ثم دخلت سنة ست وثلاثين من الهجرة
পৃষ্ঠা - ৫৯২৫
“তাদের অধিকাৎশ গোপন পরামর্শে কোন কল্যাণ নিহিত নেই; তবে কল্যাণ আছে যে
নির্দেশ দেয় দান-খয়রাত কিংবা লেক কাজ কিংবা মানুষের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করতে, আর যে
ব্যক্তি এ কাজ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্ত, আমি অচিরেই তাকে দান করবো মহা
পুরষ্কার ৷ যে কেউ রাসুলের ৰিরুদ্ধাচরণ করে তার নিকট সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং
সব মুসলমানের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে সেদিকেই ফেরাবাে যেদিক সে
অবলম্বন করে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো ৷ আর তা নিকৃষ্টতর্য পম্ভব্যস্থল (নিসা ৪ ং
১ ১৪ ১ ১৫) ৷
এরপর তারা দু’জন তার নিকট থেকে বের হয়ে তালহা (রা) এরংনিকট গমন করে এবং
তাকে বলেনং আপনার আগমনের হেতৃ কাি তিনি বললেন, উসামন (রা)-এর রক্তের বদলা
দাবি করা ৷’ তড়ারা উভয়ে বললেন, আপনি কি আলী (রা)-এর ৰায়আত করেননি’৷ তিনি
বললেন, করেছি ঘটে; তার তখন আমার গর্দানে তঃৰারি ঝুলছিপ, তবে তিনি যদি উসমান
(রা)-এৱ হত্যাকারী এবং আমাংদ্যা মধ্যে অন্তরার না হ্যা তাহলে আমি তার মুখোমুখি হবাে না ৷
তরােৰুউভয়ে যুবায়র (রা)-এর নিকট গমন করেও অনুরুপ কথা বললেন ৷ এরপর ইমরান এবং
আবুল আসওয়াদ উসমান ইবন হুনাইফের নিকট গমন করলে আবুল আসওরাদ বললেন :
হে ইবন আহনাফা (এ ক্ষেত্রে তারীখে তাবষ্করী এবং তারীখে কামিল-এ ইবন হুনাইফ
উল্লেখ আছে) আমি এসেছি, তাই তুমি বের হও, নােকজনের সঙ্গেও তীর আর ত্যলায়াৱ নিয়ে
খেলা কর এবং ধৈর্য ধারণ ক্যা ৷ তাদের বিরুদ্ধে বর্ষ প্রিইিত যুবকদেরকে নিয়ে বের হও এবং
প্ৰন্তুত হও ৷
তখন উসমান ইবন হুনইিফ্কালেন :
া;৷
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইম্রা ইন্দাইিহি রস্টিং ৷ কা’বার রবের কসম, ইলোঃমর চাকা ঘুা;র
গেছে ৷ লক্ষ্য করো, আমরা ৷কমনৃ চাল চালি’ ৷ তখন ইমরান বললেন, অমোঃ কাম, যে
তোমাকে দীর্ঘকাল ধরে রগতাঃব ৷ উসমান ইংন হুনাইফ একটা মারফু হার্দীম্যে প্রতি ইঙ্গিত
করেন, যা ইবন মাসউদ সুত্রে বর্ণিত অহ্হেপ্ ং
—
৩৫ সালে ইসলামের চাকা ঘুরবে ৷ হাদীসটি ইতিপুর্বেও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এরপর
উসমান ইবন হুনাইফ ইমরান ইবন হুসাইনকে বলেন৪ আমাকে পরামর্শ দিন ৷ তিনি বললেন,
পৃথক হয়ে যাও, আমি অবস্থান স্থলে বসে আছি ৷ অথবা বলেছেন আমি আমার উটের পিঠে
বসে আছি ৷ তিনি চলে গেলে উসমান বললেন£ বরং আমীরন্দ যুমিনীন-এর আগমন পর্যন্ত
আমি তাদেরকে ঠেকাবো ৷ তাই তিনি ণ্লাকদের মধ্যে ঘোষণা এ্যার করেন এবং আস্ত্র সজ্জিত
হওয়ার নির্দেশ দেন এবং মসজিদে সমবেত হতে বলেন ৷ মসজিদে সমবেত হলে তিনি সকলকে
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ مِنَ الْهِجْرَةِ]
[بِدَايَةُ خِلَافَةِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ]
اسْتَهَلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَقَدْ تَوَلَّى أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ الْخِلَافَةَ وَوَلَّى عَلَى الْأَمْصَارِ نُوَّابًا ; فَوَلَّى عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ عَلَى الْيَمَنِ، وَوَلَّى عُثْمَانَ بْنَ حُنَيْفٍ عَلَى الْبَصْرَةِ، وَعُمَارَةَ بْنَ شِهَابٍ عَلَى الْكُوفَةِ، وَقَيْسَ بْنَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، عَلَى مِصْرَ، وَعَلَى الشَّامِ سَهْلَ بْنَ حُنَيْفٍ بَدَلَ مُعَاوِيَةَ، فَسَارَ حَتَّى بَلَغَ تَبُوكَ فَتَلَقَّتْهُ خَيْلُ مُعَاوِيَةَ، فَقَالُوا: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَمِيرٌ. قَالُوا: عَلَى أَيِّ شَيْءٍ؟ قَالَ: عَلَى الشَّامِ. فَقَالُوا: إِنْ كَانَ عُثْمَانُ بَعَثَكَ فَحَيَّهَلًا بِكَ، وَإِنْ كَانَ غَيْرُهُ بَعَثَكَ فَارْجِعْ. فَقَالَ: أَوَمَا سَمِعْتُمُ الَّذِي كَانَ؟ قَالُوا: بَلَى. فَرَجَعَ إِلَى عَلِيٍّ. وَأَمَّا قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ فَاخْتَلَفَ عَلَيْهِ أَهْلُ مِصْرَ فَبَايَعَ لَهُ الْجُمْهُورُ، وَقَالَتْ طَائِفَةٌ: لَا نُبَايِعُ حَتَّى نَقْتُلَ قَتَلَةَ عُثْمَانَ. وَكَذَلِكَ أَهْلُ الْبَصْرَةِ. وَأَمَّا عُمَارَةُ بْنُ شِهَابٍ الْمَبْعُوثُ أَمِيرًا عَلَى الْكُوفَةِ فَصَدَّهُ عَنْهَا طُلَيْحَةُ بْنُ خُوَيْلِدٍ غَضَبًا لِعُثْمَانَ، فَرَجَعَ إِلَى عَلِيٍّ فَأَخْبَرَهُ، وَانْتَشَرَتِ الْفِتْنَةُ وَتَفَاقَمَ الْأَمْرُ، وَاخْتَلَفَتِ الْكَلِمَةُ، وَكَتَبَ أَبُو مُوسَى إِلَى عَلِيٍّ بِطَاعَةِ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَمُبَايَعَتِهِمْ إِلَّا الْقَلِيلَ مِنْهُمْ.
وَبَعَثَ عَلِيٌّ إِلَى مُعَاوِيَةَ كُتُبًا كَثِيرَةً فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ لَهَا جَوَابًا، وَتَكَرَّرَ ذَلِكَ مِرَارًا إِلَى الشَّهْرِ الثَّالِثِ مِنْ مَقْتَلِ عُثْمَانَ فِي صَفَرٍ، ثُمَّ بَعَثَ مُعَاوِيَةُ
পৃষ্ঠা - ৫৯২৬
طُومَارًا مَعَ رَجُلٍ، فَدَخَلَ بِهِ عَلَى عَلِيٍّ فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: مَا وَرَاءَكَ؟ قَالَ: جِئْتُكَ مِنْ عِنْدِ قَوْمٍ لَا يُرِيدُونَ إِلَّا الْقَوَدَ، كُلُّهُمْ مَوْتُورٌ، تَرَكْتُ سِتِّينَ أَلْفَ شَيْخٍ يَبْكُونَ تَحْتَ قَمِيصِ عُثْمَانَ، وَهُوَ عَلَى مِنْبَرِ دِمَشْقَ، فَقَالَ عَلِيٌّ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَبْرَأُ إِلَيْكَ مِنْ دَمِ عُثْمَانَ. ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ مُعَاوِيَةَ مِنْ بَيْنِ يَدَيْ عَلِيٍّ، فَهَمَّ بِهِ أُولَئِكَ الْخَوَارِجُ الَّذِينَ قَتَلُوا عُثْمَانَ يُرِيدُونَ قَتْلَهُ، فَمَا أَفْلَتَ إِلَّا بَعْدَ جُهْدٍ. وَعَزَمَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَلَى قِتَالِ أَهْلِ الشَّامِ وَكَتَبَ إِلَى قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ بِمِصْرَ يَسْتَنْفِرُ النَّاسَ لِقِتَالِهِمْ، وَإِلَى أَبِي مُوسَى بِالْكُوفَةِ، وَبَعَثَ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ بِذَلِكَ، وَخَطَبَ النَّاسَ فَحَثَّهُمْ عَلَى ذَلِكَ، وَعَزَمَ عَلَى التَّجَهُّزِ، وَخَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَيْهَا قُثَمَ بْنَ الْعَبَّاسِ، وَهُوَ عَازِمٌ أَنْ يُقَاتِلَ بِمَنْ أَطَاعَهُ مَنْ عَصَاهُ وَخَرَجَ عَنْ أَمْرِهِ وَلَمْ يُبَايِعْهُ مَعَ النَّاسِ. وَجَاءَ إِلَيْهِ ابْنُهُ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فَقَالَ: يَا أَبَهْ دَعْ هَذَا فَإِنَّ فِيهِ سَفْكَ دِمَاءِ الْمُسْلِمِينَ، وَوُقُوعَ الِاخْتِلَافِ بَيْنَهُمْ. فَلَمْ يَقْبَلْ مِنْهُ ذَلِكَ، بَلْ صَمَّمَ عَلَى الْقِتَالِ، وَرَتَّبَ الْجَيْشَ فَدَفَعَ اللِّوَاءَ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ الْحَنَفِيَّةِ، وَجَعَلَ ابْنَ الْعَبَّاسِ عَلَى الْمَيْمَنَةِ، وَعُمَرَ بْنَ أَبِي سَلَمَةَ عَلَى الْمَيْسَرَةِ، وَقِيلَ: جَعَلَ عَلَى الْمَيْسَرَةِ عَمْرَو
পৃষ্ঠা - ৫৯২৭
প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেন ৷ উসমান সবেমাত্র মিম্বরে উঠেছেন, এমন সময় জ্যনক ব্যক্তি
দাড়িয়ে বলে :
ণ্র্মী১-’এ১
লোক সকল! এসব লোক যদি ভীত-সস্ত্রস্ত হয়ে এসে থাকে তাহলে তারা এমন এক নগর
থেকে এসেছে, সেখানে পশু-পাখিও নিরাপদ ৷ আর যদি তারা উসমান (রা)-এর রক্তের বদলার
দাবি নিয়ে এসে থাকে তাহলে আমরা তো তার হত্যাকরী নই ৷ সুতরাং আমার আনুগত্য করে
এবং তারা যেখান থেকে এসেছে সেখানে তাদেরকে ফেরৎ পাঠাও ৷’ তখন আসওয়াদ টবৃন
সুরাই সাদী দাড়িয়ে বললেন : তারাতো এসেছে উসমান-এর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের
এবং অন্যদের থেকে সাহায্য নেবার জন্য’ ৷ এ সময় লোকেরা তার প্ৰতি কংকর নিক্ষেপ করে ৷
তখন উসমান ইবন হুনাইফ বুঝতে পারে যে, বসরায় উসমান (রা)-এর হত্যাকরীদের
সাহয্যে-সহায়তকোরী লোকজন বর্তান আছে ৷ এটা তিনি পছন্দ করতে পারেননি ৷ আর উম্মুল
মুমিনীন আয়েশা (রা) সঙ্গী-সাথীদেরকে নিয়ে বসরায় উপস্থিত হন ৷ ^তারা বসরায় সন্নিকটে
আল-মারবাদ-এর উচ্চ ভুমিতে অবস্থান নেন ৷ আর বসরায় লোকদের মধ্যে যারা তার সঙ্গে
মিলিত হতে চায় তারা তার নিকট গমন করে ৷
ইতিমধ্যে উসমান ইবন হুনাইফও সৈন্য নিয়ে বেরিয়ে পড়েন এবং আল-মারবাদ-এ এসে
মিলিত হন ৷ আর তালহ’ যিনি ডান দিকের বাহিনীর অধিকর্তা ছিলেন, তিনি কথা বললেন ৷
তিনি উসমান (রা) এর হত্যার বদলা নেয়ার জন্য উদ্দীপ্ত করেন, এজন্য দাবি তোলেন ৷ আর
যুবড়ায়র (রা)ও তার অনুসরণ করেন ৷ তালহা (রা) এর মতো তিনিও কথা বলেন ৷ উসমান ইবন
হুনাইফের সেনাদলের কিছু লোক তাদের উভয়ের কথার জবাব দেন ৷ এরপর উম্মুল মু মিনীন
আয়েশা (রা) কথা বলেন এবং যুদ্ধের জন্য উৎসাহিত ও উদ্দীপ্ত করেন ৷ উভয় পক্ষের সৈন্যদের
কিছু লোক পরস্পরকে পালি দেয় ৷ ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে চলে প্রস্তর নিক্ষেপ ৷ এরপর
লোকেরা একে অপরকে বাধা দেয় এবং প্রত্যেক পক্ষ আপন আপন বৃত্তে ফিরে যায় ৷ উসমান
ইবন হুনাইফের সৈন্যদের একটা দল হযরত আয়েশা (রা)-এর সৈন্যদের মধ্যে প্রবেশ করে
এবং হামলা শুরু হয় ৷ হারিসা ইবন কৃদামা সান্দী (তাবারী এবং কামিল-এর বর্ণনামতে জারিয়া
ইবন কৃদামা) এসে বলেন, উম্মুল মুমিনীন! অস্ত্রশদ্রের লক্ষ্যন্থল হয়ে এ উটের পিঠে আরোহণ
করে আপনার গৃহ থেকে বহির্গত হওয়ার তুলনায় উসমান (রা)-এর নিহত হওয়া তৃচ্ছ বিষয় ৷
আপনি স্বেচ্ছায় আমাদের কাছে এসে থাকলে যেখান থেকে এসেছেন সেখানে ফিরে যান ৷ আর
যদি অনিচ্ছা সত্বেও বাধ্য হয়ে এসে থাকেন তাহলে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে লোকদের নিকট
সাহায্য কামনা করুন ৷ উসমান ইবন হুনাইফের সৈন্যদের অধিকর্তা হাকীম ইবন জাবালা
উসমান (রা) এর ঘোড়ায় চড়ে এগিয়ে এলে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়
ম্মল মু মিনীন হযরত আয়েশা (রা) এর সঙ্গী-সাথীরা নিজেদের হস্ত সংবরণ করে নেন,
থাকেন আর হাকীম এর বাহিনী তাদের উপর হামলা চালাতে থাকে ৷ তারা
শ্-ষ্ন্স্ আয়েশা (বা) তার সঙ্গীদেরকে ডান দিকে চলার নির্দেশ
بْنَ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ الْأَسَدِ. وَجَعَلَ عَلَى مُقَدِّمَتِهِ أَبَا لَيْلَى بْنَ عُمَرَ بْنِ الْجَرَّاحِ، ابْنَ أَخِي أَبِي عُبَيْدَةَ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ قُثَمَ بْنَ الْعَبَّاسِ، وَلَمْ يَبْقَ شَيْءٌ إِلَّا أَنْ يَخْرُجَ مِنَ الْمَدِينَةِ قَاصِدًا الشَّامَ، حَتَّى جَاءَهُ مَنْ شَغَلَهُ عَنْ ذَلِكَ كُلِّهِ وَهُوَ مَا سَنَذْكُرُهُ.
[ابْتِدَاءُ وَقْعَةِ الْجَمَلِ]
لَمَّا وَقَعَ قَتْلُ عُثْمَانَ بَعْدَ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ، كَانَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَدْ خَرَجْنَ إِلَى الْحَجِّ فِي هَذَا الْعَامِ فِرَارًا مِنَ الْفِتْنَةِ، فَلَمَّا بَلَغَ النَّاسَ أَنَّ عُثْمَانَ قَدْ قُتِلَ، أَقَمْنَ بِمَكَّةَ بَعْدَ مَا خَرَجُوا مِنْهَا، رَجَعُوا إِلَيْهَا فَأَقَامُوا بِهَا، وَجَعَلُوا يَنْتَظِرُونَ مَا يَصْنَعُ النَّاسُ، فَلَمَّا بُويِعَ لِعَلِيٍّ وَصَارَ أَحْظَى النَّاسِ عِنْدَهُ - بِحُكْمِ الْحَالِ وَغَلَبَةِ الرَّأْيِ لَا عَنِ اخْتِيَارٍ مِنْهُ لِذَلِكَ - رُءُوسَ أُولَئِكَ الْخَوَارِجِ الَّذِينَ قَتَلُوا عُثْمَانَ، مَعَ أَنَّ عَلِيًّا فِي نَفْسِ الْأَمْرِ يَكْرَهُهُمْ، وَلَكِنَّهُ تَرَبَّصَ بِهِمُ الدَّوَائِرَ، وَيَوَدُّ لَوْ تَمَكَّنَ مِنْهُمْ لِيَأْخُذَ حَقَّ اللَّهِ مِنْهُمْ، وَلَكِنْ لَمَّا وَقَعَ الْأَمْرُ هَكَذَا وَاسْتَحْوَذُوا عَلَيْهِ وَحَجَبُوا عَنْهُ عِلْيَةَ
পৃষ্ঠা - ৫৯২৮
দেন ৷ তারা ডান দিকের পথ ধরে বনু হাওয়াযিনের গোরন্তান পর্যন্ত চলে যান ৷ তাদের মধ্যে
রাত অন্তরায় হয়ে শ্র্দাড়ায় ৷ দ্বিতীয় দিনের শুরুতে তারা যুদ্ধের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন ৷ তারা
তুমুল যুদ্ধ করেন ৷ বেলা গড়িয়ে যাওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলে ৷ ইবন হ্লাইফের বিপুল লোক নিহত
হয় ৷ উভয় পক্ষে অনেকেই আহত হয় ৷ যুদ্ধ তাদেরকে কচুকাটড়া করলে তারা শর্ত সাপেক্ষে
সন্ধির প্রস্তাব পেশ করে ৷
শর্ত এই যে, লিখিত চুক্তি হবে এবং মদীনাবাসীদের নিকট দুত প্রেরণ করে জিজ্ঞেস করা
হবে ৷ তা ৷লহড়া ও যুবাইর বাধ্য হয়ে যায় আত করেছেন কি-না, যদি তইি হয়ে থাকে তাহলে
উসমান ইবন হুনাইফ বসরা খালি করে এখান থেকে চলে যাবেন ৷ আর বায়আতের জন্য
তাদেরকে বাধ্য করা নাহলে তারা সেখান থেকে চলে যাবেন এবং এলাকা তাদের জন্য খালি
করে দেবেন ৷ এমর্মে তারা কাষী করি ইবন সুরকে প্রেরণ করেন ৷ তিনি শুক্রবার লোকদের
মধ্যে দাড়িয়ে জিজ্ঞেস করেন : তালহা ও যুবায়র কি স্বেচ্ছায় বায়আত করেছেন না বাধ্য হয়ে?
লোকেরা চুপ, কারো মুখে কোন কথা নেই ৷ অবশেষে উসামা ইবন ষায়দ বললেন : না, বরং
তারা বাধ্য হয়ে বায়আত করেছেন ৷ কিছু লোক তার দিকে তেড়ে এসে তাকে মারতে উদ্যত
হয় ৷ মুহাঘৃব এবং আবু অইিউবসহ একদল লোক এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেন ৷ তারা তাকে
জিজ্ঞেস করেন আপনি আমাদের মতো নীরবতা অবলম্বন কল্যেন না কেনা তিনি বললেন,
আল্লাহ্র কসম, পরিস্থিতি এত দুর গড়াবে, আমি তা ভাবতে পারিনি ৷
হযরত আলী (রা) উসমান ইবন হুনাইর্ফকে এ মর্মে পত্র লিখেন রে, তাদের দৃ’জনকে
ৰিভক্তি সৃষ্টির জন্য বাধ্য করা হয়নি; অবশ্য ঐক্য এবং কল্যাণের জন্য তাদেরকে বাধ্য করা
হয়েছে ৷ তারা যদি পৃথক হয়ে যেতে চান তবে তাদের কোন ওমর নেই; অবশ্য তারা যদি অন্য
কিছু চান, তবে তারাও ভেবে দেখুন, আমরাও ভেবে দেখবাে ৷ কাব ইবন সাওর আলী
(রা)-এর পত্র নিয়ে উসমান ইবন হ্নাইিফের নিকট আগমন করলে তিনি তাকে বলেন : আমরা
যে বিষয় নিয়ে ভাবছি, এটা তার থেকে ভিন্নতর বিষয় ৷ তড়ালহা এবং যুবায়র উসমান ইবন
হুনইিফকে তাদের উভয়ের নিকট উপস্থিত হওয়ার জন্য পয়গাম প্রেরণ করলে তিনি উপস্থিত
হতে অস্বীকার করেন ৷ ফলে তারা উভয়ে অন্ধকার রাত্রে লোক একত্র করে তাদেরকে নিয়ে
ইশার নামাযে জামে মসজিদে হাযির হন ৷ কিন্তু উসমান ইবন হুনাইফ সে রাত্রে বের হননি ৷
ফলে আব্দুর রহমান ইবন আত্তাব ইবন আসীদ লোকজনকে নিয়ে নামায আদায় করেন ৷
বসরার নিকৃষ্ট লোকদের পক্ষ্ণ থেকে বিতণ্ডা ও মারপিট সংঘটিত হয় ৷ ফলে তাদের মধ্য
থেকে আনুমানিক : : জন লোক নিহত হয়৷ লোকজন উসমান ইবন হ্না৷ইফের প্রাসাদে প্রবেশ
করে তাকে বের করে তালহা এবং যুবায়রের নিকট নিয়ে আসে এবং তার মুখের সমস্ত পশম
উপড়ে ফেলে ৷ তালহা এবং যুবায়র এ ঘটনাকে গুরুতর মনে করে আয়েশা (রা) এর নিকট
লোক পাঠিয়ে ঘটনা সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন ৷ তিনি নির্দেশ দেন যে তার পথ ছেড়ে
দাও ৷ ফলে তারা তাকে ছেড়ে দিয়ে আব্দুর রহমান ইবন আবুবকরকে বায়তুল মালের কর্মকর্তা
নিযুক্ত করেন ৷ এবং তালহা ও যুবায়র ণ্লাকদ্যো মধ্যে বায়তৃল মালের সম্পদ বিতরণ করেন
এবং (বণ্টনের ক্ষেত্রে) আনুগত্যশীলদেরকে অথাধিকার দান করেন ৷ রসদ সংগ্রহ করার জন্য
লোকেরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে এবং প্রচণ্ড ভিড় জমায় ৷ তারা রক্ষীদেরকে পাকড়াও করে এবং
আল
الصَّحَابَةِ، فَرَّ جَمَاعَةٌ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ وَغَيْرِهِمْ إِلَى مَكَّةَ، وَاسْتَأْذَنَهُ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ فِي الِاعْتِمَارِ، فَأَذِنَ لَهُمَا، فَخَرَجَا إِلَى مَكَّةَ وَتَبِعَهُمْ خَلْقٌ كَثِيرٌ، وَجَمٌّ غَفِيرٌ. وَكَانَ عَلِيٌّ لَمَّا عَزَمَ عَلَى قِتَالِ أَهْلِ الشَّامِ قَدْ نَدَبَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ إِلَى الْخُرُوجِ مَعَهُ، فَأَبَوْا عَلَيْهِ، وَطَلَبَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَحَرَّضَهُ عَلَى الْخُرُوجِ مَعَهُ، فَقَالَ: إِنَّمَا أَنَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، فَإِنْ خَرَجُوا خَرَجْتُ، وَعَلَيَّ السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ، وَلَكِنْ لَا أَخْرُجُ لِلْقِتَالِ فِي هَذَا الْعَامِ. ثُمَّ تَجَهَّزَ ابْنُ عُمَرَ وَخَرَجَ إِلَى مَكَّةَ. وَقَدِمَ إِلَى مَكَّةَ أَيْضًا فِي هَذَا الْعَامِ يَعْلَى بْنُ أُمَيَّةَ مِنَ الْيَمَنِ - وَكَانَ عَامِلًا عَلَيْهَا لِعُثْمَانَ - وَمَعَهُ سِتُّمِائَةِ بَعِيرٍ وَسِتُّمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ وَقَدِمَ إِلَيْهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرٍ مِنَ الْبَصْرَةِ، وَكَانَ نَائِبَهَا لِعُثْمَانَ.
فَاجْتَمَعَ فِيهَا خَلْقٌ مِنْ سَادَاتِ الصَّحَابَةِ، وَأُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، فَقَامَتْ عَائِشَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فِي النَّاسِ تَخْطُبُهُمْ وَتَحُثُّهُمْ عَلَى الْقِيَامِ بِطَلَبِ دَمِ عُثْمَانَ، وَذَكَرَتْ مَا افْتَاتَ بِهِ أُولَئِكَ مِنْ قَتْلِهِ فِي بَلَدٍ حَرَامٍ وَشَهْرٍ حَرَامٍ، وَلَمْ يُرَاقِبُوا جِوَارَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ سَفَكُوا الدِّمَاءَ وَأَخَذُوا الْأَمْوَالَ. فَاسْتَجَابَ النَّاسُ لَهَا، وَطَاوَعُوهَا عَلَى مَا تَرَاهُ مِنَ الْأَمْرِ، وَقَالُوا لَهَا: حَيْثُمَا سِرْتِ سِرْنَا مَعَكِ. فَقَالَ قَائِلٌ: نَذْهَبُ إِلَى الشَّامِ. فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّ مُعَاوِيَةَ قَدْ كَفَاكُمْ أَمْرَهَا. وَلَوْ قَدِمُوهَا لَغَلَبُوا، وَاجْتَمَعَ الْأَمْرُ كُلُّهُ لَهُمْ ; لِأَنَّ أَكَابِرَ الصَّحَابَةِ مَعَهُمْ. وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৫৯২৯
বসৃরার একচ্ছত্র কর্তৃত্বের অধিকারী হয়ে উঠে ৷ এভাবে উসমান (রা)-এর হত্যাকারী এবং
তাদের সহায়কদের একটা দল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ৷ ফলে প্রায় তিনশ সৈন্যের একটা দলে তারা
অন্তর্ভুক্ত হয় এবং তাদের আংভাগে ছিলেন হাভীম ইবন জাবালা ৷ আর তা ছিল উসমান
(রা) এর হত্যকােণ্ডে জড়িতদের অন্যতম ৷ ফলে তারা বেরিয়ে এসে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয় ৷ এক ব্যক্তি
হাকীম ইবন জাবালার পায়ে তরবারি দ্বারা আঘাত করলে তা কেটে যায় ৷ সে কজ্যি পা হাতে
নিয়ে তা দ্বারা আঘাত করলে হামলাকারী মারা যায় ৷ তারপর যে তাতে ঠেস দিয়ে বলে ৷
ক্রে;া,১
স্লো;া,হ্র
হে মোর পায়ের গোছা,
কখনো ভাববে না যে, তুমি আমার বাহু
যদ্দারা আমি আমার গোছা রক্ষা করবো ৷
তিনি আরো বলেন :
’)
আমি যদি মারা যাই তাতে লজ্জার কিছু নেই
মানুষের মাঝে লজ্জার বিষয় হলো পলায়ন করা
আর বিনাশ স্নান করে না শ্রেষ্ঠতৃকে ৷ ’
তিনি যখন পায়ে মাথা ঠেস দিয়েছিলেন, এমন সময় জনৈক ব্যক্তি তার নিকট দিয়ে
অতিক্রমকালে জিজ্ঞেস করে কে তোমাকে হত্যা করেছে ? সে বলল, আমার বালিশ’ ৷ হাভীম
ইবন জাবালা নিহত হয়ে যায় ৷ তার সঙ্গে উসমান(রা)-এর হত্যাকারীদের মধ্যে মদীনাবাসীদের
মধ্য থেকেও আনুমানিক সত্তুরজন লোক মারা যায় ৷ আর বসরাবাসীদের মধ্যে তাল্হা এবং
যুবায়রের বিরােধীদের অন্তর দুর্বল হয়ে যায় ৷ কথিত আছে, বসরাবাসীরা তালহা যুবায়রের
বায়আত করেছিলেন ৷ আর যুবায়র (বা) এক হাজার অশ্বারােহী প্রস্তুত করেছিলেন, এদেরকে
নিয়ে তিনি আলী (রা)এর আগমনের পুকেহ তাদের সঙ্গে সংঘাতে প্রবৃত্ত হবেন ৷ কিন্তু কেউ
তার ডাকে সাড়া দেয়নি ৷ তারা সিরিয়াৰাসীদেরকে সুসংবাদ দান করে একথা লিখে জানায় ৷
এটা ৩৬ হিজরী সালের ২৫ রবিউস সানীর ঘটনা ৷ হযরত আয়েশা (রা) যায়দ ইবন সাওহানের
নিকট সাহায্য চেয়ে পত্র লিখেন ৷ তাকে তার সাথে থাকার জন্যও আহ্বান জানান ৷ তা না
করলে তিনি যেন হস্ত সংবরণ করে নিজগৃহে অবস্থান গ্রহণ করেন’ ৷ অর্থাৎ কোন পক্ষ যেন
অবলম্বন না করেন ৷ তিনি বলে পাঠান, আপনি যতক্ষণ নিজ গৃহে আছেন ততক্ষণ আমি
আপনার সাহায্য করবো ৷ এ ব্যাপারে তিনি তার কথা মেনে নিতে অস্বীকার করেন ৷ তিনি
বলেন
, ৷ ণ্শু
ৰ্
آخَرُونَ: نَذْهَبُ إِلَى الْمَدِينَةِ فَنَطْلُبُ مِنْ عَلِيٍّ أَنْ يُسَلِّمَ إِلَيْنَا قَتَلَةَ عُثْمَانَ فَيُقْتَلُوا. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ نَذْهَبُ إِلَى الْبَصْرَةِ فَنَتَقَوَّى بِالْخَيْلِ وَالرِّجَالِ، وَنَبْدَأُ بِمَنْ هُنَاكَ مِنْ قَتَلَتِهِ. فَاتَّفَقَ الرَّأْيُ عَلَى ذَلِكَ، وَوَافَقَ بَقِيَّةُ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ عَلَى الْمَسِيرِ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَلَمَّا اتَّفَقَ النَّاسُ عَلَى الْمَسِيرِ إِلَى الْبَصْرَةِ رَجَعْنَ عَنْ ذَلِكَ، وَقُلْنَ: لَا نَسِيرُ إِلَى غَيْرِ الْمَدِينَةِ. وَجَهَّزَ النَّاسَ يَعْلَى بْنُ أُمَيَّةَ، فَأَنْفَقَ فِيهِمْ سِتَّمِائَةِ أَلْفٍ وَسِتَّمِائَةِ بَعِيرٍ، وَجَهَّزَهُمُ ابْنُ عَامِرٍ أَيْضًا بِمَالٍ كَثِيرٍ: وَكَانَتْ حَفْصَةُ بِنْتُ عُمَرَ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ وَافَقَتْ عَائِشَةَ عَلَى الْمَسِيرِ إِلَى الْبَصْرَةِ، فَمَنَعَهَا أَخُوهَا عَبْدُ اللَّهِ مِنْ ذَلِكَ وَأَبَى هُوَ أَنْ يَسِيرَ مَعَهُمْ إِلَى غَيْرِ الْمَدِينَةِ، وَسَارَ النَّاسُ صُحْبَةَ عَائِشَةَ فِي أَلْفٍ. وَقِيلَ: تِسْعِمِائَةِ فَارِسٍ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَمَكَّةَ. وَتَلَاحَقَ بِهِمْ آخَرُونَ، فَصَارُوا فِي ثَلَاثَةِ آلَافٍ، وَأُمُّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةُ تُحْمَلُ فِي هَوْدَجٍ عَلَى جَمَلٍ اسْمُهُ عَسْكَرٌ، اشْتَرَاهُ يَعْلَى بْنُ أُمَيَّةَ مِنْ رَجُلٍ مِنْ عُرَيْنَةَ بِمِائَتَيْ دِينَارٍ. وَقِيلَ: بِثَمَانِينَ دِينَارًا، وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ. وَسَارَ مَعَهَا أُمَّهَاتُ الْمُؤْمِنِينَ إِلَى ذَاتِ عِرْقٍ فَفَارَقْنَهَا هُنَالِكَ وَبَكَيْنَ لِلْوَدَاعِ، وَتَبَاكَى النَّاسُ وَكَانَ ذَلِكَ الْيَوْمُ يُسَمَّى يَوْمَ النَّحِيبِ.
وَسَارَ النَّاسُ قَاصِدِينَ الْبَصْرَةَ، وَكَانَ الَّذِي يُصَلِّي بِالنَّاسِ عَنْ أَمْرِ عَائِشَةَ ابْنُ أُخْتِهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَمَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ يُؤَذِّنُ لِلنَّاسِ فِي أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ، وَقَدْ مَرُّوا فِي مَسِيرِهِمْ لَيْلًا بِمَاءٍ يُقَالُ لَهُ الْحَوْأَبُ. فَنَبَحَتْهُمْ كِلَابٌ عِنْدَهُ، فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৫৯৩০
উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রা)-এর প্রতি আল্লাহ্ তাআলা রহম করুন ৷ আল্লাহ্ তাআল্:
তাকে গৃহে অবস্থান করার এবং আমরা (পুরুষদেরকে) জিহাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তিনি
নিজে গৃহ থেকে বের হয়ে আমাদেরকে গৃহে অবস্থান গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ অথচ
আমাদের চাইতে গৃহে অবস্থান গ্রহণ করার তিনিই বেশি হকদার ৷
আয়েশা (রা) ইয়ামাযা এবং কুফাবাসীদের প্রতিও অনুরুপ পত্র প্রেরণ করেন ৷ ১
শাম এর পরিবর্তে হযরত আলী (রা)-এর মদীনা হতে বসরার উদ্দেশে রওয়ানা
হযরত আলী (রা) যেমন পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে শাম (বৃহত্তর সিরিয়া) গমনের জন্য
প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলেন ৷ ইতিমধ্যে তিনি হযরত তালহা ও হযরত যুবড়ায়র (রা) এর
বসরাভিমুষী হওয়ার স বাদ অবগত হলেন ৷ তখন তিনি জনত ৷কে উদ্দেশ্য করে ভাষণ দিলেন ৷
ভাষণে তিনি লোকদের বসরা যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করলেন ৷ উদ্দেশ্য সম্ভব হলে প্রতিপক্ষকে
বসরা প্রবেশে বাধা দেওয়া; আর তারা সেখানে প্রবেশ (ও দখল) করে থাকলে তাদের উৎখাত
করা ৷ কিন্তু অধিকাংশ পবিত্র মদীনাবাসী এতে অনীহা প্রকাশ করল এবং অতি ৩ংঅল্পস খ্যক লোক
তার আহ্বানে সাড়া দিল ৷ শ৷ বী (র)এর বর্ণনা মতে বদবী (সাহাবী) গণের মধ্যে মাত্র ছয়জন
বা সাতজন বা নয়র্জন একাজে র্তাকে সঙ্গ দিতে উদ্বুদ্ধ হলেন ৷ অন্যদের মতে এ সং খ্যা ছিল
চারজন ৷ ইবন জারীর প্রমুখ উল্লেখ করেছেন, র্তার আহ্বানে সাড়াদানকারী প্রবীণ সাহাবীদের
মধ্যে (উল্লেখযোগ্য) ছিলেন, ১ আবুল হায়ছাম ইবনুৎ তায়িাহান, ২ অত্ত্ববু কাতাদা আনসারী,
৩ যিয়াদ ইবন হানযালা ও : খুযায়মা ইবন ছাৰিত (রা) ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেছেন, ইনি
একাই দৃইসাক্ষীর সমান হওয়ার মর্যদাধারী খুযায়মা নন ৷ কেননা, ভুার মৃত্যু হয়েছিল খলীফা
হযরত উসমান (রা) এর আমলে ৷
হযরত আলী (রা) পুর্বোল্লিখিত পরিকল্পনা অনুযায়ী পবিত্র মদীনা হতে বসরার উদ্দেশ্যে
সফর শুরু করলেন ৷ তবে তিনি পবিত্র মদীনায় তামাম ইবন আব্বাস ও পবিত্র মক্কায় কুছুম
ইবন আব্বাস (বা) তার নায়িব (ভারপ্রাপ্ত) নিয়োগ করলেন ৷ এটি হিজরী ছত্রিশ সনের
রবিউসৃসানী মাসের শেষ দিককার ঘটনা ৷ আলী (রা) পবিত্র মদীনা হতে নয়শত যোদ্ধা সঙ্গে
নিয়ে বের হলেন ৷২ রাবযায় হযরত আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রা) হযরত আলী (রা)-এর সঙ্গে
সাক্ষাতকালে তার (আলী রা) ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরে বললেন, “আমীরুল মুমিনীন! আপনি
পবিত্র মদীনড়াহ্ ছেড়ে চলে যাবেন না ৷দুকননা, আপনি এখান থেকে বের হয়ে গেলে আর
কখনো মুসলমানদের রাজত্-প্ৰতিপত্তি এখানে ফিরে আসবে না ৷ ” এ কথায় কেউ কেউ হযরত
ইবন সালামকে পালি দিলে হযরত আলী (রা) তাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, র্তাকে গালমন্দ কর
না ৷ তিনি নবী মোঃ, এর সাহবীপণের মধ্যে কতই না উত্তম ব্যক্তি ৷’
পথিমধ্যে হযরত হাসান ইবন আলী (রা) এসেও পিতার সঙ্গে সক্ষোত করে বললেন, আমি
(বছুকাজে) আপনাকে নিষেধ করেছি, কিন্তু আপনি আমার কথা শুনেন নি ৷ আগামী দিনে
অসহায় অবস্থায় আপনাকে হত্যা করা হবে ৷ তখন কেউ আপনার সাহায্যকারীরুপে উপস্থিত
থাকবে না ৷
১ দ্রষ্টব্যন্ তবােরী ৫১৮১ ১৮২
২ ইবন আবীর তাবারীর বর্ণনা মতে তার সহযাত্রী লোকদের স ণ্যা জ্জি সাত শত জন ৷
سَمِعَتْ ذَلِكَ عَائِشَةُ قَالَتْ: مَا اسْمُ هَذَا الْمَاءِ؟ قَالُوا: الْحَوْأَبُ. فَضَرَبَتْ بِإِحْدَى يَدَيْهَا عَلَى الْأُخْرَى وَقَالَتْ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، مَا أَظُنُّنِي إِلَّا رَاجِعَةً. قَالُوا: وَلِمَ؟ قَالَتْ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ لِنِسَائِهِ: لَيْتَ شِعْرِي أَيَّتُكُنَّ الَّتِي تَنْبَحُهَا كِلَابُ الْحَوْأَبِ» . ثُمَّ ضَرَبَتْ عَضُدَ بَعِيرِهَا فَأَنَاخَتْهُ، وَقَالَتْ: رُدُّونِي، أَنَا وَاللَّهِ صَاحِبَةُ مَاءِ الْحَوْأَبِ. وَقَدْ أَوْرَدْنَا هَذَا الْحَدِيثَ بِطُرُقِهِ وَأَلْفَاظِهِ فِي دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ كَمَا سَبَقَ. فَأَنَاخَ النَّاسُ حَوْلَهَا يَوْمًا وَلَيْلَةً وَقَالَ لَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ: إِنَّ الَّذِي أَخْبَرَكِ أَنَّ هَذَا مَاءُ الْحَوْأَبِ قَدْ كَذَبَ. ثُمَّ قَالَ النَّاسُ: النَّجَاءَ النَّجَاءَ! هَذَا جَيْشُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَدْ أَقْبَلَ. فَارْتَحَلُوا نَحْوَ الْبَصْرَةِ.
فَلَمَّا اقْتَرَبَتْ مِنَ الْبَصْرَةِ كَتَبَتْ إِلَى الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ وَغَيْرِهِ مِنْ رُءُوسِ النَّاسِ أَنَّهَا قَدْ قَدِمَتْ. فَبَعَثَ عُثْمَانُ بْنُ حُنَيْفٍ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ وَأَبَا الْأَسْوَدِ الدُّؤَلِيَّ إِلَيْهَا لِيَعْلَمَا مَا جَاءَتْ لَهُ، فَلَمَّا قَدِمَا عَلَيْهَا، سَلَّمَا عَلَيْهَا، وَاسْتَعْلَمَا مِنْهَا مَا جَاءَتْ لَهُ، فَذَكَرَتْ لَهُمَا مَا الَّذِي جَاءَتْ لَهُ مِنَ الْقِيَامِ بِطَلَبِ دَمِ عُثْمَانَ ; لِأَنَّهُ قُتِلَ مَظْلُومًا فِي شَهْرٍ حَرَامٍ وَبَلَدٍ حَرَامٍ. وَتَلَتْ قَوْلَهُ تَعَالَى: {لَا خَيْرَ فِي كَثِيرٍ مِنْ نَجْوَاهُمْ إِلَّا مَنْ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوْ مَعْرُوفٍ أَوْ إِصْلَاحٍ بَيْنَ النَّاسِ} [النساء: 114] الْآيَةَ [النِّسَاءِ: 114] فَخَرَجَا مِنْ عِنْدِهَا فَجَاءَا إِلَى طَلْحَةَ فَقَالَا لَهُ: مَا أَقْدَمَكَ؟ فَقَالَ: الطَّلَبُ بِدَمِ عُثْمَانَ. فَقَالَا: أَمَا بَايَعْتَ عَلِيًّا؟ قَالَ: بَلَى وَالسَّيْفُ عَلَى عُنُقِي،
পৃষ্ঠা - ৫৯৩১
وَلَا أَسْتَقْبِلُهُ إِنْ هُوَ لَمْ يُخَلِّ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَتَلَةِ عُثْمَانَ. فَذَهَبَا إِلَى الزُّبَيْرِ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ. قَالَ: فَرَجَعَ عِمْرَانُ وَأَبُو الْأَسْوَدِ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ، فَقَالَ أَبُو الْأَسْوَدِ:
يَا ابْنَ حُنَيْفٍ قَدْ أَتَيْتَ فَانْفِرِ ... وَطَاعِنِ الْقَوْمَ وَجَالِدْ وَاصْبِرِ
وَاخْرُجْ لَهُمْ مُسْتَلْثِمًا وَشَمِّرِ
فَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ حُنَيْفٍ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، دَارَتْ رَحَا الْإِسْلَامُ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ، فَانْظُرُوا بِأَيِّ زَيَفَانٍ تَزِيفُ. فَقَالَ عِمْرَانُ: إِي وَاللَّهِ لَتَعْرُكَنَّكُمْ عَرْكًا طَوِيلًا. يُشِيرُ عُثْمَانُ بْنُ حُنَيْفٍ إِلَى حَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ مَرْفُوعًا: «تَدُورُ رَحَا الْإِسْلَامِ لِخَمْسٍ وَثَلَاثِينَ، أَوْ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ» . الْحَدِيثَ كَمَا تَقَدَّمَ. ثُمَّ قَالَ عُثْمَانُ بْنُ حُنَيْفٍ لِعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ: أَشِرْ عَلَيَّ. فَقَالَ: اعْتَزِلْ فَإِنِّي قَاعِدٌ فِي مَنْزِلِي. أَوْ قَالَ: قَاعِدٌ عَلَى بَعِيرِي فَذَاهِبٌ. فَقَالَ عُثْمَانُ: بَلْ أَمْنَعُهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ. فَنَادَى فِي النَّاسِ يَأْمُرُهُمْ بِلُبْسِ السِّلَاحِ وَالِاجْتِمَاعِ فِي الْمَسْجِدِ، فَاجْتَمَعُوا فَأَمَرَهُمْ، بِالتَّجَهُّزِ، فَقَامَ رَجُلٌ وَعُثْمَانُ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنْ كَانَ هَؤُلَاءِ الْقَوْمُ جَاءُوا خَائِفِينَ فَقَدْ جَاءُوا مِنْ بَلَدٍ يَأْمَنُ فِيهَا الطَّيْرُ، وَإِنْ كَانُوا جَاءُوا يَطْلُبُونَ بِدَمِ عُثْمَانَ فَمَا نَحْنُ بِقَتَلَتِهِ، فَأَطِيعُونِي وَرُدُّوهُمْ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫৯৩২
আলী (বা) বললেন, তৃমি সব সময় আমার জন্য মেয়েদের ন্যায় মায়াকান্না কেদে থাক !
এমন কোন বিষয়টি আছে যাতে তুমি আমাকে নিষেধ করেছ, আর আমি তোমার কথা শুনিনি ন্’
হাসান (রা) বললেন, কেন, হযরত উসমান (রা)-এয়শাহাদ্যাতর পুর্বে আমি কি আপনাকে
পবিত্র মদীনা থেকে অন্য কোথাও চলে যেতে বলেহ্নিমম না, যাতে সেখানে আপনার
উপস্থিতিকালে তার হত্যা সংঘটিত না হয় এবং এ প্রসঙ্গে কেউ কিছু বলার বা কোন মন্তব্যকারী
কিছু মন্তব্য করার সুযোগ না পায় ৷ আমি আপনাকে বলেছিলাম না যে, উসমান (বা)-এর
শাহাদতের পরে (ইসলামী রাৰষ্ট্ৰর) সকল নগরীর লোকেরা আপনার কাছে তাদের বায়আত ও
আনুগত্যের স্বীকারোক্তি না পাঠাবনান্পর্যন্ত আপনি (আপনার খলীফা হওয়ার অনুকুলে মদীনায়
জনগণের বায়আত গ্রহণ করবেন না ৷ এই মহিলা (হযরত আয়েশা বা) এবং এ ইে ব্যক্তি
হযরত তালহা (বা) ও হযরত যুবায়র (বা) আপনার বিরোধিতায় অবতীর্ণ হবার সময় তারা
আপোসরফা না করা পর্যন্ত আমি আপনাকে ঘরে (নিরবে) অবস্থান করতে বলেছিলাম, এগুলির
কোন ব্যাপারেই আপনি আমার কথা শুনেন নি’ ৷
জবাবে আলী (বা) বললেন, গােন, উসমান (বা) হত্যার পুর্বে পবিত্র মদীনায় বইিরে চলে
যাওয়ার ব্যাপারে তোমার পরামর্শ, তার ব্যাপার তো এইছুয, <ন্৷ যেমন (বিদ্রোহীদের দ্বারা)
বেষ্টিত হয়ে পড়েছিল আমরাও ড্ডাপ বেষ্টিত হয়ে পড়েছিলাম ৷ সকল নগরবাসীর বায়আতের
পুর্বে আমার (পবিত্র মদীনায়) বায়আত গ্রহণের কারণ ছিল এই যে, আমি এই বিষয়টি
(ইসলামী রাষ্টের সংহতি) নষ্ট হয়ে হাওয়া অপছন্দ করেছিলাম ৷ আর এ লোকেরা তাদের পথে
চলে যাওয়ার পরে আমার নিরবে বসে থাকার বিষয়টি তুমি কি আমার কাছে এরুপ আচর,ণ
আশা কর যে, আমি যে গণ্ডার’-এর ন্যায় যে যাকে বেষ্টন করে দেয়ার পরে বলা হবে যে,
সে-টি এখানে নেই; (অর্থাৎ ডীতৃ হয়ে আত্মগােপন করে থাকবে ৷) পরে তার গােড়ালির হাড়ে
আঘাত করা হলে তখন সে বেরিয়ে আসবে! এ সংকটে আমার যা করণীয় ও অপরিহার্য
কর্তব্য ৷ আমি তাতে উদগ্রীব না হলে আর কে উদ্গীব হবে৷ কাজেই, প্রিয় সন্তান, আমাকে
আমার কর্তব্য পালন করতে দাও ৷ ’
যখন তার কাছে বসরাবাসীদের কর্মতত্পরতার সংবাদ পৌছল (যা আমি ইতিপুর্বে উল্লেখ
করেছি) তখন আলী (বা) মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (বা) ও মুহাম্মাদ ইবন জাফর (রা)-ফে এক
পত্রসহ কুফাবাসীদের কাছে পাঠালেন ৷ পত্রে তিনি লিখলেন, আমি অন্যান্য নগরবাসীর
বিপরীতে তোমাদের গ্রহণ করেছি ৷ আমি তোমাদের প্রতি আশাষিত হয়েছি এবং যা কিছু ঘটে
গিয়েছে তাতে সস্ত্রস্ত হয়েছি ৷ কাজেই তোমরা আল্লাহর দীনের সাহায্যকারী ও সহায়তা
দানকারী হও ৷ আমাদের শক্তি-সাম্র্থোর যোগান দাও এবং আমাদের সহযোগিতায় উদ্বুদ্ধ হও ৷
আমাদের উদ্দেশ্য পরিস্থিতিরসংষ্কার-সংশেধেন, যাতে এ উম্মাত পুনরায় ভাই ভাই হয়ে যায় ৷ >
পত্র নিয়ে তারা দুইজন চলে গেল ৷ আলী (বা) পবিত্র মদীনায় লোক পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও
বাহন আনিয়ে নিলেন ৷ তিনি লোকদের সামনে ভাষণ দিয়ে বললেন, মহান আল্লাহ ইসলাম, দ্বারা
আমাদের যিল্পতী-মর্যাদাহীনতা, সংখ্যাস্বল্পতা ও পারস্পরিক ৰিদ্বেষ-বিভেদের পরে আমাদের
১ তাবাৰীতে আরও আছে — “যারা এটা পছন্দ করবে ও একে প্রাধান্য দিয়ে তারা সত্যকে ভালবাসবে এবং
তাকে প্রাধান্য দিবে ৷ আর যারা এটা অপছন্দ করবে তারা সত্যকে অপছন্দ করবে ও তাকে প্রশমিত করবে ৷
حَيْثُ جَاءُوا. فَقَامَ الْأَسْوَدُ بْنُ سَرِيعٍ السَّعْدِيُّ فَقَالَ: إِنَّمَا جَاءُوا يَسْتَعِينُونَ بِنَا عَلَى قَتَلَةِ عُثْمَانَ مِنَّا وَمِنْ غَيْرِنَا. فَحَصَبَهُ النَّاسُ، فَعَلِمَ عُثْمَانُ بْنُ حُنَيْفٍ أَنَّ لِقَتَلَةِ عُثْمَانَ بِالْبَصْرَةِ أَنْصَارًا فَكَسَرَهُ ذَلِكَ.
وَقَدِمَتْ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ بِمَنْ مَعَهَا مِنَ النَّاسِ، فَنَزَلُوا الْمِرْبَدَ مِنْ أَعْلَاهُ قَرِيبًا مِنَ الْبَصْرَةِ، وَخَرَجَ إِلَيْهَا مَنْ أَرَادَ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، فَكَانَ مَعَهَا، وَخَرَجَ عُثْمَانُ بْنُ حُنَيْفٍ بِالْجَيْشِ، فَاجْتَمَعُوا بِالْمِرْبَدِ، فَتَكَلَّمَ طَلْحَةُ - وَكَانَ عَلَى الْمَيْمَنَةِ - فَنَدَبَ إِلَى الْأَخْذِ بِثَأْرِ عُثْمَانَ وَالطَّلَبِ بِدَمِهِ، وَتَابَعَهُ الزُّبَيْرُ فَتَكَلَّمَ بِمِثْلِ مَقَالَتِهِ، فَرَدَّ عَلَيْهِمَا نَاسٌ مِنْ جَيْشِ عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ، وَتَكَلَّمَتْ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ فَحَرَّضَتْ وَحَثَّتْ عَلَى ذَلِكَ، فَتَثَاوَرَ طَوَائِفُ مِنْ أَطْرَافِ الْجَيْشَيْنِ، فَتَرَامَوْا بِالْحِجَارَةِ، ثُمَّ تَحَاجَزَ النَّاسُ وَرَجَعَ كُلُّ فَرِيقٍ إِلَى حَوْزَتِهِ، وَقَدْ صَارَتْ طَائِفَةٌ مِنْ جَيْشِ عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ إِلَى جَيْشِ عَائِشَةَ، فَكَثُرُوا. وَجَاءَ جَارِيَةُ بْنُ قُدَامَةَ السَّعْدِيُّ فَقَالَ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، وَاللَّهِ لَقَتْلُ عُثْمَانَ أَهْوَنُ مِنْ خُرُوجِكِ مِنْ بَيْتِكِ عَلَى هَذَا الْجَمَلِ عُرْضَةً لِلسِّلَاحِ، إِنْ كُنْتِ أَتَيْتِنَا طَائِعَةً فَارْجِعِي مِنْ حَيْثُ جِئْتِ إِلَى مَنْزِلِكِ، وَإِنْ كُنْتِ أَتَيْتِنَا مُكْرَهَةً فَاسْتَعِينِي بِالنَّاسِ فِي الرُّجُوعِ.
وَأَقْبَلَ حُكَيْمُ بْنُ جَبَلَةَ - وَكَانَ عَلَى خَيْلِ عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ - فَأَنْشَبَ الْقِتَالَ وَجَعَلَ أَصْحَابُ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ يَكُفُّونَ أَيْدِيَهُمْ وَيَمْتَنِعُونَ مِنَ الْقِتَالِ، وَجَعَلَ حُكَيْمٌ
পৃষ্ঠা - ৫৯৩৩
সম্মানিত, সমুন্নত ও ভাই-তাই করেছেন ৷ যত দিন মহান আল্লাহর ইচ্ছা জ্জি মানুষেরা সে
অবস্থায় কাটিয়েছে ৷ ইসলাম ছিল তাদের দীন-ধর্ম, ন্যায় ও সত্য ছিল তাদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত
এবং (আল্লাহর) কিতাব ছিল তাদের ইমাম ও পরিচালক ৷ অবশেষে ইনি সেসব সম্রাসীদের
হাতে শহীদ হলেন, এ উম্মতের মধ্যে চরম বিশৃৎখলা সৃষ্টির জন্য শয়তান যাদের উসৃকে
দিয়েছে ৷ শুনে রাখা এ উম্মতও অবশ্যই বহুধা বিভক্ত হবে, যেরুপে পুর্ববর্তী উষ্মতগুলো বহুধা
বিভক্ত হয়েছিল ৷ কাজেই, যা অবশ্যই ঘটতে যাচ্ছে সে বিষয়ে আমরা মহান আল্লাহ্র আশ্রয়
প্রার্থনা করছি ৷ (আল্লাহ্ রক্ষা করুন !)
তিনি পুনরায় বলতে শুরু করলেন, যা অবশ্যবম্বাবী তা ঘটবেই৷ শুনে রাখা এ উম্মত
তেহাত্তর দলে বিভক্ত হবে; যাভৈদ্যা মধ্যে নিকৃষ্টতম হবে সে উপদলঢি যারা আমাকে ভালবাসবে,
বিৎ আমার আদর্শ অনুসারে আমল করবে না ৷ তোমরা তাদের দেখতে পেয়েছ ৷ কাজেই
তোমরা তোমাদের দীনকে মজবুতরুপে ধরে বার এবং আমার আদর্শ অনুসারে কাজ করে যাও ৷
কেননা তোমাদের নবীর আদর্শই ৷ তোমরা তার সুন্নাতের অনুসরণ করবে এবং যে সব বিষয়
তোমাদের কাছে জটিল বিবেচিত হয় এড়িয়ে চলবে এবং সেগুলোকে মহান আল্লাহর কিতাবের
মানদণ্ডে নিরীক্ষা করবে ৷ যেগুলো কুরআনের স্বীকৃতি লাভ করবে, সেগুলো আকড়ে ধরবে এবং
কুরআন যেগুলােকে অস্বীকার করবে তোমরা সেগুলোকে প্রত্যাখ্যান করবে ৷ মহান আল্পাহ্কে
বব ও ৰিধানদাতা প্ৰতিপালকরুপে, ইসলামকে দীনরুপে, মুহাম্মদ মোঃ ণ্ক নবীরুপে এবং
কুরআনকে বিচারক ও ইমড়ামরুপে গ্রহণ করে তোমরা তৃষ্ট থাকবে ৷
বর্ণনকােরী বলেন, পরে আলী (রা) রাবাযা হতে প্রন্থানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে ইবনু আবু
রিফাআ ইবন রাফি তার সামনে দাড়িয়ে বললেন, আমীরুল মু’মিনীন ৷ আপনার ইরাদা কী ৷
আপনি আমাদের কোথায় নিয়ে যেতে চান ৷ তিনি বললেন, আমার ইরাদা ও উদ্দেশা সংশোধন
ও আপােসরফা করা ৷ যদি তারা তা গ্রহণ করে ও সাড়া দেয় ৷ প্ৰশ্নকারী বললেন, যদি তারা
তাতে সাড়া না দেয় ৷ আলী (বা) বললেন, তাদেরকে তাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করা নিয়ে থাকতে
দিব, তাদের সঙ্গে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করব এবং সবর করব ৷ প্ৰশ্নকারী বললেন, যদি তারা
তাতে তৃষ্ট না হয় ৷ আলী (রা) বললেন, য়তক্ষণ তারা আমাদের এড়িয়ে চলবে, আমরাও
তাদের এড়িয়ে থাকর ৷ প্রশ্নকারী বললেন, যদি তারা আমাদের ছেড়ে না দেয় ৷ আলী (রা)
বললেন, আমরা তাদের হতে সযত্নে দুরে সরে থাকর ৷ প্রশ্নকারী (ইবন আবু রিফাআ)
বললেন, তবে ঠিক আছে ৷
এ সময় হাজ্জাজ ইবন পাযিয়্যা আনসারী (বা) তার সামনে দাড়িয়ে বললেন, আপনি যেমন
বক্তব্য দ্বারা সন্তুষ্ট করবেন তেমনি কর্ম দ্বারা আমি আপনাকে সত্তুষ্ট করব ৷ আল্লাহর কসমা
আল্লাহ্ পাক যেহেতু আমাদেরকে আনসার নামে অভিহিত করেছেন, তিনি অবশ্যই আমাদের
সাহায্য করবেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, আলী (রা) রাবাযায় অবস্থানকালে সেখানে তার গোত্রের একটি দল
আগমন করল ৷ তাকে অবহিত করা হলো যে, এরা তার গোত্রের লোক ৷ তাদের কভক
আপনার সঙ্গে অভিযানে বের হওয়ার উদ্দেশ্যে এবংঅন্যরা আপনাকে সালাম করার উদ্দেশ্যে
আগমন করেছে ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ্ (তাদের) সকলকে কল্যাণের জাযা দান বব্রুন ৷ (তবে)
يَقْتَحِمُ عَلَيْهِمْ فَاقْتَتَلُوا عَلَى فَمِ السِّكَّةِ، وَأَمَرَتْ عَائِشَةُ أَصْحَابَهَا فَتَيَامَنُوا حَتَّى انْتَهَوْا إِلَى مَقْبَرَةِ بَنِي مَازِنٍ، وَحَجَزَ اللَّيْلُ بَيْنَهُمْ، فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الثَّانِي قَصَدُوا الْقِتَالَ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، إِلَى أَنْ زَالَ النَّهَارُ، وَقُتِلَ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنْ أَصْحَابِ ابْنِ حُنَيْفٍ، وَكَثُرَتِ الْجِرَاحُ فِي الْفَرِيقَيْنِ، فَلَمَّا عَضَّتْهُمُ الْحَرْبُ تَدَاعَوْا إِلَى الصُّلْحِ عَلَى أَنْ يَكْتُبُوا بَيْنَهُمْ كِتَابًا وَيَبْعَثُوا رَسُولًا إِلَى أَهْلِ الْمَدِينَةِ يَسْأَلُ أَهْلَهَا ; إِنْ كَانَ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ أُكْرِهَا عَلَى الْبَيْعَةِ، خَرَجَ عُثْمَانُ بْنُ حُنَيْفٍ عَنِ الْبَصْرَةِ وَأَخْلَاهَا لَهُمَا، وَإِنْ لَمْ يَكُونَا أُكْرِهَا عَلَى الْبَيْعَةِ، خَرَجَ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ عَنْهَا وَأَخْلَوْهَا لَهُ. وَبَعَثُوا بِذَلِكَ كَعْبَ بْنَ سُورٍ الْقَاضِي، فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فَقَامَ فِي النَّاسِ فَسَأَلَهُمْ: هَلْ بَايَعَ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ طَائِعَيْنِ أَوْ مُكْرَهَيْنِ؟ فَسَكَتَ النَّاسُ فَلَمْ يَتَكَلَّمْ إِلَّا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، فَقَالَ: بَلْ كَانَا مُكْرَهَيْنِ. فَثَارَ إِلَيْهِ بَعْضُ النَّاسِ فَأَرَادُوا ضَرْبَهُ، فَجَاحَفَ دُونَهُ صُهَيْبٌ، وَأَبُو أَيُّوبَ، وَجَمَاعَةٌ حَتَّى خَلَّصُوهُ وَقَالُوا لَهُ: مَا وَسِعَكَ مَا وَسِعَنَا مِنَ السُّكُوتِ؟ فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ مَا كُنْتُ أَرَى أَنَّ الْأَمْرَ يَنْتَهِي إِلَى هَذَا. وَكَتَبَ عَلِيٌّ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ يَقُولُ: إِنَّهُمَا لَمْ يُكْرَهَا عَلَى فُرْقَةٍ، وَلَقَدْ أُكْرِهَا عَلَى جَمَاعَةٍ وَفَضْلٍ، فَإِنْ كَانَا يُرِيدَانِ الْخَلْعَ فَلَا عُذْرَ لَهُمَا، وَإِنْ كَانَا يُرِيدَانِ غَيْرَ ذَلِكَ نَظَرَا وَنَظَرْنَا. وَقَدِمَ كَعْبُ بْنُ سُورٍ عَلَى عُثْمَانَ بِكِتَابِ عَلِيٍّ، فَقَالَ عُثْمَانُ: هَذَا أَمْرٌ آخَرُ غَيْرُ مَا كُنَّا فِيهِ. وَبَعَثَ طَلْحَةُ
পৃষ্ঠা - ৫৯৩৪
আল্লাহ্ ঘরে অবস্থানকারীদের তুলনায় মুজাইিদদের বিরাট বিনিময়ের গ্রেষ্ঠৎ দান
করেছেন ৷ (নিসা : ৪ ৯৫)
এরপর আলী (রা) ত্নীর লােকবল ও সাজ-সরঞ্জামসহ রাবাযা হতে সফর শুরু করলেন ৷
তিনি একটি লাল বর্ণের উষ্টীতে আরোহী ছিলেন এবং একটি ছাই (খয়েরী) বর্ণের ঘোড়া সঙ্গে
নিয়ে চলছিলেন ৷ তিনি যায়দ১ পর্যন্ত পৌছলে বনু আসাদ ও তার গোত্রের একটি দল এসে
তার সহযাত্রী হওয়ার আবেদন করলো ৷ তিনি বললেন, আমার সঙ্গে যারা আছে তারাই যথেষ্ট ৷
এ সময় কুফার অধিবাসী আমির ইবন মাতার শায়ৰানীআগমন করলে আলী (রা) তাকে
বললেন, ও দিককার খবরাখবর কি ? সে খবরাদি সম্পর্কে অবহিত করলে তিনি আবু মুসা (বা)
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন ৷ আমির বলল, আপনি আপোস করতে চাইলে আবু মুসা তার সংগে
আছেন, আর আপনি খুদ্ধ করতে চাইলে তিনি তাতে নেই ৷ আলী (রা) বললেন, আল্লাহ্র কসম,
যারা আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে তাদের সঙ্গে আপোসরফা করাই আমার উদ্দেশ্য ৷ তিনি
সফর অব্যাহত রাখলেন ৷ কুফার সন্নিকর্টে পৌছে যখন তিনি সেখানে তার লোকদের উপরে
ঘটে যাওরা দৃর্ঘণ্টনাসমুহ তথা হত্যা, বসরা হতে উসমান ইবন হুনায়ফ (বা) এর বহিষ্কার এবং
বিদ্রোহীদের ৰায়তৃলমাল দখল করে নেওয়া প্রভৃতি বিষয়ে অবহিত হলেন তখন বলতে
লাগলেন-
ণ্ণ্৩ট্ট
হে আল্লাহ্! আপনি তালহা ও যুবায়র (রা)-কে যাতে আক্রান্ত করেছেন তা হতে আমাকে
মুক্ত রাখুন! আলী যু-ফার পৌছলে বিধ্বস্ত উসমান ইবন হুনায়ফ (বা) তার সঙ্গে সাক্ষাত
করলেন, তখন তাহার মুখমণ্ডলে একগাছি চুলও ছিল না ৷ উসমান (রা) বললেন, আমীরুল
মু’মিনীন ? আপনি যখন আমাকে বসরায় পাঠিয়েছিলেন তখন আমার মুখে দাড়ি ছিল; এখন
আমি আপনার নিকট দাড়িবিহীন কািশারের চেহারা নিয়ে উপস্থিত হয়েছি ৷ আলী (রা) বললেন,
তুমি কল্যাণ ও বিনিময় লাভ করেছ ৷ এ সময় তালহা (রা) ও যুবায়র (রা) সম্পর্কে বললেন,
হে আল্লাহ্৷ তারা যে সংকটের গিরা লাগিয়েছে তা খুলে দিন, তারা তাদের মনে মনে যে
সিদ্ধান্ত পোষণ করছে তা চুড়ান্ত করবেন না এবং তাদের কৃতকর্মের মন্দ চলমান বিষয়ে
তাদের দেখিয়ে দিন ৷ আলী (রা) মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (রা) ও মুহাম্মাদ ইবন জাফর
(রা)-কে যে পত্র দিয়ে পাঠিয়েছিলেন তার জবাবের অপেক্ষায় যু-ফারে অবস্থান করতে
লাগলেন ৷
তারা দুজন তার পত্র নিয়ে আবু মুসা (রা)-এর কাছে পৌছেছিলেন এবং নির্দেশ অনুসারে
জনতার সামনে বক্তব্য পেশ করেছিলেন ৷ কিন্তু তাদের আহ্বানে কোন প্রকার সাড়া দেয়া হচ্ছিল
না ৷ সন্ধ্য৷ হলে কতক ধীমান (দরকাৰী?) ব্যক্তি আবু মুসা (না)-এর কাছে গিয়ে তাকে আলী
(রা)-এর প্রতি আনুপত্যেৱ জন্য উদ্বুদ্ধ করলে তিনি বললেন, এটি তো গত দিনের ব্যাপার ৷ এ
কথায় দুই মুহাম্মাদ (ইবন আবু বকর ও ইবন জাফর) ক্রেধোষিত হয়ে আবু মুসা (রা)-কে
১ কায়দ পবিত্র মক্কা ও কুফার মধ্যবর্তী অবস্থানে একটি উপশহ্র ৷ (মুজাম)
وَالزُّبَيْرُ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ أَنْ يَخْرُجَ إِلَيْهِمَا فَأَبَى. فَجَمَعَا الرِّجَالَ فِي لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ وَشَهِدَ بِهِمْ صَلَاةَ الْعِشَاءِ فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ، وَلَمْ يَخْرُجْ عُثْمَانُ بْنُ حُنَيْفٍ تِلْكَ اللَّيْلَةَ، فَصَلَّى بِالنَّاسِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَتَّابِ بْنِ أَسِيدٍ، وَوَقَعَ مِنْ رِعَاعِ النَّاسِ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ كَلَامٌ وَضَرْبٌ، فَقُتِلَ مِنْهُمْ نَحْوٌ مَنْ أَرْبَعِينَ رَجُلًا، وَدَخَلَ النَّاسُ عَلَى عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ قَصْرَهُ، فَأَخْرَجُوهُ إِلَى طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ، وَلَمْ يَبْقَ فِي وَجْهِهِ شَعْرَةٌ إِلَّا نَتَفُوهَا، فَاسْتَعْظَمَا ذَلِكَ وَبَعَثَا إِلَى عَائِشَةَ فَأَعْلَمَاهَا الْخَبَرَ، فَأَمَرَتْ أَنْ تُخَلَّى سَبِيلُهُ، فَأَطْلَقُوهُ وَوَلَّوْا عَلَى بَيْتِ الْمَالِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ، وَقَسَّمَ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ أَمْوَالَ بَيْتِ الْمَالِ فِي النَّاسِ، وَفَضَّلُوا أَهْلَ الطَّاعَةِ، وَأَكَبَّ عَلَيْهِمُ النَّاسُ يَأْخُذُونَ أَرْزَاقَهُمْ، وَأَخَذُوا الْحَرَسَ، وَاسْتَبَدُّوا بِالْأَمْرِ فِي الْبَصْرَةِ، فَحَمِيَ لِذَلِكَ جَمَاعَةٌ مِنْ قَوْمِ قَتَلَةِ عُثْمَانَ وَأَنْصَارِهِمْ، فَرَكِبُوا فِي جَيْشٍ قَرِيبٍ مِنْ ثَلَاثِمِائَةٍ، وَمُقَدَّمُهُمْ حُكَيْمُ بْنُ جَبَلَةَ، وَهُوَ أَحَدُ مَنْ بَاشَرَ قَتْلَ عُثْمَانَ، فَبَارَزُوا وَقَاتَلُوا، فَضَرَبَ رَجُلٌ رِجْلَ حُكَيْمِ بْنِ جَبَلَةَ فَقَطَعَهَا، فَزَحَفَ حَتَّى أَخَذَهَا وَضَرَبَ بِهَا ضَارِبَهُ فَقَتَلَهُ ثُمَّ أَتَّكَأَ عَلَيْهِ وَجَعَلَ يَقُولُ:
يَا سَاقُ لَنْ تُرَاعِى ... إِنَّ مَعِي ذِرَاعِي
أَحْمِي بِهَا كُرَاعِي
وَقَالَ أَيْضًا
পৃষ্ঠা - ৫৯৩৫
لَيْسَ عَلَيَّ أَنْ أَمُوتَ عَارُ ... وَالْعَارُ فِي النَّاسِ هُوَ الْفِرَارُ
وَالْمَجْدُ لَا يَفْضَحُهُ الدَّمَارُ
فَمَرَّ عَلَيْهِ رَجُلٌ وَهُوَ مُتَّكِئٌ بِرَأْسِهِ عَلَى ذَلِكَ الرَّجُلِ، فَقَالَ لَهُ: مَنْ قَتَلَكَ؟ فَقَالَ: وِسَادَتِي. ثُمَّ مَاتَ حُكَيْمٌ قَتِيلًا هُوَ وَنَحْوٌ مَنْ سَبْعِينَ مِنْ قَتَلَةِ عُثْمَانَ وَأَنْصَارِهِمْ، فَضَعُفَ جَأْشُ مَنْ خَالَفَ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرَ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ. . وَيُقَالُ: إِنَّ أَهْلَ الْبَصْرَةِ بَايَعُوا طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرَ، وَنَدَبَ الزُّبَيْرُ أَلْفَ فَارِسٍ يَأْخُذُهَا مَعَهُ وَيَلْتَقِي عَلِيًّا قَبْلَ أَنْ يَجِيءَ، فَلَمْ يُجِبْهُ أَحَدٌ، وَكَتَبُوا بِذَلِكَ إِلَى أَهْلِ الشَّامِ يُبَشِّرُونَهُمْ بِذَلِكَ. وَقَدْ كَانَتْ هَذِهِ الْوَقْعَةُ لِخَمْسِ لَيَالٍ بَقِينَ مِنْ رَبِيعٍ الْآخَرِ سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ.
وَقَدْ كَتَبَتْ عَائِشَةُ إِلَى زَيْدِ بْنِ صُوحَانَ تَدْعُوهُ إِلَى نُصْرَتِهَا وَالْقِيَامِ مَعَهَا، فَإِنْ لَمْ يَجِئْ فَلْيَكُفَّ يَدَهُ وَلْيَلْزَمْ مَنْزِلَهُ، أَيْ لَا يَكُونُ عَلَيْهَا وَلَا لَهَا، فَقَالَ: أَنَا فِي نُصْرَتِكِ مَا دُمْتِ فِي مَنْزِلِكِ. وَأَبَى أَنْ يُطِيعَهَا فِي ذَلِكَ، وَقَالَ: رَحِمَ اللَّهُ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، أُمِرَتْ أَنْ تَلْزَمَ بَيْتَهَا، وَأُمِرْنَا أَنْ نُقَاتِلَ، فَخَرَجَتْ مِنْ مَنْزِلِهَا وَأَمَرَتْنَا بِلُزُومِ بُيُوتِنَا الَّتِي كَانَتْ هِيَ أَحَقَّ بِذَلِكَ مِنَّا. وَكَتَبَتْ عَائِشَةُ إِلَى أَهْلِ الْيَمَامَةِ وَالْكُوفَةِ بِمِثْلِ ذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ৫৯৩৬
অত্যন্ত শক্ত কথা শোনালেন ৷ আবু মুসা (রা) তাদের দৃইজনকে বললেন, আল্লাহ্র কসমা
উসমান (রা)-এর বায়আত আমার ঘাড়ে ও তোমাদের নেতার (আলী রা) ঘাড়ে বিদ্যমান
রয়েছে ৷ কাজেই যুদ্ধ অনিবার্য হলে আমরা উসমান হত্যাকারীদের ব্যাপারে নিষ্পত্তিতে না
পৌছে তারা যারাই হোক এবং যেখানেই থাক কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হব না !’ তখন
মুহাষ্মদদ্বয় যু-ফারে অবস্থানরত আলী (রা)-এর কাছে ঘিরে গিয়ে তাকে সব খবর অব ত
করলেন ৷ আলী (রা) আশতারকে বললেন, তুমি তো আবু মুসা-র আপন লোক এবং সবকিছুতে
তুমি নাক গলিয়ে থাক ৷ এখন ভুমি ও ইবন আব্বাস (বা) গিয়ে যা কিছু সর্বনাশ ঘটিয়েছ তার
সংশোধন কর ৷ তারা দুইজন চলে গেলেন এবং কুফার পৌছে আবু মুসা (রা)-এর সঙ্গে কথা
বললেন ৷ তারা কুফার একদল লোক সঙ্গে নিয়ে আবু মুসা (রা)-এর উপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা
করলেন ৷ ণ্
আবু মুসা (রা) তখন লোকদের সামনে এ ভাষণ দিলেন “হে মানবমওলী ৷ মুহাম্মদট্রুলোঃট্র
এর সাহাবীগণ যারা তার সঙ্গ-সান্নিধ্য লাভ করেছেন তারা আল্লাহ্ ও রাসুলুল্লাহ্ স্লোৎ সম্পর্কে
যারা তার সান্নিধ্য লাভ করেনি, তাদের চেয়ে-অধিক ৰিজ্ঞ ৷ আমাদের উপর তোমাদের অধিকার
রয়েছে; আমি তোমাদের প্ৰতি সদুপদেশের দায়িতু পালন করছি ৷ যথার্থ করণীয় ছিল এই যে
তোমরা মহান আল্লাহ্র সুলতান (খলীফা)-এর প্রতি অবমাননার আচরণ করবে না এবং তার
ব্যাপারে অতি দুঃসাহস দেখাবে না ৷ চলমান সংবস্ট ও ফিতনাঢি এমন এক ফিতন৷ যাতে ঘৃমত
ব্যক্তি জাগ্রতের চেয়ে উত্তম, জাগ্রত ব্যক্তি নিরপেক্ষ অবস্থানকারীর (উপবিষ্ট) চেয়ে উত্তম,
উপবিষ্ট ব্যক্তি দাড়িয়ে থাকা ব্যক্তির চেয়ে উত্তম, দাড়িয়ে থাকা ব্যক্তি আরােহীর চেয়ে উত্তম
এবং আরােহী ব্যক্তি ছুটাছুটিকারীর চেয়ে উত্তম ৷ তরবারিগুলেড়া খাপবদ্ধ করে রাখ,
তীরবর্শাগুলোর ফলা খুলে রাখ ৷ ধনুকের ছিলাগুলো ছিড়ে ফেল এবং নিপীড়িত নির্যাতিতদের
আশ্রয় প্রদান কর যতক্ষণ না বিষয়টি জোড়া লেগে যায়, সংকট মেঘমুক্ত হয় ৷ তখন
আশতার ও ইবন আব্বাস (রা) আলী (রা)-এর কাছে ফিরে গিয়ে তাকে সব খবর অবহিত
করলেন ৷ আলী (রা) হাসান (রা) ও আমার ইবন ইয়াসির (রা)-কে পাঠালেন এবং আমার
(রা)-কে বললেন যাও , যা নষ্ট করেছ তা সংস্কার কর ৷
তারা দু’জনাহৃায়ে (কুফার) মসজিদে প্রবেশ বল্মলে সর্বাগ্রে মাসরুক ইবনুল আজদা তাদের
সালাম করলেন ৷ তিনি আমার (রা)-ণ্ক বললেন, তােমরা কিসের ভিত্তিতে উসমান (রা)-কে
হত্যা করেছ ? তিনি বললেন, আমাদের মর্যাদাহানি করা ও আমাদের দেহে আঘাত করার
কারণে ৷ মাসরুক বললেন, আল্লাহ্র কসম! “তোমরা তাে যেমন আঘাত পােয়ছিলে তদনুরুপ
প্ৰতিশোধ নাও সি, আর তোমরা সবর করলে তা সবরকারীদের জ্যাত্র অবশ্যই উত্তম হতো ৷ এ
সময় আবু মুসা (রা) বেরিয়ে এসে হাসান ইবন আলী (রা)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করলেন এবং
তাকে বুকে জড়িয়ে ধ্রলেন ৷ তিনি আমার (রা)-কে বললেন, হে আবুল ইয়াবাজান ন্ তৃমিও কি
উসমান হত্তাদের তার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে ভুলেছিলে : আমার (বা) বললেন, না, আমি তা করি
নি, তবে তা আমাকে দুঃখিত করেনি ৷ তখন হাসান (বা) তাদের কথা কোট দিয়ে আবু মুসা
(রা)-ণ্ক বললেন, আপনি মানুষদের আমাদের সঙ্গে যােগদানে নিরুৎসাহিত করছেন (কনন্
আমাদের উদ্দেশ্য তো পরিস্থিতির সংস্কার করা এবং আমীরুল মুমিনীন (আলী) (রা)-এর ন্যায়
[ذِكْرُ مَسِيرِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى الْبَصْرَةِ بَدَلًا عَنْ مَسِيرِهِ إِلَى الشَّامِ]
بَعْدَ أَنْ كَانَ قَدْ تَجَهَّزَ قَاصِدًا الشَّامَ، كَمَا ذَكَرْنَا، فَلَمَّا بَلَغَهُ قَصْدُ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ الْبَصْرَةَ، خَطَبَ النَّاسَ وَحَثَّهُمْ عَلَى الْمَسِيرِ إِلَى الْبَصْرَةِ لِيَمْنَعَ أُولَئِكَ مِنْ دُخُولِهَا إِنْ أَمْكَنَ أَوْ يَطْرُدَهُمْ عَنْهَا إِنْ كَانُوا قَدْ دَخَلُوهَا، فَتَثَاقَلَ عَنْهُ أَكْثَرُ النَّاسِ، وَاسْتَجَابَ لَهُ بَعْضُهُمْ.
قَالَ الشَّعْبِيُّ: مَا نَهَضَ مَعَهُ فِي هَذَا الْأَمْرِ غَيْرُ سِتَّةِ نَفَرٍ مِنَ الْبَدْرِيِّينَ، لَيْسَ لَهُمْ سَابِعٌ. وَقَالَ غَيْرُهُ: أَرْبَعَةٌ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ قَالَ: كَانَ مِمَّنِ اسْتَجَابَ لَهُ مِنْ كِبَارِ الصَّحَابَةِ أَبُو الْهَيْثَمِ بْنُ التَّيِّهَانِ، وَأَبُو قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيُّ، وَزِيَادُ بْنُ حَنْظَلَةَ، وَخُزَيْمَةُ بْنُ ثَابِتٍ. قَالُوا: وَلَيْسَ بِذِي الشَّهَادَتَيْنِ، ذَاكَ مَاتَ فِي زَمَنِ عُثْمَانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَسَارَ عَلِيٌّ مِنَ الْمَدِينَةِ نَحْوَ الْبَصْرَةِ عَلَى تَعْبِئَتِهِ الْمُتَقَدِّمَةِ إِلَى الشَّامِ، غَيْرَ أَنَّهُ اسْتَخْلَفَ عَلَى الْمَدِينَةِ تَمَّامَ بْنَ عَبَّاسٍ، وَعَلَى مَكَّةَ قُثَمَ بْنَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৩৭
মানুষকে তাে কোন বিষয়ে ভয় করা যায় না ৷ আবু মুসা (রা) বললেন, তোমার জন্য আমার
পিতা-মাতা উৎসর্গিত! তুমি সত্যিই বলেছ ৷ কিন্তু পরামর্শ প্রার্থিত ব্যক্তি আমানতদার ও
বিশ্বস্ততা রক্ষায় দায়বদ্ধ ৷ নবী বত্রীম ড়ো-কে আমি বলতে শুনেছি ৷
া)
“অচিরেই এমন ফিতনা দেখা দািব যাতে উপৰিষ্ট দীড়ানো ব্যক্তির চেয়ে উত্তম এবং
র্দাড়ানাে ব্যক্তি চলমান ব্যক্তির চেয়ে উত্তম ৷১ আল্লাহ্ আমাদের ভাই-ভাই বানিয়ে দিয়েছিলেন,
আমাদের রক্ত (জীবন) ও সম্পদ আমাদের জন্য হারাম করে দিয়েছিলেন ৷ এ কথায় আমার
(বা) রাপাম্বিত হয়ে আবু মুসা (রা)-কে বকাবকি করলেন ৷ তিনি সমবেত জনতাকে লক্ষ্য করে
বললেন, হে মানবমণ্ডলী ! রড়াসুলুল্পাহ্স্কু,-ছুহ্লাহ্র বিষয়টি একাকী তাকেই বইলাছা যে, সে ফিতনায়
তোমার জন্য বসে থাকা তোমার দাড়িয়ে থাকার চেয়ে উত্তম হবে ৷ এতে বসু তামীমের এক
ব্যক্তি আবু মুসা (রা) এর পক্ষে রাগান্বিত হয়ে অস্ফোর (রা)-কে কটু কথা বলল এবং অন্য কিছু
লােকউত্তেজিত হয়ে উঠল ৷
আবু মুসা (রা) লোকদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলেন ৷ তখন প্রচণ্ড গোলমাল ও হৈ চৈ
শুরু হয়ে গেলে আবু মুসা (রা) বললেন, হে মানবমণ্ডলী৷ তোমরা আমার কথা শোন এবং
আরবের শ্রেষ্ঠ উম্মতসমুহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সম্প্রদায় হয়ে থাক, যাদের কাছে মজলুমরা আশ্রয় নিয়ে
এবং ভীতসন্ত্রস্তরা নিরাপত্তা অনুভব করবে ৷ “ফিতনা ও অরাজকতার আগমন মুহুর্তে তা অস্পষ্ট
থাকে এবং বিদায় হওয়ার পরে তা স্পষ্ট হয়ে যায় ৷” তারপর তিনি লোকদের হাত গুটিয়ে
রাখার ও নিজ নিজ ঘরে চুপচাপ অবস্থান করার আদেশ দিলেন ৷ এ সময় যায়দ ইবন সুহান
দাড়িয়ে বললেন, হে মানবমগুলী! তোমরা আমীরুল মুমিনীন ও মুসলমানদের নেতা (আলী
রা)-এর কাছে চলে যাও ৷ সকলেই তার কাছে চলে এসো ! কাকা ইবন আমর (রা) দাড়িয়ে
বললেন, আমীর (আবু মুসা) যা বলেছেন তা-ই যথার্থ ৷ কিন্তু জনতার জন্য একজ্যা আমীর ও
পরিচালক অপরিহার্য, যিনি জালিমকে প্রতিহত করবেন, মজলুমকে সহায়তা দািবন এবং যাকে
দিয়ে জনসংহতি ও শৃৎখলা রক্ষিত হবে ৷ আমীরুল মুমিনীন আলী (বা) এই কর্তব্য পালনের
দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ৷ তিনি ন্যায়সঙ্গত আহ্বান জানিয়েছেন ৷ তার লক্ষ্য শুধু পরিস্থিতি
সংশোধন ও স্বাভাবিকীকরণ ৷ কাজেই তোমরা তার কাছে চলে যাও ৷
আবদৃ খাযা দাড়িয়ে বললেন, আজ মানুষ চার দলে বিভক্ত ৷ ১ আলী (বা) তার
সহগামীদের নিয়ে কুফার বহিরাঞ্চলে, ২ তালহা ও যুবায়র (রা) বসরায়; ৩ মুআৰিয়া (রা)
শামে এবং : হিজাষে অবস্থানকারী দলটি যুদ্ধ করছেনা, তবে তারা হিসাবযােগ্য নয় ৷ তখন
আবু মুসা (রা) বললেন, ওরাই সর্বোত্তম দল এবং বর্তমান পরিস্থিতি একটি ফিতনা ৷ (কাজেই
নিরবতা ও নিরপেক্ষতা বাঞ্চুনীয় ৷) এর পরৈ লোকেরা পক্ষে বিপক্ষে যার যেমন অভিরুচি কথা
বলতে লাগল ৷ এ সময় আমার (বা) ও হাসান ইবন আলী (রা) মিম্বরে উঠে র্দাড়ালেন এবং
জনতাকে আমীরুল মুমিনীনের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাতে লাগলেন ৷
১ মুসলিম, ফিতান অধ্যায়, হাদীস, ১৩; ৰায়হাকী, দালইিল, ৬৪ :৮ আবুবাকরা (বা) হতে ৷
عَبَّاسٍ، وَذَلِكَ فِي آخِرِ شَهْرِ رَبِيعٍ الْآخَرِ سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ. وَخَرَجَ عَلِيٌّ مِنَ الْمَدِينَةِ فِي نَحْوٍ مِنْ تِسْعِمِائَةِ مُقَاتِلٍ، وَقَدْ لَقِيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَلِيًّا وَهُوَ بِالرَّبَذَةِ، فَأَخَذَ بِلِجَامِ فَرَسِهِ وَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَا تَخْرُجْ مِنْهَا فَوَاللَّهِ لَئِنْ خَرَجْتَ مِنْهَا لَا يَعُودُ إِلَيْهَا سُلْطَانُ الْمُسْلِمِينَ أَبَدًا. فَسَبَّهُ بَعْضُ النَّاسِ فَقَالَ عَلِيٌّ: دَعُوهُ فَنِعْمَ الرَّجُلُ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَجَاءَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ إِلَى أَبِيهِ فِي الطَّرِيقِ فَقَالَ: لَقَدْ نَهَيْتُكَ فَعَصَيْتَنِي، تُقْتَلُ غَدًا بِمَضْيَعَةٍ لَا نَاصِرَ لَكَ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: إِنَّكَ لَا تَزَالُ تَحِنُّ عَلَىَّ حَنِينَ الْجَارِيَةِ، وَمَا الَّذِي نَهَيْتَنِي عَنْهُ فَعَصَيْتُكَ؟ فَقَالَ: أَلَمْ آمُرْكَ قَبْلَ مَقْتَلِ عُثْمَانَ أَنْ تَخْرُجَ مِنْهَا لِئَلَّا يُقْتَلَ وَأَنْتَ بِهَا، فَيَقُولُ قَائِلٌ أَوْ يَتَحَدَّثُ مُتَحَدِّثٌ؟ أَلَمْ آمُرْكَ أَنْ لَا تُبَايِعَ النَّاسَ بَعْدَ قَتْلِ عُثْمَانَ حَتَّى يَبْعَثَ إِلَيْكَ أَهْلُ كُلِّ مِصْرٍ بَيْعَتَهُمْ؟ وَأَمَرْتُكَ حِينَ خَرَجَتْ هَذِهِ الْمَرْأَةُ وَهَذَانِ الرَّجُلَانِ أَنْ تَجْلِسَ فِي بَيْتِكَ حَتَّى يَصْطَلِحُوا، فَعَصَيْتَنِي فِي ذَلِكَ كُلِّهِ؟ فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: أَمَّا قَوْلُكَ أَنِّي أَخْرُجُ قَبْلَ مَقْتَلِ عُثْمَانَ، فَلَقَدْ أُحِيطَ بِنَا كَمَا أُحِيطَ بِهِ، وَأَمَّا مُبَايَعَتِي قَبْلَ مَجِيءِ بَيْعَةِ الْأَمْصَارِ، فَكَرِهْتُ أَنْ يَضِيعَ هَذَا الْأَمْرُ، وَأَمَّا أَنْ أَجْلِسَ وَقَدْ ذَهَبَ هَؤُلَاءِ إِلَى مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ، فَتُرِيدُنِي أَنْ أَكُونَ كَالضَّبُعِ الَّتِي يُحَاطُ بِهَا وَيُقَالُ: لَيْسَتْ هَاهُنَا. حَتَّى يُحَلَّ عُرْقُوبُهَا فَتَخْرُجَ،
পৃষ্ঠা - ৫৯৩৮
তাদের আহ্বানে তারা বললেন, তিনি তো জনতার মাঝে সংহতি ফিব্লিয়ে আনতে চান ৷ এ সময়
আমার (বা) এক ব্যক্তির হযরত আয়েশা (রা)-কে গালমন্দ করছে শুনতে পেয়ে তাকে বললেন,
চুপ কর ৷ যেউ যেউ করিসনাে ধীক্কৃত, লাঞ্ছিতা আল্লাহর কসম ! তিনি দৃনিয়া-আখিরাত উভয়
জগতে আল্লাহর রাসুলমোঃ-এর শ্রী ৷ তবে আল্লাহ্ তাকে দিয়ে তােমাংব্ব পরীক্ষায় ফেলেছেন
এটা দেখার জন্য যে, তোমরা কি মহান আল্লাহর আনুগত্য কর কিৎবা হযরত আয়েশা
(রা)-এর ৷ (এ বর্ণনা বুখারীর)
এ সময় হুজর ,ইবন আদী (র) দাড়িয়ে বললেন, হে মানবমওলী ! তোমরা আমীরুল
মু’মিনীনের কাছে চলে যাও ৷ আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেনং
ষ্ ) ণ্
৷ ণ্দ্বু
ণ্তােমরা বেরিয়ে পড় হালকা ও ভারী আস্ত্র সজ্জিত হয়ে এবং জিহাদ কর আল্লাহর পথে
তোমাদের সম্পদ ও জীবন দিয়ে; এটিই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জান ৷ (তাওবা
৯ : ৪১) অবস্থা চলছিল এই যে, যখনই কোন বক্তা দাড়িয়ে মানুষদের যুদ্ধ,গমনে উদ্বুদ্ধ করত
তখনই আবু মুসা (রা) বিষয়ের উপর হতে মানুষদের নিরুৎসাহিত করতেন ৷ আমার ও হাসান
(রা)ও তার সঙ্গে মিম্বরে উপবিষ্ট ছিলেন ৷ এক পর্যায়ে হাসান ইবন আলী (বা) আবু মুসা
(রা) কে বললেন, হতভাগা আমাদের থেকে সরে যাও ৷ মাতহারা হও আমাদের মিম্বর ছেড়ে
একটি বর্ণনামতে, আলী (রা) আশতারকে পাঠিয়ে আবু মুসা (রা)-কে কুফার আমীর পদ
হতে অব্যাহতি দিলেন এবং সে রাতেই তড়াকে আমীরের বাসভবন হতে বের করে দিলেন ৷
সাধারণ জনতা যুদ্ধযাত্রার আহ্বানে সাড়া দিল এবং হাসান (রা) এর সঙ্গে স্থলে ও দাজলায়
(টাইগ্রীস নদীপথে) নয় হাজার লোক বেরিয়ে পড়ল ৷ অপর একটি বর্ণনার এ সংখ্যা ছিল বার
হাজার একজন ৷ তারা সকলে আমীরুল মু ’মিনীনের কাছে এগিয়ে যেতে লাগলে তিনি একদল
লোক সঙ্গে নিয়ে অগ্রবর্তী হয়ে যুফাংরর পথিমধ্যে লোকদের স্বগ্যেতম জানালেন ৷ তার সঙ্গে
আগত লোকদের মধ্যে উঃল্লৰ্বােগ্য ছিলেন ইবন আব্বাস (রা) প্রমুখ ৷ স্বাগতম জানিয়ে তিনি
লোকদের উদ্দেশ্য করে বললেন, হে কুফাৰাসীপণ ! তোমরা অনারব রলোঃদর সম্মুখীন হয়েছ
এবং তাদের দলবল ছিন্নতিন্ন করেছ ৷ আমি তোমাদের ডাক দিয়েছি আমাদের বসরাবাসী
ভাইদের মুখোমুখি হওয়ার উদ্দেশ্যে ৷ যদি তারা ফিরে আসে তবে তা-ই অদ্যোদর কাম ৷ তারা
অস্বীকৃত হলে আমরা কােমলতা দ্বারা তাদের চিকিত্সা করব যতক্ষা না তারাই জুল্মের
সুচনা করে ৷ কল্যাণ ও সুষ্ঠুতার যে কোন বিষয়কে আমরা ৰিশৃৎখলা ও অশাস্তি সৃষ্টির যে কোন
বিষয়ের উপরে প্রাধান্য দিব ইনশা আল্লাহ্ তাআলা ৷
লোকেরা বু-কারে তার কাছে সমবেত হলো ৷ আলী (বা)এর কাছে সমাপত লোকদের
মধ্যে শীর্ষস্থানীয় ও প্রসিদ্ধ ব্যডিংর্পের মধ্যে ছিলেন কাকা ইবন আমর, সাদ ইবন মালিক,
১ আল কামিলের বর্ণনায় স্থলে ছয় হাজার দুই শত এবং নৌপথে দৃই হাজার চারশ্াত ৷ (কামিল, ৩খ ২৩১ পৃঘ্র;
তাৰাৰী, ৫১৯ ১ ফুতুহ, ২২৯২ ৷
আল-বিদায়া — ৫৪
فَإِذَا لَمْ أَنْظُرْ فِيمَا يَلْزَمُنِي مِنْ هَذَا الْأَمْرِ وَيَعْنِينِي، فَمَنْ يَنْظُرُ فِيهِ؟ فَكُفَّ عَنِّي يَا بُنَيَّ.
وَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهِ خَبَرُ مَا صَنَعَ الْقَوْمُ بِالْبَصْرَةِ، كَتَبَ إِلَى أَهْلِ الْكُوفَةِ مَعَ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَمُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ: إِنِّي قَدِ اخْتَرْتُكُمْ عَلَى الْأَمْصَارِ، وَفَزِعْتُ إِلَيْكُمْ لِمَا حَدَثَ، فَكُونُوا لِدِينِ اللَّهِ أَعْوَانًا وَأَنْصَارًا، وَانْهَضُوا إِلَيْنَا، فَالْإِصْلَاحَ نُرِيدُ لِتَعُودَ هَذِهِ الْأُمَّةُ إِخْوَانًا. فَمَضَيَا وَأَرْسَلَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَأَخَذَ مَا أَرَادَ مِنْ سِلَاحٍ وَدَوَابٍّ، وَقَامَ فِي النَّاسِ خَطِيبًا فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ أَعَزَّنَا بِالْإِسْلَامِ وَرَفَعَنَا بِهِ، وَجَعَلَنَا بِهِ إِخْوَانًا بَعْدَ ذِلَّةٍ وَقِلَّةٍ وَتَبَاغُضٍ وَتَبَاعُدٍ، فَجَرَى النَّاسُ عَلَى ذَلِكَ مَا شَاءَ اللَّهُ ; الْإِسْلَامُ دِينُهُمْ، وَالْحَقُّ قَائِمٌ بَيْنَهُمْ، وَالْكِتَابُ إِمَامُهُمْ، حَتَّى أُصِيبَ هَذَا الرَّجُلُ بِأَيْدِي هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ الَّذِينَ أَذَلَّهُمُ الشَّيْطَانُ لِيَنْزِغَ بَيْنَ هَذِهِ الْأُمَّةِ، أَلَا وَإِنَّ هَذِهِ الْأُمَّةَ لَا بُدَّ مُفْتَرِقَةٌ كَمَا افْتَرَقَتِ الْأُمَمُ قَبْلَهَا، فَنَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شَرِّ مَا هُوَ كَائِنٌ. ثُمَّ عَادَ ثَانِيَةً فَقَالَ: إِنَّهُ لَا بُدَّ مِمَّا هُوَ كَائِنٌ أَنْ يَكُونَ، أَلَا وَإِنَّ هَذِهِ الْأُمَّةَ سَتَفْتَرِقُ عَلَى ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً ; شَرُّهَا فِرْقَةٌ تُحِبُّنِي وَلَا تَعْمَلُ بِعَمَلِي، وَقَدْ أَدْرَكْتُمْ وَرَأَيْتُمْ، فَالْزَمُوا دِينَكُمْ، وَاهْتَدُوا بِهَدْيِ نَبِيِّكُمْ، وَاتَّبِعُوا سُنَّتَهُ،
পৃষ্ঠা - ৫৯৩৯
وَأَعْرِضُوا عَمَّا أَشْكَلَ عَلَيْكُمْ حَتَّى تَعْرِضُوهُ عَلَى الْكِتَابِ، فَمَا عَرَّفَهُ الْقُرْآنُ فَالْزَمُوهُ، وَمَا أَنْكَرَهُ فَرُدُّوهُ، وَارْضَوْا بِاللَّهِ رَبًّا، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا، وَبِالْقُرْآنِ حَكَمًا وَإِمَامًا.
قَالَ: فَلَمَّا عَزَمَ عَلَى الْمَسِيرِ مِنَ الرَّبَذَةِ قَامَ إِلَيْهِ ابْنٌ لِرِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَيَّ شَيْءٍ تُرِيدُ؟ وَأَيْنَ تَذْهَبُ بِنَا؟ فَقَالَ: أَمَّا الَّذِي نُرِيدُ وَنَنْوِي فَالْإِصْلَاحُ، إِنْ قَبِلُوا مِنَّا وَأَجَابُوا إِلَيْهِ. قَالَ: فَإِنْ لَمْ يُجِيبُوا إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَدَعُهُمْ بِغَدْرِهِمْ وَنُعْطِيهِمُ الْحَقَّ وَنَصْبِرُ. قَالَ: فَإِنْ لَمْ يَرْضَوْا؟ قَالَ: نَدَعُهُمْ مَا تَرَكُونَا. قَالَ: فَإِنْ لَمْ يَتْرُكُونَا؟ قَالَ: امْتَنَعْنَا مِنْهُمْ. قَالَ: فَنَعَمْ إِذًا. فَقَامَ إِلَيْهِ الْحَجَّاجُ بْنُ غَزِيَّةَ الْأَنْصَارِيُّ فَقَالَ: لَأُرْضِيَنَّكَ بِالْفِعْلِ كَمَا أَرْضَيْتَنِي بِالْقَوْلِ، وَاللَّهِ لَيَنْصُرَنِّي اللَّهُ كَمَا سَمَّانَا أَنْصَارًا.
قَالَ: وَأَتَتْ جَمَاعَةٌ مِنْ طَيِّئٍ وَعَلِيٌّ بِالرَّبَذَةِ، فَقِيلَ لَهُ: هَؤُلَاءِ جَمَاعَةٌ جَاءُوا مِنْ طَيِّئٍ ; مِنْهُمْ مَنْ يُرِيدُ الْخُرُوجَ مَعَكَ، وَمِنْهُمْ مَنْ يُرِيدُ السَّلَامَ عَلَيْكَ. فَقَالَ: جَزَى اللَّهُ كُلًّا خَيْرًا {وَفَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ عَلَى الْقَاعِدِينَ أَجْرًا عَظِيمًا} [النساء: 95] ثُمَّ سَارَ مِنَ الرَّبَذَةِ عَلَى تَعْبِئَتِهِ وَهُوَ رَاكِبٌ نَاقَةً حَمْرَاءَ يَقُودُ فَرَسًا كُمَيْتَا، فَلَمَّا كَانَ بِفَيْدٍ جَاءَهُ جَمَاعَةٌ مِنْ أَسَدٍ وَطَيِّئٍ، فَعَرَضُوا أَنْفُسَهُمْ عَلَيْهِ فَقَالَ: فِي مَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৯৪০
হিন্দ ইবন আমৃর, হায়ছাম ইবন শিহাব, যায়দ ইবন সৃহান, আশতার, আদী ইবন হাতিম,
মৃসাব্যিব ইবন নাজরা, ইয়াযীদ ইবন কায়স, হুজর ইবনং আদী (রা) প্রমুখ বরেণ্য ব্যক্তি ৷ সমগ্র
আবদুল কায়স গোত্র আলী (রা)-এর অবস্থান ক্ষেত্র ও বসরার মধ্যবর্তী স্থানে তার অপেক্ষায়
ছিল ৷ তাদের সংখ্যা ছিল হাজার হাজার ৷
আলী (রা) কাকা-কে বসরার তালহা ও যুৰায়র (রা)-এর কাছে দুতরুপে পাঠালেন ৷
তাদেরকে সন্প্রীতি ও ঐক্যবদ্ধতার প্রতি আহ্বান জানিয়ে এবং বিভেদ-বিভক্তি ও দলাদলিকে
ভয়ংকর সাব্যস্ত করে ৷ কাকা (র) বসরার পৌছেছে প্রথমে আয়েশা (রা)-এর কাছে গিয়ে
তাকে বললেন, আম্মাজান ! আপনি কেন এদেশে এলেনঃ তিনি বললেন, প্রিয় বৎসা মানুষদের
মধ্যে আপােস-মীমাংসার উদ্দেশ্যে ৷ কাকা (রা) তালহা ও যুৰায়র (রা)-কে ডেকে আনার
আবেদন করলেন ৷ তারা উপস্থিত হলে কাকা (রা) তাদের বললেন, “আমি উন্মুল মুমিনীনকে
এখানে আগমনের হেতৃ জিজ্ঞেস করেছিলাম ৷ তিনি বলেছেন, মানুষদের মধ্যে আপোসরফা
করার উদ্দেশ্যে ৷ তারা দুজন বললেন, আমরাও একই উদ্দেশ্যে ৷
কাকা (রা) বললেন, তবে আপনারা আমাকে অবহিত করুন, এ আপােসের পন্থা কী
হবে? কিসের ভিত্তিতে হবো আল্লাহ্র কসম ৷ তা আমাদের বেধেগম্য হলে আমরাও আপোসে
সাড়া দিব; তা আমাদের বোধগম্য না হলে আপোস করতে পারব না ৷ তারা দু’জন বললেন,
উসমান হত্মাকারীদের বিষয়টি ৷ কেননা, এটি বর্জন করা হলে তা হবে কুরআন বর্জন করা ৷
কাকা বললেন, তার হত্যাকারীদের মধ্যে বসরার লোকদের আপনারা হত্যা করেছেন ৷ কিভৃ
(একথা ঠিক নয় কি যে,) তাদের হত্যা করার পুর্বে আপনারা আজকের ন্থিরতার চেয়ে অধিক
স্থির পরিস্থিতির নিকটবর্তী ছিলেন ৷ (অর্থাৎ তাদের হত্যা করার পর পরিস্থিতি আরও জটিল ও
নাজুক হয়েছে, নয় কি?) আপনারা ছয় শত জনকে হত্যা করলে ছয় হাজার তাদের পক্ষে
দাড়িয়ে আপনাদের বত্তনি করেছে এবং আপনাদের মধ্য হতে বের হয়ে গিয়েছে ৷
আপনারা হ্বকুস ইবন যুহায়রকে পাকড়াও করার জন্য সন্ধান করলে ছ’হাজার লোক তাকে
রক্ষা করার জন্য দীড়িয়েছে ৷ এখন যদি আপনারা তাদের ছেড়ে দেন তবে অন্যদের বিরুদ্ধে যে
অভিযোগ তৃলেছেন আপনারা সে অপরাধে দায়ী হলেন ৷ আর যদি আপনারা তাদের বিরুদ্ধে
যুদ্ধে অবতীর্ণ হন এবং তারাও পাল্টা আঘাত হানে তবে তাে আপনারা যে উদ্দেশ্যে সমবেত
হয়েছেন এবং যা প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে আমি দেখতে পাচ্ছি তার চেয়ে যে
বিষয়ের ভয়ে আপনারা ভীত-সন্ত্রস্ত তা অনেক সঙ্গীন রুপ ধারণ করবে ৷ অর্থাৎ আপনাদের
দৃষ্টিতে আপনাদের কাজ্জিত বিষয় তথা উসমান হত্যাকারীদের হত্যা করা একটি কল্যাণকর্ম ৷
কিন্তু তাতে এমন অকল্যাণ ও বিশৃৎখলা জন্ম নিয়ে যা উক্ত কলক্রোর চেয়ে অধিক ভয়ংকর ৷
আর আপনারা যদি হুরকুস ইবন যুহায়র হতে উসমান হত্যার প্ৰতিগােধ গ্রহণে এ কারণে
অক্ষম হয়ে থাকেন যে, তার হত্যাকারীদের হাত হতে তাকে সুরক্ষার জন্য ছয় হাজার লোক
প্রস্তুত রয়েছে তবে তো চলমান পরিস্থিতিতে বর্জন করার ক্ষেত্রে আলী (রা)-এর অপারগতা
অধিক গ্রহণযোগ্য ৷ তিনি তো উসমান হন্তাদের উপর কতৃত্বি বিস্তারে নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত তাদের
হত্যা করার পরিকল্পনা মুলতবি করেছেন মাত্র ৷ কারণ, জ্যাতার মনোভাব ও বক্তব্য বিভিন্ন ৰু
অঞ্চলে বিভিন্ন হয়ে রয়েছে ৷ কাকা (বা) তাদের একথাও অবহিত করলেন যে, সংঘটিত এ
مَعِي كِفَايَةٌ. وَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ يُقَالُ لَهُ: عَامِرُ بْنُ مَطَرٍ الشَيْبَانِيُّ. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: مَا وَرَاءَكَ؟ فَأَخْبَرَهُ الْخَبَرَ، فَسَأَلَهُ عَنْ أَبِي مُوسَى فَقَالَ: إِنْ أَرَدْتَ الصُّلْحَ فَأَبُو مُوسَى صَاحِبُهُ، وَإِنْ أَرَدْتَ الْقِتَالَ فَلَيْسَ بِصَاحِبِهِ. فَقَالَ عَلِيٌّ: وَاللَّهِ مَا أُرِيدُ إِلَّا الصُّلْحَ مِمَّنْ تَمَرَّدَ عَلَيْنَا.
وَسَارَ فَلَمَّا اقْتَرَبَ مِنَ الْكُوفَةِ وَجَاءَهُ الْخَبَرُ بِمَا وَقَعَ مِنَ الْأَمْرِ عَلَى جَلِيَّتِهِ، مِنْ قَتْلِ مَنْ قُتِلَ مِنَ النَّاسِ، وَمِنْ إِخْرَاجِ عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ مِنَ الْبَصْرَةِ، وَأَخْذِهِمْ أَمْوَالَ بَيْتِ الْمَالِ، جَعَلَ يَقُولُ: اللَّهُمَّ عَافِنِي مِمَّا ابْتَلَيْتَ بِهِ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرَ. فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى ذِي قَارٍ أَتَاهُ عُثْمَانُ بْنُ حُنَيْفٍ مُهَشَّمًا، وَلَيْسَ فِي وَجْهِهِ شَعْرَةٌ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بَعَثْتَنِي إِلَى الْبَصْرَةِ وَأَنَا ذُو لِحْيَةٍ، وَقَدْ جِئْتُكَ أَمْرَدَ. فَقَالَ: أَصَبْتَ أَجْرًا وَخَيْرًا. وَقَالَ عَنْ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ: اللَّهُمَّ احْلُلْ مَا عَقَدَا، وَلَا تُبْرِمْ مَا أَحْكَمَا فِي أَنْفُسِهِمَا، وَأَرِهِمَا الْمَسَاءَةَ فِيمَا قَدْ عَمِلَا - يَعْنِي فِي هَذَا الْأَمْرِ. وَأَقَامَ عَلِيٌّ بِذِي قَارٍ يَنْتَظِرُ جَوَابَ مَا كَتَبَ بِهِ مَعَ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ وَصَاحِبِهِ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ - وَكَانَا قَدْ قَدِمَا بِكِتَابِهِ عَلَى أَبِي مُوسَى، وَقَامَا فِي النَّاسِ بِأَمْرِهِ - فَلَمْ يُجَابَا فِي شَيْءٍ، فَلَمَّا أَمْسَوْا دَخَلَ نَاسٌ مِنْ ذَوِي الْحِجَا عَلَى أَبِي مُوسَى يَعْرِضُونَ عَلَيْهِ الطَّاعَةَ لِعَلِيٍّ، فَقَالَ: كَانَ هَذَا بِالْأَمْسِ. فَغَضِبَ مُحَمَّدٌ وَمُحَمَّدٌ، فَقَالَا لَهُ قَوْلًا غَلِيظًا، فَقَالَ لَهُمَا: وَاللَّهِ إِنَّ بَيْعَةَ عُثْمَانَ لَفِي عُنُقِي وَعُنُقِ صَاحِبِكُمَا، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ بُدٌّ مِنْ قِتَالٍ فَلَا نُقَاتِلُ أَحَدًا حَتَّى نَفْرَغَ مِنْ قَتَلَةِ
পৃষ্ঠা - ৫৯৪১
অনাকাজ্জিত ঘটনার কারণে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার উদ্দোশ্য রাবীআ ও মুযার গোত্রের এক
বিশাল বাহিনী সমবেত হয়ে রয়েছে ৷
এ পর্যায়ে উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা) বললেন, তোমার মতামত কি? কা “কা (রা)
বললেন, আমি বলতে চাই, বা কিছু ঘটেছে তার প্রথম ওষুধ হলো পরিস্থিতি শান্ত ও নিয়ন্ত্রণ
করা ৷ পরিস্থিতি শান্ত হলেই ওরা ধরা পড়বে ৷ কাজেই আপনারা আমাদের বায়আত মেনে
নিলে তা হবে কলাণের প্রতীক, রহমানের সুসংবাদের বার্তা ও হত্যা প্রতিশোধ গ্রহণের সুত্র ৷
আর যদি আপনারা হটকারীতাই করতে থাকেন এবং নতুন নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে থাকেন
তবে তা হবে অকল্যাণের প্রতীক ও (ইসলামী) রাজত্বের বিদায় ঘণ্টা ৷ কাজেই শান্তি-শৃৎখলাকে
অগ্লাধিকার দিন, তা প্রাপ্তির সুযোগ গ্রহণ করুন এবং যেমন পুর্বেও ছিলেন, কল্যাণের চাবিকাঠি
হোন ৷ আমাদের বিপদের মুখে ঠেলে দিবেন না, তাতে আপনারাও তার সম্মুখীন হবেন এবং
মহান আল্লাহ্ আমাদের ও আপনাদের ধরাশায়ী করবেন ৷ আল্লাহর কসম! আমি আমার এ
বক্তব্য পেশ করছি এবং আপনাদের এ দিকে আহ্বান করছি ৷ তবে আমি শংবিতে যে, বিষয়টি
পুর্ণাঙ্গতা লাভ করবে না যতক্ষণ না আল্লাহ্ তা আলা এ উষ্মত হতে তার চাহিদা মিটিয়ে
নিবেন, যার সরঞ্জামে ঘন্ট্তি দেখা দেয়েছে এবং তার উপরে যা নেমে আমার ছিল তা নেমে
এসেছে ৷ কেননা এই বা ঘটে গিয়েছে তা সড়াৎঘাতিক ব্যাপার ৷ এটি একজন মানুষের একজনকে
হত্যা করা নয় ৷ একদলের একজনকে হত্যা করাও নয় এ ং এক একগােত্র এক পােত্রকে হত্যা
করাও নয় ৷”
তার বললেন, তুমি সুন্দর বলেছ ও সঠিক বলেছ ৷ এখন ফিরে যাও ৷ আলী (রা)ও তোমার
অনুরুপ মতামত নিয়ে আগমন করলে সব কিছু শুধরে যাৰ ব ৷
বর্ণনাকারী বলেন, তখন কাকা (রা) আলী (রা)-এর কাছে কাির গিয়ে তাকে সব বিষয়
অবহিত করলে বিষয়টি তার মনঃপুত হলো এবং সমবেত জনতা আপোস-সন্ধির দিকে অগ্রণী
হলো ৷ মারা (অন্তরে) তা অপছব্দ করল তারা অপছন্দ করল এবং যারা পছন্দ করল তারা পছন্দ
ব্বল ৷ আয়েশা (রা)ও আলী (রা)-এর কাছে এ মর্মে দুত পাঠালেন যে, তিনি আপােস-সন্ধির
ক্কন্যেই ঞসছেন ৷ এতে উভয় পক্ষ আনন্দিত হলো ৷ আলী (রা) ৷লাবম্দের সামনে দাড়িয়ে ভাষণ
দািলন ৷ ভাষণে তিনি জাহিলী যুগ ও তার অকল্যাণেব ক্যা ও মোঃমুহের কথা স্মরণ
করিয়ে দিলেন এবং ইসলাম ও মুসলমানদের সৌহার্দা-সপ্রীতি ও লোঃআঃ সৌভাগ্যের কথা
উল্লেখ করলেন ৷ তিনি আরও বললেন, আল্লাহ্ তাঅলোঃ তার নবীর ক্ষোভের পরে এ উম্মতকে
খলীফ্৷ আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর নেতৃত্বে একত্রিত করে নিঃহািলন ৷ র্তচুর পরে উমর ইবনুজ্জ
খ্যত্তাব (রা)-এর নেতৃত্বে, তারপর উসমান (রাশ্লো নেতৃত্বে ৷ তারপর এ দুঘান্নার সুত্রপভে
হলো যা সমগ্ন উম্মতকে ঘিরে ফেলেছে ৷ একদল লোক দৃনিয়াল্যেডী হয়ে মহান আল্লাহ্ ষক্রোর
দুনিয়ার নিয়ামত দান করেছেন তাদের প্রতি মহান আল্লাহু যে মাহাত্ম্য ও মর্যাদা দিয়ে অনুগ্রহ
করেছেন তার প্রতি হিংসায় আক্রান্ত হলো ৷ তারা ইসলামকে ও এ বিষয়গুলোকে পিছনে সরিয়ে
নেওয়ার ইচ্ছা করল; মহান আল্লাহ্ অবশ্যই তার কর্ম সম্পন্ন করবেন ৷ পরে তিনি বললেন,
শোনা আমি আগামী দিন সফর শুরু কঃৰ, তােমরাও বেরিয়ে পড়ার ৷ যারা উসমান হত্যার
কোন কিছু দিয়ে কেপি প্রকার অৎশ্যাহণ করেছে তারা আমার সঙ্গে যাবে না ৷
عُثْمَانَ حَيْثُ كَانُوا وَمَنْ كَانُوا. فَانْطَلَقَا إِلَى عَلِيٍّ فَأَخْبَرَاهُ الْخَبَرَ، وَهُوَ بِذِي قَارٍ، فَقَالَ لِلْأَشْتَرِ: أَنْتَ صَاحِبُنَا فِي أَبِي مُوسَى وَالْمُعْتَرِضُ فِي كُلِّ شَيْءٍ! فَاذْهَبْ أَنْتَ وَابْنُ عَبَّاسٍ فَأَصْلِحْ مَا أَفْسَدْتَ. فَخَرَجَا فَقَدِمَا الْكُوفَةَ، وَكَلَّمَا أَبَا مُوسَى، وَاسْتَعَانَا عَلَيْهِ بِنَفَرٍ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ، فَقَامَ فِي النَّاسِ فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، الَّذِينَ صَحِبُوهُ أَعْلَمُ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ مِمَّنْ لَمْ يَصْحَبْهُ، وَإِنَّ لَكُمْ عَلَيْنَا حَقًّا، وَأَنَا مُؤَدٍّ إِلَيْكُمْ نَصِيحَةً، كَانَ الرَّأْيُ أَنْ لَا تَسْتَخِفُّوا بِسُلْطَانِ اللَّهِ وَأَنْ لَا تَجْتَرِئُوا عَلَى أَمْرِهِ، وَهَذِهِ فِتْنَةٌ النَّائِمُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْيَقْظَانِ، وَالْيَقِظَانُ خَيْرٌ مِنَ الْقَاعِدِ، وَالْقَاعِدُ خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ، وَالْقَائِمُ خَيْرٌ مِنَ الرَّاكِبِ، وَالرَّاكِبُ خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي، فَاغْمِدُوا السُّيُوفَ، وَأَنْصِلُوا الْأَسِنَّةَ، وَاقْطَعُوا الْأَوْتَارَ، وَآوُوا الْمُضْطَهَدَ وَالْمَظْلُومَ حَتَّى يَلْتَئِمَ هَذَا الْأَمْرُ، وَتَنْجَلِيَ هَذِهِ الْفِتْنَةُ. فَرَجَعَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَالْأَشْتَرُ إِلَى عَلِيٍّ، فَأَخْبَرَاهُ الْخَبَرَ، فَأَرْسَلَ الْحَسَنَ وَعَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ، وَقَالَ لِعَمَّارٍ: انْطَلِقْ فَأَصْلِحْ مَا أَفْسَدْتَ. فَانْطَلَقَا حَتَّى دَخَلَا الْمَسْجِدَ فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ سَلَّمَ عَلَيْهِمَا مَسْرُوقُ بْنُ الْأَجْدَعِ، فَقَالَ لِعَمَّارٍ: عَلَامَ قَتَلْتُمْ عُثْمَانَ؟ فَقَالَ: عَلَى شَتْمِ أَعْرَاضِنَا وَضَرْبِ أَبْشَارِنَا. فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا عَاقَبْتُمْ بِمِثْلِ مَا عُوقِبْتُمْ بِهِ وَلَوْ صَبَرْتُمْ لَكَانَ خَيْرًا لِلصَّابِرِينَ.
قَالَ: وَخَرَجَ أَبُو مُوسَى فِلَقِيَ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ فَضَمَّهُ إِلَيْهِ، وَقَالَ لِعَمَّارٍ: يَا أَبَا الْيَقْظَانِ أَعَدَوْتَ عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ قَتَلْتَهُ؟ فَقَالَ: لَمْ أَفْعَلْ وَلَمْ يَسُؤْنِي
পৃষ্ঠা - ৫৯৪২
আলী (বা) এ কথা বললে ণ্নতৃস্থানীয়দের একটি দল সমবেত হলো ৷ এদের মধ্যে ছিল
আখতার নাখৃঙ্গ, শুরায়হ ইবন আওদা, ইবনুস সাওদা নামৈ সুপরিচিত আবদুল্লাহ্ ইবন সারা,
সালিম ইবন ছালাবা গাল্লাব (আলৰা) ইবনুল হায়ছাম এবং এদের আড়াই হাজার অনুসারী ৷
আলহড়ামদু লিল্লাহ সমস্ত প্রশংসা আল্পাহ্র, এদের মধে ব্রু একজন সাহাৰীও ছিল না ৷ তারা
বলল, এ কেমন সিদ্ধান্ত ! আল্লাহ্র কসম৷ যারা উসমান হত্যাকারীদের খুজে বেড়াচ্ছে তাদের
চেয়ে আলী (রা) আল্লাহ্র কিভাবে অধিক জ্ঞান বান এবং তার অধিক সব্লিকট আমলকারী ৷ তিনি
যা বললেন তা তোমরা শুনেছ ৷ অর্থাং আগামীকালই লোক্যেন্ধ৷ তোমাদের বিরুদ্ধে সমবেত হবে, ন্
আর সমগ্র জনতার লক্ষ্য শুধু তোমরাই ৷ তাদের এ বিশাল সংখ্যার বিপরীতে তোমাদের এ
নগণ্য সংখ্যা দিয়ে তোমাদের অবস্থা কি হবো এখন আশতার বলল, আমাদের সম্বন্ধে তালহা ও
যুবায়বের মতামত আমরা জানি ৷ কিন্তু আলী (রা)-এর মতামত সম্পর্কে আমরা আজ পর্যন্ত
অবহিত হইনি ৷ তিনি ওদের সঙ্গে সন্ধির সিদ্ধান্ত করে থাকলে আমাদের রক্তের উপর সন্ধি
করছেন ৷ বাস্তব ব্যাপার তেমনই হলে আমরা আলী (রা)-ণ্কও উসমান (রা)এর পঃথ চালিয়ে
দিব ৷ ফলে জনতা আমাদের ব্যাপারে নিরবতা অবলম্বনে সম্মত হবে ৷
একথা শুনে ইবনুস সাওদা বলল, তুমি যা বলেছ তা সম্পুর্ণ বাজেকথা ৷ আমরা তাকে হত্যা
করলে (হত্যা করলামই, তখন) আমাদেরও হত্যা করা হবে ৷ কেননা, হে উসমান হত্যার
কুশলীরা ৷ আমরা আছি আড়ইি হাজারের সংখ্যায় আর তালহা, যুবায়র ও তাদের সহপামীরা
পাচ হাজার ৷ তাদের বিপক্ষে দীড়াবার শক্তি তোমাদের ণ্ নই ৷ আর তাদের মুল লক্ষ্য তােমরাই ৷
তখন গাল্লাব১ ইবনুল হায়ছাম বলল, এদের ছেড়ে দাও এবং চলো আমরা গিয়ে অঞ্চলে আশ্রয়
নেই এবং আত্মরক্ষা করি ৷ ইবনুস সাওদা বলল, তুমি খুবই বাজেকথা বললে ! তেমন হলে তো
আল্পাহ্র কসম ! মানুষ তোমাদের বুটি বুটি করে (ছিনতাই করে) ফেলবে ৷ পরে ইবনুস সাওদা
বলল আল্লাহ্ তাকে লাঞ্ছিত করুন ৷ হে সম্প্রদায় ৷ তোমাদের দলটি রয়েছে সমবেত জনতার
মধ্যে মিশ্রিত রুপে ৷ কাজেই যখন জ্যাত৷ সম্মিলিত হবে তখন তোমরা তাদের মধ্যে যুদ্ধের থাবা
বিস্তার করে দিয়ে এবং তাদের সমবেত দলবদ্ধ হওয়ার সুযোগ দিবে না ৷ এতে লাভ হবে এই
যে, তোমরা যাদের সঙ্গে থাকবে তারাও আত্মরক্ষায় বাধ্য হয়ে এবং মহান আল্লাহ্ তালহা ও
যুবায়র এবং তাদের সহযােপীদের তাদের কাজ্জিত বিষয় হতে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখবেন ৷ তারা
তাদের অপছন্দনীয় বিষয়টিই দেখতে পাবে ৷ সমবেতরা এ মতকে যথার্থ সাব্যস্ত,করে বিক্ষিপ্ত
হয়ে গেল ৷
সকালে আলী (রা) সফর শুরু করলেন এবং আবদুল কায়স গোত্রের অবস্থান অতিক্রম
করে এগিয়ে চললেন ৷ সহযাত্রীদেরসহ তিনি যাবিয়ায় ক্ষণিক অবস্থানের পর পুনরায় সেখান
হতে বসরার উদ্দেশ্যে সফর শুরু করলেন ৷ তালহা ও যুবায়র (বা) তাদের সংগীদের নিয়ে
আলী (রা)-এর সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে এগিয়ে এলেন ৷ উভয় পক্ষ উবায়দুল্লাহ ইবন ষিয়াদের
ভবনের সব্লিকটে সমবেত হলো এবং প্রত্যেক দল এক এক প্রান্তে অবস্থান নিল ৷ আলী (বা)
তার বাহিনীর অ্যাভাগে চলে এসেছিলেন এবং তারা ক্রমান্বয়ে তার সঙ্গে মিলিত হচ্ছিল ৷ তিন
দিন তাদের মধ্যে দুতদের আনগােনা চলল ৷ এ জ্যি ছত্রিশ হিত্তরীি সনের জুমাদাল উখরা মাস ৷
১
ذَلِكَ. فَقَطَعَ عَلَيْهِمَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فَقَالَ لِأَبِي مُوسَى: لِمَ تُثَبِّطُ النَّاسَ عَنَّا؟ فَوَاللَّهِ مَا أَرَدْنَا إِلَّا الْإِصْلَاحَ، وَلَا مِثْلَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ يُخَافُ عَلَى شَيْءٍ. فَقَالَ: صَدَقْتَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، وَلَكِنَّ الْمُسْتَشَارَ مُؤْتَمَنٌ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «إِنَّهَا سَتَكُونُ فِتْنَةٌ الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ، وَالْقَائِمُ خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي، وَالْمَاشِي خَيْرٌ مِنَ الرَّاكِبِ،» وَقَدْ جَعَلَنَا اللَّهُ إِخْوَانًا، وَحَرَّمَ عَلَيْنَا دِمَاءَنَا وَأَمْوَالَنَا. فَغَضِبَ عَمَّارٌ وَسَبَّهُ، وَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحْدَهُ: " أَنْتَ فِيهَا قَاعِدًا خَيْرٌ مِنْكَ قَائِمًا ". فَغَضِبَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ لِأَبِي مُوسَى وَنَالَ مِنْ عَمَّارٍ، وَثَارَ آخَرُونَ، وَجَعَلَ أَبُو مُوسَى يُكَفْكِفُ النَّاسَ، وَكَثُرَ اللَّغَطُ، وَارْتَفَعَتِ الْأَصْوَاتُ، وَقَالَ أَبُو مُوسَى: أَيُّهَا النَّاسُ، أَطِيعُونِي وَكُونُوا خَيْرَ قَوْمٍ مِنْ خَيْرِ أُمَمِ الْعَرَبِ، يَأْوِي إِلَيْهِمُ الْمَظْلُومُ، وَيَأْمَنُ فِيهِمُ الْخَائِفُ، وَإِنَّ الْفِتْنَةَ إِذَا أَقْبَلَتْ شَبَّهَتْ، وَإِذَا أَدْبَرَتْ بَيَّنَتْ. ثُمَّ أَمَرَ النَّاسَ بِكَفِّ أَيْدِيهِمْ وَلُزُومِ بُيُوتِهِمْ، فَقَامَ زَيْدُ بْنُ صُوحَانَ فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ سِيرُوا إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، وَسَيِّدِ الْمُسْلِمِينَ، سِيرُوا إِلَيْهِ أَجْمَعِينَ. فَقَامَ الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو فَقَالَ: إِنَّ الْحَقَّ مَا قَالَهُ الْأَمِيرُ، وَلَكِنْ لَا بُدَّ لِلنَّاسِ مِنْ أَمِيرٍ يَرْدَعُ الظَّالِمَ، وَيُعْدِي الْمَظْلُومَ، وَيَنْتَظِمُ بِهِ شَمْلُ النَّاسِ، وَأَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيٌّ مَلِيءٌ بِمَا وَلِيَ، وَقَدْ أُنْصِفَ فِي الدُّعَاءِ، وَإِنَّمَا يُرِيدُ الْإِصْلَاحَ فَانْفِرُوا إِلَيْهِ. وَقَامَ عَبْدُ خَيْرٍ فَقَالَ: النَّاسُ أَرْبَعُ فِرَقٍ ; عَلِيٌّ بِمَنْ مَعَهُ فِي ظَاهِرِ الْكُوفَةِ، وَطَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ بِالْبَصْرَةِ، وَمُعَاوِيَةُ بِالشَّامِ، وَفِرْقَةٌ بِالْحِجَازِ لَا تُقَاتِلُ
পৃষ্ঠা - ৫৯৪৩
وَلَا عَنَاءَ بِهَا. فَقَالَ أَبُو مُوسَى: أُولَئِكَ خَيْرُ الْفِرَقِ، وَهَذِهِ فِتْنَةٌ.
ثُمَّ تَرَاسَلَ النَّاسُ فِي الْكَلَامِ، ثُمَّ قَامَ عَمَّارٌ وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فِي النَّاسِ عَلَى الْمِنْبَرِ يَدْعُوَانِ النَّاسَ إِلَى النَفِيرِ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ ; فَإِنَّهُ إِنَّمَا يُرِيدُ الْإِصْلَاحَ بَيْنَ النَّاسِ، وَسَمِعَ عَمَّارٌ رَجُلًا يَسُبُّ عَائِشَةَ، فَقَالَ: اسْكُتْ مَقْبُوحًا مَنْبُوحًا، وَاللَّهِ إِنَّهَا لَزَوْجَةُ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَلَكِنَّ اللَّهَ ابْتَلَاكُمْ بِهَا لِيَعْلَمَ أَتُطِيعُونَهُ أَوْ إِيَّاهَا. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ.
وَقَامَ حُجْرُ بْنُ عَدِيٍّ فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ سِيرُوا إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ: {انْفَرُوا خِفَافًا وَثِقَالًا وَجَاهِدُوا بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ} [التوبة: 41] وَجَعَلَ النَّاسُ كُلَّمَا قَامَ رَجُلٌ يُحَرِّضُ النَّاسَ عَلَى النَفِيرِ يُثَبِّطُهُمْ أَبُو مُوسَى مِنْ فَوْقِ الْمِنْبَرِ، وَعَمَّارٌ وَالْحَسَنُ مَعَهُ عَلَى الْمِنْبَرِ حَتَّى قَالَ لَهُ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ: وَيْحَكَ! اعْتَزِلْنَا لَا أُمَّ لَكَ، وَدَعْ مِنْبَرَنَا. وَيُقَالُ: إِنَّ عَلِيًّا بَعَثَ الْأَشْتَرَ، فَعَزَلَ أَبَا مُوسَى عَنِ الْكُوفَةِ، وَأَخْرَجَهُ مِنْ قَصْرِ الْإِمَارَةِ مِنْ تِلْكَ اللَّيْلَةِ.
وَاسْتَجَابَ النَّاسُ لِلنَّفِيرِ فَخَرَجَ مَعَ الْحَسَنِ تِسْعَةُ آلَافٍ فِي الْبَرِّ وَفِي دِجْلَةَ، وَيُقَالُ: سَارَ مَعَهُ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا وَرَجُلٌ وَاحِدٌ، فَقَدِمُوا عَلَى عَلِيٍّ بِذِي قَارٍ فَتَلَقَّاهُمْ إِلَى أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ فِي جَمَاعَةٍ، مِنْهُمُ ابْنُ عَبَّاسٍ، فَرَحَّبَ بِهِمْ وَقَالَ: يَا أَهْلَ الْكُوفَةِ، أَنْتُمْ لَقِيتُمْ مُلُوكَ الْعَجَمِ فَفَضَضْتُمْ
পৃষ্ঠা - ৫৯৪৪
এ সময় কোন ব্যক্তি তালহা ও যুবায়র (রা)-ণ্ক উসমান হত্যাকারীদের ব্যাপারে সুবর্ণ
সুযোগ গ্রহণের পরামর্শ দিলে তারা বললেন, আলী (রা) পরিস্থিতি শান্ত করার পরামর্শ
দিয়েছেন ৷ আমরা এ ব্যাপারে আপোসরফার জন্য তীর কাছে দুত পাঠিয়েছি ৷
আলী (রা) জনতার সামনে ভাষদু৷ দিতে র্দাড়ালে আওয়ার ইবন নিয়ার (বুনান) আল
মানকিরী দাড়িয়ে আলী (রা)-কে তার বসরা আগমনের কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল ৷ তিনি
বললেন, আপোসরফা এবং উত্তেজনা প্রশমিত করা, যাতে মানুষ কল্যাগে সমবেত হয় এবং এ
উম্মঠুতর ৰিভক্তি জোড়া লেগে যায় ৷ প্ৰশ্নকারী বলল, যদি তারা আমাদের প্রতি সাড়া না দেয়া
আলী (রা) বললেন, যতক্ষণ তারা আমাদের এড়িয়ে থাকবে আমরাও তাদের এড়িয়ে থাকর ৷
যে বলল, যদি তারা আমাদের ছেড়ে না দেয়া আলী (রা) বললেন, আমরা শুধু আত্মরক্ষামুলক
প্রতিরোধ করব ৷ প্রশ্নকারী বলল, এ বিষয়ে আমরা ণ্যরুপচিন্তা-অবন্থড়ানেন্ আছি তারাও কি
তেমন অবস্থানে আছেঃ আলী (রা) বললেন, হীড়া ৷
তখন আবু সাল্লাম (সালামা) দালানী তার সামনে দাড়িয়ে বললেন, এ লোকেরা যে এ
রক্তের দাবি উত্থাপন করেছে তাতে কি তাদের কাছে কোন দলীল-প্রমাণ আছে ৷ যদি তাতে
তারা মহান আল্পাহ্কে উদ্দেশ্য করে থাকে৷ তিনি বললেন, হী৷ ৷ সে বলল, আপনি যে বিষয়টি
বিলম্বিত করছেন এতে কি আপনার কাছে প্রমাণ আছে ৷ তিনি বললেন, হ্যা ৷ আবু সাল্লাম
বললেন, আগামী দিনে আমরা যদি বিপদের মুখে পড়ে যইি, তবে আমাদের অবস্থা ও তাদের
অবস্থা কী হবো আলী (রা) বললেন, আমি আশা করি, আমাদের বা তাদের কেউ মহান
আল্লাহ্র জন্য পরিচ্ছন্ন অন্তর নিয়ে নিহত হলে মহান আল্লাহ্ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেনই ৷
আলী (রা) ংতার ভাষণে আরও বললেন, হে মানবমণ্ডলী! তোমরা এই সম্প্রদায়ের ব্যাপারে
তোমাদের হাত ও জিহ্বাগুলাে বিরত রাখবে ৷ সাবধান ! আগামীকাল আমার পুর্বে ফেউ অগ্রবর্তী
হবে না ৷ কেননা, আগামীকালের পরাতুত ব্যক্তি আজ্যিার পরাতুত ৷
এ সময় আহনাফ ইবন করেন (বা) একটি বাহিনীসহ আগমন করে আলী (রা)শ্শ্বর সঙ্গে
মিলিত হলেন ৷ আহনাফ্ হ্বকুস ইবন যুহায়রকে তালহা ও যুবায়র (না)-এর হাত হতে রক্ষা
করেছিলেন ৷ তিনি ইতিপুর্বে পবিত্র মদীনায় হযরত আলী (রা) এর হাতে বায়আত করেছিলেন ৷
এর ঘটনা ছিল এরুপ যে, উসমান (রা) অবরুদ্ধ হওয়ার সময় তিনি পবিত্র মদীনায় এসেছিলেন
এবং আংয়শা (রা), তলেহা (রা) ও যুবায়র (রা)-ফে জ্বিজ্ঞেস করেছিলেন, উসমান (রা) শহীদ
হলে আমি কার হাতে বায়আত করব? তারা বলেস্কিলন, আলী (রা)-এর হাতে বায়আত
করবেন ৷ কাজেই, উসমান (রা)শহীদ হলে তিনি আলী (রা) এর হাতে ব্য়োআত করলেন ৷
তিনি বলেছেন, তার্কে নিয়ে আমি আমার সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গেলাম ৷ তখনও আমার
কাছে আরও ভ্যাত্কর সংবাদ পৌছল ৷ এমনকি লোকেরা বলাবলি করল যে, আংরশা (রা)ও
উসমান হত্যার প্রতিশোধ গ্রহ্বুণর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছেন ৷ তখন আমি কার অনুসরণ করব
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়লাম ৷ তখন আবুৰ্রুৰ্ (বা) হতে আমার
শোনা একটি হাদীসের সুত্রে মহান আল্লাহ্ আমাকে রুখে দিলেন ৷ আবু বকর (রা) বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ্ :ণ্;ণ্ণ্ন্,; এর কাছে পারস্যবাসী তাদ্যো সম্রাট কন্যাকে (কিসরার কন্যাকে) সিংহাসনে
বসবাের সংবাদ পৌছলে তিনি বলেছিলেন
جُمُوعَهُمْ، وَقَدْ دَعَوْتُكُمْ لِتَشْهَدُوا مَعَنَا إِخْوَانَنَا مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، فَإِنْ يَرْجِعُوا فَذَاكَ الَّذِي نُرِيدُ، وَإِنْ أَبَوْا دَاوَيْنَاهُمْ بِالرِّفْقِ حَتَّى يَبْدَأُونَا بِالظُّلْمِ، وَلَمْ نَدَعْ أَمْرًا فِيهِ صَلَاحٌ إِلَّا آثَرْنَاهُ عَلَى مَا فِيهِ الْفَسَادُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. فَاجْتَمَعُوا عِنْدَهُ بِذِي قَارٍ.
وَكَانَ مِنَ الْمَشْهُورِينَ مِنْ رُؤَسَاءِ مَنِ انْضَافَ إِلَى عَلِيٍّ ; الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو، وَسِعْرُ بْنُ مَالِكٍ، وَهِنْدُ بْنُ عَمْرٍو، وَالْهَيْثَمُ بْنُ شِهَابٍ، وَزَيْدُ بْنُ صُوحَانَ، وَالْأَشْتَرُ، وَعَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ، وَالْمُسَيَّبُ بْنُ نَجَبَةَ، وَيَزِيدُ بْنُ قَيْسٍ، وَحُجْرُ بْنُ عَدِيٍّ، وَأَمْثَالُهُمْ، وَكَانَتْ عَبْدُ الْقَيْسِ بِكَمَالِهَا بَيْنَ عَلِيٍّ وَبَيْنَ الْبَصْرَةِ يَنْتَظِرُونَهُ وَهُمْ أُلُوفٌ، فَبَعَثَ عَلِيٌّ الْقَعْقَاعَ رَسُولًا إِلَى طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ بِالْبَصْرَةِ يَدْعُوهُمَا إِلَى الْأُلْفَةِ وَالْجَمَاعَةِ، وَيُعَظِّمُ عَلَيْهِمَا الْفُرْقَةَ وَالِاخْتِلَافَ، فَذَهَبَ الْقَعْقَاعُ إِلَى الْبَصْرَةِ، فَبَدَأَ بِعَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، فَقَالَ: أَيْ أُمَّهْ، مَا أَقْدَمَكِ هَذِهِ الْبَلْدَةَ؟ فَقَالَتْ: أَيْ بُنَيَّ الْإِصْلَاحُ بَيْنَ النَّاسِ. فَسَأَلَهَا أَنْ تَبْعَثَ إِلَى طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ لِيَحْضُرَا عِنْدَهَا، فَحَضَرَا فَقَالَ الْقَعْقَاعُ: إِنِّي سَأَلْتُ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ مَا أَقْدَمَهَا؟ فَقَالَتِ: الْإِصْلَاحُ بَيْنَ النَّاسِ. فَقَالَا: وَنَحْنُ كَذَلِكَ. قَالَ: فَأَخْبِرَانِي مَا
পৃষ্ঠা - ৫৯৪৫
হুাৰুট্রুশ্৷ ন্ৰুগুঠুট্রু৷ ৷টুর্দুঠু ’ণ্ ন্ট্র ৫-শু ;,
যে জাতি হুকােন নারীকে তাদের শাসনকর্তৃত্বে অদ্বৈষ্ঠিত করেছে তারা কখনও সফল হবে
না ৷ ১ (এ হাদীসের মুল বিষয়বস্তু রয়েছে সহীহ বুখারীতে ৷)
মোটকথা, আহমদ (রা) যখন আলী (রা)-এর সঙ্গে মিলিত হলেন তখন তার সঙ্গে ছিল
ছয় হাজার ধনুক ৷ তিনি আলী (রা)-কে বললেন, আপনি চইিলে আমি আপনার সঙ্গে থেকে যুদ্ধ
করব এবং আপনি চইিলে আপনার প্রতিকুলের দশ হাজার তরবারি ঠেকিয়ে রাখব ৷ ২ আলী (রা)
বললেন, আমার প্রতিকুলের দশ হাজার তরবারি ঠেকিয়ে রাখুন ৷
এরপর আলী (রা) তালহা ও যুবয়ের (রা)-এৱ কাছে পত্র পাঠাংলন যে, তোমরা কাকা
ইবন আমরকে যে কথার উপরে ফেরত পাঠিয়েছিলে তাতে অবিচল থাকলে হাত গুটিয়ে রাখ,
যাতে আমরা অবস্থান নিয়ে বিষয়টির প্রতি নজর দিতে পারি ৷ তারা দুইজন পত্রের জবাবে
অবহিত করলেন যে, মানুষের মধ্যে আপোসরফার যে কথার উপরে কাকা ইবন আমরকে
ফেরত পাঠিয়েছিলাম আমরা তড়ান্থতৰুঅবিচল রয়েছি ৷ এতে সকল মানুষ শান্ত ও নিতিঃ হলো
এবং উভয় বাহিনীর লোকেরা তাদের সংগী-সাথী ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিলিত হলো ৷ সন্ধ্যড়ায়
আলী (রা) আবদুল্পাহ্ ইবন আব্বাস (রা)-ফে অপর পক্ষের কাছে পাঠালেন এবং তারা মুহাম্মদ
ইবন তৃলায়বা সাজ্জাদকে আলী (রা)-এর কাছে পাঠাল ৷ ফলে জনতা একটি সুখময় রাত
, অতিবাহিত করল এবং উসমান হত্যাকারীরা একটি নিকৃষ্ট রাত অতিবাহিত করল ৷ তারা
রাতভর সলা-পরামর্শ করে কাটাল এবং শেষ রাতের আধারের মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে দেওয়ার
সিদ্ধান্তে উপনীত হলো ৷
সিদ্ধান্তমতে ফজরের সময় শুরু হওয়ার আগেই তাদের প্রায় ইে হাজার লোক উঠে পড়ল
এবং প্রত্যেক উপদল তাদের আপনজনদের কাছে পৌছে তরবারি দ্বারা আক্রমণ চলােল ৷ এতে
প্রত্যেক উপদল আত্মরক্ষার জন্য নিজেদের বড় দলের কাছে ছুটে গেল ৷ ঘুম ত্তাঙ্গা লোকেরা
নিজ নিজ অস্ত্র হাতে তুলে নিল ৷ তারা বলতে লাগল, কুফাবাসীরা রাতের আধারে আমাদের
উপর আক্রমণ করেছে এবং আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ৷ তারা ধারণা করল যে,
আলী (রা)-এর সঙ্গে আগতদের কোন একটি দল এ কাজ করেছে ৷ আলী (রা)-এর কাছে
সংবাদ ণ্পাছলে তিনি বললেন, ণ্লাকদের কি হয়েছে? £লাকেরা বলল, বসরাবাসীরা আমাদের
উপর আক্রমণ চালিয়েছে ৷ এতে প্রত্যেক পক্ষ তার অদ্রের কাছে ছুটে গেল এবং ধর্ম পরিধান
করে অশ্বারোহী হলো ৷ তাদের কেউই বাস্তবে কি ঘটেছে তা অনুধাবন করতে পারল না ৷ মহান
আল্লাহ্র সিদ্ধান্ত যথাযথ বাস্তবায়িত হয়ে গেল এবং যুদ্ধের প্রচণ্ডতড়া চরম রুপ ধারণ করল ৷
অশ্বারােহীরা দ্বন্দুযুদ্ধে লিপ্ত হলো ৷ বীর বাহাদুররা চক্কর দিয়ে দিয়ে চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করল ৷ যুদ্ধ
তার নখর বসিয়ে দিল ৷ এক সময় উতয়ে মুখোমুখি অবস্থানে দড়ােল ৷ তখন আলী (রা)-এর
পক্ষে সমবেতদের সংখ্যা ছিল বিশ হাজার এবংআয়েশা (মা) ও তার সহযােপীদের পক্ষে ছিল
১ বায়হার্কী, দালাইল, : খ, ৩৯০ পৃ-
২ ইবনুল আছায়ের ফুতুহ গ্রন্থের বর্ণনায়-আমার সম্প্রদায়ের দৃইশত জন লোক নিয়ে আপনার সঙ্গে থাকর
অথবা আপনার অনুকুলে চার হাজার তরবারি ঠেকিয়ে দিব ৷ (কুতুহ্ ২য়, ২৯৭ পু)
وَجْهُ هَذَا الْإِصْلَاحِ؟ فَوَاللَّهِ لَئِنْ عَرَفْنَاهُ لِنَصْطَلِحَنَّ، وَلَئِنْ أَنْكَرْنَاهُ لَا نَصْطَلِحَنَّ. قَالَا: قَتَلَةُ عُثْمَانَ، فَإِنَّ هَذَا إِنْ تُرِكَ كَانَ تَرْكًا لِلْقُرْآنِ. فَقَالَ: قَتَلْتُمَا قَتَلَةَ عُثْمَانَ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ، وَأَنْتُمْ قَبْلَ قَتْلِهِمْ أَقْرَبُ مِنْكُمْ إِلَى الِاسْتِقَامَةِ مِنْكُمُ الْيَوْمَ، قَتَلْتُمْ سِتَّمِائَةِ رَجُلٍ، فَغَضِبَ لَهُمْ سِتَّةُ آلَافٍ فَاعْتَزَلُوكُمْ، وَخَرَجُوا مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِكُمْ، وَطَلَبْتُمْ حُرْقُوصَ بْنَ زُهَيْرٍ، فَمَنَعَهُ سِتَّةُ آلَافٍ، فَإِنْ تَرَكْتُمُوهُمْ وَقَعْتُمْ فِيمَا تَقُولُونَ، وَإِنْ قَاتَلْتُمُوهُمْ فَأُدِيلُوا عَلَيْكُمْ، فَالَّذِي حَذِرْتُمْ وَفَرِقْتُمْ مِنْ هَذَا الْأَمْرِ أَعْظَمُ مِمَّا أَرَاكُمْ تَدْفَعُونَ وَتَجْمَعُونَ مِنْهُ. يَعْنِي أَنَّ الَّذِي تُرِيدُونَ مِنْ قَتْلِ قَتَلَةِ عُثْمَانَ مَصْلَحَةٌ، وَلَكِنَّهُ يَتَرَتَّبُ عَلَيْهِ مَفْسَدَةٌ هِيَ أَرْبَى مِنْهَا، وَكَمَا أَنَّكُمْ عَجَزْتُمْ عَنِ الْأَخْذِ بِثَأْرِ عُثْمَانَ مِنْ حُرْقُوصِ بْنِ زُهَيْرٍ، لِقِيَامِ سِتَّةِ آلَافٍ فِي مَنْعِهِ مِمَّنْ يُرِيدُ قَتْلَهُ، فَعَلِيٌّ أَعْذَرُ فِي تَرْكِهِ الْآنَ قَتْلَ قَتَلَةِ عُثْمَانَ، وَإِنَّمَا أَخَّرَ قَتْلَ قَتَلَةِ عُثْمَانَ إِلَى أَنْ يَتَمَكَّنَ مِنْهُمْ بَعْدَ هَذَا، فَإِنَّ الْكَلِمَةَ فِي جَمِيعِ الْأَمْصَارِ مُخْتَلِفَةٌ عَلَيْهِ.
ثُمَّ أَعْلَمَهُمْ أَنَّ خَلْقًا مِنْ رَبِيعَةَ وَمُضَرَ قَدْ أَجْمَعُوا لِحَرْبِهِمْ بِسَبَبِ هَذَا الْأَمْرِ الَّذِي وَقَعَ. فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ: فَمَاذَا تَقُولُ أَنْتَ؟ قَالَ: أَقُولُ: إِنَّ هَذَا
পৃষ্ঠা - ৫৯৪৬
প্রায় ত্রিশ হাজার ৷ শ্ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইইি রাজিউনশ্ ইবনুস সাওদার (আল্লাহ্ তাকে
ধীক্কৃত করুন?) সংপী-সাথীরা অবিরাম হত্যা করে চলছিল ৷ এদিকে আলী (রা)-এর পক্ষের
ঘোষক ঘোষণা দিয়ে চলছিম্স, শোন! বিরত হও, বিরত হও! কিত্তু কেউ তাতে কান দিচ্ছিল না ৷
বসরার কাযী কাব ইবন সিওয়ার আয়েশা (রা)-এর কাছে এসে বলল, উম্মুল মুমিনীন ৷
লোকদের বাচান! হয়ত মহান আল্পাহ্ আপনার মাধ্যমে লোকদের মধ্যে আপােস-সন্ধি করিয়ে
দিবেন ৷ তখন তিনি তার উটের পিঠে হাওদায় (পান্তীতে) উপবেশন করলেন ৷ লোকেরা বর্ম
দিয়ে হাওদাটি আচ্ছাদিত করে ফেলল ৷ আয়েশা (রা) এসে এমন অবস্থানে র্দাড়ালেন যে, তিনি
লোকদের লোচল দেখতে পান ৷ ণ্লাকের৷ ধাওয়া-পাণ্টা :শ্বওয়ান্অক্রেমণ্ন্প্রতিৰুঅহ্বক্রমণ;আেতপ্রু ,
লাগল ৷ যুবায়র ও আমার (রা)-ও দ্বন্দুযুদ্ধে লিপ্ত হলেন ৷ আমার (বা) যুবায়ার (রা)-কে বল্লম
দিয়ে ঘোচ৷ দিচ্ছিলেন এবং যুবায়র (রা) (পাল্টা আঘাত না করে শুধু) আক্রমণ প্রতিহত করে
যাচ্ছিলেন ৷ তিনি আমার (রা)-কে বলছিলেন, হে আবুল ইয়াকজান ! তুমি কি আমাকে মেরে
ফেলবো আমার বলছিলেন, না, হে আবু আবদুল্লাহ্৷ যুবায়র (বা) আমার (রা)-কে আক্রমণ
করা থেকে বিরত থাকলেন তার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ ণ্খ্যাঃব্লুএর এ বাণীর কারণে-
বিদ্রোহী দল তোমাকে হত্যা করবে ৷১ (আমার সাহাবীরা তোমাকে হত্যা করবে না ৷)
অন্যথায় আমার (না)-এর তুলনায় যুবায়র (রা) প্রতিপক্ষের উপর অধিক ক্ষমতাবান ছিলেন ৷
হাদীসের কারণে তিনিনিজেকে বিরত রাখছিলেন ৷ এ দিনের যুদ্ধে অন্যতম অনুসৃত নীতি ছিল
এই যে, কোন আহতকে পুনং আঘাত করা হচ্ছিল না এবং কোন পলায়নপর ব্যক্তির পশ্চাদ্ধাবন
করা হচ্ছিল না ৷ এতদসাত্ত্বও অসং থ্য অগণিত লোক নিহত হলো ৷ এমনকি আলী (বা) তার
ছেলে হাসান (রা) কে বলছিলেন-
প্রিহৃৰু পুত্র ! হায় তোমার পিতা যদি এর বিশ বছর আগে মারা যেত! হাসান (রা) তাকে
বললেন, আব্বাজান আমি তো আপনাকে এসব থেকে নিষেধ করেছিলাম ৷ সাঈদ ইবন আবু
উজ্জ৷ কাতাদা-হাসান-কায়স ইবন উবাদা সুত্রে বর্ণনা করেছেন, জামাল যুদ্ধের দিন আলী (রা)
আক্ষেপ করে বলছিলেন, “হে হাসান ৷ তোমার পিতা যদি আরও বিশ বছর আগে মারা যেত ৷
হাসান বললেন, আব্বা, আমি তো আপনাকে এসব থেকে নিষেধ করতাম! আলী (রা) বললেন,
আমি মনে করিনি ণ্,যে অবস্থা এ পর্যন্ত গড়াবে ৷
মুবারাক ইবন ফুযাল৷ হাসান ইবন আবুবাকরা হতে বর্ণনা করেন; জামাল যুদ্ধের দিন
হানাহানি প্রচণ্ড রুপ ধারণ করলে যখন আলী (রা) মানুষের মুণ্ডগুলো ঝরে পড়তে দেখলেন
তখন তিনি ছেলে হাসান (রা) কে ধরে বুকের সঙ্গে লাগিয়ে বললেন, ইন্ন৷ লিল্পাহ হে
হাসান এর পর আর কি কল্যাণ আশা করা যায়৷ পরে দুই বাহিনী আরোহণ করে পরস্পরের
>, এ গুরুত্বপুর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করেছেনবুখারী, কিতাবুল জিহাদ, ইব্রাহীম ইবন মুসা হতে; মুসলিম, ফিতান
৪২৩৩৫; তিরমিয়ী, মানকিবু আমার ৫৬৬৯; ইমাম আহমদ, মুসনাদ, ২১৬১, ৩৫, ৪১৯৯, ৩১৯,
৬২৮৯; হাকিম, মুসতাদরাক, ৩৩৮৯; তার মন্তব্য, বুখারী মুসলিমের শর্তানুকুল সহীহ, হায়ছার্মী,
মজেমাউয যাওয়ইিদ, ৭২৪ ২, ৯২৯ ৭ ৷
الْأَمْرَ الَّذِي وَقَعَ دَوَاؤُهُ التَّسْكِينُ، فَإِذَا سَكَنَ اخْتَلَجُوا، فَإِنْ أَنْتُمْ بَايَعْتُمُونَا فَعَلَامَةُ خَيْرٍ، وَتَبَاشِيرُ رَحْمَةٍ، وَدَرَكٌ بِثَأْرٍ، وَإِنْ أَنْتُمْ أَبَيْتُمْ إِلَّا مُكَابَرَةَ هَذَا الْأَمْرِ وَائْتِنَافَهُ، كَانَتْ عَلَامَةَ شَرٍّ، وَذَهَابَ هَذَا الْمُلْكِ، فَآثِرُوا الْعَافِيَةَ تُرْزَقُوهَا، وَكُونُوا مَفَاتِيحَ خَيْرٍ كَمَا كُنْتُمْ أَوَّلَ، وَلَا تُعَرِّضُونَا لِلْبَلَاءِ فَتَعَرَّضُوا لَهُ، فَيَصْرَعَنَا اللَّهُ وَإِيَّاكُمْ، وَايْمُ اللَّهِ، إِنِّي لَأَقُولُ قَوْلِي هَذَا وَأَدْعُوكُمْ إِلَيْهِ، وَإِنِّي لَخَائِفٌ أَنْ لَا يُتِمَّ حَتَّى يَأْخُذَ اللَّهُ حَاجَتَهُ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ الَّتِي قَلَّ مَتَاعُهَا، وَنَزَلَ بِهَا مَا نَزَلَ، فَإِنَّ هَذَا الْأَمْرَ الَّذِي قَدْ حَدَثَ أَمْرٌ عَظِيمٌ، وَلَيْسَ كَقَتْلِ الرَّجُلِ الرَّجُلَ، وَلَا النَّفَرِ الرَّجُلَ، وَلَا الْقَبِيلَةِ الْقَبِيلَةَ. فَقَالُوا: قَدْ أَصَبْتَ وَأَحْسَنْتَ فَارْجِعْ، فَإِنْ قَدِمَ عَلِيٌّ وَهُوَ عَلَى مِثْلِ رَأْيِكَ صَلُحَ الْأَمْرُ. قَالَ: فَرَجَعَ إِلَى عَلِيٍّ فَأَخْبَرَهُ، فَأَعْجَبَهُ ذَلِكَ، وَأَشْرَفَ الْقَوْمُ عَلَى الصُّلْحِ، كَرِهَ ذَلِكَ مِنْ كَرِهَهُ، وَرَضِيَهُ مَنْ رَضِيَهُ.
وَأَرْسَلَتْ عَائِشَةُ إِلَى عَلِيٍّ تُعْلِمُهُ أَنَّهَا إِنَّمَا جَاءَتْ لِلْإِصْلَاحِ، فَفَرِحَ هَؤُلَاءِ وَهَؤُلَاءِ، وَقَامَ عَلِيٌّ فِي النَّاسِ خَطِيبًا فَذَكَرَ الْجَاهِلِيَّةَ وَشَقَاءَهَا، وَذَكَرَ الْإِسْلَامَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৪৭
وَسَعَادَةَ أَهْلِهِ بِالْأُلْفَةِ وَالْجَمَاعَةِ، وَأَنَّ اللَّهَ جَمَعَهُمْ بَعْدَ نَبِيِّهِمْ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى الْخَلِيفَةِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، ثُمَّ بَعْدَهُ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، ثُمَّ عَلَى عُثْمَانَ، ثُمَّ حَدَثَ هَذَا الْحَدَثُ الَّذِي جَرَّهُ عَلَى هَذِهِ الْأُمَّةِ أَقْوَامٌ طَلَبُوا هَذِهِ الدُّنْيَا، وَحَسَدُوا مَنْ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِ بِهَا، وَعَلَى الْفَضِيلَةِ الَّتِي مَنَّ بِهَا، وَأَرَادُوا رَدَّ الْإِسْلَامِ وَالْأَشْيَاءِ عَلَى أَدْبَارِهَا، وَاللَّهُ بَالِغُ أَمْرِهِ. ثُمَّ قَالَ: أَلَا إِنِّي مُرْتَحِلٌ غَدًا فَارْتَحِلُوا، وَلَا يَرْتَحِلُ مَعِي أَحَدٌ أَعَانَ عَلَى عُثْمَانَ بِشَيْءٍ مِنْ أُمُورِ النَّاسِ. فَلَمَّا قَالَ هَذَا اجْتَمَعَ مِنْ رُءُوسِهِمْ جَمَاعَةٌ ; كَالْأَشْتَرِ النَّخَعِيِّ، وَشُرَيْحِ بْنِ أَوْفَى، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَبَأٍ، الْمَعْرُوفِ بِابْنِ السَّوْدَاءِ، وَسَالِمِ بْنِ ثَعْلَبَةَ، وَعِلْبَاءَ بْنِ الْهَيْثَمِ، وَغَيْرِهِمْ فِي أَلْفَيْنِ وَخَمْسِمِائَةٍ وَلَيْسَ فِيهِمْ صَحَابِيٌّ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. فَقَالُوا: مَا هَذَا الرَّأْيُ؟ وَعَلِيٌّ وَاللَّهِ أَبْصَرُ بِكِتَابِ اللَّهِ وَهُوَ مِمَّنْ يَطْلُبُ قَتَلَةَ عُثْمَانَ، وَأَقْرَبُ إِلَى الْعَمَلِ بِذَلِكَ، وَقَدْ قَالَ مَا سَمِعْتُمْ، غَدًا يَجْمَعُ عَلَيْكُمُ النَّاسَ، وَإِنَّمَا يُرِيدُ الْقَوْمُ كُلُّهُمْ أَنْتُمْ، فَكَيْفَ بِكُمْ وَعَدَدُكُمْ قَلِيلٌ فِي كَثْرَتِهِمْ؟ فَقَالَ الْأَشْتَرُ: قَدْ عَرَفْنَا رَأْيَ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ فِينَا، وَأَمَّا رَأْيُ عَلِيٍّ فَلَمْ نَعْرِفُهُ إِلَى الْيَوْمِ، فَإِنْ كَانَ قَدِ اصْطَلَحَ مَعَهُمْ فَإِنَّمَا اصْطَلَحُوا عَلَى دِمَائِنَا، فَإِنْ كَانَ الْأَمْرُ هَكَذَا أَلْحَقْنَا عَلِيًّا بِعُثْمَانَ، فَرَضِيَ الْقَوْمُ مِنَّا
পৃষ্ঠা - ৫৯৪৮
সম্মুখীন হলে আলী (রা), তালহা (রা) ও যুবায়ৱ (রা)-এর সঙ্গে কথা বলার জন্য তাদের
খোজাখুজি করলেন ৷ পরে তারা (যুদ্ধক্ষেত্রেই) সমবেত হলেন, এমনকি তাদের ঘোড়াগুলির ন্
ঘাড় পরস্পর মিলিত হলো ৷ বর্ণনামতে আলী (রা) তাদের দৃইজনকে বললেন, “আমি দেখতে
পাচ্ছি, ঘোড়সওয়ার ও পদাতিকের এক বিরাট বাহিনী সমবেত করে কিয়ামতের দিনের জন্য
কোন ত্তবোব কি তোমরা তৈরি করে ব্লেখেছ৷ কাজেই আল্লাহ্কে ভয় কর এবং সে নারীর ন্যায়
হয়ো না যে তার চরকায় পাকানাে সুতা মজবুত করার পর ছিড়ে ছুড়ে ফেলত; এমন একটি ৰু
সময় কি ছিল না যে, আমি তোমাদের রক্তের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের অধিকারী ফ্লিাম এবং তোমরা ৰু
আমার রক্তকে (জীবন নাশকে) হারাম মনে করতে ও আমি তোমাদের রক্তকে হারাম মনে ?
করতাম ৷ এখন তোমাদের কাছে কি এমন কোন হাদীস আছে যা আমার রক্ত তোমাদের জন্য :
বৈধ করে দিয়েছে? তালহা (রা) বললেন, তুমি তো উসমান (রা) এর বিকদ্ধে শত্রু-সমাবেশ
ঘটিয়েছু ৷ আলী (রা) বললেন
সে (কিয়ড়ামতের) দিন মহান আল্লাহ্ তাদের (অর্থাৎ অপরাধীদের) প্রাপ্য যথার্থ প্রতিফল
পুরোপুরি দিবেন ৷ (সুরা নুর৪ ২৪€ ২৫) পরে বললেন, উসমান হভ্যাকারীদের উপর মহান
আল্লাহর লা নত হোক তারপর বললেন, হে তালহা! রাসুলুল্লাহ্ট্রুশ্যি এর অন্তপুরবাসিনী
( বধু’ ) কে ময়দানে নিয়ে এসেছ, তাকে সামনে রেখে যুদ্ধ করার জন্য, আর তোমার নিজের ৰু
বধুকে লুকিয়ে ণ্রখেছ গৃহ অভ্যন্তরে? তুমি কি আমার হাতে বার আত করেছিলে না? তালহা ষ্
(রা) বললেন, তোমার হাতে বায় আত করেছিলাম, তখন তরবারি আমার ঘাড়ের উপরে ছেল ৷
আলী (রা) যুবায়ৱ (রা) কে বললেন, তোমাকে কে বের করে আনল (বিদ্রোহী করল)? ;
যুবায়ৱ (রা) বললেন, তৃমিই ৷ এছাড়া এ বিষয়ের জন্য আমি৫ আমাকে আমার চেয়ে অধিক
যোগ্য অধিকারী মনে করি না ৷ আলী (রা) তাকে বললেন, যে দিনটির কথা কি তোমার মনে ৰু
পড়ে যে দিন আমি রাসুলুল্লাহ্র্চু ট্রু ল্যাং-এর সঙ্গে বনু গুনমের এলাকায় পথ চলছিলাম ৷ তখন তিনি
আমার দিকে তাকিয়ে হেসেছিলেন, আমিও তার দিকে তাকিয়ে হেসেছিলাম ৷ তখন তুমি শু
বলেছিলে; ইবন আবু তালিবের গর্বিত আচরণ আর গেল না ৷ তখন রাসুলুল্পর্দীহ্ন্দ্যো মোঃ তোমাকে
বলেছিলেন
সে অহংকারী নয়, তুমি অবশ্যই তার সঙ্গে যুদ্ধ করবে এবং তখন তুমি তার প্রতি
জুলুমকারী হবে : যুবায় র (রা) বললেন, আল্লাহ্র কসম, হ্যা (আমার মনে পড়েছে) ৷ আগে তা
আমার স্মরণে থাকলে আমি আমার এ সফরে বের হতাম না ৷ এখন, আল্পাহ্র কসম ! তোমার
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না ৷ (গ্রন্থকারের মত্তব্য৪) এ সমগ্র বর্ণনাই প্রামাণ্য হওয়ার ব্যাপারে
সন্দেহযুক্ত ৷ শুধু হাদীসর্টুকু প্রামাণ্য ৷ কেননা, হাফিজুল হাদীস আবু ইয়ালা মাওসিলী হাদীসটি
বর্ণনা করেহ্নে৷ ৷ তিনি বলেছেন, আবু ইয়ুসুফ ইয়াকুব ইবন ইব্রাহীম আদদুরী আমাদের
হাদীস শুনিয়েছেন যথাক্রমে আবু আসিম-আবদুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মদ ইবন আবদুল মালিক ইবন
মুসলিম আরারুকাশী তার দাদা আবদুল মালিক হতে তিনি আবু জারব আল মাযিনী হতে ৷
মাযিনী বলেন, আলী ও যুবায়ৱ (রা) সামনাসামনি অবস্থানের সময় আমি সেখানে উপস্থিত
ছিলাম ৷ আলী (রা) বললেন, হে যুবায়রাআমি তোমাকে আল্পাহ্র কসম দিয়ে জ্যিজ্ঞস করছি,
بِالسُّكُوتِ. فَقَالَ ابْنُ السَّوْدَاءِ: بِئْسَ مَا رَأَيْتَ، لَوْ قَتَلْنَاهُ قُتِلْنَا، فَإِنَّا يَا مَعْشَرَ قَتَلَةِ عُثْمَانَ فِي أَلْفَيْنِ وَخَمْسِمِائَةٍ، وَطَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ وَأَصْحَابُهُمَا فِي خَمْسَةِ آلَافٍ، وَلَا طَاقَةَ لَكُمْ بِهِمْ، وَهُمْ إِنَّمَا يُرِيدُونَكُمْ. فَقَالَ عِلْبَاءُ بْنُ الْهَيْثَمِ: دَعُوهُمْ وَارْجِعُوا بِنَا حَتَّى نَتَعَلَّقَ بِبَعْضِ الْبِلَادِ فَنَمْتَنِعَ بِهَا. فَقَالَ ابْنُ السَّوْدَاءِ: بِئْسَ مَا قُلْتَ، إِذًا وَاللَّهِ كَانَ يَتَخَطَّفُكُمُ النَّاسُ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ السَّوْدَاءِ، قَبَّحَهُ اللَّهُ: يَا قَوْمِ إِنَّ عِزَّكُمْ فِي خُلْطَةِ النَّاسِ، فَإِذَا الْتَقَى النَّاسُ فَأَنْشِبُوا الْقِتَالَ، وَلَا تُفَرِّغُوهُمْ لِلنَّظَرِ، فَمَنْ أَنْتُمْ مَعَهُ لَا يَجِدُ بُدًّا مِنْ أَنْ يَمْتَنِعَ، وَيَشْغَلُ اللَّهُ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرَ وَمَنْ مَعَهُمَا عَمَّا تَكْرَهُونَ. فَأَبْصَرُوا الرَّأْيَ وَتَفَرَّقُوا عَلَيْهِ، وَأَصْبَحَ عَلِيٌّ مُرْتَحِلًا، وَمَرَّ بِعَبْدِ الْقَيْسِ، فَسَارُوا مَعَهُ حَتَّى نَزَلُوا بِالزَّاوِيَةِ، وَسَارَ مِنْهَا يُرِيدُ الْبَصْرَةَ، وَسَارَ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ وَمَنْ مَعَهُمَا لِلِقَائِهِ، فَاجْتَمَعُوا عِنْدَ قَصْرِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ، وَنَزَلَ النَّاسُ كُلٌّ فِي نَاحِيَةٍ، وَقَدْ سَبَقَ عَلِيٌّ جَيْشَهُ، وَهُمْ يَتَلَاحَقُونَ بِهِ، فَمَكَثُوا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ وَالرُّسُلُ بَيْنَهُمْ، فَكَانَ ذَلِكَ لِلنِّصْفِ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، وَقَدْ أَشَارَ بَعْضُ النَّاسِ عَلَى طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ بِانْتِهَازِ
পৃষ্ঠা - ৫৯৪৯
তুমি কি রাসুলুল্লাহ্শু,গাং ,-৫ক এ কথা বলতে শুনেছ যে, তুমি আমার সঙ্গে যুদ্ধ করবে এবৎ তখন
তুমি হবে জালিম ৷ যুবায়ৱ (রা) বললেন, হ্যা, এখন এই মুহুতেরি পুর্বে তা আমার স্মরণে ছিল
না ৷ তারপর তিনি (যুদ্ধক্ষেত্র ভাগ করে) চলে গেলেন ৷ বায়হাকী এ হাদীস বর্ণনা করেছেন
হাসিম আবুল গুয়ালীজ্জ্ব অলস্যকীহ হাসান ইবন সুফয়ান কাতান ইবন বাশীর জাফর ইবন
সুলায়মানষ্ আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবন আবদুল মালিক ইবন মুসলিম আররুকশী তার
দাদা ৷১ আবদুল মালিক আবু জাবৃব আল মাযিনী সনদে আলী ও যুবায়ৱ (রা) হতে ৷
আবদুর রাষ্যাক বলেছেন, সামার কাতাদা (র) হতে আমাকে অবহিত করেছেন, কাতাদা
বলেছেন, জামাল যুদ্ধে যুবায়ৱ (রা) যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে চলে যাওয়ার সংবাদ আলী (রা)-এর কাছে
পৌছলে তিনি বললেন, সাফিয়্যা (রা)-এর ছেলে নিজেকে জয়ের উপরে জানলে ময়দান ছেড়ে
যেত না ৷ এর সুত্র এই যে, রাসুলুল্পাহ্ মোঃ রনু সইিদা-র সাকীফায় আলী ও যুবায়ৱ (রা)-কে
দেখতে পেয়ে বলেছিলেন, ,;’; £ ত্দ্বু১ঠুৰু যুবায়ৱ! তুমি কি ভাবে ভালবাসা যুবায়ৱ (রা)
বলেছিলেন, এতে আমার জন্য বাধা কি৷ তিনিপ্নে অ্যাং বললেন-
তবে সে দিন তে মোর অবস্থা কেমন হবে যে দিন তুমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং তুমি
তাতে তার প্রতি জুলুমকারী হবে?
বর্ণনাকারী বলেন, লোকদের ধারণা, যুবায়ৱ (বা) এ কাররুংইি ময়দান ত্যাগ করেছিলেন ৷
বায়হাকী বলেছেন, এ বর্ণনাটি মুরসাল ৷ তবে অন্য একটি সনদে এটি মুত্তাসিলরুপে বর্ণিত
হয়েছে ৷ (সনদং) কাযী আবু বকর মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান আবু আমির ইবন মা৩ ড়ার২ হতে-
আবুল আব্বাস আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ ইবন সিওয়ার হাশিমী কুফী হতে মিনজা ৷ব ইবনুল
হাব্লিছ হতে আবদুল্লাহ ইবনুল আজলাহ হতে আবদুল্লাহ বলেন, আমার পিতা আরছাদ
ফাকীহ সুত্রে তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন, (দ্বিতীয় সনদঃ) আমি ফাযল ইবন ফাযালাকে
আরব ইবন আবুল আসওয়াদ দুআলী থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি উভয় সনদের হাদীস
সংযুক্ত করে আলী (রা) ও তার সংপীগণ তালহা (রা) ও যুবায়ৱ (রা) এর নিকটবর্তী হলে
এবং উভয় পক্ষের যোদ্ধা সারি পরস্পর নিকটবর্তী হলে রাসুলুল্লাহ্মোঃএর খচ্চরে আংরাহণরত
আলী সামনে এগিয়ে নিয়ে আওয়াজ দিলেন, যুবায়ৱ ইবনুল আওয়ামকে আমার কাছে ডেকে
আন, আমি আলী বলছি ৷ যুবায়ৱ (রা) ৫-ক ডাকা হলেও তিনি এগিয়ে এলেন এবৎ (এত কাছে
পৌছলেন যে,) দুইজনের ৰাহনের গর্দানে পরস্পর ঠোকাঠুকি হলো ৷
তখন আলী (রা) বললেন, হে যুবায়ৱ! আমি তোমাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি,
তোমার কি যে দিনের কথা মনে পড়ে, যে দিন রাসুলুল্লাহ্ড্ডা তোমার পাশ দিয়ে পথ
চলছিলেন, তখন আমরা অমুক স্থানে ছিলাম ৷ তিনিমোঃবলেছিলেন, শু: ইৰু ই৷ ঠু ট্রু ছুটু £
হে যুবায়ৱ! তুমি কি আলীকে ভালবাস ? তুমি বলেছিলে, আমি কেন আমার মামাত ভাই ও
চাচাত ভাইকে এবং অভিন্ন দীনের অনুসক্লীকে ভালবাসব না৷ তখন দিনিমোঃ বলেছিলেন ’ ৷
ব্লু ন্া৷া; ;১া) হৃটুদ্বুএে ণ্র্দুা৷ট্রু ,: ;’; ৷ঠু শোন, হে যুবায়ৱ! আল্লাহর কসম! অবশ্যই
১ এ হাদীস বর্ণনার পরে আবদুল মালিক ইবন মুসলিম রুকাশী সম্পর্কে বুখাৰীর মন্তব্য, তার হাদীস প্রামাণ্য
নয় ৷ (আল মীযান, ২৬২৮)
২ ৰায়হাকীর দালইিল আহমাদ ইবনুল হাসান আবুআযর ৬ ব ৪১৪ পৃ
৫৫
الْفُرْصَةِ مِنْ قَتَلَةِ عُثْمَانَ، فَقَالَا: إِنَّ عَلِيًّا قَدْ أَشَارَ بِتَسْكِينِ هَذَا الْأَمْرِ، وَقَدْ بَعَثْنَا إِلَيْهِ بِالْمُصَالَحَةِ عَلَى ذَلِكَ. وَقَامَ عَلِيٌّ فِي النَّاسِ خَطِيبًا، فَقَامَ إِلَيْهِ الْأَعْوَرُ بْنُ بُنَانٍ الْمِنْقَرِيُّ، فَسَأَلَهُ عَنْ إِقْدَامِهِ عَلَى أَهْلِ الْبَصْرَةِ فَقَالَ: الْإِصْلَاحُ وَإِطْفَاءُ النَّائِرَةِ ; لِيَجْتَمِعَ النَّاسُ عَلَى الْخَيْرِ، وَيَلْتَئِمَ شَمْلُ هَذِهِ الْأُمَّةِ. قَالَ: فَإِنْ لَمْ يُجِيبُونَا؟ قَالَ: تَرَكْنَاهُمْ مَا تَرَكُونَا. قَالَ: فَإِنْ لَمْ يَتْرُكُونَا؟ قَالَ: دَفَعْنَاهُمْ عَنْ أَنْفُسِنَا. قَالَ: فَهَلْ لَهُمْ فِي هَذَا الْأَمْرِ مِثْلُ الَّذِي لَنَا؟ قَالَ: نَعَمْ. وَقَامَ إِلَيْهِ أَبُو سَلَامَةَ الدَّالَانِيُّ، فَقَالَ: هَلْ لِهَؤُلَاءِ الْقَوْمِ مِنْ حُجَّةٍ فِيمَا طَلَبُوا مِنْ هَذَا الدَّمِ، إِنْ كَانُوا أَرَادُوا اللَّهَ فِي ذَلِكَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَهَلْ لَكَ مِنْ حُجَّةٍ فِي تَأْخِيرِكَ ذَلِكَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَمَا حَالُنَا وَحَالُهُمْ إِنِ ابْتُلِينَا غَدًا؟ قَالَ: إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ لَا يُقْتَلَ مِنَّا وَمِنْهُمْ أَحَدٌ نَقَّى قَلْبَهُ لِلَّهِ إِلَّا أَدْخَلَهُ اللَّهُ الْجَنَّةَ. وَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: أَيُّهَا النَّاسُ أَمْسِكُوا عَنْ هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ أَيْدِيَكُمْ وَأَلْسِنَتَكُمْ، وَإِيَّاكُمْ أَنْ تَسْبِقُونَا فَإِنَّ الْمَخْصُومَ غَدًا مَنْ خُصِمَ الْيَوْمَ. وَجَاءَ فِي غُبُونِ ذَلِكَ الْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ فِي جَمَاعَةٍ، فَانْضَافَ إِلَى عَلِيٍّ - وَكَانَ قَدْ مَنَعَ حُرْقُوصَ بْنَ زُهَيْرٍ مِنْ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ - وَكَانَ قَدْ بَايَعَ عَلِيًّا بِالْمَدِينَةِ ; وَذَلِكَ أَنَّهُ قَدِمَ الْمَدِينَةَ وَعُثْمَانُ مَحْصُورٌ، فَسَأَلَ عَائِشَةَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৫০
তুমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং তুমি তার প্রতি জুলুমকারী হবে ৷ তখন যুবায়র (রা)
বললেন, হ্যা, হ্যা, আল্লাহর কসম ৷ রাসুলুল্লাহ্ঘ্নে-এর নিকটে শোনার পর হতে এ পর্যন্ত আমি
তা বিস্মৃত হয়েই রয়েছিলাম এবং মাত্র এখনই তা আমার স্মরণ হলো ৷ আল্পাহ্ৰু কসম৷ আমি
তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বল্মব না ৷ তখন যুবাযর (রা) সারি ভেদ করে চলে যেতে লাগলেন ৷
পথিমধ্যে তার ছেলে আবদুল্লাহ ইবনুষ যুবায়র (বা) সামনে এসে বললেন, আপনার কি হলোণ্
যুবায়র (রা) বললেন, আলী (রা) আমাকে একটি হাদীস স্মরণ করিয়ে দিয়েছেযা আমি
রাসুলুল্পাহ্মোঃএর কাছে শুনেছিলাম ৷ প্
আমি তাকে বলতে শুনেছি,’ ৰু,ণ্ ৷,৷ ৷ ৰ , ৷ ,া৷ ,,, , তৃমি অবশ্যই তার ৰিরন্দ্ধ যুদ্ধ
করবে এবং তুমি জুলুমকারী হবে ৷ ছেলে আ ৰ্দুল্লাহ্ বলল, আপনি কি যুদ্ধ করার জন্য
এসেছেন ৷ আপনি তো এসেছেন মানুষদের মধ্যে আপোস-মীমাংসা করিয়ে দেওয়ার জন্য এবং
আপনাকে দিয়ে মহান আল্লাহ এ বিষয়টির সুরাহ৷ করে দিবেন ৷ যুবায়র (রা) বললেন, আমি
তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করার কসম করেছি ৷ আব্দুল্লাহ্ বললেন, (কসম ভঙ্গ করুন এবং ,
কাফ্ফারা স্বরুপ আপনার গোলাম সারজিসকে আযাদ করে দিন এবং মানুষের মধ্যে
আপোস-মীমাৎ সা সকরে দেওয়ার জন্য অবস্থান করুন ৷ তখন তিনি গোলাম অযােদ করে দিলেন
এবং পুনঃ অবস্থানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন ৷ পরে যখন লোকদের মতৰিরােধের নিষ্পত্তি হলো
না তখন তিনি তার ঘোড়া নিয়ে চলে গেলেন ৷
বর্ণনাকারী বলেছেন, যুবায়র (রা) আয়েশ৷ (রা) এর কাছে গিয়ে তীরে অবস্থিত করলেন
যে, তিনি আলী (রা) এর বিপক্ষে যুদ্ধ না করার কসম করেছেন ৷ তখন তার পুত্র আবদুল্লাহ্
(রা) তাকে বললেন, আপনি লোকদের সমবেত করলেন ৷ এখন যে সময়ে তারা পরস্পরের
মুখোমুখি হলো তখন আপনি তাদের মধ্য হতে বেরিয়ে যাচ্ছেন ৷ আপনি আপনার কসমের
কাফ্ফারা দিয়ে দিন এবং উপস্থিত থাকুন ৷ তখন তিনি একটি গোলাম বর্ণনাত্তরে তার
গোলাম সারজিসকে মুক্ত করে দিলেন ৷
কেউ কেউ বলেছেন, তিনি যুদ্ধ হতে ফিরে গিয়েছিলেন আলী (রা) এর সঙ্গে আমার
(বা) ণ্ক দেখার কারণে ৷ কেননা, তিনি রাসুলুল্লাহ্মোঃ কে আমার (বা) কে লক্ষ্য করে বলতে
শুনেছিলেন৮ ধ্ ; ৷ ৷ ৷ ইদ্বুঞা ৷ এ “বিদ্রোহী দলটি তোমাকে হত্যা করবে ৷ এ কারণে যুবায়র
(রা) শংকি ত হয়েছিলেন যে, হয়ত আমার (বা) আজ শহীদ হতে পারে ৷
(গ্রন্থকারের মস্তরাঃ) আমার মতে উল্লিখিত হাদীস প্রামাণ্য হলে তা-ই যুবায়র (রা) কে
ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ৷ আর কসমেরকাফ্ফার৷ দিয়ে পুনরায় আলী (রা)এর বিপক্ষে যুদ্ধের
জন্য উপস্থিতির তথ্য তার মত ব্যক্তিত্ব সষ্পর্কেঅবাস্তর ৷ আল্লহই সম্যক অবহিত ৷
মোটকথা, জামাল যুদ্ধের দিন যুদ্ধক্ষেত্র হতে ফিরে যাওয়ার পর যুবায়র (রা) ওয়াদিসৃ
সিবা (হিংস্র প্রাণীর উপত্যকা) নামক একটি উপত্যকার অবতরণ করেছিলেন ৷১ আয্র ইবন
১ যুবায়র (বা) তওৰা করে তার বাহিনী ত্যাগ করার সময় যে কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন তার সুনােয় আছে
, ৷ এ,; যে সব কাদের পরিণাম
শংকাজনক তা অক্সোহ্র উদ্দেশ্যে বর্জন ৰুৰ্বা নীল ও দৃনিক্সার অতি সুন্দর ৷ পুর্ণ কবিতা রয়েছে ইবনুল
আহামের ষ্কতুহ্, ২৩১ ২; ইবন আসাকিরের তাহযীৰ ৫৩৬৫ আবু নুআরমের হিলরাতুল আওলিরা,
১৯১ এবং মুরুজুব যাহাৰ, ২৪০ ১-মােট তিন পংতি ৷
وَطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرَ: إِنْ قُتِلَ عُثْمَانُ مَنْ أُبَايِعُ؟ فَقَالُوا: بَايِعْ عَلِيًّا. فَلَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ بَايَعَ عَلِيًّا، قَالَ: ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى قَوْمِي، فَجَاءَنِي بَعْدَ ذَلِكَ مَا هُوَ أَفْظَعُ، حَتَّى قَالَ النَّاسُ: هَذِهِ عَائِشَةُ جَاءَتْ لِتَأْخُذَ بِدَمِ عُثْمَانَ. فَحِرْتُ فِي أَمْرِي لِمَنْ أَتَّبِعْ، فَنَفَعَنِي اللَّهُ بِحَدِيثٍ سَمِعْتُهُ مِنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ بَلَغَهُ أَنَّ الْفُرْسَ قَدْ مَلَّكُوا عَلَيْهِمُ ابْنَةَ كِسْرَى فَقَالَ: «لَنْ يُفْلِحَ قَوْمٌ وَلَّوْا أَمْرَهُمُ امْرَأَةً» وَأَصْلُ هَذَا الْحَدِيثِ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ ".
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْأَحْنَفَ لَمَّا انْحَازَ إِلَى عَلِيٍّ وَمَعَهُ سِتَّةُ آلَافٍ فَقَالَ لِعَلِيٍّ: إِنْ شِئْتَ قَاتَلْتُ مَعَكَ، وَإِنْ شِئْتَ كَفَفْتُ عَنْكَ عَشَرَةَ آلَافِ سَيْفٍ. فَقَالَ: اكْفُفْ عَنَّا عَشَرَةَ آلَافِ سَيْفٍ. ثُمَّ بَعَثَ عَلِيٌّ إِلَى طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ يَقُولُ: إِنْ كُنْتُمْ عَلَى مَا فَارَقْتُمْ عَلَيْهِ الْقَعْقَاعَ بْنَ عَمْرٍو فَكُفُّوا حَتَّى نَنْزِلَ فَنَنْظُرَ فِي هَذَا الْأَمْرِ. فَأَرْسَلَا إِلَيْهِ فِي جَوَابِ رِسَالَتِهِ: إِنَّا عَلَى مَا فَارَقْنَا عَلَيْهِ الْقَعْقَاعَ بْنَ عَمْرٍو مِنَ الصُّلْحِ بَيْنَ النَّاسِ. فَاطْمَأَنَّتِ النُّفُوسُ وَسَكَنَتْ، وَاجْتَمَعَ كُلُّ فَرِيقٍ بِأَصْحَابِهِ مِنَ الْجَيْشَيْنِ، فَلَمَّا أَمْسَوْا بَعَثَ عَلِيٌّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ إِلَيْهِمْ، وَبَعَثُوا إِلَيْهِ مُحَمَّدَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৫১
بْنَ طَلْحَةَ السَّجَّادَ، وَبَاتَ النَّاسُ بِخَيْرِ لَيْلَةٍ، وَبَاتَ قَتَلَةُ عُثْمَانَ بِشَرِّ لَيْلَةٍ، وَبَاتُوا يَتَشَاوَرُونَ وَأَجْمَعُوا عَلَى أَنْ يُثِيرُوا الْحَرْبَ مِنَ الْغَلَسِ، فَنَهَضُوا مِنْ قَبْلِ طُلُوعِ الْفَجْرِ، وَهُمْ قَرِيبٌ مَنْ أَلْفَيْ رَجُلٍ فَانْصَرَفَ كُلُّ فَرِيقٍ إِلَى قَرَابَاتِهِمْ، فَهَجَمُوا عَلَيْهِمْ بِالسُّيُوفِ، فَثَارَ كُلُّ طَائِفَةٍ إِلَى قَوْمِهِمْ لِيَمْنَعُوهُمْ، وَقَامَ النَّاسُ مِنْ مَنَامِهِمْ إِلَى السِّلَاحِ، فَقَالُوا: مَا هَذَا؟ قَالُوا: طَرَقَنَا أَهْلُ الْكُوفَةِ لَيْلًا، وَبَيَّتُونَا وَغَدَرُوا بِنَا. وَظَنُّوا أَنَّ هَذَا عَنْ مَلَأٍ مِنْ أَصْحَابِ عَلِيٍّ، فَبَلَغَ الْأَمْرُ عَلِيًّا فَقَالَ: مَا لِلنَّاسِ؟ فَقَالُوا بَيَّتَنَا أَهْلُ الْبَصْرَةِ. فَثَارَ كُلُّ فَرِيقٍ إِلَى سِلَاحِهِمْ، وَلَبِسُوا اللَّأْمَةَ، وَرَكِبُوا الْخُيُولَ، وَلَا يَشْعُرُ أَحَدٌ مِنْهُمْ بِمَا وَقَعَ الْأَمْرُ عَلَيْهِ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ. وَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ قَدَرًا مَقْدُورًا. فَنَشِبَتِ الْحَرْبُ وَتَوَاقَفَ الْفَرِيقَانِ، وَقَدِ اجْتَمَعَ مَعَ عَلِيٍّ عِشْرُونَ أَلْفًا، وَالْتَفَّ عَلَى عَائِشَةَ وَمَنْ مَعَهَا نَحْوٌ مَنْ ثَلَاثِينَ أَلْفًا، وَقَامَتِ الْحَرْبُ عَلَى سَاقٍ، وَتَبَارَزَ الْفُرْسَانُ، وَجَالَتِ الشُّجْعَانُ، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. وَالسَّبَئِيَّةُ أَصْحَابُ ابْنُ السَّوْدَاءِ، قَبَّحَهُ اللَّهُ لَا يَفْتَرُونَ عَنِ الْقَتْلِ، وَمُنَادِي عَلِيٍّ يُنَادِي: أَلَا كُفُّوا! أَلَا كُفُّوا! فَلَا يَسْمَعُ أَحَدٌ، وَجَاءَ كَعْبُ بْنُ سُورٍ قَاضِي الْبَصْرَةِ، فَقَالَ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَدْرِكِي النَّاسَ، لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِكِ بَيْنَ النَّاسِ. فَجَلَسَتْ فِي هَوْدَجِهَا فَوْقَ بَعِيرِهَا، وَسَتَرُوا الْهَوْدَجَ بِالدُّرُوعِ، وَجَاءَتْ فَوَقَفَتْ بِحَيْثُ تَنْظُرُ إِلَى النَّاسِ فِي مَعْرَكَتِهِمْ، فَتَصَاوَلُوا وَتَجَاوَلُوا، وَكَانَ فِي جُمْلَةِ مَنْ تَبَارَزَ الزُّبَيْرُ
পৃষ্ঠা - ৫৯৫২
জুরমুয নামক এক ব্যক্তি তার অনুপমন করে এবং তার ঘুমস্ত অবস্থায় তাকে অতর্কিতে হত্যা
করে ৷ (পরবর্তী তফসীলী বিবরণ দ্রষ্টব্য ৷)
আর তালহা (রা) এর অবস্থা সম্পর্কে তথ্য এই যে, যুদ্ধ ক্ষেত্রেই একটি অজ্ঞাত তীর তাকে
আঘাত করল কথিত মতে মারওয়ান ইৰুনুলহাকাম সেটি মোরছিল ৷ মহান আল্লাহ সমধিক
অবহিত ৷ তীরের আঘাতে তার পা তার ঘোড়ার দেহের সঙ্গে ৰিধে গেলে ণ্ঘৃাড়াটি তাকে নিয়ে
ছুটতে লাগল ৷ তিনি চিৎকার করে বলতে লাপলেন, আল্লাহ্ র বড়ান্দারা আমার কাছে এসো,
আল্লাহর বান্দার৷ আমার কাছে এসো ৷ তখন তার এক গোলাম দৌড়ে এসে ঘোড়াটি থামিয়ে
দিল ৷ তিনি গোলামকে বললেন, আহাষ্মক ৷ আমাকে বাড়িঘরে নিয়ে চল ৷ তার (মাজা রক্তে ভরে
গেলে তিনি গোলামকে বললেন, আমাকে তোমার সঙ্গে ভুলে নাও ৷ কেননা, প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে
তিনি দুর্বল হয়ে গিয়েছিলেন ৷ তিনি পােলামের বাহকৃন তার পেছনে আরোহণ করলেন, গোলাম
তাকে বসরার একটি বাড়িতে পৌছে দিন এবং সেখানে তিনি শাহাদত বরণ করলেন-
(রাযিয়াল্পাহু আনহু) ৷
আয়েশা (বা) তার হাওদায় বলে এগি য়ে চললেন এবং বাবা কাষী কা ব ইবন সিওয়া৷রর
হাতে একখানি কুরআন শরীফ তুলে তাকে বললেন, লোকদের এর দিকে আহ্বান কর ৷ এটি
ছিল যে সময় যখন যুবায়র (রা) ফিরে গেলেন এবং তালহ৷ (রা) শহীদ হলেন এবং যুদ্ধের
ন্ডীব্রেতা প্রচণ্ড রুপ ধারণ করল ৷ কাব ইবন সিওয়ার (রা) কুরআন শরীফ নিয়ে এগিয়ে গিয়ে
তার দিকে আহ্বান করতে শুরু করলেকুফ৷ থেকে আগত বাহিনীর অগ্নবর্তী দলটি তার দিকে
ছুটে এলো ৷ আবদুল্লাহ ইবন সাবা ইবনুস সাওদা তার অনুসারীরা ছিল বাহিনীর অ্যাভাচগ ৷
বসরাবাসীদের যাকেই তারা আয়ত্তে পাচ্ছিল তাকেই হত্যা করে চলহ্নিা, কারো ব্যাপারে
দ্বিধাগ্রস্ত হচ্ছিল না ৷ তারা কাষী কা ব ইবন সিওরারকে কুরআন শরীফ উত্তোলিত করে রাখা
অবস্থায় দেখতে পেয়ে সকলে একযোগে তীর ছুড়ে তাকে ছিদ্র করে দিল এবং হত্যা করে
কেবল ৷
তীরবৃষ্টি উন্মুল মুমিনীন আ রেশা (রা)এর হাওদায়ও আঘাত হানছিল ৷ তখন তিনি বলে
উঠলেন, আল্লাহ আল্লাহ (আল্লাহ্কে ভয় কর আল্লাহ্কে ভয় কর ৷) হে বৎসগণ ৷ হিসাবের
দিনের কথা স্মরণ কর ৷ তখন তিনি হাত তুলে উসমান হস্তা দলটির বিরুদ্ধে বদদুআ করলে
জনতা তার সঙ্গে চিৎকার করে দু’আ করল ৷ এ চিৎকারের আওয়ায অিালী (না)-এর কাছে
পৌছালে৷ তিনি বললেন, এটি কিসের আওয়ায়ঃ সোৰেদুর৷ বলল, উশুল মুমিনীন (বা) উসমান
হত্যাকারীণ্ ও তাদের পক্ষাবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে বদ দুআ করছেন ৷ তখন আলী (রা)
বললেন, হে আল্লাহ্ ৷ উসমানের হত্যাকারীদের অভিশপ্ত কৰুন৷ অগ্রগামী দলটি আয়েশা
(রা)-এর হাওদ৷ লক্ষ্য করে তীর ব্লর্ষগে কোন প্রকার বিরতি দিচ্ছিল না ৷ এমনকি হাওদাটি (তার
গায়ে লেগে থাকা অসংখ্য তীরের কারণে) দেখতে কুনফুর্ষ (সজারু)-এর ন্যায় (অথবা
বালিয়াত্যি ন্যায়) হয়ে গেল ৷ আয়েশ৷ (বা) তার প্রতিপক্ষকে প্ৰতিঃরাধ করার নো উদ্বুদ্ধ করে
চলছিরেন ৷ তখন তার রক্ষীদল প্রতিপল্লে উপর এমন আঘাত হানল যে, তাদের তাড়িযে যে
স্থানে পৌছে দিল যেখানে আলী (বা) অবস্থান করছিলেন ৷ তিনি পুত্র মুহাশ্বাদ ইবনুল
হানাফিয়াকে বললেন, হ তভাপা৷ ঝাগু৷ নিম্নে এগিয়ে চল ৷ মুহপােদ তাতে সমর্থ না হলে আলী
১ ইৰ্নুল অছোমের ঙ্কুতুহের বর্ণনা আশতার তাকে হত্যা বল্মর্হিস্ ৷ ,
وَعَمَّارٌ، فَجَعَلَ عَمَّارٌ يَحُوزُهُ بِالرُّمْحِ، وَالزُّبَيْرُ كَافٌ عَنْهُ، وَيَقُولُ لَهُ: أَتَقْتُلُنِي يَا أَبَا الْيَقْظَانِ؟ فَيَقُولُ: لَا يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ. وَإِنَّمَا تَرَكَهُ الزُّبَيْرُ لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» وَإِلَّا فَالزُّبَيْرُ أَقْدَرُ عَلَيْهِ مِنْهُ عَلَيْهِ، فَلِهَذَا كَفَّ عَنْهُ، وَقَدْ كَانَ مِنْ سُنَّتِهِمْ فِي هَذَا الْيَوْمِ أَنَّهُ لَا يُذَفَّفُ عَلَى جَرِيحٍ، وَلَا يُتْبَعُ مُدْبِرٌ، وَقَدْ قُتِلَ مَعَ هَذَا بَشَرٌ كَثِيرٌ جِدًّا، حَتَّى جَعَلَ عَلِيٌّ يَقُولُ لِابْنِهِ الْحَسَنِ: يَا بُنَيَّ لَيْتَ أَبَاكَ مَاتَ قَبْلَ هَذَا الْيَوْمِ بِعِشْرِينَ سَنَةً. فَقَالَ لَهُ: يَا أَبَهْ قَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ هَذَا.
قَالَ سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ يَوْمَ الْجَمَلِ: يَا حَسَنُ، يَا حَسَنُ، لَيْتَ أَبَاكَ مَاتَ مُنْذُ عِشْرِينَ سَنَةً. فَقَالَ لَهُ: يَا أَبَهْ قَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ هَذَا. قَالَ: يَا بُنَيَّ إِنِّي لَمْ أَرَ أَنَّ الْأَمْرَ يَبْلُغُ هَذَا. وَقَالَ مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ: لَمَّا اشْتَدَّ الْقِتَالُ يَوْمَ الْجَمَلِ، وَرَأَى عَلِيٌّ الرُّءُوسَ تَنْدُرُ، أَخَذَ عَلِيٌّ ابْنَهُ الْحَسَنَ، فَضَمَّهُ إِلَى صَدْرِهِ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّا لِلَّهِ يَا حَسَنُ! أَيُّ خَيْرٍ يُرْجَى بَعْدَ هَذَا!
পৃষ্ঠা - ৫৯৫৩
(রা) ঝাণ্ডাটি তার নিকট হতে নিয়ে নিলেন এবং নিজেই ঝাণ্ডা তুলে এগিয়ে চললেন ৷ যুদ্ধ তখন
পাল্টাপান্টি যাচ্ছিল এবং কখনও বসরাবাসীদের অনুকুলে আর কখনও কুফাবাসীদের অনুকুলে
গড়াচ্ছিল ৷ অগণিত আদম সন্তান ও বিশাল দল নিহত হলো ৷ কোন যুদ্ধে এ যুদ্ধের ন্যায় হাত ও
পা কজ্যি হওয়ার ঘটনা দেখা যায়নি ৷ আয়েশা (রা) উসমান হত্যাকার্বী দলটির বিরুদ্ধে
লোকদের উত্তেজিত করে চলছিলেন ৷ তিনি তার ডান দিকে দৃষ্টি দিয়ে বললেন, এরা কারাঃ
তারা বলল, আমরা বকর ইবন ওয়াইল গোত্রের লোক ৷ আয়েশা (রা) বললেন, তোমাদের
সম্বন্ধে করি বলেছেন-
াট্রুট্রুৰুট্রু
তারা আমার কাছে এসে অস্ত্রসজ্জিত হয়ে, অনমনীয় সমুজ্জ্বলতায় (অপরাজেয় মর্যাদ্যা:বাধে)
তারা যেন বকর ইবন ওয়াইল গোত্র এরপরে ক্রমান্বয়ে বনু নাজিয়াত বনু যাব্বা তার পাশে
সমবেত হলো এবং তাদের অসংখ্য লোক হওেদার কাছে, নিহত হলো ৷ কথিত মতে, আয়েশা
(রা)এর উটের লাগাম ধরে থাকা সত্তর জন লোকের হাত পরপর কর্তিত হলো ৷ রক্তপাতে
এরা কাবু হয়ে গেলে বনু আদী ইবন আব্দ মানাফ এগিয়ে এসে প্রচণ্ড লাড়াই করল ৷ তারা
উটের মাথাটি উচু করে ধরে রাখছিল এবং প্রতিপক্ষও উটকেই তাদের আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু
করে নিয়েছিল ৷ তারা বলজ্জি, এ উটটি যতক্ষণ দাড়িয়ে থাকবে যুদ্ধও চলতে থাকবে ৷ উটের
মাথাটি ধরে রেখেছিল আমরা ইবন ইয়াছরিবী অথবা (মতাতরে)তার ভাই আমরইবন ইয়াছরিবী ৷
আলবা ইবনুল জায়হাম আযরকে আঘাত হানল ৷ তিনি ছিলেন বিখ্যাত ৰীরদের অন্যতম ৷
(পাল্টা আঘাতে আলবা নিহত হলো ৷) তখন হিন্দ ইবন আম্র আল জামালী এগিয়ে গেলে ইবন
ইয়াছরিবী তাকেও হত্যা করল ৷ এরপরে যায়দ ইবন সুহানকেও হত্যা করল এবং সাসাআ
ইবন সুহানকে ঘুমুর্ষ অবস্থায় তুলে নেওয়া হলো ৷ তখন আমার (বা) আসর ইবন ইয়াছরিবীকে
দ্বন্দুযুদ্ধের চ্যালেঞ্জ করলে সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এগিয়ে এল ৷ দুই যোদ্ধা উভয় পক্ষের সারির
মধ্যবর্তী স্থানে চক্কর দিতে লাগল ৷ আম্মার (রা) তখন নব্বই বছরের বৃদ্ধ ৷ তার গায়ে ছিল
একটি পশমী কম্বল যার মাঝখান তিনি খেজুর পল্লবের তৈরি রশি দিয়ে বেধে রেখেছিলেন ৷
লোকেরা বলতে লাগল, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ৷ আমার (বা) এখনই
তার সংপীদের সাথে মিলিত হবেন ৷ ইবন ইয়াছরিবী তার উপর তরবাব্লির আঘাত হানলে
আমার (রা) তার চর্ম ঢাল দিয়ে তা প্রতিহত করলেন ৷ তরবারি ঢাল কেটে দিয়ে তাতে আটকে
পড়ল ৷ আমার (বা) পাল্টা আঘাতে ইবন ইয়াছরিবীর দু’পা কেটে ফেলেন এবং তাকে বন্দী
করে আলী (রা)-এর সামনে উপস্থিত করলেন ৷ সে বলল, হে আমীরুল মুমিনীন! আমাকে
ৰ্বাচিয়ে রাখুন (আমার জীবন তিক্ষা দিন) ! আলী (রা) বললেন, তিনজনকে হত্যা করার পরেও ষ্১
তখন তার ব্যাপারে আদেশ দেওয়া হলে তাকে হত্যা করা হলো ৷
আমৃর-এর পরে উটের লাগাম ছিল বনু আদী-র এক ব্যক্তির হাতে ৷ যাকে আমর তার
স্থলাভিষিক্ত করেছিল ৷ রাবীআ তাকে দ্বন্দুযুদ্ধের আহ্বান জানালে সে বেরিয়ে এল এবং দুইজন
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করে একে অপরকে হত্যা করল ৷ এরপর লাগাম তুলে নিল হারিছ
আয্যাববী ৷ সে ছিল অত্যন্ত দৃর্দান্ত, সে বলতে লাগল
১ আমর ইবন ইয়াছরিবী আলী (রা)-এর পক্ষের তিনজনকে হত্যা করেজ্জি — (১) অলেবা ইব্ৰুল জায়ছাম্
(২) হিন্দ ইবন আয্র আল-জামালী এবং (৩) যায়দ ইবন সুহান ৷ (তাবায়ী, ৫খ ২১০ পৃ)
فَلَمَّا رَكِبَ الْجَيْشَانِ، وَتَرَاءَى الْجَمْعَانِ، طَلَبَ عَلِيٌّ الزُّبَيْرَ، وَطَلْحَةَ، لِيُكَلِّمَهُمَا، فَاجْتَمَعُوا حَتَّى الْتَفَّتْ أَعْنَاقُ خُيُولِهِمْ، فَيُقَالُ: إِنَّهُ قَالَ لَهُمَا: إِنِّي أَرَاكُمَا قَدْ جَمَعْتُمَا خَيْلًا وَرِجَالًا وَعَدَدًا، فَهَلْ أَعْدَدْتُمَا عُذْرًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَذَلِكَ؟ فَاتَّقِيَا اللَّهَ، وَلَا تَكُونَا كَالَّتِي نَقَضَتْ غَزْلَهَا مِنْ بَعْدِ قُوَّةٍ أَنْكَاثًا، أَلَمْ أَكُنْ أَخَاكُمَا فِي دِينِكُمَا، تُحَرِّمَانِ دَمِي وَأُحَرِّمُ دَمَكُمَا، فَهَلْ مِنْ حَدَثٍ أَحَلَّ لَكُمَا دَمِي؟ فَقَالَ طَلْحَةُ: أَلَّبْتَ عَلَىَّ عُثْمَانَ. فَقَالَ عَلِيٌّ: {يَوْمَئِذٍ يُوَفِّيهِمُ اللَّهُ دِينَهُمُ الْحَقَّ} [النور: 25] ثُمَّ قَالَ: لَعَنَ اللَّهُ قَتَلَةَ عُثْمَانَ. ثُمَّ قَالَ: يَا طَلْحَةُ، أَجِئْتَ بِعِرْسِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، تَقَاتِلُ بِهَا، وَخَبَّأْتَ عِرْسَكَ فِي الْبَيْتِ! أَمَا بَايَعْتَنِي؟ قَالَ: بَايَعْتُكَ وَالسَّيْفُ عَلَى عُنُقِي. وَقَالَ لِلزُّبَيْرِ: مَا أَخْرَجَكَ؟ قَالَ: أَنْتَ، وَلَا أَرَاكَ بِهَذَا الْأَمْرِ أَوْلَى بِهِ مِنِّي. فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: أَتَذْكُرُ يَوْمَ «مَرَرْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي بَنِي غَنْمٍ فَنَظَرَ إِلَيَّ وَضَحِكَ وَضَحِكْتُ إِلَيْهِ، فَقُلْتَ: لَا يَدَعُ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ زَهْوَهُ. فَقَالَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّهُ لَيْسَ بِمَزْهُوٍّ لَتُقَاتِلَنَّهُ، وَأَنْتَ ظَالِمٌ لَهُ» " فَقَالَ الزُّبَيْرُ: اللَّهُمَّ نَعَمْ، وَلَوْ ذَكَرْتُ مَا سِرْتُ مَسِيرِي هَذَا،
পৃষ্ঠা - ৫৯৫৪
وَوَاللَّهِ لَا أُقَاتِلُكَ.
وَفِي هَذَا السِّيَاقِ كُلِّهِ نَظَرٌ، وَالْمَحْفُوظُ مِنْهُ الْحَدِيثُ، كَمَا رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو يُوسُفَ يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مُسْلِمٍ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ أَبِي جَرْوٍ الْمَازِنِيِّ قَالَ: «شَهِدْتُ عَلِيًّا وَالزُّبَيْرَ حِينَ تَوَاقَفَا - يَعْنِي يَوْمَ الْجَمَلِ - فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: يَا زُبَيْرُ، أَنْشُدُكَ اللَّهَ، أَسَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: إِنَّكَ تُقَاتِلُنِي وَأَنْتَ لِي ظَالِمٌ؟ " قَالَ: نَعَمْ، وَلَمْ أَذْكُرْهُ إِلَّا فِي مَوْقِفِي هَذَا. ثُمَّ انْصَرَفَ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ الْفَقِيهِ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ قَطَنِ بْنِ نُسَيْرٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مُسْلِمٍ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي جَرْوٍ
পৃষ্ঠা - ৫৯৫৫
এক্ট্র১
াট্রুাটু
আমরা ধাব্বা গোত্রের লোক, উটের নাড়ি নক্ষত্র জানি, সমপাল্লার যোদ্ধা নেমে এসে আমরা
তার সঙ্গে মল্লযুদ্ধ লড়ি ৷
আমরা (উসমান) ইবন আফ্ফানের শোক সংবাদ ঘোষণা করছি বল্লমের ফলা দিয়ে ৷ মৃত্যু
আমাদের কাছে মধু হতে অধিক মধুর ৷
আমাদের মুরববীকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দাও ৷ ১
কেউ কেউ বলেছেন, পংক্তিগুলো ওয়াসীম ইবন আম্র আয্যাববীর ৷ মােটকথা লাপড়াম
ধারণকারী একজন শহীদ হলে অন্য একজন তার স্থলবর্তী হতো ৷ এভাবে চল্লিশজন শহীদ-
হলো ৷ আয়েশা (রা) বলেছেন, আমার উট স্থির অবস্থায় ছিল ৷ এক সময় আমি বনু যাব্বার
লোকদের আওয়াজ শুনতে পেলাম না ৷ এরপর কুরায়শের সত্তর জন লোক লাপাম হাতে নিল
এবং একের পর এক শহীদ হলো ৷ তাদের অন্যতম ছিলেন মুহাম্মদ ইবন৩ ৷তলহা, যিনি সাজ্জাদ
নামে সুপরিচিত ছিলেন ৷ (সাজ্জাদ অর্থ অধিক সিজদাকারী-আবিদ) তিনি আয়েশা (রা)-কে
বললেন, আম্মড়াজান৷ আমাকে আপনার হুকুম দান করুন ৷ আয়েশা (রা) বললেন, আমি
তোমাকে আদম (আ)-এর দুই সন্তানের মধ্যে শ্রেষ্ঠজ্যা (হাবীল)-এর ন্যায় হওয়ার হুকুম করছি ৷
কাজেই তিনি নিজ অবস্থানে স্থির অবিচল রইলেন এবং ;,’,,;;;: : ণ্ (দৃআ) পড়তে
থাকলেন ৷ তখন একটি ছোট দল এগিয়ে এসে তার উপর হামলা চালাল এবং তাকে শহীদ করে
ফেলল ৷ পরে দলের প্রত্যেক ব্যক্তি তাকে শহীদ করার কৃর্তিৎ দাবি করতে লাগল ৷ কেউ বর্শা
দিয়ে তাকে আঘাত করে এফৌড় ওফৌড় করে দিল এবং সে বলতে লাগল :
ণ্
ব্লু;ব্লুৰু৷ ৷
ষ্া’ণ্
“ ধুলি-মলিন তার পালনকর্তার আয়াত তিলাওয়াতে দণ্ডায়মান, নিরীহ মুসলমান-চোখের
বাহ্য দর্শনে ৷ বল্লমের আঘাতে তার আমার উন্মুক্ত অংশ (প্লেট) কুড়ে দিয়েছি, ফলে সে
অধপ্লমুখে আছডে পড়েছে ৷ সে আমাকে হা-মীম এর দােহাই দিচ্ছিল আর (আমার) বল্লম ছিল
উন্মুক্তউত্তোলিত ৷ যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হওয়ার আগে কেন সে হা-মীম তিলাওয়াত করল না ৷-
১ শেষ শব্দটির মর্ম উদ্ধার করা গেল না ৷ উদ্ধৃত গ্রন্থে সমাধান , পাওয়া যেতে পারে ৷ দ্ৰ৪ তাবারী ৫২০৯,
২১০,২১ ৭; ফুতুহ-ইবনুল আছাম, ২৩১৯-৩২০ ; ইবনুল আহীর কামিল, ৩২৪ ৯; মুরুজুবৃ ষাহাব, ২৪ :৫
তাৰারীর বর্ণনা (৫খ ২১৮ পৃ) উটকে আহত করেছিল বনু যাব্বার ইবন দুলুজাআমর বা বুজায়র নামের
, এক ব্যক্তি ৷ এ প্রসঙ্গে আয়েশা (রা)-এৱ অনুসারী হারিছ ইৰুন কায়সন্এৱ কবিতায় আছে
الْمَازِنِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ وَالزُّبَيْرِ بِهِ.
وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: لَمَّا وَلَّى الزُّبَيْرُ يَوْمَ الْجَمَلِ بَلَغَ عَلِيًّا فَقَالَ: لَوْ كَانَ ابْنُ صَفِيَّةَ يَعْلَمُ أَنَّهُ عَلَى حَقٍّ مَا وَلَّى. وَذَلِكَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَقِيَهُمَا فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ فَقَالَ: " أَتَحُبُّهُ يَا زُبَيْرُ؟ ". فَقَالَ: وَمَا يَمْنَعُنِي؟ قَالَ: " فَكَيْفَ بِكَ إِذَا قَاتَلْتَهُ وَأَنْتَ ظَالِمٌ لَهُ؟» ". قَالَ: فَيَرَوْنَ أَنَّهُ إِنَّمَا وَلَّى لِذَلِكَ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذَا مُرْسَلٌ، وَقَدْ رُوِيَ مَوْصُولًا مِنْ وَجْهٍ آخَرَ: أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ الْقَاضِي، أَنَا أَبُو عَمْرِو بْنُ مَطَرٍ، أَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَوَّارٍ الْهَاشِمِيُّ الْكُوفِيُّ، أَنَا مِنْجَابُ بْنُ الْحَارِثِ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْأَجْلَحِ، ثَنَا أَبِي، عَنْ يَزِيدَ الْفَقِيرِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: وَسَمِعْتُ فَضْلَ بْنَ فَضَالَةَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي، عَنْ أَبِي حَرْبِ بْنِ أَبِي الْأَسْوَدِ الدُّؤَلِيِّ، عَنْ أَبِيهِ - دَخَلَ حَدِيثُ أَحَدِهِمَا فِي حَدِيثِ صَاحِبِهِ - قَالَ: لَمَّا دَنَا عَلِيٌّ وَأَصْحَابُهُ مِنْ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ، وَدَنَتِ الصُّفُوفُ بَعْضُهَا مِنْ بَعْضٍ، خَرَجَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৫৬
অন্য কিছুর ব্যাপারাে তবে কিনা সে আলী (রা) এর অনুগামী ছিল না ৷ আর যে সত্যের
অনুসারী হয় না তাকে অনুতপ্ত হতেই হয় ৷” ৭
এরপর লাগাম তুলে নিল আমর ইবনুল আশরাফ ৷ যে ছিল দৃর্ধর্ষ এবং যে কেউ তার দিকে
এগিয়ে আসজ্জি যে তাকে তরবারি দিয়ে সাবাড় করে দিচ্ছিল ৷ তখন হারিছ ইবন যুহায়র
আযদী নিম্নের পত্তি আবৃত্তি করতে করতে তার দিকে এগিয়ে গেল-
’
হে আমাদের যা! আমাদের জানামতে হে শ্রেষ্ঠ মাতা ৷ আপনি কি দেখছেন না ৷ কত
বাহাদুর ক্ষতবিক্ষত হলো, তার খুলি ও বাহু উপড়ে ফেলা হলো !
এরা দৃজনও আঘাত পাল্টা আঘাতে একে অপরকে শহীদ করল ৷ এ সময় নির্তীক ও
অভিজাত বাহাদুব্পণ আয়েশা (রা) কে বেষ্টন করে রাখল এবং কোন না কোন বাহাদুর ঝাণ্ডা ও
উটের লাগাম তুলে ধরছিল এবং কেউ তার দিকে এগিয়ে এলে তাকে হত্যা করছিল ৷ তারপর
নিজেও শহীদ হচ্ছিল ৷ এই দিনই কেউ আদী ইবন হাতিম (রা) এর চোখ কুড়ে দিয়েছিল ৷
অবশেষে আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র (রা) এগিয়ে এসে উটের লাগাম ধরলেন ৷ তিনি কোন কথা
বলছিলেন না ৷ তখন আয়েশা (রা)-কে বলা হলো, সে তো আপনার পুত্র আপনার কোন
(আসমা)-এর পুত্র ৷ আয়েশা (রা) বললেন, “হার আসমার পুত্র হারানোর শোক! এ সময়
মালিক ইবনুল হারিছ আশতার নাখঈ এগিয়ে এল এবং পরস্পৱকে আঘাত করতে লাগল ৷
আশতার অড়াবদুল্লাহ্ (রা)-এর মাথায় আঘাত করে তাকে মারাত্মক রুপে আহত করল এবং
আবদুল্লাহ্ আশতারকে হালকা আঘাত করলেন এবং পরে দুইজন গলা জড়িয়ে ধরে মাটিতে
পড়ে ধস্তাধস্তি করতে লাগলেন ৷ এ সময় আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র (বা) বলতে লাগলেন ৷
তোমরা আমাকে ও মালিককে হত্যা করে ফেল ৷ মালিককে আমার সঙ্গে হত্যা কর ৷ কিংব্র
লোকেরা মালিককে চিনতে পারছিল না ৷ কেননা যে“ আশতার নামেই পরিচিত ছিল ৷ এসময়
আলী ও আয়েশা (রা)সহ যােদ্ধারা আক্রমণ করে দৃইজনকে ছাড়িয়ে নিল ৷ জামাল যুদ্ধের দিন
এ আঘাতসহ আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র (রা)-এর আঘাতের সংখ্যা ছিল র্সইিত্রিশটি ৷ মারওয়ান
ইবনুল হাকামও আহত হয়েছিল ৷ এ সময় এক ব্যক্তি এসে উটের উপর আঘাত করে তার
পাগুলো কেটে ফেললে উটটি মাটিতে পড়ে গেল এবং এমন চিৎকার করল যে, তেমন ভয়ংকর
ও হৃদয়বিদারক চিৎকার কখনও শোনা যায়নি ৷১ সর্বশেষ লাগাম ধারণকারী ছিল কুফার ইবনুল
হারিছ ৷ লাগাম তার হাতে থাকা অবস্থায়ই উটের পা কেটে ফেলা হয়েছিল ৷ কেউ কেউ
বলেছেন সে ও বুজায়র ইবন দৃলমা উটকে আহত করার ব্যাপারে একমত হয়েছিল ৷ কেউ কেউ
বলেছেন, আলী (রা)-ই উটকে আহত করার ইংগিত দিয়েছিলেন ৷
ষ্ , ; ষ্ ষ্ ষ্ষ্ , ষ্ ষ্ ষ্ ষ্
১ তাৰারীর বর্ণনা (৫খ ২১৮পৃ) উটকে আহত করেছিল বনু যাব্বার ইবন দুলুজা আমৃর বা বুজায়র নামের
এক ব্যক্তি ৷ এ প্রসঙ্গে আয়েশা (রা)এর অনুসারী হারিছ ইবন কায়স-এর কবিতায় আছে ৷
عَلِيٌّ وَهُوَ عَلَى بَغْلَةِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنَادَى: ادْعُوَا لِيَ الزُّبَيْرَ بْنَ الْعَوَّامِ فَإِنِّي عَلِيٌّ. فَدُعِيَ لَهُ الزُّبَيْرُ، فَأَقْبَلَ حَتَّى اخْتَلَفَتْ أَعْنَاقُ دَوَابِّهِمَا، فَقَالَ عَلِيٌّ: يَا زُبَيْرُ، نَشَدْتُكَ بِاللَّهِ، أَتَذْكُرُ يَوْمَ مَرَّ بِكَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَنَحْنُ فِي مَكَانِ كَذَا وَكَذَا فَقَالَ: " «يَا زُبَيْرُ تُحِبُّ عَلِيًّا؟ ". فَقُلْتَ: أَلَا أُحِبُّ ابْنَ خَالِي وَابْنَ عَمِّي وَعَلَى دِينِي! فَقَالَ: " يَا زُبَيْرُ، أَمَا وَاللَّهِ لَتُقَاتِلَنَّهُ وَأَنْتَ ظَالِمٌ لَهُ؟» " فَقَالَ الزُّبَيْرُ: بَلَى وَاللَّهِ لَقَدْ نَسِيتُهُ مُنْذُ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ ذَكَرْتُهُ الْآنَ وَاللَّهِ لَا أُقَاتِلُكَ. فَرَجَعَ الزُّبَيْرُ عَلَى دَابَّتِهِ يَشُقُّ الصُّفُوفَ، فَعَرَضَ لَهُ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ فَقَالَ: مَا لَكَ؟ فَقَالَ: ذَكَّرَنِي عَلِيٌّ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، سَمِعْتُهُ يَقُولُ: «لَتُقَاتِلَنَّهُ وَأَنْتَ ظَالِمٌ لَهُ» فَقَالَ: وَلِلْقِتَالِ جِئْتَ؟ إِنَّمَا جِئْتَ لِتُصْلِحَ بَيْنَ النَّاسِ وَيُصْلِحَ اللَّهُ بِكَ هَذَا الْأَمْرَ. قَالَ: قَدْ حَلَفْتُ أَنْ لَا أُقَاتِلَهُ. قَالَ: أَعْتِقْ غُلَامَكَ جِرْجِسَ، وَقِفْ حَتَّى تُصْلِحَ بَيْنَ النَّاسِ. فَأَعْتَقَ غُلَامَهُ، وَوَقَفَ، فَلَمَّا اخْتَلَفَ أَمْرُ النَّاسِ ذَهَبَ عَلَى فَرَسِهِ.
وَرَوَى الْبَزَّارُ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَةَ، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ رِفَاعَةَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৫৭
আমরইি আঘাত করেছি তার পায়ের গোছায় ৷ ফলে সে মাটিতে পড়ে গিয়েছে ৷ আঘাতটি
ছিল হার্টুসব্ধিতে, যা জ্জি কার্যকর ৷ আমরা রাসুলের মর্যাদা ও সঘ্রমের পাত্র না হলে ওরা
আমাদের টুকরো টুকরো করে বন্টন করে ফেলত ৷ এ কাজ আলী (রা) এর অনুসারী ইবন
মাখরাযা-র নামে সম্বন্ধিত হয়েছে, যা যথার্থ নয় ৷
আল আখবারুততিওয়াল (পৃ ১৫১ )-তে আছে, কুফার র্মুরাদ গোত্রের আয়ান ইবন
খুবায়মা (যাবীআ) নামক এক ব্যক্তি উটের গোড়ালির উপরিভাগের রগ কেটে দিয়েছিল ৷
কুতুহু ইবনুল আছাম (২খ, ৩৩৩ পৃ)তে আছে, আবদুর রহমান ইবন সুরাদ তানুযী উটের দৃ’
পায়ের গোড়ালির রগ একসঙ্গে কেটে দিয়েছিল ৷ এতে উটটি কাত হয়ে পড়ে যায় এবং মাথার
সম্মুখভাগ মাটিতে লাগিয়ে দেয় ৷
কারো কারো মতে কাকা ইবন আবৃর (বা) এ ইংগিত দিয়েছিলেন যাতে উম্মুল মুমিনীন
আক্রান্ত না হন ৷ কেননা, এ সময় তিনি তীৱন্দাজদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন ৷ আর
লাপাম ধরার অর্থ তে ৷ কাি সমস্ত বল্লমের একক লক্ষ্যবন্তু হওয়া ৷ উটকে আহত করার অন্যতম
লক্ষ্য ছিল অগণিত মানুষের জীবন নাশেৱ এ স্থানটি সরিয়ে দেওয়া ৷
উট মাটিতে পড়ে গেলে তার আশ-পাংশর লোকেরা বিক্ষিপ্ত হয়ে গেল ৷ আয়েশা (রা)-এর
হাওদাটি তুলে নেওয়া হলো, সারা পায়ে তীর লাগা হাওদা তল্পীন সজারুর মত দেখাচ্ছিল ৷
এ সময় আলী (রা)-এয় যােষক ঘোষণা প্রচার করল কোন পলাতবেৰ পশ্চাদ্ধাবন করা
হবে না ৷ কোন আহতকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়া হবে না, বাড়িঘরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা
যাবে না ৷ আলী (রা) একদল লোককে হাওদাঢি নিহতদের মধ্য হতে সরিয়ে আনার নির্দেশ
দিলেন এবং মুহাম্মাদ ইবন আবু বকর ও আষ্মারকে একটি তাবু লাগিয়ে দেওয়ার আদেশ
দিলেন ৷ ডাই মুহাম্মদ আয়েশা (রা)-এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার কোন আঘাত
লা৷গনি তো ৷ তিনি বললেন, না ৷ আর ,হে খাছআমী নারীর পুত ৷ তাতে তোর কি এসে যায়া
আমার (রা) তাকে সালাম করে বললেন, মা, কেমন আছেন আপনি ৷’ আয়েশা (বা) বললেন,
আমি তোমার মা নই ৷’ আমার (বা) বললেন, অবশ্যই, যদিও আপনার অপছন্দ হয় ৷ এ সময়
, আমীরুল মুমিন্নীষ্ নলী (বা) তার কাছে এলেন এবং সালাম করে বললেন, মা, কেমন অবস্থায়
আছেন ৷ আয়েশ্রা (রা) বললেন, ভাল ৷ আলী (রা) বললেন, আল্লাহ্ আপনাকে ক্ষমা করুনা এ
সময় অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গোত্রপতি-দলানতাপণ এসে উম্মুল মুমিনীন (রা) কে সালাম
করতে লাগলেন ৷
একটি বর্ণনায় আছে, আইয়ান ইবন যাবী আ মুজাগি ঈ হাওদার ভিতর উকি দিলে আয়েশা
(রা) বললেন, মরে যা, আল্লাহ তােকে অডিশপ্ত করুন! যে বলল, আল্লাহর কস্মা আমি তো
হুমায়রান্কই১ দেখছিবাম ৷ আয়েশা (বা) বললেন, আস্লাহ্ তোর পর্দা ছিন্ন করুন, ভোর হাত
কর্তন করুন এবং লজ্জাস্থান অনাবুত করুন! পরে যে বসরায় নিহত হয়, তার হাত কেটে ফেলা
হয় এবং উলঙ্গ অবস্থায় একটি আন্তাকুড়ে ফেলে রাখা হয় ৷
১ হমায়রা অর্থ টুকুটুকে সান, এটি হযরত আয়েশা (রা) এর পারিবারিক আদব্রের ডাক নাম ৷ অভ্যস্ত সুন্দরী
হওয়ায় কারণে তাকে এ নামে ডাকা হয় ৷ উকিদাতা দৃরাচাৰের আত্রেণ ও কণা ছিল উম্মুন মু মিনীনের সংগে
অমাজ্জীয় রেয়াদৰী ৷ অনুবাদক
بْنِ إِيَاسِ بْنِ أَبِي إِيَاسٍ، عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ لِطَلْحَةَ يَوْمَ الْجَمَلِ: أَمَا سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «اللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ، وَعَادِ مَنْ عَادَاهُ "؟» قَالَ: بَلَى. وَانْصَرَفَ. وَقَدِ اسْتَغْرَبَهُ الْبَزَّارُ، وَهُوَ جَدِيرٌ بِذَلِكَ.
فَرَجَعَ الزُّبَيْرُ إِلَى عَائِشَةَ فَذَكَرَ لَهَا أَنَّهُ قَدْ آلَى أَنْ لَا يُقَاتِلَ عَلِيًّا، فَقَالَ لَهُ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ: إِنَّكَ جَمَعْتَ النَّاسَ فَلَمَّا تَرَآى بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ خَرَجَتْ مِنْ بَيْنِهِمْ، كَفِّرْ عَنْ يَمِينِكَ وَاحْضُرْ. فَأَعْتَقَ غُلَامًا لَهُ اسْمُهُ مَكْحُولٌ وَقِيلَ: سَرْجِسُ.
وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ إِنَّمَا رَجَعَ عَنِ الْقِتَالِ لَمَّا رَأَى عَمَّارًا مَعَ عَلِيٍّ، وَقَدْ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ لِعَمَّارٍ: «تَقْتُلُكَ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ» . فَخَشِيَ أَنْ يُقْتَلَ عَمَّارٌ فِي هَذَا الْيَوْمِ. وَعِنْدِي أَنَّ الْحَدِيثَ الَّذِي أَوْرَدْنَاهُ إِنْ كَانَ صَحِيحًا عَنْهُ فَمَا رَجَعَهُ سِوَاهُ، وَيَبْعُدُ أَنْ يُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ ثُمَّ يَحْضُرُ بَعْدَ ذَلِكَ وَيُقَاتِلَ عَلِيًّا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الزُّبَيْرَ لَمَّا رَجَعَ يَوْمَ الْجَمَلِ سَارَ حَتَّى نَزَلَ وَادِيًا يُقَالُ لَهُ:
পৃষ্ঠা - ৫৯৫৮
وَادِي السِّبَاعِ. فَاتَّبَعَهُ عَمْرُو بْنُ جُرْمُوزٍ، فَجَاءَهُ وَهُوَ نَائِمٌ فَقَتَلَهُ غِيلَةً، كَمَا سَنَذْكُرُ تَفْصِيلَهُ. وَأَمَّا طَلْحَةُ فَجَاءَهُ فِي الْمَعْرَكَةِ سَهْمٌ غَرْبٌ، يُقَالُ: رَمَاهُ بِهِ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ فَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَانْتَظَمَ رِجْلَهُ مَعَ فَرَسِهِ فَجَمَحَتْ بِهِ الْفَرَسُ فَجَعَلَ يَقُولُ: إِلَيَّ عِبَادَ اللَّهِ إِلَيَّ عِبَادَ اللَّهِ. فَاتَّبَعَهُ مَوْلًى لَهُ فَأَمْسَكَهَا فَقَالَ لَهُ: وَيْحَكَ اعْدِلْ بِي إِلَى الْبُيُوتِ. وَامْتَلَأَ خُفُّهُ دَمًا فَقَالَ لِغُلَامِهِ: انْزِعْهُ وَارْدُفْنِي. وَذَلِكَ أَنَّهُ نَزَفَهُ الدَّمُ وَضَعُفَ، فَرَكِبَ الْغُلَامُ وَرَاءَهُ، وَجَاءَ بِهِ إِلَى بَيْتٍ فِي الْبَصْرَةِ فَمَاتَ فِيهِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
وَتَقَدَّمَتْ عَائِشَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فِي هَوْدَجِهَا، وَنَاوَلَتْ كَعْبَ بْنَ سُورٍ قَاضِي الْبَصْرَةِ مُصْحَفًا وَقَالَتِ: ادْعُهُمْ إِلَيْهِ. وَذَلِكَ حِينَ اشْتَدَّ الْحَرْبُ وَحَمِيَ الْقِتَالُ، وَرَجَعَ الزُّبَيْرُ وَقُتِلَ طَلْحَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَلَمَّا تَقَدَّمَ كَعْبُ بْنُ سُورٍ بِالْمُصْحَفِ يَدْعُو النَّاسَ إِلَيْهِ، اسْتَقْبَلَهُ مُقَدَّمَةُ جَيْشِ الْكُوفِيِّينَ وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَبَأٍ - ابْنُ السَّوْدَاءِ - وَأَتْبَاعُهُ وَهُمْ بَيْنَ يَدَيِ الْجَيْشِ يَقْتُلُونَ مَنْ قَدَرُوا عَلَيْهِ مَنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ لَا يَتَوَقَّفُونَ فِي أَحَدٍ، فَلَمَّا رَأَوْا كَعْبَ بْنَ سُورٍ رَافِعًا
পৃষ্ঠা - ৫৯৫৯
রাত ঘনিয়ে এলে , উম্মুল মু’মিনীন বসরা শহরে প্রবেশ করলেন ৷ তখন তার সঙ্গে ছিল
মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (রা) ৷ তিনি বসরার বৃহত্তম বাড়ি আবদুল্লাহ্ ইবন খালাফ খুযাঈর
বাড়িতে অবতরণ করলেন ৷ সেখানে ছিলেন সাফিয়া বিনতুল হারিছ ইবন আবু তালহা ইবন
আবদুল উষ্যা ইবন উসমানইবন আবদুদ্দার ৷ এ সাফিয়া হলেন তালহাতৃতৃ তালহাত নামে
সুপরিচিত আবদুল্লাহ ইবন খালাফের মাতা ৷
নিহতদের মধ্য হতে খুজে খুজে আহতদের বসরার নিয়ে যাওয়া হলো ৷ আলী (রা) ঘুরে
ঘুরে উভয়পক্ষের নিহতদের দেখতে লাগলেন ৷ নিহতদের মধ্যে কোন পরিচিতজনকে দেখতে
গেলে তার প্ৰতি দয়দ্বে হতেন ও রহমের দুআ করতেন এবং বলতেন, কোন কুরায়শীকে নিহত
অবস্থায় দেখা আমার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক ৷ বর্ণনা অনুসারে তিনি তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ
(রা)-এর লাশের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, হে আবু মুহাম্মাদ! আপনার জন্য আমার
পরম আক্ষেপা ইন্ন৷ লিল্লাইি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রাজ্বিউনা আল্লাহর কলম! তুমি ছিলে তেমনই
যেমন করি বলেছেন
যে ছিল এমন এক ভদ্র মানুষ’ ৷ বিত্ত ও সম্পদ যাকে তার বন্ধুর নিকটবর্তী করে দিত,
যখন সে বিত্তবান থাকত; আর দারিদ্র তাকে বন্ধুহারা করে দিলে ৷ (অর্থাৎ তার সুখের দিনে বন্ধু
জুট্ত, দুঃখে কেউ তার বন্ধু হলো না) ৷ আলী (রা) বসরার শহরতলিতে তিন দিন অবস্থান
করলেন এবং উভয় পক্ষের নিহতদের জানাযার সালাত আদায় করলেন ৷ এ ব্যাপারে
কৃরায়শীদের বিশেষ গুরুতৃ প্রদান করলেন ৷ পরে যুদ্ধক্ষেত্রে আয়েশা (রা) পক্ষের লোকদের
পরিত্যক্ত মালপত্র একত্র করে তা বসরার মসজিদে নিয়ে যাওয়ার আদেশ দিলেন ৷ কোন কিছুর
প্রকৃত দাবিদার পাওয়া গেলে তা আত্মীয়স্বজনকে ফিরিয়ে দেওয়া হলো ৷ তবে যে সব অত্রে
সরকারী সীল’ ছিল তা রাজকোষে ফিরিয়ে নেওয়া হলো ৷ এ দুঃখজনক হানাহানিতে উভয়
পক্ষের নিহতের সংখ্যা ছিল প্রতিপক্ষে পাচ হাজার করে মোট দশ হাজার ৷১ আল্লাহ্ তাদের
উপর রহম করুন এবং তাদের মধ্যকার সাহাবীদের জন্য রায়িয়াল্লাহু আনহুম
আলী (রা) এর পক্ষের কেউ কেউ তালহা ও যুবায়র (রা)-এর সঙ্গীদেৱ সম্পদ
(গনীমতরুপে) বণ্টনের দাবি করলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করলেন ৷
সাবাঈরা এর সমালোচনা করে বলল, এটা কেমন কথা যে, তাদের জীবন আমাদের জন্য
বৈধ, অথচ তাদের সম্পদ আমাদের জন্য বৈধ নয়? এ কথা আলী (রা)-এর কাছে পৌছলে
তিনি বললেন, আচ্ছা, তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে, উম্মুল মু’মিনীন তার গনীমতের
১ মরুজুয় যাহাবের বর্ণনায় মোট (তর হাজারএর মধ্যে আলী (রা)-এর পক্ষের পাচ হাজার (২য় ৩৮৭ ও
৪১০ পৃ; ফুতুহু ইবনুল আছাম-এর বর্ণনা মতে “আলী (রা)-এর পক্ষের নিহতদের সংখ্যা ছিল এক হাজার
সত্তরজন এবং আয়েশা (না)-এর পক্ষের লোকদের মধ্যেআবৃ গোত্রের চার হাজার , বনু যায় এক হাজার
বনু নাযিয়া-র চারশত জন, বনু আদী ও তাদের মাওলা (মিত্র)-দের নব্বই জন, বসু বাকর ইবন ওয়াইল
গোত্রের আটশত জন, বসু হানজালা গোত্রের সাতশত জন এবং অন্যান্য সংমিশ্রিতদের মধ্য হতে নয়
হাজার জন-মোট পনর হাজার নয়শত নব্বই জন ৷ এবং উভয় পক্ষের মিলিয়ে সােল হাজার ষাটজন ৷
الْمُصْحَفَ رَشَقُوهُ بِنِبَالِهِمْ رَشْقَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ فَقَتَلُوهُ، وَوَصَلَتِ النِّبَالُ إِلَى هَوْدَجِ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَجَعَلَتْ تُنَادَى: اللَّهَ اللَّهَ! يَا بَنِيَّ اذْكُرُوا يَوْمَ الْحِسَابِ. وَرَفَعَتْ يَدَيْهَا تَدْعُو عَلَى أُولَئِكَ النَّفَرِ مِنْ قَتَلَةِ عُثْمَانَ، فَضَجَّ النَّاسُ مَعَهَا بِالدُّعَاءِ حَتَّى وَصَلَتِ الضَّجَّةُ إِلَى عَلِيٍّ فَقَالَ: مَا هَذَا؟ فَقَالُوا: أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ تَدْعُو عَلَى قَتَلَةِ عُثْمَانَ وَأَشْيَاعِهِمْ. فَقَالَ: اللَّهُمَّ الْعَنْ قَتَلَةَ عُثْمَانَ. وَجَعَلَ أُولَئِكَ النَّفَرُ لَا يُقْلِعُونَ عَنْ رَشْقِ هَوْدَجِهَا بِالنِّبَالِ حَتَّى بَقِيَ مِثْلَ الْقُنْفُذِ، وَجَعَلَتْ تُحَرِّضُ النَّاسَ عَلَى مَنْعِهِمْ وَكَفِّهِمْ، فَحَمَلَتْ مُضَرُ حَمْلَةَ الْحَفِيظَةِ، فَطَرَدُوهُمْ حَتَّى وَصَلَتِ الْحَمْلَةُ إِلَى الْمَوْضِعِ الَّذِي فِيهِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، فَقَالَ لِابْنِهِ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَنَفِيَّةِ: وَيْحَكَ تَقَدَّمْ بِالرَّايَةِ. فَلَمْ يَسْتَطِعْ فَأَخَذَهَا عَلِيٌّ مِنْ يَدِهِ فَتَقَدَّمَ بِهَا وَجَعَلَتِ الْحَرْبُ تَأْخُذُ وَتُعْطِي ; فَتَارَةً لِأَهْلِ الْبَصْرَةِ، وَتَارَةً لِأَهْلِ الْكُوفَةِ، حَتَّى قُتِلَ خَلْقٌ كَثِيرٌ، وَجَمٌّ غَفِيرٌ، وَلَمْ تُرَ وَقْعَةٌ أَكْثَرُ مِنْ قَطْعِ الْأَيْدِي وَالْأَرْجُلِ فِيهَا مِنْ هَذِهِ الْوَقْعَةِ، وَجَعَلَتْ عَائِشَةُ تُحَرِّضُ النَّاسَ عَلَى أُولَئِكَ النَّفَرِ مِنْ قَتَلَةِ عُثْمَانَ، وَنَظَرَتْ عَنْ يَمِينِهَا فَقَالَتْ: مَنْ هَؤُلَاءِ الْقَوْمُ؟ فَقَالُوا: نَحْنُ بَكْرُ بْنُ وَائِلٍ. فَقَالَتْ: لَكُمْ يَقُولُ الْقَائِلُ:
وَجَاءُوا إِلَيْنَا بِالْحَدِيدِ كَأَنَّهُمْ ... مِنَ الْعِزَّةِ الْقَعْسَاءِ بَكْرُ بْنُ وَائِلِ
ثُمَّ جَاءَ إِلَيْهَا بَنُو نَاجِيَةَ ثُمَّ بَنُو ضَبَّةَ، فَقُتِلَ عِنْدَهَا مِنْهُمْ خَلْقٌ كَثِيرٌ.
পৃষ্ঠা - ৫৯৬০
হিসৃসায় হওয়া পছন্দ করবেঃ এ জবাবে সকলে নিরব হনুে গেল ৷ এ কারণে তিনি বসরায় প্রবেশ
করার পর বায়তৃল মাল সরকারী কােষাগাৱ হতে তার পক্ষের লোকদের উদারতার সংগে
অনুদান দিলেন, যাতে তাদের প্রত্যেকে পাচশত মুদ্রা করে লাভ করেজ্জি ৷ তিনি আরও বললেন
যে, শাম হতেও তোমরা সমপরিমাণ পাবে ৷ সবােঈরা এতেও দুর দুর হতে ও পশ্চড়াতে তার
বিরুপ সমালোচনা করল ৷
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিনিধিদের আগমন
জামাল যুদ্ধের অনুবর্তী কর্তব্যসমুহ সম্পাদনের বিপুিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আলী (রা)-এর সঙ্গে
সাক্ষাত ও তাকে সালাম করার জন্য আগমন করতে লাগল আগমনকারীদের মধ্যে অন্যতম
হ্যিলন আহমাদ ইবন কায়স (রা) ৷ তিনি বনু সাদের প্রতিনিধি দলসহ আগমন করেন ৷ এ
গোত্রটি যুদ্ধ থেকে দুরত্বে অবস্থান করেজ্জি ৷ আলী (রা) আহনাফ (রা)-ফে বললেন, তুমি তো
আমাদের ব্যাপারে শীতলতা অবলম্বন করেছিলো
আহ্নাক (রা) বললেন, আমার তো বিশ্বাস, আমি উত্তমই করেছি এবং হে আমীরুল
মুমিনীন৷ আমি যা কিছু করেছি, আপনার নির্দেশ অনুসাঃরই করেছি ৷ কাংজং, কােমলতার
আচরণ করল ৷ কেননা, আপনার অনুসৃত পন্থা বেশ দুরবর্তী ৷ তাছাড়া আপনার জন্য আমার
প্রয়োজন বিগত দিনের চেয়ে আগামী দিনে অধিক হবে ৷ কাজেই আমার সদাচরণের
ম্বীকারােক্তি দিয়ে আমার মৃত্যুকে আগামীর জন্য বিলম্বিত করুন ! এ ধরনের কথা না বলাই
উত্তম ৷ কেননা, আমি সর্বদা আপনার কল্যাণকামী ছিলাম ৷
বর্ণনাকারীগুণ বলেছেন, পরে আলী (রা) সোমবার বসরায় প্রবেশ করলেন এবং বসরাবাসী
তার হাতে বায়অ,ড়াত করল, এমনকি আহত ও নিরাপত্তা প্রাথীরিওে বায়আত করল ৷ আবদুর
রহমান ইবন আবুবহ্রাক্রা ছকােফী এসে র্তার হাতে বারআত করলেন ৷ আলী (বা) বললেন,
অসুস্থ লােকটি অর্খাত্তার পিতা কোখায়ঃ আবদুর রহমান বললেন, অড়াযীরুল ঘু’মিনীন ৷
আল্লাহর কসম! তিনি অবশ্যই অসুস্থ ৷ তিনি আপনার আনন্দের প্ৰতি প্রবলরুপ্নে আগ্রহী ৷ “আলী
(রা) বললেন, ল্লি আছে, আসার আগে আগে হেটে চল ৷ তখন তিনি অসুস্থ আবু বাকরা
(রা)-কে দেখতে গ্যেলেন ৷ আবুৰাকরা (রা) “আলী (রা)ক্লে তার অপারদ্জোর কথা নিবেদন
করলে তিনি তা গ্রহণ করলেন এবং তাকে; বসরায় (প্রশলোঃনর) দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব দিলে
তিনি তাতে অপলোঃ৷ প্রকাশ করেন ৷ এ পদে আপনা৷র কোন আপঅ্যাং প্ৰতি জনতা
স্থিৱতা অনুভব কাংব বলে মতামত প্রদান করে তিনি ইবন আব্বাস (রা)রুএর প্রতি ইঙ্গিত
করলে আলী (রা) র্তহ্বকে বনব্ৰচর গর্সের নিযুক্ত করসুল্যাং৷ সেই সঙ্গে যিয়ন্ধ্রদ্দে ইবন অড়াবীহি-ক্লে ,,
রাজস্ব ও বায়তৃল মানের দায়িতু প্রদান করলেন ৷ তিনি ইবন আব্বাস (রা)-কে যিয়াদ্দের
মতামত ও পরামর্শ গ্রহণের নির্দেশ দিলেন ৷ যিয়াদ বিগত ঘটনায় নিরপেক্ষ ছিল ৷
এরপর আলী (বা) যে বাড়িতে গেলেন যেখানে উম্মুল মুমিনীন আঃয়শা (রা) অবস্থান
করছিলেন এবং অনুমতি গ্রহণের পর সেখানে প্রবেশ করে উম্মুল মুমিনীনকে সালাম সম্ভাষণ
জ্ঞাপন করলেন ৷ বনু খালাফের বাড়িতে তখন নারীরা নিহতদের জা ক্রন্দন করছিল ৷
নিহতদের মধ্যে ছিলেন খালাফের দুই পুত্র আবদৃল্লাহৃ ও উসমান ৷ আবদুল্লাহ আয়েশা (রা)-এ্যার
পক্ষে এবং উসমান আলী (রা)-এর পক্ষে নিহত হয়েছিলেন ৷ আলী (বা) বাড়িতে প্রবেশ করলে
আল-বিদায়া — ৫৬
وَيُقَالُ: إِنَّهُ قُطِعَتْ يَدُ سَبْعِينَ رَجُلًا وَهِيَ آخِذَةٌ بِخِطَامِ الْجَمَلِ. فَلَمَّا أُثْخِنُوا تَقَدَّمَ بَنُو عَدِيِّ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ فَقَاتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، وَرَفَعُوا رَأْسَ الْجَمَلِ، وَجَعَلَ أُولَئِكَ يَقْصِدُونَ الْجَمَلَ، وَقَالُوا: لَا يَزَالُ الْحَرْبُ قَائِمًا مَا دَامَ هَذَا الْجَمَلُ وَاقِفًا. وَرَأَسُ الْجَمَلِ فِي يَدِ عَمِيرَةَ بْنِ يَثْرِبِيِّ، وَقُتِلَ أَخُوهُ عَمْرُو بْنُ يَثْرِبِيِّ، وَكَانَ مِنَ الشُّجْعَانِ الْمَذْكُورِينَ، وَالْفُرْسَانِ الْمَشْهُورِينَ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ هِنْدُ بْنُ عَمْرٍو الْجَمَلِيُّ، فَقَتَلَهُ ابْنُ يَثْرِبِيٍّ، ثُمَّ صَمَدَ إِلَيْهِ عِلْبَاءُ بْنُ الْهَيْثَمِ، فَقَتْلَهُ ابْنُ يَثْرِبِيٍّ أَيْضًا، وَقَتَلَ سَيَحَانَ بْنَ صُوحَانَ، وَارْتُثَّ صَعْصَعَةُ بْنُ صُوحَانَ، فَدَعَاهُ عَمَّارٌ إِلَى الْبِرَازِ فَبَرَزَ لَهُ، فَتَجَاوَلَا بَيْنَ الصَّفَّيْنِ - وَعَمَّارٌ يَوْمَئِذٍ ابْنُ تِسْعِينَ سَنَةً، عَلَيْهِ فَرْوَةٌ قَدْ رَبَطَ وَسَطَهُ بِحَبْلِ لِيفٍ - فَقَالَ النَّاسُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، الْآنَ يُلْحِقُ عَمَّارًا بِأَصْحَابِهِ. فَضَرَبَهُ ابْنُ يَثْرِبِيٍّ بِالسَّيْفِ فَاتَّقَاهُ عَمَّارٌ بِدَرَقَتِهِ، فَعَضَّتِ السَّيْفَ وَنَشِبَ فِيهَا،
পৃষ্ঠা - ৫৯৬১
আবদুল্লাহ্র ত্রী তালহাতুততালহাত-এর মা সাফিয়৷ বললেন, তুমি যেরাপে আমার সন্তানদের
’ পিতৃহারা (ইয়াডীম) করেছ, আল্লাহ্ তোমার সভানদেরও সেরুপে পিতৃহারাং করুন ৷ আলী (বা)
তার এ কথার কোন জবাব দিলেন না ৷ আর্নী (বা) বের হয়ে যাওয়ার সময় সাফিয়া কথাটির
পুনরাবৃত্তি করলে এবারও আলী (বা) নিরব রইলেন ৷ তখন কেউ তাকে বলল, হে আমীরপ্স
মুমিনীন! এ মহিলা কি বলছে তা শ্যুনও আপনি নিরবতা অবলম্বন করছেন৷ আলী (বা)
বললেন, আমাদের তাে মুশরিক নারীদের ব্যাপারে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে, তবে
কি আমরা মুসলিম নারীদের ব্যাপারে বিরত থাকর না৷ তখন এক ব্যক্তি বলল, হে আমীরুল
মুমিনীন, দরজাৱ কাছে দুই ব্যক্তি হযরত আয়েশা (রা)-কে গালমন্দ করছে ৷ আলী (বা)
বা কা ইবন আমরকে যে দুই ব্যজ্যি প্রত্যেককে একমত বেত্রাঘাত করার এবং তাদের
(অতিরিক্ত) কাপড় খুলে ফেলার আদেশ দিলেন ৷
আয়েশা (বা) তার অনুগামী ও আলী (রা) এর অনুগামীদের মধ্যে মারা শহীদ হয়েছে
তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে লাগলেন এবং তাদের এক একজনের নাম শোনার পর তার
জন্য রহমতের দৃআ করতে লাগলেন’ ৷
উখুল ঘু’মিনীন আয়েশা (বা) কারা হতে চলে যাওয়ার ইচ্ছা করলে আলী (বা) তার
সফরের জন্য প্রয়োজনীয় বাহন, পাথেয়, সরঞ্জাম প্রভৃতি পাঠিয়ে দিলেন ৷ আয়েশা (রা) এর
সহযোগী বাহিনীর বেচে যাওয়া লোকদের চলে যাওয়ার কিংবা কেউ অবস্থানের ইচ্ছা করলে
অবস্থানের অনুমতি দিলেন ৷ তার সফর সঙ্গীরুপে বসরার বিশি চল্লিশ জন নারীকে নির্বাচিত
করলেন এবং তার ভাই মুহাম্মদ ইবনআবুব্কব (রা) কে তার সফরসং পী করে পাঠালেস্ ৷
সফর আরম্ভ করার দিন আলী (বা) এসে দরজাৱ সামনে র্দাড়ালেন ৷ জনতাও ;:উপস্থিত
হল ৷ আয়েশা (বা) হাওদায় বসে বাড়ি থেকে বের হলেন এবং উপস্থিত জনতাকে বিদায়
জানালেন ও তাদের জন্য দৃঅ৷ করলেন ৷ তিনি বললেন, আমার বৎসগণ! আমাদের কেউ একে
অপরকে দোষারােপ করবে না ৷ কেননা, আল্লাহ্র কসম! বিগত দিনে আমার ও আলীর মধ্যে
যা কিছু ঘটেছে তা তেমনই ছিল যেমন হয়ে থাকে কোন নারী ও তার শ্বশুরকুলের আত্মীয়দের
মধ্যে ৷ আমার প্রতিপক্ষে অবস্থানে সে (আলী) অবশ্যই বল্যাপকামীর্দের অতর্ভুক্ত ৷ আলী (রা)
বললেন, তিনি সত্য বলেছেন, আল্লাহর কসম ৷ তার ও আমার মধ্যকার বিষয়টি অনুরুপই ছিল ৷
তিনি দুনিয়া ও আখিরাতে অবশ্যই তোমাদের নবীক্রো এর শ্রী ৷’ এ সময় বিদায় সংবর্ধনার
ত্তনাে আলী (বা) তার সংগে কয়েক মইিল পর্যন্ত এগিয়ে গেলেন এবং জ্যাত৷ দিনের অ বশ্যিৎশ
পর্যন্ত তার সংগে চলতে থাকল ৷ দিনটি ছিল ছত্রিশ-হিজ্জী সনের রজব মাসের প্রারম্ভকাল ৷
আয়েশা (বা) এ সফরে প্রথমে পবিত্র মক্কা শরীফ পমনেরসিদ্ধাস্ত নিলেন এবং এসে
ব ছরের হজ্জ সম্পাদন পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করলেন ৷ হজ্যে পরে তিনি পবিত্র মদীনায়
ফিরে গেলেন ৷ মারওয়ান ইবনুল হাকাম সম্পর্কে ইতিহাসের বর্ণনা এই যে, যুদ্ধচহ্মা হতে
পলায়নের পর তিনি মালিক ইবন মিসম৷ এর আশ্রয় প্রার্থনা করলে তিনি তাকে আশ্রয় দিলেন
১ তাবাৰী (৫২২৩) তে আছে, দোক দুটি ছিল কুফার আযুদ গোত্রীয় আবদুস্লাহ্র দুই পুত্র আআল ও না দ ৷
وَضَرَبَهُ عَمَّارٌ فَقَطَعَ رِجْلَيْهِ، وَأَخَذَهُ أَسِيرًا إِلَى بَيْنِ يَدَيْ عَلِيٍّ فَقَالَ: اسْتَبْقِنِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: أَبَعْدَ ثَلَاثَةٍ تَقْتُلُهُمْ. ثُمَّ أَمَرَ بِهِ فَقُتِلَ. وَاسْتَمَرَّ زِمَامُ الْجَمَلِ بِيَدِ رَجُلٍ بَعْدَهُ كَانَ قَدِ اسْتَنَابَهُ فِيهِ مِنْ بَنِي عَدِيٍّ، فَبَرَزَ إِلَيْهِ رَبِيعَةُ الْعَقِيلِيُّ، فَتَجَاوَلَا حَتَّى قَتَلَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ، وَأَخَذَ الزِّمَامَ الْحَارِثُ الضَّبِّيُّ، فَمَا رُئِيَ أَشَدَّ مِنْهُ وَجَعَلَ يَقُولُ:
نَحْنُ بَنُو ضَبَّةَ أَصْحَابُ الْجَمَلْ ... نُبَارِزُ الْقِرْنَ إِذَا الْقِرْنُ نَزَلْ
نَنْعَى ابْنَ عَفَّانَ بَأَطْرَافِ الْأَسَلْ ... الْمَوْتُ أَحْلَى عِنْدَنَا مِنَ الْعَسَلْ
رُدُّوا عَلَيْنَا شَيْخَنَا ثُمَّ بَجَلْ
وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ هَذِهِ الْأَبْيَاتَ لِوَسِيمِ بْنِ عَمْرٍو الضَّبِّيِّ.
وَكُلَّمَا قُتِلَ وَاحِدٌ مِمَّنْ يُمْسِكُ الْجَمَلَ تَقَدَّمَ غَيْرُهُ، حَتَّى قُتِلَ مِنْهُمْ أَرْبَعُونَ رَجُلًا. قَالَتْ عَائِشَةُ: مَا زَالَ جَمَلِي مُعْتَدِلًا حَتَّى فَقَدْتُ أَصْوَاتَ بَنِي ضَبَّةَ.
পৃষ্ঠা - ৫৯৬২
ثُمَّ أَخَذَ الْخِطَامَ سَبْعُونَ رَجُلًا مِنْ قُرَيْشٍ، وَكُلُّ وَاحِدٍ يُقْتَلُ بَعْدَ صَاحِبِهِ، فَكَانَ مِنْهُمْ مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ الْمَعْرُوفُ بِالسَّجَّادِ، فَقَالَ لِعَائِشَةَ: مُرِينِي بِأَمْرِكِ يَا أُمَّاهُ. فَقَالَتْ: آمُرُكَ أَنْ تَكُونَ كَخَيْرِ ابْنَيْ آدَمَ. فَامْتَنَعَ أَنْ يَنْصَرِفَ وَثَبَتَ فِي مَكَانِهِ، وَجَعَلَ يَقُولُ: حم لَا يُنْصَرُونَ. فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ نَفَرٌ فَحَمَلُوا عَلَيْهِ فَقَتَلُوهُ، وَصَارَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ بَعْدَ ذَلِكَ يَدَّعِي قَتْلَهُ، وَقَدْ طَعَنَهُ بَعْضُهُمْ بِحَرْبَةٍ فَأَنْفَذَهُ وَقَالَ:
وَأَشْعَثَ قَوَّامٍ بِآيَاتِ رَبِّهِ ... قَلِيلِ الْأَذَى فِيمَا تَرَى الْعَيْنُ مُسْلِمِ
هَتَكْتُ لَهُ بِالرُّمْحِ جَيْبَ قَمِيصِهِ ... فَخَرَّ صَرِيعًا لِلْيَدَيْنِ وَلِلْفَمِ
يُنَاشِدُنِي حم وَالرُّمْحُ شَاجِرٌ ... فَهَلَّا تَلَا حم قَبْلَ التَقَدُّمِ
عَلَى غَيْرِ شَيْءٍ غَيْرَ أَنْ لَيْسَ تَابِعًا ... عَلِيًّا وَمَنْ لَا يَتْبَعِ الْحَقَّ يَنْدَمِ
وَأَخَذَ الْخِطَامَ عَمْرُو بْنُ الْأَشْرَفِ، فَجَعَلَ لَا يَدْنُو مِنْهُ أَحَدٌ إِلَّا خَطَمَهُ بِالسَّيْفِ، فَأَقْبَلَ إِلَيْهِ الْحَارِثُ بْنُ زُهَيْرٍ الْأَزْدِيُّ وَهُوَ يَقُولُ:
يَا أُمَّنَا يَا خَيْرَ أُمٍّ نَعْلَمُ ... أَمَا تَرَيْنَ كَمْ شُجَاعٍ يُكْلَمُ
وَتُخْتَلَى هَامَتُهُ وَالْمِعْصَمُ
فَاخْتَلَفَا ضَرْبَتَيْنِ فَقَتَلَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ وَأَحْدَقَ أَهْلُ النَّجَدَاتِ
পৃষ্ঠা - ৫৯৬৩
এবং তা যথাযথরুপে সম্পাদন করলেন ৷ এ কারণে পরবর্তী সময়ে মারওয়ান বংশধররা
মালিকাক যখে মর্যাদা ও সমান প্রদান কারছে ৷ অপর এক বর্ণনায় মারওয়ান বনু খালফের
বাড়িতেই অবস্থান নিয়েছিল এবং আয়েশা (বা) চলে যাওয়ার সময় সেও তার সঙ্গে বেরিয়ে
পড়ে ৷ আঘ্নেশা (রা) পবিত্র মক্কা আভিমুখে রওয়ান৷ করলে সে পবিত্র মদীনায় চলে যায় ৷
ইতিহাস লেখকদের বর্ণনায় আছে, পবিত্র মক্কা-মদীন৷ ও বসরার মধ্যবর্তী অঞ্চলের
বাসিন্দার৷ ঘটনার দিনই এ সম্পর্কে অবগত হয়েছিল ৷ এর সুত্র ছিল শকুনরা কর্তিত হাত-পা
তুলে নিয়ে যেত এবং তা এসকঅ্যাংল পতিত হতো ৷ এমনকি ?রিংমদীনরােসীরাওৰুজ্রামাল
যুদ্ধের দিন সুর্যান্তের পুর্বেই ঘটনা অবগত হয়েছিল ৷ একটি শকুন কোন কিছু মুখে দিয়ে পবিত্র
মদীনায় উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় তা সেখানে পড়ে যায় ৷ দেখা গেল যে, সেটি একটি
পা, যাতে একটি আংটি ছিল এবং আৎটির পায়ে আবদুর রহমান ইবন আত্তাব’ নাম অংকিত
ছিল ৷
জামাল যুদ্ধ সংক্রান্ত উল্লিখিত বিবরণ সংশ্লি বিষয়ের অন্যতম পুরােধা মনীষী আবু জাফর
ইবন জারীর (র) প্রদত্ত বিবরণ ৷ এর বাইরে শীআ ও অন্যান্য ভ্রাতপন্থীদের উপস্থাপিত
সাহাৰী-বিরোধী এবং মিথ্যা-বানোয়াট বিবরণ তাদের যারা সুস্পষ্ট সত্যের প্ৰতি আহুত হলে
মুখ ঘুরিয়ে নেয় এবং বলে উঠে, তােমাদের জ্যাত্র তোমাদের ইতিহাস, আমাদের জন্য আমাদের
ইতিহাস ৷ তখন জবাবে আমরা বলি, তােমারে প্রতি সালাম, আমরা জাহিলদের পেছনে
দৌড়াই না ৷
পবিচ্ছেদ
আমান যুদ্ধে উভয় পক্ষের নিহত শ্রেষ্ঠ অভিজাত সাহাবীগণ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্দের
আলোচনা
আমরা ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছি যে, শহীদগণের সংখ্যা ছিল প্রায় দশ হাজার ৷ আর
আহতদের সংখ্যা ছিল গণনার উঠুর্ধ্ব ৷ শুক্রবারের শহীদগণেয় মধ্যে উল্লেখযোগ্য তালিকায়
রয়েছেন
তালহা ইবন উবায়দুব্লাহ (বা)
বণেধার৷ : তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ্ ইবন উসমান ইবন আমর ইবন কা ব ইবন সা দ
ইবন তায়ম ইবন মুরর৷ ইবন কা ব ইবন লুআই ইবন গালিব ইবন ফিহ্র ইবন ফিহ্র ইবন
মালিক ইবনুন নাযুর ইবন কিনানা আবু মুহাম্মাদ (কুনিয়াত) আল কুরায়শী আত্-তায়মী ৷ তার
অধিক দান-বদান্যতার কারণে তিনি তালহা আল খায়র (কল্যাণময় তালহা ) এবং তালহা আল
ফাইয়াষ (দানবীর তালহা) নামে পরিচিত ছিলেন ৷ প্রারম্ভিক সময়ে আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর
হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ নওফিস ইবন খুওয়ালিদ আদাবী ইসলাম গ্রহণের কারণে এ
দৃজনকে এক দড়িতে বেধে রাখত এবং তাদের স্বগােত্র বনু তামীমের (? বনু তায়ব্মর) এতে
বাধা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না ৷ এ কারণে তালহা ও আবু বকর (বা) কে এক জোড় বলা
া
وَالْمُرُوءَاتِ وَالشَّجَاعَةِ بِعَائِشَةَ، فَكَانَ لَا يَأْخُذُ الرَّايَةَ وَالْخِطَامَ إِلَّا شُجَاعٌ مَعْرُوفٌ، فَيَقْتُلُ مَنْ قَصَدَهُ، ثُمَّ يُقْتَلُ بَعْدَ ذَلِكَ، وَقَدْ فَقَأَ بَعْضُهُمْ عَيْنَ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ ذَلِكَ الْيَوْمَ، ثُمَّ تَقَدَّمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ فَأَخَذَ بِخِطَامِ الْجَمَلِ وَهُوَ لَا يَتَكَلَّمُ، فَقِيلَ لِعَائِشَةَ: إِنَّهُ ابْنُكِ ابْنُ أُخْتِكِ. فَقَالَتْ: وَاثُكْلَ أَسْمَاءَ! وَجَاءَ مَالِكُ بْنُ الْحَارِثِ الْأَشْتَرُ النَّخَعِيُّ فَاقْتَتَلَا، فَضَرَبَهُ الْأَشْتَرُ عَلَى رَأْسِهِ فَجَرَحَهُ جُرْحًا شَدِيدًا وَضَرَبَهُ عَبْدُ اللَّهِ ضَرْبَةً خَفِيفَةً، ثُمَّ اعْتَنَقَا وَسَقَطَا إِلَى الْأَرْضِ يَعْتَرِكَانِ، فَجَعَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ يَقُولُ:
اقْتُلُونِي وَمَالِكًا ... وَاقْتُلُوا مَالِكًا مَعِي
فَأَرْسَلَهَا مَثَلًا. وَجَعَلَ النَّاسُ لَا يَعْرِفُونَ مَالِكًا مَنْ هُوَ، إِنَّمَا هُوَ يُعْرَفُ بِالْأَشْتَرِ، فَحَمَلَ أَصْحَابُ عَلِيٍّ وَعَائِشَةَ فَخَلَّصُوهُمَا، وَقَدْ جُرِحَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ يَوْمَ الْجَمَلِ، بِهَذِهِ الْجِرَاحَةِ سَبْعًا وَثَلَاثِينَ جِرَاحَةً، وَجُرِحَ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ أَيْضًا. ثُمَّ جَاءَ رَجُلٌ فَضَرَبَ الْجَمَلَ عَلَى قَوَائِمِهِ، فَعَقَرَهُ وَسَقَطَ إِلَى الْأَرْضِ، فَسُمِعَ لَهُ عَجِيجٌ مَا سُمِعَ أَشَدُّ وَلَا أَنْفَذُ مِنْهُ، وَآخِرُ مَنْ كَانَ الزِّمَامُ بِيَدِهِ زُفَرُ بْنُ الْحَارِثِ فَعُقِرَ الْجَمَلُ وَهُوَ فِي يَدِهِ وَيُقَالُ: إِنَّهُ اتَّفَقَ هُوَ وَبُجَيْرُ بْنُ دُلْجَةَ عَلَى عَقْرِهِ. وَيُقَالُ: إِنَّ الَّذِي أَشَارَ بِعَقْرِهِ عَلِيٌّ. وَقِيلَ: الْقَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو ; لِئَلَّا تُصَابُ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ، فَإِنَّهَا صَارَتْ غَرَضًا لِلرُّمَاةِ،
পৃষ্ঠা - ৫৯৬৪
হিজরত করার পরে রাসুলুল্লাহ্ন্গাংট্টআবু আইয়ুব আনসারী (রা)-এর সঙ্গে তীর ভ্রাতৃ সম্বন্ধ
স্থাপন করেন ৷ বদর ব্যতীত সকল জিহাদ অব্ধিানে তিনি রাসুলুল্লাহ্মোঃ ,, এর সংৰগ উপস্থিত
ছিলেন ৷ বদর যুদ্ধের সময় তিনি ব্যবসা উপলক্ষে শামে অবস্থান করেছিলেন ৷ অথবা মতাত্তরে
দুত প্রতিনিধিরুপে দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং সে কারণে রাসুলুল্লাহমোঃ তাকে বদরের
প্রতিদান ও গনীমক্কতঃ অংশ প্রদান করেছিলেন ৷ উহুদ যুদ্ধে ছিল তার সমুজ্জ্বল অবদান ৷ এ দিন
তার হাত (আঘাতের আধিক্যে) অবশ হয়ে গিয়েছিল ৷ কেননা, তার হাত দ্বারা তিনি রাসুলুল্লাহ্
-এর উপরে আগত আঘাতসমুহ প্রতিহত করে তাকে হিফাজত করেছিলেন ৷ মৃতু ভ্যু পর্যন্ত
হাতখানি সে অবন্থায়ই ছিণ ৷ কেউ তার হাতের কথা আলোচনা করলে আবু বকর সিদ্দীক (রা)
বলতেন, সে দিনটি সমগ্রই ছিল তালহা (রা) এর জন্য ৷ সে দিন রসুলুল্লাহ্মোঃ তাকে
বলেছিলেন, ৰুএা , ৷ “তালহা নিশ্চিতরুপে সাব্যস্ত করে নিয়েছে ৷ ২ এর কারণ ছিল
এই যে, এ দিন রাসুলুল্লাহ্ম্পেট্রুট্রুষ্টুদৃ টি বর্ম পরিধান করেছিলেন ৷ এক সময়৩ তিনি বর্মদ্বয় পরি৩
অবস্থায় সেখানকার একটি পাথরের উপরে উঠার ইচ্ছা করলে (ধর্মের ওজনের কারণে তিনি)
তাতে সমর্থ হলেন না ৷
তখন তালহা (বা) তার পিঠ বিছিয়ে দিলে তিনিণ্শুণ্ণ্- অ্যাংতার পিঠের উপরে চড়ে পরে
পাথরের উপরে উঠেন এবং তখন বলেন, তালহা সাব্যস্ত করে নিয়েছে’ ৷ তিনি জান্নাতের
আগাম সুসংবাদ প্রদত্ত দশজন (আশারা-ই সুরাশৃশারা)-এর অন্যতম এবং উমর (রা) কর্তৃক
পরবর্তী খলীফা নির্বাচনের জন্য মনোনীত ছয় সদস্যের শুরা কমিটি (নির্বাচনী বোর্ড)-এর
অন্যতম ৷
তিনি রাসুলুল্লাহ্ মোঃএর সুহবাত-সান্নিধ্যে জীবন যাপন করেছেন এবং র্তাকে উত্তম সঙ্গ
প্রদান করেছেন এবং তিনি“ ফু ন্; তীর প্রতি সন্তুষ্ট অবস্থায় ওফাত প্রাপ্ত হন ৷ আবু বকর ও উমর
(রা)-কেও তিনি উত্তম সান্নিধ্য দিয়েছেন এবং তার প্রতি সন্তুষ্ট অবস্থায় তারা ইহলোক ত্যাগ
করেন ৷ উসমান (রা)-এর মর্মাস্তিক ঘটনার সময় তিনি দুরে সরে ছিলেন এবং এ কারণে
অনেকে তার বিরুদ্ধে উক্ত ঘটনায় সঠিক আচরণ না করার (এবং প্ৰকারান্তরে বিদ্রোহীদের মদদ
দেওয়ার) অভিযোগ করেছে ৷ এ কারণেই জামাল যুদ্ধের দিন ময়দানে উপস্থিত হওয়ার সময়
যখন “আলী (রা) তার সঙ্গে মিলিত হলেন ও উপদেশ দিলেন তখন তিনি সম্মুখ ভাগ হতে সরে
গিয়ে পিছনের কোন সারিতে অবস্থান করলেন ৷ এ সময় একটি অজ্ঞাত তীর এসে তার ছুাটুতে
অথবা তার ঘাড়ে আঘাত করে ৷ (হাটুত্তে আঘাতের বর্ণনাটি অধিক প্রসিদ্ধ) তীর তার পায়ের
গোছ৷ তার ঘোড়ার পাজরের সংগে পেথে দিলে ঘোড়াটি (অস্থির হয়ে) তাকে নিয়ে দৌড়াতে
শুরু করে এবং তাকে ফেলে দেওয়ার উপক্রম করে ৷ , তখন তিনি আওয়ায দিয়ে বলতে
১ ইসডী আবের বর্ণনায় কা ব ইৰ্ন মালিক (না)-এর সঙ্গে এবং ইবন সা দ (তাবকাত) এর ৰনািয় উৰায় ইবন
বা ন (রা) এর সঙ্গে তার ভ্রাতৃ সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছিল ৷ ইবন সা দ-এর অপর এক বর্ণনায় সাঈদ ইবন
যায়দ (বা) এর সংগে ভ্রাতৃ ন্টুষ্প্র্ক স্থাপনের তথ্য রয়েছে ৷ আর ইসাৰায় বলা হয়েছে, হিজ্বরতের পুর্বে তার
ভ্রাতৃ সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল যুবায়র (না)-এর সঙ্গে এবং হিজরতের পরে আবু আইয়ুব (রা) এর সঙ্গে ৷
২ তিরমিষী-যুবায়র (বা) হতে হাদীস নং ৩৮৩৭ (আরবীয় মুদ্রণ ৫ র ৬৪৪ পৃ )৩ তিরমিষীর মত্তব্য৪ এটি
একক (শরীর) সুত্রের সহীহ হাদীস ৷ আরও দ্রষ্টব্য-তাবাকাতৃ ইবন সাদ, ৩য় , ২১৮ পৃ ৷
وَمَنْ يُمْسِكُ بِالزِّمَامِ بُرْجَاسًا لِلرِّمَاحِ، وَلِيَنْفَصِلَ هَذَا الْمَوْقِفُ الَّذِي قَدْ تَفَانَى فِيهِ النَّاسُ. وَلَمَّا سَقَطَ الْجَمَلُ إِلَى الْأَرْضِ انْهَزَمَ مَنْ حَوْلَهُ، وَحُمِلَ هَوْدَجُ عَائِشَةَ وَإِنَّهُ لَكَالْقُنْفُذِ مِنْ كَثْرَةِ النُّشَّابِ، وَنَادَى مُنَادِي عَلِيٍّ فِي النَّاسِ: إِنَّهُ لَا يُتْبَعُ مُدْبِرٌ، وَلَا يَذَفَّفُ عَلَى جَرِيحٍ، وَلَا يَدْخُلُوا الدُّورَ. وَأَمَرَ عَلِيٌّ نَفَرًا أَنْ يَحْمِلُوا الْهَوْدَجَ مِنْ بَيْنِ الْقَتْلَى، وَأَمَرَ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ وَعَمَّارًا أَنْ يَضْرِبَا عَلَيْهَا قُبَّةً، وَجَاءَ إِلَيْهَا أَخُوهَا مُحَمَّدٌ فَسَأَلَهَا: هَلْ وَصَلَ إِلَيْكِ شَيْءٌ مِنَ الْجِرَاحِ؟ فَقَالَتْ: وَمَا أَنْتَ وَذَاكَ يَا ابْنَ الْخَثْعَمِيَّةِ. وَسَلَّمَ عَلَيْهَا عَمَّارٌ فَقَالَ: كَيْفَ أَنْتِ يَا أُمَّ؟ فَقَالَتْ: لَسْتُ لَكَ بِأُمٍّ. قَالَ: بَلَى وَإِنْ كَرِهْتِ. وَجَاءَ إِلَيْهَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ مُسَلِّمًا فَقَالَ: كَيْفَ أَنْتِ يَا أُمَّهْ؟ قَالَتْ: بِخَيْرٍ. فَقَالَ: يَغْفِرُ اللَّهُ لَكِ. وَجَاءَ وُجُوهُ النَّاسِ إِلَيْهَا، مِنَ الْأُمَرَاءِ وَالْأَعْيَانِ يُسَلِّمُونَ عَلَيْهَا.
وَيُقَالُ: إِنَّ أَعْيَنَ بْنَ ضُبَيْعَةَ الْمُجَاشِعِيَّ اطَّلَعَ فِي الْهَوْدَجِ. فَقَالَتْ: إِلَيْكَ لَعَنَكَ اللَّهُ. فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أَرَى إِلَّا حُمَيْرَاءَ. فَقَالَتْ: هَتَكَ اللَّهُ سِتْرَكَ، وَقَطَعَ يَدَكَ، وَأَبْدَى عَوْرَتَكَ. فَقُتِلَ بِالْبَصْرَةِ وَسُلِبَ وَقُطِعَتْ يَدُهُ وَرُمِيَ عُرْيَانًا فِي خَرِبَةٍ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫৯৬৫
خَرَابَاتِ الْأَزْدِ. فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ دَخَلَتْ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ الْبَصْرَةَ، وَمَعَهَا أَخُوهَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، فَنَزَلَتْ فِي دَارِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَلَفٍ الْخُزَاعِيِّ - وَهِيَ أَعْظَمُ دَارٍ بِالْبَصْرَةِ - عَلَى صَفِيَّةَ بِنْتِ الْحَارِثِ بْنِ طَلْحَةَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الدَّارِ، وَهِيَ أُمُّ طَلْحَةَ الطَّلَحَاتِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَلَفٍ، وَتَسَلَّلَ الْجَرْحَى مِنْ بَيْنِ الْقَتْلَى فَدَخَلُوا الْبَصْرَةَ، وَأَقَامَ عَلِيٌّ بِظَاهِرِ الْبَصْرَةِ ثَلَاثًا، وَقَدْ طَافَ عَلِيٌّ بَيْنَ الْقَتْلَى، فَجَعَلَ كُلَّمَا مَرَّ بِرَجُلٍ يَعْرِفُهُ يَتَرَحَّمُ عَلَيْهِ وَيَقُولُ: يَعِزُّ عَلَيَّ أَنْ أَرَى قُرَيْشًا صَرْعَى. وَقَدْ مَرَّ عَلِيٌّ - فِيمَا ذُكِرَ - عَلَى طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ وَهُوَ مَقْتُولٌ، فَقَالَ: لَهْفِي عَلَيْكَ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ، إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتَ كَمَا قَالَ الشَّاعِرُ:
فَتًى كَانَ يُدْنِيهِ الْغِنَى مِنْ صَدِيقِهِ ... إِذَا مَا هُوَ اسْتَغْنَى وَيُبْعِدُهُ الْفَقْرُ
ثُمَّ صَلَّى عَلِيٌّ عَلَى الْقَتْلَى مِنَ الْفَرِيقَيْنِ، وَخَصَّ قُرَيْشًا بِصَلَاةٍ مِنْ بَيْنِهِمْ، ثُمَّ جَمَعَ مَا وَجَدَ لِأَصْحَابِ عَائِشَةَ فِي الْعَسْكَرِ، وَأَمَرَ بِهِ أَنْ يُحْمَلَ إِلَى مَسْجِدِ الْبَصْرَةِ، فَمَنْ عَرَفَ شَيْئًا هُوَ لِأَهْلِهِمْ فَلْيَأْخُذْهُ، إِلَّا سِلَاحًا كَانَ فِي الْخَزَائِنِ عَلَيْهِ سِمَةُ السُّلْطَانِ. وَكَانَ مَجْمُوعُ مَنْ قُتِلِ يَوْمَ الْجَمَلِ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ عَشَرَةَ آلَافٍ ;
পৃষ্ঠা - ৫৯৬৬
লাগলেনঃ আল্লাহ্র বান্দারা৷ আমার কাছে এসো! তখন তার এক মাওলা (আযাদকৃত গোলাম
ণ্ঘাড়াটি ধরে ফেলে এবং তার পিছনে আরোহণ করে তাকে বসরা শহরে নিয়ে যায় ৷ পরে
সেখানকার একটি বাড়িতে তিনি শহীদ হন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তিনি যুদ্ধক্ষেত্রেই শহীদ হন ৷
এবং আলী (রা) ঘুরে ঘুরে নিহতদের দেবার সময় তাকেও নিহতদের মধ্যে দেখতে পান ৷ তিনি
তার মুখমণ্ডল হতে ধুলামাটি মুছে দিয়ে বলতে থাকেন, আবু মুহাম্মদ! তোমার প্রতি আল্লাহর
রহমত বর্ষিত হোক ৷ তোমাকে উন্মুক্ত আকাশের তারকার নিচে পতিত অবস্থায় দেখা আমার
জন্য অত্যন্ত ককর ৷” তিনি আরও বললেন, আমার ভাল মন্দ, সুখ দুঃখের কথা আমি
আল্পাহ্কেই বলছি ৷ আল্লাহ্র কসম আমার বাংলা হরফে, আজিকার এ দিনের বিশ্ বছর আগে
যদি আমি মরে যেতাম ৷
কারো কারো মতে তার প্রতি এ তীর মেরেছিল মারওয়ান ইবনুল হাকাম ৷ তিনি আবান
ইবন উসমান (রা) কে বলেছিলেন, উসমান হত্যাকারীদেব একটি দলের ব্যাপারে আমি তোমার
জন্য যথে হয়েছি ৷ (অর্থাৎ তাদের শায়েস্তা করেছি ৷) কেউ কেউ বলেছেন, তীর নিক্ষেপকারী
ছিল অন্য কেউ ৷ গ্রন্থকার বলেন, আমার মতে এ তথ্য অধিক সঠিক, যদিও প্রথম ম৩ টি অধিক
প্রসিদ্ধ ৷ (মহান আল্পাহ্ সমধিক অবহিত ৷) এ ঘটনা ঘটেছিল ছত্রিশ হিজরী সনের
জুমাদাল্-উখর৷ মাসের দশম দিন বৃহস্পতিবার ৷ তালহা (রা)-কে চারণ ভুমির (জলাধারের)
প্রান্তে দাফন করা হয়েছিল ৷ তখন তার বয়স হয়েছিল ষাট বছর এবং মতান্তরে ষাটের অধিক
কয়েক বছর ৷ তার গায়ের বর্ণ ছিল বাদামী (লালচে) এবং ম৩ ৷ন্তরে সাদা ৷ সুশ্ৰী চেহারা ও
অধিক চুলের আধ্কারী ৷ কিছুটা বেটে ছিলেন ৷৩ তার দৈনিক আয়ের পরিমাণ ছিল এক হাজার
দিরহাম ৷
হাষ্মাদ ইবন সালামা আলী ইবন যায়দ ইবন জাদ আন সুত্রেত তার পিতা (যায়দ) হতে
বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি তালহা (রা) কে স্বপ্নে দেখলেন ৷ তিনি তাকে বলছিলেন, আমাকে
আমার কবর থেকে সরিয়ে নাও, পানি আমাকে কষ্ট দিচ্ছে ৷ যে ব্যক্তি তিনরাত এ স্বপ্ন দেখল ৷
সে ব্যক্তি ইবন আব্বাস (রা)-এর নিকট এসে তাকে স্বপ্নের ব্যাপারে অবহিত করল ৷ ইবন
আব্বাস (বা) তখন বসরা খলীফার নাযিব (প্রশাসক) ছিলেন ৷ এ অবস্থায় তালহা (বা) এর
জন্য দশ হাজার দিরহামের বিনিময়ে বসরায় একটি বাড়ি খরিদ করা হলো এবং তাকে তার
কবর থেকে যেখানে সরিয়ে নিয়ে আসা হলো ৷ দেখা গেল যে, তার দেহের যে অংশে পানি
লেগেছিল তা সবুজে (নীলাভ) হয়ে গিয়েছে এবং দেহের অবশিষ্টাৎ তার শহীদ হওয়ার
সময়ের ন্যায় অবিকৃত রয়েছে ৷ —
তার বহুবিধ মাহাত্ম্য শ্রেষ্ঠতৃ বর্ণিত ৩হয়েছে ৷ যেমন আবু বকর ইবন আবু আসিম বর্ণনা
করেছেন, হাসান ইবন আলী ইবন সুলায়মান ইবন ঈস৷ ইবন মুসা ইবন তালহ্৷ ইবন
উবায়দুল্লাহ্ তার পিতার মাধ্যমে তার দাদা হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি তার দাদা মুসা ইবন
তালহা সুত্রে তালহ৷ (রা) হতে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ড্রে উহুদ যুদ্ধের
দিন আমাকে তালহাতৃল খায়র (মহাকল্যাণ তালহা) নামে সংকটের দিন (তাবুক যুদ্ধের সময়)
আমাকে তালহাতৃলফাইয়ায (ষ্ণ্ট্র ন্ধ্র ৷ হন্াষ্) দানশীল তালহা) এবং হুনায়ন যুদ্ধের সময়
তালহাতৃল জুদ ( , ৷ ৷ মোঃ) (দানবীর তালহা) নামে অভিহিত করেছেন ৷
خَمْسَةٌ مِنْ هَؤُلَاءِ، وَخَمْسَةٌ مِنْ هَؤُلَاءِ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ وَرَضِيَ عَنِ الصَّحَابَةِ مِنْهُمْ. وَقَدْ سَأَلَ بَعْضُ أَصْحَابِ عَلِيٍّ عَلِيًّا أَنْ يُقَسِّمَ فِيهِمْ أَمْوَالُ أَصْحَابِ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ، فَأَبَى عَلَيْهِمْ فَطَعَنَ فِيهِ السَّبَئِيَّةُ وَقَالُوا: كَيْفَ يَحُلُّ لَنَا دِمَاؤُهُمْ وَلَا تَحُلُّ لَنَا أَمْوَالُهُمْ؟ فَبَلَغَ ذَلِكَ عَلِيًّا فَقَالَ: أَيُّكُمْ يُحِبُّ أَنْ تَصِيرَ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ فِي سَهْمِهِ؟ فَسَكَتَ الْقَوْمُ، وَلِهَذَا لَمَّا دَخَلَ الْبَصْرَةَ فَرَّقَ فِي أَصْحَابِهِ أَمْوَالَ بَيْتِ الْمَالِ، فَنَالَ كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ خَمْسَمِائَةٍ، وَقَالَ: لَكُمْ مِثْلُهَا مِنَ الشَّامِ فِي أَعْطِيَاتِكُمْ. فَتَكَلَّمَ فِيهِ السَّبَئِيَّةُ أَيْضًا، وَنَالُوا مِنْهُ مِنْ وَرَاءَ وَرَاءَ.
[وَلَمَّا فَرَغَ عَلِيٌّ مِنْ أَمْرِ الْجَمَلِ]
فَصْلٌ (وَلَمَّا فَرَغَ عَلِيٌّ مِنْ أَمْرِ الْجَمَلِ)
وَلَمَّا فَرَغَ عَلِيٌّ مِنْ أَمْرِ الْجَمَلِ أَتَاهُ وُجُوهُ النَّاسِ يُسَلِّمُونَ عَلَيْهِ، فَكَانَ فِيمَنْ جَاءَهُ الْأَحْنَفُ بْنُ قَيْسٍ فِي بَنِي سَعْدٍ - وَكَانُوا قَدِ اعْتَزَلُوا الْقِتَالَ - فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: تَرَبَّصْتَ - يَعْنِي بِنَا - فَقَالَ: مَا كُنْتُ أُرَانِي إِلَّا قَدْ أَحْسَنْتُ، وَبِأَمْرِكَ كَانَ مَا كَانَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، فَارْفُقْ فَإِنَّ طَرِيقَكَ الَّذِي سَلَكْتَ بِعِيدٌ، وَأَنْتَ إِلَيَّ غَدًا أَحْوَجُ مِنْكَ أَمْسِ، فَاعْرِفْ إِحْسَانِي، وَاسْتَبْقِ مَوَدَّتِي لِغَدٍ، وَلَا تَقُلْ مِثْلَ هَذَا فَإِنِّي لَمْ أَزَلْ لَكَ نَاصِحًا.
قَالُوا: ثُمَّ دَخَلَ عَلِيٌّ الْبَصْرَةَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، فَبَايَعَهُ أَهْلُهَا عَلَى رَايَاتِهِمْ، حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৫৯৬৭
আবু ইয়া লা মাওসিলী বলেছেন, আবু কুরায়ব, ইউনুস, ইবন বাকর, তালহা ইবন
ইয়াহ্ইয়া, তালহা (রা) এর দুই পুত্র মুসা ও ঈসা হতে সুত্র পরম্পরায় তালহা (বা) হতে বর্ণিত
হয়েছে ৷ জনৈক পল্লীবাসী বেদুঈন রাসুলুল্লাহ্ষ্শ্পু প্শ্ষ্প্এর সাহাবীগণের কাছে এসে (পবিত্র
কুরআনের সুরা আহ্যাবে ৩০নং আয়াতে সাহাবায়ে ফিরাম সম্পর্কে বর্ণিত ষ্ , ণ্;গ্রা
শুরু তাদের মধ্যে কেউ কেউ তার করণীয় সম্পন্ন করেছেন’) কার করণীয় সম্পন্ন করেছেন-
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা বললেন, তৃমি রাসুলুল্লাহ্ শ্ল্ঘ্নে কে জিজ্ঞেস কর ৷ ’ তখন যে তাকে
মসজিদে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে এড়িয়ে গেলেন ৷ পরে সে আবার জিজ্ঞেস
করলে তিনি তখনও এড়িয়ে গেলেন ৷ এ সময় আমি মসজ্যিদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করছিলড়াম ৷
তখন আমার পায়ে ছিল সবুজ পোশাক ৷ তখন রাসুলুল্লাহমোঃবললেন া ৷৷ ৷ এ ৷ প্ৰশ্নকারী
কোথায়ঃ আমি বললাম, এই যে, আমি ৷ তিনিমোঃ আঃ(আমার দিকে ইংণিত করে) বললেন ৷া১
ৰু ন্গুদ্বু ;, যারা তাদের করণীয় সম্পন্ন করেছে এ ব্যক্তি তাদের অন্যতম ৷ আবুল
কাসিম বাণাৰী বলেছেন, দাউদ ইবন রুশায়দ (রাশীদ), মাকী, আলী ই বৃন ইবন ইব্রাহীম,
সালুত ইবন দীনার, আবু নায়রা সুত্র পরষ্পরায় জাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) হতে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ্ ল্যাং বলেছেন
া
নিজের দুই পায়ের উপরে হেটে চলছে (অর্থাৎ পৃথিবীর বুকে জীবন্ত চলমান) এমন কোন
শহীদ ব্যক্তিকে যে দেখার ইচ্ছা রাখে সে যেন তালহা ইবন উৰায়দুল্লাহ-কে দেখে ৷ তিরমিযী
(র) বলেছেন, আবু সা ঈদ আশাজ্জ, আবু আবদির রহমান ইৰ্ন মানসুর আনাফী-আনৃ নাযার,
উমৃরা ইবন আল কামা ইয়াশকুরী সুত্র পরম্পরায় বর্ণিত,উকৰা (রা) বলেন, আমি “আলী ইবন
আবু তালিব (রা) কে বলতে শুনেছি, আমার দুই কান রসুলুল্পাহ্£শ্নো কে বলতে শুনেছে,
<৷ ৷ এ ষ্ ৷ , ৷১ ),৷ ৷ , ত্রুাপ্রু তালহা ও যুৰায়র (বা) জান্নাতে আমার দৃই প্রতিবেশী
(হ্বে)২
একাধিক সুত্রে আলী (রা)-এর এ বক্তা বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন :
ট্র১ শুণুরুষ্) ঘুণ্ডা
ণ্র্মীএএএেষ্
আমি আশা করি যে, আমি তালহা, যুৰায়র ও উসমান তাদের অন্তর্ভুক্ত হব যাদের সম্পর্কে
আল্লাহ তা জানা বলেহ্নো আমি তাদের অত্তব হতে বিদ্বেষ দুর করে দিব তারা ভাই ভাই
হয়ে পরস্পর মুখোমুখি আসনে অবস্থান করবে ৷ (সুরা হ্নিজর ১৫ : : ৭)
১ তিরমিযী, মানাষিব, হাদীস নং ৩৭৩১, ৫ধ্ (আরৰীয় মুদ্রণ), প্৬৮৪ পৃ ; ত্বিবমিযীর মন্তব্য : এটি এমন
সুত্রের হাদীস, যা সালুত ব্যতীত অন্য কারো বর্ণনায় দেখা যায় না ৷ বিষয়াস্মি-ম্র্নীৰীণণ সালুত ইবন দীনার
এবং (তালহা বা-এর বংশধর সালিহ ইবন মুসা সানিহীর স্মরণ শতি’দুর্বন হওয়ার অত্যিবাণ উত্থাপন
করেছেঃ ৷ দ্র£ তাৰাকাতে হবৃন সা দ, ৫ খ ৬৪৪-৬৪৫ পৃ )
হ তিরমিষী, মানাকিব, হাদীস নং ৩৭৪১
الْجَرْحَى وَالْمُسْتَأْمِنَةُ. وَجَاءَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ الثَّقَفِيُّ، فَبَايَعَهُ فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: أَيْنَ الْمَرِيضُ - يَعْنِي أَبَاهُ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ وَاللَّهِ مَرِيضٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَإِنَّهُ عَلَى مَسَرَّتِكَ لَحَرِيصٌ. فَقَالَ: امْشِ أَمَامِي، فَمَضَى إِلَيْهِ فَعَادَهُ، وَاعْتَذَرَ إِلَيْهِ أَبُو بَكْرَةَ فَعَذَرَهُ، وَعَرَضَ عَلَيْهِ الْبَصْرَةَ فَامْتَنَعَ وَقَالَ: رَجُلٌ مِنْ أَهْلِكَ يَسْكُنُ إِلَيْهِ النَّاسُ. وَأَشَارَ عَلَيْهِ بِابْنِ عَبَّاسٍ فَوَلَّاهُ عَلَى الْبَصْرَةِ، وَجَعَلَ مَعَهُ زِيَادَ بْنَ أَبِيهِ عَلَى الْخَرَاجِ وَبَيْتِ الْمَالِ، وَأَمَرَ ابْنَ عَبَّاسٍ أَنْ يَسْمَعَ مِنْ زِيَادٍ وَكَانَ زِيَادٌ مُعْتَزِلًا.
ثُمَّ جَاءَ عَلِيٌّ إِلَى الدَّارِ الَّتِي فِيهَا أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةُ، فَاسْتَأْذَنَ وَدَخَلَ فَسَلَّمَ عَلَيْهَا وَرَحَّبَتْ بِهِ، وَإِذَا النِّسَاءُ فِي دَارِ بَنِي خَلَفٍ يَبْكِينَ عَلَى مَنْ قُتِلَ مِنْهُمْ ; عَبْدُ اللَّهِ وَعُثْمَانُ ابْنَا خَلَفٍ، فَعَبْدُ اللَّهِ قُتِلَ مَعَ عَائِشَةَ، وَعُثْمَانُ قُتِلَ مَعَ عَلِيٍّ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلِيٌّ قَالَتْ لَهُ صَفِيَّةُ امْرَأَةُ عَبْدِ اللَّهِ أُمُّ طَلْحَةَ الطَّلَحَاتِ: أَيْتَمَ اللَّهُ مِنْكَ أَوْلَادَكَ كَمَا أَيْتَمْتَ أَوْلَادِي. فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهَا عَلِيٌّ شَيْئًا، فَلَمَّا خَرَجَ أَعَادَتْ عَلَيْهِ الْمَقَالَةَ أَيْضًا، فَسَكَتَ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَتَسْكُتُ عَنْ هَذِهِ الْمَرْأَةِ وَهِيَ تَقُولُ مَا تَسْمَعُ؟ فَقَالَ: وَيْحَكَ! إِنَّا أُمِرْنَا أَنْ نَكُفَّ عَنِ النِّسَاءِ وَهُنَّ مُشْرِكَاتٌ، أَفَلَا نَكُفُّ عَنْهُنَّ وَهُنَّ مُسْلِمَاتٌ؟ ! فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ عَلَى الْبَابِ رَجُلَيْنِ يَنَالَانِ مِنْ عَائِشَةَ. فَأَمَرَ عَلِيٌّ الْقَعْقَاعَ بْنَ عَمْرٍو أَنْ يَجْلِدَ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِائَةً، وَأَنْ يُخْرِجَهُمَا مِنْ ثِيَابِهِمَا.
وَقَدْ سَأَلَتْ عَائِشَةُ عَمَّنْ قُتِلَ مَعَهَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَمَنْ قُتِلَ مِنْ عَسْكَرِ عَلِيٍّ، فَجَعَلَتْ كُلَّمَا ذُكِرَ لَهَا وَاحِدٌ تَرَحَّمَتْ عَلَيْهِ وَدَعَتْ لَهُ.
পৃষ্ঠা - ৫৯৬৮
وَلَمَّا أَرَادَتْ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةُ الْخُرُوجَ مِنَ الْبَصْرَةِ بَعَثَ إِلَيْهَا عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِكُلِّ مَا يَنْبَغِي مِنْ مَرْكَبٍ وَزَادٍ وَمَتَاعٍ وَغَيْرِ ذَلِكَ، وَأَذِنَ لِمَنْ نَجَا مِمَّنْ جَاءَ فِي جَيْشِهَا أَنْ يَرْجِعَ مَعَهَا، إِلَّا أَنْ يُحِبَّ الْمَقَامَ، وَاخْتَارَ لَهَا أَرْبَعِينَ امْرَأَةً مِنْ نِسَاءِ أَهْلِ الْبَصْرَةِ الْمَعْرُوفَاتِ. وَسَيَّرَ مَعَهَا أَخَاهَا مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ، فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي ارْتَحَلَتْ فِيهِ، جَاءَ عَلِيٌّ فَوَقَفَ عَلَى الْبَابِ وَحَضَرَ النَّاسُ مَعَهُ وَخَرَجَتْ مِنَ الدَّارِ فِي الْهَوْدَجِ، فَوَدَّعَتِ النَّاسَ وَدَعَتْ لَهُمْ وَقَالَتْ: يَا بَنِيَّ لَا يَعْتِبْ بَعْضُنَا عَلَى بَعْضٍ، إِنَّهُ وَاللَّهِ مَا كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَلِيٍّ فِي الْقِدَمِ إِلَّا مَا يَكُونُ بَيْنَ الْمَرْأَةِ وَأَحْمَائِهَا، وَإِنَّهُ عَلَى مَعْتَبَتِي لَمِنَ الْأَخْيَارِ. فَقَالَ عَلِيٌّ: صَدَقَتْ وَاللَّهِ مَا كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا إِلَّا ذَاكَ وَإِنَّهَا لَزَوْجَةُ نَبِيِّكُمْ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَسَارَ عَلِيٌّ مَعَهَا مُوَدِّعًا وَمُشَيِّعًا أَمْيَالًا وَسَرَّحَ بَنِيهِ مَعَهَا بَقِيَّةَ ذَلِكَ الْيَوْمِ - وَكَانَ يَوْمَ السَّبْتِ مُسْتَهَلَّ رَجَبٍ سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ - وَقَصَدَتْ فِي مَسِيرِهَا ذَلِكَ إِلَى مَكَّةَ، فَأَقَامَتْ بِهَا إِلَى أَنْ حَجَّتْ عَامَهَا ذَلِكَ، ثُمَّ رَجَعَتْ إِلَى الْمَدِينَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا
وَأَمَّا مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ فَإِنَّهُ لَمَّا فَرَّ اسْتَجَارَ بِمَالِكِ بْنِ مِسْمَعٍ فَأَجَارَهُ وَوَفَّى لَهُ، وَلِهَذَا كَانَ بَنُو مَرْوَانَ يُكْرِمُونَ مَالِكًا وَيُشَرِّفُونَهُ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ نَزَلَ دَارَ بَنِي خَلَفٍ فَلَمَّا خَرَجَتْ عَائِشَةُ، خَرَجَ مَعَهَا، فَلَمَّا سَارَتْ هِيَ إِلَى مَكَّةَ سَارَ هُوَ إِلَى الْمَدِينَةِ
পৃষ্ঠা - ৫৯৬৯
হাষ্মাদ ইবন সালামা আলী ইবন যায়দ সুত্রে সাঈদ ইবনুল্ল মুসায়্যাব হতে বর্ণনা করেছেন,
তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তি তালহা, যুবায়র, উসমান ও আলী (না)-এর বিরুপ সমালোচনা
করত ৷ সাদ (রা) নিষেধ করতেন এবং বল্তেন, আমার ভইিদের দুর্নাম কর না ৷ লােকটি তা
অমান্য করলে সাদ (বা) দুই রকেআত সালাতুআদয়ি করলেন এবং দুআ করলেন-“ইয়া
আল্লাহ! যে যা বলছে তা যদি আপনার ক্রোধেরকারণ হয় ত্বে আজ আমাকে তার ব্যাপারে
একটি নিদর্শন দেখিয়ে দিন এবং তাকে মানুষের জন্য শিক্ষণী য় করুন ! এ সময় সোকটি বের
হয়ে গেলে হঠাৎ একটি বুখতী (আরবী ঘোড়া, উট) মানুষের তিড়ের ভিতর হতে; এগিয়ে এসে
ণ্ৰুলাকটিকে আৎগিনায় ধ রে ফেলল এবং তাকে মেঝের পাথরের উপরে ফেলে দিয়ে বুকের চাগেণ্
পুিষে মেরে ফেলল ৷ সাঈদ (বা) বলেন, এ ঘটনার পরে আমি লোকদের দেখেছি যে, তারা
দৌড়ে দৌড়ে সাদ (রা)-এর কাছে বলছিল, আবু ইসহাক ৷ আপনাকে মুবারকবাদ৷ আপনার
দুআ কবুস হয়েছে ৷ ণ্
যুৰায়র ইবনুশ আওয়াম ইবন খুওয়ায়লিদ (বা)
বংশধারা : যুৰায়র ইবনুল আওয়াম ইবন খুওয়ায়লিদ ইবন আসাদ ইবন আবদুল উয্যা
ইবন কুসাই ইবন কিলাব ইবন মুররা ইবন কা ব ইবন লুঅইি ইবন গালিব ইবন ফিহ্ৱ ইবন
মালিক ইবনুন নায়র ইবন কিননাে আর কুরায়শী ৷ কুনিযাদ আবু আবদুল্পাহ্ ৷ তার মতো
রাসুলুল্লাহ্মোঃ এর ফুফী সাফিয়্যা বিনত আবদুল মুত্তালিব ৷ তিনি প্রারম্ভিক যুগে ইসলাম
গ্রহণকারীদেরঝো অন্যতম ৷ তখন তার বয়স চিল মাত্র পনর বছর মতাস্তরে আরো অল্প কিংবা
অধিক ৷ তিনি প্রথমে হাবাশায় (আবিসিনিয়া ইথিওপিয়া ইরিত্রিয়া) ও পরে পবিত্র মদীনায়
হিজরত করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ শ্রুদ্বুর্টু সালামা ইবন সালামা (হুষ্১£ ব্লু,ৰু ২ণ্া) ইবন ওয়াক্শ-এর
সংগে তার ভ্রাতৃ সম্বন্ধ স্থাপন করে দেন ৷ তিনি সব কটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ আহযাব
(খন্দক) যুদ্ধের সময় (এক রাতে) রাসুলুল্লাহ্ড্রোআহ্বান জানিয়ে বললেন,
ণ্ প্দ্বুব্লু ৷ “(সংগােপনে) কে শৃক্রদের সত্বাদ নিয়ে আসতে পারো যুবায়র (বা) বললেন,
“আমি ৷ রাসুলুল্লাহ্ পুষ্গ্ণ্ষ্ র্টু পুনরায় ঘোষণা দিলে ন্যুবায়র (রা) আহ্বানে সাড়া দিলেন ৷ আবার
ঘোষণা দিলে যুবায়র (রা)-ই সাড়া দিলেন ৷
তখন রাসুলুল্লাহস্রোবললেন ;, ৷ — প্রত্যেক
নবীর একজন একান্ত সহযোগী থাকে ৷ আমার একান্ত সহযোগী যুবায়ৰ (বা) ৷ ১ এটি র্বৃআলী (বা)
হতে যির্র হতে বর্ণিত হয়েছে ৷ যুৰায়র (বা) হতে বর্ণিত হয়েছে,, তিনি বলেছেন, বনু
কুরায়জার দিন রাসুলুল্পাহ্স্তের্তার পিতামাতাকে একত্রিত করেছেন (অর্থাৎ আরবীয় রীতি
অনুসারে তােমার জন্য আমার পিতা-মাতা উৎসর্ণীত’ কথাটি বলেছেন) ৷ একটি বর্ণনায় আছে
যে, যুবায়র (রা) ই ছিলেন ইসলামের পক্ষে প্রথম উরৰারিষ্টাত্তালনকারী এবং তা ছিল পবিত্র
মক্কার ঘটনা ৷ রাসুলুল্লাহ্প্নে ল্যাং ণ্ক হত্যা করা হয়েছে, সাহাৰীপণের কাছে এ স বাদ পৌছলে
যুৰায়র (বা) উ ন্মুক্ত তরাবব্লি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন এবং রাসুলুল্লাহ্মোঃ কে দেখৰার পর
১ দ্রও তাৰাকাতে ইবন সাদ, ৩১০৫; সীরাতে ইৰ্ন হিশমৈ, ৩৩-১০; আল্ ইসবােহ; ২৫৪৫; ঐ টীকা
قَالُوا: وَقَدْ عَلِمَ مَنْ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَالْبَصْرَةِ بِالْوَقْعَةِ يَوْمَ الْوَقْعَةِ، وَذَلِكَ مِمَّا كَانَتِ النُّسُورُ تَخْطَفُهُ مِنَ الْأَيْدِي وَالْأَقْدَامِ فَيَسْقُطُ مِنْهَا هُنَالِكَ، حَتَّى إِنَّ أَهْلَ الْمَدِينَةِ عَلِمُوا بِذَلِكَ يَوْمَ الْجَمَلِ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ، وَذَلِكَ أَنَّ نَسْرًا مَرَّ بِهِمْ وَمَعَهُ شَيْءٌ فَسَقَطَ مِنْهُ فَإِذَا هُوَ كَفٌّ فِيهِ خَاتَمٌ نَقْشُهُ: عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَتَّابٍ.
هَذَا مُلَخَّصُ مَا ذَكَرَهُ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ، رَحِمَهُ اللَّهُ عَنْ أَئِمَّةِ هَذَا الشَّأْنِ وَلَيْسَ فِيهِ مَا يَذْكُرُهُ أَهْلُ الْأَهْوَاءِ مِنَ الشِّيعَةِ وَغَيْرِهِمْ مِنَ الْأَحَادِيثِ الْمُخْتَلَقَةِ عَلَى الصَّحَابَةِ، وَالْأَخْبَارِ الْمَوْضُوعَةِ الَّتِي يَنْقُلُونَهَا بِمَا فِيهَا، وَإِذَا دُعُوا إِلَى الْحَقِّ الْوَاضِحِ أَعْرَضُوا عَنْهُ وَقَالُوا: لَنَا أَخْبَارُنَا وَلَكُمْ أَخْبَارُكُمْ. فَنَقُولُ لَهُمْ: {سَلَامٌ عَلَيْكُمْ لَا نَبْتَغِي الْجَاهِلِينَ} [القصص: 55] .
[ذِكْرُ أَعْيَانِ مَنْ قُتِلَ يَوْمَ الْجَمَلِ]
فَصْلٌ فِي ذِكْرِ أَعْيَانِ مَنْ قُتِلَ يَوْمَ الْجَمَلِ مِنَ السَّادَةِ النُّجَبَاءِ مِنَ الصَّحَابَةِ وَغَيْرِهِمْ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ
وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّ عِدَّةَ الْقَتْلَى نَحْوٌ مِنْ عَشَرَةِ آلَافٍ، وَأَمَّا الْجَرْحَى فَلَا
পৃষ্ঠা - ৫৯৭০
তরবারি খাপবদ্ধ করেন ৷ তিনি জান্নড়াতের আগাম সুসংবাদ প্রদত্ত দশজন (আশারা-ই
মুবাশশারা)-এর অন্যতম এবং পরবর্তী খলীফা নির্বাচনৈর জন্য উমর (রা) কর্তৃক মনোনীত ছয়
সদস্যের (নির্বাচনী বোডেরি) অন্যতম, যাদের প্রতি তুষ্ট থাকা অবস্থায় রাসুলুল্লাহ্লোঃ ওফাত
বরণ করেন ৷ ৰু
তিনি ছিলেন আবু বকর সিদ্দীক (রা)-কে সঙ্গদানকারী উত্তম সহযোগী এবং তার জামাতা-
আসমা বিনত আবু বকর (বা)-এর স্বামী ৷ তার ছেলে আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়র (বা) হিজরতের
পরে জন্মগ্রহণকারী প্রথম মুসলিম সন্তান ৷
মুসলিম মুজাহিদ বাহিনীর সঙ্গে তিনি শাম গমন করেন এবং ইয়ারমুক যুদ্ধে অংশ্যাহণ
করেন ৷ তীর উপস্থিতি এ বাহিনীকে সৌভাগ্যমণ্ডিত করে এবং এ যুদ্ধে তিনি সমুন্নত সাহসিকতা
প্রদর্শন করে বিশাল অবদান রাখেন ৷ তিনি প্রতিপক্ষ রোমান বাহিনীর এ প্রান্ত হতে যে প্রান্ত
পর্যন্ত দুইবার তছুনছু করে দেন ৷ যুবায়র (রা) ছিলেন হযরত উসমান (রা)-এর পক্ষাবলম্বনকারী
ও তার পক্ষে প্রতিরোধকারী উল্লেখযােগ্যদের অন্যতম ৷ জামাল যুদ্ধের দিন আলী (রা) র্তাকে
পুর্বোল্লিখিত বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে হতে পৃথক হয়ে পবিত্র মদীনা অভিমুখে
ফিরে যান ৷ পথিমধ্যে তিনি আহ্লাফ ইবন করেন (বা) এর গোত্রের নিবাস অতিক্রম করেন ৷ এ
গোত্রটি চলমান সংঘাতে নিরপেক্ষ অবস্থানে ছিল ৷ এ সময় এক ব্যক্তি কথিত মতে যার নাম
আহনাফ বলল, এ লোকঢির অবস্থা কাি সে লোকদের সমবেত করবেঃ পরে যখন তারা
পরস্পর মুখোমুখি হলো তখন যে নিজের ঘরে ফিরে যাচ্ছে কেনঃ তার প্রকৃত রহস্য কে
উদঘাটন করতে পারো তখন আবৃর ইবন জুরমুয়, ফাযালা ইবন হাবিস ও নুযায বনু তামীমের
একদল সদ্রাসীসহ তার অনুণমন করে ৷ বর্ণিত মতে তার তার কাছে পৌছে গেল পারস্পরিক
সহযোগিতায় তাকে হত্যা করে ৷
অন্য একটি বর্ণনা মতে আষর ইবন জুরমুয তার কাছে পৌছে গিয়ে র্তাকে বলল, আপনার
কাছে আমার একটি প্রয়োজন আছে ৷ তখন যুবায়র (বা) বললেন, কাছে এসো! তখন যুবায়র
(রা)-এর মাওলা (গোলাম) আতিয়া বলল, তীর সংগে অস্ত্র আছেঃ যুবায়র (বা) বললেন, তা
থাকলেও ৷ তখন আঘৃর এগিয়ে এসে তার সংগে কথা বলতে লাগল ৷ তখন সালাতের
সময় হয়ে গিয়েছিল ৷ যুবায়র (বা) তাকে বললেন, সালাত (আদায় করে নাই) ৷ আমর বলল,
সালাত ৷ যুবায়র (বা) সামনে দাড়িয়ে তীদেরসহ সালাত আদায় করতে লাগলেন, এ সময়
আমর ইবন জুরমুয তরবারি দ্বারা তাকে আঘাত করে হত্যা করে ফেলল ৷
অপর একটি বর্ণনা মতে আমৃর র্তাকে ওয়াদিসৃ সিবা নামের একটি উপত্যকায় পেয়ে
গেল ৷ তখন তিনি দিবা নিদ্রায় মগ্ন ছিলেন আমর অতর্কিত আক্রমণে তীকে হত্যা করল ৷ এ
বর্গনাটি অধিক প্রসিদ্ধ ৷ এ প্রসংগে তার সর্বশেষ ত্রী আতিকাহ্ বিনত যায়দ ইবন আমর ইবন
নুফায়ল-এর কবিতা এ মতটির অনুরুপ সাক্ষ্য বহন করে ৷ আতিকাহ্ এর পুর্বে উমর ইবনুল
খাত্তাব (রা)এর বিবাহে ছিলেন ৷ তিনিও শহীদ হয়েছিলেন এবং তার পুর্বে আতিকাহ্ আবদুল্লাহ
ইবন আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর শ্রী ছিলেন এবং আবদুল্লাহ্ (রা) ও শহীদ হয়েছিলেন ৷ যুবায়র
(বা) শহীদ হলে আতিকা (বা) একটি মর্মস্পর্শী শোকপথো রচনা করেছিলেন, তাতে আছে :
يُحْصَوْنَ كَثْرَةً.
وَلَمْ يَكُنْ فِي الْفَرِيقَيْنِ مِنَ الصَّحَابَةِ إِلَّا الْقَلِيلُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ: هَاجَتِ الْفِتْنَةُ وَأَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَشَرَاتُ أُلُوفٍ، فَلَمْ يَحْضُرْهَا مِنْهُمْ مِائَةٌ، بَلْ لَمْ يَبْلُغُوا ثَلَاثِينَ. وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ - هُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ - ثَنَا مَنْصُورُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: قَالَ الشَّعْبِيُّ: لَمْ يَشْهَدِ الْجَمَلَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، غَيْرَ عَلِيٍّ، وَعَمَّارٍ، وَطَلْحَةَ، وَالزُّبَيْرِ، فَإِنْ جَاءُوا بِخَامِسٍ فَأَنَا كَذَّابٌ. قُلْتُ: قَدْ حَضَرَهَا عَائِشَةُ، وَابْنُ الزُّبَيْرِ، وَالْحَسَنُ، وَالْحُسَيْنُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، وَسَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ، وَآخَرُونَ. فَمِمَّنْ قُتِلَ يَوْمَئِذٍ فِي الْمَعْرَكَةِ
طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ كَعْبِ بْنِ سَعْدِ بْنِ تَيْمِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ، أَبُو مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيُّ التَّيْمِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৫৯৭১
-’;শ্ষ্শ্ষ্ধ্ )ইশ্
টু
মোঃ
ইবনৃ জুরমুয বিশ্বাসঘাতকতা করেছে যুদ্ধের দিনের সংগীন পরিস্থিতির এক দুঃসাহ
ঘোড়সওয়ারকে, যে কখনও পলায়ন করে না ৷
হে আমর ! তুমি তাকে সতর্কতার অবকাশ দিলে তুমি অবশ্যই দেখতে পেতে যে, সে
ভয়ার্ত হৃদকম্পে অস্থির চিত্ত-সচেতন নয় এবং তার হাতও কম্পিত নয় ৷
তোমার মা তোমাকে হারিয়ে পুত্র গােকে শোকাতৃরা হোক ! তুমি যে সকাল-বিকালে
বিচরণকারী বিদ্যমানদের মধ্য হতে তার সমতৃল্যকে ঘায়েল করার সুযোগ পেয়ে গেলে ৷ ১
কত সংকটেই সে ঝাপিয়ে পড়েছে, যা হতে তাকে ফিরিয়ে রাখতে পারেনি ভোর (ঘেটে
বল্লমের) আক্রমণ হে উই ঢিবির ব্যাঙের ছাত৷ ( র পুত) ৷২
কসম আমার প্রতিপালক আল্লাহ্র! তুই খুন কারছিস অবশ্যই একজন মুসলিমকে এবং
ভোর জন্য সাব্যস্ত রয়েছে স্বেচ্ছায় হত্যাকারীর কঠিন সাজা ৷
আমর ইবন জুরমুয যুবায়র (রা)-কে হত্যা করার পর তার গর্দান কেটে তা নিয়ে আলী
(রা)-এর কাছে উপস্থিত হলো ৷ তার ধারণা ছিল এ কর্মের কারণে যে “আলী (রা) এর বিশেষ
মর্যাদার অধিকারী হবে ৷’ সে প্রবেশের অনুমতি চাইলে আলী (রা) বললেন, তাকে অনুমতি
দিও না এবং তাকে জাহান্নামের সুসংবাদ’ শুনিয়ে দাও ৷ অপর এক বর্ণনায় আছে, আলী (রা)
বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ত্রু-কে বলতে শুনেছি সাফিয়া
(রা)এর পুত্রহন্তাকে জাহান্নামের সুসংবাদ দাও ৷”
ইবন্ জুরমুয যুবায়র (রা)-এর তরবারি নিয়ে আলী (রা)-এর কাছে উপস্থিত হলে তিনি
বললেন, “এ তরবারি-ই সুদীর্ঘকাল রাসুলুল্লাহ্স্র এর উপর হতে সংবল্ট দুরীভুত করেছে ৷ ”
বর্ণনা মতে, আলী (রা)-এর এ বক্তব্য শোনার পর আমর ইবন জুরমুয আত্মহত্যা করে ৷
অপর বর্ণনায় যুসআব ইবনুয যুবায়র (রা) ইরাকের ক্ষমতার মসনদারোহী হওয়া পর্যন্ত যে
বেচে ছিল ৷ যুসআব (রা) ইরাকে ক্ষমতাসীন হলে সে আত্মগােপন করে ৷ তখন মুসআবকে
অবহিত করা হলো যে, ইবন জুরমুয এখানে কোথাও আত্মগােপন করে আছে ৷ আপনি কি তার
ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিবেনঃ যুসআব (রা) বললেন, “তাকে বলে দাও, সে নিরাপদ, সে
জনসমক্ষে জীবন যাপন করতে পারে ৷ আল্লাহর সময় ! আমি তাকে যুবায়র (রা) হত্যার মিরাসে
দণ্ডিত করব না ৷ কেননা, আমার দৃচিত সে যুবায়র (রা)-এর সমপর্ষায়ে হওয়া থেকে অতি তৃচ্ছ ৷
১
র্চে - ,-, , ৰু ,,; ড্রু ন্ষ্ অর্থ : তোমার মা পুত্র শোকে শোকাতৃরা হোক ৷ তুমি যেথায় বিচরণ কর সেথায়
বিগতদের মধ্যে তুমি কি তার সমতুল্য কাউকে নাপালে পেয়েছ ৷
২ তাবকােতে ;,এে ৷ স্থলে প্রুপ্রু; ৷ আছে ৷ অর্থ মাটির উচু তুপ, উই পােকাৱ ঢিৰি ৷
৫ ৭
وَيُعْرَفُ بِطَلْحَةَ الْخَيْرِ، وَطَلْحَةَ الْفَيَّاضِ ; لِكَثْرَةِ بِرِّهِ، وَكَثْرَةِ جُودِهِ. أَسْلَمَ قَدِيمًا عَلَى يَدَيْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، فَكَانَ نَوْفَلُ بْنُ خُوَيْلِدِ بْنِ الْعَدَوِيَّةِ يَشُدُّهُمَا فِي حَبْلٍ وَاحِدٍ، وَلَا تَسْتَطِيعُ بَنُو تَيْمٍ أَنْ تَمْنَعَهُمَا مِنْهُ، وَلِذَلِكَ كَانَ يُقَالُ لِطَلْحَةَ وَأَبِي بَكْرٍ: الْقَرِينَانِ. وَقَدْ هَاجَرَ وَآخَى رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ، وَشَهِدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، الْمَشَاهِدَ كُلَّهَا إِلَّا بَدْرًا، فَإِنَّهُ كَانَ بِالشَّامِ فِي تِجَارَةٍ وَقِيلَ: فِي رِسَالَةٍ ; لِهَذَا ضَرَبَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِسَهْمِهِ وَأَجْرِهِ مِنْ بَدْرٍ. وَكَانَتْ لَهُ يَوْمَ أُحُدٍ الْيَدُ الْبَيْضَاءُ وَشُلَّتْ يَدُهُ يَوْمَئِذٍ ; لِأَنَّهُ وَقَى بِهَا رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاسْتَمَرَّتْ كَذَلِكَ إِلَى أَنْ مَاتَ. وَكَانَ الصِّدِّيقُ إِذَا حَدَّثَ عَنْ يَوْمِ أُحُدٍ يَقُولُ: ذَاكَ يَوْمٌ كَانَ كُلُّهُ لِطَلْحَةَ. وَقَدْ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَئِذٍ: " «أَوْجَبَ طَلْحَةُ» ". وَذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، دِرْعَانِ، فَأَرَادَ أَنْ يَنْهَضَ وَهُمَا عَلَيْهِ لِيَصْعَدَ صَخْرَةً هُنَالِكَ فَمَا اسْتَطَاعَ فَطَأْطَأَ لَهُ طَلْحَةُ، فَصَعِدَ عَلَى ظَهْرِهِ حَتَّى اسْتَوَى عَلَيْهَا، وَقَالَ: " «أَوْجَبَ طَلْحَةُ» ".
وَهُوَ أَحَدُ الْعَشْرَةِ الْمَشْهُودُ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ، وَأَحَدُ السِّتَّةِ أَصْحَابِ الشُّورَى، وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৫৯৭২
যুবায়র (রা) বিশাল সম্পদ ও বিপুল দান-সাদাকার অধিকারী ছিলেন ৷ জামাল যুদ্ধের দিন
তিনি তার (জ্যেষ্ঠ) পুত্র আবদুল্লাহ্ (রা)-কে ওয়াসী নিয়ের্গেকরেছিলেন ৷ তিনি শাহাদাতবৱণ
করলে হিসাব করে দেখা গেল যে, তার ঋণের পরিমাণ রয়েছে বইিশ লাখ, > যা পরিশোধ করে
দেওয়া হয় ৷ তারপর অবগ্রিষ্টি সম্পদ হতে একতৃতীয়াংশ তার ওসীয়ত অনুসারে পৃথক করা
হয় এবং অবশি দৃই-তৃতীয়াংশ ওয়ারিসদের মধ্যে বন্টন করা হয় ৷ মিরাস বণ্টনে তার চার শ্রীর
প্রত্যেকে তাদের সম্মিলিত প্রাপ্য অষ্টমাংশের চতুর্থাংশ যা পেয়েছিল তার পরিমাণ ছিল যার লাখ
দিরহাম (রৌপ্য মুদ্রা) ৷২ এ হিসাব অনুসারে ওয়ারিসদের সামগ্রি প্রাপ্য ছিল (১ ২,০০০০০
×৪×৮ ৷ তিন কোটি চৌরাশি লাখ এবং ওসিয়াতের পরিমাণ ছিল এক কোটি নিরানব্বই লাখ
এবং মিরাস ও ওসিয়াতের পরিমাণ ছিল এক কোটি বিরানব্বই লাখ এবং মিরাস ও
ওয়াসিয়াতের সমষ্টি ছিল পাচ কোটি ছিয়াত্তর লাখ এবং ঋণ, ওয়াসিয়াতে ও মিবাসের সার্বিক
সমষ্টি ছিল পাচ কোটি আটানব্বই লাখ দিরহাম ৷ (এখানে বিষয়টির বিশদ বিবরণ দেওয়া হলো
এ কারণে যে, সহীহ বুখারীতে উদ্ধৃত এতদসংক্রান্ত (পরিমাণের) বিবরণে আপত্তি রয়েছে
বিধায় বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ সৎগত ছিল ৷ (মহান আল্লাহ্ সমধিক অবহিত ৷)
বিশাল পরিমাণের দান-খয়রাত এবং বিপুল অনুদানে অভ্যস্ত হওয়া সত্বেও যুবাযর (বা) এ
অত্যধিক সম্পদের সুত্র ছিল জিহাদে প্রাপ্ত তার গনীমতের হিসৃসা, গনীমতের পঞ্চমাংশের
পঞ্চুমাংশ হতে তার মাতার প্রাপ্ত অংশ, পরিচ্ছন্ন বরকতময় বাণিজ্য এবং অন্যান্য পবিত্র
স্বত্সমুহ ৷ একটি বর্ণনায় আছে, তার এক হাজার গোলাম দৈনন্দিন তাদের উপার্জন লব্ধ আর
তাকে অর্পণ করত ৷ কোন কোন দিন তাদের এ সমুদয় আয় সাদাকা করে দিতেন ৷ (মহান
আল্লাহ্ তার প্রতি সন্তুষ্ট হন ও তাকে তৃষ্ট করুন ৷) তার হত্যার ঘটনাটি ঘটেছিল ছত্রিশ হিজরীর
জুমাদাল উখরা মাসের দশম দিন বৃহস্পতিবার ৷ তখন তার বয়স হয়েছিল ষাটোর্ধ ছয় কিংবা
সাত (৬৬৬৭) বছর ৷ তার গায়ের বর্ণ ছিল বাদামী এবং দেহ ছিল মধ্যম মাপের, উচ্চতাও
স্বাভাবিক গােশতপুর্ণ ৷ তার মুখে ছিল হালকা দাড়ি ৷ (রাযিয়াল্লাহ আনহু)
ছত্রিশ হিজরীর অপরাপর মটনাপঞ্জী
আলী (রা) মিসরীয় অঞ্চলসমুহের জন্য কায়স ইবন সাদ ইবন উসামা (রা)-কে নাযির
(গভর্নর) নিযুক্ত করে পাঠড়ালেন ৷ উসমান (রা)-এর খিলাফাতকালে এ পদে নিয়োজিত ছিলেন
আবদুল্লাহ্ ইবন সাদ ইবন আবু সারাহ ৷ এর পুর্ববর্তী ঘটনা ছিল নিম্নরুপ : মিসরীয়
খড়ারিজীদের যে দলটি উসমান (রা)এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অশেগ্রহণ করেছিল যে আবদুল্লাহ
ইবন সাবা ইবনুস সাওদা-র নেতৃত্বে ৰিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেছিল এবং দলটি প্রস্তুত করে
দিয়েছিল মুহাম্মদ ইবন আবু হুযায়ফা ইবন উৎবা ৷ মুহাম্মদের পিতা আবু হুযায়ফা (রা)
ইয়ামামার যুদ্ধে শাহাদাতবৱণ করার সময় উসমান (রা)কে ছেলের ব্যাপারে ওসিয়াত করে
গিয়েছিলেন ৷ উসমান (রা) শিশুটিকে নিজ দায়িত্বে গ্রহণ করে নিলেন এবং নিজ বাড়িতে ও স্বীয়
১ এ বিশাল কাজের প্রকৃত রহস্য ছিল এই যে, লোকেরা যুৰায়র (না)-এর বিশ্বস্ততার কারণে তার কাছে তাদের
অর্থ সম্পৃদ আমানত রাখার জন্য নিয়ে আসত ৷ তিনি আমানতের কঠিন দায় থেকে বাচার জন্য সে,অর্থ ঋণ
রুপে গ্রহণ করতেন, যাতে মালিকদের জন্য তা ফেরত পাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায় ৷ অনুবাদক ৷
২ ইবন সাদেৱ বর্ণনায় এগার লাখ ৷
صَحِبَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَحْسَنَ صُحْبَتَهُ حَتَّى تُوُفِّيَ وَهُوَ عَنْهُ رَاضٍ، وَكَذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ. فَلَمَّا كَانَتْ قَضِيَّةُ عُثْمَانَ اعْتَزَلَ عَنْهُ، فَنَسَبَهُ بَعْضُ النَّاسِ إِلَى تَحَامُلٍ عَلَيْهِ ; فَلِهَذَا لَمَّا حَضَرَ يَوْمَ الْجَمَلِ وَاجْتَمَعَ بِهِ عَلِيٌّ فَوَعَظَهُ، تَأَخَّرَ فَوَقَفَ فِي بَعْضِ الصُّفُوفِ، فَجَاءَهُ سَهْمٌ غَرْبٌ فَوَقَعَ فِي رُكْبَتِهِ. وَقِيلَ: فِي رَقَبَتِهِ. وَالْأَوَّلُ أَشْهَرُ، وَانْتَظَمَ السَّهْمُ مَعَ سَاقِهِ خَاصِرَةَ الْفَرَسِ، فَجَمَحَ بِهِ حَتَّى كَادَ يُلْقِيهِ وَجَعَلَ يَقُولُ: إِلَيَّ عِبَادَ اللَّهِ. فَأَدْرَكَهُ مَوْلًى لَهُ فَرَكِبَ وَرَاءَهُ وَأَدْخَلَهُ الْبَصْرَةَ، فَمَاتَ بِدَارٍ فِيهَا. وَيُقَالُ: إِنَّهُ مَاتَ بِالْمَعْرَكَةِ، وَإِنَّ عَلِيًّا لَمَّا دَارَ بَيْنَ الْقَتْلَى رَآهُ فَجَعَلَ يَمْسَحُ عَنْ وَجْهِهِ التُّرَابَ وَقَالَ: رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْكَ أَبَا مُحَمَّدٍ، يَعِزُّ عَلَيَّ أَنْ أَرَاكَ مُجَدَّلًا تَحْتَ نُجُومِ السَّمَاءِ. ثُمَّ قَالَ: إِلَى اللَّهِ أَشْكُو عُجَرِي وَبُجَرِي، وَاللَّهِ لَوَدِدْتُ أَنِّي كُنْتُ مِتُّ قَبْلَ هَذَا الْيَوْمِ بِعِشْرِينَ سَنَةً. وَيُقَالُ: إِنَّ الَّذِي رَمَاهُ بِهَذَا السَّهْمِ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ، وَقَالَ لَأَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ: قَدْ كَفَيْتُكَ رَجُلًا مِنْ قَتَلَةِ عُثْمَانَ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ الَّذِي رَمَاهُ غَيْرُهُ. وَهَذَا عِنْدِي أَقْرَبُ وَإِنْ كَانَ الْأَوَّلُ مَشْهُورًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ يَوْمَ الْخَمِيسِ لِعَشْرٍ خَلَوْنَ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ.
وَدُفِنَ طَلْحَةُ إِلَى جَانِبِ الْكَلَّاءِ وَكَانَ عُمُرُهُ سِتِّينَ سَنَةً. وَقِيلَ: بِضْعًا وَسِتِّينَ سَنَةً.
পৃষ্ঠা - ৫৯৭৩
وَكَانَ آدَمَ وَقِيلَ: أَبْيَضَ. حَسَنَ الْوَجْهِ كَثِيرَ الشَّعْرِ، إِلَى الْقِصَرِ أَقْرَبَ، وَكَانَتْ غَلَّتُهُ فِي كُلِّ يَوْمٍ أَلْفَ دِرْهَمٍ
وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَجُلًا رَأَى طَلْحَةَ فِي مَنَامِهِ وَهُوَ يَقُولُ: حَوِّلُونِي عَنْ قَبْرِي فَقَدْ آذَانِي الْمَاءُ. ثَلَاثَ لَيَالٍ، فَأَتَى ابْنَ عَبَّاسٍ - وَكَانَ نَائِبًا عَلَى الْبَصْرَةِ - فَأَخْبَرَهُ فَاشْتَرَوْا لَهُ دَارًا بِالْبَصْرَةِ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ فَحَوَّلُوهُ مِنْ قَبْرِهِ إِلَيْهَا، فَإِذَا هُوَ قَدِ اخْضَرَّ مِنْ جَسَدِهِ مَا يَلِي الْمَاءَ، وَإِذَا هُوَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ أُصِيبَ.
وَقَدْ وَرَدَتْ لَهُ فَضَائِلُ كَثِيرَةٌ ; فَمِنْهَا مَا رَوَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي عَاصِمٍ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ عِيسَى بْنِ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «سَمَّانِي رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ أُحُدٍ طَلْحَةَ الْخَيْرِ، وَيَوْمَ الْعُسْرَةِ طَلْحَةَ الْفَيَّاضَ، وَيَوْمَ حُنَيْنٍ طَلْحَةَ الْجُودِ» .
وَقَالَ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: ثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ مُوسَى وَعِيسَى، ابْنَيْ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِمَا «أَنَّ نَاسًا مِنْ
পৃষ্ঠা - ৫৯৭৪
তত্ত্বাবধানে তাকে লালন-পালন করলেন এবং তার প্রতিণ্অতিশয় অনুগ্রহ করলেন মুহাম্মদ
ইবাদত ও পৃথিবীর প্রতি নির্মোহ স্বভাব নিয়ে বেড়ে উঠল ৷ এক সময় সে উসমান (রা) এর
কাছে তাকে কোন কর্মে নিয়োগের আবেদন করলে তিনি বললেন, তুমি যখনই এ বিষয়ের
যোগ্য হবে আমি£ তামাকে কমে নিযুক্ত করব ৷ এত সে মনে মনে উসমান (রা) এর প্রতি ৩ক্ষুব্ধ
হলো এবং যুদ্ধে যাওয়ার জন্য উসমান (রা)-এর নিকট অনুমতি প্রার্থনা করল ৷ তিনি অনুমতি
প্রদান করলেন, যে তখন মিসরীয় অঞ্চলের উদ্দেশ্যে বের হলো এবং মিসরের আমীর আব্দুল্লাহ
ইবন সাদ ইবন আবু সারাহ-এর সঙ্গে মুওয়ারী যুদ্ধে অংশগহণ করল ৷ (পুর্ববর্তী বিবরণ দ্রব্য)
এ সময় সে উসমান (রা) এর বিরুপ সমালোচনার লিপ্ত হলো এবং এতো মুহাম্মদ ইবন আবু
বকর (রা) তাকে সহযোগিতা করল ৷ আমীর ইবন আবু সারাহ উসমান (রা) এর কাছে এ
দুইজনের ব্যাপারে অভিযোগ সম্বলিত পত্র পাঠালেন ৷ উসমান (বা) বিষয়টির প্রতি গুরুতু
আরোপ করলেন না ৷ মুহাম্মদ ইবন আবু হুযায়ফার আচরণ পুর্বানুরুপ চলতে থার্কল এবং এক
সময় সে উসমান (রা) এর বিরুদ্ধে পুর্বোল্লিখিত দলটি তৈরি করল ৷
উসমান (রা) (পবিএ মদীনায়) অবরুদ্ধ হওয়ার সং বাদ অবগত হয়ে সে মিসরের ক্ষমতা
দখল করল এবং আবদুল্লাহ ইবন স৷ দ ইবন আবু সারাহকে সেখান থেকে বের করে দিল ৷ সে
সেখানে সালাতের ইমামতি করতে লাগল ৷ ইবন আবু সারাহ পথিমধ্যে আমীরুল মু’মিনীন
উসমান (রা) এর শহীদ হওয়ার স বাদ অবগত হয়ে ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলাইহি রাজিউন
পাঠ করলেন ৷ তিনি আরও অবগত ৩হলেন যে, আলী (বা) কায়স ইবন সাদ ইবন উসামা
(রা)-কে মিসরের আমীর নিযুক্ত করে পাঠিয়েছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন আবু হুযায়ফা মিসরের
ক্ষমতায় এক বছুরও অধিষ্ঠিত থাকতে না পারার বিষয়টি বিতাড়িত আমীর আবদৃল্লাহ্কে
আনন্দিত করল ৷ এ অবস্থায় আবদুল্লাহ ইবন সা দ শামে মু আ ৷বিয়া (রা) এর কাছে চলে গেলেন
এবং তাকে মিসরের ঘটনাবলী ও মুহ৷ মদ ইবন আবু হুযায়ফার ক্ষম৩ ৷ দখলের বিষয়টি অব
করলেন ৷
মু আবিয়৷ (রা) ও আমুর ইবনুল আস (রা) মুহাম্মদ ইবন আবু হুযায়ফাকে মিসর হতে
বিতাড়িত করার উদ্দেশ্যে অভিযান বেরিয়ে পড়লেন ৷ কেননা, সে ছিল উসমান (রা) কে শহীদ
করার কাজে সহায়তা দানকারীদের মধ্যে উল্পেখভৈযাগ্যদের অন্যতম ৷ অথচ উসমান (রা)-ই
তাকে লালন পালনের দায়িতৃ সুচারুরুপে পালন করেছিলেন এবং তার প্ৰতি অনুগ্রহ
করেছিলেন ৷৩ তারা দুইজন বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেও মিসরে প্রবেশ করতে সমর্থ হলেন
না ৷ তখন তারা যুদ্ধের কুটকৌশল অবলম্বন করতে থাকলেন ৷ ফলে এক সময় মুহাম্মদ এক
হাজার লোক নিয়ে আরীফের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে এসে সেখানকার দৃর্ণে অবস্থান গ্রহণ করল ৷
আমৃর ইবনুল আস (বা) তার বিরুদ্ধে মিনজানীক (কামান) দ্বারা আক্রমণ চালাতে থাকলেন ৷
ফলে সে ত্রিশজন সংপীসহ আত্মসমর্পণ করলে তাদের হত্যা করা হলো ৷ (এ বিবরণ মুহাম্মদ
ইবন জারীর তাবারীর)
অপরদিকে আলী (রা) এর পক্ষ হতে ৩নিয়োগপ্রাপ্ত কায়স ইবন সাদ ইবন উবাদা (বা)
মিসর অভিমুখে রওয়ান৷ করলেন এবং সাত জন সঙ্গীসহ মিসরে প্রবেশ করলেন ৷ তিনি মিম্বরে
উঠে আমীরুল মু মিনীন অ৷ লী (রা)-এর পত্র পাঠ করে শো ৷নালেন-(পত্রডাষ্য)
أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالُوا لِأَعْرَابِيٍّ جَاءَ يَسْأَلُ عَمَّنْ قَضَى نَحْبَهُ فَقَالُوا: سَلْ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهُ فِي الْمَسْجِدِ فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ سَأَلَهُ فَأَعْرَضَ عَنْهُ، ثُمَّ اطَّلَعْتُ مِنْ بَابِ الْمَسْجِدِ وَعَلَيَّ ثِيَابٌ خُضْرٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ: " أَيْنَ السَّائِلُ؟ ". قَالَ: هَا أَنَا ذَا. فَقَالَ: " هَذَا مِمَّنْ قَضَى نَحْبَهُ» ".
وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْبَغَوِيُّ ثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، ثَنَا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا الصَّلْتُ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَرَادَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى شَهِيدٍ يَمْشِي عَلَى رِجْلَيْهِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ» وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ، ثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنُ مَنْصُورٍ الْعَنَزِيُّ - اسْمُهُ النَّضْرُ - ثَنَا عُقْبَةُ بْنُ عَلْقَمَةَ الْيَشْكَرِيُّ: سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ يَقُولُ: «سَمِعَتْ أُذُنَايَ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: " طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ جَارَايَ فِي الْجَنَّةِ» "
وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ: إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَنَا وَطَلْحَةُ
পৃষ্ঠা - ৫৯৭৫
৷ এ ৷ ণ্;ণু;;
এ ৷ ণ্,হ্র৷ ৷;; ড্রুঞ এ;;,,
«
মোঃ ব্লুফোৰু১গ্লু
ণ্পু,
;প্রু;;ঞ
ৰুড়া;া, এ ৷
হ্)ক্রোন্
ৰু১১া;প্ ন্ন্ন্, ৷এ
ণপ্১)গ্লু
ৰিসমিল্লাহির রহমানির রহীম আল্লাহর বান্দা আলী আমীরুল মুমিনীনের পক্ষ হতে
মুনিন-মুসলিমগণের মধ্য হতে যাদের কাছে আমার এ ঘোষণাপত্র পৌছবে তাদের প্রতি,
সালামুন আলায়কুম আমি যে আল্লাহর বহু বহু প্রশংসা করছি, যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই ৷
তারপর, আল্লাহ তার উত্তম অনুগ্রহ, নিপুণতা ও কুশলত তা সুত্রে ইসলামকে তার জন্য, এবং তার
ফেরেশতাগণ ও রাসুলগণের জন্য মনোনীত দীনরুপে গ্রহণ করেছেন ৷ সে দীন সহকারে তার
বন্দোদের কাছে রাসুলগণকে প্রেরণ করেছেন এবং তার সৃষ্টির মধ্য হতে ৩নির্বাচিত দেয় যে দীনের
জন্য বিশিষ্ট করেছেন ৷
তিনি এ উস্মতকে যে সব বিষয় দিয়ে মহিমাম্বিত করেছেন এবং যে ফযীলত ও শ্রেষ্ঠৎ দিয়ে
বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে তার অন্যতম হচ্ছে মুহাম্মদমোঃ কে প্রেরণ করা, যিনি তাদের কিতাব,
হিকম৩ , এবং ফরয ও সুন্নাতের তা লীম দিবেন যাতে তারা হিদায়াত প্রাপ্ত হয়; তাদের
সমবেত করেছেন যাতে তারা বিভেদ-বিভক্তি হতে রক্ষা পড়ায়, তাদের পরিশুদ্ধ করেছেন যাতে
তারা পবিত্র হয়, তাদের তাওফীক দান করেছেন যাতে তারা ভ্রান্তির শিকার না হয় ৷ তিনি এসব
বিষয়ে তার দায়িত্ব সম্পাদন করলে মহান আল্লাহ তীকে নিজের কাছে তুলে নিলেন আল্লাহ
তাআলার রহমত, সালাম ও বরকত তার উপর বর্ষিত হোক ৷
وَالزُّبَيْرُ وَعُثْمَانُ مِمَّنْ قَالَ اللَّهُ {وَنَزَعْنَا مَا فِي صُدُورِهِمْ مِنْ غِلٍّ إِخْوَانًا عَلَى سُرُرٍ مُتَقَابِلِينَ} [الحجر: 47] .
وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ رَجُلًا كَانَ يَقَعُ فِي طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ وَعُثْمَانَ وَعَلِيٍّ، فَجَعَلَ سَعْدٌ يَنْهَاهُ وَيَقُولُ: لَا تَقَعْ فِي إِخْوَانِي. فَأَبَى فَقَامَ سَعْدٌ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ هَذَا مُسْخِطًا لَكَ فِيمَا يَقُولُ، فَأَرِنِي فِيهِ الْيَوْمَ آيَةً وَاجْعَلْهُ لِلنَّاسِ عِبْرَةً. فَخَرَجَ الرَّجُلُ فَإِذَا هُوَ بِبُخْتِيٍّ يَشُقُّ النَّاسُ فَأَخَذَهُ بِالْبَلَاطِ، فَوَضَعَهُ بَيْنَ كِرْكِرَتِهِ وَالْبَلَاطِ فَسَحَقَهُ حَتَّى قَتَلَهُ. قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ: فَأَنَا رَأَيْتُ النَّاسَ يَتَّبِعُونَ سَعْدًا وَيَقُولُونَ: هَنِيئًا لَكَ أَبَا إِسْحَاقَ أُجِيبَتْ دَعْوَتُكَ.
وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ بْنِ خُوَيْلِدِ، بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قُصَيِ بْنِ كِلَابِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْقُرَشِيُّ الْأَسَدِيُّ
পৃষ্ঠা - ৫৯৭৬
তার পরে মুসলিম জাতি দুই জন পুণ্যবান আমীরকে খলীফা মনোনীত করল ৷ তারা
কিতাব-সৃন্নাহ অনুসারে আমল করে উত্তম আদর্শ স্থাপন করলেন ৷ তারা সুন্নাতে তর সীমা অতিক্রম
করলেন না ৷ পরে মহান আল্লাহ তাদের ওফাত দান করলেন ৷ মহান আল্লাহ তাদের প্রতি ৩রহম
করুন! তাদের পরে আর একজন দায়িত্ব গ্রহণ করলেন যিনি কিছু কিছু নতুন বিষয় উদ্ভাবন
করলেন ৷ এতে উম্মত সমালোচনা করার সুযোগ পেল, তারা তার প্ৰতি বিক্ষুব্ধ হলো এবং
র্দ-বদল সংঘটিত করল ৷
পরে তারা আমার কাছে এসে আমার হাতে বায়আত গ্রহণ করল ৷ কাজেই আমি মহান
আল্লাহর কাছে তার হিদায়াত প্রার্থনা করছি এবং তাক্ওয়ার জন্য তার সাহায্য প্রার্থনা করছি ৷
শুনে রাখ আমার কাছে তোমাদের প্রাপ্য-অধিকার এই যে, আ ৷মি মহান আল্লাহর কিতা ৷ব ও তার
রসুলের সুন্নাত অনুসারে আমল করব, তার বিধান অনুসারে তোমাদের তত্ত্বাবধান করব এবং
অসাক্ষাতেও তোমাদের মঙ্গল কামনা করব ৷ মহান আল্লাহ্র কাছেই সাহায্য প্রার্থনা, মহান
আল্লাহ্ই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই অতি উত্তম কম বিধায়ক ৷
আমি কায়স ইবন স৷ দ ইবন উবাদা (রা)-কে তোমাদের আমীর নিযুক্ত করে পাঠালাম
তোমরা তাকে পরিপুর্ণ সহাযাগিতা করবে তার সঙ্গে কাধে র্কাধ মিলিয়ে চলবে এবং সত্যের
ব্যাপারে তাকে সহায়তা প্রদান করবে ৷ আমি তাকে তোমাদের সৎকর্মপরায়ণদের প্রতি
সদাচরণ করার, বিশৃৎখলা সৃষ্টিকারীদের কঠোর হাতে দমন করার এবং তোমাদের সাধারণ
জনতা ও বিশিষ্টদের প্রতি উদারত ন্৷ প্রদর্শনের আদেশ ৷দিয়েছি ৷ আমি তার স্বতাব-আচরণের
প্রাত তুষ্ট রয়েছি এবং তার যোগ্যতা দক্ষতা ওক লা৷ণমুখীপ্ কর্ম স্ৎপরতার প্রাত আশাবাদা৷
আমি মহান আল্লাহর কাছে আমার ও তোমাদের জন্য পুত-পবিত্র আমল, বিপুল সাওয়াব ও
বিস্তীর্ণ রহমত প্রার্থনা করছি
ওয়াসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতু ল্লাহি ওয়া বারাকাতৃহু ৷১ ছত্রিশ হিজরী সনের সফর
মাসের ঘটনাবলী প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ ইবন আবু রাফি লিখেছেন, পত্রপাঠ সমাপ্তির পর কায়স
ইবন সাদ র্দা ড়িয়ে ভাষণ দিলেন এবং জনতাকে অ৷ লী (রা) এর অনুকুলে বায়আতের আহ্বান
জানালেন ৷ জনত৷ দাডিয়ে তার হাতে যায় তাতে গ্রহণ করল ৷ সমগ্র মিসর অঞ্চল তার আনুগত্য
স্বীকার করে নিল ৷ শুধু যারাবাত নামের একটি জনপদ ছিল এর ব্যতিক্রম২ ৷ যারাবাতের
বাসিন্দারা উসমান (রা) এর হত্যাকে একটি মারাত্মক বিষয় মনে করত ৷ বাসিন্দারা ছিল
অভিজাত শ্রেণীর ও নেতৃস্থানীয় ৷ তাদের জনসং খ্যা ছিল প্রায় দশ হাজার এবং তাদের নেতা
ছিলেন ইয়াযীদ ইবনুল হারিছ মিদলাব্জী ৷৩ তারা কায়স ইবন সা দ (রা) এর কাছে প্রতিনিধি
পাঠালে তিনি ৩ ৷দের সঙ্গে আপোসরফা করে নেন ৷
এছাড়া মাসলাম৷ ইবন মিদলাজ আনসারীও বায়আত গ্রহণ হতে দুরে অবস্থান করেন ৷
কায়সও তাকে পীড়াপীড়ি না করে তার সঙ্গে সমঝোতার আচরণ করেন ৷
১ পত্র ভাষ্য তাৰারীর তারীখ হতে উদ্ধৃত ৷ দ্র৪ ৫খ ২২৭ পৃ
২ তাবারী ও বিদায়ার মুল গ্রন্থে জনপদটির নাম যারাবাত বলা হয়েছে ৷ কামিলে (৩২৬৯) যারনাব বলা
হয়েছে ৷ ইয়াকুবের মতে যানাব অধিক শুদ্ধ ৷ য়ারবাত আলেকজাদ্রিয়ার পার্শ্ববর্তী একটি অঞ্চল, যা পরে
অনাবাদ হয়ে যায় ৷ (মুজামুল বুলদান, শিরোনাম)
وَأُمُّهُ صَفِيَّةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ; عَمَّةُ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَسْلَمَ الزُّبَيْرُ قَدِيمًا وَعُمُرُهُ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَقِيلَ: أَقَلُّ. وَقِيلَ: أَكْثَرُ. وَهَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ ثُمَّ إِلَى الْمَدِينَةِ فَآخَى رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ سَلَمَةَ بْنِ سَلَامَةَ بْنِ وَقْشٍّ، وَقَدْ شَهِدَ الْمَشَاهِدَ كُلَّهَا، وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ الْأَحْزَابِ: " مَنْ يَأْتِينَا بِخَبَرِ الْقَوْمِ؟ ". فَقَالَ: أَنَا. ثُمَّ نَدَبَ النَّاسَ فَانْتَدَبَ الزُّبَيْرُ، ثُمَّ نَدَبَهُمْ، فَانْتَدَبَ الزُّبَيْرُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ حَوَرِايًّا وَحَوَارِيَّ الزُّبَيْرُ» " ثَبَتَ ذَلِكَ مِنْ رِوَايَةِ زِرٍّ، عَنْ عَلِيٍّ، وَثَبَتَ عَنِ الزُّبَيْرِ أَنَّهُ قَالَ: «جَمَعَ لِي رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَبَوَيْهِ يَوْمَ بَنِي قُرَيْظَةَ» .
وَرُوِيَ أَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَلَّ سَيْفًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ; وَذَلِكَ بِمَكَّةَ حِينَ بَلَغَ الصَّحَابَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَدْ قُتِلَ فَجَاءَ الزُّبَيْرُ شَاهِرًا سَيْفَهُ حَتَّى رَأَى رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَشَامَ سَيْفَهُ.
وَهُوَ أَحَدُ الْعَشَرَةِ الْمَشْهُودِ لَهُمْ بِالْجَنَّةِ، وَأَحَدُ السِّتَّةِ الَّذِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ عَنْهُمْ رَاضٍ. وَصَحِبَ الصِّدِّيقَ فَأَحْسَنَ صُحْبَتَهُ، وَكَانَ خَتَنَهُ عَلَى ابْنَتِهِ
পৃষ্ঠা - ৫৯৭৭
أَسْمَاءَ، وَابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ مِنْهَا ; أَوَّلُ مَوْلُودٍ وُلِدَ لِلْمُسْلِمِينَ بَعْدَ الْهِجْرَةِ. وَخَرَجَ مَعَ النَّاسِ إِلَى الشَّامِ مُجَاهِدًا، فَشَهِدَ الْيَرْمُوكَ فَتَشَرَّفُوا بِحُضُورِهِ، وَكَانَتْ لَهُ بِهَا الْيَدُ الْبَيْضَاءُ، وَالْهِمَّةُ الْعَلْيَاءُ، اخْتَرَقَ جُيُوشُ الرُّومِ وَصُفُوفَهُمْ مِنْ بَيْنِ النَّاسِ مَرَّتَيْنِ مِنْ أَوَّلِهِمْ إِلَى آخِرِهِمْ. وَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ دَافَعَ عَنْ عُثْمَانَ وَجَاحَفَ عَنْهُ. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْجَمَلِ ذَكَّرَهُ عَلِيٌّ بِمَا ذَكَّرَهُ بِهِ - كَمَا تَقَدَّمَ - فَرَجَعَ عَنِ الْقِتَالِ، وَكَرَّ رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ، فَمَرَّ بِقَوْمِ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ - وَكَانُوا قَدِ اعْتَزَلُوا الْفَرِيقَيْنِ - فَقَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ ; يُقَالُ: هُوَ الْأَحْنَفُ: مَا بَالَ هَذَا جَمَعَ بَيْنَ النَّاسِ حَتَّى إِذَا الْتَقَوْا كَرَّ رَاجِعًا إِلَى أَهْلِهِ؟ مَنْ رَجُلٌ يَكْشِفُ لَنَا خَبَرَهُ؟ فَاتَّبَعَهُ عَمْرُو بْنُ جُرْمُوزٍ وَفَضَالَةُ بْنُ حَابِسٍ، وَنُفَيْعٌ فِي طَائِفَةٍ مِنْ غُوَاةِ بَنِي تَمِيمٍ، فَيُقَالُ: إِنَّهُمْ لَمَّا أَدْرَكُوهُ تَعَاوَنُوا عَلَيْهِ حَتَّى قَتَلُوهُ. وَيُقَالُ: بَلْ أَدْرَكَهُ عَمْرُو بْنُ جُرْمُوزٍ، فَقَالَ لَهُ عَمْرٌو: إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً. فَقَالَ: ادْنُ. فَقَالَ مَوْلَى الزُّبَيْرِ ; وَاسْمُهُ عَطِيَّةُ: أَرَى مَعَهُ سِلَاحًا. فَقَالَ: وَإِنْ كَانَ. فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ فَجَعَلَ يُحَادِثُهُ وَحَانَ وَقْتُ الصَّلَاةِ، فَقَالَ لَهُ الزُّبَيْرُ: الصَّلَاةُ. فَقَالَ: الصَّلَاةُ. فَتَقَدَّمَ الزُّبَيْرُ لِيُصَلِّيَ بِهِمَا، فَطَعَنَهُ عَمْرُو بْنُ جُرْمُوزٍ فَقَتْلَهُ. وَيُقَالُ: بَلْ أَدْرَكَهُ عَمْرٌو بِوَادٍ يُقَالُ لَهُ: وَادِي السِّبَاعِ. وَهُوَ نَائِمٌ فِي الْقَائِلَةِ، فَهَجَمَ عَلَيْهِ فَقَتَلَهُ. وَهَذَا الْقَوْلُ هُوَ الْأَشْهَرُ، وَيَشْهَدُ لَهُ شَعْرُ امْرَأَتِهِ عَاتِكَةُ بِنْتُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، وَكَانَ آخَرَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৭৮
এ সময় মুআবিয়া ইবন আবুসুফইয়ান (রা) মিসরের আমীর কায়স-এর কাছে বিশেষ পত্র
পাঠালেন ৷ তিনি তখন প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সমগ্র শাম ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সুসংহত ক্ষমতার
অধিকারী ৷ রোমান সীমান্ত পর্যন্ত অঞ্চলসমুহ ও উপকুলবর্তী অঞ্চলও তার সুদৃঢ় নিয়ন্ত্রণাধীন ৷
সাইপ্রাস দ্বীপপুঞ্জ এবৎ আল জাযীরার রাহা, হাররান কারকীখিয়া প্রভৃতি জনপদও তার
কর্তৃতুাধীন ৷ এছাড়া জামল যুদ্ধে পরাজিত উসমান সকলে তার আশ্রয়ে সমবেত হয়েছিল ৷
আশতার নাখঈ মুআবিয়া (রা)-এর নায়িবগণের কর্তৃতৃ হতে এ সকল অঞ্চল দখল করে
নেওয়ার পরিকল্পনা করলে মুআবিয়া (বা) তার বিরুদ্ধে আবদুর রহমান ইবন খালিদ ইবন ল
ওয়ালীদ (রা)-কে প্রেরণ করেন ৷ আশতার পালিয়ে আত্মরক্ষা করে ৷ ফলে এ সমগ্র অঞ্চলে
মুআবিয়া (রা)-এর কর্তৃত্ব প্রতিপত্তি সুসংহত হয়ে যায় ৷ তিনি কায়স ইবন সাদ (রা)-এর
নিকট পত্র লিখলেন উসমান (রা) এর খুনের বদলার দাবিতে সোচ্চার হওয়ার এবৎ এ প্রসঙ্গে
তিনি যে কর্মতৎপরত৷ পরিচালিত করছেনত তাতে তাকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে ৷
মু আবিয৷ (রা) কায়সকে এ প্রতিশ্রুতিও দিলেন যে উদ্দেশ্য সম্পন্ন হলে যতদিন তার হাতে
ক্ষমতা থাকবে ততদিন কায়স দুই ইরাকে (কুফা ও বসরায়) তার নায়িব পদে অধিষ্ঠিত
থাকবেন ৷ পত্র কায়স-এর নিকট পৌছল ৷ তিনি ছিলেন বিচক্ষণ ও সতর্ক লোক ৷ তিনি
মুআবিয়৷ (রা)-এর অনুকুলে কিংবা প্ৰতিকুলে অবস্থান নিলেন না এবং কুশলতার সংগে
নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণে যতুবান হয়ে সৌহার্দামুলক পত্র পাঠালেন ৷ তাকে এরুপ করতে
হয়েছিল আলী (বা ) হতে তার দুরে শাম অঞ্চল হতে নিকটে অবস্থানের কারণে এবং মুআবিয়া
(রা ) এর বিশাল বাহিনীর কারণে ৷ সুতরাং কায়স মুআবিয়া (রা) এর সংগে নিরাপদ দুরত্ব রক্ষা
করে র্তাকে এড়িয়ে থাকার পন্থা অবলম্বন করলেন এবং তাকে যে বিষয়ের প্রতি আহ্বান করা
হয়েছিল তাতে বিরুদ্ধাচরণও করলেন না, আবার স্বতঃস্ফুর্ত সাড়াও দিলেন না ৷
মুআবিয়৷ (বা) ও ছিলেন বিচক্ষণ কুটকুশলী ৷ তিনি কায়সের কাছে স্পষ্ট ভাষ্যে লিখে
পাঠালেন, “ তুমি আমার সঙ্গে ধরি মাছ না ছুই পানি’ এবৎ কাল-পরশু ও করি করছি
আচরণ করে যেতে পারবে না ৷ তুমি আমার স্বপক্ষ কিৎব৷ প্রতিপক্ষ এ বিষয়টি আমার কাছে
স্পষ্ট হয়ে যাওয়া অপরিহার্য ৷” তখন কায়সও চুড়ান্ত কথা লিখে পাঠালেন, আমি আলী ,
(রা)-এর সঙ্গে রয়েছি ৷ কেননা, (আমার দৃষ্টিতে)৩ তিনি বিষয়টির (াখলাফতের) আপনার চেয়ে
অগ্ৰাধিকইরী’ ৷ এ পত্র মুআবিয়া (রা) এর কাছে পৌছলে তিনি কায়সের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে
গেলেন ৷ এবং পত্রের আদান প্রদান হতে বেরত ৱইলেন ৷
এ সময় কোন কোন শামবাসী এ গুজব ছড়িয়ে দিল যে, কায়স ইবন সা দ ইরাকীদের
সহযােগি৩ ৷র প্রতি উদ্বুদ্ধ করে শামবাসীদের সঙ্গে গোপনে পত্র যোগাযোগ করছে ৷ অপর দিকে
ইবন জারীরের বর্ণনা মতে কায়স এর নামে শ্মু আবিয়া (রা) এর হাতে বায় আত করার ৷ববরণ
সম্বলিত একটি বানােয়াট পত্র প্রকাশ লাভ করল ৷ মহান আল্লাহ্ই এর য়থার্থত৷ সম্পর্কে সম্যক
অবহিত২ ৷
১ মুআবিয়া ইবন আবুসুফইয়ান (রা) ও কায়স ইবন সাদ (রা)-এর পুরস্কারের প্রতি প্রেরিত পত্র-ভাষ্যের জন্য
দ্রষ্টব্য তাবারী, ৫খ, ২২৮-২২৯ এবং আল কামিল ৩খ ২৬৯-২৭০ ৷
২ তাবারীর বর্ণনা অনুসারে এ জালপত্রের ভাষ্য দ্ৰষ্টব্য তাবারী, ৫খ, ২৩০ পৃ
مَنْ تَزَوَّجَهَا - وَكَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقُتِلَ عَنْهَا أَيْضًا، وَكَانَتْ قَبْلَ عُمَرَ تَحْتَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فَقُتِلَ عَنْهَا - فَلَمَّا قُتِلَ الزُّبَيْرُ رَثَتْهُ بِقَصِيدَةٍ جَيِّدَةِ الشِّعْرِ مَحْكَمَةِ الْمَعْنَى، فَقَالَتْ:
غَدَرَ ابْنُ جُرْمُوزٍ بِفَارِسِ بُهْمَةٍ ... يَوْمَ اللَّقَاءِ وَكَانَ غَيْرَ مُعَرِّدِ
يَا عَمْرُو لَوْ نَبَّهْتَهُ لَوَجَدْتَهُ ... لَا طَائِشًا رَعِشَ الْجَنَانِ وَلَا الْيَدِ
ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ أَنْ ظَفَرْتَ بِمِثْلِهِ ... مِمَّنْ بَقِي مِمَّنْ يَرُوحُ وَيَغْتَدِي
كَمْ غَمْرَةٍ قَدْ خَاضَهَا لَمْ يَثْنِهِ ... عَنْهَا طِرَادُكَ يَا ابْنَ فَقْعِ الْقَرْدَدِ
وَاللَّهِ رَبِّي إِنْ قَتَلْتَ لَمُسْلِمًا ... حَلَّتْ عَلَيْكَ عُقُوبَةُ الْمُتَعَمِّدِ
وَلَمَّا قَتَلَهُ عَمْرُو بْنُ جُرْمُوزٍ احْتَزَّ رَأْسَهُ وَذَهَبَ بِهِ إِلَى عَلِيٍّ، وَرَأَى أَنَّ ذَلِكَ يَحْصُلُ لَهُ بِهِ حُظْوَةٌ عِنْدَهُ، فَاسْتَأْذَنَ فَقَالَ عَلِيٌّ: لَا تَأْذَنُوا لَهُ وَبَشِّرُوهُ بِالنَّارِ. وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ عَلِيًّا قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «بِشِّرْ قَاتِلَ ابْنِ صَفِيَّةَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৭৯
আলী (রা)-এর কাছে এ পত্রের সংবাদ পৌছালে তাির্নি কায়সের ব্যাপারে সন্দিহান হলেন
এবং তাকে যারবাতবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার আদেশ দিলেন, যারা আলী
(রা) এর অনুকুলে বায়আত করা হতে বিরত ছিল ৷
জবাবে কায়স যাববাভীর সং খ্যা অধিক হওয়ার কারণে এবং সমাজের অভিজাত শ্রেণী
হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে অপারগতার কথা জ নিয়ে পত্র পাঠালেন ৷ তিনি
লিখলেন আপনি আমার (অ নুগণ্ডে ৷র) প্রতি সন্দিহান হওয়ার কারণে যদি আমাকে যাচাই করব
উদ্দেশ্যে আদেশ প ৷ঠিয়ে থাকেন৩ ৩বে মিসরে আপনার নায়িব রুপে অন্য কাউকে নিযুক্ত করে
পাঠাবেন, তখন আলী (রা) আশ্াতার নাখঈকে মিসরের প্রশাসক (গভর্নর) নিয়োগ করে
পাঠালেন ৷ আশতার মিসর অভিমুখে বওয়ানা করল ৷ কুলযুম বন্দরের কাছে পৌছলে আশতার
মধু দিয়ে তৈ শরবত পান করল এবং তাতেই তার মৃত্যু হয়ে গেল ৷ এ সংবাদ শামবাসীদের
কাছে পৌছলে তারা মন্তব্য করল, মহান আল্লাহর মধু-বাহিনীও আছে ৷
আলী (রা) এর কাছে আশ তারের মৃত্যু সংবাদ পৌছলে তিনি মুহাম্মদ ইবন আবু বকর
(রা) কে মিসরের আমার নিযুক্ত করে পাঠালেন ৷ (আশত তারের নিযুক্তি ও মৃত্যুর বর্ণনাটি প্রামাণ্য
নয়) অপর এক বর্ণনা মতে, যা অধিক প্রামাণ্য আলী (রা) কায়স ইবন সা দ (রা)-এর পরে
(প্রথমেই) মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (রা) কে নিযুক্ত করে পাঠিয়েছিলেন ৷ কায়স মদীনায় ফিরে
গেলেন এবং সাহল ইবন হুনায়ফকে সঙ্গে নিয়ে আ ৷লী (রা) এর সঙ্গে সাক্ষাত করলেন ৷ করেন
তার অপাবকতার বিষয়টি ব্যক্ত করলে আলী (বা) তা গ্রহণ করলেন; পরে কায়স ও সাহ্ল
আলী (রা) এর সঙ্গে সিফফীন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷ (পরবর্তী আলোচনা দ্রষ্টব্য)
ন্ পরবর্তী সময়ে সিফফীন যুদ্ধ পর্যন্ত মুহাম্মদ ইবন আবু বকর ভীতিকর প্ৰতিপত্তির সংগে
মিসরীয় অঞ্চলের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল ৷ সিফফীন যুদ্ধ সংঘটিত হলে এ ব ৎ
মিসরবাসীদের কাছে মুআবিয়া (রা) ও তার অনুগামী শামবাসীদের ইরাফীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে
অবতীর্ণ হওয়ার সং বাদ পৌছল ৷ বিবদমান পক্ষদ্বয় সমঝোতা ও আপোসবফার সিদ্ধান্তে
উপনীত ৩হওয়াব সংবাদ অিবগত হলে মিসরীয়রা মুহাম্মদ ইবন আবু বকরের ব্যাপারে আশাম্বিত
হলো এবং তার প্রকাশ্য শক্রতায অবতীর্ণ হওয়ার দুঃসাহস দেখাল ৷ (তার পার্শ্ববর্তী অবস্থার
বিবরণ আমরা পরে ৩পস্থাপনঃ করব ৷)
অড়ামুর ইবনুল আস (বা) এর বিষয়টি ছিল এই যে, তিনি উসমান (রা) এর খুনের
প্রতিশোধের দাবিতে একাত্মতা পোষণ করে মু আবিয়া (রা)-এর প্রতি আনুগত্যেব যায় তাতে
করেছিলেন ৷ ইতিপুর্বে ৰিদ্রোহীরা পবিত্র মদীনা অবরােধের উদ্দেশ্যে অগ্রগামী হলে আমর (বা)
পবিত্র মদীনা হতে বের হয়ে গিয়েছিলেন, যাতে তাকে উসমান (রা) এর হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী না
হতে হয় ৷ এছাড়া উসমান (রা) কর্তৃক তাকে মিসরের শাসন ক্ষমতা হতে অব্যাহতি প্রদান করে
তার স্থলে আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারাহ্কে নিযুক্ত করার কারণে তিনি খলীফার প্রতি
ক্ষুব্ধ ছিলেন ৷ এই ক্ষোভ নিয়ে পবিত্র মাদীনা থেকে বের হয়ে গেলেন এবং জর্দানের নিকটবর্তী
একটি স্থানে অব৩ রণ করলেন ৷ উসমান (বা) শহীদ হওয়ার পর অড়ামুর (রা) মুআবিয়া
(রা)-এর কাছে চলে গেলেন এবৎত ৷র ৷প্রতি অ ৷নুগত্যের যায় তাতে করলেন (যেমন পুবে বর্ণি৩
হয়েছে) ৷
بِالنَّارِ» . وَدَخَلَ ابْنُ جُرْمُوزٍ وَمَعَهُ سَيْفُ الزُّبَيْرِ، فَقَالَ عَلِيٌّ: إِنَّ هَذَا السَّيْفَ طَالَمَا فَرَّجَ الْكَرْبَ عَنْ وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَيُقَالُ: إِنَّ عَمْرَو بْنَ جُرْمُوزٍ لَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ قَتَلَ نَفْسَهُ. وَقِيلَ: بَلْ عَاشَ إِلَى أَنْ تَأَمَّرَ مُصْعَبُ بْنُ الزُّبَيْرِ عَلَى الْعِرَاقِ، فَاخْتَفَى مِنْهُ، فَقِيلَ لِمُصَعَبٍ: إِنَّ عَمْرَو بْنَ جُرْمُوزٍ هَاهُنَا وَهُوَ مُخْتَفٍ، فَهَلْ لَكَ فِيهِ؟ فَقَالَ: مُرُوهُ فَلْيَظْهَرْ فَهُوَ آمِنٌ، وَاللَّهِ مَا كُنْتُ لِأُقِيدَ لِلزُّبَيْرِ مِنْهُ فَهُوَ أَحْقَرُ مِنْ أَنْ أَجْعَلَهُ عِدْلًا لِلزُّبَيْرِ.
وَقَدْ كَانَ الزُّبَيْرُ ذَا مَالٍ جَزِيلٍ وَصَدَقَاتٍ دَارَّةٍ كَثِيرَةٍ جِدًّا، وَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْجَمَلِ أَوْصَى إِلَى ابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ، فَلَمَّا قُتِلَ وَجَدُوا عَلَيْهِ مِنَ الدَّيْنِ أَلْفَيْ أَلْفٍ وَمِائَتَيْ أَلْفٍ فَوَفَّوْهَا عَنْهُ، وَأَخْرَجُوا بَعْدَ ذَلِكَ ثُلُثَ مَالِهِ الَّذِي كَانَ أَوْصَى بِهِ، ثُمَّ قُسِمَتِ التَّرِكَةُ بَعْدَ ذَلِكَ، فَأَصَابَ كُلَّ وَاحِدَةٍ مِنْ زَوْجَاتِهِ - وَكُنَّ أَرْبَعًا - مِنْ رُبُعِ الثُّمُنِ، أَلْفُ أَلْفٍ وَمِائَتَا أَلْفِ دِرْهَمٍ ; فَعَلَى هَذَا يَكُونُ مَجْمُوعُ مَا قُسِمَ بَيْنَ الْوَرَثَةِ ثَمَانِيَةً وَثَلَاثِينَ أَلْفَ أَلْفٍ وَأَرْبَعَمِائَةِ أَلْفٍ، وَالثُّلُثُ الْمُوصَى بِهِ تِسْعَةَ عَشَرَ أَلْفَ أَلْفٍ وَمِائَتَيْ أَلْفٍ، فَالْجُمْلَةُ سَبْعَةٌ وَخَمْسُونَ أَلْفَ أَلْفٍ وَسِتُّمِائَةِ أَلْفٍ، وَالدَّيْنُ الْمُخْرَجُ قَبْلَ ذَلِكَ أَلْفَا أَلْفٍ وَمِائَتَا أَلْفٍ، فَعَلَى هَذَا يَكُونُ جَمِيعُ مَا تَرَكَهُ مِنَ الدَّيْنِ وَالْوَصِيَّةِ وَالْمِيرَاثِ تِسْعَةً وَخَمْسِينَ أَلْفَ أَلْفٍ وَثَمَانِمِائَةِ أَلْفٍ، وَإِنَّمَا نَبَّهْنَا عَلَى هَذَا ; لِأَنَّهُ وَقَعَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مَا فِيهِ نَظَرٌ يَنْبَغِي أَنْ يُنَبَّهَ لَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ جَمَعَ مَالَهُ هَذَا بَعْدَ الصَّدَقَاتِ الْكَثِيرَةِ، وَالْمَآثِرِ الْوَثِيرَةِ، مِنَ الْحَلَالِ، مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ
পৃষ্ঠা - ৫৯৮০
পরিচ্ছেদ
ইরাকৰাসী ও শামবাসীদের মধ্যে সংঘটিত সিফফীনের যুদ্ধ
ইসমাঈল ইবন উল্যয়্যা-অইিয়ুব-মুহন্মোদ ইবন সীরীন সুত্র পরষ্পরায় বর্ণিত ইমামৃণ্
আহমাদ-এর রিওয়ায়াত পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে, যাতে তিনি বলেছেন; ফিতন৷ বিস্তার লাভ
করল, তখন রাসুলুল্লাহ্মোঃএব সাহাবীগণের সংখ্যা ছিল দশবিশ হাজার ৷ এ ফিতনায় তড়াদের
একশ জনও উপস্থিত ছিলেন না বরং উপস্থিতিদের সংখ্যা ত্রিশ পর্যন্ত ও পৌছেছিল না ৷” ইমাম
আহমাদ আরও বলেছেন, উমায়্যা ইবন খুলুদ বর্ণনা করেছেন যে, তিনি শুবাকে বললেন, আবু
শায়বা হাকাম সুত্রে আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা হতে বর্ণনা করেছেন যে, “সত্তবজন বদরী
সাহাবী সিফ্ফীন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন ৷
ও বা বললেন, আবু শায়বা অসত্য বলেছেন ৷ আল্লাহর কসম! আমরা এ বিষয়ে হাকামের
সংগে আলোচনা করেছি ৷ তাতে আমরা বদরীদের মধ্যে শুধু খুযায়মা ইবন ছাবিত (রা) ব্যতীত
আর কারো সিফ্ফীন অংশগ্রহণের তথ্য ব্যক্ত করতে দেখিনি ৷ কেউ কেউ বলেছেন, অন্যতম
বদরী সাহাবী সাহ্ল ইবন হুনায়ফ (রা)ও সিফফীনে উপস্থিত ছিলেন ৷ তদ্র্যপ আবু আইয়ুব
আনসারী (রা) ৷ এ বর্ণনা দিয়েছেন আমাদের শায়খ ইবন তায়মিয়া (র) তার আররাদ্দু আলার
রাফিযা (ধ্; ৷ , ৷ া;া,া) কিভাবে ৷ ইবন বাত্তা তার সনদে যুবায়র ইবনুল আশাজু
(বা) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, জেনে রাখ, উসমান (রা)-এর হত্যার পর বদরী
সাহাবীপণ র্তাদের গৃহ-অভন্তেরকে আকড়ে থাকেন এবং তারা শুধু কবরের উদ্দেশ্যেই গৃহত্যাপ
করেছেন ৷
অপরদিকে আলী ইবন আবু৩ তালিব রাযিয়াল্লাহু আনহু জামাল যুদ্ধ পরিসমাপ্তির পর বসরায়
প্রবেশ করলেন এবং উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা) পবিত্র মক্কার প্ৰত্যাবর্তনের ইচ্ছা করলে
র্তাকে সসম্মানে বিদায় জ্ঞাপন করলেন, এপর তিনি কুফার উদ্দেশ্যে বসরা ত্যাগ করলেন ৷
আবদুর রহমান ইবন উবায়দ হতে আবুল কানুদ-এর বর্ণনায় আছে, ছত্রিশ হিজরী সনের রজব
মাসের বার তারিখে আলী (রা) কুফায় প্রবেশ করলেন ৷ লোকেরা তাকে কসরে আবইয়াযে
(শ্বেত ভবনহোয়াইট হাউস) অবস্থান গ্রহণের আবেদন করলেও তিনি বললেন, না, উমর ইবনুল
খাত্তাব (রা) সেখানে অবস্থান করা পছন্দ করতেন না, এ কারণে আমিও সেখানে অবস্থান করা
পছন্দ করি না ৷
তিনি রাহবায় অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিলেন এবং কেদ্রীয় মসজিদে (জ্যমিআজামে) দুই
রাকআত সালাত আদায়ের পর ভাষণ দিলেন ৷ ভাষণে তিনি কল্যাণ ও তাল কাজে উদ্বুদ্ধ
করলেন এবং মন্দ কাজ হতে নিষেধ করলেন ৷ এ ভাষণে তিনি কুফাবাসীদের প্রশংসা করলেন ৷
পরে তিনি জারীর ইবন আবদুল্লাহ (রা) ও আশা আছ ইবন কায়স (রা)-এর কাছে তাদের
শাসনাধীন অঞ্চলের জনতার ৰায়আত গ্রহণ করে তার কাছে আমার জন্য পত্রাদেশ পাঠালেন ৷
-জারীর উসমান (রা)এর সময়কাল হতে হামাদানের শাসনকর্তা ছিলেন এবং আশআছ ও
১ ৰিদায়ার মুল প্রস্থ, মুরুজুবৃ যাহাব ও আল আযাৰারুৎ তিওয়ালে ১২ রজব বলা হয়েছে ৷ ফুতুহু ইবনিল
আহাম ২৩৪ ৭-এ ১৬ রজব বলা হয়েছে ৷
عَلَيْهِ مِنَ الْجِهَادِ، وَمِنْ خُمُسِ الْخُمُسِ مِمَّا يَخْتَصُّ بِهِ مِنْهُ، وَمِنَ التِّجَارَةِ الْمَبْرُورَةِ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ كَانَ لَهُ أَلْفُ مَمْلُوكٍ يُؤَدُّونَ إِلَيْهِ الْخَرَاجَ، فَرُبَّمَا تَصَدَّقَ فِي بَعْضِ الْأَيَّامِ بِخَرَاجِهِمْ كُلِّهِمْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ.
وَكَانَ قَتْلُهُ يَوْمَ الْخَمِيسَ لِعَشَرٍ خَلَوْنَ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، وَقَدْ نَيَّفَ عَلَى السِّتِّينَ سَنَةً بِسِتٍّ أَوْ سَبْعٍ، وَكَانَ أَسْمَرَ رَبْعَةً مِنَ الرِّجَالِ، مُعْتَدِلَ اللَّحْمِ خَفِيفَ اللِّحْيَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، وَلَّى عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ نِيَابَةَ الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ لِقَيْسِ بْنِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، وَكَانَ عَلَى نِيَابَتِهَا فِي أَيَّامِ عُثْمَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، فَلَمَّا تَوَجَّهَ أُولَئِكَ الْأَحْزَابُ مِنْ خَوَارِجِ الْمِصْرِيِّينَ إِلَى عُثْمَانَ لِيَقْتُلُوهُ وَكَانَ الَّذِي جَهَّزَهُمْ إِلَيْهِ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَبَأٍ - الْمَعْرُوفُ بِابْنِ السَّوْدَاءِ - مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حُذَيْفَةَ بْنِ عُتْبَةَ، وَكَانَ لَمَّا قُتِلَ أَبُوهُ بِالْيَمَامَةِ قَدْ أَوْصَى بِهِ إِلَى عُثْمَانَ، فَكَفَلَهُ وَرَبَّاهُ فِي حِجْرِهِ وَمَنْزِلِهِ، وَأَحْسَنَ إِلَيْهِ إِحْسَانًا كَثِيرًا، وَنَشَأَ فِي عِبَادَةٍ وَزَهَادَةٍ، وَسَأَلَ مِنْ عُثْمَانَ أَنْ يُوَلِّيَهُ عَمَلًا، فَقَالَ لَهُ: مَتَى مَا صِرْتَ أَهْلًا لِذَلِكَ وَلَّيْتُكَ. فَتَعَتَّبَ فِي نَفْسِهِ عَلَى عُثْمَانَ، فَسَأَلَ مِنْ عُثْمَانَ أَنْ يَخْرُجَ إِلَى الْغَزْوِ فَأَذِنَ لَهُ، فَقَصَدَ الدِّيَارَ الْمِصْرِيَّةَ وَحَضَرَ مَعَ أَمِيرِهَا عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ غَزْوَةَ الصَّوَارِي، كَمَا قَدَّمْنَا. وَشَرَعَ يَنْتَقِصُ عُثْمَانَ،
পৃষ্ঠা - ৫৯৮১
رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَسَاعَدَهُ عَلَى ذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، فَكَتَبَ بِذَلِكَ ابْنُ أَبِي سَرْحٍ إِلَى عُثْمَانَ يَشْكُوهُمَا إِلَيْهِ، فَلَمْ يَعْبَأْ بِهِمَا عُثْمَانُ شَيْئًا، وَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ دَأْبُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حُذَيْفَةَ حَتَّى اسْتَنْفَرَ أُولَئِكَ إِلَى عُثْمَانَ، فَلَمَّا بَلَغَهُ أَنَّهُمْ قَدْ حَصَرُوا عُثْمَانَ، تَغَلَّبَ عَلَى الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ، وَأَخْرَجَ مِنْهَا ابْنَ أَبِي سَرْحٍ، وَصَلَّى بِالنَّاسِ فِيهَا، فَلَمَّا كَانَ ابْنُ أَبِي سَرْحٍ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ جَاءَهُ الْخَبَرُ بِقَتْلِ عُثْمَانَ، فَقَالَ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. وَبَلَغَهُ أَنَّ عَلِيًّا قَدْ بَعَثَ عَلَى إِمْرَةِ مِصْرَ قَيْسَ بْنَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، فَشَمِتَ بِمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حُذَيْفَةَ إِذْ لَمْ يُمَتَّعْ بِمُلْكِ الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ سَنَةً. وَسَارَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ إِلَى الشَّامِ إِلَى مُعَاوِيَةَ، فَأَخْبَرَهُ بِمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ بِدِيَارِ مِصْرَ، وَأَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي حُذَيْفَةَ قَدِ اسْتَحْوَذَ عَلَيْهَا، فَسَارَ مُعَاوِيَةُ وَعَمْرُو بْنُ الْعَاصِ إِلَيْهِ لِيُخْرِجَاهُ مِنْهَا ; لِأَنَّهُ مِنْ أَكْبَرِ الْأَعْوَانِ عَلَى قَتْلِ عُثْمَانَ، مَعَ أَنَّهُ كَانَ قَدْ رَبَّاهُ وَكَفَلَهُ وَأَحْسَنَ إِلَيْهِ، فَعَالَجَا دُخُولَ مِصْرَ فَلَمْ يَقْدِرَا، فَلَمْ يَزَالَا يَخْدَعَانِهِ حَتَّى خَرَجَ إِلَى الْعَرِيشِ فِي أَلْفِ رَجُلٍ فَتَحَصَّنَ بِهَا، وَجَاءَهُ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ فَنَصَبَ عَلَيْهِ الْمَنْجَنِيقَ حَتَّى نَزَلَ فِي ثَلَاثِينَ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقُتِلُوا. ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ جَرِيرٍ
ثُمَّ سَارَ إِلَى مِصْرَ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ بِوِلَايَةٍ مِنْ عَلِيٍّ، فَدَخَلَهَا فِي سَبْعَةِ نَفَرٍ،
পৃষ্ঠা - ৫৯৮২
§
উসমান (রা)-এর সময়কাল হতে আযারবাইজ্যানর শাসনকর্তা ছিলেন ৷ তারা এ আদেশ
প্রতিপালনকরলে ন ৷
পরে আলী (রা) ত র প্ৰতি আনুগঅের বায় আতের আ হ্বান জানিয়ে মু আৰিযা (রা) এর
কাছে পত্র পাঠাবাৱ ইচ্ছা করলে জারীর ইবন আব্দুল্লাহ (রা) বললেন, আমীরম্স মু মিনীন, তার
কাছে আমাকে যেতে দিন! কেননা, তার সংগে আমার হৃদ্যতার সম্পর্ক রয়েছে ৷ কাজেই আমি
আপনার অনুকুলে তার বায়আত হাসিল করার আশা রাখি ৷ ’ আশতার বলল ৷ হে আমীরুল
মু’মিনীন ! তাকে পাঠাবেন না ! আমার আশংকা হয় যে, সে তার (মুআবিয়া) পক্ষ অবলম্বন
করবে ৷ আলী (রা) বললেন, তাকেই যেতে দাও ৷
এভাবে আলী (রা) তাকে পাঠিয়ে দিলেন এবং তার হাতে ঘুআবিয়া (রা)-এর কাছে একটি
পত্র লিখে পাঠালেন ৷ পত্রে তিনি তাকে মুহাজির ও আনসারদের তার বায়আতে সমবেত
হওয়ার কথা অবহিত করলেন এবং জামাল যুদ্ধের আদ্যোপান্ত অবহিত করলেন ৷ তিনি
মুআবিয়া (রা) লোকদের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে তার রায় আতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার
আহ্বান জানালেন ৷ ১
জারীর ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) মুআবিয়া (রা)-এর কাছে পৌছে পত্রটি তার হাতে সমর্পণ
করলেন ৷ মৃআবিয়া (রা) আমর ইবনুল আস (রা) ও শামের নেতৃস্থানীয়দের উপস্থিত করে
তাদের কাছে এ বিষয়ে পরামর্শ চাইলেন ৷৩ তারা উসমান হত্যাকারীদের হত্যা করা অথবা
তাদের শাম কতৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া ব্যভীত বায় আত করার ব্যাপারে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন
করল ৷ অন্যথায় তারা আলী (রাণ্এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এবং উসমান হত্যাকারীদের হত্যা না
করা পর্যন্ত আলী (রা) এর হাতে রায় আত না করার সিদ্ধান্ত নিল ৷ জারীর (রা) আলী
(রা)-এর কাছে ফিরে এসে তাকে প্রতিপক্ষের ব;ক্তব্য অবহিত করলেন ৷
এ সময় আশতার বলল, হে আমীরুল মুমিনীন ৷ আমি কি জারীর (রা)-কে পাঠাবাৱ
ব্যাপারে আপনাকে নিষেধ করেছিলাম না ? আপনি আমাকে পাঠালে মুআবিয়া (বা) যে কোন
র্ফাক ফৌবহ্ব বের করলে আমি তা রুদ্ধ করে দিতাম৷ জরুির (বা) বললেন, তুমি সেখানে
গেলে তাে তারা উসমান (রা)-এব্র রক্তের বদলে তোমাকে ক্যু করেই ফেলত ৷ আশতার বলল,
আল্লাহ্র কসম আপনি আমাকে পা ঠ্যলে মুআবিয়া (রা)-এর সঙ্গে সওয়ালজ্রওয়াব আমাকে
পরিশ্রান্ত করত না এবং আমি তাকে চিন্তা-ভাবনা করার ব্যাপারে ব্যস্ত করে দিতাম ৷ ইতিপুর্বে
আমার কথা শুনলে (আলী রা) তোমাকে ও তোমার মত অন্য লোকগুলিকে বন্দী করে ফেলতেন
এবং তাতে এ উম্মতের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে যেত ৷ এসব কথায় জারীর (রা) রাগ্যষিত হয়ে
উঠে চলে গেলেন এবং কফ্লেকীসিয়ায় অবস্থান করতে লাপলেন ৷ তিনি পত্র পাঠিয়ে মুআবিয়া
(রা) তার ও আশতারের মধ্যকার কথাবার্তা সম্পর্কে অবহিত করলেন ৷ মু ন্সাৰিয়া (রা) জারীর
(রা) কে তার কাছে চলে যাওয়ার জন্য পত্র লিখবেন ৷
১ ফুতুহ ইবনিল আছাম ২৩৫২-এর বর্ণনায় মুআবিয়া (রা)-এর বরাবরে একটি পত্র লিখে তা হাজ্জাজ ইৰ্ন
আমৃর ইবন পাযিয়্যা আনসায়ীর হাতে পাঠিয়েছিক্রো ৷ এটা ছিল মুআবিয়া থুৰা)-এর কাছে জাৰীর ইবন
আবদুল্লাহ্ (রা)ষ্কে পাঠাবাৱ পুর্বের ঘটনা ৷ জ্বারীর (রা)-এর মাধ্যমে প্রেরিত পত্রের জন্য দেখুন আল
আখবারুৎ তিওয়ান ১৫৭ পৃ; ফুতুহু ইবনুল আছাম্ ২য়; ৩৭৪ পৃ)
আল-ৰিদায়া ৫৮
فَرَقِيَ الْمِنْبَرَ وَقَرَأَ عَلَيْهِمْ كِتَابَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فِيهِ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ عَلِيٍّ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ إِلَى مَنْ بَلَغَهُ كِتَابِي هَذَا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، سَلَامٌ عَلَيْكُمْ، فَإِنِّي أَحْمَدُ اللَّهَ إِلَيْكُمْ كَثِيرًا الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ اللَّهَ بِحُسْنِ صَنِيعِهِ وَتَقْدِيرِهِ وَتَدْبِيرِهِ اخْتَارَ الْإِسْلَامَ دِينًا لِنَفْسِهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَرُسُلِهِ، وَبَعَثَ بِهِ الرُّسُلَ إِلَى عِبَادِهِ، وَخَصَّ بِهِ مَنِ انْتَخَبَ مِنْ خَلْقِهِ، فَكَانَ مِمَّا أَكْرَمَ اللَّهُ بِهِ هَذِهِ الْأُمَّةَ وَخَصَّهُمْ بِهِ مِنَ الْفَضِيلَةِ أَنْ بَعَثَ مُحَمَّدًا، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَالْفَرَائِضَ وَالسَّنَةَ ; لِكَيْمَا يَهْتَدُوا، وَجَمَعَهُمْ لِكَيْلَا يَتَفَرَّقُوا، وَزَكَّاهُمْ لِكَيْ يَتَطَهَّرُوا، وَوَفَّقَهُمْ لِكَيْلَا يَجُورُوا، فَلَمَّا قَضَى مِنْ ذَلِكَ مَا عَلَيْهِ قَبَضَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ وَبَرَكَاتُهُ وَرَحْمَتُهُ، ثُمَّ إِنَّ الْمُسْلِمِينَ اسْتَخْلَفُوا بَعْدَهُ أَمِيرَيْنِ صَالِحَيْنِ، عَمِلَا بِالْكِتَابِ، وَأَحْسَنَا السِّيرَةَ وَلَمْ يَعْدُوَا السُّنَّةَ، ثُمَّ تَوَفَّاهُمَا اللَّهُ تَعَالَى، فَرَحِمَهُمَا اللَّهُ، ثُمَّ وَلَّى بَعْدَهُمَا وَالٍ أَحْدَثَ أَحْدَاثًا، فَوَجَدَتِ الْأُمَّةُ عَلَيْهِ مَقَالًا فَقَالُوا، ثُمَّ نَقَمُوا عَلَيْهِ فَغَيَّرُوا، ثُمَّ جَاءُونِي فَبَايَعُونِي، فَأَسْتَهْدِي اللَّهَ بِهُدَاهُ، وَأَسْتَعِينُهُ عَلَى التَّقْوَى، أَلَا وَإِنَّ لَكُمْ عَلَيْنَا الْعَمَلَ بِكِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ، وَالْقِيَامَ عَلَيْكُمْ بِحَقِّهِ، وَالنُّصْحَ لَكُمْ بِالْغَيْبِ - وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ وَحَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ - وَقَدْ بَعَثْتُ إِلَيْكُمْ قَيْسَ بْنَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، فَوَازِرُوهُ وَكَانِفُوهُ وَأَعِينُوهُ عَلَى الْحَقِّ، وَقَدْ أَمَرْتُهُ
পৃষ্ঠা - ৫৯৮৩
পরে আমীরুল ঘু’মিনীন আলী (বা) শামে পমনের উদ্দেশ্যে কুফা হতে প্রস্থান করলেন এবং
নুযায়লা নামক স্থানে সেনা সমাবেশ করতে লাগলেনঃ ৷ কুফায়৩ তিনি আবু মাসউদ উক্বা ইবন
আমির বদরী আনসারী (রা) কে তার স্থলাভিষিক্ত নিয়োগ করলেন ৷ এ সময় একদল তাকে
নিজে কুফায় অবস্থা ন করে শামের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী পাঠাবা ড়ার পরামর্শ দিয়েছিল এবং অপর
দল স্বয়ং র্তাকেই সেনাবাহিনী নিয়ে কুফা৩ ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছিল ৷
মুআবিয়া (রা) এর কাছে আলী (রা) নিজেই বাহিনী নিয়ে বেরিয়ে পড়ার সং বাদ
£পাছাল ; তিনি আমব্ল ইৰনুল আস (রা)-এর কাছে এ বিষয়ে পরামর্শ জিজ্ঞেস করলেন ৷
আমর (বা) বললেন, আপনিও নিজেই বেরিয়ে পড়ুন ৷ তখন আমর (বা) জনতার সামনে
ভাষণ দিলেন ৷ ভাষণে তিনি বললেন, জামাল যুদ্ধে কুফা ও বসরার নেতৃস্থানীয় ল্যেকগুলাে
নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে ৷ আলীর সঙ্গে মাত্র গুটিকতক ল্যেকই রয়েছে যারা ইতিপুর্বে
খলীফা ও আমীরুল মুমিনীন উসমান ইবন আফ্ফান (রা)-কে শহীদ করেছেন ৷ কাজেই
সাবধান! ভোমাদের সত্য ও হক নষ্ট করার ব্যাপারে আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ এবং তোমাদের
রক্তের দাবি পরিত্যাগ করার ব্যাপারে মহান আল্লাহ্কে ভয় কর ৷ অপরদিকে শামের
সেনাবাহিনীর কাছে পত্রাদেশ পাঠানো হলে৩ তারা উপস্থিত হলো ৷ সেনানায়কদের ছোট-বড়
পতাকা প্রদান করা হলো ৷ এভাবে শামবাসীরাও সার্বিক প্রস্তুতি ৩গ্রহণ করে ফেরােতের পথে
সিফ্ফীন অভিমুখে রওয়ানা করল ৷ যে দিক থেকে আলী ইবন আবু তালিব (বা) এগিয়ে
আসছিলেন ৷
আলী (রা)ও সমবেত বাহিনী য়ে শামেব উদ্দেশ্যে নুযায়লা ত্যাগ করলেন ৷ হাকাম ইবন
উইয়ায়ন৷ হ তে আবু ইসরাঈল বর্গা৷ করেছেন, “আলী (রা)এর বাহিনীতে আশিজন বদরী
সাহাবী এবং (হুদায়বিয়ার) বৃক্ষছায়ায় বার আত গ্রহণীকারী একশত পঞ্চাশ জন সড়াহাবী
ছিলেন ৷ ১ এ বিবরণ ইবন দযীদ (া ব্লু;)-এর বর্ণিত ৷
আলী (বা) তার পরিভ্রমণ পথে জনৈক রাহিবের সাক্ষাত লাভ করলেন ৷ রাহিব প্রসঙ্গে
হুসায়ন ইবন দীযীল তার কি৩াবে ইয়াহইয়৷ ইবন আবদুল্লাহ কারাদীসী নাসৃর ইবন
মুযাহিম আঘৃর ইবন সা ম ঘুসলিম আ ওয়া র হাববা আলু উরানী সুত্র পদ্বুাম্পরায় উদ্ধৃত
করেছেন ৷ হাব্বা উরানী বলেন, আলী (রা) রাক্কায় (আর রাশীদে) উপনীত হয়ে ফোরাত
তীরবর্তী বালবাখ নামক স্থানে তাবু স্থাপন করলেন ৷ এ সময় জনৈক রাহিব তার ইবড়াদতখানা
থেকে বেরিয়ে আলী (রা) এর কাছে আগমন করলেন ৷ রাহিব আলী (রা) কে বললেন,
আমাদের কাছে একখানা কিতাব আছে যা পুরুষানুত্রুমে আমাদের হাতে পৌছেছে ৷ যা ঈসা
ইবন মড়ারইয়ড়াম (আলাইহিমাস সালাম) এর সাহাবীগণ লিখেছিলেন আমি কি তবে আপনাকে
পড়ে শোনার ? “আলী (বা) বললেন, ছুা৷ ৷ তখন রাহিব সে কিতাব (লিখনী) পড়ে পােনাল-
(পত্র ভাষা)
াৰু ১ন্হ্রএ
بِالْإِحْسَانِ إِلَى مُحْسِنِكُمْ، وَالشِّدَّةِ عَلَى مُرِيبِكُمْ، وَالرِّفْقِ بِعَوَامِّكُمْ وَخَوَاصِّكُمْ، وَهُوَ مِمَّنْ أَرْضَى هَدْيَهُ وَأَرْجُو صَلَاحَهُ وَنَصِيحَتَهُ، أَسْأَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمْ عَمَلَا زَاكِيًا، وَثَوَابًا جَزِيلًا، وَرَحْمَةً وَاسِعَةً، وَالسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ. وَكَتَبَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي رَافِعٍ فِي صَفَرٍ سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ.
قَالَ: ثُمَّ قَامَ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ فَخَطَبَ النَّاسَ وَدَعَاهُمْ إِلَى الْبَيْعَةِ لِعَلِيٍّ، فَقَامَ النَّاسُ فَبَايَعُوهُ، وَاسْتَقَامَتْ لَهُ طَاعَةُ بِلَادِ مِصْرَ سِوَى قَرْيَةٍ مِنْهَا يُقَالُ لَهَا: خِرِبْتَا. فِيهَا أُنَاسٌ قَدْ أَعْظَمُوا قَتْلَ عُثْمَانَ، وَكَانُوا سَادَةَ النَّاسِ وَوُجُوهَهُمْ، وَكَانُوا فِي نَحْوٍ مِنْ عَشْرَةِ آلَافٍ - مِنْهُمْ بُسْرُ بْنُ أَبِي أَرْطَاةَ، وَمَسْلَمَةُ بْنُ مُخَلَّدٍ، وَمُعَاوِيَةُ بْنُ حُدَيْجٍ، وَجَمَاعَةٌ مِنَ الْأَكَابِرِ - وَعَلَيْهِمْ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: يَزِيدُ بْنُ الْحَارِثِ الْمُدْلَجِيُّ. وَبَعَثُوا إِلَى قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ فَوَادَعَهُمْ، وَكَذَلِكَ مَسْلَمَةُ بْنُ مُخَلَّدٍ الْأَنْصَارِيُّ تَأَخَّرَ عَنِ الْبَيْعَةِ فَتَرَكَهُ قَيْسٌ وَوَادَعَهُ.
ثُمَّ كَتَبَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ بَعْدَ أَنِ اسْتَوْثَقَ لَهُ أَمْرُ الشَّامِ بِحَذَافِيرِهِ إِلَى أَقْصَى بِلَادِ الرُّومِ وَالسَّوَاحِلِ - وَجَزِيرَةُ قُبْرُسَ أَيْضًا تَحْتَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৮৪
এ
fl
র্সএ ,প্রুষ্ ৷ ¢,¢ ৷ ,
ব্রাহ্রৰু
বিসমিল্লাহির, রাহমানির রাহীম ৷ রহমান রহীম আল্লাহর নামে, যিনি তার সিদ্ধান্তপত্রে এ
সিদ্ধ ৷ন্ত দিয়েছেন, তার লিখনীভে লিখেছেন এবং তার ফরমানপত্রে লিপিবদ্ধ করেছেন যে, তিনি
উস্বী (নিরক্ষর) দের মধো তাদেরই মধ্য হতে তএকজন রাসুল পাঠাবেন যিনি তাদের কিতাবও
হিকমতের তা লীম দিবেন, তাদের পরিশুদ্ধ করবেন এবং তাদের আল্লাহর পথের দিক নির্দেশনা
প্রদান করবেন ৷ তিনি কর্কশভাষী হবেন না, রুঢ় স্বভ্যবী হবেন না ৷ হাটে-বাজারে হৈ চৈকারী
হবেন না, এবং মন্দেব প্রতিদান মন্দ দিয়ে দিবেন না ৷ বরৎ ক্ষমা করবেন, মাক্তনাি করবেন ৷
তার উষ্মত হবে অধিক হড়ামদ-প্রশৎসাকারী, তারা প্রতিটি চড়াই-উৎরাইয়ে এবং উর্ধারোহ ণ
ও নিম্নগমনে আল্লাহর প্রশংসা করবে ৷ তাদের জিহ্বা অবনমিত (সিক্ত) থাকবে না ইলাহা
ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহ আকবার ধ্বনিতে ,যে কেউ তার বিরুদ্ধাচরণ করবে তার বিরুদ্ধে আল্লাহ
তাকে সাহায্য করবেন ৷ আল্লাহ্ তাকে ওফাত দিলে তার উম্মত মতৰিরোধে লিপ্ত হবে ৷ পরে
তারা একতাবদ্ধ হয়ে যতদিন আল্লাহর ইচ্ছা যে অবস্থায় থাকবে ৷ পরে আবার তারা মতৰিরোরুধ্
লিপ্ত হবে ৷ পরে তার উম্মা৩ তর একজন লোক এ ফোরাত নদীর তীর দিয়ে পথ অতিক্রম
করবেন, যিনি ন্যায়ের আদেশ করবেন, এবং অন্যায়ে নিষেধ করবেন, সতাণ্ন্যায়ের ফয়সালা
দিবেন, বিধানকে অবপতিত-অবদমিত করবেন না ৷ দুনিয়া তার কাছে প্রচণ্ড ঝড়াে হাওয়ার
দিনের ছাইয়ের চেয়েষ্ অথবা বর্গনাম্ভরে মাটির চেয়ে তৃচ্ছ হবে ৷ মৃত্যু তার কাছে পানি পান
করার চেয়ে সহজতর হবে ৷ তিনি গোপনে আল্লাহ্কে ভয় করবেন, প্রকাশ্যে কল্যাণ-কামনা
করবেন, আল্লাহর ব্যাপারে কোন সমালােচনাকারীর সমালোচনাকে ভয় করবেন না ৷
জনপদসমুহের বাসিন্দাদের যে কেউ সে নবীকে পেয়ে৩ তার প্ৰতি ঈমান আনবে তার নওয়াব
হবে আমার সন্তুষ্টি ও জান্নাত ৷ আর যে ব্যক্তি সে পুণ্যবান বান্দাকেপারেসে য়েনভ্যকেন্সাহয্যেপ্ন্ন্ ’
করে ৷ কেননা, তার সংগে নিহত হওয়া হবে শাহাদতের মর্যাদা ৷”
অতঃপর রাহিব আলী (না)-কে বললেন, “কাজেই আমি আপনার সঙ্গেই থাকর এবং
কখনও বিচ্ছিন্ন হব না যাতে আপনার যে পরিণতি ৩হবে আমারও সে পরিণতি ৩হয় ৷” তখন
আলী (রা) কাদলেন এবং বললেন, “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র যিনি আমাকে তার কাছে বিস্মৃত
করে রাখেন নি এবং তার পুণ্যবা নদের কিভাবে আমাকে উল্লেখ করেছেন ৷ পরে রাহিব ইসলাম
গ্রহণ করে আলী (রা) এর সঙ্গে চলতে লাগল ৷ এরপর হতে যে আলী (রা) এর সঙ্গে ছিল
এবং সিফ্ফীন যুদ্ধে শাহাদাতবরণ করেছিল ৷
حُكْمِهِ يَأْتِيِهِ حِمْلُهَا - وَبَعْضِ بِلَادِ الْجَزِيرَةِ ; كَالرُّهَا وَحَرَّانَ وَقَرْقِيسِيَاءَ وَغَيْرِهَا، وَقَدْ أَتَاهُ الَّذِينَ هَرَبُوا يَوْمَ الْجَمَلِ مِنَ الْعُثْمَانِيَّةِ، وَقَدْ أَرَادَ الْأَشْتَرُ انْتِزَاعَ هَذِهِ الْبِلَادِ مِنْ نُوَّابِ مُعَاوِيَةَ، فَبَعْثَ إِلَيْهِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ فَفَرَّ مِنْهُ الْأَشْتَرُ وَهَرَبَ، وَاسْتَقَرَّ أَمْرُ مُعَاوِيَةَ عَلَى تِلْكَ الْبِلَادِ، فَلَمَّا اسْتَوْسَقَتْ لَهُ الْبِلَادُ كَمَا ذَكَرْنَا، كَتَبَ إِلَى قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ يَدْعُوهُ إِلَى الْقِيَامِ بِطَلَبِ دَمِ عُثْمَانَ، وَأَنْ يَكُونَ مُؤَازِرًا لَهُ عَلَى مَا هُوَ بِصَدَدِهِ مِنَ الْقِيَامِ فِي ذَلِكَ، وَوَعَدَهُ أَنْ يَكُونَ نَائِبَهُ عَلَى الْعِرَاقَيْنِ إِذَا تَمَّ لَهُ الْأَمْرُ مَا دَامَ سُلْطَانًا.
فَلَمَّا بَلَغَهُ الْكِتَابُ - وَكَانَ قَيْسُ رَجُلًا حَازِمًا - لَمْ يُخَالِفْهُ وَلَمْ يُوَافِقْهُ، بَلْ بَعَثَ يُلَاطِفُ مَعَهُ الْأَمْرَ ; وَذَلِكَ لِبُعْدِهِ عَنْ عَلِيٍّ وَقُرْبِهِ مِنْ بِلَادِ الشَّامِ وَمَا مَعَ مُعَاوِيَةَ مِنَ الْجُنُودِ، فَسَالَمَهُ قَيْسٌ وَتَارَكَهُ وَلَمْ يُوَافِقْهُ عَلَى مَا دَعَاهُ إِلَيْهِ، وَلَا خَالَفَهُ عَلَيْهِ. فَكَتَبَ مُعَاوِيَةُ إِلَيْهِ: إِنَّهُ لَا يَسَعُكَ مَعِيَ تَسْوِيفُكَ بِي، وَخَدِيعَتُكَ لِي، وَلَا بُدَّ أَنْ أَعْلَمَ أَنَّكَ سَلْمٌ لِي أَوْ عَدُوٌّ - وَكَانَ مُعَاوِيَةُ حَازِمًا أَيْضًا. فَكَتَبَ إِلَيْهِ - قَيْسٌ لَمَّا صَمَّمَ عَلَيْهِ: إِنِّي مَعَ عَلِيٍّ ; إِذْ هُوَ أَحَقُّ بِالْأَمْرِ مِنْكَ. فَلَمَّا بَلَغَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৮৫
ذَلِكَ مُعَاوِيَةَ، يَئِسَ مِنْهُ وَرَجَعَ عَنْهُ.
ثُمَّ أَشَاعَ بَعْضُ أَهْلِ الشَّامِ أَنَّ قَيْسًا يُكَاتِبُهُمْ فِي الْبَاطِنِ وَيُمَالِئُهُمْ عَلَى أَهْلِ الْعِرَاقِ. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّهُ جَاءَهُمْ مِنْ جِهَتِهِ كِتَابٌ مُزَوَّرٌ بِمُبَايَعَةِ قَيْسٍ مُعَاوِيَةَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ بِصِحَّتِهِ.
فَلَمَّا جَاءَ الْكِتَابُ إِلَى عَلِيٍّ اتَّهَمَهُ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنْ يَغْزُوَ أَهْلَ خِرِبْتَا الَّذِينَ تَخَلَّفُوا عَنِ الْبَيْعَةِ، فَبَعَثَ يَعْتَذِرُ إِلَيْهِ بِأَنَّهُمْ كَثِيرٌ عَدَدُهُمْ، وَهُمْ وُجُوهُ النَّاسِ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ: إِنْ كُنْتَ إِنَّمَا أَمَرْتَنِي بِهَذَا لِتَخْتَبِرَنِي ; لِأَنَّكَ اتَّهَمْتَنِي فِي طَاعَتِكَ، فَابْعَثْ عَلَى عَمَلِكَ بِمِصْرَ غَيْرِي. فَبَعَثَ عَلِيٌّ الْأَشْتَرَ النَّخَعِيَّ، فَسَارٍ إِلَيْهَا فَلَمَّا بَلَغَ الْقُلْزُمَ شَرِبَ شَرْبَةً مِنْ عَسَلٍ فَكَانَ فِيهَا حَتْفُهُ. فَبَلَغَ ذَلِكَ أَهْلَ الشَّامِ فَقَالُوا: إِنَّ لِلَّهِ جُنْدًا مِنْ عَسَلٍ. فَلَمَّا بَلَغَ عَلِيًّا مَهْلِكُ الْأَشْتَرِ، بَعَثَ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ عَلَى إِمْرَةِ مِصْرَ، وَقَدْ قِيلَ - وَهُوَ الْأَصَحُّ -: إِنَّهُ إِنَّمَا وَلَّاهُ مِصْرَ بَعْدَ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ فَارْتَحَلَ قَيْسٌ إِلَى الْمَدِينَةِ، ثُمَّ رَكِبَ هُوَ وَسَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ إِلَى عَلِيٍّ فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِ قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ فَعَذَرَهُ عَلِيٌّ، وَشَهِدَا مَعَهُ صِفِّينَ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ. فَلَمْ يَزَلْ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ قَائِمَ الْأَمْرِ مَهْنِيًّا بِالدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ، حَتَّى كَانَتْ وَقْعَةُ صِفِّينَ، وَبَلَغَ أَهْلَ مِصْرَ صَبْرُ مُعَاوِيَةَ وَمَنْ مَعَهُ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ فِي قِتَالِ أَهْلِ الْعِرَاقِ، وَصَارُوا إِلَى
পৃষ্ঠা - ৫৯৮৬
যুদ্ধ শেষে যখন মানুষেরা তাদের নিহত লোকদের সন্ধান করছিল তখন আলী (রা)
বললেন, তামরা রাহিবেক সন্ধান কর ৷ তারা তাকে নিহ৩ দের মধ্যে পেয়ে গেল ৷ আলী (বা)
তার জানাযার সালাত আদায় করলেন ও দাফন করলেন এবং৩ তার মাগফিরাত কামনা করে
দৃআ করলেন ৷
আলী (রা) অগ্রবর্তী বাহিনীরুপে আট হাজার লোকসহ যিয়াদ ইবনুন নায়র হারিহীকে
সামনে পাঠিয়ে দিলেন ৷ শুরায়হ ইবন হানি আরও চার হাজার নিয়ে৩ ৷র অনুগড়ামী হলো ৷ তারা
আলী রা )-এব্র গমন পথ মোঃ অন্য পথে সামনে এগিয়ে চলল ৷ আলী (বা) অগ্রগামী হয়ে
মাযাবজ পুল দিয়ে দাজলা অতিক্রম করলেন এবং অ্যাবর্তী বাহিনী দু টি তাদের পথে এগিয়ে
চলল ৷ এ সময় তাদের কাছে স বাদ পৌছল যে, মুআবিয়া (বা) শামবাসীদের নিয়ে আলী
(বা) এর মুখো ৷মুখি হওয়ার জন্য এগিয়ে আসছে ৷ অ্যাবর্তী বাহিনীওও ৷র মুখোমুখি হওয়ার কথা
চিন্তা করল ৷ পরে তারা মুআবিয়া (রা) বাহিনীর তুলনায় তাদের সং থ্যা কম হওয়ার কারণে
--শংকিত হলো ৷ এ কারণে তারা তাদের পথ পরিবর্তন এবং আনাত’১ থেকে নদী পার হওয়ার
সিদ্ধান্ত নিল ৷ আনা৩ বাসীর৷ বাহিনীর অতিক্রমণে ৷অন্তরায় সৃষ্টি করলে তারা হায়ত
(ঞা ) এর পথে নদী অতিক্রম করে আলী (বা) এর সঙ্গে সম্মিলিত হলো ৷ কেননা, আলী
(বা) আগেই সেখানে পৌছে গিয়েছিলেন ৷ আলীর (রা) বললেন, আমার অগ্রবর্তী বাহিনী
আমার ৷পছ-নে ৷পছনে এলো ? তারা পাথমধ্যে তাদের সংকটের কথা অবহিত করলে ভালো
(বা) তাদের অপারকতৰু গ্রহণ করলেন ৷
পরে আলী (বা) তার অগ্রবর্তী বাহিনীকে সম্মুথপ ৷৷নে মুআবিয়া (বা) অভিমুখে পাঠিয়ে
দিলেন ৷ ততক্ষ্যণ তিনি ফোরাত নদী পা হয়ে এসেছেন ৷ এ সময় শাম বাহিনীর অগ্রবর্তী দল
নিয়ে আবুল আওয়হ্বর আমর ইবন সুফ্ফান আন সুলামী ইরাকী অগ্রবাহিনীর মুখোমুখি হলো ৷
ইরাকী অপবাহিনীর আমীর যিয়াদ ইবনুন নায়র শাম বাহিনীকে বায়আতের আহ্বান জানালে
তারা এর কোন জবাব দিল না ৷ যিয়াদ এ বিষয়ে আলী (রা)-এর কাছে পত্র পাঠালে তিনি
আশতার নাথ্ঈকে মুল বাহিনীর আমীর রুপে পাঠালেন এবং যিয়াদকে ডান বাহু ও শুরায়হকে
বাম বাহুর অধিনায়ক করলেন ৷ আলী (বা) আশতারকে আদেশ দিলেন যে, প্রতিপক্ষ যুদ্ধ শুরু
না করা পর্যন্ত আগেই যুদ্ধ শুরু করে দিবে না, বরং বারবার তাদের বায়আতের আহ্বান
জানাবে ৷ তারপরেও তারা বায়আত গ্রহণে বিরত থাকলে তারা আক্রমণ শুরু না করলে আগে
আক্রমণ করবে না এবং তাদের এত কাছে পৌছে যাবে না, যুদ্ধের ইচ্ছা পােষণকারী যত কাছে
পৌছে থাকে ৷ আবার এত দুরেও থাকবে না, যুদ্ধে ভীত-সন্ত্রস্ত ব্যক্তি যত দুরে অবস্থান করে ৷
বরং আমার পৌছে যাওয়া পর্যন্ত তাদের সংগে ধৈর্য-সহনশীলতার মহড়া দিবে ৷ আমি দ্রুতই
তোমার পিছনে পিছনে চলে আসছি ৷
এ অবস্থায় সে দিন উভয় পক্ষ নিজ নিজ অবস্থানে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সংযম প্রদর্শন করল ৷
দিনের শেষ ভাগে আবুল আওয়ার সুলামী প্রতিপক্ষের উপর আক্রমণ করল আশতার
অগ্নবর্তী বাহিনীতে পৌছে আলী (বা) এর নির্দেশ প্ৰতিপালন করল ৷ ফলে অমাতার আবুল
আওয়ার সুলামীর পরিচালনাধীন মু আবিয়া বাহিনীর অগ্নবাহিনী নিজ নিজ অবস্থানে স্থির হয়ে
১ আনাত জাষীরার নিকটবর্তী ইরাকের অন্যতম উর্বর সবুজ-শ্যামল অঞ্চল ৷
التَّحْكِيمِ، فَعِنْدَ ذَلِكَ طَمِعَ أَهْلُ مِصْرَ فِي مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، وَاجْتَرَءُوا عَلَيْهِ وَبَارَزُوهُ بِالْعَدَاوَةِ، فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا سَنَذْكُرُهُ. وَكَانَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ قَدْ بَايَعَ مُعَاوِيَةَ عَلَى الْقِيَامِ بِطَلَبِ دَمِ عُثْمَانَ وَكَانَ قَدْ خَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ حِينَ أَرَادُوا حَصْرَهُ ; لِئَلَّا يَشْهَدَ مَهْلِكَهُ، مَعَ أَنَّهُ كَانَ مُتَعَتِّبًا عَلَى عُثْمَانَ بِسَبَبِ عَزْلِهِ لَهُ عَنْ دِيَارِ مِصْرَ وَهُوَ الَّذِي فَتَحَهَا، وَتَوْلِيَتِهِ بَدَلَهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي سَرْحٍ، فَخَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ عَلَى تَغَضُّبٍ وَغَيْظٍ، فَنَزَلَ قَرِيبًا مِنَ الْأُرْدُنِّ، فَلَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، صَارَ إِلَى مُعَاوِيَةَ فَبَايَعَهُ عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنَ الْقِيَامِ بِدَمِ عُثْمَانَ.
[فِي ذِكْرِ وَقْعَةِ صِفِّينَ بَيْنَ أَهْلِ الْعِرَاقِ مِنْ أَصْحَابِ عَلِيٍّ وَبَيْنَ أَهْلِ الشَّامِ]
فَصَلٌ فِي ذِكْرِ وَقْعَةِ صِفِّينَ بَيْنَ أَهْلِ الْعِرَاقِ مِنْ أَصْحَابِ عَلِيٍّ وَبَيْنَ أَهْلِ الشَّامِ مِنْ أَصْحَابِ مُعَاوِيَةَ
قَدْ تَقَدَّمَ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُلَيَّةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ أَنَّهُ قَالَ: هَاجَتِ الْفِتْنَةُ وَأَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَشَرَاتُ أُلُوفٍ فَلَمْ يَحْضُرْهَا مِنْهُمْ مِائَةٌ، بَلْ لَمْ يَبْلُغُوا ثَلَاثِينَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ:
পৃষ্ঠা - ৫৯৮৭
থাকল এবং কিছুক্ষণ তারা স্থিরত ৷ ও ধৈর্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করল ৷ সন্ধ্যার সময় শাম বাহিনী
ময়দান থেকে সরে গেল ৷
পরের দিন পুনরায় উভয় অবস্থান নিয়ে পরস্পর ধৈর্যের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হলো ৷
একসময় আশতার প্রতিপক্ষের উপর আক্রমণ শুরু করলে শাম বাহিনীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ
অশ্বারোহী আবদুল্লাহ ইবনুল মুনযির তানুখী নিহত হলো ৷ ইরাকী পক্ষের জুরযান ইবন উমারা
তামীমী নামে এক ব্যক্তি তাকে হত্যা করেছিল ৷ এ অবস্থায় আবুল আওয়ার তার সঙ্গীদের নিয়ে
পাল্টা আক্রমণ করল এবং প্রতিপক্ষের দিকে এগিয়ে এল ৷ এ সময় আশতার আবুল
আওয়ারকে তার সংগে দ্বন্দু যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জন্মোল্অাবুল আওয়ার তাতে
সাড়া দিল না ৷ যেন যে এ ক্ষেত্রে আশতারকে তার সমকক্ষ মনে করিছল না ৷ মহান আল্লাহ্
সমধিক অবহিত ৷ দ্বিতীয় দিনের রাত্রি আগমনে উভয় পক্ষ যুদ্ধে বিরতি দিল ৷
তৃতীয় দিন সকালে আলী (রা) তার বাহিনী নিয়ে পৌছে গেলেন এবং মু আবিয়া (রা) ও
তার বাহিনী নিয়ে পৌছে গেলেন ৷ তখন উভয় দল মুখোমুখি হলো ও সামনাসামনি দাড়িয়ে
গেল মহান আল্লাহ্ সহায়! দীর্ঘ সময় ধরে উভয় পক্ষ স্থির দাড়িয়ে রইল ৷ এ সব ঘটনা
ঘটছিল সিফফীন নামক স্থানে এবং সময়টি ছির যিলহজ্জ্ব মাসের প্রারম্ভকাল ৷
আলী (বা) এদিক সেদিকে সরে গিয়ে তার বাহিনীর জন্য একটি উপযোগী স্থানের সন্ধান
করলেন ৷ কেননা, মুআবিয়া (বা) তার বাহিনী নিয়ে আগেই পৌছে গিয়েছিলেন এবং পানির
ঘাটের কাছে (পানির সুব্যবস্থু৷ সম্পন্ন) বিস্তীর্ণ পরিসব যুক্ত সমতল স্থানে অবস্থান নিয়েছিলেন ৷
আলী (রা) আগমন করার পরে তাকে পানি থেকে দুরবর্তী স্থানে অবস্থান নিতে হলো ৷
ইরাকী বাহিনীর তাড়ছিড়াকারীরা পানির ঘাটে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাম বাহিনী তাদের বাধা
দিল ৷ এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ছোটখাট লড়ইি হয়ে গেল ৷ ঘু আবিয়া (রা) পানির ঘাটের দখল
কর্তৃত্ব আবুল আওয়ারের দায়িত্বে ন্যস্ত করেছিলেন এবং সেখানে অন্য কোন সুবিধাজনক
জলাধার ছিল না ৷ ফলে আলী (রা)-এর বাহিনী তীব্র পিপাসায় আক্রান্ত হলো ৷ “আলী (রা)
আশআছ ইবন কায়স কিব্দীকে একদল লোক সহ পানির দখল নেওয়ার জন্য পাঠালেন ৷
প্রতিপক্ষ এই কথা বলে তাদের বাংর্বু৷ দিল যে, তােমরা পিপাসায় মরে যাও, যে রুপে তোমরা
উসমান (রা)-কে পানি হতে বঞ্চিত করেছিলে ৷ এ সময় উভয় দল কিছুক্ষণ তীর ছুড়ে আক্রমণ
পাল্টা আক্রমণ চালাল ৷ পরে তারা বল্লম দ্বারা আঘাত প্রতিঘড়াত করল ৷ নৃবশেযে তারা তরবারি
দিয়ে হানাহানিতে লিপ্ত হলো এবং পক্ষদ্বয়ের মুল বাহিনী নিজ নিজ দলের সাহায্যে এগিয়ে এল ৷
ইরাকী দলের পক্ষে আশতার নাখঈ এবং শামীদের পক্ষে আমর ইবনুল আস (বা) এগিয়ে
এলে যুদ্ধ পুবর্বর চেয়ে প্রচণ্ড রুপ ধারণ করল ৷ এ সময় ইব্লুাকীওব্রুরছুহিসীর অন্যতম আবদুল্লাহ্হুরুন্শুরু
ইবন আওফ ইবনুল আহযার আযদী যুদ্ধরত অবস্থায় এ কবিতা আবৃত্তি করছিল-
প্রবহমান ফেরাতের পানি আমাদের জন্য উন্মুক্ত করে দাও ৷ নতুবা দৃর্ধর্ষ সৈনিকের
(সেনাবাহিনীর) সামনে স্থির দীড়াও ৷ প্রত্যেক বীর-বাহাদুরের জন্য (বরাদ্দকৃভ আছে) উচ্ছল
حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ لِشُعْبَةَ: إِنَّ أَبَا شَيْبَةَ رَوَى عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى قَالَ: شَهِدَ صِفِّينَ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ سَبْعُونَ رَجُلًا. فَقَالَ: كَذَبَ أَبُو شَيْبَةَ، وَاللَّهِ لَقَدْ ذَاكَرْنَا الْحَكَمَ فِي ذَلِكَ، فَمَا وَجَدْنَاهُ شَهِدَ صِفِّينَ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ غَيْرَ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ شَهِدَهَا مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ، وَكَذَا أَبُو أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيُّ. قَالَهُ شَيْخُنَا الْعَلَّامَةُ ابْنُ تَيْمِيَّةَ فِي كِتَابِ " الرَّدِّ عَلَى الرَّافِضَةِ ". وَرَوَى ابْنُ بَطَّةَ بِإِسْنَادِهِ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الْأَشَجِّ أَنَّهُ قَالَ: أَمَا إِنَّ رِجَالًا مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ لَزِمُوا بُيُوتَهُمْ بَعْدَ قَتْلِ عُثْمَانَ فَلَمْ يَخْرُجُوا إِلَّا إِلَى قُبُورِهِمْ.
وَأَمَّا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَإِنَّهُ لَمَّا فَرَغَ مِنْ وَقْعَةِ الْجَمَلِ وَدَخَلَ الْبَصْرَةَ وَشَيَّعَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ لَمَّا أَرَادَتِ الرُّجُوعَ إِلَى مَكَّةَ، سَارَ مِنَ الْبَصْرَةِ إِلَى الْكُوفَةِ، قَالَ ابْنُ أَبِي الْكَنُودِ عُبَيْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُبَيْدٍ: فَدَخَلَهَا عَلِيٌّ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَجَبٍ سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ، فَقِيلَ لَهُ: انْزِلْ بِالْقَصْرِ الْأَبْيَضِ. فَقَالَ: لَا، إِنَّ عُمَرَ كَانَ يَكْرَهُ نُزُولَهُ، فَأَنَا أَكْرَهُهُ لِذَلِكَ. فَنَزَلَ فِي الرَّحْبَةِ وَصَلَّى فِي الْجَامِعِ الْأَعْظَمِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ خَطَبَ النَّاسَ فَحَثَّهُمْ عَلَى الْخَيْرِ وَنَهَاهُمْ عَنِ الشَّرِّ، وَمَدَحَ أَهْلَ الْكُوفَةِ فِي خُطْبَتِهِ هَذِهِ، ثُمَّ بَعَثَ إِلَى جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ - وَكَانَ عَلَى هَمَذَانَ مِنْ زَمَانِ عُثْمَانَ - وَإِلَى الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ - وَهُوَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৮৮
عَلَى نِيَابَةِ أَذْرَبِيجَانَ مِنْ أَيَّامِ عُثْمَانَ - يَأْمُرُهُمَا أَنْ يَأْخُذَا الْبَيْعَةَ لَهُ عَلَى مَنْ هُنَالِكَ ثُمَّ يُقْبِلَا إِلَيْهِ، فَفَعَلَا ذَلِكَ. فَلَمَّا أَرَادَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنْ يَبْعَثَ إِلَى مُعَاوِيَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَدْعُوهُ إِلَى بَيْعَتِهِ، قَالَ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَا أَذْهَبُ إِلَيْهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، فَإِنَّ بَيْنِي وَبَيْنَهُ وُدًّا، فَآخُذُ لَكَ الْبَيْعَةَ مِنْهُ. فَقَالَ الْأَشْتَرُ: لَا تَبْعَثْهُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، فَإِنِّي أَخْشَى أَنْ يَكُونَ هَوَاهُ مَعَهُ. فَقَالَ عَلِيٌّ: دَعْهُ. فَبَعَثَهُ وَكَتَبَ مَعَهُ كِتَابًا إِلَى مُعَاوِيَةَ يُعْلِمُهُ بِاجْتِمَاعِ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ عَلَى بَيْعَتِهِ، وَيُخْبِرُهُ بِمَا كَانَ فِي وَقْعَةِ الْجَمَلِ، وَيَدْعُوهُ إِلَى الدُّخُولِ فِيمَا دَخَلَ فِيهِ النَّاسُ. فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهِ جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَعْطَاهُ الْكِتَابَ. وَطَلَبَ مُعَاوِيَةُ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ وَرُءُوسَ أَهْلِ الشَّامِ فَاسْتَشَارَهُمْ، فَأَبَوْا أَنْ يُبَايِعُوا حَتَّى يَقْتُلَ قَتَلَةَ عُثْمَانَ، أَوْ أَنْ يُسَلِّمَ إِلَيْهِمْ قَتَلَةَ عُثْمَانَ، وَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ قَاتَلُوهُ وَلَمْ يُبَايِعُوهُ حَتَّى يَقْتُلَهُمْ عَنْ آخِرِهِمْ. فَرَجَعَ جَرِيرٌ إِلَى عَلِيٍّ فَأَخْبَرَهُ بِمَا قَالُوا، فَقَالَ الْأَشْتَرُ: أَلَمْ أَنْهَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْ تَبْعَثَ جَرِيرًا؟ فَلَوْ كُنْتَ بَعَثْتَنِي لَمَا فَتَحَ مُعَاوِيَةُ بَابًا إِلَّا أَغْلَقْتُهُ. فَقَالَ لَهُ جَرِيرٌ لَوْ كُنْتَ ثَمَّ لَقَتَلُوكَ بِدَمِ عُثْمَانَ. فَقَالَ الْأَشْتَرُ: وَاللَّهِ لَوْ بَعَثَنِي لَمْ يُعْيِنِي جَوَابُ مُعَاوِيَةَ وَلَأُعْجِلَنَّهُ عَنِ الْفِكْرَةِ، وَلَوْ أَطَاعَنِي فِيكَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، لَحَبَسَكَ وَأَمْثَالَكَ حَتَّى يَسْتَقِيمَ أَمْرُ هَذِهِ الْأُمَّةِ. فَقَامَ جَرِيرٌ مُغْضَبًا فَأَقَامَ بِقَرْقِيسِياءَ، وَكَتَبَ إِلَى مُعَاوِيَةَ يُخْبِرُهُ بِمَا قَالَ وَمَا قِيلَ لَهُ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ مُعَاوِيَةُ يَأْمُرُهُ بِالْقُدُومِ عَلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৫৯৮৯
জলাধার; যে তার বর্শ দিয়ে উপর্বুপরি আঘাত শাণিত করে ৷ লাগড়াতার আঘাত হানে শত্রুর
মস্তকের উপবিভাগে (এবং যে ভয় করে না একক পরাক্রমশালী সত্তা বতীত অন্য ক ৷উকেই) ৷
প্রচণ্ড যুদ্ধে ইরাকীর৷ ক্রমান্বয়ে শামীদের পানি থেকে দথলচ্যুত করতে থাকল এবং এক
সময় তাদের পানি হতে হটিয়ে দিয়ে তাদের ও পানির মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থা ন নিল ৷ পরে তারা
পানির ব্যাপারে একটি (অলিখিত) সমঝেতোয় উপনীত হলো এবং উভয়পক্ষ কেউ কাউকে
হতাহত না করে এবং কেউ কাউকে পীড়ন না করে সে জ্যাধার হতে পানি নিতে লাগল ৷
অপর এক বর্ণনায় আছে, মুআবিয়া (রা) আবুল আওয়৷ রকে জলাধার রক্ষার দায়িতৃ প্রদান
কংালে সে সেখানে উত্তোলিত বল্লম, খাপমুক্ত খোলা তারবারি, ছিলা টানকৃত তীর ধনুক দিয়ে
জলাধার প্রহরার ব্যবস্থা করল ৷ তখন আলী (রা) এর সহযোদ্ধাগণ৩ তার কাছে এসে এ বিষয়ে
অভিযোগ করলে তিনি সা “সা মা ইবন সুহানকে একথা বলার জন্য মুআবিয়া (রা) এর কাছে
পাঠালেন যে, “আমরা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য আসিনি ৷ আমরা এসেছি যুক্তি প্রমাণ
দিয়ে তোমাদের আপত্তি নিরসনের জন্য অথচ তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে তোমাদের আংবর্তী
বাহিনী পাঠিয়েছ এবং তারাই আগে আমাদের আক্রমণ করেছে ৷ এখন আর পানির ব্যাপারে
আমাদের বাধা দিচ্ছে ৷ ঘু আবিয়া (রা) এ বক্তব্য অবহিত হলে তার লোকদের বললেন, এদের
উদ্দেশ্য কিং আমর (রা) বললেন, তাদের পানি নেওয়ার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে ৷ কেননা,
আমরা পানি পানে পবি৩ ট্রুপ্ত হব, আর তারা পিপাসার্ত থাকবে তা ইসলামের কথা নয় ৷ ওয়ালীদ
বলল, তাদের পিপাসা র স্বাদ আস্বাদন করতে দিন যে রুপে তারা আমীরুল ঘু মিনীন উসমান
(রা) কে তার বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখার সময় তাকে আস্বাদন করিয়েছিল এবংচ চল্লিশ দিন
যাতে র্তাকে খাদ্য পানীয়রু হতে ৩বঞ্চিত রেখেছিল ৷ অ ৷বদুল্লাহ্ ইবন সা দ, ইবন আবু সারাহ
বলল, আজ রাত পর্যন্ত তাদের পানি থেকে বঞ্চিত রাখুন ৷ হয়তে তা তারা নিজেদের এলাকায়
ফিরে যাবে ৷
এসব কথা শুনে মুআবিয়া (রা) নিরব৩ ৷ অবলম্বন করলে সা সা আ ইবন সুহান তাকে
বললেন, আপনার স্পষ্ট জবাব কি ৷’ মুআবিয়া (রা) বললেন, আমার মতামত একটু পরেই
তোমাদের জানিয়ে দিচ্ছি ৷
সা সা আ ফিরে এসে আলী (রা)-কে সব বিষয় অবহিত করলে পদাতিক ও অশ্বারোহীরা
পানি দখলের জন্য এগিয়ে গেল ৷ তারা আক্রমণ অব্যাহত রেখে প্রতিপক্ষকে সরিয়ে দিল এবং
শক্তিবলে পানির দখল নিয়ে নিল ৷ পরে তারা পানির দখলের পরে নিজেদের মধ্যে আপােসরফা
করে নিল ৷ এ অবস্থায় আরও দুই দিন অতিবাহিত হলো ৷ এ সময় আলী ও ঘু আবিয়া (রা)
পরস্পর কােনপত্র লেনদেন করলেন না ৷ এরপরে আলী (রা) বাশীর ইবন আমৃর আনসারী,
সাস্দ ইবন কায়স হামাদানী ও শুবায়দ (শাবীদ) ইবন রিবৃঈ আস সাহমীকে ডেকে বললেন,
তোমরা এ লোকের কাছে যাও এবং তাকে আনুগত্য ও একতাবদ্ধতার আহ্বান জানাও এবং সে
কি জবাব দেয় তা শুনে এসো ৷ তখন তারা মুআবিয়া (রা)-এর কাছে গেলেন এবং বাশীর ইবন
আমৃর মুআবিয়া (রা)-কে বললেন, হে মুআবিয়া! দুনিয়া আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে,
আপনাকে আখিরাতের দিকে ফিরে যেতে হবে ৷ মহান আল্লাহ্ আপনার আমলের হিসাব নিবেন
১ তাবারী, আল আযবারুত তিওয়াল ও আল ইসাবার বর্ণনা মতে ওয়ালিদ ইবন উকবা ও আবদুল্পাহ্ ইবন আবু
প্সরোহসিফ্ফীলে উপস্থিত ছিল, অপর এক বর্ণনা মতে তারা দুজন সিফ্ফীনে উপস্থিত ছিল না ৷
وَخَرَجَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيٌّ مِنَ الْكُوفَةِ عَازِمًا عَلَى الدُّخُولِ إِلَى الشَّامِ، فَعَسْكَرَ بِالنُّخَيْلَةِ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْكُوفَةِ أَبَا مَسْعُودٍ عُقْبَةَ بْنَ عَمْرٍو الْبَدْرِيَّ الْأَنْصَارِيَّ، وَكَانَ قَدْ أَشَارَ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ بِأَنْ يُقِيمَ بِالْكُوفَةِ وَيَبْعَثَ الْجُنُودَ، وَأَشَارَ آخَرُونَ عَلَيْهِ بِالْخُرُوجِ بِنَفْسِهِ. وَبَلَغَ مُعَاوِيَةَ أَنَّ عَلِيًّا قَدْ خَرَجَ إِلَيْهِ بِنَفْسِهِ فَاسْتَشَارَ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ، فَقَالَ لَهُ: اخْرُجْ إِلَيْهِ أَيْضًا أَنْتَ بِنَفْسِكَ. وَقَامَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ فِي النَّاسِ خَطِيبًا فَقَالَ: إِنَّ صَنَادِيدَ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَالْبَصْرَةِ قَدْ تَفَانَوْا يَوْمَ الْجَمَلِ، وَلَمْ يَبْقَ مَعَ عَلِيٍّ إِلَّا شِرْذِمَةٌ قَلِيلَةٌ مِمَّنْ قَتَلَ الْخَلِيفَةَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ، فَاللَّهَ اللَّهَ فِي حَقِّكُمْ أَنْ تُضَيِّعُوهُ، وَفِي دَمِ عُثْمَانَ خَلِيفَةِ اللَّهِ فَلَا تُطِلُّوهُ. وَكَتَبَ إِلَى أَجْنَادِ الشَّامِ فَحَضَرُوا، وَعُقِدَتِ الْأَلْوِيَةُ وَالرَّايَاتُ لِلْأُمَرَاءِ، وَتَهَيَّأَ أَهْلُ الشَّامِ وَتَأَهَّبُوا، وَخَرَجُوا أَيْضًا إِلَى نَحْوِ الْفُرَاتِ مِنْ نَاحِيَةِ صِفِّينَ - حَيْثُ يَكُونُ مَقْدَمُ عَلِيٍّ - وَسَارَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِمَنْ مَعَهُ مِنَ النُّخَيْلَةِ قَاصِدًا أَرْضَ الشَّامِ.
قَالَ أَبُو إِسْرَائِيلَ عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ: وَكَانَ فِي جَيْشِ عَلِيٍّ ثَمَانُونَ بَدْرِيًّا، وَمِائَةٌ وَخَمْسُونَ مِمَّنْ بَايَعَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ. رَوَاهُ ابْنُ دِيزِيلَ. وَقَدِ اجْتَازَ فِي طَرِيقِهِ بِرَاهِبٍ، فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا ذَكَرَهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ دِيزِيلَ فِي كِتَابِهِ، فِيمَا رَوَاهُ عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْكَرَابِيسِيِّ، عَنْ نَصْرِ بْنِ مُزَاحِمٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৯৯০
এবং আপনার হাত যা আগে (আমল করে) পাঠিয়েছে তার প্রতিদান দিবেন ৷ আমি আপনাকে
এ উম্মতেয় দলবদ্ধতাকে বিক্ষিপ্ত করার ব্যাপারে এবং তাদের পরস্পরের রক্ত প্রবাহিত করার
ব্যাপারে কসম (দোহইি) দিচ্ছি!
মু আৰিয়া (রা) বললেন, এ সদৃপদেশ তোমাদের নেতাকে দিয়েছ তাে৷ বাশীর বললেন,
আমাদের নেতা তার মাহাত্ম্য, তার দীনদারী, তার প্রবীণতা ও (রাসুলের সঙ্গে) তার
নিকটাস্বীয়তার কারণে এ (খিলাফতে তর) বিষয়টির জন্য এ সৃষ্টিকুলের মধ্যে সর্বাধিক
অধিকারসম্পন্ন ৷ তিনি আপনাকে তার বায় আত গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছেন ৷ তা আপনার
দুনিয়ার জন্য অধিক নিরাপত্তার কারণ হবে এবং আপনার আখিরাতে র জন্য অধিক জৈ হবে ৷
মু আবিয়া (রা) বললেন, আর উসমান (রা) এর রক্ত কি দায়বিহীন হয়ে যাবে ? না, আল্লাহর
কসম৷ তা আমি কক্ষনাে করব না ৷ এরপর সাঈদ ইবন কায়স হামাদানী কথা বলার ইচ্ছা
করলে তাকে সে সুযোগ না দিয়ে শুবায়দ ইবন রিবঈ আগে কথা বলতে শুরু করল এবং সে
তার বক্তব্যে মুআবিয়া (রা) সম্পৃর্কে রুঢ় ও কর্কশ ভাষা ব্যবহার করল ৷ মৃআবিয়া (রা) তাকে
ধমক দিলেন এবং তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির উপরে ৰাহাদুরী দেখাবার জন্য এবং যে বিষয় তার
জানা নেই যে বিষয়ে কথা বলার জন্য কঠোরভাবে নিষেধ করলেন ৷ তারপৰ্র্তাদের তীর
সামনে থেকে বের করে দেওয়ার আদেশ দিলেন এবং মজলুম রুপে শহীদ উসমান (রা) এর
খুনের প্রতিৰিধানের দাবিতে অবিচল থাকার কথা ঘোষণা করলেন ৷ এ পরিস্থিতিতে উভয় দলের
মধ্যে যুদ্ধের আগুন প্রজ্বলিত হলো ৷
আলী (রা) তার অগ্রবর্ণী বাহিনী ও সেনানায়কদের যুদ্ধ শুরু করার আদেশ দিলেন ৷ তিনি
প্রতেকে উপদলের জন্য (প্রতিদিন) এক একজন আমীর নিয়োগ করলেন ৷ তার নিযুক্ত
আমীরদের মধ্যে অন্যতম ছিল আশতার নাখঈ ৷ আশতারই ছিল আমীরদের মধ্যে যুদ্ধের
ব্যাপারে সৰ্বাধিক তৎপর ৷ অন্যান্য আমীরের মধ্যে ছিল হজুর ইবন মাদী, শুবায়দ ইবন বিরঈ,
খালিদ ইবনুল ন্শ্;(তামির,১ যিয়াদ ইবনুন নাবর, রিয়াদ ইবন হাসান ৷’২
সাঈদ ইবন কায়স, আকিল ইবন কায়স ও কায়স ইবন সাদ প্রমুখ মুআবিয়া (রা) ও
প্রতিদিন যুদ্ধের জন্য এক একজনকে আমীর (সেনাপতি) নিয়োগ করতেন ৷ তার নিযুক্ত
আমীরদের তালিকায় ছিল আবুদর রহমান ইবন খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ, আবুল আওয়ার আল
সুলামী,-হাবীব ইবন মুসলিম, যুল কুলা হিময়ারী, উবায়দুল্পাহ্ ইবন মৱ ইবনুল খাত্তাব ৷
শুরাহবীল ইবনুস সিম্ত ও হামযা ইবন আলিম হামাদানী প্রমুখ ৷ পক্ষদ্বয় কোন কোন দিন
দুইবার যুদ্ধে লিপ্ত হত ৷ পুর্ণ যিলহজ্জ মাস ধরে এ অবস্থা চলতে থাকল ৷
এ বছর আলী (রা)-এর আদেশে আবদৃল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা)-এর পরিচালোঃর্ভমোঃহ্ব
হজ্জ সম্পাদন করল ৷ যিলহজ্জ্ব মাস শেষ হয়ে মুহাররম শুরু হয়ে গেলে লোকেরা একে অপ্যাকে
যুদ্ধ বর্জনে উদ্বুদ্ধ করতে লাগল-এ আশায় যে, হয়তো মহান আল্পাহ্ তাদের মধ্যে এমন কোন
শর্তে আংপাস করিয়ে দিবেন যা মানুষের জীবন রক্ষার উপায় হবে ৷ (পরবর্তী ঘটনচুবলীর
বিবরণ নিম্নরুপ)
১ তাৰারী ও আল কামিলের বর্ণনায় খালিদ ইবনুল মুআষ্মার ৷
২ তাৰারী আল কৰুমিলের বর্ণনায় যিয়াদ ইবন খালফা তায়মী ৷
عُمَرَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي مُسْلِمٌ الْأَعْوَرُ، عَنْ حَبَّةَ الْعُرَنِيِّ قَالَ: لَمَّا أَتَى عَلِيٌّ الرَّقَّةَ، نَزَلَ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: الْبَلِيخُ. عَلَى جَانِبِ الْفُرَاتِ، فَنَزَلَ إِلَيْهِ رَاهِبٌ مِنْ صَوْمَعَتِهِ، فَقَالَ لِعَلِيٍّ: إِنَّ عِنْدَنَا كِتَابًا تَوَارَثْنَاهُ عَنْ آبَائِنَا، كَتَبَهُ أَصْحَابُ عِيسَى بْنِ مَرْيَمَ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، أَعْرِضُهُ عَلَيْكَ؟ فَقَالَ عَلِيٌّ: نَعَمْ. فَقَرَأَ الرَّاهِبُ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، الَّذِي قَضَى فِيمَا قَضَى، وَسَطَّرَ فِيمَا سَطَّرَ، وَكَتَبَ فِيمَا كَتَبَ أَنَّهُ بَاعِثٌ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِنْهُمْ يُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُزَكِّيهِمْ، وَيَدُلُّهُمْ عَلَى سَبِيلِ اللَّهِ، لَا فَظٌّ وَلَا غَلِيظٌ وَلَا صَخَّابٌ فِي الْأَسْوَاقِ، وَلَا يَجْزِي بِالسَّيِّئَةِ السَّيِّئَةَ، وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَصْفَحُ، أُمَّتُهُ الْحَمَّادُونَ الَّذِينَ يَحْمَدُونَ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَرَفٍ، وَفِي كُلِّ صُعُودٍ وَهُبُوطٍ تَذِلُّ أَلْسِنَتُهُمْ بِالتَّهْلِيلِ وَالتَّكْبِيرِ، وَيَنْصُرُهُ اللَّهُ عَلَى كُلِّ مَنْ نَاوَأَهُ، فَإِذَا تَوَفَّاهُ اللَّهُ اخْتَلَفَتْ أُمَّتُهُ ثُمَّ اجْتَمَعَتْ فَلَبِثَتْ بِذَلِكَ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ اخْتَلَفَتْ، ثُمَّ يَمُرُّ رَجُلٌ مِنْ أُمَّتِهِ بِشَاطِئِ هَذَا الْفُرَاتِ، يَأْمُرُ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَى عَنِ الْمُنْكَرِ، وَيَقْضِي بِالْحَقِّ، وَلَا يُنَكِّسُ الْحُكْمُ، الدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَيْهِ مِنَ الرَّمَادِ - أَوْ قَالَ: التُّرَابِ - فِي يَوْمٍ عَصَفَتْ فِيهِ الرِّيحُ، وَالْمَوْتُ أَهْوَنُ عَلَيْهِ مِنْ شُرْبِ الْمَاءِ، يَخَافُ اللَّهَ فِي السِّرِّ، وَيَنْصَحُ فِي الْعَلَانِيَةِ، وَلَا يَخَافُ فِي اللَّهِ لَوْمَةَ لَائِمٍ، فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ النَّبِيَّ مِنْ أَهْلِ الْبِلَادِ فَآمَنَ بِهِ، كَانَ ثَوَابُهُ رِضْوَانِي وَالْجَنَّةَ، وَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ الْعَبْدَ الصَّالِحَ فَلْيَنْصُرْهُ، فَإِنَّ الْقَتْلَ مَعَهُ شَهَادَةٌ. ثُمَّ قَالَ لِعَلِيٍّ:
পৃষ্ঠা - ৫৯৯১
فَأَنَا أُصَاحِبُكَ فَلَا أُفَارِقُكَ حَتَّى يُصِيبَنِي مَا أَصَابَكَ. فَبَكَى عَلِيٌّ ثُمَّ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يَجْعَلْنِي عِنْدَهُ نَسْيًا مَنْسِيًّا، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي ذَكَرَنِي عِنْدَهُ فِي كُتُبِ الْأَبْرَارِ. فَمَضَى الرَّاهِبُ مَعَهُ وَأَسْلَمَ، فَكَانَ مَعَ عَلِيٍّ حَتَّى أُصِيبَ يَوْمَ صِفِّينَ، فَلَمَّا خَرَجَ النَّاسُ يَدْفِنُونَ قَتْلَاهُمْ قَالَ عَلِيٌّ: اطْلُبُوا الرَّاهِبَ. فَلَمَّا وَجَدُوهُ صَلَّى عَلَيْهِ وَدَفَنَهُ وَاسْتَغْفَرَ لَهُ.
وَقَدْ بَعَثَ عَلِىٌّ بَيْنَ يَدَيْهِ زِيَادَ بْنَ النَّضْرِ الْحَارِثِيَّ طَلِيعَةً فِي ثَمَانِيَةِ آلَافٍ، وَمَعَهُ شُرَيْحُ بْنُ هَانِئٍ فِي أَرْبَعَةِ آلَافٍ، فَسَارُوا فِي طَرِيقٍ بَيْنَ يَدَيْهِ غَيْرِ طَرِيقِهِ، وَجَاءَ عَلِيٌّ فَقَطَعَ دِجْلَةَ مِنْ جِسْرِ مَنْبِجٍ، وَسَارَتِ الْمُقَدِّمَتَانِ، فَبَلَغَهُمْ أَنَّ مُعَاوِيَةَ رَكِبَ فِي أَهْلِ الشَّامِ ; لِيَلْقَى عَلِيًّا، فَهَمُّوا بِلِقَائِهِ، فَخَافُوا مِنْ قِلَّةِ عَدَدِهِمْ بِالنِّسْبَةِ إِلَيْهِ، فَعَدَلُوا عَنْ طَرِيقِهِمْ وَجَاءُوا لِيَعْبُرُوا مِنْ عَانَاتَ، فَمَنَعَهُمْ أَهْلُ عَانَاتَ، فَسَارُوا فَعَبَرُوا مِنْ هِيتَ، ثُمَّ لَحِقُوا عَلِيًّا - وَقَدْ سَبَقَهُمْ - فَقَالَ عَلِيٌّ: مُقَدِّمَتِي تَأْتِي مِنْ وَرَائِي! فَاعْتَذَرُوا إِلَيْهِ بِمَا جَرَى لَهُمْ، فَعَذَرَهُمْ ثُمَّ قَدَّمَهُمْ أَمَامَهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ بَعْدَ أَنْ عَبَرَ الْفُرَاتَ، فَتَلَقَّاهُمْ أَبُو الْأَعْوَرِ عَمْرُو بْنُ سُفْيَانَ السُّلَمِىُّ فِي مُقَدِّمَةِ أَهْلِ الشَّامِ، فَتَوَاقَفُوا، وَدَعَاهُمْ زِيَادُ بْنُ النَّضْرِ أَمِيرُ مُقَدِّمَةِ أَهْلِ الْعِرَاقِ إِلَى بَيْعَةِ عَلِيٍّ فَلَمْ يُجِيبُوهُ بِشَيْءٍ، فَكَتَبَ إِلَى عَلِيٍّ بِذَلِكَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ عَلِيٌّ الْأَشْتَرَ النَّخَعِيَّ أَمِيرًا، وَعَلَى مَيْمَنَتِهِ زِيَادُ بْنُ النَّضْرِ، وَعَلَى مَيْسَرَتِهِ شُرَيْحٌ، وَأَمَرَهُ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৯৯২
হিজরী সীইত্রিশ সনের সুচনা
হিজরী নতুন বছরটিৱ সুচনাকালে আমীরুল মু’মিনীন আলী ইবন আবু তালিব (রা) ও
ঘুআবিয়া ইবন আবু সুফইয়ান (রা) নিজ নিজ বাহিনী সহকারে শামের পুর্বাঞ্চলীয় ফোরাত
ভীরের সিফফীন নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন ৷ বিগত পুর্ণ যিলহজ্জ মাস ধরে প্রতিদিন তারা
পরস্পর যুদ্ধহানাহানি করেছেন এবং কোন কোন দিন দৃইবারও যুদ্ধ করেছেন ৷ সে দীর্ঘমেয়াদী
যুদ্ধের পুর্ণাঙ্গ বিবরণ অতি দীর্ঘ ৷ সংক্ষেপে মুহড়াররম মাস শুরু হলে লোকেরা এ আশায়
নিজেদের গুঢিয়ে রাথল যে, ক্রমান্বয়ে যুক্কোন্মাদনা স্তিমিত হয়ে এবং আর্পোসরফার আলোচনার
মাধ্যমে একটি সন্ধিতে উপনীত হওয়া সম্ভব হবে যাতে মানুষের জীবন রক্ষা পাবে ৷
এ প্রসঙ্গে ইবন জারীরের বর্ণনা (হিশামষ্ আবু মিখনাফ মালিক সাঈদ ইবনুল
মুজাহিদ১ মাহিল্প ইবন খলীফা-সুর পরম্পরায় বর্ণিত-) আলী (রা) আদী ইবন হাতিম তাঈ ,
ইয়ড়াযীদ ইবন কায়স আরহাবী, শুবায়ছ ইবন রিবঈ ও যিয়াদ ইবন থাসফাকে২ ঘুআবিয়া
(রা)-এর কাছে পাঠালেন ৷ তারা ঘুঅড়াবিয়া (রা)-এর কাছে গেলেন ৷ এ সময় আমর ইবনুল
আস (বা) তার পাশে ছিলেন ৷ আদী (রা) আল্লাহ তাআলার হামৃদ ও ছানার পরে বললেন,
তারপর ৷ হে ঘুআবিয়া! আমরা আপনাকে এমন একটি বিষয়ের দিকে আহ্বান করার জন্য
এসেছি যা দিয়ে মহান আল্লাহ আমাদের বক্তব্য ও কর্মকে ঐক্যবদ্ধ করে দিবেন, রক্তবন্যা রহিত
হবে, জনপথ নিরাপদ হবে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক সুষ্ঠু হবে ৷ নিশ্চয় আপনার চাচাত ভাই
(আলী রা) মুসলিম জাতির বরেণ্য নেতা, যিনি ইসলাম গ্রহণে অগ্রণী হওয়ার মর্যাদসেম্পন্ন এবং
ইসলামের সেবার উত্তম অবদানের অধিকারী ৷ জনতা তার পাশে সমবেত হয়েছে এবং মহান
আল্লাহ তাদের সুবুদ্ধি সুমতি দিয়েছেন ৷ আপনি এবং আপনার অনুগড়ামী কিছু লোক যারা
আপনার সংগে রয়েছে এদের ব্যতীত তেমন আর কেউ অবশিষ্ট নেই ৷ কাজেই, হে ঘুআবিয়া!
মহান আল্লাহ যেন আপনার ও আপনার সঙ্গীদের পরিণতি জামাল যুদ্ধের ন্যায় না করেন ৷
ঘু-আবিয়া (রা) বললেন, তুমি (তা দেখা যায় হুমকি দেওয়ার জন্য এসেছ, আপেড়াসরফা
করার জন্য নয় ৷ আল্লাহর কসম ! হে আদী৷ সুদুর পরাহত, কখনও নয়, আল্লাহ্র কসম ৷ আমি
হারবের পুত্র (ঘুআবিয়া ইবন আবু সুফইয়ান ইবন হারব-হারব অর্থ যুদ্ধ ৷ অর্থাৎ যুদ্ধ করাই
আমার সিদ্ধান্ত) ৷ অলীক ভীতি ও কালচক্র আমাকে নাড়াতে পারবে না ৷ গােন ! আল্লাহর কসম !
তৃমিও নিশ্চয় উসমান ইবন আফ্ফানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের উস্কানি দাতাদের অন্যতম, তুমি তার
হত্যাকরীদের একজন এবং আশা করি মহান আল্লাহ তার বিনিময়ে যাদের হত্যা করবেন তুমিও
হবে তাদের অন্তর্ভুক্ত ৷ পরে শুবায়ছ-ইবন রিবঈ ও যিয়াদ ইবন খাসসাও কথা বললেন, তারা
১ তাবারীর বর্ণনায় সাদ আবু মুজাহিদ আত্তাঈ ৷
২ তাবারী ও আল কামিলৰুএর বর্ণনায় এরুপ রয়েছে ৷ মুল গ্রন্থের হাফসা সঠিক নয় ৷
لَا يَتَقَدَّمَ إِلَى أَهْلِ الشَّامِ بِقِتَالٍ حَتَّى يَبْدَأُوهُ أَوَّلًا بِالْقِتَالِ، وَلَكِنْ لِيَدْعُهُمْ إِلَى الْبَيْعَةِ مَرَّةً بَعْدَ مَرَّةٍ، فَإِنِ امْتَنَعُوا فَلَا يُقَاتِلْهُمْ حَتَّى يُقَاتِلُوهُ، وَلَا يَقْرَبْ مِنْهُمْ قُرْبَ مَنْ يُرِيدُ الْحَرْبَ، وَلَا يُبْعُدْ مِنْهُمْ إِبْعَادَ مَنْ يَهَابُ الرِّجَالَ، وَلَكِنْ صَابِرْهُمْ حَتَّى آتِيَكَ، فَأَنَا حَثِيثُ السَّيْرِ وَرَاءَكَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَبَعَثَ مَعَهُ بِكِتَابِ الْإِمَارَةِ عَلَى الْمُقَدِّمَةِ مَعَ الْحَارِثِ بْنِ جُمْهَانَ الْجُعْفِيِّ.
فَلَمَّا قَدِمَ الْأَشْتَرُ عَلَى الْمُقَدِّمَةِ، امْتَثَلَ مَا أَمَرَهُ بِهِ عَلِيٌّ، فَتَوَاقَفَ هُوَ وَمُقَدِّمَةُ مُعَاوِيَةَ وَعَلَيْهَا أَبُو الْأَعْوَرِ، فَلَمْ يَزَالُوا مُتَوَاقِفِينَ يَوْمَهُمْ ذَلِكَ، فَلَمَّا كَانَ آخِرُ النَّهَارِ حَمَلَ عَلَيْهِمْ أَبُو الْأَعْوَرِ السُّلَمِيُّ فَثَبَتُوا لَهُ، وَاضْطَرَبُوا سَاعَةً، ثُمَّ انْصَرَفَ أَهْلُ الشَّامِ عِنْدَ الْمَسَاءِ، فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ تَوَاقَفُوا أَيْضًا وَتَصَابَرُوا، فَحَمَلَ الْأَشْتَرُ فَقَتَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْمُنْذِرِ التَّنُوخِيَّ - وَكَانَ مِنْ فُرْسَانِ أَهْلِ الشَّامِ - قَتَلَهُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ يُقَالُ لَهُ: ظَبْيَانُ بْنُ عُمَارَةَ التَّمِيمِيُّ. فَعِنْدَ ذَلِكَ حَمَلَ عَلَيْهِمْ أَبُو الْأَعْوَرِ بِمَنْ مَعَهُ، فَتَقَدَّمُوا إِلَيْهِمْ، وَطَلَبَ الْأَشْتَرُ مِنْ أَبِي الْأَعْوَرِ أَنْ يُبَارِزَهُ، فَلَمْ يُجِبْهُ أَبُو الْأَعْوَرِ إِلَى ذَلِكَ، وَكَأَنَّهُ رَآهُ غَيْرَ كُفْءٍ لَهُ فِي ذَلِكَ - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - ثُمَّ تَحَاجَزَ الْقَوْمُ عَنِ الْقِتَالِ عِنْدَ إِقْبَالِ اللَّيْلِ مِنَ الْيَوْمِ الثَّانِي.
পৃষ্ঠা - ৫৯৯৩
فَلَمَّا كَانَ صَبَاحُ الْيَوْمِ الثَّالِثِ أَقْبَلَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي جُيُوشِهِ وَجَاءَ مُعَاوِيَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي جُنُودِهِ فَتَوَاجَهَ الْفَرِيقَانِ، وَتَقَابَلَ الْجَمْعَانِ - وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ - فَتَوَاقَفُوا طَوِيلًا، وَذَلِكَ بِمَكَانٍ يُقَالُ لَهُ: صِفِّينَ. وَذَلِكَ فِي أَوَائِلِ ذِي الْحِجَّةِ، ثُمَّ عَدَلَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَارْتَادَ لِجَيْشِهِ مَنْزِلًا، وَقَدْ كَانَ مُعَاوِيَةُ سَبَقَ بِجَيْشِهِ فَنَزَلُوا عَلَى مَشْرَعَةِ الْمَاءَ فِي أَسْهَلِ مَوْضِعٍ وَأَفْيَحِهِ، فَلَمَّا جَاءَ عَلِيٌّ نَزَلَ بَعِيدًا مِنَ الْمَاءِ، وَجَاءَ سَرَعَانُ أَهْلِ الْعِرَاقِ لِيَرِدُوا مِنَ الْمَاءِ، فَمَنَعَهُمْ أَهْلُ الشَّامِ فَوَقَعَ بَيْنَهُمْ مُقَاتَلَةٌ بِسَبَبِ ذَلِكَ.
وَكَانَ مُعَاوِيَةُ قَدْ وَكَّلَ عَلَى الشَّرِيعَةِ أَبَا الْأَعْوَرِ السُّلَمِيَّ، وَلَيْسَ هُنَاكَ مَشْرَعَةٌ سِوَاهَا، فَعَطِشَ أَصْحَابُ عَلِيٍّ عَطَشًا شَدِيدًا، فَبَعَثَ عَلِيٌّ الْأَشْعَثَ بْنَ قَيْسٍ الْكِنْدِيَّ فِي جَمَاعَةٍ لِيَصِلُوا إِلَى الْمَاءِ، فَمَنَعَهُمْ أُولَئِكَ وَقَالُوا: مُوتُوا عَطَشًا كَمَا مَنَعْتُمْ عُثْمَانَ الْمَاءَ. فَتَرَامَوْا بِالنَّبْلِ سَاعَةً، ثُمَّ تَطَاعَنُوا بِالرِّمَاحِ أُخْرَى، ثُمَّ تَقَاتَلُوا بِالسُّيُوفِ بَعْدَ ذَلِكَ كُلِّهِ، وَأَمَدَّ كُلَّ طَائِفَةٍ أَصْحَابُهَا، حَتَّى جَاءَ الْأَشْتَرُ مِنْ نَاحِيَةِ الْعِرَاقِيِّينَ، وَجَاءَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ مِنْ نَاحِيَةِ الشَّامِيِّينَ، فَاشْتَدَّتِ الْحَرْبُ بَيْنَهُمْ أَكْثَرَ مِمَّا كَانَتْ، وَقَدْ قَالَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ - وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَوْفِ بْنِ الْأَحْمَرِ الْأَزْدِيُّ - وَهُوَ يُقَاتِلُ:
পৃষ্ঠা - ৫৯৯৪
خَلُّوا لَنَا مَاءَ الْفُرَاتِ الْجَارِي ... أَوِ اثْبُتُوا لِجَحْفَلٍ جَرَّارِ
لِكُلِّ قَرْمٍ مُسْتَمِيتٍ شَارِ ... مُطَاعِنٍ بِرُمْحِهِ كَرَّارِ
ضَرَّابِ هَامَاتِ الْعِدَا مِغْوَارِ
ثُمَّ مَا زَالَ أَهْلُ الْعِرَاقِ يَكْشِفُونَ الشَّامِيِّينَ عَنِ الْمَاءِ حَتَّى أَزَاحُوهُمْ عَنْهُ وَخَلَّوْا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُ، ثُمَّ اصْطَلَحُوا عَلَى الْوُرُودِ حَتَّى صَارُوا يَزْدَحِمُونَ فِي تِلْكَ الشَّرِيعَةِ لَا يُكَلِّمُ أَحَدٌ أَحَدًا، وَلَا يُؤْذِي إِنْسَانٌ مِنْهُمْ إِنْسَانًا.
وَفِي رِوَايَةٍ أَنَّ مُعَاوِيَةَ لَمَّا أَمَرَ أَبَا الْأَعْوَرِ بِحِفْظِ الشَّرِيعَةِ وَقَفَ دُونَهَا بِرِمَاحٍ مُشْرَعَةٍ، وَسُيُوفٍ مُسَلَّلَةٍ، وَسِهَامٍ مُفَوَّقَةٍ، وَقِسِيٍّ مُوَتَّرَةٍ، فَجَاءَ أَصْحَابُ عَلِيٍّ عَلِيًّا فَشَكَوْا إِلَيْهِ ذَلِكَ، فَبَعَثَ صَعْصَعَةَ بْنَ صُوحَانَ إِلَى مُعَاوِيَةَ يَقُولُ لَهُ: إِنَّا جِئْنَا كَافِّينَ عَنْ قِتَالِكُمْ حَتَّى نُقِيمَ عَلَيْكُمُ الْحُجَّةَ، فَبَعَثْتَ إِلَيْنَا مُقَدَّمَتَكَ فَقَاتَلَتْنَا قَبْلَ أَنْ نَبْدَأَكُمْ بِالْقِتَالِ، ثُمَّ هَذِهِ أُخْرَى قَدْ مَنَعْتُمُونَا الْمَاءَ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ لِلْقَوْمِ: مَاذَا تَرَوْنَ؟ فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ خَلِّ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُ، فَلَيْسَ مِنَ النَّصَفِ أَنْ نَكُونَ رَيَّانِينَ وَهُمْ عِطَاشٌ. وَقَالَ الْوَلِيدُ: دَعْهُمْ يَذُوقُوا مِنَ الْعَطَشِ مَا أَذَاقُوا أَمِيرَ
পৃষ্ঠা - ৫৯৯৫
অধিকার নেই ৷ হার্বীব বলল, আল্লাহ্র কসম ৷ আপনি আমাকে আপনার অপছন্দনীয় অবস্থানেই
দেখতে পাবেন ৷ আলী (বা) বললেন, কোথাকার কে তুমি? তুমি তোমার অশ্বারােহী বাহিনী ও
পদাতিক বাহিনী সমবেত করলে আমি তোমার প্রতি দয়াপরবশ হলে মহান আল্লাহ্ তোমাকে
দয়া করবেন না ৷ যাও ! তোমার যেমন মনে চায় উথাল-পাথাল করা সীরাত গ্রন্থকারগণ এ
পর্যায়ে তাদের ও আলী (রা)-এর মধ্যে দীর্ঘ কথা কাটাকাটির বিবরণ দিয়েছেন, তার ও তাদের
মাঝে যে সব কথা কাটাকা টি হওয়ার বিষয়টি প্রমাণ সাপেক্ষ ৷ কেননা, সে কথাৰার্তার সুদীর্ঘ
বিবরণে আলী (রা) এর নামে মু আবিয়া (রা) ও তার পিতা (আবু সুফইয়ান) এর প্ৰতি
অবমাননাকর উক্তিও রয়েছে এবং তাদের ইসলাম গ্রহণ ও তাতে অবস্থান দ্বিধাযুক্ত হওয়ার উক্তি
এবং এ প্রকৃতির অন্যান্য উক্তি রয়েছে ৷ তাতে কথা প্রসংগে আলী (রা)এর নামে এ উক্তিও
উদ্ধৃত করা হয়েছে যে, তিনি বলেছেন উসমান মজলুম বা জালিম অবস্থায় শহীদ হয়েছেন তা
আমি বলব না ৷ তখন তারা বলল, যে ব্যক্তি এ কথা বলে না যে, উসমান (রা) মজংাম অবস্থায়
শহীদ হয়েছেন আমরা তার সঙ্গে সম্পর্কহীন ৷ তারা একথা বলে আলী (রা)এর নিকট হতে
বেরিয়ে গেল ৷
তখন তিনি বললেন :
এেৰুধ্ন্
তুণ্৷ তো মৃতকে কথা শোনাতে পারবে না, বধিরকেও পারবে না আহ্বান শোন ৷তে, যখন
তারা ৷পঠ ফিরিয়ে চলে যায় ৷ তুমি (অম্ভরের) অন্ধদের তাদের পথভ্রষ্টতা হতে পথে আনতে
পারবে না ৷ তুমি শোনাতে পারবে কেবল তাদের যারা আমার নিদর্শনাবলী বিশ্বাস করে আর
তারাই আত্মসমর্পণকারী ৷ (সুরা নাম্ল ২৭ষ্ক ৮০৮১) ৷
এরপর তিনি তার সঙ্গীদের বললেন, এরা একের ভ্রান্তি অনুসরণে একগুরেমিতে তোমাদের
সত্য অনুসরণ ও তোমাদের নবীর আনুপত্যে অনমনীয়তায় তোমাদের চেয়ে উক্তম নয় ৷ আমার
(গ্রন্থকাব ) মতে আলী (রা) এর নামে এসব কথা প্রামাণ্য নয় ৷
ইবন দীযীল তার সনদে আম্র ইবন সা দ এর সুত্র ধারায় বর্ণনা করেছেন, এ সময়
ইরাকবাসী কারীগণ এবং শামবাসী কারীগণ (সমকা ৷লীন পরিভাষায় কারী ) কুরআনৰিদ বিদ্বান
ও বিশেষজ্ঞ (আলিম অর্থে) এক প্রান্তে স্বতন্ত্ররুপে তাদের জনসমাবেশ ঘটিয়েছিল ৷ তাদের
ত্খ্যা ছিল অন্যুন ত্রিশ হাজার ৷ এ বর্ণনা মতে উবায়দ৷ সালম৷ ৷,নী আলকাম৷ ইবন কায়স,
আমির ইবন আবৃদ কায়স আবদৃল্লাহ্ ইবন উ৩ বা ইবন মাস’উদ প্রমুখ ইরাকী কারীগণ
মু আবিয়৷ (রা) এর কাছে গেলেন ৷৩ তারা তাকে বললেন, আপনার দাবি কিং তিনি বললেন,
আমার দাবি উসমান (রা) এর রক্ত (খুনেৱ বিচার) ৷৩ তারা বললেন, আপনার এ দাবি কার
বিরুদ্ধে? তিনি বললেন, আলীর বিরুদ্ধে ৷৩ তারা বললেন,৩ তিনিই কি তাকে হত্যা করেছেন ?
মুআবিয়া (রা ) বললেন, হীা, এবং তার হভ্যাকারীদের আশ্রয় দিয়েছে ৷
কারীগণ আলী (রা)-এর কাছে ফিরে গিয়ে তার কাছে মুআবিয়া (রা)-এর বক্তব্য
উপস্থাপন করলেন ৷ তিনি বললেন, যে অসত্য বলেছে, আমি তাকে হত্যা করিনি, এবং তোমরা
الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ حِينَ حَصَرُوهُ فِي دَارِهِ وَمَنَعُوهُ طَيِّبَ الْمَاءِ وَالطَّعَامِ أَرْبَعِينَ صَبَاحًا. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ: امْنَعْهُمُ الْمَاءَ إِلَى اللَّيْلِ فَلَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ إِلَى بِلَادِهِمْ. فَسَكَتَ مُعَاوِيَةُ، فَقَالَ لَهُ صَعْصَعَةُ بْنُ صُوحَانَ: مَاذَا جَوَابُكَ؟ فَقَالَ: سَيَأْتِيكُمْ رَأْيِي بَعْدَ هَذَا. فَلَمَّا رَجَعَ صَعْصَعَةُ فَأَخْبَرَ الْخَبَرَ، رَكِبَتِ الْخَيْلُ وَالرِّجَالُ فَمَا زَالُوا حَتَّى أَزَاحُوهُمْ عَنِ الْمَاءِ وَوَرَدُوهُ قَهْرًا، ثُمَّ اصْطَلَحُوا عَلَى وُرُودِهِ، وَلَا يَمْنَعُ أَحَدٌ أَحَدًا مِنْهُ.
وَأَقَامَ عَلِيٌّ يَوْمَيْنِ لَا يُكَاتِبُ مُعَاوِيَةَ وَلَا يُكَاتِبُهُ مُعَاوِيَةُ، ثُمَّ دَعَا عَلِيٌّ بَشِيرَ بْنَ عَمْرٍو الْأَنْصَارِيَّ، وَسَعِيدَ بْنَ قَيْسٍ الْهَمْدَانِيَّ، وَشَبَثَ بْنَ رِبْعِيٍّ التَّمِيمِيَّ فَقَالَ: ائْتُوا هَذَا الرَّجُلَ فَادْعُوهُ إِلَى الطَّاعَةِ وَالْجَمَاعَةِ، وَاسْمَعُوا مَا يَقُولُ لَكُمْ. فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَى مُعَاوِيَةَ قَالَ لَهُ بَشِيرُ بْنُ عَمْرٍو: يَا مُعَاوِيَةُ إِنَّ الدُّنْيَا عَنْكَ زَائِلَةٌ، وَإِنَّكَ رَاجِعٌ إِلَى الْآخِرَةِ، وَاللَّهُ مُحَاسِبُكُ بِعَمَلِكَ، وَمُجَازِيكَ بِمَا قَدَّمَتْ يَدَاكَ، وَإِنِّي أَنْشُدُكَ اللَّهَ أَنْ تَفَرِّقَ جَمَاعَةَ هَذِهِ الْأُمَّةِ، وَأَنْ تَسْفِكَ دِمَاءَهَا بَيْنَهَا. فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ: هَلَّا أَوْصَيْتَ بِذَلِكَ صَاحِبَكُمْ؟ ! فَقَالَ لَهُ: إِنَّ صَاحِبِي أَحَقُّ هَذِهِ الْبَرِيَّةِ بِالْأَمْرِ فِي فَضْلِهِ وَدِينِهِ وَسَابِقَتِهِ وَقَرَابَتِهِ، وَإِنَّهُ يَدْعُوكَ إِلَى مُبَايَعَتِهِ، فَإِنَّهُ أَسْلَمُ لَكَ فِي دُنْيَاكَ، وَخَيْرٌ لَكَ فِي أُخْرَاكَ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: وَيُطَلُّ دَمُ عُثْمَانَ؟ لَا وَاللَّهِ لَا
পৃষ্ঠা - ৫৯৯৬
তো জানই যে, আমি তাকে হত্যা করিনি ৷ কারীগণ এ জবাব নিয়েঘুআবিয়া (রা)এর কাছে
ফিরে গেলে তিনি বললেন, “যে নিজ হাতে হত্যা না করলেও কতক লোককে আদেশ
দিয়েছে ৷ কারীগণ আলী (রা) এর কাছে ফিরে গেলে তিনি বললেন, আল্লাহ্র কলম! আমি
হত্যা করিনি, আদেশও দেইনি এবৎ উদ্বুদ্ধও করিনি ৷
কারীগণ মু আবিয়৷ (রা) এর কাছে ফিরে গিয়ে তাকে এ জবাব অবহিত করলেন ৷ তিনি
বললেন, যদি বাস্তব তেমনই হয়, যেমন সে বলছে তবে যে কেন আমাদের বাদ রেখে এবং
আমাদের ও এখানে যারা আছে তাদের মতামত গ্রহণ ব্যতীত কর্তৃতু পরিচালনা করতে
লেগেছে? কারীগণ আ ৷লী (রা) এর কাছে ফিরে গেলে তিনি বললেন, জনতা রয়েছে যুহাজির ও
আনসারদের সঙ্গে ৷ তাদের ক্ষমতা, কর্ততু ও তাদের দীনের ব্যাপারে তারাই জনতার
প্রতিনিধি ৷
তারা আমার প্রতি সম্মত হয়ে আমার হাতে বায়আত করেছে ৷ এ ছাড়া আমি মুআবিয়ার
ন্যায় ব্যক্তিকে উম্মতেব উপর শাসন ক্ষমতা চালাবার ও তাদের উপরে ছড়ি ঘোরাবার সুযোগ
দেওয়াকে বৈধ মনে করি না ৷ তারা পুনরায় মুআবিয়৷ (রা)-এর কাছে ফিরে গেলে তিনি
বললেন, তাহলে আমাদের এখানে যে মুহাজির ও আনসারগণ রয়েছেন, তারা কেন এ
বিষয়টিতে ( আলী-র সাথে) অংশঃাহণ করলেন না ? এ প্রশ্ন নিয়ে তারা আলী (রা) এর কাছে
ফিরে এলে তিনি বললেন, এ অধিকার শুধু বদরী সাহাবীগণের, অন্যদের নয় ৷ আর যতজন
বদবী সাহাবী পৃথিবীতে বেচে আছেন তারা সকলেই আমার সঙ্গে আছেন ৷ তারা আমার হাতে
স্বতঃস্ফুর্ত সম্মতিতে বায়আত করেছেন ৷ কাজেই, কেউ যেন তোমাদের দীন ও তোমাদের
নিজেদের বিষয়ে তোমাদের প্ৰতারিত না করে ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এভাবে রবী উস সানী, জুমাদাল উল৷ ও জুমাদাল উখরা তিন মাস ধরে
জবাব পাল্টা জবাব চলতে থাকলে এবৎএ সময়ের মধ্যে তারা একের পর এক আলোচনার গুটি
চালতে থাকলেন এবং কারীদের দৃইদািক পমনাপমন চলতে থাকল ৷ তিন মাসে তারা পচাশিবাব
কথার গুটি চালাচালি করলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এক পর্যায়ে আবুদ দারদা (বা) ও আবু
উমামা (রা)১ মুআবিয়া (রা)-এর কাছে গেলেন ৷
তারা বললেন, হে মু আবিয়া এ ব্যক্তির সঙ্গে তোমার যুদ্ধ করার সুত্র কী? আল্লাহর কলম
সে ইসলাম গ্রহণে তোমার চেয়ে ও তোমার পিতার চেয়ে অগ্রণী, আত্মীয়তায় রাসুলুল্লাহ
ন্ষ্ণ্শ্ ন্ৰুএর সঙ্গে অধিক নিকটবর্তী এবং এ (খিলাফা৩ র) বিষয়টিতে তোমার চেয়ে অধিক
অগ্ৰাধিকাৰী ৷
ঘু আৰিয়৷ (রা) বললেন, উসমানের খুনের দাবিতে আমি৩ার ৷বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি এবংএ
কারণে যে, সে তার হত্যাকারীদের আশ্রয় দিয়েছে ৷ কাজেই, তোমরা দুইজন ফিরে গিয়ে তাকে
১ মুল গ্রন্থ ও আল আখবারুত র্তিওয়াল এর বর্ণনা অনুরুপই ৷ ইবনুল আছাম এর ফুতুহে নাম রয়েছে আবুদ
দাৱদা ও আবু হুরায়রা (বা) ৷ আবুদ সারদা-ব নামটি এসেছে শুধু ওয়াকিদীর বর্ণনায় ৷ তাবারীব তারীখ-ও
ইবনুল আহীরের আল কামিলে ঘটনাটির উল্পেখমাত্র নেই ৷ এছাড়া আমাদের বিগত নিকটবর্তী বর্ণনায়
উসমান (রা) এর খিলাফতকালে আবুদ দারদ৷ (রা) এর মৃত্যুর কথা ৷বধৃত হয়েছে ৷ (আরও দ্রষ্টব্য-আল
ইসাবা, ৫৪৬ ও তাহযীবুত তাহযীব, ৮১ ৭৬)
أَفْعَلُ ذَلِكَ أَبَدًا. ثُمَّ أَرَادَ سَعِيدُ بْنُ قَيْسٍ الْهَمْدَانِيُّ أَنْ يَتَكَلَّمَ، فَبَدَرَهُ شَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ فَتَكَلَّمَ قَبْلَهُ بِكَلَامٍ فِيهِ غِلْظَةٌ وَجَفَاءٌ فِي حَقِّ مُعَاوِيَةَ، فَزَجَرَهُ مُعَاوِيَةُ وَزَبَرَهُ فِي افْتِيَاتِهِ عَلَى مَنْ هُوَ أَكْبَرُ مِنْهُ وَأَشْرَفُ، وَفِي كَلَامِهِ بِمَا لَا عِلْمَ لَهُ بِهِ، ثُمَّ أَمَرَ بِهِمْ، فَأُخْرِجُوا مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ، وَصَمَّمَ عَلَى الْقِيَامِ بِطَلَبِ دَمِ عُثْمَانَ الَّذِي قُتِلَ مَظْلُومًا.
فَعِنْدَ ذَلِكَ نَشِبَتِ الْحَرْبُ بَيْنَهُمْ، وَأَمَرَ عَلِيٌّ بِالطَّلَائِعِ وَالْأُمَرَاءِ أَنْ يَتَقَدَّمُوا لِلْحَرْبِ، وَجَعَلَ عَلِيٌّ يُؤَمِّرُ كُلَّ يَوْمٍ عَلَى الْحَرْبِ أَمِيرًا، فَمِنْ أُمَرَائِهِ عَلَى الْحَرْبِ ; الْأَشْتَرُ النَّخَعِيُّ - وَهُوَ أَكْبَرُ مَنْ كَانَ يَخْرُجُ لِلْحَرْبِ - وَحُجْرُ بْنُ عَدِيٍّ، وَشَبَثُ بْنُ رِبْعِيٍّ، وَخَالِدُ بْنُ الْمُعَمَّرِ، وَزِيَادُ بْنُ النَّضْرِ، وَزِيَادُ بْنُ خَصَفَةَ، وَسَعِيدُ بْنُ قَيْسٍ، وَمَعْقِلُ بْنُ قَيْسٍ، وَقَيْسُ بْنُ سَعْدٍ. وَكَذَلِكَ فَعَلَ مُعَاوِيَةُ ; كَانَ كُلَّ يَوْمٍ يَبْعَثُ عَلَى الْحَرْبِ أَمِيرًا، فَمِنْ أُمَرَائِهِ ; عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَأَبُو الْأَعْوَرِ السُّلَمِيُّ، وَحَبِيبُ بْنُ مَسْلَمَةَ، وَذُو الْكَلَاعِ الْحِمْيَرِيُّ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَشُرَحْبِيلُ بْنُ السِّمْطِ، وَحَمْزَةُ بْنُ مَالِكٍ الْهَمْدَانِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৫৯৯৭
وَرُبَّمَا اقْتَتَلَ النَّاسُ فِي الْيَوْمِ مَرَّتَيْنِ، وَذَلِكَ فِي شَهْرِ ذِي الْحِجَّةِ بِكَمَالِهِ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ عَنْ أَمْرِ عَلِيٍّ لَهُ بِذَلِكَ.
فَلَمَّا انْسَلَخَ ذُو الْحِجَّةِ وَدَخَلَ الْمُحَرَّمُ تَدَاعَى النَّاسُ لِلْمُتَارَكَةِ، لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بَيْنَهُمْ عَلَى أَمْرٍ يَكُونُ فِيهِ حَقْنُ دِمَائِهِمْ، فَكَانَ مَا سَنَذْكُرُهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.