سَبِيلَ الرَّشَادِ} [غافر: 29] .
পৃষ্ঠা - ৬০৪
তোমাদের প্রতি প্রেরিত হবে অগ্নিশিখা ও ধুম্রপুঞ্জ, তখন তোমরা প্রতিরোধ করতে পারবে না ৷
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবো (সুরা
আর-রহমান০ ৩৩ ৩৬)
আয়াতে উল্লিখিত এ১এ ! হ্ কে কেউ কেউ সালে তাশদীদ দিয়ে পাঠ করেন তখন
তার ড়াঅর্থ ৷ এে-ন্ ! é$ বা পলায়নের দিন ৷ এটা কিয়ড়ামকৃ তর দিনও হতে পারে আবার এটার
দ্বারা আল্লাহ তা জানার পক্ষ থেকে আমার গযব অবতীর্ণ করার দিনও হতে পারে, যেদিন তারা
মুক্তির জন্যে পলায়ন করতে চইিবে, কিন্তু পবিত্রাণের কো ৷নই উপায় থাকবে না ৷ (সাদং : ৩)
আল্লাহ তাআলা অন্যত্র ইরশাদ করেন :
# fl
অর্থাৎ-অতং পর যখন ওরা আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করল তখনই ওরা জনপদ থেকে
পলায়ন করতে লাগল ৷ তাদেরকে বলা হয়েছিল পলায়ন কর না এবং ফিরে এস তোমাদের
ভোগ সম্ভারের নিকট ও তোমাদের আবাসগৃহে, হয়ত এ বিষয়ে তােমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা
যেতে পারে ৷ (সুরা আম্বিয়া : ১২ ১৩)
অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাদেরকে মিসর দেশে ইউসুফ (আ)-এর নবুওত সম্পৃর্কে সংবাদ
দেন ৷ ইউসুফ (আ)এর নবুওত জনগণের কাছে তাদের দুনিয়া ও আখিরাতের জন্যে একটি
নিয়ামত ও আল্লাহর অনুগ্রহ ছিল ৷ মুসা (আ) ছিলেন তারই অশঃস্তন বংশধর ৷ তিনি জনগণকে
আল্লাহ তাআলার একত্বাদ ও ইবাদতের প্ৰতি আহ্বান করেছিলেন এবং মাখলুকের মধ্য হতে
কাউকেও আল্লাহ তাআলার অংশীদার ধারণা করতে বিরত রাখেন ৷ আল্লাহ তাআলা ঐ
সময়কার মিসরবাসীদের সত্যকে মিথ্যা এবং নবী-রাসুলগণের বিরোধিতা সম্পর্কে সংবাদ দিতে
গিয়ে বলেন০ ং
এএে
ৰ্খু
(
অর্থাৎ তারা রাসুলকে অস্বীকার করেছিল এ জন্যই আল্লাহ্ তা জানা বলেন০ :
া
অর্থাৎ-আল্লাহ তাআলার তরফ থেকে তাদের কাছে আগত কোন প্রকার দলীল ও প্রমাণ
ব্যতীতই তারা আল্লাহ তাঅড়ালার প্রদত্ত খােদায়ী অস্তিতু ও একতুবাদের জন্যে দলীলাদি ও
প্রমাণাদি সম্পর্কে বাক-বিতণ্ডা করে ৷ আর জনগণ থেকে এ কাজে যারা লিপ্ত হয়ে তাদের প্রতি
আল্লাহ তাআলা চরম অসন্তুষ্ট হন ৷
এ জন্যই আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন০ :
,
{قَالَ رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ - وَلَمَّا جَاءَتْ رُسُلُنَا إِبْرَاهِيمَ بِالْبُشْرَى قَالُوا إِنَّا مُهْلِكُوا أَهْلِ هَذِهِ الْقَرْيَةِ إِنَّ أَهْلَهَا كَانُوا ظَالِمِينَ - قَالَ إِنَّ فِيهَا لُوطًا قَالُوا نَحْنُ أَعْلَمُ بِمَنْ فِيهَا لَنُنَجِّيَنَّهُ وَأَهْلَهُ إِلَّا امْرَأَتَهُ كَانَتْ مِنَ الْغَابِرِينَ - وَلَمَّا أَنْ جَاءَتْ رُسُلُنَا لُوطًا سِيءَ بِهِمْ وَضَاقَ بِهِمْ ذَرْعًا وَقَالُوا لَا تَخَفْ وَلَا تَحْزَنْ إِنَّا مُنَجُّوكَ وَأَهْلَكَ إِلَّا امْرَأَتَكَ كَانَتْ مِنَ الْغَابِرِينَ - إِنَّا مُنْزِلُونَ عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الْقَرْيَةِ رِجْزًا مِنَ السَّمَاءِ بِمَا كَانُوا يَفْسُقُونَ - وَلَقَدْ تَرَكْنَا مِنْهَا آيَةً بَيِّنَةً لِقَوْمٍ يَعْقِلُونَ} [العنكبوت: 30 - 35]
[الْعَنْكَبُوتِ: 30 - 35] . يُحَذِّرُهُمْ وَلِيُّ اللَّهِ، إِنْ كَذَّبُوا بِرَسُولِ اللَّهِ مُوسَى، أَنْ يَحِلَّ بِهِمْ مَا حَلَّ بِالْأُمَمِ مِنْ قَبْلِهِمْ مِنَ النَّقِمَاتِ وَالْمَثُلَّاتِ، مِمَّا تَوَاتَرَ عِنْدَهُمْ وَعِنْدَ غَيْرِهِمْ; مَا حَلَّ بِقَوْمِ نُوحٍ، وَعَادٍ، وَثَمُودَ، وَمَنْ بَعْدَهُمْ إِلَى زَمَانِهِمْ ذَلِكَ، مِمَّا أَقَامَ اللَّهُ بِهِ الْحُجَجَ عَلَى أَهْلِ الْأَرْضِ قَاطِبَةً، فِي صِدْقِ مَا جَاءَتْ بِهِ الْأَنْبِيَاءُ، بِمَا أَنْزَلَ مِنَ النِّقْمَةِ بِمُكَذِّبِيهِمْ مِنَ الْأَعْدَاءِ، وَمَا أَنْجَى اللَّهُ مَنِ اتَّبَعَهُمْ مِنَ الْأَوْلِيَاءِ، وَخَوَّفَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَهُوَ يَوْمُ التَّنَادِ أَيْ; حِينَ يُنَادِي النَّاسُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا حِينَ يُوَلُّونَ مُدْبِرِينَ إِنْ قَدَرُوا عَلَى ذَلِكَ، وَلَا إِلَى ذَلِكَ سَبِيلٌ. {يَقُولُ الْإِنْسَانُ يَوْمَئِذٍ أَيْنَ الْمَفَرُّ - كَلَّا لَا وَزَرَ - إِلَى رَبِّكَ يَوْمَئِذٍ الْمُسْتَقَرُّ} [القيامة: 10 - 12]
[الْقِيَامَةِ: 10 - 12] . وَقَالَ تَعَالَى: {يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ إِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَنْ تَنْفُذُوا مِنْ أَقْطَارِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ فَانْفُذُوا لَا تَنْفُذُونَ إِلَّا بِسُلْطَانٍ - فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ - يُرْسَلُ عَلَيْكُمَا شُوَاظٌ مِنْ نَارٍ وَنُحَاسٌ فَلَا تَنْتَصِرَانِ - فَبِأَيِ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ} [الرحمن: 33 - 36]
পৃষ্ঠা - ৬০৫
অর্থাৎ এভাবে আল্লাহ তা জানা প্রত্যেক উদ্ধত ও স্বৈরাচা রী ব্যক্তির হৃদয়ে মােহর মেরে
দেন ৷ অত্র আয়াতাংদু শ উল্লিখিত ,র্চু কু -ৰু ,£ এ শব্দ দুটি বিশেষ্য বিশেষণরুপে বা সম্বন্ধ
পদ দু ভাবেই পড়া হয়ে থাকে এবং এ দুটির অইে এমন যে একটি অপরটির জন্যে
অবশ্যম্ভ৷ ৷বী ৷ যদি কোন সময় জনগণের হৃদয়সমুহ সত্যের বিরোধিতা করে তাহলে তা প্রমাণ
ব্যতিরেকেই করে থাকে ৷ এ জন্যই আল্লাহ তাআল ৷ লএসব হৃদয়ে মােহর মেরে দেন ৷
ফিরআউনের ঔদ্ধ৩ তা বর্ণনা প্রসঙ্গে আল্লাহ তা অল ৷ইরশাদ করেন ও
ট্রু,ার্চু১ ৷র্টুশু,,ঠু,১ (া৷পুদ্ৰ,
া
অর্থাৎ “ফিরআউন বলল, হে হামান! আমার জ্যা৷ তুমি নির্মাণ ৷কর এক সুউচ্চ প্রাসাদ
যাতে আমি পাই অবলম্বন-অবলম্বন আসমানে আরোহণের, যেন দেখতে পাই মুসার ইলাহকে;
তবে আমি তো ওকে মিথ্যাবাদীই মনে করি ৷ এভাবেই বিস্মআউনের নিকট শোতঘীয় করা
হয়েছিল তার মন্দ কর্ম এবং তাকে নিবৃত্ত করা হয়েছিল সরল পথ থেকে এবং ফিরআউনের
ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছিল সম্পুর্ণরুপে” ৷ (সুরা মুমিন : ৩৬ ৩৭)
অন্য কথায়, মুসা (আ) দাবি করেছিলেন যে, আল্লাহ তাআল৷ তাকে প্রেরণ করেছেন আর
ফিরআউন তাকে মিথ্যাবাদী প্ৰতিপন্ন করেছিল এবং তার সম্প্রদায়কে সে বলেছিলং :
’
& ,
া
“হে পারিষদবর্গ! ণআমি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ আছে বলে আমি জানি না ৷
হে হামান৷ তুমি আমার জন্য ইট পোড়াও এবং একটি সুউচ্চ প্রাসাদ তৈরী কর; হয়ত আমি
এটাতে উঠে মুসার ইলাহকে দেখতে পাব ৷ তবে, আমি অবশ্য মনে করি, যে মিথ্যাবাদী ৷ ”
(কা সাস০ ৩৮)
সুরায়ে মুমিনের ৩৬ নং আয়াতে উল্লেখ রয়েছে, ফিরআউন বলেছিল : ব্লুপুণ্(ক্রো
৷ অর্থাৎ-যাতে আমি পাই অবলম্বন-অবলম্বন আর্সমানে
আরোহণের অর্থাৎ আসমানে আরোহণের রাস্তা ৷
অত০পর ফিরঅন্উন
অর্থাৎ-“হয়ত এটাতে উঠে আমি মুসার ইলাহকে দেখতে পাব ৷৩ তবে আমি অবশ্য মনে
করি যে মিথ্যাবাদী ৷” শেষোক্ত আয়াতাং শের দুটি সম্ভাব্য অর্থ রয়েছে একটি হল-ফিরআউন
বলল, মুসা যে বলেছে ফিরআউন ব্যতীত জগতের জন্যে অন্য কোন প্রতিপালক আছে, এই
কথায় আমি তাকে মিথ্যাবাদী মনে করি ৷ দ্বিতীয়টি হল-ফিরআউন বলল, মুসা যে বলেছে
তাকে আল্লাহ তা ৷আলা রসুলরুপে প্রেরণ করেছেন এই দাবিতে আমি তাকে মিথ্যাবাদী মনে
করি ৷ প্রথম অর্থটি ফিরআউনের অবস্থার প্রেক্ষিতে অধিকতর গ্রহণযোগ্য মনে হয় ৷ কেননা, সে
[الرَّحْمَنِ: 33 - 36] . وَقَرَأَ بَعْضُهُمْ: (يَوْمَ التَّنَادِّ) بِتَشْدِيدِ الدَّالِ، أَي يَوْمَ الْفِرَارِ. وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَيُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ يَوْمَ يُحِلُّ اللَّهُ بِهِمُ الْبَأْسَ، فَيَوَدُّونَ الْفِرَارَ وَلَاتَ حِينَ مَنَاصٍ. {فَلَمَّا أَحَسُّوا بَأْسَنَا إِذَا هُمْ مِنْهَا يَرْكُضُونَ - لَا تَرْكُضُوا وَارْجِعُوا إِلَى مَا أُتْرِفْتُمْ فِيهِ وَمَسَاكِنِكُمْ لَعَلَّكُمْ تُسْأَلُونَ} [الأنبياء: 12 - 13]
[الْأَنْبِيَاءِ: 12، 13] . ثُمَّ أَخْبَرَهُمْ عَنْ نُبُوَّةِ يُوسُفَ فِي بِلَادِ مِصْرَ; مَا كَانَ مِنْهُ مِنَ الْإِحْسَانِ إِلَى الْخَلْقِ فِي دُنْيَاهُمْ وَأُخْرَاهُمْ، وَهَذَا مِنْ سُلَالَتِهِ وَذُرِّيَّتِهِ، وَيَدْعُو النَّاسَ إِلَى تَوْحِيدِ اللَّهِ وَعِبَادَتِهِ، وَأَنْ لَا يُشْرِكُوا بِهِ أَحَدًا مِنْ بَرِّيَّتِهِ، وَأَخْبَرَ عَنْ أَهْلِ الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، أَنَّ مِنْ سَجِيَّتِهِمُ التَّكْذِيبَ بِالْحَقِّ وَمُخَالَفَةَ الرُّسُلِ; وَلِهَذَا قَالَ: {فَمَا زِلْتُمْ فِي شَكٍّ مِمَّا جَاءَكُمْ بِهِ حَتَّى إِذَا هَلَكَ قُلْتُمْ لَنْ يَبْعَثَ اللَّهُ مِنْ بَعْدِهِ رَسُولًا} [غافر: 34] أَيْ; وَكَذَّبْتُمْ فِي هَذَا. وَلِهَذَا قَالَ: {كَذَلِكَ يُضِلُّ اللَّهُ مَنْ هُوَ مُسْرِفٌ مُرْتَابٌ - الَّذِينَ يُجَادِلُونَ فِي آيَاتِ اللَّهِ بِغَيْرِ سُلْطَانٍ} [غافر: 34 - 35] أَتَاهُمْ أَيْ; يَرُدُّونَ حُجَجَ اللَّهِ وَبَرَاهِينَهُ وَدَلَائِلَ تَوْحِيدِهِ بِلَا حُجَّةٍ وَلَا دَلِيلٍ عِنْدَهُمْ مِنَ اللَّهِ، فَإِنَّ هَذَا أَمْرٌ يَمْقُتُهُ اللَّهُ غَايَةَ الْمَقْتِ; أَيْ يُبْغِضُ مَنْ تَلَبَّسَ بِهِ مِنَ النَّاسِ، وَمَنِ اتَّصَفَ بِهِ مِنَ الْخَلْقِ، {كَذَلِكَ يَطْبَعُ اللَّهُ عَلَى كُلِّ قَلْبِ مُتَكَبِّرٍ جَبَّارٍ} [غافر: 35] قُرِئَ بِالْإِضَافَةِ وَبِالنَّعْتِ، وَكِلَاهُمَا مُتَلَازِمٌ; أَيْ هَكَذَا إِذَا خَالَفَتِ الْقُلُوبُ الْحَقَّ، وَلَا تُخَالِفُهُ إِلَّا بِلَا بُرْهَانٍ، فَإِنَّ اللَّهَ يَطْبَعُ عَلَيْهَا; أَيْ يَخْتِمُ عَلَيْهَا.
পৃষ্ঠা - ৬০৬
সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছিল ৷ দ্বিতীয় অর্থটি শব্দগতভাবে সঠিক হওয়ার
সম্ভাবনা বেশি ৷ কেননা সে বলেছেং : :ঠু,দ্বুকু <৷ ৷ : ৷ প্লুা৷াণ্ অর্থাৎ আমি মুসার ইলাহর
কাছে পৌছব এবং তাকে জিজ্ঞাসা করবো তিনি মুসাকে নবীরুপে প্রেরণ করেছেন কিনা ৷
অধিকন্তু তার কথা ) ^১াণ্ র্দু১ছু ১৷ ^ ’১াঠু এর দ্বারা তার উদ্দেশ্য ছিল লোকজনকে
মুসা (আ) থেকে বিরত রাখা--তারা যেন মুসা (আ) কে বিশ্বাস না করে তাই তাকে মিথ্যাবাদী
ধারণা করার জন্য ফিরআউন জনগণকে উৎসাহিত করেছিল ৷
আল্লাহ তা আলা বলেন মোঃ ৷ ;,£ ণুও া ,(দ্বু ’; হু£ ;ঠু;ঠুটুএে :,: ঝু ;া৷ ৷ ন্হ্র )
আবার র্চু)ট্রু;প্রু;ট্রুা> ,; ৷ পড়া হয়ে থাকে ৷ আয়াতাংশ
ন্এে ^ ১ শ্মি ! ট্রু£ঠুঘুএে £§ £ণ্১ এর তাফ্সীর প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) ও
মুজাহিদ (র) ৷ অর্থাৎ যে ব্যর্থ হয়েছে
এতে তার কোন উদ্দেশ্যই হাসিল্ হয়নি ৷ কেননা, মানবজা ৷তির জন্য এটা সম্ভব নয় যে তাদের
শক্তি দ্বারণ্তারা ৷দৃনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে উঠতে পারে, তাহলে তারা কেমন করে উর্ধ্বতর
আসমানে কিত্ৰা তারও উরুর্ধ্বর সুউচ্চ আসমানে উঠতে পারবে যার সম্বন্ধে আল্লাহ ব্যতীত অন্য
কেউ জ্ঞাত নন ৷ একাধিক তাফসীরকার উল্লেখ করেছেন যে, এই সুউচ্চ প্রাসাদটি ফিরআউনের
মন্তী হামান ফিরআউনের জন্যে নির্মাণ করেছিল ৷ এর চাইতে উচ্চতর প্রাসাদ আর দ্বিতীয়টি
দেখতে পাওয়া যায়নি ৷ আর এটা ছিল পােড়ানাে ইটের তৈরী ৷ এ জন্যেই ফিরআউন হামানকে
বলেছিল, “হে হামান ! আমার জন্যে তুমি ইট পােড়াও তারপর এর দ্বারা আমার জন্যে একটি
সুউচ্চ প্রাসাদ নির্মাণ কর ৷”
কিতাবীশ্চেরে মতে, বনী ইসরাঈলকে ইট বানাবার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল এবং তারা
ফিবআউনের অনুসারিপণ কর্তৃক প্রদত্ত বিজ্যি ধরনের ক্লেশজনক কাজকর্ম আঞ্জাম দিতে বাধ্য
হত ৷ তাদেরকে ফিরআউনের ত্তন্যে যে সব কাজ করতে বাধ্য করা হত তাতে তাদেরকে কেউ
সাহায্য করত না বরং তারা নিজেরইি ফিরআউসের জন্যে মাটি, ভুষি ও পানি সপ্রেহ করত এবং
ফিরআউন প্রত্যহ তাদের থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কাজ করিয়ে নিত ৷ তারা যদি তা না
করত তাহলে তাদেরকে প্ৰহার করা হত, অপমানিত ও লাঞ্ছিত করা হত এবং তাদেরকে চরম
কষ্ট দেয়৷ হত ৷
এ জন্যই তারা মুসা (আ) কে লক্ষ্য করে বলেছিল :
খ্যাঃ এে
’ fl ,ধ্
া
অর্থাৎ-আমাদের নিকট তোমার আমার পুর্বে আমরা নির্যাতিত হয়েছি এবং তোমার
আমার পরেও ৷ তিনি বলল্দো, শীঘ্রই তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের শক্রকে ধ্বংস করবেন
এবং তিনি তােমাদেরকে রাজ্যে তাদ্যে৷ তুলাত্তিষিক্ত করবেন ৷ অতঃপর তোমরা কি কর তা তিনি
লক্ষ্য করবেন ৷ ”
{وَقَالَ فِرْعَوْنُ يَا هَامَانُ ابْنِ لِي صَرْحًا لَعَلِّي أَبْلُغُ الْأَسْبَابَ - أَسْبَابَ السَّمَاوَاتِ فَأَطَّلِعَ إِلَى إِلَهِ مُوسَى وَإِنِّي لَأَظُنُّهُ كَاذِبًا وَكَذَلِكَ زُيِّنَ لِفِرْعَوْنَ سُوءُ عَمَلِهِ وَصُدَّ عَنِ السَّبِيلِ وَمَا كَيْدُ فِرْعَوْنَ إِلَّا فِي تَبَابٍ} [غافر: 36 - 37]
[غَافِرٍ: 36، 37] . كَذَّبَ فِرْعَوْنُ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي دَعْوَاهُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَهُ، وَزَعَمَ فِرْعَوْنُ لِقَوْمِهِ مَا كَذَّبَهُ وَافْتَرَاهُ، فِي قَوْلِهِ لَهُمْ: {مَا عَلِمْتُ لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرِي فَأَوْقِدْ لِي يَا هَامَانُ عَلَى الطِّينِ فَاجْعَلْ لِي صَرْحًا لَعَلِّي أَطَّلِعُ إِلَى إِلَهِ مُوسَى وَإِنِّي لَأَظُنُّهُ مِنَ الْكَاذِبِينَ} [القصص: 38] . وَقَالَ هَاهُنَا: {لَعَلِّي أَبْلُغُ الْأَسْبَابَ أَسْبَابَ السَّمَاوَاتِ} [غافر: 36] أَيْ; طُرُقَهَا وَمَسَالِكَهَا {فَأَطَّلِعَ إِلَى إِلَهِ مُوسَى وَإِنِّي لَأَظُنُّهُ كَاذِبًا} [غافر: 37] وَيَحْتَمِلُ هَذَا مَعْنَيَيْنِ; أَحَدُهُمَا، وَإِنِّي لَأَظُنُّهُ كَاذِبًا فِي قَوْلِهِ: إِنَّ لِلْعَالَمِ رَبًّا غَيْرِي. وَالثَّانِي، فِي دَعْوَاهُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَهُ. وَالْأَوَّلُ أَشْبَهُ بِظَاهِرِ حَالِ فِرْعَوْنَ، فَإِنَّهُ كَانَ يُنْكِرُ ظَاهِرَ إِثْبَاتِ الصَّانِعِ، وَالثَّانِي أَقْرَبُ إِلَى اللَّفْظِ; حَيْثُ قَالَ: {فَأَطَّلِعَ إِلَى إِلَهِ مُوسَى} [غافر: 37] أَيْ; فَأَسْأَلَهُ هَلْ أَرْسَلَهُ أَمْ لَا، {وَإِنِّي لَأَظُنُّهُ كَاذِبًا} [غافر: 37] أَيْ; فِي دَعْوَاهُ ذَلِكَ. وَإِنَّمَا كَانَ مَقْصُودُ فِرْعَوْنَ أَنْ يَصُدَّ النَّاسَ عَنْ تَصْدِيقِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَنْ يَحُثَّهُمْ عَلَى تَكْذِيبِهِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَكَذَلِكَ زُيِّنَ لِفِرْعَوْنَ سُوءُ عَمَلِهِ وَصُدَّ عَنِ السَّبِيلِ} [غافر: 37] وَقُرِئَ: (وَصَدَّ عَنِ السَّبِيلِ) قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَمُجَاهِدٌ: يَقُولُ: إِلَّا فِي خَسَارٍ. أَيْ بَاطِلٍ، لَا يَحْصُلُ لَهُ شَيْءٌ مِنْ مَقْصُودِهِ الَّذِي رَامَهُ، فَإِنَّهُ لَا سَبِيلَ لِلْبَشَرِ أَنْ يَتَوَصَّلُوا بِقُوَاهُمْ إِلَى نَيْلِ السَّمَاءِ أَبَدًا - أَعْنِي السَّمَاءَ الدُّنْيَا - فَكَيْفَ بِمَا بَعْدَهَا مِنَ السَّمَاوَاتِ الْعُلَى، وَمَا فَوْقَ
পৃষ্ঠা - ৬০৭
এমনি করে মুসা (আ) তার সম্প্রদায় বনী ইসরাঈলকে প্রতিশ্রুতি দিলেন যে, কিবতীদের
বিরুদ্ধে পরিণামে তাদেরই জয় হবে ৷ আর কালে এরুপই সংঘটিত হয়েছিল ৷ এটা ছিল
নবুওতের সভ্যতার একটি প্রমাণ ৷ এখন আমরা আবার মুমিন বান্দার উপদেশ, নসীহত ও
যুক্তি প্রমাণের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করি ৷
আল্লাহ তা জানা ইবশাদ করেনং :
§
এ
গু
া
“মুমিন ব্যক্তিটি বলল, হে আমার সম্প্রদায় তোমরা আমার অনুসরণ কর, আমি
তােমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালনা করব ৷ হে আমার সম্প্রদায় ! এই পার্থিব জীবন তাে ৷অস্থায়ী
উপতােগের বন্তু এবং আখিরাতই হচ্ছে চিরস্থায়ী আবাস ৷ কেউ মন্দ কাজ করলে যে কেবল তার
কর্মের অনুরুপ শাস্তি পাবে এবং পুরুষ কিৎবা নারীর মধ্যে যারা মুমিন হয়ে সৎকর্ম করবে তারা
দাখিল হবে জান্নাতে, সেখানে তাদেরকে দেয়৷ হবে অপরিমিত জীবনােপকরণ ৷ (সুরা মুমিন০ ং
৩৮ ৪০)
অর্থাৎ মুমিন বান্দাটি তাদেরকে সঠিক ও সত্য পথের দিকে আহ্বান করছেন ৷ আর তা
হচ্ছে আল্লাহর নবী মুসা (আ) এর অনুসরণ করা এবং তিনি আপন প্রতিপালকের কাছ থেকে যা
কিছু নিয়ে এসেছেন তা সত্য বলে স্বীকার করা ৷ অতঃপর তিনি তাদেরকে নশ্বর ও নিকৃষ্ট
দুনিয়ার মোহ হতে বিরত থাকার উপদেশ দিচ্ছেন যা নিঃসন্দেহে ধ্বং স ও শেষ হয়ে যাবে এবং
তিনি তাদেরকে আল্লাহ তাআলার কাছে সওয়ার অন্বেষণের জন্যে অনুপ্রাণিত করছেন, যিনি
কোন আমলকারীর আমলকে বিনষ্ট করেন না ৷ তিনি এমনই শক্তিশালী র্যার কাছে প্রতিটি বস্তুর
কর্তৃতৃ রয়েছে, যিনি কম আমলের জন্যে বেশি নওয়াব প্রদান করেন, এবং মন্দ কর্মের প্রতিদান
তার বেশি প্রদান করেন না ৷ মুমিন বান্দাটি তাদেরকে আরো সংবাদ দিচ্ছেন যে, আখিরাতই
হচ্ছে চিরস্থায়ী আবাস, যারা আখিরাতের প্রতি অটল ঈমান রেখে সৎকাজ করে যায়, তাদের
জন্য রয়েছে জান্নাতের সুউচ্চ ও নিরাপদ প্রাসাদমালা, অসংখ্য কল্যাণ, এর চিরস্থায়ী অক্ষয়
রিযিক ও ক্রমবর্ধমান কল্যাণসমুহ ৷
অতংপর তারা যে মতবাদে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে তার অসারতা এবং যেখানে প্রত্যাবর্তন করবে
তা সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করেও তিনি বলেন ং
,
র্ধ্বট্রুএ
এ
ذَلِكَ مِنَ الِارْتِفَاعِ الَّذِي لَا يَعْلَمُهُ إِلَّا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ.
وَذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ أَنَّ هَذَا الصَّرْحَ، وَهُوَ الْقَصْرُ الَّذِي بَنَاهُ وَزِيرُهُ هَامَانُ لَهُ، لَمْ يُرَ بِنَاءٌ أَعْلَى مِنْهُ، وَأَنَّهُ كَانَ مَبْنِيًّا مِنَ الْآجُرِّ الْمَشْوِيِّ بِالنَّارِ، وَلِهَذَا قَالَ: {فَأَوْقِدْ لِي يَا هَامَانُ عَلَى الطِّينِ فَاجْعَلْ لِي صَرْحًا} [القصص: 38] وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَانُوا يُسَخَّرُونَ فِي ضَرْبِ اللَّبِنِ، وَكَانَ مِمَّا حَمَلُوا مِنَ التَّكَالِيفِ الْفِرْعَوْنِيَّةِ أَنَّهُمْ لَا يُسَاعَدُونَ عَلَى شَيْءٍ مِمَّا يَحْتَاجُونَ إِلَيْهِ فِيهِ، بَلْ كَانُوا هُمُ الَّذِينَ يَجْمَعُونَ تُرَابَهُ وَتِبْنَهُ وَمَاءَهُ، وَيُطْلَبُ مِنْهُمْ كُلَّ يَوْمٍ قِسْطٌ مُعَيَّنٌ، إِنْ لَمْ يَفْعَلُوهُ وَإِلَّا ضُرِبُوا وَأُهِينُوا غَايَةَ الْإِهَانَةِ، وَأُوذُوا غَايَةَ الْأَذِيَّةِ. وَلِهَذَا قَالُوا لِمُوسَى: {أُوذِينَا مِنْ قَبْلِ أَنْ تَأْتِيَنَا وَمِنْ بَعْدِ مَا جِئْتَنَا قَالَ عَسَى رَبُّكُمْ أَنْ يُهْلِكَ عَدُوَّكُمْ وَيَسْتَخْلِفَكُمْ فِي الْأَرْضِ فَيَنْظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُونَ} [الأعراف: 129] فَوَعَدَهُمْ بِأَنَّ الْعَاقِبَةَ لَهُمْ عَلَى الْقِبْطِ، وَكَذَلِكَ وَقَعَ، وَهَذَا مِنْ دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ.
وَلْنَرْجِعْ إِلَى نَصِيحَةِ الْمُؤْمِنِ وَمَوْعِظَتِهِ وَاحْتِجَاجِهِ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَقَالَ الَّذِي آمَنَ يَا قَوْمِ اتَّبِعُونِ أَهْدِكُمْ سَبِيلَ الرَّشَادِ - يَا قَوْمِ إِنَّمَا هَذِهِ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا مَتَاعٌ وَإِنَّ الْآخِرَةَ هِيَ دَارُ الْقَرَارِ - مَنْ عَمِلَ سَيِّئَةً فَلَا يُجْزَى إِلَّا مِثْلَهَا وَمَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ يُرْزَقُونَ فِيهَا بِغَيْرِ حِسَابٍ} [غافر: 38 - 40]
[غَافِرٍ: 38 - 40] . يَدْعُوهُمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، إِلَى طَرِيقِ الرَّشَادِ وَالْحَقِّ، وَهِيَ مُتَابَعَةُ نَبِيِّ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৬০৮
(
৷ ষ্পু ৷
:;£: ণ্দ্বুর্বুশু প্রেদ্বু ৷ক্ট্রকুকু: ৷ধ্পু ;া ঠুক্কু১দ্বুব্লুটু এে৷ ৷ ধ্ন্ ৷ ;শ্৷ ৷ é;£ (,দ্বুৰুঠুঙ্কুঙু
ন্ার্দুপুপু৷ ট্রুশু;;৷ র্টু,ণ্,ব্লু; (া৷ ৷দ্বুৰুছুপ্লুট্রি৷ ৰু;াট্রুা৷
অর্থাৎ হে আমার সম্প্রদায় কি আশ্চর্য আ ৷মি তে ৷মাদেবকে আহ্বান করছি মুক্তির দিকে
আর তোমরা আমাকে ডাকছ আগুনের দিকে ৷ তোমরা আমাকে বলছ আল্লাহকে অস্বীকার
করতে এবং র্তারসমকক্ষ দাড় করাতে, যার সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান নেই ৷ পক্ষাস্তবে আমি
তােমাদেরকে আহ্বান করছি পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল আল্লাহর দিকে ৷ নিঃসন্দেহে তোমরা
আমাকে আহ্বান করছে৷ এমন একজনের দিকে যে দুনিয়া ও আখিরাতের কোথাও
আহ্বানযােগ্য নয় ৷ বন্তুত আমাদের প্রত্যাবর্তন তো আল্লাহর নিকট এবং সীমাল ত্ঘনকারীর৷ ই
জাহান্নামের অধিবাসী ৷ আমি তােমাদেরকে যা বলছি তোমরা তা অচিরেই স্মরণ করবে এবং
আমি আমার ব্যাপার আল্লাহতে অর্পণ করছি ৷ আল্লাহ্ তার বান্দাদের প্রতি সৰিশেষ দৃষ্টি
রাখেন ৷ তারপর আল্লাহ তাকে তাদের ষড়যব্রের অনিষ্ট হতে রক্ষা করলেন, এবং কঠিন শাস্তি
পরিবেষ্টন করল ফিরআউন সম্প্রদায়কে ৷ তাদেরকে উপস্থিত করা হয় আগুনের সম্মুখে সকাল ও
সন্ধ্যড়ায় এবং যেদিন কিয়ড়ামত ঘটবে সেদিন বলা হবে ফিরআউন সম্প্রদায়কে নিক্ষেপ কর কঠিন
শান্তিতে ৷’ (সুরা মুমিন : ৪ ১-৪৬)
অন্য কথায় মুমিন বান্দাটি ফিরআউনের সম্প্রদায়কে পৃথিবী ও আকাশমণ্ডলীর এমন
প্রতিপালকের ইবাদতের প্রতি আহ্বান করছিলেন যিনি কোন বস্তুকে সৃষ্টি করতে হলে বলে
থাকেন ,হ্র অর্থাৎ হয়ে যাও’ তখন হয়ে যায় ৷ অন্যদিকে ত ৷রা তাকে পথভ্রষ্ট সুর্য ও অতিশপ্ত
ফিরআউনের ইবাদতে তর প্রতি আহ্বান করছিল, এজন্যই তিনি তাদেরকে তাদের অনুসরণ না
করার কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছিলেন ং
)ষ্হ্রর্বু
,এে ৷
অতঃপর তিনি তাদের কাছে তাদের অবস্থান তুলে ধরলেন যে, তারা আল্লাহ তা জানা
ব্যতীত ৩এমন দেব-দেবীর ও মুর্তির পুজাঅর্চনা করছে, যারা তাদের কোন প্রকার উপকার বা
ক্ষতিসাধন করতে পারে না ৷
এ জন্যই তিনি বলেনং : (
র্বু,ার্চুৰুট্রু,ৰুর্ণীঢু
র্বু
ণ্ ষ্)১
অর্থাৎ দেব দেবীগুলো এ দুনিয়ার কোন প্রকার ক্ষমতা প্রয়োগ বা কর্কুত্বের অধিকারী নয়
বলে প্রমাণিত ,তাহলে চিরস্থায়ী আবাসস্থুলে৩ তারা কেমন করে এসবের অধিকারী হবে? তবে
مُوسَى، وَتَصْدِيقُهُ فِيمَا جَاءَ بِهِ مِنْ رَبِّهِ، ثُمَّ زَهَّدَهُمْ فِي الدُّنْيَا الدَّنِيَّةِ الْفَانِيَةِ الْمُنْقَضِيَةِ لَا مَحَالَةَ، وَرَغَّبَهُمْ فِي طَلَبِ الثَّوَابِ عِنْدَ اللَّهِ، الَّذِي لَا يُضَيِّعُ عَمَلَ عَامِلٍ لَدَيْهِ، الْقَدِيرِ الَّذِي مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ بِيَدَيْهِ، الَّذِي يُعْطِي عَلَى الْقَلِيلِ كَثِيرًا، وَمِنْ عَدْلِهِ لَا يُجَازَى عَلَى السَّيِّئَةِ إِلَّا مِثْلَهَا. وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّ الْآخِرَةَ هِيَ دَارُ الْقَرَارِ، الَّتِي مِنْ وَافَاهَا مُؤْمِنًا قَدْ عَمِلَ الصَّالِحَاتِ، فَلَهُمُ الْجَنَّاتُ الْعَالِيَاتُ، وَالْغُرَفُ الْآمِنَاتُ، وَالْخَيْرَاتُ الْكَثِيرَةِ الْفَائِقَاتُ، وَالْأَرْزَاقُ الدَّائِمَةُ الَّتِي لَا تَبِيدُ، وَالْخَيْرُ الَّذِي كُلُّ مَا لَهُمْ مِنْهُ فِي مَزِيدٍ.
ثُمَّ شَرَعَ فِي إِبْطَالِ مَا هُمْ عَلَيْهِ، وَتَخْوِيفِهِمْ مِمَّا يَصِيرُونَ إِلَيْهِ فَقَالَ: {وَيَا قَوْمِ مَا لِي أَدْعُوكُمْ إِلَى النَّجَاةِ وَتَدْعُونَنِي إِلَى النَّارِ - تَدْعُونَنِي لِأَكْفُرَ بِاللَّهِ وَأُشْرِكَ بِهِ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ وَأَنَا أَدْعُوكُمْ إِلَى الْعَزِيزِ الْغَفَّارِ - لَا جَرَمَ أَنَّمَا تَدْعُونَنِي إِلَيْهِ لَيْسَ لَهُ دَعْوَةٌ فِي الدُّنْيَا وَلَا فِي الْآخِرَةِ وَأَنَّ مَرَدَّنَا إِلَى اللَّهِ وَأَنَّ الْمُسْرِفِينَ هُمْ أَصْحَابُ النَّارِ - فَسَتَذْكُرُونَ مَا أَقُولُ لَكُمْ وَأُفَوِّضُ أَمْرِي إِلَى اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ - فَوَقَاهُ اللَّهُ سَيِّئَاتِ مَا مَكَرُوا وَحَاقَ بِآلِ فِرْعَوْنَ سُوءُ الْعَذَابِ - النَّارُ يُعْرَضُونَ عَلَيْهَا غُدُوًّا وَعَشِيًّا وَيَوْمَ تَقُومُ السَّاعَةُ أَدْخِلُوا آلَ فِرْعَوْنَ أَشَدَّ الْعَذَابِ} [غافر: 41 - 46]
[غَافِرٍ: 41 - 46] . كَانَ يَدْعُوهُمْ إِلَى عِبَادَةِ رَبِّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الَّذِي يَقُولُ لِلشَّيْءِ: كُنْ. فَيَكُونُ، وَهُمْ يَدْعُونَهُ إِلَى عِبَادَةِ فِرْعَوْنَ الْجَاهِلِ الضَّالِّ الْمَلْعُونِ، وَلِهَذَا قَالَ لَهُمْ عَلَى سَبِيلِ الْإِنْكَارِ: {وَيَا قَوْمِ مَا لِي أَدْعُوكُمْ إِلَى النَّجَاةِ وَتَدْعُونَنِي إِلَى النَّارِ - تَدْعُونَنِي لِأَكْفُرَ بِاللَّهِ وَأُشْرِكَ بِهِ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ وَأَنَا أَدْعُوكُمْ إِلَى الْعَزِيزِ الْغَفَّارِ} [غافر: 41 - 42] ،
পৃষ্ঠা - ৬০৯
আল্লাহ্ তড়াআলা পরাক্রমশালী, সৃষ্টিকর্তা এবং নেককার ও বদকার সকলের রিযিকদাতা, তিনি
বান্দাদের জীবিত করেন, মৃতৃদাে ন করেন এবং তাদের মৃত্যুর পর পুনরুথিত করবেন ৷ অতঃপর
তাদের মধ্যে যারা নেককার, তাদেরকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করাবেন ৷ এবং অবাধ্যদেরকে জাহান্নামে
প্রবিষ্ট করাবেন ৷
অতঃপর তারা যখন তাদের অবাধ্যতড়ায় অটল থাকে, তখন তিনি তাদেরকে সতর্ক করে
দিয়ে বলেন, “আমি তােমাদেকে যা বলছি তা অচিরেই তোমরা স্মরণ করবে এবং আমি আমার
ব্যাপারে আল্লাহতে অর্পণ করছি, নিশ্চয়ই আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি সর্বশেষ দৃষ্টি রাখেন ৷
ত৪পর আল্লাহ অর্থাৎ-মুমিন
বান্দাঢি ফিরআউন সম্প্রদায়ের অনুসরণকে অম্বীকা ৷র করার তাদের কুফরীর দরুনত তাদের উপর
আল্লাহ তা জানা যে কঠিন আযাব-গযব অবতীর্ণ করেন তা থেকে আল্লাহ তাকে রক্ষা করেন ৷
আর তারা তার বিরুদ্ধে ও আল্লাহ তাআলড়ার সরল পথ থেকে জনগণকে ৰিপথে রাখার জন্যে
বিভিন্ন মনগড়া ধ্যান ধারণা প্রচার করে তারা মুমিন বড়ান্দ৷ ও বনী ইসরা ঈলের অন্যান্য সদস্যের
বিরুদ্ধে যে ষড়যস্তের জাল বিস্তার করেছিল তা থেকে তিনি তাকে নিরাপদে রাখলেন ৷
অন্যদিকে তাদেরকে আল্লাহ্ তাআলার আযড়াব-গযব বেষ্টন করলো ৷
আল্লাহ তাআলা এ প্রসঙ্গে ইরশাদ করেন : “ফিরআউন সম্প্রদায়কে কঠিন শাস্তি পরিবেষ্টন
করল ৷” কবরে তাদের রুহ্সমুহকে সকাল-সন্ধ্যায় আগুনের সামনে উপস্থিত করা হয় আর
যেদিন কিয়ামত ঘটবে সেদিন বলা হবে, “ফিরআউন সম্প্রদায়কে কঠিন শাস্তিতে নিক্ষেপ
কর ৷” এই আয়াত্তের মাধ্যমে প্রমাণিত কবর আমার সম্বন্ধে তড়াফসীরে বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে ৷ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্রই ৷
মােদ্দা কথা হল, আল্লাহ্ তাআলা যেমন কোন সম্প্রদায়কে দলীল পুর্ণ করণ ও রাসুল
প্রেরণ ব্যতীত ধ্বংস করেন না, তদ্রাপ ফিরআউন সম্প্রদায়ের কাছে দলীল-প্ৰমাণাদি ও রাসুল
প্রেরণ করে আল্লাহ তাআলার প্রমাণাদির ব্যাপারে তাদের সন্দেহ নিরসন করে এবং কখনও
ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কখনো অনুপ্রেরণা দানের মাধ্যমে তাদের প্রতি রাসুল প্রেরণের পর তারা
অমান্য করাতে তিনি তাদেরকে ধ্বংস করেন ৷
আল্লাহ তা জানা ইরশাদ করেন :
ন্
৷ এ(া’৷ ৷র্চু;;র্মু৷ ১ট্রুণ্পুঠু
াপুট্রুব্লু ৷ট্রুপুব্রেদ্বু ;,সৌং১াণ্ প্রু, হ্রা র্দুব্লুাদ্বু;পুা৷ পুশুৰুন্দ্বু ,ওা৷ষ্ ৷ ১া
াদ্বুঠুহ্রব্লুপুারু র্দুাব্লু পা১ ট্রুা৷ট্রু ছু;ঢুপুা ৷এ ঢো ৷দ্বু শো£ার্চুএাঠু §£:,fl
া
ثُمَّ بَيَّنَ لَهُمْ بُطْلَانَ مَا هُمْ عَلَيْهِ مِنْ عِبَادَةِ مَا سِوَى اللَّهِ مِنَ الْأَنْدَادِ وَالْأَوْثَانِ، وَأَنَّهَا لَا تَمْلِكُ مِنْ نَفْعٍ وَلَا إِضْرَارٍ. فَقَالَ: {لَا جَرَمَ أَنَّمَا تَدْعُونَنِي إِلَيْهِ لَيْسَ لَهُ دَعْوَةٌ فِي الدُّنْيَا وَلَا فِي الْآخِرَةِ وَأَنَّ مَرَدَّنَا إِلَى اللَّهِ وَأَنَّ الْمُسْرِفِينَ هُمْ أَصْحَابُ النَّارِ} [غافر: 43] أَيْ; لَا تَمْلِكُ تَصَرُّفًا وَلَا حُكْمًا فِي هَذِهِ الدَّارِ، فَكَيْفَ تَمْلِكُهُ يَوْمَ الْقَرَارِ؟ وَأَمَّا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَإِنَّهُ الْخَالِقُ الرَّازِقُ لِلْأَبْرَارِ وَالْفُجَّارِ، وَهُوَ الَّذِي أَحْيَا الْعِبَادَ وَيُمِيتُهُمْ وَيَبْعَثُهُمْ، فَيُدْخِلُ طَائِعَهُمُ الْجَنَّةَ وَعَاصِيَهُمُ النَّارَ. ثُمَّ تَوَعَّدَهُمْ إِنْ هُمُ اسْتَمَرُّوا عَلَى الْعِنَادِ بِقَوْلِهِ: {فَسَتَذْكُرُونَ مَا أَقُولُ لَكُمْ وَأُفَوِّضُ أَمْرِي إِلَى اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ} [غافر: 44] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَوَقَاهُ اللَّهُ سَيِّئَاتِ مَا مَكَرُوا} [غافر: 45] أَيْ; بِإِنْكَارِهِ سَلِمَ مِمَّا أَصَابَهُمْ مِنَ الْعُقُوبَةِ عَلَى كُفْرِهِمْ بِاللَّهِ، وَمَكْرِهِمْ فِي صَدِّهِمْ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ مِمَّا أَظْهَرُوا لِلْعَامَّةِ مِنَ الْخَيَالَاتِ وَالْمُحَالَاتِ الَّتِي لَبَّسُوا بِهَا عَلَى عَوَامِّهِمْ وَطَغَامِهِمْ; وَلِهَذَا قَالَ: وَحَاقَ أَيْ; أَحَاطَ {بِآلِ فِرْعَوْنَ سُوءُ الْعَذَابِ - النَّارُ يُعْرَضُونَ عَلَيْهَا غُدُوًّا وَعَشِيًّا} [غافر: 45 - 46] أَيْ; تُعْرَضُ أَرْوَاحُهُمْ فِي بَرْزَخِهِمْ صَبَاحًا وَمَسَاءً عَلَى النَّارِ، {وَيَوْمَ تَقُومُ السَّاعَةُ أَدْخِلُوا آلَ فِرْعَوْنَ أَشَدَّ الْعَذَابِ} [غافر: 46] وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى دَلَالَةِ هَذِهِ الْآيَةِ عَلَى عَذَابِ الْقَبْرِ فِي " التَّفْسِيرِ ". وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَمْ يُهْلِكْهُمْ إِلَّا بَعْدَ إِقَامَةِ الْحُجَجِ عَلَيْهِمْ، وَإِرْسَالِ الرَّسُولِ إِلَيْهِمْ، وَإِزَاحَةِ الشُّبَهِ عَنْهُمْ، وَأَخْذِ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ مِنْهُمْ، فَبِالتَّرْهِيبِ تَارَةً
পৃষ্ঠা - ৬১০
আমি তো ফিরআউনের অনুসারীদেরকে দুর্ভিক্ষ ও ফল-ফসলের ক্ষতির দ্বারা আক্রান্ত
করেছি যাতে তারা অনুধাবন করে ৷ যখন তাদের কোন কল্যাণ হত, তারা বলত; এটাতো
আমাদ্যেল্ক প্রাপ্য ৷ আর যখন কোন অকল্যাণ হতো তখন তারা মুসা ও তার সঙ্গীদেরকে
অলক্ষুণে গণ্য করত; তাদের অকল্যাণঅ আল্লাহর নিয়স্ত্রণাধীন; কিতুা তাদের অধিকাৎশ এটা জানে
না ৷ তারা বলল, আমাদেরকে জাদু করার জঃন্য তুমি যে কো ন নিদর্শন আমাদের নিকট পেশ
করনা যেপ্স, আমরা তােমাতে বিশ্বাস করবো না ৷ তারপর আমি তাদেরকে প্লাবন, পঙ্গপাল,
উকুন, ভেক ও রক্ত দ্বারা ক্লিষ্ট করি ৷ এগুলি স্পষ্ট নিদর্শন, কিন্তু তারা দান্ধিকই রয়ে পেল ৷ আর
তারা ছিল এক অপরাধী সম্প্রদায় ৷ (সুরা আরাফ : ১৩০ ১৩৩)
এখানে আল্লাহ্ তাআলা জানাচ্ছেন যে, তিনি ফিরআউনের সম্প্রদায়কে দুর্ভিক্ষ দ্বারা ক্লিষ্ট
করেছেন ৷ ফিরআউনের সম্প্রদায় হচ্ছে কিবতীগণ ৷ লোঃবা ৷দুর্তিক্ষের বছবগুলো বলতে
এমন সব বছরকে বুঝানো হয়, যে গুলোর ফসল হয় না এবং গবাদি পশুর দুধ দ্বারাও মানুষ
উপকৃত হতে পারে না ৷ আয়াতে উল্লেখিত ণ্ ,,পুছু৷ ৷ ,০ ওেণ্;প্রু-এর অর্থ হচ্ছে গাছের
ফলফলাদি ও কম হওয়া ৷ আয়াতাৎশ §’§’$$ , ” এর দ্বারা ৷ইংগিত করা হয়েছে যে,
তারা দৃর্তিক্ষে আক্রান্ত হওয়া সচত্ত্বওত তারা এ থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারেনি
বরং তারা আরো অবাধ্য হয়ে উঠে ও কুফরী হঠকারিতার মধ্যে অবিচল থাকে ৷ যখন তাদের
কোন কল্যাণ হত, অর্থাৎ প্রচুর ফসলাদি হত তখন তারা বলত আমাদেরই, অর্থাৎ এটা
আমাদের ন্যায্য পাওনা এবং আমরাই এর উপযুক্ত ৷ আর যখন কোন অকল্যাণ হত তখন তারা
বলত, এটা মুসা ও তার সঙ্গীরা অলক্ষুণে হওয়ার কারণে আমাদের উপর আরোপিত হয়েছে ৷
অথচ তারা কল্যাণের সময় বলত না যে এটা ৷মুসা ও ত ৷র ৷সঙ্গীদের ররকতে ৎব৷ তাদের শুভ
অবস্থানের দরুন হয়েছে ৷ তাদের অন্তরসমুহ দাম্ভিক ও অস্বীকারকারী এবং সত্য থেকে বিযুখ ৷
যখন তাদের প্রতি কো ন অকল্যাণ আপতিত হয়, তখন তারা এটা মুসা (আ) ও তার সঙ্গীদের
প্রতি আরোপ করে আর যখন তারা কোন প্রকার কল্যাণ দেখতে পেতো, তখন তারা এটাকে
নিজেদের কৃতিত্ব বলে দাবি করতো ৷
এ প্রেক্ষিতে আল্পাহ্ ত৷ আলা ইরশাদ করেন০ : ধ্া৷ ৷া; ন্পুাঝুওএে ৷০ট্ট৷ ৰুা৷ তাদের
অকল্যাণ আল্লাহর নিয়স্ত্রণাধীন অর্থাৎ আল্লাহ্ তাদেরকে একথার জন্যে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান
করবেন ৷ তারা বলে :
পে
,পু;০দ্বুন্দ্বু০ এ৷ ;,শ্১ র্টু০পুহু; ৷,প্রু ৷শুদ্দৌ,ৰু ণ্র্ভু৷ ট্রু,০ এে;, ৷ঠুছু০০
অর্খাৎ তারা বলল, আমাদেরকে জাদু করার জন্যে তুমি আমাদের কাছে যে কোন নিদর্শন
বা মুজিযা ৷পেশ কর না কেন, আমরা ণ্তামাতে বিশ্বাস করব না, এবং তোমার আনুগত্য
করব না
অনুরুপভ৷ বে আল্লাহ্ তাআল৷ অন্য আয়াতে তাদের সম্পর্কে ইরশাদ করেন :
রুা১৷ ৷ ;, ৷ & ৷ দ্বুদ্বুন্ র্বৃ
وَالتَّرْغِيبِ أُخْرَى، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ أَخَذْنَا آلَ فِرْعَوْنَ بِالسِّنِينَ وَنَقْصٍ مِنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ - فَإِذَا جَاءَتْهُمُ الْحَسَنَةُ قَالُوا لَنَا هَذِهِ وَإِنْ تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَطَّيَّرُوا بِمُوسَى وَمَنْ مَعَهُ أَلَا إِنَّمَا طَائِرُهُمْ عِنْدَ اللَّهِ وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ - وَقَالُوا مَهْمَا تَأْتِنَا بِهِ مِنْ آيَةٍ لِتَسْحَرَنَا بِهَا فَمَا نَحْنُ لَكَ بِمُؤْمِنِينَ - فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الطُّوفَانَ وَالْجَرَادَ وَالْقُمَّلَ وَالضَّفَادِعَ وَالدَّمَ آيَاتٍ مُفَصَّلَاتٍ فَاسْتَكْبَرُوا وَكَانُوا قَوْمًا مُجْرِمِينَ} [الأعراف: 130 - 133] الْأَعْرَافِ: 130 - 133] . يُخْبِرُ تَعَالَى أَنَّهُ ابْتَلَى آلَ فِرْعَوْنَ، وَهُمْ قَوْمُهُ مِنَ الْقِبْطِ، بِالسِّنِينَ، وَهِيَ أَعْوَامُ الْجَدْبِ الَّتِي لَا يُسْتَغَلُّ فِيهَا زَرْعٌ وَلَا يُنْتَفَعُ بِضَرْعٍ. وَقَوْلُهُ: {وَنَقْصٍ مِنَ الثَّمَرَاتِ} [الأعراف: 130] وَهِيَ قِلَّةُ الثِّمَارِ مِنَ الْأَشْجَارِ، {لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ} [الأعراف: 26] أَيْ; فَلَمْ يَنْتَفِعُوا وَلَمْ يَرْعَوُوا، بَلْ تَمَرَّدُوا وَاسْتَمَرُّوا عَلَى كُفْرِهِمْ وَعِنَادِهِمْ {فَإِذَا جَاءَتْهُمُ الْحَسَنَةُ} [الأعراف: 131] وَهُوَ الْخِصْبُ وَنَحْوُهُ {قَالُوا لَنَا هَذِهِ} [الأعراف: 131] أَيْ; هَذَا الَّذِي نَسْتَحِقُّهُ وَهَذَا الَّذِي يَلِيقُ بِنَا، {وَإِنْ تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَطَّيَّرُوا بِمُوسَى وَمَنْ مَعَهُ} [الأعراف: 131] أَيْ; يَقُولُونَ هَذَا; بِشُؤْمِهِمْ أَصَابَنَا هَذَا. وَلَا يَقُولُونَ فِي الْأَوَّلِ: إِنَّهُ بَرَكَتُهُمْ وَحُسْنُ مُجَاوَرَتِهِمْ، وَلَكِنَّ قُلُوبَهُمْ مُنْكِرَةٌ مُسْتَكْبِرَةٌ نَافِرَةٌ عَنِ الْحَقِّ، إِذَا جَاءَ الشَّرُّ أَسْنَدُوهُ إِلَيْهِ، وَإِنْ رَأَوْا خَيْرًا ادَّعَوْهُ لِأَنْفُسِهِمْ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {أَلَا إِنَّمَا طَائِرُهُمْ عِنْدَ اللَّهِ} [الأعراف: 131] أَيِ; اللَّهُ يَجْزِيهِمْ عَلَى هَذَا أَوْفَرَ الْجَزَاءِ {وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ - وَقَالُوا مَهْمَا تَأْتِنَا بِهِ مِنْ آيَةٍ لِتَسْحَرَنَا بِهَا فَمَا نَحْنُ لَكَ بِمُؤْمِنِينَ} [الأعراف: 131 - 132] أَيْ; مَهْمَا جِئْتَنَا بِهِ مِنَ الْآيَاتِ، وَهِيَ الْخَوَارِقُ لِلْعَادَاتِ فَلَسْنَا نُؤْمِنُ بِكَ وَلَا نَتَّبِعُكَ وَلَا نُطِيعُكَ وَلَوْ جِئْتَنَا بِكُلِّ آيَةٍ. وَهَكَذَا أَخْبَرَ اللَّهُ عَنْهُمْ فِي
পৃষ্ঠা - ৬১১
অর্থাৎ-নিশ্চয়ই যাদের বিরুদ্ধে তোমার প্রতিপালকের বাক্য সাবম্ভে হয়ে গিয়েছে তারা ঈমান
আনবে না যদিও তাদের নিকট প্রত্যেকটি নিদর্শন আসে, যতক্ষণ না তারা মর্মন্তুদ শান্তি প্রত্যক্ষ
করবে ৷ (সুরা ইউনুস : ৯৬-৯ ৭)
তাদের শাস্তি সম্পর্কে অন্য আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন :
;,াঠু ৷ র্দুশ্দ্বুঘ্র ৷ § ব্লু;াশু র্দু এ ৷ § পু£’ছু৷ ৷ ; ও ৷ ,ট্রু; ৷ ৷ § ট্রু, ঠেদ্বুাকুপ্র ৷ ;;¢ ; ; এেট্রুটুছুর্চুন্
সু,ট্রুন্ৰু,, প্লুদ্বু ৷র্দুশুটুর্চুব্র ৷ ট্রুর্মু১ (ও § ৷ §’,;’ র্দু^ ৷ৰু ছু,মৈংং
“অতঃপর আমি তাদেরকে প্লাবন, পঙ্গপাল, উকুন, ভেক ও রক্ত দ্বারা ক্লিষ্ট করি ৷ এগুলো
ষ্ন্ংষ্টি নিদর্শন; কিত্তু তারা দান্তিকই রয়ে গেল আর তারা ছিল এক অপরাধী সম্প্রদায় ৷
আয়াতে উল্লেখিত ট্রুর্চু১ট্রুর্দুন্ শব্দটির অর্থ নিয়ে তাফসীরকারদের মধ্যে মতানৈক্য
পরিলক্ষিত হয় ৷ ট্রুাপুহুট্রুশুার্দু-এর অর্থ প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণিত
রয়েছে ৷ তিনি বলেন, অত্যধিক বৃষ্টিপাত যাতে ফসলাদি ও ফলমুল বিনষ্ট হয় ৷ সাঈদ ইবন
জুবাইর, কাতাদা, সুদ্দী এবং যাহ্হড়াক (র)ও এ মত পোষণ করেন ৷ আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস
(রা) ও আতা (র) থেকে অন্য একটি বর্ণনায় বলা হুয়ােহু যে, তুফানের অর্থ বিপুল হারে
মৃত্যুবরণ ৷ মুজাহিদ বলেন, তৃফান’-এর অর্থ সর্বাবস্থায়ই প্লাবন এবং প্লেগ ৷ আব্দুল্লাহ ইবন
আব্বাস (রা) থেকে অন্য একটি বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, তৃফানের অর্থ হচ্ছে প্রতিটি মুসীবত যা
জনগণকে কৌন করে ফেলে ৷ ইবন জারীর ও ইবন মারদুইয়াহ (র) হতে বর্ণিত ৷ তারা আয়েশা
(রা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেছেন, তৃফানের অর্থ মুতৃব্র’ ৷
এই হাদীসটি গরীব পর্যায়ের ৷
আয়াতে উল্লেখিত ৰু!ওশু১^া! শব্দটির অর্থ যে পঙ্গপাল তা সুবিদিত ৷ সালমান ফারসী (বা)
হতে বর্ণিত , তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ (না)-কে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি ইরশাদ করেন,
আল্লাহ তাআলার বাহিনীসমুহের মধ্যে এগুলোর সংখ্যাই সৰ্বাধিক , এগুলো আমি থাই না এবং
এগুলো খাওয়াকে হারামও বলি না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর রুচি বিরুদ্ধ হওয়ার জন্যেই তিনি
পঙ্গপাল খাওয়া থেকে বিরত থাকতেন ৷ যেমন তিনি গুইসাপ খাওয়া থেকে বিরত ছিলেন এবং
পিয়াজ ও রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকতেন ৷ বুখারী ও মুসলিম গ্রহুদ্বয়ে আব্দুল্লাহ ইবন আবু
আওফা (রা) হতে বর্ণিত , তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর সঙ্গে সাতটি যুদ্ধে যোগদান
করেছি ৷ সে সময় আমরা পঙ্গপাল থেতাম ৷ এ প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীসসমুহ নিয়ে তাফসীরে
বিশভোবে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ সার কথা হঘে এই যে, আল্লাহ্ তাআলা তাদের শস্য-শ্যামল
মাঠ ধ্বংস করে দিলেন ৷ তাদের ফল-ফসলাদি ও গবাদি পশু কিছুই বাকি রইলো না, সবই
ধ্বংস হয়ে গেল ৷
আয়াতে উল্লেখিত ?এোএর অর্থ নিয়ে মতানৈক্য দেখা যায় ৷ আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস
(ব) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, পু;ছুৰু হচ্ছে এমন একটি পোকা যা গমেৱ মধ্য থেকে বের হয়ে
আসে ৷ এই বর্ণনাকারী থেকে অন্য একটি বর্ণনা বর্ণিত রয়েছে ৷ তিনি বলেন, ৰু)র্দু,শু-এর অর্থ
হচ্ছে এমন ছোট পঙ্গপাল যার পাখা নেই ৷ মুজাহিদ, ইকরিমা ও কাতাদা (র)ও এমত পোষণ
قَوْلِهِ: {إِنَّ الَّذِينَ حَقَّتْ عَلَيْهِمْ كَلِمَةُ رَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ - وَلَوْ جَاءَتْهُمْ كُلُّ آيَةٍ حَتَّى يَرَوُا الْعَذَابَ الْأَلِيمَ} [يونس: 96 - 97]
[يُونُسَ: 96، 97] . قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الطُّوفَانَ وَالْجَرَادَ وَالْقُمَّلَ وَالضَّفَادِعَ وَالدَّمَ آيَاتٍ مُفَصَّلَاتٍ فَاسْتَكْبَرُوا وَكَانُوا قَوْمًا مُجْرِمِينَ} [الأعراف: 133] .
أَمَّا الطُّوفَانُ، فَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: هُوَ كَثْرَةُ الْأَمْطَارِ الْمُتْلِفَةِ لِلزُّرُوعِ وَالثِّمَارِ. وَبِهِ قَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَقَتَادَةُ، وَالسُّدِّيُّ، وَالضَّحَّاكُ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَطَاءٍ: هُوَ كَثْرَةُ الْمَوْتِ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ: الطُّوفَانُ الْمَاءُ، وَالطَّاعُونُ عَلَى كُلِّ حَالٍ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَمْرٌ طَافَ بِهِمْ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ وَابْنُ مَرْدَوَيْهِ، مِنْ طَرِيقِ يَحْيَى بْنِ يَمَانٍ عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ خَلِيفَةَ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ مِينَاءَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الطُّوفَانُ الْمَوْتُ» وَهُوَ غَرِيبٌ.
وَأَمَّا الْجَرَادُ فَمَعْرُوفٌ. وَقَدْ رَوَى أَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْجَرَادِ، فَقَالَ «: أَكْثَرُ جُنُودِ اللَّهِ، لَا آكُلُهُ وَلَا أُحَرِّمُهُ» وَتَرْكُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْلَهُ إِنَّمَا هُوَ عَلَى وَجْهِ التَّقَذُّرِ لَهُ; كَمَا تَرَكَ أَكْلَ الضَّبِّ، وَتَنَزَّهَ عَنْ أَكْلِ الْبَصَلِ وَالثُّومِ وَالْكُرَّاثِ، لِمَا ثَبَتَ فِي
পৃষ্ঠা - ৬১২
করেন ৷ সাঈদ ইবন জুবাইর (বা) ও হাসান বসরী (র) বলেন ঝুইষ্ই০ হচ্ছে এমন একটি জীব যা
কাল ও ছোট ৷ আবদুর রহমান ইবন যায়দ ইবন আসলাম (র) বলেন ট্রুই£গু হচ্ছে পক্ষবিহীন
মাছিসমুহ ৷ ইবন জারীর (র) আরবী ভাষাতাষীদের বরাতে বর্ণনা করেছেন যে, র্টুর্দুটুগু এর অর্থ
হচ্ছে উকুন বা পরজীবী কীট বিশেষ ৷ উকুন দলে দলে তাদের ঘরে ও বিছানায় প্রবেশ করে
এবং তাদের প্রতি অশান্তি ঘটায় ৷ ফলে তাদের পক্ষে ঘুমানােও সম্ভব হতোন ন ৷এবং জীবন
দুর্বিষহ হয়ে ওঠে ৷ আত ৷ ইবন সাইব (র) ট্র’রু কে সাধারণ উকুন বলে ব্যাখ্যা করেছেন ৷
হাসান বসরী (র) fl;fi কে ণ্ এর তাশদীদ ব্যতিরেকে কুমাল’ রুপে পাঠ করেছেন ৷ ব্যাঙ
একটি বহুল পরিচিত প্রাণী ৷ এগুলো তাদের খাবারে ও বাসনপত্রে লাফিয়ে পড়ত ৷ এমন কি
তাদের কেউ যদি খাওয়ার বা পান করার জন্যে মুখ খুলত অমনি ওগুলো মুখে ঢুকে পড়ত ৷
রক্তের ব্যাপারটিও ছিল অনুরুপ ৷ যখন তারা পানি পান করতে যেত তখনই পানিকে রক্ত
মিশ্রিত পেত ৩৷ যখনি তারা নীল নদে পানি পান করতে নামত, অমনি তার পানি রক্ত মিশ্রিত
পেত ৷ এমনিভাবে কোন নদী-নালা বা কুয়া ছিল না যার পানি ব্যবহারের সময় রক্ত মিশ্রিত মনে
না হত ৷ বনী ইসরাঈল বংশীয়রা এসব উপদ্রব থেকে যুক্ত ছিল ৷ এগুলো ছিল পরিপুর্ণ
অলৌকিক ঘটনা ও অকাট্য প্রমাণাদি যা মুসা (আ)-এর কাজের মাধ্যমে তাদের জন্যে প্রকাশ
পেয়েছিল ৷ বনী ইসরাঈলের আবাল বৃদ্ধবনিতা সকলেই এভাবে লাভবান হয়েছিল ৷ এসব
ব্যাপার ছিল তাদের জন্য উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত ও প্রমাণ ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, জাদুকররা
যখন প্রতিযোগিতায় পরাস্ত ও ব্যর্থকাম হয়ে ঈমান আনয়ন করল তখনও আল্লাহর শত্রু
ফিরআউন তার কুফরী ও দৃষ্কর্মে অবিচল রইল ৷ তখন আল্লাহ একে একে তার সম্মুখে
নিদর্শনড়াদি প্রকাশ করেন ৷ প্রথমে দৃর্তিক্ষ এবং৩ তারপর তৃফান অবতীর্ণ করেন ৷ এরপর পঙ্গপাল,
উকুন, ব্যাঙ ও রক্ত স্পষ্ট নিদর্শন হিসেবে পর পর প্রেরণ করেন ৷ প্লাবনের ফলে তারা ঘর থেকে
বের হতে পারতে৷ না এবং কোন প্রকার কাজ-কর্মও করতে পারতে৷ না ৷ ফলে তারা দৃর্তিক্ষে
আক্রান্ত হয় ৷
এশোরুপে তারা যখন দৃব্ধিক্ষ আক্রান্ত হল তখন তারা মুসা (আ) ৫ক বলতে লাগলং :
এেশুদুাঢুএি @
ক্রোদ্বুএে৷ §
অর্থাৎ-হে মুসা! তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট আমাদের জন্যে প্রার্থনা কর, তোমার
সাথে তিনি যে অঙ্গীকার করেছেন যে মতে; যদি তুমি আমাদের ওপর থেকে শান্তি অপসারিত
কর তবে আমরা তো তােমাতে ঈমান আনবই এবং বনী ইসরাঈলকেও তোমার সাথে অবশ্যই
যেতে দেব ৷ (সুরা আরাফ : ১৩৪)
তখন মুসা (আ) তার প্রতিপালকের কাছে প্রার্থনা করেন এবং আল্লাহ্ তাআলা তাদের
ওপর থেকে তার প্রেরিত শান্তি অপসারিত করেন ৷ কিত্তু তারা তখন তাদের অঙ্গীকার পুরণ
করল না ৷ আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি পঙ্গপড়াল অবতীর্ণ করেন ৷ পঙ্গপাল তাদের গাছপালা
সব নিঃশেষ করে ফেলে এমনকি তাদের ঘরের দরজাসমুহের লোহার পেরেকগুলাে পর্যন্ত খেতে
" الصَّحِيحَيْنِ "، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ: «غَزْونَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْعَ غَزَوَاتٍ نَأْكُلُ الْجَرَادَ» . وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى مَا وَرَدَ فِيهِ مِنَ الْأَحَادِيثِ وَالْآثَارِ فِي " التَّفْسِيرِ ".
وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ اسْتَاقَ خَضْرَاءَهُمْ، فَلَمْ يَتْرُكْ لَهُمْ زُرُوعًا وَلَا ثِمَارًا، وَلَا سَبَدًا وَلَا لَبَدًا.
وَأَمَّا الْقُمَّلُ، فَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: هُوَ السُّوسُ الَّذِي يَخْرُجُ مِنَ الْحِنْطَةِ، وَعَنْهُ، أَنَّهُ الْجَرَادُ الصِّغَارُ الَّذِي لَا أَجْنِحَةَ لَهُ. وَبِهِ قَالَ مُجَاهِدٌ، وَعِكْرِمَةُ، وَقَتَادَةُ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَالْحَسَنُ: هُوَ دَوَابُّ سُودٌ صِغَارٌ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ: هِيَ الْبَرَاغِيثُ. وَحَكَى ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ أَهْلِ الْعَرَبِيَّةِ أَنَّهَا الْحَمْنَانُ. وَهُوَ صِغَارُ الْقِرْدَانِ فَوْقَ الْقَمْقَامَةِ، فَدَخَلَ مَعَهُمُ الْبُيُوتَ وَالْفُرُشَ، فَلَمْ يَقِرَّ لَهُمْ قَرَارٌ، وَلَمْ يُمْكِنْهُمْ مَعَهُ الْغَمْضُ وَلَا الْعَيْشُ. وَفَسَّرَهُ عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ بِهَذَا الْقُمَّلِ الْمَعْرُوفِ. وَقَرَأَهَا الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ كَذَلِكَ بِالتَّخْفِيفِ.
وَأَمَّا الضَّفَادِعُ فَمَعْرُوفَةٌ، لَبَّسَتْهُمْ حَتَّى كَانَتْ تَسْقُطُ فِي أَطَعِمَاتِهِمْ وَأَوَانِيهِمْ، حَتَّى إِنَّ أَحَدَهُمْ إِذَا فَتَحَ فَمَهُ لِطَعَامٍ أَوْ شَرَابٍ، سَقَطَتْ فِي فِيهِ ضِفْدِعَةٌ مِنْ تِلْكَ الضَّفَادِعِ.
পৃষ্ঠা - ৬১৩
থাকে ৷ ফলে তাদের ঘরবাড়িগুলে৷ পড়ে যেতে থাকে ৷ তখন তারা পুর্বের মত মুসা (আ)-কে
আল্লাহ্ তাআলার দরবারে প্রার্থনা করার জন্য অনুরোধ জানায় ৷ মুসা (আ) তার প্রতিপালকের
কাছে প্রার্থনা করার তাদের উপর থেকে আবার রহিত হয়ে যায় ৷ কিন্তু তারা তাদের অঙ্গীকার
পুর্ণ করল না ৷ তখন আল্লাহ্ তাআলা তাদের প্রতি উকুন প্রেরণ করেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন যে,
মুসা (আ) কে একটি বালুর ঢিবির কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেয়৷ হয়েছিল ৷ আরো আদেশ দেয়া
হয়েছির তিনি যেন তার লাঠি৷ দ্ব ৷রা তাতে আঘাত করেন ৷ তারপর মুসা (আ) একটি বড় ঢিবির
দিকে নিয়ে তাতে আপন লাঠি দ্বারা আঘাত করলেন তাতে তাদের উপর উকুন ছড়িয়ে পড়ল ৷
এমনকি উকুন ঘরবাড়ি ও খাদ্য-সল্কারের উপর ছড়িয়ে পড়তে লাগল ৷ তাদের নিদ্র৷ ও শান্তি
বিন্নিত হতে লাগল ৷ যখন তারা এই ঘুসীবতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠল তখন তারা মুসা (আ )-কে
পুর্বের মত আল্লাহ্র দরবারে দুআর জন্য অনুরোধ জানাতে লাগল ৷ অতঃপর মুসা (আ) তার
প্রতিপালকের কাছে প্রার্থনা করলেন এবং আল্লাহ্ তাআলা তাদের উপর থেকে আমার হটিয়ে
দিলেন কিত্তু তারা তাদের অঙ্গীকার কিছুই পুরণ করল না ৷ তাতে আল্লাহ্ তা জানা তাদের উপর
ব্যাঙ প্রেরণ করেন ৷ তাদের ঘরবাড়ি, খানাপিনা, ও ইাড়ি পাতিল ব্যাঙে পরিপুর্ণ হয়ে গেল ৷
তাদের কেউ যখন কোন কাপড় কিংবা খাবারের ঢাকন৷ উঠাত, অমনি তারা দেখতে পেত যে,
সেগুলো ব্যাঙ দখল করে ব্লেখেছে ৷ এই মুসীবতে যখন তারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠল, তখন তারা
আগের মত মুসা (আ) এর কাছে দৃআর জন্য অনুরোধ জানাতে লাগল ৷ মুসা (আ) তার
প্রতিপালককে ডাকলেন এবং তিনি তাদের উপর থেকে আবার বিদুরিত করলেন ৷ কিন্তু তারা
তাদের প্রতিশ্রুতি মোটেও রক্ষা করল না ৷ তাই আল্লাহ তা আলা তাদের প্রতি রক্তের শাস্তি
প্রেরণ করেন ৷ ফিরআউন সম্প্রদায়ের পানির উৎসগুলে৷ রক্তে পরিপুর্ণ হয়ে গেল ৷ তারা যখনই
কে ন কুয়া, নদীনালা ও পাত্র থেকে পানি পান করতে ইচ্ছে করত এগুলো রক্তে পরিণত হয়ে
যেত ৷ যায়দ ইবন আসলাম বলেন, আয়াত ৷ত্শে উল্লেখিত ণ্ন্ শব্দটির অর্থ এ্া বা নাক
থেকে ঝর৷ রক্ত ৷ বর্ণনাটি ইবন আবী হ৷ ৷তিমের ৷
অন্যত্র আল্লাহ্ তাঅ৷ ৷লা ইরশা ৷৷দ করেন :
ব্লুট্রু প্রেটু
এে
ন্ছুর্দুশু
ণ্প্রুৰুর্চুঠুর্চুছুর্দুব্
অর্থাত্ এবং যখন তাদের উপর শাস্তি আসত তারা বলত, হে মুসা! তুমি তোমার
প্রতিপালকের নিকট আমাদের জন্য প্রার্থনা কর, তোমার সাথে তিনি যে অঙ্গীকার করেছেন সে
অনুযায়ী ৷ যদি তুমি আমাদের উপর থেকে শাস্তি অপসারিত কর, তবে আমরা তো তােমাতে
ঈমান আনবই এবং বনী ইসরাঈলকেও তোমার সাথে অবশ্যই যেতে দেব ৷ আমি যখনই
তাদের উপর থেকে শাস্তি অপসারিত করতাম এক নির্দিষ্ট কালের জন্যে যা তাদের উপর
নির্ধারিত ছিল, তারা তখনই তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করত ৷ সুতরাং আমি তাদেরকে শাস্তি দিয়েছি
وَأَمَّا الدَّمُ فَكَانَ قَدْ مُزِجَ مَاؤُهُمْ كُلُّهُ بِهِ، فَلَا يَسْتَقُونَ مِنَ النِّيلِ شَيْئًا إِلَّا وَجَدُوهُ دَمًا عَبِيطًا، وَلَا مِنْ نَهْرٍ وَلَا بِئْرٍ وَلَا شَيْءٍ إِلَّا كَانَ دَمًا فِي السَّاعَةِ الرَّاهِنَةِ. هَذَا كُلُّهُ، وَلَمْ يَنَلْ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ بِالْكُلِّيَّةِ. وَهَذَا مِنْ تَمَامِ الْمُعْجِزَةِ الْبَاهِرَةِ، وَالْحُجَّةِ الْقَاطِعَةِ أَنَّ هَذَا كُلَّهُ يَحْصُلُ لَهُمْ عَنْ فِعْلِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَيَنَالُهُمْ عَنْ آخِرِهِمْ، وَلَا يَحْصُلُ هَذَا لِأَحَدٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَفِي هَذَا أَدَلُّ دَلِيلٍ.
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: فَرَجَعَ عَدُوُّ اللَّهِ فِرْعَوْنُ حِينَ آمَنَتِ السَّحَرَةُ مَغْلُوبًا مَفْلُولًا، ثُمَّ أَبَى إِلَّا الْإِقَامَةَ عَلَى الْكُفْرِ وَالتَّمَادِيَ فِي الشَّرِّ، فَتَابَعَ اللَّهُ عَلَيْهِ بِالْآيَاتِ، فَأَخَذَهُ بِالسِّنِينَ، فَأَرْسَلَ عَلَيْهِ الطُّوفَانَ، ثُمَّ الْجَرَادَ، ثُمَّ الْقُمَّلَ، ثُمَّ الضَّفَادِعَ، ثُمَّ الدَّمَ آيَاتٍ مُفَصَّلَاتٍ; فَأَرْسَلَ الطُّوفَانَ - وَهُوَ الْمَاءُ - فَفَاضَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ ثُمَّ رَكَدَ لَا يَقْدِرُونَ عَلَى أَنْ يَحْرُثُوا وَلَا أَنْ يَعْمَلُوا شَيْئًا، حَتَّى جُهِدُوا جُوعًا، فَلَمَّا بَلَغَهُمْ ذَلِكَ، {وَلَمَّا وَقَعَ عَلَيْهِمُ الرِّجْزُ قَالُوا يَا مُوسَى ادْعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِنْدَكَ لَئِنْ كَشَفْتَ عَنَّا الرِّجْزَ لَنُؤْمِنَنَّ لَكَ وَلَنُرْسِلَنَّ مَعَكَ بَنِي إِسْرَائِيلَ} [الأعراف: 134] . فَدَعَا مُوسَى رَبَّهُ، فَكَشْفَهُ عَنْهُمْ، فَلَمَّا لَمَّ يَفُوا لَهُ بِشَيْءٍ، فَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهِمُ الْجَرَادَ، فَأَكَلَ الشَّجَرَ، فِيمَا بَلَغَنِي، حَتَّى إِنْ كَانَ لَيَأْكُلُ مَسَامِيرَ الْأَبْوَابِ مِنَ الْحَدِيدِ، حَتَّى تَقَعَ دُورُهُمْ وَمَسَاكِنُهُمْ، فَقَالُوا مِثْلَ مَا قَالُوا، فَدَعَا رَبَّهُ فَكَشَفَ عَنْهُمْ، فَلَمْ يَفُوا لَهُ بِشَيْءٍ مِمَّا قَالُوا، فَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهِمُ الْقُمَّلَ، فَذَكَرَ لِي أَنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أُمِرَ أَنْ يَمْشِيَ إِلَى كَثِيبٍ حَتَّى يَضْرِبَهُ بِعَصَاهُ فَمَشَى إِلَى كَثِيبٍ أَهْيَلَ عَظِيمٍ، فَضَرَبَهُ بِهَا، فَانْثَالَ
পৃষ্ঠা - ৬১৪
এবং তাদেরকে অতল সমুদ্রে নিমজ্জিত করেছি ৷ কারণ তারা আমার নিদর্শনকে অস্বীকা ৷র করত
এবং এই সম্বন্ধে তারা ছিল গাফিল ৷ (সুরা আ রাফ ১৩৪ ১৩৬)
ৰু আল্লাহ তাআলা এখানে ফিরআউনের ও তার সম্প্রদায়ের কুফরী, জোর-জুলুম, পথভ্রষ্টতা
ও মুর্থতায় লিপ্ত থাকা এবং আল্লাহ তাআলার নিদর্শনাদির অনুসরণ ও তার রাসুলের প্রতি
বিশ্বাস স্থাপন থেকে বিৰুখতা ইত্যাদি সম্বন্ধে বর্ণনা করছেন ৷ অথচ আল্লাহর রাসুলের প্রতি
বিশ্বাস স্থাপনের বিষয়টি বিভিন্ন প্রকার অলৌকিক নিদর্শনাদি ও অকাট্য প্রমাণাদি দ্বারা প্রমাণিত
ও সুপ্রতিষ্ঠিত ৷ আল্লাহ তাআলা তাদেরকে নিদর্শনাদি প্রদর্শন করেছেন এবং এগুলোকে তাদের
বিরুদ্ধে দলীল ও প্রমাণ সাব্যস্ত করেছেন ৷ যখনই তারা আল্লাহর কোন নিদর্শন প্রত্যক্ষ করত
এবং মুসীবতের শিকার হত তখনই তারা মুসা (আ)-এর কাছে শপথ করে ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়
যে, যদি তাদের উপর থেকে এসব মুসীবত দুরীভুত হয়ে যায় তাহলে ফিরআউন মুসা (আ) এর
প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং মুসা (অড়া)-এর দলের লোকদ্দোকে মুসা (আ)-এর সাথে যেতে
দেবে ৷ অথচ যখনি তাদের উপর থেকে এরুপ আযাব-গযব উঠিয়ে নেয়া হত, তখনি তারা
দুষ্কর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ত এবং প্রেরিত সভ্যকে প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করত ৷ আর মুসা (আ )-এর
দিকে ফিরেও ডাকাত না ৷ তখন আল্লাহ্ তাআলা তাদের প্রতি অন্য একটি নিদর্শন বা মুসীবত
অবতীর্ণ করতেন যা পুর্বের ৫প্ররিতংনিদর্শন ও মুসীবত থেকে অধিকতর কষ্টদায়ক হত ৷ তখন
তারা মুসা (আ) এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের মৌখিক অঙ্গীকার করত ৷ কিত্তু পরে তারা মিথ্যাচারে
লিপ্ত হত ৷ এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হত কিত্তু তা পুরণ করত না ৷
ফিরআউন ও তার সম্প্রদ৷ য় বলত, হে মুসা! যদি তুমি আমাদের উপর থেকে এই মুসীবত
দুরীভুত ৩কর, আমরা তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করব এবং তোমার সাথে বনী ইসরাঈলকে
যেতে দেব ৷ তখন তাদের উপর থেকে এই কঠিন আমার ও শান্তি দুর করা হত কিত্তু পুনরায়
তারা তাদের নিরেট মুর্থত৷ ও বোকামিতে ফিরে যেত ৷ মহা পরাক্রমশালী, ধৈর্যশীল আল্লাহ্
তাআলা তাদেরকে অবকাশ দিতেন এবং তড়িঘড়ি করে তাদেরকে শাস্তি প্রদান করতেন না,
আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সংশোধনের সুযোগ দিতেন এবং আযাৰ-গযবের ব্যাপারে সতর্ক
করতেন ৷ তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণাদি পুর্ণ করার পর তাদেরকে কঠােরভাবে পাকড়াও করলেন
যাতে এটা পরবর্তীদের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকে এবং তাদের মত অন্যান্য কাফিরের জন্য এটা
নজীর স্বরুপ এবং মুমিন বান্দাদের মধ্য থেকে যারা নসীহত গ্রহণ করে তাদের জন্যে একটি
দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে ৷
যেমন আল্লাহ তাআলা সুরা যুখরুফে ইরশাদ করেন :
ঐর্মীর্চু
রুি ৷
৷ ৷ৰুপুা
ন্
’ষ্
عَلَيْهِمْ قُمَّلًا حَتَّى غَلَبَ عَلَى الْبُيُوتِ وَالْأَطْعِمَةِ، وَمَنَعَهُمُ النَّوْمَ وَالْقَرَارَ، فَلَمَّا جَهَدَهُمْ، قَالُوا لَهُ مِثْلَ مَا قَالُوا لَهُ، فَدَعَا رَبَّهُ، فَكَشَفَ عَنْهُمْ، فَلَمَّا لَمْ يَفُوا لَهُ بِشَيْءٍ مِمَّا قَالُوا، فَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهِمُ الضَّفَادِعَ، فَمَلَأَتِ الْبُيُوتَ وَالْأَطْعِمَةَ وَالْآنِيَةَ، فَلَمْ يَكْشِفْ أَحَدٌ ثَوْبًا وَلَا طَعَامًا إِلَّا وَجَدَ فِيهِ الضَّفَادِعَ قَدْ غَلَبَتْ عَلَيْهِ، فَلَمَّا جَهَدَهُمْ ذَلِكَ، قَالُوا لَهُ مِثْلَ مَا قَالُوا، فَدَعَا رَبَّهُ فَكَشَفَ عَنْهُمْ، فَلَمْ يَفُوا لَهُ بِشَيْءٍ مِمَّا قَالُوا، فَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهِمُ الدَّمَ فَصَارَتْ مِيَاهُ آلِ فِرْعَوْنَ دَمًا، لَا يَسْتَقُونَ مِنْ بِئْرٍ، وَلَا نَهْرٍ وَلَا يَغْتَرِفُونَ مِنْ إِنَاءٍ، إِلَّا عَادَ دَمًا عَبِيطًا. وَقَالَ زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ: الْمُرَادُ بِالدَّمِ الرُّعَافُ. رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ.
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَمَّا وَقَعَ عَلَيْهِمُ الرِّجْزُ قَالُوا يَا مُوسَى ادْعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِنْدَكَ لَئِنْ كَشَفْتَ عَنَّا الرِّجْزَ لَنُؤْمِنَنَّ لَكَ وَلَنُرْسِلَنَّ مَعَكَ بَنِي إِسْرَائِيلَ - فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُمُ الرِّجْزَ إِلَى أَجَلٍ هُمْ بَالِغُوهُ إِذَا هُمْ يَنْكُثُونَ - فَانْتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَأَغْرَقْنَاهُمْ فِي الْيَمِّ بِأَنَّهُمْ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَكَانُوا عَنْهَا غَافِلِينَ} [الأعراف: 134 - 136]
[الْأَعْرَافِ: 134 - 136] . يُخْبِرُ تَعَالَى، عَنْ كُفْرِهِمْ وَعُتُوِّهِمْ وَاسْتِمْرَارِهِمْ عَلَى الضَّلَالِ وَالْجَهْلِ، وَالِاسْتِكْبَارِ عَنِ اتِّبَاعِ آيَاتِ اللَّهِ، وَتَصْدِيقِ رَسُولِهِ، مَعَ مَا أَيَّدَ بِهِ مِنَ الْآيَاتِ الْعَظِيمَةِ الْبَاهِرَةِ وَالْحُجَجِ الْبَلِيغَةِ الْقَاهِرَةِ، الَّتِي أَرَاهُمُ اللَّهُ إِيَّاهَا عِيَانًا، وَجَعَلَهَا عَلَيْهِمْ دَلِيلًا وَبُرْهَانًا، وَكُلَّمَا شَاهَدُوا آيَةً وَعَايَنُوهَا وَجَهَدَتْهُمْ وَأَضْنَكَتْهُمْ، حَلَفُوا وَعَاهَدُوا مُوسَى; لَئِنْ كَشَفَ عَنْهُمْ
পৃষ্ঠা - ৬১৫
?
মুসাকে তো আমি আমার নিদর্শনসহ ফিরআউন ও তার পারিষদবর্গের নিকট
পাঠিয়েছিলাম ৷ সে বলেছিল, আমি তাে জগতসমুহের প্রতিপালকের প্রেরিত ৷ সে ওদের নিকট
আমার নিদর্শনসহ আসা মাত্র তারা তা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতে লাগল ৷ আমি তাদেরকে এমন
কোন নিদর্শন দেখাইনি যা এটার অনুরুপ নিদর্শন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ নয় ৷ আমি তাদেরকে শান্তি
দিলাম যাতে তারা প্রত্যাবর্তন করে ৷ তারা বলেছিল, হে জাদুকর ! তোমার প্রতিপালকের নিকট
তুমি আমাদের জন্য তা প্রার্থনা কর যা তিনি তোমার সাথে অঙ্গীকার করেছেন; তা হলে আমরা
অবশ্যই সৎপথ অবলম্বন করব ৷ তারপর যখন আমি তাদের উপর থেকে শাস্তি বিদুরিত
করলাম, তখনই তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে ব সল ৷ ফিরআউন তার সম্প্রদায়ের মধ্যে এই বলে
ঘোষণা করল, হে আমার সম্প্রদায় ! মিসর রাজ্য কি আমার নয়? আর এ নদীগুলাে আমার
পাদদেশে প্রবাহিত, তোমরা এটা দেখ না? আমি তো শ্রেষ্ঠ এই ব্যক্তি হতে, যে হীন এবং স্পষ্ট
কথা বলতেও অক্ষম ৷ মুসাকে কেন দেয়া হল না স্বর্ণবলয় অথবা তার সংগে কেন আসল না
ফেরেশতাগণ দলবদ্ধভাবে? এভাবে সে তার সম্প্রদায়কে হতবুদ্ধি করে দিল, ফলে ওরা তার
কথা মেনে নিল ৷ ওরা তেড়া ছিল এক সত্যত্যাপী সম্প্রদায় ! যখন ওরা আমাকে ক্রোধাষিত করল
আমি তাদেরকে শান্তি দিলাম এবং নিমজ্জিত করলাম তাদের সকলকে ৷ তারপর পরবর্তীদের
জন্য আমি তাদেরকে করে রাখলাম অতীত ইতিহাস ও দৃষ্টান্ত ৷ (সুরা যুখরুফ : ৪ ৬-৫৬)
নীচাশয় ও দৃরাচার ফিরআউনের নিকট আপন সম্মানিত বন্দো ও রাসুলকে প্রেরণের ঘটনা
আল্পাহ্ তাআলা উপারাক্ত আয়াতসমুহে ব্যক্ত করেছেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা তার রাসুলকে এমন
সুস্পষ্ট নিদর্শনাদিসহ প্রেরণ করেছেন, যাতে ভীরা জনগণের সমান ও আস্থা অর্জনে সমর্থ হন ৷
এবং তারা কুফর ও শিরক পরিত্যাগ করে সত্য ও সরল পথের প্রতি প্রত্যাবর্তন করে ৷ অথচ
তারা বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন না করে ঐ সব নিদর্শন নিয়ে ঠাট্টা ও হাসিতামাশায় লিপ্ত হয়
এবং আল্লাহ প্রেরিত সত্যপথ থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় ৷ তারপর আল্লাহ তাআলা তাদের
প্রতি পরপর নিদর্শনাদি প্রেরণ করেন ৷ যার প্রতিঢিই তার পুর্বরর্তীটির তুলনায় অধিকতর
গুরুতুবহ ও তাৎপর্যপুর্ণ ছিল ৷
এ প্রসংগে আল্লাহ্ তড়াআলা ইরশাদ করেন :
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৭৫ -
هَذِهِ لِيُؤْمِنُنَّ بِهِ، وَلَيُرْسِلُنَّ مَعَهُ مَنْ هُوَ مِنْ حِزْبِهِ، فَكُلَّمَا رُفِعَتْ عَنْهُمْ تِلْكَ الْآيَةُ عَادُوا إِلَى شَرٍّ مِمَّا كَانُوا عَلَيْهِ، وَأَعْرَضُوا عَمَّا جَاءَهُمْ بِهِ مِنَ الْحَقِّ، وَلَمْ يَلْتَفِتُوا إِلَيْهِ، فَيُرْسِلُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ آيَةً أُخْرَى، هِيَ أَشَدُّ مِمَّا كَانَتْ قَبْلَهَا وَأَقْوَى، فَيَقُولُونَ، فَيَكْذِبُونَ. وَيَعِدُونَ وَلَا يَفُونَ {لَئِنْ كَشَفْتَ عَنَّا الرِّجْزَ لَنُؤْمِنَنَّ لَكَ وَلَنُرْسِلَنَّ مَعَكَ بَنِي إِسْرَائِيلَ} [الأعراف: 134] فَيُكْشَفُ عَنْهُمْ ذَلِكَ الْعَذَابُ الْوَبِيلُ. ثُمَّ يَعُودُونَ إِلَى جَهْلِهِمُ الْعَرِيضِ الطَّوِيلِ. هَذَا، وَالْعَظِيمُ الْحَلِيمُ الْقَدِيرُ يُنْظِرُهُمْ وَلَا يَعْجَلُ عَلَيْهِمْ، وَيُؤَخِّرُهُمْ وَيَتَقَدَّمُ بِالْوَعِيدِ إِلَيْهِمْ، ثُمَّ أَخَذَهُمْ - بَعْدَ إِقَامَةِ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ، وَالْإِعْذَارِ إِلَيْهِمْ - أَخْذَ عَزِيزٍ مُقْتَدِرٍ، فَجَعَلَهُمْ عِبْرَةً وَنَكَالًا وَسَلَفًا لِمَنْ أَشْبَهَهُمْ مِنَ الْكَافِرِينَ، وَمَثَلًا لِمَنِ اتَّعَظَ بِهِمْ مِنْ عِبَادِهِ الْمُؤْمِنِينَ.
وَقَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى، وَهُوَ أَصْدَقُ الْقَائِلِينَ فِي سُورَةِ " حم وَالْكِتَابِ الْمُبِينِ ": {وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا مُوسَى بِآيَاتِنَا إِلَى فِرْعَوْنَ وَمَلَئِهِ فَقَالَ إِنِّي رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ - فَلَمَّا جَاءَهُمْ بِآيَاتِنَا إِذَا هُمْ مِنْهَا يَضْحَكُونَ - وَمَا نُرِيهِمْ مِنْ آيَةٍ إِلَّا هِيَ أَكْبَرُ مِنْ أُخْتِهَا وَأَخَذْنَاهُمْ بِالْعَذَابِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ - وَقَالُوا يَا أَيُّهَا السَّاحِرُ ادْعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِنْدَكَ إِنَّنَا لَمُهْتَدُونَ - فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُمُ الْعَذَابَ إِذَا هُمْ يَنْكُثُونَ - وَنَادَى فِرْعَوْنُ فِي قَوْمِهِ قَالَ يَا قَوْمِ أَلَيْسَ لِي مُلْكُ مِصْرَ وَهَذِهِ الْأَنْهَارُ تَجْرِي مِنْ تَحْتِي أَفَلَا تُبْصِرُونَ - أَمْ أَنَا خَيْرٌ مِنْ هَذَا الَّذِي هُوَ مَهِينٌ وَلَا يَكَادُ يُبِينُ - فَلَوْلَا أُلْقِيَ عَلَيْهِ أَسْوِرَةٌ مِنْ ذَهَبٍ أَوْ جَاءَ مَعَهُ الْمَلَائِكَةُ مُقْتَرِنِينَ - فَاسْتَخَفَّ قَوْمَهُ فَأَطَاعُوهُ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا فَاسِقِينَ - فَلَمَّا آسَفُونَا انْتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَأَغْرَقْنَاهُمْ أَجْمَعِينَ - فَجَعَلْنَاهُمْ سَلَفًا وَمَثَلًا لِلْآخِرِينَ} [الزخرف: 46 - 56]
[الزُّخْرُفِ: 46 - 56] ..
পৃষ্ঠা - ৬১৬
“আমি তাদেরকে শান্তি দিলাম যাতে তারা ফিরে আসে ৷ তারা বলেছিল, হে জাদুকর !
তোমার প্রতিপালকের নিকট তুমি আমাদের জন্য তা প্রার্থাংড়া কর, যা তিনি তোমার সাথে
অঙ্গীকার করেছেন, তাহলে আমরা অবশ্যই সৎপথ অবলহীন করব ৷” (সুরা যুখরুফ : ৪ ৮ : ৯ )
তাদের সময়ে জাদুকর সম্বোধন সে যুগে দুষণীয় বলে বিবেচিত হতো না ৷ কেননা, তাদের
আলিমদেরকে ঐ যুগে জাদুকর বলে আখ্যায়িত করা হতো ৷ এজন্যই তারা প্রয়োজনের সময়
মুসা (আ) কে জাদুকর বলে সম্বোধন করে এবং তার কাছে অনুনয়-বিনয়, করে তাদের আর্জি
, পেশ করে ৷ আল্লাহ তাআলা বলেন : পুড্রুঠুৰুকুার্বৃ
“যখন আমি তাদের থেকে শাস্তি বিদুরিত করলাম তখনই তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করে
বসল ৷ ”
তারপর আল্লাহ তাআলা ফিরআউনের দান্তিকতড়ার বর্ণনা দেন ৷ ফিরঅড়াউনও তার রাজ্যের
বিশালতা, সৌন্দর্য এবং রহমান নদী-নালা নিয়ে গর্ববােধ করত ৷ নীল নদের সাথে সংযুক্ত করার
এসব বাড়তি খাল, নালা দেশের শ্রীবৃদ্ধি ঘটায় ৷ অতঃপর ফিরঅড়াউন তার নিজের দৈহিক
সৌন্দর্য নিয়েও পর্ব করে এবং আল্লাহর রাসুল মুসা (আ)-এর দােষত্রুটি বর্ণনা করতে শুরু
করে ৷ স্পষ্ট কথাবার্তা বলতে মুসা (আ)-এর অক্ষমতাকেও সে ত্রুটিরুপে চিহ্নিত করে ৷
বাল্যকালে তার জিহ্বায় কিছুটা জড়তা দেখা দেয়, যা তার জন্যে ছিল পরিপুর্ণ ব্যক্তিত্ব , সৌন্দর্য
ও সম্মানের ব্যাপার না তার সাথে আল্লাহ তাআলার কথোপকথন, তার নিকট ওহী প্রেরণ; এর
পর তার কাছে তৌরাত অবতীর্ণ করার ক্ষেত্রে এটা কোন প্রকার অন্তরায় হয়নি ৷ অথচ
ফিরআউন এটাকে উপলক্ষ করে মুসা (আ)-এর ত্রুটি নির্দেশ করেছিল ৷ ফিরঅড়াউন মুসা
(অড়া)-এর স্বর্ণবলয় ও শরীরে সাজসজ্জা না থাকাকেও ত্রুটি বলে আখ্যায়িত করে অথচ এটা
হল নারীদের ভুষণ, পুরুষের ব্যক্তিত্বের সাথে এটা সম্পৃক্ত নয় ৷ তাই নবীদের ব্যক্তিত্বের
সাথে তা মোটেই সামঞ্জস্যপুর্ণ নয়, কেননা নবীগণ পুরুষদের মধ্যে জ্ঞান-বুদ্ধি, মারেফাত,
সাহস, পরহেজগারী ও জ্ঞানের দিক দিয়ে অধিকতর পরিপুর্ণ ৷ র্তারা দুনিয়ায় অধিকতর
সড়াবধানতড়া অবলম্বনকারী এবং আখিরাতে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক তার ওলীদের জন্যে যে সব
নিয়ামতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, সে সম্বন্ধে অধিকতর জ্ঞাত ৷
)
আয়াতে উল্লেখিত ১হু;প্রুট্টগু অড়ায়াতাংশ দ্বারা দুটি অর্থ নেয়া যায় ৷ প্রথমত, যদি
ফিরআউনের উদ্দেশ্য হয় যে, ফেরেশতাগণ কেন মুসা (আ)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন না ৷
তাহলে তার এই আপত্তি যুক্তিযুক্ত নয় ৷ কেননা, মুসা (আ)-এর চাইতে কম মর্যাদাসম্পন্ন
লোকেরও ফেরেশতাগণ অনেক সময় সম্মান করে থাকেন ৷ কাজেই ফেরেশত৷ দলবদ্ধভাবে মুসা
(আ)-এর সাথে আগমন করা নবুওতের মর্যাদার জন্য শর্ত নয় ৷ যেমন হাদীস শরীফে
রয়েছে-রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, যখন শিক্ষাথীগণ আল্লাহ্ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনে
ইল্ম শিক্ষার জন্যে ঘরের বের হয় তখন তাদের সষ্মড়ানার্থে ফেরেশতড়াগণ তাদের চলার পথে
তাদের পাখা বিস্তার করে দেন ৷ সুতরাং মুসা (আ)-এর প্রতি ফেরেশতাগণের সম্মান, বিনয়
প্রদর্শন যে কী পর্যায়ের ছিল তা সহজেই অনুমেয় ৷ আর যদি এই কথার দ্বারা ফিরআউনের
উদ্দেশ্য হয়ে থাকে যে মুসা (আ)-এর নবুওতের পক্ষে ফেরেশতাগণ সাক্ষীরুপে উপস্থিত হন না
يَذْكُرُ تَعَالَى إِرْسَالَهُ عَبْدَهُ الْكَلِيمَ الْكَرِيمَ، إِلَى فِرْعَوْنَ الْخَسِيسِ اللَّئِيمِ، وَأَنَّهُ تَعَالَى أَيَّدَ رَسُولَهُ بِآيَاتٍ بَيِّنَاتٍ وَاضِحَاتٍ، تَسْتَحِقُّ أَنْ تُقَابَلَ بِالتَّصْدِيقِ وَالتَّعْظِيمِ، وَأَنْ يَرْتَدِعُوا عَمَّا هُمْ فِيهِ مِنَ الْكُفْرِ، وَيَرْجِعُوا إِلَى الْحَقِّ وَالصِّرَاطِ الْمُسْتَقِيمِ، فَإِذَا هُمْ مِنْهَا يَضْحَكُونَ، وَبِهَا يَسْتَهْزِئُونَ، وَعَنْ سَبِيلِ اللَّهِ يَصُدُّونَ، وَعَنِ الْحَقِّ يَحِيدُونَ، فَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهِمُ الْآيَاتِ تَتْرَى، يَتْبَعُ بَعْضُهَا بَعْضًا، وَكُلُّ آيَةٍ أَكْبَرُ مِنْ أُخْتِهَا الَّتِي تَتْلُوهَا; لِأَنَّ الْمُؤَكَّدَ أَبْلَغُ مِمَّا قَبْلَهُ، {وَأَخَذْنَاهُمْ بِالْعَذَابِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ - وَقَالُوا يَا أَيُّهَا السَّاحِرُ ادْعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِنْدَكَ إِنَّنَا لَمُهْتَدُونَ} [الزخرف: 48 - 49] لَمْ يَكُنْ لَفْظُ السَّاحِرِ فِي زَمَانِهِمْ نَقْصًا وَلَا عَيْبًا; لِأَنَّ عُلَمَاءَهُمْ، فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ، هُمُ السَّحَرَةُ; وَلِهَذَا خَاطَبُوهُ بِهِ فِي حَالِ احْتِيَاجِهِمْ إِلَيْهِ، وَضَرَاعَتِهِمْ لَدَيْهِ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُمُ الْعَذَابَ إِذَا هُمْ يَنْكُثُونَ} [الزخرف: 50] ثُمَّ أَخْبَرَ تَعَالَى عَنْ تَبَجُّحِ فِرْعَوْنَ بِمُلْكِهِ وَعَظْمَةِ بَلَدِهِ وَحُسْنِهَا وَتَخَرُّقِ الْأَنْهَارِ فِيهَا، وَهِيَ الْخُلْجَانُ الَّتِي يَكْسِرُونَهَا أَمَامَ زِيَادَةِ النِّيلِ ثُمَّ تَبَجَّحَ بِنَفْسِهِ وَحِلْيَتِهِ وَأَخَذَ يَتَنَقَّصُ رَسُولَ اللَّهِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَيَزْدَرِيهِ بِكَوْنِهِ {وَلَا يَكَادُ يُبِينُ} [الزخرف: 52] يَعْنِي كَلَامَهُ، بِسَبَبِ مَا كَانَ فِي لِسَانِهِ مِنْ بَقِيَّةِ تِلْكَ اللُّثْغَةِ، الَّتِي هِيَ شَرَفٌ لَهُ، وَكَمَالٌ وَجَمَالٌ، وَلَمْ تَكُنْ مَانِعَةً لَهُ أَنْ كَلَّمَهُ اللَّهُ تَعَالَى، وَأَوْحَى إِلَيْهِ، وَأَنْزَلَ بَعْدَ ذَلِكَ التَّوْرَاةَ عَلَيْهِ، وَتَنَقَّصَهُ فِرْعَوْنُ، لَعَنَهُ اللَّهُ، بِكَوْنِهِ لَا
পৃষ্ঠা - ৬১৭
কেন, তাহলে তার জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ তাআলা মুসা (আ)-এর রিসালতকে এমন
সব মু’জিযা ও মজবুত দলীলাদি দ্বারা শক্তিশালী করেছেন যা জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ এবং সত্য
সন্ধানীদের কাছে সুপ্রমাণিত হিসেবে বিবেচ্য ৷ তবে এসব মুজিমা ও মজবুত দলীলাদির ব্যাপারে
ঐসব ব্যক্তি অন্ধ, যারা সারবন্তু ছেড়ে কেবল ছাল-বাকল নিয়েই ব্যস্ত থাকে ৷ যাদের অম্ভরে
আল্লাহ্ তাআলা মােহর মেরে দিয়েছেন এবং তাদের অন্তর সংশয় সন্দেহের দ্বারা পরিপুর্ণ করে
দিয়েছেন যেমনটি কিবতী বংশীয় ক্ষমতার মােহে অন্ধ ও মিথ্যাচারী ফিরআউনের ক্ষেত্রে
ঘটেছিল ৷
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন অর্থাৎ-এভাবে সে
তার সম্প্রদায়কে হতবুদ্ধি করে দিল, তখন তারা তাকে যেনে নিল এবং তার প্রভুতুকেও স্বীকার
করে নিল ৷ যেহেতু তারা ছিল একটি সত্যভ্যাগী সম্প্রদায় ৷
অতংপর আল্লাহ তা অড়ালা বলেন ং ন্শু মোঃ ৷ ৷ৰু£ ৷ র্চুর্দুর্ন্ত অর্থাৎ-যখন তারা
আমাকে ক্রোধাম্বিত করল, আমি তাদেরকে শাস্তি দিলাম অর্থাৎ নিমজ্জিত করলাম অবমাননা,
লাছনা-পঞ্জনায়, নিয়ামত দানের পর আযাবে নিপতিত করে, সুখের পর দুঃখ দিয়ে, আনন্দের
পর বিষাদ্মাস্ত করে এবং সুখের জীবনের পর দােযখের কঠিন আমার দিয়ে ৷ অতঃপর আমি
তাদেরকে তাদের অনুসারীদের জন্যে অতীত ইতিহাস এবং তাদের থেকে যারা শিক্ষা গ্রহণ
করতে চায় ও আযাবকে ভয় করতে চায় তাদের জন্যে দৃষ্টাস্তে পরিণত করলাম ৷
তাদের পরবর্তী ঘটনা বর্ণনা করে আল্লাহ্ তাআলা বলেন :
মোঃ
’
প্রুগ্রাএ
’)র্দ্রপুএ ৷ র্চুৰুছুা৷ব্লু
’
এে ৷
;
অর্থাৎ-মুসা (আ) যখন ওদের নিকটে আমার সুস্পষ্ট নিদর্শনগুলো নিয়ে আসল-ওরা
বলল, এটড়াতো অলীক ইন্দ্রজাল মাত্র ৷ আমাদের পুর্ব-পুরুষগণের কালে কখনও এরুপ কথা
শুনিনি ৷ মুসা বলল, আমার প্রতিপালক সম্যক অবগত, কে তার নিকট থেকে পথ-নির্দেগ
এসেছে এবং আখিরাতে কার পরিণাম শুভ হবে ৷ জালিমরা কখনও সফলকাম হবে না ৷
أَسَاوِرَ فِي يَدَيْهِ وَلَا زِينَةَ عَلَيْهِ، وَإِنَّمَا ذَلِكَ مِنْ حِلْيَةِ النِّسَاءِ، لَا يَلِيقُ بِشَهَامَةِ الرِّجَالِ، فَكَيْفَ بِالرُّسُلِ الَّذِينَ هُمْ أَكْمَلُ عَقْلًا، وَأَتَمُّ مَعْرِفَةٌ، وَأَعْلَى هِمَّةً، وَأَزْهَدُ فِي الدُّنْيَا، وَأَعْلَمُ بِمَا أَعَدَّ اللَّهُ لِأَوْلِيَائِهِ فِي الْأُخْرَى. وَقَوْلُهُ: {أَوْ جَاءَ مَعَهُ الْمَلَائِكَةُ مُقْتَرِنِينَ} [الزخرف: 53] لَا يَحْتَاجُ الْأَمْرُ إِلَى ذَلِكَ إِنْ كَانَ الْمُرَادُ أَنْ تُعَظِّمَهُ الْمَلَائِكَةُ. فَالْمَلَائِكَةُ يُعَظِّمُونَ وَيَتَوَاضَعُونَ لِمَنْ هُوَ دُونَ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ، بِكَثِيرٍ كَمَا جَاءَ فِي الْحَدِيثِ: «إِنَّ الْمَلَائِكَةَ لَتَضَعُ أَجْنِحَتَهَا لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضًى بِمَا يَصْنَعُ» فَكَيْفَ يَكُونُ تَوَاضُعُهُمْ وَتَعْظِيمُهُمْ لِمُوسَى الْكَلِيمِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالتَّسْلِيمُ وَالتَّكْرِيمُ؟ وَإِنْ كَانَ الْمُرَادُ شَهَادَتَهُمْ لَهُ بِالرِّسَالَةِ، فَقَدْ أُيِّدَ مِنَ الْمُعْجِزَاتِ بِمَا يَدُلُّ قَطْعًا لِذَوِي الْأَلْبَابِ، وَلِمَنْ قَصَدَ إِلَى الْحَقِّ وَالصَّوَابِ، وَيَعْمَى عَمَّا جَاءَ بِهِ مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالْحُجَجِ الْوَاضِحَاتِ، مَنْ نَظَرَ إِلَى الْقُشُورِ، وَتَرَكَ لُبَّ اللُّبَابِ، وَطَبَعَ عَلَى قَلْبِهِ رَبُّ الْأَرْبَابِ، وَخَتَمِ عَلَيْهِ بِمَا فِيهِ مِنَ الشَّكِّ وَالِارْتِيَابِ، كَمَا هُوَ حَالُ فِرْعَوْنَ الْقِبْطِيِّ الْعَمِيِّ الْكَذَّابِ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَاسْتَخَفَّ قَوْمَهُ فَأَطَاعُوهُ} [الزخرف: 54] أَيْ; اسْتَخَفَّ عُقُولَهُمْ، وَدَرَّجَهُمْ مِنْ حَالٍ إِلَى حَالٍ، إِلَى أَنْ صَدَّقُوهُ فِي دَعْوَاهُ الرُّبُوبِيَّةِ، لَعَنَهُ اللَّهُ وَقَبَّحَهُمْ، {إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمًا فَاسِقِينَ - فَلَمَّا آسَفُونَا} [الزخرف: 54 - 55] أَيْ; أَغْضَبُونَا; {انْتَقَمْنَا مِنْهُمْ} [الزخرف: 55] أَيْ; بِالْغَرَقِ وَالْإِهَانَةِ، وَسَلْبِ الْعِزِّ، وَالتَّبَدُّلِ بِالذُّلِّ وَبِالْعَذَابِ بَعْدَ النِّعْمَةِ، وَالْهَوَانِ بَعْدَ الرَّفَاهِيَةِ، وَالنَّارِ بَعْدَ طِيبِ الْعَيْشِ، عِيَاذًا بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنْ ذَلِكَ، {فَجَعَلْنَاهُمْ سَلَفًا} [الزخرف: 56] أَيْ; لِمَنِ اتَّبَعَهُمْ فِي الصِّفَاتِ، وَمَثَلًا أَيْ; لِمَنِ اتَّعَظَ بِهِمْ، وَخَافَ مِنْ وَبِيلِ
পৃষ্ঠা - ৬১৮
ফিরআউন বলল, হে পারিষদবর্গ! আমি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ রয়েছে বলে আমি
জানি না ৷ হে হামান ৷ তুমি আমার জন্য ইট পোড়াও এবং একটি সুউচ্চ প্রাসাদ তৈরি কর, হয়ত
আমি এতে উঠে মুসার ইলাহকে দেখতে পাব ৷ তবে আমি অবশ্য মনে করি, যে মিথ্যাবাদী ৷
ফিরআউন ও তার বাহিনী অন্যায়ভাবে পৃথিবীতে অহংকার করেছিল এবং ওরা মনে করেছিল
যে, ওরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে না ৷ অতএব, আমি তাকে ও তার বাহিনীকে ধরলাম
এবং তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম ৷ দেখ, জালিমদের পরিণাম কী হয়ে থাকে ৷ ওদেরকে
আমি নেতা করেছিলাম ৷ ওরা লোকদেরকে জাহান্নামের দিকে আহ্বান করত; কিয়ামতের দিন
ওদেরকে সাহায্য করা হবে না ৷ এ পৃথিবীতে আমি ওদের পশ্চাতে লাগিয়ে দিয়েছি অভিসম্পাত
এবং কিয়ামতের দিন ওরা হবে ঘৃণিত ৷ (সুরা কাসাস : ৩৬ : ২)
আল্লাহ তাআলা এ আয়াতের মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছেন যে, যখন ফিরআউন ও তার দলের
লোকেরা সত্যের অনুসরণ থেকে অহংকারভরে মুখ ফিরিয়ে নিল এবং তাদের বাদশাহ মিথ্যা
দাবি করল, তারা তাকে মেনে নিল ও তার আনুগত্য করল ৷ তখন মহাশক্তিশালী ,
মহাপরাক্রমশালী প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার ৫ক্রাধ তীব্র আকার ধারণ করল যার বিরুদ্ধে
কেউ জয়লাভ করতে পারে না এবং যাকে কেউ প্রতিহত করতে পারে না ৷ অতঃপর আল্লাহ
তাআলা তাদেরকে কঠিন শান্তি দিলেন, ফিরআউন ও তার সৈন্য-সামন্তকে একদিন গ্রত্যুষে
ডুবিয়ে দিলেন, ফলে তাদের মধ্যকার কোন ব্যক্তি বা তাদের বাসন্থানের কোন অস্তিত্ব বাকি
রইল না ৷ তারা সকলে ডুবে গেল ও দোযখবাসী হল ৷ এই পৃথিবীতে বিশ্ববাসীর মাঝে তারা
অভিসম্পাতের শিকার হল এবং কিয়ামতের দিনেও ৷ কিয়ামতের দিনে তাদের পুরস্কার কতই না
নিকৃষ্ট হবে এবং তারা হবে ঘৃণিতদের অন্তর্ভুক্ত ৷
مَصْرَعِهِمْ، مِمَّنْ بَلَغَهُ جَلِيَّةُ خَبَرِهِمْ، وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ; كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا جَاءَهُمْ مُوسَى بِآيَاتِنَا بَيِّنَاتٍ قَالُوا مَا هَذَا إِلَّا سِحْرٌ مُفْتَرًى وَمَا سَمِعْنَا بِهَذَا فِي آبَائِنَا الْأَوَّلِينَ - وَقَالَ مُوسَى رَبِّي أَعْلَمُ بِمَنْ جَاءَ بِالْهُدَى مِنْ عِنْدِهِ وَمَنْ تَكُونُ لَهُ عَاقِبَةُ الدَّارِ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الظَّالِمُونَ - وَقَالَ فِرْعَوْنُ يَا أَيُّهَا الْمَلَأُ مَا عَلِمْتُ لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرِي فَأَوْقِدْ لِي يَا هَامَانُ عَلَى الطِّينِ فَاجْعَلْ لِي صَرْحًا لَعَلِّي أَطَّلِعُ إِلَى إِلَهِ مُوسَى وَإِنِّي لَأَظُنُّهُ مِنَ الْكَاذِبِينَ - وَاسْتَكْبَرَ هُوَ وَجُنُودُهُ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَظَنُّوا أَنَّهُمْ إِلَيْنَا لَا يُرْجَعُونَ - فَأَخَذْنَاهُ وَجُنُودَهُ فَنَبَذْنَاهُمْ فِي الْيَمِّ فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الظَّالِمِينَ - وَجَعَلْنَاهُمْ أَئِمَّةً يَدْعُونَ إِلَى النَّارِ وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ لَا يُنْصَرُونَ - وَأَتْبَعْنَاهُمْ فِي هَذِهِ الدُّنْيَا لَعْنَةً وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ هُمْ مِنَ الْمَقْبُوحِينَ} [القصص: 36 - 42]
[الْقَصَصِ: 36 - 42] . يُخْبِرُ تَعَالَى أَنَّهُمْ لَمَّا اسْتَكْبَرُوا عَنِ اتِّبَاعِ الْحَقِّ، وَادَّعَى مِلْكُهُمُ الْبَاطِلَ، وَوَافَقُوهُ عَلَيْهِ، وَأَطَاعُوهُ فِيهِ، اشْتَدَّ غَضَبُ الرَّبِّ الْقَدِيرِ الْعَزِيزِ، الَّذِي لَا يُغَالَبُ وَلَا يُمَانَعُ، عَلَيْهِمْ، فَانْتَقَمَ مِنْهُمْ أَشَدَّ الِانْتِقَامِ، وَأَغْرَقَهُ هُوَ وَجُنُودَهُ فِي صَبِيحَةٍ وَاحِدَةٍ، فَلَمْ يُفْلِتْ مِنْهُمْ أَحَدٌ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ دَيَّارٌ، بَلْ كَانَ قَدْ غَرِقَ، فَدَخَلَ النَّارَ، وَأُتْبِعُوا فِي هَذِهِ الدَّارِ لَعْنَةً بَيْنَ الْعَالَمِينَ، وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ، بِئْسَ الرِّفْدُ الْمَرْفُودُ، وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ هُمْ مِنَ الْمَقْبُوحِينَ.